শনি, কেতু একত্রে ও রাহূর পূর্ণ দৃষ্টি তে জীবন দূর্বিসহ হয়ে যায়।
জোতিষ শাস্ত্রমতে শনি, কেতুর ও রাহূর অবস্থান কুষ্ঠিতে খারাপ ভাবে থাকার ফলে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ৷ শনিদেব কর্মফল দাতা, তাঁকে আধ্যাত্মিক গ্ৰহ ও বলা হয়।
একই সঙ্গে শনিদেবকে আয়ু, দুঃখ, রোগ, পীড়া, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, লোহা, খনিজ, কর্মচারী, জেল ইত্যাদির কারকও মনে করা হয় ৷
শনিদেবকে মকর ও কুম্ভ রাশির স্বামী বলেই মনে করা হয়, এবং তুলাকে শনির উচ্চরাশি বলে মনে করা হয় ৷ মেষ রাশি নীচ ক্ষেত্র।
যদি শনি ও কেতু একত্রে থেকে মঙ্গলের সাহায্যে পীড়িত হন তাহলে জাতক-জাতিকা দুর্ঘটনা বা কারাবাসের মত সমস্যার সংযোগ তৈরি হতে পারে ৷ একই সঙ্গে ব্যক্তিত্বের উপরে মিথ্যা অপবাদ আসতে পারে ৷
রাহু ও কেতু , জুয়া, অবৈধভাবে রোজকার, চুরি, দুষ্কর্ম, ত্বকের রোগ, ধার্মিকযাত্রার কারক বলে মনে করা হয। রাহূ ও শনি একত্রে অত্যন্ত কুপ্রভাব ফেলে,
খারাপ অভ্যাস তৈরি করতে পারে ৷ যেমন ছল, কপট বা মানুষকে ঠকাতে পারে ৷ ব্যক্তি মদ, মাংস-সহ অনান্য খারাপ পদার্থ সেবন করে ৷তাঁদের টাকা পয়সার সমস্যা হতে পারে জীবনে ৷ হতে পারে আর্থিক ক্ষতিও ঋন হয়।
প্রতিবিধান: ১) শনি বার, নিরামিষ আহার
২) শনির বীজ মন্ত্র :ঔ৺ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ ১০৮ বার
৩) নীল রঙের পোশাক পরিধান।
৪) হনুমান চল্লিশা পাঠ।
৫) দক্ষীনা কালি কবচম
৬) রাহূর বীজ মন্ত্র ঔ৺ ঐং হ্রীং রাহবে।
৭) কেতুর বীজ মন্ত্র ঔ৺ হ্রীং ঐং কেতবে।
৮) ব্রাহ্মণ কে ভূজ্জী দান।
৯) মদ্যপান না করা।
১০) সোমবার মহাদেবের পূজা করা।