• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, February 3rd, 2019

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে গ্ৰহন দোষ ও দারিদ্র্য যোগ

জোতিষ শ্রাস্ত্রে গ্ৰহন দোষ ও দারিদ্র্য যোগ

সুপ্রভাত
আজকের বিষয় গ্ৰহন দোষ ও দ্রারিদ্র যোগ

পেশাগত জীবনে জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা করতে গিয়ে দেখেছি, একজন জাতকের জন্ম তারিখ অনুসারে সঠিক কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার করবার জন্য খুবই অল্প সময় পেয়ে থাকি। যা গড়পরতায় অনধিক ২ ঘন্টার বেশী কোনো ভাবেই নয়।(শুধুমাত্র আমার জন্য )এই একজন প্রশ্নকারী এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই তার জীবনের সব শুভাশুভ বিষয় জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অর্থাৎ একজন প্রকৃত জ্যোতিষী মহোদয়ের সুনাম, সম্মান, মর্র্যাদা, অভিজ্ঞতা ও প্রশ্নকারীর নিকট তার গ্রহন যোগ্যতা প্রমানের সময়ও ঐ একটি মহামূল্যবান ঘন্টা। এই একটি ঘন্টার মধ্যে জ্যোতিষী মহোদয় যদি প্রশ্নকারীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্নকারীকে পরিতৃপ্ত করতে পারেন তবেই জ্যোতিষীর সাফল্য প্রমাণিত হবে। তা না হলে যত জ্ঞাণী বিজ্ঞ, বিখ্যাত, দেশ-বিদেশে খেতাব প্রাপ্ত হোন না কেন, সবই পন্ড শ্রম।

আমি একটি কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার কালে রাজযোগ, গ্রহাবস্থান, মহাদশা, গ্রহ গোচরের পাশা পাশি অশুভ যোগগুলির দিকে গুরুত্বের সাথে দৃষ্টি দিয়ে থাকি। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি পেশাদার অপেশাদার ও নবীন জ্যোতিষীগন নিুের বিষয় গুলি খেয়াল করবেন এবং পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করে উপকৃত হবেন।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে শুভ যোগ গুলির পাশা পাশি এমন কিছু অশুভ যোগ রয়েছে যা কোষ্ঠীর বহু শুভ যোগের ফল প্রদানে বাধা দেয়, এবং অশুভ ফল নিশ্চিত রুপে প্রদান করে। যেমনঃ- গ্রহন দোষ, ও দারিদ্র যোগ ।

গ্রহন দোষ ঃ রাহু ও কেতু কোনো দৃষ্টি গোচর গ্রহ নয়। চন্দ্র ও পৃথিবীর কক্ষপথের দুটি ছেদ বিন্দু। বা সরল ভাষায় চন্দ্র ও পৃথিবীর ছায়া উপছায়া হলো রাহু ও কেতু। যখনই সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরল রেখায় চন্দ্র চলে আসে তখন পৃথিবীর কিছু অংশে চন্দ্রের ছায়া পরে এবং সে স্থানে সূর্যকে কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায়না একে আমরা সূর্য গ্রহণ বলে জানি। আবার কখোনো কখোনো সূর্য এবং চন্দ্রের মাঝে একই সরল রেখায় পৃথিবী চলে আসে, তখন চন্দ্রের ওপর পৃথিবীর ছায়া পরে এবং কিছু সময়ের জন্য চন্দ্রকে পৃথিবীর কিছু অংশের মানুষ দেখতে পায়না একে আমরা চন্দ্র গ্রহন বলি। হিন্দু পুরাণে রাহু ও কেতু হলো অসুর। অসুররা হতো মরনশীল। সমুদ্র মন্থনে উত্থিত অমৃত দেবতারা নিজেরাই পান করার সিদ্ধান্ত নেন। অসুর দেরকে অমৃত না দেবার কৌসল করলে রাহু তা ধরে ফেলে এবং ছদ্মবেশে দেবতাদের দলে প্রবেশ করে তা পান করেন। সূর্যদেব ও চন্দ্রদেব অসুর রুপি রাহুকে চিনতে পারেন এবং বিষ্ণুকে তা অবগত করলে বিষ্ণু তার চক্রবাণ নিক্ষেপ করে রাহুর মস্তক খন্ডন করেন। রাহুর খন্ডিত মস্তক হলো রাহু এবং বাকি দেহ হলো কেতু। অমৃত পান করার কারনে রাহু অমরত্ব পায়। সেই থেকে রাহু ও কেতু চন্দ্র ও সূর্যকে গ্রাস করার জন্য ছুটে চলছে।
রাশি চক্রে রবি এবং চন্দ্র যখনি রাহু এবং কেতুর সাথে সংযোগ করে তখনই গ্রহণ দোষ সৃষ্টি হয়। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি অশুভ যোগ। জন্ম ছকে যে ভাবে এই দোষ সৃষ্টি হয় সে ভাব ও ভাব সম্পকৃত আত্মিয়র শুভ ফলের হানি করে। সেই আত্মিয়র চরিত্রে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই দেখা যায় সন্তানের গৃহে রাহু বা কেতুর অবস্থান সন্তান সম্পর্কৃত বিষয়ে অশুভ ফল নির্দেশক। চন্দ্র মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে নির্দেশ করে । চন্দ্র আবার স্বাভাবিক মাতৃ কারক গ্রহ। রাহুর সাথে চন্দ্রের সংযোগে বা রাহুর দৃষ্টি চন্দ্রের ওপর পরলে প্রশ্নকারী এবং তার মাতার মাঝে প্রচুর উচ্চাকাংখা, লোভ, অহংকার দেখা যায়। তাদের মাঝে অতৃপ্ততা দেখতে পাওয়া যায়। রাহু চন্দ্রের সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষ হলে প্রশ্ন কর্তা মানষিক ভাবে সর্বদা দুঃখি থাকে। সে কখোনই কোনো কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয়না। মনে রাখবেন প্রশ্ন কর্তার দুঃখ কেউ দূর করতে পারবেনা। সব কিছু পেলেও সে দুঃখি আত্মা।

একই ভাবে রবির সাথে রাহুর অবস্থান জাতককে দুঃখি আত্মা করে। রবি স্বাভাবিক পিতৃ কারক গ্রহ হওয়ায় পিতার সাথেও জাতকের সুসম্পর্ক থাকেনা। পিতার দ্বারা জাতক বৈরী আচরন পেয়ে থাকে। রবি জগতে আলো ও প্রাণের উৎসের প্রতিক। রবি রাহুর সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুঃর্বিসহ। জাতককে বহু বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। সকল কাজে হতাশা নিরাশা দেখা দেয়। তাই হয়ত খনার বচনে দেখতে পাই ’’ সূর্য কুজে(মঙ্গল) রাহু মিলে ,গাছে দড়ি বন্ধন গলে।’’

একই ভাবে যদি চন্দ্রের সাথে কেতুর সংযোগে গ্রহন দোষ হয় তা হলে প্রশ্ন কর্তার মন মস্তিষ্ক বাধা গ্রস্থ হয়। মাতার সাথে সম্পর্ক ভালো যায় না। কেতুর রহস্যময়তা ও ইর্ষাপরায়নতা তার মাঝে প্রবল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। অপরের উন্নতিতে হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় এবং অপরের দূর্ণাম বদনাম,ও অভিশম্পাত করে। মিথ্যা বলার প্রবনতাও দেখা যায়। রবির সাথে কেতুর সংযোগে সৃষ্ট দোষে জাতকের মনের মাঝে কুটিলতা বিরাজ করে। সে সর্বদা সন্দেহ প্রবন হতে পারে। পিতার সাথে তার কোনো কালেও সু সম্পর্ক থাকেনা। সমাজে তার আচরন হয় রহস্যময়। দূর্নাম-বদনামের আশঙ্কা থাকে। জাতক শীড় পিড়ায় ভুগতে পারে।

দারিদ্র যোগ ঃ জন্ম ছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি ডিগ্রিতে একত্রে অবস্থান করলে দারিদ্র যোগ তৈরি হয়। জাতককে সারা জীবন দারিদ্র যন্ত্রনায় ভুগতে হয়।এ ছাড়া লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্র্রেও অষ্টমে কোনো গ্রহ না থাকলে ও এই যোগ হয়।

উপরে উল্লেখিত যোগ গুলির ফলাফল প্রশ্নকর্তা তার জীবনে অবশ্যই পাবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই । পাশাপাশি শনি গ্রহের গোচর কে অধিক প্রাধান্য দিলে ভালো ফল পাবেন। মনে রাখতে হবে শনি জন্ম চন্দ্রের দ্বাদশে ,জন্ম চন্দ্রে এবং দ্বিতীয়ে, চতুর্থে, ও অষ্টমে সঞ্চার করলে জাতককে সংঘাত পূর্ণ জীবন আরম্ভ করতে হয়। তাই কোনো কষ্ঠি বিচার কালে শনির এরুপ গোচর দেখলে তাকে সতর্ক করে দিন। শনির এরুপ অবস্থানে কাজকর্মে বাধা বিপত্তি, হতাশা, ব্যার্থতা, বিনিয়োগে ক্ষতি হবার আশংকা দেখা দেয়, এ সময় আর্থিক সংকট প্রবল হয়। কোনো নতুন কর্ম ,ব্যাবসা,উদ্যোগ বড় বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া উচিত।

আমি আমার পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে আলোচ্য বিষয়ের অবতারনা করলাম। আশা করি আমার বিজ্ঞ পাঠক গন বিচার করবেন। এবং অবশ্যই প্রয়োগ করে দেখবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190203080650