• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Monday, August 3rd, 2020

Astro Palmist Numerology Center

রাখী পূর্ণিমা ও ঝুলন পূর্ণিমা

রাখী পূর্ণিমা ও ঝুলন পূর্ণিমা

সুপ্রভাত

আজকের প্রতি বেদন ঝূলন পূর্ণিমা, শ্রাবনি পূর্ণিমা বা রাখী পূর্ণিমা।পূর্ণিমা শুরু রবিবার ৯.২৮ মিঃ ছাড়বে সোমবার রাত্রি ৯.২৯ মিঃ।পূর্ণিমা পালন রবিবার।

ঝুলন যাত্রা বা ঝুলনপূর্ণিমা হল শ্রীকৃষ্ণের অনুগামীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। শুক্লা পক্ষের একাদশী থেকে আরম্ভ করে শ্রাবনী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে উৎসবের সমারোহ। এটি দোল পূর্ণিমার পরবর্তী বৈষ্ণবদের বড়ো উৎসব। দোলনা সাজানো, ভক্তিমূলক গান, নাচ, সব মিলিয়ে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার এটি একটি বিশেষ উৎসব। ভারতের এই উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব একটি বিশেষ আকর্ষণ। বৃন্দাবন, মথুরা আর ইসকন মন্দিরে মহা সমারোহে পালিত হয় এই ঝুলন। এই উৎসব সাধারণত শ্রাবণ মাসেই হয়ে থাকে

এবছর ঝুলন যাত্রা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার ৩০ শে জুলাই থেকে রবিবার ৩ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হল ঝুলন ঊৎসব । মুলত বৈষ্ণবদের প্রথাগত অনুষ্ঠান হলেও সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই এর প্রচলন আছে । শ্রাবন মাসের শুক্লা একাদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত পাঁচদিন ধরে এই আনুষ্ঠান পালন করা হয় । সাধারনত রাখী পূর্ণিমার দিন ঝুলনের পরিসমাপ্তি ঘটে | এর সংস্কৃত নাম হিন্দোল । রাধা-কৃষ্ণ বিগ্রহ সুসজ্জিত দোলনায় স্থাপন করে দোল দে‌‌ওয়া এই অনুষ্ঠানের প্রধান অঙ্গ । শাস্ত্রমতে, এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কদম গাছে ঝোলানো দোলনায় পাশাপাশি বসে শ্রীরাধাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন। তাই ঝুলন প্রেমের উৎসব । মনে পড়ে যায় “দেয়ানেয়া” ছবির সেই বিখ্যাত গান উত্তমকুমার ও তরুন কুমার এর অভি নয়ে , শ্যামল মিত্র ও মানবেন্দ্র এর দ্বৈত কণ্ঠে :
“দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে কৃষ্ণ দোলে ঝুলনা
দোলে রাই (দোলে) ঝুলনা
দোলে দোদুল নাই তুলনা।।
রাধারও অধরে জাগে হাসি
কহিছে ডেকে শ্যামেরই বাঁশি
এ লগন রাই ভুলনা।।“

রাধা-কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রা শুধু বৈষ্ণব কবিদেরই নয় বাংলার কাব্য-সাহিত্যকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে । “ঝুলন” কবিতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেনঃ

“... মরণদোলায় ধরি রশিগাছি
বসিব দুজনে বড় কাছাকাছি,
ঝঞ্ঝা আসিয়া অট্ট হাসিয়া মারিবে ঠেলা ;
আমাতে প্রাণেতে খেলিব দুজনে ঝুলনখেলা
নিশীথবেলা ।। ...”

আসলে উৎসবের প্রধান লক্ষ্য আনন্দলাভ, আচার-বিচারের জটিলতার ঊর্ধে । সেদিক থেকে ঝুলন, লোক উৎসবের আঙিনায় সগৌরবে নিজের স্থান করে নিয়েছে । বৃন্দাবন, মথুরা আর ইসকন মন্দিরে মহা সমারোহে পালিত হয় এই ঝুলন। আর আমাদের ছেলেবেলার অনেকটাই জুড়ে আছে ঝুলনের পুতুল সাজানো ।

এই পুতুল সাজানোর মধ্য দিয়েই সৃষ্টিশীলতা, কল্পনা, শিল্প, নৈপুণ্য ইত্যাদির পরিস্ফুটন ঘটত ছেলেবেলায় । পুরনো কাপড়ে কাঁদা মাখিয়ে লাঠীর উপর চাপিয়ে তা দিয়ে পাহাড় বানানো । পাউডার দিয়ে পাহাড়ের মাথায় বরফ । কাঠের স্কেল বা ডাঁশা দিয়ে মাপ করে বালি বা মাটি দিয়ে রাস্তা । শ্যাওলা তুলে এনে মেঝেতে বসিয়ে ঘাসের জমি । বিভিন্ন ধরনের মাটির, প্লাস্টিকের, কাঠের পুতুল । কেউ চাষ করছে, কোথাও রান্না হচ্ছে, কোথাও আবার যুদ্ধ । পথঘাট, পার্ক, জঙ্গল, পুকুর । চারদিকে মাটি বা বালি দিয়ে উঁচু করে কাঁচ দিয়ে পুকুর । কাঁচের তলায় প্লাস্টিকের মাছ, উপরে নৌকা, পারে কেউ বসে মাছ ধরছে । ওদিকে রাস্তায় বিভিন্ন রকমের গাড়ী, ট্রাফিক পুলিশ । অনেক রকমের গাছ প্লাস্টিকের বা কাঠি-পাতা দিয়ে বানানো । লোহার তার দিয়ে উঁচু করে লাগানো হেলিকপ্টার বা এরোপ্লেন । দূরে সুতো দিয়ে ঝোলানো পাখি । জঙ্গলের মাঝে বিভিন্ন রকমের জন্তু । কোথাও আবার মন্দির, সামনে কীর্তন চলছে, পাশে দোলনায় রাধা- কৃষ্ণ । এছাড়া রেলগাড়ি, গুহা, ব্রিজ, মরুভূমি আর যা যা করা সম্ভব ক্ষুদ্র বারান্দার পরিসরে আর ছোট্ট হাতের সামর্থে । রথের মেলা ও অন্যান্য মেলা থেকে খেলনা (বিশেষত মাটির)কিনে আনা হত, ঝুলন এর কথা মাথায় রেখে । এই স্মৃতির নস্টালজিয়া আজও বড় সুখের । মোবাইল গেমস, কার্টুনময় আজকের শৈশব এই কল্পরাজ্য থেকে বহু দূরে ।

কিন্তু তাও চেষ্টা করি আমাদের ছেলে-মেয়েদের যদি কিঞ্চিত তার স্বাদ দেওয়া যায় । ছোটবেলার স্মৃতিকে ঊসকে দেবার জন্যে যথেষ্ট এই প্রয়াত । আর বাচ্ছারাও বেশ অংশগ্রহন করে, সঙ্গে দেদার খেলা ও মজা । এই লেখা ও ছবি ভবিষ্যতের জন্যে যেদিন অন্য অনেককিছুর মত ঝুলনেরও স্থান হবে ইতিহাসের পাতায় । যদিও একটু সামান্য চেষ্টা, একটু উদ্যোগে আমরা একে বাঁচিয়ে রাখতে পারি |

ঝুলন যাত্রার (Jhulan Jatra) তাৎপর্য কিন্তু বেশ গভীর। এই উৎসবের সময় কৃষ্ণ কিন্তু একা দোলনায় দোল খান না, বরং রাধার সঙ্গে দোলনা ভাগ করে নেন। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ-রাধার প্রেমকাহিনির নাকি কোনও ঐতিহাসিক মান্যতা নেই! অন্তত সেরকমটাই বলে থাকেন ঐতিহাসিকেরা। আমরা যাঁরা ভাবি, মহাভারতে কৃষ্ণ-রাধার প্রেমের কাহিনি বর্ণনা করা আছে, তাঁরা ভুল জানি এবং ভাবি। এই প্রেমের গল্প আসলে লোকায়ত, এবং বৈষ্ণব ধর্মে এর উল্লেখ আছে ‌, আসল মহাভারতে এর কোনও উল্লেখ নেই! পরে লোকমুখে বিভিন্ন পাদটীকা যুক্ত হয়েছে মহাভারতের গল্পে। কিন্তু আমরা অত তত্ত্বের কচকচিতে যাব না। বরং ভাবুন, এটি এমন এক প্রেমের গল্প, যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকার কোনওদিন মিলন হয়নি, কিন্তু তা-ও তাঁদের একসঙ্গে দোলনায় বসিয়ে দোলাই আমরা। তাদের প্রেম বন্ধন স্বর্গীয় ও পবিত্র অন্তর আত্মার সেতু। অনেকে আবার বলেন, কৃষ্ণের সব লীলার সঙ্গেই প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের এক আশ্চর্য যোগাযোগ লক্ষ করতে পারা যায়! দোল, মানে, বসন্তোৎসবে তিনি মাতেন রংয়ের খেলায়। তারপর গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে জুড়োতে হয় চন্দনচর্চা দিয়ে স্নানযাত্রা, তারপর আসে বর্ষাকালে সবুজের সমারোহ প্রকৃতির সঙ্গে সেজে উঠে ঝুলনযাত্রা (Jhulan Yatra) ও শেষ হয় রাসলীলা দিয়ে! তা হলে কি প্রকৃতি ও প্রেমকে একসঙ্গে মিলিয়েই প্রাচীন ভারতে শুরু হয়েছিল এই উৎসবগুল

রাখী বন্ধনের আন্তরিক প্রীতি ,শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই আমার সকল বন্ধু, আত্মীয় পরিজন, ও সমগ্র দেশবাসীর সকল ধর্মের মানুষ কে।

রাখীপূর্ণিমা ভারতের একটি উৎসব। এই উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতিবন্ধনের উৎসব।হিন্দু, জৈন ও শিখরা এই উৎসব পালন করে। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এই রাখীটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক।হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

পৌরাণিক পেক্ষাপট:
১)কৃষ্ণ ও দ্রৌপদী

মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখীবন্ধনের প্রচলন হয়।

২)বলী ও লক্ষী
অন্য একটি গল্পে রয়েছে, দৈত্যরাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ছেড়ে বালির রাজ্য রক্ষা করতে চলে এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী বলিকে বলেন, তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। যতদিন না স্বামী ফিরে আসেন, ততদিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন। বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। শ্রাবণ পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি বোনেরা রাখীবন্ধন হিসেবে পালন করে।

৩)রবীন্দ্রনাথের রাখী-বন্ধন

এই রাখি-বন্ধন উত্‍সব নিয়ে বড়সড় ভূমিকা পালন করেছে সকলের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জানুন সেই অজানা কাহিনী। ১৯০৫ সালের ২০ জুলাই বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। আর ঐ বছরেই ১৬ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়। শ্রেণি বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সকল মানুষই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। তিনি বলেন, আইনের সাহায্যে বাংলা ভাগ হতে চলেছে ১৬ ই অক্টোবর, কিন্তু ঈশ্বর বাংলার মানুষকে বিভক্ত করেননি। সেই কথা মাথায় রেখে এবং তা প্রকাশ্যে তুলে ধরতে ঐ দিনটি বাঙালির ঐক্যের দিন হিসেবে উদযাপিত করা হবে। তারই এক নিদর্শন তুলে ধরতে তারা একে অপরের হাতে বেঁধে দেবেন হলুদ সুতো। মুখে বলবেন- ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। আর এই দিনটিকে রাখি বন্ধনের দিন হিসেবে পালন করার ডাক দেন বিশ্বকবি।

সেই মতো রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ঐ দিন এক বিশাল মিছিল গঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলে অংশ নেন সমাজের বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। ঐদিন সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকে। রাস্তায় কোনও যানবাহনও ছিল না। বাংলার স্বাভাবিক জীবন ছিল সেদিন অচল । গঙ্গায় ডুব দেওয়ার পর তারা একে অপরের হাতে রঙিন সুতো বেঁধে দেন। বাংলা তথা বাঙালির ঐক্য, বাঙালির সংস্কৃতি, তাদের আশা আঙ্কাক্ষা তুলে ধরে গান লিখলেন রবীন্দ্রনাথ। সেদিন সারাদিনই কলকাতা তথা সমগ্র বাংলা জুড়ে ঐ গানটি ধ্বনিত হতে থাকে- "বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল - পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।"

২০২০ সালের রাখীঁ বন্ধনের পূর্ণ লগ্ন রবিবার সকাল ৭.৫৪ থেকে ১১.৫৮আবার সন্ধ্যা ৬.৪৪ থেকে ৯.১৫ পর্যন্ত।

কোন মন্ত্রে রাখীঁ পড়াবেন।

কিন্তু শাস্ত্রমতে, ভাইয়ের হাতে রাখি পরানোর সময় ‘ওঁ ত্রায়ুষম জমদগ্রে: কশ্যপস্য ত্রায়ুষম ৷ য়হেবেষু ত্রায়ুষম তন্ত্রো অস্তু ত্রায়ুষম ৷৷’এই মন্ত্রের জপ করা উচিৎ ৩ বার।

বাস্তু ও জোতিষ মতে এগুলো এই পূর্ণিমা তে মানলেই আপনি বড়লোক,সংসারে অশান্তি দূর হবে।

বড়লোক হতে কে না চায়। কিন্তু কীভাবে ধনী হতে হয়, তা অনেকেরই জানা নেই। বাস্তু মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি নিশ্চিত ধনী হতে পারবেন। তবে এগুলো অনেকটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি বিশ্বাস করে এগুলো কিছুদিন মেনে চলেন, তাহলে দেখবেন ফল পাচ্ছেন।
১) আপনার বেডরুমটি যদি ঘরের উত্তর কোণে হয়, তাহলে ঘরের রং নীল করুন। ঘরে লাল কিংবা মেরুন রং এড়িয়ে চলুন।
২) ঘরে টবে করে মানি প্ল্যান্ট রাখুন। ঘরের শোভাও বৃদ্ধি করবে আবার টাকাও আসবে। আমরা সকলেই জানি মানি প্ল্যান্ট ধন-সম্পদকে আকর্ষণ করে।
৩) একটা সুন্দর দরজা বাড়িতে সুখ-শান্তি, আনন্দ, ধন সম্পদ নিয়ে আসে। তাই ধনী হতে চাইলে বাড়ির দরজা যেন আকর্ষণীয় হয়। ইচ্ছে হলে স্বামী-স্ত্রীর নাম দরজায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন। বাস্তু মতে এটি খুবই শুভ।
৪) বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণে রান্নাঘর করুন। রান্নাঘরের রং গোলাপি বা হলুদ করতে পারেন। তবে কালো কিংবা ধূসর একেবারেই চলবে না।
৫) দক্ষিণ কোণে যদি আপনার ঘর হয়, তাহলে ঘরের রং উজ্জ্বল হলুদ করুন। উজ্জ্বল হলুদ পজেটিভ এনার্জি আকর্ষণ করে।
৬) ধন-সম্পদের অধিপতি হলেন কুবের। তাই তাঁকে আকর্ষিত করতে হলে লকার কিংবা আলমারি ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিম কোণে রাখুন।

৭) বাড়ির শোভা বাড়াতে অনেকেই বাড়িতে ছোট ঝর্ণা তৈরি করেন। এটি শুধু বাড়ির শোভাই বাড়ায় না, সঙ্গে সঙ্গে অর্থকেও আকর্ষিত করে। তবে ঝর্ণার ক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন, এটি যেন উত্তর-পূর্ব মুখে হয়। আর জল যেন সবসময় পরিস্কার থাকে এবং বয়ে যায়।
৮) ধন-সম্পদ, অর্থ, প্রতিপত্তি পেতে বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম রাখুন। এবং বসার ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে এটি রাখুন।

বাস্তু অনুযায়ী, আমাদের বাড়িতে এমন অনেক জিনিস থাকে, যা আমাদের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সমস্ত জিনিসের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। জেনে নিন কোন সেই জিনিস, যা আমাদের ধন-সম্পদ প্রাপ্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর জেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি সেই সমস্ত জিনিস বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন।
১) পায়রার বাসা- বলা হয়, যে বাড়িতে পায়রা বাসা করে সেই বাড়ির স্থায়িত্বের অভাব থাকে। সেই বাড়ির বাসিন্দারা ধন-সম্পদের মুখ দেখতে পান না। তাই আপনি যদি ধনী হতে চান, আর আপনার বাড়িতে যদি পায়রার বাসা থেকে থাকে, তাহলে এখনই বাড়ি থেকে পায়রার বাসাটি সরিয়ে দিন।
২) মৌচাক- মৌচাক শুধুমাত্র ভয়ঙ্করই নয়, দুর্ভাগ্য এবং অভাবের লক্ষণ এটি। তাই আপনার বাড়িতে যদি মৌমাছি চাক বেঁধে থাকে, তাহলে তা এখনই অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করুন।
৩) মাকরসার জাল- দুর্ভাগ্যের আরও একটি লক্ষণ হল মাকরসার জাল। ঘর-বাড়িতে মাকরসার জাল থাকা খুবই অশুভ। এখনই সেই জাল পরিস্কার করে ঘর-বাড়ি পরিস্কার করে রাখুন।
৪) ভাঙা কাঁচ- পরিবারের বড়রা হামেশাই একটা কথা বলে থাকেন যে, ভাঙা কাঁচে মুখ দেখা নাকি অমঙ্গল। কথাটা সত্যি। বাড়িতে কখনওই ভাঙা কাঁচ রাখবেন না। এটি দারিদ্রের লক্ষণ।
৫) বাদুড়- যে বাড়িতে মানুষের চলাচল নেই, সেখানে বাদুড় বসবাস করে। এই জীবটি দুর্ভাগ্য, অসুস্থতা, দারিদ্র বাড়িতে বয়ে নিয়ে আসে। আপনি যদি এমন কোনও জায়গায় বসবাস করে থাকেন, যেখানে বাদুড় থাকে, তাহলে সূর্য ডোবার আগেই বাড়ির জানলা দরজা সব ভালো করে বন্ধ করে দিন।
৬) খোলা কল- জলের কল খুলে রাখলে শুধু যে জল অপচয় হয়, তাই নয়, এটি প্রচন্ডরকমের দুর্ভাগ্যের লক্ষণ।
৭) পরিস্কার ছাদ- লক্ষ্য করে দেখবেন, যে সমস্ত বাড়িতে ছাদের ওপর ভাঙা জিনিসপত্র জমা করে রাখা থাকে, সেই বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই আপনি যদি আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ্বল হতে চান, তাহলে এখনই ছাদ পরিস্কার করে রাখুন।
৮) বাসি ফুল- ঈশ্বরের আরাধনার স্থান থেকে বাসি ফুল সরিয়ে রাখুন।

৯) খোলা তার- ইলেকট্রিকের খোলা তার থেকে আমাদের নানারকম বিপদ হতে পারে। এছাড়া এটি দারিদ্রেরও লক্ষণ।
১০) শুকনো পাতা- অনেকেই ঘরের ভিতর গাছ লাগানো পছন্দ করেন। কিন্তু অকারণে গাছের পাতা শুকিয়ে যাওয়া দুর্ভাগ্যের চিহ্ন। তাই দুর্ভাগ্যকে এড়াতে গাছের যত্ন করুন। যেন কখনও গাছের পাতা শুকিয়ে না যায়।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20200803074522