• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Saturday, September 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কৌসিকী অমাবস্যা ও মা তারা

কৌসিকী অমাবস্যা ও মা তারা

শুভ রাত্রি সকল বন্ধুরা
কাল রাত্রি২.৪৩মিঃ কৌসিকী মাবস‍্যা লাগবে, রবিবার পালন ।আজকে এই নিয়ে লিখছি, আশা করি সকলের ভালো লাগবে।ঐদিন বাড়ির সকলে নিচের দেওয়া বৃহস্পতি ও তার ইষ্টদেবী তারার বীজমন্ত্র ঘীয়ের প্রদীপ ও চন্দন ধূপ জ্বেলে দক্ষীন দিকে মুখ করে করলে,অর্থ,মান,যশ বৃদ্বি পাবে ওসমূহ বিপদ থেকে মুক্ত হবে।
কৌশিকী অমাবস্যা তিথি কাকে বলা হয়?
কৌশিকী অমাবস্যা অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ, তন্ত্র শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটি বিশেষ। কারণ, অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা এই দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে। সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারেন। বৌদ্ধ ধর্মে ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মহত্ব আছে। তন্ত্র মতে এই রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয় ও এক বিশেষ মুহুর্তে স্বর্গ ও নরক এই দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করতে পারেন ও ‘সিদ্ধি লাভ’ করতে পারেন।
“কৌশিকী” শব্দটা এসেছে “কোষ” এবং, “কুশ” শব্দ থেকে। শাস্ত্র মতে দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব হয়, - দেবী গৌরীর দেহ কোষ থেকে এবং, তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দৈত্যদিগকে বধ করেন। আমরা জানি যে, শাস্ত্র মতে কোষ পাঁচটি – ১। অন্নময় কোষ, ২। প্রাণময় কোয, ৩। মনোময় কোষ, ৪। বিজ্ঞানময় কোষ এবং, ৫। আনন্দময় কোষ।
ভাদ্রমাসে রবি গ্রহ (‘প্রাণ’ বা জীবাত্মার কারক) নিজ গৃহে অর্থাৎ, সিংহ রাশিতে অবস্হান করে। আর, অমাবস্যা তখনই হয় যখন, রবি ও চন্দ্র (মনের কারক) একই রাশিস্থ থাকে বা রবি ও চন্দ্র ১২ডিগ্রীর মধ্যে সহাবস্থান করে এবং, সেই দিনটা যদি “সোমবার” হয় তখনই বলা হয় সোমাবতী (চন্দ্রের এক নাম ‘সোম’) অমাবস্যা। এই দিনটি আমাদের ‘প্রাণময় কোষ’-এর নির্দেশ করে বা জীবনী শক্তি নির্দেশ করে।

কাল কৌশী অমাবস্যা। তারাপীঠে মা তারার বিশেষ পূজা । এই পূজাকে কেন্দ্র করে সেখানে অনেক ভক্ত সমাগম হবে। দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় বিদ্যা হলেন তারা দেবী । নারদ পঞ্চরাত্রে বলে – “সতী নামে যিনি দক্ষের গৃহে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি কৈবল্যদায়িনী । তাঁর এক নাম একজটা । সকল ভূতবর্গকে তিনি তারণ করেন- তাই তাঁর নাম তারা । তিনি বাকশক্তি প্রদান করেন এই জন্য তাঁর একনাম নীলসরস্বতী । অন্যদিকে তিনি উগ্রমূর্তি বলে উগ্রতারিনী নামেও খ্যাতা । তিনি উগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তিনি উগ্র তারা । ( নারদ পঞ্চরাত্র, ৩/২ )

দক্ষগৃহে যোৎপন্না সতী নাম্নেতি কীর্তিতা ।
কৈবল্যদায়িনী যস্মাৎ তস্মাদেকজটা স্মৃতা ।।
তারকত্বাৎ সদা তারা লীলয়া বাকপ্রদা যতঃ ।
নীলসরস্বতী প্রোক্তা উগ্রত্বাদুগ্রতারিণী ।।
উগ্রাপত্তারিণী যস্মাদুগ্রতারা প্রকীর্তিতা ।
( নারদ পঞ্চরাত্র )

সতী বিনা আমন্ত্রণে পিতার গৃহে যেতে চাইলে ভগবান শিব বাধা দান করলে দেবী সতী দশমহাবিদ্যা রূপ ধারন করেন । কালীরূপের পর তারা দেবীর আবির্ভাব । দেবী নিজেই তারা রূপের পরিচয়ে বলেছেন- “শ্যামবর্ণা তু যা দেবী স্বয়মূর্ধ্বে ব্যবস্থিতা’ – এর অর্থ , শ্যামবর্ণা যে দেবী ঊর্ধ্বে বিরাজ করছেন তিনিই মহাবিদ্যা তারা। ‘স্বতন্ত্র তন্ত্র’ শাস্ত্রে এই দেবীর পরিচয়ে বলা হয়েছে নীশিথে উগ্র বিপদ থেকে তিনি তারণ করেন বলে তাঁর নাম উগ্রতারা । মেরুর পশ্চিমকূলে চোল নামক এক হ্রদ আছে । বলা হয় সেখানেই তারা দেবী আবির্ভূতা হন । ‘তন্ত্রসার’ মতে তারা মন্ত্রে চৈতন্য লাভ করলে জীব অচীরেই মুক্তি লাভ করে । আবার তিনি বাক শক্তির অধিকারীনি বলে মা তারার সাধক সর্ব শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য ও ধনবান হন । দেবী তারার ধ্যান মন্ত্র অনুযায়ী তিনি খর্বা, লম্বোদরী, ভীমা, ব্যাঘ্র চর্ম পরিহিতা। তিনি জলন্ত চিতার মধ্যে অবস্থান করেন। দেবী চতুর্ভুজা- খড়গ, কাটারী, খর্পর ও পদ্ম ধারন করে থাকেন । তাঁর কেশরাশি একটি পিঙ্গল জটা বদ্ধ । দেবীর মস্তকে সর্প রূপী মহাদেব থাকেন । তিনি নব যৌবন সম্পন্না ও স্ত্রীজনোচিত অলঙ্কারে ভূষিতা । দেবীর ললাটে শ্বেত অস্থি নির্মিত চারটে পট্টি ও নর কপালের ভূষন থাকে। ঘন নীল গাত্র বর্ণ দেবীর । নয়ন তিনটি বালসূর্যের মতো রক্তাভ অথচ করুণা মাখা । দেবী বিশ্ব ব্যাপক জলে শ্বেত পদ্মের ওপর অধিষ্ঠান করেন । দেবীর অপর একটি ধ্যান মন্ত্রে তাঁকে নাগ যজ্ঞ উপবীত ধারিনী ও সর্প বিভূষনা বলা হয়েছে । এছাড়া তিনি প্রত্যালীঢ় ভঙ্গিতে শিবের উপরে অবস্থিতা বলা হয় ।

দেবী তারার আট রূপ- উগ্রতারা, ভদ্রকালী, মহোগ্রা, নীলসরস্বতী, তারিনী, মহানীলসরস্বতী, একজটা ও বজ্রা । পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে মা তারার মন্দির দেখা যায় । বলা হয় মন্দির সংলগ্ন মহাশ্মশানে শ্বেত শিমূল বৃক্ষ তলে দেবী সতীর ঊর্ধ্ব নয়নের তারা পতিত হয়েছিল । এই মহা শ্মশানে মহাসাধক বামাক্ষ্যাপা বশিষ্ঠ সিদ্ধপিঠে বসে সাধনা করে সিদ্ধ হন । মহাসাধক বামদেবের সাথে মা তারার বাৎসল্যের ক্রীড়া ক্ষেত্র ছিল এই মহা শ্মশান । আসুন সকলে মা তারার চরণে প্রনাম জানাই । জয় বামদেব । জয় মা তারা ।

কাল কৌশী অমাবস্যা। ভাদ্রমাসের অমাবস্যার নাম কৌশি অমাবস্য অর্থাৎ যজ্ঞাদী কর্মের জন্য যে কুশ ব্যবহৃত হয় সেই কূশ তোলার উপযুক্ত তিথি।শয়ন একাদশীতে যখন শ্রী বিষ্ণু শয়ন করেন তখন যেকোন তিথিতে বিষ্ণুর রোম স্বরূপ কুশ তোলা নিষেধ এতে ভগবানের বিশ্রামে ব্যঘাত হয়, তাই একমাত্র ভাদ্র অমাবস্যাতে কুশ তোলার তিথি হিসেবে নির্ধারিত আছে ।তাই এই তিথির নাম কৌশি অমাবস্যা ।

।।মা তারা ।।

তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী। তারার বিভিন্ন রূপান্তর উগ্রতারা, নীল সরস্বতী, কুরুকুল্লা তারা, খদির বাহিনী তারা, মহাশ্রী তারা, বশ্যতারা, সিতাতারা, ষড়ভূজ সিতাতারা, মহামায়া বিজয়বাহিনী তারা ইত্যাদি। বৌদ্ধধর্মেওতারাদেবীর পূজা প্রচলিত। তারার মূর্তিকল্পনা কালী অপেক্ষাও প্রাচীনতর।[১] কোনো কোনো মতে তারা দুর্গা বা চণ্ডীর রূপান্তর। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলারতারাপীঠে অবস্থিত দেবী তারার মন্দির বিখ্যাত।

তারাপীঠ

বাংলার অন্যতম প্রধান পূজিত দেবী হল কালী। নানা রূপে, নানা জটিল বিমূর্ততায় বাংলা জুড়ে এই শক্তির দেবী পূজিত হন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ। তবে তারাপীঠের আরও বেশি মাহাত্ম্য শক্তিপীঠ বা মহাপীঠ হিসাবে। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ হেজেমজে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর মা তারাসিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –- তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

বণিক জয় দত্তের তৈরি করে দেওয়া তারামায়ের মন্দিরটি আজ আর নেই। বর্তমানের উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি ১২২৫ বঙ্গাব্দে তৈরি করান মল্লারপুরের জগন্নাথ রায়। দেবী এখানে তারাময়ী কালী – মুখমণ্ডল ছাড়া সারা অঙ্গ বসনে আবৃত। সন্ধ্যায় দর্শন মেলে মূল দ্বিভুজা ছোট্ট মূর্তির। এর দুটি হাত, গলায় সাপের মালা, পবিত্র সুতোয় অলঙ্কৃত, বাঁ কোলে শিব স্তন্য পান করছে। শত শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না।

তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয় এবং প্রতিদিনই এখানে গরিবদের খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।

দেবী দর্শনের পর ঘুরে নিতে পারো বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এখানে রয়েছে সাধকের মূর্তি।

কলকাতা থেকে ২৬৪ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠে আসা যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে। নামতে হয় রামপুরহাট বা তারাপীঠ রোড স্টেশন

তারাপীঠ মন্দির
উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি লাল ইঁটে নির্মিত। এর ভিতের দেওয়াল বেশ মোটা। উপরিভাগে শিখর পর্যন্ত একাধিক ধনুকাকৃতি খিলান উঠেছে। চারচালার ওপরে চার কোণে চারটি ছোট ছোট চূড়া অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় একটি তামার পত্তাকাসহ ত্রিশীল তিনটি পদ্ম ভেদ করে উঠেছে। মন্দিরের প্রবেশপথের মধ্য খিলানের ওপর দুর্গার প্রতিকৃতি রয়েছে। উত্তরদিকে বামপাশের খিলানের ওপর

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঘটনা, ভীষ্মের শরশয্যা, অশ্বত্থমা হত প্রভৃতি মহাভারতের কাহিনী উৎকীর্ণ রয়েছে। মন্দিরের উত্তর ভিতের পূর্বদিকে সীতাহরণ, অকালবোধন, রাম ও রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য এবং পশ্চিমদিকে কৃষ্ণলীলার চিত্র খোদিত। ১২ ফুট X ৬ ফুট মাপের মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীমূর্তি সংস্থাপিত।শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারার মূল প্রস্তরমূর্তিটি একটি তিন ফুট উঁচু ধাতব মূর্তির মধ্যে রাখা থাকে। দর্শনার্থীরা সাধারণত ধাতব মূর্তিটিই দর্শন করে থাকেন। এই মূর্তিটি তারা দেবীর ভীষণা চতুর্ভূজা, মুণ্ডমালাধারিণী এবং লোলজিহ্বা মূর্তি। এলোকেশী দেবীর মস্তকে রৌপ্যমুকুট থাকে। বহির্মূর্তিটি সাধারণট শাড়ি-জড়ানো অবস্থায় গাঁদা ফুলের মালায় ঢাকা অবস্থায় থাকে। মূর্তির মাথার উপরে থাকে একটি রূপোর ছাতা। মূর্তিটির কপালে সিঁদুর লেপা থাকে। পুরোহিতেরা সেই সিঁদুরের টীকা পরিয়ে দেন দর্শনার্থীদের। প্রতিকৃতি বিগ্রহের নীচে গোল্কার বেদীতে দুটি রূপোর পাদপদ্ম থাকে। ভক্তরা নারকেল, কলা বা রেশমি শাড়ি দিয়ে দেবীর পূজা দেন। তারাদেবীর মূল মূর্তিটিকে "তারার কোমল রূপের একটি নাটকীয় হিন্দু প্রতিমা" বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ভূগোল
তারাপীঠ বীরভূম জেলার মারগ্রাম থানার অধীনস্থ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোটো গ্ৰাম।

পশ্চিমবঙ্গতে তারাপীঠ এর অবস্থান

স্থানাঙ্ক২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্ব | দেশভারত Stateপশ্চিমবঙ্গ জেলাসমূহ বীরভূম নিকটবর্তী শহররামপুরহাট।

এটি দ্বারকা নদীর তীরে অবস্থিত। প্লাবন সমভূমির সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে এই তীর্থস্থান অবস্থিত। কিছুকাল আগেও বাংলার সাধারণ মাটির বাড়ি আর মেছোপুকুরে ভরা গ্রামের থেকে তারাপীঠের খুব একটা পার্থক্য ছিল না। বর্তমানে অবশ্য তীর্থমাহাত্ম্যের কারণে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় গ্রামটি ছোটোখাটো শহরের আকার নিয়েছে। জেলার রামপুরহাট মহকুমার সদর রামপুরহাট শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে তারাপীঠ অবস্থিত। রামপুরহাট ও চাকপাড়ার 'তারাপীঠ রোড' রেল স্টেশনদুটি তারাপীঠের নিকটতম রেল স্টেশন।

কিংবদন্তি ও গুরুত্ত্ব

তারাপীঠ মন্দিরের উৎস ও তীর্থমাহাত্ম্য সম্পর্কে একাধিক কিংবদন্তি লোকমুখে প্রচারিত হয়ে থাকে। এগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিংবদন্তি হল "শক্তিপীঠ" ধারণাটির সঙ্গে যুক্ত পৌরাণিক কাহিনিটি। শিবের স্ত্রী সতী তাঁর পিতা দক্ষের "শিবহীন" যজ্ঞ সম্পাদনার ঘটনায় অপমানিত বোধ করে। স্বামীনিন্দা সহ্য করতে না পেরে তিনি যজ্ঞস্থলেই আত্মাহুতি দেন। এই ঘটনায় শিব ক্রুদ্ধ হয়ে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয়নৃত্য শুরু করেন। তখন বিষ্ণু শিবের ক্রোধ শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে দেন। সতীর দেহ একান্নটি খণ্ডে ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর নানা স্থানে পতিত হয়। এইসকল স্থান "শক্তিপীঠ" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গেও এই রকম একাধিক শক্তিপীঠ অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পীঠ হল কালীঘাট ও তারাপীঠ। সতীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা তারাপুর বা তারাপীঠ গ্রামে পড়ে এবং প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম এই রূপটি দেখতে পান এবং সতীকে তারা রূপে পূজা করেন। অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে: সমুদ্র মন্থনের সময় উত্থিত হলাহল বিষ পান করার পর বিষের জ্বালায় শিবের কণ্ঠ জ্বলতে শুরু করে। এই সময় তারাদেবী শিবকে আপন স্তন্য পান করিয়ে তাঁর জ্বালা নিবারণ করেন। স্থানীয় কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ তারাপীঠ নামে প্রসিদ্ধ এই তীর্থে দেবী সতীর পূজা শুরু করেন। পীঠস্থানগুলির মধ্যে তারাপীঠ একটি "সিদ্ধপীঠ", অর্থাৎ এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন।

লোকমুখে প্রচারিত একটি কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ এখানে তারাদেবীর তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু তিনি অসফল হন। তখন তিনি তিব্বতে গিয়ে বিষ্ণুর অবতার বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বুদ্ধ তাঁকে বামমার্গে মদ্যমাংসাদি পঞ্চমকার সহ তারাদেবীর পূজা করতে বলেন। এই সময় বুদ্ধ ধ্যানযোগে জানতে পারেন মন্দিরে তারামূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার করার আদর্শ স্থান হল তারাপীঠ। বুদ্ধের উপদেশক্রমে বশিষ্ঠ তারাপীঠে এসে ৩ লক্ষ বার তারা মন্ত্র জপ করেন। তারাদেবী প্রীত হয়ে বশিষ্ঠের সম্মুখে উপস্থিত হন। বশিষ্ঠ দেবীকে অনুরোধ করেন বুদ্ধ যে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারাদেবীকে ধ্যানে দেখেছিলেন, দেবী যেন সেই রূপেই তাঁকে দর্শন দেন। দেবী সেই রূপেই বশিষ্ঠকে দর্শন দেন এবং এই রূপটি প্রস্তরীভূত হয়। সেই থেকে তারাপীঠ মন্দিরে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা মূর্তিতে দেবী তারা পূজিত হয়ে আসছেন।
শাক্তধর্মের তারাপীঠ ও বৈষ্ণবধর্মের নবদ্বীপ বাঙালি হিন্দুদের নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ রূপে পরিগণিত হয়।

শ্মশানঘাট
শহরের এক কোণে নদীর ধারে ঘন অরণ্য বেষ্টিত তারাপীঠ শ্মশানটি অবস্থিত। শ্মশানটি লোকালয় থেকে দূরে। তারাপীঠের শ্মশানটি শক্তিপীঠের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তারা দেবীকে শ্মশানের অন্ধকারে বলিপ্রদত্ত ছাগের রক্ত পান করতে দেখা যায়।

তন্ত্রসাধকরা
বিশ্বাস করেন নরকঙ্কাল ও শ্মশানক্ষেত্র তারা দেবীর বিশেষ প্রিয়। দেবীর যে সকল চিত্র আঁকা হয়ে থাকে, তাতে তাঁকে শ্মশানক্ষেত্রনিবাসিনী রূপেই দেখানো হয়। এই কারণে তন্ত্রসাধকেরা শ্মশানক্ষেত্রকেই তাঁদের সাধনস্থল হিসেবে বেছে নেন। অনেক সাধুই পাকাপাকিভাবে এখানে বাস করেন। শ্মশানে অনেক জটাধারী ভষ্মমাখা সাধু দেখা যায়। তাঁরা বটবৃক্ষের তলায় নিজেদের কুটির সৃজন করে বাস করেন। এই সব কুটিরের মাটির দেওয়ালে তাঁরা সিঁদুরমাখানো নরকপাল গ্রথিত করে রাখেন। কুটিরের দেওয়ালে শোভা পায় গাঁদার মালায় শোভিত হিন্দু দেবী ও তারাপীঠের সন্তদের ছবি। কুটিরের

প্রবেশ পথের
কাছে অনেক সময়েই মাল্যভূষিত ত্রিশূল ও নরকপাল রেখে দেওয়া হয়। তন্ত্রসাধনায় মানুষ ছাড়াও সাপ, ব্যাং, শিয়াল ও খরগোসের করোটি প্রয়োজন হয়। এগুলির পাশপাশি সাপের খোলসও কুটিরে রাখা থাকে। ভাল নরকপাল পূজা ও মদ্যপানের জন্য ব্যবহৃত হয়। কুমারী মেয়ে ও আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিদের মাথার খুলির অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করা হয়।

বামাক্ষ্যাপা
তারাপীঠের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সাধক হলেন বামাক্ষ্যাপা (১৮৪৩-১৯১১)। মন্দিরের নিকটেই তাঁর আশ্রম ছিল। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাদেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মন্দিরে পূজা করতেন এবং শ্মশানে সাধনা করতেন। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের অপর প্রসিদ্ধ কালীভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক। অল্প বয়সেই তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং কৈলাসপতি বাবার সান্নিধ্যে তন্ত্রসাধনা শুরু করেন। পরে তিনি সমগ্র তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ বা আরোগ্য প্রার্থনা করতে আসত। কেউ কেউ আবার শুধুই তাঁকে দর্শন করতে আসত। তিনি মন্দিরের নিয়ম মানতেন না। একবার নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে খেয়ে ফেলে তিনি পুরোহিতদের রোষ দৃষ্টিতে পড়েছিলেন। শোনা যায়, এরপর তারাদেবী নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে দেবীর পুত্র বামাক্ষ্যাপাকে প্রথমে ভোজন করাতে আদেশ দেন। এরপর থেকে মন্দিরে দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে বামাক্ষ্যাপাকে ভোজন করানো হত এবং কেউ তাঁকে বাধা দিতেন না। কথিত আছে, তারাদেবী শ্মশানক্ষেত্রে ভীষণা বেশে বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়ে তাঁকে স্তন্যপান করিয়েছ।

তারার ধ্যান

ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।

খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।

চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।

কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।

পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।

বালার্কমণ্ডলাকা

রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।

জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।

স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।

বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।

অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।
প্রনাম

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

জোতিষ শাস্ত্রে মা তারা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী।তার বীজমন্ত্র:শ্রীং হ্রীং স্ত্রীং হুং ফট্। ১৮বার

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা ১০০৮ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180908085019