• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Friday, May 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দেবী কমলা(চন্দ্রের ইষ্টদেবী

দেবী কমলা(চন্দ্রের ইষ্টদেবী

শুভ রাত্রি

দেবী কমলা
- মা কমলা তো দশ মহাবিদ্যার অন্যতম রূপ। এই রূপের তাত্পর্য কি?
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় - দেবী কমলে কামিনী বা কমলা দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা।ইনি চন্দ্রের ঈষ্টদেবী। মা কমলা হলেন ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।সেইসাথে তিনি বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী।তাঁকে তান্ত্রিক লক্ষ্মীও বলা হয়।
কমলা হচ্ছে পদ্মের প্রতিশব্দ। কমলে কামিনী দেবীর যে রুপ কল্পনা করা হয় তাতে দেখা যায় যে, দেবীকে চারটি বড় হাতি স্নান করাচ্ছেন এবং দেবী পন্মের উপর অধিষ্ঠিতা। তার চারটি হাত। দেবীর চারটি হাতে দুটি পদ্ম ও বরাভয় মুদ্রা। মাথায় রত্নমুকুট,দেবী পট্টবস্ত্র-পরিহিতা। তাঁর সম্বন্ধে শাস্ত্র বলছে -
“কান্ত্যা কাঞ্চনসন্নিভাং হিমগিরি প্রখ্যৈশ্চতুর্ভি র্গজৈঃ। হস্তোৎক্ষিপ্ত-হিরন্ময়ামৃতঘটরাসিচ্যমানাং শ্রিয়ম্। বিভ্রানাং বরমব্জযুগ্মং অভয়ং হস্তৈঃ কিরীটোজ্জ্বলাং। ক্ষৌমাবদ্ধনিতম্ববিম্বললিতাং বন্দে অরবিন্দস্থিতাম্।”
সর্বসৌভাগ্যদায়িনী এই মহালক্ষ্মী কমলার আবির্ভাব হয় ফাল্গুন মাসের একাদশী তিথি অথবা শুক্রবার বা মঙ্গলবারে যে তিথি হয় সেই তিথিতে। এই কমলা হলেন মা লক্ষ্মীর তান্ত্রিক রূপ। যদিও মা কমলা বিষ্ণুর ঘরণী রূপেই পরিচিত কিন্তু কমলার ধ্যানমন্ত্রে বিষ্ণুর উল্লেখ বা তাঁর মধ্যে বিষ্ণুর ঘরণী রূপ কিন্তু তাঁর ধ্যানমন্ত্রে পাওয়া যায় না। কমলা রূপে তাঁকে একাই দেখা যায় -এই দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা রূপে তিনি স্ত্রী রূপে প্রকাশিত হন নি। এখানে তিনি শুধুই যোগ ও তন্ত্রের সাথে যুক্ত।
তবে কমলা হচ্ছেন ইচ্ছাপূরণের দেবী। মূলত জাগতিক সুখ শান্তি ও সমৃধ্ধি তিনি তাঁর ভক্তদের দেন। মায়ের এই রূপটি জাগতিক বন্ধনের রূপ।তিনি ঐশ্বর্য,সুখ,শান্তি,সৌভাগ্য,সৌন্দর্য,প্রীতি ও করুনা প্রদান করেন। কমলাকে গজলক্ষ্মীও বলা হয়। যে পদ্মের উপর তিনি বিরাজমানা তা উর্বরতা,আধ্যাত্মিকতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক। যে হাতিগুলি তাঁকে স্নান করাচ্ছে তা বিরাট ও ঐশ্বর্যের প্রতীক। তাই তার পূজা করা হয় জাগতিক লাভের জন্যে। অতএব দেখা যাচ্ছে - মা কমলা বিশুদ্ধতা,পবিত্রতা, সমৃদ্ধি ও সম্পদ, উর্বরতা ও ফসল, এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে দেবী কমলার পূজা মানুষকে দান করে শান্তি সুখ ও সমৃদ্ধি।

দশমহাবিদ্যার অন্তিম মহাবিদ্যা দেবী কমলা। সর্বৈব শুভশক্তির সমন্বয়ে তিনি ঐশ্বর্যময়ী, মহিমামন্ডিতা। কমলা শব্দটি বেদ বহির্ভূত। সেখানে লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ আছে। বিভিন্ন তন্ত্রে ও পুরাণে এই দেবীই মহালক্ষ্মী বা শ্রীদেবী। তবে
দেবী কমলার সবচেয়ে প্রচলিত ধ্যানটির উৎস হল তন্ত্রসার। এখানে দেবীর ধ্যানমন্ত্রে বিবৃত করা হয়েছে, দেবীর দেহকান্তি স্বর্ণতুল্য, তাঁর চারদিকে চারটি হিমালয় সদৃশ হস্তী তাদের শুঁড়ে করে চারটি হিরম্ময় কলস শূন্যে তুলে ধরে, সেই কলস নিঃসৃত অমৃতধারায় দেবীর অভিষেক করছে। দেবীর বাম ঊর্দ্ধ ও নিম্নহস্তে পদ্ম এবং দক্ষিণ ঊর্দ্ধ হস্তে অভয়মুদ্রা এবং নিম্ন হস্তে বরমুদ্রা ধারণ করে আছেন। দেবীর মস্তকে রত্নমুকুট, পরিধানে পট্টবস্ত্র এবং দেবী প্রস্ফুটিত কমলের উপর অধিষ্ঠিতা।
দেবীর স্বর্ণোজ্জ্বল গাত্রবর্ণ বিশুদ্ধ জ্ঞানসত্ত্বার প্রতীক। দেবী মহালক্ষ্মী ত্রিগুণাত্মিকা (সাত্ত্বিকী,রাজসী ও তামসী) এবং সকলের আদ্যা প্রকৃতি। তিনি একাধারে সগুণা এবং নির্গুণা হয়ে জগৎপ্রপঞ্চ পরিব্যপ্ত করে আছেন। দেবীকে সেব্যমান দিগবারণতুল্য চারটি বিশাল হস্তী একাদিক্রমে অর্থময়ী,শব্দময়ী,চক্রময়ী এবং দেহময়ী সৃষ্টিশক্তির পরিণাম। তবে এই হস্তীচতুষ্টয়ের তাৎপর্য নিয়ে মতান্তর আছে। কারও মতে, শব্দসৃষ্টির ক্ষেত্রে এরা শিব, শক্তি, নাদ ও বিন্দুস্বরূপ এবং অর্থসৃষ্টির ক্ষেত্রে এরাই আবার শিবতত্ত্ব, শক্তিতত্ত্ব, সদাশিবতত্ত্ব ও ঈশ্বরতত্ত্ব। কেউ আবার বলেছেন,এরা শান্তা,বামা,জ্যেষ্ঠা ও রৌদ্রী শক্তি।কারও মতে এরা অম্বিকা,ইচ্ছা,জ্ঞান ও ক্রিয়ার রূপান্তর। দেবীর হস্তধৃত প্রস্ফুটিত কমলদ্বয় ঐহিক এবং পারত্রিক ভোগের প্রতীক। 'ক' অর্থে ভোগ - সুখ।যে অবস্থায় উত্তীর্ণ হলে ঐহিক এবং পারত্রিক ভোগ সুখ মলবৎ প্রতীয়মান হয়, সেই অবস্থার প্রতীক ই কমল। দেবীর রত্নমুকুটের উজ্জ্বল রত্নাদি সাধকের একনিষ্ঠ সাধনায় লব্ধ বিভূতিসমষ্টি। মায়ের পট্টবস্ত্র হল আপন তেজ গোপন করার অবলম্বন স্বরূপ, যার মাধ্যমে দেবী আপন মোক্ষদাত্রী স্বরূপ আবৃত করে রেখে জীবকে মায়াবদ্ধ করে রেখেছেন। দেবীর প্রস্ফুটিত কমলাসন ষটপদ্মের সর্বোচ্চস্থিত সহস্রার পদ্ম।এই সহস্রদল পদ্মের পাপড়ি গুলি তরুণ সূর্যের রংয়ে রঞ্জিত।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী, মহালক্ষ্মীই সর্বব্যাপী মহাশক্তি।মার্কন্ডেয় পুরাণে মধ্যমচরিত্রের দেবতা অষ্টাদশভুজা মহালক্ষ্মী। তাঁর গাত্রবর্ণ প্রবালের ন্যায় উজ্জ্বল এবং তিনিই স্বয়ং মহিষাসুরমর্দিনী। এই শ্রী শ্রী চন্ডীরই প্রাধানিক রহস্যেও মহালক্ষ্মীকেই ত্রিগুণা পরমেশ্বরীরূপে বন্দনা করা হয়েছে।

দেবী লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পদের দেবী। আদিশক্তির রাজসিক স্বরূপ । অগ্নি পুরাণ মতে শ্রী বা লক্ষ্মী হলেন যজ্ঞবিদ্যা , তিনিই আত্ম্যবিদ্যা , যাবতীয় গুহ্যবিদ্যা ও মহাবিদ্যা ও তিনি –‘যজ্ঞবিদ্যা মহাবিদ্যা গুহ্যবিদ্যা চ শোভনা ।আত্ম্যবিদ্যা চ দেবি বিমুক্তিফলদায়িনী ।।’ দেবী ভাগবত মতে যে স্বর্গে তিনিই স্বর্গ লক্ষ্মী , রাজগৃহে তিনি রাজলক্ষ্মী , গৃহে তিনি গৃহলক্ষ্মী । তিনি শান্তা , দান্তা , সুশীলা , সর্ব মঙ্গলা , ষড়রিপু বর্জিতা ।

পুরানে আছে সাগর মন্থন কালে দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র থেকে প্রকট হন । সাগর হল লক্ষ্মী দেবীর পিতা । সাগরেই মুক্তা , প্রবাল আদি রত্ন পাওয়া যায় । রত্ন হল ধন , যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন লক্ষ্মী । এই হল দেবী লক্ষ্মীর সামগ্রিক স্বরূপ । দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা কমলা দেবী হলেন মা লক্ষ্মী। স্বতন্ত্র তন্ত্র নামকএক তন্ত্র শাস্ত্র মতে কোলাসুর নামক এক অসুরকে বধ করার জন্যই দেবী কমলার আবির্ভাব । বারাহী তন্ত্র মতে পুরাকালে প্রজাপতি ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব এই কমলা দেবীকে পূজা করেন বলে কমলা মায়ের এক নাম ‘ত্রিপুরা’ ।
মা লক্ষ্মী কমল আসনে থাকেন। কমল হল সর্বাত্মক বিকাশের প্রতীক ।
এমন কথিত আছে মা লক্ষ্মী পদ্মা নদী রূপে বঙ্গদেশে প্রবাহিতা আবার গঙ্গা , গোদাবরী , কৃষ্ণা , সিন্ধু রুপে ইত্যাদি ভারতের বিভিন্ন নদির অববাহিকাতে শশ্য শ্যামলা করে তুলেছেন । তার জলে বঙ্গদেশ ও ভারতবর্ষের মৃত্তিকা হয়েছে উর্বরা , শস্যে ভরা । তিনি কৃষিজ লক্ষ্মী। লাঙ্গল কর্ষণ কালে লক্ষ্মী অবতার সীতা মায়ের আবির্ভাব । লাঙ্গল দিয়ে জমিতে হাল বয়ে জমি উর্বরা করে চাষাবাদ করলেই মাঠ ভরে উঠবে সোনালী ধানে। এদিক থেকে তিনি কৃষি লক্ষ্মী। তাই ভাদ্র মাসে,পৌষ মাসে কৃষি লক্মী পূজা হয় প্রায় ঘরে। খনিজ লক্ষ্মী বলে সোনার দ্রব্য বোঝায়। সোনাকে আমরা মা লক্ষ্মীর সাথে তুলনা দিয়ে থাকি। ঐশ্বর্যের আর এক উৎস সমুদ্র। পুরান বলে সাগর মন্থন কালেই দেবী বিষ্ণুপ্রিয়ার আবির্ভাব। সাগরে ডুব দিয়ে প্রবাল, শঙ্খ, কড়ি আদি রত্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। বানিজ্য করতেও দেখা যায় এই দেবীর আশীর্বাদের প্রসঙ্গ। নববর্ষে দোকানে ব্যবসায়ী গণ গণেশের সহিত মা লক্ষ্মীর পূজো করেন । এছাড়া লক্ষ্মী পূজোতে কলা গাছের কান্ড দিয়ে নৌকা বানিয়ে পূজোতে দেওয়া হয়, তা বানিজ্য ও লক্ষ্মী ঘরে আনারই প্রতীক। শ্রী রামচন্দ্র সীতা মাতা উদ্ধারের জন্য বা রাজা সুরথ রাজ্য উদ্ধারের জন্য এই মহালক্ষ্মী স্বরূপা দুর্গা দেবীর পূজা করেছিলেন। এই ভাবে লক্ষ্মী দেবীর একটি রূপ আমাদের সামনে ফুটে ওঠে ।
কোজাগোরী পূর্ণিমা বা শারদ পূর্ণিমাতে আমরা মা লক্ষ্মীর পূজো করি, যদিও দীপাবলি তেই সমগ্র দেশে পূজিতা হন। পূর্ণিমার চাঁদের আলো যখন দিগ দিগন্তে সন্ধ্যার কালো আঁধার কাটিয়ে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ে, তখন উলু, শঙ্খ ধ্বনি সহকারে আমরা মা লক্ষ্মীর পূজার্চনা করি। এমন বলা হয়, দেবী জেগে খবর নেন- কে জেগে আছে –
নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী ।
তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ

কো জাগর্ত্তি – কে জেগে আছে ? কোজাগোরী শব্দের অর্থ এমন টাই । মা দ্বারে দ্বারে আশিষ দিয়ে যান, যে জেগে থাকে সে পায় আশিষ, কিন্তু যে ঘুমায় সে ঘুমিয়েই থাকে । আর অক্ষ ক্রীড়া মানে কিন্তু জুয়া খেলা নয়। ‘অক্ষ’ শব্দের অনেক প্রকার মানে হয় । এর মানে হয় ‘ক্রয় বিক্রয় চিন্তা’। বৈশ্য গণ এদিন জেগে ব্যবসা বানিজ্য করে ঘরে লক্ষ্মী আনার চিন্তা করেন। অক্ষ শব্দের আর এক মানে হয় জপ মালা। যারা সত্ত্ব গুনের তারা এই রাত্রি মায়ের নাম জপ করেই কাটাবেন। কো জাগর্ত্তি শব্দ তাদের কাছে আত্ম চৈতন্যের বানী। দেবীর বাহন হলেন পেঁচক। পেঁচক দিনে ঘুমায় রাতে জাগে। সাধারন মানুষ যখন ঘুমায়, পেঁচক জাগে। এ ঠিক যোগীর অবস্থা। সাধারন মানুষ যখন নিদ্রামগ্ন, যোগী তখন যোগ সাধনায়। পেঁচক ইঁদুর ভক্ষণ করে কৃষকের শস্য রক্ষা করে। এদিক থেকে এই প্রানীটি সত্যই আমাদের কাছে মা লক্ষ্মীর বার্তা, ভাব বয়ে আনে ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180504074519