• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, November 30th, 2025

Astro Palmist Numerology Center

“মায়ের গর্ভে জীব–আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংলাপ

“মায়ের গর্ভে জীব–আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংলাপ

“মায়ের গর্ভে জীব–আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংলাপ”

এই ধারণাটি শাস্ত্রে বহুবার উল্লেখ হয়েছে। একে বলা হয় গর্ভোপনিষদ-এর তত্ত্ব, আবার শ্রীমদ্ভাগবত, কৌষীতকি উপনিষদ, কঠ উপনিষদেও তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নিচে সুন্দরভাবে, সূত্র-সহ দিলাম—

মাতৃগর্ভে জীবাত্মা–পরমাত্মার সংলাপ:

(শাস্ত্রীয় বর্ণনা + রেফারেন্স)

১️. শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণে (স্কন্ধ ৩, অধ্যায় ৩১)

এখানে স্পষ্ট বর্ণনা আছে যে গর্ভে অবস্থানকারী জীব পূর্বজন্মের সমস্ত পাপ–পুণ্যের স্মৃতি ফিরে পেয়ে ঈশ্বরকে প্রার্থনা করে এবং ঈশ্বর তাকে জ্ঞান–বোধ দেন।

মূল তত্ত্ব (সংক্ষেপে):

জীব গর্ভের অন্ধকারে আটকে থাকলে পরমেশ্বরকে স্মরণ করে।

জীব বলে— “হে প্রভু, আমাকে উদ্ধার করুন। জন্মালে আপনার ভক্ত হব।”

পরমাত্মা তার হৃদয়ে জ্ঞান প্রবাহিত করেন।

শ্রীমদ্ভাগবত থেকে শ্লোক

“গর্ভস্থো দশ মাসানিন্তঃ
পূর্বজন্মস্মৃতি লভতে।”
(স্কন্ধ ৩, অধ্যায় ৩১, শ্লোক–৭)

অর্থ: গর্ভে ১০ মাস অবস্থানকালে জীব তার পূর্বজন্মের স্মৃতি লাভ করে।

২️. গর্ভোপনিষদ (Garbhopanishad)

এটি একটি অত্যন্ত প্রাচীন উপনিষদ, যেখানে গর্ভে আত্মার অবস্থা, দেহগঠন, ও জীব–পরমাত্মার সংলাপ বিশদে বর্ণিত।

উপনিষদের বক্তব্য

জীব গর্ভে প্রবেশ করে নিজের কর্মফল অনুসারে।

তখন পরমাত্মা জীবকে তার কর্ম, দেহ, সময়, জন্ম ইত্যাদির জ্ঞান দেন।

জীব প্রতিজ্ঞা করে—
“জন্মের পর ধর্ম পালন করব।”

উদ্ধৃতি

“গর্ভস্থো জীবঃ ব্রহ্মণং প্রার্থয়তে।”
অর্থ: গর্ভস্থিত জীব ব্রহ্ম (পরমাত্মা)-কে প্রার্থনা করে।

৩️. কঠ উপনিষদ (Katha Upanishad 2.2.7)

এখানে মাতৃগর্ভকে “দেহরূপ অন্ধকারের গুহা” বলা হয়েছে যেখানে পরমাত্মা জীবের সাথে অবস্থান করেন।

শ্লোক

“এষ সರ್ವভূতান्तरাত্মা গুহায়াং নিশিতং।”
অর্থ: পরমাত্মা সকল জীবের অন্তরে গুহার মতো অঙ্গের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত।

এই “গুহা” বলতে মায়ের গর্ভকেও বোঝানো হয়।

৪️. কৌষীতকি উপনিষদ (3.3)

এখানে বলা হয়েছে— জন্ম–মৃত্যুর চক্রে পরমাত্মা জীবকে স্মরণ করিয়ে দেন তার পথ, কর্ম, এবং করণীয়।

সংক্ষেপে মূল ধারণা:

মাতৃগর্ভে জীব ও ঈশ্বরের সংলাপ — শাস্ত্রীয় সত্য

জীব গর্ভে প্রবেশ করলে তার পূর্বজন্মের পাপ–পুণ্যের স্মৃতি ফেরে।

সেই অবস্থায় সে ঈশ্বরকে স্মরণ করে, মুক্তির জন্য প্রার্থনা করে।

ঈশ্বর তার হৃদয়ে শিক্ষাদান করেন—
“ধর্ম পালন কর, আমাকে স্মরণ কর, জন্মের পর ন্যায় পথে চল।”

কিন্তু জন্ম হওয়া মাত্র মায়া (Illusion) তাকে সব ভুলিয়ে দেয়।

অনুভবমূলক বর্ণনা (শাস্ত্র-অনুযায়ী):

মায়ের পেটের গভীর অন্ধকারে জীব–আত্মা একা নয়।
তার সঙ্গে থাকে পরমাত্মা—শ্রীভগবান,
যিনি মৃদু কণ্ঠে বলেন—

“হে প্রিয় আত্মা, ভয় কোরো না।
তুমিই আমার অংশ।
জন্মের পর আমাকেই স্মরণ কোরো।”

জীব কাঁদতে কাঁদতে প্রতিজ্ঞা করে—
“হে নাথ, জন্মালে আপন ভৃত্য হব।”

এটাই সেই গর্ভবাসী সংলাপ—
যা হাজার বছর ধরে উপনিষদ–পুরাণে বর্ণিত।
Kush Mukherjee



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20251130080310