কিছু বন্ধুদের অনুরোধে এই পোষ্ট করলাম।
যাঁদের স্ত্রীকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাঁরা স্বামীর নামের জায়গায় স্ত্রীর নাম বসিয়ে ক্রিয়াটি করলে ফল পাবেন।
তন্ত্র কথা (বিশেষ পর্ব)
আজ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা আজকের যুগে অনেক পরিবারের ভাঙনের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিয়ের সাত পাকের বাঁধন খুলে আলগা হয়ে যাবে কিনা সেটা নির্ভর করে পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা, টান ও বিশ্বাস থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সেই জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্কের ওপর তৃতীয় কোনো ব্যাক্তির ছায়া এসে পড়ে তবে স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের কাছেই এই সম্পর্ক হয়ে ওঠে যন্ত্রনার মত।
দোষ কার সে বিচার না হয় পড়ে হবে। নিজের স্ত্রী থাকতেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে আজও অনেক ঘরে মা বোনেরা চোখের জল ফেলে ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানানো ছাড়া আর কিছু করতে পারেন না। আমি আজ সেইসব অসহায় নারীদের জন্য একটি সহজসাধ্য ক্রিয়ার কথা বলবো যাতে তাঁরা আবার তাঁদের মনের মানুষটিকে ফিরে পেতে পারেন জীবনে ও সংসারে।
তন্ত্র শাস্ত্রে অন্যতম একটি ক্রিয়া হল বশীকরণ। মানুষ সহস্রাধিক অর্থ খরচ করে এই ক্রিয়ার জন্য। কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব নয় বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দেওয়া। বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা একজন নারীর পক্ষে অসম্ভব ব্যপার।
বশীকরণ বিভিন্ন ধরনের হয়। কঠিন প্রক্রিয়ায় সেই ক্রিয়া করে ওঠা অনেকের কাছেই অসম্ভব। তাই খুব সহজ উপায় নিয়ে বলবো আজকে। এই ক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি ফলদান না করলেও তিন মাসের মধ্যে সংসারে পরিবর্তন এনে ভাঙন ঠেকাতে পারে। এবার আসি মূল বিষয়ে।
যে কোন কৃষ্ণপক্ষের নবমী, দশমী, একাদশী ও অমাবস্যা তিথি যদি সোমবার পড়ে তাহলে শুরু করুন এই ক্রিয়া।
কম্বলের আসনে শুদ্ধভাবে উত্তর দিকে মুখ করে ঈশান কোন দেখে বসুন।
গনেশাদি পঞ্চদেবতা ,গুরুপ্রনাম, ও দীক্ষিত হলে বীজ মন্ত্র জপ করে নিন।
তারপর বলুন ওঁ অস্য শ্রী বামদেব মন্ত্রস্য সম্মোহন ঋষিঃ গায়ত্রী চ্ছন্দঃ শ্রী কামদেব দেবতা (স্বামীর নাম)বশ্যার্থে জপে বিনিয়োগঃ।
এরপর ওই আসনে বসেই জপ করুন
ওঁ নমো মহাযক্ষিনী পতি (স্বামীর নাম) মে বশ্যং কুরু কুরু স্বাহা।
১০৮ বার কর গুনে বা লাল পুঁতির মালায় জপ করে প্রনাম করে উঠে যান।
পরেরদিন মঙ্গলবার একটি গোটা সুপারী নিয়ে সেটি ওই মন্ত্রে ৭ বার অভিমন্ত্রিত করে নিয়ে নিজের মুখে ঢুকিয়ে রাখুন।
দুপুর বারোটায় সেটা মুখ থেকে বের করে দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ফের ৭ বার আগের মন্ত্র দ্বারা অভিমন্ত্রিত করুন। স্বামী যেন আপনাকে কোনভাবেই এই ক্রিয়া করার সময় দেখতে না পায় সেটা খেয়াল রাখবেন।
সুপুরীটি কুচিয়ে নিয়ে কোন গোপন স্থানে রেখে দিন। সেদিন থেকে ওই সুপুরি কুচো দিয়ে পান সেজে খাওয়াতে থাকুন।কমপক্ষে তিনদিন খাওয়াবেন।
সুপুরি শেষ হয়ে গেলে ফের আগের মতো পরের মঙ্গলবার সুপুরি অভিমন্ত্রিত করে নেবেন। এবার আর জপ ধ্যানের প্রয়োজন নেই।
ক্রিয়া দিনের বেলায় করা যায়। অসুবিধা থাকলে রাতেও করতে পারেন। শুধু তিথি পেরিয়ে না যায় সেটা খেয়াল রাখবেন। তিনমাসের মধ্যে অনেকটা তফাৎ বুঝতে পারবেন।
প্রেমিক প্রেমিকা এই ক্রিয়া করবেন না। যাঁদের স্বামী সাথে থাকেন না তাঁরা করবেন না। স্বামীর প্রতি কেবলমাত্র সন্দেহর বশে এই কাজ করতে যাবেন না। যাঁদের স্বামী একসাথে থেকেও পরনারী তে আসক্ত তাঁরা করে দেখুন, অবশ্যই সুফল পাবেন।