।। ঈশ্বর ও জোতিষ ।।
ঈশ্বরের স্বরূপ ব্যক্ত করা কিংবা ঈশ্বরের সম্মন্ধে ধারণা কি সম্ভব ?এর উত্তর পেতে হলে আগে জানতে হবে যে ঈশ্বর অসীম, অনন্ত না সসীম ।জড় বিঞ্জান সসীম বস্তু কিংবা বিষয়ের সম্মন্ধে সম্যক তথ্য দিতে পারে, কিন্তু অসীমের সম্মন্ধে কোনো ধারণা কখনোই জড় বিঞ্জানের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়,কারণ বিঞ্জান হলো একটা শাস্ত্রমাত্র , তাকে কাজে লাগায় মানুষের ঞ্জান। মানুষের ঞ্জান সেই বস্তু বা বিষয়ের সম্মন্ধে ধারণা দিতে পারে, যাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তির ঞ্জান একটা সম্পূর্ণ বৃত্ত রচনা করতে পারে , এই বৃত্তটা হলো সেই বস্তু কিংবা বিষয়ের স্বরূপ। নাম এবং রূপ এই বিষয় দুটি সমন্ধে একটু ধারণা করে নেওয়া যাক।আকার কিংবা আয়তন না থাকলেও এবং তাকে চিত্ররূপে ধারণ করা না গেলেও কিন্তু তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা কখনোই সম্ভব নয় --- যেমন 'কাল'‌ ইহা আকার, আয়তনহীন হওয়া সত্ত্বেও ইহার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু এই কালের নিজস্ব সত্ত্বা নেই, কারণ কোনো কালকে নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয় যদি না তার আগের এবং পরের ঘটনা উল্লেখ না করা হয়। সুতরাং কাল অথবা সময় হলো আপেক্ষিক বিষয়। আবার কোনো দেশের কথা উল্লেখ করা যাক। ইহার নাম আছে, আয়তন অথবা আকার আছে,একে চিত্ররূপে ধারণ করা যায় --- এতো কিছু থাকা সত্ত্বেও ইহার স্বীয় সত্ত্বা নেই। কারণ কোনো দেশকে চিহ্নিত করতে হলে প্রথমে তার আশেপাশের দেশগুলোর অবস্থানকে স্পষ্ট করতে হয়। সুতরাং ঈশ্বর সম্মন্ধে আমাদের ধারণাটা অনেক টা অন্ধের হাতির সম্মন্ধে ধারণা দেওয়ার মতো।এক অন্ধ হাতির পায়ে হাত দিয়ে ধারণা করলো হাতি এই জন্তুটা থামের মতো,অন্য আরেক জন অন্ধ হাতির কানে হাত দিয়ে ধারণা করলো যে হাতি জন্তুটা কূলোর মতো। ঠিক সেই রকম আমাদের ঈশ্বর সম্মন্ধে ধারণাটাও‌ অন্ধের হাতির ধারনা দেবার মতো। তাহলে এটা নিশ্চিত যে অনন্তের পরিধি রচনা মানুষের ঞ্জানের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তাহলে কি আমাদের সাধকেরা কেউ ঈশ্বরকে সাকার, আবার কেউবা ঈশ্বরকে নিরাকার রূপে ব্যক্ত করে আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলে গেছেন ! না, কখোনোই না। যেমন ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেব। উনি সাকার এবং নিরাকার উভয় মতেই বিশ্বাসী। ওনার মতে জল জমে গেলে বরফ হয় অর্থাৎ সাকার, আর ঐ একই জল বাষ্প হলে তা হলো নিরাকার। ওনাদেরএই রকমভাবে অনন্ত ঈশ্বরের নাম অথবা রূপ দেবার সার্থকতা কি? আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ঈশ্বর সাধনা করার সুযোগ ওনারা করে দিয়ে আমাদের ওপর দয়া প্রদর্শন করে গেছেন। নিরাকার বাদীরা যেমন মুসলমানেরা কেবলমাত্র আল্লাহর নাম ধারণ করে এবং সেই ধারণাকে অধিকক্ষণ চিন্তার মধ্যে স্থায়ী করে আল্লাহর ধ্যান করে। আবার স্বাকারবাদী হিন্দুদের মতো অনন্ত ঈশ্বরের বিভিন্ন রূপ চিন্তায় ধারণ করা। তারপর এই ধারণাকে চিন্তার মধ্যে অধিকক্ষণ ধারণ করে স্থায়ী করা অর্থাৎ ধ্যান করা। সাধকরা এটা ভালো করে জানতেন যে স্বাকার এবং নিরাকার উভয় পথের মিলন সেই একই জায়গায় অর্থাৎ জ্যোতিতে। সাধকের ইচ্ছা অনুসারে ঐ জ্যোতি থেকে পুনরায় সাধক তার আসনে ফিরে আসতে পারেন, দেবলোকে যেতে পারেন অথবা তিনি চাইলে চিরতরে ব্রম্ভলোকে তার জীবাত্মা কে পরমাত্মার মধ্যে বিলীন করে দিতে পারে।

জোতিষ শ্রাস্ত্রের শুরু থেকে শেষ সর্বত্রই ইশ্বরের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।এই শ্রাস্ত্র ও অসীম ও অনন্ত।কয়েক বছর অধ‍্যায়ন করে কিংবা লাল পোশাকের আচ্ছাদনে থাকলে,সম‍্যক জ্ঞান অর্জন হয় না।যদি উদাহরণ হিসেবে বলি,আমার জ্ঞানের কথা তাহলে বিশাল জলরাশি সমুদ্রে কড়ি আঙ্গুল ডুবিয়ে যতটুকু জল ওঠে ওটা আমার জ্ঞান, আর বাকীটা অজানা।ঔঁ কয়েক বিন্দু জল স্বরূপ জ্ঞান অর্জন করতে আমার সময় লেগেছে দীর্ঘ ৩৬বৎসর।যিনি এই শ্রাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ,ধার্মিক ও উদার মানষিকতার হবেন।গ্ৰহ সন্তুষ্টি তে রত্ন যেমন উপযোগী, তোতোধীক উপযোগী গ্ৰহের বীজমন্ত্র, কবচম-কন্ডলী,যন্ত্রম, পূজা ও যাগযোজ্ঞ।এগুলোর ক্ষেত্রেই ইশ্বরের সান্নিধ্য ও অস্তিত্বের প্রয়োজন।
জয় মা তারা সকলের মঙ্গল করো।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks

Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20190409092227