• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অন্তেষ্টীক্রীয়া

অন্তেষ্টীক্রীয়া

অন্ত্যেষ্টি ক্রীয়া

বায়ুরনিলমম্রতামথেদম ভস্মান্তঃ শরীরম।
(যজুর্বেদ ৪০.১৫)

ভাষ্য-মৃত্যুর পর শাস্ত্রসম্মতভাবে পবিত্র বেদমন্ত্রে দাহ করাই প্রধান ধর্ম।

মৃত্যুর সময় করনীয়-কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে ঐ ব্যক্তিকে প্রান ত্যগের স্থান থেকে সরানো যাবেনা।শান্ত ও স্থিরভাবে প্রানত্যগ করবে।মৃত্যুর সময় কানে কোন পৌরানিক নাম প্রদান,টানা হেচড়া করা,বুকের উপর কোন ধর্ম বই রাখা,চিত্‍কার করা,ঢোল,খোল, করতাল বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো,নোংরা বিছানায় রাখা,কপালে বা শরীরে তিলক মাখানো কর্তব্য নহে।মৃত্যুর পর মৃত শরীরকে যত্নের সাথে একটি পরিস্কার স্থানে উত্তর দিকে মাথা ও দক্ষিন দিকে পদদ্বয় রেখে শুদ্ধ বিছানায় চিত করে শোয়াতে হবে।দুই চোখ,মুখ খোলা থাকলে বন্ধ করে দিতে হবে।দুই কান এবং দুই নাকের ছিদ্র তুলার সঙ্গে কর্পুর মিশিয়ে গুজে দিতে হবে।মৃত পুরুষকে পুরুষগন শুদ্ধ জলে স্নান করাবে এবং মৃত মহিলাকে মহিলাগন স্নান করাবেন।শুদ্ধ জলে নিম পাতা অথবা কুলপাতা মিশিয়ে জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল কুসুম কুসুম গরম হলে সেই জল দ্বারা মৃতকের শরীর সাবান সহযোগে স্নান করাতে হবে।স্নান শেষে নতুন পরিস্কার বস্ত্র পড়াতে হবে।শশ্মানে নেয়ার আগে পরিবারের সবাই মৃত ব্যক্তির নিকট দাড়াবে এবং ঈশ্বরের উদ্দ্যেশ্যে প্রার্থনা করবে। শশ্মানে নেয়ার সময় ঢোল বাজানো,কীর্তন,লম্ফ-ঝম্প,নিশান পোতা,খই বা পয়সা ছড়ানো,হরিবোল বলে চিত্‍কার করা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়।শান্তভাবে পবিত্র বেদের গায়ত্রী মন্ত্র অর্থসহ পড়তে পড়তে নীরবে মৃতকসহ চিতা এলাকায় যেতে হবে।চিতা এলাকায় বিড়ি,সিগারেট,গাজা,ভাং,মদ্যপান,মাদক গ্রহন,চিত্‍কার,কোলাহল,কীর্তন,গান বাজনা করা যাবে না।

প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি-বেল,আম,ডুমুর,তেতুঁল, শমী,পলাশ প্রভৃতি মোটা শুকনা কাঠ যা মৃত ব্যক্তির ওজনের অন্তত ৭গুন।বেশিও দেয়া যেতে পারে।এছাড়া হোমযজ্ঞের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যথা দুটি মাটির কলসি,একটি কোদাল,একটি কুড়াল,একটি দা,একটি প্রদীপ এবং সত্‍কার্যে চিতায় অগ্নি প্রবেশ করানোর জন্য পলতা,কর্পুর এবং পাঁচ থেকে পনের কেজি পর্যন্ত ধুপ বা ধুনা।

চিতায় অগ্নি প্রদান-
কার্পাস তুলা অথবা নতুন কাপড় দ্বারা পলতা তৈরী করে অথবা মশাল তৈরী করে ঘি এবং কর্পুর মিশিয়ে ঘৃতের প্রদীপ হতে অগ্নি গ্রহন করে মৃত ব্যক্তির মাথায় নিম্নভাগ হতে পদদ্বয়ের নিম্নভাগে নিম্নের মন্ত্রে আহুতি প্রদান করবে।সন্তান না থাকলে স্ত্রী,ভাই,বোন,নিজের বংশের লোক,শ্বশুরের বংশের লোক অথবা অন্য আত্মীয় চিতায় অগ্নি প্রদান করতে পারবে।যে কোন ভাবে মৃত ব্যক্তির(স্বাভাবিক মূত্যু,আত্মহত্যা, জলেডোবা,আগুনেপোড়া,
দুর্ঘটনায় মৃত) অবশ্যই দাহ্য কার্য বা সত্‍কার হবে।একমাত্র গর্ভপাতকৃত সন্তান এবং ৩ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে মাটিতে প্রথিত করতে হবে।এর পর বেদমন্ত্রে আহুতি দেয়া শুরু করতে হবে।

সত্‍কার বা দাহকার্যে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিগন স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পরে প্রয়োজনে আচমন করে পবিত্র ভাবে দাহ কার্যে অংশগ্রহন করবেন।দাহকার্য শেষে যদি শরীরে ময়লা লাগে তবে স্নান করতে হবে তবে অবশ্যই অশৌচ হয়েছে মনে করে স্নান করা যাবেনা।প্রানত্যগের স্থানে স্বস্তিবাচন,শান্তিপ্রকরন এবং হোমযজ্ঞ করতে হবে।মুখে অগ্নি প্রদান,উলঙ্গ করে দাহ করা,আতপ চালের ভাত খাওয়া,শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মন বা পুরোহিত ডেকে ষোল প্রকার দানের ব্যবস্থা করা,মাথার চুল কামানো,দশ,এগার তের পনের ষোল বা একমাসের নামে শ্রাদ্ধ নামক পাপাচার অনুষ্ঠান করা শাস্ত্রসম্মত নয়।
প্রতি মৃত্যুবার্ষীকিতে হোমযজ্ঞ,ধর্মানুষ্ঠান,অনাথ আশ্রমে দান,বিদ্যালয় বা ধর্মচর্চা কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি করা যেতে পারে।

সবসময় মনে রাখতে হবে যে মহাশত্রু হলেও মৃত ব্যক্তির সত্‍কারে সাহায্য করা উচিত।

বৃহদারন্যক উপনিষদ এ বলা হয়েছে-
এতদ বৈ পরমং তপো যত্‍
প্রেতমপ্লবভ্যা দধতি
(বৃহদারন্যক উপ. ৫.১১.১)
অর্থাত্‍ মৃতদেহ কাঁধে বহন করা এবং তা দাহ করা সর্বোচ্চ তপস্যা।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (সামাজিক অবস্থান)

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হিন্দুধর্মীয় সংস্কার বিশেষ। ‘অন্ত’ শব্দের অর্থ শেষ, ‘ইষ্টি’ শব্দের অর্থ সংস্কার। মৃত্যুর পরে হিন্দুদের শবদাহ ক্রিয়াকেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলে। দাহের আগে ঘি মাখিয়ে শবদেহ স্নান করানো হয়। তারপর চন্দন মাখিয়ে তার দু কান, নাকের দুটি ছিদ্র, দুটি চোখ ও মুখে মোট সাত টুকরা সোনা বা কাঁসা দিয়ে মৃতের উদ্দেশ্যে পিন্ড দান করা হয়। শব চিতায় স্থাপন করার পর তা তিনবার প্রদক্ষিণ করে পুত্র (প্রধানত জ্যেষ্ঠপুত্র) বা কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মুখাগ্নি করে। দাহকার্য শেষ হলে চিতাগ্নিতে এক এক করে সাত টুকরা ছোট কাঠ দিয়ে জ্বলন্ত চিতার উপর সাতবার আঘাত করতে হয়। তারপর যিনি মুখাগ্নি করেন তিনি সাত কলসি এবং অন্যরা এক এক কলসি জল দিয়ে চিতার আগুন নেভান। এরপর অদগ্ধ দেহাংশ, ভস্ম ইত্যাদি মাটির পাত্রে সংগ্রহ করে জলে ভাসানো হয়। স্নান করে বাড়ি ফিরে নিমপাতা দাঁতে কেটে আগুন, লোহা, মটর ডাল ইত্যাদি (মতান্তরে পাথর, আগুন, জল, গোবর, সাদা সরষে) স্পর্শ করে বাড়িতে ঢুকতে হয়।

শ্রাদ্ধ

শ্রাদ্ধ হিন্দুশাস্ত্রানুযায়ী পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশে এবং তাদের আশীর্বাদ কামনায় দান-ধ্যান ও অতিথিভোজন অনুষ্ঠান। সাধারণত মৃত ব্যক্তির সন্তান কিংবা আত্যীয়-স্বজনরা এ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। অবশ্য ব্যক্তি নিজেও মৃত্যুর পূর্বে এ কাজ করে যেতে পারে।

শ্রাদ্ধ প্রধানত তিন প্রকার: আদ্যশ্রাদ্ধ, আভু্যদয়িক বা বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ ও সপিণ্ডীকরণ। আদ্যশ্রাদ্ধ অশৌচান্তে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে করণীয়। বর্ণভেদে ব্যক্তির মৃত্যুদিবসের ৩, ১১, ১৫ অথবা ৩০ দিন পরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র বৈদিকরা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ৩ দিনে সম্পন্ন করে থাকে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এ-কদিন ফলমূল, নিরামিষ এবং লবণ ছাড়া আতপ চালের ভাত খায়। শ্রাদ্ধের আগের দিন মৃত ব্যক্তির পুত্ররা মাথার চুল ফেলে দেয় এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম-কানুনসমূহ পালন করে। শ্রাদ্ধের দিন সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায়। নিকট অতীতে ধনী ব্যক্তিরা কয়েক হাজার পর্যন্ত লোককে খাওয়াত; বর্তমানে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কারণে সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। শ্রাদ্ধ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ ও আত্মীয়-স্বজনদের নানারকম দান-ধ্যানও করা হয়।এতে বিদেহ আত্মার শান্তি হয় ও পর জন্মের পথ প্রশস্থ হয়।

উপনয়ন, বিবাহ ইত্যাদি শুভকাজের পূর্বে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ কামনায় যে শ্রাদ্ধ করা হয়, তার নাম আভু্যদয়িক বা বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ। আর সপিণ্ডীকরণ শ্রাদ্ধ হলো যা ব্যক্তির মৃত্যুর এক বছর পরে করা হয়। এ তিনটি ছাড়া আরও কয়েক প্রকার শ্রাদ্ধ আছে। যেমন, মহালয়া প্রভৃতি বিশেষ হিন্দু আচার উপলক্ষে এবং বিশেষ তিথিতে কারও মৃত্যু হলে তার উদ্দেশে যে শ্রাদ্ধ করা হয় তার নাম পার্বণশ্রাদ্ধ। পার্বণশ্রাদ্ধে সাধারণত পিতৃপক্ষের তিন পুরুষ ও মাতৃপক্ষের তিন পুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দান করা হয়। এক সঙ্গে একজন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে যে শ্রাদ্ধ করা হয় তার নাম একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ। অম্বষ্টকা নামেও এক প্রকার শ্রাদ্ধ আছে; তবে এর প্রচলন কম। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান গয়ায় বিষ্ণুপাদপদ্ম শ্রাদ্ধ করা প্রশস্ত। অনেক ধনী ব্যক্তি পিতা-মাতার শ্রাদ্ধ গয়াধামে গিয়ে করে থাকেন। শ্রাদ্ধ বিষয়ে শূলপাণির শ্রাদ্ধবিবেক ও রঘুনন্দনের শ্রাদ্ধতত্ত্ববঙ্গদেশে অতি প্রামাণ্য গ্রন্থরূপে বিবেচিত হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613121120