শুভ সন্ধ্যা
বিষয় সৌরবলয়
আকাশে এক বিরল দৃশ্য। সূর্যের চারপাশে উজ্জ্বল বলয়। ঠিক যেন গোলাকার রামধনূ। আজ সকাল থেকেই আকাশে এই বিরল দৃশ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। পথচলতি মানুষের চোখ আকাশের দিকে। শুধু পথচলতি মানুষই নয়, সারা পশ্চিম বঙ্গেই এই দৃশ্য দেখা গেছে। অফিস, বাড়ি থেকেও বেরিয়ে আসেন মানুষ। বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, বায়ুমণ্ডলে বাতাসের গতি খুব কম থাকলে বরফের কণা একটি নির্দিষ্ট রূপে সজ্জিত হয়। এর ওপর সূর্যের আলো পড়লে প্রতিসরণ ঘটে। তখন সূর্যের আলো সাতটি রঙে ভেঙে যায়। চারপাশে রামধনূর মতো বলয় তৈরি হয়। বরফের ক্রিস্টালের ওপর সূর্যের আলো পড়ে সাতটি রঙে ভেঙে গিয়ে এই বলয় তৈরি হয়। আলোকিত এই বলয়ের নাম সৌরবলয় বা সোলার হালো।
বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে মেঘ কেটে যাওয়ার পরে এরকম ঘটনা ঘটে। পৃথিবী পৃষ্ট থেকে প্রায় ১০ কিমি উপরে থাকা মেঘ উত্তাপ ছেড়ে দিয়ে ষড়ভুজাকৃতি বরফ কণায় পরিণত হয়।সেই বরফ কণাগুলো এমন ভাবে বৃত্তাকারে সজ্জিত হয় যে যখন তার ভিতর দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে তখন আলোয় প্রতিসরণ ঘটে এবং সূর্যের সাদা আলো সাতটি ভিন্ন রঙে ভাগ হয়ে যায় VIBGYOR অর্থাৎ রামধনুর সাতটি রঙে বিভক্ত হয়ে যায়। রং গুলি পর পর হলো- Violet, Indigo, blue, green, yellow, orange, and Red.
এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটির সৃষ্টির পিছনে আরেকটি মেঘের ভূমিকা রয়েছে সেটি হলো সিরাস মেঘ। আবহবিদদের মতে এই সিরাস মেঘ সৃষ্টির পিছনে রয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা।যে সব অঞ্চলে সিরাস মেঘ সৃষ্টি হয় সেখানেই এরকম বলয় সৃষ্টি হতে পারে।এর সুপ্রভাব বা কুপ্রভাব বিষয়ে বিজ্ঞানে কোন ব্যাখা নেই।
বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ও বৈদিক মুনি ঋষি দের পর্যবেক্ষনে এরকম সূর্য বলয় সৃষ্টি হওয়াকে অত্যন্ত ঝড়বৃষ্টি এবং ভারী ও অতি ভারিবৃষ্টির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটি বর্ষা কালে ও দেখা যায় ,।