• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Wednesday, April 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গৃহীর নিত‍্য পূজা বিধী

গৃহীর নিত‍্য পূজা বিধী

শুভ অক্ষয় তৃতীয়া
সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা
নিত‍্য পূজার সাধারন বিধী
কথায় বলে সারা দিন ধরে দেবতার কথা মনে মনে ভাবলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। কথাটা যে বেজায় ভুল, এমন নয় কিন্তু! তবে যেটা চিন্তার বিষয়, তা হল সিংহভাগই এই কাজটি করেন না, উল্টে সকাল সকাল স্নান সেরে অফিস বেরনোর আগে কোনও মতে নম নম করে সারেন পুজো। শুধু তাই নয়, নিত্য পুজো করার সময় যে যে নিয়ম মেনে চলা উচিত, তাও মানেন না। ফলে ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।
আসলে হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে দেবতার আরাধনা করার সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে না চলেন, তাহলে গৃহের খারাপ শক্তির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বলি এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
এই লেখায় আসলে সেই সব নিয়ম সস্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পুজো করার অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত..........

১. ফুলঃ-

নিয়মিত পুজো করার সময় অল্প পরিমাণে হলেও দেবতার সামনে ফুল নিবেদন করবেন! কারণ দেব-দেবীরা ফুল খুব পছন্দ করেন। তাই তো যদি চান আপনার মনের সব ইচ্ছা চটজলদি পূরণ হক, তাহলে যে দেবের যে ফুল পছন্দ, তাঁকে সেই ফুলসহ পুজো করুন, দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ভুলেও শুকিয়ে যাওয়া ফুল নিবেদন করবেন না। কারণ শুকনো ফুল পরিবেশন করলে ঠাকুর ঘরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

২. তুলসি পাতাঃ-

শাস্ত্র মতে পুজো করার সময় তুলসি পাতা নিবেদন করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই পাতাটি ঠাকুর ঘরের পরিবেশকে শুদ্ধ করে। ফলে পজেটিভ শক্তির ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর এমনটা হলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও বাধার পাহাড় সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয় চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তুলসি পাতার ঘ্রাণ শরীরে প্রবেশ করার কারণে নানাবিধ রোগ-ভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. প্রদীপঃ-

প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালাবেন। এমনটা করলে আলোকিত হয়ে উঠবে দেবালয়, সেই সঙ্গে দেখবেন আপনার জীবনের অন্ধকারও কেটে যাবে। আর এমনটা হলে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? ঠাকুরের আসনের দু কোনে একটা করে প্রদীপ জ্বালাবেন। আর খেয়াল রাখবেন প্রতিদিন প্রদীপের পলতে বদলাতে ভুলবেন না যেন! কারণ পোলতের কোনও দিক কালো হয়ে গেলে, সেই প্রাদীপ জ্বালানো উচিত নয়। এক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। তা হল আপনি যদি বিবাহিত হন, তাহলে দুটো করে পোলতে জ্বালানো উচিত। কারণ এমনটা করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে।

৪. ঠাকুরের ছবি পরিষ্কারঃ-

নিত্য পুজো করার সময় যদি ঠাকুরের মূর্তি এবং ছবিকে পরিষ্কার করা যায়, তাহলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে দেবের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর আপনার গৃহস্থে দেবের ক্ষমতা বাড়লে আপনারও যে উন্নতি ঘটে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! প্রসঙ্গত, একটা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে দেবের ছবি পরিষ্কার করার পাশাপাশি ঠাকুর ঘর ভাল করে মুছে নিতেও ভুলবেন না যেন!

৫. মন্ত্রঃ-

পুজো করার সময় ঠাকুরকে প্রসাদ নিবেদনের পর প্রদীপ জ্বালিয়ে যে ভগবানকে মানেন, তার মন্ত্র জপ করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের সব ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।

৬. ধূপঃ-

রোজ পুজো করার পর ঠাকুর ঘরে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে উঠবে। ফলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বাড়বে যে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

৭. গায়েত্রী মন্ত্রঃ-

শাস্ত্র মতে নিত্য পুজো করার সময় যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা যায় বাড়ে। এক কথায় এ জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকতে যা যা কিছুর প্রয়োজন পরে, তা সব কিছুই পাওয়া যায়, যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায় তাহলে।
এখানে কয়েকটি বিশেষ মন্ত্র দিলাম‌

★কিছু মন্ত্র★.....
১. ঘুমাবার আগে বলুন - ওঁ শয়নে শ্রী পদ্মনাভায় নম:।
২. জন্ম সংবাদ শুনলে বলুন -আয়ুষ্মান ভব।
৩. মৃত্যু সংবাদ শুনলে বলুন -দিব্যান লোকান্ স গচ্ছতু।
৪. খাবার আগে বলুন - ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:।
৫. বিপদে বলুন - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:।
৬. হিন্দু ধর্মীয় সকলকাজ শুরুর আগে বলুন - ওঁ তৎ সৎ।
৭. গৃহ প্রবেশ মন্ত্র - ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নম:।
৮. মাতৃ প্রনাম মন্ত্র -
ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা জননী জন্মভূমিশ্চ স্বগাদগি গরিয়সী। গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাএ নমঃ নমঃ।।
৯. পিতৃ প্রনাম মন্ত্র -
পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ। । পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা নমঃ পিতৃ চরনেভ্য নমঃ।।
১০. শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম মন্ত্র -
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে। গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে।।
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ।।
১১. শ্রীরাধারানী প্রণাম মন্ত্র -
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী। বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
১২. দেহ শুচীর মন্ত্র -
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা। যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্। ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
১৩. গুরু প্রণাম মন্ত্র -
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া। চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর। গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
১৪. শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম মন্ত্র -
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্। ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্।।
১৫. সূর্য প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্।।
১৬. গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
১৭. তুলসী প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়াঐ কেশবস্য চঃ। কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমঃ নমঃ।।
১৮. দুর্গা প্রণাম মন্ত্র -
সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সবার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।
১৯. শ্রীবিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র - অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে
ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোহসি মহাদেবেতি বিশ্রুতঃ। বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে।।
২০. বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র -
দেবশিল্পিন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ।।
২১. গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180418134017