• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অশুভ যোগ

বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অশুভ যোগ

[ জ্যোতিষ শাস্ত্রের কিছু অশুভ যোগঃ-
জ্যোতিষ শাস্ত্র একটি মহান শাস্ত্র। এটি বিজ্ঞান ভিত্তিক, গণিত নির্ভর, জীবজগতে ফলিত একটি প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্র। সভ্যতার উষা কাল থেকেই এ শাস্ত্রের চর্চা চলে আসছে। মানব সভ্যতার যে কয়টি প্রাচীন ধংসাবশেষ পাওয়া গেছে তার প্রতিটিতেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা ও গবেষণা যে হতো তার বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। মানব সভ্যতার আদি সভ্যতা বৈদীক যুগ, যা প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর প্রাচীন, সে সভ্যতার আদী নিদর্শন বেদ, এই বেদেই জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বেদের চোখ বলা হয়েছে। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্র তুলনা কেবল জ্যোতিষ শাস্ত্রই। জ্ঞাণ-বিজ্ঞাণের বিভিন্ন শাখার মতো জ্যোতিষ শাস্ত্র বহু জ্ঞাণী মুণি-ঋষি, নিভৃত চারি সাধু-সণ্যাসি ও বহু জ্ঞাণী পন্ডিত গনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার ফলে সমৃদ্ধ ও জীব জগতে ফলিত হয়েছে। তাই এটি একটি ফলিত বিজ্ঞাণ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত ও বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত। ভবিষ্যতেও এ শাস্ত্র আরো সমৃদ্ধ হবে এবং অনাগত কালের মানব সন্তানকে সঠিক দিক্ নির্দেশনা দেবে , এতে কোনো সন্দেহ নেই।

পেশাগত জীবনে জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা করতে গিয়ে দেখেছি, একজন জাতকের জন্ম তারিখ অনুসারে সঠিক কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার করবার জন্য আমরা খুবই অল্প সময় পেয়ে থাকি। একজন প্রশ্নকারী এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই তার জীবনের সব শুভাশুভ বিষয় জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অর্থাৎ একজন প্রকৃত জ্যোতিষী মহোদয়ের সুনাম, সম্মান, মর্যাদা অভিজ্ঞতা ও প্রশ্নকারীর নিকট তা এই অল্প সময়ের মধ্যে জ্যোতিষী মহোদয় যদি প্রশ্নকারীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্নকারীকে পরিতৃপ্ত করতে পারেন তবেই জ্যোতিষীর সাফল্য প্রমাণিত হবে। তা না হলে যত জ্ঞাণী বিজ্ঞ, বিখ্যাত, দেশ-বিদেশে খেতাব প্রাপ্ত হোন না কেন, সবই পন্ড শ্রম।

আমরা একটি কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার কালে রাজযোগ, গ্রহাবস্থান, মহাদশা, গ্রহ গোচরের পাশা পাশি বর্ণিত অশুভ যোগগুলির দিকে গুরুত্বের সাথে দৃষ্টি দেওয়া হলে তাহলে হয়তো আরো ভালো ভাবে বিচার করতে পারবো। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি পেশাদার অপেশাদার ও নবীন জ্যোতিষীগন এই বিষয় গুলি খেয়াল করবেন এবং পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করে উপকৃত হবেন।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে শুভ যোগ গুলির পাশা পাশি এমন কিছু অশুভ যোগ রয়েছে যা কোষ্ঠীর বহু শুভ যোগের ফল প্রদানে বাধা দেয়, এবং অশুভ ফল নিশ্চিত রুপে প্রদান করে। যেমনঃ- গ্রহন যোগ,কেমুদ্রুম যোগ,, কালসর্প যোগ, আঙ্গার যোগ, বিষ যোগ,, দারিদ্র যোগ ইত্যাদি।

গ্রহন দোষ ঃ রাহু ও কেতু কোনো দৃষ্টি গোচর গ্রহ নয়। চন্দ্র ও পৃথিবীর কক্ষপথের দুটি ছেদ বিন্দু। বা সরল ভাষায় চন্দ্র ও পৃথিবীর ছায়া উপছায়া হলো রাহু ও কেতু। যখনই সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরল রেখায় চন্দ্র চলে আসে তখন পৃথিবীর কিছু অংশে চন্দ্রের ছায়া পরে এবং সে স্থানে সূর্যকে কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায়না একে আমরা সূর্য গ্রহণ বলে জানি। আবার কখোনো কখোনো সূর্য এবং চন্দ্রের মাঝে একই সরল রেখায় পৃথিবী চলে আসে, তখন চন্দ্রের ওপর পৃথিবীর ছায়া পরে এবং কিছু সময়ের জন্য চন্দ্রকে পৃথিবীর কিছু অংশের মানুষ দেখতে পায়না একে আমরা চন্দ্র গ্রহন বলি। হিন্দু পুরাণে রাহু ও কেতু হলো অসুর। অসুররা হতো মরনশীল। সমুদ্র মন্থনে উত্থিত অমৃত দেবতারা নিজেরাই পান করার সিদ্ধান্ত নেন। অসুর দেরকে অমৃত না দেবার কৌসল করলে রাহু তা ধরে ফেলে এবং ছদ্মবেশে দেবতাদের দলে প্রবেশ করে তা পান করেন। সূর্যদেব ও চন্দ্রদেব অসুর রুপি রাহুকে চিনতে পারেন এবং বিষ্ণুকে তা অবগত করলে বিষ্ণু তার চক্রবাণ নিক্ষেপ করে রাহুর মস্তক খন্ডন করেন। রাহুর খন্ডিত মস্তক হলো রাহু এবং বাকি দেহ হলো কেতু। অমৃত পান করার কারনে রাহু অমরত্ব পায়। সেই থেকে রাহু ও কেতু চন্দ্র ও সূর্যকে গ্রাস করার জন্য ছুটে চলছে।
রাশি চক্রে রবি এবং চন্দ্র যখনি রাহু এবং কেতুর সাথে সংযোগ করে তখনই গ্রহণ দোষ সৃষ্টি হয়। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি অশুভ যোগ। জন্ম ছকে যে ভাবে এই দোষ সৃষ্টি হয় সে ভাব ও ভাব সম্পকৃত আত্মিয়র শুভ ফলের হানি করে। সেই আত্মিয়র চরিত্রে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই দেখা যায় সন্তানের গৃহে রাহু বা কেতুর অবস্থান সন্তান সম্পর্কৃত বিষয়ে অশুভ ফল নির্দেশক। চন্দ্র মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে নির্দেশ করে । চন্দ্র আবার স্বাভাবিক মাতৃ কারক গ্রহ। রাহুর সাথে চন্দ্রের সংযোগে বা রাহুর দৃষ্টি চন্দ্রের ওপর পরলে প্রশ্নকারী এবং তার মাতার মাঝে প্রচুর উচ্চাকাংখা, লোভ, অহংকার দেখা যায়। তাদের মাঝে অতৃপ্ততা দেখতে পাওয়া যায়। রাহু চন্দ্রের সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষ হলে প্রশ্ন কর্তা মানষিক ভাবে সর্বদা দুঃখি থাকে। সে কখোনই কোনো কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয়না। মনে রাখবেন প্রশ্ন কর্তার দুঃখ কেউ দূর করতে পারবেনা। সব কিছু পেলেও সে দুঃখি আত্মা।

একই ভাবে রবির সাথে রাহুর অবস্থান জাতককে দুঃখি আত্মা করে। রবি স্বাভাবিক পিতৃ কারক গ্রহ হওয়ায় পিতার সাথেও জাতকের সুসম্পর্ক থাকেনা। পিতার দ্বারা জাতক বৈরী আচরন পেয়ে থাকে। রবি জগতে আলো ও প্রাণের উৎসের প্রতিক। রবি রাহুর সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুঃর্বিসহ। জাতককে বহু বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। সকল কাজে হতাশা নিরাশা দেখা দেয়। তাই হয়ত খনার বচনে দেখতে পাই ’’ সূর্য কুজে(মঙ্গল) রাহু মিলে ,গাছে দড়ি বন্ধন গলে।’’

একই ভাবে যদি চন্দ্রের সাথে কেতুর সংযোগে গ্রহন দোষ হয় তা হলে প্রশ্ন কর্তার মন মস্তিষ্ক বাধা গ্রস্থ হয়। মাতার সাথে সম্পর্ক ভালো যায় না। কেতুর রহস্যময়তা ও ইর্ষাপরায়নতা তার মাঝে প্রবল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। অপরের উন্নতিতে হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় এবং অপরের দূর্ণাম বদনাম,ও অভিশম্পাত করে। মিথ্যা বলার প্রবনতাও দেখা যায়। রবির সাথে কেতুর সংযোগে সৃষ্ট দোষে জাতকের মনের মাঝে কুটিলতা বিরাজ করে। সে সর্বদা সন্দেহ প্রবন হতে পারে। পিতার সাথে তার কোনো কালেও সু সম্পর্ক থাকেনা। সমাজে তার আচরন হয় রহস্যময়। দূর্নাম-বদনামের আশঙ্কা থাকে। জাতক শীড় পিড়ায় ভুগতে পারে।

কেমুদ্রুম যোগ ঃ জ্যোতিষ শাস্ত্রে যখন চন্দ্রের সাথে ,অগ্রে ও পশ্চাত গৃহে কোনো গ্রহ না থাকে তখন এ যোগ তৈরি হয়। এটি একটি অশুভ যোগ।এই যোগের ফলে জাতককে শেষ বয়সে প্রবল দারিদ্রতা ও অশান্তিপূর্ণ জীবন ভোগ করতে হয়।জীবনে জাতক যত ধনি পরিবারেই জম্ম হোকনা কেন বা জীবনে যত অর্থই রোজগার করুক না কেন তাকে শেষ জীবনে পরমুখাপেক্ষি হতে হয়। জাতককে সব ধন সম্পদ খোয়াতে হয়। মধ্য জীবনে এরা প্রচুর উপার্জন করলেও শেষ জীবনে আপন পুত্র-কন্যা, আত্মিয় স্বজন ও পরিচিত জনদের দ্বারা প্রতারিত হন ও দারিদ্র যন্ত্রনায় কষ্ট পান। প্রশ্নকারীর জন্ম ছকে এই যোগ দেখলে তাকে সতর্ক করুন। এবং সঞ্চয়ী হবার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

কালসর্প যোগ ঃ জন্ম ছকে রাহু ও কেতুর এক পার্শ্বে কোনো গ্রহ না থাকলে এবং অপর পার্শে¦ সকল গ্রহ (ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো সহ ) অবস্থান করলে কালসর্প যোগ হয়। যদিও পৃথিবীতে জন্মানো অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তির জন্ম ছকে কাল সর্প যোগ দেখতে পাওয়া যায় যেমন, বেনিটো মুসলিনি, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই পাটেল, মাওসেতুং, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি প্রমুখ। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় এদের জীবনে এক পর্যায়ে চরম সংকটকাল অতিক্রম করতে হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এটি একটি দুঃর্ভাগ্য যোগ। যে ব্যাক্তির জন্ম ছকে এই যোগ রয়েছে তার জীবন অনেকটা সাপ-লুডোর মত। জীবনে হটাৎ উত্থান, আবার পরমুহুর্তেই পতন। এবং লক্ষ্যনীয় যে এই উত্থান পতন বিরতিহীন ভাবে চলতে থাকে। এই যোগ জাত ব্যাক্তির জীবনটা অনেকটাই ভাগ্যের হাতের পুতুলের মতন। জাতককে সারাজীবন প্রবল আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগতে হয়। এই যোগের কমন যে কুফল সকলকেই ভোগ করতে হয় তা হলো মানসিক অস্থিরতায় ভোগা , অর্থ উপার্জনে বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়া, সন্তান লাভে বাধা, অশান্তিময় দাম্পত্ব জীবন, অশুভ স্বপ্ন দর্শন, শরীরের রোগ ধরতে না পারা, নিজের গৃহ ত্যাগ করে অন্যত্র বসবাস, শত্র“তা, মামলা মোকর্দ্দমা, স্বাস্থ্য ও আয়ু জনিত সমস্যা, বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা, দারিদ্রতা ও অর্থ হানি, কর্মনাশ, বিশাল অবস্থা থেকে আকষ্মিক পতন।

রাহু ও কেতুর অবস্থান অনুসারে বিভিন্ন প্রকার কালসর্প যোগ তৈরি হয় যার কু প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা করছি।

১/ লগ্নে রাহু থাকলে ঃ দাম্পত্য সুখ হানি,আস্থির বুদ্ধি, পাপ কর্মরত, অনৈতিক সম্বন্ধ থেকে মান হানি।
২/ ২য়ে রাহু থাকলে ঃ ধনহীন, কটুভাষী, আর্থিক শংকট, মদ জুয়া নারীর দ্বারা ধন হানি, বদনাম।
৩/ ৩য়ে রাহু থাকলে ঃ অতি উৎসাহী, সঠ্, বন্ধু ও মিত্রহীন হয়, কর্ম স্থল নিয়ে আজীবন সমস্যা থাকে।
৪/ ৪র্থে রাহু থাকলে ঃ গৃহ সুখের হানি, কষ্ট ও নিরাশা, গৃহ লাভে বাধা, উদ্বেগ উৎকন্ঠা,পড়াশোনাতে বাধা।

৫/ ৫মে রাহু থাকলে ঃ বুদ্ধির হানি, সন্তান লাভে বাধা, সন্তান বিষয়ে কষ্ট লাভ।
৬/ ৬ষ্ঠে রাহু থাকলে ঃ ঘরে বাইরে শত্র“তা, রোগভোগ, ঝগড়া বিবাদ, ঋণগ্রস্ততা, রাজনৈতিক উত্থান-পতন।
৭/ ৭মে রাহু থাকলে ঃ সামাজিক প্রতিষ্ঠায় বাধা, অশান্তিপুর্ণ দাম্পত্য জীবন, জুয়া ও নারীর কারনে সমাজ দ্বারা পরিত্যক্ত। ব্যবসায় হানি।
৮/ ৮মে রাহু থাকলে ঃ দূর্ঘটনা, বাধা , পতন জনিত আঘাত, স্বল্পায়ু, পৈত্রীক সম্পদের বিনাশ বা বঞ্চিত।
বহু শত্র“, অসামাজিক লোকদের সাথে সম্পর্ক করে।
৯/ ৯মে রাহু থাকলে ঃ কঠোর হৃদয়, জীব হত্যাকারী, নিষ্ঠুর , নির্দয়ী, প্রচন্ড রাগী, মিথ্যা বাদী, অহংকারী ।
তার জীবনে বহু উত্থান পতন হয়।
১০/ ১০মে রাহু ,, ঃ গুপ্ত চর, রাষ্ট্র দূত, অনৈতিক কাজকর্ম, মামলা- মোকর্দ্দমা, জেল-জরিমানা । কর্ম ক্ষেএ শুভ হয় না।
১১/ ১১শে রাহু ,, ঃ ধন প্রাপ্তিতে বাধা,হতাশা, একের পর এক বাধা।
১২/ ১২শে রাহু ,, ঃ মামলা মোকর্দ্দমা, জেল জরিমানা, শত্র“তা, রোগভোগ, প্রবাস ও শয্যা সুখে বাধা।

আমি আমার গবেষণা থেকে দেখেছি যে কালসর্প যোগ জাত ব্যাক্তির অতিন্দ্রীয় বিষয় ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রবল হয় আরো একটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে তা হলো এ যোগ জাত ব্যাক্তির পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এবং জাতকের পরিবারের মধ্যে কোনো না কোনো বাধা বিপত্তি, ঝামেলা লেগেই আছে। বিশেষ করে পরিবারের কন্যাদের বিবাহিত জীবনে কোনো ঝামেলা বা অকাল বৈধব্য যোগ দেখতে পাওয়া যেতে পারে। আরো উল্লেখ্য যে জাতকের জন্ম ছকে যত ভালো গ্রহযোগ বা রাজ যোগ থাকুক না কেন তার ফল জাতক পান না। অথবা কোনো অশুভ গ্রহের প্রতিকারার্থে যত ভালো রত্ন পাথর ধারন করুক তার ফল লাভে বিলম্ব হয়ে থাকে। কালসর্প দোষের কিছু শাস্ত্রীয় সমধান আছে যা একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীই জানেন। রাহু বা কেতুর রত্ন দিয়ে আনেকেই চেষ্টা করেন যা কার্যকর নয়। শাস্ত্রীয় সমাধানে এর কুফল থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

আঙ্গার যোগ ঃ আঙ্গার বলতে আমরা জ্বলন্ত কয়লাকে বুঝি। জন্ম ছকে মঙ্গল ও রাহুর সংযোগে বা দৃষ্টি বিনিময়ে এ যোগ তৈরী হয়। এটি একটি অশুভ যোগ, যে প্রশ্ন কারীর ছকে এই যোগ দেখতে পাওয়া যায়, তাকে সারা জীবনই দারিদ্র যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়। এই যোগের ফলে জাতকের রাগ অনেক বেড়ে যায়।যে ভাবে এই যোগ তৈরি হয় সে ভাবের হানি তো হই এমন কি সে ভাব সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে সারা জীবন যন্ত্রনা কষ্ট হজম করতে হয়। সুখ নামক সুখ পাখিটি যেন অধরাই থেকে যায়। জাতক জীবনে যত কঠোর পরিশ্রমই করুক না কেন, ভাগ্য তার সহায় হয়না।

বিষ যোগ ঃ বিষ মানে আমরা বুঝি এমন কোনো দ্রব্য যা জীবকূলের বিনাশ করে। জন্ম ছকে শনি ও চন্দ্রের সংযোগ বা দৃষ্টি সম্বন্ধে বিষ দোষ তৈরি হয়। এটি একটি অশুভ যোগ। চন্দ্র মানুষের মন মস্তিস্ক চিন্তা ভাবনার কারক। যখনি চন্দ্রের ওপর শনির প্রভাব পড়ে মন-মস্তিস্ক, চিন্তা-ভাবনা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। তার মাঝে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা দেখা দেয়। জাতক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জীবনে বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চন্দ্র শনির সহ অবস্থান বেশি কুফল দেয়। মাতা পিতা উভয়ের সাথে স্দ্বাভ থাকেনা।জাতক সর্বদা সকল বিষয়ে নেতিবাচক মনভাব পোষন করে। অপরের উন্নতিতে হিংসা করে। কারো ভালো দেখতে পারে না। সকলকেই সন্দেহ করে ও অভিসম্পাত করে। অপরের সমালোচনা করে আনন্দ পায়।

দারিদ্র যোগ ঃ জন্ম ছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি ডিগ্রিতে একত্রে অবস্থান করলে দারিদ্র যোগ তৈরি হয়। জাতককে সারা জীবন দারিদ্র যন্ত্রনায় ভুগতে হয়।এ ছাড়া লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্র্রের অষ্টমে কোনো গ্রহ না থাকলে ও এই যোগ হয়।

উপরে উল্লেখিত যোগ গুলির ফলাফল প্রশ্নকর্তা তার জীবনে অবশ্যই পাবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই । পাশাপাশি শনি গ্রহের গোচর কে অধিক প্রাধান্য দিলে ভালো ফল পাবেন। মনে রাখতে হবে শনি জন্ম চন্দ্রের দ্বাদশে ,জন্ম চন্দ্রে এবং দ্বিতীয়ে, চতুর্থে, ও অষ্টমে সঞ্চার করলে জাতককে সংঘাত পূর্ণ জীবন আরম্ভ করতে হয়। তাই কোনো কষ্ঠি বিচার কালে শনির এরুপ গোচর দেখলে তাকে সতর্ক করে দিন। শনির এরুপ অবস্থানে কাজকর্মে বাধা বিপত্তি, হতাশা, ব্যার্থতা, বিনিয়োগে ক্ষতি হবার আশংকা দেখা দেয়, এ সময় আর্থিক সংকট প্রবল হয়।
[5/6, 21:06] Acharya Kush Mukherjee: অনপত‍্যযোগ ( নিঃসন্তান)
যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,সপ্তমপতি এবং পঞ্চমপতি দুর্বল হয় ,তবে অনপত‍্যযোগ সূচিত হয়।
ফলাফল
এরূপ জাতক- জাতিকার কোনো সন্তানাদি হবে না।
মন্তব‍্য:
কিন্তূ জন্মকুন্ডলীতে বৃহস্পতি,ও ৫ম পতি জাতক বা জাতিকার বলবান হলে ১টি বা ২টি সন্তান হতে পারে।
কিন্তূ স্বামি ও স্ত্রীর উভয়ের জন্মকুন্ডলীতে যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,৭মপতি ও৫ম পতি দূর্বল হয় -
তবে এরপ দম্পতির কোনো সন্তান হবে না ।
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
booking no 7001608953
PAGE LINK :@astropalmist1
Website: www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508080227