সুপ্রভাত সকল কে জানাই গনেশ চতূর্থীর আন্তরিক শুভেচ্ছা।
"ওঁ বক্র তুন্ড মহাকায় সূর্য কোটি সমপ্রভা নির্বিঘ্নে কুরুমে দেব সর্ব কার্যেসু সর্বদা"
গণেশ হলেন হিন্দুধর্মের সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক পূজিত দেবতাদের অন্যতম। তিনি গণপতি, পিল্লাইয়ার বিঘ্নেশ্বর, যানইমুগতবন বিনায়ক, গজপতি, একদন্ত ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে গণেশের মন্দির ও মূর্তি দেখা যায়। সকল হিন্দু সম্প্রদায়েই গণেশের পূজা প্রচলিত রয়েছে।জৈন ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যেও গণেশ-ভক্তিবাদ মিশে গিয়ে গণেশ পূজার প্রথা বিস্তার লাভ করেছে।
মন্ত্র-
ওঁ শ্রীগণেশায় নমঃ
ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ
অস্ত্র-
পরশু (কুঠার), পাশ (দড়ির ফাঁস), অঙ্কুশ
বাহন- মুষিক (ইঁদুর)
সহোদর - কার্তিক
পিতামাতা - শিব ও পার্বতী
– গণেশের ধ্যান —- “খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্। দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরং বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।”
— অর্থাৎ — যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা ও কামদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।
– গণেশের প্রণামমন্ত্র — একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং। বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।
— অর্থাৎ —- যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।
গণেশের প্রার্থনা মন্ত্র —- দেবেন্দ্রমৌলিমন্দারমকরন্দকণারুণাঃ। বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।
— অর্থাৎ —– দেবরাজ ইন্দ্রের মস্তকে বিরাজিত মন্দারপুষ্পের পরাগসমূহের দ্বারা রক্তিম হেরম্বের পাদপদ্মের রেণুসমূহ আমার বিঘ্ন হরণ করে।