• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, April 12th, 2020

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষের দৃষ্টি তে করোনা ভাইরাস ও লকডাইন

জোতিষের দৃষ্টি তে করোনা ভাইরাস ও লকডাইন

সুপ্রভাত
জোতিষের দৃষ্টিতে কোরোনা ভাইরাস ও লকডাইন।আমার কর্ম জীবনের একটা শেরা প্রতিবেদন।কেউ কপি না করে পরুন ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।

আমি একজন অ্যস্ট্রোলজিষ্ট হিসাবে দীর্ঘ ৩৬ বৎসরের অভিজ্ঞতা থেকে ২০২০ এই বছর টিকে মারক বছর বলেছি ।আর কোরোনা বা মহামারি নিয়ে আজ পর্যন্ত ১০ টি প্রতিবেদন লিখেছি।আশাকরি আপনারা পরছেন।

14/4/2020-15/5/2020 পর্যন্ত সময় অত্যন্ত খারাপ করোনা ভাইরাসের জন্য। বর্তমান গোচরের কারণে, গোচরে মকর রাশিতে শনি ,মঙ্গল , বৃহস্পতি, চন্দ্র একসঙ্গে এই চারটি গ্রহ রয়েছে যা অত্যন্ত অশুভ ফলদায়ী-
১. চন্দ্র + শনি বিষযোগ।
২. শনি + মঙ্গল প্রবল মারক যোগ।
৩. বৃহস্পতি + মঙ্গল প্রবল দুর্ভিক্ষ।
৪. রাহু + কেতু কালসর্প দোষ তৈরি করেছে। ফলে
শিক্ষা , কর্মে ক্ষতি, হানাহানি, চৌযবৃত্তি, আর্থিক মন্দা ইত্যাদি দেখা দেবে।
৫. রাহু মিথুন রাশিতে মহামারিকে অসম্ভব রূপে বাড়িয়েছে।
৬. বৃহস্পতি + শনি গুরুসৌরি নীচঙ্গ রাজযোগ করেছে বলে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর পরিণতি ঘটবে না ।এই কারণে 19/4/2020 থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে যদি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কঠোর ভাবে লকডাইন পালন করি।
৭. 18/5/2020 থেকে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
৮. আমার হিসেবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা 2798-2988 অবধি হতে পারে। যদি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী lockdown সফলভাবে পালন করা যায়।না হলে এই সংখ্যা অনেক বারতে পারেমানে ৫ গুন বদ্ধি পাবে।জোতিষ একটা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়।আমি আজ পর্যন্ত খেলা, রাজনীতি, ও সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে যা বিচার বিশ্লেষণ তুলে ধরেছি তা র্নিভুল প্রমাণ হয়েছে।

শনি এই মহামারি র জন্য সবচাইতে দায়ী তাই আজ ঐ গ্ৰহ নিয়ে তুলে ধরলাম।আজকে এই দূর্দিনে সরকার ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করলাম।

শনি দেবতা, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে শনির মূল ইতিহাস কি এবং কি তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত? কিভাবে শনিদেব দেবত্ব অর্জন করে? সুধী ভক্তবৃন্দ আসুন আজ আমরা শনিদেবের সম্বন্ধে জেনে নিই। আজ আপনাদের সমীপে শনিদেবের পূর্ণ প্রকাশ উপস্থাপন করছি......
দেবনাগরী:- সূর্যপুত্র
অন্তর্ভুক্তি:- গ্রহ দেবতা
দেবগ্রহ:- শনিগ্রহ
আবাসন:- মহাকাল পর্বত
মন্ত্র:- ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায় নমঃ
অস্ত্র:-তীর, ধনুক, ত্রিশূল, গদা
অধিষ্ঠিত দিবস:- শনিবার
সঙ্গী:- নীলাদেবী
বাহন:- শকুন
গ্রহরাজ শনি। নামটা শুনে অনেকেই চোখ কপালে তোলেন, ভয়ে দু'হাত মাথায় ঠেকান। তাই না? ভয় অবশ্য পাবারই কথা। কারণ, দেবতাটি যে ভীষণ উগ্র, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই ভাবলাম, আজ না হয় ওনার ক্রোধ ও মহিমা নিয়েই আলোচনা করা যাক। কেননা একজন ভক্ত আমাকে ম্যাসেজবক্সে বিভিন্ন আলাপচারিতা করে। তিনি আমাকে উক্ত তথ্যাদি উপস্থাপন করতে বলেন এবং আমার ফেসবুক আইডিতে যে শনিদেবের পোষ্ট করা হয়েছে সেই পোষ্টটি পরিপূর্ণ রুপে প্রকাশ করে এই পেইজে পোষ্ট করার অনুরোধ জ্ঞাপন করে। উক্ত ভক্তের অনুরোধের প্রথম পোষ্ট সনাতনী তথ্য সূত্র প্রকাশ করেছিলাম, এখন শনিদেবের পূর্ণ প্রকাশ পোষ্ট উপস্থাপন করছি........
(প্রথমে শনিদেবের জন্ম পরিচয় সৌরপুরাণ মতে) :-
সূর্যদেবের বিবাহ হয় বিশ্বকর্মা কন্যা সংঞ্জার সাথে। সংজ্ঞা সূর্যের অসহ্য তেজ সহ্য করতে না পেরে, সূর্যকে দেখলে চোখ নামিয়ে ফেলতেন। এই জন্য সূর্য ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন যে, সংজ্ঞা তাঁর চক্ষু সংযমন করার জন্য প্রজাদের সংযমনকারী যম-কে প্রসব করবেন। এরপর এই অভিশাপের সূত্রে সংজ্ঞা মৃত্যু দেবতা যমকে প্রসব করেন। এরপর তিনি অত্যন্ত ভীতা হয়ে চপলভাবে সূর্যের দিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন। তাঁর এই চপল চক্ষু দেখে সূর্য বললেন যে, তিনি চঞ্চলস্বভাবা একটি নদী প্রসব করার অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের সূত্রে সংজ্ঞা, যমুনা নামক কন্যার জন্ম দেন। যম ও যমুনা জন্মের পর, স্বামীর রূপ ও ক্রোধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, ইনি নিজের অনুরূপ ছায়া নামক এক নারীকে সৃষ্টি করেন। এরপর সূর্য ও নিজের পুত্র-কন্যার পরিচর্যার ভার ছায়ার উপর অর্পণ করে, পিতৃগৃহে যান। তখন সূর্যদেব ছায়ার সাথে শিপ্রা ও ক্ষাতা নদীর সংযোগস্থলে মিলিত হয়ে শনির জন্ম দেয়। (তথ্যসূত্রঃ- সৌরপুরাণ)
(সৌরপুরাণ মতে):- শনির কু-দৃষ্টির উৎপক্তি বিবরণ :-
সূর্যদেব বিষ্ণুদেব হইতে জ্ঞান অর্জন করেন, সেই থেকে সূর্যদেব বিষ্ণুদেবকে গুরু ও বিষ্ণু ভক্তিতে মগ্ন থাকতেন। পিতার জ্ঞানে জ্ঞানান্নীত হয়ে সূর্যদেবের ন্যায় শনিদেবও বিষ্ণু ভক্তিতে মগ্ন থাকেন। একদিন শনিদেব গভীর ভাবে বিষ্ণুদেবের ধ্যানে ধ্যানস্থ হইলেন। ঠিক সেই সময় শনিদেবের স্ত্রী নীলাদেবী ঋতুস্নান সেড়ে সুন্দরভাবে বেশভূষা করে এসে তাঁর সামনে উপস্থিত হইলেন এবং বললেন স্বামী আমাকে দেখতে কেমন লাগছে। কিন্তু ধ্যানমগ্ন শনি নীলাদেবীর দিকে ফিরেও চাইলেন না। শনির স্ত্রীর নীলাদেবীর দাসীরা বলেন, রাণী প্রভু বোধহয় ধ্যান মগ্ন? শনির স্ত্রী বললেন, চোখ খুলে কিসের ধ্যান করছে স্বামী। এরপর বহু চেষ্টা করে শনিদেবের স্ত্রী তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করতে পারলেন না। এতদ্ব সময়ে শনি পত্নী নীলার ঋতুকাল বিফলে যায়। তখন শনির স্ত্রী নীলাদেবী ক্রোধান্নিত হয়ে উঠে, ক্রোধের বশীভূত হয়ে অতৃপ্তকাম শনিপত্নী তখন শনিকে অভিশাপ দিলেন "ত্বয়া দৃষ্টন্তু যদযৎ তু মূঢ় সর্ব্বং বিনশ্যতি।" "আমি সম্মুখে এলেও তুমি আমায় দেখলে না, তাই এরপর থেকে তুমি যাকেই দেখবে সেই তৎক্ষণাৎ বিনষ্ট হয়ে যাবে।" স্ত্রীর অভিশাপে শনি সেদিন থেকে সদা নতশির হয়ে চলতে লাগলেন, পাছে অকারণে কেউ তাঁর দৃষ্টির বলি হয়। এভাবে শনিদেবের স্ত্রী নীলাদেবীর অবিশাপের ফলে শনির খু-দৃষ্টির উৎপক্তি হয়। (তথ্যসূত্রঃ- সৌরপুরাণ)
(শনিদেবের কার্য সম্পাদনা ও মহাদেব কতৃক শনিদেবের কার্যভার গ্রহন) :-
একদিন শনিদেব নিজের জন্য আহার, বাসস্থান ও আধিপত্য না পেয়ে ত্রিলোক আক্রমণ করে বসলেন এবং রোহিণীর পথ ভেদ করলেন। সারা ব্রহ্মাণ্ড শঙ্কিত হয়ে উঠল। ইন্দ্র প্রতিকার চাইতে ছুটলেন ব্রহ্মার কাছে। ব্রহ্মা সূর্যের কাছে গিয়ে শনিকে সংযত করতে বললেন। কিন্তু ততক্ষণে শনির দৃষ্টিপাতে সূর্যেরই পা-দুটি পুড়ে গিয়েছে। তিনি কিছুই করতে পারলেন না। তিনি ব্রহ্মাকেই উল্টো শনিকে সংযত করার অনুরোধ করলেন। ব্রহ্মা গেলেন বিষ্ণুর কাছে। বিষ্ণুও নিজে কিছু করতে পারবেন না (কারণ স্বয়ং বিষ্ণুদেব নিজে শনিদেবের কু-দৃষ্টির প্রকোপে পড়েছিলেন, সেই বর্ণনা নিম্নে শনির প্রকোপ সমাচারে পাবেন) ভেবে ব্রহ্মাকে নিয়ে চললেন শিবের কাছে। শিব শনিকে ডেকে পাঠালেন। শনি বাধ্য ছেলের মতো মাথাটি নিচু করে এলেন শিবের কাছে। শিব শনিকে অত্যাচার করতে বারণ করলেন। তখন শনি শিবকে তাঁর জন্য খাদ্য, পানীয় ও বাসস্থানের নির্দেশ করতে বললেন। তখন শিবই ঠিক করে দিলেন যে, শনিকে মেষ থেকে মীন রাশিচক্রে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা করে দিলেন। নিয়ম মতো জন্মরাশি, দ্বিতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও দ্বাদশে শনি সর্বদাই ক্রুদ্ধ হবেন। কিন্তু তৃতীয়, ষষ্ঠ বা একাদশ স্থানে এলে তিনি উদার। পঞ্চম বা নবম স্থানে এলে তিনি উদাসীন। তখন এই শনির আরেক নাম হলো শনৈশ্চর। সন্তুষ্ট হলে তিনি লোককে দেবেন রাজ্য, অসন্তুষ্ট হলে নেবেন লোকের প্রাণ। অতঃপর শিব শনিকে পূজার অধিকারীও করলেন এবং এও ঠিক হল, অন্যান্য গ্রহদের তুলনায় তিনি বেশি পূজা ও শ্রেষ্ঠতম স্থান পাবেন। পৃথিবীতে স্থির গতির জন্য তাঁর নাম হবে স্থাবর। আর রাশিতে মন্দ গতির জন্য তাঁর নাম হবে শনৈশ্চর। তাঁর গায়ের রং হবে হাতি বা মহাদেবের গলার রঙের মতো। তাঁর চোখ থাকবে নিচের দিকে। সন্তুষ্ট হলে তিনি লোককে দেবেন রাজ্য, অসন্তুষ্ট হলে লোকের প্রাণ নেবেন। শনির দৃষ্টি যার দিকেই পড়বে, তিনি দেবতাই হোন, বা দৈত্য, মানব, উপদেবতাই হোন, পুড়ে মরতে হবেই হবে। এই কথা বলে শিব শনিকে মহাকাল বনে বাস করতে বললেন। কৈলাসপতি এভাবে শনিদেবের কার্যভার নির্ধারণ করলেন। (তথ্যসূত্রঃ- স্কন্ধপুরাণ)
শনিদেবের প্রকোপ বৃত্তান্ত:-
জ্যোতিষশাস্ত্রে যদিও শনিরাজের আনুকূল্যে প্রাপ্ত বহুবিধ সৌভাগ্যের কথা বলা হয়েছে, যেমন আধ্যাত্মিক সম্পদ। কিন্তু পুরাণসমূহে বারংবার এই দেবতার অনিষ্টকারী রূপটিই ফুটে উঠেছে। সূর্য বংশীয় ধর্মনিষ্ঠ শ্রীবৎস রাজা ও তাঁর রানী চিন্তা এই শনির কোপে পড়েই ১২ বছর অমানুষিক যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন। রাজা হরিশ্চন্দ্রের দুর্ভাগ্যের পেছনেও এনারই হাত। শনির প্রাতিকূল্যে শিবজায়া সতীর আত্মহনন। আবার শ্রীরামচন্দ্রের বনবাস, শ্রীকৃষ্ণের শরাঘাতে মৃত্যু, এসব দুর্ঘটনাও শনির হস্তক্ষেপে ঘটেছিল বলে পৌরানিক শ্রুতিতে শোনা যায়। এছাড়াও শনিদেবের স্পর্ধা এতদূর বর্ধিত হয়েছিল যে তিনি আপন ইষ্ট ভগবান নারায়ণের উপরেও বক্রদৃষ্টি প্রয়োগ করতে পেছপা হননি। এই শনিদেবের কু-দৃষ্টির প্রকোপে থেকে বাঁচার জন্য নারায়ণ পালিয়ে এক গুহায় ঢুকে শালগ্রামের রূপ ধারণ করলে শনি কীট হয়ে দাঁত দিয়ে সেই শিলা ভেদ করে এগোতে লাগলেন। যার ফলে গণ্ডকী নদী হতে প্রাপ্ত প্রত্যেক শালগ্রাম শিলাতে ছিদ্র দেখা যায়। একদা কৈলাসে সংবাদ আসে শনিদেব কৈলাসপতির দর্শনের উদ্দেশ্য কৈলাস আসবেন এবং কৈলাসপতির উপর প্রকোপ দৃষ্টির আলাপচারিতা করবেন। একথা শুনে মহাদেব বললেন কেন? শনি আমার দর্শন প্রাপ্তিতে আগ্রহী কেন? তাহলে কি এবার শনির কু-দৃষ্টিতে আমার পালা? এই কথা বলার পর মহাদেব কৈলাস থেকে প্রস্থান করে মাহেন্দ্রগিরি পর্বতে পলায়ন করে। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর চিন্তা করে যে, এভাবে স্বরুপে যদি বসে থাকি তাহলে তো শনি আমাকে দেখতে পাবে; আমি বরং নিজের স্বরুপ ত্যাগ করেইনি। অতঃপর মহাদেব নিজের স্বরুপ ত্যাগ করে একটি গজরুপ (হাতি) ধারণ করে। মহাদেব প্রায় সন্ধ্যা অব্দি গজরুপে স্থির থাকে। সন্ধ্যার পর মহাদেব নিজের স্বরুপে ফিরে এলেন এবং কৈলাস আসিলেন কিন্তু মহাদেব গজরুপ ত্যাগ করে আসার সময় ঐ স্থানে এক শিলান্যাস প্রকাশিত হয়। তিনি কৈলাসে এসে দেখেন যে, শনিদেব তাঁর দর্শন প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষারত। পরক্ষণে মহাদেব কে দেখে শনি প্রণাম দিলেন এবং মহাদেব প্রণাম গ্রহণ করলেন। তখন শনিদেব বললেন, প্রভু আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? মহাদেব বললেন; তোমার কু-দৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করছিলাম। শনিদেব বললেন, প্রভু কোথায় আপনি আমার কু-দৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করলেন? আপনি যে সারাটা দিন নিজেকে গজরুপে অবতীর্ণ করেছিলেন, সেটাই আমার কু-দৃষ্টির প্রভাব। শনিদেবের মুখের কথা শুনে মহাদেব বললেন, শনি সৃষ্ট এই ব্রহ্মাণ্ডে তোমার কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা অসম্ভব। তখন মহাদেব শনির কর্মক্ষেত্র দেখে শনিকে নিজের ত্রিশূল প্রদান করে। শনিদেব বলেন, প্রভু আপনি আমার প্রকোপ দৃষ্টি ভুগতে গিয়ে ঐস্থানে আপনার এক অভিনব আকৃতির ছাপ ছেড়ে এসেছেন। ঐ শিলান্যাসের কি হবে? অতঃপর মহাদেব শনির কু-দৃষ্টির প্রকোপ অতিবাহিত ঐ স্থানের শিলান্যাসটিকে এক শিবলিং এর রুপ করে এবং মহাদেব বলেন, আজ হতে সৃষ্ট এই ব্রহ্মাণ্ডে মানবজাতি আমাকে এই শিবলিং রুপে পূজা করবে এই শিবলিং শিলান্যাসই হবে আমার আকৃতি।
(পৌরানিক মতে তখন থেকে শিবের আকৃতি হিসেবে শিবলিং প্রকাশিত হয় এবং মহাদেব নিজেকে ঐ শিবলিং রুপে সৃষ্টিতে বিরাজমান রাখে।)
(তথ্যসূত্রঃ- ভাগবত পুরাণ, স্কন্ধপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ)
শনিদেবের অনুগ্রহ কৃত্তিঃ-
স্কন্ধ পুরাণের নাগর ও প্রভাস খণ্ড মতে, অযোধ্যার জ্যোতিষীগণ দশরথকে সাবধান করে বলেছিলেন, শনিগ্রহ শীঘ্রই রোহিণী ভেদ করবেন। আর তার ফলে বারো বছর ধরে রাজ্যে ভীষণ অনাবৃষ্টি হবে। এই কথা শুনে ইন্দ্রের দেওয়া দিব্য রথে চড়ে দশরথ তৎক্ষণাৎ শনির পিছন ছুটলেন। সূর্য ও চন্দ্রের পথ অতিক্রম করে একেবারে নক্ষত্রমণ্ডলে গিয়ে শনির সামনে উপস্থিত হয়ে রাজা বললেন, “তুমি রোহিণীর পথ পরিত্যাগ কর। না করলে, আমি তোমাকে বধ করব।” শনি দশরথের এই রকম সাহস দেখে অবাক হয়ে গেলেন। তিনি রাজার পরিচয় জানতে চাইলে দশরথ আত্মপরিচয় দিলেন। শুনে শনি বললেন, “আমি তোমার সাহস দেখে অত্যন্ত প্রীত হয়েছি। আমি যার দিকে তাকাই, সেই ভস্ম হয়ে যায়। তবু তুমি প্রজাহিতের জন্য নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে আমার কাছে এসেছো, এতে আমি আরও বেশি খুশি হয়েছি। যাও, আমি কথা দিলাম, রোহিণীর পথ আমি আর কোনোদিনও ভেদ করব না।”
(তথ্যসূত্রঃ- স্কন্ধ পুরাণ)
অষ্টোত্তর শনির পরিচয় বৃত্তান্ত:-
১।ॐ শনৈশ্চরায় নমঃ
২।ॐ শান্তায় নমঃ
৩।ॐ সর্বাভীষ্টপ্রদায়িনে নমঃ
৪।ॐ শরণ্যায় নমঃ
৫।ॐ বরেণ্যায় নমঃ
৬।ॐ সর্বেশায় নমঃ
৭।ॐ সৌম্যায় নমঃ
৮।ॐ সুরবন্দ্যায় নমঃ
৯।ॐ সুরলোকবিহারিণে নমঃ
১০।ॐ সুখাসনোপবিষ্টায় নমঃ
১১।ॐ সুন্দরায় নমঃ
১২।ॐ ঘনায় নমঃ
১৩।ॐ ঘনরূপায় নমঃ
১৪।ॐ ঘনাভরণধারিণে নমঃ
১৫।ॐ ঘনসারবিলেপায় নমঃ
১৬।ॐ খদ্যোতায় নমঃ
১৭।ॐ মন্দায় নমঃ
১৮।ॐ মন্দচেষ্টায় নমঃ
১৯।ॐ মহনীযগুণাত্মনে নমঃ
২০।ॐ মর্ত্যপাবনপদায় নমঃ
২১।ॐ মহেশায় নমঃ
২২।ॐ ছাযাপুত্রায় নমঃ
২৩।ॐ শর্বায় নমঃ
২৪।ॐ শততূণীরধারিণে নমঃ
২৫।ॐ চরস্থিরস্বভাবায় নমঃ
২৬।ॐ অচঞ্চলায় নমঃ
২৭।ॐ নীলবর্ণায় নমঃ
২৮।ॐ নিত্যায় নমঃ
২৯।ॐ নীলাঞ্জননিভায় নমঃ
৩০।ॐ নীলাম্বরবিভূশণায় নমঃ
৩১।ॐ নিশ্চলায় নমঃ
৩২।ॐ বেদ্যায় নমঃ
৩৩।ॐ বিধিরূপায় নমঃ
৩৪।ॐ বিরোধাধারভূমযয় নমঃ
৩৫।ॐ ভেদাস্পদস্বভাবায় নমঃ
৩৬।ॐ বজ্রদেহায় নমঃ
৩৭।ॐ বৈরাগ্যদায় নমঃ
৩৮।ॐ বীরায় নমঃ
৩৯।ॐ বীতরোগভযায় নমঃ
৪০।ॐ বিপত্পরম্পরেশায়নমঃ
৪১।ॐ বিশ্ববন্দ্যায় নমঃ
৪২।ॐ গৃধ্নবাহায় নমঃ
৪৩।ॐ গূঢায় নমঃ
৪৪।ॐ কূর্মাঙ্গায় নমঃ
৪৫।ॐ কুরূপিণে নমঃ
৪৬।ॐ কুত্সিতায় নমঃ
৪৭।ॐ গুণাঢ্যায় নমঃ
৪৮।ॐ গোচরায় নমঃ
৪৯।ॐ অবিদ্যামূলনাশায় নমঃ
৫০।ॐ বিদ্যাবিদ্যাস্বরূপিণে নমঃ
৫১।ॐ আযুষ্যকারণায় নমঃ
৫২।ॐ আপদুদ্ধর্ত্রে নমঃ
৫৩।ॐ বিষ্ণুভক্তায় নমঃ
৫৪।ॐ বশিনে নমঃ
৫৫।ॐ বিবিধাগমবেদিনে নমঃ
৫৬।ॐ বিধিস্তুত্যায় নমঃ
৫৭।ॐ বন্দ্যায় নমঃ
৫৮।ॐ বিরূপাক্ষায় নমঃ
৫৯।ॐ বরিষ্ঠায় নমঃ
৬০।ॐ গরিষ্ঠায় নমঃ
৬১।ॐ বজ্রাঙ্কুশধরায় নমঃ
৬২।ॐ বরদাভযহস্তায় নমঃ
৬৩।ॐ বামনায় নমঃ
৬৪।ॐ জ্যেষ্ঠাপত্নীসমেতায় নমঃ
৬৫।ॐ শ্রেষ্ঠায় নমঃ
৬৬।ॐ মিতভাষিণে নমঃ
৬৭।ॐ কষ্টৌঘনাশকর্ত্রে নমঃ
৬৮।ॐ পুষ্টিদায় নমঃ
৬৯।ॐ স্তুত্যায় নমঃ
৭০।ॐ স্তোত্রগম্যায় নমঃ
৭১।ॐ ভক্তিবশ্যায় নমঃ
৭২।ॐ ভানবে নমঃ
৭৩।ॐ ভানুপুত্রায় নমঃ
৭৪।ॐ ভব্যায় নমঃ
৭৫।ॐ পাবনায় নমঃ
৭৬।ॐ ধনুর্মণ্ডলসংস্থায় নমঃ
৭৭।ॐ ধনদায় নমঃ
৭৮।ॐ ধনুষ্মতে নমঃ
৭৯।ॐ তনুপ্রকাশদেহায় নমঃ
৮০।ॐ তামসায় নমঃ
৮১।ॐ অশেষজনবন্দ্যায় নমঃ
৮২।ॐ বিশেশফলদাযিনে নমঃ
৮৩।ॐ বশীকৃতজনেশায় নমঃ
৮৪।ॐ পশূনাং পতযে নমঃ
৮৫।ॐ খেচরায নমঃ
৮৬।ॐ খগেশায নমঃ
৮৭।ॐ ঘননীলাম্বরায় নমঃ
৮৮।ॐ কাঠিন্যমানসায় নমঃ
৮৯।ॐ আর্যগণস্তুত্যায় নমঃ
৯০।ॐ নীলচ্ছত্রায় নমঃ
৯১।ॐ নিত্যায় নমঃ
৯২।ॐ নির্গুণায় নমঃ
৯৩।ॐ গুণাত্মনে নমঃ
৯৪।ॐ নিরামযায় নমঃ
৯৫।ॐ নিন্দ্যায় নমঃ
৯৬।ॐ বন্দনীযায় নমঃ
৯৭।ॐ ধীরায় নমঃ
৯৮।ॐ দিব্যদেহায় নমঃ
৯৯।ॐ দীনার্তিহরণায় নমঃ
১০০।ॐ দৈন্যনাশকরায নমঃ
১০১।ॐ আর্যজনগণ্যায নমঃ
১০২।ॐ ক্রূরায় নমঃ
১০৩।ॐ ক্রূরচেষ্টায় নমঃ
১০৪।ॐ কামক্রোধকরায় নমঃ
১০৫।ॐ কলত্রপুত্রশত্রুত্বকারণায় নমঃ
১০৬।ॐ পরিপোষিতভক্তায় নমঃ
১০৭।ॐ পরভীতিহরায নমঃ
১০৮।ॐ ভক্তসংঘমনোঽভীষ্টফলদায নমঃ
শনিদেবের ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্রঃ-
সৌরাষ্ট্রং কাশ্যপং শূদ্রং সূর্য্যস্যং চতুর্ঙ্গুলাম্।
কৃষ্ণং কৃষ্ণাম্বরং গৃধ্রগতাং সৌরিং চতুর্ভুজাম্।।
উদ্যদ্বাণধরং শূলধনুর্হস্তাং সমাহ্বয়েৎ।
যমাধিদৈবতং দেবং প্রজাপতি প্রত্যাধিদৈবতম্।।
ॐ নীলাঞ্জনং চয়প্রক্ষ্যং রবিসূতং মহাগ্রহম্।
ছায়ায়ং গর্ভসম্ভূতং বন্দেভক্তা শণৈশ্চরম।।
তন্ত্রোক্ত শনি মহারাজের বীজ মন্ত্রঃ-
[ওঁ প্রাং প্রীং প্রৌং শনৈশ্চরায় নমঃ]
শনিদেবের ক্ষমা প্রার্থনাঃ-
নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ ।
পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।।
মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন ।
যৎ পূজিতং ময়াদেব পরিপূর্ণং তদস।।
শনিদেবের গায়ত্রীঃ-
"ওঁ কৃষ্ণাঙ্গায় বিদ্মহে রবিপুত্রায় ধীমহি তন্নঃ সৌরী প্রচোদয়াৎ"
শনিদেবের লীলা কৃত্বীঃ-
কালিকা পুরাণের মতে– সতীর দেহত্যাগের পর,মহাদেব তীব্র রোদন করতে থাকলে, তাঁর চোখ থেকে বিপুল পরিমাণ জলরাশি নির্গত হতে থাকে। এই জলরাশি পৃথিবীতে পতিত হলে- ভূমণ্ডল দগ্ধ হবে। এই কারণে দেবতাদের অনুরোধে শনি এই জল গ্রহণ করেন। কিন্তু শনি এই জল ধারণে অসমর্থ হয়ে- ইনি তা জলধার নামক পর্বতে নিক্ষেপ করেন। উল্লেখ্য এই জল পরে ধর্মরাজের (অর্থাৎ যমরাজের) নরক দ্বারের আগে বৈতরণী নামে প্রবাহিত হয়েছ।[ ৯নং শ্লোক হতে ৩৭নং শ্লোক পর্যন্ত অষ্টাদশোহধ্যায়, কালিকা পুরাণ] এইটা শনিদেবের একমাত্র লীলা।
শনিদেব দৃষ্টি প্রখর, এমনকী ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেব, দেবতা, ঋষি, মহর্ষি পর্যন্ত তাঁর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়নি। একদিন দেবঋষি নারদ শনিদেবকে বললেন, শনিদেব আপনি পূজিত হবেন কিভাবে? শনিদেব বললেন? কেন অন্য দেবতারা যেভাবে হচ্ছে সেইভাবে। তখন দের্বষী বললেন, আপনার মূর্তি স্থাপন অসম্ভব কেননা আপনার খু-দৃষ্টির জন্য আপনাকে প্রতিমূর্তি রুপে মানবজাতি পূজা করতে পারবেনা তাহলে আপনি পূজিত হবেন কিভাবে? তখন শনিদেব নিজের একটা শিলান্যাস সৃষ্টি করলেন এবং বললেন মানবজাতি এই শিলান্যাসকে পূজা করবে তখন আমি আমার ভক্তদের দৃষ্টি ভেদাভেদহীন করে আশীর্বাদ কৃপা ও দোষগুণ বিচার করে কু-দৃষ্টিপাত করতে পারবো। এভাবে শনিদেবের পূজা শুরু হয় এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতি শনিদেবকে এই শিলারুপে পূজা করে আসছে।
শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি ও গুরু পরিচয় বৃত্তান্তঃ-
পৌরাণিক মতে কথিত আছে, শিপ্রা ও ক্ষাতা নদীর সংযোগস্থলে শনির জন্ম। তাই শনিবার ও অমাবস্যা সংযোগে ঐস্থানে স্নান, দান, হরিস্মরণ করলে আয়ুপ্রাপ্তি ও লক্ষ্মীলাভ হয়। তাছাড়াও দিনের শুরুতে শনিদেবের সৌরি, শনৈশ্চর, মন্দ, কৃষ্ণ, পিঙ্গ, অন্তক, যম, স্থাবর, পিপ্পলায়ন, ইত্যাদি নাম স্মরণ করলে শনিভয় দূর হয়। শনির গুরু স্বয়ং দক্ষিণাকালী এবং ইষ্টদেবতা সাক্ষাৎ নারায়ণ। তাই হরিনাম ও মাতৃনাম স্মরণেও শনির কোপ প্রশমিত হয়। পবন নন্দন হনুমান একদা লঙ্কাপতি রাবণের খপ্পর থেকে গ্রহরাজকে মুক্ত করেছিলেন। তারই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হনুমানজীর ভক্তগণকে শনিদেব তাপিত করেন না। মাষকলাই, তেল, নীলা, কৃষ্ণতিল, লৌহ, কৃষ্ণবস্ত্র, ভোজ্যদানেও শনির দশা নিরাকৃত হয়।
ধর্ম স্থাপনায় শনিদেব দ্বারা কৃতকার্য সম্পাদনা ও সত্যের প্রতিষ্ঠা দৃষ্টান্তঃ-
যখন লঙ্কার যুদ্ধে দশাণন রাবণের সকল মহারথী নিহত হচ্ছে তখন রাবণ তাঁর জৈষ্ঠ্যপুত্র মেঘনাদ কে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের অনুমতি প্রদান করে। সত্যিকার অর্থে লঙ্কা যুদ্ধে ভগবান রাম ও রাবন উভয় পক্ষে মেঘনাদ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। আর মেঘনাদ যখন যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন, তখন লক্ষ্মণ বহু চেষ্টা করেও মেঘনাদ কে পরাস্ত করতে অক্ষম হয়। এমনকী মেঘনাদের বাণের প্রভাবে রাম ও লক্ষ্মণ আহত পর্যন্ত হয়। তখন পবনকুমার হনুমান বিভীষণের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে, এই মেঘনাদ কি অমর? তখন বিভীষণ হনুমানকে বললেন, না। হনুমান বললেন, তাহলে ভ্রাতা লক্ষ্মণের কোনও বাণ মেঘনাদ কে পরাস্ত করতে পারছে না কেন? উত্তরে বিভীষণ হনুমানকে বললেন, কারণ মেঘনাদের মৃত্যু বাণ ঐ নবগ্রহ রাবণের কাছে বন্দি, এইজন্যই মেঘনাদ কে কোনও বাণ সর্প্শ করতে পারছে না। পবনকুমার হনুমান বললেন, তাহলে উপায় কি? তখন লঙ্কা নরেশের ভ্রাতা বিভীষণ হনুমানকে বললেন, যদি নবগ্রহকে রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করা যায় তাহলে মেঘনাদ বধ সম্ভব এবং তা আজ যুদ্ধ সমাপ্তির আগে, কারণ আজ অমাবস্যা ব্রহ্মার বরদান অনুসারে মেঘনাদ যেকোনো যুদ্ধে কুলদেবী নিকুম্ভোলার যজ্ঞ করলে ঐ যুদ্ধে আর কেউ মেঘনাদকে পরাস্ত করতে পারবে না। হনুমান বললেন, ধন্যবাদ উপায় খুঁজে দেওয়ার জন্য; অনুগ্রহ করে পথর্নিদেশ অনুকরণে সাহায্য করুন আমায়? বিভীষণ হনুমানকে জ্ঞাত করলেন কিভাবে ঐ কক্ষে যাবে। হনুমান আর দেরি নাকরে লঙ্কা প্রাসাদে প্রবেশ করে এবং বন্দি নবগ্রহকে উদ্ধার করে। বন্দি মুক্ত হয়ে শনিদেব রাবণের উপর ক্রোধান্নীত হয়ে অতি চার গতির দ্বারা মেঘনাদের অষ্টম স্থানে পর্দাপণ করে। তখন কিছুসময় পর যুদ্ধস্থলে মেঘনাদ লক্ষ্মণের বাণে শিরচ্ছেদ হয়ে মাটিতে পতিত হয়। শনিদেবের এই কৃতকর্মের কারণে ত্রেতাযুগের ঐ যুদ্ধে সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধার বধ পরিপূর্ণ হয়।
(কিন্তু বাল্মীকি রামায়ণে শনিদেবের এই কৃতি লীলা সরুপ বর্ণনা করে আবার পৌরানিক মতে শনিদেবের এই কৃতি তাঁর প্রকোপ বৃত্তান্ত হিসেবে বিবেচনা করে।)
বিঃদ্রঃ:- এখানে শনিদেবের জন্ম, কু-দৃষ্টি, প্রকোপ, লীলা, মহিমা, অষ্টোত্তরী নাম, প্রণাম, ধ্যান, বীজ, স্তুতি ও ক্ষমা মন্ত্র প্রকাশিত করা হয়েছে কিন্তু শনিদেবের নিজ পূর্ণ জীবনী প্রকাশ করা হয়নি। কেননা শনির প্রকাশের সাথে তাঁর জীবনী এক নয়।
ॐ সর্বেসাং মঙ্গলং ভবতুঃ সর্বে সন্তু্ নিরাময়াহা।
সর্বে ভদ্রানি নিপশসন্তু্ মা কশ্চিত দুঃখ ভাগভবেৎ।।

বা এই মন্ত্র পাঠ করা যাবে
১ শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০৮বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

২)ওঁ ত্রম্ব্যকং যজামহে
সুগন্ধি পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব
বন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মাহ্মৃতাত্।।১৮ বার
ওঁ তত্পুরুষায় বিদ্মহে
মহাদেবায় ধীমহি

তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াত ওঁ১০ বার

৩)প্রভু শিবের প্রনাম মন্ত্র।

ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।১ বার

৪)ঔঁ দূং দূর্গে দূর্গে রক্ষনী স্বাহা হ্রীং দূর্গায় নমঃ ১৮
বার
৫)ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে ১৮ বার

ঠাকুর ঘরে মঙ্গল ঘট পেতে এই বীজমন্ত্র গুলো করবেন।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20200412073324