বাংলা রাশিচক্র
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) :
তুলা জাতকেরা রুক্ষ হতে ঘৃণাবোধ করে, কিন্তু তারপরও তারা আপনার দেয়ালে টাঙানো ভাঁজ পড়া ছবিটাকে সোজা করে দেবে এবং আপনার ঝির-ঝির করা টিভি সেটটাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তুলারা মানুষ ভালোবাসে, কিন্তু অনেক মানুষের ভিড় তাদের অপছন্দ। শান্তির পায়রাদের মতোই সুশীলভাবে তারা অন্যদের ঝগড়া-বিবাদে মধ্যস্খতা এবং মীমাংসার জন্যে যাবে। কিন্তু তারা নিজেরাও ভালো একটা বিতর্ক করা থেকে পিছপা হয়না। তারা সুশীল এবং তাদের সঙ্গ আনন্দদায়ক। কিন্তু মাঝে মধ্যে তারা রামগরুরের ছানা (হাসতে তাদের মানা) হয়ে উঠতে পারে। আদেশ মানতে চরম অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে। তুলা জাতকেরা খুবই বুদ্ধিমান। একই সাথে, তারা চরমভাবে সরল।
সহজেই অন্যের প্রতারণার শিকার হয়। তারা কথা বলে আপনার কান পাঁকিয়ে ফেলবে। কিন্তু একই সাথে তারা আপনার খুব ভালো শ্রোতাও হবে। তুলারা অস্খির প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু কোন কাজে কদাচিৎ তারা তাড়াহুড়ো করে। আপনি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছেন? আপনি শুধু একা নন। এই রাশির কার্যকলাপ, বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এতো হতাশাব্যঞ্জক অসামঞ্জস্য কিংবা ধারাবাহিক স্খিরতার অভাব রয়েছে যে অন্য মানুষতো বটেই, তারা নিজেরাও একেক সময় নিজেদের আচরণে অবাক হয়ে যায়।
অনেক মানুষই আপনাকে বলবে যে তুলা হলো ভালোবাসা, সৌন্দর্য, মিষ্টতা, আলোর রাশি। সেটা ভালো, যতক্ষণ এভাবে চলছে। কিন্তু গন্তব্যে পৌছাবার আগেই থেমে যাওয়া তার অভ্যাস। ইউজেন ও'নেইল (১৯৩৬ সনে নোবেল বিজয়ী আমেরিকান নাট্যকার) এর বর্ণিত একটা সভ্য দূরত্বও পৌছে কিনা সেটাও সন্দেহ। তুলাদের প্রতীকটি একটা সুবিচারের স্বর্ণের নির্মিত পাল্লা বলেই ভেবে নেবেন না যে তারা নিজেরাও সবসময় স্খির ভারসাম্য অবস্খায় রয়েছে। এটা হয়তো মনে হবে যে একটা যৌক্তিক অনুমান।
অবশ্য পাল্লার কাজই হলো ভারসাম্য রক্ষা করা। আপনি কি পুরোনো ফার্মাসিউটিক্যাল পাল্লাগুলোতে মাপা-মাপির দৃশ্য দেখেছেন? সেগুলোর আসল উদ্দেশ্য হলো পাল্লাটার দুপাশকে ভারসাম্য দেয়া। কিন্তু আসলে কী ঘটে? একবার একপাশে কম হয়, তো আরেকবার অন্য পাশে কম হয়। এই কম বেশি করে করে অবশেষে ভারসাম্য আসে। বন্ধুভাবাপন্ন কোন প্রতিবেশীর ফার্মেসিতে গিয়ে এই মাপামাপির দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারেন। (ওষুধ বিক্রেতাকে শুধু বলুন যে কীভাবে দুপাশ সমান করা সম্ভব সেটাই আপনি দেখতে চান।)
শান্ত, নিখুঁতভাবে অবিচল, মনোরম, মহৎ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বেও এই চমৎকার সমন্বয় তুলা জাতকের মধ্যেও আরেকবার পাবেন কি না কে জানে। তুলা জাতকের ব্যক্তিত্বের মধ্যে এরকম একটা সমন্বয় আপনি পাবেন ঠিকই, কিন্তু সেটা দিনের অর্ধেকটার জন্যে। কিন্তু দিনের বাকি অর্ধেকটা সময় সে বিরক্তিকর, ঝগড়াটে, জিদি, অস্খির, হতাশ, এবং বিভ্রান্ত হয়ে থাকবে। আবার হঠাৎ করেই, দাড়ি-পাল্লার অভ্রান্ত ভারসাম্যের মতোই সেও তার ভারসাম্য অর্জন করবে। এটা যেন স্বর্গীয়। কিন্তু এই স্বর্গীয় ভারসাম্য আসার আগে ঐ কম-বেশির ব্যাপারটা থাকবেই।
এদের বাহ্যিক চেহারা দেখে চিনতে হলে ততটুকুই মনোযোগ দরকার যতটুকু তার ব্যক্তিত্বকে বুঝতে হলে দরকার। তুলা জাতকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য বলে বস্তুত তেমন কিছু নেই, যদি না এটা ভেনাস ডিম্পল হয়।
তুলাদের বৈশিষ্ট্যগুলো প্রায় সবসময়ই একইরকম এবং সুসাম্য বজায় থাকে। তারা আনন্দদায়ক, কিন্তু তেমন লক্ষ্যণীয় নয়। তাই বরং গালের টোল দিয়েই শুরু করলে সুবিধা হবে। গালে দুটি অথবা থুতনিতে একটা টোল থাকতে পারে। যদি মুখে কোন টোল না পান তাহলে তাদের হাঁটু অনাবৃত করে দেখতে চাইলে দেখতে পারেন সেখানে পান কি না। অনেক তুলা জাতকের হাঁটুতেই টোল থাকতে পারে। কিন্তু এসব ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। “আমি শুধু এইটুকু পরীক্ষা করতে চাই যে তুমি অক্টোবরে জন্মিয়েছো কি না” - এই কথা বলে আপনি যদি হাঁটু দেখতে চান, তাহলে খুব কম সংখ্যক মেয়েই আপনাকে বিশ্বাস করবে।
পুরুষদের পাজামা উঠিয়ে দেখতে চাইলে আপনি সূত্রটার সত্যতা পাবেন - অবশ্য সমুদ্রসৈকতে কিংবা টেনিস খেলার সময় পাজামা উঠাবার প্রয়োজন পড়বে না। টোল পাবার পর যদি জানতে পারেন যে, ব্যক্তিটি অক্টোবরে জন্ম নেয় নি তাহলে আশাহত হবেন না। তুলার প্রভাব থাকলে টোলগুলো ওসব স্খানে থাকবে এটাই নিয়ম, সুতরাং আপনার ধারণা এখনও সঠিক।
ভেনাস ডিম্পল, বা টোলের খোঁজাখুঁজি শেষ হলে এবার তার মুখমণ্ডলটা লক্ষ্য করে দেখুন। সবসময়ই একটা লক্ষণীয়ভাবে সুখাবহ অভিব্যক্তি তার মুখমণ্ডলে লেগে থাকে। এমনকি যখন তুলা জাতক রাগান্বিত থাকে তখনও কোন না কোনভাবে তারা মুখের অভিব্যক্তিতে একটা ভদ্র কিংবা ন্যূনতমভাবে নিরপেক্ষ ভাব ধরে রাখে। শুক্রদের কণ্ঠস্বর সাধারণত মিষ্টি এবং কলিং বেলের মতোই পরিষ্কার। এই মানুষগুলো সাধারণত নিজেদের কণ্ঠস্বরকে কর্কশ কিংবা তীক্ষ করে তোলে না। সমগ্র পৃথিবীতে তুলা জাতকই সেই একমাত্র ব্যক্তি যে বলবে, “আমি তোমাকে ঘৃণা করি, এবং এখন তোমার নাকে একটা ঘুষি মারবো,” অথচ তার কণ্ঠস্বর শুনে মনে হবে সে যেন মহাদেব সাহার কবিতা আবৃত্তি করে বলছে,
“কীভাবে তোমায় আমি ভালোবাসবো?” তার মুখটা হয়তো সামনে ঝুঁকে থাকা, আর তাদের ঠোঁটের বর্ণনা হয়তো গিবসনের ‘গার্ল ডেইজ’-এ বর্ণিত আছে এভাবে, “ঠোঁট যেন চেরী ফলের তৈরি মদের মতো।” বস্তুত, তুলার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একজন জাতকের মুখ দেখলে আপনার ক্রিসমাসের খুব রঙ-চঙে বৈচিত্র্যময় আনন্দোউজ্জ্বল উপহারের বাক্সগুলোর কথা মনে পড়বে। কিংবা মিষ্টি বিস্কুটের কথা মনে পড়বে। তাদের কাউকে কাউকে দেখলে মনে হবে তারা যেন মানুষরূপী ললিপপ, কিংবা ক্রিমে ভরপুর ক্যারামেল সানডি। তারা এইগুলো খেতেও পছন্দ করে, আর যদি এমন হয় যে একজন তুলা জাতকই এটা এখন এটা পড়ছেন, তাহলে হয়তো ইতিমধ্যে তার ক্ষুধাও লেগে গেছে।
জাতিকারা প্রায় সবসময়ই কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই সুন্দর হয়, আর পুরুষরা সাধারণত হ্যান্ডসাম। তাই বলে, পৃথিবীর সব সুন্দর মানুষগুলোই যে তুলা জাতক কিংবা জাতিকা তা নয়। শুক্রের সৌন্দর্যের একটা নির্দিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য রাশির সৌন্দর্য থেকে এটাকে সবসময় পৃথক করা সহজ ব্যাপার নয়। তাদেরকে চিনতে পারার যে গোপন কৌশলটা আমার আছে সেটা হলো, আমি ডুয়াইট আইসেনহাওয়ার এবং ব্রিজেট বার্দোর মিষ্টি অভিব্যক্তিটাকে তুলাসুলভ বলে স্খির করে নিয়ে তারপর অন্যদের অভিব্যক্তি মিলিয়ে দেখি। কিন্তু সমস্যাটা হলো কখনও কখনও পুরুষগুলোকেই লাগে বার্দোর মতো আর মহিলাদেরকেই দেখায় ডুয়াইটের মতো। আপনারও এরকম পরিস্খিতির জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি এমন বলছি না যে, তুলাজাতিকাদের চেহারা পুরুষালী। একজন গড়পড়তা পুরুষ যতটুকু মেয়েলীত্ব প্রত্যাশা করে, কিংবা সহ্য করতে পারে তারা ঠিক ততটুকুই মেয়েলী (যদি না তাদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাবের প্রভাব থেকে থাকে।) আর নিশ্চিতভাবেই আমি এটাও বলছি না যে তুলা পুরুষেরা মেয়েলী। বরং তারা সাধারণত পৌরুষদীপ্ত পুরুষ জানোয়ার। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে তাদের মধ্যে এমন কিছু খাঁটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো তাদেরকে বক্সার কিংবা কুস্তিগীরদের থেকে সহজেই স্বতন্ত্র করে দেয়। এমনকি যে দুর্লভ তুলাজাতককে আপনার কুৎসিত মনে হবে, যদিও এরকম একজন তুলাজাতক খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তার অভিব্যক্তিতেও এমন একটা চমৎকারিত্ব থাকবে যেটা আপনাকে এই বিশ্বাস দিয়ে যাবে যে সে খুবই সুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
আপনি কোন তুলাজাতককেই খুঁজে পাবেন না যার হাসিটা এক টুকরো নরম সাদা মেঘের মতো সুশ্রী নয়। শুক্রের হাসি শক্ত একটা চকলেটকেও নিমেষে গলিয়ে দিতে পারে। আর যখন এই হাসি আপনার উপর পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে তখন একদম বদখত মুখটিকেও আপনার চমৎকার সুন্দর বলে মনে হবে। কথাটা ভাবার্থবোধে নেবেন আক্ষরিক অর্থে নয়।
অধিকাংশ তুলা জাতক জাতিকার শরীরেই চমৎকার বাঁক রয়েছে, তাই বলে কোণ আবার নেই। তাদের চুল প্রায়ই হয় কোকড়া। তারা যে মোটা হবে এমন কোন কথা নেই (কিন্তু বৃষের প্রভাব থাকলে তারা যে ছোট খাট হাতি হয়ে উঠবে না এমনটি বলা যায় না)। কিন্তু তারপরও, ভালো ডায়েট করে একটা ভালো শরীরের অধিকারী হয়ে উঠে আপনাকে বোকা বানাতে তাদের বেশিদিন লাগবে না। এবং তারপরও তার শরীরে আওয়ারগ্লাসের মতো ঢেউখেলানো বাঁকগুলো থাকবে। আবার বার্দোতের উদাহরণ টেনে আনা যায়। কেউ যে তাকে মোটা বলতে পারবে না সেটা নিশ্চিত, কিন্তু কেউ কি তাকে চিকন বলতে পারবে? শুক্র জাতক জাতিকাদের চেহারা এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবার আরেকটি কৌশল রয়েছে। তাদের ঝলমলে হাসির মধ্যে একটা উচ্ছ্বল রিমঝিম সুরের আবেশ পাবেন। একবার শুনলে, সে শব্দ দ্রুত ভুলে যাওয়া আপনার জন্যে কঠিন হবে।
তুলাকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে আপনাকে পাল্লার ধাঁধাটা আগে বুঝতে হবে; একটা পাল্লায় ভরে আছে অক্টোবরের বৈচিত্র্যময় উজ্জ্বলতা, স্বর্ণালী পাতার þতূপ, যেন শরতের ক্ষণস্খায়ী আবহাওয়ার ছোঁয়া। আরেকটা পাশে জমে আছে এপ্রিলের বৃষ্টিতে সিক্ত লাজুক ভায়োলেট ফুলের আকাশী ডাল-পালার স্নিগ্ধ গন্ধ। যখন পাল্লার এপাশটা নিচু হয় তখন ঝলমলে আশাবাদ নিমজ্জিত হয় নির্বাক ভয়ে। একাকীত্বের হতাশায় হয়ে যায় নিমগ্ন। যখন পাল্লার দুপাশে সাম্য আসে তখন তার উর্বর, এবং প্রগলভ বুদ্ধিমত্তা আর তার প্রণয়কাতর, সহানুভূতিশীল হৃদয়ের মধ্যে একটা চমৎকার সঙ্গীত এসে বাসা বাধে তার বুকে। ঋতুগুলো তুলা রাশির গোপনীয়তা পুষে রাখে। শীতকাল তাদের জন্যে একটু বেশিই শীতল। গ্রীষ্ম তার জন্যে একটু বেশি গরম। এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে নিখুঁত একটি বসন্ত কিংবা হেমন্তই তাকে শান্তি দিতে পারে
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks