• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Tuesday, September 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অহংকারের গুরুত্ব

অহংকারের গুরুত্ব

সুপ্রভাত
সকল বন্ধুরা আজকের বিষয় "অহংকার" সমস্ত মানুষের বাঁচার জন্য দু’টি গুণ অপরিহার্য। প্রথমত : অহম, দ্বিতীয় : বিনয়। অনেক সময় বিনয় দুর্বলতার পরিচয় বহন করে। সেক্ষেত্রে অহম দিয়ে, রাগ বা কঠোরতা দিয়ে অনুগামীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। একজন শাসকের জন্য, একজন সৈনিকের জন্য বিনয়ের চেয়ে অহংকারের প্রয়োজন বেশি। শাসকের প্রতাপ আর সৈনিকের অস্ত্র না হলে তাদের চলে না। তাই বলে পিতামাতার কাছে, প্রিয়তমার কাছে কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এই অহমের কোন মূল্য নেই। সেক্ষেত্রে বিনয় আর ভালবাসা দিয়েই তাদের হৃদয় জয় করতে হয়। মানুষের আত্মোন্নয়নের চিন্তা আসে অহম থেকেই। একটা বংশের লোক বংশপরম্পরায় সম্মানহীন ক্রীতদাস হয়ে বাঁচতে পারে না। একটা সময় ঐ বংশে এমন একজন জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে যার আত্ম-সচেতনতা, অহংকার, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা তার বংশের পতিত লোকদের জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। একজন লোক নানা কারণে বিপর্যস্ত হতে পারে। যুদ্ধে পরাজিত হতে পারে, ব্যবসায় লোকসান দিতে পারে, কুচক্রীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু তাই বলে সে সারাজীবন পতিত হয়ে থাকতে পারে না। কখনো বিশেষ কোন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে, কখনো জ্ঞানী ব্যক্তির কথা শুনে তার মধ্যে হঠাৎ চেতনা জাগ্রত হতে পারে। আঘাত খেতে খেতে আচন্বিত তার মধ্যে প্রতিঘাত করার স্পৃহাও জাগতে পারে। পরাজিত হতে হতে এক সময় ঘুরে দাঁড়ানোর প্ল্যানও মাথায় আসতে পারে। এই যে নির্জীব মানুষের হঠাৎ জেগে ওঠা, প্রতিগাত করার বাসনা তৈরি হওয়া, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অস্থির হয়ে ওঠা, এর নাম কি অহংকার নয়? যদি কারো মধ্যে অহম না থাকে, সে কখনো অসম্মানের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে, অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে না। যে চেতনটি একজন আধমরা মানুষকে উজ্জীবিত করে তোলে তার নামই অহংকার। তাহলে আমরা কিভাবে বলি যে, অহংকারই পতনের মূল? আগুন দ্বারা আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। যেমন এর থেকে আমরা আলো পাই, রান্না করি। মানব সভ্যতায় আগুনের এক বিরাট অবদান। যে আগুনকে বাদ দিয়ে আমাদের একবেলা চলে না সেই আগুনের বিরুদ্ধে যদি আমরা সকাল-সন্ধ্যা বিষোদগার করি, তাহলে কেমন হয়, আগুনে যার ঘর পুড়েছে, জলোচ্ছ্বাসে যার সংসার ভেসে গেছে, সে আগুন বা পানির নিন্দা করতে পারে। কিন্তু সকলে তা পারে না। পারা ঠিকও নয়। অহংকার গর্ব হিংসা বিদ্বেষ এই অপগুণগুলো দিয়েই ¯্রষ্টা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তেমনি পৃথিবীও সৃষ্টি করেছেন আগুন-পানি ও বাতাস দিয়ে। পৃথিবীতে বাস করার জন্য এর প্রতিটি বস্তুই অপরিহার্য। কেউ কি বাতাস ছাড়া চলতে পারে? পানি পান ব্যতীত কি কারো দিন চলে না। চলা সম্ভবও নয়। তবে আসল সত্য এই যে, এসবের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আবশ্যক। যেমন আগুনকে আমরা চুলার মধ্যেই আবদ্ধ রাখবো। কেবল রান্নার কাজেই ব্যবহার করবো। যদি কুপি কিংবা হারিকেন জ্বালাতে হয়, তাতেও আমরা তাকে বাড়তে দিবো না। তাকে কেবল হারিকেনের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে রাখবো। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ জ্বালাব। প্রয়োজন ফুরালে নিভিয়ে দিবো। কিন্তু না নিভিয়ে যদি আমরা একে অপ্রয়োজনে জ্বালিয়ে রাখি কিংবা ইচ্ছেমত বাড়তে দেই তাহলে কেমন হয়? বাড়তে বাড়তে সে প্রথমে ঘর জ্বালাবে। পরে বাড়ি জ্বালাবে, অতঃপর গ্রামকে গ্রাম পুড়ে ছারখার করে দিবে। অবশেষে সে একটা জনপদকে গ্রাস করবে। শেষ পর্যন্ত এক বিরাট সভ্যতাকে নিমিষে জ্বালিয়ে ছাই করে দিতে পারে। পারে না? তেমনি মানুষের অতি অহংকারও তার জন্য অনেক ক্ষতি বয়ে আনে। যদি সে ইচ্ছামত তাকে বাড়তে দেয়। যদি সময় মত ঘোড়ার লাগাম টেনে না ধরে, যদি জায়গামত আসার পরও গাড়ির টেনে না ধরে, যদি জায়গামত আসার পরও গাড়ির ব্রেক না কষে তাহলে বিপথগামী হওয়া কিংবা এক্সিডেন্ট করা স্বাভাবিক। তেমনি অহমকে সময়মত অবদমিত করতে না পারলে, ক্রোধকে সংযত করতে না পারলে এর দ্বারা ক্ষতি তো হবেই। এতে কেবল নিজের ক্ষতি হয় না, চারপাশে যারা থাকে, তাদেরও সমূহ ক্ষতি হয়ে যায়। একজন রাজার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তিনি কেবল রাজ্য হারান না, রাজ্যের সকল নাগরিকের জীবন ইজ্জত ও সম্পদ প্রশ্নের সম্মুখীন করে তোলেন, তখন সেই জনপদের আবালবৃদ্ধ সকলে রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, তার অহংকারকে দায়ী করে। বিপ্লবীরা অনেক সময় জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষয়িষ্ণু একটা সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সমাজের চেহারা পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করে। সমমনা এবং সমশ্রেণীর লোকরা একত্রিত হয়, শক্তি প্রয়োগ করে। তাদের এই শক্তি, এই জোর কোত্থেকে আসে? তাদের আত্মবিশ্বাস তাদের কাজে অনেক বড় সাহায্য করে ঠিকই তবে সর্বৈব বিষয়টা আসে অহংকার থেকে। দ্বিধা-লাজুকতা-ভয় ইত্যাদি যেমন মানুষকে নতমুখী করে রাখে, টিক তার বিপরীত গুণ অহংকার-আত্মবিশ্বাস এবং সাহস তাকে বলিষ্ঠ করে তোলে, তাকে বিজয়ী হতে সাহায্য করে। মানুষের ভেতরে যদি অহংবোধ-ঘৃণা-জয়লাভের বাসনা না থাকতো, সে তো ঘর থেকেই বের হতো না। সাহস করে ঘরের বাইরে পা ফেলা মানেই হল সফলতার দিকে পদযাত্রা। তাতে যত বাধা আসুক, যত চড়াই-উৎরাই পার হওয়ার প্রয়োজন হোক, সে নিজের জন্য গৌরব বয়ে আনবেই। মনে রাখতে হবে, একদিকে তৈমুর লং হওয়া যায় না। আর একটা কবিতা লিখেও কেউ ওমর খৈয়াম হতে পারে না। তৈমুর লং আর ওমর খৈয়াম হতে অনেক অহংকারের প্রয়োজন। কারণ দুঃসময়ে এই অহংকারই তাকে উৎসাহ দিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। আমরা কথায় কথায় বলি, অমুক আমাদের গর্ব। অমুক ব্যক্তি সমাজের অহংকার। কেন বলি? অহংকার আর গর্ব যদি মন্দই নয় তাহলে বিজয়ীকে গর্বের আসনে বসানোর কি প্রয়োজন? আমার ধারণা, সব অহংকার মন্দ নয়, যেমন সব আগুনকে মন্দ কাজে ব্যবহার করা হয় না। সকল ইউরোনিয়াম দিয়ে বোমা বানানো হয় না। সকল টেলিফিল্মে খারাপ ছবি দেখানো হয় না। অহংকার সত্যই অহংকার। যদি আমরা একে সেরা কোন কাজে ব্যবহার করতে পারি, তবে অবশ্যই সেটা জাতির জন্য গৌরব বয়ে আনে। অবশ্য অহংকারের কারণে অন্যদের তুচ্ছজ্ঞান করা খারাপ, যেমন অন্যের অনিষ্টের চিন্তা করা অপরাধ। ‘আমিই সকলের সেরা’, ‘আমাব্যতীত সমাজে শ্রেষ্ঠ আর কোন লোকই নেই’। এসব ভালো অন্যায়। এই রকম আত্মম্ভরিকা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে। মানুষকে ছোট করে দেখা, তাদের সাথে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করা, কথায় কথায় হেয় করা, নিজের স্বার্থের জন্য অন্যকে দাবিয়ে রাখা, এসবই অন্যায় এবং অনিষ্টকর। এ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। উন্নত খাবার সামনে পরিবেশন করা হয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, অতিরিক্ত খাবার খেয়ে পেটে পীড়া বাঁধিয়ে ফেলতে হবে। বরং এক্ষেত্রে সংযত হয়ে দেহ ও মনের সুস্থতা অক্ষুণœ রাখতে পারে। তেমনি অহমিকা আর আভিজাত্যবোধের নিয়ন্ত্রিত প্রকাশই আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনে। আমি আমার কাজ নিয়ে দর্প করব কেন? আমি যদি গরিমাপূর্ণ কোন কাজ করি তো সমাজই আমাকে সম্মানের আসন দিবে। আমাকে তারাই মাথায় তুলে রাখবে। আমার নিজ মুখে সেটা বলে বেড়াতে হবে কেন? হিংসা ঘৃণা বিদ্বেষ এসব মানুষের মজ্জাগত। তবে বাঙালির হিংসাটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের বেশি। আমরা নিজেরা সেরা কোন কাজ করতে পারি কি তার খবর নেই, তবে অন্যের কাজটাকে বাধা দিতে, কিংবা তার নিন্দা করতে আমরা মোটেই পিছপা হই না। আমরা দম্ভ করে বলি, আমি অভিজাত বংশের লোক, অন্যে কেন আমাকে ছাড়িয়ে যাবে। সুতরাং তার অনিষ্ট কর, তাকে দাবিয়ে দাও। প্রতিহিংসাপূর্ণ আচরণ, পরশ্রীকাতর মনোভাব, অহেতুক অহমিকা-এ কখনো কল্যাণকর নয়। অহংকারের কতগুলো বাহন আছে। যেমন শিক্ষা, নেতৃত্ব, বংশ মর্যাদা, অর্থ, ক্ষমতা রূপ-সৌন্দর্য, পোশাক পরিচ্ছদ, পারদর্শিতা শিক্ষা এসব মানুষের মর্যাদার কারণ হতে পারে। শিক্ষিত ব্যক্তির মর্যাদা এমনিতেই সকলের উপরে। তার উপর সে যদি দর্প করে বেড়ায়, এই দম্ভ তার জন্য সম্মান বয়ে আনেব না! শিক্ষা মানুষকে ন¤্রতা দান করে। যেমন একটা বাঁশ যতই পরিপক্কতা অর্জন করে ততই তার মাথা ঝুঁকে আসে। একজন মানুষও যত জ্ঞানী হয় ততই সে বিনয়ী, শিষ্ট, অমায়িক হয়। যদি কোন শিক্ষিত লোক থেকে এর উল্টোটা প্রকাশ পায়, তাহলে বুঝতে হবে তার শিক্ষায় সমাজের কোন মঙ্গল নেই। এমন লোক থেকে দূরে সরে থাকাই উত্তম।
নেতৃত্ব : নেতৃত্বের জন্য এর পদমর্যাদার জন্য একটা লোকের মধ্যে গরিমার জন্ম হতে পারে। নিচু বংশের কেউ যখন উচ্চ আসন লাভ করে, অযোগ্য লোক যখন চান্স পেয়ে মর্যাদাকর পদ লাভ করে, তখন তার ঠেলায় বাঁচা দায়। সে নিতান্তই অন্যায়ভাবে অধীনস্তদের উপর তার কেরমাতি জাহির করে এবং নানা কায়দায় সে তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। অথচ নেতৃত্ব-পদমর্যাদা খোদার বিশেষ নেয়ামত। এর দ্বারা সে কত লোকের উপকার করতে পারতো। তা না করে সে কেবল অহংকারের বশবর্তী হয়ে লোকহিতের বদলে লোকের ক্ষতি করলো। এ রকম নেতৃত্ব দ্রুত তার হাতছাড়া হয়ে যেতে বাধ্য।
বংশমর্যাদা : এ এক অহংকার করার বিষয়ই বটে। যে নিচু বংশে জন্মগ্রহণ করে, শুধু সেই অভাগাই বুঝতে পারে, সংসারে সে কি হারিয়েছে আর কত বাধা তার সামনে আছে। উন্নতবংশে জন্ম নেয়া মানেই হল পরিবেশটা তার অনুকূলে থাকা। যেখানে যেতে চাক, যা-ই করার কথা ভাবুক, সেটা সে অনায়াসে করতে পারে। কারণ জনবল-অর্থবল সবই তার পক্ষে কাজ করে। কেউ রাজার ছেলের কাজে বাধা দেয়, তার নিন্দা করে এই দুঃসাহস সংসারে কারো নেই। উচ্চবংশের লোক হওয়া মানে অনেক যোগ্যতা। নিয়ে জন্মগ্রহণ করা। কেউ যদি সুযোগ পেয়েও যোগ্যতা অর্জন না করে কিংবা ভুলভাবে কর্তৃত্ব করতে চায়, আর সেই ভুলকে চাপা দেয়ার জন্য অহমিকার আশ্রয় নেয় তবে সেটা হয় আরেক ভুল। যারা এই ভুল করে তাদের স্থান অনেক নিচে চলে যায়।
অর্থ : আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্য বলে অর্থবল নিয়ে সহজেই অহংকার করা যায়। অর্থের জন্য অনেকের উপর কর্তৃত্ব করা যায়। এজন্য বলে বিত্তশালীর অন্তরে এক ধরনের গরিমার জন্ম হয়। যেহেতু মানুষ ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক অর্থশালীদের পাশে মৌমাছির মত ঘুর ঘুর করে। সেহেতু তারাও ভাবতে শুরু করে যে, অর্থ দিয়ে বুঝি সব কিছু করা যায়। সংসারে যে কোন অসাধ্য সাধনে এর কোন বিকল্প নেই। বাঘের দুধ তার রাক্ষসের চোখ সবই লাভ করা যায় অর্থের বিনিময়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থ আমাদের সমাজে এক বড় অহংকারের কারণ।
ক্ষমতা : ক্ষমতা অহংকারের এক বড় কারণ। পৃথিবীতে যত লোভনীয় বস্তু আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোভনীয় হল ক্ষমতা। ক্ষমতা লাভের জন্য মানুষ নিজের পিতা, ভাই, এমনকি সন্তানকে সরিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। সকলে চায় তার ক্ষমতাকে কণ্টকমুক্ত করতে। কেউ তার নির্বাচনী এলাকার আরেকজন প্রতিদ্বন্দ্বী দেখতে চায় না। আর যে লোক সকলকে হারিয়ে জয়লাভ করে ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করে তার অজান্তেই মনের মধ্যে অহমের জন্ম হয়। এ অবস্থায় অনেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। মানুষকে দাবিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতার চেয়ে শক্তিশালী কোন হাতিয়ার ইহ সংসারে আর নেই।
রূপসৌন্দর্য : রূপটা পুরুষের চেয়ে নারীর উপর অধিক প্রভাব বিস্তার করে। তাইতো রূপ সৌন্দর্যই মেয়েদের অহংকারের প্রধান কারণ। একজন সুন্দরীকে জয় করতে অনেকের আগ্রহ এবং রূপের হাটে রূপসীদের কদরও বেশি থাকে। সে কারণে রূপ নিয়ে তাদের গর্বও অধিক। তাই বলে রূপবান পুরুষের মর্যাদাও কম নয়। রাজপুত্রের মত যার চেহারা মেয়েরা একবার হলেও তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। সেজন্যই দেখা যায় সুন্দরী ললনার মত রূপবান পুরুষের মর্যাদাও অনেক বেশি।
পোশাক-পরিচ্ছদ : উন্নত পোশাকের কারণেও অনেকের মনে গর্বের জন্ম হতে পারে। ছোটবেলায় দেখেছি, স্কুলে একটি ছেলে দামি শার্ট পরে আসতো। আর আমরা তার জমা ধরে দেখতাম, তার দাম জিজ্ঞেস করতাম। ছেলেটি দামি জামা গায়ে দিতো বলে তার অহংকারের অবধি ছিল না। রূপের মত পোশাকের গা-ভর্তি গহনা, আর পরনে দামি শাড়ি, দেগামে তো তার পা মাটি স্পর্শ করে না। কোন কোন পুরুষও দামি পোশাক পরে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবে। যে পোশাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য প্রকাশের বাহন সেটাই কখনো কখনো অহংকারের কারণ হয়ে যায়।
পারদর্শিতা : বিশেষ কোন কর্মে কেউ যদি দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সে নিজেকে অতুলনীয় ভাবতে শুরু করে। যেমন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার কাজে বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে পারেন। একজন ডাক্তার বা উকিল তার কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেন। একজন শিল্পী বা অভিনেতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। সাহিত্যে-শিল্পে-সংগীতে কেউ প্রচুর সুনাম কুড়াতে পারেন। এসব বিশেষ যোগ্যতার জন্য কারো মধ্যে অহংবোধের জন্ম নেয়া স্বাভাবিক। তাই বলে সে যদি অন্যদের তাচ্ছিল্য করে, চেনা লোকদের না চেনার ভান করে কিংবা সুবিধা বুঝে অধিক সুবিধা আদায় করে, এটা তার জন্য সুফলের চেয়ে কুফলই বয়ে আনে। অসুর থাকবে। একে কখনো সমূলে উৎপাটন করা যাবে না। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেবি দুর্গা তার ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসুরকে থামিয়ে দেন। কারণ, তাকে থামানো না গেলে যে সুর প্রতিষ্ঠা হয় না। সমাজে ভাল-মন্দ, আলো-আঁধার দুয়ের অবস্থান খুব কাছাকাছি। আলো না থাকলে মুহূর্তে অন্ধকার এসে জায়গা দখল করে। এই আঁধারেরও প্রয়োজন আছে। তার অর্থ এই নয় যে, আমরা সর্বদা আঁধারেই বাস করব। এ-ঠিক যে, আমাদের জীবন জীবিকার জন্য আঁধারের চেয়ে আলোরই প্রয়োজন বেশি। সেজন্যে আমরা অন্ধকারকে হটানোর জন্য কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সমাধান করি। অন্ধকারে প্রয়োজন থাকলেও একে অধিক বাড়তে দেই না। তেমনি অহংকারেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু অসুরের মত একে অধিক বাড়তে দেয়া যাবে না। তাহলে সে আগুনের মত সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে। কাজকে সুষ্ঠুভাবে দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য পারদর্শিতার প্রয়োজন ঠিকই কিন্তু একে নিয়ে বড়াই করা ভাল নয়। এ-ও ধারণা করা ঠিক নয় যে, সে না হলে কাজ হতো না। জগতের কোন কাজই অচল-অকরণীয় থাকে না। পৃথিবীতে কি দক্ষ লোকের অভাবে আছে? একজন পাওয়া না গেলে কতজনকে খুঁজে আনা যায়। পোশাক-আশাক সৌন্দর্য বৃদ্ধির আনা যায়। পোশাক-আশাক সৌন্দর্য বৃদ্ধির বাহন। উত্তম পোশাক ও উত্তম ব্যবহার দ্বারা ইজ্জত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কেউ ভাল পোশাক পরে যদি অন্যদের পোশাকের নিন্দা করে, তার পোশাকের বিশেষ কোন মূল্য থাকে না। রূপ আছে বলে সেজন্যে যদি দেমাগ বৃদ্ধি পায় তাহলে সে রূপের জন্য অনেক সময়ই নির্জনে চোখের পানি ফেলতে হয়। আমি অনেক সুন্দরীকে দেখেছি তার রূপকে অতি সস্তা মূল্যে বিক্রি করতে। অধিক বাহাদুরী করতে গিয়ে দেখা গেছে তার উপযুক্ত স্বামীই জোটেনি। বরং সুযোগ সন্ধানীরা তার রূপ নিয়ে ব্যবসা করেছে। একটা উদাহরণ দেই-নাফিসা বিচারপতি বাবার অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে। যার অর্থ রূপ এবং বংশ মর্যাদা ছিল অহংকার করার মত। পিতার পদমর্যাদার জন্য হোক বা নিজের অস্বাভাবিক রূপের জন্য হোক শৈশব থেকেই নাফিসা কাউকে পাত্তা দিতো না। যারা নানা সময়ে ভালবাসার কথা বলেছিল তাদের সে তাচ্ছিল্যই করেনি, সুযোগমত অপমানও করেছে। অথচ কি দুর্ভাগ্য এই সুন্দরী মর্যাদাবান মেয়েটির বিয়ে হল এমন এক অর্থ-পিশাচের সঙ্গে যার কাছে তার রূপের কোন মূল্য নেই। স্বামী সংসারে তার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। ঐ ঘরের কেউই তার অহংকারকে গুরুত্ব দিলো না। অতঃপর মদ্যপ স্বামীর দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে একদিন সে তার বাপের ঘরে চলে আসে। সেই অহংকারী সুন্দরী মেয়েটি আজ নানা দুর্নামের অধিকারী। তার রূপের অহংকার কালিমা লেপন ছাড়া বংশের জন্য কোন গৌরব বয়ে আনেনি। অর্থ-ক্ষমতা দিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায়। একে খোদার নিয়ামত হিসেবেই ভাবতে হয়। ¯্রষ্টা তো সবাইকে এ নেয়ামত দেন না। যাকে দেন সে অবশ্যই সেরা মানুষ। কিন্তু যে যদি এর অপব্যবহার করে তবে মনে রাখা উচিত, আল্লাহ তার দেয়া নেয়ামত যে কোন মুহূর্তে কেড়ে নিতে পারেন। এজন্য দেখা গেছে একজন ক্ষমতাধর প্রতাপশালী লোক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যতই কেরামতি করুক, চক্রান্ত করে প্রতিদ্বন্দ্বীকে যতই ঘায়েল করুন, কোন না কোন কারণে তিনি পদচ্যুত হবেনই। সমাজে সকলে নেতা হয় না। কেউ কেউ হয়। কেউ যখন নেতা হয় তার উচিত সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেয়া। তার কর্তৃত্বাধীন লোকদের উন্নতির দিকে চালিত করা। কেউ যদি ইচ্ছে হয়ে যাবেই। সেজন্যই বলছি খোদার নিয়ামত নিয়ে কারোই অহংকার করা উচিত নয়। কেউ যদি সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তবে সেই নেয়ামতের জন্য তারই চূড়ান্ত অপমান হয়। অহম মানুষের ভেতরকার শক্তির কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল প্রেরণার উৎস। অহম বা আমিত্বের অহংকার যার নেই, তিনি নিঃশেষ হয়ে পড়েন, খেই হারিয়ে ফেলেন, গন্তব্য ভুলে যান। আমিত্বের অহংকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল মনের জোর তথা আত্মবিশ্বাস। যতক্ষণ মনের জোর অটুট থাকে ততক্ষণ মানুষ কাজ করে। একবারের কাজ দশবারে করে। তবু সে আগ্রহ হারায় না। কিন্তু যার অহম নষ্ট হয়, আত্মবিশ্বাসে সংশয় ঢুকে পড়ে, মনের জোর হারিয়ে যায়, তার পক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ কখনো সম্ভব নয়। অবশ্য এও ঠিক যে, শুধু অহংকার আর জেদ থাকলেই যুদ্ধে জেতা যায় না। জিততে হলে অন্য কৌশলগুলোও সময়মত প্রয়োগ করতে হয়। ভাল ছাত্র হলেই ভাল চাকরি পাওয়া যাবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। ভাল চাকরি পাওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি, আধুনিক জ্ঞান, সুদর্শন চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য আধুনিক জ্ঞান, সুদর্শন চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ইত্যাদি আবশ্যক। তবে চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ইত্যাদি আবশ্যক। তবে অহম প্রধান শর্ত, অহমের সাথে যদি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থাকে আর সেই লক্ষ্যের পানে যদি সে ধীরে ধীরে আগাতে থাকে তবে সফলতা একদিন তার হাতে ধরা দিবেই দিবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180904074935