• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Tuesday, June 23rd, 2020

Astro Palmist Numerology Center

জগন্নাথ ও রথযাত্রা

জগন্নাথ ও রথযাত্রা

শুভ রথযাত্রা

আজকের প্রতিবেদন টি সকলের কাছে খুব ভালো লাগবে।ভালো লাগলে সকলে বলুন জয় জগন্নাথ।

বর্ণনা
জগন্নাথের মূর্তি সাধারণত কাঠে তৈরি করা হয়। এই মূর্তির চোখদুটি বড়ো বড়ো ও গোলাকার। হাত অসম্পূর্ণ। মূর্তিতে কোনো পা দেখা যায় না। জগন্নাথের পূজাপদ্ধতিও অন্যান্য হিন্দু দেবতাদের পূজাপদ্ধতির চেয়ে আলাদা ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরে জগন্নাথের প্রধান মন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দির হিন্দুধর্মের চারধামের অন্যতম।

বেদে জগন্নাথের সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে তিনি দশাবতার অথবা বৈদিক হিন্দু দেবমণ্ডলীর সদস্যও অবশ্য কোনো কোনো ওড়িয়া গ্রন্থে জগন্নাথকে বিষ্ণুর নবম অবতার রুপে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।বিষ্ণুর রূপভেদ হিসেবে জগন্নাথ এক অসাম্প্রদায়িক দেবতা।তাকে এককভাবে হিন্দুধর্মের কোনো একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, স্মার্ত সকল শাখার অনুগামীরাই জগন্নাথকে পূজা করেন। এমনকি বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মসম্প্রদায়ের সঙ্গেও জগন্নাথের যোগ দেখানো হয়।

রথযাত্রা

জগন্নাথের সবচেয়ে বিখ্যাত উৎসবটি হল রথযাত্রা। এই উৎসবের সময় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি মূল মন্দিরের (বড় দেউল) গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে কাঠের তৈরি তিনটি বিরাট রথে করে প্রায় ৩ কিলোমিটার (১.৯ মা) দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তরাই এই রথগুলি টেনে নিয়ে যান। যেখানেই জগন্নাথ মন্দির আছে, সেখানেই এই ধরনের রথযাত্রা আয়োজিত হয়।

শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের ইতিহাস..

অনেকেই হইতো জানেন না তাই তাদের জন্য প্রভু জগন্নাাথের এই মহিমা সম্পর্কে লেখা। আশা করি অনেককিছু জানতে পারবেন তাঁর অপারমহিমা সম্পর্কে....রথ শব্দটি বলতেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার ছবি। প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ ও ‘পদ্মপুরাণে’ও এই রথযাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়। পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে যে আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু করে শুক্লা একাদশীর দিন পূর্ণযাত্রা বা উল্টোরথ অনুষ্ঠিত হবার কথা। পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রাও প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যদিও আষাঢ় মাসের পুষ্যানক্ষত্রযুক্ত শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতেই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম। কিন্তু প্রতি বছর তো আর পুষ্যানক্ষত্রেরসঙ্গে আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথির যোগ হয় না, তাই কেবল ওই শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতেই রথযাত্রা শুরু হয়ে থাকে। তবে কখনও এই তিথির সঙ্গে পুষ্যানক্ষত্রেরযোগ হলে সেটি হয় একটি বিশেষ যোগ-সম্পন্ন রথযাত্রা। পদ্মপুরাণে উল্লেখিত রথযাত্রায় শ্রীবিষ্ণুর মূর্তিকে রথারোহণ করানোর কথা বলা হয়েছে। আর পুরীর জগন্নাথদেবের মূর্তি যে শ্রীকৃষ্ণ তথা শ্রীবিষ্ণুরই আর একটি রূপ তা সকলেই স্বীকার করেন। তবে স্কন্দপুরাণে কিন্তু প্রায় সরাসরিভাবে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার কথা রয়েছে। সেখানে ‘পুরুষোত্তম ক্ষেত্র মাহাত্ম্য’ কথাটি উল্লেখ করে মহর্ষি জৈমিনি রথের আকার, সাজসজ্জা, পরিমাপ ইত্যাদির বর্ণনা দিয়েছেন। ‘পুরুষোত্তম ক্ষেত্র’ বা ‘শ্রীক্ষেত্র’ বলতে পুরীকেই বোঝায়। অতএব দেখা যাচ্ছে যে সেই পুরাণের যুগেও এই রথযাত্রার প্রচলন ছিল।উৎকলখণ্ড’ এবং ‘দেউল তোলা’ নামক ওড়িশার প্রাচীন পুঁথিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার ইতিহাস প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল প্রায় সত্যযুগে। সে সময় আজকের ওড়িশার নাম ছিল মালবদেশ। সেই মালবদেশের অবন্তীনগরী রাজ্যে ইন্দ্রদ্যুম্ন নামে সূর্যবংশীয় এক পরম বিষ্ণুভক্ত রাজা ছিলেন, যিনি ভগবান বিষ্ণুর এই জগন্নাথরূপী মূর্তির রথযাত্রা শুরু করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। পরবর্তিকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।বৌদ্ধযুগেও জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুরূপ, রথে বুদ্ধদেবের মূর্তি স্থাপন করে রথযাত্রার প্রচলন ছিল। বিখ্যাত চিন পর্যটক ফা হিয়ান খ্রিস্টিয় পঞ্চম শতকে তৎকালীন মধ্য এশিয়ার খোটান নামক স্থানের যে বুদ্ধ রথযাত্রার বর্ণনা করেছেন তা অনেকাংশে পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।ফা হিয়ানের বিবরণ অনুযায়ী ত্রিশ ফুট উঁচু চার চাকার একটি রথকে বিভিন্ন রত্ন, অলঙ্কার ও বস্ত্রে সুন্দরভাবে সাজানো হত। রথটির চার পাশে থাকত নানা দেবদেবীর মূর্তি। মাঝখানে স্থাপন করা হত বুদ্ধদেবের মূর্তি। এর পর সেই দেশের রাজা তাঁর মুকুট খুলে রেখে খালি পায়ে রথের সামনে এসে নতমস্তকে বুদ্ধদেবের উদ্দেশেপুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর মহাসমারোহে রথযাত্রা শুরু হত। পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় আজও আমরা দেখে থাকি যে প্রতি বছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সেখানকার রাজা। রাজত্ব না থাকলেও বংশ পরম্পরাক্রমে পুরীর রাজপরিবার আজও আছে। ওই রাজপরিবারের নিয়মঅনুসারে যিনি রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন, তিনি অর্থাৎ পুরীর রাজা জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাদেবীর পর পর তিনটি রথের সামনে এসেপুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সম্মুখভাগ ঝাঁট দেওয়ার পরই পুরীর রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মতোই ফা হিয়ান বর্ণিত খোটানের বুদ্ধ রথযাত্রার সময়ের হিসাব করলে দেখা যায় যে সেটি পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার মতোই আষাঢ় মাসে অনুষ্ঠিত হত। এ ছাড়া ফা হিয়েন ভারতে এসে পাটলিপুত্র নগরীতে কুড়িটি রথের এক বিশাল বুদ্ধ-রথযাত্রা দেখবার কথাও লিপিবদ্ধ করে গেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই যে, জগন্নাথদেবের রূপকে যেমন বিষ্ণুরই আর একটি রূপ বলে মানা হয় তেমনই বুদ্ধদেবকেও বিষ্ণুর দশ অবতারের নবম অবতার রূপে গণ্য করা হয়। জগন্নাথ মন্দিরের গায়ে যে দশাবতারের মূর্তি খোদিত আছে সেখানেও নবম অবতাররূপে বুদ্ধদেবের মূর্তি রয়েছে।পুরীর রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে বড় ভাই বলরাম রাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। এই রথের নাম তালধ্বজ। রথটির চোদ্দোটি চাকা। উচ্চতা চুয়াল্লিশ ফুট। রথের আবরণের রঙ নীল। তারপর যাত্রা করে সুভদ্রার রথ। রথের নাম দর্পদলন। উচ্চতা প্রায় তেতাল্লিশ ফুট। এই রথের মোট বারোটি চাকা। যেহেতু রথটির ধ্বজা বা পতাকায় পদ্মচিহ্ন আঁকা রয়েছে তাই রথটিকে পদ্মধ্বজও বলা হয়ে থাকে। রথের আবরণের রঙ লাল। সবশেষে থাকে জগন্নাথদেবের রথ। রথটির নাম নন্দীঘোষ। পতাকায় কপিরাজ হনুমানের মূর্তি আঁকা রয়েছে তাই এইরথের আর একটি নাম কপিধ্বজ। রথটির উচ্চতা পঁয়তাল্লিশ ফুট। এতে ষোলোটি চাকা আছে। প্রতিটি চাকার ব্যাস সাত ফুট। রথটির আবরণের রঙ হলুদ। তিনটি রথের আবরণীর রঙ আলাদা হলেও প্রতিটি রথের উপরিভাগের রঙ লাল এই ভাবে রথ তিনটি সমুদ্রোপকূলবর্তী জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় দু’মাইল দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সেখানে সাত দিন থাকার পর আবার উল্টোরথ অর্থাৎ জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসা। এখন তিনটি রথ ব্যবহৃত হলেও আজ থেকে সাতশো বছর আগে রথযাত্রার যাত্রাপথ দুটিভাগেবিভক্ত ছিল। আর সেই দুটি ভাগে তিনটি-তিনটি করে মোট ছটি রথ ব্যবহৃত হত। কেননা সে সময় জগন্নাথ মন্দির থেকে গুণ্ডিচা আসার পথটির মাঝখান দিয়ে বয়ে যেত এক প্রশস্ত নালা। নাম ছিল বলাগুণ্ডি নালা। তাই জগন্নাথ মন্দির থেকে তিনটি রথ বলাগুণ্ডি নালার পার পর্যন্ত এলে পরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তি রথ থেকে নামিয়ে নালা পার করে অপর পারে অপেক্ষমাণ অন্য তিনটি রথে বসিয়ে ফের যাত্রা শুরু হত। ১২৮২ খ্রিস্টাব্দে রাজা কেশরী নরসিংহ পুরীর রাজ্যভার গ্রহণের পর তাঁর রাজত্বকালের কোনও এক সময়ে এই বলাগুণ্ডি নালা বুজিয়ে দেন। সেই থেকে পুরীর রথযাত্রায় তিনটি রথ।

রথের আদি কথা

রথ হল তিনটি।জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ বা কপিধ্বজ । এই রথের 16টি চাকা। রথের রঙ পীত।ষোল চাকা মানে দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপূ । যা থাকে ভগবানের নীচে।জগন্নাথ প্রতিবছর নব রথে উঠে। নব মানে নতুন আবার নব মানে নববিধা ভক্তি। মানে ভক্তির রথে জগন্নাথ উঠে। ভক্তি দিয়ে গড়া রথ।দেহের সাথে রথের অনেক মিল। ঠিক যেমন আমাদের দেহ ভক্তি দিয়ে গড়া হলে ভগবান আসবে। একবার নেমে গেলে পুরাতন রথে জগন্নাথ উঠে না। ঠিক একবার চলে গেলে এই পুরাতন দেহেআর ভগবান আসে না।206 টি কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ হয়। ঠিক আমাদের দেহেও 206 টি হাড়।পুরীতে রথ টানে ঘোড়া। দেহের ঘোড়া হল আমাদের ইন্দ্রিয়।রথের ঘোড়া টানে দড়ি। দেহের এই দড়ি হল মন ।পুরীর রথের সারথী হল দারুক।দেহের সারথী হল বুদ্ধি । দেহ রথের রথী হল জগন্নাথ। সবাই যায় রথ দেখতে। কারণে ওতে রথী আছে প্রভু জগন্নাথ। একবার উল্টোরথের পর নেমে গেলে, জগন্নাথ সেই রথে আর উঠে না। রথের কাঠ ভেঙে জগন্নাথের রান্না কাজে লাগানো হয়।আমাদের দেহ থেকেও জগন্নাথ নেমে গেলে আর কেউ এই দেহ রাখবে না। কোন মূল্য নেই। মৃত বলে পুড়ে ফেলবেন বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ বা হলধ্বজ। 14টি চাকা আছে। 14টি চাকা মানে 14টি ভুবন। বলভদ্র হল গুরুতত্ত্ব। গুরুতত্ত্বের অধীন 14টি ভূবন। গুরুর অনুগত হতে হবে 14টি ভুবনে থাকতে হবে। রথাবরন- রক্তনীল। রথের সারথি - মাতলী, রথের রক্ষক- ভাষ্কর, রথের অশ্ব- তীব্র, ঘোর, দীর্ঘশ্রম, ও স্বর্ণলাভ।সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজ বা দর্পদলন। দেবী সুভদ্রার রথের পরিচয়------দেবতাদের দ্বারা প্রদত্ত সুভদ্রা দেবীর রথের নাম 'দর্পদলন'। রথের উচ্চতা 31 হাত। এই রথে 12 টি চাকা আছে। 12টি মানে। ভজনের সময় বার মাস। প্রতিদিন ভক্তিঙ্গ যাজন করতে হবে।রথ যখন চলে প্রথমে বলদেবের রথ। কারণ বলদেব দাদা। আবার জগত গুরুতত্ত্ব। তিনিই তো নিত্যানন্দ ।সবার জীবনে আগে গুরুকৃপা আসতে হবে। তারপর চলে সুভদ্রা। সুভদ্রা হল ভক্তি তত্ত্ব। গুরুকৃপার পর আসে ভক্তিমহারাণী। কারণ ভক্তির ঠিকানা শ্রীগুরুপদে।"শ্রীগুরুপাদপদ্ম কেবলি ভক্তিসদ্ম। বন্দি মুই সাবধান সনে।" ভক্তির ঠিকানা ভগবানের কাছে না গুরুদেবের চরনে। তাই গুরুদেবকে মনুষ্য বুদ্বি করা অপরাধ। গুরুদেব হলভগবানের করুনার মুর্তি। তারপর যাই জগন্নাথের রথ। গুরুদেব আগে তারপর ভক্তি তারপর জীবনে আসে ভগবান জগন্নাথ ।রথ কাঠের নিমির্ত হলেও সামান্য নয়। চিন্ময় কারণ এতে জগন্নাথ জগতের নাথ বিরাজিত হয়।রথের দর্শনে শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভু নৃত্য করছেন। অপলক নয়নে দর্শন করছেন জগন্নাথ। রথ চলতে চলতে থেমে যায়, আবার অনেক সময় একদম চলে না।তার কারন রাধা ভাবে বিভর মহাপ্রভুকে ভাল করে দেখার জন্য রথ একটু থামে আবার চলে। একবারে থেমে যায় কারন অনেক ভক্তের মাঝে মহাপ্রভুকে না দেখে জগন্নাথ থেমে যায়। রথ অপ্রকৃতি কারন এ প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছা শক্তিতে রথ চলে।আজও রথে অচল জগন্নাথকে দেখে রাধা ভাবে বিভর মহাপ্রভু আনন্দে নেচে নেচে যায়।

পুরীর রথযাত্রার এই তথ্যগুলি কি কি জেনে নিন।

আজ রথযাত্রা ৷ আজকের দিনে রথে চড়ে সুভদ্রা ও বলরামকে সঙ্গে নিয়ে মাসির বাড়ি রওনা দেবেন জগন্নাথ ৷ জগন্নাথদেবের এই রথযাত্রা ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা দেশে ৷ পুরী থেকে কলকাতা, হুগলি থেকে আমেদাবাদ জুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা ৷

রীতি অনুসারে রবিবার ভোর তিনটে থেকে পুরীতে শুরু হয়েছে বিশেষ পূজা-অর্চনা ৷ পূজা শেষ হলে বিশেষ কাঠে তৈরি তিনটি সুসজ্জিত রথে একে একে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে বসিয়ে শুরু হবে পুরীর রথ যাত্রা ৷

- আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় শুরু হয় রথযাত্রা

- গুণ্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা

- মন্দির থেকে গুণ্ডিচা মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ২ কিমি

- প্রতি বছরই নতুন করে প্রতিটি রথ তৈরি হয়

- জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ

- রথে জগন্নাথের সঙ্গী হন মদনমোহন

- নন্দীঘোষের উচ্চতা ৪৫ ফুট, ১৬ চাকা

- ৮৩২ কাঠের টুকরো দিয়ে গড়া হয় রথ

- লাল ও হলুদ কাপড়ে সাজানো হয়

- নন্দীঘোষের সারথির নাম দারুকা

- রথের মাথায় থাকা পতাকার নাম ত্রৈলোক্যমোহিনী

- এই রথে ৪ ঘোড়া থাকে

- জগন্নাথের রথের রশির নাম ‘শঙ্খচূড়া নাগুনি’

- জগন্নাথের রথে সওয়ার হন আরও ৯ দেবতা

- এঁদের মধ্যে আছেন গোবর্ধন, কৃষ্ণ, নরসিংহ, রাম, নারায়ণ, হনুমান, রুদ্র

- জগন্নাথের রথে একজন রক্ষীও থাকেন

- এই রক্ষীর নাম গারুদা

- বলভদ্রের রথের নাম তালধ্বজ

- রথে বলভদ্রের সঙ্গী হন রামকৃষ্ণ

- তালধ্বজের উচ্চতা ৪৪ ফুট

- এই রথে মোট ১৪ চাকা রয়েছে

- ৭৬৩ কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি হয় রথ

- লাল ও সবুজ কাপড়ে সাজানো হয় রথ

- তালধ্বজের সারথির নাম মাতালি

- তালধ্বজের রক্ষীর নাম বাসুদেব

- রথের মাথায় পতাকার নাম উন্যানী

- রথের রশির নাম বাসুকি নাগ

- বলভদ্রের রথেও ৯ দেবতা থাকেন

- এঁদের মধ্যে আছেন কার্তিক, গণেশ, সর্বমঙ্গলা, মৃত্যুঞ্জয়, মুক্তেশ্বর

- তালধ্বজেও থাকে ৪ ঘোড়া

- সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন

- রথে সুভদ্রার সঙ্গী সুদর্শনা

-দর্পদলনের উচ্চতা ৪৩ ফুট

- এই রথে মোট ১২ চাকা রয়েছে

- লাল এবং কালো কাপড়ে সাজানো হয় রথ

- দর্পদলনের সারথির নাম অর্জুন

- দর্পদলনের মাথায় থাকা পতাকার নাম নদম্বিকা

- রথের রশির নাম স্বর্ণচূড়া নাগুনি

- সুভদ্রার রথে থাকেন ৯ দেবী

- এঁদের মধ্যে রয়েছেন চণ্ডী, চামুণ্ডা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, মঙ্গলা, বিমলা

- সুভদ্রার রথকেও টেনে নিয়ে যায় ৪ ঘোড়া

জপ:
জয় জগন্না জয় মহাপ্রভূ।হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরেহরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে

শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের প্রণাম মন্ত্র :-

নীলাচলনিবাসায় নিত্যায় পরমাত্মনে। বলভদ্র সুভদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমঃ। ।*
অনুবাদ *পরমাত্মা স্বরুপ যাঁরা নিত্যকাল নীলাচলে বসবাস করেন, সেই বলদেব, সুভদ্রাও জগন্নাথদেবকে প্রণতি নিবেদন করি।
জয় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব কি জয়...

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20200623202658