শুভ সন্ধ্যা
সকল মানুষের কল্যাণ কামনায় দীর্ঘ সময়ের পর আমি আজকেআমার বিশেষ একজনের অনুপ্রেরণা য় আপনাদের জন্য
গায়েত্রী মন্ত্র ওযন্ত্রম প্রোয়োগ বিধি লিখলাম, সকলকেই অনুরোধ করছি আপনি পরুন ও আপনার অনুসরণকারীদের সেয়ার করে সকলের পড়ার সূযোগ করে দিন ও সকলেই ভালো থাকুন।
******************************
গায়ত্রী মন্ত্র
গায়ত্রী মন্ত্র হল বৈদিক হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, বেদের অন্যান্য মন্ত্রের মতো গায়ত্রী মন্ত্রও “অপৌরষেয়” (অর্থাৎ, কোনো মানুষের দ্বারা রচিত নয়) এবং এক ব্রহ্মর্ষির কাছে (গায়ত্রী মন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র) প্রকাশিত। এই মন্ত্রটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এটি ঋগ্বেদের (মণ্ডল ৩।৬২।১০) একটি সূক্ত। গায়ত্রী মন্ত্র গায়ত্রী ছন্দে রচিত। হিন্দুধর্মে গায়ত্রী মন্ত্র ও এই মন্ত্রে উল্লিখিত দেবতাকে অভিন্ন জ্ঞান করা হয়। তাই এই মন্ত্রের দেবীর নামও গায়ত্রী। গায়ত্রী মন্ত্র দিয়ে শুধু পূজাই হয় না, গায়ত্রী মন্ত্রকেও পূজা করা হয়।
গায়ত্রী মন্ত্র দিয়ে হিন্দু দেবতা সবিতৃকে আবাহন করা হয়। তাই গায়ত্রী মন্ত্রের অন্য নাম “সাবিত্রী মন্ত্র”। সাবিত্রীর ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা অনুসারে এই মন্ত্র সূর্যপূজা, যোগ, তন্ত্র বা শাক্তধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রটির শুরুতে ওঁ-কার এবং “মহাব্যাহৃতি” নামে পরিচিত “ভূর্ভুবঃ স্বঃ” শব্দবন্ধটি পাওয়া যায়। এই শব্দবন্ধটি তিনটি শব্দের সমষ্টি – ভূঃ, ভূবঃ ও স্বঃ। এই তিনটি শব্দ দ্বারা তিন জগতকে বোঝায়। ভূঃ বলতে বোঝায় মর্ত্যলোক, ভূবঃ বলতে বোঝায় স্বর্গলোক এবং স্বঃ হল স্বর্গ ও মর্ত্যের সংযোগরক্ষাকারী এক লোক। বেদে যে সপ্তভূমি বা সাত জগতের উল্লেখ আছে, এগুলি তার মধ্যে তিনটি জগতের নাম। ধ্যান অনুশীলনের ক্ষেত্রে ভূঃ, ভূবঃ ও স্বঃ – এই তিন লোক চেতন, অর্ধচেতন ও অচেতন – এই তিন স্তরের প্রতীক।
বৈদিক সাহিত্যে বহুবার গায়ত্রী মন্ত্র উল্লিখিত হয়েছে। মনুস্মৃতি, হরিবংশ, ও ভগবদ্গীতায় গায়ত্রী মন্ত্রের প্রশংসা করা হয়েছে। হিন্দুধর্মে উপনয়ন সংস্কারের সময় গায়ত্রী দীক্ষা একটি প্রধান অনুষ্ঠান এবং হিন্দু দ্বিজ সম্প্রদায়ভুক্তেরা এই মন্ত্র নিত্য জপ করেন। আধুনিক হিন্দু ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের ফলে গায়ত্রী মন্ত্র নারী ও সকল বর্ণের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে।
গায়ত্রী মন্ত্রের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণঃ (ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ ) ভূঃ-পৃথিবী, ভুবঃ-সূর্য,স্বঃ– ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা এই টার্মগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। যখন একটি ফ্যান ৯০০ আরপিএম গতিতে ঘুরে, এটি বাতাসের মধ্য দিয়ে একটি শব্দ উৎপন্ন করে। একইভাবে যখন অসীম গ্রহমণ্ডলী, সৌর সিস্টেম, ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ বার গতিতে ঘুরে, তারা একটি শব্দ উৎপন্ন করে। ঋষি বিশ্বামিত্র ধ্যানের মাধ্যমে এই শব্দ শুনতে চেষ্টা করেন এবং ঘোষণা করেন যে, এই শব্দ ঐশ্বরিক ওম। ঐ প্রজন্মের ঋষিরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এই ওম এই সৃষ্টিতে সবসময় উৎপাদিত হয় এবং বিদ্যমান থাকে এবং নাকি ঈশ্বরের একটি উপায় তার সৃষ্টির সাথে যোগাযোগ করার। এমনকি গীতায়, শ্রীকৃষ্ণ ঘোষণা করেন যে, ঈশ্বরকে ওম ইতি একক্ষরম ব্রহ্ম হিসেবে, এটি দ্বারা বুঝায় যে ওম ছাড়া ঈশ্বরকে পূজা করার মত আর কোন আকৃতি নেই। যোগী এই শব্দকে “উদগীত নাদ” হিসেবে বলেন যা ধ্যানের সময় সমাধিতে পৌঁছানোর জন্য জপ করা হয় । এটা অন্য সব বৈদিক মন্ত্রের শুরুতে সংযোজন করা হয়। (তৎ সবিতুর্বরেণ্যং) তৎ-স্রষ্টা, সবিতুর-সূর্য নামক একটি গ্রহ যা সংস্কৃত অর্থ মতে সূর্যের সমার্থক, বরেণ্যম-তার সামনে নত হওয়া। এর মানে হল যে,আমরা স্রষ্টার সামনে নত হচ্ছি যার শব্দ ওম এবং যাকে অসীম গ্রহমণ্ডলী থেকে আগত আলোর মত দেখায়। (ভর্গো দেবস্য ধীমহি) ভর্গো-আলো, দেবস্য-দেবতা, ধীমহি-তাকে উপাসনা করা । যা অর্থ আ্মাদের আলো রুপে ঈশ্বরের উপাসনা করার প্রয়োজন।(ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ) ধিয়ো-জ্ঞান, য়ো-কেবা, নঃ-আমাদেরকে,প্রচোদয়াৎ- যথাযথ মাধ্যম / পথে । যার মানে যিনি আমাদের জ্ঞান দান করে থাকেন বা আমাদের জ্ঞান লাভ করতে সঠিক দেখান,সেই ঈশ্বর। এভাবে ঘুরন্ত অসীম ছায়াপথ থেকে নির্গত শক্তি এই সৃষ্টির সবদিকে ছড়িয়ে আছে বলে তাঁকে প্রনব বলা হয়। এই অনুরূপ K.E. = 1/2 mv2 । বেদের অনেক মন্ত্রের আগে তাই এই শক্তিশালী ওম যুক্ত করা হয়েছে এবং বিশ্বের এমনকি অনেক রিলিজিওনেও এই শব্দ সামান্য পরিবর্তন করে যোগ করেছেন এবং তাদের প্রার্থনায়ও যুক্ত করেছেন।
************†*****************†***********
মন্ত্র
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।।
******************************************
গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণের আগে ওঁ-কার উচ্চারণ করা হয়। তারপর “মহাব্যাহৃতি” নামে পরিচিত “ভূর্ভূবঃ স্বঃ” শব্দবন্ধটি উচ্চারণ করা হয়। তৈত্তিরীয় আরণ্যক (২। ১১। ১-৮) অনুযায়ী, ধর্মগ্রন্থ পাঠের আগে ওঁ-কার, মহাব্যাহৃতি ও গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়। মহাব্যাহৃতির পরে ঋগ্বেদের তৃতীয় মণ্ডলে উক্ত (৬২।১০) মূল মন্ত্রটি পাঠ করা হয়।
গায়ত্রী ছন্দে আটটি শব্দাংশ-যুক্ত মোট তিনটি পাদ থাকে। কিন্তু ঋগ্বেদ সংহিতায় উল্লিখিত গায়ত্রী মন্ত্রে একটি শব্দাংশ কম। এই মন্ত্রের প্রথম পাদে সাতটি শব্দাংশ। তাই তিন-শব্দাংশযুক্ত “বরেণ্যং” শব্দের পরিবর্তে “বরেণীয়ং” শব্দটির দ্বারা শব্দাংশের সংখ্যায় সমতা আনা হয়।
বাংলা অনুবাদঃ “
আসুন আমরা সেই স্বর্গীয় সূর্যদেবের সর্বশ্রেষ্ঠতাকে পুজা করি, ঈশ্বর এর সেই শক্তি যে সবকিছুকে আলোকিত করে, যিনি সবকিছুকে পুনরায় সৃষ্টি করেন, যার থেকে সবকিছু অগ্রসর হয়, যার কাছে সবকিছু অবশ্যই ফিরে যাবে, যাকে আমরা আমাদের উপলব্ধিকে তাঁর পবিত্র আসনের দিকে আমাদের অগ্রগতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আবাহন করি।”
গায়ত্রী মন্ত্রটির সরলার্থ,
সর্বলোকের প্রকাশক সর্বব্যাপী সবিতা মণ্ডল জগৎ প্রসবকারী সেই পরম দেবতার বরেণ্য জ্ঞান ও শক্তি ধ্যান করি, যিনি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি প্রদান করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্ত্রের নিম্নলিখিত অনুবাদ করেনঃ-
“যাঁ হতে বাহিরে ছড়ায়ে পড়িছে পৃথিবী আকাশ তারা ,
যাঁ হতে আমার অন্তরে আসে বুদ্ধি চেতনা ধারা—
তাঁরি পূজনীয় অসীম শক্তি ধ্যান করি আমি লইয়া ভক্তি”।
সবিতা
গায়ত্রী মন্ত্রের দেবতা সবিতা। ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলের ৩৮ সূক্তের ৭ থেকে ১১ নং মন্ত্রে সূর্য বা সবিতাকে সকল শক্তির উত্স বলে তার স্তুতি করা হয়েছে। এই মন্ত্রে বলা হয়েছে, হে সবিতা, তুমি অন্তরীক্ষ, জল, স্থল সকল কিছু সৃষ্টি করেছ। তুমি সকল ভূত, পশুপাখী, স্থাবর জঙ্গম ইত্যাদিকে স্ব স্ব স্থানে রেখেছ। ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র, অর্য্যমা বা রুদ্র সবাই তোমার শক্তিতে বলীয়ান। কেউ তোমাকে হিংসা করে না। হে পরমেশ্বর, তোমার দুতিমান জ্যোতিকে (অথ্যাৎ, সকল প্রকাশ যুক্তশক্তি এবং অপ্রকাশিত অতিন্দ্রিয় শক্তিকে) আমরা নমষ্কার করি। তুমি সকলের কল্যাণ কর। আমাদের জন্যে যেন সকল কিছু শুভ হয়। এটাই এই গায়ত্রী মন্ত্রের দেবতা সবিতার তাত্পর্য। বেদভাষ্যকার সায়নাচার্য গায়ত্রী মন্ত্রে সূর্য ও সবিতার দুই রকম অর্থ করেছেন। তাঁর মতে এই মন্ত্রে সবিতা হল, সকল কারণের কারণ সেই সচ্চিদানন্দ নিরাকার পরম ব্রহ্ম বা জগত স্রষ্টা। “সু” ধাতু থেকে সবিতৃ নিষ্পন্ন হয়েছে, যায় জন্যে সবিতার অর্থ এক্ষেত্রে প্রসবিতা বলে উল্লিখিত হয়েছে। নিরুক্তিকার যস্ক এর অর্থ করেছেন “সর্ব্বস্য প্রসবিতা।
গায়ত্রী
দেবী গায়ত্রীর তিন রূপ। সকালে তিনি ব্রাহ্মী, রক্তবর্ণা ও অক্ষমালা-কমণ্ডলুধারিনী। মধ্যাহ্নে বৈষ্ণবী, শঙ্খ, চক্র, গদা ধারণকারিনী। সন্ধ্যায় শিবানী; বৃষারূঢ়া, শূল, পাশ ও নরকপাল ধারিনী এবং গলিত যৌবনা। শব্দ-কল্পদ্রুম অনুসারে, যজ্ঞকালে একবার ব্রহ্মার স্ত্রী সাবিত্রী একা যজ্ঞস্থলে আসতে অস্বীকৃত হলে, ব্রহ্মা ক্রুদ্ধ হয়ে অন্য নারীকে বিবাহ করে যজ্ঞ সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন। তাঁর ইচ্ছানুসারে পাত্রী খুঁজতে বের হয়ে এক আভীরকন্যাকে (গোয়ালিনী) পাত্রী মনোনীত করেন ইন্দ্র। বিষ্ণুর অনুরোধে তাঁকে গন্ধর্ব মতে বিবাহ করেন ব্রহ্মা। এই কন্যাই গায়ত্রী।
গায়ত্রীর ধ্যানে আছে, তিনি সূর্যমণ্ডলের মধ্যস্থানে অবস্থানকারিনী, বিষ্ণু বা শিবরূপা, হংসস্থিতা বা গরুড়াসনা বা বৃষবাহনা। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু বিধান অনুসারে, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় গায়ত্রী ধ্যান করতে হয় এবং এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয় বলে এর নাম ‘গায়ত্রী’। বেদজ্ঞ আচার্যের কাছে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তাঁর পূণর্জন্ম হয় ও তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন। সেই কারণে দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণগণের উপাস্য। বৈদিক গায়ত্রী মন্ত্রে আদলেই অন্যান্য দেবতার গায়ত্রী রচিত হয়েছে, দ্রষ্টব্য গণেশ, কালী, গুহ্যকালী, নারায়ণ, রাধা প্রভৃতি ।
***********************†***************
গায়েত্রী প্রয়োগ বিধি ও প্রাপ্তি
(গায়ত্রী প্রয়োগ)
সবাইকে নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পর্ব। আজ বলবো এমন একটি প্রয়োগ নিয়ে যেটা আপনার জীবনের অনেক কিছু বাধা, প্রতিকূলতা সরিয়ে দিয়ে আপনাকে মাত্র বেয়াল্লিশ দিনের মধ্যে নতুনভাবে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দেবে। যদি আপনার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ে যাচ্ছে দেখেন বা আপনার জীবনের সমস্ত উন্নতি স্তম্ভিত হয়ে গেছে বলে আপনার মনে হচ্ছে , আত্মহত্যা করার প্রবণতা আসছে আপনার মধ্যে বা আপনার প্রিয় মানুষটির মধ্যে। যেন জন্মজন্মান্তরের অভিশাপ বয়ে নিয়ে চলছে আপনার জীবন। দিশাহারা অবস্থায় বুঝতে পারছেন না কি করবেন।
এইরকম অবস্থায় করুন এই ক্রিয়া।
বেদমাতা দেবী গায়ত্রীর নাম সবাই জানেন। শুধু তাই নয় আজকের দিনে গায়ত্রী মন্ত্র সর্ব্বজনবিদিত। এই গায়ত্রী দেবীর পুজা, হোম ও যন্ত্রম প্রতিষ্ঠা করে নিন পূর্ণিমার দিন। একটি তামার মাদুলিতে একটু হোমের ভস্ম ভরে নিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। ঠাকুরের আসনে যন্ত্রম টি স্থাপন করে তার নিচে মাদুলিটাও রেখে দিন। এবার প্রতিদিন শুধু ধুপ আর দীপ দেখান সকাল সন্ধ্যায় আর নিজের মনোবাসনা জানান গায়ত্রী মায়ের কাছে। মাত্র বেয়াল্লিশ দিনের মধ্যে অভুতপূর্ব উন্নতি দেখতে পাবেন। সূর্যের মধ্যস্থিতা গায়ত্রী দেবীর তেজে আপনার সবরকম বাধা জ্বলে পুড়ে নাশ হয়ে যাবে।
শুধু খেয়াল রাখবেন যেন বেদজ্ঞ ও গায়ত্রী দেবীর পুজো জানেন এমন মানুষই পৌরহিত্য করেন। নিঁখুত ভাবে পুজো করাটাই এর প্রধান ক্রিয়া। করে দেখুন সুফল লাভ করবেন।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks