• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Thursday, June 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অমুবাচি

অমুবাচি

শুভ অপরান্থ
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিন পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ্যে পৃথিবীকে ঋতুমতী ধরা হয় । এই সময়কে “অম্বুবাচী” বলে । এই সময় দেবীর মন্দির বন্ধ থাকে । তিনদিন পর চতুর্থ দিন দেবীর মন্দির খুলে দেবীর স্নান পূজাদি সম্পন্ন করা হয় । অম্বুবাচী যোগে জগন্মাতা আদ্যাশক্তি কামাখ্যা দেবীর রক্তবস্ত্রের মাহাত্ম্য অনেক । লিখিত আছে-

কামাখ্যাবস্ত্রমাদায় কপ- পূজাং সমাচরেৎ ।
পূর্ণকামং লভেদ্দেবী সত্যং সত্যং ন সংশয় ।।
( কুব্জিকা তন্ত্র / সপ্তম পটল )

অর্থাৎ- উক্ত রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিলে অভীষ্ট ফল লাভ হয়, তদুপরি কামাখ্যার রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিয়া অন্যত্র জপ, পূজা করিলেও পূর্ণকাম হইয়া থাকেন ।

ভারতবর্ষের, আসাম রাজ্যের মহাপীঠ কামরূপ কামাখ্যার নাম সকলেই অবগত । গৌহাটি শহরে নীল পর্বতে অবস্থিত দেবীর এই শক্তিপীঠ । ভগবতী সতী দেবীর যোনি পীঠ এই নীল পর্বতে পতিত হয়। দেবীর নাম কামাখ্যা আর ভৈরব হলেন উমানন্দ । ভারতবর্ষে এই তীর্থ বহু প্রাচীন। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণে এই শক্তিপীঠের নাম পাওয়া যায় । কামাখ্যা দেবী হলেন মহাষোড়শী । কামাখ্যা পীঠে প্রথম পূজা করেন কামদেব বা মদন দেব। সেই মন্দির নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা । কিন্তু কালের গর্ভে সেই মন্দির এখন আর নেই । সেই পবিত্র কুণ্ড জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। একদা কোচ রাজা বিশ্বসিংহ এখানে এসে দেবীর মহিমা চাক্ষুষ দেখে আশ্চর্য হয়ে প্রতিজ্ঞা করেন তিনি স্বর্ণ ইঁট দ্বারা দেবীর মন্দির নির্মাণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে অত স্বর্ণ পাওয়া যায় নি, তখন মা কামাখ্যার স্বপ্নাদেশে প্রতি ইষ্টকে এক রতি করে স্বর্ণ দিয়ে মন্দির নির্মাণ করলেন । মায়ের পূজা ধূমধামে আরম্ভ হল ।

কামাখ্যা মায়ের পুরোহিত ছিলেন কেন্দুকেলাই ঠাকুর । তিঁনি উচ্চ স্তরের সাধক ছিলেন। তিঁনি যখন আরতি করতেন তখন মা কামাখ্যা প্রকটিত হয়ে আনন্দে নৃত্য করতেন । সে সময় মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকতো । কেউ উকিঝুকি দিয়ে দেখার সাহস করতো না। কেন্দুকেলাই ঠাকুর মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত ছিলেন। অনেক আর্ত , বিপদগ্রস্ত জনের তিনি রোগ সঙ্কট দূর করতেন । তখন রাজা বিশ্বসিংহের উত্তরপুরুষ রাজা নরনারায়ণ ছিলেন কোচ রাজা। কেন্দুকেলাই ঠাকুরের প্রতি হিংসা করে এক পুরোহিত রাজা নরনারায়ণকে মিথ্যা নানা কথা বলে কান ভাঙালেন । রাজা নরনারায়ণ কেন্দুকেলাই ঠাকুরের নির্দেশ অমান্য করে উকি দিয়ে আরতি দেখতে গেলেন । ঠিক সে সময় ঘটলো অঘটন । মা কামাখ্যা ক্রুদ্ধা হয়ে সেই পুরোহিতের মাথায় চপেটাঘাত করলেন। আর নরনারায়ণ কে শাপ দিয়ে বললেন- “রাজা তুমি বা তোমার বংশধরেরা কখনো নীল পর্বতে এলে তোমাদের বংশ লোপ পাবে। এই মুহূর্তে তুমি নীল পর্বত থেকে চলে যাও।” অসৎ উপায়ে মাকে দর্শন করতে গিয়ে কোচ রাজা যে শাপ পেলেন, এখনও কোচ রাজার বংশধরেরা নীল পর্বতে আসেন না, পর্বত দর্শন করেন না । এরপর থেকে মায়ের মন্দিরের সেবা কাজ কোচ রাজাদের থেকে আহোম রাজাদের হাতে আসে।

কামাখ্যা পীঠের এই হল সংক্ষিপ্ত কাহানী। । দেবী কামাখ্যার পঞ্চ মূর্তি ও অষ্টযোগিনী আছে । পঞ্চ মূর্তি হল- কামাখ্যা, কামেশ্বরী, ত্রিপুরা, সারদা, মহোৎসহা । অষ্টযোগিনী রা হলেন- কটীশ্বরী, গুপ্তকাশী, শ্রীকামা, বিন্ধ্যবাসিনী, পাদদুর্গা, দীর্ঘেশ্বরী, ধনস্থা ও প্রজটা । কামাখ্যা ধামে অম্বুবাচী কে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে। এই সময় বহু সাধু সন্তদের আগমন হয় ।

অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে চলছে মা কামাখ্যা যোনি পূজা…

অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে চলছে মা
কামাখ্যা যোনি পূজা…
দর্শনের সাথে সাথেll কেউ এড়িয়ে যাবেন
না…ছবিটি দেখা মাত্র. নিচে দেওয়া যে
কোন একটি মন্ত্রে মাকে প্রণাম করুন মায়ের
কৃপায় আপনার জীবনে ভালো কিছু ঘটবেই।
মা কামাখ্যারপ্রণামঃ
=================
ত্বং আদ্যাদেবী কামাখ্যারুপেন জগত্মাতৃকা
তত্ চরনারবিন্দ সর্বভূতানাং স্বর্মপয়ামি ॥১
কামাখ্যে বরদে দেবী নীলপর্ব্বতবাসিনী
ত্বং দেবী জগতাং মাতর্যোনিমুদ্রে
নমোহস্তুতে।।
==========================
জয় মা কামাখ্যা >>>>
৫১ শক্তিপীঠের সব কটি পীঠেই মা জগদম্বা
ভৈরব সহিত রয়েছেন । সন্তান দের জন্য বিলিয়ে
দিয়েছেন মাতৃস্নেহ । ব্রহ্মময়ী আদিশক্তির
সাথে আমাদের সম্পর্ক সন্তান আর মায়ের
সম্পর্ক । আমাদের মা। সামান্য কীট পতঙ্গ
থেকে শুরু করে দেবতাদের মা। ৫১ পীঠের
মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য পীঠ- এবং সাধনার
স্থান পীঠ হল কামাখ্যা পীঠ । ভারতবর্ষের আসাম
রাজ্যের রাজধানী গৌহাটির কাছেই নীল পর্বতে
এই পীঠ অবস্থিত । কালিকাপুরান, দেবী ভাগবত
পুরান, তন্ত্র শাস্ত্র গুলিতে এই পীঠের অসীম
মাহাত্ম্যের কথা বর্ণিত হয়েছে । ভগবান বিষ্ণুর
চক্রে খন্ডিত হয়ে মহাদেবী মা সতী
দেবীর যোনি দেশ এই স্থানে পতিত
হয়েছিল । দেবীর নাম কামাখ্যা, আর ভৈরবের নাম
উমানন্দ । বৃহদ্ধর্ম পুরান বলেতীর্থচূড়ামণিস্তত্র
যত্র যোনিঃ পপাত হ ।তীরে ব্রহ্মনদাখাস্য
মহাযোগস্থলং হি তৎ ।।অর্থাৎ- যে স্থানে
দেবীর যোনি পতিত হয়েছিল, সেই স্থান
তীর্থ চূড়ামণি । স্থানটি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে
। মহাযোগস্থল বলে জগতের জন্য হিতকর ।
তস্মিংস্তু কুব্জিকাপীঠে সত্যাস্তদ্ যোনিমণ্ডলম্
।পতিতং তত্র সা দেবী মহামায়া ব্যলীয়ত ।।
লীনায়াৎ যোগনিদ্রায়াং ময়ি পর্বতরূপিণী ।স
নীলবর্ণঃ শৈলহভুৎ পতিতে যোনিমণ্ডলে ।।
কালিকা পুরান/ দ্বিষষ্টিতম্ অধ্যায় যে স্থলে
দেবীর যোনিমণ্ডল পতিত হয় , তাহার নাম
কুব্জিকা পীঠ এবং মহামায়া দেবীও সেই
পীঠেই বিলীন হইয়া থাকেন। এই পর্বতে
দেবীর যোনিমণ্ডল পতিত হওয়ায় ইহা নীলবর্ণ
হইয়াছিল । এই জন্য এই পর্বত নীলাচল নামে
বিখ্যাত ।সত্যাস্ত পতিতং তত্র বিশীর্ণং
যোনিমণ্ডলম্ ।শিলাত্বমগমচ্ছৈ
লে কামাখ্যা তত্র
সংস্থিতা ।।সংস্পৃশ্য তাং শিলং মর্ত্যো হ্যময়মরাপ্লুয়াৎ ।
অনর্ত্যো ব্রহ্মসদনং তৎস্থো
মোক্ষমবাপ্লুয়াৎ ।।কালিকা পুরান / দ্বিষষ্টিতম্
অধ্যায়অর্থাৎ – সতীর বিশীর্ণ যোনিমণ্ডল
নীলাচলে পতিত হয়ে প্রস্তরত্ব প্রাপ্ত
হয়েছে। সে প্রস্তর ময় যোনিতে কামাখ্যা
দেবী অবস্থান করেন। সে মনুষ্য ঐ শিলাকে
স্পর্শ করে , সে অমরত্ব ( এখানে অমর
বলতে দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের উপমা
দেওয়া হয়েছে) পায় ও অমর হইয়া ব্রহ্ম সদনে
অবস্থান করতঃ পরিণামে মোক্ষ লাভ করে ।
তত্রত্যা দেবতাঃ সর্বাঃ পর্বতাত্মকতাঃ ।পর্বতেষু
বসন্ত্যেব দেবতা অপি ।।তত্রত্যা পৃথিবী সর্বা
দেবীরূপা স্মৃতা বুধৈঃ ।নাতঃ পরতরং স্থানং
কামাখ্যাযোনিমণ্ডলাৎ ।।দেবী ভাগবত/ ৭ ম
স্কন্ধ/ অষ্টত্রিংশ অধ্যায়

অর্থাৎ- নীলাচলে
দেবতা সকলে পর্বত রূপে অবস্থিত আছেন
এবং অপরাপর প্রধান প্রধান দেবতা সেই সেই
পর্বতে অধিষ্ঠান করিতেছেন । অধিক কি বলিব
সেই স্থানে অখিল ভূ ভাগকেই বুধ গণ দেবী
স্বরূপ বলিয়াছেন । বস্তুত উক্তঃ
কামাখ্যাযোনিমণ্ডল অপেক্ষা প্রশস্ত স্থান আর
দ্বিতীয় নেই ।এই হল কামাখ্যা পীঠের বিবরণ ।
অসম রাজ্য তথা কামাখ্যা মানুষের কাছে আজও
কৌতূহলের বিষয় । লোক প্রবাদ অনুযায়ী
এখানকার আদি বাসিন্দা গন নানারকম যাদু বিদ্যায়
পারদর্শী । এখানে তালা পাতায় লিখিত বা মন্দিরে
খোদিত বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র এখনও দেখা যায়। তাই
অসম ও কামাখ্যা মন্দির নিয়ে মানুষের কৌতূহলের
শেষ নেই ।

অম্বুবাচী মেলা হিন্দু ধর্মের বাৎসরিক
উৎসব । লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসে
মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে
পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই
সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়।
অম্বুবাচীর নিয়ম [সম্পাদনা ]

অম্বুবাচীর দিন থেকে পরর্বতী তিন দিন
পর্যন্ত কামাখ্য দেবীর দুয়ার বন্ধ থাকে
[১] ও এই সময়ে কোনো ধরনের মাংগলিক
কার্য করা যায়না। চতুর্থ দিন থেকে
মঙ্গলিক কাজে কোনো বাধা থাকেনা।
অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ,
বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ
থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের
প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। অম্বুবাচী মেলা

অম্বুবাচীর সময় হিন্দু ধর্মীয় লোকেরা
শক্তি পূজার স্থানগুলোতে আয়োজন করা
উৎসবকে অম্বুবাচী মেলা বলা হয়।
ভারতের অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের
কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে প্রতি বৎসর
অম্বুবাচী মেলার আয়োজন করা হয়।
আম্বুবাচী আরম্ভের প্রথম দিন থেকে
কামাখ্যা দেবীর দ্বার বন্ধ রাখা হয়
ফলে আম্বুবাচীর সময় দেবী দর্শন
নিষিদ্ধ থাকে। চতুর্থ দিন দেবীর স্নান ও
পূজা সম্পুর্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মাতার
দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতের
বিভিন্ন প্রান্তের থেকে আসা লক্ষ লক্ষ
ভক্তেরা (বর্তমান দিনে বিদেশ থেকে
আসে) কামাখ্যা মন্দিরের চতুর্দিকে
বসে কীর্ত্তন করেন। মন্দিরের বাহিরে
প্রদীপ ও ধূপকাঠী জ্বালিয়ে দেবীকে
প্রনাম করেন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির দিন
পান্ডারা ভক্তদের রক্তবস্ত্র উপহার
দেন। দেবী পীঠের এই রক্তবস্ত্র ধারন
করিলে মনোকামনা পুর্ন হয় বলে
ভক্তেরা বিশ্বাস করেন। এই রক্তবস্ত্র
পুরুষেরা ডানহাত বা গলায় ও মহিলারা
এই বস্ত্র বাওহাত বা গলায় পরিধান
করেন। রক্তবস্ত্র পরিধান করে শশ্মান বা
মৃতের ঘরে যাওয়া নিষিদ্ধ। কামাখ্যা
ধামের অম্বুবাচী মেলা আন্তর্জাতিক ও
জাতীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য বিশেষ
ভূমিকা পালন করেছে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180621171518