# রুদ্রাক্ষের কিছু গুন #
★★★★★★★★★★★★★★★
ভারতীয় ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রুদ্রাক্ষের ব্যবহার হয়ে আসছে এদেশে। ভগবান শীবের পাঁচ অবতারের প্রতীক এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে সঙ্গে লেগে থাকলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। সেই কারণেই নাকি ধর্ম থেকে দৈনন্দিন জীবন, সবক্ষেত্রেই ভারতীয়দের সঙ্গে রুদ্রাক্ষের সম্পর্কে বহু দিনের। কিন্তু প্রশ্ন হল বাস্তবিকই কি রুদ্রাক্ষের সঙ্গে আমাদের মানসিক এবং শারীরিক ভাল-মন্দের সম্পর্ক রয়েছে?
ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায় পাঁচমুখি রুদ্রাক্ষ ধারন করে থাকলে কাম,ক্রোধ, লোভ, মোহ এবং অহঙ্কার থেকে মুক্তি মেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবই জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফিরে আসে। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় এও দেখা গেছে যে রুদ্রাক্ষের মালা একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো সুস্থ এবং সুন্দর জীবন পেতে মুনি-ঋষিরা রুদ্রাক্ষের মালা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সাধারণত যে যে শারীরিক সমস্যা কমাতে রুদ্রাক্ষের মালা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল.........
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ-
---------------------------------------
রুদ্রাক্ষ শরীরের সংস্পর্শে আসা মাএ ধীরে ধীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু কিভাবে এমনটা হয়, সে বিষয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে অনেকের ধারণা রুদ্রাক্ষের শরীরে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. একাধিক রোগকে দূরে রাখেঃ-
-----------------------------------------------
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে এমন উল্লেখ পাওয়া গেছে যে ভ্রমণের সময় সঙ্গে যদি রুদ্রাক্ষের মালা রাখা যায়, তাহলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরের অন্দরের ক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে রোগ ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এবার বুঝতে পেরেছেন তো ঋষিরা কেন রুদ্রাক্ষের মালা পরতেন! আসলে তারা তো কখনও এক জায়গায় থাকতো না। পায়ে পায়ে ঘুরে বেরাতেন এদিক-সেদিক। এমনটা করার সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে রুদ্রাক্ষের বিকল্প সেই সময় কিছু ছিল না।
৩. নেগেটিভ এনার্জি থেকে বাঁচায়ঃ-
---------------------------------------------------
আমাদের আশেপাশে এমন অনেকই আছেন, যারা প্রতিনিয়ত আমাদের খারাপ চেয়ে চলেছেন। এমন মানুষদের খারাপ ভাবনা থেকে শরীর এবং মনকে বাঁচাতে রুদ্রাক্ষের মালা ধারন করা জরুরি। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আমাদের এইসব খারাপ ভাবনার প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে, সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বাড়িয়ে দেয় যে জীবনে চলার পথে কোনও সমস্যাই হয় না।
৪. মনোযোগ বাড়ায়ঃ-
-------------------------------
বেশ কিছু পুঁথি ঘেটে এমনটা জানা গেছ গেছে চার এবং ছয় মুখি রুদ্রাক্ষ তামার তারের সঙ্গে পরলে ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে মনোযোগও। তাই বুদ্ধির ধার বাড়ানোর পাশাপাশি কনসেনট্রেশন পাওয়ার যদি বাড়াতে চান, তাহলে রুদ্রাক্ষকে শরীরে ধারণ করতেই হবে।
৫. ব্যথা কমায়ঃ-
-------------------------
যে কোনও কারণে হওয়া যন্ত্রণা এবং পোকামাকড়ের কামড় সম্পর্কিত কষ্ট কমাতে রুদ্রাক্ষের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে রুদ্রাক্ষকে পিষে তৈরি করা পেস্ট লাগালে দারুন উপাকার পাওয়া যায়।
৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ-
----------------------------------------------
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে আমাদের শরীর তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। সেগুলি হল বায়ু , পিত্ত এবং কফ। এই তিনটি উপাদানের মধ্যেকার ভারসাম্য বিগড়ে গেলেই দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা, এমনটাই ধরণা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, রুদ্রাক্ষ থেকে বানানো পাউডার জলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে এই তিনটি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭. নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমায়ঃ-
--------------------------------------------------------------
রুদ্রাক্ষের মালা পরে থাকলে যে কোনও ধরনের ক্ষত সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চুলকানি, ফুসকুড়ির প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় রুদ্রাক্ষ। প্রসঙ্গত, তামার পাত্রে জল নিয়ে তাতে একটি রুদ্রাক্ষ সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে একাধিক ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ত্বকের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতেও রুদ্রাক্ষ কিন্তু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
Website: www.apnc.co.in