আদ্যা ব্রহ্মময়ী দুর্গা জগদ্ধাত্রী জয় প্রদা।
অন্নদা ত্রিপুরা দুর্গা ত্বরিতা সিংহবাহিনী।।
মহাশান্তি করং শান্তং সর্ব্ব মঙ্গল কারণং।
সর্ব্বব্যাধি হরং সর্ব্বং সুখদং কামদং সদা।।
***************************************
শ্রী শ্রী জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী
**************************
জগৎ + ধাত্রী, যিনি ত্রিভুনের ধাত্রী, জগতের পালিকা, উপনিষদে যিনি উমা হৈমবতী নামে আখ্যায়িতা যিনি মা দুর্গারই বিকল্প রূপ , দেবতা ও ঋষি গনের সদা বন্দিতা তিনিই জগদ্ধাত্রী।
দেবী দুর্গা ও মহিষাসুরের সহিত যুদ্ধ কালে মহিষাসুর মায়া বলে নানা ভাবে রুপ পরিবর্তন করে যুদ্ধ করতে থাকে । দেবী ও নানা রূপে বহুরূপি অসুরকে দমন করতে থাকেন। এক সময় মহিষাসুর হাতির রূপ ধারন করে প্রবল পরাক্রমে যুদ্ধ করতে থাকে।
দেবী চতুর্ভূজা রূপ ধারন করে সেই প্রবল পরাক্রমি হস্তি রূপ অসুরের মস্তক ছেদন করেন।
সংস্কৃতে হস্তিকে করি বলা হয়। হস্তিরূপ অসুর করিন্দ্রাসুর নামে খ্যাত। করিন্দ্রাসুরকে দমন করেছেন বলে তিনি করিন্দ্রাসুর নিসুদিনী ।
আবার তাত্ত্বিক গনের মতে মানুষের মন সদা চঞ্চল, সদা ব্যাস্ত মত্ত হস্তির ন্যায়। তাই মত্ত হস্তির ন্যায় মনকে বশ করার জন্য সাধক গন তাঁর সাধনা করেন।
উন্মত্ত মন তমোগুণের প্রতিক , তমোগুণকে নিয়ন্ত্রণ করে রজোগুণকে অন্তরে প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য।
দেবীর বাহন সিংহ রজোগুণের প্রতিক। এই রজোগুণকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্ত্বগুণ।
দেবী হলেন সত্ত্ব গুনের প্রতিক।
হস্তি তমোগুণের প্রতিক।
তাই তিনি রজোগুণ রূপি সিংহের উপর অধিষ্ঠিতা। আর সিংহের চরন তমোগুণ সম্পন্ন হস্তির উপর ।
অর্থাৎ তমোগুণকে রজোগুণ , এবং রজোগুণকে সত্ত্বগুণ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তাই তামসিক কালিপূজার পর সাত্বিক দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।
কর্তিকের শুক্লা সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিন , অথবা কেবল শুক্লা নবমীতে পূর্বাহ্ন , মধ্যাহ্ন , ও সায়াহ্ন ত্রিকালিন মায়ের আরাধনা করা হয়।
তিনি মহাদুর্গা রূপে আগমমোক্ত বিধানে সাত্ত্বিক,রাজসিক, ও তামসিক ভাবে পূজিতা হন। এবং সাধককে ধর্ম, অর্থ, কাম, ও মোক্ষ প্রদান করেন।
" ত্বং কালী তারিণী দুর্গা ষোড়শী ভুবনেশ্বরী।
ধুমাবতী ত্বং বগলা ভৈরবী ছিন্ন মস্তকা।।
ত্বমন্নপূর্ণা বাগদেবী ত্বং দেবী কমলালয়া ।
সর্ব্বশক্তি স্বরুপা ত্বং সর্ব্বদেব ময়োতনুঃ" ।।
*************************************