• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, December 22nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

রাশি অনুযায়ী যৌনতা

সুপ্রভাত
আজকের বিষয় রাশি অনুযায়ী যৌনতা( পছন্দের রাশি অনুয়ায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে দ‍্যাম্পত‍্য জীবন সুন্দর হয়)
মেষ:
যৌনতায় ধৈর্য ধরা এঁদের ধাতে নেই। বিশেষ সময় নষ্ট না করে সরাসরি স্পর্শসুখের শিখরে পৌঁছতে এঁরা পছন্দ করেন। তবে চিত্তাকর্ষক ও উন্মাদনাময় যৌনতাই এঁদের টানে। মনের মতো যৌনসঙ্গী: সিংহ, ধনু, মিথুন ও কুম্ভ।
কেমন যৌনতা পছন্দ: যৌনতার বিচিত্র স্বাদ পছন্দ করেন। এ বিষয়ে দীর্ঘসূত্রিতা ও বাচালতা এঁদের না-পসন্দ। কেমন যৌনতা অপছন্দ: একঘেয়ে যৌন জীবন এঁদের অসহ্য মনে হয়। ধরাবাঁধা গতে যৌনাভ্যাস এঁদের রুচিতে ব্রাত্য।

বৃষ

ধীরে-সুস্থে যৌনতার পথ ধরতেই এঁরা ভালোবাসেন। ভালো খাওয়াদাওয়া, সংগীতের আবহ এবং ধীর গতির যৌন উত্তেজনায় এঁরা সাড়া দেন। প্রথমে দোনামোনা করলেও একবার যৌনসঙ্গী নির্বাচন করার পর এঁরা কখনও অন্যত্র অভিযানের চেষ্টা করেন না। মনের মতো যৌনসঙ্গী: কন্যা, মকর, কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন। কেমন যৌনতা পছন্দ: কেতাবি যৌনতার প্রতি এঁরা আকৃষ্ট হন। আদর্শ রোমান্টিক পরিবেশে এঁরা উত্তেজিত বোধ করেন। কেমন যৌনতা অপছন্দ: যৌনতায় তাড়াহুড়ো করার চেষ্টা করলে এঁরা মেজাজ হারান। শরীরী খেলায় নিত্যনতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলেও বিরক্ত বোধ করেন।

মিথুন

দেহজ ব্যাপারে এগোনোর আগে মানসিক ভাবে এঁরা উত্তেজিত হতে চান। একবার এঁদের মন জয় করতে পারলে কোনও আপত্তি তোলেন না। মনে রাখা দরকার, অল্পেতেই এঁরা অমনোযোগী হয়ে পড়েন। বিছানায় অত্যধিক বকবক করতেও ভালোবাসেন। মনের মতো যৌনসঙ্গী: তুলা, কুম্ভ, মেষ, সিংহ ও ধনু। কেমন যৌনতা পছন্দ: যৌন উত্তেজনাময় কথোপকথন এঁদের খুব পছন্দ। যৌনতার নানান নতুন কৌশল সম্পর্কে আলোচনায় এঁদের উত্তেজনার পারদ চড়ে। কেমন যৌনতা অপছন্দ: বেশি আঁকড়ে ধরলে সেই সম্পর্ক এঁদের কাছে রং হারায়। স্বাধীনতা এঁরা পছন্দ করেন। তাই বলে বহুগামী হয়ে পড়েন না।

কর্কট

শুধুমাত্র যৌনতা এই রাশির জাতক-জাতিকাদের রুচিতে বাধে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি না হলে শরীরী খেলায় এঁরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ হওয়ার কারণে একবার সম্পর্ক গড়লে সহজে ছাড়েন না। ভালোবাসার ভিতের ওপর যৌনতার ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলাতেই এঁদের অভীষ্ট সিদ্ধি হয়। মনের মতো যৌনসঙ্গী: বৃষ, কন্যা, মকর, বৃশ্চিক ও মীন। কেমন যৌনতা পছন্দ: যৌন উত্তেজনা তৈরি করতে সুখাদ্যের ওপর এঁরা নির্ভরশীল। সেই সঙ্গে বিশ্বস্ততার প্রতি এঁদের অমোঘ টান থাকায় সম্পর্ক যত গভীর হয় এঁদের কামোত্তেজনাও বাড়তে থাকে। কেমন যৌনতা অপছন্দ: এঁদের সঙ্গে মেলামেশার সময় সাবধান কারণ তুচ্ছ কোনও ঘটনাও এঁরা ভোলেন না। যৌন মুহূর্তে চেষ্টা করতে হবে এঁরা যেন কিছুতেই আহত বোধ না করেন।

সিংহ

প্রবল আত্মসচেতন এই রাশির জাতক-জাতিকা যৌনতাতেও নাটকীয়তা পছন্দ করেন। বাহবা পেতে এঁরা ভালোবাসেন এবং গুণমুগ্ধদের তুষ্ট করার সব রকম চেষ্টা করেন। যৌনতা নিয়ে নিত্যনতুন পরীক্ষা চালাতেও এঁরা পারদর্শী, শরীরী খেলার খুঁটিনাটি এঁদের স্বভাবজাত। শুধু দরকার একটু খোশামোদের। মনের মতো যৌনসঙ্গী: কর্কট, ধনু, মিথুন, তুলা ও কুম্ভ। কেমন যৌনতা পছন্দ: প্রশংসার কথায় এঁরা খুশি হন। বিছানায় এঁদের রূপ বা বুদ্ধিমত্তার তারিফ করলে প্রবল কামোত্তেজনা বোধ করেন। কেমন যৌনতা অপছন্দ: হুকুম তামিল করা এঁদের স্বভাব-বিরোধী। যৌনতার সময় সরাসরি কারও চাহিদা পূরণের বায়না এঁদের মেজাজ নষ্ট করে দেয়।

কন্যা

এই রাশির জাতক-জাতিকারা যৌনতার ব্যাপারে বেশ খুঁতখুঁতে হন। মনোরম পরিবেশ, পরিস্কার বিছানা, সাজানো ঘর, মায়াবী আলো, রোম্যান্টিক মুড না-হলে এঁরা যৌনতায় লিপ্ত হতে চান না। এঁরা একটি শান্ত সম্পর্কের মধ্যেই শুধু নিজেকে উজাড় করেন। বিছানায় অ্যাগ্রেসিভ পার্টনার এঁদের না-পসন্দ। মনের মতো যৌনসঙ্গী: বৃষ, মকর, কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন কেমন যৌনতা পছন্দ: ঝকঝকে পরিস্কার বিছানা, দীর্ঘস্থায়ী একটি সম্পর্ক এঁরা পছন্দ করেন। শরীরী প্রেমের আগে একটি ভালো উপহার, মনের মতো কবিতায় পছন্দ করেন। যৌনতার ব্যাপারে এঁরা খানিক পুরনোপন্থী। কেমন যৌনতা অপছন্দ: শরীরী আদরের সময় পার্টনারের অ্যাগ্রেসিভ বা আক্রমণাত্মক হওয়া পছন্দ করেন না। নোংরা কথা, মাটিতে শুয়ে সেক্স, চরম ধস্তাধস্তি এঁদের স্বভাব-বিরুদ্ধ। শান্ত, সুন্দর, আরামদায়ক পরিবেশেই এঁরা যৌনতায় উত্‍‌সাহী হন।

তুলা

বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন, অভিজাত ব্যক্তিত্বের তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা দারুণ শয্যাসঙ্গী। এক কথায় যৌনতায় এঁরা পারফেকশনিস্ট। এঁদের চিন্তা-ভাবনা, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পার্টনারের বুদ্ধিমত্তার মিল না-হলে এঁরা শরীরী প্রেমে উত্‍‌সাহ পান না। মনের মতো যৌনসঙ্গী: মিথুন, কুম্ভ, মেষ, সিংহ, ধনু কেমন যৌনতা পছন্দ: সুন্দর সাজানো বেডরুম, মনোরম পরিবেশেই যৌনতা পবছন্দ করেন। এঁরা বুদ্ধিমান ও শান্ত স্বভাবের হয় বলে পার্টনারের কাছ থেকেও সেটাই আশা করেন। যৌনতার আগে নানা রকম গল্প করতে পছন্দ করেন। কেমন যৌনতা পছন্দ করেন না: এঁরা হোটেলের ঘর ভাড়া করে সেক্স করা একেবারেই পছন্দ করেন না। লাক্সারি কেবিন হলে আলাদা কথা, না-হলে খোলা আকাশের নীচে সেক্স এঁদের একেবারেই না-পসন্দ। মোটের উপর অভিজাত পরিবেশই এঁদের কাঙ্ক্ষীত।

বৃশ্চিক

এই রাশির জাতক জাতিকারা খামখেয়ালি স্বভাবের হয়, সবাই জানেন। একই সঙ্গে যৌনতার সময় এঁদের মুড হঠাত্‍ পরিবর্তন হয়ে যায়। এঁদের মুড তোফা থাকলে সঙ্গীকে চরম শরীরী আদরে মুগ্ধ করে দেবে। এঁরা মনের মিল না হলে সেক্স করা পছন্দ করেন না। মনের মতো যৌনসঙ্গী: কর্কট, মিথুন, তুলা, মীন ও কুম্ভ কেমন যৌনতা পছন্দ: এঁদের শরীরী আদরের আগে মন বোঝা দরকার। মনের মিল না-হলে এঁরা একেবারেই যৌনতায় উত্‍‌সাহ পান না। কেমন যৌনতা অপছন্দ: নিজেকে জাহির করার চেষ্টা না করাই ভালো এঁদের কাছে। যৌনতার আ্রগে ভেবেচিন্তে কথা বলা দরকার।

ধনু

এই রাশির জাতক জাতিকারা যৌনতার সময় প্রচণ্ড আকুল ও উত্‍‌সাহী হয়। এঁরা যখন বিছানায় থাকেন, তখন পৃথিবীতে পার্টনারকে ছাড়া আর কাউকে চেনে না। এঁরাল যখন-তখন, যেকোনও জায়গায় যৌনতায় মাততে পারেন। মনের মতো যৌনসঙ্গী: মেষ, সংহ, মিথুন, তুলা ও কুম্ভ কেমন যৌনতা পছন্দ: সেক্সের সময় অ্যাডভেঞ্চার এঁরা পছন্দ করেন। নতুন স্টাইল, নতুনত্ব পজিশনে যৌনতায় মাততে ভালোবাসেন। কেমন যৌনতা না-পসন্দ: এঁরা একঘেঁয়েমি একেবারেই পছন্দ করেন না। ঘরে বসে বসে টিভি দেখা বা গেম খেলা পার্টনার এঁদের না-পসন্দ। এঁদের খুশি করতে গেলে প্রাণবন্ত হতে হবে।

মকর

এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত কাজপাগল হয়। কিন্তু একবার বিছানায় এঁরা সেরা পার্টনার। এঁদের কাম উত্তেজনা ধীরে ধীরে বাড়ে। এবং বেড়ে গেলে এঁরা চরম শরীরী আদরে লিপ্ত হয় ও পূর্ণ যৌন আনন্দ উপভোগ করে। মনের মতো যৌনসঙ্গী: বৃষ, কন্যা, কর্কট, বৃশ্চিক, মীন কেমন যৌনতা পছন্দ: স্মার্ট ও ধীরস্থির ব্যক্তিকেই বেড পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেন। যৌনতার সময় সেক্সি পোশাক ও রোম্যান্টিক পরিবেশ এঁদের পছন্দ। কেমন যৌনতা না-পসন্দ: কাজের ক্ষতি করে যৌনতা এঁরা পছন্দ করেন না। পর্যাপ্ত সময় ও বিশ্রামের মুড থাকলে, তবেই যৌনতায় মাতেন।

কুম্ভ

এঁদের কোনও বিষয় ইন্টারেস্টিং মনে হলে, সেই বিষয় নিয়ে মেতে যেতে ভালোবাসেন। যৌনতার সময়েও এঁরা পার্টনারের বুদ্ধিমত্তা পরখ করে নেন। বুদ্ধিমান, ঠান্ডা মস্তিষ্ক, ব্যক্তিত্ববান পার্টনারের সঙ্গেই এঁরা স্বচ্ছন্দ্য। মনের মতো যৌনসঙ্গী: মিথুন, মেষ, সিংহ, কুম্ভ কেমন যৌনতা পছন্দ: আত্মবিশ্বাসী, বুদ্ধিমান পার্টনার না হলে এঁরা নিজেদের গুটিয়ে রাখেন। কেমন যৌনতা অপছন্দের: মিলনের সময় স্বাধীনতা এঁদের পছন্দের। সুতরাং বিছানায় কোনও ভাবে এঁদের নিজের মতো বেঁধে রাখার চেষ্টা করলে বা নিজের মতো চালনা করার চেষ্টা করলে পস্তাতে হবে।

মীন

এঁরা যখন-তখন সেক্সুয়াল স্টাইল পরিবর্তন করতে পারে। পার্টনার যেমন চাইছেন, ঠিক তেমন ভাবেই যৌনতায় মাততে পারেন। এঁরা আবেগপ্রবণ, কিন্তু বুদ্ধিমান হন না। এঁরা যৌন আনন্দ নিজেরা উপভোগ করার পাশাপাশি পার্টনার উপভোগ করছে কিনা, সেই খেয়ালও রাখেন। মনের মতো যৌনসঙ্গী: বৃশ্চিক, কর্কট, বৃষ, কন্যা, মকর কেমন যৌনতা পছন্দ: পার্টনার খুশি হলে, এঁরাও খুশি হন। আবেগপ্রবণ হন, ফলে পার্টনারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন সাজাতে পছন্দ করেন। কেমন যৌনতা পছন্দ নয়: মিলনের আগে ঠান্ডা মেজাজে, বুদ্ধদীপ্ত, বাস্তব কথা বললে, এঁদের উত্তেজনা কমে যায়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191222090638

Wednesday, December 18th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

দ‍্যাম্পত‍্য জীবনে নক্ষত্রের প্রভাব ও বিভিন্ন যোগ

শুভ সন্ধ্যা
দাম্পত্য জীবনে নক্ষত্রের প্রভাব ও জন্মের সময়বিভিন্ন যোগ।

প্রতিটি রাশিতে তিনটি নক্ষত্র থাকে। আবার প্রতিটি নক্ষত্র কোনও না কোনও গ্রহের অধীন। যেমন অশ্বিনী, মঘা ও মূলা, এই তিনটি নক্ষত্রের অধিপতি কেতু। এই নক্ষত্রগুলির প্রথম অংশে কোনও শিশুর জন্ম হলে খারাপ বলে ধরা হয়।

জ্যোতিষে শিশুর জন্মের পর তার গণ্ড দোষ বিচার করার রেওয়াজ আছে। আশ্লেষা ও মঘার খারাপ অংশে জন্মালে রাত্রি গণ্ড বলে। কোনও শিশু জেষ্ঠা ও মূলার খারাপ অংশে জন্মালে দিবা গণ্ড বলে। রেবতী ও অশ্বিনীর খারাপ অংশে জন্মালে সন্ধ্যা গণ্ড বলে। কোনও শিশু সকাল বা সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা গণ্ডের মধ্যে জন্মালে তা বেশ খারাপ বলে মনে করা হয়। সন্ধ্যা গণ্ডে কোনও শিশুর জন্ম হলে সেই শিশুর পক্ষে খুব খারাপ। আবার রাত্রি গণ্ডে কোনও শিশুর জন্ম হলে তার মার পক্ষে ভয়ঙ্কর খারাপ। ঠিক একই ভাবে দিবা গণ্ডে কোনও শিশুর জন্ম তার পিতার পক্ষে বিপজ্জনক।

যে সব জাতকের জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম, তাদের বিবাহিত জীবন কতটা ক্ষতিকর সে বিষয় আলোচনা করব। কোনও জাতকের বৃশ্চিক রাশিতে জন্ম হলে দেখতে হবে, তার জন্ম, জেষ্ঠা নক্ষত্রের অধিনে হয়েছে কিনা। বৃশ্চিক রাশিতে জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম বিবাহিত জীবনে নানা রকমের বিপদ ডেকে আনে। অশান্তিময় বিবাহিত জীবন নির্দেশ করে। নানা রকমের গণ্ডগোল হয়ে শেষমেশ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। কোনও জাতিকার জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম হলে তার উচিত হবে না কোনও বাড়ির জ্যেষ্ঠ পুত্র বিবাহ করা।

অনেক ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠার জাতিকা নপুংসক স্বামী লাভ করে। অথবা স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যদি এ সব কিছু না হয়, তবু দাম্পত্য জীবন নানা কারণ ঘিরে বিষময় হয়ে থাকে। উপরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেষ্ঠার জাতকের বিবাহ করার আগে ভাল করে ভেবে বিয়ের পিঁড়িতে বসা উচিত।

যোগ:

যোগ সাতাশটি। সংখ্যা এবং ক্রমানুসারে তাদের বিভিন্ন নাম। এদের মধ্যে বিষকুম্ভ, পরিঘ, ব‍্যতিপাত, বজ্র, ব‍্যাঘাত, বৈধৃতি, শূল,গণ্ড, অতিগণ্ড, শুভ কাজে বর্জনীয়।

বিবাহে বর্জনীয়- ব‍্যতিপাত, ধ্রুব, গণ্ড, বজ্র, শূল, বিষকুম্ভ, অতিগণ্ড, ব‍্যাঘাত, পরিঘ।

তিথি ও বারের সংযোগ:

রবিবারে দ্বাদশী, সোমবারে একাদশী, বুধবারে দশমী, বৃহস্পতিবারে নবমী, শুক্রবারে অষ্টমী- কোনও শুভ কাজে ভাল নয়।

তিথি ও নক্ষত্র যোগ:

দশমীতে রোহিণী, ত্রয়োদশীতে উত্তর ফাল্গুনী, প্রতিপদে পূর্বাষাঢ়া, দ্বাদশীতে অশ্লেষা, পঞ্চমীতে কৃত্তিকা, অষ্টমীতে পূর্ব ভাদ্রপদ অশুভ।

তিথি, বার ও নক্ষত্র যোগ:

রবি, শনি ও মঙ্গলবার যখন দ্বিতীয়া, সপ্তমী, দ্বাদশী তিথি এবং নক্ষত্র থাকবে বিশাখা, উত্তর ফাল্গুনী, পূর্ব ভাদ্রপদ, পুনর্বসু,কৃত্তিকা বা উত্তরাষাঢ়া- তখন একে ত্রিপুষ্কর যোগ বলে, এটি অত‍্যন্ত অশুভ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191218192521

Saturday, December 14th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

বিষকন‍্যা যোগ ও জোতিষ

সুপ্রভাত
***বিষকন‍্যা যোগ***
কপি করবেন না,ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
'বিষকন্যা' যোগ কি ? এই যোগ শুভ না অশুভ ? বিবাহিত জীবনে এই যোগের প্রভাব কতখানি ? এই যোগের ফলাফল কি ?

জ্যোতিষ শাস্ত্রের ‘স্ত্রী-জাতক’ অধ্যায়ে বিয়ের পক্ষে অশুভ একাধিক যোগের কথা বলা হয়েছে, যা খুবই অশুভ এবং সুস্থ, স্বাভাবিক ও সুখী বিবাহিত জীবনের অন্তরায়। যেমন- বিষকন্যা যোগ, বহুগামিতা, অস্বাভাবিক যৌনাচার ইত্যাদি। বিবাহ বিচারে সহজে চোখ এড়িয়ে যায় এবং প্রায় অনালোচিত প্রধান যোগটি হল 'বিষকন্যা' যোগ। শাস্ত্রে বিষকন্যা যোগে জন্ম হওয়া কন্যাকে বিষ-তুল্য বলা হয়েছে। তথাকথিত 'মাঙ্গলিক' বা 'ভৌমদোষে'র ও কালসর্প দোষের থেকেও এই যোগ প্রবল অশুভ।

বিষকন্যা যোগ তিন ধরনের হতে পারে – (১) বার, তিথি ও নক্ষত্র সমন্বয়ে, (২) বিশেষ তিথি ও নক্ষত্র সমন্বয়ে, (৩) জন্ম ছকের ভাব কেন্দ্রিক অশুভ গ্রহাবস্থান ও সমন্বয়ে।

প্রথম প্রকার বিষকন্যা যোগ --- এই যোগ গড়ে ওঠে যখন –

(১) শনিবার, দ্বিতীয়া তিথি এবং অশ্লেষা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়।

(২) রবিবার দ্বাদশী তিথি এবং শতভিষা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়।

(৩) মঙ্গলবার,সপ্তমী তিথি এবং বিশাখা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়।

দ্বিতীয় প্রকার বিষকন্যা যোগ –- এই যোগ গড়ে ওঠে যখন-

(১) শুক্লা বা কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে চিত্রা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়।

তৃতীয় প্রকার বিষকন্যা যোগ --- এই যোগ মূল জন্ম ছকের ভাব-কেন্দ্রিক গ্রহাবস্থান অনুসারে গড়ে ওঠে –

(১) লগ্নে শনি, পঞ্চমে রবি এবং নবমে মঙ্গল অবস্থান করলে,

(২) লগ্নে শুভ ও অশুভ গ্রহ উভয়েই থাকবে এবং ষষ্ঠে দুটি অশুভ গ্রহ থাকবে।

এই বিষযোগে জন্ম হওয়া জাতিকার অন্যান্য সৎ গুণ থাকা সত্বেও অকাল বৈধব্য, সন্তান-হানি, স্বামী পরিত্যক্তা, কুলটা ও দুরাচারিণী হয়। একাধিক অবৈধ প্রণয় ও নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া লাগামহীন ব্যভিচার, বিলাস-ব্যসন, উদ্দাম জীবন যাপন করে। বংশ, মান-মর্যাদা ও কুল- শীলের হানি ও অধোগমনের কারণ হয়।

জন্মেছকে বিষকন্যা যোগ থাকলে, গুরুত্ব সহকারে খণ্ডন বা ভঙ্গ যোগ আছে কিনা, বিচার করে দেখা উচিৎ। বিষকন্যা যোগ ভঙ্গ হবে যদি ---

(ক) লগ্নের সপ্তম পতি বা সপ্তম ভাব শুভদৃষ্ট বা শুভগ্রহ যুক্ত হয়।
(খ) চন্দ্রের সপ্তম পতি বা সপ্তম ভাব -শুভ দৃষ্ট বা শুভগ্রহ যুক্ত হয়।
(গ) লগ্ন ও চন্দ্র- উভয়েই শুভ গ্রহ যুক্ত হলে বা শুভগ্রহ দৃষ্ট হলে এবং সেই সঙ্গে সপ্তমে শুভ গ্রহের জোরালো প্রভাব বা দৃষ্টি থাকলে।

যদি কোনও রাশি চক্রে বিষকন্যা যোগটি পূর্ণ ভাবে থাকে বা আংশিক ভাবে বা নাক্ষত্রিক সংযোগ থাকে তাহলে একই ধরণের ফলাফল ঘটতে দেখেছি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে এই যোগ নারীপুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য এবং বহু পুরুষের জীবনে এই যোগ বিষময় ফল দিয়েছে। বিশেষ করে যদি চন্দ্র – অশ্লেষা (৯), চিত্রা (১৪), বিশাখা (১৬) বা শতভিষা (২৪) নক্ষত্রে থাকে এবং গ্রহ হিসাবে শুক্র, মঙ্গল ও রাহু যদি জন্ম ছকের সপ্তম, অষ্টম, দ্বাদশ বা লগ্নে অবস্থান করে অথবা যে কোনও ধরনের অশুভ সংযোগ তৈরি করে, তাহলে বিষকন্যা যোগ প্রবল ভাবে জীবনে ফলদায়ক হয়। এই প্রসঙ্গে জানাই, হিন্দি সিনেমা জগতের এক মহা-নায়িকার এবং স্যার আশুতোষ মুখার্জির কন্যার এই যোগ থাকায় বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। জনশ্রুতি, স্যার আশুতোষ মুখার্জির কন্যা কমলা দেবীর তিনবার বিয়ে হয় এবং তিনবারই বৈধব্য বরণ করেন। বিবাহ বিচার করার সময় বিষকন্যা যোগ আছে কি না এবং সেই সঙ্গে সমগ্র রাশিচক্রের সার্বিক শুভাশুভ গ্রহাবস্থান অবশ্যই বিচার করা উচিৎ।বিষকন‍্যা যোগ জন্ম ছকে তৈয়ারী হলে ,তা অভিজ্ঞ জোতিষের পরামর্শ নিন ,এবং এ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।কোনো রত্ম না শুধুমাত্র বীজমন্ত্র ও ধূমাবতী যন্ত্রমের প্রয়োগবিধীর প্রয়োজন।
বীজমন্ত্র কেতু : ঔঁ ঐং হ্রীং কেতবে ১০৮ বার
ধূমাবতী : ধূম ধূম ধূমাবতী স্বাহা ১০৮ বার।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191214075203

Wednesday, December 11th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহের আগে ও পরে শুভাশুভত্ব

জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহের আগে ও পরে শুভাশুভত্ব

সুপ্রভাত
জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহ বন্ধনের আগে ও পরে শুভাশুভত্ব

আজকের বিষয় টি আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ভালো করে পড়ে মন্তব্য ও শেয়ার করুন।যাতে সারা ভারত বাসী পড়ে উপকৃত হন,বৈদিক জোতিষ শ্রাস্ত্রে র প্রতি আস্থা রাখেন।প্রতিবেদন টি লিখতে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অনেক সময় লেগেছে,দয়া করে কেউ কপি করবেন না
স্বাধীনতার মাধ্যমে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের জীবনকে সংসারের সকলের সঙ্গে একাত্ম করে, সুন্দর ভাবে কাটানোর অর্থ হল বিয়ে। বর্তমান সমাজে প্রায়শই দেখা যায় যে দম্পতিরা বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় জর্জরিত। দাম্পত্য জীবনে সুখের অভাব থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়া থেকে প্রেম আজকের দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে আমাদের খুঁজতে হবে এই সমস্যার গুলির কারণ ও সমাধানের সম্ভাব্য উপায়কে। একটু ক্ষতিয়ে দেখলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান সমাজে অনেকেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতো ৭০০০ বছরের পুরনো শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা করে নারী-পুরুষের বিবাহ স্থির করে থাকেন। কিন্তু তারা জানেন না শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনে সুখ লাভের উপায় গুলি জানা যায় না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে স্বামী বা স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর যোগ আছে কী না তা বিবাহের আগেই বিচার্য।
বিবাহের আগে পাঁচটি বিষয় বিচার করা আবশ্যক -
১) দরিদ্র দোষ
২) অকাল মৃত্যু
৩) অকাল বৈধব্য
৪) চরিত্র দোষ
৫) অনপত্য দোষ

ক)অকাল বৈধব‍্য যোগ :
গ্রহের স্থান অনুযায়ী অকাল বৈধব্য যোগ -
১) লগ্ন, চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে ও দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে অকাল বৈধব্য যোগ প্রবল হয়।
২) সপ্তম ও অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে অকাল বৈধব্য যোগ সৃষ্টি হয়।
৩) দ্বাদশ পতি ও ষষ্ঠপতির দশা অন্তর্দশা চললে, তা কেটে যাওয়ার পর বিবাহ দিতে হয়। অন্যথায় বৈধব্য যোগের কারণ হয়।

খ)দারিদ্র যোগ ঃ জন্ম ছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি ডিগ্রিতে একত্রে অবস্থান করলে দারিদ্র যোগ তৈরি হয়। জাতককে সারা জীবন দারিদ্র যন্ত্রনায় ভুগতে হয়।এ ছাড়া লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্র্রেও অষ্টমে কোনো গ্রহ না থাকলে ও এই যোগ হয়।দারিদ্র্য যোগ সূচিত হলে স্বামী অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে।এতে দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দেখা যায়।

গ)অনপত‍্যযোগ ( নিঃসন্তান)
যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,সপ্তমপতি এবং পঞ্চমপতি দুর্বল হয় ,তবে অনপত‍্যযোগ সূচিত হয়।
ফলাফল
এরূপ জাতক- জাতিকার কোনো সন্তানাদি হবে না।
মন্তব‍্য:
কিন্তূ জন্মকুন্ডলীতে বৃহস্পতি,ও ৫ম পতি জাতক বা জাতিকার বলবান হলে ১টি বা ২টি সন্তান হতে পারে।
কিন্তূ স্বামি ও স্ত্রীর উভয়ের জন্মকুন্ডলীতে যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,৭মপতি ও৫ম পতি দূর্বল হয় -
তবে এরপ দম্পতির কোনো সন্তান হবে না ।

ঘ)চরিত্র হীন যোগ বা জারা যোগ:
যদি শুক্র,কেতু লগ্নের সপ্তমে থাকে এবং মঙ্গল দ্ধারা পূর্ণ দৃষ্টি প্রাপ্ত হয় তবে কুন্ডলী তে চরিত্র হীন যোগ সূচিত হবে।এরুপ ছেলে মেয়েদের বিয়ের আগে সঠিক প্রতিবিধান আবশ্যক। এই প্রতিবিধান কেবলমাত্র ভূবনেশ্বরী যন্ত্রম প্রয়োগবিধীর মাধ্যমে সম্ভব‌।কিন্তু তার জন্য দরকার বিচক্ষণ ও নির্লভ গ্ৰহাচার্যের প্রয়োজন।
জারা যোগ:লগ্নের দশমস্থানে,দ্ধিতীয়পতি এবং সপ্তমপতি অবস্থিত হলে জারা যোগ সূচিত হয়।এরুপ জাতক বহুনারীর সঙ্গে যৌনসংসর্গে লিপ্ত হবে এবং বহুনারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পাবে।এদের বিয়ে মতো পবিত্র বন্ধনে না যাওয়াই উচিত।
প্রতিবিধান: প্রত্যহ এক সহস্র কেতুর বীজমন্ত্র করা উচিৎ।
বীজমন্ত্র : ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে।

ঙ)অকাল মৃত্যু যোগ :
ভারতীয় জ্যোতিষ মতে অর্থাৎ জন্মছকে কেতু ও মঙ্গল একত্রে বা পূর্ণ দৃষ্টি প্রাপ্ত হলে অকাল মৃত্যু হয়। কেতুগ্রহের দশা-অন্তর্দশা দেখে ফাঁড়া জানা সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা যায়। যে কোনও ফাঁড়া আমাদের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে, ফাঁড়া অনেক রকম ভাবে হতে পারে যেমন দুর্ঘটনার ফলে ফাঁড়া, কারও ষড়যন্ত্রের কারণে ফাঁড়া, হঠাত্ বড় কোনও রোগে ফাঁড়া, তীর্থে গিয়ে ফাঁড়া, ইত্যাদি নানা রকম দিক থেকে ফাঁড়া আসতে পারে।
ফাঁড়া বা মৃত্যু যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায় -
১) ভারতীয় মত অনুযায়ী মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ করুন।
২) প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজীকে লাড্ডু ও মেটে সিঁদুর দিয়ে আয়ু ও দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করুন।
৩) বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কি না তা জেনে নিন। থাকলে তার খুব দ্রুত প্রতিকার করুন।
৪) কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ থাকে তাহলে সময় থাকতে প্রতিকার করুন, একদম দেরি করবেন না।
৫) সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা-বাবা, স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে এবং বিধিমতে শিবের পূজা করুন।
৬) বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে, বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ওপর হনুমানজীর মূর্তি স্থাপন করুন।
৭) স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে অবশ্যই সর্ষের তেল ব্যবহার করুন, অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা দূর হবে।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহের শুভ দিক:



• বিবাহ বা জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপার অবশ্যই জ্যোতিষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা প্রয়োজন। এর ফলে বিবাহিত জীবন সুখের হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কোন কোন দিক গুলিতে বিশেষ দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন দেখে নেওয়া যাক -

• জাতকের লগ্ন পতি যে ঘরে অবস্থান করবে তার পঞ্চম অথবা নবম স্থান হবে জাতিকার লগ্ন। অথবা জাতকের লগ্ন পতি বা ভাবটি হবে তুঙ্গ স্থান বা জন্মছকে জাতকের সপ্তম স্থান।

• জাতিকার বিবাহ হবে সেই দিকে যা তার সপ্তম ভাব নির্দেশ করবে। এটা জাতক বা জাতিকার উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

• লগ্ন পতি যদি সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং তার সঙ্গে যদি অশুভ কোনও গ্রহ যুক্ত হয় তা হলে জাতক বা জাতিকার পরিবার কোনও ভাল বংশের দিকেই নির্দেশ করে।

• সপ্তম পতির দ্রাঘিমা এবং ক্ষেত্রের ডিগ্রির যোগফল থেকেও জাতক বা জাতিকার বিবাহের দিক নির্ণয় করা যায়।

• যদি লগ্ন পতি সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং জন্মছকে যদি কোনও শুভ গ্রহ তার সঙ্গে একই অবস্থানে থাকে, তাহলে জাতিকার বিবাহ ভাল পরিবারে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

• জাতিকার চালচলন, সৌন্দর্য, বিভিন্ন গুণের উপস্থিতি সবই নির্দেশ করে সপ্তম ভাবের ওপর। অর্থাৎ সপ্তম পতির ওপর অথবা সপ্তম ভাবে কী প্রকার শুভ বা অশুভ দৃষ্টি পড়ছে তার ওপর।

• যদি সপ্তম পতি ও সপ্তম ভাব খুবই শক্তিশালী হয় তাহলে জাতক বা জাতিকার উচ্চ বংশে বিবাহ হয়। কিন্তু যদি সপ্তম ভাব খুবই দুর্বল হয় তা হলে তার স্বামী বা স্ত্রী আপাত দৃষ্টিতে কোনও কুলীন বংশজাত না হওয়ার যোগ নির্দেশ করে।

• যদি চন্দ্র সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং ওই স্থানে যদি মঙ্গলের দৃষ্টি থাকে বা কোনও গ্রহের শুভ দৃষ্টি পড়ে তা হলে জাতক-জাতিকার দূরে বিবাহ হয়।

• যদি সপ্তম স্থানে চন্দ্র অবস্থান করে এবং ওই স্থানে মঙ্গলের দৃষ্টি পড়ে, তা হলে জাতক-জাতিকার বিবাহের যোগাযোগ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হয়ে থাকে

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191211090159

Tuesday, December 10th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে তুলসি র গুরুত্ব

জোতিষ শ্রাস্ত্রে তুলসি র গুরুত্ব

শুভ সন্ধ্যা
জোতিষ শ্রাস্ত্রে তুলসী গাছ ও তার উপকারিতা
লেখা টি ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন।

বাড়িতে যদি তুলসী গাছ রাখেন এবং কিছু নিয়ম পালন করেন, তাহলে জীবনে অভাব অনটন দূর হয়। এককথায় টাকার বন্যা আসে। পাশাপাশি, সংসার সুখ শান্তিতে ভরে ওঠে।

হিন্দু শাস্ত্র মতে তুলসি পাতা ও তুলসি গাছ খুবই পবিত্র। দেব-দেবীর পুজোয় তুলসি পাতা ব্যবহার করা হয়। তুলসি গাছের যেমন অলৌকিক গুণ আছে তেমনই ভেষজ বিদ্যায় তুলসী গাছ ও পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রাচীন শাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে তুলসি গাছ থাকলে মৃত্যুর দেবতা যমরাজও নাকি ঘরে প্রবেশ করতে পারেন না। বাড়িতে তুলসি গাছ রোপণ করলে গাছের মূল যত বৃস্তিত হতে থাকে তত বৃস্তিত হয় পুণ্য লাভ। তুলসি পাতা দিয়ে নারায়ণের পুজো করলে সারা জীবনের পাপ নষ্ট হয়।

বাড়ির যে দিকে তুলসির গন্ধ যুক্ত বায়ু প্রবাহিত হয় সেদিক পবিত্র হয়। তুলসি মঞ্জরী দিয়ে বিষ্ণুর পুজো করলে পূণ্য হয়। বিশ্বাস করা হয়, নর্মদা ও গোদাবরী নদিতে স্নান করলে যে পুণ্য লাভ হয়, তুলসির পুজো করলে সেই একই ফল পাওয়া যায়।

বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়িতে বা বারান্দায় তুলসি রাখলে তা উত্তর পূর্ব দিকে রাখুন। একইসঙ্গে তুলসি গাছের নীচে একটি শালগ্রাম শিলা পাথর রাখুন। শালগ্রাম শিলাকে ভগবান বিষ্ণুর স্বরূপ বলে মনে করা হয়। তাই যে বাড়িতে তুলসির সঙ্গে শালগ্রাম শিলা থাকে সেই বাড়িতে কখনও টাকার অভাব হয় না!

হিন্দুধর্মে তুলসী গাছকে দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। পুরাণে বলা আছে, যে বাড়িতে তুলসী গাছ রয়েছে এবং নিয়মিত তার পুজো করা হয়, সেই বাড়িতে কখনও হঠাৎ শোকের ছায়া নামে না। সেই সংসার সব সময় সুখ শান্তি থাকে। বাড়িতে তুলসী মঞ্চ রাখার বা তুলসী গাছে জল ঢালার সঠিক কিছু নিয়ম বা মন্ত্র আছে। যদি সেই সঠিক নিয়মে মেনে চলা যায়, তা হলে বাড়িতে কোনও বিপদ সহজে আসতে পারবে না।

বাড়িতে তুলসী মঞ্চ রাখার সঠিক নিয়ম:

১) তুলসী গাছ যদি বাড়িতে থাকে, তা হলে তার নিত্য পুজো করতেই হবে। সঠিক নিয়মে তুলসী গাছে জল দিতে হবে।

২) তুলসী মঞ্চ বাড়ির জমি থেকে, অর্থাৎ মেঝে থেকে একটু উঁচু জায়গায় রাখতে হবে। এবং তুলসী গাছের ওপর যেন কোনও অপবিত্র ছায়া না পড়ে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩) সন্ধ্যাবেলায় তুলসী গাছের কাছে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালতেই হবে।

আরও পড়ুন: রক্তপ্রবাল কখন ধারণ করতে নেই

৪) সন্ধ্যা বাতি দেওয়ার পর আর তুলসী গাছ স্পর্শ করা যাবে না।

৫) সন্ধ্যা নামার পর তুলসী পাতা তোলা যাবে না।

৬) বিশেষ কিছু তিথিতে তুলসী পাতা তোলা যাবে না। যেমন একাদশী, সূর্যগ্রহণ এবং রবিবারে। অন্য দিন তুলসী পাতা তোলা যেতে পারে।

৭) তুলসী পাতা তোলার আগে হাততালি বাজিয়ে এবং ওঁ ভদ্রায় নমঃ বলে তুলসি পাতা তুলতে হবে।

***তুলসী গাছে জল দেওয়ার সঠিক মন্ত্র

“মহাপ্রসাদ জননী, সর্ব সৌভাগ্য বর্দ্ধিনী

আদি ব্যাধি হরা, নিত্য তুলসী ত্বং নমহস্তুতে
এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করলে সংসারে সূখ বৃদ্ধি পাবে, সন্তান রা ভালো থাকবে ও লেখাপড়া করবে, স্বামীর উপার্জ বৃদ্ধি পাবে এবং স্বামীর নেশাগ্রস্ত ও বিপথে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

আমি তুলসী পূজার কতকগুলি বিশেষ মন্ত্র তুলে ধরলাম।

#তুলসী প্রনাম মন্ত্র:

ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দেবৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবশ্য চ ।
বিষ্ণুভক্তি প্রদে দেবী সত্যব ত্যৈ নমো নম:।।

#তুলসী প্রদক্ষিন মন্ত্র:

যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাদিকানি চ ।
তানি তানি প্রনশ্যন্তি প্রদক্ষিন পদে পদে।।

#তুলসী জলদান মন্ত্র:

(ওঁ)গোবিন্দবল্ল ভাং দেবীংভক্ত চৈতন্যকারিনীম।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীম্।।

#তুলসী চয়নমন্ত্র:

(ওঁ)তুলস্যমৃত জন্ মাসি সদা ত্বং কেশব
প্রিয়া।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভক শোভবে।।

#ক্ষমা প্রার্থনামন্ত্র:

চয়নোদ্ভব দুঃখং চ যদ্ হদদি তব বর্ততে ।
তত্ক্ষমস্ব জগন্মাতঃ বৃন্দাদেবী নমোহস্তুতে

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191210064313

Saturday, December 7th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ ও তার ইষ্টদেবীর বীজমন্ত্র

সুপ্রভাত
সকল বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ সামনে নতুন বছর২০২০,সকলের রত্ন কেনার ও জোতিষের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়।তাই সকলের মঙ্গলের কথা ভেবে আমি গ্ৰহ তুষ্টির জন্য নবগ্ৰহ উপাসনা ও তাদের ইষ্টদেবীর বীজমন্ত্র দিলাম।ভালো লাগলে সেয়ার করে সকল বন্ধুদের পড়ার সূযোগ ক‍রে দিন ,এইভাবে আমরা সবাই ভালো থাকতে পারি।অনুরোধ পূরো লেখা টি পড়ে কমেন্ট ও সেয়ার করুন।

*****নবগ্ৰহ উপাসনা****

সূর্য্য
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১০ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৭ পর্যন্ত।

মঙ্গল
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ৯-১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা৭-১১ টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা। ৬-৮ টা পর্যন্ত

শনি
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১১-১.৩০দুপুর পর্যন্ত।

কেতু
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা

*** গ্ৰহদের ইষ্টদেবীর বীজমন্ত্র***

১)মহাকালী মন্ত্র ইনি শনির ইষ্ট দেবী

ওম এ ক্লীং হ্লীং শ্রীং হ্‌সৌ শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং জূং ক্লীং সং লং শ্রীং রঃ অং আং ইং ঈং উং ঊং ঋং ঋং লং লৃং এং ঐং আং অং অঃ ঊং কং খং গং ঘং ডং ঊং চং ছং জং ঝং ত্রং ঊং টং ঠং ডং ঢং ণং উং তং থং দং ধং নং ঊং পং ফং বং ভং মং ঊং য়ং রং লং বং ঊং শং ষং হং ক্ষং স্বাহা।১০বার জপ করবেন।

বা ঔঁ ক্রীং হূং হ্রীং হ্রীং কালিকায়ৈ স্বাহা ১০৮ বার

বিধি
এটি মহাকালীর উগ্র মন্ত্র। বিন্ধ্যাচলের অষ্টভুজা পর্বতে ত্রিকোণে স্থিত কালী খোহে এই সাধনা করলে শীঘ্র ফল পাওয়া যাবে। শ্মশানেও এই সাধনা করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়িতে করা উচিত নয়। জপ সংখ্যা ১১০০, যা ৯০ দিন পর্যন্ত অবশ্যই করা উচিত।

ফল
এর সাধনা করলে সুমঙ্গল, মোহন, মারণ উচ্চাটনাদি তন্ত্রোক ষড্কর্মের সিদ্ধি হয়।

২)তারা ইনি বৃহস্পতির ইষ্টদেবী

ঊং হ্লীং আধারশক্তি তারায়ৈ পৃথ্বীয়াং নমঃ পূজয়ীতো অসি নমঃ।
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ ১৮ বার জপ।

ফল
সিদ্ধি প্রাপ্তির পর সাধক তর্কশক্তি, শাস্ত্র জ্ঞান, বুদ্ধি কৌশল ইত্যাদি লাভ করেন।

৩)ভুবনেশ্বরী
ঔঁ শাং মাতা ভূবনেশ্বরী ১০৮ বার বা
হ্লীং ভূবনেশ্বরী মাতায়ৈ নমঃ১৮ বার

ফল
অমাবস্যায় একটি কাঠের ওপর এই মন্ত্র লিখে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখালে প্রসবে কোনও সমস্যা হবে না। গলা পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে জলে সূর্যমণ্ডলে দেখতে দেখতে তিন হাজার বার এই মন্ত্র জপ করলে সেই ব্যক্তি ইচ্ছানুসার কন্যা বরণ করতে পারে। অভিমন্ত্রিত অন্নের সেবন করলে লক্ষ্মীর বৃদ্ধি হয়। কমল ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রাজার বশীকরণ হয়।

৪)ত্রিপুর সুন্দরী ইনি বুধের ইষ্টদেবী।

শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং সৌঃ ঊং হ্লীং শ্রীং কএইলহ্লীং হসকহলহ্লীং সংকলহ্লীং সৌঃ এং ক্লীং হ্লীং শ্রীং ১০বার।
বা ঔঁ হ্রীং হূং ঔঁ ফট্ ১৮ বার

বিধি
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ আছে। জপ পশ্চাত্‍‌ ত্রিমধুর (ঘি, মধু, চিনি) মিশ্রিত কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত।

ফল
কমল ফুলের যজ্ঞে ধন-সম্পত্তি প্রাপ্তি, দইয়ের যজ্ঞে উপদ্বর নাশ, লাজার যজ্ঞে রাজ্য প্রাপ্তি, কর্পুর, কুমকুম এবং কস্তুরির যজ্ঞে কামদেবের চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের প্রাপ্তি হয়। আঙুরের যজ্ঞে বাঞ্চিত সিদ্ধি এবং তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে সমস্ত ইচ্ছার পূর্তি হয়। আবার গুগুলের যজ্ঞে সমস্ত দুঃখের নাশ হয়।

৫)ছিন্নমস্তা ইনি রাহুর ইষ্টদেবী

ঊং শ্রীং হ্লীং হ্লীং বজ্র বৈরোচনীয়ে হ্লীং হ্লীং ফট্ স্বাহা১৮ বার
বা ঔঁ হ্রীং ক্লীং শ্রীং ঐং হুং ফট্ ছিন্নমস্তা য়ৈ নমঃ ১০ বার

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ চার লক্ষ জপ। জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ পলাশ বা বিল্ব ফল দিয়ে করা উচিত। তিল এবং অক্ষতের যজ্ঞে সর্বজন বশীকরণ, সাদা কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রোগ মুক্তি, মালতী ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে বাচাসিদ্ধি এবং চম্পার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে সুখ-সমৃদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

৬)ধূমাবতী ইনি কেতুর ইষ্টদেবী

ঊং ধূং ধূং ধূমাবতী স্বাহা ১০৮ বার

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ। এই জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ তিল মিশ্রিত ঘি দিয়ে করা উচিত। নিম পাতা এবং কাকের পালকে উক্ত মন্ত্র ১০৮ বার পড়ে দেবতার নাম নিয়ে ধুনো দেখালে শত্রুদের মধ্যে পরস্পর বিবাদ বাধে।

৭)বগলামুখী ইনি মঙ্গলের ইষ্টদেবী

ঊং হ্লীং বগলামুখী সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং পদং স্তংভয় জিহ্বাং কীলয় বুদ্ধিং বিনাশায় হ্লীং ঊং স্বাহা।

বা ঔঁ ক্লীং হ্লীং ঔঁ বগলামুখ‍্যৈ নমঃ ১০ বার।

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এর লক্ষ জপ। জপের পর চম্পা ফুল দিয়ে ১০ শতাংশ যজ্ঞ করা উচিত। এই সাধনায় হলুদ বর্ণের গুরুত্ব আছে। সমস্ত ইচ্ছার পূর্তির জন্য একা এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু এবং চিনি যুক্ত তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে বশীকরণ করা যায়।

৮)মাতঙ্গী ইনি সূর্যের ইষ্টদেবী

ঊং হ্লীং এং শ্রীং নমো ভগবতি উচ্ছিষ্ট চান্ডালি শ্রীমাতঙ্গেশ্বরি সর্বজন বংশকরি স্বাহা।১০ বার

বা ঔঁ হ্রীং হূং মাতঙ্গ‍্যৈ স্বাহা ১০ বার‌

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ জপ ১০ হাজার। জপের ১০ শতাংশ মধু এবং মহুয়ার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। কাম্য প্রয়োগের আগে এক হাজার বার মূল মন্ত্র জপ করে পুনরায় মধুযুক্ত মহুয়া ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। পলাশ পাতা বা ফুল দিয়ে হোম করলে বশীকরণ, মল্লিকার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে লাভ, বিল্ব ফুলে রাজ্য প্রাপ্তি এবং নুন দিয়ে যজ্ঞ করলে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়।

৯)কমলা ইনি চন্দ্রের ইষ্টদেবী

ঊং নমোঃ কমলবাসিন্যৈ স্বাহা ১০ বার।

বা ঔঁ হ্রীং হ্রীং হূং হূং ফট্ ১০ বার

বিধি ও ফল
দশ লক্ষ জপ করুন। দশ শতাংশ মধু, ঘি এবং শর্করাযুক্ত লাল পদ্ম দিয়ে যজ্ঞ করুন। সমস্ত কামনা পুরো হবে।

মহালক্ষ্মী

ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং কমলে কমলালৈ প্রসীদ প্রসীদ ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং মহালক্ষ্মৈ নমোঃ

বিধি ও ফল
এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু, ঘি এবং শর্কতাযুক্ত বিল্ব ফল দিয়ে দশ শতাংশ যজ্ঞ করলে সাধকের গৃহে লক্ষ্মী বাস করেন। যদি কেউ বেশি ধনের কামনা করে থাকেন, তা হলে সত্য বাচন করুন, লক্ষ্মী মন্ত্র এবং শ্রীসুক্ত পাঠ করুন। পূর্ব দিকে মুখ করে ভোজন তথা কথাবার্তা বলুন। নগ্ন হয়ে জলে স্নান করবেন না। তেল লাগিয়ে ভোজন করুন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191207094228

Friday, December 6th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ ওমন্ত্রে শিক্ষায় সফলতা

জোতিষ ওমন্ত্রে শিক্ষায় সফলতা

সুপ্রভাত
অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখলাম ভালো করে পরুন ও শেয়ার করুন।

আজকে আমি আপনাদের সামনে প্রত্যেক ছেলে মেয়েদের ভালো পড়াশোনা ও ভালো ফল পাওয়া জন্য বুধ ও তার ইষ্টদেবী ত্রিপুরা সুন্দরী বা দেবী ষড়ষী মায়ের বীজমন্ত্র ও নীলসরস্বতীর স্তোত্র লিখলাম।নীলসরস্বতী যন্ত্রমের সামনে এই বীজমন্ত্র পাঠ করলে লেখা পড়া ও ভালো রেসাল্ট অবশ্যই করবে।বিনা রত্নে,বিনামূল্যে, আপন আপন ছেলে মেয়েদের করান,দেখুন কত ভালো ফল পাবেন।

বুধ হলো বিদ্যা বুদ্ধীর গ্ৰহ ,বুধের বীজমন্ত্র:

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ বা ঔঁ স্ত্রীং শ্রীং বুধায় জপ সংখ্যা – ১০৮বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥

ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।
দশম মহাবিদ্যার সবচেয়ে সুন্দর শ্ৰীবিগ্রহধারিণী সিদ্ধ দেবী হলেন ষোড়শী । মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। ত্রিপুরসুন্দরীর ষোড়শী রূপটি ষোড়শবর্ষীয়া এক বালিকার রূপ। এই রূপ ষোড়শপ্রকার কামনার প্রতীক। ষোড়শীতন্ত্রে ত্রিপুরাসুন্দরীকে “শিবের নয়নজ্যোতি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কৃষ্ণবর্ণা ও শিবোপরি উপবিষ্টা। শিব ও ষোড়শীকে শয্যা, সিংহাসন অথবা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র ও ইন্দ্রের মস্তকোপরিস্থিত বেদিতে উপবিষ্ট রূপে কল্পনা করা হয়।

মুর্তি তত্ত্বঃ
ষোড়শ অক্ষরের মন্ত্রময়ী এই দেবীর অঙ্গপ্রভা নবারুনের আভার মত। দেবীর চার হাত এবং ত্রিনয়ন। ইনি শায়িত সদাশিবের ওপর কমলাসনে শান্তমুদ্রায় আসীন। এর চার হতে ক্ৰমশঃ পাস, অঙ্কুশ, ধনুক এবং বাণ শোভা পায় । বর দেবার জন্য সদাই উৎসুক ভগবতীর এই শ্ৰীবিগ্ৰহ সৌম্যমূর্তি এবং হৃদয় দয়ায় পূর্ণ।

ব্যুৎপত্তিঃ
ষোড়শী শব্দের অর্থ ত্রিভুবন; অর্থাৎ স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল। এই কারণে ষোড়শী শব্দের অর্থ ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী। অন্য এক মতে, দেবীর অপর নাম ত্রিপুরা। কারণ তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের শক্তি ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী ও রুদ্রাণীর সম্মিলিত রূপ।

পৌরাণিক মতবাদঃ
হিন্দু ধর্মসাহিত্যে ত্রিপুরসুন্দরী বা ষোড়শী কে পরমাসুন্দরী দেবীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ললিতা সহস্রনাম ও সৌন্দর্যলহরী স্তোত্রে তাঁর রূপবর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কামনা সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সৃষ্টির স্রোত অবারিত রাখেন। আদি শঙ্করাচার্য তাঁর ত্রিপুরসুন্দরী অষ্টকম স্তোত্রে দেবী ষোড়শী কে বিশ্ব জননী বলে উল্লেখ করেছেন। দেবী ষোড়শী হলেন কালীর শক্তি ও দুর্গার সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য এর সম্বলিত রূপ। ধর্মীয় সাহিত্যের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ত্রিনয়নী, চতুর্ভুজা, রক্তাম্বর পরিহিতা, সর্বালঙ্কারভূষিতা এবং স্বর্ণসিংহাসনের উপর পদ্মাসনে উপবিষ্টা। তাঁর হস্তধৃত বস্তুগুলি শিবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাঁর মূর্তিতে রাজকীয় আভা থাকায় তাঁকে রাজরাজেশ্বরী নামে অভিহিত করা হয়।

একদা পরাম্বা পার্বতী ভগবান শিবকে প্রশ্ন করেন—“হে ভগবন! আপনার দ্বারা প্রকাশিত তান্ত্রিক সাধনাতে জীবের আধি ব্যাধি, শোক-সন্তাপ, দীনতা-হীনতা, তাে দূর হবে কিন্তু জন্ম ও মৃত্যুর অসহনীয় দুঃখের নিবৃত্তি তাে হবে না। অনুগ্রহ করে এই দুঃখের নিবৃত্তি এবং মােক্ষপদ প্রাপ্তির উপায় বলুন। পরম কল্যানময়ী পরাম্বার অনুরোধে ভগবান শঙ্কর ষোড়শী শ্ৰীবিদ্যা-সাধন-প্ৰণালী ব্যক্ত করেন। আচার্য শঙ্করাচার্যও শ্ৰীবিদ্যারূপে এই ষোড়শী দেবীর উপাসনা করেছিলেন। এইজন্য আজ পর্যন্ত সমস্ত শঙ্কর পীঠসমূহে ভগবতী ষোড়শী রাজরাজেশ্বরী। ত্রিপুরাসুন্দরীর শ্ৰীযন্ত্রের রূপে পূজা চলে আসছে। আচার্য শঙ্করাচার্য তাঁর রচিত “সৌন্দর্যলহরী তে ষোড়শী শ্ৰীবদ্যার স্তুতি প্রসঙ্গে বলেছেন যে ‘অমৃতসমুদ্রের মধ্যে একটি মণির দ্বীপ আছে, যেখানে কল্পবৃক্ষের সারি রয়েছে, নবরত্বের নয়টি প্রকোষ্ঠ আছে; সেই বনে চিন্তামণি দ্বারা নির্মিত এক মহলে ব্ৰহ্মময় সিংহাসন আছে, পঞ্চকৃত্যের দেবতা ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র এবং ঈশ্বর সেই সিংহাসনের পায়া আর সদাশিব হচ্ছেন ফলক (সূক্ষ্মাগ্র মুখ)। সদাশিবের নাভিদেশ থেকে উদ্ভূত পদ্মের ওপর বিরাজমানা ভগবতী। ষোড়শী ত্রিপুরাসুন্দরীকে যে ধ্যান করে, সে ধন্য। ভগবতীর আশীর্বাদে ভুক্তি আর মুক্তি দুটােই অতি সহজেই লাভ করা যায়।

দেবী ষোড়শীরবা ত্রিপুরাসুন্দরী মায়ের মন্ত্রঃ
শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং সৌঃ ঊং হ্লীং শ্রীং কএইলহ্লীং হসকহলহ্লীং সংকলহ্লীং সৌঃ এং ক্লীং হ্লীং শ্রীং

বিধি ও ফলঃ
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ আছে। জপ পশ্চাত্‍‌ ত্রিমধুর (ঘি, মধু, চিনি) মিশ্রিত কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। কমল ফুলের যজ্ঞে ফেলে ধনসমপত্তি বৃদ্ধি পাবে । দইয়ের যজ্ঞে উপদ্বর নাশ, লাজার যজ্ঞে রাজ্য প্রাপ্তি, কর্পুর, কুমকুম এবং কস্তুরির যজ্ঞে কামদেবের চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের প্রাপ্তি হয়। আঙুরের যজ্ঞে বাঞ্চিত সিদ্ধি এবং তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে সমস্ত ইচ্ছার পূর্তি হয়। আবার গুগুলের যজ্ঞে সমস্ত দুঃখ দূর হয়ে যাবে।

শ্রীনীল সরস্বতীস্তোত্রম্

শ্রী গণেশায় নমঃ ॥

ঘোররূপে মহারাবে সর্বশত্রুবশঙ্করী ।
ক্ষয়ঙ্করী ভক্তেভ্যো বরদে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥১॥

সুরাঽসুরার্চিতে দেবি সিদ্ধগন্ধর্বসেবিতে ।
জাড্যপাপহরে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥২॥

জটাজূটসমায়ুক্তে লোলজিহ্বানুকারিণী ।
দ্রুতবুদ্ধিকরে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৩॥

সৌম্যরূপে ঘোররূপে চণ্ডরূপে নমোঽস্তু তে ।
ক্রোধরূপে দৃষ্টিরূপে নমস্তুভ্যং ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৪॥
সৃষ্টিরূপে জডানাং জডতাং হম্সি ভক্তানাং ভক্তবত্সলে ।
জডতাং ভজতাং মূঢতাং হর মে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৫॥

হ্রূং হ্রূংকারময়ে দেবি বলিহোমপ্রিয়ে নমঃ ।
উগ্রতারে নমস্তুভ্যং ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৬॥

বুদ্ধিং দেহি য়শো দেহি কবিত্বং দেহি দেহি মে ।
কুবুদ্ধিং হর মে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৭॥ মূঢত্বং
ইন্দ্রাদিদেব সদ্বৃন্দবন্দিতে করুণাময়ী ।
ইন্দ্রাদিদিবিষদ্ বৃন্দ তারে তারাধিনাথাস্যে ত্রাহি মাং শরণাগতম্ ॥৮॥

॥ অথ ফলশ্রুতিঃ ॥

অষ্টম্যাং চ চতুর্দশ্যাং নবম্যাং য়ঃ পঠেন্নরঃ । চৈকচেতসঃ
ষণ্মাসৈঃ সিদ্ধিমাপ্নোতি নাঽত্র কার্যা বিচারণা ॥১॥

মোক্ষার্থী লভতে মোক্ষং ধনার্থী ধনমাপ্নুয়াত্ ।
বিদ্যার্থী লভতে বিদ্যাং তর্কব্যাকরণাদিকাম্ ॥২॥

ইদং স্তোত্রং পঠেদ্যস্তু সততং শ্রদ্ধয়ান্বিতঃ ।
সধনং লভতে নরঃ ।
তস্য শত্রুঃ ক্ষয়ং য়াতি মহাপ্রজ্ঞা চ জায়তে ॥৩॥

পীডায়াং বাপি সঙ্গ্রামে জপ্যে দানে তথা ভয়ে ।
য় ইদং পঠতি স্তোত্রং শুভং তস্য ন সংশয়ঃ ॥৪॥

স্তোত্রেণানেন দেবেশি স্তুত্বা দেবীং সুরেশ্বরীম্ ।
সর্বকামমবাপ্নোতি সর্ববিদ্যানিধির্ভবেত্ ॥৫॥ সর্বান্ কামানবাপ্নোতি
ইতি তে কথিতং দিব্যং স্তোত্রং সারস্বতপ্রদম্ ।
অস্মাত্পরতরং নাস্তি স্তোত্রং তন্ত্রে মহেশ্বরী ॥৬॥

॥ ইতি বৃহন্নিলতন্ত্রে দ্বিতীয়পটলে তারিণীনীলসরস্বতীস্তোত্রং সমাপ্তম্ ॥

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191206121358

Wednesday, December 4th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

অতিপ্রয়োজনিও কয়েকটি বাস্তু টিপস

অতিপ্রয়োজনিও কয়েকটি বাস্তু টিপস

সুপ্রভাত
ভাগ্য ফেরান বাস্তুমতেকয়েকটি টিপস (পূনঃপ্রচার)

১)টাকা রাখার সঠিক দিক যে ভুলটি বেশির ভাগ বাড়িতে দেখা যায় সেটি হলো সঠিক দিকে টাকা রাখার আলমারিটি রাখা হয় না। শুধু বাড়িতেই নয়,আপনার দোকান বা অফিস যেখানেই টাকা রাখার আলমারি বা সিন্ধুক থাকবে সেখানে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যে আলমারিতে টাকা রাখবেন তার পিঠ যেন দক্ষিণ দিকে লেগে থাকে আর দরজা উত্তর দিকে খোলে। পূর্ব দিকে আলমারির মুখ থাকলেও ধন বাড়ে। কিন্তু উত্তর দিকই শ্রেষ্ঠ।

২)গৃহকর্তার শয়নকক্ষ হোক দক্ষিণ-পশ্চিমে পরিবারের যিনি প্রধান, অর্থাৎ যিনি পরিবার প্রতিপালনের মূল দায়িত্ব নেন, তার শয়ন কক্ষটি সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিমে থাকা উচিৎ। এর ফলে তার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে শুধু তাই নয়, বাড়বে তার আর্থিক ক্ষমতা ও রোজগার।

৩)বদলে ফেলুন খারাপ জলের কল, বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, কল থেকে ক্রমাগত জল পড়তে থাকলে তা আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাস্তুর নিয়ম অনুযায়ী, কল থেকে ক্রমাগত জল পড়া ধীরে ধীরে অর্থ ব্যয়ের ইঙ্গিত করে। তাই কল খারাপ হয়ে গেলে তা বদলে ফেলা উচিত।

৪)ধাতুর জিনিস রাখুন দেয়ালে শয়নকক্ষের প্রবেশদ্বারের সামনের দেয়ালের বাম দিকে ধাতুর জিনিস ঝুলিয়ে রাখুন। সেই ধাতু হতে পারে তামা,পিতল,রুপা যেকোনো কিছু। তবে সেটিকে সুদৃশ্য দেখতে হওয়া চাই। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী,এই স্থান ভাগ্য এবং সম্পত্তির ক্ষেত্র। এখানে ধাতুর সুদৃশ্য জিনিস থাকলে সেটি আর্থিক ক্ষেত্রে শুভ।

৫)শয়নকক্ষের বাম দিকের দেয়াল ঠিক করিয়ে নিন এই জায়গার দেয়াল ভাঙা থাকলে তা ঠিক করিয়ে নিন। এ দিকে দেয়াল ফাটা বা ভাঙা থাকলেও আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

৬)ভাঙা বস্তু বাড়িতে জমিয়ে রাখবেন না – ভাঙা বাসন বা পুরনো, নষ্ট হয়ে যাওয়া কোনো বস্তুই বাড়িতে রাখবেন না। এতে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি জন্ম নেয়। এর ফলে আর্থিক লাভ কমে আসে এবং খরচ বাড়ে। অনেকেই ছাদে বা সিঁড়ির নীচে পুরনো জিনিস জমা করে রাখেন। এর ফলেও আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে। ভাঙা খাট কখনই নয় – ভাঙা বিছানাও রাখা উচিত নয়। এবং ভাঙা বিছানায় শোয়াও উচিৎ নয়। এটি আর্থিক সচ্ছলতার পক্ষে শুভ নয়।

৭)জল নিকাশি ব্যবস্থা – অনেকেই লক্ষ্য করেন না যে, তাদের বাড়ির কোন দিক থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী, জলের নিকাশি বেশ কতগুলি বিষয়কে প্রভাবিত করে। যাদের বাড়িতে জলের নিকাশি দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিকে হয়, তারা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি আরও বহু ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। উত্তর ও পূর্ব দিকে জলের নিকাশি শুভ।

৮)আলমারি খোলা রাখা যাবে না – অনেকের স্বভাব থাকে আলমারি খুলে রেখে দেওয়া। সেটা কখনই উচিৎ নয়। কাজ হয়ে গেলে আলমারিটি বন্ধ করতে হবে। আলমারি খোলা রাখলে আর্থিক শুভ ভাব নষ্ট হয়।

৯)পিছনের পকেটে টাকা রাখা – অনেকেই প্যান্টের পিছনের পকেটে মানি ব্যাগে টাকা রাখেন। এটি কখনই ঠিক নয়। চেষ্টা করুন সামনের দিকে টাকা রাখতে। বাস্তুর এই নিয়মগুলি মেনে চলুন। আপনি নিজেই অনুভব করবেন আপনার আর্থিক দিকের উন্নতি হতে থাকবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191204074808

Friday, November 22nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

লগ্ন অনুযায়ী গ্ৰহের শুভাশুভত্ব

সুপ্রভাত

*****লগ্ন অনুযায়ী গ্ৰহের শুভাশুভত্ব*****

বিভিন্ন লগ্ন ও গ্রহের শুভাশুভত্ব

এক একটি লগ্নের পক্ষে এক একটি গ্রহ শুভ বা অশুভ। এখানে কিন্তু আধিপত্য হিসাবে শুভ বা অশুভ বুঝতে হবে। যেমন বৃহস্পতি একটি নৈসর্গিক শুভ গ্রহ। যে কোন লগ্নের পক্ষেই তার শুভত্ব কিছুটা থাকবে। কিন্তু তুলা লগ্নের পক্ষে বৃহস্পতি ৬ষ্ঠ পতি হওয়ায় এবং একই সঙ্গে ৩য় স্থানের অধিপতি হওয়ায় এই লগ্নের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিকে কার্যতঃ অশুভ (functional malefic ) বলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে বৃহস্পতি অধিপতি অনুযায়ী শুভ ফল দেবে না, তবে নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হিসাবে তার শুভত্ব ত থাকবেই। এখানে বৃহস্পতির অবস্থান দেখে সামগ্রিকভাবে তার ভালমন্দ বিচার করতে হবে। এইভাবে প্রতিটি লগ্নের ক্ষেত্রে গ্রহদের শুভাশুভত্ব বর্ণনা করা হচ্ছে। এগুলি মনে রাখলে কোষ্ঠি বিচারে সুবিধা হবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ৬ষ্ঠ , ৮ম ও ১২শ স্থানকেই মুলতঃ দুঃস্থান হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু "ত্রিষড়ায়" অর্থাত্ ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ১১শ স্থানের অধিপতিকেও জ্যোতিষীরা পাপ বলে চিহ্নিত করেছেন। ৬ষ্ঠ যে দুঃস্থান এ কথা আগেই বলা হয়েছে। ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ১১শ তিনটিই উপচয় স্থান এবং এদের অধিপতি কিছু না কিছু শুভ ফল দেয় বলেই মনে করা হয়। বহু প্রচলিত “একাদশে বৃহস্পতি” কথাটার অর্থ বোঝার জন্য জ্যোতিষশাস্ত্র জানার প্রয়োজন নেই। ১০ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোণ এবং কেন্দ্রপতির সম্বন্ধ রাজযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু কোনও কোণ বা কেন্দ্রপতি যদি একই সঙ্গে ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ১১শ-এর কোন একটির অধিপতি হয় তবে রাজযোগ ভঙ্গ হয় বলে বলা হয়েছে। নীচে মেষ লগ্ন আলোচনার সময়ে (ছ) নং ধারায় এর উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। যদিও ১১শ আয়স্থান এবং ১১শে অবস্থিত সব গ্রহই কিছু শুভ ফল দেয় তবুও ১১শের অধিপতিকে কেন পাপ বলা হয় তা বোঝা কঠিন। পরাশরের এটাই মত। হয় ত একাদশের অধিপতি শুধুই আয় বা বৈষয়িক চিন্তা মনে জাগায় বলে অহংকার ও অধঃপতন ডেকে আনার সম্ভাবনা থাকে এবং এর পরিণাম অশুভ, এটাও হতে পারে। ফল বিচারে ২য় ও ১২শ পতিকে 'পরতন্ত্রী' হিসাবে ধরা হয়। অর্থাত্ যেখানে সে অবস্থান করবে বা যার সঙ্গে সে যুক্ত থাকবে সেই অনুযায়ী ফল দান করবে।

নীচে প্রতিটি লগ্নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধিপতি গ্রহ শুভ না অশুভ সেটা বলা হল। এটা থেকে অত্যন্ত সাধারণভাবে একটা ফলাফলের আভাস পাওয়া যাবে মাত্র। একটি গ্রহ কোন লগ্নে কোন ভাবের অধিপতি শুধু তার উপরই ফল নির্ভর করে না। গ্রহটির অবস্থান কি, কি গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট, গ্রহটির বল কি রকম ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে সামগ্রিক ভাবে ফল বিচার করতে হবে।

১। মেষলগ্ন

(ক) এই লগ্নের রবি ৫ম পতি। কোণপতি হিসাবে অবশ্যই শুভ। রবি বলবান হলে এর দশায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতা আসতে পারে। সম্মান ও সুনাম বৃদ্ধি হতে পারে ইত্যাদি।

(খ) মেষলগ্নে চন্দ্র ৪র্থ কেন্দ্রের অধিপতি; অতএব ক্ষীণচন্দ্র হলে পরাশরের মতে শুভ ফলদায়ক। কিন্তু শুক্লপক্ষের চন্দ্র হলে শুভ নয়। তবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ চন্দ্রের ক্ষেত্রে অতটা প্রযোজ্য নয়। চন্দ্র শুভ হলে গৃহলাভ, গৃহসুখ, আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু চন্দ্র দুর্বল হলে অন্যান্য অশুভ ফল ছাড়াও পিতার শারীরিক সমস্যা হওয়া অসম্ভব নয়; কারণ, ৪র্থ স্থান হ'ল ৯ম ( পিতৃস্থান ) স্থানের ৮ম ( নিধন ) স্থান।

(গ) মঙ্গল লগ্নপতি ও ৮ম পতি। লগ্নপতি হিসাবে শুভ, আবার মূলত্রিকোণ লগ্ন হওয়ায় মঙ্গল মুলতঃ লগ্নপতি হিসাবেই ফল দেবে। মঙ্গল সবল হ'লে মঙ্গলের দশায় সুস্বাস্থ্য লাভ, সম্মান বৃদ্ধি, জমি ও অর্থাগম ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু মঙ্গল দুর্বল হ'লে অর্শ, মূত্রাশয় ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে ৩য় ও ৬ষ্ঠ পতি। দুটি অশুভ স্থানের অধিপতি হিসাবে শুভ নয়। তবে ৩য় ও ৬ষ্ঠ দুই-ই উপচয় স্থান। কাজেই কিছু শুভ ফল দিতেই পারে। তবে বুধ যেহেতু বালক গ্রহ এবং যে গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় সেই গ্রহেরই ফল দেয় বলে বলা হয়েছে, অতএব শুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত বা শুভ দৃষ্ট হলে শুভ ফল দিতে পারে। তবে একটা কথা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে। ৩য়, ৬ষ্ঠ, ৮ম বা ১২শ পতি হলে সেই সমস্ত গ্রহদের অন্য কোন গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক শূন্য হয়ে আলাদা ভাবে বসে থাকাই ভাল। উদাহরণ স্বরূপ, মেষ লগ্নের একটি ছকে বুধ ( ৩য় ও ৬ষ্ঠ পতি ) ১১শে কুম্ভ রাশিতে অবস্থিত এবং কোন গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট নয় বা কোন গ্রহকে দৃষ্টিও দিচ্ছে না। জাতকের এই বুধের দশা সামগ্রিক ভাবে খুব খারাপ কাটে নি।

(ঙ) বৃহ্রপতি ৯ম ও ১২শ পতি। যেহেতু বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ লগ্ন থেকে ৯ম স্থান ধনুরাশি; অতএব বৃহস্পতি শুভ। বৃহস্পতি বলবান হলে এর দশায় নানা ভাবে ভাগ্যোন্নতি সম্ভব। কিন্তু বৃহস্পতি দুর্বল বা পাপগ্রহ যুক্ত হলে পিতার দুর্ভাগ্য বা পিতার শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

(চ) এই লগ্নের শুক্র ২য় ও ৭ম পতি। দুটি-ই মারকস্থান। আবার শুক্র নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হয়ে ৭ম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়ায় অশুভ। অতএব শুক্র সম্পূর্ণই অশুভ ফলদায়ক। তবে সব সময় তত্ব অনুযায়ী ফল হয় না। এটা দেখা গেছে, যদি শুক্র অত্যন্ত বলশালী হয় ও অন্যান্য অশুভ সম্পর্ক থেকে মুক্ত থাকে, তবে শুক্রের দশা জাগতিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পক্ষে শুভই হয়। কিন্তু দুর্বল হলে, চক্ষুরোগ বা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেক জ্যোতিষী বলেন, শুক্র মারক হলেও মেষ লগ্নের জাতকের সাধারণতঃ মৃত্যু ডেকে আনে না। সেটা অনেক সময়েই করে শনি।

(ছ) শনি ১০ম ও ১১শ ভাবের অধিপতি। নৈসর্গিক পাপগ্রহ হয়ে ১০ম পতি হওয়ায় শুভ কিন্তু ১১শ পতি হিসাবে অশুভ। এ কারণেই মেষলগ্ন জাতকের বৃহস্পতি ও শনির ( ৯ম কোণ ও ১০ম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়া সত্বেও ) রাজযোগকারক নয় বলা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শনি যদি সংযুক্ত থাকে, তবে বৃহস্পতির সংযোগে শনির শুভত্ব বৃদ্ধি হবে ঠিকই কিন্তু শনির সংস্পর্শে বৃহস্পতি অশুভ হয়ে পড়বে এবং এই বৃহস্পতি ভাল ফল দেবে না। তবে বৃহস্পতি ও শনি যদি অন্য শুভ গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে শুভ ফল দিতেও পারে।

২। বৃষলগ্ন

(ক) এই লগ্নে রবি নৈসর্গিক পাপগ্রহ হয়ে ৪র্থ পতি হওয়ায় শুভ। রবি বলবান হলে এই গ্রহের দশায় চাকরীতে উন্নতি ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু রবি দুর্বল বা অশুভত্ব প্রাপ্ত হলে, বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে মন মালিন্য, শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি হওয়া অসম্ভব নয়।

(খ) চন্দ্র ৩য়পতি হিসাবে শুভ নয়। তবে শক্তিশালী হলে শুভ ফল দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল ৭ম ও ১২শ পতি। কেন্দ্রপতি হওয়ায় শুভ কিন্তু মূলত্রিকোণ ১২শ রাশিতে পড়ায় অশুভত্বই বেশী। তবে ১২শ স্থান যেহেতু পরতন্ত্রী, সেই হেতু মঙ্গল ৭ম-এর ফলই দেবে। তবে মঙ্গল যেহেতু ৭ম পতি, তাই এর শুভত্ব অশুভত্বের উপর বিবাহিত জীবন বা স্বামী / স্ত্রী সম্পর্কিত বিষয় অনেকটাই নির্ভরশীল। মঙ্গলের জোর থাকলে ব্যবসার উন্নতিও হতে পারে।

(ঘ) বুধ ২য় ও ৫ম পতি হওয়ায় শুভ। মূলত্রিকোণ ৫ম স্থানে হওয়ায় বুধের বল থাকলে এর দশায় জাতকের পরীক্ষা, পুত্র-কন্যা ইত্যাদি সম্পর্কে ভাল ফল দিতে পারে। তবে বুধ যেহেতু অন্য গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় বেশী, তাই শুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত হলে অর্থাগম বা সঞ্চয় বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে। রবি ও বুধের যোগ অন্য ভাবে অশুভত্ব প্রাপ্ত না হলে কিছুটা রাজযোগের ফল দিতে পারে। ভাবার্থ রত্নাকরের মতে বৃষ লগ্নে বুধ ও শুক্র এবং ৭মে অর্থাৎ বৃশ্চিক রাশিতে বৃহস্পতি থাকলে, বুধের দশায় প্রবল রাজযোগের ফল হবে।

(ঙ) বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ ধনু রাশি ৮ম স্থানে হওয়ায় বৃহস্পতি এই লগ্নের পক্ষে অশুভ। ১১শ পতি হিসাবে স্থান বিশেষে কিছু ভাল ফল দিলেও অশুভত্বই বেশী। তবে শক্তিশালী বৃহস্পতি অর্থ প্রাপ্তিতে সাহায্য করতে পারে এবং এই দশায় বড় ভাইএর ( ১১শ স্থান থেকে বড় ভাই / বোনের বিচার হয় ) ভাগ্য বৃদ্ধিও হতে পারে।

(চ) শুক্র লগ্নপতি হিসাবে শুভ হলেও যেহেতু মূলত্রিকোণ তুলা রাশিতে অর্থাৎ ৬ষ্ঠে পড়েছে তাই শুক্র এই লগ্নের পক্ষে লগ্ন পতি হওয়া সত্বেও সমভাবাপন্ন বলা হয়েছে। তবে খুব জোরালো হলে অবশ্যই ভাল ফল দেবে।

(ছ) শনি ৯ম ও ১০ম পতি হওয়ায় কেন্দ্র ও কোণ পতি হিসাবে একাই রাজযোগের ফল দেবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক জ্যোতিষীর লব্ধ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে শনি কুম্ভে অর্থাৎ ১০মে না থাকলে খুব ভাল ফল দেয় না। ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থেও শনিকে রাজযোগকারী বলা হয় নি। জ্যোতিষশাস্ত্রের অনেক তত্বই বাস্তবে অন্য রকম ফল দেয়। সব সময়েই অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানের দ্বারা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

৩। মিথুন লগ্ন

(ক) রবি ৩য় পতি হিসাবে শুভ ফলদায়ক নয়। তবে জোড়ালো হলে কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে, তবে একগুঁয়ে ভাবও বৃদ্ধি পেতে পারে।

(খ) চন্দ্র ২য় পতি। যদি চন্দ্র বলবান হয়, তবে অর্থাগম, বিবাহ, পড়াশুনা ইত্যাদি বিষয়ে শুভ ফল হতে পারে। কিন্তু চন্দ্র দুর্বল হলে বিপরীত ফল হবে। চন্দ্র ২য় পতি হলেও মারকত্ব দোষ খুব একটা থাকবেনা যদি না অন্য কোন মারক লক্ষণাক্রান্ত গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

(গ) মঙ্গল এই লগ্নে ৬ষ্ঠ ও ১১শ পতি। দুটো স্থানই অশুভ। তবে ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থে বলা হয়েছে, মিথুন লগ্নের মঙ্গল ও চন্দ্র ১১শ স্থানে অর্থাত্ মেষ রাশিতে অবস্থিত হলে আয় বৃদ্ধি হবে। আবার শনি ৯মে অর্থাৎ কুম্ভে থাকলে বিশেষ ধনযোগ হবে। ১১শ পতি ( ১১শ থেকে আয় বিচার হয় ) ২য় পতি ( ২য় স্থান সঞ্চয় নির্দেশ করে ) সহ ১১শে থাকলে এবং ৯ম পতি ( ৯ম থেকে ভাগ্য বিচার হয় ) শনি ৯মে বসে ১১শে দৃষ্টি দিলে যে ধন লাভ হবে এতে আর আশ্চর্য কি ! তবে মঙ্গল যদি লগ্নকে বা লগ্নপতিকে দৃষ্টি দেয় বা অন্য পাপ গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তবে জাতকের শরীরের ক্ষতি করতে পারে; কঠিন পীড়া হওয়াও অসম্ভব নয়।

(ঘ) বুধ লগ্ন ও ৪র্থ পতি। বুধ শক্তিশালী হলে, জাতকের স্বাস্থ্য ভল হবে, আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে। কিন্তু বুধ দুর্বল বা অশুভ গ্রহ দ্বারা যুক্ত হয়ে অশুভ স্থানে থাকলে, শরীর খারাপ ছাড়াও নানা অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি ৭ম ও ১০ম কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষে দুষ্ট। তবে বৃহস্পতি উপচয় স্থানে অথবা কোণে ( ৫ম বা ৯ম ) থাকলে সাধারণতঃ খারাপ ফল দেয় না। তা না হলে বিবাহ বা পারিবারিক ক্ষেত্রে নানা বিপর্যয় ঘটতে পারে।

(চ) এই লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্রকেই ( ২য় ও ১২শ পতি ) একমাত্র শুভ গ্রহ হিসাবে ধরা হয়। ১২শ পতি হিসাবে শুক্র 'পরতন্ত্রী'; কাজেই ৫ম পতি হিসাবে ফল দেবে। শুক্র শক্তিশালী হলে পরীক্ষায় সাফল্য, সন্তানের শুভ ইত্যাদি ঘটতে পারে। তবে শুক্র অশুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হলে মহিলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়া অসম্ভব নয়।

(ছ) এখানে শনি ৮ম ও ৯ম পতি হওয়ায় শুভ না অশুভ তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে মূলত্রিকোণ ৯মে পড়ায়, শনি বলশালী হলে শনির দশায় ভাগ্যোন্নতি হতে পারে। বৃহ্রপতির কেন্দ্রাধিপত্য দোষ এবং শনির ৮ম পতিত্ব হেতু শনি ও বৃহস্পতির যোগ রাজযোগকারী হবে না বলে বলা হয়েছে।

৪। কর্কট লগ্ন

(ক) রবি এই লগ্নে ২য় পতি। শক্তিশালী হলে রবি অর্থযোগ, পারিবারিক শুভত্ব, ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটাতে পারে। আবার রবি দুর্বল হলে ঠিক বিপরীত ফলও ফলতে পারে। চক্ষুরোগও হতে পারে।

(খ) চন্দ্র লগ্ন পতি। চন্দ্র পক্ষবলে বলী এবং অবস্থানগত ভাবে শুভ হলে চন্দ্রের দশায় শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। সম্মান বৃদ্ধি পাবে। মাতার ক্ষেত্রেও শুভ। কিন্তু দুর্বল চন্দ্র এর ঠিক উল্টো ফলও দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল কর্কট লগ্নে কোণ ও কেন্দ্রপতি বলে ( ৫ম ও ১০ম পতি ) একাই রাজযোগকারী। মঙ্গল শক্তিশালী হলে মঙ্গলের দশা খুব ভাল যাবার কথা। সাধারণতঃ লগ্নপতি লগ্নে অবস্থিত হলে ভাল হবার কথা; কিন্তু এখানে চন্দ্র কর্কট রাশিতে নীচস্থ হওয়ায় ফল কি হবে ? লগ্নপতি নীচস্থ হয়ে লগ্নে থাকলে ফল ভাল না হবারই কথা। কিন্তু অনেকের বক্তব্য হল মঙ্গল কর্কট রাশিতে থাকলে, তার স্বক্ষেত্র বৃশ্চিক থেকে ৯মে এবং মেষ থেকে ৪র্থ কেন্দ্রে থাকার জন্য ভাল ফলই দেবে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে ৩য় ও ১২শ পতি হওয়ায় অশুভ। তবে অনেকে মনে করেন যদি বুধ এমন কোন ঘরে থাকে যাতে ৩য় ও ১২শ এই দুই অশুভ ঘরের অশুভত্ব কেটে যায় তবে বুধ ভাল ফল দেবে। যেমন, বুধ যদি লগ্নের ৫মে অর্থাত্ বৃশ্চিকে থাকে তবে বুধ ৩য় ঘরের থেকে ৩য়ে এবং ১২শ ঘরের ৬ষ্ঠে থাকবে। অতএব ৩য় ও ১২শ ঘরের থেকে দুঃস্থানে থাকায় ঐ দুই ঘরের অধিপতি হিসাবে বুধের অশুভত্ব কেটে যাবে এবং বুধ ভাল ফল দেব। এটা পরীক্ষা সাপেক্ষ।

(ঙ) বৃহস্পতি এখানে ৬ষ্ঠ ও ৯ম পতি; যেহেতু মূলত্রিকোণ ৬ষ্ঠ স্থান ধনুতে পড়েছে, অতএব বৃহস্পতি খুব ভাল ফল দেবে না। তবে অনেকে বলেন যেহেতু বৃহস্পতি লগ্নপতি চন্দ্রের মিত্র অতএব অবস্থান বিশেষে কিছু ভাল ফল দিতে পারে।

(চ) শুক্র ৪র্থ ও ১১শ পতি। কেন্দ্রাধিপত্য দোষ এবং ১১শের অধিপতি হওয়ায় দু দিক থেকেই অশুভ। তবে এটা দেখা গেছে শুক্র শক্তিশালী হলে অর্থভাগ্য খারাপ হয় না; যান বাহনেরও মালিক হতে পারে। তবে দুর্বল শুক্র শরীর এবং অর্থ দুই এর পক্ষেই খারাপ।

(ছ) শনি ৭ম ও ৮ম পতি। মূলত্রিকোণ ৮ম স্থানে হওয়ায় শনি অশুভ কিন্তু ৭ম কেন্দ্রের অধিপতিত্ব হেতু শুভ ( কেন্দ্রপতি অশুভ গ্রহ হওয়ায় )। দুই-এ মিলে শনিকে সম বলা যেতে পারে। তবে শনির ৮ম পতিত্ব হেতু, অশুভ গ্রহের সংযোগ না থাকলে পরমায়ু বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব।

৫। সিংহ লগ্ন

(ক) রবি লগ্নপতি। রবি শক্তিশালী হলে জাতক সুনাম, সম্মান, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি ভোগ করবে; কিন্তু রবি যদি দুর্বল হয় এবং অশুভ গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয় তবে এর বিপরীত ফলও হতে পারে। দুর্নামও রটতে পারে।

(খ) চন্দ্র এখানে ১২শ পতি। জোরালো হলে চন্দ্র কিছুটা শুভ ফল দিতে পারে। তবে খুব একটা শুভ ফল আশা না করাই ভাল। চন্দ্র ও মঙ্গলের সম্বন্ধ ঘটলে বিদেশে বসবাসের সম্ভাবনা থাকে।

(গ) মঙ্গল ৪র্থ ও ৯ম পতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী গ্রহ। বলশালী মঙ্গল জাতককে সৌভাগ্য, মান-সম্মান, পড়াশুনা বিষয়ে ভাল ফল দিতে পারে। দুর্বল হলে খুব ভাল ফল হবে না।

(ঘ) বুধ ২য় ও ১১শ পতি। বুধের জোর থাকলে এবং অশুভ সংস্পর্শ থেকে মুক্ত থাকলে অর্থলাভ হতে পারে। তবে অশুভ গ্রহের সংযোগে এলে বা শক্তিহীন হলে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি ৫ম ও ৮ম পতি। মূলত্রিকোণ ৫ম স্থান ধনু হওয়ায় বৃহ্রপতি ৫ম স্থানের ফলই বেশী দেবে। অতএব শক্তিশালী বৃহস্পতি জাতককে সন্তান, পিতা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে। তবে ৮ম পতিত্ব দোষও থাকায় বৃহস্পতি দুর্বল হলে ভাল ফল হয় ত হবে না।

(চ) শুক্র ৩য় ও ১০ম পতি; ১০ম পতি শুভ গ্রহ হওয়ায় পরাশরের মতে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ থাকবে। এখানে শুক্র শুভ গ্রহ নয়। অবস্থান খারাপ হলে বা শুক্র দুর্বল হলে শুক্রের দশায় ভাল ফল কিছু আশা না করাই ভাল।

(ছ) শনি ৬ষ্ঠ ও ৭ম পতি। কেন্দ্রপতি হওয়ায় শুভ কিন্তু ৬ষ্ঠ পতি হওয়ায় শনিকে সম বলে গণ্য করা ভাল। অশুভ শনি নানা ভাবে দুঃখের কারণ হতে পারে।

৬। কন্যা লগ্ন

(ক) রবি এই লগ্নে ১২শ পতি। খুব ভাল ফল আশা করা যায় না। তবে খুব জোরালো হলে কিছু ভাল ফল হতে পারে। দুর্বল রবি চক্ষু পীড়ার কারণ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ১১শ পতি। শক্তিশালী চন্দ্র অর্থাগমের পক্ষে শুভ। তবে দুর্বল হলে শরীরের পীড়া হতে পারে।
(গ) মঙ্গল ৩য় ও ৮ম পতি। অত্যন্ত অশুভ। তবে মঙ্গল শক্তিশালী হলে জাতক দীর্ঘায়ু হতে পারে; কিন্তু দুর্ভোগ থাকবে।

(ঘ) বুধ লগ্ন ও ১০ম পতি। লগ্নপতি বলে ১০ম কেন্দ্রের আধিপত্য দোষ থাকবে না। বুধের জোর থাকলে এবং অশুভ গ্রহের সংযোগ হীন হলে ফল ভালই দেবে।

(ঙ) বৃহস্পতি ৪র্থ ও ৭ম পতি হিসাবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ থাকবে। বৃহস্পতি দুর্বল হলে বা অশুভ গ্রহযুক্ত হলে বৃহস্পতির দশায় পারিবারিক সমস্যা হতে পারে। এই লগ্নে বৃহস্পতির ২য়, ৬ষ্ঠ, ৭ম বা ৮ম স্থানে না থাকাই ভাল।

(চ) শুক্র ২য় ও ৯ম পতি। ২য় 'পরতন্ত্রী' হওয়ায় মুলতঃ শুক্র এখানে ৯ম স্থানের ফলই দেবে। অতএব শক্তিশালী হলে শুভ। অশুভ শুক্র অর্থক্ষয় ও ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

(ছ) শনি ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থানের অধিপতি। মূলত্রিকোণ ৬ষ্ঠ হওয়ায় শনি শুভ নয়। অশুভ শনি শত্রুভয়, ভবিষ্যত্ সম্ভন্ধে দুঃশ্চিন্তা, কর্মে বাধা ইত্যাদি বয়ে আনতে পারে।

৭। তুলা লগ্ন

(ক) রবি ১১শ পতি হিসাবে শরীরের দিক থেকে কিছুটা অশুভ কিন্তু যদি বল থাকে তবে রবির দশায় অর্থাগম হতে পারে ও অন্যান্য বাসনাও পূর্ণ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ১০ম পতি হওয়ায় পরাশরের মতে ক্ষীণ চন্দ্র হলে শুভ। ৯ম পতি বুধের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে রাজযোগের ফল দিতে পারে; যদিও বুধের ১২শ পতিত্বের জন্য কিছু অশুভ ফলও দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল ২য় ও ৭ম পতি। কেন্দ্রপতি বলে কিছুট শুভ হতে পারে; তবে দুই মারক স্থানের অধিপতি হিসাবে যদি দুঃস্থানে ( ৬ষ্ঠ, ৮ম বা ১২শ ) অবস্থিত হয় তবে যথেষ্ট শারীরিক সমস্যা তৈরী করতে পারে।

(ঘ) বুধ ৯ম ও ১২শ পতি। মূলত্রিকোণ ১২শে হওয়ায় ৯ম স্থানের ফল কমই দেবে। তবে ১২শ স্থান 'পরতন্ত্রী'; তাই ৯ম স্থানের ফল বেশ কিছু ফলবে বলে অনেকে মনে করেন। চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে ৯ম ও ১০ম পতির যোগ হিসাবে কিছু শুভ ফল আশা করা যায়।

(ঙ) বৃহস্পতি ৩য় ও ৬ষ্ঠ স্থানের অধিপতি হিসাবে অশুভ। তবে দুই উপচয়ের অধিপতি হিসাবে কিছু ভাল ফল দেবে। ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থেও বৃহস্পতিকে সম্পূর্ণ অশুভ বলা হয় নি।

(চ) শুক্র লগ্নপতি ও ৮ম পতি। লগ্নপতি হওয়ায় অবশই শুভ; তবে শুক্র যদি ১২শে অর্থাত্ কন্যা রাশিতে নীচস্থ হয়ে অবস্থান করে তবে কতটা ভাল হবে সন্দেহ।

(ছ) শনি ৪র্থ ও ৫ম পতি; অতএব রাজযোগকারী গ্রহ। শনি বলশালী হলে এবং শুভ দৃষ্ট হলে শনির দশা খুব ভাল ফল দেবে আশা করা যায়।

৮। বৃশ্চিক লগ্ন

(ক) রবি ১০ম পতি হিসাবে শুভ। বলযুক্ত হলে রবি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি ইতাদি ফল দিতে পারে।

(খ) চন্দ্র ৯ম পতি হিসাবে শুভ ফল দেবে যদি শক্তিশালী হয়। দুর্বল হলে দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে।

(গ) মঙ্গল লগ্ন ও ৬ষ্ঠ পতি। মূলত্রিকোণ ৬ষ্ঠে হওয়ায় মঙ্গলের জোর এবং অবস্থান শুভ না হলে শারীরিক বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে ৮ম ও ১১শ পতি। শরীরের দিক থেকে শুভ নয় তবে বল ও অবস্থান বিশেষে অর্থপ্রাপ্তির পথ সুগম করতে পারে। বলহীন হয়ে অশুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত হলে, মঙ্গলের বা যে অশুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের দশা অন্তর্দশায় শারীরিক সমস্যা ত হতেই পারে, মৃত্যু হওযাও অসম্ভব নয়।

(ঙ) বৃহস্পতি ২য় ও ৫ম পতি। শুভগ্রহ। বৃহস্পতির জোর থাকলে যথেষ্ট শুভ ফল আশা করা যায়।

(চ) শুক্র ৭ম ও ১২শ পতি। কেন্দ্রপতি হেয়ে নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হওয়ায় ভাল ফল দেবার কথা নয়। তবে ২য় ও ৭ম দুই ঘর থেকেই পরিবার, বিবাহ, স্ত্রী ( বা স্বামী ) ইত্যাদি বোঝায়। শুক্রের বল থাকলে এবং অবস্থানগত ভাবে শুভ হলে উক্ত বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে; কিন্তু পাপগ্রহ যুক্ত হলে অবৈধ সংসর্গ ঘটাতে পারে।

(ছ) শনি ৩য় ও ৪র্থ পতি। ৪র্থ কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে শুভ হলেও ৩য় পতি বলে অশুভ। শুভ গ্রহের প্রভাব না থাকলে এখানে শনি খুব ভাল ফল দেবে না।

৯। ধনু লগ্ন

(ক) রবি ৯ম পতি হিসাবে অত্যন্ত শুভ। রবি বলশালী হলে ও অশুভ সংযোগ থেকে মুক্ত থাকলে রবির দশায় জাতকের ভাগ্যোন্নতি, সম্মান ও সৌভাগ্য লাভ ইত্যাদি সম্ভব। রবি দুর্বল হলে ভাগ্য বিপর্যয় ছাড়াও পিতার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে ( রবি পিতৃকারক গ্রহ )।

(খ) চন্দ্র ৮ম পতি হলেও ৮ম পতিত্বের দোষ চন্দ্রকে স্পর্শ করে না বলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে। তবে ক্ষীণ চন্দ্র হলে বা অন্য কারণে চন্দ্র দুর্বল হলে জাতকের ক্ষতি হতে পারে; পরমায়ু হ্রাস হতে পারে।

(গ) মঙ্গল ৫ম ও ১২শ পতি এবং মূলত্রিকোণ ৫ম স্থানে হওয়ায় মঙ্গল শক্তিশালী হলে শুভ ফলই দেবে।

(ঘ) বুধ ৭ম ও ১০ম পতি বলে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ রয়েছে। তবে রবি ও বুধের সম্বন্ধ ( ৯ম ও ১০ম পতির যোগ ) রাজযোগের ফল দেয় বলে কোন কোন জ্যোতিষী মনে করেন। বুধ দুঃস্থানস্থ হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে, পারিবারিক ক্ষেত্রেও অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি লগ্ন ও ৪র্থ পতি। লগ্নপতি হওয়ায় ৪র্থ পতিত্বের দোষ থাকবে না। বৃহ্রপতির জোর থাকলে এবং শুভ ভাবে থাকলে বৃহস্পতির দশায় জাতকের সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে।

(চ) শুক্র ৬ষ্ঠ ও ১১শ পতি। অশুভ গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হলে শরীরের সমস্যা তৈরী করতে পারে। তবে শুক্র বলশালী হলে আয়বৃদ্ধি হতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতিও হতে পারে।

(ছ) শনি ২য় ও ৩য় পতি। মারক স্থান ও ৩য় স্থানের অধিপতি হিসাবে অশুভ।

১০। মকর লগ্ন

(ক) রবি যদিও ৮ম পতি তবে রবি ৮ম পতিত্বের দোষ থেকে মুক্ত বলে বলা হয়। তবে রবি দুর্বল হলে বা দুঃস্থানস্থ হলে পরমায়ু হ্রাস হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ৭ম পতি বলে ক্ষীণ চন্দ্র হলে শুভ। তবে চন্দ্রের মারকত্ব দোষ থাকতে পারে। চন্দ্র যদি ৫ম বা ৭মে থাকে তবে ভাল ফল হবে বলে মনে হয়।

(গ) মঙ্গল ৪র্থ ও ১১শ পতি। কেন্দ্র পতি হিসসবে শুভ হলেও ১১শ পতি হিসবে অশুভ। তবে জোর থাকলে মঙ্গলের দশায় গৃহসুখ ও ধন লাভ হতে পারে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তত ভাল নয়।

(ঘ) বুধ ৬ষ্ঠ ও ৯ম পতি। মূলত্রিকোণ ৯ম স্থান কন্যা রাশিতে হওয়ায় ৯ম স্থানের ফল দেবে বলে শুভ গ্রহ হিসাবেই ধরা যায়। তবে বুধ অন্য গ্রহের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হয় বলে, পাপগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে তত ভাল ফল দেবে না।

(ঙ) বৃহস্পতি ৩য় ও ১২শ পতি হিসাবে অশুভ।

(চ) শুক্র কোণ ও কেন্দ্রপতি ( ৫ম ও ১০ম পতি ) হওয়ায় রাজযোগকারী গ্রহ। তবে ভাল ফল দিতে হলে শুক্রকে অবশ্যই জোরাল হতে হবে।

(ছ) শনি লগ্ন ও ২য় পতি। শনি বলশালী হলে শনির দশায় জাতকের স্বাস্থ্য, সম্মান ও ধন লাভ হতে পারে। আবার শনি আয়ুষ্কারক হিসাবে আয়ুবৃদ্ধি হওয়াও সম্ভব।

১১। কুম্ভ লগ্ন

(ক) রবি ৭ম পতি; অতএব কেন্দ্রপতি হিসাবে শুভ। রবির বল থাকলে এই দশায় জাতকের ব্যবসায় লাভ, উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি ফল লাভ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ৬ষ্ঠ পতি বলে অশুভ।

(গ) মঙ্গল ৩য় ও ১০ম পতি। ১০ম পতি হিসাবে হয় ত কিছুটা শুভ কিন্তু ৩য় পতিত্ব হেতু অশুভ। অনেকে বলেন মঙ্গল শুধু ১০ম পতি হলে ভাল ফল দেয় না; সেই সঙ্গে কোণের অধিপতি হলে তবেই শুভ ফলদায়ক।

(ঘ) বুধ ৫ম ও ৮ম পতি; কিন্তু মূলত্রিকোণ ৮ম স্থানে হওয়ায় খুব শুভ নয়। এমন কি অশুভ সংস্পর্শে থাকলে মারক দোষেও দুষ্ট হতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি ২য় ও ১১শ পতি। বৃহস্পতির বল থাকলে এর দশায় আয়বৃদ্ধি হতে পারে; যদিও শরীরের দিক থেকে শুভ নয়।

(চ) শুক্র এই লগ্নে ৪র্থ ও ৯ম পতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী। শুক্র বলশালী হলে শুক্রের দশায় জাতকের গৃহসুখ, বাহন লাভ, বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নানা ভাবে ভাগ্যোন্নতি হতে পারে।

(ছ) শনি লগ্ন ও ১২শ পতি। পরাশরের মতে ১২শ ভাব 'পরতন্ত্রী' বলে, শনি লগ্ন পতি হিসাবেই ফল দেবে। অতএব শনি শক্তিশালী হলে জাতকের শরীর ভাল যাবে, আধ্যাত্মিক যোগাযোগও হতে পারে, অবশ্য যদি অন্যান্য শুভ যোগ থাকে।

১২। মীন লগ্ন

(ক) রবি ৬ষ্ঠ পতি। দুঃস্থানের অধিপতি হিসাবে শুভ নয়। তবে ৬ষ্ঠ উপচয় স্থান বলে, অবস্থান বিশেষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাল ফল দিতে পারে। রবি যেহেতু পিতৃকারক গ্রহ এবং জীবনী শক্তিরও কারক অতএব রবির অবস্থান এই লগ্নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলের সূচক হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ৫ম পতি। চন্দ্রের জোর থাকলে এর দশায় জাতকের শুভ ফল লাভ হবে।

(গ) মঙ্গল ২য় ও ৯ম পতি। ২য় ভাব 'পরতন্ত্রী' বলে মঙ্গল ৯ম স্থানের ফলই মুলতঃ দেবে, অতএব শুভ। তবে দুর্বল বা পাপযুক্ত হলে যথেষ্ট দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে।

(ঘ) বুধ ৪র্থ ও ৭ম পতি; অতএব কেন্দ্রাধিপতির দোষ রয়েছে; দুঃস্থানস্থ ( ৬ষ্ঠ, ৮ম ) হলে বা ২য় স্থানে অবস্থান করলে সুখ-শান্তি ও চাকরীর ক্ষেত্রে অশুভ ফল দিতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি লগ্ন ও ১০ম পতি। যেহেতু লগ্নপতি অতএব ১০ম কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে অশুভ ফল দেবে না বলেই বলা হয়েছে। বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে জাতকের চাকরীর উন্নতি, সম্মান বৃদ্ধি, শুভ যোগাযোগ ইত্যাদি ঘটতে পারে। জাতকের যথেষ্ট নৈতিকতা ও মূল্যবোধ থাকবে।

(চ) শুক্র ৩য় ও ৮ম পতি। যেহেতু ৩য় ও ৮ম স্থান থেকে আয়ু বিচার হয়, অতএব শুক্র শক্তিশালী হলে ও অশুভ গ্রহের সংস্পর্শে না এলে পরমায়ু বৃদ্ধি পাবে।

(ছ) শনি ১১শ ও ১২শ পতি। ১২শ ঘর 'পরতন্ত্রী' বলে ১১শ স্থানের ফল দেবার কথা। এই কারণে শনি শুভ হলে আয়বৃদ্ধি হতে পারে; কিন্তু শরীরের পক্ষে শুভ নাও হতে পারে। দুর্বল শনি ক্ষতিবৃদ্ধি করবে।

তবে এগুলি সাধারণ নিয়ম বলে অনেক জ্যোতিষী মনে করেন। যদিও কোন লগ্নের জন্য কোন গ্রহ শুভ বা অশুভ এটা অবশ্যই জানা দরকার, তবে আক্ষরিক অর্থে এগুলি মেনে চললে অনেক সময়েই ভুল হবার সম্ভাবনা। জ্যোতিষশাস্ত্রে কোন কুণ্ডলীর বিচার সামগ্রিক ভাবে করতে হবে, শুধু কোনো একটি নিয়মকে গুরুত্ব দিয়ে নয়। এই প্রসঙ্গে সুশ্লোকশতকে উক্ত আছে -

গ্রহাঃ খলাঃ খলা নাত্র, সৌম্যাঃ সৌম্যাঃ কদাচন।
তত্তত্স্থানানুসারেণ ভবন্তীহ খলাঃ শুভাঃ ।।

এর অর্থ হল, গ্রহদের মধ্যে শুভ বা অশুভ বলে কিছু নেই, অর্থাত্ শুভ গ্রহ হলেই শুভ ফল দেবে বা অশুভ গ্রহ মাত্রেই অশুভ ফল দেবে এমন কিছু নয়। কোন গ্রহ কোথায় অবস্থিত তার উপরেই শুভাশুভ ফলাফল নির্ভর কর

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191122175222

Wednesday, November 20th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

কোন সময় শনি সক্রিয়

কোন সময় শনি সক্রিয়

সুপ্রভাত

কোন সময় শনি সক্রিয় হয়

শনি মহারাজ রবি ও ছায়াদেবীর পুত্র। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই গ্রহের প্রভাব অপরিসীম। শনি হল ভীষন স্বাত্তিক গ্রহ ও মহাসুখ দাতা, আবার অন্য দিকে মহা তান্ত্রিক ও যোগী গ্রহ। এই গ্রহ মানুষকে অধর্ম থেকে ধর্মের পথে নিয়ে আসে। রাশিচক্রে শনির ঘর হল মকর ও কুম্ভ। শনি তুঙ্গস্থ তুলা রাশিতে এবং নিচস্থ মেষ রাশিতে।২০২০ সালের ২৪/০১/২০২০ তারিক শনি মকরে নিজের ঘরে প্রবেশ করবে,৩০বৎসর পর।ঐ রাশি তে থাকবে ২.৫ বৎসর।ঐসময় শনি তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের শিক্ষা, নুতন কর্ম,অর্থ সব দিক থেকে পরিপূর্ণ করে দেবে।শনি জন্মকুন্ডলী তে পঞ্চমে থাকলে তো কথাই নাই।লগ্নের ৫ম স্থান মানে কুম্ভ রাশিতে শনি থাকলে তাকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে যাবে।শনি কাউকে উচ্চশিক্ষায় নিয়ে গেলে তার কর্ম জীবনের সুখ খুব ভালো হয়।

এবার দেখে নেওয়া যাক কোন সময় শনি সক্রিয় হয়।
ক) গোচরকালে শনি গ্রহ মেষ, বৃষ ও মিথুন রাশিতে অবস্থান করলে বৃষরাশির জাতক বা জাতিকার মধ্যে সাড়ে সাতির প্রভাব তৈরি হয়।
খ) বৃষ, মিথুন ও কর্কটরাশিতে শনি গ্রহের অবস্থানে মিথুন রাশির ওপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
গ) শনির গোচরকালে যখন মীন, মেষ ও বৃষ রাশিতে অবস্থান করে সেই সময় মেষ রাশির জাতক বা জাতিকার ওপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
ঘ) মিথুন, কর্কট ও সিংহ রাশিতে শনি গ্রহের অবস্থানে কর্কট রাশির ওপর সাড়ে সাতির প্রভাব বিস্তার করে।
ঙ) কর্কট, সিংহ ও কন্যা রাশির ওপর আড়াই বছর অন্তর অবস্থান কালে সিংহরাশির ওপর সাড়ে সাতির প্রভাব থাকে।
চ) কন্যা, তুলা ও বৃশ্চিক রাশিতে গোচর শনি অবস্থিত হলে সাড়ে সাতির প্রভাব থাকে।
ছ) তুলা, বৃশ্চিক ও ধনুরাশির ওপর শনির গোচর চলাকালীন বৃশ্চিক রাশির ওপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
জ) বৃশ্চিক, ধনু ও মকর রাশিতে গোচরে শনির অবস্থানে ধনুরাশির জাতক বা জাতিকা সাড়ে সাতির প্রভাবাধীন হয়।
ঞ)গোচরে শনি মকরে অবস্থান করলে, তুলা লগ্ন,তুলা রাশি এবং মিথুন লগ্ন,মিথুন রাশিতে শনির ঢাইয়া চলে।ঐ সময় তুলা রাশির জাতক জাতিকারা সর্বসূখ লাভ করে।এই নিয়ে আগের দিনের প্রতিবেদন এ বলেছি।

শনির দেবের বিশেষ কথা

আজ শনিবার। গ্রহরাজ শনি ঠাকুরের সাপ্তাহিক পূজা। 'শনি' নবগ্রহের একটি অন্যতম গ্রহ, শনি গ্রহকে গ্রহরাজ-ও বলা হয়ে থাকে। শনিদেব সনাতন ধর্ম মতে একজন দেবতা। শনি উগ্র দেবতা বলে কুখ্যাত। সৌরজগতের শনি গ্রহ ও সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবেরর নামে নামকরণ করা হয়। শনিদেব কে শনিশ্চর বা শনৈশ্চর নামেও ডাকা হয়। শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র, এজন্য তাঁকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে শনিদেবের ছোটবড় মন্দির দেখা যায়, এবং সেখানে সপ্তাহান্তে শনিবার বড় ঠাকুরের সাপ্তাহিক পুজার্চনা হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা ভারতে বেশকিছু বড় বড় শনি মন্দির ও তীর্থস্থান উল্লেখযোগ্য, যেমন তিরুনাল্লার শ্রী শনিশ্চর কোইল ,দেওনার-এর শনি দেবালয়ম, মহারাষ্ট্রের শনি-সিঙ্গাপুর মন্দির, তিতওয়ালার শনি মন্দির, মাদুরাই এর নিকটে কুচানুর-এর শনি মন্দির। শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়ভীতিমিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করার বিধান আছে। সাধারনত শনিদেবের মন্দিরে অথবা গৃহের বাইরে খোলা জায়গায় শনিদেবের পূজা হয়। নীল বা কৃষ্ণগ বর্ণের ঘট, পুষ্প, বস্ত্র, লৌহ, মাষ কলাই , কালো তিল, দুগ্ধ, গঙ্গাজল, সরষের তেল প্রভৃতি বস্তু শনিদেবের ব্রতের জন্য আবশ্যিক। নির্জলা উপবাস বা একাহারে থেকে এই ব্রত পালন করতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর ব্যবহার ব্যাপক। মকর ও কুম্ভরাশির জাতক/ জাতিকাদের জন্য এই নীলা রত্নকে নির্বাচন করা হয়। শনি গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই পাথর ব্যবহারের বিধান আছে। অধিক ধনশালী, সাহসবৃদ্ধি ও শক্তিশালী হওয়ার জন্যও এই রত্ন ধারণের বিধান আছে। জোতিষ শাস্ত্র মতে রাশিচক্রের মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকার রত্ন পাথর । শনি গ্রহ দুইটি রাশির শাসক গ্রহ- মকর ও কুম্ভ। যাদের জন্ম লগ্নে বা তিথিতে শনির অশুভ প্রভাব বিদ্যমান এবং হাত এ শনির ক্ষেত্র কাটাকাটি, নিচু, ত্রিশুল, ক্রশ, তিল, বিন্দু প্রভৃতি চিহ্ন রহিত থাকলে নীলা রত্ন ব্যবহার করা উচিত। এটি যাদের উপযোগী তারা ব্যবহার করলে ধৈর্য্যশীল ও কর্মদ্যোমী হয়। মনের জোর বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে বড় কথা কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর দ্বারা বিচার বিশ্লেষন করে তবে নীলা রত্ন ব্যবহার করা উচিত। শনি গ্রহদেবতা হিসেবে সবিশেষ পরিচিত। জ্যোতিষশাস্ত্রে জন্মছকে এর অবস্থান বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। শনি দ্বাদশে, জন্মরাশিতে ও দ্বিতীয়ে অবস্থানকালে সাড়ে সাত বছর মানুষকে প্রচণ্ড কষ্ট দেয়। শনিদেবকে নিয়ে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ আছে। স্কন্দ পুরাণ বলে শিপ্রা ও ক্ষাতা নদীর সংযোগস্থলে জন্মগ্রহণ করেই শনি ত্রিলোক আক্রমণ করেন। আতঙ্কিত ইন্দ্র ছুটলেন ব্রহ্মার কাছে। নিরুপায় ব্রহ্মা সূর্যের কাছে। এর আগেই শনি দ্বারা আক্রান্ত সূর্য ব্রহ্মাকেই শনিকে সংযত করার অনুরোধ করলেন। ব্রহ্মা গেলেন বিষ্ণুর কাছে। বিষ্ণু গেলেন শিবের কাছে। শিব শনিকে ডেকে অত্যাচার করতে বারণ করলেন। তখন শনি শিবকে তাঁর জন্য খাদ্য, পানীয় ও বাসস্থানের উপায় করতে বললেন। শিব শনিকে মেষ থেকে মীন রাশিচক্রে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা করে দিলেন। নিয়ম মত জন্মরাশি, দ্বিতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও দ্বাদশে শনি সর্বদাই ক্রুদ্ধ হবেন। কিন্তু পঞ্চম, ষষ্ঠ বা একাদশ স্থানে এলে তিনি উদার। সপ্তম বা নবম স্থানে এলে তিনি উদাসীন। এই শনির আরেক নাম শনৈশ্চর। সন্তুষ্ট হলে তিনি লোককে দেবেন রাজ্য, অসন্তুষ্ট হলে নেবেন লোকের প্রাণ। শনি দেবের বীজমন্ত্র
ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ১০৮ নীল পোশাক পরে দক্ষিণ দিকে তাকিয়ে করবেন, সন্ধ্যায়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191120071225

Sunday, November 17th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

সাফল্য ও মঙ্গলবার

সুপ্রভাত
********সাফল্য ও মঙ্গলবার**********

মঙ্গলবার এই কাজগুলি করুন…
-----------------------------------------------------------------

নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেও সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারছেন না। অনেকের সঙ্গেই ঘটে থাকে এমন। এর সমাধান কী, তা ভাবতে ভাবতেই চুল পেকে যায় অনেকের। কিন্তু সনাতন ধর্মেই রয়েছে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। এজন্য মঙ্গলবার মনে করে কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে৷ তাহলেই সাফল্য অবধারিত৷

পর পর ১১টি মঙ্গলবার কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সমস্ত রকমের বাধা বিপত্তি দূর করা যায়। আপনিও জেনে নিন আগামী মঙ্গলবার কোন কোন কাজগুলি করবেন-

১. মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পড়ে মন্দিরে যান৷ সিঁদুরের সঙ্গে চামেলির তেল মিশিয়ে তা হনুমানজিকে পরান। এর পরে ‘ওম রাম দূতায় নমঃ’- এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন।

২. টানা ১১টি মঙ্গলবার রাতে হনুমানজির সামনে তেলের প্রদীপ জ্বালান। চেষ্টা করুন শুধু মঙ্গলবার নয়, রোজই সন্ধ্যায় তেলের প্রদীপ জ্বালাতে। এতে ধনসম্পদের বৃদ্ধি হয়।

৩. হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন পরপর ১১টি মঙ্গলবার। এদিন নিরামিষ খাবার খান।

৪. এই ১১টি মঙ্গলবার শেষ হওয়ার মধ্যে রামায়ণ পড়া শুরু করে শেষ করুন। কখনই অসম্পূর্ণ ছেড়ে দেবেন না পড়তে পড়তে।

৫. কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হলে হনুমানজিকে ১১টি বোঁদের লাড্ডু নিবেদন করুন। এর পরে সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করে দিন।

এতে হাতে নাতে ফল পাবেন…

৬) সংসারে প্রভাব : যদি পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি আপনার বাড়িতে ঢোকার মুখে রাখা হয় এবং প্রতিদিন ধূপ দিয়ে পুজো করা হয় তাহলে ঘরের ওপর কোনো কুপ্রভাব পড়বে না।

৭) রাশির ওপর প্রভাব : অনেকের রাশি হালকা থাকলে ভূতের দর্শন পায়, ভূতেরা অথবা আত্মারা হালকা রাশির ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করে, এই প্রেতাত্মার কু প্রভাব সরাতে হনুমান চালিশা সাহায্য করে৷

৮) গ্রহদোষ: শনির প্রভাব যে মানুষের ওপর পড়বে তার জীবনে নানা বাধা বিঘ্ন আসতে থাকবে৷ এই প্রকোপ কেবল কিছুদিনের জন্য নয়৷ বহুবছর ধরে চলতে থাকে৷ শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, যদি হনুমানজীর পুজো করা হয়, তবে সে দোষ সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়।

৯) জীবনের পথে প্রভাব: অনেক সময় কাজ করার পরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না, পদোন্নতিতে বাধা আসে, পড়াশুনায় সফলতা পাওয়া যায় না, এরকম বারবার বাধা থেকে মুক্তি পেতে গেলে হনুমানজীর পুজো ভক্তি ভরে করতে হবে।

১০) বীজমন্ত্র: হূং হনুমতে রুদ্রায়মকায় হূঁ ফট স্বাহা
১০৮ বার সন্ধ্যায় ঘীয়ের প্রদীপ জ্বেলে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191117064052

Friday, November 15th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ ও সাড়েসাতির প্রভাব

জোতিষ ও সাড়েসাতির প্রভাব

সূপ্রভাত
আপনা দের অনুরোধে প্রতিবেদন টি পূনরায় পোস্ট করলাম।
****জোতিষ ও সাড়েসাতি****
শনির সাড়েসাতি কি প্রতিকারও ফল, কুপ্রভাব মেষ কর্কট সিংহ ধনু মীন রাশিতে, বর্তমান প্রভাব বৃশ্চিক ধনু মকর, 12 টি রাশিতে শনির প্রভাব সাবধান 3টি রাশি

বর্তমানে শনির সাড়েসাতি ভোগ্য তিন রাশি হল
১) বৃশ্চিক, ২) ধনু, ৩)মকর।
এই তিন রাশি ছাড়াও পরবর্তী রাশি গুলির আসন্ন শনির সারেসাতির সময় নির্দেশ করা হলো।
আপনারা এখন বলবেন শনির সাড়েসাতি কি?
=>
শনির সাড়েসাতি হলো শনি গ্রহের পরিক্রমণ গতির ওপর ভিত্তি করে ১২টি রাশির একএকটি রাশিতে প্রায় আড়াই বছর করে শনিগ্রহ অবস্থান করে। সূর্য মধ্যস্থিত হয়ে, কক্ষপথটিকে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করে যদি ১২ টি ভাগে বিভক্ত করা হয় তাহলেই একটি ভাগকে একএকটি রাশি ধরা হবে।
শনিগ্রহ যেই স্থানে বা যেই রাশিতে অবস্থান করে তার আগের রাশি এবং পরে রাশির শনির সাড়ে সাতি চলে।
এই তিন আড়াই বছর ধরে একটি রাশিতে শনিগ্রহের অবস্থানকে এক কথায় শনির সাড়েসাতি বলা হয়।
শনিগ্রহের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে প্রায় 29 বছর চার মাস সময় লাগে।
যে রাশিতে শনি অবস্থান করে এবং তার আগের ও পরের রাশির জাতকদের শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন এবং যেকোন শুভকর্মে অসফলতা লক্ষ্য করা যায়।
এবং তার সময় যেন ধীরগতিতে অতিক্রান্ত হতে থাকে। মানুষিক মনোবলের অভাব দেখা দেয়।
এছাড়া তেমন কিছু শনি গ্রহ ক্ষতি করে না।
এই সময় মানুষকে পরিষ্কার বস্ত্র, শুদ্ধ খাবার গ্রহণ,
সৎ পথ এবং সত‍্য ও নিষ্ঠাকে অবলম্বন করে জীবন যাপন একান্ত জরুরী।
তানাহলে শনি গ্রহ আমাদের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে।
এবার দেখা যাক কোন রাশিতে কবে শনির সাড়েসাতি শুরু এবং শেষ হবে।
১) বৃশ্চিক - ২৪/০১/২০২০ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
২) ধনু - ২৯/০৪/২০২২ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৩) মকর - ৩০/০৩/২০২২ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৪) কুম্ভ - ২৪/০১/২০২০ থেকে ২৩/০২/২০২৮
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৫) মীন - ২৯/০৪/২০২২ থেকে ০৮/০৮/২০২৯ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৬)মেষ -৩০/০৩/২০২৫ থেকে ৩০/০৫/২০৩২
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৭)বৃষ - ২৩/০২/২০২৮ থেকে ১২/০৭/২০৩৪
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৮) মিথুন- ১৭/০৪/২০৩০ থেকে ২৭/০৮/২০৩৬
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
৯) কর্কট - ৩১/০৫/২০৩২ থেকে ১২/০৭/২০৩৯
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
১০) সিংহ - ১৩/০৭/২০৩৪ থেকে ২৫/০৯/২০৪১
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
১১) কন্যা - ২৮/০৮/২০৩৬ থেকে ১১/১২/২০৪৩
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।
১২) তুলা - ১৩/০৭/২০৩৯ থেকে ০৮/১২/২০৪৬
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

প্রতিটি মানুষের জীবনে সময়ের পরিক্রমায় কখনো ভালো সময় আবার কখনো প্রতিকূল সময় অতিক্রম করতে হয়। এটাই স্বাভাবিক। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, প্রতিটি মানুষের জীবনে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। শুভ গ্রহের প্রভাবে জীবনে সুখ ও সাফল্য আসে। জীবন হয় আনন্দময়। আবার অশুভ গ্রহের প্রভাবে নানারকম প্রতিকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতি অতিক্রম করতে হয়। বৈদিক জ্যোতিষ অনুযায়ী শনি, সবচেয়ে অগ্নিময় গ্রহ। শনি সৌরজগতের ধীরতম চলন্ত গ্রহ| এই কারণে, এটি একটি ঠান্ডা, অনুর্বর, শুষ্ক গ্রহ এবং তার প্রভাব অধিক তীব্রতার সঙ্গে এবং অন্য কোন গ্রহের চেয়ে বেশি সময়সীমার জন্য অনুভূত হয়।
কথিত আছে, শুক্রের অধীনে যে সকল মানুষ জন্মায় তারা শনির অনুকূলে থাকে। অপরপক্ষে, যারা বুধের অধীনে জন্মায় তাদের পক্ষে শনি মন্দ। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি একটি সাপ, যার মাথাকে রাহু এবং লেজকে কেতু বলা হয়। কেতু কে অগ্রাধিকার দিলে কোন ব্যক্তির অত্যন্ত উপকার হয়। শনির সাড়ে সাতি মানেই কর্মে বাধা, পেশাগত, পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে ভুলবোঝাবুঝি কিংবা আর্থিক সমস্যাই নয়, এ সময়ে অনেকে ধাপে ধাপে সাফল্যের শিখরে ওঠেন। জীবনে নতুন মোড় নেয়। নানারকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার মাধ্যমে সাফল্য ও প্রাচুর্যের পথে অগ্রসর হন। অনেকে শনির সাড়ে সাতি কথাটি শুনলে ভয় পান। কারণ আমরা জানি শনি বাধাকারক গ্রহ। কাজে বিলম্ব, সম্পর্কে অবনতি, ব্যবসায়ে ক্ষতি, অপবাদ, দুর্ঘটনা এমন আরো অনেক কিছু শনির সাড়ে সাতির সময় দেখা যায়। চলুন জেনে নিই শনির সাড়ে

মেষ -- প্রতি শনিবার শ্রীহনুমানের পূজা করা বিধেয়। পর পর সাতটি শনিবার দানকার্য করলে বাল ফল মেলে। ঘোড়ার নাল থেকে তৈরি আংটি মধ্যমায় ধারণ করলে আরও ভাল হয়।

• বৃষ— লোহা বা রূপায় অ্যামেথিস্ট বাঁধিয়ে ধারণ করা প্রয়োজন। পর পর পাঁচটি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নীচে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে ভাল হয়।

• মিথুন— কোনও শনিবার মধ্যমায় রুপো বাঁধানো নীলার আংটি ধারণ করা বিধেয়। বড়ির সদর দরজায় স্বস্তিকা চিহ্ন টাঙানো প্রয়োজন।

• কর্কট— পর পর সাতটি শনিবার দানকার্য বিধেয়। প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ করা দরকার।

• সিংহ— প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ এবং প্রতি শনিবার কালো তিল, কালো কাপড় এবং সরষের তেল দান করা বিধেয়। কালো কুকুরকে খেতে দিলে ভাল হয়। প্রতি শনিবার ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র উচ্চারণ প্রয়োজন।

• কন্যা— ঘরে শনিযন্ত্রম স্থাপন এবং শনিস্তোত্র পাঠ প্রয়োজন। বহতা নদীতে একটি নারকেল এবং সাতটি আমন্ড প্রদান করুন।

• তূলা— প্রতি শনিবার দু’টি কালো কুকুরকে খেতে দিতে হবে। বাড়ির বাইরে তাদের খাওয়াবেন। ভিতরে কদাচ নয়। শিবলিঙ্গের উপাসনা এবং শনিযন্ত্রম বহতা জলে প্রদান করতে হবে।

• বৃশ্চিক— ঘরে শনিযন্ত্রম প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ প্রয়োজন। পোকা-মাকড়দের কালো তিল খাওয়ান। পর পর ৫টি শনিবার বহতা জলে তামার খণ্ড বিসর্জন দিন।

• ধনু— শনিবার উপবাস উপকারে আসবে। ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র উচ্চারণ প্রয়োজন। শনি পুজোয় লাগে, এমন জিনিস কখনই কিনবেন না।

• মকর— শনিবার শ্রীহনুমানের পুজা কাজে আসবে। শনি ও মঙ্গলবার মদ্যপান করবেন না। শনিযন্ত্রম প্রতিষ্ঠা করে তার সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।

• কুম্ভ— নীল রঙের পোশাক পরা বিধেয়। নীলা ধারণ করলে ভাল হয়। দানকার্য বজায় রাখুন।

• মীন— শনির তান্ত্রিক মন্ত্রোচ্চারণ প্রতিদিন প্রয়োজন। কুকুরের সেবা কাজে আসবে। শিবপূজা করলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191115093344

Friday, November 15th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

শনির ঢাইয়া 2020

শনির ঢাইয়া 2020

সূপ্রভাত
****আজকের বিষয় শনির ঢাইয়া*****
(সর্বপ্রথম পোস্ট ,শুরু হবে ২৪/০১/২০২০দয়া করে কপি করবেন না)

শনির ঢাইয়া ও তার প্রতিকার

জন্মরাশি থেকে গোচরকালীন শনি যখন চতুর্থে বা অষ্টমে এসে উপস্তিত হয়, তখন এই আড়াই বছর শনির উক্ত রাশিতে অবস্থানকে ঢাইয়া বলা হয়। শনি যদি জন্মছকে পীড়িত হয়, তবেই অশুভ ফল দেখা দিয়ে থাকে। পীড়িত না হলে শুভফল দিয়ে থাকে।

এই সময়কালে নতূন কোনও কাজ আরম্ভ করা উচিত নয়। এই সময় পারিবারিক, আর্থিক, মানসিক, শিক্ষাক্ষেএ ও স্বাস্থ্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

শনি ধনু থেকে মকরে প্রবেশ করবে ২৪/০১/২০২০ সকাল ৬.৪২মিঃ।তুলা লগ্ন ও তুলা রাশির গোচরে এ শনি চতুর্থে
থাকার কারনে এবং মিথুন লগ্ন ও মিথুন রাশির গোচরে শনি অষ্টমে থাকার কারণে ঢাইয়া র ফল ভোগ সকরবে।ঢাইয়া ঢুকলেই যে মন্দ ফল ভোগ হবে তার কোনো মানে নেই।বরংচ ঐ সময় শনি স্বক্ষেত্রে থাকায় শাশা বলে একটি রাজযোগ তৈয়ারী করবে।

এই শাশা রাজ যোগের ফলে তুলা লগ্নের ও তুলা রাশির জাতক জাতীকারা প্রভুত সুফল পাবে নূতন কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে গোররে শনি চতুর্থে থাকায় মা-বাবা দ্ধারা প্রভূত উন্নতি হবে, আইনের জয় হবে আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে।আর শনি যদি জন্মকুন্ডলী তে তৃতীয়ে চতুর্থ, পঞ্চমে, সপ্তমে এবং দশমে থাকে তাহলে এই শাশা রাজযোগ টি আরো বলবান হবে।আবার শনি দশা ও শনির মিত্রগ্ৰহের অন্তর দশায় ঢাইয়া চলা ব্যক্তিদের সময় অত্যন্ত ভালো যাবে।শনির মিত্রগ্ৰহের নাম:বুধ ও শুক্ত,এবং শত্রু গ্ৰহ হলো রবি,চন্দ্র,মঙ্গল।শনি পীড়িত হলে বা শত্রু গ্ৰহের অন্তত দশায় ঢাইয়া চলা ব্যক্তিদের শরীর, ব্যাবসা, পারিবারিক কলহ,আইনি প্রতিকুলতা,ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পাবে।একটা কথা বলে রাখি মিথুন লগ্ন ও মিথুন রাশির জাতক- জাতিকারা আস্তে গাড়ি চালাবেন ,তর্কাতর্কি করবেন না,কেননা আপনাদের ঢাইয়া সূচিত হয়েছে শনি গোচরে মিথুন রাশির অষ্টমে ।অষ্টম স্থান মৃত্যুর ঘর বলে বিবেচিত।সুতরাং উপরোক্ত রাশি ও লগ্নের জাতক- জাতিকাদের শনির ঢাইয়া নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।অসাধু ব্যক্তিদের চানেলে তৈরি ভিডিও দেখে ভয় পাবেন না।বরংচ অভিক্ষ জোতিষের পরামর্শ গ্ৰহন করুন।

এই সময় মানুষকে সৎ থেকে এবং ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং কোনও রকম আলস্য না করে নিজের কাজ করে যাওয়া দরকার।

এখন জেনে নেওয়া যাক শনির ঢাইয়া চলাকালীন আর কী কী প্রতিকার করা যেতে পারে:

১। অশ্বত্থ গাছের তলায় সর্ষের তেলের প্রদীপ দিন প্রতি শনিবার।

২। অশ্বত্থ গাছে সকালে দুধ ও গঙ্গাজল দিন।

৩। ২১ সপ্তাহ প্রতি শনিবার নিরামিষ ভোজন করুন।

৪। শনিবার চুল, দাড়ি, নখ কাটবেন না।

৫। দুপুর ও রাত্রে খাওয়ার পর পা ধুয়ে ফেলুন।

৬। শুক্লপক্ষের শনিবার থেকে শনির বীজমন্ত্র সূর্যাস্তের পর ১০৮ বার জপ করুন।

মন্ত্র: ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায় নমঃ।নীল রঙের পোশাক পরে।

৭। শনিবার সর্ষের তেল ও প্রদীপ কিনবেন না।

৮। মহামৃত্যুজ্ঞয় মন্ত্র জপ করুন।
বীজমন্ত্র: ঔঁ জূসঃ স্বাহা ১০৮ বার,স্নান করে।

৯। দক্ষিণা কালিকা কবচ ধারণ করুন।বা যন্ত্রম ও ব‍্যাবহার করতে পারেন।

১০।মহাসংকোট মোচন বীজমন্ত্র: হূং হনুমতে রুদ্রায়মকায় হূঁ ফট্ স্বাহা।১৮ বার সন্ধ্যায়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191115093029

Wednesday, November 13th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

কুন্ডলী তে রাহূ ৭ মে

সূপ্রভাত
আজকের বিষয় ৭মে রাহূ (পূনঃপ্রচার)

“রাহু” এই নামটির সাথে অনেক ধন্দ এবং ভয় জড়িয়ে আছে। এটি সম্ভবত শনির পরে সব থেকে সাংঘাতিক এবং দুর্বোধ্য গ্রহ। যেকোনো কুষ্টিতে ৭ম স্থানে রাহুর প্রভাব নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সূত্র আমি আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু আমরা অবশ্যই মনে রাখব যে ফল এবং তার প্রসার অন্য অনেক বিষয় যেমন দৃষ্টি ভঙ্গি, সংযোগ এবং নক্ষত্র প্রভৃতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এখানে আমি লগ্নে ৭ম স্থান রাহুর ফল সম্বন্ধে এক সার্বিক ও সাধারণ তথ্য দেব।

৭মস্থানের তাৎপর্য

আরও অগ্রসর হবার পূর্বে আমাদের ৭ম স্থানের তাৎপর্য গুলি জানতে হবে। এটি লগ্নের একদম বিপরীত। সুতরাং লগ্নের দ্বারা যেভাবে একদিকে আমাদের নিজেদেরকে বোঝায় সেইভাবে অপর দিকে ৭ম স্থান আমাদের সঙ্গীকে সূচিত করে। সুতরাং এটি বিবাহ ও সঙ্গীর স্থান হয়। এটি আমাদের কে বিবাহের গুণাগুণ এবং আমাদের বৈবাহিক সঙ্গীর চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য দেয়। আইনি বিষয়ের ক্ষেত্রে ৭ম স্থান অপরপক্ষকে সূচিত করে। দশমপতি থেকে দশমস্থান হয়ে এটি পেশা/জীবিকার গৌণস্থান হয়। এটি ব্যবসা, ব্যবসার অংশীদার, বিদেশযাত্রা প্রভৃতিকে সূচিত করে। এটি কুষ্টির অন্যতম কেন্দ্র স্থান। কেন্দ্র স্থান গুলি যেকোনো কুষ্টির স্তম্ভ বলে পরিচিত। কুষ্টিতে ৪টি কেন্দ্র স্থান থাকে – ১ম স্থান অথবা লগ্ন, ৪র্থ স্থান, ৭ম স্থান এবং ১০ম স্থান।৭ম স্থানে থাকা যেকোনো গ্রহ ই লগ্নকে সরাসরি প্রভাবিত করবে কারণ প্রত্যেক গ্রহেরই ৭ম রাশি দৃষ্টি থাকে। তাই যখন আমরা ৭ম স্থানে রাহুর মতো ক্ষতিকর গ্রহকে দেখি তখন তা অনেক উদ্বেগ ও ভীতির সৃষ্টি করে। কিন্তু এতে কি সত্যিই চিন্তার কিছু আছে ? আমরা এখন এটা নিয়ে আলোচনা করব।

৭মস্থানে রাহুর প্রভাব কি?

প্রাচীন এবং আধুনিক উভয় যুগেরই অনেক জ্যোতিষী ৭ম স্থানে রাহুর উপস্থিতি কে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই অশুভ বলে গণ্য করেন । অনেক জ্যোতিষীই ওই স্থানে রাহুর উপস্থিতিকে খুবই অপছন্দ করেন এবং গ্রহের এই বিশেষ অবস্থানের জন্য উদ্ভুত/তৈরী হওয়া বাধা –বিপত্তি কে দমন করার জন্য নানা প্রতিকারের নিদান দেন। কিন্তু আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কোনো গ্রহই ভালো অথবা মন্দ হয়না। এটা সবটাই সেই প্রতীক যেখানে এটি অবস্থান করে, এটির স্থান, অন্যান্য বিভাগীয় কুষ্টিতে এর পরিস্থিতি প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে। এমনকি এটি আরও বেশি প্রযোজ্য কারণ রাহু হল একটি ছায়া গ্রহ। এর নিজস্ব কোনো স্থান নেই। কেউ কেউ মনে করেন যে রাহু ও শনি একসাথে কুম্ভরাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং যেই রাশিতেই রাহু অবস্থান করে সেই রাশির অধিকারী রাহুর কাজের ধরণ কে নিশ্চিত করে। রাহু হল হঠাৎ প্রাপ্তি, বিদেশ, ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনা, নতুন উদ্ভাবনা, যোগাযোগ, তারকার ন্যায় গৌরব প্রভৃতির সূচক। রাহু নিজের সঙ্গে যুক্ত স্থান অথবা গ্রহের প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করে। বর্তমানে কলি যুগে রাহু পার্থিব বিষয় নিয়ে যেভাবে কাজ করে, আর কোনো গ্রহই কখনোই তা করতে পারেনা। অধিকাংশ রাজনীতিবিদ এবং চলচ্চিত্র অভিনেতাদেরই রাহু এবং শনির অত্যন্ত প্রবল প্রভাব থাকে। রাহু একজন ব্যক্তিকে হঠাৎ করে প্রচুর নাম-যশ ও খ্যাতি এনে দিতে পারে।

রাহুর চরিত্র, লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বৈদিক দর্শন অনুসারে রাহু একটি রহস্যময় গ্রহ এবং এটিকে নিষ্ঠুর,বাধা-বিপত্তির প্রভাবক, ব্যক্তির অহংকারী ও আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের কারণ বলে ধরা হয়। এটি মন্দ বা অশুভ চিন্তা ভাবনাকে ও প্রভাবিত করে। রাহু আকাশের উপাদান গুলির প্রতীক এবং পুরুষ ও মহিলার মধ্যে ভয় ও রাগের সঞ্চারের ক্ষেত্রে এর কুখ্যাতি রয়েছে। রাহু একটি রহস্যময় গ্রহ যা সাধারণত একজন ব্যক্তির অপ্রকাশিত কার্যকলাপ এবং তার মানসিক দৃষ্টিকোণ নিয়ে কাজ করে।

ধর্মগ্রন্থ অনুসারে রাহুকে সর্পের/সাপের মাথাবিশিষ্ট এক সত্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যার কোনো শরীর নেই। এর চরিত্রে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যেমন গোপন বিষয়, কৌতুহল ও অসহিষ্ণুতা। যেসব ব্যক্তির রাহু শক্তিশালী তারা রহস্যময়তাকে বোঝার ও দ্রুত সাফল্য পাবার প্রশস্ত পথ খুঁজে পাবার ক্ষমতা অর্জন করে। যারা গোয়েন্দা বা তদন্তকারী,গবেষক, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, সাইক্রিয়াটিষ্ট, রাজনীতিবিদ, সেল্সম্যান প্রভৃতি হিসেবে তাদের কর্মজীবন শুরু করতে চান তাদের পক্ষে রাহু শুভ। যে ব্যক্তির রাহু শক্তিশালী তিনি বেতার মাধ্যম, জ্যোতিষশাশ্ত্র, ঔষধসংক্রান্ত বিষয় নিয়েও ভালো কর্মজীবনের সূচনা করতে পারেন।

এটা খুব আকর্ষণীয় বিষয় যে যেসব ব্যক্তি নৌকা, চিত্রাঙ্কন, একাধিক যৌন সঙ্গী বা বহুগামিতা, গুহাজীবন ও আরও অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের ওপর প্রভাবের জন্য রাহুই দায়ী। আকাশের উপাদান গুলির সূচক হওয়ার জন্য রাহু উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারে আকাশ পথে যাত্রার জন্যেও দায়ী। শনির মতো রাহুরও বিচ্ছেদের প্রবণতা থাকে, তাই অনেক সংসার এমনকি ব্যবসার অংশীদারিত্বও ভেঙেযায়। এটা বৈবাহিক ও সাংসারিক কলহ এবং আরও অন্যান্য বিবাদের জন্য দায়ী হয় যা একটা সংসারকে ভেঙে দিতে পারে।

রাহুর ফল সবসময় আকস্মিক ভাবেই ঘটে এবং কেউই সঠিক ভাবে কোনো নির্দিষ্ট সময় সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনা। মনুষ্য সমাজে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি শ্বশুরবাড়ি এবংমাতৃকুলের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। মানব শরীরে চর্মরোগ, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এবং স্নায়ুরোগ যেমন তোতলামি, পক্ষাঘাত, কর্কটরোগ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, বিষাক্ত সর্পাঘাত, উচ্চতা ও শব্দের থেকে আতঙ্ক এবং আরওঅনেক কিছু রাহুর কারণে হয়।

লগ্নের ৭ম স্থানে রাহুর প্রভাব গুলি কি কি?

৭মস্থানে রাহুর প্রভাব গুলি বিস্তারিত ভাবে নীচে আলোচনা করা হল।

যেহেতু ৭মস্থান ব্যবসা বা অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে কাজ করে সেইজন্য সেই ব্যবসায়ী যার ৭ম স্থানে রাহু থাকে তিনি লোভ-লালসার দ্বারা চালিত হন এবং অনৈতিক পথে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অংশ নেন। ফলে কর্পোরেট জগতে তার মর্যাদা কালিমালিপ্ত হয়এবং নিঃস্ব/দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭মস্থান যুদ্ধ, সংঘর্ষ ওআধিপত্যের প্রতীক, রাহু এই স্থানে অধিষ্ঠান করার জন্যে সেইব্যক্তি পেছন থেকে আঘাত করে কিন্তু সাহসিকতার সাথে তার প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে পারেনা। ৭ম স্থানে রাহু থাকা ব্যক্তির সাহসিকতার অভাব দেখাযায় এবং শত্রুকে পরাস্ত করার জন্য মাঝেমধ্যে অনৈতিক পন্থাও অবলম্বন করে এবং এটা কথা বা কাজ যেকোনো ভাবেই হতে পারে।
যদিও ৭ম স্থানে রাহুর উপস্থিতির অশুভ প্রভাব আছে, তবুও এর কিছু শুভ প্রভাব আছে যেমন বারংবার বাধা-বিপত্তির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য হৃদয় শক্ত হয় এবং উন্নত জীবনের আশা জোগায়।
যেহেতু ৭ম স্থান মারক স্থান তাই ঐ স্থানে রাহুর উপস্থিতি স্বাস্থ্যের পক্ষে ও শুভ নয়। যেহেতু গোপন বা গুপ্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত তাই মাঝেমধ্যে যৌন জীবন ও দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এটাও দেখা গেছে যে রাহুর এই অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি রোগ ভোগ করে এবং অবস্থা শোচনীয় না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ পায়না।
৭ম স্থানে রাহু থাকা ব্যক্তিরা ডায়াবেটিস/বহুমূত্র রোগ এবং হৃদরোগের শিকার হন। এমনকি ব্যক্তিরা প্রজনন অঙ্গ ও স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত রোগেরও শিকার হন।
৭ম স্থানে রাহুর অশুভ প্রভাব গুলি ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়। এটি ব্যক্তির কুষ্টির অন্যান্য বিষয় গুলোর ওপরেও নির্ভর করে। যে প্রভাব গুলি গোপন অঙ্গের রোগ ভোগের ক্ষেত্রে কাজ করে তা শক্তিশালী মঙ্গল থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নাও ঘটতে পারে। সিংহ ও বৃষ রাশির জাতকেরা সাধারণত রাহুর দ্বারা উৎপন্ন বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন।
৭ম স্থানে রাহুর কিছু গোলমেলে ও বিরক্তিকর প্রভাব হল যে এতে প্রভাবিত ব্যক্তি তার যে কোনো পেশাগত কাজে সাফল্যের জন্য বা কোনো প্রকার উপহার ও অর্থ উপার্জনের জন্য সুবিধা লাভের জন্য তার বৈবাহিক সঙ্গী বা ঘনিষ্ঠজন কে ব্যবহার করে। যখন ৭ম স্থানে রাহুর সঙ্গে মঙ্গল অবস্থান করে তখন স্ত্রী এমন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন যা তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে গোপন রাখা হয়। যাইহোক ,যদি এই স্থানে রাহুর সঙ্গে শনি অবস্থান করে তখন সেই ব্যক্তি তার নিজের ভালো অথবা মন্দ যেকোনো ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের সঙ্গীকে চাপ দিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠা বোধ করে না।
যে ব্যক্তির ৭ম স্থানে রাহু থাকে তিনি কখনো কখনো অলস , বদমেজাজি হন , এরা কোনো উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি তে চাপ নিতে অনিচ্ছুক হন এবং কর্ম জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা জীবনেও বাধা-বিপত্তি থাকে।
যখন ৭ম স্থানে রাহু অবস্থান করে তখন সেই ব্যক্তি সম্পত্তি ও আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হন।এই সমস্যা গুলির সমাধান আশানুরূপ ভাবে দ্রুত হয় না , তাতে বিলম্ব হয়।
যখন রাহু ৭ম স্থানে অবস্থান করে তখন সে ৩য় স্থানের ওপর দৃষ্টি দেয়, এই ৩য় স্থান প্রতিবেশীকে বোঝায়। সুতরাং প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত ভাবে কষ্ট ভোগ করতে হতে পারে।
আমরা সবাই জানি যে ১০ম স্থান হল জীবিকা, পেশা বৃত্তির স্থান। সুতরাং ভবৎভব ম্নীতি অনুসারে, ৭ম স্থানের অবস্থান হল ১০ম স্থান থেকে ১০ ঘর দূরে। সুতরাং এটি পেশার গৌণ স্থান হয়।যখন রাহু এই স্থানে অবস্থান করে তখন একজন ব্যক্তি নানা প্রকার মানসিক চাপ ও সমস্যার সম্মুখীন হন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এটা তার পেশা বা কর্ম জীবনের ক্ষতি করতে পারে।
৭ম স্থান বিবাহে রাহুর প্রভাব

জ্যোতিষীদের অধিকাংশই ৭ম স্থানে রাহুর উপস্থিতিকে অপছন্দ করেন কারণ এটি বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিবাদ ঘটায়। যেহেতু রাহু তার সঙ্গে যুক্ত থাকা স্থান বা গ্রহের শক্তি বৃদ্ধি করে, তাই এটা মানুষকে তার সঙ্গীর প্রতি আবিষ্ট করে তোলে।যেহেতু এটা ভিন্ন জাত বা সংস্কৃতিকে সূচিত করে,তাই আন্তঃবর্ণ বিবাহ ঘটাতে পারে।আপনি ৭ম স্থানের গ্রহগুলি থেকে আপনার সঙ্গীর চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারেন। যেহেতু রাহু একটি বিচ্ছেদ মূলক গ্রহ, এটি বৈবাহিক জীবনে সংঘর্ষ, বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করে। যখন রাহু ৭ম স্থানে অবস্থান করে তখন বৈবাহিক জীবন স্বার্থের সংঘাতে বিষাক্ত হয়ে ওঠে। যে ব্যক্তির রাহু এই স্থানে থাকে তারা সর্বদা তাদের সঙ্গীর সম্বন্ধে সন্দেহপ্রবণ হয়।নভমসায় ৭ম স্থানে রাহুর উপস্থিতি আরও বিপজ্জনক। যেহেতু নভমসা বিবাহের প্রধান বিভাগীয় কুষ্টি, তাই আপনার জানা উচিৎ কিভাবে নভমসা থেকে বিবাহ ও বিবাহ জীবনের গুণা গুণ পরীক্ষা করবেন। নভমসায় ৭ম স্থানে রাহুর উপস্থিতি সুখী দাম্পত্য জীবনের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।এই স্থানে পীড়িত রাহু থাকলে সেই ব্যক্তির বিবাহ পরবর্তী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে এবং তিনি ভিন্ন জাতে/সম্প্রদায়ে বিবাহ করেন বলে জানা যায়।যদি রাহু পীড়িত হয় তখন এই গ্রহ জনিত স্থানের ব্যক্তির ব্যভিচার ও নাস্তিকতার প্রতি প্রবল ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়।পুরুষদের কুষ্টির চেয়ে মহিলাদের কুষ্টির ক্ষেত্রে এইস্থান বেশি ক্ষতিকর।

যদি কোনো ব্যক্তির কুষ্টিতে ৭ম স্থানে রাহুর সন্ধান পাওয়া যায় তবে তা অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্যে সমস্যা সৃষ্টি করবে। একজন সর্বদাই তার সঙ্গীর ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকেন এবং দীর্ঘ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।৭ম স্থান মহিলাকে প্রভাবিত করে যার ফলে সেই মহিলার কৃত কর্মের জন্য তার পরিবারের ভাবমূর্তি কালিমা লিপ্তহয়।এছাড়াও মহিলা তার প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে সংঘাত খুঁজে পান এবং বৈবাহিক জীবন ও সুখের হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই প্রভাবকে প্রশমিত করা হয়। একমাত্র একজন প্রকৃত ও অভিজ্ঞ জ্যোতিষীরই রাহুর প্রভাব প্রশমিত করার দক্ষতা থাকে। ৭ম স্থানে রাহুর প্রভাব বিবাহের জন্য আরও ক্ষতিকর হয় যখন কুষ্টির ৮ম স্থানকে শনি অধিকার করে থাকে ।

৭ম স্থানের রাহু কম বয়সী মানুষদের মধ্যে বিনাশ কারী বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।এরফলে প্রেম জীবনে ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ এবং স্থায়ী সম্পর্কের প্রতি অনীহা দেখা যায়।
প্রতিবিধান:১) রত্ন: শিলং গোমেদ ৮-১০ রতি মধ‍্যমা অথবা অনামিকা তে।
২)বীজমন্ত্র : ঔঁ ঐং হ্রীং রাহবে ১০৮ বার স্নান করে।
৩)ছিন্নমস্তা যন্ত্রম ব‍্যায় ৭৫০০/
৪)শনি/ মঙ্গলবার নিরামিষভোজী
৫)মদ,মাংস, অবৈধ বা ম্লেচ্ছ তা থেকে দূরে থাকা।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191113183807

Monday, November 11th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

অশুভ তিথি, বার ও নক্ষত্র

সুপ্রভাত
বন্ধুরা তোমাদেরকে ভালো রাখতে আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব‍্যহত,ভালো কর পড়ে কমেন্ট ও শেয়ার করো সকলের ভালোর জন্য।অনুরোধ কপি করে নিজেদের ছোট করবেন না।

অশুভ দিন ,তিথি ও নক্ষত্রে কর্মে বাধাঁ

ক)তিথি ও বারের ও তিথি র সংযোগ

রবিবারে দ্বাদশী, সোমবারে একাদশী, বুধবারে দশমী, বৃহস্পতিবারে নবমী, শুক্রবারে অষ্টমী – কোন শুভ কাজে ভাল নয়।এই দিন গুলো সন্তান নেওয়ার জন্য সবথেকে বেশি অশুভ।

খ)বার ও নক্ষত্রের সংযোগ

●রবিবার- মঘা, ভরণী, ধনিষ্ঠা, অনুরাধা, মৃগশিরা, কৃত্তিকা, বিশাখা, অশ্বিনী, জ‍্যেষ্ঠা অশুভ ,কর্মে

●সোমবার- পুষ‍্যা, পূর্বাষাঢ়া, মঘা, বিশাখা, চিত্রা, অনুরাধা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ অশুভ ,চাররির পরিক্ষায় ও আইনের কাছে।

●মঙ্গলবার- অশ্লেষা, আদ্রা, বিশাখা, জ‍্যেষ্ঠা, রেবতী, পূর্বাষাঢ়া অশুভ,বিবাহ, অন্নপ্রাসন ও গৃহনির্মাণে।

●বুধবার- মূলা, ভরণী, রেবতী, বিশাখা, পূর্বভাদ্রপদ অশুভ,প্রেম ও রোগের ক্ষেত্রে।

●বৃহস্পতিবার- শতভিষা, রোহিনী, কৃত্তিকা, চিত্রা, মৃগশিরা, আদ্রা অশুভ,বেলা ১২ পর ভ্রমণ, বাক বিতন্ডা।

●শুক্রবার- স্বাতী, রোহিনী, ভরণী, বিশাখা, চিত্রা, ধনিষ্ঠা, পুষ‍্যা, অশ্লেষা, মঘা অশুভ।স্বামী ,স্ত্রী ও সন্তান এবং আত্মীয় স্বজন।

●শনিবার- হস্তা, পুষ‍্যা, পুনর্বসু, চিত্রা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবনা, রেবতী অশুভ।দূর্ঘটনা, অপঘাতে মৃত্যু।

গ)তিথি ও নক্ষত্র যোগ,

দশমীতে রোহিনী, ত্রয়োদশীতে উত্তর ফাল্গুনী, প্রতিপদে পূর্বাষাঢ়া, দ্বাদশীতে অশ্লেষা, পঞ্চমীতে কৃত্তিকা, অষ্টমীতে পূর্বভাদ্রপদ অশুভ।কর্মে,বিবাহের দিন স্থির করতে

ঘ)তিথি, বার ও নক্ষত্র যোগ

রবি, শনি ও মঙ্গলবার যখন দ্বিতীয়া, সপ্তমী, দ্বাদশী তিথি এবং নক্ষত্র থাকবে বিশাখা, উত্তর ফাল্গুনী, পূর্বভাদ্রপদ, পুনর্বসু, কৃত্তিকা বা উত্তরাষাঢ়া – তখন একে ত্রিপুষ্কর যোগ বলে, এটি অত‍্যন্ত অশুভ।ব‍্যাবসা, নতুন চুক্তি, ব‍্যাঙ ঋন।

প্রতিবিধান:গনেশের একশত আট নাম করে ঐ তিথি, বার ও নক্ষত্রের কবলে পড়লেও তা তা অনেক প্রশমিত হবে।

শ্রীগণেশের ১০৮ নাম
..............................
১) গণেশ ২) গণাধিপ ৩) গণ ৪) গণাগ্রহী ৫) গণাধ্যক্ষ ৬) গণেশ্বর ৭) গণনাথ ৮) গণদেবেশ্বর ৯) গণচলবাসী ১০) গণনায়ক ১১) গণরাজ ১২) গণকর্ত্তা ১৩) গণপতি ১৪) গজানন ১৫) গৌরীসুত ১৬) গজকর্ন ১৭) গজবক্ত্র ১৮) গজরাজ ১৯) গুহাগ্রজ ২০) গজমুখ ২১) সুমুখ ২২) বিঘ্নবিনাশন ২৩) বিঘ্নরাজ ২৪) বিঘ্নহারী ২৫) বিঘ্নবিনায়ক ২৬) বিঘ্নশাসক ২৭) লম্বকর্ণ ২৮) বিঘ্নেশ ২৯) বিঘ্নবিনাশক ৩০) বিঘ্নহর্ত্তা ৩১) মহাবল ৩২) হরপুত্র ৩৩) হেরম্ব ৩৪) স্থূলোদর ৩৫) মহোদর ৩৬) বিনায়ক ৩৭) মহাকায় ৩৮) প্রিয়ঙ্কর ৩৯) গণাধীশ ৪০) রুদ্রপ্রিয় ৪১) সুমুখ ৪২ ) কৃষ্ণপিঙ্গাক্ষ ৪৩) সুলেখক ৪৪) ভারতলেখক ৪৫) ভালচন্দ্র ৪৬) লম্বোদর ৪৭) মূষিকবাহন ৪৮) বজ্রতুণ্ড ৪৯) সদাদান ৫০) পাশহস্ত
৫১) শুভদাতা ৫২) সিদ্ধিপতি ৫৩) চতুর্ভুজ ৫৪) একদন্ত ৫৫) বিকট ৫৬) বুদ্ধিপতি ৫৭) সিদ্ধিসেনাগ্রজ ৫৮) সিদ্ধিদাতা ৫৯) সিদ্ধিবিনায়ক ৬০) সিদ্ধযোগী ৬১) হর্ষগ্রীবা ৬২) মহাবীর ৬৩) সিদ্ধিরূপ ৬৪) অপরাজিত ৬৪) বক্রতুণ্ড ৬৫) যজ্ঞসিদ্ধি ৬৬) বিঘ্নরাজেন্দ্র ৬৭) ধূম্রবর্ণ ৬৮) দিব্যাঙ্গ ৬৯) দানসিদ্ধি ৭০) কর্মসিদ্ধি ৭১) মোদকপ্রিয় ৭২) তপঃসিদ্ধি ৭৩) সর্ব্বসিদ্ধিদাতা ৭৪) সর্ব্বজ্ঞ ৭৫) স্বস্তিদ ৭৬) ঋদ্ধিদ ৭৭) ঋতজ্ঞান ৭৮) ঋতধাম ৭৯) ঋতম্ভরা ৮০) সত্যম ৮১) গুণাতীতম ৮২) পুরুষ ৮৩) ত্রিলোচন ৮৪) শুদ্ধাত্মা ৮৫) দ্বিমুখ ৮৬) ভক্তবৎসল ৮৭) শৈলসুতাসুত ৮৮) ঋতম ৮৯) অগ্রপূজ্য ৯০) বিশ্বনেত্র ৯১) শুভানন ৯২) সর্ব্বশুভঙ্কর ৯৩) বিকোটোদর ৯৪) দ্বৈমাতুর ৯৫) বরেণ্য ৯৬) ভর্গ ৯৭) অক্ষর ৯৮) বিরাটপতি ৯৯) ব্রহ্মবর্চ্চস ১০০) ব্রহ্মভূয়

১০১) ব্রহ্মযোগ ১০২) গণশ্রেষ্ঠ ১০৩) সুব্রক্ষণ্যাগ্রজ ১০৪) প্রণব ১০৫) অদ্বৈতস্বরূপ ১০৬) অষ্টবিনায়ক ১০৭) জ্যোর্তিস্বরূপ ও ১০৮) প্রমোদ ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191111175817

Thursday, November 7th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে গ্ৰহন দোষ ও প্রতিকার

জোতিষ শ্রাস্ত্রে গ্ৰহন দোষ ও প্রতিকার

সূপ্রভাত
আজকের প্রতিবেদন টি সকালে মন দিয়ে পরে কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।লেখাটি সম্পূর্ণ করতে সময় লেগেছে এক বৎসর ,অবাক হবার কথা,১৮৯ টা নমুনা সংগ্রহ করে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত তে এসেছি।আমার এই লেখা টি আমার অতি এক স্নেহ ভাজনের উদ্দেশ্যে।

বিষয় : গ্ৰহন দোষ

জন্মছকে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানে বিভিন্ন যোগের সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে অনেক যোগই শুভ যোগ। আবার এর ব্যতিক্রমও হয়। বিভিন্ন অশুভ গ্রহের অবস্থানের ফলে অশুভ যোগ তৈরি হয়। যা জাতক বা জাতিকার জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। এই অশুভ যোগ থেকেই ভিন্ন ভিন্ন দোষের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দোষে মধ্যে ‘গ্রহণ দোষ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

গ্রহণ দোষ-

গ্রহণ অর্থাৎ অন্ধকার। রাহু ও কেতু সৌর্যমন্ডলের ওপরের ও নিচের দুটো গ্রন্থি। এই রাহু বা কেতু যখন রবি বা চন্দ্রের সঙ্গে রাশিচক্রে বা জন্মছকে অবস্থান করে তখন এই দোষ তৈরি হয়।

গ্রহণদোষের তাৎপর্য জানতে হলে রবি, চন্দ্র, রাহু ও কেতুকে জানতে হবে।

রবি অর্থাৎ পিতা, উচ্চতর স্থান, সম্মান, অহংকার, শত্রুতা ইত্যাদি।

চন্দ্র অর্থাৎ মা, আবেগ, ঘরবাড়ি, সুখ-স্বাচ্ছন্দ, নিরাপত্তা ইত্যাদি।

রাহু অর্থাৎ বিবাদ, আবেগ, গভীর আসক্তি বা প্রণয়, শিল্পকর্ম, অভিযান, বিপজ্জনক কাজ ইত্যাদি।

কেতু অর্থাৎ মোক্ষ, বিচ্ছেদ, আধ্যাত্মিকতা, সুচতুর অনুমান, নীরবতা, রহস্যময়তা ইত্যাদি।

সুতরাং রবি ও চন্দ্র যদি রাহু বা কেতুর সঙ্গে কোনও ভাবে যোগ সৃষ্টি করে তবে গ্রহণদোষ সৃষ্টি করে উপরের জায়গাগুলোতে ক্ষতি করে বা সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্রতিকারঃ---

১। প্রাথমিক প্রতিকার নিজেকে সঠিকভাবে চেনা বা উপলব্ধি করা। এর মাধ্যমে অনেকটাই নিজের সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়া যেতে পারে।

২। গ্রহদের ডিগ্রিগত অবস্থানে এই দোষের প্রভাব কম-বেশি হয়। কেতু বিচ্ছেদ নির্দেশ করে। সুতরাং জাতকের বেশি করে কোনও দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা উচিত।

৩। জাতক বা জাতিকার পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল বা ঋণ এই দোষের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং সঠিকভাবে বিবেচনা করে প্রতিটি কর্মে অগ্রসর হতে হবে। সত্য কে সামনে রেখে এগিয়ে চললে প্রতিটি ভুলভ্রান্তি সামনে থেকে ধীরে ধীরে দূরে চলে যাবে।

রবি,রাহু,চন্দ্র ও কেতু এই চারটি গ্ৰহের জন্য গ্ৰহন দোষ কুন্ডলী তে সূচিত হয়।সূতরাং চার প্রকার গ্ৰহন দোষ কুন্ডলী তে দেখা যায়।আসুন দেখি সেই চার প্রকার গ্ৰহন দোষ কেমন।
১)রবি +রাহু =অতি উগ্ৰ গ্ৰহন দোষ।এতে অর্থনাশ ও সম্মান হানি হয়।জাতক মদ্যপ ও জুয়াড়ি হবে।
২)রবি+কেতু= ভন্ডুল গ্ৰহন দোষ।নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই যোগ কুন্তলীতে সূচিত হলে জীবন টা ছন্নছাড়া হবে এবং অপরের ক্ষতির কারণ হবে।
৩)চন্দ্র +রাহু =র্দূনাম গ্ৰহন দোষ।এরা জীবনের আনন্দ পায় না ভীষণ ভাবে সকলের কাছে হেয় ও অপমানিত হয়।আর্থিক অবস্থা ওখুব ভালো হয় না।
৪)চন্দ্র +কেতু= অতি ম্লেচ্ছ গ্ৰহন দোষ।এই দোষ কুন্ডলী তে দেখা তার সঠিক প্রতিবিধান আবশ্যক, এরা মিথ্যা বাদী,চরিত্র হীন, নিম্মমানষিকতার হয় ।একাধিক যৌন সঙ্গে আগ্ৰহী হয়।রোগ ও হয় যৌন সংক্রান্ত।অবশেষে হাজৎ বাস ও হয়।তবে বৃহস্পতি বলবান কিংবা একাদশে থাকলে এই দোষের প্রভাব অনেক কম হয়।
এই চার প্রকার গ্ৰহন দোষের ফলাফল কেমন হবে তা নির্ভর করে ঐ গ্ৰহ গুলো র অরস্থান, দশা,অন্তরশা,প্রত্যন্তর দশা ও ভাব ফলের উপর।

অতি অশুভ যোগ গ্রহণ যোগ ও দোষ, প্রতিকার শিব উপাসনা হনুমান চল্লিশা, মানব জীবনে রাহু কেতু যোগ,প্রতিকার ও বিধান, মাঙ্গলিক কালসর্প
অতি অশুভ যোগ গ্রহণ যোগ ও দোষ, প্রতিকার শিব উপাসনা হনুমান চল্লিশা, মানব জীবনে রাহু কেতু যোগ,প্রতিকার ও বিধান, মাঙ্গলিক কালসর্প
অতি অশুভ যোগ গ্রহণ যোগ ও দোষ, প্রতিকার শিব উপাসনা হনুমান চল্লিশা, মানব জীবনে রাহু কেতু যোগ,প্রতিকার ও বিধান, মাঙ্গলিক কালসর্প ও সাড়েসাতি থেকেঅতি অশুভ যোগ

গ্রহণ যোগ ও দোষ, প্রতিকার শিব উপাসনা হনুমান চল্লিশা, মানব জীবনে রাহু কেতু যোগ,প্রতিকার ও বিধান, মাঙ্গলিক কালসর্প ও সাড়েসাতি থেকে অশুভ যোগ

গ্রহণ দোষ ঃ রাহু ও কেতু কোনো দৃষ্টি গোচর গ্রহ নয়। চন্দ্র ও পৃথিবীর কক্ষপথের দুটি ছেদ বিন্দু। বা সরল ভাষায় চন্দ্র ও পৃথিবীর ছায়া উপছায়া হলো রাহু ও কেতু। যখনই সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরল রেখায় চন্দ্র চলে আসে তখন পৃথিবীর কিছু অংশে চন্দ্রের ছায়া পরে এবং সে স্থানে সূর্যকে কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায়না একে আমরা সূর্য গ্রহণ বলে জানি। আবার কখোনো কখোনো সূর্য এবং চন্দ্রের মাঝে একই সরল রেখায় পৃথিবী চলে আসে, তখন চন্দ্রের ওপর পৃথিবীর ছায়া পরে এবং কিছু সময়ের জন্য চন্দ্রকে পৃথিবীর কিছু অংশের মানুষ দেখতে পায়না একে আমরা চন্দ্র গ্রহন বলি।

রা,শি চক্রে রবি এবং চন্দ্র যখনি রাহু এবং কেতুর সাথে সংযোগ করে তখনই গ্রহণ দোষ সৃষ্টি হয়। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি অশুভ যোগ। জন্ম ছকে যে ভাবে এই দোষ সৃষ্টি হয় সে ভাব ও ভাব সম্পকৃত আত্মিয়র শুভ ফলের হানি করে। সেই আত্মিয়র চরিত্রে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই দেখা যায় সন্তানের গৃহে রাহু বা কেতুর অবস্থান সন্তান সম্পর্কৃত বিষয়ে অশুভ ফল নির্দেশক। চন্দ্র মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে নির্দেশ করে । চন্দ্র আবার স্বাভাবিক মাতৃ কারক গ্রহ। রাহুর সাথে চন্দ্রের সংযোগে বা রাহুর দৃষ্টি চন্দ্রের ওপর পরলে প্রশ্নকারী এবং তার মাতার মাঝে প্রচুর উচ্চাকাংখা, লোভ, অহংকার দেখা যায়। তাদের মাঝে অতৃপ্ততা দেখতে পাওয়া যায়। রাহু চন্দ্রের সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষ হলে প্রশ্ন কর্তা মানষিক ভাবে সর্বদা দুঃখি থাকে। সে কখোনই কোনো কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয়না। মনে রাখবেন প্রশ্ন কর্তার দুঃখ কেউ দূর করতে পারবেনা। সব কিছু পেলেও সে দুঃখি আত্মা।

একই ভাবে রবির সাথে রাহুর অবস্থান জাতককে দুঃখি আত্মা করে। রবি স্বাভাবিক পিতৃ কারক গ্রহ হওয়ায় পিতার সাথেও জাতকের সুসম্পর্ক থাকেনা। পিতার দ্বারা জাতক বৈরী আচরন পেয়ে থাকে। রবি জগতে আলো ও প্রাণের উৎসের প্রতিক। রবি রাহুর সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুঃর্বিসহ। জাতককে বহু বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। সকল কাজে হতাশা নিরাশা দেখা দেয়। তাই হয়ত খনার বচনে দেখতে পাই ’’ সূর্য কুজে(মঙ্গল) রাহু মিলে ,গাছে দড়ি বন্ধন গলে।’’

একই ভাবে যদি চন্দ্রের সাথে কেতুর সংযোগে গ্রহন দোষ হয় তা হলে প্রশ্ন কর্তার মন মস্তিষ্ক বাধা গ্রস্থ হয়। মাতার সাথে সম্পর্ক ভালো যায় না। কেতুর রহস্যময়তা ও ইর্ষাপরায়নতা তার মাঝে প্রবল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। অপরের উন্নতিতে হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় এবং অপরের দূর্ণাম বদনাম,ও অভিশম্পাত করে। মিথ্যা বলার প্রবনতাও দেখা যায়। রবির সাথে কেতুর সংযোগে সৃষ্ট দোষে জাতকের মনের মাঝে কুটিলতা বিরাজ করে। সে সর্বদা সন্দেহ প্রবন হতে পারে। পিতার সাথে তার কোনো কালেও সু সম্পর্ক থাকেনা। সমাজে তার আচরন হয় রহস্যময়। দূর্নাম-বদনামের আশঙ্কা থাকে। জাতক শীড় পিড়ায় ভুগতে পারে।

গ্রহণযোগ থেকে মুক্তি পাবার উপায়

মানসিকভাবে দুশ্চিন্তা কম করতে হবে

ঋণ দেওয়া বা নেওয়া করা চলবেনা

অশান্তি ও ঝগড়া ঝামেলা কম করবেন

নিজেকে সঠিকভাবে চেনা বা উপলব্ধি করা। এর মাধ্যমে অনেকটাই নিজের সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়া যেতে পারে।

গ্রহদের ডিগ্রিগত অবস্থানে এই দোষের প্রভাব কম-বেশি হয়। কেতু বিচ্ছেদ নির্দেশ করে। সুতরাং জাতকের বেশি করে কোনও দায়িত্ব থেকে দুরে থাকা উচিত।

জাতক বা জাতিকার পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল বা ঋণ এই দোষের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং সঠিকভাবে বিবেচনা করে প্রতিটি কর্মে অগ্রসর হতে হবে। সত্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চললে প্রতিটি ভুলভ্রান্তি সামনে থেকে দুরে চলে যাবে ধীরে ধীরে।

এছাড়াও ভাবপাতি অনুসারে রবি, রাহু, চন্দ্র, কেতু
গ্রহের প্রতিকার করতে পারেন

গ্রহ বীজ মন্ত্রঃ গ্রহণযোগ নিবারণ
========
সূ্র্য্য মন্ত্র -- ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়ঃ । জপ সংখ্যা ৬০০০ বার । দেবতা-মাতঙ্গী । ধূপ-গুগুল । বার-রবিবার । প্রশস্ত- সকাল ১২ টা পর্যন্ত ।

চন্দ্র মন্ত্র -- ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ । জপ সংখ্যা ১৫০০০ বার । দেবতা-কমলা । ধূপ- সরলকাষ্ঠ । বার-সোমবার । প্রশস্ত-সন্ধা ৬-৯ পর্যন্ত ।

রাহু মন্ত্র -- ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে । জপ সংখ্যা-১২০০০ বার । দেবতা-ছিন্নমস্তা । ধূপ-দারুচিনি । বার-শনি/মঙ্গল বার ।
প্রশস্ত সন্ধ্যাবেলা ।

কেতু মন্ত্র -- ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে । জপ সংখ্যা-২২০০০ বার । দেবতা-ধূমাবতী। ধূপ-মধূযুক্ত দারুচিনি । বার-শনি/মঙ্গল বার ।
প্রশস্ত সন্ধ্যাবেলা ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191107180604

Thursday, November 7th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

মানষিক অস্থিরতা ও জোতিষ

মানষিক অস্থিরতা ও জোতিষ

শুভ সন্ধ্যা
******মানষিক অস্থিরতা*******

বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, জিন এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জটিল পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ও কর্মক্ষমতার বিপর্যয় ঘটলে মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। অন্যভাষায়, মানসিক রোগের জিনতত্ত্ব ও সম্ভাব্য ফলাফল সেই ব্যক্তির জৈবিক ও পারিপার্শিক পরিকাঠামোর সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। মানসিক রোগের কারণগুলি প্রায়ই অস্পষ্ট । তত্ত্বগুলি একটি ক্ষেত্র থেকে ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারে । মানসিক রোগ সাধারণত একজন ব্যক্তির আচরণ, মতানৈক্য, অনুভূতি বা মতানৈক্যের সমন্বয় দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়। এটি মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চল বা ফাংশনগুলির সাথে যুক্ত হতে পারে, প্রায়ই একটি সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে তার সংযুক্তি থাকে । মানসিক ব্যাধি মানসিক স্বাস্থ্যের একটি দিক। সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাস সেইসাথে সামাজিক নিয়মগুলি মাথায় রেখে এই রোগ নির্ণয় করা উচিত।

সাধারনের মাঝে প্রচলিত ধারনা আছে যে মানসিক সমস্যা শারীরিক সমস্যার তুলনায় কম দেখা দেয় আবার এমনও ভাবতে দেখা যায় যে আমার মানসিক সমস্যা হবেনা কারন মানসিক সমস্যা হবার কোন কারন নেই। কিন্তু পরিসংখ্যান বলে যেসারা পৃথিবিতে প্রতি ১০ জনে ০১ জন নিউরোসিস বা হাল্কা মাত্রার মানসিক রোগ ও প্রতি১০০ জনে ০১ জন সাই কোসিস বা বড় মাপের মানসিক রোগে ভুগে থাকেন।আসুন জেনে নেই কিছু কিছু মানসিক রোগ ও কখন রোগীর প্রতি মনোযোগী হবেন কখনই বা ডাক্তার দেখাবেন----------

১।সিজোফ্রেনিয়া- জটিল এবং ভীষন কষ্টদায়ক মানসিক রোগ ।রোগের লক্ষন প্রকাশ পায়২০-৪০ বছর বয়সের যে কোন সময়ে ---আবার এই রোগের লক্ষন গুলোও এক একটি মানসিক রোগ হতে পারে -যেমন-

অহেতুক সন্দেহ করা-অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে এটাই পরিবারের নজরে সবার আগে আসে । রোগী সন্দেহ করে যে তআকে কেউ ফলো করছে ,কেউ চুপি চুপি তার ষড়যন্ত্র করছে, কেউ তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে এমন সন্দেহ করতে করতে রোগী একপর্যায়ে ঘরকুনো হয়ে পরে ,খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় । তাই এ জাতীয় কোন লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

অসংলগ্ন আচড়ন- এসব রোগীদের মাঝে নানা ধরনের অসংলগ্ন আচড়ন দেখা যায় যেমন-অপরিচ্ছন্ন ভাবে চলাফেরা করা। তাগাদা না দিলে গোসল না করা একই জামা কাপড়ে সপ্তাহ পার করে দেয়া এমনকি তা ছিড়ে না যাওয়া পর্যন্ত পরে থাকা । রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া কাগজ যত্ন সহকারে জমা রাখা ,কেউ কেউ আবার হস্ত রেখা বা তাবিজ কবজ নিয়ে ভাবতে শুরু করে ......একা একা কথা বলা বা সবসময় বিড়বিড় করা ,এসবই ভয়ানক অসুখের শুরুর লক্ষন।

অডিটরী হেলুসিনেশন- রোগি রোগের এই পর্যায়ে গায়েবী কথা শুনে ও আমল করে ।তারা বা আশে পাষহের লোকজন মনে করে যে জ্বীন ভর করেছে .... আসলে এটা আমাদের মস্তিস্কের নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রাগত বিপর্যয়ের কারন। মাত্র ১-২ মাসের অসুধ নিয়মিত খেলেই এই নিউরোট্রান্সমিটারের ইম্ব্যালেন্স ঠিক হয়ে যায় আর গায়েবী কথাও বন্ধ হয়ে যায়।

অসংলগ্ন কথাবার্তা- বা ডিলিউশন বা উদ্ভট চিন্তা ধারা - রোগীর কিছু অদ্ভুত চিন্তা দেখা যায় যেমন-

তার সাথে এক বা একাধিক জ্বিন আছে তারা তার সাথে কথা বলে।

তাকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য প্রেরন করা হয়েছে ।

সে সপ্নের মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা পেয়েছে।

তাকে বাহিরে থেকে কেউ নিয়ন্ত্রত করছে ।

তার মনের কথা সবাই জেনে যাচ্ছে আবার কেউ কাউ মনে করে চিন্তা গুলো তার নিজের নয় কেউ তাকে দিয়ে চিন্তা গুলো করাচ্ছে ।

ব্যাক্তিত্তের মাঝে পরিবর্তন- কারো কারো ব্যাক্তিত্বে পরিবর্তন আসে কোন পরিশ্রমী মানুষ হঠাৎই অলস হয়ে পড়ে কোন পড়ুয়া ছাত্র বই খাতা থেকে দুরে সরে যায়। আবার অনেকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে চলাফেরা শুরু করে।

উপরের সবই সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষন আর তআই এসব লক্ষন কারো মাঝে দেখলে মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিন।

আরো কিছু মানসিক রোগ আমাদের আশে পাশে খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন যেমন -

মরবিড জেলাসী বা অথেলো সিনড্রোম-এ হচ্ছে সন্দেহ বা বদ্ধ মূল বিশ্বাস মূলত স্ত্রীর প্রতি যে সে পর পুরুষে আসক্ত । তারা স্ত্রী দের কঠোর অনুশাসনে রাখেন ,মারধোর গালিগালাজ করেন,বাহিরে গেলে ফলো করেন । স্ত্রী শিক্ষিত হলে তার কলেজে বা চাকরিতে যাওয়া বন্ধ করে দেন ।অনেক মহিলাই এ ব্যাপার গুলো মেনে নেন কিন্তু হয়ত চিকিৎসা নিলে ব্যাপারটা মিমাংসা হতে পারে ।

মনের মাঝে নান কুচিন্তা আসা -এটাও মাঝে মাঝে দেখা যায় । অহেতুকই আপনি এমন কাউকে নিয়ে যৌন চিন্তা করছেন যা অতন্ত গর্হিত আপনি নিজেই হয়ত ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আবার নামাজ পড়ছেন বা তওবা করছেন কিন্তু বার বার চিন্তাটা আসছে । আবার ধরুন আপনি সমকামিতা ঘৃনা করেন কিন্তু আপনি সমকামিতায় লিপ্ত এমন চিন্তা বারবার করছেন আবার মনের মাঝে অনুতপ্ত হচ্ছেন এমন হলে বারবার অজূ বা নামাজে মুক্তি পাবেন না কারন চিন্তা গুলো নামাজ শেষে আবার আসবে কারন নামাজ আমাদের একটা খাজে ফেলে দেয় তাই তখন চিন্তা গুলো না আসলেও ব্রেনের কিছু নিউরোট্রান্সমিটারের কারনে ব্যাপারগুলো ঘটে থাকে ।

শুচি বায়ু বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার- বার বার হাত ধোয়া বার বার গোসল করা খেতে বসে প্লেট বার বার অয়া শুতে যে্যে দরজার ছিটকিনি বার বার দেখতে উঠা সবই ওসিডি।চিকিৎসা ছাড়া সেরে উঠা অসম্ভব।

ডিপ্রেসিভ ডিসওর্ডার বা বিষন্নতা- মনের মাঝে হতাশা নিরাশা আনন্দ হীনতা কাজ করে। টিভিদেখা বন্ধুদের আড্ডা এড়িয়ে চলে বন্ধুদের স হচার্য এড়িয়ে চলে একা থাকতে পছন্দ করে। আমাদের চারপাশে প্রতি ১০ জনে এমন ০১ জন খুজে পাওয়া যাবে।

বাই পোলার মুড ডিসওর্ডার- কখনো মনখারাপ কখনো মন ভালো । মানে যখন মন ভলো তখন মাত্রাঅতিরিক্ত ভালো আবার দেখা যায় কিছুক্ষন পরই মন মাত্রা অতিরিক্ত খারাপ ।ভয়ন্কর মানসিক রোগ , লক্ষন প্রকাশের সাথে সাথেই চিকিৎসকের সরনাপন্ন হোন।

জ্বালা পোড়া ,দীর্ঘমেয়াদব্যাথা বা অস্হিরতা- অনেকেই বলে শরীর জ্বালা পোড়া করে বা অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথা থাকে যা ভুড়ি ডাক্তার সিন্গাপুর লন্ডন ঘুরেও যায়না ।ফাইলের পর ফাইল বড় হতে থাকে কিন্তু ব্যাথা কমে না আসলে এহচ্ছে সোমাটাইজেশন বা মানসিক সমস্যার শারীরীক বহিপ্রকাশ।

বুক ধরফর করা দম আটকে যাওয়া বা পেনিক ডিসওর্ডার-এটা মানসিক সমস্যা হিসেবে অনেক দেরীটে ধরা পরে অনেকে বছরের পর বছর সচিকিৎসা পান কিন্তু ভালো হয়না । মাঝে মাএমন হয় যে যেন তিনি এখনি মারা যাবেন আশে পাশের মানুষ ব্যাস্ত হয়ে উঠে,ইসিজি ইকো সব করা হয় কিন্তু রোগ আর খুজে পাওয়া যায়না ।

হিস্টিরিয়া - এটা হলো মজার এক মানসিক সমস্যা । আমি আই সি এউতে পর্যন্ত একটা মেয়েকে আসতে দেখেছি ,সিনেমা টিভিতে যেভাবে শ্বাসকস্টের নায়িকারা শ্বাস নেয় সেভাবে শ্বাস নিচ্ছে ।অজ্গানের ভাব ধরে

শুয়ে আছে, আত্মীয় পরিজন মহা ব্যাস্ত । আসলে কিছুই না এ হলো হিস্টিরিয়া ,সাধারনত মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী যায়।পরীক্ষা বা প্রেমের বা সাংসারিক সমস্যা থেকে এমন হতে পারে ।তবে রোগী কিন্তু সর্বদাই এটা জেনে শুনে করেনা সেক্ষেত্রে সাইকোথেরাপীর সাহায্যে সম্পূর্ন মুক্তি সম্ভব।

মানষিক সমস্যা দেখা দেয় প্রধানতঃ চন্দ্র,বুধ ওকেতুর কারনে।আমি আমার দীর্ঘ জোতিষিকজীবনে জন্মকুন্ডলী বিচার করতে গিয়ে দেখেছি যে বুধ নীচস্থ ,চন্দ্র লগ্নের চতুর্থ বা পঞ্চমে পাপ গ্ৰহ যুক্ত হয়ে যদি কেতু দ্ধারা পূর্ণ দৃষ্ট হয় তাহলে জাতক- জাতীকার মধ্যে প্রবল মানষিক দুশ্চিন্তা ও সেখান থেকে মানষিক সমস্যা দেখা দেয়।এই বষয়ে আমার অনুরোধ ডাক্তার অবশ্যই দেখুন কিন্তু আমাদের ঋষি মুনিদের তৈরি বৈদিক জোতিষ শ্রাস্ত্রে র একটু সাহায্য নিয়ে দেখুন না কতো ভালো খাকেন।বিশেষ ভবে বলি যে এক্ষেত্রে কোন গ্ৰহ রত্নের প্রয়োজন হয় না।শুধুমাত্র নীয়ম করে কিছু বীজমন্ত্র।আমার অনুরোধ পাঠকদের কাছে আপনারা পরুন ও সকলকে পড়ান দেখুন আপনারা কতো ভালো থাকবেন।আসলে আমি এই নিয়ে মানুষের নীত্য জীবনের সমস্যা আমার ওয়েবসাইট এ দৈনিক লিখি এবং এফ বি তেও পোষ্ট করি।যদিও কিছু অশিক্ষিত ও লোভী লোকের জন্য ও এই সুন্দর শ্রাস্ত্র টি প্রায় ধ্বংসের পথে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191107180240

Wednesday, November 6th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে বদ অভ্যাস বর্জন

সুপ্রভাত
***** বদ অভ্যাস বর্জন*****
সকল বন্ধুদের ভালো থাকার জন্য আমার এই প্রয়াস।

খারাপ এই অভ্যাস গুলো থাকলে বন্ধ করুন তাড়াতাড়ি ও নতুন আলোর দিকে তাকান,গ্ৰহ পীড়া থেকে মুক্ত।

১) সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকলে আয়ু কমতে থাকে।

২) জীবনে নাস্তিক হিসেবে বাঁচলে পাপের বোঝা বাড়ে।তাই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা উচিত।

৩) বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্রদ্ধা করা উচিত। এদের অসম্মান করলে পাপ বাড়ে এবং আয়ু কমে।

৪) মানবিকতা, নারী, শিশুদের প্রতি যারা খারাপ মানসিকতা পোষণ করেন তাঁদের জীবন সুখকর হয়না। অতএব তাড়াতাড়ি মৃত্যু অবশ্যম্ভাবীএবং উন্মাদ হয়।

৫) এক পায়ের উপর আর এক পাতুলে বসলে শারীরিক দুর্বলতা বাড়ে। কারণ এভাবে বসলেই পেলভিস জয়েন্টে চাপ পড়ে এবং ঝুঁকে বসার প্রবণতা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা এই ধরনের ভঙ্গিতে বসাকে ক্ষতিকর বলে মনে করেন।

৬) কৃষ্ণ চতুর্দশী, শুক্লপক্ষ, প্রতি মাসের অষ্টমী, পূর্ণিমাতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে অসুস্থতা বাড়ে,সেক্ষেত্রে যৌন রোগ হয় এবং প্রেগনেন্ট হলে বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়।

৭) ভাঙ্গা বা অপরিচ্ছন্ন আয়নাতে মুখ দেখা অশুভ,দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

৮) দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে বিছানায় শুলে মৃত্যু এগিয়ে আসেও অসুস্থ হয়ে যায়।

৯) শোবার আগে কখনও ঘর অন্ধকার করা উচিত না। বিছানায় শোয়ার পরই পর্দা টানুন বা আলো নেভান।

১০) নোংরা হাতে লেখা পড়া বা শুভ কাজ করা উচিত না।এতে কাজ টি অসমপূর্ন হয়,বিশেষ করে অধ‍্যায়ন।

১১) ভাঙ্গা খাটে কখনও শোবেন না।দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

১২) বেশি নেশা করলে অায়ু কমে। আপনারা এই গুলিকে মানুন আর দীঘ জীবি হোন।

১৩)মিথ্যা ও প্রতারণা করবেন না এতে শনিরাজ ভীষণ বিপদে ফেলে।

১৪) স্নান করে নতুন বস্ত্র পরিধান করবেন না।পারলে গুরুনাম ও ঔঁ বীজমন্ত্র ১৮ করে কিছু মুখে দিয়ে তারপর নতুন বস্ত্র পরুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191106195325

Tuesday, November 5th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

বক্রী গ্ৰহের অশুভ ফল

সুপ্রভাত
আজকের বিষয় বক্রী গ্ৰহ( পূনঃপ্রচার)

***** বক্রী গ্রহের ফল ****
আমি পূর্বেই আলোচনা করেছিলাম যে Astronomy অনুযায়ী গ্রহরা কখনোই বক্রী হয় না ,কিন্তু আমরা পৃথিবী থেকে মনে হয় যেন গ্রহটি বোধ হয় বক্রী হয়েছে !জ্যোতিষ শাস্ত্র চলে পৃথিবী থেকে আমরা যা দেখি ,সেই অনুযায়ী ,যেমন সূর্য কোন দিনই উদয় বা অস্ত হয় না ,কিন্তু যেহেতু আমরা পৃথিবী থেকে সূর্যের উদয় বা অস্ত অনুভব করি , এটা সূর্যের আপাত গতি ,আসল কথা হল যে গ্রহ অর্থাৎ বুধ,মঙ্গল ,বৃহস্পতি ,শুক্র ,শনি ,পাঁচ গ্রহ যখন বক্রী হয় ,তখন উক্ত গ্রহরা পৃথিবীর খুব কাছে আসে ,ফলে পৃথিবী থেকে ঐ গ্রহগুলির আকার খুব বড়ো দেখি,অথাৎ উক্ত গ্রহরা খুব বলবান হয় !
"জাতক পারিজাত গ্রন্থ অনুযায়ী :—গ্রহ বক্রী হলে সেই গ্রহের বল ৩গুন হয় ! ""জাতকতত্বে আছে :—বক্রী গ্রহ তুঙ্গীফল দেয় ,কিন্তু বক্রী গ্রহের দশা অশুভপ্রদ ৷"" ""ভাবার্থ রত্নকর"" অনুযায়ী :—বক্রী পাপ গ্রহ শুভপ্রদ ! ""সারাবলী"অনুযায়ী:—বক্রী শুভ গ্রহ শুভ ফল দাতা ত্রবং বক্রী পাপগ্রহ অশুভফলদাতা !আর বক্রী উচ্চস্থ গ্রহ নীচ গ্রহের মতো ফল দান করে "" উত্তরাকালামৃতে আছে :—বক্রী গ্রহ তুঙ্গীসম ত্রবং উচ্চ বক্রী গ্রহ নীচ গ্রহের মতো ,ত্রবং নীচ বক্রী গ্রহ উচ্চস্থ গ্রহের মতো ফল দেয় !
#ফলদীপিকা গ্রন্থ অনুসারে :—""বক্রাং গতো রুচিররশ্মিসমূহ পূর্ণো নীচারিভংশসহিতোহপি ভবেৎস খেটঃ"" ৷৷বক্রী গ্রহ যদি নীচ রাশিতে বা নীচ নবাংশে ও থাকে ,তাহলে ও উক্ত গ্রহ মহান বলবান ৷
#হোরা সার গ্রন্থ অনুযায়ী :—বক্রী বৃহস্পতি যদি মকর রাশি ছাড়া ধনু ,মীন ,কর্কট ,বৃশ্চিক রাশিতে থাকে তাহলে ঐ বৃহস্পতির বল ৩ গুন বৃদ্ধি পায় ৷
#প্রশ্ন প্রকাশ গ্রন্থ অনুসারে :—মঙ্গল,বুধ ,শুক্র ,বক্রী হলে পিছনের রাশির ফল দান করে ,বৃহস্পতি ও শনি যে ঘরে বক্রী হয় সেই ঘরের ফল দান করে ৷
#জাতক বিজ্ঞান ,কোষ্ঠী দর্পন গ্রন্থ অনুযায়ী :— ""ক্রূরা বক্রা মহাক্রূরাঃ সৌম্যা বক্রা মহাশুভাঃ ৷
স্যুঃ সহজ স্বভাবস্থাঃ সৌম্যাঃ ক্রূরাশ্চ শীঘ্রগাঃ ৷৷""
অর্থাৎ শনি ,মঙ্গল ,ক্রূর গ্রহ বক্রগামী হলে মহাক্রূর হয় ,বুধ বৃহস্পতি ও শুক্র শূভগ্রহ বক্রগামী হলে মহাশুভ হয় !
""বক্রাগে দক্ষিণা দৃষ্টিব্বমি দৃষ্টিশ্চ শীঘ্রগে ৷
মধ্যচারে তথা মধ্যে জ্ঞেয়া ভৌমাদিপঞ্চকে ""৷৷
মঙ্গল ,বুধ ,বৃহস্পতি শুক্র ও শনি ত্রই পাঁচটি গ্রহ বক্রগামী হলে ,বক্রগ্রহ যে রাশিতে থাকবে সেই রাশির দক্ষিণদিকে সেই গ্রহের দৃষ্টি থাকবে !
উপরীউক্ত অালোচনা করলাম শাস্ত্রের বা গ্রন্থের কথা ,ত্রবার জানালাম আমার নিজের অভিজ্ঞতা ,
আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত যখন গ্রহ বক্রী হয় সেই গ্রহের বল বৃদ্ধি পায় ,কারণ ঐ গ্রহ পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে !বক্রী গ্রহের মধ্যে ষড়বলের মধ্যে চেষ্টা বল বৃদ্ধি পায় !উদাহারণ সরূপ কোন সাইকেল চালক যদি উপবৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে তার ট্রান Tran নেবার সময় সাইকেল চালককে চেষ্টা বল বাড়াতে হবে ,ত্রবং ত্রকাগ্রতা ও বাড়াতে হবে,কোন গ্রহ বা মানুষের যখন চেষ্টা বল ও ত্রকাগ্রতা বৃদ্ধি পায় ,তখন গ্রহের বল বৃদ্ধি হয় ,ত্রবং মানুষের চেষ্টা ও ত্রকাগ্রতা থাকেলে সাফল্য আসে ৷শুভ ভাবে অবস্থিত বক্রী গ্রহের ফল সর্বদা অতি শুভ হয় !ত্রবং অশুভ ভাবে অবস্থিত বক্রী গ্রহের ফল সর্বদা অতি অশুভ হয়ে থাকে ৷ বক্রী গ্রহ যদি নীচস্থ হয় ,বক্রী গ্রহ সর্বদা বলবান হওয়ার কারণে নীচস্থ গ্রহ টি তখন নীচস্থ থাকে না ,অতিবলবান হয় ! ত্রবং উচ্চে রাশিতে অবস্থিত গ্রহ বক্রী হলে ,সেই গ্রহ বলহীন হয় বা নীচস্থ গ্রহের ন্যেয় ফল দিয়ে থাকে , কারণ ত্রকটাই উচ্চস্থ গ্রহ ত্রমনিতেই বলবান ,তার উপর বক্রী জন্য বলবান হয়ে যাওয়ায় ,অতি বলবান হওয়ার কথা !কিন্তু ত্রকটা কথা মনে রাখা উচিত Excess কোন কিছুই ভালো নয় !কারণ সংস্কৃতে ত্রকটা কথা আছে ""অতি সবত্র বর্জয়েৎ ""অতি অহংকারের জন্য রাবনের ধ্বংস হয়েছিল ,! অতি দানের জন্য কর্ণের ক্ষমতা হ্রাস হয়েছিল ! অতি দানের জন্য রাজা বলিকে ক্ষমতা চ্যুত হতে হয়েছিল !অত্যধিক রূপবতী হওয়ার জন্য মা সীতার জীবনে সুখের অভাব ঘটেছিল ! দান ভালো কিন্তু অতি দানের জন্য রাজা হরিশচন্দ্রকে শুকর চড়াতে হয়েছিল ! অনেক Astrologer করে কি ত্রকাদশ ভাবে বক্রী গ্রহ থাকলে দশম ঘরের সঙ্গে যুক্ত করে !অর্থাৎ বলে বক্রী গ্রহের ফল পিছনের রাশির ফল দেয় ,ত্রই নিয়ে অনেকে তর্ক করে !আমার মতে ত্রটা ভূল ,বক্রী গ্রহ যে রাশিতে থাকে সেই ঘরের ফল দান করে ,স্বাভাবিক গ্রহের ন্যেয় দৃষ্টি দেয় !ত্রটা আমার নিজস্ব মত !কোন রকম তর্ক আমার সাথে করবেন না ! কেউ যদি যুক্তি দিয়ে আমাকে কিছু বোঝাতে পারেণ ,তাঁর যুক্তি আমি বিবেচনা করবো ৷আমার মতে শুধুমাত্র বক্রী গ্রহের বল বিচার বিবেচনা করার অনেক পদ্ধতি আছে !
অষ্টবর্গ (অষ্টক বর্গ )দেখে গ্রহের বলবত্তা ও বিচার করা উচিত ,যে গ্রহটি শুদ্ধ না অশুদ্ধ ,জন্মকালে ও গোচরে অনিষ্টকারী গ্রহ ও যদি অষ্টবর্গে শুদ্ধ হয় ,তবে সেই গ্রহ বিশেষ অনিষ্ট করে না ,আর জন্মকালে ও গোচরে শুভ বা মঙ্গলকারী গ্রহ ও যদি অষ্টবর্গে শুদ্ধ না হয় ,তবে বিশেষ শুভফল প্রদান করতে পারে না ৷ সার্বিক বিচার বিবেচনা করে গ্রহের বলবত্তা বিচার করা উচিত !শুধমাত্র ভয় দেখিয়ে হয়তো টাকা ইনকাম করা যায় !ভালো জ্যোতিষী হওয়া যায় না ৷ ভালো জোতিষী হতে গেলে অধ‍্যায়ন করতে হয় এবং বিষয়টি কে সকলের হীতে তুলে ধরতে হয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191105105720

Friday, November 1st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

২০১৯ এ সাড়েসাতির প্রভাব ও প্রতিকার

সূপ্রভাত
সাড়েসাতি দশায় শুভ ফলের উপায় (পূনঃপ্রচার)
দয়াকরে লেখা কপি করবেন না, ভালো লাগলে শেয়ার করুন।অনেক কষ্ট করে আমি আপনাদের জন্য লিখি কিন্তু কিছু অসাধু জোতিষী লেখা গুলো কপি করে নিজেদের টাইম লাইনে পোস্ট করে।বিনা পরিশ্রমে কোন সুফল পাওয়া যায় না।

শনিদেবের কোপে কে পড়তে চায়? কিন্তু দুঃখেরবিষয়, এই বছর ধনু রাশিতে শনি গ্রহ অবস্থান করবছে। ফলে তার আগের ও পরের রাশির উপর এই গ্রহের সাড়ে সাতি দশা চলবে। অর্থাৎ বৃশ্চিক,ধনু ও মকরে সাড়ে- সাতি চলছে।জেনে নিন, সাড়ে সাতি দশার কোন পর্যায়ে কোন কোন রাশি ভুগবেন? এবং শুভ ফল পেতে কী করবেন।

বৃশ্চিক: এই রাশিতে শনিদেব বছরভর অবস্থান করবেন। এবং সাড়েসাতি দশার দ্বিতীয় পর্যায় চলবে। জাতকদের তাই সব কাজ খুব সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে। আগামী আড়াই বছর ধরে এই দশা চলবে। কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করতে হবে। তাই শুভ ফল পেতে চাইলে ধর্মের পথে চলুন। অকারণে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। প্রেমে প্রতারণা বড় সমস্যা হয়ে দেখা যাবে।

বিধি উপায়: শনির কোপ এড়াতে প্রতি শনিবার অশ্বত্থ গাছের পুজো করুন। তামার পাত্রে জল নিয়ে অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় জল ঢালুন এবং গাছটিকে সাত বার প্রদক্ষিণ করুন। এছাড়া, প্রতি মঙ্গলবার আর শনিবার ১০৮ বার 'ওঁ রামদূতায় নমঃ' মন্ত্র জপ করতে হবে।

ধনু: এই রাশির জাতকরা এখন থেকেই প্রস্তুত থাকুন। কারণ, এই রাশিতে এ বছর শনি গ্রহের সাড়েসাতি দশার প্রথম পর্যায় চলবে। ফলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে। কাজেও অনেক বাধা আসবে। তাই ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করুন। আর সুসময়ের অপেক্ষায় থাকুন। এই দশা আগামী সাড়ে সাত বছর পর্যন্ত থাকবে। আইন ই সমস্যা দেখা যাবে।

বিধি উপায়: শুভ ফল পেতে চাইলে মাঝে মধ্যেই কোনও দরিদ্র মানুষকে কালো কম্বল দান করুন। নিয়মিত শিবলিঙ্গে কালো তিল দান করুন আর জল ঢালুন।

মকর: এই রাশির উপরও শনির দশা চলছে। এই দশা আরও আড়াই বছর থাকবে। এই সময় ধৈর্য ধরে, বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে পারলে প্রচুর উন্নতি হবে। যাঁরা পরিশ্রমী, তাঁদের উপর শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি সব সময় থাকে। তাই অলস ভাবে সময় না কাটিয়ে কাজে মন দিন। ভুলেও কোনও বয়স্ক ব্যক্তিকে (আত্মীয় বা অনাত্মীয় যা-ই হোন না কেন) অনাদর করবেন না। বরং তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করুন। কর্মে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

বিধি উপায়: প্রতি শনিবার শনিদেবের উদ্দেশ্যে তেল অর্পণ করুন। দানের আগে তেলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে নেবেন। আর প্রতি মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজী-র সামনে চামুণ্ডা (চার মুখওয়ালা) প্রদীপ জ্বালাবেন। এতে শুভ ফল মিলবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191101083959

Thursday, October 31st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর উপায়

সুপ্রভাত
মাঙ্গলিক দোষ এটা একটা বড় সমস্যা, অভিজ্ঞ জোতিষী র কাছে গিয়ে জানুন আপনি মাঙ্গলিক কিনা।মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর সহজ উপায় এখানে দেওয়া হলো।(পূনঃপ্রচার)

কোষ্ঠীর মাঙ্গলিক দশা কাটানোর ৭টি উপায়

মাঙ্গলিক দশা অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের একটি বিশেষ অবস্থান থাকলে জীবনে নানা বাধা ও প্রতিকূলতা আসে। জেনে নিন এই দশা কাটানোর উপায়।

মঙ্গল দশা বা মাঙ্গলিক দশার কথা অল্প-বিস্তর জানেন সবাই। একে কুজ দশা, ভোম দশা বা অঙ্গরাখা দশাও বলা হয়। জন্মকুণ্ডলীর প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের মধ্যে যে কোনও একটিতে যদি মঙ্গল অবস্থান করে তবে সেই জাতক বা জাতিকাকে মাঙ্গলিক বলা হয়। এই দশা থাকলে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল হয়।

এছাড়া বলা হয় স্ত্রী যদি মাঙ্গলিক হন তবে স্বামীর পেশাগত জীবনে অবনতির সম্ভাবনা থাকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বামীর মৃত্যুও হতে পারে। তাছাড়া মঙ্গল দশার জন্য প্রবল অর্থক্ষয় হয় এবং জীবনে উন্নতির পথে বার বার বাধা আসতে থাকে।

এই দশা কাটানোর একাধিক উপায় রয়েছে—

১. যদি দু’জন মাঙ্গলিকের মধ্যে বিবাহ হয়, তবে দু’জনেরই এই দশা কেটে যায়।

২. কুম্ভবিবাহ নামের একটি রীতির মাধ্যমে বিয়ের আগে কাটানো হয় মঙ্গল দশা। এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে হয় একটি কলাগাছ বা পিপুল গাছ অথবা ভগবান বিষ্ণুর একটি স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

৩. নিয়ম করে প্রতি মঙ্গলবার উপবাস রাখলে এবং শুধুমাত্র অড়হর ডাল সেবন করলে আস্তে আস্তে কেটে যায় এই দশা।

৪. প্রতি মঙ্গলবার নবগ্রহ মন্ত্র উচ্চারণ করলে এই দোষ কেটে যায়। আবার প্রতিদিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে বা প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করলেও কেটে যায় মঙ্গল দশা।

৫. নবগ্রহ মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দিলে কেটে যায় মঙ্গল দশা। কিন্তু নবগ্রহ মন্দিরের সংখ্যা একেবারেই হাতে-গোনা। তাই পরিবর্তে প্রতি মঙ্গলবার শ্রীহনুমান মন্দিরে সিঁদুর ও মিষ্টি সহকারে পুজো দেওয়া ভাল। সঙ্গে জ্বালতে হবে একটি ঘিয়ের প্রদীপ।

৬. মঙ্গলবার দানধ্যান করলেও তুষ্ট হন মঙ্গলদেব। এছাড়া তলোয়ার, ছুরি, মুসুর ডাল, লাল সিল্ক, রক্তপ্রবাল ইত্যাদি লাল বস্তু নিবেদন করলেও সন্তুষ্ট হন তিনি।

৭. যাদের মঙ্গল দশা থাকে তাদের সাধারণত জ্যোতিষমতে রক্তপ্রবাল ধারণ করতে বলা হয়। তবে কোনও জ্যোতিষশাস্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও কিছু ধারণ করা উচিত নয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191031080404

Wednesday, October 30th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

পীড়িত গ্ৰহের প্রতিকার

পীড়িত গ্ৰহের প্রতিকার

সুপ্রভাত
****রত্ন ছাড়া গ্ৰহের প্রতিবিধান****

মানব জীবনে সমস্যা আসতে পারে।আবার সেই সমস্যার সমাধানও আছে।

অর্থনৈতিক সমস্যা কোনভাবেই সমাধান করতে পারছেন না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী, বিদেশ যাত্রায় বাধা, চাকুরি জীবনে পদোন্নতি হচ্ছে না, কোন কাজ হতে গিয়ে হচ্ছ না, যে কোন ব্যবসায় লোকসান বা মন্দা, ব্যবসা বানিজ্য সবকিছু হারিয়ে হতাশায় ভুগছেন, মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন, লেখাপড়ায় অমনোযোগ, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, দাম্পত্য জীবনে কলহ,
বিবাহে বিলম্ব, বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে অথচ বিয়ে হচ্ছে না, বিবাহে নানা রকম বাধা বিপত্তি, বিবাহ ভেঙ্গে যাওয়া,
আর্থিক উন্নতি নেই, সংসারে অশান্তি, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না,এছাড়া ও পরকীয়া ইত্যাদি সমস্যায় যোগাযোগ করুন এবং সঠিক পরামর্শ নিয়ে সুখী ও সুন্দর জীবন – যাপন উপভোগ করুন।

আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য রত্ন ই যথেষ্ট নয়।গ্ৰহ শান্তির আরও অনেক পদ্ধতী আছে, কিন্তু আপনার জন্মকুন্ডলী একজন অভিজ্ঞ জোতিষী দ্ধারা প্রস্তুত করে নেবেন।

, ৩৬ বৎসরের অধিককাল ধরে এই শাস্ত্র চর্চা করছি। বিশেষ ভাবে বিচার করে আমি শুধুমাত্র ১টি রত্ন নির্বাচন করি,যার জন্য নির্বাচন নির্ভূল,এবং সকলে বিশেষভাবে উপকৃত হোন, সঠিক পরামর্শ নিন এবং সুখী জীবন – যাপন করুন ও জীবনকে করে তুলুন আরও সাফল্যমন্ডিত।

এবার জেনে নিন রত্ন ও গ্ৰহের বীজমন্ত্র ছাড়া আর কিভাবে গ্ৰহ শান্তি ক‍রা যায়।

গ্রহ দোষ নিবারণের উপায়
গ্রহদোষ নিবারণের জন্য নিচের প্রয়োগ গুলি যদি নিষ্ঠা পূর্বক বিধি মেনে অন্ততঃ পক্ষে ৯০ দিন ধরে নিয়মিত করা যায় তবে সুফল লাভ করা যায় ।
এখানে সেই রকম কিছু প্রয়োগ দেওয়া হল ।
সূর্য গ্রহের প্রতিকার ঃ
১ বিষ্ণুর উপাসনা করতে হবে এবং হরি বংশ পুরান পাঠ করতে হবে ।
২ প্রতিটি কাজ মিষ্টি খেয়ে ও জলপান করে শুরু করতে হবে ।
৩ রবিবার ব্রত পালন করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে এবং কু কর্ম করা বন্ধ রাখতে হবে
৪ বহমান জলে গুর বা তামার পয়সা ফেলতে হবে ।
৫ তামা ও গম দান করতে হবে ।
৬ ঘরের সদর দরজার মুখ পূর্ব দিকে রাখতে হবে ।
৭ মানিক্য রত্ন সোনা বা তামার আংটি তে লাগিয়ে দান হাতের অনামিকায় ধারন করতে হবে

চন্দ্রের প্রতিকার ঃ
১ শিবের উপাসনা করতে হবে ।
২ সোমবার ব্রত পালন করতে হবে । পূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান করতে হবে ।
৩ চাল দুধ ও রুপা দান করতে হবে ।
৪ মা, শাশুড়ি , মাসি ও দিদিমার আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৫ পালঙ্কের চারটি পায়ায় চার কোনে একটি করে রুপার পেরেক ঠুকতে হবে ।
৬ অপরের পদ স্পর্শ করে আশীর্বাদ চাইতে হবে ।
৭ রুপার আংটি তে মীতি লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ধারন করতে হবে ।
৮ রুপার দুটি টুকরো নিয়ে একটি খণ্ড বহমান জলে ফেলতে হবে এবং দ্বিতীয় টুকরো টি আজীবন নিজের কাছে রাখতে হবে ।

মঙ্গলের প্রতিকার ঃ
১ হনুমান জী র উপাসনা করতে হবে ।
২ গায়ত্রী মন্ত্র রোজ যতবার সম্ভব জপ করতে হবে ।
৩ চোখে সাদা সুরমা লাগাতে হবে ।
৪ তন্দুরে তৈরি মিষ্টি রুটি বিতরণ করতে হবে ।
৫ মসুর মিঠাই বা মিষ্টি দ্রব্য দান করতে হবে ।
৬ মঙ্গলবার ব্রত রাখতে হবে । হনুমানজি কে চলা দান করতে হবে ।
৭ বুধবার তামার আংটি অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

বুধের উপায় ঃ
১ দুর্গা মাতার উপাসনা করতে হবে । দুর্গা সপ্ত দশী পাঠ করতে হবে ।
২ বুধবারের ব্রত রাখতে হবে । ঘরে সাদা গরু পুষতে হবে ।
৩হিজরে কে সবুজ কাপড় ও সবুজ চুরি দান করতে হবে ।
৪ দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক ছেঁদা করতে হবে ।
৫ খোসা সহ সবুজ মুগ দান করতে হবে ।
৬ কন্যা বোন পিসি মাসি ও শালির আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৭ পান্না সোনার আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরতে হবে ।

বৃহস্পতি র উপায় ঃ
১ ব্রমহার উপাসনা করতে হবে । গরুড় পুরাণ পাঠ করতে হবে ।
২ গুরুবারে ব্রত পালন করতে হবে । সাধুদের আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৩ মাথায় কেশরের তিলক লাগাতে হবে ।
৪ কেশর খেতে অথবা নাভিতে লাগাতে হবে ।
৫ কোন কাজ শুরু করার আগে নাক ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
৬ অশ্বথের শিকরে জল ঢালতে হবে ।
৭ ছোলার ডাল দান করতে হবে ।সোনার মাকড়ি পরতে হবে ।
৮ হ্লুদ পোখরাজ সোনার আংটিতে লাগিয়ে ধারন তর্জনী তে পরতে হবে ।

শুক্র গ্রহের উপায় ঃ
১ মহা লক্ষ্মী র উপাসনা করতে হবে । লক্ষ্মী সুক্ত পাঠ করতে হবে ।
২ শুক্রবার বৈভব লক্ষ্মীর ব্রত করতে হবে ।
৩ সাদা ও স্বচ্ছ কাপড় পরতে হবে ।
৪ সুগন্ধি পদার্থ এবং রুপার অলংকার ধারন করতে হবে ।
৫ ঘি দই কর্পূর ও মোতি দান করতে হবে ।
৬ নিজের খাদ্য বস্তু থেকে কিছুটা গাইকে খাওয়াতে হবে ।
৭ গোদান করতে হবে এবং সাদা জোয়ার দান করতে হবে ।
৮ হীরা ও জারকান রুপার আংটি তে লাগিয়ে অনামিকা বা মধ্যমা তে ধারন করতে হবে ।

শনি র উপায় ঃ
১ ভৈরব উপাসনা করতে হবে ।
২ শনিবারের ব্রত রাখতে হবে । সাপকে দুধ খাওয়াতে হবে ।
৩ তেল এবং মদ গাছের শেকড়ে ঢালতে হবে ।
৪ লোহা কলাই কালো কম্বল ইত্যাদি দান করতে হবে ।
৫ তেলে ভাজা রুটি কুকুর কে বা কাঁককে খাওয়াতে হবে ।
৬ কিকর এর দাঁতন করতে হবে ।শনিবার তেল দান করতে হবে ।
৭ নীলা রুপার আংটি তে লাগিয়ে মধ্যমা আঙ্গুলে পরতে হবে ।
৮ আসল কালো ঘোড়ার নালের টুকরো মধ্যম আঙ্গুলে সর্বদা ধারন করে রাখতে হবে ।

রাহুর উপায় ঃ
১ সরস্বতী উপাসনা করতে হবে ।
২ সর্ষে দান করতে হবে । মাথায় কাপড় রাখতে হবে ।
৩ তামাক সেবন নিষেধ ।
৪ মুলো দান করতে হবে ।বহমান জলে কয়লা ফেলতে হবে ।
৫ একান্ন বর্তি পরিবারে থাকতে হবে ।
৬ পকেটে সর্বদা রুপার একটি গুলি রাখতে হবে ।
৭ গোমেধ কে পঞ্চ ধাতুর আংটি তে লাগিয়ে অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

কেতুর উপায় ঃ
১ গণেশ উপাসনা করতে হবে ।
২ গণেশ চতুর্থী ব্রত রাখতে হবে কপিলা গাই দান করতে হবে ।
৩ কান ছিদ্র করতে হবে , ঘরে কুকুর পুষতে হবে ।
৪ কালো ও সাদা তিল বহমান জলে বইয়ে দিতে হবে ।
৫ তিল লেবু কলা দান করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে ।
৬ কুকুরকে রুটি টুকরো দিতে হবে । পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে ।
৭ ক্যাতস আইকে পঞ্চ ধাতুর আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ধারন করতে হবে ।

এই উপায় গুলি আপনাকে নব গ্রহের হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে আর আপনার জীবন সুখে শান্তি তে ভরে উঠুবে ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191030181539

Tuesday, October 22nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

৬টি রাশির প্রতি মহাদেবের আর্শীবাদ

৬টি রাশির প্রতি মহাদেবের আর্শীবাদ

সুপ্রভাত
৬ টি রাশির ওপর সবসময় মহাদেবের আশীর্বাদ থাকে। ভবিষ্যতে অনেক ধনসম্পত্তির মালিক হয় এই রাশি

শিবের উপাসনা করতে আমরা অনেকেই ভালোবাসি। অনেকে আবার খুব শ্রদ্ধা সহকারে মেনে চলেন ওনাকে। শিব হলেন দেবাদি দেব মহাদেব, তাই ওনার উপাসনায় ফল পাওয়া যায় নিশ্চিন্তে। আর তা যদি পৌষ মাস হয় তবে তো আর কথাই নেই। পৌষ মাসে শিবের পুজা করলে শিব সবচেয়ে বেশি খুশি হন এবং তার ফলস্বরূপ সমস্ত মনবাসনা পুরণ করেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি কথাও মাথায় রাখতে হবে যে মহাদেব ভীষণ রাগি একজন দেবতা। তাই এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে তিনি ক্রুদ্ধ হন। এক্ষেত্রে আপনাকে শিবের উপাসনা করার সময় কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, যাতে শিব ক্রুদ্ধ না হন। সেই বুঝেই আপনাকে শিবের উপাসনা করতে হবে। বেশ কিছু রাশির জাতক জাতিকার উপরও মহাদেবের নজর থাকে। তারা ঠিকভাবে শিবের উপাসনা করলে মহাদেব তাদের কখনও খালি হাতে ফেরান না। প্রসঙ্গত, এই প্রতিবেদনে দেখে নেব যেই ৬ টি রাশির ওপর সবসময় মহাদেবের আশীর্বাদ থাকে। ভবিষ্যতে অনেক ধনসম্পত্তির মালিক হয় এই রাশি-

১। মেষ রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য আগামী দিনগুলি খুব ভালো আসতে চলেছে। স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকবে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা আছে। বন্ধু, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। ভালো ফল পেতে হলুদ রঙের পোশাক পড়ুন।

২। মিথুন রাশি: আপনার যদি কোন কাজ অসমাপ্ত থাকে তাহলে এক্ষুনি তা সম্পুর্ন করুন। আপনার এই সময়টি কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য একদম উপযুক্ত। আপনি চর্মরোগে ভুগতে পারেন। আপনার শুভ রং হচ্ছে নীল।

৩। সিংহ রাশি: ধৈর্য ধরুন কাজে সফলতা পাবেন। কাউকে কিছু বলার আগে ভেবে চিন্তে বলুন। আপনার প্রেমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুফল আসতে পারে। আপনি ধার্মিক মনোভাবাপন‍্য ও অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দানশীল হবেন।আপনার শুভ রঙ হল কমলা।

৪। কন্যা রাশি: আপনার স্বাস্থ্য ভালো যাবে। এছাড়াও প্রচুর অর্থের আগমন ঘটতে পারে। আপনার প্রেমভাগ্য ভালো যাবে। কাজের ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে। আপনার লাকি রঙ হল সবুজ।

৫। বৃশ্চিক রাশি: নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে এখুনই শুরু করুন। লাভবান হবেন। শরীর খুব একটা ভালো যাবেনা। লাল রঙের পোশাক পড়লে স্বাস্থ্য ভালো হতে পারে।

৬। মীন রাশি: এই রাশির আয় বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যত আয় বাড়বে খরচও বাড়বে সমান তালে। আপনার শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন। হলুদ রঙ আপনার জন্য সুখের বার্তা বয়ে আনবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191022074559

Saturday, October 19th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

অতিরিক্ত দারিদ্র যোগ

অতিরিক্ত দারিদ্র যোগ

সুপ্রভাত
আজকের প্রতিবেদন অতি দারিদ্র যোগ (পূনঃপ্রচার)

‘রবিণা সহিতো মন্দঃ শুক্রেণ চ যুতোপি বা।
এষ দারিদ্রযোগো বৈ সমুদ্রমপি শোষয়েৎ।।’

অর্থাৎ শুক্র, শনি ও রবি এই তিন গ্রহ একত্রে যুক্ত থাকলে এমন দারিদ্র যোগ হয় যে সমুদ্রও শুষ্ক হয়ে যায়।

আপনার হাতে যদি ভাগ্য রেখা এবং রবি রেখা বেশ কয়েকটি জায়গায় ভগ্ন অবস্থায় থাকে, তা হলেও দারিদ্র যোগ হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক দারিদ্র যোগ কখন হয়—
যদি জন্মছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি ডিগ্রিতে বা একই নক্ষত্রে একত্রে অবস্থান করে, তখন দারিদ্র‍ যোগ তৈরি হয়। এই ধরনের জাতককে সারা জীবন দারিদ্র যন্ত্রণা ভুগতে হয়। এ ছাড়া লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্রের অষ্টমে কোনও গ্রহ না থাকলেও এই যোগ হয়।

যদি দ্বিতীয় এবং একাদশ গৃহের অধিপতি এক সঙ্গে বা একাকী ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে। দ্বিতীয় বা একাদশ ঘরের অধিপতি নীচস্থ হয়। দ্বিতীয় বা একাদশ ঘরের অধিপতি অশুভ গ্রহের সঙ্গে অবস্থান করছে। কোনও নীচস্থ গ্রহ দ্বিতীয় বা একাদশ ঘরে অবস্থান করছে।

ফলাফল—
এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক যোগ।
এর ফলে অনেক সময়েই আপনাকে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হতে পারে এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। আর্থিক দিক দিয়ে চরমতম দঃখের দিন দেখতে হতে পারে। জীবনে আর্থিক দিক স্থিতিতিশীল হতে বাধা আসে। এছাড়াও নানাবিধ অশুভ ফল হতে পারে।
বিঃদ্রঃ- এই দুর্ভাগ্যজনক যোগের অশুভ ফলাফলের তীব্রতা নির্ভর করে উপরোক্ত গ্রহের ভাবানুযায়ী শুভাশুভ অবস্থান, দশা-অন্তর দশাপতি গ্ৰহের অবস্থান, এবংদ্ধীতীয় ও একাদশ পতি গ্ৰহের গোচরগত অবস্থান এবং বলাবলের ওপর। তাই ব্যক্তিবর্গ বিশেষে যে কোনো জাতক/জাতিকার জীবনে এই দারিদ্র যোগের ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191019075704

Thursday, October 17th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্র একটি বিজ্ঞান বিষয়ক শ্রাস্ত্র

সুপ্রভাত
আমার সকল গুনোগ্ৰাহী ও বন্ধুদের জানাই যে আমি আগামী নতুন বৎসরের ১লা জানুয়ারি থেকে জোতিষ শ্রাস্ত্র হাতে কলমে শেখাবো।

জ্যোতিষ বিজ্ঞানভিত্তিক একটি শ্রাস্ত্র:

ছয়টি বেদাঙ্গের একটি জ্যোতিষ। প্রাচীনকালে জ্যোতিষ অনুসারে শুভ তিথি- যজ্ঞ করা হত। জ্যোতি অর্থ আলো। বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্র দীপ্তিমান অর্থাৎ এদের জ্যোতি বা আলো রয়েছে। মানব-জীবনে বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব সংক্রান্ত জ্ঞান বা বিদ্যাই জ্যোতিষ বিজ্ঞান। ভৃগু, পরাশর, জৈমিনি আদি প্রাচীন ঋষিগণকে জ্যোতিষ বিজ্ঞানের প্রবর্তক বলা চলে। তাঁরা জ্যোতিষবিদ্যা বিভিন্ন অঙ্গ বা শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁরা উপলব্ধি করেছেন যে, পৃথিবীর নিকটবর্তী নয়টি গ্রহ, বারটি রাশি ও সাতাশটি নক্ষত্র মানুষের জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং এই প্রভাবই জ্যোতিষ বিজ্ঞানের মুখ্য আলোচ্য বিষয়। জাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় এসব গ্রহ, রাশি ও নক্ষত্রের অবস্থান অনুসারে জাতকের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হয়। নিচে জ্যোতিষ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হল।
গ্রহ পরিচয়
জ্যোতিষ বিজ্ঞান বলে গ্রহগণ নিছক জড় বস্ত্ত নয়। জ্যোতিষ শান্ত্রে গ্রহগণকে দেবতা জ্ঞান করা করেছে। গ্রহগণ সর্বদা ঘুর্ণায়মান। প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত। গ্রহগণ ঘুরতে ঘুরতে যখন শুভ অবস্থানে থাকে তখন জাতকের শুভ হয় এবং গ্রহগণ যখন অশুভ অবস্থানে থাকে তখন জাতকের অশুভ হয়। নবগ্রহের নাম- ১) রবি, ২) সোম, ৩) মঙ্গল, ৪) বুধ, ৫) বৃহস্পতি, ৬) শুক্র, ৭) শনি, ৮) রাহু ও ৯) কেতু। এই নবগ্রহের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র এই চারটি গ্রহ অধিকাংশ সময় শুভফল প্রদান করে বলে এদেরকে শুভ গ্রহ এবং রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতু এই পাঁচটি গ্রহ অধিকাংশ সময় অশুভফল প্রদান করে বলে এদেরকে অশুভ গ্রহ বা পাপ গ্রহ বলে। নবগ্রহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি পুরুষ, চন্দ্র ও শুক্র স্ত্রী এবং বুধ ও শনি ক্লীব বা নপুংসক। রবি একটি রাশিতে ত্রিশ দিন, চন্দ্র সোয়া দুই দিন, মঙ্গল পয়তাল্লিশ দিন, বুধ আঠার দিন, বৃহস্পতি এক বছর, শুক্র আটাশ দিন, শনি আড়াই বছর এবং রাহু-কেতু দেড় বছর অবস্থান করে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে গ্রহদের কারকতা
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি আত্মা, পিতা, রক্ত বর্ণ, কটু (ঝাল) রস, পিত্ত ধাতু, স্বভাব, যশ-খ্যাতি, প্রতিষ্ঠা প্রভৃতির কারক। চন্দ্র মন, মাতা, জল, শুভ্রবর্ণ, লবণ রস, শ্লেষ্মা ধাতু, চঞ্চলতা, চিন্তাশক্তি, সাহিত্য প্রভৃতির কারক। মঙ্গল শক্তি, ভ্রাতৃ, ভূমি, সম্পত্তি, সাহস, পরাক্রম, অগ্নি, লাল বর্ণ, তিক্ত রস, পিত্ত ধাতু প্রভৃতির কারক। বুধ বুদ্ধি, মাতুল, বাণিজ্য, বাক্-শক্তি, মিশ্র রস, সম ধাতু, হাস্য, শিল্প, সাহিত্য, সবুজ বর্ণ প্রভৃতির কারক। বৃহস্পতি ধর্ম, পুত্র, ধন, জ্ঞান, মিষ্টি রস, কফ ধাতু, হলুদ বর্ণ প্রভৃতির কারক। শুক্র প্রেম, কাম, স্ত্রী, সুখ, অম্ল রস, কফ ধাতু, গীত, কাব্য, শুভ্র বর্ণ প্রভৃতির কারক। শনি দুঃখ, মৃত্যু, বিপদ, কষায় রস, বায়ু ধাতু, অস্ত্র, আধ্যাত্মিকতা, গুপ্তবিদ্যা প্রভৃতির কারক নীল বর্ণ প্রভৃতির কারক। রাহু শত্রু, নিদ্রা, চৌর্য, বিষক্রিয়া, পিতামহ, দ্যুত-ক্রিড়া, বায়ু ধাতু, কাল বর্ণ প্রভৃতির কারক। কেতু মাতামহ, সর্প, দংশন, ক্ষুধা, ধুম্র বর্ণ, ব্রণ ও চর্ম রোগ প্রভৃতির কারক।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে গ্রহদের শত্রু-মিত্র ও গ্রহ-দৃষ্টি কথন

জ্যোতিষ বিজ্ঞান বলে গ্রহদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা-মিত্রতা রয়েছে। রবির মিত্র- চন্দ্র, মঙ্গল ও বৃহস্পতি, শত্রু- শুক্র ও শনি এবং সম- বুধ। চন্দ্রের মিত্র- রবি ও বুধ, শত্রু- নেই এবং সম- মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি। মঙ্গলের মিত্র- রবি, চন্দ্র ও বৃহস্পতি, শত্রু- বুধ এবং সম- শুক্র ও শনি। বুধের মিত্র- রবি ও শুক্র, শত্রু- চন্দ্র এবং সম- শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি। বৃহস্পতির মিত্র- রবি, চন্দ্র ও মঙ্গল, শত্রু- বুধ ও শুক্র এবং সম- শনি। শুক্রের মিত্র- বুধ ও শনি, শত্রু- রবি ও চন্দ্র এবং সম- মঙ্গল ও বৃহস্পতি। শনির মিত্র- বুধ ও শুক্র, শত্রু- রবি, চন্দ্র ও মঙ্গল এবং সম- বৃহস্পতি। রাহুর মিত্র- শুক্র ও শনি, শত্রু- রবি, চন্দ্র ও মঙ্গল এবং সম- বুধ ও বৃহস্পতি। কেতুর মিত্র- রবি ও চন্দ্র, শত্রু- শুক্র ও শনি এবং সম- বুধ ও বৃহস্পতি।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে গ্রহশুদ্ধি
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বারটি নক্ষপুঞ্জ বা রাশি মহাকাশে বৃত্তাকারে অবস্থান করছে। একটি বৃত্তের মোট ৩৬০ অংশ ধরা হয়। তাহলে বারটি রাশির জন্য ৩৬০ অংশ থাকলে প্রত্যেকটি রাশির জন্য ৩৬০/১২ = ৩০ অংশ থাকে। বারটি রাশির জন্য ৩০ অংশ করে ১২টি স্থান রয়েছে। নয়টি গ্রহ তাদের নিজ নিজ গতিতে নির্দিষ্ট সময়ে একটি রাশির ৩০ অংশ স্থান অতিক্রম করে পরের রাশির স্থানে গমন করে এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে বারটি রাশির স্থান ভ্রমণ করে। অংশেরও ক্ষুদ্র ভাগ আছে যথা- ৬০ বিকলায় ১ কলা, ৬০ কলায় ১ অংশ এবং ৩০ অংশে এক রাশি। গ্রহগণ ১২টি রাশির ১২টি স্থানেই শুভফল দেয় না। যেমন চন্দ্র ১ম, ৩য়, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ১০ম ও ১১শ স্থানে থাকলে শুদ্ধ হয় এবং শুভ ফল প্রদান করে। যেমন কর্কট রাশির ক্ষেত্রে কর্কট (১ম), কন্যা (৩য়), ধনু (৬ষ্ঠ), মকর (৭ম), মেষ (১০ম) ও বৃষে (১১শ) চন্দ্র অবস্থানের সময় চন্দ্র-শুদ্ধি হয়। তবে শুক্লপক্ষে চন্দ্র ২য়, ৫ম ও ৯ম স্থানেও শুভ ফল প্রদান করে। রবি জন্মরাশি হতে ৩য়, ৬ষ্ঠ, ১০ম ও ১১শ স্থানে থাকলে শুদ্ধ হয়। চন্দ্রশুদ্ধি ও রবিশুদ্ধি থাকলে অন্যান্য গ্রহের অশুভ ফল হ্রাস পায়। শনি, মঙ্গল, রাহু ও কেতু প্রত্যেকে জন্ম রাশি হতে ৩য়, ৬ষ্ঠ, ১০ম ও ১১শ স্থানে থাকলে শুদ্ধ হয়। বৃহস্পতি জন্ম রাশি হতে ২য়, ৫ম, ৭ম, ৯ম ও ১১শ স্থানে থাকলে শুদ্ধ হয়। বুধ জন্ম রাশি হতে ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৮ম, ১০ম, ১১শ ও ১২শ স্থানে থাকলে শুদ্ধ হয়। একাদশ স্থান একটি বিশেষ স্থান যেখানে সব গ্রহই শুভ ফল প্রদান করে। মেষ রাশির প্রথমে, বৃষ রাশির পঞ্চমে, মিথুন রাশির নবমে, কর্কট রাশির দ্বিতীয়ে, সিংহ রাশির ষষ্ঠে, কন্যা রাশির দশমে, তুলা রাশির তৃতীয়ে, বৃশ্চিক রাশির সপ্তমে, ধনু রাশির চতুর্থে, মকর রাশির অষ্টমে, কুম্ভ রাশির একাদশে এবং মীন রাশির দ্বাদশে চন্দ্র অবস্থান করলে ঘাত-চন্দ্র হয়। ঘাত-চন্দ্রে যাত্রা ও বিবাহ অশুভ।
জ্যোতিষ শাস্ত্র

রাশি পরিচয়

পৃথিবীর চতুর্দিকে যে দ্বাদশ সংখ্যক নক্ষত্রপুঞ্জ বা নক্ষত্ররাশি রয়েছে তা সংক্ষেপে রাশি নামে পরিচিত। পৃথিবী থেকে যে নক্ষত্র-রাশিকে যেমন দেখা যায় ঐ নক্ষত্ররাশিকে তেমন নাম দেয়া হয়েছে। যেমন- পৃথিবী থেকে যে নক্ষত্ররাশিকে মেষ বা ভেড়ার মত মনে হয় সে নক্ষত্ররাশির নাম ‘মেষ’ রাখা হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য রাশিগুলোরও নামকরণ করা হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লিখিত বারটি রাশির নাম- ১) মেষ, ২) বৃষ, ৩) মিথুন, ৪) কর্কট, ৫) সিংহ, ৬) কন্যা, ৭) তুলা, ৮) বৃশ্চিক, ৯) ধনু, ১০) মকর, ১১) কুম্ভ ক্রূর ও ১২) মীন। মেষ- ক্রূর, বিষম, চর (গতিশীল) ও হ্রস, বৃষ- সৌম্য, সম, স্থির ও হ্রস, মিথুন- ক্রূর, বিষম ও দ্ব্যাত্মক, কর্কট- সৌম্য, সম ও চর, সিংহ- ক্রূর, বিষম, স্থির ও দীর্ঘ, কন্যা- সৌম্য, সম, দ্ব্যাত্মক ও দীর্ঘ, তুলা- ক্রূর, বিষম, চর ও দীর্ঘ, বৃশ্চিক- সৌম্য, সম, স্থির ও দীর্ঘ, ধনু- ক্রূর, বিষম ও দ্ব্যাত্মক, মকর- সৌম্য, সম ও চর, কুম্ভ- ক্রূর, বিষম, স্থির ও হ্রস এবং মীন- সৌম্য, সম, দ্ব্যাত্মক ও হ্রস। বারটি রাশির মধ্যে মেষ, সিংহ ও ধনুকে অগ্নি রাশি, বৃষ, কন্যা ও মকরকে পৃথ্বী রাশি, মিথুন, তুলা ও কুম্ভকে বায়ু রাশি এবং কর্কট, বৃশ্চিক ও মীনকে জল রাশি বলে। মেষ রাশির নামের আদ্যার- অ এবং ল, বৃষ রাশির নামের আদ্যাক্ষর-ই, উ এবং ব, মিথুন রাশির নামের আদ্যাক্ষর- ক, ছ, ঘ এবং ঙ, কর্কট রাশির নামের আদ্যাক্ষর- ড এবং হ, সিংহ রাশির নামের আদ্যাক্ষর- ম এবং ট, কন্যা রাশির নামের আদ্যাক্ষর- প, থ, ষ এবং ণ, তুলা রাশির নামের আদ্যাক্ষর- র এবং ত, বৃশ্চিক রাশির নামের আদ্যাক্ষর- ন এবং য, ধনু রাশির নামের আদ্যাক্ষর- ধ এবং ভ, মকর রাশির নামের আদ্যাক্ষর- খ এবং জ, কুম্ভ রাশির নামের আদ্যাক্ষর- গ এবং শ এবং মীন রাশির নামের আদ্যাক্ষর- দ এবং চ। রবি, চন্দ্র আদি নয়টি গ্রহ এই বারটি রাশিতে পর্যায়ক্রমে ভ্রমণ করে। নয়টি গ্রহের মধ্যে সাতটি গ্রহ আবার বারটি রাশির অধিপতি। রবি সিংহ রাশির, চন্দ্র কর্কট রাশির, মঙ্গল মেষ ও বৃশ্চিক রাশির, বুধ মিথুন ও কন্যা রাশির, বৃহস্পতি ধনু ও মীন রাশির, শুক্র বৃষ ও তুলা রাশির এবং শনি মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে জন্ম রাশি ফল
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার চন্দ্র যে রাশিতে থাকে ঐ রাশিকে জন্ম-রাশি বলে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বর্ণিত আছে, মেষ রাশির জাতক ভাবপ্রবণ, চঞ্চল, জেদী, ক্রোধী, সামান্য কারণে আনন্দিত বা বিষাদগ্রস্ত, মিষ্টান্নপ্রিয়, ত্যাগী, ধনী, নিজ কর্মে বিশ্বাসী, প্রবল আত্মবোধ ও ইন্দ্রিয়ানুভূতির অধিকারী। বৃষ রাশির জাতক স্থুল নেত্রযুক্ত, স্বল্পভাষী, ধীর-স্থীর, ধার্মিক, কুলজনের হিতকারী, তীক্ষ্ণ-বুদ্ধিযুক্ত, অধ্যবসায়ী, পরিশ্রমী, স্থির-প্রতিজ্ঞ, বাস্তববাদী, আধিপত্য বিস্তারকারী ও হিসাবী। মিথুন রাশির জাতক ধীর-গতিসম্পন্ন, স্পষ্টবাক, পরহিতৈষী, তীক্ষ্ণ-বুদ্ধিযুক্ত, পণ্ডিত, হাস্যযুক্ত, কৌতুকপ্রিয়, আত্ম-প্রশংসাকামী, সমালোচক, গীতবাদ্য অনুরাগী। কর্কট রাশির জাতক চিন্তাশীল, ভাবুক, কল্পনাপ্রবন, উদার, সত্যবাদী, দয়ালু, দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ, পণ্ডিত, প্রগতিশীল হলেও পুরাতনপন্থী, দৃঢ়-প্রতীজ্ঞ, ভ্রমণপ্রিয়, আশ্চর্যজনক বিষয়ে আগ্রহশীল, মাতা-পিতার প্রতি ভক্তিপরায়ণ এবং সাহিত্য ও গীতবাদ্যে অনুরাগী। সিংহ রাশির জাতক বিশ্বাসী, ক্রোধী, বন্ধুহীন, উন্নত-বক্ষবিশিষ্ট, খেয়ালী, কর্তৃত্বপ্রিয়, স্বাধীনচেতা, বিলাসী, স্পষ্টবক্তা, অন্যায়ের বিরুদ্ধাচারী, আত্ম-সচেতন ও অমিতব্যয়ী। কন্যা রাশির জাতক ধার্মিক, বালক-স্বভাবযুক্ত, ক্ষমাপরায়ণ, একমনা, তীক্ষ্ণ-বুদ্ধিযুক্ত, সমালোচক, সৎ হলেও ক্ষেত্র বিশেষে কুটিল-স্বভাবযুক্ত, মাতৃভক্ত, সাহিত্য-রসিক এবং রমণীগণের প্রিয়। তুলা রাশির জাতক কোমল শরীর-বিশিষ্ট, দাতা, বন্ধুবৎসল, সদালাপী, অতিভাষী, দৈব-প্রভাবযুক্ত, বুদ্ধিমান, সামাজিক, ভোগী, বিলাসী, শাস্ত্রজ্ঞ, সঙ্গীতজ্ঞ ও রমণীগণের প্রিয়। বৃশ্চিক রাশির জাতক পণ্ডিত, দৃঢ়মতি, বলশালী, আত্মনির্ভরশীল, কর্মদক্ষ, গম্ভীর, জেদী, ক্রোধী, পরমত অসহিষ্ণু, সর্বদা উদ্বেগযুক্ত ও খলবুদ্ধিসম্পন্ন। ধনু রাশির জাতক নানা কীর্তিপরায়ণ, কুলগৌরবযুক্ত, বন্ধুলোকের হিতকামী, সূক্ষ্মদৃষ্টিসম্পন্ন, প্রভূত ধন-সম্পদযুক্ত, ধীর গতিসম্পন্ন, ধার্মিক, স্বাধীনচেতা, উচ্চাভিলাসী, কর্তৃত্বপ্রিয়, অহংকারী, ক্ষণক্রোধী, পিতৃধন ত্যাগী, গীতপ্রিয়, মীতব্যয়ী, কখনও ধীর আবার কখনও স্থীর, দ্বিধাভাবগ্রস্ত ও সন্দিগ্ধমনা। মকর রাশির জাতক তীক্ষ্ণ-বুদ্ধিযুক্ত, ধীর, আত্মাভিমানী, পরাক্রমযুক্ত, বন্ধুবৎসল, দ্বায়িত্বসম্পন্ন, ভোগবিলাসী, মন্ত্রণা ও বাদানুবাদে দক্ষ, সুনামপ্রিয়, পরদারাসক্ত এবং বাইরে থেকে সহজ-সরল মনে হলেও অমত্মরে কুটিল। কুম্ভ রাশির জাতক উদ্যমী, একাগ্র চিত্তের অধিকারী, ভাবুক, ধার্মিক, নির্জনতাপ্রিয়, সংস্কারপ্রিয়, জ্ঞাতিবর্গসহ আমোদকারী, পরদারাসক্ত, ধনশালী, গম্ভীর, কুটিল স্বভাবযুক্ত ও নিদ্রাপ্রিয়। মীন রাশির জাতক ধৈর্যশালী, শামিত্মপ্রিয়, একাগ্র, জ্ঞানী, মানী, আশাবাদী, উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন, উদার, ধার্মিক, দ্বিধাভাবগ্রস্ত, স্ত্রী-জয়ী, রমণীপ্রিয়, সাহিত্যরসিক ও ধনেজনে সুখভোগী।
লগ্ন পরিচয়
এক দিবারাত্রের মধ্যে বারটি রাশি পর্যায়ক্রমে পূর্বদিকে উদিত হয়। রাশিসমূহের এই উদয়কালকে লগ্ন বলে। লগ্নকে অন্যভাবেও সংজ্ঞায়িত করা যায়। পৃথিবী নিজ কক্ষপথে ভ্রমণের সময় এক দিনে এর চতুর্দিকে অবস্থিত ১২টি রাশির প্রত্যেকটিকে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে অতিক্রম করে ঐ নির্দিষ্ট সময়কে লগ্ন বলে। পৃথিবী যে সময় ব্যাপী যে রাশি অতিক্রম করে ঐ রাশির নাম অনুসারে ঐ লগ্নের নাম হয়। যেমন সূর্যোদয়ের পর দুই ঘণ্টা পর্যমত্ম যদি পৃথিবী মেষ রাশিকে অতিক্রম করতে থাকে তাহলে ঐ সময়কে বলা হবে মেষ লগ্ন এবং সূর্যোদয়ের দুই ঘণ্টা পর বৃষ লগ্ন শুরম্ন হবে। এভাবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পর পর বারটি লগ্ন আবর্তিত হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লিখিত বারটি লগ্নের নাম- ১) মেষ, ২) বৃষ, ৩) মিথুন, ৪) কর্কট, ৫) সিংহ, ৬) কন্যা, ৭) তুলা, ৮) ধনু, ৯) বৃশ্চিক, ১০) মকর, ১১) কুম্ভ ও ১২) মীন।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে জন্ম-লগ্ন ফল
জন্মের সময় পৃথিবীর নিকটস্থ রাশিকে অর্থাৎ পৃথিবী যে রাশিকে অতিক্রম করছিল সে রাশিকে জন্ম-লগ্ন বলে। এখন সংক্ষিপ্তাকারে দ্বাদশ প্রকার জন্ম-লগ্নের ফল দেয়া যাক। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বর্ণিত আছে, মেষ লগ্নের জাতক যশস্বী, মানী, পরবৎসল, জ্ঞানী, পরাক্রমশালী, সাহসী, ক্রোধী, কুটচিন্তাশীল, ভোগী ও স্ত্রীপুত্র সুখে সুখী হয়ে থাকে। বৃষ লগ্নের জাতক গুরুভক্ত, প্রিয়ভাষী, গুণবান, কৃতী, তেজস্বী, সর্বজনপ্রিয়, সুরতক্রিয়া নিপুন, লোভী ও পরস্ত্রীতে অনুরক্ত হয়ে থাকে। মিথুন লগ্নের জাতক মান্যগণ্য, যশস্বী, শিক্ষিত, আত্মীয়বৎসল, ত্যাগী, ভোগী, ধনী, কামী, দীর্ঘসূত্রী, সাহিত্যরসিক, সঙ্গীতজ্ঞ, সুবক্তা হয়ে থাকে। কর্কট লগ্নের জাতক সর্বজনপ্রিয়, স্বজনপ্রিয়, ধার্মিক, ধনী, ভোগী, পণ্ডিত, ভাষাবিদ, জনসেবক এবং মিষ্টান্ন ও পানীয় দ্রব্যপ্রিয় হয়ে থাকে। সিংহ লগ্নের জাতক শত্রুজয়ী, বুদ্ধিমান, উৎসাহী, বলশালী, পরদ্রব্যভোগী, ক্রোধী, স্বল্পপুত্রবিশিষ্ট, জনপ্রিয় ও স্বার্থহীন হয়ে থাকে। কন্যা লগ্নের জাতক ধার্মিক, জ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ, বিচক্ষণ, অহংকারী, পর্যটক, বক্তা, কামকলাপ্রিয়, সৌভাগ্যশালী ও স্বল্পাহারী হয়ে থাকে। তুলা লগ্নের জাতক ধীর-স্থির, বহুজনের হিতকারী, বিদ্বান, সৎকর্মে অনুরক্ত, ধনী, মানী, শিল্পকলায় পরিদর্শী ও অল্পভোগী হয়ে থাকে। বৃশ্চিক লগ্নের জাতক শৌর্যশালী, বুদ্ধিমান, সৌভাগ্যযুক্ত, ক্রোধী, কামুক, সাহসী, ক্ষুধাতুর, বিবাদকারী ও দুষ্টবুদ্ধিযুক্ত হয়ে থাকে। ধনু লগ্নের জাতক নীতিপরায়ণ, ধার্মিক, শাণিতবাক, বিদ্বান, ধনী, সুখী, জ্ঞানী, বহুলোকের হিতকারী, চাপা-স্বভাব, অহংকারী ও উচ্চাভিলাসী হয়ে থাকে। মকর লগ্নের জাতক যশস্বী, ধনী, বহুসন্তানযুক্ত, কপট, কর্মঠ, কষ্টসহিষ্ণু, লোভী, হীনকর্মযুক্ত ও স্বকার্যে তৎপর হয়ে থাকে। কুম্ভ লগ্নের জাতক বলশালী, সুখী, বন্ধুযুক্ত, বেদজ্ঞ, সূক্ষ্ম অনুভূতিশীল, তপস্বী, ক্রোধী, চঞ্চল, পরস্ত্রীতে আসক্ত ও নিদ্রালু হয়ে থাকে। মীন লগ্নের জাতক অতিশয় জ্ঞানী, দেবতা ও গুরু-পূজক, মানী, ধনী, স্পর্শকাতর, নিঃসঙ্গ জীবনীশক্তিযুক্ত, স্বল্প রোমবিশিষ্ট ও বহুকাল পরীক্ষাকারী হয়ে থাকে।
তিথি পরিচয়
জ্যোতিষ বিজ্ঞান মতে চন্দ্র পৃথিবীর চতুর্দিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ত্রিশ দিন লাগে। চন্দ্র ও পৃথিবী ঘুর্ণনের ফলে চন্দ্র ক্রমশ দৃশ্যমান হতে হতে পনের দিনে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয় যাকে পূর্ণিমা বলে এবং পরবর্তী পনের দিন পর সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয় যাকে অমাবস্যা বলে। যে একক সময়ে চন্দ্রের এরকম হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে তাকে প্রতিপদ, দ্বিতীয়া আদি তিথি বলে। অমাবস্যার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত পনের দিন শুক্ল পক্ষ এবং পূর্ণিমার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে অমাবশ্যা পর্যমত্ম পনের দিন কৃষ্ণ পক্ষ নামে পরিচিত। শুক্ল পক্ষের তিথির নাম- ১) প্রতিপদ, ২) দ্বিতীয়া, ৩) তৃতীয়া, ৪) চতুর্থী, ৫) পঞ্চমী, ৬) ষষ্ঠী, ৭) সপ্তমী, ৮) অষ্টমী, ৯) নবমী, ১০) দশমী, ১১) একাদশী, ১২) দ্বাদশী, ১৩) ত্রয়োদশী, ১৪) চতুর্দশী ও ১৫) পূর্ণিমা। কৃষ্ণ পক্ষের তিথির নাম- ১৬) প্রতিপদ, ১৭) দ্বিতীয়া, ১৮) তৃতীয়া, ১৯) চতুর্থী, ২০) পঞ্চমী, ২১) ষষ্ঠী, ২২) সপ্তমী, ২৩) অষ্টমী, ২৪) নবমী, ২৫) দশমী, ২৬) একাদশী, ২৭) দ্বাদশী, ২৮) ত্রয়োদশী, ২৯) চতুর্দশী ও ৩০) অমাবস্যা। তিথিসমূহ পাঁচ ভাগে বিভক্ত, যথা- নন্দা, ভদ্রা, জয়া, রিক্তা ও পূর্ণা। প্রতিপদ, ষষ্ঠী ও একাদশীকে নন্দা; দ্বিতীয়া, সপ্তমী ও দ্বাদশীকে ভদ্রা; তৃতীয়া, অষ্টমী ও ত্রয়োদশীকে জয়া; চতুর্থী, নবমী ও চতুর্দশীকে রিক্তা এবং পঞ্চমী, দশমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমাকে পূর্ণা বলে।
নক্ষত্র পরিচয়
মহাকাশে অগণিত নক্ষত্র রয়েছে। তার মধ্যে পৃথিবীর উপর সাতাশটি নক্ষত্রের প্রভাব বিদ্যমান। জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লিখিত সাতাশটি নক্ষত্রের নাম- ১) অশ্বিনী, ২) ভরণী, ৩) কৃত্তিকা, ৪) রোহিণী, ৫) মৃগশিরা, ৬) আর্দ্রা, ৭) পুনর্বসু, ৮) পুষ্যা, ৯) অশ্লেষা, ১০) মঘা, ১১) পূর্ব-ফাল্গুনী, ১২) উত্তর-ফাল্গুনী, ১৩) হস্তা, ১৪) চিত্রা, ১৫) স্বাতী, ১৬) বিশাখা, ১৭) অনুরাধা, ১৮) জ্যেষ্ঠা, ১৯) মূলা, ২০) পূর্বাষাঢ়া, ২১) উত্তরাষাঢ়া, ২২) শ্রবণা, ২৩) ধনিষ্ঠা, ২৪) শতভিষা, ২৫) পূর্ব-ভাদ্রপদ, ২৬) উত্তর-ভাদ্রপদ ও ২৭) রেবতী। হিন্দু-পুরাণ মতে এই সাতাশটি নক্ষত্র কোন দীপ্তিমান জড় বস্ত্ত নয়। প্রকৃতক্ষে এই সাতাশটি নক্ষত্র মূলত দক্ষের সাতাশ কন্যা। চন্দ্র এই সাতাশ কন্যাকে বিবাহ করেছেন। যা হোক, চন্দ্র পর্যায়ক্রমে একটি ন্ত্রে একদিন অবস্থান করেন। চন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য গ্রহগণও সাতাশটি নক্ষত্রকে পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে অতিক্রম করেন। নক্ষ ত্রসমূহকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন, উগ্রগণ- পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া, পূর্ব-ভাদ্রপদ, মঘা ও ভরণী নক্ষত্র। ধ্রুবগণ- উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ ও রোহিণী নক্ষত্র। চরগণ- স্বাতী, পুনর্বসু, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা ও শতভিষা নক্ষত্র। ক্ষিপ্রগণ- পুষ্যা, অশ্বিনী ও হস্তা নক্ষত্র। মৃদুগণ- চিত্রা, অনুরাধা, মৃগশিরা ও রেবতী নক্ষত্র। তীক্ষ্ণগণ- আর্দ্রা, অশ্লেষা, জ্যেষ্ঠা ও মূলা নক্ষত্র। মিশ্রগণ- কৃত্তিকা ও বিশাখা।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে তারাশুদ্ধি
জাতকের জন্ম-নক্ষত্র থেকে নয়টি করে তারা বা নক্ষত্রকে যথাক্রমে জন্ম, সম্পদ, বিপদ, ক্ষেম, প্রত্যারি, সাধক, বধ, মিত্র ও পরমমিত্র নাড়ি বলা হয়। জ্যোতিষ বিজ্ঞান মতে যদি জাতকের অশ্বিনী অর্থাৎ ১ নং নক্ষত্রে জন্ম হয়, তবে ১ নং জন্ম, ২ নং সম্পদ, ৩ নং বিপদ এই ক্রমে ৯ নং পরমমিত্র নাড়ি হবে এবং ১০ নং আবার জন্ম নাড়ি হবে; এভাবে ২৭টি তারা নয় প্রকার নাড়িতে অবস্থান করবে। এই নিয়মে যদি ১০ নং নক্ষত্রে জন্ম হয় তবে ১০, ১৯ ও ১ নং তারাকে জন্ম নাড়ি, ১১, ২০ ও ২ নং তারাকে সম্পদ নাড়ি, ১২, ২১ ও ৩ নং তারাকে বিপদ নাড়ি, ১৩, ২২ ও ৪ নং তারাকে ক্ষেম নাড়ি, ১৪, ২৩ ও ৫ নং তারাকে প্রত্যারি নাড়ি, ১৫, ২৪ ও ৬ নং তারাকে সাধক নাড়ি, ১৬, ২৫ ও ৭ নং তারাকে বধ নাড়ি, ১৭, ২৬ ও ৮ নং তারাকে মিত্র নাড়ি এবং ১৮, ২৭ ও ৯ নং তারাকে পরমমিত্র নাড়ি বলা হয়। ৯টি নাড়ির মধ্যে বিপদ, প্রত্যারি ও বধ এই ৩টি নাড়ি অশুভ এবং অবশিষ্ট ৬টি নাড়ি শুভ। অশুভ নাড়ি যে দিন থাকবে ঐদিন বিবাহ আদি মাঙ্গলিক কর্ম বর্জনীয়। জন্ম নাড়ি ভিন্ন অন্যান্য শুভ নাড়িতে বিবাহ, শ্রাদ্ধ, যাত্রা ও ক্ষৌরী কর্ম প্রশস্ত।
করণ পরিচয়
প্রত্যেক তিথির পূর্বার্ধে ও শেষার্ধে একটি করে মোট দুইটি করণ থাকে। সাতটি চর-করণ (গতিশীল বা অস্থির করণ) ও চারটি ধ্রুব-করণ (স্থির করণ) সহ মোট এগারটি করণ রয়েছে, যথা- (ক) চর-করণ- ১) বব করণ, ২) বালব করণ, ৩) কৌলব করণ, ৪) তৈতিল করণ, ৫) গর করণ, ৬) বণিজ করণ, ৭) বিষ্টি করণ। (খ) ধ্রব-করণ- ৮) শকুনি করণ, ৯) চতুষ্পাদ করণ, ১০) নাগ করণ, ১১) কিন্তুঘ্ন করণ। শুক্লপক্ষে প্রতিপদের শেষার্ধ হতে পর পর তিথির পূর্বার্ধ ও শেষার্ধ অনুসারে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী পর্যন্ত ২৯টি তিথির মোট ৫৬টি অর্ধাংশে ৭টি চর-করণ নির্দিষ্ট ক্রমে ৪ বার আবর্তিত হয়। অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদের শেষার্ধে বব, দ্বিতীয়ার পূর্বার্ধে বালব ও শেষার্ধে কৌলব, তৃতীয়ার পূর্বার্ধে তৈতিল ও শেষার্ধে গর, চতুর্থীর পূর্বার্ধে বণিজ ও শেষার্ধে বিষ্টি করণ হয় আবার পঞ্চমীর পূর্বার্ধ থেকে বব করণ শুরু হয় এবং এই ক্রমে আবর্তিত হতে হতে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে বিষ্ট করণ হয়। একই নিয়মে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর শেষার্ধ হতে তিথির পূর্বার্ধ ও শেষার্ধ অনুসারে শুক্লপক্ষের প্রতিপদের পূর্বার্ধ পর্যন্ত ধ্রুব-করণ গণনা করা হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বিষ্টিভদ্রা করণ পরিচয়
শুক্লপক্ষের একাদশী ও চতুর্থীর শেষার্ধ, অষ্টমী ও পূর্ণিমার পূর্বার্ধ এবং কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয় ও দশমীর শেষার্ধ, সপ্তমী ও চতুর্দশীর পূর্বার্ধকে বিষ্টিভদ্রা বলে। কর্কট, সিংহ, কুম্ভ ও মীন রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি পৃথিবীতে বাস করে। মেষ, বৃষ, মিথুন ও বৃশ্চিক রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি স্বর্গে বাস করে। কন্যা, তুলা, ধনু ও মকর রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি পাতালে বাস করে। বিষ্টিভদ্রায় বিষ্টি পৃথিবীতে বাস করলে সকল কার্য নাশ, বিষ্টি স্বর্গে বাস করলে সকল কার্য সিদ্ধি এবং বিষ্টি পাতালে বাস করলে ধনবৃদ্ধি ঘটে। বিষ্টিভদ্রা মোট ১২ ঘণ্টা বা ৩০ দণ্ড অবস্থান করে। বিষ্টিভদ্রার ৩০ দণ্ডের প্রথম ৫ দণ্ডকে মুখ, পরের ১ দণ্ডকে কণ্ঠ, পরের ১১ দণ্ডকে বক্ষ, পরের ৪ দণ্ডকে নাভি, পরের ৬ দণ্ডকে কটি এবং শেষ ৩ দণ্ডকে পুচ্ছ বলে। বিষ্টিভদ্রার মুখে কর্ম করলে কার্যহানি, কণ্ঠে মৃত্যু, বক্ষ ধনহানি, নাভিতে কলহ, কটিতে বুদ্ধিনাশ এবং পুচ্ছে কর্ম করলে বিজয় বা সিদ্ধিলাভ হয়।
যোগ পরিচয়
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মোট সাতাশটি যোগ রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে যোগ থাকে এবং এই যোগসমূহ পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। সাতাশটি যোগের নাম- ১) বিকুম্ভ, ২) প্রীতি, ৩) আয়ুষ্মান, ৪) সৌভাগ্য, ৫) শোভন, ৬) অতিগ-, ৭) সুকর্মা, ৮) ধৃতি, ৯) শূল, ১০) গ-, ১১) বৃদ্ধি, ১২) ধ্রুব, ১৩) ব্যাঘাত, ১৪) হর্ষণ, ১৫) বজ্র, ১৬) অসৃক, ১৭) ব্যতীপাত, ১৮) বরীয়ান্, ১৯) পরিঘ, ২০) শিব, ২১) সাধ্য, ২২) সিদ্ধ, ২৩) শুভ, ২৪) শুক্র, ২৫) ব্রহ্ম, ২৬) ইন্দ্র ও ২৭) বৈধৃতি। পরিঘ যোগের প্রথমার্ধ, বিকুম্ভ যোগের ১ম ৫ দ-, শূল যোগের ১ম ৭ দ-, গ- ও ব্যাঘাত যোগের ১ম ৬ দ-, হর্ষণ ও বজ্র যোগের ১ম ৯ দণ্ড এবং বৈধৃতি ও ব্যতীপাত যোগের সমসত্ম কাল পরিত্যাগ করে শুভকর্ম করলে তা সফল হয়। অন্য যোগসমূহ তাদের নাম অনুসারে ফল প্রদান করে। যেমন- সৌভাগ্য যোগে সৌভাগ্য বৃদ্ধি ঘটে, সিদ্ধ যোগে কার্যসিদ্ধি ঘটে প্রভৃতি।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী সময়ের হিসাব
চোখের পাতা পড়তে যে সময় লাগে তাকে নিমেষ বলে। ১৫ নিমেষে ১ কাষ্ঠা, ৩০ কাষ্ঠায় ১ কলা এবং ৩০ কলায় এক মুহূর্ত, ৩০ মুহূর্তে ১ দিবা-রাত্র হয়। ৭ দিবা-রাত্রে ১ সপ্তাহ, ১৫ দিবা-রাত্রে ১ পক্ষ এবং ৩০ দিবা-রাত্রে এক মাস হয়। ৩৬৫ দিবা-রাত্রে বা ১২ মাসে ১ বৎসর হয়। আবার ৬০ বিপলে ১ পল, ৬০ পলে ১ দণ্ড, ২ দণ্ডে ১ মুহূর্ত এবং ৬০ দণ্ডে ১ দিবা-রাত্র। আধুনিক নিয়মে ৬০ সেকেণ্ডে ১ মিনিট, ৬০ মিনিটে ১ ঘণ্টা এবং ২৪ ঘণ্টায় এক দিবা-রাত্র। তাই ঘণ্টার হিসাবে সোয়া মুহূর্তে ১ ঘণ্টা বা ৪৮ মিনিটে ১ মুহূর্ত এবং আড়াই দণ্ডে ১ ঘণ্টা বা ২৪ মিনিটে ১ দ-। এক দিবা-রাত্রের আট ভাগের এক ভাগ সময়কে প্রহর বলে। ঘণ্টার হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ১ প্রহর এবং ৮ প্রহরে এক দিন। যামার্ধ দুটি, যথা- দিবা ও রাত্রি যামার্ধ। দিনমানের আট ভাগের এক ভাগ সময়কে দিবা-যামার্ধ এবং রাত্রিমানের আট ভাগের এক ভাগ সময়কে রাত্রি-যামার্ধ বলে অর্থাৎ ৮ দিবা-যামার্ধে ১ দিন এবং ৮ রাত্রি-যামার্ধে ১ রাত হয়। দিনমান বা রাত্রিমান বার ঘণ্টা হলে দেড় ঘণ্টায় এক যামার্ধ হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বার, পক্ষও মাস পরিচয়
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে একটি সপ্তাহে সাতটি বার রয়েছে, যথা- রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি বার। সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র এই চারটি বার সর্বকার্যে শুভ এবং শনি, রবি ও মঙ্গল এই তিনটি বার অশুভ। পক্ষ দুটি, যথা- শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষ। বার মাসে এক বছর হয়। বারটি মাসের নাম- ১) বৈশাখ, ২) জ্যৈষ্ঠ, ৩) আষাঢ়, ৪) শ্রাবণ, ৫) ভাদ্র, ৬) আশ্বিন, ৭) কার্তিক, ৮) অগ্রহায়ণ, ৯) পৌষ, ১০) মাঘ, ১১) ফাল্গুন এবং ১২) চৈত্র।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি
রবি বারে দিনের ৪র্থ ও ৫ম, সোম বারে ২য় ও ৭ম, মঙ্গল বারে ৬ষ্ঠ ও ২য়, বুধ বারে ৫ম ও ৩য়, বৃহস্পতি বারে ৭ম ও ৮ম, শুক্র বারে ৩য় ও ৪র্থ এবং শনি বারে ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৮ম যামার্ধকে বারবেলা ও কালবেলা বলে। রবি বারে রাত্রির ৬ষ্ঠ, সোম বারে ৪র্থ, মঙ্গল বারে ২য়, বুধ বারে ৭ম, বৃহস্পতি বারে ৫ম, শুক্র বারে ৩য় এবং শনি বারে ১ম ও ৮ম যামার্ধকে কালরাত্রি বলে। কালবেলা ও কালরাত্রিতে যাত্রা এবং বিবাহ, উপনয়ন আদি শুভকর্ম পরিত্যাগ করা উচিত।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মাসদগ্ধা, চন্দ্রদগ্ধা, ত্র্যস্পর্শ ও মল-মাস কথন
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বৈশাখ মাসের শুক্লা ৬ষ্ঠী, জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণা ৪র্থী, আষাঢ় মাসের শুক্লা ৮মী, শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণা ৬ষ্ঠী, ভাদ্র মাসের শুক্লা ১০মী, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ৮মী, কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বাদশী, অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণা ১০মী, পৌষ মাসের শুক্লা ২য়া, মাঘ মাসের কৃষ্ণা ১২শী, ফাল্গুন মাসের শুক্লা ৪র্থী এবং চৈত্র মাসের কৃষ্ণা ২য়া তিথিকে মাসদগ্ধা বলে। চন্দ্র শুক্লপক্ষের ২য়া তিথিতে ধনু রাশিতে, ৪র্থী তিথিতে কুম্ভ রাশিতে, ৬ষ্ঠী তিথিতে মেষ রাশিতে, ৮মী তিথিতে মিথুন রাশিতে, দশমী তিথিতে সিংহ রাশিতে ও ১২শী তিথিতে তুলা রাশিতে এবং চন্দ্র কৃষ্ণ পক্ষের ২য়া তিথিতে মীন রাশিতে, ৪র্থী তিথিতে বৃষ রাশিতে, ৬ষ্ঠী তিথিতে কর্কট রাশিতে, ৮মী তিথিতে কন্যা রাশিতে, ১০মী তিথিতে বৃশ্চিক রাশিতে ও ১২শী তিথিতে মকর রাশিতে অবস্থান করলে চন্দ্রদগ্ধা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে অধম, ত্র্যস্পর্শ ও মল-মাস বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। একদিনে অর্থাৎ এক দিবা-রাত্রে দুই তিথির অমত্ম হলে ঐ দিনকে অবম বলে। একদিনে তিন তিথি অবস্থান করলে ঐ দিনকে ত্র্যস্পর্শ বলে। যে মাসে দুইটি অমাবশ্যা হয় ঐ মাসকে মল-মাস বলে। অধম ও ত্র্যস্পর্শে যাত্রা ও বিবাহ আদি শুভকর্ম নিষিদ্ধ। মল মাসেও বিবাহ আদি শুভকর্ম করা অনুচিত।
তিথি সংশ্লিষ্ট যোগ
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শুক্র বারে নন্দা, বুধ বারে ভদ্রা, মঙ্গল বারে জয়া, শনি বারে রিক্তা এবং বৃহস্পতি বারে পূর্ণা তিথি হলে সিদ্ধি-যোগ হয়। রবি ও সোম বারে পূর্ণা, মঙ্গল বারে ভদ্রা, বৃহস্পতি বারে জয়া, বুধ ও শনি বারে নন্দা এবং শুক্র বারে রিক্তা তিথি হলে তিথ্যামৃত-যোগ হয়। রবি ও মঙ্গল বারে নন্দা, সোম ও শুক্র বারে ভদ্রা, বুধ বারে জয়া, বৃহস্পতি বারে রিক্তা এবং শনি বারে পূর্ণা তিথি হলে পাপযোগ হয়। রবি বারে দ্বাদশী, সোম বারে একাদশী, মঙ্গল বারে দশমী, বুধ বারে তৃতীয়া, বৃহস্পতি বারে ষষ্ঠী, শুক্র বারে দ্বিতীয়া এবং শনি বারে তৃতীয়া হলে দিনদগ্ধা বা তিথিদগ্ধা-যোগ হয়। রবি বারে দ্বাদশী ও মঘা, সোম বারে একাদশী ও কৃত্তিকা, মঙ্গল বারে দশমী ও আদ্রা, বুধ বারে তৃতীয়া ও মূলা, বৃহস্পতি বারে ষষ্ঠী ও ভরণী, শুক্র বারে দ্বিতীয়া ও অশ্বিনী এবং শনি বারে সপ্তমী ও অশেস্নষা হলে মহাদগ্ধা হয়। সোম বারে ষষ্ঠী, শুক্র বারে সপ্তমী, বৃহস্পতি বারে অষ্টমী, বুধ বারে নবমী, শনি বারে দশমী, মঙ্গল বারে একাদশী এবং রবি বারে দ্বাদশী তিথি হলে কালঘণ্টা-যোগ হয়। রবি বারে দ্বাদশী, সোম বারে একাদশী, মঙ্গল বারে দশমী, বুধ বারে নবমী, বৃহস্পতি বারে অষ্টমী, শুক্র বারে সপ্তমী এবং শনি বারে ষষ্ঠী তিথি হলে ক্রকচ-যোগ হয়। সোম বারে প্রতিপদ ও ষষ্ঠী, বৃহস্পতি বারে ভদ্রা, রবি ও শনি বারে জয়া, মঙ্গল বারে রিক্তা এবং বুধ ও শুক্র বারে পূর্ণা তিথি হলে রত্নাঙ্কুর-যোগ হয়।
নক্ষত্র সংশ্লিষ্ট যোগ
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি বারে উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, পুষ্যা, হস্তা, মূলা ও রেবতী; সোম বারে শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, রোহিণী, মৃগশিরা, পূর্ব-ফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, পূর্ব-ভাদ্রপদ, উত্তর-ভাদ্রপদ, হসত্মা ও অশ্বিনী; মঙ্গল বারে পুষ্যা, অশ্লেষা, কৃত্তিকা, স্বাতী, উত্তর-ভাদ্রপদ ও রেবতী; বুধ বারে কৃত্তিকা, রোহিণী, অনুরাধা, শতভিষা; বৃহস্পতি বারে স্বাতী, পুনর্বসু, পুষ্যা ও অনুরাধা; শুক্র বারে পূর্ব-ফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, পূর্ব-ভাদ্রপদ, উত্তর-ভাদ্রপদ, অশ্বিনী, শ্রবণা ও অনুরাধা এবং শনি বারে স্বাতী ও রোহিণী নক্ষত্র হলে নক্ষত্রামৃত-যোগ হয়। সিদ্ধি ও নক্ষত্রামৃত যোগ যদি একইদিনের যে কোন সময় মিলিত হয়, তবে তাকে বিষযোগ বলে। রবি ও মঙ্গল বারে নন্দা তিথি ও স্বাতী, শতভিষা, আর্দ্রা, রেবতী, চিত্রা, অশ্লেষা, মূলা ও কৃত্তিকা নক্ষত্র, শুক্র ও সোম বারে ভদ্রা তিথি ও পূর্ব-ফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, পূর্ব-ভাদ্রপদ ও উত্তর-ভাদ্রপদ নক্ষত্র, বুধ বারে জয়া তিথি ও মৃগশিরা, শ্রবণা, পুষ্যা, জ্যেষ্ঠা, অশ্বিনী, ভরণী ও অভিজিৎ নক্ষত্র, বৃহস্পতি বারে রিক্তা তিথি ও পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, বিশাখা, অনুরাধা, পুনর্বসু, মঘা, নক্ষত্র এবং শনি বারে পূর্ণা তিথি ও রোহিণী, হস্তা ও ধনিষ্ঠা নক্ষত্র হলে ত্র্যমৃতযোগ হয়। রবি বারে অশ্বিনী, সোম বারে চিত্রা, মঙ্গল বারে উত্তরাষাঢ়া, বুধ বারে মূলা, বৃহস্পতি বারে শতভিষা, শুক্র বারে পুষ্যা এবং শনি বারে ভরণী নক্ষত্র হলে ক্রকচ-যোগ হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বর্ণ ও গণ
রাশি অনুসারে বর্ণ এবং নক্ষত্র অনুসারে গণ নির্ণয় করা হয়। কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির জাতক বিপ্র-বর্ণ, সিংহ, তুলা ও ধনু রাশির জাতক ক্ষত্রিয়-বর্ণ, মেষ, মিথুন ও কুম্ভ রাশির জাতক বৈশ্য-বর্ণ এবং বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির জাতক শূদ্র-বর্ণ লাভ করে। হসত্মা, স্বাতী, মৃগশিরা, অশ্বিনী, শ্রবণা, পুষ্যা, রেবতী, অনুরাধা ও পুনর্বসু নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে দেবগণ হয়। রোহিণী, আর্দ্রা, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, ভরণী, পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া ও পূর্ব-ভাদ্রপদ নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে নরগণ হয়। কৃত্তিকা, অশ্লেষা, মঘা, চিত্রা, বিশাখা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, ধনিষ্ঠা শতভিষা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে দেবারি বা রাক্ষসগণ হয়।
অষ্টোত্তরী ও বিংশোত্তরী জন্ম-দশা
জন্ম-নক্ষত্র অনুসারে জাতককে বিভিন্ন গ্রহের দশা ভোগ করতে হয়। জ্যোতিষ-শাস্ত্রে দুই প্রকার দশা প্রচলিত, যথা- অষ্টোত্তরী ও বিংশোত্তরী দশা। জাতক কৃষ্ণপক্ষে দিনে ও শুক্লপক্ষে রাতে জন্মগ্রহণ করলে বিংশোত্তরী দশা এবং কৃষ্ণপক্ষে রাতে ও শুক্লপক্ষে দিনে জন্মগ্রহণ করলে অষ্টোত্তরী দশা প্রযোজ্য হবে। অষ্টোত্তরী নিয়মে জাতক রবি (৬ বছর), চন্দ্র (১৫ বছর), মঙ্গল (৮ বছর), বুধ (১৭ বছর), শনি (১০ বছর), বৃহস্পতি (১৯ বছর), রাহু (১২ বছর) ও শুক্র (২১ বছর) এই আটটি গ্রহের দশা নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে উক্ত ক্রমে ভোগ করবে। যেমন- কেউ রবির দশায় জন্মগ্রহণ করলে তাকে রবির দশার ভোগ্যকাল শেষে ১৫ বছর চন্দ্রের দশা ভোগ করতে হবে এবং এরপর তাকে ৮ বছর মঙ্গলের দশা ভোগ করতে হবে, এভাবে মৃত্যর পূর্ব পর্যমত্ম তাকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন গ্রহের দশা ভোগ করে যেতে হবে।

অষ্টোত্তরী মতে জন্ম-নক্ষত্র কৃত্তিকা, রোহিণী ও মৃগশিরা হলে প্রথমে রবির দশা হবে, আর্দ্রা, পুনর্বসু, পুষ্যা ও অশেস্নষা হলে প্রথমে চন্দ্রের দশা হবে, মঘা, পূর্ব-ফাল্গুনী ও উত্তর-ফাল্গুনী হলে প্রথমে মঙ্গলের দশা হবে, হসত্মা, চিত্রা, স্বাতী ও বিশাখা হলে প্রথমে বুধের দশা হবে, অনুরাধা, জ্যেষ্ঠা ও মূলা হলে প্রথমে শনির দশা হবে, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবণা হলে প্রথমে বৃহস্পতির দশা হবে, ধনিষ্ঠা, শতভিষা ও পূর্ব-ভাদ্রপদ হলে প্রথমে রাহুর দশা হবে এবং উত্তর-ভাদ্রপদ, রেবতী, অশ্বিনী ও ভরণী হলে প্রথমে শুক্রের দশা হবে।

বিংশোত্তরী মতে, জাতক রবি (৬ বছর), চন্দ্র (১০ বছর), মঙ্গল (৭ বছর), রাহু (১৮ বছর), বৃহস্পতি (১৬ বছর), শনি (১৯ বছর), বুধ (১৭ বছর), কেতু (৭ বছর) ও শুক্র (২০ বছর) এই নয়টি গ্রহের দশা নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে উক্ত ক্রমে ভোগ করবে। কৃত্তিকা, উত্তর-ফাল্গুনী ও উত্তরাষাঢ়া জন্ম-নক্ষত্র হলে প্রথমে রবির দশা হবে, রোহিণী, হসত্মা ও শ্রবণা হলে প্রথমে চন্দ্রের দশা হবে, মৃগশিরা, চিত্রা ও ধনিষ্ঠা হলে প্রথমে মঙ্গলের দশা হবে, আর্দ্রা, স্বাতী ও শতভিষা হলে প্রথমে রাহুর দশা হবে, পুনর্বসু, বিশাখা ও পূর্ব-ভাদ্রপদ হলে প্রথমে বৃহস্পতির দশা হবে, পুষ্যা, অনুরাধা ও উত্তর-ভাদ্রপদ হলে প্রথমে শনির দশা হবে, অশেস্নষা, জ্যেষ্ঠা ও রেবতী হলে প্রথমে বুধের দশা হবে, মঘা, মূলা ও অশ্বিনী হলে প্রথমে কেতুর দশা হবে এবং পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া ও ভরণী হলে প্রথমে শুক্রের দশা হবে।

এখন অষ্টোত্তরী মতে প্রথম দশার ভোগ্যকাল নির্ণয় প্রসঙ্গে আসা যাক। ধরা যাক, কোন জাতক রোহিণী নক্ষত্রের ৩০ দণ্ডে (১২ ঘণ্টা) জন্মগ্রহণ করেছেন। যেহেতু কৃত্তিকা, রোহিণী ও মৃগশিরা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে জাতকের প্রথমে রবির দশা হয় সেহেতু ঐ জাতক রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করায় তাকে প্রথমে রবির দশা ভোগ করতে হবে। এখন ৩টি নক্ষত্রের জন্য রবির মোট ভোগ্য বছর ৬। তাহলে প্রতিটি নক্ষত্রকে রবি ৬/৩ = ২ বছর করে ভোগ করে। রোহিনী নক্ষত্রের স্থিতিকাল ৬০ দণ্ড (২৪ ঘণ্টা)। বর্তমান নক্ষত্র যে সময় পর্যমত্ম অবস্থান করে তা থেকে পূর্ববর্তী নক্ষত্র যে সময় পর্যন্ত অবস্থান করেছিল তা বিয়োগ করলেই নক্ষত্রে স্থিতিকাল পাওয়া যাবে। যেহেতু ৩০ দণ্ড পর জন্ম হয়েছে সেহেতু সে ৬০ - ৩০ = ৩০ দণ্ড ভোগ করবে। এখন সম্পূর্ণ নক্ষত্র ভোগের জন্য অর্থাৎ ৬০ দণ্ডের জন্য রবির ভোগ্যকাল ২ বছর হলে ৩০ দণ্ডের জন্য রবির ভোগ্যকাল হবে ১ বছর। জন্মের ১ বছর পর রবির ভোগ্যকাল শেষে চন্দ্রের দশা শুরু হবে যা ১০ বছর পর্যন্ত থাকবে।

বিংশোত্তরী মতে কোন জাতকের জন্ম রোহিনী নক্ষত্রে হলে তাকে প্রথমে চন্দ্রের দশা ভোগ করতে হবে। রোহিনী নক্ষত্রের ২৪ দ-- জন্ম হলে তার নক্ষত্র ভোগ্যকাল হবে ৬০ - ২৪ = ৩৬ দণ্ড। এখন ৬০ দণ্ডের জন্য চন্দ্রের ভোগ্যকাল ১০ বছর হলে ৩৬ দণ্ডের জন্য চন্দ্রের ভোগ্যকাল হবে ৬ বছর। জন্মের ৬ বছর পর চন্দ্রের ভোগ্যকাল শেষে মঙ্গলের দশা শুরু হবে যা ৭ বছর পর্যন্ত থাকবে এবং এভাবে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দশা ভোগ চলতে থাকবে।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে লগ্ন-বিচার ও দ্বাদশ ভাব ফল

জন্ম-লগ্নের ১ম, ৪র্থ, ৭ম ও ১০ম স্থানকে কেন্দ্র বলে। যেমন মেষ লগ্নের নক্ষত্রে ১ম স্থানে মেষ, ৪র্থ স্থান কর্কট, ৭ম স্থানে তুলা এবং ১০ম স্থানে মকর রয়েছে। সুতরাং ১ম স্থানে, কর্কটের স্থানে, তুলার স্থানে এবং মকরের স্থানে কোন গ্রহ থাকলে তা কেন্দ্রে আছে ধরা হয়। ৯ম ও ৫ম স্থানকে কোণ বলে এবং ৬ষ্ঠ, ৮ম ও ৯ম স্থানকে দুঃস্থান বলে। গ্রহগণ জন্ম-লগ্নের কেন্দ্র ও কোণে বলশালী হয় এবং শুভ ফল প্রদান করে কিন্তু দুঃস্থানে অশুভ ফল প্রদান করে। জন্ম-রাশি বা জন্ম-লগ্নকে ১ম স্থান ধরে অবশিষ্ট রাশিগুলোকে ২য়, ৩য়, ৪র্থ এই ক্রমে গণনা করে শেষ পর্যমত্ম যে ১২টি স্থান পাওয়া যায় ঐ ১২টি স্থান দ্বারা ১২ প্রকার ভাব ফল নির্ণয় করা হয়। ১ম অর্থাৎ জন্ম-লগ্ন ও জন্ম-রাশি থেকে দেহভাব, ৩য় স্থান থেকে ভ্রাতৃভাব, ৪র্থ স্থান থেকে বন্ধুভাব, ৫ম স্থান থেকে পুত্রভাব, ৬ষ্ঠ স্থান থেকে শত্রুভাব, ৭ম স্থান থেকে পতি বা পত্নীভাব, ৮ম স্থান থেকে আয়ু বা নিধনভাব, ৯ম স্থান থেকে ভাগ্য বা ধর্মভাব, ১০ম স্থান থেকে কর্মভাব, ১১শ স্থান থেকে আয়ভাব এবং ১২শ স্থান থেকে ব্যয়ভাব বিচার করা হয়। যেমন- মেষ রাশি বা মেষ লগ্নের ৭ম স্থানে তুলা রাশি অবস্থিত। ৭ম স্থান দ্বারা পতি বা পত্নীযোগ, বিবাহ ও দাম্পত্য-জীবন বিচার করা হয়। এখন মেষ রাশির ৭ম স্থানে অর্থাৎ তুলা রাশিতে যদি শুভ, উচ্চস্থ ও মিত্র গ্রহ অবস্থান করে এবং শুভ গ্রহের দৃষ্টি থাকে তবে ঐ জাতকের পতি বা পত্নী, বিবাহ ও দাম্পত্য-জীবন সুন্দর হবে। এর বিপরীত হলে বিপরীত ফল প্রসব করবে। এভাবে দ্বাদশ স্থানে গ্রহ-নক্ষত্রে অবস্থান অনুসারে দ্বাদশ প্রকার ভাব বিচার করা হয়। দ্বাদশ স্থানের অধিপতি গ্রহের অবস্থান অনুসারেও দ্বাদশ ভাব নির্ণয় করা হয়। যেমন- মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল তাই মঙ্গল হবে লগ্নপতি। মেষ রাশির ২য় স্থানে বৃষ রাশি রয়েছে। বৃষ রাশির অধিপতি শুক্র তাই শুক্র হবে তনুপতি। এই শুক্রের শুভ বা অশুভ দ্বারা তনু বা দেহভাবের শুভাশুভ বিচার করা হয়।

যাত্রা প্রকরণ

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি ও শুক্র বার পশ্চিমে, মঙ্গল ও বুধ বার উত্তরে, শনি ও সোম বার পূর্বে এবং বৃহস্পতি বার দক্ষিণে দিকশূল হয়। তাই উক্ত বারে উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ। শুক্লা-প্রতিপদ, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে যাত্রা করলে অশুভ হয়। অশ্বিনী, হস্তা, পুষ্যা, অনুরাধা, পুনর্বসু, রেবতী, জ্যেষ্ঠা ও মৃগশিরা নক্ষত্রে যাত্রা উত্তম। রোহিণী, পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া, পূর্ব-ভাদ্রপদ, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, ও শতভিষা নক্ষত্রে যাত্রা মধ্যম। উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, বিশখা, মঘা, আর্দ্রা, ভরণী, অশেস্নষা ও কৃত্তিকা নক্ষত্রে যাত্রা শুভ। শ্রবণা ও জ্যেষ্ঠাতে পূর্বদিকে, পুষ্যা ও রোহিণীতে পশ্চিম দিকে, হস্তা ও উত্তর-ফাল্গুনীতে উত্তর দিকে এবং পূর্ব-ভাদ্রপদ ও অশ্বিনীতে দক্ষিণ দিকে নক্ষত্রশূল হয়। উক্ত নক্ষত্র যে দিন থাকে সে দিন উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ। রবি পূর্বদিকের, চন্দ্র বায়ুকোণের, মঙ্গল দক্ষিণদিকের, বুধ উত্তরদিকের, বৃহস্পতি ঈশানকোণের, শুক্র অগ্নিকোণের, শনি পশ্চিমদিকের, রাহু নৈর্ঋতকোণের অধিপতি। বুধ ভিন্ন দিকপতির দিনে যাত্রা শুভ। প্রতিপদ ও নবমীতে পূর্বদিকে, তৃতীয়া ও একাদশীতে অগ্নিকোণে, পঞ্চমী ও ত্রয়োদশীতে দক্ষিণদিকে, চতুর্থী ও দ্বাদশীতে নৈর্ঋতকোণে, ষষ্ঠী ও চতুর্দশীতে পশ্চিমদিকে, সপ্তমী ও পূর্ণীমাতে বায়ুকোণে, দ্বিতীয়া ও দশমীতে উত্তরদিকে এবং অষ্টমী ও অমাবশ্যাতে ঈশানকোণে যোগিনী বাস করেন। যাত্রায় যোগিনীর শেষ নয় দণ্ড পরিত্যাজ্য। দক্ষিণ ও সম্মুখস্থ যোগিনীতে যাত্রা অশুভ এবং বাম ও পৃষ্ঠে অবস্থিত যোগিনীতে যাত্রা শুভ।
বিবাহের কাল বিচার
জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সপ্ত বারের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবাহে প্রশস্ত। রবি, মঙ্গল ও শনি বারে বিবাহ হলে কন্যা কুলটা হয়। অমাবস্যা ও রিক্তায় (৪র্থী, ৯মী ও ১৪শী) বিবাহ অশুভ। তবে শনি বার রিক্তা তিথিতে বিবাহ শুভ। রেবতী, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, মৃগশিরা, মূলা, অনুরাধা, মঘা, হস্তা ও স্বাতী এই সব নক্ষত্রসমূহে বিবাহ শুভ। ব্যতীপাত, পরিঘ, বৈধৃতি, অতিগ-, ব্যাঘাত, হর্ষণ, শূল, গ-, বিকুম্ভ এবং বজ্র যোগ ভিন্ন অন্নযোগে বিবাহ প্রশস্ত। শকুনি, চতুষ্পাদ, নাগ, কিন্তঘ্ন ও বিষ্টি করণে বিবাহ নিষিদ্ধ। বারটি মাসের মধ্যে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও অগ্রহায়ণ মাসে বিবাহ প্রশস্ত। তবে অরক্ষণীয়া কন্যার নক্ষত্রে পৌষ ও মাঘ মাসেও বিবাহ প্রশসত্ম। লগ্নের ক্ষেত্রে কন্যা, তুলা, মিথুন ও ধনু লগ্নের পূর্বাংশে বিবাহ শুভ। বিবাহের সময় লগ্ন, ৫ম, ৯ম ও ১০মে বৃহস্পতি থাকলে সুতহিবুক যোগ হয়। গর্গমুনির মতে জন্মদিনে কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ তবে জন্ম-মাসে বিবাহ প্রশস্ত। জন্মদিনের পর আট দিন পরিত্যাগ করে কন্যার বিবাহের বিধান আছে। কন্যার ক্ষেত্রে জন্মবার, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতেও বিবাহ প্রশস্ত। জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাসে জ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহ প্রশস্ত। জন্মদিন, জন্ম-বার, জন্ম-মাস, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতে পুরুষের বিবাহ নিষিদ্ধ। সুতহিবুক যোগে লগ্নের গ্রহসংস্থান জনিত সকল দোষ নাশ হয়। এখন গোধুলি লগ্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। যে সময় শুভ লগ্ন থাকে না আবার বিবাহ-কার্যও আবশ্যক হয়ে পড়ে তখন গোধুলি লগ্নে বিবাহ প্রশস্ত। গোধুলি লগ্নে বিবাহে বার, তিথি, নক্ষত্র, বিষ্টিভদ্রা প্রভৃতি দোষ থাকলেও বিবাহ অশুভ হয় না। বিবাহের প্রশস্ত মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে এবং শনি ও বৃহস্পতি বার গোধুলি লগ্নে বিবাহ নিষিদ্ধ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191017113201

Thursday, October 10th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

একাদশী তত্ত্ব

একাদশী তত্ত্ব

সুপ্রভাত
আজ দূর্গা একাদশী, খুব ভালো একটা দিন।এই একদশী কি?দূর্গা একাদশী তে উত্তরবঙ্গের অনেক জাযগায় মা ভন্ডামী দেবী ও বনদূর্গা এর পূজা হয়।

***একাদশী তত্ত্ব****

পদ্মপূরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
একসময় জৈমিনি ঋষি তাঁর গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে গুরুদেব! একাদশী কি?
একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়?
একাদশী ব্রত করলে কি লাভ?
একাদশী ব্রত না করলে কি ক্ষতি? এ সব
বিষয়ে আপনি দয়া করে বলুন।
মহর্ষি ব্যাসদেব তখন বলতে লাগলেন-
সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জড়
সংসারে স্হাবর জঙ্গম সৃষ্টি ...করলেন।
মর্ত্যলোকবাসী মানূষদের শাসনের জন্য
একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেনা। সেই
পাপপুরুষের অঙ্গণ্ডলি বিভিন্ন পাপ
দিয়ে নির্মিত হল। পাপপুরুষের
মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে,
চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ-
ণ্ডরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা-স্ত্রীহত্যা, দুই
বাছ-গোহত্যা পাপ, গ্রীবা-ধন অপহরণ,
গলদেশ-ভ্রুণহত্যা, বক্ষ-পরস্ত্রী-গমন, উদর-
আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি-;শরণাগত বধ,
কোমর-আত্মশ্লাঘা, দুই ঊরু-ণ্ডরুনিন্দা,
শিশ্ন-কন্যা বিক্রি, মলদ্বার-ণ্ডপ্তক
থা প্রকাশ পাপ, দুই পা-পিতৃহত্যা,
শরীরের রোম-সমস্ত উপপাতক।
এভাবে বিভিন্ন সমস্ত পাপ
দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত হল।
পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান
শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুক্ষ
মোচন করবার
কথা চিন্তা করতে লাগলেন। একদিন
গকড়ের পিঠে চড়ে ভগবান চললেন
যমরা জের, মন্দিরে। ভগবানকে যমরাজ
উপযুক্ত স্বর্ণ সিদুহাসনে বসিয়ে পাদ্য
অর্ঘ্য ইত্যাদি দিয়ে যথাবিধি তাঁর
পূজা করলেন।
যমরাজের সঙ্গে কথোপকথনকালে ভগবান
শুনতে পেলেন দক্ষিণ দিক
থেকে অসংখ্য জীবের আর্তক্রন্দন ধ্বনি।
প্রশ্ন করলেন-এ আর্তক্রন্দন কেন?
যমরাজ বললেন, হে প্রভু,
মর্ত্যের ,পাপী মানূষেরা নিজ
কর্মদোষে নরকযন্ত্রনা ভোগ করছে। সেই
যাতনার আর্ত চীৎকার শোনা যাচ্ছে।
যন্ত্রণাকাতর পাপাচারী জীবদের দর্শন
করে করুণাময় ভগবান চিন্তা করলেন--
আমিই সমস্ত প্রজা সৃষ্টি করেছি, আমার
সামনেই ওরা কর্ম দোষে দুষ্ট হয়ে নরক
যান্ত্রণা ভোগ করছে, এখন আমিই এদের
সদগতির ব্যবস্হা করব।
ভগবান শ্রীহরি সেই পাপাচারীদের
সামনে একাদশী তিথি রূপে এক
দেবীমুর্তিতে প্রকাশিত হলেন। সেই
পাপীদেরকে একাদশী ব্রত আচরণ
করালেন। একাদশী ব্রতের
ফলে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ
বৈকূণ্ঠ ধামে গমন করল।
শ্রীব্যাসদেব বললেন, হে জৈমিনি!
শ্রীহরির প্রকাশ এই একাদশী সমস্ত
সুকর্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং সমস্ত ব্রতের
মধ্যে উত্তম ব্রত।
কিছুদিন পরে ভগবানের সৃষ্ট পাপ পুরুষ
এসে শ্রীহরির কাছে করজোড়ে কাতর
প্রার্থণা জানাতে লাগল-হে ভগবান !
আমি আপনার প্রজা।
আমাকে যারা আশ্রয় করে থাকে,
তাদের কর্ম অনূযায়ী তাদের দুঃখ দান
করাই আমার কাজ ছিল। কিন্তু
সম্প্রতি একাদশীর প্রভাবে আমি কিছুই
করতে পারছি না, বরং ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি।
কেননা একাদশী ব্রতের ফলে প্রায় সব
পাপাচারীরা বৈকূণ্ঠের
বাসিন্দা হযে যাচ্ছে। হে ভগবান, এখন
আমার কি হবে? আমি কাকে আশ্রয়
করে থাকব? সবাই
যদি বৈকূণ্ঠে চলে যায়, তবে এই মর্ত্য
জগতের কি হবে? আপনি বা কার
সঙ্গে এই মর্ত্যে ক্রীড়া করবেন?
পাপপুরুষ প্রার্থনা করতে লাগল-
হে ভগবান, যদি আপনার এই সৃষ্ট
বিশ্বে ক্রীড়া করবার
ইচ্ছা থাকে তবে, আমার দুঃখ দূর করুন।
একাদশী ভয় থেকে আমাকে রক্ষা করুন।
হে কৈটভনাশন, আমি একমাত্র একাদশীর
ভয়ে ভীত হয়ে পলায়ন করছি। মানূষ,
পশুপাখী, কীট-পতঙ্গ, জলত-স্হল, বনপ্রান্তর,
পর্বত-সমূদ্র, বৃক্ষ, নদী, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল
সর্বত্রই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছি,
কিন্ত একাদশীর প্রভাবে কোথাও
নির্ভয় স্হান পাচ্ছি না দেখে আজ
আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।
হে ভগবান, এখন দেখছি, আপনার সৃষ্ট অনন্ত
কোটি ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে একাদশীই
প্রাধান্য লাভ করেছে, সেইজন্য
আমি কোথাও আশ্রয় পেভে পারছি না।
আপনি কৃপা করে আমাকে একটি নির্ভয়
স্হান প্রদান করুন।
পাপপুরুষের প্রার্থনা শুনে ভগবান
শ্রীহরি বলতে লাগলেন-হে -পাপপুরুষ!
তুমি দুঃখ করো না। যখন একাদশী এই
ত্রিভুবনকে পবিত্র করতে আবির্ভুত হবে,
তখন তুমি অন্ন ও রবিশস্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ
করবে তা হলে আমার
মুর্তি একাদশী তোমাকে বধ
করতে পারবে না।
একাদশী ব্রতের ফলঃ
১. সকল পুরাণে মুনিদিগের এই নিশ্চিত
মত যে, একাদশীতে উপবাস করলে সকল
পাপ হতে মুক্ত হবে এতে কোন সন্দেহ
নেই। (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)
২. শ্রীযমরাজ ব্রাহ্মনকে বলেছেন,
হে ব্রাহ্মণ! যাদের পুত্র ও পৌত্র
একাদশী ব্রত করে আমি শাসন কর্তা
যম হয়েও বিশেষরূপে তাদের নিকট ভীত
হই। যারা একাদশী ব্রত পরায়ন সেই
মহাত্মারা বল পূর্বক
স্বীয় শত পুরুষ উদ্ধার করেন। (পদ্মপুরাণ)
৩. একাদশীতে যে উপবাস, ইহাই সার,
ইহাই তত্ত¡, ইহাই সত্য, ইহাই ব্রত, ইহাই সম্যক
প্রায়শ্চিত্ত
স্বরূপ। (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)
৪. যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ
করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই
এবং গুরু
হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকে উন্নীত
হয় তবুও তার অধঃপতন হয়। একাদশীর দিন
বিষ্ণুর জন্য সব কিছু রন্ধন করা হয়
এমনকি অন্ন এবং ডাল ও কিন্তু শাস্ত্রের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৈষ্ণবদের
বিষ্ণুর প্রসাদ গ্রহণ করা উচিৎ নয়।সেই
প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য
রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর
দিন কোন রকম শস্যদানা এমনকি অন্ন
তা যদি বিষ্ণুর প্রসাদও হয় তবুও তা গ্রহণ
করতে কঠোর ভাবে নিষেধ
করা হয়েছে। বিধবা না হলে শাস্ত্র
অনুসারে একাদশী ব্রত পালন করার
প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন
করেছিলেন। (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত
আদিলীলা ১৫/৮-১০) অনেকের
ধারনা শ্রীপুরীধামে শ্রীজগন্নাথদেবে

প্রসাদ ভক্ষন দোষাবহ নহে। এই ধারনার
বশবর্তী হইয়া পুরীতে অনেকেই
নিঃসঙ্কোচে অন্ন গ্রহণ করেন,
ইহা সম্পূর্ণ শাস্ত্র বিরুদ্ধ বিচার।
বিধাবা নারী এবং মতিগণ (তেজস্বী)
যদি একাদশী ব্রত
না করে তাহলে প্রণয়কাল পর্যন্ত তাদের
অন্ধকারময় নরকে পঁচে মরতে হয়। (শারদীয়
পুরাণ)
হে রাজন! যতদিন আয়ু থাকবে ততদিন
একাদশী উপবাস থাকবে। (অগ্নিপুরাণ)
বিধবা রমণী একাদশীতে আহার করলে,
তার সর্বপ্রকার সুকৃতি নষ্ট হয়
এবং দিনদিন তার ভ্রণহত্যা
পাপের অপরাধ হয়। (কাত্যায়ন সংহিতা)

একাদশী পালনের নিয়মাবলী
-----------------------------------
একাদশীর মূল কাজ হল– নিরন্তর ভগবানকে স্মরণ করা । তাই আপনারা যে নিয়মে, যে সময়ে পালন করুন না কেন, ভগবানকে ভক্তিভরে স্মরণ করাই যেন আপনারই মূল কাজ হয় ।আমরা একাদশী পালনের সাত্ত্বিক নিয়মটি উল্লেখ করছি । এটি পালন করা সবার উচিত ।

□ ১। সমর্থ পক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার করিবেন ।

□ ২। তা হতে অসমর্থ পক্ষে শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার।

□ ৩। যদি উহাতেও অসমর্থ হন, একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করতঃ ফল মূলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধান রহিয়াছে।

□ সমর্থ পক্ষে রাত জাগরণের বিধি আছে , গোড়ীয় ধারায় বা মহান আচার্য্যবৃন্দের অনুমোদিত পঞ্জিকায় যে সমস্ত একাদশী নির্জলা ( জল ব্যতীত ) পালনের নির্দেশ প্রদান করেছেন । সেগুলি সেমতে করলে সর্বোওম হয় । নিরন্তর কৃষ্ণভাবনায় থেকে নিরাহার থাকতে অপারগ হলে নির্জলাসহ অন্যান্য একাদশীতে কিছু — সবজি , ফলমূলাদি গ্রহণ করতে পারেন । যেমন — গোল আলু , মিষ্টি আলু , চাল কুমড়ো , পেঁপে , টমেটো, , ফুলকপি ইত্যাদি সবজি ঘি অথবা বাদাম তৈল দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার করতে পারেন । হলুদ, মরিচ, ও লবণ ব্যবহার্য । আবার অন্যান্য আহায্য যেমন — দুধ ,কলা , আপেল , আঙ্গুর, আনারস, আখঁ, আমড়া শস্য, তরমুজ, বেল, নারিকেল, মিষ্টি আলু , বাদাম ও লেবুর শরবত ইত্যাদি ফলমূলাদি খেতে পারেন ।

□ একাদশীতে পাচঁ প্রকার রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছেঃ—-

□ ১। ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – চাউল,মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েশ, খিচুড়ি, চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি

□ ২। গম জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – আটা,ময়দা, সুজি , বেকারীর রূটি , বা সকল প্রকার বিস্কুট ,হরলিকস্ জাতীয় ইত্যাদি ।

□ ৩। যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — ছাতু , খই , রূটি ইত্যাদি ।

□ ৪। ডাল জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — মুগ মাসকলাই , খেসারী , মসুরী, ছোলা অড়রহ , ফেলন, মটরশুটি, বরবঢী ও সিম ইত্যাদি ।

□ ৫। সরিষার তৈল , সয়াবিন তৈল, তিল তৈল ইত্যাদি । উপরোক্ত পঞ্চ রবিশস্য যেকোন একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হয় ।

□ উল্লেখ্য যারা সাত্ত্বিক আহারী নন এবং চা , বিড়ি / সিগারেট পান কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয় গ্রহণ করেন, একাদশী ব্রত পালনের সময়কাল পর্যন্ত এগুলি গ্রহণ না করাই ভালো ।

□ একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদ্ গতি হবে তা নয় । একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা / মাতা নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন , তবে সেই পুত্র ই (একাদশী ব্রত ) পিতা – মাতাকে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারে । একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নরকবাসী হবে , অন্যকে ভোজন করালেও নরকবাসী হবে । কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য ।

□ একাদশী পারণঃ (একাদশী তিথির পরদিন উপবাস ব্রত ভাঙ্গার পর নিয়ম ) পঞ্জিকাতে একাদশী পারণের ( উপবাসের পরদিন সকালে ) যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে , সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে নিবেদন করে, প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত দরকার । নতুবা একাদশীর কোন ফল লাভ হবে না । একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয় , নিরন্তর শ্রীভগবানের নাম স্মরণ , মনন , ও শ্রবণ কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয় । এদিন যতটুকু সম্ভব উচিত । একাদশী পালনের পরনিন্দা , পরিচর্চা, মিথ্যা ভাষণ, ক্রোধ দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ ।

□ বিঃ দ্রঃ নিমোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়ঃ — একাদশী ব্রতের আগের দিন রাত ১২ টার আগেই অন্ন ভোজন সম্পন্ন করে নিলে সর্বোওম । ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাঁশ

□ করে দাঁত ও মুখ গহব্বরে লেগে থাকা সব অন্ন পরিষ্কার করে নেওয়া সর্বোওম । সকালে উঠে শুধু মুখ কুলি ও স্নান করতে হয়।

□ একাদশীতে সবজি কাটার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কোথাও কেটে না যায় । একাদশীতে রক্তক্ষরণ বর্জনীয় । দাঁত ব্রাশঁ করার সময় অনেকের রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে । তাই একাদশীর আগের দিন রাতেই দাঁত ভালো ভাবে ব্রাশঁ করে নেওয়াই সর্বোওম ।

□ একাদশীতে চলমান একাদশীর মাহাত্ন্য ভগবদ্ভক্তের শ্রীমুখ হতে শ্রবণ অথবা সম্ভব না হলে নিজেই ভক্তি সহকারে পাঠ করতে হয় ।

□ যারা একাদশীতে একাদশীর প্রসাদ রান্না করেন , তাদের পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিৎ ।কারণ পাঁচ ফোড়ঁনে সরিষার তৈল ও তিল থাকতে পারে যা বর্জনীয় ।

□ একাদশীতে শরীরে প্রসাধনী ব্যবহার নিষিদ্ধ । তৈল ( শরীরে ও মাথায় ) সুগন্ধি সাবান শেম্পু ইত্যাদি বর্জনীয় ।

□ সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম — শেভ করা এবং চুল ও নক কাটা নিষিদ্ধ ।
একাদশীর দিন খাওয়া যাবে:-

আস্ত হলুদ/বাসায় ভাঙ্গান গুঁড়া হলুদ, মরিচ,লবন, ঘী, মাখন, জলপাই তেল, আলু, মিষ্টি আলু, কুমড়া,কাচা কলা, চালকুমড়া, বাদাম তেল/সুর্যমুখি তেল, চিনি, দুধ, মধু, আদা, দারুচিনি, টমেটো, গাজর, ঢ্যাঁড়শ,বাদাম, লেটুস পাতা, বাধাকপি, ফুলকপি, কারি পাতা, ঘরে বানানো ছানা, পনির, দই, ফ্রেস ক্রিম,সব রকমের ফল.।

একাদশী সম্পর্কে শাস্ত্রীয় কিছু বার্তা

(1). শাস্ত্রে যে চৌষট্টি প্রকার ব্রতের কথা বলা আছে তার মধ্যে একাদশী ব্রত সর্বোত্তম। শ্রবণ, স্মরণ, কীর্তন ইত্যাদি নবধা ভক্তির পরই একাদশীর অবস্থান।।
(2). শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর লীলা বিলাসের প্রথম থেকেই একাদশী ব্রত পালনের উপর জোর দিয়েছিলেন।।
(3). মোট ছাব্বিশটি একাদশী আছে। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলে বছরে চব্বিশটি। কিন্তু যে বছর পুরুষোত্তম, অধিমাস বা মলো মাস, সেই মাসে পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়।।
(4). আট বছর থেকে আশি বছর বয়সের যে কেউই এই একাদশী পালন করতে পারে।।
(5). জন্ম মৃত্যুর অশৌচে কখনোই এই একাদশী পরিত্যাগ করতে নেই।
(6). শুধু এই একাদশী পালন করেও মানুষ শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।।
(7). একাদশীর ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয় অস্বমেধ, রাজশূয় ও বাজপেয় যজ্ঞের দ্বারাও সেই ফল লাভ হয় না।
(8). ভুলক্রমে একাদশী ভঙ্গ হয়ে গেলে ক্ষমা ভিক্ষা করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
(9). একাদশীর দিনগুলো হলো চরিত্র সংশোধনের দিন। পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যাচার, ক্রোধ, দুশ্চিন্তা এবং সকল প্রকার কলহ বিবাদ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।।
(10). এইদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মঙ্গল আরতি করতে হয়। মা এবং বোনেরা এই সময় রজচক্রের মধ্যে থাকলেও একাদশী পালন করতে পারবেন।।
(11). একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ।।
(12). অহংকার বশত একাদশী ব্রত ভঙ্গ করলে তাকে নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়।
(13). শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীর দিন নূন্যতম পঁচিশ মালা জপ করতে বলেছেন।।
(14). অনাহারে থেকে হরিনাম করে, হরিকথা বলে ও রাত্রি জাগরণ করে মালা জপ করতে হয়।।
(15). একাদশীতে শ্রাদ্ধ আসলে তা এইদিন না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা উচিৎ।।
(16). এই উপাচার শুধু বৈষ্ণবের জন্য নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলেরই এই ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
(17). পরিশেষে, বলব, একাদশীর উপবাস মানে কি। লুনার সাইকেলের এগারতম দিনে হয় এই উপবাস। উপ মানে হলো নিকটে আর বাস মানে হলো অবস্থান করা। অর্থাৎ, শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের এগারতম দিনে পরমেশ্বর ভগবানের সাথে অবস্থান।। সুতরাং, এই দিন শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, ভগবানের নাম জপ করতে হবে ও সকল পাপাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।।

(একাদশীতে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ কেন ?)

নারদীয় পুরাণ এবং অগ্নি পুরাণে সিদ্ধান্ত ঘােষণা করা হয়েছে যে - ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শূদ্র , নারী , গৃহস্থ , ব্রহ্মচারী , অগ্নিহােত্রী , সন্ন্যাসী সকলেরই উভয় পক্ষীয় ( শুক্ল + কৃষ্ণ ) একাদশী পালন করা কর্তব্য । যারা মনে করেন কেবল বৈষ্ণবরাই একাদশী পালন করবে তাদের ভাবনা ঠিক নাই । একাদশী সকলেরই পালনীয় । শুক্ল এবং কৃষ্ণ উভয় পক্ষীয় একাদশীতে ভােজন নিষিদ্ধ। তাই একাদশীতে সকল বর্ণের মানুষের জন্য শ্রাদ্ধ কার্য নিষিদ্ধ । একাদশীতে অন্ন ভােজন নিষিদ্ধ । আর অন্ন প্রদান ছাড়া শ্রাদ্ধ কার্য সম্পাদন হয় না । আবার একাদশীতে ব্রহ্মহত্যাদি পাপ অন্নকে আশ্রয় করে থাকে ।

নারদীয় পুরানে আছে,
“যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাদি কানি চ,
অন্নমাশ্ৰিত্য তিষ্ঠন্তি সম্প্রপ্তে হরিবাসরে” ॥ না , পু . ২১ / ৮ ॥ “অর্থাৎ একাদশীতে শ্রাদ্ধ কার্য সম্পাদন করলে বা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড প্রদান করলে সেই পিণ্ড ব্রহ্ম হত্যাদি পাপাশ্রয় করায় পিতৃপুরুষেরা পিণ্ড গ্রহন করেন না ।

পদ্ম পুরাণে সে কথাই বলা হয়েছে -
“গহিতান্নং ন চাশ্নন্তি পিতরশ্চ দিবৌকসঃ” ॥
অর্থাৎ পিতৃপুরুষেরা উপবাস দিনে ‘ গহিতান্ন পাপ মিশ্রিত অন্ন গ্রহণ করেন না ।

তাই পদ্মপুরাণ এবং হরিভক্তিবিলাস একই ঘােষণা দিয়েছেন,
“একাদশ্যাং যদা রাম শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ,
তদ্দিনে তু পরিত্যজ্য দ্বাদশ্যাং শ্রাদ্ধমাচরয়েৎ” ॥

“অর্থাৎ একাদশীতে শ্রাদ্ধ উপস্থিত হলে সেই দিন পরিত্যাগ পূর্বক ‘ তদ্দিনে তু পরিত্যজ্য ’ দ্বাদশী দিনে শ্রাদ্ধ করবে।”
তাই মাতা - পিতার মৃত্যুতে একাদশী তিথিতে কখনও শ্রাদ্ধ করবে না । দ্বাদশীতে শ্ৰাদ্ধ করবে । কারণ দেবতা এবং পিতৃপুরুষেরা একাদশী উপবাস দিনে পাপ আশ্রিত অনু গহিতান্ন গ্রহণ করেন না ।

স্কন্ধ পুরাণ একধাপ এগিয়ে বলেছেন,

“একাদশী সদা নিত্যা শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ,
উপবাসং তদা কুৰ্য্যাদ্দাশ্যাং শ্রদ্ধমাচরেৎ” ॥

অর্থাৎ একাদশী নিত্য ব্রত । আর শ্রাদ্ধ নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান মাত্র । অতএব সিদ্ধান্ত এই যে একাদশীতে উপবাস থেকে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা কর্তব্য ।

প্রশ্ন হতে পারে যারা একাদশী পালন করে না , একাদশী উপবাস করে না , তাদের কি নিয়ম পালনীয় - এর উত্তর হচ্ছে সকলকে অবশ্যই একাদশী পালন করতেই হবে । যার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হবে তিনি যদি জীবদ্দশায় একাদশী পালন না করে থাকেন তবু তার শ্রাদ্ধকাৰ্য একাদশীতে করা যাবে না । এবং যারা পিণ্ডদানকারী তারাও যদি একাদশী পালন না করে থাকেন তা হলেও একাদশীতে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ । উপবাস দিনে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ । উপবাস বা একাদশী দিনে কখনও শ্রাদ্ধকার্য সম্পাদন করবে না ।

হরিভক্তি বিলাস ( ১২ / ২৯ ) ঘােষণা করেছেন,

“ যে কুর্বন্তি মহীপাল শ্রদ্ধং কোদশী দিনে ।
এয়স্তে নরকং যান্তি দাতা ভােক্তা পরেতকঃ”॥

“অর্থাৎ একাদশী দিনে শ্রাদ্ধ করলে
১ ) দাতা - পিণ্ড দাতা পুত্ৰাদিগণ ,
২ ) ভােক্তা শ্ৰাদ্ধ ক্রিয়া সম্পাদনকারী পুরােহিত ব্রাহ্মণ এবং
৩ ) পরলােকগত ব্যাক্তি উদ্দেশ্যে পিণ্ড প্রদান করা হচ্ছে - এই তিন শ্রেণীর ব্যক্তিকেই নরকে যেতে হবে ।

তাই একাদশী দিন শুভ বিবাহ, শ্রাদ্বাদি কর্ম থেকে বিরত হয়ে চব্বিশ ঘন্টা শ্রীহরির আরাধনা করুন। বেশী বেশী হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন।
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।

\\ হরেকৃষ্ণ \\

একাদশী মানে শুধু ভাত না খাওয়া
না,একাদশী মানে একাদশ ইন্দ্রিয়কে দমন
করা।৫ ঞ্জানেন্দ্রিয়, ৫ কর্মেন্দ্রিয়, যেমন,
চোখ,কান,হাত,মুখ ইত্যাদি।উপবাসের দিন মুখ
দিয়ে কৃষ্ণ কথা বলতে হবে, চোখ দিয়ে
ভগবানকে দর্শন করতে হবে।শুধু ভাত না খাওয়া
নয় সব কিছু থেকে বিরত বা সংযত থাকতে
হবে। একাদশী ব্রত পালন করলে ব্রষ্মহত্যা,গোহত্যা, ভ্রনহত্যা,পরনিন্দা
, পরস্ত্রীগমন,মিথ্যাভাষণ ইত্যাদি গুরুতর
পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এছাড়াও
বিভিন্ন তীর্থের ফলও পাওয়া যাবে।সুতারাং
আসুন আমরা সকলে এই ব্রত পালন করি।

***মা ভন্ডামী(বনদূর্গা)***
উত্তরবঙ্গে রাজবংশী সম্প্রদায়ের আরাধ্যদেবী মা ভান্ডানি হলেন বনদুর্গা। মা ভান্ডানির পুজা করা হয় দুর্গাপুজার পরে একাদশীর দিন। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির বার্নিশ, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, রানিরহাট, খয়েরকাটা, নাগরাকাটা-সহ অন্যান্য জায়গাতেও মা ভান্ডানির পুজো করা হয়। একাদশীতে যখন পুজো শেষ হওয়া গোটা বাংলায় বিষণ্ণতার সুর, তখন অন্য এক দুর্গা পুজো শুরুর আনন্দ জলপাইগুড়ি জেলার একাংশে।

মা ভান্ডানির পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন গল্প আছে। যেমন বলা হয়, মা দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পরে তিনি মর্ত্যে কেমন পুজো পেলেন, তা জানতে চান শিব।উত্তর মা দুর্গা বলেন, ‘মানুষ ভক্তি ভরে আমার পুজো করেছে।’ কিন্তু কৈলাসে ফিরেও মা দুর্গার মন ব্যথিত হয়ে ছিল। তাই মা দুর্গা আবার মর্ত্যে ফিরে আসেন। মা হিমালয়ের পাদদেশে একদল বালককে বাঘের ভয় দেখান। বালকেরা ভয় পেয়ে মা দুর্গার পুজোর আয়োজন করে। মা দুর্গা ফিরে যান কৈলাসে। লোককথা অনুযায়ী মা ‘ভন্ডামি’ করে পুজো নেন বলে এই পুজোকে ভান্ডানি পুজো বলা হয়। মা ভান্ডানি বাঘের পিঠে বসে আছেন। সঙ্গে আছেন কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, ও সরস্বতী। মা ভান্ডানি বাঘের পিঠে চড়ে অসুর বধ করছেন। মা ভান্ডানির প্রতিমা বিসর্জন করা হয় না।

পুজোর প্রস্তুতিতে আনা হয়েছে পায়রা।

মা ভান্ডানি ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী। একাদশীতে দিনভর মা ভান্ডানির পুজা করা হয়। ভোরবেলা থেকে পুণ্যার্থীরা বাতাসা, দুধ, কলা দিয়ে পুজো দেন। মোমবাতি ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। দেবীর নামে পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে। মা ভান্ডানির পুজোতে প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। পুজো উপলক্ষে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়ায় মা দুর্গার বিসর্জনের পরে মন খারাপ কাটাতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান মা ভান্ডানিকে দর্শন করতে। ভান্ডানী পুজাকে নিয়ে সমাজতত্ববিদেরা বলে থাকেন যে, উত্তরবঙ্গের এই সমস্ত অঞ্চল ৬০ বছর আগেও জঙ্গলে ভরা ছিল। অরণ্যে বন্যজন্তু বিশেষ করে বাঘের ভয় ছিল। যে কারণে বন্যজন্তুর হাত থেকে রেহাই পেতেই জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলের মানুষজন লোকদেবী হিসেবে ভান্ডানী দেবীর পুজো আরম্ভ করেছিলেন।

পুজোর উপকরণ।

এখানে দেবী অরণ্যচারী লোকদেবীরুপেই বছরের পর বছর ভান্ডানী হিসেবে পুজিত হয়ে আসছেন। আবার আর একটি প্রচলতি মত হল, এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের শস্য ভান্ডার সবুজ ফসলে পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যেই ভান্ডানী দেবীর পুজার প্রচলন শুরু করেছিলেন। যে রীতি আজও চলে আসছে।
পরে ভালো লাগলে সবাই শেয়ার করুন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191010075110

Thursday, October 10th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

দশমীতে বিজয়া

দশমীতে বিজয়া

সুপ্রভাত
সকল বন্ধু ও আমার ভক্তবৃন্দদের জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

****বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা*****


আজ শুভ বিজয়া দশমী। বাঙালি হিন্দুদের বৃহত্তম শারদীয় ধর্মীয় উৎসবের সমাপনী দিবস। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার আবাহন হয়েছিল। আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটবে। দেবী দুর্গা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক। এ বিজয় অর্জিত হয় আদ্যাশক্তি মহামায়ার সক্রিয় ভূমিকায়। মাতৃরূপিণী মহাশক্তি দুর্গা অশুভ শক্তির কবল থেকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ও ভক্তকুলকে রক্ষা করেন।

এই অমিত চেতনার সঙ্গে আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতি যুক্ত হয়ে দেবী দুর্গাকে বাঙালি হিন্দু সমাজ 'ঘরের মেয়ে' হিসেবেই বরণ করে নেয়। বাঙালি হিন্দুদের কাছে দুর্গাপূজা বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবে নারী-পুরুষ-শিশু সবাই শামিল হয়। ভক্তরা নতুন পোশাক পরিধান করে দেবী দুর্গাকে আচারপূর্বক ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সর্বস্তরে সুখ-শান্তি-মঙ্গল কামনা করেন।

শাস্ত্র মতে, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিমার পূজা করা হলেও বিজয়া দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমাকে নিরাকার করা হয়। দেবী তখন আবার ভক্তদের হূদয়ে আসন নেন। এদিন সকলের অন্তরে মা স্থান করে নেন এবং বিশ্ব চরাচর আসুরিক শক্তিমুক্ত হয় বলে সবাই আনন্দে কোলাকুলি করে।

হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরের এই কোলাকুলি এবং আনন্দ হচ্ছে বিজয়ার আনন্দ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গা তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ কৈলাশে স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে মহালয়া অমাবস্যায় তিনি মর্ত্যে পিতৃগৃহে আগমন করেন।

প্রতিটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পেছনে রয়েছে পৌরাণিক বিশ্বাস ও সত্য। পৌরাণিক একটি উপাখ্যান অনুসারে দেবী দুর্গা হিমালয় রাজের কন্যা এবং তার মায়ের নাম মেনকা। দেবীদুর্গা ষষ্ঠীর দিন সন্তান-সন্ততি ও স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নাইওরে আসেন। দশমীর দিন আবার স্বামী মহেশ্বরের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হন। মেয়ের মন কাঁদে। মা-বাবার চোখ থেকে অশ্র" ঝরে পড়ে। এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। এক বছর পর মেয়ে আবার বাবার বাড়ি আসতে পারবে। হিন্দু পুরাণ মতে, মা দুর্গা কাউকে বঞ্চিত করেন না। দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নয়, আবহমান বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতিরই অংশ। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বাইরেও দুর্গোৎসবের সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য রয়েছে- যা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে। আপন করে নেয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে।

দুর্গাপূজার শুরু হয় মহালয়ায়। এদিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এর ঠিক পাঁচদিন পর মহাষষ্ঠীতে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ, সপ্তমীবিহিত পূজা। কদলীবৃক্ষসহ আটটি উদ্ভিদ এবং জোড়াবেল একসঙ্গে বেঁধে শাড়ি পরিয়ে একটি বধূ আকৃতিবিশিষ্ট করে দেবীর পাশে স্থাপন করা হয়। এই হল 'নবপত্রিকা', প্রচলিত ভাষায় যাকে 'কলাবউ' বলে। মহাষ্টমীতে মহাষ্টম্যাদিকল্পারম্ভ, কেবল মহাষ্টমীকল্পারম্ভ, মহাষ্টমীবিহিত পূজা, বীরাষ্টমীব্রত, মহাষ্টমী ব্রতোপবাস, কুমারী পূজা, অর্ধরাত্রবিহিত পূজা, মহাপূজা ও মহোৎসবযাত্রা, সন্ধিপূজা ও বলিদান। মহানবমীতে কেবল মহানবমীকল্পারম্ভ, মহানবমী বিহিত পূজা। বিজয়া দশমীতে বিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, বিসর্জন, বিজয়া দশমী কৃত্য ও কুলাচারানুসারে বিসর্জনান্তে অপরাজিতা পূজা। এই দশমী তিথি বিজয়া দশমী নামে খ্যাত।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছে। রাজধানী ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামের মণ্ডপগুলোও ছিল উৎসবমুখরিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেয়। এ দেশে শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায় পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। এক ধর্মাবলম্বী অন্য সম্প্রদায়ের বিপদে-আপদেও পাশে দাঁড়ায়। এটা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির পরিচায়ক। মাঝেমধ্যে অশুভ শক্তি এ পরিচয় মুছে ফেলতে তৎপর হলেও সাধারণ মানুষ কখনোই একে প্রশ্রয় দেয়নি।

সম্মিলিত প্রতিরোধ ও শুভ শক্তির উত্থানের মধ্য দিয়েই অশুভকে পরাস্ত করতে হবে। সর্বজনীন দুর্গোৎসব সেই শিক্ষাই দেয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এ বছর দুর্গোৎসবে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সরকার মণ্ডপগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশেই দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। প্রায় সর্বত্রই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সক্রিয় অংশগ্রহণই এর প্রমাণ। ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভক্তকুল সমবেত হয়েছে পূজামণ্ডপগুলোতে।

তবে সম্প্রীতির বিষয়টি কেবল বিশেষ উপলক্ষ বা পর্বে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সর্বসময়ে সংখ্যালঘুসহ সব ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি। দুর্গোৎসবের সঙ্গে বাংলার প্রকৃতিরও রয়েছে নিগূঢ় সম্পর্ক। শরতের শুভ্র কাশফুলের মতো মানব হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা- এটাই হোক বিজয়া দশমীর প্রত্যাশা।শুভ বিজয়া উপলক্ষে আমি সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191010073940

Saturday, October 5th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

মৃত্যু

মৃত্যু

শুভ সন্ধ্যা
আপনাদের ভালো লাগবে পোস্ট টি মন দিয়ে পরবেন, আর যে ক দিন বাঁচবেন সে কয়দিন শুভ কর্ম ও সৎচিন্তা মধ্যে থাকুন।এই লেখা মহালয়া থেকে আজ পর্যন্ত লিখে পোস্ট করলাম।ভালো লাগলে মন্তব্য করুন।ও প্রচুর শেয়ার করুন।

****** আজকের প্রতিবেদন মৃত্যু****

অনবরত পরিবর্তনশীল নশ্বর সংসারে সকলই অনিশ্চিত, কেবল মৃত্যুই নিশ্চিত। ছায়া যেমন বস্তুর অনুগামী, মৃত্যুও তেমনি দেহীর সঙ্গী।
গীতায় ভগবানের উক্তি-
" জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ ।
তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি " ২য় অধ্যায়: শ্লোক- ২৭
জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যুর হাত হতে পরিত্রাণ লাভের উপায় নাই। মৃত্যু কাহাকেও উপেক্ষা করে না। অগণ্য গণ্য পরিবেষ্টিত লোক সংহারকারী বিবিধ অস্ত্র-শস্ত্র সমন্বিত সম্রাট হতে বৃক্ষতলবাশী ছিন্নকন্তা-সম্বল ভিখারী পর্যন্ত সকলকেই একদিন মৃত্যুমুখে পতিত হতে হবে।

কর্ম্মক্ষেত্রে সংসারের কোন কার্য্যের বা কোন বিষয়ের স্থিরতা ও নিশ্চয়তা নাই; কিন্তু মৃত্যু নিশ্চয়ই হবে। মৃত্যুর মত অবশ্যম্ভাবী নিশ্চয়তা আর কিছুতেই নাই। প্রাতঃ কালে সূর্য্যদয় হলে সূর্য্যাস্ত যেমন অবশ্যম্ভাবী; দিবা অবসানে রাত্রি যেমন নিত্য সংঘটিত হতেছে, তেমনি জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু হবেই। শারীরিক বলবীর্য, ধন-জন, সম্পদ, মান, গৌরব, প্রতাপ ও প্রভূত্ব প্রভৃতি সর্ব গর্ব মৃত্যুর নিকট খর্ব্ব হবে। শাস্ত্রে পাওয়া যায় যে, সত্যযুগ হতে কলিযুগ পর্যন্ত ৭ জন মৃত্যুকে উপেক্ষা করে অমর হয়েছেন। যথা- “অশ্বত্থামা, বলির্ব্যাস, হনুমানঞ্চ, বিভীষণ, কৃপে পরশুরাম সপ্তাতে চিরজীবিন;”। অর্থাৎ অশ্বত্থামা, পাতালব্ধ বলিরাজ, ব্যাসদেব, হনুমান, বিভীষণ, কৃপাচার্য্য- এই ৭ জন চিরজীবি বলে শাস্ত্রে উক্ত আছে এবং জন্মতিথি পূজার সময় এই ৭ নামের উল্লেখ করা হয়।

এই ৭ জন ব্যাতীত এই মর জগতে অমর কেহই নাই। অবশ্য যোগ সাধন ও অন্যান্য ক্রিয়ানুষ্ঠান দ্বারা দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় সত্য; কিন্তু জন্মগ্রহণ করলে আজ হোক কিংবা দশ বৎসর পরেই হোক সকলেরই সেই শমন ভবনে যেতে হবে। মৃত্যু অনিবার্য্য এবং সকলেই যেমন মৃত্যুর অধীন, তেমনি মত্যুর অবধারিত কাল নেই। মায়া মমতাহীন নির্দ্দয় মৃত্যুর সময় অসময় নাই, কালাকাল বিচার নাই। মৃত্যু কাহারও সুবিধা-অসুবিধা দেখে না, কারো উপরোধ অনুরোধ শুনে না, কারো ভালো-মন্দ চিন্তা করে না, কারো দুঃখ-কষ্ট বুঝে না। মৃত্যু কারো নিকট পূজা অর্চ্চনা চাহে না- কারো তোষামোদ কি কোন প্রকার প্রলোভনে ভুলে না, কারো রূপ-গুণ, ধন মান গৌরবের প্রতি দৃকপাত করে না।

মৃত্যু বয়সের অপেক্ষা করে না, সাংসারিক কার্য়্য সম্পন্নের অসম্পূর্ণতা ভাবে না, কখন কোন অজ্ঞাত প্রদেশ হতে অলক্ষিতে এসে আপন করে লয়। ঐ দেখ বিধবা যুবতী ৪/৫ টি শিশু লয়ে দুর্দ্দশায় দিশেহারা নিরাশা নীরে নিমগ্ন এবং লন্ড ভন্ড হয়ে চক্ষুর জলে বক্ষ ভাসাচ্ছে .....তখন আমরা ঐ মৃত ব্যক্তির গুনের বিচার করি,কখনও কখনও আমরা এতটাই দূঃখী হয় যে জীবনের ভূল গুলো দেখতে, কিন্তু তাকে আর খুঁজে পায় না।

মৃত্যুর পরে যেভাবে পরিবর্তিত হয় আত্মা ---- শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা অনুসারে

কর্মের আক্ষরিক অর্থ হল কার্য, ক্রিয়া অথবা করণ এবং বলা যেতে পারে এটি হল "কারণ এবং করণের (কার্যের) নৈতিক ধর্ম"। উপনিষদ্ মতে একজন মানুষ (অর্থাত্‍ জীবত্মা) সংস্কার (লব্ধ জ্ঞান) অর্জন করে তার শারিরীক ও মানসিক কর্মের মধ্যে দিয়ে। মানুষের মৃত্যুর পর সমস্ত সংস্কারগুলি যথাযথ ভাবে তার লিঙ্গ-শরীরে (যে শরীর রক্ত-মাংসের শরীর থেকে সুক্ষ অথচ আত্মার থেকে স্থূল) বিদ্যমান থাকে এবং পরজন্মে তার সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ তৈরী করে। সুতরাং, একটি সর্বজনীন, নিরপেক্ষ, এবং অব্যর্থ কর্মের ধারণা মানুষের পুনর্জন্মলাভের সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য, এবং পরিবার সম্পর্কিত ধারণার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ও ভাগ্য প্রভৃতি ধারণাগুলিকে কর্ম একত্রে সংযুক্ত করেছে।
কার্য, কারণ, জন্ম, মৃত্যু এবং পুনর্জন্মের বৃত্তাকার পরম্পরাই হল সংসার। দেহধারণ এবং কর্মফল ধারণা সম্পর্কে হিন্দুধর্মে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ চিন্তার প্রকাশ দেখা যায়। শ্রীমদ্ভগ্বতগীতায় বলা হয়েছে --
-
বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী। -- (শ্রীমদ্ভগ্বতগীতা, দ্বিতীয় অধ্যায়, ২২)
-
[ব্যখ্যা: মানুষ যেমন জীর্ণ-শীর্ণ পুরোনো বস্ত্রগুলি ত্যাগ করে অন্য নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেইরূপ জীবাত্মা পুরোনো শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর গ্রহণ করে। (শ্রীমদ্ভগ্বতগীতা, দ্বিতীয় অধ্যায়, ২২)]
-
যেখানে সংসার ক্ষণিকের আনন্দ দেয়, যা মানুষকে আরেকটি বিনাশশীল শরীর পরিগ্রহ করতে উত্সাহী করে। সেখানে মোক্ষ এই সংসারের গণ্ডী থেকে মুক্ত হয়ে চির আনন্দ ও শান্তির বিশ্বাস প্রদান করে। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস যে অনেকগুলি জন্মান্তরের পর অবশেষে জীবাত্মা মহাজাগতিক আত্মায় (ব্রহ্ম/পরমাত্মা) মিলিত হতে ব্যাকুল হয়।
জীবনের চরম লক্ষ্যকে (চরম লক্ষ্য বলতে এখানে মোক্ষ অথবা নির্বাণ অথবা সমাধি) বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে: যেমন ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্মতার বোধ; যেমন ঈশ্বরের সঙ্গে অবিছ্যেদ্য সম্পর্কের বোধ; যেমন সমস্ত বস্তুর সম্পর্কে অদ্বৈত বোধ; যেমন আত্ম বিষয়ক বিশুদ্ধ নিস্বার্থতা ও জ্ঞান; যেমন নিখুঁত মানসিক শান্তিলাভ; এবং যেমন পার্থিব বাসনার থেকে অনাসক্তি বোধ। এই ধরনের উপলব্ধি মানুষকে সংসার এবং পুনর্জন্মের বন্ধন থেকে মুক্ত করে। আত্মার অবিনশ্বরতায় বিশ্বাস থাকার ফলে, মৃত্যুকে পরমাত্মার তুলনায় নেহাত্‍ই তুচ্ছ মনে হয়। অতঃপর, একজন ব্যক্তি যার কোন ইচ্ছা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাকি নেই এবং জীবনের কোন দায়িত্বই বাকি নেই অথবা একটিও রিপু দ্বারা আক্রান্ত নয়, সে প্রায়োপবেশন (যার আক্ষরিক অর্থ হল মৃত্যু কামনায় উপবাসের মাধ্যমে দেহত্যাগ) দ্বারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে।

মৃত্যুর সময় কি ভাববেন ?
গীতায় ৮/৬ নং শ্লোকে ভগবান বলেছেন,
''দেহ ত্যাগ করার সময় যেভাবে ভাবিত
হয়ে একজন চিন্তা করে , পরবর্তী জীবনে
নিঃসন্দেহে সেই ভাব সম্পন্ন দেহ সে
প্রাপ্ত হবে''।
যদি কেউ মনে করে যে মৃত্যুর সময়
ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ না করে , অন্য
কোন বিষয় যথা, পিতা - মাতা , স্ত্ৰী -
পুত্ৰ - কন্যা বা জড় বিষয় চিন্তা করলে
একই গতি হবে তা ঠিক নয় ।
উক্ত শ্লোকে তা প্ৰতিপন্ন হয়নি । মৃত্যুর
সময় কেউ যদি তার স্ত্রীকে চিন্তা
করতে করতে দেহ ত্যাগ করে , তবে সে
একটি স্ত্ৰীদেহ প্ৰাপ্ত হবে , তা
মনুষ্যকুলে হোক বা অন্য নিম্ন -
যোনিভূক্ত কুলেই হোক না কেন , সেটি
প্ৰকৃতির তিনটি গুণের প্রভাব অনুযায়ী
নিধারিত হয়।
১) যারা সত্বগুনসম্পন্ন, মৃত্যুর পর
স্বৰ্গলোক বা তার উপরে ব্ৰহ্মালোকে
দেহ লাভ করতে পারে ।
২) যারা রজোগুণ - সম্পন্ন অবস্থায়
দেহত্যাগ করে , তারা এই পৃথিবীতে
মানবদেহ লাভ করতে পারে ।
৩)যারা তমোগুণে অবস্থিত হয়ে দেহ
ত্যাগ করে , তারা আশি লক্ষ নিন্ম
যোনিসম্পন্ন দেহ প্ৰাপ্ত হয় ।
কারও যদি মাংসাহারে আসক্তি
থাকে , তা হলে মানব শরীরে সে আর
কতটুকুই রক্ত-মাংস খেতে পারে , ফলে
তার পিপাসা নিবারিত হয় না।
সুতরাং , উপরোক্ত গীতার শ্লোক
অনুযায়ী ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের বহিরঙ্গা
মায়াশক্তি বা জড়া প্ৰকৃতি তাকে
পরবতী জীবনে এমন একটি উপযুক্ত শরীর
প্রদান করবে , যাতে সে প্রচুর পরিমাণে
মাংস আহার করতে পারে । হয়ত সে
একটি বাঘ বা সিংহের দেহ লাভ করতে
পারে ।
তেমন, কেউ যদি বলশালী মোটা
হওয়ার বাসনা করে তা হলে সে একটি
হাতির দেহ লাভ করতে পারে ।
এভাবেই একজন ব্যক্তি তার সারা
জীবনের কৰ্ম ও চিন্তা অনুযায়ী ''মৃত্যুর
সময়'' সেই বিশেষ বিষয়টিই স্মরণ করে ,
যার প্রতি সে সারা জীবনে
বিশেষভাবে অনুরক্ত বা আসক্ত ছিল ।
কেউ যদি তার গৃহের প্ৰতি অত্যন্ত
আসক্ত হয় , তা হলে মৃত্যুর পর সে তার
গৃহে একটি আরশোলা , ইদুর বা বিড়াল
হয়ে জন্মগ্ৰহণ করতে পারে ।
কেউ যদি তার চেয়ারের প্রতি আসক্ত
হয় , অৰ্থাৎ যে চেয়ারে বসে সে
কৰ্মজীবনে বড় বড় পদমৰ্যাদা লাভ
করেছে , সে হয়ত মৃত্যুর পর সেই চেয়ারেই
একটি ছারপোকা হয়ে জন্মগ্ৰহণ করতে
পারে । মানুষ এভাবেই কৰ্মফল অনুযায়ী
উন্নত বা নিম্নদেহ লাভ করে ।
অথাৎ , সারাটা জীবনে অত্যন্ত আসক্ত
হয়ে মানুষ যে জিনিসটি লাভ করা বা
সদা-সর্বদা জল্পনা - কল্পনা বা মন করে ,
মৃত্যুর সময়ে সে তাই স্মরণ করলে সে
অনুরুপ দেহ প্ৰাপ্ত হবে । একেই বলে
কৰ্মচক্ৰ অৰ্থাৎ জন্ম , মৃত্যু , জরা,
ব্যাধির মাধ্যমে চুরাশি লক্ষ যোনিতে
পরিভ্ৰমণ।
তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,
'' অন্তকালে চ মামেব স্মরন্মুক্তা
কলেবরম,
যঃ প্রয়াতি স মদ্ভাবং যাতি নাস্ত্যত্র
সংশয়ঃ''। ৮/৫
অনুবাদঃ ''মৃত্যুকালে দেহত্যাগের সময়ে
যে আমাকে স্মরণ করে , সে তৎক্ষণাৎ
আমার ভাব প্ৰাপ্ত হয় , এতে কোন সন্দেহ
নেই''।
এটিই হচ্ছে যথাৰ্থ পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ
হওয়ার অৰ্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে ভগবান
শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ করার উপদেশ।
ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে মৃত্যুর পূৰ্ব মুহূর্তে
কে স্মরণ করতে পারে ?
উত্তর, কৰ্মী , জ্ঞানী এমন কি
যােগীরাও মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে ভগবান
শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে পারে না ।
একমাত্ৰ সম্পূৰ্ণরুপে শরণাগত শুদ্ধ ভক্তই
মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের
সচ্চিদানন্দময় দিব্যরুপকে স্মরণ করতে
পারেন ।
কারও হৃদয়ে বিন্দুমাত্ৰ জড় কামনা -
বাসনা থাকা পৰ্যন্ত সে মৃত্যুর সময়ে
ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে পারে না
। যিনি তাঁর মনসহ সমগ্ৰ ইন্দ্ৰিয়গুলিকে
সম্পূৰ্ণকাপে সারা জীবন ভগবান
শ্ৰীকৃষ্ণের সেবায় নিযুক্ত করেছেন ,
তিনিই একমাত্ৰ সমগ্ৰ জড় কলুষ থেকে
মুক্ত হতে পারেন ।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, এই জড়
কলুষ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য একমাত্ৰ
পন্থা যুগধৰ্ম হরিনাম মহামন্ত্ৰ কীৰ্তন
করা,
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে'' ৷
সুতরাং , আমাদের সকলের কৰ্তব্য
মানব - জীবনের এই অপূৰ্ব সুযোগটি গ্ৰহণ
করা , যাতে মৃত্যুর সময়ে ভগবান,
শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ করে আমরা চিন্ময়
ভগবৎ রাজ্যে ফিরে যেতে পারি।।
হরেকৃষ্ণ।।
যারা তা জীবন দশায় বলে না,ইশ্বর সেই সময় ও ঐ মৃত ব‍্যক্তির পাশে থাকে,আর শবদেহ বহন কারীদের মুখ দিয়ে বলায় "বল হরি হরিবল" যাতে তার পাপ ৫০% কমে ।বাকীটা পরজন্মে কর্মফল হিসাবে ভোগ করে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191005192211

Friday, October 4th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

নবদূর্গারর পঙ্চম রুপ

নবদূর্গারর পঙ্চম রুপ

শুভ অপরান্থ

নবদুর্গার পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। নবরাত্রি উৎসবের পঞ্চম দিনে তাঁর পূজা করা হয়। দেবসেনাপতি কার্তিকের অপর নাম স্কন্দ। দেবী দুর্গা কার্তিকের মা। তাই তিনি পরিচিতা ‘স্কন্দমাতা’ নামে।

কার্তিক-জননী বেশে দুর্গার রূপটি একটু আলাদা। এই রূপে তিনি চতুর্ভুজা; উপরের দুই হাতে দুটি পদ্মফুল; নিচের এক হাতে ধরে থাকেন স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিককে, অপর হাতে দেখান বরমুদ্রা। দেবী পদ্মাসনা, তবে দেবীর বাহন সিংহ। দেবীর কোলে স্কন্দের যে মূর্তিটি দেখা যায়, সেটি আমাদের বাংলায় সচরাচর দেখা কার্তিক মূর্তির চেয়ে একটু আলাদা। ইনি হাতে তীর-ধনুক থাকে বটে, কিন্তু এঁর ছয়টি মস্তক। ষড়ানন কার্তিকের এই শিশুমূর্তিটিই শোভা পায় দেবী স্কন্দমাতার কোলে।

দেবী স্কন্দমাতার কথা জানা যায় স্কন্দ পুরাণ থেকে। অসুররাজ তারক বরলাভ করেছিল, কেবল শিব ও দুর্গার পুত্রই তার প্রাণবধে সক্ষম হবে। তাই দেবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সে সহজেই দেবতাদের কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য কেড়ে নিতে পেরেছিল। এই ঘটনার ঠিক আগেই সতী দেহত্যাগ করেছিলেন, শিবও হয়েছিলেন ধ্যানমগ্ন। তাই দেবতারা দুর্গাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করার অনুরোধ করলেন। দুর্গা শৈলপুত্রী রূপে গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে জন্ম নিলেন। তারপর ব্রহ্মচারিণী রূপে শিবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য করলেন কঠোর তপস্যা। শেষে শিবের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হল। তারপর যথাসময়ে জন্ম হল শিব ও দুর্গার পুত্র কার্তিকের। কার্তিকের জন্মের বিবরণ নানা পুরাণে নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সে সবের উল্লেখ এখানে না করলেও চলবে–শুধু এটুকু বলে রাখি, কার্তিকের ছিল ছয়টি মাথা। তাই তিনি পরিচিত হয়েছিলেন ষড়ানন নামে। এই ষড়ানন স্কন্দই তারককে যুদ্ধে পরাজিত করে দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। স্কন্দ ও স্কন্দমাতা উভয়েই তারকাসুর বধে দেবতাদের সাহায্য করেছিলেন বলে, মাতাপুত্রের পূজা একসঙ্গে করাই নিয়ম।

দেবী স্কন্দমাতার পূজা করলে ভক্তের সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়; তাঁর জীবন সুখ ও শান্তিময় হয়ে ওঠে এবং তাঁর মোক্ষের পথ সহজতর হয়। এছাড়া স্কন্দমাতার পূজা করলে, সেই সঙ্গে কার্তিকের পূজাও হয়ে যায়।

স্কন্দমাতা

"স্কন্দ" অর্থে কার্তিকেয়। স্কন্দের মাতা অর্থে কার্তিকেয়র মা, দেবী দুর্গা। জগদম্বা তাঁর এই স্কন্দমাতা স্বরূপে দেবসেনাপতি কার্তিকেয়র জননী। দেবীর প্রতিমাতেও সেই বাৎসল্যরসের পরিপূর্ণতার প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। মা বসেছেন সিংহপৃষ্ঠে, মায়ের কোলে বসেছেন বালক স্কন্দ বা শিশু কার্ত্তিক। মা যেমন সন্তানকে কোলে করে আগলে রাখেন, দেবী দুর্গাও তদ্রূপ স্কন্দকে নিজ অঙ্কে আগলে রেখেছেন। মহামায়া সর্বভাবের ঊর্ধ্বে থেকেও বাৎসল্যভাবের কাছে নতি স্বীকার করেছেন, এটা তারই প্রমাণ।

নবরাত্রের পঞ্চমদিনে, অর্থাৎ পঞ্চমী তিথিতে শ্রীঅম্বিকা তাঁর স্কন্দমাতাস্বরূপে আবির্ভূতা হন। মায়ের রূপটি অতীব মনোহর। দেবীর তিনটে নেত্র, সর্বাঙ্গে অলংকার, শীল ও সৌন্দর্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ।

দেবী কখনো কখনো পদ্মাসনাও হন। কোন কোন শাস্ত্রে দেবীকে "অগ্নিরূপিণী" বা অগ্নির অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপেও উল্লেখ করা হয়েছে। কথিত আছে, দেবী প্রখর সূর্যমণ্ডলের অন্দরে বাস করেন।

পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মা থেকে সৃষ্ট চার ঋষিকুমার- সনক,সনন্দন,সনাতন ও সনৎ জন্মলাভ করেই পরমতত্ত্বে মনোনিবেশ করেন। পিতা ব্রহ্মার মুখ হতেই তাঁরা ভগবতী আদ্যাশক্তির অপ্রাকৃত লীলাবিলাস সম্বন্ধে জ্ঞাত হন। ব্রহ্মময়ী মায়ের মহিমা শ্রবণ করে সর্বকনিষ্ঠ ঋষিবালক সনৎকুমারের বাসনা জাগে বিশ্বমাতার সন্তান হয়ে মাতৃস্নেহসুধা পান করার। নিষ্কলুষ সনৎকুমারের এই ইচ্ছা পূরণ করতেই কল্পতরু মহামায়া জ্যোতির্ময়ীমূর্তিতে প্রকট হয়ে সনৎকুমারকে কোলে তুলে নিয়ে সিংহে বসেছিলেন। সনৎকুমারের অপর নাম ছিল স্কন্দ, তাই তাঁকে অঙ্কে ধারণ করে মা হলেন স্কন্দমাতৃস্বরূপিণী।

অনেকের মতে, স্কন্দ বা কার্তিক এখানে রূপক। স্কন্দ এখানে সমগ্র বিশ্বের প্রতীক বা প্রতিনিধিস্বরূপ। মা বিশ্বপ্রসবিনি, প্রাণীমাত্রেই সেই জগন্মাতার সন্তান। মা সমদৃষ্টিপরায়ণ, সন্তানে ভেদাভেদ করেন না। তাই, কোন একটি বিশেষ সন্তানকে অঙ্কে ধারণ করে বসে অবশিষ্টদের বাৎসল্য থেকে বঞ্চিত রাখা মায়ের পক্ষে অসম্ভব। তাই, কোলে বসা স্কন্দের মধ্যেই সম্পূর্ণ জগত নিহিত, আর সেই জগতেই আমরা সবাই বাসরত। অতএব, আমরা নিজেদের অজান্তেই মাতৃক্রোড়ে বসে রয়েছি।

মায়ের আরাধনা সন্তানপ্রাপ্তি ও পুত্রের সুরক্ষাহেতু বিশেষ ফলদায়ী।

কাশীর নাগকুরার কাছে দেবী স্কন্দমাতা ও বাগেশ্বরীর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি দোতলা, গর্ভমন্দিরটি ছোটো। সেখানে প্রমাণ আকারের স্কন্দমাতার মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত। বাগেশ্বরী সরস্বতীর মন্দিরটি স্কন্দমাতার মন্দিরের ঠিক পাশেই অবস্থিত। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রি উৎসবের পঞ্চমীর দিন এই মন্দিরে প্রচুর জনসমাগম হয়।

সিংহাসনগতা নিত্যং পদ্মাশ্রিতকরদ্বয়া ।
শুভদাস্তু সদা দেবী স্কন্দমাতা য়শস্বিনী ॥

ধ্যানম্ -
বন্দে বাঞ্ছিতকামার্থে চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢা চতুর্ভুজা স্কন্ধমাতা য়শস্বনী ॥
ধবলবর্ণা বিশুদ্ধচক্রস্থিতা পঞ্চমদুর্গা ত্রিনেত্রা ।
অভয়পদ্ময়ুগ্মকরাং দক্ষিণ ঊরুপুত্রধরাং ভজেঽম্ ॥
পটাম্বরপরিধানা মৃদুহাস্যা নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলধারিণীম্ ॥
প্রভুল্লবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং পীনপয়োধরাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং চারূত্রিবলীং নিতম্বনীম্ ॥

স্তোত্রম্ -
নমামি স্কন্দমাতরং স্কন্ধধারিণীম্ ।
সমগ্রতত্ত্বসাগরামপারপারগহরাম্ ॥
শশিপ্রভাং সমুজ্জ্বলাং স্ফুরচ্ছশাঙ্কশেখরাম্ ।
ললাটরত্নভাস্করাং জগত্প্রদীপ্তভাস্করাম্ ॥
মহেন্দ্রকশ্যপার্চিতাং সনত্কুমারসংস্তুতাম্ ।
সুরাসুরেন্দ্রবন্দিতাং য়থার্থনির্মলাদ্ভুতাম্ ॥
অতর্ক্যরোচিরূবিজাং বিকার দোষবর্জিতাম্ ।
মুমুক্ষুভির্বিচিন্তিতাং বিশেষতত্ত্বমূচিতাম্ ॥
নানালঙ্কারভূষিতাং মৃগেন্দ্রবাহনাগ্রতাম্ ।
সুশুদ্ধতত্ত্বতোষণাং ত্রিবেদমারভাষণাম্ ॥ ??মার
সুধার্মিকৌপকারিণীং সুরেন্দ্রবৈরিঘাতিনীম্ ।
শুভাং সুপুষ্পমালিনীং সুবর্ণকল্পশাখিনীম্ ॥
তমোঽন্ধকারয়ামিনীং শিবস্বভাবকামিনীম্ ।
সহস্ত্রসূর্যরাজিকাং ধনঞ্জয়োগ্রকারিকাম্ ॥
সুশুদ্ধকালকন্দলাং সুভৃঙ্গকৃন্দমঞ্জুলাম্ ।
প্রজায়িনীং প্রজাবতীং নমামি মাতরং সতীম্ ॥
স্বকর্মধারণে গতিং হরিং প্রয়চ্ছ পার্বতীম্ । ??প্রয়চ্ছ
অনন্তশক্তিকান্তিদাং য়শোঽথ ভুক্তিমুক্তিদাম্ ॥
পুনঃপুনর্জগদ্ধিতাং নমাম্যহং সুরার্চিতাম্ ।
জয়েশ্বরি ত্রিলাচনে প্রসীদ দেবি পাহি মাম্ ॥

কবচম্ -
ঐং বীজালিকা দেবী পদয়ুগ্মধরা পরা ।
হৃদয়ং পাতু সা দেবী কার্তিকেয়য়ুতা সতী ॥
শ্রীং হ্রীং হুং ঐং দেবী পূর্বস্যাং পাতু সর্বদা ।
সর্বাঙ্গ মেং সদা পাতু স্কন্দমাতা পুত্রপ্রদা ॥
বাণবাণামৃতে হুং ফট্ বীজসসমন্বিতা ।
উত্তরস্যাং তথাগ্নে চ বারূণে নৈৠতেঽবতু ॥
ইন্দ্রাণী ভৈরবী চৈবাসিতাঙ্গী চ সংহারিণী ।
সর্বদা পাতু মাং দেবী চান্যান্যাসু হি দিক্ষু বৈ ॥

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191004074817

Friday, October 4th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

গীতার সংখ‍্য যোগ

সুপ্রভা
***শ্রীমদ্ভগবদগীতা****

সংস্কৃত শ্লোক অনুবাদ সহ
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ সাংখ্যযোগ

সঞ্জয় ঊবাচ

তম্‌ তথা কৃপয়া আবিষ্টম অশ্রুপুর্ন আকুল ঈক্ষনম্‌ ।
বিষীদন্তম ইদম্‌ বাক্যম্‌ উবাচ মধুসুদনঃ ॥১
অর্থ-সঞ্জয় বললেন অর্জুনকে এইভাবে অনুতপ্ত ব্যাকুল এবং অশ্রুশিক্ত দেখে কৃপায় আবিষ্ট হয়ে মধুসুদন শ্রীকৃষ্ণ বন্ধুভাবে অতি মিষ্টি স্বরে এই কথাগুলি বললেন।

ভগবান উবাচ
কুতঃ ত্বা কশ্মলম ইদম্‌ বিষমে সমুপস্থিতম্‌ ।
অনার্য্য জুষ্টম্‌ অস্বর্গ্যম্‌ অকীর্তি করম্‌ অর্জুনঃ ॥২
অর্থ-ভগবান বললেন প্রিয় অর্জুন এই ঘোর সংঙ্কটময় যুদ্ধেস্থলে যারা প্রকৃত জীবনের মুল্য বোঝেনা সে সব অনার্যের মত শোকানল তোমার হৃদয় কিভাবে প্রজ্জলিত হল। এই রকমের মনোভাব তোমাকে স্বর্গলোকে উন্নিত করবে না। পক্ষান্তরে তোমার সমস্ত যশরাশি বিনষ্ট হবে।

ক্লৈব্যম মা স্ম গমঃ পার্থ ন এতত্ ত্বয়ি উপপদ্যতে

ক্ষুদ্রম্‌ হৃদয় দৌর্বল্যম্‌ ত্যাক্তা উত্তিষ্ঠ পরম তপ ॥৩
অর্থ-হে পার্থ এই অসন্মান জনক ক্লীবত্তের বশোবর্তি হয়োনা এই ধরনের আচরন তোমার পক্ষে অনুচিত্। হেপরন্তপ হৃদয়ের দুর্বলতা পরিত্যাগ করে উঠে দাড়াও।

অর্জুন উবাচ
কথম ভীস্মম্‌ অহম্‌ সংখ্যে দ্রোনম্‌ চ মধুসুদন ।
ইষুভিঃ প্রতিযোত্স্যামি পূজা অর্হৌ অরিসুদন ॥৪
অর্থ-অর্জুন বললেন হে মধুসুদন এই যুদ্ধক্ষেত্রে ভীষ্ম এবং দ্রোনের মত পরম পূজনীয় ব্যাক্তিদের কেমন করে আমি বানের দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।

গুরুন্‌ অহত্বা হি মহা-অনুভাবান
শ্রেয়ঃ ভোক্তুম্‌ ভৈক্ষ্যম্‌ অপি ইহ লোকে ।
হত্বা অর্থ কামান্‌ তু গুরূন ইহ এব
ভূঞ্জীয় ভোগান রুধীর প্রদিগ্ধান্‌ ॥৫
অর্থ-আমার মহানুভব শিক্ষাগুরুদের জীবন হানি করে এই জগত্ ভোগ করার থেকে বরং ভিক্ষাকরে জীবন ধারন করা ভাল।তারা জড়জাগতিক লোভার্থী হলেও আমার গুরুজন। তাদের হত্যা করা হলে যুদ্ধলব্ধ ভোগ যে রক্ত মাখা হবে।

ন চ এতত্ বিদ্মঃ কতরত্ ন গরিয়ঃ
যত্ বা জয়েম যদি বা নঃ জয়েয়ু ।
যান এব হত্বা ন জিজী বিষামঃ
তে অবস্থিতাঃ প্রমুখে ধার্তরাষ্ট্রাঃ ॥৬
অর্থ-তাদের জয়করা ভাল না তাদের দ্বারা পরাজিত হওয়া ভাল। তাও আমি বুজতে পারছি না।এই রনাঙ্গনে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে ধৃতরাষ্টের যে পুত্রেরা তাদের হত্যা করা হলে আমাদের আর বেচে থাকতে ইচ্ছা করবে না।

কার্পন্য দোশ উপহত স্বভাবঃ
পৃচ্ছামি ত্বাম ধর্ম সমূঢ় চেতাঃ ।
যত্ শ্রেয় স্যাত্ নিশ্চিতম্‌ ব্রুহি তত্ মে
শিষ্যঃ তে অহম্‌ শাধিমাম তাম প্রপন্নম ॥৭
অর্থ-কার্পন্য জনিত দুর্বলতার প্রভাবে আমি এখন কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়েছি আমার কর্তব্য সম্বন্ধে বিভ্রান্ত হয়ে আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি,এখন কি করা আমার পক্ষে শ্রেয়স্কর। এখন আমি তোমার শিষ্য, সর্বত ভাবে তোমার শ্বরনাগত, দয়াকরে তুমি আমাকে শিক্ষা দাও।

ন হি প্রপশ্যামি মম অপনুদ্যাত্
যত্ শোকম উচ্ছোষনম্‌ ইন্দ্রিয়ানাম্‌ ।
অবাপ্য ভূমৌ অসপত্বম ঋদ্ধম্‌
রাজ্যম্‌ সুরানাম্‌ অপি চ অধিপত্যম্‌ ॥৮
অর্থ-আমার ইন্দ্রিয় গুলিকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে যে শোক তা যে কিভাবে আমি দুর করব তা আমি জানি না।স্বর্গের দেবতাদের মত আধিপত্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিহীন রাজ্য এই পৃথিবীতে লাভ করলেও আমার এই শোকের বিনাশ হবে না।

সঞ্জয় উবাচ
এবম্‌ উক্তা হৃষীকেশম্‌ গুড়াকেশঃ পরন্তপঃ ।
ন য্যোত্স্য ইতি গোবিন্দম্‌ উক্তা তুঞ্চিম বভূবহ ॥৯
অর্থ-সঞ্জয় বললেন এই ভাবে তার মনোভাব ব্যাক্ত করে গুড়াকেশ অর্জুন তখন হৃষীকেশকে বললেন,হে গবিন্দ,আমি যুদ্ধ করব না ,এই বলে তিনি মৌন হলেন।

তম্‌ উবাচ হৃষীকেশঃ প্রহসন্‌ ইব ভারত ॥
সেনয়োঃ উভয়োঃ মধ্যে বিষীদন্তম্‌ ইদম্‌ বচঃ ॥১০॥
অর্থ-হে ভারত বংশীয় ধৃতরাষ্ট্র সে সময় স্মিত হেসে শ্রীকৃষ্ণ উভয় পক্ষেও সৈন্যদের মাঝখানে বিষাদ গ্রস্ত অর্জুনকে এই কথা বললেন।

অশোচ্যান অন্বশোচঃ ত্বম প্রজ্ঞাবাদান চ ভাষসে ।
গত অসুন অগত অসুন চ ন অনুশোচন্তি পন্ডিতাঃ ॥১১
অর্থ-ভগবান বললেন তুমি প্রজ্ঞের মত কথা বলছ অথচ যে বিষয়ে শোককরা উচিত্ নয় সে বিষয় শোক করছ। যারা যথার্থই পন্ডিত তারা কখনো জিবীত বা মৃত কারোর জন্য শোক করে না।

ন তু এব অহম্‌ জাতু ন আসম ন ত্বম্‌ ইমে জনঅধিপা ।
ন চ এব ভবিষ্যাম্‌ সর্বে বয়ম্‌ অতঃ পরম্‌ ॥১২
অর্থ-এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি,তুমি এবং এই সমস্ত রাজারা ছিল না এবং ভবিষ্যতেও দেহী কখনো আমাদের অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে না ।

দেহীনঃ অস্মিন যথা দেহে কৌমারম্‌ যৌবনম্‌ জরা ।
তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ ধীরঃ তত্র ন মুহ্যতি ॥১৩
অর্থ-দেহী যে ভাবে কৌমার যৌবন এবং জরার মাধ্যমে দেহের রুপ পরিবর্তন করে চলে মৃত্যু কালে ঐ দেহী এক দেহ থেকে অন্য কোন দেহে দেহন-রীত হয়। স্থিতপ্রজ্ঞ পন্ডিতেরা কখনো এই পরিবর্তনে মুহ্যমান হয় না ।

মাত্রা স্পর্শাঃ তু কৌন্তেয় শীত উষ্ণ সুখ দুঃখদাঃ ।
আগম অপায়িনঃ অনিত্যাঃ তান তিতিক্ষস্য ভারত ॥১৪
অর্থ-হে কৌন্তয় ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগের ফলে অনিত্ত সুখ ও দুঃখের অনুভব হয় সেগুলি যেন শীত এবং গৃস্ম ঋতুর গমনা গমনের মত। হে ভরত কুল প্রদীপ সেই ইন্দ্রিযাত অনুভূতির দ্বরা প্রভাবিত না হয়ে সেগুলির সহ্য করার চেষ্টা কর।

যম হি ন ব্যাথয়ন্তি এতে পুরুষম্‌ পুরুষ ঋৃষভ ।
সম দুঃখ সুখম্‌ ধীরম্ সঃ অমৃতত্বায় কল্পতে ॥১৫
অর্থ-হে পুরুষ শ্রেষ্ট যে জ্ঞানি ব্যক্তি সুখ ও দুঃখ শীত উষ্ণ আদিদন্ধে বিচলিত হন না তিনি অমৃত তত্তের প্রকৃত অধিকারি হন।

ন অসতঃ বিদ্যতে ভাবঃ ন অভাবঃ বিদ্যতে সতঃ ।
উভয়ো অপি দৃষ্টাঃ অন্তঃ তু অনয়োঃ তত্ত দর্শিভিঃ ॥১৬
অর্থ-যারা তত্তদ্রষ্টা তারা সিদ্ধান্ত করেছেন যে অনিত্ত জড়বস্তুর স্থয়িত্ব নেই এবং নিত্তবস্তুর আত্মার কখন বিনাশ হয় না। তত্ত্ব দ্রষ্টাগন উভয় প্রকৃতির যথার্থ স্বরুপ উপলব্ধি করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে।

অবিনাশি তু তত্ বিদ্ধি যেন সর্বম্‌ ইদম্‌ ততম্‌ ।
বিনাশম অব্যয়স্য তস্য ন কশ্চিত্ কর্তুম্‌ অর্হতি ॥১৭
অর্থ-সমস্ত শরিরে পরিব্যপ্ত রয়েছে যে অক্ষয় আত্মা যেনেরেখ তাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়।

অন্তবন্তঃ ইমে দেহাঃ নিত্যস্য উক্তাঃ শরীরিণ ।
অনাশিনঃ অপ্রমেয়স্য তস্মাত্ যুধ্যস্ব ভারত ॥১৮
অর্থ-এই সমস্ত শরির অনিত্ত কিন্তু শরীরী আত্মা অবিনাশী। সেই আত্মার অতি সুক্ষ্মত্ব হেতু অপরিমেয়। অতএব হে ভারত তুমি শাস্ত্রবিহিত স্বধর্ম পরিত্যাগ না করে যুদ্ধ কর।

যঃ এনম্‌ বেত্তি হন্তারম্‌ যঃ চ এনম মন্যতে হতম্‌ ।
উভৌ তৌ ন বিজানীত ন অয়ম্‌ হন্তি ন হন্যতে ॥১৯
অর্থ-যিনি জীব সত্তাকে হন্তা বলে মনে করেন কিংবা যিনি একে নিহত বলে ভাবেন তারা উভয়েই আত্মার প্রকৃত স্বরুপ জানেনা। কারন আত্মা কাউকে হত্মা করে না বা কারোর দ্বারা নিহত হন না।

ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিত্
ন অয়ম্‌ ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজঃ নিত্য শাশ্বতঃ অয়ম্‌ পুরানঃ
ন হন্যতে হন্যমানে শরিরে ॥২০
অর্থ-আত্মার কখনো জন্ম হয়না বা মৃত্যু হয় না। অথবা পুনঃ পুনঃ তার উত্পত্তি বা বৃদ্ধি হয় না, তিনি জন্ম রহিত শাশ্বত, নিত্ত এবং নবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্ম কখনো বিনষ্ট হয় না।

বেদ অবিনাশিনম্‌ নিত্যম যঃ এনম্‌ অজম্‌ অব্যয়ম্‌।
কথম্‌ সঃ পুরুষঃ পার্থকম্‌ ঘাতয়তি হন্তিকম্‌ ॥২১
অর্থ-হেপার্থ যিনি এই আত্মাকে অবিনাশি, নিত্য, শাশ্বত, জন্ম-রহিত ও অক্ষয় বলে জানেন তিনি ভাবে কাউকে বধ বা হত্যা করতে পারে।

বাসাংসি জীর্নানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরঃ অপরাণি ।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণানি
অন্যানি সংযাতি নবানি দেহী ॥২২
অর্থ-মানুষ যেমন জীর্ন বস্ত্র পরিত্যাগ করে নুতন বস্ত্র পরিধান করে দেহীও তেমনই জীর্ন শরির ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারন করে।

ন এনম ছিন্দন্তি শাস্ত্রানি ন এনম্‌ দহতী পাবকঃ ।
ন চ এনম ক্লেদয়ন্তি আপঃ ন শোষয়তি মারুতঃ ॥২৩
অর্থ-আত্মাকে অস্ত্রের দ্বারা কাটা যায় না আগুনে পোড়ান যায় না জলে ভেজান যায় না অথবা হাওয়ায় শুকানোও যায় না।

অচ্ছেদ্যঃ অয়ম অদাহ্যঃ অয়ম অক্লেদ্যঃ অশোষ্যঃ এব চ ।
নিত্য সর্বগত সর্ব-গতঃ স্থাণুঃ অচলঃ অয়ম্‌ সনাতনঃ ॥২৪
অর্থ-এই আত্মা অচ্ছেদ্য অদাহ্য অক্লেদ্য এবং অশোষ্য। তিনি চিরস্থায়ি সর্ব ব্যপ্ত অপরিবর্তনীয় অচল এবং সনাতন।

অব্যক্তঃ অয়ম অচিন্ত্যঃ অয়ম অবিকার্যঃ অয়ম উচ্যতে ।
তস্মাত্ এবম বিদিত্বা এনম ন অনুশোচিতুম্‌ অর্হসি ॥২৫
অর্থ-এই আত্মা অব্যক্ত অচিন্ত ও অবিকারী বলে শাস্ত্রে উক্ত হয়েছে। অতএব এই সনাতন স্বরুপ অবগত হয়ে তুমি দেহীদের প্রতি শোক পরিত্যাগ কর।

অথ চ এনম্‌ নিত্যজাতম্‌ নিত্যম্‌ বা মন্যসে মৃতম্‌ ।
তথাপি ত্বম মহাবাহো ন এনম শোচিতুম অর্হসি ॥২৬
অর্থ-হে মহাবাহো আর তুমি যদি মনে কর যে আত্মার বার বার জন্ম হয় বা মৃত্যু হয় তা হলেও তোমার শোক করার কোন কারন নেই।

জাতস্য হি ধ্রুবঃ মৃত্যু ধ্রুবম্‌ জন্ম মৃতস্য চ ।
তস্মাত্ অপরিহার্যে অর্থে ন ত্বম্‌ শোচিতুম অর্হসি ॥২৭
অর্থ-যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবি এবং যার মৃত্যু হয়েছে তার জন্মও অবশ্যম্ভাবী। অতএব তোমার কর্তব্য সম্পাদন করার সময় শোক করা উচিত্ নয়।

অব্যক্ত-আদীনি ভূতানি ব্যক্ত মধ্যানি ভারত ।
অব্যক্ত নিধনানি এব তত্র কা পরিবেদনা ॥২৮
অর্থ-হে ভারত সমস্ত জীব উত্পন্ন হওয়র আগে অপ্রকাশিত ছিল। তাদের স্থিতি কালে প্রকাশিত থাকে এবং বিনাশের পর আবার অপ্রকাশিত হয়ে যায়। সুতরাং সেজন্য শোক করার কি কারন।

আশ্চর্য্য বত্ পশ্যতি কশ্চিত্ এনম্‌
আশ্চর্য-বত্ বদতি তথা এব চ অন্যঃ ।
আশ্চর্য-বত্ চ এনম্‌ অন্য শৃনোতি
শ্রুত্বা অপি এনম্‌ বেদ ন চ এব কশ্চিত্ ॥২৯
অর্থ-কেউ আত্মাকে আশ্চার্যবত্ দর্শন করেন,কেউ আশ্চর্য ভাবে বর্ননা করেন আবার কেউ আশ্চর্য জ্ঞানে শ্রবন করেন আর কেউ জেনে শুনেও বুজতে পারে না।

দেহী নিত্যম অবধ্যঃ অয়ম্‌ দেহে সর্বস্য ভারত ॥
তস্মাত্ সর্বানি ভূতানি ন ত্বম শোচিতুম অর্হসি ॥৩০॥
অর্থ-হে ভারত প্রানিদের দেহে অবস্তিত আত্মা সর্বদাই অবধ্য।সেজন্য কোন প্রাণীর দেহ ত্যাগে তোমার শোক করা উচিৎ নয়।

স্বধর্মম অপি চ আবেক্ষ্য বিকম্পিতুম অর্হসি ।
ধর্মাত্ হি যুদ্ধাত্ শ্রেয়ঃ অন্যাত্ ক্ষত্রিয়স্য ন বিদ্যতে ॥৩১
অর্থ-ক্ষত্রিয় রুপে তোমার স্বধর্ম বিবেচনা করেও তোমার দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া উচিত্ নয়। কারন ধর্ম রক্ষার্থে যুদ্ধ করা থেকে ক্ষত্রিয়ের পক্ষে মঙ্গলকর আর কিছুই নাই।

যদৃচ্ছয়া চ উপপন্নম স্বর্গদ্বারম্‌ ন করিষ্যসি ।
সুখিনঃ ক্ষত্রিয়াঃ পার্থ লভন্তে যুদ্ধম্‌ ঈদৃশম্‌ ॥৩২
অর্থ-হে পার্থ স্বর্গদ্বার উন্মোচনকারী এই প্রকার ধর্মযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার সুযোগ না চাইতেই যে সব ক্ষত্রিয়ের কাছে আসে, তারা সুখী হন।

অথ চেত্ ত্বম ইমম ধর্মম সংগ্রামম ন করিষসি ।
ততঃ স্বধর্মম কীর্তিম্‌ চ হিত্বা পাপম্‌ অবাস্প্যসি ॥৩৩
অর্থ-কিন্তু তুমি যদি এই ধর্মযুদ্ধ না কর তা হলে তোমার স্বীয়কীর্তি থেকে ভ্রষ্ট হয়ে পাপ ভোগ করবে।

অকীর্তিম্‌ চ অপি ভূতানি কথয়িষ্যন্তি তে অব্যয়ম্‌ ।
সম্ভাবিতস্য চ অকীর্তিঃ মরণাত্ অতিরিচ্যতে ॥৩৪
অর্থ-সমস্ত লোক তোমার কীর্তিহীনতার কথা বলবে এবং যে কোন মর্যাদাবান লোকের পক্ষে মৃত্যু অপেক্ষাও অত্যন্ত ক্ষতিকর এই অমর্যাদা।

ভয়াত্ রনাত্ উপতরম্‌ মত্স্যন্তে ত্বাম্‌ মহাঃরথাঃ ।
যেষাম চ ত্বম বহুমতঃ ভূত্বা যাস্যসি লাঘবম্‌ ॥৩৫
অর্থ-সমস্ত মহারথীরা মনে করেন যে তুমি ভয়পেয়ে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছ এবং তুমি যাদের কাছে সম্মানিত ছিলে তারা তোমাকে তুচ্ছ তাছিল্য জ্ঞান করবে।

অবাচ্য বাদান বহুন বদিষ্যন্তি তব অহিত্যাঃ ।
নিন্দন্তঃ তব সামর্থন ততঃ দুঃখতরম্‌ নু কিম্‌ ॥৩৬
অর্থ-তোমার শত্রুরা তোমার সামর্থ্যের নিন্দা করে বহু অকথ্য কথা বলবে। তার চেয়ে অধিকতর দুঃখকর তোমার পক্ষে কি হতে পারে।

হতঃ বা প্রাপ্সসি স্বর্গম্‌ জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে মহীম ।
তস্মাত্ উত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়ঃ ॥৩৭
অর্থ-হে কুন্তীপুত্র এই যুদ্ধে নিহত হলে তুমি স্‌র্গ লাভ করবে আর জয়ী হলে রাজ্য সুখ ভোগ করবে অতএব যুদ্ধের জন্য দৃঢ় সংকল্প হয়ে উত্থিত হও।

সুখ দুঃখে সমে কৃত্বা লাভালাভৌ জয়াজয়ৌ ।
ততঃ যুদ্ধায় যুজ্যস্ব ন এবম্‌ পাপম্‌ অবাপ্সসি ॥৩৮
অর্থ-সুখ-দুঃখ লাভ ক্ষতি জয় পরাজয়কে সমান জ্ঞান করে যুদ্ধ করলে তোমাকে পাপ ভোগী হতে হবে না।

এষা তে অবিহিতা সাংখ্যে বুদ্ধিঃ যোগে তু ইমাম্‌ শৃনু ।
বুদ্ধাঃ যুক্তঃ যয়া পার্থ কর্মবন্ধম্‌ প্রহাসসি ॥৩৯
অর্থ-হে পার্থ আমি তোমাকে সাংখ্য যোগের কথা বললাম এখন ভক্তি যোগ সম্বন্ধিনী বুদ্ধির কথা শ্রবন কর যার প্রভাবে তুমি কর্ম-বন্ধন থেকে মুক্ত হবে।

ন ইহ অভিক্রম্‌ নাশ অস্তি প্রত্যবায়ঃ ন বিদ্যতে ।
স্বল্পম্‌ অপি অস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতঃ ভয়াত্ ॥৪০
অর্থ-ভক্তি য়োগের অনুশিলন কখনো ব্যর্থ হয় না এবং তার কোন ক্ষয় নাই। তার সল্প অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠাতাকে সংসাররুপ মহাভয় থেকে পরিত্রাণ করে।

ব্যবসায়াত্মিকা বূদ্ধিঃ এক ইহ কুরু নন্দন ।
বহু শাখা হি অনন্তাঃ চ বুদ্ধয়ঃ অব্যবসায়িনাম ॥৪১
অর্থ-যারা এই পথ অবলম্বন করছে তাদের নিশ্চয়াত্মিকা বুদ্ধি একনিষ্ঠ। হে কুরু নন্দন অস্থিরচিত্ত সকাম ব্যক্তিদের বুদ্ধি বহুশাখাবিশিষ্ট ও বহুমুখী।

যামিমাম পুস্পিতাম্‌ বাচম্‌ প্রবদন্তি অবিপশ্চিতঃ ।
বেদ বাদরতাঃ পার্থ ন অনাত্ অস্তি ইতি বাদিনঃ ॥৪২

কামাত্মানঃ সর্গপরাঃ জন্মকর্ম ফল প্রদাম ।
ক্রিয়াবিশেষ বহুলাম্‌ ভোগ ঐশ্বর্য্য গতিম প্রতি ॥৪৩
অর্থ-বিবেক বর্জিত লোকেরাই বেদের পুস্পিত বাক্যে আসক্ত হয়ে সর্গ সুখ ভোগ উচ্চকুলে জন্ম ক্ষমতা লাভ ইত্যাদি সকাম কর্মকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য বলে মনে করে। ইন্দ্রিয় সুখভোগ এবংঐশ্বর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারা বলে যে তার উর্ধ্বে আর কেউ নাই।

ভোগ ঐশ্বর্য প্রশক্তানাম তয়া অপহৃত চেতসাম্‌।
ব্যবসায়াত্মিকা বুদ্ধি সমাধৌ ন বিধিয়তে ॥৪৪
অর্থ-যারা ভোগ ঐশ্বর্য্য সুখে আসক্ত সেই সমস্ত বিবেক বর্জিত ব্যক্তিদের বুদ্ধি সমাধি অর্থাত্ ভগবানের একনিষ্ঠতা লাভ হয় না।

ত্রৈগুন্য বিষয়াঃ বেদাঃ নিস্ত্রৈগুন্যঃ ভব অর্জুন ।
নির্দ্বন্দ্ব নিত্যসত্ত্বস্থঃ নির্যোগক্ষেমঃ আত্মবান ॥৪৫
অর্থ-বেদে প্রধানত জড়াপ্রকৃতির তিনটি গুন সম্বন্ধেই বলা হয়েছে। হে অর্জুন তুমি সেই গুন গুলিকে অতিক্রম করে নির্গুনস্তরে অধিষ্ঠিত হও। সমস্ত দন্দ্ব থেকে মুক্ত হও এবং লাভ ক্ষতি ও আত্মরক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে আধ্যাত্ম চেতনায় অধিষ্ঠিত হও।

যাবান অর্থ উদপানে সর্বতঃ সংপ্লুতোদকে ।
তাবান সর্বেষু বেদেষু ব্রাহ্মনস্য বিজনতঃ ॥৪৬
অর্থ-ক্ষুদ্র জলাশয় যে সমসস্ত কার্য্য সাধিত হয় সে গুলি যেমন বৃহত্ জলাশয় থেকে আপনা হতেই সাধিত হয়ে যায়। তেমনই ভগবানের উপসনার মাধ্যমে যিনি পরব্রহ্মের জ্ঞান লাভ করে সব কিছুর উদ্দেশ্য উপলব্ধি করেছেন তার কাছে সমস্ত বেদের উদ্দেশ্য স্বাধিত হয়েছে।

কর্মনি এব অধিকতরঃ তে মা ফলেষু কদাচন ।
মা কর্মফল হেতুঃ ভূঃ মা তে সঙ্ঘ অস্ত অকর্মনি ॥৪৭
অর্থ-স্বধর্ম বিহিত কর্মে তোমার অধিকার আছে কিন্তু কোন কর্মফলে তোমার অধিকার নাই। কখনো নিজেকে কর্ম ফলের হেতু মনে করো না এবংকখনো স্বধর্মেও আচরন থেকে বিরত হয়ো না।

যোগস্থঃ কুরু কর্মানি সঙ্গম্‌ ত্যাক্তা ধনঞ্জয় ।
সিদ্ধ্যসিদ্ধৌঃ সমঃ ভূত্বা সমত্বম্‌ যোগঃ উচ্যতে ॥৪৮
অর্থ-হে অর্জুন ফল ভোগের কামনা পরি ত্যাগ করে ভক্তি যোগস্থ্য হয়ে স্বধর্ম বিহিত কর্মাচরন কর। কর্মের সিদ্ধি অসিদ্ধি সম্বন্ধে যে সমবুদ্ধি তাকেই যোগ বলা হয়।

দুরেন হি অবরম্‌ কর্ম বুদ্ধি-যোগাত্ ধনঞ্জয় ।
বুদ্ধৌ শরনম্‌ কর্ম অন্বিচ্ছ কৃপনাঃ ফল হেতবঃ ॥৪৯
অর্থ-হে ধনঞ্জয় বুদ্ধি যোগ দ্বারা ভক্তির অনুশিলন করে সকাম কর্ম থেকে দুরে থাক। যারা কর্মের ফল ভোগ করতে চায় তারা কৃপন।

বুদ্ধিযুক্তঃ জহাতি ইহ উভে সুকৃত-দুস্কৃতে ।
তস্মাত্ যোগায় যুজ্যস্ব যোগঃ কর্মসু কৌশলম্‌ ॥৫০
অর্থ-যিনি ভগবত্ ভক্তির অনুশিলন করেন তিনি এই জীবনেই পাপ পুন্য উভয় থেকে মুক্ত হন। সুতরাং হে অর্জুন তুমি নিস্কাম কর্ম যোগের অনুশিলন কর সেটাই হল সর্বাঙ্গিন কর্ম কৌশল।

কর্মজম্‌ বুদ্ধিযুক্তাঃ হি ফলম্‌ ত্যক্তা মনিষিনঃ ।
জন্মবন্ধ বিনিমুক্তাঃ পদম্‌ গচ্ছন্তি অনাময়ম্‌॥৫১
অর্থ-মনিষিগন ভগবানের সেবায় যুক্ত হয়ে ভগবানের শ্বরনাগত হন। কর্মজাত ফল ত্যাগ করে জন্ম মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হন।এইভাবে তারা সমস্ত দুঃখ দুর্দ্দশা থেকে মুক্ত হন।
যদ তে মোহ কলিলম্‌ বুদ্ধিঃ ব্যতিতরিষ্যতি ।

তদা গন্তাসি নির্বেদম্‌ শ্রোতব্যস্য শ্রুতস্য চ ॥৫২
অর্থ-এইভাবে পরমেশ্বর ভগবানের অর্পিত নিস্কাম কর্ম অভ্যাস করতে করতে তোমার বুদ্ধি মোহরুপ গভীর অরন্যকে সম্পুর্নরুপে অতিক্রম করবে, তখন তুমি যা কিছু শুনেছ সেই সবের প্রতি সম্পুর্ণরুপে নিরপেক্ষ্য হয়ে বিশুদ্ধ ভক্তি সাধনে প্রবৃত্ত হবে।

শ্রুতি বিপ্রতিপন্না তে যদা স্থাস্যতি নিশ্চলা ।
সমাধৌ অচলা বুদ্ধি তদা যোগম্‌ অব্যপ্সসি ॥৫৩
অর্থ-তোমার বুদ্ধি যখন বেদের বিচিত্র ভাষার দ্বারা আর বিচলিত হবে না তখন তুমি দিব্যজ্ঞান লাভ করে ভক্তি যোগে অধিষ্ঠিত হবে।

অর্জুন উবাচ
স্থীত প্রজ্ঞস্য কাভাষা সমাধিস্থস্য কেশব ।
স্থীতধীঃ কিম্‌ প্রভাষেত কিম্‌ আসিত ব্রজেত্ কিম্‌ ॥৫৪
অর্থ-অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-হে কেশব স্থিতপ্রজ্ঞ অর্থাত্ অচলাবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের লক্ষন কী? তিনি কিভাবে কথা বলেন কিভাবে অবস্থান করেন এবং কিভাবেই বা তিনি আচরন করেন।

ভগবান উবাচঃ
প্রজহাতি যদা কামান সর্বান পার্থ মনোগতান ।
আত্মনি এব আত্মনা তুষ্টঃ স্থীতপ্রজ্ঞঃ তদা উচ্যতে ॥৫৫
অর্থ-ভগবান বললেন-হে পার্থ মানুষ যখন মানসিক জল্পনা কল্পনা থেকে উদ্ভুত সমস্ত মনোগত কাম পরিত্যাগ করে এবং তার মন যখন আত্মাতেই পুর্ন পরিতৃপ্তি লাভ করে তখনই তাকে স্থিতপ্রজ্ঞা বলা হয়।

দুঃখেষু অনুদ্বিগ্নমনা সুখেষু বিগতস্পৃহঃ ।
বীত রাগ ভয় ক্রোধঃ স্থিতধীঃ মুনিঃ উচ্যতে ॥৫৬
অর্থ-ত্রিতাপ দুঃখ উপস্থিত হলেও যার মন উদ্বিগ্ন হয় না,সুখ উপস্থিত হলেও যার স্পৃহা হয়না এবং যিনি অনুরাগ ভয় ও ক্রোধ থেকে মুক্ত তিনিই স্থিতধী অর্থাত্ স্থিতপ্রজ্ঞ।

যঃ সর্বত্র অনভিস্নেহঃ তত্ তত্ প্রাপ্য শুভ অশুভম ।
অভিনন্দতি ন দেষ্টি তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা ॥৫৭
অর্থ-জড় জগতে যিনি সমস্থ জড় বিষয়ে আসক্তি রহিত যিনি পৃয় বস্তু লাভে আনন্দিত হয় না এবং অপৃয় বিষয় উপসতহলে দুঃখিত হন না তার চেতন পুর্ন জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

যদা সংহরতে চ অয়ম্‌ কুর্মঃ অঙ্গানি ইব সর্বশঃ ।
ইন্দ্রিয়ানি ইন্দ্রিয়ার্থেভ্যঃ তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা ॥৫৮
অর্থ-কুর্ম যেমন তার অঙ্গসমুহ তার কঠিন বহিরাবরনের মধ্যে সংঙ্কুচিত কওে, তেমনই যে ব্যাক্তি তার ইন্দ্রিয়গুলিকে ইন্দ্রিয়ের বিষয় থেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন তার চেতনা চিন্ময় জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত।

বিষয়াঃ বিনিবর্তন্তে নিরাহারস্য দেহিনঃ ।
রস বর্জম্‌ রস অপি অস্য পরম দৃষ্টা নিবর্ততে ॥৫৯
অর্থ-দেহবিশিষ্ট জীব ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ থেকে নিবৃত হতে পারে কিন্তু তবুও ইন্দ্রিয় সুখ ভোগের আসক্তি থেকে যায়। কিন্তু উচ্চতর স্বাধ আস্বাদন করার ফলে সে বিষয়-তৃষ্ণা তিনি চিরতরে নিবৃত্ত হন।

যততঃ হি অপি কৌন্তেয় পুরুষস্য বিপশ্চিতঃ ।
ইন্দ্রিয়ানি প্রমাথীনি হরন্তি প্রসভম্‌ মনঃ ॥৬০
হে কৌন্তেয় ইন্দ্রিয় সমুহ এত বলবান এবং ক্ষোভকারি যে তারা অতি যত্নশিল বিবেক সম্পন্ন পুরুষের মনকেও বল পুর্বক ষিয়াভিমুখে আকর্ষন করে।

তানি সর্বনি সংযম্য যুক্তঃ আসীত মৎপরাঃ ।
বশে হি যস্য ইন্দ্রিয়ানি তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা ॥৬১
অর্থ-যিনি তার ইন্দ্রিয়গুলিকে সম্পুর্ন রুপে বশীভুত করে আমার প্রতি উত্তমা ভক্তিপরায়ন হয়ে তার ইন্দ্রিয়গুলিকে সম্পুর্নরুপে বশীভুত করেছেন তিনিই স্থিতিপ্রজ্ঞ।

ধ্যায়তঃ বিষয়ান পুংসঃ সংঙ্গ তেষু উপজায়তে ।
সংঙ্গাত্ সঞ্জায়তে কামঃ কামাত্ ক্রোধঃ অভিজায়তে ॥৬২

ক্রোধাত্ ভবতী সম্মোহঃ সম্মোহাত্ স্মৃতি বিভ্রমঃ ।
স্মৃতিভ্রংশাত্ বুদ্ধিনাশঃ বুদ্ধিনাশাত্ প্রনশ্যতি ॥৬৩

অর্থ-ইন্দ্রিয় বিষয় চিন্তা করতে করতে মানুষের আশক্তি জন্মায় আশক্তি থেকে কামনার উদয় হয় এবং কামনা থেকে ক্রোধ উত্পন্ন হয়। ক্রোধ থেকে সম্মোহ, সম্মোহ থেকে স্মৃতি বিভ্রম, স্মৃতি বিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ হওয়র ফলে সর্বনাশ হয়। এবং মানুষ পুনরায় জড় জগতের অন্ধকুপে পতিত হয়।

রাগ দ্বেষ বিমুক্তৈঃ তু বিষয়ান ইন্দ্রিয়ৈ চরন ।
আত্মবশ্যৈঃ বিধেয়াত্মা প্রসাদম্‌ অধিগচ্ছতি ॥৬৪
অর্থ-সংযত চিত্ত মানুষ প্রিয় বস্তুতে স্বাভবিক আশক্তি ও অপ্রিয় বস্তুতে স্বাভাবিক বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হয়ে তার বশিভুত ইন্দ্রিয় দ্বারা ভগবদ্ভক্তির অনুশিলন করে ভগবানের কৃপা লাভ করে।

প্রসাদে সর্ব দুঃখানাম হানিঃ অস্য উপজায়তে ।
প্রসন্নচেতসঃ হি আশু বুদ্ধিঃ পরি অবতিষ্ঠতে ॥৬৫
অর্থ-চিন্ময় চেতনায় অধিষ্ঠিত হওয়ার ফলে তখন তার জড় জগতের ত্রিতাপ দুঃখ থাকে না এইভাবে প্রসন্নতা লাভ করার ফলে বুদ্ধি স্থির হয়।

নাস্তি বুদ্ধি অযুক্তস্য ন চ অযুক্তস্য ভাবনা ।
ন্‌ চ অভাবয়তঃ শান্তি অশান্তস্য কুতঃ সুখম্‌ ॥৬৬
অর্থ-যে ব্যক্তি কৃষ্ণ ভাবনায় যুক্ত নন তার চিত্ত সংযত নয় এবং তার পরমার্থিক বুদ্ধি থাকতে পারে না। আর পরমার্থ চিন্তাশুন্য ব্যক্তির বিষয় তৃষ্ণার বিরতি নেই। এই রকম বিষয়-তৃষ্ণাক্লিষ্ট ব্যক্তির প্রকৃত সুখ কোথায়।

ইন্দ্রিয়ানাম্‌ হি চরতাম্‌ যত্ মনঃ অনুবিধিয়তে ।
তত্ অস হরতি প্রজ্ঞাম্‌ বায়ুঃ নাবম্‌ ইব অম্ভসি ॥৬৭
অর্থ-প্রতিকুল বায়ু নৌকাকে যেমন অস্থির করে তেমনই সদা বিচরনকারি যে কোন একটি মাত্র ইন্দ্রিয়ের আকর্ষনেও মন অসংযত ব্যক্তির প্রজ্ঞাকে হরন করতে পারে।

তস্মাত্ যস্য মহাবাহো নিগৃহীতানি সর্বশঃ ।
ইন্দ্রিয়ানি ইন্দ্রিয়ার্থেভ্যঃ তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা ॥৬৮
অর্থ-সুতরাং হে মহাবাহো যার ইন্দ্রিয়গুলি ইন্দ্রিয়ের বিষয় থেকে সর্ব প্রকার নিবৃত্ত হয়েছে তিনিই স্থিতপ্রজ্ঞ।

যা নিশা সর্ব ভূতানাম্‌ তস্যাম্‌ জাগর্তি সংযমী ।
যস্যাম্‌ জাগ্রতি ভূতানি সা নিশা পশ্যতঃ মুন্যেঃ ॥৬৯
অর্থ-সমস্ত জীবের পক্ষে যা রাত্রি স্বরুপ স্থিতপ্রজ্ঞ সেই রাত্রিতে জাগরীত থেকে আত্মবুদ্ধিনিষ্ঠ আনন্দকে সাক্ষাত্ অনুভব করেন। আর যখন সমস্ত জীবেরা জেগে থাকে স্থিতপ্রজ্ঞা ব্যক্তির কাছে তা রাত্রি স্বরুপ।

আপুর্যমানম্‌ অচল প্রতিষ্ঠম
সমুদ্রম আপঃ প্রবিশন্তি যদ্বত্ ।
তদ্বত্ কামাঃ যম্‌ প্রবিশন্তি সর্বে
সঃ শান্তিম্‌ আপ্নোতি ন কামকামী ॥৭০
অর্থ-বিষয় কামি ব্যক্তি কখনো শান্তি লাভ করে না। জলরাশি যেমন সদা পরিপুর্ন সমুদ্রে প্রবেশ করেও তাকে ক্ষোভিত করতে পারে না, কামসমুহও তেমন স্থিতপ্রজ্ঞ ব্যক্তিতে প্রবিষ্ট হয়েও তাকে বিক্ষুব্ধ করতে পারেনা অতএব তিনিই শান্তি লাভকরে,

বিহায় কামান যঃ সর্বান পুমান চরতি নিঃস্পৃহঃ ।
নির্মমঃ নিরহঙ্কারঃ সঃ শান্তিম্‌ অধিগচ্ছতি ॥৭১
অর্থ-যে ব্যক্তি সমস্ত কামনা বাসনা পরিত্যাগ করে জড় বিষয়ের প্রতি নিঃস্পৃহ হয়ে নিঃরহঙ্কার এবং মমত্ত্ব বোধ রহিত হয়ে বিচরন করেন তিনিই প্রকৃত শান্তি লাভ করে।

এষা ব্রাহ্মী স্থিতিঃ পার্থ ন এনাম্‌ প্রাপ্য বিমুহ্যতি ।
স্থিত্বা অস্যাম্‌ অন্তকালে অপি ব্রহ্মনির্বানম্‌ ঋচ্ছতি ॥৭২
অর্থ-এই প্রকার স্থিতিকেই ব্রহ্মস্থিতি বলে। হেপার্থ যিনি এই স্থিতি লাভ করেন তিনিমোহ প্রাপ্ত হন না ।জীবনের অন্তিম সময় তিনি এইজড় জগতের বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবদ্ধামে প্রবেশ করেন।

ওং তত্সদিতি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাসূপনিষত্সু ব্রহ্মবিদ্যাযাং যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদে
সাংখ্যযোগো নাম দ্বিতীযোঽধ্যাযঃ ॥২॥

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191004074139

Thursday, October 3rd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

বাস্তু দোষ কাটিয়ে বিবাহ দিন

বাস্তু দোষ কাটিয়ে বিবাহ দিন

সুপ্রভাত
বাস্তু মেনে দূর করুন বিবাহের বাধা। করুন এই ৮টি সহজ কাজ
মাঙ্গলিক দোষ থাকলে কিংবা ঠিকঠাক কোষ্ঠীর মিলন না হলে বিয়েতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বাস্তু শাস্ত্র এ কথাও বলছে যে, বাস্তুর সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে বিবাহের বাধা কাটিয়েও ফেলা যায় সহজেই। কীরকম? আসুন জেনে নিই
কথায় বলে, ‘‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে’’। অর্থাৎ এই তিনটি বিষয়ই নির্ধারিত হয় ঈশ্বরের দ্বারা। জ্যোতিষ বা বাস্তুর মতো শাস্ত্র— যাদের কাজ-কারবার মূলত মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সেগুলিও এমনটাই বিশ্বাস করে। বাস্তুর সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে বিবাহের বাধা কাটিয়েও ফেলা যায় সহজেই। কীরকম? আসুন জেনে নিই—

১. বাস্তু শাস্ত্রে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, এই কোণে কোনও সমস্যা থাকলে বিবাহে বাধা আসতে পারে।


২. বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যদি ভূগর্ভস্থ জলাধার বা কুয়ো থাকে, তা হলে সেই বাড়ির সন্তানদের বিয়েতে বাধা আসতে পারে, কিংবা উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রী খুঁজে পেতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কি কোনও ঢালু দেওয়াল বা কার্নিশ রয়েছে? এই ধরনের দেওয়াল বিয়েতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৪. অবিবাহিত মেয়েদের শোওয়ার ঘর কখনওই বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে হওয়া উচিৎ নয়। এমনটা যদি হয় তা হলে সেই মেয়ের বিয়েতে বাধা আসতে পারে।

৫. এমনকী, অবিবাহিত মেয়েদের শোওয়ার বা বসবাসের ঘরের দরজাও দক্ষিণ-পশ্চিম মুখী হওয়া উচিৎ নয়।

৬. যথাযথ সময়ে বিয়ে হওয়ার জন্য মেয়েদের শোওয়ার ঘর, বাস্তু মতে, উত্তর-পশ্চিম দিকে হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি উত্তর-পশ্চিম দিকে কোনওভাবেই শোওয়ার ঘর না করা যায়, তাহলে অন্ততপক্ষে বাড়ির পশ্চিম দিকের কোনও ঘরে মেয়েদের শোওয়া উচিৎ।

৭. ছেলে-মেয়ে উভয়েরই শোওয়ার ঘরের দেওয়ালে বা বিছানার চাদরে খুব মৃদু কোনও র‌ং ব্যবহার করা উচিৎ। এই ধরনের রং ইতিবাচক শক্তির আমদানি ঘটায় বাড়িতে। যা বিবাহের বাধা দূর হতে সাহায্য করে। শোওয়ার ঘরে কোনও চড়া রং, যেমন কালো কিংবা গাঢ় নীল ব্যবহার করা কখনওই উচিৎ নয়।

৮. ছেলেদের শোওয়ার ঘর বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণে হওয়া উচিৎ। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে তাদের শোওয়ার ঘর থাকলে বিবাহে বাধা উপস্থিত হবে না।


৯. এ ছাড়াও বিবাহের বাধা দূর করতে চাইলে অবিবাহিত ছেলে বা মেয়েদের কখনওই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাথা করে শোওয়া উচিৎ নয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191003073107

Wednesday, October 2nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

নবরাত্রির দ্ধিতীয় দৈবী ব্রম্ভ‍‍‍চারিনী

নবরাত্রির দ্ধিতীয় দৈবী ব্রম্ভ‍‍‍চারিনী

শুভ অপরান্থ
আজ দেবীপক্ষের দ্বিতীয়া,নবদূর্গার দ্বিতীয় রুপ মা
ব্রহ্মচারিণী পূজা।

ধ‍্যান
দধানা করপদ্মাভ্যামক্ষমালাকমণ্ডলু। দেবী প্রসীদতু ময়ি ব্রহ্মচারিণ্যনুত্তমা।।

মায়ের বর্ণনা:
নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিণী। নবরাত্রি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে তাঁর পূজা করা হয়। ‘ব্রহ্মচারিণী’ নামের অর্থ: ‘ব্রহ্মচর্য ব্রত অবলম্বনকারিণী’। তিনিই উমা।

দেবী ব্রহ্মচারিণী দ্বিভুজা; একহাতে তাঁর জপমালা, অপর হাতে কমণ্ডলু। দেবী জ্যোতির্ময়ী মূর্তিতে আবির্ভূতা; তাঁর ভৈরব চন্দ্রমৌলীশ্বর।

দেবী ব্রহ্মচারিণীর সম্পর্কে যে পৌরাণিক উপাখ্যানটি প্রচলিত, সেটি গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে জাত দেবী পার্বতীর শিবকে পতিরূপে লাভ করার নেপথ্য-কাহিনি। সতীর দেহত্যাগের পর শিব ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন। তাই সতী যে পুনরায় পার্বতীরূপে জন্মগ্রহণ করেছেন, সেদিকে খেয়াল ছিল না তাঁর। এদিকে তারকাসুরের অত্যাচারে দেবতারা জর্জরিত। সে বর পেয়েছিল, শিবের পুত্র ভিন্ন অপর কেউই তাকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারবে। কিন্তু শিব বিবাহের নামটি করছিলেন না। তখন উপায়? অগত্যা নারদ পার্বতীকে তপস্যা করার পরামর্শ দিলেন। নারদের উপদেশ মতো প্রথমে এক হাজার বছর শুধুমাত্র ফলমূল খেয়ে, তারপর একশো বছর শুধু শাক খেয়ে, তারপর কিছুকাল উপবাস করে, তারপর তিন হাজার বছর শুধুমাত্র একটি করে বেলপাতা খেয়ে এবং শেষে কয়েক হাজার বছর নির্জলা উপবাস করে পার্বতী করলেন কঠোর তপস্যা। মা মেনকা দুর্গার তপস্যাক্লিষ্ট শরীর দেখে দুঃখিত হয়ে কন্যাকে নিরস্ত করার জন্য বললেন, “উ মা” (আর না!) সেই থেকে দেবী ব্রহ্মচারিণীর অপর নাম হল ‘উমা’। তাঁর কঠোর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা এসে তাঁকে বর দিলেন, “যাঁকে তুমি কামনা করো, সেই শিবকেই পতিরূপে পাবে।“ মহামায়া দুর্গার সেই তপস্বিনী রূপই দেবী ব্রহ্মচারিণী। দেবীপুরাণ মতে, সর্ববেদে বিচরণ করেন বলে দেবী পার্বতীর অপর নাম ‘ব্রহ্মচারিণী’। কাশীতে তাঁকে ‘ছোটি দুর্গাজি’ও (ছোটো দুর্গা) বলা হয়।

রামায়ণ অনুসারে, উমা পর্বতরাজ হিমালয়ের দ্বিতীয়া কন্যা (প্রথমা কন্যা হলেন গঙ্গা)। তিনি তপস্বিনীর জীবন যাপন করতেন। হরিবংশ মতে, হিমালয়ের ঔরসে মেনকার গর্ভে তিন কন্যার জন্ম হয়–অপর্ণা, একপর্ণা ও একপাটলা। এঁরা তিন জনই কঠোর তপস্যা করেছিলেন। একপাটলা একটি মাত্র নাগকেশর ফুল খেয়ে, একপর্ণা একটি মাত্র পাতা খেয়ে এবং অপর্ণা কিছু না খেয়ে তপস্যা করেন। অপর্ণার এহেন কঠোর তপস্যায় বিচলিত হয়ে তাঁর মা মেনকা তাঁকে বলে বসেন, ‘উ মা!’ (আর না!) সেই থেকে দেবী অপর্ণার পরিচিতা হন ‘উমা’ নামে। তিন বোনের মধ্যে উমাই ছিলেন শ্রেষ্ঠা; তিনি পতিরূপে লাভ করেন মহাদেবকে। তবে মনে হয়, তিন বোনের তপস্যার এই কাহিনি থেকেই বাংলা লৌকিক ছড়ায় শিব ঠাকুরের বিয়েতে তিন কন্যা দানের প্রসঙ্গটি এসেছে। আবার, তন্ত্রমতে, যে দেবী ব্রহ্মের প্রতিনিধিস্বরূপ দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে গিয়েছিলেন, তাঁরও নাম উমা হৈমবতী।

কাশীর (বারাণসী) দুর্গাঘাটের কাছে রয়েছে দেবী ব্রহ্মচারিণীর মন্দির। মন্দিরটি বেশ ছোটো। দেবীপ্রতিমার উচ্চতাও হাত খানেক। তবে পূর্বমুখী এই মূর্তির মুখে সোনার মুখোশ লাগানো থাকে। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রি উৎসবে দ্বিতীয় দিনে এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।

দেবী ব্রহ্মচারিণী ব্রহ্মজ্ঞান প্রদান করেন। তাঁর পূজা করলে শুধু সংযম ও মানসিক শক্তিই বৃদ্ধি পায় না, সাধক অনন্ত পুণ্যফলও লাভ করেন এবং তিনি সর্বদা সিদ্ধি ও বিজয়ও লাভ করেন। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে সাধক নিজের মনকে স্বাধিষ্ঠান চক্রে স্থিত করে ব্রহ্মচারিণীর পূজা করেন।

নব রাত্রি পুজা মন্ত্র
ওঁ দেবী শৈলপুত্রায় নমঃ

ওঁ দেবী ব্রহ্মচারিনীয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী চন্দ্রঘণ্টায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কুষ্মাণ্ডায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী স্কন্দমাতায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কাত্যায়নীয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কালরাত্রিয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী মহাগৌরিয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী নম সিদ্ধিদাত্রীয়ৈ নমঃ

সকলেই মাকে উপরের মন্ত্রে পূজা করতে পারবেন ও খুব শুভ ফল পাবেন, করে দেখুন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191002111641

Wednesday, October 2nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

নবরাত্রির তৃতীয় দেবী চন্দ্রঘন্টা

নবরাত্রির তৃতীয় দেবী চন্দ্রঘন্টা

শুভ অপরান্থ

নবরাত্রির তৃতীয় দিনে আজ দেবী চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা। নবরাত্রির এই তৃতীয় দিনে সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। দেবী মায়ের অশেষ কৃপা বর্ষিত হউক তার ভক্তদের উপর।

দেবী চন্দ্রঘণ্টা
পিণ্ডজপ্রবরারূঢা চন্দকোপাস্ত্রকৈর্য়ুতা |
প্রসাদং তনুতে মহ্য়ং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা ||
রম্ভাসুরের ছেলে মহিষাসুর যখর প্রচণ্ড বিক্রমে দেবতাদের হারিয়ে দিয়ে স্বর্গরাজ্য দখল করেছিল, তখন দেবতারা একত্রিত হয়ে তাঁদের নেতা ব্রহ্ম-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলে সেই তিন দেবতা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তখন তাঁদের শরীর থেকে তেজ বাইরে এসে এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হতে লাগলো। ক্রমে অনান্য দেবতারাও উত্সাহিত হয়ে নিজের নিজের শরীর থেকে তেজরাশি বাইরে এনে ঐ তেজকে সমৃদ্ধ করলেন। ফলে দেবতাদের দেহসঞ্জাত তেজ থেকে সৃষ্টি হলো এক অতুলনীয়া দেবীমূর্তির। ইনিই আদিশক্তি।সকল দেবতাদের অন্তরের শক্তিরূপেই তিনি তাদের ভেতরে ছিলেন।তাঁরই শক্তিতে এইসব দেবতারা শক্তিমান ছিলেন। আজ বিপদাপন্ন হয়ে সেই শক্তিকে বাইরে এনে তাকে দেওয়া হল ঐশী শক্তির দেবীমূর্তি। নানা দেবতার শক্তিতে শক্তিমতী সেই দেবীকে দেখে আহ্লদিত দেবতারা তাঁদের নিজের নিজের অস্ত্রাদি থেকে নূতন অস্ত্র সৃষ্টি করে দেবীর করকমলে সেগুলি ধরিয়ে দিলেন। তাঁকে নানা অলংকার বস্ত্রাদিও তাঁরা দিলেন-মনের মত করে নানা দ্রব্যসম্ভারে তাঁকে সাজিয়ে তাঁর বন্দনা করে প্রার্থনা জানালেন-মা আমাদের সমূহ বিপদ। অসুর মহিষরাজের হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর, স্বর্গরাজ্য আমাদের ফিরিয়ে দাও।
তাঁকে নানা অস্ত্র-শস্ত্রাদি যখন সব দেবতারা দিচ্ছিলেন, তখন দেবরাজ ইন্দ্র, “দদৌ তস্যৈ সহস্রাক্ষোঘণ্টাম ঐরাবতং গজাৎ” তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলায় ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন। ঘণ্টা সর্ববাদ্যময়ী।যুদ্ধ উত্সবে প্রাচীনকালে ,এমনকি এখনও নানা বাদ্যাদি বাজানো হয়। যাকে মিলিটারী ব্যান্ড বলে। দেবীর সেই যুদ্ধে এই ঘণ্টা সেই রকম একটি বাদ্য ও বাজনা। তবে এটি দৈবশক্তিসম্পন্ন। এই ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল “হিরস্তি দৈত্য তেজাংসি স্বনেনাপূর্য্য যা জগৎ”। সেই ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। তাদের তেজ হরণ করবার জন্য দেবী সেই প্রচণ্ড শব্দের ঘণ্টাবাজিয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের পরে দেবতারা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন,মা তোমার ঐ যে ঘণ্টা অসুরদের তেজ হরণ করেছিল সেই ঘণ্টার আমরাও শরণ নিচ্ছি, আমাদের পাপকে সেই ঘণ্টা যেন হরণ করে নেয়। “সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব ”। এই জন্য দেবীর একটি নাম চণ্ডঘণ্টা-যিনি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন আওয়াজ সৃষ্টিকারী ঘন্টা ধারণ করে আছেন,তিনি চণ্ডঘণ্টা।

কাশীর দেবী চন্দ্রঘন্টা
এতো ছোট মন্দির যে তার দরজা বলে কিছু নেই,শুধু গ্রিল দিয়ে তিনদিক ঘেরা একটি দশ-বারো হাত লম্বা-চওড়া ঘর, তার মাথায় সামান্য একটু চূড়া যেটি মন্দিরের আভাস দিচ্ছে। ঘরের পেছনের দেওয়ালের দিকে দু’ থাক বেদী। নিচের বেদীতে মাঝখানে বেদীর ওপর একটি সিংহাসন। তার ওপর হাতখানেক উঁচু দেবী মূর্তি সর্বাঙ্গ রক্তবস্ত্র আচ্ছাদিত। সিংহাসনেই দেবীর পাশে একটি বড় ঘন্টা। আর পিছন থাকে ও দুই পাশে নবদুর্গাদের আরও ক্ষুদ্রাকৃতি আটটি মূর্তি পূজিত হচ্ছেন। সেগুলি আসল মূর্তিদের মিনি মূর্তি। তবে প্রতিটি মূর্তির নিচেই তাঁদের নাম লেখা আছে, দেখে কোনটি কোন দেবী বোঝা যায়। এই দেবীর প্রণাম মন্ত্র- “পিণ্ডজ প্রবরারূঢ়া চ কোপাস্ত্র-কৈর্যুতা। প্রসাদং তনুতে মহ্যং চন্দ্রঘন্টেতি বিশ্রুতা”। দেবী ব্যঘ্রবাহনা, রক্তবস্ত্র পরিধানা, সুবর্ণবর্ণা, নানা অলংকার শোভিতা, দশভূজা দশপ্রহরণধারিণী-তার অন্যতম একটি ঘন্টা। প্রচণ্ড বিক্রম এই ঘণ্টাধ্বনির। এর শব্দেই অসুরসৈন্যেরা নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল।

রম্ভাসুরের ছেলে মহিষাসুর যখর প্রচণ্ড বিক্রমে দেবতাদের হারিয়ে দিয়ে স্বর্গরাজ্য দখল করেছিল, তখন দেবতারা একত্রিত হয়ে তাঁদের নেতা ব্রহ্ম-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলে সেই তিন দেবতা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তখন তাঁদের শরীর থেকে তেজ বাইরে এসে এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হতে লাগলো। ক্রমে অনান্য দেবতারাও উত্সাহিত হয়ে নিজের নিজের শরীর থেকে তেজরাশি বাইরে এনে ঐ তেজকে সমৃদ্ধ করলেন। ফলে দেবতাদের দেহসঞ্জাত তেজ থেকে সৃষ্টি হলো এক অতুলনীয়া দেবীমূর্তির। ইনিই আদিশক্তি।সকল দেবতাদের অন্তরের শক্তিরূপেই তিনি তাদের ভেতরে ছিলেন।তাঁরই শক্তিতে এইসব দেবতারা শক্তিমান ছিলেন। আজ বিপদাপন্ন হয়ে সেই শক্তিকে বাইরে এনে তাকে দেওয়া হল ঐশী শক্তির দেবীমূর্তি। নানা দেবতার শক্তিতে শক্তিমতী সেই দেবীকে দেখে আহ্লদিত দেবতারা তাঁদের নিজের নিজের অস্ত্রাদি থেকে নূতন অস্ত্র সৃষ্টি করে দেবীর করকমলে সেগুলি ধরিয়ে দিলেন। তাঁকে নানা অলংকার বস্ত্রাদিও তাঁরা দিলেন-মনের মত করে নানা দ্রব্যসম্ভারে তাঁকে সাজিয়ে তাঁর বন্দনা করে প্রার্থনা জানালেন-মা আমাদের সমূহ বিপদ। অসুর মহিষরাজের হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর, স্বর্গরাজ্য আমাদের ফিরিয়ে দাও।

তাঁকে নানা অস্ত্র-শস্ত্রাদি যখন সব দেবতারা দিচ্ছিলেন, তখন দেবরাজ ইন্দ্র, “দদৌ তস্যৈ সহস্রাক্ষোঘণ্টাম ঐরাবতং গজাৎ” তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলায় ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন। ঘণ্টা সর্ববাদ্যময়ী।যুদ্ধ উত্সবে প্রাচীনকালে ,এমনকি এখনও নানা বাদ্যাদি বাজানো হয়। যাকে মিলিটারী ব্যান্ড বলে। দেবীর সেই যুদ্ধে এই ঘণ্টা সেই রকম একটি বাদ্য ও বাজনা। তবে এটি দৈবশক্তিসম্পন্ন। এই ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল “হিরস্তি দৈত্য তেজাংসি স্বনেনাপূর্য্য যা জগৎ”। সেই ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। তাদের তেজ হরণ করবার জন্য দেবী সেই প্রচণ্ড শব্দের ঘণ্টাবাজিয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের পরে দেবতারা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন,মা তোমার ঐ যে ঘণ্টা অসুরদের তেজ হরণ করেছিল সেই ঘণ্টার আমরাও শরণ নিচ্ছি, আমাদের পাপকে সেই ঘণ্টা যেন হরণ করে নেয়। “সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব ”। এই জন্য দেবীর একটি নাম চণ্ডঘণ্টা-যিনি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন আওয়াজ সৃষ্টিকারী ঘন্টা ধারণ করে আছেন,তিনি চণ্ডঘণ্টা।

এছাড়া, এই ঘণ্টাধ্বনি নিয়ে কাশীর আরও একটি প্রবাদ চলিত আছে, দেবী চণ্ডঘণ্টার পূজায় তাঁকে প্রসন্ন করতে পারলে সেই সাধকের মৃত্যুকালে যমঘণ্টার অর্থাৎ যমের বাহন মহিষের গলায় ঘণ্টার আওয়াজ আর ভয় দেখাতে পারে না। অর্থাৎ সে মৃত্যুভয় থেকে মুক্ত হয়। ভোগাসক্ত জীব মৃত্যুভয়ে সদা ভীত, কখন সে যমঘণ্টা শুনবে এই ভয়ে সে অস্থির। কিন্তু মাতৃভক্ত সাধক এই ঘণ্টাকে মাতৃহস্তস্থিত পবিত্র ঘণ্টার নাদধ্বনি হিসাবে শুনতে পায়, আর দেবী চণ্ডঘণ্টার কৃপায় তার জীবনের যত কামনা-বাসনার অসুর আছে তখন সব হীনবল হয়ে পড়ে এবং সে মাতৃচরণাভিলাষী হয়ে সানন্দে দেহবন্ধন মুক্ত হয়ে মাতৃাঅঙ্ক লাভ করে সিদ্ধ হয়।একটু দূরে চিত্রগুপ্তেশ্বর শিবের মন্দির ও চিত্রকূপ। চিত্রগুপ্ত যমরাজের প্রধান সচিব মাতৃভক্ত সাধক চণ্ডঘণ্টার কৃপায় চিত্রগুপ্তের হিসাবের খাতার পরোয়া করে না। শিব ও তাঁর শক্তি চণ্ডঘণ্টার কৃপায় সে বহু পাতক ও ধর্মচ্যুতি থেকেও রক্ষা পায়-এই রকম জনশ্র“তি কাশীতে এই দেবী সম্পর্কে। সাধক সাধনার গভীরে প্রবেশ করলে এই নাদধ্বনি শুনতে পায়। ক্রমে তার মন স্থির হতে হতে সে জীবনের পরমপ্রাপ্তি মাতৃদর্শন লাভ করে ধন্য হয়।

নব রাত্রি পুজা মন্ত্র
ওঁ দেবী শৈলপুত্রায় নমঃ

ওঁ দেবী ব্রহ্মচারিনীয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী চন্দ্রঘণ্টায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কুষ্মাণ্ডায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী স্কন্দমাতায়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কাত্যায়নীয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী কালরাত্রিয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী মহাগৌরিয়ৈ নমঃ

ওঁ দেবী নম সিদ্ধিদাত্রীয়ৈ নমঃ

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191002110410

Monday, September 30th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

মহালয়া কি?কেন ঐই মহালয়া ? মহালয়া কে শুভ বলা যায় কি?

মহালয়া কি?কেন ঐই মহালয়া ? মহালয়া কে শুভ বলা যায় কি?

শুভ অপরান্থ

মহালয়া কি এবং কেন এই মহালয়া ?
শুভ মহালয়া আজ অনেক শুনেছেন । কিন্তু মহালয়া কি এবং কেন এই মহালয়া ?কেন ই বা শুভ।

সবাই নিশ্চিত মহালয়া মানে দূর্গাপূজার দিন গোনা , মহালয়ার ৬ দিন পর মহাসপ্তমি , তাই দেবিকে আমত্রন ইত্যাদি । মহালয়ার তার চেয়ে বড় গুরুত্ব আছে , সেটা কেউ কেউ জানেন , কেউ কেউ জানেন না ।

ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবিকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য আসল দূর্গা পূজা হলো বসন্তে , সেটাকে বাসন্তি পূজা বলা হয় । শ্রীরামচন্দ্র অকালে-অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পূজাকে দেবির অকাল-বোধন বলা হয় । সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে , বিবাহ করতে গেলে প্র্রয়াত পূর্বরা, যাদের পিতা-মাতা তাদের পিতা-মাতার জন্য , সাথে সমগ্র জীব-জগতের জন্য তর্পণ করতে হয়, কার্যাদি-অঞ্জলি প্রদান করতে হয় । তর্পণ মানে খুশি করা । ভগবান শ্রীরাম লঙ্কা বিজয়ের আগে এদিনে এমনই করেছিলেন । সেই অনুসারে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরন করে, পূর্বপূরুষের আত্নার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন । সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্নাদের মত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়, প্রয়াত আত্নার যে সমাবেশ হয় তাহাকে মহালয় বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া । পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি ।

পিতৃপক্ষ পূর্বপূরুষের তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। এই পক্ষ পিত্রুপক্ষ, ষোলা শ্রাদ্ধ, কানাগাত, জিতিয়া, মহালয়া পক্ষ ও অপরপক্ষ নামেও পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, যেহেতু পিতৃপক্ষে প্রেতকর্ম (শ্রাদ্ধ), তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, সেই হেতু এই পক্ষ শুভকার্যের জন্য প্রশস্ত নয়। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা (ভাদ্রপূর্ণিমা) তিথিতে এই পক্ষ সূচিত হয় এবং সমাপ্ত হয় সর্বপিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা মহালয়া দিবসে। উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্রের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়।

পুরাণ অনুযায়ী, জীবিত ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন। এই লোক স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। পিতৃলোকের শাসক মৃত্যুদেবতা যম। তিনিই সদ্যমৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান। পরবর্তী প্রজন্মের একজনের মৃত্যু হলে পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন করেন এবং পরমাত্মায় (ঈশ্বর) লীন হন এবং এই প্রক্রিয়ায় তিনি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উর্ধ্বে উঠে যান। এই কারণে, কেবলমাত্র জীবিত ব্যক্তির পূর্ববর্তী তিন প্রজন্মেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়ে থাকে; এবং এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময় পূর্বপুরুষগণ পিতৃলোক পরিত্যাগ করে তাঁদের উত্তরপুরুষদের গৃহে অবস্থান করেন। এর পর সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করলে, তাঁরা পুনরায় পিতৃলোকে ফিরে যান। পিতৃগণের অবস্থানের প্রথম পক্ষে হিন্দুদের পিতৃপুরুষগণের উদ্দেশ্যে তর্পণাদি করতে হয়।

মহাভারত অনুযায়ী, প্রসিদ্ধ দাতা কর্ণের মৃত্যু হলে তাঁর আত্মা স্বর্গে গমন করলে, তাঁকে স্বর্ণ ও রত্ন খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়। কর্ণ ইন্দ্রকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে ইন্দ্র বলেন, কর্ণ সারা জীবন স্বর্ণই দান করেছেন, তিনি পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কোনোদিন খাদ্য প্রদান করেননি। তাই স্বর্গে তাঁকে স্বর্ণই খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। কর্ণ বলেন, তিনি যেহেতু তাঁর পিতৃগণের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, তাই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পিতৃগণকে স্বর্ণ প্রদান করেননি। এই কারণে কর্ণকে ষোলো দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়। এই কাহিনির কোনো কোনো পাঠান্তরে, ইন্দ্রের বদলে যমকে দেখা যায়।

মহালয়া পক্ষের পনেরোটি তিথির নাম হল প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী, চতুর্দশী ও অমাবস্যা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি তর্পণে ইচ্ছুক হন, তাঁকে তাঁর পিতার মৃত্যুর তিথিতে তর্পণ করতে হয়।

পিতৃপক্ষে পুত্র কর্তৃক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হিন্দুধর্মে অবশ্য করণীয় একটি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের ফলেই মৃতের আত্মা স্বর্গে প্রবেশাধিকার পান। এই প্রসঙ্গে গরুড় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, "পুত্র বিনা মুক্তি নাই।" ধর্মগ্রন্থে গৃহস্থদের দেব, ভূত ও অতিথিদের সঙ্গে পিতৃতর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তুষ্ট হলে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান ও দীর্ঘায়ু এবং পরিশেষে উত্তরপুরুষকে স্বর্গ ও মোক্ষ প্রদান করেন।

বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যাঁরা অপারগ, তাঁরা সর্বপিতৃ অমাবস্যা পালন করে পিতৃদায় থেকে মুক্ত হতে পারেন। শর্মার মতে, শ্রাদ্ধ বংশের প্রধান ধর্মানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে পূর্ববর্তী তিন পুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড ও জল প্রদান করা হয়, তাঁদের নাম উচ্চারণ করা হয় এবং গোত্রের পিতাকে স্মরণ করা হয়। এই কারণে একজন ব্যক্তির পক্ষে বংশের ছয় প্রজন্মের নাম স্মরণ রাখা সম্ভব হয় এবং এর ফলে বংশের বন্ধন দৃঢ় হয়। ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতাত্ত্বিক উষা মেননের মতেও, পিতৃপক্ষ বংশের বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্

ককে সুদৃঢ় করে। এই পক্ষে বংশের বর্তমান প্রজন্ম পূর্বপুরুষের নাম স্মরণ করে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পিতৃপুরুষের ঋণ হিন্দুধর্মে পিতৃমাতৃঋণ অথবা গুরুঋণের সমান গুরুত্বপূর্ণ।

জীবিত ব্যক্তির পিতা বা পিতামহ যে তিথিতে মারা যান, পিতৃপক্ষের সেই তিথিতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ হয় চতুর্থী (চৌথা ভরণী) বা পঞ্চমী (ভরণী পঞ্চমী) তিথিতে। সধবা নারীর মৃত্যু হলে, তাঁর শ্রাদ্ধ হয় নবমী (অবিধবা নবমী) তিথিতে। বিপত্নীক ব্যক্তি ব্রাহ্মণী নারীদের শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রণ করেন। শিশু বা সন্ন্যাসীর শ্রাদ্ধ হয় চতুর্দশী (ঘট চতুর্দশী) তিথিতে। অস্ত্রাঘাতে বা অপঘাতে মৃত ব্যক্তিদেরও শ্রাদ্ধ হয় এই তিথিতেই (ঘায়েল চতুর্দশী)।

সর্বপিতৃ অমাবস্যা দিবসে তিথির নিয়মের বাইরে সকল পূর্বপুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়। যাঁরা নির্দিষ্ট দিনে শ্রাদ্ধ করতে ভুলে যান, তাঁরা এই দিন শ্রাদ্ধ করতে পারেন। এই দিন গয়ায় শ্রাদ্ধ করলে তা বিশেষ ফলপ্রসূ হয়। উল্লেখ্য, গয়ায় সমগ্র পিতৃপক্ষ জুড়ে মেলা চলে। বাংলায় মহালয়ার দিন দুর্গাপূজার সূচনা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিন দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন। মহালয়ার দিন অতি প্রত্যুষে চণ্ডীপাঠ করার রীতি রয়েছে। আশ্বিন শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে দৌহিত্র মাতামহের তর্পণ করেন। মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপ্রহরে নদী বা হ্রদের তীরে বা শ্রাদ্ধকর্তার গৃহে। অনেক পরিবার বারাণসী বা গয়ায় গিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন । মৃত ব্যক্তির পুত্র (বহুপুত্রক হলে জ্যেষ্ঠ পুত্র) বা পিতৃকুলের কোনো পুরুষ আত্মীয়ই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের অধিকারী এবং শ্রাদ্ধ কেবলমাত্র পূর্ববর্তী তিন পুরুষেরই হয়ে থাকে। মাতার কুলে পুরুষ সদস্য না থাকলে সর্বপিতৃ অমাবস্যায় দৌহিত্র মাতামহের শ্রাদ্ধ করতে পারেন। কোনো কোনো বর্ণে কেবলমাত্র পূর্ববর্তী এক পুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়। পূর্বপুরুষকে যে খাদ্য উৎসর্গ করা হয়, তা সাধারণত রান্না করে রুপো বা তামার পাত্রে কলাপাতার উপর দেওয়া হয়। এই খাদ্যগুলি হল ক্ষীর, লপসি, ভাত, ডাল, গুড় ও কুমড়ো।

শ্রাদ্ধকর্তাকে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে ধুতি পরে শ্রাদ্ধ করতে হয়। শ্রাদ্ধের পূর্বে তিনি কুশাঙ্গুরীয় (কুশ ঘাসের আঙটি) ধারণ করেন। এরপর সেই আঙটিতে পূর্বপুরুষদের আবাহন করা হয়। শ্রাদ্ধ খালি গায়ে করতে হয়, কারণ শ্রাদ্ধ চলাকালীন যজ্ঞোপবীতের অবস্থান বারংবার পরিবর্তন করতে হয়। শ্রাদ্ধের সময় সিদ্ধ অন্ন ও ময়দা ঘি ও তিল দিয়ে মাখিয়ে পিণ্ডের আকারে উৎসর্গ করা হয়। একে পিণ্ডদান বলে। এরপর দুর্বাঘাস, শালগ্রাম শিলা বা স্বর্ণমূর্তিতে বিষ্ণু এবং যমের পূজা করা হয়। এরপর পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে খাদ্য প্রদান করা হয়। এই খাদ্য সাধারণত ছাদে রেখে আসা হয়।

কোনো কোনো পরিবারে পিতৃপক্ষে ভাগবত পুরাণ, ভগবদ্গীতা বা শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ করা হয়। অনেকে পূর্বপুরুষের মঙ্গল কামনায় ব্রাহ্মণদের দান করেন।

ভারতকোষ গ্রন্থে চিন্তাহরণ চক্রবর্তী মহালয়াকে ‘পিতৃপুরুষের উৎসবের আধার’ বলে বর্ণনা করেছন। মহৎ আলয় থেকে মহালয়ার উৎপত্তি। বলা হয়, পিতৃপুরুষেরা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়। কোনও কোনও শাস্ত্রজ্ঞের অভিমত, প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের ‘তৃপ্ত’ করা হলে সেই কাজ বা দিনকে ‘অশুভ’ বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়।

এই সূত্রেই পণ্ডিত সতীনাথ পঞ্চতীর্থের সংযোজন: ‘‘মহালয়ায় যে তর্পণ করা হয়, তা শুধুই পিতৃপুরুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেব তর্পণ, ঋষি তর্পণ, দিব্য-পিতৃ তর্পণ ইত্যাদি করতে হয়। সঙ্গে থাকে রাম তর্পণ ও লক্ষ্মণ তর্পণ। সেখানে ত্রিভুবনে সমস্ত প্রয়াতকে জলদানের মাধ্যমে ‘তৃপ্ত’ করার কথা বলা আছে। এমনকী তাঁদেরও উদ্দেশে তর্পণ করা হয়, জন্ম-জন্মান্তরে যাঁদের আত্মীয়-বন্ধু কেউ কোথাও নেই। এই ভাবে যদি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত-অপরিচিত সকল প্রয়াতকে জলদান করে তাঁদের আত্মার তৃপ্তি সাধন করা হয়, তাহলে সেই দিনকে অশুভ বলে ভাবা হবে কেন?’’

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190930123007

Saturday, September 28th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে কুসন্তান ও তার দ্ধারা অপমানিত

সুপ্রভাত
আজকের বিষয়টি মন দিয়ে পড়বেন।

†****জ্যোতিষ মতে কুসন্তান ও তার দ্ধারা অপমানিত****

আপনার জন্মছকে প্রথমেই দেখতে হবে আপনার সন্তান সুখ আছে কিনা। আর সন্তান সুখ না থাকলে বা সন্তান সুখে বিঘ্ন ঘটলে সন্তান থেকে নানা ভাবে হেনস্থা হওয়া বা সন্তান থেকে নানা ভাবে অপমানিত হতে হয়।

জ্যোতিষে কোনও জাতক/জাতিকা সন্তান থেকে অপমানিত হবেন কিনা, সন্তান থেকে কষ্ট পাবে কিনা, তার জন্মছকের পঞ্চম ভাব ও পঞ্চম পতির অবস্থান বিচার করে বিয়ের আগেই বলে দেওয়া যায়। জ্যোতিষমতে সন্তান থেকে কষ্ট পাওয়ার পিছনে বাবা-মায়েরা অনেকটাই দায়ী এবং সেই সঙ্গে জড়িত তার অতীত জীবনের কর্ম ফল।

জ্যোতিষমতে ১২টি ভাবের মধ্যে ২টি ভাব থেকে যৌনসুখ ভোগের বিচার হয়ে থাকে, অষ্টম ও পঞ্চম ভাব। অষ্টম ভাব থেকে যে যৌন সুখের বিচার হয় তার নাম প্রক্রিয়েশান। অর্থাৎ যৌন সুখ ভোগটা করা হচ্ছে সন্তান সৃষ্টির জন্য। আর পঞ্চম ভাব থেকে যে যৌনসুখের বিচার হয়ে থাকে তা রিক্রিয়েশান। অর্থাৎ এখানে সন্তান সৃষ্টিটা লক্ষ্য নয়। এখানে সেক্সকে ব্যবহার করা হচ্ছে আনন্দের জন্য। দু’টির ভাব দু’রকম। পঞ্চম ভাবে যে কোনও গ্রহ থাকা মানেই জন্মছকটা হয়ে যায় রিক্রিয়েশানল।

জ্যোতিষ নিয়মে পঞ্চম ভাবে কোনও গ্রহ থাকার চেয়ে না থাকা সব থেকে ভাল। পঞ্চম ভাব থেকে পূর্ব পূণ্য বোঝানো হয়ে থাকে। পঞ্চম ভাবে যেমন প্রকারের গ্রহের অবস্থান হবে, তার থেকে জাতক/জাতিকার মনের আনন্দের দিকটা সেই গ্রহের রঙে রাঙিয়ে উঠবে। যেমন পঞ্চমে রাহু-মঙ্গল বা রাহু-শুক্র থাকলে উদ্দাম যৌন সুখভোগটাই তার লক্ষ্য। সন্তান চাওয়ার জন্যে সে যৌন সুখ ভোগ সে করছে না। এখানে সন্তান কাঙ্ক্ষিত নয়। আর জ্যোতিষমতে এই জাতীয় সন্তান থেকেই পিতামাতা অবমাননা বা গঞ্জনা পেয়ে থাকে।তাই সন্তান নেয়ার সময় মা বাবা ভালো ভালো ব ই পড়তে হয়।সঙ্গমের দিন ,তিথি, পোশাক, রং,ও নক্ষত্র গুরুত্বপূর্ণ।এগুলো মেনে চল্লে অবস‍্যই সূ সন্তান প্রসব করবে।

এ বারে আমরা আলোচনা করব কী জাতীয় গ্রহ বিন্যাসে জন্মছকে থাকলে জাতক/জাতিকা সন্তান সুখে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

(১) প্রথমেই দেখতে হবে জন্মছকটিতে পঞ্চম ভাবে কোন স্টেলিয়াম আছে কি না। স্টেলিয়াম মানে এক ঘরে বা ভাবে চার বা চারের বেশি গ্রহ থাকা। যদি স্টেলিয়াম থাকে, সন্তান নিয়ে জাতক/জাতিকার কমবেশি ঝঞ্ঝাট ভোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ঘরের দিক অনুযায়ী ছবি বা মূর্তি রাখার স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

(২) যদি পঞ্চম পতি ষষ্ঠ/অষ্টম/দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করে এবং লগ্নপতি ও মঙ্গল/রাহু দ্বারা দৃষ্ট হয়ে থাকে তবে জাতক/জাতিকার সন্তান সব সময় সব ব্যাপারে তাদের বিপরীত ভাবের হবে। পিতামাতার সব কাজে আজীবন বিরুদ্ধমত পোষণ করবে।

(৩) রবি যদি পঞ্চমে মকর বা কুম্ভে অবস্থান করে আর মঙ্গলের দৃষ্টি যদি কোনও ভাবে পেয়ে থাকে, সন্তানের জীবন হবে খুব কষ্টদায়ক। সেই সঙ্গে পিতামাতাকে ভীষণ ভাবে অবহেলা করবে।

(৪) চন্দ্র যদি কোনও ভাবে মঙ্গলের ঘরে বসে, যেমন, মেষ অথবা বৃশ্চিকে অবস্থান করে বা নবাংশে এই একই ভাবে থেকে শনির দৃষ্টি পায়, তবে সন্তান হবে দুর্বুদ্ধি বা কম বুদ্ধিসম্পন্ন বা নীচমনা প্রকৃতির যা পিতামাতার পক্ষে বিশেষ ভাবে যন্ত্রণাদায়ক।

(৫) বৃহস্পতি বা পঞ্চম পতি যদি ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশে অবস্থান করে, সেই পিতামাতা যার জন্মছকে এই কম্বিনেশান আছে, তারা সন্তান থেকে সুখ যেন আশা না করে।

(৬) লগ্নপতি এবং পঞ্চম পতি যদি দ্বিতীয় বা দ্বাদশে অবস্থান করে, এতে বোঝায় সন্তান থেকে অশেষ দুঃখ ও যন্ত্রণা।

(৭) দুর্বল বা অশুভ প্রভাবতাড়িত শনি যদি পঞ্চমে অবস্থান করে থাকে, সেখানে সন্তানের সঙ্গে পিতাপাতার যে সুন্দর সম্পর্ক থাকার কথা তা কোনও দিনই থাকে না। উল্টো সন্তান নানা ভাবে পিতামাতাকে যন্ত্রনাদায়ক অবস্থার মধ্যে ফেলে।

(৮) কোনও জাতক/জাতিকার পঞ্চমে শনি/মঙ্গল/পাপতড়িত বুধ অবস্থান করলে, সেই জাতক/জাতিকা তাদের সন্তান থেকে আজীবন বিরোধিতা পেয়ে যাবে। আর সেইখানে রাহু যদি আবার দৃষ্টি দেয় তবে অবস্থা আরও ঘোরালো হবে।

(৯) বৃহস্পতি-মঙ্গল বা বৃহস্পতি-রাহু পঞ্চমে থাকা মানেই অবাধ্য সন্তানের পিতা বা মাতা হওয়া বোঝায়।

(১০) যদি কোনও জাতক/জাতিকার দ্বাদশপতি দুর্বল এবং পাপতাড়িত হয়ে পঞ্চমে সন্তান স্থানে অবস্থান করে, তবে এই জাতক/জাতিকার সন্তান হবে ক্ষীণজীবী বা দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী। সেই সঙ্গে ওই সন্তানকে অশেষ দুর্ভোগের শিকার হতে হবে।

(১১) যদি কোনও পিতা অথবা মাতার জন্মছকে দ্বাদশ পতি পঞ্চমে থাকে, সেই পিতা অথবা মাতার সন্তান হবে অমিতব্যয়ী এবং নানা কুকর্মের হোতা।

(১২) পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চতুর্থ পতি ও অষ্টম পতির দশা ও অন্তর্দশায় পিতামাতারা সাংঘাতিক ভাবে সন্তান থেকে নিগৃহীত হয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190928133232

Thursday, September 26th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

ভারতীয় জোতিষ শ্রাস্ত্রের শ্রষ্ঠারা ও বিজ্ঞান ভিত্তক গ্ৰহন যোগ্যতা

সুপ্রভাত
আজকে আমি আপনাদের কাছে ভারতীয় জোতিষ শ্রাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করবো।প্রথমেই বলে রাখি শ্রাস্ত্র টির গভিরতা ও পৌরাণিক তত্ত্ব অনুযায়ী একে সামুদ্রিক শ্রাস্ত্র বলা।বেদ,উপনিষদ ও আমাদের সমস্ত ধর্মগ্ৰন্থে জোতিষ শ্রাস্ত্রের উল্লেখ আছে।এই শ্রাস্ত্রের দিকপাল রা হলেন ঋষি ভৃগু, ঋষি পরাশর,ঋষি কনাদ, অষ্টবক্রমুনি,বরাহমিহির,আর্যভট্ট,লিলাবতী ।যারা এই শ্রাস্ত্রের গানিতিক প্রয়োগ করে প্রমাণ করেছেন শ্রাস্ত্রের শুভ দিক।তাদের নিয়ে আমার আজকের প্রতিবেদন।আমার দীর্ঘ ৩৬ বৎসরের অভিজ্ঞতা ও অধ্যায়ন আমাকে এই শ্রাস্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলেছে।আপনাদের ভালো লাগার জন্য আমার এই প্রয়াস।ঐ মহান মুনি ঋষি দের নিয়ে আজকের লেখা,অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, গানিতিক প্রয়োগে সমৃদ্ধ, আমাদের গর্বের বেদ,উপনিষদ,রামায়ণ ওমহাভারত সমস্ত ধর্তগ্ৰন্থে সমাদৃত, নালন্দা, তক্ষশীলা,ও বিক্ষমশীলা প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ‍্য এই মহান শ্রাস্ত্র কে আমরা জানার ও মনের গভীরে জায়গা করে দিই।এই শ্রাস্ত্রের প্রয়োগে রয়েছে দীর্ঘ অধ‍্যায়ন(কমকরে ৩০-৪০ বৎসর),নিষ্ঠা ও সৎচিন্তা ভাবনা।যা বর্তমানে খুব কম দেখা যায়,বতর্মানে প্রচারের আবরনে ঢাকা পরে গিয়েছে এর গুনগতমান।(এই শ্রাস্ত্রের প্রতি সকলকে উৎসাহিত করাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) ।

****ভারতীয় জোতিষ শ্রাস্ত্রের শ্রষ্টা ও গুরুত্ব****

১)ঋষি ভৃগু
ভৃগু নিয়ে ধর্ম শাস্ত্র যা বলেছে তার শুরুতেই পাই ভৃগু কর্ত্তৃক মনু-সংহিতা কথনারম্ভ-

“ততস্তথা স তেনোক্তো মহর্ষিমনুনা ভৃগুঃ ।
তানব্রবীদ্ ঋষীন্ সর্বান্ প্রীতাত্মা শ্রূযতামিতি ।।৬০”

অর্থ: অনন্তর মহর্ষি ভৃগু ভগবান মনু কর্ত্তৃক এই প্রকার অভিহিত হইয়া ‘শ্রবণ করুন’ বলিয়া তাঁহাদিগকে বলিতে লাগিলেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে– প্রজাপতি, ঋষি এবং ভার্গব বংশের প্রতিষ্ঠাতা। ভৃগুকে ধনুর্বেদ বিদ্যার জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

একবার ব্রহ্মা বরুণের একটি যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করলে, ভৃগু উক্ত যজ্ঞ থেকে জন্মগ্রহণ করেন। এঁর স্ত্রীর নাম ছিল পুলোমা। উল্লেখ্য, ভৃগুর স্ত্রী হওয়ার পূর্বে পুলোমা নামক এক রাক্ষস এঁকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু পুলোমা'র পিতা রাক্ষস-পুলোমার হাতে কন্যাকে সমর্পণ না করে ভৃগুর সাথে বিবাহ দেন। ফলে রাক্ষস ভৃগুপত্নীকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একবার গর্ভবতী পুলোমাকে ঘরে রেখে ভৃগু স্নানে যান। ভৃগু যাবার সময় ঘরের অধিষ্ঠিত অগ্নির উপর স্ত্রীর রক্ষাভার দিয়ে যান। এই সুযোগে রাক্ষস পুলোমা ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করতে আসেন। তিনি অগ্নির কাছে প্রশ্ন করেন যে, পূর্বে আমি এই কন্যাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য মনে মনে বরণ করেছিলাম। এরপর ভৃগু একে স্ত্রী হিসাবে লাভ করেন। আইনত পুলোমা (ভৃগুপত্নী) তাঁরই স্ত্রী হওয়া উচিৎ। উত্তরে অগ্নি বলেন যে,– যেহেতু মন্ত্রপাঠ করে তুমি তাঁকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর নি তাই সে তোমার স্ত্রী নয়। এরপর রাক্ষস বরাহরূপ ধারণ করে, ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে ভৃগুপত্নী'র গর্ভস্থ সন্তান চ্যাবন ভূমিষ্ট হয় এবং চ্যাবনেরর তেজে এই রাক্ষস ভস্মীভূত হয়। ভৃগু গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর, কেন অগ্নি তাঁর স্ত্রী পুলোমাকে রক্ষা করেন নাই, এই কারণে অগ্নিকে 'সর্বভুক্ হও' অভিশাপ দেন। এরপর অগ্নি নিজেকে অগ্নিহোত্র যজ্ঞ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। ফলে দেবতারা হব্য থেকে বঞ্চিত হতে থাকলে- ব্রহ্মা অগ্নিকে বলেন যে, কেবলমাত্র গুহ্যদেশের শিখা ও ক্রব্যাদ (মাংসভক্ষক) শরীর সর্বভুক হবে এবং মুখে যে আহুতি দেওয়া হবে, তাই দেবগণের ভাগরূপে গৃহীত হবে।
[মহাভারত, আদিপর্ব, পঞ্চম-সপ্তম অধ্যায়। ] ১

বিষ্ণুপুরাণের মতে– ইনি ব্রহ্মার মানস পুত্র। মনু সংহিতার মতে ইনি দশজন প্রজাপতির অন্যতম। ইনি কর্দমের কন্যা খ্যাতিকে বিবাহ করেছিলেন। খ্যাতির গর্ভে তাঁর দুটি পুত্র এবং একটি কন্যা জন্মে। দুই পুত্রের নাম ছিল– ধাতা ও বিধাতা এবং কন্যার নাম ছিল লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর সাথে বিষ্ণুর বিবাহ হয়।
[বিষ্ণুপুরাণ। দশম অধ্যায়। ভৃগু আদি বংশ পর্যায়]

কবার বীতহব্য নামক এক রাজা প্রতর্দন নাম এক রাজপুত্রের কাছে পরাজিত হয়ে ভৃগুর শরণাপন্ন হন। প্রতর্দন পরাজিত শত্রুকে খুঁজতে খূঁজতে ভৃগুর আশ্রমে এলে– ইনি বীতহব্যকে রক্ষার করার জন্য বলেন, তাঁর আশ্রমে ব্রাহ্মণ ভিন্ন কোন ক্ষত্রিয় নাই। ভৃগুর এই বাক্যের প্রভাবে বীতহব্য ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেন। একবার দেবতারা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মধ্যেকে শ্রেষ্ঠ কে, তা জানার জন্য ভৃগুর শরণাপন্ন হন। ভৃগু এই তিন দেবতাদের পরীক্ষার জন্য প্রথমে ব্রহ্মার কাছে যান। ইনি ইচ্ছা পূর্বক ব্রহ্মার প্রতি সম্মান না দেখালে, ব্রহ্মা তাঁর প্রতি তীব্র ক্রোধ প্রকাশ করেন। পরে স্তব দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে মহাদেবেরর কাছে যান। মহাদেবকে সম্মান না দেখানোর কারণে, মহাদেব তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হন। এবারও ভৃগু স্তব করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন। এরপর ইনি বিষ্ণুকে পরীক্ষা করার বিষ্ণুর আবাসস্থল গোলকধামে যান। সেখানে বিষ্ণুকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখে ইনি বিষ্ণুর বক্ষে পদাঘাত করেন।

বিষ্ণু ঘুম থেকে জেগে উঠে ভৃগুর পায়ে আঘাত লেগেছে মনে করে তাঁর পদসেবা করতে থাকেন। এরপর ভৃগু বিষ্ণুকেই শ্রেষ্ঠ দেবতা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। উল্লেখ্য এরপর থেকে বিষ্ণুর বুকে ভৃগুর পদচিহ্ন আঁকা রয়েছে।

ভগবান শ্রী বিষ্ণু বা গোপালের বিগ্রহ তৈরি করা হয় তখনি ভগবানের ডান বক্ষের দিকে ভৃগু মুনির চরন অংকন করা হয়। ভৃগু মুনির চরন ছাড়া গোপাল ঠাকুরের বিগ্রহ হয় না।

হিন্দু পুরাণে বিখ্যাত বা কুখ্যাত অভিশাপগুলোর কাহিনীতেও ভৃগু, তাঁর পত্নী, সন্তানদের প্রসংগ এসেছে বহুভাবে।

একবার দেবতা ও দৈত্যদের দুর্দান্ত যুদ্ধ চলছিল | দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে সুরকুল বীরবিক্রমে এগিয়ে চলেছে | ক্রমশ পশ্চাদপটে চলে যাচ্ছে দৈত্য বংশ | তাঁদের গুরু শুক্রাচার্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন মহাদেবের নিকট | তাঁর কৃপা প্রার্থনা করলেন | যাতে যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনা যায় মৃত সঞ্জীবনী সিদ্ধি |
শুক্রাচার্য চলে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ল অসুরদের আবাস স্থল | এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন দেবতারা | দিকভ্রান্ত হয়ে দৈত্যরা গেলেন ভৃগুপত্নীর কাছে | পুরাণে কোথাও তিনি কাব্য | কোথাও দিব্য | তিনি আচার্য শুক্রের মাতা | তাঁর কাছে বরাভয় ও আশ্রয় প্রর্থনা করলেন দৈত্যকুল |
ভৃগুপত্নী আশ্বস্ত করলেন দৈত্যদের | ঐশী ক্ষমতায় দেবতাদের তিনি স্থবির করে দিলেন | চলৎশক্তিহীন হয়ে স্থানুবৎ রইলেন দেবতারা | সেই সুযোগে পাল্টা আঘাত হানলেন দৈত্যরা | লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল স্বর্গলোক |
চলন শক্তিহীন দেবতারা মনে মনে প্রার্থনা করলেন ভগবান বিষ্ণু সমীপে | ভগবান বুঝলেন তাঁকে খুব সাবধানে অগ্রসর হতে হবে | কারণ ভৃগুপত্নী একজন নারী | বিষ্ণু দেবতা হয়ে একজন নারীকে আঘাত করতে পারেন না | এদিকে ভৃগুপত্নীর মৃত্যু না হলে দেবতারা চলনক্ষম হবেন না |
শ্রী বিষ্ণু এরপর ভয়ঙ্কর পশুর রূপে আক্রমণ করলেন ভৃগুপত্নীকে | আচার্যানী বুঝলেন তাঁর সামনে অবতাররূপী স্বয়ং বিষ্ণু | কিন্তু তিনি অভিশাপ দেওয়ার আগেই বিষ্ণু তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন সুদর্শন চক্রে |
নিহত স্ত্রীর নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন আচার্য ভৃগু | কমণ্ডলু থেকে মন্ত্রপুত জলের স্পর্শে |
ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রী বিষ্ণুকে অভিশাপ দেন | তিনি যে অবতার রূপে বধ করেছেন এক নারীকে‚ সেই অবতারেই তাঁকে আবির্ভূত হতে হবে | একবার নয় | বারবার অবতীর্ণ হতে হবে ধরাধামে | তার মধ্যে থাকবে মনুষ্য জন্মও | তাঁকেও ভোগ করতে হবে জীবনের দুঃখ কষ্ট |
ভৃগুর অভিশাপেই বিষ্ণুর দশাবতার | তবে সেখানেও তিনি নারী হন্তারক | রামচন্দ্র অবতারে বধ করেছেন তারকা রাক্ষসীকে | শ্রীকৃষ্ণ অবতারে হত্যা করেছেন পুতনাকে | অর্থাৎ অধর্মকে পরাস্ত করে ধর্ম সংস্থাপনার্থায় নারীও অবধ্য নয় |
চিরাচরিত ভাবে দেবতাদের আচার্য হয়ে থাকেন বৃহস্পতি | দৈত্যদের গুরু শুক্র | দুই পক্ষের বিরোধ পুরাণের ছত্রে ছত্রে |
মহর্ষি ভৃগু ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র | ঋক বৈদিক যুগে তিনি মনুর সমসাময়িক | মনুর সন্তান হল মানব | ভৃগুর সন্তানদের বলা হয় ভার্গব

বৈদিক জনপদ ব্রহ্মবর্তে দোশি পর্বতে বধূসার নদীর পাশে ছিল তাঁর আশ্রম | এখন এই অঞ্চল পরে রাজস্থান হরিয়ানা সীমান্তে | স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী‚ ভৃগু পরে চলে যান ভৃগুকচ্ছে ( আজকের গুজরাতে‚ নর্মদা নদীর পাশে )‚ জায়গাটির নাম কালক্রমে হয়ে দাঁড়ায় ভারুচ |
ভৃগুর এক পত্নী হলেন দক্ষকন্যা খ্যাতি | তাঁদের দুই পুত্র হলেন ধাতা ও বিধাতা | কন্যার নাম ভার্গবী | যিনি আবার বিষ্ণুপত্নী | আর এক পত্নী কাব্যমাতার পুত্র হলেন শুক্র | যিনি আবার শুক্রাচার্য রূপে অসুরদের গুরু হন | ভৃগুর পত্নী পুলোমা জন্ম দেন ঋষি চ্যবনের | আবার ভৃগুর এক পুত্র হলেন জমদগ্নি | যিনি আবার পরশুরামের পিতা |
প্রসঙ্গত বিষ্ণু ব্যতীত ত্রিদেবের ব্রহ্মা ও মহেশ্বরকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন ভৃগু | সে বিষয়ে পূর্বে উল্লেখ করেছি | আর একটি কথা জানিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় | এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি সূত্র থেকে সূত্রান্তরে পরিবর্তিত হয় | পাঠকের যদি মনে হয় দেবতার বিপরীতে মনুষ্য-ঔদ্ধত্যের এই আখ্যান ভিত্তিহীন‚ তবে বলে রাখি এর উৎস মৎস্যপুরাণ | ২

ছোটকাল থেকে আমরা যে সপ্তর্ষীমন্ডলের কথা শুনে এসেছি, বা দেখেছি আগ্রহ ভরে আকাশের দিকে চেয়ে- সেই সপ্ত ঋষির একজন ছিলেন ভৃগু। হিন্দু পুরাণের নানা উৎসে সাত ঋষির নাম পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে | সাত ঋষি হলেন ভৃগু‚ অত্রি‚ অঙ্গীরা‚ বশিষ্ঠ‚ পুলস্থ্য‚ পুলহ ও ক্রতু |

পৃথিবীতে যতপ্রকার কঠিন ও দুর্বোধ্য শাস্ত্র রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র তার মধ্যে অন্যতম একটি শাস্ত্র । সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের জন্য যত প্রকার শাস্ত্র পৃথিবীতে আছে তার মধ্যে জ্যোতিষ শাস্ত্র অন্যতম। অতীব আকর্ষনীয় ও বিষ্ময়কর শাস্ত্র। দর্শন কলা , বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার গবেষণায় মহামিলন ঘটেছে এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে। বাস্তুশাস্ত্র এটিও জ্যোতিষ শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত । জ্যোতি এর সাথে ঈশ ধাতু যুক্ত হয়ে জ্যোতিষ হয়েছে। জ্যোতি মানে আলো তাহলে জ্যোতিষ মানে হয় জ্ঞানের আলো। যে প্রদীপের আলোক শিখা যত বেশি প্রসারিত থাকে সেই প্রদীপ তাতো দূর আলোকিত করতে পারে অর্থাৎ যত জ্ঞান ততই দূরদর্শিতা। তাই জ্যোতিষ কে বেদ এর চক্ষু ও বলা হয়েছে।
মনু স্মৃতি মতে,মহর্ষি ভৃগুই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। এবং তাঁর সেই জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘ভৃগু সংহিতা’য়। প্রথমে তিনি ৫ লাখেরও বেশি ভবিষ্যতবাণী লিপিবদ্ধ করেন বলে জানা যায়। এটা স্মর্তব্য যে মহর্ষি ভৃগু রচনা করেছেন জ্যোতিষ-সহ অন্যান্য শাস্ত্রের প্রামাণ্য আকর গ্রন্থ ভৃগুসংহিতা |
কয়েক জনমেও জ্যোতিষ শাস্ত্রের সব জ্ঞান জানা সম্ভবপর নহে । জন্ম জন্মান্তরের বিষয় এটি । চর্চাই জ্ঞানের ধারক ও বাহক । সংযম ও মহাসাধনা ছাড়া এক জনমে এই শাস্ত্র আয়ত্ব করা সম্ভব নয়।

২)ঋষি পরাশর

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, ঋষি বিশেষ। বেদের অনেক মন্ত্রের রচয়িতা। এঁর রচিত সংহিতা 'পরাশর-সংহিতা' নামে খ্যাত।

বশিষ্ঠ মুনির পুত্র শক্ত্রির ঔরসে ও অদৃশ্যন্তীর গর্ভে এঁর জন্ম হয়। বিশ্বামিত্রের সাথে দ্বন্দ্বের সূত্রে, বশিষ্ঠ তাঁর সকল পুত্র হারান। উল্লেখ্য, বিশ্বামিত্রের আদেশে কিংকর নামক এক রাক্ষসের আত্মা কল্মাষপাদের শরীরে প্রবেশ করে। এই রাক্ষস বশিষ্ঠের একশত পুত্রের সকলকেই হত্যা করে খেয়ে ফেলে। সকল পুত্র হারিয়ে বশিষ্ঠ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি বিভিন্ন দেশে ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়ান। এইভাবে কিছুদিন কাটিয়ে ইনি দেশের দিকে রওনা দেন। চলার পথে পিছনে বেদ পাঠ শুনতে পেয়ে, পিছন ফিরে তাঁর পুত্রবধূকে (শক্ত্রির স্ত্রী) দেখতে পান। তিনি অবিলম্বে জানতে পারেন যে পুত্রবধূর গর্ভস্থ শিশু এই বেদমন্ত্র উচ্চারণ করছেন। এরপর তিনি খুশি মনে পুত্রবধূকে সাথে নিয়ে আশ্রমের পথে রওনা হন। পরে যথাসময়ে পুত্রবধুর সন্তান প্রসব করলে, তিনি এর নাম রাখেন পরাশর। বশিষ্ঠ নিজের জীবন 'পরাশু' অর্থাৎ বিসর্জন দিতে কৃতসংকল্প ছিলেন বলে এঁর নাম রাখা হয় পরাশর।

বড় হয়ে একদিন তিনি বশিষ্ঠকে পিতা বলে ডাকলে, অদৃশ্যদন্তী পরাশরকে তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত ও পিতার পরিচয় দেন। পিতার মৃত্যুর কারণ রাক্ষস জেনে, তিনি রাক্ষসদের ধ্বংসের জন্য একটি রাক্ষস-সত্র যজ্ঞের আয়োজন করেন। উক্ত যজ্ঞে একে একে বিভিন্ন রাক্ষসরা ধ্বংস হতে থাকলে— অত্রি, পুলস্ত্য, ক্রতু ও অন্যান্য ঋষিরা রাক্ষসদের জীবন রক্ষার জন্য যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা পরাশরকে বলেন যে, যেহেতু এই সকল রাক্ষসরা তোমার পিতার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানেন না, সুতরাং সেই কারণে সকল রাক্ষস ধ্বংস করা অনুচিত। এরপর পরাশর এই যজ্ঞ সমাপ্ত করেন।

এর কিছুদিন পর পরাশর তীর্থ শেষ করে যমুনা তীরে আসেন। যমুনানদীতে খেয়া নৌকার ভিতর পরাশর মুনি সত্যবতীর (মৎস্যগন্ধা) সাথে মিলিত হলে, সত্যবতী গর্ভবতী হন। পরে যমুনা'র একটি দ্বীপে সত্যবতী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এই সন্তানের গায়ের রঙ কালো এবং যমুনার দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন বলে এর নাম রাখা হয় কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন।ইনি তার লেখা প‍রাশর সংহিতা তে ভারতীয় জোতিষ শ্রস্ত্রকে সমাদৃত করেছেন।

৩)ঋষি কনাদ
বৈশেষিক দর্শনকার কণাদ ঋষি খ্ৰীঃ পূঃ ১২শ শতাব্দীতে বৰ্ত্তমান ছিলেন। তিনি তণ্ডুলকণা ভক্ষণ করিতেন বলিয়া তাঁহার নাম কণাদ হইয়াছিল বলিয়া মনে হয়। তাঁহার প্রকৃত নাম উলুক বলিয়৷ তাঁহার প্রণীত দর্শন ‘ঔলুক্যদর্শন’ নামে খ্যাত। তিনি প্রভাসক্ষেত্রে বাস করিতেন এবং তাঁহার গুরুর নাম সোমশৰ্ম্মা ছিল। কনাদের মতে ভাব-পদার্থ—দ্রব্য, গুণ, কৰ্ম্ম, সামান্য, বিশেষ ও সমবায়—এই ছয়টী। তাঁহার মতে এই ষট্‌-পদার্থ সম্বন্ধে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিতে পরিলেই মুক্তি লাভ হয়। কণাদ পরমাণু-বাদী ছিলেন। তাঁহার মতে—অদৃষ্ট কারণ বিশেষ দ্বারা পরমাণুর সংযোগ বিয়োগের দ্বারাই জগতের উৎপত্তি। তেজঃ ও আলো একই মূল পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা মাত্র। ইহা তিনিই প্রথম আবিস্কার করেন। বর্ত্তমান সময়ে ইউরোপে পরমাণুবাদ সৰ্ব্বত্র গৃহীত। এই পরমাণুবাদ আমাদের দেশেই সৰ্ব্ব প্রথমে আবিষ্কৃত হইয়াছে। মহর্ষি কণাদই ইহার আবিষ্কৰ্ত্তা। মহর্ষি কণাদের জড়পদার্থের জ্ঞান সম্বন্ধে সমধিক দৃষ্টি ছিল। সেই জন্যই তিনি পরমাণুবাদ স্থাপন করেন। মেঘ, বিদ্যুৎ, বজ্রাঘাত, ভূমিকম্প, করকা, হিমশীলা, বৃক্ষের রস সঞ্চার, চুম্বক ও চুম্বকার্ষণ, গতি, জড়ের সংযোগ ও বিয়োগাদি গুণ ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে তাঁহার চিন্তা ধারা ধাবিত হইয়াছিল। বড়ইদুঃখের বিষয় যে পরবর্ত্তীকালে আর কোনও পণ্ডিতের দৃষ্টি এইদিকে আকৃষ্ট হয় নাই। সুতরাং জড়বিজ্ঞানের উন্নতি ভারতবর্ষে আর হইল না। গ্ৰীসদেশীয় পণ্ডিত ডেমক্রিটাস ইউরোপে প্রথম পরমাণুবাদ আবিষ্কার করেন। তিনি কণাদের পরবর্তী।
(২) জৈনদর্শনাচার্য্য। তিনি জৈনমতে বৈশেষিকদর্শন প্রণয়ন করেন। তাঁহার গুরুর নাম রোহ গুপ্ত। তিনি খ্ৰীঃ পূঃ ৭১ অব্দে বৰ্ত্তমান ছিলেন।
(৩) কণাদ নামে এক জন জ্যোতিষ সংহিতার রচয়িত ও ছিলেন।
(৪) তিনি নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমের অন্যতম ছাত্র। তিনি ‘অনুমান মণি ব্যাখ্যা’ গ্রন্থের রচয়িতা। খ্ৰীঃ চতুর্দ্দশ শতাব্দীর শেষভাগে তিনি বর্ত্তমান ছিলেন।

৪)বরাহমিহির:

বরাহমিহির প্রাচীন ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক (আনুমানিক ৫০৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫৮৭ খ্রিস্টাব্দ) এক জন বিখ্যাত দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি। তিনি ‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’ নামের একটি মহাসংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তাঁর জীবদ্দশার সময়কার গ্রিক, মিশরীয়, রোমান ও ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের সার লিপিবদ্ধ হয়েছে। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সব চেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় বিজ্ঞানীদের অন্যতম। জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও গণিতশাস্ত্র, পূর্তবিদ্যা, আবহবিদ্যা, এবং স্থাপত্যবিদ্যায় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কলা ও বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখায় ব্যাপক অবদান রাখেন। উদ্ভিদবিদ্যা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান থেকে পুরাকৌশল --- জ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ পদচারণা।

জীবন ও কর্ম
এই মনীষীর জন্ম ভারতের অবন্তিনগরে (বর্তমান উজ্জয়িনী)। গুপ্ত রাজা বিক্রমাদিত্যের সভার নবরত্নের অন্যতম হিসেবে তিনি স্বীকৃত। ভারতীয় পঞ্জিকার অন্যতম সংস্কারক ছিলেন তিনি। তিনিই বছর গণনার সময় বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে ধরার প্রচলন করেন। আগে চৈত্র এবং বৈশাখকে বসন্ত ঋতুর অন্তর্গত ধরা হতো। পৃথিবীর আকার এবং আকৃতি সম্বন্ধে তার সঠিক ধারণা ছিল। তার জন্ম ৫৮৭ খ্রিস্টাব্দ ধরা হলেও কারও কারও মতে তা ৫৭৮খ্রিস্টাব্দ।

বরাহমিহির ছিলেন শক জাতিভুক্ত। সে সময় আফগানিস্তান, পঞ্জাব, সিন্ধু ও রাজপুতানা (বর্তমান রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ) নিয়ে গঠিত এক বিরাট এলাকা জুড়ে শকস্তান নামের এক রাজ্য অবস্থিত ছিল। শকরা ছিল মূলত পূর্ব ইরান থেকে আগত একটি গোত্র। মিহির নামটি ফার্সি "মিথ্‌রা" শব্দ থেকে এসেছে। ভারতের প্রাচীন মথুরা রাজ্যের নামও এই ফার্সি শব্দটি থেকে এসেছে।

বরাহমিহির তাঁর রচিত ‘বৃহজ্জাতক’ গ্রন্থে বলেছেন, তিনি আদিত্যদাসের সন্তান, তিনি তাঁর পিতার কাছ থেকে শিক্ষালাভ করেছিলেন কাপিত্থক নামক স্থানে এবং অবন্তি নামক স্থানে বসবাস করার সময় তিনি এই (বৃহজ্জাতক) গ্রন্থটি রচনা করেন।

গ্রন্থাবলি
বরাহমিহির তিনটি বিষয়ের উপর গ্রন্থ রচনা করেন, যথা - তন্ত্র বা গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা, হোরা (জাতক) বা কুন্ডলী এবং সংহিতা বা সাধারণ জ্যোতিষবিদ্যা। বরাহমিহির তিনটি প্রধান গ্রন্থ রচনা করেন: ‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’, ‘বৃহৎসংহিতা’ ও ‘বৃহজ্জাতক’। এ ছাড়াও তিনি আরও ৫টি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষবিদ্যায় অবদান
বরাহমিহিরকে আধুনিক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তাঁর আগে ভারতবর্ষের জ্যোতিবির্জ্ঞানের মূল গ্রন্থ ছিল ‘বেদাঙ্গ জ্যোতিষ’, যা খ্রিস্টপূর্ব ১৪শ শতকে রচিত হয়েছিল। এটি অনুসারে ৬৭টি চান্দ্র মাস নিয়ে গঠিত পাঁচ বছরে একটি যুগ হয় এবং এটিতে রাহু ও কেতু নামের দুইটি ধারণা দিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। ‘বেদাঙ্গ জ্যোতিষ’ প্রায় ১৫০০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রধান আকরগ্রন্থ ছিল। কিন্তু বরাহমিহির তাঁর ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ নামক রচনাতে যে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থার কথা বর্ণনা করেন, তা ছিল অনেক বেশি সঠিক। ফলে এর পর থেকে ভারতে তাঁর বর্ণিত ব্যবস্থাটিই প্রচলিত হয়ে যায়।

পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞানে বরাহমিহিরের জ্ঞান ছিল অনুপুঙ্খ। তার মহাগ্রন্থ ‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’য় তিনি প্রথমে ভারতীয় স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারাগুলির বর্ণনা দেন এবং শেষের দুইটি খণ্ডে পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলিতে গ্রিক ও আলেকজান্দ্রীয় ঘরানার গণনা, এমনকী টলেমীয় গাণিতিক সারণি ও ছকের পূর্ণাঙ্গ রূপ স্থান পেয়েছে।

গণিতশাস্ত্রে অবদান
বরাহমিহির গণিতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আবিষ্কার করেন।

তিনি ১ম আর্যভট্টের প্রদত্ত সাইন সারণিগুলির উন্নতি সাধন করেন; তাঁর দেওয়া মানগুলি ছিল অধিকতর নিখুঁত। এর ফলে ভারতীয় জ্যোতির্বিদেরা আরও নিখুঁতভাবে গণনা করার সুযোগ পান। বরাহমিহির ‘এন’ সংখ্যক বস্তু থেকে ‘আর’ সংখ্যক বস্তু পছন্দ করার সমস্যা তথা ‘সমাবেশ’-এর সমস্যাটিকে ভিন্ন ভাবে সমাধান করার প্রয়াস নেন। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি এক ধরনের সারণি নির্মাণ করেন। এই সারণিটিই বহু শতাব্দী পরে ইউরোপে ‘পাস্কালের ত্রিভুজ’ নাম নিয়ে পুনরাবিষ্কৃত।ইনি ত্রিকোনমৃতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানিয়েছেন

৫)আর্যভট্ট:

জ্যোতির্বিদ্যায় আর্যভট্টের অবদান
আর্যভট্ট (৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ – ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে এক জন। তাঁর নামে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ‘আর্যভট্ট’ রাখা হয়।

জন্ম
আর্যভট্টের কাজ থেকে তাঁর জন্মসাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও তাঁর জন্মস্থান নিয়ে সুবিশেষ কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আর্যভট্টের অন্যতম ভাষ্যকার প্রথম ভাস্করের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর জন্ম হয়েছিল অশ্মকা নামের একটি জায়গায়। প্রাচীন বৌদ্ধ এবং হিন্দু রীতিতে এই জায়গাটিকে নর্মদা এবং গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে দক্ষিণ গুজরাত এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের আশেপাশের একটি জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

উচ্চশিক্ষা
কিছু তথ্যমতে জানা যায় যে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য কুসুমপুরায় গিয়েছিলেন। তিনি কুসুমপুরায়ই বসবাস করতেন। তাঁর ভাষ্যকার প্রথম ভাস্কর এই স্থানকে পাটলিপুত্র নগরী অভিহিত করেছেন। তিনি কুসুমপুরের আর্যভ নামে খ্যাত ছিলেন। তাঁর কাজের অধিকাংশই তিনি করেছিলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কেউ কেউ বলেছেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবেও আর্যভট্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রধান অবদান
প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দু’টি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। ‘আর্য-সিদ্ধান্তের’ কোনও পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে। আর্যভট্ট গ্রন্থ রচনা করেছেন পদবাচ্যের আকারে।

আর্যভট্টীয়
মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায়‌ দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলি রয়েছে। অন্য দিকে গণিতপাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম ‘এন’ সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টি এবং একটি সাইন অনুপাতের সারণি রয়েছ। তা ছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গণিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন।

জ্যোতির্বিদ্যায় আর্যভট্টের অবদান
আর্যভট্টীয় বইটির গোলপাদ অংশে আর্যভট্ট উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবী নিজ অক্ষের সাপেক্ষে ঘোরে। তিনি পৃথিবীর আক্ষিক গতির হিসাবও করেছিলেন। তাঁর হিসেবে পৃথিবীর পরিধি ছিল ৩৯,৯৬৮ কিলোমিটার, যেটা সে সময় পর্যন্ত বের করা যে কোনও পরিমাপের চেয়ে শুদ্ধতর (ভুল মাত্র ০.২%)। আর্যভট্ট সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের হিন্দু পৌরাণিক ধারণার পরিবর্তে প্রকৃত কারণগুলো ব্যাখ্যা করে গেছেন। সেই সঙ্গে তিনি সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল নির্ণয়ের পদ্ধতিও বের করেছিলেন। আর্যভট্ট বলেছিলেন যে চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলোর প্রতিফলনেরই ফলাফল।১ থেকে ৯ এই সংখ্যা গুলি তিনি ই চিনিয়েছেন 0 তার অন্যতম আবিষ্কার।

৬)জোতিরবিদ লীলাবতী

• লীলাবতী (প্রাচীন বিজ্ঞানী / আচার্য ভাস্করের কন্যা)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

লীলাবতী ছিলেন বিখ্যাত প্রাচীন ভারতীয় গনিত বিদ আচার্য ভাস্করের কন্যা।
লীলাবতী নামের মহাকাব্যটির রচয়িতা মেয়েটির পিতা এই উপমহাদেশেরই প্রাচীন উজ্জ্বয়নী মানমন্দিরের প্রধান আচার্য ভাস্কর (Bhaskara Acharya), যিনি বরাহমিহির (Varahmihira) ও ব্রহ্মগুপ্তের (Brahmagupta) গণিতের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান বহুদূর এবং যাঁকে বলা হয় দ্বাদশ শতকের গণিত ও মহাকাশ বিজ্ঞানের শীর্ষবিন্দু। ক্যালকুলাস, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংখ্যাতত্ত্ব এবং সমীকরণ সমাধানে তাঁর জ্ঞানের সমকক্ষতা অর্জন করতে পৃ্থিবীতে কেটে যাবে আরও কয়েকশ বছর। এবং পৃ্থিবীর মানুষ বিস্ময়ে জানবে উইলিয়াম ব্রাউংকার, পিয়েরে দ্য ফামা (Pierre de Fermat), লিউনার্দো অয়লার (Leonhard Paul Euler) ও রলি’র মত মহান গণিতজ্ঞদের অনেক অবদান আসলে একেবারে নতুন কিছু নয়, বহু পূর্বেই পৃ্থিবীকে তা দিয়ে গিয়েছেন আচার্য ভাস্কর।

লীলাবতী ছিলেন অসামান্য ধীমতী এক মহিলা। তার জন্ম খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে। প্রাচীন ভারতের অদ্বিতীয় জ্যোতির্বিদ ভাস্করাচার্য একমাত্র কন্যা লীলাবতীর ভাগ্যগণনায় জেনেছিলেন যে, তার অকাল বৈধব্য ঘটবে। আর সে কারণেই তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লীলাবতীর বিয়ের শুভক্ষণ স্থির করেছিলেন। কিন্তু লীলাবতীর অসাবধানতায় তার পিতার কাল নির্ণয়ে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বিয়ের কিছুদিন পরই লীলাবতীর স্বামী মারা যান। অকাল বৈধব্য ঘটায় আচার্য ভাস্কর লীলাবতীকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। গনিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের অসামান্য এই পণ্ডিত কন্যাকে গনিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান শিখিয়েছিলেন।

তার উদ্দেশ্যও সফল হলো। 'সিদ্ধান্তশিরোমণি' নামে ভাস্করাচার্য যে বিখ্যাত গ্রন্থটি রচনা করেন, তার তৃতীয় খণ্ডটি রচনা করেছিলেন লীলাবতী নিজে। আর এজন্য ভাস্করাচার্য গ্রন্থটির নাম দেন 'লীলাবতী'। পাটিগণিত ও বীজগণিতের এই সূত্রগুলো আজও লীলাবতীর নামেই পরিচিত।

এই প্রাচীন প্রাজ্ঞ নারীকে জানাই প্রণাম।
____________________________

বিজ্ঞান বিশ্বে সভ্যতার আদি হতে অবদান রেখে চলেছে বৈদিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানী গন।যখন ইউরোপে ভালভাবে কাপড় বোনার প্রযুক্তিও ভালভাবে রপ্ত হয়নি তখন প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানীরা পাই এর মান বের করেছেন,পৃথিবী সূর্যের দূরত্ব বের করেছেন, ত্রিকোণমিতির সুত্র বের করেছেন,ক্যালকুলাসের মৌলিক বিষয় নিয়ে চর্চা করেছেন,জ্যামিতির সুত্রপাত করেছেন,জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করেছেন।কিন্তু যখনই ভারত বিদেশি শাসনের অন্তরালে বন্দী হয়েছে তখন থেকেই শুরু হয়েছে অন্ধকার যুগের যার রেশ এখনও বয়ে চলেছে এই ভারতীয় উপমহাদেশ।
এছাড়া আরও অনেক দিকপাল আছে যারা জোতিষ শ্রাস্ত্র কে সমাদৃত করেছেন, তাদের কথা আর একদিন বলবো।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190926075423

Wednesday, September 25th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

পূজায় ঘট অপরিহার্য

পূজায় ঘট অপরিহার্য

সুপ্রভাত
***আজকের বিষয় পূজার ঘট***

''যে কোন পূজায় ঘট কেন অপরিহার্য?''----

ঘট আমাদের দেহের প্রতিরূপ।পূজার সময় পঞ্চগুড়ি দিয়ে পিঠ তৈরী করা হয়।এই পঞ্চগুড়ি,পঞ্চমহাভূত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম এর প্রতীক।এই পঞ্চমহাভূতের উপর মৃত্তিকা দিয়ে পিঠ করা হয়।

মৃত্তিকা বেদীর উপর পঞ্চশষ্য দেওয়া হয়।পঞ্চশষ্য আমাদের কাম ক্রোধ,লোভ,মোহও মাৎসর্য্য এই পঞ্চবৃত্তির প্রতীক।এর উপর ঘটস্থাপন করা হয়।

ঘট আমাদের দেহের প্রতীক।আধ্যাত্মিক ভাষায় দেহকে দেহ ঘট বলা হয়।

ঘটের ভেতর পঞ্চরত্ন দেওয়া হয়।আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় যথা-চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা,ত্বক ওজিহ্বা হলো পঞ্চরত্ন।

এরপর ঘটে জল ঢেলে পূর্ণ করা হয়।জল হলো দেহরস অর্থাৎ রক্ত।

ঘটে এবার পঞ্চ পল্লব দেওয়া হলো ,যা আমাদের গ্রীবা বা গলার রূপ।

আমাদের গ্রীবায় পঞ্চবায়ু অর্থাৎ পান,অপান,উদান,সমান ও ব্যান থাকে।এই পঞ্চবায়ুই পঞ্চ পল্লবের প্রতীক।

এর উপরে ডাব বা নারকেল দেওয়া হয়।আমাদের মুখের মতোই নারিকেলেরও চোখ মুখ,নাক দেখা যায়।সেই কারণেই নারকেল আমাদের মুখ মন্ডলের প্রতিরূপ।মস্তক থাকলে তাতে আচ্ছাদন দিতে হয়,আর সেই কারণে নারকেলের উপর গামছা বা বস্ত্র দেওয়া হয়।এই হলো আমাদের দেহের প্রতিরূপ ।

ঘট কিভাবে স্থাপন করবেন?

ঘট স্থাপন করতে প্রয়োজন মাটি ( গঙ্গা মাটি হলে ভালো, অভাবে কোন পবিত্র পুষ্করিণী বা কোন নদীর মাটি), ধান , ঘট ( মাটি, পিতল, তামার ঘট প্রশস্ত – অভাবে স্টিলের ঘট ), জল, পল্লব ( আম্র পল্লব প্রশস্ত অভাবে অশ্বত্থ, বট, পাকুর ও যজ্ঞডুমুর পাঁচ বা সাতটি পাতা একত্রে ), গোটা ফল ( সশীষ কচি ডাব প্রশস্ত- অভাবে কাঁঠালী কলা, হরিতকী ) , পুস্পমালা, সিন্দুর ( ঘৃত সিন্দুর বা সরিষার তৈল ও সিন্দুর গোলা ), নতুন গামছা লাগে । মূর্তি তে পূজো করলে ঘট সম্পূর্ণ আচ্ছাদনের জন্য লাল শালু কাপড়, ৪ টে তিরকাঠি ও লাল ধাগা লাগে অন্যথায় প্রয়োজন নেই । প্রথমে নরম মাটি ভিজিয়ে মাটিতে দিন। ঘটে স্বস্তিক বা পুত্তলিকা সিঁদুর দিয়ে অঙ্কন করে ঘটে জল পূর্ণ করুন। ঘটের মুখে পল্লব দিন, পল্লবের প্রতিটি পাতায় সিঁদুরের ফোটা দিন। পল্লবের উপরে ফল বসান, ফলে পুত্তলিকা অথবা পাঁচটি সিঁদুরের ফোটা দিন। এবার গামছা দিয়ে ফল ঢেকে দিন। মালা দিন ঘটে । এবার ঘট সেই মাটির ওপর অল্প ধান দূর্বা দিয়ে তার ওপর দেবতার সামনে বসান।

এবার মন্ত্র বলার পালা । সাধারণত ঋক, যজু, সাম বেদ মতে ঘট স্থাপন হয়। যেহেতু উত্তরপূর্ব ভারতে সাম বেদের মত বেশী- তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। মন্ত্র হল – ভূমিতে হাত দিয়ে বলুনঃ- ওঁ ভূমিরন্তরীক্ষং দ্যৌ র্দা ভূতায়াঃ । ধানে হাত দিয়ে বলুনঃ- ওঁ ধানাবন্তং করম্ভিণ- মপূপবন্তমুকথিনম্ । ইন্দ্র প্রাতর্জুযস্ব নঃ । জলে হাত দিয়ে বলুনঃ- ওঁ আ নো মিত্রাবরুণা ঘৃতৈর্গব্যৃতি মুক্ষতং । মধ্বা রজাংসি সুক্রুতু । পল্লব ধরে বলুনঃ- ওঁ অয়মুর্জাবতো বৃক্ষ উর্জীব ফলিনী ভব । পর্ণং বণস্পতে নুত্বা নুত্বা চ্ সূয়তাং রয়িঃ । ফল ধরে বলুনঃ- ওঁ ইন্দ্রং নরো নেমধিতা হবন্তে যৎ পার্য্যা যুনজতে ধিয়ন্তাঃ । শূরো নৃষাতা শ্রবসশ্চ কাম আগোমতি ব্রজে ভজা ত্বং নঃ । পুস্পমাল্য ধরে বলুনঃ- ওঁ পবমান বাশুহি রশ্মির্ভিবা জসাতমঃ । দধৎ স্ত্রোত্রে সুবীর্য্যাম ।। ইতি পুস্পেন । সিন্দুর ধরে বলুনঃ- ওঁ সিন্ধোরুচ্ছ্বাসে পতয়ন্তমুক্ষণং । হিরণ্যপাবাঃ পশুমপসু গৃভণতে ।। ঘট ধরে বলুনঃ- ওঁ ত্বাবতঃ পুরুবসো বয়মিন্দ্র প্রনেতঃ। স্মসি স্থাতর্হরীণাং ।। ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরো ভব । হাত জোর করে দেবতার আহ্বানের জন্য বলুন ( পুরুষ দেবতা অর্থাৎ ভগবান)ঃ- ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম্ । ইমং ঘটং সমারুহ্য দেবগণৈঃ সহ ।। ( মায়ের পূজোর ক্ষেত্রে )ঃ- ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম্ । ইমং ঘটং সমারুহ্য দেবিগণৈঃ সহ ।। এরপর যে দেবতার পূজা করছেন সেই দেবতার গায়ত্রী ঘটের ওপর ১১ বার জপ করুন। চাইলে ১০৮ বার ও জপ করতে পারেন। ধরুন সরস্বতী দেবীর পূজা করছেন, তাহলে ঘটের ওপর মা সরস্বতীর গায়ত্রী জপ করবেন। ধরুন শিবের পূজো করছেন, তাহলে ঘটের ওপর শিব গায়ত্রী জপ করবেন । তারপর নিয়ম মতন ৫ মুদ্রা দ্বারা সেই দেবতার আহ্বান করতে হয়। সেটা অন্যদিন প্রকাশ করা হবে । পূজার সময় ঘট কোন কারনে পড়ে যাওয়া ঘোর অমঙ্গল। সেক্ষেত্রে ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন করে ঘট বসাতে হবে। আর পূজা শেষে ঘট বিসর্জন ( গৃহ লক্ষ্মী পূজায় গুরুবারে ঘট বসানো ব্যতিক্রম ) করবেন। আর যদি বিসর্জন না করেন, তাহলে সেই ভগবান বা সেই দেবী ঘটেই অবস্থান করবেন। প্রত্যহ নিয়মিত আপনাকে পূজা করতে হবে। তাই বেশীরভাগ ভক্ত পূজান্তে ঘট বিসর্জন করেন

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190925072202

Tuesday, September 24th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

রত্ন ছাড়াও গ্ৰহের প্রতিবিধান

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আজকে আমি শিলিগুড়ির আদিগিনি হাউসে (আশ্রম পাড়া)আছি।

আজকের প্রতিবেদন, গ্ৰহপ্রতিকারে রত্ন অনেক ব‍্যায় বহূল,সকলের কেনার সামর্থ থাকে না ।সেই সমস্ত সাধারণ মানুষ যারা যাদের নুন আনতে পান্তা ফোরায়,তাদের কথা ভেবে আমি গ্ৰহ প্রতিকারে প্রতিটি গ্ৰহের বীজমন্ত্র লিখেছি, আজ মন্ত্র ছাড়া ও পিড়ীত গ্ৰহের শান্তি র জন্য বিশেষ কিছু উপাচার তুলে ধরলাম।আপনদের ভালো লাগলে কমেন্ট করুন ওশেয়ার করুন

গ্রহ দোষ নিবারণের উপায়
গ্রহদোষ নিবারণের জন্য নিচের প্রয়োগ গুলি যদি নিষ্ঠা পূর্বক বিধি মেনে অন্ততঃ পক্ষে ৪৫ দিন ধরে নিয়মিত করা যায় তবে সুফল লাভ করা যায় ।
এখানে সেই রকম কিছু প্রয়োগ দেওয়া হল ।

সূর্য গ্রহের প্রতিকার ঃ
১ বিষ্ণুর উপাসনা করতে হবে এবং হরি বংশ পুরান পাঠ করতে হবে ।
২ প্রতিটি কাজ মিষ্টি খেয়ে ও জলপান করে শুরু করতে হবে ।
৩ রবিবার ব্রত পালন করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে এবং কু কর্ম করা বন্ধ রাখতে হবে
৪ বহমান জলে গুর বা তামার পয়সা ফেলতে হবে ।
৫ তামা ও গম দান করতে হবে ।
৬ ঘরের সদর দরজার মুখ পূর্ব দিকে রাখতে হবে ।
৭ মানিক্য রত্ন সোনা বা তামার আংটি তে লাগিয়ে দান হাতের অনামিকায় ধারন করতে হবে

চন্দ্রের প্রতিকার ঃ
১ শিবের উপাসনা করতে হবে ।
২ সোমবার ব্রত পালন করতে হবে । পূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান করতে হবে ।
৩ চাল দুধ ও রুপা দান করতে হবে ।
৪ মা, শাশুড়ি , মাসি ও দিদিমার আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৫ পালঙ্কের চারটি পায়ায় চার কোনে একটি করে রুপার পেরেক ঠুকতে হবে ।
৬ অপরের পদ স্পর্শ করে আশীর্বাদ চাইতে হবে ।
৭ রুপার আংটি তে মীতি লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ধারন করতে হবে ।
৮ রুপার দুটি টুকরো নিয়ে একটি খণ্ড বহমান জলে ফেলতে হবে এবং দ্বিতীয় টুকরো টি আজীবন নিজের কাছে রাখতে হবে ।

মঙ্গলের প্রতিকার ঃ
১ হনুমান জী র উপাসনা করতে হবে ।
২ গায়ত্রী মন্ত্র রোজ যতবার সম্ভব জপ করতে হবে ।
৩ চোখে সাদা সুরমা লাগাতে হবে ।
৪ তন্দুরে তৈরি মিষ্টি রুটি বিতরণ করতে হবে ।
৫ মসুর মিঠাই বা মিষ্টি দ্রব্য দান করতে হবে ।
৬ মঙ্গলবার ব্রত রাখতে হবে । হনুমানজি কে চলা দান করতে হবে ।
৭ বুধবার তামার আংটি অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

বুধের উপায় ঃ
১ দুর্গা মাতার উপাসনা করতে হবে । দুর্গা সপ্ত দশী পাঠ করতে হবে ।
২ বুধবারের ব্রত রাখতে হবে । ঘরে সাদা গরু পুষতে হবে ।
৩হিজরে কে সবুজ কাপড় ও সবুজ চুরি দান করতে হবে ।
৪ দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক ছেঁদা করতে হবে ।
৫ খোসা সহ সবুজ মুগ দান করতে হবে ।
৬ কন্যা বোন পিসি মাসি ও শালির আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৭ পান্না সোনার আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরতে হবে ।

বৃহস্পতি র উপায় ঃ
১ ব্রমহার উপাসনা করতে হবে । গরুড় পুরাণ পাঠ করতে হবে ।
২ গুরুবারে ব্রত পালন করতে হবে । সাধুদের আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৩ মাথায় কেশরের তিলক লাগাতে হবে ।
৪ কেশর খেতে অথবা নাভিতে লাগাতে হবে ।
৫ কোন কাজ শুরু করার আগে নাক ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
৬ অশ্বথের শিকরে জল ঢালতে হবে ।
৭ ছোলার ডাল দান করতে হবে ।সোনার মাকড়ি পরতে হবে ।
৮ হ্লুদ পোখরাজ সোনার আংটিতে লাগিয়ে ধারন তর্জনী তে পরতে হবে ।

শুক্র গ্রহের উপায় ঃ
১ মহা লক্ষ্মী র উপাসনা করতে হবে । লক্ষ্মী সুক্ত পাঠ করতে হবে ।
২ শুক্রবার বৈভব লক্ষ্মীর ব্রত করতে হবে ।
৩ সাদা ও স্বচ্ছ কাপড় পরতে হবে ।
৪ সুগন্ধি পদার্থ এবং রুপার অলংকার ধারন করতে হবে ।
৫ ঘি দই কর্পূর ও মোতি দান করতে হবে ।
৬ নিজের খাদ্য বস্তু থেকে কিছুটা গাইকে খাওয়াতে হবে ।
৭ গোদান করতে হবে এবং সাদা জোয়ার দান করতে হবে ।
৮ হীরা ও জারকান রুপার আংটি তে লাগিয়ে অনামিকা বা মধ্যমা তে ধারন করতে হবে ।

শনি র উপায় ঃ
১ ভৈরব উপাসনা করতে হবে ।
২ শনিবারের ব্রত রাখতে হবে । সাপকে দুধ খাওয়াতে হবে ।
৩ তেল এবং মদ গাছের শেকড়ে ঢালতে হবে ।
৪ লোহা কলাই কালো কম্বল ইত্যাদি দান করতে হবে ।
৫ তেলে ভাজা রুটি কুকুর কে বা কাঁককে খাওয়াতে হবে ।
৬ কিকর এর দাঁতন করতে হবে ।শনিবার তেল দান করতে হবে ।
৭ নীলা রুপার আংটি তে লাগিয়ে মধ্যমা আঙ্গুলে পরতে হবে ।
৮ আসল কালো ঘোড়ার নালের টুকরো মধ্যম আঙ্গুলে সর্বদা ধারন করে রাখতে হবে ।

রাহুর উপায় ঃ
১ সরস্বতী উপাসনা করতে হবে ।
২ সর্ষে দান করতে হবে । মাথায় কাপড় রাখতে হবে ।
৩ তামাক সেবন নিষেধ ।
৪ মুলো দান করতে হবে ।বহমান জলে কয়লা ফেলতে হবে ।
৫ একান্ন বর্তি পরিবারে থাকতে হবে ।
৬ পকেটে সর্বদা রুপার একটি গুলি রাখতে হবে ।
৭ গোমেধ কে পঞ্চ ধাতুর আংটি তে লাগিয়ে অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

কেতুর উপায় ঃ
১ গণেশ উপাসনা করতে হবে ।
২ গণেশ চতুর্থী ব্রত রাখতে হবে কপিলা গাই দান করতে হবে ।
৩ কান ছিদ্র করতে হবে , ঘরে কুকুর পুষতে হবে ।
৪ কালো ও সাদা তিল বহমান জলে বইয়ে দিতে হবে ।
৫ তিল লেবু কলা দান করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে ।
৬ কুকুরকে রুটি টুকরো দিতে হবে । পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে ।
৭ ক্যাতস আইকে পঞ্চ ধাতুর আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ধারন করতে হবে ।

এই উপায় গুলি আপনাদের কে নব গ্রহের হাত থেকে মুক্তি দেবে আর আপনাদের জীবন সুখে শান্তি তে ভরে উঠুক ।শুধু প্রয়োজন গুনি জোতিষ আচার্য এর সঠিক পরামর্শ গ্ৰহন করা

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190924071057

Monday, September 23rd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

একটি নারকেল ই পারে ভাগ্য ফেরাতে

সুপ্রভাত
আজ থেকে আমি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিলীগুড়ীর আদি গিনি হাউসে(আশ্রমপাড়া) বসবো।

একটি নারকেলই পারে ভাগ্য ফেরাতে, কি বলছে ভারতীয় জ্যোতিষ?

হিন্দু উপাসনায় নারকেল এক অপরিহার্য বস্তু। পূর্ণ ঘটের উপরে ডাব স্থাপন না করলে কোনও পূজাই সম্পন্ন হয় না।

সমাজ-নৃতাত্ত্বিকদের মতে, পূর্ণ ঘট ও ডাব একত্রে এক বিশেষ প্রজনন-চিহ্ন, যা সভ্যতার আদিকাল থেকে মানুষের কাছে উপাস্য বলে বিবেচিত।

অন্যান্য সংস্কৃতিতে নারকেল বা ডাবের এই ব্যবহার আজ আর দৃষ্ট নয়। কিন্তু হিন্দু সংস্কৃতিতে ডাব বা নারকেল আজও বিপুল গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

পূজার্চনা ছাড়াও জ্যোতিষ বিশেষ গুরুত্ব দেয় নারকেলকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, নারকেল যে কোনও মানুষকে দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করে। জেনে নেওয়া যেতে পারে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে নারকেলকে শুভকারী বলে মনে করে ভারতীয় জ্যোতিষ?

** অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে প্রতি মঙ্গলবার আধ মিটার লাল কাপড় দিয়ে একটি নারকেলকে মুড়ে কোনও ব্যক্তির চারপাশে ঘুরিয়ে নিতে হয়, তাতেই ওই ব্যক্তি অশুভ নজর থেকে রক্ষা পান।

** আর্থিক সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে একটি নারকেল নিয়ে যাওয়া বিধেয়। সেখানে হনুমান মূর্তির পা থেকে সিঁদুর নিয়ে সেই নারকেলে স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকতে হবে। সেই সঙ্গে মন্দিরে বসে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে হবে। এমনটা ৮ সপ্তাহ করা বিধেয়।

** শনিগ্রহের কোপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতি শনিবার একটা নারকেল গঙ্গাজলে ডুবিয়ে ‘ওঁ রামদূতায়ঃ নমঃ’ এই মন্ত্র ৭ বার উচ্চারণ করতে হবে। এতে শ্রী হনুমানের প্রসাদপ্রাপ্ত হয়ে শনির কোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

** কালসর্প দোষ থেকে রক্ষা পেতে গেলে একটি শুকনো নারকেল এবং কম্বল কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে দান করা বিধেয়।

বিদ্র: প্রত‍্যেক সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বা শনিবার এই নারকেলের ঘট একটি পিতল কিংবা স্টেনলেশের ঘটিতে একটি আমার শাখা ও মালা পরিয়ে স্থাপন করবেন, এবং পূরানো ঘটের নারকেল সহ শাখা ও ফুল জলাশয় করবেন।মনে রাখবেন ঘটের নারকেল টি বেশীদিন রাখবেন না,কেননা তাতে নারকেলটি নষ্ট হয়ে যাবে, পচা পূর্ণ ফল ঠাকুর কে দিতে হয় না বা ঠাকুরের কাছে রাখতে হয় না।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190923183611

Saturday, September 21st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

বিভিন্ন কর্মে সফলতা পেতে জোতিষিক প্রতিবিধান

শুভ সন্ধ্যা

কর্ম জীবনে শান্তিলাভ করতে মেনে চলুন এই জ্যোতিষিক পরামর্শ।

মানুষ বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন দ্বারা নিজের বা পরিবারের জীবন ধারন করে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষকে প্রতিযোগিতার সন্মূখীন হতে হয়। এই প্রতিযোগিতায় জিততে হলে ভালো একজন গুরু বা জ্যোতিষ পরামর্শ বিষেশ আবশ্যক হয়। ভালো জ্যোতিষ মানুষের সময়ের পরিস্থিতি বিচারকরে সৎ পরামর্শ দিয়ে মানুষকে সাংসারিক অনাটন বা বিপদগ্রস্থ হইতে শান্তির আলো দেখাতে পারে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা নিজের জন্ম তারিখ ও সময় জানেন না। এর জন্য আমরা উক্ত ব্যাক্তিদের পেশা বা ব্যাবসায়ায় মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি সাধনের পরামর্শ উল্লেখ করলাম। আশা করি এইসব টোটকা বিচারে নিশ্চই অনেকটা লাভবান হবেন।

ক) চাকরিতে প্রমোশন বহুব্যাক্তি আছেন যারা নিজের কর্মক্ষেত্রে খুবই দায়িত্ব অনুসারে কাজ করার পরেও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ পদোন্নতি করতে পারছেন না। বা বেতন বৃদ্ধি হচ্ছেনা। তার জন্য কী করবেন ?

১। ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলিতে বার্মিস চুনী ৪/৬ রতি ধারণ করবেন।
২। প্রতিদিন তামার ঘটিতে জল নিয়ে সূর্য্যদেবকে উৎসর্গ করে প্রনাম করবেন।
৩) ত্রিপুরা সুন্দরী যন্ত্রম

খ )ডাক্তারী যে ব্যাক্তিরা ডাক্তারী পেশায় রয়েছেন, কিন্তু ভালো ডাক্তার হওয়া সত্বেও পেশায় সে রকম সুবিধা পাচ্ছেন না তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের অনামিকাতে বার্মিস চুনী ৪/৬ রতি ধারণ করবেন।
২। ডান হাতের কনিষ্ঠাতে পান্না ৫/৬ রতি ধারণ করবেন।
৩)শ্রী যন্ত্রম্

গ )ওকালতি যারা ওকালতি পেশায় কোন রকম সুবিধা করতে পারছেন না। তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের কনিষ্ঠায় ৬/৭ রতি পান্না ধারণ করবেন।
২। প্রতি বুধবারে কলাগাছে জল দেবেন। সঙ্গে প্রতি বুধবারে সবুজ সুতা হাতের কব্জিতে ধারণ করবেন।
৩)ধনদা কুবের যন্ত্রম

ঘ) খাদ্যদ্রব্য ব্যবসায়ী যে সকল ব্যাক্তিরা খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা করেন যেমন মুদিখানা, বেকারি প্রভৃতি ব্যবসা করেন কিন্তু ব্যবসায়ে বিশেষ উন্নতি হচ্ছেনা তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের তর্জনীতে পীতপোখরাজ ৪/৫ রতি অথবা গোল্ডেন টোপাজ ১৫/১৬ রতি ধারণ করবেন।
২। প্রতি বৃহস্পতিবারে কলা গাছে জল দেবেন এবং গুড় ও ছোলা কোন লাল রঙের গরুকে খাওয়াবেন।
৩)মাতঙ্গী যন্ত্রম

ঙ)বস্ত্রব্যবসায়ী যে সব ব্যাক্তিরা বিভিন্ন বস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অথচ ব্যবসায়ে বিশেষ উন্নতি করতে পারছেন না তারা কী করবেন ?
১। যদি শাড়ি / হোসিয়ারী / শিশুদের পোষাক বিক্রতা হন তবে ডান হাতের তর্জনীতে ৪ - ৬ রতি পীত পোখরাজ ধারন করবেন। অথবা গোল্ডেন টোপাজ ১৫/ ১৬ রতি ধারণ করবেন।

২। যদি পুরুষ/ মহিলাদের পোশাকের রেডিমেড ব্যবসায়ী হন তবে হলুদ জারকণ ৫/৬ রতি মাধ্যমাতে ধারণীয়।
৩। যদি সূতা বা থান ব্যবসায়ী হন তবে ডান হাতের তর্জনীতে ৪/৫ রতি পীত পোখরাজ অথবা ১৫/১৬ রতি গোল্ডেন টোপাজ সঙ্গে ১০/১২ রতি মুক্তা বিশেষ ফল দায়ক।
৪)সূর্য যন্ত্রম

চ)গৃহ নির্মান ব্যবসায়ী যে ব্যক্তিরা গৃহনির্মান কাজে যুক্ত আছেন কিন্তু ব্যবসায়ে কোন উন্নতি করতে পারছেন না তারা কী করবেন ?
১। যে ব্যাক্তিরা গৃহনির্মান কাজে যুক্ত বা গৃহ নির্মান সামগ্রী বিক্রয় করেন তারা ১০/ ১২ রতি রক্ত প্রবাল ধারণ করবেন।
২। যারা হার্ডওয়ার স‍্যানেটারি বা ফিটিং সংক্রান্ত ব্যবসা করেন তারা ৩/৪ রতি নীলা ধারণ করবেন।

৩। যারা বাড়ি / জমির দালালী করেন তারা ৮/১০ রতি রক্ত প্রবাল ধারণ করবেন।
৪)হনুমান যন্ত্রম

ছ)দালালী ব্যবসা বহু লোক আছেন ক্রেতা ও বিক্রতার মধ্যে সমন্ময়ে সাধন করে, এবং বিনিময়ে একটা লভ্যাংশ পান এই ধরণের ব্যাবসায়ীদের দালাল বা broker বলে। যারা এই ব্যাবসা করছেন কিন্তু কোন ভালো ফল পাচ্ছেনা তারা কী করবেন?
১। এই দালালী ব্যবসা করা ব্যাক্তিগণ ডান হাতের কনিষ্ঠাতে পান্না ৪-৬ রতি ব্যাবহার করবেন।
২। প্রতি বুধবারে শ্রীশ্রী গনেশ পূজা করবেন।
৩)নীল সরস্বতী যন্ত্রম

জ)বিউটি পার্লার /সেলুন ব্যবসা যে সকল মহিলারা বিউটি পার্লার চালান বা যেসকল পুরুষরা সেলুন বা বিউটি পার্লার ব্যবসা করেন অথচ ব্যবসা ভালো ভাবে চলছেনা তারা কি করবেন ? ১। যিনি সেলুন বিউটি পার্লারের মালিক তিনি ডানহাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতি ওজনের মুক্তা ধারণ করবেন।
২। যিনি মহিলা বিউটিসিয়ান তিনি ডান হাতের মধ্যমাতে একটি সাদা জারকন ৪-৬ রতি এবং বাম হাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতির মুক্তা ধারণ করবেন।
৩)মহালক্ষী / ভূবনেশ্বরী যন্ত্রম

ঝ)গাড়ী ব্যাবসায়ী আমাদের সমাজে দুইরকম গাড়ি ব্যবসায়ী আছে। একপ্রকারের নিজের গাড়ির ব্যবসা। আর এক প্রকার অন্যের গাড়ি ভাড়াতে চালিয়ে ব্যবসা করেন। যেমন ট্রাভেলার্স বা ট্রান্সপোর্ট মালিক। এই সব ব্যবসায়ী লোক অন্যের গাড়িও ভাড়াতে খাটান। এই ব্যাবসায় লাভবান না হলে কী করবেন?
১। নিজস্ব গাড়ি থাকা সত্বেও যদি লাভবান হতে না পারেন তাহলে ডান হাতের কনিষ্ঠাতে ৩/৪ রতির একটি ক্যাটসআই ধারণ করবেন। প্রতি শনিবারে শনিমন্দিরে আতপচাল কালো তিল লালবাতাসা দিয়ে পূজো করবেন।
২। দ্বিতীয় জন ট্রেভেলস বা ট্রেন্সপোর্টের ব্যবসা ভালো না চললে ডানহাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতি মুক্তো এবং কনিষ্ঠাতে ৩/৪ রতির ক্যাটসআই ধারণ করবেন।
৩)শনি যন্ত্রম

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190921231629

Saturday, September 21st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহের কারণে ঋণ

শুভ রাত্রি
কোন গ্রহের অশুভত্বে ঋণী হয়ে পড়তে হয় জেনে নিন!!!

ঋণ মানুষের জীবনে এক অভিশাপের মতো। নানা কারণে আমরা ঋণে জড়িয়ে পড়তে পারি। অনেক অশুভত্ব গ্রহরাই ঋণগ্রস্থ করায়। আবার কোনও কোনও সময় নিজের দোষেও ঋণগ্রস্থ হতে হয়। এক এক সময় ঋণ মানুষকে এমন জড়িয়ে ধরে যে, মনে হয় এর থেকে পরিত্রাণের পথ বের করা বোধ হয় ভগবানেরও অসাধ্য।

দেখে নেওয়া যাক, গ্রহ কীরূপ থাকলে ঋণ যোগ তৈরি হয়—

• প্রথমে আমাদের ধনভাব বিচার করা দরকার। ধনভাব শুভ থাকলে আর্থিক বুনিয়াদও ভাল থাকবে। যেমন— ধনপতি বলহীন, বৃহস্পতি দ্বাদশে এবং লগ্নে শুভ গ্রহের দৃষ্টি না থাকলে দরিদ্রযোগ বা ধননাশ হবে। দ্বিতীয় বা ধনাদিপতি গ্রহ ষষ্ঠে, অষ্টমে কিংবা দ্বাদশে থাকলে ধননাশ হয়।

• ঋণগ্রস্থ করার ব্যাপারে রাহু, শনি, শুক্র এবং কেতুর অনেকটা প্রভাব থাকে। ব্যয়স্থানে শুক্র অথবা রাহু থাকলে ঋণগ্রস্থ হতে হয়। রাহু যুক্ত ব্যয়ভাব থাকলেও জাতক-জাতিকা ঋণগ্রস্থ হতে পারে।

• ধনস্থান পাপগ্রহ যুক্ত, লগ্নপতি ব্যয়স্থানগত কিংবা কর্মপতি অর্থাৎ দশমপতি যদি একাদশপতির সঙ্গে যুক্ত হয়, তা হলে ঋণগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

• শনি দ্বিতীয়ে বা ধনস্থানে অবস্থান বা পূর্ণদৃষ্টিতে দেখলে ধনস্থানকে ঋণী করায় এবং অর্থের জোগান বন্ধ বা কম করতে পারে। এর জন্য জাতক ঋণী হতে পারে।

• দ্বাদশে বা ব্যয়স্থানে শনিও আর্থিক সঙ্গতিহীন করে বা ঋণগ্রস্থ করাতে পারে।

• অনেক সময় দেখা যায় কালসর্প যোগেও ঋণী হতে হয়।

***শনি ও রবি একত্রে লগ্নের দ্ধিতীয়ে থাকলে চরম ঋণ ও দারিদ্র‍্যতা দেখা দেয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190921185223

Friday, September 20th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

কুন্ডলী তে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হ ওয়ার যোগ

সুপ্রভাত
আমি ২২ থেকে ২৫ পর্যন্ত শিলিগুড়ির আদি গিনি হাউসে(আশ্রমপাড়া রোড) বসবো।

জোতিষ শাস্ত্রে সন্তানের ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র হওয়ার কি সম্ভাবনা আছে?

সবারই স্বপ্ন থাকে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার। সমাজে সুনামের সঙ্গে জীবনযাপন করার। তাই জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিটি মা বাবার স্বপ্ন থাকে তাদের সন্তান এক দিন খ্যাতি, প্রতিপত্তি অর্জন করবে। আর এই স্বপ্ন থেকেই শিশুর মনেও ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার বাসনা। তাদের মনের মধ্যে কাজ করে মা বাবার স্বপ্নপূরণের প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু সবার আশা পূরণ হয় না। জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্র ঠিক কী কথা বলছে, দেখে নেওয়া যাক। জেনে নিন কারা হতে পারেন আগামীর চিকিত্সক বা ইঞ্জিনিয়র।

আমরা সবাই জানি জ্যোতিষশাস্ত্র বিচার করা হয় ১২টি রাশি, ৯টি গ্রহ ও ২৭টি নক্ষত্রের ওপর। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কিছু ঘটনা বিচার করা হয় এই গুলির মধ্য দিয়েই। প্রথমে জেনে রাখা দরকার এই ১২টি রাশির মধ্যে লগ্ন থেকে চতুর্থ রাশি অর্থাৎ চতুর্থ ভাব সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

জাতক বা জাতিকার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চতুর্থ ভাবের মূল্য অপরিসীম। শিশু যখন জন্মায় তখন তার সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয় তার মাকে। তার মা কেমন হবে, কতটা যত্ন সহকারে তার লালন পালন করবে তা সবই বিচার হয় এই চতুর্থ ভাব থেকে। শিশুটির জীবনে পরবর্তী অধ্যায় হচ্ছে লেখাপড়া যা মূলত বিচার করা হয় এই ভাব থেকে। বাবা মায়ের কাছে সব থেকে চিন্তার বিষয় তাদের সন্তানের উপযুক্ত শিক্ষা। তারা সব সময় চান প্রতিযোগিতার এই পৃথিবীতে তাদের সন্তান যেন কোনও ভাবেই অন্যদের থেকে পিছিয়ে না পড়ে। সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তার স্কুল জীবন থেকেই করা উচিত। শুরু থেকেই বাবা মাকে খেয়াল রাখতে তাদের সন্তান কোন বিষয়ে ভাল। যে সমস্ত বাবা মা চান আগামীতে তাদের সন্তানকে ইঞ্জিনিয়র রূপে দেখতে চান তাদের খেয়াল রাখতে হবে সে অঙ্কে, বিজ্ঞানে কেমন নম্বর পায়। যদি অঙ্কে ভাল না হয় তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ কমে আসে। জন্ম ছকে বুধ ও মঙ্গল যদি খারাপ থাকে তা হলে ছাত্রছাত্রী অঙ্কে ভাল হতে পারে না। পড়ুয়ার বিদ্যাভাব যদি খুব ভাল না হয়, তাহলে উচ্চ শিক্ষা কোনও প্রকারেই সম্ভব নয়। চতুর্থভাবকে বিদ্যাভাব বলা হয়। চতুর্থপতি যদি বলবান হয়ে কেন্দ্রে কোণে অবস্থান করে, শুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয় এবং চতুর্থভাবে যদি শুভ গ্রহের স্থিতি বা দৃষ্টি থাকে তাহলে বিদ্যাস্থান শুভ বলা যায়। আর যদি গ্রহের স্থান উল্টো হয় বিদ্যাভাবের হানি হয়। বিদ্যাভাব বিচারের ক্ষেত্রে বিদ্যাকারক গ্রহ বুধ ও জ্ঞানের কারক বৃহস্পতির বিচার নিপুণ ভাবে করতে হবে। শনি ও চন্দ্রকে উ পেক্ষা করা যাবে না।
এবার ডাক্তার হতে হলে কুন্ডলী কেমন হতে পারে:চতুর্থ ভাবাধিপতি চতুর্থে শুভ গ্ৰহ যুক্ত, পঞ্চম পতি মিথুন বা কন‍্যা তে থাকে এবং কেন্দ্রে বুধ থাকে তাহলে ডাক্তার হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে
ইজ্ঞিনিয়ার : চতুর্থ পতি মূল ত্রিকোনে, বুধ পঞ্চমে শুভ গ্ৰহ যুক্ত হয়ে এবং চন্দ্র শনি যুক্ত না হলে কুন্ডলী তে ইজ্ঞিনিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ করা যায়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190920204147

Sunday, September 15th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

ছাত্র ছাত্রীদের পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধি ও ভালো রেসাল্ট করার জোতিষিক প্রতিবেদন

সূপ্রভাত
আজকের প্রতিবেদন সকল ছাত্র-ছাত্রী দের জন্য

“মন বসে না পড়ার টেবিলে” এই সমস্যা কমবেশি আমাদের সবারই। পড়তে বসে বইয়ের পাতার দিকে তাকালে হঠাৎ এমন অসহ্য লাগে পৃথিবীটাকে! মনে হয় সামনের সাদা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ঐ যে একটা টিকটিকি দেয়ালে লেপ্টে আছে, ফ্যান ঘুরছে ঘটাং-ঘটাং, এগুলো দেখি বসে বসে, তবু পড়তে ইচ্ছা করে না!

একবার ভেবে দেখো, তোমাদের বাবা মায়ের চাকরি-বাকরি আছে, দিনের একটি বড় সময় তাদের প্রতিদিন কাটাতে হয় বাইরে কাজের মাঝে, মন না চাইলেও তাদের এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। তোমাদের জন্যও কিন্তু পড়ালেখা একটা চাকরির মতোই! তোমাদের উপর এটাই দায়িত্ব- ভালভাবে পড়াশোনা করে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। তাই মন না চাইলেও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা যাবে না। পড়ায় মনোযোগ বসাতে এখন থেকে যেন আর সমস্যা না হয়, সেজন্য বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করে সাতটি অব্যর্থ কৌশল বের করেছেন। দেখবে এবার পাল্টে যাবে সবকিছু, পড়ায় মনোযোগী হয়ে উঠবে অচিরেই!

১। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য নয়, শেখার আনন্দে পড়ো
একটা নতুন টপিক পড়তে গিয়ে কতবার মনে হয়েছে- “এই জিনিস বাস্তব জীবনে কী কাজে আসবে আমার?”

কথা সত্যি, পাঠ্যবই গুলোয় কিছু জিনিস থাকে যেগুলো জীবনে খুব একটা প্রয়োজনে আসে না তেমন, কিন্তু তাই বলে একটা নতুন জিনিস শেখার সুযোগ হারাবে কেন?

ধরো তোমার ফুটবল দেখতে খুব ভালো লাগে, সারা রাত না ঘুমিয়ে ফুটবল দেখার চেয়ে আনন্দের কিছু আর হয় না তোমার জীবনে, খেলার যত খুঁটিনাটি নাড়িনক্ষত্র সব তোমার ঠোঁটস্থ। কেউ কিন্তু তোমাকে কখনো জোর করেনি এসব জানার জন্য, তুমি জেনেছো নিজের আগ্রহে, ভালোবাসায়।

ঘুরে আসুন: এসো, গড়ে তুলি দারুণ সব ‘অভ্যাস’!
অথচ বইয়ের একটা সহজ তথ্য তোমার কিছুতেই মনে থাকতে চায় না! কারণটা খুব সহজ, মানুষের মন অনিচ্ছায় কোন কাজ করতে চায় না। ঠিক যেই মুহূর্তে তোমার মনে হচ্ছে “ধুর! এখন বসে বসে এগুলি পড়তে হবে কালকে পরীক্ষার জন্য!” তখনই তোমার মন বিদ্রোহ করছে, একটা কণাও পড়তে ইচ্ছা করবে না। খেলা দেখতে তোমার বড় আনন্দ হয়, আগ্রহটা ভেতর থেকে আসে, তাই কোন ক্লাব কত গোল দিল ইত্যাদি খুঁটিনাটি তোমার মাথায় খুব সহজেই গেঁথে যায়। পড়ালেখার প্রতি এমন আগ্রহটা জাগিয়ে তুলো, দেখবে মনোযোগ আপনা থেকেই আসছে। পরীক্ষায় পাশ তো আপনাতেই হবে, পড়ালেখা যদি শেখার আনন্দে করো, এ জ্ঞান মনের মাঝে অক্ষয় থাকবে চিরদিন।

২। একটা লক্ষ্য ঠিক করো
“আজকে সারাদিন অঙ্ক করবো!” এটা বলা বেশ সোজা, এবং সারাদিন অঙ্ক বই হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে “বেশ পড়ালেখা হচ্ছে” একটা ভাবও আসে মনে, কিন্তু দিনের শেষে গিয়ে দেখা গেল কাজের কাজ আসলে কিছুই হয়নি!

“অঙ্ক করবো” এটা কি ভাল একটা লক্ষ্য হলো?

“বড় হয়ে কী হবে?”

– “বড় হবো!” এটা কি একটা উত্তর হলো? একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হয়। যেমন ধরো ডাক্তার হবে। তাতেও আবার কতরকম বৈচিত্র্য। চোখের ডাক্তার, দাঁতের ডাক্তার, শল্যচিকিৎসক আরো কত কী!

সুতরাং “অঙ্ক করবো” না বলে “অমুক চ্যাপ্টারের অমুক অঙ্কগুলো করে সন্ধ্যার আগেই শেষ করবো” এমন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করো। তাহলে দেখবে লক্ষ্যটা অনেক বেশি কাজে আসবে, এবং লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তোমার চেয়ার থেকে উঠতেই ইচ্ছা করবে না! একটা জেদ চেপে যাবে মনে, এবং আরো বেশি করে মনোযোগ চলে আসবে ভেতর থেকে, একটা কঠিন লক্ষ্য তুমি ঠিক করেছিলে, এবং ঠিক ঠিক সেটা ছুঁয়েও ফেললে-এই আনন্দের কি কোন তুলনা হয়?

৩। মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটে এমন জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলো
হয়তো তোমার ফেসবুকে ভীষণ আসক্তি, প্রতি পাঁচ মিনিটে একবার টাইমলাইনে ঘুরে না আসলে তোমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, মনে হয় “ইশ্‌! ফেসবুকটা না থাকলে কত্তো ভাল হতো!”

ফেসবুকের আগের যুগে কি মানুষ সময় নষ্ট করতো না?

তখন ফেসবুক ছিলো না, কিন্তু পাড়ার চায়ের দোকানে আড্ডা বসতো, ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেজুরে আলাপ হতো। সময় অপচয় করার মত আনন্দ আর কিছুতে নেই, মানুষ সবসময়ই বিচিত্র সব উপায়ে মহানন্দে বিলিয়ে বেড়ায় সময়, তুমি আমি কেউ এর ব্যতিক্রম নই! টিভি যখন ছিল না তখন টিভি না দেখতে পারার দুঃখে কেউ মারা যায়নি, কিন্তু এখন মানুষকে টেনে তোলা যায় না টিভির সামনে থেকে! সবই আসলে ব্যবহারের উপর। সুতরাং প্রযুক্তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কী করা যায়?

পড়তে বসার সময় সবকিছু সরিয়ে ফেলো টেবিল থেকে। এই সময়টিতে কেবল দুটি সত্ত্বা- তুমি আর তোমার বইখাতা, আর কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই জগতে, যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে পড়া, মনোযোগের গভীর অতলে ডুবে যাও তুমি। মোবাইল সামনে থাকলে “জাস্ট একবার দেখে আসি কোন নোটিফিকেশান আছে কিনা!” এই লোভ সংবরণ করা সত্যি অসম্ভব! বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে, তুমি বই নিয়ে টিভির সামনে বসলে “জাস্ট স্কোরটা দেখবো খালি” ভেবে, দেখবে কখন যে বইখাতা ফেলে খেলায় বুঁদ হয়ে ডুবে গেছো টেরই পাবে না! সুতরাং পড়ার সময় মনোযোগ সরিয়ে ফেলার কোনরকম সুযোগ দেওয়াই যাবে না, এমন সব উপকরণ অবশ্যই সরিয়ে ফেলতে হবে সামনে থেকে!

৪। নিজেকে পুরষ্কৃত করো!
পুরষ্কার পেতে কার না ভাল লাগে! হয়তো তোমার চকলেট খেতে দারুণ পছন্দ, কিন্তু বেশি খেলে দাঁতে পোকা ধরবে, মোটা হয়ে যাবে ইত্যাদি সমস্যা, এক কাজ করতে পারো তো, বইয়ের যেই পাতা পর্যন্ত পড়বে ঠিক করেছ শেষ পাতায় একটা চকলেট গুঁজে রাখলে! কত কষ্ট করে পড়েছ এতকিছু, দাঁতের পোকার ভয় উপেক্ষা করে নিজেকে এটুকু পুরষ্কার দেওয়াটা যথার্থই বটে!

সবসময় পড়ার সাথে এমন প্রিয় জিনিসগুলো জড়িয়ে নাও, দেখবে পড়তে বসে আর খারাপ লাগছে না আগের মতো, বেশ মনোযোগ এসে পড়ছে! (সেটা হোক নাহয় প্রিয় জিনিসের লোভেই!) ভালো লাগার জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আগ্রহ, “পড়ালেখা” শব্দটা শুনলেই যদি তোমার মাথায় “চকলেট” শব্দটা এসে পড়ে, তাহলে কি আর পড়ালেখা ভাল না লেগে পারে?!

৫। ছোট্ট ছোট্ট বিরতি
তোমার ক্লাসে সবসময়ই কিছু মানুষ থাকবে, যারা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে পার করে দেয়, পড়ালেখার চিন্তা খুব কম, পড়ালেখা বাস্তবে করে তারচেয়েও কম, কিন্তু রাতদিন পড়েও দেখা যায় পরীক্ষায় তাদের চেয়ে কম নাম্বার পাচ্ছো তুমি!

ব্যাপারটা ভীষণ মন খারাপ করে দেয় নিশ্চয়ই? মন খারাপের কিছু নেই, একটা ছোট্ট ব্যাপার বদলে ফেললেই ঠিক হয়ে যাবে সব।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়া খুব কাজের কথা নয়। শুরুতেই বলেছি, তোমার লক্ষ্য হচ্ছে “শেখা”, বই সামনে নিয়ে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে পড়া নয়! সুতরাং টানা অনেকক্ষণ না পড়ে চল্লিশ-পঞ্চাশ মিনিট পর পর একটা ছোট্ট বিরতি নাও। একসাথে অনেক কিছু মস্তিষ্কে ঠেসে দেওয়া হয়তো সম্ভব, কিন্তু এভাবে শেখা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ! একটু বিরতি নিয়ে নিয়ে পড়ো, আনন্দের সাথে পড়ো, ক্লান্ত লাগলে একবার ঘুরে আসো, কিছু খাও, দুই মিনিট গল্প করো- সোজা কথা মনটাকে সতেজ রাখো, দেখবে কম সময় পড়েও অনেক দ্রুত মাথায় গেঁথে যাচ্ছে সব!

৬। কাউকে শেখাতে যাও
ইংরেজি আমরা সবাই অনেক পড়েছি, কিন্তু বলতে গেলেই কেমন আটকে যায় মুখে! পাঠ্যবই পড়তে পড়তে ঝালাপালা করে ফেলেছ হয়তো, তবু দেখা যায় পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে দাঁত কামড়ে ভাবতে হয় “এভাবে তো চিন্তা করিনি আগে!”

তাই কিছু পড়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে সেটা আরেকজনকে শেখাতে যাওয়া। তখন নিজের ভুলগুলো চোখে পড়বে তোমার, মানুষটির নানা প্রশ্নের জবাব দিতে টপিকটি নিয়ে অনেক বিস্তারিত পড়াশোনা করতে হবে তোমাকে, পুরো বিষয়টি হাতের মুঠোয় না আসা পর্যন্ত নিস্তার নেই- নিজে না বুঝলে আরেকজনকে শেখাবে কিভাবে?

তাই এক কাজ করো, আজকে যে বিষয়টি পড়বে, বন্ধুকে জানিয়ে রাখবো কাল এ বিষয়টি বুঝাবে তাকে, দেখবে পরীক্ষার কথা দূরে থাক, তাকে বুঝানোর চিন্তাতেই তোমার পড়তে হচ্ছে অনেক মনোযোগ দিয়ে, ওঠার সুযোগই মিলছে না পড়ার টেবিল থেকে!

এবার ঘরে বসেই হবে মডেল টেস্ট! পরীক্ষা শেষ হবার সাথে সাথেই চলে আসবে রেজাল্ট, মেরিট পজিশন। সাথে উত্তরপত্রতো থাকছেই!
মডেল টেস্ট

৭। একটি সুস্বাস্থ্যময় জীবন
সারা রাত জেগে পড়ালেখা করা কোন বিরাট কৃতিত্বের কথা নয়! মানুষের শরীর যন্ত্র না, নির্দিষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম না দিলে শরীর খারাপ করবেই। দেখা যাবে সময় বাঁচাতে তুমি কম ঘুমালে, তারপর সারাদিন কাটলো ঢুলুঢুলু চোখে, কাজের কাজ হলো না কিছুই, অল্প কয়টি ঘন্টা বাঁচাতে গিয়ে পুরো দিনটিই নষ্ট করলে। তাই প্রতিরাতে ৭ঘন্টা ঘুম ভীষণ প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের জন্য।

লেখা পড়াতে মনোযোগ বাড়ানোর ও খুব ভালো রেসাল্ট করার জন্য কয়েকটি গিপস

১)পড়ার ঘরের দেওয়ালের রং সবুজ ,শিলিং সাদা।
২)পড়ার টেবিল টি উত্তর- পূর্ব কোনে থাকবে।
৩) পড়ার মুখ পূর্ব দিকে তাকিয়ে লেখা পড়া করবে।
৪) পড়তে বসার আগে ,ঔঁ হ্রীং ঐং হ্রীং সরস্বতৈ নমঃ এই মন্ত্রটি ১০ বার করবে।
৪)নিজের পড়ার ঘরে অধ‍্যায়ন করার সর্বনিম্ন সময় ৫ ঘন্টা।
৬)পড়ার টেবিলে মোবাইল ফোন রাখা নিশিদ্ধ‌।এবং খূব প্রয়োজনে তা ব্যবহার হতে পারে, সেক্ষেত্রে মা- বাবা ঐ ফোন ধরবেন এবং প্রয়োজনে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন।(এটি দশম শ্রেনী পর্যন্ত প্রযোজ্য)
৭)পড়ুয়াদের লেখা পড়ার ঐ ৫ ঘন্টা মা বাবা র গোচরে থাকা প্রয়োজন।
৮)পড়ুয়া দের পড়ার সময় টিতে যেন ঘরের পরিবেশ শান্ত থাকে।
৯)সকাল ৬.০৪ মিঃ এ ঔঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় এই মন্ত্রটি ১০০ বার করে পড়তে বসবে।
১০) রাত্রে ১১.৩০ পর্যন্ত অধ‍্যায়ন করবে।এবং শোয়ার আগে এক গ্নাস জল খেয়ে দাঁত ব্রাশ করে শোবে।
১১) পড়ার টেবিল টি অধ‍্যায়ন শেষে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190915081158

Saturday, September 14th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জন্মতারিখ অনুযায়ি আপনার ভাগ্য ও শুভ অশুভ গ্ৰহ

সুপ্রভাত
আজকের বিশয়টা আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে।নিজেরা করবেন ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্র বিজ্ঞানীদের মতে জন্মতারিখ মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে।

রাশিতত্ত্বের নিউমারলজি বা সংখ্যাতত্ব অনুযায়ী, আপনার ব্যক্তিত্বের ওপর জন্মদিনের রয়েছে অনেক বড় প্রভাব। জ্যোতিষীরা বলেন মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্মতারিখের এক ধরণের প্রভাব রয়েছে। অনেকেই এই ধরণের কথা বিশ্বাস করেন না। কিন্তু একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মধ্যে আসলে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা সবাই জানি সব মানুষ একই ধরনের হয় না। একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং সত্ত্বা আলাদা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল কে কোন ধরনের মানুষ হবেন তা কি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকে? বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরণের এই আচার আচরণ জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে আসে। আমরা সবাই নিজের নিজের জন্মদিন জানি। জন্মদিন ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিত্ব নির্ণয় করার রয়েছে একটি চমৎকার উপায়। এ প্রক্রিয়ায় আপনি নিজের জন্মদিন থেকে বের করে নিতে পারবেন একটি বিশেষ সংখ্যা যা বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের বিচিত্র সব তথ্য। কি করে বের করবেন আপনার এই সংখ্যাটি। পদ্ধতিটি বেশ সহজঃ জন্মদিন ১ তারিখ হলে আপনার এই সংখ্যাও ১। ধরে নেওয়া যাক আপনার জন্মদিন হলো ২৬ তারিখে। তাহলে (২+৬)= ৮ হবে আপনার সংখ্যা। জন্মদিন যদি হয় ১০ তারিখে, তবে সংখ্যা হবে (১+০)=১। একই কথা ২০ এবং ৩০ তারিখের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এখন যদি জন্মদিন হয় ২৯ তারিখে তবে সংখ্যা কত হবে? (২+৯)= ১১ হবে। কিন্তু এই ১১ কে আবারও যোগ করতে হবে যতক্ষণ না একটা সংখ্যা আসে অর্থাৎ (১+১)=২ হবে তার সংখ্যা। এখানে আরেকটা কথা আছে। যার জন্মদিন ১১ বা ২২, তার সংখ্যাও ১১ বা ২২, একে আর যোগ করতে হবে না। যেমনঃ আপনার জন্মের তারিখ যদি ১, ১০, ১৯, ২৮ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ১, আপনার জন্মের তারিখ যদি ২, ১১, ২০, ২৯ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ২, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৩, ১২, ২১, ৩০ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৩, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৪, ১৩, ২২, ৩১ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৪, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৫, ১৪, ২৩ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৫, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৬, ১৫, ২৪ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৬, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৭, ১৬, ২৫ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৭, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৮, ১৭, ২৬ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৮, আপনার জন্মের তারিখ যদি ৯, ১৮, ২৭ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৯ ৷
আবার একই ভাবে মাস বেরোবে
Jan-1,feb-2,march -3...............Oct -10=1+0=1,nov =2 dec =3
এবার সাল উদাহরণ ২০১৯ =2+0+1+9=12=3
অর্থাৎ একটা জন্মতারিখ এর উপর মোট তিনটি গ্ৰহ উল্লেখযোগ‍্য, এবং দিনের জন্য একটি গ্ৰহ।
এবার আসি গ্ৰহ ও দিন অনুযায়ী সংখ্যা।
রবি -১ ,সোম বা চন্দ্র - ২,মঙ্গল -৯ ,বুধ -৫,বৃহস্পতি -৩,শূক্র -৬,শনি -৮ , রাহু -৪, কেতু - ৭।
এবার দেখে নেওয়া যাক আপনার জন্মের তারিখের সাথে আপনার চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।

আপনার জন্ম সংখ্যা ১ হলেঃ
আপনি অনেক উচ্চাভিলাষী এবং ভীষণ জেদি মানুষ। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবার জন্য আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেন। বর্তমানে যদি বেশি সফলতা নাও পান তবে আপনার হাতে সফলতা নিশ্চিত ভাবেই আসবে। আপনি মোটেও স্বার্থপর নন। কিন্তু মানুষ আপনাকে গম্ভীর ভেবে আপনার সাথে কম মেলামেশা করেন এবং আপনাকে স্বার্থপর ভেবে থাকেন। আপনি কাউকে ভালোবাসলে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেন। এমনকি যদি কেউ কোনও ভুল কাজ করেন তাহলে তাকে মাফ করে ভালবাসতেও আপনি পারেন। আপনাকে বোঝার মতো কম মানুষই রয়েছে এই পৃথিবীতে।
আপনার জন্ম সংখ্যা ২ হলেঃ
আপনি অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি। মাঝে মাঝে আপনি সততার জন্য অনেক বিপদেও পরে থাকেন তারপরও আপনি সৎ থাকার পথটাই বেছে নেন। আপনি নিজের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন এবং বেশ বিশ্বসী। মানুষ খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে। এবং আপনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন। আপনি একই সাথে বেশ রসিক একজন মানুষ এবং আপনার চিন্তাধারা আর দশজনের তুলনায় খুবই আধুনিক।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৩ হলেঃ
আপনি খুবই আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ। নিজের নতুন নতুন চিন্তা ও তত্ত্ব আপনার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিজের এইসব চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেকটা সময় পার করে দেন। তবে সবথেকে ভালো কথা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এইক্ষেত্রে আপনাকে অনেক স্মার্ট চিন্তাশীল মানুষ বলা চলে। তবে আপনার সিদ্ধান্তটি অনেক মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। এমনটা হলেও আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৪ হলেঃ
আপনি একজন দর্শন তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং বেশ আবেগ প্রবন। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিছু ঘটনা ঘটার আগে থেকেই আঁচ করে ফেলার ক্ষমতা আপনার আছে। মানুষ বেশিরভাগ সময় আপনাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়। আপনি কোন ধরণের মানুষ তা মানুষজন একেবারেই বুঝতে পারে না। এমনকি পরিবারের অতি আপনজনও আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেন না।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৫ হলেঃ
আপনি বেশ ‘ডমিনেটিং’ স্বভাবের একজন মানুষ। আপনার আত্মনির্ভরশীলতা এবং স্বাধীনতা অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন। অনেক ক্ষেত্রেই আপনি ভাবেন ‘সব কিছু আমার মতো করে হতে হবে’। আপনি নিজে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আপনি আপনার নিজের ও পছন্দের মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে পারেন। তবে যদি তারা আপনার কথা মতো চলেন।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৬ হলেঃ
আপনি অনেক বেশি হাসিখুশি এবং ভীষণ সেনসিটিভ। মানুষ আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি প্রায় সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। আপনার আন্তরিকতা ও আচার আচরণের কারনে সবাই আপনাকে পছন্দ করে। তবে একই সাথে আপনার সেনসিটিভ স্বভাবের কারণে মানুষজন কিছুটা দূরে দূরে থাকেন। আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি চিন্তা ভাবনায় উন্নত করতে চান। আপনি ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে চান। আপনি মানুষকে ভালোবাসেন।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৭ হলেঃ
আপনি একজন হাসিখুশি ও উদ্বেগহীন মানুষ। আপনি একই সাথে সমঝোতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি একজনের ভালো করলে সেও আপনার ভালো করবে এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনি খুব ভালো একজন শ্রোতা। আপনি আপনার সব আপনজনের কাছে জনপ্রিয় এই কারণে যে আপনি সবার হাসিমুখ দেখতে পছন্দ করেন। অনেক বেশি সমস্যা ও দুশ্চিন্তাও আপনি ঝেড়ে ফেলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগ স্পর্শ করতে পারে না। সব কিছু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আপনার।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৮ হলেঃ
আপনি ভীষণ এনার্জেটিক৷ আপনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। ‘জীবন একটিই, যতোটা মজা করে নেওয়া সম্ভব ততটাই করা উচিৎ’ এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনার মধ্যে কোনো মেকি ভাব নেই। আপনি যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন এবং করতে পছন্দ করেন। মানুষজন বেশীরভাগ সময় আপনার সোজাসাপ্টা কথা বলার ধরন অপছন্দ করে থাকে। কিন্তু আপনি নিজের চিন্তাটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
আপনার জন্ম সংখ্যা ৯ হলেঃ
আপনি খুব ভাগ্যকে বিশ্বাস করেন। আপনি জীবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখেন। কারন আপনি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। আপনি জীবনে যা চেয়েছেন তার বেশিরভাগি পেয়েছেন এবং পাবেন বলেও আশা আছে আপনার। যে কারণে আপনি নিজের ভাগ্যের ওপর ভরসা করে চলতেই বেশি পছন্দ করেন এবং আপনি আপনার পাওয়া নিয়ে খুব গর্বিত। আপনি আপনার আপনজন এর জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন। আপনার পথ অনেকেই অনুসরণ করেন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190914104233

Saturday, September 14th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

মন্ত্রে গ্ৰহ শান্তি

মন্ত্রে গ্ৰহ শান্তি

সুপ্রভাত
রত্ন দিয়ে গ্ৰহ প্রতিকার অনেক ব‍্যায় সাপেক্ষ ,হোম যাগযক্ষ এতে ও অনেক ব‍্যায় ,তাই বিনাব‍্যায়ে গ্ৰহ পীড়া থেকে মুক্ত হতে আমার এই প্রয়াস।(পূনঃপ্রচার)

***নবগ্রহ উপাসনা ****

যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে—–
“গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।”
অর্থাৎ— গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৯ পর্যন্ত।

মঙ্গল
———-
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
—————-
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

কেতু
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা
অছাড়া প্রত‍্যেক বাড়িতে শ্রীযন্ত্রম, ধনদা যন্ত্রম সূর্য যন্ত্রম এবং দূর্গা যন্ত্রম রাখতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190914103804

Saturday, September 7th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ

জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ

সুপ্রভাত
আজকের প্রতিবেদন টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারও কী বিবাহ বিচ্ছেদের যোগ আছে ?

: জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে, জাতক-জাতিকার ভাগ্যেই থাকে বিবাহ বিচ্ছেদের যোগ ৷ বিবাহ বিচ্ছেদের মূলে থাকে দু’টি গ্রহ ৷ রবি ও বুধ ৷ রাহু, কেতু, শনি ও মঙ্গলও এরজন্য দায়ী হয় ৷ আপনার ভাগ্যেও কী এই যোগ রয়েছে ? জেনে নিন--

১। দ্বিতীয়, সপ্তম ও একাদশ-ভাবের সঙ্গে ষষ্ঠ ভাব পতির যোগ থাকলে আত্মীয়দের সঙ্গে বিবাদ হয়। যা আবার ডিভোর্সেরও কারণ।

২। দ্বিতীয়, সপ্তম ও একাদশ ভাবের সম্পর্ক তৈরি হলে পণ ও পারিবারিক কারণে অশান্তি আসে।সেখানেও বিবাহ বিচ্ছেদ যোগ সূচিত হয়।

৩। দ্বিতীয়, সপ্তম ও একাদশ ভাবের সম্পর্ক আর্থিক কারণে অশান্তি ও ডিভোর্সের দিকে নির্দেশ করে।

৪। দ্বিতীয়, সপ্তম বা অষ্টমে রবি ও মঙ্গল একত্রে অবস্থান করলে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী।

৫। সপ্তম ভাবে দ্বাদশ পতি, শনি, মঙ্গল বা রাহু অবস্থিত হলে এবং দ্বাদশ স্থানে সপ্তম ভাব পতি থাকলে বিচ্ছেদ হয়।

৬। লগ্ন ভাবে শনি ও রাহুর একত্রে অবস্থান এবং সপ্তম ভাবে কেতুর অবস্থিতি বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৭। অষ্টম ভাবে মঙ্গল অবস্থিত হলে ওই স্থানে রাহু বা শনিগ্রহ দৃষ্টি দান করলে সেপারেশন হয়।

৮। দ্বিতীয় ভাবে সপ্তম ভাব পতি ও রাহু বা কেতুর অবস্থানও বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

৯। সপ্তম স্থানে রবি, শনি, রাহু বা কেতু অবস্থিত হলে এবং ত্রিকোণ স্থানে সপ্তম ভাব পতি বা দ্বাদশ ভাব পতি অবস্থান করলে বিচ্ছেদ অনিবার্য।

১০। সপ্তম স্থানে ক্ষীণচন্দ্র, শনি, রাহু একত্রে অবস্থান করে শুভ গ্রহের দৃষ্টি না পেলে সেপারেশন হয়।

১১। ষষ্ঠ ভাব পতির সম্বন্ধ যদি সপ্তম ভাব, সপ্তম ভাব পতি ও শুক্রের ওপর থাকে তাহলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা দেখা যায়।

১২। দ্বিতীয় ও সপ্তম ভাব পতি ও শুক্র নীচস্থ হয়ে পাপগ্রহ দ্বারা পীড়িত হলে সেপারেশন হয়

১৩। সপ্তম ভাব পতি ও দ্বিতীয় ভাব পতি যদি তৃতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম, একাদশে বা দ্বাদশ ভাব পতির গ্রহের নক্ষত্রে অবস্থিত হয় তাহলে বিচ্ছেদ হয়

১৪। সপ্তম স্থানে যদি রবি অবস্থান করে ও শনি নীচস্থ গ্রহ হয় অথবা শনি, রাহুর দ্বারা দৃষ্ট হয় বা রাহুর সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বৃহস্পতির দৃষ্টি না থাকে তাহলে ডিভোর্সের সম্ভাবনা দেখা

১৫)এছাড়াও লগ্নে ও সপ্তমে মঙ্গল থেকে মাঙ্গলিক হলে এরং ঐ মঙ্গল যদি শনি দ্বারা পূর্ণ দৃষ্ট হয় তাহলে ভির্ভোস হবেই।

১৬)আবার লগ্নের চতুর্থে ও দ্ধদশে মঙ্গল থেকে মাঙ্গলিক হয়ে যদি কেতু সপ্তমে থাকে তাহলে অবশ্যই ডির্ভোস হবে।

জোতিষ শ্রাস্ত্রে পরকীয়া ও যষ্টে বন্ধুস্থান অতিরিক্ত খারাপ হলে মেয়েরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্বল হয়ে নিজের ক্ষতি করে বসে।বর্তমানে ফেসবুক এ ছেলে মেয়েদের বন্ধুত্বের নামে অবাধ মেলামেশা ,ভির্ভোসের একটি বর কারণ।যখন ভূল বোঝে তখন অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ,কিছু থাকে না।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??কিছু ছেলেদের কবিতা সূলভ আচরণ ও মেয়েদের এমনকি মধ্য বয়সী গৃহবধূ দের ও প্রভূত ক্ষতি করে।ঐগৃহবধূরা যখন ভূলটা বুজতে পারে তখন আর করার
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190907090958

Tuesday, September 3rd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

লক্ষী যোগ বা শ্রী যোগ

শুভ রাত্রি
*** লক্ষ্মী যোগ বা ধন যোগ***

১)ধন ঐশ্বর্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজে প্রতিষ্ঠা, সম্মান, ক্ষমতা, সুখ, শান্তি এবং জীবনে সমস্ত প্রকারের সুখ বিলাসিতা ভোগ করতে পারেন।
রাশিচক্রে ত্রিকোণ ভাবগুলি লক্ষ্মী দেবীর বাসস্থান এবং পঞ্চম ও নবম-পতির বিত্ত প্রদান করার বিশেষ ক্ষমতা আছে। লগ্নপতি অর্থাৎ আপনার লগ্ন রাশির অধিপতি ত্রিকোণে অর্থাৎ লগ্ন ভাবে বা পঞ্চম ভাবে বা নবম ভাবে যদি অবস্থান করে এবং তার সঙ্গে একাদশপতি অর্থাৎ আয়পতির দৃষ্টি যদি ধন স্থানে থাকে এবং দ্বিতীয়ে কোনও শুভ গ্রহের দৃষ্টি থাকলে লক্ষ্মী যোগ বা ধন যোগ যোগের সৃষ্টি হয়। তবে মনে রাখতে হবে উক্ত গ্রহগুলির বলাবলের ওপর শুভ ফলের তারতম্য হয়ে থাকে।

২)জ্যোতিষ-মতে, লক্ষ্মী যোগ খুব সাধারণ ব্যাপার নয়। মঙ্গল ও চন্দ্রের সহাবস্থানও এই যোগকে সূচিত করতে পারে।• জাতকের কোষ্ঠীতে যদি দ্বিতীয় ঘরের অধিপতি গ্রহ একাদশে এবং একাদশের অধিপতি গ্রহ দ্বিতীয়ে অবস্থান করে, তা হলে লক্ষ্মী যোগ সূচিত হয়।• যদি দ্বিতীয়ের অধিপতি গ্রহ এবং একাদশের অধিপতি নবম ঘরের অধিপতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে, তবে লক্ষ্মী যোগের সম্ভাবনা প্রবল।• কোষ্ঠীতে শুক্রের অবস্থানও এই প্রসঙ্গে যথেষ্ট গ্ৰহনযোগ‍্য।দ্ধিতীয় ঘরে শুক্রের অবস্থান কোন পাপগ্ৰহ ছাড়া ,জাতকের ধনভাগ‍্য তুমূল করে তোলে।

এ বার দেখে যাক এই যোগ থাকলে জাতকের জীবনে ঠিক কী কী হয়—

১) এই শুভ লক্ষ্মী যোগ বা ধন যোগ থাকলে জাতক জীবনে অত্যন্ত ভাগ্যবান ও প্রতিভাবান হন। তা ছাড়া প্রচুর অর্থ ও সম্পদের অধিকারী হন।

২) যে কোনও কাজে এঁরা নিজের প্রতিভা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন এবং সব কাজে দক্ষ হন।

৩) এঁরা এতটাই ভাগ্যবান হন যে, যে কোনও ভাবে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হতে পারেন।

৪) শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও এঁদের নাম যশ ও সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। নানা রকম কাজে পারদর্শী হন।

৫) এঁরা খুব বাকপটু। এর ফলে অন্যরা এঁদের কথায় খুব তাড়াতাড়ি মুগ্ধ হয়ে যান। কথার দ্বারা সকলের মন জয় করতে পারেন এঁরা। তা ছাড়া কথার মাধ্যমে যে কোনও কঠিন কাজ সরল ভাবে করে ফেলতে সক্ষম এঁরা।

৬)এরা অনেক বাঞ্ছিত গুনের অধিকরী,সৎচরিত্রের হয় ও খুব পরকারী হয়।

৭)এরা অত্যন্ত ক্রোধী ও জেদী হয়,অন‍্যায়ের সঙ্গে আপস না করে চলা এদের পছন্দ।

বিভিন্ন রাশির জাতকের ধনভাগ্য কেমন ?

জ্যোতিষ শাস্ত্র—মেষ— পঞ্চম ঘরে মঙ্গল, শনি এবং বৃহস্পতি থাকায় ভনাগম মন্দ নয়।বৃষ— দ্বিতীয় ঘরে শনি-মঙ্গলের অবস্থানহেতু এঁদের ধনাগম আকস্মিক।মিথুন— বুধ ও শনি নবম ঘরে তাদের স্থান পরিবর্তন করে, ফলে ধনাগম যথেষ্ট। এতে চন্দ্র যোগ দিলে সোনায় সোহাগা। পিতৃধন লাভ নিশ্চিত।কর্কট— দ্বিতীয় বা দ্বাদশ ঘরে শুক্র অবস্থান করায় এবং বৃহস্পতি কেতুর সঙ্গে স্থান বিনিময় করায় ধন ও খ্যাতি— দুই-ই লাভ হয়।সিংহ— চতুর্থ ঘরে মঙ্গল থাকলে এবং শুক্র সহেয় হলে ধনাগম রীতিমতো ভাল। ব্যাবসায় শুভ।কন্যা— দ্বিতীয়ে কেতু এবং শুক্র অবস্থান করলে আকস্মিক ধনলাভ। সম্পত্তি ক্রয়ের যোগও থাকে।তুলা— শুক্র ও কেতুর দশায় অর্থাগম হয়। কিন্তু খরচও মন্দ নয়।বৃশ্চিক— বুধ ও বৃহস্পতির প্রবাবে কোটিপতি হওয়ার যোগ থাকে এঁদের।চন্দ্র যোগ দিলে সেই সঙ্গে উদিত হয় অন্য ভাগ্যও।ধনু— অষ্টমে চন্দ্র থাকলে শুভ। রবি-কেতু-বৃহস্পতির প্রভাবেও অর্থাগম হয়।মকর— চন্দ্র সহায় থাকলে বিপুল ধনলাভ। লগ্নে তুলা থাকলে কোটিপতি হওয়ার সম্ভাবনা।কুম্ভ— দশমে চন্দ্র ও শনির স্থান বিনিময়ে লাভের সম্ভাবনা। ষষ্ঠে বুধ অবস্থান করলেও শুভ। অর্থের সঙ্গে খ্যাতি উপরি পাওনা।মীন— দ্বিতীয়ে চন্দ্র এবং পঞ্চমে বুধ থাকলে অর্থাগম নিয়মিত। ষষ্ঠে বৃহস্পতি থাকলে বিপুল ধনাগম।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190903102935

Monday, September 2nd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

পূর্ণায়ু বা দীর্ঘায়ু যোগ

পূর্ণায়ু বা দীর্ঘায়ু যোগ

শুভ অপরান্থ
আজকে শুভ গনেশ চতুর্থী,মানুষ বেঁচে থাকার কারণে সব করে ,তাই আজকের বিষয় দীর্ঘায়ু ।

****পূর্ণায়ু বা দীর্ঘায়ু যোগ****

লগ্নের কেন্দ্রে বা ত্রিকোনে সকল শুভদি যথা চন্দ্র,বুধ,বৃহস্পতি ও শুক্র গ্রহ থাকলে এই যোগ সূচিত হয়। এক্ষেত্রে পরমায়ু একশত বৎসরের অধিক হয় ,যদি নৈস্বর্গিক পাপ গ্রহদি যথা রবি, শনি ,মঙ্গল ,রাহু এবং কেতু লগ্নের তৃতীয় বা ষষ্ঠে অবস্থান করলে এবং অষ্টম স্থান গ্ৰহ শূন্য হলে দীর্ঘায়ু যোগ সূচিত হতে পারে সে ক্ষেত্রে পরমায়ু 90 বছর হবে। আবার যদি লগ্নে বৃহস্পতি চতুর্থে শুক্র ,পঞ্চমে বুধএবং ষষ্টে রবি থাকে তাহলেও পূর্ণায়ু যোগ সূচিত হয়, এক্ষেত্রে 80 বৎসরের অধিক পরমায়ু হতে পারে। আবার যদি শুধুমাত্র লগ্নের চতুর্থে বৃহস্পতি থাকে এবং বৃহস্পতির পঞ্চমে বুধ এবং ষষ্ঠে শুক্র থাকে সুখে থাকে তা হলেও এই যোগ সূচিত হয় ,এই ক্ষেত্রে পরমায়ু ৭৫ বৎসরের ঊর্ধ্বে হয় সুতরাং আমি সকল প্রকার দীর্ঘায়ু যোগ তুলে ধরলাম এবং সেই অনুযায়ী বেঁচে থাকার বয়স বললাম।এই যোগের মানুষেরা বৃহস্পতির বীজমন্ত্র করবেন।

বৃহস্পতি
—————-
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১০৮বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।১০বার
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।বীজমন্ত্র ঔঁ হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্ স্বাহা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190902140528

Sunday, September 1st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশ ভাবের ফল ও রাজদন্ড যোগ

দ্ধাদশ ভাবের ফল  ও রাজদন্ড যোগ

সুপ্রভাত
***দ্ধাদশ ভাবের ফল ও রাজদন্ড যোগ***
আজকের প্রতিবেদন টি সমাজের সকল ধরনের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আইনি সমস্যা হ্রাস করতে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

দ্বাদশ ভাব থেকে কি কি বিচার হয়

১)প্রথম ভাব হতে শরীর, বর্ণ, আকৃতি, যশ, গুণ, স্থান, সুখাসুখ, প্রবাস ও দৈহিক শক্তিমত্তা বিচার্য্য।

২)দ্বিতীয় ভাব বা ধন স্থান থেকে-ধন সম্পর্কীয় বিষয়, নেত্র, মুখ, বাক্য, কুটুম্ব, মাসী/খালা, মায়ের বড় বোন ও ভাই, খাদ্য দ্রব্য স্বর্ণাদি ধাতু এবং ক্রয়-বিক্রয়ের শুভাশুভ বিচার্য্য।

৩)তৃতীয় ভাব থেকে ভ্রাতা, বিশেষ করে কনিষ্ঠ ভ্রাতা, স্থিতি, পরাক্রম, সাহস, কর্ণ, বস্ত্র, ধৈর্য্য, বীর্য্য, দাস-দাসী, প্রতিপালিত লোক প্রভৃতি বিচার্য্য।

৪)চতুর্থভাব থেকে বা সুখভাব থেকে বিদ্যা (মতান্তর বিদ্যমান), জননী, সুখ, সুগন্ধী, গো, বন্ধু, মনমানসিকতা, রাজানুগ্রহ, যানবাহন, ভূ-সম্পত্তি, গৃহ, পিতার সম্পদ বিচার্য্য।

৫)পঞ্চম ভাব থেকে বিদ্যা (মতান্তর বিদ্যমান) ভক্তি, রাজানুগ্রহ, পুত্র, পিতা, বুদ্ধি, পূণ্যকর্ম, গুপ্তমন্ত্রণা প্রভৃতি বিচার্য্য।

৬)ষষ্ঠ ভাব থেকে ষড়রিপু, শত্রু, ক্ষত, বিঘ্ন, ক্লেশ, নাভি, উদর, মাতুল, মায়ের ছোট ভাই ও বোন ইত্যাদি বিচার্য্য।

৭)সপ্তম ভাব থেকে বিবাহ, স্ত্রী, স্বামী, জ্যেষ্ঠ ভ্রাত্রার পুত্র, গুড়, দধি, ক্ষীর, যাতায়াত, পদপ্রাপ্তি, মূত্রাশয়, নষ্ঠদ্রব্য, ব্যবসা-বাণিজ্য বিচার্য্য।

৮)অষ্টম ভাব থেকে ফাঁড়া, জ্যেষ্ঠ ভগ্নির পুত্র, জীবন, মরণ, খাদ্যসুখ, ক্ষেত্রবিশেষে নিধন স্থান, জয় এবং পরাজয় বিচার্য্য।

৯)নবম ভাব থেকে ধর্মের প্রতি মন-মানসিকতা, ভাগ্য (সুসময়) গুরুজনের অনুগ্রহ, ধর্মানুষ্ঠান, সাধনা, তীর্থযাত্রা প্রভৃতি বিচার্য্য।

১০)দশম ভাব থেকে কর্ম, কর্মের শুভাশুভ, পিত্র, প্রভুত্ব, সমমান, ভূষণ, বসন, নিদ্রা, কৃষিকর্ম, সন্ন্যাস, ধর্ম বিষয়ক কর্ম, যশ, বিজ্ঞান, বিদ্যাজনিত যশ, উচ্চপদ লাভ প্রভৃতি বিচার্য্য।

১১)একাদশ ভাব থেকে সর্ব বস্তু লাভ, যানবাহনাদী, কন্যা, মিত্র, বড় ও ছোট ভ্রাতার পুত্র বিচার্য্য।

১২)দ্বাদশ ভাব বা ব্যয় ভাব থেকে দূরভ্রমণ, দাসত্ব, প্রভূত ব্যয়, সৌখ্য, রাজদন্ড, ছোট বোনের পুত্র, অতি ব্যয় কেন হচ্ছে প্রভৃতি বিচার্য্য

রাজদন্ড ও অতিরিক্ত রাজভ্রষ্ট যোগ:

যদি জন্মকুণ্ডলীর দ্বাদশ ভাবে শনি ও কেতু একত্রে থাকে এবং লগ্নের ষষ্ঠে মঙ্গল থেকে পূর্ণ দৃষ্টি প্রদান করলে ওই জাতক-জাতিকারা আইনি প্রতিবন্ধকতার শিকার হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে রাজদণ্ড ভোগ করে ,এছাড়াও যদি জন্মকুণ্ডলীর দ্ধাদশ ভাবে মঙ্গল একাই থাকে এবং ষষ্ঠে শনি দ্ধারা পূর্ণ দৃষ্ট হয় তাহলে সেক্ষেত্রেও রাজদণ্ড ভোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিশেষ কিছু জন্ম কুণ্ডলীতে রাজ দন্ড ভোগের কারণে অতিরিক্ত রাজদণ্ড যোগ সূচিত হয় ।যদি সিংহ লগ্নে জন্ম হয় এবং শনি যদি উচ্চস্থ হওয়া সত্ত্বেও নীচ নবাংশে থাকে অথবা শুভ গ্ৰহ দ্বারা পূর্ণ দৃ ষ্ট হয় তবে অতিরিক্ত রাজভ্রষ্ট যোগ সূচিত হয়,ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আইনি সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও কোন জাতক জাতিকার জন্ম কুণ্ডলীতে যদি রবি তুলা রাশিতে 10 ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত হয় তাহলে এখানে ঐ যোগ সূচিত হবে।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190901100550

Saturday, August 31st, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে রোগ ও ধ্বজভঙ্গ

সুপ্রভাত

জোতিষ বা সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে মানব জীবনে ধাতুগত প্রভাব

জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল Medical Astrology অর্থাৎ চিকিৎসা জ্যোতিষ। যার দ্বারা যে কোনও মানুষের জীবনে কি ধরনের রোগ-ব্যাধি হতে পারে তার পূর্বাভাষ দেওয়া যায়। যে কোনও জাতক-জাতিকার রাশিচক্র বা হস্তরেখা বিচার করে মানুষের জীবনে, কি ধরনের রোগ-ব্যাধি হতে পারে তা নির্ণয় করা বেশ জটিল এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। রাশিচক্র বা হস্তরেখা বিচার করে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। মানব দেহে ধাতুগত প্রভাব ও ধাতুগত বৈষম্যের ফলে কি ধরনের প্রভাব হয় তা জানা থাকলে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি অনেক সহজ হবে।

সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী মানব জীবনে ধাতুগত প্রভাব নিয়ে কিছু আলোচনা করব। বিশেষ করে হাতের রেখা বিচার করে খুবই উপকৃত হবেন, এবং নিজেদের ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগবে। এছাড়া সাধারণ মানুষও সম্ভাব্য রোগ-ব্যাধির ব্যাপারে সচেতন হতে পারবেন। তাহলে সংক্ষেপে দেখে নিই সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী মানব জীবনে ধাতুগত প্রভাবে কি কি রোগ হতে পারে।

মানুষের ধাতুগত প্রকৃতি তিন প্রকার –
১) বাত/বায়ু
২) পিত্ত
৩) কফ/শ্লেষ্মা
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এই তিন ধাতুর মিশ্র প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। ধাতুগত প্রভাবে মানুষের প্রকৃতি স্বতন্ত্র হয়ে থাকে। এরফলে সকলের সব রকম রোগ হয় না। আবার অনেক রোগ খুব প্রবল ভাবে হয়ে থাকে। মানুষের চেহারা, শারীরিক লক্ষণ,খাদ্যাভ্যাস, আচার-আচরণ, কথা বার্তা, মানসিকতা ও রোগ-ব্যাধি ইত্যাদি ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে এই ধাতুগত প্রভাব ভালো ভাবে বোঝা যায়।

বাত = বায়ু প্রকৃতির জাতক/জাতিকার কিছু সাধারণ লক্ষণ রোগা ধরনের, কর্কশ চেহারা, চোখ ছোট, মাথার চুল কম এবং ধূসর প্রকৃতির, চঞ্চল ও অস্থির দৃষ্টি, হাত পায়ের চামড়া ফাটে। চোখ, মুখ, ও চুল, দাড়ি রুক্ষ ধরনের । চোখে মুখে স্নিগ্ধতা বা নমনীয়তার ভাব থাকে না। হাত, পায়ের শিরা দেখা যায়। গলার স্বর রুক্ষ ধরনের এবং কথাবার্তা জড়িয়ে যায়। গরম খাবার পছন্দ করে থাকে । অল্প অল্প করে, সারা দিনে অনেক বার খাবার খায়। ধৈর্য কম ও কথা বেশীবলে। রাত জাগতে পারে, হাত পায়ে, চঞ্চলতার ভাব দেখা যায়। দাত দিয়ে নখ কামড়ায়, দাঁতে দাঁত ঘসে। রাগী ধরনের, ঘামে সামান্য গন্ধ হয় । যে কোন কিছুতে মনোযোগ কম, চাপা হাসি হাসে ।

ফলাফল এদের সহ্য শক্তি কম, ওষুধে সাইডএফেক্ট বা আলার্জি দেখা যায়। এঁরা খুব অস্থির ও চঞ্চল, চুপ করে কোথাও বসে থাকতে পারে না। কোনো কিছু করতেই থাকে , কথা প্রচুর বলে, কথা বলার সময় হাত-পা নাড়ায়, (কথার ফুলঝুরি) । মিথ্যা কথা গুছিয়ে বলতে পারে। এদের সন্তান সংখ্যা কম হয় । যৌন আবেগ কম থাকে । এদের বীর্যে শুক্রাণু/ডিম্বাণু কম হয়। কথা বলতে বলতে কথা জড়িয়ে যায়। গরম ধরনের খাবার বেশি পছন্দ করে। বার বার খাওয়ার অভ্যাস থাকে , অল্প কিছুতেই রেগে যায়। ঘুরতে বেড়াতে ভালবাসে, মুচকি মুচকি হাসে, যে কোন কাজে মনোযোগের অভাব থাকে, স্মৃতি শক্তি কম হওয়ায় বার বার পড়ে, মুখস্থ করে, আবার ভুলে যায়। কথা দিয়ে কথার দাম রাখতে পারে না। জোরে জোরে হাঁটে, মাঝে মাঝে উৎসাহ কমে যায়, তখন কোনও কাজে উৎসাহ পায় না, মন লাগেনা। কথা বার্তা রুক্ষ ধরনের, মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে চায় না। সঞ্চয় করতে পারে না। সমস্ত কিছুর অপচয় ও অপব্যবহার করে থাকে। অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারে না, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। অন্যের জিনিষের প্রতি লোভ থাকে, অন্যের দ্বারা উপকার পেলে মনে রাখে না, মনে মনে নিজের প্রতি উচ্চ ভাব পোশন করে, নাচ, গান, বাজনা ভালবাসে, এদের মনে প্রচুর কৌতূহল, ফলে নানারকম প্রশ্ন করে। নিজের লোকের ও অপরের ক্ষতি করে ফেলে, ধর্ম ও ঈশ্বরের প্রতি আস্থা কম, ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে ও কথা বলে।

ছাগল (গুঁতোয়), শেয়াল (ধূর্ত), খরগোশ (ভিতু), উট (ঊর্ধ্ব দৃষ্টি), ইঁদুর (খুট খাট করে অনবরত কাজ করে), কুকুর (তাড়া খেয়ে পালায়), হরিণ (সাহস দেখায় ও ভয়ে পালায়) ও কাক (চালাক ও মতলব বাজ) প্রভৃতি স্বভাব প্রাপ্ত হয়।

এদের শারীরিক রোগ ব্যাধি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বাত, হাত পা ফাটা, মুখে ঘা, মুখের স্বাদ না পাওয়া, ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া, কানের ব্যথা, মাথাধরা, কপালের যন্ত্রণা, মাইগ্রেন, সাইনাস, হেঁচকি ওঠা, খুস্কি, অনিদ্রা, বয়সে কানে কম শোনা, ধাতু ক্ষয়, ছোট বয়সে বিছানায় প্রস্রাব করা, ঘুমের মধ্যে বাক রুদ্ধ হওয়া ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্লেষ্মায় নাক বন্ধ থাকা, লো পেশার, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতু স্রাব হওয়া, পেটে কৃমির উৎপাত, হাতের ও পায়ের শিরায় টান ধরা, ডায়রিয়া, ফোড়া, নিম্নাঙ্গে বা জরায়ু ও মলদ্বারের রোগ হয়। বায়ু প্রকৃতির জাতক-জাতিকা সাধারণত অল্পায়ু হয়ে থাকে।

পিত্ত = প্রকৃতির জাতক/জাতিকা

এদের সাধারণ কিছু লক্ষণ মাথার চুল কালো ও পাতলা, গায়ের রঙ তামাটে হলদে বা কালো। গায়ের চামড়া মোটা, নরম ও শিথিল, অল্প বয়সে ভাজ পরে যায়। প্রচুর ঘাম হয়, মুখে দুর্গন্ধ থাকে। চোখের কোন, জিভ ও হাতের তালু লাল হয়। খুব জোরে কথা বলে, গলার স্বর বেশ জোরাল ও তীব্র। সব ধরনেরই খাবার খায়, ঠাণ্ডা খাবার বেশি ভালবাসে। তেতো ও কষানো খাবার পছন্দ করে। শারীরিক বল মধ্যম। অল্পতেই রেগে যায় আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এঁরা বাকপটু, সাহসী ও উদার। এদের সহ্য ক্ষমতা মধ্যম, সহজে কাউকে ক্ষমা করে না। চুপচাপ বেশি থাকে, সব কথা সংক্ষেপে বলে। এঁরা স্বাধীনতা প্রিয়, স্পষ্টবাদী, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব কিছু জানার চেষ্টা করে। অল্প বয়সেই চুল পাকে ও টাক পড়ে। সেবামূলক কাজে বেশ আগ্রহ থাকে ও দান করে। বংশগত রোগের সম্ভবনা থাকে |
অন্যান্য - তামার পাত্রে জল খাওয়ার উপকারিতা
ফলাফল এদের সহ্য করার ক্ষমতা মোটামুটি। যৌন আবেগ একটু কম থাকে, বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ বেশী হয়, একটু ঘাম বেশী হয়। ঘামে বেশ দুর্গন্ধ থাকে, জোরে কথা বলে, কথা দিয়ে কিছু কথা রাখতে চেষ্টা করে আবার কিছু কথা রাখতে পারেনা। মেধাবী, বাগ্মী, স্মৃতিশক্তি খুব ভাল। স্থির মানসিকতা । সব কিছু খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস। চুপচাপ কাজ করে, কথা কম বলে। এঁরা সাহসী ও তেজস্বী, কোনও কিছুতে ভয় পায়না। কারও কাছেই মাথা নত করে না। অন্যের করুনা পছন্দ করে না, রেগে যায়। যারা এর অনুগত হয় তাদের খুব ভালবাসে। দান ও সেবা করার মানসিকতা ও আগ্রহ থাকে। সুন্দর গাড়ি, বাড়ি ও জীবনসঙ্গী লাভের ইচ্ছা থাকে। প্রচুর জল পান করে, শরীর গরম থাকে। ধন-সম্পদ, সঞ্চয় করে থাকে। গান, বাজনা ভালবাসে। এদের সন্তান সংখ্যা কম হয়।

পিত্ত প্রকৃতির মানুষের স্বভাবে এই নিচের ভাব গুলো দেখা যায় |
সাপ (নিষ্ঠুর), বিড়াল (অকৃতজ্ঞ ও আমিষভোজী), ভাল্লুক (ঠাণ্ডা প্রিয়), বেজি (ক্ষিপ্র) প্রভৃতি স্বভাব প্রাপ্ত হয়।

শারীরিক রোগ ব্যাধি গলা, বুক জ্বালা, ওষুধে সামান্য সাইডএফেক্ট বা আলার্জি হয়। অম্ল আমাশয়ের ধাজ থাকে, চুল পেকে যাওয়া, টাক পড়া, রক্তশূন্যতা, ঘাড়ের যন্ত্রণা, জন্ডিস, পাইরিয়া, জননাঙ্গের সমস্যা, বংশগত রোগের প্রবণতা থাকে। পিত্ত প্রকৃতির জাতক-জাতিকা-রা সাধারণত মধ্যায়ু হয়ে থাকে ।


কফ = শ্লেষ্মা প্রকৃতির জাতক/জাতিকা

এদের সাধারণ কিছু লক্ষণ, মাথার চুল ঘন কালো, বড় বড় চোখ, সুন্দর চেহারা, মুখশ্রী কমনীয়, স্নিগ্ধ ও লাবণ্য যুক্ত। গায়ের চামড়া উজ্জ্বল ও নরম। চোখ লাল, দৃষ্টি স্থির, গলার স্বর গম্ভীর, আস্তে কথা বলে, শান্ত স্বভাব, আবেগ সংযত, সদা সতর্কতা অবলম্বন করে, কষ্ট সহিষ্ণু, সব ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলে, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেশি থাকে, দ্রুত রোগ সেরে যায়, মেদ থাকতে পারে।

ফলাফল এদের সহ্য করার ক্ষমতা খুবই বেশী, ওষুধ গ্রহণে সাইডএফেক্ট খুবই কম হয়। সহজে রোগ সারে ও ওষুধ কাজ খুব ভালো করে। ঘন ঘন সর্দি কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকে। কাম প্রবণতা বেশী। এদের সন্তান সংখ্যা কম হয়, ভেবে চিন্তে কাজ করে ও কথা বলে, কথা দিয়ে কথা রাখতে চেষ্টা করে। কথা বার্তা মার্জিত ও মধুরতা থাকবে। গলার স্বর গম্ভীর, সাবধানে কথা বলে। বৃথা বাক্য ব্যয় করে না। বন্ধুত্ব রক্ষা করতে পারে। কিন্তু কথা বলতে বলতে কথার প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলে। তেল, ঝাল ও মসলাদার খাবার খেতে ভালবাসে, ঘি, মাখন, দুধ ও মিষ্টি ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে, অল্প গরম খাবার খায়। প্রখর স্মৃতিশক্তি, শান্ত ও ধীর-স্থির, অনেকক্ষণ একভাবে বসে লেখাপড়া বা কোনও কাজ করতে পারে। এঁরা সঞ্চয় শীল ধন, সম্পদ, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিষ রক্ষা করতে পারে। সহজে কাউকে কিছু দেয়না কৃপন প্রকৃতির, আবার যখন দেয় ভেবে চিন্তে দেয় এবং প্রচুর দান করে।
অন্যান্য - করতলে অর্ধচন্দ্র রেখা থাকলে অবশ্যই জেনে নিন
কফ প্রকৃতির মানুষের স্বভাবে এই নিচের ভাব গুলো দেখা যায় |
ঘোড়া (ক্ষিপ্র ও উপকারী), হাতি (সাহায্যকারী), সিংহ (তেজী ও নিরপেক্ষ) গরুড় (শত্রু দমন কারি) রাজহাঁস (খারাপ বাদ দিয়ে ভাল গ্রহণকারী) প্রভৃতি স্বভাব প্রাপ্ত হয়।

এদের শারীরিক রোগ ব্যাধি, অতিরিক্ত ঘুম, ভীত ও অলস্য ভাব থাকে | বদহজম, আমাশায়, হৃৎপিণ্ড ও গলার রোগ, পক্স, মূত্রনালিতে পাথর, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ছানি, মাইগ্রেন, স্থূলত্ব, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, চর্বি বাহুল্য, মানসিক রোগ প্রভৃতির সম্ভবনা থাকে।অকারণ সন্দেহ, হতাশা, বিষণ্ণতা, ভূত দেখা, অপদেবতার ভর করা। আয়োডিনের অভাব, বংশগত রোগ যেমন টিবি, হাঁপানি হওয়ার সম্ভবনা থাকে ।
কফ প্রকৃতির জাতক-জাতিকারা সাধারণত দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে ।
এবার আসছি আজকের রোগ ধ্বজভঙ্গ:

ধ্বজভঙ্গ পুরুষের জন্য একটি মারাত্মক, কঠিন ও জটিল রোগ। ধ্বজভঙ্গের লক্ষনে যা যা পাওয়া যায় তা হলো :- ইন্দ্রিয় শৈথিল্য, পুরুষত্বহীন, স্ত্রী গমনে অক্ষমতা, শরীরের দুর্বলতা হয়। দুই মাসেরও অধিক সময় যাবৎ যৌন ক্রিয়ার প্রতি কোন আগ্রহ অনুভব না করা। যৌন মিলন এড়িয়ে যাওয়া, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলনের বাসনা অত্যন্ত কম অনুভব করা, কিংবা যৌন মিলনের প্রতি দুঃশ্চিন্তা বা উদ্বেগ থাকা। কখনও কখনও আগেই বীর্যপাত ঘটা, যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া, অক্ষমতা কিংবা তীব্র যৌন সুখ পেতে অক্ষমতা ইত্যাদি।
জোতিষ শ্রাস্ত্রে কেন এই রোগ হয়?

যদি লগ্নে শুক্র ও মঙ্গল একত্রে থাকে এবং কেতু দ্বারা পূর্ণ দৃষ্টি প্রাপ্ত হয় সে ক্ষেত্রে যৌন দুর্বলতা বা ধ্বজভঙ্গ রোগ দেখা দিতে পারে এছাড়াও এই রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যদি চন্দ্র একাধিক পাপগ্রহ যুক্ত ও কেতু দ্ধারা পূর্ণ দৃষ্টিতে থাকে সে ক্ষেত্রে ধ্বজভঙ্গ যৌন রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি হতে পারে। এই রোগের প্রতিবিধান শাস্ত্রমতে আমি ভুবনেশ্বরী যন্ত্রম ও শুক্রের বীজমন্ত্র ও রত্ন হীরা বা সাদা জারকন অনুমোদন করছি
শুক্রের বীজমন্ত্র: ঔঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায় ১০৮ বার ভূবনেশ্বরী যন্ত্রমের সামনে করবে।যন্ত্রমের ছবি নিচে দেওয়া হলো।যন্ত্রমের জন্য ব‍্যায় সর্বাধিক ১০,০০০টাকা।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190831131453

Thursday, August 29th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষে কয়েকটি প্রোয়োজনীয় সূত্র ও আয়ূ বিচার

জোতিষে কয়েকটি প্রোয়োজনীয় সূত্র ও আয়ূ বিচার

সুপ্রভাত
জ্যোতিষে কয়েকটি প্রয়োজনীয় সূত্র ও মারকত্ব বা আয়ু বিচার।

১. বুধ জ্যোতিষে বুদ্ধির কারক গ্রহ।
২. দ্বিতীয় বা দ্বা্দশে ( শনি+কেতু) থাকলে ঋন হবেই।
৩.শুক্র খারাপ থাকলে অভিনেতা বা অভিনেত্রি হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভাল।
৪.বুধ + শুক্র জন্মছকে এক সঙ্গে থাকলে জীবনে কোন না কোন সময় দারিদ্র আসবেই।
৫. রবি+কেতু, রবি+রাহু, রবি+শনি, মঙ্গল+শুক্র, বুধ+শুক্র, শুক্র+কেতু, শুক্র+রাহু, বৃৃহস্পতি+রাহু, বৃৃহস্পতি+কেতু, বুধ+কেতু, বুধ+রাহু, শনি+মঙ্গল+শুক্র+রাহু, রবি+বুধ+কেতু, শনি+মঙ্গল+রাহু, এই অশুভ যোগ গুলির সার্থক প্রতিকার না করলে জীবনে একটির পর একটি সমস্যা লেগেই থাকবে।
৬. জন্মছকে সব গ্রহগুলি নীচস্থ হলে অধিক মন্দ হেতু রাজ যোগের সৃষ্টি হয়, এই যোগে নিজস্ব ফ্যক্টট্রি হয়।
৭. জন্মছকে সব গ্রহগুলি উচ্চস্থ হলে সন্ন্যাস হয়।
৮. জন্মছকে কোন কিছু হওয়ার connection না থাকলে, প্রতিকারের মাধ্যমে সেই যোগ এনে দেওয়া যায় না। বিবাহ, চাকরি, প্রেম ইত্যাদি সব জন্মের সময় নিজের ভাগ্যে নিয়েই জন্মায়। গ্রহের অশুভ যোগ, অশুভ অবস্থানে যখন সময় খারাপ চলে তার থেকে মুক্তি পেতেই প্রতিকার প্রয়োজন হয়।
৯.জ্যোতিষের সব থেকে বড় বিভাগ হল সার্থক প্রতিকার নির্বাচন করা।
১০. রাহু+মঙ্গল জাতক/জাতিকার এনর্জি নষ্ট করে। সুগার হয়।
১১. রবি+রাহু জাতক জাতিকাকে আত্মবিশ্বাসের অভাব আনে। চোখ এর রোগ হয়।

মারকত্ব ও আয়ু বিচার:
লগ্ন থেকে দেহ ও অষ্টম থেকে আয়ুর বিচার করা হয় থাকে।সুতরাং, লগ্ন থেকে সপ্তমে দেহের হানি ও অষ্টম থেকে সপ্তমে অর্থাৎ দ্বিতীয় ভাব আয়ুর হানি সূচনা করে।দেহের হানি অপেক্ষা যে আয়ুর হানি মারকত্ব হিসেবে প্রবল একথা খুব সহজেই অনুমান করা যায়!

"আয়ু"হলো সঞ্চিত জীবনীশক্তি। দ্বিতীয়ের মারকত্ব সপ্তম থেকে প্রবল!!
সপ্তমপতি যে-ই হোক না কেন,সে লগ্নপতির শত্রু অর্থাৎ অশুভ ফলদাতা!কিন্তু দ্বিতীয়পতি যদি লগ্নপতির মিত্র ও হয়,তাহলেও তার প্রবল মারকত্ব লোপ পায় না!!শুভ দ্বিতীয়পতির দশায় অন্যান্য শুভ ঘটনা ঘটলেও আয়ু খণ্ডিত হবার আশংকা থেকেই যায়!!!

দ্বিতীয় ও সপ্তম পতির দশায়,অথবা দ্বিতীয় বা সপ্তমপতির সঙ্গে সম্বন্ধবিশিষ্ট পাপগ্রহের দশায় বা দ্বিতীয়স্থ /সপ্তমস্থ পাপগ্রহের দশায় মৃত্যু সম্ভব।অন্তদশাগুলিও বিশেষ ভাবে বিবেচ্য বিষয়।কিন্তু মারক বিচারের আগে জাতক/জাতিকার আয়ুর বিচার প্রয়োজন।অষ্টম পতি অষ্টমে থেকে পাপ গ্ৰহ হয়ে ,সেই অষ্টম পতির অন্তর্দশায় জাতকের মৃত্যু হয়।এক্ষেত্রে ত্রিপাপ চক্র দেখাও বিধেয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190829092515

Thursday, August 29th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

শ্রেষ্ঠ অমাবস্যা কৌশিকী

শুভ অপরান্থ
কালকে সন্ধ্যা ০৭.৫৫ মি কৌসিকী অমাবস্যা লাগবে।
আজকে এই নিয়ে লিখছি, আশা করি সকলের ভালো লাগবে।ঐদিন বাড়ির সকলে নিচের দেওয়া বৃহস্পতি ও তার ইষ্টদেবী তারার বীজমন্ত্র ঘীয়ের প্রদীপ ও চন্দন ধূপ জ্বেলে দক্ষীন দিকে মুখ করে করলে,অর্থ,মান,যশ বৃদ্বি পাবে ওসমূহ বিপদ থেকে মুক্ত হবে।
কৌশিকী অমাবস্যা তিথি কাকে বলা হয়?
কৌশিকী অমাবস্যা অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ, তন্ত্র শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটি বিশেষ। কারণ, অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা এই দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে। সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারেন। বৌদ্ধ ধর্মে ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মহত্ব আছে। তন্ত্র মতে এই রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয় ও এক বিশেষ মুহুর্তে স্বর্গ ও নরক এই দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করতে পারেন ও ‘সিদ্ধি লাভ’ করতে পারেন।
“কৌশিকী” শব্দটা এসেছে “কোষ” এবং, “কুশ” শব্দ থেকে। শাস্ত্র মতে দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব হয়, - দেবী গৌরীর দেহ কোষ থেকে এবং, তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দৈত্যদিগকে বধ করেন। আমরা জানি যে, শাস্ত্র মতে কোষ পাঁচটি – ১। অন্নময় কোষ, ২। প্রাণময় কোয, ৩। মনোময় কোষ, ৪। বিজ্ঞানময় কোষ এবং, ৫। আনন্দময় কোষ।
ভাদ্রমাসে রবি গ্রহ (‘প্রাণ’ বা জীবাত্মার কারক) নিজ গৃহে অর্থাৎ, সিংহ রাশিতে অবস্হান করে। আর, অমাবস্যা তখনই হয় যখন, রবি ও চন্দ্র (মনের কারক) একই রাশিস্থ থাকে বা রবি ও চন্দ্র ১২ডিগ্রীর মধ্যে সহাবস্থান করে এবং, সেই দিনটা যদি “সোমবার” হয় তখনই বলা হয় সোমাবতী (চন্দ্রের এক নাম ‘সোম’) অমাবস্যা। এই দিনটি আমাদের ‘প্রাণময় কোষ’-এর নির্দেশ করে বা জীবনী শক্তি নির্দেশ করে।

কাল কৌশী অমাবস্যা। তারাপীঠে মা তারার বিশেষ পূজা । এই পূজাকে কেন্দ্র করে সেখানে অনেক ভক্ত সমাগম হবে। দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় বিদ্যা হলেন তারা দেবী । নারদ পঞ্চরাত্রে বলে – “সতী নামে যিনি দক্ষের গৃহে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি কৈবল্যদায়িনী । তাঁর এক নাম একজটা । সকল ভূতবর্গকে তিনি তারণ করেন- তাই তাঁর নাম তারা । তিনি বাকশক্তি প্রদান করেন এই জন্য তাঁর একনাম নীলসরস্বতী । অন্যদিকে তিনি উগ্রমূর্তি বলে উগ্রতারিনী নামেও খ্যাতা । তিনি উগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তিনি উগ্র তারা । ( নারদ পঞ্চরাত্র, ৩/২ )

দক্ষগৃহে যোৎপন্না সতী নাম্নেতি কীর্তিতা ।
কৈবল্যদায়িনী যস্মাৎ তস্মাদেকজটা স্মৃতা ।।
তারকত্বাৎ সদা তারা লীলয়া বাকপ্রদা যতঃ ।
নীলসরস্বতী প্রোক্তা উগ্রত্বাদুগ্রতারিণী ।।
উগ্রাপত্তারিণী যস্মাদুগ্রতারা প্রকীর্তিতা ।
( নারদ পঞ্চরাত্র )

সতী বিনা আমন্ত্রণে পিতার গৃহে যেতে চাইলে ভগবান শিব বাধা দান করলে দেবী সতী দশমহাবিদ্যা রূপ ধারন করেন । কালীরূপের পর তারা দেবীর আবির্ভাব । দেবী নিজেই তারা রূপের পরিচয়ে বলেছেন- “শ্যামবর্ণা তু যা দেবী স্বয়মূর্ধ্বে ব্যবস্থিতা’ – এর অর্থ , শ্যামবর্ণা যে দেবী ঊর্ধ্বে বিরাজ করছেন তিনিই মহাবিদ্যা তারা। ‘স্বতন্ত্র তন্ত্র’ শাস্ত্রে এই দেবীর পরিচয়ে বলা হয়েছে নীশিথে উগ্র বিপদ থেকে তিনি তারণ করেন বলে তাঁর নাম উগ্রতারা । মেরুর পশ্চিমকূলে চোল নামক এক হ্রদ আছে । বলা হয় সেখানেই তারা দেবী আবির্ভূতা হন । ‘তন্ত্রসার’ মতে তারা মন্ত্রে চৈতন্য লাভ করলে জীব অচীরেই মুক্তি লাভ করে । আবার তিনি বাক শক্তির অধিকারীনি বলে মা তারার সাধক সর্ব শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য ও ধনবান হন । দেবী তারার ধ্যান মন্ত্র অনুযায়ী তিনি খর্বা, লম্বোদরী, ভীমা, ব্যাঘ্র চর্ম পরিহিতা। তিনি জলন্ত চিতার মধ্যে অবস্থান করেন। দেবী চতুর্ভুজা- খড়গ, কাটারী, খর্পর ও পদ্ম ধারন করে থাকেন । তাঁর কেশরাশি একটি পিঙ্গল জটা বদ্ধ । দেবীর মস্তকে সর্প রূপী মহাদেব থাকেন । তিনি নব যৌবন সম্পন্না ও স্ত্রীজনোচিত অলঙ্কারে ভূষিতা । দেবীর ললাটে শ্বেত অস্থি নির্মিত চারটে পট্টি ও নর কপালের ভূষন থাকে। ঘন নীল গাত্র বর্ণ দেবীর । নয়ন তিনটি বালসূর্যের মতো রক্তাভ অথচ করুণা মাখা । দেবী বিশ্ব ব্যাপক জলে শ্বেত পদ্মের ওপর অধিষ্ঠান করেন । দেবীর অপর একটি ধ্যান মন্ত্রে তাঁকে নাগ যজ্ঞ উপবীত ধারিনী ও সর্প বিভূষনা বলা হয়েছে । এছাড়া তিনি প্রত্যালীঢ় ভঙ্গিতে শিবের উপরে অবস্থিতা বলা হয় ।

দেবী তারার আট রূপ- উগ্রতারা, ভদ্রকালী, মহোগ্রা, নীলসরস্বতী, তারিনী, মহানীলসরস্বতী, একজটা ও বজ্রা । পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে মা তারার মন্দির দেখা যায় । বলা হয় মন্দির সংলগ্ন মহাশ্মশানে শ্বেত শিমূল বৃক্ষ তলে দেবী সতীর ঊর্ধ্ব নয়নের তারা পতিত হয়েছিল । এই মহা শ্মশানে মহাসাধক বামাক্ষ্যাপা বশিষ্ঠ সিদ্ধপিঠে বসে সাধনা করে সিদ্ধ হন । মহাসাধক বামদেবের সাথে মা তারার বাৎসল্যের ক্রীড়া ক্ষেত্র ছিল এই মহা শ্মশান । আসুন সকলে মা তারার চরণে প্রনাম জানাই । জয় বামদেব । জয় মা তারা ।

কাল কৌশী অমাবস্যা। ভাদ্রমাসের অমাবস্যার নাম কৌশি অমাবস্য অর্থাৎ যজ্ঞাদী কর্মের জন্য যে কুশ ব্যবহৃত হয় সেই কূশ তোলার উপযুক্ত তিথি।শয়ন একাদশীতে যখন শ্রী বিষ্ণু শয়ন করেন তখন যেকোন তিথিতে বিষ্ণুর রোম স্বরূপ কুশ তোলা নিষেধ এতে ভগবানের বিশ্রামে ব্যঘাত হয়, তাই একমাত্র ভাদ্র অমাবস্যাতে কুশ তোলার তিথি হিসেবে নির্ধারিত আছে ।তাই এই তিথির নাম কৌশি অমাবস্যা ।
কৌশিকী অমাবস্যার নির্ঘন্ট

এই অমাবস্যার আরেক নাম ‘তারা রাত্রি’৷ তন্ত্র সাধনার জন্য আজকের এই অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয়৷ তবে শুধু হিন্দু শাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও এই অমাবস্যার গুরুত্ব রয়েছে৷ এখন জেনে নেওয়া যাক ১৪২৬ সনের কৌশিকী অমাবস্যার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা) মতে:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:
অমাবস্যা আরম্ভ:
বাংলা তারিখ: ১২ ভাদ্র ১৪২৬, বৃহস্পতিবার।
ইং তারিখ: ২৯/০৮/২০১৯।
সময়: রাত্রি ০৭টা ৫৬ মিনিট থেকে।

অমাবস্যার নিশিপালন:
বাংলা তারিখ: ১২ ভাদ্র ১৪২৬, বৃহস্পতিবার।
ইং তারিখ: ২৯/০৮/২০১৯।
অমাবস্যা শেষ:
বাংলা তারিখ: ১৩ ভাদ্র ১৪২৬, শুক্রবার।
ইং তারিখ: ৩০/০৮/২০১৯।
সময়: বিকেল ৪টে ০৭ মিনিট পর্যন্ত।
অমাবস্যার উপবাস:
বাংলা তারিখ: ১৩ ভাদ্র ১৪২৬, শুক্রবার।
ইং তারিখ: ৩০/০৮/২০১৯।
সময়: বিকেল ০৪টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:
অমাবস্যা আরম্ভ:
বাংলা তারিখ: ১১ ভাদ্র ১৪২৬, বৃহস্পতিবার।
ইং তারিখ: ২৯/০৮/২০১৯।
সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিট থেকে।
অমাবস্যার নিশিপালন:
বাংলা তারিখ: ১১ ভাদ্র ১৪২৬, বৃহস্পতিবার।
ইং তারিখ: ২৯/০৮/২০১৯।
অমাবস্যা শেষ:
বাংলা তারিখ: ১২ ভাদ্র ১৪২৬, শুক্রবার।
ইং তারিখ: ৩০/০৮/২০১৯।
সময়: বিকেল ৪টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
অমাবস্যার উপবাস:
বাংলা তারিখ: ১২ ভাদ্র ১৪২৬, শুক্রবার।
ইং তারিখ: ৩০/০৮/২০১৯।
সময়: বিকেল ৪টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।

।।মা তারা ।।

তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী। তারার বিভিন্ন রূপান্তর উগ্রতারা, নীল সরস্বতী, কুরুকুল্লা তারা, খদির বাহিনী তারা, মহাশ্রী তারা, বশ্যতারা, সিতাতারা, ষড়ভূজ সিতাতারা, মহামায়া বিজয়বাহিনী তারা ইত্যাদি। বৌদ্ধধর্মেওতারাদেবীর পূজা প্রচলিত। তারার মূর্তিকল্পনা কালী অপেক্ষাও প্রাচীনতর।[১] কোনো কোনো মতে তারা দুর্গা বা চণ্ডীর রূপান্তর। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলারতারাপীঠে অবস্থিত দেবী তারার মন্দির বিখ্যাত।

তারাপীঠ

বাংলার অন্যতম প্রধান পূজিত দেবী হল কালী। নানা রূপে, নানা জটিল বিমূর্ততায় বাংলা জুড়ে এই শক্তির দেবী পূজিত হন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ। তবে তারাপীঠের আরও বেশি মাহাত্ম্য শক্তিপীঠ বা মহাপীঠ হিসাবে। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ হেজেমজে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর মা তারাসিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –- তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

বণিক জয় দত্তের তৈরি করে দেওয়া তারামায়ের মন্দিরটি আজ আর নেই। বর্তমানের উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি ১২২৫ বঙ্গাব্দে তৈরি করান মল্লারপুরের জগন্নাথ রায়। দেবী এখানে তারাময়ী কালী – মুখমণ্ডল ছাড়া সারা অঙ্গ বসনে আবৃত। সন্ধ্যায় দর্শন মেলে মূল দ্বিভুজা ছোট্ট মূর্তির। এর দুটি হাত, গলায় সাপের মালা, পবিত্র সুতোয় অলঙ্কৃত, বাঁ কোলে শিব স্তন্য পান করছে। শত শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না।

তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয় এবং প্রতিদিনই এখানে গরিবদের খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।

দেবী দর্শনের পর ঘুরে নিতে পারো বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এখানে রয়েছে সাধকের মূর্তি।

কলকাতা থেকে ২৬৪ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠে আসা যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে। নামতে হয় রামপুরহাট বা তারাপীঠ রোড স্টেশন

তারাপীঠ মন্দির
উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি লাল ইঁটে নির্মিত। এর ভিতের দেওয়াল বেশ মোটা। উপরিভাগে শিখর পর্যন্ত একাধিক ধনুকাকৃতি খিলান উঠেছে। চারচালার ওপরে চার কোণে চারটি ছোট ছোট চূড়া অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় একটি তামার পত্তাকাসহ ত্রিশীল তিনটি পদ্ম ভেদ করে উঠেছে। মন্দিরের প্রবেশপথের মধ্য খিলানের ওপর দুর্গার প্রতিকৃতি রয়েছে। উত্তরদিকে বামপাশের খিলানের ওপর

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঘটনা, ভীষ্মের শরশয্যা, অশ্বত্থমা হত প্রভৃতি মহাভারতের কাহিনী উৎকীর্ণ রয়েছে। মন্দিরের উত্তর ভিতের পূর্বদিকে সীতাহরণ, অকালবোধন, রাম ও রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য এবং পশ্চিমদিকে কৃষ্ণলীলার চিত্র খোদিত। ১২ ফুট X ৬ ফুট মাপের মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীমূর্তি সংস্থাপিত।শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারার মূল প্রস্তরমূর্তিটি একটি তিন ফুট উঁচু ধাতব মূর্তির মধ্যে রাখা থাকে। দর্শনার্থীরা সাধারণত ধাতব মূর্তিটিই দর্শন করে থাকেন। এই মূর্তিটি তারা দেবীর ভীষণা চতুর্ভূজা, মুণ্ডমালাধারিণী এবং লোলজিহ্বা মূর্তি। এলোকেশী দেবীর মস্তকে রৌপ্যমুকুট থাকে। বহির্মূর্তিটি সাধারণট শাড়ি-জড়ানো অবস্থায় গাঁদা ফুলের মালায় ঢাকা অবস্থায় থাকে। মূর্তির মাথার উপরে থাকে একটি রূপোর ছাতা। মূর্তিটির কপালে সিঁদুর লেপা থাকে। পুরোহিতেরা সেই সিঁদুরের টীকা পরিয়ে দেন দর্শনার্থীদের। প্রতিকৃতি বিগ্রহের নীচে গোল্কার বেদীতে দুটি রূপোর পাদপদ্ম থাকে। ভক্তরা নারকেল, কলা বা রেশমি শাড়ি দিয়ে দেবীর পূজা দেন। তারাদেবীর মূল মূর্তিটিকে "তারার কোমল রূপের একটি নাটকীয় হিন্দু প্রতিমা" বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ভূগোল
তারাপীঠ বীরভূম জেলার মারগ্রাম থানার অধীনস্থ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোটো গ্ৰাম।

পশ্চিমবঙ্গতে তারাপীঠ এর অবস্থান

স্থানাঙ্ক২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্ব | দেশভারত Stateপশ্চিমবঙ্গ জেলাসমূহ বীরভূম নিকটবর্তী শহররামপুরহাট।

এটি দ্বারকা নদীর তীরে অবস্থিত। প্লাবন সমভূমির সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে এই তীর্থস্থান অবস্থিত। কিছুকাল আগেও বাংলার সাধারণ মাটির বাড়ি আর মেছোপুকুরে ভরা গ্রামের থেকে তারাপীঠের খুব একটা পার্থক্য ছিল না। বর্তমানে অবশ্য তীর্থমাহাত্ম্যের কারণে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় গ্রামটি ছোটোখাটো শহরের আকার নিয়েছে। জেলার রামপুরহাট মহকুমার সদর রামপুরহাট শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে তারাপীঠ অবস্থিত। রামপুরহাট ও চাকপাড়ার 'তারাপীঠ রোড' রেল স্টেশনদুটি তারাপীঠের নিকটতম রেল স্টেশন।

কিংবদন্তি ও গুরুত্ত্ব

তারাপীঠ মন্দিরের উৎস ও তীর্থমাহাত্ম্য সম্পর্কে একাধিক কিংবদন্তি লোকমুখে প্রচারিত হয়ে থাকে। এগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিংবদন্তি হল "শক্তিপীঠ" ধারণাটির সঙ্গে যুক্ত পৌরাণিক কাহিনিটি। শিবের স্ত্রী সতী তাঁর পিতা দক্ষের "শিবহীন" যজ্ঞ সম্পাদনার ঘটনায় অপমানিত বোধ করে। স্বামীনিন্দা সহ্য করতে না পেরে তিনি যজ্ঞস্থলেই আত্মাহুতি দেন। এই ঘটনায় শিব ক্রুদ্ধ হয়ে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয়নৃত্য শুরু করেন। তখন বিষ্ণু শিবের ক্রোধ শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে দেন। সতীর দেহ একান্নটি খণ্ডে ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর নানা স্থানে পতিত হয়। এইসকল স্থান "শক্তিপীঠ" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গেও এই রকম একাধিক শক্তিপীঠ অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পীঠ হল কালীঘাট ও তারাপীঠ। সতীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা তারাপুর বা তারাপীঠ গ্রামে পড়ে এবং প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম এই রূপটি দেখতে পান এবং সতীকে তারা রূপে পূজা করেন। অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে: সমুদ্র মন্থনের সময় উত্থিত হলাহল বিষ পান করার পর বিষের জ্বালায় শিবের কণ্ঠ জ্বলতে শুরু করে। এই সময় তারাদেবী শিবকে আপন স্তন্য পান করিয়ে তাঁর জ্বালা নিবারণ করেন। স্থানীয় কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ তারাপীঠ নামে প্রসিদ্ধ এই তীর্থে দেবী সতীর পূজা শুরু করেন। পীঠস্থানগুলির মধ্যে তারাপীঠ একটি "সিদ্ধপীঠ", অর্থাৎ এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন।

লোকমুখে প্রচারিত একটি কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ এখানে তারাদেবীর তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু তিনি অসফল হন। তখন তিনি তিব্বতে গিয়ে বিষ্ণুর অবতার বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বুদ্ধ তাঁকে বামমার্গে মদ্যমাংসাদি পঞ্চমকার সহ তারাদেবীর পূজা করতে বলেন। এই সময় বুদ্ধ ধ্যানযোগে জানতে পারেন মন্দিরে তারামূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার করার আদর্শ স্থান হল তারাপীঠ। বুদ্ধের উপদেশক্রমে বশিষ্ঠ তারাপীঠে এসে ৩ লক্ষ বার তারা মন্ত্র জপ করেন। তারাদেবী প্রীত হয়ে বশিষ্ঠের সম্মুখে উপস্থিত হন। বশিষ্ঠ দেবীকে অনুরোধ করেন বুদ্ধ যে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারাদেবীকে ধ্যানে দেখেছিলেন, দেবী যেন সেই রূপেই তাঁকে দর্শন দেন। দেবী সেই রূপেই বশিষ্ঠকে দর্শন দেন এবং এই রূপটি প্রস্তরীভূত হয়। সেই থেকে তারাপীঠ মন্দিরে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা মূর্তিতে দেবী তারা পূজিত হয়ে আসছেন।
শাক্তধর্মের তারাপীঠ ও বৈষ্ণবধর্মের নবদ্বীপ বাঙালি হিন্দুদের নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ রূপে পরিগণিত হয়।

শ্মশানঘাট
শহরের এক কোণে নদীর ধারে ঘন অরণ্য বেষ্টিত তারাপীঠ শ্মশানটি অবস্থিত। শ্মশানটি লোকালয় থেকে দূরে। তারাপীঠের শ্মশানটি শক্তিপীঠের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তারা দেবীকে শ্মশানের অন্ধকারে বলিপ্রদত্ত ছাগের রক্ত পান করতে দেখা যায়।

তন্ত্রসাধকরা
বিশ্বাস করেন নরকঙ্কাল ও শ্মশানক্ষেত্র তারা দেবীর বিশেষ প্রিয়। দেবীর যে সকল চিত্র আঁকা হয়ে থাকে, তাতে তাঁকে শ্মশানক্ষেত্রনিবাসিনী রূপেই দেখানো হয়। এই কারণে তন্ত্রসাধকেরা শ্মশানক্ষেত্রকেই তাঁদের সাধনস্থল হিসেবে বেছে নেন। অনেক সাধুই পাকাপাকিভাবে এখানে বাস করেন। শ্মশানে অনেক জটাধারী ভষ্মমাখা সাধু দেখা যায়। তাঁরা বটবৃক্ষের তলায় নিজেদের কুটির সৃজন করে বাস করেন। এই সব কুটিরের মাটির দেওয়ালে তাঁরা সিঁদুরমাখানো নরকপাল গ্রথিত করে রাখেন। কুটিরের দেওয়ালে শোভা পায় গাঁদার মালায় শোভিত হিন্দু দেবী ও তারাপীঠের সন্তদের ছবি। কুটিরের

প্রবেশ পথের
কাছে অনেক সময়েই মাল্যভূষিত ত্রিশূল ও নরকপাল রেখে দেওয়া হয়। তন্ত্রসাধনায় মানুষ ছাড়াও সাপ, ব্যাং, শিয়াল ও খরগোসের করোটি প্রয়োজন হয়। এগুলির পাশপাশি সাপের খোলসও কুটিরে রাখা থাকে। ভাল নরকপাল পূজা ও মদ্যপানের জন্য ব্যবহৃত হয়। কুমারী মেয়ে ও আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিদের মাথার খুলির অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করা হয়।

বামাক্ষ্যাপা
তারাপীঠের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সাধক হলেন বামাক্ষ্যাপা (১৮৪৩-১৯১১)। মন্দিরের নিকটেই তাঁর আশ্রম ছিল। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাদেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মন্দিরে পূজা করতেন এবং শ্মশানে সাধনা করতেন। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের অপর প্রসিদ্ধ কালীভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক। অল্প বয়সেই তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং কৈলাসপতি বাবার সান্নিধ্যে তন্ত্রসাধনা শুরু করেন। পরে তিনি সমগ্র তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ বা আরোগ্য প্রার্থনা করতে আসত। কেউ কেউ আবার শুধুই তাঁকে দর্শন করতে আসত। তিনি মন্দিরের নিয়ম মানতেন না। একবার নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে খেয়ে ফেলে তিনি পুরোহিতদের রোষ দৃষ্টিতে পড়েছিলেন। শোনা যায়, এরপর তারাদেবী নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে দেবীর পুত্র বামাক্ষ্যাপাকে প্রথমে ভোজন করাতে আদেশ দেন। এরপর থেকে মন্দিরে দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে বামাক্ষ্যাপাকে ভোজন করানো হত এবং কেউ তাঁকে বাধা দিতেন না। কথিত আছে, তারাদেবী শ্মশানক্ষেত্রে ভীষণা বেশে বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়ে তাঁকে স্তন্যপান করিয়েছ।

তারার ধ্যান

ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।

খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।

চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।

কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।

পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।

বালার্কমণ্ডলাকা

রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।

জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।

স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।

বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।

অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।
প্রনাম

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

জোতিষ শাস্ত্রে মা তারা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী।তার বীজমন্ত্র:শ্রীং হ্রীং স্ত্রীং হুং ফট্। ১৮বার

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা ১০০৮ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190829092113

Thursday, August 29th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

অমাবস্যা তে কি কি করবেন আর কি কি করবেন না

সুপ্রভাত,
আজ শুভ কৌশিকী অমাবস্যার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের প্রতিবেদন।কৌশিকী অমাবস্যা,লাগবে সন্ধ্যা ৭.৫৬ মিঃ, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ, তন্ত্র ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটু বিশেষ। তন্ত্রশাস্ত্র মতে অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা আজকের দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রশাস্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে এই অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয়। এ দিন এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দ্বার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে। তাই তন্ত্রসাধনার জন্য এই অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয় ।

দেখে নেওয়া যাক কিছু টোটকা, যেগুলো করলে আপনার ও আপনার পরিবারের বিশেষ উপকার হবে,অনেক বাধা থেকে মুক্তি পাবেন অনায়াসে।
এবং কি কি করবেন না
করনীয়:
১। প্রথমত অমাবস্যার দিন আপনার বাড়িঘর খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার রাখুন। ওই দিন যেন বাড়ি অপরিষ্কার না থাকে, সে দিকে নজর রাখবেন। কোনও এঁটো বাসনপত্র যেন না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। কোনও পুরনো, ছেঁড়া জামাকাপড় থাকলে, সেগুলি কাউকে দিয়ে দেবেন বা ফেলে দেবেন। শুধু বাড়িই নয়, বাড়ির সামনের উঠোনও পরিষ্কার রাখবেন।

২। এই অমাবস্যায় সন্ধের পর বাড়ির সদর দরজার সামনে দু’টি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। এর ফলে বাড়ির সমস্ত নেগেটিভ শক্তি বেরিয়ে গিয়ে পজিটিভ শক্তির আবির্ভাব ঘটবে।

৩। জীবনের সব সমস্যা, সব অসুবিধা দূর করতে এই টোটকা ব্যবহার করুন। আসন্ন কৌশিকী অমাবস্যায় সন্ধ্যাবেলায় একটি কুয়ো বা একটি গর্তে এক চামচ দুধ ঢালুন। তাতে আপনার জীবনের সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়ে যাবে।

৪। একটি শুকনো নারকেল, অর্থাৎ নারকেলের ভিতরে জল যেন না থাকে, এমন নারকেল নিয়ে তার এক দিকে ফুটো করে সে ফুটো দিয়ে চিনি পুরে দিন ভিতরে। এ বার ওই অবস্থায় নারকেলটিকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে কোথাও পুঁতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন যেন ওই ফুটোটা উপরের দিকে থাকে। আর এই কাজটি করার সময় কেউ যেন আপনাকে না দেখে।
৫)মা তারার ছবির সামনে রাত্রি ১০.৪৮ মিঃ বসে মা তারার ও বৃহস্পতির ধ‍্যান,প্রনাম ও বীজমন্ত্রক করে মায়ের কাছে যা চাওয়া হয় মা তাই পূরণ করে।

তারার ধ্যান

ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।

খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।

চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।

কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।

পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।

বালার্কমণ্ডলাকা

রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।

জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।

স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।

বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।

অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।
প্রনাম

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

জোতিষ শাস্ত্রে মা তারা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী।তার বীজমন্ত্র:শ্রীং হ্রীং স্ত্রীং হুং ফট্। ১৮বার

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা ১৮বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥

৬. অমাবস্যার দিন মন্দিরে পুজো দেওয়া শুভ বলে মনে করেন হিন্দুরা। মন্দিরে না যেতে পারলেও এইদিন বাড়িতে স্নান করে ঈশ্বরকে স্মরণ করলে ভাল।
কি কি করবেন না:

১. অমাবস্যার দিন কখনও নখ কাটতে নেই। তন্ত্রমতে, চুল এবং নখ হল শরীরের ‘নদী’-র অংশ। বলা হয় পূর্ণিমার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘উচ্চ’ পর্যায়ে থাকে, তাই মানুষের শরীরের মাথা এবং চুল সেদিন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। তাই পূর্ণিমার দিন চুল কাটতে নেই। আবার অমাবস্যার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘নিম্ন’ থাকে তাই ওই দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় হাত ও পায়ের নখ। তাই অমাবস্যায় নখ কাটতে বারণ করা হয়। তাছাড়া, সংস্কার অনুযায়ী অমাবস্যায় তান্ত্রিক অভিচার ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাটা নখ ও চুল মারণ-উচাটনে ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের বিশ্বাস।

২) অমাবস্যার দিনে দূরে যাত্রা করলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। মধ্যযুগে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অমাবস্যার দিনগুলিতে প্রশাসনিক এবং বৈষয়িক কাজকর্ম সচরাচর বন্ধ রাখা হত। আধুনিক জীবনে তা হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এইদিন দূরে কোথাও যাত্রা না করাই ভাল। কোনও শুভকাজের সূচনার জন্য এইদিন ভাল নয় বলেই মনে করা হয়।

৩). পূর্ণিমার মতোই অমাবস্যার দিনেও অনেকে উপোস করেন এবং দিনে একবারই খান। পুরোপুরি উপোস না করলেও এইদিন আমিষ খাবার বর্জন করা উচিত বলেই মনে করা হয়।

৪) হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী অমাবস্যায় গর্ভধারণ অশুভ। অমাবস্যা ছাড়াও পূর্ণিমা, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী এবং চতুর্দশী তিথিতে গর্ভধারণ অশুভ বলে মনে করা হয়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190829074308

Wednesday, August 28th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

২০১৯-২০২০ সালে কোন রাশির বিয়ের সম্ভাবনা কেমন

সুপ্রভাত
জোতিষ শ্রাস্ত্রে বিবাহ

জীবনের ১৬ সংস্কার মধ্যে অন্যতম সংস্কার বিবাহ । শক্তি আর সৌন্দর্য , পরস্পর সংযোজন , একের প্রতি অন্যের অধিকার কর্তব্য তথা উত্তরদায়িত্ব নির্বাহ এর সাথে বংশপরম্পরা শাশ্বতা , নিরন্তরতার অনুসরণ কে বিবাহের সকার রুপ পায় । বিয়ের প্রতীক্ষা সব হৃদয়ে উৎসাহ আনন্দ উরজা নিয়ে আসে। বিবাহ বেদ বিহিত , শাস্ত্র অনুমোদিত একটি ব্যবস্থা । প্রত্যেক মেয়ে কে তার পরিবার ছেড়ে অন্য পরিবারে দায়িত্ব নেওয়া । অন্য পরিবারে কারো জীবন সঙ্গিনী হওয়া ।

জাতক জাতিকার জন্ম কুণ্ডলী বলে তার বিবাহ কবে হবে , অদৌ হবে কিনা , তার বিবাহিত জীবন কেমন হবে । এটা নির্ভর জাতক জাতিকার জন্মকুণ্ডলী তে অবস্থিত গ্রহের অবস্থানের উপর ।

জন্ম , বিবাহ , মৃত্যু মানুষ জীবনের তিন বিন্দু । তাই এর ক্ষেত্রে ভবিষৎ বানী তে কোন ত্রুটি যেন না থাকে । এই বিষয়ে সঠিক ভবিষৎ বানী করে জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রমানিকতা তুলে ধরতে পারি । সপ্তমেশ বা দ্বিতীয়েশ এর দশা অন্তরদশা দেখে অথবা গোচরে বৃহস্পতির লগ্ন চন্দ্র অথবা সপ্তম ভাবে প্রভাব দেখে অনেক সময় বিবাহে ভবিষৎ বানী সঠিক হয়না । জ্যোতিষ শাস্ত্র এত সহজ নয় যতটা একজন জ্যোতিষী বোঝেন ।। তার জন্য গভীর গবেষণা প্রয়োজন । বিবাহের সঠিক সময় জানতে বিভিন্ন জন্ম কুণ্ডলী দেখে বিশ্লেষণ করে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে । বিবাহের জন্য শনির সহমতি অনিবার্য । কারন বিবাহের সময় নির্ধারণে শনি ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ । তাই এই বিষয়ে গভীর চিন্তন মনন জরুরী । তবে মনে রাখতে হবে বিবাহের কারক গ্রহ শুক্র আর চন্দ্র । তাই এখানে বিচার করতে হবে । বয়স্ক কন্যার বিবাহ নিয়ে যখন চিন্তিত অবিভাবক কোন জ্যোতিষীর কাছে যান সেই চিন্তাগ্রস্থ পিতাকে বলেন বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন হতেই বিবাহ হয়ে যাবে এই ধরনের কথা বলে তাকে আশ্বাস দেন । আর যখন হয় না তখন আস্থা তে গভীর আঘাত আসে । অজ্ঞানতা অভিজ্ঞতা অভাবে এই ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়
মনে রাখতে হবে সপ্তম পতির অন্তর দশা ও শুক্ত বা চন্দ্রের মহাদশায় বিবাহ হতে পারে।

২০১৯ -২০২০ সালে কোন রাশি জাতক/জাতিকার বিয়ের সম্ভাবনা কেমন, তা জেনে নিন এখানে-

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)

মেষ রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার রয়েছে লম্বা বিবাহ যোগ। একদম ঠিক-ঠিক২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। শুরু এখন থেকেই।

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে)

বৃষ রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার বিবাহের সম্ভাবনা প্রবল। বৃষর সপ্তম স্থানে বৃশ্চিক অবস্থান করছে গত ১১/১০/২০১৯ থেকে ৫/১০/২০২০ পর্যন্ত। এই সময়ে এই রাশির বিবাহের সম্ভাবনা প্রবল। বিয়ে প্রেম করে বা সম্বন্ধ করে, উভয় ভাবেই হতে পারে। মার্চ ২০১৯ এর পর থেকে এই যোগ হবে আরও প্রবল!

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন)

মিথুন রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার বিবাহ যোগ শুরু হবে নভেম্বর২০১৯ থেকে। তাই আগ্রহী আত্মীয়কে বলে দিন যোগাযোগ করার জন্য।

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই)

কর্কট রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার বিবাহ যোগ ১১/১০/২০১৯থেকে ৫/১১/২০২০ পর্যন্ত।

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)

সিংহ রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার ক্ষেত্রে মার্চ ২০১৯ এর পর থেকেই প্রেম ঘটিত বিবাহের প্রবল সম্ভাবনা। চলবে ২৭নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত,তাই শুভকামনা সিংহ রাশির প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য!

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)

কন্যা রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার বিবাহের সম্ভাবনা প্রবল। গত ১১/১০/২০১৯ থেকেই শুরু হয়ে গেছে তাদের বিবাহের যোগ। চলবে ৫/১২/২০২০পর্যন্ত। আর এই প্রভাব থাকবে প্রেম এবং সম্বন্ধ উভয় বিবাহের ক্ষেত্রেই।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)

তুলা রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার ক্ষেত্রে রয়েছে 'হঠাৎ বৃষ্টির' মতোই হঠাৎ বিবাহের সম্ভাবনা।(০৩/০১১/১৯-২২/০৪২০২০)

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)

একটু সময় নিলেও বৃশ্চিক রাশি/লগ্নের বিবাহ যোগ প্রায় নিশ্চিত। বৃহস্পতির বৃশ্চিকে অবস্থান ১১/১০/২০১৯থেকে ৫/১১/২০২০ পর্যন্ত এবং বৃহস্পতির সরাসরি সপ্তম স্থানে দৃষ্টি, বিবাহ ও পরিবার বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তাই আগাম দাওয়াতটা দিয়েই ফেলুন!

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)

ধনু রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার অবশ্য বৃশ্চিকের মতো লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী মার্চেই (২০২০ )রয়েছে বিবাহ যোগ।

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)

মকর রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার ক্ষেত্রে অন্যসব রাশির মত প্রবল না হলেও বিবাহ যোগ আছে ঠিকই। আগামী ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হতে পারে শুভ বিবাহ।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)

মিথুন, সিংহ আর ধনু রাশির মতো কুম্ভ রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকারও বিবাহ যোগ শুরু হচ্ছে মার্চ ২০১৯ এর পর থেকে চলবে ২৪ শে আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)

মীন রাশি/লগ্নের জাতক/জাতিকার প্রেম ও সম্বন্ধ বিবাহের ক্ষেত্রেসম্ভাবনা সামান্যই। তাই এ নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামিয়ে বরং নতুন বছরের জন্য বানিয়ে ফেলুন 'বাকেট লিস্ট'। তবুও ২৭ শে ডিসেম্বর -২৬ শে মার্চ ২০২০ বিবাহ হতে পারে।

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190828103728

Wednesday, August 28th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহের শুভ নির্ঘন্ট

সুপ্রভাত
***বিবাহ ও শুভ নির্ঘন্ট*** (পূনঃপ্রচার)
বিবাহের কাল বিচার জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সপ্ত বারের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবাহে প্রশস্ত। রবি, মঙ্গল ও শনি বারে বিবাহ হলে কন্যা কুলটা হয়। অমাবস্যা ও রিক্তায় (৪র্থী, ৯মী ও ১৪শী) বিবাহ অশুভ। তবে শনি বার রিক্তা তিথিতে বিবাহ শুভ। রেবতী, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, মৃগশিরা, মূলা, অনুরাধা, মঘা, হস্তা ও স্বাতী এই সব নক্ষত্রসমূহে বিবাহ শুভ। ব্যতীপাত, পরিঘ, বৈধৃতি, অতিগ-, ব্যাঘাত, হর্ষণ, শূল, গ-, বিকুম্ভ এবং বজ্র যোগ ভিন্ন অন্নযোগে বিবাহ প্রশস্ত। শকুনি, চতুষ্পাদ, নাগ, কিন্তঘ্ন ও বিষ্টি করণে বিবাহ নিষিদ্ধ। বারটি মাসের মধ্যে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও অগ্রহায়ণ মাসে বিবাহ প্রশস্ত। তবে অরক্ষণীয়া কন্যার নক্ষত্রে পৌষ ও মাঘ মাসেও বিবাহ প্রশসত্ম। লগ্নের ক্ষেত্রে কন্যা, তুলা, মিথুন ও ধনু লগ্নের পূর্বাংশে বিবাহ শুভ। বিবাহের সময় লগ্ন, ৫ম, ৯ম ও ১০মে বৃহস্পতি থাকলে সুতহিবুক যোগ হয়। গর্গমুনির মতে জন্মদিনে কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ তবে জন্ম-মাসে বিবাহ প্রশস্ত। জন্মদিনের পর আট দিন পরিত্যাগ করে কন্যার বিবাহের বিধান আছে। কন্যার ক্ষেত্রে জন্মবার, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতেও বিবাহ প্রশস্ত। জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাসে জ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহ প্রশস্ত। জন্মদিন, জন্ম-বার, জন্ম-মাস, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতে পুরুষের বিবাহ নিষিদ্ধ। সুতহিবুক যোগে লগ্নের গ্রহসংস্থান জনিত সকল দোষ নাশ হয়। এখন গোধুলি লগ্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। যে সময় শুভ লগ্ন থাকে না আবার বিবাহ-কার্যও আবশ্যক হয়ে পড়ে তখন গোধুলি লগ্নে বিবাহ প্রশস্ত। গোধুলি লগ্নে বিবাহে বার, তিথি, নক্ষত্র, বিষ্টিভদ্রা প্রভৃতি দোষ থাকলেও বিবাহ অশুভ হয় না। বিবাহের প্রশস্ত মাসের মধ্যে, অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে এবং শনি ও বৃহস্পতি বার গোধুলি লগ্নে বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে সবচাইতে ভালো দিন :সোমবার, তিথি পক্ষ শক্লা পঞমী,ওপূর্ণীমা ,নক্ষত্র : স্বাতী, অনুরাধা, যোগ : আয়ূস্মান ,লগ্ন: গোধূলি মাস অগ্ৰায়ন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190828101931

Tuesday, August 27th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

প্রেম বিবাহ ও জোতিষ

প্রেম বিবাহ ও জোতিষ

সুপ্রভাত
।।।প্রেম বিবাহ ও জোতিষ।।।

এই তিনটি বিষয়ে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এ সবই পূর্ব নির্ধারিত। তাহলে মানুষ কেন ভালবাসে, প্রেমেই বা পড়ে কেন? যাকে ভালবাসেন, যার সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, বিয়ে কি তার সঙ্গেই হবে? জ্যোতিষশাস্ত্রে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। আপনার জন্মকুণ্ডলী অনুযায়ী জেনে নিন আপনার বিবাহের সম্পর্কে ঠিক কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র।

১) মঙ্গল যদি পঞ্চম-ভাব বা তার অধিপতির সঙ্গে সম্বন্ধিত হয় তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।

২) যখন শুক্র, শনি অথবা রাহু দ্বারা দৃষ্ট থাকে বা শুক্র শনি অথবা রাহুর সঙ্গে যুক্ত থাকে তখন প্রেম বিবাহের যোগ তৈরি হয়।

৩) যদি চন্দ্রের লগ্ন ভাবের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে অথবা লগ্নপতির সপ্তম ভাব অথবা সপ্তম ভাবের স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ হয়, তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।

৪) পঞ্চম-ভাব এবং সপ্তম-ভাবের অধিপতিদের পরিবর্তন যোগ, পঞ্চম-পতি এবং সপ্তম-পতির যুক্তি তথা পঞ্চম-পতি আর সপ্তম-পতির মধ্যে দৃষ্টির সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।

৫) জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল যদি সপ্তম ভাবে থাকে তাহলে জাতক-জাতিকার প্রেম বিবাহ হয়।

৬) পঞ্চম-ভাবের অধিপতির সপ্তম-ভাবের সঙ্গে অথবা সপ্তম-ভাবে স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে তাহলে জাতক-জাতিকার প্