• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Thursday, October 10th, 2019

Astro Palmist Numerology Center

একাদশী তত্ত্ব

একাদশী তত্ত্ব

সুপ্রভাত
আজ দূর্গা একাদশী, খুব ভালো একটা দিন।এই একদশী কি?দূর্গা একাদশী তে উত্তরবঙ্গের অনেক জাযগায় মা ভন্ডামী দেবী ও বনদূর্গা এর পূজা হয়।

***একাদশী তত্ত্ব****

পদ্মপূরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
একসময় জৈমিনি ঋষি তাঁর গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে গুরুদেব! একাদশী কি?
একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়?
একাদশী ব্রত করলে কি লাভ?
একাদশী ব্রত না করলে কি ক্ষতি? এ সব
বিষয়ে আপনি দয়া করে বলুন।
মহর্ষি ব্যাসদেব তখন বলতে লাগলেন-
সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জড়
সংসারে স্হাবর জঙ্গম সৃষ্টি ...করলেন।
মর্ত্যলোকবাসী মানূষদের শাসনের জন্য
একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেনা। সেই
পাপপুরুষের অঙ্গণ্ডলি বিভিন্ন পাপ
দিয়ে নির্মিত হল। পাপপুরুষের
মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে,
চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ-
ণ্ডরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা-স্ত্রীহত্যা, দুই
বাছ-গোহত্যা পাপ, গ্রীবা-ধন অপহরণ,
গলদেশ-ভ্রুণহত্যা, বক্ষ-পরস্ত্রী-গমন, উদর-
আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি-;শরণাগত বধ,
কোমর-আত্মশ্লাঘা, দুই ঊরু-ণ্ডরুনিন্দা,
শিশ্ন-কন্যা বিক্রি, মলদ্বার-ণ্ডপ্তক
থা প্রকাশ পাপ, দুই পা-পিতৃহত্যা,
শরীরের রোম-সমস্ত উপপাতক।
এভাবে বিভিন্ন সমস্ত পাপ
দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত হল।
পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান
শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুক্ষ
মোচন করবার
কথা চিন্তা করতে লাগলেন। একদিন
গকড়ের পিঠে চড়ে ভগবান চললেন
যমরা জের, মন্দিরে। ভগবানকে যমরাজ
উপযুক্ত স্বর্ণ সিদুহাসনে বসিয়ে পাদ্য
অর্ঘ্য ইত্যাদি দিয়ে যথাবিধি তাঁর
পূজা করলেন।
যমরাজের সঙ্গে কথোপকথনকালে ভগবান
শুনতে পেলেন দক্ষিণ দিক
থেকে অসংখ্য জীবের আর্তক্রন্দন ধ্বনি।
প্রশ্ন করলেন-এ আর্তক্রন্দন কেন?
যমরাজ বললেন, হে প্রভু,
মর্ত্যের ,পাপী মানূষেরা নিজ
কর্মদোষে নরকযন্ত্রনা ভোগ করছে। সেই
যাতনার আর্ত চীৎকার শোনা যাচ্ছে।
যন্ত্রণাকাতর পাপাচারী জীবদের দর্শন
করে করুণাময় ভগবান চিন্তা করলেন--
আমিই সমস্ত প্রজা সৃষ্টি করেছি, আমার
সামনেই ওরা কর্ম দোষে দুষ্ট হয়ে নরক
যান্ত্রণা ভোগ করছে, এখন আমিই এদের
সদগতির ব্যবস্হা করব।
ভগবান শ্রীহরি সেই পাপাচারীদের
সামনে একাদশী তিথি রূপে এক
দেবীমুর্তিতে প্রকাশিত হলেন। সেই
পাপীদেরকে একাদশী ব্রত আচরণ
করালেন। একাদশী ব্রতের
ফলে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ
বৈকূণ্ঠ ধামে গমন করল।
শ্রীব্যাসদেব বললেন, হে জৈমিনি!
শ্রীহরির প্রকাশ এই একাদশী সমস্ত
সুকর্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং সমস্ত ব্রতের
মধ্যে উত্তম ব্রত।
কিছুদিন পরে ভগবানের সৃষ্ট পাপ পুরুষ
এসে শ্রীহরির কাছে করজোড়ে কাতর
প্রার্থণা জানাতে লাগল-হে ভগবান !
আমি আপনার প্রজা।
আমাকে যারা আশ্রয় করে থাকে,
তাদের কর্ম অনূযায়ী তাদের দুঃখ দান
করাই আমার কাজ ছিল। কিন্তু
সম্প্রতি একাদশীর প্রভাবে আমি কিছুই
করতে পারছি না, বরং ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি।
কেননা একাদশী ব্রতের ফলে প্রায় সব
পাপাচারীরা বৈকূণ্ঠের
বাসিন্দা হযে যাচ্ছে। হে ভগবান, এখন
আমার কি হবে? আমি কাকে আশ্রয়
করে থাকব? সবাই
যদি বৈকূণ্ঠে চলে যায়, তবে এই মর্ত্য
জগতের কি হবে? আপনি বা কার
সঙ্গে এই মর্ত্যে ক্রীড়া করবেন?
পাপপুরুষ প্রার্থনা করতে লাগল-
হে ভগবান, যদি আপনার এই সৃষ্ট
বিশ্বে ক্রীড়া করবার
ইচ্ছা থাকে তবে, আমার দুঃখ দূর করুন।
একাদশী ভয় থেকে আমাকে রক্ষা করুন।
হে কৈটভনাশন, আমি একমাত্র একাদশীর
ভয়ে ভীত হয়ে পলায়ন করছি। মানূষ,
পশুপাখী, কীট-পতঙ্গ, জলত-স্হল, বনপ্রান্তর,
পর্বত-সমূদ্র, বৃক্ষ, নদী, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল
সর্বত্রই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছি,
কিন্ত একাদশীর প্রভাবে কোথাও
নির্ভয় স্হান পাচ্ছি না দেখে আজ
আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।
হে ভগবান, এখন দেখছি, আপনার সৃষ্ট অনন্ত
কোটি ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে একাদশীই
প্রাধান্য লাভ করেছে, সেইজন্য
আমি কোথাও আশ্রয় পেভে পারছি না।
আপনি কৃপা করে আমাকে একটি নির্ভয়
স্হান প্রদান করুন।
পাপপুরুষের প্রার্থনা শুনে ভগবান
শ্রীহরি বলতে লাগলেন-হে -পাপপুরুষ!
তুমি দুঃখ করো না। যখন একাদশী এই
ত্রিভুবনকে পবিত্র করতে আবির্ভুত হবে,
তখন তুমি অন্ন ও রবিশস্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ
করবে তা হলে আমার
মুর্তি একাদশী তোমাকে বধ
করতে পারবে না।
একাদশী ব্রতের ফলঃ
১. সকল পুরাণে মুনিদিগের এই নিশ্চিত
মত যে, একাদশীতে উপবাস করলে সকল
পাপ হতে মুক্ত হবে এতে কোন সন্দেহ
নেই। (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)
২. শ্রীযমরাজ ব্রাহ্মনকে বলেছেন,
হে ব্রাহ্মণ! যাদের পুত্র ও পৌত্র
একাদশী ব্রত করে আমি শাসন কর্তা
যম হয়েও বিশেষরূপে তাদের নিকট ভীত
হই। যারা একাদশী ব্রত পরায়ন সেই
মহাত্মারা বল পূর্বক
স্বীয় শত পুরুষ উদ্ধার করেন। (পদ্মপুরাণ)
৩. একাদশীতে যে উপবাস, ইহাই সার,
ইহাই তত্ত¡, ইহাই সত্য, ইহাই ব্রত, ইহাই সম্যক
প্রায়শ্চিত্ত
স্বরূপ। (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)
৪. যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ
করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই
এবং গুরু
হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকে উন্নীত
হয় তবুও তার অধঃপতন হয়। একাদশীর দিন
বিষ্ণুর জন্য সব কিছু রন্ধন করা হয়
এমনকি অন্ন এবং ডাল ও কিন্তু শাস্ত্রের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৈষ্ণবদের
বিষ্ণুর প্রসাদ গ্রহণ করা উচিৎ নয়।সেই
প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য
রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর
দিন কোন রকম শস্যদানা এমনকি অন্ন
তা যদি বিষ্ণুর প্রসাদও হয় তবুও তা গ্রহণ
করতে কঠোর ভাবে নিষেধ
করা হয়েছে। বিধবা না হলে শাস্ত্র
অনুসারে একাদশী ব্রত পালন করার
প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন
করেছিলেন। (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত
আদিলীলা ১৫/৮-১০) অনেকের
ধারনা শ্রীপুরীধামে শ্রীজগন্নাথদেবে

প্রসাদ ভক্ষন দোষাবহ নহে। এই ধারনার
বশবর্তী হইয়া পুরীতে অনেকেই
নিঃসঙ্কোচে অন্ন গ্রহণ করেন,
ইহা সম্পূর্ণ শাস্ত্র বিরুদ্ধ বিচার।
বিধাবা নারী এবং মতিগণ (তেজস্বী)
যদি একাদশী ব্রত
না করে তাহলে প্রণয়কাল পর্যন্ত তাদের
অন্ধকারময় নরকে পঁচে মরতে হয়। (শারদীয়
পুরাণ)
হে রাজন! যতদিন আয়ু থাকবে ততদিন
একাদশী উপবাস থাকবে। (অগ্নিপুরাণ)
বিধবা রমণী একাদশীতে আহার করলে,
তার সর্বপ্রকার সুকৃতি নষ্ট হয়
এবং দিনদিন তার ভ্রণহত্যা
পাপের অপরাধ হয়। (কাত্যায়ন সংহিতা)

একাদশী পালনের নিয়মাবলী
-----------------------------------
একাদশীর মূল কাজ হল– নিরন্তর ভগবানকে স্মরণ করা । তাই আপনারা যে নিয়মে, যে সময়ে পালন করুন না কেন, ভগবানকে ভক্তিভরে স্মরণ করাই যেন আপনারই মূল কাজ হয় ।আমরা একাদশী পালনের সাত্ত্বিক নিয়মটি উল্লেখ করছি । এটি পালন করা সবার উচিত ।

□ ১। সমর্থ পক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার করিবেন ।

□ ২। তা হতে অসমর্থ পক্ষে শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার।

□ ৩। যদি উহাতেও অসমর্থ হন, একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করতঃ ফল মূলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধান রহিয়াছে।

□ সমর্থ পক্ষে রাত জাগরণের বিধি আছে , গোড়ীয় ধারায় বা মহান আচার্য্যবৃন্দের অনুমোদিত পঞ্জিকায় যে সমস্ত একাদশী নির্জলা ( জল ব্যতীত ) পালনের নির্দেশ প্রদান করেছেন । সেগুলি সেমতে করলে সর্বোওম হয় । নিরন্তর কৃষ্ণভাবনায় থেকে নিরাহার থাকতে অপারগ হলে নির্জলাসহ অন্যান্য একাদশীতে কিছু — সবজি , ফলমূলাদি গ্রহণ করতে পারেন । যেমন — গোল আলু , মিষ্টি আলু , চাল কুমড়ো , পেঁপে , টমেটো, , ফুলকপি ইত্যাদি সবজি ঘি অথবা বাদাম তৈল দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার করতে পারেন । হলুদ, মরিচ, ও লবণ ব্যবহার্য । আবার অন্যান্য আহায্য যেমন — দুধ ,কলা , আপেল , আঙ্গুর, আনারস, আখঁ, আমড়া শস্য, তরমুজ, বেল, নারিকেল, মিষ্টি আলু , বাদাম ও লেবুর শরবত ইত্যাদি ফলমূলাদি খেতে পারেন ।

□ একাদশীতে পাচঁ প্রকার রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছেঃ—-

□ ১। ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – চাউল,মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েশ, খিচুড়ি, চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি

□ ২। গম জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – আটা,ময়দা, সুজি , বেকারীর রূটি , বা সকল প্রকার বিস্কুট ,হরলিকস্ জাতীয় ইত্যাদি ।

□ ৩। যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — ছাতু , খই , রূটি ইত্যাদি ।

□ ৪। ডাল জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — মুগ মাসকলাই , খেসারী , মসুরী, ছোলা অড়রহ , ফেলন, মটরশুটি, বরবঢী ও সিম ইত্যাদি ।

□ ৫। সরিষার তৈল , সয়াবিন তৈল, তিল তৈল ইত্যাদি । উপরোক্ত পঞ্চ রবিশস্য যেকোন একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হয় ।

□ উল্লেখ্য যারা সাত্ত্বিক আহারী নন এবং চা , বিড়ি / সিগারেট পান কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয় গ্রহণ করেন, একাদশী ব্রত পালনের সময়কাল পর্যন্ত এগুলি গ্রহণ না করাই ভালো ।

□ একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদ্ গতি হবে তা নয় । একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা / মাতা নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন , তবে সেই পুত্র ই (একাদশী ব্রত ) পিতা – মাতাকে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারে । একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নরকবাসী হবে , অন্যকে ভোজন করালেও নরকবাসী হবে । কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য ।

□ একাদশী পারণঃ (একাদশী তিথির পরদিন উপবাস ব্রত ভাঙ্গার পর নিয়ম ) পঞ্জিকাতে একাদশী পারণের ( উপবাসের পরদিন সকালে ) যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে , সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে নিবেদন করে, প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত দরকার । নতুবা একাদশীর কোন ফল লাভ হবে না । একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয় , নিরন্তর শ্রীভগবানের নাম স্মরণ , মনন , ও শ্রবণ কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয় । এদিন যতটুকু সম্ভব উচিত । একাদশী পালনের পরনিন্দা , পরিচর্চা, মিথ্যা ভাষণ, ক্রোধ দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ ।

□ বিঃ দ্রঃ নিমোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়ঃ — একাদশী ব্রতের আগের দিন রাত ১২ টার আগেই অন্ন ভোজন সম্পন্ন করে নিলে সর্বোওম । ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাঁশ

□ করে দাঁত ও মুখ গহব্বরে লেগে থাকা সব অন্ন পরিষ্কার করে নেওয়া সর্বোওম । সকালে উঠে শুধু মুখ কুলি ও স্নান করতে হয়।

□ একাদশীতে সবজি কাটার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কোথাও কেটে না যায় । একাদশীতে রক্তক্ষরণ বর্জনীয় । দাঁত ব্রাশঁ করার সময় অনেকের রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে । তাই একাদশীর আগের দিন রাতেই দাঁত ভালো ভাবে ব্রাশঁ করে নেওয়াই সর্বোওম ।

□ একাদশীতে চলমান একাদশীর মাহাত্ন্য ভগবদ্ভক্তের শ্রীমুখ হতে শ্রবণ অথবা সম্ভব না হলে নিজেই ভক্তি সহকারে পাঠ করতে হয় ।

□ যারা একাদশীতে একাদশীর প্রসাদ রান্না করেন , তাদের পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিৎ ।কারণ পাঁচ ফোড়ঁনে সরিষার তৈল ও তিল থাকতে পারে যা বর্জনীয় ।

□ একাদশীতে শরীরে প্রসাধনী ব্যবহার নিষিদ্ধ । তৈল ( শরীরে ও মাথায় ) সুগন্ধি সাবান শেম্পু ইত্যাদি বর্জনীয় ।

□ সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম — শেভ করা এবং চুল ও নক কাটা নিষিদ্ধ ।
একাদশীর দিন খাওয়া যাবে:-

আস্ত হলুদ/বাসায় ভাঙ্গান গুঁড়া হলুদ, মরিচ,লবন, ঘী, মাখন, জলপাই তেল, আলু, মিষ্টি আলু, কুমড়া,কাচা কলা, চালকুমড়া, বাদাম তেল/সুর্যমুখি তেল, চিনি, দুধ, মধু, আদা, দারুচিনি, টমেটো, গাজর, ঢ্যাঁড়শ,বাদাম, লেটুস পাতা, বাধাকপি, ফুলকপি, কারি পাতা, ঘরে বানানো ছানা, পনির, দই, ফ্রেস ক্রিম,সব রকমের ফল.।

একাদশী সম্পর্কে শাস্ত্রীয় কিছু বার্তা

(1). শাস্ত্রে যে চৌষট্টি প্রকার ব্রতের কথা বলা আছে তার মধ্যে একাদশী ব্রত সর্বোত্তম। শ্রবণ, স্মরণ, কীর্তন ইত্যাদি নবধা ভক্তির পরই একাদশীর অবস্থান।।
(2). শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর লীলা বিলাসের প্রথম থেকেই একাদশী ব্রত পালনের উপর জোর দিয়েছিলেন।।
(3). মোট ছাব্বিশটি একাদশী আছে। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলে বছরে চব্বিশটি। কিন্তু যে বছর পুরুষোত্তম, অধিমাস বা মলো মাস, সেই মাসে পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়।।
(4). আট বছর থেকে আশি বছর বয়সের যে কেউই এই একাদশী পালন করতে পারে।।
(5). জন্ম মৃত্যুর অশৌচে কখনোই এই একাদশী পরিত্যাগ করতে নেই।
(6). শুধু এই একাদশী পালন করেও মানুষ শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।।
(7). একাদশীর ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয় অস্বমেধ, রাজশূয় ও বাজপেয় যজ্ঞের দ্বারাও সেই ফল লাভ হয় না।
(8). ভুলক্রমে একাদশী ভঙ্গ হয়ে গেলে ক্ষমা ভিক্ষা করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
(9). একাদশীর দিনগুলো হলো চরিত্র সংশোধনের দিন। পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যাচার, ক্রোধ, দুশ্চিন্তা এবং সকল প্রকার কলহ বিবাদ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।।
(10). এইদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মঙ্গল আরতি করতে হয়। মা এবং বোনেরা এই সময় রজচক্রের মধ্যে থাকলেও একাদশী পালন করতে পারবেন।।
(11). একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ।।
(12). অহংকার বশত একাদশী ব্রত ভঙ্গ করলে তাকে নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়।
(13). শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীর দিন নূন্যতম পঁচিশ মালা জপ করতে বলেছেন।।
(14). অনাহারে থেকে হরিনাম করে, হরিকথা বলে ও রাত্রি জাগরণ করে মালা জপ করতে হয়।।
(15). একাদশীতে শ্রাদ্ধ আসলে তা এইদিন না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা উচিৎ।।
(16). এই উপাচার শুধু বৈষ্ণবের জন্য নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলেরই এই ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
(17). পরিশেষে, বলব, একাদশীর উপবাস মানে কি। লুনার সাইকেলের এগারতম দিনে হয় এই উপবাস। উপ মানে হলো নিকটে আর বাস মানে হলো অবস্থান করা। অর্থাৎ, শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের এগারতম দিনে পরমেশ্বর ভগবানের সাথে অবস্থান।। সুতরাং, এই দিন শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, ভগবানের নাম জপ করতে হবে ও সকল পাপাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।।

(একাদশীতে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ কেন ?)

নারদীয় পুরাণ এবং অগ্নি পুরাণে সিদ্ধান্ত ঘােষণা করা হয়েছে যে - ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শূদ্র , নারী , গৃহস্থ , ব্রহ্মচারী , অগ্নিহােত্রী , সন্ন্যাসী সকলেরই উভয় পক্ষীয় ( শুক্ল + কৃষ্ণ ) একাদশী পালন করা কর্তব্য । যারা মনে করেন কেবল বৈষ্ণবরাই একাদশী পালন করবে তাদের ভাবনা ঠিক নাই । একাদশী সকলেরই পালনীয় । শুক্ল এবং কৃষ্ণ উভয় পক্ষীয় একাদশীতে ভােজন নিষিদ্ধ। তাই একাদশীতে সকল বর্ণের মানুষের জন্য শ্রাদ্ধ কার্য নিষিদ্ধ । একাদশীতে অন্ন ভােজন নিষিদ্ধ । আর অন্ন প্রদান ছাড়া শ্রাদ্ধ কার্য সম্পাদন হয় না । আবার একাদশীতে ব্রহ্মহত্যাদি পাপ অন্নকে আশ্রয় করে থাকে ।

নারদীয় পুরানে আছে,
“যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাদি কানি চ,
অন্নমাশ্ৰিত্য তিষ্ঠন্তি সম্প্রপ্তে হরিবাসরে” ॥ না , পু . ২১ / ৮ ॥ “অর্থাৎ একাদশীতে শ্রাদ্ধ কার্য সম্পাদন করলে বা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড প্রদান করলে সেই পিণ্ড ব্রহ্ম হত্যাদি পাপাশ্রয় করায় পিতৃপুরুষেরা পিণ্ড গ্রহন করেন না ।

পদ্ম পুরাণে সে কথাই বলা হয়েছে -
“গহিতান্নং ন চাশ্নন্তি পিতরশ্চ দিবৌকসঃ” ॥
অর্থাৎ পিতৃপুরুষেরা উপবাস দিনে ‘ গহিতান্ন পাপ মিশ্রিত অন্ন গ্রহণ করেন না ।

তাই পদ্মপুরাণ এবং হরিভক্তিবিলাস একই ঘােষণা দিয়েছেন,
“একাদশ্যাং যদা রাম শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ,
তদ্দিনে তু পরিত্যজ্য দ্বাদশ্যাং শ্রাদ্ধমাচরয়েৎ” ॥

“অর্থাৎ একাদশীতে শ্রাদ্ধ উপস্থিত হলে সেই দিন পরিত্যাগ পূর্বক ‘ তদ্দিনে তু পরিত্যজ্য ’ দ্বাদশী দিনে শ্রাদ্ধ করবে।”
তাই মাতা - পিতার মৃত্যুতে একাদশী তিথিতে কখনও শ্রাদ্ধ করবে না । দ্বাদশীতে শ্ৰাদ্ধ করবে । কারণ দেবতা এবং পিতৃপুরুষেরা একাদশী উপবাস দিনে পাপ আশ্রিত অনু গহিতান্ন গ্রহণ করেন না ।

স্কন্ধ পুরাণ একধাপ এগিয়ে বলেছেন,

“একাদশী সদা নিত্যা শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ,
উপবাসং তদা কুৰ্য্যাদ্দাশ্যাং শ্রদ্ধমাচরেৎ” ॥

অর্থাৎ একাদশী নিত্য ব্রত । আর শ্রাদ্ধ নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান মাত্র । অতএব সিদ্ধান্ত এই যে একাদশীতে উপবাস থেকে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা কর্তব্য ।

প্রশ্ন হতে পারে যারা একাদশী পালন করে না , একাদশী উপবাস করে না , তাদের কি নিয়ম পালনীয় - এর উত্তর হচ্ছে সকলকে অবশ্যই একাদশী পালন করতেই হবে । যার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হবে তিনি যদি জীবদ্দশায় একাদশী পালন না করে থাকেন তবু তার শ্রাদ্ধকাৰ্য একাদশীতে করা যাবে না । এবং যারা পিণ্ডদানকারী তারাও যদি একাদশী পালন না করে থাকেন তা হলেও একাদশীতে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ । উপবাস দিনে শ্রাদ্ধ করা নিষিদ্ধ । উপবাস বা একাদশী দিনে কখনও শ্রাদ্ধকার্য সম্পাদন করবে না ।

হরিভক্তি বিলাস ( ১২ / ২৯ ) ঘােষণা করেছেন,

“ যে কুর্বন্তি মহীপাল শ্রদ্ধং কোদশী দিনে ।
এয়স্তে নরকং যান্তি দাতা ভােক্তা পরেতকঃ”॥

“অর্থাৎ একাদশী দিনে শ্রাদ্ধ করলে
১ ) দাতা - পিণ্ড দাতা পুত্ৰাদিগণ ,
২ ) ভােক্তা শ্ৰাদ্ধ ক্রিয়া সম্পাদনকারী পুরােহিত ব্রাহ্মণ এবং
৩ ) পরলােকগত ব্যাক্তি উদ্দেশ্যে পিণ্ড প্রদান করা হচ্ছে - এই তিন শ্রেণীর ব্যক্তিকেই নরকে যেতে হবে ।

তাই একাদশী দিন শুভ বিবাহ, শ্রাদ্বাদি কর্ম থেকে বিরত হয়ে চব্বিশ ঘন্টা শ্রীহরির আরাধনা করুন। বেশী বেশী হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন।
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।

\\ হরেকৃষ্ণ \\

একাদশী মানে শুধু ভাত না খাওয়া
না,একাদশী মানে একাদশ ইন্দ্রিয়কে দমন
করা।৫ ঞ্জানেন্দ্রিয়, ৫ কর্মেন্দ্রিয়, যেমন,
চোখ,কান,হাত,মুখ ইত্যাদি।উপবাসের দিন মুখ
দিয়ে কৃষ্ণ কথা বলতে হবে, চোখ দিয়ে
ভগবানকে দর্শন করতে হবে।শুধু ভাত না খাওয়া
নয় সব কিছু থেকে বিরত বা সংযত থাকতে
হবে। একাদশী ব্রত পালন করলে ব্রষ্মহত্যা,গোহত্যা, ভ্রনহত্যা,পরনিন্দা
, পরস্ত্রীগমন,মিথ্যাভাষণ ইত্যাদি গুরুতর
পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এছাড়াও
বিভিন্ন তীর্থের ফলও পাওয়া যাবে।সুতারাং
আসুন আমরা সকলে এই ব্রত পালন করি।

***মা ভন্ডামী(বনদূর্গা)***
উত্তরবঙ্গে রাজবংশী সম্প্রদায়ের আরাধ্যদেবী মা ভান্ডানি হলেন বনদুর্গা। মা ভান্ডানির পুজা করা হয় দুর্গাপুজার পরে একাদশীর দিন। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির বার্নিশ, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, রানিরহাট, খয়েরকাটা, নাগরাকাটা-সহ অন্যান্য জায়গাতেও মা ভান্ডানির পুজো করা হয়। একাদশীতে যখন পুজো শেষ হওয়া গোটা বাংলায় বিষণ্ণতার সুর, তখন অন্য এক দুর্গা পুজো শুরুর আনন্দ জলপাইগুড়ি জেলার একাংশে।

মা ভান্ডানির পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন গল্প আছে। যেমন বলা হয়, মা দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পরে তিনি মর্ত্যে কেমন পুজো পেলেন, তা জানতে চান শিব।উত্তর মা দুর্গা বলেন, ‘মানুষ ভক্তি ভরে আমার পুজো করেছে।’ কিন্তু কৈলাসে ফিরেও মা দুর্গার মন ব্যথিত হয়ে ছিল। তাই মা দুর্গা আবার মর্ত্যে ফিরে আসেন। মা হিমালয়ের পাদদেশে একদল বালককে বাঘের ভয় দেখান। বালকেরা ভয় পেয়ে মা দুর্গার পুজোর আয়োজন করে। মা দুর্গা ফিরে যান কৈলাসে। লোককথা অনুযায়ী মা ‘ভন্ডামি’ করে পুজো নেন বলে এই পুজোকে ভান্ডানি পুজো বলা হয়। মা ভান্ডানি বাঘের পিঠে বসে আছেন। সঙ্গে আছেন কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, ও সরস্বতী। মা ভান্ডানি বাঘের পিঠে চড়ে অসুর বধ করছেন। মা ভান্ডানির প্রতিমা বিসর্জন করা হয় না।

পুজোর প্রস্তুতিতে আনা হয়েছে পায়রা।

মা ভান্ডানি ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী। একাদশীতে দিনভর মা ভান্ডানির পুজা করা হয়। ভোরবেলা থেকে পুণ্যার্থীরা বাতাসা, দুধ, কলা দিয়ে পুজো দেন। মোমবাতি ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। দেবীর নামে পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে। মা ভান্ডানির পুজোতে প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। পুজো উপলক্ষে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়ায় মা দুর্গার বিসর্জনের পরে মন খারাপ কাটাতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান মা ভান্ডানিকে দর্শন করতে। ভান্ডানী পুজাকে নিয়ে সমাজতত্ববিদেরা বলে থাকেন যে, উত্তরবঙ্গের এই সমস্ত অঞ্চল ৬০ বছর আগেও জঙ্গলে ভরা ছিল। অরণ্যে বন্যজন্তু বিশেষ করে বাঘের ভয় ছিল। যে কারণে বন্যজন্তুর হাত থেকে রেহাই পেতেই জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলের মানুষজন লোকদেবী হিসেবে ভান্ডানী দেবীর পুজো আরম্ভ করেছিলেন।

পুজোর উপকরণ।

এখানে দেবী অরণ্যচারী লোকদেবীরুপেই বছরের পর বছর ভান্ডানী হিসেবে পুজিত হয়ে আসছেন। আবার আর একটি প্রচলতি মত হল, এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের শস্য ভান্ডার সবুজ ফসলে পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যেই ভান্ডানী দেবীর পুজার প্রচলন শুরু করেছিলেন। যে রীতি আজও চলে আসছে।
পরে ভালো লাগলে সবাই শেয়ার করুন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20191010075110