পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পাবার কিছু উপায়:
পিতৃ দোষ কাটানো বেশ শক্ত ব্যাপার যদিও কিছু টোটকা ও উপায় আছে যেগুলো দিয়ে আপনি সুরাহা পেতে পারেন।
মহালয়ার দিন ভোরে উঠে নদীতে পিতামাতা হীনরা বা যাদের দোষ আছে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে, তাদের আত্মার শান্তি স্বস্তয়ন করে(চাইলে ব্রাহ্মণ দিয়েও করতে পারেন) তর্পণ করলে দোষ কাটে।
গঙ্গায় হাতে কুশার্ঘ নিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পিতৃপুরুষের শান্তি ও আশীর্বাদ কামনা করে অঞ্জলি দান করলে দোষ অনেকাংশে খণ্ডন হয়।
পিতৃ দোষ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে পাত্রে কালো তিল ও জল নিয়ে অমাবস্যা তিথিতে ভোরে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্পণ করলে শুধু পিতৃ দোষ নয় শনির সাড়ে সাতির প্রভাব থেকেও ছাড়া মেলে।
শনিবার কাঁচা দুধ ও কিছু তিল একসাথে মেখে অশ্বত্থ গাছের নিচে ভক্তিভরে নিবেদন করুন। ত্রিদেব এতে তুষ্ট হন ও দোষ খণ্ডন করেন।
বছরের একটা বিশেষ সময়ে দশদিনের পিতৃপক্ষ উপলক্ষ্য তিথি থাকে,সেইসময় যদি কোনো পন্ডিত মানুষের পরামর্শে বা গুরুর সান্নিধ্যে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে প্রিয়জনদের স্মরণ করে জল ও নতুন কাপড় দান করা যায় তবে খুবই শুভ ফল দেয়।
একাদশী ও অমাবস্যায় কঠোরভাবে নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন নতুবা পিতৃপুরুষরা খুবই ক্রুদ্ধ হন।
চতুর্দশীর দিন বাড়ির সামনে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালান। ওইদিন চোদ্দ শাক ও খাবারে রাখুন। পারলে পিতৃপুরুষের ছবি নিয়ে তার সামনে পরিবারের সকলে দাঁড়িয়ে শ্রাদ্ধ করে পিন্ড দান পূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। এটিও কার্যকরী উপায়।
ভগবান শিবের চেয়ে ক্ষমাশীল আর কে আছেন বলুন? তিনি চাইলে যেকোনো দোষ কর্পূরের মতো উবে যায়। আর ভোলানাথকে তুষ্ট করাও সোজা। শিবলিঙ্গের সামনে স্নান করে শুদ্ধচিত্তে বসে ধুপ ও প্রদীপ জ্বালান। এরপর একমনে ভক্তিভরে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন। মার্কেন্ডেয় পুরান অনুযায়ী এই মন্ত্রের প্রভাবে শুধু পিতৃ দোষ নয় কালসর্প দোষ, বাস্তুদোষ ইত্যাদি থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।