• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, September 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্ম অষ্টমী ও শ্রীকৃষ্ণ

সুপ্রভাত
আজ রাত্রি ৮.৪৮মি অষ্টমী লাগবে।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। কৃষ্ণের জীবনের নাটকীয় উপস্থাপন রাসলীলামথুরা, বৃন্দাবন, মণিপুর ইত্যাদি স্থানে এই উৎসবের সাথে করা হয়।রাস লীলায় কৃষ্ণের ছোট বয়সের কর্ম-কাণ্ড দেখানো হয়, অন্যদিকে, দহি হাণ্ডি প্রথায় কৃষ্ণের দুষ্ট স্বভাব প্রতিফলিত করা হয় যেখানে কয়েকজন শিশু মিলে উচ্চস্থানে বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই পরম্পরাকে তামিলনাডুতে উরিয়াদি নামে পালন করা হয়। কৃষ্ণের জন্ম হাওয়ায় নন্দের সকলকে উপহার বিতরণের কাহিনী উদ্‌যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দোৎসব পালন করা হয়

জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্টার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।

শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে। তিনি বসুদেব ও দেবকীর অষ্টম পুত্র। তাঁর পিতামাতা উভয়ের যাদববংশীয়। দেবকীর দাদা কংস, তাঁদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। একটি দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তাঁর মৃত্যু হবে। এই কথা শুনে তিনি দেবকী ও বসুদেবকে কারারুদ্ধ করেন এবং তাঁদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন। দেবকী তাঁর সপ্তম গর্ভ রোহিণীকে প্রদান করলে, বলরামের জন্ম হয়। এরপরই কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে বসুদেব তাঁকে গোকুলে তাঁর পালক মাতাপিতা যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন। কৃষ্ণ ছাড়া বসুদেবের আরও দুই সন্তানের প্রাণরক্ষা হয়েছিল। প্রথমজন বলরাম (যিনি বসুদেবের প্রথমা স্ত্রী রোহিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন) এবং সুভদ্রা (বসুদেব ও রোহিণীর কন্যা, যিনি বলরাম ও কৃষ্ণের অনেক পরে জন্মগ্রহণ করেন)।

সমগ্র ভারতবর্ষে যখন হানাহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, রাজ্যলোভে রাজন্যবর্গের মধ্যে যুদ্ধবগ্রহ তথা পৃথিবী যখন মর্মাহত, পাশে অবনত, ঠিক সেই সৃষ্টি স্থিতি-পলয়ের যুগ সন্ধিক্ষণে তাঁর আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে পড়ে। ঘোর অমানিশার অন্ধকারে তাঁর জন্মগ্রহণ করায় কৃষ্ণের গায়ের রং শ্যামল, অন্য অর্থে ধূসর, পীত, কিংবা কালো। সংস্কৃত কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কালো, ঘন বা ঘন-নীল। কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে। তাঁর রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাঁকে বংশীবাদনরত এক বালক বা যুবকের বেশে দেখা যায়। এই বেশে তাঁর একটি পা অপর পায়ের উপর ঈষৎ বঙ্কিম অবস্থায় থাকে এবং বাঁশিটি তাঁর ঠোঁট পর্যন্ত ওঠানো থাকে। তাঁকে ঘিরে থাকে গোরুর দল; এটি তাঁর দিব্য গোপালক সত্ত্বার প্রতীক। কোনো কোনো চিত্রে তাঁকে গোপী-পরিবৃত অবস্থাতেও দেখা যায়।

জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। এক সময় ঢাকাবাসী এ জন্মাষ্টমী উৎসব অথবা জন্মাষ্টমীর মিছিলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। বর্তমানে এর ছোঁয়া থাকলেও আগের সেই জৌলুস আর নেই। জন্মাষ্টমী এ অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উৎসব ছিল, যে উৎসবে অংশগ্রহণ করতেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। শুধু তাই নয়, এক সময় ঢাকা শহরে জন্মাষ্টমীর যে মিছিল বের হতো তা সারা উপমহাদেশে বিখ্যাত ছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে এ দিনে শুধু উপাবাসেও সপ্ত জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। আর তাই এ দিনটিতে তারা উপবাস করে লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে কালের স্রোতে ধীরে ধীরে যুক্ত হয় মিছিল ও শোভাযাত্রা। ক্রমেই জন্মাষ্টমী পালনের প্রধান অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় মিছিল ও শোভাযাত্রা। কিন্তু ঠিক কবে থেকে এবং কেন জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু তার নির্দিষ্ট কোনো ইতিহাস জানা যায়নি

মিছিলের পুরনো ইতিহাস লেখক ভুবন মোহন বসাক এবং যদুনাথ বসাকের দুটি বইয়ের তথ্যানুসারে জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকে। ভুবন মোহনের লেখা বই অনুসারে ইসলাম খাঁর ঢাকা নগরের পত্তনের (১৬১০ সাল) আগে বংশালের কাছে এক সাধু বাস করতেন। ১৫৫৫ সালে (ভাদ্র ৯৬২ বাংলা) তিনি শ্রী শ্রী রাধাষ্টমী উপলক্ষে বালক ও ভক্তদের হলুদ পোশাক পরিয়ে একটি মিছিল বের করেছিলেন। এর প্রায় ১০-১২ বছর পর সেই সাধু ও বালকদের উৎসাহে রাধাষ্টমীর কীর্তনের পরিবর্তে শ্রী কৃষ্ণের জন্মোপলক্ষে জন্মাষ্টমীর অপেক্ষাকৃত জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিছিল বের করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। সে উদ্যোগেই ১৫৬৫ সালে প্রথম জন্মাষ্টমীর মিছিল ও শোভাযাত্রা বের হয়।

পরবর্তীতে এ মিছিলের দায়ভার এসে বর্তায় ঢাকার নবাবপুরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বসাকের পরিবারের ওপর। কালক্রমে জন্মাষ্টমীর মিছিল একটি সাংগঠনিক রূপ ধারণ করে এবং প্রতি বছর জন্মাষ্টমী উৎসবের নিয়মিত অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। ১০৪৫ বঙ্গাব্দে কৃষ্ণ দাসের মৃত্যুর পর থেকে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চক্রই এ উৎসবের আয়োজন শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে জন্মাষ্টমীর মিছিলকে উন্নত করে তোলেন। এরপর থেকে নবাবপুরের ধনাঢ্য ব্যক্তিরাও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নিজ নিজ মিছিল বের করতে শুরু করে। কালক্রমে যা পরিচিত হয় উঠে 'নবাবপুরের মিছিল' নামে। অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে ইসলামপুরের পান্নিটোলার কিছু ব্যবসায়ী ধনাঢ্য হয়ে উঠে এবং ভগবানের অনুসরণে তারা জন্মাষ্টমীর মিছিল বের করতে শুরু করেন

১৭২৫ সালে জেমস টেলর উল্লেখ করেন যে, ওই সময় জন্মাষ্টমী পালনের জন্য দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। নবাবপুর পক্ষকে বলা হতো, লক্ষ্মীনারায়ণের দল আর ইসলামপুর পক্ষকে বলা হতো, মুরারি মোহনের দল। সপ্তদশ শতকে মিছিলের শুরু হলেও তা বিকশিত হয়েছিল উনিশ শতকের শেষার্ধে। যে ধারা বলবৎ ছিল বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত।

প্রথমদিকে মিছিলে নন্দঘোষ, রানী যশোদা, শ্রী কৃষ্ণ ও বলরামকে আনা হতো। ক্রমেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে আরো নানা ধরনের অনুষঙ্গ। তবে মূল কাঠামোটি ছিল প্রথমে নেচে-গেয়ে যাবে কিছু লোক, এরপর দেব-দেবীর মূর্তি, লাঠিসোঁটা, বর্শা, নিশান প্রভৃতি নিয়ে বিচিত্র পোশাক পরিহিত মানুষ, নানা রকমের দৃশ্য। মিছিলের প্রধান আকর্ষণগুলো ছিল সুসজ্জিত হাতি, ঘোড়া, রঙিন কাগজে মোড়ানো বাঁশের টাট্টি, প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মন্দির, মঠ, প্রাসাদ ও প্রাচীন কীর্তির প্রদর্শন। সেসব আয়োজন এখন শুধুই স্মৃতি। কিন্তু হাজার প্রতিকূলতার পরও ঢাকায় এখনো জন্মাষ্টমী উৎসব ও শোভাযাত্রা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।

শ্রী কৃষ্ণের জীবনী পাঠ ও কর্মকান্ড মানব সমাজকে শিক্ষা দেয় যে, সৌভ্রাতৃত্ব ও স¯প্রীতির বন্ধনে বিশ্ব সমাজকে আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তাঁর দর্শন ও প্রেমের বাণী রাখতে পারে কার্যকরী ভূমিকা। তাইতো শুধু দুষ্টের দর্শনই নয় এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন তথা জন্মাষ্টমী আমাদের মাঝে নিয়ে আসে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক শুভ আনন্দময় বার্তা।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর ব্রতকথা।

মহা সমারোহে কংসরাজের দরবারে ধনুর্যজ্ঞাদি ও মহামল্লযুদ্ধ অনুষ্ঠান ছলে ষড়যন্ত্রকারী কংস কৃষ্ণকে হত্যা করবার জন্যই অক্রূরকে দিয়ে বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণ ও বলরামকে নিয়ে এসেছিল। দুরাচারী কংসকে বধ করা এবং মা দেবকী ও পিতা বসুদেবকে কারামুক্ত করা এবং বন্দী উগ্রসেনকে মথুরার রাজসিংহাসনে পুণরায় বসাবার জন্য কৃষ্ণ মথুরাতে আসেন। মথুরাবাসী ভক্তগণ বিশেষরূপে ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন কবে দৈববাণী নির্ধারিত সেই ব্যক্তিটির আগমন হবে যে কংসকে উচ্ছেদ করবে, তাকেই আমরা এ জীবনে দর্শন পেতে চাই। সত্যি সেই দিন এসে গেল। কৃষ্ণ ও বলরাম মথুরা নগরীতে প্রবেশ করলেন। সবাই সেই সংবাদ পেয়ে কৃষ্ণ-বলরামকে সাদর অভ্যর্থনা জানাতে লাগল। মথুরাপুরে দুরাচারী কংসের বিনাশ হলে দেবকী বসুদেব অন্ধক প্রভৃতি অসংখ্য স্নেহপরায়ণ আত্মীয়স্বজন কৃষ্ণের স্তুতি করতে লাগলেন। মাতৃস্থানীয়া রমণীয়া কৃষ্ণকে আলিঙ্গন করতে নিজ কোলে নিয়ে ক্রন্দন করতে শুরু করলেন। বসুদেবও আনন্দে কাঁদতে লাগলেন। পুত্র পুত্র বলে কৃষ্ণকে আলিঙ্গন করতে লাগলেন। তারপর বলরাম ও কৃষ্ণকে বসুদেব বুকের কাছে টেনে নিয়ে বলতে লাগলেন, হে বৎস, তোমরা আমার পুত্র। তোমাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আজ আমার জন্ম সার্থক হলো। আমার জীবন ধন্য হলো।

বসুদেব-দেবকীর স্নেহ-ক্রন্দন ও আনন্দ দর্শন করে মথুরাবাসী আনন্দিত হয়ে কৃষ্ণকে প্রণতি জানিয়ে বললেন, হে কৃষ্ণ, আজ আমাদের আনন্দের সীমা নেই। আজ মল্লযুদ্ধে দুরাত্মা কংসের নিপাত হয়েছে। হে কৃষ্ণ! এখন আমাদের সবার প্রতি প্রীত হউন। আমাদের এ জনসাধারণের মধ্যে আপনার কাছে একটি প্রস্তাব নিবেদন করি, তা হলো, দেবকী দেবী যে দিন আপনাকে প্রসব করেছেন, সেই দিনটি সম্বন্ধে আমরা কিছুই নির্ধারণ করতে পারি না। সেই দিন আপনার জন্ম-উৎসব আমরা সম্পাদন করব। আপনি আমাদের অনুমতি প্রদান করুন। হে কৃষ্ণ! আমরা ভক্তি সহকারে আপনার শরণ গ্রহণ করলাম, আমাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করুন। সেই কথা শুনে বসুদেব বলরাম ও কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে- আনন্দে রোমাঞ্চিত হলেন। তারপর তিনি কৃষ্ণকে বললেন, সমস্ত লোকেরই এরকম হোক, তুমি যথাযথ আজ্ঞা প্রদান করো। পিতার অনুমতি অনুসারে মথুরা নগরীতে কৃষ্ণ সবার মাঝে ঘোষণা করলেন। হে মানবগণ! সূর্য সিংহরাশিতে গমন করলে আকাশে মেঘ উদয় হলে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণাষ্টমীতে অর্ধ নিশাভাগে বৃষ রাশিস্থ শশধরে রোহিনী নক্ষত্রে পিতা বসুদেব ও মাতা দেবকীর কোলে আমার জন্ম হয়। আপনাদের প্রতি প্রীতিবশে আমি আজ থেকে অনুমোদন করলাম- পৌরগণ এবং অন্যান্য ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র প্রভৃতি অপরাপর ধর্মালম্বীগণ আট থেকে আশী বছর বয়স অবধি আবাল বৃদ্ধ বনিতা আমার এ জন্ম তিথি ব্রত সাধন করুক। এ ব্রত করলে সবার শান্তি আনন্দ ও নীরোগ হবে।

কৃষ্ণের সেই কথা শুনে সমস্ত লোক জন্মাষ্টমীর দিন উপবাস ব্রত করে কৃষ্ণপ্রীতি সাধনের উদ্দেশে কৃষ্ণগান, কৃষ্ণকথা, যাগযজ্ঞ অনুষ্ঠান করতে লাগল। মধ্যরাত্রি পর্যন্ত মহাসমারোহে নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান চলতে লাগল। মথুরাবাসীরা কৃষ্ণকে নানা উপহার সামগ্রী দান করতে লাগল। দেবকী বসুদেবের বন্দনা করতে লাগল। দেবকী-বসুদেব উপস্থিত ব্রাহ্মণ পুরোহিত, গায়ক বাদক, স্তবকারী, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন বস্ত্র প্রভৃতি দান করতে লাগলেন।

বিষ্ণুরহস্যে লিখিত আছে, যে ব্যক্তি জন্মাষ্টমী ব্রত করতে বিমুখ, সে ভীষণ বনের মধ্যে সর্প হয়ে বাস করবে। তাছাড়া ইহলোকে ও পরলোকে তার সুখ নেই। নারকীয় যাতনা তার ভাগ্যে থাকে।

ভবিষ্যোত্তর পুরাণে উল্লেখ আছে, শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠির মহারাজকে বলছেন, একটি মাত্র জন্মাষ্টমীর উপবাস করলে সাত জন্মের অর্জিত পাপরাশি থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং সন্তান সন্ততি, আরোগ্য ও অতুল সৌভাগ্য লাভ হয়। জন্মাষ্টমী পরায়ণ ব্যক্তিদের বংশে রূপবান ও হৃদয়বান মহাত্মার জন্ম হয়।’ কলকাতার কৃষ্ণভক্তি পরায়ণ গৌরমোহন দে ও রজনী দেবী জন্মাষ্টমী দিনে নিজগৃহে রাধাগোবিন্দ সেবায় যুক্ত ছিলেন। পরদিনই তাঁদের পুত্র স্বরূপে জন্মগ্রহণ করেন এক হৃদয়বান মহাত্মা শ্রীঅভয়চরণ।

ভবিষ্যোত্তর পুরাণে আরো বলা হয়েছে, জন্মাষ্টমীতে স্নান, দান, হোম, স্বাধ্যায়, জপ, তপ প্রকৃতি যে কোনো কার্যের অনুষ্ঠান করা যায়, সেই সমস্ত শতগুণ ফলপ্রদ হয়। ব্রহ্মপুরাণে পূর্বখণ্ডে জন্মাষ্টমী মাহাত্ম্যে শ্রীসূত গোস্বামী বলেছেন শ্রীকৃষ্ণাষ্টমী হলো বৈষ্ণব তিথি। ঐ তিথির স্মরণ গ্রহণ করলে কলিযুগের মানুষ বিশুদ্ধ হয়।

আমাদের সমাজে জন্মাষ্টমী ব্রত উপবাস কেউ কেউ আগের দিন কেউ কেউ পরের দিন করেন। কোন দিন কর্তব্য, সেই ব্যাপারে পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে ভোরের বেলা একটু সপ্তমী আর সারা দিন-রাত অষ্টমী তিথি থাকলেও ঐ সপ্তমী যুক্ত অষ্টমী তিথিতে ব্রত উপবাস একেবারেই নিষিদ্ধ। বরং পরের দিন ভোর পর্যন্ত অষ্টমী তিথি, তারপর সারা দিন-রাত নবমী থাকলেও সেই দিন নবমী যুক্ত অষ্টমী তিথিই ব্রত পালনের উপযুক্ত বলে গ্রহণ করতে হবে। আর রোহিনী নক্ষত্রযুক্ত সপ্তমী বিরহিত শুদ্ধ অষ্টমী যদি হয়, সেই অষ্টমী পরদিন ভোর অবধি থাকলেও পূর্ব দিনেই ব্রত উপবাস করতে হয়। কিন্ত সপ্তমী যুক্ত অষ্টমীর দিন জন্মাষ্টমী ব্রত উপবাস পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
ক্লীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ
জয় শ্রীকৃষ্ণ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180902134434