• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Wednesday, August 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভগবান বিষ্ণু ও দশাবতার

ভগবান বিষ্ণু ও দশাবতার

শুভ সন্ধ‍্যা
ভগবান বিষ্ণু ও দশ অবতার
একবার দেবতা ও দৈত্যদের দুর্দান্ত যুদ্ধ চলছিল | দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে সুরকুল বীরবিক্রমে এগিয়ে চলেছে | ক্রমশ পশ্চাদপটে চলে যাচ্ছে দৈত্য বংশ | তাঁদের গুরু শুক্রাচার্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন মহাদেবের নিকট | তাঁর কৃপা প্রার্থনা করলেন | যাতে যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনা যায় মৃত সঞ্জীবনী সিদ্ধি |
শুক্রাচার্য চলে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ল অসুরদের আবাস স্থল | এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন দেবতারা | দিকভ্রান্ত হয়ে দৈত্যরা গেলেন ভৃগুপত্নীর কাছে | পুরাণে কোথাও তিনি কাব্য | কোথাও দিব্য | তিনি আচার্য শুক্রের মাতা | তাঁর কাছে বরাভয় ও আশ্রয় প্রর্থনা করলেন দৈত্যকুল |
ভৃগুপত্নী আশ্বস্ত করলেন দৈত্যদের | ঐশী ক্ষমতায় দেবতাদের তিনি স্থবির করে দিলেন | চলৎশক্তিহীন হয়ে স্থানুবৎ রইলেন দেবতারা | সেই সুযোগে পাল্টা আঘাত হানলেন দৈত্যরা | লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল স্বর্গলোক |
চলন শক্তিহীন দেবতারা মনে মনে প্রার্থনা করলেন ভগবান বিষ্ণু সমীপে | ভগবান বুঝলেন তাঁকে খুব সাবধানে অগ্রসর হতে হবে | কারণ ভৃগুপত্নী একজন নারী | বিষ্ণু দেবতা হয়ে একজন নারীকে আঘাত করতে পারেন না | এদিকে ভৃগুপত্নীর মৃত্যু না হলে দেবতারা চলনক্ষম হবেন না |
শ্রী বিষ্ণু এরপর ভয়ঙ্কর পশুর রূপে আক্রমণ করলেন ভৃগুপত্নীকে | আচার্যানী বুঝলেন তাঁর সামনে অবতাররূপী স্বয়ং বিষ্ণু | কিন্তু তিনি অভিশাপ দেওয়ার আগেই বিষ্ণু তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন সুদর্শন চক্রে |
নিহত স্ত্রীর নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন আচার্য ভৃগু | কমণ্ডলু থেকে মন্ত্রপুত জলের স্পর্শে | ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রী বিষ্ণুকে অভিশাপ দেন | তিনি যে অবতার রূপে বধ করেছেন এক নারীকে‚ সেই অবতারেই তাঁকে আবির্ভূত হতে হবে | একবার নয় | বারবার অবতীর্ণ হতে হবে ধরাধামে | তার মধ্যে থাকবে মনুষ্য জন্মও | তাঁকেও ভোগ করতে হবে জীবনের দুঃখ কষ্ট |
ভৃগুর অভিশাপেই বিষ্ণুর দশাবতার | তবে সেখানেও তিনি নারী হন্তারক | রামচন্দ্র অবতারে বধ করেছেন তারকা রাক্ষসীকে | শ্রীকৃষ্ণ অবতারে হত্যা করেছেন পুতনাকে | অর্থাৎ অধর্মকে পরাস্ত করে ধর্ম সংস্থাপনার্থায় নারীও অবধ্য নয় |
চিরাচরিত ভাবে দেবতাদের আচার্য হয়ে থাকেন বৃহস্পতি | দৈত্যদের গুরু শুক্র | দুই পক্ষের বিরোধ পুরাণের ছত্রে ছত্রে |
মহর্ষি ভৃগু ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র | ঋক বৈদিক যুগে তিনি মনুর সমসাময়িক | মনুর সন্তান হল মানব | ভৃগুর সন্তানদের বলা হয় ভার্গব
বৈদিক জনপদ ব্রহ্মবর্তে দোশি পর্বতে বধূসার নদীর পাশে ছিল তাঁর আশ্রম | এখন এই অঞ্চল পরে রাজস্থান হরিয়ানা সীমান্তে | স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী‚ ভৃগু পরে চলে যান ভৃগুকচ্ছে ( আজকের গুজরাতে‚ নর্মদা নদীর পাশে )‚ জায়গাটির নাম কালক্রমে হয়ে দাঁড়ায় ভারুচ |
ভৃগুর এক পত্নী হলেন দক্ষকন্যা খ্যাতি | তাঁদের দুই পুত্র হলেন ধাতা ও বিধাতা | কন্যার নাম ভার্গবী | যিনি আবার বিষ্ণুপত্নী | আর এক পত্নী কাব্যমাতার পুত্র হলেন শুক্র | যিনি আবার শুক্রাচার্য রূপে অসুরদের গুরু হন | ভৃগুর পত্নী পুলোমা জন্ম দেন ঋষি চ্যবনের | আবার ভৃগুর এক পুত্র হলেন জমদগ্নি | যিনি আবার পরশুরামের পিতা |
প্রসঙ্গত বিষ্ণু ব্যতীত ত্রিদেবের ব্রহ্মা ও মহেশ্বরকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন ভৃগু | আর একটি কথা জানিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় | এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি সূত্র থেকে সূত্রান্তরে পরিবর্তিত হয় | পাঠকের যদি মনে হয় দেবতার বিপরীতে মনুষ্য-ঔদ্ধত্যের এই আখ্যান ভিত্তিহীন‚ তবে বলে রাখি এর উৎস মৎস্যপুরাণ |
এতদূর পড়ে মনে হতে পারে এই প্রতাপান্বিত ঋষি শুধু দেবতাদের সঙ্গে সম্মুখসমরে গিয়ে তাঁদের অভিশাপ দিয়ে গেছেন | কিন্তু এটা স্মর্তব্য যে মহর্ষি ভৃগু রচনা করেছেন জ্যোতিষ-সহ অন্যান্য শাস্ত্রের প্রামাণ্য আকর গ্রন্থ ভৃগুসংহিতা | আজও ভারতের নানা জায়গায় আছে তাঁর আশ্রম |

দশাবতার দর্শন করুন ও প্রণাম করুন

অবতার কি?
*********
অবতার (আক্ষরিক অর্থে অবতরণকারী) বলতে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে স্বেচ্ছায় মর্ত্যে অবতীর্ণ পরম সত্ত্বাকে বোঝায়। কেবলমাত্র পরম সত্ত্বা বা পরমেশ্বরের অবতারগুলিই ধর্মানুশীলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল অবতার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও অতিলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন। অন্যান্য অবতার গুলি ঈশ্বরের গৌণ সত্ত্বার রূপ অথবা কোনো গৌণ দেব দেবীর অবতার। অবতার, এই শব্দটি হিন্দুধর্মে মূলত বিষ্ণুর অবতারদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান হিন্দুধর্মের অন্যতম বৃহৎ শাখা বৈষ্ণবধর্মে এই সকল অবতারের পূজার বিধান রয়েছে। বৈষ্ণবরা বিষ্ণুর দশাবতারকে পরমেশ্বরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যরূপে কল্পনা করেন। অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য অবতার গুলি বৈষ্ণব শাস্ত্রের বর্ণিত অবতারদের অনুসরণে কল্পিত হয়ে থাকে। যেমন বৈষ্ণব ধর্ম মতে হিন্দুধর্মে অবতারবাদ মূলত বিষ্ণুকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। বিষ্ণু ত্রিমূর্তির অন্যতম দেবতা ও হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী জগতের পালক ও রক্ষাকর্তা। অবতার হল, হিন্দু শাস্ত্রমতে ভগবান বিষ্ণুর মনুষ্যরূপে অথবা প্রানিরূপে পৃথিবীতে আগমন। বিভিন্ন গ্রন্থে অবতারের মোট সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। অবতার দুই প্রকার আংশিক ও পূর্ণাবতার। বিষ্ণু পরিপূর্ণভাবে আভির্ভূত হলে তাকে বলে পূর্ণবতার এবং আংশিকভাবে আভির্ভূত হলে তাকে বলে অংশাবতার।
বিষ্ণুর দশ সর্বাধিক প্রসিদ্ধ অবতার দশাবতার নামে পরিচিত। দশাবতারের তালিকাটি পাওয়া যায় গরুড় পুরাণ গ্রন্থে। এই দশ অবতারই মানব সমাজে তাঁদের প্রভাবের ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য হন। দশাবতারের প্রথম চার জন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সত্য যুগে। পরবর্তী তিন অবতারের আবির্ভাব ত্রেতাযুগে। অষ্টম অবতার দ্বাপরযুগে এবং নবম অবতার কলিযুগে অবতীর্ণ হন। গরুড় পুরাণ ও অন্যান্য সনাতনী গ্রন্থ অনুসারে, দশম অবতার এখনো অবতীর্ণ হননি। তিনি কলিযুগের শেষ পর্বে অবতীর্ণ হবেন।
আসুন দেখি দশাবতার গুলি কি ও কি তার প্রকাশ••••••••
গরুড় পুরাণ মতে, বিষ্ণুর দশাবতার নাম ও যুগ উল্লেখিত:- মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন,
পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, কল্কি
১. মৎস্যঃ- মাছের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্মঃ- কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহঃ- শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহঃ- অর্ধনরসিংহ রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামনঃ- বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরামঃ- পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রামচন্দ্রঃ- অযোধ্যার রাজপুত্রের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণঃ- দ্বাপরযুগে ভ্রাতা বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ।
৯. বুদ্ধঃ- কলিযুগে অবতীর্ণ হন।
১০. কল্কিঃ- সর্বশেষ অবতার। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের অন্তে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।
গরুড় পুরাণ অনুসারে বলরাম শীষনাগের অবতার। কোনো কোনো বৈষ্ণবীয় উপনিষদ শাস্ত্রে তাঁকে বিষ্ণুর নবম অবতার বলে মনে করা হয়। উল্লেখ্য, ঐ সকল গ্রন্থে বুদ্ধের কোনো উল্লেখ নেই। আবার শ্রীমদ ভাগবতে বুদ্ধদেব অবতারের উল্লেখ আছে। উল্লেখ্য দশাবতারের প্রকাশ••••••
#মৎস্যঃ- মৎস্য হল বিষ্ণুর প্রথম অবতার। মহাপ্লাবনের সময় বিষ্ণু একটি মাছরূপে পৃথিবীতে আসেন। অবতার বেশে বিষ্ণু, এ সময়ে তাঁর শিং এর সাথে মনুর নৌকা বেঁধে রাখেন। প্লাবন শেষে মনু পুনারায় এই সৃষ্ঠি প্রতিফলিত করেন।
#কূর্মঃ- কূর্ম বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার। অমৃত উদ্ধারের জন্য যখন দেবতা ও দৈত্যরা সমুদ্র মন্থন করছিলো তখন বিষ্ণু কুৰ্মরূপ ধারণ করে মন্দর পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করে সাগরতলে শয়ন করেন । হাজার বছর মন্থনের পর ধন্বন্তরির আবির্ভাব হয়।
#বরাহঃ- বরাহ বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার। বরাহ অর্থ শূকর। দানব হিরণ্যক্ষ পৃথিবীকে সমুদ্রতলে নিয়ে গেলে বরাহ তার সাথে এক হাজার বছর যুদ্ধ করে তাকে বধ করেন।
#নৃসিংহঃ- নৃসিংহ বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। হিরণ্যকশিপু নামে এক দানব তার পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা করতে গেলে বিষ্ণু নৃসিংহরূপে আবির্ভূত হন এবং প্রহ্লাদকে উদ্ধার করেন।
#বামনঃ- বামন বিষ্ণুর পঞ্চম অবতার। দানবরাজ বলি স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল দখল করে নেয় এবং প্রচন্ড অত্যাচার শুরু করে। তার হাত থেকে মানব ও দেবতাদের রক্ষা করার জন্য মানবরূপে বিষ্ণুর আবির্ভাব হয়। তিনি বলির নিকট তিন পদক্ষেপ সমপরিমান জমি পাবার জন্য আবেদন করেন। ক্ষুদ্রকায় বামনের তিন পদক্ষেপ জমি খুবই সামান্য বিবেচন করে বলি তা দিতে রাজি হন। বামন দুই পদক্ষেপে স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নেন। বলি তখন বামনরূপী বিষ্ণুকে চিনতে পারেন এবং তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে নেন।
#পরশুরামঃ- ত্রেতা যুগারম্ভে যখন ক্ষত্রিয় রাজারা অত্যাচারী-অনাচারী ও অধর্মী হয়ে উঠে, তখন সৃষ্টির পালনহার বিষ্ণু পরশুরাম রুপে অবতীর্ণ হয়। পরে মহাদেবের কাছ থেকে যুদ্ধবিদ্যা শিখে এবং পিতার মৃত্যু শোধ নিতে গিয়ে সৃষ্টির সমাজ থ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180822210011