সারা বৈশাখ মাস জুড়েই মঙ্গলবার করে মা মঙ্গলচণ্ডীর পূজা করা হয়। এই ব্রত “হরিষ মঙ্গলচণ্ডী” ব্রত নামে পরিচিত। চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের সেই দেবীই হলেন বর্তমানে গৃহে গৃহে আরাধিতা মা মঙ্গলচণ্ডী। চণ্ডীমঙ্গলকাব্যে “আক্ষেটি খণ্ড” তে কালকেতু ও ফুল্লরা উপাখ্যান পাওয়া যায়। ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর ও নীলাম্বরের স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে ব্যাধ ও ব্যাধিনী রূপে জন্মান। উভয়ের যথা সময়ে বিবাহ হল। দেবী চণ্ডীর ইচ্ছানুযায়ী এই দম্পতির মাধ্যমে চণ্ডীপূজার প্রসার ঘটে। কালকেতু ও ফুল্লরার সংসার অনটনে ভরা। অভাবের সংসার । কালকেতু বনে গিয়ে শিকাড় করে সেই মাংস হাটে বিক্রি করে দিন চালাতো। একদিন দেবীর মায়ায় কালকেতু বনে একটাও শিকার পেলো না। খালি হাতে কালকেতু গৃহে ফিরতে লাগলো। পথের মধ্যে দেবী চণ্ডী একটি স্বর্ণ গোধিকার রূপ ধরে পড়ে রইলেন। কালকেতু সেই গোধিকা দেখে ভাবল , শিকার পাওয়া যায় নি, তাই এটিকেই খাওয়া হবে। কালকেতু সেই গোধিকা নিয়ে এসে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাইরে গেলো। এর মধ্যে দেবী গোধিকা রূপ ছেড়ে সুন্দরী নারী মূর্তি ধরলেন ।
ফুল্লরা এসে ভাবলেন এই নারী কে ? নারীকে জিজ্ঞেস করতেই নারী জানালো , কালকেতু নিয়ে এসেছে। এখন সে এখানেই থাকবে। ফুল্লরার মাথায় হাত। একেতে অভাবের সংসারে দুজনের পেট চলে না, আবার এই অতিথিকে কোথায় রাখবে ? ফুল্লরা বারোমাসের দুঃখের ঘটনা শোনালো। অপরদিকে কালকেতু ফিরে গোধিকার স্থানে নারীমূর্তি দেখে অবাক। ফুল্লরাও, কালকেতুকে অনেক বকাঝকা করলো। কালকেতু ভাবল এই নারী নিশ্চয়ই মায়াবিনী কেও। এই ভেবে কালকেতু দেবীকে শর বিদ্ধ করবার জন্য ধনুকে শর যোজনা করলো। কিন্তু শর আর ধনুক থেকে চলে না। দেবীর মায়ায় শর আটকে গেছে। তখন কালকেতু ও ফুল্লরা স্তবস্তুতি করলে দেবী আসল রূপে আসলেন। মহিষাসুরমর্দিনী দশভুজা রূপে কালকেতু ও ফুল্লরাকে দর্শন দিলেন। এরপর দেবী কৃপা করলেন। কালকেতু , দেবীর প্রদত্ত ধন সম্পদ দিয়ে গুজরাট নগরী নির্মাণ করে সেখানকার রাজা হলেন আর ফুল্লরা হলেন রানী। দেবীর কৃপায় এক সময় যারা খেতে পেতো না, তারা হলেন রাজা আর রানী। ভক্তিভরে কালকেতু ও ফুল্লরা দেবীর পূজা করলেন। দিকে দিকে দেবী মঙ্গলচণ্ডীর পূজা প্রচলিত হল ।
দেবী মঙ্গলচণ্ডীর ব্রতকথায় অন্য একটি কাহানী দেখতে পাই। এক গয়লানী বৌ খুবুই গরীব, দুঃখে ভরা সংসার ছিলো। এক বামুন বৌয়ের কাছে , গয়লানী বৌ মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের কথা শুনে এই ব্রত করলো। এরপর গয়লানী বৌয়ের এমন উন্নতি ও সুখ আসলো যে গয়লানী বৌ স্বপ্নেও ভাবে নি। সুখ আর সুখ। গয়লানী বৌ ভাবল কিভাবে দুঃখ পেয়ে একটু ক্রন্দন করা যায়। এত সুখে আর ভালো লাগে না। দুঃখ পাওয়ার জন্য গয়লানী বৌ নানা উদ্ভট কাণ্ড করলো যেমন লোকের অনিষ্ট করা, বিষ মেশানো নাড়ু বানানো, রাজার মৃত হস্তী জড়িয়ে কাঁদা। কিন্তু দেবী চণ্ডীর কৃপায় গয়লানী বৌ দুঃখ ত পেলো না বরং আরোও সম্মান পেলো। শেষে গয়লানী বৌ চণ্ডী দেবীর ব্রত করাই ছেড়ে দিলো। এরপর আবার তার সেই পুরানো হত দরিদ্র দশা। কেঁদে কেঁদে অভাবে দিন যায়। গয়লানী বৌ আবার দেবীর ব্রত আরম্ভ করলো। আবার আগের মতোই সুখ- সমৃদ্ধি- উন্নতিতে ভরে গেলো সংসার। ব্রতকথা গুলো লেখা হয় মানুষকে ধর্ম পথে থাকার জন্য। এই জন্যই নানান ব্রতের কথা শাস্ত্রে উল্লেখিত। ঈশ্বর বিশ্বাস, ধর্মাচরণের মাধ্যমে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। ব্রতকথা গুলিতে এরই প্রতিচ্ছবি।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks