• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, March 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মাঙ্গলিক দোষের প্রতিবিধান

মাঙ্গলিক দোষের প্রতিবিধান


আজকের বিষয় মাঙ্গলিক :
বিয়ের সময় যারা কোষ্ঠী বিচারে বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের কাছে ভৌম দোষ নামেও এটি পরিচিত। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পাত্র বা পাত্রীর মঙ্গলের দোষ থাকলে, তাঁর বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। এমনকি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের ভৌম দোষ থাকলে, অন্যজনের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তবে ভৌম দোষ নিয়ে ভয় যেমন রয়েছে, তেমন তা কাটানোর নিদানও রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। ভৌম দোষের কম বা বেশি হতে পারে। কার জন্মছকে মঙ্গলের উপস্থিতি কী ভাবে রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মঙ্গলের দোষের প্রভাব। জন্মছকের ১২টি ঘরের মধ্যে যে কোনও পাঁচটিতে মঙ্গলের উপস্থিতিই একজনকে মাঙ্গলিক বানাতে পারে। সাধারণত দেখা গিয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষই মাঙ্গলিক।

শুধু মঙ্গল নয়, জন্মছকে শনি এবং রবির অবস্থানের উপরও মাঙ্গলিকের দোষ নির্ভর করে। মঙ্গলের প্রভাবে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, কিন্তু কোনও ভাবে মিলমিশও হচ্ছে না। এই অবস্থায় বিবাহিত জীবনে ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অন্যজন গুরুতর অসুখে ভুগতে পারেন, দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই মাঙ্গলিক হলে এই দোষ কেটে যায় বলে জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা আছে। বিবাহিত জীবন ছাড়াও মঙ্গলের দোষের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে পেশাগত জীবনেও।

মঙ্গলের প্রভাবে কী কী ক্ষতি হতে পারে -

* বিবাহিত জীবনে অশান্তি * মাঝেমধ্যে মাঙ্গলিক ব্যক্তি এমন আচরণ করতে পারেন, যার অর্থ তিনি নিজেই পরে খুঁজে পাবেন না। * প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা * কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সমস্যা * প্রজননে অক্ষমতা * মহিলাদের ঋতু সমস্যা * ভাই-এর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি * দুর্ঘটনা * রক্ত জনিত অসুখ * সম্পত্তির ক্ষতি

তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর নিদানও রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে বিশ্বাস করেন, তাহলে কোনও ভালো জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। এছাড়াও বিয়ের আগে মাঙ্গলিক পাত্র বা পাত্রীর যদি বিষ্ণুমুর্তি, গাছ বা অন্য কিছুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভৌম দোষ কেটে যায়। খোদ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন মাঙ্গলিক হওয়ায় অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগে তাঁকেও একটি গাছের সঙ্গে আগে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

জ্যোতিষ মতে ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক দশা বা মঙ্গলের প্রভাব বিবাহিত জীবন পুরো শেষ করে ফেলতে পারে। বিয়ের পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে যে কোনও একজনের ভৌম দোষ থাকলে বিয়ের আগে তা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একজন মাঙ্গলিক হলে আরেকজনের জীবন হানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সম্পর্কে অবনতি থেকে ডিভোর্স হওয়াও বিচিত্র নয়।

মঙ্গলের প্রভাবের ফলে আর সমস্যা হতে পারে, তা হল-

* আগুপিছু না ভেবে এমন কাজ করা, যার জন্য পরে অনুশোচনা হবে।
* প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা
* নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই সমস্যা
* যৌন অক্ষমতা
* ভাইয়ের সঙ্গে গুরুতর মনোমালিন্য
* দুর্ঘটনা
* রক্তজনিত অসুখ
* সম্পত্তিহানি

কেউ মাঙ্গলিক কিনা, তা কোষ্ঠী বিচার করে জানা যাবে।
কোষ্ঠীর মাঙ্গলিক দশা কাটানোর ৯টি উপায় ।
----------------------------------------------------------
আপনি কি মাঙ্গলিক? তবে জেনে নিন দোষ কাটানোর কিছু উপায়।
মাঙ্গলিক দশা অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের একটি বিশেষ অবস্থান থাকলে জীবনে নানা বাধা ও প্রতিকূলতা আসে। জেনে নিন এই দশা কাটানোর উপায়।
মঙ্গল দশা বা মাঙ্গলিক দশার কথা অল্প-বিস্তর জানেন সবাই। একে কুজ দশা, ভোম দশা বা অঙ্গরাখা দশাও বলা হয়। জন্মকুণ্ডলীর প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের মধ্যে যে কোনও একটিতে যদি মঙ্গল অবস্থান করে তবে সেই জাতক বা জাতিকাকে মাঙ্গলিক বলা হয়। এই দশা থাকলে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল হয়।

এছাড়া বলা হয় স্ত্রী যদি মাঙ্গলিক হন তবে স্বামীর পেশাগত জীবনে অবনতির সম্ভাবনা থাকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বামীর মৃত্যুও হতে পারে। তাছাড়া মঙ্গল দশার জন্য প্রবল অর্থক্ষয় হয় এবং জীবনে উন্নতির পথে বার বার বাধা আসতে থাকে।

এই দশা কাটানোর একাধিক উপায় রয়েছে—

১. যদি দু’জন মাঙ্গলিকের মধ্যে বিবাহ হয়, তবে দু’জনেরই এই দশা কেটে যায়।

২. কুম্ভবিবাহ নামের একটি রীতির মাধ্যমে বিয়ের আগে কাটানো হয় মঙ্গল দশা। এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে হয় একটি কলাগাছ বা পিপুল গাছ অথবা ভগবান বিষ্ণুর একটি স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

৩. নিয়ম করে প্রতি মঙ্গলবার উপবাস রাখলে এবং শুধুমাত্র অড়হর ডাল সেবন করলে আস্তে আস্তে কেটে যায় এই দশা।

৪. প্রতি মঙ্গলবার নবগ্রহ মন্ত্র উচ্চারণ করলে এই দোষ কেটে যায়। আবার প্রতিদিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে বা প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করলেও কেটে যায় মঙ্গল দশা।

৫. নবগ্রহ মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দিলে কেটে যায় মঙ্গল দশা। কিন্তু নবগ্রহ মন্দিরের সংখ্যা একেবারেই হাতে-গোনা। মঙ্গলদেবের জন্য নির্দিষ্ট মন্দির রয়েছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় এবং গুয়াহাটিতে। তাই পরিবর্তে প্রতি মঙ্গলবার শ্রীহনুমান মন্দিরে সিঁদুর ও মিষ্টি সহকারে পুজো দেওয়া ভাল। সঙ্গে জ্বালতে হবে একটি ঘিয়ের প্রদীপ।

৬. মঙ্গলবার দানধ্যান করলেও তুষ্ট হন মঙ্গলদেব। এছাড়া তলোয়ার, ছুরি, মুসুর ডাল, লাল সিল্ক, রক্তপ্রবাল ইত্যাদি লাল বস্তু নিবেদন করলেও সন্তুষ্ট হন তিনি।

৭. যাদের মঙ্গল দশা থাকে তাদের সাধারণত জ্যোতিষমতে রক্তপ্রবাল ধারণ করতে বলা হয়। তবে কোনও জ্যোতিষশাস্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও কিছু ধারণ করা উচিত নয়।
৮) প্রত‍্যহ স্নান করে লাল বস্ত্র পরে মঙ্গল ও তার ইষ্টদেবী
মা বগলামুখীর ১০৮বার করে জপ করলে এই দোষ প্রসমিত হয়।
ক)মঙ্গলের বীজমন্ত্র :ঔঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায় ।
খ)মা বগলামুখীর বীজমন্ত্র: ঔঁ হ্রীং ক্লীং ঔঁ বগলামু্খ‍্যৈ নমঃ ।
সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180311