• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Wednesday, April 15th, 2020

Astro Palmist Numerology Center

অষ্টমাতৃকা ও ৬৪ যোগিনী

অষ্টমাতৃকা ও ৬৪ যোগিনী

সুপ্রভাত
এইমহামারীর হাত থেকে উদ্ধার হ ওয়ার জন্য আজকের বিশেষ প্রতিবেদন অষ্টমাতৃকা ও ৬৪ যোগিনী
(পূনঃপ্রচার)

আপনারা অষ্ট মাতৃকা এবং ৬৪টি যোগিনী সম্পর্কে হয়ত জানেন, আমার আজকের আলোচনা কারা এই যোগিনী আমাদের হিন্দু তথা ভারতীয় পৌরাণিক শাস্ত্রে এদের সম্পর্কে কি বলা হয এদের মন্দির নিয়ে।

যোগিনী হলো দেবী কালীকার সহচরী,তবে দশ মহাবিদ্যার মতো অষ্ট মাতৃকা হলো প্রধান আদি শক্তি মহামায়ার আংশ আর এই আষ্ট মাতৃকার এক এক জনের আট জন সহচরী বা পরিচারিকা আছে যাদের একযোগে ৬৪টি যোগিনী বলা হয়।

নবম থেকে তেরোশ শতাব্দীতে এই যোগিনীদের সক্রিয়তা বিশেষ ভাবে ছিল বলে মনে করা হয়। সেই অনুসারে বেশ কিছু যোগিনী মন্দির ভারতে আবিষ্কৃত হয়।

উড়িষ্যাতে দুটি,মধ্যপ্রদেশে তিনটি যোগিনী মন্দির রয়েছে। মনে করা হয় এই মন্দির গুলি ছিল আসলে তন্ত্র বিদ্যা অনুশীলন কেন্দ্র।

১. প্রথম মন্দিরটি অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের মিটাবালি অথবা মিটাওলি গ্রামে। যা একান্তেশ্বরা মহাদেব মন্দির নামেও পরিচিত। এই মন্দিরটির অনুকরণে ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট স্যার অ্যাডমিন আমাদের ভারতে সংসদ ভবন অর্থাৎ পার্লামেন্টি তৈরি করেন।

২. দ্বিতীয় মন্দিরটি হলো মধ্যপ্রদেশের খেজুরাহ ৬৪টি যোগিনী মন্দির যা সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির বলে মনে করা হয়।

৩.তৃতীয় মন্দিরটিও মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে অবস্থিত যার অপর নাম শ্রী গৌরী-শংকর মন্দির, মনে করা হয় এই মন্দিরটি ১০০০শতাব্দীর আসে-পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৪. চতুর্থ মন্দিরটি রয়েছে উড়িষ্যার হীরাপুরে,এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এটি সবথেকে ছোট ৬৪ যোগিনী মন্দির।

৫. পঞ্চম মন্দিরটি হলো উড়িষ্যার রানীপুরে অবস্থিত এই মন্দিরের উল্লের পাই ভারতীয় বহু পুরাণে ও পানীনির বিখ্যাত গ্রন্থে। এই মন্দির পুরাণে তৃতীয় শতাব্দীর তে প্রতিষ্ঠিত সোমতীর্থ বলা হয়।

ভারতের কিংবদন্তি পুরান যেমন- ভগবত পূরাণ, ব্রহ্ম পুরাণ, কার্কন্ডেয় পূরাণ এবং কথাসরিৎসাগর গ্রন্থে এই আদি শক্তি সহচরী হিসাবে এদের আমরা পাই।

আমি পূর্বে বলেছি যে অষ্ট মাতৃকাদের সহচরী এই ৬৪টি যোগিনী,তাই আমি প্রথমে এই আষ্ট মাতৃকাদের নাম উল্লেখ করছি তাঁরা হলেন___

১) সুরসুন্দরী ২) মনোহরা ৩) কণকবতী ৪) কামেশ্বরী ৫) রতীসুন্দরী ৬) পদ্মিনী ৭) নটিনী ৮) মধুমতী ।

এই হলো প্রধান আট যোগিনী বা আষ্ট মাতৃকা। মনে করা হয় যারা এই ডাকিনী কিংবা যোগিনী বিদ্যায় সিদ্ধি লাভ করত তারা অতিপ্রাকৃত শক্তির অধীশ্বরীতে পরিণত হতো।এরা নিজেদের শরীর ও মনের দ্বারা প্রকৃতিচে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। যেমন নিজেদের ইচ্ছায় বৃষ্টিপাত ঘটানো, অসুস্থকে সুস্থ করে তোলা,কিংবা ধ্বংসাত্বক ক্ষমতার প্রয়োগে কোনো কিছুকে বিনাশ করা । এই যোগিনীরা বশীকরণ ও এমন নানা জাদুবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তাদের অপর এক বিশেষ ক্ষমতা হলো এরা আকাশে উড়ে বেড়াতে পারত,তাই মনে করা হয় প্রতিটি যোগিনী মন্দিরের ছাদ থাকে না তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য।

বলা হয় এই অষ্ট মাতৃকা ও তাদের ৬৪ জন সহচরী সবাই আসলে পরম আদি দেবী শক্তির অংশ,এই যোগিনীগন আদি শক্তির জগৎ পরিচলনার কাজে সাহায্য করে। বলা হয় এই পৃথিবীর অন্তিমে এরা পুনরায় আদি শক্তির মধ্যে বিলিন হয়ে যাবে।

বেশ কিছু শিলালিপি থেকে জানা যায় ১৬ই শতাব্দীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ডাকিনী বিদ্যা বা শক্তি সাধনা শেখান হতো কিন্তু পরবর্তী কালে ভারতীয় মূল ধর্ম থেকে এর কিছুটা বিচ্যুতি ঘটে।

কেউ কেউ মনে কে এই বিশ্বাস এসেছিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে। যারা মূলত গ্রাম্য দেবী বা প্রকৃতি দেবীর পূজারি ছিল। পরবর্তী কালে সপ্তম শতাব্দীর শেষ ভাগে এই বিশ্বাস গুলি শাক্তবাদে ( দেবী শক্তির অরাধনা) ও তন্ত্রবাদে পরিণত হয়।

তবে বর্তমানেও উড়িষ্যায় বিস্ময়কর ভাবে এই জাদুবিদ্যার অনুশীলন চলে, যা ময়ূরভঞ্জ জেলার সাঁওতালদের মধ্যে বহুল প্রচলিত আজও।যেখানে মহিলারা গভীর রাত্রে স্বামীকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় ফেলে রেখে সারা রাত জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় আর তারা সেই জঙ্গলে নৃত্য এ সঙ্গীতে মেতে ওঠে প্রফুল্লতার দেবতা 'বঙ্গাস'- এর সঙ্গে। এদের পোষ্য হয় বাঘ। এর়া ভোররাত্রে বাড়ি ফিরে আসে। সাঁওতালরা মনে করে এই যোগিনী বিদ্যা কেউ জন্ম থেকে পায় না কঠোর সাধনা দ্বারা অর্জন করতে হয়।এই যোগিনীকা ৬৪ যোগিনীদের আওতা ভুক্ত নয়, এরা তন্ত্র সাধনা দ্বারা যোগ বিদ্যা আয়ত্ত করে।

আমরা এবার হরীপুরায় অবস্থিত যোগিনী মন্দিরের নিরীক্ষে সেই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কাত্যায়নী ও চৌষট্টি যোগিনীর বর্ণনা করব___

মন্দিরের বাইরের বৃত্তাকার দেওয়ারে খোদাই করা ৯ জন কাত্যায়নীর মূক্তি দেখতে পাই, যাদের এক যোগে নব কাত্যায়নী বলা হয়।এই প্রতিটি দেবীর মূর্তির উচ্চতা ২ ফিট ৬ ইঞ্চি থেকে ২ ফিট ১১ ইঞ্চি যা সুষ্ট পরিকল্পনা মাফিক ঘড়ির কাঁটার সজ্জা অনুসারে তৈরী করা হয়। এবং এক বিশেষ ধরনের হলদেটে বালি পাথর ব্যবহৃত হয়েছে এই মূর্তি গঠনে। প্রায় প্রত্যেক কাত্যায়নীই দুই বাজু বিশিষ্টা ও এঁরা সকলেই মানুষের একক ছিন্ন মস্তকের উপর অবস্থান করছেন।

১ম, কাত্যায়নী- এই দেবী উদ্ধৃত ডান হাতে ধরে আছে তার অস্ত্র যা একটি তরোয়াল।সঙ্গে রয়েছে তাঁর দুই পুরুষ পরিচারক যারা রয়েছে ঢাক বাদ্যি নিয়ে।আর দেবী বিভিন্ন অলংকার যথা চুড়ি,গলাবন্ধনী দিয়ে সজ্জিতা।

২য়, কাত্যায়নী- এই দেবী বিভিন্ন অলংকারে সজ্জিতা যেমন- মুকুট, গলাবন্ধনী, আংটি ইত্যাদি। মাথার বাঁদিকে রয়েছে তার সুন্দর খোঁপা। তাঁর ডান পাশে অবস্থিত পুরুষ পরিচারক তার মাথায় ছত্র ধারণ করে আছে, আর তাঁর পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে আছে তার দুই সঙ্গী একটি সারমেয় ও একটি শৃগাল।

৩য়, এই দেবী এক হাতে নিয়েছেন অস্ত্র হিসাবে ছুরি ও অন্য হাতে নিয়েছেন নর খুলি। তাঁর নারী পরিচারিকা মাথায় ছাতা ধরে আছেন, আর দ্বিতীয় কাত্যায়নীর মতো এঁনারও সঙ্গী একটি সারমেয় ও একটি শৃগাল।

৪র্থ, এই দেবীরও মাথার ডান দিকে রয়েছে সজ্জিতা খোঁপা, বাজু পরে রয়েছেন রুদ্রাক্ষের বাজুবন্ধ। তাঁর ও পদতলে অবস্থান করছে একটি সারমেয় ও একটি শৃগাল,সেখানে তাঁর একজন নারী পরিচারিকা তাঁর সারমেয়কে খাদ্য দান করছে ও অন্য পরিচারিকা তাঁর মাথায় ছত্র ধারণ করে আছে।

৫ম, এই দেবী মূর্তি দৃশ্যতঃ দ্বিতীয় কাত্যায়নীর মতোই, এখানেও একজন নারী পরিচারিকা তাঁর মাথায় ছত্র ধারণ করে রয়েছে ও পদতলে একটি সারমেয় ও একটি শৃগাল।

৬ষ্ঠ, এই দেবী মূর্তির সাদৃশ্য লক্ষিত হয় চতুর্থ কাত্যায়নী দেবী মূর্তির সঙ্গে। তাঁর ডান পাশে রয়েছে একটি ছোট গাছ। ও এক নারী পরিচারিকা তাঁর মাথায় অর্ধ চন্দ্রাকৃতির ছত্র ধারণ করে আছে।

সপ্তম ও অষ্টম কাত্যায়নী তৃতীয় কাত্যায়নীরই ন্যায়।

৯ম, এই দেবী রুদ্ররূপী নগ্নীকা এক হাতে তাঁর তরোয়াল ও অন্য হাতে মানব খুলি দিয়ে তৈরি পাত্র ধারণ করে আছেন। এই মূর্তির সঙ্গে ধনুকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই দেবীর সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচারিকা নেই। তবে তাঁর দুই সঙ্গী একটি সারমেয় ও একটি শৃগাল রয়েছে ও অন্যান্য প্রতিটি কাত্যায়নীর মতো তিনিও একক মানবের ছিন্ন মস্তকের উপর অবস্থান করছেন।

এবার আমরা আসি ৬৪টি যোগিনীদের বর্ণনায়___

১.বহুরুপা- এই দেবী চর্তুভুজা । তিনি অবস্থান করছেন এক পুরুষ মরদেহের উপর। তাঁর মাথায় রয়েছে এক বিশাল আকৃতির খোঁপা,তিনি ভিন্ন ভিন্ন অলংকার দ্বারা সজ্জিত যেমন- বাজুবন্ধ,গলাবন্ধ,কর্ন কুন্ডল ইত্যাদি। প্রায় প্রত্যেক যোগিনীই এমন আলংকার দ্বারা সজ্জিত।

২.তারা- এই দেবী দুই বাজু বিশিষ্টা । তিনি অবস্থান করছেন মৃত শরীরের উপর, তিনিও বিভিন্ন অলংকার দ্বারা সজ্জিতা। তাঁর মাথার বাম দিকে রয়েছে একটি সুন্দর খোঁপা।

৩. নর্মদা- এই দেবী ও দুই বাহু বিশিষ্টা, তার অবস্থান একটি হস্তির উপর। তিনি নানা রকম গহনার পাশাপাশি মুণ্ডমালা দিয়ে সজ্জিত, তিনি মানব খুলি দ্বারা নির্মিত পাত্র রক্তে পরিপূর্ণ করে,পান করতে উদ্যত এমন ভাবে অবস্থান করছেন।তাঁর মাথার ডান দিকে রয়েছে তার সুন্দর খোঁপা।

৪.যমুনা- এই দেবী চতুর্ভূজা তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক বৃহদাকার কচ্ছপ এর উপর । তার মাথা জুড়ে কেশ অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি তার ডান হাতে একটি খুলির পাত্র ধরন করে রয়েছেন।

৫. শান্তি/ লক্ষী- এই দেবী বা যোগিনী দুই বাজু বিশিষ্ট। তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর এবং প্রথম যোগিনী বহুরুপার মতনই তিনিও বহু অলংকার দ্বারা সজ্জিত। সঙ্গে তার বাহুবন্ধনী হিসাবে রয়েছে সর্প ও ।

৬.বারুনী/ভারুনী- এই দেবী ও দুই হাত বিশিষ্টা। তাঁর খোঁপা মাথার বাম দিকে অবস্থান করছে।এই মূর্তির মধ্যে অনেকগুলো জলতরঙ্গ খোদাই করা রয়েছে । তাঁর মস্তক অলংকার দ্বারা সজ্জিত।

৭.ক্ষেমঙ্করী- এই দেবী চতুর্ভূজা তিনি কুমিরের উপর অবস্থান করছেন। তাঁর মাথায় রয়েছে সুসজ্জিত খোঁপা । এই দেবীর অলংকার হলো মালা,গলাবন্ধনী, বাজু বন্ধন ইত্যাদি।

৮. আদ্রি- এই দেবী দু'বাজু বিশিষ্টা। তিনি হস্তির উপর অধিষ্ঠিত ও তার মাথা জুড়ে রয়েছে একটি খোঁপা।

৯. বরাহী- ইনি চতুর্ভূজা তার মুখমণ্ডল সেই বন্য শূকর এর আকৃতির। তাঁর অবস্থান একটি মেষের উপর, তিনিও প্রথম যোগিনী বহুরুপার মতনই অলংকার দ্বারা সজ্জিত। তিনি মুকুট ও কিরীটা পরিহিতা ও তার এক হাতে মুণ্ড পাত্র ও অন্য হাতে ধনুক রয়েছে।

১০. রণভীরা- রুদ্র মূর্তি ধারিণী এই যোগিনীর অবস্থান এক ফণা ধারী ভুজঙ্গের উপর।তাঁর মাথার উপরে খোঁপা অলকা দ্বারা সজ্জিত,ও বিভিন্ন অলংকারের সহ মুণ্ডমালা পরিহিতা।এছাড়া তাঁর ডান হস্তে রয়েছে খড়্গ।

১১. বানর-মুখী- এই যোগিনী চতুর্ভূজা ও তাঁর নাম দ্বারাই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে যে তিনি বানর মুখী। তাঁর অবস্থান এক দীর্ঘ প্যাঁচালো কন্ঠ যুক্ত উটের পিঠে।

১২. বৈষ্ণবী- দেবী দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা সুতনুর অধিকারিনী। তার সমগ্র মস্তক জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কোঁচকানো কেশ,তিনিও বিভিন্ন অলংকার দ্বারা সজ্জিত ও তিনি গরুড়ের উপর অবস্থান করছেন।

১৩. কালরাত্রি- দেবী দুই বাহু বিশিষ্টা ও কমনীয় অঙ্গের অধিকারিনী। তাঁর মাথায় রয়েছে অতি সুন্দর একটি খোঁপা, তিনি ভাল্লুকের পিঠের ওপর অবস্থান করছেন।

১৪. বৈদ্যরূপা- এই যোগিনীও দুই বাহু বিশিষ্ট। তিনি একটি ঢাকের উপর অবস্থান করছেন। তাঁর মাথায় রয়েছে সজ্জিত খোঁপা।

১৫. চর্চিকা- তিনিও দুই বাহু বিশিষ্ট এক পুরুষ দেহের উপর তার অবস্থান। পুরুষ টি একপ্রকার অর্ধ শয়নে রয়েছে তার কোমরের কাছে রয়েছে একটি দা- ও ডান হাতে তিনি ধরে রয়েছেন একটি পদ্ম ফুল।তাকে অসুর বলে মনে করা হয়, যিনি এই যোগিনী দ্বারা পরাজয় প্রাপ্ত।

১৬. বৈতালী/বেতালি - এই যোগিনী চতুর্ভূজা । মৎস্য এর উপর তাঁর অবস্থান। তাঁর মাথায় একটি সুসজ্জিত খোঁপা রয়েছে ও তিনি অলংকার এর পাশাপাশি মুণ্ডমালা দ্বারা সজ্জিত।

১৭. ছিন্নমস্তা- তিনিও চতুর্ভূজা একটি মানব এর ছিন্ন মস্তকের উপর তাঁর অবস্থান। তার মাথায় রয়েছে এক বিশাল খোঁপা তাঁর বাম দিকের সর্বনিম্ন হাতে রয়েছে একটি ধনুক।

১৮. বৃষবাহন- এই দেবী দুই হাত বিশিষ্ট তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি গুহার ছাদে,যেখানে গুহার দ্বার দৃশ্যত। তার মুখমণ্ডল টি একটি মহিষের ।তিনি রুদ্র রূপিণী। তার মাথায় জুড়ে রয়েছে অবিন্যস্ত কেশ।

১৯.জ্বালা কামিনী- ইনি দুই বাহু বিশিষ্ট ও তার অবস্থান বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙ এর উপর। তাঁর মাথার ডান দিকে রয়েছে একটি খোপা । তার পোশাক কোমর বন্ধনীর দ্বারা তিনি অতি সুসজ্জিত।

২০.ঘটাভারা/ঘটাবারা- এই যোগিনী দ্বৈত বাহু বিশিষ্ট, মুখাকৃতি হস্তির ন্যায়, আর তাঁর অবস্থান এক সিংহের উপর।

২১. কারাকালী- যোগিনী দুই বাহু বিশিষ্ট ও সতনুর অধিকারিণী। তিনি অবস্থান করছেন এক সারমেয়ের পৃষ্ঠদেশে।তাঁর দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা একটু অন্যরকম,তিনি তাঁর ডান পা'টি শক্ত করে ধরে আছেন দুই হাত দিয়ে যেন পায়ের নূপুর ঠিক করছেন। তাঁর মাথার ডান দিকে একটি সুন্দর খোঁপা লক্ষিত হয়।

২২. সরস্বতী- দেবী চর্তুভুজা তিনি অবস্থান করছেন এক বৃহদাকার নাগের উপর।তিনি অন্যান্য যোগিনীদের তুলনায় কিছুটা অদ্ভুত দর্শনা কারণ তাঁর একটি পুরুষালি গুম্ফ আছে। তাঁর হাস্তে রয়েছে বীনারই মতো এক বাদ্য যন্ত্র। তাঁর মাথায় উপরে রয়েছে একটি সুন্দর খোঁপা।

২৩. বীরূপা- এই যোগিনী দ্বৈত বাহু বিশিষ্ট ও তাঁর মাথায় উপরে রয়েছে একটি বৃহৎ খোঁপা। তাঁর মূর্তির পদতলে দুটি তরঙ্গ রেখা খোদাই করা রয়েছে আর তিনি তার উপরেই অবস্থান করছেন।

২৪. কৌবেরী/কাবেরী- তিনিও দুই বাজু বিশিষ্টা তিনি অবস্থান করছেন পদ্ম ফুল দ্বারা সজ্জিত সাতটি রত্ন ঘড়ার উপর।তাঁর মাথার় রয়েছে সুসজ্জিত খোঁপা তিনি মুকুট-কিরীটা ও রত্ন খচিত মালা পরিহিতা।

২৫. ভাল্লুকা- দু'হস্ত বিশিষ্টা তিনি ভাল্লুক মুখী তাঁর শরীরের সমস্ত অঙ্গ জুড়ে রোম রাশি লক্ষিত হয়।তিনি অবস্থান করছেন পদ্ম লতার উপর,তাঁর ডান হস্তে ডমরু এবং তিনি নানান অলংকারে সজ্জিতা।

২৬. নরসিংহী- চর্তুভুজা এই যোগিনী রুদ্র রূপ ধারিণী এবং সিংহ মুখী।তাঁর মাথায় সিংহের কেশর উদ্ধৃত । তিনি তাঁর নিম্ন হস্তে একটি পাত্র ধারণ করে আছেন। তাঁর মূর্তির পদতলে পাঁচটি ফুল ও লতাপাতা লক্ষিত হয়।

২৭. বির্যা- দুই বাজু বিশিষ্টা তিনি কমনীয় শরীরের অধিকারিণী । তাঁর মাথার ডান দিকে রয়েছে সজ্জিতা খোঁপা। তাঁর মূর্তির পদতলে রয়েছে কুঁড়ি পাতা সহ পদ্ম ফুল আর তার উপরই দেবী অবস্থান করছেন।

২৮. বিকটাননা- দুই বাহু বিশিষ্টা রুদ্র রূপিণী তিনি,মাথার উপরের কুঞ্চিত কেশরাশি অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তাঁর ঠোঁট দুটি চঞ্চু আকৃতির আর তিনি যার উপর অবস্থান করছেন সেটি ভগ্ন অবস্থায় থাকার ফলে জানা যায় না।

২৯. মহালক্ষী- দুই বাজু সহ তিনি সতনু বিশিষ্টা । তিনি অবস্থান করছেন একটি ফুটন্ত পদ্মের উপর। তিনি সর্প মালা পরিহিতা ও বজ্র ধারিণী। এছাড়া তাঁর দুই হাতে রয়েছে সুরক্ষা ঢাল।

৩০. কৌমারী- দু'বাজু ও কমনীয় তনুর অধিকারিণী । তাঁর অবস্থান একটি ময়ূরের উপর। তিনি ডান হস্তে রয়েছে রুদ্রাক্ষের মালা । তাঁর ঢাল সহ বাঁ হাতটি ভাঙা।

৩১. মহামায়া- অষ্টভুজা এই যোগিনী মূর্তি অন্যান্য সমস্ত যোগিনীদের থেকে ভিন্ন তার বৃহত্তর মূর্তির জন্য,তিনি অবস্থান করছেন একটি বৃহৎ পূর্ণ বিকশিত পদ্মের উপর, শক্তিপীঠের দেবীদের মতো তিনিও প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে,কারণ তিনিই এই মন্দিরের মূল অধিষ্ঠাত্রী দেবী।স্থানীয় মানুষজনের কাছে এই মন্দির মহামায়া দেবীর মন্দির নামে পরিচিত। এছাড়া এই মন্দিরের দক্ষিণাভিমুখে একটি পুষ্করিণী রয়েছে যা মহামায়া পুষ্করিণী নামে বিখ্যাত। দেবী মুকুট কিরীটা বাজুবন্ধ ও নানা অলংকারে সজ্জিত।কালীকা পুরানের ৫৮তম অধ্যায়ে দেবী মহামায়া সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারি।

৩২. রতী/উষা- দেবী দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা । রুদ্র ক্ষিপ্তবৎ মূর্তি ধারিণী। মাথার কুঞ্চিত কেশরাশি। তার দুই হস্তে রয়েছে তীর ও ধনুক।তিনি তাঁর স্কন্ধে বহন করছেন তূর্নী। তাঁর পদতলে ধনুর্ধারী মদনদেবের অবস্থান।

৩৩. কর্করী- দুই হস্ত ও কমনীয় গাত্র বিশিষ্টা। এই যোগিনী অবস্থান করছেন বৃহৎকার কাঁকড়ার উপর। মাথার বাঁ'দিকে খোঁপা লক্ষিত হয়। তিনি মালা কর্ণ কুণ্ডল সহ নানা গহনার দ্বারা সজ্জিত।

৩৪. সর্পসায়া- দেবী চার বাহু বিশিষ্টা ও সর্প মুখী এবং নানান অলংকারে সজ্জিতা। তার পদতলের অংশটি ভাঙা থাকায় জানা যায় না তিনি কার উপর অবস্থান করছেন।

৩৫. যক্ষীনী- দুই বাজু বিশিষ্টা তিনি । তার অবস্থান চার পায়া বিশিষ্ট একটি টেবিলের উপর। তিনি কিরীটা ও মুকুট পরিহিতা।

৩৬. অঘোরা- দু'বাজু বিশিষ্টা এই যোগিনী রুদ্র রূপিণী। তিনি অবস্থান করছেন শৃঙ্গ বিশিষ্ট ছাগের উপর। তাঁর মাথায় একটি বিশালাকার উদ্ধত খোঁপা লক্ষিত হয়।

৩৭. রুদ্রকালী- তিনিও দুই বাজু বিশিষ্টা,অবস্থান করছেন একটি কাকের উপর। ডান হস্তে তরোয়াল ধারণ করে আছেন। সন্দুর পোশাক ও অলংকার পরিহিতা ও মাথার উপরে খোঁপা লক্ষিত হয়।

৩৮. বিনায়িকী- দুই বাহু বিশিষ্টা হস্তি মুখী, তিনি অবস্থান করছেন এক গর্ধবের পৃষ্ঠে।মাথা় তিনি নানা অলংকারে সজ্জিত করেছেন।

৩৯. বিন্ধবাসিনী- দুই বাজু বিশিষ্টা । তাঁর অবস্থান একটি মুষকের উপর। মাথার ডান দিকে খোঁপা । তিনি বাম হস্তে ধনুক ও ডান হস্তে সেই ধনুকের টঙ্কা ধারণ করে আছেন।

৪০. কুমারী- চর্তুভুজা ও সুতনুর অধিকারিণ। তিনি বৃশ্চিকের উপর অবস্থান করছেন। তার উপরের দুই হস্ত উদ্ধত এবং তিনি নানান গহনার দ্বা সজ্জিতা।

৪১. মহেশ্বরী- চর্তুভুজা ও তিনি অবস্থান করছেন একটি ষাঁড়ের পিঠে। মাথার ডান দিকে খোঁপা লক্ষিত হয়, অতি সুন্দর কোমর বন্ধন পরিহিতা।

৪২. অম্বিকা- চর্তুভুজা এই দেবীর অবস্থান একটি নকুলের পৃষ্ঠে থাকা দুটি চাকার উপর।তাঁর নিম্নের দুটি হাত তার হাঁটু ছুঁয়ে আছে আর উপরের ডান হস্তে তিনি একটি ডমরু ধারণা করে আছেন।

৪৩. কামিনী- তিনি দুই বাজু বিশিষ্টা । একটি মোরগের উপর তাঁর অবস্থান। তিনি নানা অলংকারে সজ্জিতা ও তার মাথার ডানদিকে খোঁপা।

৪৪. ঘটাবরী- দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা । তাঁর অবস্থান একটি সিংহের পৃষ্ঠে। মাথায় তাঁর কুঞ্চিত কেশরাশি এবং নানা অলংকারে সজ্জিতা।

৪৫. স্তুতি- চর্তুভুজা একটি হলুদ কুটায়(হলুদ বাটা পূর্ণ পাত্রে) তাঁর অবস্থান। তাঁর মূর্তির পাশে একটি ফুলদানী রয়েছে। তাঁর মাথার ডান দিকে রয়েছে একটি খোঁপা যা ফুল দিয়ে সজ্জিত। এছাড়া তিনি নানা অলংহারে সজ্জিতা।

৪৬. কালী- দুই বাজু বিশিষ্টা । এই যোগিনী, এক অর্ধ শায়িত পুরুষের উপর দণ্ডায়মান। তিনি হস্তে ত্রিশূল ধারণ করে আছেন ও মাথার উপরে একটি সুন্দর খোঁপা লক্ষিত হয়।

নিম্নে শায়িত পুরুষটি মাথায় কিরীটা ও মুকুট পরিহিতা ও তাঁর তৃতীয় নেত্র রয়েছে যা দেখে আমরা অনুধাবন করতে পারি তিনি স্বয়ং মহাদেব শিব।

৪৭. উমা- এই যোগিনী চর্তুভুজা ও সতনুর অধিকারিণী। মুকুট ও কিরীটা পরিহিতা। উপরের বাম হস্তে তিনি নাগপাশ অস্ত্র ধারণ করে আছেন আর তাঁর নিম্নের বাম হস্তটি রয়েছে অভয় মুদ্রায়। তাঁর পদতলে বহু পদ্ম ফুল প্রস্ফুটিত হয়ে আছে।

৪৮. নারায়ণী- দুই বাজু বিশিষ্টা। কমনীয় তনুর অধিকারিণী। তিনি বাম হস্তে সুরা পাত্র ধরন করে আছেন ও ডান হস্তে তাঁর তরোয়াল। তাঁর দুই পায়ের মাঝে একটি মাটির তৈরি শঙ্কু ঢাকনা যুক্ত পাত্র রয়েছে। মাথায় টায়রা ও নানা অলংকার পরিহিতা।

৪৯. সমুদ্রা- দেবী দুই বাজু বিশিষ্ট । তিনি অবস্থান করছেন একটি শঙ্খের উপর।মাথায় বাম দিকে খোঁপা আর তিনি অলংকৃত।

৫০. ব্রাহ্মণী- এই যোগিনী চর্তুভুজা ও তিন মস্তক বিশিষ্টা। মাথায় কিরীটা ও মুকুট পরিহিতা,তিনি একটি পৈতা ধারণ করে আছেন। নানান গহনা পরে আছেন তাঁর মূর্তির পাশে সিংহের অবয়ব খোদাই করা এবং তাঁর অবস্থান পুস্তকের উপর।

৫১. জ্বালামুখী- দেবী দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা ও তিনি অবস্থান করছেন একটি আট পায়া বিশিষ্ট চৌকির উপর। তিনি লম্ব কর্নের অধিকারিণী ।

৫২. অগ্নি - দুই বাজু বিশিষ্ট ও তিনি অবস্থান করছেন একটি ভেড়ার উপর। তাঁর ডান হস্তে তরোয়াল নানা অলংকার দ্বারা সজ্জিত ও তাঁর মূর্তির পিছনে একটি অগ্নিশিখা লক্ষিত হয়।

৫৩. অদিতি- দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা এবং তাঁর মাথার উপরে একটি খোঁপা লক্ষিত হয়। তিনি অবস্থান করছেন একটি টিয়াপাখির উপর।

৫৪. চন্দ্রকান্তী- ইনিও দুই হস্ত বিশিষ্টা। তিনি অবস্থান করছেন একটি কাষ্ঠের তৈরি চার পায়া যুক্ত চৌকির উপর।তিনি নানান গহনা পরে আছেন ও মাথার ডান দিকে খোঁপা লক্ষিত হয়।

৫৫. বায়ুবেগা- দুই হাত বিশিষ্টা কমনীয়ত শরীরের অধিকারিণী। মাথার উপরে সজ্জিত খোঁপা লক্ষিত হয়। তাঁর অবস্থান একটি স্ত্রী চামরী গাইয়ের উপর।

৫৬. চামুণ্ডা- তিনি চর্তুভুজা এবং ভয়াল রূপিণী কঙ্কালসার দেহ ধারিণী এবং তাঁর স্তন দুটি অতি অনত। মাথার কেশরাশি অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তাঁর অবস্থান একটি কস্তুরী মৃগের উপর, উর্দ্ধের দুটি হস্তে তিনি একটি সিংহ ধারণ করে আছেন ও নিম্নের একটি হস্তে দা ও অন্য হস্তে ছিন্ন মস্তক ধারণ করে আছেন। তিনি মুণ্ডমালা পরিহিতা।

৫৭. মূর্তি- এই যোগিনী দ্বৈত বাহু বিশিষ্ট ও তার অবস্থান একটি শৃঙ্গ বিশিষ্ট হরিণের উপর। তাঁর মাথায় একটি খোঁপা লক্ষিত হয় এবং তিনি নানান গহনা পরে আছেন।

৫৮. গঙ্গা- দেবী চর্তুভুজা একটি মকরের পৃষ্ঠদেশে তাঁর অবস্থান।উর্দ্ধের ডান হস্তে তিনি বৃন্ত যুক্ত পদ্ম ফুল ধারণ করে আছেন ও নিম্নের বাঁ হস্তে তাঁর নাগপাশ। তিনি নানা অলংকার দ্বারা সজ্জিতা।

৫৯. ধুমাবতী- দ্বৈত বাহু বিশিষ্ট এই দেবীর অবস্থান একটি পার্বত্য রাজহংসের উপর। তাঁর দুই হস্তে রয়েছে শস্য ঝাড়াইয়ের যন্ত্র।

৬১. সর্বমঙ্গলা- এই যোগিনীর কুলুঙ্গিটি শূন্য পড়ে আছে । পূর্বে এখানে মূর্তি থাকলেও বর্তমানে সেটি কোয়াখাইয়ের যমুনা কুণ্ডে স্থানান্তরিত করা হয় । বর্তমানে এই মূর্তিটি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না ।

৬২. অজিতা- তিনি চর্তুভুজা নক্সা যুক্ত সুন্দর পোশাকে তিনি অবস্থান করছেন পার্বত্য হরিণের পৃষ্ঠে। তাঁর মাথায় সুসজ্জিত খোঁপা লক্ষিত হয় ।

৬৩. সূর্যপুত্রী- দেবী চর্তুভুজা সুতনু বিশিষ্টা কমনীয় ভঙ্গিমায় দণ্ডায়মান। তাঁর অবস্থান একটি ঘোড়ার পৃষ্ঠে, তিনি তূর্ণী ধনুক ও তীর ধারণ করে আছেন এবং তিনি মাথার কিরীটা ও দেহে নানান অলংকার দ্বারা সজ্জিত।

৬৪. বায়ুবীনা- এই যোগিনী দ্বৈত বাহু বিশিষ্টা ও নৃত্যরত অবস্থায় অবস্থান করছেন একটি কালো পুরুষ মৃগের উপর।তিনি কর্ণ কুণ্ডল(কাপা/খাপা)সহ নানা রকম অলংকারে সজ্জিতা।তাঁর মূর্তির পাশে দুটি ফুলদানী লক্ষিত হয়।

প্রথম ভৈরব-

এই মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্বে প্রথম ভৈরব বিরাজমান। যাকে 'এক পাদ ভৈরব বা অজাইক ভৈরব' বলা হয়। তিনি মূলত এক পা ও উর্দ্ধ লিঙ্গ বিশিষ্ট। তাঁর অবস্থান একটি প্রস্ফুটিত পদ্ম ফুলের উপর। তিনি মাথায় কিরীটা ও মুণ্ডমালা পরিহিতা, তিনি সর্প বলয়(সর্প করভূষণ) ও সর্প কৌরা (সর্প নূপুর) পরিহিত। তিনি ধারণ করে আছেন খড়্গ, সুরক্ষা ঢাল সহ মাছের পৃষ্ঠবংশ। তাঁর মাথার চারপাশে জ্যোতিবলয় লক্ষিত হয়, তাঁর দুই সঙ্গী তরোয়াল আর সুরক্ষা ঢাল সহ অবস্থান করছেন।

দ্বিতীয় ভৈরব-

তিনি দশভুজা ও পদ্মাসনে প্রস্ফুটিত পদ্ম ফুলের উপর তার অবস্থান। তিনি রুদ্র রূপ ও উদ্ধত লিঙ্গের অধিকারি।মাথায় কিরীটা পরিহিত ও জ্যোতিবলয় লক্ষিত হয়। তিনি রুদ্রাক্ষ মালা,মুণ্ড পাত্র ও ডমরু ধারণ করে আছেন। তাঁর দুই মহিলা সঙ্গিনী রয়েছে একজন তার পদ্মাসনের নিম্ন অর্ধ শায়িত অবস্থায় রয়েছে অন্যজন তার মূর্তির পাশে দণ্ডায়মান তারা শঙ্খ ও মুণ্ড পাত্র ধরন করে আছে।

এই হরীপুরার মন্দিরটি বালি পাথর ও মোরাম দিয়ে গাঁথা। যোগিনী মূর্তি গুলি তারী হয়েছে নরম গ্রানাইট ও ধূসর বর্ণের ক্লোরাইট দিয়ে।প্রতিটির যোগিনী জন্য মন্দিরের অন্তঃপুরে আলাদা আলাদা কুলুঙ্গী রয়েছে। বেশ কিছু বছর আগে মধ্য স্থলে অবস্থিত চন্ডী মন্ডপটি নতুন করে তৈরি হয়। সেখানে আবার আটটি কুলুঙ্গী তৈরি হয় তার মধ্যে চারটি ভৈরবের জন্য আর চারটি যোগিনীর জন্য। শুধু মাত্র ৬১নং যোগিনী সহ মূল মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত মহাদেব মহা ভৈরবের মূর্তি বর্তমানে আর নেই। প্রতিটি যোগিনী মূর্তির উচ্চতা ২'ফুট ও তাদের ক্লোরাইটের ফলক গুলি অতি নিখুঁত ভাবে মিনিয়েচার নক্সা দ্বারা খোদাই করে প্রস্তুত করা হয়েছে,এই ধরনের ভাস্কর্য উড়িষ্যার বিভিন্ন মন্দিরেও লক্ষিত হয়। কিন্তু এই মন্দিরের যোগিনী মূর্তি গুলি গড়ার জন্য অন্য মাত্রা পেয়েছে।।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20200415120713