শুভ বুধবার
মহালয়া কে শুভ মহালয়া বলবেন কি না পড়ে ও ভেবে দেখুন।
https://youtu.be/DNIQML6xRjk
আজকের বিশেষ প্রতিবেদন পরুন ভালো লাগবে নিজের পিতৃপুরুষেদের জল দিন নিজের মতো করে ,সমস্ত মন্ত্র দিলাম।ভালো লাগলে শেয়ার করুন কিন্তু দয়াকরে কেউ কপি করে নিজের টাইম লাইনে দেবেন না।কোরোনার জন্য এবার গঙ্গা ঘাটে যাওয়া খুব মুশকিল।তাই সকলের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
****কাল পিতৃ পক্ষের শেষ লগ্নে দেবিপক্ষের সূচনা
মহালয়া ও পিতৃতর্পন ****
শাস্ত্রমতে মহালয়া তিথিতে দেবী দুর্গা মর্তে আগমন করেন। এই অর্থে মহালয়া তিথি পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। অমবস্যার পরবর্তী তিথি প্রতিপদ থেকে শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই মহালয়া তিথিতে। আগামী ১৯ আশ্বিন, ৬ অক্টোবর, বুধবার মহালয়া।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে–
অমাবস্যা তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ১৮ আশ্বিন, মঙ্গলবার।
ইংরেজি– ৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার।
সময়– সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।
অমাবস্যা তিথি শেষ–
বাংলা– ১৯ আশ্বিন, বুধবার।
ইংরেজি– ৬ অক্টোবর, বুধবার।
সময়– সন্ধ্যা ৫টা ৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।
যাদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করবেন সেই পিতা মাতার প্রনাম মন্ত্রটি কত সুন্দর দেখুন।
॥ পিতা প্রনাম মন্ত্র :
পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ। পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ।। মাতা প্রনাম মন্ত্র মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র হৃদয়া সতী। দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দ্দোশা সর্ব দুঃখ হারা।।
পিতৃপক্ষ পূর্বপূরুষের তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক
বিশেষ পক্ষ। এই পক্ষ পিতৃপক্ষ, ষোলা শ্রাদ্ধ,
কানাগাত, জিতিয়া, মহালয়া পক্ষ ও অপরপক্ষ নামেও
পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, যেহেতু
পিতৃপক্ষে প্রেতকর্ম (শ্রাদ্ধ), তর্পণ ইত্যাদি
মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, সেই হেতু
এই পক্ষ শুভকার্যের জন্য প্রশস্ত নয়। দক্ষিণ ও
পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা
(ভাদ্রপূর্ণিমা) তিথিতে এই পক্ষ সূচিত হয় এবং সমাপ্ত
হয় সর্বপিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা মহালয়া
দিবসে। উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্রের
পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ
বলা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, জীবিত ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ
পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন। এই লোক
স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত।
পিতৃলোকের শাসক মৃত্যুদেবতা যম। তিনিই
সদ্যমৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে
পিতৃলোকে নিয়ে যান। পরবর্তী প্রজন্মের
একজনের মৃত্যু হলে পূর্ববর্তী প্রজন্মের
একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন
করেন এবং পরমাত্মায় (ঈশ্বর) লীন হন এবং এই
প্রক্রিয়ায় তিনি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উর্ধ্বে উঠে যান।
এই কারণে, কেবলমাত্র জীবিত ব্যক্তির
পূর্ববর্তী তিন প্রজন্মেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়ে
থাকে; এবং এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যম একটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেন। সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ
করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়। লোকবিশ্বাস
অনুযায়ী, এই সময় পূর্বপুরুষগণ পিতৃলোক
পরিত্যাগ করে তাঁদের উত্তরপুরুষদের গৃহে
অবস্থান করেন। এর পর সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে
প্রবেশ করলে, তাঁরা পুনরায় পিতৃলোকে ফিরে
যান। পিতৃগণের অবস্থানের প্রথম পক্ষে
হিন্দুদের পিতৃপুরুষগণের উদ্দেশ্যে তর্পণাদি
করতে হয়।
মহাভারত অনুযায়ী, প্রসিদ্ধ দাতা কর্ণের মৃত্যু
হলে তাঁর আত্মা স্বর্গে গমন করলে, তাঁকে
স্বর্ণ ও রত্ন খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়। কর্ণ
ইন্দ্রকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে ইন্দ্র
বলেন, কর্ণ সারা জীবন স্বর্ণই দান করেছেন,
তিনি পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কোনোদিন খাদ্য
প্রদান করেননি। তাই স্বর্গে তাঁকে স্বর্ণই খাদ্য
হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। কর্ণ বলেন, তিনি
যেহেতু তাঁর পিতৃগণের সম্পর্কে অব
হিত
ছিলেন না, তাই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পিতৃগণকে স্বর্ণ
প্রদান করেননি। এই কারণে কর্ণকে ষোলো
দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে পিতৃলোকের
উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি
দেওয়া হয়। এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়।
এই কাহিনির কোনো কোনো পাঠান্তরে,
ইন্দ্রের বদলে যমকে দেখা যায়।
মহালয়া পক্ষের পনেরোটি তিথির নাম হল প্রতিপদ,
দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী,
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী,
দ্বাদশী, ত্রয়োদশী, চতুর্দশী ও অমাবস্যা।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি তর্পণে ইচ্ছুক
হন, তাঁকে তাঁর পিতার মৃত্যুর তিথিতে তর্পণ করতে
হয়।
পিতৃপক্ষে পুত্র কর্তৃক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হিন্দুধর্মে
অবশ্য করণীয় একটি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের
ফলেই মৃতের আত্মা স্বর্গে প্রবেশাধিকার পান।
এই প্রসঙ্গে গরুড় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে,
"পুত্র বিনা মুক্তি নাই।" ধর্মগ্রন্থে গৃহস্থদের
দেব, ভূত ও অতিথিদের সঙ্গে পিতৃতর্পণের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণ
গ্রন্থে বলা হয়েছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তুষ্ট
হলে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান ও দীর্ঘায়ু এবং
পরিশেষে উত্তরপুরুষকে স্বর্গ ও মোক্ষ
প্রদান করেন।
বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যাঁরা অপারগ, তাঁরা সর্বপিতৃ
অমাবস্যা পালন করে পিতৃদায় থেকে মুক্ত হতে
পারেন। শর্মার মতে, শ্রাদ্ধ বংশের প্রধান
ধর্মানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে পূর্ববর্তী তিন
পুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড ও জল প্রদান করা হয়,
তাঁদের নাম উচ্চারণ করা হয় এবং গোত্রের
পিতাকে স্মরণ করা হয়। এই কারণে একজন
ব্যক্তির পক্ষে বংশের ছয় প্রজন্মের নাম
স্মরণ রাখা সম্ভব হয় এবং এর ফলে বংশের বন্ধন
দৃঢ় হয়। ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতাত্ত্বিক
উষা মেননের মতেও, পিতৃপক্ষ বংশের বিভিন্ন
প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্
ককে সুদৃঢ় করে। এই পক্ষে বংশের বর্তমান
প্রজন্ম পূর্বপুরুষের নাম স্মরণ করে তাঁদের
শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পিতৃপুরুষের ঋণ
হিন্দুধর্মে পিতৃমাতৃঋণ অথবা গুরুঋণের সমান
গুরুত্বপূর্ণ।
জীবিত ব্যক্তির পিতা বা পিতামহ যে তিথিতে মারা যান,
পিতৃপক্ষের সেই তিথিতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও
রয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ
হয় চতুর্থী (চৌথা ভরণী) বা পঞ্চমী (ভরণী
পঞ্চমী) তিথিতে। সধবা নারীর মৃত্যু হলে, তাঁর
শ্রাদ্ধ হয় নবমী (অবিধবা নবমী) তিথিতে।
বিপত্নীক ব্যক্তি ব্রাহ্মণী নারীদের শ্রাদ্ধে
নিমন্ত্রণ করেন। শিশু বা সন্ন্যাসীর শ্রাদ্ধ হয়
চতুর্দশী (ঘট চতুর্দশী) তিথিতে। অস্ত্রাঘাতে
বা অপঘাতে মৃত ব্যক্তিদেরও শ্রাদ্ধ হয় এই
তিথিতেই (ঘায়েল চতুর্দশী)।
সর্বপিতৃ অমাবস্যা দিবসে তিথির নিয়মের বাইরে
সকল পূর্বপুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়। যাঁরা নির্দিষ্ট
দিনে শ্রাদ্ধ করতে ভুলে যান, তাঁরা এই দিন শ্রাদ্ধ
করতে পারেন। এই দিন গয়ায় শ্রাদ্ধ করলে তা
বিশেষ ফলপ্রসূ হয়। উল্লেখ্য, গয়ায় সমগ্র
পিতৃপক্ষ জুড়ে মেলা চলে। বাংলায় মহালয়ার দিন
দুর্গাপূজার সূচনা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই
দিন দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।
মহালয়ার দিন অতি প্রত্যুষে চণ্ডীপাঠ করার রীতি
রয়েছে। আশ্বিন শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে দৌহিত্র
মাতামহের তর্পণ করেন। মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষের
শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপ্রহরে নদী বা হ্রদের
তীরে বা শ্রাদ্ধকর্তার গৃহে। অনেক পরিবার
বারাণসী বা গয়ায় গিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন । মৃত
ব্যক্তির পুত্র (বহুপুত্রক হলে জ্যেষ্ঠ পুত্র) বা
পিতৃকুলের কোনো পুরুষ আত্মীয়ই
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের অধিকারী এবং শ্রাদ্ধ কেবলমাত্র
পূর্ববর্তী তিন পুরুষেরই হয়ে থাকে। মাতার
কুলে পুরুষ সদস্য না থাকলে সর্বপিতৃ অমাবস্যায়
দৌহিত্র মাতামহের শ্রাদ্ধ করতে পারেন।
কোনো কোনো বর্ণে কেবলমাত্র
পূর্ববর্তী এক পুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়।
পূর্বপুরুষকে যে খাদ্য উৎসর্গ করা হয়, তা সাধারণত
রান্না করে রুপো বা তামার পাত্রে কলাপাতার উপর
দেওয়া হয়। এই খাদ্যগুলি হল ক্ষীর, লপসি, ভাত,
ডাল, গুড় ও কুমড়ো।
শ্রাদ্ধকর্তাকে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে ধুতি পরে
শ্রাদ্ধ করতে হয়। শ্রাদ্ধের পূর্বে তিনি
কুশাঙ্গুরীয় (কুশ ঘাসের আঙটি) ধারণ করেন।
এরপর সেই আঙটিতে পূর্বপুরুষদের আবাহন করা
হয়। শ্রাদ্ধ খালি গায়ে করতে হয়, কারণ শ্রাদ্ধ
চলাকালীন যজ্ঞোপবীতের অবস্থান বারংবার
পরিবর্তন করতে হয়। শ্রাদ্ধের সময় সিদ্ধ অন্ন
ও ময়দা ঘি ও তিল দিয়ে মাখিয়ে পিণ্ডের আকারে
উৎসর্গ করা হয়। একে পিণ্ডদান বলে। এরপর
দুর্বাঘাস, শালগ্রাম শিলা বা স্বর্ণমূর্তিতে বিষ্ণু এবং
যমের পূজা করা হয়। এরপর পিতৃপুরুষের
উদ্দেশ্যে খাদ্য প্রদান করা হয়। এই খাদ্য সাধারণত
ছাদে রেখে আসা হয়।
কোনো কোনো পরিবারে পিতৃপক্ষে
ভাগবত পুরাণ, ভগবদ্গীতা বা শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ
করা হয়। অনেকে পূর্বপুরুষের মঙ্গল কামনায়
ব্রাহ্মণদের দান করেন।
বিভিন্ন তর্পনের বঙ্গানুবাদ সহ-------
যাদের ভালো লাগবে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
পিতৃপক্ষে পুত্র কর্তৃক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হিন্দুধর্মে অবশ্য করণীয় একটি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের ফলেই মৃতের আত্মা স্বর্গে প্রবেশাধিকার পান। এই প্রসঙ্গে গরুড় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, “পুত্র বিনা মুক্তি নাই।” ধর্মগ্রন্থে গৃহস্থদের দেব, ভূত ও অতিথিদের সঙ্গে পিতৃতর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মার্কণ্ডেয় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তুষ্ট হলে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান ও দীর্ঘায়ু এবং পরিশেষে উত্তরপুরুষকে স্বর্গ ও মোক্ষ প্রদান করেন।
বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যাঁরা অপারগ, তাঁরা সর্বপিতৃ অমাবস্যা পালন করে পিতৃদায় থেকে মুক্ত হতে পারেন। শর্মার মতে, শ্রাদ্ধ বংশের প্রধান ধর্মানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে পূর্ববর্তী তিন পুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড ও জল প্রদান করা হয়, তাঁদের নাম উচ্চারণ করা হয় এবং গোত্রের পিতাকে স্মরণ করা হয়। এই কারণে একজন ব্যক্তির পক্ষে বংশের ছয় প্রজন্মের নাম স্মরণ রাখা সম্ভব হয় এবং এর ফলে বংশের বন্ধন দৃঢ় হয়। ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতাত্ত্বিক উষা মেননের মতেও, পিতৃপক্ষ বংশের বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে। এই পক্ষে বংশের বর্তমান প্রজন্ম পূর্বপুরুষের নাম স্মরণ করে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পিতৃপুরুষের ঋণ হিন্দুধর্মে পিতৃমাতৃঋণ অথবা গুরুঋণের সমান গুরুত্বপূর্ণ।
..তর্পণ বিধি..
স্নানাঙ্গ-তর্পণ স্নানান্তেই করিতে হয়। স্নানান্তে পূর্বমুখে নদীতে নাভিমাত্র জলে দাঁড়াইয়া, যজ্ঞোপবীত বাম স্কন্ধে রাখিয়া তিলক ধারণ করিবে।
তর্পণ শুরুতে আচমন ও বিষ্ণু স্মরণ।
করজোড়ে—ওঁ তদ্ বিষ্ণোঃ পরমং পদং, সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ।দিবীব চক্ষুরা ততম্।। ওঁ বিষ্ণুঃ, ওঁ বিষ্ণুঃ,।
এই মন্ত্রে বিষ্ণুকে স্মরণ করিবেন।
আচমন পূবর্বক তিনবার নমো বিষ্ণুঃ বলিয়া করজোড়ে বলিবেন—
নমঃ অপিত্রোবা, সর্ববাবস্থাং গতোহপিবা।
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং, স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
এই মন্ত্রে বিষ্ণু স্মরণ করিবেন।
।।তীর্থ- আবাহন মন্ত্র।।
যজ্ঞোপবীত ডান স্কন্ধে রাখিয়া দক্ষিণাভিমুখে করজোড়ে নিম্নলিখিত মন্ত্রে তীর্থ- আবাহন করিবেন।
ওঁ নমঃ কুরুক্ষেত্রং গয়া-গঙ্গা-প্রভাস-পুষ্করাণিচ ।
পুণ্যান্যেতানি তীর্থানি তর্পণ-কালে ভবন্তিহ ।।
।।দেব-তর্পণ।।
পূবর্বমুখে প্রথমে দেবতর্পণ করিতে হয়। যজ্ঞোপবীত বাম স্কন্ধে রাখিয়া বামহস্ত ও দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলির করজোড়ে তাম্রকোষ ধরে তিল ও তুলসি সহযোগে নিম্নলিখিত মন্ত্রে প্রত্যেককে এক অঞ্জলি জল দিবেন।
সন্ধ্যা করিতে না পারিলে সবর্বশেষে সূর্য্যার্ঘ্য দিবেন।
দেব-তর্পণ—ওঁ ব্রহ্মা তৃপ্যতাম্।। ওঁ বিষ্ণুস্তৃপ্যতাম্।।
ওঁ রুদ্রস্তৃপ্যতাম্।। ওঁ প্রজাপতিস্তৃপ্যতাম্।
এরপরে নিম্নলিখিত মন্ত্র পড়িয়া পূবর্বদিকে মুখকরে এক অঞ্জলি জল তিল ও তুলসি সহযোগে প্রদান করবেন।
ওঁ নমঃ দেবা যক্ষাস্তথা নাগা, গন্ধবর্বাপ্সরসোহসুরাঃ।
ক্রুরাঃ সর্পাঃ সূপর্ণাশ্ঢ, তরবো জিহ্মগাঃ খগাঃ ।।
বিদ্যাধরা জলাধারা-স্তথৈবাকাশগামিনঃ ।
নিরাহারাশ্চ যে জীবাঃ পাপে-ধমের্ম রতাশ্চ যে ।
তেষাং আপ্যায়নায়ৈতৎ, দীয়তে সলিলং ময়া ।।২
বাংলা অনুবাদ—দেব, যক্ষ, নাগ, গন্ধবর্ব, অপ্সরা, অসুর, ক্রুরস্বভাব জন্তু, সর্প, সুপর্ণ ( গরুড়জাতীয় পক্ষী ), বৃক্ষ, সরীসৃপ, সাধারন পক্ষী, বিদ্যাধর ( কিন্নর), জলচর, খেচর, নিরাহার (ভূতাদি ) এবং পাপে ও ধর্মকার্য্যেরত যত জীব আছে, তাহাদের তৃপ্তির জন্য আমি এই জল দিতেছি ।
।। মনুষ্য-তর্পণ।।
দক্ষিণাবর্তে ( ডানদিকে ঘুরিয়া ) , উত্তরপশ্চিম মুখে (বায়ুকোণে ) নিবীত হইয়া (যজ্ঞোপবীত মালার ন্যায় ঝুলাইয়া ) নিম্নলিখিত মন্ত দুইবার পাঠকরিয়া দুই অঞ্জলি তিল ও তুলসিযুক্ত জল দিবেন ।
ওঁ নমঃ সনকশ্চ সনন্দশ্চ, তৃতীয়শ্চ সনাতনঃ .
কপিলশ্চাসুরিশ্চৈব, বোঢ়ুঃ পঞ্চশিখস্তথা ।
সর্বেব তে তৃপ্তিমায়ান্তু, মদ্দত্তে-নাম্বুদা সদা ।।
বাংলা অনুবাদ—সনক, সনন্দ, সনাতন, কপিল,আসুরি, বোঢ়ু ও পঞ্চশিখ প্রভৃতি সকলে মদ্দত্ত জলে সর্বদা তৃপ্তিলাভ করুন।
।। ঋষি-তর্পণ।।
এরপরে দক্ষিণাভিমুখে পুনরায় পূ্র্ববাস্য হইয়া উপবীতী অবস্থায় দৈবতীর্থ দ্বারা প্রত্যেককে এক অঞ্জলি তিল-তুলসি যুক্ত জল দিবেন।
ওঁ মরীচিস্তৃপ্যতাং, ওঁ অত্রিস্তৃপ্যতাং, ওঁ অঙ্গিরাস্তৃপ্যতাং, ওঁ পুলস্তস্তৃপ্যতাং,
ওঁ পুলহস্তৃপ্যতাং, ওঁ ক্রুতুস্তৃপ্যতাং, ওঁ প্রচেতাস্তৃপ্যতাং, ওঁ বশিষ্ঠস্তৃপ্যতাং,
ওঁ ভৃগুস্তৃপ্যতাং, ওঁ নারদস্তৃপ্যতাং।
।। দিব্য-পিতৃ-তর্পণ।।
বামদিকে ঘুরিয়া দক্ষিণ মুখে, পৈতা দক্ষিণ স্কন্ধে লইয়া নিম্নোক্ত সাতটি মন্ত্র পড়ায়া প্রত্যেককে এক অঞ্জলি সতিল জল দিবেন ।
১। ওঁ অগ্নিষ্বত্তাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
২। ওঁ সৌম্যাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
৩। ওঁ হবিষ্মন্তঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
৪। ওঁ উষ্মপাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
৫। ওঁ সুকালিনঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
৬। ওঁ বর্হিষদঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
৭। ওঁ আজ্যপাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তা- মেতৎ সতিল-গঙ্গোদকং তেভ্যঃ স্বধাঃ ।
।।যম- তর্পণ।।
নিম্নলিখিত মন্ত্রস্থ নামগুলির প্রত্যেকের যথাক্রমে পিতৃতীর্থদ্বারা দক্ষিণ-মুখে প্রাচীনাবীতি হইয়া ওঁ যমায় নমঃ বলিয়া এইভাবে তিন অঞ্জলি করিয়া স-তিল জল দিবেন ।—
ওঁ নমঃ যমায় ধর্ম্মরাজায়, মৃত্যবে চান্তকায় চ, বৈবস্বতায় কালায়, সর্ব্বভূতক্ষয়ায় চ ।
ঔডুম্বরায় দধ্নায়, নীলায় পরমেষ্ঠিনে, বৃকোদরায় চিত্রায়, চিত্রগুপ্তায় বৈ নমঃ ।।
।। পিতৃ- আবাহন।।
তর্পণ সমাপ্তি পর্য্যন্ত দক্ষিণ মুখে প্রাচীনাবীতী অবস্থায় পরম ভক্তিসহকারে করপুটে বলিবেন –
ওঁ আগচ্ছন্তু মে পিতরঃ ইমং গৃহ্ণন্ত্বপোহঞ্জলিং । ( গৃহ্ণন্তু অপঃ অঞ্জলিং )
বাংলা অনুবাদ– হে আমার পিতৃগণ ( পূর্ব্বপুরুযগণ ) আসুন, এই অঞ্জলি পরিমিত জল গ্রহণ করুন।
আবাহনের পরে পিতৃতীর্থযোগে নিম্নলিখিত প্রকারে গৌত্র, সম্বন্ধ ও নাম উল্লেখ করতঃ ভক্তিসহকারে পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, এই নয়জনের প্রত্যেককে তিন অঞ্জলি করিয়া সতিল জল দিবেন, মন্ত্রও যথাক্রমে তিনবার পিঠ করিবেন ।
পরে মাতামহী, প্রমাতামহী, বৃদ্ধপ্রমাতামহী, প্রভৃতিকে এক এক অঞ্জলি জল দিয়া, গুরু, জ্যেঠা, খুড়া, বিমাতা, ভ্রাতা, ভগ্নী, জ্যেঠী, খুড়ী, পিসি,মাসী, মাতুল, মাতুলানী, শ্বশুর, শাশুড়ী, ভগ্নিপতি, জ্ঞাতি, প্রভৃতি প্রত্যেককে এক অঞ্জলি সতিল-জল দিবেন ।
গঙ্গাজলে তর্পণ করিলে ‘’ এতৎ সতিল-গঙ্গোদকং’’ বলিবেন নচেৎ সতিলোদকং বলিতে হইবে ।
বিষ্ণুরোঁ অমুক গোত্রঃ পিতা অমুক দেবশর্ম্মা তৃপ্যতামেতৎ সতিলগঙ্গোদকং তস্মৈ স্বধা।
” ” ” পিতামহ ” ” ” ” ” ”
” ” ” প্রপিতামহ ” ” ” ” ” ”
” ” ” মাতামহ ” ” ” ” ” ”
” ” ” প্রমাতামহ ” ” ” ” ” ”
” ” ” বৃদ্ধপ্রমাতামহ ” ” ” ” ” ”
” ” গোত্রা মাতা অমুকী দেবী ” ” ” ”
” ” ” পিতামহী ” ” ” ” ” ”
” ” ” প্রপিতামহী ” ” ” ” ” ”
” ” ” মাতামহী ” ” ” ” ” ”
” ” ” প্রমাতামহী ” ” ” ” ” ”
” ” ” বৃদ্ধপ্রমাতামহী ” ” ” ” ” ”
বিশেষ উল্লেখযোগ্য এই যে উপরি লিখিত দ্বাদশ জনের কেহ জীবিত থাকিলে তাঁহাকে বাদদিয়ে তৎ-ঊর্দ্ধ্ব্রতন ব্যক্তিকে ধরিয়া দ্বাদশ সংখ্যা পূরণ করিতে হইবে ।
অতঃপর নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ পূর্ব্বক অঞ্জলিত্রয় সতিল জল, জলাভাবে একবার মাত্র সতিল জল দিবেন,
যথা– ওঁ নমঃ অগ্নিদদগ্ধাশ্চ যে জীবা, যেহপ্যদগ্ধাঃ কুলে মম ।ভূমৌ দত্তেন তৃপ্যন্তু, তৃপ্তা যান্ত পরাং গতিং ।।
বাংলা অনুবাদ– আমার বংশে যে সকল জীব অগ্নিদ্বারা দগ্ধ হইয়াছেন, ( অর্থাৎ যাঁহাদের দাহাদি সংস্কার হইয়াছে ) এবং যাঁহারা দগ্ধ হন নাই ( অর্থাৎ কেহই তাঁহাদের দাহাদি-সংস্কার কার্য্য করেনাই ) তাঁহারা তৃপ্ত হউন ও স্বর্গ লাভ করুন ।
ওঁ নমঃ যে বান্ধবা অবান্ধবা বা, যে অন্য জন্মনি বান্ধবাঃ
তে তৃপ্তিং অখিলাং যান্ত, যে চ অস্মৎ তোয়-কাঙ্খিণঃ ।।
বাংলা অনুবাদ–যাঁহারা আমাদের বন্ধু ছিলেন, এবং যাঁহারা বন্ধু নহেন, যাঁহারা জন্ম-জন্মান্তরের আমাদিগের বন্ধু ছিলেন, এবং যাঁহারা আমাদের নিকট হইতে জলের প্রতাশা করেন , তাঁহারা সম্পূর্ণরূপে তৃপ্তিলাভ করুন ।
।। ভীষ্ম- তর্পণ।।
ইহা ‘’পিতৃ- তর্পণের ‘’ পরে করিবেন এবং পরে কৃতাঞ্জলি হইয়ি প্রার্থনা করিবেন। যথা—
ওঁ নমঃ বৈয়াঘ্রপদ্য- গোত্রায়, সাঙ্কৃতিপ্রবরায় চ ।
অপুত্রায় দদাম্যেতৎ সলিলং ভীষ্মবর্ম্মণে ।।
এই মন্ত্র পাঠ করিয়া উক্তরূপে এক অঞ্জলি সতিল- গঙ্গোদক দিবেন এবং পরে কৃতাঞ্জলি হইয়া প্রার্থনা করিবেন ।
যথা— ওঁ নমঃ ভীষ্মঃ শান্তনবো বীরঃ , সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ ।
আভিরদ্ভি- রবাপ্নোতু, পুত্র-পৌত্রৌচিতাং ক্রিয়াং ।।
বাংলা অনুবাদ— বৈয়াঘ্রপদ্য যাঁহার গোত্র,সাঙ্কৃতি যাঁহার প্রবর, সেই অপুত্রক ভীষ্মবর্ম্মাকে এই জল দিতেছি।
শান্তনু-তনয় বীর, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয় ভীষ্মবর্ম্মা এই জল দ্বারা পুত্র-পৌত্রচিত তর্পণাদি-ক্রিয়া-জনিত তৃপ্তি লাভ করুন ।
।। রাম-তর্পণ ।।
সম্পূর্ণ তর্পণে অশক্ত হইলে , এই তর্পণ করতে হয় । বনবাসকালে শ্রীরামচন্দ্র এই মন্ত্রে তর্পণ করিতেন ।
তিনবার জল দিবেন, গঙ্গাজলে তর্পণ করিলে তোয়েন স্থলে গঙ্গোদকং বলিবেন । এর পরে এই মন্ত্র —
ওঁ নমঃ আ-ব্রহ্মভুবনাল্লোকা, দেবর্ষি-পিতৃ-মানবাঃ ,
তৃপ্যন্তু পিতরঃ সর্ব্বে , মাতৃ-মাতামহাদয়ঃ ।
অতীত-কুলকোটীনাং, সপ্তদ্বীপ-নিবাসিনাং ।
ময়া দত্তেন তোয়েন, তৃপ্যন্তু ভুবনত্রয়ং ।।
বাংলা অনুবাদ– ব্রহ্মলোক অবধি যাবতীয় লোক সমীপে অবস্থিত জীবগণ , ( যক্ষ, নাগাদি ) , দেবগণ, ( ব্রহ্মা , বিষ্ণু, শিব প্রভৃতি ) , ঋষিগণ ( মরীঢি, অত্রি, অঙ্গিরাদি ), পিতৃগণ ( দিব্য- পিতৃগণ অর্থাৎ অগ্নিষ্বাত্তাদি ), মনুষ্যগণ ( সনক, সনন্দ প্রভৃতি ), পিতৃ-পিতামহাদি এবং মাতামহাদি সকলে তৃপ্ত হউন ।
আমার কেবল এক জন্মের নহে এবং কেবল আমারও নহে , আমার বহুকোটিকুল, বহু জন্মান্তরে গত হইয়াছেন, সেই সেই কুলের পিতৃ-পিতামহাদি , ও সপ্তদ্বীপবাসী ( জম্বু, প্লক্ষ, শাল্মলি, কুশ, ক্রৌঞ্চ, শাক, পুষ্কর, এই সপ্তদ্বীপ ) সমুদয় মানবগণের পিতৃ-পিতামহাদি এবং ত্রিভুবনের যাবতীয় পদার্থ ( স্থাবর-জঙ্গমাদি ) আমার প্রদত্ত জলে তৃপ্ত হউক ।
।। লক্ষণ-তর্পণ ।।
রাম-তর্পণেও অশক্ত হইলে সকলে এই তর্পণ করিবেন, কারণ বনবাসকালে রাম ও সীতার শুশ্রূষায় নিযুক্ত থাকায় সময়াভাবে, লক্ষণ এই বলিয়া তর্পণ করিতেন । তিনবার সতিল জল দিলেই হবে ।
বলতে হবে—ওঁ নমঃ আব্রহ্মস্তস্বপর্য্যন্তং জগৎ তৃপ্যতু ।
বাংলা আনুবাদ—ব্রহ্মা হইতে তৃণ পর্ষ্যন্ত জগৎ , জগতের লোকে, স্থাবর জঙ্গমাদি, সকলে তৃপ্ত হউক ।
।। বস্ত্র-নিষ্পীড়নোদক ।।
স্নানের পরে বস্ত্র নিংড়ানো জল পয়ে দিতে নাই, যেহেতু বস্ত্র নিংড়ানো জলে যাঁহাদের কেহ কোথাও নাই তাঁহাদের তর্পণ করিতে হয়।
যথা—ওঁ নমঃ যে চাস্মাকং কুলে জাতা, অপুত্রা-গোত্রিণো মৃতাঃ ।তে তৃপ্যন্তু ময়া দত্তং, বস্ত্র-নিষ্পীড়নোদকং ।।
বাংলা অনুবাদ—যাঁহারা আমাদের বংশে জন্মিয়া পুত্রহীন ও বংশহীন হইয়া গত হইয়াছেন, তাঁহারা মদ্দত্ত বস্ত্র-নিংড়ানো জলে তৃপ্ত হউন ।
উপরোক্ত মন্ত্র পাঠ করিয়া জল হইতে তীরে উঠিয়া স্থলে একবার মাত্র বস্ত্র নিংড়ানো জল দিবেন ।
।। পিতৃস্তুতি ।।
ওঁ নমঃ পিতা-স্বর্গঃ পিতা-ধর্ম্মঃ, পিতাহি পরমং তপঃ ।
পিতরি প্রীতি-মাপন্নে, প্রীয়ন্তে সর্ব্ব-দেবতা ।।
বাংলা অনুবাদ—(স্তুতি) পিতাই স্বর্গ, পিতাই ধর্ম্ম, পিতাই পরম তপস্যা (অর্থাৎ পিতা সেবাই তপস্যা ) পিতা প্রসন্ন হইলে সকল দেবতাই প্রীত হন ।
।। পিতৃপ্রণাম ।।
ওঁ নমঃ পিতৃন্নমস্যে দিবি যে চ মূর্ত্তাঃ,
স্বধাভুজঃ কাম্যফলাভিসন্ধৌ ।
প্রদানশক্তাঃ সকলেপ্সিতানাং, বিমুক্তিদা যেহনভিসংহাতেষু ।।
বাংলা অনুবাদ—যাঁহারা স্বর্গে মূর্ত্তি ধারণ করিয়া বিরাজ করিতেছেন, যাঁহারা শ্রাদ্ধান্ন ভোজন করেন, অভীষ্ট-ফলের কামনা করিলে যাঁহারা সকল বাঞ্ছিত-ফল দান করিতে সমর্থ এবং কোন ফলের কামনা না করিলে যাঁহারা মুক্তি প্রদান করেন , সেই পিতৃগণকে প্রণাম করি।
।। সূর্য্যার্ঘ্য ।।
সূর্য্যদেবের উদ্দেশে পূর্ব্বদিকে মুখ করে একবার জল দিবেন ।
ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মণ, ভাস্বতে বিষ্ণু তেজসে ।
জগৎসবিত্রে শুচয়ে, সবিত্রে কর্ম্মদায়িণে, ইদমর্ঘ্যং ওঁ শ্রীসূর্য্যায় নমঃ ।।
বাংলা অনুবাদ– হে পরম ব্রহ্মস্বরূপ সবিত্রিদেব ! আপনি তেজস্বী, দীপ্তিমান ; বিশ্বব্যাপী তেজের আধার, জগতের কর্ত্তা, পবিত্র, কর্ম্মপ্রবর্ত্তক; আপনাকে প্রণাম করি ।।
।। সূর্য্য-প্রণাম ।।
ওঁ নমঃ জবাকুসুম-সংঙ্কাশং, কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং ।
ধ্বান্তারিং সর্ব্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরং ।।
বাংলা অনুবাদ—জবাফুলের ন্যায় রক্তবর্ণ, কশ্যপের পুত্র, অতিশয় দীপ্তশালী, তমোনাশী, সর্ব্বপাপ নাশকারী দিবাকরকে প্রণাম করি ।।
।। অচ্ছিদ্রাবধারণ ।।
অর্থাৎ যে কর্ম্ম করা হইল, তাহা যে অচ্ছিদ্র অর্থাৎ ছিদ্রহীন, নির্দোষ হইল সেই বিষয়ে অবধারণ করাকে ( নিশ্চয় করাকে ) অচ্ছিদ্রাবধারণ বলে ।
সুতরাং করজোড়ে বলিবেন—
ওঁ কৃতৈতৎ তর্পণকর্ম্মাচ্ছিদ্রমস্তু।।
।। বৈগুণ্য-সমাধান ।।
অচ্ছিদ্রাবধারণের পরে বৈগুণ্য-সমাধান করিতে হয় । বামহস্তে সংযুক্ত দক্ষণ হস্তে জল, হরীতকী, কুশ স্পর্শ করিধা ( নদীতে তর্পণ করিলে, কেবল জল স্পর্শ করিবেন ),
তারপরে বলিবেন—
বিষ্ণুরোঁ তৎসৎ অদ্য অমুক মাসে অমুক পক্ষে অমুক তিথৌ অমুক গৌত্রঃ শ্রী অমুক দেবশর্ম্মা কৃতেহহস্মিন্ তর্পণকর্ম্মণিষদ্বৈগুণ্যং জাতং তদ্দোষ প্রশমনায় শ্রীবিষ্ণু স্মরণষ্মহং করিষ্যে ।
এরপরে নিচের মন্ত্র দশবার জপ করবেন—-
ওঁ তদ্ বিষ্ণোঃ পরমং পদং, সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ । দিবীব চক্ষুরাততং । ওঁ বিষ্ণুঃ , ওঁ বিষ্ণুঃ , ওঁ বিষ্ণুঃ বলিধা দশবার জপ করিবেন ।
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??
তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks