সুপ্রভাত
আজকের বিশেষ প্রতিবেদন টি সকলেই পড়ে কমেন্ট ও শেয়ার করুন।দয়াকরে কপি করবেন না।
*****জোতিষ ও ভাগ্য*****
এই যে আমাদের শুভ /অশুভ বা মানুষের এত কষ্ট , এত জ্বালা , এত যন্ত্রণা এর জন্য দায়ী কে ? অনেকে বলেন কর্মফল তবে আমার উপলব্ধি গ্রহের ফল মুখ্য । কারন রবি দেয় সৃষ্টি ক্ষমতা, চন্দ্র দেয় মনন ক্ষমতা, মঙ্গল দেয় তেজ ও সক্রিয়তা বুধ দেয় বুদ্ধি, বৃহস্পতি দেয় ঐশী ক্ষমতা {প্রজ্ঞা শক্তি ], শুক্র দেয় ভোগ ও মাধুর্য , সৌন্দর্যজ্ঞান , শনি দেয় ত্যাগ ও তিতিক্ষা। রাশি চক্রে এরা যেমন বলে বলীয়ান থাকবে জাতকের কাজ সেই রকম হবে । জ্যোতিষ শুধু বিজ্ঞান নয় বিজ্ঞানের বিজ্ঞান । জন্মের সময় আমাদের মহাকাশের গ্রহ ও ২৭ টি নক্ষত্ররা আমাদের যেমন ভাবে প্রভাবিত করে, ভাগ্য রুপে আমাদের জীবনের ফলও তেমন দাঁড়ায় । আমি মনে করি ভাল মন্দ সবই সৃষ্টি কর্তার খেলা ।
এই কথা উপলব্ধি করেই ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন "গাছের একটি পাতাও নড়ে না তার ইচ্ছে ছাড়া ।" একজন জ্যোতিষী বলতে পারেন আপনার ভাগ্যে কি আছে, কিন্তু তিনি ভাগ্যের চাকা পাল্টাতে পারেন না। তবে অবশ্যই সেই জ্যোতিষী গনের শাস্ত্রের উপর সঠিক জ্ঞান এবং তার নিজস্ব ক্ষমতা বা অন্তর্নিহিত শক্তি বা Intuition Power থাকা চাই।
যাইহোক আমি আবার আমার আলোচনায় ফিরে আসি.... মানুষের জন্ম মৃত্যু বিবাহে কোন হাত আমাদের নেই । জন্মকালীন শুভ গ্রহ নক্ষত্রের যোগাযোগ না থাকলে হাজার চেষ্টা করেও মানুষ কোন বিষয়ে সফল হতে পারে না । যারা নাস্তিক, বা জ্যোতিষ শাস্ত্র কিছুই বোঝেন না, আমার মনে হয় সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাদের বুঝতে দিতে চান না । সঠিক ভাগ্য জানা বা ভাগ্যের হদিশ পাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয় । দস্যু রত্নাকর যদি বাল্মিকি হতে পারেন, তেমনি ভাল মানুষ দশা অন্তরদশার ভাল সময়ে ভাল থাকেন, তেমনি খারাপ দশা অন্তরদশাতে খারাপ ফল প্রাপ্ত হয়। ঈশ্বরের ইচ্ছায় গ্রহ নক্ষত্ররা কাজ করে, অনেক সময় একজন ভাল মানুষ.... খারাপ সময় চলার জন্য তাকে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয় । দৈব্য কৃপা না থাকলে শুভ ফল পাওয়া অসম্ভব ।
মানুষের জীবনের অনেক অজানা রহস্য ও অজানা তথ্য জ্যোতিষের দ্বারা জ্ঞাত হতে পারে। রাশিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানী Prof. Lakhovsky স্বীকার করেছেন "জন্মকালে আকাশে গ্রহদের অবস্থানের অতি প্রাচীন পদ্ধতিতে ঋষিরা যে প্রভুত গুরুত্ব আরোপ করেছেন, সেটা মোটেই অহেতুক নয় । কারন গ্রহদের থেকে নির্গত রশ্মির কম্পন থেকে জীবজগৎ এর প্রত্যেকটি বস্তুর উপর এর প্রভাব পড়ে। পরে তিনি Multiple Wave Oscillator নামে এক যন্ত্রের আবিস্কার করেছিল যা দিয়ে ক্যান্সার এর মতন রোগের চিকিৎসা করা হত।
নিয়তি বা ভাগ্য সৃষ্টি করেন ভগবান । আর এই রহস্যময় এই নিয়তি শক্তি বা Cosmic energy আমাদের পরিচালিত করে ।
"ন চ দৈবাৎ পরং বলম "
মানুষের কর্ম আগে থেকে নির্ধারিত, কখন কি হবে , সেটা আগে থেকে নির্ধারিত , তেমনি মানুষের মনের সব বাসনাও পূর্ব নির্ধারিত । মনের কোনো ইচ্ছা যখন বাস্তবে পরিণত হয় তখন সেটা ধরে নিতে হবে সেটা দৈব নির্ধারিত । ঈশ্বরের ইচ্ছা বিনা কোনো কিছু সম্ভব নয় । প্রায় বেশিরভাগ পুরুষ কামনা করেন সুস্বাস্থ্য, সুবিদ্যা,সুকর্ম সুন্দর স্ত্রী । মহিলারা কামনা করে সুন্দর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী পুরুষ , যিনি হবেন বিদ্যান, দয়ালু, অর্থবান আর সেই পুরুষ হবে স্ত্রীর প্রতি যত্নবান । বাস্তবে তা হয় না । কজন এই সৌভাগ্যের অধিকারী হয়? তাই মানুষ তাঁর বাসনা বা ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করতে পারে কিন্তু তার বাসনা স্বাধীন নয় তা সম্পূর্ণ দৈব নিয়ন্ত্রিত । কারন জীবনে ভাল কাজ করেও তাকে অত্যন্ত কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়েছ হয়ত। শাস্ত্র মতে এটা পূর্ব জন্মের কর্মফল হিসাবে চিহ্নিত । আগের জন্মের কর্মফলের ভোগ । এখানে স্বীকার করতে হবে " দৈবই পরম বল , পুরুষকার অর্থহীন "
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বার বার দৈব শক্তির কথা বলেছেন । স্বয়ং বিষ্ণু অবতার শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছর বনবাসে ছিলেন , শ্রীরামচন্দ্র অসীম শক্তির অধিকারী হয়েও তার ১৪ বছর বনবাস কমাতে পারেননি । ভাগ্যে যা লেখা আছে তা ঘটবে এটাই ললাট লিখন , অন্যথা হবে না , যার আততায়ীর হাতে মৃত্যু যোগ থাকলে কে আটকাবে?
যীশুখৃস্ট ,মহাত্মা গান্ধী ,ইন্দিরা গান্ধী মুজিবর রহমান, রাজীব গান্ধী এরা সবাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ছিলেন। কিন্তু নিয়তিতে তাদের ছিল অকাল মৃত্যু । সেখানে শত প্রার্থনা বা রত্ন ধারন করলে কোন শুভ ফল সম্ভব নয় । তবে এই সোজা কথা কজন উপলব্ধি করেন । তাই জোরের সাথে বলা যায় ভাগ্য কেউ পরিবর্তন করতে পারে না । ভাগ্যে যা আছে তাই হবে । তবে দূর্ভোগ অনেক টায় কমে আমাদের মতন জ্যোতিষ শাস্ত্রের অনুরাগী রা আপনাদের নিরন্তর জীবন বৃদ্ধির দিক নির্দেশনার সহায়ক হতে পারি ।তবে একটা কথা মনে রাখবেন পীড়িত গ্ৰহ তুষ্ট হলে সুফল মিলতে বাধ্য।এর জন্য দরকার সঠিক বিচার ও বীজমন্ত্র।আমি প্রতিবিধান হিসাবে মন্ত্র শক্তি কেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি।এতে অর্থনাশ হয় না।
প্রতিবিধান:
নিজ নিজ জন্মরাশি অনুযায়ী মন্ত্র জপ করলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে। যে কোনও রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। নিজ রাশির মন্ত্র প্রত্যহ ১০৮ বার জপ করা উচিত। স্নান করে।
দেখুন এতে কোন অর্থের খরচ নেই।
১। মেষ রাশির মন্ত্র - ওঁ হ্লীং শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণয় নমঃ।
২। বৃষ রাশির মন্ত্র - ওঁ গোপালায় উত্তর ধ্বজায় নমঃ।
৩। মিথুন রাশির মন্ত্র - ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ।
৪। কর্কট রাশির মন্ত্র - ওঁ হিরণ্যগর্ভায় অব্যক্ত রূপিণে নমঃ।
৫। সিংহ রাশির মন্ত্র - ওঁ ক্লীং ব্রহ্মণে জগদাধারায় নমঃ।
৬। কন্যা রাশির মন্ত্র - ওঁ নমো প্রীং পীতাম্বারায় নমঃ।
৭। তুলা রাশির মন্ত্র - ওঁ তত্ত্বনিরঞ্জনায় তারকরামায় নমঃ।
৮। বৃশ্চিক রাশির মন্ত্র - ওঁ নারায়ণায় সুরসিংহায় নমঃ।
৯। ধনু রাশির মন্ত্র - ওঁ শ্রীং দেবকৃষ্ণায় ঔর্দ্ধসপ্তায় নমঃ।
১০। মকর রাশির মন্ত্র - ওঁ শ্রীং বৎসলায় নমঃ।
১১। কুম্ভ রাশির মন্ত্র - ওঁ শ্রীং উপেন্দ্রায় অচ্যুতায় নমঃ।
১২। মীন রাশির মন্ত্র - ওঁ ক্লীং উদ্ধৃতায় উদ্ধারিণে নমঃ।
গ্ৰহদের সংখ্যা ও বর্ণ
রবি =১,বর্ণ লাল (জবা কুসুম)
চন্দ্র= ২,বর্ণ কালো
মঙ্গল =৯ ,গার লাল বা কালচে লাল।
বুধ=৫,বর্ণ সবুজ
ব্হস্পতি =৩ ,বর্ণ হলুদ
শুক্র =৬ ,বর্ণ সাদা
শনি =৮ ,বর্ণ নীল
রাহু = ৪,বর্ণ খয়েরি
কেতু =৭ ,বর্ণ ধূসর
এবার জানুন কোনো বার কোন প্রশাক পড়বেন।সমস্ত কাজে সফলতা আসবে।
রবিবার =লাল রঙের পোশাক।
সোমবার=কালো রঙের পোশাক।
মঙ্গলবার=গার লাল রঙের পোশাক।
বুধবার=সবুজ রঙের পোশাক।
বৃহস্পতিবার=হলুদ রঙের পোশাক।
শুক্রবার=সাদা রঙের পোশাক।
শনিবার =নীল রঙের পোশাক
গ্ৰহ ওতাদের ইষ্টদেবী র বীজমন্ত্র:
সূর্য্য
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১০ টা পর্যন্ত।
চন্দ্র
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৭ পর্যন্ত।
মঙ্গল
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ৯-১২ টা পর্যন্ত।
বুধ
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা৭-১১ টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতি
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।
শুক্র
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা। ৬-৮ টা পর্যন্ত
শনি
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।
রাহু
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১১-১.৩০দুপুর পর্যন্ত।
কেতু
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা
*** গ্ৰহদের ইষ্টদেবীর বীজমন্ত্র***
১)মহাকালী মন্ত্র ইনি শনির ইষ্ট দেবী
ওম এ ক্লীং হ্লীং শ্রীং হ্সৌ শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং জূং ক্লীং সং লং শ্রীং রঃ অং আং ইং ঈং উং ঊং ঋং ঋং লং লৃং এং ঐং আং অং অঃ ঊং কং খং গং ঘং ডং ঊং চং ছং জং ঝং ত্রং ঊং টং ঠং ডং ঢং ণং উং তং থং দং ধং নং ঊং পং ফং বং ভং মং ঊং য়ং রং লং বং ঊং শং ষং হং ক্ষং স্বাহা।১০বার জপ করবেন।
বা ঔঁ ক্রীং হূং হ্রীং হ্রীং কালিকায়ৈ স্বাহা ১০৮ বার
বিধি
এটি মহাকালীর উগ্র মন্ত্র। বিন্ধ্যাচলের অষ্টভুজা পর্বতে ত্রিকোণে স্থিত কালী খোহে এই সাধনা করলে শীঘ্র ফল পাওয়া যাবে। শ্মশানেও এই সাধনা করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়িতে করা উচিত নয়। জপ সংখ্যা ১১০০, যা ৯০ দিন পর্যন্ত অবশ্যই করা উচিত।
ফল
এর সাধনা করলে সুমঙ্গল, মোহন, মারণ উচ্চাটনাদি তন্ত্রোক ষড্কর্মের সিদ্ধি হয়।
২)তারা ইনি বৃহস্পতির ইষ্টদেবী
ঊং হ্লীং আধারশক্তি তারায়ৈ পৃথ্বীয়াং নমঃ পূজয়ীতো অসি নমঃ।
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ ১৮ বার জপ।
ফল
সিদ্ধি প্রাপ্তির পর সাধক তর্কশক্তি, শাস্ত্র জ্ঞান, বুদ্ধি কৌশল ইত্যাদি লাভ করেন।
৩)ভুবনেশ্বরী
ঔঁ শাং মাতা ভূবনেশ্বরী ১০৮ বার বা
হ্লীং ভূবনেশ্বরী মাতায়ৈ নমঃ১৮ বার
ফল
অমাবস্যায় একটি কাঠের ওপর এই মন্ত্র লিখে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখালে প্রসবে কোনও সমস্যা হবে না। গলা পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে জলে সূর্যমণ্ডলে দেখতে দেখতে তিন হাজার বার এই মন্ত্র জপ করলে সেই ব্যক্তি ইচ্ছানুসার কন্যা বরণ করতে পারে। অভিমন্ত্রিত অন্নের সেবন করলে লক্ষ্মীর বৃদ্ধি হয়। কমল ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রাজার বশীকরণ হয়।
৪)ত্রিপুর সুন্দরী ইনি বুধের ইষ্টদেবী।
শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং সৌঃ ঊং হ্লীং শ্রীং কএইলহ্লীং হসকহলহ্লীং সংকলহ্লীং সৌঃ এং ক্লীং হ্লীং শ্রীং ১০বার।
বা ঔঁ হ্রীং হূং ঔঁ ফট্ ১৮ বার
বিধি
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ আছে। জপ পশ্চাত্ ত্রিমধুর (ঘি, মধু, চিনি) মিশ্রিত কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত।
ফল
কমল ফুলের যজ্ঞে ধন-সম্পত্তি প্রাপ্তি, দইয়ের যজ্ঞে উপদ্বর নাশ, লাজার যজ্ঞে রাজ্য প্রাপ্তি, কর্পুর, কুমকুম এবং কস্তুরির যজ্ঞে কামদেবের চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের প্রাপ্তি হয়। আঙুরের যজ্ঞে বাঞ্চিত সিদ্ধি এবং তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে সমস্ত ইচ্ছার পূর্তি হয়। আবার গুগুলের যজ্ঞে সমস্ত দুঃখের নাশ হয়।
৫)ছিন্নমস্তা ইনি রাহুর ইষ্টদেবী
ঊং শ্রীং হ্লীং হ্লীং বজ্র বৈরোচনীয়ে হ্লীং হ্লীং ফট্ স্বাহা১৮ বার
বা ঔঁ হ্রীং ক্লীং শ্রীং ঐং হুং ফট্ ছিন্নমস্তা য়ৈ নমঃ ১০ বার
বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ চার লক্ষ জপ। জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ পলাশ বা বিল্ব ফল দিয়ে করা উচিত। তিল এবং অক্ষতের যজ্ঞে সর্বজন বশীকরণ, সাদা কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রোগ মুক্তি, মালতী ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে বাচাসিদ্ধি এবং চম্পার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে সুখ-সমৃদ্ধির প্রাপ্তি হয়।
৬)ধূমাবতী ইনি কেতুর ইষ্টদেবী
ঊং ধূং ধূং ধূমাবতী স্বাহা ১০৮ বার
বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ। এই জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ তিল মিশ্রিত ঘি দিয়ে করা উচিত। নিম পাতা এবং কাকের পালকে উক্ত মন্ত্র ১০৮ বার পড়ে দেবতার নাম নিয়ে ধুনো দেখালে শত্রুদের মধ্যে পরস্পর বিবাদ বাধে।
৭)বগলামুখী ইনি মঙ্গলের ইষ্টদেবী
ঊং হ্লীং বগলামুখী সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং পদং স্তংভয় জিহ্বাং কীলয় বুদ্ধিং বিনাশায় হ্লীং ঊং স্বাহা।
বা ঔঁ ক্লীং হ্লীং ঔঁ বগলামুখ্যৈ নমঃ ১০ বার।
বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এর লক্ষ জপ। জপের পর চম্পা ফুল দিয়ে ১০ শতাংশ যজ্ঞ করা উচিত। এই সাধনায় হলুদ বর্ণের গুরুত্ব আছে। সমস্ত ইচ্ছার পূর্তির জন্য একা এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু এবং চিনি যুক্ত তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে বশীকরণ করা যায়।
৮)মাতঙ্গী ইনি সূর্যের ইষ্টদেবী
ঊং হ্লীং এং শ্রীং নমো ভগবতি উচ্ছিষ্ট চান্ডালি শ্রীমাতঙ্গেশ্বরি সর্বজন বংশকরি স্বাহা।১০ বার
বা ঔঁ হ্রীং হূং মাতঙ্গ্যৈ স্বাহা ১০ বার
বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ জপ ১০ হাজার। জপের ১০ শতাংশ মধু এবং মহুয়ার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। কাম্য প্রয়োগের আগে এক হাজার বার মূল মন্ত্র জপ করে পুনরায় মধুযুক্ত মহুয়া ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। পলাশ পাতা বা ফুল দিয়ে হোম করলে বশীকরণ, মল্লিকার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে লাভ, বিল্ব ফুলে রাজ্য প্রাপ্তি এবং নুন দিয়ে যজ্ঞ করলে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়।
৯)কমলা ইনি চন্দ্রের ইষ্টদেবী
ঊং নমোঃ কমলবাসিন্যৈ স্বাহা ১০ বার।
বা ঔঁ হ্রীং হ্রীং হূং হূং ফট্ ১০ বার
বিধি ও ফল
দশ লক্ষ জপ করুন। দশ শতাংশ মধু, ঘি এবং শর্করাযুক্ত লাল পদ্ম দিয়ে যজ্ঞ করুন। সমস্ত কামনা পুরো হবে।
মহালক্ষ্মী
ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং কমলে কমলালৈ প্রসীদ প্রসীদ ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং মহালক্ষ্মৈ নমোঃ
বিধি ও ফল
এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু, ঘি এবং শর্কতাযুক্ত বিল্ব ফল দিয়ে দশ শতাংশ যজ্ঞ করলে সাধকের গৃহে লক্ষ্মী বাস করেন। যদি কেউ বেশি ধনের কামনা করে থাকেন, তা হলে সত্য বাচন করুন, লক্ষ্মী মন্ত্র এবং শ্রীসুক্ত পাঠ করুন। পূর্ব দিকে মুখ করে ভোজন তথা কথাবার্তা বলুন। নগ্ন হয়ে জলে স্নান করবেন না। তেল লাগিয়ে ভোজন করুন।
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??
তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks