• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Wednesday, September 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গনেশ চতুর্থী ও গনেশ বন্দনা

গনেশ চতুর্থী ও গনেশ বন্দনা

শুভ সন্ধ‍্যা
আগামী বৃহস্পতিবার গনেশ চতুর্থী।আজকের বিষয়,সিদ্ধীদাতা গনেশ, তার বন্দনা ও সিদ্ধীবিনায়কের পাঁচটি মহাশক্তি মন্ত্র।

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।

গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্র অনুষ্ঠিত হলেও এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভারতের বাইরে নেপালে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন করে থাকেন।

সনাতন ধর্মালম্বীদের আরাধ্য গণেশের জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর প্রথম পুজো হওয়া পর্যন্ত এমন বহু ঘটনা রয়েছে, যা আমাদের অনেকের অজানা। অনেকে ডাকেন গণপতি নামে, অনেকে ডাকেন গণেশ, অনেকে ডাকেন বিনায়ক নামেই ৷

আগে জেনে নেওয়া যাক গণপতি গণেশের জন্মের কাহিনি। কথিত আছে, উবটন দিয়ে একটি বালকের মূর্তি তৈরি করেন মাতা পার্বতী। এর পর তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। জীবনদানের পর ওই বালককে নিজের পুত্র স্বীকার করেন মাতা পার্বতী। শুধু তাই নয় পরম শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হওয়ারও আশীর্বাদ দেন তাকে। যে সময় গণেশের জন্ম হয়, তখন দেবাদি দেব মহাদেব কৈলাশে ছিলেন না।

কৈলাশ ফেরার পর গুহদ্বারে একটি বালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সেই গুহাতেই ছিলেন পার্বতী। মা-এর আদেশ মেনে শিবকে ওই গুহায় প্রবেশ করতে দেননি গণেশ। ফলে গণেশের ওপর রেগে যান মহাদেব। এর পরই দেবতাদের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধ বাধে। একে একে সমস্ত দেবতাই গণেশের শক্তির সামনে পরাজিত হন। এর পর ত্রিশূল দিয়ে নিজের অজান্তেই পুত্র গণেশের শিরোচ্ছেদ করেন মহাদেব।

পুত্র গণেশের মৃত্যুতে ক্রুদ্ধ পার্বতীকে শান্ত করতে অবশেষে পুত্র গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দেন মহাদেব। হাতির মাথা ওই বালকের দেহে যুক্ত করা হয়।

জন্মের কিছু সময় পর পিতার সঙ্গে যুদ্ধ এবং তার পর প্রথম পূজ্যের আসন লাভ করেন তিনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্ম সময়ের কারণ।

শাস্ত্র মতে, ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম হয়। তাই শাস্ত্রে ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনই সর্বত্র গণেশ চতুর্থী পালিত হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে চতুর্থীকে রিক্তা তিথি বলা হয়েছে, সে দিন কোনও শুভ কাজ হয় না। কিন্তু সে দিনই গণেশের জন্মদিন হওয়ায় চতুর্থীতে রিক্তা তিথির দোষ গ্রাহ্য করা হয় না। তাই সমস্ত শুভ কাজ করা যায়। গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশি রয়েছে এবং মঙ্গল বিরাজ করছে।

লগ্নস্থানে শনির পূর্ণদৃষ্টি রয়েছে। আবার সূর্যের ওপর শনির দৃষ্টি থাকার ফলেই বাবার হাতে পুত্রের শিরোচ্ছেদ হয়।

গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্ন এবং লগ্নেশে বৃহস্পতির পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। বৃহস্পতি দ্বিতীয় এবং পঞ্চম গৃহের স্বামী। অন্য দিকে বুধও স্বরাশির। এ কারণে গণেশ বুদ্ধি এবং জ্ঞানের দাতা এবং প্রথম পূজ্য।

গণেশের কুষ্ঠিতে পঞ্চমহাপুরুষ যোগের মধ্যে শশ এবং রুচক নামের যোগ তৈরি হয়। দসমেশ নিজের গৃহে রয়েছেন, তাই গণেশ শিবের গণের অধ্যক্ষ। তিনি গণাধ্যক্ষ নামেও পরিচিত।

গণেশের অপর নাম বিঘ্নহর্তা। কারণ তিনি সমস্ত ধরনের বিঘ্ন-বাধা দূর করেন। লগ্নে অবস্থিত মঙ্গলে শনি এবং বৃহস্পতির দৃষ্টির কারণে তিনি এই ক্ষমতা পান।

সিদ্ধিদাতা শিব গৌরী পুত্র গণেশ মহারাজ ছিলেন
বুদ্ধিতে সুনিপুণ । পুরাণ গুলিতে এমন বহু ঘটনা আছে
এক সময়ের কথা , মাতা উমা ঠিক করলেন দুই
পুত্রের বিবাহ দেবেন । সেইমতো শর্ত
হোলো যে আগে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা
করে আসতে পারবে তার বিবাহ অগ্রে দেওয়া
হবে । এই শুনে কুমার স্কন্দ, তাঁর বাহন ময়ূরে
চেপে পৃথিবী পরিক্রমা করতে বের হলেন।
গণেশ মহারাজ চিন্তায় পড়লেন। তাঁর বাহন মূষিক।
মূষিকে চেপে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা করতে
কয়েক যুগ চলে যাবে। মঙ্গলমূর্তি গণেশ জী
তখন শিব পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে
বললেন- “পিতা মাতা। আমার পৃথিবী পরিক্রমা হয়ে
গেছে ।” হরগৌরী আশ্চর্য হয়ে বললেন-
“সেকি? তুমি তো পরিক্রমা করতে গেলেই না,
কিভাবে পরিক্রমা হোলো?” বক্রতুণ্ড গজানন
বললেন- “পিতামাতাই সন্তানের কাছে ভগবান, পিতামাতাই
সন্তানের কাছে জগত। তাই আপনাদের পরিক্রমা
করে আমার জগত পরিক্রমা হয়ে গেছে।”
হরগৌরী বুঝলেন সিদ্ধিদাতার বুদ্ধি তীব্র। রিদ্ধি ও
সিদ্ধি নামক দুই কন্যার সাথে গণেশের বিবাহ দিলেন।
গণেশের দুই পুত্র ও এক কন্যা। পুত্রদের নাম শুভ
ও লাভ, কন্যার নাম সন্তোষী । পুরানে এমন ঘটনা
বেদব্যাস লিখেছেন যাতে আমরা পিতামাতার সেবা
করি ।
গণেশের আর এক বুদ্ধি । মূষকরাজ নামক এক অসুর
ছিলেন । তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বর্গচ্যুত
দেবতারা কৈলাসে এসে ভগবান শিবের কাছে সকল
বৃতান্ত বললেন। ভগবান শিবের নির্দেশে গণেশ
অসুরপুরী আক্রমণ করে অসুর নিধন শুরু করলেন
। মূষকরাজ যুদ্ধে আসলে গণেশ জী চাতুরী
দ্বারা তাকে মূষিকে পরিণত করে বিশাল দেহ নিয়ে
মূষিকে বসলে , মূষকরাজের দফারফা শেষ হতে
লাগলো। মূষকরাজ ক্ষমা চাইলে গণপতি বর দিয়ে
বললেন- “আজ থেকে তুমি আমার বাহন, তুমিও আমার
সাথে পূজা পাবে। তোমার স্কন্ধে আমি ক্ষুদ্র
পুষ্পসম ওজন পরিগ্রহ করে অধিষ্ঠান করবো। তখন
তোমার কষ্ট হবে না।” ভিন্ন মতে স্বর্গের
কোনো এক গন্ধর্ব কোনো মুনি শাপে
মূষিকে রূপান্তরিত হয়ে সেই মুনির আশ্রমে তাণ্ডব
আরম্ভ শুরু করে। তখন মুনির প্রার্থনায় গণেশ
মহারাজ প্রকট হয়ে সেই মূষিক কে বাহন বানান ।
একদিনের ঘটনা। গজানন মূষিকে অধিষ্ঠান করে
যাচ্ছিল্লেন। পথে মূষিকের শত্রু এক নাগ কে
দেখে মূষিক ভীত হয়ে হঠাত থেমে গেলে
আচমকা গণেশ জী মূষিক থেকে পড়ে যান।
সেসময় চন্দ্রদেব গণেশ জীর স্থূল দেহ ও
হস্তীমুখ নিয়ে ব্যাঙ্গ করলে গণেশ জী
চন্দ্রদেবকে অভিশাপ করেন । পরে চন্দ্রদেব
গণেশ জীর আরাধনা করে শাপ থেকে মুক্তি পান
। ভাদ্রমাসের নষ্টচন্দ্র দিন চন্দ্র দর্শন করলে নাকি
সেই অভিশাপ লাগে বলে পুরাণে লেখা। বলা হয়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেইদিন চন্দ্র দর্শন
করেছিলেন, এরপর মণি অপহরণের ঘটনা ঘটে। যাই
হোক ব্যাস মুনি পুরানে আমাদের এই শিক্ষা
দিয়েছেন যে কারোর দেহ দেখে তাকে
ব্যাঙ্গ উপহাস করতে নেই। ভাদ্র মাসের নষ্টচন্দ্র
দর্শন তিথিতে চন্দ্র দর্শন করলে পরদিন প্রভাতে
গণেশ জীকে দূর্বা দ্বারা পূজা করতে হয়- নচেৎ
সেই শাপ লেগে যায় বলে পুরাণে লেখা ।
একদা কুবের নিজ দর্প প্রদর্শনের জন্য গর্বে
বুক ফুলিয়ে কৈলাসে শিব কে নিমন্ত্রণ করতে
আসেন । ভগবান শিব অন্তর্যামী । তিনি কুবের কে
শিক্ষা দেবার জন্য গণেশ কে পাঠালেন । গণেশ
এসে কুবের মহলে গ্রেগ্রাসে এত খাবার
খেতে লাগলেন, যে কুবের ভবন খাদ্যশূন্য
হোলো। কুবের এসে মহাদেবের কাছে ক্ষমা
চাইলে মহাদেব গণেশ কে ফিরিয়ে আনলেন। এই
জন্য কদাপি গর্ব করা উচিৎ নয় । একবার কৈলাসে সমস্ত
দেবতা ও ত্রিদেব ত্রিদেবী উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন না শুধু গণেশ । সেসময় সিন্দুর নামক এক
অসুর এসে সমগ্র কৈলাস কে হাতে তুলে সমুদ্রে
নিক্ষেপ করতে চাইলেন। ভগবান শিব ভাবলেন
কপাল নয়ন অগ্নি দিয়ে সেই অসুরকে ভস্ম
করবেন । কিন্তু ভাবলেন অসুরের হাতে সমগ্র
কৈলাস। এই মুহূর্তে অসুরকে ভস্ম করা উচিৎ না । উপায়
না দেখে গণেশ কে স্মরণ করলেন। গণেশ
এসে তাঁর দন্ত দিয়ে সিন্দুর অসুরকে টুকরো
করে দিলেন । মহাভারত এর লেখক ছিলেন গণেশ
। ব্যাসদেব শ্লোক বলতেন , গণেশ মহারাজ তাঁর
দন্ত ভেঙ্গে কলম বানিয়েছিলেন সেটা নিয়ে
লেখতেন । গণেশ জীর যে হস্তীমুণ্ড সেটা
ঐরাবত হস্তীর মুণ্ড। দুর্বাসা মুনির অভিশাপে
ঐরাবতের ওরকম হয়েছিলো। তবে মুণ্ড কাটার পর
ঐরাবত মরে নি। দুর্বাসার আশীর্বাদে ঐরাবতের
একটি মুণ্ড গজিয়েছিলো । গণেশ জী মঙ্গল
মূর্তি। নতুন ব্যবসা, নতুন কিছু কেনা বা গৃহ নির্মাণের
আগে বা যেকোনো পূজায় অগ্রে গণেশের
পূজা করা উচিৎ । যাত্রা কালে গণেশ নাম উচ্চারন
করলে যাত্রা নিস্কণ্টক হয় । গণেশ পূজায় চতুর্বিধ
ফল লাভ, গ্রহ দোষ খণ্ডন ও সুখ, সমৃদ্ধি, আয়ু, যশ,
মান, অর্থ, সম্পদ প্রাপ্তি হয় । এজন্য ভারতের
সিনেমা নির্মাতা তথা মুম্বাই তে গণেশ পূজার এত ঢল।
কালক্রমে গোটা দেশে বিস্তৃতি হয়। আগামী কাল
গণেশ চতুর্থী, গণেশের আবির্ভাব তিথি । আসুন
গণেশ জীকে প্রনাম জানিয়ে বলি-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।।
প্রাতঃ স্মরামি গণনাথমণাথবন্ধুং
সিন্দুরপুরপরিশোভিতগণ্ডযুগ্মম্ ।
উদ্দণ্ডবিঘ্নপরিখণ্ডনখণ্ডনচণ্ড-
মাখণ্ডলাদিসুরনায়কবৃন্দ্যবন্দ্যম্ ।। ১
প্রাতর্ণমামি চতুরাননবন্দ্যমান-
মিচ্ছানুকূলমখিলঞ্চ বরং দদানম্ ।
তং তুন্দিলং দ্বিরসনাধিপযজ্ঞসূত্রং
পুত্রং বিলাসচতুরং শিবয়োঃ শিবায় ।। ২
প্রাতর্ভজাম্যভয়দং খলু ভক্তশোক-
দাবানলং গণবিভুং বরাকুঞ্জরাস্যম্ ।
অজ্ঞানকাননবিনাশনহব্যবাহ-
মুৎসাহবর্ধনমহং সুতমীশ্বরস্য ।। ৩
শ্লোকত্রয়মিদং পুণ্যং সদা সাম্রাজ্যদায়কং ।
প্রাতরুত্থায় সততং প্রপঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।। ৪
বঙ্গানুবাদ- যিনি অনাথবন্ধু, যাঁহার গণ্ডদ্বয়
সিন্দুরস্রোতে পরিশোভিত, যিনি প্রবল বিঘ্নের
বিনাশক প্রচণ্ড দণ্ডস্বরূপ , যিনি ইন্দ্র প্রভৃতি
দেবনায়কগণের দ্বারা পূজিত , সেই গণেশকে
আমি প্রাতঃকালে স্মরণ করি । ১ যিনি ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত
এবং ইচ্ছানুযায়ী অখিল বর দান করেন, যিনি স্থূলোদর
, বাসুকিনাগ যাঁগার যজ্ঞোপবীত, যিনি বিলাস নিপুণ, আমি
শিবদুর্গার সেই পুত্রকে মঙ্গলের নিমিত্ত
প্রাতঃকালে প্রনাম করি । ২ যিনি অভয়দাতা, যিনি
ভক্তগণের শোকদহনকারী দাবাগ্নিস্বরূপ , যিনি
অজ্ঞানরূপ বনের বিনাশক অগ্নিস্বরূপ এবং
উৎসাহবর্ধক, সেই মহেশ্বর- পুত্রকে আমি
প্রাতঃকালে ভজনা করি । ৩ এই পুণ্য শ্লোকত্রয়
সর্বদা সাম্রাজ্যদায়ক; পুরুষ ইহা প্রাতঃকালে
গাত্রোত্থান করিয়া সর্বদা ভক্তিসহকারে পাঠ করিবে

শভ রাত্রি
গনেশ মন্ত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ...
* ধ্যান মন্ত্র -
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং গনপতিং বিদ্যুদ্বর্ণং গজাননং ।
শ্বেতাম্বরং সিতাব্জস্থং স্বর্ণমুকুট শোভিতম্ ।।
শ্বেতমূষিক পৃষ্ঠন্যস্তবামচরনং সিদ্ধিদং ।
বামজান্বারোপিতদক্ষিনপদং চতুর্ভুজম্ ।।

অর্থাৎ যিনি বিদ্যুবর্ণ, গজানন, শ্বেতবস্ত্র পরিহিত, শ্বেতপদ্মে অবস্থিত, মাথায় স্বর্ণমুকুট শোভাস্থিত, যাহার বামচরন শ্বেতমূষিকের পৃষ্ঠে রাখা এবং বাম পা হাটুর ওপর অবস্থিত । যিনি সিদ্ধিদাতা ও চতুর্ভুজ , বাম দিকের দুই হাতে শঙ্খ ও চক্র, ডান দুই হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারনকারী সেই সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশকে আরাধনা করি ।

* প্রনাম মন্ত্র -
ওঁ সর্ব্ববিঘ্ন বিনাশয় সর্ব্বকল্যান হেতবে ।
পার্ব্বতী প্রিয় পুত্রায় গনেশায় নমো নমঃ ।।

** ভগবান শ্রীগনেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শুভ ও দ্রুত ফল প্রদানকারী মন্ত্র নিচে দেওয়া হল, সাধ্যমতে শুদ্ধচারে জপ করলে অবশ্যই মনমতো ফল পাওয়া যায় ।

১. বিদ্যায় সফলতার জন্য - ওঁ গং গনপতেয় নমঃ
প্রতিদিন ২৮ বার করে জপ করতে হবে।
২. তন্ত্র- মন্ত্রের বিপরীত ক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের জন্য- ওঁ হস্থিপিশাচিনিখে স্বাহাঃ ।
(এই মন্ত্র চলাফেরার সময় বা বসে জপ করা যেতে পারে। এঁটো মুখে জপ করলে বেশি তাড়াতাড়ি কাজ দেয় ।
৩. আর্থিক উন্নতির জন্য - ওঁ বক্রতুন্ডায় হুং ।
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )
৪. ঋনমুক্তির জন্য - ওঁ গনেশ ঋনং ছিন্দিং বরেন্যং হুং ফট্ নমঃ ।
( প্রতিদিন ধুপ জ্বেলে ১০৮ বার করে জপ )
৫. সর্ব্ব বশীকরনের জন্য- " ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গং গনপতয়ে বর বরদ সর্ব্বজনং মে বশ মানায় স্বাহা "
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :wwগনেw.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180912092819