• apnbkm.09@gmail.com
  • +91 9233172388
  • Vidyasagar Pally, Rampurhat
  • Mon-Sat 11:00 A.M - 8:00 P.M

Sunday, December 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

২০১৯ এই সালটি ভালো থাকার উপায়

২০১৯ এই সালটি ভালো থাকার উপায়

সুপ্রভাত
সকল বন্ধুরা আপনাদের বার বার বলছি ২০১৯ এই বছটি অনেক বাধাঁ বিঘ্ন,অর্থকষ্ট,সাংসারিক অশান্তি ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে।সুতরাং প্রতিদিন মাতার ধ‍্যান ও বীজমন্ত্র করবেন।সঙ্গে সিদ্ধিবিনায়কের পূজা করবেন ,খুব ভালো থাকবেন।
সিদ্ধীদাতা গনেশ

মুদ্গল পুরাণ-এ গণেশের আটজন অবতারের বর্ণনা পাওয়া যায়। এঁরা হলেন –

বক্রতুণ্ড – প্রথম অবতার। এঁকে ব্রহ্মের অংশ ও পরম বলে মনে করা হয়। ইনি সিংহবাহন। এই অবতারের উদ্দেশ্য মাৎসর্যাসুর (অর্থাৎ ঈর্ষা) বধ।

একদন্ত – ইনি প্রত্যেক ব্যক্তিগত আত্মা ও পরমব্রহ্মের প্রতীক। ইনি মুষিকবাহন। এই অবতারের উদ্দেশ্য মদাসুর (অর্থাৎ, অহং) বধ।

মহোদর – ইনি বক্রতুণ্ড ও একদন্তের সম্মিলিত রূপ। ব্রহ্মের প্রজ্ঞার প্রতীক। মোহাসুর (অর্থাৎ সংশয়) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। ইনিও মুষিকবাহন।

গজবক্ত্র বা গজানন – মহোদরের অন্যরূপ। লোভাসুর (অর্থাৎ লোভ) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য।

লম্বোদর – ব্রহ্মের শক্তির প্রতীক। ইনি মুষিকবাহন। ক্রোধাসুর (অর্থাৎ রাগ) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য।

বিকট – সূর্যের প্রতীক। জ্যোতির্ময় ব্রহ্মের প্রকাশ। কামাসুর (অর্থাৎ কামনাবাসনা) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। ইনি ময়ূরবাহন।

বিঘ্নরাজ – বিষ্ণুর প্রতীক। ব্রহ্মের অস্তিত্বের প্রকাশ। মমাসুর (অর্থাৎ অহংকার) বধের উদ্দেশ্যে এই অবতার।

ধূম্রবর্ণ – শিবের প্রতীক। ব্রহ্মের বিনাশ শক্তির প্রকাশ। ইনি অশ্ববাহন। অভিমানাসুর (অর্থাৎ গরিমা) বধের উদ্দেশ্যে এই অবতার।

আজকের বিষয়,সিদ্ধীদাতা গনেশ, তার বন্দনা ও সিদ্ধীবিনায়কের পাঁচটি মহাশক্তি মন্ত্র।

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।

গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্র অনুষ্ঠিত হলেও এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভারতের বাইরে নেপালে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন ক

সনাতন ধর্মালম্বীদের আরাধ্য গণেশের জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর প্রথম পুজো হওয়া পর্যন্ত এমন বহু ঘটনা রয়েছে, যা আমাদের অনেকের অজানা। অনেকে ডাকেন গণপতি নামে, অনেকে ডাকেন গণেশ, অনেকে ডাকেন বিনায়ক নামেই ৷

আগে জেনে নেওয়া যাক গণপতি গণেশের জন্মের কাহিনি। কথিত আছে, উবটন দিয়ে একটি বালকের মূর্তি তৈরি করেন মাতা পার্বতী। এর পর তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। জীবনদানের পর ওই বালককে নিজের পুত্র স্বীকার করেন মাতা পার্বতী। শুধু তাই নয় পরম শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হওয়ারও আশীর্বাদ দেন তাকে। যে সময় গণেশের জন্ম হয়, তখন দেবাদি দেব মহাদেব কৈলাশে ছিলেন না।

কৈলাশ ফেরার পর গুহদ্বারে একটি বালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সেই গুহাতেই ছিলেন পার্বতী। মা-এর আদেশ মেনে শিবকে ওই গুহায় প্রবেশ করতে দেননি গণেশ। ফলে গণেশের ওপর রেগে যান মহাদেব। এর পরই দেবতাদের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধ বাধে। একে একে সমস্ত দেবতাই গণেশের শক্তির সামনে পরাজিত হন। এর পর ত্রিশূল দিয়ে নিজের অজান্তেই পুত্র গণেশের শিরোচ্ছেদ করেন মহাদেব।

পুত্র গণেশের মৃত্যুতে ক্রুদ্ধ পার্বতীকে শান্ত করতে অবশেষে পুত্র গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দেন মহাদেব। হাতির মাথা ওই বালকের দেহে যুক্ত করা হয়।

জন্মের কিছু সময় পর পিতার সঙ্গে যুদ্ধ এবং তার পর প্রথম পূজ্যের আসন লাভ করেন তিনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্ম সময়ের কারণ।

শাস্ত্র মতে, ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম হয়। তাই শাস্ত্রে ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনই সর্বত্র গণেশ চতুর্থী পালিত হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে চতুর্থীকে রিক্তা তিথি বলা হয়েছে, সে দিন কোনও শুভ কাজ হয় না। কিন্তু সে দিনই গণেশের জন্মদিন হওয়ায় চতুর্থীতে রিক্তা তিথির দোষ গ্রাহ্য করা হয় না। তাই সমস্ত শুভ কাজ করা যায়। গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশি রয়েছে এবং মঙ্গল বিরাজ করছে।

লগ্নস্থানে শনির পূর্ণদৃষ্টি রয়েছে। আবার সূর্যের ওপর শনির দৃষ্টি থাকার ফলেই বাবার হাতে পুত্রের শিরোচ্ছেদ হয়।

গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্ন এবং লগ্নেশে বৃহস্পতির পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। বৃহস্পতি দ্বিতীয় এবং পঞ্চম গৃহের স্বামী। অন্য দিকে বুধও স্বরাশির। এ কারণে গণেশ বুদ্ধি এবং জ্ঞানের দাতা এবং প্রথম পূজ্য।

গণেশের কুষ্ঠিতে পঞ্চমহাপুরুষ যোগের মধ্যে শশ এবং রুচক নামের যোগ তৈরি হয়। দসমেশ নিজের গৃহে রয়েছেন, তাই গণেশ শিবের গণের অধ্যক্ষ। তিনি গণাধ্যক্ষ নামেও পরিচিত।

গণেশের অপর নাম বিঘ্নহর্তা। কারণ তিনি সমস্ত ধরনের বিঘ্ন-বাধা দূর করেন। লগ্নে অবস্থিত মঙ্গলে শনি এবং বৃহস্পতির দৃষ্টির কারণে তিনি এই ক্ষমতা পান।

সিদ্ধিদাতা শিব গৌরী পুত্র গণেশ মহারাজ ছিলেন
বুদ্ধিতে সুনিপুণ । পুরাণ গুলিতে এমন বহু ঘটনা আছে
এক সময়ের কথা , মাতা উমা ঠিক করলেন দুই
পুত্রের বিবাহ দেবেন । সেইমতো শর্ত
হোলো যে আগে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা
করে আসতে পারবে তার বিবাহ অগ্রে দেওয়া
হবে । এই শুনে কুমার স্কন্দ, তাঁর বাহন ময়ূরে
চেপে পৃথিবী পরিক্রমা করতে বের হলেন।
গণেশ মহারাজ চিন্তায় পড়লেন। তাঁর বাহন মূষিক।
মূষিকে চেপে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা করতে
কয়েক যুগ চলে যাবে। মঙ্গলমূর্তি গণেশ জী
তখন শিব পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে
বললেন- “পিতা মাতা। আমার পৃথিবী পরিক্রমা হয়ে
গেছে ।” হরগৌরী আশ্চর্য হয়ে বললেন-
“সেকি? তুমি তো পরিক্রমা করতে গেলেই না,
কিভাবে পরিক্রমা হোলো?” বক্রতুণ্ড গজানন
বললেন- “পিতামাতাই সন্তানের কাছে ভগবান, পিতামাতাই
সন্তানের কাছে জগত। তাই আপনাদের পরিক্রমা
করে আমার জগত পরিক্রমা হয়ে গেছে।”
হরগৌরী বুঝলেন সিদ্ধিদাতার বুদ্ধি তীব্র। রিদ্ধি ও
সিদ্ধি নামক দুই কন্যার সাথে গণেশের বিবাহ দিলেন।
গণেশের দুই পুত্র ও এক কন্যা। পুত্রদের নাম শুভ
ও লাভ, কন্যার নাম সন্তোষী । পুরানে এমন ঘটনা
বেদব্যাস লিখেছেন যাতে আমরা পিতামাতার সেবা
করি ।
গণেশের আর এক বুদ্ধি । মূষকরাজ নামক এক অসুর
ছিলেন । তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বর্গচ্যুত
দেবতারা কৈলাসে এসে ভগবান শিবের কাছে সকল
বৃতান্ত বললেন। ভগবান শিবের নির্দেশে গণেশ
অসুরপুরী আক্রমণ করে অসুর নিধন শুরু করলেন
। মূষকরাজ যুদ্ধে আসলে গণেশ জী চাতুরী
দ্বারা তাকে মূষিকে পরিণত করে বিশাল দেহ নিয়ে
মূষিকে বসলে , মূষকরাজের দফারফা শেষ হতে
লাগলো। মূষকরাজ ক্ষমা চাইলে গণপতি বর দিয়ে
বললেন- “আজ থেকে তুমি আমার বাহন, তুমিও আমার
সাথে পূজা পাবে। তোমার স্কন্ধে আমি ক্ষুদ্র
পুষ্পসম ওজন পরিগ্রহ করে অধিষ্ঠান করবো। তখন
তোমার কষ্ট হবে না।” ভিন্ন মতে স্বর্গের
কোনো এক গন্ধর্ব কোনো মুনি শাপে
মূষিকে রূপান্তরিত হয়ে সেই মুনির আশ্রমে তাণ্ডব
আরম্ভ শুরু করে। তখন মুনির প্রার্থনায় গণেশ
মহারাজ প্রকট হয়ে সেই মূষিক কে বাহন বানান ।
একদিনের ঘটনা। গজানন মূষিকে অধিষ্ঠান করে
যাচ্ছিল্লেন। পথে মূষিকের শত্রু এক নাগ কে
দেখে মূষিক ভীত হয়ে হঠাত থেমে গেলে
আচমকা গণেশ জী মূষিক থেকে পড়ে যান।
সেসময় চন্দ্রদেব গণেশ জীর স্থূল দেহ ও
হস্তীমুখ নিয়ে ব্যাঙ্গ করলে গণেশ জী
চন্দ্রদেবকে অভিশাপ করেন । পরে চন্দ্রদেব
গণেশ জীর আরাধনা করে শাপ থেকে মুক্তি পান
। ভাদ্রমাসের নষ্টচন্দ্র দিন চন্দ্র দর্শন করলে নাকি
সেই অভিশাপ লাগে বলে পুরাণে লেখা। বলা হয়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেইদিন চন্দ্র দর্শন
করেছিলেন, এরপর মণি অপহরণের ঘটনা ঘটে। যাই
হোক ব্যাস মুনি পুরানে আমাদের এই শিক্ষা
দিয়েছেন যে কারোর দেহ দেখে তাকে
ব্যাঙ্গ উপহাস করতে নেই। ভাদ্র মাসের নষ্টচন্দ্র
দর্শন তিথিতে চন্দ্র দর্শন করলে পরদিন প্রভাতে
গণেশ জীকে দূর্বা দ্বারা পূজা করতে হয়- নচেৎ
সেই শাপ লেগে যায় বলে পুরাণে লেখা ।
একদা কুবের নিজ দর্প প্রদর্শনের জন্য গর্বে
বুক ফুলিয়ে কৈলাসে শিব কে নিমন্ত্রণ করতে
আসেন । ভগবান শিব অন্তর্যামী । তিনি কুবের কে
শিক্ষা দেবার জন্য গণেশ কে পাঠালেন । গণেশ
এসে কুবের মহলে গ্রেগ্রাসে এত খাবার
খেতে লাগলেন, যে কুবের ভবন খাদ্যশূন্য
হোলো। কুবের এসে মহাদেবের কাছে ক্ষমা
চাইলে মহাদেব গণেশ কে ফিরিয়ে আনলেন। এই
জন্য কদাপি গর্ব করা উচিৎ নয় । একবার কৈলাসে সমস্ত
দেবতা ও ত্রিদেব ত্রিদেবী উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন না শুধু গণেশ । সেসময় সিন্দুর নামক এক
অসুর এসে সমগ্র কৈলাস কে হাতে তুলে সমুদ্রে
নিক্ষেপ করতে চাইলেন। ভগবান শিব ভাবলেন
কপাল নয়ন অগ্নি দিয়ে সেই অসুরকে ভস্ম
করবেন । কিন্তু ভাবলেন অসুরের হাতে সমগ্র
কৈলাস। এই মুহূর্তে অসুরকে ভস্ম করা উচিৎ না । উপায়
না দেখে গণেশ কে স্মরণ করলেন। গণেশ
এসে তাঁর দন্ত দিয়ে সিন্দুর অসুরকে টুকরো
করে দিলেন । মহাভারত এর লেখক ছিলেন গণেশ
। ব্যাসদেব শ্লোক বলতেন , গণেশ মহারাজ তাঁর
দন্ত ভেঙ্গে কলম বানিয়েছিলেন সেটা নিয়ে
লেখতেন । গণেশ জীর যে হস্তীমুণ্ড সেটা
ঐরাবত হস্তীর মুণ্ড। দুর্বাসা মুনির অভিশাপে
ঐরাবতের ওরকম হয়েছিলো। তবে মুণ্ড কাটার পর
ঐরাবত মরে নি। দুর্বাসার আশীর্বাদে ঐরাবতের
একটি মুণ্ড গজিয়েছিলো । গণেশ জী মঙ্গল
মূর্তি। নতুন ব্যবসা, নতুন কিছু কেনা বা গৃহ নির্মাণের
আগে বা যেকোনো পূজায় অগ্রে গণেশের
পূজা করা উচিৎ । যাত্রা কালে গণেশ নাম উচ্চারন
করলে যাত্রা নিস্কণ্টক হয় । গণেশ পূজায় চতুর্বিধ
ফল লাভ, গ্রহ দোষ খণ্ডন ও সুখ, সমৃদ্ধি, আয়ু, যশ,
মান, অর্থ, সম্পদ প্রাপ্তি হয় । এজন্য ভারতের
সিনেমা নির্মাতা তথা মুম্বাই তে গণেশ পূজার এত ঢল।
কালক্রমে গোটা দেশে বিস্তৃতি হয়। আগামী কাল
গণেশ চতুর্থী, গণেশের আবির্ভাব তিথি । আসুন
গণেশ জীকে প্রনাম জানিয়ে বলি-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।।
প্রাতঃ স্মরামি গণনাথমণাথবন্ধুং
সিন্দুরপুরপরিশোভিতগণ্ডযুগ্মম্ ।
উদ্দণ্ডবিঘ্নপরিখণ্ডনখণ্ডনচণ্ড-
মাখণ্ডলাদিসুরনায়কবৃন্দ্যবন্দ্যম্ ।। ১
প্রাতর্ণমামি চতুরাননবন্দ্যমান-
মিচ্ছানুকূলমখিলঞ্চ বরং দদানম্ ।
তং তুন্দিলং দ্বিরসনাধিপযজ্ঞসূত্রং
পুত্রং বিলাসচতুরং শিবয়োঃ শিবায় ।। ২
প্রাতর্ভজাম্যভয়দং খলু ভক্তশোক-
দাবানলং গণবিভুং বরাকুঞ্জরাস্যম্ ।
অজ্ঞানকাননবিনাশনহব্যবাহ-
মুৎসাহবর্ধনমহং সুতমীশ্বরস্য ।। ৩
শ্লোকত্রয়মিদং পুণ্যং সদা সাম্রাজ্যদায়কং ।
প্রাতরুত্থায় সততং প্রপঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।। ৪
বঙ্গানুবাদ- যিনি অনাথবন্ধু, যাঁহার গণ্ডদ্বয়
সিন্দুরস্রোতে পরিশোভিত, যিনি প্রবল বিঘ্নের
বিনাশক প্রচণ্ড দণ্ডস্বরূপ , যিনি ইন্দ্র প্রভৃতি
দেবনায়কগণের দ্বারা পূজিত , সেই গণেশকে
আমি প্রাতঃকালে স্মরণ করি । ১ যিনি ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত
এবং ইচ্ছানুযায়ী অখিল বর দান করেন, যিনি স্থূলোদর
, বাসুকিনাগ যাঁগার যজ্ঞোপবীত, যিনি বিলাস নিপুণ, আমি
শিবদুর্গার সেই পুত্রকে মঙ্গলের নিমিত্ত
প্রাতঃকালে প্রনাম করি । ২ যিনি অভয়দাতা, যিনি
ভক্তগণের শোকদহনকারী দাবাগ্নিস্বরূপ , যিনি
অজ্ঞানরূপ বনের বিনাশক অগ্নিস্বরূপ এবং
উৎসাহবর্ধক, সেই মহেশ্বর- পুত্রকে আমি
প্রাতঃকালে ভজনা করি । ৩ এই পুণ্য শ্লোকত্রয়
সর্বদা সাম্রাজ্যদায়ক; পুরুষ ইহা প্রাতঃকালে
গাত্রোত্থান করিয়া সর্বদা ভক্তিসহকারে পাঠ করিবে

গনেশ মন্ত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ...
* ধ্যান মন্ত্র -
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং গনপতিং বিদ্যুদ্বর্ণং গজাননং ।
শ্বেতাম্বরং সিতাব্জস্থং স্বর্ণমুকুট শোভিতম্ ।।
শ্বেতমূষিক পৃষ্ঠন্যস্তবামচরনং সিদ্ধিদং ।
বামজান্বারোপিতদক্ষিনপদং চতুর্ভুজম্ ।।

অর্থাৎ যিনি বিদ্যুবর্ণ, গজানন, শ্বেতবস্ত্র পরিহিত, শ্বেতপদ্মে অবস্থিত, মাথায় স্বর্ণমুকুট শোভাস্থিত, যাহার বামচরন শ্বেতমূষিকের পৃষ্ঠে রাখা এবং বাম পা হাটুর ওপর অবস্থিত । যিনি সিদ্ধিদাতা ও চতুর্ভুজ , বাম দিকের দুই হাতে শঙ্খ ও চক্র, ডান দুই হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারনকারী সেই সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশকে আরাধনা করি ।

* প্রনাম মন্ত্র -
ওঁ সর্ব্ববিঘ্ন বিনাশয় সর্ব্বকল্যান হেতবে ।
পার্ব্বতী প্রিয় পুত্রায় গনেশায় নমো নমঃ ।।

** ভগবান শ্রীগনেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শুভ ও দ্রুত ফল প্রদানকারী মন্ত্র নিচে দেওয়া হল, সাধ্যমতে শুদ্ধচারে জপ করলে অবশ্যই মনমতো ফল পাওয়া যায় ।

১. বিদ্যায় সফলতার জন্য - ওঁ গং গনপতেয় নমঃ
প্রতিদিন ২৮ বার করে জপ করতে হবে।
২. তন্ত্র- মন্ত্রের বিপরীত ক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের জন্য- ওঁ হস্থিপিশাচিনিখে স্বাহাঃ ।
(এই মন্ত্র চলাফেরার সময় বা বসে জপ করা যেতে পারে। এঁটো মুখে জপ করলে বেশি তাড়াতাড়ি কাজ দেয় ।
৩. আর্থিক উন্নতির জন্য - ওঁ বক্রতুন্ডায় হুং ।
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )
৪. ঋনমুক্তির জন্য - ওঁ গনেশ ঋনং ছিন্দিং বরেন্যং হুং ফট্ নমঃ ।
( প্রতিদিন ধুপ জ্বেলে ১০৮ বার করে জপ )
৫. সর্ব্ব বশীকরনের জন্য- " ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গং গনপতয়ে বর বরদ সর্ব্বজনং মে বশ মানায় স্বাহা "
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181230090455

Friday, December 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গোচর ফল নির্ণয়

গোচর ফল নির্ণয়

সুপ্রভাত
গোচর বিচার পদ্ধতি
গুহ-সকল নিয়তই রাশিচক্রে আবর্তিত হইতেছে । জন্মকালীন রাশি ও লগ্নের আবর্তনশীল গ্রহের সম্পর্ক নিশ্চয়ই বিদ্যমান, তাহা পর্যবেক্ষণ করিয়া ফলাদেশ করাকেই গোচর বিচার বলা হইয়া থাকে! | গোচর বিচারের মৃল মন্ত্রগুলি নিন্মে প্রদত্ত হইল:
(১) গ্রহণের মধ্যে রবি ৩০ দিনে, চন্দ্র সোয়া ২ দিনে, মঙ্গল ৪৫ দিনে, বুধ ১৮ দিনে ও শুক্র ২৮ দিনের পর এক রাশি হইতে অপর রাশিতে গমন করে-- এই গ্রহসমৃহকে শীঘ্রগামী গ্রহ বলা হয়৷ পক্ষান্তরে, গ্রহগণের মধ্যে শনি আড়াই বৎসর পর,বৃহস্পতি ১ বৎসর পর, এবং বাহু ও কেতু দেড় বৎসর পর এক রাশি হইতে অপর রাশিতে গমন করে ৷ ইহারা মন্দগামী
মন্দগামী গ্রহসমূহের গোচর বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ | বিশেষ বিশেষ অবস্থায় শীঘ্রগাহী গ্রহসমূহের অবস্থানের ফলেও সাময়িক ফল লাত করা যায় ৷ .
(২) গোচরফল কাল : রবি ও মঙ্গলগ্রহ রাশিতে প্রবেশ করিবার সময়, বৃহস্পতি ও শুক্রগ্রহমধ্য সময়ে শনি ও চন্দ্র নির্গমনকালে এবং বুধগ্রহ সকল সময়েই (যে ১৮ দিন যে গ্রহে থাকে--তদনুযায়ী) গোচরফল প্রদান করিয়া থাকে ৷
(৩) সাধারণতঃ জন্মরাশি হইতেই গোচর বিচার করা হয় কিন্তু এই সঙ্গে লগ্ন হইতে গ্রহের বিচার করিলে শুভাশুভ ফল পরিপূর্ণভাবে জানা যায় ৷ দুই স্থান হইতে বিচার করিয়া ফল শুভ হইলে গোচরফল নিশ্চয়ই শুভ হইবে ৷ দুই স্থান হইতে বিচার-ফল অশুভ হইলে-~গোচরফল নিশ্চয়ই অশুভ হইবে৷ এক স্থানের বিচারে শুভ, অপর দ্বানের বিচারে অশুভ হইলে গোচরফল সম হইবে, ভাল বা মন্দ কিছুই হইবে না, কেবলমাত্র স্থিতাবস্থা বজায় থাকিবে | (৪) জন্মকুগুলীতে যে স্থানে গ্রহ অবস্থানে গোচর ঠিক করে সেই স্থানে গ্রহ আসিলে সচরাচর শুভ ফলদাতা হইয়া থাকে ৷ জন্মকালিন গ্ৰহ যে রাশিতে অবস্থিত ছিল, উহা হইতে সপ্তম স্থানে আসিলে দেয় ফলের হ্রাস হইয়া থাকে। ৷
৫)গোচর ফল নির্ণয়ের সময় ,নক্ষত্রের অবস্থান গত ফলাফল ও ঐ নক্ষত্রের অধীন গ্ৰহদের শুভ অশুভ বিচার আবশ্যক।

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181228093405

Sunday, December 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতীষ ও তন্ত্রমতে মা কালী

জোতীষ ও তন্ত্রমতে মা কালী

সুপ্রভাত
তন্ত্রশাস্ত্রের মতে, কালী দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী। শাক্তরা কালীকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ মনে করে। বাঙালি হিন্দু সমাজে দেবী কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।
'ওঁ খড়্গং চক্রগদেষুচাপপরিঘান শূলং ভুসূণ্ডিং শিরঃ| শঙ্খং সন্দধতীং করৈস্ত্রিনয়নাং সর্বাঙ্গভূষাবৃতাম্ || নীলাশ্মদ্যুতিমাস্যপাদদশকাং সেবে মহাকালিকাম্ | যামস্তৌচ্ছয়িতে হরৌ কমলজো হন্তুং মধুং কৈটভম্ ||' ----মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর প্রথম চরিত্র শ্রী শ্রী মহাকালীর ধ্যানমন্ত্রে পাওয়া যায়।

কালী একজন হিন্দু দেবী। যাঁর অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত ধর্মাবলম্বীরা কালীর পূজা করেন।
তন্ত্রশাস্ত্রের মতে, তিনি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী। শাক্তরা কালীকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ মনে করে। বাঙালি হিন্দু সমাজে দেবী কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।
পুরাণ ও তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সাধারণভাবে তাঁর মূর্তিতে চারটি হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা; গলায় মানুষের মুণ্ড দিয়ে গাঁথা মালা; বিরাট জিভ, কালো গায়ের রং, এলোকেশ দেখা যায় এবং তাঁকে তাঁর স্বামী শিবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ব্রহ্মযামল মতে, কালী বঙ্গদেশের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। কালীর বিভিন্ন রূপভেদ আছে। যেমন – দক্ষিণাকালী, শ্মশানকালী, ভদ্রকালী, রক্ষাকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী, চামুণ্ডা ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন মন্দিরে "ব্রহ্মময়ী", "ভবতারিণী", "আনন্দময়ী", "করুণাময়ী" ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা ও পূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। এছাড়া মাঘ মাসে রটন্তী কালীপূজা ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালীপূজাও বিশেষ জনপ্রিয়। অনেক জায়গায় প্রতি অমাবস্যা এবং প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবারে কালীপূজা হয়ে থাকে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অনেক কালীমন্দির আছে। তাই ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে কালীকে "কলকাত্তাওয়ালি" (কলকাতানিবাসী) বলা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতা অঞ্চলের বিখ্যাত কয়েকটি কালী মন্দির। এছাড়া লালনার সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ময়দা কালীবাড়ি, উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহরের রামপ্রসাদী কালী মন্দির ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত রমনা কালীমন্দির ছিল খুবই প্রাচীন একটি কালীমন্দির। ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির নতুন দিল্লি কালীবাড়ি একটি ঐতিহ্যপূর্ণ কালীমন্দির।

‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যার অর্থ “কৃষ্ণ, ঘোর বর্ণ” (পাণিনি ৪।১।৪২)। মহাভারত অনুসারে, এটি দুর্গার একটি রূপ (মহাভারত, ৪।১৯৫)। আবার হরিবংশ গ্রন্থে কালী একটি দানবীর নাম (হরিবংশ, ১১৫৫২)।

‘কাল’, যার অর্থ ‘নির্ধারিত সময়’, তা প্রসঙ্গক্রমে ‘মৃত্যু’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এর সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে এর কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। কিন্তু লৌকিক ব্যুৎপত্তির দৌলতে এরা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গেছে। মহাভারত-এ এক দেবীর উল্লেখ আছে যিনি হত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন। তাঁর নাম কালরাত্রি বা কালী। সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, এই শব্দটি নাম হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে আবার ‘কৃষ্ণবর্ণা’ বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।

রূপভেদ

তন্ত্র ও পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের কথা পাওয়া যায়। তোড়ল তন্ত্র মতে কালী অষ্টধা বা অষ্টবিধ। যথা – দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালী, শ্মশানকালী ও শ্রীকালী। মহাকাল সংহিতা অনুসারে আবার কালী নববিধা। এই তালিকা থেকেই পাওয়া যায় কালকালী, কামকলাকালী, ধনদাকালী ও চণ্ডিকাকালীর নাম।

দক্ষিণাকালী

দক্ষিণাকালীর কালীর সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ মূর্তি। ইনি প্রচলিত ভাষায় শ্যামাকালী নামে আখ্যাতা। দক্ষিণাকালী করালবদনা, ঘোরা, মুক্তকেশী, চতুর্ভূজা এবং মুণ্ডমালাবিভূষিতা। তাঁর বামকরযুগলে সদ্যছিন্ন নরমুণ্ড ও খড়্গ; দক্ষিণকরযুলে বর ও অভয় মুদ্রা। তাঁর গাত্রবর্ণ মহামেঘের ন্যায়; তিনি দিগম্বরী। তাঁর গলায় মুণ্ডমালার হার; কর্ণে দুই ভয়ানক শবরূপী কর্ণাবতংস; কটিদেশে নরহস্তের কটিবাস। তাঁর দন্ত ভয়ানক; তাঁর স্তনযুগল উন্নত; তিনি ত্রিনয়নী এবং মহাদেব শিবের বুকে দণ্ডায়মান। তাঁর দক্ষিণপদ শিবের বক্ষে স্থাপিত। তিনি মহাভীমা, হাস্যযুক্তা ও মুহুর্মুহু রক্তপানকারিনী।

তাত্ত্বিকের তাঁর নামের যে ব্যাখ্যা দেন তা নিম্নরূপ: দক্ষিণদিকের অধিপতি যম যে কালীর ভয়ে পলায়ন করেন, তাঁর নাম দক্ষিণাকালী। তাঁর পূজা করলে ত্রিবর্ণা তো বটেই সর্বোপরি সর্বশ্রেষ্ঠ ফলও দক্ষিণাস্বরূপ পাওয়া যায়।

সিদ্ধকালী

সিদ্ধকালী কালীর একটি অখ্যাত রূপ। গৃহস্থের বাড়িতে সিদ্ধকালীর পূজা হয় না; তিনি মূলত সিদ্ধ সাধকদের ধ্যান আরাধ্যা। কালীতন্ত্র-এ তাঁকে দ্বিভূজা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। অন্যত্র তিনি ব্রহ্মরূপা ভুবনেশ্বরী। তাঁর মূর্তিটি নিম্নরূপ: দক্ষিণহস্তে ধৃত খড়্গের আঘাতে চন্দ্রমণ্ডল থেকে নিঃসৃত অমৃত রসে প্লাবিত হয়ে বামহস্তে ধৃত একটি কপালপাত্রে সেই অমৃত ধারণ করে পরমানন্দে পানরতা। তিনি সালংকারা। তাঁর বামপদ শিবের বুকে ও বামপদ শিবের উরুদ্বয়ের মধ্যস্থলে সংস্থাপিত।

গুহ্যকালী

গুহ্যকালী বা আকালীর রূপ গৃহস্থের কাছে অপ্রকাশ্য। তিনি সাধকদের আরাধ্য। তাঁর রূপকল্প ভয়ংকর: গুহ্যকালীর গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন্যায়; তিনি লোলজিহ্বা ও দ্বিভূজা; গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা; কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র; স্কন্ধে নাগযজ্ঞোপবীত; মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র; কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার; হাস্যযুক্তা, চতুর্দিকে নাগফণা দ্বারা বেষ্টিতা ও নাগাসনে উপবিষ্টা; বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ; বামে বৎসরূপী শিব; তিনি নবরত্নভূষিতা; নারদাদিঋষিগণ শিবমোহিনী গুহ্যকালীর সেবা করেন; তিনি অট্টহাস্যকারিণী, মহাভীমা ও সাধকের অভিষ্ট ফলপ্রদায়িনী। গুহ্যকালী নিয়মিত শবমাংস ভক্ষণে অভ্যস্তা।

মুর্শিদাবাদ-বীরভূম সীমান্তবর্তী আকালীপুর গ্রামে মহারাজা নন্দকুমার প্রতিষ্ঠিত গুহ্যকালীর মন্দিরের কথা জানা যায়। মহাকাল সংহিতা মতে, নববিধা কালীর মধ্যে গুহ্যকালীই সর্বপ্রধানা। তাঁর মন্ত্র বহু – প্রায় আঠারো প্রকারের

মহাকালী

তন্ত্রসার গ্রন্থমতে, মহাকালী পঞ্চবক্ত্রা ও পঞ্চদশনয়না। তবে শ্রীশ্রীচণ্ডী-তে তাঁকে আদ্যাশক্তি, দশবক্ত্রা, দশভূজা, দশপাদা ও ত্রিংশল্লোচনা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। তাঁর দশ হাতে রয়েছে যথাক্রমে খড়্গ,চক্র,গদা,ধনুক,বাণ,পরিঘ,শূল,ভূসুণ্ডি,নরমুণ্ড ও শঙ্খ। ইনিও ভৈরবী; তবে গুহ্যকালীর সঙ্গে এঁর পার্থক্য রয়েছে। ইনি সাধনপর্বে ভক্তকে উৎকট ভীতি প্রদর্শন করলেও অন্তে তাঁকে রূপ, সৌভাগ্য, কান্তি ও শ্রী প্রদান করেন।

ভদ্রকালী

ভদ্রকালী নামের ভদ্র শব্দের অর্থ কল্যাণ এবং কাল শব্দের অর্থ শেষ সময়। যিনি মরণকালে জীবের মঙ্গলবিধান করেন, তিনিই ভদ্রকালী। ভদ্রকালী নামটি অবশ্য শাস্ত্রে দুর্গা ও সরস্বতী দেবীর অপর নাম রূপেও ব্যবহৃত হয়েছে। কালিকাপুরাণ মতে, ভদ্রকালীর গাত্রবর্ণ অতসীপুষ্পের ন্যায়, মাথায় জটাজুট, ললাটে অর্ধচন্দ্র ও গলদেশে কণ্ঠহার। তন্ত্রমতে অবশ্য তিনি মসীর ন্যায় কৃষ্ণবর্ণা, কোটরাক্ষী, সর্বদা ক্ষুধিতা, মুক্তকেশী; তিনি জগৎকে গ্রাস করছেন; তাঁর হাতে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ও পাশযুগ্ম।

গ্রামবাংলায় অনেক স্থলে ভদ্রকালীর বিগ্রহ নিষ্ঠাসহকারে পূজিত হয়। এই দেবীরও একাধিক মন্ত্র রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ চতুর্দশাক্ষর মন্ত্রটি হল – ‘হৌঁ কালি মহাকালী কিলি কিলি ফট স্বাহা’।

চামুণ্ডাকালী

চামুণ্ডাকালী বা চামুণ্ডা ভক্ত ও সাধকদের কাছে কালীর একটি প্রসিদ্ধ রূপ। দেবীভাগবত পুরাণ ও মার্কণ্ডেয় পুরাণ-এর বর্ণনা অনুযায়ী, চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামক দুই অসুর বধের নিমিত্ত দেবী দুর্গার ভ্রুকুটিকুটিল ললাট থেকে উৎপন্ন হন। তাঁর গাত্রবর্ণ নীল পদ্মের ন্যায়, হস্তে অস্ত্র, দণ্ড ও চন্দ্রহাস; পরিধানে ব্যাঘ্রচর্ম; অস্তিচর্মসার শরীর ও বিকট দাঁত। দুর্গাপূজায় মহাষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণে আয়োজিত সন্ধিপূজার সময় দেবী চামুণ্ডার পূজা হয়। পূজক অশুভ শত্রুবিনাশের জন্য শক্তি প্রার্থনা করে তাঁর পূজা করেন। অগ্নিপুরাণ-এ আট প্রকার চামুণ্ডার কথা বলা হয়েছে। তাঁর মন্ত্রও অনেক।

শ্মশানকালী

কালীর "শ্মশানকালী" রূপটির পূজা সাধারণত শ্মশানঘাটে হয়ে থাকে। এই দেবীকে শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনে করা হয়। তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ রচিত বৃহৎ তন্ত্রসার অনুসারে এই দেবীর ধ্যানসম্মত মূর্তিটি নিম্নরূপ:

শ্মশানকালী দেবীর গায়ের রং কাজলের মতো কালো। তিনি সর্বদা বাস করেন। তাঁর চোখদুটি রক্তপিঙ্গল বর্ণের। চুলগুলি আলুলায়িত, দেহটি শুকনো ও ভয়ংকর, বাঁ-হাতে মদ ও মাংসে ভরা পানপাত্র, ডান হাতে সদ্য কাটা মানুষের মাথা। দেবী হাস্যমুখে আমমাংস খাচ্ছেন। তাঁর গায়ে নানারকম অলংকার থাকলেও, তিনি উলঙ্গ এবং মদ্যপান করে উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন।

শ্মশানকালীর আরেকটি রূপে তাঁর বাঁ-পাটি শিবের বুকে স্থাপিত এবং ডান হাতে ধরা খড়্গ। এই রূপটিও ভয়ংকর রূপ। তন্ত্রসাধকেরা মনে করেন, শ্মশানে শ্মশানকালীর পূজা করলে শীঘ্র সিদ্ধ হওয়া যায়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্ত্রী সারদা দেবী দক্ষিণেশ্বরে শ্মশানকালীর পূজা করেছিলেন।

কাপালিকরা শবসাধনার সময় কালীর শ্মশানকালী রূপটির ধ্যান করতেন। সেকালের ডাকাতেরা ডাকাতি করতে যাবার আগে শ্মশানঘাটে নরবলি দিয়ে শ্মশানকালীর পূজা করতেন। পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রাচীন শ্মশানঘাটে এখনও শ্মশানকালীর পূজা হয়। তবে গৃহস্থবাড়িতে বা পাড়ায় সর্বজনীনভাবে শ্মশানকালীর পূজা হয় না। রামকৃষ্ণ পরমহংস বলেছিলেন, শ্মশানকালীর ছবিও গৃহস্থের বাড়িতে রাখা উচিত নয়।

শ্রীকালী গুণ ও কর্ম অনুসারে শ্রীকালী কালীর আরেক রূপ। অনেকের মতে এই রূপে তিনি দারুক নামক অসুর নাশ করেন। ইনি মহাদেবের শরীরে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হয়েছেন। শিবের ন্যায় ইনিও ত্রিশূলধারিনী ও সর্পযুক্তা।

কালীপূজা

গৃহে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালীপ্রতিমার নিত্যপূজা হয়। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ তিথিতেও কালীপূজার বিধান আছে। আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপূজা, মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে রটন্তী কালীপূজা এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে ফলহারিনী কালীপূজা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও শনি ও মঙ্গলবারে, অন্যান্য অমাবস্যায় বা বিশেষ কোনো কামনাপূরণের উদ্দেশ্যেও কালীর পূজা করা হয়। দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই উৎসব সাড়ম্বরে আলোকসজ্জা সহকারে পালিত হয়। তবে এই পূজা প্রাচীন নয়। ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে কাশীনাথ রচিত শ্যামাসপর্যাবিধি গ্রন্থে এই পূজার সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অষ্টাদশ শতকে তাঁর সকল প্রজাকে শাস্তির ভীতিপ্রদর্শন করে কালীপূজা করতে বাধ্য করেন। সেই থেকে নদিয়ায় কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্রও বহু অর্থব্যয় করে কালীপূজার আয়োজন করতেন।

টমাস কবার্নের মতে, ‘কালী’ শব্দটি ‘কৃষ্ণবর্ণ’ বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।

ফলহারিনী কালী
গৃহ ধর্মকে সুন্দর করতে এই দেবীর আবির্ভাব, নামে ফলহারিনী হলেও অভিষ্ট সিদ্ধ দায়িনি,জানা যায় রামপ্রসাদ নিজ স্ত্রীকে এই দিন দেবীরুপে পুজা করে নারী জাতীর সম্মানের জন্য এর ফল উৎসর্গ করেন।এটিও বাৎসরিক একটি পুজা।

রটন্তিকালী
পুত্র সন্তান কামনায় বিশেষ ভাবে এই দেবীর পুজা করা হয়, এছাড়া ধন বৃদ্ধির জন্যও ইনি বছরের একটি বিশেষ অমাবস্যায় পুজিত হন।শাস্ত্রানুযায়ী মাঘ মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী তিথির নামই হলো রটন্তি, এইদিন সন্ধায় তার পুজা করতে হয়।

নিশাকালী
নিশাকালী নিয়ে মতভেদ আছেবলা হয়ে থাকে ইনি জেলেদের রক্ষাকারী, দুর্যোগময় রাতে জেলেরা সমুদ্রে গেলে তার পুজা করে যেতেন, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তার চরন ছোয়া ফুল যে নৌকায় থাকতো সেই নৌকা কদাচিৎ ডুবতোই না। এছাড়া আধিভৌতিক ভীতি কাটানোর জন্যওএই দেবী প্রসিদ্ধ। আবার অন্যমতভেদও আছেকোন এক সময় এক গ্রামের কয়েকটি জেলে পুরুষ নৌকা নিয়ে বের হয়ে যাবার পর প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়।সেই সময় সকল জেলে পত্নী তাদের স্বামীর জন্য দেবী মন্দিরে উপস্থিত হয়ে প্রার্থনা করতে থাকে, সেই সময় একজন বৃদ্ধা এসে তাদের নিশাকালীর মাহাত্ম্য কথা বলে তাদের বলেন, যে কুলে স্বয়ং দেবী জন্ম নিয়েছিলেন, সেই কুলের রুক্ষাকর্ত্রী দেবী নিজেই, তাই তার রুপ নিশাকালীর ব্রত করো, তিনিই দুর্যোগময় রাতে তোমাদের পতিদের রক্ষা করবেন, সেই থেকে জেলেকুলে ধুমধামের সাথে দেবীর স্থান হলেও কালক্রমে নিশাকালীর পুজা প্রথা বিলীন হয়ে যায়, কিন্তু স্থানভেদে কিছু জায়গায় এখনো তার পুজা বিদ্যমান।


কাম্যকালী
আমাদের বিশেষ কামনায় বা বিশেষ প্রার্থনায় যে কালীপুজা আয়োজন করা হয়, তাকেই কাম্যকালী পুজা বলা হয়, পুজা বিধি দক্ষিনাকালীর মতই।সাধারনত অষ্টমী, চতুর্দ্দশী অমাবস্যা পুর্ণিমা ও সংক্রান্তিকে পর্বদিন বলে।পর্বসমুহের মধ্যে অমাবস্যাকে বলা হয় মহাপর্ব। বিশেষ কামনায় এই সকল তিথিতে যে পুজা করা হয় তাকেই কাম্যকালী পুজা বলা হয়।

আজ আমরা জেনে আজকের প্রধান বিষয়বস্তু মা কালি পুজোর কিছু মন্ত্র
অনুষ্ঠান সামগ্রী
মহাকালির চিত্র, পরনে শ্বেত বস্ত্র, ভোগ ও নৈবেদ্য, ধুপ ও দীপ, ফুল ফল। সাধনা কালে উপবাস থেকে সন্ধ্যাকালে হাল্কা ফল মুল ভোজন করবেন । পূর্ণ ব্রহ্মচর্য পালন করবেন । অনুষ্ঠানের আগে স্নান আবশ্যক তার পর স্বচ্ছ বস্ত্র ধারন করবে । আসনে কালি মূর্তি স্থাপন তার সামনে ধুপ দীপ জ্বালাবে আর নৈবেদ্য রাখবে । সর্ব প্রথম গুরু কে স্মরণ করে মা কালির ধ্যান করবে । ধ্যান করার সময় মন বশে রেখে এক দৃষ্টি কালির দিকে তাকিয়ে থাকবেন , কালি আরাধনার শক্তিলাভ , দুঃখ , শোক , রোগ , মারীভয় নিবারণ ,গ্রহ শান্তি , দারিদ্রতা নাশ , শত্রু ক্ষয় , সর্বপরি সিদ্ধি লাভ , মুক্তি লাভের জন্য কালী পুজা করা । শাস্ত্রে দেখা যায় কালী আরাধনা ব্যতিত মুক্তি অসম্ভব।

প্রণাম মন্ত্র
জয়ন্তী মঙ্গলা কালীভদ্রা কালী
কপালিনীদূগা শিবা সমাধ্যাতীসাহা
সুধা নমস্তুতে।

ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে , নিবেদয়ামি চাত্মানংত্বং গতিঃ পরমেশ্বরঃ ।

ওঁ কালি কালি মহাকালি কালিকে পাপহারিনি দেবী নারায়ণী নমস্তুতে ,মহিষাঘ্নি মহামায়ে চামুণ্ডে মুণ্ডমালিনী আয়ুরোগয় বিজয়ং দেহি দেবী নমস্তুতে । এষ পুস্পাঞ্জলিঃ শ্রীমদ্দদক্ষিণকালিকায়ৈ নমঃ ।

ধ্যান মন্ত্র
ওঁ শবারুঢ়াং মহাভীমাং ঘোরদংস্ট্রাং বরপ্রদাম্।

হাস্যযুক্তাং ত্রিনেত্রাঞ্চ কপালকর্ত্তৃকাকরাম্।।


মুক্তকেশীং লোলজিহ্বাং পিবন্তীং রুধিরং মুহু।

চতুর্ব্বাহু যুতাং দেবীং বরাভয়করাং স্মরেৎ।।

মায়ের গায়ত্রী মন্ত্র
ওঁ কালিকায়ৈ বিদ্মহে শশ্মানবাসিন্যৈ ধীমহি তন্নো ঘোরে প্রচোদয়াৎ ……… (১০ বার জপ করুন)

জপের মন্ত্র
ক্রীং ক্রীং ক্রীং হুং হুং হ্রীং হ্রীং দক্ষিণ কালিকে ক্রীং ক্রীং ক্রীং হুং হুং হুং স্বাহা

আচমন
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ তদবিষ্ণুঃ পরমং পদং পশ্যন্তি সুরয়ঃ । দিবীব চক্ষুরাততম ।। ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ।।

পুস্প শুদ্ধি
ওঁ পুস্পে পুস্পে মহাপুস্পে সুপুস্পে পুস্পে পুস্পসম্ভবে । পুস্পেচয়াবকীরনে ওঁ হুং ফট স্বাহা ।

পুজা মন্ত্র
এষ গন্ধ ওঁ গণেশায় নমঃ , এতৎ সচন্দন পুষ্পম ওঁ গণেশায় নমঃ , এষ ধুপ ওঁ গণেশায় নমঃ , এষ দীপ ওঁ গণেশায় নমঃ , এতন নৈবেদ্য ওঁ গণেশায় নমঃ । জপঃ ওঁ গণেশায় নমঃ

এষ গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ , এতৎ সচন্দনপুস্পম ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ , এষ ধুপ ওঁ শ্রীসূর্যা নমঃ ,এষ দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ , এতন নৈবেদ্যম ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ ।

সূর্যের ধ্যান
ওঁ রক্তাম্বুজাসনমশেষগুনৈকসিন্ধুং , ভানুং সমস্তজগতামধিপং ভজামি । পদ্মদ্বয়াভয়রবান দধতং করাজৈর মানিক্যমৌলিমরুণাঙ্গরুচিং ত্রিনেত্রম ।

কালীকবচম্
——————————————————

ভৈরব উবাচ কালিকা যা মহাবিদ্যা কথিতা ভুবি দুর্ল্লভা।

তথাপি হৃদয়ে শল্যমস্তি দেবি কৃপাং কুরু।।

কবচন্ত মহাদেবী কথয়সানুকম্পা।

যদি নো কথ্যতে মাতব্বিমুঞ্চামি তদা তনুম।।

দেব্যুবাচ: শংকাপি জায়তে বৎস তব স্নেহাৎ প্রকাশিতম।

ন বক্তব্যং ন দ্রষ্টব্যমতি গুহ্যতমং মহৎ।।

কালিকা জগতাং মাতা শোকদুঃখাদি বিনাশিনী।


বিশেষত কলি যুগে, মহাপাতকহারিণী।।

কালী মে পুরুত: পাঠু পৃষ্ঠতশ্চ কপালিনী।

কুল্বা মে দক্ষিনে পাতু করণৌ চগ্রোপ্রভামতা।।

বদনং পাতু মে দীপ্তা নীলা চ চিবুকং সদা।

ঘনা গ্রীবাং সদা পাতু বলাকা বাহুযুগ্মকম।।

মাত্রা পাতু করদ্বন্দং বক্ষো মুদ্রা সদাবতু।

মিতা পাতু স্তনদ্বন্দং যোনিং মন্ডল দেবতা।

ব্রাম্মী মে জঠরং পাতু, নাভিং নারায়ণীং তথা।

ঊরু মাহেশ্মরী নিত্যং চামুন্ডা পাতু লিঙ্গকম।

কৌমারী চ কটিং পাতু তথৈব জানুযুগ্মকম।

অপরাজিতা পাদৌ মে বারাহী পাতু চাঙ্গুলীঃ।

সন্ধিস্থানং নারসিংহী পত্রস্থা দেবতাবতু ।।

রক্ষাহীনঞ্চ যৎ স্থানং বর্জ্জিতং কবচেন তু।

তৎ সর্ব্বং রক্ষ মে দেবী কালিকে ঘোর দক্ষিণে।।

ঊর্দ্ধং-মধ্যস্তথা দিক্ষু পাতু দেবী স্বয়ং বপুঃ।।

হিংস্রেভ্যঃ সর্ব্বদা পাতু সাধকঞ্চ জলাধিকাৎ।

দক্ষিণা কালিকে দেবী ব্যাপকত্তে সদাবতু।

ইদং কবচমজ্ঞাতা যো জপেদ্দেবদক্ষিনাম

ন পুজাফলমাপ্নোতি বিঘ্নস্তস্য পদে পদে।

কবচেনাবৃতো নিত্যং যত্র তত্রৈব গচ্ছতি

তত্র তত্রভয়ং তস্য ন ক্ষোভং বিদ্যতে ক্কচিৎ।

রটন্তী কালো র ধ‍্যান:(এই ধ‍্যান টি স্নানান্তে এক বার করবেন)
ওঁ খড়্গং চক্রগদেষুচাপপরিঘান শূলং ভুসূণ্ডিং শিরঃ| শঙ্খং সন্দধতীং করৈস্ত্রিনয়নাং সর্বাঙ্গভূষাবৃতাম্ || নীলাশ্মদ্যুতিমাস্যপাদদশকাং সেবে মহাকালিকাম্ | যামস্তৌচ্ছয়িতে হরৌ কমলজো হন্তুং মধুং কৈটভম্ ||'

শেষ কথা
আমরা আজ জানলাম মা কালির কিছু মন্ত্র। তবে একটা কথা বলি তোমাদের সবাইকে মা কালির পুজো করতে গেলে অবশ্যই পুরোহিত এর সাথে যোগাযোগ করবেন ও ব্রাহ্মণ পুরোহিত বা ঠাকুর মশাই দিয়েই পুজো করতেন উচিত। তার কারণ হল মানুষ মাত্রেই ভুল হয় আর কথায় আছে যে মা কালী খুব রাগী একজন ঠাকুর আর কোনো ভুল ভাল মন্ত্র পথ না করে ভালো। সেই জন্যে পুজোর জন্য ঠাকুর মশাই বা কোনো ব্রাহ্মণ পুরোহিত যে মা কালির পুজো করে থাকেন তাকে বা তাদের দিয়েই মা কালী পুজো করানো উচিত। পোস্টটি শেয়ার করবেন সবার উদ্দ্যেশে। ভালো থাকবেন বাকল রাখবেন। জয় মা কালী মায়ের জয়। মা সবার মঙ্গোল করুক এই প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ।

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181223085401

Sunday, December 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতীষ শ্রাস্ত্র অনুযায়ী জল সেবনের উপকারিতা

জোতীষ শ্রাস্ত্র অনুযায়ী জল সেবনের উপকারিতা

সুপ্রভাত
জোতীষ শ্রাস্ত্র অনুযায়ী জল সেবন
(লেখা টি বিশেষ একজন স্নেহধন‍্যার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ প্রয়াসের পর সম্পূর্ন করলাম)
আমরা শীতকালে অনেকেই জল রোদে রেখে দিই গরম করার জন্য। পরে তা দিয়ে স্নান করি।
এই স্নান করার পূর্বে একটি শুদ্ধ বর পাত্রে সূর্যের আলো তে চার টি তুলসী পাতা দিয়ে জল গরম করে সকাল ৭.০৭ মিঃ দুটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় মন্ত্রে (১০০বার) এক গ্লাস জল সেবন করুন ।বেলা ১০টার সময় কিছু হালকা টিফিন করার পর ,ঔঁ হ্রীং মন্ত্রে (১০বার )আবার এক গ্লাস জল সেবন করুন।পরে ১২.৪৫ মিঃ সারা শরীরে খাঁটি সঃতেল মেখে ঔঁ হ্রীং ক্লীং হূং বৃহস্পতয়ে (১০৮ বার)মন্ত্রে স্নান করুন।এবং মধ‍্যাহ্নভোজের ৩০মিঃ পর আবার এক গ্লাস জল সেবন করবেন।পরে বিকেল ৫টার সময় ঔঁ স্ত্রীং শ্রীং বুধায় মন্ত্রে (১০বার)আবার এক গ্লাস জল সেবন করবেন।এই হলো সূর্যের আলোতে জল খাওয়ার পদ্ধতি ,যা বৈদিক মুনি ঋষিরা করতেন।এতে কিডনী, পিত্তথলিতে কোনো দিন পাথর হবে না।এছাড়া বদ হজম ও প্রস্রাবে প্রদাহ হবে না।পুরুষ মানুষরা posted gland এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আবার অনুরুপ ভাবে চাঁদের আলোয় চারটি নিমপাতা দিয়ে জল রেখে একটি শুদ্ধ কৃষ্ণ কাচের পাত্রে রেখে দিন।ঐ জলে যেতে কোনো নংড়া না পড়ে তার জন্য একটি ডবল নেট মোশারির কাপড় পাত্রের উপর রাখবেন।

চাঁদের জলও বেশ উপকারি। প্রতি দিন এক গ্লাস করে রাত্রে সোবার ১ঘন্টা আগে ও পরে এই জল খেলে ভাল থাকে মন ও সুস্থ থাকে শরীর, এমনটাই জানাচ্ছে প্রাচীন জড়িবুটি-সংক্রান্ত জ্ঞান।

জেনে নিন ‘চাঁদের জল’ তৈরি করার সহজ উপায়—
১। কাচের পাত্র হলে সব থেকে ভাল হয়। কারণ চারদিক থেকেই চাঁদের আলো পড়বে তাতে। পাত্রের ঢাকনাও কাচের হওয়া উচিত।
২। ফিলটার করা বা ডিসটিলড ওয়াটার ঢেলে দিন ওই কাচের পাত্রে।
৩। পূর্ণিমার রাতে জল ভর্তি কাচের পাত্রটি জানলা বা বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে প্রায় সারা রাতই চাঁদের আলো পড়বে পাত্রটির উপরে।
৪। পরের দিন ভোর ৫টায় অন্য কিছু মুখে দেওয়ার আগে এক চুমুক জল খেয়ে নিন কাচের পাত্র থেকে। আগামী পূর্ণিমার আগের দিন পর্যন্ত, প্রতি দিনই এ ভাবে এক চুমুক চাঁদের জল খেয়ে যান।

চাঁদের আলোয় চার্জড হওয়া এই জল আপনার শরীরের চক্রগুলিকে শুদ্ধ করবে। শান্ত করবে মনও।
কর্কট জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181209093429

Thursday, December 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সতী-সাদ্ধী পত্নী যোগ

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আজকের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মনযোগ সহকারে পরুন ও সকলকে শেয়ার করে ,উপকৃত করুন।

সত্তী-সাধ্বী পত্নীযোগ

সপ্তমপতি অথবা শুক্র, বৃহস্পতি বা বুধ দ্বারা যূক্ত বা পূর্ণ দৃষ্ট হলে সতী -সাধ্বী পত্নী যোগ সূচিত হয় ৷
ফলাফল:এইরকম যোগে
জাতব্যক্তির স্ত্রী ধর্মপরায়ণ ও মহান হয়ে থাকে।এবং এরা কোনো ভাবেই পরপুরুষের সংস্পর্শে আসে না।

মত্তব্য:
অবশ্য সপ্তমপতির কেন্দে বা কোণে অবস্থানের ওপরই এই যোগ শুভত্ত্ব নির্ভরশীল।

নিচের চিত্র টি দেখুন-জাতকের তুলালগ্নে জন্ম ! সপ্তমপতি মঙ্গল লগ্নপতি শুক্র ও বুধ সহ লগ্নে অবস্থিত হওয়ায়---যোগটির সকল শর্তাদিই পরিপালিত হয়েছে এবং যোগটিও প্রবল হয়ে এই জাতকের পত্নী সতী এবং আদর্শ পরায়ণা নারী হিসাবে বিবেচিত হবেন।কিন্তু ছক টিতে শুক্র পাপগ্ৰহ ও সপ্তমপতি মঙ্গল যুক্ত হ ওয়ায় পতী সোহাগী হবেন না ও বন্ধু দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।ছকটি আমার একজন বিশেষ স্নেহধন‍্যার।

প্রতিকার:১বুধের বীজমন্ত্র
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।
২)পেরিডট ১০-১২রতি লকেট করে পরিধান করবে।
আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী,prediction report mail এ পাঠানো হবে ও প্রতিকার কুরিয়ার যোগে প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks

https://www.apnc.co.in/



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181206091254

Tuesday, December 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মানসিক চাপ ও দূ শ্চিন্তা

মানসিক চাপ ও দূ শ্চিন্তা

দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কিভাবে মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে?
********************†******************

দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ শরীর ও মঙ্কে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে থাকে।
ক্লান্তি ও অবসাদে একেবারে ভেঙ্গে পড়া, এই সময় শরীরের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্থি অনুভব করা, এই অবস্থা চলতে থাকলে শরীরের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে, এতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশঃ নষ্ট হতে থাকবে, যার ফলে এই অক্ষম কোষগুলোর পক্ষে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করা ওদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উথবে।
যে মানুষটি মানষিক চাপের শিকার সে সহজেই অসুস্থ হয়ে পরবে।
আমরা জানি দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের ফলে শরীর ও মন উভয়ের উপর বিশেষ ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তা আমরা জানি।
যখন মানুষের শরীর দুর্বল থাকে তখন যদি মস্তিষ্কের আবর্তক সংখ্যা প্রতি সেকেন্ডে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয় তখন বাহিরের প্রভাব মানুষের সঠিক কোন কার্যকরী হবেনা, যার ফলে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার অভাব দেখা যায়, তাছাড়া তার মধ্যে এক ধরনের Desparate মানসিকতা গড়ে ওঠে আর মানুষটি ভাবতে শুরু করে যে, সে পৃথিবীর কাউকে পরোয়া করে না, অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।
এটাতে প্রতিদিনকার ব্যাপার বসের ধমকানো, কলিগের মধ্যে মতবিরোধ কারণ কোন দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা মারা, তাকে হেনস্থ করা তাকে নিয়ে হাসি-মজা করা , এর ফলে মানুষের মনের চাপের সৃষ্টি হয় তাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, কিছুতেই কর্মক্ষেত্র যেতে চায়না কবে ছুতির দিনটি আসবে সেটাই মনের মধ্যে ভাবনা। কোন একজন বেক্তি অফিসে যাবার সময়ই তার পেটে ব্যথা হতো, কিছুতেই বাড়ি থেকে বের হতে পারতো না, মজার কথা হল যখনই অফিস টাইম পেরিয়ে যেত তখন কিন্তু মানুষটার আর পেট ব্যথা থাকতো না।
মনের ক্লান্তি দূর হত।
আসলে অফিসে যাবার কথা ভাবলেই সে ভয়ে কাতর হয়ে যেত।
আমরা দেখে থাকি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হওার জন্যে কেউ হয়তো প্রচুর পরিমান ধুমপান করছে, এতে কিন্তু সে মুক্তিতো পাচ্ছেই না বরং মানসিক চাপটা আরোও অনেক বেড়ে গেছে,
দেখা যাবে মানুষটি আগের তুলনায় মদ্যপান ও ধুমপানের পরিমান অনেকটাই বেড়ে গেছে আবার দেখা গেছে নিজের অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে গুরুত্ব না দিয়ে খুব দামি দামী কিনতে শুরু করেছে যেটা তার পক্ষে কষ্টকর।
এইসব আচরনগুলো দেখলেই বোঝা যাবে মানুষটি প্রচন্ডভাবে মানসিক শিকার হয়েছে আর মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্যে সে এই ধরনের আচরন করে চলেছে।
এই মানসিক চাপকে প্রতিকুল বাবিরুদ্ধে কোন তীব্র শক্তি হিসাবে গন্য করা যেতে পারে।
এই শক্তির প্রভাবে একজন মানুষ বিধবস্থ হয়ে যেতে পারে,
হয়ে যেতে পারে পঙ্গু বা বিকলাঙ্গ, আসলে ধবংসস্তুপে পরিনত হয় এই মানসিক চাপের জন্যে মানুষটির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার চূরন্ত বিপর্যয় ঘটে থাকে।
সেই সময় সেই বেক্তির আচার আচরন সম্পুর্ন বদলে যাবে সব কিছুই তার কাছে অস্পষ্ট অস্বচ্ছ হয়ে উঠবে।

উপায়:
A)অতি সাধারণ কিছু স্থায়ী উপায়:

আসুন জেনে নেই মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপসঃ

১। যখনই মানসিক অস্থিরতায় ভুগবেন তখন সব রকম খারাপ বা মন্দ চিন্তা করা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন ভালো কিছু চিন্তা করার, এমন কিছু ভাবুন যা আপনাকে মানসিক শান্তি প্রদান করতে সাহায্য করবে। দেখবেন মানসিক অস্থিরতা এক নিমেষেই আপনার মন থেকে দূর হয়ে যাবে।

২। মানসিক অস্থিরতা বোধ করার সাথে সাথে আপনার জন্য প্রথম করণীয় কাজ হবে চট করে বাইরে চলে যাওয়া। একা একা যদি ঘরের এক কোণায় চুপটি করে বসে থাকেন বা নিজেকে বদ্ধ ঘরে আটকে ফেলেন তাহলে আপনার মানসিক অস্থিরতা বাড়বে। তাই মন কেমন করলে বা বুক ধরফর করলে একবার বাইরে থেকে বেড়িয়ে আসুন। আপনার মনের অস্থিরতা অনেকখানি কমে যাবে।

৩। কোন ব্যাপার নিয়ে খুব বেশী চিন্তিত হলেও আপনার মধ্যে মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা এতো মারাত্মক অবস্থায় চলে যায় যে সেই সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত আপনি স্বস্তিবোধ করেন না। এ অবস্থায় আপনার কাজ হবে দুশ্চিন্তার কারণ নিয়ে ভালোভাবে ভাবা ও এর ভালো খারাপ দুটি দিক নিয়েই মনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা করে ফেলা। দেখবেন এই উপায়ে আপনার মানসিক অস্থিরতা কমবে।

৪। যেকোন কিছু থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের কোন বিকল্প হয়না। আপনার মানসিক অস্থিরতা কমাতেও তাই ঘুম খুব কাজের একটি উপায় হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। যখনই আপনি মানসিকভাবে অস্থিরতায় ভুগতে থাকেন তখন চেষ্টা করুন একটা ভালো ঘুম দিতে। একবার যদি আপনি একটা লম্বা ঘুম দিতে পারেন তাহলে দেখবেন অস্থিরতা আর আপনাকে ভোগাবে না।

৫। মানসিক অস্থিরতা কমানোর আরও একটি সহজ ও সুন্দর উপায় হল নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করা। হতে পারে সেটা গান শোনা বা প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলা। এক কথায় আপনার যা করতে ভালোলাগে তাই করুন। আপনার ভালোলাগার কাজগুলো করতে করতে দেখবেন অস্থিরতা কখন স্থিরতায় রূপান্তরিত হয়েছে।

৬। মানসিক অস্থিরতা কমাতে আপনি প্রথমেই একগ্লাস পানি পান করুন। একগ্লাস ঠাণ্ডা পানি। মাত্র একগ্লাস ঠাণ্ডা পানিই আপনাকে অদ্ভুত মানসিক প্রশান্তি প্রদান করতে সক্ষম।

৭। মানসিক অস্থিরতা কমাতে আপনি মেডিটেশন করতে পারেন। আবার চাইলে ব্যায়াম করতেও পারেন। অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতা থেকেও মানসিক অস্থিরতা হতে দেখা যায়। তাই আপনার খাবার রুটিনের প্রতি খেয়াল রাখুন। এতে পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।

৮। অস্থিরতা দেখা দিলে প্রথমে ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। বুক ভরে ভেতরের সব খালি জায়গা বাতাসে ভরে ফেলুন। দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন। তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পরপর তিনবার করুন।

৯। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও গান শোনা, গল্পের বই পড়া, কবিতা পড়া, বাগানে সময় কাটানো—এমন ধরনের নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। কাজগুলো মনটাকে অন্য দিকে সরিয়ে দিয়ে অস্থিরতা কাটাতে সাহায্য করবে।

১০। মনের অস্থিরতা কমাতে ফেলে আসা জীবনের কিছু ভালো স্মৃতি মনে করুন অর্থাৎ আপনার সুসময় নিয়ে ভাবুন। দেখবেন মনের অজান্তে ঠোঁটের কোণে হাসি চলে আসবে।

১১। অস্থিরতার বিষয়টিকে পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন ভাবতে এমন আপনার সাথে কখনই হয় নি, আপনি ঘুমের মধ্যে আছেন ঘুমটা এখনি কেটে যাবে।

১২। উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গুনুন। যেমন ১০০, ৯৯, ৯৮ এভাবে। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন মানসিক উত্তেজনায় এই পদ্ধতি বেশ কাজের। আপনিও তাই শুরু করে দিন।

১৩। অনেক সময় যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করলে অস্থিরতা কমে যায়। তাই যাকে আপনি আস্থা মনে করেন এবং যার সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তার সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করুন।

১৪। মানসিক অস্থিরতা বোধ করার সঙ্গে সঙ্গে যদি সবার কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে, একা থেকে অস্থিরতার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকেন, তবে আপনার মানসিক অস্থিরতা না কমে বরং আরো বাড়বে। তাই এমন অবস্থায় যে পরিস্থিতিতে আছেন তা ত্যাগ করুন। উঠে গিয়ে মুখ-হাতে পানি দিন। ঘরে থাকলে ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির অন্যদের সঙ্গে সময় কাটান, অফিসে থাকলে ডেস্ক থেকে উঠে কলিগদের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ থাকলে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন, সিনেমা দেখুন, নাটক দেখুন, পছন্দের খাবার খান, শপিং করুন।

১৫। অনেক সময় কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চিন্তাও আমাদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তাই জরুরি ভিত্তিতে তখন সেই সমস্যাটা সমাধান করার প্রয়োজন দেখা দেয়। আর এমন পরিস্থিতিতে এটা করার জন্য প্রথমেই যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা খুঁজে বের করুন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। অস্থিরতার কারণগুলো থেকে যতটা পারা যায় দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

১৬। অস্থিরতার পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে, সব সময় তা দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।

১৭। যদি অস্থিরতার সময় কোনো একটি চিন্তা বারবার ব্যক্তির মনে আসতে থাকে সে ক্ষেত্রে ঠিক করুন, সারা দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবেন। বাকি সময়গুলোতে নয়।

আশা করি উপরের টিপস গুলো আপনার মানসিক অস্থিরতা কমিয়ে মুহুর্তগুলো আরো সুন্দর করতে সাহায্য করব।

উপায় B):জোতীষ শ্রাস্ত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপায়

১)তিনটি গুরুত্বপুর্ন গ্ৰহের বীজমন্ত্র

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার। বা ১০৮বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।স্নান করে।

সূর্য:
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥ ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ০৭.০৩,লাল রঙের পোশাক পরে।

চন্দ্র
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৯ পর্যন্ত।১০৮বার।

২)যন্ত্রম প্রয়োগ বিধি:

এই রকম হলে উপযুক্ত জোতিষের পরামর্শ নিয়ে পীত মতি,তর্জনী তে ধারন করতে পারেন।অতবা নীল চন্দ্রকান্তমনি(BLUE MOON STONE)10-12রতি লকেট করে পরতে পারেন।
এবং ত্রিপুরা সুন্দরী যন্ত্রম হোম করে স্থাপন করে তার বীজমন্ত্র স্নান করে প্রতিদিন করলে মতিভ্রম্ থেকে মুক্ত হতে পারেন।

এর পর নীল সরস্বতীর মন্ত্র জপ করতে হবে,১০০৮ বার। দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তাঁরা কে নীল সরস্বতী রূপে বন্দনা করা হয়।

নীল সরস্বতীর মূল মন্ত্রঃ
ঐং ওং হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্।

নীল সরস্বতীর মহামন্ত্রঃ
ওং হ্রীং শ্রীং হ্রীং ঐং হূং নীল সরস্বতী ফট্ স্বাহা।

ত্রিপুরা সুন্দরী বুধের দেবতা। বুদ্ধির কারক। তাই জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগণও ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্ত্র জপ করে সুফল পেতে পারেন। যারা নিজে জপ করতে অসামর্থ তাদের পরিবারের যে কোন সদস্য বিশেষতঃ মা, বাবা, ভাই অথবা বোন তাদের হয়ে জপ করতে পারেন।

ত্রিপুরা সুন্দরীর মূলমন্ত্রঃ
"ওঁ এং হ্রীং শ্রীং ত্রিপুরা সুন্দরীয়ৈ নমঃ।"
অথবা "হুম শ্রীং হ্রীং বজ্র ভারচান্যে হুম হুম ফট্ এং।"

প্রিয় বন্ধুরা আমার প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমি আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181204083439

Monday, November 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ব্র‍ম্ভমূহূর্ত ও করনীয়

ব্র‍ম্ভমূহূর্ত ও করনীয়

ব্রহ্ম মূহুর্ত কি?এই সময় কি করা উচিৎ।

সূর্য ওঠার আগের ন্যূনতম ৪৮ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১ প্রহর বা ৩ ঘন্টাব্যাপী অর্থাৎ সকাল৮.৫৪ পর্যন্ত ,কখনও কখনও সূর্য দয় অনুযায়ী সময় টি স্থির হয়ে থাকে,এইসময়কে হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মমুহূর্ত বলা হয় ৷ সর্বশক্তিময় প্রভু প্রতিটি ধর্মশাস্ত্রেই এ মুহূর্তটিকে তাঁকে স্মরণ এবং তাঁর ক্ষমা , করুণা ও দয়া প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত বলেছেন

উপাসনানিষ্ঠ হিন্দুরা অষ্টপ্রহরব্যাপী দিনের প্রারম্ভিক এ মুহূর্তে ভগবানের কাছে সর্বসৃষ্টির শান্তি ও কল্যাণ চেয়ে মঙ্গল আরতি ক'রে আগত দিনটিকে শুরু করে থাকে ৷ হিন্দু সাধকেরা এই সময়টিতে সর্বশক্তিময় ঈশ্বরের উপাসনা-আরাধনা ক'রে থাকে । এ সময়ে কুলকুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত হয় বলে তাদের কাছে এ ব্রহ্মমুহূর্ত খুবই পবিত্র ৷ কুলকুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত না হলে সাধকের আধ্যাত্ম জীবনের উন্নতি হয়না ৷

বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়টাতে ভগবান ব্রহ্মা এই সংসার সৃষ্টি করেছেন। আর তাই এই সময়টাকে ব্রহ্ম মুহূর্ত বলে। এই সময় যদি ঘুম থেকে ওঠা হয় তবে মানসিক চাপ মুক্ত হয়ে থাকে। সেই সাথে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ব্রহ্ম মুহুর্তের সময়টা খুব শান্ত থাকে যার জন্য প্রকৃতি শুদ্ধ পবিত্র থাকে। তাছাড়া চারদিকে তখন পজিটিভ শক্তি ঘোরাফেরা করে।

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥ ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১০ টা

ব্রহ্ম মুহূর্তে কি করা উচিত:
১)লাল বস্ত্র পরে সূর্যের বীজমন্ত্র গায়েত্রী ও প্রনাম করা উচিত।
২)ছাত্র-ছাত্রী বা পরিক্ষা র্থী রা সূর্য দেবের আরাধনা করে অধ‍্যায়ন করা উচিৎ।
৩) গৃহীদের উপরোক্ত ক্রিয়া টি ক‍রে গৃহকর্মে মনোনিবেশ করা উচিৎ।
৪)চাকুরী জীবী ও ব‍্যাবসায়ীদের অনুরূপ করে কর্মক্ষেত্রে বা ব‍্যাবসাক্ষেত্রে যাওয়া উচিৎ।
৫)রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত‍্যরা ও শিপ্লী কলাকূশলীরা সূর্য ও মাতঙ্গী যন্ত্রমের সামনে ক্রিয়া ১৮বার করবে।(যন্ত্রম গুলি যেন উপযুক্ত জোতীষার্চায‍্য হোম করে দেন।যন্ত্রম দুটি তৈয়ারী করতে সর্বাধিক ব‍্যায় হবে ৭৫০০/টাকা)

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181126091827

Saturday, November 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বহু ভ্রমণ যোগ

বহু ভ্রমণ যোগ

সুপ্রভাত
বহু ভ্রমণ যোগ:
১) ব্যয়স্থান অথাৎ দ্বাদশস্থান চররাশি হ'লে এবং বায়স্থানে চরগ্রহ থাকলে বহু ভ্রমণ যোগ সূচিত হয়।

২)ব্যয়স্থান চররাশি হ'লে এবং তথায় কোন দুঃস্থানের অধিপতি থাকলে অথবা ব্যয়স্থান শনি কর্তৃক দৃষ্ট হলে বহু ভ্রমণ যোগ সূচিত হবে৷

৩)ব্যয়পতি পাপগ্রহ যুক্ত হলে এবং ব‍্যয়স্থানের(দ্বাদশে) পাপশ্রহের যোগ বা দৃষ্টি থাকলেও বহু ভ্রমণ যোগ সূচিত হবে৷
ফল; উপরোক্ত তিনটি যোগের যে কোন একটি কোষ্ঠীতে থাকলেই জাতকের বহু ভ্রমণ হবে এবং শেষোক্ত যোগটি থাকলে জাতক দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করবে!

ব্যাখ্যা এবং মন্তব্য : ভ্রমণ যোগ সম্বন্ধে জানতে হ'লে দ্বাদশস্থান এবং দ্বাদশপতির অবস্থান বিবেচ্য ৷ চররাশি হচ্ছে--- মেষ, কর্কট, তুলা ও মকর রাশি ৷ চরগ্রহ;---চন্দ্র, শুক্র ও বুধ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181103080355

Wednesday, October 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আয় বৃদ্ধির টোটকা

আয় বৃদ্ধির টোটকা

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
ব্যবসায় আয় বৃদ্ধি ও সংসারে আয় বৃদ্ধি- স্বচ্ছলতার একটি অপরিহার্য টোটকা-

ধনতেরাসের দিন সন্ধ্যা তে ৬.৩৫-৭.১৫ মিঃ একটি রুপার টাকা ( একদিকে গণেশ-লক্ষ্মী ও একদিকে স্বস্তিক চিহ্ন যেন থাকে), ৯টি হলুদ কড়ি,৯টি গোটা হলুদ ও কিছুটা হলুদ কাপড় কিনুন ,একটা হরিতকি।এবার বাড়ী বা ব্যবসার স্থানে এসে শুদ্ধ বস্ত্রে ,বস্ত্রটি লাল -হলুদ রঙের হলে ভালো,ওই হলুদ কাপড় টির একটি কোনে রুপার টাকা,হলুদ কড়ি ও গোটা হলুদ ও হরিতকি ইত‍্যাদিগুলি একসাথে রেখে বেঁধে দিন। এবার ঐ দ্রব্যগুলি সমেত কাপড়টি বাড়ীর ঘরের অথবা ব্যবসার জায়গার ঈশান কোনে রেখে দিন গোপন ভাবে যেন কারো চোখে না পড়ে। এবার প্রতিদিন সেখানে সন্ধ্যায় ধূপ প্রদীপ দেখিয়ে নিচের বীজমন্ত্র দুটি১৮ বার করে করবেন।এটি একটি গুপ্ত ও খুবই ফলদায়ী ক্রিয়া এটি করার কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসায়ে আয় বৃদ্ধি ও সংসারে অর্থ বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি ঘটবে।
ঔঁ গাং গনেশায় নমঃ
ঔঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈই নমঃ

প্রিয় বন্ধুরা আমার প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমি আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181031101053

Wednesday, October 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা চামুন্ডা

মা চামুন্ডা

সুপ্রভাত
মা চামুণ্ডা
..................
চামুণ্ডা দেবীর আবির্ভাব কোনো দেবতার শরীর থেকে হয় নি। ইঁনি কৌশিকী দেবীর ভ্রকুটি কুটিল ললাট দেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে এসেছেন। চামুণ্ডা দেবী আর দেবী কালীর অনেক সাদৃশ্য দেখা যায়, কিছু কিছু চণ্ডীর ব্যাখাকারদের মতে এই চামুণ্ডা দেবী হলেন তন্ত্রের দেবী কালিকা। যাই হোক এই যুক্তির পেছনে অনেক বিপক্ষ ও পক্ষের যুক্তি আছে। ধূম্রলোচন নামক অসুর , দেবীর হুঙ্কারে ভস্ম হওয়ার পর শুম্ভ ও নিশুম্ভ তখন চণ্ড ও মুণ্ড নামক দুই অসুরকে যুদ্ধে প্রেরণ করে। শুম্ভের আদেশে চণ্ড ও মুণ্ড প্রমুখ দৈত্যগন হস্তী অশ্ব রথ পদাতিক নিয়ে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো। দেবীকে দেখা মাত্রই অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অসুরেরা ধাবমান হল। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে লেখা আছে-

ততঃ কোপঞ্চকারোচ্চৈরম্‌বিকা তানরীন্‌ প্রতি ।
কোপেন চাস্যা বদনং মসীবর্নমভূৎ তদা ।।
ভ্রকুটিকুটিলাৎ তস্যা ললাটফলকাদ্‌দ্রুতম্‌ ।
কালী করালবদনা বিনিস্ক্রান্তসিপাশিনী ।।
বিচিত্রখট্বাঙ্গধরা নরমালাবিভূষণা ।
দ্বীপিচর্মপরীধানা শুস্কমাংসাতিভৈরবা ।।
অতিবিস্তারবদনা জিহ্বাললনভীষণা ।
নিমগ্নারক্তনয়না নাদাপূরিতদিঙ্‌মুখা ।।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ৫- ৮ )

অর্থাৎ- তখন অম্বিকা সেই শত্রুগণের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধা হইলেন এবং ভীষণ ক্রোধে তাঁহার মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণ হইল। তখন দেবীর ভ্রূকুটি কুটিল ললাটদেশ হতে শীঘ্র খড়্গধরা ও পাশহস্তা ভীষনবদনা কালী বিনিঃসৃতা হইলেন। অম্বিকার ললাটোদ্ভুতা সেই চামুণ্ডা দেবী বিচিত্র নরকঙ্কালধারিণী, নৃমুণ্ডমালিনী, ব্যাঘ্র- চর্ম পরিহিতা , অস্থিচর্মমাত্রদেহা , অতিভীষণা, বিশাল- বদনা, লোলজিহ্বায় ভয়প্রদা,কোটরগত আরক্ত চক্ষুবিশিষ্টা এবং বিকট শব্দে চারপাশ পূর্ণকারিণী।

এই দেবীর যুদ্ধকৌশলও শ্রীশ্রীচণ্ডীতে লেখা আছে। এই রকম যুদ্ধ বা দেবীর এমন উগ্র প্রকাশ এর আগে দেখা যায় নি। এমনকি মহিষাসুর বধের সময়ও দেবী এমন উগ্রমূর্তি ধারণ করেন নি। এই দেবী অসুরসেনাদের মধ্যে প্রবেশ করে অসুরদের বধ ও ভক্ষণ করতে লাগলেন। এমনকি অশ্ব- সারথি- সহিত অসুরদের রথ শুদ্ধ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন। অসুরেরাও এমন যুদ্ধ আগে দেখেনি। ত্রিলোক এমনকি দেবতারাও দেবীর এই স্বরূপে আশ্চর্যচকিত হয়েছিলেন। শুধু এইটুকুই নয়, অসুরদের কাওকে কেশ এবং গ্রীবা ধরে বধ করলেন। কতেক অসুর দেবীর চরণে দলিত হল। এমনকি অসুরেরা যে সকল অস্ত্র নিক্ষেপ করলো- দেবী সেই অস্ত্রগুলিও চিবিয়ে ভক্ষণ করলেন। এ যেনো সর্বগ্রাসী মূর্তি। কোনো অসুরকে দেবী খড়্গ দিয়ে বধ, কাহাকে খট্বাঙ্গের প্রহারে হত কাওকে চর্বণ করে বধ করলেন। দেবীর ভীম বিক্রমে দানবিক আঘাত ক্রমশ শক্তিহীন হলে চণ্ডমুণ্ডের সাথে দেবী কালীর যুদ্ধ আরম্ভ হল। দেবী কালী ‘হুং’ শব্দ করে চণ্ডের কেশ ধরে খড়্গ দিয়ে শিরোচ্ছেদ করলেন। মুণ্ড এরপর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে দেবী খড়্গ দিয়ে তারও শিরোচ্ছেদ করলেন। রক্তারক্তি মাখা দেবীর সমগ্র শরীর, খড়্গও রক্তে রাঙা। সেই অবস্থায় দেবী চামুণ্ডা হাতে চণ্ড- মুণ্ডের শির নিয়ে দেবী কৌশিকীকে উপহার দিলেন। দেবী কৌশিকী প্রীতা হয়ে বললেন-

যস্মাচ্চণ্ডচ্চ মুণ্ডচ্চ গৃহীত্বা ত্বমুপাগতা।
চামুণ্ডেতি ততো লোকে খ্যাতা দেবি ভবিষ্যসি ।
( শ্রীশ্রীচণ্ডী... সপ্তম অধ্যায়... শ্লোক- ২৭ )

অর্থাৎ- দেবি, তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের মস্তকদ্বয় আমার নিকট আনিয়াছ বলিয়া ধরিত্রীতে তুমি চামুণ্ডা নামে বিখ্যাত হইবে।

এখানেই দেবীর লীলা সমাপন হয় না । এই দেবী রক্তবীজের রক্ত পান করেছিলেন। রক্তবীজ হল লোভের প্রতীক। লোভ কখনো মেটে না- একটি পূর্ণ হলে দশটা লোভ জেগে ওঠে। কিন্তু মা থাকতে ভাবনা কি? মা যে এই আসুরিক রিপু গুলিকে ধ্বংস করেন জ্ঞানখড়্গে। রক্তবীজের বর ছিলো তার যত ফোঁটা রক্ত ভূমিতে পড়বে তত রক্তবীজ উৎপন্ন হবে। অষ্টমাতৃকাদের সাথে যুদ্ধের সময় রক্তবীজ আহত হলে তার দেহ থেকে রুধিরবিন্দু দিয়ে অনেক রক্তবীজ উৎপন্ন হয়েছিলো। চামুণ্ডা দেবী সেই সকল রক্তবীজকে বধ করে সমস্ত রক্তই পান করেছিলেন। রক্তবিন্দু মাটিতে না পড়ার জন্য আর নতুন করে রক্তবীজ উৎপন্ন হল না। মূল রক্তবীজ বধের সময় এল। দেবী অম্বিকা বললেন- “চামুণ্ডা। শীঘ্র তোমার শরীর বৃদ্ধি করো। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত পান কর। উহার বিন্দুজাত সমস্ত অসুরদের রক্তপান করো। তা হইলেই নিহত হইবে।” এ এক ভয়ানক দৃশ্য। অম্বিকাদেবী রক্তবীজকে শূল দিয়ে আঘাত করলেন। চামুণ্ডাদেবী বিশাল জিহ্বায় রক্তবীজের সমস্ত রক্ত পান করলেন। রক্তবীজ ও তার বিন্দুজাত অসুরেরা হত হল। দেবতারা খুশী হয়ে দেবীর স্তবস্তুতি করলেন। এই সময় দেখা যায় অনান্য মানে ব্রহ্মাণী আদি মাতৃকারাও অসুর রক্ত পান করেছিলেন। এরপর একটি আখ্যান আছে। দেবী কালী ক্রুদ্ধ হলে ত্রিলোক ধ্বংস হবার উপক্রম হয়। তখন মহাদেব বুক পেতে দিলে মা কালী শিবের বুকে চরণ রাখেন। স্বামীর ওপর চরণ রাখায় দেবী খুব লজ্জিত হয়ে জিহ্বা বের করেন। তখন দেবী শান্ত হন। লোকশ্রুতি যে মা কালীর হাতে যে মুণ্ড থাকে তা আসলে রক্তবীজের মুণ্ড। সেই মুণ্ডের রক্ত বিন্দু বিন্দু ধারায় পান করে এক শৃগাল বা শিবা। অবশ্য শ্রীশ্রীচণ্ডীতে এমন কিছুর উল্লেখ নেই।

অগ্নিপুরাণে আট প্রকার চামুণ্ডার উল্লেখ আছে। যথা- রুদ্রচর্চিকা, রুদ্রচামুণ্ডা, মহালক্ষ্মী, সিদ্ধচামুণ্ডা, সিদ্ধযোগেশ্বরী, রূপবিদ্যা, ক্ষমা ও দন্তুরা । দুর্গা পূজার সময় সন্ধিপূজায় এই দেবী চামুণ্ডার পূজা হয়। কালিকাপুরাণে এই দেবী চামুণ্ডার একটি অন্যরূপ দেখা যায়। নীল পদ্মের মতো শ্যামা , চতুর্ভুজা, ডানদিকের দুই হাতে খটাঙ্গ, চন্দ্রহাস খড়্গ- বামদিকের দুই হাতে পাশ ও ঢাল ধারণ করে আছেন। গলায় মুণ্ডমালা, পরনে বাঘছাল,শীর্ণ ও দীর্ঘকায়া, বড় বড় দাঁত বাইরে , জিহ্বা লকলক করছে । তাঁর ত্রিনয়ন লাল, মুখ ও কর্ণ বড়। দেবী একটি কবন্ধের উপর বিরাজ করছেন। দেবীভাগবতপুরাণেও চামুণ্ডা দেবীর কথা আছে।

ব্রহ্মর্ষি সত্যদেব “সাধন সমর” গ্রন্থে লেখেছেন- “কালী- কালশক্তি । যে চৈতন্যময়ী মহাশক্তি কালবোধে প্রবুদ্ধা হন, তাঁহাকেই কালীশক্তি বলে। কালাতীত সত্তায় প্রবেশ করিতে হইলে , সকল সাধককেই এই কালীমূর্তির ভিতর দিয়া প্রবেশ করিতে হয় । কালী মা আমার ভীষণা সংহারিণী মহতী শক্তি । ”

এই হল মা চামুণ্ডার কথা। মা চামুণ্ডার শ্রীচরণে প্রনাম জানিয়ে বলি-

দংষ্ট্রাকরালবদনে শিরোমালাবিভূষণে ।
চামুণ্ডে মুণ্ডমথনে নারায়ণি নমোহস্তু তে ।।

এই হল সংক্ষিপ্ত অষ্টমাতৃকার কথা। দেবীভাগবত পুরাণে এছাড়াও তিনটি শক্তির নাম আছে। এঁনারা হলেন কুবের দেবের শক্তি কৌবেরী, বরুণের শক্তি বারুনী আর যমের শক্তি যামিনী। এঁনারাও যুদ্ধে এসেছিলেন। তবে শ্রীশ্রীচণ্ডী তথা মার্কণ্ড পুরাণে এঁনাদের উল্লেখ নেই। জয় মা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181017120233

Friday, October 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা দূর্গার আগমনি বাহন

মা দূর্গার আগমনি বাহন

সুপ্রভাত
মা দুর্গার বাহন সিংহ তবে তিনি প্রতি বছর যখন কৈলাসে থেকে বাপের বাড়ি আসেন তখন অবশ্য আলাদা আলাদা বাহনের ব্যবহার করে থাকেন। আবার হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবীর এই এক একটি বাহন দেশ তথা সমাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা চারটি বাহনে দেবীর আসা-যাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, সেগুলি হল — অশ্ব, হস্তী, নৌকা এবং দোলা।

সাধারণত দেখা যায় কোনও একটি বাহনে দেবীর আগমন এবং অন্য একটি বাহনে তাঁর গমন হয়। অবশ্য কোনও কোনও বছরে দেবীর আগমন এবং গমন একই বাহনে ঘটে। সেই সব বছর মানবসমাজে বিশেষ অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকে বলে মনে ধরা হয়।

পঞ্জিকা মতে এবছর দেবীর আগমন হচ্ছে ‘ঘোটক’-এ। অর্থাৎ এবছর দেবী আসছেন অশ্ব বা ঘোড়ায়। পঞ্জিকা মতে এর ফল হল ‘ছত্রভঙ্গ’। শাস্ত্রজ্ঞরা মনে করেন, ঘোড়ায় আগমন সেভাবে শুভ নয়। তাই অঘটনের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। এদিকে আবার পুজোর আগেই শহর জুড়ে অঘটন। ব্রিজ ভাঙা দিয়ে শুরু। তারপর বাগরি মার্কেটে আগুন, নাগেরবাজারে বিস্ফোরণ বা মেডিক্যাল কলেজের অগ্নিকাণ্ডে একেবারে বিপর্যস্ত কলকাতা। মা এসে সব অশুভ কাটিয়ে স্বস্তি দেবেন বলেই অপেক্ষায় দিন গুনছে আপামর বাঙালি।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দেবীর কোন বাহন কিসের বার্তা দিচ্ছে.......

১. হস্তী: এই বাহন শুভর প্রতীক। যে বছর হস্তীতে আগমন হয় দেবীর সেই বছর তাঁর আশীর্বাদে মানবজীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

২. নৌকা: নৌকায় যে বছর আসেন দেবী, সেই বছর একদিকে যেমন বন্যার ইঙ্গিত তেমনই কৃষি-সমৃদ্ধির বার্তা দেয়।

৩. দোলা: মহামারীর প্রতীক। বিশ্বাস অনুযায়ী, দোলায় যে বছর আসেন দেবী, সেই বছর মানুষ যদি একে অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলেই একমাত্র এই মহামারীকে রোখা সম্ভব।

৪. অশ্ব বা তুরঙ্গ: দেবীর অশ্ব বা তুরঙ্গে আগমন রাজনৈতিক সামাজিক অস্থিরতা ঘোরতর সর্বনাশের ইঙ্গিত দেয়।

দক্ষযজ্ঞ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181012093923

Thursday, October 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বৃহস্পতির গোচর ২০১৮-২০১৯

বৃহস্পতির গোচর ২০১৮-২০১৯

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
বৃহস্পতির গোচর ২০১৮:
আজ অর্থাৎ ১১/১০/২০১৮ থেকে বৃহস্পতি তূলা থেকে বৃশ্চিক রাশিতে যাবে সময় ০৭.৩৯.৪৩ সেঃ ,থাকবে এক বৎসর অর্থাৎ ১০/১০/২০১৯ পর্যন্ত।বৃশ্চিক রাশির অধিপতি মঙ্গল, বৃহস্পতির মিত্র গ্ৰহ।ঐ সময় বহস্পতি দ্ধারা প্রভাবিত(শুভ অবস্থানে থাকলে) সকলে মোটামুটি ভালো থাকবে।কিন্তু মেষের অষ্টমে গুরুর প্রবেশ,অর্থাৎ মেষের অধিপতি অগ্নি মঙ্গলের তেজ হানি,নাশস্থানে বৃহৎ জলকারক গুরুর উপস্থিতি,সংক্রমন বৃদ্ধি,রক্তচাপ এর সমস‍্যা,অতিরিক্ত শক্তির ব‍্যায়ের ইঙ্গিত।আপচয় এর কারনে,আর্থিক স্থিতি ব‍্যাহত হতে পারে,অধর্ম এবং ভন্ডগুরুর সান্নিধ্য হতে পারে,জলাশয় সন্নিহিত স্থানে ভ্রমনে বিপদ ঘটতে পারে।সবচাইতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংঘর্ষ পট পরিবর্তন ও সংকট দেখা যাবে।।
কিছু প্রতিকুল যেমন হবে তেমনি অনুকূল এক্কেবারে যে হবে না তা নয়। বৃহস্পতি যেমন বৃহৎ জলরাশির কারক তেমনি দ্বৈত অগ্নিরাশির ও কারক, নবম এবং দ্বাদশ পতি। নবম দ্বাদশ বিদেশে ভ্রমন করাতে পারে আবার গুহ্য জ্ঞানের আগ্রহী করে তুলতে পারে। ফাটাকা বা মৃত ব্যাক্তির সম্পদ লাভের সম্ভাবনা ও আছে।কারন বৃহস্পতি অর্থ কারক গ্রহ এবং সপ্তম দৃষ্টি দ্বিতীয় ঘরে যা জ্যোতিষশাস্ত্রে অর্থ কারক ঘর। এই বৃহস্পতি যখন দশম একাদশপতি শনির নক্ষত্রে গমন করবে তখন যাদের কর্মক্ষেত্রে বা কর্ম নিয়ে সমস্যা, অথবা অপমানজনক পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী সমাধান রাস্তা ও বেরুবে কারণ বাশির অধিপতি চন্দ্রের ঘরে বৃহস্পতির নবম দৃষ্টি থাকবে।
তবে হ্যাঁ জন্মকালীন ছকে বৃহস্পতির অবস্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।এই মুহুর্তে বৃহস্পতির গোচর কেমন তা নিচের ছকে দেখানো হলো।

বিভিন্ন রাশিভেদে আগামী ১০/১০/২০১৯ পর্যন্ত কে কেমন থাকবে তা নিচে লিখলাম।(রাশিঅনুযায়ী আংশিক ফল পাওয়া যাবে)বিষদ জানতে নিচের ঠিকানাই যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবে বহস্পতির ইষ্টদেবী মা তারা। তার ছবিতে জয় মা তারা বলে কমেন্ট করলে বিশেষ উপকৃত হবে।

১)মেষ রাশি :
অন্যদের সাথে খুশি ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্হ্যের বিকাশ ঘটতে পারে। আপনি রক্ষণশীল বিনিয়োগে সঞ্চয় রেখে আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনি আপনার গৃহস্থালীর কর্তব্যগুলি উপেক্ষা করেন তাহলে আপনি যার সাথে বাস করেন তিনি বিরক্ত হবেন। আবার প্রেমে পড়ার সুযোগ প্রবল কিন্তু ব্যাক্তিগত আর গোপন তথ্য প্রকাশ করবেন না। কর্মক্ষেত্রে যারা আপনার সাফল্য পথে বাধা ছিল তারা আপনার চোখের সামনে আজ একটি গুরুতর পতনের সম্মুখীন হবে। আপনি ভালো ধারণায় পূর্ণ থাকবেন এবং আপনার পছন্দের ক্রিয়াকলাপ আপনাকে প্রত্যাশা বহির্ভূত লাভ এনে দেবে। আপনি আপনার বিবাহিত জীবনের পূর্বরাগ, পশ্চাদ্ধাবন, এবং পানিপ্রার্থনা ইত্যাদি পুরোনো সুন্দর দিনগুলিকে রিফ্রেশ আবার করবেন।তবে রক্তপাত ঘটতে পারে ।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 6
শুভ বর্ণ :লাল

2)বৃষরাশি :
যদি আপনি একটি দীর্ঘ যাত্রায় যাবার পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য এবং শক্তি সংরক্ষণের অভ্যাস অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে। একটি ব্যস্ত সময়সূচী সত্ত্বেও আপনি সহজেই ক্লান্তি সামলাতে সক্ষম হবেন। মনে হয় আপনার অভিভাবকের সম্প্রসারিত সহায়তার সাথে সাথে আর্থিক ঝঞ্ঝাট পার হয়ে যাবে। যদি পুরো পরিবার অন্তর্ভুক্ত থাকে তাহলে বিনোদন মজার হয়ে উঠবে। প্রেমের স্মৃতি আপনার দিনটি দখল করে রাখবে। আপনার পেশার উপর আধিপত্য পরীক্ষিত হবে। পছন্দসই ফলাফল পেতে আপনাকে প্রচেষ্টায় মনোযোগ দিতে হবে। কোন আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব বা বয়স্ক কেউ আপনার পথপ্রদর্শন করবে। আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আবার পুরাতন সুন্দর রোমান্টিক দিনগুলি আজ হৃদয়ে পোষণ করুন।আইনের বেরাজালে পড়তে পারেন।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 5
শুভ বর্ণ : সাদা

৩)মিথুন:
আপনার রসালো বোধ কাউকে এই দক্ষতা বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করবে কারণ আপনি তাকে বোঝাতে সক্ষম হবেন যে সুখ দখল করার জিনিস নয় এটি আমাদের ভেতরে থাকে। আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি আপনার পক্ষে জরুরী কেনাকাটা করা সুবিধাজনক করবে। বাচ্চারা খেলাধুলা এবং বাইরের কার্যকলাপে বেশী সময় দেয়। মূল্যবান জিনিসের মত আপনার ভালোবাসাকে সতেজ রাখুন। উচ্চ সম্পাদনা এবং উচ্চ প্রোফাইলের দিন। কেনাকাটা এবং অন্যান্য কাজকর্ম আপনাকে দিনের বেশি ভাগ সময়েই ব্যস্ত রাখবে। আজ বিবাহ আপনার জীবনে তার শ্রেষ্ঠ জায়গায় পৌঁছাবে। দাম্পত্য কলহ দেখা দিতে পারে।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 3
শুভ বর্ণ : ৫

৪)কর্কট রাশি :
কাজে এবং ঘরে কিছু চাপ আপনাকে খিটখিটে করে তুলবে। তাড়াহুড়ো করে আরো বেশি কিনতে যাওয়ার আগে আপনার কাছে ইতিমধ্যে যা আছে তাই ব্যবহার করুন। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, আপনার ঘনিষ্ঠ কেউ আপনাকে খুব কাছ থেকে দেখে এবং আপনাকে আদর্শ হিসাবে মান্য করে- কেবলমাত্র প্রশংসনীয় কাজগুলিই করুন যা আপনারখ্যাতি বাড়িয়ে তুলবে। খুব ছোট কোন সমস্যা নিয়ে আপনার প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক আন্তরিকতাহীন হয়ে উঠতে পারে। যৌথ উদ্যোগ অবশেষে লাভদায়ক হবে, কিন্তু অংশীদারদের কাছ থেকে আপনি কিছু উল্লেখযোগ্য বিরোধিতার সামনা করবেন। আজ মানুষরা প্রশংসাসূচক মন্তব্য করবেন- যা আপনি সর্বদাই শুনতে চেয়েছেন। আপনার স্ত্রীর আত্মীয়রা আজ আপনাদের বৈবাহিক সুখের ক্ষতির কারণ হতে পারেন।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 7
শুভ বর্ণ :কলো

৫)সিংহ রাশি:
আশাবাদী হোন এবং উজ্জ্বল দিকটি দেখুন। আপনার প্রত্যয়ী প্রত্যাশাই আপনার আশা এবং আকাঙ্খা বাস্তবায়নের দ্বার উন্মুক্ত করবে। ফাটকায় লাভ আনবে। বৈবাহিক বন্ধনে প্রবেশ করার জন্য ভালো সময়। দীর্ঘ কাল পরে আপনার বন্ধুর সাথে সাক্ষাতের চিন্তা আপনার হৃদস্পন্দন একটি ঘূর্ণায়মান পাথরের মত বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিজের কাজে এবং অগ্রাধিকারে মনোনিবেশ করুন। নতুন ধারণা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের পক্ষে আদর্শ সময়। আজ, আপনি এবং আপনার স্ত্রী সত্যিই গভীর ভাবপূর্ণ রোমান্টিক কথা বলবেন।ক্রোধ থেকে সাবধান।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 5
শুভ বর্ণ :হালকা লাল

৬)কন‍্যা রাশি :
আবেগের দিক থেকে আপনি খুব একটা স্থিতিশীল থাকবেন না-কাজেই অন্যদের সামনে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং কিছু বলছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনি সহজেই মূলধন- অনাদায়ী ঋণ জোগাড় করতে পারবেন- বা নতুন প্রকল্পে কাজ করার জন্য পুঁজির অনুরোধ করতে পারেন। কোন কিছু চূড়ান্ত করার আগে আপনার পরিবারের সদস্যদের মতামত নিন। আপনার একতরফা সিদ্ধান্ত কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেরা ফল লাভ করতে পরিবারে মেলবন্ধন সৃষ্টি করুন। প্রেমের সম্ভাবনা আছে কিন্তু কামুক অনুভূতির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যা আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে। আপনার অনেক কিছু অর্জন করার ক্ষমতা আছে- তাই সুযোগের সঙ্গে এগিয়ে চলুন জা আপনার দিকে আসছে। আপনার অতীতের কারোর আপনাকে যোগাযোগ করা এবং এটিকে একটি স্মরণীয় দিনে পরিণত করা সম্ভব। আপনার স্ত্রী আপনার স্বাস্থ্যর দিকে আজ অসংবেদী হতে পারেন।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 3
শুভ বর্ণ :সবুজ

৭)তুলা রাশি :
আবেগের দিক থেকে আপনি খুব একটা স্থিতিশীল থাকবেন না-কাজেই অন্যদের সামনে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং কিছু বলছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনি সহজেই মূলধন- অনাদায়ী ঋণ জোগাড় করতে পারবেন- বা নতুন প্রকল্পে কাজ করার জন্য পুঁজির অনুরোধ করতে পারেন। কোন কিছু চূড়ান্ত করার আগে আপনার পরিবারের সদস্যদের মতামত নিন। আপনার একতরফা সিদ্ধান্ত কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেরা ফল লাভ করতে পরিবারে মেলবন্ধন সৃষ্টি করুন। প্রেমের সম্ভাবনা আছে কিন্তু কামুক অনুভূতির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যা আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে। আপনার অনেক কিছু অর্জন করার ক্ষমতা আছে- তাই সুযোগের সঙ্গে এগিয়ে চলুন জা আপনার দিকে আসছে। আপনার অতীতের কারোর আপনাকে যোগাযোগ করা এবং এটিকে একটি স্মরণীয় দিনে পরিণত করা সম্ভব। আপনার স্ত্রী আপনার স্বাস্থ্যর দিকে আজ অসংবেদী হতে পারেন।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 3
শুভ বর্ণ :সাদা ও নীল

৮)বৃশ্চিক রাশি :
আপনার শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিন। আপনি অন্যদের উপর ব্যয় করতে পছন্দ করেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাখে বাইরে বেরোন যারা আপনার প্রয়োজন এবং পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারে। প্রেমের জন্য আজকের দিনটি যথেষ্ট জটিল। আপনার রিস্যুম পাঠানো বা ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হওয়ার পক্ষে ভালো দিন। কারো কারোর জন্য ভ্রমণ ক্লান্তিকর এবং চাপপূর্ণ প্রমাণিত হবে। আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি কঠিন সময়ের সন্মুখীন হতে পারেন, কিন্তু দিনের শেষে, আপনার স্ত্রী আপনাকে সোহাগ করবে।মামলা-মকদ্দমায় জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু দূঃর্ঘনা ঘটবার প্রবল সম্ভাবনা।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 7
শুভ বর্ণ :ধূসর

৯)ধনু রাশি :
তেল এবং মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। একদিনের জন্য বাঁচার মানসিকতার ফলে বিনোদনের জন্য খুব বেশি সময় ও অর্থের অপচয় করার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। আপনার ঘরে ঐক্য আনতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করুন। চোখ কখনো মিথ্যা বলে না ও আপনার সঙ্গীর চোখের বিশেষ কিছু আপনাকে সত্যিই কিছু বলবে। যদি আপনি কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে জাহির করতে বেশি ব্যস্ত হন তাহলে মেজাজ চড়বে- কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি অন্যদের প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার ধারালো পর্যবেক্ষণ আপনাকে অন্যদের থাকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আপনি এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার সম্পর্কের জন্য ভালো প্রমাণিত নাও হতে পারে।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 4
শুভ বর্ণ : খয়েরী ও হলুদ

১০)মকর রাশি :
চাপ উপেক্ষা করা প্রয়োজন। এটি খুব দ্রুতগতিতে তামাক এবং মদের মত মারাত্মক মহামারীতে পরিণত হচ্ছে। কোন দীর্ঘ-স্থায়ী লগ্নি এড়িয়ে চলুন এবং বাইরে গিয়ে আপনার ভালো বন্ধুর সাথে কিছু সুখপ্রদ স্মৃতি কাটান। ধর্মানুষ্ঠান বা শুভ অনুষ্ঠান ঘরেই করা উচিত। আপনি আপনার প্রি়য়জনকে অতীতের ঔদাসীন্যের জন্য ক্ষমা করে আপনার জীবনকে মূল্যবান করে তুলবেন। আপনার পেশাদারী ক্ষমতা ব্যবহার করে আপনার পেশাগত সম্ভাবনাকে বাড়ান। আপনার কাজের ক্ষেত্রে অফুরান সাফল্য লাভেরও সম্ভাবনা রয়েছে। এক নিয়ন্ত্রণকারী অবস্থান লাভ করতে আপনার সব দক্ষতা একান্তভাবে নিয়োজিত করুন। নতুন ধারণা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের পক্ষে আদর্শ সময়। আজকের দিনে আপনার সঙ্গীর রোমান্টিক দিকের চরম মাত্রা প্রদর্শিত হবে।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 4
শুভ বর্ণ : নীল

১১)কুম্ভ রাশি :
আপনার উচ্চ ক্ষমতা আজ সদ্ব্যবহারে লাগানোর চেষ্টা করুন। জমি এবং আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো দিন। পুরোনো পরিজন এবং সম্পর্কগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে ভালো। আপনার প্রি়য়জন প্রতিশ্রুতি চাইতে পারে। যদি কর্মক্ষেত্রে আপনি আপনার ধারনা ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারেন এবং আপনার সংকল্প ও উদ্যম প্রদর্শন করতে পারেন তাহলে আপনি লাভবান হবেন। যদি কোন ক্ষেত্রে আপনি কোন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে রুক্ষ বিবৃতি না করার জন্য সতর্ক থাকুন। কর্মক্ষেত্রে আপনার সিনিয়াররাই আজ দেবদূতোপম অভিনয় করবে বলে মনে হয়।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 2
শুভ বর্ণ : নীল/ সাদা

১২মীন রাশি :
আপনার প্রত্যাশা পূরণের জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের অপব্যবহার আপনার স্ত্রীকে বিরক্ত করবে। আজ আপনার সামনে অনেক নতুন আর্থিক স্কিমের উপস্থাপন করা হবে- কোনো প্রতিশ্রুতি করার আগে ভালো করে সব দিক দেখে নিন। আপনি আরাম করুন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুখ খুঁজে পেতে চেষ্টা করুন। আপনাকে আর আপনার প্রেমমূলক কল্পনাকে স্বপ্ন দেখার প্রয়োজন নেই; সেগুলি আজ সত্য হতে পারে। যদি আপনি অনেক দিন ধরে কর্মক্ষেত্রে সংগ্রাম করেন, তাহলে এটি সত্যিই একটি ভাল দিন হতে যাচ্ছে। সমস্যায় আপনার দ্রুত আচরণ করার ক্ষমতার জন্য আপনি স্বীকৃতি পাবেন। আপনার বিবাহিত জীবন আজকের আগে এত রঙিন ছিল না।

আপনার ভাগ্যবান সংখ্যা: 9
শুভ বর্ণ : লাল/হলুদ

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181011093649

Wednesday, October 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শিব মহিমা

শিব মহিমা

সুপ্রভাত

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

জেনে নিন কোন শিবলিঙ্গ পুজোয় কি ফল

শিবলিঙ্গ দু’প্রকার-অকৃত্রিম ও কৃত্রিম। স্বয়ম্ভূলিঙ্গ, বাণলিঙ্গ প্রভৃতিকে অকৃত্রিম লিঙ্গ বলে। ধাতু মাটি পাথর দিয়ে গড়া লিঙ্গকে বলে কৃত্রিম লিঙ্গ। যে লিঙ্গের মূল পাওয়া যায় না বা স্থানান্তরিত করা যায় না তাকে বলে অনাদিলিঙ্গ। এছাড়া আর এক জাতীয় লিঙ্গ কে বলা হয় জ্যোতির্লিঙ্গ।

ভারতবর্ষে জ্যোতির্লিঙ্গ আছে মোট বারোটি। মহাকালেশ্বর, সোমনাথ, ওঙ্কারেশ্বর, বৈজনাথ (বৈদ্যনাথ), নাগনাথ, রামেশ্বর, বিশ্বনাথ, ঘৃষ্ণেশ্বর, কেদারনাথ, ভীমাশঙ্কর, ত্র্যম্বকেশ্বর ও মল্লিকার্জুন – শিবপুরাণে উল্লিখিত এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি সমধিক আদৃত ও প্রসিদ্ধ।

উক্ত শিবলিঙ্গগুলি স্বয়ম্ভূ ও জ্যোতির্লিঙ্গ। অকৃত্রিম লিঙ্গও বটে। তবে জ্যোতির্লিঙ্গ ঠিক কী বস্তু তা বলা শক্ত। প্রলয় পয়োধিজলে যে লিঙ্গের আবির্ভাব হয় তা জ্যোতির্লিঙ্গ। আমার বিশ্বাস, ওই লিঙ্গের শক্তি যে যে অনাদিলিঙ্গে সন্নিবিষ্ট আছে, সেগুলিই জ্যোতির্লিঙ্গ। পরে আসছি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে।

মহানির্বাণতন্ত্রে স্বয়ং শিব পার্বতীকে বলেছেন, ‘দেবী! যে ব্যক্তি আগে আমার লিঙ্গের অর্চনা না করে অন্য দেবতার পুজো করে, তার পুজো কোনও দেবতাই গ্রহণ করেন না।’…

এবার মহানির্বাণতন্ত্রে শিলা ধাতু মাটি প্রভৃতি দিয়ে নির্মিত কৃত্রিম শিবলিঙ্গের কথা বলা হয়েছে। এই ধরণের কৃত্রিম লিঙ্গ আছে অসংখ্য। তার মধ্যে বিশেষ বিশেষ কতগুলি দ্রব্য দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গের বিবরণ ও ফললাভের কথাই বলি।

পাথরে নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে মোক্ষলাভ ও আনুষঙ্গিক ভোগলাভ হয়ে থাকে। পার্থিব লিঙ্গ পুজো করলেও ভোগলাভ ও আনুষঙ্গিক মুক্তিলাভ হতে পারে। দারুময় লিঙ্গ ও বিল্ব-নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলেও ওই একই ফল হয়। সোনায় নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে লক্ষ্মী স্থিরতরা হন ও রাজ্যপ্রাপ্তি হয়। তামার তৈরি লিঙ্গ পুজোয় সন্তান বৃদ্ধি এবং রঙ্গ-নির্মিত (রঞ্জকদ্রব্য অর্থাৎ রাং ধাতু) শিবলিঙ্গ পুজো করলে পরমায়ু বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

পদ্মপুরাণের কথায়, পারদের শিবলিঙ্গ পুজোয় অতুল ঐশ্বর্য, মুক্তার লিঙ্গ পুজো করলে সৌভাগ্য, চন্দ্রকান্তমণি (Moon Stone) দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়। সমস্ত কাম্য বস্তু লাভ করতে পারা যায় সুবর্ণময় লিঙ্গ পুজো করলে।

জাগতিক সমস্ত কামনা পূর্ণ হয় হিরে, স্ফটিক, গুড় অন্ন প্রভৃতি দিয়ে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করে পুজো করলে। তবে গুড় বা অন্ন দিয়ে সদ্যনির্মিত লিঙ্গই পুজো করা বিধেয়, পরদিন তা বাসি হবে, পুজো করা যাবে না।

লক্ষ্মণ সমুচ্ছয়ে কথিত আছে, গন্ধলিঙ্গ পুজো করলে মানুষের সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। গরুড় পুরাণের কথায়, দু-ভাগ কস্তূরী, চারভাগ চন্দন, তিনভাগ কুমকুম (জাফরান), চারভাগ কর্পূর, এগুলো সব একত্র করে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করলে তাঁকে গন্ধলিঙ্গ বলে। এই লিঙ্গ পুজো করলে মানুষ বন্ধুদের শিবসাযুজ্য হয় (পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার সংযোগ বা অভেদ, একত্ব বুঝায়)।

মুক্তিলাভ হয়ে থাকে পুষ্পময় লিঙ্গ পুজো করলে। পলি মাটি দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গে বিবিধ কামনা সিদ্ধি, লবণের লিঙ্গে পুজো করলে সুখ ও সৌভাগ্যলাভ হয়। পাশ-নির্মিত (রজ্জু বা দড়ি) লিঙ্গ পুজো করলে উচাটন কার্য হয়ে থাকে। মূল দিয়ে (বৃক্ষাদির গোড়ার নিচের অংশবিশেষ, শিকড়) তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে শত্রুক্ষয় হয়।

ধুলো দিয়ে নির্মিত শিবলিঙ্গ ভক্তিপূর্বক কেউ পুজো করলে তিনি বিদ্যাধর পদ (স্বর্গের গায়করূপে দেবযোনিবিশেষ) প্রাপ্ত হয়ে পরে শিবসদৃশ হন। মানুষ লক্ষ্মীলাভ করতে পারে গোময় (গোবর) দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে। তবে গোময় স্বচ্ছ অর্থাৎ শূন্যে ধরা (ভূমিতে পতনরহিত) ও কপিলা গাভির হতে হবে। যব, গোধূম (গম), ধান দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় লক্ষ্মীলাভ, পুষ্টি ও বংশবৃদ্ধি হয়। সিতাখণ্ড (মধুজাত শর্করা) নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে আরোগ্যলাভ, লবণ হরিতাল (পারদযুক্ত পীতবর্ণ বিষাক্ত ধাতব পদার্থ বিশেষ) শুণ্ঠী পিপ্পলী ও মরিচ মিশিয়ে তৈরি লিঙ্গ পুজো করলে বশীকরণ সিদ্ধ হয়।

গব্যঘৃতের লিঙ্গে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, লবণ নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। তিল পিষে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় সমস্ত কামনা সিদ্ধ, তুষের লিঙ্গে মারণ কার্য, ভস্ম দিয়ে তৈরি লিঙ্গ পুজো করলে যাবতীয় অভিপ্রেত সিদ্ধ হয়। গুড়ের শিবলিঙ্গে প্রীতি বৃদ্ধি, গন্ধদ্রব্য (চন্দনাদি যে কোনও গন্ধদ্রব্য) দ্বারা নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে প্রভূত পরিমাণে গুণশালী হতে পারা যায়।

শর্করায় তৈরি লিঙ্গ পুজোয় শত্রু সংহার হয়ে থাকে। কাঠের তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে দারিদ্র আসে। দই দিয়ে তৈরি করা শিবলিঙ্গ পুজোয় কীর্তি লক্ষ্মী ও সুখসৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। ধানের লিঙ্গ পুজোয় ধানলাভ, ফলের শিবলিঙ্গ পুজোয় ফললাভ, ফুলের শিবলিঙ্গ পুজো করলে দিব্যভোগ ও পরমায়ু লাভ হয়।

ধাত্রীফলে নির্মিত লিঙ্গ পুজো করলে মুক্তিলাভ, ননী দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজোয় কীর্তি ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি, দূর্বাকাণ্ড দিয়ে প্রস্তুত লিঙ্গ পুজো করলে নিবারণ হয় অপমৃত্যুর। কর্পূরের শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করলে ভোগ ও মোক্ষলাভ হয়।

নবরত্নের মধ্যে মুক্তা নির্মিত লিঙ্গ পুজোয় সৌভাগ্য, স্ফটিক লিঙ্গে সর্বকামনাসিদ্ধি হয়। সোনার শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করলে অতুল ঐশ্বর্যভোগ, কাঁসা ও পিতল মিশ্রিত শিবলিঙ্গে শত্রুবিনাশ, শুধু কাঁসার তৈরি শিবলিঙ্গে কীর্তিলাভ, শুধু পিতলের লিঙ্গে ভোগ ও মোক্ষলাভ, রাং সিসা কিংবা লোহার লিঙ্গে শত্রুনাশ এবং অষ্টধাতু নির্মিত শিবলিঙ্গ পুজো করলে সমস্ত কামনাসিদ্ধি হয়। অষ্টধাতুর লিঙ্গ পুজোয় নিবারণ কুষ্ঠরোগ। সোনা রুপো ও তামা মিশিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ পুজো করলে বিজ্ঞান বিষয়ে সিদ্ধিলাভ হয়ে থাকে।

যাদের ধনাকাঙ্ক্ষা আছে, তাদের কর্তব্য গন্ধপুষ্প নির্মিত লিঙ্গ, অন্নাদি দ্বারা নির্মিত অথবা কস্তূরী দ্বারা নির্মিত লিঙ্গ পুজো করা, এ কথা বলা হয়েছে কালোত্তরে।

মাতৃকাভেদ তন্ত্রে দ্বাদশ পটলে আছে, বালুকাময় শিবলিঙ্গ পুজো করলে কামনাসিদ্ধি, গোময় শিবলিঙ্গ পুজো করলে শত্রুবিনাশ হয়। উক্ত শিবলিঙ্গের মাহাত্ম্য এমনই, এতে ধর্ম অর্থ কাম ও মোক্ষলাভ হয়ে থাকে।

‘শিবধর্ম’ নামক ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে, ব্রহ্মা নিয়মিত শিলাময় লিঙ্গ পুজো করেন। এ জন্যই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মত্বপদ প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। ভগবান বিষ্ণু নিয়ত পুজো করেন ইন্দ্রনীলময় শিবলিঙ্গ। তার প্রভাবেই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন সর্ব-পালকত্বরূপ বিষ্ণুত্বপদ। নিয়ত নির্মল স্ফটিকময় শিবলিঙ্গ পুজো করে থাকেন বরুণ। এ জন্যই তিনি প্রাপ্ত হয়েছেন তেজোবল সমন্বিত বরুণত্বপদ।

যে সব শিবলিঙ্গের কথা বলা হয়েছে, এর মধ্যে যে কোনও একটি শিবলিঙ্গ পুজো করা সকলেরই কর্তব্য। লিঙ্গার্চনতন্ত্রে প্রথম পটলের কথা, সমস্ত পুজোর মধ্যে লিঙ্গ পুজোই শ্রেষ্ঠ ও মুক্তিদায়ক।

দেবাদিদেব সদাশিব পার্বতীকে বলেছেন, ‘দেবী, অচল শিবলিঙ্গ স্থাপনের মাহাত্ম্য তোমার কাছে বেশি আর কী বলব; এই শিবলিঙ্গ স্থাপন করলে মানুষ সমস্ত মহাপাতকাদি থেকে বিমুক্ত হয়ে পরমপদ লাভ করে’।।।

।।। শিবের স্নান মন্ত্র।।।

ওঁ ত্রম্ব্যকং যজামহে
সুগন্ধি পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব
বন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মাহ্মৃতাত্।।
ওঁ তত্পুরুষায় বিদ্মহে
মহাদেবায় ধীমহি
তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াত ওঁ।।

প্রভু শিবের প্রনাম মন্ত্র।

ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181010131703

Tuesday, October 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নবরাত্রি ও নবদূর্গা

নবরাত্রি ও নবদূর্গা

সুপ্রভাত
নবরাত্রি ও নবদূর্গা

দুর্গাপূজোর সঙ্গে নবরাত্রি ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে। মহালয়ার পরের দিন, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত নয় রাত্রি ধরে মা দুর্গার নয়টি শক্তির যে পূজো হয় তাকেই নবরাত্রি বলে।
ব্যাপি মা দূর্গার নয়টি শক্তির আরাধনা করা হয় সেটাই নবরাত্রি। নবরাত্রির নয়দিনে আরাধ্য দেবীরা হলেনঃ প্রতিপদে শৈলপুত্রী ( পর্বতের কন্যা),দ্বিতীয়াতে ব্রহ্মচারিণী (যিনি ব্রহ্মাকে স্বয়ং জ্ঞান দান করেন, ভক্তকেও ইনি ব্রহ্মপ্রাপ্তি করান ), তৃতীয়াতে চন্দ্রঘন্টা ( দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্রের প্রদত্ত ঘন্টা যার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল, চন্দ্রের চেয়েও লাবণ্যবতী ইনি ),চতুর্থীতে কুষ্মান্ডা ( উষ্মার অর্থ তাপ । দুর্বিষহ ত্রিতাপ হল কুষ্মা। আর যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে বা অন্ডে ধারণ করেন অর্থাৎ সমগ্র সংসার ভক্ষণ করেন ইনি ), পঞ্চমীতে স্কন্দমাতা ( দেব সেনাপতি কার্তিকেয় বা স্কন্দের মা ),ষষ্ঠীতে কাত্যায়নী ( কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবকার্যের জন্য আবির্ভূতা ইনি বৃন্দাবনে দেবী গোপবালা রূপে পূজিতা। ব্রজের গোপবালারা এই কাত্যায়নীর কাছে প্রার্থণা করেছিলেন নন্দের নন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য তাই ব্রজের দুর্গার নাম কাত্যায়নী ), সপ্তমীতে কালরাত্রি ( ঋগ্বেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। মহাপ্রলয়কালে এই রাত্রিরূপিণী মাতার কোলেই বিলয় হয় বিশ্বের।অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কালভৈরবের দেহ থেকেই আবির্ভূতা ইনি দেবী যোগনিদ্রা মহাকালিকা বা কালরাত্রি নামে আখ্যাত ), অষ্টমীতে মহাগৌরী (তিনি সন্তানবৎসলা, শিবসোহাগিনী, বিদ্যুদ্বর্ণা মা দুর্গার প্রসন্ন মূর্তি) এবং নবমীতে সিদ্ধিদাত্রী ( অপরূপ লাবণ্যময়ী চতুর্ভুজা, ত্রিনয়নী, প্রাতঃসূর্যের মত রঞ্জিতা যোগমায়া মাহেশ্বরী ইনি সকল কাজে সিদ্ধি প্রদান করেন )

শরৎ জুড়ে ভারতের পূর্বপ্রান্ত মেতে ওঠে শারদীয়া বা দেবী দুর্গার আরাধনায় যখন, তখন দেশের পশ্চিমপ্রান্ত মেতে ওঠে নবরাত্রি পালনে।বাংলার বাঙালিদের মাতৃ আরাধনার বাইরেও দেশের পশ্চিম প্রান্তে যে কত বড় আকারে এই দুর্গা আরাধনার সময়েই নবরাত্রি পালন হয় সেটা অনেকেই জানেন না। আজ এই নবরাত্রি বিষয়েই আমরা একটু জেনে নেব।

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, নবরাত্রি আসলে প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত নয় রাত্রি ধরে মা দুর্গার নয়টি শক্তির আরাধনা।দুর্গার এই নয়টি শক্তি হলঃ-

১| শৈলপুত্রী : নবরাত্রির প্রথম রাত্রে নবদুর্গার প্রথম রূপ হল শৈলপুত্রী| শৈলপুত্রী নাম কারণ- শৈল মানে হল পাহাড় | দুর্গা হলেন হিমালয় পর্বতের কন্যা |যেহেতু তিনি শৈল (হিমালয়)এর কন্যা তাই তার নাম এখানে শৈলপুত্রী | এখানে দেবীর বাহন ষাঁড়| তাঁর এক হাতে থাকে ত্রিশূল | অন্যহাতে পদ্ম

২| ব্রহ্মচারিণী : নবরাত্রির দ্বিতীয় রাত্রে নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ হল ব্রহ্মচারিণী |যিনি ব্রহ্মাকে স্বয়ং জ্ঞান দান করেন তিনি এখানে শান্তির প্রতিভূ | তাঁর ডান হাতে থাকে রুদ্রাক্ষের জপমালা | বাঁ হাতে তিনি ধরে আছেন কমণ্ডলু | তিনি ভক্তদের সুখ, স্বস্তি, শান্তি দান করেন |

৩| চন্দ্রঘণ্টা : তৃতীয় রাতে নবদুর্গার তৃতীয় রূপ হল চন্দ্রঘণ্টা| তাঁর মাথায় থাকে একফালি চাঁদ | চাঁদের আকার আবার ঘণ্টার মতো |এই ঘণ্টা দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া ঘণ্টা যার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি ছিল। এই দেবীর বাহন সিংহ | দশভুজা দেবীর দশ হাতে ধরা অস্ত্র |চন্দ্রের চেয়েও সুন্দরী ইনি |

৪| কুষ্মাণ্ড : সংস্কৃতে কু মানে স্বল্প | উষ্ম বা উষ্ণ হল গরম এবং অণ্ড মানে ডিম | তিনটি কথা মিলে হল কুষ্মাণ্ড | এই রূপে দেবী হলেন সমগ্র বিশ্বের সৃষ্টির প্রতীক | অর্থাত্‍ তাঁর থেকেই জন্ম হয়েছে এই মহাবিশ্বের | নবরাত্রির চতুর্থ রাতে পূজিতা এই দেবীর কোথাও আট, কোথাও আবার দশ হাত | সিংহবাহিনী দেবী দশ হাতে ধারণ করে আছেন আয়ুধ এবং কমণ্ডলু |

৫| স্কন্দমাতা : বাংলায় যেমন দুর্গাকে গণেশজননী হিসেবে পূজো করার রেওয়াজ আছে, পশ্চিম ভারতে তেমনি আবার দেবী দুর্গাকে কার্তিকের মা হিসেবে পূজোর রেওয়াজ আছে | কার্তিকের এক নাম স্কন্দ | নবরাত্রির পঞ্চম রাতে দুর্গা পূজিত হন স্কন্দমাতা রূপে | এই দেবী চার হাতবিশিষ্টা | ডানদিকের উপরের হাতে ধরে আছেন শিশু কার্তিককে | প্রস্ফুটিত পদ্ম থাকে আর এক দক্ষিণ হস্তে | বাঁ দিকের একটি হাত বরাভয় দিচ্ছে | আর এক হাতে ধরে আছেন পদ্ম | এই রূপে দেবী দুর্গা কোনও বাহনে উপবিষ্ট নন | তিনি বসে থাকেন ফুটে থাকা কমলে |

৬ | কাত্যায়নী : নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে দেবী আরাধিত হন এই নামে।পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে বৈদিক যুগে কাত্যায়ন নামে এক ঋষি ছিলেন যার একটি পুত্র সন্তানের পর একটি কন্যসন্তান লাভের ইচ্ছা হয় | দেবী দুর্গার তপস্যা করে তিনি কন্যা সন্তান লাভ করেন | তাঁর স্তবে তুষ্ট হয়ে স্বয়ং দেবী দুর্গা জন্ম নেন কাত্যায়নের কন্যা রূপে | তখন তাঁর নাম হয় কাত্যায়নী |

৭ | কালরাত্রি : নবরাত্রির সপ্তম রাতে দেবী পূজিত হন কালরাত্রি নামে। ঋগ্বেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। এখানে দেবী কৃষ্ণবর্ণা |অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কালভৈরবের দেহ থেকেই আবির্ভূতা বলেই তিনি কালরাত্রি।দেবীর এই রূপই উপাসিত হয় কালি রূপে | তবে এই রূপেও দেবী ভক্তের শুভ করেন | দেবীর বাহন গাধা |

৮| মহা গৌরী : নবরাত্রির অষ্টম রাতে দেবীর রূপ মহাগৌরি।দুর্গা নাকি আসলে কৃষ্ণবর্ণা | মহাদেব যখন গঙ্গাজল দিয়ে তাঁকে স্নান করান, তখন তিনি হয়ে ওঠেন গৌরবর্ণা | তাঁর নাম হয় মহাগৌরী | প্রচলিত বিশ্বাস, নবরাত্রির অষ্টম রাতে তাঁর পুজো করলে সব পাপ ধুয়ে যায় | সাদা পোশাক পরিহিতা, চার হাত বিশিষ্টা দেবীর বাহন ষাঁড় ।

৯ | সিদ্ধিদাত্রী : নবদুর্গার নবম তথা শেষ রূপ হল সিদ্ধিদাত্রী | সিংহবাহিনী দেবীর চার হাতে আশীর্বাদী মুদ্রা | তিনি সিদ্ধি দান করেন | দেবী ভগবত্‍ পুরাণে অনুযায়ী, স্বয়ং মহাদেব দেবী দুর্গাকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন এবং তার ফলে মহাদেব সকল সিদ্ধি লাভ করেন | এই সিদ্ধিদাত্রীর আশীর্বাদেই অর্ধনারীশ্বর রূপ লাভ করেন মহাদেব |

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :wwজজw.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181009102852

Sunday, October 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

SUCCESS

SUCCESS

সুপ্রভাত
!!!! SUCCESS !!!!

যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের *"Success"*, যখন হাঁটতে শিখলাম মনে হল এটাই *success* ।

যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই *success*।

এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা বা সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়াই *success*।

এরপর বুঝলাম না আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটাই *success*।

ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেজাল্টটা ধরে রাখাই *success*।

এখানেই শেষ নয়, এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো কলেজে চান্স পাওয়াটাই *success*, যেটা পড়লে একটা ভালো চাকরি পাওয়া যাবে।

আরো পরে বুঝলাম না কলেজ শেষে ভালো চাকরী পাওয়া এবং অনেক রোজগার করাটাই *success*।

এরপর বুঝলাম না, নিজের টাকায় একটি ভালো ফ্ল্যাট কেনাটা *success*।

পরে বুঝলাম সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল *success*।

আবার ভুল ভাঙল, এরপর দেখলাম ভাল দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করাটাই আসল *success*।

বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে ভালো ভাবে বড় করাটাই *success*, ছেলে হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই *success*, মেয়ে হলে একটা ভালো ফ‍্যামেলীর ভালো চাকুরীর ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াটাই *success*।

এরপর এলো আমার রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক investment করে utilization করতে পারাই *success*...

এরপর যখন সবাই মিলে চিতায় উঠিয়ে দিল। মড়ার একটু আগেই বুঝলাম পৃথিবীতে *success* বলে কোন কিছুই স্থায়ী লক্ষ নেই, পুরোটাই একটা এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের তৈরী করা competition, যার মূলে আছে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।

*তখন বুঝতে পারলাম এর থেকে জীবনের প্রতিদিন বা প্রতি মূহুর্ত আনন্দের সঙ্গে সুস্থথাকা ও অন্যের জন্য কাজ করতে পারাই success* এর মূল লক্ষ্য হলে অনেক ভালো হত। কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি ।

*জীবন কে খোঁজো, জীবন কে বোঝো .....নিজেকে ভালোবাসো, অন্যদের সন্মান দাও আর ভালোবাসো ......বিশেষ করে যাদের ভালোবাসার খুবই প্রয়োজন।*

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181007102548

Thursday, October 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বলিদান

বলিদান

সুপ্রভাত
বলিদান
বলিদান কথার আসল অর্থ,আত্মৎস্বর্গ অর্থাৎ নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ইশ্বরের চরনে সর্মপন করানিরিহ পশু হত্যা কি বলিদান!!!!!
পশু রক্তে দেব-দেবীর পূজা হয় না,তার বহু উল্লখ আমাদের বিভিন্ন ধর্মগ্ৰন্থে আছে।

আমারা কালি পূজা,দূর্গা পূজা ও মনসা পূজা উপলক্ষে হাজার হাজার পাঠা বলি দেয় প্রতি বছর।শিশু বৃদ্ধ সবার সামনে ঢাক, ঢোল, কাসর বাজিয়ে, আসুরিক উন্মত্বতায় যেভাবে খড়গের এক কোপে ধড় থেকে মাথাটাকে বিচ্ছিন্ন করা হয় সেটা নৃসংশতা ছাড়া আর কিছুই নয়।ধর্মের নামে এই বিভৎস পশুবলি ও প্রাণিহত্যা প্রথা হিন্দুদের বেদ,উপনিষদ,পুরান,চন্ডি,গীতা বা কোন ধর্ম শাস্ত্রে উল্লেখ নাই এবং কোন ঋষিরাও এর উপেদেশ দেননি। শুধু হিন্দু শাস্ত্র কেন কোরাণ,ত্রিপিটক,বাইবেল সহ কোন পবিত্র ধর্ম গ্রন্থে এই পশুবলি বা প্রাণীহত্যার কু-আদর্শ নাই।বরং সব শাস্ত্রে রয়েছে এর বিরুদ্ধে নিশেধাজ্ঞা।
শাস্ত্রে পশুবলি/প্রাণীহত্যা সম্বন্ধে নিষেধাজ্ঞা সমূহ-
মদ্যং মাংসং তথা মৈথুন পরমেশ্বরি,মানুষেণ বলিং পঞ্চ ব্রাহ্মণো ন স্মরেৎ ক্কচিৎ।। অর্থঃ হে পরমেশ্বরী!মদ্যং, মাংসং, মৈথুন, নর, বলি এই পঞ্চবিধ বিষয় সম্বন্ধে(পূজার নামে)ব্রাহ্মণ ব্যক্তি কখনো স্বরন করিবে না।(বারাহী তন্ত্র)
সমুৎপক্তিঞ্চ মাংসস্স্য বধ কন্ধৌচ দেহিনাং।প্রসমীক্ষা নিবত্তের্ত সর্ব্বমাংস ভক্ষণাৎ।। অর্থঃ শুক্র শোনিতের দ্বারা মাংসের উৎপত্তি অতএব ইহা ঘৃণিত এবং বধ বন্ধন নিষ্ঠুর হৃদয়ের কর্ম তাই বধ ও ভোজন থেকে নিবৃত্ত হোন।(স্মৃতি শাস্ত্র)
লোভাৎ স্বভক্ষণাথায়ে জীবনং হম্তিযোনরঃ।মজ্জাকুন্ডে বসেৎ সোহপিতদ্ভোজী লক্ষবর্ষকং।।অর্থঃ যে ব্যক্তি লোভ প্রযুক্ত আত্মপোষণার্থ জীবহত্যা করে, সে লক্ষবছর মজ্জাকুন্ড নামক নরকে বাস পূর্বক তাহা পান করে। (৩০ অঃ প্রকৃতি খন্ড ব্রর্ধে পুরাণ)
যে দম্ভাদম্ভয়জ্ঞেষু পশুন্ ঘ্নতি নারাধমঃ তান্ সুখিন যমভটা নরকে বৈশসেতদা।অর্থঃ যারা পশুবধ বা হত্যা করে তারা নরাধম ও তাদের যমভটা নরক বাস হয়।(২২অঃ ৮ষ্ক দেবী ভাগবত)
এছাড়াও কুজিকা তন্ত্র,সংহীতা,শ্রীমৎ ভাগবত সহ আরো অনেক শাস্ত্রে পশুবলি বা প্রাণীহত্যার বিরুদ্ধে নিষেদাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।তারপরও কেন দেবী পূজার নামে এই পশুবলি/হত্যা।দেবী বলিয়াছেন, যে নিজের বাসনার জন্য পাঠা বধ করে খায় আমি তার পাপ খন্ডন করি কিন্তু যে আমার নামে বলি দিয়া বাসনা পূরন করে আমি তার পাপ খন্ডন করি না। 
“শ্রী শ্রী চন্ডি” তে কৃত তন্ত্রের আদেশ নির্দেশ বাধা অমান্য করে আমরা পত্র,পুষ্প ও চন্দনের পরিবর্তে পশু রক্তে কর্দমাক্ত করে পিশাচের লীলাভূমিতে পরিণত করছি পবিত্র দেব মন্দির গুলো।
কালীপূজা,দূর্গাপূজা ও মনসা পূজায় যারা পাঠা-মহিষ বলি দেয় তার অপ্রিয় সংযোগ,প্রিয় বিয়োগ দূঃখ,আজ কন্যা তো কাল উপযুক্ত পুত্র,নাতনী বা আপন জনের অকাল মৃত্যু এক কথায় সংসারে তাদের দূঃখ বিনা সুখ হয় না। বহু জমিদার,রাজা উৎচ্ছন্ন হয়েছে এই বাংলার বুকে তার প্রমানের অভাব নাই।মায়ের পূজার নামে পশু বলিদান চাণক্যের যদুবংশ ধ্বংসের সামিল ইহা যানার পর ত্রিপুরার রাজা মানিক্য মায়ের পূজায় বলিদান বন্ধ করে দেন।আজ নেপালের রাজা স্বয়ং আইন করে বলিদান বন্ধ করে দিয়েছেন।
‘বিসর্জন’ ও ‘রাজর্ষি’ নামক দুটি উপন্যাস ও নাটকের মাধ্যমে একশো বছর আগে ‘বলি’র বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।চলুন আজ আমরা মায়ের পূজার নামে এই পৈশাচিক আচার অনুষ্ঠান বন্ধ করি এবং নরকবাস ও দূঃখ ভোগ হতে পরিত্রাণ পাই।

এই প্রসঙ্গে একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

এক ব্যক্তি একটি পাঠাকে মন্দিরে বলি দিতে গেছে, তখন পাঠা হেসে উঠলো...
তখন ঐ ব্যক্তি পাঠা কে বলল আমি তোকে বলি দিতে এনেছি আর তুই হাসছিস।
তখন পাঠা বলল, আমি এই চিন্তা করে হাসছি যে
আমি সারা জীবন ঘাস খেয়ে নিষ্পাপ জীবনযাপন করে, এর পরেও এত কষ্টের মৃত্যু পেতে চলেছি
কিন্তু তুই তো আমার মত অনেক নিরীহ পশুকে সৃষ্টিকর্তার সামনে হত্যা করে
পরম ভক্ত সেজে বীরত্ব দেখিয়েছিস, তোর মৃত্যু যে কত ভয়ানক হবে।

আসল কথা হচ্ছে আমরা ঈশ্বরকে মনে করি তিনি হ ইত নিরিহ পশুর রক্তে প্রসন্ন হন।
তাই গৃহপালিত পশু—পাঠা-মহিষ-হাঁস-কবুতর বলি দেই নিজের স্বার্থ আদায়ের জন্য।
আমি অনেককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন এই নিরীহ পশু বলি...!
অনেক বলেছেন স্বপ্নে দেখেছেন কেউবা মানস করেছেন।
আমার কথা হচ্ছে যদি কেউ স্বপ্নে দেখেন একটা বিষধর সাপ দিয়ে মাকে পূজা দিতে
কিংবা বাঘ, সিংহ ইত্যাদি অথবা নিজের শরীরের একটি অঙ্গ কিংবা নিজের সন্তানকে বলি দিয়ে পূজা দিতে।
কতজন ভক্ত পূজা দেবেন?
তাই সকলের কাছে বিনম্র অনুরোধ আসুন আমরা সবাই মিলে বলি প্রথা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলি ।
যেখানে আমাদের বলিদানের মধ্যে থাকবেনা কোন নিরীহ পশুর রক্তের চিহ্ন ।
জয় মা তারা তুমি সকলের মঙ্গল করো।
আর এই কথাগুলি আমার সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তিগত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181004161900

Tuesday, October 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সূর্য ও দেবী মাতঙ্গী

সুপ্রভাত
আজ নবম মহাবিদ্যা মাতা মাতঙ্গীর আবির্ভাব তিথি। ইনি সূর্যের ইষ্টদেবী,এই মহাবিদ্যার আবির্ভাব সম্বন্ধে বলা হয়- একসময়ের কথা । মাতা গিরিনন্দিনী তখন পিত্রালয় গিরিরাজের গৃহে। পিতার গৃহে তিনি সুখে সখী গণ পরিবৃতা হয়ে নানান আলাপচারিতায় মগ্ন । ঠিক সেই সময় ভগবান শিব এক শাঁখারীর ছদ্দবেশে শাঁখার ডালা নিয়ে হিমালয় মহলে উপস্থিত । যতেক এয়োস্ত্রী নারী সেথায় ছিলেন সকলেই শাঁখারীর কাছে শাঁখা কিনলেন। দেবী উমা নিজেও শাঁখা কিনলেন । এরপর তিনি শাঁখারীকে বললেন - "বলো শাঁখারী। কি মূল্য তোমার চাই।" শাঁখারী মৃদু মৃদু হেসে বলল- "ওহে রাজকন্যা যা আমি চাইবো তা তুমি দেবে?" এই শুনে দেবী বললেন- "তুমি পর্বত শ্রেষ্ঠ হিমালয় রাজার গৃহে এসেছো। সংকোচ কোরো না। তোমার কি চাই ? " এই শুনে খানিক বাদে শাঁখারী রূপী শিব বললেন- "ওহে কন্যা । তুমি আমাকে বরন করো। এই ভিন্ন আমার কিছু কাম্য নেই।” এই শুনে দেবী উমা ভয়ানক ক্রোধিতা হলেন। ক্রোধে তাঁর মুখমণ্ডল রক্তবর্ণা হোলো । বললেন- "শাঁখারী তোমার সাহস তো মন্দ নয়। এখুনি তোমাকে এই অশালীন বাক্যের জন্য শাস্তি প্রদান করবো।" এই বলে মা গৌরী ভাবলেন অভিশাপ দিয়ে শাঁখারীকে ভস্ম করবেন। আরোও ভাবলেন দিব্য দৃষ্টিতে দেখে নেওয়া যাক এই শাঁখারী কে? কি তাঁর পরিচয় । দেবী ধ্যানে দেখলেন এই শাঁখারী স্বয়ং নীলকণ্ঠ মহেশ্বর । তখন দেবী হেসে বললেন- "বেশ তাই হবে। তোমার মনোরথ পূর্ণ করবো।"

এরপর দেবাদিদেব শিব মানস সরোবরের নিকট এক সুন্দর কাননে দেবীর জন্য প্রতীক্ষা করতে লাগলেন । ফুলে ফলে শোভিত সেই অরন্য অতীব শোভা বিস্তার করেছিলো। হিমালয়ের কোলে সেই অরন্য নানান পুস্প সুবাসে অতি মনোহর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো। মধু ভরা পুস্প গুলিতে ভ্রমর ভ্রমরী গুঞ্জরন করে মধু পান করছিলো। নানা রঙ্গে রঙ্গীন প্রজাপতি পেখম মেলে পুস্প হতে পুস্পে গমন করতে লাগলো। অতীব সৌন্দর্যময় সেই বনে প্রাকৃতিক শোভা চিত্ত আকর্ষিতের ন্যায় নিজেকে সুন্দর করেছিলো । সেই অতি মনোরম স্থানে দেবী পার্বতী সখী গণ সহিত আসিলেন । দেবীর সাজ ছিলো রাজনন্দিনীর মতোন না, এক চণ্ডালিনীর মতো। ভগবান শিব নিজেও কিরাত শবর রূপে দেবীর সহিত প্রেম ক্রীড়ায় মগ্ন হলেন ।মধুর মধুর বাদ্য সঙ্গীত দ্বারা সেই মনোরম অরন্য সুমিষ্ট স্বরে প্লাবিত হোলো। এই দৃশ্য দেবতাদের দর্শন দুর্লভ । পদ্মে ভরা দিঘীর টলমলে জলে রাজ হংস হংসী কেলি করে ভ্রমণ করিতেছিল । দেবাদিদেব ও স্বয়ং ভগবতী সেখানে নানান ভাবে দিব্য প্রেম লীলায় মত্ত হলেন। বৃক্ষ গুলি যেনো নিজে থেকেই আপন ইচ্ছায় পুস্প বর্ষণ করতে লাগলো । দেবাদিদেবের সেই নৃত্য আজ তাণ্ডব নৃত্য নয়- বরং তা অপূর্ব প্রেমের মাধুরী সৃষ্টি করলো । সেই নৃত্যের তালে তালে অরন্যে স্পর্শ করলো এক দিব্য প্রেম তরঙ্গ ।

এইভাবে কেলিবিলাস করে দেবাদিদেব আশুতোষ ও মাতা পার্বতী উভয়ে আনন্দিত হলেন । তখন ভগবান শিব বললেন- " হে প্রিয়ে গৌরী। তোমার সাথে কেলিবিলাস করে আমি প্রসন্ন হয়েছি। আজ থেকে তোমার এই রূপ উচ্ছিষ্ট চণ্ডালিনী রূপে খ্যাতা হবে। সমস্ত শক্তি পূজোর সমাপ্তে তোমার এই রূপের পূজা হবে। অন্যথায় সেই শক্তিপূজো বিফল হবে।" দেবীর এই রূপ হলেন মাতঙ্গী । অপর একটি মত অনুসারে একদা মহর্ষি মতঙ্গ কদম্ব বনে সমস্ত প্রানীদিগকে বশ করার জন্য ত্রিপুরাদেবীর তপস্যা করেছিলেন। ত্রিপুরাদেবী প্রসন্ন হলে তাঁর নেত্র থেকে এক জ্যোতি পুঞ্জঃ নির্গত হয়- তা থেকে মা মাতঙ্গীর সৃষ্টি হয় । এই দেবীর চার হস্তকে চার বেদের প্রতীক রূপে বর্ণনা করা হয় । দেবী রত্নময় বেদীতে থাকেন । তার পাশে তোতাপাখী থাকে- যাকে শুকপাখী ধরা হয়। দেবীর ভৈরব হলেন মতঙ্গ । এঁনাকে তান্ত্রিক সরস্বতী বলা হয় । কয়েকটি তন্ত্রে দেবী মাতঙ্গী ও দেবী সরস্বতীকে এক বলা হয়েছে। কালিকা পুরাণে বলা হয়েছে, "মাতঙ্গী তু সরস্বতীঃ ( ৬২/৯৯)। সারদাতিলকে লেখা- "মাতঙ্গিনী বাগাধিদেবতাম্‌" ( ১৬৬)। তন্ত্ররাজতন্ত্রে আছে , দেবী মাতঙ্গেশ্বরী "বাদয়ন্তীং মহাবীণাং স্বসমাঙ্গনাজনৈঃ" (৩৪/৬৫) । কুলার্ণব তন্ত্রে আছে বলা হয়েছে,- "বীণাবাদ্যবিনোদ্গীত নিরতাং"।

সূর্য্য
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ঔঁ হ্রীং হূং মাতঙ্গ‍্যৈ স্বাহা।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১২ টা পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20181002125101

Sunday, September 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পরকীয়া ও জোতিষ

শুভ সন্ধ‍্যা সকল বন্ধুরা,
আজকে আমি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করছি, আপনাদের ভালো লাগলে মন্তব্য ও শেয়ার করুন।দয়া করে কপি করে এডিট করে নিজের টাইম লাইনে পোষ্ট করবেন না।

বিষয়: পরকীয়া ও জোতিষ

পরকীয়া:
পরকীয়া (ইংরেজি: Adultery বা Extramarital affair বা Extramarital sex) হল বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকান্ড| মানবসমাজে এটি লঘু বা গুরুভাবে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য| পাশ্চাত্য আধুনিক সমাজে এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলেও এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, ইদানিং ভারতবর্ষে ও পরকীয়া দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়।তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কোর্টে আবেদন করতে পারেন| তবে ইসলামি রাষ্ট্রসমূহে এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা হল পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড প্রদান| মনোচিকিৎসায় একথা স্বীকৃত যে, পিতামাতার পরকীয়া সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এবং সামাজিক সম্পর্ক ও যোগাযোগে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সন্তানের মানসিক বিষন্নতার ও আগ্রাসী মনোভাবের জন্ম দেয়| এছাড়া পারিবারিক ও দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতিতে পরকীয়া প্রভাব রাখে।

জোতিষ:

আজকে আমি তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যোগ নিয়ে আলোচনা করছি, যা দাম্পত্য জীবনে অশুভ প্রভাব ফেলে ও পরকীয়া কামী কর ফেলে।

১) বহু স্রী যোগ (সম্ভোগ যোগ)

যদিলগ্নপতি ও সপ্তমপতি জন্মকুণ্ডলীতে একত্রে অবস্থিত হয়অথবা পাপ গ্ৰহ যুক্ত হয়ে পরস্পরের প্রতি পুর্ণ দৃষ্টি প্রদান করবে তবে বহু স্রীযোগ সূচিত হবে৷
ফলাফল :
এরূপ যোগ জন্মকুন্ডলী তে দেখা গেলে, জাতক-জাতীকা একাধিক অবৈধ যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হবে৷

মন্তব্য
মানুষের যৌন জীবন বিচিত্র ।এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন ব‍্যক্তি রয়েছেন যারা একই নারীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়ে সুখী হয় না, বর্তমানে হিন্দু আইন অনুযায়ী বহু বিবাহ অবৈধ হলেও---একই পুরুষ বহু নারীর সঙ্গে অবৈধ গঠন সংসর্গে অবশ্যই লিপ্ত হতে পারেন৷এই যোগ নারীদের ক্ষেত্রে এক ই ভাবে প্রযোজ্য, (শুধু শুক্র - চন্দ্র যুক্ত হয়ে এই যোগ সূচীত করলে তার পরিনাম অত্যন্ত অশুভ।যা সাধারণ তো কুন্ডলী তে কম দেখা যায়)।নিচে চার্ট দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

জাতকের তুলালগ্নে জন্ম | সপ্তমপতি এবং লগ্নপতি শুক্র-- পরস্পরের প্রতি পূর্ণদৃষ্টি প্রদান করছেন এবং অধিকান্ত মঙ্গল রাহুর সঙ্গে সহাবস্থান সম্বন্ধে আবদ্ধ এবং লগ্নপতি শুক্র কেতুর সঙ্গে সহাবস্থান সম্বন্ধে আবদ্ধ! তাছাড়া সপ্তমপতি মঙ্গল শনির দ্বারা পূর্ণদৃষ্টি ও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ । সুতরাং এরপ বহু নারীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হবে।

২) ভগ-চুম্বন যোগ

যদি সপ্তমপতি লগ্নের চতুর্থে শুক্রসহ যুক্ত হয় তবে ভগ-চুম্বন সূচিত হবে।

ফল: এই যোগে জাত ব্যক্তি কামবিকৃতি সম্পন্ন হয় এবং নারীর ভগদেশ চুম্বন করে

মন্তব্য : লগ্নপতি নীচস্থ হ'লেও জাতকের কাছ থেকে অনুরূপ আচরণ আশা করা যায়

৩) অপকীর্তি যোগ

সংজ্ঞা : যদি লগ্নের দশমে রবি থাকে এবং শনি পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয় তবে অপকীর্তি হাগ সূচিত হবে !
ফল: জাতকের অপযশ ঘটবে অথবা জাতক অপযশের অধিকারী হবে এবং জাতক-জাতিকাদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে।
ব্যাখ্যা এবং মন্তব্য : সুনাম বা সুযশ হচ্ছে বুদবুদের মতো---যে কোন মুহূর্তে তা মিলিয়ে যেতে পারে ৷ কিন্তু এমন লোকও রয়েছেন---যারা সমগ্র জীবন ধরেই সুনাম বা সুযশের অধিকারী হয়ে থাকেন ৷ কেউ কেউ বা হঠাৎ সুনাম লাভ করেন বা কীর্তিমান হয়ে ওঠেন! আবার হঠাৎই বদনামের আড়ালে বা অপকীর্তির আড়ালে চাপা পড়ে যান ৷ এই যোগের অন্যতম শর্ত হচ্ছে---যদি লগ্নের দশমে রবি থাকে এবং শনি অশুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয় অথবা রবি ও শনি যদি লগ্নের দশমে থেকে অশুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয় অথবা ববি ও শনি যদিএকত্রে লগ্নের দশমে থাকে তাহলেও অপকীর্তি যোগ সূচিত হবে।

সুতরাং বহুস্ত্রী যোগ, ভগ-চুম্বন যোগ এবং অপকীর্তি যোগ যে কোনো একটি জাতাক-জাতীকার জন্মকুন্ডলী তে দেখা গেলে তারা পরকীয়ায় প্রবেশ করে।
ভারতীয় জোতিষ শাস্ত্রে এর স্থায়ী প্রতি বিধান রয়েছে।রত্ন ও যন্ত্রমের সাহায্যে।এখানে তন্ত্রের কোনো বিশেষ প্রোয়োজন নেই।

প্রতিবিধান:১)নীল চন্দ্র কান্ত মনি ১০রতি লকেট করে ধারন করবেন।

২)বর্দিয‍্য মনি ৩-৪রতি কনিষ্ঠা অঙ্গুরী তে

৩)ভূবনেশ্বরীর বীজমন্ত্র (যন্ত্রমেরসামনে)প্রতিদিন সন্ধ্যায় ১০৮বার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ঔঁ শাং মাতা ভবনেশ্বরী ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180930200541

Sunday, September 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গোচর শুদ্ধি প্রকারণ

গোচর শুদ্ধি প্রকারণ

সুপ্রভাত
গোচরশুদ্ধি প্রকরণ :-

রবিশুদ্ধি -

রবি জন্ম রাশি থেকে তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশ রাশিতে গেলে শুভ বা শুদ্ধ হন এবং মাসের 13 দিনের পরে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও নবম রাশিতে গেলে শুভ বা শুদ্ধ হন।

চন্দ্রশুদ্ধি -

কার্য্যকর্ত্তার জন্ম রাশি থেকে চন্দ্র প্রথম, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, দশম ও একাদশ স্হানে থাকলে শুদ্ধ হয়,আর শুক্লপক্ষে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও নবম স্হানে থাকলেও শুদ্ধ হয়। যাত্রাদি সমস্ত কাজেই চন্দ্রশুদ্ধি অবশ্য প্রয়োজনীয়।

বামবেধে চন্দ্রশুদ্ধি নিরূপণ -

উপরিউক্ত প্রকারে চন্দ্রশুদ্ধি না ঘটলে জন্মরাশি থেকে দ্বাদশ, চতুর্থ ও নবম চন্দ্র, শুক্র, শনি, মঙ্গল, বৃহস্পতি কিংবা রবির সপ্তম রাসিস্হ হলে শুভফলদাতা হন এবং জন্মরাশি থেকে অষ্টম, পঞ্চম ও দ্বিতীয় চন্দ্র, শুক্রাদির যথাক্রমে দশম, পঞ্চম ও অষ্টমস্হ হলে শুদ্ধ হন।

চন্দ্রশুদ্ধির প্রশংসা -

চন্দ্র শুদ্ধ থাকলে করকচা, মৃত্যুযোগ,দিনদগ্ধা প্রভৃতি দোষসকল বজ্রাহত বৃক্ষের মত বিনাশ প্রাপ্ত হন। প্রভু সন্তুষ্ট থাকলে যেমন ভৃত্যের ক্রোধ নিরর্থক হয়, সেইরকম চন্দ্রশুদ্ধি থাকলে তারাশুদ্ধি গণ্য হয় না। শুক্লপক্ষে চন্দ্র বলবান, কৃষ্ণ পক্ষে তারা বলবতী, অতএব শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষে চন্দ্র ও তারা শুদ্ধি বিশেষ আবশ্যক।

পুরুষের ঘাতচন্দ্র -

মেশ রাশির প্রথম চন্দ্র,
বৃষ রাশির পঞ্চম চন্দ্র,
মিথুন রাশির নবম চন্দ্র,
কর্কট রাশির দ্বিতীয় চন্দ্র,
সিংহ রাশির ষষ্ঠ চন্দ্র,
কন্যা রাশির দশম চন্দ্র,
তুলা রাশির তৃতীয় চন্দ্র,
বৃশ্চিক রাশির সপ্তম চন্দ্র,
ধনু রাশির চতুর্থ চন্দ্র,
মকর রাশির অষ্টম চন্দ্র,
কুম্ভ রাশির একাদশ চন্দ্র এবং
মীন রাশির দ্বাদশ চন্দ্র ঘাতচন্দ্র বলে কথিত।

স্ত্রী জাতির ঘাতচন্দ্র -

মেষ রাশির প্রথম চন্দ্র,
বৃষ রাশির অষ্টম চন্দ্র,
মিথুন রাশির সপ্তম চন্দ্র,
কর্কট রাশির নবম চন্দ্র,
সিংহ রাশির ষষ্ঠ চন্দ্র,
কন্যার রাশির তৃতীয় চন্দ্র,
তুলা রাশির চতুর্থ চন্দ্র,
বৃশ্চিক রাশির দ্বিতীয় চন্দ্র,
ধনু রাশির দশম চন্দ্র,
মকর রাশির একাদশ চন্দ্র,
কুম্ভ রাশির পঞ্চম চন্দ্র,
মীন রাশির দ্বাদশ চন্দ্র ঘাতচন্দ্র হয়।

গ্রন্থান্তরে সিংহ রাশির চতুর্থ ও তুলা রাশির ষষ্ঠ চন্দ্র ঘাতচন্দ্র হিসেবে উল্লিখিত আছে।

ঘাতচন্দ্রের ফল কথন -

পূর্ব্বোক্ত প্রকার ঘাতচন্দ্রে যাত্রা অথবা বিবাহাদি করলে ক্লেশ অথবা মৃত্যু হতে পারে, এটা গর্গাচার্য্য বলেছেন। কিন্তু মুহূর্তচিন্তামণি,নির্ণয়সিন্ধু প্রভৃতি প্রামাণিক গ্রন্থে অন্য মত পাওয়া যায়।
যথা - যুদ্ধে, বিবাদে, কুমারী পূজনে, রাজসেবা, বাহনাদি কার্য্যে ঘাত চন্দ্র বর্জনীয়। কিন্তু বিবাহ, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন ইত্যাদি সর্বমঙ্গল কার্য্যে ঘাতচন্দ্র চিন্তা করতে হয় না।

কুজাদি গ্রহশুদ্ধি -

জন্ম রাশি থেকে কেতু, রাহু , মঙ্গল, শনি ও রবি ষষ্ঠ, তৃতীয় ও দশম রাশিস্হ হলে , চন্দ্র তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম এবং সপ্তম রাশিস্হ হলে, বুধ যুগ্ম রাশিস্হ হলে, বৃহস্পতি সপ্তম, নবম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম রাশিস্হ হলে, শুক্র ষষ্ঠ, দশম, সপ্তম ভিন্ন অন্য রাশিস্হ হলে এবং সকল গ্রহই একাদশ রাশিস্হ হলে শুভ হয়।

আচার্য্য বরাহের মতে দশম মঙ্গল অশুদ্ধ।

নক্ষত্রে জন্মাদি তারাসংজ্ঞা -

জন্ম নক্ষত্র থেকে ন'টি করে তারা যথাক্রমে
1. জন্ম (Birth) ,
2. সম্পদ (Finance),
3. বিপদ (Danger),
4.ক্ষেম (Strength),
5.প্রত্যরি (Enemy),
6. সাধক (Good /Divine),
7.বধ (Death),
8.মিত্র ( Friend),
9.পরমমিত্র (Exclusive Friend) -
নামে অভিহিত হয়। তার মধ্যে বিপদ, প্রত্যরি এবং বধ - এই তিন তারা অশুভ।তাছাড়া অন্যান্য সমস্ত তারা শুভ। শুভ তারাগুলি সকল শুভ কার্য্যে প্রশস্ত, কিন্তু বিবাদ, মাতৃশ্রাদ্ধ, ভৈষজ্য, যাত্রা ও ক্ষৌরকার্য জন্মতারাত্রয়ে করতে নেই।

প্রত্যরিতারায় বিশেষ -

জন্ম নক্ষত্র থেকে পঞ্চম(5), চতুর্দশ(14)ও ত্রোয়োবিংশ(23) নক্ষত্রকে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রত্যরি বলে। প্রথম প্রত্যরিতে যাত্রাদি শুভ কার্য্য করলে সিদ্ধি লাভ হয়, দ্বিতীয় প্রত্যরিতে কার্য্য করলে কার্য্য শুভ হয়, আর তৃতীয় প্রত্যরিতে কার্য করলে কার্য্য বিনাশপ্রাপ্ত হয়।

তারা প্রতিকার -

বিপদ তারায় গুড়, জন্ম তারায় শাক, প্রত্যরি তারায় লবণ(নুন) ও বধ তারায় তিল ও সোনা গ্রহ বিপ্রকে দান করে যাত্রাদি করলে অশুভতা নাশ হয়। গুড়, শাক, তিল ও সোনার পরিমাণ বলা নেই , সামর্থ্য অনুসারে দান করতে হবে। শুধু মাত্র লবণের পরিমাণ 5 পল। 1পলের পরিমাপ প্রায় চার তোলা। এই গুড়াদি দান বৈকল্পিক -
এটা না দিয়ে শুধুমাত্র লবণ জন্ম তারায় 1পল, বিপদ তারায় 3পল,প্রত্যরি তারায় 5 পল এবং বধ তারায় 7 পল দান করলেও তারাদোষের প্রতিকার হয়।

তারা ও চন্দ্রে ফল নিরূপণ -

চন্দ্র ও তারা শুদ্ধ থাকলে বার, তিথি ও নক্ষত্রনিমিত্তক দোষ সকল নাশ হয়।

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180930122708

Thursday, September 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

চতুঃসাগর যোগ

চতুঃসাগর যোগ
সংজ্ঞা : লগ্নের সকল কেন্দে অথাৎ লগ্নে, চতুথে, সপ্তমে এবং দশমে গ্ৰহ থকলে চতুঃসাগর যোগ সূচিত হয়৷

ফল: জাতক খ্যাতিযুক্ত ও রাজতুল্য সম্পদশালী স্বাস্থ্যবান, দীঘাঁয়ু বিশিষ্ট এবং বিশ্ববিখ্যাত হবে |

ব্যখ্যা এবং মন্তব্য : লগ্ন অপেক্ষা চতুর্থ, চতুর্থ অপেক্ষা সপ্রম, সপ্তম অপেক্ষা দশযস্থান বলবান ৷ কেন্দ্রস্থিত গ্রহাদি শুভ কিংবা অশুভ তা' বিবেচনা করুক --- কারণ গ্ৰহাদির শুতত্ত্ব অনুযায়ী বিশেষ শুভ ফললাভ হয় ৷ সকল কেন্দে যে-কোন গ্রহই থাকুক " কেন জাতক ধনী হবে!

লগ্নে বৃহস্পতি, চতুর্থে শনি, সপ্তমে চন্দ্র, দশমে রবি শুক্র অথাৎ সকল কেন্দেই গ্ৰহ থাকায় কুন্ডলী তে চতুঃসাগর যোগ সূচিত হয়েছে ।--- এই জাতক রাজতুল্য ক্ষমতা এবং সম্পদের অধিকারী হবেন ৷

নিচের ছকটি দেখুন

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180927112031

Tuesday, September 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শ্রাস্ত্রে সন্দেহ বাদী যোগ

জোতিষ শ্রাস্ত্রে সন্দেহ বাদী যোগ

সুপ্রভাত
আজকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অশুভ যোগ নিয়ে আলোচনা করছি।যা আমাদের অনেকেরই জীবন সন্দেহের কারণে ভীষন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সন্দেহবাদী যোগ
সংজ্ঞা (১)
লগ্নে পাপগ্রহ অবস্থিত হলে এবং নেপচুন বা প্লুটো ত্রিকোণে অবস্থিত হলে, অথবা কেন্দ্রপতি ও কোণপতিদের সঙ্গে নেপচুন বা প্লুটো সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে সন্দেহবাদী যোগ সূচিত হবে৷
সংজ্ঞা (২)
লগ্নপতি রাহ, কেতু বা শনির সহিত সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে---সন্দেহবাদী যোগ

ফলাফল :
এরূপ যোগে জাতব্যক্তি আশেপাশের সকলের প্রতিই সন্দেহ প্রকাশ ৷ বুঝি কেউ তাকে ঠকাল, কেউ লুটে নিল, অগোচরে চুরি করে নিচ্ছে বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী,প্রেমিক -প্রমিকা এদের মধ্যে সন্দেহের বাতাবরন বেশী মাত্রায় তৈয়ারী হয়।

মন্তব্য: (১)লগ্নে পাপগ্রহ থাকলে এবং লগ্নের পঞ্চম ও নবমে উপগ্রহ প্লুটো বা নেপচুন অবস্থিত হলে---অথবা উক্ত উপগ্রহ লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম, পঞ্চম বা চতুর্থ সপ্তম, দশম পঞ্চম বা নবমপতির সঙ্গে সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে, (২) লগ্নপতি রাহু অথবা শনি অথবা কেতুর সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে সন্দেহবাদী যোগটি সূচিত হবে৷
প্লুটো বা নেপচুন এদের ভূমিকাই হোল এক্ষেত্রে প্রবল করন এদের কে শনির পুত্র বা উপগ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180918091135

Monday, September 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহপীড়া নিবারনে রঙের গুরুত্ব ও বার অনুযায়ী কোন দিন কি রংয়ের পোশাক পরবেন

গ্ৰহপীড়া নিবারনে রঙের গুরুত্ব ও বার অনুযায়ী কোন দিন কি রংয়ের পোশাক পরবেন

আজকের পোস্ট টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সকল বন্ধুরা শেয়ার করুন ।
রঙের বৈশিষ্ট্য ও গ্ৰহপীড়া নিবারনে কোন দিন কি রংয়ের পোশাক পরবেন।

রং দিয়ে মোড়ানো আমাদের এই পৃথিবী। শুধু কী পৃথিবী? যেখানেই যত দূর চোখ যায় আমরা দেখি নানা বর্ণের সমাহার | প্রতিটি বস্তুই একটি নিজস্ব রং ধারণ করে আছে | আমাদের দুই চোখের স্বপ্নে রং, কল্পনায়ও রং | আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা উইল প্যাকার এ কথাটিকে সুন্দর ভাষায় বলেছিলেন, ‘আমার ভাবনা আকাশের মতো অসীম | আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি আর আমার সব স্বপ্নগুলো উজ্জ্বল রঙে রাঙানো |’
সবকিছুই যদি রংহীন হতো তাহলে কেমন হতো? যাই হোক, সে প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজব না | আমরা জানতে চেষ্টা করব এতসব রঙের উৎস কোথায় এবং কীভাবে ডিজিটাল জগতে আমরা রং–তুলি ছাড়াই রঙের মিশ্রণ ঘটাই |
প্রথমে জানি রং কি? সোজাসাপ্টা ভাষায় রং হচ্ছে আলোর বিভিন্ন আকৃতির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য | সূর্যই সকল আলোর উৎস এবং আজ থেকে প্রায় তিন শ বছর আগেই মানুষ জেনেছে পৃথিবীর সকল রঙের উৎস এই সূর্যের আলোতেই | আলো মূলত এনার্জি অর্থাৎ শক্তির বহনযোগ্য ক্ষুদ্রতম অংশ, যেটাকে আমরা এলিমেন্টারি পার্টিকল (Elementary Particle) বলে থাকি | এমন একটি পার্টিকল হলো ফোটন। যেটার সত্যিকারের কোনো আকৃতি নেই। শুধুমাত্র সৃষ্টি ও বিনাশ আছে | অন্যভাবে আলোকে বলা যায় ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম | ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম হলো শক্তির আরেকটি বিশেষ রূপ, যেটা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দ্বারা গঠিত | এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন আবার নানা অসংখ্য আকৃতির তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সমন্বয়ে গঠিত | আর তরঙ্গ মানেই সেটার কম্পাঙ্ক অর্থাৎ ফ্রিকোয়েন্সি আছে | কম্পাঙ্ক হলো প্রতি সেকেন্ডে কোনো তরঙ্গের পূর্ণ স্পন্দন সংখ্যা | এর একক হার্টজ (Hz) | কোনো বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে প্রবেশ করলে সেটার একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্ক থাকে | বস্তু ভেদে কম্পাঙ্ক ভিন্ন হয় | তাই আমরা রঙের এত ভিন্নতা লক্ষ্য করি | উদাহরণস্বরূপ, কোনো বস্তু থেকে যদি আমাদের চোখে প্রবেশকৃত আলোর কম্পাঙ্ক ৪৩০ থেকে ৪৮০ THz (১ THz= ১ ট্রিলিয়ন হার্টজ) হয় তাহলে আমরা লাল আলো দেখি | আবার কম্পাঙ্ক ৬৭০ থেকে ৭৫০ THz এর মধ্যে হলে সেটার রং বেগুনি | ধরা যাক টেবিলের এর ওপর রাখা একটি পাকা কলার রং হলুদ | হলুদ হওয়ার কারণ হচ্ছে কলাটির গা থেকে নিঃসৃত আলোক তরঙ্গের কম্পাং ৫১০ থেকে ৫৪০ THz এর মধ্যে | আমাদের চোখে দেখা সব রঙের ক্ষেত্রে এই একই নিয়ম প্রযোজ্য | লাল বস্তু থেকে নিঃসৃত আলোর রং লাল, সবুজ বস্তু থেকে নিঃসৃত আলোর রং সবুজ ইত্যাদি | পাশাপাশি এসব বস্তু থেকে আসা আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্কও ভিন্ন | এতক্ষণ তো জানলাম বাস্তব জীবনে আমাদের চারপাশে দেখা অদেখা নানা রং সম্পর্কে | এর বাইরেও আছে ডিজিটাল রঙের অনেক ব্যবহার | মোবাইল ফোন, টিভি ও কম্পিউটার পর্দায় আমরা যেকোনো রংই দেখতে পারি |

আগেই বলেছি মানুষের চোখ কীভাবে রঙের পার্থক্য অনুভব করতে পারে এবং কখন আমরা একটি নির্দিষ্ট রং দেখি | কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইসে তৈরি রংও আমাদের চোখে একইভাবে পৌঁছে | তবে কম্পিউটারে রং তৈরি করার পদ্ধতিটা পুরোপুরি আলাদা | আমরা জানি কম্পিউটার তার যাবতীয় কাজ দুটি সংখ্যা শূন্য ও এক–এর মাধ্যমে সম্পাদন করে থাকে | শূন্য ও এককে বলা যায় যথাক্রমে একটি সুইচের বন্ধ ও চালু অবস্থা, যেগুলো বিট নামে পরিচিত | ৮টি বিট মিলে এক বাইট গঠিত হয় | এ রকম পর্যাপ্ত পরিমাণ বাইটের উপস্থিতিতে যেকোনো রং ফুটিয়ে তোলা যায় | যেহেতু ৮টি বিট মিলে এক বাইট হয় সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক বাইট ব্যবহার করে ২৫৬টি সম্ভাব্য রং তৈরি করা যায় | এখন আমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে, সংখ্যার ব্যাপ্তি যদি শূন্য থেকে ২৫৫–এর মধ্যে হয় তাহলে আমরা একটি রঙের অনেকগুলো মাত্রা পেতে পারি | যেমন শূন্য মানে রঙের অনুপস্থিতি অর্থাৎ কালো এবং ২৫৫ হলো সাদা | এর মাঝখানের সংখ্যাগুলো দ্বারা কালো ও সাদার মাঝামাঝি বহু রং তৈরি করা যায় |
আধুনিক কম্পিউটার রঙের আরও বৈচিত্র্যতা আনতে আরজিবি (RGB) পদ্ধতি ব্যবহার করে | এ পদ্ধতিতে তিনটি ভিন্ন ধরনের রঙের (লাল, সবুজ ও নীল) মিশ্রণ ঘটানো হয় যার মাধ্যমে যেকোনো রং তৈরি করা সম্ভব | উদাহরণস্বরূপ, লাল ও সবুজের মিশ্রণ হলো হলুদ এবং লাল, সবুজ ও নীলের মিশ্রণ হলো সাদা | RGB এর মিশ্রণে ১৬ মিলিয়নেরও বেশি রং তৈরি করতে পারে | উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি হলুদ রঙের RGB নম্বর (R=২৫৫, G=২৫৫, B=0) | এর কারণ প্রথম দুইটি সংখ্যা ২৫৫ ও ২৫৫ দ্বারা যথাক্রমে লাল ও সবুজ রঙের মিশ্রণ বোঝায় যেটি মিলে হলুদ গঠন করে। আর শেষের শূন্য কোনো ভূমিকা পালন করে না।

কালার ওয়েব লেংথ
প্রশ্ন জাগতে পারে শুধুমাত্র কয়েকটি সংখ্যা দিয়ে কীভাবে রং তৈরি হয় অর্থাৎ সংখ্যা কীভাবে রং তৈরি করে? আসলে সংখ্যা রং তৈরি করে না, রঙের উৎপত্তি সেই আলো থেকেই | তাহলে সংখ্যা কি বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যসম্পন্ন আলো তৈরি করতে পারে? হ্যাঁ, বিস্ময়কর হলেও সেটা সম্ভব | বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আমরা হলুদ রঙের RGB-কে উদাহরণ ধরি | হলুদ রং তৈরিতে দরকার ২৫৫, ২৫৫ ও একটি শূন্য | ২৫৫–এর বাইনারি নম্বর হবে আটটি এক | আগেই বলেছি এক দিয়ে একটি সুইচের চালু দশা বোঝানো হয়। অর্থাৎ সেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহ চলবে | যখন এই সংখ্যাগুলো কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে নেয় তখন সে বুঝতে পারে যে তাকে মনিটরের একটি লাল বিন্দুকে আলোকিত করতে বলা হয়েছে | একইভাবে পরের ২৫৫ দিয়ে সবুজ বিন্দুকে আলোকিত করা হয় | বস্তুর রঙিন ছবি দেখার জন্য প্রস্তুতকৃত পর্দার (যেমন একটি এলসিডি মনিটর) প্রতিটি পিক্সেল এমনভাবে গঠন করা হয়ে থাকে যে, সেখানে তিন রঙের (RGB) সন্নিবেশ থাকে | হলুদ রঙের জন্য নির্দিষ্ট করা আরজিবি (২৫৫, ২৫৫, ০) কম্পিউটারের প্রসেসর গ্রহণ করার পর মনিটরের পিক্সেলকে আলোকিত করে এবং দুটি ভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট আলোর মিশ্রণ ঘটে | এই দুই ধরনের আলোর মিশ্রণই হলো লাল ও সবুজের মিশ্রণ যেটা আমাদের চোখে পৌঁছলে আমরা হলুদ বর্ণ দেখি |
আলো ও রঙের সম্পর্ক অনেক গভীর | রং তৈরির প্রক্রিয়াটাও অনেক মজার | আলো থেকে রং তৈরির ব্যাখ্যা আরও কতটুকু প্রসারিত করলে সেটা পর্যাপ্ত হবে আমার জানা নেই, তবে যেটুকু জানি এর গভীরে লুকিয়ে আছে বিস্ময়কর বিজ্ঞান |
সবশেষে উইল প্যাকারের মতো আমাদেরও সবার জীবন হোক রঙিন, কল্পনাগুলো হোক আকাশ ছোঁয়া এবং স্বপ্নগুলো হোক উজ্জ্বল রঙে রাঙানো |
(ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম, গ্রাফিকস্- ইত্যাদি) রঙের সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব যে অনেক, এ নিয়ে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। রং কত প্রকার ও কী কী, কোন রং কোথায় দেওয়া উচিত, কোন রঙের সাথে কোন রং মানানসই, রং কীভাবে মানুষের মনে দাগ কাটে- এসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে। সেসব গবেষণা থেকে এসেছে যে তত্ত্ব, তা-ই রং তত্ত্ব। এই তত্ত্ব নিয়ে একেবারে শুরুর দিকে যাঁরা মাথা ঘামিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি আছেন।

রং তত্ত্বের মূল বিষয়গুলো হল রং কয় ধরণের হয়, কোন রঙের সাথে কোন রং মেশালে কী হয়, কোন রং চোখের দেখায় ঠাণ্ডা বা গরম মনে হয়, কোন রঙ দেখতে ভারী আর কোনটা হালকা?

এই বিষয়গুলো বুঝতে হলে আগে 'রঙের চাকা' সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

রঙের চাকা (Color Wheel): আগেই বলে রাখি, আলোর ক্ষেত্রে আর ছবি আঁকার ক্ষেত্রে প্রাথমিক রংগুলো (Primary Colors) এক রকম নয়। আমরা জানি, আলোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক রংগুলো হচ্ছে লাল, সবুজ, নীল। কিন্তু ছবি আঁকার ক্ষেত্রে নীলের সাথে হলুদ মেশালে সবুজ পাওয়া যায়, তাই এক্ষেত্রে সবুজ প্রাথমিক রং নয়। ছবি আঁকার জন্য মাত্র পাঁচটা রং থাকলে একটার সাথে একটা মিশিয়ে বাকি সব রং বানিয়ে নেওয়া যায়। এই পাঁচটা রং হলো লাল, নীল, হলুদ, কালো, সাদা। কালো আর সাদা দিয়ে আলো-ছায়া বোঝানো হয়, এদুটোকে রং হিসেবে না ধরাই ভালো। তাহলে ছবি আঁকার প্রাথমিক রং তিনটি- লাল, নীল, হলুদ।

প্রাথমিক রংগুলো একটার সাথে আরেকটা মিলে যে তিনটি রং তৈরি করে, সেগুলোকে বলে মাধ্যমিক রং (Secondary Colors)| বেগুনি, সবুজ আর কমলা- এগুলো হচ্ছে মাধ্যমিক রং। কারণ-

লাল + নীল = বেগুনি,

নীল + হলুদ = সবুজ,

হলুদ+ লাল = কমলা।

প্রাথমিক আর মাধ্যমিক রঙগুলো মেশালে যেসব রং পাওয়া যায় সেগুলোর নাম যৌগিক রং (Tertiary Colors)। যেমন-

লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি

নীল + সবুজ = নীলচে সবুজ

হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা

নীল + বেগুনি = নীলচে বেগুনি

হলুদ + সবুজ = টিয়া

লাল + কমলা = লালচে কমলা

এবার আসছি সংখ্যা ও গ্ৰহ অনুযায়ী রংয়ের গুরুত্ব

রবি =১,বর্ণ লাল (জবা কুসুম)
চন্দ্র= ২,বর্ণ কালো
মঙ্গল =৯ ,গার লাল বা কালচে লাল।
বুধ=৫,বর্ণ সবুজ
ব্হস্পতি =৩ ,বর্ণ হলুদ
শুক্র =৬ ,বর্ণ সাদা
শনি =৮ ,বর্ণ নীল
রাহু = ৪,বর্ণ খয়েরি
কেতু =৭ ,বর্ণ ধূসর
এবার জানুন কোনো বার কোন প্রশাক পড়বেন।সমস্ত কাজে সফলতা আসবে।

রবিবার =লাল রঙের পোশাক।
সোমবার=কালো রঙের পোশাক।
মঙ্গলবার=গার লাল রঙের পোশাক।
বুধবার=সবুজ রঙের পোশাক‌।
বৃহস্পতিবার=হলুদ রঙের পোশাক।
শুক্রবার=সাদা রঙের পোশাক।
শনিবার =নীল রঙের পোশাক

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180917092051

Monday, September 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বুদ্ধির কারক গ্ৰহ বুধ

বুদ্ধির কারক গ্ৰহ বুধ

আজকের লেখনী, মিথুন ও কন‍্যা রাশির অধীপতি বুধ
~~~~~~ বুধ গ্রহ ~~~~~

জ্যোতিষ মতে বিদ্যার প্রধান কারক গ্রহ হল বুধ। জ্ঞান বা বুদ্ধির এবং প্রতিভার বিকাশ কারক গ্রহ হিসাবেও বুধ কে ধরা হয়। রাশিচক্র এর তৃতীয় ঘর মিথুনরাশি ও ষষ্ঠ ঘর কন্যারাশির অধিপতি হিসাবে বুধ কে ধরা হয়।

মিত্রগ্রহ:- রবি,শুক্র।

শত্রু গ্রহ:-চন্দ্র।

কারকত্ব:- বুধ নির্দেশ করে বিদ্যা, বাকশক্তি, অনুকরণ ক্ষমতা, শিক্ষায় আগ্রহ, বুদ্ধিমত্তা, স্মরণশক্তি, বালকসুলভ চপলতা, দ্বিধা-দ্বন্ধ যোগাযোগ, ব্যবসা, অংক, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, রাজনীতি, জ্যোতিষ বিদ্যা, দালালি, যন্ত্রসংগীত, বহুমুখিতা ইত্যাদি।

দৈহিক গঠন:-বুধ প্রভাব যুক্ত জাতক জাতিকাদের বয়সের তুলনায় অল্প বয়সী মনে হয়। রোগা পাতলা চেহারা উচ্চতা মাথার চুল কালো ও উজ্জ্বল অল্প কোঁকড়ানো গায়ের রং। উজ্জল শ্যাম বর্ন বুদ্ধি দীপ্ত চোখ সুন্দর চেহারার হয়।

দেহের অংশ :-স্কিন, নার্ভ,জ্বিহা,হাত ;গলা; শ্বাসনালী ;দেহের নিম্নভাগে ইত্যাদি অংশে বুধের প্রভাব অনেক।

রোগ :-
তোতলামি, মূক, নার্ভের রোগ, শরীরের নিম্নভাগে, গলনালী, দাঁত ও মাথার অসুখ, স্মৃতিশক্তির হানি, হাত ও ঘাড়ের রোগ শ্বাসযন্ত্রের রোগ, প্যারালাইসিস,ইত্যাদি ।

পেশা:- আইনজীবী, লেখক সম্পাদক, প্রকাশক, ব্যবসায়ী, হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সেলসম্যান, যোগাযোগ বিভাগ, এজেন্সী ইত্যাদিতে যুক্ত বা বিভাগের কর্মী ইত্যাদি

রবি ওবুধ জন্মকুন্ডলী তে মিথুন, সিংহ ও কন‍্যা রাশিতে অতি শুভ বুধাদিত্য যোগ সূচিত করে।সেইরুপে মকর ,কুম্ভতে এবংত
তুলাতে বুধ ও চন্দ্র বুদ্ধীনাশ বা বুদ্ধীভ্রষ্ট যোগ সূচিত করে‌

বুধের প্রতিবিধান:
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180917073624

Sunday, September 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিশ্বকর্মা

বিশ্বকর্মা

সুপ্রভাত
আগামীকাল ,১৭ই সেপ্টেম্বর ,২০১৮ বিশ্বকর্মা পূজা।
ভগবান বিশ্বকর্মাঃ-
★★★★★★★

প্রতিবছর আসেন বিশ্বকর্মা আর ছড়িয়ে দিয়ে যান একমুঠো দুর্গাপুজোর গন্ধ, একরাশ ভাললাগা।
কে এই বিশ্বকর্মা?
স্বর্গের কারিগর -
শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মাই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেন। ঈশ্বরের প্রাসাদের নির্মাতাও বিশ্বকর্মা। দেবতাদের রথ ও অস্ত্রও তৈরি করেছিলেন এই বিশ্বকর্মাই। [কৃষ্ণ ভগবানকে নিয়ে এই ৮টি তথ্য জেনে নিন একনজরে]
মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা, সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র। [মহাভারতের নানা অজানা ঘটনা, যা আপনি শোনেননি]
ভগবান বিশ্বকর্মাকে নিয়ে নানা অজানা গল্প জেনে নিন একনজরে
ওঁ দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।
ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।
ধ্যান ও প্রনাম মন্ত্র অনুসারে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার যে চিত্র পাওয়া যায়- তাতে তিনি একাধারে মহাবীর ও দয়াদি অষ্টগুন যুক্ত । তিনি সৃষ্টির নির্মাতা ও ধাতা । তিনি মান দণ্ড ধারী মহাশিল্পী। আবার তিনি মহাযোদ্ধা। [যে চরিত্রগুলির উল্লেখ মহাভারত ও রামায়ণ উভয় মহাকাব্যেই রয়েছে!]
ঋক্ বেদের দশম মণ্ডলের দুটি সুক্তে ( ৮১, ৮২) বিশ্বকর্মার স্তুতি পাওয়া যায়। সেই ভাবার্থ অনুসারে - দ্যুলোক ও ভূলোক উভয়ই প্রথমে জলাকার ও সম্মিলিত ছিল। ক্রমে উভয়েরই চতুঃসীমা যতই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তারা পরস্পর দূরবর্তী হতে হতে ক্রমে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যায় । সুধীর বিশ্বকর্মা মনে মনে চিন্তা ও উত্তম রূপে নিরীক্ষণ করে এই বিরাট সৃষ্টি চক্র প্রবর্তন করেন। এই বিশ্ব তাঁরই কর্ম বলে তিনি বিশ্বকর্মা।
বেদে যিনি মুখ্যতঃ বিশ্বস্রষ্টা , পুরানে তাঁকে দেখি দেবশিল্পী হিসাবে। তিনি "কর্তা শিল্প সহস্রাণাম" অর্থাৎ তিনি সহস্র শিল্পের অধিকর্তা।
তিনি "দেবানাং কার্য্যসাধকঃ" অর্থাৎ দেবতাদের শিল্পের কার্য্য সাধক। বিশ্বকর্মার জন্ম বিষয়ে পুরানে নানা আখ্যানের অবতারনা করা হয়। কোনো পুরান মতে তাঁর জন্ম অষ্টবসুর অন্যতম প্রভাসের ঔরসে দেবগুরু বৃহস্পতির ভগিনী বরবর্ণিনীর গর্ভে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে প্রজাপতি ব্রহ্মার নাভিদেশ থেকে বিশ্বকর্মার উৎপত্তি বলে লেখা আছে। বেদে এই বিশ্বকর্মাকে অজাত পুরুষ বা সনাতন পুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বকর্মা নানান শিল্প রচনা করেন। কুবেরের মহল, স্বর্গের দেবসভা, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা পুরী, জগন্নাথের বিগ্রহ, রাবনের স্বর্ণ লঙ্কা, ভগবান শিবের ধনুক, ত্রিশূল- সব এঁনার সৃষ্টি। এছাড়া মার্কণ্ড পুরানে দেখতে পাই ইনি দেবীকে অভেদ্য কবচ, পরশু ও নানান অস্ত্র প্রদান করেছিলেন। বিশ্বকর্মার হস্তে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক। উভয়ের সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুড়ী ধারন করেন- যা শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি যে শিল্পের দেবতা।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।
বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা, ঋগবেদের ১০ম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তাঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সবদিকে পরিব্যাপ্ত। তিনি বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।
বিশ্বকর্মার কিছু অমর সৃষ্টি -
হিন্দু পুরাণ জুড়ে রয়েছে বিশ্বকর্মার বিভিন্ন নির্মাণ। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি-চার যুগ ধরে ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বকর্মার অমর কীর্তিরা। সত্যযুগে বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন স্বর্গলোক। এই প্রাসাদ থেকেই দেবরাজ ইন্দ্রের মর্ত্যলোক শাসন করতেন। ত্রেতা যুগে বিশ্বকর্মা সৃষ্টি করেন সোনার লঙ্কা। দ্বাপর যুগে সৃষ্টি করেন দ্বারকা। কলিযুগে বিশ্বকর্মার অমর সৃষ্টি হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থ।
সোনার লঙ্কা -
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ত্রেতা যুগে রাবণ রাজার রাজধানী ছিল সোনার লঙ্কা। পার্বতীর সঙ্গে বিয়ের পর মহাদেব প্রাসাদ নির্মাণের ভার দেন বিশ্বকর্মাকে। স্বর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা। গৃহপ্রবেশের পুজোর জন্য রাবণ রাজাকে আমন্ত্রণ জানান মহাদেব। পুজোর পর দক্ষিণা স্বরূপ মহাদেবের কাছে স্বর্ণলঙ্কা চান রাবণ। রাবণের হাতে স্বর্ণলঙ্কা তুলে দেন মহাদেব। সেই থেকেই রাবণের রাজধানী স্বর্ণলঙ্কা।
দ্বারকা -
দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা বিশ্বকর্মার অমর সৃষ্টি। মহাভারতে দ্বারকাই কৃষ্ণের কর্মভূমি হিসেবে উল্লিখিত। হিন্দুদের অন্যতম দর্শনীয় ও পূজনীয় শহর দ্বারকা।
হস্তিনাপুর -
কলিযুগে কৌরব ও পাণ্ডবদের রাজধানী হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থও নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে হস্তিনাপুরে অভিষিক্ত করেন কৃষ্ণ।
ইন্দ্রপ্রস্থ -
পাণ্ডবদের শহর ইন্দ্রপ্রস্থও নির্মাণ করেছিলেন এই বিশ্বকর্মাই। পাণ্ডবদের থাকার জন্য এক টুকরো জমি দিয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্র। সেই খাণ্ডবপ্রস্থে ভাইদের সঙ্গে থাকতেন যুধিষ্ঠির। পরে খাণ্ডবপ্রস্থে রাজধানী নির্মাণের জন্য বিশ্বকর্মাকে আমন্ত্রণ জানান কৃষ্ণ। তৈরি হয় ইন্দ্রপ্রস্থ। এই ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল মায়ানগরী। প্রাসাদের মাটি দেখলে মনে হত যেন স্বচ্ছ্ব জল টলটল করছে। পুকুরের স্বচ্ছ্ব জলের মধ্যে দিয়ে আয়নার মতো চকচক করতো মাটি। প্রাসাদ তৈরির পর পাণ্ডবদের নিমন্ত্রণ রক্ষায় ইন্দ্রপ্রস্থে যান কৌরবরা। মায়ানগরীর মায়া বুঝতে না পেরে পুকুরের জলে পড়ে যান দুর্যোধন। তাকে পড়ে যেতে দেখে হেসে উঠেছিলেন দ্রৌপদী। অন্ধ বাবার অন্ধ ছেলে বলে দুর্যোধনকে অপমান করেন দ্রৌপদী। এই ঘটনা থেকেই সূত্রপাত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের।
বিশ্বকর্মা বিশ্বভুবন নির্মাণ করেন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরি করেছেন। শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছেন।
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিষ কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয ও কোথাও আবার খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
সমগ্র ভারতবর্ষে নয়, বিশ্বকর্মা পুজো মূলত অসম, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড (দেরাদুন)-এর কিছু কিছু অঞ্চলে পালিত হয়। ভারতবর্ষের বিশ্বকর্মা একটি দলিত সম্প্রদায়ের নাম, বিশ্বকর্মা সেই সম্প্রদায়ের আদিম-সভ্য পুরুষ।। বিশ্বকর্মা পিছিয়ে-পড়া এক জনজাতির ঐতিহাসিক এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিভার বিরল দৃষ্টান্তবিশেষ।
বিশ্বকর্মা যে শুধু কর্মে সুদক্ষ তা নয়, তিনি বেশ কিছু গ্রন্থও লিখে রেখে গেছেন উত্তরসূরীদের জন্য। এবার আলোচনা করব বিশ্বকর্মার লেখক-প্রতিভা এবং লেখালেখি বিষয়ে।
বিশ্বকর্মার রচিত স্থাপত্যশিল্প বিষয়ক গ্রন্থটির নাম "বাস্তুশাস্ত্রম"। "মানসার" এবং "ময়মতম" গ্রন্থে বস্তু ও বাস্তু শব্দদুটিকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। 'বস্তু' শব্দ থেকে 'বাস্তু' কথাটা এসেছে। 'বাস্তু' শব্দের অর্থ পৃথিবী। ব্যাপক অর্থে সমস্ত প্রাণীর আবাসস্থলই বাস্তু। অর্থাৎ, স্রষ্টার যে-কোনো সৃষ্টিই বাস্তু। কাজেই শুধু পরিকল্পিত মনুষ্যগৃহই নয়, দেবতা থেকে শুরু করে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর আবাসকেই বাস্তু বলে। বাস্তুশাস্ত্রে বাস্তু শব্দের অর্থ ব্যাপক। এই শিল্পকে নির্মাণ শিল্পকে না-বুঝিয়ে পরিকল্পনা, নির্মাণ, চিত্র, অলংকরণ, স্বর্ণ-চর্ম-বয়নশিল্প, অস্ত্রশিল্প, পোতনির্মাণ, মূর্তিনির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত আছে।
পুরাণে উল্লেখ আছে, চারটি বেদের মতো চারটি উপবেদও আছে। উপবেদগুলি হল আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গান্ধর্ববেদ এবং স্থাপত্যবেদ। এই উপবেদ স্থাপত্যবিদ্যা বা বাস্তুবিদ্যার রচয়িতা হলেন বিশ্বকর্মা। বলা হয় তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রধান বাস্তুকার। তাঁর রচিত অন্তত দশখানি পুথি এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে মৎস্যপুরাণের ২৪২ থেকে ২৪৭ অধ্যায়, অগ্নিপুরাণের ১০৪ থেকে ১০৬ অধ্যায়, গরুড়পুরাণের ৪৬ থেকে ৪৭ অধ্যায়, ভবিষ্যপুরাণ, বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণের তৃতীয় খণ্ড, বিভিন্ন আগম, শুক্রনীতিসারের চতুর্থ অধ্যায়, বৃহসংহিতা, গৃহ্যসূত্র, অর্থশাস্ত্র প্রভৃতিতে বাস্তুশাস্ত্রের আলোচনা পাই। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় গণপতিশাস্ত্রী বাস্তুবিদ্যা বা বাস্তুশাস্ত্রম গ্রন্থটি আবিষ্কার করে মুদ্রিত করেন। বিশ্বকর্মার নামে প্রচলিত বাস্তুশাস্ত্রটির নাম "বিশ্বকর্মাবাস্তুশাস্ত্রম"।
আর্যাবর্তের শিল্পধারা বিশ্বকর্মার দ্বারা প্রবর্তিত বলে মনে করা হয়। বিশ্বকর্মার "বাস্তুশাস্ত্রম"-এর প্রথমেই বলা হয়েছে, জগতের কল্যাণ কামনায় এই শাস্ত্র প্রচার করছেন - "বাস্তুশাস্ত্রং প্রবক্ষ্যামি লোকানাং হিতকাম্যয়া"। বিশ্বকর্মার নামে এরকম গ্রন্থ অন্ততপক্ষে দশটি পাওয়া গেছে।
কী আছে "বাস্তুশাস্ত্রম" গ্রন্থটিতে?
সুপরিকল্পিতভাবে গৃহনির্মাণ, গ্রাম ও নগরের পত্তনের নিয়মাবলি এবং বিধিনিষেধ তাঁর গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়।
বিশ্বকর্মা রচিত এই গ্রন্থে গৃহ, মন্দির, গ্রাম, নগর, যন্ত্র প্রভৃতির বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল -
(১) সর্বপ্রথম গৃহারম্ভের কাল পরীক্ষা, উপকরণ সংগ্রহ, জমি পরীক্ষা, বিভিন্ন দিক নির্ণয়, ভবন লক্ষণ প্রভৃতি বিভিন্ন পরিচ্ছেদে আলোচিত হয়েছে।
(২) বাসযোগ্য গৃহ ছাড়াও বিদ্যালয়, চিকিৎসালয়, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য গৃহ, পাকশালা, শৌচাগার, পুষ্করিণী, উদ্যান প্রভৃতি কোনদিকে থাকবে, আলো-বাতাস প্রবেশের কীরকম হবে, সবই সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে।
(৩) বিশ্বকর্মার খ্যাতি পুরাণাদিতে দেবশিল্পী হিসাবে পাওয়া যায়। বিভিন্ন মন্দির ও তার উপকরণ প্রভৃতির বিস্তৃত আলোচিত হয়েছে। মন্দিরের কাজে ব্যবহারের জন্য আট প্রকার কাঠ এবং সাধারণ গৃহস্থদের গৃহনির্মাণের জন্য তেইশ প্রকারের কাঠের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কাঠগুলি কাটার পর পনেরো দিন জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলে তাতে পোকা ধরবে না। এই প্রসঙ্গে বিশ্বকর্মা লিখেছেন - "কাষ্ঠং নো ভক্ষ্যতে কীটের্যদি পক্ষং ধৃতং জলে"।
(৪) দেওয়ালের প্রস্থ ও উচ্চতা, ভিতের গভীরতা, দরজা ও জানালার পৃথক পৃথক মাপের বর্ণনাও এই গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়।
ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসে বিশ্বকর্মার "বাস্তুশাস্ত্রম" গ্রন্থটির অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। ইতিহাসের উপাদান হিসাবে "বাস্তুশাস্ত্রম" এক অমূল্য সম্পদ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মশাস্ত্র বেদে মাত্র তেত্রিশটি দেবতার উল্লেখ থাকলেও হিন্দুরা বিশ্বাস করেন তাদের দেবতা তেত্রিশ কোটি। অবশ্য বেশির ভাগ দেবতা স্বর্গে বাস করলেও বেশ কিছু দেবতা এই ধরাধামেই বসবাস করতেন বলে কেউ কেউ মনে করেন। এদেরই একজন দলিত গোষ্ঠীভুক্ত দেবতা বিশ্বকর্মা তথা বিশ্বকর্মা ঠাকুর। ইনার জন্য সারা বছরে একদিন মাত্র নির্ধারণ করেছেন শ্রমজীবী ভক্তেরা। ইনি নিরুপদ্রব দেবতা। ইনি ক্রোধী নন, বদমেজাজি নন।ইনি পুজো পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে বাঁশ নিয়ে দৌড়ে বেড়াননি। ইনাকে ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষ তটস্থ হয়ে থাকেন না। ইনিও কার্তিক ঠাকুরের মতো ঘরের ছেলে। ভাদ্র মাসে ইনি পূজিত হন। আগের আষাঢ়-শ্রাবণ মাসটা তুমূল বর্যাকাল।এ সময় কোনো কার্য নির্মাণ করা যায় না। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে সমস্ত মানুষের হাতে প্রচুর টাকাপয়সা আসে, সেইসঙ্গে বৃষ্টি-বাদলার উৎপাতও নেই। অতএব নির্মাণশিল্পের স্রষ্টা তথা গুরু বিশ্বকর্মাকে স্মরণ করে ঝাঁপিয়ে পড়ো কর্মযজ্ঞে।
হস্তীকে দেবশিল্পীর বাহন বলা হয় । বিশ্বকর্মার মন্ত্রে দেবশিল্পীকে "মহাবীর" বলা হয় । হস্তীর মহাবলের কথা সর্বজন সুবিদিত। এই দিকে থেকে হস্তী বাহন হিসাবে যথা উপযুক্ত । এছাড়া হাতী দিয়ে কাজ করানোর কথা অতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে । কর্ম- কর্মের ফলে শিল্পের বিকাশ । আর বিশ্বকর্মা হলেন শিল্পের দেবতা। তাই কর্মঠ হস্তী তাঁর বাহন ।
আসুন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার চরণে প্রার্থনা জানিয়ে বলি-
ওঁ দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্তূভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদায়ক।
বীজমন্ত্র:ঔঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180916071801

Friday, September 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বগাপঞ্চমী ও মা মনসা

বগাপঞ্চমী ও মা মনসা

শুভ অপরান্থ
আজ বগা পঞ্জমী,মনসা পূজা
মনসা হলেন একজন লৌকিক হিন্দু দেবী। তিনি সর্পদেবী। প্রধানত বাংলা অঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তাঁর পূজা প্রচলিত আছে। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে তাঁর পূজা করা হয়। মনসা ঘট স্থাপন করে পুজো করা হয়। মনসা নাগ-রাজ (সর্পরাজ) বাসুকীর ভগিনী এবং ঋষি জরৎকারুর (জগৎকারু) স্ত্রী ।তাঁর অপর নামগুলি হল বিষহরি বা বিষহরা (বিষ ধ্বংসকারিণী), নিত্যা (চিরন্তনী) ও পদ্মাবতী।

পুরাণ ও কিংবদন্তি অনুসারে, মনসার পিতা শিব ও স্বামী জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মনসার সৎ-মা চণ্ডী (শিবের স্ত্রী পার্বতী) তাঁকে ঘৃণা করতেন। এই কারণে মনসা অত্যন্ত উগ্র স্বভাব ও অসুখী এক দেবী। কোনো কোনো ধর্মগ্রন্থে আছে, শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বলে বর্ণনা করা হলেও, যিনি তাঁর পূজা করতে অস্বীকার করেন, তাঁর প্রতি তিনি নির্দয়। জন্ম-সংক্রান্ত কারণে মনসার পূর্ণ দেবীত্ব প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। তাই মনসার উদ্দেশ্য ছিল দেবী হিসেবে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করা এবং একটি একনিষ্ঠ মানব ভক্তমণ্ডলী গড়ে তোলা।

দেবী মনসা কে ?
= = = = = = মা মনসার ধ্যান মন্ত্র অনুসারে- ওঁ
দেবীমম্বামহীনাং
শশধরবদনাং চারুকান্তিং বদন্যাম্ ।
হংসারূঢ়মুদারামস
ুললিতবসনাং সর্বদাং সর্বদৈব ।।
স্মেরাস্যাং মণ্ডিতাঙ্গীং কনকমণিগণৈর্মুক্
তয়া চ । প্রবালৈর্বন্দেহ হং সাষ্টনাগামুরুকু চগলাং
ভোগিনীং কামরূপাম্ ।। ( এর অর্থ- সর্প দিগের
মাতা, চন্দ্র বদনা,
সুন্দর কান্তি বিশিষ্টা, বদন্যা, হংস বাহিনী,
উদার স্বভাবা , লোহিত বসনা , সর্বদা সর্ব
অভিষ্ট প্রদায়িনী, সহাস্য বদনা, কণক
মনি মুক্তা প্রবালাদির অলঙ্কার ধারিনী,
অষ্ট নাগ পরিবৃতা, উন্নত কুচ যুগল সম্পন্না ,
সর্পিণী , ইচ্ছা মাত্র রূপ
ধারিনী দেবীকে বন্দনা করি ।) ব্রহ্মবৈবর্ত্ত
পুরাণ, দেবী ভাগবত
পুরানে মনসা দেবীর লীলা ও ঘটনা বর্তমান ।
মহাভারতেও অল্প মনসা দেবীর প্রসঙ্গ
দেখা যায় । মঙ্গল কাব্য
বলে দেবী মনসা হলেন শিবের মানস কন্যা ।
তিনি আবার নাগরাজ বাসুকীর ভগিনী । পদ্ম পাতায়
দেবীর জন্ম বলে দেবীর নাম
পদ্মাবতী । নিজ
কন্যাকে কৈলাশে নিয়ে আসলে দেবী
পার্বতী স
করে মনসার একটি চোখ নষ্ট করে দেন ।
মহাদেব বুঝতে পারেন কৈলাশে থাকলে মনসার
বিপদ হতে পারে তাই তিনি মনসাকে দূরে রেখে
দিয়ে আসেন ।
নেতাই বা নেত্রী নামক এক দাসীকে মনসার
দেখভালের জন্য রাখেন । নেতাই আবার
স্বর্গের দেবতাদের কাপড় কাচেন ।
মানে ইনি ধোপা । দেবী ভাগবত পুরানে আবার
মনসাকে কশ্যপ মুনির কন্যা বলা হয়েছে ।
মহাভারত বলে মনসা দেবী বিবাহিতা । তাঁর
পতির নাম জগৎকারু । তাঁদের একটি পুত্র
সন্তান হয়, তাঁর নাম আস্তিক । একদা সামান্য
কারনে মুনি, মনসাকে পরিত্যাগ করেন । আবার
আস্তিকের প্রসঙ্গ মহাভারতে দেখা যায় ।
রাজা জনমেজয় সর্প নিধন যজ্ঞ আরম্ভ করলে
আস্তিক সর্প কূলের প্রান রক্ষা করেন । মনসা
নামের উৎপত্তি
= = = = = = = = ‘মনস’ শব্দের স্ত্রী লিঙ্গে
‘আপ’ প্রত্যয়
করে মনসা শব্দের ব্যুৎপত্তি । সুতরাং এই দিক
থেকে মনসা মনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ।
দেবী ভাগবত ও ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ পুরান
বলেন – সর্প ভয় থেকে মনুষ্য দের
উদ্ধারের
জন্য পরম পিতা ব্রহ্মা কশ্যপ মুনিকে বিশেষ মন্ত্র
বিশেষ বা বিদ্যা আবিস্কারের
কথা বলেন । হয়তো এখানে বিষের ঔষধ
আবিস্কারের কথা সেই সাথেও বলা হয় । কশ্যপ
মুনি এই বিষয় নিয়ে গভীর
ভাবে চিন্তা ভাবনা করছিলেন। তখন তাঁর মন
থেকে এক দেবীর সৃষ্টি হয়। তিনটি কারনে
দেবীর নাম হয় মনসা । সা চ কন্যা ভগবতী
কশ্যপস্য চ মানসী ।
তেনৈব মনসা দেবী মনসা বা চ দীব্যতি ।।
মনসা ধ্যায়তে যা চ পরমাত্মানমীশ্বর ম্ । তেন যা
মনসা দেবী তেন যোগেন দীব্যতি ।।
আত্মারামা চ
সা দেবী বৈষ্ণবী সিদ্ধযোগিনী ।
( দেবীভাগবত পুরাণ ) প্রথমতঃ মনসা কশ্যপ মুনির
মানস কন্যা ,
কেননা চিন্তা ভাবনার সময় মুনির মন
থেকে উৎপন্না । দ্বিতীয় মানুষের মন তদীয়
ক্রীড়া ক্ষেত্র , তৃতীয়তঃ নিজেও
মনে মনে পরমাত্মার ধ্যান করেন বলে
দেবীর
নাম মনসা । মন মানুষের শত্রু আবার মন মানুষের
মিত্র
হতে পারে । “মন এব
মনুষ্যানাং কারণং বন্ধমোক্ষয়োঃ।” মন
যদি শুদ্ধ , একাগ্র চিত্ত , নিজ বশীভূত , ভগবৎ
পরায়ণ হয়- ত সেই মন মোক্ষের কারন । তাই
এই মনকে ‘মিত্র’ বলা যাবে । কিন্তু মন যদি অশুদ্ধ,
চঞ্চল , ইন্দ্রিয় পরায়ণ , ভগবৎ
বিমুখ হয়- ত সেই মন নরক গমনের হেতু । এই
মন
হল শত্রু মন । কশ্যপ মুনি মানব কল্যাণের জন্য
ঔষধ আবিস্কারের কথা ভেবেছিলেন- তাই তাঁর
মন থেকে দেবীর সৃষ্টি হল । তাই শাস্ত্রের
এই
শিক্ষা যে, আমাদের সর্বদা কল্যাণকর , হিতকর,
ভগবানের কথা-
ইত্যাদি মনে ভাবনা চিন্তা করতে হবে ।

মঙ্গল কাব্যে মনসা
= = = = = = = মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম
সংযোজন
হল মঙ্গলকাব্য । চৈতন্য পূর্ব যুগেই এই মঙ্গল
কাব্য গুলি রচিত । মঙ্গলকাব্যে দেখা যায়
অবৈদিক দেব দেবী গণ নিজেদের মাহাত্ম্য
প্রচারে নিজেরাই মর্তে এসেছেন ।
ভক্তদের
পূজা নিচ্ছেন , ও তাঁদের সুখ ঐশ্বর্য দিচ্ছেন ।
এছাড়া দারিদ্রতার মাধ্যমে সেই সময়কার
বঙ্গদেশের আর্থিক অবস্থা, সংসারের অনটন ,
রাজকীয় প্রশাসন , বৈদিক – অবৈদিক দেব
দেবী গনের একটা সূত্র কাব্যে বর্তমান ।
‘মঙ্গল’ কথাটির ব্যাখা বা প্রয়োগ
নিয়ে গবেষক গণ বিভিন্ন মত পোষোন
করেন ।
মঙ্গল শব্দ টির আক্ষরিক অর্থ হল ‘কল্যাণ’ ।
কাব্যে যে দেবী মাহাত্ম্য চিত্রিত আছে-
তা পাঠ করলে অথবা শুনলে সংসারে মঙ্গল
হবে । নানা প্রকার অমঙ্গল দূর হবে, মানুষ
পাপমুক্ত হবে। এই মঙ্গল জনক ফল
পাওয়া যাবে । তাই ‘মঙ্গল”
শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে । আবার মঙ্গল
কাব্য গুলি এক মঙ্গল বারে পাঠ শুরু হতো- আবার
পরের মঙ্গলবারে পাঠ সমাপ্ত হতো- তাই
‘মঙ্গল’ শব্দ টির অবতারনা । আবার মঙ্গল নামক এক
বিশেষ রাগিনীর সুরে পাঠ
করা হতো বলে- ‘মঙ্গল’ শব্দ টির আগমন ।
আবার
উল্লেখ্য বিষয় মঙ্গল কাব্যের দেব দেবী
গণ
কেবল নিম্ন বর্ণের হিন্দু জাতির মধ্যেই
পূজা বেশী পেতেন । কিছু স্থানে হিন্দুদের
এই
দেব দেবীগণের পুজায় মুসলিম সম্প্রদায়ের
যোগদানের উল্লেখ দেখা যায় ।
তবে তা নিতান্তই অল্প। মনসা দেবী বা সর্প
দেবী হিসাবে পুজা বোধ
হয় বৌদ্ধ ধর্ম থেকে এসেছে । বৌদ্ধ গ্রন্থেই
সর্প দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায় । ‘বিনয়বস্তু’
ও ‘সাধনমালা’ নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে সর্পের
দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায় । এখানে সর্পের
দেবীর বর্ণনা আছে । ‘সাধনমালা’ গ্রন্থে সর্প
দেবীকে ‘জাঙ্গুলি’ বা ‘জাঙ্গুলিতারা’
বলে উল্লেখ করা আছে। প্রাচীন যুগে
সাপের
ওঝাকে বলা হতো জাঙ্গুলিক
( বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস- ডঃ অসিতকুমার
বন্দ্যোপাধ্যায়) । দক্ষিণ ভারতে দ্রাবিড় জাতির
অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘মঞ্চাম্মা’
বা ‘মনোমাঞ্চী’। পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন
শাস্ত্রীর মতে মঞ্চামা নাম থেকেই ‘মনসা’
নামের উৎপত্তি । আবার ডাঃ আশুতোষ
ভট্টাচার্য বৌদ্ধ সর্প দেবী জাঙ্গুলিকেই
‘মনসা’ বলে মানেন । তেঁনার মতে- “অত্যন্ত
প্রাচীনকাল হইতেই এই পূর্ব ভারতীয় বৌদ্ধ
সমাজে জাঙ্গুলীদেবীর পূজা প্রচলিত
হইয়া আসিতেছে । বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনার
সূত্র গ্রন্থ সাধনমালাতে এই জাঙ্গুলী দেবীর
পূজার প্রকরণ ও তাহার মন্ত্রের
সম্বন্ধে বিস্তৃত উল্লেখ আছে। তাহা হইতে
সহজেই অনুমতি হইতে পারে যে, এই
জাঙ্গুলীদেবী বর্তমানে সমাজে পূজিতা সর্প
দেবী । ” গবেষক দের মতে মনসা অনার্য
দেবতা, পরে আর্য দের পুরানে স্থান
পেয়েছেন
। গবেষকরা বলেন বঙ্গদেশ ছিল জঙ্গলে ভরা

সাপের উপদ্রব ছিল বেশী । বাংলা ছিল
কৃষি প্রধান । এই বিষাক্ত সাপেদের সাথেই
তাঁদের বসবাস ও দ্বন্দ্ব । একটি বিষাক্ত
প্রানী, যার ছোবোলেই মৃত্যু। তাই
মনসা পূজা বঙ্গদেশে বিশেষ প্রসার পায় । ত্রিপুরা,
ওড়িশা, আসাম , দুই বঙ্গ, বিহারে এই
পূজোর প্রচলন বেশী । হিমালয়ের
পাদদেশে জঙ্গলে ছিল সাপেদের অবাধ বিচরণ
ভূমি । মানুষের বসতি বাড়লো, সাপেদের
সাথে সংঘাত বাড়লো । প্রথমে নিম্ন জাতির
মধ্যে এই পূজোর প্রসার থাকলে কালক্রমে
ব্রাহ্মণ্য দেবী হয়ে ওঠেন
মা মনসা । চাঁদ বেনে ও মা মনসা
= = = = = = = = = গবেষক গণ বলেন উচ্চ
সমাজে পূজো পাবার জন্য
মনসা চাঁদ বেনের কাছে পূজা চাইছিলেন ।
কিন্তু মনসামঙ্গল কাব্য বলে অন্য কথা । স্বর্গ
সভায় সমস্ত দেব দেবতার আসন আছে ।
সকলেই
স্বর্গে আসতে পারেন । কিন্তু মনসার কোন
আসন
নেই, তাঁর অধিকারও নেই স্বর্গে প্রবেশের ।
কারন মর্তে পূজা না পেলে স্বর্গে কোন
ভাবে আসন দেওয়ার নিয়ম নেই । আর
এক্ষেত্রে মা মনসাকে শর্ত দেওয়া হল- চম্পক
নগরের অধিপতি চাঁদ সদাগর ওরফে চাঁদ
বেনে যদি মনসার পূজো করেন, তবেই
পৃথিবীতে মনসা পূজোর সূত্রপাত হবে এবং
দেবী মনসা স্বর্গে এসে আসনে বসতে
। দেবী চাঁদের কাছে গিয়ে পূজা দেবার
কথা বললেন । কিন্তু মুস্কিল হল- চাঁদ
বেনে পরম শৈব । ভগবান শিব ভিন্ন
তিনি কারোর কাছেই মাথা নোয়ান না, কারোর
পূজো করেনও না । তিনি ত না করে দিলেন ।
মনসা দেবী ভয় দেখালেও চাঁদ বেনে
কোন
মতেই রাজী হলেন না । চাঁদের
স্ত্রী সনকা একদিন
গোপোনে মনসা পূজা করছিলেন ।
জানতে পেরে চাঁদ এসে পদাঘাতে ঘট
ভেঙ্গে ,
পূজার সামগ্রী সব নষ্ট করে স্ত্রীকে খুব
বকা ঝকা করে মনসা পূজো করতে মানা করলেন

ক্ষিপ্ত হয়ে দেবী মনসা চাঁদের সপ্ত
ডিঙ্গা ডুবিয়ে দিলেন । চাঁদের ছয়
ছেলেকে মেরে ফেললেন ।
মা মনসা চাঁদকে বললেন – পূজো দিলেই সব
ফেরত পাবে। কিন্তু চাঁদ দমল না। মনসা কে
নাগিনী, চেঙ মুড়িকানী,
কানী বলে গালাগালি দিয়ে ঘৃনা ভরে সেই
প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করলেন । চাঁদের
উক্তি – যেই হাতে পূজি আমি দেব শূলপাণি ।
সেই হাতে নাহি পূজি চেঙ মুড়িকানী ।। মনসা
দেবী পূজা নেবার জন্য অন্য উপায়
খুঁজতে লাগলেন । এর মধ্যে স্বর্গের এক
নর্তক
আর এক নর্তকী শাপভ্রষ্ট হয়ে মর্তে জন্ম
নিলেন । নর্তক অনিরুদ্ধ, লখিন্দর রূপে চাঁদ
সদাগরের স্ত্রী সনকার পুত্র রূপে জন্মালেন ।
আর নর্তকী উষা উজানী নগরে বনিক সায়
বেণের কণ্যা বেহুলা রূপে জন্মালেন ।
কালক্রমে এঁদের বিবাহ হল । চাঁদ জানতেন
মনসা আবার ছোবোল মারতে পারেন । তাই
বিশ্বকর্মা কে দিয়ে লোহার বাসর ঘর
বানালেন । বিশ্বকর্মা মনসার ক্রোধ
সম্বন্ধে ভালোভাবেই জানতেন । তিনি মনসা
দেবীর ইচ্ছামতো বাসর
ঘরে ছোট্ট একটি ছিদ্র রাখলেন ।
রাতে কালনাগিনী এসে লখিন্দরকে ছোবলে
মে
পরদিন কান্নার রোল উঠলো ।
মনসা চাঁদকে পূজা করতে বলেন । চাঁদ তখনও
মনসাকে গালাগালি করে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে
বললেন- কি করিব পুত্রে মোর কি করিব ধনে ।
না পূজিব পদ্মাবতী দৃঢ় কৈনু মনে ।। বেহুলা এর পর
কলার ভেলায় স্বামীর দেহ
নিয়ে স্বর্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ।
কারন মা মনসা তাঁকে স্বপ্নে বলেছিলেন
স্বর্গে গেলে লখিন্দর বাঁচবে । একসময়
ধোপানী নেতির
মাধ্যমে বেহুলা স্বর্গে গিয়ে নৃত্য করে
দেবতাদের প্রসন্ন করে বর দান স্বরূপ
স্বামীর প্রান চাইলেন ।
মা মনসা ফিরিয়ে দিলেন । একটি শর্তে । চাঁদ
যেন অবশ্যই মনসার পূজো করে।।
মনসা দেবী চাঁদের ছয় পুত্রের প্রান, সপ্ত
ডিঙ্গা , হারানো ধন সব ফিরিয়ে দিলেন । বাড়ী
এসে বেহুলা শ্বশুর চাঁদ
বেনেকে রাজী করালেন । চাঁদ বেনে বাম
হাত
দিয়ে পিছন ফিরে দেবী মনসার পূজা দিলেন ।
পৃথিবীতে মনসা পূজো শুরু হল । মহাসতী
বেহুলা
= = = = = = = সতী নারীর জীবন চরিত্র
নারীর কাছে আদর্শ
। যুগ যুগ ধরে এই
সতী নারীরা পৃথিবীতে এসেছেন ।
নারী দিগের কাছে চরিত্র, পতিব্রতার ধর্ম ,
আদর্শ গৃহস্থিনী , আত্ম ত্যাগ , বীরত্ব এর
দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন । অনুসূর্যার ঘটনা
আমরা পাই । নিজ সতীত্ব ধর্মে ত্রিদেব
কে শিশু করেছিলেন, , শকুন্তলা , দময়ন্তী ,
সীতা , রেনুকা, যম বিজেতা সাবিত্রী ,
সীতাদেবী। যারা যুগে যুগে নারী ধর্মের
স্থাপনা করেছেন নিজের জীবনে পালন
করে ।
মহাসতী বেহুলা তাঁর ব্যতিক্রম নয় । তিনি সতীত্ব
তেজে মৃত্যুর পর পার
থেকে স্বামীকে এনেছেন। মনসামঙ্গল
কাব্য
অনুসারে চাঁদ সদাগর যখন
বেহুলা কে লখিন্দরের বিবাহের জন্য
দেখতে গেছিলেন , তখন তিনি লোহার কলাই
সেদ্ধ করতে বলেছিলেন । বেহুলা করে
দেখিয়েছিলেন । কন্টকের ওপর
নৃত্য করেছিলেন । গাঙ্গুরে যখন
ভেলা ভাসালেন অনেক পাপী তাঁর রূপ
দেখে মত্ত হয়ে ধরতে এসেছিল । কিন্তু
বেহুলার সতীত্ব তেজ এমন- তাঁকে কেউ
স্পর্শ
করতে পারেনি । জীবিত দেহে স্বর্গে
প্রবেশ করে নৃত্য দ্বারা দেব দেবীদের
সন্তুষ্ট
করেছিলেন । তাই বেহুলা চরিত্র বঙ্গদেশ
তথা হিন্দু নারী গনের কাছে পরম আদর্শ ,
বরণীয়া ।

বিষহরী মা মনসা
= = = = = = = মা মনসার
স্তবে তাঁকে বিষহরী বলা হয়েছে ।
তিনি বিষ হরণ করেন । বর্ষাকালে পথ ঘাট
জলে জলমগ্ন । ব্যাঙ্গের প্রাদুর্ভাব ও
তার সাথে সর্প কুলের আনাগোনা । এখনও
দেশে সর্পাঘাতে মারা যান মানুষ । তাই এই সর্প
কূলের থেকে বাঁচবার জন্য
মা একমাত্র গতি । তিনি বিষাক্ত ফনীদের
বিষ থেকে রক্ষা করবেন সন্তান দের ।
পূর্বেই বলা হয়েছে কশ্যপ মুনি সাপের
বিষের প্রতিষেধক আবিস্কারের সময় মনের
থেকেই মা মনসার সৃষ্টি । এর
থেকে অনুমান করা যায় প্রাচীন কাল
থেকেই ভারতবর্ষে ঋষি সমাজে সর্প বিষের
ঔষধের উপাদান ছিল । সে মন্ত্র, ঔষধি, ক্রিয়া , দৈব
– এই চারটি বিষয়ের ওপর
নির্ভরশীল ছিল । এগুলোর
সাথে যদি মা মনসার কৃপা পাওয়া যেতো,
তবেই কাজে লাগতো ।
পুন্যভূমি ভারতবর্ষে কোন কাজই
ভগবানকে বাদ রেখে হয় না, সে কারিগরি ,
চিকিৎসা, প্রযুক্তি যাই হতো । সাপের
বিষের চিকিৎসায় অবশ্যই মা মনসার নাম
নিয়ে শুরু হতো । তাই
মা মনসাকে বিষহরী বলা হয় । কারন মায়ের
কৃপাতেই বিষ দূর হবে ঔষধ কাজ শুরু
করবে । মা মনসার কাছে অষ্টনাগ থাকে । এগুলির
নাম অনন্ত, বাসুকি, পদ্ম,
মহাপদ্ম, তক্ষক, কুলীর, কর্কট ও শঙ্খ ।
সে জন্যই নাগেশ্বরী মা মনসার শরণ
নিলে নাগভয় থাকে না । শুধু কি সাপের বিষই বিষ ?
এর থেকেও বড়
বিষ আমাদের অন্তরে । স্বার্থপরতা ,
কাপুরুষতা , হিংসা , গর্ব , কুবুদ্ধি ।
এগুলো সাপের বিষের থেকে কম ভয়ানক না ।
কশ্যপ মুনি মানব কল্যাণের জন্য ঔষধের
আবিস্কারের কথা ভাবছিলেন – তখন তার মন
থেকে দেবীর সৃষ্টি ।
তাহলে আমরা যদি মনে সর্বদা সুবুদ্ধি ও
কল্যাণকর চিন্তা রাখি তাহলে আমরা আরও
ঈশ্বরের কাছে এগিয়ে যাবো । তাই মায়ের
কাছে প্রার্থনা তিনি যেনো অন্তর থেকেও
এই বিষ হরণ করেন । নাগবেষ্টিতা মনসা মা
= = = = = = = = নাগের সাথে যোগের
অনেক সম্পর্ক আছে ।
নাগ গণ একচারী, অনিকেত, সাবধান ও গর্ত
বাসী । শীতের কটি মাস তারা কেবল বায়ূ
ভক্ষণ করে বা সামনাসামনি যা আসে তাই
খায়। সর্পের মতো জীবন যোগীদেরও
দেখা যায় । যোগীরা ঘর বাঁধেন না। পাহাড়ের
গুহায় বা অরন্যে বাস করেন ।
কুম্ভক যোগে প্রানবায়ু নিরোধ
করে যোগবলে ঘুমন্ত
কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরণের জন্য তপ
রত। জাগ্রত অবস্থায় এই
কুন্ডলিনী শক্তি তির্যক ঊর্ধ্ব মুখী। পুরান
বলেন দেবী মনসা মহা যোগিনী,
অনিমাদি যোগসিদ্ধ নিত্য বর্তমান ।
মা মনসা যোগবলে ইচ্ছা মতন রূপ ধারন
করতে পারেন । সর্প হল যোগের প্রতীক ।
মনসার দীক্ষা গুরু হলেন মহাদেব ।
মহাদেব মা মনসাকে কৃষ্ণ মন্ত্রে দীক্ষা
দিয়েছেন । মা মনসার
গুরুও সর্প মাল্য গলাতে ধারন করেন । এই
মহাযোগের প্রতীক স্বরূপ মা সর্প
ভূষিতা । জ্ঞান- শক্তি- ভক্তি- যোগের সমন্বয়
মা মনসা
= = = = = = = = = = = = = = = = = = মনসা
দেবীর স্তোত্রে বলা হয়েছে –
জগৎকারুজগদগৌরী মনসা সিদ্ধযোগিনী ।
বৈষ্ণবী নাগভগিনী শৈবী নাগেশ্বরী তথা
জগৎকারুপ্রিয়াস্ তিকমাতা বিষহরীত চ । মহাজ্ঞানযুতা
চৈব
সা দেবী বিশ্বপূজিতা ।।
দ্বাদশৈতানি নামানি পূজাকালে য
যঃ পঠেৎ ।
তস্য নাগভয়ং নাস্তি তস্য বংশোদ্ভবস্য
চ ।। ( অর্থাৎ- জগতকারু, জগদগৌরী, মনসা,
সিদ্ধ যোগিনী , বৈষ্ণবী , নাগভগিনী।
শৈবী, নাগেশ্বরী , জগতকারুপ্রিয়া ,
আস্তীক মাতা, বিষহরী ও মহাজ্ঞান যুতা-
এই দ্বাদশ নামে দেবী খ্যাতা ও বিশ্ব
পূজিতা। পূজাকালে এই নামাবলী যিনি পাঠ করেন, তাঁর
বা তার বংশধর গনের কখনো সর্প
ভয় থাকে না । ) পূর্বে বলা হয়েছে মনসা
দেবী হলেন মনন
শক্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী-
তিনি মনো ময়ী । মনের সাহাযেই বিচার
করে আমরা জ্ঞান কে আবিস্কারের
কাজে লাগাই । মনে আবিস্কারের চিন্তা,
একাগ্রতা – ফল স্বরূপ আবিস্কার । যোগ বিধৃত মন
শক্তির আধার । মনসা মনের
দেবী বলে জ্ঞান ও শক্তি দুই
তাতে রয়েছে । মা মনসার অপর একটি ধ্যান মন্ত্র
অনুসারে বলা হয়- শ্বেতচম্পকবর্ণা
ভাং রত্নভূষণভূষিতাং । বহ্নিশুদ্ধাং শুকাধানাং
নাগযজ্ঞোপবীত ং ।। মহাজ্ঞানযুতাঞ্চ ৈব প্রবরাং
জ্ঞানিনাং সতাম্ ।
সিদ্ধাধিষ্ঠাতৃদ েবীঞ্চ সিদ্ধাং সিদ্ধিপ্রদাং ভজে ।।
( এর অর্থ- যার অঙ্গ বর্ণ শ্বেত চম্পকের
মতো শুভ্র, যিনি বহু মূল্যবান রত্ন
ভূষনে ভূষিতা, যনি অগ্নির ন্যায় শুদ্ধ
বসন পরিহিতা , যিনি নাগ রূপ উপবীত ধারন
করেন, যিনি মহাজ্ঞান
যুতা এবং জ্ঞানী সাধু দিগেরও বরণীয়া , যিনি
সিদ্ধাধিষ্ঠিাত্
রী এবং সিদ্ধি প্রদা, সেই
দেবীকে ভজনা করি । ) মা মনসার এই ধ্যান
মন্ত্রে মাকে ‘অরুনিতবসনা’
এবং তিনি ‘শ্বেতচম্পকবর্ণ াভা’ বলা হয়েছে ।
অর্থাৎ মায়ের পরিহিত
বস্ত্র রক্ত বর্ণ , এবং মায়ের অঙ্গ
শ্বেত বর্ণ । রক্ত বর্ণ শক্তির প্রতীক
(সে জন্য শক্তি উপাসক ও সাধিকা গণ রক্ত
বর্ণ বস্ত্র পড়েন )। আর শ্বেত বর্ণ
জ্ঞানের প্রতীক ( মা সরস্বতী জ্ঞানের
দেবী, তাই তিনি শ্বেত বস্ত্র পড়েন) ।
যোগিনী রূপে তিনি কুল
কুন্ডলিনী ভেদিকা – শক্তির
সাধিকা ( শক্তির সাধক গণ কুল
কুণ্ডলিনীর জাগরণের সাধনা করেন) । নাগ
যজ্ঞ পবীত ধারিনী ।নাগ হল কুন্ডলিনী শক্তির
প্রতীক।
এখানে মা মনসার
যোগিনী রূপটি ফুটে ওঠে । তিনি জ্ঞানের
অধিকারিনী- তাই জ্ঞানী সাধু গণ
মাকে বন্দনা করেন । আবার তিনি শিবের
শিষ্যা । যেহেতু মহাদেব মা মনসাকে কৃষ্ণ
মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন । শিবের
শিষ্যা শৈবী রূপে তিনি পরম বৈরাগ্য
ময়ী । মহাদেবের শিষ্যা রূপে তিনি সর্ব
ত্যাগ ময়ী- ত্যাগের আদর্শ , চির সুন্দর,
যোগেশ্বরী । আবার তিনি কৃষ্ণ মন্ত্রে
দীক্ষিতা ।
তিনি বৈষ্ণবী রূপে ভক্তির আদর্শ ।
সুতরাং মনসা দেবীর কাছে শুধু নাগ
বিষের জ্বালা নিবারন চাইবো না ।
চাইবো অন্তরের কুটিলামি বিষ, সংসারের
ত্রিতাপ জ্বালার নিবারন । হংস কেন মা মনসার বাহন ?
= = = = = = = = = = = = = সরস্বতীর বাহন হংস
, মা মনসার বাহন হংস
। পূর্ব
সিদ্ধান্তে দেখতে পারি তিনি জ্ঞানদা ম
শ্বেত বর্ণ জ্ঞানের প্রতীক । হংসের
বর্ণ শ্বেত । তাই সে মায়ের বাহন । হংস
জলে স্থলে অবাধে যেতে পারে । আবার
এক শ্রেনীর হংস উড়তে সক্ষম । জ্ঞান, কর্ম,
ভক্তি, যোগ- যেই অবস্থার হোক না কেন-
সাধক মাত্রের তিনটি অবস্থা-
সাধনাবস্থা, সিদ্ধাবস্থা ও
মুক্তাবস্থা । কথিত আছে হংসকে জল ও দুধ
মিশিয়ে দিলে সে জলের থেকে কেবল দুধ
টুকুই গ্রহণ করে, তেমনই সাধক সংসার
থেকে অসার কে ত্যাগ পূর্বক সার কেই
গ্রহণ করে । যোগীর বিচারে আত্মা,
ভক্তের বিচারে ভগবান, জ্ঞানীর
বিচারে পরম ব্রহ্মই একমাত্র নিত্য-
বাকী সব অনিত্য । হংস যেরূপ জল ত্যাগ করে
দুধ গ্রহণ করে তেমনই জ্ঞানী গণ
অসার ত্যাগ করেন , অনিত্য কে ত্যাগ
করে নিত্য লাভের পথে অগ্রসর হন । এদিক
থেকে হংস সেই মহা যোগ ময়ী দেবীর
বাহন
হবার যোগ্য । হংস জল স্থল অন্তরীক্ষ সর্বত্র
যেতে পারে, তেমনই সাধক সিদ্ধ অবস্থায়
এমন উদারতা অর্জন করে যে তিনি সর্ব
ভূতে ঈশ্বরকে দেখেন । সিদ্ধ সাধকের মন
ভেদ গণ্ডির মধ্যে থাকে না , তার
উদারতা সর্বত্রই একই ভাবে গতিমান , ঠিক যেমন
হংসের সর্বত্র গতি।
কুণ্ডলিনী শক্তির ভেদিকা মায়ের
যথার্থ বাহন হিসাবে হংস এদিক
থেকে মানান সই । উপনিষদের বানী হল হংস হল
পরমাত্মার
প্রতীক । তত্ত্বসম জ্ঞান-অহং স: জপের
দ্বারাই তাঁরা পরমহংস হন। হাঁস
মনসা মায়ের বাহনরূপে নির্ধারিত
হয়েছে হাঁসের যোগ্যতার কারণেই ।

পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র :এষ সচন্দনগম্ধপুষ্পাঞ্জলি ওঁ মং মনসাদের্য নমঃ | ৩ বার
প্রণাম: ওঁ অযোনিসম্ভবে মার্তমহেশ্বরসুতে শুভে ৷ পন্মালয়ে নমস্তূভ‍্যং রক্ষ মাং বৃজিনার্ণবাৎ। আস্তিকস্য মুনের্মাতা ভগিনী বাসুকেস্তথা।জরৎকারুমনেঃ পত্নী মনসাদেবী নমোহস্তূতে | বিসর্জনঃ সংহার মুদ্রা দেখিয়ে বলবেন, "মনসাদেবী ক্ষমস্ব"

[6/3, 16:06] Acharya Kush Mukherjee: ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180914134933

Thursday, September 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বহুস্ত্রী যোগ(সম্ভোগ যোগ)

সুপ্রভাত বন্ধুরা
আজকে আমি একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ যোগ নিয়ে আলোচনা করছি, যা দাম্পত্য জীবনে অশুভ প্রভাব ফেলে।
বহু স্রী যোগ (সম্ভোগ যোগ)

যদিলগ্নপতি ও সপ্তমপতি জন্মকুণ্ডলীতে একত্রে অবস্থিত হয়অথবা পাপ গ্ৰহ যুক্ত হয়ে পরস্পরের প্রতি পুর্ণ দৃষ্টি প্রদান করবে তবে বহু স্রীযোগ সূচিত হবে৷
ফলাফল :
এরূপ যোগ জন্মকুন্ডলী তে দেখা গেলে, জাতক-জাতীকা একাধিক অবৈধ যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হবে৷

মন্তব্য
মানুষের যৌন জীবন বিচিত্র ।এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন ব‍্যক্তি রয়েছেন যারা একই নারীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়ে সুখী হয় না, বর্তমানে হিন্দু আইন অনুযায়ী বহু বিবাহ অবৈধ হলেও---একই পুরুষ বহু নারীর সঙ্গে অবৈধ গঠন সংসর্গে অবশ্যই লিপ্ত হতে পারেন৷এই যোগ নারীদের ক্ষেত্রে এক ই ভাবে প্রযোজ্য, (শুধু শুক্র - চন্দ্র যুক্ত হয়ে এই যোগ সূচীত করলে তার পরিনাম অত্যন্ত অশুভ।যা সাধারণ তো কুন্ডলী তে কম দেখা যায়)।নিচে চার্ট দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

জাতকের তুলালগ্নে জন্ম | সপ্তমপতি এবং লগ্নপতি শুক্র-- পরস্পরের প্রতি পূর্ণদৃষ্টি প্রদান করছেন এবং অধিকান্ত মঙ্গল রাহুর সঙ্গে সহাবস্থান সম্বন্ধে আবদ্ধ এবং লগ্নপতি শুক্র কেতুর সঙ্গে সহাবস্থান সম্বন্ধে আবদ্ধ! তাছাড়া সপ্তমপতি মঙ্গল শনির দ্বারা পূর্ণদৃষ্টি ও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ । সুতরাং এরপ বহু নারীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হবে।

প্রতিবিধান:১)নীল চন্দ্র কান্ত মনি ১০রতি লকেট করে ধারন করবেন।
২)ভূবনেশ্বরীর বীজমন্ত্র (যন্ত্রমেরসামনে)প্রতিদিন সন্ধ্যায় ১০৮বার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ঔঁ শাং মাতা ভবনেশ্বরী।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180913081204

Wednesday, September 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গনেশ চতুর্থী ও গনেশ বন্দনা

গনেশ চতুর্থী ও গনেশ বন্দনা

শুভ সন্ধ‍্যা
আগামী বৃহস্পতিবার গনেশ চতুর্থী।আজকের বিষয়,সিদ্ধীদাতা গনেশ, তার বন্দনা ও সিদ্ধীবিনায়কের পাঁচটি মহাশক্তি মন্ত্র।

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।

গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্র অনুষ্ঠিত হলেও এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভারতের বাইরে নেপালে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন করে থাকেন।

সনাতন ধর্মালম্বীদের আরাধ্য গণেশের জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর প্রথম পুজো হওয়া পর্যন্ত এমন বহু ঘটনা রয়েছে, যা আমাদের অনেকের অজানা। অনেকে ডাকেন গণপতি নামে, অনেকে ডাকেন গণেশ, অনেকে ডাকেন বিনায়ক নামেই ৷

আগে জেনে নেওয়া যাক গণপতি গণেশের জন্মের কাহিনি। কথিত আছে, উবটন দিয়ে একটি বালকের মূর্তি তৈরি করেন মাতা পার্বতী। এর পর তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। জীবনদানের পর ওই বালককে নিজের পুত্র স্বীকার করেন মাতা পার্বতী। শুধু তাই নয় পরম শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হওয়ারও আশীর্বাদ দেন তাকে। যে সময় গণেশের জন্ম হয়, তখন দেবাদি দেব মহাদেব কৈলাশে ছিলেন না।

কৈলাশ ফেরার পর গুহদ্বারে একটি বালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সেই গুহাতেই ছিলেন পার্বতী। মা-এর আদেশ মেনে শিবকে ওই গুহায় প্রবেশ করতে দেননি গণেশ। ফলে গণেশের ওপর রেগে যান মহাদেব। এর পরই দেবতাদের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধ বাধে। একে একে সমস্ত দেবতাই গণেশের শক্তির সামনে পরাজিত হন। এর পর ত্রিশূল দিয়ে নিজের অজান্তেই পুত্র গণেশের শিরোচ্ছেদ করেন মহাদেব।

পুত্র গণেশের মৃত্যুতে ক্রুদ্ধ পার্বতীকে শান্ত করতে অবশেষে পুত্র গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দেন মহাদেব। হাতির মাথা ওই বালকের দেহে যুক্ত করা হয়।

জন্মের কিছু সময় পর পিতার সঙ্গে যুদ্ধ এবং তার পর প্রথম পূজ্যের আসন লাভ করেন তিনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্ম সময়ের কারণ।

শাস্ত্র মতে, ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম হয়। তাই শাস্ত্রে ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনই সর্বত্র গণেশ চতুর্থী পালিত হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে চতুর্থীকে রিক্তা তিথি বলা হয়েছে, সে দিন কোনও শুভ কাজ হয় না। কিন্তু সে দিনই গণেশের জন্মদিন হওয়ায় চতুর্থীতে রিক্তা তিথির দোষ গ্রাহ্য করা হয় না। তাই সমস্ত শুভ কাজ করা যায়। গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশি রয়েছে এবং মঙ্গল বিরাজ করছে।

লগ্নস্থানে শনির পূর্ণদৃষ্টি রয়েছে। আবার সূর্যের ওপর শনির দৃষ্টি থাকার ফলেই বাবার হাতে পুত্রের শিরোচ্ছেদ হয়।

গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্ন এবং লগ্নেশে বৃহস্পতির পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। বৃহস্পতি দ্বিতীয় এবং পঞ্চম গৃহের স্বামী। অন্য দিকে বুধও স্বরাশির। এ কারণে গণেশ বুদ্ধি এবং জ্ঞানের দাতা এবং প্রথম পূজ্য।

গণেশের কুষ্ঠিতে পঞ্চমহাপুরুষ যোগের মধ্যে শশ এবং রুচক নামের যোগ তৈরি হয়। দসমেশ নিজের গৃহে রয়েছেন, তাই গণেশ শিবের গণের অধ্যক্ষ। তিনি গণাধ্যক্ষ নামেও পরিচিত।

গণেশের অপর নাম বিঘ্নহর্তা। কারণ তিনি সমস্ত ধরনের বিঘ্ন-বাধা দূর করেন। লগ্নে অবস্থিত মঙ্গলে শনি এবং বৃহস্পতির দৃষ্টির কারণে তিনি এই ক্ষমতা পান।

সিদ্ধিদাতা শিব গৌরী পুত্র গণেশ মহারাজ ছিলেন
বুদ্ধিতে সুনিপুণ । পুরাণ গুলিতে এমন বহু ঘটনা আছে
এক সময়ের কথা , মাতা উমা ঠিক করলেন দুই
পুত্রের বিবাহ দেবেন । সেইমতো শর্ত
হোলো যে আগে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা
করে আসতে পারবে তার বিবাহ অগ্রে দেওয়া
হবে । এই শুনে কুমার স্কন্দ, তাঁর বাহন ময়ূরে
চেপে পৃথিবী পরিক্রমা করতে বের হলেন।
গণেশ মহারাজ চিন্তায় পড়লেন। তাঁর বাহন মূষিক।
মূষিকে চেপে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা করতে
কয়েক যুগ চলে যাবে। মঙ্গলমূর্তি গণেশ জী
তখন শিব পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে
বললেন- “পিতা মাতা। আমার পৃথিবী পরিক্রমা হয়ে
গেছে ।” হরগৌরী আশ্চর্য হয়ে বললেন-
“সেকি? তুমি তো পরিক্রমা করতে গেলেই না,
কিভাবে পরিক্রমা হোলো?” বক্রতুণ্ড গজানন
বললেন- “পিতামাতাই সন্তানের কাছে ভগবান, পিতামাতাই
সন্তানের কাছে জগত। তাই আপনাদের পরিক্রমা
করে আমার জগত পরিক্রমা হয়ে গেছে।”
হরগৌরী বুঝলেন সিদ্ধিদাতার বুদ্ধি তীব্র। রিদ্ধি ও
সিদ্ধি নামক দুই কন্যার সাথে গণেশের বিবাহ দিলেন।
গণেশের দুই পুত্র ও এক কন্যা। পুত্রদের নাম শুভ
ও লাভ, কন্যার নাম সন্তোষী । পুরানে এমন ঘটনা
বেদব্যাস লিখেছেন যাতে আমরা পিতামাতার সেবা
করি ।
গণেশের আর এক বুদ্ধি । মূষকরাজ নামক এক অসুর
ছিলেন । তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বর্গচ্যুত
দেবতারা কৈলাসে এসে ভগবান শিবের কাছে সকল
বৃতান্ত বললেন। ভগবান শিবের নির্দেশে গণেশ
অসুরপুরী আক্রমণ করে অসুর নিধন শুরু করলেন
। মূষকরাজ যুদ্ধে আসলে গণেশ জী চাতুরী
দ্বারা তাকে মূষিকে পরিণত করে বিশাল দেহ নিয়ে
মূষিকে বসলে , মূষকরাজের দফারফা শেষ হতে
লাগলো। মূষকরাজ ক্ষমা চাইলে গণপতি বর দিয়ে
বললেন- “আজ থেকে তুমি আমার বাহন, তুমিও আমার
সাথে পূজা পাবে। তোমার স্কন্ধে আমি ক্ষুদ্র
পুষ্পসম ওজন পরিগ্রহ করে অধিষ্ঠান করবো। তখন
তোমার কষ্ট হবে না।” ভিন্ন মতে স্বর্গের
কোনো এক গন্ধর্ব কোনো মুনি শাপে
মূষিকে রূপান্তরিত হয়ে সেই মুনির আশ্রমে তাণ্ডব
আরম্ভ শুরু করে। তখন মুনির প্রার্থনায় গণেশ
মহারাজ প্রকট হয়ে সেই মূষিক কে বাহন বানান ।
একদিনের ঘটনা। গজানন মূষিকে অধিষ্ঠান করে
যাচ্ছিল্লেন। পথে মূষিকের শত্রু এক নাগ কে
দেখে মূষিক ভীত হয়ে হঠাত থেমে গেলে
আচমকা গণেশ জী মূষিক থেকে পড়ে যান।
সেসময় চন্দ্রদেব গণেশ জীর স্থূল দেহ ও
হস্তীমুখ নিয়ে ব্যাঙ্গ করলে গণেশ জী
চন্দ্রদেবকে অভিশাপ করেন । পরে চন্দ্রদেব
গণেশ জীর আরাধনা করে শাপ থেকে মুক্তি পান
। ভাদ্রমাসের নষ্টচন্দ্র দিন চন্দ্র দর্শন করলে নাকি
সেই অভিশাপ লাগে বলে পুরাণে লেখা। বলা হয়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেইদিন চন্দ্র দর্শন
করেছিলেন, এরপর মণি অপহরণের ঘটনা ঘটে। যাই
হোক ব্যাস মুনি পুরানে আমাদের এই শিক্ষা
দিয়েছেন যে কারোর দেহ দেখে তাকে
ব্যাঙ্গ উপহাস করতে নেই। ভাদ্র মাসের নষ্টচন্দ্র
দর্শন তিথিতে চন্দ্র দর্শন করলে পরদিন প্রভাতে
গণেশ জীকে দূর্বা দ্বারা পূজা করতে হয়- নচেৎ
সেই শাপ লেগে যায় বলে পুরাণে লেখা ।
একদা কুবের নিজ দর্প প্রদর্শনের জন্য গর্বে
বুক ফুলিয়ে কৈলাসে শিব কে নিমন্ত্রণ করতে
আসেন । ভগবান শিব অন্তর্যামী । তিনি কুবের কে
শিক্ষা দেবার জন্য গণেশ কে পাঠালেন । গণেশ
এসে কুবের মহলে গ্রেগ্রাসে এত খাবার
খেতে লাগলেন, যে কুবের ভবন খাদ্যশূন্য
হোলো। কুবের এসে মহাদেবের কাছে ক্ষমা
চাইলে মহাদেব গণেশ কে ফিরিয়ে আনলেন। এই
জন্য কদাপি গর্ব করা উচিৎ নয় । একবার কৈলাসে সমস্ত
দেবতা ও ত্রিদেব ত্রিদেবী উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন না শুধু গণেশ । সেসময় সিন্দুর নামক এক
অসুর এসে সমগ্র কৈলাস কে হাতে তুলে সমুদ্রে
নিক্ষেপ করতে চাইলেন। ভগবান শিব ভাবলেন
কপাল নয়ন অগ্নি দিয়ে সেই অসুরকে ভস্ম
করবেন । কিন্তু ভাবলেন অসুরের হাতে সমগ্র
কৈলাস। এই মুহূর্তে অসুরকে ভস্ম করা উচিৎ না । উপায়
না দেখে গণেশ কে স্মরণ করলেন। গণেশ
এসে তাঁর দন্ত দিয়ে সিন্দুর অসুরকে টুকরো
করে দিলেন । মহাভারত এর লেখক ছিলেন গণেশ
। ব্যাসদেব শ্লোক বলতেন , গণেশ মহারাজ তাঁর
দন্ত ভেঙ্গে কলম বানিয়েছিলেন সেটা নিয়ে
লেখতেন । গণেশ জীর যে হস্তীমুণ্ড সেটা
ঐরাবত হস্তীর মুণ্ড। দুর্বাসা মুনির অভিশাপে
ঐরাবতের ওরকম হয়েছিলো। তবে মুণ্ড কাটার পর
ঐরাবত মরে নি। দুর্বাসার আশীর্বাদে ঐরাবতের
একটি মুণ্ড গজিয়েছিলো । গণেশ জী মঙ্গল
মূর্তি। নতুন ব্যবসা, নতুন কিছু কেনা বা গৃহ নির্মাণের
আগে বা যেকোনো পূজায় অগ্রে গণেশের
পূজা করা উচিৎ । যাত্রা কালে গণেশ নাম উচ্চারন
করলে যাত্রা নিস্কণ্টক হয় । গণেশ পূজায় চতুর্বিধ
ফল লাভ, গ্রহ দোষ খণ্ডন ও সুখ, সমৃদ্ধি, আয়ু, যশ,
মান, অর্থ, সম্পদ প্রাপ্তি হয় । এজন্য ভারতের
সিনেমা নির্মাতা তথা মুম্বাই তে গণেশ পূজার এত ঢল।
কালক্রমে গোটা দেশে বিস্তৃতি হয়। আগামী কাল
গণেশ চতুর্থী, গণেশের আবির্ভাব তিথি । আসুন
গণেশ জীকে প্রনাম জানিয়ে বলি-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।।
প্রাতঃ স্মরামি গণনাথমণাথবন্ধুং
সিন্দুরপুরপরিশোভিতগণ্ডযুগ্মম্ ।
উদ্দণ্ডবিঘ্নপরিখণ্ডনখণ্ডনচণ্ড-
মাখণ্ডলাদিসুরনায়কবৃন্দ্যবন্দ্যম্ ।। ১
প্রাতর্ণমামি চতুরাননবন্দ্যমান-
মিচ্ছানুকূলমখিলঞ্চ বরং দদানম্ ।
তং তুন্দিলং দ্বিরসনাধিপযজ্ঞসূত্রং
পুত্রং বিলাসচতুরং শিবয়োঃ শিবায় ।। ২
প্রাতর্ভজাম্যভয়দং খলু ভক্তশোক-
দাবানলং গণবিভুং বরাকুঞ্জরাস্যম্ ।
অজ্ঞানকাননবিনাশনহব্যবাহ-
মুৎসাহবর্ধনমহং সুতমীশ্বরস্য ।। ৩
শ্লোকত্রয়মিদং পুণ্যং সদা সাম্রাজ্যদায়কং ।
প্রাতরুত্থায় সততং প্রপঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।। ৪
বঙ্গানুবাদ- যিনি অনাথবন্ধু, যাঁহার গণ্ডদ্বয়
সিন্দুরস্রোতে পরিশোভিত, যিনি প্রবল বিঘ্নের
বিনাশক প্রচণ্ড দণ্ডস্বরূপ , যিনি ইন্দ্র প্রভৃতি
দেবনায়কগণের দ্বারা পূজিত , সেই গণেশকে
আমি প্রাতঃকালে স্মরণ করি । ১ যিনি ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত
এবং ইচ্ছানুযায়ী অখিল বর দান করেন, যিনি স্থূলোদর
, বাসুকিনাগ যাঁগার যজ্ঞোপবীত, যিনি বিলাস নিপুণ, আমি
শিবদুর্গার সেই পুত্রকে মঙ্গলের নিমিত্ত
প্রাতঃকালে প্রনাম করি । ২ যিনি অভয়দাতা, যিনি
ভক্তগণের শোকদহনকারী দাবাগ্নিস্বরূপ , যিনি
অজ্ঞানরূপ বনের বিনাশক অগ্নিস্বরূপ এবং
উৎসাহবর্ধক, সেই মহেশ্বর- পুত্রকে আমি
প্রাতঃকালে ভজনা করি । ৩ এই পুণ্য শ্লোকত্রয়
সর্বদা সাম্রাজ্যদায়ক; পুরুষ ইহা প্রাতঃকালে
গাত্রোত্থান করিয়া সর্বদা ভক্তিসহকারে পাঠ করিবে

শভ রাত্রি
গনেশ মন্ত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ...
* ধ্যান মন্ত্র -
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং গনপতিং বিদ্যুদ্বর্ণং গজাননং ।
শ্বেতাম্বরং সিতাব্জস্থং স্বর্ণমুকুট শোভিতম্ ।।
শ্বেতমূষিক পৃষ্ঠন্যস্তবামচরনং সিদ্ধিদং ।
বামজান্বারোপিতদক্ষিনপদং চতুর্ভুজম্ ।।

অর্থাৎ যিনি বিদ্যুবর্ণ, গজানন, শ্বেতবস্ত্র পরিহিত, শ্বেতপদ্মে অবস্থিত, মাথায় স্বর্ণমুকুট শোভাস্থিত, যাহার বামচরন শ্বেতমূষিকের পৃষ্ঠে রাখা এবং বাম পা হাটুর ওপর অবস্থিত । যিনি সিদ্ধিদাতা ও চতুর্ভুজ , বাম দিকের দুই হাতে শঙ্খ ও চক্র, ডান দুই হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারনকারী সেই সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশকে আরাধনা করি ।

* প্রনাম মন্ত্র -
ওঁ সর্ব্ববিঘ্ন বিনাশয় সর্ব্বকল্যান হেতবে ।
পার্ব্বতী প্রিয় পুত্রায় গনেশায় নমো নমঃ ।।

** ভগবান শ্রীগনেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শুভ ও দ্রুত ফল প্রদানকারী মন্ত্র নিচে দেওয়া হল, সাধ্যমতে শুদ্ধচারে জপ করলে অবশ্যই মনমতো ফল পাওয়া যায় ।

১. বিদ্যায় সফলতার জন্য - ওঁ গং গনপতেয় নমঃ
প্রতিদিন ২৮ বার করে জপ করতে হবে।
২. তন্ত্র- মন্ত্রের বিপরীত ক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের জন্য- ওঁ হস্থিপিশাচিনিখে স্বাহাঃ ।
(এই মন্ত্র চলাফেরার সময় বা বসে জপ করা যেতে পারে। এঁটো মুখে জপ করলে বেশি তাড়াতাড়ি কাজ দেয় ।
৩. আর্থিক উন্নতির জন্য - ওঁ বক্রতুন্ডায় হুং ।
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )
৪. ঋনমুক্তির জন্য - ওঁ গনেশ ঋনং ছিন্দিং বরেন্যং হুং ফট্ নমঃ ।
( প্রতিদিন ধুপ জ্বেলে ১০৮ বার করে জপ )
৫. সর্ব্ব বশীকরনের জন্য- " ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গং গনপতয়ে বর বরদ সর্ব্বজনং মে বশ মানায় স্বাহা "
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :wwগনেw.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180912092819

Tuesday, September 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মতিভ্রম্ যোগ

শুভ সন্ধ‍্যা সকল বন্ধুরা
আজ আমি জোতিষ শাস্ত্রের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যোগ নিয়ে আলোচনা করছি।
মতিভ্রম যোগাদি
সংজ্ঞা (১)বৃহস্পতি লগ্নে এবং মঙ্গল লগ্নের সপ্তমে অবস্থিত হলে---মতিভ্রম যোগ
সূচিত হবে৷
সংজ্ঞা (২) ; শনি লগ্নে অবস্থিত হলে এবং মঙ্গল লগ্নে পঞ্চমে, সপ্তমে বা নবমে অবস্থিত হলে---মতিভ্রম যোগ সূচিত হবে৷

সংজ্ঞা (৩) ক্ষীয়মান চন্দের সঙ্গে শনি লগ্নের দ্বাদশে অবস্থিত হলে মতিভ্রম যোগ সূচিত হবে ।
সংজ্ঞা (৪) ;
চন্দ্র এবং বুধ লগ্নের কেন্দে অবস্থিত হয়ে অপর কোনো গ্রহের সঙ্গে যুক্ত বা অপর কোনো গ্রহ দ্বারা পূর্ণদৃষ্ট হলে---মতিভ্রম যোগ সূচিত হবে!
ফলাফল
১)এরূপ জাতক উন্মাদ হয়ে থাকে৷

২)মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে---উন্নতি লাভ করা স্বাভাবিক হবে না বরং উন্নতি ব্যাহতই (বাধাপ্রাপ্ত) হয় ৷
৩)অনিদ্রা জনিত কারনে,পরিবারের সদস‍্যদের সঙ্গে অশান্তি করেন

এই রকম হলে উপযুক্ত জোতিষের পরামর্শ নিয়ে পীত মতি,তর্জনী তে ধারন করতে পারেন।
এবং ত্রিপুরা সুন্দরী যন্ত্রম হোম করে স্থাপন করে তার বীজমন্ত্র স্নান করে প্রতিদিন করলে মতিভ্রম্ থেকে মুক্ত হতে পারেন।

এর পর নীল সরস্বতীর মন্ত্র জপ করতে হবে,১০০৮ বার। দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তাঁরা কে নীল সরস্বতী রূপে বন্দনা করা হয়।

নীল সরস্বতীর মূল মন্ত্রঃ
ঐং ওং হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্।

নীল সরস্বতীর মহামন্ত্রঃ
ওং হ্রীং শ্রীং হ্রীং ঐং হূং নীল সরস্বতী ফট্ স্বাহা।

ত্রিপুরা সুন্দরী বুধের দেবতা। বুদ্ধির কারক। তাই জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগণও ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্ত্র জপ করে সুফল পেতে পারেন। যারা নিজে জপ করতে অসামর্থ তাদের পরিবারের যে কোন সদস্য বিশেষতঃ মা, বাবা, ভাই অথবা বোন তাদের হয়ে জপ করতে পারেন।

ত্রিপুরা সুন্দরীর মূলমন্ত্রঃ
"ওঁ এং হ্রীং শ্রীং ত্রিপুরা সুন্দরীয়ৈ নমঃ।"
অথবা "হুম শ্রীং হ্রীং বজ্র ভারচান্যে হুম হুম ফট্ এং।"

প্রিয় বন্ধুরা আমার প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমি আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180911075116

Tuesday, September 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ব্রনযোগ(টিউমার/ক‍্যানসার)

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আজ আমি ব্রনযোগ বা টিউমার /ক‍্যানসার কেনো হয় তা নিয়ে আলোচনা করছি, বন্ধুরা আপনারা কমেন্ট করুন,সেয়ার করুন তাহলে আমার লিখতে আগ্ৰহ বেড়ে যাবে।

ব্রনযোগ (টিউমার/ক্যানসার)
সংজ্ঞা
ষষ্টসতি পাপগ্রহ হয়ে যদি লগ্নে ,অষ্টমে,কিংবা দশমে অবস্থিত হয় তবে ব্রনযোগ সূচিত হবে| -
ফলাফল
এরূপ জাতক ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হবে৷
মত্তব্য
সমস্ত বিশেষ দোষযুক্ত টিউমারকেই ক্যানসার আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে ডাক্তারদের মতে | তবে জ্যোতিষীর মতে মিথুন, সিংহ, কন্যা, বৃশ্চিক ও মীনলগ্নের জাতকের ষষ্ঠপতি পাপগ্রহ হয়ে থাকে৷
যদি ষষ্টপতি রবি হয়ে থাকে--এবং লগ্নে, অষ্টমে বা দশমে অবস্থিত হয়, তবে মাথার ক্যানসার হতে পারে ৷ মঙ্গল হলে গলা ও ঘাড়; তৎসহ রাহ বা কেতু যদি ষষ্ঠপতির প্রতি পূর্ণদৃষ্টি দেয় বা ষষ্ঠপতির সঙ্গে অবস্থান করে তবে তলপেটে ক্যানসার হতে পারে; শনি ষষ্ঠপতি হলে--পায়ের ক্যানসার হতে পারে। পাপযুক্ত বুধ ও ক্ষীন চন্দ্র যষ্টপতি হলে বা পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলেও ক্যানসার হতে পারে৷
নিচের চার্ট লক্ষ্য করুন---জাতিকার বৃশ্চিক লগ্নে জন্ম---পাপগ্রহ মঙ্গল লগ্নের দশমে অবস্থিত-এবং পাপগ্রহ শনি দ্ধারা ঐ মঙ্গল পূর্ণরূপে দৃষ্ট যদিও বৃহস্পতি ,দশমে মঙ্গলের সঙ্গে সহাবস্থান সম্বন্ধে আবদ্ধ-~কিন্তু তাতে কতটা শুভ আর হবে?- জাতক-জাতিকা মলনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত হবে৷ মলনালী, গুহ্যদ্বার ইত্যাদির ওপর মঙ্গলের অধিকার ৷
প্রতিকার:১যষ্ঠপতির প্রতিবিধান জোতিষীক ।
২)মঙ্গলের জপ:ঔঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায়১০০৮বার স্নান করে।
৩)২টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ১গ্লাস জল,সকালে(৬.০৪)
৪)দূপুরের আহারের সঙ্গে ১০০গ্ৰাম করলা সেদ্ধ।
৫)সন্ধ্যায় মহামৃত‍্যুজ্ঞয় যন্ত্রমের সামনে ঔঁ জূস স্বাহা ১০০৮ বার।
মহামৃত‍্যুজ্ঞয় জপ(১৮ বার)

ওঁ ত্রম্ব্যকং যজামহে
সুগন্ধি পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব
বন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মাহ্মৃতাত্।।
ওঁ তত্পুরুষায় বিদ্মহে
মহাদেবায় ধীমহি
তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াত ওঁ।।
----------------------------------------------

প্রভু শিবের প্রনাম মন্ত্র।

ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180911074405

Monday, September 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রত্ন ছাড়াও পীড়িত গ্ৰহের প্রতিবিধান

রত্ন ছাড়াও পীড়িত গ্ৰহের প্রতিবিধান

সুপ্রভাত
গ্ৰহ পীড়াই সবসময় রত্নের প্রয়োজন হয় না।পীড়িত গ্ৰহের জপ ,ধ‍্যান,প্রনাম,তার ইষ্টদেবীর ছবি বা যন্ত্রমের সামনে নিষ্ঠা সহকারে করলে ভালো ফল পাওয়া যায় তবে তার জন‍্য ভালো জোতিষী বা গ্ৰহাচার্যের পরামর্শ প্রয়োজন।এছাড়াও কিছু টোটকা দিলাম প্রতিটি গ্ৰহের আমার দীর্ঘ জোতিষিক অভিজ্ঞতা থেকে,নিয়মিত করে দেখুন ভালো ফল পাবেন।(এর আগে অনেক বার আমার পেজ ,এফ বি,ও ওয়েব সাইটে পৌষ্ট করেছি )

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে একটি রাশিচক্রে দু’রকমের গ্রহ থাকে। নৈসর্গিক শুভ গ্রহ ও অশুভ গ্রহ। শুভগ্রহ জাতকের জীবনে শুভ ফল দিয়ে থাকে। ঠিক একই রকম অশুভ গ্রহ অশুভ ফল প্রদান করে থাকে, বিশেষ করে অশুভ গ্রহের দশাকালে জাতককে নানা ভাবে নাস্তানাবুদ হতে হয়। কোনও গ্রহই শুভ বা অশুভ নয়। গ্রহের রাশিচক্রে অবস্থান, মাঙ্গলিক অবস্থান ও ভাবগত ভাবে অবস্থানের ওপর গ্রহের শুভাশুভত্ব নির্ভর করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অশুভ গ্রহের কুপ্রভাব থেকে কী করে রেহাই পাওয়া যায় ? জ্যোতিষ ও তন্ত্রমতে অশুভ গ্রহের প্রতিকারের বহু উপায় আছে।
দানের মাধ্যমে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব দেখে নেওয়া যাক -
• যদি রবি অশুভ হয় তাহলে প্রতি রবিবার উপবাস করে গম, আখ, আখের গুড়, তামা দান করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিদিন তামার পাত্রে জল রেখে সূর্যমন্ত্র সাতবার জপ করে সেই জল সূর্যের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য দিলে অশুভ রবিকে তুষ্ট করা সম্ভব। এছাড়া কাঁচা নুন খাবেন না এবং তামার পাত্রে কিছু খাবেন না।
• যদি চন্দ্র অশুভ হয় তাহলে প্রতি সোমবার উপবাস করলে সুফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতি সোমবার দুধ, চাল, দই, রুপো কোনও মহিলাকে দান করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। বাড়ির মহিলাদের সম্মান দিতে হবে। বয়সে ছোট মহিলাদের প্রীতি ও স্নেহ প্রদান করতে হবে।
• মঙ্গল খারাপ থাকলে মঙ্গলবার উপবাস থেকে মুসুর ডাল, মিষ্টি দান করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
• বুধ অশুভ হলে প্রতি বুধবার উপবাস করে সবুজ মুগ ডাল, সবুজ বস্ত্র দান করলে অশুভ বুধকে তুষ্ট করা যাবে।
• বৃহস্পতি অশুভ হলে প্রতি বৃহস্পতিবার উপবাস করে কাঁচা হলুদ জলে দিয়ে স্নান করলে এবং হলুদ বস্ত্র দান করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
• শুক্র যাদের অশুভ, তারা প্রতি শুক্রবার উপবাস করে দই, চাল, দুধ গরুকে খাওয়ান। অন্তত নিজের খাবারের কিছুটা অংশ গরুকে খাওয়াতে হবে। এছাড়া নারীদের সম্মান করলে শুভ ফল লাভ সম্ভব।
• শনি অশুভ হলে প্রতি শনিবার উপবাস করে তিলের তেল একটি লোহার পাত্রে এবং নীল রঙের বস্ত্র দান করতে হবে। ওই দিন মদিরা পান করবেন না। যদি সম্ভব হয় ভৈরব নাথের মন্দিরে গিয়ে মদিরা দান করে আসুন।
• অশুভ রাহু থাকলে প্রতি শনিবার উপবাস করতে হবে। এছাড়া ওইদিন কালো বস্ত্র, কালো সরষে জমাদারকে দান করবেন। এছাড়া কোনও মহিলার বিয়েতে কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে বা আর্থিক ভাবে সাহায্য করবেন।
• কেতু অশুভ হলে প্রতি শনিবার উপবাস করবেন। এছাড়া মিষ্টি, রুটি কুকুরকে খাওয়াবেন। পুরুষরা ডান কানে একটি সোনার দুল পড়বেন, অবশ্যই শুভ ফল পাবেন।
তার পর নবগ্ৰহ উপাসনা তাদের বা ইষ্টদেবীর যন্ত্রমের সামনে।

যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে—–
“গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।”
অর্থাৎ— গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৯ পর্যন্ত।

মঙ্গল
———-
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
—————-
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

কেতু
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা
অছাড়া প্রত‍্যেক বাড়িতে শ্রীযন্ত্রম, ধনদা যন্ত্রম সূর্য যন্ত্রম এবং দূর্গা যন্ত্রম রাখতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180910090836

Sunday, September 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হস্ত বিচারে তর্জনীর ভূমিকা

হস্ত বিচারে তর্জনীর ভূমিকা

কৌসিকী অমাবস‍্যায় সকলে ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন।
নিজের তর্জনীর মাপ মিলিয়ে দেখে নিন আপনার ভাগ্য কেমন—

• যদি তর্জনী ও মধ্যমার মাপ প্রায় এক হয়, তা হলে বুঝতে হবে ব্যক্তির অর্থভাগ্য খুব ভাল। এই ব্যক্তি যেকোনও জায়গায় নেতৃত্ব দিতে পারে।

• যাঁর তর্জনীর দৈর্ঘ্য মধ্যমার থেকে বেশি হয়, তিনি খুব অহঙ্কারী হন। এঁরা নিজেকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেন।

• তর্জনীর দৈর্ঘ্য অন্যান্য আঙুলগুলির থেকে অস্বাভাবিক ভাবে কম যাঁদের হয়, তাঁরা খুব উদাসীন হন।

• যাঁদের তর্জনীর মাপ অনামিকার থেকে বেশি হয়, তাঁরা অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে নিজের কাজ নিজেই পণ্ড করেন।

• অনামিকা ও তর্জনী সমান মাপের হলে তাঁর অর্থভাগ্য ভাল হয়।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180909083421

Saturday, September 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কৌসিকী অমাবস্যা ও মা তারা

কৌসিকী অমাবস্যা ও মা তারা

শুভ রাত্রি সকল বন্ধুরা
কাল রাত্রি২.৪৩মিঃ কৌসিকী মাবস‍্যা লাগবে, রবিবার পালন ।আজকে এই নিয়ে লিখছি, আশা করি সকলের ভালো লাগবে।ঐদিন বাড়ির সকলে নিচের দেওয়া বৃহস্পতি ও তার ইষ্টদেবী তারার বীজমন্ত্র ঘীয়ের প্রদীপ ও চন্দন ধূপ জ্বেলে দক্ষীন দিকে মুখ করে করলে,অর্থ,মান,যশ বৃদ্বি পাবে ওসমূহ বিপদ থেকে মুক্ত হবে।
কৌশিকী অমাবস্যা তিথি কাকে বলা হয়?
কৌশিকী অমাবস্যা অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ, তন্ত্র শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটি বিশেষ। কারণ, অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা এই দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে। সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারেন। বৌদ্ধ ধর্মে ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মহত্ব আছে। তন্ত্র মতে এই রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয় ও এক বিশেষ মুহুর্তে স্বর্গ ও নরক এই দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করতে পারেন ও ‘সিদ্ধি লাভ’ করতে পারেন।
“কৌশিকী” শব্দটা এসেছে “কোষ” এবং, “কুশ” শব্দ থেকে। শাস্ত্র মতে দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব হয়, - দেবী গৌরীর দেহ কোষ থেকে এবং, তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দৈত্যদিগকে বধ করেন। আমরা জানি যে, শাস্ত্র মতে কোষ পাঁচটি – ১। অন্নময় কোষ, ২। প্রাণময় কোয, ৩। মনোময় কোষ, ৪। বিজ্ঞানময় কোষ এবং, ৫। আনন্দময় কোষ।
ভাদ্রমাসে রবি গ্রহ (‘প্রাণ’ বা জীবাত্মার কারক) নিজ গৃহে অর্থাৎ, সিংহ রাশিতে অবস্হান করে। আর, অমাবস্যা তখনই হয় যখন, রবি ও চন্দ্র (মনের কারক) একই রাশিস্থ থাকে বা রবি ও চন্দ্র ১২ডিগ্রীর মধ্যে সহাবস্থান করে এবং, সেই দিনটা যদি “সোমবার” হয় তখনই বলা হয় সোমাবতী (চন্দ্রের এক নাম ‘সোম’) অমাবস্যা। এই দিনটি আমাদের ‘প্রাণময় কোষ’-এর নির্দেশ করে বা জীবনী শক্তি নির্দেশ করে।

কাল কৌশী অমাবস্যা। তারাপীঠে মা তারার বিশেষ পূজা । এই পূজাকে কেন্দ্র করে সেখানে অনেক ভক্ত সমাগম হবে। দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় বিদ্যা হলেন তারা দেবী । নারদ পঞ্চরাত্রে বলে – “সতী নামে যিনি দক্ষের গৃহে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি কৈবল্যদায়িনী । তাঁর এক নাম একজটা । সকল ভূতবর্গকে তিনি তারণ করেন- তাই তাঁর নাম তারা । তিনি বাকশক্তি প্রদান করেন এই জন্য তাঁর একনাম নীলসরস্বতী । অন্যদিকে তিনি উগ্রমূর্তি বলে উগ্রতারিনী নামেও খ্যাতা । তিনি উগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তিনি উগ্র তারা । ( নারদ পঞ্চরাত্র, ৩/২ )

দক্ষগৃহে যোৎপন্না সতী নাম্নেতি কীর্তিতা ।
কৈবল্যদায়িনী যস্মাৎ তস্মাদেকজটা স্মৃতা ।।
তারকত্বাৎ সদা তারা লীলয়া বাকপ্রদা যতঃ ।
নীলসরস্বতী প্রোক্তা উগ্রত্বাদুগ্রতারিণী ।।
উগ্রাপত্তারিণী যস্মাদুগ্রতারা প্রকীর্তিতা ।
( নারদ পঞ্চরাত্র )

সতী বিনা আমন্ত্রণে পিতার গৃহে যেতে চাইলে ভগবান শিব বাধা দান করলে দেবী সতী দশমহাবিদ্যা রূপ ধারন করেন । কালীরূপের পর তারা দেবীর আবির্ভাব । দেবী নিজেই তারা রূপের পরিচয়ে বলেছেন- “শ্যামবর্ণা তু যা দেবী স্বয়মূর্ধ্বে ব্যবস্থিতা’ – এর অর্থ , শ্যামবর্ণা যে দেবী ঊর্ধ্বে বিরাজ করছেন তিনিই মহাবিদ্যা তারা। ‘স্বতন্ত্র তন্ত্র’ শাস্ত্রে এই দেবীর পরিচয়ে বলা হয়েছে নীশিথে উগ্র বিপদ থেকে তিনি তারণ করেন বলে তাঁর নাম উগ্রতারা । মেরুর পশ্চিমকূলে চোল নামক এক হ্রদ আছে । বলা হয় সেখানেই তারা দেবী আবির্ভূতা হন । ‘তন্ত্রসার’ মতে তারা মন্ত্রে চৈতন্য লাভ করলে জীব অচীরেই মুক্তি লাভ করে । আবার তিনি বাক শক্তির অধিকারীনি বলে মা তারার সাধক সর্ব শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য ও ধনবান হন । দেবী তারার ধ্যান মন্ত্র অনুযায়ী তিনি খর্বা, লম্বোদরী, ভীমা, ব্যাঘ্র চর্ম পরিহিতা। তিনি জলন্ত চিতার মধ্যে অবস্থান করেন। দেবী চতুর্ভুজা- খড়গ, কাটারী, খর্পর ও পদ্ম ধারন করে থাকেন । তাঁর কেশরাশি একটি পিঙ্গল জটা বদ্ধ । দেবীর মস্তকে সর্প রূপী মহাদেব থাকেন । তিনি নব যৌবন সম্পন্না ও স্ত্রীজনোচিত অলঙ্কারে ভূষিতা । দেবীর ললাটে শ্বেত অস্থি নির্মিত চারটে পট্টি ও নর কপালের ভূষন থাকে। ঘন নীল গাত্র বর্ণ দেবীর । নয়ন তিনটি বালসূর্যের মতো রক্তাভ অথচ করুণা মাখা । দেবী বিশ্ব ব্যাপক জলে শ্বেত পদ্মের ওপর অধিষ্ঠান করেন । দেবীর অপর একটি ধ্যান মন্ত্রে তাঁকে নাগ যজ্ঞ উপবীত ধারিনী ও সর্প বিভূষনা বলা হয়েছে । এছাড়া তিনি প্রত্যালীঢ় ভঙ্গিতে শিবের উপরে অবস্থিতা বলা হয় ।

দেবী তারার আট রূপ- উগ্রতারা, ভদ্রকালী, মহোগ্রা, নীলসরস্বতী, তারিনী, মহানীলসরস্বতী, একজটা ও বজ্রা । পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে মা তারার মন্দির দেখা যায় । বলা হয় মন্দির সংলগ্ন মহাশ্মশানে শ্বেত শিমূল বৃক্ষ তলে দেবী সতীর ঊর্ধ্ব নয়নের তারা পতিত হয়েছিল । এই মহা শ্মশানে মহাসাধক বামাক্ষ্যাপা বশিষ্ঠ সিদ্ধপিঠে বসে সাধনা করে সিদ্ধ হন । মহাসাধক বামদেবের সাথে মা তারার বাৎসল্যের ক্রীড়া ক্ষেত্র ছিল এই মহা শ্মশান । আসুন সকলে মা তারার চরণে প্রনাম জানাই । জয় বামদেব । জয় মা তারা ।

কাল কৌশী অমাবস্যা। ভাদ্রমাসের অমাবস্যার নাম কৌশি অমাবস্য অর্থাৎ যজ্ঞাদী কর্মের জন্য যে কুশ ব্যবহৃত হয় সেই কূশ তোলার উপযুক্ত তিথি।শয়ন একাদশীতে যখন শ্রী বিষ্ণু শয়ন করেন তখন যেকোন তিথিতে বিষ্ণুর রোম স্বরূপ কুশ তোলা নিষেধ এতে ভগবানের বিশ্রামে ব্যঘাত হয়, তাই একমাত্র ভাদ্র অমাবস্যাতে কুশ তোলার তিথি হিসেবে নির্ধারিত আছে ।তাই এই তিথির নাম কৌশি অমাবস্যা ।

।।মা তারা ।।

তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী। তারার বিভিন্ন রূপান্তর উগ্রতারা, নীল সরস্বতী, কুরুকুল্লা তারা, খদির বাহিনী তারা, মহাশ্রী তারা, বশ্যতারা, সিতাতারা, ষড়ভূজ সিতাতারা, মহামায়া বিজয়বাহিনী তারা ইত্যাদি। বৌদ্ধধর্মেওতারাদেবীর পূজা প্রচলিত। তারার মূর্তিকল্পনা কালী অপেক্ষাও প্রাচীনতর।[১] কোনো কোনো মতে তারা দুর্গা বা চণ্ডীর রূপান্তর। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলারতারাপীঠে অবস্থিত দেবী তারার মন্দির বিখ্যাত।

তারাপীঠ

বাংলার অন্যতম প্রধান পূজিত দেবী হল কালী। নানা রূপে, নানা জটিল বিমূর্ততায় বাংলা জুড়ে এই শক্তির দেবী পূজিত হন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ। তবে তারাপীঠের আরও বেশি মাহাত্ম্য শক্তিপীঠ বা মহাপীঠ হিসাবে। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ হেজেমজে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর মা তারাসিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –- তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

বণিক জয় দত্তের তৈরি করে দেওয়া তারামায়ের মন্দিরটি আজ আর নেই। বর্তমানের উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি ১২২৫ বঙ্গাব্দে তৈরি করান মল্লারপুরের জগন্নাথ রায়। দেবী এখানে তারাময়ী কালী – মুখমণ্ডল ছাড়া সারা অঙ্গ বসনে আবৃত। সন্ধ্যায় দর্শন মেলে মূল দ্বিভুজা ছোট্ট মূর্তির। এর দুটি হাত, গলায় সাপের মালা, পবিত্র সুতোয় অলঙ্কৃত, বাঁ কোলে শিব স্তন্য পান করছে। শত শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না।

তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয় এবং প্রতিদিনই এখানে গরিবদের খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।

দেবী দর্শনের পর ঘুরে নিতে পারো বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এখানে রয়েছে সাধকের মূর্তি।

কলকাতা থেকে ২৬৪ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠে আসা যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে। নামতে হয় রামপুরহাট বা তারাপীঠ রোড স্টেশন

তারাপীঠ মন্দির
উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি লাল ইঁটে নির্মিত। এর ভিতের দেওয়াল বেশ মোটা। উপরিভাগে শিখর পর্যন্ত একাধিক ধনুকাকৃতি খিলান উঠেছে। চারচালার ওপরে চার কোণে চারটি ছোট ছোট চূড়া অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় একটি তামার পত্তাকাসহ ত্রিশীল তিনটি পদ্ম ভেদ করে উঠেছে। মন্দিরের প্রবেশপথের মধ্য খিলানের ওপর দুর্গার প্রতিকৃতি রয়েছে। উত্তরদিকে বামপাশের খিলানের ওপর

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঘটনা, ভীষ্মের শরশয্যা, অশ্বত্থমা হত প্রভৃতি মহাভারতের কাহিনী উৎকীর্ণ রয়েছে। মন্দিরের উত্তর ভিতের পূর্বদিকে সীতাহরণ, অকালবোধন, রাম ও রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য এবং পশ্চিমদিকে কৃষ্ণলীলার চিত্র খোদিত। ১২ ফুট X ৬ ফুট মাপের মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীমূর্তি সংস্থাপিত।শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারার মূল প্রস্তরমূর্তিটি একটি তিন ফুট উঁচু ধাতব মূর্তির মধ্যে রাখা থাকে। দর্শনার্থীরা সাধারণত ধাতব মূর্তিটিই দর্শন করে থাকেন। এই মূর্তিটি তারা দেবীর ভীষণা চতুর্ভূজা, মুণ্ডমালাধারিণী এবং লোলজিহ্বা মূর্তি। এলোকেশী দেবীর মস্তকে রৌপ্যমুকুট থাকে। বহির্মূর্তিটি সাধারণট শাড়ি-জড়ানো অবস্থায় গাঁদা ফুলের মালায় ঢাকা অবস্থায় থাকে। মূর্তির মাথার উপরে থাকে একটি রূপোর ছাতা। মূর্তিটির কপালে সিঁদুর লেপা থাকে। পুরোহিতেরা সেই সিঁদুরের টীকা পরিয়ে দেন দর্শনার্থীদের। প্রতিকৃতি বিগ্রহের নীচে গোল্কার বেদীতে দুটি রূপোর পাদপদ্ম থাকে। ভক্তরা নারকেল, কলা বা রেশমি শাড়ি দিয়ে দেবীর পূজা দেন। তারাদেবীর মূল মূর্তিটিকে "তারার কোমল রূপের একটি নাটকীয় হিন্দু প্রতিমা" বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ভূগোল
তারাপীঠ বীরভূম জেলার মারগ্রাম থানার অধীনস্থ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোটো গ্ৰাম।

পশ্চিমবঙ্গতে তারাপীঠ এর অবস্থান

স্থানাঙ্ক২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্ব | দেশভারত Stateপশ্চিমবঙ্গ জেলাসমূহ বীরভূম নিকটবর্তী শহররামপুরহাট।

এটি দ্বারকা নদীর তীরে অবস্থিত। প্লাবন সমভূমির সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে এই তীর্থস্থান অবস্থিত। কিছুকাল আগেও বাংলার সাধারণ মাটির বাড়ি আর মেছোপুকুরে ভরা গ্রামের থেকে তারাপীঠের খুব একটা পার্থক্য ছিল না। বর্তমানে অবশ্য তীর্থমাহাত্ম্যের কারণে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় গ্রামটি ছোটোখাটো শহরের আকার নিয়েছে। জেলার রামপুরহাট মহকুমার সদর রামপুরহাট শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে তারাপীঠ অবস্থিত। রামপুরহাট ও চাকপাড়ার 'তারাপীঠ রোড' রেল স্টেশনদুটি তারাপীঠের নিকটতম রেল স্টেশন।

কিংবদন্তি ও গুরুত্ত্ব

তারাপীঠ মন্দিরের উৎস ও তীর্থমাহাত্ম্য সম্পর্কে একাধিক কিংবদন্তি লোকমুখে প্রচারিত হয়ে থাকে। এগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিংবদন্তি হল "শক্তিপীঠ" ধারণাটির সঙ্গে যুক্ত পৌরাণিক কাহিনিটি। শিবের স্ত্রী সতী তাঁর পিতা দক্ষের "শিবহীন" যজ্ঞ সম্পাদনার ঘটনায় অপমানিত বোধ করে। স্বামীনিন্দা সহ্য করতে না পেরে তিনি যজ্ঞস্থলেই আত্মাহুতি দেন। এই ঘটনায় শিব ক্রুদ্ধ হয়ে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয়নৃত্য শুরু করেন। তখন বিষ্ণু শিবের ক্রোধ শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে দেন। সতীর দেহ একান্নটি খণ্ডে ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর নানা স্থানে পতিত হয়। এইসকল স্থান "শক্তিপীঠ" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গেও এই রকম একাধিক শক্তিপীঠ অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পীঠ হল কালীঘাট ও তারাপীঠ। সতীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা তারাপুর বা তারাপীঠ গ্রামে পড়ে এবং প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম এই রূপটি দেখতে পান এবং সতীকে তারা রূপে পূজা করেন। অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে: সমুদ্র মন্থনের সময় উত্থিত হলাহল বিষ পান করার পর বিষের জ্বালায় শিবের কণ্ঠ জ্বলতে শুরু করে। এই সময় তারাদেবী শিবকে আপন স্তন্য পান করিয়ে তাঁর জ্বালা নিবারণ করেন। স্থানীয় কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ তারাপীঠ নামে প্রসিদ্ধ এই তীর্থে দেবী সতীর পূজা শুরু করেন। পীঠস্থানগুলির মধ্যে তারাপীঠ একটি "সিদ্ধপীঠ", অর্থাৎ এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন।

লোকমুখে প্রচারিত একটি কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ এখানে তারাদেবীর তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু তিনি অসফল হন। তখন তিনি তিব্বতে গিয়ে বিষ্ণুর অবতার বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বুদ্ধ তাঁকে বামমার্গে মদ্যমাংসাদি পঞ্চমকার সহ তারাদেবীর পূজা করতে বলেন। এই সময় বুদ্ধ ধ্যানযোগে জানতে পারেন মন্দিরে তারামূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার করার আদর্শ স্থান হল তারাপীঠ। বুদ্ধের উপদেশক্রমে বশিষ্ঠ তারাপীঠে এসে ৩ লক্ষ বার তারা মন্ত্র জপ করেন। তারাদেবী প্রীত হয়ে বশিষ্ঠের সম্মুখে উপস্থিত হন। বশিষ্ঠ দেবীকে অনুরোধ করেন বুদ্ধ যে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারাদেবীকে ধ্যানে দেখেছিলেন, দেবী যেন সেই রূপেই তাঁকে দর্শন দেন। দেবী সেই রূপেই বশিষ্ঠকে দর্শন দেন এবং এই রূপটি প্রস্তরীভূত হয়। সেই থেকে তারাপীঠ মন্দিরে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা মূর্তিতে দেবী তারা পূজিত হয়ে আসছেন।
শাক্তধর্মের তারাপীঠ ও বৈষ্ণবধর্মের নবদ্বীপ বাঙালি হিন্দুদের নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ রূপে পরিগণিত হয়।

শ্মশানঘাট
শহরের এক কোণে নদীর ধারে ঘন অরণ্য বেষ্টিত তারাপীঠ শ্মশানটি অবস্থিত। শ্মশানটি লোকালয় থেকে দূরে। তারাপীঠের শ্মশানটি শক্তিপীঠের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তারা দেবীকে শ্মশানের অন্ধকারে বলিপ্রদত্ত ছাগের রক্ত পান করতে দেখা যায়।

তন্ত্রসাধকরা
বিশ্বাস করেন নরকঙ্কাল ও শ্মশানক্ষেত্র তারা দেবীর বিশেষ প্রিয়। দেবীর যে সকল চিত্র আঁকা হয়ে থাকে, তাতে তাঁকে শ্মশানক্ষেত্রনিবাসিনী রূপেই দেখানো হয়। এই কারণে তন্ত্রসাধকেরা শ্মশানক্ষেত্রকেই তাঁদের সাধনস্থল হিসেবে বেছে নেন। অনেক সাধুই পাকাপাকিভাবে এখানে বাস করেন। শ্মশানে অনেক জটাধারী ভষ্মমাখা সাধু দেখা যায়। তাঁরা বটবৃক্ষের তলায় নিজেদের কুটির সৃজন করে বাস করেন। এই সব কুটিরের মাটির দেওয়ালে তাঁরা সিঁদুরমাখানো নরকপাল গ্রথিত করে রাখেন। কুটিরের দেওয়ালে শোভা পায় গাঁদার মালায় শোভিত হিন্দু দেবী ও তারাপীঠের সন্তদের ছবি। কুটিরের

প্রবেশ পথের
কাছে অনেক সময়েই মাল্যভূষিত ত্রিশূল ও নরকপাল রেখে দেওয়া হয়। তন্ত্রসাধনায় মানুষ ছাড়াও সাপ, ব্যাং, শিয়াল ও খরগোসের করোটি প্রয়োজন হয়। এগুলির পাশপাশি সাপের খোলসও কুটিরে রাখা থাকে। ভাল নরকপাল পূজা ও মদ্যপানের জন্য ব্যবহৃত হয়। কুমারী মেয়ে ও আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিদের মাথার খুলির অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করা হয়।

বামাক্ষ্যাপা
তারাপীঠের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সাধক হলেন বামাক্ষ্যাপা (১৮৪৩-১৯১১)। মন্দিরের নিকটেই তাঁর আশ্রম ছিল। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাদেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মন্দিরে পূজা করতেন এবং শ্মশানে সাধনা করতেন। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের অপর প্রসিদ্ধ কালীভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক। অল্প বয়সেই তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং কৈলাসপতি বাবার সান্নিধ্যে তন্ত্রসাধনা শুরু করেন। পরে তিনি সমগ্র তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ বা আরোগ্য প্রার্থনা করতে আসত। কেউ কেউ আবার শুধুই তাঁকে দর্শন করতে আসত। তিনি মন্দিরের নিয়ম মানতেন না। একবার নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে খেয়ে ফেলে তিনি পুরোহিতদের রোষ দৃষ্টিতে পড়েছিলেন। শোনা যায়, এরপর তারাদেবী নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে দেবীর পুত্র বামাক্ষ্যাপাকে প্রথমে ভোজন করাতে আদেশ দেন। এরপর থেকে মন্দিরে দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে বামাক্ষ্যাপাকে ভোজন করানো হত এবং কেউ তাঁকে বাধা দিতেন না। কথিত আছে, তারাদেবী শ্মশানক্ষেত্রে ভীষণা বেশে বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়ে তাঁকে স্তন্যপান করিয়েছ।

তারার ধ্যান

ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।

খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।

চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।

কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।

পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।

বালার্কমণ্ডলাকা

রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।

জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।

স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।

বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।

অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।
প্রনাম

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

জোতিষ শাস্ত্রে মা তারা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী।তার বীজমন্ত্র:শ্রীং হ্রীং স্ত্রীং হুং ফট্। ১৮বার

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা ১০০৮ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180908085019

Friday, September 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নবগ্ৰহ ও তার প্রতিবিধান

নবগ্ৰহ ও তার প্রতিবিধান

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আজকের বিষয় নবগ্ৰহ ও তাদের উপাসনা

আমাদের পৃথিবীর আরও গ্রহ আমাদের মহাকাশে আছে যাকে আমরা গ্রহ বলি । হিন্দু বিবাহ পদ্ধতি তে নব গ্রহের পুজার বিধান আছে । কারন নব বধূ বরের কল্যাণ কামনায় , ও তার জীবন নির্বিঘ্নে কাটুক কারন আমাদের মুনি ঋষি জানতেন আমাদের জীবনের ভাল মন্দ সব কিছু নির্ভর করে মহাকাশের নটি গ্রহ , ২৭ টি নক্ষত্রের উপর ।
সূর্যের চারিদিকে ঘোরা গ্রহ উপগ্রহ মিলে আমাদের সৌর জগৎ ।

মানবীয় জীবনে সময় মত পড়ে । দুঃখ , সুখ , জয় পরাজয় , জন্ম মৃত্যু , রাগ দ্বেষ , শত্রুতা বন্ধুত্ব , যাই জীবনে ঘটুক সবই গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে ঘটে । বিশ্বের সমস্ত জীব জন্তু পশু পাখি গাছ পালা মধ্যে তাদের পূর্ণ প্রভাব আছে ।

জ্যোতিষাচার্জ বরাহ মিহিরের মত অনুসারে সূর্য ,চন্দ্র ,মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র শনি সাত গ্রহের কথা বলেছেন , ফলিত জ্যোতিষ ও জ্যোতিষাচার্জ দের মতে রাহু কেতু কে ছায়া গ্রহ বলা হয়েছে । বরাহ মিহার জোরের সাথে বলেছেন মানব জীবনের গ্রহ তার আপন গতি তে গতিশীল আর যে ক্ষণে যে স্থানে যে সময় মানুষের জন্ম হয় ঠিক সেই সময়ে সেই স্থলে গ্রহ নক্ষত্রের দৃষ্টি পড়ে । গ্রহের যে দৃষ্টি পড়ে সেই অনুসারে জাতকে স্বভাব তম গুন রজগুন , শান্ত সাত্বিক ও ধার্মিক ।

সেই স্থলে যে গ্রহ বলবান তার গুন বৃদ্ধি পায় । জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জাতকের স্বভাব থেকে বলা যায় জাতক ভবিসৎ এ কি করবে ।

#সূর্য যশ প্রতিষ্ঠার কারক

#চন্দ্র সৌম্য ও শীতলতার কারক

#মঙ্গল শক্তি শৌর্য বীর্যের কারক

#বুধ বুদ্ধি বিবেক বানিজ্যের কারক

#বৃহস্পতি ধর্ম ন্যায় পারলৌকিক সুখ এর কারক

#শুক্র বিষয় বাসনা কলা সৌন্দর্য তথা সাংসারিক সুখের কারক

#শনি দুঃখ ব্যাধির কারক

#রাহু পাপকর্ম দুঃভাগ্য নেশা লোভ লালসার কারক

#কেতু দুঃখ রোগ দুর্ঘটনা শোকের প্রতীক

#গ্রহ সূর্য মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র শনি

#উপগ্রহ চন্দ্র ছায়া গ্রহ রাহু কেতু

#সূর্যের প্রভাবে জাতক ব্যাক্তি যশ প্রতিষ্ঠা ধন প্রাপ্তি বিষয়ে ভবিসৎ বানী করা যায় । সূর্য দেয় সামাজিক প্রতিষ্ঠা ।সংখ্যা ১,বর্ণ লাল

#মঙ্গল সেনানী ও যুদ্ধের দেবতা , মঙ্গল গ্রহ জাতক কে পরাক্রম সাহস সহনশীলতা ক্রোধ ঘৃণা আর আক্রমণাত্বক , মঙ্গলে অশুভ প্রভাব বৈবাহিক বিশেষ বাধক , ভৌম দোষ জাতকে জীবন বিবাহিত জীবন তছনছ করে দেয় । তবে রাজনীতি ক্ষেত্রে , প্রশাসনিক সেবা , পুলিশ , সামরিক বাহিনী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সফল হন ।সংখ্যা ৯,বর্ণকালচে লাল।

#বুধ বানীর কারক শূদ্র বা বৈশ্য , মস্তিস্কে বনিক , শুভ গ্রহের সাথে যুক্ত শুভ অশুভ গ্রহের সাথে যুক্ত হলে অশুভ ।সংখ্যা ৫, বর্ণ সবুজ।

#বৃহস্পতি বল শালী কমল বৃত্তি জ্ঞান প্রদাতা শুভ গ্রহ । উচ্চ জ্ঞান ,বিদ্বান সরলতা সত্যবাদিদতা , ক্ষমাভাব , নীতিনিষ্ঠা , বিশুদ্ধ , উচ্চ বিচার , আর সাধারন জীবন যাপন। সংখ্যা ৩ ,বর্ণ হলুদ।

#শুক্র আমোদ প্রমোদ , অর্থ ব্যয় , সুখ আনন্দ এদের লক্ষ্য ।সংখ্যা ৬ ,বর্ণ সাদা।

#শনি কুশলতা , কারাবাস ,জমিদারি , মানহানি কারক... শুভ শনি ধৈর্য্য জ্ঞান দেয় ।সংখ্যা ৮, বর্ণ নীল।

#রাহু দুঃখ শোকের প্রতীক,ও সমস্ত শু কাছে বিঘ্ন কারক সংখ্যা ৪, বর্ণ খয়েরী।
#কেতু রাহুর সমান ফল প্রদ ও দূর্ঘটনা, চর্ম ও জননাঙ্গে রোগ।সংখ্যা ৭,বর্ণ ধূসর।

নবগ্রহ উপাসনা

যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে—–
“গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।”
অর্থাৎ— গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৯ পর্যন্ত।

মঙ্গল
———-
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
—————-
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

কেতু
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা
অছাড়া প্রত‍্যেক বাড়িতে শ্রীযন্ত্রম, ধনদা যন্ত্রম সূর্য যন্ত্রম এবং দূর্গা যন্ত্রম রাখতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180907084117

Tuesday, September 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অহংকারের গুরুত্ব

অহংকারের গুরুত্ব

সুপ্রভাত
সকল বন্ধুরা আজকের বিষয় "অহংকার" সমস্ত মানুষের বাঁচার জন্য দু’টি গুণ অপরিহার্য। প্রথমত : অহম, দ্বিতীয় : বিনয়। অনেক সময় বিনয় দুর্বলতার পরিচয় বহন করে। সেক্ষেত্রে অহম দিয়ে, রাগ বা কঠোরতা দিয়ে অনুগামীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। একজন শাসকের জন্য, একজন সৈনিকের জন্য বিনয়ের চেয়ে অহংকারের প্রয়োজন বেশি। শাসকের প্রতাপ আর সৈনিকের অস্ত্র না হলে তাদের চলে না। তাই বলে পিতামাতার কাছে, প্রিয়তমার কাছে কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এই অহমের কোন মূল্য নেই। সেক্ষেত্রে বিনয় আর ভালবাসা দিয়েই তাদের হৃদয় জয় করতে হয়। মানুষের আত্মোন্নয়নের চিন্তা আসে অহম থেকেই। একটা বংশের লোক বংশপরম্পরায় সম্মানহীন ক্রীতদাস হয়ে বাঁচতে পারে না। একটা সময় ঐ বংশে এমন একজন জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে যার আত্ম-সচেতনতা, অহংকার, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা তার বংশের পতিত লোকদের জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। একজন লোক নানা কারণে বিপর্যস্ত হতে পারে। যুদ্ধে পরাজিত হতে পারে, ব্যবসায় লোকসান দিতে পারে, কুচক্রীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু তাই বলে সে সারাজীবন পতিত হয়ে থাকতে পারে না। কখনো বিশেষ কোন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে, কখনো জ্ঞানী ব্যক্তির কথা শুনে তার মধ্যে হঠাৎ চেতনা জাগ্রত হতে পারে। আঘাত খেতে খেতে আচন্বিত তার মধ্যে প্রতিঘাত করার স্পৃহাও জাগতে পারে। পরাজিত হতে হতে এক সময় ঘুরে দাঁড়ানোর প্ল্যানও মাথায় আসতে পারে। এই যে নির্জীব মানুষের হঠাৎ জেগে ওঠা, প্রতিগাত করার বাসনা তৈরি হওয়া, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অস্থির হয়ে ওঠা, এর নাম কি অহংকার নয়? যদি কারো মধ্যে অহম না থাকে, সে কখনো অসম্মানের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে, অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে না। যে চেতনটি একজন আধমরা মানুষকে উজ্জীবিত করে তোলে তার নামই অহংকার। তাহলে আমরা কিভাবে বলি যে, অহংকারই পতনের মূল? আগুন দ্বারা আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। যেমন এর থেকে আমরা আলো পাই, রান্না করি। মানব সভ্যতায় আগুনের এক বিরাট অবদান। যে আগুনকে বাদ দিয়ে আমাদের একবেলা চলে না সেই আগুনের বিরুদ্ধে যদি আমরা সকাল-সন্ধ্যা বিষোদগার করি, তাহলে কেমন হয়, আগুনে যার ঘর পুড়েছে, জলোচ্ছ্বাসে যার সংসার ভেসে গেছে, সে আগুন বা পানির নিন্দা করতে পারে। কিন্তু সকলে তা পারে না। পারা ঠিকও নয়। অহংকার গর্ব হিংসা বিদ্বেষ এই অপগুণগুলো দিয়েই ¯্রষ্টা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তেমনি পৃথিবীও সৃষ্টি করেছেন আগুন-পানি ও বাতাস দিয়ে। পৃথিবীতে বাস করার জন্য এর প্রতিটি বস্তুই অপরিহার্য। কেউ কি বাতাস ছাড়া চলতে পারে? পানি পান ব্যতীত কি কারো দিন চলে না। চলা সম্ভবও নয়। তবে আসল সত্য এই যে, এসবের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আবশ্যক। যেমন আগুনকে আমরা চুলার মধ্যেই আবদ্ধ রাখবো। কেবল রান্নার কাজেই ব্যবহার করবো। যদি কুপি কিংবা হারিকেন জ্বালাতে হয়, তাতেও আমরা তাকে বাড়তে দিবো না। তাকে কেবল হারিকেনের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে রাখবো। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ জ্বালাব। প্রয়োজন ফুরালে নিভিয়ে দিবো। কিন্তু না নিভিয়ে যদি আমরা একে অপ্রয়োজনে জ্বালিয়ে রাখি কিংবা ইচ্ছেমত বাড়তে দেই তাহলে কেমন হয়? বাড়তে বাড়তে সে প্রথমে ঘর জ্বালাবে। পরে বাড়ি জ্বালাবে, অতঃপর গ্রামকে গ্রাম পুড়ে ছারখার করে দিবে। অবশেষে সে একটা জনপদকে গ্রাস করবে। শেষ পর্যন্ত এক বিরাট সভ্যতাকে নিমিষে জ্বালিয়ে ছাই করে দিতে পারে। পারে না? তেমনি মানুষের অতি অহংকারও তার জন্য অনেক ক্ষতি বয়ে আনে। যদি সে ইচ্ছামত তাকে বাড়তে দেয়। যদি সময় মত ঘোড়ার লাগাম টেনে না ধরে, যদি জায়গামত আসার পরও গাড়ির টেনে না ধরে, যদি জায়গামত আসার পরও গাড়ির ব্রেক না কষে তাহলে বিপথগামী হওয়া কিংবা এক্সিডেন্ট করা স্বাভাবিক। তেমনি অহমকে সময়মত অবদমিত করতে না পারলে, ক্রোধকে সংযত করতে না পারলে এর দ্বারা ক্ষতি তো হবেই। এতে কেবল নিজের ক্ষতি হয় না, চারপাশে যারা থাকে, তাদেরও সমূহ ক্ষতি হয়ে যায়। একজন রাজার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তিনি কেবল রাজ্য হারান না, রাজ্যের সকল নাগরিকের জীবন ইজ্জত ও সম্পদ প্রশ্নের সম্মুখীন করে তোলেন, তখন সেই জনপদের আবালবৃদ্ধ সকলে রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, তার অহংকারকে দায়ী করে। বিপ্লবীরা অনেক সময় জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষয়িষ্ণু একটা সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সমাজের চেহারা পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করে। সমমনা এবং সমশ্রেণীর লোকরা একত্রিত হয়, শক্তি প্রয়োগ করে। তাদের এই শক্তি, এই জোর কোত্থেকে আসে? তাদের আত্মবিশ্বাস তাদের কাজে অনেক বড় সাহায্য করে ঠিকই তবে সর্বৈব বিষয়টা আসে অহংকার থেকে। দ্বিধা-লাজুকতা-ভয় ইত্যাদি যেমন মানুষকে নতমুখী করে রাখে, টিক তার বিপরীত গুণ অহংকার-আত্মবিশ্বাস এবং সাহস তাকে বলিষ্ঠ করে তোলে, তাকে বিজয়ী হতে সাহায্য করে। মানুষের ভেতরে যদি অহংবোধ-ঘৃণা-জয়লাভের বাসনা না থাকতো, সে তো ঘর থেকেই বের হতো না। সাহস করে ঘরের বাইরে পা ফেলা মানেই হল সফলতার দিকে পদযাত্রা। তাতে যত বাধা আসুক, যত চড়াই-উৎরাই পার হওয়ার প্রয়োজন হোক, সে নিজের জন্য গৌরব বয়ে আনবেই। মনে রাখতে হবে, একদিকে তৈমুর লং হওয়া যায় না। আর একটা কবিতা লিখেও কেউ ওমর খৈয়াম হতে পারে না। তৈমুর লং আর ওমর খৈয়াম হতে অনেক অহংকারের প্রয়োজন। কারণ দুঃসময়ে এই অহংকারই তাকে উৎসাহ দিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। আমরা কথায় কথায় বলি, অমুক আমাদের গর্ব। অমুক ব্যক্তি সমাজের অহংকার। কেন বলি? অহংকার আর গর্ব যদি মন্দই নয় তাহলে বিজয়ীকে গর্বের আসনে বসানোর কি প্রয়োজন? আমার ধারণা, সব অহংকার মন্দ নয়, যেমন সব আগুনকে মন্দ কাজে ব্যবহার করা হয় না। সকল ইউরোনিয়াম দিয়ে বোমা বানানো হয় না। সকল টেলিফিল্মে খারাপ ছবি দেখানো হয় না। অহংকার সত্যই অহংকার। যদি আমরা একে সেরা কোন কাজে ব্যবহার করতে পারি, তবে অবশ্যই সেটা জাতির জন্য গৌরব বয়ে আনে। অবশ্য অহংকারের কারণে অন্যদের তুচ্ছজ্ঞান করা খারাপ, যেমন অন্যের অনিষ্টের চিন্তা করা অপরাধ। ‘আমিই সকলের সেরা’, ‘আমাব্যতীত সমাজে শ্রেষ্ঠ আর কোন লোকই নেই’। এসব ভালো অন্যায়। এই রকম আত্মম্ভরিকা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে। মানুষকে ছোট করে দেখা, তাদের সাথে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করা, কথায় কথায় হেয় করা, নিজের স্বার্থের জন্য অন্যকে দাবিয়ে রাখা, এসবই অন্যায় এবং অনিষ্টকর। এ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। উন্নত খাবার সামনে পরিবেশন করা হয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, অতিরিক্ত খাবার খেয়ে পেটে পীড়া বাঁধিয়ে ফেলতে হবে। বরং এক্ষেত্রে সংযত হয়ে দেহ ও মনের সুস্থতা অক্ষুণœ রাখতে পারে। তেমনি অহমিকা আর আভিজাত্যবোধের নিয়ন্ত্রিত প্রকাশই আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনে। আমি আমার কাজ নিয়ে দর্প করব কেন? আমি যদি গরিমাপূর্ণ কোন কাজ করি তো সমাজই আমাকে সম্মানের আসন দিবে। আমাকে তারাই মাথায় তুলে রাখবে। আমার নিজ মুখে সেটা বলে বেড়াতে হবে কেন? হিংসা ঘৃণা বিদ্বেষ এসব মানুষের মজ্জাগত। তবে বাঙালির হিংসাটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের বেশি। আমরা নিজেরা সেরা কোন কাজ করতে পারি কি তার খবর নেই, তবে অন্যের কাজটাকে বাধা দিতে, কিংবা তার নিন্দা করতে আমরা মোটেই পিছপা হই না। আমরা দম্ভ করে বলি, আমি অভিজাত বংশের লোক, অন্যে কেন আমাকে ছাড়িয়ে যাবে। সুতরাং তার অনিষ্ট কর, তাকে দাবিয়ে দাও। প্রতিহিংসাপূর্ণ আচরণ, পরশ্রীকাতর মনোভাব, অহেতুক অহমিকা-এ কখনো কল্যাণকর নয়। অহংকারের কতগুলো বাহন আছে। যেমন শিক্ষা, নেতৃত্ব, বংশ মর্যাদা, অর্থ, ক্ষমতা রূপ-সৌন্দর্য, পোশাক পরিচ্ছদ, পারদর্শিতা শিক্ষা এসব মানুষের মর্যাদার কারণ হতে পারে। শিক্ষিত ব্যক্তির মর্যাদা এমনিতেই সকলের উপরে। তার উপর সে যদি দর্প করে বেড়ায়, এই দম্ভ তার জন্য সম্মান বয়ে আনেব না! শিক্ষা মানুষকে ন¤্রতা দান করে। যেমন একটা বাঁশ যতই পরিপক্কতা অর্জন করে ততই তার মাথা ঝুঁকে আসে। একজন মানুষও যত জ্ঞানী হয় ততই সে বিনয়ী, শিষ্ট, অমায়িক হয়। যদি কোন শিক্ষিত লোক থেকে এর উল্টোটা প্রকাশ পায়, তাহলে বুঝতে হবে তার শিক্ষায় সমাজের কোন মঙ্গল নেই। এমন লোক থেকে দূরে সরে থাকাই উত্তম।
নেতৃত্ব : নেতৃত্বের জন্য এর পদমর্যাদার জন্য একটা লোকের মধ্যে গরিমার জন্ম হতে পারে। নিচু বংশের কেউ যখন উচ্চ আসন লাভ করে, অযোগ্য লোক যখন চান্স পেয়ে মর্যাদাকর পদ লাভ করে, তখন তার ঠেলায় বাঁচা দায়। সে নিতান্তই অন্যায়ভাবে অধীনস্তদের উপর তার কেরমাতি জাহির করে এবং নানা কায়দায় সে তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। অথচ নেতৃত্ব-পদমর্যাদা খোদার বিশেষ নেয়ামত। এর দ্বারা সে কত লোকের উপকার করতে পারতো। তা না করে সে কেবল অহংকারের বশবর্তী হয়ে লোকহিতের বদলে লোকের ক্ষতি করলো। এ রকম নেতৃত্ব দ্রুত তার হাতছাড়া হয়ে যেতে বাধ্য।
বংশমর্যাদা : এ এক অহংকার করার বিষয়ই বটে। যে নিচু বংশে জন্মগ্রহণ করে, শুধু সেই অভাগাই বুঝতে পারে, সংসারে সে কি হারিয়েছে আর কত বাধা তার সামনে আছে। উন্নতবংশে জন্ম নেয়া মানেই হল পরিবেশটা তার অনুকূলে থাকা। যেখানে যেতে চাক, যা-ই করার কথা ভাবুক, সেটা সে অনায়াসে করতে পারে। কারণ জনবল-অর্থবল সবই তার পক্ষে কাজ করে। কেউ রাজার ছেলের কাজে বাধা দেয়, তার নিন্দা করে এই দুঃসাহস সংসারে কারো নেই। উচ্চবংশের লোক হওয়া মানে অনেক যোগ্যতা। নিয়ে জন্মগ্রহণ করা। কেউ যদি সুযোগ পেয়েও যোগ্যতা অর্জন না করে কিংবা ভুলভাবে কর্তৃত্ব করতে চায়, আর সেই ভুলকে চাপা দেয়ার জন্য অহমিকার আশ্রয় নেয় তবে সেটা হয় আরেক ভুল। যারা এই ভুল করে তাদের স্থান অনেক নিচে চলে যায়।
অর্থ : আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্য বলে অর্থবল নিয়ে সহজেই অহংকার করা যায়। অর্থের জন্য অনেকের উপর কর্তৃত্ব করা যায়। এজন্য বলে বিত্তশালীর অন্তরে এক ধরনের গরিমার জন্ম হয়। যেহেতু মানুষ ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক অর্থশালীদের পাশে মৌমাছির মত ঘুর ঘুর করে। সেহেতু তারাও ভাবতে শুরু করে যে, অর্থ দিয়ে বুঝি সব কিছু করা যায়। সংসারে যে কোন অসাধ্য সাধনে এর কোন বিকল্প নেই। বাঘের দুধ তার রাক্ষসের চোখ সবই লাভ করা যায় অর্থের বিনিময়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থ আমাদের সমাজে এক বড় অহংকারের কারণ।
ক্ষমতা : ক্ষমতা অহংকারের এক বড় কারণ। পৃথিবীতে যত লোভনীয় বস্তু আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোভনীয় হল ক্ষমতা। ক্ষমতা লাভের জন্য মানুষ নিজের পিতা, ভাই, এমনকি সন্তানকে সরিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। সকলে চায় তার ক্ষমতাকে কণ্টকমুক্ত করতে। কেউ তার নির্বাচনী এলাকার আরেকজন প্রতিদ্বন্দ্বী দেখতে চায় না। আর যে লোক সকলকে হারিয়ে জয়লাভ করে ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করে তার অজান্তেই মনের মধ্যে অহমের জন্ম হয়। এ অবস্থায় অনেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। মানুষকে দাবিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতার চেয়ে শক্তিশালী কোন হাতিয়ার ইহ সংসারে আর নেই।
রূপসৌন্দর্য : রূপটা পুরুষের চেয়ে নারীর উপর অধিক প্রভাব বিস্তার করে। তাইতো রূপ সৌন্দর্যই মেয়েদের অহংকারের প্রধান কারণ। একজন সুন্দরীকে জয় করতে অনেকের আগ্রহ এবং রূপের হাটে রূপসীদের কদরও বেশি থাকে। সে কারণে রূপ নিয়ে তাদের গর্বও অধিক। তাই বলে রূপবান পুরুষের মর্যাদাও কম নয়। রাজপুত্রের মত যার চেহারা মেয়েরা একবার হলেও তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। সেজন্যই দেখা যায় সুন্দরী ললনার মত রূপবান পুরুষের মর্যাদাও অনেক বেশি।
পোশাক-পরিচ্ছদ : উন্নত পোশাকের কারণেও অনেকের মনে গর্বের জন্ম হতে পারে। ছোটবেলায় দেখেছি, স্কুলে একটি ছেলে দামি শার্ট পরে আসতো। আর আমরা তার জমা ধরে দেখতাম, তার দাম জিজ্ঞেস করতাম। ছেলেটি দামি জামা গায়ে দিতো বলে তার অহংকারের অবধি ছিল না। রূপের মত পোশাকের গা-ভর্তি গহনা, আর পরনে দামি শাড়ি, দেগামে তো তার পা মাটি স্পর্শ করে না। কোন কোন পুরুষও দামি পোশাক পরে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবে। যে পোশাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য প্রকাশের বাহন সেটাই কখনো কখনো অহংকারের কারণ হয়ে যায়।
পারদর্শিতা : বিশেষ কোন কর্মে কেউ যদি দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সে নিজেকে অতুলনীয় ভাবতে শুরু করে। যেমন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার কাজে বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে পারেন। একজন ডাক্তার বা উকিল তার কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেন। একজন শিল্পী বা অভিনেতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। সাহিত্যে-শিল্পে-সংগীতে কেউ প্রচুর সুনাম কুড়াতে পারেন। এসব বিশেষ যোগ্যতার জন্য কারো মধ্যে অহংবোধের জন্ম নেয়া স্বাভাবিক। তাই বলে সে যদি অন্যদের তাচ্ছিল্য করে, চেনা লোকদের না চেনার ভান করে কিংবা সুবিধা বুঝে অধিক সুবিধা আদায় করে, এটা তার জন্য সুফলের চেয়ে কুফলই বয়ে আনে। অসুর থাকবে। একে কখনো সমূলে উৎপাটন করা যাবে না। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেবি দুর্গা তার ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসুরকে থামিয়ে দেন। কারণ, তাকে থামানো না গেলে যে সুর প্রতিষ্ঠা হয় না। সমাজে ভাল-মন্দ, আলো-আঁধার দুয়ের অবস্থান খুব কাছাকাছি। আলো না থাকলে মুহূর্তে অন্ধকার এসে জায়গা দখল করে। এই আঁধারেরও প্রয়োজন আছে। তার অর্থ এই নয় যে, আমরা সর্বদা আঁধারেই বাস করব। এ-ঠিক যে, আমাদের জীবন জীবিকার জন্য আঁধারের চেয়ে আলোরই প্রয়োজন বেশি। সেজন্যে আমরা অন্ধকারকে হটানোর জন্য কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সমাধান করি। অন্ধকারে প্রয়োজন থাকলেও একে অধিক বাড়তে দেই না। তেমনি অহংকারেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু অসুরের মত একে অধিক বাড়তে দেয়া যাবে না। তাহলে সে আগুনের মত সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে। কাজকে সুষ্ঠুভাবে দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য পারদর্শিতার প্রয়োজন ঠিকই কিন্তু একে নিয়ে বড়াই করা ভাল নয়। এ-ও ধারণা করা ঠিক নয় যে, সে না হলে কাজ হতো না। জগতের কোন কাজই অচল-অকরণীয় থাকে না। পৃথিবীতে কি দক্ষ লোকের অভাবে আছে? একজন পাওয়া না গেলে কতজনকে খুঁজে আনা যায়। পোশাক-আশাক সৌন্দর্য বৃদ্ধির আনা যায়। পোশাক-আশাক সৌন্দর্য বৃদ্ধির বাহন। উত্তম পোশাক ও উত্তম ব্যবহার দ্বারা ইজ্জত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কেউ ভাল পোশাক পরে যদি অন্যদের পোশাকের নিন্দা করে, তার পোশাকের বিশেষ কোন মূল্য থাকে না। রূপ আছে বলে সেজন্যে যদি দেমাগ বৃদ্ধি পায় তাহলে সে রূপের জন্য অনেক সময়ই নির্জনে চোখের পানি ফেলতে হয়। আমি অনেক সুন্দরীকে দেখেছি তার রূপকে অতি সস্তা মূল্যে বিক্রি করতে। অধিক বাহাদুরী করতে গিয়ে দেখা গেছে তার উপযুক্ত স্বামীই জোটেনি। বরং সুযোগ সন্ধানীরা তার রূপ নিয়ে ব্যবসা করেছে। একটা উদাহরণ দেই-নাফিসা বিচারপতি বাবার অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে। যার অর্থ রূপ এবং বংশ মর্যাদা ছিল অহংকার করার মত। পিতার পদমর্যাদার জন্য হোক বা নিজের অস্বাভাবিক রূপের জন্য হোক শৈশব থেকেই নাফিসা কাউকে পাত্তা দিতো না। যারা নানা সময়ে ভালবাসার কথা বলেছিল তাদের সে তাচ্ছিল্যই করেনি, সুযোগমত অপমানও করেছে। অথচ কি দুর্ভাগ্য এই সুন্দরী মর্যাদাবান মেয়েটির বিয়ে হল এমন এক অর্থ-পিশাচের সঙ্গে যার কাছে তার রূপের কোন মূল্য নেই। স্বামী সংসারে তার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। ঐ ঘরের কেউই তার অহংকারকে গুরুত্ব দিলো না। অতঃপর মদ্যপ স্বামীর দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে একদিন সে তার বাপের ঘরে চলে আসে। সেই অহংকারী সুন্দরী মেয়েটি আজ নানা দুর্নামের অধিকারী। তার রূপের অহংকার কালিমা লেপন ছাড়া বংশের জন্য কোন গৌরব বয়ে আনেনি। অর্থ-ক্ষমতা দিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায়। একে খোদার নিয়ামত হিসেবেই ভাবতে হয়। ¯্রষ্টা তো সবাইকে এ নেয়ামত দেন না। যাকে দেন সে অবশ্যই সেরা মানুষ। কিন্তু যে যদি এর অপব্যবহার করে তবে মনে রাখা উচিত, আল্লাহ তার দেয়া নেয়ামত যে কোন মুহূর্তে কেড়ে নিতে পারেন। এজন্য দেখা গেছে একজন ক্ষমতাধর প্রতাপশালী লোক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যতই কেরামতি করুক, চক্রান্ত করে প্রতিদ্বন্দ্বীকে যতই ঘায়েল করুন, কোন না কোন কারণে তিনি পদচ্যুত হবেনই। সমাজে সকলে নেতা হয় না। কেউ কেউ হয়। কেউ যখন নেতা হয় তার উচিত সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেয়া। তার কর্তৃত্বাধীন লোকদের উন্নতির দিকে চালিত করা। কেউ যদি ইচ্ছে হয়ে যাবেই। সেজন্যই বলছি খোদার নিয়ামত নিয়ে কারোই অহংকার করা উচিত নয়। কেউ যদি সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তবে সেই নেয়ামতের জন্য তারই চূড়ান্ত অপমান হয়। অহম মানুষের ভেতরকার শক্তির কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল প্রেরণার উৎস। অহম বা আমিত্বের অহংকার যার নেই, তিনি নিঃশেষ হয়ে পড়েন, খেই হারিয়ে ফেলেন, গন্তব্য ভুলে যান। আমিত্বের অহংকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল মনের জোর তথা আত্মবিশ্বাস। যতক্ষণ মনের জোর অটুট থাকে ততক্ষণ মানুষ কাজ করে। একবারের কাজ দশবারে করে। তবু সে আগ্রহ হারায় না। কিন্তু যার অহম নষ্ট হয়, আত্মবিশ্বাসে সংশয় ঢুকে পড়ে, মনের জোর হারিয়ে যায়, তার পক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ কখনো সম্ভব নয়। অবশ্য এও ঠিক যে, শুধু অহংকার আর জেদ থাকলেই যুদ্ধে জেতা যায় না। জিততে হলে অন্য কৌশলগুলোও সময়মত প্রয়োগ করতে হয়। ভাল ছাত্র হলেই ভাল চাকরি পাওয়া যাবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। ভাল চাকরি পাওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি, আধুনিক জ্ঞান, সুদর্শন চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য আধুনিক জ্ঞান, সুদর্শন চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ইত্যাদি আবশ্যক। তবে চেহারা, বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ইত্যাদি আবশ্যক। তবে অহম প্রধান শর্ত, অহমের সাথে যদি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থাকে আর সেই লক্ষ্যের পানে যদি সে ধীরে ধীরে আগাতে থাকে তবে সফলতা একদিন তার হাতে ধরা দিবেই দিবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180904074935

Monday, September 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কৃষ্ণের সম্পর্কে

কৃষ্ণের সম্পর্কে

শুভ সন্ধ‍্যা
শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে ,তার সমন্ধে কিছু জেনে নেওয়া যাক।
★পিতাঃ--বসুদেব
★মাতাঃ---দেবকি
★জন্মগ্রহণঃ--আনুমানিক ৫০০০ বৎসর পূর্বে,অনেকেই বলেন খ্রীষ্টপূর্বাব্দ৩২২৮,১৮ইবা২১জুলাই,মথুরায়।
★বংশঃ--যদু
★বর্ণঃ---ক্ষত্রিয়
★পদবীঃ--ধর্ম্মের গ্লানিহেতু বিলুপ্ত।
★ধর্ম্মঃ---আর্য্য
★গোএঃ--গার্গ‍্য
★তিনি মাতা দেবকীর কততম গর্ভের সন্তান ছিলেন ?
উওরঃ---বিষ্ণু পুরাণ মতে ৮ জন এর মধ্যে ৬ জনকে নিজ মামা কংস হত্যা করে ৭ম জন গর্ভে মারা যায় এবং অষ্টম গর্ভে কারাগারের মধ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
★বাল্যকালে তিনি কি করতেন?
উওরঃ--গোপালন করেছিলেন।
★শোনা যায় তিনি বাল্যকালে পুতনা বধ করেছিলেন, এই পুতনা কি?
উওরঃ--রোগ বিশেষ।(সূত্রঃ--ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
★তিনি কোন অবাধ্য জাতিকে তাঁর বশে এনেছিলেন?
উওরঃ--নাগ নামে জাতিকে।
★তিনি কেমন স্বভাবের ছিলেন?
উওরঃ--খুবই চঞ্চল প্রকৃতির।
★তিনি কত বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন?
উওরঃ--১২ বৎসর বয়সের মধ্যে(সন্দীপন মুনির কাছ থেকে।)
★দীক্ষাগ্রহান্তে তাঁর গুরুদেব তাঁকে কি বলে আর্শীবাদ করেছিলেন?
উওরঃ--অচ্যুত ভব।
★তিনি কত বছর বয়সে উপনয়ন ব্রত গ্রহন করেন?
উওরঃ--- ১৫ বৎসর বয়সের মধ্যে।
★বলরাম ও সুভদ্রার সাথে তাঁর সম্পর্ক কি ধরনের?
উওরঃ--জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা এবং বোন।
★তাঁর দেহের গড়ন কেমন ছিলো?
উওরঃ--দীর্ঘকায় নাক লম্বা, কপাল চওড়া, চোখের নীচে কানের অবস্থান সর্বোপরি ৩২ লক্ষণ পরিলক্ষিত।
★রামচন্দ্রের দেহত্যাগের কতবছর পরে তাঁর আর্বিভাব হয়?
উওর---৩০/৪০ বৎসর(প্রমাণ রামভক্ত হনুমান বৃদ্ধ বয়সে এসে শ্রীকৃষ্ণের কাছে দীক্ষা গ্রহন করেন)
★তিনি সৃষ্টির কততম স্তর থেকে নাম নিয়ে এসেছিলেন?
উওরঃ---চতুর্দ্দশ।
★তিনি কি বীজ নাম নিয়ে এসেছিলেন?
উওরঃ--ধর্ম্মের গ্লানিহেতু বর্তমান পৃথিবীতে সে বীজনাম বিলুপ্ত।
★বহিরঙ্গ নাম "হরে কৃষ্ণ হরে রাম" কার দেওয়া নাম?
উওরঃ--ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এটাকে পুনশ্চরণ করে নতুনভাবে তবে, কলিসন্তরন উপনিষদে এর কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।
★তিনি কি প্রার্থনা মন্ত্রের বিধান দিয়েছিলেন?
উওরঃ--হ্যাঁ মহাভারতের বনপর্ব অনুযায়ী তিনি দ্বাপর যুগের মানুষের জন্য প্রার্থনা মন্ত্রের বিধান দিয়েছিলেন।তিনি প্রত্যহ সায়ংসন্ধ্যা ও প্রাতঃসন্ধ্যা প্রার্থনা করতেন।বর্তমানে ধর্ম্মের গ্লানি হেতু সে প্রার্থনা মন্ত্র বিলুপ্ত।
★তিনি তাঁর কথাকে প্রচার করার জন্য কি তৈরী করেছিলেন?
উওরঃ--মহাভারত অনুযায়ী ঋত্বিক সংঘ।বর্তমানে বিলুপ্ত।
★তিনি দ্বারকায় কি ছিলেন?
উওরঃ---রাজা
★তিনি সমগ্র জীবনে কতটি যুদ্ধ করেছিলেন?
উওরঃ--অানুমানিক ৭০ থেকে ৮০ টির অধিক।
★তিনি কয়টি বিবাহ করেছিলেন?
উওরঃ--বিষ্ণু পুরান ও ভাগবত মতে ৮/৯।
★তাঁর সহধর্মিনীগণের নামঃ--
১।মা রুক্ষনী দেবী
২।মা সত্যভামা
৩।মা জাম্ববতী
৪।মা কালিন্দী
৫।মা মিত্রবিন্দা
৬।নগ্নাজ্যোতি
৭।মা মুদ্রা
৮।মা লক্ষনা
★তাঁর কতজন সন্তান-সন্ততি ছিল?
উওরঃ--তথ্য মতে পাওয়া যায় ৪ জন পুত্র ও ১জন কন্যার নাম তবে এর থেকে বেশি।
★পুত্রগণঃ--১।প্রদুম্ন ২।শাম্ব ৩।অম্ব ৪।সাওকি
★মেয়েঃ--চরুমতি
★কার উচ্ছৃঙ্খল আচরণে তিনি সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছিলেন?
উওরঃ--নিজ পুত্র প্রদুম্নের।
★শাম্ব কার কন্যাকে বিবাহ করেছিলো?
উওরঃ--দুর্যোধনের।
★মহাভারত কিসের ভিওিতে রচিত?
উওরঃ--কৌরব পান্ডবদের পারিবারিক যুদ্ধের ভিওিতে।
★কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী ছিল?
উওরঃ--১৮ দিন
★মথুরা ছেড়ে দ্বারকায় তিনি কেন গিয়েছিলেন?
উওরঃ--কংস ও জরাসন্ধের অত্যাচারে।
★মহাভারতে শল্য পর্বে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেমন কৌশল অবলম্বন করতে বলেছিলেন?
উওরঃ--শত্রুসংখ্যা অধিক হইলে তাহাদিগকে কূটযুদ্ধে বিনাশ করিবে।
★অর্জুনকে তিনি পবিত্র গীতার বাণী কখন প্রদান করেছিলেন?
উওরঃ--কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রক্কালে।
★কিসের ভিওিতে তিনি পবিত্র গীতার বাণী প্রদান করা শুরু করেন?
উওরঃ--বর্ণোচিত কর্ম্মকে কেন্দ্র করে।
★কত বছর বয়সে তিনি অর্জুনকে গীতার বাণী প্রদান করেছিলেন?
উওরঃ--৪০ থেকে ৬০ বৎসর বয়সের মধ্যে।
★গীতার বিখ্যাত উক্তি কোনটা?
উওরঃ--যেখানে ধর্ম্মের গ্লানি হবে সেখানে তিনি নিজেকে নিজ সৃজন করে আসবেন।
★তিনি কত বছর বেঁচে ছিলেন?
উওরঃ--গবেষণামতে ৮০ থেকে ৮৫ বছর।
★তিনি কিভাবে দেহত্যাগ করেন?
উওরঃ--অশ্বথ বনে নিম গাছের ডালে বসে ছিলেন।এমন সময় জরা নামক ব্যাধের তীরের আঘাতে তিনি পড়ে যান এর কিছুক্ষণ পর তিনি দেহত্যাগ করে গোলকধামে পদার্পন করেন।
★তাঁর দেহের সৎকার কে করেন?
উওরঃ--মহাভারতের মোসল পর্ব অনুযায়ী ধনঞ্জয় ।
বীজমন্ত্রে সকলে বলো,
ক্লীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180903213137

Sunday, September 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্ম অষ্টমী ও শ্রীকৃষ্ণ

সুপ্রভাত
আজ রাত্রি ৮.৪৮মি অষ্টমী লাগবে।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। কৃষ্ণের জীবনের নাটকীয় উপস্থাপন রাসলীলামথুরা, বৃন্দাবন, মণিপুর ইত্যাদি স্থানে এই উৎসবের সাথে করা হয়।রাস লীলায় কৃষ্ণের ছোট বয়সের কর্ম-কাণ্ড দেখানো হয়, অন্যদিকে, দহি হাণ্ডি প্রথায় কৃষ্ণের দুষ্ট স্বভাব প্রতিফলিত করা হয় যেখানে কয়েকজন শিশু মিলে উচ্চস্থানে বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই পরম্পরাকে তামিলনাডুতে উরিয়াদি নামে পালন করা হয়। কৃষ্ণের জন্ম হাওয়ায় নন্দের সকলকে উপহার বিতরণের কাহিনী উদ্‌যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দোৎসব পালন করা হয়

জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্টার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।

শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে। তিনি বসুদেব ও দেবকীর অষ্টম পুত্র। তাঁর পিতামাতা উভয়ের যাদববংশীয়। দেবকীর দাদা কংস, তাঁদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। একটি দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তাঁর মৃত্যু হবে। এই কথা শুনে তিনি দেবকী ও বসুদেবকে কারারুদ্ধ করেন এবং তাঁদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন। দেবকী তাঁর সপ্তম গর্ভ রোহিণীকে প্রদান করলে, বলরামের জন্ম হয়। এরপরই কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে বসুদেব তাঁকে গোকুলে তাঁর পালক মাতাপিতা যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন। কৃষ্ণ ছাড়া বসুদেবের আরও দুই সন্তানের প্রাণরক্ষা হয়েছিল। প্রথমজন বলরাম (যিনি বসুদেবের প্রথমা স্ত্রী রোহিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন) এবং সুভদ্রা (বসুদেব ও রোহিণীর কন্যা, যিনি বলরাম ও কৃষ্ণের অনেক পরে জন্মগ্রহণ করেন)।

সমগ্র ভারতবর্ষে যখন হানাহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, রাজ্যলোভে রাজন্যবর্গের মধ্যে যুদ্ধবগ্রহ তথা পৃথিবী যখন মর্মাহত, পাশে অবনত, ঠিক সেই সৃষ্টি স্থিতি-পলয়ের যুগ সন্ধিক্ষণে তাঁর আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে পড়ে। ঘোর অমানিশার অন্ধকারে তাঁর জন্মগ্রহণ করায় কৃষ্ণের গায়ের রং শ্যামল, অন্য অর্থে ধূসর, পীত, কিংবা কালো। সংস্কৃত কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কালো, ঘন বা ঘন-নীল। কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে। তাঁর রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাঁকে বংশীবাদনরত এক বালক বা যুবকের বেশে দেখা যায়। এই বেশে তাঁর একটি পা অপর পায়ের উপর ঈষৎ বঙ্কিম অবস্থায় থাকে এবং বাঁশিটি তাঁর ঠোঁট পর্যন্ত ওঠানো থাকে। তাঁকে ঘিরে থাকে গোরুর দল; এটি তাঁর দিব্য গোপালক সত্ত্বার প্রতীক। কোনো কোনো চিত্রে তাঁকে গোপী-পরিবৃত অবস্থাতেও দেখা যায়।

জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। এক সময় ঢাকাবাসী এ জন্মাষ্টমী উৎসব অথবা জন্মাষ্টমীর মিছিলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। বর্তমানে এর ছোঁয়া থাকলেও আগের সেই জৌলুস আর নেই। জন্মাষ্টমী এ অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উৎসব ছিল, যে উৎসবে অংশগ্রহণ করতেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। শুধু তাই নয়, এক সময় ঢাকা শহরে জন্মাষ্টমীর যে মিছিল বের হতো তা সারা উপমহাদেশে বিখ্যাত ছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে এ দিনে শুধু উপাবাসেও সপ্ত জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। আর তাই এ দিনটিতে তারা উপবাস করে লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে কালের স্রোতে ধীরে ধীরে যুক্ত হয় মিছিল ও শোভাযাত্রা। ক্রমেই জন্মাষ্টমী পালনের প্রধান অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় মিছিল ও শোভাযাত্রা। কিন্তু ঠিক কবে থেকে এবং কেন জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু তার নির্দিষ্ট কোনো ইতিহাস জানা যায়নি

মিছিলের পুরনো ইতিহাস লেখক ভুবন মোহন বসাক এবং যদুনাথ বসাকের দুটি বইয়ের তথ্যানুসারে জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকে। ভুবন মোহনের লেখা বই অনুসারে ইসলাম খাঁর ঢাকা নগরের পত্তনের (১৬১০ সাল) আগে বংশালের কাছে এক সাধু বাস করতেন। ১৫৫৫ সালে (ভাদ্র ৯৬২ বাংলা) তিনি শ্রী শ্রী রাধাষ্টমী উপলক্ষে বালক ও ভক্তদের হলুদ পোশাক পরিয়ে একটি মিছিল বের করেছিলেন। এর প্রায় ১০-১২ বছর পর সেই সাধু ও বালকদের উৎসাহে রাধাষ্টমীর কীর্তনের পরিবর্তে শ্রী কৃষ্ণের জন্মোপলক্ষে জন্মাষ্টমীর অপেক্ষাকৃত জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিছিল বের করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। সে উদ্যোগেই ১৫৬৫ সালে প্রথম জন্মাষ্টমীর মিছিল ও শোভাযাত্রা বের হয়।

পরবর্তীতে এ মিছিলের দায়ভার এসে বর্তায় ঢাকার নবাবপুরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বসাকের পরিবারের ওপর। কালক্রমে জন্মাষ্টমীর মিছিল একটি সাংগঠনিক রূপ ধারণ করে এবং প্রতি বছর জন্মাষ্টমী উৎসবের নিয়মিত অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। ১০৪৫ বঙ্গাব্দে কৃষ্ণ দাসের মৃত্যুর পর থেকে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চক্রই এ উৎসবের আয়োজন শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে জন্মাষ্টমীর মিছিলকে উন্নত করে তোলেন। এরপর থেকে নবাবপুরের ধনাঢ্য ব্যক্তিরাও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নিজ নিজ মিছিল বের করতে শুরু করে। কালক্রমে যা পরিচিত হয় উঠে 'নবাবপুরের মিছিল' নামে। অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে ইসলামপুরের পান্নিটোলার কিছু ব্যবসায়ী ধনাঢ্য হয়ে উঠে এবং ভগবানের অনুসরণে তারা জন্মাষ্টমীর মিছিল বের করতে শুরু করেন

১৭২৫ সালে জেমস টেলর উল্লেখ করেন যে, ওই সময় জন্মাষ্টমী পালনের জন্য দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। নবাবপুর পক্ষকে বলা হতো, লক্ষ্মীনারায়ণের দল আর ইসলামপুর পক্ষকে বলা হতো, মুরারি মোহনের দল। সপ্তদশ শতকে মিছিলের শুরু হলেও তা বিকশিত হয়েছিল উনিশ শতকের শেষার্ধে। যে ধারা বলবৎ ছিল বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত।

প্রথমদিকে মিছিলে নন্দঘোষ, রানী যশোদা, শ্রী কৃষ্ণ ও বলরামকে আনা হতো। ক্রমেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে আরো নানা ধরনের অনুষঙ্গ। তবে মূল কাঠামোটি ছিল প্রথমে নেচে-গেয়ে যাবে কিছু লোক, এরপর দেব-দেবীর মূর্তি, লাঠিসোঁটা, বর্শা, নিশান প্রভৃতি নিয়ে বিচিত্র পোশাক পরিহিত মানুষ, নানা রকমের দৃশ্য। মিছিলের প্রধান আকর্ষণগুলো ছিল সুসজ্জিত হাতি, ঘোড়া, রঙিন কাগজে মোড়ানো বাঁশের টাট্টি, প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মন্দির, মঠ, প্রাসাদ ও প্রাচীন কীর্তির প্রদর্শন। সেসব আয়োজন এখন শুধুই স্মৃতি। কিন্তু হাজার প্রতিকূলতার পরও ঢাকায় এখনো জন্মাষ্টমী উৎসব ও শোভাযাত্রা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।

শ্রী কৃষ্ণের জীবনী পাঠ ও কর্মকান্ড মানব সমাজকে শিক্ষা দেয় যে, সৌভ্রাতৃত্ব ও স¯প্রীতির বন্ধনে বিশ্ব সমাজকে আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তাঁর দর্শন ও প্রেমের বাণী রাখতে পারে কার্যকরী ভূমিকা। তাইতো শুধু দুষ্টের দর্শনই নয় এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন তথা জন্মাষ্টমী আমাদের মাঝে নিয়ে আসে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক শুভ আনন্দময় বার্তা।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর ব্রতকথা।

মহা সমারোহে কংসরাজের দরবারে ধনুর্যজ্ঞাদি ও মহামল্লযুদ্ধ অনুষ্ঠান ছলে ষড়যন্ত্রকারী কংস কৃষ্ণকে হত্যা করবার জন্যই অক্রূরকে দিয়ে বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণ ও বলরামকে নিয়ে এসেছিল। দুরাচারী কংসকে বধ করা এবং মা দেবকী ও পিতা বসুদেবকে কারামুক্ত করা এবং বন্দী উগ্রসেনকে মথুরার রাজসিংহাসনে পুণরায় বসাবার জন্য কৃষ্ণ মথুরাতে আসেন। মথুরাবাসী ভক্তগণ বিশেষরূপে ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন কবে দৈববাণী নির্ধারিত সেই ব্যক্তিটির আগমন হবে যে কংসকে উচ্ছেদ করবে, তাকেই আমরা এ জীবনে দর্শন পেতে চাই। সত্যি সেই দিন এসে গেল। কৃষ্ণ ও বলরাম মথুরা নগরীতে প্রবেশ করলেন। সবাই সেই সংবাদ পেয়ে কৃষ্ণ-বলরামকে সাদর অভ্যর্থনা জানাতে লাগল। মথুরাপুরে দুরাচারী কংসের বিনাশ হলে দেবকী বসুদেব অন্ধক প্রভৃতি অসংখ্য স্নেহপরায়ণ আত্মীয়স্বজন কৃষ্ণের স্তুতি করতে লাগলেন। মাতৃস্থানীয়া রমণীয়া কৃষ্ণকে আলিঙ্গন করতে নিজ কোলে নিয়ে ক্রন্দন করতে শুরু করলেন। বসুদেবও আনন্দে কাঁদতে লাগলেন। পুত্র পুত্র বলে কৃষ্ণকে আলিঙ্গন করতে লাগলেন। তারপর বলরাম ও কৃষ্ণকে বসুদেব বুকের কাছে টেনে নিয়ে বলতে লাগলেন, হে বৎস, তোমরা আমার পুত্র। তোমাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আজ আমার জন্ম সার্থক হলো। আমার জীবন ধন্য হলো।

বসুদেব-দেবকীর স্নেহ-ক্রন্দন ও আনন্দ দর্শন করে মথুরাবাসী আনন্দিত হয়ে কৃষ্ণকে প্রণতি জানিয়ে বললেন, হে কৃষ্ণ, আজ আমাদের আনন্দের সীমা নেই। আজ মল্লযুদ্ধে দুরাত্মা কংসের নিপাত হয়েছে। হে কৃষ্ণ! এখন আমাদের সবার প্রতি প্রীত হউন। আমাদের এ জনসাধারণের মধ্যে আপনার কাছে একটি প্রস্তাব নিবেদন করি, তা হলো, দেবকী দেবী যে দিন আপনাকে প্রসব করেছেন, সেই দিনটি সম্বন্ধে আমরা কিছুই নির্ধারণ করতে পারি না। সেই দিন আপনার জন্ম-উৎসব আমরা সম্পাদন করব। আপনি আমাদের অনুমতি প্রদান করুন। হে কৃষ্ণ! আমরা ভক্তি সহকারে আপনার শরণ গ্রহণ করলাম, আমাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করুন। সেই কথা শুনে বসুদেব বলরাম ও কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে- আনন্দে রোমাঞ্চিত হলেন। তারপর তিনি কৃষ্ণকে বললেন, সমস্ত লোকেরই এরকম হোক, তুমি যথাযথ আজ্ঞা প্রদান করো। পিতার অনুমতি অনুসারে মথুরা নগরীতে কৃষ্ণ সবার মাঝে ঘোষণা করলেন। হে মানবগণ! সূর্য সিংহরাশিতে গমন করলে আকাশে মেঘ উদয় হলে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণাষ্টমীতে অর্ধ নিশাভাগে বৃষ রাশিস্থ শশধরে রোহিনী নক্ষত্রে পিতা বসুদেব ও মাতা দেবকীর কোলে আমার জন্ম হয়। আপনাদের প্রতি প্রীতিবশে আমি আজ থেকে অনুমোদন করলাম- পৌরগণ এবং অন্যান্য ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র প্রভৃতি অপরাপর ধর্মালম্বীগণ আট থেকে আশী বছর বয়স অবধি আবাল বৃদ্ধ বনিতা আমার এ জন্ম তিথি ব্রত সাধন করুক। এ ব্রত করলে সবার শান্তি আনন্দ ও নীরোগ হবে।

কৃষ্ণের সেই কথা শুনে সমস্ত লোক জন্মাষ্টমীর দিন উপবাস ব্রত করে কৃষ্ণপ্রীতি সাধনের উদ্দেশে কৃষ্ণগান, কৃষ্ণকথা, যাগযজ্ঞ অনুষ্ঠান করতে লাগল। মধ্যরাত্রি পর্যন্ত মহাসমারোহে নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান চলতে লাগল। মথুরাবাসীরা কৃষ্ণকে নানা উপহার সামগ্রী দান করতে লাগল। দেবকী বসুদেবের বন্দনা করতে লাগল। দেবকী-বসুদেব উপস্থিত ব্রাহ্মণ পুরোহিত, গায়ক বাদক, স্তবকারী, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন বস্ত্র প্রভৃতি দান করতে লাগলেন।

বিষ্ণুরহস্যে লিখিত আছে, যে ব্যক্তি জন্মাষ্টমী ব্রত করতে বিমুখ, সে ভীষণ বনের মধ্যে সর্প হয়ে বাস করবে। তাছাড়া ইহলোকে ও পরলোকে তার সুখ নেই। নারকীয় যাতনা তার ভাগ্যে থাকে।

ভবিষ্যোত্তর পুরাণে উল্লেখ আছে, শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠির মহারাজকে বলছেন, একটি মাত্র জন্মাষ্টমীর উপবাস করলে সাত জন্মের অর্জিত পাপরাশি থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং সন্তান সন্ততি, আরোগ্য ও অতুল সৌভাগ্য লাভ হয়। জন্মাষ্টমী পরায়ণ ব্যক্তিদের বংশে রূপবান ও হৃদয়বান মহাত্মার জন্ম হয়।’ কলকাতার কৃষ্ণভক্তি পরায়ণ গৌরমোহন দে ও রজনী দেবী জন্মাষ্টমী দিনে নিজগৃহে রাধাগোবিন্দ সেবায় যুক্ত ছিলেন। পরদিনই তাঁদের পুত্র স্বরূপে জন্মগ্রহণ করেন এক হৃদয়বান মহাত্মা শ্রীঅভয়চরণ।

ভবিষ্যোত্তর পুরাণে আরো বলা হয়েছে, জন্মাষ্টমীতে স্নান, দান, হোম, স্বাধ্যায়, জপ, তপ প্রকৃতি যে কোনো কার্যের অনুষ্ঠান করা যায়, সেই সমস্ত শতগুণ ফলপ্রদ হয়। ব্রহ্মপুরাণে পূর্বখণ্ডে জন্মাষ্টমী মাহাত্ম্যে শ্রীসূত গোস্বামী বলেছেন শ্রীকৃষ্ণাষ্টমী হলো বৈষ্ণব তিথি। ঐ তিথির স্মরণ গ্রহণ করলে কলিযুগের মানুষ বিশুদ্ধ হয়।

আমাদের সমাজে জন্মাষ্টমী ব্রত উপবাস কেউ কেউ আগের দিন কেউ কেউ পরের দিন করেন। কোন দিন কর্তব্য, সেই ব্যাপারে পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে ভোরের বেলা একটু সপ্তমী আর সারা দিন-রাত অষ্টমী তিথি থাকলেও ঐ সপ্তমী যুক্ত অষ্টমী তিথিতে ব্রত উপবাস একেবারেই নিষিদ্ধ। বরং পরের দিন ভোর পর্যন্ত অষ্টমী তিথি, তারপর সারা দিন-রাত নবমী থাকলেও সেই দিন নবমী যুক্ত অষ্টমী তিথিই ব্রত পালনের উপযুক্ত বলে গ্রহণ করতে হবে। আর রোহিনী নক্ষত্রযুক্ত সপ্তমী বিরহিত শুদ্ধ অষ্টমী যদি হয়, সেই অষ্টমী পরদিন ভোর অবধি থাকলেও পূর্ব দিনেই ব্রত উপবাস করতে হয়। কিন্ত সপ্তমী যুক্ত অষ্টমীর দিন জন্মাষ্টমী ব্রত উপবাস পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
ক্লীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ
জয় শ্রীকৃষ্ণ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180902134434

Saturday, September 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা কালী ও শনিদেব

মা কালী ও শনিদেব

সুপ্রভাত
আজ শনিবার ,বড়রাজের ইষ্টদেবী দক্ষীনা কালী,তার পূজা করলে শনিদেব ভীষন তুষ্ট হন।

মা কালীর ধ্যান ও মায়ের অঙ্গের তাৎপর্য
মা কালীর ধ্যান মন্ত্র

ওঁ করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাম্ ।
কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুন্ডমালাবিভূষিতাম্।।
সদ্যশ্ছিন্নশিরঃখড়্গবামাধোর্দ্ধকরাম্বুজাম্ ।
অভয়াং বরদাঞ্চৈব দক্ষিণোর্দ্ধাধঃপাণিকাম্।।
মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং তথা চৈব দিগম্বরীম্ ।
কণ্ঠাবসক্তমুন্ডালীগলদ্রুধিরচর্চ্চিতাম্ ।
কর্নাবতংসতানীতশবযুগ্মভয়ানকাম্ ।।
ঘোরদ্রংষ্টাং করালাস্যাং পীনোন্নতপয়োধরাম্।
শবানাং করসংঘাতৈঃ কৃতকাঞ্চীং হসন্মখীম্ ।।
সৃক্কদ্বয়গলদ্রক্তধারাবিস্ফুরিতাননাম্ ।।
ঘোররাবাং মহারৌদ্রীং শ্মশ্মানালয়বাসিনীম্ ।
বালার্কমণ্ডলাকারলোচনত্রিতয়ান্বিতাম্ ।।
দস্তুরাং দক্ষিণব্যাপি-মুক্তালম্বিকচোচ্চয়াং ।
শবরূপ-মহাদেবহৃদয়ো-পরিবংস্থিতাম্ ।।
শিবাভির্ঘোররাবাভিশ্চতুর্দিক্ষু সমন্বিতাম্ ।
মহাকালেন চ সমং বিপরীতরতাতুরাম ।।
সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরাননসরোরুহাম্ ।
এবং সঞ্চিন্তেয়ৎ কালীং সর্বকাম-সমৃদ্ধিদাম্ ।।

‪মন্ত্রের অনুবাদ-

দেবী দক্ষিণা কালী করালবদনাভয়ঙ্করী, মুক্তকেশী ও চতুর্ভুজা, তিনি দিব্য জ্যোতি সম্পূর্ণা, মুন্ডমালাধারিণী । মায়ের বামদিকের নিচেরহাতে সদ্যচ্ছিন্নিত মুন্ড, উপরের বামহাতে খড়গ । ডানদিকের উপরেরহাত অভয় মুদ্রায় এবং নিচের হাতবরমুদ্রা ধারণ করে আছেন । মায়ের গায়ের রং কালো মেঘের প্রভার মত শ্যামা । তিনি দিগম্বরী অর্থাৎ বস্ত্রহীনা। উনার গলার মুন্ডমালা গুলো থেকেবের হওয়া রক্ত উনার দেহ কে রঞ্জিত করছে, দুটি শবশিশু তারকর্ণভূষণ হওয়াতে দেবীকে ভয়ঙ্করীদেখাচ্ছে । তিনি তাঁর দাঁত দিয়েনিজের জিহ্বাকে কামড় দিয়েআছেন, তিনি কোমরে বেঁধেরেখেছেন হাতের মালা। তাঁর মুখে মৃদুহাসি এবং উনার মুখ থেকেরক্তের ধারা বের হচ্ছে আর উনারমুখে অনন্ত কোটি সূর্যের তেজবিদ্যমান । তিনি অতিশয় ক্রোদ্ধা,ভয়ংকর নাদকারিণী, উনার তিনটিচোখ আর সেই সকালের সূর্যের মতলালপ্রভাময় । উনার চারদিকে চিৎকার করছে শিয়ালের দল ।আমি সেই দেবীর ধ্যান করি যিনি শবরুপমহাদেবের হৃদয়ের মধ্যে দাঁড়িয়েআছেন যার মুখ সুখ-প্রসন্নতায় ভরা । যিনি মোক্ষদায়িনী এবং সকলইচ্ছাপূরণকারিণী.

দেবীর অঙ্গের তাৎপর্যঃ

দেবীর মাথায় অর্দ্ধচন্দ্র তাঁহার মোক্ষ-প্রদান শক্তির পরিচায়ক।তাহা হইতে নিঃসৃত অমৃত সাধক কে অমৃতত্ব বাঁ মোক্ষ প্রদান করিয়া থাকে। দেবী মুক্তকেশী ।তাঁর মুক্তকেশ চির-বৈরাগ্যের প্রতীক। জ্ঞান-অসির আঘাতে তিনি অক্টপাশ ছেদনকারী মা চির বৈরাগ্যময়ী। তাই তাঁর কালো চুল বিস্তৃত।

দেবীর তিন চোখ তিনটি আলোর প্রতীক,চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি। অন্ধকার বিধ্বংসী তিন শক্তির প্রকাশ। অজ্ঞতা, চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি অজ্ঞানতারূপ অন্ধকার থেকে মুক্ত করে। তিনটি চোখে দেবীঅতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে প্রত্যক্ষ করেন। কারণ,এই শক্তিই হল সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয়ের কর্তা। দেবীর কানে দুতি বালকের শব যার অর্থ নির্ব্বিকার, নিস্কাম,শিশু্ভাবাপন্ন সাধক মায়ের অতি প্রিয়। দেবী রক্তবর্ণের জিহ্বাকে সাদা দাঁত দিয়ে কামড়ে রেখেছেন। লাল রং রজোগুণের প্রতীক, সাদা রং সত্ত্বগুণের প্রতীক। সাদা দাঁত দিয়ে লাল জিহবাকে চেপে রাখা। অর্থাৎ সত্ত্বগুণর দ্বারা রজোগুণকে দমন করে রাখা। রজোগুণ ভোগের গুন, ঈশ্বর বিমুখ করে। রজোগুণ দমনের জন্য এই প্রতীক। অনেক সময় আমরা কোন অন্যায় বা মিথ্যাচার করলে জিহ্বার কামড় দেই অর্থাৎ অন্যায় করার স্বীকৃতি।

দেবীর গলায় পঞ্চাশটি মুন্ড দিয়ে মালা পরানো। পঞ্চাশটি মুন্ড পঞ্চাশটি অক্ষরের প্রতীক। ১৪ টি স্বরবর্ণ এবং ৩৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ, অক্ষর ব্রহ্ম,যার ক্ষয় নেই, শব্দ ব্রহ্ম, অক্ষরের দ্বারাই শব্দের উৎপত্তি হয়। এর অবস্থান মস্তকে। আমরা মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা দেব বা দেবীর বন্দনা করি।এই মন্ত্রের অবস্থান মাথার তালুতে সহস্রার পদ্মের মধ্যে। তাই অক্ষরের প্রতীক মুন্ড তাঁর গলায় হাত কর্মের প্রতীক। আমাদের সকল কর্মের ফলদাতা তিনি । সকাম ভক্ত যারা তারা অতৃপ্ত কামনা নিয়ে দেহত্যাগ করে বলে পুনরায় মাতৃ জঠরস্থ হয়, হস্ত মেখলা প্রতীকে সকাম ভক্তের পুণর্জন্ম লাভ করার তত্ত্ব নিহিত।

দেবীর চাইতে বড়তো কিছুই নেই। তাই তিনি কি পরিধান করবেন? বিশ্বব্যাপী শক্তির অবস্থান। শক্তিকে আবরিত করা যায়না। তিনি স্বয়ং প্রকাশ। তাই দেবী উলঙ্গ।দেবী কখন দক্ষিণ পদ কখন বাম্পদ, অগ্রে স্থাপন করেন ইহার অর্থ এক পদে অতীতকে অন্যপদে ভবিষ্যত কে অধিকার করিয়া আছেন।

কালো রং সকল বর্ণের অনুপস্থিত। তাই কালো। কখনো বা তিনি শ্যমা- শ্যামবর্ণা। কালো রং ভয়ের উদ্রেক করলেও শ্যাম রং কোমলতা জাগায়। স্নিগ্ধতা ও কমনীয়তা জাগায়। তাই মাতৃসাধক কালী শ্যামবর্ণা রূপেও দর্শন করেছেন।

মা কালী শবরূপী শিবের বুকে দন্ডায়মানা। শিব স্থির, কালী গতিময়ী। গতি ঠিক রাখতে হলে স্থিরের উপর তার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। শিব শুভ্রবর্ণ,কালী কালো বর্ণ। সাধক কূটস্থ দর্শন কালে এই শুভ্র রং বেষ্ঠিত কালো রং সাধনায় দেখে থাকেন।

মা কালীর প্রনাম মন্ত্র। জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রা কালী কপালিনী দূর্গা শিবা সমাধ্যার্তী সাহা সুধা নমস্তুতে।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180901111539

Saturday, September 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা কালী ও শনিদেব

মা কালী ও শনিদেব

সুপ্রভাত
আজ শনিবার ,বড়রাজের ইষ্টদেবী দক্ষীনা কালী,তার পূজা করলে শনিদেব ভীষন তুষ্ট হন।

মা কালীর ধ্যান ও মায়ের অঙ্গের তাৎপর্য
মা কালীর ধ্যান মন্ত্র

ওঁ করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাম্ ।
কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুন্ডমালাবিভূষিতাম্।।
সদ্যশ্ছিন্নশিরঃখড়্গবামাধোর্দ্ধকরাম্বুজাম্ ।
অভয়াং বরদাঞ্চৈব দক্ষিণোর্দ্ধাধঃপাণিকাম্।।
মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং তথা চৈব দিগম্বরীম্ ।
কণ্ঠাবসক্তমুন্ডালীগলদ্রুধিরচর্চ্চিতাম্ ।
কর্নাবতংসতানীতশবযুগ্মভয়ানকাম্ ।।
ঘোরদ্রংষ্টাং করালাস্যাং পীনোন্নতপয়োধরাম্।
শবানাং করসংঘাতৈঃ কৃতকাঞ্চীং হসন্মখীম্ ।।
সৃক্কদ্বয়গলদ্রক্তধারাবিস্ফুরিতাননাম্ ।।
ঘোররাবাং মহারৌদ্রীং শ্মশ্মানালয়বাসিনীম্ ।
বালার্কমণ্ডলাকারলোচনত্রিতয়ান্বিতাম্ ।।
দস্তুরাং দক্ষিণব্যাপি-মুক্তালম্বিকচোচ্চয়াং ।
শবরূপ-মহাদেবহৃদয়ো-পরিবংস্থিতাম্ ।।
শিবাভির্ঘোররাবাভিশ্চতুর্দিক্ষু সমন্বিতাম্ ।
মহাকালেন চ সমং বিপরীতরতাতুরাম ।।
সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরাননসরোরুহাম্ ।
এবং সঞ্চিন্তেয়ৎ কালীং সর্বকাম-সমৃদ্ধিদাম্ ।।

‪মন্ত্রের অনুবাদ-

দেবী দক্ষিণা কালী করালবদনাভয়ঙ্করী, মুক্তকেশী ও চতুর্ভুজা, তিনি দিব্য জ্যোতি সম্পূর্ণা, মুন্ডমালাধারিণী । মায়ের বামদিকের নিচেরহাতে সদ্যচ্ছিন্নিত মুন্ড, উপরের বামহাতে খড়গ । ডানদিকের উপরেরহাত অভয় মুদ্রায় এবং নিচের হাতবরমুদ্রা ধারণ করে আছেন । মায়ের গায়ের রং কালো মেঘের প্রভার মত শ্যামা । তিনি দিগম্বরী অর্থাৎ বস্ত্রহীনা। উনার গলার মুন্ডমালা গুলো থেকেবের হওয়া রক্ত উনার দেহ কে রঞ্জিত করছে, দুটি শবশিশু তারকর্ণভূষণ হওয়াতে দেবীকে ভয়ঙ্করীদেখাচ্ছে । তিনি তাঁর দাঁত দিয়েনিজের জিহ্বাকে কামড় দিয়েআছেন, তিনি কোমরে বেঁধেরেখেছেন হাতের মালা। তাঁর মুখে মৃদুহাসি এবং উনার মুখ থেকেরক্তের ধারা বের হচ্ছে আর উনারমুখে অনন্ত কোটি সূর্যের তেজবিদ্যমান । তিনি অতিশয় ক্রোদ্ধা,ভয়ংকর নাদকারিণী, উনার তিনটিচোখ আর সেই সকালের সূর্যের মতলালপ্রভাময় । উনার চারদিকে চিৎকার করছে শিয়ালের দল ।আমি সেই দেবীর ধ্যান করি যিনি শবরুপমহাদেবের হৃদয়ের মধ্যে দাঁড়িয়েআছেন যার মুখ সুখ-প্রসন্নতায় ভরা । যিনি মোক্ষদায়িনী এবং সকলইচ্ছাপূরণকারিণী.

দেবীর অঙ্গের তাৎপর্যঃ

দেবীর মাথায় অর্দ্ধচন্দ্র তাঁহার মোক্ষ-প্রদান শক্তির পরিচায়ক।তাহা হইতে নিঃসৃত অমৃত সাধক কে অমৃতত্ব বাঁ মোক্ষ প্রদান করিয়া থাকে। দেবী মুক্তকেশী ।তাঁর মুক্তকেশ চির-বৈরাগ্যের প্রতীক। জ্ঞান-অসির আঘাতে তিনি অক্টপাশ ছেদনকারী মা চির বৈরাগ্যময়ী। তাই তাঁর কালো চুল বিস্তৃত।

দেবীর তিন চোখ তিনটি আলোর প্রতীক,চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি। অন্ধকার বিধ্বংসী তিন শক্তির প্রকাশ। অজ্ঞতা, চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি অজ্ঞানতারূপ অন্ধকার থেকে মুক্ত করে। তিনটি চোখে দেবীঅতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে প্রত্যক্ষ করেন। কারণ,এই শক্তিই হল সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয়ের কর্তা। দেবীর কানে দুতি বালকের শব যার অর্থ নির্ব্বিকার, নিস্কাম,শিশু্ভাবাপন্ন সাধক মায়ের অতি প্রিয়। দেবী রক্তবর্ণের জিহ্বাকে সাদা দাঁত দিয়ে কামড়ে রেখেছেন। লাল রং রজোগুণের প্রতীক, সাদা রং সত্ত্বগুণের প্রতীক। সাদা দাঁত দিয়ে লাল জিহবাকে চেপে রাখা। অর্থাৎ সত্ত্বগুণর দ্বারা রজোগুণকে দমন করে রাখা। রজোগুণ ভোগের গুন, ঈশ্বর বিমুখ করে। রজোগুণ দমনের জন্য এই প্রতীক। অনেক সময় আমরা কোন অন্যায় বা মিথ্যাচার করলে জিহ্বার কামড় দেই অর্থাৎ অন্যায় করার স্বীকৃতি।

দেবীর গলায় পঞ্চাশটি মুন্ড দিয়ে মালা পরানো। পঞ্চাশটি মুন্ড পঞ্চাশটি অক্ষরের প্রতীক। ১৪ টি স্বরবর্ণ এবং ৩৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ, অক্ষর ব্রহ্ম,যার ক্ষয় নেই, শব্দ ব্রহ্ম, অক্ষরের দ্বারাই শব্দের উৎপত্তি হয়। এর অবস্থান মস্তকে। আমরা মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা দেব বা দেবীর বন্দনা করি।এই মন্ত্রের অবস্থান মাথার তালুতে সহস্রার পদ্মের মধ্যে। তাই অক্ষরের প্রতীক মুন্ড তাঁর গলায় হাত কর্মের প্রতীক। আমাদের সকল কর্মের ফলদাতা তিনি । সকাম ভক্ত যারা তারা অতৃপ্ত কামনা নিয়ে দেহত্যাগ করে বলে পুনরায় মাতৃ জঠরস্থ হয়, হস্ত মেখলা প্রতীকে সকাম ভক্তের পুণর্জন্ম লাভ করার তত্ত্ব নিহিত।

দেবীর চাইতে বড়তো কিছুই নেই। তাই তিনি কি পরিধান করবেন? বিশ্বব্যাপী শক্তির অবস্থান। শক্তিকে আবরিত করা যায়না। তিনি স্বয়ং প্রকাশ। তাই দেবী উলঙ্গ।দেবী কখন দক্ষিণ পদ কখন বাম্পদ, অগ্রে স্থাপন করেন ইহার অর্থ এক পদে অতীতকে অন্যপদে ভবিষ্যত কে অধিকার করিয়া আছেন।

কালো রং সকল বর্ণের অনুপস্থিত। তাই কালো। কখনো বা তিনি শ্যমা- শ্যামবর্ণা। কালো রং ভয়ের উদ্রেক করলেও শ্যাম রং কোমলতা জাগায়। স্নিগ্ধতা ও কমনীয়তা জাগায়। তাই মাতৃসাধক কালী শ্যামবর্ণা রূপেও দর্শন করেছেন।

মা কালী শবরূপী শিবের বুকে দন্ডায়মানা। শিব স্থির, কালী গতিময়ী। গতি ঠিক রাখতে হলে স্থিরের উপর তার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। শিব শুভ্রবর্ণ,কালী কালো বর্ণ। সাধক কূটস্থ দর্শন কালে এই শুভ্র রং বেষ্ঠিত কালো রং সাধনায় দেখে থাকেন।

মা কালীর প্রনাম মন্ত্র। জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রা কালী কপালিনী দূর্গা শিবা সমাধ্যার্তী সাহা সুধা নমস্তুতে।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180901111436

Thursday, August 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কুন্ডলীতে রবি ও ব্হস্পতির সংযোগ

কুন্ডলীতে রবি ও ব্হস্পতির সংযোগ

সুপ্রভাত
::::::::::রবি + বৃহস্পতি যোগ :::::::

এই যোগটি একটি শুভ যোগ হিসাবে মানা হয়.
গ্রহ পরিচিতি
অ) রবি : - রাজকীয় ভাব .সম্মান. নাম. যশ.প্রতিষ্ঠা. পিতা. সরকার সমন্ধীয় বিযয়.আত্মা.পারসোনলেটি. রাজনীতি. উচ্ছপদ. চিকিত্সা . ইত্য়াদি ..

আ) বৃহস্পতি : - knowledge, wisdom, Sahitho, সামাজিক নীতি, আইন , ধর্ম ও ধর্ম গুরু. আধাত্মিকতা, টিচার ইত্য়াদি..

এরা ( রবি) সাধারণত জীবনে
উচ্ছপ্রতিষ্ঠা পায় ও সমাজে নাম করা বাক্তিত্ব হতে পারে .এরা পিতার দ্বারা লাভবান হতে পারে . এরা কর্তবপরায়ন.আত্মবিশ্বাসীয় সহনুভূতিশীল . গুনী wise & Knowledgeable person হয়.

এরা (বৃহস্পতি)
উচ্ছপদস্থ কর্মচারী . জাতিয় স্তরে কর্ম, কাউনসিলার. টিচিং . রাজনীতিবিদ. মন্ত্রী.
আইনি বিভাগ ,মেডিক্য়াল ফিল্ড . পরামর্শদাতা. ইত্য়াদি কাজের নির্দেশ করে .

এই যোগ মেষ ,সিংহ,কর্কট . ধনু ও মীন রাশি তে ভালো হয়,
এই যোগ মকর,কম্ভ,তুলা,ওবৃষ রাশিতে অত্যন্ত অশুভ ফল দেয়
কন‍্যা,মিথুন বৃশ্চিক এই যোগ মিশ্র ফল পাওয়া যায়।

( তবে অবশ্য়ই এইসব নির্ভর করে জন্মকুন্ডুলীর সম্পূন বিচারের ওপর)


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180830100544

Wednesday, August 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাস্তুমতে ধনী হ ওয়ার উপায়

বাস্তুমতে ধনী হ ওয়ার উপায়

বাস্তু মতে এগুলো মানলেই আপনি বড়লোক!

বড়লোক হতে কে না চায়। কিন্তু কীভাবে ধনী হতে হয়, তা অনেকেরই জানা নেই। বাস্তু মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি নিশ্চিত ধনী হতে পারবেন। তবে এগুলো অনেকটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি বিশ্বাস করে এগুলো কিছুদিন মেনে চলেন, তাহলে দেখবেন ফল পাচ্ছেন।
১) আপনার বেডরুমটি যদি ঘরের উত্তর কোণে হয়, তাহলে ঘরের রং নীল করুন। ঘরে লাল কিংবা মেরুন রং এড়িয়ে চলুন।
২) ঘরে টবে করে মানি প্ল্যান্ট রাখুন। ঘরের শোভাও বৃদ্ধি করবে আবার টাকাও আসবে। আমরা সকলেই জানি মানি প্ল্যান্ট ধন-সম্পদকে আকর্ষণ করে।
৩) একটা সুন্দর দরজা বাড়িতে সুখ-শান্তি, আনন্দ, ধন সম্পদ নিয়ে আসে। তাই ধনী হতে চাইলে বাড়ির দরজা যেন আকর্ষণীয় হয়। ইচ্ছে হলে স্বামী-স্ত্রীর নাম দরজায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন। বাস্তু মতে এটি খুবই শুভ।
৪) বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণে রান্নাঘর করুন। রান্নাঘরের রং গোলাপি বা হলুদ করতে পারেন। তবে কালো কিংবা ধূসর একেবারেই চলবে না।
৫) দক্ষিণ কোণে যদি আপনার ঘর হয়, তাহলে ঘরের রং উজ্জ্বল হলুদ করুন। উজ্জ্বল হলুদ পজেটিভ এনার্জি আকর্ষণ করে।
৬) ধন-সম্পদের অধিপতি হলেন কুবের। তাই তাঁকে আকর্ষিত করতে হলে লকার কিংবা আলমারি ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিম কোণে রাখুন।

৭) বাড়ির শোভা বাড়াতে অনেকেই বাড়িতে ছোট ঝর্ণা তৈরি করেন। এটি শুধু বাড়ির শোভাই বাড়ায় না, সঙ্গে সঙ্গে অর্থকেও আকর্ষিত করে। তবে ঝর্ণার ক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন, এটি যেন উত্তর-পূর্ব মুখে হয়। আর জল যেন সবসময় পরিস্কার থাকে এবং বয়ে যায়।
৮) ধন-সম্পদ, অর্থ, প্রতিপত্তি পেতে বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম রাখুন। এবং বসার ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে এটি রাখুন।

বড়লোক হতে চান? তাহলে এখনই এই জিনিসগুলো বাড়ি থেকে সরান!

বাস্তু অনুযায়ী, আমাদের বাড়িতে এমন অনেক জিনিস থাকে, যা আমাদের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সমস্ত জিনিসের জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। জেনে নিন কোন সেই জিনিস, যা আমাদের ধন-সম্পদ প্রাপ্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর জেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি সেই সমস্ত জিনিস বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন।
১) পায়রার বাসা- বলা হয়, যে বাড়িতে পায়রা বাসা করে সেই বাড়ির স্থায়িত্বের অভাব থাকে। সেই বাড়ির বাসিন্দারা ধন-সম্পদের মুখ দেখতে পান না। তাই আপনি যদি ধনী হতে চান, আর আপনার বাড়িতে যদি পায়রার বাসা থেকে থাকে, তাহলে এখনই বাড়ি থেকে পায়রার বাসাটি সরিয়ে দিন।
২) মৌচাক- মৌচাক শুধুমাত্র ভয়ঙ্করই নয়, দুর্ভাগ্য এবং অভাবের লক্ষণ এটি। তাই আপনার বাড়িতে যদি মৌমাছি চাক বেঁধে থাকে, তাহলে তা এখনই অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করুন।
৩) মাকরসার জাল- দুর্ভাগ্যের আরও একটি লক্ষণ হল মাকরসার জাল। ঘর-বাড়িতে মাকরসার জাল থাকা খুবই অশুভ। এখনই সেই জাল পরিস্কার করে ঘর-বাড়ি পরিস্কার করে রাখুন।
৪) ভাঙা কাঁচ- পরিবারের বড়রা হামেশাই একটা কথা বলে থাকেন যে, ভাঙা কাঁচে মুখ দেখা নাকি অমঙ্গল। কথাটা সত্যি। বাড়িতে কখনওই ভাঙা কাঁচ রাখবেন না। এটি দারিদ্রের লক্ষণ।
৫) বাদুড়- যে বাড়িতে মানুষের চলাচল নেই, সেখানে বাদুড় বসবাস করে। এই জীবটি দুর্ভাগ্য, অসুস্থতা, দারিদ্র বাড়িতে বয়ে নিয়ে আসে। আপনি যদি এমন কোনও জায়গায় বসবাস করে থাকেন, যেখানে বাদুড় থাকে, তাহলে সূর্য ডোবার আগেই বাড়ির জানলা দরজা সব ভালো করে বন্ধ করে দিন।
৬) খোলা কল- জলের কল খুলে রাখলে শুধু যে জল অপচয় হয়, তাই নয়, এটি প্রচন্ডরকমের দুর্ভাগ্যের লক্ষণ।
৭) পরিস্কার ছাদ- লক্ষ্য করে দেখবেন, যে সমস্ত বাড়িতে ছাদের ওপর ভাঙা জিনিসপত্র জমা করে রাখা থাকে, সেই বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই আপনি যদি আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ্বল হতে চান, তাহলে এখনই ছাদ পরিস্কার করে রাখুন।
৮) বাসি ফুল- ঈশ্বরের আরাধনার স্থান থেকে বাসি ফুল সরিয়ে রাখুন।

৯) খোলা তার- ইলেকট্রিকের খোলা তার থেকে আমাদের নানারকম বিপদ হতে পারে। এছাড়া এটি দারিদ্রেরও লক্ষণ।
১০) শুকনো পাতা- অনেকেই ঘরের ভিতর গাছ লাগানো পছন্দ করেন। কিন্তু অকারণে গাছের পাতা শুকিয়ে যাওয়া দুর্ভাগ্যের চিহ্ন। তাই দুর্ভাগ্যকে এড়াতে গাছের যত্ন করুন। যেন কখনও গাছের পাতা শুকিয়ে না যায়

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180829105710

Friday, August 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রেবতী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

রেবতী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
রেবতী নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন এই নক্ষত্র ফলের উপর । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান ।
এটি শেষ বা লাস্ট নক্ষত্র , 27নং রেবতী নক্ষত্র ।

আপনি মিষ্ট ভাষী, বন্ধুত্বপূর্ণ, এবং স্বাধীনতা প্রবণ হবেন। আপনি কোনো কারণ ছাড়া কারোর কাজে বিরক্ত করতে চাইবেন না এবং আপনি অন্যদের থেকে একই রকম আশা করবেন। যখনই কেউ আপনাকে আপনার নীতি থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে, আপনি হিংস্র হয়ে উঠবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী, আপনি মানুষের সাথে আপনার আচরণ পরিবর্তন করবেন। আপনি সৎ এবং অন্তর থেকে স্পষ্ট হবেন। একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য কিছু গোপন রাখা আপনার জন্য কঠিন হবে। আপনি অন্ধ হয়ে কাউকে বিশ্বাস করবেন না; কিন্তু যদি আপনি একবার সেটি করেন, তাহলে তা সঠিকভাবে পালন করবেন। যাই ঘটুক না কেন, আপনি আপনার সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী আচরণ করবেন। আপনার আচরণ বেশ ধার্মিক হবে এবং কখনও কখনও আপনাকে বেশ গোঁড়াও করে তুলবে। আপনার প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ইতিহাসে খুবই আগ্রহ থাকবে। জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্রেও আপনার দক্ষতা থাকবে। এমনকি আপনার কবিতাতেও প্রতিভা থাকবে এবং রক্ষণশীল হওয়া সত্ত্বেও, আপনি গবেষণা করবেন এবং বৈজ্ঞানিক সমাধান খুঁজবেন। অন্যেরা কি বলবে, সে সম্পর্কে আপনি বেশি চিন্তা করবেন না। যদিও আপনি আপনার বিশ্বাসের প্রতি অটল হবেন, কিন্তু পাশাপাশি নমনীয়ও হবেন। যখন আপনাকে আপনার কাজ করতে হবে, আপনি সেটি নিঃশব্দেই করবেন। শুধুমাত্র এই গুণের কারণে, আপনি সফল হবেন। আপনি চটপটে ও বুদ্ধিমান হবেন, এবং আপনার মস্তিষ্ক ধারালো হবে। আপনার শিক্ষার স্তর উঁচু হবে। আপনার জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে, আপনি সবকিছু দ্রুত করে ফেলবেন। আপনার অসাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। আপনি সর্বদা মিষ্টভাষী, এবং একজন পন্ডিত হবেন। আপনার আচরণ অন্যদের সাথে ভাল হবে এবং আপনি একজন ভাল বন্ধু হবেন। জীবনের সব বাধা টপকে আপনি সবসময় এগিয়ে থাকতে চেষ্টা করবেন। আপনি সমাজে একজন শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হবেন, এবং মানুষের মধ্যে প্রেম ভালবাসা ছড়িয়ে দেওয়ায় দক্ষ হবেন। মানুষ আপনাকে কার্যকরী ব্যক্তিদের মধ্যে গণনা করবে। আপনার আধ্যাত্মিকতার প্রতি দৃঢ় আগ্রহ এবং বিশ্বাস থাকবে। আপনার যেমন সুখানুভব কামনা করবেন তেমনই আপনার জীবন বিলাসিতা ও সুখের সঙ্গে অতিবাহিত হবে। আপনি বেশ খুশি এবং আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী হবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার কাজে কর্মরত থাকার একটি দৃঢ় প্রবণতা থাকবে। আপনার কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধি, এবং অধ্যবসায় দিয়ে, আপনি কর্মক্ষেত্রে একটি উচ্চাসন অর্জন করবেন। তবে, আপনি ব্যবসায় সফল হবেন। আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল শিল্পী; চিত্রশিল্পী; সম্মোহকারী; অভিনেতা; সুরকার; ঐন্দ্রজালিক; ঘড়ি বা ঘড়ির সাথে সম্পর্কিত কাজ; ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ; ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জি সৃষ্টিকর্তা; জ্যোতিষী; বিমানসেবিকা; রত্ন পাথর ব্যবসায়ী; জল পরিবহণ সংশ্লিষ্ট কাজ; অনাথ আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত কাজ; ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অপারেটর; ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং পুলিশ বিভাগ; বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কাজ; সড়ক নিরাপত্তা কর্মী; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনার বিবাহিত জীবন সাধারণত সুখের হবে। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে ভাল সমন্বয় আশা করা যায়। এছাড়াও আপনি সন্তানদের কাছ থেকে যথেষ্ট সুখ পাবেন, কিন্তু আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে বেশি উপকার না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার জীবন সঙ্গী একগুঁয়ে স্বভাবের হতে পারে, কিন্তু তিনি ঈশ্বরের ভক্ত হবেন এবং সঠিকভাবে ধর্মানুষ্ঠান ও রীতিনীতি অনুসরণ করবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180824113057

Friday, August 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ঋনমুক্তি স্তোত্র ও যন্ত্রম

ঋনমুক্তি স্তোত্র ও যন্ত্রম

ঋণমুক্তি স্তোত্র ও যন্ত্রম্

যে সমস্ত ব্যক্তি আর্থিক ভাবে দেনার দায়ে ডুবছেন।যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন করে বর্তমানে হতাশাগ্রস্থ তাদের জন্য একখানি স্তোত্রম দেওয়া হলো।
স্তোত্রমটি বৃহস্পতিবার বা শনিবার সন্ধ্যাবেলাতে পাঠ শুরু করুন। শুদ্ধ মনে,শুদ্ধ বসনে, ভক্তি ভরে। সিদ্ধিদাতা গনেশের কৃপায় তিনি সব রকম বিপদ কাটিয়ে উঠবেন। এইদিনগুলিতে নিরামিষ আহার করবেন।

॥ ঋণমোচকমঙ্গলস্তোত্রম্ ॥

শ্রীগণেশায় নমঃ॥

মঙ্গলো ভূমিপুত্রশ্চ ঋণহর্তা ধনপ্রদঃ ।
স্থিরাসনো মহাকায়ঃ সর্বকর্মবিরোধকঃ ॥ ১॥

লোহিতো লোহিতাক্ষশ্চ সামগানাং কৃপাকরঃ ।
ধরাত্মজঃ কুজো ভৌমো ভূতিদো ভূমিনন্দনঃ ॥ ২॥

অঙ্গারকো য়মশ্চৈব সর্বরোগাপহারকঃ ।
বৃষ্টেঃ কর্তাঽপহর্তা চ সর্বকামফলপ্রদঃ ॥ ৩॥

এতানি কুজনামানি নিত্যং য়ঃ শ্রদ্ধয়া পঠেত্ ।
ঋণং ন জায়তে তস্য ধনং শীঘ্রমবাপ্নুয়াত্ ॥ ৪॥

ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুত্কান্তিসমপ্রভম্ ।
কুমারং শক্তিহস্তং চ মঙ্গলং প্রণমাম্যহম্ ॥ ৫॥

স্তোত্রমঙ্গারকস্যৈতত্পঠনীয়ং সদা নৃভিঃ ।
ন তেষাং ভৌমজা পীডা স্বল্পাঽপি ভবতি ক্বচিত্ ॥ ৬॥

অঙ্গারক মহাভাগ ভগবন্ভক্তবত্সল ।
ত্বাং নমামি মমাশেষমৃণমাশু বিনাশয় ॥ ৭॥

ঋণরোগাদিদারিদ্র্যং য়ে চান্যে হ্যপমৃত্যবঃ ।
ভয়ক্লেশমনস্তাপা নশ্যন্তু মম সর্বদা ॥ ৮॥

অতিবক্ত্র দুরারার্ধ্য ভোগমুক্ত জিতাত্মনঃ ।
তুষ্টো দদাসি সাম্রাজ্যং রুষ্টো হরসি তত্ক্ষণাত্ ॥ ৯॥

বিরিংচিশক্রবিষ্ণূনাং মনুষ্যাণাং তু কা কথা ।
তেন ত্বং সর্বসত্ত্বেন গ্রহরাজো মহাবলঃ ॥ ১০॥

পুত্রান্দেহি ধনং দেহি ত্বামস্মি শরণং গতঃ ।
ঋণদারিদ্র্যদুঃখেন শত্রূণাং চ ভয়াত্ততঃ ॥ ১১॥

এভির্দ্বাদশভিঃ শ্লোকৈর্যঃ স্তৌতি চ ধরাসুতম্ ।
মহতিং শ্রিয়মাপ্নোতি হ্যপরো ধনদো য়ুবা ॥ ১২॥

স্তোত্রটি অবশ্যই ঋনমুক্তি যন্ত্রমের সামনে করবেন।
যন্ত্রমটি উপযুক্ত গ্ৰহাচার্য দ্ধারা হোম করে প্রান প্রতিষ্ঠাকরে নেবেন।
যন্ত্রম প্রস্তুত করতে আনুমানিক ৫৫০০টাকার ব‍্যায় হতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180824112704

Thursday, August 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গৃহ নির্মাণ করবেন কিভাবে?

গৃহ নির্মাণ করবেন কিভাবে?

সুপ্রভাত
আগামী২৫-২৮আগষ্ট পর্যন্ত আমি শিলিগুড়
★★★গৃহ নির্মাণ★★★
------------------------------
গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে শুভ 'দিন', 'মাস' ও নক্ষত্র বিচার করা অত্যন্ত আবশ্যক৷ গৃহে শান্তি বিধানে এই রকমই দরকারি কিছু টিপস।

যে গৃহে আপনি স্বজন-পরিজন নিয়ে বসবাস করবেন, যে গৃহ আপনার ভবিষ্যতের শান্তির নীড় হয়ে উঠবে, সেই গৃহের নির্মাণ কার্যে শুভাশুভ বিচার যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা বলাই বাহুল্য৷
গৃহ নির্মাণ কোন দিন শুরু করা উচিত?

গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে 'বার' বা 'দিন' একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আসুন দেখে নিই-গৃহারম্ভের ক্ষেত্রে 'বার' বা 'দিনে'র শুভ অশুভ ফলাফল-

রবিবারে: গৃহারম্ভ করলে অগ্নিভয় থাকে৷
সোমবারে: গৃহারম্ভ শুভফল দেয়৷ উক্তগৃহে বাস করলে অর্থপ্রাপ্তি ঘটে৷
মঙ্গলবারে: গৃহারম্ভ অশুভ৷ নানা ভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে৷
বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে: গৃহ নির্মাণের পক্ষে শুভ৷
শনিবারে: অশুভ৷ নানারূপ অমঙ্গলের ভয় থাকে৷

গৃহ নির্মাণের উপযুক্ত মাস-বিধি-

বৈশাখ মাস: গৃহনির্মাণ কাজ শুভ৷ সম্পদ বৃদ্ধি হয়৷
জ্যৈষ্ঠ মাস: গৃহনির্মাণের পক্ষে অশুভ৷
আষার মাস: এই মাসে গৃহনির্মাণ করলে ধনহানি, পশুহানি হতে পারে৷
শ্রাবণ মাস: শ্রাবণ মাসে গৃহ নির্মাণের পক্ষে অশুভ৷
ভাদ্র মাস: অত্যন্ত অশুভ৷
আশ্বিন মাস: গৃহস্বামীর পত্নীর শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে৷
কার্তিক মাস: গৃহস্বামীর ধন সম্পদ বৃদ্ধির যোগ থাকে৷
অগ্রহায়ণ মাস: এই মাসে গৃহ নির্মাণ করলে ধন ও মিত্র লাভ হয়৷
পৌষ মাস: পৌষমাসে গৃহনির্মাণ করলে চৌর্য ভয় নির্দেশ করে৷
মাঘ মাস: এই মাসে গৃহারম্ভে অগ্নি ভয় থাকে৷
ফাল্গুন মাস: এই মাসে গৃহারম্ভ পুত্র ও বন্ধু লাভের পক্ষে শুভ৷
চৈত্র মাস: গৃহ নির্মাণের পক্ষে অশুভ৷

গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে নক্ষত্র বিচার-

গৃহারম্ভের কাজে মাস, বার বিচারের সঙ্গে নক্ষত্র বিচারও করা প্রয়োজন৷
নক্ষত্র মোট ২৭টি৷ তার মধ্যে অশ্বিণী, মূলা, হস্তা ও শ্রবণা নক্ষত্রে গৃহারম্ভ করা যেতে পারে৷
এছাড়া রোহিনী, মৃগশিরা, চিত্রা, স্বাতী, হস্তা, পুষ্যা, উত্তর ফাল্গুণী, অনুরাধা, উত্তরষাঢ়া, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, উত্তরভাদ্র পদ এবং রেবতী নক্ষত্রে গৃহারম্ভ বিশেষ শুভ ফল প্রদান করে৷
গৃহারম্ভকালের নক্ষত্রটি যদি পাপ গ্রহ যুক্ত হয় কিংবা রিষ্টি যুক্ত বা রিক্ত তিথি যুক্ত হয় তবে তা বর্জন করতে হবে৷
সেই সঙ্গে চন্দ্র বলবান কিনা এবং লগ্নে শুভ যোগ রয়েছে কিনা তাও নির্ণয় করা প্রয়োজন৷
এইভাবে গৃহ নির্মাণের প্রাক্কালে বার, মাস ও নক্ষত্র বিচার করে নিলে সেই গৃহে বসবাস করা অত্যন্ত শুভ বিবেচিত হয়৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180823142451

Thursday, August 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

উত্তর ভদ্রপদ নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

উত্তর ভদ্রপদ নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
উত্তর ভদ্রপদ নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী l

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনার ব্যক্তিত্ব চৌম্বকীয় ও আকর্ষণীয় হবে। এছাড়াও, একটি হাসি আপনার মুখে সবসময় থাকবে। যদি আপনি এই হাসি নিয়ে একবার কারোর দিকে তাকান, সেই ব্যক্তি আপনার জন্য প্রেমে পড়ে যাবে। আপনি বুদ্ধিমান, জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ হবেন। কারোর জন্য আপনার আচরণে কোন পরিবর্তন হবে না, আপনি সবাইয়ের সঙ্গে সমানভাবে আচরণ করবেন। আপনি কাউকে কষ্ট দিতে চাইবেন না; এছাড়াও আপনি বিপদে কাউকে দেখতে পারবেন না। আপনার ক্রোধ সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক; কিন্তু যখনই আপনি রেগে যাবেন, এটা খূব অল্প সময়ের জন্য হবে। আপনি বেশ নমনীয় এবং অন্তর পরিষ্কার হবে। যারা আপনার পছন্দের হবে, আপনি তাদের জন্য আপনার জীবনও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকবেন। আপনার কণ্ঠস্বর মিষ্টি এবং আপনি বক্তৃতায় মহান হবেন। আপনি আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়ী হবেন। আপনার একটি গুণাবলী হল যে, আপনি একই সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন। এমনকি আপনি যদি অনেক শিক্ষা নাও পান, আপনার জ্ঞানই একজনের যোগ্যতার সমান হবে। আপনার শিল্পকলার প্রতি আগ্রহ থাকবে এবং বিভিন্ন বই লিখতে সমর্থ হবেন এবং লিখেও ফেলবেন। আপনার অসাধারণ ক্ষমতা এবং দক্ষতা কারণে, আপনি প্রায় সব ক্ষেত্রেই স্বীকৃতি পেতে পারেন। আপনার জীবনে কোন অলসতার তাৎপর্য নেই। যখন আপনি কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, আপনি সেটি করেই ছাড়েন। যে কোন ব্যর্থতার কারণে আপনি মন খারাপ করবেন না। বর্তমান এবং জীবনের সত্যে বিশ্বাসী হওয়ায়, আপনি দিবাস্বপ্ন দেখতে চাইবেন না। চরিত্র অনুযায়ী আপনি অন্যন্ত দৃঢ় হবেন এবং লালসার প্রতি আকৃষ্ট হবেন না। আপনি আপনার কথায় দৃঢ় থাকবেন এবং আপনি যা বলবেন তাই করবেন। করুণার অনুভূতি আপনার মধ্যে পরিপূর্ণ রূপে থাকবে এবং যখনই একজন দুর্বল ব্যক্তি আপনার কাছে আসবে, আপনি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনার ধর্মের প্রতি গভীর বিশ্বাস থাকবে এবং পাশাপাশি ধর্মীয় কাজেও যুক্ত থাকবেন। পেশা বা ব্যবসা যাই হোক না কেন, আপনি যেভাবেই হোক সফল হবেন। আপনার সাফল্যের কারণ আপনার কঠোর পরিশ্রমী চরিত্র হবে। আপনার কঠোর পরিশ্রম দিয়ে, আপনি সাফল্যের উচ্চতা স্পর্শ করবেন। আপনার বিজ্ঞান, দর্শন ও রহস্যময় বিষয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ থাকবে। সমাজে, আপনি একজন পন্ডিত হিসাবে পরিচিত হবেন। সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন, আপনি একা থাকতে পছন্দ করবেন। আপনার উদ্দেশ্য উৎসর্গীকৃত হবে এবং আপনি অনুদান প্রদানে বিশ্বাস করবেন। আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের কারণে সমাজে অনেক সম্মান এবং শ্রদ্ধা পাবেন। আপনার যৌবন সুখ ও সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ হবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার শিক্ষা ভাল হবে এবং আপনার অনেক বিষয়ের প্রতি জ্ঞান থাকবে। আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল ধ্যান এবং যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ; রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ; মন্ত্রণাদাতা; আধ্যাত্মিক গুরু; তপস্বী; যোগী; ঐশ্বরিক মানুষ; দাতব্য প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কাজ; গবেষক; দার্শনিক; কবি; লেখক; সুরকার; শিল্পী; দোকানদার; সরকারি কর্মচারী; ইতিহাসবিদ; নিরাপত্তা রক্ষী; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার জন্মস্থান থেকে দূরে বসবাস করবেন। সম্ভবত, আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে বেশি সুবিধা নাও পেতে পারেন এবং শৈশবে উপেক্ষিত বোধ করবেন। আপনার বিবাহিত জীবন সুখে পরিপূর্ণ হবে। জীবন সঙ্গী বেশ যোগ্যতাসম্পন্ন হবে এবং সন্তানরা আপনার প্রকৃত সম্পদ হবে। প্রকৃত ভাগ্য বিবাহের পর উত্থিত হবে। সন্তানরা অনুগত, বুদ্ধিমান, এবং বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180823141313

Wednesday, August 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভগবান বিষ্ণু ও দশাবতার

ভগবান বিষ্ণু ও দশাবতার

শুভ সন্ধ‍্যা
ভগবান বিষ্ণু ও দশ অবতার
একবার দেবতা ও দৈত্যদের দুর্দান্ত যুদ্ধ চলছিল | দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে সুরকুল বীরবিক্রমে এগিয়ে চলেছে | ক্রমশ পশ্চাদপটে চলে যাচ্ছে দৈত্য বংশ | তাঁদের গুরু শুক্রাচার্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন মহাদেবের নিকট | তাঁর কৃপা প্রার্থনা করলেন | যাতে যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনা যায় মৃত সঞ্জীবনী সিদ্ধি |
শুক্রাচার্য চলে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ল অসুরদের আবাস স্থল | এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন দেবতারা | দিকভ্রান্ত হয়ে দৈত্যরা গেলেন ভৃগুপত্নীর কাছে | পুরাণে কোথাও তিনি কাব্য | কোথাও দিব্য | তিনি আচার্য শুক্রের মাতা | তাঁর কাছে বরাভয় ও আশ্রয় প্রর্থনা করলেন দৈত্যকুল |
ভৃগুপত্নী আশ্বস্ত করলেন দৈত্যদের | ঐশী ক্ষমতায় দেবতাদের তিনি স্থবির করে দিলেন | চলৎশক্তিহীন হয়ে স্থানুবৎ রইলেন দেবতারা | সেই সুযোগে পাল্টা আঘাত হানলেন দৈত্যরা | লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল স্বর্গলোক |
চলন শক্তিহীন দেবতারা মনে মনে প্রার্থনা করলেন ভগবান বিষ্ণু সমীপে | ভগবান বুঝলেন তাঁকে খুব সাবধানে অগ্রসর হতে হবে | কারণ ভৃগুপত্নী একজন নারী | বিষ্ণু দেবতা হয়ে একজন নারীকে আঘাত করতে পারেন না | এদিকে ভৃগুপত্নীর মৃত্যু না হলে দেবতারা চলনক্ষম হবেন না |
শ্রী বিষ্ণু এরপর ভয়ঙ্কর পশুর রূপে আক্রমণ করলেন ভৃগুপত্নীকে | আচার্যানী বুঝলেন তাঁর সামনে অবতাররূপী স্বয়ং বিষ্ণু | কিন্তু তিনি অভিশাপ দেওয়ার আগেই বিষ্ণু তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন সুদর্শন চক্রে |
নিহত স্ত্রীর নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন আচার্য ভৃগু | কমণ্ডলু থেকে মন্ত্রপুত জলের স্পর্শে | ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রী বিষ্ণুকে অভিশাপ দেন | তিনি যে অবতার রূপে বধ করেছেন এক নারীকে‚ সেই অবতারেই তাঁকে আবির্ভূত হতে হবে | একবার নয় | বারবার অবতীর্ণ হতে হবে ধরাধামে | তার মধ্যে থাকবে মনুষ্য জন্মও | তাঁকেও ভোগ করতে হবে জীবনের দুঃখ কষ্ট |
ভৃগুর অভিশাপেই বিষ্ণুর দশাবতার | তবে সেখানেও তিনি নারী হন্তারক | রামচন্দ্র অবতারে বধ করেছেন তারকা রাক্ষসীকে | শ্রীকৃষ্ণ অবতারে হত্যা করেছেন পুতনাকে | অর্থাৎ অধর্মকে পরাস্ত করে ধর্ম সংস্থাপনার্থায় নারীও অবধ্য নয় |
চিরাচরিত ভাবে দেবতাদের আচার্য হয়ে থাকেন বৃহস্পতি | দৈত্যদের গুরু শুক্র | দুই পক্ষের বিরোধ পুরাণের ছত্রে ছত্রে |
মহর্ষি ভৃগু ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র | ঋক বৈদিক যুগে তিনি মনুর সমসাময়িক | মনুর সন্তান হল মানব | ভৃগুর সন্তানদের বলা হয় ভার্গব
বৈদিক জনপদ ব্রহ্মবর্তে দোশি পর্বতে বধূসার নদীর পাশে ছিল তাঁর আশ্রম | এখন এই অঞ্চল পরে রাজস্থান হরিয়ানা সীমান্তে | স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী‚ ভৃগু পরে চলে যান ভৃগুকচ্ছে ( আজকের গুজরাতে‚ নর্মদা নদীর পাশে )‚ জায়গাটির নাম কালক্রমে হয়ে দাঁড়ায় ভারুচ |
ভৃগুর এক পত্নী হলেন দক্ষকন্যা খ্যাতি | তাঁদের দুই পুত্র হলেন ধাতা ও বিধাতা | কন্যার নাম ভার্গবী | যিনি আবার বিষ্ণুপত্নী | আর এক পত্নী কাব্যমাতার পুত্র হলেন শুক্র | যিনি আবার শুক্রাচার্য রূপে অসুরদের গুরু হন | ভৃগুর পত্নী পুলোমা জন্ম দেন ঋষি চ্যবনের | আবার ভৃগুর এক পুত্র হলেন জমদগ্নি | যিনি আবার পরশুরামের পিতা |
প্রসঙ্গত বিষ্ণু ব্যতীত ত্রিদেবের ব্রহ্মা ও মহেশ্বরকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন ভৃগু | আর একটি কথা জানিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় | এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি সূত্র থেকে সূত্রান্তরে পরিবর্তিত হয় | পাঠকের যদি মনে হয় দেবতার বিপরীতে মনুষ্য-ঔদ্ধত্যের এই আখ্যান ভিত্তিহীন‚ তবে বলে রাখি এর উৎস মৎস্যপুরাণ |
এতদূর পড়ে মনে হতে পারে এই প্রতাপান্বিত ঋষি শুধু দেবতাদের সঙ্গে সম্মুখসমরে গিয়ে তাঁদের অভিশাপ দিয়ে গেছেন | কিন্তু এটা স্মর্তব্য যে মহর্ষি ভৃগু রচনা করেছেন জ্যোতিষ-সহ অন্যান্য শাস্ত্রের প্রামাণ্য আকর গ্রন্থ ভৃগুসংহিতা | আজও ভারতের নানা জায়গায় আছে তাঁর আশ্রম |

দশাবতার দর্শন করুন ও প্রণাম করুন

অবতার কি?
*********
অবতার (আক্ষরিক অর্থে অবতরণকারী) বলতে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে স্বেচ্ছায় মর্ত্যে অবতীর্ণ পরম সত্ত্বাকে বোঝায়। কেবলমাত্র পরম সত্ত্বা বা পরমেশ্বরের অবতারগুলিই ধর্মানুশীলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই সকল অবতার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও অতিলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন। অন্যান্য অবতার গুলি ঈশ্বরের গৌণ সত্ত্বার রূপ অথবা কোনো গৌণ দেব দেবীর অবতার। অবতার, এই শব্দটি হিন্দুধর্মে মূলত বিষ্ণুর অবতারদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান হিন্দুধর্মের অন্যতম বৃহৎ শাখা বৈষ্ণবধর্মে এই সকল অবতারের পূজার বিধান রয়েছে। বৈষ্ণবরা বিষ্ণুর দশাবতারকে পরমেশ্বরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যরূপে কল্পনা করেন। অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য অবতার গুলি বৈষ্ণব শাস্ত্রের বর্ণিত অবতারদের অনুসরণে কল্পিত হয়ে থাকে। যেমন বৈষ্ণব ধর্ম মতে হিন্দুধর্মে অবতারবাদ মূলত বিষ্ণুকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। বিষ্ণু ত্রিমূর্তির অন্যতম দেবতা ও হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী জগতের পালক ও রক্ষাকর্তা। অবতার হল, হিন্দু শাস্ত্রমতে ভগবান বিষ্ণুর মনুষ্যরূপে অথবা প্রানিরূপে পৃথিবীতে আগমন। বিভিন্ন গ্রন্থে অবতারের মোট সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। অবতার দুই প্রকার আংশিক ও পূর্ণাবতার। বিষ্ণু পরিপূর্ণভাবে আভির্ভূত হলে তাকে বলে পূর্ণবতার এবং আংশিকভাবে আভির্ভূত হলে তাকে বলে অংশাবতার।
বিষ্ণুর দশ সর্বাধিক প্রসিদ্ধ অবতার দশাবতার নামে পরিচিত। দশাবতারের তালিকাটি পাওয়া যায় গরুড় পুরাণ গ্রন্থে। এই দশ অবতারই মানব সমাজে তাঁদের প্রভাবের ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য হন। দশাবতারের প্রথম চার জন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সত্য যুগে। পরবর্তী তিন অবতারের আবির্ভাব ত্রেতাযুগে। অষ্টম অবতার দ্বাপরযুগে এবং নবম অবতার কলিযুগে অবতীর্ণ হন। গরুড় পুরাণ ও অন্যান্য সনাতনী গ্রন্থ অনুসারে, দশম অবতার এখনো অবতীর্ণ হননি। তিনি কলিযুগের শেষ পর্বে অবতীর্ণ হবেন।
আসুন দেখি দশাবতার গুলি কি ও কি তার প্রকাশ••••••••
গরুড় পুরাণ মতে, বিষ্ণুর দশাবতার নাম ও যুগ উল্লেখিত:- মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন,
পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, কল্কি
১. মৎস্যঃ- মাছের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্মঃ- কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহঃ- শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহঃ- অর্ধনরসিংহ রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামনঃ- বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরামঃ- পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রামচন্দ্রঃ- অযোধ্যার রাজপুত্রের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণঃ- দ্বাপরযুগে ভ্রাতা বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ।
৯. বুদ্ধঃ- কলিযুগে অবতীর্ণ হন।
১০. কল্কিঃ- সর্বশেষ অবতার। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের অন্তে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।
গরুড় পুরাণ অনুসারে বলরাম শীষনাগের অবতার। কোনো কোনো বৈষ্ণবীয় উপনিষদ শাস্ত্রে তাঁকে বিষ্ণুর নবম অবতার বলে মনে করা হয়। উল্লেখ্য, ঐ সকল গ্রন্থে বুদ্ধের কোনো উল্লেখ নেই। আবার শ্রীমদ ভাগবতে বুদ্ধদেব অবতারের উল্লেখ আছে। উল্লেখ্য দশাবতারের প্রকাশ••••••
#মৎস্যঃ- মৎস্য হল বিষ্ণুর প্রথম অবতার। মহাপ্লাবনের সময় বিষ্ণু একটি মাছরূপে পৃথিবীতে আসেন। অবতার বেশে বিষ্ণু, এ সময়ে তাঁর শিং এর সাথে মনুর নৌকা বেঁধে রাখেন। প্লাবন শেষে মনু পুনারায় এই সৃষ্ঠি প্রতিফলিত করেন।
#কূর্মঃ- কূর্ম বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার। অমৃত উদ্ধারের জন্য যখন দেবতা ও দৈত্যরা সমুদ্র মন্থন করছিলো তখন বিষ্ণু কুৰ্মরূপ ধারণ করে মন্দর পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করে সাগরতলে শয়ন করেন । হাজার বছর মন্থনের পর ধন্বন্তরির আবির্ভাব হয়।
#বরাহঃ- বরাহ বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার। বরাহ অর্থ শূকর। দানব হিরণ্যক্ষ পৃথিবীকে সমুদ্রতলে নিয়ে গেলে বরাহ তার সাথে এক হাজার বছর যুদ্ধ করে তাকে বধ করেন।
#নৃসিংহঃ- নৃসিংহ বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। হিরণ্যকশিপু নামে এক দানব তার পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা করতে গেলে বিষ্ণু নৃসিংহরূপে আবির্ভূত হন এবং প্রহ্লাদকে উদ্ধার করেন।
#বামনঃ- বামন বিষ্ণুর পঞ্চম অবতার। দানবরাজ বলি স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল দখল করে নেয় এবং প্রচন্ড অত্যাচার শুরু করে। তার হাত থেকে মানব ও দেবতাদের রক্ষা করার জন্য মানবরূপে বিষ্ণুর আবির্ভাব হয়। তিনি বলির নিকট তিন পদক্ষেপ সমপরিমান জমি পাবার জন্য আবেদন করেন। ক্ষুদ্রকায় বামনের তিন পদক্ষেপ জমি খুবই সামান্য বিবেচন করে বলি তা দিতে রাজি হন। বামন দুই পদক্ষেপে স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নেন। বলি তখন বামনরূপী বিষ্ণুকে চিনতে পারেন এবং তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে নেন।
#পরশুরামঃ- ত্রেতা যুগারম্ভে যখন ক্ষত্রিয় রাজারা অত্যাচারী-অনাচারী ও অধর্মী হয়ে উঠে, তখন সৃষ্টির পালনহার বিষ্ণু পরশুরাম রুপে অবতীর্ণ হয়। পরে মহাদেবের কাছ থেকে যুদ্ধবিদ্যা শিখে এবং পিতার মৃত্যু শোধ নিতে গিয়ে সৃষ্টির সমাজ থ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180822210011

Monday, August 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বীজমন্ত্রে গ্ৰহের প্রতিবিধান

বীজমন্ত্রে গ্ৰহের প্রতিবিধান

সুপ্রভাত
নবগ্রহ উপাসনা

যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে—–
“গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।”
অর্থাৎ— গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৯ পর্যন্ত।

মঙ্গল
———-
মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
——-
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন – পান্না, ধূপ – সঘৃত দেবদারু, বার – বুধবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
—————-
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা – ২১০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন – হীরা, ধূপ – গুগুল, বার – শুক্রবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

শনি
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
———
মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা – ১২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন – গোমেদ, ধূপ – দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

কেতু
———
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা – ২২০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা – ধূমাবতী।
ধারণরত্ন – ক্যাটস্ আই, ধূপ – মধুযুক্ত দারুচিনি, বার – শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা
অছাড়া প্রত‍্যেক বাড়িতে শ্রীযন্ত্রম, ধনদা যন্ত্রম সূর্য যন্ত্রম এবং দূর্গা যন্ত্রম রাখতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180820100606

Monday, August 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

. পূর্ব ভদ্রপদ নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

## আপনি শান্তিপ্রিয় এবং বুদ্ধিমান মানুষ। আপনার আচরণ পক্ষপাতিত্বহীন এবং সহজ জীবন অতিবাহিত করা পছন্দ করেন। আপনার ঈশ্বরের উপর পূর্ণ আস্থা থাকবে এবং ধর্মীয় সব বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকবে। আপনার হৃদয় পবিত্র হওয়ায়, আপনি সবসময় অন্যদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। বাস্তব সম্পদের চেয়ে বেশী, আপনার ভাল সুনাম এবং আন্তরিকতার ধন-সম্পদ থাকবে। সত্য কথা বলা এবং সত্যনিষ্ঠ থাকা আপনার গুণ হবে। সৎ থাকতে, আপনি অসাধুতা এবং মূল্যহীন চালাকি থেকে দূরে থাকুন। কোন পরিস্থিতেই, আপনি নিরাশ হবেন না কারণ আপনি আশাবাদী থাকবেন। আপনি সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবেন কারণ আপনি দানশীল হবেন। যখনই কেউ বিপদে পড়বে, আপনি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। আপনি অত্যাধুনিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হবেন। এজন্যেই আপনি এত ভালবাসা এবং স্নেহের সঙ্গে মানুষের সাথে মিশতে পারবেন। বন্ধুত্বে, আপনি সততা ও যৌক্তিকতার দিকে বেশি করে নজর দেবেন। আপনি পবিত্র আচরণের দ্বারা অন্তরকে বিশুদ্ধ করবেন এবং কখনো কারোর ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না। আপনার ব্যক্তিত্বের এই বিশিষ্টতার কারণে, মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে। যদি শিক্ষা এবং জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা যায়, আপনি বেশ বুদ্ধিমান হবেন। এমনকি আপনার সাহিত্যেও আগ্রহ থাকবে। এটি ছাড়াও, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্রে আপনি আগ্রহী হবেন। এছাড়াও, আপনি এই বিষয়গুলিতে একজন বিশেষজ্ঞও হতে পারেন। আপনি আপনার চিন্তাধারায় পক্ষপাত করেন না। আধ্যাত্মিকতা ছাড়াও, আপনার বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভাল জ্ঞান থাকবে। এছাড়াও, আপনি বেশ ভাল জ্যোতিষশাস্ত্র জানবেন। আপনি একজন আদর্শবাদী এবং অর্থের চেয়ে জ্ঞানে অধিক গুরুত্ব দেবেন। পেশার নিরিখে, চাকরি ও ব্যবসা উভয়ই আপনার জন্য ইতিবাচক হবে। আপনি চাকরির চেয়ে ব্যবসা করা বেশি পছন্দ করবেন, এবং আপনি কাজের জায়গায় উচ্চ পদে অবস্থান করতে পারবেন। যদি আপনি ব্যবসা পছন্দ করেন, তাহলে সেটি প্রসারণ করতে আপনি আপনার সব প্রচেষ্টা

দেবেন। আপনি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাইবেন। দায়িত্বে ক্ষেত্রে, আপনি সেগুলিকে খুব ভালভাবে বুঝবেন এবং সততার সঙ্গে আপনার কর্তব্য সম্পাদন করবেন। আপনি নেতিবাচক আবেগকে আপনাকে পরাভূত করতে দেবেন না এবং সাহসের সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করে নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবেন। আপনি সুনাম অর্জন করার জন্য কখনোই তাড়াহুড়ো করবেন না এবং পরিকল্পনার জন্য অনেক সময় নেবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি বুদ্ধিমান হয়ে জন্মাবেন এবং যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনি সরকারি চাকরি করেন, তাহলে আপনি সরকারের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা ও পদোন্নতি পেতে পারেন। আপনি আর্থিকভাবে এবং সামাজিকভাবে একটি স্বাধীন জীবন যাপন করতে সক্ষম হবেন। 24 থেকে 33 বছর বয়সের মধ্যে, উন্নতির অসাধারণ সময়ের অভিজ্ঞতা হবে। আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল শল্যচিকিৎসক; দুঃসাহসিক কথাসাহিত্য লেখক; পুরোহিত; জ্যোতিষী; যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক; মনোবিশ্লেষক; রাজনীতিবিদ; অস্ত্র নির্মাণ সম্পর্কিত কাজ; সৈনিক; এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ; ঢালাই; কামার ও স্বর্ণকার সম্পর্কিত কাজ; ফার্মাসিউটিক্যালের কাজ; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী মায়ের কম ভালবাসা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটাই কারণ মায়ের থেকে পৃথক করে দিতে পারে। কিন্তু, আপনার বিবাহিত জীবন সুখের হবে। স্ত্রী বুদ্ধিদীপ্ত এবং কর্তব্যপরায়ণ হবেন। এছাড়াও আপনি আপনার সন্তানদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সুখ পাবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180820092121

Saturday, August 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশি অনুযায়ী ব‍্যাবসায় আর্থিক বিনিয়োগ

রাশি অনুযায়ী ব‍্যাবসায় আর্থিক বিনিয়োগ

শুভসন্ধ‍্যা
আর্থিক আয় বাড়াতে কোথায় বিনিয়োগ করবেন, জানুন রাশি অনুযায়ী

দিনের শেষে অর্থ আর আয় প্রত্যেকের জীবনেই ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, কীভাবে আরও একটু বেশি সাশ্রয় করলে সংসারে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা অনকেরই থাকে। তবে সঠিক জায়গায় সঠিক আর্থিক বিনিয়োগ টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা খানিকটা কমিয়ে দেয়। কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি, আয় বেশি , এ সম্পর্কে জানান দিচ্ছে জ্যোতিষ শাস্ত্র। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি আপনার রাশিফল অনুযায়ী।

মেষ

মেষ রাশির জাতকরা সাধারণত ভীষণ রকমের সাহসী হন। আর্থিক পতনের পরও ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করতে এঁরা সব সময়ে তৎপর থাকেন। তাই মেষ রাশির জাতকদের পক্ষে রিয়েল এস্টেট-এ বিনিয়োগ বা দীর্ঘমেয়াদী কোনও বিষয়ে বিনিয়োগ লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।

বৃষ

বৃষ রাশির জাতকরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভীষণ বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেন। তাঁদের বাস্তববোধ বেশি থাকার ফলে আর্থিক ক্ষেত্রে খুব একটা বড় ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা হন না। কম ঝুঁকিপূর্ণ, সরকারী বন্ড বা ওঅ একই জাতীয় স্কিমে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।

মিথুন

মিথুন রাশির জাতকরা আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও একটু বেশি বিলাসী হয়ে থাকেন। বিনিয়োগে আভিজাত্য না থাকলে সেখানে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন না মিথুন রাশির জাতকরা। কোনও ব্যবসায়িক কাজে বিনিয়োগ করলে এঁদের ভালো লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিষবিদরা।


কর্কট

কর্কট রাশির জাতকরা ইউলিপের ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারেন। যে ধরণের বিনিয়োগ থেকে একটি নির্দ্দিষ্ট সময় পর পর টাকা আসতে পারে সেরকম জায়গায় কর্কট রাশির জাতকদের বিনিয়োগ করা উচিত বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন।

সিংহ
সিংহ রাশির জাতকরা জন্মগতভাবেই নেতা মনোভাবাপন্ন। তাই যে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তাঁরা দিশা দেখাতে পারেন। সিংহ রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ অনেক সময়ই লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে।

কন্যা

কন্যা রাশির জাতকরা অঙ্কের হিসাব সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তবে য়ে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তাঁরা সাফল্য পেয় যান আর্থিক দিক দিয়ে। তাই অনেক জ্যোতিষবিদের ধারণা, যদি সুযোগ থাকে, তাহলে যে কোনও রকমের জায়গাতেই অল্প বিনিয়োগ করে দেখতে পারেন এই কন্যা রাশির জাতকরা।

তুলা

তুলা রাশির জাতকরা সৌন্দর্য়ের উপাসক, তাঁদের বুদ্ধি প্রচণ্ড বেশি হলেও, তাঁরা সুখী বিলাসী জীবনে বিশ্বাস করেন। তাই এঁদের আইপিও জাতীয় কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা লাভজনক হতে পারে।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক রাশির জাতকরা খুবই ভালো ব্য়বসায়ী হতে পারবেন। কারণ এঁরা সহজে বুঝে নিতে পারেন কোথায় সমস্যা হতে পারে, কোথায় লাভ বেশি হওতার সম্ভাবনা। তাই যেকোনও ধরনের ব্যবসা তাঁদের পক্ষে লাভজনক হতে পারে।

ধনু

ধনু রাশির জাতকরা যে কোনও পরিস্থিতিতেই খুবই ইতিবাচক থেকে যান। ভ্যাকেশন ওনারশিপ জাতীয় ক্ষেত্রে এঁদের বিনিয়োগ বেশ ভালো হতে পারে বলে অনেকই মনে করছেন।

মকর

মকর রাশির জাতকদের জন্য ব্যাঙ্কের রেকারিং কিংবা ফিক্সড ডিপোজিট সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগের রাস্তা। এর থেকে প্রাপ্ত লাভ একজন মকর রাশির জাতককে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখবে জীবনভর
কুম্ভ
কুম্ভ রাশির জাতকরা স্কট এক্সচেঞ্জে টাকা রাখলে তা লাভ জনক প্রমাণিত হতে পারে। তবে অত্যন্ত সাবধানে তা করতে হবে, কারণ কুম্ভরাশির জাতকদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিক বেশি পরিলক্ষিত হয় বলে মত অনেক জ্যোতিষবিদের।

মীন

সোনা বা রূপোতে বিনিয়োগ করা মীন রাশির জাতকদের পক্ষে শুভ। তাই এই ধরনের ক্ষেত্রে তাঁরা বিনিয়োগ করলে , তার থেকে ভালো আয় আসতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180818084535

Saturday, August 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শতভিষা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

শতভিষা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
শতভিষা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি "সত্যমেব জয়তে" (সত্যের জয়)-এর দর্শনে বিশ্বাস করবেন। সত্যের জন্য, আপনি এমনকি আপনার জীবনও সমর্পণ করতে পারেন। জীবনের কিছু অপরিবর্তনীয় নীতি থাকবে, যে কারণে আপনি সাধারণতঃ অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বেন। আপনি স্বার্থের প্রয়োজনে কিছু করবেন না। আপনার হৃদয় অত্যন্ত নরম এবং আপনি অত্যন্ত ধার্মিক হবেন। আপনি সাহসী এবং নির্ভীক হবেন। আপনার উদ্দেশ্যগুলি বেশ দৃঢ় ও উন্নত হবেএবং যদি আপনি একবার কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনি সেটি সম্পূর্ণ করেন। আপনি আপনার দায়িত্ব জানেন এবং তাদের সঠিকভাবে পূরণ করার চেষ্টাও করেন। আপনার চিন্তা রাজনীতি থেকে অনুপ্রাণিত হবে এবং আপনি রাজনৈতিক কৌশলে বিশেষজ্ঞ হবেন। আপনি খুব বেশী শারীরিক পরিশ্রম করায় বিশ্বাস করেন না; বরং আপনি আপনার মস্তিষ্কের অধিক ব্যবহার করেন। কতৃত্বপ্রিয় হওয়ায়, আপনি অংশীদারের পরিবর্তে স্বাধীনভাবে কাজ করা পছন্দ করবেন। আপনি একটু অলস প্রকৃতির হবেন এবং আপনি অনেক মজা করা পছন্দ করবেন। আপনি জীবন সুখে অতিবাহিত করতে চাইবেন। মেশিনের মত আপনি কাজ করতে পারবেন না, বরং স্বাধীনভাবে জীবন উপভোগ করতে চাইবেন। আপনি কোনো সমস্যায় আতঙ্কিত হবেন না; এর পরিবর্তে নির্ভয়ে পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন এবং এর সাথে যুদ্ধ করবেন। আপনার মধ্যের যে বিশ্বাস এবং অধিকার আপনাকে শক্তি দেয়, সেটিই আপনাকে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে জয়ী করে তোলে। আপনার ব্যক্তিত্বের মধ্যে আরো একটি গুণ আছে, সেটি হল যদি কেউ আপনার সাথে বৈরীভাবাপন্ন হতে চেষ্টা করে, আপনি তাদের পরাজিত করেন। যদিও আপনি সহজে রাগেন না, কিন্তু যদি আপনি রেগে যান, তাহলে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হবে। কিন্তু, যেহেতু যেমন আপনার একটি নরম হৃদয় এবং বুদ্ধিমান মন আছে, তাই আপনার রাগ কোন কোন সময় দূরে সরে যাবে। যদি আপনি একবার কিছু সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনি পিছন ফিরে তাকান না। আপনি জীবনের সব ক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন কারণ আপনি যোগ্য ও মেধাবী হবেন। যখন আপনি কারোর সাথে কথা বলেন, অন্যান্য ব্যক্তি আপনার অনুরাগী হয়ে যায়। তবে, আপনি জাহির করায় বিশ্বাস করেন না এবং সেটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। আপনার স্মৃতি শক্তি বেশ আশ্চর্যজনক এবং যদি আপনি একবার কিছু পড়েন, তাহলে আপনি সেটি দীর্ঘ সময়ের জন্য মনে রাখবেন। আপনার মধ্যে সাহিত্য প্রতিভা থাকবে এবং খুব শীঘ্রই, এই প্রতিভা খ্যাতির ছটায় আসবে। আপনার ভাল স্বভাবের কারণে, আপনি বেশ জনপ্রিয় হবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা পেতে সক্ষম হবেন। মনোবিজ্ঞান বা স্পর্শ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি দক্ষতাসম্পন্ন হতে পারেন। এছাড়াও আপনার জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকবে এবং আপনি একজন ভাল এবং সেইসঙ্গে সমাধান বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষীও হতে পারেন। এছাড়াও, আপনার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নাম এবং খ্যাতি অর্জনের দক্ষতা আছে। আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল ইলেকট্রিশিয়ান; কেমোথেরাপিস্ট; মহাকাশচারী বা জ্যোতিষী; পাইলট; সামরিক প্রশিক্ষক; চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন সম্পর্কিত কাজ; চলচ্চিত্র অভিনেতা বা শিল্পী; মডেল; ফটোগ্রাফার; শিক্ষক বা বিজ্ঞান লেখক; পারমাণবিক পদার্থ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত কাজ; ফার্মাসিউটিক্যাল কাজ; ডাক্তার বা সার্জন; অ্যালকোহল তৈরি বা মদ সম্পর্কিত কাজ; প্লাস্টিক বা প্লাস্টিক উৎপাদন সম্পর্কিত কাজ; পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত কাজ; যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক; উদ্ভাবক; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার প্রিয়জনের জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার উদারতার দরুন, আপনি সবসময় অন্যদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন, কিন্তু আপনি নিজে কিছু মানসিক চাপে ভুগবেন। বিশেষ করে, ভাইদের সাথে সামান্য বিচ্ছেদও সম্ভব। আপনি আপনার বাবা মায়ের থেকে সম্পূর্ণ ভালোবাসা পাবেন। আপনার বিবাহিত জীবন সন্তোষজনক হতে পারে কারণ আপনি আপনার স্ত্রীকে নিঃশর্তভাবে ভালবাসবেন। আপনার স্ত্রীকে উদারতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি পরিবারের ভাল যত্ন নেবেন এবং বড়দেরও সম্মান করবেন। আপনার জীবনসঙ্গী “ভালো করুন এবং সেটি ভুলে যান”-এর মত করে জীবন যাপন করবেন।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180818083951

Friday, August 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা মনসা

মা মনসা

“মনস” শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে “আপ্” প্রত্যয় করে মনসা শব্দের ব্যুৎপত্তি । ব্যুৎপত্তি গত দিক থেকে মনসা মনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । দেবী ভাগবত ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে সর্প ভয় থেকে নিবারন ( ঔষধ ) করে এমন কিছু মন্ত্র বা বিদ্যাবিশেষ আবিস্কারের জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা , মুনি কশ্যপ কে আদেশ করেন । কশ্যপ মুনি যখন এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন – তখন তাঁর মন থেকে দেবী মনসার সৃষ্টি হয় । ( দেবী ভাগবত পুরান- ৯/৪৭ ) । বাংলার মঙ্গলকাব্যে অবশ্য মনসা দেবীকে ভগবান শিবের কন্যা রূপে বর্ণিত করা আছে । আবার মহাভারতে দেবী মনসার স্বামী হিসাবে জগতকারু মুনির নাম পাওয়া যায়। তাঁদের সন্তান হলেন আস্তিক মুনি ।

মনসা দেবীর আখ্যানে অবশ্য যুগ যুগ ধরে বাংলার কবিদের লেখনীকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে । মঙ্গলকাব্যে মা মনসাকে সর্প অর্থাৎ নাগ নাগিনীদের দেবী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে । বাংলায় জলা জমিতে সর্পের উপদ্রব অতি প্রাচীন কাল থেকে- তাই বাংলার নারী গন পরিবার, স্বামী, পুত্রের, কন্যার মঙ্গল কামনায় তথা সর্প ভয় থেকে মুক্তির জন্য দুধ ও কলা দ্বারা মা মনসার পূজা করে আসছেন । কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক রূপ মা মনসা নাগ ধারন করে থাকেন । মা মনসার স্তবে তাঁকে সিদ্ধযোগিনী বলা হয়েছে । নাগেদের সাথে যোগীদের জীবনের মিল দেখা যায় । যোগীরা ঘর বাঁধেন না, প্রানায়াম কালে কুম্ভক যোগে বায়ু সেবন করেন । অপর দিকে দেখা যায় সর্প বাসা বানাতে পারে না, মূষিকের গর্তে তার নিবাস, শীতঘুমের সময় সে অনাহারী । এছাড়া যোগ সাধনায় কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত করলে সেই শক্তি তির্যক ও ঊর্ধ্ব মুখী হয় । তাই যোগশক্তির প্রতীক রূপ দেবী সর্প ধারন করেন ।

হংস কে মা মনসার বাহন ধরা হয় । হংস শ্বেত বর্ণ- যা সত্ত্ব গুনের প্রতীক । এমন বলে রাজহাঁস কে জল আর দুধ মিশিয়ে দিলে সে তার মধ্যে থেকে কেবল দুধ টুকুই সংগ্রহ করে , জল পড়ে থাকে। সংসারে সার অসার সব আছে। সার টাকে গ্রহণ করে অসার টাকে ত্যাগ করাই সাধকের কর্তব্য ।সর্বশেষ কথা হল- তন্ত্র ও উপনিষদ মতে ‘হংস’ পরমাত্মার প্রতীক। নিঃশ্বাস গ্রহণ কালে “হং” ( অহং ) এবং নিঃশ্বাস পরিত্যাগ কালে “সঃ” – এই অজপা গায়ত্রী যাঁরা নিয়ত সচেতন ভাবে জপ করেন, হংসমন্ত্রের দৃপ্ত প্রভাবে অচিরেই তারা হন পরম জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত।


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180817104530

Friday, August 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ধিনীষ্টা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

ধিনীষ্টা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি বহু প্রতিভাবান হবেন এবং আপনি যা করবেন তাতেই বিশেষজ্ঞ হবেন। যে কোন পরিস্থিতিতেই, আপনি নিজেকে দক্ষতার সাথে মানিয়ে নেবেন। আপনি মন, কাজ, কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করবেন না। আপনার মাথা খূব তীক্ষ্ণ এবং আপনি সবসময় কিছু শিখতে প্রস্তুত থাকেন। আপনার মন ভোলানো হাসি আপনাকে খুব আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনার ধর্মীয় প্রকৃতি থাকবে এবং সবসময় আপনার ক্ষমতা, চরিত্র, এবং প্রচেষ্টার সঙ্গে চমৎকারভাবে আচরণ করার চেষ্টা করবেন। ভালভাবে কথা বলতে পারার জন্য, আপনি মানুষের ভালবাসা এবং সমর্থন সহজেই পেতে পারেন। আপনি খুব ভাল করে জানেন কিভাবে অন্যদের সমাদর এবং সম্মান করতে হয়। সবাই আপনার চারপাশে থেকে সুখ এবং তৃপ্তি পাবে। আপনি হাসিখুশি, সামাজিক, এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হবেন। তবে, আপনি একা থাকতে পছন্দ করবেন না। যখন আপনি মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবেন তখন সেটি আপনাকে ভাল অনুভূতি দেবে। আপনি ধার্মিক এবং উৎসাহী হবেন। এজন্যই আপনি আপনার দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়া পছন্দ করবেন না। এটি আপনার চরিত্র যে সব সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই করা। আপনার নাচ এবং গানের প্রতি আগ্রহ থাকবে এবং আপনি একজন ভাল নর্তকী হওয়ার পাশাপাশি একজন ভাল গায়কও হতে পারবেন। বিতর্কের ক্ষেত্রে, আপনিই শ্রেষ্ঠ হবেন, যা আপনাকে রাজনীতি এবং আইনের জন্য ভাল করে তুলবে। যেভাবে আপনি কোন কিছু গোপন রাখতে পারেন, আপনি গোয়েন্দা বিভাগের জন্য বা একজন উচ্চ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে যথাযথ হবেন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি সেটা কোন ব্যাপার নয়, কিন্তু আপনি আপনার জ্ঞানের জন্য পরিচিত হবেন। সবসময় কোন কিছু কাজ করা আপনার অভ্যাস হবে। আপনার আত্মনিবেদন এবং সক্রিয়তার কারণে, আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনে সফল হবেন। আপনি বেশ উচ্চাভিলাষীও হবেন এবং সেইজন্য আপনি যা কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আপনি সেটির উপর কাজ করে যাবেন। এছাড়াও, আপনি আধিকারিকভাবে বেশ এগিয়ে থাকবেন। আপনি আপনার প্রভাবের অধীনে মানুষকে রাখতে চাইবেন। তাই, আপনি যা কিছু করবেন, আপনি সেটি সতর্কতার সাথে করবেন। আপনার খুব বেশি আত্ম-সম্মানবোধ আছে, যা আপনার জন্য সম্মান ও শ্রদ্ধাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। আপনার মানসিক শক্তি দৃঢ় হবে এবং আপনি যে কোন সিদ্ধান্ত তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন। আপনি এতে কোন সমস্যা অনুভব করবেন না। আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য আপনি ভাল সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আপনি ব্যবসার বদলে পেশাকে আরো বেশি গুরুত্ব দেবেন। তবে, ব্যবসা বা পেশা যাই হোক, সেটিতে আপনি উচ্চস্থানে থাকতে পারেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল ইতিহাসবিদ; সুরকার; নর্তকী; মঞ্চে অভিনয়কারী; ক্রীড়াবিদ বা খেলোয়াড়; ব্যাংক কর্মকর্তা; বিজ্ঞানী বা পদার্থবিদ্যা বিশেষজ্ঞ; কম্পিউটার সম্পর্কিত কাজ; সৈনিক; কবি; গীতিকার; গায়ক এবং সুরকার; জ্যোতিষী; আধ্যাত্মিক গুরু; সার্জন; সেলিং বা ইলেকট্রনিক্স আইটেম তৈরি; প্রশাসন কর্মকর্তা; ইত্যাদি। আপনার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হার্ডওয়্যারও খুব ইতিবাচক হবে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে, সম্পত্তিগত কাজ আপনার জন্য বেশি লাভজনক হবে।

পারিবারিক জীবন

ভাইবোনের সাথে আপনার বিশেষ ভালবাসা থাকবে এবং বিবাহিত জীবন সুখের হবে। জীবনসঙ্গী ভাগ্যবান প্রমাণিত হবে। আপনি একজন উত্তরাধিকারী হিসাবে অনেক অর্থ পাবেন, কিন্তু আপনি আপনার শ্বশুরের থেকে বেশি উপকার পাবেন না। আপনার স্ত্রী দয়ালু ও উপকারী হবে। তবে, তার আয়ের চেয়ে বেশী ব্যয় করার প্রবণতা থাকতে পারে। তা সত্ত্বেও, বিবাহ আপনার আর্থিক উন্নতি আনবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180817102417

Thursday, August 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শ্রবনা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

শ্রবনা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

শ্রবণা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি সবকিছু খুব পরিষ্কারভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে করেন। আপনার জীবনের কিছু নির্দিষ্ট নীতি আছে। আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকতে চান এবং যারা পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিতে চান না, আপনি তাদের পছন্দই করেন না। যখন আপনি একজন অভদ্র ব্যক্তি দেখতে পান, আপনি তাদের পরামর্শ দিতে বিব্রত বোধ করেন না। অন্যদের সমস্যা দেখে, আপনার মন সহজেই গলে যায়। আপনি অতিথি অভ্যর্থনার কাজে বিশেষজ্ঞ এবং একটি ভাল স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও, আপনি ধার্মিক এবং গুরুর ভক্ত। আপনি 'সত্যমেব জয়তে" (সত্যের জয়)-এর পথে হাঁটেন। যখন আপনি কাউকে সাহায্য করেন, আপনি তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করেন না। আপনি মানুষের দ্বারা প্রতারিত হতে পারেন। আপনার হাসির প্রবল আকর্ষণ থাকবে। সেজন্য যখন আপনি মুখের হাসি নিয়ে কারোর সাথে দেখা করবেন, তারা আপনার অনুরাগী হয়ে যাবে। এটা কোন ব্যাপার নয় যে আপনি কতগুলি উত্থান পতনের সম্মুখীন হয়েছেন, আপনি কেবলমাত্র জীবনযাত্রার একটি সহজ মান ধরে রাখবেন। আপনি একজন ভাল পরামর্শদাতা হবেন এবং মানুষের সমস্যায় তাদের জন্য সাহায্য করবেন। এমনকি যদি আপনি অনেক শিক্ষিত নাও হন, তাও আপনি বহু প্রতিভার অধিকারী হতে পারেন। এছাড়াও, আপনি একজন উত্তম বহু-কর্মক্ষমতাসম্পন্ন। যদি আপনি একটি উচ্চ বা ক্ষমতাশীল পদে নিয়োগ হন, তাহলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। অনেক দায়িত্বের কারণে আপনার জীবনে অনেক অর্থব্যয় হবে। মাঝে মাঝে, আপনি আর্থিক দেউলিয়াও সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার অন্যদের সেবা করার একটি ভাল কর্মশক্তি আছে। এজন্যই আপনি আপনার বাবা মায়ের প্রতি আরো অনেক বেশি অনুগত হবেন। শালীনতা ও নৈতিকতা পরিষ্কারভাবে আপনার আচরণে দেখা যেতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে, আপনাকে বিশ্বস্ত বলেই মনে হবে কারণ আপনি এমনকি ভুল করেও কারোর বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চাইবেন না। আপনার ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে এবং আপনি সবসময় সত্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। ধর্ম এবং সেইসঙ্গে আধ্যাত্মিকতায়, আপনি অনেক খ্যাতি ও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা আপনার চরিত্রের বিশেষত্ব যে সঠিকভাবে চিন্তা করার পরে আপনি সবকিছু করেন। এই কারণে, আপনি খুব কমই কোন ভুল করেন। আপনার মানসিক শক্তি বেশ ভাল, যা আপনাকে অধ্যয়নে ভাল করে তোলে। আপনি সহনশীলতা এবং আত্ম-মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকবেন। আপনি সাহসী এবং নির্ভীক হবেন। যে কোন কিছুতেই, আপনি শুধু সেটিকে মনে রাখবেন না বরং সেটিকে পরিষ্কারও করতে বলবেন। আয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, চাকরি ও ব্যবসা উভয় আপনার জন্য উপকারী। এই দুইয়ের মধ্যে, আপনি যে ক্ষেত্রই নির্বাচন করুন সেটি আপনাকে সাফল্য দেবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার 30 বছর বয়স থেকে পরিবর্তন শুরু হবে। 30 থেকে 45 বছর বয়সের মধ্যে সম্পূর্ণ স্থায়িত্ব আসবে। আপনার জন্য ইতিবাচক পেশা হল যান্ত্রিক বা প্রযুক্তিগত কাজ; ইঞ্জিনিয়ারিং; পেট্রোলিয়াম এবং তেল সম্পর্কিত কাজ; শিক্ষাদান; প্রশিক্ষণ; প্রচারক; গবেষক; অনুবাদক; গল্পকথক; সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কাজ; টেলিফোন অপারেটর; সংবাদ পাঠক; রেডিও ও টেলিভিশন সম্পর্কিত কাজ; মন্ত্রণাদাতা; মনোবৈজ্ঞানিক; ভ্রমণ; ভ্রমণ এবং পর্যটন সম্পর্কিত কাজ; হোটেল বা রেস্টুরেন্ট কর্মী; সামাজিক কাজ; ইত্যাদি।

পারিবারিক জীবন

আপনার পারিবারিক জীবন বেশ সুখের হবে। স্ত্রী বেশ সহানুভূতিশীল হবেন। তিনি আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার পরিবারের সঠিকভাবে যত্ন নেবেন। আপনার সন্তানও আপনাকে অনেক সুখ দেবে এবং তারা উচ্চ শিক্ষা লাভ করবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180816104521

Thursday, August 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কালসর্প দোষ ও সম্পূর্ন প্রতিবিধান

কালসর্প দোষ ও সম্পূর্ন প্রতিবিধান

ASTRO PALMIST NUMEROLOGY CENTER
কালসর্পযোগ

.কালসর্প যোগ ও
কোন কালসর্প যোগে কী ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন

কালসর্প যোগ তখনই হয় যখন রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনি এই সাতটি গ্রহ কোনও জন্মছকে রাহু ও কেতুর মাঝখানে থাকে। মোট ১২টি কালসর্প যোগ আছে। কোন কালসর্প যোগে কী কী ক্ষেত্রে কুপ্রভাব বিস্তার করে দেখে নেওয়া যাক—
#এক:
১। অনন্তনাগ কালসর্প যোগ—
যখন লগ্নে রাহু ও সপ্তমে কেতু অবস্থান করে, বাকি গ্রহগণ তাদের মধ্যে অবস্থান করে। এই যোগে জাতক সারা জীবন কষ্ট করেও সাফল্য পায় না এবং সাংসারিক জীবন বিঘ্নিত হয়।

২। কুলিক কালসর্প যোগ—
যখন রাহুর অবস্থান দ্বিতীয়ে এবং কেতু অষ্টমে অবস্থান করে। এর ফলে জাতক সারা জীবনে অর্থ সঞ্চয় করতে পারে না এবং দাম্পত্য জীবনও সুখকর হয় না।
৩। বাসুকী কালসর্প যোগ—

এখানে রাহুর অবস্থান তৃতীয়ে এবং কেতু নবমে অবস্থান করে। বাকি গ্রহগণ তাদের মধ্যে অবস্থান করে। এর ফলে জাতক/জাতিকার নিজ পায়ে দাঁড়াতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। ভ্রাতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সংঘাত ও ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে থাকে।

৪। শঙ্খকাল কালসর্প যোগ—
এ ক্ষেত্রে রাহুর অবস্থান চতুর্থে ও কেতু দশমে অবস্থান করে। এর ফলে পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এবং হঠাৎ করে ভাগ্য বা কর্ম জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।

৫। পদ্মনাভ কালসর্প যোগ—
এখানে রাহুর অবস্থান পঞ্চমে ও কেতু একাদশ স্থানে অবস্থিত থাকে। এর ফলে ভাগ্য বিপর্যয়, শিক্ষা, সন্তানের সমস্যা, প্রেম-প্রীতি বিঘ্নিত এবং সর্বোপরি সাফল্য একদম আসতে চায় না।

৬। মহাপদ্মনাভ কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান ষষ্ঠে এবং কেতু দ্বাদশে অবস্থান করলে এ যোগ সৃষ্টি হয়। এর ফলে শত্রু বৃদ্ধি, রোগ ভোগ, অদ্ভুত চরিত্রের অধিকারী, শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং কর্মজীবনে সংঘাত লেগে থাকে। হাজতবাসও হতে পারে এই যোগে।

৭। তক্ষক কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান সপ্তমে ও কেতু লগ্নে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যা, দাম্পত্য কলহ, ভালবাসা বিঘ্নিত, ব্যবসায়িক সঙ্গীর সঙ্গে সংঘাত ইত্যাদি দেখা দেয় এই যোগে।

৮। কারকোত্বক কালসর্প যোগ—
এই যোগে রাহু অষ্টমে এবং কেতু দ্বিতীয়ে অবস্থান করে। বাকি গ্রহগুলি এদের মধ্যে অবস্থান করে। অযথা নেশা করা, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা, সাংসারিক শান্তি বিঘ্নিত, অর্থের কষ্ট এবং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এই যোগে ঘটে থাকে।

৯। শঙ্খচূড় কালসর্প যোগ—
রাহু নবমে ও কেতুর অবস্থান তৃতীয়ে হলে জন্ম ছকে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে ভাগ্য বিপর্যয়, ভ্রাতৃ-ভগিনীদের সঙ্গে বিরোধ, নিজের নামে কলঙ্ক লাগা ও পিতার সঙ্গে বিরোধ ঘটে থাকে।

১০। ঘটক কালসর্প যোগ—
রাহু জন্মছকে দশমে ও কেতু চতুর্থে অবস্থান এবং বাকি গ্রহ সকল এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। কর্মজীবন বিঘ্নিত, রাজনীতিতে পতন, কিছু বাজে স্বভাব, কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে সংঘাত এই যোগে ঘটে থাকে।

১১। বিষধর কালসর্প যোগ—
এই যোগে রাহু একাদশে এবং কেতু পঞ্চমে এবং বাকি গ্রহ এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে শিক্ষায় বিঘ্ন, সঙ্গীর সঙ্গে বিরোধ, ফাটকায় ক্ষতি এবং দাম্ভিকতা প্রকাশ পায়। এই যোগে কর্মস্থানে শান্তি বিঘ্নিত ঘটতে পারে।

১২। শেষনাগ কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান দ্বাদশে ও কেতু ষষ্ঠে এবং বাকি গ্রহ এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে স্বার্থপরতা, চোখের সমস্যা, নিচু মানসিকতা, বিদেশ যাওয়ার যোগ, হিসাব ছাড়া খরচ হয়।

#দুই জীবনে এর প্রভাব

জ্যোতিষশাস্ত্রে এটা কে খুব খারাপ যোগ হিসাবেই দেখা হয় । এই যোগ / দোষ থাকলে জীবন এ অনেক ঝামেলা ঝঞ্ঝাট পেতে হয় । কাল’ শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু’ আর ‘সর্প’ বলতে সর্পিলাকৃতি । কাল ও সর্প যদি একত্র হয়, তা হলে সেই ব্যক্তির জীবন দুঃসময়ের মধ্য দীয়ে ই যায় ।

#তিন পৌরাণিক কাহিনি

কালসর্পযোগের পিছনে রাহু ও কেতুর ভূমিকা রয়েছে। পুরাণ মতে, স্বরভানু নামে এক অসুর সমুদ্র মন্থনের কালে অমৃত আস্বাদন করেছিল। তার মুণ্ড ছিন্ন করেন মোহিনীরূপী বিষ্ণু। কিন্তু তার ছিন্নমুণ্ড ও ধড় অমৃতপানের ফলে অমরত্ব লাভ করে। মুণ্ডটি রাহু এবং দেহটি কেতু নামে পরিচিত হয়ে মহাবিশ্বে ঘুরে বেড়াতে থাকে।

#চার বিশেষ ব্যাক্তির জন্ম ছকে কাল সর্প যোগ

বেনিটো মুসলিনি, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই পাটেল, George W Bush, মাওসেতুং, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি ,শচীন তেন্ডুলকারের বাসুকি কালসর্প রয়েছে ।

#পাঁচ কালসর্প ভঙ্গ কাদের হয়

১। রাহু ও কেতু যদি কেন্দ্র, ত্রিকোনে বলশালী অবস্থায় থাকে।
২। রাহু ও কেতু তুঙ্গস্থ হলে ।
২। রাহু ও কেতু যদি কোন শুভ যোগ সৃষ্টি করে।
৩। লগ্ন পতি, নবম পতি, ও একাদশ পতি যদি বলশালী হয়।
৪। অন্যান্য গ্রহের অবস্থান শুভ হলে ।

#ছয় প্রতিকার

জন্মকুণ্ডলীতে কালসর্প যোগ থাকলে জাতককে নাগ পঞ্চমী ব্রত পালন করতে হবে | সন্তুষ্ট রাখতে হবে নাগদেবতাকে | বাড়িতে রাখতে হবে কালসর্প যন্ত্র | এবং রাহু ও কেতুর স্বঃনক্ষত্রে অর্থাৎ আর্দ্রা, স্বাতী, শতভিষা,মঘা, মুলা,ও অশ্বনী নক্ষত্রে শনিবার অথবা মঙ্গলবার কৃষ্ণপক্ষের পঙ্চমী,অষ্টমী, চর্তুরদশী কিংবা অমাবস্যা তিথিতে একলক্ষ জপদ্বারা দীর্ঘ তিনমাস ব‍্যাপী,ওছয়জন পু্রোহিত ও একজন গ্ৰোহাচায‍্য ও একজন নাপিত বা ভান্ডারী চতুরমুখী হোম করে নাগদেবতা,শিব,রাহু ও কেতুর পূজা থেকে সুশক্তি বেরিয়ে প্রভাবিত করবে কালসর্প যোগে জর্জরিত জাতককে |

#সাত কি করে বুঝবেন আপনার কালসর্প দোষ আছে কি না ?

আপনার জন্ম ছক বিচার করানো আবশ্যক কোন ভালো Astrologer এর কাছে । তিনি ই বলতে পারবেন শুধুমাত্র।

#নয়

কালসর্প দোষ থাকলেই খুব ভয় এর যে আছে তা নয় । তবে এর প্রতীকার করিয়ে নেওয়া ভালো । কালসর্প দোষ কাটাতে পুজো করলেন শ্রীদেবী কারন তার মেয়ের (জানভি) র এই যোগ আছে। সচিন ও পূজা করিয়েছিলেন ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180816104126

Wednesday, August 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

. পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

***এটি আমারও নক্ষত্র ! যারা আমায় চেনেন তারাও একটু দেখুন তো ! আমার সাথে কতটুকু মিললো ? অবস্যই জানতে ভুলবেননা । ***

## আপনার আচরণ নম্র ও ধার্মিক হবে। আপনি অত্যন্ত যৌক্তিক হবেন এবং আপনার বিশ্বাসের উপর দৃঢ় থাকবেন। এছাড়াও লেখার গুণ আপনার মধ্যে সুপ্ত থাকবে; বিশেষভাবে আপনি কবিতা শোনা এবং লেখা উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু, আপনার একটিমাত্র দোষ থাকবে, আপনি বেশ তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন, যা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি আপনার মধ্যে একটি বিশেষ গুণও থাকবে, যেটি হল আপনি একবার কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে আপনি সেটাই করেন। কোন ব্যাপার নয় যে আপনার সিদ্ধান্তটি ভুল বা ঠিক ছিল। আপনার অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে এবং কেউ কথা বলায় আপনার উপর জয়ী হতে পারবে না। শুধুমাত্র আপনার এই গুণের কারণে, মানুষ আপনার জন্য পাগল হতে পারে। আপনার অসাধারণ আত্মপ্রত্যয় আছে এবং আপনি একমাত্র ব্যক্তি নয় যিনি আত্মসমর্পণ করবেন। পাশাপাশি খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও, আপনি আশ্চর্যজনকভাবে ধৈর্য ধরে রাখবেন। আপনি উচ্চাভিলাষী এবং সবসময় ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকবেন। আপনি আপনার সব ধৈর্য এবং বিশ্বাস দিয়ে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করবেন। আপনি কখনোই প্রতিবন্ধকতার কারণে চাপে ভারাক্রান্ত হবেন না। আপনার শিক্ষা ভাল হবে এবং আপনি ঔষধ ক্ষেত্রে অনন্য সাফল্য পাবেন। এছাড়াও, আপনার যোগব্যায়াম বা ধর্মীয় বিষয়গুলির প্রতি অনেক আগ্রহ থাকবে। আপনি ব্যবসায় সত্যিই সফলতা পাবেন, কিন্তু এই শর্তে যে, আপনার কর্মীদের সৎ ও বিশ্বস্ত হতে হবে। আপনার হৃদয়ে সবসময় সবার জন্য ভালোবাসা ও স্নেহ থাকবে। আপনার ব্যক্তিত্বে শুধুমাত্র এই গুণের কারণেই আপনি সমাজে যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সম্মান পাবেন। আপনি সবসময় সুখী হতে চেষ্টা করবেন। চারিত্রিক দক দিয়ে আপনি ভদ্র হবেন এবং বিভিন্ন শিল্পকলায় ও সেইসঙ্গে অভিনয়েও আগ্রহ থাকবে। এছাড়াও, আপনার সাহিত্যের প্রতি অনেক আগ্রহ থাকবে অর্থাৎ আপনার সেগুলি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকবে। আপনি সৎ আচরণ করবেন এবং আপনার একটি খাঁটি মন থাকবে। আপনাকে একজন আদর্শ বন্ধু হিসাবে ডাকা সঠিক হবে কারণ আপনি সারা জীবনের জন্য আপনার বন্ধুত্ব রাখবেন। আপনি এক কথার মানুষ। আপনার শিক্ষা অত্যন্ত ভাল হবে এবং আপনার ব্যক্তিত্বের একটি দৃঢ় আকর্ষণ থাকবে। আপনি শক্তি ও উদ্দীপনায় পূর্ণ হবেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি কাজ বন্ধ করে বিশ্রাম নেবেন না। আপনার মিথ্যা কথা বলায় খুব ঘৃণা আছে কারণ আপনি সবসময় সত্য কথায় বিশ্বাস করেন এবং স্পষ্টভাবে সবকিছু বলা পছন্দ করেন। স্বাস্থ্যের বিষয়ে আপনাকে ভাল যত্ন নিতে হবে এবং কোনো নিঃশ্বাস সম্পর্কিত বিষয়কে হাল্কাভাবে গ্রহণ করবেন না।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল নৌবাহিনীর কর্মকর্তা; নৌবাহিনী সংশ্লিষ্ট কাজ; জীববিজ্ঞানী; মৎস্যচাষের ব্যবসা; নর্তকী; মঞ্চে অভিনয়কারী; গায়ক; মনোবৈজ্ঞানিক; দার্শনিক; কবি; লেখক; শিল্পী; চিত্রশিল্পী; ফ্যাশান ডিজাইনার; হোটেল সম্পর্কিত কাজ; প্রভৃতি

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার জীবনের অধিকাংশ সময় আপনার জন্মস্থান থেকে দূরে অতিবাহিত করবেন। বাবা মায়ের থেকে আপনি বেশি সুবিধা পাবেন না। বিবাহিত জীবন ভালো হবে, কিন্তু বিয়ে দেরিতে হবে তা দেখা যাচ্ছে। আপনি আপনার স্ত্রী ও তার পরিবারের দিকে আরো ঝুঁকে থাকতে পারেন। আপনার 2টি সন্তান থাকতে পারে এবং তারা আজ্ঞাবহ ও সেইসঙ্গে ভাগ্যবানও হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180815084601

Wednesday, August 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিব পূজার গুরুত্ব

শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিব পূজার গুরুত্ব

শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার
*************
শ্রাবণ সোমবার ব্রতে শিবপুজো করলে পূর্ণ হয় ভক্তের যাবতীয় মনোবাঞ্ছা ?

ভগবান মহাদেবের ভক্তদের কাছে শ্রাবণ মাসের মাহাত্ম্যই আলাদা | শৈব উপাসনায় এই সময় নাকি আদর্শ | বছরের অন্য সময়ে শিবপুজো করলে যা পুণ্যলাভ হয়, এই সময়ে করলে তা ১০৮ গুণে বেশি হয় | দেশ জুড়ে কয়েক লক্ষ ভক্ত এই মাসে পালন করেন শ্রাবণ সোমবার ব্রত | মূলত অবাঙালি হিন্দিভাষীদের মধ্যেই বেশি প্রচলিত | প্রতি সোমবার তাঁরা উপবাস রেখে শিবপুজো করেন | পুজোশেষে ভঙ্গ হয় উপবাস | আবার রাজস্থানি-গুজরাতিদের মধ্যে এমন রীতি প্রচলিত যেখানে শ্রাবণ মাস ধরে তাঁরা সূর্যাস্তের পরে আর কিছু খান না | তার আগে সারাদিন নিরামিষ হাল্কা খাবার, সাবুমাখা, ফলমূল খেয়ে থাকেন | অনেকে এই মাস ধরে নুনহীন খাবার খান | পরম বিশ্বাস হল, শ্রাবণ সোমবার ব্রত পালনে পূর্ণ হয় ভক্তের যাবতীয় মনোবাঞ্ছা |

এই ব্রতেও শিবপুজোর উপকরণ সামান্য | বিল্বপত্র বা বেলপাতা তো থাকেই | বলা হয় বেলগাছের শিকড়ে থাকেন স্বয়ং মহাদেব | এই ব্রতপালনে তীর্থযাত্রার মতো পুণ্যলাভ হয় | শিবরাতির মতো এই ব্রতও মূলত পালন করেন মহিলারা | বিবাহিত অবিবাহিত নির্বিশেষে | প্রচলিত ধারণা হল, বিয়ে এবং মেহেন্দি পরার জন্য শ্রাবণ মাস অতি উত্তম | তাই যদি কোনও কুমারী মেয়ে হাতে মেহেন্দি আর সবুজ বালা পরে শ্রাবণ মাসে শিবপুজো করে তবে সে মনের মতো স্বামীলাভ করে |

এই ব্রত পালনের স্বাস্থ্যকর দিকও আছে বলে অনেকের স্থির বিশ্বাস | এই সময়ে বর্ষাকালে কমে যায় সূর্যের তেজ | দেখা দেয় হজমের গোলমাল-সহ পেটের নানা রোগ | তাই নিরামিষ সহজপাচ্য খাবারে ব্যাহত হয় না হজমশক্তি | আবার উপোস করলে ডিটক্সিফিকেশন হয় | রক্ষা পাওয়া যায় জলবাহিত রোগ থেকে |

# ভোরে উঠে স্নান সেরে পুজোয় বসতে হবে | মন্দির বা বাড়ির ঠাকুরঘর, যেখানে খুশি |

# পুজোর আসন পরিষ্কার করে সাজাতে হবে ফুল ধূপ ধুনো দিয়ে |

# প্রথমে গণেশ পুজো এবং তার পরে শিবপুজো | উত্‍সর্গ করতে হবে দুধ চিনি আতপ চাল | আর সাধ্যমতো ফলপ্রসাদ | দুঃস্থদের সাহায্য করতে পারলে তো খুবই শ্রেয় |

# এরপর চন্দন কর্পূর মাখা ফুল বেলপাতা উত্‍সর্গ করতে হবে শিবকে , পাঠ করতে হবে ' ওং নমঃ শিবায়ঃ' মন্ত্র | এরপর পাঠ করতে হবে ব্রতকথা |

শ্রাবণ সোমবারের ব্রতকথাও বেশ চিত্তাকর্ষক | কোনও এক সময়ে ছিলেন এক মহাজন | কুশীদজীবী হলেও তিনি সত্‍ | স্ত্রীর সঙ্গে যাপন করতেন ধার্মিক জীবন | কিন্তু সব সুখ থাকলেও তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না | মহাদেবের কাছে দীর্ঘ প্রার্থনায় কোলে এল পুত্রসন্তান | কিন্তু ভবিষ্যত্‍বাণী হল তার আয়ু মাত্র বারো বছর |

অদৃষ্টলিপি বলে মেনে ছেলেকে বড় করতে লাগলেন মহাজন ও তাঁর স্ত্রী | বারো বছর বয়সে তাকে এক আত্মীয়র সঙ্গে পাঠানো কাশীতে অধ্যয়নের জন্য | পথে দেখা গেল একটি বিয়ের আসর | কিন্তু সেখানে তখন কান্নার রোল | কারণ বর একচোখে কানা | পাত্রীর বাবা অনুরোধ করলেন মহাজন পুত্রকে বরের আসনে বসতে | বালকের আত্মীয় বললেন তাঁর অদৃষ্টলিখনের কথা | কিন্তু তাতেও রাজি হলেন পাত্রীর বাবা | মহাজনপুত্রের বিয়ে হয়ে গেল | নতুন বৌকে নিয়ে সে গেল কাশী | যথাসময়ে এল তার শেষ ক্ষণ | কিন্তু মহাজন আর তাঁর স্ত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট ছিলেন মহাদেব | তাই তিনি অদৃষ্টলিপি বদলে দীর্ঘজীবন দিলেন মহাজন পুত্রকে | স্ত্রী নিয়ে সে ফিরে এল বাবা মায়ের কাছে | সংসার ভরে উঠল সুখে শান্তিতে |

শ্র্বাবন- সোমবার ব্রতপালনে পুজোর সঙ্গে আছে কিছু বিধিনিষেধ | যা মানতে হবে ব্রতীদের |

# উপবাসকালে কোনমতেই নেশা করা চলবে না |
# শ্রাবণ মাসে বর্জনীয় ক্ষৌরকর্ম |
# উপবাস রাখলে তা ভাঙা যাবে না |
# নদী বা পুকুরে গিয়ে খাওয়াতে হবে মাছদের |
# শ্রাবণ মাসে সাপ হত্যা করা যাবে না |

বর্তমান সময়ে এই বিধিনিষেধ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা সম্ভব নয় | তবে যাঁরা ব্রত রাখেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করেন |
ব্রতশেষে অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার, শিবষ্টকম্ স্তোত্রটি অবশ্যই পাঠ করবেন।

শিবাষ্টকম

প্রভুং প্রাণনাথং বিভুং বিশ্বনাথং জগন্নাথ নাথং সদানংদ ভাজাম |
ভবদ্ভব্য় ভূতেশ্বরং ভূতনাথং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 1 ||

গলে রুংডমালং তনৌ সর্পজালং মহাকাল কালং গণেশাদি পালম |
জটাজূট গংগোত্তরংগৈ র্বিশালং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 2||

মুদামাকরং মংডনং মংডয়ংতং মহা মংডলং ভস্ম ভূষাধরং তম |
অনাদিং হ্য়পারং মহা মোহমারং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 3 ||

বটাধো নিবাসং মহাট্টাট্টহাসং মহাপাপ নাশং সদা সুপ্রকাশম |
গিরীশং গণেশং সুরেশং মহেশং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 4 ||

গিরীংদ্রাত্মজা সংগৃহীতার্ধদেহং গিরৌ সংস্থিতং সর্বদাপন্ন গেহম |
পরব্রহ্ম ব্রহ্মাদিভির-বংদ্য়মানং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 5 ||

কপালং ত্রিশূলং করাভ্য়াং দধানং পদাম্ভোজ নম্রায় কামং দদানম |
বলীবর্ধমানং সুরাণাং প্রধানং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 6 ||

শরচ্চংদ্র গাত্রং গণানংদপাত্রং ত্রিনেত্রং পবিত্রং ধনেশস্য় মিত্রম |
অপর্ণা কলত্রং সদা সচ্চরিত্রং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 7 ||

হরং সর্পহারং চিতা ভূবিহারং ভবং বেদসারং সদা নির্বিকারং|
শ্মশানে বসংতং মনোজং দহংতং, শিবং শংকরং শংভু মীশানমীডে || 8 ||

স্বয়ং য়ঃ প্রভাতে নরশ্শূল পাণে পঠেত স্তোত্ররত্নং ত্বিহপ্রাপ্য়রত্নম |
সুপুত্রং সুধান্য়ং সুমিত্রং কলত্রং বিচিত্রৈস্সমারাধ্য় মোক্ষং প্রয়াতি ||

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180815083717

Wednesday, August 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাস্তূ অনুযায়ী ঠাকুর ঘর

বাস্তূ অনুযায়ী ঠাকুর ঘর

সুপ্রভাত
ভক্তদের অনুরোধে লেখাটি পুনরায় পোষ্ট করলাম।
আপনার বাড়ীর ঠাকুর ঘর
===================
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বাড়ীতে পূজার্চনা করে থাকি। কিন্তু ঠাকুর ঘর সম্পর্কে বাস্তুবিদ কি বলে থাকেন, তা জানি না। আসুন, জেনে নিই, বাড়ীর ঠাকুরঘর কি রকম হওয়া উচিত ----
• বাড়ীর শোবার ঘরকে কখনোই ঠাকুর ঘর করবেন না, বা ঠাকুর রাখবেন না। রাখলেও কিছু নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
• শোবার ঘরে ঠাকুরের ক্যালেন্ডার রাখাও উচিত নয়।
• আপনাদের বাড়ীর টয়লেট ঘরের পাশেও কখনো ঠাকুর ঘর করবেন না। কারন এতে সেই পবিবারের সদস্যদের মানসিক পবিত্রতা ধীরে ধীরে কমে যায়।
• ঠাকুর ঘর সাধারনত বাড়ীর উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) তৈরী করা সবথেকে শুভ। তবে উত্তর-পূর্ব কোণ (ঈশাণ কোণ) ছাড়াও বাড়ীর পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর তৈরী করা যেতে পারে।
• আপনারা কখনোই ঘরের কিংবা বাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে (নৈঋত কোণ) ঠাকুর ঘর করবেন না,এটা ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র মতে চরম অশুভ, এর প্রভাবে সেই বাড়ীতে পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনো কারনে পুলিশি ঝামেলা কিংবা আইনগত ঝামেলা চলে আসতে পারে।
• ঠাকুর ঘরে পুজার জন্য ব্যবহৃত গঙ্গা জল সর্বদাই আপনারা গঙ্গায় জোয়ারের সময়ই নিয়ে আসবেন, কারন হিন্দুধর্ম অনুসারে যেকোনো ধর্মীয় পুজার সময় জোয়ারের সময়ের গঙ্গা জলই সেই পুজাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
• অনেকেই ঠাকুর ঘর বাড়ীর ছাদে তৈরী করেন, কিন্তু এটা ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র মতে খুব অশুভ না হলেও,ছাদে ঠাকুর ঘর করা উচিত নয়,আমাদের হিন্দুধর্ম মতে আমাদের বসবাসের পাশেই ভগবানকে রাখা উচিত, তাই আমরা যেখানে থাকবো বাড়ীর সেই তলাতেই উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) ঠাকুর ঘর করা উচিত।
• আপনারা কখনোই ঠাকুর ঘরে ঝুল বা কালি জমতে দেবেন না, কারণ এটা অশুভ। এর জন্য পরিবারের কেউ কিংবা অন্য কেউ গুপ্ত শত্রুতা করতে পারে, তাই আপনারা যতটা পারবেন ঠাকুর ঘরের ঝুল সর্বদা পরিস্কার করার চেষ্টা করবেন।
• ঠাকুর ঘরে একই দেবতার ছবি কিংবা মূর্তি একাধিক রাখা উচিত নয়, কারন তাতে পুজা করলেও সেই পূজার ফল কিছুই পাওয়া যায় না, তাই যেকোনো দেবতার ছবি একটা রাখাই শুভ।
• আপনার আরাধ্য দেবতার প্রকার ভেদে ঘরের পরিমাপ করা প্রয়োজন।
• ঘরের উচ্চতা ১০.৫ ফুট, গম্বুজার হলে উচ্চতার সঙ্গে আরো ৫.০০ ফুট করা যেতে পারে।
• সাধারন রং- নীলাভ, সিলিং- সাদা, কিন্তু দেবতা ও জাতকের রাশি বা বাস্তুদোষ ভেদে রং-এর পরিবর্তন করতে হবে।
• ছাদে বিম না রাখাই ভালো।
• ঠাকুর ঘরের আলোর ক্ষেত্রে উজ্বলতা বা আলোর দীপন প্রাবাল্য যেন ৪০ওয়াট এর কম না হয়। প্রয়োজনে অধিক আলো দ্বারা শোভাবর্ধন করা যেতে পারে।
• সিংহাসন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলতে গেলে, আমরা যে স্থানে বসে আরাধনা করবো তার থেকে আনুমানিক ০.৫০-১.০০ ফুট উঁচু উচ্চতার সিংহাসন-এ দেবতার মুর্তি বা চিত্র স্থাপনা করা যেতে পারে, এতে সাধারন চোখে মনুষ্য ও দেবতার আসন পার্থক্য করলেও সেই পার্থক্য যে কি বিশাল তার কোন পরিমান করা সম্ভব নয়। অনেকে দেবতার শয়ন, জাগরন, ভোগ প্রভৃতি কিছু বিশেষ ক্রিয়া পালন করেন, সে ক্ষেত্রে সিংহাসন ব্যবহার বাধ্যতামুলক।
ঠাকুর ঘরের রং নীল,কালো ধূসর ও খয়েরী করবেন না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180815083158

Sunday, August 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মূলা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

মূলা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

মুলা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি একজন মিষ্টি প্রকৃতির এবং শান্তি প্রেমী মানুষ। ন্যায়বিচারের উপর, আপনার খুব বিশ্বাস আছে। মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো এবং আপনার প্রকৃতিও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আপনি বেশ ভাগ্যবান কারণ আপনি সাধারণত সুস্থ ও উত্তম থাকবেন। আপনার দৃঢ় এবং অটল চিন্তাধারা থাকবে। সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে আপনি বেশ মনেপ্রাণ দিয়ে তাতে অংশগ্রহণ করবেন। আপনার গুণাবলী এবং কাজের দরুন, আপনি অনেক নাম এবং খ্যাতি পাবেন। আপনার জীবনে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আপনি যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন এবং আপনি সব বাধা অতিক্রম করে আপনার গন্তব্যের পৌঁছবেন। একবার আপনি কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে আপনি সেটাই করবেন। আপনি না আপনার ভবিষ্যতের উত্তেজনা সম্পর্কে না আপনার জীবনের সংগ্রাম সম্পর্কে উদ্বিগ্ন থাকবেন। ঈশ্বরের উপর, আপনার দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে। এজন্যই আপনি সবকিছু একজনের উপর ছেড়ে দেবেন। আপনি অন্যদের ভাল পরামর্শ দেবেন, কিন্তু আপনার নিজের বিষয়ে কোমল হবেন। আপনার কাজের ক্ষেত্রে আপনি বেশ সৎ থাকবেন। উপরন্তু, আপনার মন সাধারণত শান্তিপূর্ণ থাকবে না। আপনি অনেক কিছু জানেন এবং লিখন, শিল্পকলা ও সেইসঙ্গে সামাজিক ক্ষেত্রেও অনন্য সাফল্য পাবেন। বন্ধুদের প্রতি অত্যধিক উদারতা আপনাকে আর্থিক সমস্যায় ফেলতে পারে। আপনার আয়ের চেয়ে বেশী খরচ করা আপনার অভ্যাস হবে। আপনার প্রতিভা এবং ভাগ্য আরো উজ্জ্বল হবে যখন আপনি আপনার জন্মস্থান থেকে দূরে থাকবেন। যদি আপনি কখনও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পান তাহলে সেটি আপনার অনেক উপকার হবে। আপনাকে আপনার নিজের গন্তব্য লিখবেন; সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিবারের সহায়তা পাবেন কিনা সেটা কোন ব্যাপার নয়। আপনার অনেক বন্ধু থাকবে কারণ আপনি অনুগত হবেন। অধ্যয়নের বিষয়ে আপনি বেশ ভাল হবেন এবং দর্শনশাস্ত্রের প্রতি আপনার বিশেষ আগ্রহ থাকবে। আপনি একজন আদর্শবাদী এবং আপনার নিজের মতাদর্শের উপরই চলেন। যখন আপনার ধন-সম্পদ ও সম্মান মধ্যে একটি নির্বাচন করার অবস্থা আসে তখন আপনি সম্মানই নির্বাচন করবেন। আপনি পেশার পাশাপাশি ব্যবসাতেও সফল হবেন, কিন্তু আপনি পেশাকেই পছন্দ করবেন। আপনি যেখানেই যান না কেন, আপনি আপনার ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকবেন। শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করার পরিবর্তে, আপনি খুব ভালভাবেই জানেন কিভাবে আপনার কাজ করাতে হবে। আধ্যাত্মিকতায় বিশেষ আগ্রহ থাকায় আপনার অর্থের প্রতি লোভ থাকবে না। দারিদ্র মানুষদের সাহায্য করার জন্য আপনি অনেক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন এবং এটি আপনার জন্য অনেক সম্মান নিয়ে আসবে। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে, উচ্চ সমাজের মানুষ আপনার তালিকায় আসবে। আপনার পার্থিব জীবন সুখ ও বিলাসিতা পূর্ণ হবে এবং আপনি সেটি উপভোগ করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল ফার্মাসিউটিক্যাল; ডেন্টিস্ট; মন্ত্রী; লেকচারার; জ্যোতিষী; পুলিশ কর্মকর্তা; গুপ্তচর; বিচারক; সৈনিক; গবেষক; ব্যাকটেরিয়া গবেষক; মহাকাশচারী; ব্যবসায়ী; রাজনীতিবিদ; গায়ক; মন্ত্রণাদাতা; ওষুধ ও ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কিত ব্যবসা; দেহরক্ষী বা নিরাপত্তা কর্মী; কুস্তিগীর; গণিতবিদ বা কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ; মনোবৈজ্ঞানিক; কয়লা বা পেট্রোলিয়াম সংশ্লিষ্ট কাজ; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় সবকিছু করেছেন। এটা আপনি কাছে কোন ব্যাপারই নয় যে আপনার পরিবার আপনাকে সমর্থন করবে কি করবে না। আপনার বিবাহিত জীবন সাধারণত সন্তুষ্টজনক হবে। একজন ভাল সাহায্যকারী হিসাবে স্ত্রীর মধ্যে সব গুণাবলী থাকবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180812211044

Sunday, August 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সোমবার বাড়ির শিবলিঙ্গের পাশে রাখুন

সোমবার বাড়ির শিবলিঙ্গের পাশে রাখুন

বাড়ির শিবলিঙ্গের আসনে রাখুন প্রতি সোমবার এই জিনিস, আপনার কখনও টাকার অভাব হবেনা

যতই বলা হোক যে মানুষের মনই সব টাকার গুরুত্ব নেই সে কথা একেবারেই ভুল।টাকা না থাকলে জীবনধারন করা অসুবিধাজনক।এখনকার যুগে সেই সবচেয়ে বেশি সম্মান পান যারা অর্থ আছে।আর এই অর্থ আগমনের পিছনে যেমন আপনার ধৈর্য ও কর্মক্ষমতা আছে তেমনি সে অর্থ কতটা আপনার কাছে থাকবে তা নির্ধারণ করে আপনার ভাগ্য।আপনার ভাগ্য যদি আপনার প্রতি বিরূপ হন তবে যতই অর্থ আগমন হোক তা সঞ্চয় হবে না।
অনেকে ধনলাভ প্রাপ্তির জন্য লক্ষী পুজো করেন।যাতে লক্ষীশ্রী ঘরে ফিরে আসে। ধনের প্রাচুর্য লাভ হয় কিন্তু আপনি কী জানেন মহাদেবের পুজো করলে মহাদেবও আপনার পুজোয় তুষ্ট হয়ে আপনার অর্থ সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে ।
আমাদের জীবন কখনও মেঘ কখনো রোদ্দুর কখনো জীবন চড়াই কখনও উতরাই ।হঠাত করে আমাদের জীবনে কখন যে দুর্জয় নেমে আসে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।কখনও গ্রহের ফের বা কারো কুদৃষ্টি পড়ে আমাদের জীবন ব্যতিবস্ত হয়।তবে কিছু পথ অবলম্বন করলে এসবের চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া।শ্রাবণ মাস হল শিবের মাস যদি শ্রাবণ মাসের শিবকে তুষ্ট করতে পারেন তাহলে তার কৃপাদৃষ্টি সহজেই লাভ হবে।সংসারে দূরীভূত হবে যেকোনো ধরনের সমস্যা। অর্থাভাবতো দূর হবে সে সঙ্গে জীবনে আসবে খুশির ছোয়া ।তাহলে জেনে নিন কী সেই উপায় ,কীভাবে শিবকে পুজো করলে কাঙ্খিত ফললাভ হবে অর্থাভাব দূর হবে।
আমাদের বাড়িতে প্রত্যেকের আলাদা ঠাকুর ঘর থাকে তবে বর্তমানে ছোট ফ্ল্যাটে আলাদা করে ঠাকুর ঘর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা তবে সকলের বাড়িতেই ঠাকুরের আসন পাতা থাকে যেখানে নিয়মিত ভগবানকে পুজো করা হয় ।
আপনার পুজার আসনে যদি মহাদেবের ছবি না থাকে তবে শ্রাবন মাসের কোনো এক সোমবার ছবি বা শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত করুন। এরপর মহাদেবের সামনে রাখুন এ কটি জিনিস তাহলে দেখবেন জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি ।

1.মহাদের দিন হল সোমবার আর সে সোমবার যদি শ্রাবন মাসে হয় তাহলে আরো ভালো ।সোমবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে শিবের সামনে বসুন ।

2.এরপর মহাদেবের সামনে একটি কলাপাতা রাখুন ।তার ওপর একটি দশ টাকা কয়েন রাখুন।এই দশটাকা কয়েনের ওপর দিন রুপোর কয়েন।

3.এই রুপোর কয়েনের ওপর রাখুন একটি সুপাড়ি।এরপর মনোযোগ সহকারে একশো আট বার ওম হৃং নমঃ শিবায় রিং নমঃ এই মন্ত্রটি বলতে বলতে মহাদেবের আরতি করুন।

তবে মনে রাখতে হবে সকল কিছুর উর্ধ্বে হল ভক্তি একনিষ্ঠতা।একনিষ্ঠভাবে ভগবানের সেবা করলে এবং নিজের মনকে একান্ত ভাবে নিয়োজিত করে এগুলি করলে মিলবে ফললাভ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180812210256

Tuesday, August 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গহনা হারিয়ে যাওয়ার কুফল

গহনা হারিয়ে যাওয়ার কুফল

গহনা হারিয়ে যাওয়ার কুফল
বর্তমানে ঘটে চলা বহু ঘটনাই ইঙ্গিত দেয় ভবিষ্যৎ কেমন হবে। তেমনই শাস্ত্রে বলা রয়েছে, হঠাৎ গয়না হারিয়ে যাওয়া বা গয়না ভেঙে যাওয়াও এমন অনেক কিছুর ইঙ্গিত দেয়। যেমন কোনও বিবাহিত মহিলার কোমর বিছা হারিয়ে গেলে বুঝতে হয়, আগামী দিনে তাঁর স্বামীর শরীর মোটেই ভাল যাবে না। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গয়না হারিয়ে যাওয়াই ভবিষ্যতের দিকনির্ণয় করে দেয়। জেনে নিন—

• কানের দুল— কানের দুল হারালে বুঝে নিতে হয়, খুব তাড়াতাড়ি কোনও খারাপ খবর আসতে চলেছে। বিশেষ করে সোনার গয়না হারানো অমঙ্গল বলে মনে করা হয়।

• নথ— নাকে পরার গয়না হারানো মানে আগামী দিনে নাক কাটা যেতে পারে আপনার। অর্থাৎ কোনও ব্যাপারে অসম্মানিত হতে পারেন।

• টিকলি বা মুকুট— এর অর্থ ভবিষ্যতে কোনও গুরুতর বিষয় মাথায় চাপ বাড়াবে।

• গলার হার— গলার হার হারানো মানে, হয়তো আপনি এমন কোনও কাণ্ড ঘটাবেন, যার জন্য সম্মানহানি হতে পারে।

• হাতের বাজু বা চুড়ি— এর অর্থ অদূর ভবিষ্যতে আর্থিক অনটন হতে পারে।

• আংটি— আংটি হারানো মানে ভবিষ্যতে শরীর স্বাস্থ্য মোটেই ভাল যাবে না।

• পায়ের তোড়া— ডান পায়ের তোড়া হারালে সম্মানহানি হতে পারে। বাঁ পায়ের তোড়া হারালে বুঝতে হবে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ভবিষ্যতে।

তাই এবার থেকে নিজেদের গয়নার যত্ন নিন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180807070220

Tuesday, August 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জৈষ্ঠা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

জৈষ্ঠা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি সুস্থ, উদ্যমী এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের হবেন। সহৃদয়, আন্তরিক প্রকৃতি আপনার বিশিষ্টতা হবে। আপনি আপনার বিবেক অনুযায়ী কাজ করতে চান। আপনি অন্যদের কথা না শোনার জন্য তারা মনে করবে যে আপনি অনমনীয় প্রকৃতির। একজন তাত্ত্বিক হিসাবে আপনি যা ঠিক মনে করেন তাই করেন। আপনি একজন খোলা মনের মানুষ, এই কারণে আপনি গোঁড়ামিতে আবদ্ধ থাকতে পারেন না। আপনার মগজ তীক্ষ্ণ হবে তাই আপনি যে কোনো বিষয় তৎক্ষণাত বুঝতে পারেন। আপনি যে কোন জিনিস খুব তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করবেন, যে কারণে অনেকবার আপনার ভুল হবে। আপনার একটি দৃঢ় ইচ্ছা হল আপনি কিছু খুঁজে পেতে পারেন বা কিছু হতে পারেন। ফলস্বরূপ, অন্যদের প্রভাবিত করার জন্য আপনি অনেক কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি হৃদয় ও ভদ্রতায় উজ্জ্বল হবেন, কিন্তু আপনি আপনার অনুভূতি লুকানোর জন্য কারো সাথে বেশি কথা বলবেন না, তাই আপনার এই গুণাবলী আড়ালই থাকবে। আপনি পেশাদারী দুনিয়া বেশ সহজভাবেই প্রবেশ করবেন এবং তাইজন্য, আপনি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা কিছু মনে করবেন না। আপনি সততার সঙ্গে সবকিছু করতে চেষ্টা করবেন, যা আপনাকে সাফল্য এনে দেবে। চটপটে হওয়ার দরুন আপনি সবকিছু দ্রুত করতে পারবেন। আপনি সময়ের মূল্য খুব ভালভাবেই জানেন। তাই, আপনি অর্থহীন জিনিসে আপনার সময় নষ্ট করবেন না। পেশা বা ব্যবসা, যাই হোক না কেন আপনি সফলতা পাবেন। যদি আপনি পেশার দিকে যান তাহলে আপনি একটি উচ্চাসন পাবেন এবং অনেক মানুষ সঠিক দিক খুঁজে পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ব্যবসাতেও আপনি সম্পূর্ণ সাফল্য পাবেন। জীবনের যে কোনো সময় প্রতিযোগিতা আসুক না কেন আপনি আপনার প্রতিযোগীদের পরাভূত করবেন। আপনি 18 থেকে 26 বছর বয়স অবধি কিছু সংগ্রামের মুখোমুখি হবেন, কিন্তু এটি আপনাকে ভাল অভিজ্ঞতা দেবে। নেশা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আপনি অত্যন্ত চিন্তাশীল, দক্ষ এবং বুদ্ধিমান হবেন। আপনার চারপাশের সবাই খাঁটি ভালবাসা অনুভব করবে এবং যাতে আপনার সুনাম বজায় থাকে সেইদিকে আপনি সবসময় সতর্ক থাকবেন। আপনি বেশ ভালো শিক্ষা পাবেন এবং আপনি জীবিকা নির্বাহে এই শিক্ষা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল নিরাপত্তা বিভাগের সাথে সম্পর্কিত ক্ষেত্র; সরকারি চাকরি; সংবাদদাতা; রেডিও ও টেলিভিশন শিল্পী; সংবাদ পাঠক; অভিনেতা; গল্পকথক; ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তা; গুপ্তচর; আমলা বা উচ্চতর কর্মকর্তা; জাহাজ বা অন্য কোন জলযান পরিষেবা; বন কর্মকর্তা; সেনা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা; রানার; টেলিযোগাযোগ বা স্পেস সিস্টেম সম্পর্কিত কাজ; সার্জন; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনার বিবাহিত জীবন সাধারণত স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু, আপনি কাজের সূত্রে আপনার পরিবার থেকে দূরে থাকবেন। আপনার উপর আপনার স্ত্রীর অনেক প্রভাব থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে, আপনার উপর তার নিয়ন্ত্রণ লাভজনক হবে। তার কিছু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। সুতরাং, নিবারণ করা প্রয়োজন। ভাইবোনদের সঙ্গে কিছু বাদানুবাদ সম্ভব।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180807065741

Monday, August 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গায়ত্রী মন্ত্রের মহিমা

গায়ত্রী মন্ত্রের মহিমা

গায়ত্রী মন্ত্রের প্রকৃত মহিমা কী? কারাই বা এই মন্ত্র উচ্চারণের অধিকারী?

এক বড় অংশের ভারতীয় সমাজ গায়ত্রীকে হিন্দু ধর্মের একান্ত বিষয় হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেন, ঠিক কী বলতে চায় গায়ত্রী মন্ত্র?

যে কোনও অবসরে ভারতের যে কোনও জায়গায় আপনার কানে আসতে পারে গায়ত্রী মন্ত্র। ৯০ মিনিট ধরে গায়ত্রীকে কি এইভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করাটা ঠিক? যুগ যুগ ধরে বর্ণবিভক্ত হিন্দু সমাজ গায়ত্রীর উপরে ব্রাহ্মণ সমাজের একাধিপত্য চাপিয়ে রেখেছিল। প্রযুক্তির কল্যাণে তার এই গণতন্ত্রীকরণকে অনেক রক্ষণশীলই ভাল চোখে দেখেননি। তদুপরি, এক বড় অংশের ভারতীয় সমাজ গায়ত্রীকে হিন্দু ধর্মের একান্ত বিষয় হিসেবে দেখে থাকেন। সেটাও ঠিক নয়। কেউ কি ভেবে দেখেন, ঠিক কী বলতে চায় গায়ত্রী মন্ত্র? আর একে উচ্চারণের অধিকারী ঠিক কারা?

• প্রথমেই জানা দরকার, গায়ত্রী মন্ত্র উল্লিখিত হয়েছে ঋগ্বেদে। বিশ্বের প্রাচীনতম গ্রন্থের কোথাও ‘হিন্দু’ শব্দটাই উল্লিখিত নয়। ঋগ্বৈদিক সভ্যতা ছিল অপৌত্তলিক প্রকৃতি-উপাসক। গায়ত্রী এই উপাসনা পদ্ধতিরই অন্যতম প্রধান মন্ত্র।

• ‘ওঁ ভূর্ভুবস্ব তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি ধীয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ’—

এই মন্ত্রে যে যে দেবতা উল্লিখিত হয়েছেন, তাঁদের নামগুলি দেখা যাক। ‘ওঁ’ পরব্রহ্ম, ‘ভূ’ অর্থাৎ পৃথিবীলোক, ‘ভুবঃ’ আকাশলোক, ‘স্ব’ স্বর্গ। এখানে এই ত্রিলোকের অধিপতি পরমের কথা বলা হয়েছে। ‘তৎ’-এর অর্থ চূড়ান্ত সত্য, ‘সবিতু’ অর্থে যাবৎ কিছুর উৎস। ‘বরেণ্যম’ অর্থাৎ এঁদের প্রণাম করা হচ্ছে। ‘ভর্গো’ শব্দের অর্থ আধাত্ম্যশক্তি, ‘দেবস্য’ দৈব সত্তা। এবং সেখানে ‘ধীমহি’ অর্থাৎ ধ্যান করা হচ্ছে। ‘ধীয়ো’ অর্থে ধীশক্তি বা বৌদ্ধিক উৎকর্ষ, ‘প্রচোদয়াৎ’-এর অর্থ আলোকপ্রাপ্তি। এখানেই বোঝা যায়, এই মন্ত্রে কোথাও কোনও পৌত্তলিক দেবতার উল্লেখ নেই।

• প্রকৃতি উপাসক আর্য সভ্যতা গায়ত্রী মন্ত্রকে প্রকৃতির পরমতম রূপের উদ্দেশেই নিবেদন করেছিল। পরম্পরাগত বিশ্বাস, মহর্ষি ভৃগু এর রচয়িতা।

• স্বামী বিবেকানন্দ গায়ত্রী মন্ত্রের অনুবাদ করেছিলেন— আমরা সেই মহতের উপাসনা করছি, যিনি এই ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা। তিনি যেন আমাদের আলোকপ্রাপ্তির পথে নিয়ে যান।

• গায়ত্রী মন্ত্রকে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মধ্যে আবদ্ধ রাখার কাজটা সম্পন্ন হয় সম্ভবত গুপ্তযুগে। আসলে এই মন্ত্র ‘দ্বিজ’-দের উচ্চারণের যোগ্য বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। প্রাচীন আর্য সমাজে ব্রাহ্মণরাই একা দ্বিজ ছিলেন না। দ্বিজত্ব অর্জন করা যেত কর্মের দ্বারা।

• গায়ত্রী ছন্দকে শ্রেষ্ঠ ছন্দ বলে বর্ণনা করেন আর্য ছান্দসিকরা। এই ছন্দে এই মন্ত্র গীত হয়। সঠিকভাবে ঊষালগ্নে এই মন্ত্র উচ্চারণের বিধান রয়েছে। বলাই বাহুল্য, ঊষালগ্নের শুদ্ধতার কথা স্বীকার করে পৃথিবীর সব ধর্মমত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180806110756

Monday, August 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দান করলে কমে না

দান করলে কমে না

এক দরিদ্র ব্যক্তি গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলোঃ "আমি এতো দরিদ্র কেন?"
জবাবে গৌতম বুদ্ধ বললেনঃ "কারন তুমি দান কর না এবং করতেও জানো না।"
দরিদ্র ব্যক্তি বললঃ "আমার তো দান করার মত কিছুই নেই।"
অতঃপর গৌতম বুদ্ধ বললেনঃ "দান করার মত অনেক জিনিস আছে তোমার কাছে, যা কারো কাছেই কম নেই (অর্থাৎ তা ধনী-গরীব সবার কাছেই সমপরিমাণ থাকে)। আর তা হল..
১. চেহারাঃ যা দ্বারা তুমি সুখ ও আনন্দের হাসি উপহার হিসেবে অন্যদের দিতে পারো।
২. মুখঃ যা দ্বারা তুমি মাধুর্য্যপূর্ণ উৎকৃষ্ট কথা বলে মানুষকে আনন্দ ও উৎসাহ প্রদান করতে পারো।
৩. হৃদয়ঃ যা তুমি আন্তরিকতা ও উদারতা দ্বারা অন্যদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারো।
৪. চোখঃ যা দ্বারা তুমি দয়া ও ভালোবাসার সাথে অন্যদের দেখতে পারো।
৫. দেহঃ যা দ্বারা তুমি নিজের শ্রমের মাধ্যমে অন্যদের সাহায্য প্রদান করতে পারো।
আর তাই তো তুমি একেবারেই দরিদ্র নও। মূলত হৃদয়ের দারিদ্রতাই প্রকৃত দারিদ্রতা, আর্থিক দারিদ্রতা মূল দারিদ্রতা নয়।"
৬) প্রিয়বাক‍্য প্রদানেন সর্বতুষ্টী জন্তব্বঃ
তস্মাদ্ তদৈব বক্তবম্
বচনে কা দারিদ্র্যতা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180806074152

Monday, August 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অনুরাধা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

অনুরাধা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

অনুরাধা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

*** আপনার ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আছে। এই কারণেই আপনি কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন না। জীবনে বাধা আসতে পারে, কিন্তু সেগুলি আপনার পথকে কাঁপতে পারবে না কারণ আপনি একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ। আপনি খুব তরুণ বয়স থেকে আয় করা শুরু করবেন। আপনার চরিত্র বেশ সংগ্রামী হবে। মানসিক শান্তির জন্য, আপনি নিয়মিত প্রচেষ্টা করবেন। আপনি বেশ অকপট, অর্থাৎ আপনার যা মনে আসে তাই বলে দেন। আপনার হৃদয়ের মধ্যে কিছু রাখা এটা আপনার প্রকৃতি নয়। এজন্যই মাঝে মাঝে মানুষ আপনার কথায় আঘাত পেতে পারে। যখন আপনি কাউকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, আপনি আপনার সমস্ত হৃদয় দিয়ে সেটি করেন। আপনি জাহির করেন না। যদিও আপনি আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে বেশ গম্ভীর থাকেন তবুও আপনি অনেক বাধা অতিক্রম করার পর সফল হবেন। যখনই আপনার কাছে কোন সুযোগ আসে, আপনি তা পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন। আপনি চাকরী করার থেকে ব্যবসা করায় বেশি আগ্রহী। ব্যবসায়িক দক্ষতা আপনার শৈশব থেকে আপনার মধ্যে চলে আসছে। এই কারণে আপনি এটিতে সত্যিই সফল হতে পারেন। যদি আপনি চাকরী করা শুরু করেন তাহলে আপনি আপনার সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আপনার পক্ষে করতে সক্ষম হবেন। আপনি আপনার জীবনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং জীবনের মূলনীতিগুলিকে অনেক গুরুত্ব দেন। আপনি আপনার কাজেও সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। মতবাদ অনুযায়ী, আপনার অনেক বন্ধু থাকবে না এবং আপনার বৃত্ত বেশ ছোট হবে। আপনি আপনার সংগ্রাম থেকে জীবনের পাঠ নেবেন। যারা আপনার ব্যক্তিত্বের গুণাবলী সম্পর্কে জানে, তারা আপনার কাছ থেকে পরামর্শ নেবে কারণ আপনার অত্যন্ত অভিজ্ঞ। আপনার মধ্যে একটি অলৌকিক দক্ষতা আছে যা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। যদি আপনার ধন-সম্পদ সম্পর্কে উদ্বেগ থাকে তাহলে আপনার এটি অপর্যাপ্ত থাকবে কারণ আপনি সম্পত্তি উপর বিনিয়োগ করতে বা সঞ্চয় হিসাবে রাখতে আগ্রহী হবেন। বিনিয়োগের এই প্রবণতা থাকার কারণে, আপনি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী হবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি খুব তরুণ বয়স থেকে অর্থাৎ 17 বা 18 বছর বয়স থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করবেন। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল সন্মোহক; তান্ত্রিক; জ্যোতিষশাস্ত্র; গুপ্তচরবৃত্তি; ফটোগ্রাফি; সিনেমা, সঙ্গীত এবং শিল্পকলা সম্পর্কিত কাজ; ব্যবসা; পরিচালনা; পরামর্শ; মনোবিজ্ঞান; বিজ্ঞান; সংখ্যাতত্ত্ব; গণিত; পরিচালন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কাজ; শিল্পপতি; পর্যটন বিভাগ সংশ্লিষ্ট কাজ; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি ব্যক্তিগত জীবনে আপনার সমর্থকদের কাছ থেকে কম সমর্থন পাবেন। এছাড়াও, বাবার সাথে বাদানুবাদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাধারণত আপনি আপনার জন্মস্থান থেকে দূরে থাকবেন। আপনার সন্তান জীবনে আপনার চেয়ে বেশি সাফল্য পাবে। ***

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180806073812

Friday, August 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ সন্তুষ্টির জন্য কোন বারে কি করবেন

গ্ৰহ সন্তুষ্টির জন্য কোন বারে কি করবেন

আজ কিছু টোটকা নিয়ে আলোচনা করছি আমার সকল বন্ধুদের জন্য। 1------- অনেকে শরীরে তেল মাখেন, জেনেনিন কোন দিন তেল মাখলে কি হয়। রবি ও মঙ্গলবারে তেল মাখলে কষ্ট ও আয়ু ক্ষয় হয়। শুক্রবারে তেল মাখলে অসুর বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়। বৃহস্পতিবারে তেল মাখলে আপন আপন গুরুর কষ্ট হয়। সোম বুধ শনিবারে তেল মাখা শুভ। 2------- এবার বলি ভোজন অর্থাৎ খাওয়া সম্পর্কে-- পূর্বমুখী বসে খেলে পুন্য বৃদ্ধি হয়, উত্তর মুখী বসে খেলে কর্মে সিদ্ধিলাভ হয়, পশ্চিমমুখী বসে খেলে শত্রু কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারেনা। দক্ষিন মুখী বসে খেলে কুল ও পরিবার নাশ হয়। পথে চলন্ত অবস্হায় খেলে লোক দরিদ্র হয়। সুর্যাস্তের সময় খেলে জন্ম জন্ম দরিদ্র থাকতে হবে। 3-------এবার বলি নূতন কাপড় পরা বিষয়ে----রবিবার নববস্ত্র পরলে তারাতারি ছিঁড়ে যাবে। সোমবারে পরলে আগুনে পুড়ে যাবে। শনিবারে পরলে রোগ লেগেই থাকবে। মঙ্গলবার পরলে ঝগড়া হতেই থাকবে। শুক্ল পক্ষের বুধ বৃহস্পতি শুক্র বারে এবং হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, বিশাখা, অনুরাধা, অশ্বিনী, ধনিষ্ঠা, পূষ্যা, পুনর্ব্বসু, উত্তর ফাল্গুনি, উত্তরভাদ্রপদ, রোহিনী নক্ষত্রে নব বস্ত্র পরা শুভ। তবে যখন বাম নাশায় শ্বাস প্রবাহিত হয় তখন -"ওঁ জীব রক্ষতু" এই মন্ত্র বলে নব বস্ত্র পরিধান করা উচিৎ।
৪)বার হিসেবে বস্ত্র পড়া ভালো
রবিবার : লাল রঙের পোশাক
সোমবার : কালো রঙের পোশাক
মঙ্গলবার : মেরুন রঙের পোশাক
বুধবার : সবুজ রঙের পোশাক
বৃহস্পতিবার : পীত বা হলুদ রঙের পোশাক।
শুক্রবার : সাদা রঙের পোশাক
শনিবার : নীল রঙের পোশাক

যাইহোক পারলে এগুলি মেনে করবেন আপনাদের মঙ্গল হবে। মা তারার কাছে কামনা করি আপনারা সর্ব্বদাই সুখে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। জয় মা তারা। জয় গুরু বামদেব। জয় মা কালি। জয় ভবা। জয় অসীম বাবা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180803090146

Friday, August 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিশাখা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

বিশাখা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

বিশাখা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী ।

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

যদি আপনার জন্য কোন একটি শব্দ থাকে তাহলে সেটি "সঙ্কল্পিত" হবে। আপনি যা চান তা অর্জন করার জন্য আপনি আপনার সব উৎসর্গ করবেন। এই কারণে আপনার উদ্দেশ্য ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। তারপর আপনি তাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করুন। আপনি সব সময় কাজ করতে চান। তবে জীবনে আপনার আরো আরাম পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে এবং আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে আনন্দন, প্রেম এবং বিলাসিতা বিবেচিত হবে। আপনার মুখমন্ডল তীক্ষ্ণ এবং চোখগুলি সুন্দর। আপনি, বিনম্র, সামাজিক এবং সবসময় খুশি থাকেন। আপনার কণ্ঠস্বর মিষ্টি এবং আপনি কখনও কারোর সঙ্গে তিক্তভাবে কথা বলেন না। শিক্ষা ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান ভাল হবে। বৃহস্পতির প্রভাবের কারণে, আপনি আপনার শৈশব থেকে জ্ঞান পাওয়ার একটি উত্তেজনা থাকবে। আপনি অধ্যয়নে ভাল হবেন; এবং সেই কারণে আপনি উচ্চ শিক্ষা পাবেন। যখন শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম বিষয় আসে, তখন আপনি সেটি এড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে, আপনি আপনার মগজ অনেক ব্যবহার করবেন। যদি আপনাকে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয় তাহলে, আপনার বৃত্ত বেশ বড় হবে কারণ আপনার চরিত্র বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। আপনি বেশ স্নেহ এবং সম্মানের সঙ্গে মানুষের সাথে আচরণ করেন। যদি কারোর আপনাকে দরকার হয় তাহলে, আপনি সবসময় তাদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন। এই কারণে মানুষ আপনার কাছে আসে যখন আপনার তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আপনি সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত থাকবেন। আপনার জীবনের রক্ষণশীলতা বা পুরোনো ঐতিহ্যের কোন মূল্য নেই। আপনি জীবনে কারোর জন্য খারাপ কিছু চান না। আপনার কণ্ঠস্বর উত্তেজনাপূর্ণ যা মানুষকে আকর্ষণ করে। যদি আপনি রাজনীতিতে আপনার হাত ঢোকাতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনি সমাজকল্যাণমূলক অনেক কিছু করতে পারবেন। যখন দৈনন্দিন রুজি রোজগারের বিষয় আসে তখন আপনি ব্যবসা বদলে পেশা পছন্দ করেন। আপনি একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার কঠিন প্রচেষ্টা করবেন। এমনকি যদি আপনি ব্যবসাও করেন, তাহলেও আপনি কোনো না কোনোভাবে সরকারের সঙ্গে সংযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। আপনার আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল এবং হঠাৎ আর্থিক সুবিধাও পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, লটারি ইত্যাদিতে আপনি লাভবান হতে পারেন। আপনি ইতিমধ্যেই অর্থ সঞ্চয় উপভোগ করেন এবং এই সব জিনিস আপনাকে আরো সাহায্য করবে। আর্থিক টান আপনি কখনও অনুভব করবেন না এবং এমনকি যদি আপনি এমন কিছু অনুভব করেন তাহলে সেটি অস্থায়ী হবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি সবকিছুতেই অনন্যভাবে সীমা অতিক্রম করতে চেষ্টা করেন, যা আপনাকে সবসময় সফল করে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল ফ্যাশন ডিজাইনিং; মডেলিং; মঞ্চে অভিনয়কারী; রেডিও ও টেলিভিশন; রাজনীতি; সেনা; নৃত্য; কাস্টম; পুলিশ; নিরাপত্তা বাহিনী; নিরাপত্তা রক্ষী; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার জীবন সঙ্গী এবং সন্তানদের খুব ভালবাসেন এবং তাদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চেষ্টা করেন। যখন পরিবারের বিষয় আসে তখন আপনি একটি যৌথ পরিবার বসবাস করা পছন্দ করেন। আপনি আপনার পরিবারের সাথে অনেকটাই যুক্ত থাকেন এবং আপনি খুব ভালভাবেই জানেন কিভাবে আপনার পরিবারের যত্ন নিতে হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180803084514

Tuesday, July 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জীবনে রাহু প্রবেশের পূর্বাভাস ও প্রতিকার

জীবনে রাহু প্রবেশের পূর্বাভাস ও প্রতিকার

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, কোনও গ্রহ যদি আপনার উপরে রুষ্ট হয় তা হলে সে সংকেত দিতে থাকে। অনেক সংকেত রয়েছে যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে রাহুর দৃষ্টি আপনার উপরে রুষ্ট। জেনে নিন সেই সংকেতগুলি কী কী........

• মৃত টিরটিকিই বা মৃতত সাপও যদি আপনার চোখে বার বার পড়ে তা হলে বুঝবেন রাহু রুষ্ট রয়েছে।

• এই গ্রহ রুষ্ট হলে বাড়ির পোষ্য যেমন গরু, কুকুর ইত্যাদি হারিয়ে যায় বা মারা যায়।

• রাহুর রোষে আপমার স্মৃতিশক্তি পর্যন্ত লোপ পেতে পারে।

• কোনও কারণ ছাড়াই আপনার উপরে অন্যরা রেগে যাবেন এবং কুকথা শোনাবেন। এবং আপনিও অনেক সময় অন্যকে কুকথা শোনাবেন।

• প্রায়ই হাতের নখ ভেঙে যায়।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, রাহুর দৃষ্টি পড়লে জীবন ছারখার হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন রাহুর রোষ থেকে বাঁচতে কী কী করা উচিত........

• ডান হাতে অষ্টধাতুর বালা পরুন।

• বয়ে যাওয়া জলে কাচের টুকরো বা নারকেল ভাসিয়ে দিন।

• কুষ্ঠ রোগীদের প্রয়োজনীয় জিনিস দান করুন।

• কালো কুকুরকে মিষ্টি রুটি খাওয়ান।

• রাতে শুতে যাওয়ার আগে মাথার কাছে যব রাখুন। সকালে উঠে তা পাখিকে খাওয়ান।

• পকেটে রুপোর কোনও দ্রব্য রাখুন।

• অমাবস্যার রাতে পিপল গাছের তলায় প্রদীপ জ্বালান।
***ছিন্নমস্তা যন্ত্রম বাড়িতে রাখুন
★ গোমেদ রত্ন ধারন করুন। অবশ্যই জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী। অন্যথা সমূহ ক্ষতি হতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180731173810

Tuesday, July 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

স্বাতী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

স্বাতী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

স্বাতী নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি পরিশ্রমী হবেন এবং আপনার পরিশ্রমের ভিত্তিতে সফলতা পাওয়ার সাহস আছে। আধ্যাত্মিকতায় আপনার অনেক আগ্রহ আছে। আপনি একজন দক্ষ কূটনীতিক এবং রাজনীতিতে আপনার মগজ ভাল কাজ করবে। রাজনীতির কৌশল আপনার জন্য কোন অচেনা জিনিস নয়। এই কারণেই আপনাকে সবসময় সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে আপনি খুব ভালভাবে আপনার বুদ্ধি ব্যবহার করবেন এবং আপনার কাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করবেন। আপনার চরিত্র ভাল হবে; যে কারণে মানুষের সাথে আপনার সম্পর্কও ভাল হবে। শুধুমাত্র আপনার চরিত্র এবং আচরণের কারণে, মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে। যেহেতু আপনার মানুষের জন্য ভাল অনুভূতি আছে, তাই আপনি তাদের সমর্থন পাবেন এবং সমাজের মধ্যে ভাল সুনামও পাবেন। অন্য ব্যক্তিদের জন্য আপনার হৃদয়ে সমবেদনা ও সহানুভূতি আছে। মুক্ত মানসিকতার জন্য, আপনি চাপে কাজ করা পছন্দ করেন না। কেইজন্য আপনি যে কাজই করুন না কেন আপনি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আশা করেন। পেশা বা ব্যবসা যাই হোক না কেন আপনি সবকিছুতেই সফল হবেন। তবে আপনার অবস্থা পেশা, ব্যবসা, ইত্যাদি দিক থেকে বেশ ভাল। আপনি উচ্চাভিলাষী তাই আপনি উচ্চতা পৌঁছানোর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। একটি সঠিক পরিকল্পনার সঙ্গে আপনি প্রতিটি কাজ খুব ধৈর্য সহকারে সম্পন্ন করবেন। আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনার মুখ সবসময় একটি হাসিতে অলংকৃত থাকবে। আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে সামাজিক রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য অনুসরণ করবেন। আপনার চিন্তাধারা শান্তিপূর্ণ, দৃঢ় এবং পরিষ্কার হবে। এই কারণে আপনি আপনার কাজের সমালোচনা পছন্দ করেন না। আপনি যেমন অন্য কারোর কাজে বাধা দেন না তেমনই আপনি একই জিনিস আশা করেন। একটা ভাল ভবিষ্যত গড়ার জন্য, আপনাকে আপনার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং রাগ এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি নতুন চিন্তাধারাকে স্বাগত জানাবেন এবং সবসময় নতুন কিছু শিখতে প্রস্তুত থাকবেন। অসম্ভবকে সম্ভাব্য তৈরী করার জন্য, আপনি অনেক সময় ব্যয় করবেন। যদি না কোন কিছু আপনার স্বাধীনতায় বাধা দেয় তাহলে আপনি সবসময় অন্যদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। কোনো বৈষম্য ছাড়াই আপনি প্রত্যেককে সম্মান করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল দোকানদার; ব্যবসায়ী; কুস্তিগীর; খেলোয়াড়; সরকারি কর্মচারী; পরিবহন; সৌন্দর্য পণ্য; সংবাদ পাঠক; মঞ্চ পরিচালনা; কম্পিউটার বা সফটওয়্যার সম্পর্কিত কাজ; শিক্ষক-প্রশিক্ষক; মনোবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় ক্ষেত্রগুলি; আইনজীবী; বিচারক; তদন্তকারী; ফ্লাইট ব্যবসা; গ্লাইডিং, ইত্যাদি।

পারিবারিক জীবন

আপনাকে বিবাহিত জীবনে যে কোন প্রকারের তর্ক বা বাদানুবাদ এড়িয়ে চলতে হবে; অন্যথায় দাম্পত্য জীবন বেদনাদায়ক হতে পারে। আপনি সব জিনিস যত মধুর ভাবে ধরে রাখবেন আপনার পারিবারিক সুখ তত বেশি হবে। আপনি সমাজে উচ্চাসনে বসতে ও সম্মান পেতে আগ্রহী হবেন। এটা পরিবারের ক্ষোভের কারণ হতে পারে। সুতরাং, একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180731173423

Tuesday, July 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লগ্ন অনুযায়ী শুভ, অ্শুভ ও মারক গ্ৰহ।মিথুন, কর্কট ও সিংহ

লগ্ন অনুযায়ী শুভ, অ্শুভ ও মারক গ্ৰহ।মিথুন, কর্কট ও সিংহ

লগ্ন অনুযায়ী শুভ,অশুভ ও মারক গ্ৰহ।আজকে মিথুন, কর্কট ও সিংহ দিলাম।
মিথুনলগ্ন
(ক) শুভগ্রহ---পঞ্চমপতি বিধায় শুক্র ই কেবলমাত্র এই লগ্নের পক্ষে শুভ | (খে) অশুভগ্রহ--মঙ্গল, বৃহস্পতি ও রবি ৷ মঙ্গল (ষষ্ঠপতি ও একাদশপতি ) বৃহস্পতি (সপ্তমপতি ও দশমপতি) এবং রবি (তৃতীয়পতি) বিধায় এই লগ্ন অশুভ ৷ * শনি ও বৃহস্পতি শুভ সম্বন্ধে আবদ্ধ হ'লে এই লগ্নের পক্ষে রাজযোগ হবেনা! কিন্তু শুক্র বুধের সঙ্গে বা বৃহস্পতির সঙ্গে শুভ সমন্ধে আবদ্ধ হ'লে এই লগ্নের পক্ষে রাজযোগ কারক হবে!
(গ) মারক--চন্দ্র দ্বিতীয়পতি হওয়া সত্বেও মারক হবে না বটে,কিন্তু বৃহস্পতি বা অন্য পাপগ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে মারকত্ব প্রাপ্ত হবে৷ কৰ্কটলগ্ন
(ক) শুভগ্রহ--মঙ্গল পঞ্চপতি ও দশমপতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী এবং শুভ তাছাড়া বৃহস্পতিও শুভ কারণ ষষ্ঠপতি হলেও বৃহস্পতি নবমপতি ৷ অবশ্য শুভস্থানে মঙ্গল থাকলে বা শুভস্থানে মঙ্গল ও বৃহস্পতির যোগে প্রবল
রাজযোগ হবে৷
(খ) অশুভগ্রহ---বুধ ও শুক্র বুধ তৃতীয়পতি এবং দ্বাদশপতি ৷ শুক্র চতুর্থপতি ও একাদশপতি মঙ্গল শুভস্থানে অবস্থিত হলে অর্থাৎ পঞ্চমে বা নবমে অবস্থিত একক ভাবেই রাজযোগকারী হবে৷ তাছাড়া মঙ্গল ও বৃহস্পতি শুভস্থানে অবস্থিত হয়ে কোনোরূপ সম্বন্ধে আবদ্ধ হলেও প্রবল রাজযোগ হবে৷
মারক --শনি সপ্তমপতি বিধায় এই লগ্নের পক্ষে প্রবল মারক, এরূপ শনি, রবি বা অন্যকোনো পাপগ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে মারকত্ব আরও বৃদ্ধি
পাবে!
সিংহলগ্ন
(ক) শুভগ্রহ--- বৃহস্পতি (পঞ্চমপতি ও অষ্টমপতি)এবং মঙ্গল (চতুর্থপতি নবমপতি)| '
(খ) অশুভগ্রহ--বুধ ও শুক্র
বুধ দ্বিতীয়পতি এবং একাদশপতি, শুক্র তৃতীয়পতি ও দশমপতি ৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতা অথবা মঙ্গল
ও শুক্র শুভস্থানে অবস্থিত হয়ে শুভ সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে এই লগ্নের পক্ষে রাজযোগ সূচিত হবে ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180731173021

Monday, July 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

প্রদীপ জ্বালানোর উপকার

প্রদীপ জ্বালানোর উপকার

সনাতন ধর্ম অনুসারে, ঘরের দেবতার সামনে প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ কাজ। এর ফলে লাভ হয় অশেষ পুণ্য। কোনও স্ত্রী একাজ করলে, তাঁর স্বামীর দুর্ভাগ্য দূরীভূত হয়। জেনে নিন কোন কোন ভাবে প্রদীপ জ্বালালে আপনার ও আপনার পরিবারের ভাগ্য সুন্দর হয়ে উঠতে পারে—
প্রতি সন্ধেয় ঠাকুরঘরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮ বার জপ করুন মন্ত্র। মন্ত্রটি হল ‘ওম হিং ক্রিং কমলে কমলালয়ে প্রসিদ শ্রীং হৃং শ্রীং ওম মহালক্ষ্ময়ে নমঃ’। কোনও স্ত্রী এই কাজ করলে তাঁর স্বামীর জীবনে সৌভাগ্যের উদয় হয়।
দাম্পত্য কলহে জেরবার যাঁরা, তাঁরাও সুফল পেতে পারেন প্রদীপ জ্বালিয়ে। রোজ সকাল ও সন্ধে শ্রীরাম ও সীতার ছবির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে সেই সমস্যা দূর হয়।
সোম ও শনি ভৈরবের মন্দিরে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
রোজ সকালে সূর্যকে জল-চন্দন ও প্রদীপ দিয়ে আরতি করলে পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান লাভ হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180730104132

Monday, July 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

চিত্রা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

চিত্রা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

চিত্রা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি কঠোর পরিশ্রমী এবং সামাজিক। এছাড়াও, আপনি প্রায় সবার সাথে একটি ভাল সম্পর্ক বজায় রাখবেন। আপনি যার সঙ্গেই মিলিত হবেন তার প্রতি আপনি অনেক ভালবাসা ব্যক্ত করবেন। বাকপটুতা আপনার অনন্য গুণ এবং আপনি সবসময় আপনার সম্পর্কের একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি আবেগপ্রবণ হবেন। কিন্তু, আপনি আপনার লাভ এবং ক্ষতি খুব ভালভাবে বুঝতে পারেন। তবে সামাজিক জীবনে আপনি আবেগ দ্বারা পরাভূত হবেন না। আপনি সবসময় শক্তি ও বীরত্বে পূর্ণ থাকবেন। যে কোন কাজই আপনি শক্তি দিয়েই শেষ করবেন। আপনি যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভয় পেতে শেখেন নি; বরং আপনি আপনার বীরত্ব দিয়ে সব সমস্যার সম্মুখীন হবেন এবং সেগুলিকে জয় করবেন। আপনি বিভিন্ন জিনিসে যুক্ত থাকতে পছন্দ করেন এবং আপনি শুধু নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকা পছন্দ করেন না। আপনি কোন কিছুর জন্য অজুহাত দেখান না; যে কোন কাজই থাকুক না কেন আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটি শেষ করেন। যদি কোন কাজে আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন; তাহলে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোন কিছু করে সেটি শেষ করেন এবং একটি নতুন কাজ করতে আরম্ভ করেন। সম্ভবত, আপনি বিশ্রাম শব্দটি সম্পর্কে অবগত নন। আপনি মাঝে মাঝে একগুঁয়ে হয়ে যান। পেশার থেকে আপনি ব্যবসা বেশি পছন্দ করেন কারণ আপনার মস্তিষ্ক ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে ভাল কাজ করে। এই ব্যবসায়িক মননের দরুন, আপনি অনেক সাফল্য পাবেন। আপনার কথা বলায় দক্ষতা থাকবে। কিন্তু রাগ পরিত্যাগ করতে হবে এবং আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। আপনি সহজে মন খারাপ করবেন না কারণ আশাবাদীতা হল আপনার অন্য একটি গুণ। ধন-সম্পদ সঞ্চয় আপনার রুচি এবং আপনি বস্তুবাদী জীবন হৃদয়ে পোষণ করেন। আপনার বিজ্ঞান এবং শিল্পকলার প্রতি ভাল আগ্রহ থাকবে। আপনি সহজে দুর্বলতা ঢেকে ফেলতে পারবেন এবং আপনি জানেন কিভাবে আপনার গরিমা বজায় রাখতে হবে। আপনার অন্তর্জ্ঞান বেশ ভাল হবে, যা সাধারণত আপনার মূল্যায়ন সঠিক করবে। আপনার একগুঁয়ে আচরণের দরুন, আপনি মাঝে মাঝে বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন। কিন্তু, এই বাধা অবশেষে আপনার উন্নতিতে সাহায্য করবে। বঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য আপনার প্রকৃত সমবেদনা থাকবে এবং আপনি সবসময় তাদের উন্নতির জন্য প্রস্তুত থাকবেন। আপনার 32 বছর বয়স পর্যন্ত কিছু প্রতিকূলতা আশা করা হচ্ছে; কিন্তু এরপরে, সবকিছু অসাধারণ হবে। আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে বিশেষ ভালোবাসা ও সুরক্ষা পাবেন। বিজ্ঞান সবসময় আপনার আগ্রহের বিষয় হবে এবং সম্ভবত আপনি এই ক্ষেত্রেই শিক্ষা লাভ করবেন। আপনি আকর্ষণীয় ও স্বাধীনতাপ্রিয় হবেন; কিন্তু মাঝে মাঝে, আপনি দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত আচরণ করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল বাস্তু বিশেষজ্ঞ; ফ্যাশান ডিজাইনার; মডেল; সৌন্দর্য পণ্য সম্পর্কিত কাজ; প্লাস্টিক সার্জারি; সার্জারি; ফটোগ্রাফি; গ্রাফিক ডিজাইন; সঙ্গীত পরিচালক বা গীতিকার; স্বর্ণকার; চিত্রশিল্পী বা শিল্পী; স্ক্রিপ্টরাইটার; ঔপন্যাসিক; থিয়েটার-সিনেমা সেট পরিচালক; শিল্প পরিচালক; থিয়েটার, সিনেমা, বা খেলা সম্পর্কিত কাজ; ঔষধ সম্পর্কিত কাজ; বিজ্ঞাপনের কাজ; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনার বাবা-মা ও ভাই-বোনদের জন্য আপনার ভালবাসা সত্য। কিন্তু কাজের জন্য আপনার তাদের থেকে দূরে বাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি আপনি আপনার জন্মস্থান থেকেও দূরে থাকতে পারেন। এই কারণে আপনি আপনার বাবা মায়ের থেকে দূরে চলে যেতে পারেন। বিবাহিত জীবনে, আপনাকে সবসময় বাদানুবাদ এবং বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে হবে অন্যথায়, আপনাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180730101807

Sunday, July 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হস্তা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

হস্তা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

হস্তা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি নিয়মানুবর্তিতা পছন্দ করেন এবং বিচক্ষণতা দিয়ে সব সমস্যার সম্মুখীন হন। আপনার বুদ্ধি তীক্ষ্ম হওয়ায়, আপনি অনেক নতুন ধারণা পাবেন। এমনকি প্রতারক এবং কুচক্রীদের শিকার হওয়ার পরেও, আপনি অন্যদের ভ্রষ্টাচরণের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না। চারিত্রিক দিক থেকে আপনি শান্ত এবং আপনার ব্যক্তিত্বে আকর্ষকশক্তি আছে। আপনি পরিতৃপ্ত, সামাজিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। অধ্যয়নে অত্যন্ত তীক্ষ্ম হবেন এবং আপনি শব্দের জাদুকর হবেন। কোনো বিষয় বোঝার গুণ আপনার মধ্যে বিশেষভাবে আছে। আপনি মাত্র কয়েকটি মিষ্টি শব্দের বলে সর্বত্র থিতু হতে পারবেন এবং পাশাপাশি আপনি রসিকও। এত মানসিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও, আপনি অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আপনি যেহেতু শান্তি পছন্দ করেন তাই আপনি বাদানুবাদ থেকে দূরে থাকবেন। আপনার মধ্যে সামান্য বিট দ্বিধাগ্রস্ততা থাকবে, তবে আপনি নতুন বন্ধুত্ব করা সামলে নেবেন। এছাড়াও, আপনি খুব ভালভাবেই জানেন কিভাবে আপনার কাজ বন্ধুদের দিয়ে করাতে হবে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী, আপনি দল পরিবর্তন করবেন। পেশা ছাড়াও আপনি ব্যবসা করা বেশি পছন্দ করবেন। এই কারণে আপনি এখানে আরো সফল হবেন। আপনি সব ধরনের বাস্তব সুখ মনে পোষণ করবেন। আপনার জীবন সুখী হবে এবং আপনি আপনার কাজের জন্য সম্মান পাবেন। আপনি সেই সিদ্ধান্তই নেবেন যা আপনি নিতে চান। আপনার সিদ্ধান্ত মানুষ অনুযায়ী পরিবর্তন হবে না; আপনি সেটাই করবেন যা আপনি করতে চান। সাধারণত, আপনি কোন অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন না কারণ আপনি ভালভাবেই জানেন যে কিভাবে টাকা সঞ্চয় করতে হয়। আপনি এমন একজন মানুষ যিনি শান্তি প্রেমী ও অন্যদের সাহায্য করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে এবং কোনরকম জাহির করা বিশ্বাস করে না। আপনার পরিবারে অনেক উত্থান পতন থাকবে, কিন্তু আপনি সবসময় হাসি মুখে থাকবেন। আপনি সমস্যার সমাধান করায় দক্ষ। সেজন্য আপনি একজন ভাল পরামর্শদাতাও। আপনি একটি ইতিবাচক ও মজাদার উপায়ে মানুষদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবেন কারণ আপনি এই জীবনকে খেলা এবং পৃথিবীকে একটি খেলার মাঠ হিসাবে বিবেচনা করেন। মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে, আপনি সর্বদা সক্রিয় থাকবেন কারণ আপনি নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকা পছন্দ করবেন না। আপনি একটি আনন্দদায়ক প্রকৃতি থাকবে, কিন্তু আপনি কোন ভুল সহ্য করতে পারবেন না। এটি আপনার বিশেষ গুণ যে আপনি প্রচেষ্টার মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পেতে চান।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়মানুবর্তিতা অনুসরণ করবেন। যে কোন বিষয়ে, আপনি সবাইকে অতিক্রম করবেন এবং আপনি জানেন কিভাবে এটি প্রমাণ করতে হবে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল স্বর্ণকার; কারিগর এবং দোকানদার; অ্যাক্রোব্যাট; জিমন্যাস্ট বা সার্কাস শিল্পী; কাগজ উৎপাদন সম্পর্কিত কাজ; মুদ্রণ ও প্রকাশনা; শেয়ার বাজার; প্যাকেজিং; খেলনা তৈরি; দোকান; কেরানি; ব্যাংকিং; টাইপিস্ট; ফিজিওথেরাপিস্ট; সৌন্দর্য পণ্য সম্পর্কিত কাজ; ডাক্তার; মনোবৈজ্ঞানিক; জ্যোতিষী; জামাকাপড় সম্পর্কিত কাজ; কৃষি; বাগান পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট কাজ; রেডিও ও টেলিভিশন; সংবাদ পাঠক; সাংবাদিকতা; মাটি ও সিরামিক ক্ষেত্র; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি একটি আদর্শ দাম্পত্য জীবন উপভোগ করবেন, কিন্তু বিবাহিত জীবনের সাথে সম্পর্কিত ছোট ছোট সমস্যাও থাকা সম্ভব। আপনার জীবন সঙ্গীর সুন্দর আচরণ হবে। সম্ভবত, আপনার প্রথম সন্তান পুত্র হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180729130348

Sunday, July 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কস্তুরী বা মৃগনাভী

কস্তুরী বা মৃগনাভী

সুপ্রভাত
কস্তুরী কি ? এবং কোথায় পাওয়া যায় ?

হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। ...

এটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত।

কস্তুরীনামাঃ সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোন বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরীর ঘ্রাণে।

কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই সুগন্ধিকে প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না; সচরাচর অন্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে । কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও

সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলি বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে।

হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল । এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়।

কস্তুরী মৃগের ওপরের মাড়ি থেকে গজদন্তের মতো দুটি দাঁত ছোট আকারে বের হয়। এ ধরনের দাঁত সব প্রজাতির হরিণের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এই দেখেই কস্তুরী মৃগ সনাক্ত করা হয়।

এই প্রজাতির হরিণ আত্মরক্ষায় পটু। কিন্তু তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে না, কারণ এদের দেহের তীব্র ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ অনুসরণ করে শিকারি ঠিকই এদের সন্ধান পেয়ে যায়। এই হরিণের নাভি থেকেই মূলত এই সুগন্ধি দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়।

পুরুষ হরিণের নাভি মুখের গ্রন্থিতে এক বিশেষ ধরনের কোষের জন্ম হয়। এই কোষ যখন পূর্ণতা লাভ করে তখন এ থেকেই সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। হরিণের ১০ বছর বয়সে সুগন্ধি কোষ পূর্ণতা লাভ করে। তবে মজার ব্যাপার হলো, যে হরিণটির নাভিতে এই কোষের জন্ম, সে নিজে কিছুই বুঝতে পারে না। তার নাকে যখন এই সুগন্ধ এসে লাগে তখন সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে এই সুঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে। অথচ সে বুঝতে পারে না যে, সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে তার নিজের দেহ থেকেই।

এই হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। কস্তুরীকোষের বাইরের দিকটায় থাকে এলোমেলো কিছু লোম। সেগুলো ছাড়িয়ে শুকনো কোষটিকে যখন জলেতে ভেজানো হয়, তখন পরিষ্কার কস্তুরী বেরিয়ে আসে। কোনো কোনো হরিণের মধ্যে পাওয়া যায় খুব কম পরিমাণে কস্তুরী। অপরদিকে এই প্রজাতির সকল হরিণের নাভিতে একই পরিমাণে কস্তুরী উৎপন্ন হয় না; হরিণের বয়স এবং পরিবেশভেদে কস্তুরীর পরিমাণের তারতম্য হয় । দেখা গেছে, এক কিলোগ্রাম কস্তুরী পাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়।

কস্তুরী যখন সংগ্রহ করা হয় তখন এর গন্ধ এত উগ্র থাকে যে হরিণের নাভিকোষ কেটে নেওয়ার সময় শিকারিরা মোটা কাপড় দিয়ে নিজেদের নাক বেঁধে নেয়। অনেক সময় এ গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো চোখ, নাক থেকে জল ও মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটে। মৃগনাভী ছাড়া কোন রত্ন বা যন্ত্রমের প্রান প্রতিষ্টা ও শোধন হয় না ।...

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180729125453

Saturday, July 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লগ্ন অননযায়ী শুভ,অশুভ ও মারক গ্ৰহ মেষ ও বৃষ

লগ্ন অননযায়ী শুভ,অশুভ ও মারক গ্ৰহ মেষ ও বৃষ

সুপ্রভাত
আজ থেকে লগ্ন অনুযায়ী শুভাশুভ, ও মারক গ্ৰহের নাম দিচ্ছি।

মেষ লগ্ন:
ক) শুভগ্রহ--রবি (পঞ্চমপতি) ও বৃহস্পতি (নবমপতি) ৷ খে) অশুভগ্রহ--শনি (দশম ও একাদশপতি), বুধ (তৃতীয় ও ষষ্টপতি), শুক্র (দ্বিতীয়পতি ও সপ্তমপতি) ৷ গ)* শনি একাদশপতি এবং দশমপতি দুই-ই---বৃহস্পতি বা রবির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলেও রাজযোগ হবেন! কিন্তু বৃহস্পতি বা রবি চতুর্থপতি চন্দের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে দ্বিতীয় ধরনের রাজযোগ হবে! ঘ)মারক:দ্বিতীয় ও সপ্তমপতি হওয়ায় শুক্র মেষলগ্নের পক্ষে মারক বলে বিবেচিত হবে

২ বৃষলগ্ন

(ক) শুভগ্রহ--শনি নেবমপতি ও দশমপতি) এবং রবি (চতুর্থপতি)৷ শনি এককভাবেই রাজযোগকারক ৷ শনি পঞ্চমে বা নবমে অবস্থিত হলে, মকরে বা কুম্ভরাশিতে অবস্থিত হলে এককভাবেই রাজযোগকারী হবে৷ এরূপ শনি বুধের সঙ্গে সম্বন্ধে আবদ্ধ হলেও রাজযোগকারক হবে৷ (খ) অশুভগ্রহ---বৃহস্পতি (অষ্টমপতি এবং একাদশপতি), শুক্র (লগ্নপতি ও ষষ্ঠপতি) এবং চন্দ্র অশুভ ৷
গ)মারক--এই লগ্নের পক্ষে বৃহস্পতি সপ্তমপতি বিধায় মারক বলে বিবেচিত হয়ে থাকে ৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180728172645

Saturday, July 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

12 উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান ।

আপনি বেশ উদ্যমী এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে সবকিছু করতে পছন্দ করেন। আপনার সর্বদা সক্রিয় থাকা আপনার একটি গুণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আপনি সামাজিক কাজ থেকে সম্মান পাবেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা করার সময় আপনি বেশ বিশেষজ্ঞ হবেন। শুধুমাত্র আপনার এই বিশেষ গুণের কারণ, আপনার রাজনীতিতে সফল হতে পারেন। আপনি বেশ উচ্চাভিলাষী এবং আপনার সব ইচ্ছা পূর্ণ করার চেষ্টা করেন। যখন ছোট কাজ করার বিষয় আসে তখন আপনি তা পছন্দ করবেন না। এছাড়াও, আপনি আপনার পেশা বারবার পরিবর্তন করতে চান না কারণ আপনি স্থিতিশীলতার সঙ্গে কিছু করতে চান। আপনি সরকারি বিভাগ থেকে আরও সুবিধা পাবেন। যখন আপনি কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবেন, তখন আপনি দীর্ঘদিনের জন্য তার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবেন। আপনি সবসময় কিছু শিখতে প্রস্তুত থাকবেন এবং এই গুণের কারণে আপনি সবসময় সফল হবেন। তবে, আপনি খুশি এবং সুখী থাকবেন এবং কয়েকটি বিষয়ে বেশ ভাগ্যবান হবেন। আপনি সততা ও আন্তরিকতার সাথে সবকিছু করতে চেষ্টা করবেন এবং অত্যন্ত ধার্মিক হবেন। আপনার হৃদয় বিশুদ্ধ, কিন্তু এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। এটি আপনার বিশিষ্টতা যে আপনি কোন আশা ছাড়াই অন্যদের সাহায্য করবেন এবং আপনার জ্ঞানের ভান্ডার আছে। আপনি সব কাজ নিজেই করতে চান। সমাজে বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিত্ব থাকায় আপনি বেশ উত্তেজিত থাকবেন। অন্যদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা রক্ষা করার জন্য, আপনি সবসময় চুক্তি করার জন্য প্রস্তুত থাকেন কারণ আপনি সাধারণত মারামারি থেকে দূরে থাকেন। আপনার বক্তব্য কার্যকর এবং জ্ঞানসম্পন্ন; এবং আপনি সৎ ও সত্যবাদী জীবন উপভোগ করেন। এছাড়াও, আপনি আপনার ধন-সম্পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে মানুষকে সাহায্য করার সুযোগ মিস করবেন না। আপনি অর্থ সঞ্চয়েও দক্ষ হবেন। উপরন্তু, আপনি পৈতৃক সম্পত্তি পেতে পারেন। আর্থিকভাবে, আপনি স্বাধীন হবেন। আপনি জনসংযোগের সাথে সম্পর্কিত কাজ থেকে সুবিধা পাবেন। কঠোর পরিশ্রম করার সময় আপনি কখনও ভীত হন না যা আপনাকে সাফল্য এনে দেয়। 32 বছর বয়স পর্যন্ত কিছু লড়াই করতে হতে পারে, 38 বছরের পরে আপনার সময় সেরা যাবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার প্রতিভা শিক্ষকতা, লিখন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্পর্কিত পেশায় অনেক উজ্জ্বল হবে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল রাজনীতি; সঙ্গীত; ক্রীড়া; উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদ; পার্লামেন্টারিয়ান বা মন্ত্রী; মিডিয়া বা জনসংযোগের কাজ; বিনোদন; পুরোহিত; ধর্মীয় প্রচারক; লেকচারার; অর্থনীতি বিভাগ; সমাজসেবা; ম্যাট্রিমোনিয়াল কনসালটেন্সি, গণিতবিদ বা বিজ্ঞান সম্পর্কিত ক্ষেত্র; ইঞ্জিনিয়ারিং; জ্যোতির্বিদ্যা; বিজ্ঞাপন; সাংবাদিকতা; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনার পারিবারিক জীবন ভালোই চলবে। আপনি আপনার বিবাহিত জীবন নিয়ে খুশি কারণ আপনি সন্তুষ্ট থাকতে পছন্দ করেন। আপনার জীবন সঙ্গী পারিবারিক কাজে বিশেষজ্ঞ হবেন এবং শান্তিপূর্ণ ও মিতভাষীও হবেন। তার গণিত বা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থাকবে এবং শিক্ষকতা ও প্রশাসনে সাফল্য পেতে পারেন। তিনি মডেলিং বা অভিনয়ে সফল হতে পারেন। জাহির করা থেকে দূরে থাকাই তাদের প্রকৃতি হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180728171936

Friday, July 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি সঙ্গীত, শিল্পকলা, সাহিত্য সম্পর্কে অনেক জানবেন, কারণ এইসব বিষয়গুলিতে শৈশব থেকে আপনার আগ্রহ ছিল। আপনার চিন্তাধারার ধরণ বেশ শান্তিপূর্ণ। আপনি সত্যবাদিতার পথে আপনার জীবন নির্বাহ করতে চান। ভালবাসা আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি হিংস্রতা ও তর্ক থেকে দূরে থাকবেন কারণ আপনি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি খুব শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যখন এটি আপনার আত্মসম্মানের উপর আসে, আপনি আপনার বিরোধীদের পরাভূত করেন। এছাড়াও, আপনি খুব ভালভাবেই জানেন কিভাবে বন্ধু এবং ভাল মানুষদের স্বাগত জানাতে হয়। অন্তর্জ্ঞানের কারণে, আপনি আগে থেকেই জেনে যান যে অন্য মানুষেরা কি চিন্তা করছে। চারিত্রিক দিক থেকে, আপনি বেশ উদার এবং ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। আপনি সৎভাবে কাজ করতে চান এবং জীবনের বিকাশের জন্য, আপনি সবসময় সত্য ও ন্যায়সঙ্গত পথে বেছে নেন। জীবনে, আপনি একটি ক্ষেত্র বিশেষ খ্যাতি পাবেন। তা সত্ত্বেও, আপনাকে অস্থির মনে হতে পারে। অন্যদের সাহায্য করার জন্য, তাদের অনুরোধ আসার আগেই তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে যান কারণ আপনি দয়াবান ব্যক্তি। আপনি একজন স্বাধীনতা প্রেমী হবেন। তবে, আপনি কোন গন্ডি পছন্দ করেন না। আপনি এমন কিছু করা পছন্দ করেন না যা অন্যদের ওপর নির্ভরতা আনে। আপনার মধ্যে আরেকটি গুণ হল আপনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অত্যাধিক প্রশ্রয় দেন না, যে কারণে আপনি আপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের থেকে কোন উপকার পান না। আপনার বলিদানমূলক মানসিকতা আছে তাই আপনি অন্যদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেওয়া পছন্দ করেন না। পরিবারের সঙ্গে আপনার একটি বিশেষ অ্যাটাচমেন্ট আছে এবং আপনি সবসময় আপনার পরিবারকে সবকিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি আপনার পেশা পরিবর্তন করতে থাকবেন। 22, 27, 30, 32, 37, এবং 44 বছর বয়স চাকরি এবং ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল সরকারি চাকরি; উচ্চতর কর্মকর্তা; নারীদের পোশাক, জিনিসপত্র, এবং প্রসাধনী উৎপাদন বা বণ্টন, বিনোদনকারী; মডেল; ফটোগ্রাফার; গায়ক; অভিনেতা; সুরকার; বিবাহের পোশাক সৃষ্টিকারী, জিনিসপত্র, এবং উপহারের ব্যবসা; জীববিজ্ঞানী; স্বর্ণকার; তুলা, পশম, বা সিল্কের সাথে সম্পর্কিত কাজ; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনার পারিবারিক জীবন সুখী হবে। স্ত্রী ও সন্তানেরা উত্তম আচরণ করবে এবং আপনি তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সুখ পাবেন। আপনার জীবন সঙ্গী বিশ্বস্ত হবে এবং পরিবারের কল্যাণের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকবেন। আপনি প্রেম বিবাহ বা একজন পরিচিত ব্যক্তিকে বিবাহ করতে পারেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180727114610

Friday, July 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গুরুপূর্ণীমায় কূল-গুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ‍্য

গুরুপূর্ণীমায় কূল-গুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ‍্য

‘গুরু’ শব্দটির সৃষ্ট হয়েছে ‘গু’ ও ‘রু’ শব্দ দু’টির দ্বারা। এর অর্থ— ‘যিনি অন্ধকার দূর করেন’। ‘অন্ধকার’ বহু প্রকারের হতে পারে, সেই কথা মনে রাখলে মানতে হবে, গুরুও বহু প্রকারের হন। মন্ত্রদাতা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদাতার বাইরেও গুরু অনেক। এখানে রইল পাঁচ জন সদগুরুর বিবরণ। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সুফল দিতে পারে।

• দীক্ষাগুরু— কেবল ধর্মীয় মন্ত্রদীক্ষা নয়, যিনি যে কোনও বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান দান করেন, তিনিই দীক্ষাগুরু।

• শিক্ষাগুরু— কেবল বই-খাতার জ্ঞান নয়, কারিগরি ও বাস্তববোধও প্রদান করেন এই গুরু।

• অন্নদাতা গুরু— যে ব্যক্তি জীবিকার সংস্থানে সহায়তা করেন, তিনিও গুরুস্থানীয়। তাঁকেও সম্মান জানান এই দিনে।

• বান্ধব গুরু— যে সহযাত্রী আপনাকে প্রতিনিয়ত ঋদ্ধ করছেন, বিশ্ব সংসার সম্পর্কে সর্বদা সচেতন রাখছেন, সেই বন্ধুও আপনার গুরু।

• সব শেষে মনে রাখবেন, যিনি নিঃস্বার্থ ভাবে আপনার সঙ্গে রয়েছেন, সঙ্গ দিচ্ছেন, তিনিও গুরু।

হিন্দু ধর্মে শ্রাবণের পূর্ণিমাকে ‘গুরু পূর্ণিমা’ হিসেবে ধরা হয়। এই দিন গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। শুধু ভারতে নয়, এই দিনটি নেপালেও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। হিন্দু ধর্ম ছাড়াও বৌদ্ধ ধর্মেও এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। বৌদ্ধ পরম্পরা অনুসারে এই দিনটিতেই ভগবান বুদ্ধ সারনাথে তাঁর প্রথম উপদেশ প্রদান করেছিলেন। মনে করা হয়, এই দিন শিব প্রথম গুরু হিসেবে আবির্ভূত হন। এই দিনটি ব্যাসদেবের জন্মদিন বলেও বিবেচিত। তাই এই দিনটিকে ‘ব্যাস পূর্ণিমা’-ও বলা হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180727114247

Tuesday, July 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সফলতার শ্রেষ্ঠ উপায়

সফলতার শ্রেষ্ঠ উপায়

সফলতার শ্রেষ্ঠ উপায়
অনেক চেষ্টা করেও, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেও সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারছেন না। অনেকের সঙ্গেই ঘটে থাকে এমন। এর সমাধান কী, তা ভাবতে ভাবতেই চুল পেকে যায় অনেকের। কিন্তু সনাতন ধর্মেই রয়েছে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
পর পর ১১টি মঙ্গলবার কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সমস্ত রকমের বাধা বিপত্তি দূর করা যায়। জেনে নিন আগামী মঙ্গলবার কোন কোন কাজগুলি করবেন........
১) মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরে কোনও মন্দিরে যান। সিঁদুরের সঙ্গে চামেলির তেল মিশিয়ে তা হনুমানজিকে পরান। এর পরে ‘ওম রাম দূতায় নমঃ’— এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন।
২) কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হলে হনুমানজিকে ১১টি বোঁদের লাড্ডু নিবেদন করুন। এর পরে সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করে দিন।
৩) টানা ১১টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হনুমানজির সামনে তেলের প্রদীপ জ্বালান। চেষ্টা করুন শুধু মঙ্গলবার নয়, রোজই সন্ধ্যায় তেলের প্রদীপ জ্বালাতে। এতে ধনসম্পদের বৃদ্ধি হয়।
৪) হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন একটানা এই ১১ মঙ্গলবার। এইদিনগুলিতে নিরামিষ খাবার খান।
৫) এই ১১ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার মধ্যে রামায়ণ পড়া শুরু করে শেষ করুন। কখনই অসম্পূর্ণ ছেড়ে দেবেন না পড়তে পড়তে। তাহলে দেখবেন আবশ্যই সুফল পাবেন।
৬)পূজা ও হোম করে হনুমান যন্ত্রমে প্রান প্রতিষ্টা পূর্বক মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র ১০৮বার স্নান করে করবেন।
বীজমন্ত্র:হূং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হূঁ ফট স্বাহা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180724083629

Tuesday, July 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মঘা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

মঘা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

মঘা নক্ষত্রের
ভবিষ্যৎবাণী

আপনার একটি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আছে এবং আপনি যেখানেই যান, আপনার প্রধান্যতা বজায় রাখেন। যখন আপনি কোন কিছুর দায়িত্ব নেন, তখন আপনি সেটি যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করেন কারণ কারণ আপনি উদ্যমী এবং পরিশ্রমী। আপনার কাজ করার একটি ইতিবাচক উপায় আছে। এজন্যই, কখনও কখনও মানুষ আপনার কাজের জন্য বিস্মিত হতে পারেন। আপনার খুব আত্মসম্মান বোধ আছে তাই আপনি কোন কিছুর সঙ্গে আপোষ করেন না। আপনি আপনার আত্মসম্মান রক্ষা করার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করেন এবং সেটি সম্পর্কে সঠিকভাবে চিন্তা করার পরে সবকিছু করেও ফেলেন। ভগবানের ক্ষেত্রে আপনার গভীর বিশ্বাস আছে। সরকার বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আপনার গভীর সম্পর্ক থাকবে। এছাড়াও, আপনার উচ্চবিত্ত সমাজের মানুষের সাথেও পরিচিতি থাকবে। এছাড়া আপনি এই সম্পর্কগুলি থেকে ভাল উপকার পেতে পারেন। আপনি মিতভাষী এবং বিজ্ঞানের বিষয়ে ভাল জ্ঞান আছে। এছাড়াও, আপনার বিভিন্ন শিল্পকলায় আগ্রহ আছে। আপনি আপনার শান্তিপূর্ণ আচরণ, নির্মল জীবন এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সমাজে সম্মানিত হবেন। আপনার রাগ এড়িয়ে চলা উচিত। যখন কোন কিছু করার সময় আসে তখন আপনি সত্যের বিরুদ্ধে কিছু করাই পছন্দ করেন না। আপনার আচরণের কারণে যাতে কারোর মন খারাপ না হয় তারজন্য আপনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। যদি আপনি মনে করেন যে কেউ আপনার কারণে দুঃখ পেয়েছে তাহলে আপনি অবিলম্বে ক্ষমাপ্রার্থী হন। নিজের আগ্রহ দূরে সরিয়ে রেখে আপনি সবসময় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন এবং বিনিময়ে কিছুই আশা করেন না। ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক সততা কারণে আপনার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু, আপনি আপনার সত্যতার সঙ্গে কখনও আপোষ করবেন না। আপনি ধনী ও ক্ষমতাশালী মানুষদের সাহায্যে জীবনে সব বিলাসিতা পেতে সফল হবেন। তবে আপনি সবসময় ক্ষমতা কারণে সৃষ্ট গর্ব থেকে দূরে থাকবেন। আপনি বস্তুগত সম্পদ একত্রিত করতে চান, কিন্তু আপনি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় বিষয়ে খুব আগ্রহী হবেন। আদর্শবাদী এবং সত্যবাদী হল আপনার গুণ। এছাড়াও, আপনি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং বড়দের সম্মান করবেন। আপনি উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধা শ্রেষ্ঠ ভাবে কাজে লাগাবেন এবং আপনার অনেক শ্রমিক থাকবে। যারা তোমার অধীনে কাজ করবে তারা একটি অনুভূতিপ্রবণ এবং শ্রদ্ধাশীল দিকের সাক্ষী থাকবে। সম্পদ ও সম্পত্তির বিষয়ে আপনি বেশ বুদ্ধিমান হতে চেষ্টা করবেন। আর্থিক বিষয়ের ক্ষেত্রে আপনি আপনার সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন এবং তাইজন্য সাফল্য পাবেন। আপনার বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা থাকবে। এছাড়াও, আপনি সমাজসেবায় আগ্রহী হবেন। এজন্যই আপনি বেশ উৎসাহের সাথে এই কাজগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন। আপনি সেই সমস্ত মানুষদের পছন্দ করেন না যারা অন্যের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তবে আপনার অনেক লুকানো শত্রু থাকবে। বন্ধুত্বের দিক থেকে দেখলে আপনার অনেক বন্ধু থাকবে না। কিন্তু, কিছু মুষ্টিমেয় মানুষই আপনার জীবনে অনেক কিছু হবে। আপনার ব্যক্তিত্ব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে; আপনার চরিত্র হল আপনার কোন স্বার্থ ছাড়াই মানুষের সেবা করা। অকপট হওয়াই আপনার পরিচয় এবং শক্তি।

শিক্ষা এবং আয়

আপনার ধন-সম্পদ ও পরিচায়ক থাকবে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের ব্যবসা; জাতীয় স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বড় ব্যবসায়ী; আইনজীবী; বিচারক; রাজনীতিবিদ; লেকচারার; শিল্পী; জ্যোতিষী; ইন্টিরিওর ডিজাইনার বা আর্কিটেক্ট; প্রশাসক; একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক; প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সম্পর্কিত ব্যবসা; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

আপনি সাধারণত একটি তৃপ্ত ও সুখী বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করবেন। এছাড়াও, আপনার সন্তানরা ভাগ্যবান হবে। জীবন সঙ্গী বেশ বুদ্ধিমান হবেন এবং দৈনন্দিন কাজে বিশেষজ্ঞও হবেন। তিনি পরিবারের সব প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180724083007

Monday, July 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অশ্লষা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

অশ্লষা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
আজ আমি শিলিগুড়ির আদিগিনীহাউসে
অশ্লেষা নক্ষত্রের .
ভবিষৎবাণী


আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

আপনি ভাগ্যবান এবং একজন সুস্থ শরীর আছে। আপনার বক্তব্যে সবাইকে মনমুগ্ধ করার মত জাদু আছে। আপনার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগার সম্ভাবনা আছে; আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে কিছু মনে করবেন না। তোমার মুখ সুন্দর এবং ছোট চোখ সহ বর্গাকার। আপনার মুখের একটি আঁচিল বা দাগ থাকতে পারে। আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা আপনাকে সেরা স্থানে পৌঁছতে উদ্দীপিত করে। আপনি শুধুমাত্র আপনার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা পছন্দ করেন না। সুতরাং, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সাথে কথোপকথন করার সময় আপনার কথাগুলি প্রত্যাখ্যান করা হবে না। আপনার গুণাবলীর মধ্যে একটি সত্য যে আপনি আপনার বন্ধুদের জন্য যেকোন কিছু করতে পারেন। কখনো কখনো আপনাকে যারা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভুলে যান। এই পরিস্থিতিতে তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও, মাঝে মাঝে আপনার রাগ মানুষকে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে পারে। তাই, সবসময় এর উপর একটি নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। তবে, আপনি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সামাজিক। আপনি সমস্যা আসার পূর্বেই তা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবেন। এই কারণে আপনি সাধারণত সেগুলির জন্য প্রস্তুত থাকেন। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা আপনার প্রকৃতি নয়। এটি আপনাকে প্রতারণা থেকে রক্ষা করবে। আপনি সুস্বাদু এবং রসালো খাবার খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু নেশা থেকে দূরে থাকা উচিৎ। আপনার মন সবসময় চিন্তা এবং কিছু করার জন্য ব্যস্ত থাকে; এবং আপনি একটি রহস্যময় উপায়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। আপনি আপনার কথায় মানুষকে সম্মোহিত করায় বিশেষজ্ঞ। এটি আপনাকে রাজনীতির ক্ষেত্রে সাফল্য দেবে। আপনার উপরে পৌঁছানোর দক্ষতার সহ নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী আছে। কঠোর পরিশ্রমের ক্ষেত্রে আপনি স্মার্ট কাজকেই বেছে নেন। আপনি মানুষের সান্দিধ্যে থাকতে চান যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা উপকৃত হচ্ছে। একবার আপনি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তাতেই আটকে থাকেন। এছাড়াও, আপনি একজন ভাল বক্তা এবং শিল্পী। যদি আপনি একবার কথা বলতে আরম্ভ করেন তাহলে আপনি শুধুমাত্র তখনই থামেন যখন আপনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা বলা শেষ হয়।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি একজন ভাল লেখক। যদি আপনি অভিনয় ক্ষেত্রে যান, তাহলে আপনি একজন সফল অভিনেতা হতে পারেন। এছাড়াও আপনি শিল্পকলা এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রেও এবং ব্যবসা করে উপকৃত হতে পারেন। এই কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার চাকরি করার সম্ভাবনা কম। যদি আপনি চাকরিও করেন; তাহলেও তার পাশাপাশি ব্যবসা চলবে। বাস্তব দিক থেকে, আপনি উন্নতিলাভ করবেন এবং পর্যাপ্ত সম্পদ থাকবে। আপনার জন্য সন্তোষজনক পেশা হল কীটনাশক বা বিষের সাথে সম্পর্কিত ব্যবসা; পেট্রোলিয়াম শিল্প; রসায়ন; সিগারেট ও তামাক সম্পর্কিত ব্যবসা; যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক; মনোবৈজ্ঞানিক; সাহিত্য, শিল্পকলা, এবং পর্যটন সম্পর্কিত কাজ; সাংবাদিকতা; লেখা; টাইপিং; টেক্সটাইল উৎপাদন; নার্সিং; ষ্টেশনারী জিনিস উৎপাদন ও বন্টন ইত্যাদি।

পারিবারিক জীবন

কেউ আপনাকে সমর্থন করল কিনা সেটা কোন ব্যাপার নয়, কিন্তু আপনার ভাই সবসময় আপনার পক্ষে দাঁড়াবে। আপনি পরিবারে অগ্রজ হতে পারেন এবং জ্যেষ্ঠ হওয়ার জন্য আপনাকে পারিবারের সব দায়িত্ব সামলাতে হবে। আপনার স্ত্রীর ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করাই মহান কাজ হবে; অন্যথায় মতাদর্শগত পার্থক্য সম্ভব। আপনার আচরণ ও প্রকৃতি সবাইকে প্রভাবিত করবে। যদি আপনি এই নক্ষত্রের শেষ পর্যায়ে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে আপনি অত্যন্ত ভাগ্যবান হবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180723083837

Monday, July 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নক্ষত্র অনুযায়ী গন ও বৈশিষ্ট্য

নক্ষত্র অনুযায়ী গন ও বৈশিষ্ট্য

GOOD MORNING FRIENDS
গণ অনুযায়ী ফলাফল
স্ত্রী-পুরুষ সকলের জন্য প্রযোজ্য।

দেবগণ — হস্তা, স্বাতী, মৃগশিরা, আশ্বিনী, শ্রবণা, পুষ্যা, রেবতী, অনুরাধা বা পুনর্বসু যাদের জন্ম নক্ষত্র — তাঁরা হলেন দেবগণ।

দেবগণের ফল — দেবগণের জাতক সচরাচর মহাত্মা, দাতা, বুদ্ধিমান, পণ্ডিত, বলবান এবং স্বল্পভোগযুক্ত হয়ে থাকেন। বুদ্ধির দিক থেকে এরা সবসময় এগিয়ে থাকেন। এবং খুব অল্পেতেই নিজেকে খুশী করে নিতে পারে।

নরগণ — আদ্রা, উত্তরফল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরভাদ্রপদ, রোহিণী, ভরণী, পুর্বফল্লুনী, পূর্বাষাঢ়া বা পুর্বভাদ্রপদ যাদের জন্ম নক্ষত্র—তাঁরা নরগণ।

নরগণের ফল — নরগণের জাতক সচরাচর মানগণ্য, ধার্মিক লক্ষ্যভেদী, বিস্তৃতাননবিশিষ্ট এবং এরা সকলের পক্ষে আনন্দ দায়ক হয়ে থাকেন।

দেবারিগন বা রাক্ষসগণ—জ্যেষ্ঠা, অশ্লেষা, বিশাখা, মুলা, শতভিষা, ধনিষ্ঠা, কৃত্তিকা, চিত্রা বা মঘা নক্ষত্র যাদের জন্ম নক্ষত্র তাঁরা দেবারিগণ বা রাক্ষসগণ।

দেবারিগণ বা রাক্ষসগণের ফল —দেবারিগণ বা রাক্ষসগণের জাতক সচরাচর প্রমত্তভাবযুক্ত, কিছুটা ভয়ঙ্কর, দুঃসাহসী এবং বাহনাদিপ্রিয় হয়ে থাকেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180723083333

Sunday, July 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বর্তমানে শনি ও মঙ্গলের গোচরফল

বর্তমানে শনি ও মঙ্গলের গোচরফল

বর্তমানে শনি বক্রী এবং মঙ্গল মকরে তুঙ্গস্থ হয়েছে
যার ফলে বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের বিভিন্ন ভুল কাজ এবং উগ্রতা প্রকাশ পেয়ে কোন ঝ‍্যামেলা ও ঝগড়া সৃষ্টি হতে পারে।

১)মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের কর্মস্থলে এবং ব্যবসায়িক স্থানে বিভিন্ন উগ্রতা সৃষ্টি হতে পারে সেটা যেমন ভালো দিকটা হলো এই সময় বিভিন্ন চাকরি-বাকরির সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন অথবা নতুন চাকরির সন্ধান হতে পারে। মনের ভিতর চাকরি এবং কাজ করার একটা উদ্যোগ খুঁজে পেতে পারেন।

কিন্তু আপনার বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি এবং কাছের মানুষদের সঙ্গে ঝগড়া এবং বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
ধর্মীয় ভাবেই কিছুটা বিকৃতি এবং অবহেলা আসতে পারে।

২) বৃষ রাশি-
বর্তমানে আপনি পিতৃ সমতুল্য বা পিতার সাথে কিছু ঝামেলা এবং পিতৃ সুখ থেকে কিছুটা বঞ্চিত হতে পারেন।
কিন্তু আপনার এই সময় নির্মলবুদ্ধি এবং শিল্প অনুরাগী হয়ে উঠবেন।
শরীরে বাত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
আর্থিক সংকট আসবে।
বিদ্যায় বাধা আছে।

৩)মিথুন-
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এইসময় মঙ্গল খুব একটা ভালো ফলদায়ক নয়।
শরীরের জন্য সতর্ক থাকুন বিভিন্ন প্রকার accident এবং দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে পারেন।
বিভিন্ন প্রকার রোগ যার কোন উৎস খুঁজে পাবেন না এমনি রোগ থেকেও ভয় আছে।
বর্তমানে আপনার পত্নী শারীরিক সমস্যা চলবে।
আর্থিক দিক টা মোটামুটি ভালোই চলবে।

৪)কর্কট রাশি-
বর্তমানে আপনি ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি যত রোগ থেকে শ্বাসকষ্ট বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ এবং ঝগড়া - রাগারাগি ও মনোমালিন্য দেখা দেবে।
পূর্বের কিছু ভুল ত্রুটির জন্য বর্তমানে আপনাদের আপসোস করতে হবে।

৫) সিংহ রাশি-
বর্তমানে আপনি একটু কৃপণ এবং হিসাব করে চলতে পারেন।
অজীর্ণ রোগের কারণে ভুগতে পারেন।
পড়ুয়াদের জন্য বর্তমানে বিদ্যাস্থান মোটেই ভালো না।
বর্তমানে আপনার গুপ্ত শত্রু এবং সামনাসামনি শত্রুরা আপনার শত্রুতা করলেও আপনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে অসমর্থ হবে।
সামান্য কিছু বদনাম রটানোর চেষ্টা করতে পারে।
বর্তমানে তাদের প্রতি বদলা নেয়ার ইচ্ছা আসতে পারে তবে এ না নিলেই আপনার পক্ষে মঙ্গল।

৬)কণ‍্যা রাশি-
বর্তমানে আপনি অর্থবান এবং ধনবান। কিন্তু সাংসারিক ও মানসিক অশান্তির ভুগছেন।
বায়ু বা বায়ুপিত্ত রোগে ভুগছেন।
পিতার সঙ্গে ঝগড়া এবং এই কারণে গৃহত্যাগী হতে পারেন।
স্ত্রী পুত্র এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অশান্তি হতে পারে কিন্তু একদিক থেকে আপনার অনেক শুভ ফলদায়ক হবে।
পড়ুয়াদের জন্য সময় টি মাঝারি।

৭)তুলা রাশি-
আপনি বিদ্বান এবং উদার প্রকৃতি হয়েও বর্তমানে আপনার কিছু অহংকার , লোভ আপনার চরিত্রে লক্ষ্য করা যেতে পারে।
বর্তমানে আপনার পৃষ্ঠ ভ্রাতার ও ভগিনীর মৃত্যু ঘটতে পারে, অথবা কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বর্তমানে আপনার কি সাহসী এবং কর্মোদ্যমী করে তুলতে পারে।

কিন্তু শত্রু দ্বারা পীড়িত হতে পারেন এবং গুপ্ত শত্রু দ্বারা আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
বর্তমানে আপনার মা তার শারীরিক পরিস্থিতি খুব একটা।
তবে আপনার নিজের কোন গুরুতর দুর্ঘটনা নেই।

৮) বৃশ্চিক রাশি-
বর্তমানে আপনাদের আর্থিক পরিস্থিতি এবং মানসিক শান্তির অভাব দেখা দিতে পারে।
আপনাদের প্রবাসী করে তুলতে পারে।
কুটুম জনদের সঙ্গে বিবাদ প্রিয় হতে পারেন এবং বাক্য ব্যবহার করে ফেলতে পারেন।
আপনার ছোট ভ্রাতা ভোগ্নীদের জন্য সময় এটি মোটেই ভাল নয় শারীরিক দিক থেকে তারা অসুস্থ এবং দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।

৯) ধনু রাশি-
জীবনের মধ্যে অনেক দুঃখ দুর্দশা এবং দুর্ভাগ্য আপনার জীবনে নেমে আসতে পারে।
দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
একসিডেন জাত সমস্যা, রক্তপাত, ইত্যাদি হতে পারে।
অর্শ এবং বিভিন্ন গুহ্যদ্বারে সমস্যা লক্ষ্য করা যেতে পারে।

আপনার আকুল পরায়ণ হৃদয় আপনার ভালবাসা, আপনার প্রিয় মানুষটি বুঝতে পারবেনা।
সম্পর্কের বিচ্ছেদ এবং নতুন সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।
আর্থিক কিছু সংকট আসলেও তা কতটা কার্যকর হবে না বৃহস্পতির আয় স্থানে দৃষ্টির কারণে অনেকটা সংকট মোচন হবে।

১০)মকর রাশি-

বর্তমানে আপনার স্বামীর অথবা স্ত্রীর সাথে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আপনার এবং আপনার স্বামীর শারীরিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো যাবে না বিভিন্ন রোগ জ্বালা এবং ব্যাধি আক্রান্ত হতে পারেন।
ঘুমিয়ে সুখ শান্তি পাবেন না।

পরের উপকার করতে চেয়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।
শত্রুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

১১) কুম্ভ রাশি-

বর্তমানে মঙ্গলের কারণে চোখের রোগ কানেই এবং গলায় রোগ সৃষ্টি হতে পারে আপনার নিজের দোষে বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
নিজে অধর্মের রাস্তায় হাঁটতে পারেন।
গুহ‍্যস্থানে কোন পীড়া হতে পারে।

১২) মীন রাশি-
বর্তমানে আপনাকে ধনশালী এবং সৌভাগ্য যুক্ত বলবান সাহসী করে তুলতে পারে।
কিন্তু খানিকটা লোভী এবং পরিবার পরিজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এবং প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঝগড়া ঝাটি হতে পারে।
কর্মস্থানে মানুষদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকে ঝগড়া এবং রাগারাগির ব্যাপার সৃষ্টি হতে পারে।

বর্তমানে আপনি চতুর এবং অধ্যাবসায়ী হয়ে উঠবেন।
পায়ের রোগে সমস্যা হতে পারে।
দাম্পত্য জীবনের প্রতি কোন আগ্রহ থাকবে না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180722091754

Sunday, July 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পূষ‍্যামি নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পূষ‍্যামি নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

. পুষ্যা নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান


আপনি দয়ালু, অনুভূতিপ্রবণ এবং বেশ উদার প্রকৃতির হবেন। এই নক্ষত্ররাশি পালনকর্তা বৃহস্পতি যার কারণে আপনার ব্যক্তিত্ব ঈশ্বর মত গম্ভীর, নিবেদিত, সৎ এবং ধার্মিক হবে। আপনার পূর্ণ ফ্রেমযুক্ত একটি পেশীবহুল শরীর থাকবে। মুখ বৃত্তাকার এবং উজ্জ্বল হবে। এমনকি আপনার মধ্যে অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ অহংবোধও থাকবে না। জীবনে শান্তি, সুখ, এবং প্রসন্নতা লাভ করাই আপনার প্রধান উদ্দেশ্য। আপনি একনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত, সামাজিক, এবং খারাপ সময় মানুষদের সাহায্য করেন। সুস্বাদু খাদ্য আপনাকে খুব সহজেই প্রলুব্ধ করতে পারে এবং আপনি এই বাস্তব জীবনে থাকতে ভালোবাসেন। প্রশংসা আপনাকে বেশ খুশি করে কিন্তু আপনি সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। সুতরাং, আপনাকে প্রসন্ন করার একমাত্র উপায় হল মিষ্টি কথা বলা। আপনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করতে চান। দৃঢ়তার সঙ্গে, আপনি একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী হবেন। এই বৈশিষ্ট্যতার কারণে, যদি আপনি বেশ জনপ্রিয় হন তাহলে এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আপনি ধর্মীয় এবং উদার প্রকৃতি। এমনকি আপনি তীর্থেও যেতে পারেন। যোগব্যায়াম, তন্ত্র-মন্ত্র, জ্যোতিষ ইত্যাদিতেও আপনার গভীর আগ্রহ থাকবে। আপনি বিশেষ করে আপনার মা এবং তার মত নারীদের সম্মান করবেন। আপনার কাজের শৈলী বেশ সৃজনশীল এবং আপনি জন্মসূত্রে প্রতিভাবান। দজি আপনাকে একটি কাজ করতে দেওয়া হয়, তাহলে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে কাজটি নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করতে হবে কারণ আপনি চরম সততা ও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু করতে চান। কাজের দরুন, আপনাকে মাঝে মাঝে আপনার স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে দূরে যেতে হবে পারে। কিন্তু, এটি আপনার পরিবার থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতার কারণ হবে না। আপনি সবসময় জীবনে বিলাসিতা অর্জনের প্রচেষ্টা করবেন। আপনার নিষ্ঠার অনুভূতি সহ শান্তিপূর্ণ ও শালীন আচরণ থাকবে। আপনি সহজেই অন্যদের অসদাচরণের খপ্পরে পড়তে পারেন। আপনার মনের মধ্যে কি চলছে তা প্রকাশ করা খুব কঠিন হবে। আপনি ঈশ্বরের একজন ভক্ত এবং অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এমনকি বিবাহিত জীবনেও, আপনি সবসময় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করে উঠতে পারবেন না, যারজন্য আপনাদের মধ্যে মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হবে। ফলস্বরূপ, আপনি নিজের মনের মধ্যে অপরিমেয় ব্যথা অনুভব করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি থিয়েটার, শিল্পকলা, এবং বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত ব্যবসায় সফল হতে পারেন। এছাড়াও দুগ্ধ, কৃষি, বাগান করা, পশুপালনের সাথে সম্পর্কিত কাজ, খাদ্যসামগ্রী তৈরি এবং সেগুলির বণ্টন, রাজনীতি, সংসদ, আইন প্রণেতা, ধর্মীয় প্রচারক, মন্ত্রণাদাতা, মনোবৈজ্ঞানিক, ধর্ম বা অনুদানে একজন স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, শিশুদের যত্ন, প্লে স্কুল, ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং শহরতলী বা সমাজ নির্মাণ, ধর্মীয় বা সামাজিক ইভেন্ট পরিচালনা, শেয়ার বাজার, অর্থ বিভাগ, জল সংক্রান্ত কাজ, সামাজিক পরিষেবা, পণ্য পরিবহন এবং এগুলির মত অন্যান্য কঠোর পরিশ্রমেরও সফল হতে পারেন।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতে চাইবেন। কিন্তু, চাকরি বা ব্যবসা আপনাকে তাদের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারে। এজন্যই আপনার পারিবারিক জীবন একটু মুশকিলের হতে পারে। তবে, আপনার স্ত্রী বেশ একনিষ্ঠ হবে এবং আপনার অনুপস্থিতিতে বেশ ভালভাবেই পরিবারের যত্ন নেবে। 33 বছর বয়স পর্যন্ত আপনার জীবনে কিছু লড়াই আন্দাজ করা যাচ্ছে, কিন্তু এরপরে, আপনি সমস্ত দিকে এগিয়ে যাবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-. পুষ্যা নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান


আপনি দয়ালু, অনুভূতিপ্রবণ এবং বেশ উদার প্রকৃতির হবেন। এই নক্ষত্ররাশি পালনকর্তা বৃহস্পতি যার কারণে আপনার ব্যক্তিত্ব ঈশ্বর মত গম্ভীর, নিবেদিত, সৎ এবং ধার্মিক হবে। আপনার পূর্ণ ফ্রেমযুক্ত একটি পেশীবহুল শরীর থাকবে। মুখ বৃত্তাকার এবং উজ্জ্বল হবে। এমনকি আপনার মধ্যে অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ অহংবোধও থাকবে না। জীবনে শান্তি, সুখ, এবং প্রসন্নতা লাভ করাই আপনার প্রধান উদ্দেশ্য। আপনি একনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত, সামাজিক, এবং খারাপ সময় মানুষদের সাহায্য করেন। সুস্বাদু খাদ্য আপনাকে খুব সহজেই প্রলুব্ধ করতে পারে এবং আপনি এই বাস্তব জীবনে থাকতে ভালোবাসেন। প্রশংসা আপনাকে বেশ খুশি করে কিন্তু আপনি সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। সুতরাং, আপনাকে প্রসন্ন করার একমাত্র উপায় হল মিষ্টি কথা বলা। আপনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করতে চান। দৃঢ়তার সঙ্গে, আপনি একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী হবেন। এই বৈশিষ্ট্যতার কারণে, যদি আপনি বেশ জনপ্রিয় হন তাহলে এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আপনি ধর্মীয় এবং উদার প্রকৃতি। এমনকি আপনি তীর্থেও যেতে পারেন। যোগব্যায়াম, তন্ত্র-মন্ত্র, জ্যোতিষ ইত্যাদিতেও আপনার গভীর আগ্রহ থাকবে। আপনি বিশেষ করে আপনার মা এবং তার মত নারীদের সম্মান করবেন। আপনার কাজের শৈলী বেশ সৃজনশীল এবং আপনি জন্মসূত্রে প্রতিভাবান। দজি আপনাকে একটি কাজ করতে দেওয়া হয়, তাহলে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে কাজটি নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করতে হবে কারণ আপনি চরম সততা ও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু করতে চান। কাজের দরুন, আপনাকে মাঝে মাঝে আপনার স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে দূরে যেতে হবে পারে। কিন্তু, এটি আপনার পরিবার থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতার কারণ হবে না। আপনি সবসময় জীবনে বিলাসিতা অর্জনের প্রচেষ্টা করবেন। আপনার নিষ্ঠার অনুভূতি সহ শান্তিপূর্ণ ও শালীন আচরণ থাকবে। আপনি সহজেই অন্যদের অসদাচরণের খপ্পরে পড়তে পারেন। আপনার মনের মধ্যে কি চলছে তা প্রকাশ করা খুব কঠিন হবে। আপনি ঈশ্বরের একজন ভক্ত এবং অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এমনকি বিবাহিত জীবনেও, আপনি সবসময় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করে উঠতে পারবেন না, যারজন্য আপনাদের মধ্যে মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হবে। ফলস্বরূপ, আপনি নিজের মনের মধ্যে অপরিমেয় ব্যথা অনুভব করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি থিয়েটার, শিল্পকলা, এবং বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত ব্যবসায় সফল হতে পারেন। এছাড়াও দুগ্ধ, কৃষি, বাগান করা, পশুপালনের সাথে সম্পর্কিত কাজ, খাদ্যসামগ্রী তৈরি এবং সেগুলির বণ্টন, রাজনীতি, সংসদ, আইন প্রণেতা, ধর্মীয় প্রচারক, মন্ত্রণাদাতা, মনোবৈজ্ঞানিক, ধর্ম বা অনুদানে একজন স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, শিশুদের যত্ন, প্লে স্কুল, ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং শহরতলী বা সমাজ নির্মাণ, ধর্মীয় বা সামাজিক ইভেন্ট পরিচালনা, শেয়ার বাজার, অর্থ বিভাগ, জল সংক্রান্ত কাজ, সামাজিক পরিষেবা, পণ্য পরিবহন এবং এগুলির মত অন্যান্য কঠোর পরিশ্রমেরও সফল হতে পারেন।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতে চাইবেন। কিন্তু, চাকরি বা ব্যবসা আপনাকে তাদের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারে। এজন্যই আপনার পারিবারিক জীবন একটু মুশকিলের হতে পারে। তবে, আপনার স্ত্রী বেশ একনিষ্ঠ হবে এবং আপনার অনুপস্থিতিতে বেশ ভালভাবেই পরিবারের যত্ন নেবে। 33 বছর বয়স পর্যন্ত আপনার জীবনে কিছু লড়াই আন্দাজ করা যাচ্ছে, কিন্তু এরপরে, আপনি সমস্ত দিকে এগিয়ে যাবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180722085349

Saturday, July 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পুর্নুরবসু নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পুর্নুরবসু নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

পুনর্বাসু নক্ষত্রের
ভবিষৎ বাণী

আপনি চারিত্রিকভাবে নৈতিক, পরিতৃপ্ত এবং সন্তুষ্ট। আপনার জন্য উপযুক্ত সেরা বাগধারাটি হল – “সহজভাবে জীবন যাপন এবং উচ্চ চিন্তাধারা”। আপনার ঈশ্বরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, প্রাচীনত্ত্বে বিশ্বাস ও ভাবাদর্শ এবং ঐতিহ্যের প্রতি ভালবাসা আছে। যখন অর্থ সঞ্চয়ের কথা আসে, তখন সেটি আপনার জন্য উপযুক্ত হয় না। কিন্তু, আপনি জীবনে অনেক শ্রদ্ধা ও পাবেন। আপনার সরলতার এবং স্বচ্ছতা আপনি মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলবে। আপনি সবসময় তাদের পাশে দাঁড়াবেন যারা দিনদরিদ্র। যখন অবৈধ বা অনৈতিক কাজের বিষয় আসবে, আপনি কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। আপনি নেতিবাচক চিন্তাধারা এবং মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকবেন কারণ এটি আপনার আধ্যাত্মিক উন্নতিকে প্রভাবিত করবে। আপনার মস্তিষ্ক এবং মন সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে। এটি আপনার ব্যক্তিগত গুণ যে আপনি অন্যদের আরাম এবং সহায়তা দেন। আপনার নমনীয় চরিত্র, দয়ালু ও হিতৈষী উদ্দেশ্য আপনার ব্যক্তিত্বে মাধুর্য যোগ করে। আপনি শান্তিপূর্ণ, আন্তরিক, গম্ভীর, বিশ্বাসী, সত্যবাদী, ন্যায়বিচার প্রেমী এবং সুশৃঙ্খল হবেন। আপনার মানুষের সঙ্গে আচরণ করার বিচক্ষণতা এবং অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্বতা বেশ বিখ্যাত হবে। আপনি সবসময় অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি গ্রহণ এড়িয়ে চল্বেন এবং যদি আপনার কাছে সমস্যা আসে, তাহলে তা ঈশ্বরের অনুগ্রহে দূরে হয়ে যাবে। যখন আপনার পরিবারের বিষয় আসবে, তখন আপনি তাদের অনেক ভালোবাসবেন এবং সমাজের কল্যাণে দীর্ঘদিন ভ্রমণ করতেও বিব্রত বোধ করবেন না। একজন তীরন্দাজ মত নিজের লক্ষ্যে সফল হতে চাইবেন, আপনি আপনার একাগ্রতা সঙ্গে সবচেয়ে কঠিন সমস্যারও মোকাবিলা করতে পারবেন এবং সবকিছু অর্জন করতে পারবেন। কতবার আপনি অসফল হলেন সেটা কোন ব্যাপার নয় কিন্তু আপনি সারাজীবন এভাবেই লড়াই চালিয়ে যাবেন। আপনি বহুমুখী প্রতিভাবান এবং কোনকিছু কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্যই আপনি সব ক্ষেত্রে সফলতা পেতে পারেন। শিক্ষাদান বা অভিনয়, লেখা বা ঔষধ মত সর্বত্র আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ হবেন। আপনি আপনার বাবা-মা ও বড়দের অনেক সম্মান করবেন। চরিত্রের দিক থেকে আপনি শান্তি প্রেমী এবং একজন সৎ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন যুক্তিসম্মত ব্যক্তি হবেন। আপনার সন্তানরাও সবার সাথে সুন্দর আচরণ করবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি একজন শিক্ষক, লেখক, অভিনেতা, ডাক্তার, ইত্যাদি হয়ে নিজের জন্য নাম এবং খ্যাতি অর্জন করতে পারবেন। পেশা যেখানে আপনি সফল হতে পারেন সেগুলি হল লিখন, জ্যোতিষশাস্ত্র, সাহিত্য, যোগব্যায়াম শিক্ষক, ভ্রমণ ও পর্যটন বিভাগ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্ট কাজ, মনোবৈজ্ঞানিক, ধর্মীয় প্রচারক, পণ্ডিত, পুরোহিত, বিদেশে ব্যবসা, ঐতিহাসিক নিদর্শন বিক্রি, পশু পালন, রেডিও, টেলিভিশন, টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত কাজ, ডাক ও কুরিয়ারের কাজ, সামাজিক পরিষেবা, ইত্যাদি।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার বাবা মায়ের বেশ অনুগত হবেন এবং শিক্ষকদের অনেক সম্মান করবেন। আপনার বিবাহিত জীবন কিছু সমস্যা থাকতে পারে। সুতরাং, আপনার জীবন সঙ্গীর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা আপনার জন্য ভাল হবে। জীবন সঙ্গী মানসিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারেন। কিন্তু তার ভাল দক্ষতা এবং হৃদয়হরণকারী ব্যক্তিত্ব থাকবে। আপনার স্ত্রীও বড়দের সম্মান করবেন। তিনি পরিবার এবং শিশুদের যত্ন করার ক্ষেত্রে অসাধারণ হবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180721061209

Saturday, July 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতের আঙ্গুলে আপনার পরিচয়

হাতের আঙ্গুলে আপনার পরিচয়

GOOD EVENING FRIEND
আপনার হাতের আঙ্গুলের গঠন আপনার পরিচয় দিতে পারে

আপনার হস্তাঙ্গুলি মিলিয়ে নিন—
১। যার হস্তাঙ্গুলির অগ্রভাগ সুক্ষ সে মেধাবী হয়।
২। যার হস্তাঙ্গুলি চিঁড়ের মতো চ্যাপ্টা সে ব্যক্তি চাকরিজীবী বা পরসেবক হয়।
৩। যার হস্তাঙ্গুলি স্থুল ও উন্নত সে ধনবান হয়।
৪। যার হস্তাঙ্গুলিতে পর্বের দাগ ছাড়া অন্য কোনও রেখা থাকে না সেই ব্যক্তি দীর্ঘজীবী ও সৌভাগ্যশালী হয়।
৫। যার আঙ্গুলগুলি একত্র করলে ফাঁক থাকে না সে ধনবান হয়।
৬। যার বৃদ্ধাঙ্গুলির গর্ভে বূহ্য ও সুঅঙ্কিত যব চিহ্ন থাকে সে ব্যক্তি বিদ্বান\ধনবান\রাজতুল্য সম্মান পায়।
৭। অঙ্গুষ্ঠমণ্ডলে বেদীর মতো রেখা থাকলে সে সাধু\সজ্জন হয়।
৮। যার হাতে চারটি আঙ্গুল একই রেখায় দন্ডায়মান সে সৌভাগ্যবান হয়। তবে হাতের আঙ্গুলের এই রূপ অবস্থান সচরাচর হয় না।
৯। যার হাতের অঙ্গুলিগুলি অত্যন্ত কঠিন সে কঠোর হৃদয়, তেজস্বী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও কৌশলী হয়ে থাকে।
১০। অঙ্গুলি ক্ষুদ্র হলে জাতক স্বার্থপর/অলস/কর্তব্যজ্ঞানশূন্য ও নির্বোধ হয়।
১১। হস্তাঙ্গুলি হাতের তালুর অনুপাতে সামান্য ছোট হলে সে তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও সুবিচারক হয়।
১২। যার হাতের অঙ্গুলিগুলি ফাঁক ফাঁক হয় সে নির্ধন ও দুঃখী হয়‌

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180721060814

Friday, July 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আর্দ্রা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

আর্দ্রা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

. আর্দ্রা নক্ষত্র

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান ।

আর্দ্রা নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আর্দ্রা নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করার জন্য আপনি আপনার দায়িত্ব ও কঠোর পরিশ্রমের প্রতি অনুগত হবেন। আপনি একজন জন্মগত প্রতিভাবান ব্যক্তি কারণ এই নক্ষত্ররাশি মালিক রাহু যে একটি গবেষক। আপনার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার একটি ক্ষুধা থাকবে। আপনি একজন অত্যন্ত আমোদপূর্ণ ব্যক্তি এবং সবার সাথে নম্র ব্যবহার করেন। ব্যবসা থেকে গবেষণা সব কাজে পটু হওয়ায় আপনি যেকোন বিষয়ে সাফল্য পেতে পারেন। আপনি সহজেই অন্যান্য ব্যক্তিরা কি চিন্তা করছে তা নির্ণয় করতে পারেন। এজন্যই আপনার একটি অন্তর্নিহিত প্রকৃতি আছে এবং একজন ভাল মনোবিশ্লেষকও। আপনার বিশ্বকে বোঝার একটি বিশেষত্ব আছে এবং আপনি আপনার পরীক্ষানিরীক্ষায় আপনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ায় বিব্রত বোধ করবেন না। গভীরভাবে সবকিছু বিশ্লেষণ করা আপনার অভ্যাস হবে। আপনাকে বাইরে থেকে শান্ত বলে মনে হতে পারে, কিন্তু একটি টর্নেডোর মত আপনি ভিতরে সবসময় সক্রিয় থাকেন। আপনার রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল। পরিস্থিতি আপনার উপর পরীক্ষা নেবে, কিন্তু আপনাকে ভেঙ্গে পড়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। এই কারণে আপনি এত অভিজ্ঞ এবং পরিণত হবেন। আপনার গুণাবলীর মধ্যে একটি হল নিজেকে সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা। মাঝে মাঝে আপনি একটি নিরপরাধ শিশুর মত আচরণ করবেন যে ভবিষ্যতের উত্তেজনা সম্পর্কে জানেনা। আপনি রহস্যময় এবং পরিণতভাবে সমস্যার মোকাবিলা করবেন। সব সমস্যার সমাধান করার পরে, আপনি পরিশেষে তাদের পরাভুত করতেও সফল হবেন। আপনি শারীরিকভাবে বলশালী এবং ক্রীড়াবিদ হবেন। বহুবিধ-কার্য সম্পাদন আপনার অন্য একটি গুণ। এছাড়াও, আপনার আধ্যাত্মিকতার প্রতি ভাল আগ্রহ থাকবে। আপনি "কেন" এবং "কিভাবে"-র নিয়মে কাজ করেন এবং অমীমাংসিত রহস্য মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। আপনি আপনার দৈনন্দিন রুজি রোজগারের জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকবেন। অর্থাৎ আপনি কাজের জন্য বিদেশে যেতে পারেন। 32 থেকে 42 বছর বয়স অবধি আপনার সময় চমৎকার যাবে।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্যোতিষশাস্ত্র, বা মনোবিজ্ঞানের মত বিষয়ে শিক্ষা পেতে পারেন। যখন দৈনন্দিন রুজি রোজগারে বিষয় আসে তখন এই ক্ষেত্রগুলির মত কিছু ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আসতে পারে: ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার সম্পর্কিত কাজ; ইংরেজি অনুবাদ; ফটোগ্রাফি; পদার্থবিদ্যা বা গণিত শিক্ষণ; গবেষণা বা সংশ্লিষ্ট কাজ; দর্শন; উপন্যাস লেখা; বিষ মোকাবেলার ডাক্তার; ফার্মাসিউটিক্যাল; চোখ ও মস্তিষ্কের রোগ নির্ণয়, পরিবহন; যোগাযোগ বিভাগ; সাইকিয়াট্রি বিভাগ; গোয়েন্দা এবং রহস্য সমাধান; ফাস্ট ফুড এবং অ্যালকোহল পানীয়; প্রভৃতি।

পারিবারিক জীবন

এখানে একটি সম্ভাবনা আছে যে আপনি একটু দেরী করে বিয়ে করতে পারেন। একটি সুন্দর দাম্পত্য জীবন রাখার জন্য যুক্তিতর্ক এড়িয়ে চলুন। আপনি চাকরি বা ব্যবসার কারণে আপনার পরিবার থেকে দূরে থাকতে পারে। আপনার জীবন সঙ্গী আপনার ভাল যত্ন নেবে এবং পারিবারিক কাজে একজন বিশেষজ্ঞ হবেন।



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180720081029

Friday, July 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্মকুন্ডলীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শুভ-অশুভ যোগ

জন্মকুন্ডলীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শুভ-অশুভ যোগ


জন্মকুণ্ডলীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শুভ-অশুভ যোগ

১। শনি, চন্দ্র ও বৃহস্পতি যদি পরস্পরের কেন্দ্রে থাকে, তা হলে জাতক ধনশালী হয়, অন্যথায় এই সব জাতক ধর্মগুরু হয়ে থাকেন।

২। চারটি গ্রহ এক রাশিতে থাকলে এবং এই ভাব কেন্দ্র ও কোণ হলে জীবনে অর্থের অভাব হয় না। অষ্টম বা দ্বাদশে যদি চারটি শুভ ও অশুভ গ্রহের মিলন হয় তবে জাতক ধনবান হয়ে থাকেন।

৩। যদি ষষ্ঠপতি বৃহস্পতিকে দেখে তবে ঋণযোগ হয়। বৃহস্পতির শুভ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এটি খুবই অশুভ যোগ, মনের শান্তি থাকে না।

৪। ষষ্ঠপতির কেন্দ্রে অশুভ গ্রহ থাকলে জেল গমন ও প্রবল শত্রুতার মোকাবিলা করতে হয়।

৫। দুটো বা তার বেশি অশুভ গ্রহ মেষ, বৃশ্চিক, মকর ও কুম্ভ রাশিতে থাকলে বহু বদনাম হয় এবং বহু ক্ষেত্রে পরাজয় স্বীকার করতে হয়।

৬। যোগ কারক গ্রহ দুঃস্থানে(ষষ্ঠ/অষ্টম/দ্বাদশ) থাকলে বেঁচে থাকার আকর্ষণ কমে যায়।

৭। যদি বৃহস্পতি বা শুক্র, চতুর্থ স্থানের অধিপতি হয়ে ভাগ্যস্থানে থাকে এবং ভাগ্যপতি কেন্দ্র অথবা কোণে অবস্থান করে তাহলে জাতক ভূ-সম্পত্তি ও যানবাহনের মালিক হয়।

৮। রবি ও বুধ কেন্দ্র, কোণ বা একাদশে থাকলে জাতক অঙ্কশাস্ত্রে বিদ্বান হয়। আবার রবি, বুধ ও শুক্র দ্বিতীয়ে থাকলে জাতক কবি হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোষ্ঠীতে এই যোগ বিদ্যমান।

৯। চন্দ্র ও বুধ একত্রে নবমে থাকলে জাতকের বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান লাভ হয়।

১০। যদি বলবান ভাগ্যপতি কেন্দ্র বা কোণস্থ হয় এবং লগ্নের ওপর লগ্নপতির দৃষ্টি থাকে তাহলে জাতক সৌভাগ্যের অধিকারী হয়।

১১। সিংহ লগ্নে রবি, মঙ্গল বা বৃহস্পতি যুক্ত বা দৃষ্ট হলে জাতক ধনবান হয়।

১২। বুধ, মিথুন বা কন্যা লগ্নে অবস্থান করে শুক্র বা শনিযুক্ত বা দৃষ্ট হলে জাতক সম্পদশালী হয়। কিন্তু সে বাল্যকালে রোগপীড়িত হয় এবং শেষ বয়সে সুখী হয়।

১৩। লগ্ন পতি দ্বিতীয়ে, দ্বিতীয় পতি একাদশে এবং একাদশ পতি লগ্নে থাকলে জাতক প্রচুর উপার্জন করে।

১৪। আয়পতি ও আয়ভাবকারক বৃহস্পতি ধনপতিযুক্ত বা দৃষ্ট এবং লগ্নপতি বলবান হলে নিজ চেষ্টায় ধন উপার্জন হয়।

১৫। ধনপতি নবমে বা একাদশে থাকলে জাতক উদ্যমী, কর্মদক্ষ ও সম্পদশালী হয়। কিন্তু সে বাল্যকালে রোগপীড়িত হয় এবং শেষ বয়সে সুখী হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180720072159

Thursday, July 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় ১পর্ব

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় ১পর্ব

আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা
আজ ১ম পর্ব লিখলাম।

প্রতিযোগিতার এই যুগে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোন বিকল্প নেই। কিছু ব্যাপার চর্চা করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা সম্ভব।

আত্মবিশ্বাস অর্জন করা কোন রাতারাতি ব্যাপার নয়। দীর্ঘদিনের চর্চা এবং অভ্যাসে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠে। আত্মবিশ্বাস কেউ কাওকে দিতে পারে না, নিজে নিজেই অর্জন করতে হয়। যেকোনো কাজে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরী। আমাদের প্রায়ই বিভিন্ন কাজে বা ভাইভা বোর্ডে শুনতে হয় আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। ক্ষতি কি যদি আমরা নিজেদের একটু আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দিতে পারি।

সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। অনেকে আছেন যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে পারেন না। জীবনের লক্ষ্য অর্জনের শেষ বিন্দুতে পৌঁছাতে হলে আত্মবিশ্বাস অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।

নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুনঃ

(১) স্মার্ট পোষাক, পরিচ্ছন্নতা, হালকা সুগন্ধী আপনার স্মার্টনেস কেবল অন্যের চোখেই না আপনার নিজের চোখেও নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সকালে অফিসে যাবার আগে ১০ মিনিট বেশি ব্যয় করুন নিজের পেছনে। দেখবেন, সারাদিন নিজেকে প্রেজেন্টেবল আর আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।

অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুনঃ

(২) মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচু করে হাঁটুন। মাথা নিচু করে কুজো হয়ে হাঁটবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যদের ধারণা খারাপ হবে।

(৩) সহকর্মী বা বসের নেতিবাচক কথা মনে ধরে রাখবেন না। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কেউ প্রশংসা করে আবার কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে কাজ আদায় করতে চেষ্টা করেন। বুঝতে চেষ্টা করুণ আপনার বসের মানসিকতা কেমন।হয়তো তিনি আপনার সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথা বলছেন আপনার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ আদায় করতে। আর সেটা কি আপনার যোগ্যতার কারণেই নয়? চেষ্টা করুন নিজের ভুলগুলো শুধরে নেবার।
আবার সহকর্মীরা হয়তো অনেক সময় আপনার নামে নেতিবাচক কথা বলে থাকে, আপনার কাজের দক্ষতাকে ঈর্ষা করে বলেই এমনটা হয়!

কথা বলুন চোখে চোখ রেখেঃ

(৪) যখনই কারো সাথে কথা বলবেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, কথা বলার সময় এদিক ওদিক তাকাবেন না বা অন্য কিছু করবেন না। এটি আত্মবিশ্বাসী হবার একটি অন্যতম চিহ্ন।

মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুনঃ

(৫) কেউ যাখন আপনার সাথে কথা বলছেন তখন তার কথার মাঝখানে কথা বলবেন না বা প্রশ্ন করবেন না। আগে শুনুন। এতে তিনি ভাববেন আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তখন তিনিও আপনার কথা শুনতে আগ্রহী হবেন। কেউ যখন আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন নাঃ

(৬) আমি খুব অগোছালো, ডেডলাইন ছুঁতে পারি না, ধীরে কাজ করি, অন্যদের মত ভালো প্রেজেন্টেশন করতে পারি না, ইত্যাদি নিজের নেতিবাচক দিকগুলো কখনোই কর্মস্থলে বলতে যাবেন না। নিজের ইতিবাচক দিকগুলো বলুন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আবার সহকর্মী বা বসের কাছেও আপনি গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

মানুষজনের সাথে মিশুন ও নেটওয়ার্ক বাড়ানঃ

(৭) পরিচিতির গণ্ডি বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে। আশেপাশে মানুষের একটি বড় বৃত্তে আপনি অনেক বেশি নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন।

নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুনঃ

(৮) মানুষজনের কথায় কেবল নিজের অপ্রাপ্তি নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। বরং ভাবুন নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়েও। লিখে ফেলুন একটি ডায়েরিতে আগামীর লক্ষ্যও। দেখবেন হারানোর চেয়ে অর্জন আর সম্ভাবনায়ই ভরে উঠেছে আপনার খাতা ও মন।

আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ানঃ

(৯) ভাষা, পড়াশোনা বা প্রযুক্তি, যেখানেই আপনার আগ্রহ থাকুক না কেন, দক্ষতা বাড়ান, আপনার পেশাদারী আত্মবিশ্বাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হবে, সন্দেহ নেই।

অন্যদের সাহায্য করুনঃ

(১০) যতটা সম্ভব অন্যদের সাহায্য করুন। সমাজসেবা জাতীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যের উপকার করার মধ্য দিয়ে আপনি নিজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন। নিজেকে নিজে বড় ভাবতে না পারলে আপনার আত্মবিশ্বাস কখনোই বাড়বে না।

ক্ষতিকর মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুনঃ

(১১) যারা কেবল আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কথাই বলে ও সুযোগ পেলে আপনার ক্ষতি করতেও দ্বিধা করবে না, হোক বন্ধু বা সহকর্মী, এদের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার কনফিডেন্স লেভেল কমাতে এদের জুড়ি নেই।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180719202920

Thursday, July 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মৃগশিরা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

মৃগশিরা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত
মৃগশিরা নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

মৃগশিরা নক্ষত্র

যদি আপনার জন্য কোন শব্দ থাকে তাহলে সেটি 'একজন গবেষক' হবে কারণ আপনি অনুসন্ধিৎসু প্রকৃতির হবেন। আপনি সবসময় আধ্যাত্মিকতা, মনোবিজ্ঞান, এবং আবেগ সম্পর্কে নতুন জিনিষ খুঁজে পেতে প্রস্তুত থাকেন। আপনার একটি উদ্দেশ্য জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে। আপনি একজন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং আপনি একসঙ্গে সবকিছু বুঝতে পারেন। আপনি ভদ্র, বিনীত, প্রফুল্ল, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং উৎসাহী প্রকৃতি। আপনার মন ও মস্তিষ্ক সব সময় সক্রিয় থাকে এবং নতুন চিন্তা আপনার মাথায় সবসময় আসতে থাকে। এটি আপনাকে মনের শান্তি দেয় মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাদের সহায়তা করতে সাহায্য করে। আপনি নিয়ম মেনে সহজ জীবন যাপন করতে পছন্দ করেন। এছাড়াও, আপনার চিন্তা ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ হবে। আপনি কথা বলায় অত্যন্ত বুদ্ধিমান হবেন এবং একজন অসাধারণ দক্ষতাসম্পন্ন গায়ক ও কবি হবেন। উপরন্তু, যখন বিদ্রুপ এবং হাস্যকর বিষয় আসবে তখন আপনি অন্যদের থেকে কম সম্মুখীন হবেন। আপনি সাধারণতঃ যুক্তিতর্ক, মতবিরোধ ও বিতর্ক এড়িয়ে যাবেন। এইজন্য মানুষ আপনাকে লাজুক ভাববে কিন্তু যা সত্যি নয়। সত্য হল আপনি শ্রেষ্ঠভাবে আপনার জীবন যাপন করতে চান এবং অর্থহীন বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দিতে চান না। আপনি বিশ্বাস করেন যে ভালবাসা ও সহায়তা সাফল্য এবং সুখের ভিত্তি হয়। আপনার কাছে যুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ; তাই আপনি সবকিছু খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। আপনার বিশ্বাস ও চিন্তাধারার উপর আপনার দৃঢ় বিশ্বাস আছে। অন্যদের ক্ষেত্রে আপনি সুন্দরভাবে আচরণ করেন এবং তাদের কাছ থেকেও একই আশা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এটা ঘটে না। বন্ধু, অংশীদার, এবং আত্মীয়দের সঙ্গে ডিল করার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ আপনার প্রতারিত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা আছে। আপনার মধ্যে নেতৃত্বের একটি অনন্য দক্ষতা আছে। আপনি সব নতুন কাজগুলি শুরু করতে এবং সব সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি ভালো শিক্ষা পাবেন এবং কিভাবে ও কোথায় মানুষেরা তাদের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে সে সম্পর্কে বলতে পারবেন। কিন্তু, আপনার নিজের জন্য ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। মাঝে মাঝে আপনি নিজেকে আর্থিক সমস্যার কবলে দেখতে পাবেন। আপনি একজন ভাল গায়ক, সুরকার, শিল্পী, কবি, ভাষাতত্ত্ববিদ, রোমান্টিক ঔপন্যাসিক, লেখক, বা ভাবুক হিসাবে প্রমাণ করবেন। কিছু ক্ষেত্র আপনাকে প্রতিদিনের খরচ যোগাড় করে দেবে যেমন ঘরবাড়ি, রাস্তা, বা সেতু নির্মাণ; যন্ত্র ও যন্ত্রপাতি তৈরি; টেক্সটাইল বা পোশাক শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ; ফ্যাশন ডিজাইনিং; পোষ্যের যত্ন বা বিক্রয় সম্পর্কিত কিছু; পর্যটন বিভাগ; কোনো গবেষণা সম্পর্কিত কাজ; পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, বা জ্যোতিষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজ; কেরানি; লেকচারার; করেসপন্ডেন্ট; সার্জন; সেনা বা পুলিশের কাজ; ড্রাইভার; সিভিল, ইলেকট্রনিক, মেকানিক্যাল, বা ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং।

পারিবারিক জীবন

সাধারণত, আপনার বিবাহিত জীবন ভালো হবে কিন্তু স্ত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্ভাবনা আছে। বিবাহিত জীবন সর্বোত্তম করতে আপনাকে অনমনীয় ও অস্বাভাবিক আচরণ করলে হবে না। ইতিবাচকতা আপনার পারিবারিক জীবনে ধীরে ধীরে প্রাধান্য পাবে। যদি স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দুর্বলতা উপেক্ষা করা শিখতে পারেন তাহলে, আপনারা উভয়ে শিব-পার্বতীর মত একটি অবিশ্বাস্য দম্পতি হবেন। 32 বছর বয়স পর্যন্ত, আপনাকে জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করতে হতে পারে। এরপরে সব জিনিস স্থিতিশীল হবে। 33 থেকে 50 বছর বয়স পর্যন্ত আপনার জন্য সময় খুব অনুকূল এবং সফল হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180719090001

Wednesday, July 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রোহিনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

রোহিনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

রোহিণী নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

রোহিণী নক্ষত্র :-

আপনি, রোগা, নমনীয়, আকর্ষণীয় হতে পারেন এবং আপনার ব্যক্তিত্বের মধ্যে একটি আকর্ষকশক্তি থাকতে পারে। আপনার চোখ একটি হৃদয়হরণকারী হাসি নিয়ে খুব সুন্দর। আবেগঘন হৃদয়ের জন্য আপনি চারিত্রিকভাবে প্রেমিক। আপনি অত্যন্ত, বিনয়ী, নম্র এবং ভদ্র। এছাড়াও, আপনি খুব ভালভাবেই জানেন কিভাবে অন্য মানুষের সাথে আচরণ করতে হয়। এটা সত্য যে আপনি বেশ জনপ্রিয় এবং আপনার সম পর্যায়ের মানুষের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আপনার দক্ষতা এবং সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করা আপনার জন্য কঠিন হবে না। তাই মানুষ সাধারণত আপনাকে খুব সহজেই বিশ্বাস করবেন। তবে, চারিত্রিকভাবে আপনি খুব সরল, অকপট, এবং সত্যবাদী। আপনি শুধুমাত্র আপনার পরিবার, বাড়ি, সমাজ, জাতি বা সমগ্র বিশ্বের সেবা করে আপনার ক্ষমতার প্রদর্শন করতে চান। সুন্দর অভিব্যক্তিপূর্ণ ক্ষমতা সঙ্গে আপনি একজন ভাল অভিনেতাও। আপনি একজন শিল্পকলা প্রেমী, যিনি শিল্পকলা কি তা জানেন এবং সৃজনশীল ক্ষমতা দিয়ে তা পূর্ণও করেন। উপরন্তু, আপনি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে দক্ষ হবেন। আপনি সাধারণতঃ পরিবার ও সমাজের অঙ্গীকার এবং মূল্যবোধগুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এছাড়াও, আপনি আপনার লক্ষ্যের প্রতি খুব একনিষ্ঠ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন। আপনি আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে সুখ এবং পরিতৃপ্তি লাভ করবেন। আপনি প্রাচীনপন্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন, কিন্তু আপনি পুরোনো তত্ত্বগুলিকে অনুসরণ করবেন না কারণ আপনি নতুন চিন্তাধারা ও পরিবর্তনকে আনন্দ সহকারে স্বাগত জানান। যখন স্বাস্থ্যের বিষয় আসবে, তখন আপনি সবসময় সজাগ এবং সচেতন থাকবেন। সম্ভবত এই কারণে আপনি রোগ মুক্ত এবং দীর্ঘায়ু হবেন। সাধারণত, আপনি অবিলম্বে মানুষের আবেগ ও আস্থার উপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, যারজন্য মাঝে মাঝেই আপনাকে জালিয়াতি সম্মুখীন হতে হবে। তবে সত্যি বলতে, আপনার আবেগ পরিবর্তন হবে না। আপনি বর্তমানে বাঁচবেন; এবং সবসময় আগামীকালের উত্তেজনা থেকে দূরে থাকবেন। আপনার জীবন উত্থান পতন পূর্ণ। আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে সবকিছু সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছু শেষ করেন তাহলে আপনি একচ্ছত্র বিজয় অর্জন করতে পারেন। আপনার তরুণ বয়স সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু 38 বছর বয়সের পরে, আপনি কিছুটা স্বস্তি পাবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি কৃষি কাজ, বাগান করা, বা খাবার জাতীয় জিনিসের চাষের সাথে সম্পর্কিত কোন কিছুর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। উপরন্তু, খাদ্যদ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণ বা কোনো পরিবর্তন করে এবং তারপর সেগুলিকে বাজারে পাঠিয়ে আপনি লাভবানও হতে পারেন। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্র যেমন উদ্ভিদবিদ্যা, সঙ্গীত, শিল্প, সৌন্দর্য পণ্য, ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিউটি পার্লার, গয়না, দামী কাপড়, পর্যটন, পরিবহন, গাড়ির শিল্প, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তেল ও পেট্রোলিয়াম উৎপাদন, টেক্সটাইল শিল্প, জল পরিবহন পরিষেবা, খাদ্যসামগ্রী, ফাস্ট ফুড, হোটেল, চিনি ব্যবসা, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ঠান্ডা জল বা মিনারেল ওয়াটার সম্পর্কিত কাজের মাধ্যমে আপনি দৈনন্দিন রুজি রোজগার করতে পারবেন।

পারিবারিক জীবন

আপনার স্ত্রী, সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং বুদ্ধিমান হতে হবেন। এছাড়াও, আপনার কাছ থেকে তার অনেক প্রত্যাশা থাকবে। তিনি মানসিক এবং সামাজিকভাবে ঠিক আপনার মতই হবে। এছাড়াও, তার সঙ্গে আপনার একটি ভাল সামঞ্জস্য থাকবে। আপনার ব্যক্তিত্ব প্রলুব্ধকর এবং আচরণ নমনীয় হবে। আপনি সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করবেন। সুতরাং, আপনাকে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক হিসাবে বিবেচনা করা ন্যায়সঙ্গত হবে। আপনি আপনার পরিবারের ভাল যত্ন নেবেন এবং খুব দক্ষতার সঙ্গে গার্হস্থ্যের কাজ করবেন, যা আপনার পারিবারিক জীবনকে সুখী করবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180718074442

Tuesday, July 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হনুমান চল্লীশা

হনুমান চল্লীশা

৷৷ ওঁ শ্রী হনুমতে নমঃ ৷৷
-----------------------
শ্রী হনুমান চালিশা
দোহা
====
শ্রী গুরু চরন সরোজ রজ নিজমনু মুকুরু সুধারি |
বরনঊ রঘুবর বিমল জসু জো দায়কু ফল চারি ||
বুদ্ধিহীন তনু জানিকে সুমিরৌ পবন কুমার |
বল বুধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেস বিকার ||
চৌপাঈ
====
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর |
জয় কপীশ তিহুঁ লোক উজাগর || 1 ||
রামদূত অতুলিত বলধামা |
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || 2 ||
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী |
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ||3 ||
কঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেশা |
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা || 4 ||
হাথ বজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ |
কাঁধে মূঞ্জ জনেঊ সাজৈ || 5||
শংকর সুবন কেসরী নন্দন |
তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন || 6 ||
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর |
রাম কাজ করিবে কো আতুর || 7 ||
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া |
রামলখন সীতা মন বসিয়া || 8||
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হিঁ দিখাবা |
বিকট রূপধরি লংকা জরাবা || 9 ||
ভীম রূপধরি অসুর সঁহারে |
রামচন্দ্র কে কাজ সঁবারে || 1০ ||
লায় সঁজীবন লখন জিয়ায়ে |
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে || 11 ||
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাঈ |
তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাঈ || 12 ||
সহস বদন তুম্হরো জাস গাবৈঁ |
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈঁ || 13 ||
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীসা |
নারদ সারদ সহিত অহীসা || 14 ||
জম কুবের দিগপাল জহাঁ তে |
কবি কোবিদ কহি সকে কহাঁ তে || 15 ||
তুম উপকার সুগ্রীবহিঁ কীন্হা |
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা || 16 ||
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা |
লংকেশ্বর ভএ সব জগ জানা || 17 ||
জুগ সহস্র জোজন পর ভানূ |
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ || 18 ||
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহীঁ |
জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহীঁ || 19 ||
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে |
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || 2০ ||
রাম দুআরে তুম রখবারে |
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || 21 ||
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা |
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || 22 ||
আপন তেজ তুম্হারো আপৈ |
তীনোং লোক হাংক তে কাঁপৈ || 23 ||
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ |
মহবীর জব নাম সুনাবৈ || 24 ||
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা |
জপত নিরংতর হনুমত বীরা || 25 ||
সংকট তেঁ হনুমান ছুডাবৈ |
মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ || 26 ||
সব পর রাম তপস্বী রাজা |
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || 27 ||
ঔর মনোরধ জো কোই লাবৈ |
সোঈ অমিত জীবন ফল পাবৈ || 28 ||
চারো য়ুগ পরিতাপ তুম্হারা |
হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা || 29 ||
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে |
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে || 3০ ||
অষ্ঠসিদ্ধি নৌ(নব) নিধি কে দাতা |
অস বর দীন্হ জানকী মাতা || 31 ||
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা |
সাদ রহো রঘুপতি কে দাসা || 32 ||
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ |
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ || 33 ||
অন্ত কাল রঘুবর পুরজাঈ |
জহাঁ জন্ম হরি-ভক্ত কহাঈ || 34 ||
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ |
হনুমত সেই সর্ব সুখ করঈ || 35 ||
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা |
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || 36 ||
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাঈ |
কৃপা করো গুরুদেব কী নাঈঁ || 37 ||
জো শত বার পাঠ কর কোঈ |
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোঈ || 38 ||
জো য়হ পঢ়ৈ হনুমান চালীসা |
হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীসা || 39 ||
তুলসীদাস সদা হরি চেরা |
কীজৈ নাথ হৃদয় মহঁ ডেরা || 4০ ||
-
দোঁহা
====
পবনতয় সংকট হরণ, মঙ্গল মূরতি রূপ ৷
রাম লখন সীতা সহিত, হৃদয় বসহু ভূপ ৷৷
.
মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র:হূং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হুঁ ফট্ স্বাহা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180717081224

Tuesday, July 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কালাশুচ

কালাশুচ

অনেকের কালাশৌচ বিশয়ে নানাপ্রশ্ন থাকে। তাই স্মৃতিশাস্ত্রের কিছু বচন উদ্ধৃত করলাম।
মহাগুরুনিপাতেহি কাম্যংকিঞ্চিন্ন চাচরেৎ
আত্বিজ্যং ব্রহ্মচর্য্যং চ যাবৎ পুর্ণো ন বৎসর।
মহাগুরু পরলোক গমন করিলে ( পুরুষের পিতা মাতা ও স্ত্রীর পতি) পুর্ণবৎসর কাল কোন কাম্যকর্ম অর্থাৎ পৌরোহিত্য ব্রহ্মচর্য ও সন্যাস গ্রহণ করিবেনা।
অন্য শ্রাদ্ধং পরান্নঞ্চ গন্ধং মাল্যঞ্চ মৈথুনম্য
বর্জ্জয়েদ্ গুরুপাতে হি যাবৎপুর্ণো ন বৎসর।
পিতমাতার শ্রাদ্ধ ছাড়া অন্য শ্রাদ্ধ পরান্নভোজন গন্ধ মাল্য ধারন ও মৈথুন মহাগুরু নিপাতে সংবৎসর কাল বর্জন করিবে।
তীর্থযাত্রাং বিবাহঞ্চ স্বাধ্যায়ঞ্চান্য তর্পণম্
সংবৎসরং ন কুর্ব্বীত মহগুরু নিপাতনে।
মহাগুরু নিপাতে সংবৎসর মধ্যে তীর্থযাত্রা বিবাহ বেদাধ্যায়ন ও অন্য উদ্দেশ্যে তর্পণ করিবেনা। সুতরাং কালাশৌচ হইলে পরিবারের সকলের হয়না। আমরা অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকি। যাহাদের পালনিয় তাহারা শাস্ত্র নির্দিস্ট নিয়ম পালন করিবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180717075159

Monday, July 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

RESULT OF FIFA FOOTBALL WORLD CUP 2018

RESULT OF FIFA FOOTBALL WORLD CUP 2018

শুভ অপরান্থ

FIFA World Cup 2018 কে নেবে?
****************
Prediction time at fb :15/07/18 ,time 2.33pm
১) ফ্রান্স

২) ক্রোয়েশিয়া।

Astrological Research (neumerical)করে দেখতে পেলাম এবার FIFA World Cup 2018 France নেবে। অর্থাৎ ফ্রান্স বিজয়ী হবে, ক্রোয়েশিয়া রানার্স আপ হবে। কারন ফ্রান্সের ম‍্যাজিক সংখ‍্যা ৫ যা বুধের সংখ্যা।আবার ক্রোয়েশিয়ার ম‍্যাজিক সংখ‍্যা ৪ যা রাহুর সংখ‍্যা।আজকের দিনে শুভত্বের বিশয়ে সংখ‍্যা ৫ই এগিয়ে।আমার ধারনা ফ্রান্স ১ গোলে জিতবে।
দেখুন ভবিষ্যত বাণী ফলে কিনা?

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180716073155

Monday, July 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কৃত্তিকা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

কৃত্তিকা নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

কৃত্তিকা নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি কি জানেন আপনার জন্ম নক্ষত্র কি ? কি বলছে আপনার জন্ম নক্ষত্র ! জনতে হলে চোখ রাখুন প্রতিনিয়ত । আর আপনার সথে কতটুকু মিললো সুধু লাইক দিয়ে নয় কমান্ডস করে জানান

কৃত্তিকা নক্ষত্র :-

আপনি একজন ভাল উপদেষ্টা এবং আশাবাদী ব্যক্তি। অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে আচরণ এবং একটি শালীন জীবন যাপন করা আপনার বিশিষ্টতা হবে। আপনার মুখ খুব উত্তেজনাপূর্ণ দেখায় এবং আপনি বেশ গতি সঙ্গে চলাফেরা করবেন। ইংরাজী শব্দ ক্রিটিক্যাল থেকে ক্রিতিকার উৎপত্তি হয়েছে। এই কারণে মানুষের ত্রুটিগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁজে বের করা এবং সেগুলিকে ঠিক করার চেষ্টা করা আপনার একটি বিশেষ গুণ। এছাড়াও, আপনি কোন কাজের ফলাফল বিশ্লেষণ করা এবং তারপর তারমধ্যে লুকানো স্বপক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি খোঁজার কাজে বিশেষজ্ঞ হবেন। আপনি এক কথার মানুষ এবং সমাজ সেবামূলক কাজে আগ্রহ দেখাবেন। কিন্তু যখন এটি নাম এবং খ্যাতির ক্ষেত্রে আসে তখন আপনি এটির জন্য কিছুই করেন না কারণ আপনি কারোর কাছ থেকে অনুগ্রহ নিতে চান না। আপনি নিজেই সবকিছু করার উপর বিশ্বাস করেন। এছাড়াও, আপনি জানবেন না কিভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে তাই আপনি আপনার সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকবেন। আপনাকে বাইরে থেকে বেশ কঠোর মনে হতে পারে, কিন্তু অনেক ভালোবাসা, স্নেহ, এবং সমবেদনা আপনার ভিতরে লুকানো আছে। যখন আপনি রেগে যান তখন শৃঙ্খলা বজায় রাখাই সবচেয়ে শ্রেয়। আপনি কখনও কাউকে ভয় দেখাতে চান না। এছাড়াও আপনার আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহ থাকবে। আপনি জপ, তপা, উপবাস ইত্যাদি করার দ্বারা ধর্মীয় জীবন উন্নতি করতে পারবেন। একবার আপনি আধ্যাত্মিকতা পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলে এই পৃথিবীর কোন জিনিসই আপনাকে থামাতে পারবে না। কঠোর পরিশ্রমী হওয়ায় আপনি কিছু জিনিস নিয়মিত করায় বিশ্বাস করেন। শিক্ষা, কাজ, বা ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র সবার থেকে এগিয়ে থাকতে চাইবেন। ব্যর্থ বা পিছনে পড়ার মত কোন বিষয় আপনাকে বহন করতে হবে না। চারিত্রিকভাবে খুব সৎ হওয়ায় আপনি প্রতারিত হতে পারেন। যদি আপনি আপনার জন্মস্থান থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি বেশি উপকৃত হবেন। আপনি অন্যদের সমস্যাগুলিতে কার্যকর পরামর্শ প্রদান করতে যথেষ্ট পরিমাণ সক্ষম হবেন। যখন নাম, খ্যাতি, সম্পদের বিষয় আসবে, আপনি শুধুমাত্র কারোর দয়া দ্বারা বা ভুল পথ দ্বারা পেতে চান না। আপনার অর্থ উপার্জন করার একটি অসাধারণ দক্ষতা আছে এবং কঠোর পরিশ্রম দ্বারা কোনো লক্ষ্য পৌঁছানো আপনার অভ্যাস। আপনার জনসংযোগকারী জীবনও গৌরবময় হবে। আপনি আকর্ষণীয় হবেন এবং প্রেমও স্বচ্ছতা থাকবে। এগুলি আপনার নিয়ম এবং তত্ত্বের দ্বারা আপনার জীবনে আসবে। আপনি সঙ্গীত এবং শিল্পকলার দিকে একটি বিশেষ আগ্রহ থাকবে। এছাড়াও, আপনি অন্যদের খুব ভালভাবে শেখাতে পারবেন।

শিক্ষা এবং আয়

সাধারণত আপনি আপনার জন্মস্থানে থাকতে পারবেন না এবং কাজের জন্য আপনাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হবে। কিছু পেশা যেমন ফার্মাসিস্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, অলংকার তৈরীর সাথে সম্পর্কিত কাজ, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন অফিসার বা একটি বিভাগের সভাপতি, আইনজীবী; বিচারক; সেনা; পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী; ফায়ার ব্রিগেডের অফিসার; শিশুর যত্ন ইউনিট; অনাথ আশ্রম সংশ্লিষ্ট কাজ; ব্যক্তিত্ব উন্নয়ন ও আস্থা নির্মাণ সম্পর্কিত কাজ; আধ্যাত্মিক গুরু বা বক্তা; আগুন সম্পর্কিত ব্যবসা যেমন মিষ্টান্ন, বেকারি, ওয়েল্ডিং, কামার, সূচিশিল্প, সেলাই, সিরামিক বা চীনামাটি জিনিস তৈরী এবং সেই সব কাজ যেগুলি আগুন বা ধারালো যন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত সেগুলিতে আপনি ভাগ্যবান হতে পারেন।

পারিবারিক জীবন

আপনার বিবাহিত জীবন সুখী হবে। স্ত্রী দক্ষ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অনুগত এবং সুপরিচিত হবেন। বাড়ীতে এমন সুন্দর একটি পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও, আপনার স্ত্রীর স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয় হবে। আপনার জীবন সঙ্গী আপনার আগে পরিচিত হতে পারেন। আপনার প্রেম করে বিয়ে করার ভাল সম্ভাবনা আছে। আপনার মায়ের সঙ্গে আপনার একটি বিশেষ অ্যাটাচমেন্ট থাকবে এবং আপনি আপনার ভাইবোনদের চেয়ে তার কাছ থেকে বেশি ভালবাসা পাবেন। আপনার 50 বছর বয়স পর্যন্ত জীবনে প্রচন্ড লড়াই করার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু 50 থেকে 56 বছরের মধ্যে সমস্ত জিনিস অসাধারণ হয়ে যাবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180716072500

Saturday, July 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মহামৃত‍্যুজ্ঞয় ওগজকেশরী যোগ

মহামৃত‍্যুজ্ঞয় ওগজকেশরী যোগ

আজ রথযাত্রা উপলক্ষে, বিশেষ রাশিফল।
সুপ্রভাত

আজকের দিনটি কেমন যাবে
( শনিবার, ১৪Jul ২০১৮ )

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) আজ মেষ রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। তবে অস্থিরতা ও চঞ্চলতা বাড়তে পারে। কর্মস্থলে কোনা কাজের জন্য আপনার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক ও সাঙ্গঠনিক কোনো কাজে ব্যস্ত হতে পারেন। জীবন সাথীর সাহায্য পেতে পারেন। কোনো পদস্ত কর্মকর্তার সাথে অফিশিয়াল ভ্রমণে যেতে হতে পারে।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ২

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে) বৃষ রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি ব্যয় বহুল হতে পারে। আজ অনেকেরই দূরের যাত্রার যোগ রয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সুযোগ হতে পারে। পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর কেনাকাটায় ব্যয় হবে। ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায় ভালো আয়ের যোগ দেখা যায়। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় কিছু ঝামেলা হবে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) মিথুন রাশির জাতক-জাতিকার আজ বন্ধু ভাগ্য বলবান। বন্ধুর সাহায্য পাবেন। আয় রোজগার বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা কোনো অপ্রচলিত পণ্যের লেনদেন করে ভালো আয় রোজগার করতে পারেন। বড় ভাই বোনের আগমনের যোগ। রোমান্টিক বিষয়ে কোনো বন্ধুর পরামর্শ কাজে আসতে পারে। বকেয়া বিল আদায়ে সক্ষম হবেন।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ২

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। শিক্ষক ও গবেষকদের দিনটি ভালো যাবে। কর্মস্থলে সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। পিতৃস্থানীয় কারো সাহায্য পেতে পারেন। সাংসারিক কাজে পিতার পরামর্শ আশা করতে পারেন। বেকারদের সাময়ীক কর্মলাভের যোগ প্রবল। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হবার যোগ রয়েছে।
শুভ রং: বাদামি
শুভ সংখ্যা: ২

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট) সিংহ রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। জিবীকার জন্য বিদেশ সংক্রান্ত কথাবার্তায় অগ্রগতি আশা করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষার জন্য ব্যস্ত থাকতে পারেন। ভাগ্যর সাহায়তা পেতে পারেন। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পেশাজীবীদের আয় বৃদ্ধি পাবে। ভ্রমণে লাভবান হবেন।
শুভ রং: আকাশি
শুভ সংখ্যা: ৩

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) আজ কন্যার জাতক-জাতিকার দিনটি ঝামেলাপূর্ণ। সকাল সকালই কারো মৃত্যু সংবাদ পেতে পারেন। শনির কারণে কর্মস্থলে বাধা বিপত্তি দেখা দেবে। আজ পাওনাদারের তাগাদা পেতে পারেন। আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়ার আশঙ্কা প্রবল। ঔষধ বিক্রেতা ও ক্যামিক্যাল ব্যবসায় ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ২

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) তুলা রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। ব্যবসায় কিছু নতুন বিনিয়োগ করতে পারেন। অংশিদারী কাজে কিছুটা হতাশ হবার সম্ভাবনা। দিনের শেষ ভাগে আপনার কোথাও বেড়াতে যাওয়ার যোগ। আত্মীয়র সাথে কোনো লেনদেন হতে পারে। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয়ের সুযোগ আসবে। দাম্পত্য কলহের অবশান আশা করা যায়।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ৩

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি মিশ্র যাবে। বেসরকারি চাকুরেদের কর্মস্থলে কিছু বাধা বিপত্তির আশঙ্কা। বৈদেশীক ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কিছু টাকা ব্যয় হবে। অধিনস্ত কর্মচারীর কারণে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। বেকারদের সেলসের চাকরি লাভের যোগ। শরীরের প্রতি খেয়াল রাখুন।
শুভ রং: লাল
শুভ সংখ্যা: ২

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) ধনু রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। রোমান্টিক বিষয়ে ভালো ফল পাবেন। সন্তানের জন্য কেনাকাটার যোগপ্রবল। আজ শিল্পীদের কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। সৃজনশীল পেশাজীবীদের সামান্য কিছু আয় রোজগারের যোগ রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ বৃদ্ধি পাবে। প্রিয়জনকে কিছু টাকা ধার দিতে পারেন।
শুভ রং: মেরুন
শুভ সংখ্যা: ৫

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) মকর রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে ব্যস্ত হতে পারেন। আয় রোজগার বৃদ্ধি পাবে। সাংসারিক কাজে মায়ের বুদ্ধি পরামর্শে লাভবান হবেন। যানবাহন মেরামত করতে পারেন। কোনো আত্মীয়র সাহায্য পেতে যাচ্ছেন। গ্রামে কোনো স্থাবর ক্রয় করার যোগ দেখা যায়।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ৫

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। আজ বৈদেশিক যোগাযোগ থেকে ভালো লাভ হবে। মানিএক্সেঞ্জ ও বিকাশ এজেন্টদের আয় রোজগার বাড়তে পারে। বাড়ীতে ছোট ভাই বোনের বিবাহের কথাবার্তায় অগ্রগতি হবে। প্রতিবেশীর কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। প্রকাশক ও মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের কাজের চাপ সামান্য বাড়তে পারে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ১

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) মীন রাশির জাতক-জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয়ের যোগ। বৈদেশীক ধনলাভের সম্ভাবনা। হোটেল রেস্টুরেন্ট ও বেকারী ব্যবসায় ভালো আয় রোজগার হবে। শ্যালক-শ্যালিকার কাছ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। কোনো আত্মীয়র বাসায় আপ্যায়িত হবার সম্ভাবনা প্রবল।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ৩


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180714072603

Saturday, July 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভরনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

ভরনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

ভরনী নক্ষত্রের
ভবিষ্যতবাণী

আপনি ভরনী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করলে এটি আপনাকে উদার চিত্তের তৈরি করবে। এছাড়াও, আপনি অন্য কারোর বলা রূঢ় কথাগুলিও মনে রাখবেন না। আপনি বড় এবং আকর্ষণীয় চোখ পাবেন যা আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করবে। আপনার চোখ একজন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে কথা বলছে বলে মনে হবে। আপনার মনমুগ্ধকর মুখের হাসি এবং চিত্তহরণকারী মনোভাব জন্য আপনি যে কাউকে আপনার জন্য পাগল করতে পারেন। আপনার অত্যন্ত প্রবল আকর্ষণ থাকবে। আপনি ভিতরে কতটা আতঙ্কিত থাকবেন তা বোঝা যাবে না, বরং আপনাকে বাইরে থেকে শান্ত দেখাবে। আপনি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আপনি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক সম্বন্ধে বেশি ভাবেন না। আপনি আনন্দচ্ছল জীবন যাপন করা এবং ঝুঁকি গ্রহণ করা উপভোগ করেন। সঠিক নির্দেশ এবং ভালবাসাময় সমর্থন শীঘ্রই আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। আপনি শর্ট-কাট গ্রহণ করা এড়ান এবং সহজ সরল পথ গ্রহণ করুন। আপনি আপনার বিবেকের বিরুদ্ধে কিছুই করবেন না এবং সবকিছুই অন্যদের সামনে স্পষ্ট করার চেষ্টা করবেন। এমনকি একটি সুস্থ সম্পর্ক হারানোর আশঙ্কা থাকলেও, আপনি আপনার পক্ষ থেকে স্বচ্ছ থাকা পছন্দ করবেন। আপনি সৎ এবং আপনি আপনার আত্মসম্মান বজায় রাখবেন। এইজন্য আপনি আপনার সমস্ত কাজগুলি নিজে করা পছন্দ করবেন। ভরনী নক্ষত্রের পালনকর্তা হল শুক্র, যা প্রকৃষ্টতা, সৌন্দর্য, এবং শিল্পকলার নির্দেশ করে, এবং যা আপনাকে চালাক, সৌন্দর্য প্রেমী, প্রকৃতিবাদী, সঙ্গীত প্রেমী, শিল্পকলা প্রেমী এবং একজন পর্যটক তৈরি করবে। আপনি ভাল জামাকাপড় পরা এবং একটি রাজকীয় জীবনধারা অতিবাহিত করা উপভোগ করবেন। এছাড়াও, আপনি শিল্পকলা, গান গাওয়া, গেম, এবং ক্রীড়ায় আগ্রহ দেখাবেন। এই নক্ষত্ররাশি নারীদের জন্যও খুব ইতিবাচক হবে কারণ এটি মেয়েলি গুণাবলী বাড়ায় যা শুক্রের (সৌন্দর্যের শাসক ও শিল্প প্রেমিকা) প্রভাব নির্দেশ করে। আপনি খুব আশাবাদী এবং বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। আপনি সুযোগের জন্য অপেক্ষা করবেন না, বরং আপনি তাদের খোঁজা শুরু করবেন। আপনার পারিবারিক জীবন সুন্দর হবে। আপনি শুধুমাত্র আপনার জীবন সঙ্গীকে ভালোবাসবেন না, বরং চারিত্রিক কারণে তার উপর কর্তৃত্বও করবেন।

শিক্ষা এবং আয়

আপনি সংগীত, নৃত্য, শিল্পকলা এবং অভিনয়ের মত ক্ষেত্রে; বিনোদন ও থিয়েটার; মডেলিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফি, ও ভিডিও এডিটিং সংশ্লিষ্ট কাজে এবং সৌন্দর্য সম্পর্কিত ব্যবসায়; প্রশাসনিক কাজে; কৃষি কাজে; বিজ্ঞাপন, মোটর গাড়ির কাজে হোটেল শিল্প; আইন; ইত্যাদিতে অনন্য সাফল্য পেতে পারেন। এছাড়াও আপনার অর্থ সঞ্চয়ে বিশেষ আগ্রহ থাকবে।

পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার পরিবারকে খুব বেশি ভালবাসেন এবং এমনকি একটি দিনের জন্যও তাদের ছাড়া থাকতে চান না। যখন বিয়ে করার কথা আসবে, তখন আপনি 23 থেকে 27 বছরের মধ্যে বিয়ে করতে পারেন। আপনি আপনার পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য অনেক ব্যয় করেন কারণ আপনি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেন। আপনার স্ত্রীর পক্ষ থেকে, আপনি যথেষ্ট ভালবাসা, সহায়তা এবং বিশ্বাস পাবেন। আপনি আপনার বড়দের খুব সম্মান করবেন। এই কারণে, আপনি একটি সুন্দর পারিবারিক জীবন উপভোগ করবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180714071133

Friday, July 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্মনক্ষত্র অনুয়ায়ী গ্ৰহরত্ন

জন্মনক্ষত্র অনুয়ায়ী গ্ৰহরত্ন

জন্মনক্ষত্র অনুসারে ধারণীয় রত্ন - ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে সাতাশটি নক্ষত্র বা নক্ষত্রপুঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতকের যে নক্ষত্রে জন্ম, সেই জন্মনক্ষত্র অনুযায়ী বিচার করে রন্ত ধারন করার পদ্ধতিও ভারতীও জ্যোতিষশাস্ত্রে আছে। এই সব নক্ষত্রের অধিপতিও গ্রহও আছে, তাদের প্রভাব পড়ে জাতকের ওপর ।তার ফলে জাতক শুভাশুভ ফললাভ করে ।তার প্রতিকারাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রে নক্ষত্র অনুযায়ী রত্নধারনের ব্যবস্থা দেওয়া আছে। এই ব্যবস্থা গ্রহন করতে হলে ,জাতকের কোষ্ঠী বিচার করে দেখতে হবে, জাতকের জন্মনক্ষত্র কি? তারপর রত্ন ধারনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

জন্মনক্ষত্র

১)অশ্বিনী

২)ভরনী

৩)কৃ্তিকা

৪)রোহিনি

৫)মৃগশিরা

৬)আদ্রা

৭)পুনরবসু

8) পুষ্যা

৯)অস্লেষা

১০)মেঘা

১১)পুরবফাল্গুনি

১২)উত্তরফাল্গুনি

১৩)হস্তা

১৪)চিত্রা

১৫)সবাতী

১৬)বিশাখা

১৭)অনুরাধা

১৮)জেসঠা

১৯)মূলা

২০)পুর্বসাড়া

২১)উত্তরসাড়া

২২)শ্রবণা

২৩)ধনি

২৪)শতভিষা

২৫)পুর্বভাদ্রপদ

২৬)উত্তরভাদ্রপদ

২৭)রেবতী

অধিপতি

কেতু

শুক্র

রবি

চন্দ্র

মঙ্গল

রাহু

বৃহস্পতি

শনি

বুধ

কেতু

শুক্র

রবি

চন্দ্র

মঙ্গল,

রাহু

বৃহস্পতি

শনি

মঙ্গল

কেতু

শুক্র

রবি

চন্দ্র

মঙ্গল

রাহু

বৃহস্পতি

শনি

বুধ

গ্রহ ধারনীয় রত্ন

ক্যাটসআই,মুনস্টোন,স্টার রুবী।

হীরআ,জারকন,স্ফটিক।

চুনি,সারডনিক্স,রক্তপ্রবাল।

মুক্তা,মুনস্টোন,স্ফটিক।

প্রবাল,পোখরাজ,চুনি,মুক্তা।

গোমেদ,গারনেট,হীরা,

পোখরাজ, টোপ্যাজ,পীতমুক্তা।

নীলা,এমিথিসট,পোখরাজ,হীরা।

পান্না,ওনেকস,জেট,পোখরাজ।

ক্যাটস আই, মুনস্টোন,স্টার রুবী।

হীরা,জারকন,স্ফটিক।

চুনি,সারডনিক্স,রক্তপ্রবাল।

মুক্তা,মুনস্টোন,স্ফটিক।

প্রবাল,পোখরাজ,চুনি,মুক্তা।

গোমেদ,গারনেট,হীরা।

পোখরাজ, টোপ্যাজ,পীতমুক্তা।

নীলা,এমিথিসট,পোখরাজ,হীরা।

প্রবাল,পোখরাজ,চুনি,মুক্তা।

ক্যাটসআই,মুনস্টোন,স্ফটিক।

হীরা,জারকন,স্ফটিক।

চুনি,সারডনিক্স,রক্তপ্রবাল।

মুক্তা,মুনস্টোন,স্ফটিক।

প্রবাল,পোখরাজ,চুনি,মুক্তা।

গোমেদ,গারনেট,হীরা।

পোখরাজ, টোপ্যাজ,পীতমুক্তা।

নীলা,এমিথিসট,পোখরাজ,হীরা।

পান্না,ওনেকস,জেট,পোখরাজ।

ইংরেজি জন্মমাস অনুযায়ী রত্নাদি ধারন - যাদের কোষ্ঠী অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলী নেই,এমনকি জন্মরাশিও জানা নেই অথবা জন্মকুণ্ডলী তৈরি করার কোন সম্ভাবনা নেই,যারা শুধুমাত্র তাদের ইংরেজি জন্মমাসটাই জানেন,তারা নিম্নলিখিত

ইংরেজি জন্মমাস অনুযায়ী রত্নধারন করবেন।এটি পাসচাত্তমত অনুযায়ী রত্ন ধারন বিধান।

ইংরেজি জন্মমাস

১) জানুয়ারি মাসে জন্ম হলে

২)ফেব্রুয়ারি মাসে জন্ম হলে

৩)মার্চ মাসে জন্ম নিলে

৪)এপ্রিল মাসে জন্ম নিলে

৫)মে মাসে জন্ম নিলে

৬)জুন মাসে জন্ম নিলে

৭)জুলাই মাসে জন্ম নিলে

৮)অগাস্ট মাসে জন্ম নিলে

৯)সেপেম্বের মাসে জন্ম নিলে

১০)অক্টোবর মাসে জন্ম নিলে

১১)নভেম্বর মাসে জন্ম নিলে

১২)ডিসেম্বর মাসে জন্ম নিলে

রত্নাদি ধারন

প্রবাল ধারন করবেন।

এমেথিস্ট ধারন করবেন।

একোয়ামেরিন ধারন করবেন।

হীরা ধারন করবেন।

পান্না ধারন করবেন।

সুলেমান ধারন করবেন।

মানিক্য ধারন করবেন।

গোমেদ ধারন করবেন।

নীলা ধারন করবেন।

মুক্তা বা মুনস্টোনধারন করবেন।

পোখরাজ ধারন করবেন।

বৈদূর্যমনি ধারন করবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180713134653

Thursday, July 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শুক্র-মঙ্গল যুতি

শুক্র-মঙ্গল যুতি

মঙ্গল শুক্র যুতি
মঙ্গল হলো অগ্নির গুনবিশিষ্ট আর শুক্র হলো বায়ু তত্বের। ।। যাদের জন্মোছকে এই মঙ্গল শুক্র যুতি দেখা যায় তারা জীবনে মোটামুটি ফল পান । এ ধরণের মানুষদের ঈর্ষণীয় সামাজিক অবস্থানে অধিষ্ঠিত হতে দেখা যায় অর্থাৎ তারা উচ্চ পদে আসীন হন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি হন । এরা যেখানেই যাক না কেন তারা সবসময়েই প্রিয় হন সব্বার কাছে । এরা বিজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবী হন এবং এদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে অঙ্ক,ইঞ্জিনীয়ারিং,বাণিজ্য তে পারঙ্গম হন।

এছাড়াও মঙ্গল শুক্র যুতি ব্যক্তি কে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে এবং জাগতিক আকাঙ্খা ও যৌনক্ষুধা নিবারণ পূর্ণ করার চেষ্টা বেশি দেখা যায় । বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক এদের মধ্যে হামেশাই লক্ষণীয় । জুয়ার প্রতি,লটারির প্রতি,ফটকা রোজগারের প্রতি আসক্তি দেখা যায় এদের মধ্যে । এছাড়াও এদের মধ্যে অধার্মিকতা,অনৈতিকতা,লোভ,প্রতারণা,প্রবঞ্চনা,অর্থের অপব্যয় ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায় । এইসমস্ত খারাপ গুন থাকা সত্বেও এরা কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় যথেষ্ট প্রতিভার পরিচয় দিয়ে থাকে, বিভিন্ন রকম কলা বিষয়ক এ পারদর্শী হয় ,সম্পদ ও পাণ্ডিত্য তে এরা সৌভাগ্যশালী হয় । এরা যথেষ্ট কৌশলী ও ভদ্র হয় আচার ব্যবহারের দিক থেকে । সাধারণত এই যুতি খারাপ ফল নিয়ে আসে যদি ১ম,২য়,৫ম,৭ম,৮ম, আর ১২ তম ঘরে অবস্থান করে ।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180712080216

Thursday, July 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মহালক্ষী যন্ত্রম

মহালক্ষী যন্ত্রম

শ্রী যন্ত্রম্ বা মহালক্ষী যন্ত্রম্

জীবনে লক্ষ্মীলাভ করতে কে না চায় ! কিন্তু সমস্যা হল‚ লক্ষ্মী বড় চঞ্চলা | শুধুই বেরিয়ে যেতে চান ঘর থেকে | তাই‚ শাস্ত্র মতে কিছু উপায় আছে‚ যাতে লক্ষ্মীদেবী ঘরে থাকেন | কোনও প্রামাণ্য কিছু না থাকলেও দেওয়া হল সেই সব টোটকা | যে গুলো মেনে চললে ঘরে থাকবেন ধনসম্পত্তির দেবী |

ঘরে রাখা যেতে পারে কুবেরের মূর্তি | হিন্দু মতে‚ কুবের হলেন অর্থের দেবতা | তিনি রক্ষা করেন অর্থ ভাণ্ডার | তাই‚ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আসনে রাখতে হবে কুবের-মূর্তি |

সাধারণ নারকেলের থেকে বেশ কিছুটা ছোট এক রকমের নারকেল পাওয়া যায় | বলা হয় শ্রীফল | এর পুজো করলেও সন্তুষ্ট হন লক্ষ্মীদেবী | পাশাপাশি পুজো করা যেতে পারে ‘ এক চোখ’ ওয়ালা নারকেলের | সাধারণ ‘তিন চোখো’ নারকেলের বদলে এই নারকেলের একটাই মাত্র চোখ |

রুপোর লক্ষ্মী-গণেশ তো বটেই | নিত্যপুজো করা যেতে পারে পারদের লক্ষ্মী মূর্তিরও | পারদের লক্ষ্মী-মূর্তি বিরল হলেও দুর্লভ নয় | এছাড়া‚ আলমারির সামনে রাখা যেতে পারে রুপোর তৈরি লক্ষ্মীর ‘পা-ও’ | তবে খেয়াল রাখতে হবে‚ রুপোর পদযুগল যেন আলমারির দিকে মুখ করে রাখা হয় |

বলা হয়‚ সমুদ্রমন্থনের সময় উঠে এসেছিলেন লক্ষ্মী দেবী | তাই বিশ্বাস করা হয়‚ সমুদ্র থেকে পাওয়া কড়ি ঘরে রাখলে লক্ষ্মীদেবী সেখানে অধিষ্ঠিত হন | কড়ি দিয়ে লক্ষ্মীকে বেঁধে রাখার মতো আর কী !
‚ ‘শ্রী যন্ত্র’ বা মহালক্ষী যন্ত্র শুক্লা পক্ষের সপ্তমী তিথি তে হোম করে প্রান প্রতিষ্ঠা করে পুজোর ঘরে ইশান কোনে রাখলে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয় | আর অর্থ-বৃদ্ধি ছাড়া শ্রী বৃদ্ধি তো অর্থহীন |

পদ্মে থাকেন বলে লক্ষ্মীর আর এক নাম পদ্মা বা কমলা | সেই পদ্মবীজ ঘরের জন্য শুভ | পদ্মবীজের মালা ঠাকুরঘরে রাখলে লক্ষ্মীদেবীও নাকি সেখানে থাকতে ভালবাসেন |
বীজমন্ত্র:শ্রীং লক্ষীদেবৈই নমঃ
লাং ইন্দ্রায় নমঃ
ইং কুবেরায় নমঃ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180712074841

Tuesday, July 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্ম নক্ষত্রের ফল

জন্ম নক্ষত্রের ফল

আপনার জন্ম নক্ষত্র কি তা জানেন কি? ২৭টী নক্ষত্রের যেকোন ১টীতে জন্ম হয়। তার ফলাফল বিভিন্ন রকমের।

জন্ম নক্ষত্র ফল
১। অশ্বিনী- অশ্বিনী নক্ষত্রের অধকর্তা কেতু। এই নক্ষত্রে জন্ম জাতকহয় বুদ্ধিমান, মেধাবী,তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন এবং নিজের চেষ্টায় জীবনে উন্নতি করে। প্রথম জীবনে বিদ্যা লাভ হয়। মধ্যবর্তী জীবনে কিছু কষ্টে ও ব্যায়ের মধ্যে দিয়ে ভাল বসতি করে। কর্ম ক্ষেত্র শুভ হয়। অনেকে তাকে মান্যকরে নেতৃত্ব করতে পারে। আত্মীয় স্বজনদের জন্য চিন্তা থাকে। সন্তান প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়। দাম্পত্যক্ষেত্র মধ্যম। জীবনে মাঝে মাঝে হঠাৎ উন্নতি আসে। মাঝ বয়েসে বা শেষ বয়েসে কয়েক বছর ব্যায়বাহূল্যে কিছুটা কষ্টপেতেও পারে।
২। ভরণী– ভরনী নক্ষত্রের অধিকর্তা শুক্র। এদের জীবনে শুভাশুভ মিশ্র ভাব এ কাটে। এরা পরিশমী কমহয়, তবে মেধা খাটিয়ে কর্ম পরিচালনা দ্বারা জীবনে উন্নতি করিতে পারে। জীবনে সুযোগ মন্দ পায়না। জীবনের প্রথম দিকে অশুভভাবে কাটে। মধ্য বয়েস থেকে শুভ ভাব চলে। তখন অর্থ সঞ্চয় করলে শেষ জীবন সুখে কাটে। অর্থ বেশী অপচয় করলে বেশী বয়েসে আর্থিক দূশ্চিন্তায় ভোগে। দাম্পত্য জীবন বেশী সুখের নয়।
৩। কৃত্তিকা- কৃত্তিকা নক্ষত্রের অধিকর্তা রবি। এরা যথেষ্ঠ পরিশ্রমী হয়। স্পষ্ট সত্যকথা বলতে ভালো বাসে।এদের জীবনে মাঝে মাঝেই বাধাবিঘ্ন আসে। অনেকেই এদের ভুল বোঝে। জীবনে অনেক বাধা বিঘ্ন আসলেও শ্রম দ্বারা এরা উন্নতি করতে সফল হয়। মাঝে মাঝে পাড়া প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে অন্যের প্রতি ভাল কাজ করলেও যশ বা প্রতিদান কম পায়। দাম্পত্যক্ষেত্র মোটামুটি শুভ।
৪। রোহিনী- রোহিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। চন্দ্রের প্রকৃতি কিছুটা এদের মধ্যে থাকে। এরা শান্তিপ্রিয় এবং সবকিছু সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে করতে চায়। লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। অনেক সময় এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রিয় হয়। এরা সরল লোক ভালবাসে। নানা কাজে পার্গত হয়।
৫। মৃগশিরা-মৃগশিরা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা ধীর স্থির কিন্তু কোন অন্যায় দেখলে এদের মাথা গরম হতে পারে। এদের মধ্যে মাঝে মাজে একটু দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেকে এদের শ্রদ্ধা করে। এবং এরা মিশুকে হয়। এদের জীবনে মাঝে মাঝে কর্মোন্নতির শুভ যোগ আসে। কিন্তু আত্মীয় ও পরিবেশ থেকে মনে আঘাত পায়।
৬। আদ্রা- আদ্রা নক্ষত্রের অধিকর্তা রাহু। এদের নিজ শ্রমদ্বারা উন্নতি করার চেষ্টা থাকে। তবে কাজে সফল হয়না। আকস্মিক প্রাপ্তিযোগথাকে। মানসিক চাঞ্চল্য ও দূশ্চিন্তার ভাব থাকে। দাম্পত্যক্ষেত্র শুভনয়। মাঝে মাঝে নানা রোগ ভয়।
৭। পুনর্বসু- পুনর্নবসু নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এরা মেধাবী হয় ও জীবনে উন্নতি করিতে পারে। প্রচুর সন্মান ও অর্থ লাভ করে থাকে। প্রায়ই মানসিক শান্তি ও আনন্দে থাকে। ভাই বোনদের জন্য কিছু চিন্তা হতে পারে। অনেকের বন্ধুত্ব ও সাহায্য লাভ করে। ব্যাবসা ও চাকরি দুটোই শুভ।
৮। পুষ্যা- পুষ্যা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনি। এরা খুব ধার্মিক হয়। সংসারে আসক্তি কম থাকে। আধ্যাত্মিকভাব প্রবল হয়। মনুষ্যের মঙ্গল করতে ভালো বাসে। এদের মধ্যে যোগ জ্যোতিষ আধিভৌতিক প্রভৃতির দিকে আকর্ষণ থাকে। ভাগ্য শুভ, কর্মলাভ অর্থলাভ ও নানা দিকে উন্নতি হয়। গুরুজন ব্যাক্তিদের জন্যে চিন্তা থাকে।
৯। অশ্লেষা- অশ্লেষা নক্ষত্রর অধিপতি বুধ। এদের জীবনে সব সময় দ্বিধাও দ্বন্দ্ব ভাব থাকে দ্বিমনা ভাবের থাকে। অনেক কাজ শুরু করে শেষ করতে পারেনা। তাই জীবনে অতৃপ্তি আসে। তবে শ্রম করলে উন্নতি হবেই। দাম্পত্য শুভ হয়। মাঝে মাঝে বাধা বিপত্তি ও চিন্তা হতাশায় জীবন উত্থান, পতন, হতেই থাকবে
১০। মঘা- মঘা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এরা খুব তেজী হয় এবং আত্ম অভিমান প্রবল হয়। এরা স্পষ্ট কথা বলতে ভাল বাসে। তাই অনেকের অপ্রিয় হয়। এদের মেধাশক্তি খুব উচ্চ নাও হতে পারে। মধ্যম ভাবে জীবন কাটে। নানা বাধার মধ্যদিয়ে উন্নতি হয়। কিন্তু সময়ে হতাশা দেখাদেবে। মনে আবেগ প্রবনতা থাকে।
১১। পুর্বফল্গুনী- পুর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র এরা মিষ্টিভাষী ও ধীর স্থির এবং একটুগম্ভীর প্রকৃতির হয়। যা করবে মন স্থির করে নেয় সময় বিশেষ কখন প্রকাশ করেনা। অন্যের সমালোচনা করে নির্ভীক ভাবে। ভয় কম থাকে। মাঝেসময়ে কিছু স্বার্থ ভাবদেখা যায়। নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে। এদের জীবনে শুভযোগ অর্থ, আনন্দলাভ,ও সাংসারিক দিকে উন্নতি হয়।
১২। উত্তরফল্গুনী- উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এরা খুব ভক্তিমান হয়। এবং ঈশ্বরের কৃপালাভ করে। এরা স্ত্রীর বশীভূত হতে পারে। সত্য ও সৎ পথে থেকেই এরা উন্নতিসাধন করে। জাতক সুহৃদয়শীল হয় অনেককে সাহার্য্যও করতে ভাল বাসে। এরা সৎবুদ্ধিযুক্ত এবং সদ্ভাবনার হয়।
১৩। হস্তা- হস্তা নক্ষত্রর অধিকর্তা চন্দ্র, এরা চোখের রোগ,বাত, পিত্তরোগ, সর্দিকাশি, প্রভৃতিতে কষ্ট পেতে পারে। এরা জ্ঞানী, বিচক্ষণ, বুদ্ধীমান, চতুর ও মেধাবী হয়। জাতক দীর্ঘায়ূহয়। পারিপার্শিক বাধা না এলে এরা বিরাট শিক্ষিত হয়। নিজ বুদ্ধির দ্বারা প্রচুরঅর্থ উপার্জন করে।
১৪। চিত্রা-চিত্রা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা সত্যবাদী, বিচক্ষণ ও অল্পাহারী হয়। ছোটখাট রোগ ব্যাধি অনেক হয়। অর্থ উপার্জন করে মধ্যম। বহূ কুটুম্ব থাকে। ক্ষমতাশালী হলেও একটু অলস হয়। স্থূলকপাল লোম যুক্তদেহ। দাতের রোগের ভয়।এরা মাঝে মাঝে জণসাধারনের প্রিয় হয়। কখন আবার অপ্রিয় হয়। উত্থান পতনের মধ্যদিয়ে জীবন। তবে এদের তেজ ও সাহস থাকে মনের জোর প্রচুর।
১৫। স্বাতী- স্বাতী নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মধ্যে শান্তভাব থাকবে। তবে কখন বা হঠাৎ করে রেগে ওঠে। এদের কপালস্থূল, দ্বাতা,সুবুদ্ধিমান, সৎপরামর্শ দাতা, বিদ্বানহয়। এরাধনবান হলেও মনে বৈরাগ্য ভাব থাকে। এরা হয় শুরেশ, দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ। সন্তানদের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে।
১৬। বিশাখা- বিষাখা নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের মাথাভার মাথাব্যাথা, পিত্তরোগ হতে পারে। এরা হয় দেবভক্ত, সত্যবাদী, এবং জিতেন্দ্রিয়। ধার্মিক ভাব থাকে প্রায়ই জ্ঞাণী হয়। অজীর্ণরোগ হয়। মোটামুটি সন্দেহ যুক্ত, কামী হয়। তবে এরা নিজ চেষ্টাদ্বারা ধনীহয়। এদের হৃদয়ে সদ্ভাবনা প্রচুর থাকে। কারো সঙ্গে ঝমেলা পছন্দ করে না। তবে রেগে গলে মাথা খুব গরম হয়।
১৭। অনুরাধা- অনুরাধা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনিদেব। এদের দেহ শ্যামবর্ণ হয়, এরা খুবগভীর ও দয়ালু প্রকৃতির হয়। ধর্মে মতি থাকে। চেষ্টাকরলে যথেষ্ঠ জ্ঞাণলাভ করতে পারে। এদের পেটের বা লিভারের রোগ হয়। এরা সুদেহী, কামভাব বেশি। শ্রমদ্বারা ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। মনন শীলতা থাকে, তবেঅব্যয় খরচ দেখলে মাথাগরম হয়।
১৮। জেষ্ঠা- জেষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা বুধ, এরা খুব দয়ালু হৃদয়বান থাকে।‌ চেষ্টাকরলে এরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। বাতরোগ পিত্তরোগ মাথার রোগ হতে পারে। এদের মধ্যে অল্প বয়েসে বেশী বুদ্ধির বিকাশ হয় এরা খুব বাস্তববাদী ও শ্রমশীল। তবে প্রচুর আয় করে গরীব দঃখীদের সাহার্য্য করে থাকে।
১৯। মূলা- মূলা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এদের কপালহয় গজের মতো। শীতলদেহ বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা গান বাজনা ভাল শিখতে পারে। এরা খুব আড়াম্বরপ্রিয় হয়। এদের বহূ আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। এরা প্রায়ই একটু কৃপণ হয়। সন্তানের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে। দাম্পত্য মধ্যম, এরা নিজ মনের কথা প্রায় লুকিয়ে রাখে।
২০। পূর্বাষাঢ়া-পূর্ব্বাষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র,এদের কপালস্থূল মতো। এরা লেখাপড়া ভাল শিখতে পারে। একটু আড়ম্বরপ্রিয় চোখ একটু রক্তাভ। এদের বহূত আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। একটু খরচী হয়। এরা গৌরবর্ণর শুচিবদন জাতক দীর্ঘায়ূ এবং বাবা মার প্রিয় হয়। বহূ লোকের ও আপন আত্মীয়র আশ্রয়দাতা হয়। তবে প্রশংসা কম পায়।
২১। উত্তরষাঢ়া- উত্তরষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এদের দেহ একটু স্থূল মতো মনে গর্বিত ভাব থাকে। জাতকের যশ লাভহয়। গান বাজনা ও শিল্পে পার্গত হয়। এদের অজীর্ণ উদারময় বাতরোগ লিভার রোগঅম্লরোগ দেখা দেয়। পিঠ একটু কুঁজো ভাব, এরা অনেকের শ্রদ্ধালাভকরে এবং সন্মানিত হয়। এদের কাছেথেকে সবাই সমান সাহায্য পায়না।
২২। শ্রবনা- শ্রবনা নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। এদের দেহ একটু কঠিন হয়। চাপা গজ কপাল, শ্যামবর্ণ হয়। এদের বাতরোগ, লিভাররোগ, অম্ল, অজীর্ণ, রোগ হয়। চোখ একটু রক্তাভ হয়। এরা বেশ সু-রসিকহয়। পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান শ্রমদ্বারা জীবনে উন্নতি করে। খরচা বেশী করতে চায় না।
২৩। ধনিষ্ঠা- ধনিষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা গৌরবর্ণ ধার্মিক ও দেবভক্ত হয়। পেটেররোজ ও অজীর্ণ রোগ হয়। উপার্জন মধ্যমহয়। মন খুব চঞ্চল, খেতে ভাল বাসে। মাঝে সময়ে ভ্রমনে খুশী হয়। অনেক সময় ধনী ও দাতাহয়। মাঝ বয়েস থেকে সুখী হয় প্রথম জীবনে সংগ্রাম।
২৪। শতভিষা- শতভিষা নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মন বেশ পবিত্র এবং সত্যনিষ্ঠ হয়। জীবনে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে। শ্যামবর্ণ হয়। এদের আমবাত এলার্জি স্নায়বিক ও চোখেররোগ হয়। এরা বিবেকি এবং বৈরাগ্য ভাবের হয়। শেষ জীবনে সন্ন্যাস ধর্ম লাভ করিতে পারে। ব্যাবহার মধুর তবে স্বভাব চাপা।
২৫।- পূর্বভাদ্রপদ- নক্ষত্র অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের কপাল প্রশস্ত নাসা উন্নত হয়। দেহ তাম্রবর্ণ। বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা পরোপকারী এবং দয়ালু প্রকৃতির হয়। রূপ সুন্দর হয়, রাজভক্ত রাজসেবক হতে পারে। জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন যেমন করে তেমন খরচও অত্যাধিক করে। গৃহ নির্মাণ যোগ আছে। জাতক বিদ্বানও হয়।
২৬। উত্তরভাদ্রপদ- উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র অধিকর্তা শনিদেব। এরা গৌরবর্ণ ও রূপবান হয়। গম্ভীর ভাব থাকে,সরকারী কাজ করলে প্রচুর উন্নতি করে। এরা নির্জনতা পছন্দ করে যাদুবিদ্যা, জ্যোতিষ, গভীর জ্ঞাণের পুস্তকপাঠ প্রভৃতি ভাল বাসে। হালকা ভাব সদায় পছন্দ করে। এদের মন বাইরে বোঝা কঠিন।
২৭। রেবতী নক্ষত্র অধিকর্তা বুধ। এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, গৌর বর্ণ জ্ঞাণী মানী এবং বিরাট যশস্বী হতে পারে। এদের কেশ দীর্ঘ ও কাম ভাব বেশী থাকে এবং একাধিক নারীতে আকৃষ্ট হতে পারে। এরা বাইরে হালকা স্বভাব কিন্তু ভিতরে ভীষণ চতুর। মাঝে মাঝে দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেক সময় খেয়ালের বশে অনেক কাজ করে । বৃদ্ধি ও শিল্পী কাজে এরা প্রচুর উপার্জন করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180710085215

Tuesday, July 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অশ্বনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

অশ্বনী নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য

অশ্বনী নক্ষত্র:
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে ২৮ নক্ষত্রের প্রথমটি যুগ্নতারা , যাদেরকে সৈন্ধান্তিকরা শুধু অশ্বিদ্বয় বা অশ্বিনী নামে চিহ্নিত করলেও , প্রাচীন ঋগ্বেদএর ঋষিরা যাদেরকে 'নাসত্য' ও 'দস্র' এবং 'অশ্বিদ্বয়' বা 'অশ্বিন' উভয় নামেই ডাকতো । আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে এই নক্ষত্রের যোগতারা শরাতন (বীটা অ্যারিয়েটিস) এবং অন্য তারা মেসার্থিম (গামা অ্যারিয়েটিস)।

অশ্বিনী নক্ষত্রের ভবিষ্যতবাণী

১)আপনি বেশ উদ্যমী এবং সক্রিয় প্রকৃতির হবেন। উপরন্তু, আপনি সবসময় উদ্দীপনা পূর্ণ থাকবেন। সাধারণ জিনিস আপনাকে তৃপ্ত করতে পারবে না এবং আপনি সবসময় বড় কিছু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। দ্রুত সবকিছু শেষ করা আপনার অভ্যাস হবে। গতি, শক্তি, এবং সক্রিয়তা আপনার মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। যদি আপনার মনে কোন ভাবনা আসে তাহলে আপনি সেটিকে বাস্তবায়িত করা নিশ্চিত করুন। আপনি অত্যন্ত খেলোয়ারসুলভ এবং বুদ্ধিমান। আপনার সেরা গুণ হল আপনি দ্রুত সবকিছু বুঝে নেওয়ার পর অভিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। চারিত্রিকভাবে আপনি বেশ রহস্যময়, যা আপনাকে ধর্ম, অতিলৌকিক, এবং গূঢ় মত কোন কিছুতে আগ্রহী করে তোলে। আপনি বেশ নির্ভীক ও সাহসী, কিন্তু রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা আপনার জন্য আবশ্যক। শত্রুরা কোনো গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারবে না, কারণ আপনি স্বাভাবিকভাবেই জানেন কিভাবে তাদের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। ক্ষমতা, চাপ, বা যেকোন জিনিস আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না; শুধুমাত্র ভালবাসা এবং স্নেহ আপনাকে জিততে পারে। চেহারার দিক থেকে, আপনি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রিত; যিনি কখনো কোনো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেন না। প্রতিটি সিদ্ধান্ত যা আপনি নেবেন তা আপনার গভীর বিশ্লেষণের ফল হবে; এবং একবার আপনি কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে, আপনাকে সেই সিদ্ধান্ত থাকে নাড়ানো সহজ হবে না। অন্যের প্রভাবে আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার এটা আপনার প্রকৃতি নয়। আপনি খুব ভাল করেই জানেন কিভাবে আপনার কাজ সম্পন্ন করবেন। এইসব ছাড়াও আপনি একজন অসাধারণ বন্ধু তা প্রমাণিত হবে। আপনি আপনার প্রিয়জনের জন্য যা কিছু করতে পারেন। যদি আপনি দেখেন কেউ কষ্ট পাচ্ছে তাহলে আপনি তাকে সাহায্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যেকোন কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না কেন আপনি শান্ত থাকবেন এবং আপনার ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে। ঐতিহ্যের একজন সাধক হওয়া সত্ত্বেও, আপনি আধুনিকীকরণকেও আলিঙ্গন করবেন। এই সব ছাড়াও, আপনি আপনার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন এবং সামলে রাখার চেষ্টা করবেন।

২)শিক্ষা এবং আয়

আপনি একজন অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত হবেন। এটির অর্থ হল, আপনি প্রায় সবকিছু বিষয় সম্পর্কে জানবেন। কর্মজীবনে শিক্ষাক্ষেত্র আপনাকে সেরা জায়গায় পৌঁছে দেবে। এছাড়াও আপনি ওষুধ, নিরাপত্তা, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রকৌশল, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদির মত অন্যান্য বিভাগেও কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন। এমনকি দর্শন ও সঙ্গীতও বিশেষভাবে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সেখানে আয়ের অনেক উৎস থাকতে পারে। 30 বছর বয়স পর্যন্ত আপনার জীবনে অনেক ওঠানামা সম্ভব।

৩)পারিবারিক জীবন

আপনি আপনার পরিবারকে খুব ভালবাসবেন। তবে, বাবার সঙ্গে সামান্য কলহ সম্ভব। তা সত্ত্বেও, মায়ের দিকের আত্মীয় সবসময় আপনার পাশে দাঁড়াবে এবং পরিবারের বাইরের মানুষের কাছ থেকে সাহায্য পাবেন বলে আশা করা হয়। আপনার বিবাহিত জীবন অত্যন্ত সুখী হবে। আপনি মেয়ের তুলনায় ছেলে সন্তান বেশি পাবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180710084324

Monday, July 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জ্যোতিষশাস্ত্রে নক্ষত্র ,গন,দশা বিচার

জ্যোতিষশাস্ত্রে নক্ষত্র ,গন,দশা বিচার

জ্যোতিষশাস্ত্রে নক্ষত্র ,গন,দশা বিচার

যে বারটি রাশির কথা আগে বলা হয়েছে, সে গুলি বেষ্টন করে ২৭ টি নক্ষত্র রয়েছে। ৩৬০ ডিগ্রিতে যদি ২৭ টি নক্ষত্র থাকে তবে এক একটি নক্ষত্রের ব্যপ্তি ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে অর্থাৎ মেষরাশির শুরু থেকে ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট অন্তর পর পর একটি করে নক্ষত্র রয়েছে। নক্ষত্রগুলির নাম ও সংখ্যা হ'ল - অশ্বিনী (১); ভরণী (২); কৃত্তিকা (৩); রোহিণী (৪); মৃগশিরা (৫); আর্দ্রা (৬); পুনর্বসু (৭); পুষ্যা (৮); অশ্লেষা (৯); মঘা (১০); পূর্বফাল্গুনী (১১); উত্তরফাল্গুনী (১২); হস্তা (১৩); চিত্রা (১৪); স্বাতী (১৫); বিশাখা (১৬); অনুরাধা (১৭); জ্যেষ্ঠা (১৮); মূলা (১৯); পূর্বাষাঢ়া (২০); উত্তরাষাঢ়া (২১); শ্রবণা (২২); ধনিষ্ঠা (২৩); শতভিষা (২৪); পূর্ব্বভাদ্রপদ (২৫); উত্তরভাদ্রপদ (২৬); রেবতী (২৭)।

এই ২৭ টি নক্ষত্রের প্রত্যেকটির একটি করে অধিপতি গ্রহ আছে। এই গ্রহগুলির ক্রম হ'ল - কেতু, শুক্র, রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, রাহু, বৃহস্পতি, শনি ও বুধ। অর্থাৎ ১ম নক্ষত্র অশ্বিনীর অধিপতি গ্রহ কেতু; ভরণী নক্ষত্রের অধিপতি গ্রহ শুক্র; কৃত্তিকার অধিপতি রবি - এই ভাবে চলে ৯ নং নক্ষত্র অশ্লেষার অধিপতি উপরি উক্ত ক্রমে ৯ম গ্রহ বুধ। এরই পুনরাবৃত্তি হবে। অর্থাৎ ১০ নং নক্ষত্র মঘার অধিপতি আবার কেতু, পূর্ব্বফাল্গুনীর শুক্র - এই ভাবে চলে ১৮ নং নক্ষত্র জ্যেষ্ঠার অধিপতি আবার ৯ম গ্রহ বুধ। এই নিয়ম অনুযায়ী মূলার ( ১৯ নং নক্ষত্র ) অধিপতি কেতু এবং সবশেষে রেবতীর ( ২৭ নং নক্ষত্র ) অধিপতি বুধ।

প্রাচীন জ্যোতিষী সত্যাচার্যের মতে , একটি নির্দিষ্ট ঘটনা কখন ঘটবে সেটা বের করার জন্য ঐ ঘটনার সঙ্গে সম্বন্ধ যুক্ত গ্রহ কোন নক্ষত্রে অবস্থান করছে সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ| আগেই বলা হয়েছে এক একটি নক্ষত্রের বিস্তৃতি ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ করে। অতএব মেষের প্রথম ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ অশ্বিনী নক্ষত্রের স্থান; পরের ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ ভরণী নক্ষত্র। মেষের ( মোট ৩০ ডিগ্রি ) আর বাকি রইল ৩ ডিঃ ২০ মিঃ। এই ৩ ডিঃ ২০ মিনিট ও পরের রাশি বৃষের ১০ ডিগ্রি এই মোট ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ পরের নক্ষত্র কৃত্তিকার স্থান। এই ভাবে এগোলে বোঝা যায়, প্রতিটি রাশিতে ৩ টি করে নক্ষত্র পড়েছে। কোন জাতকের কোষ্ঠিতে কোন গ্রহ কোন নক্ষত্রে আছে সেটা এখন বোঝা সহজ। ধরা যাক কারও জন্ম সময়ে রবি মেষের ১০ ডিগ্রিতে অবস্থান করছে। তবে তার রবি আছে ১ নং অশ্বিনী নক্ষত্রে। যদি কারও বৃহস্পতি সিংহের ২০ ডিগ্রিতে থাকে, তবে তার বৃহস্পতির অবস্থান ১১ নং পূর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্রে। এই ভাবে সব গ্রহের নক্ষত্রসংখ্যা বের করতে হবে। কোনও একটি কোষ্ঠী পরীক্ষা করলে, গ্রহের উপরে যে সংখ্যাগুলির উল্লেখ দেখা যায় সেটা হল নক্ষত্রসংখ্যা। প্রতিটি নক্ষত্রের বিস্তৃতি ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট। এটাকে ৪ ভাগে ভাগ করলে প্রতিটি ভাগ ৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে নক্ষত্রের এক একটি পাদ ; অর্থাৎ প্রতিটি নক্ষত্রকে ৪ টি পাদে ভাগ করা যায়, প্রতি পাদের বিস্তৃতি ৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে।

নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব সম্বন্ধে জ্যোতিষশাস্ত্রে সবিস্তারে কিছু বলা নেই। তবে একটি গ্রহ যে নক্ষত্রে আছে, রাশিচক্রে তার অধিপতির অব্স্থান ও গুণাগুণের উপর নির্ভর ক'রে অনেক সময়েই বিচার করা হয়। কোন কোন জ্যোতিষী মুলতঃ নক্ষত্রের উপরে নির্ভর করেই ফলাফল বলেন। এটাই নক্ষত্র জ্যোতিষ (stellar astrology)।

গণ নির্ণয়

বিয়ের ব্যাপারে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়। পাত্র বা পাত্রীর কি গণ? গণ তিন রকম হয়। দেবগণ, নরগণ, দেবারিগণ বা রাক্ষসগণ। কি গণ সেটা নির্ভর করবে পাত্র বা পাত্রীর কোষ্ঠীতে চন্দ্র কোন নক্ষত্রে রয়েছে তার উপরে। চন্দ্র যে যে নক্ষত্রে থাকলে ঐ তিন গণ হয় সেটা নীচে দেওয়া হল।

দেবগণ - অশ্বিনী, মৃগশিরা, পুনর্বসু, পুষ্যা, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, শ্রবণা ও রেবতী।
নরগণ - ভরণী, রোহিণী, আর্দ্রা, পূর্বফাল্গুনী, উত্তরফাল্গুনী, পূর্ব্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, পূর্বভাদ্রপদ ও উত্তরভাদ্রপদ।
রাক্ষসগণ - কৃত্তিকা, অশ্লেষা, মঘা, চিত্রা, বিশাখা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, ধনিষ্ঠা ও শতভিষা।

৪র্থ অনুচ্ছেদে চিত্র ২(ক) তে দেখান জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র ৯ নম্বর নক্ষত্রে রয়েছে। ৯ নম্বর হল অশ্লেষা নক্ষত্র। অতএব এই জাতকের গণ হল রাক্ষসগণ।

বিংশোত্তরী দশা নির্ণয়

প্রতিটি মানুষ জন্মের সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত কয়েকটি দশা অন্তর্দশা ইত্যাদি ভোগ করে। এগুলির এক একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কোন সময়টা কেমন যাবে, সেটা শুধু তার কোষ্ঠিতে গ্রহের অবস্থানের উপর নির্ভরশীল নয়। সেই সময়ে কোন দশা অন্তর্দশা সে ভোগ করছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রহ শুভ বা অশুভ থাকলেও একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া সেগুলি ঠিক সেভাবে ফল দেয় না। জ্যোতিষশাস্ত্রের বইতে অনেক রকম দশার কথা বলা আছে - বিংশোত্তরী, অষ্টোত্তরী ইত্যাদি। এদের মধ্যে বিংশোত্তরী দশাই অধিকাংশ জ্যোতিষী মেনে চলেন বলে সেটাই এখানে ব্যাখ্যা করা হবে।

প্রথমেই জানতে হবে যে প্রতিটি গ্রহের জন্য একটি দশাকাল নির্দ্দিষ্ট আছে। সেগুলি হল - কেতু ৭ বছর, শুক্র ২০ বছর, রবি ৬ বছর, চন্দ্র ১০ বছর, মঙ্গল ৭ বছর, রাহু ১৮ বছর, বৃহস্পতি ১৬ বছর, শনি ১৯ বছর ও বুধ ১৭ বছর। সব গুলি সময় যোগ করলে মোট হয় ১২০ বছর। সেই জন্যই এই দশা পদ্ধতির নাম বিংশোত্তরী।

এই দশা নাক্ষত্রিকী, অর্থাৎ জন্ম সময়ে চন্দ্র যে নক্ষত্রে অবস্থান করছে তার উপর নির্ভর করেই দশা নির্ণয় করা হয়। একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক। ধরা যাক, কোনো ব্যক্তির জন্মসময়ে চন্দ্র মকর রাশির ২৮ ডিগ্রিতে অবস্থান করছে। তা হলে চন্দ্র ২৩ নং ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে অবস্থিত। এখন জানা আছে ২৩ নং নক্ষত্র ধনিষ্ঠার অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। অতএব বুঝতে হবে ঐ ব্যক্তির মঙ্গলের দশায় জন্ম।

মঙ্গলের মোট দশাকাল ৭ বছর। এই ৭ বছরের কতটা সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এবং আরও কতটা সময় তাকে ভোগ করতে হবে (balance of dasha) সেটা বের করতে হবে। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র মকরের ২৩ ডিঃ ২০ মিঃ থেকে আরও ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ অর্থাৎ কুম্ভের ৬ ডিঃ ৪০ মিঃ অবধি বিস্তৃত। যেহেতু চন্দ্র মকর রাশির ২৮ ডিগ্রিতে অবস্থিত, অতএব সেটা ধনিষ্ঠার ৪ ডিঃ ৪০ মিঃ পথ জন্মের আগেই অতিক্রম করে এসেছে। আর বাকি থাকে ( ১৩ ডিঃ ২০ মিঃ - ৪ ডিঃ ৪০ মিঃ ) ৮ ডিঃ ৪০ মিঃ পথ। চন্দ্রের দশা যেহেতু ১০ বছর; তা হলে ১৩ ডিঃ ২০ মিনিটের জন্য ১০ বছরের ধার্য হলে, ৮ ডিঃ ৪০ মিনিটের জন্য কত সময় ? সেটা দাঁড়াবে ৪ বছর ৬ মাস ১৮ দিন। অতএব সেই জাতকের মঙ্গলের দশায় জন্ম এবং তার ভোগ্য দশা ( balance of Mars dasha ) মঙ্গলের ৪ বছর ৬ মাস ১৮ দিন। মঙ্গলের দশা কেটে গেলে তার পর ভোগ্য রাহুর দশা - যেটা হল ১৮ বছরের। এই ভাবে পর পর চলবে।

অন্তর্দ্দশা ও প্রত্যন্তর্দ্দশা গণনা

এক একটি দশার সময়কাল বেশ দীর্ঘ। এর মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে। সেইজন্য একটি দশাকে আরও ভাগ করা হয়। একে বলে অন্তর্দ্দশা। যে কোনো গ্রহের অন্তর্দ্দশা সেই গ্রহ থেকে শুরু হয়। উদাহরণ স্বরূপ মঙ্গলের অন্তর্দ্দশা এইরকম - মঙ্গল-মঙ্গল; মঙ্গল-রাহু; মঙ্গল-বৃহস্পতি; মঙ্গল-শনি; মঙ্গল-বুধ; মঙ্গল-কেতু; মঙ্গল-শুক্র; মঙ্গল-রবি ও মঙ্গল-চন্দ্র। বোঝাই যাচ্ছে এই অন্তর্দ্দশাগুলি গ্রহের ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী ঘুরে আসছে। উক্ত প্রতিটি অন্তর্দ্দশার একটা সময়সীমা আছে। সেটা হিসাব করা খুব সহজ। বিংশোত্তরী দশার মোট ১২০ বছরের মধ্যে মঙ্গলের জন্য নির্দ্দিষ্ট ৭ বছর। অতএব মঙ্গল-মঙ্গল অন্তর্দ্দশার সময় ( ৭x৭ ) / ১২০ বছর বা ৪ মাস ২৭ দিন। মঙ্গল-রাহু অন্তর্দ্দশার সময় কত ? রাহুর জন্য নির্দ্দিষ্ট ১৮ বছর, অতএব মঙ্গল-রাহু হবে ( ৭x১৮ ) /১২০ বছর বা ১ বছর ১৮ দিন। এইভাবে এগোতে হবে। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে কোনো জন্ম-কুণ্ডলী তৈরী করে দশা-অন্তর্দ্দশা নির্ণয়ের জন্য এত হিসাব করার প্রয়োজন নেই। সবই chart করে ephemeris এ দেওয়া আছে। সেখান থেকে দেখে নিলেই হ'ল।

এই অন্তর্দ্দশারও আবার বিভাগ আছে। সেগুলি হ'ল প্রত্যন্তর্দ্দশা, সূক্ষদশা ও প্রাণদশা। উপরের উদাহরণ অনুযায়ী, মঙ্গল-মঙ্গল এর প্রন্ত্যন্তর্দ্দশা হবে মঙ্গল-মঙ্গল-মঙ্গল, মঙ্গল-মঙ্গল-রাহু, মঙ্গল-মঙ্গল-বৃহস্পতি ইত্যাদি। ঠিক অন্তর্দশা বের করার নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যন্তর্দ্দশাও অনায়াসেই বের করা যেতে পারে। মঙ্গল-মঙ্গল-মঙ্গল-এর প্রত্যন্তর্দ্দশা কত সময়ের ? মঙ্গল-মঙ্গল অন্তর্দশা মোট ৪ মাস ২৭ দিন। অতএব মঙ্গল-মঙ্গল-মঙ্গল-এর সময়কাল হবে ( ১৪৭ দিন x ৭/১২০ = ৮ দিন ১৩ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট)। এইভাবে মঙ্গল-মঙ্গলের বাকি প্রত্যন্তর্দ্দশা বের করা যেতে পারে। নীচে সেটা দেওয়া হ঑ল। মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

মঙ্গল-মঙ্গল-মঙ্গল = ৮ দিন - ১৩ ঘঃ - ৪৮ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-রাহু = ২২ দিন - ১ ঘঃ - ১২ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-বৃহস্পতি = ১৯ দিন - ১৪ ঘঃ - ২৪ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-শনি = ২৩ দিন - ৬ ঘঃ - ৩৬ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-বুধ = ২০ দিন - ১৯ ঘঃ - ৪৮ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-কেতু = ৮ দিন - ১৩ ঘঃ - ৪৮ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-শুক্র = ২৪ দিন - ১২ ঘঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-রবি = ৭ দিন - ৮ ঘঃ - ২৪ মিঃ
মঙ্গল-মঙ্গল-চন্দ্র = ১২ দিন - ৬ ঘঃ
সব গুলি যোগ করলে মোট ১৪৭ দিন হবে।
একই ভাবে এর পরের অন্তর্দশা অর্থাৎ মঙ্গল-রাহুর প্রন্ত্যন্তর্দশাও বের করা যেতে পারে।

অনেক জ্যোতিষী শুধুমাত্র অন্তর্দ্দশা অবধি বের করেন; আবার কেউ কেউ প্রত্যন্তর্দ্দশাও গণনা করে থাকেন। তবে কোন ঘটনা ঘটার সময় নির্ভুল ভাবে বের করতে হলে, প্রত্যন্তর্দ্দশা বের করাই যুক্তিযুক্ত। এর পরের ভাগ গুলি গবেষণার কাজে ব্য্বহার করা ছাড়া বাস্তবে খুব প্রয়োজনীয় নয়। তবে প্রত্যন্তর্দশা বের করে ফল নির্দেশ করতে হলে জন্ম সময় অবশ্যই নির্ভুল ভাবে জানা থাকা দরকার। কোন ব্যক্তির জন্ম সময় যেটা পাওয়া যায়, অনেক সময়েই সেটা নির্ভুল নয়। সঠিক জন্ম সময় ঠিক কোন ক্ষণ সেটা নিয়ে মতভেদ তো আছেই; তা ছাড়াও জন্ম মুহূর্ত অনেক ব্যস্ততার মধ্যে প্রায়ই ঠিক ভাবে লিখে রাখা হয় না এবং যে ঘড়ি ধরে সময় লেখা হচ্ছে, সেটা নির্ভুল ভাবে চলতে নাও পারে। মনে রাখতে হবে ৪ মিনিট সময় কম বেশীর জন্য লগ্ন ১ ডিগ্রি পিছিয়ে আসতে বা এগিয়ে যেতে পারে। সেই জন্য অভিজ্ঞ জ্যোতিষীরা অতীতের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা থেকে জন্ম সময় সংশোধন (rectification of birth time) করে নেন। তারপর সেই সংশোধিত জন্ম সময় ধরে ভবিষ্যতের ফল নির্দেশ করেন। তবে এর জন্য যথেষ্ট পারদর্শিতা প্রয়োজন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180709114340

Monday, July 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি নিয়ে কিছু কথা

শনি নিয়ে কিছু কথা

আজ শনিদেবের নিয়ে কিছু কথা জেনে রাখুন।
শনিদেব বন্ধ্যা, শীতল, স্থির, শুষ্ক, কঠিন ও নীরব গ্রহ। শনি পুরানো, দীর্ঘ সূত্রীতার বা বিলম্বকারক গ্রহ। অশুভ শনি অনেক সময় হতাশা সৃষ্টি করে থাকে।অসন্তোষ,ঝঞ্ঝাট, বাধা,বিষাদ, নিরানন্দময়তা দুর্বল বা পীড়িত শনি সৃষ্টি করে থাকে।

জেনে নিন শনির ভাল গুণাবলি হচ্ছে, শ্লথ,অধ্যবসায়, ধৈর্য সহকারে কাজ করা। বিচক্ষণতা, মিতব্যয়িতা, সঞ্চয়শীলতা, কর্তব্যপরায়নতা এই গুলিও শনির শুভ গুণ।

শনি গড়ে এক একটি রাশিতে আড়াই বছর করে অবস্থান করে। শনি গরমের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাই সে মেষে নীচস্থ এবং তুলাতে উচ্চস্থ।

শনি সূর্যদেবের পুত্র হলেও নানা বিষয়ে পিতা সূর্যদেবের সঙ্গে আদর্শগত ভাবে মতভেদ বা বিরোধ রয়েছে। আর মতভেদের কারণ কিন্তু একটাই।বলা হয়ে থাকে পিতা সূর্যদেব তার অফুরন্ত আলো, তাপ, জীবনীশক্তি, সকলকে সমান ভাবে দান করে চলেছেন, শনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। শনি এই ব্যপারে বাদ সেধেছেন। তাঁর যুক্তি, যার যেমন কর্ম তার প্রাপ্য যেন সেই মতো মেটানো হোক। শনিকে বলা হয়ে থাকে মৃত্যুর কারক, ধ্বংসের কারক। শনি ক্রমাগত বহমানতার কারক। শনি প্রতিরোধকারী গ্রহ। কাঠিন্য, গোপনীয়তারও কারক। শনি নীচজাতির বা নীচু চিন্তার বা ভাবের গ্রহ। শনিকে যবন, ম্লেচ্ছ বা পাপগ্রহ বলা হয়।
শনি আবার রক্ষণশীল, যোগী, ন্যায়নিষ্ঠা এবং বিচারকের কারক। শনি জনতা বা গণতন্ত্রের কারক।

নীচস্থ বা অশুভ শনি মানুষকে অলস তৈরী করে।অশুভ শনির জাতক কাজ শুরু করতে দেরি করে। জন্মছকে শনির প্রভাব বেশী থাকলে জাতক/জাতিকার জীবনে উন্নতি হতে দেরী হয়। প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয়। কিন্তু একবার প্রতিষ্ঠা পেলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

জন্মছকে সপ্তমে শনি বেশী বয়সে বিয়ে করায়। জাতকের পায়ে কোনোরূপ সমস্যা দেখা যায়।
শনি হতাশার গ্রহ, অনুশোচনার গ্রহ। কাজ পণ্ড করার গ্রহ। শোকের কারকও শনি, উদ্বেগের কারকও শনি।

পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শনি স্মৃতিলোপের কারকও বটে। শনি দাঁত ও হাড়ের গ্রহ। শনি বাধা বিপত্তির কারক।
শনি খুব শক্তিশালী গ্রহ। যখন ভাল ফল দেয় তখন সাধকের ভূমিকায়, যোগীর ভূমিকায় দেখা যায়।

শনি কখনও অলসতা,চিটিংবাজী, ফাঁকিবাজি পছন্দ করে না। যেটুকু কাজ করে, তার মধ্যে কোনও খামতি থাকে না। নিরেট কাজ করে। শনি অপেক্ষা করতে শেখায়, ধৈর্য ধরতে শেখায় ও কষ্টকর পরিশ্রম করতে শেখায়। শুভ শনি প্রাপ্য দিতে দেরি করে না।

শনি আয়ুর কারক. অষ্টমে শনি আয়ু বৃদ্ধিকরে।
শনিকে কেউ কেউ বলে স্বর্গদ্বারের প্রহরী। শনি আমাদের যত রকম পারফেকসান আছে তার কারক। শনি শুদ্ধ না করে কাউকে স্বর্গে প্রবেশ করতে দেয় না। যত রকমের সংযম বা কন্ট্রোল আছে, তার কারক শনি। শনি শুভ থাকলে কখনওই বিশ্বাস ভঙ্গ হতে দেয় না।

শনি মানেই ‘ইনহিবিট’-আস্তে আস্তে ছাড়ে, পরিশ্রম বুঝে ফল দান করে। যে ভাবে বা রাশিতে শনি অবস্থান করে সেই ভাবে ফল দিতে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন, পঞ্চম ভাবে শনি থাকলে সন্তান থেকে কোনও না কোনও অসুবিধা সৃষ্টি করবেই। দেরীতে সন্তান বা সন্তান উৎপাদনে বাধা দিয়ে থাকে।

শনি খনি, গহ্বর, কবরখানা, কূয়ো, চাষবাস, পাহাড় গিরিপথ, গুপ্তস্থান ইত্যাদি নির্দেশ করে।
শনি মানেই শেষ বয়স। শনির রোগ দাঁতের ব্যথা, যে কোনও হাড়ের রোগ, হাঁটুর ব্যথা, যে কোনও আর্থারাইটস মানে শনি। আসন্ন মৃত্যু, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে, জীবনী শক্তি ক্ষীণ মানেই শনি নেপথ্যে।

শনির দু’টি রাশি মকর এবং কুম্ভ। মকরে শনি খুব কষ্ট কিন্তু কুম্ভে শনি অনেক প্রসন্ন। শনির তিনটি নক্ষত্র পুষ্যা কর্কটে, অনুরাধা বৃশ্চিকে, আর উত্তরভাদ্রাপদ মীনে।

শনির জাতকের ভুরু ও চোখের ব্যবধান খুব কম থাকতে দেখা যায় অনেক সময়। এরা কমবেশি কানের রোগে ভোগে। ইউরিক অ্যাসিড, নিউমোনিয়া, বাত, অপুষ্ঠি ও রক্তচলাচলে বাধা, বুকে সর্দি বসে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা– এ সব শনির আওতায়। তবে জন্মছক বিচার করে শনি শুভ না অশুভ তার উপর শনির শুভ বা অশুভ ফলের মাএা নির্ভর করে।
জয় শনিদেব।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180709112607

Sunday, July 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মীন রাশির বৈশিষ্ট্য

মীন রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ):

আপনি যদি কোন মীনকে ভোট গুণতে দেখেন কিংবা ব্যাংক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের ডেস্কের পেছনে বসে থাকতে দেখেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনি দুর্লভ সেই মাছটিকেই দেখেছেন। একটা স্খানে অনেক সময় ধরে বসে থাকার বাধ্য-বাধকতা অধিকাংশ মীনই সইতে পারে না। আধ্যাতিক উন্নয়ন সাধনের আখড়া, আর্ট গ্যালারি, মসজিদ কিংবা মন্দিরে তার খোঁজে গেলে তাকে পাবার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। কনসার্ট কিংবা নাইটক্লাবেও তাকে পেতে পারেন। লেখকদের আলোচনা সভায়, নাট্য মঞ্চের পেছনে কিংবা কোন ইয়টে রৌদ্রস্নানরত অবস্খায়ও তাকে পেতে পারেন।

এরকম স্রোতময় জীবনের গতিতে তাকে পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। যতো বেশি শৈল্পিক এবং সৃষ্টিশীল পরিবেশ হবে, এবং যতো বেশি অবসর এবং দুর্বোধ্য পরিবেশ হবে ততো বেশি মীনকে আপনি তেমন স্খানে খুঁজে পাবেন। ককটেইল পার্টিতে কিংবা কোন আনন্দ উৎসবে আপনার জাল রঙিন ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠবে বিচিত্র আর ঝলমলে সব মীন অর্থাৎ মাছে। আপনার জালে কিছু বিখ্যাত নারী মীনও ধরা পরতে পারে।

নেপচুন-শাসিত মানুষগুলোর মধ্যে পার্থিব আকাáক্ষা তেমন একটা নেই। তাদের অধিকাংশের মধ্যেই পদবী, ক্ষমতা, নেতৃত্ব বা ধন-সম্পদের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ দেখতে পাবেন না। বিয়ের সূত্রে কিংবা উত্তরাধিকার সুত্রে না পেলে মীনদের মধ্যে কাড়ি কাড়ি টাকাওয়ালা মানুষ তেমন একটা নেই। তাই বলে টাকার বিরুদ্ধে তাদের কোন ক্ষোভ নেই। যেসব পুরোনো কয়েন আপনি আর ব্যবহার করেন না সেগুলো সে আনন্দ সহকারে গ্রহণ করবে। কিন্তু আমাদের আর সবার চেয়ে ধন সম্পদের ক্ষণস্খায়িত্বের ব্যাপারে তারা অনেক বেশি সচেতন।

“আমি মিলিয়নিয়ার হতে চাই না, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে পারলেই যথেষ্ট,” - একথা যেই বলে থাকুক না কেন, এটা যে মীনের জীবনদর্শনকে প্রতিফলিত করে সেটা নিশ্চিত। নেপচুনসুলভ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যে কোন হৃদয় সাধারণত লোভহীন। তাদের মধ্যে তীব্রতার অভাব লক্ষ্য করা যায়, এবং ভবিষ্যতের ব্যাপারে তারা প্রায় পরোয়াহীন। অতীত সম্বন্ধে তাদের মধ্যে চেতনালব্ধ জ্ঞান রয়েছে। বর্তমানকে শান্তচিত্তে মেনে নেবার ক্ষমতা রয়েছে। উপরের স্রোতের সাথে যুদ্ধ করাটা সত্যিকার মাছ কিংবা আমাদের মীন উভয়ের জন্যেই কষ্টকর। তাদের জন্যে অনেক সহজ বরং স্রোত যেদিকে তাদের বয়ে নিয়ে যায় সেদিকেই ভেসে যাওয়া।

কিন্তু স্রোতের প্রতিকূলে বা উজানের দিকে যাওয়াটাই মীনদের পথে একমাত্র চ্যালেঞ্জ এবং সত্যিকার শান্তি ও সুখ অর্জনের একমাত্র পন্থা। এই রাশির মানুষগুলোর জন্যে সহজ পথটাই একটা ফাঁদ। বড়শির রুপালি টোপটা তাদের আকৃষ্ট করে, কিন্তু টোপের নিচে যে তীক্ষî হুক রয়েছে সেটা তারা দেখতে পায় না - ফলে নিজেদের জীবনটাকে উচ্ছন্নে দিয়ে দেয়।

মীনদের আচরণ, আর তাদের অলসতাপূর্ণ ভালোমানুষি আপনার খুব ভালো লাগবে। নিজেদের স্বপ্ন এবং জীবন যাপনের ব্যাপারে নিজস্ব অনুভব ও উপলব্ধিগুলোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছাড়া অন্য সব বাধার ব্যাপারেই তারা খুবই নির্লিপ্ত। অপমান, অপবাদ, ঝগড়া-বিবাদ এসব ব্যাপারেও তারা নির্লিপ্ত। একজন মীনকে বলুন যে সমাজটা দুর্নীতি দিয়ে ছেয়ে গেছে, সরকার পতন ঘটছে, বায়ু দুষণের এমনই অবস্খা যে এবার আমাদের বাঁচার আর কোন পথ নেই এবং পৃথিবী ধ্বংসের সম্মুখীন। সে হাই তুলবে, মিষ্টি করে হাসবে এবং দায়সারা গোছের সহানুভূতিশীল একটি দৃষ্টি দেবে।

খুব সামান্য কিছু ব্যাপারই তাদের মধ্যে মারাত্মক ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। তাই বলে যে মীন একদম নিরীহ তাও নয়। তারও মেজাজ আছে। কোনভাবে তার রাগ চড়ে গেলে, সে তীব্রভাবে শ্লেষাত্মক, এবং চতুরভাবে বিদ্রুপাত্মক হয়ে উঠতে পারে। বিরক্তিকর মনোভাব এবং ক্রোধাত্মক অনুভূতি জেগে উঠলে নেপচুন­শাসিতরা ঠিকই তার বহি:প্রকাশ করে। তবে মীনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষেরা সাধারণত তেমন একটা বিবাদের মধ্যে যায় না, আর নেপচুনের শান্ত বাতাসও তাদের রাগ, ক্রোধ মুছে দিয়ে যায়। মীনদেরকে তাদের ক্রোধ প্রদর্শনে বাধ্য করা আর একটা পাথরের মতো শান্ত লেকের মাঝে ছুড়ে ফেলা একই রকম ব্যাপার। লেকের জলে সেটা কিছু রিপলের জন্ম দেবে ঠিকই, কিন্তু দ্রুতই সেটা আবার শান্ত আর স্খির হয়ে উঠবে।

মীনদের সাথে সাক্ষাতের প্রথমেই তাদের পা দুটো লক্ষ্য করে দেখুন। সেগুলো লক্ষ্যণীয়ভাবে ছোট এবং সুন্দর হবে (পুরুষদের পায়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)। কিংবা সেগুলো যথেষ্ট লম্বা হবে এবং ঘর-দোর পরিষ্কার করা ক্লান্ত নারীদের মতো ছড়ানো থাকবে। মীনদের হাতগুলোও ছোট, দুর্বল এবং বেশ সুন্দর গঠনের হয়ে থাকে। নয়তো হাতের আকৃতি এতোই বড় হবে যে মনে হবে সেগুলো লাঙল নিয়ে চাষাবাদে অভ্যস্ত। তাদের ত্বক হয় মোলায়েম এবং মসৃণ। তাদের চুলগুলো বেশ সুন্দর, সাধারণত ঢেউ খেলানো এবং হালকা (অবশ্য সাদা চুলধারী মীনদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়)। মীনদের চোখ সবসময় টলমলে, তাদের পাপড়ি ঘন এবং মনে হয় যেন তাদের চোখ দিয়ে অনেক আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। তাদের চোখ সাধারণত গোলাকৃতি এবং খুবই আকর্ষণীয় হয়। কিছু কিছু মীনের চোখতো অপূর্ব সুন্দর। আর কোন শব্দ দিয়ে সে সৌন্দর্য বর্ণনা করা যাবে না। তাদের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবর্তনশীল।

তবে বয়সের রেখার থেকে তাদের মুখে টোল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। লম্বা আকৃতির মীন জাতক বা জাতিকা খুব বেশি নেই। নেপচুন-শাসিতদের উচ্চতা যেন একটু কমই দেয়া হয়েছে। তবে তাদের গঠনে এতো কমনীয়তা রয়েছে যে, উচ্চতার ব্যাপারটা মনে আসবে না। তারা হাঁটলে মনে হবে যেন তারা ভেসে যাচ্ছে। যেন তারা রুমের ভেতর দিয়ে কিংবা রাস্তা দিয়ে সাঁতার কাটছে। কখনও কখনও সত্যিই তারা সাঁতার কাটে। কিন্তু সাঁতার কাটার জলটা কোথায়? হয়তো কাছে ধারেই কোথাও, আর মাছ জলের প্রতিই আকৃষ্ট।

মীন সে হোক ফেরিঘাটের জেলে, কিংবা শিশু হাসপাতালের নার্স, তাদের প্রত্যেকের কাছেই জীবনটা একটা নাট্যমঞ্চ। মীনের চোখে এই মঞ্চের পুরোটা দৃশ্যই প্রতিফলিত হয় পলাতক এবং ক্ষণস্খায়ীত্বের সাক্ষ্যস্বরূপ। অধিকাংশ ঝড়েই নেপচুন-শাসিতরা প্রশান্ত সাম্য নিয়ে মুখোমুখি হয়। অসহায়ত্ব এবং নৈরাশ্যবোধ প্রায়শই তাদের মনে বাসা বাধে এবং অদ্ভুত ও অর্থহীন দু:স্বপ্ন তাদের অবচেতন মনের ভবিষ্যৎ চিন্তাগুলোকে প্রতিফলিত করে। মীনেরা যখন ভাবে যে কিছু একটা ঘটবে, তখন সাধারণত সেটা ঘটে যায়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180708091232

Sunday, July 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জেষ্ঠ‍্যা নক্ষত্রের বিবাহ ফলাফল

জেষ্ঠ‍্যা নক্ষত্রের বিবাহ ফলাফল

শুভ রাত্রি
জৈষ্ঠা নক্ষত্রের জাতক-জাতিকার বিবাহিত জীবন

জ্যোতিষ বিচারে গ্রহ, নক্ষত্রও রাশি এই তিনটে প্রধাণ যন্ত্রপাতি যার জ্যোতিষেরা ভূতভবিষ্যৎ ও বর্তমান বলে থাকেন। আকাশে অনেক নক্ষত্র,তার মধ্যে মাত্র ২৭ টি নক্ষত্র নিয়ে জ্যোতিষ বিচার হয়।

প্রতিটি রাশিতে তিনটি নক্ষত্র থাকে। আবার প্রতিটি নক্ষত্র কোন না কোন গ্রহের অধীন। যেমন অশ্বিনী, মঘা ও মূলা। এই তিনটি নক্ষত্রের অধিপতি কেতু। এই নক্ষত্রগুলির প্রথম অংশে কোন শিশুর জন্ম হলে খারাপ বলে ধরা হয়। আবার অশ্লেশা,জেষ্ঠা ও রেবতী নক্ষত্রে জন্ম হলে খুব খারাপ বলে বিবেচিত হয়।

জ্যোতিষে শিশুর জন্মের পর তার গণ্ডদোষ বিচার করার রেওয়াজ আছে। আশ্লেষা ও মঘার খারাপ অংশে জন্মালে রাত্রি গণ্ড বলে। কোনও শিশু জেষ্ঠা ও মূলার খারাপ অংশে জন্মালে দিবা গন্ড বলে। রেবতী ও অশিনীর খারাপ অংশে জন্মালে সন্ধ্যা গন্ড বলে। কোনও শিশু সকাল বা সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা গণ্ডের মধ্যে জন্মায়, তাহলে বেশ খারাপ। সন্ধ্যা গণ্ডে কোনও শিশুর জন্ম হলে সেই শিশুর পক্ষে খুব খারাপ, আবার রাত্রি গণ্ডে কোন শিশুর জন্ম হলে তার মার পক্ষে ভয়ঙ্কর খারাপ, ঠিক একইভাবে দিবা গন্ডে কোন শিশুর জন্ম তার পিতার পক্ষে বিপদজনক।

আমরা এখানে যে সব জাতক/জাতিকা জেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম তাদের বিবাহিত জীবন কতটা ক্ষতিকর সে বিষয় আলোচনা করব। কোন জাতক/জাতিকার বৃশ্চিক রাশিতে জন্ম হলে দেখতে হবে; তার জন্ম, জেষ্ঠা নক্ষত্রের অধিনে হয়েছে কিনা। বৃশিচক রাশিতে জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম বিবাহিত জীবনে নানা রকমের বিপদ ডেকে আনে। অশান্তিময় বিবাহিত জীবন নির্দেশ করে, নানা রকমের গন্ডগোল, মারধোর, থানা-পুলিশ, ঝগড়া-ঝাঁটি হয়ে শেষমেষ ডিভোর্সের দিকে এগিয়ে যায়। কোনও জাতিকার জেষ্ঠা নক্ষত্রে জন্ম হলে তার উচিত হবে না কোনও বাড়ীর জেষ্ঠ পুত্র বিবাহ না কড়া। অনেক ক্ষেত্রে এই সব জাতিকাকে বিধবা হতে দেখা যায় বা দাম্পত্য জীবনে ভয়ঙ্কর অসুখী হয়।

অনেক ক্ষেত্রে জেষ্ঠার জাতিকা নপুংসক স্বামী লাভ করে। বিবাহের অল্প দিন পর স্বামী মারা যায়। স্বামী অবৈধ যৌন জালে জড়িয়ে থাকে। যদি এসব কিছু না হয় তবু দাম্পত্য জীবন নানা কারণ ঘিরে বিষময় হয়ে থাকে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180708090422

Saturday, July 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

একাদশী পালন

একাদশী পালন

আজ আমি একাদশী বিষয়ে দুএকটি শাস্ত্রের কথা বলবো। মন দিয়ে পড়বেন।

** একাদশী সম্পকে হরি ভক্তি বিলাসে বলা হয়েছে....

" মাতৃহা পিতৃহা চৈব ভাতৃহা গুরুহা তমা।
একাদশ্যাস্তু যো ভুঙক্তে বিষ্ণুলোকচ্যুত ভবেৎ।।"
(স্কন্দ পূরাণ)

এর মানে হলো.. "একাদশী দিনে কোন ব্যক্তি আহার করলে বা কাউকে করালে সে মা হত্যাকারী, বাবা হত্যাকারী, ভাই হত্যাকারী ও গুরুদেব হত্যাকারী পাপী বলে পরিগনিত হয়। সে ব্যক্তি বিষ্ণুধাম হতে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। "

** বিষ্ণু ধমোত্তর:-

" ব্রহ্মচারী গৃহসেবা বানপ্রস্থোহথবা যতি।
একাদশ্যাং হি ভূঞ্জানো ভূ'ভক্তে গো-মাংস মেব হি।।"

---- এর মানে হলো," ব্রহ্মচারী, গৃহী, বানপ্রস্থ বা যতি, যে কেউই হউক না কেন, একাদশীতে কোন প্রকার আহার গ্রহণ করলে বা করালে তৎক্ষনাৎ গো মাংস খাওয়ার পাপ সঞ্চিত হয়।"....

**ভগবান বিষ্ণু আরো বলেছেন,

" ব্রহ্মঘ্নস্য সুরাপস্য স্তেয়িনো গুরুতল্পিনো।
নিষ্কৃতি ধরমো শাস্ত্রোক্তা নৈকাদশ্যাম্ম ভোজিন:।।"

এর মানে হলো, "শাস্ত্রে ব্রহ্মঘাতী, সুরপায়ী, তস্কর ও গুরুদারগামীরও তার পাপ থেকে নিস্কৃতির বিধান কথিত আছে। কিন্তু একাদশী তিথিতে যে ব্যক্তি আহার করে বা অন্য কাউকে করায় তার পাপের প্রায়চিত্তের কোন বিধান কোন শাস্ত্রে নেই।"

** সনৎকুমার সংহিতায় বলা হয়েছে,

" একাদশ্যাং মুনিশ্রেষ্ঠ শ্রাদ্ধে ভূঙক্তে নর যদি।
প্রতি গ্রাসং স ভূঙক্তে তু কিল্বিষং মূত্রবিন্ম্যাম।।"

এর মানে হলো, " একাদশী তিথি ও শ্রাদ্ধে আহার করলে বা অন্য কাউকে করালে প্রতিগ্রাসে মলমূত্রময় পাপ ভোজন করা হয়ে থাকে।"

** নারদীয় পূরাণে বলা হয়েছে,

"একাদশীং বিনা রস্তা যতিশ্চ সুমহাতপা।
পচ্যতেহ্যন্ধ তামিস্র যাবদাহুত সংপলবম।।"

এর মানে হলো " একাদশী নিজে না করলে বা অন্যকে না করালে তাকে আপ্রলয় অন্ধকার তামিস্র নরকে পচ্যমান হতে হয়।"

এখন আপনিই ভেবে দেখুন এখন থেকে আপনি একাদশীব্রত পালন করবেন কিনা বা আপনার প্রিয়জনের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে তাকে তামিস্র নরকে পাঠাবেন কিনা। আসুন আমরা সবাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদেশ অনুযায়ী প্রত্যেকটা একাদশীব্রত পালন করি এবং শ্রী গোবিন্দের চরণে স্থান লাভ করি।

আমার লেখায় কোন ভুল হলে বা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমায় ক্ষমা করে দিবেন।
।।জয় রাধে, হরে কৃষ্ণ।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180707080926

Saturday, July 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কুম্ভরাশির বৈশিষ্ট্য

কুম্ভরাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি):

কুম্ভদের স্মৃতিশক্তি যে খুব প্রখর সেটা বলা যাবে না। কিন্তু তাকে সবকিছু মনে রাখতেও হয় না আবার কোন স্মৃতিচারণের প্রয়োজনও তার তেমনভাবে পরে না। সে বরং খোলা বাতাস থেকেও তার জ্ঞান অর্জন করে, এবং কোথায় জ্ঞানলাভ করা যাবে সে নির্দেশনা পাবার জন্যে তার শরীরে নিশ্চয়ই কোন অদৃশ্য এন্টেনা লাগানো আছে। কেনই বা তারা অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিজেদের মস্তিষ্ক অহেতুক বোঝাই করে তুলবে, সে তো ইচ্ছে করলেই তথ্যগুলো বয়ে যাওয়া বাতাস থেকেই কুড়িয়ে নিতে পারে। মুদির দোকান থেকে দ্রব্য-তালিকার সবচে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটিই না কিনে সে বাসায় ফিরে আসবে।

কেননা, কোনটা কিনতে হবে, কী বাদ পড়লো এ ধরনের চিন্তা করা তার কাছে বিরক্তিকর এবং অপ্রয়োজনীয়। কুম্ভের স্বভাবসম্পন্ন জাতকেরা সেই কিংবদন্তী প্রফেসরেরই একটা নমুনা মাত্র। সেই প্রফেসরটিকে আমি চিনতাম। তার স্ত্রীর সাথে একদিন দুপুরে তার আসাদগেইটের আড়ং-এ দেখা করার কথা। কিন্তু আগেভাগে পৌছে যাওয়ায় অপেক্ষারত অবস্খায় এক পুরোনো বন্ধুর সাথে তার দেখা হয়ে গেল।

(কুম্ভরা সবসময়ই পুরোনো বন্ধুদের সাথে মিলিত হবার ব্যাপারে আগ্রহী। পার্বত্য চট্রগ্রামই হোক, কিংবা কেউকারাডং-এর গুহায় হোক, সব জায়গাতেই তার বন্ধুবান্ধব পাওয়া যাবে।) কুম্ভটি তখন বন্ধুর সাথে কথায় ডুবে গেছেন। তার স্ত্রী হাস্যউৎফুল্ল মুখে দৃশ্যগোচর হলেন। এবং তিনি যখন স্বামীর নিকটে এসে দাঁড়ালেন, তখন কুম্ভটি সম্মানসূচক টুপিটি একটু উঠিয়ে দিয়ে তার বন্ধুর হাতটি বগলে নিয়ে রাস্তায় হাটা ধরলেন। তিনি তখনও গল্পে ডুবে আছেন। এদিকে তার স্ত্রী ক্রোধে অন্ধ হয়ে আড়ংয়ের নীচে একা একা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।

ইউরেনাস জাতকদের মনোযোগী হয়ে ওঠার ক্ষমতা সত্যিই অসাধারণ। তারপরও তাদের চারপাশে কী ঘটছে না ঘটছে সবকিছুই তারা চাইলেই তাদের রাডারে ধরা পড়ে। তারা কোন আলোচনা চালিয়ে যেতে যেতেই পাশ্ববর্তী কক্ষে কী ঘটছে না ঘটছে সবকিছু সম্পর্কেই সজাগ থাকতে পারে অবশ্য যদি তাদের ইচ্ছে হয়। কখনও কখনও আপনি হয়তো গাল দিয়ে বলবেন যে কুম্ভটি আপনার একটা কথাও কানে তোলেনি, কিন্তু পরদিন টেপরেকর্ডারের মতোই আপনি যা যা বলেছিলেন সব কথা সে আপনাকে শুনিয়ে দিতে পারবে। কখনই কুম্ভদের চারপাশের পরিস্খিতির সবকিছু লক্ষ্য করার অবিদিত ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেখবেন না।

যদিও হয়তো মনে হবে যে তারা প্রায়ই বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়, এমনকি যখন তখন নিগূঢ় মনোযোগের মধ্যেই বিস্মৃত হয়ে যায়। যেমনটি আমার বন্ধু প্রফেসরটি তার স্ত্রীর মধ্যে খুন করার মতো রাগের জন্ম দিয়ে হেটে হেটে চলে গিয়েছিলেন।

কুম্ভ জাতক বা জাতিকা যাই চিন্তা করে সেসবের সাথে ভবিষ্যতের কোন না কোন যোগাযোগ রয়েছে। ইউরেনাস শাসিতদের অজানা ব্যাপার বুঝে নেবার অদ্ভুত ক্ষমতা এবং রহস্যাবৃত গোপনীয়তাগুলো জেনে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। তারা তাদের অনুমান দিয়েই এসব বুঝে নিতে পারে। আর অনুমানশক্তি তাদের মধ্যে একধরনের পূর্ব উপলব্ধির জন্ম দিয়ে দেয়। আমি এমন একজন কুম্ভকে চিনি যে ফোন বেজে ওঠার আগেই হ্যালো বলে ফেলে।

অনেক মানুষই আছে যারা রংধনুর মতো। বাচ্চারা তাদের জন্যে প্রার্থনা করে, শিল্পীরা তাদের ছবি আঁকে। স্বাপ্নিকরা তাদের পেছনে ছোটে। কিন্তু কুম্ভরা সবার থেকেই এগিয়ে। জীবনটা তার একবারই। আর এই একবারই তার সব। আর কী, সে এটাকে বুঝবে, বিভিন্ন আঙ্গিকে এর উপর গবেষণা চালাবে, অংশ অংশ করে, একটা একটা করে রঙ ঢেলে, এবং তারপরও এই এক জীবনের উপর তার দৃঢ় আস্খা বজায় থাকবে। কোন কিছু ঠিকমতো জানার পর সেটাতে বিশ্বাস বা আস্খা আনা সহজ, কিন্তু কুম্ভদের লক্ষ্য যদিও ভবিষ্যতের কোন অস্খির নীলাকাশের দিকে, তবুও তারা বাস্তববাদী।

কুম্ভ জাতক লুইস ক্যারোল এ্যালিসকে ওয়ান্ডারল্যান্ডে পাঠিয়ে যেমন উদভ্রান্ত করে তুলেছিলেন, তেমনি আপনাকে ইউরেনাস জাতকদের অনিশ্চয়তার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বভাবত শান্ত এবং ঠাণ্ডা প্রকৃতির এই কুম্ভরা প্রচলিত মতামত অমান্য করে আনন্দ পায়, এবং অধিকতর গতানুগতিক মানুষগুলোর সাথে হঠাৎ করে আকস্মিক ও খাপছাড়া আচরণ করে চমকে দিতে পছন্দ করে। সাধারণত বিনয়ী বক্তা এবং শিষ্টাচারী এই মানুষগুলো সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে সবচেয়ে অদ্ভুত কোন বক্তব্য বা আচরণ করে আপনাকে হতবাক করে দেবে। ইউরেনাসের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একজন সাধারণ জাতক হলো অর্ধেকটা আলবার্ট সুইটজার এবং অর্ধেকটা মিকি মাউস। সে পায়ে হয়তো স্যান্ডেল, বুট, খড়ম কিংবা পাইপ পরে থাকবে। কিন্তু কোন পরিস্খিতি বা অনুষ্ঠানে সে এটা পরছে সেদিকে তার লক্ষ্য তেমন একটা থাকবে না। সে হয়তো ইচ্ছে হলে খালি পায়ে কোথাও চলে যাবে, এবং তাকে দেখে আপনি হাসলে আপনার মুখের উপর সেও হেসে উঠবে।

মাঝে মধ্যে কুম্ভরা গতানুগতিকতার প্রতি কটাক্ষ প্রদর্শন করতে উদ্ভট পোশাক আশাক পরিধান করে।

আপনি এই স্খির, বায়ু-সূচক রাশিতে জন্ম নেয়া মানুষগুলোকে চিনতে পারবেন তাদের বহুল উচ্চারিত একটি শব্দের মাধ্যমে - ‘বন্ধু’। কুম্ভ জাতক ফন্স্যাংকলিন রুজভেল্ট আগুন পোহাবার স্খানটার পাশে আলাপচারিতা শুরু করতেন এভাবে, “বন্ধুরা আমার...”, এবং প্রেমে বিচ্ছেদের পর ইউরেনাসসুলভ প্রশ্নটি হচ্ছে, “আমরা কি এখনও বন্ধু থাকতে পারি না?” কুম্ভরা খুবই দক্ষ কিছুও নয় আবার সরল সোজাও নয়। তারা অত্যন্ত উজ্জীবিতও নয় আবার উদ্দীপনাহীনও নয়। সার্বক্ষণিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝোঁক তাকে প্রতিনিয়ত পরবর্তী রহস্যটি সমাধানের পথে ধাবিত করে। এবং পরবর্তী এই আকর্ষণটি হতে পারেন আপনি। যে মানুষটিকে দেখলে মনে হয় যে তার মন পড়ে আছে লক্ষ মাইল দূরে, কিংবা সে একটা অদৃশ্য মাইক্রোসকোপ দিয়ে আপনাকে খুঁচিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে সে আর কেউ নয় স্বয়ং কুম্ভ।

তার এই পরীক্ষা-নীরিক্ষা, অতি কৌতূহল এবং অন্যকে জানার প্রবল আকর্ষণ শেষ হলে অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি তার অকুণ্ঠ আগ্রহ জাগ্রত হয়। সেটা হোক গলির মোড়ের পুলিশ, কিংবা বারটেন্ডার, কিংবা হোটেলের পিয়ন, নাইটক্লাবের গায়িকা, কিংবা পাগলদের সাথে বসবাসকারী কোন ডাক্তার - কিংবা স্বয়ং আপনি - নিশ্চয়ই এটা আপনাকে একটা অস্বস্তি এবং হতাশায় নিমজ্জিত করবে।

মানুষের ব্যাপারে আস্খাটা কুম্ভদের মধ্যে স্বভাবসুলভভাবে উদিত হয় এমন ভাবার কোন কারণ নেই, অন্তত যতক্ষণ না সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আপনাকে যাচাই করে নিচ্ছে, এবং পারলে আপনার অন্তরটাকেও বুঝতে পারছে ততোক্ষণ। আপনার প্রতিটি শব্দ এবং আচরণের প্রতিই তার এই সূক্ষ্ম নিরীক্ষা হয়তো আপনাকে খুবই বিরক্ত করে তুলবে। আপনার হয়তো মনে হবে সে যেন ভবিষ্যতের জন্যে আপনার বৈশিষ্ট্যগুলোর একটা তালিকা গঠন করে রাখছে। ঠিক তাই। তাকে দেখলে হয়তো মনে হবে যে সে কোন স্বপ্নময় কুয়াশার মাঝে একটু পর পর হারিয়ে যায়, কিন্তু তাই বলে আপনি কি বিশ্বাস করেন না? সে হয়তো পরবর্তী কোন একদিন বলে দেবে আপনার চোখের পাতা কয়টি। আপনার কুম্ভটির কাছ থেকে কখনই প্রত্যাশা করবেন না যে সে আপনার রূপ দেখে পটে যাবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180707072750

Friday, July 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ প্রতিকারে মূল

গ্ৰহ প্রতিকারে মূল

মূলধারণ-বিধি
(মূল, ধাতু ও বর্ণ-বিবেক )
*গ্রহস্নান, গ্রহদান প্রভৃতি গৃহশাত্তি-বিধি :*

যাঁরা আর্থিক কারণে রত্ব বা উপরতনদি ধারণে অক্ষম, তাঁরা গ্রহশান্তি বিধানের জন্য বা বিরুদ্ধ গ্রহের প্রতিকারের নিমিত্ত মুলাদি ধারণ করতে পারেন|
তবে মূলধারণের সঙ্গে ঐ গ্রহের ধাতু ও বর্ণাদি শোভিত পরিচ্ছদ ও ব্যবহার করা বিধেয়।
প্রতিকারের নিমিত্ত মুলাদি ধারণ করতে ঐ গ্রহের ধাতু ও বর্ণাদি শোভিত পরিচ্ছদ ও
ব্যবহার করা বিধেয়।
*১)* রবিগ্রহ বিরুদ্ধ হ'লে

(১) *_প্রতিকারের বিধান_* : বিলব মূল ধারণ করতে হবে ৷ *পরিমাণ :* কমপক্ষে ১ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হওয়া আবশ্যক । মূলটি গঙ্গামৃত্বিকা,
যজ্ঞভস্ম, গঙ্গাজল দ্বারা শোধন করে নিতে হবে | তৎপরে লাল সুতোর দ্বারা কোমরে বা হাতে ধারণ করতে হবে ৷ যে কোন রবিবার বা মঙ্গলবার ধারণ করা যেতে পারে | তামার কবচে মূলটি ভবে ধারণ করা যেতে পারে।
(২) তৎসহ একটি তামার আংটি অনুরূপভাবে শোধন করে রবির আঙুলে
অনামিকায় ) পরতে হবে ।
৩) রক্তাভ ও বস্ত্রাদি বিছানার চাদর জানালার পর্দা ব্যবহার করতে হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180706070044

Friday, July 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মকর রাশির বৈশিষ্ট্য

মকর রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) :

সাধারণভাবে তরুন মকরদের বয়স্ক মকরদের থেকে বেশি তৃপ্ত বলে মনে হয়। এর পেছনে কারণও রয়েছে। চাইনিজ তরুণ মকররা তাদের পূর্বপুরুষ এবং বয়স্কদের নিজেদের আদর্শ বলে মনে করে। বয়স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে জ্ঞান অর্জিত হয় সেটার প্রতি শ্রদ্ধা শনি-শাসিত ব্যক্তিদের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত। তারা যখন বয়স্ক হয়ে ওঠে আর ‘সম্মানিত পূর্বপুরুষ’ এবং বয়স্ক মানুষগুলো তাদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে যায় তখন নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের বন্য কার্যকলাপ, উগ্রতা এই রক্ষণশীল মকরদের বিভ্রান্ত এবং ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। নিজেদের মাথা ঝাঁকিয়ে পুরনো দিনের কথা বিড়বিড় করতে করতে তারা বলতে শুরু করে, ‘ছ্যা! ছি!’ সৌভাগ্যজনকভাবে, তাদের মধ্যে অনেকেই এই নতুন চ্যালেঞ্জটাকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করতে সমর্থ হয়।

একজন বয়স্ক ধূসর চুলের মকর যখন আনন্দিতচিত্তে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে খেলা করে আর মনে মনে ভাবে শৈশবের সেই আনন্দমূখর দিনগুলো গম্ভীরভাবে কাটিয়ে দিয়ে কী সুখ থেকেই না বঞ্চিত হয়েছি­ তখন দৃশ্যটা সত্যিই উষä অনুভূতিদায়ক। বৃদ্ধ মকররা হয় হতাশ আর মুখগোমরা হয়ে উঠবে, নয়তো সুখিচিত্তে হাসি-আনন্দে, নৃত্যরসে তাদের সময় অতিবাহন করবে। আবার এই দুই দলের মাঝামাঝি একটি দল রয়েছে, যারা প্রচণ্ড হাসি চাপলেও মৃদু হাস্য ছাড়া আর কিছুই করবে না। আবার গান শুনলেও অতি আনন্দে উতলা হওয়া থেকে নিজেদের অহেতুক পিছু হটিয়ে রাখবে।

মকরদের খাড়া এবং সুন্দর আকৃতির নাকটাকে অন্যের ব্যাপারে গলতে দেখবেন না, দেখলেও সেটা কদাচিৎ। কিংবা শনি-শাসিত ব্যক্তিদের জিভটাকেও অন্যদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখবেন না। তবে মকরদের উপর মিথুন বা মীনের প্রভাব থাকলে, তাদের মধ্যে সামান্য পরিমাণে অন্যদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে আগ্রহ দেখা দিতে পারে। কিন্তু সাধারণত তারা নিজেদের ব্যাপারেই নিমগ্ন থাকতে বেশি পছন্দ করে। তারা হয়তো যেচে পড়ে আপনাকে পরামর্শ দিতে যাবে না, কিন্তু আপনি যদি স্বেচ্ছায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে কোন পরামর্শ শুনতে চান তাহলে তারা তাদের পরামর্শ দিতে মোটেও দ্বিধা করবে না। এবং তাদের প্রত্যাশা থাকবে এটা আপনি গ্রহণ করবেন।

মকররা দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ মেনে চলতে শিখেছে আর হতাশাকেও সহ্য করে থাকতে জানে। আপনি যদি তার উদাহরণ অনুসরণ করতে না পারেন তো ভুল কিভাবে সংশোধন করতে হয় সেসব শেখানোর জন্যে সে সময় নষ্ট করবে না। আর সমবেদনা জানানোর ক্ষেত্রেও তার আবেগ হবে ক্ষীণ।

যেহেতু ছাগলের প্রতীকধারী এই মকর জাতকরা খুব ভদ্রভাবে কোন একটা দলে নিজেদের অবস্খান করে নেয় আর নিজের অজান্তেই পেছনের সারিতে নিজেকে ঢেকে ফেলে সেহেতু এই রাশির জাতক-জাতিকাদের শারীরিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে চিনে ফেলাটা একটু দুরূহ। মকর হতে পারে চওড়া কাঁধ বিশিষ্ট এবং পুরুষালী। আবার চিকন কিন্তু শক্ত-সামর্থ। কিংবা নাদুস-নুদুস আর নরম। কিন্তু তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য যাই হোক না কেন, সে যেখানে থাকবে সেখানে শেকড় গেড়ে থাকার মতো একটা লক্ষণ তার মধ্যে দেখতে পাবেন।

অবশ্য যতক্ষণ না সে অন্য কোথাও আবার শেকড় গাড়তে না যাচ্ছে। সাধারণত শনি-শাসিত মানুষদের চুলগুলো হয় সোজা, রুক্ষ, কালো; তাদের চোখও কালো এবং ধীর-স্খির। তাদের গায়ের রঙ হয় শ্যামলা বা রোদে পোড়া। কিছু মকর পাবেন যাদের চুলগুলো কোঁকড়া আর সোনালী রঙের আর চোখগুলো নীল। কিন্তু মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করুন। এখন সৎ ভাবে মন্তব্য করুন দেখি, তাদের দেখে কি মনে হয় না যে কালো চুল আর কালো চোখ নিয়েই এদের জন্ম নেয়া উচিত ছিল? যদিও উক্তিটার কোন শক্ত ভিত্তি নেই, কিন্তু এটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মারলিন ডাইট্রেচের কথাই ধরুন। ড্রেসডেন-চায়না কমপ্লেক্সন তার গায়ের রঙ, চোখ দুটো সবুজ আর চুলগুলো সিল্কি। আরেকবার তাকান। খুব শান্ত চিত্তে তাকে লক্ষ্য করুন, তার প্রশান্ত আর সাবলীল সক্রিয়তা। তার গভীর আর নিচু কণ্ঠস্বরটি শুনুন। ব্যবসার ব্যাপারে তার সতর্ক বুদ্ধিমত্তা এবং তার পার্থিব আকাঙ্খার প্রতি নজর দিন। এ সব বৈশিষ্ট্যগুলো কি একজন কালো চুলের সাদা মানুষের সঙ্গে মিলে যায় না? এই সূক্ষ্ম সুত্রটি আয়ত্ত্বে আনুন। তাহলেই চেহারা দেখে মকর চিনতে আর ভুল হবে না।

শনি-শাসিত মানুষগুলোর মধ্যে বিষণíতার একটা ক্ষীণ আভাস আর গাম্ভির্যের সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। তাদের কেউই শনির প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। এ কারণে তাদের মধ্যে খুবই নিয়মানুবর্তিতা এবং আত্ম-অস্বীকৃতির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক মকরই শক্ত ও মজবুত পায়ের অধিকারী এবং তাদেরকে পায়ের উপযুক্ত জুতো পরতে দেখা যায়। তারা সুঠাম হাতের অধিকারী এবং তাদের কণ্ঠস্বর প্রশান্ত। আপনি হয়তো তাদের মধ্যে তোষামুদে ভদ্র আচরণ এবং প্ররোচণাময় ব্যবহার লক্ষ্য করবেন। মকরদের দেখলে মনে হবে তারা যেন মখমলের কাঁথার মতোই নিরীহ। কিন্তু কাঠের টুকরোর উপরে চোখা তারকাটার মতোই তারা রুক্ষ।

তারা অবিরত, অবিরাম অপমান, চাপ এবং হতাশার বোঝা হজম করে চলে। ঠিক যেমনিভাবে ছাগলগুলো টিনের ক্যান, ভাঙা গ্লাস থেকে শুরু করে কার্ডবোর্ডও হজম করে ফেলে। মকরের মতোই ছাগলদেরও একটা লৌহ পাকস্খলি রয়েছে। রয়েছে বিপজ্জনক শিং-ও। যখন উৎফুল্লচিত্ত হাসি-খুশি বর্হিমূখি মানুষগুলো এখানে-ওখানে তাদের শক্তিক্ষয় করে বেড়ায়, তখন মকর তার স্খান থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবে না। তারা বরং তাদের স্বভাবসুলভ আস্খা নিয়ে ধীরে-সুস্খে উপরের দিকে উঠতে থাকে। শর্ট-কাট পথগুলোতে বিভিন্ন প্রতিকুলতা দেখে তাদের অনুকম্পা হয়। বরং তারা পদচারণায় মুখর পথে চলতেই অধিক নিরাপত্তাবোধ করে।

মৃদু হাওয়া ছাড়া আর সবকিছুই মকরের চরিত্র বুঝতে পারবে। আপনি এই রাশির জাতক/জাতিকাদের চেনার শিক্ষাটা পাবেন কিন্তু তার আগে আপনার একটু প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কোণার ওই শান্ত মাকড়সাটার দিকে নজর দিন। দ্রুত গতির উড়ন্ত পোকাগুলোর সঙ্গে লড়াই করার কোন ক্ষমতাই তার নেই। কিন্তু তার ধূর্ততার সঙ্গে বোনা জালে এসে পোকাগুলো ঠিকই ধরা পড়ে আর মাকড়সাটারই জয় হয়। এ্যাসপের কচ্ছপটির কথা স্মরণ করুন, ছন্দময় গতি নিয়ে যে দৌঁড় প্রতিযোগিতায় নেমেছিল।

শনি-শাসিত মানুষগুলোর মধ্যে বৃদ্ধ বয়সটা একটা হুমকিস্বরূপ। এমনকি কিশোর মকরটিও তার চাচা করিমউদ্দিন মিয়া এবং চাচি হাজেরা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যাবে। কেননা, এই প্রিয় স্বজনগুলোকে তার ভালো লাগে এবং তারা পরিচিত জন। তাছাড়া তাদের জমানো কিছু প্রাইজবন্ড এবং কিছু সহায়-সম্পত্তিও তো থাকতে পারে। কেউ নিশ্চয়ই এমন চান না যে তার কোন আত্মীয় নিজের সহায়-সম্পত্তি সব পোষা কুকুর­ নিজামীর নামে উইল করে দিয়ে যাবে। আপনি হয়তো ভাবছেন এরকম চিন্তা­ভাবনা মানবতাহীন এবং হিসাবী মনের পরিচয় দেয়। কিন্তু মকরের কাছে এটাই বাস্তবতা। মকরের দরজায় সুযোগ একবার কড়া নাড়লেই যথেষ্ট। সে প্রথমবারেই সেটা শুনে ফেলবে। বস্তুত, সে দরজার দিকে ঝুঁকেই থাকে, কান পেতে থাকে আর অপেক্ষা করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180706065715

Friday, July 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নীচস্থ গ্ৰহের প্রতিকার

নীচস্থ গ্ৰহের প্রতিকার

নীচস্থ গ্রহের প্রতিকার

নীচস্থ গ্রহ প্রতিকারে দামি রত্ন না ধারণ করে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি ব্যবহার করেও গ্রহ প্রতিকার করা যায়।

জ্যোতিষের মাধ্যমে জন্মছক তৈরী করে প্রথমেই দেখতে হবে কোন কোন গ্রহ নীচস্থ। যে গ্রহগুলি নীচস্থ শুধুমাত্র তারই প্রতিকার নিতে হবে। নীচে যে যে গ্রহের প্রতিকার উল্লেখ আছে তা ৪৩ দিন ধরে করতে হবে। নীচে বলা আছে বিভিন্ন দ্রব্যাদি দান করতে, সেখানে গরীব সৎ লোককে দান করা যেতে পারে বা স্রোতের জলে বা নদীর জলে ফেলা যেতে পারে বা ধর্মীয় মন্দিরে নিবেদন করা যেতে পারে।

(১) নীচস্থ বৃহস্পতির প্রতিকারঃ ছোলা বা চানা, মুসুর ডাল বা সোনা দান।

(২) নীচস্থ রবির প্রতিকারঃ গম বা লাল বর্ণের তামা দান।

(৩) নীচস্থ চন্দ্রের প্রতিকারঃ দুধ নদীর জলে নিক্ষেপ বা রূপা দান।

(৪) নীচস্থ শুক্রের প্রতিকারঃ দই বা সাদা মাখন নদীতে নিক্ষেপ বা শ্বেতমুক্ত দান।

(৫) নীচস্থ মঙ্গলের প্রতিকারঃ গায়েত্রী পাঠ করা বা যে কোন লাল দ্রব্য দান, মুসুর ডাল দান বা লাল চুণী বা লাল প্রবাল দান।

(৬) নীচস্থ বুধের প্রতিকারঃ দুর্গার পট বা ছবি দান, মুগ ডাল দান বা পান্না দান।

(৭) নীচস্থ শনির প্রতিকারঃ লৌহ দান বা কয়লা দান বা মাস কলাই দান বা চর্মজাত দ্রব্যাদি দান।

(৮) রাহুর প্রতিকারঃ সর্ষে দান বা নীলা দান বা কুমারী পূজা।

(৯) কেতুর প্রতিকারঃ সাদা বা কালো তিল দান বা সাদা বা কালো কম্বল দান।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180706063152

Wednesday, July 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে মঙ্গল গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে মঙ্গল গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে মঙ্গল গ্রহের ফলাফল
১) মঙ্গল লগ্নভাবে থাকলে জাতক নির্ভীক চর্মরোগী, ক্রোধী ও কার্য‍্য কারণে নিন্দিত হয়।
২) মঙ্গল ধনভাবে দ্বিতীয়তে থাকলে ---লোভী প্রবাসী ভোগী ও মন্দ বুদ্ধি যুক্ত হয়। অশুভ মঙ্গল আর্থিক স্থিতিতে বিঘ্নকারক হয় ।
৩) মঙ্গল ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় থাকলে---
জাতক পরাক্রমী সুখী রাষ্ট্রীয় মর্যাদাশীল কিন্তু ভ্রাতার বিষয়ে অশুভ ফলদায়ক হয়।

৪) মঙ্গল মাতৃভাবে বা চতুর্থ থাকলে ---জাতক মর্যাদাশীল ধনবান প্রবাসী সাংসারিক অসুখী হয়। মানসিক কষ্ট ভোগ করে।
৫) মঙ্গল সন্তান ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে----
জাতক স্ত্রী-পুত্র ও বন্ধু বিষয়ে অসুখী ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়।
জল বা জলীয় রোগে কষ্ট পায়।
৬) মঙ্গল শত্রু ভাবেই বা ষষ্ঠ থাকলে --জাতক সুবুদ্ধি যুক্ত ভাগ্যবান ক্রোধী ও কামাতুর হয়।
৭) মঙ্গল স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে---জাতক চঞ্চলচিত্ত, শত্রু কর্তৃক বিপর্যস্ত কামুক বাণিজ‍্য কারী হয় । পত্নী হানি জনিত কষ্ট ভোগ করে। স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে স্বামী হানি হয়।
৮) মঙ্গল মৃত্যু ভাবে বা অষ্টমে থাকলে---জাতক সাংসারিক অসুখী আর্থিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও চেষ্টায় সফল হয়। এইরূপ মঙ্গল আকস্মিক দুর্ঘটনা হেতু বহুব‍্যয়ের নির্দেশক ।
৯)মঙ্গল ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে---- জাতক তেজস্বী প্রকৃতির ও রাজানুগৃহীত হয়।
শুভ মঙ্গলে শিল্প কাজে দক্ষতা দান করে। অসভ্য মঙ্গলে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বিষয়ে অশুভ ফলদায়ক হয়।
১০) মঙ্গল কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে----
জাতক সৎসাহসী ভোগী নানা ধন লাভকারী ও প্রতিষ্ঠিত হয়। শুভ মঙ্গল অস্ত্র চিকিৎসা বা অস্ত্র বিদায় প্রভূত সফলতা দান করে।
১১) মঙ্গলা আয়ভাবে বা একাদশে থাকলে---
জাতক ভাগ্যবান ধনবান ও সু ভূষনযুক্ত ও রাজানুগৃহীত হয়। কিন্তু খেয়াল খুশিমতো অযথা অর্থব্যয় হেতু কষ্ট ভোগ করে।
১২) মঙ্গল ব‍্যয়ভাবে বা দ্বাদশে থাকলে ----
জাতক দাম্পত্য অশান্তি ভোগ করে এরূপ মঙ্গল লোক অপবাদ, শত্রু ভয় ও অর্থ নাশের কারণ হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180704082704

Wednesday, July 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে চন্দ্র গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে চন্দ্র গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

*রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থান ভেদে চন্দ্র গ্রহের ফলাফল*
১) চন্দ্র লগ্নভাবে থাকলে--- জাতক চঞ্চল, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, দয়াশীল কিন্তু আর্থিক বলবান হয় ।
২) চন্দ্র ধন ভাবে বা দ্বিতীয় ভাবে থাকলে---
জাতক সঞ্চয়ী, পুত্র সুখী, ধনবান ও রমণী প্রিয় হয় হীনচন্দ্রে বুদ্ধি দোষে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) চন্দ্র ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় এ থাকলে----
জাতক মর্যাদাশীল, রমণীপ্রিয় মিত ব্যয়ি বন্ধুপ্রিয় কিন্তু গর্বিত প্রকৃতির হয়।
৪) চন্দ্র মাতৃভাবে বা চতুর্থে থাকলে--
জাতক স্ত্রী বাহন গৃহ সুখী ও বন্ধুবৎসল হয়।
৫) চন্দ্র পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে----
জাতক ধনবান সুখী ও ঐশ্বর্যশালী হয়। দুর্বল চন্দ্রে বুদ্ধিনাশে সে ক্ষতির সম্ভাবনা।
৬) চন্দ্র শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠে থাকলে----
জাত শত্রু ভয়ে ভীত কিন্তু শত্রুজয়ী হয় । উদরাময় রোগে কষ্ট পায়। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে ষষ্ঠস্থ চন্দ্র হলে জাতক সুকর্মদক্ষ এবং বহু জন প্রতিপালক হয়।
৭) চন্দ্র স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে---
জাতক মনোজ্ঞা স্ত্রী লাভকারি এবং কামুক প্রকৃতির হয়।
৮) চন্দ্র মৃত্যু ভাবে বা অষ্টমে থাকলে----
জাতক উদ্বিগ্ন চিত্ত,দরিদ্র ও অসুখী হয় । জল বা জলীয় রোগে কষ্ট পায়।
৯) চন্দ্র ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে ----জাতক শাস্ত্রজ্ঞ
সৎকর্মী মনোরোমা স্ত্রী লাভকারী ও ধনবান হয়।
১০) চন্দ্র কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে---জাতক মর্যাদাশীল খ্যাতিমান অর্থবান স্থিরচিও হয়।
১১) চন্দ্র আয়ভাবে বা একাদশে থাকলে----
জাতক মাননীয়, সৌভাগ্যবান, ভোগী ও গুণবান হয়।
১২) চন্দ্র ব্যয় ভাবে বা দ্বাদশে এ থাকলে--- জাতক রাগী প্রকৃতির নেত্ররোগী ও অমিত ব্যয়ি ও শত্রু ভয়ে ভীত।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180704082254

Wednesday, July 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহের শত্রুতা, মিত্রতা ও দৃষ্টি

গ্ৰহের শত্রুতা, মিত্রতা ও দৃষ্টি

শুভ রাত্রি

গ্রহের কারকতা, বৈশিষ্ট্য, শত্রুতা, মিত্রতা ও দৃষ্টি

আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষগ্রন্থে নয়টি গ্রহের উল্লেখ আছে। রবি (Sun); চন্দ্র (Moon); মঙ্গল (Mars); বুধ (Mercury); বৃহস্পতি (Jupiter); শুক্র (Venus); শনি (Saturn); রাহু (Rahu or Dragon's head) এবং কেতু (Ketu or Dragon's tail)। এর মধ্যে আমরা জানি জ্যোতির্বিজ্ঞান মতে রবি গ্রহ নয়; চন্দ্রও গ্রহ নয়, উপগ্রহ। আর রাহু ও কেতুর ত কোনো অস্তিত্বই নেই। এরা আসলে দু'টি বিন্দু, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে এদের গ্রহ হিসাবেই ধরা হয়। পরবর্তী কালের ও বর্তমান যুগের কিছু জ্যোতিষী ইন্দ্র বা প্রজাপতি (Uranus or Herschel); বরুণ (Neptune) ও রুদ্র (Pluto) নামের আরও তিনটি গ্রহকেও জন্মকুণ্ডলী বিচারের জন্যে ব্যবহার করেছেন। এদেরকে বলা হয় trans-saturnine planets, কিন্তু প্রাচীন শাস্ত্রে এদের কোনো উল্লেখ নেই। পরবর্তী আলোচনা এগুলিকে বাদ দিয়েই করা হবে। এর পরেই আমরা রাশি ও লগ্ন নিয়ে আলোচনা করবো। বারটি রাশির কথা আমরা আগেই জেনেছি। কোনো ব্যক্তির জন্ম সময় অনুযায়ী যে ছকে বিভিন্ন গ্রহ ও লগ্নের অবস্থান বিভিন্ন রাশিতে দেখানো হয় সেটাকে বলা হয় ঐ ব্যক্তির রাশিচক্র।

মনে রাখতে হবে যে, কোনো জাতকের রাশিচক্রে সব গ্রহ ও লগ্নের মূল অবস্থান জন্মসময়েই তার সমস্ত জীবনের জন্য নিদ্র্দিষ্ট হয়ে থাকে। এ জীবনে তার আর পরিবর্তন হবে না। তবে সমস্ত গ্রহই সময়ের সঙ্গে ঘুরে চলেছে; কাজেই তাদের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েই চলেছে। রাহু ও কেতু ছাড়া সব গ্রহই রাশিচক্রে ঘডি়র কাঁটার বিপরীতে (anticlockwise) ঘোরে। এর মধ্যে মঙ্গল, বুধ, বৃবৃহস্পতি, শুক্র ও শনি কোনো কোনো অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য ঘডি়র কাঁটার মতও (clockwise) ঘুরতে পারে। এই গতিকে বলা হয় বক্রগতি (retrograde motion) চলসেই সময়ের জন্য সেই গ্রহকে বলা হয় 'বক্রী '। সত্যিই যে তারা বিপরীত দিকে ঘোরে তা ঠিক নয়; আপেক্ষিক গতির জন্য পৃথিবী থেকে দেখে মনে হয় তারা উল্টোদিকে ঘুরছে। কোন গ্রহ কখন বক্রী হবে তার একটা নিয়ম আছে। এ ছাড়াও কোনো গ্রহ মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য স্থির হয়েও থাকতে পারে বা দ্রুত গতিতেও (acceleration) চলতে পারে। সূক্ষভাবে বিচারের সময় এ সবই কাজে লাগানো হয়। বক্রী গ্রহের ব্যবহার, বৈশিষ্ট্য ও দৃষ্টি সম্বন্ধে জ্যোতিষীরা নানা মত পোষণ করেন। শাস্ত্রে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে সে রকম কিছু বলা নেই।

যেহেতু গ্রহগুলি রাশিচক্রে ক্রমাগত ঘুরছে, বিভিন্ন সময়ে তাই এরা বিভিন্ন রাশিতে অবস্থান করে এবং প্রতিটি গ্রহই রাশিচক্রের বারটি রাশির প্রত্যেকটি অতিক্রম করে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই পরিক্রম করার সময়ে কখনো গ্রহগুলি জন্মকুণ্ডলীতে অবস্থিত গ্রহকে দৃষ্টি দেয়, কখনো তাদের সঙ্গে কোণে বা কেন্দ্রে অবস্থান করে আবার কোনো কোনো সময়ে তাদের উপর দিয়েও গমন করে। গ্রহদের এই বিভিন্ন অবস্থান ও গতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরী হয়। একে বলা হয় গোচর ফল। এ সম্বন্ধে পরে বিস্তৃত অলোচনা করা হবে।

গড় হিসাবে চন্দ্র সওয়া দুই দিনে, বুধ ১৮ দিনে, শুক্র ২৮ দিনে, রবি ১ মাসে, মঙ্গল ৪৫ দিনে, বৃহস্পতি ১ বছরে, শনি আড়াই বছরে এবং রাহু ও কেতু দেড় বছরে এক একটি রাশি অতিক্রম করে। দ্রুতগামী বলে কখনো কখনো চন্দ্র, বুধ ও শুক্রকে চরগ্রহ (fast moving planets) এবং রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতুকে স্থিরগ্রহ (slow moving planets) বলা হয়ে থাকে। উপরে গ্রহদের রাশিচক্র অতিক্রমের যে সময় দেওয়া হল তা একটা মোটামুটি হিসেব। নির্দিষ্ট একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। প্রতিটি রাশি আড়াই বছর হিসাবে শনির ৩০ বছরে একবার সম্পূর্ণ রাশিচক্র অর্থাত্ ১২ টি রাশি অতিক্রম করে আসার কথা। এখন শনির ৩০ বছর অন্তর অবস্থানের একটা মোটামুটি চিত্র দেখা যাক।

১৯০০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ১২ ডিঃ ২৬ মিনিটে
১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ১৮ ডিঃ ৪০ মিনিটে
১৯৬০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ২৪ ডিঃ ৩০ মিনিটে
১৯৯০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ০ ডিঃ ৩০ মিনিটে
২০২০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ৬ ডিঃ ১৫ মিনিটে
২০৫০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ১২ ডিঃ ২০ মিনিটে
অর্থাত্ দেড়শ বছরে শনি প্রায় ৩০ ডিগ্রি এগিয়ে গিয়েছে।

অতএব শনি ৩০ বছরে একবার রাশিচক্র অতিক্রম করে এটা একটা মোটামুটি হিসাব। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে মাঝে মাঝে কোন গ্রহ এক রাশিতে অনেক দিন স্থির হয়ে থাকতে পারে। যেমন নিকট অতীতেই মঙ্গল গ্রহ ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি থেকে ২০১০ সালের মে মাসের মাঝামাঝি অবধি কর্কট রাশিতে অবস্থান করেছিল। গ্রহের এই বিভিন্ন গতির বিভিন্ন নাম আছে এবং সূক্ষভাবে বিচারের সময় এগুলিকেও কাজে লাগানো হয়।

গ্রহের বিভিন্ন গতির জন্য ফলের কি রকম তারতম্য হয় এ সম্বন্ধে জ্যোতিষ গ্রন্থে অনেক লেখা রয়েছে। সেগুলি এখনই খুব বিশদ ভাবে জানার বা প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। তবে কৈলাস চন্দ্র জ্যোতিষার্ণব সঙ্কলিত "জ্যোতিষ প্রভাকর" গ্রন্থ থেকে গ্রহের গতি সম্বন্ধে নিম্ন লিখিত তথ্য তুলে দেওয়া হল।

"সূর্য হইতে ৬০ অংশ বা ডিগ্রীর মধ্যে গ্রহগণ শীঘ্রগামী, ৬১ হইতে ৯০ ডিগ্রী পর্যzন্ত সমগামী, ৯১ হইতে ১২০ পর্যzন্ত মৃদুগামী, ১২১ হইতে ১৮০ ডিগ্রী পর্যzন্ত বক্রগামী, ১৮১ হইতে ২৪০ ডিগ্রী পর্যzন্ত অতি বক্রগামী, ২৪১ হইতে ৩০০ ডিগ্রী পর্যন্ত সরলগামী, ৩০১ ডিগ্রী হইতে ৩৬০ ডিগ্রী পর্যzন্ত শীগ্রগামী হয়। রাহু ও কেতু সর্বদা বক্রগামী এবং চন্দ্র ও রবি সর্বদাই শীঘ্রগামী।"

প্রত্যেক গ্রহের কিছু নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে। এই সব বিশেষত্ব যে সব সময়েই প্রকাশ পাবে তা নয়। কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি গ্রহ কোন বিশেষ রাশিতে অবস্থানের ফলে বা অন্য গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হবার কারণে তার গুণের পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে সাধারণভাবে তাদের কারকত্বগুলি এই রকম :

১। রবি - আত্মা, অহঙ্কার, আত্মসম্মান, উত্সাহ, প্রতিষ্ঠান, পিতা, জীবনীশক্তি, হৃদয় (heart), অস্থি (bones), উচ্চপদস্থ কর্মচারী, রাজনীতি, জ্বর, রক্তচাপ, মস্তক, চক্ষু (বিশেষতঃ ডান চক্ষু), রক্তবর্ণ, ঝাল ইত্যাদি।
অপর নাম - ভানু, অর্ক, সবিতা, আদিত্য প্রভৃতি।

২। চন্দ্র - মন, শারীরিক পুষ্টি ও লাবণ্য, মাতা, শ্বেতবস্ত্র, আদর্শবাদিতা, শ্লেäমা, রক্ত(শ্বেতকণিকা), গলগণ্ড, জন সাধারণ, ফুসফুস, দেহের জলীয় অংশ, চক্ষু (বিশেষতঃ বাম চক্ষু), শ্বেতবর্ণ, লবণরস ইত্যাদি।
অপর নাম - সোম, ইন্দু, শশাঙ্ক, উড়ুপ প্রভৃতি।

৩। মঙ্গল - সাহস, শক্তি, ক্ষিপ্রতা, ক্রোধ, অগ্নি, উগ্র মানসিকতা, কুমারত্ব, কর্মক্ষমতা, তর্ক, ভ্রাতা, রক্ত (লোহিতকণিকা), গুহ্যদেশ, রক্তচাপ, অর্শ, রক্তপাত, দুর্ঘটনা, জমি, ভূমি, আগুন, ক্ষত, কাটাছেঁড়া, গাঢ় রক্তবর্ণ, তিক্তরস ইত্যাদি।
অপর নাম - কুজ, ভৌম, বক্র, ত্রুÝর, মহীজ প্রভৃতি।

৪। বুধ - পরিহাস, বালকসুলভ কথাবার্তা, বাকশক্তি, বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি, অস্থিরচিত্ততা, বিচার বিশ্লেষণ, ভাল মন্দ বিচার করার ক্ষমতা, মুদ্রিত রচনা, খবর, তথ্য, তথ্য আদান-প্রদান, সংবাদ, হিসাব, লেখন, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষ, গণিতশাস্ত্র, বাণিজ্য, অÂমরস, ত্বক, স্নায়ু, নাক, গলগ্রন্থি (thyroid gland), নিঃশ্বাস, সর্দি, জিহবারোগ, ইত্যাদি।
অপর নাম - সৌম্য, হেম, সোমসুত, চন্দ্রসুত, চন্দ্রজ, প্রভৃতি।

৫। বৃহস্পতি - পূজাআর্চা, শাস্ত্রপাঠ, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বাEøতা, জানুদেশ, যকৃত্, প্লীহা, বাকশক্তি, স্থূলতা, মধুমেহ (blood sugar or diabetes), শ্লেäমা, যকৃত্ ও মূত্রাশয়, ধর্ম, গুরু, আধ্যাত্মিকতা, মূল্যবোধ, আদর্শবাদিতা, পুরোহিত, শিক্ষক, শাস্ত্রপাঠ, আইনবিদ্যা, আইনজ্ঞ, বিদ্যা, মধুর রস ইত্যাদি
অপর নাম - গুরু, জীব, আর্যz, সূরি প্রভৃতি।

৬। শুক্র - কাম-সম্বন্ধীয় কার্য, জাগতিক সুখ, বিভিন্ন শাস্ত্র, আমোদ-প্রমোদ, সৌখিন ও বিলাস দ্রব্য, সৌন্দর্য, মাধুর্য, মুখমণ্ডল, মোহ, শিল্প, সঙ্গীত, শয়নসুখ, দৃষ্টিশক্তি, যৌন আকর্ষণ, যৌনরোগ, অম্ল রস ইত্যাদি।
অপর নাম - কবি, সিত, ভার্গব, উশনা, ভৃগু, দৈত্যগুরু প্রভৃতি।

৭। শনি - বৃদ্ধ, বয়স্ক লোক, বিলম্ব, শৃÍলা, দুরারোগ্য ব্যাধি, নিঃসঙ্গতা, ক্লেশ, দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা, ভীতি, মৃত্যু, অস্থিপীড়া, পক্ষাঘাত, মৃত্যুভয়, বধিরতা, শরীর কম্পন, শ্বাসরোগ, যক্ষা, আয়ু, সংযমী, স্বল্পতা, বিচ্ছেদ, সন্ন্যাসী, ত্যাগ, শ্রম, ধৈর্য, শ্রমিক, আধ্যাত্মিকতা, নিম্নবর্গের লোক, দাস দাসী, অস্থি, দাঁত, পর্বত ভ্রমণ, কেশ, কষায় রস ইত্যাদি।
অপর নাম - যম, মন্দ, রবিসুত, শনৈশ্চর, অর্কপুত্র প্রভৃতি।

৮। রাহু - ভোগ, কপটাচার, বিভ্রান্তি, অতৃপ্তি, আকাশ পথ, বিদেশ যাত্রা, উচ্চস্থান, শ্বাসপ্রশ্বাস, অপবাদ, তমোগুণ, যথেচ্ছাচার, সর্প, ইন্দ্রজাল, অনির্ণিত রোগ ইত্যাদি।
অপর নাম - তম, অহি, অসুর, ভুজঙ্গ প্রভৃতি।

৯। কেতু - গোপনিয়তা, ব্রণ, আচম্বিতে ঘটা ঘটনা, আঘাত, ক্ষত, মোক্ষ, কৈবল্য ইত্যাদি।
অপর নাম - শিখী, ধবজ, রাহুপুচ্ছ, ধুমবর্ণ প্রভৃতি।

জ্যোতিষশাস্ত্রে একটা খুব প্রচলিত কথা আছে। 'শনিবত্ রাহু' ও 'কুজবত্ কেতু'। রাহু ও কেতু অনেক বিষয়েই যথাক্রমে শনি ও মঙ্গলের মত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে ও তদনুরূপ ফল প্রদান করে।

গ্রহের দৃষ্টি

জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহদের দৃষ্টি (aspect) কল্পনা করা হয়। সব গ্রহই যে রাশিতে থাকে তার সপ্তম রাশিতে অর্থাত্ বিপরীতে অবস্থিত রাশিতে পূর্ণদৃষ্টি দিয়ে থাকে। এ ছাড়া কয়েকটি গ্রহের কিছু বিশেষ দৃষ্টি আছে। যেমন মঙ্গল যে রাশিতে থাকে তার ৪র্থ ও ৮ম রাশিতে পূর্ণদৃষ্টি দেয়। অর্থাত্ মঙ্গল যদি কারও কুণ্ডলীতে মেষ রাশিতে থাকে, তবে মেষের ৭ম ঘর তুলা ছাড়াও তার দৃষ্টি ৪র্থ বা কর্কট রাশিতে এবং ৮মে বা বৃশ্চিক রাশিতে থাকবে। এই ভাবে বৃহ্রপতির ক্ষেত্রে ৭ম ছাড়াও ৫ম ও ৯ম ঘরে দৃষ্টি থাকবে। এর অর্থ হ'ল বৃহ্রপতি যদি কারও কর্কটে থাকে, তবে ৭ম ঘর মকর ছাড়াও কর্কট থেকে ৫ম ঘর বৃশ্চিকে এবং ৯ম ঘর মীনে বৃহ্রপতির পূর্ণদৃষ্টি থাকবে। একই ভাবে শনির দৃষ্টি থাকবে ৭ম ছাড়াও ৩য় ও ১০মে। উদাহরণ স্বরূপ, শনি যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে তুলায় থাকে তবে তার পূর্ণদৃষ্টি পড়বে ধনুতে (৩ য়ে) , মেষে (৭ মে ) ও কর্কটে অর্থাত্ ১০ম রাশিতে। পূর্ণদৃষ্টি ছাড়াও গ্রহদের অর্ধপাদ-দৃষ্টি, ত্রিপাদ-দৃষ্ট ইত্যাদি আছে। তবে ফল বিচারের জন্য কেবল পূর্ণদৃষ্টিই মুলতঃ গ্রহণীয়।

রাহু ও কেতুর দৃষ্টি সম্বন্ধে মতভেদ আছে। দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষী প্রয়াত ডঃ বি. ভি. রমন রাহু ও কেতু যে ঘরে আছে তার ৭ম ঘর ছাড়া অন্য দৃষ্টির কথা বলেন নি। কিন্তু বিখ্যাত জ্যোতিষী জে. এন. ভাসিন মুম্বই থেকে প্রকাশিত পারাশরী হোরার একটি সংস্করণ উল্লেখ করে বলেছেন যে, উক্ত গ্রন্থের ৫১ নং পরিচ্ছেদের ২৬ নং শ্লোক অনুযায়ী রাহু ও কেতুর ৭ম ছাড়াও ৫ম ও ৯ম দৃষ্টিও গ্রাহ্য। অনেক সময় এটা ধরলে ফল ভালই পাওয়া যায়। তবে বহু জ্যোতিষীই এটা মানেন না। এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন। দ্রষ্টা গ্রহ একটি রাশিতে যত ডিগ্রিতে থাকবে, দৃষ্ট রাশির ঠিক তত ডিগ্রিতেই পূর্ণদৃষ্টি পড়বে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক। শনি যদি মকরে ১০ ডিগ্রিতে থাকে, তবে মীনের ১০ ডিগ্রিতে (৩য় দৃষ্টি), কর্কটের ১০ ডিগ্রিতে (৭ম দৃষ্টি) ও তুলার ১০ ডিগ্রিতে (১০ম দৃষ্টি) শনির পূর্ণদৃষ্টি থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ, শনি যদি মকর রাশির ২০ ডিগ্রিতে এবং চন্দ্র তুলা রাশির ২১ ডিগ্রিতে থাকে তবে চন্দ্রের উপর শনির প্রায় পূর্ণ দৃষ্টি থাকবে। কিন্তু চন্দ্র যদি তুলার ২ ডিগ্রিতে থাকে তবে চন্দ্রের উপর শনির দৃষ্টির তীব্রতা অনেক কম হবে। তবে খুব সূক্ষভাবে বিচার না করলে চন্দ্র মোটামুটি শনির দ্বারা দৃষ্ট হিসাবেই ধরা যেতে পারে।

গ্রহের শুভত্ব, অশুভত্ব, শত্রুতা ও মিত্রতা

নয়টি গ্রহের সবকটিই শুভ নয় বা অশুভ নয়। রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতু নৈসর্গিক বা প্রাকৃতিক অশুভ গ্রহ (natural malefics)। বৃহস্পতি ও শুক্র প্রাকৃতিক শুভ গ্রহ (natural benefics)। বুধ গ্রহ অতি সহজে অন্য গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় বলে, কোনো পাপ গ্রহের (অশুভ গ্রহ) সংস্পর্শে পাপ গ্রহের মতই অশুভ ফল প্রদান করে। কিন্তু কোনও পাপ গ্রহের সংস্পর্শে না এলে বুধকে সাধারণভাবে শুভই ধরা হয়। চন্দ্র কৃষ্ণপক্ষের হ'লে পাপগ্রহ এবং শুক্লপক্ষের হ'লে শুভ ধরা হয়। কোনও জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র ও রবির দুরত্ব যদি ৭২ ডিগ্রির বেশী হয়, তবে সেটা শুক্লপক্ষের চন্দ্র এবং ৭২ ডিগ্রির কম হলে, কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্র।

গ্রহগুলির পারäপরিক সম্পর্ক সব সময়েই বন্ধìত্বপূর্ণ নয়। এদের পারäপরিক সম্পর্ক দু'ভাবে নির্ণীত হয়। প্রথমতঃ দুটি গ্রহ স্বভাব বশতঃই পরäপরের মিত্র বা শত্রু হতে পারে, একে বলে নৈসর্গিক মিত্রতা (natural friendship) বা শত্রুতা। দ্বিতীয়তঃ জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ থেকে যে সব গ্রহ ২য়, ৩য়, ৪র্থ অথবা ১০ম, ১১শ ও ১২শ ঘরে থাকে, তারা প্রথমোক্ত গ্রহের বা গ্রহদের সাময়িক বা তাত্কালিক মিত্র (temporary or tatkalik friendship)। নীচে গ্রহদের নৈসর্গিক বন্ধìত্ব, সমতা বা শত্রুতার একটা বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।

* (ক) রবির মিত্র - চন্দ্র, মঙ্গল, বৃহ্রপতি; সম - বুধ; শত্রু - শুক্র, শনি।
* (খ) চন্দ্রের মিত্র - রবি, বুধ; সম - রবি ও বুধ ছাড়া বাকি সব গ্রহ; শত্রু - চন্দ্রের শত্রু নেই।
* (গ) মঙ্গলের মিত্র - বৃহস্পতি চন্দ্র, রবি; সম - শুক্র, শনি; শত্রু - বুধ।
* (ঘ) বুধের মিত্র - রবি, শুক্র; সম - বৃহস্পতি, মঙ্গল, শনি; শত্রু - চন্দ্র।
* (ঙ) বৃহস্পতির মিত্র - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল; সম - শনি; শত্রু - বুধ, শুক্র।
* (চ) শুক্রের মিত্র - বুধ, শনি; সম - মঙ্গল, বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র।
* (ছ) শনির মিত্র - শুক্র, বুধ; সম - বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল।
* (জ) রাহুর মিত্র - শুক্র, শনি; সম - বুধ, বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল।
* (ঝ) কেতুর মিত্র - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল; সম - বুধ, বৃহস্পতি; শত্রু - শুক্র, শনি।

উদাহরণ স্বরূপ, চন্দ্র যদি কোনো রাশিচক্রে তুলাতে থাকে, তবে তুলার অধিপতি শুক্র যেহেতু চন্দ্রের শত্রু, অতএব চন্দ্র শত্রু গৃহে অবস্থিত ধরতে হবে।

দুটি গ্রহ যদি একে অন্যের নৈসর্গিক মিত্র হয় এবং অবস্থান হেতু তাত্কালিক মিত্রও হয় তবে তাদের পরস্পরের অধিমিত্র বলা হয়। এক হিসাবে সম এবং অন্য হিসাবে মিত্র হলে পরস্পরের মিত্র এবং এক হিসাবে শত্রু ও অন্য হিসাবে মিত্র হলে তারা পরস্পরের সম হিসাবে গণ্য হয়। শত্রুতার বিষয়েও একই ভাবে বিচার করতে হবে। যেমন দুই বা ততোধিক গ্রহ একে অন্যের নৈসর্গিক শত্রু ও একই সঙ্গে তাত্কালিক শত্রু হলে তারা পরস্পরের অধিশত্রু ইত্যাদি।

গ্রহদের স্ত্রী, পুরুষ ইত্যাদি ভাগেও ভাগ করা হয়। যেমন চন্দ্র ও শুক্র স্ত্রীসংজ্ঞক গ্রহ (feminine planets); রবি, মঙ্গল, বৃহ্রপতি পুরুষ সংজ্ঞক গ্রহ (masculine planets) এবং বুধ ও শনি নপুংসক গ্রহ (hermaphrodite planets )।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180704081623

Tuesday, July 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ধনুরা্শির বৈশিষ্ট্য

ধনুরা্শির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) :

ধনুর বৈশিষ্ট্য

প্রতীক :

জ্ঞানী, উপদেষ্টা, তীরন্দাজ

আগ্নেয় বৈশিষ্ট্য :

কৌতূহলী, অকপট, আবেগী, অস্থির, প্রকৃতিপ্রেমী, ধৈর্যহীন, উদার, ক্রীড়ানুরাগী

ব্যক্তিত্ব :

চঞ্চল, নীতিবান, আগ্রহী, অকপট, অকুতোভয়, উচ্চাভিলাষী, দার্শনিক, তার্তিক, সত্যবাদী

জেনে নিন আপনি কেমন ধনু ?

জুপিটার নিয়ন্ত্রিত ধনুর দৃষ্টি চড়ুইয়ের দৃষ্টিশক্তির মতোই প্রখর এবং উজ্জ্বল। ধনুরা সাধারণত অস্থির প্রকৃতির। তারা এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়াতে বা বসতে ঘৃণাবোধ করে। যেকোনো পার্টিতে যান, এবং সেখানে সবচেয়ে প্রাণবন্ত দলটিকে লক্ষ্য করুন। হাসি খুশি এবং আনন্দে আপ্লুত যে মানুষটি ওখানে বসে আছে, সে একজন ধনু এবং সে একটু আগেই এমন একটি কথা বলেছে যে সবাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী ঘটেছে তা সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।

যখন সে তার বক্তব্য নিয়ে ঘটিত স্তব্ধতার কারণ অনুধাবন করতে পারবে তখন অবশ্য তাকে কিছুটা হতভম্ব মনে হবে এবং দলটিতে তার চারপাশের মানুষগুলোকে দেখে মনে হবে যেন তারা এক একটি ধারালো ছুরির ফলা। মুখে একটা প্রফুল্ল হাসি এনে ধনু এমন একটা মন্তব্যে করে বসতে পারে যা কেউ কল্পনাও করেননি। সেক্ষেত্রে ধনুর বন্ধুদেরকে বলছি, নিজের মেজাজ ঠাণ্ডা রাখুন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কিন্তু ভাববেন না সে আসলেই কাউকে ইচ্ছে করে কষ্ট দিতে চায়। না, মনের ভেতরে তার আপনার জন্য একটা যত্নের জায়গা তৈরি আছে। বিষয় হলো ধনুদের মধ্যে জটিলতা কিংবা ক্ষুদ্রতার ছিটে ফোঁটা মাত্র নেই। সে নিষ্কলুষভাবে তার কষ্টদায়ক কথাগুলো বলে ফেলে।

সে যে কাটা ঘায়ে নুনের ছেটা দিতেও ছাড়ে না, সেটা আসলে ঘা সারাতে গিয়েও তার অদক্ষতাই তুলে ধরে। অধিকাংশ ধনুই আন্তরিকভাবে চায় যে আপনি প্রাণবন্ত হয়ে উঠুন। অন্তত, এটাই তারা করতে চেষ্টা করে। কিন্তু নিজের সদিচ্ছাকে ফলাতে গিয়ে প্রায়ই তারা অঘটন ঘটিয়ে বসে। বহির্মুখীই হোক কিংবা আত্মকেন্দ্রিক, ধনুরা সব সময়ই হূদয়কে উদ্দীপ্ত করতে পছন্দ করে। সেই সব দুর্লভ কিছু ধনু যারা তেমন একটা কথাবার্তা বলে না, তারা হয়তো মনে মনে এমন চমত্কার কোনো পরিকল্পনা করছে যেটা বিশ্বকে চমকে দিতে পারে।

তার জিহ্বা যখন স্থির তখন তার মস্তিষ্ক আরও ব্যস্ত। আর এই রাশির প্রভাব পুরোটাই অজ্ঞাতে তার স্বভাবের মধ্যে রয়ে গেছে। ফলত তার নির্বাক থাকাটা বরং তার পরবর্তী চমকপ্রদ পদক্ষেপ দিয়ে আপনাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় চমকে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই। একজন ধনু কখনই সফলভাবে মিথ্যা বলতে সক্ষম নয়।

একজন ধনু যখন সরাসরি তার লক্ষ্যে দৃষ্টি দেয়, তখন সে এতটাই উঁচুতে তার তীর ছুড়তে পারে, যেখানে মানুষের দৃষ্টিশক্তি পৌঁছতে পারে না। সেখানেই তার স্বপ্নগুলো সব সত্যি হয়ে যায়। অল্পকিছু মানুষই ধনুর উপর বেশি সময় ধরে বিরক্ত হয়ে থাকতে পারে। কেননা এটা পরিষ্কার বোঝা যায় যে তাদের মধ্যে কোনো ক্ষতিকর উদ্দেশ্য একদমই নেই। এই পূজনীয়, পছন্দনীয়, বুদ্ধিমান আদর্শবাদীকে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো খানেই পেতে পারেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180703073314

Tuesday, July 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মুক্তার গুনাবলী

মুক্তার গুনাবলী

*মুক্তার গুণাবলী, প্রয়োগবিধি ও মুক্তার দ্বারা বিভিন্ন রোগ নিরাময়*
রোগ-- মুক্তা সাধারণতঃ ঠাণ্ডা এবং এ থেকে ঠাণ্ডা রশ্মি নির্গত হয় ৷ গরম প্রযুক্ত পিত্ত, রৌদ্র ও সূর্যের গরম রশ্মির আধিক্য থেকে উৎপন্ন যেসব রোগ হয়, মুক্তার সাহায্যে সেইসব রোগ দূর হয় ৷ রক্ত সংক্রান্ত সব রোগ হলে চাঁদের কিরণ এবং মুক্তার কিরণ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে৷ যদি রোগীর মধ্যে গরমের আধিক্য হয়, গরম ঔষধ ও গরম খাদ্য খেয়ে কষ্ট বেড়ে যায়, তাহলে চাঁদ এবং মুক্তা থেকে নির্গত ঠাণ্ডা রশ্মি, রোগীর অত্যন্ত উপকার করে৷ চাঁদ এবং মুক্তা মস্তিস্ক ও স্নায়ু সংস্থানকে নিয়ন্তিত করতে অত্যন্ত শক্তিশালী । রোগীর জন্মকুণ্ডলীতে অর্থাৎ রাশিতে যদি চন্দ্র দুর্বল হয় এবং চাঁদের কুদৃষ্টি থাকে, তাহলে তার মাথার গোলমাল দেখা দেয় ৷ এইসব ক্ষেত্রে মুক্তার দ্বারা তৈরী ঔষধ মুক্তাভস্ম খাওয়ালে এবং মুক্তা ধারণ করলে রোগ দূর হয় । জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে মুক্তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রত্ব বলা হয়েছে৷ সেই কারণেই হাজার বছর ধরে মানুষ মুক্তা ধারণ করে আসছে৷ মুক্তার সঙ্গে চাঁদের বিশেষ সম্বন্ধ আছে৷ কর্কট রাশি (cancer) যাদের, তারা মুক্তা ধারণ করলে খুবই সুফল পায় | মুক্তা মানুষের সাংসারিক চিন্তাধারাকে নিয়ন্তিত করে৷ মুক্তাকে সুন্দরতা, পবিত্রতা, পাপহীনতা ও শান্তির প্রতীক মনে করা হয় । হেকিম ও বৈদ্যগণ মুক্তাকে বিভিন্ন রোগ আরোগ্য করার জন্য মুক্তাভন্ম রূপে প্রয়োগ করেন৷ মুক্তা পেষণ করে খাওয়ালে, মন্তিস্কের চাঞ্চল্য, স্নায়ু দুর্বলতা,ভীতিভাব,দৃষ্টিশক্তিহীনতা দূর হয।মুক্তাকে হৃদয়, দেহ, পুরুষত্বশক্তি, স্বাস্থ্য প্রভৃতির ঔষধরূপে ব্যবহার করা হয়৷ এইসব রোগে মুক্তাভস্ম, মুক্তা পাক প্রভৃতি প্রয়োগ করা হয়৷
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে মুক্তা ঠাণ্ডা-- হৃদয়, মস্তিষ্ক, যকৃৎ প্রভৃতিকে শক্তিশালী করে তোলে৷ পুরুষত্ব, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ঠিক রাখে৷ রক্ত, পিত্ত অতিশার প্রভৃতিতে বিশেষ ফল দান করে। রক্ত বন্ধ করতে এবং মুখ থেকে রক্ত বের হলে মুক্তা উপকার করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্ষয়রোগে এবং জ্বরে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, অতিসার, হাঁপানী এবং অন্যান্য রোগে অদ্ভুত উপকার করে৷ যে সব ব্যক্তির হৃদয় দুর্বল, বুক ধড়ফড় করে, তাদের মুক্তাধারণ করা উচিত৷ লিউকোরিয়া অর্থাৎ প্রদর রোগেও মুক্তা উপকার করে৷ যেসব মানুষ সমুদ্রে কাজ করে, যদি সে আংটিতে মুক্তা ধারণ করে, তাহলে তার সমুদ্রে ডোবার ভয় থাকে না। এর প্রভাবে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জন্তু ধারণকারীর কাছে আসে না৷ আয়ুর্বেদে মুক্তাকে মধুর, শীতল, চক্ষুরোগীর সাহায্যকারক বলা হয়েছে৷ এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় ৷ বিষের প্রভাব নাশ করে ৷ কাশি ও ক্ষয়রোগ দূর করে৷ এতে বীর্য দোষ দূর হয়, পুরুষত্ব, শারীরিক, মানসিক ও স্নায়বিক দুর্বলতা নাশ করে৷ বাত, পিত্ত রোগীর রোগ দূর করে ৷ অজীর্ণ, শরীরে জ্বালা নিবারণ করে ৷ মুক্তার হার পরলে দেহের জ্বালা ও গ্রীষ্মের আধিক্য দূর করে৷ যাদের চন্দ্র দুর্বল, তাদের মুক্তা
ধারণ কর্তব্য |
মুক্তা মধুমেহ, জলােদর, গোদ, মূত্রাশয়ের রোগ, প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা, কামলা রোগ তথা কুসংসর্গে পড়া, ভ্রষ্টাচার, অধিক মদ্যপান প্রভৃতি কু-অভ্যাস দূর করে ৷ উপরিউক্ত রোগসমূহ চন্দ্র দুর্বল হলে হয়ে থাকে|
*মুক্তা ধারণের নির্দেশ* ---
যে সব ব্যক্তির জন্ম কুণ্ডলীতে চন্দ্রের কুদৃষ্টি দেখা যায় বা চন্দ্র দুর্বল হয় অথবা উপরিউক্ত রোগ সমূহের কোনও রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তারা সোমবার সন্ধ্যার সময় চাঁদ উঠলে মুক্তা গলায় বা হাতে বেঁধে রাখবেন বা সোনার আংটিতে বসিয়ে ধারণ করবেন। মুক্তার তৈরী পরমাণু শক্তিদাতা ঔষধ--- মুক্তা এক থেকে দু'রতি নিয়ে তাকে রেক্টিফায়েড স্পিরিটে এক সপ্তাহ রেখে দিন৷ তারপর ওতে মিল্ক সুগারের বড়ি দিয়ে ভিজিয়ে নিন৷ এই ঔষধের দ্বারা উপরিউক্ত রোগ আরোগ্য হয়।এক রতি মুক্তোতে প্রস্তুত ঔষধ লক্ষ লক্ষ রোগীকে আরোগ্য করা যায় ৷
*ঔষধের জন্য মুক্তা-* - খাবার ঔষধ, চোখের ঔষধ, ভস্ম ও মুক্তাপাক, মুক্তা থেকে পরমাণু শক্তিযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরি করার জন্য বসরা ও ফারস এর খাড়ির মুক্তা ব্যবহার করা উচিত । এগুলিকে সর্বোত্তম মুক্তা বলা হয় মুক্তাকে কাটিং চুল উপড়ে পড়ে থাকে তাকে ও ঔষধ প্রয়োগের ব্যবহার করা হয় এই চূর্ণ দামেও সস্তা ঔষধ প্রস্তুতির জন্য দুধিয়া মুক্তা খুবই উপযুক্ত এসব মূল্যবান মুক্তারা ঔষধ তৈরি করলে মুক্তার মতো লাভ হয় ইনজেকশন ধারা যে কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হচ্ছে তাকে ঔষধের ব্যবহার করা যায়।
*মুক্ত শুদ্ধ করার নিয়ম* ---আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে মুক্তাকে শুদ্ধ করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম পালন করতে হবে।
*১)* মাটির হাঁড়িতে মুক্তা রেখে আছে বসিয়ে গরম করুন। যখন হাঁড়ি ও মুক্তা গরম হয়ে যাবে তখন নামিয়ে ঘীগ্ বার রস দিলে ই মুক্তা শুদ্ধ হবে।
*২)* উপরিউক্ত ভাবে গরম করে রসে ডুবিয়ে এরপর সাতবার চওলাই রসে ডুবিয়ে নিলেই শুদ্ধ হবে।
*রোগে মুক্তা প্রয়োগ_----*
স্মৃতিশক্তি হ্রাস উচ্চরক্তচাপ, স্নায়ুবিক দুর্বলতা পাগলামি, দেহে ক্যালসিয়াম কম ,হৃদয় দুর্বলতায় নিম্নলিখিত বিধিতে রোগীকে মুক্তা খাওয়াতে পারেন। বিশুদ্ধ মুক্তাকে ময়দার মত পোষণ করে, ১১ দিন পর্যন্ত কেওড়া বা গোলাপ জলের সঙ্গে খলে নাড়তে থাকুন। শুকনো হয়ে গেলে ছেকে শিশিতে ভরে রাখুন। মাত্রা ১/২রতি অর্থাৎ ১ গেন। দিনে দু'তিনবার খাওয়াবেন।
(২) বৈদ্য চিন্তামণি পুস্তকে মুক্তা শোধন করার সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, কাজী আমানি তৈরি করুন পাতিলেবুর রস বা গোমূত্রের একটি পাত্রে নিয়ে তাতে মুক্তা রেখে একরাত্রি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন বার করে ধুয়ে নিয়ে কাজী আমানিতে বেশ করে রগড়ে নিন । এর ফলে মুক্তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর এই শোধিত মুক্তাকে সাদা কন্ঠ কারীর শেকড়ের রসের সঙ্গে খলে পিষে, একটি মাটির পাত্রে রেখে ওপরে ঢাকা দিয়ে এবং মাটির প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করে ভস্ম তৈরিকরুন। তারপর পিসে নিয়ে কাপড়ে ছেঁকে নিন।
*মাত্রা_* এক থেকে দু রতি দিনে দুবার প্রযোজ্য ।
উপকারিতা (১) কাশি, ক্ষয়রোগ, মূত্রাশয় সম্বলিত রোগ,স্বাস্থ্য প্রভৃতির দুর্বলতা ও রোগে উপকার করে।
(২) মুক্তাকে জলে ঘষে তার প্রলেপ দিলে কুষ্ঠের এর ক্ষত আরোগ্য হয়।
(৩) মুক্তাকে গোলাপের নির্যাস এর সঙ্গে ঘষে সুরমার মতো তৈরি করে নিন। একে চোখের সুরমার মতো লাগালে চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি হয়।
(৪) মুক্তার ভস্মকে গিলোয়ের রসের সঙ্গে খাওয়ালে দেহের জ্বালা কমে। শারীরিক ও মানসিক এবং পুরুষত্ব, স্বাস্থ্য ভাল হয় দেহের শক্তি বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া পুরাতন রোগ অধিক সম্ভব ও অধিক বীর্যপাত কারণে উৎপন্ন দুর্বলতা দূর হয়।
*মাত্রা*__মুক্তা ভস্ম আধরতি(১ গ্রেন ) মধু বা মাখন সহ দিনে ২-৩ বার খেতে দিন তাহলে যথেষ্ট উপকার পাবেন। তাছাড়া উপরিউক্ত রোগসমূহের ও উপকার করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180703072629

Sunday, July 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দশা ভোগকাল

দশা ভোগকাল

দশা ভোগ কাল

রবি ৬ বৎসর , চন্দ্র ১০ বৎসর , মঙ্গল ৭ বৎসর রাহু ১৮ বৎসর বৃহস্পতি ১৬ বৎসর শনি ১৯
বুধ ১৭ বৎসর কে্তু ৭ বৎসর শুক্র ২০ বৎসর ।

জল রাশি ঃ কর্কট , মীন ,বৃশ্চিক
অগ্নি রাশি ঃ মেষ , সিংহ , ধনু
বায়ু রাশি ঃ মিথুন , তুলা , কুম্ভ
পৃথ্বী রাশি ঃ বৃষ ,কন্যা , মকর

চর রাশি ঃ মেষ , কর্কট , তুলা , মকর
স্থির রাশি ঃ বৃষ , সিংহ , বৃশ্চিক , কুম্ভ
দ্যাত্মক রাশি ঃ মিথুন ,কন্যা ,ধনু ,মীন

মেষ রাশি ঃ মঙ্গল
স্বাধীনচেতা , উচ্চাভিলাষী , ভাব প্রবন ,নিজ কর্মে বিশ্বাসী , অভিমানী , কর্ম ক্ষেত্রে সর্বদা স্বীয় প্রধান্য বজায় রাখায় সচেষ্ট , বংশ গৌরব , পারিবারিক শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতক সর্বদা সচেষ্ট থাকে । অধিকাংশ সময় মেজাজ রুক্ষ থাকে ।
বৃষ রাশি ঃ শুক্র
অধ্যবসায়ী , পরিশ্রমী , তীক্ষ্ণ বুদ্ধি যুক্ত , স্থির প্রতিজ্ঞ , সব বিষয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে চাই , কারো বাধা বিঘ্ন মানবে না , অর্থ ব্যয়ে হিসাবী হলেও বিলাস ব্যসনে , আহার বিহারে কার্পণ্য করে না , স্নেহ প্রবন , ভাব প্রবন ,জাতক মিষ্টভাসি ,
মিথুন রাশি ঃ বুধ
মেধাবী ,আনন্দপ্রিয় , আত্মপ্রশংসাকামী , তীক্ষ্ণ বুদ্ধি যুক্ত , সমালোচক ,
কর্কট রাশি ঃ চন্দ্র
পুরাতন পন্থী , নিসঙ্গ , সকলের সাথে মিলে মিশে আগ্রহী , কর্ম ক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি , জীবনের প্রথম ভাগে বাধা , শেষ ভাগে উন্নতি , দেশ ভ্রমণে যোগ , বিদেশে একাধিক বার সঙ্কটে পরবে । দৈব্য অনুগ্রহে জাতক রক্ষা পাবে ।
সিংহ রাশি ঃ রবি
জাতক বিশ্বাসী , প্রায় সবক্ষেত্রে জাতক ক্ত্রিত্ব করতে চাই , নেতৃত্ব করার আকাঙ্খা থাকে , নিজ প্রচেষ্টা জোরে নিজের ধনবান ।
কন্যা রাশি ঃ বুধ
জাতক দ্বিস্বভাব যুক্ত , তীক্ষ্ণ বুদ্ধি , দর্শন ও বিজ্ঞানে আগ্রহী , বিবাহিত জীবন অপবাদ গ্রস্থ ,
জাতক কর্তব্য পরায়ণ , মিথ্যা প্রবঞ্চনা বিরোধী ।
তুলা রাশি ঃ শুক্র
দয়ালু , বুদ্ধিমান ,সঙ্গীতজ্ঞ , সামাজিক উচ্চাভিলাষী , আনন্দ প্রিয় , দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ পটু , সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিয়ম কানুন এর প্রতি সজাগ ,
বৃশ্চিক রাশি ঃ মঙ্গল
আত্মনির্ভরশীল ,কর্ম দক্ষ , কল্পনা প্রবণ , গম্ভীর , কারো পরামর্শে নিজের মত মনভাব পরিবর্তনে সম্মত নয় । নিজেকে সর্বদা বড় নির্দোষ বলে জাহির করতে আগ্রহী । জাতক সংযমী নয় , ইন্দ্রিয় তারনায় অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় ।
ধনু রাশি ঃ বৃহস্পতি
ন্যায়গুন বিশিষ্ট , রসঙ্গ কীর্তিপরায়ণ , সকল ক্ষেত্রে পূজনীয় , কুল গৌরব , প্রভুত ধন , জন যুক্ত , দেব দ্বিজে ভক্তি পরায়ণ , স্বাধীনচেতা , সূক্ষ্ম দৃষ্টিসম্পন্ন , লোক পরিচালনা সক্ষম

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180701080509

Sunday, July 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বৃশ্চিক রাশির বৈশিষ্ট্য

বৃশ্চিক রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) :

কোন এনসাইক্লোপেডিয়াতে চোখ রাখলে দেখবেন স্করপিও (বৃশ্চিক)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে এটা একটা রাতজাগা প্রাণী (এরাকনিড) যেটা তার দীর্ঘ আর আঁকা-বাকা লেজটি দিয়ে তার শিকারের উপর বিষ নি:সরণ করে। এতে শিকারটির দেহ অবশ হয়ে যায়। এর আঘাত অনেক সময় প্রাণনাশী হয়ে উঠতে পারে।

মানুষ যখন শোনে যে কেউ নভেম্বরে জন্ম নিয়েছে তখন পিছিয়ে যায় এই বলে যে, “ওহ! তুমি বৃশ্চিক!” হয় পরিষ্কার ভয়ে, নয় বিস্ময় এবং শ্রদ্ধায় তারা এই প্রতিক্রিয়া দেখায়। বৃশ্চিকসুলভ আবেদনের প্রতিফলনস্বরূপ অনকসময় তাদের মুখে হয়তো ভীত হাসিও ফুটে উঠতে পারে। বৃশ্চিকরা তাদের রাশির প্রতি এই বিনয়ী প্রতিক্রিয়াগুলো উপভোগ করে, আর কেই বা তাদের দোষ দিতে পারে? কিন্তু তারা বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক, কি ঠিক?

ঠিক নয়। এটা নির্ভর করে। প্রথমত, আপনার বরং জানা উচিত এই রাশির জাতকদের কীভাবে চিনতে হয়। হয়তো নিজেদের আত্মরক্ষার খাতিরে, কিংবা আমরা মহাপুরুষদের খোঁজে থাকি বলেই বুঝি তারা নিজেদের উপর তেমনই কোন মুখোশ জড়িয়ে নেয়। আর তাদের সুনিয়ন্ত্রিত চরিত্রের কারণে নিজেদের আরোপিত ব্যক্তিত্বে প্রতিফলন ঘটাতেও সফল হয়। তবে দুপুরে কিংবা মাঝরাতে তাদের এই মুখোশ উৎপাটনের কিছু শর্ট-কাট রয়েছে।

তার চোখে চোখ রাখুন। তাদের চোখ সবুজ, নীল, ধূসর, কিংবা কালো। কিংবা চোখগুলোতে তীব্র মোহাবিষ্টতার ছটা অনুভূত হবে। বৃশ্চিকের স্খির নিবদ্ধ দৃষ্টির মুখোমুখি হতে অধিকাংশ মানুষই ভীত এবং অস্বস্তি বোধ করে। তার এই সাবলীল চাহনীর মোহ কাটিয়ে উঠে প্রথমেই নিজের চোখ ফিরিয়ে নিন। সে প্রতিবারই দৃষ্টি নিবদ্ধ করার দিক থেকে আপনার উপর জয়লাভ করবে। আর এটাই প্লুটোসুলভ ব্যক্তিত্বের চাক্ষুস প্রমাণ। বৃশ্চিক চোখ আপনার গভীর থেকে গভীরে দৃষ্টি দেবে, নির্দয়ভাবে। আর তার যদি ইচ্ছা থাকে আপনার মনের গভীরটা পড়ে দেখবার, তাহলে তারা তাতে সফল হবে।

এরপর তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাদের স্বর ভেলভেটের মতো মসৃণ, কিছুটা ভাঙ্গা, তীব্রভাবে কষ্টদায়ক। তাদের বক্তব্য হবে মাপা, কিংবা কাট-ছাট করা এবং ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্য দিয়ে গঠিত। কিন্তু তার বক্তব্য কখনই নিজেকে গোপন করার বা গূঢ় বিষয়টিকে রাখ-ঢাক করবে না। বৃশ্চিকের মধ্যে রয়েছে পরিপূর্ণ আত্মগরিমা। সে জানে সে কেমন। এবং সে জানে সে কেমন নয়। আর হাজার মানুষ কে কী বললো তাতে নিজের মত থেকে একচুল বিচ্যুত হওয়া তার কর্ম নয়। অপমান তাকে স্পর্শ করার সুযোগ পায় না, আর প্রশংসা তাকে এক চুলও বিচলিত বা উৎফুল্ল করতে পারে না। কারো প্রশংসা বা সমালোচনা কোনটাই তার প্রয়োজন নেই। তাকে প্রশংসা করার ভালো দিক হলো, সে আপনার প্রশংসার সাথে একমত হবে। আর মন্দ দিক হলো, সে আপনার উদ্দেশ্য ঠিকই বুঝে ফেলবে।

এরপর যখন আপনি দলগতভাবে আলোচনায় বসবেন, তখন রাশিচক্রের কথা পেড়ে বলতে করতে পারেন যে চর্চা করলে বিভিন্ন রাশির জাতক চিনতে পারাটা কঠিন কিছু নয়। সে কথা শুনে যদি কেউ আপনাকে তার মোহাবিষ্ট চাহনি দিয়ে আঁকড়ে ধরে বলে, “তুমি কিছুতেই বলতে পারবে না আমি কোন রাশি” তখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলুন, “তুমি একটা বৃশ্চিক।” তখনই হয়তো প্রথমবারের মতো তার চোখ পিটপিট করবে।

কিন্তুক্ষণিক পরেই সে আবার তার সেই শান্ত ছদ্মবেশটা জড়িয়ে নেবে যেমনটি আপনি তার মুখোশ উৎপাটনের আগে সে জড়িয়ে ছিল। যদি আপনি কখনও এমন একজন বৃশ্চিকের দেখা পান যার চোখের দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু নিবদ্ধ হয় না, তবে তাকে বলুন যে সে একটা দোদো পাখির মতোই দুর্লভ উদাহরণ। নভেম্বরে জন্মানো কিছু মানুষের জন্মকুষ্ঠিতে হয়তো মানসিক অস্খিরতা সৃষ্টিকারী তীব্র প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু আমরা এখন বৃশ্চিকের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সাধারণ জাতকদের আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকবো এবং তাদেরকেই চেনার চেষ্টা করবো। আত্মবিশ্বাসহীন কিংবা ভীত বৃশ্চিকের সংখ্যা খুবই কম। অন্যান্য প্রভাব থাকার কারণে স্বভাবে তাদের পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তেমন জাতকেরা সংখ্যায় বেশি নয়।

অধিকাংশ প্লুটো-শাসিত মানুষই শারীরিক দিক থেকে শক্ত-সমর্থ। তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষণীয়ভাবে দৃঢ়, তীক্ষî এবং পরিষ্কার। তাদের নাক হবে খাড়া, কখনও কখনও টিয়ার ঠোঁটের মতো। সাধারণত তাদের গায়ের রঙ হয় মলিন, যেন প্রায় স্বচ্ছ, এবং তাদের ভ্রু মোটা। তা নাকের উপরে এসে মিলিত হয়। বৃশ্চিকের উপস্খিতিতে আপনি মৃদু কোলাহল আর তীব্র গতিময় প্রাণশক্তির আভাস পাবেন, আর সেটাই আপনার কাছে তার পরিচয় তুলে ধরবে।

সে যতই শান্ত থাকতে চাক না কেন তার এই তীব্র প্রাণ উদ্দীপনাকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। পুরুষদের হাতে পায়ে প্রচুর পশম থাকতে পারে। তাদের পশম প্রায়শই একটু লালচে রঙের হয়। অধিকাংশ বৃশ্চিকের চুলই কালো এবং চোখও কালো, কিন্তু তাই বলে শীতল প্রকৃতির সোনালীচুলের মানুষগুলোকে বাদ দেবেন না, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বৃশ্চিক গ্রেইস কেলি এবং বিলি গ্রাহামের কথা। বাইরে থেকে দেখতেই শুধু শীতল। নিজের ভেতরের টগবগে আচরণকে লুকোতেই তাদের এই শান্ত-স্খির বহিরাবরণ।

বৃশ্চিকেরা জীবন ও মৃত্যুর গোপন রহস্যগুলোর জ্ঞাণ নিয়েই জন্মেছে। এবং যদি সে চায় তবে দুটোকেই সে জয় করতে সক্ষম। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞাণ তাকে সবসময়ই পরামর্শ দেয় যে “সে যে জানে সেটা তার অবশ্যই জানা উচিত।” প্রাচিণ রহস্যগাথা বা কাহিনী তাকে সবসময়ই টানে। মানুষের প্রকৃতির প্রতি তার তীব্র সমব্যথা তাকে অত্যন্ত সফল ডিটেক্টিভ, অত্যন্ত উঁচু মানের সঙ্গিত শিল্পি, গভীর মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্খায়ী সাহিত্য কর্মের জনক, কিংবা এমন একজন অভিনেতায় পরিণত করে যে বিকল্পধারায় তীব্রভাবে নিজেকে উপস্খাপন করবে।

কখনও কখনও তাকে সমুদ্রের কাছাকাছি বসবাস করতে দেখা যায়। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই শক্তিশালী এবং নিরবে সে বসবাস করে। যখন মাঝে সাঝে সে মানুষের সাথে মিলিত হয়, তখন জয় করবার তীব্র আকাঙ্খা লুকিয়ে রাখার জন্যে সে শান্তভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। হতে পারে সে কোন একজন রাজনীতিবিদ, কিংবা একজন টিভি-তারকা, কিংবা একজন আন্ডারটেকার (যে মানুষকে কবর দেয়), কিংবা বারটেন্ডার। কিন্তু যে বৃত্তিতেই সে থাকুক না কেন, নিজের সব প্রতিদ্বন্দ্বিকেই সে টপকে যাবে। এবং সে এতো সহজেই এটা করবে যে মনে হবে এটা তার চেষ্টার থেকে যেন ভাগ্যেরই কারসাজি।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180701075306

Saturday, June 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

স্ফটিক

স্ফটিক

স্ফটিক
এই পাথরটিকে হিন্দীতে বিল্লৌর বলা হয় ৷ সংস্কৃতে স্ফটিক বলা হয় ৷ এটি কাচের ন্যায় খুব শক্ত এবং পরিষ্কার পাথর৷ এটি বর্ণহীন সাদা ৷ কাচের ন্যায় এর অপর পার দেখা যায় ৷ একে পাথরে ঘষলে ঘষা যায় না, কিন্তু কাচ ঘষা যায়৷ বিশেষজ্ঞগণ বলেন---যে সব পাহাড়ে দিন-রাত হাজার বছর ধরে বরফ পড়তে থাকে, হাজার বছর ধরে বরফ জমা থাকে, সেই সব বরফ জমা থাকার কারণে তার খুব নিম্নভাগে বরফ পাথরের রূপ ধারণ করে৷ যদি এই স্ফটিকের নিচে কোনও রত্তীন বস্তু রাখা যায়, তাহলে সেই বস্তুকেও সাদা দেখায় | কিন্তু কাচের নিচে রাখলে সেই রঙীন বস্তুর রঙ অপর পার থেকে পরিস্কার দেখা যায় ৷ এটি স্বাদহীন, কিন্তু এটি খাওয়া ক্ষতিকারক ৷ প্রসিদ্ধ রোমান লেখক প্লীনী লিখেছেন যে---আজ থেকে দু'হাজার বছর আগে রামের ধনবান ব্যক্তিরা এই স্ফটিক অর্থাৎ বিল্লৌরের বাসনপত্র, পেয়ালা প্রভৃতি তৈরী করাতো ৷ স্ফটিক সূর্যের কিরণে রাখলে স্ফটিক থেকে যে দ্যুতি নির্গত হয় ঐ দ্যুতি দেহে লাগলে অন্ত্রঘটিত যাবতীয় রোগ দূর হয়। জন্মসময়ে রবি গ্রহ মেষ বা তুলারাশিতে অবস্থিত হলে---তাদের পক্ষে চন্দ্রকান্তমণি ধারণ না করে স্ফটিক ধারণ করা উচিত।
উপকারিতা
(১) ক্রিস্টালের তৈরী মালাতে বার বার জপ এবং ঈশ্বরকে স্মরণ করলে মনে শান্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ হয় ৷ (২) পাহাড়ের উপর থেকে বেরিয়ে আসা বিল্লৌর ( QUARTZ)কে তান্ত্রিক , জ্যোতিষী এবং আধ্যাত্মিকবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ ভবিষ্যতর কথা বলে দেবার কাচ তৈরী করে ৷ নিরন্তর অভ্যাস করলে তা তান্ত্রিক গন এই কাচ দেখে বহুদূরের দৃশ্য দেখতে পান, এবং প্রশ্নকর্তার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর বলে দিতে পারেন৷ হাজার বছর থেকে এই কাচ এর সাহায্যে ভবিষ্যতের কথা বলা হচ্ছে।
কথিত আছে যে, জাপানের বৌদ্ধ মন্দিরের পূজারী ঈশ্বর দর্শনের সন্ধানকারী এই পাথরকে সামনে রেখে অভ্যাস করে ঈশ্বর দর্শন করতেন ৷ দূর-দূরাম্তরের বৃত্তান্ত ও দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে পারতেন৷
(৩) এই পাথরে চোখের খুব উপকার করে৷ প্রাচীনকালে বৈদ্য ও হেকিমগণ এই পাথর চূর্ণ করে কাপড়ে নিয়ে চোখে সুরমার মতো ব্যবহার করতে দিতেন চক্ষুরোগীদের ৷ তার ফলে চোখ সাদা হয়ে যাওয়া, চোখের পাতায় চুলকানি ইত্যাদি চোখের রোগ আরোগ্য হতো৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180630124941

Saturday, June 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহের জন্য অষ্টকূট বিচার

বিবাহের জন্য অষ্টকূট বিচার

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

অষ্টকূট যোটক বিচার

জ্যোতিষশাস্ত্রালোচনায় দেখা যায় যে খ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দী পর্যন্ত বিবাহে নাড়ীনক্ষত্র কূট বিচার বাঅষ্টকূট যোটক বিচারছিলনা। (এই বিষয়ে শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় শ্রী হরিচরণ স্মৃতিতীর্থ বিদ্যারত্ন মহাশয় তাঁর বিবাহ-মিলন- বিষয়ক “ সুখের সন্ধান” পুস্তকে কিছুআলোচনা করেছেন)।খ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিভিন্ন অবস্থায় ভারতীয় জনচিত্ত কর্ম বিমুখ ও ক্রিয়াশূন্য হয়ে পড়েছিল।সম্ভবতঃ ওই সময়ে অন্যান্য নানান রকম প্রবাদবাক্য ও কুসংস্কারের সঙ্গে এই তথাকথিত বিবাহ মিলন বা যোটক বিচার পদ্ধতিটা জন মানসে অবস্য কর্তব্য হিসাবে প্রবেশ লাভ করে এবং কতিপয় সুচতুর ব্রাহ্মণ পণ্ডিত এ যুগের ন্যায় সে যুগেও লোক ঠকান জ্যোতিষ ব্যবসা ফেঁদে বসেন ও সকল প্রকার সামাজিক ক্রিয়া কর্ম কে নিয়ন্ত্রন করার জন্য নানান রকম ফন্দী ফিকির, তাবিজ কবজ ও কুসংস্কারের আশ্রয় নেন।

জন্ম সময়ের গ্রহসংস্থান থেকে মানুষের ভাগ্যফলের বিচারের তুলনায় নাড়ীনক্ষত্র ঘটিতঅষ্টকূট বিবাহ মিলন বিচারের কোন যুক্তিসঙ্গত গুরুত্ব থাকে না।গণ-মিলনে-নর-রাক্ষস থেকে দম্পতির অকালমৃত্যুর কোন ন্যায়সঙ্গত যুক্তি পাওয়া যায়না। কারন জন্মনক্ষত্রের উগ্র-চরাদি গণ থেকে নর-রাক্ষসাদির প্রকৃতি বিচার করা হয়।এই গণনা ভাগ্যফলের বিচারের তুলনায় স্থুল। কিন্তু লৌকিক বিচারে একটা আতঙ্কের কারন সৃষ্ট হয়ে বহুদিন ধরে চলে আসছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে পাত্রপাত্রীর পরস্পরের রাশির মিলের অভাবে বড় জোর মনের বা মতের অনৈক্য ঘটতে পারে, কিন্তু দোষযুক্ত চন্দ্রে দম্পতির অমঙ্গলের কারন যুক্তিসঙ্গত ভাবে পাওয়া যায় না।কারন জ্যোতিষশাস্ত্র মতে চন্দ্র যুক্ত রাশি থেকে আয়ু এবং ভাগ্য বিচার করলে লগ্ন ভিত্তিক বিচারের কোন গুরুত্ব থাকে না।অথচ ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র প্রধানত লগ্ন ভিত্তিক গণনার উপরই নির্ভরশীল।

চন্দ্র সওয়া দুই দিন প্রত্যেক রাশিতে থাকে;পক্ষান্তরে লগ্ন প্রত্যেক দুই ঘণ্টা অন্তর পরিবর্তিত হয়।এই অবস্থায় চন্দ্র থেকে ভাগ্য গণনা এবং অকালমৃত্যু প্রভৃতি অমঙ্গল বিচার করলে, সওয়া দুই দিন পর্যন্ত যত পুরুষ বা স্ত্রীলোক জন্মাবে, তাদের একটা কুষ্ঠী দিয়ে যাবতীয় ভাগ্যফল ও স্ত্রী বা স্বামী হানির বিচার করা যাবে। তা কিন্তু কোনভাবেই সম্ভবপর নয়।

১০০২ খ্রীষ্টাব্দে মালবের ধারা নগরীতে ভোজরাজের সভায় স্মৃতির পণ্ডিতগণ প্রথমেঅষ্টকূট বিচারের গণনা ‘রাজমার্তণ্ড’ নামক জ্যোতিষসংহিতায় প্রবর্তন করেন।তারপর আচার্যগণ ক্রমশঃ নক্ষত্রঘটিত যাবতীয় ফল বিবাহ-মিলনের বিচারে প্রবর্তন করেন।শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর ‘শুদ্ধিদীপিকা’, রামদৈবজ্ঞের ‘দৈবজ্ঞ- মনোহর ও ‘মুহূর্তচিন্তামণি’ প্রভৃতি পুস্তকে এবংখ্রীষ্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে বঙ্গদেশের রঘুনন্দনের ‘জ্যোতিষতত্বে’ এইঅষ্টকূট-বিচার স্থান পায়।এইভাবে ক্রমশঃ প্রসারলাভ করে পঞ্জিকার জ্যোতিষ বচনারথে স্থান পেয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

মানব জীবনের উপর জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রভাব সম্পর্কিত শাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র নামে পরিচিত। জ্যোতিষশাস্ত্রে মেষ, বৃষ, মিথুন, ইত্যাদি বারোটি রাশি, নয়টি গ্রহ, ও সাতাশটি নক্ষত্র এবং লগ্ন ভিত্তিক অসংখ্য যোগের ও সূত্রের সাহায্যে মানুষের ভূত ভবিষ্যৎ বলারচেষ্টা করা হয়ে থাকে।

আশুন এবারে দেখা যাক যোটক বিচার বলতে ঠিক কি বুঝায়?

বিবাহের পূর্বে বর ও কন্যার পরস্পরের জন্মরাশি, জন্মনক্ষত্র ও রাশ্যাধিপ গ্রহদি থেকে, যে শুভাশুভ ফল বিচার করা যায়, তাকেই যোটক বিচার বলে। যোটক বিচার অষ্টপ্রকারে বিভক্ত।

বর্ণকূট, বশ্যকূট, তারাকূট, যোনিকূট, গ্রহমৈত্রীকূট, গণমৈত্রীকূট, ও ত্রিনাড়ীকূট। বর ও কন্যার পরস্পরের বর্ণের একতা বা মিত্রতা হলে এক গুন ফল, তার সঙ্গে বশ্যতা যোগ হলে দ্বিগুণ ফল, তারাশুদ্ধি যোগে ত্রিগুন ফল, এইভাবে অষ্টপ্রকারে শুভ হলে দম্পতীর পূর্ণ শুভ ফল ভাবা হয়।

এবার দেখা যাক বর্ণ কাকে বলে বা বর্ণ বলতে ঠিক কি বুঝায়-। জ্যোতিষশাস্ত্রে মেষ, বৃষ, মিথুন, ইত্যাদি যে বারোটি রাশি ব্যাবহার করা হয় তাদের বিপ্র, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র বর্ণে বিভক্ত করা হয়েছে।যথা যে ব্যক্তিগনের জন্ম কর্কট, মীন, বা বৃশ্চিক রাশিতে তাঁদের বর্ণ বিপ্র। এইভাবে যাঁদের জন্ম সিংহ, তুলা বা ধনু রাশিতে তাঁদের বর্ণ ক্ষত্রিয়। যোটক বিচারের নিয়মে শুদ্র বর্ণের থেকে বৈশ্য বর্ণ শ্রেষ্ঠ, বৈশ্য বর্ণের থেকে ক্ষত্রিয় বর্ণ শ্রেষ্ঠ, আবার ক্ষত্রিয় বর্ণের থেকে বিপ্র বর্ণ শ্রেষ্ঠ।

বর্ণ ফলমে বলা হয়েছে যে-

"ক্ষাত্র-বিট্-শুদ্র-বিপ্রাঃ স্যুঃ ক্রমান্মেষাদি-রাশয়ঃ।

তত্র বর্ণাধিকা কন্যা নৈবোদ্বাহ্যা কদাচন" ।।

অর্থাৎ “বরের বর্ণাপেক্ষা কন্যার বর্ণ শ্রেষ্ঠ হলে, সেই কন্যাকে কদাচ বিবাহ করিবেনা”। করলে কি হবে?

"বর্ণশ্রেষ্ঠা তু যা নারী বর্ণহীনস্তু যাঃ পুমান।

বিবাহং যদি কুরব্বীত তস্য ভর্তা বিনশ্যতি"।।

অর্থাৎ “বর্ণশ্রেষ্ঠা কন্যাকে বিবাহ করিলে ভর্তার নিধনাশঙ্কা।

সেই কন্যা অতি মহৎকুল সম্ভূতা হইলেও পতিপরায়ণা হয় না”।

একে তো জন্ম চান্দ্র রাশিকে উপরিউক্ত চারটি গণে বিভাজন বিজ্ঞান না হোক প্রাচীন জ্যোতিষশাস্ত্র সম্মতও নয়, তার উপর শুধু মাত্র গণে না মিলিয়ে বিয়ে দিলে, পুরুষের নিধনাশঙ্কা। এমন কথা কেবল মাত্র অবৈজ্ঞানিক এবং অবাস্তবই নয় হাস্যসকর ও বটে।

বশ্যকূট্। “মিথুন, কন্যা, তুলা, কুম্ভ, ও ধনুর পূর্বা্রদ্ধ, যদি বরের রাশি হয় এবং মেষ, বৃষ, কর্কট, ইত্যাদি যদি কন্যার রাশি হয় সেই কন্যা বরের বশীভূত হয়”।

এই ভাবে কয়েকটি জন্ম চান্দ্র রাশিকে অন্য কয়েকটি জন্ম চান্দ্র রাশির বশ্য ধরা হয়ে্ছে। এবং বিপরীতে বিপরীত ফল বলা হয়েছে।

"এবং বশ্যসমাযোগে দম্পত্যোঃ প্রীতিরূত্তমা।

বশ্যাভাবেহপি দম্পত্যো্রবিবাহঃ কলহ-প্রদঃ"।।

অর্থাৎ “ কথিত নিয়মে বর ও কন্যার রাশির বশ্যাবশ্য বিচারে যদি কন্যা বরের বশ্যা হয়, তবে শুভ ও পরস্পর প্রীতিলাভ হইয়া থাকে ; অন্যথায় কলহাদি হইয়া থাকে”।।

পৃথিবীকে ঘিরে চন্দ্র তার পরিক্রমায়, বারটি রাশির এক একটিতে সোয়া দু দিন অবস্থান করে। ঐ সময়ে যত লক্ষ্য মানুষ জন্মায় তাদের সকলেরই ঐ একই জন্মরাশি হয়। অথচ কোন এক রাশিতে জন্মান মানুষ অন্য আরেক দিনে জন্মান মানুষের বশ্য হবে। এবং বিবাহের পরও সেই হিসাবে বশ্যতা চলতে থাকবে ধরে নিয়ে বিবাহের ব্যবস্থা করতে হবে।আবার কন্যা দিগকে বরের বশ্য হতেই হবে। অন্যথায় অনর্থ হবে।

মধ্যযুগীয় পুরুষ শাসিত সমাজের সমাজপতি গণের নিকট এর থেকে ভাল বিধান আর কীই বা আশা করা যায়?

কিন্তু পরম আশ্চর্যের ও পরিতাপের বিষয়, বর্তমান বিজ্ঞানের যুগেও বহু শিক্ষিত মানুষ এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন এবং এই সব তথাকথিত জ্যোতিষিক বচনের উপর নির্ভর করে নিজেদের সন্তান সন্ততি গণের বিবাহ স্থির করেন।

এবারে আসা যাক গণ কূটের কথায়। গন কূট কি? অমুকের অমুক গণ, দেব, নর না রাক্ষস? কি ভাবে জানা যাবে?

জ্যোতিষ গণনায় যে সাতাশটি নক্ষত্রকে ধরা হয়েছে, তাদেরই ঐ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বর ও কন্যার জন্মনক্ষত্র থেকে গণ কূট বিচার করতে হয়।

স্বাতী, হস্তা, অনুরাধা, অশ্বিনী, ইত্যাদি নয়টি সত্ত্ব গুন বিশিষ্ট নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে দেবগন ও সত্ত্ব গুণী হয়। পূর্বফল্গুনী, পূর্বাষাড়া, পূর্বভাদ্রপদ, ইত্যাদি নয়টি নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে নর গন হয়।

জ্যেষ্ঠা, মূলা, মঘা, ইত্যাদি নয়টি নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে রাক্ষস গণ হয়।এতো হল গণের পরিচয়। এবারে বিচারটা কিভাবে হবে?

“স্বজাতৌ পরমা প্রীতিরমধ্যা দেব-মানুষে।

দেবাসুরে বৈরতা চ ম্রিত্যুরমানুষ-রাক্ষসে।।

রাক্ষসী চ যদা কন্যা মানুশ্চ বরো ভবেত।

তদা ম্রিত্যুরন দূরস্থো নির্ধনত্বমথাপি যা” ।।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে মানুষের শিক্ষা দীক্ষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, জাতিগত বা বংশগত ভাবধারার কোন মূল্য নেই। স্বাতী, হস্তা, অনুরাধা, অশ্বিনী, ইত্যাদি নক্ষত্রে জন্মালেই তার মধ্যে সত্ত্বগুণ থাকবে এবং সে দেবতুল্য মানুষ হবে। একই ভাবে জ্যেষ্ঠা, মূলা, মঘা, ইত্যাদি নক্ষত্রে জন্মালে, সেই কন্যা যতই সুশীলা হোকনা কেন, বিনা দোষে তার রাক্ষস গণ হবে।এবং তার মধ্যে তমমগুণ থাকায় দেবগণের পাত্রের সঙ্গে তার কোন মতেই বিবাহ করা চলবে না। বিয়ে হলে কি হবে? ভাল হবেনা। কলহাদি অশান্তি হবে। আর নর- রাক্ষসের বিবাহে কি হবে?

“অসুর- মনুজয়োশ্চেন্মৃত্যুমেব প্রদিষটা"।।

নরগণের পাত্রের সঙ্গে রাক্ষস গণের কন্যার বিবাহ হলে পাত্রের মৃত্যু হবে। অরথাৎ রাক্ষসী কন্যা নর পাত্রকে খেয়ে ফেলবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180630121234

Saturday, June 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

তুলারশির বৈশিষ্ট্য

তুলারশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) :

তুলা জাতকেরা রুক্ষ হতে ঘৃণাবোধ করে, কিন্তু তারপরও তারা আপনার দেয়ালে টাঙানো ভাঁজ পড়া ছবিটাকে সোজা করে দেবে এবং আপনার ঝির-ঝির করা টিভি সেটটাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তুলারা মানুষ ভালোবাসে, কিন্তু অনেক মানুষের ভিড় তাদের অপছন্দ। শান্তির পায়রাদের মতোই সুশীলভাবে তারা অন্যদের ঝগড়া-বিবাদে মধ্যস্খতা এবং মীমাংসার জন্যে যাবে। কিন্তু তারা নিজেরাও ভালো একটা বিতর্ক করা থেকে পিছপা হয়না। তারা সুশীল এবং তাদের সঙ্গ আনন্দদায়ক। কিন্তু মাঝে মধ্যে তারা রামগরুরের ছানা (হাসতে তাদের মানা) হয়ে উঠতে পারে। আদেশ মানতে চরম অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে। তুলা জাতকেরা খুবই বুদ্ধিমান। একই সাথে, তারা চরমভাবে সরল।

সহজেই অন্যের প্রতারণার শিকার হয়। তারা কথা বলে আপনার কান পাঁকিয়ে ফেলবে। কিন্তু একই সাথে তারা আপনার খুব ভালো শ্রোতাও হবে। তুলারা অস্খির প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু কোন কাজে কদাচিৎ তারা তাড়াহুড়ো করে। আপনি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছেন? আপনি শুধু একা নন। এই রাশির কার্যকলাপ, বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এতো হতাশাব্যঞ্জক অসামঞ্জস্য কিংবা ধারাবাহিক স্খিরতার অভাব রয়েছে যে অন্য মানুষতো বটেই, তারা নিজেরাও একেক সময় নিজেদের আচরণে অবাক হয়ে যায়।

অনেক মানুষই আপনাকে বলবে যে তুলা হলো ভালোবাসা, সৌন্দর্য, মিষ্টতা, আলোর রাশি। সেটা ভালো, যতক্ষণ এভাবে চলছে। কিন্তু গন্তব্যে পৌছাবার আগেই থেমে যাওয়া তার অভ্যাস। ইউজেন ও'নেইল (১৯৩৬ সনে নোবেল বিজয়ী আমেরিকান নাট্যকার) এর বর্ণিত একটা সভ্য দূরত্বও পৌছে কিনা সেটাও সন্দেহ। তুলাদের প্রতীকটি একটা সুবিচারের স্বর্ণের নির্মিত পাল্লা বলেই ভেবে নেবেন না যে তারা নিজেরাও সবসময় স্খির ভারসাম্য অবস্খায় রয়েছে। এটা হয়তো মনে হবে যে একটা যৌক্তিক অনুমান।

অবশ্য পাল্লার কাজই হলো ভারসাম্য রক্ষা করা। আপনি কি পুরোনো ফার্মাসিউটিক্যাল পাল্লাগুলোতে মাপা-মাপির দৃশ্য দেখেছেন? সেগুলোর আসল উদ্দেশ্য হলো পাল্লাটার দুপাশকে ভারসাম্য দেয়া। কিন্তু আসলে কী ঘটে? একবার একপাশে কম হয়, তো আরেকবার অন্য পাশে কম হয়। এই কম বেশি করে করে অবশেষে ভারসাম্য আসে। বন্ধুভাবাপন্ন কোন প্রতিবেশীর ফার্মেসিতে গিয়ে এই মাপামাপির দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারেন। (ওষুধ বিক্রেতাকে শুধু বলুন যে কীভাবে দুপাশ সমান করা সম্ভব সেটাই আপনি দেখতে চান।)

শান্ত, নিখুঁতভাবে অবিচল, মনোরম, মহৎ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বেও এই চমৎকার সমন্বয় তুলা জাতকের মধ্যেও আরেকবার পাবেন কি না কে জানে। তুলা জাতকের ব্যক্তিত্বের মধ্যে এরকম একটা সমন্বয় আপনি পাবেন ঠিকই, কিন্তু সেটা দিনের অর্ধেকটার জন্যে। কিন্তু দিনের বাকি অর্ধেকটা সময় সে বিরক্তিকর, ঝগড়াটে, জিদি, অস্খির, হতাশ, এবং বিভ্রান্ত হয়ে থাকবে। আবার হঠাৎ করেই, দাড়ি-পাল্লার অভ্রান্ত ভারসাম্যের মতোই সেও তার ভারসাম্য অর্জন করবে। এটা যেন স্বর্গীয়। কিন্তু এই স্বর্গীয় ভারসাম্য আসার আগে ঐ কম-বেশির ব্যাপারটা থাকবেই।

এদের বাহ্যিক চেহারা দেখে চিনতে হলে ততটুকুই মনোযোগ দরকার যতটুকু তার ব্যক্তিত্বকে বুঝতে হলে দরকার। তুলা জাতকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য বলে বস্তুত তেমন কিছু নেই, যদি না এটা ভেনাস ডিম্পল হয়।

তুলাদের বৈশিষ্ট্যগুলো প্রায় সবসময়ই একইরকম এবং সুসাম্য বজায় থাকে। তারা আনন্দদায়ক, কিন্তু তেমন লক্ষ্যণীয় নয়। তাই বরং গালের টোল দিয়েই শুরু করলে সুবিধা হবে। গালে দুটি অথবা থুতনিতে একটা টোল থাকতে পারে। যদি মুখে কোন টোল না পান তাহলে তাদের হাঁটু অনাবৃত করে দেখতে চাইলে দেখতে পারেন সেখানে পান কি না। অনেক তুলা জাতকের হাঁটুতেই টোল থাকতে পারে। কিন্তু এসব ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। “আমি শুধু এইটুকু পরীক্ষা করতে চাই যে তুমি অক্টোবরে জন্মিয়েছো কি না” - এই কথা বলে আপনি যদি হাঁটু দেখতে চান, তাহলে খুব কম সংখ্যক মেয়েই আপনাকে বিশ্বাস করবে।

পুরুষদের পাজামা উঠিয়ে দেখতে চাইলে আপনি সূত্রটার সত্যতা পাবেন - অবশ্য সমুদ্রসৈকতে কিংবা টেনিস খেলার সময় পাজামা উঠাবার প্রয়োজন পড়বে না। টোল পাবার পর যদি জানতে পারেন যে, ব্যক্তিটি অক্টোবরে জন্ম নেয় নি তাহলে আশাহত হবেন না। তুলার প্রভাব থাকলে টোলগুলো ওসব স্খানে থাকবে এটাই নিয়ম, সুতরাং আপনার ধারণা এখনও সঠিক।

ভেনাস ডিম্পল, বা টোলের খোঁজাখুঁজি শেষ হলে এবার তার মুখমণ্ডলটা লক্ষ্য করে দেখুন। সবসময়ই একটা লক্ষণীয়ভাবে সুখাবহ অভিব্যক্তি তার মুখমণ্ডলে লেগে থাকে। এমনকি যখন তুলা জাতক রাগান্বিত থাকে তখনও কোন না কোনভাবে তারা মুখের অভিব্যক্তিতে একটা ভদ্র কিংবা ন্যূনতমভাবে নিরপেক্ষ ভাব ধরে রাখে। শুক্রদের কণ্ঠস্বর সাধারণত মিষ্টি এবং কলিং বেলের মতোই পরিষ্কার। এই মানুষগুলো সাধারণত নিজেদের কণ্ঠস্বরকে কর্কশ কিংবা তীক্ষ করে তোলে না। সমগ্র পৃথিবীতে তুলা জাতকই সেই একমাত্র ব্যক্তি যে বলবে, “আমি তোমাকে ঘৃণা করি, এবং এখন তোমার নাকে একটা ঘুষি মারবো,” অথচ তার কণ্ঠস্বর শুনে মনে হবে সে যেন মহাদেব সাহার কবিতা আবৃত্তি করে বলছে,

“কীভাবে তোমায় আমি ভালোবাসবো?” তার মুখটা হয়তো সামনে ঝুঁকে থাকা, আর তাদের ঠোঁটের বর্ণনা হয়তো গিবসনের ‘গার্ল ডেইজ’-এ বর্ণিত আছে এভাবে, “ঠোঁট যেন চেরী ফলের তৈরি মদের মতো।” বস্তুত, তুলার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একজন জাতকের মুখ দেখলে আপনার ক্রিসমাসের খুব রঙ-চঙে বৈচিত্র্যময় আনন্দোউজ্জ্বল উপহারের বাক্সগুলোর কথা মনে পড়বে। কিংবা মিষ্টি বিস্কুটের কথা মনে পড়বে। তাদের কাউকে কাউকে দেখলে মনে হবে তারা যেন মানুষরূপী ললিপপ, কিংবা ক্রিমে ভরপুর ক্যারামেল সানডি। তারা এইগুলো খেতেও পছন্দ করে, আর যদি এমন হয় যে একজন তুলা জাতকই এটা এখন এটা পড়ছেন, তাহলে হয়তো ইতিমধ্যে তার ক্ষুধাও লেগে গেছে।

জাতিকারা প্রায় সবসময়ই কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই সুন্দর হয়, আর পুরুষরা সাধারণত হ্যান্ডসাম। তাই বলে, পৃথিবীর সব সুন্দর মানুষগুলোই যে তুলা জাতক কিংবা জাতিকা তা নয়। শুক্রের সৌন্দর্যের একটা নির্দিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য রাশির সৌন্দর্য থেকে এটাকে সবসময় পৃথক করা সহজ ব্যাপার নয়। তাদেরকে চিনতে পারার যে গোপন কৌশলটা আমার আছে সেটা হলো, আমি ডুয়াইট আইসেনহাওয়ার এবং ব্রিজেট বার্দোর মিষ্টি অভিব্যক্তিটাকে তুলাসুলভ বলে স্খির করে নিয়ে তারপর অন্যদের অভিব্যক্তি মিলিয়ে দেখি। কিন্তু সমস্যাটা হলো কখনও কখনও পুরুষগুলোকেই লাগে বার্দোর মতো আর মহিলাদেরকেই দেখায় ডুয়াইটের মতো। আপনারও এরকম পরিস্খিতির জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আমি এমন বলছি না যে, তুলাজাতিকাদের চেহারা পুরুষালী। একজন গড়পড়তা পুরুষ যতটুকু মেয়েলীত্ব প্রত্যাশা করে, কিংবা সহ্য করতে পারে তারা ঠিক ততটুকুই মেয়েলী (যদি না তাদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাবের প্রভাব থেকে থাকে।) আর নিশ্চিতভাবেই আমি এটাও বলছি না যে তুলা পুরুষেরা মেয়েলী। বরং তারা সাধারণত পৌরুষদীপ্ত পুরুষ জানোয়ার। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে তাদের মধ্যে এমন কিছু খাঁটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো তাদেরকে বক্সার কিংবা কুস্তিগীরদের থেকে সহজেই স্বতন্ত্র করে দেয়। এমনকি যে দুর্লভ তুলাজাতককে আপনার কুৎসিত মনে হবে, যদিও এরকম একজন তুলাজাতক খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তার অভিব্যক্তিতেও এমন একটা চমৎকারিত্ব থাকবে যেটা আপনাকে এই বিশ্বাস দিয়ে যাবে যে সে খুবই সুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।

আপনি কোন তুলাজাতককেই খুঁজে পাবেন না যার হাসিটা এক টুকরো নরম সাদা মেঘের মতো সুশ্রী নয়। শুক্রের হাসি শক্ত একটা চকলেটকেও নিমেষে গলিয়ে দিতে পারে। আর যখন এই হাসি আপনার উপর পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে তখন একদম বদখত মুখটিকেও আপনার চমৎকার সুন্দর বলে মনে হবে। কথাটা ভাবার্থবোধে নেবেন আক্ষরিক অর্থে নয়।

অধিকাংশ তুলা জাতক জাতিকার শরীরেই চমৎকার বাঁক রয়েছে, তাই বলে কোণ আবার নেই। তাদের চুল প্রায়ই হয় কোকড়া। তারা যে মোটা হবে এমন কোন কথা নেই (কিন্তু বৃষের প্রভাব থাকলে তারা যে ছোট খাট হাতি হয়ে উঠবে না এমনটি বলা যায় না)। কিন্তু তারপরও, ভালো ডায়েট করে একটা ভালো শরীরের অধিকারী হয়ে উঠে আপনাকে বোকা বানাতে তাদের বেশিদিন লাগবে না। এবং তারপরও তার শরীরে আওয়ারগ্লাসের মতো ঢেউখেলানো বাঁকগুলো থাকবে। আবার বার্দোতের উদাহরণ টেনে আনা যায়। কেউ যে তাকে মোটা বলতে পারবে না সেটা নিশ্চিত, কিন্তু কেউ কি তাকে চিকন বলতে পারবে? শুক্র জাতক জাতিকাদের চেহারা এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবার আরেকটি কৌশল রয়েছে। তাদের ঝলমলে হাসির মধ্যে একটা উচ্ছ্বল রিমঝিম সুরের আবেশ পাবেন। একবার শুনলে, সে শব্দ দ্রুত ভুলে যাওয়া আপনার জন্যে কঠিন হবে।

তুলাকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে আপনাকে পাল্লার ধাঁধাটা আগে বুঝতে হবে; একটা পাল্লায় ভরে আছে অক্টোবরের বৈচিত্র্যময় উজ্জ্বলতা, স্বর্ণালী পাতার þতূপ, যেন শরতের ক্ষণস্খায়ী আবহাওয়ার ছোঁয়া। আরেকটা পাশে জমে আছে এপ্রিলের বৃষ্টিতে সিক্ত লাজুক ভায়োলেট ফুলের আকাশী ডাল-পালার স্নিগ্ধ গন্ধ। যখন পাল্লার এপাশটা নিচু হয় তখন ঝলমলে আশাবাদ নিমজ্জিত হয় নির্বাক ভয়ে। একাকীত্বের হতাশায় হয়ে যায় নিমগ্ন। যখন পাল্লার দুপাশে সাম্য আসে তখন তার উর্বর, এবং প্রগলভ বুদ্ধিমত্তা আর তার প্রণয়কাতর, সহানুভূতিশীল হৃদয়ের মধ্যে একটা চমৎকার সঙ্গীত এসে বাসা বাধে তার বুকে। ঋতুগুলো তুলা রাশির গোপনীয়তা পুষে রাখে। শীতকাল তাদের জন্যে একটু বেশিই শীতল। গ্রীষ্ম তার জন্যে একটু বেশি গরম। এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে নিখুঁত একটি বসন্ত কিংবা হেমন্তই তাকে শান্তি দিতে পারে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180630120929

Friday, June 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কন্যা রাশির বৈশিষ্ট্য

কন্যা রাশির বৈশিষ্ট্য

সুপ্রভাত

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

বাংলা রাশিচক্র

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) :- কারিগর বা সমালোচকের প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

আপনি বাস্তববাদী, বুদ্ধিদীপ্ত ও পরিশ্রমী। আবেগ-অনুভূতিকে আপনি মস্তিষ্ক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এর জন্য আপনার আচরণে একটা শীতলতা লক্ষ করা যায়। মনের দিক থেকে আপনি নিখুঁত সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। আপনার স্মরণশক্তি প্রখর, অতীতের অনেক ঘটনা অনায়াসে বলে দিতে পারেন অতীতচারী স্বভাব রয়েছে আপনার। আপনি জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ডায়েরিতে লিখে রাখতে পছন্দ করেন। আপনি কঠিন সমালোচক ও স্পষ্টবাদী। সাধারণত এতে ঈর্ষা থাকে না, তবু এর কারণে আপনি অন্যদের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন, অনেক সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।

যেকোনো আবেগ বা ইন্দ্রিয়ের ব্যাপারে আপনি অত্যন্ত চাপা। সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও আপনাকে স্বার্থপর মনে হতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে আপনার ঠাণ্ডা স্বভাব সুন্দর জীবনের পথে অন্তরায়। আপনি দ্রুত যেকোনো জিনিস লিখতে পারেন। কিন্তু পড়ালেখায় আপনার আগ্রহ কম। আপনি বুদ্ধিবৃত্তিক সব ব্যাপারে আগ্রহী এবং সংস্কৃতিবান ব্যক্তিদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে চান। আপনি বেশ চালাক ও সতর্ক। আপনার সাহিত্য ও শিল্প সংস্কৃতির প্রতি জন্মগত আগ্রহ রয়েছে। আপনি সাধারণত বিনয়ী ও বিশ্বস্ত। আপনার জীবনে বহুবার বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসবে। নিজের বাড়ি না হলে আপনি ঘন ঘন বাড়ি বদল করতে পছন্দ করেন। চাকরির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না। বন্ধু হিসেবে আপনি বেশ বিশ্বস্ত।

কর্ম :

কাজই আপনার আনন্দ ও গর্ব। কাজের মাধ্যমে আপনি নিজেকে প্রকাশ করতে চান। সত্যিকার ভালো কাজের জন্য আপনি ত্যাগী ও পরিশ্রমী। আপনি মানসিক ও শারীরিক দু’ ধরনের কাজেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও ধৈর্যের জন্য আপনি শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমালোচক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন। বিজ্ঞানী ও আইনজীবী হিসেবেও আপনি খ্যাতি অর্জন করতে পারেন। সেক্রেটারি ও হিসাবরক্ষক হিসেবেও আপনার মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারেন। অংশীদারি ব্যবসা হলে আপনার অংশীদারত্বে উদ্যমী, সাহসী ও শর্টকাট মাধ্যমে পারদর্শী হতে হবে। আপনার অধ্যবসায়, বিশ্বস্ততা ও প্রতিযোগী মন ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কর্মচারীদের নিকট আপনি অপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

অর্থ :

অর্থের ব্যাপারে আপনি বেশ উত্সাহী। অর্থকে আপনি ক্ষমতার উত্স বলে মনে করেন। আপনি বেশ হিসাবী। সহজে অর্থ হাতছাড়া করতে চান না। আপনি সঞ্চয়ী। ধনী হওয়ার জন্য আপনার চেষ্টায় কোনো ক্লান্তি নেই। অর্থলগ্নিতে আপনার ভাগ্য ততটা ভালো নয়। অতি সতর্কতার জন্য অর্থ উপার্জনের অনেক সুন্দর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

প্রেম ও বিয়ে :

প্রেমের ব্যাপারে আপনি অনেকটা শীতল প্রকৃতির। সাধারণত আবেগ-অনুভূতি ও স্নেহ-মমতা প্রকাশে আপনি রুচিশীল ও বিনয়ী। আপনি এত বেশি আত্মকেন্দ্রিক যে, প্রেমের স্বাভাবিক আবেগ প্রকাশেও সঙ্কোচ বোধ করেন। আপনি প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে নিবেদিত হওয়াটাকে অপছন্দ করেন। আপনি কখনও কখনও প্রেমকে অভিনয় হিসেবে উপভোগ করেন। তবে কেউ যদি আপনার ভালোবাসা অর্জনে সমর্থ হয়, আপনি সহজেই তার দ্বারা প্রভাবিত হন। এক্ষেত্রে আপনার নির্বাচন সঠিক হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180629081036

Friday, June 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে কেতু গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে কেতু গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

সুপ্রভাত
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে কেতু গ্রহ ফলাফল
১) কেতু লগ্নে থাকলে মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়। স্ত্রীর বিষয়ে ও নিজের শরীরের বিষয়ে এই কেতু অশুভ ফল দান করে ।গুহ‍্য রোগ ও চর্ম রোগে কষ্ট পায়।
২) কেতু ধন ভাবে বা দ্বিতীয় এ থাকলে জাতক কাব্যকলায় বিশেষ আকৃষ্ট হয় তবে এই কেতু চর্মরোগ বা কন্ঠ রোগ সৃষ্টিতে সহায়ক হয় গুপ্তভাবে অর্থ আয় যোগাযোগ আনে।
৩) কেতু ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় থাকলে---জাতক উচ্চপদ পায়। সুখী ঐশ্বর্যশালী হয়। নিজের শরীর বিষয়ে ও বন্ধু বিষয়ে জাতক কষ্ট পায়।
৪) কেতু মাতৃভাবে বা চতুর্থে থাকলে--- মাতা বন্ধু ও পৈতৃক বিষয়-সম্পত্তি ব্যাপারে কষ্ট পায়। পারিবারিক ও সুখ-শান্তিতে কেতু বিঘ্ন কারক হয়। চতুর্থ ঘর মঙ্গল বা বৃহস্পতির ক্ষেত্র হলে অশুভ ফল অনেকাংশে হ্রাস পায়।
৫) কেতু পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে --- জাতক মর্যাদা সম্পন্ন হয় অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল থাকে তবে সন্তান বিষয়ে বা যৌন রোগ বিষয়ে এই কেতু অশুভ ফল দান করে।
৬) কেতু শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠে থাকলে----
জাতক শত্রু যদিও সুস্বাস্থ্যবান হয় মাতুলালয় বিষয়ে মানসিক কষ্ট পায়।
৭) কেতু স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে জাতক অতিরিক্ত কামুক ও ভোগবিলাসী হয়। স্ত্রী-পুত্র দের বিষয়ে অশুভ ফল দিতে পারে জল ভয় থাকে।
৮) কিন্তু মৃত্যু ভাবে বা অষ্টমে থাকলে ---জাতক সঙ্গ দোষে কষ্ট পায় । আকস্মিক দুর্ঘটনা বা গুহ‍্য রোগে এই কেতু
দুঃখদায়ক হয়। প্রতিটি কর্মে বিরূপ সমালোচনার শিকার হয়।
৯) কেতু ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে--- ভিন্ন ধর্মের লোকের মাধ্যমে ভাগ্যের উন্নতি হয়। প্রতিটি কর্মে বিরূপ সমালোচনার শিকার হয়।
১০) ঋতু কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে ----জাতক পৈতৃক সম্পত্তি লাভের বঞ্চিত হতে পারে । পিতার বিষয়ে অসুখী হয়। দশমপতি বুধ বা বলে জাতক বুধ বা মঙ্গল হলে হলে জাতক শত্রু নাশে সমর্থ হয়।
১১) কেতু আয় ভাবে বা একাদশে থাকলে--- জাতক সুরসিক, মিষ্টভাষী ও বুদ্ধিমান হয় তবে সন্তান বিষয়ে ও গুহ‍্য রোগ বিষয়ে কষ্ট পায়।
১২) কেতু ব্যয় ভাবে বা দ্বাদশ এ থাকলে--- জাতকের চারিত্রিক দুর্বলতা আসে ও পরাক্রমী হয় তবে আকস্মিক দুর্ঘটনা চক্ষু রোগে ও গুহ‍্য সংক্রান্ত রোগে বিশেষ কষ্ট পায়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180629074213

Thursday, June 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশ ভাবে রাহু গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশ ভাবে রাহু গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.in আমাদের গ্ৰুপ ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER লাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব। কিন্তু দয়া করে কেউ কপি করে এডিট করে নিজের page/group/website /timeline পোস্ট করে নিজেকে ছোট করবেন না।

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে রাহু গ্রহের ফলাফল___
১)রাহু লগ্নভাবে থাকলে__ জাতক শত্রু কৃতকার্য হয় অপরের সাহায্যে কৌশলে কার্যসাধন এ তৎপর হয় তবে এই রাহু পত্নী বিষয়ে বা নিজ দৈহিক সুখের ক্ষেত্রে বিঘ্ন কারক হয় রবি চন্দ্র মঙ্গল শুক্রবা শনি লগ্নপতি হলে এই রাহু আর্থিকভাবে সচ্ছলতা দানে সমর্থ হয়।
২) রাহু ধন ভাবে বা দ্বিতীয়ে থাকলে ____জাতক আমিষ প্রিয় হয় আমিষ সংক্রান্ত ব্যবসায় সহজে সফলতা পায়। অনিশ্চিত পথে অর্থ আয় বা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের উৎসাহী হয়। জাতককে ভ্রমণবিলাসী বাকপটু ও নীচসংসর্গ যুক্ত করতে পারে।
৩) রাহু ভ্রাতৃ ভাবে বা তৃতীয়ে থাকলে __জাতক বহু শত্রু বিশিষ্ট পরাক্রমী বহু বন্ধু যুক্ত ও যশস্বী হয় তবে এই রাহু ভ্রাতা ভগিনী বিষয়ে অশুভ ফল দান করে।
৪) রাহু পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___জাতকের চারিত্রিক দুর্বলতা আনয়ন করে । গৃহ মাতা পুত্র ইত্যাদি বিষয়ে অশুভফল দান করে। মঙ্গল চন্দ্র বুধ শুক্র চতুর্থপতি হলে চতুর্থভাব রাহু অপেক্ষাকৃত শুভ ফলদায়ক হয়।‌
৫) রাহু পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___
জাতক উদয় রোগগ্রস্ত হয় সন্তান এবং স্ত্রীর বিষয়ে মানসিক অশান্তির ভোগ করে। প্রণয় সংক্রান্ত বিষয়ে এই রাহু জাতককে ভাবপ্রবণ করে তোলে।
৬) রাহু শত্রু ভাব এ বা ষষ্ঠে থাকলে ___জাতক শত্রু জয়ী ও সুস্বাস্ব‍্যবান হয় ভিন্নধর্মী লোকেদের মাধ্যমে বহু উপকৃত হয় তবে এই রাহু জাতকের কটিদেশে রোগ সৃষ্টি করে নিম্নস্থ হলে গোপন শত্রু দ্বারা বিষ প্রয়োগের সম্ভাবনা থাকে।
৭) রাহু স্ত্রী ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___ জাতক নিজের শরীর ও স্ত্রীর বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় ।দাম্পত্য সুখে এই রাহু নিঃসন্দেহে বিঘ্ন কারক হয় ।অবৈধ প্রণয় নারীসঙ্গে জাতকের আসক্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
৮) রাহু মৃত্যু ভাবে বা অষ্টমে থাকলে__জাতক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বা সরকারি কর্মে বিশেষ মর্যাদা পায় তবে এই রাহু গুপ্তরোগ বা গুহ‍্য
সংক্রান্ত রোগে কষ্ট প্রদান করে। স্ত্রী ও সন্তান বিষয়ে অশুভ ফল দিতে পারে।
৯) রাহু ভাগ্যভাবে বা নবমে থাকলে___ জাতক নিজ যোগ্যতায় যশ পায় বুদ্ধিবলে বহু সুকর্মে সফলতা লাভ করে। তবে নিম্নস্থ হলে ভাগ্যের বিষয়ে অশুভ ফল পায়।
১০) রাহু কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে__ জাতক ভিন্নধর্মের লোকেদের মাধ্যমে উপকৃত হয়। উচ্চপদ প্রাপ্তিতেবা বিশেষ সম্মান প্রাপ্তিতে এই রাহু যথেষ্ট সাহায্য করে। নিম্নস্থ হলে বিপরীত ফল দান করে।
১১) রাহু আয় ভাবে বা একাদশে থাকলে__ জাতক পরাক্রমী বা প্রতিপত্তিশালী হয়। ব্যবসা বা কর্মে অধিক সফলতা পায় । স্ব শ্রমের বাইরে অর্থ-সম্পত্তি লাভে এই রাহু বিশেষ সাহায্যকারী হয়। তবে সন্তান বিষয়ে জাতক সর্বদা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়।
১২) রাহু ব্যয় ভাবে বা দ্বাদশে থাকলে__
জাতক কুসঙ্গে বা কুকর্মে লিপ্ত হয়। অসৎ পথে বা নিন্দনীয় গোপন পথে অর্থ উপার্জনের প্রয়াসী হয়। চোখ বা চোখ পা বা গুহ‍্য দেশের এই রোগ এই রাহু প্রদান করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180628145548

Thursday, June 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগ

গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগ

আগামী ০৯/১০/১১তারিক কলকাতার নীচের ADDRESS এ বসব।অগ্ৰিম যোগাযোগ করুন।জ্যোতিষে যোগের গুরুত্ব

জ্যোতিষ শাস্ত্রে যোগের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ।প্রধানত ১২টি রাশি বা ভাব, ৯টি গ্রহ, ২৭টি নক্ষত্র, নিয়েই বিচার করা হয়।বিভিন্ন ভাব আমাদের শরীর,ধন,সাহস,শিক্ষা, পরিবার, ভাগ্য, আয়ুরভেদা, জীবনে সাফল্য ইত্যাদির বিচার করা হয়।তবে বিভিন্ন ভাবের সংগে গ্রহ গুলির সংযোগ এর ফলে যোগের সৃষ্টি হয়, এই যোগ গুলি থেকে শুভ ও অশুভ ফল দান করে ।সুতরাং এই যোগ গুলিকে দুই রকমের ফল দান করে,এদেরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় সুভ যোগ গুলিকে যোগ আর অশুভ যোগ গুলিকে দোষ বলা যায় । প্রথমে কিছু সুভ যোগ নিয়ে আলোচনা করা হল।

১)সমাজে যশ ও সন্মান যোগ : - তৃতীয় পতি ও নবম পতি যদি স্থান বিনিময় করে, বা ৩য় পতি ও ৯ম পতি ৩য় বা ৯মে থাকে, অথবা মংগল ৩য় ভাব বা ৩য় পতির
সংগে শুভ অবস্থান করে তবে জাতকের সমাজে মান সন্মান, যশ ও প্রতাপ বৃদ্ধি পায় ।

২) ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী যোগ: - লগ্নপতি ও নবম পতি একসাথে ১মে,২য়ে বা ৯মে থেকে সুভ বৃহস্পতির সংগে সম্পর্ক যুক্ত হলে, বা লগ্নপতি ও নবম পতি স্বক্ষেত্রে বা ক্ষেত্র বিনিময় করে এবং বলবান বৃহস্পতি কেন্দ্রে বা কোন এ অবস্থান করলে জাতক সদা সৌভাগ্যের অধিকারী হন।

৩)ভাল গুরু বা সদগুরু লাভ : - লগ্নপতি কেন্দ্রে বা কোনে বা দশম এ অবস্থান করে এবং ৫ম পতি কেন্দ্রে বা স্বক্ষেত্রে বা উচ্চস্থ হয়ে সুভ নবম পতির সংগে সম্পর্ক যুক্ত হয় জাতকের সদগুরু লাভ হয় তবে বর্তমানে এই যোগ খুব ই কম পাওয়া যায়।

৪)দীর্ঘায়ু যোগ :- ১০ম পতি, লগ্নপতি ও ৮ম পতি এবং শনি গ্রহ একাদশ এ, কেন্দ্রে বা কোন এ অবস্থান করে বা
১০ম পতি ও শনি স্বক্ষেত্রে, উচ্চ বা মিত্র ক্ষেত্রে থাকে তবে জাতক দীর্ঘায়ু হয় ।

৫)ধন যোগ : - লগ্নপতি,একাদশ পতি,নবম পতি, সপ্তম পতি,পঞ্চম পতি ও ২য় পতি যদি সুভ যোগ এ আবদ্ধ হয়,একে অপরের সাথে শুভ সন্মন্ধ যুক্ত হলে জাতক অত্যন্ত ধনবান হয়।

৬)ইন্দ্র যোগ : - পঞ্চম পতি ও একাদশ পতি ক্ষেত্র বিনিময় করলে এবং চন্দ্র ৫মে থাকলে পরাক্রমী,ভোগবিলাশী,রাজা বা সরকারের থাকে লাভবান হয়।

৭)সুনফা যোগ :- চন্দ্র থেকে রবি ছাড়া অন্য গ্রহ থাকলে সুনফা যোগ হয়
এর ফলে জাতক নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ও অনেক ধন সম্পত্তির অধিকারী হন ।

৮)অনাফা যোগ :- চন্দ্রের অবস্থান থেকে দ্বাদশে রবি ছাড়া অন্য যে গ্রহ থাকলে অনাফা যোগ হয় এর ফলে জাতক মান সন্মান,যশ,প্রতিপত্তি লাভ হয় ।

৯)দুর্ধরা যোগ :- চন্দ্রের দুদিকে অর্থাৎ ২য়ে ও দ্বাদশে রবি ছাড়া অন্য গ্রহ থাকলে এই যোগ হয়। এর ফলে মান সন্মান, প্রতাপশালী,যানবাহনের অধিকারী হন ।

১০)চন্দ্র মংগলা যোগ :- চন্দ্র ও মংগল পরস্পর মিত্র রাশিতে অবস্থান করে জাতক প্রভুত ধন সম্পত্তির অধিকারী, একাধিক ক্ষেত্র থেকে আয়ুরভেদা তবে একটু রাগ বেশী হয় ।

উপরোক্ত যোগ গুলি সব ই শুভ যোগ এবার কিছু অশুভ যোগ সম্পর্কে আলোচনা করছি

১১) কালসর্প দোষ :-
জন্ম ছক এ রাহু ও কেতুর এক পাশে সব গ্রহ গুলি অবস্থান করলে কালসর্প দোষ হয় এর ফলে জাতকের জীবন বাধাবিঘ্ন,দুর্ভাগ্য,সমস্যা ইত্যাদি কুফল প্রাপ্তি হয় । এর উপযুক্ত প্রতিকার করা প্রয়োজন।

১২)দারিদ্র যোগ :-একাদশ পতি যদি ৬য়,৮ম,১২শে অবস্থান করলে জাতক অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল হয়।

১৩)গৃহনাশ যোগ :- চতুর্থ পতি দ্বাদশে অবস্থান করে এবং রাহু বা অশুভ গ্রহের সংযোগ হয় তবে জাতকের বাড়ী, সম্পত্তি হারাবে বা নষ্ট হয়।

১৪)মিথ্যাবাদী যোগ :- দ্বিতীয় পতি মংগল বা শরীর ক্ষেত্রে থাকে এবং একাধিক অশুভ গ্রহের সংগে সম্পর্ক যুক্ত হয় তবে জাতক মিথ্যাবাদী হবে।
এ ছাড়াও মাংগলিক ও কালসর্প দোষ রয়েছে যার ফল অশুভ হয়।
আরও অনেক শুভ ও অশুভ যোগ রয়েছে যা পরবর্তী পর্বে আরও আলোচনা করব।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180628145025

Tuesday, June 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে শনি গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে শনি গ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

শুভ রাত্রি
রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে শনি গ্রহের ফলাফল____
১)শনি লগ্নভাবে থাকলে জাতক _____
পরস্ত্রীকাতর,অসন্তুষ্ট,দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, ও স্থুলদৃষ্টি যুক্ত হয় । সুউচ্চ সুউচ্চস্থ বা স্বক্ষেত্রস্থ হয়ে লগ্নে থাকলে বা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে শনি লগ্নস্থ হলে জাতককে ঐশ্বর্য‍্য সম্মান ও আর্থিক বিষয়ে শুভ ফল দান করে।
২) শনি ধনও ভাবে বা দ্বিতীয় এ থাকলে___
জাতক খনিজ দ্রব্যাদির ব্যবসায় লাভবান হয় কিন্তু এরূপ শনি মানসিক অশান্তির কারণ হয়।
৩) শনি ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় এ থাকলে___ জাতক রাজানুগৃহীত, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মিতব্যয়ী ও নির্ভীক হয়। এরূপ শনি ভ্রাতা /ভগিনী বিষয়ে অশুভ ফলদায়ক হয়।
৪) শনি মাতৃভাবে বা চতুর্থ থাকলে__
জাতক পৈত্রিক সম্পত্তি বঞ্চিত, বন্ধু ও আত্মীয় দ্বারা উৎপীড়িত ও মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এরূপ জাতক বাত রোগে কষ্ট পায়।
৫) শনি পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___
জাতক লোভী কুটিল ও পুত্র বিষয়ে দুশ্চিন্তাকাতর হয় বিষাক্ত দ্রব্যাদির দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
৬) শনি শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠে থাকলে___
জাতক শত্রু জয়ী ধনবান বিলাসী ও সুচতুর হয়। জল বা জলীয় ব্যাধিতে এরূপ শনি যা তোকে কষ্ট দিতে পারে।
৭) শনি স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে__
জাতক স্ত্রী গৃহ বা বাহন বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়। সঙ্গদোষে জাতক কষ্ট পায়।
৮) শনি মৃত্যুভাবে বা অষ্টমে থাকলে__
জাতক আধ্যাত্ম বিদ্যায় পারদর্শী হয় স্ত্রী-পুত্র ও গৃহ বিষয়ে এরূপ শনি অসুখী করে।
৯) শনি ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে___
জাতক দেবাদিদেব
ভক্তিপরায়ন, সদানন্দ ধন ও বাহনযুক্ত হয় এরূপ শনি বক্রী হলে জাতককে আশ্রম বাশী করে।
১০) শনি কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে___
জাতক উপায় ধনবান মাননীয় ও উচ্চপদস্থ বিশিষ্ট হয়। পিতামাতার বিষয়ে শনি অসুভ এরূপ ফলদায়ক হয়।
১১) শনি আয় ভাবে বা একাদশে‌ থাকলে__
জাতক ধনবান উপার্জনশীল রোগগ্রস্ত কিন্তু দীর্ঘ হয় ।এরূপ ফলদায়ক হয়।
১২) শনি দ্বাদশ ভাবে বা ব্যয় ভাবে থাকলে___
জাতক ও অমিতব্যয়ী কুসঙ্গে আসক্ত দীর্ঘসূত্রী বহু শত্রু যুক্ত হয়। কিন্তু মকর বা কুম্ভ লগ্নে দ্বাদশ ভাবস্থ শনি আর্থিক বৈভব দান করে ও শত্রুজয়ে যে সাহায্য করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180626140858

Monday, June 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে শুক্রগ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে শুক্রগ্ৰহের অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে শুক্র গ্রহের ফলাফল___
১) শুক্র লগ্নভাবে থাকলে__ জাতক রমণী প্রিয় বিদ্বান মিষ্টভাষী কিন্তু কামুক হয় এরূপ শুক্র জাতককে সৌন্দর্যপ্রিয় ও সুরুচিসম্পন্ন করে।
২) শুক্র ধনভাবে বা দ্বিতীয় এ থাকলে___ জাতক সঙ্গীত কলানুরাগী শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত ইত্যাদি যেকোনো সৃষ্টিধর্মী প্রতিভা মূলক কর্মে যোগ্যতা ও অনুরাগ প্রদান করে।

৩) শুক্র ভাতৃ ভাবে তৃতীয়ে থাকলে ____
জাতক স্ত্রী প্রিয় কামুক দুষ্টু বুদ্ধি সম্পন্ন নেত্র রোগী কিন্তু প্রখর বুদ্ধি বিশিষ্ট হয়।

৪) শুক্র মাতৃভাবে বা চতুর্থে থাকলে____
জাতক বহু বন্ধুপ্রিয় যানবাহন ও গৃহ সম্পত্তির যুক্ত হয়। এইরূপ শুক্র কাব‍্য সঙ্গীত বা শিল্প প্রতিভার সৃষ্টি করে।

৫) শুক্র পুত্র ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___জাতক কাব্যপ্রতিভাবান, ধনবান ও রাজ অনুগৃহীত হয়। পুত্র ও বাহন বিষয়ে এরূপ শুক্র শুভ ফল দান করে।

৬) শুক্র শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠে থাকলে___
জাতক শত্রু ভয়ে ভীত বিশেষ করে নারীর শত্রু দ্বারা উৎপীড়িত হয়। এরূপ শুক্র জাতককে সৎকার্যে ব্যয় করতে উৎসাহিত করে।

৭) শুক্র স্ত্রী ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___
যা তো ধনবান পুত্র বান ও বিলাসী প্রকৃতির হয় এরূপ শুক্র জাতককে অত্যাধিক কামুক করে এর ফলে জাতকের সঙ্গে বহু স্ত্রী বা বহু নারীর যৌন সংক্রান্ত যোগাযোগ ঘটে।

৮) শুক্র মৃত্যু ভাবে বা অষ্টমে থাকলে ___
জাতক সাংসারিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশেষ করে স্ত্রী ও সন্তান বিষয়ে হয় এরূপ শুক্র জাতককে রাজ অনুগৃহীত ও সুচতুর করে।

৯) শুক্র ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে__
জাতক সৌভাগ্য যুক্ত আত্মীয়-পরিজনপ্রিয় ও সুপ্রসন্ন হয় ধন বাহন সংগীত
ও নৃত্যকলা ইত্যাদি বিষয়ে এরূপ শুক্র সুফলদায়ক হয়।

১০) শুক্র কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে__
জাতক সৌভাগ্যবান সুখী ও ঐশ্বর্যশালী হয় এরূপ শুক্র জাতককে ও সুমর্যাদা দান করে।

১১) শুক্র আয়ভাবে বা একাদশের থাকলে__
জাতক প্রসন্ন চিত্ত সুখী ধার্মিক ও সৎকর্মের অনুরাগী হয়। সংগীত ও নৃত্য প্রতিভার বিকাশে সহায়ক হয়।

১২) শুক্র ব্যয় ভাবে বা দ্বাদশে থাকলে__
জাতক বন্ধুহীন উদ্বিগ্নচিত্ত স্নায়ুরোগাক্রান্ত ও কলহপ্রিয় হয় এরূপ শুক্র অর্থ সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা ও হৃদরোগ প্রদান করতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks




Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180625102744

Monday, June 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে অবস্থান ভেদে বৃহস্পতি গ্ৰহের ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে অবস্থান ভেদে বৃহস্পতি গ্ৰহের ফলাফল

১) রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে বৃহস্পতি গ্রহের ফলাফল___
জাতক মর্যাদাসম্পন্ন সুখী প্রকৃতির ব্যক্তিত্বশালী বিচক্ষণ মাননীয় ও দানশীল হয়।

২) বৃহস্পতি ধনভাবে বা দ্বিতীয় এ থাকলে___
জাতক বাকপটু উদ্যমী ও সুরসিক সুখী ও বুদ্ধি সম্পন্ন হয়। কিন্তু মুখের রোগে কষ্ট পায়।
৩) বৃহস্পতি ভাতৃভাবে তৃতীয়ে থাকলে _____
জাতক মিতব্যয়ী সাংসারিক হবে অসুখী বহু আত্মীয় যুক্ত ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদাবান হয়।
৪) বৃহস্পতি মাতৃভাবে বা চতুর্থে থাকলে___
জাতক বিদ্বান মাননীয় ও বন্ধু দ্বারা উপকৃত হয়। এরূপ বৃহস্পতি মানসিক শান্তিতে মধ্যে মধ্যে বিঘ্ন কারক হয়।

৫) বৃহস্পতি পুত্র ভাবে বা থাকলে __জাতক ধর্মপরায়ণ সুসাহিত্যিক কল্পনাপ্রবণ ও সন্তান চিন্তা কাতর হয়।

৬) বৃহস্পতি শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠ থাকলে ___জাতক শত্রু জয়ী কূটনীতিজ্ঞ বুদ্ধিমান রোগী হয় কিন্তু সংগীত কলায় বিশেষ দক্ষতা লাভ করে।

৭)বৃহস্পতি স্ত্রী ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___ জাতক মধুর বাক্য যুক্ত সুখী রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদাবান জ্ঞাতি প্রধান হয়।
৮) বৃহস্পতি মৃত্যু বা অষ্টম এ থাকলে__ জাতক রোগী ভ্রমণশীল অসুখী দীর্ঘসূত্রী ও কোন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি লাভের বৃহস্পতি সহায়ক হয়।

৯) বৃহস্পতি ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে___
জাতক গুণবান বহু যশযুক্ত ধনবান ও প্রতিপত্তির যুক্ত হয়। এইরূপ বৃহস্পতি ধর্ম বিষয়ে সুফল দান করে।

১০) বৃহস্পতি কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে___ জাতক ধর্মপরায়ণ অসাধারণ যশ ভাগ্য যুক্ত মর্যাদাশীল ও সুবিচারক হয়।

১১) বৃহস্পতি বা একাদশে থাকলে__ জাতক অর্থবান ঐশ্বর্যবান এবং যশশালী প্রতিপত্তি যুক্ত হয়। রাজ অনুগ্রহ লাভে এইরূপ বৃহস্পতি সুফলদায়ক।

১২) বৃহস্পতিব‍্যয় ভাবে বা দ্বাদশ থাকলে__
জাতক দানশীল ও সৎকর্মের উদ্যমী হয় । এরূপ বৃহস্পতি জাতককে দীর্ঘসূত্রী ও উদ্বিগ্ন মনা করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks




Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180625095341

Sunday, June 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে অবস্থান ভেদে বুধ গ্ৰহের ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে অবস্থান ভেদে বুধ গ্ৰহের ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাব অবস্থানভেদে বুধ গ্রহের ফলাফল___
১) জাতক বিদ্বান বিনয়ী উদারহূদয়যুক্ত ও সন্তান সুখে সুখী হয়।

২) বুধ ধনভাবে বা দ্বিতীয় এ থাকলে____
জাতক বুদ্ধিমান সৌভাগ্যবান গুরু-ভক্ত মিষ্টভাষী ও শাস্ত্র গ্রহ এরূপ বুধ সুবক্তা হতে বিশেষ সাহায্য করে।

৩) বুধ ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় এ থাকলে____
জাতক দক্ষ ব্যবসায়ী শত্রু জয়ী ধনবান ভাতৃ সুখী হয়। দুর্বল বোধ বিপরীত ফল দেয়।

৪) বুধ মাতৃভাবে বা চতুর্থ থাকলে___ জাতক বন্ধু সুখি মাননীয় বিদ্বান ধন ও বাহন যুক্ত হয় এই বুধ সঙ্গীত ও কাব্য কলায় অনুরাগ সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।

১)বুধ পুত্রভাবে বা পঞ্চমে থাকলে ---
জাতক যুক্তিবাদী, বাকপটু, বিদ্বান ও সুখী প্রকৃতির হয়। অশুভ বুধ ছলচাতুরী ও অসৎ উপায় অবলম্বনে উৎসাহিত করে |
৬)বুধ শত্রু ভাবে ষষ্ঠে থাকলে -
জাতক শত্রুপীড়িত কলহকারী, দীর্ঘসূত্রী ও নিষ্ঠুর হয়। শুভবুধ জাতককে সৎকার্যে ব্যয় করাএবং জাতককে ধর্মপরায়ণ করা।

৭)বুধ স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে:: --
জাতক মনোজ্ঞ স্ত্রী লাভকারী, ঐশ্বর্য্যশালী, বহু রমণীপ্রিয় সুশ্রী হয়৷

৮)বুধ মৃত্যুভাবে বা অষ্টমে থাকলে --
জাতক যশবান, মর্যাদাশীল, রমণীপ্রিয় ও রমনী প্রিয় হয় ও উদ্বিগ্নচিতত হয় ৷ কিন্তু শত্রুভয়ে ভীত হয়৷

৯)বুধ ভাগ্যভাবে বা নবমে থাকলে --
জাতক সূবুদ্ধিযুক্ত, ধর্মপরায়ণ, বিদ্বান ও ভাগ্যবান হয় ৷ দুর্বল বুধ বিপরীত ফল দেয়।

১০)বুধকর্মভাবে বা দশমে থাকলে ---
জাতক পরিমিত ব্যয়ী, বন্ধুবৎসল, ধনবান,আইনজ্ঞ ও দক্ষ বিচারক হয় ।অশুভ বুধে ছলচাতুরী তে অর্থ উপার্জনের সাহায্য করে
করে৷

১১)বুধ আয়ভাবে বা একাদশে থাকলে ---
জাতক ধনবান, দানশীল, কোমল প্রকৃতির গুণবতী ভার্যা ও গুণবর্তী পুত্রবধূ বা গুণবান জামাতা লাভ কারী হয়৷

১২)বুধ ব‍্যয়ভাবে বা দ্বাদশে থাকলে ---
জাতক সদব‍্যয়ী, চতুর, অতিথিপরায়ণ ও ভক্তি যুক্ত হয়৷ এইরূপ বুধ বিদ্যা বিষয়ের বিঘ্নকারী হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180624124100

Sunday, June 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশিচক্রের দ্বাদশভবে অবস্থান গতভাবে রবি গ্ৰহের ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভবে অবস্থান গতভাবে রবি গ্ৰহের ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে অবস্থানভেদে রবি গ্রহেরফলাফল
১) রবি লগ্নভাবে থাকলে__

জাতক কিছুটা অলস প্রকৃতির তেজস্বী শিরা ও নেত্র রোগাক্রান্ত কর্তৃত্ব প্রিয় উচ্চাভিলাষী ও উদার প্রকৃতির হয়।
২)রবি ধনভাবে বা দ্বিতীয় ভাবে থাকলে___
জাতক সব বুদ্ধিহীন সাংসারিক অসুখী ও বাহন বিষয়ে দুঃখী হয়।
৩) রবি ভাতৃ ভাবে বা তৃতীয় থাকলে ___জাতক ধনবান তেজস্বী পরাক্রমী মর্যাদাশীল ও রমণী প্রিয় হয়।
৪) রবি বিদ্যা ভাবে বা চতুর্থ থাকলে __জাতক শত্রু জয়ী রাজকার্যে মর্যাদাশীল গৃহ বাহন ও বন্ধু সুখে সুখী সঙ্গীতানুরাগী পিতৃ সম্পত্তি ভোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
৫) রবি সন্তান ভাবে বা পঞ্চমে থাকলে___জাতক চঞ্চল প্রকৃতির কুশাগ বুদ্ধি যুক্ত সন্তান কষ্ট ভোগী প্রতারণা কুশল ও আন্ত্রিক রোগ আক্রান্ত হয়।
৬) রবি শত্রু ভাবে বা ষষ্ঠ ভাবে থাকলে__
জাতক উদ্যমী শত্রু ভয়ে ভীত তেজস্বী শাস্ত্রজ্ঞ রাজ কর্মে দক্ষ ও সুখী প্রকৃতির হয়।
৭) রবি স্ত্রী ভাবে বা সপ্তমে থাকলে__
জাতক দাম্পত্য সুখ বঞ্চিত উৎকণ্ঠিত চিত্ত দৈহিক অসুখী ও নানা ক্লেশভোগী হয়।
৮) রবি মৃত্যুভাবে বা অষ্টমে থাকলে __জাতক ও স্বভাব যুক্ত চতুর চরিত্রহীন শত্রু পীড়িত ও চক্ষুরোগী হয়।
৯) রবি ভাগ্য ভাবে বা নবমে থাকলে___জাতক উদ্বিগ্ন চিত্ত ভাগ্য বিহীন, পুত্র ও মাতৃ বিষয়ে অসুখী কিন্তু ধর্মপরায়ণ হয়।
১০) রবি কর্ম ভাবে বা দশমে থাকলে_জাতক রাজনীতিজ্ঞ ধনবান সুখী ও মর্যাদাশীল কার্য দক্ষ দানশীল ও শত্রু বৃদ্ধিকারী হয়।
১১)রবি আয়ভাবে বা একাদশে থাকলে__ জাতক মর্যাদা লাভকারী ধনবান আত্মীয় প্রিয় সৎকর্মেরত ও সংগীত কলা অনুরক্ত হয় ।

১২) রবি ব্যয় ভাবে বা দ্বাদশে থাকলে__ জাতক নেত্র রোগী বুদ্ধিহীন বিবাদে শত্রু জয়ী রোগাক্রান্ত অর্থনাশ কারি হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180624110359

Sunday, June 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশভাবে দ্ধদশ অধীপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশভাবে দ্ধদশ অধীপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে দ্বাদশভাবাধিপতির অবস্থানগত ফলাফল _-
১) দ্বাদশ অধিপতি লগ্নে থাকলে- জাতক ধন ও বিদ্যা উপার্জনে বিঘ্ন ঘটে।

২)দ্বাদশ অধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে-- জাতক কৃপণ ও কটুভাষী ও হয়।

3)দ্বাদশ অধিপতি তৃতীয় থাকলে-- জাতক জাতক ভ্রাতার বিষয়ে অসুখী হয় বা ভাতৃশোক পায়।

৪) দ্বাদশ অধিপতি চতুর্থে থাকলে থাকলে --জাতক মাতা, যানবাহন, গৃহ, ইত্যাদি বিষয়ে মানসিকঅশান্তি ভোগ করে।

৫) দ্বাদশ অধিপতি পঞ্চমে থাকলে--
জাতক পিতৃভক্ত ও পুত্রবান হলেও দুশ্চিন্তায় কাতর হয় ।

৬)দ্বাদশ অধিপতি ষষ্ঠে থাকে---
জাতক ক্রোধী দুঃখী এবং চরিত্র দোষে দুষ্ট হয়।

৭) দ্বাদশ অধিপতি সপ্তমে থাকে---
জাতক পারিবারিক অশান্তি ভোগ করে৷
৮) দ্বাদশাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---
জাতক চিররুগ্ন ও বুদ্ধিদোষে সর্বস্বাস্ত হয়৷

৯)দ্বাদশাধিপতি নবমে থাকলে ---জাতক ধর্মবিরোধী কর্মে লিপ্ত হয় মানসিক ও দৈহিক কষ্ট পায়।

১০)দ্বাদশাধিপতি দশমে থাকলে---
জাতক সঞ্চয়ী ও পুত্র বিষয়ে অসুখী হয় ৷

১১)দ্বাদশাধিপতি একাদশে থাকলে ---
জাতক দীর্ঘায়ু হলেও বন্ধুস্থানীয়ের মাধ্যমে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা থাকে৷

১২) দ্বাদশাধিপতি দ্বাদশে থাকলে --
জাতক ক্রোধী, কৃপণ কিন্তু ধনী হয়৷ চারিত্রিক দূর্বলতার কারণে বা অন্যান্য কারণে রাজদণ্ডে দোষী হওয়ার ভয় থাকবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180624101206

Saturday, June 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সিংহ রাশির বৈশিষ্ট্য

সিংহ রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট) :- ক্ষমতার প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

আপনার ব্যক্তিত্বে আভিজাত্য, কর্তৃত্ব ও প্রেমের এমন এক সুন্দর সমন্বয় রয়েছে, যা সহজেই অন্যদের আকর্ষণ করে। আপনার প্রাণবন্ত ও সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাব সব সময়ই সর্বজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ধরে রাখে। আপনিও মনেপ্রাণে এ অবস্থানকে পছন্দ করেন। আপনি উদার ও সহানুভূতিশীল। অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসেন। এজন্য আপনার জীবনে ভালোবাসা ও বন্ধুর অভাব হবে না। আপনি আনন্দ-ফুর্তি ও খেলাধুলা পছন্দ করেন। আপনি জীবনকে সুন্দরভাবে ভোগ করতে চান। আপনি সৃজনশীল ও সাংগঠনিক।

নেতৃত্বের স্পৃহা আপনার রক্তে মিশে আছে। সহজেই আপনি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন। আত্মমর্যাদাবোধের ব্যাপারে আপনি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আপনার মর্যাদাবোধে কেউ আঘাত করলে আপনি সহজে ভুলতে পারেন না। আপনার রাগী স্বভাব কখনও কখনও সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে আপনার রাগ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আপনি মানুষকে সহজেই ক্ষমা করতে পারেন। সুন্দরের প্রতি আপনার সহজাত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিলাস ও জৌলুস আপনি পছন্দ করেন। আপনার পোশাক-পরিচ্ছদ ও চালচলনে তার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

প্রশংসা তোষামোদে আপনি সহজেই প্রভাবিত হয়ে যান। কখনও কখনও শত্রু-মিত্র বুঝতে ভুল করেন। জীবনের গতিময়তা ও সৌন্দর্য আপনার কাছে বড় কথা। অন্য কিছু নিয়ে বেশি ভাবতে চান না। আপনার উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বে একটা সাফল্য ও তীব্র আবেগ রয়েছে। যুক্তির তোয়াক্কা না করে আপনি অনেক কিছুই করে বসেন।এতে কখনও কখনও সমালোচনা ও বিপদের সম্মুখীন হন। আপনি স্পষ্টভাষী। কারও দোষ-গুণ বা যে কোনো কাজের সহজেই সমালোচনা করে থাকেন। তবে আপনার মধ্যে সাধারণ হিংসা ও বিদ্বেষ কাজ করে না।

কর্ম :

যে কোজে আপনার কর্তৃত্ব থাকবে এমন কাজই আপনার জন্য উপযুক্ত। প্রশাসনিক কাজেও আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন। আপনার সহজাত প্রবৃত্তি জীবনে সম্মান ও প্রতিষ্ঠা অর্জন। সব কাজেই আপনি তা খুঁজে বেড়ান এবং আপনি পেয়েও যান। কারণ আপনার রয়েছে বুদ্ধি, মানুষকে বোঝার ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস। আপনি ম্যানেজার, সুপারভাইজার, রাজনীতিবিদ হিসেবেও ভালো করবেন। আপনার মধ্যে গতির দায়িত্বশীলতা রয়েছে। যেখানে আপনার কাজে স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানেই আপনার অগ্রগতি ও প্রসার। ব্যবসাও আপনার জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র। বিজ্ঞাপনী সংস্থা, উত্পাদন শিল্পেও আপনার ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। আপনার রয়েছে সৃজনশীল শিল্পমন। নাটকীয়তা ও গ্ল্যামার আপনাকে সহজে আকর্ষণ করে। অভিনয় ও বিনোদন জগতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।

অর্থ :

আপনি অমিতব্যয়ী। বিলাস ও জৌলুস পছন্দ করেন। এর জন্য অর্থের দরকার। আপনি প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে জানেন। অল্পবয়সেই আপনি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান। হঠাত্ অর্থ প্রাপ্তি বা জুয়ার প্রতিও আপনার আসক্তি রয়েছে।

প্রেম ও বিয়ে :

আপনার ব্যক্তিত্বের আভিজাত্য ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সহজেই বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে। আপনার প্রাণচঞ্চলকে সবাই পছন্দ করে। রোমাঞ্চে জড়ানো আপনার কাছে কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। আপনি আলাপ জমাতেও পারদর্শী। প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে আপনি উষ্ণ, আবেগপ্রবণ সেন্টিমেন্টাল ও রোমান্টিক। সৌন্দর্যের প্রতি আপনার দুর্বলতা থাকায় বিপরীত লিঙ্গের বাহ্যিকে রূপলাবণ্য আপনার প্রথম দৃষ্টিকে প্রথম স্পর্শ করে। আপনি গভীরভাবে ভালোবাসতে জানেন। ছলনা ও অভিনয়কে আপনি ঘৃণা করেন। তবে আপনার জৌলুস ও বৈচিত্র্যপ্রিয় মনের সঙ্গে প্রিয়জনকে অবশ্যই মানানসই হতে হবে।

প্রিয়জনদের জন্য আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। দামি দামি উপহার দিতে পছন্দ করেন। শ্রদ্ধা ও প্রশংসা পেলে আপনি অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও নিবেদিত। আপনার স্বাধীনতা ও কর্তৃত্বকে মানবে এমন জীবনসঙ্গী আপনার জন্য উপযুক্ত, আপনারা সময়মতোই বিয়ে করেন। আপনার যৌন অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল।

ঘর-সংসার ও সন্তান :

ঘরের শান্তি ও সুন্দর পরিবেশ আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যস্ত জীবনে ঘর হল রিলাক্সের উত্তম স্থান। আপনি চান সবাই আপনাকে বাড়ির নেতা মনে করুক। আপনার কথা শুনুক। আপনি আশা করেন বাড়ির সবাই আপনার সম্মান ও রুচিকে তুলে ধরুক। অন্যথায় আপনি ক্ষুব্ধ হন, মেজাজী হয়ে ওঠেন। আপনি অতিথিপরায়ণ। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সান্নিধ্য আপনি বেশ উপভোগ করেন। তবে এ ব্যাপারে আপনি চুজি। আপনি ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি প্রকাশে অর্থ খরচ করতে কোনো কার্পণ্য করেন না। আপনি সুন্দর এলাকায় সুসজ্জিত বাড়ি পছন্দ করেন।

সিংহ স্ত্রী সাধারণত খুব বিলাসবহুল জীবন পছন্দ করে, কেনাকাটা ও খরচের ব্যাপারে তারা অমিতব্যয়ী। তবে উদার মনের জন্য তারা বেশ সুপরিচিত। স্বামীর বিভিন্ন পার্টিতে তাদের উপস্থিতি লক্ষ করার মতো। উচ্চাভিলাষী ও উষ্ণ স্বামীর জন্য এরা আদর্শ স্ত্রী। মা হিসেবে এরা সন্তানবত্সল, সিংহ পিতা সন্তানকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার পক্ষপাতী। সন্তানের প্রতি আপনাকে নমনীয় হতে হবে। তাদের সহজাত প্রবণতার মূল্য দিতে হবে। সত্যিকার অর্থে আপনি সন্তানের উন্নতি ও কল্যাণ কামনা করেন।

স্বাস্থ্য :

আপনি অন্যদের তুলনায় জীবনকে বেশি ভালোবাসেন। তাই সুস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য আপনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জন্মগতভাবেই সুঠাম দেহের অধিকারী। দেহ-মনে একটা চাঞ্চল্য সব সময়ই লক্ষ করা যায়। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। সুস্বাদু খাবারের প্রতি দুর্বলতা, আপনাকে গৃহরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত করতে পারে। হূদযত্ন ও মেরুদণ্ড আপনার দুর্বল স্থান। এদের যত্ন নিন। আপনি রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। নিজের ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে একসঙ্গে অনেক কাজের দায়িত্ব নিয়ে আপনি প্রায়শ মানসিক ও শারীরিক চাপের সম্মুখীন হন। এই প্রবণতা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আবার বীরত্ব দেখাতে গিয়ে কখনও কখনও দুর্ঘটনার শিকার হন। বয়স আপনাকে সহজে স্পর্শ করতে পারে না। বৃদ্ধ বয়সেও আপনার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়।

নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য :

দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনি যদি দুর্বল সিংহ হন অর্থাত্ আপনি যদি অন্যান্য গ্রহের অশুভ কৌণিক প্রভাব দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে আপনার মধ্যে উদ্ধত ও দাম্ভিক ব্যবহার লক্ষ করা যবে। অনেক ক্ষেত্রে আপনি বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন। আপনার পারিবারিক, ব্যবসায়িক থেকে শুরু করে সবখানে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আপনার মধ্যে কৌশলের অভাব দেখা দিতে পারে। মানুষের সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি সমাজে অপ্রিয় হযে উঠতে পারেন। সত্যিকার বন্ধু ও চাটুকারের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পেরে অনেক সময়ই ক্ষতির শিকার হতে পারেন। কেউ কেউ অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবনের জন্য প্রচুর মূল্য দিতে পারেন। আপনাকে জীবনযুদ্ধে আরও বাস্তববাদী হতে হবে। আপনার উদ্যমই আপনার পুঁজি।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180623082255

Saturday, June 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কর্কট রাশির বৈশিষ্ট্য

কর্কট রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) :- প্রচারক বা শিক্ষকের প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

সব রাশির মানুষের মধ্যে তুলনামূলকভাবে আপনি বেশি মেজাজী, সংবেদনশীল ও ধৈর্যশীল। আপনি অত্যন্ত চাপা স্বভাবের। হূদয়াবেগ ও অনুভূতির যথাযথ বাঙ্ময় প্রকাশ ঘটাতে আপনি প্রায়শই ব্যর্থ হন। তাই প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন আপনাকে ভুল বোঝে। আপনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে সহজেই আপ্লুত হন। আপনি অত্যন্ত দয়ালু। অনেকেই আপনার এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। চন্দ্রের প্রভাবে আপনার মধ্যে একটা অস্থিরতা ও বৈচিত্র্যপ্রিয়তা কাজ করে। ভ্রমণ ও বিদেশের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। আপনার জীবনে একাধিক বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসে।

যাদের আপনি ভালোবাসেন তাদের দ্বারা আপনি সহজেই প্রতারিত হন। কিন্তু যদি মনে করেন সুন্দর মনের ছদ্মবেশে স্বার্থ ও ছলনা লুকিয়ে আছে, আপনি সহজেই নীরবে দূরে সরে দাঁড়ান। ঘর-সংসারের প্রতি ভালোবাসা আপনার চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ঘরের শান্তি, সংসারের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা একান্তভাবে কামনা করেন। আপনি সহজাতভাবে সামাজিক। কিন্তু একটা রক্ষণশীল মন আপনাকে ঘিরে রাখে, নিজের মতো করে সবকিছু দেখতে চান, পেতে চান, অন্যদিকে নতুন কিছুর প্রতি আপনার আগ্রহও আছে। আপনার অদ্ভুত প্রজ্ঞা ও ইন্দ্রিয় শক্তি রয়েছে, যা দিয়ে আপনি অন্যদের অভিসন্ধি বা মনমানসিকতা বুঝতে পারেন। আপনি সৃজনশীল ও উচ্চাভিলাষী। সত্য ও সুন্দরের প্রতি আপনার সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। আপনি মনেপ্রাণে ধার্মিক, আপনি সাহিত্য-সংগীত পছন্দ করেন। জীবনের রহস্যময়তা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি আপনার দুর্বলতা রয়েছে।

কর্ম :

আপনি মিতব্যয়ী, বিচক্ষণ, সতর্ক ও পরিণামদর্শী। একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য এই গুণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্, যা আপনার রয়েছে। আপনার ইনটিউশন ব্যবসায়িক লেনদেন ও সঠিক সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য। ভূমিকা রাখে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্তির চেয়ে অনুভূতির ওপর নির্ভর করেন। যেখানে শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক পরিশ্রমের সুযোগ বেশি এ ধরনের পেশাই আপনার জন্য উপযুক্ত। জনসংযোগ ও সেবামূলক কাজেও আপনি সুনাম অর্জন করতে পারেন। আপনি কোনো জিনিসকে বিশ্লেষণ করে তা গভীরে অনায়াসে যেতে পারেন। রিয়েল এস্টেট ও অর্থলগ্নি ব্যবসায় এ গুণ কাজে লাগাতে পারে। জলীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য আপনি তরল জিনিসের ব্যবসা, হোটেল ব্যবসা, বাগান-নার্সারি ও বৈদেশিক উদ্যমী ও সৃজনশীল। আপনার সাহিত্য, সংগীত ও চিত্রাঙ্কনের প্রতি গভীর আবেগ ও শৈল্পিক সুষমা দেখা যায়। আপনি দরদি ও সেবাপরায়ণ। ডাক্তার, নার্স ও সমাজসেবী হিসেবেও আপনি ভালো করবেন।

অর্থ :

নিরাপত্তাবোধ কর্কটের প্রবল। তা থেকেই অর্থ ও সম্পত্তির প্রতি সহজাত আকর্ষণ রয়েছে আপনার। আপনি মিত্যব্যয়ী ও সঞ্চয়ী। আপনি সত্, অন্যদের কাছ থেকে আপনিও সততা আশা করেন। সততা ও বিশ্বাসের ভিত্তির ওপর আপনি নিজেকে দাঁড় করাতে চান। আপনার ধৈর্য ও উদ্যমী মন আর্থিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কথিত আছে, পৃথিবীর জমাকৃত অর্থ ও সম্পদের সিংহভাগই কর্কটের হাতে।

প্রেম ও বিয়ে :

আপনার কাছে প্রেম, বিয়ে ও পারিবারিক শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চোখে একধরনের স্বপ্নিল দৃষ্টি ও আচ্ছন্নতা আছে, যা সহজেই বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করে, আপনি বেশ আবেগপ্রবণ ও রোমান্টিক। হূদয়ের অকৃত্রিম উষ্ণতা আপনাকে সহজেই আপ্লুত করে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আপনি বিশ্বস্ত নিবেদিত। যথার্থ প্রিয়জনকে পেলে প্রেম আপনার জীবনের সব। এর জন্য বড় রকমের ত্যাগ স্বীকারেও আপনি প্রস্তুত। কিন্তু আপনার সুন্দর ও রক্ষণশীল মন যথার্থ প্রিয়জনের প্রয়োজনকে সহজে খুঁজে পায় না।

একবার খুঁজে পেলে আপনি তাকে কখনও ছেড়ে যেতে পারেন না। ছোট ছোট বিচ্ছেদ আপনার মনকে দারুণভাবে তোলপাড় করে। প্রিয়জনের প্রয়োজনের প্রতি সব সময়ই আপনার দৃষ্টি থাকে। আপনি বহুগামিতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন। আপনি চাপা স্বভাবের হওয়ায় আবেগ প্রকাশে তীব্রতা কম থাকে। এতে অনেকে আপনাকে ভুল বোঝে। আপনি চান প্রিয়জন আপনার যত্ন নিক, আপনার কথায় গুরুত্ব দিক। এক্ষেত্রে কখনও কখনও আপনাকে মেজাজী হতেও দেখা যায়। একমাত্র প্রেম ও সুন্দর ব্যবহার দিয়েই আপনাকে প্রভাবিত করা যায়। আপনি অত্যন্ত সেন্টিমেন্টাল। স্পর্শকাতর ও স্নেহ-মমতায় পরিপূর্ণ যৌনাবেগের সুন্দরতম প্রকাশে আপনি আগ্রহী।

ঘর-সংসার ও সন্তান :

সব রাশির তুলনায় আপনি বেশি গৃহপ্রেমিক ও সংসারের প্রতি নিবেদিত। একটি সুন্দর বাড়ি ও বাগান যেন আপনার পৃথিবী। আপনি অতীত ও পুরনো জিনিস ভালোবাসেন। তাই আপনার বাড়ির সাজসজ্জায় একটা রোমান্টিক ছোঁয়া থাকে। আপনি আপ্যায়ন করতে পছন্দ করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পেশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আপনার বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত দেখা যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা এলে আপনি খুশি হন। ক্ষেত্রবিশেষে কখনও বাড়িতে ঘরোয়া গানের জলসার আয়োজনে আপনি উত্সাহী। আপনার গৃহ আধুনিক না হলেও সেখানে রুচির ছাপ পাওয়া যায়। একটা সুন্দর আরামদায়ক পরিবেশ আপনার কাম্য।

স্বাস্থ্য :

আপনার দুর্বল স্থান পাকস্থলী সহজেই পেটের পীড়া ও গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হন। অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিতা ও নার্ভাস স্বভাব এর অন্যতম কারণ। আপনার সুস্বাদু ও রিচ খাবারের প্রতি প্রবল আগ্রহ রয়েছে। যতটা সম্ভব এই প্রবণতা সংযত করতে চেষ্টা করুন। আপনার মেজাজী স্বভাব স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। দুশ্চিন্তা, ভয়, বিষণ্নতা আপনার রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। চন্দ্র আপনার চালিকাশক্তি হওয়ায় আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তন আপনার শরীর ও মনে বেশ প্রভাব বিস্তার করে। মিষ্টির প্রতি আপনার বেশ আকর্ষণ রয়েছে। এতে আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন, বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন ও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য :

দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনি যদি দুর্বল কর্কট হন অর্থাত্ আপনি যদি অন্যান্য গ্রহের কোণিক প্রভাব দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে আপনার মধ্যে উদ্যমহীনতা ও ভীরুতা দেখা যাবে। অকেকেই অত্যন্ত অলস ও অদৃষ্টবাদী। অনেকে অতীতচারী এত বেশি যে ভবিষ্যেক সুন্দর করার কোনো আগ্রহই তাদের মধ্যে দেখা যায় না। অতিরিক্ত আবেগ জীবনকে জটিল করে তুলতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180623081330

Friday, June 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হিন্দু বিবাহ

হিন্দু বিবাহ

শুভ অপরান্থ

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব।

হিন্দু বিবাহ বিধি (হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট), ১৯৫৫

এই আইন জন্মু ও কাশ্মীর ছাড়া ভারতের অন্য সব জায়গাতেই প্রযোজ্য। কোনও হিন্দু যদি এই আইনের আওতায় পরে এমন কোনও স্থানে বসবাস করেন - তাহলে তিনি বাইরে থেকে এলেও এই আইন তাঁর প্রতি প্রযোজ্য হবে। অহিন্দু, অর্থাৎ, কৃশ্চান, মুসলমান, ইহুদী, পার্শীদের প্রতি এই আইন প্রযোজ্য নয়। হিন্দু ও অহিন্দুর মধ্যে বিবাহ একমাত্র সম্ভবপর "সিভিল ম্যারেজ"-এর সাহায্যে। ১৯৫৪ সালের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রদেশ সরকারের নিয়োজিত ম্যারেজ রেজিস্ট্রাররা এই বিবাহ দিতে পারেন।

হিন্দু বিবাহ বিধিতে সামাজিক প্রথা ও নিয়ম অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ সম্পন্ন হলে তাকে বৈধ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং সপ্তপদী যে-সব বিবাহের একটি অঙ্গ, অগ্নি-সাক্ষী করে সপ্তপদী হয়ে যাবার পরেই বিবাহ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হয়। হিন্দু আইনে কোথাও বলা হয় নি যে, উভয়পক্ষের সন্মতি না থাকলে বিবাহ অসিদ্ধ হবে। কিন্তু যদি কোনও পক্ষের সন্মতি অসত্ উপায়ে বা জোর করে নেওয়া হয় - তাহলে সেই বিবাহ অবৈধ ঘোষিত হতে পারে।

হিন্দু বিবাহ আইনের কতগুলি প্রয়োজনীয় তথ্য:

বৈধ বিবাহের শর্ত:

* হিন্দু হতে হবে।
* ন্যূনতম বয়স: পাত্রের ক্ষেত্রে ১৮ (বর্তমান সীমা ২১) ও পাত্রীর ক্ষেত্রে ১৫ (বর্তমান সীমা ১৮) বছর হতে হবে (এর থেকে কম বয়সে বিবাহ করা দণ্ডনীয় অপরাধ, যদিও তার জন্য বিবাহটি অবৈধ নাও হতে পারে)।
* বিবাহকালে পাত্রীর অন্য স্বামী বা পাত্রের অন্য স্ত্রী জীবিত থাকলে চলবে না।
* পাত্র ও পাত্রী পরস্পরের নিকট আত্মীয় (যা আইনত নিষিদ্ধ) হবেন না। (বিভিন্ন লোকাচার অনুয়াযী এগুলি শিথিলযোগ্য। যেমন দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গায় মামা তাঁর ভাগ্নীকে বিবাহ করতে পারেন)।
* উভয়ের কেউই সপিণ্ড হবেন না (কারোর সপিণ্ড সম্পর্ক বিচার করতে হলে প্রথমে দেখতে হবে সেই সেই ব্যক্তিকে প্রথম প্রজন্ম হিসেবে ধরে তার মায়ের দিক থেকে তিনটি প্রজন্ম (generation) আগে এবং বাবার দিক থেকে পাঁচটি প্রজন্ম আগে কারা ছিলেন। দুজনকে তখনই সপিণ্ড বলা হবে যদি একজনের সপিণ্ড সম্পর্কের কেউ অন্যজনের সপিণ্ড সম্পর্কের হয় অথবা একজন অন্যজনের সপিণ্ড সম্পর্কের কেউ হয়। )।

নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলির বিবরণ:

* আপন সন্তান।
* পুত্র-বধূ, জামাতা, পিতার স্ত্রী, মাতার স্বামী।
* ভাই, বোন - আপন, মামাতো, মাসতুতো, পিসতুতো, খুড়তুতো, জ্যাঠতুতো সবাই।
* মেয়েদের মামা, কাকা, ও জ্যাঠা। ছেলেদের মাসি ও পিসি।

হিন্দু বিবাহ বিধিতে অসিদ্ধ (void) এবং অসিদ্ধ-সম্ভব (voidable) বিবাহের কথা বলা হয়েছে।
বিবাহ অসিদ্ধ হবে যদি প্রাক-বিবাহ বাধা সত্বেও বিবাহ সংঘটিত হয়। এই বাধাগুলিকে আবার দুটো ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

* নিরঙ্কুশ বাধা: এই বাধা সত্বেও কেউ বিবাহ করলে সেটি প্রথম থেকেই অবৈধ। যে কোনও পক্ষ আবেদন জানালে এটি অসিদ্ধ বলে জারি করা হবে।
* আপেক্ষিক বাধা: এক্ষেত্রে বিবাহ অসিদ্ধ বলে ঘোষিত হতে পারে যদি কোনও পক্ষ তার জন্য আবেদন করে।

নিরঙ্কুশ বাধাগুলি হল:

* বিবাহকালে পাত্রের অন্য স্ত্রী বা পাত্রীর অন্য স্বামী জীবিত থাকলে চলবে না।
* পাত্র-পাত্রী সপিণ্ড হবে না
* পাত্র-পাত্রী সম্পর্ক নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে পড়বে না
* এছাড়াও অন্য কারণে বিবাহ অসিদ্ধ হতে পারে, যেমন, বিবাহ-অনুষ্ঠানের আবশ্যকীয় অংশগুলি পালন না করা।

অসিদ্ধ (void) বিবাহের সঙ্গে অসিদ্ধ-সম্ভব (voidable) বিবাহের তফাত্ হল অসিদ্ধ-সম্ভব বিবাহ বৈধ বলে ধরা হবে যদি না কোনও এক পক্ষ এটি অসিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানায় এবং সেই আবেদন গৃহীত হয়ে বিবাহ বাতিল করা হয়। সেক্ষেত্রে বিবাহের দিন থেকেই এই বিবাহ অসিদ্ধ বলে ধরা হবে। অসিদ্ধ-সম্ভব বিবাহের মূলে চারটি কারণ থাকতে পারে:

* স্বামী পুরুষত্বহীন হয়।
* বিবাহের সময়ে কোনও পক্ষ পাগল বা জড়বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।
* বিবাহে সম্মতি আদায় করেছে শঠতার আশ্রয় নিয়ে বা জোর করে (এক্ষেত্রে: (১) শঠতা ধরা পরার বা বলপ্রয়োগের (যা শারীরিক মানসিক দুই হতে পারে) এক বছরের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে); এবং (২) বলপ্রয়োগের বা শঠতা আবিষ্কৃত হবার পর আবেদনকারী স্বেচ্ছায় অন্যপক্ষের সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হন নি)
* বিবাহের পূর্বে পাত্রী যদি অন্য পুরুষের দ্বারা গর্ভবতী হয়ে থাকে। (এক্ষেত্রে, (১) বিবাহের সময়ে পাত্রীকে গর্ভবতী থাকতে হবে, (২) গর্ভধারণ ঘটেছে স্বামী ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের দ্বারা; (৩) আবেদনকারী বিবাহের সময়ে এই গর্ভধারণের কথা জানতেন না; (৪) স্ত্রী গর্ভবতী জানার পর স্বামী স্বেচ্ছায়ে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হন নি); (৫) গর্ভবতী জানতে পারার এক বছরের মধ্যে স্বামীকে আবেদন করতে হবে।

হিন্দু বিবাহ বিধিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করা চলতে পারে এবং উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে আদালত তা মঞ্জুর করতে পারে। কিন্তু বিবাহ হবার পর থেকে তিন বছরের মধ্যে এই আবেদন করা চলবে না। নিম্নলিখিত কারণগুলি উপযুক্ত কারণ হিসেবে গণ্য করা হবে:

* স্বামী বা স্ত্রী ব্যভিচারে লিপ্ত হলে।
* ধর্মান্তর গ্রহণ করে আর হিন্দু না থাকলে।
* আবেদনের প্রাক্কালীন তিন বছর ধরে স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি মস্তিষ্ক বিকৃতিতে বা আরোগ্যের অতীত কুষ্ঠ ব্যধিতে, কিংবা সংক্রামক যৌনব্যাধিতে ভুগলে।
* স্বামী বা স্ত্রী সংসার ত্যাগ করলে বা কোনও ধর্ম-সম্প্রদায়ে যোগ দিলে।
* স্বামী বা স্ত্রীর কেউ সাত বছর নিরুদ্দিষ্ট থাকলে।
* আদালত কর্তৃক আলাদা হয়ে থাকার হুকুমনামার (জুডিশিয়াল সেপারেশন) পর উভয়পক্ষ আর স্বামী-স্ত্রী রূপে সহবাস না করলে।
* আদালত দাম্পত্য-জীবন পুনপ্র্রতিষ্ঠার (রেস্টিট্যুশন অফ কনজুগাল রাইটস) হুকুম দেওয়া সত্বেও, হুকুম অমান্য করে দুই বছর আলাদা হয়ে বাস করলে।
* স্বামী যৌন-অত্যাচার করলে।
* স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্বেও অন্য কাউকে বিবাহ করলে। (যদিও সেই দ্বিতীয় বিবাহ অসিদ্ধ, কিন্তু এটিও বিবাহ-বিচ্ছদে আবেদনের একটি উপযুক্ত কারণ)।
* দুজনের সম্মিলিত ইচ্ছা।

আদালতে যদি বিবাহ-বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয় (এবং তার বিরুদ্ধে কোনও আপীল না করা হয়), তাহলে এক বছর অপেক্ষা করার উভয়পক্ষই আবার বিবাহ করতে পারে। প্রসঙ্গতঃ বিবাহ-বিচ্ছেদের নির্দেশ পাবার আগে যদি স্ত্রী গর্ভবতী হন, তাহলে সেই সন্তান স্বামীর বৈধ সন্তান বলে গণ্য হবে|

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180622155354

Friday, June 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মিথুন রাশি্র বৈশিষ্ট্য

মিথুন রাশি্র বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) :- শিল্পী বা আবিষ্কারকের প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

আপনি দ্বৈতসত্তার অধিকারী। কখনও আবেগপ্রবণ আবার কখনও বাস্তববাদী। আপনার ব্যবহার ও চালচলনে একটা আকর্ষণ রয়েছে। আপনি চতুর ও বুদ্ধিদীপ্ত। আপনি সহজে রেগে যান আবার সহজেই সবকিছু ভুলে যান। আপনি সব অবস্থাতেই নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন। বুদ্ধিবৃত্তিক যে কোনো বিষয়েই আপনার আকর্ষণ প্রবল। তবে কোনো কিছুর গভীরে যেতে আপনি পছন্দ করেন না। আপনি একসঙ্গে অনেক কিছু করতে চান, এতে দেখা যায় কোনো কিছুই পূর্ণতা পায় না।

একটা অস্থির মন আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়। একাগ্রতার অভাব রয়েছে আপনার মধ্যে। আপনি সহজে কোনো কিছু শিখতে পারেন, একসঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে সুন্দর আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। কর্মেই আপনার আনন্দ। সব সময় পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের প্রত্যাশী। জীবনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য আপনি যে কোনো কিছু করতে পছন্দ প্রস্তুত। আপনি উচ্চাভিলাষী। উন্নতির জন্য আপনি চতুরতা ও কূট-কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতে দ্বিধা করেন না। আপনি দেওয়ার চেয়ে পেতেই আগ্রহী বেশি।

কর্ম :

আপনি কর্মঠ ও পরিশ্রমী এবং চিত্তাকর্ষক ও বৈচিত্র্যময় কাজ করতে পছন্দ করেন। এমন কাজই আপনার জন্য ভালো, যেখানে বুদ্ধির সর্বাধিক ব্যবহারের সুযোগ আছে। আপনি সহজভাবে অনুসন্ধিত্সু ও গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। আপনার মধ্যে কৌতুকবোধ ও স্বতঃস্ফূর্ত সুন্দর ব্যবহার রয়েছে। অনেক মানুষের মাঝে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এ রাশিতে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিকে সাংবাদিক, দালাল, আইনজীবী, সেলসম্যান, সেক্রেটারি ও ব্যবসায়ী হিসেবেও আপনি খারাপ করবেন না, যদিও আপনার লেখাতে গভীরতা তেমন থাকবে না। সার্জন, দাঁতের ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও অনেককে সাফল্য লাভ করতে দেখা যায়। আপনার মধ্যে একধরনের অস্থিরতা আছে, ভ্রমণে বিশেষভাবে আগ্রহী। যে পেশায় এই প্রবণতাকে পূর্ণ করতে সাহায্য করবে এমন পেশাও আপনার জন্য ভালো। আপনার অস্থিরতা ও কৌতূহলী মনের জন্য কোনো পেশায়ই চিরদিন লেগে থাকতে পারবেন না।

অর্থ :

অর্থ উপার্জনে সঞ্চয়ে আপনার সাফল্য উল্লেখযোগ্য নয়। অস্থির চিত্ত ও ঘন ঘন পেশা পরিবর্তন এর অন্যতম কারণ। অর্থের প্রতি আপনার সহজাত মোহ আছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ব্যবসায় বড় বড় কন্টাক্ট করিয়ে দিয়ে আপনি হঠাত্ প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার অনেক অর্থকরী উদ্যোগে সততা ও বিশ্বস্ততার অভাব দেখা যায়। নিয়মিত ও নিরাপদ আয়ের উত্স আপনার আর্থিক উন্নতি ও সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।

প্রেম ও বিয়ে :

প্রেমে আপনি আগ্রহী। কিন্তু অস্থিরতা ও বৈচিত্র্যপ্রিয়তার জন্য কোথাও গভীরভাবে জড়াতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গরা আপনাকে ভুল বোঝে। অবিশ্বস্ততার অপবাদ পেয়ে থাকেন। কেউ আপনাকে আকর্ষণ করলে সহজেই দূরে সরে যেতে পারেন। এতে আপনার মনে কোনো অনুশোচনা ও দুঃখবোধ কাজ করে না। জীনবকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য আপনি এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন।

ঘর-সংসার ও সন্তান :

সুন্দর পরিবেশ আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ, বৈচিত্র্যময়, আনন্দঘন জীবন। গৃহ আপনাকে এ লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। আপনি চান আপনার বাড়িতে গান-বাজনা, আনন্দ-ফুর্তির ব্যবস্থা থাকুক। আত্মীয়স্বজন আপনার বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত দেখা যায়। আপনি অতটা অর্থনৈতিক সচেতন না। তবু গৃহকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করার ক্ষমতা আছে আপনার। আপনি সব সময়ই ভাবেন সংসার আপনাকে কতটুকু দিল। আপনি সংসারকে কতটুকু দিলেন। এই ভাবনা আপনার কাছে তেমন গুরুত্ব পায় না। পিতা-মাতা হিসেবে আপনি ততটা আদর্শ নন। আপনার বহিমুখী মন ও ব্যস্ততা এ ব্যাপারে অন্তরায় সৃষ্টি করে।

স্বাস্থ্য :

আপনার মনের মতোই আপনার দেহ সক্রিয়। চেহারাতে একটা বুদ্ধিদীপ্ত ছাপ সাধারণত দেখা যায়। আপনার অস্থিরতা ও একসঙ্গে অনেক কিছুতে শক্তির অপচয় আপনার স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। আপনার সদা সক্রিয় মন শান্তিপূর্ণ ঘুমের অন্তরায়। আপনার সবচেয়ে দুর্বল স্থান স্নায়ুতন্ত্র ও ফুসফুস। এদের যত্ন নিন। সাধারণত আপনার বাত, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য :

দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। দোষগুলো আপনি কতটা দমিয়ে নিতে পারলেন বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন এর ওপরই নির্ভর করে জীবনের সাফল্য। আপনি যদি দুর্বল মিথুন হন, তবে আপনার মধ্যে ধৈর্য ও একাগ্রতার অভাব দেখা যাবে। জীবনের সাফল্যের জন্য স্থিতি বড় বেশি প্রয়েজন। লোভ ও বৈচিত্র্যের স্পৃহা আপনার মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180622063746

Friday, June 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহরা কেন্দ্রস্থ হলে

গ্ৰহরা কেন্দ্রস্থ হলে

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব
১) রবি কেন্দ্রস্থ হলে____
জাতক সর্বদা ক্ষুধার্ত, ক্রুর স্বভাবযুক্ত, মস্তক ও নেত্র রোগী, বিদেশবাসী ও পরস্ত্রী
আসক্ত, ক্ষমা গুণ হীন, অলস বা দীর্ঘসূত্রী হয় ৷

চন্দ্র কেন্দ্রস্থ হলে:__
জাতক চঞ্চলচিত্ত, কীর্তিমান রমনীপ্রিয়, সুখী, মর্যাদাশীল ও বন্ধুসুখে সুখী হয়৷

৩) মঙ্গল কেন্দ্রস্থ হলে:__
জাতক নির্ভীক, ধনবান, ক্রোধী, পরোপকারী, মর্যাদাশীল ও ভোগী হয়৷

৪)বুধ কেন্দ্রস্থ হলে --

জাতক বিদ্বান, মনোজ্ঞা স্ত্রী লাভকারী লাভকারী, পরিমিত ব্যয়ী ও কলাজ্ঞ হয়৷
৫) বৃহস্পতি কেন্দ্রস্থ হলে::
জাতক ধর্মপরায়ণ, সত্যপ্রিয়,মর্যাদাশীল, নীতিবান ও যশোভাগ্যযুক্ত হয়

৬) শুক্র কেন্দ্রস্থ হলে :__জাতক বুদ্ধিমান, রমনীপ্রিয়, সুবন্ধুযুক্ত, ভোগী, বংশ গৌরব বন্ধন কারী আত্মীয়-স্বজনঅনুরক্ত ও কাব্যকলা বিশারদ হয়

৭) শনি কেন্দ্রস্থ হলে :____জাতক অসন্তষ্ট চিত্ত, ছল চাতুর্যে উপার্জনশীল, দাস্যভাব যুক্ত, মানসিক দুশ্চিন্তা গ্রস্ত, বাতরোগী ও উৎসাহহীন হয়/

৮) রাহু কেন্দ্রস্থ হলে ___জাতক শত্রুজয়ী, লোকনিন্দা কাতর,ভিন্ন ভিন্ন ধর্মানুরাগী মর্যাদাশীল ভাগ্য ভোগী ও স্নেহ জাতির দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত
৯) কেতু কেন্দ্রস্থ হলে

জাতক উৎকণ্ঠিত চিত্ত, ভোগবিলাসী, কামিনীজন প্রিয়, পরভাগ্যভোগী, রোগী ও কৃষি
শরীর যুক্ত হয়
গ্রহ গনের উচ্চ-নীচ আদি অবস্থান অনুসারে কেন্দ্রস্থ গ্রহগনের ফলাফলের তারতম‍্য হয়!

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180622063229

Thursday, June 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অমুবাচি

অমুবাচি

শুভ অপরান্থ
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিন পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ্যে পৃথিবীকে ঋতুমতী ধরা হয় । এই সময়কে “অম্বুবাচী” বলে । এই সময় দেবীর মন্দির বন্ধ থাকে । তিনদিন পর চতুর্থ দিন দেবীর মন্দির খুলে দেবীর স্নান পূজাদি সম্পন্ন করা হয় । অম্বুবাচী যোগে জগন্মাতা আদ্যাশক্তি কামাখ্যা দেবীর রক্তবস্ত্রের মাহাত্ম্য অনেক । লিখিত আছে-

কামাখ্যাবস্ত্রমাদায় কপ- পূজাং সমাচরেৎ ।
পূর্ণকামং লভেদ্দেবী সত্যং সত্যং ন সংশয় ।।
( কুব্জিকা তন্ত্র / সপ্তম পটল )

অর্থাৎ- উক্ত রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিলে অভীষ্ট ফল লাভ হয়, তদুপরি কামাখ্যার রক্তবস্ত্র শরীরে ধারণ করিয়া অন্যত্র জপ, পূজা করিলেও পূর্ণকাম হইয়া থাকেন ।

ভারতবর্ষের, আসাম রাজ্যের মহাপীঠ কামরূপ কামাখ্যার নাম সকলেই অবগত । গৌহাটি শহরে নীল পর্বতে অবস্থিত দেবীর এই শক্তিপীঠ । ভগবতী সতী দেবীর যোনি পীঠ এই নীল পর্বতে পতিত হয়। দেবীর নাম কামাখ্যা আর ভৈরব হলেন উমানন্দ । ভারতবর্ষে এই তীর্থ বহু প্রাচীন। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণে এই শক্তিপীঠের নাম পাওয়া যায় । কামাখ্যা দেবী হলেন মহাষোড়শী । কামাখ্যা পীঠে প্রথম পূজা করেন কামদেব বা মদন দেব। সেই মন্দির নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা । কিন্তু কালের গর্ভে সেই মন্দির এখন আর নেই । সেই পবিত্র কুণ্ড জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। একদা কোচ রাজা বিশ্বসিংহ এখানে এসে দেবীর মহিমা চাক্ষুষ দেখে আশ্চর্য হয়ে প্রতিজ্ঞা করেন তিনি স্বর্ণ ইঁট দ্বারা দেবীর মন্দির নির্মাণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে অত স্বর্ণ পাওয়া যায় নি, তখন মা কামাখ্যার স্বপ্নাদেশে প্রতি ইষ্টকে এক রতি করে স্বর্ণ দিয়ে মন্দির নির্মাণ করলেন । মায়ের পূজা ধূমধামে আরম্ভ হল ।

কামাখ্যা মায়ের পুরোহিত ছিলেন কেন্দুকেলাই ঠাকুর । তিঁনি উচ্চ স্তরের সাধক ছিলেন। তিঁনি যখন আরতি করতেন তখন মা কামাখ্যা প্রকটিত হয়ে আনন্দে নৃত্য করতেন । সে সময় মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকতো । কেউ উকিঝুকি দিয়ে দেখার সাহস করতো না। কেন্দুকেলাই ঠাকুর মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত ছিলেন। অনেক আর্ত , বিপদগ্রস্ত জনের তিনি রোগ সঙ্কট দূর করতেন । তখন রাজা বিশ্বসিংহের উত্তরপুরুষ রাজা নরনারায়ণ ছিলেন কোচ রাজা। কেন্দুকেলাই ঠাকুরের প্রতি হিংসা করে এক পুরোহিত রাজা নরনারায়ণকে মিথ্যা নানা কথা বলে কান ভাঙালেন । রাজা নরনারায়ণ কেন্দুকেলাই ঠাকুরের নির্দেশ অমান্য করে উকি দিয়ে আরতি দেখতে গেলেন । ঠিক সে সময় ঘটলো অঘটন । মা কামাখ্যা ক্রুদ্ধা হয়ে সেই পুরোহিতের মাথায় চপেটাঘাত করলেন। আর নরনারায়ণ কে শাপ দিয়ে বললেন- “রাজা তুমি বা তোমার বংশধরেরা কখনো নীল পর্বতে এলে তোমাদের বংশ লোপ পাবে। এই মুহূর্তে তুমি নীল পর্বত থেকে চলে যাও।” অসৎ উপায়ে মাকে দর্শন করতে গিয়ে কোচ রাজা যে শাপ পেলেন, এখনও কোচ রাজার বংশধরেরা নীল পর্বতে আসেন না, পর্বত দর্শন করেন না । এরপর থেকে মায়ের মন্দিরের সেবা কাজ কোচ রাজাদের থেকে আহোম রাজাদের হাতে আসে।

কামাখ্যা পীঠের এই হল সংক্ষিপ্ত কাহানী। । দেবী কামাখ্যার পঞ্চ মূর্তি ও অষ্টযোগিনী আছে । পঞ্চ মূর্তি হল- কামাখ্যা, কামেশ্বরী, ত্রিপুরা, সারদা, মহোৎসহা । অষ্টযোগিনী রা হলেন- কটীশ্বরী, গুপ্তকাশী, শ্রীকামা, বিন্ধ্যবাসিনী, পাদদুর্গা, দীর্ঘেশ্বরী, ধনস্থা ও প্রজটা । কামাখ্যা ধামে অম্বুবাচী কে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে। এই সময় বহু সাধু সন্তদের আগমন হয় ।

অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে চলছে মা কামাখ্যা যোনি পূজা…

অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে চলছে মা
কামাখ্যা যোনি পূজা…
দর্শনের সাথে সাথেll কেউ এড়িয়ে যাবেন
না…ছবিটি দেখা মাত্র. নিচে দেওয়া যে
কোন একটি মন্ত্রে মাকে প্রণাম করুন মায়ের
কৃপায় আপনার জীবনে ভালো কিছু ঘটবেই।
মা কামাখ্যারপ্রণামঃ
=================
ত্বং আদ্যাদেবী কামাখ্যারুপেন জগত্মাতৃকা
তত্ চরনারবিন্দ সর্বভূতানাং স্বর্মপয়ামি ॥১
কামাখ্যে বরদে দেবী নীলপর্ব্বতবাসিনী
ত্বং দেবী জগতাং মাতর্যোনিমুদ্রে
নমোহস্তুতে।।
==========================
জয় মা কামাখ্যা >>>>
৫১ শক্তিপীঠের সব কটি পীঠেই মা জগদম্বা
ভৈরব সহিত রয়েছেন । সন্তান দের জন্য বিলিয়ে
দিয়েছেন মাতৃস্নেহ । ব্রহ্মময়ী আদিশক্তির
সাথে আমাদের সম্পর্ক সন্তান আর মায়ের
সম্পর্ক । আমাদের মা। সামান্য কীট পতঙ্গ
থেকে শুরু করে দেবতাদের মা। ৫১ পীঠের
মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য পীঠ- এবং সাধনার
স্থান পীঠ হল কামাখ্যা পীঠ । ভারতবর্ষের আসাম
রাজ্যের রাজধানী গৌহাটির কাছেই নীল পর্বতে
এই পীঠ অবস্থিত । কালিকাপুরান, দেবী ভাগবত
পুরান, তন্ত্র শাস্ত্র গুলিতে এই পীঠের অসীম
মাহাত্ম্যের কথা বর্ণিত হয়েছে । ভগবান বিষ্ণুর
চক্রে খন্ডিত হয়ে মহাদেবী মা সতী
দেবীর যোনি দেশ এই স্থানে পতিত
হয়েছিল । দেবীর নাম কামাখ্যা, আর ভৈরবের নাম
উমানন্দ । বৃহদ্ধর্ম পুরান বলেতীর্থচূড়ামণিস্তত্র
যত্র যোনিঃ পপাত হ ।তীরে ব্রহ্মনদাখাস্য
মহাযোগস্থলং হি তৎ ।।অর্থাৎ- যে স্থানে
দেবীর যোনি পতিত হয়েছিল, সেই স্থান
তীর্থ চূড়ামণি । স্থানটি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে
। মহাযোগস্থল বলে জগতের জন্য হিতকর ।
তস্মিংস্তু কুব্জিকাপীঠে সত্যাস্তদ্ যোনিমণ্ডলম্
।পতিতং তত্র সা দেবী মহামায়া ব্যলীয়ত ।।
লীনায়াৎ যোগনিদ্রায়াং ময়ি পর্বতরূপিণী ।স
নীলবর্ণঃ শৈলহভুৎ পতিতে যোনিমণ্ডলে ।।
কালিকা পুরান/ দ্বিষষ্টিতম্ অধ্যায় যে স্থলে
দেবীর যোনিমণ্ডল পতিত হয় , তাহার নাম
কুব্জিকা পীঠ এবং মহামায়া দেবীও সেই
পীঠেই বিলীন হইয়া থাকেন। এই পর্বতে
দেবীর যোনিমণ্ডল পতিত হওয়ায় ইহা নীলবর্ণ
হইয়াছিল । এই জন্য এই পর্বত নীলাচল নামে
বিখ্যাত ।সত্যাস্ত পতিতং তত্র বিশীর্ণং
যোনিমণ্ডলম্ ।শিলাত্বমগমচ্ছৈ
লে কামাখ্যা তত্র
সংস্থিতা ।।সংস্পৃশ্য তাং শিলং মর্ত্যো হ্যময়মরাপ্লুয়াৎ ।
অনর্ত্যো ব্রহ্মসদনং তৎস্থো
মোক্ষমবাপ্লুয়াৎ ।।কালিকা পুরান / দ্বিষষ্টিতম্
অধ্যায়অর্থাৎ – সতীর বিশীর্ণ যোনিমণ্ডল
নীলাচলে পতিত হয়ে প্রস্তরত্ব প্রাপ্ত
হয়েছে। সে প্রস্তর ময় যোনিতে কামাখ্যা
দেবী অবস্থান করেন। সে মনুষ্য ঐ শিলাকে
স্পর্শ করে , সে অমরত্ব ( এখানে অমর
বলতে দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের উপমা
দেওয়া হয়েছে) পায় ও অমর হইয়া ব্রহ্ম সদনে
অবস্থান করতঃ পরিণামে মোক্ষ লাভ করে ।
তত্রত্যা দেবতাঃ সর্বাঃ পর্বতাত্মকতাঃ ।পর্বতেষু
বসন্ত্যেব দেবতা অপি ।।তত্রত্যা পৃথিবী সর্বা
দেবীরূপা স্মৃতা বুধৈঃ ।নাতঃ পরতরং স্থানং
কামাখ্যাযোনিমণ্ডলাৎ ।।দেবী ভাগবত/ ৭ ম
স্কন্ধ/ অষ্টত্রিংশ অধ্যায়

অর্থাৎ- নীলাচলে
দেবতা সকলে পর্বত রূপে অবস্থিত আছেন
এবং অপরাপর প্রধান প্রধান দেবতা সেই সেই
পর্বতে অধিষ্ঠান করিতেছেন । অধিক কি বলিব
সেই স্থানে অখিল ভূ ভাগকেই বুধ গণ দেবী
স্বরূপ বলিয়াছেন । বস্তুত উক্তঃ
কামাখ্যাযোনিমণ্ডল অপেক্ষা প্রশস্ত স্থান আর
দ্বিতীয় নেই ।এই হল কামাখ্যা পীঠের বিবরণ ।
অসম রাজ্য তথা কামাখ্যা মানুষের কাছে আজও
কৌতূহলের বিষয় । লোক প্রবাদ অনুযায়ী
এখানকার আদি বাসিন্দা গন নানারকম যাদু বিদ্যায়
পারদর্শী । এখানে তালা পাতায় লিখিত বা মন্দিরে
খোদিত বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র এখনও দেখা যায়। তাই
অসম ও কামাখ্যা মন্দির নিয়ে মানুষের কৌতূহলের
শেষ নেই ।

অম্বুবাচী মেলা হিন্দু ধর্মের বাৎসরিক
উৎসব । লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসে
মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে
পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই
সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়।
অম্বুবাচীর নিয়ম [সম্পাদনা ]

অম্বুবাচীর দিন থেকে পরর্বতী তিন দিন
পর্যন্ত কামাখ্য দেবীর দুয়ার বন্ধ থাকে
[১] ও এই সময়ে কোনো ধরনের মাংগলিক
কার্য করা যায়না। চতুর্থ দিন থেকে
মঙ্গলিক কাজে কোনো বাধা থাকেনা।
অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ,
বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ
থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের
প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। অম্বুবাচী মেলা

অম্বুবাচীর সময় হিন্দু ধর্মীয় লোকেরা
শক্তি পূজার স্থানগুলোতে আয়োজন করা
উৎসবকে অম্বুবাচী মেলা বলা হয়।
ভারতের অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের
কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে প্রতি বৎসর
অম্বুবাচী মেলার আয়োজন করা হয়।
আম্বুবাচী আরম্ভের প্রথম দিন থেকে
কামাখ্যা দেবীর দ্বার বন্ধ রাখা হয়
ফলে আম্বুবাচীর সময় দেবী দর্শন
নিষিদ্ধ থাকে। চতুর্থ দিন দেবীর স্নান ও
পূজা সম্পুর্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মাতার
দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতের
বিভিন্ন প্রান্তের থেকে আসা লক্ষ লক্ষ
ভক্তেরা (বর্তমান দিনে বিদেশ থেকে
আসে) কামাখ্যা মন্দিরের চতুর্দিকে
বসে কীর্ত্তন করেন। মন্দিরের বাহিরে
প্রদীপ ও ধূপকাঠী জ্বালিয়ে দেবীকে
প্রনাম করেন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির দিন
পান্ডারা ভক্তদের রক্তবস্ত্র উপহার
দেন। দেবী পীঠের এই রক্তবস্ত্র ধারন
করিলে মনোকামনা পুর্ন হয় বলে
ভক্তেরা বিশ্বাস করেন। এই রক্তবস্ত্র
পুরুষেরা ডানহাত বা গলায় ও মহিলারা
এই বস্ত্র বাওহাত বা গলায় পরিধান
করেন। রক্তবস্ত্র পরিধান করে শশ্মান বা
মৃতের ঘরে যাওয়া নিষিদ্ধ। কামাখ্যা
ধামের অম্বুবাচী মেলা আন্তর্জাতিক ও
জাতীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য বিশেষ
ভূমিকা পালন করেছে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180621171518

Thursday, June 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বৃষ রাশির বৈশিষ্ট্য

বৃষ রাশির বৈশিষ্ট্য

বাংলা রাশিচক্র
বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে):-নির্মাতা বা উত্পাদকের প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

সত্য, সুন্দর ও প্রেম-এ তিনটি শব্দের প্রতি আপনার সহজাত দুর্বলতা রয়েছে। আপনি বৈষয়িক, বুদ্ধিমান ও দায়িত্বসচেতন। আপনি আড্ডা ও আপ্যায়নপ্রিয়। আপনার ঘরে তাই আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের ভিড় দেখা যায়। মানুষের দুঃখ দেখে আপনি দুঃখ পান। সাধ্যানুসারে মানুষের উপকার করেন। আপনি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও সচেতন।

এখানে আঘাত আসলে আপনি ক্ষেপে যান এবং কখনও কখনও নির্দয়ও হয়ে যান। ফুল, বাগান, সংগীত ও প্রকৃতির প্রতি আপনার সহজাত টান আছে। মনের দিক থেকে আপনি অত্যন্ত সত্, বিশ্বস্ত ও রক্ষণশীল। নিরাপত্তাবোধ আপনাকে সব সময় বিচলিত করে। তাই জমি ক্রয় ও বাড়ি করার ব্যাপারটি আপনার কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। আপনি কাউকে পছন্দ করলে, ভালোবাসলে তার প্রতি নিবেদিত হন, কাউকে অপছন্দ করলে সহজেই মুখ ফিরিয়ে নেন। আপনি সহজে রাগেন না। একবার রাগলে তা সহজে ভুলতে বা ক্ষমা করতে পারেন না।

কর্ম :

আপনার ধৈর্য ও নিরাপত্তাবোধ বেশি। তাই এমন পেশাই গ্রহণ করা উচিত যেখানে নিরাপদ আয়ের উত্স আছে, দীর্ঘ ও রুটিনমাফিক কাজের সুযোগ আছে। অ্যাকাউনট্যান্ট, স্থপতি, অর্থনীতিবিদ, খামার ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, প্রশাসক হিসেবে আপনি সাফল্য অর্জন করবেন। শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত পেশা ও কসমেটিক, বিলাসসামগ্রী প্রস্তুতকারক হিসেবেও ভালো করবেন। কর্মচারী হিসেবে আপনি মালিক ও পদস্থদের প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত, সেখানেও আপনার অগ্রগতি ও সাফল্যের সুযোগ আছে।

অর্থ :

অর্থের প্রতি আপনার সহজাত দুর্বলতা আছে। নিরাপত্তাবোধ থেকেই এর উত্পত্তি। অর্থ উপার্জনে আপনি ধৈর্য, সহ্যশক্তি ও বৈষয়িক উপার্জনে সার্থকভাবে কাজে লাগাতে জানেন। জীবনের প্রতিষ্ঠা, সুখ ও নিরাপত্তা অর্থই দিতে পারে বলে আপনি মনে করেন। আপনি অর্থের ব্যাপারে সচেতন, তবু কাউকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে সহজে না করতে পারেন না। আপনি সঞ্চয়ে উত্সাহী, তবু আপনাকে কৃপণ বলা যাবে না। বিলাস, আরাম-আয়েশ ও ঘর সাজাবার জন্য আপনি বেহিসাবী। সন্তানদের ব্যাপারে অর্থ খরচে আপনি উদার। আপনার লটারি ও জুয়ার ভাগ্য ভালো।

প্রেম ও বিয়ে :

শুক্রের প্রভাব, আপনি সাধারণত দেখতে সুন্দর, সুঠাম দেহ ও মিষ্টি কণ্ঠের অধিকারী। আপনার জীবনে একাধিক প্রেম বা দুর্বলতা আসবে। কিন্তু প্রেমে আপনি বিশ্বস্ত। কাউকে যথার্থ মনে হলে তাকে পাওয়ার জন্য আপনি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। আপনি মানুষের মনে সৌন্দর্যে বিশ্বাসী, তবে বাইরের সৌন্দর্যকে অস্বীকার করেন তাও নয়।

আপনি প্রেমে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। প্রেমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আপনি সহ্য করতে পারেন না। ঈর্ষা ও অধিকারবোধ আপনাকে তখন অস্থির করে তোলে। বিয়ে মানে আপনার কাছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যে আপনাকে নিরাপত্তা ও ভালোবাসা দিতে পারবে এমন জীবনসঙ্গী আপনার পছন্দ। আপনি স্নেহপ্রবণ, উষ্ণ ও প্রেমময়। আপনার যৌন অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে থাকতে আপনি বেশি পছন্দ করেন। আপনি অন্য রাশির তুলনায় সবচেয়ে নিবেদিত ও বিশ্বস্ত।

ঘর-সংসার ও সন্তান :

ঘর-সংসার ও সন্তান আপনার কাছে বড় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের সুখ ও শান্তি আপনার প্রধান লক্ষ্য। আপনি চান ছিমছাম, রুচিশীল সুন্দর গৃহ। সহজাতভাবেই আপনার মধ্যে রং ও রুচির শৈল্পিক গুণ রয়েছে। আপনি মিশুক ও সামাজিক হওয়ায় আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের আপনার ঘরে যাতায়াত দেখা যায়। আর বিভিন্ন উপলক্ষে আপনি তাদের দাওয়াত করতে পছন্দ করেন। আপনি সন্তানবত্সল। কর্তৃত্বপরায়ণ, কখনও কখনও নির্দয়ও হয়ে ওঠেন। আবার অতিরিক্ত আদরও দিয়ে ফেলেন। একটা দ্বৈতসত্তা এ ব্যাপারে লক্ষ করা যায়।

স্বাস্থ্য :

আপনি সাধারণ সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী। আপনার শরীরে প্রচুর প্রাণশক্তি ও ঔজ্জ্বল্য রয়েছে। আপনি সহজে অসুখ-বিসুখে ভোগেন না। আবার একবার অসুস্থ হলে আরোগ্য লাভে সময় লাগে। বৃষনারী সাধারণত দেখতে সুন্দর হয় এবং পোশাক-পরিচ্ছদে রুচি ও শালীনতা বজায় রাখে। অতিরিক্ত ভোজনপ্রিয় হওয়ায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এরা মোটা হয়ে যায়। গলা আপনার সবচেয়ে দুর্বল স্থান। ঠাণ্ডা ও সর্দি আপনাকে সহজেই কাবু করে ফেলতে পারে। তাই এর যত্ন নিন। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে আপনি সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। উচ্চ রক্তচাপ, জননেন্দ্রিয়ের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য :

দোষগুণ নিয়েই মানুষ। দোষগুলো আপনি কতটা কমিয়ে আনতে পারলেন বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন এর ওপরই নির্ভর করে জীবনের সাফল্য। আপনি যদি দুর্বল বৃষ হন, তবে আপনার মধ্যে একগুঁয়ে স্বভাব দেখা যাবে, কোনো যুক্তিই মানতে চাইবেন না।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180621103335

Thursday, June 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মানব দেহে গ্ৰহের অবস্থান

মানব দেহে গ্ৰহের অবস্থান

শুভ রাত্রী
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব

মানব দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ উপর গ্ৰহের প্রভাব
• সূর্য : মস্তিস্ক
• বুধ: হ্ দপিন্ড
• চন্দ্র: ফুসফুস
• শুক্র: জনন অঙ্গ
• মঙ্গল: ললট
• রাহূ: নাভি থেকে হাটুর নীচে
• কেতু: পায়ের পাতা
• শনি: মেরুদন্ড
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180621081003

Wednesday, June 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জামাইষষ্ঠী

জামাইষষ্ঠী

শুভ রাত্রী
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব।

মা ষষ্ঠীর সঙ্গে ঘটা করে জামাই-আদরের সম্পর্ক কী?

আজকাল সারা পৃথিবী জুড়েই এক একটা দিনকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার জন্য নামকরণ করা হয় — আন্তর্জাতিক শ্রমদিবস, ভাষাদিবস, কৃষাণ দিবস, মাতৃত্ব দিবস, শিশু দিবস ইত্যাদি | পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সমাজ বিজ্ঞানীরা বা রাজনৈতিক নেতৃবর্গ এতকাল পরে যেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন তা আমাদের দেশের মুনি-ঋষিগণ বা সমাজের বিধানদাতারা ভেবেছেন অনেক আগেই | আর তারই ফলস্বরূপ রক্তের বন্ধন, আত্মীয়তার বন্ধন বা সামাজিক বন্ধনকে অটুট রাখতে বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও জোরালো করতে তাঁরা সমাজে চালু করেছেন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, রাখীবন্ধন ইত্যাদি | আর এতেই সম্ভবত সর্বশেষ সংযোজন জামাইষষ্ঠী |

জামাইকে কেন্দ্র করে ষষ্ঠী উৎসব পালন করা হয় প্রধানত পশ্চিমবঙ্গে | কন্যার বিবাহের মাধ্যমে একটি পরিবারের সঙ্গে আর একটি পরিবারের যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয় সেই সম্পর্ককে সুদৃঢ় করাই এই জামাই ষষ্ঠীর উদ্দেশ্য | তাই এদিন মেয়ে-জামাইকে যেমন নেমন্তন্ন করা হয় তেমনি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদেরও ডাকা হয় | সকলে অন্তরঙ্গভাবে মিলেমিশে মহা সমারোহে এই ধর্মীয় তথা সামাজিক উৎসব পালন করে |

আমাদের দেশে সেই অতি প্রাচীনকাল থেকেই বহুদেবত্ববাদের পূজারি হিন্দু মুনিঋষিগণ বিভিন্ন দেবদেবীর পাশাপাশি কিছু উপদেবতারও পুজো করতেন | ‘ষষ্ঠী’ বা ‘মা ষষ্ঠী’ সেইরকমই এক উপদেবতা | সম্ভবত শিশুমৃত্যু ও প্রসূতি মৃত্যুর হার অত্যধিক বেশি হওয়ায় শিশুর জন্ম ও স্বাস্থ্যরক্ষা এবং প্রসূতির জীবনরক্ষার ভার ন্যস্ত করা হয় এই মা ষষ্ঠীর কাছে | তাই সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা ষষ্ঠীর পুজো করে থাকেন | এখন প্রশ্ন উঠতে পারে — মা ষষ্ঠীর সঙ্গে জামাই-এর সম্পর্ক কী ?

ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল কন্যা যতদিন না পুত্রবতী হয় ততদিন কন্যার পিতা বা মাতা কন্যাগৃহে পদার্পণ করবেন না | এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিল — সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য | সেক্ষেত্রে বিবাহিত কন্যার মুখদর্শন কীভাবে ঘটে? তাই সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাই ষষ্ঠী হিসাবে | যেখানে মেয়ে জামাইকে নেমন্তন্ন করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শন করা যাবে আর সেইসঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করা যাতে কন্যা শীঘ্র পুত্রমুখ দর্শন করতে পারে | বর্তমানে অবশ্য এই সংস্কার পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে — কন্যার পিতামাতা অথবা যে ব্যক্তি কন্যা সম্প্রদান করবেন তিনি এক বৎসর কন্যার বাড়ি যাবেন না বা গেলেও কন্যার বাড়ির অন্নগ্রহণ করবেন না | যদিও আধুনিক শহুরে জীবনে এই সংস্কার বিশেষ গুরুত্ব পায় না | সংস্কার যাই হোক না কেন, মেয়ে জামাইকে ডেকে এনে সমাদর করা ও সেইসঙ্গে কন্যা যাতে সন্তানবতী হয় সেই লক্ষ্যে ‘মা ষষ্ঠীকে’ জুড়ে দিয়ে উৎসবের নামকরণ হল জামাই ষষ্ঠী |

আরও পড়ুন: পাত্রী পরিচিত‚ শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন মহম্মদ সামি‚ বিস্ফোরক অভিযোগ হাসিন জাহানের

ষষ্ঠী-পালন সাধারণত করে থাকেন মেয়েরা | তাঁদের কাছে এর তাৎপর্য অন্যরকম | কথিত আছে — এক পরিবারে দুটি বউ ছিল | ছোট বউ ছিল খুব লোভী | বাড়ির মাছ বা অন্যান্য ভাল খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে অভিযোগ করত ‘সব কালো বেড়ালে খেয়ে নিয়েছে |’ বেড়াল মা ষষ্ঠীর বাহন | তাই বেড়াল, মা ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাল | মা ষষ্ঠী রেগে গেলেন | ফলে ছোট বউ-এর একটি করে সন্তান হয় আর মা ষষ্ঠী তার প্রাণ হরণ করেন | এইভাবে ছোট বউয়ের সাত পুত্র ও এক কন্যাকে মা ষষ্ঠী ফিরিয়ে নেন | ফলে স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাকে ‘অলক্ষণা’ বলে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় | অথচ বড় বউ পুত্রকন্যাদের নিয়ে সুখে ঘর করতে থাকে |

যাই হোক, ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে যায় ও একাকী কাঁদতে থাকে | শেষে মা ষষ্ঠী বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তার কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চান | সে তার দুঃখের কথা বলে | তখন মা ষষ্ঠী তার পূর্বের অন্যায় আচরণের কথা বললে সে মাফ চায় | ষষ্ঠী তাকে ক্ষমা করেন | এরপর বলেন — ভক্তিভরে ষষ্ঠীর পুজো করলে সাতপুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে | তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা করে মা ষষ্ঠীর পুজো করে ও ক্রমে ক্রমে তার পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় | এর থেকে দিকে দিকে ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে | এটাই জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী ব্রতকথার মূল গল্প |

এদিকে যে সময় জামাই ষষ্ঠী পালন করা হয় অর্থাৎ জৈষ্ঠ্য মাসে, প্রকৃতিতে আম-জাম-কাঁঠাল ইত্যাদি নানা ফলের সমারোহ | তাই খুব ঘটা করে এদিন শাশুড়িরা ষষ্ঠীর পূজা করেন | তারপর নেমন্তন্ন করে নিয়ে আসা জামাইকে আসনে বসিয়ে প্রথমে কপালে দইয়ের ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করেন ও দীর্ঘজীবন কামনায় মা ষষ্ঠীর স্মারক তেল-হলুদে চোবানো সুতো হাতের কবজিতে বেঁধে দেন | এরপর আশীর্বাদী বস্ত্রাদি জামাইয়ের হাতে তুলে দেন | আর সামনে বিবিধ মিষ্টান্নসহ নানা ফল খেতে দেন | অবশ্য জামাই বাবাজীও শ্বশুরবাড়ি ঢোকার সময় যেমন দই-মিষ্টি আনতে ভোলে না তেমনি আশীর্বাদের পর প্রণামী হিসেবে শাশুড়িকে বস্ত্রাদি দিয়ে থাকে | এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য — শুধুই জামাই নয়, মেয়েও কিন্তু বস্ত্রাদি উপহার হিসাবে পেয়ে থাকে |

সমারোহের ব্যাপার বোঝা যায় দুপুরের আহারে | তখন গরমভাতে ঘি থেকে শুরু করে শেষে পানমশলা | মাছ, বাঙালির প্রিয় এবং মাঙ্গলিক বলে — ইলিশমাছের পাতুরি, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, দই-রুই, ভেটকি মাছের ফ্রাই ইত্যাদি মাছেরই অনেক রকম পদ এবং মাংস ( জামাই রাত্রে থাকলে সাধারণত রাত্রে হয় ), চাটনি, দই, মিষ্টি ইত্যাদি নানা ব্যঞ্জন ভাতের ( বাসমতী বা গোবিন্দভোগ চালের ) থালার চারপাশে সাজিয়ে দেওয়া হয় |

আগেকার দিনে শাশুড়িরা সাধারণত জামাইকে খেতে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করতেন | এখন ইলেকট্রিক ফ্যান আর এসি-র দৌলতে তার আর প্রয়োজন হয় না | বছরের পর বছর এইভাবে চলতে থাকায় ভগ্নীপতিরা কখন যে শ্যালকদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠে তা বোঝা যায় না | পরবর্তীকালে অনেক সময় দেখা গেছে এই ভগ্নীপতিরাই ছোট ছোট শ্যালকদের মনের অগোচরে অভিভাবকের স্থান দখল করেছেন | তবে দুঃখের বিষয় আজ আর সেদিন নেই | শ্বশুর-শাশুড়ি যতদিন আছেন বা সংসারে তাঁদের কর্তৃত্ব আছে ততদিনই জামাইদের আদর-আপ্যায়ন থাকে | পরবর্তী কালে সম্পত্তি আইনে, বাবার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উপর ভাই এবং বিবাহিত বোন সমান অংশীদার হওয়ায় রক্তের সম্পর্কও ব্যবসায়িক সম্পর্কে পরিণত হচ্ছে | বেশিরভাগ সংসারেই ভগ্নীপতিকে সংসারের / পরিবারের একজন না ভেবে পর ভাবা হচ্ছে | এইভাবে সমাজে ভাইবোনের মধুর সম্পর্কও যেমন হারাচ্ছে, তেমনি হারাচ্ছে বাঙালির সংস্কৃতি |

দেবী ষষ্ঠীর ধ্যান মন্ত্র অনুযায়ী তিনি দ্বিভুজা, বরাভয়দায়িনী, গৌরবর্ণা, নানালঙ্কারভূষিতা, দিব্যবসন পরিহিতা, নিত্যা, জগদ্ধাত্রী, সন্তান প্রদা, সর্ব সুলক্ষণ সম্পন্না। সকল মাতৃত্বের গুন নিয়েই মা ষষ্ঠী আবির্ভূতা । মা ষষ্ঠী বামক্রোড়ে পুত্র ধারন করে থাকেন। যা মাতৃত্বের পরিচয় । মা ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা হয় সন্তান প্রাপ্তি ও তাদের মঙ্গল কামনায় ।অনেক গুলি ষষ্ঠী ব্রত পালন করতে দেখা যায়। মূলা ষষ্ঠী, অশোকা ষষ্ঠী, লুন্ঠন ষষ্ঠী, পাটাই ষষ্ঠী, দুর্গা ষষ্ঠী । জ্যৈষ্ঠ মাসের অরণ্যষষ্ঠী সেগুলির একটি । সন্তানের দীর্ঘায়ু, রোগ- শোক হীন জীবন প্রাপ্তির আশায় মায়েরা এই ব্রত করেন। মা ষষ্ঠীর বাহন বিড়াল । বিড়াল এর জীবনের দিকে লক্ষ্য রাখলে আমরা দেখি সে তার ছানা গুলোকে বড় যত্নে লালন পালন করে, জীভ দিয়ে চেটে শরীর পরিষ্কার করে। দুগ্ধ প্রদান করে । শিশুর জন্মদাত্রী মা তার সন্তান কে ঠিক ঐ ভাবে যত্ন নিয়ে লালন পালন করেন। তাই মায়ের বাহন বিড়াল । দেবীভাগবত পুরানে নবম স্কন্ধের একটি শ্লোকে বলা হয়েছে- “ষষ্ঠাংশা প্রকৃতের্যে চ সা চ ষষ্ঠী প্রকীর্তিতা / বালকানামধিষ্ঠাত্রী বিষ্ণুমায়া চ বালদা ।” অর্থাৎ - বালকগণের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, বালকদায়িনী বিষ্ণুমায়া প্রকৃতির ষষ্ঠকলা , এই জন্য ষষ্ঠী নামে কীর্তিত হয়েছেন ।

উক্ত পুরাণে দেবীর মাহাত্ম্য স্তবে দেবীকে সিদ্ধিবিধায়িনী, শান্তিরূপা , শুভ ফল দায়িনী, জগতের সার রূপিনী, কল্যাণময়ী , দেবতাদের রক্ষা কারিনী ও সর্ব ঐশ্বর্য প্রদায়িনী বলে স্তব করা হয়েছে । এবং বলা হয়েছে যে সমস্ত নারী দেবী ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন তাহাদের কীর্তিমান , যশস্বী , তেজস্বী সন্তান লাভ হয় । মহাভারতের সভাপর্বে এক ষষ্ঠী দেবীর নাম উল্লেখ পাওয়া যায় । ইনি ব্রহ্মার সভায় বিরাজিতা থাকেন । দেবীভাগবত পুরাণ মতে প্রিয়ব্রত নামক এক রাজাকে দিয়েই দেবী ষষ্ঠীর পূজা আরম্ভ হয় । বস্তুত মাতা ষষ্ঠী ভগবতী মহামায়ার একটি প্রকাশ । মহামায়া ভিন্ন ভিন্ন রূপে যেমন অসুর দলন করেন, তেমনি এই সৃষ্টি পরিচালনাও করেন। তাঁই তো তিনি আদতে এক হয়েও বহুরূপে বিরাজিতা। বলা হয় দেবী ষষ্ঠী মাতৃত্বের প্রতীক, এবং তাঁর পট গৃহে রাখা খুবুই মঙ্গলকর ।

ষষ্ঠীর ধ্যান -

ওঁ গৌরাভাং দ্বিভুজাং ষষ্ঠীং নানালঙ্কার-ভুষিতাম্‌। সর্ব্বলক্ষণ-সম্পন্নাং পীনোন্নতপয়োধরাম্‌।।দিব্যবস্ত্রপরীধানাং বামক্রোড়ে সপুত্রিকাম্‌। প্রসন্নবদনাং ধ্যায়েজ্জগদ্ধাত্রীং সুখপ্রদাম্‌।।

প্রণাম -

জয় দেবি জগন্মাতর্জ্জগদানন্দকারিণি।

প্রসীদ মম কল্যাণি নমস্তে ষষ্ঠী দেবিকে।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180620091343

Wednesday, June 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশভাবে একাদশ পতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশভাবে একাদশ পতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দাদশভাবে একাদশাধিপতির অবস্থানগত ফলাফল

১)একাদশাধিপতি লগ্নে থাকলে ---
জাতক সৌভাগ্যবান, সুবক্তা ও বিখ্যাত হয় ৷
২)একাদশাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে --- জাতক সৌভাগ্যবান হলেও শারীরিক ও আর্থিক ব্যয় এর কারণে মানসিক কষ্ট পায়।

৩)একাদশাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে ---

জাতক সৎবন্ধুযুক্ত, তীর্থভ্রমণ প্রিয় কিন্তু রোগী হয়৷

৪) একাদশ একাদশ অধিপতি চতুর্থে থাকলে---জাতক পিতৃভক্ত, ধার্মিক, সুখী ও পুত্রবান হয়৷ উপস্থিত বুদ্ধি বেশি থাকে৷

৫)একাদশাধিপতি পঞ্চমে থাকলে ---

জাতক পিতৃভক্ত্ব, সুখী ও সৎকর্মপরায়ণ হয়৷
৬)একাদশাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে ---

জাতক নানারোগে ও শত্রুভয়ে কষ্ট পায় ৷ প্রবাসী হবার সম্ভাবন৷ থাকে৷
৭)একাদশাধিপতি সপ্তমে থাকলে ---

জাতক জাতক স্ত্রীর জন্য কষ্ট পায়। তবে জাতক তেজস্বী হয় ৷

৮)একাদশাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---

জাতক ধর্মপরায়ন ও কার্য্যসফল হলেও অল্পায়ু হবার সম্ভাবনা থাকে|

৯)একাদশাধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক বুদ্ধিমান, ধনবান ও শাস্ত্রজ্ঞ হয় !
১০)একাদশাধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক দীর্ঘায়ু, নিজকর্মে আস্থাবান ও সম্রান্ত বন্ধুবিশিষ্ট হয় ৷
১১)একাদশাধিপতি একাদশে থাকলে ---
জাতক কাব্যকলানূরাগী, সুবক্তা, পণ্ডিত ও স্বগৃহে ধন উপার্জনকারী হয়৷

১২)একাদশাধিপতি দ্বাদশে থাকলে ---

জাতক কামপরায়ণ, ঋণগ্রস্ত ও বহুনারী প্রিয় হয়৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180620091012

Tuesday, June 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশ ভাবে দশমপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশ ভাবে দশমপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে দশম অধিপতির অবস্থানগত ফলাফল---
১)দশমাধিপতি লগ্নে থাকলে -~-

জাতক লোকপ্রিয়, কীর্তিমান, কাব্যকলীনুরাগী ও আর্থিক সৌভাগ্যযুক্ত হয়৷

২)দশমাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে ---

জাতক ধার্মিক, সম্মানীয় সুবক্তা কিন্তু কিছুটা অলস প্রকৃতির হয়।

৩)দশমাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে ---

জাতক ভ্রমণপ্রিয়, মাতুল দ্বারা পালিত ও বহুবিধ কর্মে লিপ্ত হয়৷

৪)দশমাধিপত্তি চতুর্থে থাকলে ---

জাতক সুবক্তা, পরাক্রমী, ধনী ও সুখী প্রকৃতির হয়৷

৫)দশমাধিপতি পঞ্চমে থাকলে ---

জাতক নিজ যোগ্যতায় জনপ্রিয়, সংগীতকলানুরক্ত ও ধনী হয়৷

দশমাধিপতি যষ্ঠে থাকলে --~

জাতক শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় বাস করে৷ জাতক সুচতুর ও কুটবুদ্ধিযুক্ত হয়৷

৭)দশমাধিপতি সপ্তমে থাকলে --
জাতক স্ত্রী সুখে সুখী ও বাবসায়ী হয় ৷
৮)দশমাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---

জাতক পরশ্রীকাতর হয় কিন্তু দীর্ঘায়ু হয়৷

৯)দশমাধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক রাজ্যমান্য, ধনী, সৎবন্ধুবিশিষ্ট ও সৌভাগ্যবান হয় ৷

১০)দশমাধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক সুবক্তা, ধার্মিক, বিদ্বান, তেজস্বী ও কীর্তিমান হয় ৷
১১)দশমাধিপতি একাদশে থকিলে--~
জাতক সৌভাগ্যবান, মাননীয় ও ধনী হয়৷ সংকর্মেরত হয়৷

১২)দশমাধিপতি দ্বাদশে থাকলে ---
জাতক সৎকর্মপরায়ন, শত্রুভয়ে ভীত হয়৷ মানসিক শাস্তি বিঘ্নিত হয় ৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180619101050

Tuesday, June 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশভাবে নবমপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশভাবে নবমপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে নবম পতির অবস্থানগত ফলাফল
১) নবমপতি লগ্নে থাকলে --জাতক ধার্মিক বুদ্ধিমান সৎ সাহসী ও ভাগ্যবান হয়।
২) নবম পতি দ্বিতীয়ে থাকলে-- জাতক মাননীয়,বিদ্বান,অর্থবান, কিন্তু কামুক প্রকৃতির হয়।
৩) নবম পতি তৃতীয় ও থাকলে --
নিজে ভ্রাতা ও ও ভাতৃস্থানীয়র মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে জাতক বহু নারী প্রিয় ও অর্থশালী হয়।
৪) নবম পতি চতুর্থে থাকলে--- জাতক জনপ্রিয় ভাগ্যবান যশস্বী হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিষয়ে সফলতা আসে।
৫) নবম পতি পঞ্চমী থাকলে-- জাতক সৎ সাহসী লোকপ্রিয়, ও দেব ভক্তিপরায়ন ধার্মিক ও সাহসী হয়।
৬) নবম পতি ষষ্ঠেথাকলে ----জাতক অলস , দীর্ঘসূত্রী নিদ্রা কাতর ও ধর্ম বিরুদ্ধ কাজেও লিপ্ত হয়।
৭) নবম পতি সপ্তমে থাকলে-- জাতক বিদ্বান , সুন্দরী স্ত্রী ভাগ্য যুক্ত ও যশস্বী হয়ে থাকে। প্রবাসে ব্যবসা দ্বারা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮)নবম পতি অষ্টমে থাকলে---
জাতকের বিভিন্নভাবে ভাগ্যবানের সম্ভাবনা থাকে। জ্যেষ্ঠভ্রাতা বিষয়ে মানসিক কষ্ট ভোগ হয়।
৯) নবম পতি নবমে থাকলে-- জাতক ধার্মিক সৌভাগ্যবান ও সুখী হয়।
১০) নবম পতি দশমী থাকলে-- জাতক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদা পায়। নিজগুণে জাতক সম্মানীয় হয়ে ওঠে।
১১) নবম পতি একাদশে থাকলে-- জাতক রাজনুগৃহীত ধার্মিক দীর্ঘায়ু ও জনপ্রিয় হয়।
১২) নবম পতি দ্ধাদশে থাকলে জাতক অপব‍্যয়ী ভাগ্যহীন ও চতুর প্রকৃতির হয় শুভ গ্রহ হলে বিদেশে বিখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180619094300

Tuesday, June 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহদোষ নিবারনের উপায়

গ্ৰহদোষ নিবারনের উপায়


গ্রহ দোষ নিবারণের উপায়
গ্রহদোষ নিবারণের জন্য নিচের প্রয়োগ গুলি যদি নিষ্ঠা পূর্বক বিধি মেনে অন্ততঃ পক্ষে ৪৩ দিন ধরে নিয়মিত করা যায় তবে সুফল লাভ করা যায় ।
এখানে সেই রকম কিছু প্রয়োগ দেওয়া হল ।
সূর্য গ্রহের প্রতিকার ঃ
১ বিষ্ণুর উপাসনা করতে হবে এবং হরি বংশ পুরান পাঠ করতে হবে ।
২ প্রতিটি কাজ মিষ্টি খেয়ে ও জলপান করে শুরু করতে হবে ।
৩ রবিবার ব্রত পালন করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে এবং কু কর্ম করা বন্ধ রাখতে হবে
৪ বহমান জলে গুর বা তামার পয়সা ফেলতে হবে
৫ তামা ও গম দান করতে হবে ।
৬ ঘরের সদর দরজার মুখ পূর্ব দিকে রাখতে হবে
৭ মানিক্য রত্ন সোনা বা তামার আংটি তে লাগিয়ে দান হাতের অনামিকায় ধারন করতে হবে

চন্দ্রের প্রতিকার ঃ
১ শিবের উপাসনা করতে হবে ।
২ সোমবার ব্রত পালন করতে হবে । পূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান করতে হবে ।
৩ চাল দুধ ও রুপা দান করতে হবে ।
৪ মা, শাশুড়ি , মাসি ও দিদিমার আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৫ পালঙ্কের চারটি পায়ায় চার কোনে একটি করে রুপার পেরেক ঠুকতে হবে ।
৬ অপরের পদ স্পর্শ করে আশীর্বাদ চাইতে হবে ।
৭ রুপার আংটি তে মীতি লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ধারন করতে হবে ।
৮ রুপার দুটি টুকরো নিয়ে একটি খণ্ড বহমান জলে ফেলতে হবে এবং দ্বিতীয় টুকরো টি আজীবন নিজের কাছে রাখতে হবে ।

মঙ্গলের প্রতিকার ঃ
১ হনুমান জী র উপাসনা করতে হবে ।
২ গায়ত্রী মন্ত্র রোজ যতবার সম্ভব জপ করতে হবে
৩ চোখে সাদা সুরমা লাগাতে হবে ।
৪ তন্দুরে তৈরি মিষ্টি রুটি বিতরণ করতে হবে ।
৫ মসুর মিঠাই বা মিষ্টি দ্রব্য দান করতে হবে ।
৬ মঙ্গলবার ব্রত রাখতে হবে । হনুমানজি কে চলা দান করতে হবে ।
৭ বুধবার তামার আংটি অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

বুধের উপায় ঃ
১ দুর্গা মাতার উপাসনা করতে হবে । দুর্গা সপ্ত দশী পাঠ করতে হবে ।
২ বুধবারের ব্রত রাখতে হবে । ঘরে সাদা গরু পুষতে হবে ।
৩হিজরে কে সবুজ কাপড় ও সবুজ চুরি দান করতে হবে ।
৪ দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক ছেঁদা করতে হবে ।
৫ খোসা সহ সবুজ মুগ দান করতে হবে ।
৬ কন্যা বোন পিসি মাসি ও শালির আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৭ পান্না সোনার আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরতে হবে ।

বৃহস্পতি র উপায় ঃ
১ ব্রমহার উপাসনা করতে হবে । গরুড় পুরাণ পাঠ করতে হবে ।
২ গুরুবারে ব্রত পালন করতে হবে । সাধুদের আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৩ মাথায় কেশরের তিলক লাগাতে হবে ।
৪ কেশর খেতে অথবা নাভিতে লাগাতে হবে ।
৫ কোন কাজ শুরু করার আগে নাক ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
৬ অশ্বথের শিকরে জল ঢালতে হবে ।
৭ ছোলার ডাল দান করতে হবে ।সোনার মাকড়ি পরতে হবে ।
৮ হ্লুদ পোখরাজ সোনার আংটিতে লাগিয়ে ধারন তর্জনী তে পরতে হবে ।

শুক্র গ্রহের উপায় ঃ
১ মহা লক্ষ্মী র উপাসনা করতে হবে । লক্ষ্মী সুক্ত পাঠ করতে হবে ।
২ শুক্রবার বৈভব লক্ষ্মীর ব্রত করতে হবে ।
৩ সাদা ও স্বচ্ছ কাপড় পরতে হবে ।
৪ সুগন্ধি পদার্থ এবং রুপার অলংকার ধারন করতে হবে ।
৫ ঘি দই কর্পূর ও মোতি দান করতে হবে ।
৬ নিজের খাদ্য বস্তু থেকে কিছুটা গাইকে খাওয়াতে হবে ।
৭ গোদান করতে হবে এবং সাদা জোয়ার দান করতে হবে ।
৮ হীরা ও জারকান রুপার আংটি তে লাগিয়ে অনামিকা বা মধ্যমা তে ধারন করতে হবে ।

শনি র উপায় ঃ
১ ভৈরব উপাসনা করতে হবে ।
২ শনিবারের ব্রত রাখতে হবে । সাপকে দুধ খাওয়াতে হবে ।
৩ তেল এবং মদ গাছের শেকড়ে ঢালতে হবে ।
৪ লোহা কলাই কালো কম্বল ইত্যাদি দান করতে হবে ।
৫ তেলে ভাজা রুটি কুকুর কে বা কাঁককে খাওয়াতে হবে ।
৬ কিকর এর দাঁতন করতে হবে ।শনিবার তেল দান করতে হবে ।
৭ নীলা রুপার আংটি তে লাগিয়ে মধ্যমা আঙ্গুলে পরতে হবে ।
৮ আসল কালো ঘোড়ার নালের টুকরো মধ্যম আঙ্গুলে সর্বদা ধারন করে রাখতে হবে ।

রাহুর উপায় ঃ
১ সরস্বতী উপাসনা করতে হবে ।
২ সর্ষে দান করতে হবে । মাথায় কাপড় রাখতে হবে ।
৩ তামাক সেবন নিষেধ ।
৪ মুলো দান করতে হবে ।বহমান জলে কয়লা ফেলতে হবে ।
৫ একান্ন বর্তি পরিবারে থাকতে হবে ।
৬ পকেটে সর্বদা রুপার একটি গুলি রাখতে হবে ।
৭ গোমেধ কে পঞ্চ ধাতুর আংটি তে লাগিয়ে অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

কেতুর উপায় ঃ
১ গণেশ উপাসনা করতে হবে ।
২ গণেশ চতুর্থী ব্রত রাখতে হবে কপিলা গাই দান করতে হবে ।
৩ কান ছিদ্র করতে হবে , ঘরে কুকুর পুষতে হবে ।
৪ কালো ও সাদা তিল বহমান জলে বইয়ে দিতে হবে ।
৫ তিল লেবু কলা দান করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে ।
৬ কুকুরকে রুটি টুকরো দিতে হবে । পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে ।
৭ ক্যাতস আইকে পঞ্চ ধাতুর আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ধারন করতে হবে ।

এই উপায় গুলি আপনাকে নব গ্রহের হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে আর আপনার জীবন সুখে শান্তি তে ভরে উঠুক ।

এছাড়া আরো বিস্তারিত ভাবে গ্ৰহশান্তি বা নবগ্ৰহ উপাসনা করতে পারেন।

নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র ও নবগ্ৰহ উপাসনা দ্বারা শান্তি লাভঃ-

যারা অশুভ শক্তিকে পরাহিত করে শান্তি আনায়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। নিম্নে সাধকের জন্য বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত-

গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ।
পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।

(গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে অর্থাৎ নবগ্রহের শান্তি মানে আমাদের শান্তি)।

নবগ্রহ স্তব বিধি

নব গ্রহস্তোত্রম্‌
জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্‌।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্‌।।

দিব্যশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণব সম্ভবম্‌।
নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুট ভূষণম।।

ধরণীগর্ভসম্ভুতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম।
কুমারং শক্তিহস্তষ্ণ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম।।

প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম্‌।
সৌম্যং সর্বগুণোপেতং নমামি শশিনঃ সুতম্‌।।

দেবতানামৃষীণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্‌।
বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্‌।।

হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্‌।
সর্বশাস্ত্র প্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্‌।।

নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং মহাগ্রহম্‌।
ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্‌।।

অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দ্দকম্‌।
সিংহিকায়াঃ সূতং রৌদ্রং ত্বং রাহুং প্রণমাম্যহম্‌।।

পলালধুমসঙ্কাশং তারাগ্রহবিমর্দ্দকম্‌।
রৌদ্রং রুদ্রাত্মকং ক্রুরং তং কেতুং প্রণমাম্যহম্‌।।

নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র

(১) রবি (সূর্য) গ্রহ- ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
(২) সোম (চন্দ্র) গ্রহ- ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৩) মঙ্গল গ্রহ- ওঁ অঙ্গরকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
(৪) বুধ গ্রহ- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
(৫) বৃহস্পতি গ্রহ- ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
(৬) শুক্র গ্রহ- ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৭) শনি গ্রহ- ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
(৮) রাহু গ্রহ- ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
(৯) কেতু গ্রহ- ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে
অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
নবগ্রহ উপাসনা
============
যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে-----
"গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।"
অর্থাৎ--- গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা - ৬০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা - মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন - চুনী, ধূপ - গুগগুল, বার - রবিবার, প্রশস্ত সময় - সকাল৬.০৪- ১০ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা - ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা - কমলা।
ধারণরত্ন - মুক্তা, ধূপ - সরলকাষ্ঠ, বার - সোমবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যা ৬-৭ পর্যন্ত।

মঙ্গল
----------
মন্ত্র - ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা - ৮০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - বগলামুখী।
ধারণরত্ন - প্রবাল, ধূপ - দেবদারু, বার - মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় - সকাল ৯-১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
-------
মন্ত্র - ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা - ১০০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন - পান্না, ধূপ - সঘৃত দেবদারু, বার - বুধবার, প্রশস্ত সময় - বেলা৭-১১ টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
----------------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা - তারা।
ধারণরত্ন - পোখরাজ, ধূপ - দশাঙ্গ, বার - বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় - বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা - ২১০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন - হীরা, ধূপ - গুগুল, বার - শুক্রবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা। ৬-৮ টা পর্যন্ত

শনি
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা - ১০০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা - দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন - নীলা, ধূপ - কৃষ্ণাগুরু, বার - শনিবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা - ১২০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন - গোমেদ, ধূপ - দারুচিনি, বার - শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় - সকাল ১১-১.৩০দুপুর পর্যন্ত।

কেতু
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা - ২২০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা - ধূমাবতী।
ধারণরত্ন - ক্যাটস্ আই, ধূপ - মধুযুক্ত দারুচিনি, বার - শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
Website : www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180619091717

Monday, June 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মেষ রাশির বৈশিষ্ঠ‍্য

মেষ রাশির বৈশিষ্ঠ‍্য

বাংলা রাশিচক্র
মেষ রাশি
মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) :-যোদ্ধা বা অগ্রগামীর প্রতীক

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :

মঙ্গলের প্রভাবে আপনি সাহসী, আবেগপ্রবণ ও উচ্চাভিলাষী। আপনার চরিত্রের প্রধান দিক হল কর্মতত্পরতা ও উদ্যম। কোনো কিছুর জন্য আপনি অপেক্ষা করতে পছন্দ করেন না, লক্ষ্য নির্ধারিত হলে কে কী ভাবল তা নিয়ে মাথা ঘামান না। দ্রুত প্রাপ্তিতেই আপনার আনন্দ। জরুরি অবস্থায় আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার জুড়ি নেই। আপনি দ্রুত রেগে যান। আবার সে রাগ দ্রুত মিলিয়েও যায়। তবে আপনার রাগে সাধারণত প্রতিহিংসা থাকে না।

আপনি অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। বাধা-নিষেধ সহজে মানতে চান না। কিন্তু ভালোবাসা ও সুন্দর ব্যবহারের কাছে আপনি সহজেই দুর্বল হয়ে যান। আপনাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে তার জবাব দিতে আপনি কখনও পিছপা হন না। আবার অপরকে সাহায্য করার ব্যাপারেও আপনার জুড়ি নেই।

কর্ম :

আপনি নেতৃত্বপরায়ণ, সৃজনশীল ও উদ্যমী। আপনি দ্রুত চিন্তা ও কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যেখানে প্রতিযোগিতা আছে, জনসংযোগ আছে, দৈহিক ও মানসিক শ্রমের সুযোগ আছে সেসব পেশায় আপনি দ্রুত সাফল্য অর্জন করবেন। উচ্চাভিলাষী প্রতিষ্ঠানে আপনার চাহিদা চিরদিনই থাকবে। আপনি ইঞ্জিনিয়ার, সার্জ, সৈনিক, খেলোয়াড়, সুপারভাইজার, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী হিসেবে অধিক ভালো করবেন।

অর্থ :

জীবনকে আনন্দ-ফুর্তি ও কর্তৃত্বের মধ্যে আপনি সক্রিয় রাখতে চান এবং আপনি জানেন এসব অর্জনের জন্য অর্থ পূর্বশর্ত। তাই অর্থ উপার্জনে আপনি সিরিয়াস। এক হাতে যেমন আপনি উপার্জন করেন অন্য হাতে তেমনি ব্যয় করেন। তবে আপনি মিতব্যয়ী হলে অর্থের অভাব আপনার কোনো দিন হবে না। আপনি সত্। মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করে। বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আপনার সহজাত আকর্ষণ, অর্থ উপার্জনে কখনও বেপরোয়া করে তোলে। এতে অর্থনাশের শিকার হতে পারেন। দ্রুত অর্থ উপার্জনের প্রবণতা আপনার জীবন ও প্রতিষ্ঠার ওপর ঝুঁকি নেমে আসতে পারে। মূলধন বিনিয়োগ, দূরদর্শিতা ও বিচারবুদ্ধির পরিচয় প্রায়শই দেন না।

প্রেম ও বিয়ে :

আপনার প্রাণোচ্ছল ব্যক্তিত্ব বিপরীত লিঙ্গকে সহজেই প্রভাবিত করে। আপনি প্রেম নিয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনা করতে পছন্দ করেন না। যথার্থ প্রেমিক-প্রেমিকা পেলে সরাসরি প্রস্তাবে আপনি আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে মন-প্রাণ দিয়েই আপনি প্রিয়জনকে ভালোবাসেন। প্রেমে আপনি স্বাধীনতা ও অ্যাডভেঞ্চারও পেতে চান। এতে একাধিক ভালো লাগায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সুখী হওয়ার লক্ষ্যে এই প্রবণতা অন্তরায় হয়ে থাকে।

তা ছাড়া কখনও কখনও মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা ও রাগী বেপরোয়া স্বভাব পারিবারিক সুখ-শান্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। অন্যের কর্তৃত্ব ও অবজ্ঞা আপনি সহ্য করতে পারেন না। আপনার জন্য শান্ত, উদারমনা, সাজগোজ, পোশাক-আশাক ও যৌনসচেতন সঙ্গীর প্রয়োজন। আপনার জীবনকে যে ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা ও প্রশংসা দিয়ে ভরিয়ে দেবে। অন্যথায় কারও কারও ক্ষেত্রে একাধিক বিয়েও হতে পারে।

ঘর-সংসার :

আপনি গৃহ-সংসারকে বেশ গুরুত্ব দেন। সন্তান ও প্রিয়জনদের নিয়ে একটি সুখী সংসার আপনার কাম্য। মেষ মহিলারা আদর্শ মা ও সুগৃহিণী হিসেবে পরিচিত। আপনার রুচির ছাপ গৃহের সবকিছুতে পাওয়া যায়। কাজকর্মে স্বাধীনতা ও প্রশংসা আপনি পছন্দ করেন। আপনি অতিথিপরায়ণ। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের জন্য আপনার দুয়ার সব সময়ই খোলা থাকে। আপনি সন্তানদের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সন্তানরাও আপনার উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করেন। সন্তানদের ব্যাপারে আপনি উদার ঠিকই, কিন্তু কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাব সন্তানদের ক্ষতি করতে পারে। সন্তানদের নিকট আপনাকে আরও গ্রহণীয় হতে হবে। শাসন নয়, স্নেহের দৃষ্টি দিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান দিতে চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্য :

আপনি জন্মগতভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী। তাড়াহুড়ো ও বেপরোয়া ভাব রয়েছে আপনার মধ্যে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। মাথা ও মুখমণ্ডল আপনার দুর্বল স্থান। চলন্ত কিছুতে ভ্রমণ ও খেলাধুলায় সাবধান থাকুন। দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, ক্রোধ আপনার স্বাভাবিক স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘুম, ভালো খাদ্য, সবজি ও ফল গ্রহণ করুন। আপনি জ্বর, মাথাব্যথার ব্যাপারে সতর্ক হোন। বৃদ্ধ বয়সেও আপনার মধ্যে তরুণ ও একধরনের উজ্জ্বলতা দেখা যায়।

নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য :

দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। দোষগুলো আমরা কতটা কমিয়ে আনতে পারলাম বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম তার ওপরই নির্ভর করে জীবনের সাফল্য। আপনি যদি দুর্বল মেষ হন, তবে আপনার মধ্যে দেখা যাবে একগুঁয়ে স্বভাব, প্রতিহিংসা, ক্রোধ, কৌশলের অভাব, অসহিষ্ণুতা, মাত্রাতিরিক্ত আবেগ ও চাহিদা, আত্মকেন্দ্রিকতা ও নিষ্ঠুরতা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180618165558

Monday, June 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শত্রু দ্ধারা পীড়িত হলে

শত্রু দ্ধারা পীড়িত হলে

শুভ অপরান্থ
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিনের পোস্ট পড়তে যাদের ভাল লাগছে তারা প্লিজ আমাদের ফেসবুক পেজ ASTRO PLAMIST NEUMEROLOGY CENTER ,type @astropalmist1 এবং আমাদের website :www.apnc.co.inলাইক করতে এবং অন্যদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন যাতে তারাও পড়ার সুযোগ পান এবং আপনার মত উপকৃত হন। আমরা আরও ভালো কিছু লেখা পোস্ট করার অনুপ্রেরণা পাব
কোন ভয় নেই !!!!!!!!!

শত্রু দ্বারা তুকতাকের ক্ষতি বা শত্রু দ্বারা যেকোনো রকম ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষার উপায় ঃ~
--------------------------------------------------------------------

আজকাল অনেকেই তাদের শত্রু দ্বারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, এবং তার জন্য অনেকেই দিশেহারা হয়ে যায়... আজ তাদের উদ্দ্যেশে একটা টোটকা জানাচ্ছি...

টোটকা ঃ~

উপকরন ঃ~ হনুমান জীর মুর্তি বা ছবি,,কর্পূর,, মাটির ছোটো পাত্র যেটাকে 'মূচী' বলে,, 5টা লবঙ্গ,, কিছুটা ঘী...

(1)- প্রথমে হনুমান জীর একটা ছবি বা মূর্তি পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে হনুমান জীর দিকে কেউ তাকালে তার মুখ থাকবে পূর্ব বা উত্তর দিকে...

(2)- তারপর হনুমান জীর মুর্তি বা ছবির সামনে মাটির ছোটো পাত্র বা দশকর্মা ভান্ডার থেকে মাটির মুচি নিয়ে তাতে কর্পূর রেখে সেটাকে জ্বালাতে হবে...

(3)- তারপর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল (thumb finger) এবং মধ্যমা আঙ্গুল (middle finger) এই দুটো আঙ্গুল দিয়ে ধরে লবঙ্গ ঘীয়ের মধ্যে ডুবিয়ে ফুলের দিকটা সামনে রেখে পিছনের দিকটা ধরে একটা একটা করে সেই আগুনের উপর আহুতি দিতে হবে এবং হনুমান জীর মন্ত্র পাঠ করে তারপর শত্রুর নাম-গোত্র সহ বা নাম-গোত্র জানা না থাকলে শুধুমাত্র "শত্রু" নাম উচ্চারন করে বলতে হবে,, ''অমুক নাম গোত্র বা শত্রু যেনো তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে...'' এই ভাবে একইভাবে পাঁচটা লবঙ্গ ঘী মাখিয়ে একটা একটা করে জ্বলন্ত কর্পূরের মধ্যে আহুতি দিতে হবে এবং একই কথা বলতে হবে...

(4)- ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা আঙ্গুল এই দুটো আঙ্গুল দ্বারা ধরে ঘী মাখানো পাঁচটা লবঙ্গ পরপর একটা একটা করে দেবার পর তারপর সেই জ্বলন্ত কর্পূর দিয়ে clockwise হনুমান জীর মুর্তি/ছবির সামনে আরতির মতো করে ঘোরাতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত কর্পূর জলতে থাকে এবং ততক্ষন পর্যন্ত হনুমান জীর মন্ত্র পাঠ করতে হবে...

এই টোটকা যেকোনো দিন করা যায় তবে শনিবার বা মঙ্গলবার করলে আরোও ভালো... এবং এই টোটকা প্রয়োগের সময় মাটিতে না বসে পরিষ্কার ভালো কোনো আসনের উপর বসে এই টোটকা করতে হবে.. তবে এটা এককালীন একবারের জন্য না করে মাঝে মধ্যেই করা উচিত...

হনুমান জীর বীজমন্ত্রম ঃ~ " হূং হনুমতে রুদ্রাক্তামায় হূঁ ফট্‌ স্বা হা ১০৮বার সন্ধ‍্যায়।

হনুমানের অষ্টতরশত নাম

শনির দশা-দশান্তে,শনির সাড়ে-সাতিতে এবং আইনী জটিলতা থেকে মুক্ত হতে
হনুমানের অষ্টোত্তর শত নামাবলি প্রত‍্যহ স্নান করে ও সন্ধ‍্যায় ধূপ প্রদীপ জ্বেলে পাঠ করবেন।

ওং শ্রী আংজনেয়ায় নমঃ
ওং মহাবীরায় নমঃ
ওং হনুমতে নমঃ
ওং সীতাদেবি মুদ্রাপ্রদায়কায় নমঃ
ওং মারুতাত্মজায় নমঃ
ওং তত্ত্বজ্ঞানপ্রদায় নমঃ
ওং অশোকবনিকাচ্চেত্রে নমঃ
ওং সর্ববংধ বিমোক্ত্রে নমঃ
ওং রক্ষোবিধ্বংসকারকায়নমঃ
ওং পরবিদ্বপ নমঃ
ওং পরশৌর্য় বিনাশনায় নমঃ
ওং পরমংত্র নিরাকর্ত্রে নমঃ
ওং পরমংত্র প্রভেবকায় নমঃ
ওং সর্বগ্রহ বিনাশিনে নমঃ
ওং ভীমসেন সহায়কৃতে নমঃ
ওং সর্বদুঃখ হরায় নমঃ
ওং সর্বলোক চারিণে নমঃ
ওং মনোজবায় নমঃ
ওং পারিজাত ধৃমমূলস্ধায় নমঃ
ওং সর্বমংত্র স্বরূপবতে নমঃ
ওং সর্বয়ংত্রাত্মকায় নমঃ
ওং সর্বতংত্র স্বরূপিণে নমঃ
ওং কপীশ্বরায় নমঃ
ওং মহাকায়ায় নমঃ
ওং সর্বরোগহরায় নমঃ
ওং প্রভবে নমঃ
ওং বলসিদ্ধিকরায় নমঃ
ওং সর্ব বিদ্য়াসংপত্র্প বায়কায় নমঃ
ওং কপিসেনা নায়কায় নমঃ
ওং ভবিষ্য়চ্চতু রাননায় নমঃ
ওং কূমার ব্রহ্মচারিণে নমঃ
ওং রত্নকুংডল দীপ্তিমতে নমঃ
ওং চংচল দ্বাল সন্নদ্ধলংবমান শিখোজ্বলায় নমঃ
ওং গংধ্র্ব বিদ্য়াতত্বজ্ঞায় নমঃ
ওং মহাবলপরাক্রমায় নমঃ
ওং কারাগৃহ বিমোক্ত্রে নমঃ
ওং শৃংখল বংধ বিমোচকায় নমঃ
ওং সাগরোত্তারকায় নমঃ
ওং প্রাজ্ঞায় নমঃ
ওং রামদূতায় নমঃ
ওং প্রতাপবতে নমঃ
ওং বানরায় নমঃ
ওং কেসরিসুতায় নমঃ
ওং সীতাশোক নিবারণায় নমঃ
ওং অংজনা গর্ভসংভুতায় নমঃ
ওং বালর্ক সদৃশাননায় নমঃ
ওং বিভীষণ প্রিয়করায় নমঃ
ওং দশগ্রীব কুলাংতকায় নমঃ
ওং লক্ষ্মণ প্রাণদাত্রে নমঃ
ওং বজ্রকায়ায় নমঃ
ওং মহাদ্য়ুতয়ে নমঃ
ওং চিরংজীবিনে নমঃ
ওং রামভক্তায় নমঃ
ওং দ্তেত্য়কার্য় বিঘাতকায় নমঃ
ওং অক্ষহংত্রে নমঃ
ওং কাংচনাভায় নমঃ
ওং পংচবক্ত্রায় নমঃ
ওং মহাতপসে নমঃ
ওং লংকিণেভংজনায় নমঃ
ওং গংধমাদন শ্তেল নমঃ
ওং লংকাপুর বিদাহকায় নমঃ
ওং সুগ্রীব সচিবায় নমঃ
ওং ধীরায় নমঃ
ওং শূরায় নমঃ
ওং দ্তেত্য়কুলাংতকায় নমঃ
ওং সুরার্চিতায় নমঃ
ওং মহাতেজসে নমঃ
ওং রাম চূডামণি প্রদায় কামরূপিবে নমঃ
ওং শ্রী পিংগলাক্ষায় নমঃ
ওং নার্ধি ংতে নাক নমঃ
ওং কবলীকৃত মার্তাংডমংডলায় নমঃ
ওং কবলীকৃত মার্তাংড নমঃ
ওং বিজিতেংদ্রিয়ায় নমঃ
ওং রামসুগ্রীব সংদাত্রে নমঃ
ওং মহারাবণ মর্ধনায় নমঃ
ওং স্পটিকা ভায় নমঃ
ওং বাগ ধীশায় নমঃ
ওং নব ব্য়াকৃতি পংডিতায় নমঃ
ওং চতুর্ভাহবে নমঃ
ওং দীনবংধবে নমঃ
ওং মহত্মনে নমঃ
ওং ভক্ত বত্সলায় নমঃ
ওং সংজীবন নগা হর্ত্রে নমঃ
ওং শুচয়ে নমঃ
ওং বাগ্মিনে নমঃ
ওং দৃঢব্রতায় নমঃ
ওং কালনেমি প্রমধনায় নমঃ
ওং হরিমর্কট মর্কটায়নমঃ
ওং দাংতায় নমঃ
ওং শাংতায় নমঃ
ওং প্রসন্নাত্মনে নমঃ
ওং শতকংঠ মদাবহৃতেনমঃ
ওং য়োগিনে নমঃ
ওং রামকধালোলায় নমঃ
ওং সীতান্বেষণ পংডিতায় নমঃ
ওং বজ্র নখায় নমঃ
ওং রুদ্রবীর্য় সমুদ্ভবায় নমঃ
ওং ইংদ্র জিত্প্র্রহিতা মোঘব্রহ্মস্ত্র বিনিবার কায় নমঃ
ওং পার্ধ ধ্বজাগ্র সংবাসিনে নমঃ
ওং শরপংজর ভেদকায় নমঃ
ওং দশবাহবে নমঃ
ওং লোকপূজ্য়ায় নমঃ
ওং জাং বত্প্র তি বর্ধনায় নমঃ
ওং সীত সবেত শ্রীরামপাদ সেবা দুরংধরায় নমঃ
স্নান করে ১ বার‌

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180618161913

Monday, June 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভাব থেকে বির্চায‍্য বিষয়

ভাব থেকে বির্চায‍্য বিষয়

ভাব বিচার

কোন কোষ্ঠি বিচার করার সময়, কোন ভাব থেকে কি বিচার করবেন-

১) তনুভাবঃ
জন্ম, জন্মস্থান,আকৃতি-প্রকৃতি,শরীর,জাতি,মশ্তিস্ক,সুখ-দুঃখ,রূপ
২) ধনভাবঃ
বাক্‌শক্তি,ধন,সঞ্চিত অর্থ,আত্মীয়স্বজন,ডান চক্ষু,মুখ,খদ্যদ্রব্য,স্বর্ণাদি ধাতু,ক্রয়বিক্রয়,দ্বিত্বীয় বিবাহ।
৩)সহজভাবঃ
ভ্রাতাভগ্নী,কনিষ্ঠ ভ্রাতাভগ্নী(জাতকের পরেই),পরাক্রম,পরিবহন।
৪) বন্ধু ভাবঃ
মাতা,শ্বশুর,গৃহ,নিজস্ব যানবাহন,শিক্ষা।
৫) পুত্র ভাবঃ
সন্তান,বংশরক্ষা,গর্ভ,বিদ্যা,উচ্চ শিক্ষা
৬) শত্রুভাবঃ
শত্রু,রোগ,মাসী,মামলা,
৭) পত্নীভাবঃ
পতি/পত্নী,বিবাহ,বিবাহিত জীবন,বাণিজ্য,অংশীদার,জৈষ্ঠ ভ্রাতার সন্তান,মুত্রাশয়, কিডনী,তলপেট।
৮) নিধন ভাবঃ
আয়ু,মৃত্যুর কারন,মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি প্রাপ্তি,গুহ্যস্থান,গুপ্তবিদ্যা।
৯) ধর্ম ভাবঃ
ধর্ম,ভাগ্য,রক্তবাহী নালী,নাড়ী সমুহ,উরু।
১০) কর্ম ভাবঃ
কর্ম,চাকুরী,পিতা,শাশুড়ী
১১) আয়ভাবঃ
অর্থাগম,লাভ,মিত্র,জেষ্ঠ ভ্রাতাভগ্নী,
১২) ব্যয়ভাবঃ
ব্য্য,বামদ,বাম চক্ষু,ঠকে যাওয়া,বাম কান,

কিছু কিছু বিশেষ জিনিষ বিচার করতে গেলে কয়েটি জায়গা সংযুক্ত ভাবে দেখতে হয়, তাই নিচে দিলাম।
চাকুরীঃ 2nd+6th+10th
ব্যবসাঃ 3rd+7th+11th
নাচ-নাটকঃ 3rd+5th
পূর্বরাগ-প্রেমঃ 3rd+5th
প্রেম বিবাহঃ 3rd+5th+7th+11th
বিদ্যাঃ 4th-Ordinary Graduate,5th-Higher Education,9th – Technical Education
লটারী থেকে প্রাপ্ত অর্থ/মামলা-মোকদ্দমা/বাধাবিঘ্নঃ 6th+8th
দূরদেশ ভ্রমণঃ 9th+12th
পিতার অর্থাদিঃ9th+10th

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180618083931

Monday, June 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশ ভাবে অষ্টমপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশ ভাবে অষ্টমপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে অষ্টমাধিপতির অবস্থানগত ফলাফল :}

১)অষ্টমাধিপতি লগ্নে থাকলে -~-
রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদা বৃদ্ধি পেলেও শরীর ও মন উভয়েই খারাপ হয়৷

২)অষ্টমাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে---
রোগের জন্য বহু অর্থব্যয় হয় ৷ অর্থিক স্থিতিতে বাধা জন্মায় ৷

৩)অষ্টমাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে ---
ভ্রাতৃসুখের হানি করে ৷ জাতক উদ্বিগ্নচিত্ত হয় ৷

৪)অষ্টমাধিপতি চতুর্থে থাকলে ---জাতক পিতা-মাতার বিষয়ে অসুখী হয়।

৫)অষ্টমাধিপতি পঞ্চমে থাকলে ---জাতক সন্তান বিষয়ে অশুভ ফল দান করে| সন্তানশোকের সম্ভবনা থাকে ৷

৬)অষ্টমাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে --
জাতক পরনিন্দা প্রিয় ও রোগী হয়। বিষাক্ত জন্তুর দংশন জলে বিপত্তি হতে পারে।

৭)অষ্টমাধিপতি সপ্তামে থাকলে --
ব্যবসায়ে ক্ষতি হয় ৷ স্ত্রীর মৃত্যুজনিত শোক পেতে হয়।

৮)অষ্টমাধিপতি অষ্টমে থাকলে --
জাতক অসাধু উপায়ে উপার্জন এ আগ্রহী হয়।
৯) অষ্টম পতি নবমে থাকলে---- জাতক পর নারীলোভী গুরু নিন্দাকারী ও ধর্ম বিরুদ্ধ কর্মে রত থাকে।
১০) অষ্টমাধিপতি দশমে থাকলে---
জাতক বন্ধুহীন নিচ কর্মে আসক্ত ও হিংসা পরায়ন হয়।
১১) অষ্টম অধিপতি একাদশে থাকলে----
জাতক অর্থকষ্ট ভোগ করে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার জন্য মানসিক দুঃখ ভোগ করে।
১২) অষ্টম অধিপতি দ্বাদশে থাকলে ----
জাতক নানাবিধ কারণে মানসিক কষ্ট পায় । নিজেও বা পরিবার পরিবারস্ত কাহারো রোগে বহু অর্থ ব্যয় সম্ভাবনা থাকে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180618081834

Monday, June 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশভাবে সপ্তম অধিপতীর অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশভাবে সপ্তম অধিপতীর অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে সপ্তম অধিপতির অবস্থানগত ফল
১)সপ্তম অধিপতি লগ্নে থাকলে ~~~জাতক ভোগপরায়ণ, বিচক্ষণ, স্ত্রী বিষয়ে সুখী হয় ৷ অল্পবয়সে বিবাহের সম্ভাবনা থাকে৷

২)সপ্তমাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে ---
বিবাহ বা ব্যবসা দ্বারা লাভবান হবার সম্ভাবনা থাকে৷ জাতক নারীপ্রিয় ও কিছুটাঅলস্ প্রকৃতির হয়৷
৩)সপ্তমাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে --~-জাতক সন্তান বিষয়ে কষ্ট পায়৷ আত্মীয় দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

৪)সপতমাধিপতি চতুর্থে থাকলে --- জাতক ব্যবসা দ্বারা লাভবান হলেও স্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে অসুখী হয়।

৫)সপ্তমাধিপতি পঞ্চমে থাকলে-~
জাতক আর্থিক সৌভাগ্যযুক্ত, মর্যাদাসম্পন্ন ও সূখী হয়৷

৬)সপ্তমাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে ---
জাতক ক্রোধী হয় স্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকে।

৭)সপ্তমাধিপতি সপ্তমে থাকলে---
জাতক ধনবান, দীর্ঘায়ু ও স্ত্রী সুখে সুখী হয়৷
৮)সপ্তমাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---
জাতক দাম্পত্য বিষয়ে অসুখী হয় ৷ ব্যবসায়ে ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকে৷

৯)সপ্তমাধিপতি নবমে থাকলে --~বিবাহ দ্বারা বা ব্যবসা দ্বারা ভাগ্যের সুপরিবর্তন ঘটে।

সপ্তমাধিপতি দশমে থাকলে --~-জাতকের সন্তান বৃদ্ধি হয় । নিজ স্ত্রী বা স্ত্রীলোকের দ্বারা উপকৃত হয়।

১১) সপ্তমপতি একাদশে থাকলে~~~
জাতক সুন্দর স্ত্রী লাভ করে ব্যবসা-বাণিজ্য সফল হয় তবে সন্তান বিষয়ে কষ্ট পেতে পারে।

১২) সপ্তম পতি দ্বাদশ থাকলে~~~ জাতক কৃপণ প্রকৃতির হয় দাম্পত্য সুখে বিঘ্ন ঘটে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180618081535

Sunday, June 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে ষষ্ঠাধিপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশভাবে ষষ্ঠাধিপতির অবস্থান গত ফলাফল

শুভ সন্ধ‍্যা
রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে ষষ্ঠাধিপতির অবস্থানগত ফলাফল

১)ষষ্ঠাধিপতি লগ্নে থাকলে ---
তৃতীয়
জাতক উদ‍্যমী, কুটুম্ব বিরোধী হয়, বাক্পটু ও কীর্তিমান হয়৷

২)ষষ্টাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে ---

জাতক লোকপ্রিয়, সঞ্চয়ী, সুখী ও প্রবাসী হয়৷
৩)ষষ্টাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে ---

জাতক ক্রোধী, বিত্তবান, আত্মীয় বিরোধী ও পরশ্রীকাতর হয় ৷

৪) ষষ্টাধিপতি চতুর্থে থাকলে --~
পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে গোলযোগ হয়৷ পিতার আয়ূর বিষয়ে অশুভ যোগ বর্তমান থাকে৷

৫)ষষ্ঠাধিপতি পঞ্চমে থাকলে --

জাতক রাজানুগৃহীত, ধার্মিক ও বুদ্ধিমান হয়৷ পিতা পুত্রের সম্পর্ক ভালো থাকেনা।
৬) ষষ্ঠাধিপতি ষষ্ঠেথাকলে ---
জাতক সুখী, কৃপণ কিন্তু জ্ঞাতি শত্রু দ্বারা উৎপীড়িত হয়
৭)ষষ্ঠাধিপতি সপ্তমে থাকলে ---

জাতক ধনবান, সাহসী ও সম্মানী হলেও স্রী বা সন্তান বিষয়ে বিশেষ কষ্ট পায়।

ষষ্ঠাধিপতি অষ্টমে থাকলে --- জাতক শরীর সংক্রান্ত বিষয় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় চারিত্রিক দুর্বলতা
থাকে৷

৯)ষষ্টাধিপতি নবমে থাকলে--~

জাতক বিদ্যা ও ভাগ্যের বিষয় অশুভ ফল দান করে।
১০)ষষ্ঠাধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক সুখী, সুবক্তা, ধর্মপরায়ণ ও পুত্রবৎসল হয় ৷
১১)ষষ্ঠাধিপতি একাদশে থাকলে ---

জাতক কীর্তিমান, ধনী, সাহসী হয়৷ ডেয়ারী ব্যবসায়ে লাভবান হয়৷ জাতুবিষয়ে অসুখী।
১২) ষষ্ঠপতি দ্বাদশে থাকলে
জাতক পরস্ত্রীকাতর হিংসাপরায়ণ অপব্যয় এবং আকস্মিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180617181540

Sunday, June 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্ধাদশভাবে পঞ্চমপতির অবস্থান গত ফলাফল

দ্ধাদশভাবে পঞ্চমপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশ ভাবে পঞ্চম পতির অধিপতির অবস্থানগত ফল ,:

১) পঞ্চম অধিপতি লগ্নে থাকলে _
জাতক বুদ্ধিমান জনপ্রিয় বিলাসী ও স্বার্থপর হয়।
২) পঞ্চম অধিপতি দ্বিতীয় থাকলে জাতক ধনবান সম্মানীয় ধার্মিক প্রকৃতির হয়।

৩)পঞ্চমাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে --

জাতক বুদ্ধিমান, যশস্বী, বন্ধুপ্রিয় ও মিষ্টভাষী হয়৷ সন্তান বিষয়ে দুশ্চিন্তা থাকে৷
৪)পঞ্চমাধিপতি চতুর্থে থাক মৎস্যলে ---

জাতক বুদ্ধিজীবি, লেখক ও সুমন্ত্রণাদাতা হয়।

৫)পঞ্চমাধিপতি পঞ্চমে থাকলে --

জাতক জনপ্রিয়, মর্যাদাসম্পন্ন, বাক্পটু ও ধার্মিক হয় ৷ সন্তান বিষয়ে গর্ব অনুভব করে৷

৬)পঞ্চমাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে ---
জাতক বুদ্ধির দোষে কষ্ট পায়। শত্রু জনিত কারণে মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। পুত্র কষ্টের সম্ভাবনা থাকে ।

৭)পঞ্চমাধিপতি সপ্তমে থাকলে ---

জাতক সৌভাগ্যবান ও দাম্পত্য সুখে সুখী হয়৷
৮)পঞ্চমাধিপতি অষ্টমে থাকলে_

জাতক ধনবান, ক্রোধী ও সন্তান বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়।

৯)পঞ্চমাধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক বিদ্বান ও বুদ্ধিমান হয়৷ কাব্য ও সংগীতকলায় বিশেষ অনুরাগ বা প্রতিভা থাকে৷

১০)পঞ্চাধিপতি দশমে থাকলে -

জাতক বুদ্ধিজীবি, স্বনামখ্যাত, মর্যাদাসম্পন্ন ও সৎকর্মপরায়ণ হয়৷
১১)পঞ্চমাধিপতি একাদশে থাকলে ---

জাতক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদাসম্পন্ন ও জনপ্রিয় ও সুসম্তানের পিতা হয় ৷ সাহিত্য বিষয়ে অনুরাগ জন্মে।

১২)পঞ্চমাধিপতি দ্বাদশে থাকলে -

জাতক সন্তান কণ্ঠ ভোগ করে ৷ বুদ্ধির দোষে সর্বস্বান্ত হয়৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180617131215

Saturday, June 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

চন্দ্র-মঙ্গলা যোগ

চন্দ্র-মঙ্গলা যোগ

চন্দ্র-মঙ্গলা যোগ:
যদি জন্মকুন্ডলীতে চন্দ্র মঙ্গল দ্ধাদশ রাশির যে কোন একটা রাশিতে একত্রে থাকলে এই যোগ সূচিত হয়।
শশী-মঙ্গল যোগের অপর নাম চন্দ্র- মঙ্গল যোগ। কারণ আমরা সকলেই জানি চন্দ্রের অনেক নামের একটি নাম শশী। শশী-মঙ্গল যোগ নিয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্রে পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন মত রয়েছে।

এই যোগকে কেউ কেউ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে লক্ষ্মীযোগ বলে অভিহিত করেন। তাঁদের মতে, যার জন্মছকে এই যোগ আছে তার অর্থভাণ্ডার নাকি কোনও দিন শূন্য হয় না। এও বলা হয়েছে, চন্দ্র-মঙ্গল যদি বৃশ্চিক রাশিতে বা মকরে থাকে এবং চাঁদ যদি পক্ষ বলে বলহীন হয়, তবে অর্থ এলেও তা থাকে না।

“জাতক পারিজাত”য়ে শশী-মঙ্গল যোগ সম্বন্ধে বলা আছে, জাতক হবে বীর, ধার্মিক, প্রতিভা সম্পন্ন ও ধনী।

আবার “বিরাট জাতক”য়ে বিপরীত মত পোষণ করা হয়েছে। এখানে জাতক হবে মদ বা নেশা দ্রব্যের বিক্রেতা এবং সে তার মাকে সম্মান করবে না, উপরন্তু ঘৃণা করবে। ‘সারাবল্লীতে’ এই একই মত অভিব্যক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, জাতক রক্তের দূষণ জনিত কোনও রোগে ক্রনিকভাবে ভুগবে এবং যন্ত্রণায় কাতরাবে।

বাস্তবে আমরা শশী-মঙ্গল যোগ সংযুক্ত ভাবে কোনও এক রাশিতে অবস্থান করলে, কমবেশি যে জিনিসটা দেখি, বা চন্দ্র ও মঙ্গল যদি ১৮০ ডিগ্রিতে অবস্থান করে, তার জন্য জাতক/জাতিকা মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে না, ব্যবহারে বা মেজাজে রুক্ষতা থাকে, কাটা কাটা শ্লেষপূর্ণ কথা-বার্তা বলে থাকে, একটা গর্বিত মনোভাব নিয়ে চলে, স্বাস্থ্যও খুব একটা ভাল যায় না। মানসিক অস্থিরতায় ভোগে।

এই ধরনের ব্যবহার আরও বেশী হয় যাদের জন্ম কৃষ্ণপক্ষের ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্র থাকাকালীন। কারণ চন্দ্র মানে সাইকিক, আবেগ, ইমোশান। আর মঙ্গল মানেই যুদ্ধং দেহী মনোভাব,অস্থিরতা, দৈহিক স্ট্যমিনা ও উগ্রতা যা চন্দ্রকে মলেস্ট করে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে চন্দ্র-মঙ্গল সংযোগ খারাপ হলে কাম বা সেক্স বহুগুণ বেড়ে যায়, বিকৃত দিকে নিয়ে যায়। মেয়েদের ঋতুস্রাব পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে শশী-মঙ্গল। এই শশী-মঙ্গল অশুভ ভাবে থাকলে নিয়মিত ঋতুস্রাবে গণ্ডগোল হয়।

চন্দ্র হচ্ছে সাত্ত্বিক গ্রহ আর মঙ্গল তামসিক গ্রহ। আসলে উভয়ের প্রকৃতি ভিন্ন মেরুর। চন্দ্র ঠান্ডা আর মঙ্গল গরম। এই সংযোগ সেই অর্থে গোলমেলে।

শশী-মঙ্গল যোগ কিছু ক্ষেত্রে শুভ গ্রহ যেমন, বৃহস্পতি, শুক্র বা বুধ সংযোগ, বা ট্রাইন প্রেক্ষা দেয়, তা হলে শশি-মঙ্গল যোগের ক্ষার ভাব অনেকটাই প্রশমিত হয়ে থাকে।

আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতায় বা গবেষণায় দেখেছি, বিবাহিত জীবনে বা দাম্পত্য সুখে শশী-মঙ্গল যোগ খুব খারাপ ফল দেয়। আমাদের গবেষণার সেই রিপোর্ট স্থানাভাবে উল্লেখ করা গেল না। শশী-মঙ্গল যোগ প্রায় পুরোপুরি “মাঙ্গলিক বা ভৌম দোষের” মতোই দাম্পত্য সুখ কেড়ে নেয় এবং এরুপ জাতক-জাতিকা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে,চারিত্রিক দোষ থাকে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180616220108

Saturday, June 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি -চন্দ্র যুতি

শনি -চন্দ্র যুতি

*** শনি+চন্দ্র সংযোগ কখন তথাকথিত মার্কেটে প্রচলিত বিষযোগের পরিবর্তে অতীব শুভ অমৃত যোগের সৃষ্টি করে তা গননার সুত্র ঃ- ***
------------------------------------------------------------------------------------------

*** আমার আলোচ্য তথ্য রিসার্চ করে আধুনিক জ্যোতিষে মডিফাই করার শাস্ত্রীয় রেফারেন্স সোর্স পয়েন্ট ঃ-

শনি নির্দেশ করে কর্মচেতনা আর চন্দ্র নির্দেশ করে মন মানসিকতা... তাহলে শনি+চন্দ্র একত্রে নির্দেশ করে মানুষের কর্মচেতনার মানসিকতা বোধ... আর মানুষের মোক্ষপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই মানসিক কর্মচেতনার খুবই প্রয়োজন হয়... তাহলে মোক্ষলাভ বিশ্লেষন করতে গেলে দ্বাদস ভাব বিচার্য্য... এবার দ্বাদস ভাব শুধু দেখলেই হলো না, বরং সেই দ্বাদস ভাবের সক্রিয় কার্য্যকারী ক্ষমতা কতোটা সেটাও কিন্তু তার সাথে দেখতে হবে... সক্রিয় কার্য্য ক্ষমতা নির্দেশ করে ষষ্টভাব (প্রচেষ্টা),, দশমভাব (কার্য্য),, একাদশভাব (সফলতা)... অর্থাত দ্বাদস ভাব সাপেক্ষ্যে ষষ্ট-দশম-একাদশ ভাব (house) অর্থাত এটাকেই লগ্ন সাপেক্ষে দেখলে পঞ্চম- নবম- দশম ভাবের ক্ষমতা নির্দেশ করবে যে, লগ্ন সাপেক্ষে দ্বাদস ভাবের মোক্ষ প্রাপ্তিলাভ সহজ হবে নাকি কঠিন...!! আবার শনি +চন্দ্র যেহেতু মানসিক কর্ম চেতনার মোক্ষলাভের পথ নির্দেশক বোঝায় তাই এখানে মোক্ষলাভের জন্য গ্রহ হিসেবে শনি+চন্দ্র সংযোগ এবং ভাব হিসেবে লগ্ন সাপেক্ষে পঞ্চম-নবম-দশম ভাব (house) খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে...

*** এই উপরিক্ত আলোচ্য জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় যুক্তি মতে যদি কারোর কুষ্টিতে দ্বাদস ভাব সাপেক্ষে ষষ্ট-দশম-একাদশ অর্থাত লগ্ন সাপেক্ষে পঞ্চম-নবম-দশম ভাবে শনি+চন্দ্র অবস্থান করে তাহলে সেই উক্ত কুষ্টিতে শনি+চন্দ্র লগ্ন সাপেক্ষে উক্ত অবস্থিত ভাব (house) এবং এই দুটো গ্রহ লগ্ন সাপেক্ষে যে যে ভাবের অধিপতি নির্দেশক হবে তখন সেই সেই ভাবের শুভফল প্রাপ্তি হবে... এক্ষেত্রে এই শনি+চন্দ্র সংযোগ বিষযোগের কুপ্রভাব দেবে না, উলটে সেই আলোচ্য সিগনিফিকেটর ভাব নির্দেশিত পয়েন্ট গুলোতে অমৃতযোগের সুপ্রভাব দেবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়...!!

উদাহরণ স্বরুপ বললে,, স্বামী বিবেকানন্দ মহাশয়ের জন্মতারিখ ঃ- 12-January-1863,, সোমবার... জন্মসময় ঃ- সকাল 06:33 a.m, জন্মস্থান ঃ- কলকাতা... উক্ত জন্মকুষ্টিতে ধনু লগ্ন, কন্যা রাশি... স্বামী জীর জন্মকুন্ডলীতে লগ্ন সাপেক্ষে দশম ভাব কন্যা রাশিতে শনি+চন্দ্র সংযোগ রয়েছে... আপাদদৃষ্টিতে এই সংযোগকে পাতি বৈদিক জ্যোতিষীদের ভাষায় দেখলে মনে হবে যে এটা নাকি বিশাল বড় মাপের একটা বিষযোগ, আর এর জন্য নাকি স্বামীজীর কর্মে ছারখার হয়ে গিয়ে কর্মে মারাত্বক সমস্যা হবে... কিন্তু সত্যি কথা বলতে বাস্তবে ওনার এসব কিচ্ছুটি হয়নি বরং পরিবর্তে আমার এই পোষ্টের আলোচ্য তথ্য অনুযায়ী স্বামী জীর জন্মছকে শনি+চন্দ্র লগ্ন সাপেক্ষে দশমভাবে অবস্থান করার জন্য এই অমৃতযোগের প্রভাবে ওনার সারা জীবনে দশমভাব নির্দেশিত কর্মের জায়গাতে কখনোও কোনো সেভাবে সমস্যা তো হয়ই নি, বরং উনি যেখানে যেখানে হাত রেখেছেন সেখানে সেখানেই সোনা ফলিয়ে গিয়েছেন, একথা তো সত্য, তাই না...!!

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180616210804

Saturday, June 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

যোগবাসিষ্ঠসার

যোগবাসিষ্ঠসার

শুভ সন্ধ‍্যা
মনো হি জগতাং কর্তৃ মনে হি পুরুষঃ স্মৃতঃ ৷মনঃ
কৃতং কৃতং লোকে ন শরীর কৃতম্ কৃতং।
যেনৈবালিঙ্গিতা কান্ত! তেনৈবালিঙ্গিতা সুতা৷

মনই জগৎ সৃষ্টি করিয়া থাকে, মনই পুরুষ ( পুরুষ মনোময় ), মনের
(যে ভাব ) দ্বারা যাহা করা হয়, উহা তদ্রপই হইয়া ধাকে ; শরীর দ্বারা যাহা করা হয় উহা বন্তুতঃ করা নহে | কারণ লোকে ( কামাতুর হইয়| )যে
' শরীর দ্বারা স্রীকে আলিঙ্গন করে, সেই শরীর দ্বারাই ( অপত্যস্নেহবশে )

স্বীয় শিশু দুহিতাকেও আলিঙ্গন করিয়া থাকে |
(বাহ‍্য দৃষ্টিতে ক্রিয়া একরূপ হইলেও মানসিকভাবের ভেদবশতঃ উহা ভিন্ন হ ইয়া থাকে অতএব
মনের ভাবই প্রধান )।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180616195027

Saturday, June 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি-মঙ্গল যুতি

শনি-মঙ্গল যুতি

*** শনি+মঙ্গল যোগ কখন বিষযোগের অশুভ ফলের পরিবর্তে শুভ অমৃত যোগের ফল প্রদান করে তার গননার সুত্র ঃ- ***
----------------------------------------------------------------------------------

বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি এই তিনটে গ্রহের অধিপতি রাশিতে যদি শনি+মঙ্গল সংযোগ থাকে তাহলে সেই উক্ত রাশিতে এই যোগ নিশ্চিত ভাবে অমৃত সমান শুভ ফল দেবে... অর্থাত বৃষ, মিথুন, কন্যা, ধনু, মীন রাশিতে এই শনি+মঙ্গল সংযোগ সর্বদাই শুভ ফল প্রদান করবে... এবং শুধুমাত্র তুলা রাশির ক্ষেত্রে যেহেতু মঙ্গল এই রাশিতে নাশস্থ থাকে সেহেতু সেই রাশিতে এই সু প্রভাব দিতে ব্যাতিক্রম হলেও হতে পারে... তবে শনি এখানে বক্রী হলে তাহলে সেই যোগ শুভ প্রভাব দিতে পারবে... এবং লগ্ন সাপেক্ষে শনি+মঙ্গল যে যে ভাবের (house) অধিপতি হবে আর যে ভাবে (house) এই সংযোগ হবে সেই সকল ভাব (house) নির্দেশিত শুভ ফল প্রদান করবে..
বাকি রাশিতে বিষ যোগের কুপ্রভাব পড়বে।এটি অন্তত‍্য একটি ক্ষণস্থায়ী সমস্যা বহূল অশুড যোগ।বিষযোগ নিয়ে আগে লিখেছি।
.

উদাহরন স্বরুপ বললে ঃ- জন্ম তারিখ = 18- March-1972.. জন্ম সময় =12:20 a.m... জন্মস্থান = পন্ডিচেরী (তামিলনারু)... উক্ত জন্মছক একজন মহিলার... এনার বৃশ্চিক লগ্ন আর লগ্ন সাপেক্ষে সপ্তম রাশি বৃষ রাশিতে শনি+মঙ্গল সংযোগ রয়েছে, আপাদ দৃষ্টিতে এই কুষ্টি দেখলে মনে হবে এনার বিবাহ জীবন খুব খারাপ যাবে, কিন্তু তাহলে এখানে আমার পোষ্টের সুত্র অনুযায়ী লগ্ন সাপেক্ষে লগ্ন, ষষ্ট মঙ্গলের অধিপতি এবং তৃতীয়, চতুর্থ শনির অধিপতি এবং সপ্তম ভাব উক্ত যোগের অবস্থান হয়েছে, তাহলে উক্ত সকল ভাব বিশেষ করে সপ্তমভাব শুভ ফলদাতা হবে... এবং বাস্তবে তার বিবাহ জীবন খুবই ভালো কাটছে, এবং তার বিবাহের পরেই স্বামীর সাহায্যের ও নিজ সততার গুনে তার জীবনে আর্থিক ও সামাজিক উভয়েই সুপ্রতিষ্টা পেয়েছে এবং তার জীবনে তার বিবাহজীবন এবং স্বামী খুবই সৌভাগ্যসুচক হয়েছে...!!


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180616081759

Friday, June 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সংখ্যা তত্ত্বে সন্তান

সংখ্যা তত্ত্বে সন্তান

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
সন্তান ও সংখ্যা ================সংখ্যাতত্ত্ব কি এবং সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী আপনার সন্তান সম্পর্কে ধারন============================================
সংখ্যাতত্ত্ব কি এবং সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী আপনার সন্তান সম্পর্কে ধারনা
একটি পদ্ধতি বলে দিতে পারে আপনার সন্তানের আগামী দিনগুলির কথা। অবাক হলেও বিষয়টি বাস্তব। ফলিত জ্যোতিষের একটি শাখা সংখ্যা তত্ত্ব। আর এ সংখ্যার বিভিন্ন ব্যবহারে আপনি জানতে পারবেন আপনার ভবিষ্যৎ শুধু নয় আপনার প্রিয় মানুষের জীবনের নানা দিকও।

সংখ্যা তত্ত্বের গভীর তাত্ত্বিক আলোচনায় না গিয়ে কিছু প্রাথমিক বিশ্লেষণ তুলে ধরতে চাইছি। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন সংখ্যাতত্ত্ব কতটা গভীর ও নির্ভুল।

আজ আমি আলোচনা করব কি করে সংখ্যাতত্ত্ব ব্যবহার করে আপনার শিশুর চারিত্রিক গঠন বিষয়ে আপনি নজর দেবেন। এর বেশ কিছু জটিল পদ্ধতি আছে। আজকের প্রতিবেদনে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি তুলে ধরা হলো। এই পদ্ধতি আপনি সহজে কারও সাহায্য ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।

আসুন আমারা দেখি কীভাবে সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্য আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে দিতে পারেন।

প্রতিটি মানুষের মূলাঙ্কের ওপর নির্ভর করে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। মূলাঙ্ক গণনা করে সহজেই সেই মানুষটি কেমন তা বুঝতে পারি আমরা। জন্ম তারিখের প্রতিটি অংক (দিন, মাস, বছর সহ) পরস্পরের সঙ্গে যোগ করে মূলাঙ্ক পাওয়া যায়। যোগফল যদি দুই অংকের হয়, তবে সেই দু’টিও ফের পরস্পরের সঙ্গে যোগ করতে হবে, যতক্ষণ না এক অংকের সংখ্যা আসবে।
ধরা গেল, এক ব্যক্তির জন্ম তারিখ ১৫-৬-১৯৯০। সুতরাং, হিসাবটি দাঁড়াবে ১৫+৬+১৯৯০= ২০১১ এরপর ২+০+১+১=৪। তার মানে ১৫-৬-১৯৯০, এদিনে জন্ম নেওয়া জাতক বা জাতিকার মুলাঙ্ক ৪। আবার অনেকে ১৫+৬+১৯৯০=২০১১ তারপর ২০+১১=৩১ তারপর ৩+১= (মুলাঙ্ক) ৪ এই পদ্ধতিও অবলম্বন করেন। তবে প্রথম পদ্ধতিটি বেশি ব্যবহার করা হয়।

এর কারণ মূলাঙ্ক শুধুমাত্র ১-৯-এর মধ্যেই গণনা করা যায়। অর্থাৎ, যতক্ষণ পর্যন্ত দিন, মাস, তারিখ যোগ করে ১-৯ মধ্যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। ততক্ষণ আপনাকে একটি সংখ্যার সঙ্গে পাশের সংখ্যাটি যোগ করে যেতে হবে। মূলাঙ্ক গণনা করে বাচ্চাদের মূল স্বভাব জেনেই মা-বাবা তাদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারেন।

প্রতিটি সংখ্যার গুরুত্ব
(১) এই মুলাঙ্কের বাচ্চারা রাগী ও জেদি হয়। এরা স্বাধীন থাকতে চায়। কোনো কাজে কারও হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। জোর করে তাদের উপর মতামত চাপিয়ে দিলে তারা রেগে যায়। এরা ভবিষ্যতে প্রধানত বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে চাকরি করে থাকে। এ ধরনের শিশুদের না বকে যুক্তি দিয়ে বোঝালে সহজেই বুঝে যায়।

(২) এই বাচ্চারা শান্ত, ভাবুক হয়। পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। জেদি না-হলেও নিজের জিনিসের প্রতি খুব সচেতন। এরা পরিবারকে খুবই ভালোবাসে। এদের বোঝানোর ক্ষেত্রে শান্ত ভাবের খুবই প্রয়োজন। এদের ছোট বেলায় ভয় দেখালে সেই ভয় বাকি জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।

(৩) এই মুলাঙ্কের বাচ্চাদের মস্তিষ্ক খুব সক্রিয়। এরা জ্ঞানী হয়। এ কারণে এদের মধ্যে পাণ্ডিত্যের অহংকার জন্ম নেয়। জনপ্রিয় ও আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠার প্রবল ইচ্ছা থাকে এদের মধ্যে। যেখানে এরা গুরুত্ব পায় না সেখানে এরা যেতে চায় না। এদের বোঝানোর জন্য আপনার যথাযথ জ্ঞান থাকা জরুরি।

(৪) এই বাচ্চারা খুব বেপরোয়া হয়। খেলাধুলো করতে পছন্দ করে। ঝুঁকি নেওয়া এদের স্বভাব। বকে নয়, ভালোবাসার মাধ্যমেই এদের নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

(৫) এই শিশুরা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়। এ সংখ্যাটি সাহস, উত্‍‌সাহ ও পরিবর্তনের প্রতীক। এদের সঙ্গে ধৈর্য ধরে শান্তভাবে কথা বলবেন।

(৬) মনে রাখবেন, এই শিশুরা মিথ্যে কথা বলতে ভয় পায়। তাই তারা আপনাকে কোনো কথা বললে সেই কথা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন। এরা সাধারণত হাসি-খুশি থাকে কিন্তু রেগে গেলে কোনো বিরোধই এরা বরদাস্ত করে না।

(৭) এই মুলাঙ্কের বাচ্চারা কিছুটা চঞ্চল ও স্বতন্ত্র প্রবৃত্তির হয়। এরা ভাবুক, কিছুটা নিরাশাবাদী, কিন্তু প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন। বিচার ধারায় এই শিশুদের মৌলিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এদের খুবই ভাবনা-চিন্তার মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত।

(৮) এই বাচ্চারা কিছুটা ভাবুক, অত্যন্ত ব্যবহারিক, পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিসম্পন্ন হয়। এদের জীবনে গতি কিছুটা দেরিতে আসে। কিন্তু এরা নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে সফল হয়। এরা কোমল হৃদয়ের হয়। শাসন করার সময়ে বাবা-মাদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত।

(৯) মুলাঙ্কের হিসেবে এটি শ্রেষ্ঠ সংখ্যা। এই শিশুরা দুষ্টু হলেও তীব্র বুদ্ধিসম্পন্ন হয়। জীবনে এরা বার বার বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। মা-বাবার সঙ্গে খুব একটা ভাব থাকে না। প্রশাসনিক কাজে এরা খুব কৌশলী। বড় হয়ে কিছুটা মেজাজি বা দাম্ভিক হতে পারে। আত্মবিশ্বাস এদের বয়সের দ্বিগুণ গতিতে বাড়তে থাকে। তাই এদের কোনোভাবেই জোর করে নয় বরং ভালোভাবে বোঝানো উচিত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
VISIT WITH
ASTRO Palmist Neumerology Center
@astropalmist1



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180615172102

Friday, June 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কর্ম কি?

কর্ম কি?

সবাই মন দিয়ে পড়বেন ও শেয়ার করবেন। কর্ম্ম কি?
উত্তর‍ঃ- শরীর,বাক্য ও মনের যে ক্রিয়া তাহাই কর্ম্ম ।
প্রশ্নঃ- কর্ম্ম কয় প্রকার?
উত্তরঃ- কর্ম্ম তিন প্রকার, যথাঃ- (১) সঞ্চিত কর্ম্ম (২) প্রারব্ধ কর্ম্ম (৩) ক্রিয়মাণ কর্ম্ম
প্রশ্নঃ- সঞ্চিত কর্ম্ম কি?
উত্তরঃ- অনেক অতীত জন্ম হইতে সঞ্চিত যে কর্ম্ম তাহাকেই সঞ্চিত কর্ম্ম বলে।
প্রশ্নঃ- প্রারব্ধ কর্ম্ম কি?
উত্তরঃ- অনেক সঞ্চিত কর্ম্মের পরিপক্ক এবং ঈশ্বরের ইচ্ছাতে এই র্বত্তমান দেহের আরম্ভক যে কোন এক সঞ্চিত কর্ম্ম আছে তাহাই প্রারাব্ধ কর্ম্ম ।
প্রশ্নঃ- ক্রিয়মাণ কর্ম্ম
উত্তরঃ- জ্ঞাননোদয়ের পূর্বে ও পরে এই র্বত্তমান দেহে মরণ কাল র্পয্যন্ত যে কর্ম্ম তাহাকেই ক্রিয়মাণ কর্ম্ম বলে ।
এই কর্মই জীবের গতি নির্ণয় করে ।
কিভাবে নির্ণয় করে সেই প্রসঙ্গে আসি এইক্ষণে -------
এই সৃষ্টিজগৎ আপ্তকাম ব্রহ্মের লীলা (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৩)
জগৎকে সৃষ্টির জন্য ব্রহ্মকেও জীবের কর্মের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।
তদ্য ইহ রমণীয়চরণা অভ্যাশো হ যত্তে রমণীয়াং
যোনিমাপদ্যেরন্ব্রাহ্মণযোনিং বা ক্ষত্রিয়যোনিং বা বৈশ্যযোনিং
বাথ য ইহ কপূয়চরণা অভ্যাশো হ যত্তে কপূয়াং
যোনিমাপদ্যেরঞ্শ্বযোনিং বা সূকরযোনিং বা চণ্ডালযোনিং বা ॥ ছান্দোগ্য-৫.১০.৭॥
‘তাদের মধ্যে যারা (পূর্বজন্মে) রমণীয় আচরণ বা পুণ্যকর্ম করে তারা দেহান্তরে শীঘ্রই ব্রাহ্মণযোনিতে বা ক্ষত্রিয়যোনিতে বা বৈশ্যযোনিতে জন্মলাভ করে। আবার যারা (পূর্বজন্মে) কপূয়াচরণ অর্থাৎ কুৎসিত বা অশুভ কর্ম করে তাদের শীঘ্রই কুকুরযোনিতে বা শূকরযোনিতে বা চণ্ডালযোনিতে পুনর্জন্ম হয়।’- (ছান্দোগ্য-৫/১০/৭)।
একই বিষয়ে বৃহদারণ্যক উপনিষদেও বলা হয়েছে এভাবে-
‘…তিনি কর্মকেই আশ্রয় করে থাকেন। তাই পুণ্য কাজ করলে ভালো আর পাপ কাজ করলে মন্দ ভোগ করতে হয়। পাপ-পুণ্যের আবর্তে জীব-পুরুষকে জন্মচক্রে পাক খেতে হয়। তাই কর্ম হলো জীবের গতি, কর্ম হলো জীবের মুক্তি। কর্মই স্থির করে দেবে জীব-পুরুষের অবস্থান।’- (বৃহদারণ্যক-৩/২/১৩)।
অর্থাৎ পূর্বজন্মের কর্মফলই নির্ধারণ করে দিচ্ছে এজন্মে কিভাবে এই ফল ভোগ করতে হবে, এই জন্মে সুখ ভোগ করবে, না কি দুঃখ ভোগ করবে। তৎকালীন সামাজিক ব্যবস্থা- শোষক-শোষিত, প্রভু-ভৃত্য প্রথার- দৃঢ় সমর্থক বাদরায়ণও একে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলেছেন-
(বৈষম্যনৈর্ঘৃণ্যে ন, সাপেক্ষত্বাৎ, তথা হি দর্শয়তি), ‘জগতে সুখ দুঃখাদি দেখে ব্রহ্মকে পক্ষপাতযুক্ত বা নিষ্ঠুর বলা যায় না- কারণ শাস্ত্রে এই বৈষম্যের হেতু এবং ব্রহ্মের স্বরূপ প্রদর্শিত হয়েছে।’- (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৪)।
এবং জীবের এই কর্মফল দাতা যে ঈশ্বরই, তা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত করেই তিনি বলেন-
‘ফলমতঃ, উপপত্তেঃ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/২/৩৮)।।
ভাবার্থ : জীবের কর্মফলদাতা যে ঈশ্বর তাই যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত (ব্রঃ-৩/২/২৮)।
এখানে হয়তো একটি আপত্তি উঠতে পারে যে, কর্ম তো একটা সময়ে করা হয়ে থাকে, তার আবার আগের জগতের কথা কী করে আসে ? কিংবা প্রশ্নটি এভাবেও হতে পারে যে, যেহেতু প্রথম সৃষ্টির পূর্বে জীবাত্মার পক্ষে তার পূর্বে কোন অবস্থান সম্ভব নয়, তাই কর্মফল থাকাও সম্ভব নয়, তাহলে প্রথম সৃষ্টির সময়েই জীবের মধ্যে অবস্থার পার্থক্য আসবে কোত্থেকে- যদি না ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করে এই ভেদ সৃষ্টি করে থাকেন ? এই আপত্তির উত্তরে বাদরায়ণ বলেন যে, সৃষ্টি অনাদি, অতএব কর্মও অনাদি-
(ন কর্মাবিভাগাদিতি চেৎ, ন, অনাদিত্বাৎ), ‘সৃষ্টির পূর্বে জীব ও ব্রহ্মের কোন ভেদ ছিলো না। সৃষ্টির সময়েই ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করে ভেদ সৃষ্টি করেছেন যদি এরূপ বলা হয়, তাহলে এর উত্তরে বলা যায় যে, না জীবজগৎও অনাদি।’- (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৫)।
পুনর্জন্মের বিষয়ে বাদরায়ণ উপনিষদের সিদ্ধান্তকে সু-ব্যবস্থিতরূপে একত্রিত করেছেন। ছান্দোগ্য উপনিষদের (ছাঃ-৫/১০/৭) শ্রুতিতে সুকৃতি-দুষ্কৃতির মাধ্যমে পুনর্জন্মের যে ধারণা অভিপ্রেত হয়েছে, তার থেকেই পরবর্তী উপনিষদগুলিতে জীবের পুনর্জন্মচক্রের একটা দার্শনিক রূপরেখাও তৈরি হয়ে গেছে। যেমন, প্রশ্ন-উপনিষদে বলা হয়েছে-
‘তেজো হ বা উদানঃ তস্মাৎ উপশানততেজাঃ। পুনর্ভবম্ ইন্দ্রিয়ৈঃ মনসি সম্পদ্যমানৈঃ’। (প্রশ্নোপনিষদ-৩/৯)।। ‘যৎ চিত্তন্তেনঃ এষঃ প্রাণম্ আয়াতি। প্রাণঃ তেজসা যুক্তঃ সহাত্মনা যথাসঙ্কল্পিতং লোকং নয়তি’। (প্রশ্নোপনিষদ-৩/১০)।।
অর্থাৎ :অগ্নিই উদান। মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন তার শরীর শীতল হয়ে যায়। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় তখন মনে লীন হয় এবং সে জন্মান্তরের জন্য প্রস্তুত হয় (প্রশ্ন-৩/৯)। মৃত্যুকালে জীবাত্মা প্রাণে প্রবেশ করে। সঙ্গে থাকে মন এবং সেই সময়কার মনের যত সংস্কার বা চিন্তা ও বাসনা সমূহ। প্রাণ তখন অগ্নি অর্থাৎ উদানের সঙ্গে যুক্ত হয় (কেননা উদানই তাকে দেহের বাইরে নিয়ে যায়)। আত্মা যে লোক কামনা করে প্রাণ তাকে সেই লোকেই নিয়ে যায়। তারপরে আত্মা নতুন জন্ম গ্রহণ করে (প্রশ্ন-৩/১০)।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180615171611

Friday, June 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লগ্নের ডিগ্ৰী থেকে (নবাংশ)জোতিষ বিচার

লগ্নের ডিগ্ৰী থেকে (নবাংশ)জোতিষ বিচার

*** আমার গবেষণালব্ধ কিছু তথ্য ***

জন্ম কুষ্টি দেখে কিভাবে শুধুমাত্র লগ্নের ডিগ্রী দেখে মানুষের আচরনগত স্বভাব বোঝা যায় ঃ~
-------------------------------------------------------------------------------------------

*** Point-1 ঃ~ মহাকাশ বিজ্ঞান মতে পৃথিবীকে বাদ দিয়ে, সূর্য্য থেকে দুরত্ব অনুযায়ী ক্রমানুয়ারে গ্রহদের সাজালে হবে যথাক্রমে,, (1)-সূর্য্য, (2)- বুধ, (3)- শুক্র, (4)- চন্দ্র, (5)- রাহু, (6)- কেতু, (7)- মঙ্গল, (8)- বৃহস্পতি, (9)- শনি...

*** Point-2 ঃ~ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আমরা জানি, ষোড়শ বর্গের মধ্যে "নবাংশ কুন্ডলী" থেকে গ্রহদের ক্ষমতা বল বিচার করা হয়... তাহলে 'নবাংশ' মতে একটা রাশিকে (1 রাশি=30 ডিগ্রী) নয়টা ভাগে ভাগ করলে হবে যথাক্রমে,, (1)- 0 ডিগ্রী থেকে 3 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত, (2)- 3 ডিগ্রী 20 মিনিট থেকে 6 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত, (3)- 6 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 10 ডিগ্রি পর্যন্ত, (4)- 10 ডিগ্রী থেকে 13 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত, (5)- 13 ডিগ্রি 20 মিনিট থেকে 16 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত, (6)- 16 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 20 ডিগ্রী পর্যন্ত, (7)- 20 ডিগ্রী থেকে 23 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত, (8)- 23 ডিগ্রী 20 মিনিট থেকে 26 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত, (9)- 26 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 30 ডিগ্রী পর্যন্ত...

*** আমার গবেষণালব্ধ জ্যোতিষ সুত্র ঃ~

"নবাংশ কুন্ডলী" মতে এক একটা রাশির ডিগ্রীর ক্রমানুসারে নয়টা ভাগের সাথে মহাকাশের সূর্য্য থেকে দুরত্ব অনুযায়ী ক্রমানুসারে অবস্থিত গ্রহদের কারকতা সংযোগ করলে, তাহলে তখন রাশির ডিগ্রীগত ভাবে যে যে ভাগের সাথে যে যে গ্রহ নির্ধারিত হচ্ছে সেই নির্ধারিত গ্রহের কারকতা অনুযায়ী সেই উক্ত মানুষের আচরণগত স্বভাব হয়ে থাকবে...

*** এই জ্যোতিষ সুত্র অনুসরনে প্র্যাক্টিকল জ্যোতিষ বিচার বিশ্লেষণগত তথ্য ঃ~

(1)- রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 0 ডিগ্রী থেকে 3 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো রবি = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ তথাকথিক সমাজের অন্ধ বিশ্বাসের পথে না গিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান বা যুক্তি দ্বারা সবকিছু যাচাই করে নিয়ে তবেই তারা কোনোকিছুকে বিশ্বাস করে... তারা বাস্তববাদী ও কিছুটা প্রফেশনাল মানসিকতার হয়ে থাকে... তবে তারা অন্যের যোগ্যতাকে সাধারণত যথাযত মূল্য দেয়... তাদের মধ্যে অন্যকে যাচাই করার একটা প্রবনতা থাকবে... তারা চিরাচলিত বাস্তবের থেকে অভিজ্ঞতায় দেখে দেখেই গুরু ছাড়াই অনেক কিছু জিনিষের প্রতি শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে...

(2)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 3 ডিগ্রী 20 মিনিট থেকে 6 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো বুধ = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ একটু বুদ্ধমান হয়ে থাকে... মানুষকে কথা বা সুব্যবহার দ্বারা আকর্ষন করার মতো তাদের খুব ভালো গুন থাকে... তবে এটা সত্য যে,, তাদের ব্যবহার দেখে তাদের যতটা উদার মনে হবে, কিন্তু বাস্তবে ততটা উদার তারা নয়... তবে তাদের বুদ্ধি ও ব্যবহার এই উভয় গুনই তাদের জীবনে উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে...

(3)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 6 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 10 ডিগ্রী পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো শুক্র = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ একটু কাম প্রবনতা মুলক স্বভাবের হয়ে থাকে... তাদের ব্যবহার প্রদর্শন থেকেও বেশী ভালো আছে তাদের কথা বলার কনভিন্স ক্ষমতা... এই কথা বলার আদপ কায়দা দ্বারাই তারা মানুষকে আকর্ষন করতে পারে খুব বেশী, অর্থাৎ তাদের কথা বলার ধরন এমনই হবে যে, তাদের কথার ভয়েস দ্বারাই মানুষকে কনভিন্স করতে পারে খুব ভালোমতো... তারা রোমান্টিক স্বভাবের হয়... কিন্তু এটা সত্য যে,, তাদের সামনা সামনি দেখলে তাদের যতটা সমঝদার মানুষ বলে মনে হবে, বাস্তব জীবনে বা আবেগ প্রবনতা মুলক দিক দিয়ে তারা ততটা সমঝদার ব্যক্তি কিন্তু আদেও হয় না... তাই ভালোবাসার ক্ষেত্রে বা আবেগ প্রবণতার দিক দিয়ে তাদের সাবধানে পথ চলা উচিৎ... তবে এরা তাদের সমলিঙ্গের সাথে বন্ধুর হয়ে যতটা আবেগ প্রবনতা দেখাতে চাইবে তার চেয়ে অনেক বেশি আবেগ প্রবনতা দেখাতে ভালোবাসে বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের কাছে...

(4)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 10 ডিগ্রী থেকে 13 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো চন্দ্র = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ খুব বেশী আবেগ প্রবন স্বভাবের হয়ে থাকে... তারা সবাইকে আপন করে নিতে পারে, তারা সমলিঙ্গ বা বিপরীত লিঙ্গ উভয় মানুষদেরই কোনোরকম বাচবিচার ছাড়াই সকলকেই সমান ভাবে খুব সহজেই ভালোবেসে আপন করে নিতে পারে... তারা খুব একটা স্বার্থবাদী হয় না, বরং তাদের ভালোমানুষিকতার সুযোগ নিয়ে অন্যরা তাদের স্বার্থে এদের ব্যবহার করে থাকে... তারা মানুষের থেকে একটু ভালোবাসা পাবার জন্য এতোটাই কাঙ্গাল হয় যে,, তারা একটু ভালোবাসা পেলেই মানুষকে আপন ভেবে খুব কাছের মানুষ ভেবে নেয়... অন্যের আপদে বিপদে নিঃস্বার্থ সহায়তা করার প্রবনতা থাকবে... তবে এটা সত্য যে,, তারা এতটা আবেগী হবার জন্য নারী- পুরুষ উভয় দিক থেকেই এদের জীবনে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে... এক কথায় বললে এই শ্রেণীর মানুষেরা খুবই ভালো হয়ে থাকে...

(5)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 13 ডিগ্রী 20 মিনিট থেকে 16 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো রাহু = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ একটু স্বার্থবাদী ও চতুর স্বভাবের হয়... তারা নিজ চতুরতার দ্বারা কৌশলে অন্যের থেকে নিজের স্বার্থ আদায় করতে খুব ভালোমতোই পারে... তারা তাদের বাস্তব ও সময়ের সাথে নিজেকে খুব তাড়াতাড়ি অভিযোজন করতে পারে... তাদের কাজের সময় তারা মানুষকে যতটা আপন ভেবে তাদের মর্যাদা দেয়,, কাজ ফুরিয় গেলেই কিন্তু তখন আর তাদেরকে অতটা মূল্য দেয় না... অর্থাৎ এক কথায় বললে তারা একটু স্বার্থবাদী ও চতুর স্বভাবের হয়ে থাকে...

(6)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 16 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 20 ডিগ্রী পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো কেতু = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ একটু চতুর স্বভাবের হয় আবার কিছুটা হলেও তারা আবেগ প্রবনও হয়ে থাকে,, অর্থাৎ আবেগী স্বভাব ও চতুরতা দুই ধরনেরই মিশ্রিত দ্বৈত স্বভাব থাকে... তবে তারা জীবনে অনেকের থেকে অনেক কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে, এমনকি ট্রেনে-বাসে-রাস্তায় যেকোনো যায়গায় কারোর সাথে আকস্মিক পরিচয়ের দ্বারা তাদের থেকেও মাঝে মধ্যে কিছুটা হলেও সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে এরা... অর্থাৎ এক কথায় বললে,, তারা দ্বৈত স্বভাবের হয় আর সমাজে পরিচিত বা অপরিচিত অনেকের কাছ থেকেই বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েই জীবনে সৌভাগ্যলাভ করে থাকে সাধারণত... বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তাদের জীবনের উন্নতিলাভ তাদের নিজ চেষ্টায় হবার থেকে বরং অন্যের সহায়তার দ্বারাই বেশী হয়ে থাকে...

(7)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 20 ডিগ্রী থেকে 23 ডিগ্রী 20 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো মঙ্গল = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ একটু প্রতিবাদীমূলক স্বভাবের হয়ে থাকে... নারী হোক বা পুরুষ এই ক্ষেত্রে তারা উভয়েই প্রতিবাদী স্বভাবের হয়... তারা খুব সোজা সাপটা কথা বলতে ভালোবাসে... তারা সহজে কারোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে চায় না, কিন্তু এরা যদি কাউকে সত্যি কারের ভালোবেশে ফেলে তখন তাদের সাথে খুবই ঘনিষ্টভাবে মিসে থাকে এবং নিঃস্বার্থভাবেই তাদের ভালোবাসে... তারা সকলের কাছে প্রতিবাদী মুলক ব্যাবহার দেখালেও তারা তাদের প্রিয় মানুষটির কাছে সেই তুলনায় অনেকটাই কোমল স্বভাবের হয়ে থাকে... এরা বাস্তব জীবনে অধিকাংশ শিক্ষা পেয়ে থাকে তাদের রোমান্টিক জীবন থেকে...

(8)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 23 ডিগ্রী 20 মিনিট থেকে 26 ডিগ্রী 40 মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো বৃহস্পতি = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষ সাধারণত খুবই সৎ ও নির্ভিক স্বভাবেরই হয়ে থাকে... তারা স্বার্থের থেকেও নিজের যোগ্যতাকে বেশী প্রাধাণ্য দেয়... তারা তাদের কাজে খুব একটা স্বার্থবাদীতার আশ্রয় নেয় না, বরং এরা তাদের কাজকে খুব সন্মান করে, এবং তারা তাদের কাজের যোগ্যতার পারদর্শীতার দ্বারা সমাজে উন্নতি করে থাকে... সমাজে চিরাচলিত পুঁথিগত বিদ্যা নিয়ে ঘুষ দিয়ে কাজ পেয়ে শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্য সাধারণ কাজ করতে এদের খুব একটা ভালো লাগে না... এরা চায় এমন কিছু কাজ করতে যেটাতে শুধুমাত্র টাকা রোজগার ছাড়াও নিজের যোগ্যতা দ্বারা সমাজের কাছ থেকে সুনাম অর্জন করে উন্নতিলাভ করতে... বাস্তবের বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সমাজের অন্যান্য মানুষদের সাথে এদের চিন্তাভাবনা করার ধরন, নিজের কাজের দুরদর্শিতা এগুলো অনেকটাই একটু আলাদা ধরনের হয়ে থাকে... কোনো কিছু নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা এদের মধ্যে থাকে... তবে এদের একটা স্বভাব আছে, এরা সৎ হবার জন্য, এরা সুযোগ পেলেই নিজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা অন্যকে শেখানোর একটা প্রবনতা থাকবে... তবে এদের উন্নতিলাভ হতে একটু দেরী হয় বেশি সৎ ও নির্ভিক হবার কারনে... এরা তাদের কর্মজীবনে সোজা সাপটা কথা বলতে ভালোবাসবে...

(9)- যেকোনো রাশিতে লগ্নের ডিগ্রী 26 ডিগ্রী 40 মিনিট থেকে 30 ডিগ্রী পর্যন্ত নির্ধারিত গ্রহ হলো শনি = যদি কুষ্টিতে কারোর লগ্নের ডিগ্রী এটা হয় তাহলে,, সেই মানুষের জীবন সর্বদাই একটা না একটা সমস্যাতে জর্জরিত হয়ে থাকে... এরা একটু আবগ প্রবন স্বভাবের হয়ে থাকে,, কিন্তু এরা যতটা আবেগ প্রবনের হয় ততটা কিন্তু সকলকে বুঝতে দেয় না... অর্থাৎ এরা গুপ্তভাবে আবেগ প্রবন মানুষ... এরা সাধারণত জীবন পথে বেশীরভাগ সময়েই নিজেকে খুব একাকীত্ব বোধ করে থাকে... তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে অতিরিক্ত অন্ধের মতো ভালোবেসে বিশ্বাস করে নেবার জন্য জীবনে আঘাত খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে... তাদের একাকীত্ব খুব বেশী হলে এদের নার্ভ, ব্লাড প্রেসার এই জাতীয় সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে... অর্থাৎ এক কথায় বললে,, তাদের জীবনে মাঝে মধ্যেই একাকিত্ববোধ ও দুর্ভাগ্যজনিত সমস্যা মাঝে মধ্যে একটু না একটু লেগেই থাকে...

তবে আমার জ্যোতিষ জ্ঞান অনুযায়ী এদের একাকীত্ববোধের প্রতিকার অনুযায়ী যেকোনো ধাতুর তৈরী যেকোনো ধরনের ব্রেসলেট ডান হাতের (নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই) কব্জীতে পরতে হবে... এবং পারলে চুম্বকের দ্বারা নির্মিত একটা ব্রেসলেট পরা উচিৎ... তবে চুম্বক ধারন করার আগে, আপনাদের নিজস্ব জ্যোতিষীদের পরামর্শ নিয়ে তবেই ধারন করবেন.. আর আমার ক্লায়েন্ট যারা আছেন তারা অন্যের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে চোখ বুঝে চুম্বকের ব্রেসলেট ধারন করতে পারেন...!!

NOTE = এই পদ্ধতিটা শুধুমাত্র কুষ্টি বিচার ছাড়াও,, হোরারী জ্যোতিষ মতেও আগত ব্যাক্তির আগমনকাল হিসেবে হোরারী লগ্নের ডিগ্রী অনুযায়ী আগত ব্যাক্তিরও আচরনগত স্বভাবের সাধারণভাবে বোঝা সম্ভব...!! এই পেজে যারা জ্যোতিষী নন, সেই সমস্ত সাধারণ মানুষেরা হয়তো হোরারী জ্যোতিষ গণনা সম্মন্ধ্যে কিছুই বুঝবেন না, তবে এই পেজে যারা জ্যোতিষী আছেন তারা তো অতি অবশ্যই হোরারী জ্যোতিষ গণনার নিয়মাকানুন যানেন, তাই আপনারা নিজেদের প্র্যাক্টিকল অভিজ্ঞতায় এই সুত্র প্রয়োগ করে দেখুন, তাহলে আশাকরি আমার দেওয়া তথ্যের যথাযথ সত্যতার প্রমান পাবেন...!!
-------------**********-------------
----------------------------------------

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180615170851

Friday, June 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি-রবি যুতি(একত্রে)

শনি-রবি যুতি(একত্রে)

*** আধুনিক গবেষিত জ্যোতিষ মতে রবি+শনি সংযোগ কখন তথাকথিত মার্কেটে পচলিত বিষযোগের পরিবর্তে কিভাবে কোন গননায় অমৃত যোগের ফল প্রদান করে ঃ- ***
--------------------------------------------------------------------

Point -1 = বৈদিক মতে রবি অগ্নিতত্ব এবং শনি বায়ুতত্ব... দর্শন বা বিজ্ঞান মতে চারিদিকে অতিরিক্ত বায়ুর ঝড়ের মধ্যে যদি সামান্য প্রদীপের আলো জ্বালানো হয় তাহলে সেই আগুনকে বায়ু শত্রুতা করে নিভিয়ে দেবে... অর্থাত অগ্নির থেকে বায়ু বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠলেই তখনই হয়ে ওঠে অগ্নি-বায়ুর পারস্পরিক চীরশত্রু... আর এই শত্রুতা অগ্নি নিজে থেকে কিন্তু যে চেয়ে করতে যায় না বরং বায়ুই যে চেয়ে অগ্নির সাথে শত্রুতা করতে চলে আসে... বিজ্ঞান-দর্শনের এই যুক্তিতেই জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই সিস্টেমে রবি ও শনি পারস্পরিক শত্রু ভাবা হয় এবং এখানে ঠিক এই যুক্তিতেই রবি কিন্তু যে চেয়ে নিজে থেকে একবাব্রেও শনির পিছনে লাগতে যায় না... বরং শনিই যে চেয়ে রবির সাথে শত্রুতা করতে চায়...

Point - 2 = আবার যখন জ্বলন্ত উনুনের ক্ষেত্রে দেখলে,, অগ্নির শক্তি বেশি থাকা অবস্থায় যদি সেই ঊনুনের নিচে বাতাস করা হয় তো তাহলে সেক্ষেত্রে অগ্নি-বায়ুর পারস্পরিক শত্রুতার সম্পর্কের কেস পুরো উলটে যাবে, তখন বায়ু আসার কারনেই কিন্তু অগ্নি আরোও প্রানজ্জল হয়ে ঊঠবে... তাহলে এই বিজ্ঞান-দর্শনের সিস্টেমে বোঝা যাচ্ছে যখন বায়ুর থেকে অগ্নির ক্ষমতা বেশী থাকে তখন অগ্নি-বায়ুর মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব থাকে... ঠিক সেই যুক্তিতেই যখন শনির ক্ষমতার থেকে রবির ক্ষমতা অধিক থাকে তখন রবি শনির মধ্যে পিতা পুত্রের সুসম্পর্ক ভালো থাকে...

তাহলে এখানে খুবই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলাম যে, যখন অগ্নি বা রবির ক্ষমতার থেকে বায়ু বা শনির ক্ষমতা অধিক হয় তখন তারা হয়ে ওঠে পারস্পরিক চীরশত্রু, আর এই শত্রুতা অগ্নি-রবি কিন্তু বায়ু-শনির সাথে করে না, বরং বায়ু শনিই যে চেয়ে এসে অগ্নি-রবির সাথে শত্রুতা করে... আবার যখন বায়ু-শনির ক্ষমতার থেকে অগ্নি-রবির ক্ষমতা অধিক হয় তখন তারা হয়ে ওঠে পারস্পরিক চীরমিত্র... তাহলে রবি-শনি নিয়ে হিন্দু মাইথলজী কাহীনির সাথে যে ১০০% বিজ্ঞান-দর্শন যুক্তি লুকিয়ে আছে তা এখানে ১০০% স্পষ্ট আশাকরি...

*** উপরিক্ত বিজ্ঞান-দর্শন-মাইথলজি একত্রে যোগসাজস মতে এটা পরিষ্কার যে, রবি+শনি সংযোগ ভালো প্রভাব দিতে গেলে রবিকে রবি-শনির মধ্যে সর্বাধিক বলশালী থাকতে হয়... সেই যুক্তিতে বৈদিক জ্যোতিষ মতে কুষ্টিতে রবি ভালো ফল দেয় লগ্ন সাপেক্ষে নবম ভাব(house) ও উপচয় ভাব (house) (তৃতীয়- ষষ্ট- দশম- একাদশ ভাব).. তাহলে এই তথ্য সুত্র মতে আমরা বুঝতে পারি যে, লগ্ন সাপেক্ষ্যে তৃতীয়- ষষ্ট- নবম- দশম- একাদশ ভাবে (house) যদি রবি+শনি সংযোগ হয় এবং তার পাশাপাশি রবির ক্ষমতা শনির ক্ষমতার থেকে অধিক হয়, তাহলে তখন এই রবি+শনি সংযোগ তথাকথিত বিষযোগের পরিবর্তে অমৃতযোগের শুভ প্রভাব লাভ হবে...

উদাহরন স্বরুপ,, সিংহ লগ্নের ক্ষেত্রে লগ্ন সাপেক্ষে উপচয় বা নবম ভাবের মধ্যে তৃতীয় ভাব তুলা রাশির ক্ষেত্রে রবি+শনি সংযোগ হলে সেটা উপচয় ভাব হলেও সেটা অমৃতযোগ হবে না, কারন তুলাতে রবি (অগ্নি) দুর্বল নিচস্থ থাকে আর শনি (বায়ু) সেক্ষেত্রে সবল উচ্চস্থ থাকে, রবি অপেক্ষা শনি সবল হলে সেটা কখনোই অমৃতযোগ হবে না... তখন কিন্তু বিষযোগের ফল প্রদান করবে...!!

NOTE ঃ- অর্থাত এক কথায় বলতে চাইছি লগ্ন সাপেক্ষ্যে নবমভাব সহ উপচয় ভাব অর্থাত তৃতীয়- ষষ্ট- নবম- দশম- একাদশ ভাবে রবি+শনি সংযোগ থাকলে এবং তার পাশাপাশি রবির ক্ষমতাকে শনির ক্ষমতার তুলনায় অধিক ক্ষমতাবান হতে হবে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে রবি+শনি সেই কুষ্টিতে বিষযোগ দেবে না, বরং পরিবর্তে অমৃতযোগের শুভফলদাতা হবে...

*** উদাহরন স্বরুপ বললে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৃত জ্যোতি বসু-এর জন্মতারিখ ঃ- 08 জুলাই 1914... বুধবার... জন্ম সময় ঃ- দুপুর 11:00 a.m... জন্মস্থান ঃ- কলকাতা... জ্যোতি বসুর আলোচ্য উক্ত জন্মছক অনুযায়ী এঁনার কন্যা লগ্ন, মকর রাশি... এঁনার কুষ্টিতে লগ্ন সাপেক্ষে দশম ভাব মিথুন রাশিতে রবি+শনি সংযোগ করেছে... আর রাহু কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করে রবি+শনিকে দৃষ্টি দিচ্ছে... এই আলোচ্য সংযোগটা যদি আপাদদৃষ্টতে দেখা হয় তো এই রবি+শনি সংযোগকে সাধরন নিয়মে বিষযোগ বলেই গন্য হবে, এবং তার জন্য ভাবা যেতে পারে যে, জাতকের কর্মজীবন হয়তো ছাড়খার হয়ে গেছে, এবং কর্ম নিয়ে সমস্যায় ভুগছে... কিন্তু বাস্তবে তো হয়েছে পুরো উলটো... উনি সারা জীবনেই পুরো রাজার হালে কর্ম করেছিলেন এবং কর্মে ভালোই সুক্ষ্যাতি লাভ করেছিলেন...!! তাহলে আশাকরি একথা বোঝাতে পারলাম যে কুন্ডলী তে সূচিত বিষযোগ কখনও কখনও শুভ ফল দেয়।কিন্তু শনি-রবি একে অপরের শত্রু হওয়ায় এবর একত্রে থেকে বিষযোগের অশুভ ফল ভোগ হবেই।সেটা শনির -রবির দশা-দশান্তে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180615075901

Friday, June 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কর্ম জীবনের সফলতা অর্জন করতে

কর্ম জীবনের সফলতা অর্জন করতে

কর্ম জীবনে শান্তিলাভ করতে মেনে চলুন এই জ্যোতিষক পরামর্শ।

মানুষ বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন দ্বারা নিজের বা পরিবারের জীবন ধারন করে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষকে প্রতিযোগিতার সন্মূখীন হতে হয়। এই প্রতিযোগিতায় জিততে হলে ভালো একজন গুরু বা জ্যোতিষ পরামর্শ বিষেশ আবশ্যক হয়। ভালো জ্যোতিষ মানুষের সময়ের পরিস্থিতি বিচারকরে সৎ পরামর্শ দিয়ে মানুষকে সাংসারিক অনাটন বা বিপদগ্রস্থ হইতে শান্তির আলো দেখাতে পারে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা নিজের জন্ম তারিখ ও সময় জানেন না। এর জন্য আমরা উক্ত ব্যাক্তিদের পেশা বা ব্যাবসায়ায় মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি সাধনের পরামর্শ উল্লেখ করলাম। আশা করি এইসব টোটকা বিচারে নিশ্চই অনেকটা লাভবান হবেন।

চাকরিতে প্রমোশন বহুব্যাক্তি আছেন যারা নিজের কর্মক্ষেত্রে খুবই দায়িত্ব অনুসারে কাজ করার পরেও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ পদোন্নতি করতে পারছেন না। বা বেতন বৃদ্ধি হচ্ছেনা। তার জন্য কী করবেন ?

১। ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলিতে বার্মিস চুনী ৪/৬ রতি ধারণ করবেন।
২। প্রতিদিন তামার ঘটিতে জল নিয়ে সূর্য্যদেবকে উৎসর্গ করে প্রনাম করবেন। ঔঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় ১০০বার

ডাক্তারী যে ব্যাক্তিরা ডাক্তারী পেশায় রয়েছেন, কিন্তু ভালো ডাক্তার হওয়া সত্বেও পেশায় সে রকম সুবিধা পাচ্ছেন না তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের অনামিকাতে বার্মিস চুনী ৪/৬ রতি ধারণ করবেন।
২। ডান হাতের কনিষ্ঠাতে পান্না ৫/৬ রতি ধারণ করবেন।

ওকালতি যারা ওকালতি পেশায় কোন রকম সুবিধা করতে পারছেন না। তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের কনিষ্ঠায় ৬/৭ রতি পান্না ধারণ করবেন।
২। প্রতি বুধবারে কলাগাছে জল দেবেন। সঙ্গে প্রতি বুধবারে সবুজ সুতা হাতের কব্জিতে ধারণ করবেন।

খাদ্যদ্রব্য ব্যবসায়ী যে সকল ব্যাক্তিরা খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা করেন যেমন মুদিখানা, বেকারি প্রভৃতি ব্যবসা করেন কিন্তু ব্যবসায়ে বিশেষ উন্নতি হচ্ছেনা তারা কী করবেন ?

১। ডান হাতের তর্জনীতে পীতপোখরাজ ৪/৫ রতি অথবা গোল্ডেন টোপাজ ১৫/১৬ রতি ধারণ করবেন।
২। প্রতি বৃহস্পতিবারে কলা গাছে জল দেবেন এবং গুড় ও ছোলা কোন লাল রঙের গরুকে খাওয়াবেন।

বস্ত্রব্যবসায়ী যে সব ব্যাক্তিরা বিভিন্ন বস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অথচ ব্যবসায়ে বিশেষ উন্নতি করতে পারছেন না তারা কী করবেন ?
১। যদি শাড়ি / হোসিয়ারী / শিশুদের পোষাক বিক্রতা হন তবে ডান হাতের তর্জনীতে ৪ - ৬ রতি পীত পোখরাজ ধারন করবেন। অথবা গোল্ডেন টোপাজ ১৫/ ১৬ রতি ধারণ করবেন।

২। যদি পুরুষ/ মহিলাদের পোশাকের রেডিমেড ব্যবসায়ী হন তবে হলুদ জারকণ ৫/৬ রতি মাধ্যমাতে ধারণীয়। ৩। যদি সূতা বা থান ব্যবসায়ী হন তবে ডান হাতের তর্জনীতে ৪/৫ রতি পীত পোখরাজ অথবা ১৫/১৬ রতি গোল্ডেন টোপাজ সঙ্গে ১০/১২ রতি মুক্তা বিশেষ ফল দায়ক।

গৃহ নির্মান ব্যবসায়ী যে ব্যক্তিরা গৃহনির্মান কাজে যুক্ত আছেন কিন্তু ব্যবসায়ে কোন উন্নতি করতে পারছেন না তারা কী করবেন ?
১। যে ব্যাক্তিরা গৃহনির্মান কাজে যুক্ত বা গৃহ নির্মান সামগ্রী বিক্রয় করেন তারা ১০/ ১২ রতি রক্ত প্রবাল ধারণ করবেন।
২। যারা হার্ডওয়ার স‍্যানেটারি বা ফিটিং সংক্রান্ত ব্যবসা করেন তারা ৩/৪ রতি নীলা ধারণ করবেন।

৩। যারা বাড়ি / জমির দালালী করেন তারা ৮/১০ রতি রক্ত প্রবাল ধারণ করবেন।

দালালী ব্যবসা বহু লোক আছেন ক্রেতা ও বিক্রতার মধ্যে সমন্ময়ে সাধন করে, এবং বিনিময়ে একটা লভ্যাংশ পান এই ধরণের ব্যাবসায়ীদের দালাল বা broker বলে। যারা এই ব্যাবসা করছেন কিন্তু কোন ভালো ফল পাচ্ছেনা তারা কী করবেন?
১। এই দালালী ব্যবসা করা ব্যাক্তিগণ ডান হাতের কনিষ্ঠাতে পান্না ৪-৬ রতি ব্যাবহার করবেন।
২। প্রতি বুধবারে শ্রীশ্রী গনেশ পূজা করবেন।

বিউটি পার্লার /সেলুন ব্যবসা যে সকল মহিলারা বিউটি পার্লার চালান বা যেসকল পুরুষরা সেলুন বা বিউটি পার্লার ব্যবসা করেন অথচ ব্যবসা ভালো ভাবে চলছেনা তারা কি করবেন ? ১। যিনি সেলুন বিউটি পার্লারের মালিক তিনি ডানহাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতি ওজনের মুক্তা ধারণ করবেন।
২। যিনি মহিলা বিউটিসিয়ান তিনি ডান হাতের মধ্যমাতে একটি সাদা জারকন ৪-৬ রতি এবং বাম হাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতির মুক্তা ধারণ করবেন।

গাড়ী ব্যাবসায়ী আমাদের সমাজে দুইরকম গাড়ি ব্যবসায়ী আছে। একপ্রকারের নিজের গাড়ির ব্যবসা। আর এক প্রকার অন্যের গাড়ি ভাড়াতে চালিয়ে ব্যবসা করেন। যেমন ট্রাভেলার্স বা ট্রান্সপোর্ট মালিক। এই সব ব্যবসায়ী লোক অন্যের গাড়িও ভাড়াতে খাটান। এই ব্যাবসায় লাভবান না হলে কী করবেন?
১। নিজস্ব গাড়ি থাকা সত্বেও যদি লাভবান হতে না পারেন তাহলে ডান হাতের কনিষ্ঠাতে ৩/৪ রতির একটি ক্যাটসআই ধারণ করবেন। প্রতি শনিবারে শনিমন্দিরে আতপচাল কালো তিল লালবাতাসা দিয়ে পূজো করবেন।
২। দ্বিতীয় জন ট্রেভেলস বা ট্রেন্সপোর্টের ব্যবসা ভালো না চললে ডানহাতের অনামিকাতে ১০-১২ রতি মুক্তো এবং কনিষ্ঠাতে ৩/৪ রতির ক্যাটসআই ধারণ করবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180615071912

Thursday, June 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অন্নদান ও অপুত্রযোগ

অন্নদান ও অপুত্রযোগ

অন্নদানযোগ:

সংজ্ঞা

দ্বিতীয়পতি লগ্নের দশমে অবস্থিত হয়ে বুধ এবং বৃহস্পতি কর্তৃক যুক্ত হলে বা বুধ বা বৃহস্পতি কর্তৃক পূর্ণদৃষ্ট হলে অন্নদানযোগ সাধিত হবে|

ফলাফল : এরূপ-যোগযুক্ত জাতক অত্যন্ত অতিথি পরায়ণ হবে, এবং এরূপ জাতক বহু লোকের অন্ন জোগাবে৷
পাশের চারটি দেখুন দ্বিতীয়পতি বুধ বৃহস্পতি সহ অবস্থিত হওয়ায় অন্নদান যোগের সার্বিক শর্তই পরিপুরিত হয়েছে। জাতক দানশীলতার জন্য খ্যাতি লাভ করেছিল এবং তাঁর প্রদত্ত সাহায্যে বহু ব্রাহ্মণ দরিদ্র ও অসহায় প্রতিপালিত হয়েছে।
মন্তব্য :
হিন্দু ধর্মে ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করা এক মহান কর্তব্য বিশেষ। একে নরনারায়ন সেবাই বলা হয়।

অপুত্রকযোগ :

সংজ্ঞা

পঞ্চমপতি লগ্নের ষষ্ঠে, অষ্ঠমে বা দ্বাদশে অবস্থিত হলে অপুত্রকযোগ সাধিত হবে৷

ফলাফল :
এরূপ জাতক-জাতিকার পুত্রাদি হবে না।

মত্তব্য :
সাধারণভাবে পঞ্চম পতি লগ্নের ষষ্ঠ অষ্টমে বা দোষে অবস্থিত হলে এরূপ জাতক-জাতিকার কোন সন্তানাদি হয় না। কিন্তু পঞ্চম স্থানে কোন শুভ গ্রহ অবস্থিত হলে এই যোগ বাতিল হয়ে যাবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180614141403

Thursday, June 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশ ভাবে চতুর্থ অধিপতীর অবস্থান গত ফলাফল

দ্বাদশ ভাবে চতুর্থ অধিপতীর অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে চতুর্থাধিপতি অবস্থানগত ফলাফল

১)চতুর্থাধিপতি লগ্নে থাকলে --

জাতক শাস্ত্রজ্ঞ ও পিতার নামে বিখ্যাত হয়।

২) চতুর্থাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে

জাতক ভোগবিলাসী, আত্মীয় পরিবেষ্টিত বহুসম্পদযুক্ত হয়।

৩) চতুর্থাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে
জাতক গুণী স উপার্জনে ধনবান হলেও জাতক ধনবান হলেও পিতামাতার বিষয়ে অসুখী হয়৷
৪)চতুর্থাধিপতি চতুর্থে থকলে -~--

জাতক ঐশ্বর্য্যবান, সম্মানী, বিদ্বান ও বুদ্ধিমান হয় ।

৫)চতুর্থাধিপতি পঞ্চমে থাকলে

জাতক সুখী, জনপ্রিয় ও স্ব-ঊপার্জনে ধনী হয় ৷

৬)চতুর্থাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে --

জাতক কুচিন্তাযুক্ত, ক্রোধী ও বহুমাতা যুক্ত হয়৷ পিতার সম্পত্তির ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে৷

৭)চতুর্থাধিপতি সপ্তমে থাকলে ---

জাতক স্বেচ্ছায় পিতৃধন ত্যাগ করে, বহু বিদ্যায় পারদর্শী হয়৷

৮)চতুর্থাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---জাতক আর্থিক কষ্ট জনিত মানসিক অশান্তিভোগ করে৷৷ স্ত্রী সম্ভোগে বিঘ্ন হয়৷

৯)চতুর্থাধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক নিজ উপার্জনে ধনবান ও ধর্মপরায়ণ হয়৷

১০)চতুর্থাধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক সুখী, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মর্যাদাযুক্ত ও ভাগ্যবান হয়।

১১)চতুর্থাধিপতি একাদশে থাকলে --
জাতক উদার, ভাগ্যবান কিন্তু রোগগ্রস্ত হয়৷

১২) চতুর্থাধিপতি দ্বাদশে থাকলে ---

জাতক স্রীসন্তোগে অক্ষমতাজনিত কারণে ও আর্থিক কারণে কষ্ট ভোগ করে৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180614083931

Thursday, June 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্ব ও বিশ্নেষন

জোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্ব ও বিশ্নেষন

জোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্ব ও বিশ্লেষণ

কোন ব্যক্তির জন্ম কুণ্ডলী থেকে কিছু প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিশ্লেষণ করা মোটামুটি সহজ হবে বলে মনে হয়।১জন খ্যাতনামা ব্যক্তির কুণ্ডলী বিচার করে নির্দিষ্ট গ্রহের দশায় তাদের জীবনের বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটার কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। যে সব নিয়ম কাজে লাগিয়ে এই বিশ্লেষণ করা হয়েছে তা সবই বিভিন্ন অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

একটা কথা মনে রাখা দরকার। ভবিষ্যতের ঘটনা সম্বন্ধে পূর্বাভাষ দেওয়া কিন্তু অতীতের কোন ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার থেকে অনেক কঠিন। কারণ, বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান এবং পারস্পরিক প্রভাব থেকে অনেক সম্ভাব্য ঘটনার চিত্র ফুটে ওঠে; প্রতিটির জন্যই যুক্তি দেওয়া যায়; কিন্তু সব গুলিই ত ঘটেনা। ঘটে কেবল একটি নির্দিষ্ট ঘটনা। অতীতে যেটি ঘটে গিয়েছে সেটার স্বপক্ষে ( অবশ্যই নিয়ম মেনে ) যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করে বাকি গুলি বাদ দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু যে ঘটনা গুলি ঘটতে পারতো অথচ ঘটল না, সে গুলি কেন ঘটল না সেটা ব্যাখ্যা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকে না। কিন্তু ভবিষ্যত সম্বন্ধে বলতে গেলে কোনো একটি ঘটনাকে নির্দিষ্ট করে বের করে নিয়ে আসতে হবে। সেটার জন্য যে নিয়ম গুলি আগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেগুলি অবশ্যই প্রয়োজনীয় তবে সব সময়ে শুধু সেগুলিই যথেষ্ট নয়। বহু সম্ভাবনার মধ্যে বেশ কিছু ছেঁটে ফেলে কয়েকটিকে চিহ্ণিত করে পরবর্তী স্তরে পরিসর আরও ছোট করে সর্বাধিক সম্ভাবনাময় একটিকে নির্দিষ্ট করতে হলে শুধু নিয়ম ছাড়াও ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সহজাত জ্ঞান (intuition) যথেষ্ট সহায়ক হয়। দেশ কাল ও পাত্রের বিবেচনা ত আছেই।

ফলিত জ্যোতিষের মূল কথা হল , ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঘটনা সম্বন্ধে আলোকপাত করা । এটা না হলে শুধু তত্ব আলোচনা করলে বা বিভিন্ন প্রামাণ্য গ্রন্থ থেকে সূত্র উদ্ধৃত করে কোন লাভ নেই ; এতে বড় জোর কোথাও বক্তৃতা করার বা প্রবন্ধ লেখার সুবিধা হতে পারে মাত্র। প্রাথমিক ভাবে যা আলোচনা করা হয়েছে সেটা ছাড়া পরবর্তী পর্যায়ে যে বিষয়গুলি অবশ্যই জানা বা করা দরকার সেগুলি হল -

(ক) গোচর ফল (effect of transit)
(খ) বর্গ বিভাগ ও তার বিশ্লেষণ ( use of Divisional Charts )
(গ) অষ্টকবর্গ পদ্ধতি
(ঘ) জৈমিনী পদ্ধতিতে কুণ্ডলী বিশ্লেষণ
(ঙ) পূর্বে বর্ণিত এবং উপরে উল্লেখ করা বিষয় সব গুলি একত্রে বিচার করে একটি নির্দ্দিষ্ট ফলে উপনীত হওয়া । এতে হয়ত ভবিষ্যতের একটি সম্ভাব্য ঘটনার আভাষ পাওয়া যেতে পারে ।
(চ) প্রতিকারের উপায়

খুব সংক্ষেপে কয়েকটি কথা বলে বর্তমান আলোচনার উপসংহারে পৌঁছন যাক ।

(১) জন্ম কুণ্ডলীতে অর্থাৎ একটি ন্র্দিষ্ট কাঠামোয় সন্নিবেশিত লগ্ন এবং নয়টি গ্রহের ( রাহু ও কেতু সহ ) অবস্থান দেখেই কোন ব্যক্তির শারীরীক গঠন , তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য , মানসিক গঠন , তার ব্যবহার , জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যা যা ঘটবে এবং তজ্জনিত ঐ ব্যক্তির মানসিক প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্বন্ধে কুণ্ডলীটি দেখে গড় গড় করে বলে যাওয়া যে সহজ কাজ নয় সেটা সহজেই বোঝা যায় । এর মধ্যে আবার রয়েছে কিছু বিষয় সম্বন্ধে বিভিন্ন মত - এদের মধ্যে কোনটি গ্রহণীয় সেটাও অভিজ্ঞতা দিয়ে ঠিক করতে হবে । জ্যোতিষশাস্ত্রে বহু কিছু লিপিবদ্ধ হয় নি ; বেশ কিছু বিষয় চিরকালের জন্য লুপ্ত হয়ে গিয়েছে । বিতর্কিত বিষয় গুলি নিয়ে কোন একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে গেলে এ নিয়ে গবেষণার যথেষ্ট প্রয়োজন ও সুযোগ রয়েছে

(২) একটি বিভ্রান্তিকর বিষয় হচ্ছে অযনাংশ । অনেকে লাহিড়ী অয়নাংশ ব্যবহার করেন , অনেকে আবার রমনের অয়নাংশ মেনে চলার পক্ষপাতী । এ ছাড়া অন্যান্য অয়নাংশও রয়েছে । লাহিড়ী ও রমন অয়নাংশের মধ্যে তফাৎ মোটামুটি ১ ডিগ্রি ২৭ মিনিট ; অর্থাৎ লহিড়ীর অয়নাংশ ধরে গ্রহস্ফুট বের করলে সেটা রমনের গ্রহস্ফুট থেকে ১ ডিগ্রি ২৭ মিনিট কম হবে ; এর প্রভাব বর্গ বিভাগেও ( নবাংশ সহ ) পড়তে পারে । মনে হয় এখন অধিকাংশ জ্যোতিষী , অন্তত উত্তর ভারতে , চিত্র পক্ষ অয়নাংশ বা লাহিড়ী অয়নাংশ ব্যবহারের পক্ষপাতী । এ রকম ভিন্ন মত আরও অনেক বিষয় সম্বন্ধে রয়েছে ; তার মধ্যে একটি হল - শিক্ষা লাভের বিষয়টি । সন্তানের পড়াশোনা কেমন হবে , উচ্চশিক্ষা হবে কি না ইত্যাদি খুবই সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকেই এটা জানতে চান , সেটাই স্বাভাবিক । যেটা নিয়ে মতভেদ সেটা হল , শিক্ষা কোন ভাব থেকে বিচার্য - ৪র্থ না ৫ম ? এর কারক গ্রহই বা কি ? বুধ না বৃহস্পতি , না কি দুটিই ? অনেকে আবার ২য় ভাবটিকেও বিদ্যালাভের সঙ্গে যুক্ত করেন । এ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হয়েছে , বাকিটা পাঠকেরা আরও পড়াশোনা করে নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করা যায় ।

(৩) অপর একটি বহু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল বিবাহ কখন হবে , বিবাহিত জীবন সুখের হবে কি না , আয়ুর পরিমাণ কত ইত্যাদি । আয়ু নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন, হয় ত সেই জন্যই বলা হয় জন্ম , মৃত্যু , বিবাহ ভগবানের হাতে । আয়ু নির্ণয়ের বহু নিয়ম আছে , কোন একটি নিয়ম সঠিক ফল দেয় না । আমার মনে হয় শাস্ত্রোক্ত নিয়ম গুলি ছাড়াও লগ্ন ও লগ্ন পতির বল , অন্যান্য গ্রহের অবস্থান ও তাদের বল থেকে সামগ্রিক ভাবে বিচার করলে একট মোটামুটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে ।

(৪) বর্গবিভাগ সম্বন্ধে ৬ষ্ঠ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে। রাশিচক্র প্রস্তুত করার সময়ে ৩৬০ ডিগ্রিকে ১২ টি সমান ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকটি রাশির জন্য ৩০ ডিগ্রি নির্দিষ্ট করা হয়। কিন্তু এই ৩০ ডিগ্রির মধ্যে কোন গ্রহ সব অবস্থানের জন্যই সমান ফল দান করে না। সেটার জন্য একটি রাশিকে আরও ভাগ করার প্রয়োজন হয়। কোন রাশিকে ৯ ভাগ করে প্রতিটি অংশ ৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট ধরে নবাংশ প্রস্তুত করার পদ্ধতি ৬ষ্ঠ অনুচ্ছেদেই আলোচনা করা হয়েছে। নবাংশ বর্গের গুরুত্ব সব জ্যোতিষীই স্বীকার করেছেন। জন্ম কুণ্ডলী বিশ্লেষণে নবাংশকে রাশি চক্রের পরেই সর্বাধিক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়।

শুধু রাশিচক্র এবং নবাংশ থেকে অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্তে আসা খুব সহজ নয় - এ কথা আগেও বলা হয়েছে ; রাশিচক্রে সন্নিবিষ্ট গ্রহ গুলি থেকে তাদের পারস্পরিক সম্বন্ধ বা প্রভাব বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছোন কঠিন ; এর জন্য বিভিন্ন বর্গ বিভাগের প্রয়োজন । এ সম্বন্ধে একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে ; এটি গায়ত্রী দেবী বাসুদেবের ( প্রয়াত জ্যোতিষী বি. ভি. রমনের সুযোগ্যা কন্যা ) 'Modern Astrology' থেকে নেওয়া , তবে বর্তমান আলোচনায় রমন অয়নাংশের পরিবর্তে লাহিড়ী অয়নাংশ ব্যবহার করা হয়েছে । ছকটি বিখ্যাত শিল্পপতি ধিরুভাই আম্বানির ।

ধিরুভাই আম্বানির জন্ম তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর , ১৯৩২ খৃষ্টাব্দ । সময় সকাল ৬ - ৩৭ মিনিট ; স্থান : Chorwad, GujraT; 21 N 30, 70 E 30 ; ভোগ্য দশা : শুক্র ৮ বছর ৪ মাস ১ দিন । ছকটির রাশিচক্র (Natal Chart) এবং নবাংশ বর্গটি (D9) যথাক্রমে ১৬(১)ক ও ১৬(১)খ চিত্রে দেখান হয়েছে । অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম ধিরুভাই-এর , পড়াশোনা ম্যাট্রিক পর্যন্ত । প্রথম জীবনে তীর্থযাত্রীদের খাবার বিক্রি করে এবং পরে একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করতেন । ১৯৫৮ সালে মশলার ব্যবসা এবং পরে ৭০-এর দশকে Reliance Textile তাকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দেয় । সফল শিল্পপতি হিসাবে তার নাম এখন সবারই জানা । কিন্তু কুণ্ডলীটি পরীক্ষা করলে এই সাফল্য বোঝা যায় কি ? কুণ্ডলীতে সফলতার কারণ হিসাবে যেটা পাওয়া যায় সেটি হল লগ্নপতি বৃহস্পতির ১০মে ( সেটাও মিত্র ক্ষেত্রে নয় ) এবং ৯ম পতি রবির লগ্নে অবস্থান । অপর দিকে অশুভ দিকটাও যথেষ্ট প্রকট । ১১শ পতি শুক্র ও ১০ম পতি বুধের ১২শে অবস্থান কর্মক্ষেত্র ও অর্থলাভের পক্ষে মোটেই অনুকূল নয় । নবাংশ চক্রেও ১০ম ও ১১শ পতি শনি এবং ৯ম পতি বৃহস্পতি নীচস্থ , ২য় পতি শুক্রের লগ্নপতির সঙ্গে যুক্ত ভাবে ৮মে অবস্থানও মোটেই শুভ নয় । অতএব রাশিচক্র ও নবাংশ থেকে সাফল্যের সম্পূর্ণ চিত্রটি একেবারেই ফুটে ওঠে না । অর্থাৎ রাশি ও নবাংশের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বললে সেটা না মিলবার সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে । আগে উল্লেখ করা হয়েছে জীবিকা সম্বন্ধে জানার জন্য দশাংশ বর্গ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন । দশাংশ বর্গটি (D10) ১৬(১)গ চিত্রে দেখান হয়েছে । দশাংশটি পরীক্ষা করলে দেখা যাবে লগ্ন ও ৪র্থ পতি বৃহস্পতির সঙ্গে ১১শ ( ও ৬ষ্ঠ ) পতির স্থান বিনিময় হয়েছে, যেটা ধন লাভের সহায়ক । ২য় পতি শনি ও ১১শ পতি শুক্র লগ্নে যুক্ত , এটিও খুব কার্যকরী । ৯ম পতি রবি তুঙ্গী এবং ৫ম পতি মূলত্রিকোণস্থ মঙ্গলের সঙ্গে ৫মে যুক্ত । অর্থোপার্জন ও ভাগ্যোন্নতির পক্ষে বিশেষ সহায়ক । চন্দ্রও স্বক্ষেত্রে অবস্থিত । চন্দ্র লগ্ন থেকেও রাজযোগকারী মঙ্গল ২য় পতি রবির সঙ্গে ১০মে অবস্থিত । উভয় গ্রহই শক্তিশালী । চিত্রটি এখন যথেষ্ট পরিষ্কার । অতএব বোঝা গেল , শুধু রাশিচক্র ও নবাংশ থেকে বিচার করলে সৌভাগ্য ত দূরের কথা বিপরীত ফল নির্দেশের সম্ভাবনা ছিল । অবশ্য সব কুণ্ডলীতেই এত অস্পষ্টতা থাকবে তা নয় , তবে রাশিচক্র এবং নবাংশ থেকে যদি জোরাল ভাবে ফল লাভের সম্ভাবনা দেখা যায়, তবে সেটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে বলা যেতে পারে

এবার ধিরুভাই-এর অপর একটি বর্গ নেওয়া যাক । আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ধন লাভের সম্ভাবনা পরীক্ষা করর জন্য হোরা (D2) বর্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । হোরা বর্গ তৈরী করার বিভিন্ন নিয়ম আছে , এখানে কেরল হোরা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে । এটি ১৬(১)ঘ চিত্রে দেখান হয়েছে । কেরল হোরায় ২য় পতি ২য়ে স্বক্ষেত্রে , ৯ম পতি রবি লগ্নে ৫ম পতি মঙ্গল দৃষ্ট ; তুঙ্গী ১০ম পতি বুধ , লগ্ন ও ৪র্থ পতি বৃহস্পতি এবং নীচভঙ্গ ১১শ পতি শুক্রের সঙ্গে ১০মে যুক্ত এবং ৫ম পতি মঙ্গল দ্বারা দৃষ্ট - ধনলাভের অত্যন্ত সহায়ক । বর্গ বিভাগের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব এবার নিশ্চয়ই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে । অপর একটি লক্ষণীয় বিষয় হ'ল , বর্গ-বিভাগ করলে দেখা যাবে , ধিরুভাই-এর লগ্নটি রশিচক্র সহ দ্রেক্কন , চতুর্থাংশ , সপ্তাংশ , দশাংশ , দ্বাদশাংশ ও ষোড়শাংশতে ধনু রাশিতে পড়েছে ; এর ফলে লগ্নটি অত্যন্ত বলবান হওয়ায় সফলতার সহায়ক হয়েছে ।

(৫) এবার একটি উদাহরণের মাধ্যমে অপর একটি বিষয় সম্বন্ধে কিছুটা আলোকপাত করা হবে । অনেক সময় দেখা যায় কোন ব্যক্তির লগ্ন কোন রাশির একেবারে প্রথমে বা শেষে গিয়ে পড়েছে ; যেমন কারো লগ্ন মিথুন রাশির ২৯ ডিগ্রি ২০ মিনিট বা ধনু রাশির শূণ্য ডিগ্রি ৪০ মিনিট । এখানে একটা প্রশ্ন মনে আসতেই পারে যে , লগ্নটি কর্কট বা বৃশ্চিক নয় তো ? কারণ , ৪ মিনিটের হেরফের হলেই লগ্ন ১ ডিগ্রি সরে যেতে পারে এবং চার পাঁচ মিনিটের তফাৎ হওয়াটা আশ্চর্যজনক কিছু নয় ; ঘড়িটি হয় ত ঠিক সময় দিচ্ছিল না বা জন্ম মুহূর্তের ঠিক সময়টি দেখে লিখে রাখা হয় নি । এই ধরণের লগ্ন হলে , সঠিক উপায় হল জীবনের কিছু অতীত ঘটনার সঙ্গে কুণ্ডলীটি মিলিয়ে দেখা ।

(৬) অষ্টকবর্গ ও জৈমিনি দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিচার পদ্ধতি ; এক কথায় এটা বলা সম্ভব নয় । বই-এর নাম দেওয়া হচ্ছে , ইচ্ছুক পাঠকেরা পড়ে দেখতে পারেন ।

(৭) সবার শেষের প্রশ্ন বিরূপ গ্রহের কি কোন প্রতিকার আছে ? একটা কথা প্রথম পরিচ্ছেদেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে , মানুষ পৃথীবিতে এসে তারই সঞ্চিত কর্মফল ভোগ করে । এমন কোন ব্যবস্থা হতে পারে না যার দ্বারা বিরূপ কর্মফলকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করা যায় - এটা সৃষ্টির নিয়ম বিরুদ্ধ । মানুষ যতই পাণ্ডিত্য দেখাক আর হাত পা নেড়ে বক্তৃতা দিক , পরিশেষে তাকে সেই প্রকৃতির অধীনেই থাকতে হয় । গ্রহ রত্ন ধারণে হয় ত কিছুটা কাজ হয় , হতেও দেখেছি , কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত । এই তত্ত্বে বিশ্বাস করলে মানুষের অসুখও ভোগ করে কর্মফলের জন্য , তা বলে কি ওষুধে কাজ হয় না ? কিন্তু সব অসুখ কি ওষুধে সম্পূর্ণ নির্ম্মূল হয় ? এরও একটা সীমা আছে - ঠিক একই নিয়ম রত্ন ধারণ বা অন্যান্য প্রতিকার সম্বন্ধে খাটে । তবে আপত্তিটা অন্যখানে । বিপদে পড়লে বহু লোকই অসহায় বোধ করেন এবং তখন তারা প্রতিকারের জন্য জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হন এবং তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অজ্ঞ বা স্বল্পজ্ঞানী ব্যক্তি নিজেকে অভিজ্ঞ বলে জাহির করে প্রতিকারের নামে লোককে ঠকান । এটা সমর্থনযোগ্য ত নয়ই বরং অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ । এর জন্য এই শাস্ত্র সম্বন্ধেও মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ।

যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী , তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন । এতে কাজও হয় । হয় ত অল্পের উপর দিয়ে ভোগ হয়ে যায় , বাকীটা ত ভোগ করতেই হবে ।
যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী নন , তারা স্বাভাবিক ভাবেই জ্যোতিষ শাস্ত্রকেও বিশ্বাস করবেন না - কারণ এ দুটির কোনটিই কোন গবেষণাগারের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে অথবা গণিতের সাহায্যে প্রমাণ করা যায় না । অতএব তাদের জন্য এসব কিছুরই প্রয়োজন নেই । যারা প্রতিকার ও রত্ন ধারণ সম্বন্ধে জানতে চান , বই পড়ে নিতে পারেন ।

কৌতূহলী পাঠকদের সুবিধার জন্য অল্প কয়েকটি বই এর নাম নীচে দেওয়া হল ; পড়ে দেখতে পারেন । প্রাপ্তিস্থান ও দাম জানতে ইন্টারনেটের সাহায্যে Vani Publication, Delhi এবং Agrany Publications, Bangalore -র ওয়েব সাইট দেখতে পারেন । শুভেচ্ছা রইল ।

১. How to judge a horoscope vol I -B. V. Raman
২. How to judge a horoscope vol II-Gayatri Devi Vasudev
৩. Advanced priciples of prediction- Gayatri Devi Vasudev
৪. The art of prediction in astrology-Gayatri Devi Vasudev
৫. My experiences in astrology-B. V. Raman
৬. Ashtakavarga system of prediction-B. V. Raman
৭. Studies in Jaimini astrology-B. V. Raman
৮. Astrology,destiny and wheel of time-K. N. Rao
৯. Predict comprehensively through divisional charts-K. N. Rao
১০. Interpreting divisional horoscopes (Innovative approach through the destinies of twins)-K. N. Rao
১১. Timing of events through vimshottari dasha-K. N. Rao
১২. Predicting through Jaimini঑s chara dasha-K. N. Rao
১৩. Planets and education-K. N. Rao
১৪. Astrology and timing of marriage-K. N. Rao
১৫. How to identify significant events (through transit)-V. K. Choudhry
১৬. জাতক কৌমুদী - কালীপদ ভট্টাচার্য
১৭) website:www.apnc.co.in
১৮) page : Astro-Palmist-Neumerology Center

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180614082448

Thursday, June 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশভাবে তৃতীয় অধিপতীর অবস্থানগত ফলাফল

দ্বাদশভাবে তৃতীয় অধিপতীর অবস্থানগত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বাদশভাবে তৃতীয়াধিপতির অবস্থানগত ফলাফল:
১)তৃতীয়াধিপতি লগ্নে থাকলে --

জাতক ভাগ্যবান

স্ব উপার্জিত হয় ধনে ধনী হয়৷ বিদেশ যাত্রা ঘটে ৷ যানবাহনের অধিকারী হয়।

২)তৃতীয়াধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে

ভাগ্যবান হয় জাতক অলস, নারীপ্রিয় কিন্তু মধুরভাষী

৩) তৃতীয়াধিপতি তৃতীয়ে থাকলে --

জাতক মর্যাদাসম্পন্ন, পরাক্রমী,অহংকারী সর্বকর্মে উদ্যোগী হয়।

৪) তৃতীয়াধিপতি চতুর্থে থাকলে --

জাতক পারিবারিক কারণ মানসিক অশান্তি ভোগ করে তবে আর্থিক গুরুত্ব বজায় থাকে৷

৫) তৃতীয়াধিপতি পঞ্চমে থাকলে ব্যক্তি উদার হয় জাতক ধনবান, সুপুত্রবান, সুখী হয়।

৬) তৃতীয়াধিপতি ষষ্ঠে থাকলে --

জাতক ভ্রাতার বিষয়ে অশান্তি ভোগ করে ৷ নেত্র রোগের সম্ভাবনা থাকে৷

৭) তৃতীয়াধিপতি সপ্তমে থাকলে --

জাতকস্থীর বিষয়ে সুখী হলেও আত্মীয় বিরোধ মানসিক অশান্তির কারণ হয়৷

৮)তৃতীয়াধিপতি অষ্টমে থাকলে --~

জাতক দৈহিক ও মানসিক কষ্ট ভোগ করে৷ ভ্রাতকষ্ট পায় ৷

৯) তৃতীয়াধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক ভ্রমণশীল, কীর্তিমান ও ভ্রাতৃপ্রিয় হয় ৷ বিবাহের পর বা বিবাহ দ্বারা ভাগ্যের
সুপরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে৷

১০) তৃতীয়াধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক ধনবান, বুদ্ধিমান, মাতৃভক্ত ও নারীপ্রিয় হয়৷

১১) তৃতীয়াধিপতি একাদশে থাকলে --
সংগীতজাতক জনপ্রিয়, রাজমর্যাদাযুক্ত এবং স্বঊপার্জনে ধনী হয় ৷ গ্রন্থরচনা প্রতিভা বিকাশে সহজে সফলতা আসে৷

১২) তৃতীয়াধিপতি দ্বাদশে থাকলে ---

পিতার বিষয়ে মানসিক কষ্ট থাকে৷ বন্ধুদের দ্বারা পরিত্যক্ত বা শত্রুতার সম্ভাবনা থাকে৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180614082029

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাতরোগ যোগ

বাতরোগ যোগ

বৃহস্পতি লগ্নে অবস্থিত হলে এবংশনি সপ্তমে অবস্থিত হলে বাতরোগ
যোগ সূচিত হবে!

ফলাফল
এরূপ জাতক গ্যাসট্রিক (বায়ু)ট্রাবেলে কষ্ট পাবে! অধিকন্ত বাতরোগ জনিত
কারণেও কষ্ট পাবে!

মত্তব্য

বৃহস্পতি লগ্নে এবং শনি সপ্তমে অবস্থিত হলে দিকবল প্রাপ্ত হয়ে থাকে৷
এতে আর্থিক দিক থেকে রাজযোগ সূচিত হলেও শারীরিক দিক থেকে শুভত্ব সূচক
নয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613231052

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অন্ধ ও অপকীর্তি যোগ

অন্ধ ও অপকীর্তি যোগ

শুভ সন্ধ‍্যা
দুটি অশুভ যোগ নিয়ে বলছি:

অন্ধ যোগাদি
জন্ম কুণ্ডলী তে যদি চন্দ্র ও বুধ লগ্নের দ্বিতীয় অবস্থিত হয় অথবা লগ্নপতি এবং দ্বিতীয় অধিপতি যদি লগ্নের দ্বিতীয়ে রবির সঙ্গে অবস্থিত হয় তাহলে জন্ম কুণ্ডলী তে অন্ধ যোগসূচিত হয়
ফলাফল এরূপ জাতক-জাতিকা জন্মান্ধ হবে অথবা এদের চোখ বিশেষ দোষযুক্ত হবে

অপকীর্তিযোগ ---

লগ্নের দশমে রবি ও শনি অবস্থিত হয়ে অশুভ গ্রহের নবাংশে অবস্থিত হলে
বা পাপগ্রহ দ্বারা পূর্ণদৃষ্ট হলে অপকীর্তিযোগ সাধিত হবে!

ফলাফল

এরূপ জাতক-জাতিকা অত্যন্ত অপবাদগ্রস্থ হবে

মন্তব্য:

খ্যাতি অনেকটা বুদ্ধুদের মতো, যে কোনো মুহূর্তে মিলিয়ে যেতে পারে-~
আর অখ্যাতি রটতে খুব বেশি সময়ও লাগেনা ৷ সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবার জন্য দশমস্থানে
শনি ও রবি যেন অবস্থিত না হয়, অথবা দশমস্থানে রবি থাকলে---সেই রবি যেন
শনি কর্তৃক পূর্ণদৃষ্ট না হয়, আবার দশমস্থানে শনি অবস্থিত হ'লে---সেই দশমস্থ
শনি ও রবি অণুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হবে অথবা দশমস্থ শনি ও রবি অশুভ গ্রহের নবাংশে অবস্তিত হলে ও সাময়িক ভাবে উক্ত জাতক জাতীকাকে অপবাদ গ্ৰস্থ হতে হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613230649

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অন্তেষ্টীক্রীয়া

অন্তেষ্টীক্রীয়া

অন্ত্যেষ্টি ক্রীয়া

বায়ুরনিলমম্রতামথেদম ভস্মান্তঃ শরীরম।
(যজুর্বেদ ৪০.১৫)

ভাষ্য-মৃত্যুর পর শাস্ত্রসম্মতভাবে পবিত্র বেদমন্ত্রে দাহ করাই প্রধান ধর্ম।

মৃত্যুর সময় করনীয়-কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে ঐ ব্যক্তিকে প্রান ত্যগের স্থান থেকে সরানো যাবেনা।শান্ত ও স্থিরভাবে প্রানত্যগ করবে।মৃত্যুর সময় কানে কোন পৌরানিক নাম প্রদান,টানা হেচড়া করা,বুকের উপর কোন ধর্ম বই রাখা,চিত্‍কার করা,ঢোল,খোল, করতাল বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো,নোংরা বিছানায় রাখা,কপালে বা শরীরে তিলক মাখানো কর্তব্য নহে।মৃত্যুর পর মৃত শরীরকে যত্নের সাথে একটি পরিস্কার স্থানে উত্তর দিকে মাথা ও দক্ষিন দিকে পদদ্বয় রেখে শুদ্ধ বিছানায় চিত করে শোয়াতে হবে।দুই চোখ,মুখ খোলা থাকলে বন্ধ করে দিতে হবে।দুই কান এবং দুই নাকের ছিদ্র তুলার সঙ্গে কর্পুর মিশিয়ে গুজে দিতে হবে।মৃত পুরুষকে পুরুষগন শুদ্ধ জলে স্নান করাবে এবং মৃত মহিলাকে মহিলাগন স্নান করাবেন।শুদ্ধ জলে নিম পাতা অথবা কুলপাতা মিশিয়ে জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল কুসুম কুসুম গরম হলে সেই জল দ্বারা মৃতকের শরীর সাবান সহযোগে স্নান করাতে হবে।স্নান শেষে নতুন পরিস্কার বস্ত্র পড়াতে হবে।শশ্মানে নেয়ার আগে পরিবারের সবাই মৃত ব্যক্তির নিকট দাড়াবে এবং ঈশ্বরের উদ্দ্যেশ্যে প্রার্থনা করবে। শশ্মানে নেয়ার সময় ঢোল বাজানো,কীর্তন,লম্ফ-ঝম্প,নিশান পোতা,খই বা পয়সা ছড়ানো,হরিবোল বলে চিত্‍কার করা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়।শান্তভাবে পবিত্র বেদের গায়ত্রী মন্ত্র অর্থসহ পড়তে পড়তে নীরবে মৃতকসহ চিতা এলাকায় যেতে হবে।চিতা এলাকায় বিড়ি,সিগারেট,গাজা,ভাং,মদ্যপান,মাদক গ্রহন,চিত্‍কার,কোলাহল,কীর্তন,গান বাজনা করা যাবে না।

প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি-বেল,আম,ডুমুর,তেতুঁল, শমী,পলাশ প্রভৃতি মোটা শুকনা কাঠ যা মৃত ব্যক্তির ওজনের অন্তত ৭গুন।বেশিও দেয়া যেতে পারে।এছাড়া হোমযজ্ঞের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যথা দুটি মাটির কলসি,একটি কোদাল,একটি কুড়াল,একটি দা,একটি প্রদীপ এবং সত্‍কার্যে চিতায় অগ্নি প্রবেশ করানোর জন্য পলতা,কর্পুর এবং পাঁচ থেকে পনের কেজি পর্যন্ত ধুপ বা ধুনা।

চিতায় অগ্নি প্রদান-
কার্পাস তুলা অথবা নতুন কাপড় দ্বারা পলতা তৈরী করে অথবা মশাল তৈরী করে ঘি এবং কর্পুর মিশিয়ে ঘৃতের প্রদীপ হতে অগ্নি গ্রহন করে মৃত ব্যক্তির মাথায় নিম্নভাগ হতে পদদ্বয়ের নিম্নভাগে নিম্নের মন্ত্রে আহুতি প্রদান করবে।সন্তান না থাকলে স্ত্রী,ভাই,বোন,নিজের বংশের লোক,শ্বশুরের বংশের লোক অথবা অন্য আত্মীয় চিতায় অগ্নি প্রদান করতে পারবে।যে কোন ভাবে মৃত ব্যক্তির(স্বাভাবিক মূত্যু,আত্মহত্যা, জলেডোবা,আগুনেপোড়া,
দুর্ঘটনায় মৃত) অবশ্যই দাহ্য কার্য বা সত্‍কার হবে।একমাত্র গর্ভপাতকৃত সন্তান এবং ৩ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে মাটিতে প্রথিত করতে হবে।এর পর বেদমন্ত্রে আহুতি দেয়া শুরু করতে হবে।

সত্‍কার বা দাহকার্যে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিগন স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পরে প্রয়োজনে আচমন করে পবিত্র ভাবে দাহ কার্যে অংশগ্রহন করবেন।দাহকার্য শেষে যদি শরীরে ময়লা লাগে তবে স্নান করতে হবে তবে অবশ্যই অশৌচ হয়েছে মনে করে স্নান করা যাবেনা।প্রানত্যগের স্থানে স্বস্তিবাচন,শান্তিপ্রকরন এবং হোমযজ্ঞ করতে হবে।মুখে অগ্নি প্রদান,উলঙ্গ করে দাহ করা,আতপ চালের ভাত খাওয়া,শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মন বা পুরোহিত ডেকে ষোল প্রকার দানের ব্যবস্থা করা,মাথার চুল কামানো,দশ,এগার তের পনের ষোল বা একমাসের নামে শ্রাদ্ধ নামক পাপাচার অনুষ্ঠান করা শাস্ত্রসম্মত নয়।
প্রতি মৃত্যুবার্ষীকিতে হোমযজ্ঞ,ধর্মানুষ্ঠান,অনাথ আশ্রমে দান,বিদ্যালয় বা ধর্মচর্চা কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি করা যেতে পারে।

সবসময় মনে রাখতে হবে যে মহাশত্রু হলেও মৃত ব্যক্তির সত্‍কারে সাহায্য করা উচিত।

বৃহদারন্যক উপনিষদ এ বলা হয়েছে-
এতদ বৈ পরমং তপো যত্‍
প্রেতমপ্লবভ্যা দধতি
(বৃহদারন্যক উপ. ৫.১১.১)
অর্থাত্‍ মৃতদেহ কাঁধে বহন করা এবং তা দাহ করা সর্বোচ্চ তপস্যা।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (সামাজিক অবস্থান)

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হিন্দুধর্মীয় সংস্কার বিশেষ। ‘অন্ত’ শব্দের অর্থ শেষ, ‘ইষ্টি’ শব্দের অর্থ সংস্কার। মৃত্যুর পরে হিন্দুদের শবদাহ ক্রিয়াকেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলে। দাহের আগে ঘি মাখিয়ে শবদেহ স্নান করানো হয়। তারপর চন্দন মাখিয়ে তার দু কান, নাকের দুটি ছিদ্র, দুটি চোখ ও মুখে মোট সাত টুকরা সোনা বা কাঁসা দিয়ে মৃতের উদ্দেশ্যে পিন্ড দান করা হয়। শব চিতায় স্থাপন করার পর তা তিনবার প্রদক্ষিণ করে পুত্র (প্রধানত জ্যেষ্ঠপুত্র) বা কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মুখাগ্নি করে। দাহকার্য শেষ হলে চিতাগ্নিতে এক এক করে সাত টুকরা ছোট কাঠ দিয়ে জ্বলন্ত চিতার উপর সাতবার আঘাত করতে হয়। তারপর যিনি মুখাগ্নি করেন তিনি সাত কলসি এবং অন্যরা এক এক কলসি জল দিয়ে চিতার আগুন নেভান। এরপর অদগ্ধ দেহাংশ, ভস্ম ইত্যাদি মাটির পাত্রে সংগ্রহ করে জলে ভাসানো হয়। স্নান করে বাড়ি ফিরে নিমপাতা দাঁতে কেটে আগুন, লোহা, মটর ডাল ইত্যাদি (মতান্তরে পাথর, আগুন, জল, গোবর, সাদা সরষে) স্পর্শ করে বাড়িতে ঢুকতে হয়।

শ্রাদ্ধ

শ্রাদ্ধ হিন্দুশাস্ত্রানুযায়ী পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশে এবং তাদের আশীর্বাদ কামনায় দান-ধ্যান ও অতিথিভোজন অনুষ্ঠান। সাধারণত মৃত ব্যক্তির সন্তান কিংবা আত্যীয়-স্বজনরা এ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। অবশ্য ব্যক্তি নিজেও মৃত্যুর পূর্বে এ কাজ করে যেতে পারে।

শ্রাদ্ধ প্রধানত তিন প্রকার: আদ্যশ্রাদ্ধ, আভু্যদয়িক বা বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ ও সপিণ্ডীকরণ। আদ্যশ্রাদ্ধ অশৌচান্তে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে করণীয়। বর্ণভেদে ব্যক্তির মৃত্যুদিবসের ৩, ১১, ১৫ অথবা ৩০ দিন পরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র বৈদিকরা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ৩ দিনে সম্পন্ন করে থাকে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এ-কদিন ফলমূল, নিরামিষ এবং লবণ ছাড়া আতপ চালের ভাত খায়। শ্রাদ্ধের আগের দিন মৃত ব্যক্তির পুত্ররা মাথার চুল ফেলে দেয় এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম-কানুনসমূহ পালন করে। শ্রাদ্ধের দিন সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায়। নিকট অতীতে ধনী ব্যক্তিরা কয়েক হাজার পর্যন্ত লোককে খাওয়াত; বর্তমানে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কারণে সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। শ্রাদ্ধ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ ও আত্মীয়-স্বজনদের নানারকম দান-ধ্যানও করা হয়।এতে বিদেহ আত্মার শান্তি হয় ও পর জন্মের পথ প্রশস্থ হয়।

উপনয়ন, বিবাহ ইত্যাদি শুভকাজের পূর্বে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ কামনায় যে শ্রাদ্ধ করা হয়, তার নাম আভু্যদয়িক বা বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ। আর সপিণ্ডীকরণ শ্রাদ্ধ হলো যা ব্যক্তির মৃত্যুর এক বছর পরে করা হয়। এ তিনটি ছাড়া আরও কয়েক প্রকার শ্রাদ্ধ আছে। যেমন, মহালয়া প্রভৃতি বিশেষ হিন্দু আচার উপলক্ষে এবং বিশেষ তিথিতে কারও মৃত্যু হলে তার উদ্দেশে যে শ্রাদ্ধ করা হয় তার নাম পার্বণশ্রাদ্ধ। পার্বণশ্রাদ্ধে সাধারণত পিতৃপক্ষের তিন পুরুষ ও মাতৃপক্ষের তিন পুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দান করা হয়। এক সঙ্গে একজন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে যে শ্রাদ্ধ করা হয় তার নাম একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ। অম্বষ্টকা নামেও এক প্রকার শ্রাদ্ধ আছে; তবে এর প্রচলন কম। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান গয়ায় বিষ্ণুপাদপদ্ম শ্রাদ্ধ করা প্রশস্ত। অনেক ধনী ব্যক্তি পিতা-মাতার শ্রাদ্ধ গয়াধামে গিয়ে করে থাকেন। শ্রাদ্ধ বিষয়ে শূলপাণির শ্রাদ্ধবিবেক ও রঘুনন্দনের শ্রাদ্ধতত্ত্ববঙ্গদেশে অতি প্রামাণ্য গ্রন্থরূপে বিবেচিত হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613121120

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশিচক্রের দ্বীতিয় পতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের দ্বীতিয় পতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রের অবস্থানগত ফলাফল

১)দ্বিতীয়াধিপতি লগ্নে থাকলে ---

জাতক ধনবান, ধার্মিক, ও সঞ্চয়ী প্রকৃতির হয়!

২)দ্বিতীয়াধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে ---

জাতক ধর্মপরায়ণ, গর্বিত, অর্থবান ও একাধিক
স্ত্রী যুক্ত হয় ৷ সন্তান কষ্টের সম্ভাবনা
থাকে৷

৩)দ্বিতীয়াধিপতি ততীয়ে থাকলে ---

জাতক পরাক্রমী, বহুগুণযুক্ত, বুদ্ধিমান, লোভী ও দেবনিন্দুক হয় !

৪)দ্বিতীয়াধিপতি চতুর্থে থাকলে ---

দয়াপরায়ণ ও বিত্তবান হয়! পাপগ্রহ যুক্ত হলে সংসার নিয়ে এবং মাতৃবকষ্ট প্রদান করে৷

৫)দ্বিতীয়াধিপতি পঞ্চমে থাকলে ---

সৎকর্মপরায়ণ. ধনবান ও আত্নীয় বিরোধী হয়৷

৬)দ্বিতীয়াধিপতি ষষ্ঠে থাফলে ---

জাতক
শত্রু পীডিত, নানা বিষয়ে ধনক্ষয় ও ঋণগ্রস্ত হয়৷

৭)দ্বিতীয়াধিপতি সপ্তমে থাকলে --
বিবাহের বা ব্যবসায় অর্থ প্রাপ্তি ঘটে। মাতা ও স্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে মানসিক কষ্ট হয়

৮)দ্বিতীয়াধিপতি অষ্টমে থাকলে - ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি লাভ করে কিন্তু দাম্পত্যসুখে বিঘ্ন হয়৷

৯)দ্বিতীয়াধিপতি নবমে থাকলে ---

জাতক শৈশবে রোগাক্রান্ত পরে স্বাস্থ্যবান হয়৷ ব্যবসা বা ধর্মবিষয়ক কর্মে অর্থ সম্মান লাভ করে ৷

১০)দ্বিতীয়াধিপতি দশমে থাকলে --

জাতক ধনবান, রাজমর্যাদাযুক্ত, সামান্য অবস্থা থেকে
সমর্থ হয়৷

১১)দ্বিতীয়াধিপতি একাদশে থাকলে ---

জাতক সম্মানী, উদ্যমী, ধনবান হয়৷ বহু লোককে পোষণ করার ক্ষমতা রাখে

১২)দ্বিতীয়াধিপতি দ্বাদশে থাকলে --

জাতক প্রবাসী, সাহসী, পরোপকারী হয়! প্রথম সন্তানের জন্য কষ্ট পায়৷পাপগ্ৰহ যুক্ত
হলে অর্থ ও ভাগ্য বিষয়ে অশুভ ফল দান করে৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613120423

Wednesday, June 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশিচক্রে লগ্নপতির অবস্থান গত ফলাফল

রাশিচক্রে লগ্নপতির অবস্থান গত ফলাফল


দ্বাদশভাবের অধিপতি ফল

রাশিচত্রে বিভিন্নভাবে লগ্নাধিপতির অবস্থানগত ফলাফল।
১) লগ্নাধিপতি লগ্নভাবে থাকলে _

লগ্নফলের আধিক্য ঘটে ৷ জাতক সুকীর্তিশালী, যশস্বী, পরাক্রমী ও দৃঢ়চেতা হয়৷
তবে এইরূপ জাতক একাধিক স্ত্রী সান্নিধ্য পছন্দ করে৷

২) লগ্নাধিপতি দ্বিতীয়ে থাকলে ---

জাতক দীর্ঘায়ু, নিভীক হয়৷ নিজ ক্ষমতায় উচ্চপদ লাভ করে৷ জাতকের আর্থিক
অবস্থা অনুকূল হয়!

৩) লগ্নাধিপতি তৃতীয়ে থাকলে--~

জাতক পরাক্রমী, বুদ্ধিমান সুখী ও মর্যাদাসম্পন্ন, সৎবন্ধুযুক্ত ও ভ্রাতৃপ্রিয় হয়৷

৪)লগ্নাধিপতি চতুর্থে থাকলে ---

জাতক রাষ্টীয় ক্ষেত্রে মর্যাদা পায়৷ জাতক দীর্ঘায়ু, পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিত্তবান , গুনী ও বহু ভাতৃস্থানীয় অনুগত সৃষ্টিতে সক্ষম হয়।

৫)লগ্নাধিপতি পঞ্চমে থাকলে ---

জাতক দীর্ঘায়ু, সৎকর্মরত, সম্মানযুক্ত ও.ক্রোধী হয়!

৬) লগ্নাধিপতি ষষ্ঠে থাকলে ---

জাতক মিতব্যয়ী, শত্রুভয়ে ভীত,ভূ-সম্পত্তিযুক্ত ও ধনবান হয়!

৭) লগ্নাধিপতি সপ্তমে থাকলে ---

জাতক পরিবর্তনশীল অর্থভাগ্যযুক্ত, নারীপ্রিয় ও তেজস্বী হয়৷

৮) লগ্নাধিপতি অষ্টমে থাকলে ---

জাতক দীর্ঘায়ু, সঞ্চরী, কামুক ও ভয়ার্ত হয়৷ প্রধন প্রাপ্তিতে বা অনিশ্চিত উপায়ে

গোপন পথে অর্থলাভে সমর্থ হয়৷

৯) লগ্নাধিপতি নবমে থাকলে ---
জাতক যশস্বী, ভাগ্যবান, ধার্মিক ও শাস্তরানুরক্ত হয় ৷ বক্তৃতা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৷
১০) লগ্নাধিপতি দশমে থাকলে ---

জাতক সুপণ্ডিত, ধনী ও রাজানুগৃহীত হয় ৷ বহু নারী আসে

১১)লগ্নাধিপতি একাদশে থাকলে --

জাতক মর্যাদাসম্পন্ন, বহু বন্ধুযুক্ত, শাস্ত্রজ্ঞ কিন্তু কামুক হয়৷

১২) লগ্নাধিপতি দ্বাদশে থাকলে --

জাতক পরনারীলোভী, প্রবাসী, ভ্রমণশীল ও অতিরিক্ত ক্রোধপরায়ণ হয়

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180613085153

Tuesday, June 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হনুমানের অষ্টতরশত নাম

হনুমানের অষ্টতরশত নাম

শনির দশা-দশান্তে,শনির সাড়ে-সাতিতে এবং আইনী জটিলতা থেকে মুক্ত হতে
হনুমানের অষ্টোত্তর শত নামাবলি প্রত‍্যহ স্নান করে ও সন্ধ‍্যায় ধূপ প্রদীপ জ্বেলে পাঠ করবেন।

ওং শ্রী আংজনেয়ায় নমঃ
ওং মহাবীরায় নমঃ
ওং হনুমতে নমঃ
ওং সীতাদেবি মুদ্রাপ্রদায়কায় নমঃ
ওং মারুতাত্মজায় নমঃ
ওং তত্ত্বজ্ঞানপ্রদায় নমঃ
ওং অশোকবনিকাচ্চেত্রে নমঃ
ওং সর্ববংধ বিমোক্ত্রে নমঃ
ওং রক্ষোবিধ্বংসকারকায়নমঃ
ওং পরবিদ্বপ নমঃ
ওং পরশৌর্য় বিনাশনায় নমঃ
ওং পরমংত্র নিরাকর্ত্রে নমঃ
ওং পরমংত্র প্রভেবকায় নমঃ
ওং সর্বগ্রহ বিনাশিনে নমঃ
ওং ভীমসেন সহায়কৃতে নমঃ
ওং সর্বদুঃখ হরায় নমঃ
ওং সর্বলোক চারিণে নমঃ
ওং মনোজবায় নমঃ
ওং পারিজাত ধৃমমূলস্ধায় নমঃ
ওং সর্বমংত্র স্বরূপবতে নমঃ
ওং সর্বয়ংত্রাত্মকায় নমঃ
ওং সর্বতংত্র স্বরূপিণে নমঃ
ওং কপীশ্বরায় নমঃ
ওং মহাকায়ায় নমঃ
ওং সর্বরোগহরায় নমঃ
ওং প্রভবে নমঃ
ওং বলসিদ্ধিকরায় নমঃ
ওং সর্ব বিদ্য়াসংপত্র্প বায়কায় নমঃ
ওং কপিসেনা নায়কায় নমঃ
ওং ভবিষ্য়চ্চতু রাননায় নমঃ
ওং কূমার ব্রহ্মচারিণে নমঃ
ওং রত্নকুংডল দীপ্তিমতে নমঃ
ওং চংচল দ্বাল সন্নদ্ধলংবমান শিখোজ্বলায় নমঃ
ওং গংধ্র্ব বিদ্য়াতত্বজ্ঞায় নমঃ
ওং মহাবলপরাক্রমায় নমঃ
ওং কারাগৃহ বিমোক্ত্রে নমঃ
ওং শৃংখল বংধ বিমোচকায় নমঃ
ওং সাগরোত্তারকায় নমঃ
ওং প্রাজ্ঞায় নমঃ
ওং রামদূতায় নমঃ
ওং প্রতাপবতে নমঃ
ওং বানরায় নমঃ
ওং কেসরিসুতায় নমঃ
ওং সীতাশোক নিবারণায় নমঃ
ওং অংজনা গর্ভসংভুতায় নমঃ
ওং বালর্ক সদৃশাননায় নমঃ
ওং বিভীষণ প্রিয়করায় নমঃ
ওং দশগ্রীব কুলাংতকায় নমঃ
ওং লক্ষ্মণ প্রাণদাত্রে নমঃ
ওং বজ্রকায়ায় নমঃ
ওং মহাদ্য়ুতয়ে নমঃ
ওং চিরংজীবিনে নমঃ
ওং রামভক্তায় নমঃ
ওং দ্তেত্য়কার্য় বিঘাতকায় নমঃ
ওং অক্ষহংত্রে নমঃ
ওং কাংচনাভায় নমঃ
ওং পংচবক্ত্রায় নমঃ
ওং মহাতপসে নমঃ
ওং লংকিণেভংজনায় নমঃ
ওং গংধমাদন শ্তেল নমঃ
ওং লংকাপুর বিদাহকায় নমঃ
ওং সুগ্রীব সচিবায় নমঃ
ওং ধীরায় নমঃ
ওং শূরায় নমঃ
ওং দ্তেত্য়কুলাংতকায় নমঃ
ওং সুরার্চিতায় নমঃ
ওং মহাতেজসে নমঃ
ওং রাম চূডামণি প্রদায় কামরূপিবে নমঃ
ওং শ্রী পিংগলাক্ষায় নমঃ
ওং নার্ধি ংতে নাক নমঃ
ওং কবলীকৃত মার্তাংডমংডলায় নমঃ
ওং কবলীকৃত মার্তাংড নমঃ
ওং বিজিতেংদ্রিয়ায় নমঃ
ওং রামসুগ্রীব সংদাত্রে নমঃ
ওং মহারাবণ মর্ধনায় নমঃ
ওং স্পটিকা ভায় নমঃ
ওং বাগ ধীশায় নমঃ
ওং নব ব্য়াকৃতি পংডিতায় নমঃ
ওং চতুর্ভাহবে নমঃ
ওং দীনবংধবে নমঃ
ওং মহত্মনে নমঃ
ওং ভক্ত বত্সলায় নমঃ
ওং সংজীবন নগা হর্ত্রে নমঃ
ওং শুচয়ে নমঃ
ওং বাগ্মিনে নমঃ
ওং দৃঢব্রতায় নমঃ
ওং কালনেমি প্রমধনায় নমঃ
ওং হরিমর্কট মর্কটায়নমঃ
ওং দাংতায় নমঃ
ওং শাংতায় নমঃ
ওং প্রসন্নাত্মনে নমঃ
ওং শতকংঠ মদাবহৃতেনমঃ
ওং য়োগিনে নমঃ
ওং রামকধালোলায় নমঃ
ওং সীতান্বেষণ পংডিতায় নমঃ
ওং বজ্র নখায় নমঃ
ওং রুদ্রবীর্য় সমুদ্ভবায় নমঃ
ওং ইংদ্র জিত্প্র্রহিতা মোঘব্রহ্মস্ত্র বিনিবার কায় নমঃ
ওং পার্ধ ধ্বজাগ্র সংবাসিনে নমঃ
ওং শরপংজর ভেদকায় নমঃ
ওং দশবাহবে নমঃ
ওং লোকপূজ্য়ায় নমঃ
ওং জাং বত্প্র তি বর্ধনায় নমঃ
ওং সীত সবেত শ্রীরামপাদ সেবা দুরংধরায় নমঃ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180612070303

Tuesday, June 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন

খারাপ এই অভ্যাস গুলো থাকলে বন্ধ করুন তাড়াতাড়ি ও নতুন আলোর দিকে তাকান:-
১) সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকলে আয়ু কমতে থাকে।
২) জীবনে নাস্তিক হিসেবে বাঁচলে পাপের বোঝা বাড়ে।তাই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা উচিত।
৩) বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্রদ্ধা করা উচিত। এদের অসম্মান করলে পাপ বাড়ে এবং আয়ু কমে।
৪) মানবিকতা, নারী, শিশুদের প্রতি যারা খারাপ মানসিকতা পোষণ করেন তাঁদের জীবন সুখকর হয়না। অতএব তাড়াতাড়ি মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
৫) এক পায়ের উপর আর এক পাতুলে বসলে শারীরিক দুর্বলতা বাড়ে। কারণ এভাবে বসলেই পেলভিস জয়েন্টে চাপ পড়ে এবং ঝুঁকে বসার প্রবণতা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা এই ধরনের ভঙ্গিতে বসাকে ক্ষতিকর বলে মনে করেন।
৬) কৃষ্ণ চতুর্দশী, শুক্লপক্ষ, প্রতি মাসের অষ্টমী, পূর্ণিমাতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে অসুস্থতা বাড়ে।
৭) ভাঙ্গা বা অপরিচ্ছন্ন আয়নাতে মুখ দেখা অশুভ।
৮) দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে বিছানায় শুলে মৃত্যু এগিয়ে আসে।
৯) শোবার আগে কখনও ঘর অন্ধকার করা উচিত না। বিছানায় শোয়ার পরই পর্দা টানুন বা আলো নেভান।
১০) নোংরা হাতে লেখা পড়া বা শুভ কাজ করা উচিত না।
১১) ভাঙ্গা খাটে কখনও শোবেন না।
১২) বেশি নেশা করলে অায়ু কমে। আপনারা এই গুলিকে মানুন আর দীঘ জীবি হোন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180612063707

Monday, June 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সন্তানপ্রসবের জন্য গোপাল স্তোত্র

সন্তানপ্রসবের জন্য গোপাল স্তোত্র

৷৷সন্তানপ্রদগোপালস্তোত্র ॥

সন্তানগোপাল মূল মন্ত্র॥ ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গ্লৌং দেবকীসুত গোবিন্দ বাসুদেব জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ॥ ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । সন্তানগোপালস্তোত্রং শ্রীশং কমলপত্রাক্ষং দেবকীনন্দনং হরিম্ । সুতসংপ্রাপ্তয়ে কৃষ্ণং নমামি মধুসূদনম্ ॥১॥ নমাম্যহং বাসুদেবং সুতসংপ্রাপ্তয়ে হরিম্ । য়শোদাঙ্কগতং বালং গোপালং নন্দনন্দনম্॥ ২॥ অস্মাকং পুত্রলাভায় গোবিন্দং মুনিবন্দিতম্ । নমাম্যহং বাসুদেবং দেবকীনন্দনং সদা ॥ ৩॥ গোপালং ডিম্ভকং বন্দে কমলাপতিমচ্যুতম্ । পুত্রসংপ্রাপ্তয়ে কৃষ্ণং নমামি য়দুপুঙ্গবম্ ॥ ৪॥ পুত্রকামেষ্টিফলদং কঞ্জাক্ষং কমলাপতিম্ । দেবকীনন্দনং বন্দে সুতসম্প্রাপ্তয়ে মম ॥ ৫॥ পদ্মাপতে পদ্মনেত্রে পদ্মনাভ জনার্দন । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ বাসুদেব জগত্পতে ॥ ৬॥ য়শোদাঙ্কগতং বালং গোবিন্দং মুনিবন্দিতম্ । অস্মাকং পুত্র লাভায় নমামি শ্রীশমচ্যুতম্ ॥ ৭॥ শ্রীপতে দেবদেবেশ দীনার্তির্হরণাচ্যুত । গোবিন্দ মে সুতং দেহি নমামি ত্বাং জনার্দন ॥ ৮॥ ভক্তকামদ গোবিন্দ ভক্তং রক্ষ শুভপ্রদ । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ রুক্মিণীবল্লভ প্রভো ॥ ৯॥ রুক্মিণীনাথ সর্বেশ দেহি মে তনয়ং সদা । ভক্তমন্দার পদ্মাক্ষ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ১০॥ দেবকীসুত গোবিন্দ বাসুদেব জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ১১॥ বাসুদেব জগদ্বন্দ্য শ্রীপতে পুরুষোত্তম । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ১২॥ কঞ্জাক্ষ কমলানাথ পরকারুণিকোত্তম । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ১৩॥ লক্ষ্মীপতে পদ্মনাভ মুকুন্দ মুনিবন্দিত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ১৪॥ কার্যকারণরূপায় বাসুদেবায় তে সদা । নমামি পুত্রলাভার্থ সুখদায় বুধায় তে ॥ ১৫॥ রাজীবনেত্র শ্রীরাম রাবণারে হরে কবে । তুভ্যং নমামি দেবেশ তনয়ং দেহি মে হরে ॥ ১৬॥ অস্মাকং পুত্রলাভায় ভজামি ত্বাং জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ বাসুদেব রমাপতে ॥ ১৭॥ শ্রীমানিনীমানচোর গোপীবস্ত্রাপহারক । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ বাসুদেব জগত্পতে ॥ ১৮॥ অস্মাকং পুত্রসংপ্রাপ্তিং কুরুষ্ব য়দুনন্দন । রমাপতে বাসুদেব মুকুন্দ মুনিবন্দিত ॥ ১৯॥ বাসুদেব সুতং দেহি তনয়ং দেহি মাধব । পুত্রং মে দেহি শ্রীকৃষ্ণ বত্সং দেহি মহাপ্রভো ॥২০॥ ডিম্ভকং দেহি শ্রীকৃষ্ণ আত্মজং দেহি রাঘব । ভক্তমন্দার মে দেহি তনয়ং নন্দনন্দন ॥ ২১॥ নন্দনং দেহি মে কৃষ্ণ বাসুদেব জগত্পতে । কমলনাথ গোবিন্দ মুকুন্দ মুনিবন্দিত ॥ ২২॥ অন্যথা শরণং নাস্তি ত্বমেব শরণং মম । সুতং দেহি শ্রিয়ং দেহি শ্রিয়ং পুত্রং প্রদেহি মে ॥ ২৩॥ য়শোদাস্তন্যপানজ্ঞং পিবন্তং য়দুনন্দনং । বন্দেঽহং পুত্রলাভার্থং কপিলাক্ষং হরিং সদা ॥ ২৪॥ নন্দনন্দন দেবেশ নন্দনং দেহি মে প্রভো । রমাপতে বাসুদেব শ্রিয়ং পুত্রং জগত্পতে ॥ ২৫॥ পুত্রং শ্রিয়ং শ্রিয়ং পুত্রং পুত্রং মে দেহি মাধব । অস্মাকং দীনবাক্যস্য অবধারয় শ্রীপতে ॥ ২৬॥ গোপাল ডিম্ভ গোবিন্দ বাসুদেব রমাপতে । অস্মাকং ডিম্ভকং দেহি শ্রিয়ং দেহি জগত্পতে ॥ ২৭॥ মদ্বাঞ্ছিতফলং দেহি দেবকীনন্দনাচ্যুত । মম পুত্রার্থিতং ধন্যং কুরুষ্ব য়দুনন্দন ॥ ২৮॥ য়াচেঽহং ত্বাং শ্রিয়ং পুত্রং দেহি মে পুত্রসংপদম্। ভক্তচিন্তামণে রাম কল্পবৃক্ষ মহাপ্রভো ॥ ২৯॥ আত্মজং নন্দনং পুত্রং কুমারং ডিম্ভকং সুতম্ । অর্ভকং তনয়ং দেহি সদা মে রঘুনন্দন ॥ ৩০॥ বন্দে সন্তানগোপালং মাধবং ভক্তকামদম্ । অস্মাকং পুত্রসংপ্রাপ্ত্যৈ সদা গোবিন্দমচ্যুতম্ ॥ ৩১॥ ওঁকারয়ুক্তং গোপালং শ্রীয়ুক্তং য়দুনন্দনম্ । ক্লীংয়ুক্তং দেবকীপুত্রং নমামি য়দুনায়কম্ ॥ ৩২॥ বাসুদেব মুকুন্দেশ গোবিন্দ মাধবাচ্যুত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ রমানাথ মহাপ্রভো ॥ ৩৩॥ রাজীবনেত্র গোবিন্দ কপিলাক্ষ হরে প্রভো । সমস্তকাম্যবরদ দেহি মে তনয়ং সদা ॥ ৩৪॥ অব্জপদ্মনিভং পদ্মবৃন্দরূপ জগত্পতে । দেহি মে বরসত্পুত্রং রমানায়ক মাধব ॥ ৩৫॥ নন্দপাল ধরাপাল গোবিন্দ য়দুনন্দন । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ রুক্মিণীবল্লভ প্রভো ॥ ৩৬॥ দাসমন্দার গোবিন্দ মুকুন্দ মাধবাচ্যুত । গোপাল পুণ্ডরীকাক্ষ দেহি মে তনয়ং শ্রিয়ম্ ॥ ৩৭॥ য়দুনায়ক পদ্মেশ নন্দগোপবধূসুত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ শ্রীধর প্রাণনায়ক ॥ ৩৮॥ অস্মাকং বাঞ্ছিতং দেহি দেহি পুত্রং রমাপতে । ভগবন্ কৃষ্ণ সর্বেশ বাসুদেব জগত্পতে ॥ ৩৯॥ রমাহৃদয়সংভারসত্যভামামনঃ প্রিয় । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ রুক্মিণীবল্লভ প্রভো ॥ ৪০॥ চন্দ্রসূর্যাক্ষ গোবিন্দ পুণ্ডরীকাক্ষ মাধব । অস্মাকং ভাগ্যসত্পুত্রং দেহি দেব জগত্পতে ॥ ৪১॥ কারুণ্যরূপ পদ্মাক্ষ পদ্মনাভসমর্চিত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ দেবকীনন্দনন্দন ॥ ৪২॥ দেবকীসুত শ্রীনাথ বাসুদেব জগত্পতে । সমস্তকামফলদ দেহি মে তনয়ং সদা ॥ ৪৩॥ ভক্তমন্দার গম্ভীর শঙ্করাচ্যুত মাধব । দেহি মে তনয়ং গোপবালবত্সল শ্রীপতে ॥ ৪৪॥ শ্রীপতে বাসুদেবেশ দেবকীপ্রিয়নন্দন । ভক্তমন্দার মে দেহি তনয়ং জগতাং প্রভো ॥৪৫॥ জগন্নাথ রমানাথ ভূমিনাথ দয়ানিধে । বাসুদেবেশ সর্বেশ দেহি মে তনয়ং প্রভো ॥ ৪৬॥ শ্রীনাথ কমলপত্রাক্ষ বাসুদেব জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৪৭॥ দাসমন্দার গোবিন্দ ভক্তচিন্তামণে প্রভো । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৪৮॥ গোবিন্দ পুণ্ডরীকাক্ষ রমানাথ মহাপ্রভো । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৪৯॥ শ্রীনাথ কমলপত্রাক্ষ গোবিন্দ মধুসূদন । মত্পুত্রফলসিদ্ধ্যর্থং ভজামি ত্বাং জনার্দন ॥ ৫০॥ স্তন্যং পিবন্তং জননীমুখাংবুজং বিলোক্য মন্দস্মিতমুজ্জ্বলাঙ্গম্ । স্পৃশন্তমন্যস্তনমঙ্গুলীভির্বন্দে য়শোদাঙ্কগতং মুকুন্দম্ ॥ ৫১॥ য়াচেঽহং পুত্রসন্তানং ভবন্তং পদ্মলোচন । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৫২॥ অস্মাকং পুত্রসম্পত্তেশ্চিন্তয়ামি জগত্পতে । শীঘ্রং মে দেহি দাতব্যং ভবতা মুনিবন্দিত ॥ ৫৩॥ বাসুদেব জগন্নাথ শ্রীপতে পুরুষোত্তম । কুরু মাং পুত্রদত্তং চ কৃষ্ণ দেবেন্দ্রপূজিত ॥ ৫৪॥ কুরু মাং পুত্রদত্তং চ য়শোদাপ্রিয়নন্দনম্ । মহ্যং চ পুত্রসন্তানং দাতব্যংভবতা হরে ॥ ৫৫॥ বাসুদেব জগন্নাথ গোবিন্দ দেবকীসুত । দেহি মে তনয়ং রাম কৌশল্যাপ্রিয়নন্দন ॥ ৫৬॥ পদ্মপত্রাক্ষ গোবিন্দ বিষ্ণো বামন মাধব । দেহি মে তনয়ং সীতাপ্রাণনায়ক রাঘব ॥ ৫৭॥ কঞ্জাক্ষ কৃষ্ণ দেবেন্দ্রমণ্ডিত মুনিবন্দিত । লক্ষ্মণাগ্রজ শ্রীরাম দেহি মে তনয়ং সদা ॥ ৫৮॥ দেহি মে তনয়ং রাম দশরথপ্রিয়নন্দন । সীতানায়ক কঞ্জাক্ষ মুচুকুন্দবরপ্রদ ॥ ৫৯॥ বিভীষণস্য য়া লঙ্কা প্রদত্তা ভবতা পুরা । অস্মাকং তত্প্রকারেণ তনয়ং দেহি মাধব ॥ ৬০॥ ভবদীয়পদাংভোজে চিন্তয়ামি নিরন্তরম্ । দেহি মে তনয়ং সীতাপ্রাণবল্লভ রাঘব ॥ ৬১॥ রাম মত্কাম্যবরদ পুত্রোত্পত্তিফলপ্রদ । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ কমলাসনবন্দিত ॥ ৬২॥ রাম রাঘব সীতেশ লক্ষ্মণানুজ দেহি মে । ভাগ্যবত্পুত্রসন্তানং দশরথপ্রিয়নন্দন । দেহি মে তনয়ং রাম কৃষ্ণ গোপাল মাধব ॥ ৬৪॥ কৃষ্ণ মাধব গোবিন্দ বামনাচ্যুত শঙ্কর । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ গোপবালকনায়ক ॥ ৬৫॥ গোপবাল মহাধন্য গোবিন্দাচ্যুত মাধব । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ বাসুদেব জগত্পতে ॥ ৬৬॥ দিশতু দিশতু পুত্রং দেবকীনন্দনোঽয়ং দিশতু দিশতু শীঘ্রং ভাগ্যবত্পুত্রলাভম্ । দিশতু দিশতু শীঘ্রং শ্রীশো রাঘবো রামচন্দ্রো দিশতু দিশতু পুত্রং বংশ বিস্তারহেতোঃ ॥ ৬৭॥ দীয়তাং বাসুদেবেন তনয়োমত্প্রিয়ঃ সুতঃ । কুমারো নন্দনঃ সীতানায়কেন সদা মম ॥ ৬৮॥ রাম রাঘব গোবিন্দ দেবকীসুত মাধব । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ গোপবালকনায়ক ॥ ৬৯॥ বংশবিস্তারকং পুত্রং দেহি মে মধুসূদন । সুতং দেহি সুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৭০॥ মমাভীষ্টসুতং দেহি কংসারে মাধবাচ্যুত । সুতং দেহি সুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥৭১॥ চন্দ্রার্ককল্পপর্যন্তং তনয়ং দেহি মাধব । সুতং দেহি সুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥৭২॥ বিদ্যাবন্তং বুদ্ধিমন্তং শ্রীমন্তং তনয়ং সদা । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ দেবকীনন্দন প্রভো ॥ ৭৩॥ নমামি ত্বাং পদ্মনেত্র সুতলাভায় কামদম্ । মুকুন্দং পুণ্ডরীকাক্ষং গোবিন্দং মধুসূদনম্ ॥ ৭৪॥ ভগবন্ কৃষ্ণ গোবিন্দ সর্বকামফলপ্রদ । দেহি মে তনয়ং স্বামিংস্ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৭৫॥ স্বামিংস্ত্বং ভগবন্ রাম কৃষ্ন মাধব কামদ । দেহি মে তনয়ং নিত্যং ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৭৬॥ তনয়ং দেহিও গোবিন্দ কঞ্জাক্ষ কমলাপতে । সুতং দেহি সুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥৭৭॥ পদ্মাপতে পদ্মনেত্র প্রদ্যুম্ন জনক প্রভো । সুতং দেহি সুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৭৮॥ শঙ্খচক্রগদাখড্গশার্ঙ্গপাণে রমাপতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৭৯॥ নারায়ণ রমানাথ রাজীবপত্রলোচন । সুতং মে দেহি দেবেশ পদ্মপদ্মানুবন্দিত ॥ ৮০॥ রাম রাঘব গোবিন্দ দেবকীবরনন্দন । রুক্মিণীনাথ সর্বেশ নারদাদিসুরার্চিত ॥ ৮১॥ দেবকীসুত গোবিন্দ বাসুদেব জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ গোপবালকনায়ক ॥ ৮২॥ মুনিবন্দিত গোবিন্দ রুক্মিণীবল্লভ প্রভো । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৩॥ গোপিকার্জিতপঙ্কেজমরন্দাসক্তমানস । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৪॥ রমাহৃদয়পঙ্কেজলোল মাধব কামদ । মমাভীষ্টসুতং দেহি ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৫॥ বাসুদেব রমানাথ দাসানাং মঙ্গলপ্রদ । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৬॥ কল্যাণপ্রদ গোবিন্দ মুরারে মুনিবন্দিত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৭॥ পুত্রপ্রদ মুকুন্দেশ রুক্মিণীবল্লভ প্রভো । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৮॥ পুণ্ডরীকাক্ষ গোবিন্দ বাসুদেব জগত্পতে । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৮৯॥ দয়ানিধে বাসুদেব মুকুন্দ মুনিবন্দিত । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৯০॥ পুত্রসম্পত্প্রদাতারং গোবিন্দং দেবপূজিতম্ । বন্দামহে সদা কৃষ্ণং পুত্র লাভ প্রদায়িনম্ ॥ ৯১॥ কারুণ্যনিধয়ে গোপীবল্লভায় মুরারয়ে । নমস্তে পুত্রলাভায় দেহি মে তনয়ং বিভো ॥ ৯২॥ নমস্তস্মৈ রমেশায় রুমিণীবল্লভায় তে । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ গোপবালকনায়ক ॥ ৯৩॥ নমস্তে বাসুদেবায় নিত্যশ্রীকামুকায় চ । পুত্রদায় চ সর্পেন্দ্রশায়িনে রঙ্গশায়িনে ॥ ৯৪॥ রঙ্গশায়িন্ রমানাথ মঙ্গলপ্রদ মাধব । দেহি মে তনয়ং শ্রীশ গোপবালকনায়ক ॥ ৯৫॥ দাসস্য মে সুতং দেহি দীনমন্দার রাঘব । সুতং দেহি সুতং দেহি পুত্রং দেহি রমাপতে ॥ ৯৬॥ য়শোদাতনয়াভীষ্টপুত্রদানরতঃ সদা । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥৯৭॥ মদিষ্টদেব গোবিন্দ বাসুদেব জনার্দন । দেহি মে তনয়ং কৃষ্ণ ত্বামহং শরণং গতঃ ॥ ৯৮॥ নীতিমান্ ধনবান্ পুত্রো বিদ্যাবাংশ্চ প্রজাপতে । ভগবংস্ত্বত্কৃপায়াশ্চ বাসুদেবেন্দ্রপূজিত ॥ ৯৯॥ য়ঃপঠেত্ পুত্রশতকং সোঽপি সত্পুত্রবান্ ভবেত । শ্রীবাসুদেবকথিতং স্তোত্ররত্নং সুখায় চ ॥ ১০০॥ জপকালে পঠেন্নিত্যং পুত্রলাভং ধনং শ্রিয়ম্ । ঐশ্বর্যং রাজসম্মানং সদ্যো য়াতি ন সংশয়ঃ ॥ ১০১॥

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180611082430

Monday, June 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কার্যসিদ্ধির বিভিন্ন উপায়

কার্যসিদ্ধির বিভিন্ন উপায়

কোন কার্যসিদ্ধির জন্য কি কার্য করতে হবে:
.
১। সার্বিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য একাদশ রুদ্রাভিষেক, চন্ডী পূজা ও হোম
২। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে রুদ্রাভিষেক, যক্ষ পূজা ও হোম, মৃত্যুঞ্জয় হোম, ধনবন্ত্রী হোম
৩। সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে ঐশ্বর্য লক্ষ্মী , ঐশ্বর্য গণপতি
৪। যে কোন অশুভ ফল প্রাপ্তিতে উড়ক শনি পূজা
৫। ব্যবসা বৃদ্ধিতে ঐশ্বর্য লক্ষ্মী , ঐশ্বর্য গণপতি, লক্ষ্মী-কুবের হোম
৬। গর্ভধারণ এবং সন্তান সংক্রান্ত বিষয়ে সন্তান গোপাল হোম, সন্তান লক্ষ্মী, সন্তান পরমেশ্বর
৭। বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে সরস্বতী, নীল সরস্বতী, বিদ্যা গণপতি, বিদ্যা লক্ষ্মী
৮। প্রেম-ভালোবাসা, বিবাহ এবং দাম্পত্য সংক্রান্ত অসুবিধা সয়ম্বর প্রভাতী হোম, মঙ্গল গৌরী পূজা
৯। কর্মে সফলতা গণেশ হোম এবং বিজয় লক্ষ্মী পূজা
১০। বাধা বিঘ্ন কাটানোর জন্য সংকট হর গণেশ
১১। মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিষয়ে বগলামুখী প্রয়োগ ও কবচ, চন্ডী হোম, বিজয় লক্ষ্মী পূজা
১২। গৃহ প্রবেশ এবং বাস্তু শান্তি গৃহ প্রবেশের পূজা ও বাস্তু যাগ, বাস্তু শান্তি হোম
১৩। রাশিচক্রের গ্রহদোষ কাটানোর জন্য একাদশ রুদ্রাভিষেক, গ্রহযাগ(যে গ্রহ দ্বারা দোষ সৃষ্টি হয়েছে)
১৪। মাঙ্গলিক দোষ মঙ্গল শান্তি, মঙ্গল গৌরী পূজা, রুদ্রাভিষেক, কার্ত্তিক হোম
১৫। শনির সাড়ে সাতি শনি শান্তি, হনুমান হোম, কবচ
১৬। অশুভ তন্ত্রের প্রভাব কাটানোর জন্য নৃসিংহ প্রয়োগ, সুদর্শন হোম, রুদ্রাভিষেক
১৭। ভয়, আতঙ্ক এবং শত্রুদমন বগলামুখী প্রয়োগ ও কবচ, সুদর্শন হোম
১৮। যে কোন অভীষ্ট সিদ্ধির জন্য শাক্তাভিষেক
১৯। মৃতবৎসা, বন্ধ্যা প্রভৃতি দোষনাশার্থ ইন্দ্রাভিষেক, নৃসিংহ পুরশ্চরণ
২০। দীর্ঘায়ু এবং রোগ বিমোচনার্থ মহামৃত্যুঞ্জয় শিব পূজা
২১। আপদুদ্ধারনার্থ বটুক ভৈরব পূজা
২২। সন্তান রিষ্ট নাশার্থ বৈদ্যনাথ শিব পূজা
২৩। মনোভীষ্টসাধনার্থ ষড়ক্ষর শিব পূজা
২৪। শত্রু জয়ার্থ চন্ডোগ্র শূলপাণি পূজা
২৫। ঋষ্টিজাত রোগনাশার্থ সদাশিব পূজা
২৬। পতাকাদি রিষ্ট নাশার্থ মহামৃত্যুঞ্জয় প্রয়োগ, মৃত সঞ্জীবনী প্রয়োগ
২৭। চতুর্বর্গলাভার্থ বেদোক্ত শিব পূজা
২৮। জ্বরাদি শান্তির জন্য মাহেশ্বর প্রয়োগ ও জ্বর পূজা।
২৯। রুষ্ট গ্রহ তুষ্ট করার জন্য, রাজদ্বার ভয় নিবারণ বা রোগনাশার্থ তুলসী দান
৩০। বালকের ভয় নাশার্থ এবং বন্ধ্যাত্বাদি দোষ নিবারণ নৃসিংহ প্রয়োগ
৩১। শত্রু নাশার্থ বিপরীত প্রত্যঙ্গিরা
৩২। ধন সম্পত্তি লাভার্থ ও সুসন্তান লাভের জন্য রাম প্রয়োগ
৩৩। রোগাদি নাশার্থ পঞ্চাঙ্গ স্বস্ত্যয়ন, আপমার্জ্জন প্রয়োগ বা পাশুপত প্রয়োগ
৩৪। গ্রহদোষ নাশার্থ গ্রহযাগ
৩৫। পুষ্কর দোষ নাশের জন্য পুষ্কর শান্তিবিধি
৩৬। নবজাত সন্তান রক্ষার্থ জাতাপহারিণী পূজা
৩৭। বন্ধ্যাদোষ নাশার্থ রক্তমাদ্রী পূজা
৩৮। চতুর্বর্গলাভার্থ দীক্ষা গ্রহণ
৩৯। মন্ত্র সিদ্ধার্থ পুরশ্চরণ
৪০। আয়ুরারোগ্যার্থ ও মন্ত্র সিদ্ধার্থ পূর্ণাভিষেক
৪১। কবচ ধারণার্থ কবচ প্রতিষ্ঠা
৪২। মালাদোষ নিবারণার্থ মালা প্রতিষ্ঠা
৪৩। দোষ শান্তি পঞ্চাঙ্গ স্বস্ত্যয়ন
৪৪। গৃহে বজ্রপাতাদি দোষ শান্ত্যর্থ অদ্ভুত শান্তি
৪৫। সন্তান লাভার্থ সন্তান গোপাল
৪৬। ধন লাভার্থ ধনদা মন্ত্র – যন্ত্র , কুবের পূজা
৪৭। আত্মঘাতির সদ্‌গতির জন্য নারায়ণ বলি
৪৮। বিদ্যালাভার্থ সরস্বতী কবচ বা নীল সরস্বতী কবচ
৪৯। কালসর্প দোষ রাহু-কেতু বিশেষ পূজা, মনসা পূজা, সর্প বলি, ছিন্নমস্তা-ধূমাবতী পূজা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180611082011

Sunday, June 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাহু ও কেতুর গোচরফল

রাহু ও কেতুর গোচরফল

রাহু কেতুর গোচর ফল সম্পর্কে জেনে নিন

গোচরের সপ্তমে রাহু ও কেতুর অবস্থানের ফল দেখে নেওয়া যাক -
রাহু ও কেতু উভয়েই ক্রুর স্বভাবযুক্ত। সাধারণত এদেরকে অশুভ ও পাপগ্রহ বলে মনে করা হয়। কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ভাব রাশিতে নিজ নিজ স্থিত অনুসারে এই দুই গ্রহই শুভ বা অশুভ ফল প্রদান করে থাকে। রাহু বুধের রাশি মিথুন বা কন্যা, শুক্রের রাশি বৃষ ও তুলা এবং শনির রাশি মকর কুম্ভতে অবস্থান করলে এবং ভাব স্থিতি অনুকূল হলে, এরা নিজ দশা-অন্তর্দশা অনুসারে স্বাভাবিক গ্রহগুলির থেকেও বেশি শুভফল প্রদান করে। তবে বাস্তবে রাহু-কেতুর নিজস্ব কোনও ঘর নেই। এরা যে যে রাশিতে অবস্থান করে, সেই রাশির অধিপতি গ্রহের মতো আচরণ করে। যে গ্রহের নক্ষত্রে এরা জন্মের সময় সঞ্চরণ করেছে সেই নক্ষত্রের প্রকৃতি ও স্বভাব এরা আত্মস্থ করে।
দশম ভাবে রাহু ও কেতুর গোচর ফল দেখে নেওয়া যাক -
জাতকের জন্ম কোষ্ঠীতে রাহু লগ্ন, চন্দ্রলগ্ন থেকে এই ভাবে অবস্থান করে জাতক কৃপণ ও বিলাসী স্বভাবের হয়। কিন্তু এরা নিজের সন্তান, বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঝগড়া, অশান্তি করে থাকে। এই ভাবে রাহু স্থিত হলে শনির থেকেও বেশি প্রভাব বিস্তার করে। জাতক প্রচুর সম্পত্তির মালিক, বিখ্যাত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করে থাকে।
রাহু গোচরে দশম ভাবে এলে জাতককে মানহানি, ধনহানি, কেলেঙ্কারিতে জড়ালেও একই সঙ্গে নতুন চাকরী, ব্যবসায়ে সাফল্য প্রদান করে। তবে গোচরকালীন সময়ে জাতককে একটি কথা অতি অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে অধৈর্য হয়ে খারাপ পথের দিকে এগোলে চলবে না। কারণ তাহলে সঞ্চিত অর্থ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেতু যদি জাতকের জন্ম সময়ে এই ভাবে অবস্থান করে, তবে জাতক পিতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পিতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মূর্খের মতো আচরণ করে। এরা চিন্তা ভাবনা করে কাজ করলে সুখ-সমৃদ্ধি-সম্পত্তির সুখ দেখে এবং চাকুরীতে উচ্চপদ লাভ করে এবং সম্মানের সঙ্গে কাজ করে।
দশম ভাবে কেতু গোচরে আসলে প্রথম দিকে জাতককে কার্যে অসফলতার মুখ দেখায়। এই সময় জাতক অসুস্থ হয়ে পড়ে, খিটখিটে মেজাজের হয় এবং এদের সম্পত্তি নষ্ট অথবা চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শত্রু সংখ্যাও হঠাৎ করে বেড়ে যায়। তবে রাশির ১৫ ডিগ্রীতে সঞ্চরণকারী কেতু জাতককে শুভ ফল প্রদান করে। জাতকের যশ, সম্মান, প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া অন্যান্য দিকেও সাফল্য অর্জন করে।

♦♦♦♦ রাহুর গোচর ফল -২০১৮
রাহু গত ১৮ই আগস্ট ২০১৭ জলরাশি অর্থাৎ কর্কট রাশিতে প্রবেশ করেছে। ৭ই মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত অবস্তান করবে।

রাহু/কেতু যেমন সমস্যা /অসফলতা দেয় তেমনি উন্নতি/ সাফল্যও প্রদান করে।
নিম্মে রাহু /কেতুর গোচর ফল প্রদত্ত হ'ল।।

♦♦♦বিঃদ্রঃ গোচর ফল বিচারটি গড় ও স্থুল। কারণ সূক্ষ্ম বিচার জন্ম ছকের অন্যান্ন গ্রহ ও নক্ষেত্রর ওপর ভিত্তি করে করা হয়।।

চন্দ্র রাশি থেকে বিচার করা হয়েছে। ( চন্দ্র রাশি বলতে জন্ম ছকে চন্দ্র যেই রাশিতে অবস্তান করছে।)

♥মেষঃ রাহু আপনার চতুর্থে এবং কেতু দশমে --- পরিবার-পরিজন সাথে দুরুত্ব বৃদ্ধি, মাতৃ স্বাস্থ্যের হানী,অশান্তি, কর্মক্ষেত্রে চালাকি/ফাঁকি বিপরীত ফল দিতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে মনোযোগী হোন, পরিবার পরিজনদের সাথে সময় কাটানোর চেস্টা করুন ও জীবনকে উপভোগ করুন।

প্রতিকার হিসাবে দরিদ্রকে কম্বল দান করুন।।

♥বৃষঃ রাহু আপনার তৃতীয় ও কেতু নবম রাশিতে প্রবেশ - আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ছোট ছোট ভ্রমন, ভাই/ বোন বিদেশ গমন এবং কনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মূক্ষিণ, পিতৃ স্বাস্থ্যের হানী / সম্পর্কের অবনতি, আধ্যাত্মিক/ধর্মীয় বিষয়ে ভ্রমন ইত্যাদি হতে পারে।

প্রতিকারে কালো ক্রিস্টাল সাথে রাখুন।।

♥মিথুনঃ রাহু আপনার দ্বিতৃয়ে এবং কেতু অস্টম রাশিতে প্রবেশ - কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের সুযোগ, ব্যবসা/অন্য কারনে পরিবার হতে দুরত্ব সৃস্টি, বিপরীত লিঙ্গের (স্রী/স্বামী) স্বাস্থ্যের অবনতি, চুরিরর ভয়ে ঘুম নস্ট, দৃস্টি শক্তির দুর্বলতা, Food poisoning, আধ্যাত্ম ও জ্যোতিষ চর্চায় আগ্রহ বৃদ্ধি ইত্যাদি হতে পারে।
চলবে......…......

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180610134441

Sunday, June 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশির বীজমন্ত্র

রাশির বীজমন্ত্র

জৈষ্ঠ মাস কেমন যাবে ও প্রত‍্যেক রাশির বীজমন্ত্র দিলাম।
( রবিবার, ১০ Jun ২০১৮ )

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) আজ মেষ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। কাজ কর্মে উন্নতি হতে থাকবে। ব্যবসায়ীক কাজের জন্য দুপরের পর সময় ভালো। কর্মস্থলে আপনার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। কিছু অর্থ লাভের যোগ দেখা যায়। পারিবারিক ও দাম্পত্য সুখ শান্তি বজায় থাকবে। অংশীদারী কাজে সাফল্য পেতে পারেন।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ২

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে) বৃষ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। সময় কিছুটা ব্যয় বহুল হয়ে উঠবে। হটাৎ করেই দূরে কোথাও যেতে হতে পারে। ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায় ভালো আয় রোজগারের যোগ। প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণের সম্ভাবনা প্রবল। শিক্ষা সংক্রান্ত কারনে দূরের যাত্রার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রান্সপোর্ট কম্পানিতে কর্মলাভের সুযোগ আসতে পারে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) মিথুন রাশির জাতক জাতিকার বকেয়া বিল আদায় হওয়াতে আর্থিক অবস্থা বলবান হয়ে উঠবে। আজ কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারী কাজে কোনো বকেয়া বিল আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের দিনটি কিছুটা অস্থিরতায় গেলেও ভালো রোজগারের আশা আছে।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ২

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) আজ কর্কট রাশির জাতক জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। চাকরী সংক্রান্ত তদবীরে ভালো ফল লাভের সম্ভাবনা। সামাজিক রাজনৈতিক কাজে সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। প্রসাধন ও পার্লারের ব্যবসায়ীরা ভালো আয় রোজগারে সফল হবেন। আজ কোন সাঙ্গঠনিক ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে পারেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রভাবশালী আমলাদের দিনটি বলবান।
শুভ রং: বাদামি
শুভ সংখ্যা: ২

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট) সিংহ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। ভাগ্য সহায় হলে আপনার কাজে কিছু অগ্রগতি হবে। আয় রোজগার বৃদ্ধি পাবে। বিদেশ সংক্রান্ত কাজে সাফল্য আশা করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিতে পারেন। বিদেশ থেকে কোন অফার লেটার আসতে পারে। জীবীকার জন্য বিদেশ যাত্রার সুযোগ পাবেন।
শুভ রং: আকাশি
শুভ সংখ্যা: ৩

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) আজ কন্যার জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। সময় ভালো যাবে না। রাস্তাঘাটে ঝামেলায় পড়তে পারেন। পতনজনিত আঘাতের যোগ প্রবল। কর্মস্থলে সহকর্মীর সাথে বিরোধে জড়াতে পারেন। কোনো পাওনাদারের দ্বারা শারীরিক ভাবে আঘাত পেতে পারেন। ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে সাবধান হতে হবে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ২

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) তুলা রাশির জাতক জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। ব্যবসা বাণিজ্যে ভালো আয়ের যোগ রয়েছে। অংশিদারী কাজে অংশিদারের দ্বারা উপকৃত হবেন। জীবন সাথী আপনাকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কোন আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যেতে পারেন। ব্যবসায়ীক কোনো ইফতার মাহফিলে যোগদান করতে পারেন।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ৩

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। সময় কিছুটা প্রতিকূল হয়ে উঠতে পারে। সহকর্মী বা অধীনস্ত কর্মচারীর দ্বারা প্রতারিত হতে পারেন। শরীর ভালো যাবে না। আজ কোনো অপমানের বোঝা মাথায় নিতে হতে পারে। বিক্রয় প্রতিনিধিদের দিনটি ঝামেলা পূর্ণ যাবে। কর্ম পরিবেশ ভালো থাকবে না।
শুভ রং: লাল
শুভ সংখ্যা: ২

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) ধনু রাশির জাতক জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। সময় ভালো হয়ে উঠবে। বিদ্যার্থীরা পড়াশোনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়তে পারেন। রোমান্টিক বিষয়ে কোনো ভালো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা। শিল্পী ও কলাকুশলীদের নতুন কাজের যোগ প্রবল। সন্তানের শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে। সৃজনশীল পেশাজীবীদের হটাৎ কোনো কাজের সুযোগ আসতে পারে।
শুভ রং: মেরুন
শুভ সংখ্যা: ৫

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) মকর রাশির দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। পরিকল্পণা বাস্তবায়ন করতে পারেন। আবাসন ও ভূমি ক্রয় বিক্রয়ের যোগ প্রবল। যানবাহনের মেরামতে কিছু ব্যয় হতে পারে। পারিবারিক সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে। কোন আত্মীয়র সাহায্যে বিদেশ যাত্রার সুযোগ আসতে পারে। মা এর কাছ থেকে ঈদেও উপহার পেতে পারেন।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ৫

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকার বিদেশ থেকে কোনো ভালো অর্ডার পেতে পারেন। ছোট ভাই বোনের কাছ থেকে ঈদ উপহার পাওয়ার যোগ। সাংবাদিক ও প্রকাশকদের দিনটি ভালো যাবে। গার্মেন্টস ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ভালো আয় রোজগার করতে পারেন। প্রিয়জনের জন্য স্বর্ণের গহণা তৈরীর যোগ প্রবল।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ১

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) মীন রাশির জাতক জাতিকার আর্থিক অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। বকেয়া অর্থ আদায় হওয়ার যোগ প্রবল। আজ খাদ্য ও পানিয়ের ব্যবসায় ভালো আয় রোজগার হবে। সঞ্চয়ের সুযোগ পেতে পারেন। বাড়ীতে শ্যালক শ্যালিকার আগমন হতে পারে। কোনো বন্ধুর কাছ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। বিকাশ ও মানিএক্সেঞ্জ ব্যবসায় সতর্ক হতে হবে।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ৩

আপনার রাশি মন্ত্র
==========
মেষ রাশির মন্ত্র ---- হ্রীং শ্রীং লক্ষ্মীনারায়নায় নমঃ ।
-------------------------

বৃষ রাশির মন্ত্র ---- গোপালায় উত্তরধ্জায় নমঃ ।
-------------------------

মিথুন রাশির মন্ত্র ---- ক্লং কৃষ্ণায় নমঃ ।
-------------------------

কর্কট রাশির মন্ত্র ---- হিরণ্যগর্ভায় অব্যক্তরূপিণে নমঃ ।
-------------------------

সিংহ রাশির মন্ত্র ---- ক্লীং ব্রহ্মণে জগদ্ধারায় নমঃ ।
-------------------------

কন্যা রাশির মন্ত্র ---- নমো প্রীং পীতাম্বরায় নমঃ ।
-------------------------

তুলা রাশির মন্ত্র ---- তত্ত্বনিরঞ্জনায় তারকরামায় নমঃ ।
-------------------------

বৃশ্চিক রাশির মন্ত্র ---- নারায়নায় সুরসিংহায় নমঃ ।
-------------------------

ধনু রাশির মন্ত্র ---- শ্রীং দেবকৃষ্ণায় উর্দ্ধসপ্তায় নমঃ ।
-------------------------

মকর রাশির মন্ত্র ---- শ্রীং বৎসলায় নমঃ ।
-------------------------

কুম্ভ রাশির মন্ত্র ---- শ্রীং উপেন্দ্রায় অচ্যুতায় নমঃ ।
-------------------------

মীন রাশির মন্ত্র ---- ক্লীং উদ্ধৃতায় উদ্ধারিনে নমঃ ।
-
শুভক্ষণে প্রথমে বিধিবদ্ধ উপায়ে মন্ত্র সিদ্ধ করে নিতে হবে। দীক্ষিত ব্যক্তি প্রতিদিন নিত্যক্রিয়ার পরে বিধিবদ্ধ জপ করলে অবশ্যই গ্রহ প্রীত হ'ন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180610132056

Saturday, June 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দূর্গা কবচ

দূর্গা কবচ

দূর্গা কবচ ধারনের ফল কি কি।।
" প্রাণ প্রতিষ্ঠিত দুর্গা কবচ "
এবার দেখে নিবো কি কি ফল প্রদান করে প্রাণ
প্রতিষ্ঠিত দুর্গা কবচ।
১।এই কবচ ধারণে চিত্তশুদ্ধি হতে পারে ফলে সুন্দর প্রাণ
স্ফুর্তি সম্পন্ন মন গঠন হতে পারে।আপনি যে কোন
সমস্যায় পড়লেও মনের জোর কমবে না।
২।যারা নিয়মিত চণ্ডিপাঠ করেন তারাই বুঝবেন দুর্গা
কবচের শক্তি সম্পর্কে।দুর্গা কবচ পাঠ না করে কোন
বুদ্ধিমান ব্যাক্তি বাড়ি হতে বের হন না।
৩।ভক্তিসহকারে প্রাণপ্রতিষ্ঠিত দুর্গা কবচ ধারণে
গৃহশুদ্ধি হয় ফলে বাস্তুর সমস্ত দোষ নষ্ট হয়।আপনার গৃহ
হতে সকল অশুভ দূর হয়।
৪।এই কবচ দেহে থাকলে শত্রু,অশুভ গ্রহ শান্ত থাকে।
৫।এই কবচ ধারণে চাকুরীক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায়।
৬।এই কবচ ধারণে সব ধরনের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
৭।এই কবচ ধারণে গৃহে বা ব্যবসাক্ষেত্রে লক্ষ্মীর আগমন
হয়।
৮।এই কবচ ধারণে সকল বাধা-বিঘ্ন দূর হয়।
৯।এই কবচ ধারণে দেহ বন্ধ থাকে ফলে শত্রুর যাদু-
বান,টোনা নিষ্ফল হয়।
১০।যত রকম রক্ষা কবচ আছে " প্রাণপ্রতিষ্ঠিত দুর্গা কবচ
" তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
১১।প্রাণপ্রতিষ্ঠিত দুর্গা কবচ ধারনের সাথে সাথে
প্রত্যহ আদ্যাস্তোত্র পাঠ করলে যে কোন ধরনের অনিষ্ট
থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180609163407

Friday, June 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শিরোরেখা

শিরোরেখা

শিরোরেখা

শিরোরেখা সম্পর্কে কিছু পরিক্ষীত তথ্য...
করতলে মঙ্গলের সক্রিয় ক্ষেত্র থেকে অর্থাৎ বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নীচ থেকে একটি রেখা নিস্ক্রিয় মঙ্গলে্র ক্ষেত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে চন্দ্রের ক্ষেত্রের দিকে বা বুধের ক্ষেত্রের দিকে সামান্য ধাবিত হয়। অর্থাৎ করতলের মাঝখানের রেখাটি হল শিরোরেখা।
* এই শিরোরেখাটি যদি চন্দ্রের ক্ষেত্রের দিকে ঈষৎ বেঁকে মনিবন্ধের দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে তবে জাতক-জাতিকা শিল্পী ও প্রেমিক হয়ে থাকে অর্থাৎ ভাবাবেগসম্পন্ন হয়ে থাকে।
*শিররেখা স্পষ্টভাবে রাহুর ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে করতলের মাঝখানে এসে থেমে গেলে সে সর্বদা বলিষ্ঠ চিন্তাতে মগ্ন থাকে ও সে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যেও ভেঙ্গে পড়ে না।
*শিরোরেখাটি ছোট হলে জাতক জাতিকা সরল ও অল্প মেধাশক্তি সম্পন্ন হয়। দুটি শিরোরেখা জাতক জাতিকা কে দ্বৈত মনোভাবাপন্ন করে থাকে।
*শৃঙ্খখ্লাকার শিরোরেখা জাতক জাতিকার অসংযমতা ও চিত্তচাঞ্চল্যর পরিচায়ক।
*শিরোরেখা ও আয়ুরেখা সংয্যক্ত হয়ে যদি শেষ প্রান্তে শখাবিশিষ্ট হয় তাহলে জাতক জাতিকা অপূর্ব কল্পনাশক্তি সম্পন্ন, গুপ্তবিদ্যায় পারদর্শী ও অসাধারন শক্তি লাভ করে।
*শিরোরেখা ও আয়ু রেখার মধ্যে অনেকটা ফাঁক থাকলে জাতক জাতিকা পিতৃবিরোধি মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে।
*শিরোরেখা ঊর্ধ্বে কনিষ্ঠার দিকে গমন করলে দুর্দান্ত একগুঁয়ে ও দুঃসাহসী হয়। এরা স্বার্থসিদ্ধির জন্যা যেকোন অন্যায় কাজ করতে ভয় পায় না।
*শিরোরেখা, আয়ুরেখা ও হৃদয় রেখা পরপস্পর মিলিত হলে জাতক জাতিকার জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে এবং তার পুনঃপুনঃ ভাগ্য বিপর্যয় ও দৈব দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
*শিরোরেখা আয়ুরেখার সঙ্গে বলিষ্ঠভাবে জুড়ে থাকলে জাতক জাতিকা অতি মেধাবী, সাবধানী ও অনুভুতিপ্রবন হয়ে থাকে।
*শিরোরেখা ঊর্ধ্বে হৃদয় রেখা কে ছেদ করলে জাতক জাতিকা স্নেহ মায়া-মমতাহীন হয়ে থাকে।
*শিরোরেখা থেকে কোন শাখারেখা বৃহস্পতির দিকে গমন করলে অত্যন্ত উচ্চভিলাষী হয়ে থাকে।
*শিরোরেখা থেকে একটি রেখা মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে গমন করলে জাতক জাতিকা সঙ্গীত প্রিয়, ধার্মিক ও বিশেষ চিন্তাসম্পন্ন হয়ে থাকে।
*শিরোরেখার একটি শাখারেখা রবির ক্ষেত্রে গমন করলে বিশেষ সন্মান ও খ্যাতি লাভ করে থাকে।
*শিরোরেখা থেকে একটি শাখা রেখা বুধের ক্ষেত্রের দিকে গমন করলে জাতক ব্যবসায় নিপুন, বুদ্ধিমান ও বৈজ্ঞানিক হয়ে থাকে।
*শিরোরেখা থেকে একটি শাখা রেখা চন্দ্রের দিকে গমন করলে অসৎ, অলীক চিন্তায় দিন যাপন করে থাকে।
*শিরোরেখা চন্দ্রের দিকে অতিরিক্ত পরিমানে ঝুঁকে জাতক জাতিকা খামখেয়ালি মনোভাবের হয়। চন্দ্র খারাপ থাকলে পাগল ও হয়ে থাকে।
*শিরোরেখার উপর যব চিহ্ন থাকলে বংশগত রোগ মস্তিষের বিকৃতি সূচনা করে।
*শিরোরেখার উপর চতুষ্কোন চিহ্ন থাকলে মস্তকে বা দেহে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ও চক্ষু রোগ হয়।
*শিরোরেখার উপর তিল চিহ্ন থাকলে সেই বয়সে জাতক দুশ্চিন্তায় কষ্ট পায়।
এছাড়াও শিররেখা বিচারে আরও অনেক তথ্য রয়েছে, যা নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180608140521

Friday, June 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নীল সরস্বতী কবচম

নীল সরস্বতী কবচম

সরস্বতী ও নীল সরস্বতী পূজার মন্ত্র ও জপ কবচম্

মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি। এই শুভ দিনে আমরা বিদ্যার অধিষ্টাত্রী দেবী সরস্বতীর বন্দনা করি। তিনি আমাদের বিদ্যা ও জ্ঞাণ প্রদান করেন।
যাদের বিদ্যায় বার বার বাধা আসছে অথবা যারা বিশেষ স্থানাধীকার করতে আগ্রহী তারা এই শুভ দিনে সরস্বতীপূজার সাথে সাথে "নীল সরস্বতী"র আরাধনা করতে পারেন। "নীল সরস্বতীর কবচ" এবং চারমুখী রুদ্রাক্ষ ও ধারণ করতে পারেন। অথবা "সরস্বতী যন্ত্র" বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
সকালে স্নান সেরে সাদা বস্ত্র পরে এইভাবে ক্রম অনুযায়ী আরাধনা করতে হবে।

সরস্বতীর বন্দনাঃ
যা কুন্দেনু তুষার হার ধবলা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা
যা বীণা বরদণ্ডমণ্ডিত করা যা শ্বেত পদ্মাসনা।
যা ব্রহ্মাচ্যুতশংকর প্রভৃতির্দেবৈঃ সদাবন্দিতা
সা মাং পাতুসরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ জাড্যাপহাম্॥১॥

শুক্লাং ব্রহ্ম বিচার সার পরমাদ্যাং জগদ্ব্যাপিনীম্
বীণা পুষ্পক ধারিণীমভয়দাম্ জাড্যান্ধকারাপহাম।
হস্তে স্ফটিক মালিকাম্ বিদধতীম্ পদ্মাসনে সংস্থিতাম্
বন্দে ত্বাং পরমেশ্বরীম্ ভগবতীম্ বুদ্ধিপ্রদাম্ সারদাম্॥২॥

সরস্বতীর ধ্যানঃ
ওঁ সরস্বতী ময়া দৃষ্টবা, বীণা পুস্তক ধারণীম্।
হংস বাহিনী সমাযুক্তা মা বিদ্যা দান করেতু মে ওঁ।।

সরস্বতীর জপ মন্ত্রঃ
ওঁ বদ্ বদ্ বাগ্বাদিনি স্বাহা।

সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তু তে।।

সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ (বিদ্যারম্ভে প্রণাম মন্ত্র)
ওঁ সরস্বতী নমস্তুভ্যং বরদে কামরূপিণি।
বিদ্যারম্ভং করিষ্যামি সিদ্ধির্ভবন্তু মে সদা।।

অঞ্জলিঃ
ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যাস্থানেভ্যঃ এব চ।।

সরস্বতী যন্ত্র ঃ
এই যন্ত্র স্থাপন করলে বিদ্যায় অত্যন্ত শুভ ফল লাভ সম্ভব। নিদানপক্ষে যন্ত্রটি লাল কালিতে কাগজে লিখে বা প্রিন্ট করে পড়ার টেবিলে রাখলে বা বই-এর উপরে লাগিয়ে রাখলেও খানিক শুভ ফল পাওয়া যায়।


সরস্বতী কবচ ঃ ধারণেও অত্যন্ত শুভ ফল লাভ হয়। তবে এক্ষেত্রে সাধকের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

********************************************
এর পর নীল সরস্বতীর মন্ত্র জপ করতে হবে। দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তাঁরা কে নীল সরস্বতী রূপে বন্দনা করা হয়।


নীল সরস্বতীর মূল মন্ত্রঃ
ঐং ওং হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্।

নীল সরস্বতীর মহামন্ত্রঃ
ওং হ্রীং শ্রীং হ্রীং ঐং হূং নীল সরস্বতী ফট্ স্বাহা।
বা ঐং হ্রীং ঐং হ্রীং সরস্বতৈ নমঃ।১১৮বার।
নীল সরস্বতী যন্ত্রম খরচ-৩০০০টাকা।
নীল সরস্বতী কবচম্ খরচ-৭৫০০টাকা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180608135840

Friday, June 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে ১২ টি টিপস

পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে ১২ টি টিপস



জ্যোতিষকথা

পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল করতে আমার ১২টি টিপস ‌

ছেলে মেয়েদের নিয়ে সব বাবা, মা-ই চিন্তিত থাকেন। অন্যতম গুরু চিন্তা সন্তানের লেখাপড়া। কেউ বলেন, ছেলে মেয়ে একদম পড়ছে না। কেউ বলেন, সারা দিন বই নিয়ে বসে কিন্তু মনে কিছু রাখতে পারছে না। কেউ বলেন, পরীক্ষা এলেই শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। কেউ বলেন, পরীক্ষা ভাল দিচ্ছে কিন্তু রেজাল্ট মনমতো হচ্ছে না। এই রকম হাজারো একটা সমস্যা নিয়ে বাবা-মা’রা চিন্তিত। ভাল রেজাল্ট করতে গেলে ভাল করে পড়াশোনা তো করতেই হবে। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু নিয়ম, পদ্ধতি অনুসরণ করা ভীষণ ভাবে দরকার। তেমনই কিছু পরামর্শ:

১। পূর্ব দিকে মুখ করে বসে পড়াশোনা করা ভাল।

২। বাড়ির উত্তর-পূর্বের ঘরে এবং ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে বসে পড়াশোনা করলে রেজাল্ট ভাল হয়।

৩। পড়ার টেবিলের উপর সবুজ কাপড় বা রেক্সিন বিছিয়ে তার ওপর কাচ দিয়ে দিলে ভাল।

৪। পড়ার টেবিলের ওপর ক্রিস্টাল বল ঝুলিয়ে দিন। বলটি রোজ একটু রোদে রাখতে পারলে ভাল।

৫। নীল সরস্বতী কবচ অথবা অষ্টবিনায়ক কবচ ধারণ করলে ফল ভাল হয়।

৬। চারমুখী রুদ্রাক্ষ অথবা গণেশ রুদ্রাক্ষ ধারণে ফল ভাল হয়।

৭। সরস্বতী যন্ত্রম এবং গণেশ যন্ত্রম স্থাপন করে নিত্য ধূপ দেখিয়ে পূজো করলে ফল ভাল হয়।

৮। পড়ার টেবিলের উপর কাচের গ্লাসে জল রেখে তার মধ্যে কয়েকটা মুক্তো রেখে দিলে ভাল রেজাল্ট হয় এবং পরীক্ষার্থীর মনের টেনশন কাটায়।

৯। কয়েকটা পেন্সিল ছুলে সূচলো মুখটা উপর দিক করে রেখে দিন কাচের গ্লাসের মধ্যে। মেধার তীব্রতা বাড়বে।

১০। দশা-অন্তদশার গ্রহদের জপ, যজ্ঞ ও গ্রহশান্তি করালে রেজাল্ট ভাল হবে।

১১। সময় ধরে ৮ঘন্টা পড়তে বসা।
১২। পড়তে বসার সময় ঔঁ হ্রীং ঐং হ্রীং সরস্বতৈ নমঃ ১০ করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180608134826

Thursday, June 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহের গোচর বিচার

গ্ৰহের গোচর বিচার

সুপ্রভাত

গ্রহের গোচর বিচার, রাশি ও নক্ষত্র

রবি ঃ জন্ম রাশি তে স্থাননাশ দ্বিতিয়ে ভয় তৃতীয়ে ঐশ্বরজ চতুর্থে মান হানি পঞ্চমে দীনতা ষষ্ঠে শত্রুহানি সপ্তমে অর্থহানি অষ্টমে পীড়া নবমে কান্তিক্ষয় দশমে কর্ম উন্নতি একাদশে ধন লাভ দ্বাদশ বিত্ত নাশ বিপদ ।

চন্দ্র জন্ম রাশি তে অর্থ লাভ দ্বিতিয়ে বিত্ত নাশ তৃতীয়ে দ্রব্য নাশ চতুর্থে চক্ষু পীড়া পঞ্চমে কাজ হানি ষষ্ঠ তে বিত্ত নাশ সপ্তমে বিত্ত সহ স্ত্রী লাভ অষ্টমে মৃত্যু নবমে রাজ ভয় দশমে মহা সুখ একাদশে বিবিধ ধন বৃদ্ধি দ্বাদশে ধন নাশ ।

মঙ্গল ঃ জন্ম রাশিতে শত্রু ভয় দ্বিতীয়ে ধন নাশ তৃতীয়ে অর্থ লাভ চতুর্থে শত্রু ভয় পঞ্চমে প্রাণনাশ ষষ্ঠে বিত্ত লাভ সপ্তমে শোক অষ্টমে অস্ত্রঘাত নবমে নবমে কাজ হানি দশমে শুভ একাদশে ভুমি লাভ দ্বাদশে রোগ অনর্থ ।

বুধঃ জন্ম রাশিতে বন্ধন দ্বিতীয়ে ধন লাভ তৃতীয়ে বধ , শত্রু ভয় চতুর্থে অর্থ লাভ পঞ্চম অশান্তি ষষ্ঠে স্থান লাভ সপ্তমে শরীর পীড়া অষ্টমে ধন লাভ নবমে মহা পীড়া দশমে শুভ একাদশে অর্থ লাভ দ্বাদশে বিত্ত নাশ

বৃহস্পতি ঃ জন্ম রাশিতে ভয় দ্বিতীয়ে প্রচুর অর্থ লাভ তৃতীয়ে শারীরিক ক্লেশ চতুর্থে অর্থ সঙ্কট পঞ্চমে শুভ ষষ্ঠে অশুভ সপ্তমে রাজ পুজ্য অষ্টমে ধন নাশ নবমে ধন বৃদ্ধি দশমে প্রীতি ভঙ্গ একাদশে স্থান ও ধন লাভ দ্বাদশে শারীরিক ও মানসিক পীড়া ।

শুক্র ঃ জন্ম রাশি তে শত্রু নাশ , দ্বিতীয়ে ধন লাভ তৃতীয়ে শুভকর চতুর্থে ধন লাভ পঞ্চম পুত্র লাভ ষষ্ঠে শত্রু বৃদ্ধি সপ্তমে শোক অষ্টমে অর্থ লাভ নবমে বিবিধ বস্তু লাভ দশমে অশুভ একাদশে বহু প্রকার ধন লাভ দ্বাদশে ধনাগমন ।

শনি ঃ জন্ম রাশিতে বিত্ত নাশ দ্বিতীয়ে চিত্ত ক্লেশ তৃতীয়ে শত্রু নাশ জন্য বিত্ত লাভ চতুর্থে শত্রু বৃদ্ধি পঞ্চমে অর্থ , পুত্র , বিত্ত নাশ ষষ্ঠে অর্থ নাশ সপ্তমে অনিষ্টপাত অষ্টমে দেহ পীড়া নবমে ধন ক্ষয় দশমে মানসিক উদ্ববেগ একাদশে বিত্ত লাভ দ্বাদশে অনর্থ ।

রাহু ঃ জন্ম রাশি দ্বিতীয় চতুর্থ পঞ্চম সপ্তম অষ্টম নবম বা দ্বাদশ রাশি অর্থ ক্ষয় শত্রু ভয় কাজ হানি রোগ প্রবাস অগ্নি ভয় ও মৃত্যু ।

কেতু ঃ জন্ম রাশি তৃতীয় ষষ্ঠ দশম কিম্বা একাদশ ভাবে সন্মান রাজ পুজ্য সুখ ও অর্থ লাভ হয় । আজ্ঞা কারি পুরুষ স্ত্রী ও পুন্য সঞ্চয় ।

গোচর ফল

রবি ঃ এক রাশিতে একমাস তার মধ্যে প্রথম ৫ দিন ফল দেয় ।

চন্দ্র ঃ আড়াই দিন তার মধ্যে শেষ ৩ ঘণ্টা তে ফল দেয় ।

মঙ্গল ঃ এক রাশি তে ৪৫ দিন তার মধ্যে প্রথম ৮ দিন ফল দেয় ।

বুধ ঃ এক রাশিতে এক মাস , প্রত্যেক দিন ফল দেয় ।

বৃহস্পতি এক রাশি তে ১৩ মাস তার মধ্যে দুই মাস ফল দেয় ।

শুক্র ঃ এক রাশি তে এক মাস মধ্যে ৭ দিন ফল দেয় ।

শনি ঃ এক রাশি তে ৩০ মাস শেষ ৬ মাসে ফল দেয় ।

রাহু ঃ কেতু ঃ এক রাশিতে ১৮ মাস শেষ দুই মাসে ফল দেয় ।

রাশি ঃ

মেষ বৃষ মিথুন কর্কট সিংহ কন্যা তুলা বৃশ্চিক ধনু মকর কুম্ভ মীন

নক্ষত্র ঃ

১ অশ্বিনী ২ ভরণী ৩ কৃতিকা ৪ রোহিনি ৫ মৃগ শিরা ৬ আদ্রা ৭ পুনরবসু ৮ পুষ্যা ৯ অশ্লেষা ১০ মঘা ১১ পূর্ব ফাল্গুনী ১২ উত্তর ফাল্গুনী ১৩ হস্তা ১৪ চিত্রা ১৫ স্বাতী ১৬ বিশাখা ১৭ অনুরাধা ১৮ জ্যেষ্ঠা ১৯ মুলা ২০ পূর্বসাড়া ২১ উত্তরসাড়া ২২ শ্রবনা ২৩ ধনিষ্ঠা ২৪ শতভিসা ২৫ পূর্ব ভাদ্রপদ ২৬ উত্তর ভাদ্রপদ ২৭ রেবতী

রাশি চক্র:

মেষ রাশি ঃ

রাশি স্বামী মঙ্গল , অশ্বিনী [কেতু] ভরণী [শুক্র] কৃতিকা [ সূর্য ]

বৃষ রাশি ঃ

রাশি স্বামী শুক্র , কৃতিকা [সূর্য] রোহিণী [চন্দ্র] মৃগ শিরা [ মঙ্গল ]

মিথুন ঃ

রাশি স্বামী বুধ , মৃগ শিরা [ মঙ্গল ] আদ্রা [ রাহু]পুনর্বসু [ বৃহস্পতি ]

কর্কট ঃ

রাশি স্বামী চন্দ্র পুনর্বসু [ বৃহস্পতি ] পুস্প [ শনি ] অশ্লেষা [ বুধ ]

সিংহ ঃ

রাশি স্বামী মঘা [ রাহু]পুবাফাল্গুনি [শুক্র] উত্তর ফাল্গুনি্র[ সূর্য ]

কন্যা ঃ

রাশি স্বামী উত্তর ফাল্গুনি [ সূর্য ] হস্তা [চন্দ্র ] চিত্রা [ মঙ্গল ]

তুলা ঃ

রাশি স্বামী শুক্র চিত্রা [ মঙ্গল ] স্বাতী [ রাহু ] বিশাখা [ বৃহস্পতি ]

বৃশ্চিক ঃ

রাশি স্বামী বিশাখা [ বৃহস্পতি ] অনুরাধা [ শনি ] জ্যেষ্ঠা [ বুধ ]

ধনু ঃ

রাশি স্বামী বৃহস্পতি মু লা [কেতু]পূর্বসারা [শুক্র ] উত্তরসাড়া [ সূর্য ]

কুম্ভ ঃ

রাশি স্বামী শনি মুলা [ কেতু] পূর্ব সাড়া [ শুক্র] উত্তর সাড়া [সূর্য ]

মকর ঃ

রাশি স্বামী শনি উত্তরশারা [ সূর্য ] শ্রবন [চন্দ্র ] ধনিষ্ঠা [মঙ্গল

রাশি স্বামী শনি ধনিষ্ঠা[ মঙ্গল ] শত ভিশা [ রাহু] পূর্ব ভাদ্রপ দ [বৃহস্পতি ]

মীন ঃ

রাশি স্বামী বৃহস্পতি , পূর্ব ভাদ্রপদ [ বৃহস্পতি ] উত্তর ভাদ্রপদ [ শনি ] রেবতী [ বুধ ]


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180607070232

Thursday, June 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রে রঙের গুরুত্ব

জোতিষ শাস্ত্রে রঙের গুরুত্ব

১২টি রাশির সাতটি রঙ
জ্যোতীষশাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের জীবনে রঙের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের ভাগ্যের ভালো বা মন্দের প্রভাব অনেকটাই রং দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জ্যোতীষশাস্ত্রে জাতক বা জাতিকার জীবনে বাধা বিপত্তি কাটাতে বা উন্নতির পথ প্রসস্থ করতেও গ্রহরত্ন ধারণের ক্ষেত্রে এই রংই বিবেচিত হয়। আসুন এ বার জেনে নিন, আপনার জন্য শুভ রং কোনটি!
জাতক বা জাতিকার রাশি অনুযায়ী তাঁর শুভ রং কোনটি তা নিচে উল্লেখিত হল যথাঃ-
মেষঃ- শুভ রং লাল
বৃষঃ- শুভ রং সাদা।
মিথুনঃ- শুভ রং সবুজ।
কর্কটঃ-শুভ রং সাদা ।
সিংহঃ-শুভ রং কমলা
কন্যাঃ-শুভ রং সবুজ।
তুলাঃ-শুভ রং সাদা।
বৃশ্চিকঃ- শুভ রং কালচে লাল।
ধনুঃ-শুভ রং হলুদ।
মকরঃ- শুভ রং নীল।
কুম্ভঃ-শুভ রং কালচে নীল।
মীনঃ-শুভ রং হলুদ ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180607065208

Wednesday, June 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গোচরফল ২০১৮

গোচরফল ২০১৮

গ্রহের গোচর ফল

আগামী ১২/০৯/২০১৭ তারিখ সকাল ০৬:৫৬মি: বৃহস্পতিগ্রহ কন্যা রাশি পরিত্যাগ করে তুলা রাশিতে চিত্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করেছে তুলারাশি রাশিচক্রের সপ্তম স্থান এবং বৃহস্পতিগ্রহ রাশিচক্রের নবম স্থানাধীপতি। অর্থাৎ বলা যায় গোচরস্থ বৃহস্পতির অবস্থান রাশিচক্রের সপ্তমে বা ভাগ্যপতি বৃহস্পতি সপ্তমে অবস্থিত।

বৃহস্পতি তুলা রাশিতে ১১/১০/২০১৮ পর্যন্ত অবস্থান করবে। এই এক বছরের অধিক সময় মেষ ও কর্কট রাশির শুভ সময়।

অন্য দিকে ১৮/০৮/২০১৭ তারিখে রাহু সিংহ রাশি পরিত্যাগ করে কর্কট রাশির আদ্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করেছে ঠিক সম সপ্তমে মকর রাশিতে কেতু শ্রবণা নক্ষত্রে প্রবেশ করেছে আগামী ০৭/০৩/২০১৯ তারিখে রাহু ও কেতু স্থান পরিবর্তন করে যথাক্রমে মিথুন ও ধনু রাশিতে গমন করবে।

আবার ২৬/০১/২০১৭ তে শনি ধনু রাশিতে প্রবেশ করেছিল। এবং ০৪/০৪/২০১৭ তারিখে শনি বক্রী হয়ে পুনরায় বৃশ্চিকরাশিতে জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে ফিরে এসেছে। বর্তমানে শনি বৃশ্চিকরাশিতে থাকলেও ২৭/১০/২০১৭ তারিখে আবার ফিরেগেছে ধনুরাশির মূলা নক্ষত্রে। আগামী ২৪/০১/২০২০তারিখে শনি তার নিজ রাশি মকরে গমন করবে।

এবার ২৭/১০/২০১৭ থেকে ১১/১০/২০১৮ পর্যন্ত চারটি গ্রহের অবস্থান চিত্রে দেওয়া হল। কর্কটে (অধিপতি চন্দ্র) রাহু, মকরে (অধিপতি শনি) কেতু, তুলায় (অধিপতি শুক্র) বৃহস্পতি। ধনু (অধিপতি বৃহস্পতি) শনি।

কর্কটরাশি জল রাশি। কর্কটের অধিপতি চন্দ্র মনের কারকগ্রহ। রাহু চণ্ডাল জাতি। অশুভ রাহুর প্রভাবে মন অশান্ত হবে। মানুষ বদ মেজাজী ও হঠকারী কার্য করবে। পার্থিব বস্তুর প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা বারবে। অন্যদিকে মকর ও জল রাশি। এবং কেতু হল অনিশ্চয়তার কারকগ্রহ। ফলে অশুভ রাহু কেতুর প্রভাবে মানুষের জীবন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পরবে। প্রাকৃতিক দিক থেকে জলোচ্ছ্বাস বা সুনামির সম্ভোবনা থাকছে।

তবে রাশিচক্রের চতুর্থে, সপ্তমে, নবমে ও দশমে এই সকল গ্রহের সঞ্চারের ফলে রাশিচক্রে বেশ কিছু শুভ সমন্বয় লখ্য করা যাচ্ছে। যেমন যাদের দাম্পত্য কলহ চলছে বা যারা অনূঢ়া তাদের সমস্যার সমাধান হতে পারে। কম্পিউটার, মোবাইল প্রভৃতি সংস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পখ্যে শুভ। প্রতিটি মানুষের আর্থিক অবস্থা ও ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। তন্ত্র ও গুপ্ত বিদ্যার প্রসার লাভ ঘটবে। মানুষ বেশী প্রতারিত হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180606074524

Tuesday, June 5th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লগ্নের প্রভাবে বিদ‍্যা ও মেধা

লগ্নের প্রভাবে বিদ‍্যা ও মেধা

লগ্নের প্রভাবে বিদ্যা শিক্ষা ও মেধা -------

মেষ লগ্নে জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান
মেষ লগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান হল সিংহ রাশি। সিংহ অধিপতি রবি হল মঙ্গলের মিত্র। রবি শুভ হলে এবং রবি স্বক্ষেত্রী হয়ে বৃহস্পতি শুক্র বা বুধের দৃষ্টি পেলে মেষলঘ্নের জাতক-জাতিকাদের উচ্চ শিক্ষা লাভ হয়। এরা গঠনমূলক বিদ্যায় উন্নতি লাভ করে। এগ্রিকালচার, ভুতত্ত্ববিদ্যা, প্রত্মত্বাবিদ, সাইকোলজি, কেমিস্ট, ওষুধ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ইত্যাদি এরা হতে পারে.....। তবে শিক্ষা জীবনে এদের বাধা আসা তেমন কিছু নয়। । ছাত্র বিশেষেএরা ভাইলই হয়।

বৃষ লগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান
বৃষের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান হল কন্যারাশি। কন্যার অধিপতি হল বুধ। যদি বিদ্যাপতি স্বয়ং বিদ্যাস্থানে থাকে তাহলে জাতক বুদ্ধিমান, স্মৃতিযুক্ত ও শ্রুতিধর হয়, ফলে এদের বিদ্যার যথেষ্ট উন্নতি হয়। । শুক্রগ্রহ দ্বারা যদি শুভ তাহলে জাতক-জাতিকা বিদ্যায় বিশেষ উন্নতি করতে পারেনা। . তাই অল্প বয়সে লেখাপড়া শেষ হয়ে যায় এবং জাতক-জাতিকারা কর্ম চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠেন।

মিথুন লগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান .
মিথুনের বিদ্যাপতি ও পঞ্চমপতি হয় তুলা। তুলার অধিপতি শুক্র দৈত্তকুলের গুরু বলে পন্ডিত এবং বিদ্বান তাই মিথুনের পঞ্চমপতি স্বক্ষেত্রে মিত্র ক্ষেত্রে, তুঙ্গে বা মিত্র দৃষ্ট হলে এই লগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান শুভ এবং উন্নতিমূলক হয়। । এরা শিল্প, বানিজ্য, কাব্য ও সংঙ্গীত এবং অংকশাস্ত্রে ও অপারদর্শী হয়। কিন্তু তুলায় কোন অশুভগ্রহ থাকলে বা পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্টি কিংবা শুক্র অশুভ হলে পাপদৃষ্ট হলে ২১ বৎসর বয়সের পূর্বেই বিদ্যালাভ শেষ হয়।
তাই পরবর্তী অধ্যায় বা কর্মজীবন নিয়ে তারা ভাবতে থাকে।

কর্কট লগ্নে জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান . কর্কটে জাতক-জাতিকাদের বিদ্যার ক্ষেত্রে হলো বৃশ্চিকরাশি। এই রাশির অধিপতি হলো মঙ্গল। মঙ্গল চন্দ্রের মিত্র গ্রহ। কর্কটের শাসকগ্রহ চন্দ্র তাই বিদ্যাপতি স্বক্ষেত্রে বা বৃশ্চিক রাশিতে যদি মঙ্গল থাকে তাহলে এরা ভালো ইলেক্ট্রশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হয়ে খ্যাতি লাভ করতে পারেন। . ২য়, ৪র্থ, ৫মম এবং নবম ঘর যদি শুভ হয়। অর্থাৎ সিংহরাশি, তুলারাশি, বৃশ্চিকরাশি ও মীনরাশিতে শুভগ্রহ থাকলে বা ঐ রাশিগুলি শুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে জাতক-জাতিকা উচ্চশিক্ষা লাভ করে এবং বিদেশে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। অন্যথায় শিক্ষার ক্ষেত্রে তেমন কোন উন্নতি হয়না।

সিংহলগ্নে জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান । ধনুরাশি এদের বিদ্যাস্থান। ধনুর অধিপতি বৃহস্পতি। বৃহস্পতির অশুভ সংগে রবির সম্পর্ক ভালো। . তাই এরা শ্রুতিধর ও বিদ্যান হয়। কিন্তু বৃহস্পতি অশুভ ভাবে থাকলে কিংবা শুক্রযুক্ত শত্রু পীড়িত হলে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ হবার পর এদের অধিকাংশেরই বিদ্যালাভ শেষ হয়ে যায়। অন্যথায় এরা অনেক সময়ে বহু বিদ্যা অর্জন করতে পারে। . এরা ভাষাবিদ, গবেষক, অনুবাদক, শিক্ষক, প্রফেসর, উপদেশদাতা, উপদেশদাতা, উকিল ইত্যাদি হতে পারে। . নাম করা বৈজ্ঞানিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কন্যালগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান . এদের বিদ্যাস্থান হল মাকরাধিপতি শনি। শনি-ত্যাগ, উপাসক, সন্ন্যাস, প্রভৃতির কারক। তাই এদের বিদ্যা, বুধ ও শনির আশ্রিত। এরা সাধারণতঃ সিএ, আইন, গনিতবিদ্যা, দর্শনশাস্ত্র, প্রযুক্তিবিদ্যা প্রভৃতি পড়তে ভালবাসে। এরা ভিষনভাবে স্পর্শানুভূতি যুক্ত হয়। তাই অতি সহজেই সব কিছু বুঝে নিতে এবং তার সমাধান করতে পারে। এই লগ্নের জাতক-জাতিকারা অধিকাংশইই বিদেশে বিদ্যালাভের সুযোগ পায়। । এরা শনি, মঙ্গল, শুক্রের আনুগত্য বিশেষভাবে লাভ করে তাহলে বিশেষ খ্যাতিমান ডাক্তার হতে পারে। অধিকাংশ ডাক্তারই কন্যা লগ্ন বা কন্যা রাশির জাতক-জাতিকা।

তুলালগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান . তুলার বিদ্যাস্থান হল কুম্ভরাশি। এই রাশির অধিপতি হলো শনি। শুক্রের পরম বন্ধু। কুম্ভ আবার শনির সমাধিক্ষেত্র। তাই তুলার জাতকেরা অধিক বিদ্যালাভ করে। এরা সাধারনতঃ দর্শন অঙ্কশাস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং, কমার্স প্রভৃতি পড়তে ভালবাসে। তুলায় শুক্র, শনি থাকলে এরা উচ্চ বিদ্যালাভ করে। । তবে ঐ শনি যদি অবশ্য পাপগ্রহ দ্বারা আকৃষ্ট হয় তাহলে শিক্ষা নষ্ট হয়ে যাবে।
এরা লোকের কাছে সম্মান লাভ করতে পারেন।

ব্রিশ্চিলগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান । বৃহস্পতি মীনরাশির শাসকগ্রহ বৃশ্চিকলগ্নের জাতক-জাতিকা বিদ্যাদাতা। তবে মঙ্গলের গুরুদেব। তাই মঙ্গলের প্রতি বৃহস্পতির প্রচন্ড স্নেহ রয়েছে। নিজে বিদ্বান, আর তার শিষ্য মুর্খ থাকবে এটা কখনোই চান না। । তাউ বৃহস্পতির কৃপায় বৃশ্চিকের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যালাভ ভালোই হয়। । আর বৃহস্পতি যদি মীনরাশিতেই থাকে তাহলে তো কথাই নেই। . এরা Chemistryখুব ভাল বোঝে। তাই বৃশ্চিক লোকেরা Chemist. হতে পারে। এছাড়া আর্টিস্ট এবং Science to Stream এর কোন শাখায় এরা ভাল বিদ্যালাভ করতে পারে। । কিন্তু মীনেবুধ, রাহু, কেতু, বা শনি থাকলে এদের বিদ্যালাভ বেশি হয়না.....। ২৫ বৎসরের মধ্যেই বিদ্যালাভ শেষ হয়ে যায়। . অখন কর্ম প্রচেষ্টায় নেমে পরে।

ধনুলগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান।
এদের বিদ্যাপতির নাম হল মকর। সাধারণত ৬ কিংবা ৭ বৎসর বয়স থেজে এদের শিক্ষা জীবন শুরু। এদের মধ্যে উচ্চ বিদ্যা লাভের একটা আন্তরিক আকর্ষণ ও প্রবৃত্তি বরাবরই থাকে। । তবে সংসারিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর এদের শিক্ষাজীবন বহুলাংশে নির্ভরশীল। উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বাসনা মনে থাকা সত্ত্বেও আর্থিক অভাব ও সংসারিক ঝামেলা এদের সে পথ থেকে বঞ্চিত করে। । তবে যাদের পঞ্চমভাব, পঞ্চমে পতিত দৃষ্টি শুভ হয় তারা শিক্ষায় বেশ কিছুটা অগ্রসর হতে পারে। । অন্যথায় মাধ্যমিক শিক্ষার পূর্বে বা পরেই এদের শিক্ষা জীবন সমাপ্তি হবে। . আবার যাদের পঞ্চমভাব বিশেষ ভাবে অশুভ তাদের লেখা পড়া অতি অল্প হয়।

মকরলগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান
। বৃষরাশি হল এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান এবং তার অধিপতি হল শুক্র। শুক্র দৈত্যাচার্য ও শিক্ষিত। তবে শনির মিত্র মকরের লোকেরাও শিক্ষার সুযোগ ভালোই পায়। কিন্তু নিজেদের জেদ বা খেয়ালিপনার জন্য এদের বিদ্যাশিক্ষা নষ্ট হয়ে যায়। । সাধারণত ৫ বৎসর থেকেই এদের শিক্ষা জীবন শুরু হয় এবং ২৯ বৎসর পর্যন্ত এরা শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে। । বিদ্যাপতির শুভাশুভের উপর এদের শিক্ষাজীবন ও আদর্শ গড়ে ওঠে।

কুম্ভলগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান
মিথুন রাশি হল কুম্ভের জাতক- জাতিকাদের বিদ্যাস্থান। মিথুনের অধিপতি বুধ শনির মিত্র। তাই কুম্ভরাশির লোকেরা প্রযুক্তিবিদ্যা, আইন, ডাক্তারি বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বিদ্যার যে কোন শাখায় পারদর্শিতা লাভ করতে এব্যাপারে দ্বিতীয়, পঞ্চম, ও নবমপতির আনুগত্য প্রয়োজন। সাধারণত অতি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষালাভের সুযোগ পায়। । ২৮ বছর পর্যন্ত শিক্ষা লাভ করতে পারে। অনুকুল অবস্থা থাকলে বিদেশী ডিগ্রীও এরা পেতে পারে।

মীনলগ্নের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান । বিদ্যাপতি চন্দ্র, দ্বিতীয় বা নবম নবম থাকলে বিদ্যায় বিশেষ উন্নতি হয়। । কিন্তু ঐ চন্দ্র যদি অষ্টম বা দ্বাদশে থাকে তাহলে কলেজ জীবনে বিদ্যা শেষ হয়। এরা সাধারণ ভাবে পণ্ডিত, গ্রন্থপ্রনেতা, সাংবাদিক, উপন্যাসিক, গুণগ্রাহী, আশির্বাদ পরায়ণ সৎ হয়। । এরা চিটিং বাজকেও নিজের গৃহে পরমাত্মীয়ের মত স্থান দেয় এবং সর্বস্ব খুইয়ে ধর্মীয় অনুনুশাসনে চলে। । পন্ডিত, প্রফেসর, পরামর্শদাতা পুরোহিত প্রভৃতি হতে পারে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180605082020

Tuesday, June 5th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রে শনির কর্মে অবস্থান

জোতিষ শাস্ত্রে শনির কর্মে অবস্থান

অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ জোতিষীক বিষয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে শনির ১০ম স্থানে অবস্থানের প্রভাব
শনি হল মকর ও কুম্ভ রাশির মালিক যেটি কালপুরুষের ১০ম স্থান। তাই কুষ্টিতে ১০ম স্থানে শনির অবস্থান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ১০ম স্থানে শনির প্রভাব আলোচনা করার পূর্বে আমি আপনাদের শনির তাৎপর্য এবং আমাদের জীবনে শনির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে বলব। জ্যোতিষশাশ্ত্রে ১০ম স্থানের তাৎপর্য সম্বন্ধেও আমি আপনাদের বলব।

শনিকে অনেক সময় ভুল বোঝা হয় এই ভেবে যে এটি একটি ভয়ঙ্কর গ্রহ যা দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে আসে। যাইহোক, এটি ভুল কারণ তিনি ন্যায়ের দেবতা। তিনি দুর্বৃত্তদের শাস্তি দেন এবং ধার্মিকদের প্রাপ্তি দেন। যদি কোনো ব্যক্তি জীবনে শুভ ভাব বজায় রেখে চলে তখন তিনি ঐ ব্যক্তির জীবন সমস্ত রকমের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিপূর্ণ করেন। যদি ধনু অথবা মীন রাশিতে ১০ম স্থানে শনি অবস্থান করে এবং মঙ্গল দ্বারা দৃষ্টিপ্রাপ্ত না হয় তবে তিনি Moksha প্রদান করেন যা হিন্দুদের কাছে মুক্তি বলে পরিচিত।

শনির তাৎপর্য

জ্যোতিষশাশ্ত্র সম্বন্ধে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে শনি গ্রহের একটি তাৎপর্যপূর্ণ স্থান রয়েছে। জ্যোতিষশাশ্ত্র হল গ্রহের গতিবিধি ও মানবজীবনে তার প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন। শনি মকরের অধিপতি হওয়ার কারণে জীবিকা ও পেশাকে সূচিত করে। এটি কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, ঐতিহ্য, চিন্তন ক্ষমতা, ন্যায়, আইনশৃঙ্খলা, সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষ প্রভৃতিকে সূচিত করে। শনি সেইসব বিষয়ের প্রতিমূর্তি যা গুরুত্বপূর্ণ, চিরস্থায়ী, দীর্ঘস্থায়ী এবং জীবনের অন্তর্নিহিত বিষয়। শনি তার সময়কালে যা কিছু দেয় তা সাধারণত ব্যক্তির সঙ্গে থেকে যায়। এটি আপনাকে বাস্তববাদী করে, আপনার চোখ থেকে মোহ বা ভ্রম দূর করে কঠোর সত্যের মুখোমুখি করে। কিন্তু আমরা অধিকাংশ জনই কঠোর সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাই এবং সেইজন্যই আমরা সবাই শনির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।

শনির ১০ম স্থানে অবস্থানের শুভ প্রভাব

যখন শনি ১০ম স্থানে অধিষ্ঠান করে তখন এটি ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের গুণ প্রদান করে। যদিও শনি ব্যক্তির জীবনে অনবরত বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করে। যে ব্যক্তিরা ১০ম স্থানে শনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, তারা মাঝেমধ্যে প্রবল প্রভাবশালী হন। তারা কাজের ক্ষেত্রে সহজাত নেতৃত্ব গুণের অধিকারী হন এবং মনোভাব ও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে অধস্তন কর্মীদের ওপর প্রভাব প্রদর্শন করেন। তারা কঠোর পরিশ্রমী হন এবং দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধ হন। এই গ্রহের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই রয়েছে এবং মনে হয় এটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যক্তিকে সমাজের যেকোনো একটি উচ্চ স্থানে পৌঁছে দিতে পারে।

শনিকে অনেক সময় কিং মেকার বলা হয়। এটাও জানা যায় যে তারা চারপাশে শুভ প্রভাব ফেলে যান এবং রাজার মতো আধিপত্য বিস্তার করেন। ১০ম স্থানে শনি থাকা ব্যক্তির শত্রুও থাকে যার পরিণাম ভয়ানক হয়। লগ্ন থেকে ১০ম স্থানে উচ্চস্থ শনির অবস্থান অথবা যদি ১০ম স্থান মকর, কুম্ভ অথবা তুলা হয় তখন এটি খুব লাভদায়ক যোগের সৃষ্টি করে, যার নাম সাসা যোগ। এটি পঞ্চ মহাপুরুষ যোগের মধ্যে অন্যতম। লগ্ন থেকে ১০ম স্থানে উচ্চস্থ শনির অবস্থান উত্তম পেশা জীবনের জন্য আশীর্বাদ। শনি অন্য কোনো ভাবে দুর্বল না হলে অনেক আর্থিক ভাগ্য প্রদান করে। এটি আপনাকে কোনো বৃহৎ সংস্থার শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দিতে পারে। মহান জ্যোতিষী শ্রী বি.ভি রমন তাঁর বিখ্যাত বই “কুষ্টিবিচারের পদ্ধতি” – তে লিখেছেন যে ১০ম স্থানে শনির অবস্থান ব্যক্তিকে শাসক অথবা মন্ত্রী বানিয়ে দিতে পারে। এটি ব্যক্তির চলার পথে প্রচেষ্টা ও বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করে। সেই ব্যক্তিরা নিজ কর্মস্থলের প্রতি আন্তরিক ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় বলে মনে করা হয় এবং ব্যক্তির নিজের প্রতি অগাধ আস্থা থাকে। ব্যক্তিকে চলার পথে বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় কারণ এই গ্রহের পথ কখনোই সহজ হয় না, এবং যত দিন যায় তত বেশী গভীর হয়।

যে ব্যক্তিদের ১০ম স্থানে শনি অবস্থান করে তারা পেশার প্রতি একনিষ্ঠ হয় এবং নিজের মাথায় দায়িত্বের বোঝা নেয়, যা তার জীবনে উত্থান-পতনের কারণ হয়। এটি মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর/যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে এবং সেইজন্য তাদের কর্ম ও পরিবারের প্রতি বিচক্ষণ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও এই ব্যক্তিরা নিজ চেষ্টায় জীবনে বিপুল বিকাশ অর্জন করে এবং ভবিষ্যতে আরও উত্তম হওয়ার যোগ্য হয়।

এই ব্যক্তিরা সরকারি সূত্রে আনুকূল্য লাভ করে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশেষত সরকারি কর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে মধুর সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। ১০ম স্থানে শনি অবস্থান করা ব্যক্তিদের যেকোনো এক ধরণের পেশায় অটল/টিকে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি ১০ম স্থানে শনি সূর্যের সঙ্গেও যুক্ত থাকে তখন এটি সরকারি চাকরি প্রাপ্তি ঘটাতে পারে।

আপনার কুন্ডলীতে শনি-সূর্য সংযোগের প্রভাব এবং কুন্ডলীতে সরকারি চাকরির জন্য অনুকূল যোগসমূহ বির্চায‍্য।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180605081733

Monday, June 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতের ‍রেখায় চাকরি

হাতের ‍রেখায় চাকরি

শুভ রাত্রি
হাতের রেখায় সরকারী চাকরী নির্ণয়

সাধারণত সরকারী চাকুরী ক্ষেত্রে রবি জন্ম কালিন সময়ে শুভ থাকতে হয়,ভালো অবস্থানে থাকতে হয়।রবি বক্রী হয় না রবি গ্রহ বা চন্দ্র গ্রহ বক্রী হয় না আর অন্যান্য যে গ্রহ গুলো আছে তা বক্রী হয় না ।বক্রী মানে থেমে যাওয়া জন্ম তারিখ সময়ে যদি রবি গ্রহ কোন পাপগ্রহ দ্বারা যুক্ত না হয়ে থাকে পাপ গ্রহ দ্বারা দৃষ্টি না থাকে তাহলে সাধারণত ও সরকারী চাকরী হয় এছাড়া হাতের রেখা যাদের জন্ম তারিখ জানা নাআ আমি মূলত কুষ্টি বিচার ও করি তো হাতের আলোচনা ও করচ্ছি আমাদের দেশে সাধারণত জন্ম তারিখ জানা তাকে না তাদের হস্ত রেখায় সমাধান দেওয়া যায় এটা সবার বুঝতে সহজ হয় এটা হাতের রেখা বুঝতে খুব একটা কঠিন হয় না। ততক্ষেত্রে কুষ্টি, ঠিকুজী, হরস্কোপ কষ্ট স্বাধ্য বিষয় এজন্য কুষ্টি ঠিকুজী নিয়ে আলোচনা কম করচ্ছি। তাই হাতের রেখা নিয়ে আলোচনা করচ্ছি সাধারণত সরকারি চাকরীর জন্য রবির রেখা উন্নত হতে হয় রবির ক্ষেত্রে উন্নত বলতে রবির মাউথ উঁচু থাকলে, মানে পরিপূর্ণ থাকলে মাংস পেশী গুলো উঁচু থাকলে শুভ বলে বিবেচনা করা যায়।যদি ভালো রবি রেখা থাকে যদি কোন ভাবে কেটে না যায় বা কোন ভাবে জ্বাল চিহ্ন সৃষ্টি না হয় বা কোন তীর চিহ্ন বা কোন বিন্দু চিহ্ন সৃষ্টি হয়নি এধরনের রবি রেখা হাতে থাকলে সাধারণত তারা সরকারী চাকরীতে এপ্লাই করলে তাদের সরকারী চাকরী হয় এবং পাশাপাশী রবির আঙ্গুলেই শনির আঙ্গুলের কাছাকাছি অনেকেরেই রবির আঙ্গুল শনির আঙ্গুলের কাছাকাছি চলে যায় এবং বুধের আঙ্গুলেও রবির আঙ্গুলের কাছাকাছি চলে যায়। এইরকম রবির আঙ্গুল বৃহস্পতির তুলনায় বড় হয় শনির আঙ্গুলের কাছাকাছি যায় সে ক্ষেত্রে সরকারী চাকরীর যোগ তাকে এবং রবির ক্ষেত্র বিন্দু চিহ্ন থাকে তাহলে ভেবে নিতে হবে যে রবির ক্ষেত্র শুভ সরকারী চাকরীর দিক নির্দেশনা করে এবং শনির আঙ্গুলের কাছাকাছি রবির আঙ্গুল চলে যায়। রবির রেখা যদি ভালো থাকে তাহলে হায়াত মত সৃষ্টিকর্তার হাতে আমি সব সময় বলে থাকি হস্তরেখা বা জ্যোতিষ শাস্ত্র আমার দৃষ্টিকোন থেকে আমি বলবো আবহাওয়া বার্তার মত যেমন বৃষ্টি হতে পারে ঝড় হতে পারে বেশিভাগ ক্ষেত্রে হয়,মিলে যায় এরকম তার সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে কোন বাধা তাকে কোন ভাবে সরকারী চাকরি থেকে বিচ্চুতি করতে পারবে না যদি চেষ্টা করে তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য মানুষের চাইতে তার সরকারী চাকরীর যোগ বেশি থাকে এবং সে সাধারণত আমরা হাত দেখে যা গবেষণা করেছি তাহলে যদি এমনটি থাকে সে চেষ্টা করলে সরকারী চাকরী অবশ্যই হবে বা ভাগ্য রেখা থেকে যদি কোন রেখা আবার অন্য একটি রেখা রবির ক্ষেত্রে গেলে এই ক্ষেত্রে সরকারী চাকরীর যোগ নির্দেশ করে তবে রবির আঙ্গুলটি খুব সন্দুর হবে আঁকা বাঁকা হলে হবে না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180604231712

Sunday, June 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কিছু গুরুত্বপূর্ণ হস্তরেখা

কিছু গুরুত্বপূর্ণ হস্তরেখা


আজ আমি হাতের কয়েকটি রেখা নিয়ে আলোচনা করলাম।

ভাগ্যরেখা

১/ ভাগ্যরেখা মনিবন্ধ থেকে উঠে আয়ুরেখা গেসে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত যায় ভাগ্য রেখার উপরে যদি যব চিহ্ন থাকে তাহলে বুঝায় যে অশুভ শুচনা করে। এসময় তার ভাগ্য উন্নতিতে বাধা গ্রহস্থ করে। অনেকে যব করে চাকরি চলে যায় অনেকের ব্যবসায় অনেক লস খায় এক সময় এক কথায় সব ক্ষেত্রে বাধা দেখা দেয়।

২/ ভাগ্যরেখা মনিবন্ধ থেকে উঠে আয়ুরেখা গেসে শনির ক্ষেত্রে যায় তো ভাগ্য রেখার উপরে যদি ক্রস চিহ্ন থাকে সেক্ষেত্রে অশুভ শুচনা করে। সে সময় ব্যবসা চাকরি জিরোতে চলে আসে এই রকম অশুভ চিহ্ন থাকা ভালো না।

৫/ অনেক ক্ষেত্রে হাতে দুইটা ভাগ্য রেখা দেখা যায় একটি করতল থেকে একটা চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে এধরনের ভাগ্যরেখা শুভ এক্ষেত্রে চন্দ্র থেকে ভাগ্যরেখা উঠলে তারা বিপরীত লিঙ্গ থেকে সাপোর্ট পায় যেমন মা,বাবা,স্ত্রী থেকে পাশাপাশি মনিবন্ধ থেকে ভাগ্যরেখা তাদের ভ্রমণ ও হয় চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে ভাগ্য রেখা উঠলে ভ্রমণ হয় এটা শুভ এধরনের ভাগ্যরেখা থাকলে উন্নতি করে।

৪/ চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে ভাগ্যরেখা উঠে শনির ক্ষেত্র গেলে এধরনের মানুষ উথান পতনের মধ্য দিয়ে কাটে। চন্দ্র থেকে ভাগ্যরেখা শুরু হলে চন্দ্র যেমন পৃথিবীর উপগ্রহ চন্দ্র যেমন জোয়ার ভাঁটা, আমবস্যা, পূর্ণিমা,রাত ,দিন চন্দ্রর একটি বৈশিষ্ট্য তেমনি চন্দ্র থেকে ভাগ্যরেখা মানুষের জীবন উথান পতনের মধ্যে থাকে সাধারণত সে যতই নিচু ফ্যামিলি হোক না কেন তার বিয়ের ভাগ্যটা খুব ভালো হয় তার বিয়ের ভাগ্যটা খুব ভালো হয় কারণ চন্দ্র বৃহস্পতি মিত্র গ্রহ চন্দ্র থেকে ভাগ্যরেখা উঠলে নারী ধারা সহযোগীতা পায় এধরনের লোকের বিয়ের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে কারণ তাদের বিবাহ যোগ ভালো থাক

হৃদয় রেখা

১/ হৃদয়রেখা শিরোরেখায় এসে মিশে গেলে তাদের ম্যারেজ হবার সম্ভাবনা প্রবল দেখা যায়।

২/ হৃদয় রেখা শনির ক্ষেত্রে এসে হঠাৎ স্তব্দ হয়ে গেলে জাতক আজীবন পার্থিব প্রমে ভালবাসায় আঘাত পায়।পত্নী ও নারীরা তাকে ভুল বোঝে তার ভালবাসার প্রকৃত মুল্য সে পায় না।এরা সংসার চিন্তা করে আধ্যাত্নিক দিকে মন দেয় ও সেই পথে এগিয়ে যায়।

৩/ হৃদয় রেখা থেকে একটা রেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে এবং একটি রেখা মঙ্গলের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে গেলে এরা জীবনে আঘাত পেলেও তা সহ্য করতে পারে। এরা প্রেমের মাঝ দিয়ে বিত্তশালী হয় ও অনেক অর্থ পায়। কিন্তু এদের হৃদপিন্ডের রোগ,বুক ধড়ফড় করা,থ্রম্বোসিস প্রভৃতি হতে পারে।

৪/ হৃদয়রেখা থেকে রেখা উঠে শনির ক্ষেত্রে গেলে তার ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। মনে ব্যথা পেলেও তা কখনো প্রকাশ করে না।

৫/ হৃদয়রেখা কোথাও ভাঙা হলে ঐ বয়সে জাতকের প্রেম বা ভালবাসার বিরাট ট্রাজেডি নির্দেশ করে। সেই জন্যে জাতক বিচলিত হলেও তা সামলে নেয়।শনির ক্ষেত্রে এটি ভগ্ন হলে প্রেমে বিরহ বোঝায়।শিক্ষার ক্ষেত্রে এদের দোদুল্যমান অবস্থা থাকে। এদের সংযম কম থাকে। অনামিকার নিচে ভগ্ন হলে অনামিকার ফলে বিচ্ছেদ বোঝায়।কনিষ্ঠার নিচে ভগ্ন হলে তা নিজ ধৃষ্টতার জন্য বিরহ বা প্রেমে ব্যর্থতা বোঝায়।

আয়ুরেখা

আয়ুরেখা শুধু আয়ুই নির্দেশ করে না তা প্রাণচাঞ্চল্য জীবনী শক্তি এবং জীবন উজ্জ্বলতা নির্দেশ করে। তার সঙ্গে সমান্তরাল রেখা থাকলে তাকে বলে অনুগরেখা বা মঙ্গল রেখা বা মার্শাল রেখা।এটি থাকলে জাতকের জীবনী শক্তি খুব বেশি হয় এবং সে দীর্ঘায়ু হয়ে থাকে। আমি বিজ্ঞান বিক্ততিক কিছু দিক তুলে ধরলাম বন্ধুদের কাছে।

১/ আয়ুরেখা থেকে কোন রেখা উঠে চন্দ্রের ক্ষেত্রে গেলে তা শুভ হয়।ঐ জাতক বিদেশে যায়। তবে ঐ রেখায় যব থাকলে জাতকের বিদেশে কষ্ট বা দুঃখ বা বাধা হয়।

২/ আয়ুরেখা থেকে রেখা উঠে শনির ক্ষেত্রে গেলে জাতকের ঐ বয়সে উন্নতি হলেও প্রথমে তার জীবনে একটা দুঃখ বিষাদ হতাশা বা শোক আসবে।

৩/ আয়ুরেখা থেকে রেখা উঠে রবির ক্ষেত্রে গেলে জাতক খ্যাতনামা হয়।

৪/ আয়ুরেখা থেকে রেখা উঠে বুধের ক্ষেত্রে গেলে তার ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি হয়।তবে তার স্বাস্থ্য মাঝে মাঝে গোলমাল করতে পারে যদি রেখা গভীর ও স্পষ্ট না হয়।

৫/ আয়ুরেখা থেকে রেখা উঠে বৃহস্পতির ক্ষেত্রে গেলে তা শুভ ফল দেয়।

৬/ দুটি আয়ুরেখা পাশাপাশি থাকলে জাতক নানা বাধাবিঘ্ন বা ঝামেলাতে পড়লে তা থেকে সহজে রক্ষা পায়। তবে দ্বিতীয় রেখাটি আয়ুরেখাকে ক্রস করে চন্দ্রের ক্ষেত্রে গেলে তা অশুভ এবং ঐ বয়সে মানসিক উত্তেজনা বোঝায় ।

শিরোরেখা

১/ শিরোরেখার উপরে যব বা দ্বীপ চিহ্ন থাকলে তা ভাল হয় না।ঐ বয়সে কোনও ভুলের জন্য মানসিক কষ্ট পাবে। মানসিক রোগও হতে পারে। ঐ যব বৃহস্পতির নিচে থাকলে প্রবল উচ্চাকাঙ্কা থাকবে তবে তা পূর্ণ হবে না। শনির ক্ষেত্রের নিচে থাকলে তার বিশ্লেষণী ক্ষমতা থাকে না। রবির ক্ষেত্রের নিচে থাকলে প্রতিষ্টা পায় না।বুধের নিচে থাকলে বানিজ্যে ক্ষতি নির্দেশ করে। বিদ্যালাভেও অসুবিধা হয় ও চক্ষুরোগ ও নির্দেশ করে।
২/শিরোরেখা হৃদয়রেখা সমান্তরাল হরে জাতক আজীবন মনে মনে শত্রুতা বা বন্ধুত্বভাব পোষণ করে কোনও কথা সহজে ভোলে না।
৩/ শিরোরেখা ভগ্ন বা শৃঙ্খলযুক্ত হলে কোনও চিন্তা মাথায় বেশি সময় স্থান পায় না। তার উন্মাদ রোগ হবার প্রবণতা থাকে।
৩/ শিরোরেখাতে চতুষ্কোণ চিহ্ন থাকলে তা শুভ।ঐ বয়সে সব বিপদ থেকে জাতক রক্ষা পায়।
৪/ শিরোরেখা সম্পূর্ন মঙ্গলের প্রথম ক্ষেত্র পর্যন্ত আয়ুরেখার সঙ্গে একত্রে গিয়ে তারপর পৃথক হলে জাতক অত্যাচারী এবং পরপীড়ক হতে পারে।
৫/ দুটি শিরোরেখা খুবই কম দেখা যায়।তবে তা থাকলে খুবই শুভ।জাতকের নানা বিষয়ে জ্ঞান থাকে এবং অভূতপূর্ব মেধাশক্তি থাকে তার। বিরাট কোনও কাজ করে সে বিশ্বকে চমকে দেয়।
৬/ শিরোরেখা আয়ুরেখাকে কেটে শুক্রের ক্ষেত্রে এলে সে জনসাধারণের কাছ থেকে বিরাট খ্যাতি পায়। সে সার্থক নেতাও হতে পারে।
৭/ শিরোরেখা থেকে শাখা উঠে কনিষ্টা পর্যন্ত গেলে তা খুব শুভ হয়।জাতক হয় ধার্মিক শান্ত এবং খুব উন্নতমনা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180603133008

Sunday, June 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহপীড়ায় রুদ্রাক্ষ

গ্ৰহপীড়ায় রুদ্রাক্ষ

রুদ্রাক্ষ ধারণ এক অতি পবিত্র বিষয় বলে পরিগণিত হয় সনাতন ধর্মে। রুদ্রাক্ষকে শৈবাগম মনে করে মহাদেবের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদ। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে ইন্দোনেশিয়ায় রুদ্রাক্ষ লভ্য। এটি একটি গাছের ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিওকারপাস গ্যানিট্রাস। নেপালে জন্মানো রুদ্রাক্ষকেই গুণগত মানে উন্নত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিধ কারণে সনাতন জ্যোতিষে রুদ্রাক্ষ ধারণের নির্দেশ রয়েছে। প্রাচীন তামিল শৈব সিদ্ধান্ত-গ্রন্থ ‘তিরুমন্তিরম’ বিশদে জানায় রুদ্রাক্ষ-মহিমা।

রুদ্রাক্ষের গায়ে যে শিরার মতো দাগ দেখা যায়, তাকেই রুদ্রাক্ষের ‘মুখ’ বলা হয়। সাধারনত ১ থেকে ২১ পর্যন্ত মুখ দেখা যায় রুদ্রাক্ষের। এর বাইরেও রুদ্রাক্ষের রকমফের রয়েছে। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতাও রয়েছেন। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের উপরে নিয়ন্ত্রণরত গ্রহরাও পৃথক। এখানে কোন রুদ্রাক্ষের কী মহিমা, তা আলোচিত হল।

• একমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা স্বয়ং শিব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যাবতীয় পাপ নাশ হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। যে ব্যক্তিরা ক্ষমতা লাভ করতে চান, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাবেন।

• দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ হরপার্বতীর দ্যোতক। শিব ও শক্তি যুগপৎ এতে অবস্থান করেন। একে তাই ‘অর্ধনারীশ্বর’ হিসেবেও ধরা হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। আধ্যাত্মিক তৃপ্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।

• ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ— এর অধিষ্ঠাতা অগ্নিদেব। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ মঙ্গল। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে পাপমুক্তি ঘটে। ভয় দূর হয়।

• চতুর্মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ব্রহ্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বুধ। ধারণ করলে সৃজনশক্তি বৃদ্ধি পায়।

• পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কালাগ্নি রুদ্র। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বৃহস্পতি। ধারণ করলে স্বাস্থ্য ও শান্তি সুরক্ষিত থাকে।

• ষড়মুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা কার্তিকেয়। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শুক্র। ধারণে শোক থেকে মুক্তি ঘটে। উচ্চশিক্ষা লাভ হয়। যৌনজীবন সুখের হয়।

• সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী। নিয়ন্ত্রণ করে শনি। ধারণে দুর্দশা দূর হয়। বাণিজ্যে সাফল্য আসে।

• অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা গণেশ। নিয়ন্ত্রক রাহু। ধারণে বাধা-বিপত্তি দূর হয়। শত্রুনাশ হয়।

• নবমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ কেতু। ধারকের জীবনে শক্তি সঞ্চারিত হয়, ভয় দূর হয়।

• দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা বিষ্ণু। কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। অশুভ শক্তি নাশ করে।

• একাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। ধারকের জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি, বাকশক্তি বৃদ্ধি পায়।

• দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা সূর্য। নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। ধারক লাভ করেন খ্যাতি ও প্রতিপত্তি।

• ত্রয়োদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা ইন্দ্র।
প্রভাবশালী গ্রহ শুক্র। ধারণ করলে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসে।

• চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা হনুমান। নিয়ন্ত্রক গ্রহ শনি। এই রুদ্রাক্ষ ‘দেবমণি’ বলে পরিচিত। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অতিলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। ধারকের সিদ্ধান্ত কখনও ব্যর্থ হয় না।

• পঞ্চদশমুখী রুদ্রাক্ষ— শিবের পশুপতি রূপ এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা। এর কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে চর্মরোগ থেকে মুক্তি মেলে।

• ষোড়শমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা রামচন্দ্র। এরও কোনও নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে জয় নিশ্চিত হয়। গৃহে রাখলে চুরির ভয় থাকে না।

• সপ্তদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা বিশ্বকর্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। আর্থিক সৌভাগ্য সুনিশ্চিত করে।

• অষ্টাদশমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাত্রী দেবী বসুমতী। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে সুখ ও শান্তি নিশ্চিত হয়। গর্ভবতী নারীর কল্যাণ হয়। গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকে।

• উনবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠাতা দেবতা নারায়ণ। নিয়ন্ত্রক গ্রহ নেই। ধারণে পার্থিব সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।

• বিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— ভগবান বিষ্ণু এর অধিষ্ঠাতা দেবতা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ গুপ্ত। ধারক মোক্ষলাভ করেন।

• একবিংশতিমুখী রুদ্রাক্ষ— নিরাকার ব্রহ্ম এর অধিষ্টাতা। এরও গ্রহ গুপ্ত। এই রুদ্রাক্ষও মোক্ষ দান করে।

• গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ— অধিষ্ঠান হরপার্বতীর। নিয়ন্ত্রক গ্রহ চন্দ্র। পারিবারিক শান্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ অব্যর্থ।

• গণেশ রুদ্রাক্ষ— এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভশক্তি জারিত হয়। বিঘ্ন নাশ হয়। সাফল্য নিশ্চিত হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180603132046

Saturday, June 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ইংরেজী তারিখ অনুযায়ী আংশিক ভাগ্য ফল

ইংরেজী তারিখ অনুযায়ী আংশিক ভাগ্য ফল

ইংরাজী তারিখ অনুসারে ভাগ্যফল (সংক্ষিপ্ত আকারে)
(জন্ম সময়ে গ্রহদের ভিন্ন স্থানে অবস্থানের জন্য এই ফলাফল পুরোপুরি নির্ভুল নাও হতে পারে )

***** 21 শে মার্চ থেকে 19 শে এপ্রিলে যাদের জন্ম-
১. বিদ্যা- মধ্যম, কারিগরি ও সামরিক বিদ্যায় দক্ষতা
২. চরিত্র- তেজস্বী, গম্ভীর, সংযত, বাস্তববাদী।
৩. মন- দয়ালু ও মানী।
৪. প্রতিভা- প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।
৫. প্রেম- প্রদীপে ঝাঁপিয়ে পড়া পতঙ্গের মত রমনীর ভিড়।
৬. বিবাহিত জীবন- মোটামুটি সুখের, অহংকার বর্জন শ্রেয়।
৭. প্রতিষ্ঠা- নিজের চেষ্টাতে
৮. রোগ- মাথাব্যাথা, বাত, রক্তচাপবৃ্দদ্ধি ও হৃদরোগ।
৯. শুভ বার ও মাস- রবি, মঙ্গল, বৈশাখ, শ্রাবন, ভাদ্র, পৌষ
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ১ ও ৯ . সাদা ও লাল

*** 20 শে এপ্রিল থেকে 20 শে মে যাদের জন্ম-
১. বিদ্যা- মোটামুটি, নানা বিষয়ে ব্যুৎপত্তি ।
২. চরিত্র- বিলাসী, পরিপাটি, প্রফুল্ল, ভাবুক, রুদ্রসুন্দর।
৩. মন- শান্ত, সৃজন, ও সদ্গুনের অধিকারি।
৪. প্রতিভা- নানা বিদ্যা ও শিল্পে পারদর্শি।
৫. প্রেম- অবুঝ, ক্ষতিকারক, দুঃখদায়ী।
৬. বিবাহিত জীবন- মোটামুটি সুখের।
৭. প্রতিষ্ঠা-.২৯-৩৯ বছর পর
৮. রোগ- বাত, বহুমূত্র, যকৃত, নাক, কান।
৯. শুভ বার ও মাস- সোম, শনি, ভাদ্র, আশ্বিন।
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন-.২ ও ৬, সাদা, কালো

***21 শে মে থেকে 21 শে জুন---
১. বিদ্যা- বাধা, পুনরায় শুরু, নানা শাস্ত্রে পারদর্শী।
২. চরিত্র- খেয়ালী, উদ্দাম, ভোগী
৩. মন- কল্পনাযুক্ত, নির্জনতাপ্রিয়, উদার, দ্বেষশুন্য
৪. প্রতিভা- নানা বিষয়ে পান্ডিত্য, মহাজজ্ঞানী।
৫. প্রেম- অস্থির, উদ্ভ্রান্ত
৬. বিবাহিত জীবন- নিজের দোষে কিছুটা অসুখী।
৭. প্রতিষ্ঠা- প্রথমে ২০বছর ও পরে ৩৫ বছর পর
৮. রোগ- বদহজম, বাত,মাথাধরা, অর্শ, শ্লেষ্মা
৯. শুভ বার ও মাস- বুধ, শুক্র, আষাঢ়, আশ্বিন, পৌষ, চৈত্র
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৫ ও ৭. সবুজ ও ক্রীম

*** 22 শে জুন থেকে 22 শে জুলাই-
১. বিদ্যা- খুব শুভ নয়, নানা শাশ্ত্র চর্চাকারী।
২. চরিত্র- কোমলতা, বীরত্ব, আবেগস্পূর্ণ
৩. মন- উদার, প্রকৃত সংসারী।
৪. প্রতিভা- ধর্ম ও ভৌতিক চিন্তাছন্ন
৫. প্রেম- কিছুটা হতাশা যুক্ত, ক্ষনস্থায়ী।
৬. বিবাহিত জীবন- মিথ্যা ধারনাযুক্ত, কিছুটা অসুখী।
৭. প্রতিষ্ঠা-.৩০ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে।
৮. রোগ- নাখ, কান, গলা, স্নায়ু, পেট, মুত্রাশয়
৯. শুভ বার ও মাস- সোম ও শুক্র। শ্রাবন আশ্বিন , পৌষ, চৈত্র
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৪ ও ৭ .সাদা, গোলাপী

***23 শে জুলাই থেকে 22 শে আগষ্ট--
১. বিদ্যা- বাধা, পুনরায় শুরু
২. চরিত্র- পরাক্রম, মহৎ,বিবেকশালী ও কাম প্রবন
৩. মন- ক্ষমাশীল, কোমল
৪. প্রতিভা- সঙ্গীত ও অভিনয়ে
৫. প্রেম- ভীতি, কৌ্তূহলী, কামনা তৃপ্তির জন্য ব্যাকুলতা।
৬. বিবাহিত জীবন- দুর্বল
৭. প্রতিষ্ঠা- ৩০ বছর বয়সে
৮. রোগ- বাত, অম্বল,টনসিল, ভগন্দর, আমাশয়
৯. শুভ বার ও মাস- রবি, বুধ। আষাঢ়, অগ্রহায়ন, পৌষ
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ১ ও ৪। সোনালী

*** 23 শে আগষ্ট থেকে 22 শে সেপ্টেম্বর--
১. বিদ্যা- উন্নত, নানাশাশ্ত্রে পারদর্শী, সন্মানিত ও পুরস্কৃত
২. চরিত্র- বিশেষ সুন্দর, অন্যায় বিরোধী,চালাক, কামুক
৩. মন- খেয়ালী, কোমল, আত্মমর্যাদা যুক্ত।
৪. প্রতিভা- শাস্ত্রজ্ঞানী ও লেখক।
৫. প্রেম- যাতনাময় অবুঝ
৬. বিবাহিত জীবন- অতি সুখি বা দুখী
৭. প্রতিষ্ঠা- ৩৭ বছর
৮. রোগ- জন্ডিস, নিউমোনিয়া,
৯. শুভ বার ও মাস- ৪,৮। সাদা
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- রূপা, তামা, । পান্না, মুক্তা

***23 শে সেপ্টেম্বর থেকে 23 অক্টবর--
১. বিদ্যা- অতিব শুভ, নানা বিষয়েে ব্যুৎপত্তি.
২. চরিত্র- আনন্দমুখর, পরিশ্রমী, বলিষ্ঠ, কামুক
৩. মন- দয়ালু, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, পরচর্চা বিরোধী
৪. প্রতিভা- মধ্যমানের, কারিগরিতেও উন্নতি
৫. প্রেম- অতৃপ্ত কামনা বাসনা যুক্ত
৬. বিবাহিত জীবন- মোটামুটি সুখের
৭. প্রতিষ্ঠা- ১৮/৩৬/৪৫ বছর বয়স হতে
৮. রোগ- মানসিক ব্যাধি, অর্শ, যকৃৎ, চোঁখ, দাঁত ও জন্ডিস
৯. শুভ বার ও মাস- রবি ও শুক্র, বৈশাখ, ভাদ্র, কার্ত্তিক
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৬।,৮। সাদা

*** 24 অক্টোবর থেকে 21 শে নভেম্বর-
১. বিদ্যা- মোটামুটি শুভ তবে চেষ্টানির্ভর
২. চরিত্র- সৎ, পরিশ্রমি, ভাবুক, বয়স্কভক্ত, বিনয়ী।
৩. মন- দেশপ্রেমিক, ভাবপ্রবন, চঞ্চল, জেদী।
৪. প্রতিভা- গুপ্ত বিদ্যা ও অংকে পারদর্শী, সাহিত্যজঞানী, শিল্পী
৫. প্রেম- যথার্থ প্রেমিক, রমনীমন জয়ী, বিপদকারক
৬. বিবাহিত জীবন- অল্প সুখের, পারিবারিক অশান্তি যুক্ত
৭. প্রতিষ্ঠা- ১৮/২৫/৩৩ বছরে
৮. রোগ- অর্শ, অম্বল, চক্ষু্রোগ, জ্বর, শ্লেষ্মা
৯. শুভ বার ও মাস- রবি, মঙ্গল। বৈশাখ, ভাদ্র, মাঘ
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ১,৯. নীল

***22 শে নভেম্বর থেকে 21 শে ডিসেম্বর
১. বিদ্যা- যথেষ্ট ভাল, নানাশাশ্ত্রে ব্যৎপত্তি
২. চরিত্র- ধার্মিক, সংস্কার্মুক্ত
৩. মন- সৎ ও সরল, সামান্য সন্দেহযুক্ত
৪. প্রতিভা- শিল্পে, ফাটকাবাজিতে
৫. প্রেম- আড়ম্বর শুন্য, স্নেহের কাঙাল
৬. বিবাহিত জীবন- মোটামুটি
৭. প্রতিষ্ঠা- ২৩ ও ২৬ বছর পর
৮. রোগ- শ্লেষ্মা, হৃদরোগ, লিভার
৯. শুভ বার ও মাস- বৃহঃ, শুক্র।
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৩,৯। সাদা ও হলুদ

****22 শে ডিসেম্বর থেকে 19 জানুয়ারি
১. বিদ্যা- পরিশ্রমে সুনাম, মধ্যম উন্নতি
২. চরিত্র- গাম্ভীর্য, ন্যায়পরায়ন, সরল, জেদি।
৩. মন- একাগ্র, স্থীর, সৎ, বিষন্ন, সন্দেহযুক্ত
৪. প্রতিভা- বানিজ্য, কারিগরি বিদ্যাতে পারদর্শি
৫. প্রেম- অতৃপ্ত, অবুঝ, দুর্নামকারক
৬. বিবাহিত জীবন- অল্প সুখের
৭. প্রতিষ্ঠা- চাকরিতে পরিবর্তন, ৩২-৪৮ বিশেষ শুভ
৮. রোগ- ্লিভার, বাত, মূত্র, চর্ম
৯. শুভ বার ও মাস- সোম ও বৃহঃ,
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ১,৭। কালো ও ধুমল

***20 শে জানুয়ারি থেকে 18 ফেব্রুয়ারী--
১. বিদ্যা- শুভ, অনুরাগনির্ভর, নানাবিষয়ে ব্যুৎপত্তি
২. চরিত্র- মানবতা বোধ সম্পন্ন, কর্তব্য পরায়ন
৩. মন- উ্দার, সরল, বুদ্ধিযুক্ত, জেদী
৪. প্রতিভা- নানা শাশ্ত্রে গবেষনা
৫. প্রেম- ব্যর্থ নয়
৬. বিবাহিত জীবন- মোটামুটি শুভ
৭. প্রতিষ্ঠা- ২৮-৪৪ বছর, চাকুরিতে সুনাম
৮. রোগ- রক্তচাপ, হৃদবেদনা, উদর রোগ
৯. শুভ বার ও মাস- রবি, শনি
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৪,৮।

****19 শে ফেব্রুয়ারী থেকে 20 শে মার্চ---
১. বিদ্যা- মোটামুটি শুভ, পরিশ্রমে লাভ
২. চরিত্র- দ্বেষশূন্য, ভদ্র, শানিত, চাপা স্বভাবের
৩. মন- কষ্টসহিষ্নু, ভাবপ্রবন, ধৈর্যশীল, দৃঢ়
৪. প্রতিভা- নানা শাশ্ত্রে ব্যুৎপত্তি
৫. প্রেম- অতৃপ্ত বাসনা যুক্ত, বদনামকারক
৬. বিবাহিত জীবন- অল্প শান্তি, সন্দেহযুক্ত, সুখী
৭. প্রতিষ্ঠা- ২১/২৮/৪২ বছরে
৮. রোগ- অর্শ, আমাশয়, পেটের রোগ
৯. শুভ বার ও মাস- মঙ্গল, বৃহঃ। আষাঢ়, ভাদ্র, পৌষ
১০. শুভ সংখ্যা ও বর্ন- ৩ ও ৬ । সাদা ও ক্রীম

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180602205825

Saturday, June 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভাববিচার-জোতিষ শাস্ত্রের কিছু নিয়ম

ভাববিচার-জোতিষ শাস্ত্রের কিছু নিয়ম

শুভ সন্ধ‍্যা

ভাব বিচার ও কিছু বিশেষ নিয়ম
(ক) প্রথম অংশ

জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিভিন্ন বইতে শত শত নিয়ম লিপিবদ্ধ আছে। সেইগুলি মনে রেখে সাধারণভাবে ফল বিচার খুব সহজ নয়। তবে কতকগুলি ব্যতিক্রম বাদ দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটা সাধারণ নিয়ম কাজ করে, সেটা আয়ত্ব করাই শ্রেয়।
কোন ভাব বিচারের জন্য যেগুলি জানা প্রয়োজন তার অনেকগুলিই আগে প্রসঙ্গ অনুযায়ী বিক্ষিপ্তভাবে লেখা হয়েছে(blog দেখুন)সেগুলি আর একবার সঙঘবদ্ধভাবে দেখে নেবার দরকার আছে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি ভাল করে আয়ত্ব করতে না পারলে ফল নির্ণয়ে সফলতা না ও আসতে পারে। এই নিয়মগুলি প্রথম পাঠের নিরীখে হয় ত একটু গোলমেলে মনে হতে পারে। স্থানে স্থানে যতটা সম্ভব উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে। বার বার পড়লে নিশ্চয়ই অর্থ অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে নীচের লেখাগুলি পড়তে শুরু করার আগে, কাগজ ও পেন্সিল নিয়ে বসলে এবং যথাযথ স্থানে বর্ণিত গ্রহ সন্নিবেশ সঙ্গে সঙ্গে এঁকে নিয়ে বুঝতে পারলে খুবই কার্যকরী হবে।

১নং নিয়ম
জন্মকুণ্ডলীতে কোন গ্রহ ফলদান করে মুলতঃ যে বিষয় গুলিকে কেন্দ্র করে সেগুলি হ'ল (ক) গ্রহটি যে ভাবের অধিপতি তার ফল; (খ) যে ভাবে অবস্থিত তার ফল; (গ) নিজের কারকত্ব অনুযায়ী ফল; (ঘ) যে গ্রহদ্বারা দৃষ্ট হচ্ছে বা যে গ্রহের সঙ্গে যুক্ত আছে তার ফল; (ঙ) যে নক্ষত্রে অবস্থিত তার অধিপতির ফল; (চ) নবাংশ বা অন্যান্য বর্গে গ্রহটির অবস্থান বিচারের ফল।

৪র্থ অনুচ্ছেদে সংযোজিত চিত্র ২ক তে দেখান জন্মকুণ্ডলীটিকে উদাহরণ হিসাবে নেওয়া যাক। ধরা যাক শনি গ্রহটি। শনি কি ফল দিতে পারে ? শনি এখানে ১১শ ও ১২শ ভাবের অধিপতি - অতএব ১১শ ও ১২শ ভাবের ফল; অবস্থিত ২য় ভাবে - অতএব ২য় ভাবের ফল। ৫ম অনুচ্ছেদে সব গ্রহের সঙ্গে শনিরও কারকত্ব সম্বন্ধে বলা হয়েছে - অতএব তার কিছু ফল; শনি দৃষ্ট হচ্ছে মঙ্গল ও শুক্র দ্বারা - অতএব এদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় এদের সম্পর্কিত কিছু ফল; শনি ২নং ভরণী নক্ষত্রে অবস্থিত হওয়ায় এই নক্ষত্রের অধিপতি শুক্রের ফল এবং পরিশেষে শনির নবাংশগত ফল। এতগুলি সম্ভাব্য ফলের মধ্যে, সব দিক বিচার করে যেটি বা যেগুলি ঘটবার সম্ভাবনা সমধিক - সেই ফলই বলতে হবে। এখানেই জ্যোতিষীর মুন্সিয়ানা। কোন ফল কতটা ফলবে এবং কোন ঘটনা কোন সময়ে ঘটবে সেটা সঠিকভাবে নির্দেশ করা খুব কঠিন - অনেক পড়াশুনা এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা না থাকলে সফল হবার আশা কম। তবে সাধারণ কিছু ফল বিশ্লেষণ অপেক্ষাকৃত সহজ।

২নং নিয়ম
বৃহস্পতি, শুক্র, পাপগ্রহের সংযোগহীন বুধ ও শুক্লপক্ষের চন্দ্র (রবি থেকে চন্দ্রের অবস্থান ৭২ ডিগ্রির বেশী হলে) নৈসর্গিক শুভ গ্রহ। পরাশরের মতে (যেটা বেশীর ভাগ জ্যোতিষীই মেনে চলেন) শুভগ্রহ কেন্দ্রের অধিপতি হলে অশুভ ফল দেয়, পক্ষান্তরে অশুভগ্রহ (এখানে শনি, রবি ও মঙ্গলকে ধরতে হবে) কেন্দ্রাধিপতি হলে শুভ। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, সিংহ লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্র ৩য় ও ১০ম পতি। শুক্র নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হয়ে ১০ম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়ায়, সিংহ লগ্নের শুক্র সাধারণভাবে শুভ গ্রহ নয়। কোণপতি সব সময়েই শুভ। শুভগ্রহের কেন্দ্রাধিপত্য দোষ সম্বন্ধে পরে আরও বিশদভাবে বলা হবে। কোন ভাবে শুভগ্রহ অবস্থান করলে বা কোন ভাব শুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে, সেই ভাবের ফল শুভ হয়।
তবে এখানে একটা বিশেষ নিয়ম রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, কর্কট লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্রের ৪র্থ পতি (এবং ১১শ পতি) হিসাবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ রয়েছে; কিন্তু শুক্র যদি জন্মকুণ্ডলীতে ৪র্থে অর্থাত্ তুলা রাশিতে অবস্থিত হয় তবে তার অশুভত্ব কেটে যাবে যেহেতু সেটা স্বক্ষেত্রে রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই এ রকম ধরতে হবে।

৩নং নিয়ম
কোন ভাবের অধিপতি গ্রহ বন্ধìরাশিতে, স্বক্ষেত্রে, মূলত্রিকোণে বা তুঙ্গক্ষেত্রে বসে থাকলে সেই ভাবের শুভ হয়। কিন্তু কোন গ্রহ শুভই হোক বা অশুভই হোক (বিশেষ করে অশুভ গ্রহ) যদি নীচস্থ হয়ে বা শত্রুগৃহগত হয়ে কোনো ভাবে অবস্থিত হয় তবে সেই ভাবের হানি হয়। ধরা যাক, মকর লগ্নের শনি ৪র্থে মেষ রাশিতে বসে আছে। যেহেতু শনি মেষে নীচস্থ হয় তাই ৪র্থ ভাবের পক্ষেও অশুভ এবং যেহেতু মকর লগ্নের পক্ষে শনি লগ্নপতি (এবং ২য় পতি), অতএব শরীরের পক্ষেও খারাপ। এই জাতকের মা-এর শরীর( ৪র্থ ভাব থেকে মাতা ও গৃহসুখের বিচার হয়) নিয়েও দুঃশ্চিন্তা থাকতে পারে এবং গৃহসুখেরও হানি হতে পারে। এটা শুধু শনির অবস্থান থেকে বলা হ'ল, সামগ্রিকভাবে ফল নির্দেশের জন্য অন্যান্য গ্রহের অবস্থানও বিচার্য।

৪র্থ নিয়ম
যদি কোনও ভাবের অধিপতি শুভগ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয়ে সেই ভাবের কেন্দ্রে বা কোণে (অর্থাত্ লগ্নে, ৪র্থে, ৭মে, ১০মে বা ৫মে, ৯মে) অবস্থান করে, তবে সেই ভাবের পক্ষে শুভ।

৫ম নিয়ম
যদি কোনো ভাবের অধিপতি শুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট না হয়ে দুঃস্থানগত (৬ষ্ঠ, ৮ম, ১২শ ভাব) হয় অথবা ৬ষ্ঠ, ৮ম, ১২শ ভাবের অধিপতি যদি শুভদৃষ্ট না হয়ে কোনো ভাবে অবস্থিত হয়, তবে সেই ভাবের হানি হবে। এখানে একটা কথা মনে আসতেই পারে - সেটা হ'ল যদি ৬ষ্ঠ স্থানের অধিপতি ৬ষ্ঠ ভাবেই বসে থাকে তা'হলে কি হবে ? যেহেতু দুঃস্থানের অধিপতি যে ভাবে থাকবে সেই ভাবের অশুভ হয়, তাই ৬ষ্ঠ স্থানের অধিপতি ৬ষ্ঠে থাকলে ৬ষ্ঠ ভাবের হানি হবে। যেহেতু ৬ষ্ঠ ভাব থেকে ঋণ, রোগ, বাধা ইত্যাদি বিচার্য, অতএব ৬ষ্ঠপতি ৬ষ্ঠে থাকায় এগুলির হানি হলে জাতকের পক্ষে শুভই হবে। ধরা যাক কর্কট লগ্নের চন্দ্র কুম্ভে রয়েছে। কর্কট লগ্নের চন্দ্র লগ্নপতি বলে এবং কুম্ভ কর্কটের ৮ম স্থান বলে তনুভাবের (শরীর) পক্ষে মঙ্গলজনক হবে না। আবার ধরা যাক, কর্কট লগ্নের শনি ৩য় ভাব কন্যায় অবস্থিত। ৮ম পতি শনি ৩য় ভাবে থাকায় ৩য় ভাবের শুভ হবে না। তবে ৩য় উপচয় বলে, শনির অবস্থান সেখানে কিছুটা ভাল এবং যেহেতু কন্যা রাশি শনির মিত্র ক্ষেত্র, অতএব ৭ম ও ৮ম স্থানের কিছু শুভ হবারই কথা। অপর একটি উদাহরণ নেওয়া যাক। কোন জাতকের মেষ লগ্নে শনি রয়েছে। ফল কি হবে ? মেশ রাশিতে শনি নীচস্থ এবং শনি লগ্নে (তনুভাব) থাকার জন্য শরীর নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ১০ম ও ১১শ স্থানের থেকে ( মেষ লগ্নে শনি ১০ম ও ১১শের অধিপত) যথাক্রমে ৪র্থে ও ৩য়ে (কেন্দ্রে ও উপচয়ে) অবস্থানের জন্য ১০ম ও ১১শ ভাবদ্বয়ের পক্ষে শুভ। তাই কর্মক্ষেত্রে বা আয়ের ক্ষেত্রে ভাল ফল হবার কথা। তবে যেহেতু শনি দুর্বল (যদি নীচভঙ্গ না হয়) অতএব ফল খুব ধীরে ধীরে হবে। রাতারাতি কিছু হবার নয়।

এটা বলা হয়েছে যে কোন গ্রহ লগ্ন থেকে কেন্দ্রে বা কোণে অবস্থিত হলে সেটা বলশালী হয়। অশুভ গ্রহের বেলা কি হবে ? উদাহরণ দেওয়া যাক। বৃষ লগ্নের ক্ষেত্রে শনি ৯ম কোণ ও ১০ম কেন্দ্রের অধিপতি বলে রাজযোগকারী গ্রহ। ধরা যাক সেটি ৭ম কেন্দ্র বৃশ্চিকে অবস্থান করছে। তা হলে উপরি উক্ত নিয়মে শনির বল বৃদ্ধি হল। তা হলে শনি ৯ম ও ১০ম ঘরের পক্ষে শুভ হবে। এটা হবার আর একটা কারণ হলো, শনি ৭মে থাকার জন্য ৯ম ঘর থেকে ১১শে (লাভস্থান) এবং ১০ম ঘর থেকে ১০ম কেন্দ্রে রয়েছে। এক্ষেত্রে কারকত্ব হিসাবে শনি আয়ুষ্কারক গ্রহ বলে জাতকের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধিও হতে পারে। কিন্তু যে ঘরে শনি অবস্থিত, সে ঘরের পক্ষে শুভ নয়। এখানে শনি ৭মে থাকায় বিবাহিত জীবনের পক্ষে শুভ ফলদায়ক নয়। ঠিক একই ভাবে কোন ভাবের অধিপতি সেই ভাবে থাকলে ভাল বলা হয়েছে। তুলা লগ্নের শনি ৪র্থ ও ৫ম পতি। ৫মে অর্থাৎ কুম্ভে-মূলত্রিকোণে থাকলে ৫ম স্থানের পক্ষে শুভ অবশ্যই; কিন্তু শনির স্বভাবসিদ্ধ প্রকৃতি হিসাবে ৫ম স্থানের কিছু ক্ষতিও করবে। ৫ম যেহেতু সন্তানস্থান, একটি দুটি সন্তান দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

৬নং নিয়ম
কোনো ভাবের অধিপতি সেই ভাব থেকে বা লগ্ন থেকে দুঃস্থানে (৬ষ্ঠ, ৮ম ও ১২শে) থাকলে উক্ত ভাবের হানি হয়। যেমন বৃষলগ্নের বৃহ্রপতি ৮ম পতি এবং ৮ম স্থান থেকে আয়ু বিচার হয়; অতএব এই বৃহস্পতি ৮মের ১২শে অর্থাত্ বৃশ্চিকে বসলে, আয়ুর পক্ষে শুভ নয়। মেষলগ্নের ২য়পতি শুক্র এবং ২য় স্থান সঞ্চয়ের নির্দেশক। এই শুক্র যদি লগ্নের ১২শে অর্থাত্ মীনে থাকে তবে কি ধন সঞ্চয়ের পক্ষে অশুভ ? ভাবার্থ রত্নাকরে বলা হয়েছে এই শুক্র ধনস্থানের পক্ষে শুভ। কারণটা সোজা। শুক্র মীন রাশিতে তুঙ্গী হয়। তাই শুভ ফল দেবে। আবার ২য় পতি ১২শে থাকার অর্থ - ২য় পতি ২য় স্থান থেকে ১১শে আছে। ১১শ থেকে আয় বা লাভ বোঝায়। তাই ২য় পতি ২য় স্থান থেকে ১১শে থাকায় ২য় স্থানের পক্ষে শুভ। তবে এটা শুধু মেষ লগ্নের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই ভাবে ফল বিচার প্রয়োজন। কোন কোন গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, যেহেতু শুক্র এখানে লগ্ন থেকে ১২শে আছে, অতএব ধন সঞ্চয় হবে ঠিকই তবে সঞ্চিত ধন জাতকের ভোগে আসবে না।

৭নং নিয়ম
যে সব গ্রহ দু'টি করে ভাবের অধিপতি, সেই গ্রহ ঐ লগ্নের পক্ষে শুভ না অশুভ সেটা নির্ভর করবে, ঐ দু'টি ভাবের মূলত্রিকোণ দুঃস্থানগত কি না তার উপর। উদাহরণ দেওয়া যাক। মেষলগ্নের বৃহস্পতি ৯ম ও ১২শ ভাবের অধিপতি। কিন্তু বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ ধনু অর্থাত্ ৯ম ভাব। ৯ম যেহেতু ভাগ্যস্থান ও বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ, তাই মেষ লগ্নের পক্ষে বৃহস্পতি শুভ গ্রহ। আবার বৃষ লগ্নের বৃহস্পতি ৮ম ও ১১শ স্থানের অধিপতি; কিন্তু বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ ধনু ৮ম ভাবে হওয়ায় এবং ৮ম একটি দুঃস্থান হওয়ায়, বৃষলগ্নের বৃহস্পতি শুভ নয়। একই কারণে কন্যালগ্নের মঙ্গল শুভ নয়, কারণ মঙ্গলের (৩য় ও ৮ম ভাবের অধিপতি) মূলত্রিকোণ মেষরাশিতে এবং মেষ কন্যা লগ্নের ৮ম স্থান। এখানে অনেকগুলি প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রথমতঃ লগ্নপতিকে শুভ বলা হয় , কারণ লগ্ন একই সঙ্গে কেন্দ্র এবং কোণ হওয়াতে এর অধিপতি শুভ। এবার, লগ্নপতির মূলত্রিকোণ যদি দুঃস্থান হয় তবে কি হবে ? যেমন বৃশ্চিক লগ্নের মঙ্গল লগ্নপতি ও ৬ষ্ঠ পতি। বৃশ্চিকের ৬ষ্ঠ স্থান মেষ এবং মেষরাশি মঙ্গলের মূলত্রিকোণ। এখানে মঙ্গল একই সঙ্গে শুভ ও অশুভ হওয়ায় মঙ্গলকে সমভাবাপন্ন (neutral) হিসাবে ধরা হয়। তবে যদি মঙ্গল শুভ ভাবে অবস্থান করে ও শুভ গ্রহযুক্ত বা শুভদৃষ্ট হয়, তবে নিশ্চয়ই মঙ্গল শুভ হবে। যেমন, যদি বৃশ্চিকলগ্নের লগ্নপতি মঙ্গল লগ্নের ৫মে মীনে থাকে এবং লগ্নে বৃহস্পতি বসে মীন রাশিতে অবস্থিত মঙ্গলকে দৃষ্টি দেয়, তবে অবশ্যই শুভ। এখানে অন্য একটি সম্ভাব্য প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়া দরকার। আগেই জানা আছে যে নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ যদি কেন্দ্রের অধিপতি হয় তবে শুভ। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি গ্রহটির মূলত্রিকোণ দুঃস্থানগত হয় তবে কি হবে ? যেমন, কর্কট লগ্নের শনি। শনি ৭ম ও ৮ম স্থানের অধিপতি। কর্কটের ৮ম স্থান কুম্ভ রাশি শনির মূলত্রিকোণ, অতএব এই হিসাবে কর্কট লগ্নের শনি অশুভ। কিন্তু শনি আবার ৭ম (কেন্দ্র) ভাবের অধিপতি হওয়ার জন্য শুভ। তা হলে ? এক্ষেত্রে অনেক জ্যোতিষী কর্কট লগ্নের শনিকে সম (neutral) হিসবে গণ্য করেন। তবে জন্মকুণ্ডলীতে শনির অবস্থান ও অন্যান্য গ্রহের পারস্পরিক সম্বন্ধের উপর সামগ্রিকভাবে ফল নির্ভর করবে।

৮নং নিয়ম
কোনো গ্রহ রবির খুব কাছে এলে ( কোন গ্রহ কত কাছে এলে এটা হবে তা ৭ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ) অস্তগত (combust) হয় এবং সেই গ্রহ সাধারণতঃ শুভ ফলদায়ক হয় না। বুধ গ্রহকে এর কিছুটা ব্যতিক্রম বলে কোন কোন জ্যোতিষী মনে করেন। এই সঙ্গে কোন গ্রহ রাশি সন্ধি বা ভাব সন্ধিতে অবস্থান করলে যে দুর্বল হয় ( ৮ম অনুচ্ছেদ ) সেটাও মনে রাখতে হবে।

৯নং নিয়ম
শুভ গ্রহ যে ভাবে অবস্থান করে সেই ভাবের বৃদ্ধি বা শুভ হয়। কিন্তু ৬ষ্ঠ, ৮ম, ১২শ ভাবের বেলা নিয়মটা একটু আলাদা। ৬ষ্ঠে শুভগ্রহ ৬ষ্ঠ ভাবের বৃদ্ধি করে না অর্থাৎ শত্রু বৃদ্ধি করে না বরং শত্রু হ্রাস করে। ৮মে শুভগ্রহ রোগ ও বাধা-বিপত্তির হানি করে এবং ১২শে শুভগ্রহ ব্যয় হ্রাস করে। তবে শুভ গ্রহ যদি নীচস্থ বা বলহীন হয় বা অশুভ গ্রহ দৃষ্ট হয় তা হলে ফল অন্য রকম হতে পারে। ৬ষ্ঠে পাপগ্রহ রোগ বৃদ্ধি করে। ৬ষ্ঠে একাধিক পাপগ্রহ জাতককে একেবারে শয্যাশায়ী করে ফেলতে পারে। শনি পাপগ্রহ হলেও যেহেতু আয়ুষ্কারক গ্রহ, ৮মে শনি শক্তিশালী হলে আয়ুবৃদ্ধি হয় বলে বলা হয়েছে। দুঃস্থানে (৬ষ্ঠ, ৮ম ও ১২শে) পাপগ্রহ জীবনে নানা ভাবে অশান্তি ডেকে আনে। রাহু পাপগ্রহ হলেও ৬ষ্ঠে রাহুর অবস্থানকে ভাল বলা হয়েছে। ৬ষ্ঠে রাহু শত্রুজয়ী করে ও জাতককে দীর্ঘজীবী করে। তবে রাহু পাপগ্রহ হয়ে ৬ষ্ঠে থাকায় কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ৬ষ্ঠ (৯মের ১০ম স্থান) দুঃস্থান হলেও একটি উপচয় স্থান একথা মনে রাখতে হবে। উপচয়ে সব গ্রহই কিছু শুভ ফল দান করে। দুঃস্থান সম্বন্ধে পরে আরও বিশদ ভাবে বলা হবে।

১০নং নিয়ম
কোন ভাবের অধিপতি যে রাশিতে অবস্থান করবে সেই রাশির অধিপতি যদি দুঃস্থানে থাকে বা পাপগ্রহ যুক্ত হয় তবে সেই ভাবের হানি হয়। উদাহরণ স্বরূপ, যদি মেষলগ্নের চন্দ্র (৪র্থ স্থানের অধিপতি ) সিংহ রাশিতে থাকে এবং সিংহের অধিপতি রবি তুলা রাশিতে (তুলা রাশিতে রবি নীচস্থ হয়) থাকে তা হ'লে ৪র্থ ভাবের হানি হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গল সিংহ রাশিতে রয়েছে বলে, সিংহ রাশির অধিপতি রবি তার রাশি অধিপতি (sign dispoitor)। ঠিক একই ভাবে রাশি অধিপতির অবস্থান শুভ হলে রাশিতে স্থিত গ্রহটি শক্তিশালী হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে কোন গ্রহের রাশির অধিপতি অনেক সময়েই গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়কের ভূমিকা নেয়।

১১নং নিয়ম
কোন ভাবের অধিপতি কোন ভাবে বা রাশিতে অবস্থিত সেটার উপর অনেক ফলাফল নির্ভর করে। ধরা যাক লগ্নপতি দুর্বল হয়ে দুঃস্থানগত (৬ষ্ঠ, ৮ম, ১২শ ) এবং শত্রুগৃহগত হয়ে পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট, এ ক্ষেত্রে জাতকের নানা শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে এবং সে একজন সাধারণ ব্যক্তি হবে - খ্যাতির কোনো সম্ভাবনা থাকে না। ৫ম পতি ৭মে থাকলে ফল কি হবে ? ৫ম স্থান সূক্ষ্মবুদ্ধি নির্দেশ করে; ৭ম স্থান জায়াস্থান। অতএব ৫ম পতি ৭মে থাকলে স্ত্রী (বা স্বামী) বুদ্ধিমান ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হবারই কথা। আবার ৫ম স্থান থেকে যেহেতু আবেগ ইত্যাদি বিচার্য, ৫ম পতির ৭মে অবস্থান তাই প্রণয় ঘটিত কোন ব্যাপারকেও বোঝাতে পারে। আবার ৫ম স্থান উচ্চ পদে আসীন কোনও ব্যক্তির অনুগ্রহও নির্দেশ করে এবং ৭ম ভাব থেকে (১০ম স্থানের ১০ম স্থান) কর্ম্মে উন্নতিও বিচার করা যায়। অতএব ৫ম পতি ৭মে থাকলে উপরওয়ালার অনুগ্রহে কর্ম্মে উন্নতিও হতে পারে। তবে এই সব ফলই কোন ব্যক্তির একই সঙ্গে না হতেই পারে। এ গুলি সবই সম্ভাবনাময় দিক। ঠিক কি হবে সেটার জন্য অন্যান্য গ্রহের অবস্থান, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও কারকত্ব বিচার্য।

১২ নং নিয়ম
কোনো কোষ্ঠীতে দুটি গ্রহের মধ্যে চার রকম সম্পর্ক হতে পারে। (ক) সবচেয়ে ভাল বা শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক হ'ল পরস্পর ক্ষেত্র বিনিময় সম্পর্ক। ধরা যাক, মেষলগ্নে রবি (৫ম পতি) ধনুরাশিতে আছে এবং বৃহস্পতি (৯ম পতি ও ১২শ পতি) সিংহরাশিতে আছে। তা হ'লে রবি বৃহস্পতির ক্ষেত্রে ও বৃহস্পতি রবির ক্ষেত্রে অবস্থান করছে। অথবা বলা যায়, রবি ও বৃহস্পতি স্থান বা ক্ষেত্র বিনিময় করেছে। ৫ম ভক্তিস্থান ও ৯ম ধর্মস্থান ব'লে এই যোগ অন্যান্য ফলের সঙ্গে নিঃসন্দেহে আধ্যাত্মিক উন্নতিও নির্দেশ করে। (খ) দুটি গ্রহ পরস্পরকে পূর্ণদৃষ্টিতে দেখলে ২য় সম্বন্ধ হয়। যদি মঙ্গলের ৪র্থে শনি থাকে তবে শনির ১০মে মঙ্গল থাকবেই। মঙ্গল ৪র্থ দৃষ্টিতে শনিকে এবং শনি ১০ম দৃষ্টিতে মঙ্গলকে দেখবে। শনি ও মঙ্গল ছাড়া অন্য যে কোনো দুটি গ্রহ পরস্পরের ৭মে বসে না থাকলে এই যোগ হবে না। উদাহরণস্বরূপ কর্কট রাশিতে শনি এবং মেষ রাশিতে মঙ্গল থাকলে অথবা কন্যা রাশিতে রবি এবং মীন রাশিতে চন্দ্র থাকলে পরস্পরের দৃষ্টি বিনিময়ের এই ২য় রকমের সম্পর্ক হতে পারে। (গ) দুটি গ্রহ যখন একটি অপরটির ক্ষেত্রে অবস্থান করে এবং একটি অপরটিকে দৃষ্টি দেয় কিন্তু অন্যটি অপরটিকে দৃষ্টি দেয় না তখন ৩য় সম্বন্ধ হয়। যেমন, মঙ্গল সিংহরাশিতে রবির ক্ষেত্রে এবং রবি বৃশ্চিক রাশিতে মঙ্গলের ক্ষেত্রে অবস্থান করছে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গল ৪র্থ দৃষ্টিতে রবিকে দেখছে কিন্তু রবি মঙ্গলকে দেখছে না। এখানে মঙ্গল ও রবি ৩য় সম্বন্ধের দ্বারা আবদ্ধ। অথবা শনি বৃহ্রপতির ক্ষেত্র ধনুতে এবং বৃহ্রপতি শনির ক্ষেত্র কুম্ভতে রয়েছে। শনি ৩য় দৃষ্টিতে বৃহস্পতিকে দেখছে কিন্তু বৃহস্পতি শনিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না। অতএব এখানে শনি ও বৃহস্পতির ৩য় সম্বন্ধ হল। (ঘ) দুটি গ্রহ একই রাশিতে যুক্ত হলে ৪র্থ সম্বন্ধ হয়। যেমন, মেষ রাশিতে শনি ও বৃহস্পতি থাকলে, শনি ও বৃহস্পতির মধ্যে এই ৪র্থ সম্বন্ধ হয়েছে বলা যায়।

১৩নং নিয়ম
একটি গ্রহ কোন রাশিতে নীচস্থ হ'লে, সেই রাশির অধিপতি অথবা সেই রাশিতে যে গ্রহ তুঙ্গী হয় সেটি যদি লগ্ন বা চন্দ্র থেকে কেন্দ্রে অবস্থিত হয় তবে প্রথমোক্ত গ্রহের নীচভঙ্গ হয়। একে নীচভঙ্গ রাজযোগ বলে। এতে ঐ নীচস্থ গ্রহের নীচ ভাব কেটে যায় এবং সেটা শুভ ফল প্রদান করে। উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক কোন জাতকের লগ্ন মেষ ও রাশি ধনু এবং বুধ মীন রাশিতে নীচস্থ হয়ে অবস্থান করছে। এখন যে রাশিতে বুধ নীচস্থ হয়ে রয়েছে তার অধিপতি বৃহস্পতি; এই বৃহস্পতি যদি লগ্ন বা চন্দ্র থেকে কেন্দ্রে থাকে (যেমন বৃহস্পতি যদি লগ্নের ৭ম তুলা রাশিতে থাকে) অথবা চন্দ্র থেকে কেন্দ্রে থাকে (যেমন ৪র্থ কেন্দ্র মীনে থাকে) তবে বুধের নীচভঙ্গ হবে। স্পষ্টতই ২য় ক্ষেত্রে নীচভঙ্গ অনেক জোরালো ফল দেবে কারণ বৃহস্পতি মীনে স্বক্ষেত্রে বসে নীচভঙ্গ যোগ তৈরী করেছে। আবার মীন রাশিতে শুক্র তুঙ্গী হয় ; এই শুক্রও যদি লগ্ন বা চন্দ্রের কেন্দ্রে অবস্থিত হয় তা হলেও বুধের নীচভঙ্গ হবে। জ্যোতিষগ্রন্থে নীচভঙ্গের আরও অনেক নিয়ম দেওয়া আছে। এখানে একটি মুখ্য নিয়ম বলা হল।

১৪নং নিয়ম
কোন রাশিতে স্থিত গ্রহের সন্নিহিত দুই রাশিতে (অর্থাত্ ঐ রাশির ২য়ে ও ১২শে) যদি পাপগ্রহ (নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ - রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতু) অবস্থিত হয় তবে পূর্বোক্ত রাশিস্থিত গ্রহের শুভত্বের হানি হয়। একে বলে পাপ-কর্তরী যোগ। ঠিক একই ভাবে পাশের দুই রাশিতে অবস্থিত শুভ গ্রহের (নৈসর্গিক শুভ গ্রহ - বৃহ্রপতি, শুক্র, বুধ ও শুক্ল পক্ষের চন্দ্র) প্রভাবে মধ্যস্থিত গ্রহের শুভত্ব বৃদ্ধি পায়। এর নাম শুভ-কর্তরী যোগ। ধরা যাক মেষ লগ্নের রবি যদি কর্কটে থাকে এবং কর্কটের দুই পাশের রাশিতে (মিথুন ও সিংহ রাশিতে) যথাক্রমে রাহু ও শনি অবস্থিত হয় তবে রবি ৫ম পতি হওয়া সত্বেও পাপমধ্যগত হওয়াতে রবির শুভত্বের হ্রাস হবে। তেমনি, কুম্ভ লগ্নের শনি (লগ্ন ও ১২শ পতি) যদি সিংহে শত্রু গৃহগত হয় কিন্তু কর্কটে শক্তিশালী চন্দ্র ও কন্যায় বুধ অবস্থিত হয়, তবে শুভ-কর্তরী যোগের জন্য শনির অশুভত্ব অনেক কমে যাবে।

১৫নং নিয়ম
(ক) দশা বিচার কালে ২য় ও ১২শ ভাবের শুভাশুভত্ব কিছুই ধরা হয় না। তারা শুভ গ্রহের সংযোগে শুভ ফল এবং অশুভ গ্রহের সংযোগে অশুভ ফল প্রদান করে। এরা কোন গ্রহের সঙ্গে যদি যুক্ত না থাকে, তবে যে স্থানে থাকে সেই ভাবাধিপতির গুণানুক্রমে ফল দান করে। ২য় ও ১২শ ভাবাধিপতিকে সেই জন্য ‘পরতন্ত্রী’ বলা হয়। (খ) ২য় ব ৭ম পতি অথবা তাদের সঙ্গে যুক্ত যে কোন গ্রহই মারক হতে পরে। মারক অর্থে এদের দশা-অন্তর্দশায় মৃত্যু হবে তা সব সময়ে নয়। তবে এদের দশা-অন্তর্দশায় জাতক-জাতিকার নানা ঝঞ্ঝাট ও দুঃখের মধ্যে কাটে। (গ) রাহু বা কেতু কেন্দ্রে থেকে কোণপতির (৫ম বা ৯ম) সঙ্গে সম্বন্ধ করলে যোগকারক হয় এবং শুভ ফল দান করে। রাহু বা কেতু যে গ্রহের সঙ্গে যুক্ত থাকে বা যে গ্রহের ৭মে অবস্থান করে তার সঙ্গেই সম্বন্ধযুক্ত হয়। কোন গ্রহের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে, যে রাশিতে বসে থাকে তার ভাবাধিপতির ফল দেয়। (ঘ) জন্মকুণ্ডলীতে ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ১১শ পতির যথেষ্ট প্রভাব দেখা যায়। ৩য় পতি অনেক সময়ে খুব দুঃসাহস, গোয়ার্তুমি বা গা-জোয়ারির কারণ হতে পারে। হঠাৎ হঠাৎ অসুখ করাও অসম্ভব নয়। ৬ষ্ঠ পতি নানা বাধা বিপত্তি, রোগ, দুর্ঘটনা, মামলা-মোকদ্দমা ঘটাতে পারে, ঋণগ্রস্তও করতে পারে। ১১শ পতি অনেক সময় মনে অতিরিক্ত চাহিদা বা উচ্চাশা জাগিয়ে তুলতে পারে বা স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির কারণ হতে পারে। জাতক ও জাতিকার পক্ষে ভাল হবে যদি এই সব ভাবাধিপতি জন্মকুণ্ডলীতে অন্য কোন গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধহীন হয়ে অবস্থান করে। অর্থাত্ এইসব স্থানের অধিপতি অন্য কোনো গ্রহের উপর প্রভাব না ফেললেই ভাল।

১৬নং নিয়ম
এতক্ষণ লগ্ন থেকেই সমস্ত ভাব বিচারের কথা বলা হয়েছে| কিন্তু জ্যোতিষীরা চন্দ্র এবং রবি থেকেও ভাব বিচার করতে বলেন| অর্থাৎ চন্দ্র ও রবি যে রাশিতে অবস্থিত সেই রাশিকে লগ্ন ধরে আলাদা করে বিচার করতে হবে| জ্যোতিষীরা বলেন, যদি লগ্ন, চন্দ্র ও রবি থেকে বিচারের ফল একই হয় তবে ঘটনাটা ঘটার সম্ভাবনা সমধিক| এই নিয়মকে ঐসুদর্শন঑ বলা হয়| ১৩(১) নং চিত্রে একটি উদাহরণ দেখান হল| এটি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মকুণ্ডলী| অনেকেরই জানা আছে শ্রীবাজপেয়ী হাঁটুর সমস্যায় ভুগতেন এবং এক সময়ে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রপ্রচারও করা হয়| জন্ম ছকের ১০ম স্থান থেকে হাঁটুর বিচার হয় (৯ম অনুচ্ছেদ)| লগ্ন থেকে বিচার করলে বৃশ্চিক লগ্নের ১০ম ঘর সিংহ রাশির অধিপতি রবি ২য়ে ধনু রাশিতে অবস্থিত| ১০মে বৃহস্পতির দৃষ্টি আছে| চন্দ্র বৃশ্চিকে নীচস্থ ও পাপ কর্তরী যোগে দুষ্ট ( শনি ও রবি ২টি পাপ গ্রহের মধ্যে অবস্থিত বলে )| আবার চন্দ্রকে লগ্ন ভেবে বিচার করলেও একই ফল হবে, যেহেতু চন্দ্র ও লগ্ন একই রাশিতে অবস্থিত| ১০ম পতি রবি শনির ৩য় দৃষ্টি দ্বারা ক্লিষ্ট| শনিকে আবার মঙ্গল দৃষ্টি দেওয়ায় শনির অশুভত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে| একই ভাবে রবি থেকে দেখলে, ১০ম পতি বুধও শনিদৃষ্ট| আবার কালপুরুষের অঙ্গবিভাগ (৯ম অনুচ্ছেদ) অনুযায়ী মকর রাশি হাঁটুর নির্দেশক| মকর রাশিতে কেতুর অবস্থান অশুভ এবং মকরের অধিপতি শনিও মঙ্গলের ৮ম দৃষ্টি দ্বারা পীড়িত| অতএব সব দিক থেকে বিচার করে একই ফলে পৌঁছান গেল| এখানে এই ঘটনাটি ঘটবেই বলা চলে এবং সুস্থ হবার আশা প্রায় নেই| অবশ্য ১০মে বৃহস্পতির দৃষ্টি অস্ত্র প্রচারের পর সাময়িক সুস্থতা দিতে পারে| তবে তত্বগত ভাবে লগ্ন, চন্দ্র ও রবি থেকে বিচারের কথা বলা হলেও, সাধারণতঃ লগ্ন ও চন্দ্র থেকেই বিশ্লেষণ করা হয়; রবিকে ধরা হয় না|

১৭নং নিয়ম
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে; যেমন উত্তর কালামৃত গ্রন্থে ৬ষ্ঠ ভাবস্থ শুক্রকে, মকর লগ্নের বৃহস্পতিকে (৩য় ও ১২শ ভাবাধিপতি ), লগ্নের ৮মস্থ বৃহস্পতিকে এবং লগ্নের ৮মে বুধের অবস্থানকে শুভ বলা হয়েছে। কিন্তু লগ্নের ৮মে স্থিত বৃহস্পতিকে অনেক জ্যোতিষীই শুভ বলে মানতে রাজি নন যদি না ঐ বৃহস্পতি ৮ম ভাবে থেকে স্বক্ষেত্রে বা তুঙ্গীক্ষেত্রে অবস্থিত হয়। এভাবে দেখলে বৃষলগ্নের ধনুরাশিতে স্থিত বৃহস্পতি হয় ত শুভ ফল দান করতে পারে যেহেতু ধনুরাশি বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ ক্ষেত্র। জ্যোতিষীদের এই ভিন্নমত নিশ্চয়ই তাদের অভিজ্ঞতা লব্বì। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। অনুশীলনের জন্য শুধু গ্রহ-অবস্থানের বিবরণ দেওয়া হচ্ছে। কুণ্ডলীটি অনায়াসে এঁকে নেওয়া যায়। লগ্ন বৃশ্চিক, মকরে কেতু, কুম্ভে শনি, মিথুনে বৃহস্পতি, কর্কটে রাহু, সিংহে বুধ, মঙ্গল, চন্দ্র, কন্যায় রবি ও তুলায় শুক্র। এখানে বৃহস্পতি ( ২য় ও ৫ম ভাবের অধিপতি হওয়ায় যথেষ্ট শুভ ) লগ্নের ৮মে মিথুনে অবস্থিত। কিন্তু বৃহস্পতির দশায় ও মঙ্গলের অন্তদ্র্দশায় জাতকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহ্রপতির দশায় ও লগ্নপতির অন্তদ্র্দশায় মৃত্যু হ'লে বৃহস্পতিকে শুভ বলে মেনে নেওয়া শক্ত। এখানে লক্ষণীয় যে মঙ্গল লগ্নপতি হলেও ৬ষ্ঠ পতি এবং ৬ষ্ঠ স্থান মঙ্গলের মূলত্রিকোণ। অতএব মঙ্গলের ৬ষ্ঠপতিত্ব দোষ ভালই থাকবে। আবার মঙ্গল ৮ম পতি বুধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একপাশে রাহু ও অন্যপাশে রবির মধ্যবর্তী; অতএব পাপ কর্তরী যোগে পীড়িত হওয়ায় যথেষ্টই অশুভ। এই মঙ্গল লগ্ন পতি হলেও মৃত্যুকারক হতেই পারে। বৃহ্রপতি যে রাশিতে (মিথুনে) রয়েছে সেই রাশির অধিপতি (sign dispositor) বুধ মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বৃহস্পতিও পরোক্ষে মৃত্যুকারক হয়েছে। বৃহস্পতি ২য় পতি (নিধন স্থান) হয়ে ৮মে থাকায় মারক হিসাবে কাজ করেছে। অতএব সব ক্ষেত্রে ৮মে স্থিত বৃহস্পতিকে সব দিক থেকে শুভ বলা যায় না।

১৮নং নিয়ম
(ক) জন্মকুণ্ডলীতে নৈসর্গিক অশুভ বা পাপগ্রহের পক্ষে সব চেয়ে ভাল হচ্ছে ৩য়, ৬ষ্ঠ, ১০ম ও ১১শ ভাবে অবস্থিত হওয়া। এই ভাব গুলিকে উপচয় বলা হয় এ কথা আগেই উল্লেখিত হয়েছে। এখানে শুভ অশুভ সব গ্রহই কিছু না কিছু ভাল ফল দান করে।
(খ) ১২শ একটা দুঃস্থান হলেও এখানে শুক্রের অবস্থান শুভ যদি ঐ শুক্র রাশিচক্রে বা নবাংশে শনির ঘরে অবস্থিত না হয় বা অশুভ গ্রহ দ্বারা পীড়িত না হয়। তবে ‘ভাবার্থ রত্নাকর’-এর মতে মেষ লগ্নের ক্ষেত্রেই ১২শে শুক্র শুভ ফলপ্রদ, যেহেতু মেষের ১২শে মীন লগ্নে শুক্র তুঙ্গী হয়।
(গ) শনি স্বক্ষেত্রস্থ বা তুঙ্গী হলে অথবা বৃহস্পতির ঘরে থাকলে শুভ ফল প্রদান করে বলে জ্যোতিষীরা মনে করেন।
(ঘ) ২য় ও ৭ম স্থানকে মারক স্থান বলা হয়। রবি ও চন্দ্র ২য় বা ৭ম ভাবাধিপতি হলেও মারক হয় না বলা হয়েছে। তবে রবি ও চন্দ্র দুর্বল হলে এটা কতটা খাটবে বলা শক্ত। ৭ম এর থেকে ২য় পতির মারকত্ব অনেক বেশী। ২য় ও ৭ম পতি ছাড়াও যে সব গ্রহ ২য় বা ৭ম-এ (বিশেষতঃ ২য়ে) অবস্থিত হয় বা যে সব গ্রহ এই সব গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ যুক্ত হয়, তাদের দশা বা অন্তর্দশা মারক হতে পারে। ২য় ও ৭ম স্থান যেহেতু মারক স্থান, ৭ম এর ৭ম বা ২য়ের ২য় বোঝাবে মারকের মারক স্থান অর্থাৎ আয়ু স্থান। এই নিয়মে অনেক সময়েই কোন ভাবের কারকত্ব বোঝা যায়। ৯ম ভাগ্যস্থান। ৯ম এর ১২শ (৮ম স্থান) ভাবের অর্থ ভাগ্য স্থানের ব্যয় স্থান অর্থাৎ দুর্ভাগ্য স্থান। এই জন্যই ৮ম স্থান দুঃস্থান গুলির মধ্যে সব চেয়ে খারাপ।
(ঙ) কোন ভাবে অবস্থিত গ্রহ, শুভ বা অশুভ যাই হোক, সেই ভাবের ফল সব চেয়ে বেশী দেয়। সেই ভাবে দৃষ্টিদান কারী গ্রহ তার চেয়ে কম ফল দেয় এবং সেই ভাবের অধিপতি ফল দেয় সবচেয়ে কম। সব ভাব সম্বন্ধেই এই নিয়ম খাটে।

১৯নং নিয়ম
শুক্র ও শনি যদিও পরস্পরের মিত্র তবু একের দশা ও অন্যের অন্তদ্র্দশায় ফল খুব অদ্ভুত রকমের হয়। যদি জন্মকুণ্ডলীতে শনি ও শুক্র খুব ভালো ঘরে অবস্থান করে ও তাদের বল বেশী হয়, তবে দশা-অন্তর্দশার ফল খুব খারাপ হবে বলে জ্যোতিষীরা বলেন। এ নিয়মটা সাধারণ নিয়মের ঠিক বিপরীত। তবে এই নিয়ম সতর্কতার সঙ্গে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রয়োগ করা উচিত।

২০নং নিয়ম
গ্রহ দুর্বল হলে কার্যতা ফল দিতে পারেনা বলে বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আলোচিত সব কটি কারণকে একসঙ্গে দেখলে বলা যায় একটি গ্রহ দুর্বল হয় গ্রহটি - (ক) নীচস্থ হলে, (খ) শত্রুর ঘরে অবস্থান করলে, (গ) দুঃস্থানে অবস্থান করলে, (ঘ) অশুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে, (ঙ) অশুভ গ্রহের সঙ্গে অবস্থান করলে, (চ) অস্তগত হলে, (ছ) নবাংশে নীচস্থ, শত্রুগৃহগত বা দুঃস্থানে থাকলে, (জ) পাপকর্তরী যোগ দ্বারা পীড়িত হলে, (ঝ) রাশিসন্ধি বা ভাবসন্ধিতে অবস্থান করলে, (ঞ) গ্রহটি যে রাশিতে অবস্থিত তার অধিপতি দুর্বল বা দুঃস্থানগত হলে, (ট) গ্রহটি অশুভ নক্ষত্রে অবস্থান করলে। স্পষ্টতই এগুলির বিপরীত কারণে কোন গ্রহ বলশালী হয়।

গ্রহ শক্তিশালী হলে যে কার্যত ফল দিতে সাহায্য করে, চিত্র ১৩(২) এবং ১৩(৩) তে দেখান দুটি কুণ্ডলীর মাধ্যমে সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হবে। প্রথমটিতে জাতকের জন্ম সময় ১৯১০ খৃষ্টাব্দের ১৫ ই অক্টোবর সকাল ১০টা নেবং ২য় টির জন্ম সময় ১৯৩৫ খৃষ্টাব্দের ২৬শে এপ্রিল রাত ৯ টায় দিল্লির কাছে। প্রশ্ন হল, এই দুই জাতকের কি সন্তান হবে ? প্রথমটির ৫ম ভাবের ( সন্তান স্থান ) অধিপতি বৃহ্রপতি লগ্নের ১২শে (দুঃস্থানে) শত্রুর ঘরে কেতুর সঙ্গে অবস্থিত এবং শনি ও রাহুর দ্বারা দৃষ্ট। ৫ম স্থানটি রবি, মঙ্গল, বুধ (৮ম পতি) ও শুক্র (৭ম ও ১২শ পতি) দ্বারাও দৃষ্ট। চন্দ্র থেকে বিচার করলেও দেখা যাবে ৫ম পতি বুধ নিকৃষ্টতম দুঃস্থান ( যদিও স্বক্ষেত্রে ) ৮মে অবস্থিত। খুব স্বাভাবিক কারণেই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে এই জাতকের কোন সন্তান হবে না। এবং বাস্তব ক্ষেত্রেও একাধিক বিবাহ যোগে আবদ্ধ হলেও তার কোন সন্তান হয় নি। ১৩(৩) নং কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি বক্রী হয়ে ১২শে অবস্থিত এবং রবির দ্বারা দৃষ্ট। তবে চন্দ্র থেকে দেখলে ৫ম পতি শুক্র (মকর রাশির ক্ষেত্রে রাজযোগকারী গ্রহ) ৫মে স্বক্ষেত্রে অবস্থিত, এটা নিশ্চয়ই একটি সম্ভাবনাময় দিক। এই জাতকের দুটি সন্তান হয়েছে। এর অন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ কারণ আছে যেটা এখনও বিশ্লেষণ করা হয় নি। ১৩(২) নং চিত্রে বৃহ্রপতি (সন্তান কারক গ্রহ) পূর্বে আলোচিত কারণ ছাড়াও দুর্বল তার কারণ বৃহস্পতি রবির খুব কাছে হওয়ায় দ্রুতগামি (accelerated motion) হয়েছে (৫ম অনুচ্ছেদ) এবং এতে বৃহ্রপতি অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় কারক গ্রহ হিসাবে ফল দান করতে পারে নি। কিন্তু ১৩(৩) কুণ্ডলীতে বৃহ্রপতি বক্রী হওয়ায় চেষ্টাবল (৭ম অনুচ্ছেদ) যুক্ত হয়েছে এবং শক্তি সঞ্চয় করেছে। এখানে বৃহ্রপতি রবি থেকে দূরে থাকায় দ্রুতগামীও নয়। ফলে কারক গ্রহ তুলনামূলক ভাবে অনেক শক্তিশালী এবং এই সব কারণেই ফলদায়ক হয়েছে। এখান থেকে অপর একটি শিক্ষণীয় বিষয় হল, চন্দ্র থেকে কুণ্ডলীর বিচার খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং শুধু একটিমাত্র কারণের উপর নির্ভর করে ফল বলা ঠিক নয়। এখানে বৃহ্রপতি দুই ক্ষেত্রেই ১২শে (দুঃস্থানে) অবস্থিত এবং শুধু এ কারণেই বলা উচিত নয় যে দু ক্ষেত্রেই কোন সন্তান হবে না।


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180602140800

Saturday, June 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সংখ্যা তত্ত্বে নিজেকে জানুন

সংখ্যা তত্ত্বে নিজেকে জানুন

... জেনে নিন নিজেকে.(পুনশ্চ)

** যাদের জন্ম ইংরাজি মাসর ১,১০,১৯,২৮ তারিখে , তাদের উপর সূর্যের প্রভাব থাকে। রবিই জীবন। এটি সবচেয়ে শক্তিশালি সংখ্যা। এরা অন্যের সাথে ভাল করে মিলে চলতে পারে এবং বহু লোকের প্রিয় হয়। এদের দৈহিক ও মানসিক শক্তি বেশি থাকে। এরা উচিৎ কথা বলে ও কর্তব্যপ্রিয় হয়। এরা পৃথিবীতে একটা গভীর ছাপ রেখে যেতে পারে। এরা খুব জেদি হয়। এরা সংগঠন চালাতে পারে ভালভাবে এবং খুব ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এদের লক্ষ্য সর্ম্পকে স্পষ্ট ঞ্জান থাকে। এরা নিজ চিন্তা মত কাজ করতে পারলে জিবনে সফল হয়। এই গুলি না মিললে বুঝতে হবে জাতক বা জাতিকার রবি খারাপ অবস্থানে রয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকে।
** ইংরাজী ২,১১, ২০,২৯ জন্ম তারিখে যাদের জন্ম তাদের উপর চন্দ্রের প্রভাব থাকে। এদের মন পরিবর্তনশীল ও সহজে কম্পমান। এই তারিখের জাতিকারা মানসিক ভাবে শক্ত ও দৃঢ় হলেও এই তারিখের জাতকের মানসিক দিকটি নরম হয়ে থাকে। এরা কল্পনা প্রবন ও ভ্রমন পিপাসু হয়ে থাকে। এদের মধ্যে শিল্পি , গবেষক হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এরা সহজে ভুল শিকার করে এবং বারংবার বিপদে পড়ে। এরা খুব লাজুক প্রকৃ্তির। এরা গার্হস্থ জীবন খুব ভালবাসে। এরা সেন্টিমেন্ট বা ভাবাবেগ এর দ্বা্রা চালিত। অপরের প্রতি এদের দ্বৈত মন থাকতে পারে। এদের অন্তর্দৃষ্টি থাকে স্থির, পরিচ্ছন্ন এবং দৃঢ়। স্বাস্থ সাধারনত দুর্বল হয় ।(ক্রমশ)
** ৩, ১২, ২১, ৩০ তারিখে যাদের জন্ম তাদের উপর বৃহস্পতির প্রভাব থাকে। এরা খুব নিয়ম শৃঙ্খ্লা ও আইনের মধ্যে চলাচল করতে ভালবাসে। এদের মধ্যে দর্শন, কাব্য , শিল্পকলার প্রভাব বেশি থাকে। সবসময় কথা বলতে ভালবাসে। অর্থগত চিন্তা এদের মধ্যে পাধান্য লাভ করে। এদের বিচার শক্তি খুব বেশি হয়। এদের সাধারনত ধর্মবোধ প্রবল হয়। এরা খুব আনন্দ প্রিয় ও জীবন খুব সৎ ভাবে চালাতে চায়। এদের মধ্যে অহং বোধ লক্ষ্য করা যায়। এদের ইচ্ছা নিজের আদর্শকে উচ্চে তুলে ধরা। এরা নীরব দর্শক হতে পারে না। নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারনা থাকে। (ক্রমশ...
** ৪, ১৩, ২২, ৩১হল রাহুর প্রতিক। এরা সব বিষয়ে বিপরীত মত পোষন করে। এদের শ্ত্রু সংখ্যা বেশী থাকে। এরা বাস্তববাদী হয়।এরা অ্যাডভেঞ্চার খুব ভালবাসে। এদের মধ্যে প্রচুর মৌ্লিক চিন্তা থাকে। নিজের মত নিজের কাজ করতে ভালবাসে। সহজে মত পাল্টাই না। খুব আত্মবিশ্বাসী হয়। এদের মধ্যে কিছুটা ঈর্ষাভাব থাকে। অনেক লোক এদের উপর নির্ভর করে। বাহ্যিক ব্যাপারে ঝোক কম। পরিচ্ছন্ন ও সব কাজ পূর্ন ভাবে করতে চাই। এরা রক্ষনশীল এবং প্রাচীন রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা ও দৃঢ় মনোভাব এদের থাকে।এদের স্বাস্থ দৃঢ় হয়, কিন্তু স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়া এদেয়া এদের কর্তব্য। (ক্রমশ...
**৫, ১৪ ও ২৩ তারিখে যাদের জন্ম তাদের উপর বুধের প্রভাব বেশী থাকে। এদের তীক্ষ্ন বুদ্ধি ও উপস্থিত বুদ্ধিও বেশী। এদের স্মৃতিশক্তি প্রচুর। এরা নতুন নতুন জিনিষের আবিষ্কারক। এদের মন কুটিল হলেও এদের বাইরে থেকে বোঝা খুব কঠিন। এদের চরিত্র বোঝা যায় না। এরা নিত্য নতূন বন্ধু পাল্টাই। এরা উচ্চ চিন্তাশীল । এরা সব বিষয়ে কিছুটা করে জ্ঞান রাখে। এদের মন চাই বন্ধন মুক্তি। চাকরি থেকে ব্যবসা তে বেশি উন্নতি। এরা গোপন কথা গোপন রাখতে পারে না। এরা খরচ কম করতে চেষ্টা করলেও তা হয়ে ওঠে না। এরা খুব কৌ্তুহলী। (ক্রমশ..
** ৬, ১৫, ২৪ তারিখে যাদের জন্ম তাদের উপর শুক্রের প্রভাব থাকে। অপর কে আকর্ষন করতে পারে। এরা হল রোমান্টিক ও আদর্শবাদী। এরা সাধারনত ভোগবিলাসী ও আনন্দপ্রীয়। এর মধ্যেই এরা নিজেদের সুখ খুজে পায়। অবসাদ বা মালিন্য এরা সহ্য করতে পারে না, এই পরিবেষ থাকলে এরা অস্থির হয়ে ওঠে। এরা খুব ভাব প্রবন হয়। এদের মধ্যে কাম প্রবনতা বেশী থাকে। এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়, সেই কারনে যৌবন কালে বড় ভূল করে বসতে পারে। এরা প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সবসময় আনন্দে রাখতে চায়। এদের পোষাকের পিছনে খুব অর্থ ব্যয় হয়। এদের জীবন নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে চলে। তবে এরা সাহস হারায় না। এদের জীবনে ঐক্যতান থাকে না, ব্যালেন্সের অভাব লক্ষ্য করা যায়। এরা খুব লাজুক কিন্তু প্রতিভা যুক্ত। অনেকে এদের বোকা মনে করলেও, এরা কিন্তু বোকা না। এরা মাথার থেকেও বেশী হৃদয় দ্বারা পরিচালিত হয়। তর্কের ক্ষেত্রে এরা ভাবাবেগ দিয়ে চালিত হয়, যুক্তি তর্ক দ্বারা নয়।এরা খুব সেন্টিমেন্টাল হয়। (ক্রমশ..
**যাদের জন্ম ৭, ১৬, ২৫ এদের উপর কেতু ও চন্দ্রের মিশ্র প্রভাব দেখা যায়। জীবনে এরা নানা রকমের অভিজ্ঞতা লাভ করে। বন্ধু নির্বাচনের উপর এদের সাফল্য নির্ভর করে। এরা পরিবর্তন ও ভ্রমন ভালবাসে। এরা জীবনের সব কিছুকে একটা বিচিত্র দার্শনিক দৃষ্টি দিয়ে দেখে। এদের মানসিক ইনটুইশন বেশী হয়। এদের অদ্ভুত দৈবদর্শন বা আধ্যাত্মিক ক্ষমতা থাকে। এরা জীবন টাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে। এরা প্ল্যান করতে যত সময় অপচয় করে বস্তুত কাজ করতে তত সময় ক্ষয় করে না। এদের বেশির ভাগ সপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হয়। অনেক সময় এরা বাস্তবে যা ঘটবে তা আগে থেকে কল্পনা করে নেই। এরা একটা বিরাট অন্তর থেকে প্রাপ্ত উদ্যমের বলে কাজ করে চলে। সব ব্যপারেই সহ্য ক্ষমতা এদের বেশি থাকে। অনের কুসংস্কার এদের মধ্যে থাকে। মাঝেমধ্যে এরা কল্পনা প্রবন এরা হয়, অন্যদিকে ভাব জগতে নিজেদের ভাসিয়ে দেই। এরা জীবনে দোটানাই পড়লে সংসার ত্যাগ করতেও পিছপা হন না। এদের রুচি, স্ব্প্ন, ও ভাব উচ্চ হয়। এরা নানা রকম চর্ম রোগে কষ্ট পায়। এদের মাইগ্রেন রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এদের চরিত্র সাপের মতো।
**যাদের জন্ম ৮, ১৭, বা ২৬ তারিখে তাদের উপর শনির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এরা সাধারনত নিঃসঙ্গ থাকতে ভালবাসে। মন সবসময় অবসাদ থাকে। এরা গুপ্ত বিদ্যা ও আধিভৌতিক বিদ্যা ভালবাসে। এদের অনেকেই ভুল বোঝে। যোগীর মত জীবন কাটাতে ইচ্ছা করে।নতুন পথে যাত্রা করতে ভালবাসে না। এরা হয় কচ্ছবের মত ধীর কিন্তু দৃঢ়। বেশি বয়সে এরা হটাৎ অর্থ লাভ করে। এদের বিচার ও সহনশীলতা বেশী থাকে। এরা ভাল উপদেশ দিতে পারে। ধর্মভাব এদের প্রবপ্ল থাকে। এদের মধ্যে মাতৃভাব, ভক্তি বেশী দেখা যায়। অন্যাই অবিচার করে না, পছন্দও করে না। এরা খুব দাম্ভিক হয়, সেই কারনে এদের চেনা খুব মুশকিল। এরা অল্পে সন্তুষ্ট। এরা জীবনের ভাগ্য কে অর্থ দ্বারা নয়, কর্মের দ্বারা বিচার করে। এদের কাছে মানুষ্যত্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এরা পেটের বিভিন্ন রোগে ভোগে। বাত ও রক্ত দুষ্টি তে ভোগে। (ক্রমশ..
** যাদের জন্ম ৯, ১৮ বা ২৭ তারিখে তাদের উপর মঙ্গলের প্রভাব থাকে। এরা জন্মগত ভাবে যোদ্ধা। এদের মধ্যে তেজস্বতা বেশী থাকে। মঙ্গল যদি প্রবল হয় তাহলে এরা ছোট থেকেই খুম তেজি ও সাহসী হয়। এরা নিজের মত চলতে ভালবাসে। এদের একগুঁয়ে ও জেদি হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এরা দাম্ভিক ও অহঙকারি হয়। এরা নিজেদের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।এদের রাগ খুব বেশী। হটাৎ রেগে উঠলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। রাগ কমে গেলে নিজের ভুল বুঝতে পারে। এদের একাধিক বার রক্তপাত হয়।এরা খুব কোশলী ও সচেত্ন হয়। এরা সর্দি কাশি ও নানা রকম জ্বরে ভোগে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180602135130

Friday, June 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লিভার

লিভার

লিভার কেন নষ্ট হয় বা পঁচে যায় জানেন কি? জেনে নিন লিভার নষ্টের ৯ কারণ

লিভার কেন নষ্ট হয় বা পঁচে- লিভার কেন নষ্ট হয় বা পঁচে যায় জানেন কি? নষ্টের ৯ কারণ এখুনি জেনে নিন- মানুষের দেহের প্রধান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম হল লিভার।
দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় লিভারের সুস্থতা অনেক জরুরী।

কিন্তু কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে লিভার।
এরই ফলাফল হিসেবে লিভার ড্যামেজের মতো মারাত্মক সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই।

এই অঙ্গটি নষ্ট হওয়ার পিছনে কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক-

১) দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা দুটোই লিভার নষ্টের কারণ।
এতে শারীরিক সাইকেলের সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটতে থাকেএবং তার মারাত্মক বাজে প্রভাব পরে লিভারের উপরে।

২) অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেও কুড়েমি করে প্রস্রাবের বেগ হলেও বাথরুমে না গিয়ে তা চেপে শুয়েই থাকেন।
এতে লিভারের উপরে চাপ পড়ে এবং লিভার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

৩) অতিরিক্ত বেশি খাওয়া দাওয়া করা লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর ।
অনেকেই আবাব বহুক্ষণ সময় না খেয়ে একবারে অনেক বেশি বেশি করে খেয়ে ফেলেন।
এতে হঠাৎ করে লিভারের উপরে চাপ বেশি পরে এবং লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে।

৪) সকালের খাবার না খাওয়ায় লিভার পক্ষে ক্ষতিকর।
যেহেতু অনেকটা সময় পেট খালি থাকার কারণে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে লিভারও।

৫) অনেক বেশি ঔষধ খেলে লিভার নষ্ট হয়৷
বিশেষ করে ব্যথানাশক ঔষধের জেরে লিভারের কর্মক্ষমতার হ্রাস পায়ে।
এছাড়াও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতি হয় লিভারের।
এতে করে লিভার ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।

৬) কেমিক্যাল সমৃদ্ধ যেকোনো কিছুই লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
কিন্তু আলসেমি ও মুখের স্বাদের জন্য আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ খাবার, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি যা লিভার নষ্টের অন্যতম কারণ।

৭) খারাপ তেল ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
একই তেলে বারবার ভাজা খাবার বা পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।

৮) অতিরিক্ত কাঁচা খাবার খাওয়াও লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
যেমন আপনি যদি খুব বেশি কাঁচা ফলমূল বা সবজি খেতে থাকেন তাহলে তা হজমের জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হয় পরিপাকতন্ত্রের।
এর প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও। সুতরাং অতিরিক্ত খাবেন না।

৯) অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্য পান করা লিভার নষ্টের আরেকটি মূল কারণ। অ্যালকোহলের ক্ষতিকর উপাদান সমূহ লিভারের মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
জোতিষীক প্রতিবিধান:
১)সারা দিনে কম করে ৪-৫ লিঃ জল খান
২)সকাল-বিকেল (৩০+৩০) ১ঘন্টা হাটুন।
৩)কর্বো হাইড্রেট ও ফ‍্যাট জাতীয় খাবার কম খান।
৪)স্নান করে ঔঁ হ্রীং বীজমন্ত্র ১১৮বার করুন।
৫)সন্ধ্যায় ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে ১১৮বার করুন।
৬) ৮-১০ রতি কিডনি স্টোন ধারন করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180601081453

Friday, June 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশ ভাবে মঙ্গলের গোচরফল ২০১৮

দ্বাদশ ভাবে  মঙ্গলের গোচরফল ২০১৮



মঙ্গলের গোচর ফল

গোচরে মঙ্গল জন্ম রশি বা জন্ম লগ্নে থেকে বেশ কিছু ঘরে এলে শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ে, উৎসাহ ও উদ্দীপনা বাড়ে, চঞ্চলতা বাড়ে, স্বাস্থ্য ভাল থাকে, নতুন উদ্যমে কর্ম করতে উৎসাহ জাগে। মঙ্গল এক একটা ঘরে ৪৫ দিন করে থাকে। গোচরে মঙ্গল সাধারণত ৩য়, ৬ষ্ঠ, দশম ও একাদশ ঘরে মোটামুটি ভাল ফল দেয়। এবারে জন্মরাশি ও জন্মলগ্ন থেকে গোচরে এক এক ঘরে এক এক রকমের ফল দেয় তা নিম্নে পযায়ক্রমে দেওয়া হলঃ

জন্মরাশি বা জন্মলগ্নে গোচর মঙ্গলঃএই স্থানে গোচরে মঙ্গল এলে শরীরে প্রানিক উত্তাপ বেড়ে যায়। অত্যাধিক চঞ্চলতার কারণে প্রায় অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। স্ত্রীর অসুস্থতা বেড়ে যায়। অকারণে উত্তেজনা বেড়ে ওঠে। রাগ বা ক্রোধ জাগে। বাড়ি পরিবর্তন করতে হয়। অকারণ রক্তপাত হয়। উচ্চরক্তচাপে ভোগে।

দ্বিতীয়ে গোচর মঙ্গলঃ পরিবারে অর্থ ও সম্পদের ক্ষতি হয়। ছোট ছেলে মেয়েরা অকারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, পিতা-মাতার রক্তচাপ বেড়ে যায়, কখনও ছোট খাটো সারজিক্যাল অপারেশন হয়। লেখক বা কবিরা এই সময়কে কাজে লাগিয়ে ছন্দযুক্ত কবিতা লেখে ,যে শিল্পীরা তুলি ধরেন, এই সময় তাদের আঁকা ছবিগুলি ভাল হয় ও প্রশংসিত হয়।

তৃতীয়ে মঙ্গলঃ এই সময় নতুন কিছু উদ্যোগ নিতে ইচ্ছা করে, সব ধরনের কাজে উৎসাহ জাগে, চ্যালেঞ্জ নিতে ইচ্ছা জাগে। নিজের প্রতিপত্তি বাড়ে, সকলের সহযোগীতা পাওয়া যায়। অকারণ উৎসাহ জাগে। নিজের ছোট ভাইবোন থাকলে তারা এই সময় অকারণে চোট বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

চতুর্থে গোচর মঙ্গলঃ এই ঘরে মঙ্গল এলে সময় খুব খারাপ যায়। খুব সাবধানে সব কিছু ম্যানেজ করতে হয়, নচেৎ অনেক কিছু বা অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। উপরওয়ালার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বৌয়ের সঙ্গে মন কষাকষি চলে। আয়ের অবনতি হয় অথবা আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। জাতিকার ক্ষেত্রে, অনেক সময় স্বামী মারা যায় অথবা স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।

পঞ্চমে মঙ্গলঃ খারাপ সময়। ছেলে মেয়েরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যায়। রোজগার কমে যায়, পিতা কর্ম থেকে অবসর নেয়, অনেক সময় পিতার চাকুরী চলে যায়। যারা যোগ ধ্যানে যুক্ত তাদের পক্ষে এই সময় বিশেষ শুভ।

ষষ্টে মঙ্গলঃ মঙ্গলের এই ঘরে আগমন খুবই শুভ। পুরনো অনেক দিনের কোনও কাজ যা আটকে ছিল সেটার সমস্যার সমাধাণ হয়। যদি কোনও প্রমোশন আটকে থাকে, এই সময় তা রিলিজ পায়। নানা দিক থেকে সাফল্য আসে। জীবন যাত্রায় পরিবর্তন হয়। যারা ধর্ম পথে আছেন তাদের জীবনে একটা উঁচু পরিবর্তন আসে, যাকে সিদ্ধি বলে।

সপ্তমে গোচর মঙ্গলঃ এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হয় না বরং আরও খারাপের দিকে যায়। স্বাস্থ্যও খারাপের দিকে যায়। কর্মেরস্থানে অশান্তি সৃষ্টি হয়। টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ নানা ভাবে এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। বিনা কারণে, অনেক সময় ঝগরা-বিবাদে জড়িয়ে পড়তে হয়।

অষ্টমে গোচর মঙ্গলঃ এই সময়ে পুরাতন অর্শের ব্যথা বাড়ে। সেই সঙ্গে রক্তপাত হয়। নানা কারনে সারজিক্যাল অপারেসন হয়, নানান ধরণের অস্ত্রপচার হয়, খুন হয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে, বন্ধু-বান্ধবের সহ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ভুল বোঝবুঝির সৃষ্টি হয়, নানা কারণে অথর্দণ্ড দিতে হয়, পয়সা কম এমন কাজ করতে বাধ্য হতে হয়। পায়ের মাংস পেশীতে ব্যথাজনিত রোগ হয়, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। মিশটিক চর্চা করে এমন ব্যক্তিদের কুলকুন্ডলী জাগ্রত হয়।

নবম ভাবে গোচরে মঙ্গলঃ ভাবা যায় নি এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, এই সময়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের ডাক আসে। ছোট বোনের স্বামীর জীবন নিয়ে টানাটানি চলে।

দশম ভাবে গোচরে মঙ্গলঃ এটা এমন একটা সময় যখন ব্যক্তিগত জীবনে এবং একই সঙ্গে পেশাগত জীবনে সব দিক থেকে সাফল্য নেমে আসে। পারিবারিক জীবনেও অন্য সকলের জীবনে সবার একটা উন্নতি দেখা যায়।

একাদশ ভাবে গোচরে মঙ্গলঃ আসা করা যায় না এমন সব দিকে উন্নতি হয়। আয় উন্নতি প্রভুত পরিমানে হয় এই সময়ে। হটাৎ করে আকস্মিক ভাবে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। পুরানো কোনও আকাঙ্খা হটাৎ করে বাস্তবে রূপ পায়। পরিত্যাক্ত সম্পত্তি বা অন্যের দখলে থাকা নিজের সম্পত্তি এই সময় ফিরে পাওয়া যায়।

দ্বাদশে গোচরে মঙ্গলঃ এই সময় সব ব্যাপারে মিশ্র ফল হয়। শারীরিকভাবে এনার্জি ঘাটতি, মানসিক টেনসান, কোনও কিছু বা কাউকে মানিয়ে নেওয়ে বেশ মুশকিল। কর্মক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ। তবে এই সময় শত্রুর বিনাশ হয়েই থাকে। স্ত্রীকে কোনও ব্যাপারে অনুকূলে পাওয়া বেশ কঠিন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180601073014

Thursday, May 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষী র দৃষ্টিতে ঘুম

জোতিষী র দৃষ্টিতে ঘুম

সুপ্রভাত
ঘুম (Sleep) জোতিষীক দৃষ্টিতে
আহার, নিদ্রা, বিশ্রাম, মনের শান্তি এসব সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ।
মানুষের শরীরটাই চলে এক বিশাল কম্পিউটারের মতো। মানব শরীরে হার্ট, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ব্রেইন এর কর্মক্ষমতা যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে একটি সুক্ষ্ম অত্যাধুনিক সফটওয়ারের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানব শরীরের এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চলছে বিরামহীনভাবে।
তাই মানব শরীরকে যথাযথভাবে ফাংশন করতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত বিশ্রাম, ঘুম। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আর পরিমিত ঘুম হলে শরীর, মন, মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়। ফলে কাজের পারফরম্যান্স বা আউটপুট ভালো হয়।

এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, যারা পরিমিত ঘুমের পাশাপাশি প্রত্যুষে ঘুম থেকে ওঠেন, জগিং করেন, প্রার্থনা করেন, তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কম হয়, কাজের গতি বাড়ে ও আউটপুট ভালো হয়। তাই দৈনিক অন্তত: ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকুন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তির আচরণ এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার সঙ্গে ঘুমের যোগসূত্রের বিষয়টি উঠে এসেছে।

মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক জুন পিলশার বলেন,‘আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রাত্যহিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশ। আকাঙ্ক্ষা এবং সুযোগের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়েই মানুষ পরিস্থিতি সামলায়। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ঘুমের অভ্যাস ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত এবং এই দুটোকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের কাজকর্ম ঠিকঠাক রাখা যায়।’

মনোবিজ্ঞানী পিলশার বলেন, ঘুমের অভ্যাস ঠিক করতে পারলে সারা দিনের কর্মশক্তি বাড়ে, আচরণ সাবলীল হয়, কাজে মনোযোগ বেশি থাকে এবং ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। ফলে প্রতিদিনের জীবনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ঘুমের অভ্যাস ঠিকঠাক করার বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। নিষ্ক্রিয় জাগ্রত অবস্থার সাথে ঘুমন্ত অবস্থার পার্থক্য হল এ সময় উত্তেজনায় সাড়া দেবার ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং শীতনিদ্রা বা কোমার চেয়ে সহজেই জাগ্রত অবস্থায় ফেরত আসা যায়। সকল স্তন্যপায়ী ও পাখি এবং বহু সরীসৃপ, উভচর এবং মাছের মধ্যে ঘুমানোর প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী এবং অন্য বেশ কিছু প্রানীর (যেমন কিছু প্রজাতির মাছ, পাখি, পিঁপড়া এবং ফ্রুটফ্লাই) অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে নিয়মত ঘুম আবশ্যক। ঘুমানোর কারণ সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারেননি এবং তা নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে। আর একটি ব্যপার। ঘুমন্ত মানুষের চেহারার কোন এক অজানা অতিরিক্ত আবেগ অনুভূতি কাজ করে। যা তার গোপন এক প্রাকৃতিক নিরাপত্তা দেয়।

বয়স অনুপাতে আপনার ভিন্ন ধরনের ঘুম দরকার। বাচ্চাদের – ১৬ ঘন্টা ৩ থেকে ১২ বছর – ১০ ঘন্টা ১৩ থেকে ১৮ বছর – ১০ ঘন্টা ১৯ থেকে ৫৫ বছর – ৮ ঘন্টা ৬৫ বছরের উপরে – ৬ ঘন্টা ।

ঘুম কম হওয়াটা চলতেই থাকে, তাহলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, নিয়মিত অতিরিক্ত ঘুমালেও স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো বেড়ে যেতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে ঘুম আসার কিছু প্রাকৃতিক উপায়ঃ

১. বিছানা থেকে উঠে যান

অনেকেই আছেন যাঁরা ঘুম না এলেও ঘুম আসার জন্য বিছানার এপাশ ওপাশ করতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খেলা বন্ধ করুন এবং বিছানা থেকে উঠে যান। ২০, ৩০, ৪০ মিনিট- যতক্ষণ না ঘুম আসে বিছানায় আসবেন না। এই ৩০ থেকে ৬০ মিনিট এমন কিছু করুন যা আপনাকে ক্লান্ত করে দেবে। এই ক্লান্তি ঘুম আসতে সাহায্য করবে। তবে খুব বেশি আলোর মধ্যে কিছু করতে যাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে ঘুম একেবারেই উধাও হয়ে যেতে পারে।

২. ক্যাফেইন এড়িয়ে যান

ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার ঘুম তাড়িয়ে দেয়। তাই ঘুমের অন্তত পাঁচ ঘণ্টা আগে শেষ চা বা কফিটুকু পান করুন। এমনকি যাঁদের ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দুপুরের খাবারের পর কফি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

৩. গরম জলে স্নান

ঘুম না আসার সমস্যা হলে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম জল স্নান করুন। এই পদ্ধতি শরীরকে শিথিল করে ঘুম আসতে সাহায্য করবে।

৪. ধ্যান

একটি চমৎকার মেডিটেশন বা ধ্যান ঘুম আসতে বেশ কার্যকর। ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, ধ্যান ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। ধ্যান মন ও শরীকে শিথিল করে। এ ছাড়া ধ্যানের সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ঘুম আসতে বেশ সাহায্য করে।

৫. শারীরিক পরিশ্রম

শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম ঘুম আসতে কার্যকর প্রাকৃতিক ওষুধ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের ঘুম ভালো আসে। তাই ভালো ঘুম হতে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করুন।

৬. যোগব্যায়াম

সারা বিশ্বেই যোগব্যায়াম করা ভালো ঘুম হওয়ার জন্য একটি প্রাকৃতিক উপায়ের নাম। যোগব্যায়াম শরীরকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।

৭. অ্যারোমা থেরাপি

অ্যারোমা থেরাপির মধ্যে যে প্রয়োজনীয় ভেষজ তেল, বাথ স্ক্রার, চোখের মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় সেগুলো ভালো ঘুম হতে উপকার করে। ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, ভেষজ তেলের ঘ্রাণ গভীর ঘুমের জন্য বেশ উপকারী। তাই যাঁরা ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা পার্লারে গিয়ে অ্যারোমা থেরাপি নিয়ে দেখতে পারেন।

৮. শোবার ঘর

ভালো ঘুমের জন্য শোবার ঘরও হওয়া চাই উপযুক্ত। আপনি হয়তো এমন ঘরে ঘুমালেন, যার আশপাশে অনেক শব্দ হয় বা প্রচুর আলো এসে পড়ে। এগুলো ঘুমকে ব্যাহত করে। তাই শোবার ঘরের কিছু পরিবর্তন জরুরি। একটু মন দিয়ে ভাবুন কী পরিবর্তন করলে আপনার শোবার ঘরটি ঘুমের উপযুক্ত হবে? সেটা হতে পারে ম্যাট্রেসের পরিবর্তন বা জানালায় ভারী পর্দা লাগানো। এ ছাড়া ভালো ঘুমের জন্য টিভি, কম্পিউটার এসব জিনিসগুলোও শোবার ঘর থেকে দূরে রাখুন। কেননা এগুলোও ভালো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

৯. ভেষজ চা

ঘুমের আগে চা-কফি একদম খাবেন না, তবে ক্যাফেইন ছাড়া ভেষজ চা খেতে পারেন। যেমন : ভ্যালেরিয়ান অথবা ক্যামোমিল চা ইত্যা্দি ঘুমের আগে খেতে পারেন। এগুলো ঘুম ভালো করতে সাহায্য করবে।

১০. প্রোগ্রেসিভ মাসেল রিলাক্সেন ব্যায়াম

১৯১৫ সালে আবিষ্কার হওয়া ব্যায়ামের এই পদ্ধতি এখনো পুরোনো হয়নি। প্রোগ্রেসিভ মাসেল রিলাক্সেন ব্যায়াম এমন একধরনের ব্যায়াম যা পেশিকে শিথিল করে। এটি অবসন্নতা দূর করে ঘুমের পরিমাণ বাড়ায়। তাই ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে এ ধরনের ব্যায়ামও শিখতে পারেন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ড্রু ওয়েল। তিনি বলছেন, সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য রাতের বেলায় পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

ভালো ঘুমের উপায়ও বাতলে দেন অ্যান্ড্রু ওয়েল। তিনি এক ধরনের বিশেষ ব্যায়ামের কথা বলেছেন। তা হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যা ঘুমের জন্য খুবই সহায়ক। ব্যায়ামটি ৪-৭-৮ নামে পরিচিত। যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভোগেন তারা ব্যায়ামটি করে খুব তাড়াতাড়ি এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক মিনিটেরও কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।

ব্যায়ামের নিয়ম
প্রথমে ৪ সেকেন্ড নাক দিয়ে খুব ভালো করে শ্বাস নিন।
এরপর ৭ সেকেন্ড দম ধরে রাখুন। শ্বাস ছাড়বেন না।
তারপর ৮ সেকেন্ড ধরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
এভাবে কয়েকবার করুন এবং ঘুমাতে যান।

১। যত সম্ভব জেগে থাকার চেষ্টা করুন--হ্যাঁ, জানি চমকে যাবেন। কিন্তু পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা এমনটাই বলছে। ঘুমোত যাওয়ার আগে বই পড়ুন, ডায়েরি লিখুন। দেখবেন মন, শরীরে ক্লান্তিতে এমনিতেই ঘুমিয়ে পড়বেন।

২) নিজের ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা রাখুন--ঠান্ডা ঘরে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। চেষ্টা করুন নিজের ঘর যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখার।

৩) শুতে যাওয়ার আগে স্নান করুন--পারলে শুতে যাওয়ার আগে স্নান করুন।

৪) ঘরে ভেষজ রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করুন--সুগন্ধ মানুষের ঘুমের সহায়ক। ঘরে রুম ফ্রেশনার দিন। তবে সেটা ভেষজ হলেই ভাল।

৫) হালকা সাউন্ড দিয়ে গান অথবা ইন্সট্রুমেন্টাল জাতীয় কিছু শুনুন--খুব হালকা সাউন্ড দিয়ে আপনার পছন্দের গান শুনুন। দেখবেন কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন। তবে গানের থেকেও ইন্সট্রুমেন্টাল কিছু এ ক্ষেত্রে আরও বেশি কাজে দেবে।

৬) শুতে যাওয়ার আগে হালকা এক্সসারসাইজ করুন---শুতে যাওয়ার আগে হালকা এক্সসারসাইজ করুন

৭) 4-7-8 শ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন--এটা হল এমন এক যোগব্যায়াম যা ঘুম আসতে সাহায্য করে।

উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার পরখ করে দেখে নিতে পারেন তাঁদের গাছ-রেমেডি।
আমাদের চার পাশে এমন কিছু গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যেগুলি শোয়ার ঘরে রাখলে নিশ্চিত ঘুমের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এই গাছগুলির উপস্থিতি এক দিকে যেমন ঘরের ভিতর দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি করবে তেমনই একটা প্রশান্তির আবহ রচনা করতে সক্ষম। এর থেক নির্গত সুবাসও সারা দিনের উদ্বেগ থেকে মুক্ত করতে পারে শরীর-মনকে।

গবেষণা বলছে, সারা ঘরের প্রকৃতিকে সুষম ভাবে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে এই পরিচিত গাছগুলি। যার ফলে এক দিকে যখন শরীরে বয়ে চলে ঘুমপাড়ানি হাওয়া তখন অন্য দিকে মন বলে, না আজ একটু জিরিয়ে নিই, নতুন আলোয় শুরু করব দৌড়। নীচে চিনে নিন সেই ১০টি নিদ্রাদায়ক গাছকে

জুঁই, ল্যাভেন্ডার, মাদার-ইন-ল টাং বা শাশুড়ির জিভ, অ্যালোভেরা, স্পাইডার প্ল্যান্ট, পিস লিলি, গোল্ডেন পোথোস, ব্যাম্বু পাম, ইংলিশ আইভি, ভ্যালেরিয়ান.

রাশি অনুযায়ী ঘুম

মেষ =রাশির জাতক-জাতিকারা অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং উত্তেজিত। সারাদিন নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে মেষ। এদের চোখে ঘুম নেই বললেই চলে। ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করায় বিশ্বাসী নয়। এরা দেরি করে শুতে যায়। উঠে পড়ে অনেক সকালে।

বৃষ = ঘুম এদের মারাত্মক প্রিয় কাজ। এরা যেখানে-সেখানে যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়তে পারে। বৃষ রাশির গ্রহ শুক্র। ফলত, শুক্রের প্রভাবে এরা ঘুমোয় বেশি। সুযোগ পেলে এরা সারাদিন ঘুমোতে পারে।

মিথুন =ঘুমের সমস্যা থাকে মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের। এরা ইনসমনিয়ার শিকার। জীবনের যাবতীয় সমস্যা এরা রাতে শুতে যাওয়ার সময়ও সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ফলত, দুশ্চিন্তায় এদের ঘুম আসতে চায় না। আবার অনেক মিথুনই ঘুম কাতুরে।

কর্কট =মিথুনের মতো কর্কটও ইনসমনিয়ায় ভোগে। কারোর কারোর আবার ঘুম বেশি। কিছু কর্কট জাতক-জাতিকা রাতে দুঃস্বপ্নও দেখে। ভয়ের স্বপ্ন দেখে লাফিয়ে জেগে ওঠে।

সিংহ =কোলবালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারে না সিংহ রাশির নারীপুরুষ। এদের ঘুমোতে সময় লাগে। কিন্তু একবার ঘুমোলে চট করে ওঠে না। এরা রাত জেগে থাকতে পারে না। দিনের শেষে চায় পরিপূর্ণ ঘুম।

কন্যা =স্বাস্থ্য ও ঘুম নিয়ে আপোস করে না কন্যা রাশির নারীপুরুষ। এরা ঘড়ি মিলিয়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পক্ষপাতি। কিন্তু মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা ও অফিসের টেনশন এদের ঠিকমতো ঘুমোতে দেয় না।

তুলা রাশি =এরা সব ব্যাপারে ব্যালেন্স করে চলতে পছন্দ করে। একদিন রাতে ৩ ঘণ্টা ঘুমোলে পরদিন ১২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ক্ষতিপূরণ করে নেয়।

বৃশ্চিক =রহস্য ঘিরে থাকে বৃশ্চিকদের। এদের ঘুমের কোনও নির্দিষ্ট থাকে। যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়তে পারে। এরা সারারাত জেগে গুরুত্বপূর্ণ কাজে মগ্ন থাকতে পারে।

ধনু =এরা রোমাঞ্চপ্রিয়। দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। পার্টিপ্রিয়। মাঝেমধ্যে ক্লান্ত হলে লম্বা ঘুম দেয়। চঞ্চল হওয়ার কারণে খুব তাড়াতাড়ি শক্তি হারিয়ে যায়। এরা স্বপ্ন সত্যি করায় বিশ্বাসী।

মকর = খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বভাবের হয় মকর রাশির নারীপুরুষ। কাজে সাফল্য পেলে ভালো ঘুম হয় এদের। বিলাসিতা করতে পছন্দ করে। সুন্দর পালঙ্কে নিদ্রা এদের ভালো লাগে।

কুম্ভ = Early to bed, early to rise-এ বিশ্বাস করে কুম্ভ রাশির নারীপুরুষ। এরা অবাস্তব স্বপ্ন দেখে না। মাঝেমধ্যে এদের ঘুম উড়ে যায়। রাতে শুয়ে জীবনের সমস্যার সমাধান করে কুম্ভ রাশির নারীপুরুষ। তাই ঘুমের বারোটা বেজে যায় সহজে।
মীন = মীনরা ঘুমোতে ও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। আনন্দের সময় মীনদের ঘুমের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু দুঃখ পেলে এরা অনেক ঘুমোতে পারে। তাই মেজাজ এদের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে।
================
জল পান করুণ: ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে এক গ্লাস জল পান করুন।ঘুম ভাঙলে খাট থেকে উঠে একটু হাটাচলা করুন: ঘুম ভাঙলে খাট থেকে নেমে একটু হাটাচলা করুন। দুই থেকে তিন মিনিট হাটলে ঘুমঘুম ভাবটা কেটে যাবে।ঘরে সূর্যের আলো আসার ব্যবস্থা রাখুন: সকালে যেন ঠিকমত সূর্যের আলো বা রোদ এসে পড়ে। ঘর যত অন্ধকার রাখবেন, ঘুম থেকে উঠতে তত দেরি হবে।

বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের(নিমহান্স) ডাক্তারদের

গবেষণায় দেখা গিয়েছে অত্যধিক পরিমাণে ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের ঘুমের সময় কেড়ে নিচ্ছে প্রতিদিন। আর সেই সময়টা নজর আন্দাজ করার মতো মোটেই নয়। সোশ্যাল নেটওয়র্কিংয়ের নেশা ঘুমের নির্দিষ্ট সময় থেকে ১০০ মিনিট কেড়ে নিচ্ছে আপনার অজান্তেই। শুধু তাই নয়, নিমহান্স-এর সার্ভিস ফর হেলদি ইউজ অফ টেকনলজি ক্লিনিকের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ইন্টারনেটের নেশার কারণে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি হচ্ছে প্রায় ৯০ মিনিট।

ডাক্তারদের মতে দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা চলতে থাকলে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ এবং অ্যাংজাইটির সমস্যা। ২০১৫ সালে গুরগাঁও-এর একটি বেসরকারি হাসপাতালের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যে সব কম বয়সী রোগী হার্ট অ্যাটকের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতেন না।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়। ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাব বন্ধ করে দেওয়া। এবং প্রয়োজনের বাইরে যতটা সম্ভব সোশ্যাল অ্যাপ থেকে দূরে থাকা।

কিছু খাবার রয়েছে, যা আমাদের ঘুমের সাহায্য করে-

১) ওট, ওটকেক, ব্রাউন রাইস প্রভৃতি খাবার আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বজায় রাখে। এতে আমাদের এনার্জি বাড়ে। এর ফলে আমাদের শরীরে ঘুমের চাহিদা বাড়ে।

২) হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন, মাছ, মাংস, বিনস প্রভৃতি আমাদের ঘুমে সাহায্য করে।

৩) কুমড়োর বীজ আমাদের ঘুমে খুব সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন আর ভিটামিন রয়েছে। আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে এটি।

৪) মিনারেল, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়াম ভরপুর রয়েছে নারকেলের জলে। বলা হয়, নারকেলের জল শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ঘুমেরও সহায়ক এই নারকেলের জল।

৫) হার্বাল টি বা ভেষজ চা-ও আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।

সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি হল বিনিদ্র ঘুম। ঘুম ঠিকমতো না হলেই মেজাজ খিটখিটে। কাজে মন নেই। খেতে অনীহা। সারা দিনটাই মাটি। কিন্তু জানেন কি, আপনার আরামের ঘুমের শত্রু কারা? আমরা রোজ যে খাবার খাই, তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ঘুমের সেসব শত্রুরা।

ঘুমের আগে কোন খাবারগুলি একদমই খাওয়া উচিত নয়।

১) রেড মিট- BMR রেট বাড়িয়ে শরীরের তাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গাঢ় ঘুম আসে না।

২) শাকসবজি- সবুজ শাকসবজিতে যেমন দেহের পুষ্টি হয়, তেমনই শাকসবজিতে থাকে প্রচুর ফাইবার যা ধীরে পরিপাক হয়, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।

৩) চিপস ও স্ন্যাকস- ভাজাভুজিতে প্রচুর পরিমাণে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে যা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।

৪) পাস্তা- অত্যন্ত ফ্যাটি খাবার। ঘুমের সময় দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়।

৫) আইসক্রিম- প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও সুগার থাকায় শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়।

৬) পিত্জা- পাস্তার মতোই ফ্যাটি খাবার। ঘুমের সময় হৃদস্পন্দন অনিয়মিত করতে পারে। ঘুমের আগে তাই না খাওয়াই ভালো।

৭) সেরেল- একবাটি দুধে কর্নফ্লেক্স ফেলে খাওয়া সকালে আদর্শ ব্রেকফাস্ট হতে পারে, কিন্তু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একদম নয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটে ঘুম আসার পক্ষে বাধা।

৮) চকোলেট- কফির মতো চকোলেটও ‘চটকে’ দেবে আপনার ঘুম। কারণ, চকোলেটের ক্যাফাইন।

৯) অ্যালকোহল- ঘুমের শত্রু অ্যালকোহল। BMR বাড়িয়ে দেয় শরীরের।

১০) লঙ্কা- একদিকে কার্বোহাইড্রেট, অন্যদিকে ক্যালোরি। ফলে ঘুম আসার পক্ষে অন্তরায়।

ঘুম ও খাওয়া দুটোই যখন স্বাভাবিক থাকে তখন শরীরে কর্মক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। তাহলে জেনে নিন শরীরের ওজন কমাতে ঘুম কতটা সহায়ক।

অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় : অনেক সময় অনিদ্রা বা বিষণ্নতার কারণে মাঝরাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে রাতে পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুমের মাধ্যমে এ প্রবণতা কমানো সম্ভব। আর এর ফলে শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রেণে থাকে।

মেদ কমাতে সাহায্য করে : ওজন কমাতে শুধু খাবারের পরিমাণ কমালেই হবে না সেই সঙ্গে চাই পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুম। কারণ আপনার শরীর যখন ক্ষুধার্ত থাকবে তখন সব ধরনের খাবারের বেশির ভাগ অংশই মেদে পরিণত হয়ে জমতে থাকে।এই অবস্থা তখনই হবে যখন আপনি কম খাবেন এবং কম ঘুমাবেন।

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে : পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় তাহলে আপনার ক্ষুধাও থাকবে স্বাভাবিক।রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টার ঘুম খুবই আবশ্যক।

ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : এক গবেষণায় দেখা গেছে রোজ এক সময় ঘুমালে এবং উঠলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।আবার ৬ ঘণ্টার কম বা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে দু’টোই শরীরের ওজনের ওপর প্রভাব ফেলে।

হজমে সাহায্য করে : ঘুম শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ঘুম শরীর সুস্থ্য রাখতে ও ক্যালোরি পোড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ঘুম ঠিক মতো না হলে আরও কী কী সমস্যা হতে পারে -

১. ঠিক মতো ঘুম না হলে ত্বকের রোগের আশঙ্কা বাড়ে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, রাতে কম করে ৭-৮ ঘন্টার ঘুম না হলে সারা শরীরে প্রদাহ দেখা দেয়। বাদ যায় না ত্বকও। ফলে ড্রাই স্কিন, ব্রণ, চুলকানি, অ্যালার্জি, ইরিটেশন ডার্মাটাইটিস সহ একাধিক ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য পালায় কোন দূর দেশে।

২. ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারায়:
আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য অনেকাংশেই নির্ভর করে কোলাজেন এবং হায়ালিউরনিক অ্যাসিডের উপর। যখনই আমাদের ঠিক মতো ঘুম হয় না, তখনই এই দুটি উপাদানের মাত্রায় হের ফের ঘটে। যার সরাসরি প্রভাব পরে ত্বকের উপর।


৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত ত্বকের রোগ হয়:
ঠিক মতো ঘুম না হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে নানাবিধে রোগের প্রকোপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি একজিমা এবং সরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে যারা ক্রনিক সোরিয়াসিসে আক্রান্ত হন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনাও থাকে। এবার বুঝতে পারছেন তো রাত্রিকালীন ঘুম কতটা জরুরি।

৪. ত্বক শুষ্ক হতে থাকে:
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে চোখের নিচে ফোলা ভাব, ডার্ক সারকেল এবং ড্রাই স্কিনর মতো অসুবিধা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে তো ত্বক এতটাই ড্রাই হয়ে যায় যে চামড়া উঠতে শুরু করে। ফলে সৌন্দর্য একেবারে কমে যায়।

৫. ত্বকের বয়স বেড়ে যায়:
গভীর ঘুমের সময় আমাদের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি নিজেদের চিকিৎসা করার সুযোগ পায়। ফলে স্কিন প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যখন ঘুম ঠিক মতো হয় না, তখন ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি নিজেদের খেয়াল রাখার সুযোগই পায় না। ফলে ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করে।
ঘুম তখনই ঠিক মতো হবে, যখন এই নিয়মগুলি মেনে চলবেন:

ঘুম তখনই ঠিক মতো হবে, যখন এই নিয়মগুলি মেনে চলবেন:
১. রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না একেবারেই।
২. সারা দিনে কম করে ৩-৪ লিটার জল পান জরুরি।
৩. ঘর অন্ধকার করে শোবেন।
৪. ঘুমতে যাওয়ার আগে ভুলেও মোবাইল ঘাঁটবেন না, টিভিও দেখবেন না।
৫. বিছানার চাদর রোজদিন পরিষ্কার করবেন।
৬. ঘুমতে যাওয়ার আগে পারফিউম বা ঐ জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না।

বেশি ঘুমানোর কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে -

হার্টের সমস্যা

বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে মুত্যুর সংখ্যা খুবই বেড়ে গিয়েছে৷ যারা দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়৷ তাই অত্যাধিক ঘুমালে আজ থেকে চেষ্টা করুন ঘুমের পরিমাণ কমানোর৷

স্থুলতা

বর্তমানে এই সমস্যা ক্রমবর্ধমান৷ কম ঘুমালে যেমন এই সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঠিক তেমনই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমালেও এই সমস্যা হয়৷ বেশি ঘুমালে শরীরের কোনো মুভমেন্ট হয় না ফলে ক্যালোরি বার্ন হয় না যার ফলে অতিরিক্ত মেদ জমে৷ বেশি না ঘুমিয়ে এক্সারসাইজ করুন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷

ডায়াবেটিস

বেশি ঘুমালে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়৷ যার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ তাছাড়া স্থুলতা ও ডায়াবেটিস হাত ধরাধরি করে চলতে পছন্দ করে৷ তাই সাবধান!

দুর্বল মস্তিষ্ক

খুব বেশি ঘুম আপনার চিন্তাশক্তি দুর্বল করে দেয়৷ ফলে কোনো কিছু মনে রাখতে না পারা, মাঝে মধ্যেই ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়৷ সবচেয়ে বড় বিপত্তি হল কনসেনট্রেশনের অভাব দেখা দেয়, যার ফলে কলেজ হোক বা অফিস সব জায়গাতেই অসুবিধা হয়৷

আয়ু কমে

ভয়ানক হলেও সত্যি এটাই৷ অত্যধিক ঘুম আপনার আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে৷ রোগ না হলেও যারা বেশি ঘুমান তারা অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যান৷ মধুমেহ, হূদরোগের মতো সমস্যায় মারা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক৷

ডিপ্রেশন

যারা বেশি ঘুমান তাদের মুড সুইং খুব বেশি হয়৷ ডিপ্রেশনের পরিমাণও তাদের বেশি হয়৷ তাই বেশিও না কমও না, ঘুম সবসময় দিনে ৬ - ৭ অথবা ৭-৮ ঘণ্টা

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180531101028

Wednesday, May 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ম্লেচ্ছ যোগ

ম্লেচ্ছ যোগ

সুপ্রভাত
ম্লেচ্ছ যোগ
সপ্তম পতি দুঃস্থানগত হয় বা শত্রু ভাবে বসে থাকে বা শনি ও মঙ্গল সপ্তমে দৃষ্টি দেয় বা সপ্তম পতি কোনও ভাবে লগ্ন, ষষ্ঠ ও দশম ভাবের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে ম্লেচ্ছ যোগের সৃষ্টি হয়।
ফল:চরিত্রহীন, বিবাহ বিচ্ছেদ, বিবাহ বিলন্বিত ,অবিবাহিত ও যৌন রোগে আক্রান্ত হয়।
২১-৪০ বৎসরের এর মধ্যে জোতিষীক প্রতিবিধানে সুফল পাওয়া যায়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180530104322

Wednesday, May 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দেবী বর্গ ভীমা

দেবী বর্গ ভীমা

সুপ্রভাত
#ইতিহাস ও কিংবদন্তীর দেবী #বর্গভীমা

প্রায় পাঁচ হাজার মন্দিরের আজব দেশ #মেদিনীপুর। কালের করাল গর্ভে সবই আজ ভগ্নস্তূপ। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাসকে অস্বীকার করে যে কয়টি আজও বেঁচে আছে পূর্ণ মহিমায়। তার মধ্যে দেবী বর্গভীমা সর্বশ্রেষ্ঠ। ইতিহাস আর কিংবদন্তী পেরিয়ে এ মন্দির আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের উৎসবক্ষেত্র। এর শ্রেষ্ঠ পূজা শারদীয়া উত্সবে। দেবী বর্গভীমা তখন করালবদনা বরাভয়দায়িনী শক্তিরূপিনী ভীমা, আদ্যাশক্তি মহামায়া।

ইতিহাসের কোন প্রাচীন অক্ষরেখা ধরে কে যেন বলে এ হল বৌদ্ধসংঘারাম। হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানে শক্তির আরাধকরা একে রূপান্তরিত করেছে হিন্দু মন্দিরে। যদি তাই হয়, সেও তো বল্লাল সেনের যুগ। কিংবদন্তী নিয়ে যায় আরো কোনো প্রাচীন কথায় পুরাকালে বর্গভীমার জন্য তাম্রলিপ্ত যে একটি বিশিষ্ট সিদ্ধপীঠ হিসেবে প্রকীর্তিত ছিল, তার উল্লেখ পাওয়া যায় ব্রহ্মপুরাণ থেকে। পুরাকালে দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষযজ্ঞে ব্রহ্মার পুত্র দক্ষ প্রজাপতিকে নিহত করলে ব্রহ্মহত্যার ফলস্বরূপ শরীর বিশ্লিষ্ট দক্ষের মাথা মহাদেবের হাতে সংসৃষ্ট হয়ে যায়। মহাদেব কোনোপ্রকারেই একে নিজের হাত থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে পেরে উদ্দাম নৃত্য করতে থাকেন, তাতেও হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে না পেরে পৃথিবীর বিভিন্ন তীর্থে পরিভ্রমণ করতে থাকেন। কিন্ত্ত দক্ষের মাথা তাঁর হাত থেকে কিছুতেই বিশ্লিষ্ট না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বিষ্ণুর নিকটে উপস্থিত হলেন। তখন বিষ্ণু বললেন :

অহং তে কথয়িষ্যামি যত্র নশ্যতি পাতকং
তত্র গত্বা ক্ষণামুক্তঃ পাপাদ্ধর্গো ভবিষ্যসি।।

অর্থাৎ সেখানে গমন করলে জীব ক্ষণকাল মধ্যে পাপ থেকে মুক্ত হয়, এবং সকল পাপ বিনষ্ট হয়, তোমায় সে স্থানের মাহাত্ম্য বলব। এই বলে বিষ্ণু বললেন :

আস্তি ভারতবর্ষস্য দক্ষিণস্যাং মহাপুরী,
তমোলিপ্তং সমাখ্যাতং গূঢ়ঃ তীর্থ বরং বসেত্।
তত্র স্নাত্বা চিরাদেব সম্যগেষ্যসি মত্পুরীং
জগাম তীর্থরাজস্য দর্শনার্থং মহাশয়।।

অর্থাৎ ভারতবর্ষের দক্ষিণে তমোলিপ্ত (তাম্রলিপ্ত) নামে মহাতীর্থ আছে, তাতে গূঢ়তীর্থ বাস করে। সেখানে স্নান করলে লোকে বৈকুন্ঠে গমন করে। অতএব আপনি তীর্থরাজের দর্শনের জন্য সেখানে যান। মহাদেব একথা ষুনেই তাম্রলিপ্ত হয়ে বর্গভীমা ও বিষ্ণু নারায়ণের মন্দির দুটির মধ্যবর্তী সরসীনীরে অবগাহন করলে দক্ষ শির তাঁর হাত থেকে মুক্ত হল।

মহাভারতের যুগে নরপতি তাম্ররাজ এক ধীবরপত্নীর কাছ থেকে শোনেন আলৌকিক সে কাহিনী। রোজ মরা মাছ কয়েক যোজন দূর থেকে এনে বনের ভেতর এক মন্দিরের পুকুরে ডুবিয়ে সে মাছকে জ্যান্ত করে নেয়। তারপর নিয়ে যায় রাজবাটীতে। রাজা তাম্ররাজ সেই কাহিনী শুনে ধীরবীর সমভিব্যবহারে গিয়ে উপস্থিত হলেন বনের ভেতরের সেই মন্দিরে। প্রতিষ্ঠা করলেন দেবীকে-প্রস্তরময়ী সে দেবীকে স্বমহিমায়।

ঐতিহাসিক হান্টার বলেন, “নূতন রাজা কালুভূঞা নূতন ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করিয়া পূজারম্ভ করেন, ঐ ঠাকুর বর্গভীমা নামে বিরাজ করিতেছেন।” আবার A Statiscal Account of Bengal. Vol.-III, p.61-এ আছে ধনপতি সদাগর নাকি এ মন্দির ও এ দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কিংবদন্তী যেখানে রাতের ঘুম কেড়ে নেয়, সেখানে ইতিহাস পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে থাকে কালাপাহাড়-

”দেবীর উপাসক মহাশয়দিগের নিকট একখন্ড পারসিক ভাষায় লিখিত দলিল রহিয়াছে, ইহাকে তাঁহারা ‘বাদশাহী পঞ্জ’ বলিয়া নির্দেশ করেন। যখন (খ্রীঃ 1567-68) দুরন্ত কালাপাহাড় উড়িষ্যা বিজয় বাসনায় এই দেশে আগমন করিয়াছিলেন, তিনি দেবীকে সন্দর্শন করত প্রীত হইয়া এই দলিল লিখিয়া দিয়াছিলেন।” (বৃহত্তর তাম্রলিপ্তর ইতিহাস : যুধিষ্ঠির জানা (মালীবুড়ো) পৃ. 100)

ইতিহাস আর কিংবদন্তী মেশা কাহিনী বিস্ময়কর, লোমহর্ষক। বালক রাজু, রাজীবলোচনই দামোদরের তটের গ্রামের এক হিন্দু মায়ের আঁচল ধরা আভিমানী ছেলে নবাব দুহিতার প্রেমে মুসলমান হয়েছিলেন – হয়েছিলেন সুলেমান করণানির সেনাপতি।

উড়িষ্যা আভিযানে চণ্ড কালাপাহাড় এক একটি মন্দির, দেবদেউল ধ্বংস করে এগিয়ে চলেছেন রূপনারায়ণের দিকে। তটে শিবির খাঁটালেন। মন্দির চূড়ার দিকে তাকিয়ে আছেন কালাপাহাড়। আর কতক্ষণ ঐ মন্দির দাঁড়িয়ে থাকবে?

একাকী এগিয়ে চললেন কালাপাহাড়। সোপানশ্রেণী আতিক্রম করে মন্দিরের দেবীগৃহের দুয়ারে এসে দাঁড়ালেন কালাপাহাড়। বেলা বাড়ে। কিন্ত্ত একি হল। স্তম্ভিত পাঠান সৈনিকেরা। দেবী বর্গভীমার সম্মুখে এক শীতল সুবাতাসের আশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন সুলেমান করণানির সেনাপতি কালাপাহাড়।

কি স্বপ্ন দেখে সেদিন জেগে উঠেছিল কালাপাহাড়? দেবী বর্গভীমার কি আদেশ পেয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিল কালাপাহাড়ের ধ্বংসলীলা। ‘মূর্তিনাশক কালাপাহাড় জীবনে প্রথম ও একমাত্র মূর্তিকে ধ্বংস করতে এসেও ধ্বংস করতে পারেন নি, সেই মূর্তি আজও তমলুকের মন্দিরে আরতির আলোকে প্রতি সন্ধ্যায় দীপ্ত হয়ে ওঠে।’

কালাপাহাড় সম্ভবত জালাল সাহের সময় 1260-এর দিকে বর্তমান ছিলেন। আর রাজেন্দ্রলাল গুপ্ত একটি প্রবন্ধে (সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত ‘সাহিত্য’ পত্রিকায়) লিখেছেন, ‘বর্গভীমা মন্দির পূর্বে বৌদ্ধমন্দির ছিল।’ এখনও যদি কোনো দর্শক মনোযোগ সহকারে দেখেন, দেখবেন মূল মন্দিরের চারদিকে আনেকগুলি ছোট ছোট গৃহ বা বিহার ছিল। কালের আমোঘ নিয়মে তার আনেকগুলি ধ্বংস হলেও দু একটি এখনও টিকে আছে। বর্তমান মন্দিরটিতে সম্ভবত প্রধান আচার্য থাকতেন। মন্দিরের গঠন আনেকটা বুদ্ধগয়ার মন্দিরের মতো।

আরও আনেক রকম ইতিহাস, কিংবদন্তী, প্রবাদ প্রচলিত আছে। সে থাক। এবার বরং আসি এখন মন্দিরে যা আছে, তার বর্ণনায়। বর্গভীমাকে আনেকে চন্ডীতন্ত্রে কথিত ভীমাদেবী বলে মনে করেন। 51 পীঠের মধ্যে তমলুকের বর্গভীমাও একটি পীঠস্থান। এই দেবীর মূর্তি একটি প্রস্তরের সম্মুখভাগ খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই মূর্তির গঠন উগ্রতারা মূর্তির মতই। প্রতিকৃতিটি কৃষ্ণ প্রস্তরে নির্মিত। এরকম খোদাই করা মূর্তি সচরাচর দেখা যায় না। এই দেবীর ধ্যান ও পূজাদি যোগিনী মন্ত্র ও নীল তন্ত্রানুসারে সম্পাদিত হয়। কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর চন্ডীমঙ্গল (অভয়ামঙ্গল) কাব্যে এই দেবী সম্পর্কে লিখেছেন :

“গোকুলে গোমতীনামা তাম্রলিপ্তে বর্গভীমা
উত্তরে বিদিত বিশ্বকায়া।”

সেও তো প্রায় চারশ বছর আগের লেখা।

বর্তমানে মন্দিরটির চারদিকে কিছু সংস্কার করা হলেও মূল প্রাচীন রূপটি অক্ষুন্ন। মন্দিরটি উচ্চতায় প্রায় 60 ফুট। এর দেওয়ালের ভেতরের প্রস্থ 9 ফুট। এটি গোল ছাদ বিশিষ্ট। মন্দিরের চারটি অংশ—

(1) মূল মন্দির
(2) জগমোহন
(3) যজ্ঞ মন্দির
(4) নাট মন্দির।

তবে মনে হয় মন্দিরটির সব অংশ একসঙ্গে তৈরি হয়নি।

মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেলীতে 27টি পোড়ামাটির বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এ মন্দির রেখ দেউল রীতির। এখনকার রূপ বিশ্লেষণ করলে মনে হয় দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীর কোনো এক সময় এ মন্দির নির্মিত হয়েছে।

আগেই বলেছি বর্তমানে এ মন্দিরের আনেক সংস্কার করা হয়েছে। বাইরের টেরাকোটার মূর্তিগুলি সিঁদুরে লেপটে গেছে। মূল দেবী মূর্তিও মুখোশ পরানোর ফলে আজ আর দৃষ্ট হয় না।

এখনও দুর্গাপূজার সময় ধূমধাম সহকারে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয়। এমন কি মহাষ্টমীর লগ্নে বলীও দেওয়া হয়। মা বর্গভীমা সে রক্ত পান করেন কিনা জানি না। বাইরের হাড়ি কাঠে লাল সিঁদুরের গভীর প্রলেপ। প্রতিদিন প্রহরে প্রহরে ভোগ দেওয়া হয়। আর আজকাল বিবাহ অন্নপ্রাশন উপনয়ন সব অনুষ্ঠানই সরাসরি এই মন্দিরে হয় মহাসমারোহে।

তাই দেবী বর্গভীমা আজ পূর্ব মেদিনীপুরের সবচেয়ে প্রাচীন জাগ্রত জনপ্রিয় দেবী। জনসমাগমে এ মন্দির টেক্কা দিয়েছে জেলার আর সব দেবদেবীকেই।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180530094053

Tuesday, May 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্বে ভাগ্য ও কর্ম

জোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্বে ভাগ্য ও কর্ম

জ্যোতিষ চর্চা

ভাগ্য ও কর্ম ফল

আমাদের সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর আরও গ্রহ আছে যাকে আমরা গ্রহ বলি , আমরা জানি হিন্দু বিবাহে নবগ্রহের পুজা করি এই পুজার কারন যাতে নব বর বধূর কল্যাণ হয় আর তার জীবন নির্বিঘ্নে কাটতে পারে এই পৃথিবী তে আমরা বসবাস করছি এতে আমাদের জীবনে শুধু পৃথিবীর প্রভাব নয় অন্য গ্রহের প্রভাব পরে তাই আমরা নবগ্রহের পুজা করি

সূর্য স্থির গ্রহ অন্য গ্রহ তার চারিদিকে গ্রহ উপগ্রহ পরিভ্রমণ করে তাদের নিয়ে আমাদের সৌর জগত । মানবীয় জীবনে সময় মত হয় । আমাদের জীবনে সুখ দুঃখ , লাভ হানি , জয় পরাজয় , জন্ম মৃত্যু , মিত্রতা শত্রুতা , অথবা আমাদের জীবনে যায় ঘটুক না কেন , এই সব নব গ্রহের প্রভাবে । বিশ্বের প্রত্যেক বস্তু , জীব জন্তু পশু পক্ষী , গাছ পালা তে এই গ্রহ এর প্রভাবে প্রভাবিত । গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে বিশ্বে সমস্ত কাজ সম্পাদিত হয় । জ্যোতিষাচার্জ বরাহমিহির সূর্য , চন্দ্র , মঙ্গল , বুধ , বৃহস্পতি , শুক্র , শনি সাত গ্রহ আর রাহু কেতু [ ছায়া গ্রহ ] নিয়ে নয় গ্রহ আমাদের জীবন কে নিয়ন্ত্রন করে । এই গ্রহের শুভতা মানুষের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে আবার অশুভতা নিয়ে আনে দুঃখ কষ্ট এতে কোন সন্দেহ নেই । মানুষ তিন গুনের মধ্যে আবদ্ধ সত্ত্ব , রজ , তমো । বরহ মিহির পরিষ্কার করে বলেছেন মানুষ জীবনের চারদিকে দ্রুত গতিতে গতিশীল আর সেইক্ষণে মানুষ যে স্থলে জন্ম নেয় সেই সময় সেই স্থলে যে গ্রহের দৃষ্টি তার প্রভাব জাতকের স্বভাব সেই মত হয় তার উপর সেই গ্রহের প্রভাব পরে । কোন জাতক তমোগুণ কোন জাতক সত্ত্ব গুণী কোন জাতক রজোগুণী এই গ্রহে ঐ স্থানের জাতকের মধ্যে তার প্রভাব পড়ে । ধরুন একজন ডাকাত কেন ডাকাত ? একজন পণ্ডিত জ্ঞানী ব্যক্তি কেন জ্ঞানী ? তার জন্ম তারিখ জন্মের সময় জন্মের স্থানে তাৎক্ষনিক গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান নির্ধারিত করে দেয় সেই জাতক কেমন হবে । গ্রহের দৃষ্টি প্রভাব সেই জাতক কেমন হবে তা নির্ধারিত করে দেয় তাকে লগ্ন কুষ্ঠী বলে ।

ধরুন ২৬/০৫/২০১৮ মহাকাশের গোচর নিম্ন রুপ । এর লগ্ন অনুসারে জাতকের ভাগ্য নির্ধারিত একে কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না । সারা জীবনের ভাগ্য সেই দিন নির্ধারিত । হয়ত অশুভ প্রভাবকে নিয়ন্ত্রিত করতে কিছু পুজা অর্চনা , রত্ন , বা উপায় আজকের জ্যোতিষীরা দেন কিন্তু বা শুভ ফল বৃদ্ধি করতে কিছু উপায় দেন তা জাতকে সহজে সাফল্যের নিয়ে যেতে পারে । এখান থেকে আমরা জানতে পারি জাতকের ভবিষৎ জীবন । সারা জীবন সেই জাতক কোন শুভ গ্রহের শুভফল পাবে আর কোন গ্রহের কুফল পাবে । এটা বুঝতে গেলে জানতে হবে কোন গ্রহ কি ফল দেয় ?

রবি ঃ যশ ও প্রতিষ্ঠা

চন্দ্র ঃ সৌম্য , শীতলতা ও মন

মঙ্গল ঃ শৌর্য এবং পরাক্রম

বুধ ঃ বুদ্ধি ,বিবেক এবং বানিজ্য

বৃহস্পতি ঃ ধর্ম , ন্যায় ,পরলৌকিক সুখ ও নীতি

শুক্র ঃ বিষয় বাসনা , কলা , সৌন্দর্য , সাংসারিক সুখ

শনি ঃ দুঃখ , ব্যাধি , কর্মফল

রাহু ঃ পাপ কর্ম ,দুর্ভাগ্য ,রাজনীতি , সাহস

কেতু ঃ দুঃখ ,রোগ , দুর্ঘটনা এবং শোক

এগুলি কখন ঘটবে তা জানতে দশ অন্তর দশা ও গোচর দেখতে হবে ।

জ্যোতিষ সমন্ধে আর আলোচনা আগে এই বিষয় টি মাথায় রাখতে হবে ।

স্বামী নিগমানন্দের মতে, কর্ম তিন প্রকারের যথা: ক্রীয়মান, সঞ্চিত, এবং প্রারব্ধ। যখন কেউ তার শ্রমের ফল তার জীবদ্দশাতেই উপভোগ করতে পারে, তখন তাকে বলা হয় ক্রীয়মান; তার শ্রমের ফল ভোগ করার পূর্বেই যদি সে মারা যায়, তবে তাকে বলা হয় সঞ্চিত কর্ম। পূর্ব জন্মের সঞ্চিত কর্মের উদ্বৃত্ত অংশ ভোগ করার জন্য যদি তার পুনর্জন্ম হয়, তবে তাকে বলা হয় প্রারব্ধ। সাধনার গুণে কারো পক্ষে ক্রীয়মান ও সঞ্চিতের প্রভাব নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলা যেতে পারে কিন্ত্তু প্রারব্ধ কর্মের প্রভাব মুছে ফেলা সম্ভব নয়। পার্থিব উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা যতক্ষণ কোন ব্যক্তি আবিষ্ট থাকে ততক্ষণ তাকে নিশ্চিতভাবে জন্ম-মৃত্যুর অন্তহীন ভ্রমণ গ্রহণ করতে হবে। জীবাত্মা কখনও কখনও নাক্ষত্রিক জগতে ভ্রমণ করার জন্য স্থূল দেহ ত্যাগ করে যাকে বলা হয় প্রেত লোক। এর কর্মের প্রভাবের মধ্য দিয়ে যাবার পর এটি স্থূল দেহের সাথে স্থূল জগতে ফিরে আসে তার অতিরিক্ত বাসনাসমূহ যা তার পূর্ব জন্মে ছিল তা পূরণ করার জন্য। এ ব্যাপারে অজ্ঞ হয়ে কিভাবে এটি এক জগত থেকে অন্য জগতে চলাফেরা করে তা এক বড় রহস্যের বিষয়। যোগীরা এ রহস্য স্পষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম বা প্রত্যক্ষ করতে পারেন এবং জীবের পূর্ব সংস্কার সম্পর্কে বলতে পারেন।

বেদান্তদর্শন-ব্রহ্মবেদান্ত-১৭ : বাদরায়ণের দার্শনিক মত- কর্মফল ও পুনর্জন্ম |


২.২.০৫ : কর্মফল ও পুনর্জন্ম

.
বেদান্তসূত্রে সৃষ্টিকর্তা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, জগৎকে সৃষ্টির জন্য ব্রহ্মকেও জীবের কর্মের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। কেননা, এই সৃষ্টিজগৎ আপ্তকাম ব্রহ্মের লীলা (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৩) হলেও, জগৎ-স্রষ্টা হিসেবে ব্রহ্মর পক্ষপাতিত্ব ও নিষ্ঠুরতার আপত্তি উত্থাপিত হয়। বস্তুত জগতে- মানব সমাজে- যে বৈষম্য দেখা যায়, অনেকেই শ্রম করতে করতে অনাহারে মৃতপ্রায় হলেও কেউ কেউ বিনা পরিশ্রমেই অন্যের শ্রমের ফল ভোগ করে বিলাসী জীবন কাটায়। তাদের দেখেই পুরোহিতবর্গ দেবলোকের কল্পনা করেছেন। আবার মনুষ্য থেকে ক্ষুদ্রতম কীট পর্যন্ত প্রাণিজগতে যে ভীষণ সংহার দেখা যায় যায় তা জগৎ-স্রষ্টা ব্রহ্মকে বড়ই হৃদয়হীন বলে প্রমাণ করে, এবং তার থেকে আত্মরক্ষার জন্যই উপনিষদে পূর্বজন্মকৃত কর্মসিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়েছে-

‘তাদের মধ্যে যারা (পূর্বজন্মে) রমণীয় আচরণ বা পুণ্যকর্ম করে তারা দেহান্তরে শীঘ্রই ব্রাহ্মণযোনিতে বা ক্ষত্রিয়যোনিতে বা বৈশ্যযোনিতে জন্মলাভ করে। আবার যারা (পূর্বজন্মে) কপূয়াচরণ অর্থাৎ কুৎসিত বা অশুভ কর্ম করে তাদের শীঘ্রই কুকুরযোনিতে বা শূকরযোনিতে বা চণ্ডালযোনিতে পুনর্জন্ম হয়।’- (ছান্দোগ্য-৫/১০/৭)।

একই বিষয়ে বৃহদারণ্যক উপনিষদেও বলা হয়েছে এভাবে-

‘…তিনি কর্মকেই আশ্রয় করে থাকেন। তাই পুণ্য কাজ করলে ভালো আর পাপ কাজ করলে মন্দ ভোগ করতে হয়। পাপ-পুণ্যের আবর্তে জীব-পুরুষকে জন্মচক্রে পাক খেতে হয়। তাই কর্ম হলো জীবের গতি, কর্ম হলো জীবের মুক্তি। কর্মই স্থির করে দেবে জীব-পুরুষের অবস্থান।’- (বৃহদারণ্যক-৩/২/১৩)।

অর্থাৎ পূর্বজন্মের কর্মফলই নির্ধারণ করে দিচ্ছে এজন্মে কিভাবে এই ফল ভোগ করতে হবে, এই জন্মে সুখ ভোগ করবে, না কি দুঃখ ভোগ করবে। তৎকালীন সামাজিক ব্যবস্থা- শোষক-শোষিত, প্রভু-ভৃত্য প্রথার- দৃঢ় সমর্থক বাদরায়ণও একে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলেছেন-

(বৈষম্যনৈর্ঘৃণ্যে ন, সাপেক্ষত্বাৎ, তথা হি দর্শয়তি), ‘জগতে সুখ দুঃখাদি দেখে ব্রহ্মকে পক্ষপাতযুক্ত বা নিষ্ঠুর বলা যায় না- কারণ শাস্ত্রে এই বৈষম্যের হেতু এবং ব্রহ্মের স্বরূপ প্রদর্শিত হয়েছে।’- (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৪)।

এবং জীবের এই কর্মফল দাতা যে ঈশ্বরই, তা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত করেই তিনি বলেন-

‘ফলমতঃ, উপপত্তেঃ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/২/৩৮)।।
ভাবার্থ : জীবের কর্মফলদাতা যে ঈশ্বর তাই যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্ত (ব্রঃ-৩/২/২৮)।

এখানে হয়তো একটি আপত্তি উঠতে পারে যে, কর্ম তো একটা সময়ে করা হয়ে থাকে, তার আবার আগের জগতের কথা কী করে আসে ? কিংবা প্রশ্নটি এভাবেও হতে পারে যে, যেহেতু প্রথম সৃষ্টির পূর্বে জীবাত্মার পক্ষে তার পূর্বে কোন অবস্থান সম্ভব নয়, তাই কর্মফল থাকাও সম্ভব নয়, তাহলে প্রথম সৃষ্টির সময়েই জীবের মধ্যে অবস্থার পার্থক্য আসবে কোত্থেকে- যদি না ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করে এই ভেদ সৃষ্টি করে থাকেন ? এই আপত্তির উত্তরে বাদরায়ণ বলেন যে, সৃষ্টি অনাদি, অতএব কর্মও অনাদি-

(ন কর্মাবিভাগাদিতি চেৎ, ন, অনাদিত্বাৎ), ‘সৃষ্টির পূর্বে জীব ও ব্রহ্মের কোন ভেদ ছিলো না। সৃষ্টির সময়েই ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করে ভেদ সৃষ্টি করেছেন যদি এরূপ বলা হয়, তাহলে এর উত্তরে বলা যায় যে, না জীবজগৎও অনাদি।’- (ব্রহ্মসূত্র-২/১/৩৫)।

পুনর্জন্মের বিষয়ে বাদরায়ণ উপনিষদের সিদ্ধান্তকে সু-ব্যবস্থিতরূপে একত্রিত করেছেন। ছান্দোগ্য উপনিষদের (ছাঃ-৫/১০/৭) শ্রুতিতে সুকৃতি-দুষ্কৃতির মাধ্যমে পুনর্জন্মের যে ধারণা অভিপ্রেত হয়েছে, তার থেকেই পরবর্তী উপনিষদগুলিতে জীবের পুনর্জন্মচক্রের একটা দার্শনিক রূপরেখাও তৈরি হয়ে গেছে। যেমন, প্রশ্ন-উপনিষদে বলা হয়েছে-

‘তেজো হ বা উদানঃ তস্মাৎ উপশানততেজাঃ। পুনর্ভবম্ ইন্দ্রিয়ৈঃ মনসি সম্পদ্যমানৈঃ’। (প্রশ্নোপনিষদ-৩/৯)।। ‘যৎ চিত্তন্তেনঃ এষঃ প্রাণম্ আয়াতি। প্রাণঃ তেজসা যুক্তঃ সহাত্মনা যথাসঙ্কল্পিতং লোকং নয়তি’। (প্রশ্নোপনিষদ-৩/১০)।।
অর্থাৎ :
অগ্নিই উদান। মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন তার শরীর শীতল হয়ে যায়। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় তখন মনে লীন হয় এবং সে জন্মান্তরের জন্য প্রস্তুত হয় (প্রশ্ন-৩/৯)। মৃত্যুকালে জীবাত্মা প্রাণে প্রবেশ করে। সঙ্গে থাকে মন এবং সেই সময়কার মনের যত সংস্কার বা চিন্তা ও বাসনা সমূহ। প্রাণ তখন অগ্নি অর্থাৎ উদানের সঙ্গে যুক্ত হয় (কেননা উদানই তাকে দেহের বাইরে নিয়ে যায়)। আত্মা যে লোক কামনা করে প্রাণ তাকে সেই লোকেই নিয়ে যায়। তারপরে আত্মা নতুন জন্ম গ্রহণ করে (প্রশ্ন-৩/১০)।

এই ধারণারই আরেকটু বিস্তৃত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বৃহদারণ্যক উপনিষদে-

‘স যত্র অয়মাত্মাহ্বল্যং ন্যেত্য সংমোহমিব ন্যেতি অথৈনমেতে প্রাণা অভিসমায়ন্তি স এতাস্তেজোমাত্রাঃ সমভ্যাদদানো হৃদয়মেব অন্ববক্রামতি ষ যত্রৈষ চাক্ষুষঃ পুরুষঃ পরাঙ্ পর্যাবর্ততে, অথ অরূপজ্ঞ ভবতি’। (বৃহদারণ্যক-৪/৪/১)।। ‘একীভবতি ন পশ্যতীতি আহুঃ, একীভবতি ন জিয়তীতি আহুঃ, একীভবতি ন রসয়ত ইতি আহুঃ, একীভবতি ন বদতীতি আহুঃ, একীভবতি ন শৃণোতীতি আহুঃ, একীভবতি ন মনুতে ইত্যাহুঃ, একীভবতি ন স্পৃশতীতি আহুঃ একীভবতি ন বিজানাতীত্যাহুঃ। তস্য হি এতস্য হৃদয়স্যাগ্রং প্রদ্যোততে, তেন প্রদ্যোতেন এষ আত্মা নিষ্ক্রামতি চক্ষুষ্টো বা মূর্ধ্নো বা অন্যেভ্যো বা শরীরদেশেভ্যঃ। তং উৎক্রমন্তং প্রাণোহনুৎক্রামতি, প্রাণমনুৎক্রামন্তং সর্বে প্রাণা অনুৎক্রামন্তি, সবিজ্ঞানো ভবতি, সবিজ্ঞানমেব অন্ববক্রামতি। তং বিদ্যাকর্মণী সমন্বারভেতে পূর্বপ্রজ্ঞা চ’। (বৃহদারণ্যক-৪/৪/২)।। তদ্ যথা তৃণজলায়ুকা তৃণস্যান্তং গত্বাহন্যমাক্রমম্ আক্রম্যাত্মানম্ উপসংহরত্যেবং এবায়মাত্মা ইদং শরীরং নিহত্যাহবিদ্যাং গময়িত্বাহন্যমাক্রমং আক্রম্যাত্মানং উপসংহরতি’। (বৃহদারণ্যক-৪/৪/৩)।।
অর্থাৎ :
এই শারীর-পুরষ আত্মা দুর্বলতার কারণে যখন সংজ্ঞালোপ পাবার মতো অবস্থায় আসে তখন সবকটি প্রাণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় এসে জড়ো হয় আত্মার কাছে। যে তেজশক্তি নিয়ে ইন্দ্রিয়রা ছিলো প্রকাশমান, করছিলো আপন-আপন নির্দিষ্ট কাজ, তাদের সেই তেজকে নিয়ে প্রবেশ করে হৃদয়ে। সঙ্গত কারণেই চাক্ষুষ-পুরুষ আদিত্যের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে, চোখ আর কেমন করে রূপ দেখবে ? তাই মুমূর্ষুর চোখে কোন রূপই ধরা পড়ে না (বৃঃ-৪/৪/১)। আত্মার সঙ্গে এক হয়ে মিশে গেলে, স্বতন্ত্র অস্তিত্ব না থাকলে কি আর স্বাতন্ত্র্য থাকে ? একীভূত হয়ে থাকার ফলে, লোকে বলে শুনতে, চিন্তা করতে, স্পর্শ করতে পারছে না, কিছু জানতেও পারছে না। সেই সময় তার হৃদয়ের অগ্রভাব দীপ্তিযুক্ত হয়ে ওঠে, প্রকাশিত হয় হৃদয়পথে নির্গমন দ্বার। দেহকে ছেড়ে জ্যোতির সাহায্যে সেই আত্মা জীবের কামনা অনুযায়ী অনুরূপ পথ দিয়ে বেরিয়ে যান। যদি তার সাধনা থাকে আদিত্যলোকের তবে আত্মা নিষ্ক্রান্ত হন চক্ষুপথে, ব্রহ্মলোকের জন্য ব্রহ্মতালু পথে, আবার নানা-বাসনা, নানা কর্মানুসারে অনুরূপ অপরাপর ইন্দ্রিয়পথে। আত্মা নির্গত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যপ্রাণ তাঁর অনুগমন করে, সেই সঙ্গে অপরাপর প্রাণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ও তাঁর অনুগমন করে। আত্মা তখন বিজ্ঞানময়। এই বিজ্ঞানময় আত্মার অনুগমন করে বিদ্যা, কর্ম আর সংস্কার (বৃঃ-৪/৪/২)। জলায়ুক বা জলৌকা অর্থাৎ জোঁক যেমন ঘাসের এক ডগা ছেড়ে আর এক ডগায় গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেয়, আত্মাও তেমনি দেহত্যাগের পর অবিদ্যা দূর করে, স্থূল শরীরটাকে পরিত্যাগ করে আশ্রয়রূপ অন্য দেহকে অবলম্বন করে (বৃহদারণ্যক-৪/৪/৩)।

এই শ্রুতিকেই প্রামাণ্য স্বীকার করে তাই বাদরায়ণও বলেন-

‘তদন্তরপ্রতিপত্তৌ রংহতি সম্পরিষ্বক্তঃ, প্রশ্ননিরূপণাভ্যাম্’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১)।।
‘প্রাণগতেশ্চ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/৩)।।
অর্থাৎ :
জীব সূক্ষ্মভূত-সমন্বিত হয়ে দেহত্যাগান্তে অন্যদেহ প্রাপ্তির জন্য গমন করে- তা শ্রুতি বর্ণিত প্রশ্নোত্তর থেকে অবগত হওয়া যায় (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১)। বৃহদারণ্যক শ্রুতি বলেন যে, জীব উৎক্রান্ত হলে জীবের সাথে ইন্দ্রিয়সকলও গমন করে (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/৩)।

এই প্রাণসকল বা সূক্ষ্ম ইন্দ্রিয়সহ উৎক্রান্ত জীব কোথায় গমন করে ? এর একটা বিবরণ ছান্দোগ্য উপনিষদেই পাওয়া যায়। যেমন-

‘স জাতো যাবৎ-আয়ুষম্ জীবতি তং প্রেতং দিষ্টমিতম্ অগ্নয়ঃ এব হরন্তি যত এবেতো যতঃ সম্ভূতো ভবতি’। (ছান্দোগ্য-৫/৯/২)।। ‘তদ্ য ইত্থং বিদুর্যে চ ইমে অরণ্যে শ্রদ্ধা তপ ইত্যুপাসতে তে অর্চিষম্ অভিসংভবন্তি অর্চিষঃ অহঃ অহ্নঃ আপূর্যমাণপক্ষম্ আপূর্যমাণপক্ষাদ্ যান্ ষট্ উদঙ্ এতি মাসাংস্তান্’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/১)।। ‘মাসেভ্যঃ সংবৎসরং সংবৎসরাৎ আদিত্যম্ আদিত্যাৎ চন্দ্রমসং চন্দ্রমসো বিদ্যুতং তৎ পুরুষঃ অমানবঃ স এনান্ ব্রহ্ম গময়তি এষঃ দেবযানঃ পন্থাঃ ইতি’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/২)।। ‘অথ য ইমে গ্রাম ইষ্টাপূর্তে দত্তম্ ইতি উপাসতে তে ধূমম্ অভিসম্ভবন্তি ধূমাৎ রাত্রিম্ রাত্রেঃ অপরপক্ষম্ অপরপক্ষাৎ যান্ ষট্ দক্ষিণা এতি মাসাংস্তান্নৈতে সংবৎসরম্ ন অভি প্রাপ্নুবন্তি’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/৩)।। ‘মাসেভ্যঃ পিতৃলোকং পিতৃলোকাৎ আকাশম্ আকাশাৎ চন্দ্রমসম্ এষঃ সোমো রাজা তৎ দেবানাম্ অন্নম্ তং দেবা ভক্ষয়ন্তি’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/৪)।। ‘তস্মিন্ যাবৎ সম্পাতম্ উষিত্বা অথ এতম্ অধ্বানম্ এব পুনঃ নিবর্তন্তে যথা ইতম্ আকাশম্ আকাশাৎ বায়ুম্ বায়ুঃ ভূত্বা ধূমঃ ভবতি ধূমঃ ভূত্বা অভ্রং ভবতি’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/৫)।।
অর্থাৎ :
(সন্তান) জন্মগ্রহণ করে যতদিন তার আয়ু ততদিন জীবিত থাকে। (তারপর যখন) যথানির্দিষ্ট রূপে (অর্থাৎ কর্মফল অনুযায়ী লোক লাভের জন্য) দেহত্যাগ করে, তখন (তার পুত্র ও শিষ্যরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য) তাকে ঘর থেকে সেই অগ্নিতে নিয়ে যায়- যে অগ্নি থেকে সে এসেছে, যে অগ্নি থেকে সে উৎপন্ন হয়েছে (ছাঃ-৫/৯/২)। যাঁরা পঞ্চাগ্নিবিদ্যা জানেন এবং যাঁরা অরণ্যে বাস করে শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে তপস্যাদি করেন, তাঁরা মৃত্যুর পর অর্চিলোক অর্থাৎ জ্যোতির্লোক প্রাপ্ত হন। (অতঃপর) অর্চি থেকে দিনে, দিন থেকে শুক্লপক্ষে, শুক্লপক্ষ থেকে উত্তরায়ণের ছয় মাসে- (ছাঃ-৫/১০/১)। সেখান থেকে সংবৎসরে, সংবৎসর থেকে আদিত্যে, আদিত্য থেকে চন্দ্রলোকে এবং চন্দ্রলোক থেকে বিদ্যুৎ-লোক প্রাপ্ত হন। সেই স্থানে (ব্রহ্মলোক থেকে) এক অমানব অর্থাৎ জ্যোতির্ময় পুরুষ এসে তাদের ব্রহ্মলোকে নিয়ে যায়। এই পথই দেবযান অর্থাৎ দেবলোকের পথ (ছাঃ-৫/১০/২)। আর যে সকল গৃহস্থ যজ্ঞ, সমাজসেবামূলক কর্ম এবং দান ইত্যাদি অনুষ্ঠান করেন তাঁরা (মৃত্যুর পর) ধূমকে প্রাপ্ত হন। (তারপর তাঁরা) ধূম থেকে রাত্রি, রাত্রি থেকে কৃষ্ণপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষ থেকে দক্ষিণায়ণের ছয়মাসে গমন করেন। এঁরা (দেবযানপথে গমনকারীদের মতো) সংবৎসরকে প্রাপ্ত হন না (ছাঃ-৫/১০/৩)। দক্ষিণায়ণের ছয়মাস থেকে পিতৃলোকে, পিতৃলোক থেকে আকাশে, আকাশ থেকে চন্দ্রলোকে গমন করেন। ইনিই (অর্থাৎ উজ্জ্বল চন্দ্রই) রাজা সোম। ইনি দেবতাদের অন্ন, দেবতারা এঁকে ভোগ করেন (ছাঃ-৫/১০/৪)। কর্মফল ক্ষয় না হওয়া পর্যন্ত চন্দ্রলোকে বাস করে তারপর যে পথে তাঁরা গিয়েছিলেন সেই পথেই পুনরায় (পৃথিবীতে) ফিরে আসেন। তাঁরা প্রথমে আকাশ ও পরে বায়ুকে প্রাপ্ত হন। বায়ু হয়ে ধূম, ধূম হয়ে কুয়াশা হন (ছান্দোগ্য-৫/১০/৫)।

শ্রুতিতে এই যে জীবের উৎক্রমণের পর আবার কর্মফল ভোগের জন্য পৃথিবীতে অবতরণ প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়, তাই বাদরায়ণও বলেন-

‘কৃতাত্যয়ে অনুশয়বান্, দৃষ্টস্মৃতিভ্যাম্ যথেতমনেবং চ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/৮)।।
ভাবার্থ : শ্রুতি-স্মৃতি থেকে জানা যায় যে, জীব যে-পথে চন্দ্রলোকে গিয়েছিলো, কর্মফল ভোগের পর আবার সেই পথেই এবং অন্যভাবেও ভুক্তাবশিষ্ট কর্মসহ পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করে (ব্রঃ-৩/১/৮)।

কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসে যে, এ সকল ব্যক্তির আত্মা কি বাস্তবিকপক্ষে আকাশ, ধূম ইত্যাদির সঙ্গে অভিন্ন হয়ে যায়, অথবা এরা কি একটি প্রকৃতিগত সাদৃশ্য প্রাপ্ত হয় ? বিষয়টি স্পষ্ট করতে সূত্রকার বাদরায়ণ বলেন-

‘তৎসাভাব্যাপত্তিঃ, উপপত্তেঃ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২২)।।
ভাবার্থ : চন্দ্রমণ্ডল হতে অবতরণকালে জীব আকাশাদির সদৃশ হয়। আকাশস্বরূপ হয় না- কারণ সদৃশ হওয়াই যুক্তিসঙ্গত (ব্রঃ-৩/১/২২)।

অর্থাৎ, শ্রুতিটিতে আকাশ ইত্যাদির সাথে অভিন্নত্বের কথা বলা হয়নি। শ্রুতিটির অর্থ হলো, এরা আকাশ ইত্যাদির প্রকৃতিগত একটি সাদৃশ্য প্রাপ্ত হয়- আকাশ, বায়ু প্রভৃতির মতো হয়ে যায়। তার মানে, জীব আকাশের মতো একটি সূক্ষ্ম আকার ধারণ করে বায়ুর অধীনে আসে এবং ধূম ইত্যাদির সাথে সংযুক্ত হয়। এই পুনর্জন্ম প্রক্রিয়ায় তারপরে ছান্দোগ্য উপনিষদে আরো বলা হয়েছে-

‘অভ্রং ভূত্বা মেঘো ভবতি মেঘো ভূত্বা প্রবর্ষতি ত ইহ ব্রীহি-যবাঃ ওষধি-বনস্পতয়ঃ তিলমাষাঃ ইতি জায়ন্তে অতঃ বৈ খলু দুর্নিষ্প্রপতরং যঃ যঃ হি অন্নম্ অত্তি যঃ রেতঃ সিঞ্চতি তৎ ভূয়ঃ এব ভবতি’। (ছান্দোগ্য-৫/১০/৬)।।
অর্থাৎ :
কুয়াশা হয়ে মেঘ হন, মেঘ হয়ে বর্ষণ করেন। তারপর জীবগণ এই পৃথিবীতে ব্রীহি, যব, ওষধি, বনস্পতি, তিল ও মাষ ইত্যাদি রূপে জাত হন। এই শষ্যাদি থেকে নিষ্ক্রমণ দুঃসাধ্য। (সন্তান উৎপাদনে সমর্থ) যে যে প্রাণী ওই (ব্রীহি প্রভৃতি) অন্ন আহার করে এবং সন্তান উৎপন্ন করে, সেই সেই প্রাণিরূপে জীবগণ পুনরায় জন্মগ্রহণ করে (ছান্দোগ্য-৫/১০/৬)।

এখানে একটি প্রশ্ন উঠে যে, চন্দ্রলোক হতে প্রত্যাবর্তনকারী জীবাত্মা যখন আকাশ, বায়ু প্রভৃতির সাথে সাদৃশ্যপ্রাপ্ত হয় তখন কি তা বেশ দীর্ঘকালই ঐ অবস্থায় থাকে, না কি শীঘ্রই এক অবস্থা হতে অবস্থান্তর প্রাপ্ত হয় ? এবং অন্য প্রশ্নটি হলো, জীবাত্মা কি ব্রীহি ইত্যাদি উদ্ভিজ্জরূপে জাত হয় ? এ প্রেক্ষিতে বাদরায়ণ বলেন-

‘নাতিচিরেণ, বিশেষাৎ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৩)।।
‘অন্যাধিষ্ঠিতে পূর্ববৎ, অভিলাপাৎ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৪)।।
‘রেতঃ-সিক্-যোগঃ অথ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৬)।।
‘যোনেঃ শরীরম্’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৭)।।
ভাবার্থ :
শ্রুতি বলেন জীবের চন্দ্রলোক হতে নানা অবস্থার (ব্রীহি, যব ইত্যাদি) মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে আসতে বেশি বিলম্ব হয় না। এ বিষয়ে বিশেষ শ্রুতি তাই বলেন (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৩)। জীব ব্রীহি ইত্যাদি রূপ প্রাপ্ত হয় বলা হয়েছে; তার অর্থ হলো সেই সেই ব্রীহিতে অবস্থান হয় মাত্র, কারণ শ্রুতিতে এ প্রসঙ্গে আকাশাদি সম্বন্ধে যেরূপ উল্লেখ আছে, ব্রীহির সম্বন্ধেও সেরূপই উল্লেখ আছে (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৪)। চন্দ্রলোক-প্রত্যাগত জীব ধান ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার পর যারা শুক্রনিষেক করে জন্মদান করতে সমর্থ তাদের দেহে প্রবিষ্ট হয় (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৬)। যোনিকে (গর্ভকে) আশ্রয় করেই জীব স্বীয় ভোগায়তনদেহ লাভ করে (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/২৭)।।

অতএব, সংক্ষিপ্ত করে বললে, দেহত্যাগান্তে পরলোক ভ্রমণ করে প্রত্যাগত জীব কর্মফল অনুযায়ী ইহলোকে পুনরায় জীবন শুরু করে। পুণ্যবানগণ চন্দ্রলোকে যান। নবকলেবর ধারণের জন্য চন্দ্রমা থেকে মেঘ, জল, অন্নাদির যে রাস্তার কথা উপনিষদে বলা হয়েছে তাতে ফিরে আসতে দেরি হয় না। যে ধান্যশস্যাদির সঙ্গে জীব মাতৃগর্ভে প্রবিষ্ট তাতে সে নিজে নয়, অন্যজীবের অধিষ্ঠাতা হওয়ার সময় এরূপ করে। সুতরাং অবতরণকারী জীবাত্মা অন্য জীবাত্মার দ্বারা (সঞ্জীবিত) প্রাণবন্ত বৃক্ষাদির মধ্যে অবস্থান মাত্র করে- যে পর্যন্ত না নতুন কোন জন্মের সুযোগ পায়। সেই শস্য ভক্ষণের পর আবার রক্ত-বীর্য-যোনির সংযোগ হয়, যার ফলে হয় নতুন শরীর সৃষ্টি। অর্থাৎ পরিশেষে জীবাত্মা একজন সন্তান-উৎপাদনসক্ষম (রেতঃসিঞ্চনকারী) পুরুষের সংস্পর্শে এসে নারীর গর্ভে প্রবেশ করে এবং সেখানে একটি নতুন দেহ লাভ করে, যে দেহ (ছান্দোগ্য-৫/১০/৭ অনুযায়ী) পূর্ব-কৃত-কর্মের ভুক্তাবশিষ্ট ফল ভোগ করার জন্য সমর্থ।
এখানে আরেকটি প্রশ্ন উঠে যে, ইহলোক থেকে যারা উৎক্রমণ করে তাদের সকলেই কি চন্দ্রলোকে গমন করে থাকে ? যে-সকল জীবের কর্মফল চন্দ্রলোক গমনের পক্ষে যথেষ্ট নয়, অর্থাৎ যারা যজ্ঞাদি বা কোন ধর্মানুষ্ঠান করে না, কিংবা অনিষ্টকারী ব্যক্তি, মৃত্যুর পর তাদের কী গতি হয় ? এ বিষয়ে ছান্দোগ্য উপনিষদে বলা হয়েছে-

‘অথ এতয়োঃ পথোর্ন কতরেণচন তানীমানি ক্ষুদ্রাণি অসকৃৎ আবর্তীনি ভূতানি ভবন্তি জায়স্ব ম্রিয়স্ব ইতি এতৎ তৃতীয়ং স্থানম্ তেন অসৌ লোকঃ ন সম্পূর্যতে তস্মাৎ জুগুপ্সেত’।। (ছান্দোগ্য-৫/১০/৮)।।
অর্থাৎ :

যারা (অর্থাৎ যে জীবগণ উপাসনা বা ইষ্টপূর্তাদি কর্ম করে না) উভয় পথের কোন পথ দিয়েই যায় না, তারা পুনঃ পুনঃ (জন্ম-মৃত্যু চক্রে) আবর্তনশীল ক্ষুদ্র প্রাণিরূপে জন্মগ্রহণ করে। (এদের বিষয়ে বলা যায়)- জন্মাও আর মরো (অর্থাৎ এরা এতো ক্ষণস্থায়ী যে জন্মগ্রহণ করেই মরে যায়। জন্ম-মৃত্যু ছাড়া এদের জীবনে অন্য কোন ঘটনা নেই)। এই হলো তৃতীয় স্থান। এজন্যেই এই লোক (অর্থাৎ স্বর্গ বা চন্দ্রলোক) পূর্ণ হয় না। সুতরাং (এই গতিলাভকে) ঘৃণা করবে (ছান্দোগ্য-৫/১০/৮)।

অর্থাৎ অনিষ্টকারী ব্যক্তি স্বর্গে গমন করে না। তাহলে কোথায় যায় ? সংশয় দূর করতে বাদরায়ণ বলেন-

‘সংযমনে তু অনুভূয় ইতরেষাম্ আরোহাবরোহৌ, তদ্গতিদর্শনাৎ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৩)।।
ভাবার্থ : অনিষ্টকারী ব্যক্তি যমলোকে গমন করে; কারণ অনিষ্টকারীর সংযমী নামক যমপুরে যাওয়ার কথা শাস্ত্রে উল্লেখ আছে (ব্রঃ-৩/১/১৩)।

কারণ, কঠ উপনিষদে বলা হয়েছে-

‘ন সাম্পরায়ঃ প্রতিভাতি বালং প্রমাদ্যন্তং বিত্তমোহেন মূঢ়ম্ ।
অয়ং লোকো নাস্তি পর ইতি মানী পুনঃ পুনর্বশম্ আপদ্যতে মে’।। (কঠোপনিষদ-১/২/৬)।।
অর্থাৎ :

যম বলছেন, সংসারী মানুষ মাত্রই নিজ নিজ পরিবারের প্রতি অতিশয় আসক্ত। ধন-সম্পদের মোহ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাদের বুদ্ধি অপরিণত। তারা তাদের চারপাশের জগৎকেই একমাত্র সত্য বলে মনে করে। এর বাইরেও যে একটা জগৎ আছে, সে খোঁজ রাখে না। ইহলোকই আছে, পরলোক বলে কিছু নেই- যে-ব্যক্তি এ কথা মনে করে সে বারবার আমার অধীন হয়। অর্থাৎ তার পুনঃ পুনঃ জন্মমৃত্যু ঘটে থাকে (কঠ-১/২/৬)।

চন্দ্রলোকে আরোহণ শুধুমাত্র শুভকর্মের ফল ভোগেরই জন্য- অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। সুতরাং অনিষ্টকারিরা চন্দ্রলোকে যায় না। তাদের গন্তব্য হয় নরকে। কৃতকর্মের কষ্টভোগের মাধ্যমে পাপমুক্ত হয়ে পূর্ব-কৃত-কর্মের ভুক্তাবশিষ্ট ফল ভোগ করার জন্য পুনরায় জন্মগ্রহণ করে জীব দেহধারী হয়। তাই বাদরায়ণ বলেন-

‘স্মরন্তি চ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৪)।।
‘অপি চ সপ্ত’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৫)।।
‘বিদ্যাকর্মণোঃ ইতি তু প্রকৃতত্বাৎ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৭)।।
ভাবার্থ :
স্মৃতিশাস্ত্রেও (যথা মনুস্মৃতি) পাপীদের নরক গমনের কথা দৃষ্ট হয় (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৪)। অধিকন্তু পাপীদের ভোগের জন্য সাতটি নরক আছে (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৫)। পাপীদের চন্দ্রলোকে গমন হয় না, কারণ, বিদ্যাদ্বারা দেবযান এবং কর্মের দ্বারা পিতৃযান প্রাপ্তির কথা শাস্ত্রে উল্লেখ আছে (ব্রহ্মসূত্র-৩/১/১৭)।

জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধে কয়েকটি কথা

জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে মানুষের সন্দেহ, অবিশ্বাস ও একই সঙ্গে কৌতূহলও অপরিসীম। যে কোনো মানুষেরই তার নিজের বা আপনজনের ভবিষ্যৎ জীবনের ঘটনা জানবার ইচ্ছা স্বাভাবিক। বিশেষ করে বিপদ-আপদ ও সঙ্কটের সময়ে মানুষের এই ইচ্ছা আরও প্রবল হয়ে ওঠে। যারা ক্খনই এই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক নন বা ঘোর অবিশ্বাসী তাদের জন্য এই আলোচনা নয়। কিন্তু যারা বাতিকগ্রস্ত নন বা ঘন ঘন জ্যোতিষের কাছে ছুটে যান না, তাদেরও একটা অংশ খোলা মন নিয়ে বিষয়টি জানতে চান এবং নিজেদের মত বিচার বিশ্লেষণ করে এর মূল্যায়নে আগ্রহী। তাদের জন্যই এই প্রয়াস। একজন মানুষের জীবনে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। ধরা যাক, এর মধ্যে নির্দ্দিষ্ট্ভাবে সময় উল্লেখ করে ৫ টি ঘটনার কথা কেউ ভবিষ্যৎবাণী করলেন এবং দেখা গেল শতকরা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এই ৫ টির মধ্যে একটি দুটিও মিলে যাচ্ছে; তা হলেই কিন্তু বিষয়টি সম্বন্ধে কৌতূহল জাগা স্বাভাবিক। সময় এবং সুযোগ থাকলে এই কৌতূহল মেটানোর চেষ্টার পিছনে কোনো অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন কাজ করে বলে মানা যায় না। বরং কোন বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান ছাড়াই তা নিয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক মন্তব্য করাটাই বিজ্ঞানমনস্কতার পরিপন্থী বলে মনে হয়।

জ্যোতিষ্শাস্ত্র হয়ত ঠিক গণিতশাস্ত্রের মত একক এবং নির্দ্দিষ্টভাবে লক্ষ্যে পৌঁছনর কথা বলে না। দীর্ঘকাল ধরে কিছু স্মৃতি ও শ্রুতির মাধ্যমে গৃহীত এবং কিছু লিপিবদ্ধ সূত্রের আকারে প্রাপ্ত এই শাস্ত্রের নীতিগুলি যে ভাবে আজ সামগ্রিকভাবে সংগৃহীত হয়ে ছাপার অক্ষরে পরিবেশিত, তার মধ্যে মতভেদ ও অস্পষ্টতা অনেক। তবে খুব সূক্ষ বিশ্লেষণের জটিলতার মধ্যে প্রবেশ না করেও কতকগুলি ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দ্দিষ্ট ফলাফলের আভাস পাওয়া সম্ভব বলে মনে হয়।

মনে একটা প্রশ্নের উদয় হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। সেটা হ’ল, আকাশে আবর্তিত গ্রহমণ্ডলীর অব্স্থান কোটি কোটি লোকের প্রত্যেকের জীবনে কী ঘটনা ঘটবে তার সঙ্গে কী ভাবে সম্পর্কিত ? অনেকে জোয়ার ভাটার উপর চন্দ্রের প্রভাব ব্যাখ্যা করে এর উত্তর দিতে সচেষ্ট হন। কিন্তু দুটো এক জিনিষ নয়। কোন একজনের ভবিষ্যৎ জীবনের ঘটনা বহুদূরে অবস্থিত কোনো গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ বলের তারতম্যের দ্বারা চালিত হচ্ছে এটা খুব কষ্টকল্পিত। তাও আবার রাহু ও কেতু কোনো গ্রহই নয়; তার আবার মাধ্যাকর্ষণ কি ? তা হলে এর সম্ভাব্য ব্যাখ্যা কি ?

প্রথমেই বলা ভাল, এর ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে দু’টি জিনিস গ্রহণ করতে হবে। এক, আমরা প্রথাগত পাঠক্রম অনুসরণ করে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যা শিখেছি, তার বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু গ্রহণ করার মত মানসিক প্রসারতা ও প্রস্তুতি। দুই, বহু শতাব্দী পূর্বে যে সব মনীষী জন্মেছেন এবং ধ্যান, জ্ঞান ও মননশীলতার দ্বারা যে সত্যকে তারা উপলব্ধি করেছেন তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যথাযথ বিশ্লেষণের ভিতর দিয়ে কোনো বিষয়ের মর্মোদ্ধার করা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনের দ্বারা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে হোমিওপ্যাথি ওষুধের রোগ নিরাময়ের ক্ষমতার কথা মনে আসে। অনেকে হোমিওপ্যাথির দ্বারা রোগ আরোগ্যের কথা স্বীকারই করেন না। যদি কেউ উপকার পান তবে সেটা রোগীর মনের দৃঢ় বিশ্বাসের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন। বিশ্লেষণ বা যথাযথ জ্ঞান ছাড়াই এই অস্বীকার করার মানসিকতা কি অন্ধ বিরোধিতা নয় ? এই গোড়ামিও কি এক ধরণের কুসংস্কার নয় ? এর দ্বারা কি সত্য উদ্ঘাটন সম্ভব ? বহু লোক হোমিওপ্যাথি ওষুধের দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। কি করে এই অণু পরিমাণ ওষুধের দ্বারা সেটা সম্ভব হচ্ছে এখনও তার সঠিক উত্তর নেই। তবে কারণ জানার চেষ্টা চলছে; সম্মিলিত প্রয়াসে এবং গবেষণার দ্বারা কোন দিন হয় ত উত্তর পাওয়া যাবে। এভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে চলে। অস্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে এটা করা সম্ভব নয়। এই দৃশ্যমান ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের পাশাপাশি বা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত অপর একটি অব্যক্ত ও সূক্ষ্ম নিয়মের দ্বারা চালিত জগতের অস্তিত্ব থাকতেই পারে। তাই বলে, প্রথাগত্ভাবে যে বিদ্যা বা জ্ঞান আমরা অর্জন করেছি তার গুরুত্ত্ব কিছু কম বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। দুটোই পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে। সামগ্রিক জ্ঞানভাণ্ডারের প্রেক্ষিতে একটিকে অন্যটির পরিপূরক হিসাবেও ভাবা যায়।

জ্যোতিষ বিষয়ে বিদগ্ধ জনেরা মনে করেন, এই শাস্ত্রের ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে জন্মান্তর তত্ত্বে বিশ্বাস প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষ জন্মগ্রহণ করছে পূর্বসঞ্চিত কর্ম সংস্কারকে কার্যে পরিণত করবার জন্য। শাস্ত্রমতে কর্মের শক্তি অসীম। কোনো কাঙ্খিত কর্ম একবার আগ্রহের সঙ্গে করলে, সেটা আর একবার করবার ইচ্ছা জন্মায়। বারবার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়। এই অভ্যাসেরই গাঢ়তর অবস্থা হচ্ছে সংস্কার। সংস্কারের শক্তি হল আপাত ভাবে আমরা না চাইলেও অবশ করে আমাদের দিয়ে তা করিয়ে নেওয়া। এই সংস্কারই আমাদের কর্মে প্রবৃত্ত করে। কোন ধরনের কাজে আমাদের ইচ্ছা বা প্রবৃত্তি তা আমাদের পূর্ব পূর্ব জন্মের সঞ্চিত কর্মফল বা সংস্কারের উপর নির্ভর করে। এটা প্রতিকূল হলে, অনেক চেষ্টাতেও অভীষ্ট ফললাভ হয় না। অনেকে যে অল্প আয়াসেই সফল হয়, তা তারই সঞ্চিত শুভ কর্মফলের সহায়তায়। এটাকেই সাধারণ ভাবে আমরা বলি অদৃষ্ট বা দৈব। কর্মফল তা শুভই হোক বা অশুভই হোক তা ভোগ করতেই হবে। “অবশ্যমেব ভোক্তব্যং কৃতকর্মং শুভাশুভম”। ভোগের দ্বারাই কর্মফলের ক্ষয় হয়-শাস্ত্রকারদের এই হল ব্যাখ্যা। তাঁরা আরও বলেন, নিঃস্বার্থ কর্মদ্বারা, পরহিতকর কর্মানুষ্ঠানের মাধ্যমে বা ঈশ্বরচিন্তায় রত হয়ে আমরা ক্রমশ: অশুভ কর্মফলের সঞ্চয় হ্রাস করতে পারি এবং তা একেবারে লীন করতে পারি। সকাম কর্ম বা কর্মফল প্রাপ্তির ইচ্ছা সহ কর্ম করলেই তা নূতন কর্মফলের জন্ম দেয়। এ ভাবেই মানুষ জন্ম থেকে জন্মান্তরে কর্মফল ভোগ করে চলে। মানুষই তার নিজের কর্মের দ্বারা নিজের ভাগ্য তৈরী করে। এই প্রেক্ষাপটে দেখলেও man is the architect of his own fate কথাটা বর্ণে বর্ণে সত্যি।

কর্মফল ছেড়ে মূল বিষয়ে প্রবেশ করা যাক। প্রত্যেকের জন্মমুহূর্তে গ্রহের অবস্থানসহ তার কোষ্ঠির নক্সাটি এই জন্মের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। এর থেকে তার সমস্ত জীবনের ঘটনাবলী মোটামুটি বলা সম্ভব বলে জ্যোতিষীরা দাবী করেন। প্রত্যেকের পূর্ব পূর্ব জীবনের সঞ্চিত কর্মফল কী ভাবে এ জীবনে ফলদান করতে চলেছে তার একটা আগাম আভাস এই সমস্ত গ্রহের অবস্থান থেকে অনুমান করা যায়। গ্রহগুলি প্রতীক মাত্র; মূলে আছে জাতকের নিজের সঞ্চিত কর্মফল। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই পূর্বাভাস কে জানাচ্ছে এবং কার স্বার্থে ? বলা যেতে পারে, পরম মঙ্গলময় ঈশ্বর এই পূর্বাভাসের মাধ্যমে প্রত্যেককে একটা সুযোগ দিচ্ছেন যাতে সে পূর্ব জন্মের কর্মফল সম্বন্ধে অবহিত হয়ে তার ইহ জীবনের কর্ম ঠিক পথে চালিত করে নিজেকে উত্তরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাতে পারে। এটা ঈশ্বরেরই একটি ইচ্ছা। জ্যোতিষশাস্ত্র প্রাচীন বেদেরই একটা অঙ্গ। এটা মূলতঃ ব্যবহৃত হতো শুভ মুহূর্তগুলো নির্ণয় করে, নির্দ্দিষ্ট সময়ে যজ্ঞানুষ্ঠান এবং অন্যান্য পূজা ও আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভীষ্ট ফল লাভ করার জন্য।

এখনও ফলিত জ্যোতিষের মূল সূত্র ব্যবহার করে অনেক চিকিৎসক রোগীর রোগ কতটা গভীর ও তার পীড়ার সূত্রপাত শরীরের কোন অঙ্গে সেটা জানার চেষ্টা করেন এবং তার ভিত্তিতে চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে এর বহুল ব্যবহার দৃষ্ট হয়। এই চিকিৎসক্দের অনেকে medical astrology বিষয়ে বই লিখেছেন। কয়েক দশক আগে কোলকাতার সন্নিহিত স্থানে এক লব্ধপ্রতিষ্ঠ চিকিৎসক নিয়মিত এই শাস্ত্র চর্চা করতেন তার রোগীদের সাহায্য করবার জন্য।

উপক্রমণিকায় জ্যোতিষ সম্বন্ধে গতানুগতিকতা ও প্রচলিত ধ্যান ধারণার বাইরে কিছু যুক্তি ও তত্ত্বের অবতারণা করতে হলো; না হলে, এই শাস্ত্রের কোন সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা ছাড়াই এর নিয়মনীতি বিশ্লেষণ করতে হতো। বহু শতাব্দী পূর্বে যখন কোনো দূরবীক্ষণ যন্ত্র ( telescope ) বা গণকযন্ত্র ( computer ) ছিল না , তখন আকাশে আবর্তিত গ্রহ-নক্ষত্রের গতিপথ প্রায় নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা এবং তাদের অবস্থান থেকে মানুষের জীবনের ঘটনাবলীর পূর্বাভাস সংক্রান্ত নিয়ম কানুন বর্ণনা করা কি করে সম্ভব হয়েছিল তা সাধারণ বুদ্ধির অগম্য।

যারা এই শাস্ত্রটিকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চান তাদের কথা আলাদা। কিন্তু সাধারণ অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে যারা বিষয়টি জানতে চান এবং এর জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করতে ইচ্ছুক তাদের শাস্ত্র বর্ণিত প্রতিটি শ্লোক ও সূত্র মনে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই – সেটা সম্ভব বলেও মনে হয় না। যে মূল নীতির উপর ভিত্তি করে নানা নিয়ম সূত্রাকরে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সেটা বুঝতে পারলেই হল। এর কিছু ব্যতিক্রম আছে ঠিকই কিন্তু প্রথম শিক্ষার্থীর পক্ষে সেটা জানার প্রয়োজনীয়তা নেই। যারা দ্রুত বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখেন এবং বিষয়ের মূল কিছু নীতি সম্বন্ধে অবহিত, ফলাফল সম্বন্ধে তাদের বক্তব্য অনেক সময়েই মিলে যায়। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। কোন বিষয় সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু হয়ে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা এক জিনিস এবং মানুষের দুর্বলতা বা অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ও সীমিত জ্ঞান দ্বারা চালিত হয়ে অর্থোপার্জনের চেষ্টা অন্য জিনিস।

এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোন ব্যক্তির জন্মসময়ের গ্রহদের অবস্থান থেকেই তার কোষ্ঠি ইহ জীবনের জন্য নিদ্দির্ষ্ট। অতএব বলা যায় তার জীবনের সমস্ত ঘটনা শাস্ত্রানুসারে ৭ টি গ্রহ, ২ টি ছায়াগ্রহ ( রাহু ও কেতু ) ও লগ্ন দ্বারা চালিত (এখানে ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটোকে আলোচনার মধ্যে রাখা হয় নি)। সাধারণ ভাবেই বোঝা যায় যে, মাত্র এই কয়টি গ্রহের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তির জীবনের প্রতিটি ঘটনাবলী সম্বন্ধে পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব বললেও চলে। তবে জীবনের প্রধান প্রধান ঘটনা ও তার সময় সম্বন্ধে অনেক সময়েই নির্দ্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছন যায়। জাতক পারিজাত গ্রন্থে একটি শ্লোক আছে যার অর্থ : গ্রহগুলির একের অন্যের উপর প্রভাব এবং তা থেকে উদ্ভূত ফলাফল একমাত্র প্রকৃত জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তির পক্ষেই কিছুটা অনুমান করা সম্ভব। প্রকৃত ঘটনা কি ঘটবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্ত্তা ঈশ্বরই জানেন। একটি বিদগ্ধ লোকের দ্বারা রচিত বইতেই যদি এই মতামত ব্যক্ত হয়, তবে আজকের অবিশ্বাসের আবহে চঞ্চলমতি ও ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে এই জটিল বিষযের মর্ম্মোদ্ধার করা অত্যন্ত কঠিন এতে সন্দেহ নেই।

ফলিত জ্যোতিষ শাস্ত্রটির যথাযথ প্রয়োগ শুধুমাত্র পুস্তকে লিপিবদ্ধ কিছু নিয়মাবলীর জ্ঞানের ভিত্তিতে করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে বহুদিনের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। বহু কোষ্ঠি পরীক্ষা করতে করতে একটা সূক্ষ্মদৃষ্টি বা intution তৈরী হয় – যা নির্দ্দিষ্টভাবে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। সবার শেষে বলা যায় যে, কোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জ্জন করতে হলে চাই অদম্য কৌতূহল ও গভীর শ্রদ্ধা। অন্য কোনো মাধ্যম এই প্রক্রিয়াকে ফলপ্রসূ করতে সাময়িকভাবে কিছুটা সাহায্য করে মাত্র।

এই লেখার উদ্দেশ্য
জ্যোতিষশাস্ত্রে ( astrology ) অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আছে। এর কিছু জিনিস অত্যন্ত জটিল। অনেক কৌতূহলী পাঠক আগ্রহ নিয়ে কিছু বই কিনে পড়তে শুরু করেন এবং অনেক সময়েই আলোচ্য বিষয়ে ব্যবহৃত নানা শব্দ ও তার অর্থ ঠিকমত বুঝতে না পেরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে কিন্তু প্রথম পাঠকেরা শুরুতেই যাতে এই আবর্তে না পড়ে , কিছু মূল নিয়ম ও প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে জন্মকুণ্ডলী ( horoscope ) নিজেরাই তৈরী ক’রে, ব্যক্তিজীবনের কিছু পূর্বাভাস পেতে পারেন, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা। এতে তারা প্রাথমিকভাবে কিছুটা উৎসাহিত হবেন। পরবর্তী পর্যায়ে কেউ বিষয়বস্তুর আরও গভীরে প্রবেশ করবার ইচ্ছা নিয়ে ধীরে ধীরে জটিল জিনিসগুলি জানতে চেষ্টা করতে পারেন। যে সমস্ত পাঠক ইংরাজী বই বা মূল সংস্কৃত শ্লোক পড়তে চান তাদের সুবিধার্থে যথাযথ স্থানে কিছু প্রতিশব্দও দেওয়া হলো।

জ্যোতিষশাস্ত্রে অনেক পদ্ধতি প্রচলিত আছে। তবে অধিকাংশ জ্যোতিষী পরাশর বর্ণিত মতেরই অনুসরণ করেন। এ ছাড়া জৈমিনী, কৃষ্ণমূর্তি ইত্যাদি পদ্ধতিও ব্যবহৃত হয়। অনেকে বিভিন্ন পদ্ধতির সংমিশ্রণের দ্বারাও ফলাফল নির্ণয় করেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রের দুটি অংশ। একটির দ্বারা কোন ব্যক্তির জন্মসময়ের গ্রহের অবস্থান এবং পরবর্তী সময়ে তাদের অবস্থান ও গতিপথ নির্ণয় করা হয় – এটা হল জ্যোতির্বিজ্ঞান (astronomy)। অন্যটির দ্বারা গ্রহ সংস্থান থেকে ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ করা হয় – এটা ফলিত জ্যোতিষ (applied astrology)। প্রথমটি নিছক গণিতশাস্ত্র। এটা নিয়ে কারো কোন সংশয় নেই। কিন্তু দ্বিতীয়টির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিছু লোক দ্বিধাগ্রস্ত।

পরিশেষে একটা কথা। পরবর্তী আলোচনায় যে ভাষা ব্যবহৃত হবে তা অত্যন্ত সহজ সরল এবং অনেক জায়গায় কথ্যভাষা। জ্যোতিষশাস্ত্রের অনেক বইতে যে সাধু ভাষা ব্যবহৃত হয় সেটা পরিহার করা হয়েছে, বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য করার প্রয়োজনে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180529094709

Tuesday, May 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মলমাস

মলমাস


মলমাস
স্মার্ত পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘মলমাসতত্ত্বম’ গ্রন্থে বলেছেন, যদি সূর্য এক রাশিতে অবস্থিত থেকে দু’টি অমাবস্যা তিথিকে অতিক্রম করে তা হলে সেই মাস মলমাস। মলমাসের অর্থ অধিকমাস।

আমরা জানি ১২ মাসে বছর হয় কিন্তু কখনও কখনও ১৩ মাসেও বৎসর হয়। তার মধ্যে প্রথমটি মলমাস, দ্বিতীয়টি শুদ্ধমাস।

চান্দ্রমাসের হিসেবে মলমাস হয়। চান্দ্রমাস দু'প্রকার। মুখ্যচান্দ্র ও গৌণচান্দ্র। শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত এই ৩০ তিথিতে যে চান্দ্রমাস হয়, তা মুখ্যচান্দ্র আর কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ৩০ তিথিতে যে মাস হয় তা গৌণচান্দ্র।

দিন ও রাত্রির পরিমাণ দৈনিক ৬০ দণ্ড, তিথির মান কিন্তু গড়ে ৫৮ দণ্ড। সুতরাং, গড়ে ৩০ দিনে ৩১টি তিথি হয়। এ ভাবে বছরে ১২টি তিথি অধিক পাওয়া যায়। আড়াই বছরে ৩০ তিথি বৃদ্ধি হয়। এরকম চললে ৫ বছর পরে দেখা যাবে সৌরমাস ও চান্দ্রমাসের মধ্যে ৬০ দিনের ফারাক রয়েছে। এতে মাসের যে সাধারণ লক্ষণ রয়েছে তা নিতান্ত অসঙ্গত হয়ে পড়ে। তাই ৩০টি তিথি বৃদ্ধি হলেই অমনি মলমাস হবে।

যে বছরে মলমাস হয় তা থেকে তৃতীয় বছরেও পুনরায় মলমাস হয়ে থাকে। মাঘ মাস কদাচিৎ মলমাস হয়, পৌষমাস কখনই মলমাস হয় না।

মলমাসে কিন্তু বিয়ে, পৈতে ইত্যাদি কোনও শুভ কাজ হয় না। হয় নানা রকম অশুভ তান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এই মাসে কোনও ভাল কাজ শুরু করাও উচিত নয়। প্রেমজ ক্ষেত্রে প্রস্তাব এলে তা তৎক্ষণাৎ এড়িয়ে যান।

নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যে কোনও দেবতার নাম কিংবা গুরুমন্ত্র অথবা গায়ত্রীমন্ত্র স্মরণ করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180529093601

Monday, May 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাহু-কেতুর কু প্রভাব

রাহু-কেতুর কু প্রভাব

শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্যের দিক থেকে এর অবস্থান ষষ্ঠ। হিন্দু পৌরাণিক দেবতা ‘শনি’র নামানুসারে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে। আবার কুগ্রহ বললেই আমাদের সামনে শনির ছবি ভেসে ওঠে। সনাতন ভারতের অসংখ্য কিংবদন্তি এবং এমনকি, মহাকাব্যগুলিতেও শনির প্রভাবে জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার কাহিনি জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু ভারতীয় জ্যোতিষ জানায় শনি নয়, আরো দুই গ্রহ রয়েছে, যারা দৃষ্টি দিলে আরো ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারে।

বৈদিক জ্যোতিষ মতে, রাহু ও কেতু এমনই প্রভাবসম্পন্ন গ্রহ যে, এরা কারোর পিছনে লাগলে তার জীবন ছারখার হতে বাধ্য। নবগ্রহ মণ্ডলীর শেষ দুই গ্রহ রাহু এবং কেতু। শনিগ্রহকে জ্যোতিষ প্রবল গুরুত্ব দেয়। শনির দশা, বিশেষ করে সাড়েসাতি দশায় মানুষের কী প্রকার বিপন্নতা তৈরি হতে পারে, তা অনেকেরই জানা। কিন্তু নবগ্রহের অষ্টম ও নবম গ্রহ দু’টি সম্পর্কে জ্যোতিষ শাস্ত্র জানায় যে, এরা একত্রে যদি কারোর কুণ্ডলীতে অবস্থান করতে থাকে, তবে তার জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।

রাহু ও কেতুর দশায় দুর্ভাগ্য অবশ্যম্ভাবী। এমনকি রাহু ও কেতুর যুগ্ম অবস্থানে কালসর্প দোষও ঘটতে পারে। তার উপরে যদি রাহু চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে অবধারিত ভাবে মানসিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে জানায় জ্যোতিষ শাস্ত্র। তবে জ্যোতিষ মতে, কেতুর প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রে উপকারও সাধিত হয়। কেতুকে মোক্ষ, সন্ন্যাস, আত্মোপলব্ধি ও জ্ঞান লাভের জন্যও দায়ি করা হয়। সেই সঙ্গে কেতু মানুষের মধ্যে অস্থিরতা, অসুস্থতার সৃষ্টি করে বলে জানা যায়। রাহু একটি কর্মিক গ্রহ। কেতুর সঙ্গে তার যোগ ঘটলে কেতুর কু-প্রভাবগুলি প্রকট হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে রাহুর দশা তো রয়েইছে।
মঙ্গল ও কেতু একত্রে থাকলে আত্মহত‍্যা করে।
শনি কেতু একসঙ্গে থাকলে রাজদন্ড ভোগ হবে।
রবি রাহু একত্রে গ্ৰহন দোষ হয় এক্ষেত্রে মানহানি ও আর্থিক বিপর্যয় ঘটে।

এগুলি আমার দীর্ঘ ৩২বৎসরের অভিজ্ঞতার ফল।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180528110632

Monday, May 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রক্ত মুখী নীলা

রক্ত মুখী নীলা

রক্তমুখী নিলা

ভারতীয় জ্যেতিষ গ্রহ-প্রতিকারের জন্য রত্ন ধারণের নির্দেশ অতি প্রাচীন কাল থেকেই দিয়ে আসছে। জ্যোতিষের যুক্তি অনুযায়ী, আমাদের দেহে কোনও কিছুর অভাব ঘটলে আমরা যেমন ওযুধ খাই। তেমনই গ্রহবৈগুণ্য ঘটলে আমাদের রত্ন ধারণ করা উচিত। এখানে রত্ন ওযুধের মতোই কাজ করবে।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এক একটি গ্রহের বৈগুণ্য প্রতিকারের জন্য এক একটি রত্ন নির্ধারিত রয়েছে। এই তালিকায় সব থেকে বিতর্কিত রত্নটি হল নীলা, বিশেষ করে রক্তমুখী নীলা। শনিগ্রহের কুপিত দশা থেকে মুক্তি পেতে এই রত্নই ধারণ করতে হয় বলে জানায় জ্যোতিষ শাস্ত্র।

ভারতীয় পরম্পরায় নীলা ও রক্তমুখী নীলাকে নিয়ে প্রভূত কিংবদন্তি বিদ্যমান। যাদের প্রধান বক্তব্য হল— এই পাথর সকলের সহ্য হয় না। অনেক সময়ে এই রত্ন ধারণকারীর মহাবিপদ ডেকে আনে। এহেন ধারণার পিছনে প্রাথমিক ভাবে এই তথ্যটি কাজ করে যে, নীলা শনির প্রতিষেধক। আর শনি সব থেকে গোলমেলে গ্রহ।

কিংবদন্তি আরও জানায়, নীলা বা রক্তমুখী নীলা ফকিরকে রাজা করতে পারে। আবার রাজাকে ফকির করতেও এর লহমা মাত্র সময় লাগে। এমনও বলা হয়, রক্তমুখী নীলা কলি যুগে দ্রুততম কার্যকর রত্ন। কিন্তু নীলা ধারণ করার আগে আমরা সাত-পাঁচ ভেবে পিছিয়ে আসি। অথচ ভারতীয় জ্যোতিষেই সেই পদ্ধতি বলা রয়েছে, যা থেকে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব, নীলা ও রক্তমুখী নীলা আপনার সহ্য হবে কি না।

এখানে রইল সেই পদ্ধতিটি সম্পর্কে আলোচনা।

• প্রথমেই নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, আপনাকে যে বিক্রেতা নীলা বা রক্তমুখী নীলা বিক্রি করছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য কি না। অতি অভিজ্ঞ জোতিষীর পরামর্শ ও g s i দ্বারা প্রমাণিত রত্ন ছাড়া এই রত্ন ক্রয় একেবারেই উচিত নয়।

• আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে, আপনি যে নীলাটি কিনছেন, তাতে ‘দুধিয়া’ নামের দোষ রয়েছে কি না। নীলাটি কেনার আগে ভাল করে লক্ষ করুন, রত্নটিতে সাদা রংয়ের সর্পিল কিছু রয়েছে কি না। যদি থাকে, সেই রত্ন পরিহার করুন। এমন রত্ন আপনাকে মুহূর্তের মধ্যে বিপদে ফেলতে পারে। ঋণজালে জড়িয়ে পড়া থেকে বিবাহবিচ্ছেদ— যা খুশি বিপদ ঘটতে পারে দুধিয়া-দোষ যুক্ত নীলা ধারণ করলে।

• নীলা বা রক্তমুখী নীলা ধারণ করার আগে সেটিকে একটি কাপড়ে মুড়ে সেলাই করে ফেলুন। সেই কাপড়ে মোড়া রত্নটিকে আপনি তাগার মতো করে ধারণ করুন। কাপড়টিতে একটি অতি ক্ষুদ্র ছিদ্র রাখবেন, যাতে নীলার সামান্য স্পর্শ আপনার শরীরে থাকে। এবার পূর্ব দিকে মুখ করে বাহুতে তাগাটি পরুন। এর রপে ৭২ ঘণ্টা খেয়াল রাখুন, কোনও ছোটখাটো বিপর্যয় আপনাকে ঘিরে ঘটছে কি না।

• সদ্য কেনা নীলাটি ধারণ না করে আপনার মাথার বালিশের নীচে রেখেও দেখতে পারেন। যদি তিন রাত্রি ক্রমাগত আপনি দুঃস্বপ্ন দেখেন, তাহলে ওই রত্ন পরিহার করাই শ্রেয়।

*নীলা ব রক্তমুখী নীলা ,দক্ষীনা কালী ও শনি যন্ত্রম দ্বারা অভিজ্ঞ গ্ৰহাচার্য, রত্নের প্রান প্রতিষ্ঠা করে শোধন করে দিলে তবেই পরিধান করা উচিৎ।ংঅন‍্যথ‍্যায় ক্ষতির সম্বাবনা বেশী।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180528083515

Sunday, May 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নব গ্ৰহের যূতি

নব গ্ৰহের যূতি

শুভ অপরান্থ
জ্যোতিষে কয়েকটি প্রয়োজনীয় সূত্র---
১. বুধ জ্যোতিষ কারক গ্রহ।
২. দ্বিতীয় বা দ্বা্দশে ( শনি+কেতু) থাকলে ঋন হবেই।
৩.শুক্র খারাপ থাকলে অভিনেতা বা অভিনেত্রি হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভাল।
৪.বুধ + শুক্র জন্মছকে এক সঙ্গে থাকলে জীবনে কোন না কোন সময় দারিদ্র আসবেই।
৫. রবি+কেতু, রবি+রাহু, রবি+শনি, মঙ্গল+শুক্র, বুধ+শুক্র, শুক্র+কেতু, শুক্র+রাহু, বৃৃহস্পতি+রাহু, বৃৃহস্পতি+কেতু, বুধ+কেতু, বুধ+রাহু, শনি+মঙ্গল+শুক্র+রাহু, রবি+বুধ+কেতু, শনি+মঙ্গল+রাহু, এই অশুভ যোগ গুলির সার্থক প্রতিকার না করলে জীবনে একটির পর একটি সমস্যা লেগেই থাকবে।
৬. জন্মছকে সব গ্রহগুলি নীচস্থ হলে অধিক মন্দ হেতু রাজ যোগের সৃষ্টি হয়, এই যোগে নিজস্ব ফ্যক্টট্রি হয়।
৭. জন্মছকে সব গ্রহগুলি উচ্চস্থ হলে সন্ন্যাস হয়।
৮. জন্মছকে কোন কিছু হওয়ার connection না থাকলে, প্রতিকারের মাধ্যমে সেই যোগ এনে দেওয়া যায় না। বিবাহ, চাকরি, প্রেম ইত্যাদি সব জন্মের সময় নিজের ভাগ্যে নিয়েই জন্মায়। গ্রহের অশুভ যোগ, অশুভ অবস্থানে যখন সময় খারাপ চলে তার থেকে মুক্তি পেতেই প্রতিকার প্রয়োজন হয়।
৯.জ্যোতিষের সব থেকে বড় বিভাগ হল সার্থক প্রতিকার নির্বাচন করা।
১০. রাহু+মঙ্গল জাতক/জাতিকার এনর্জি নষ্ট করে। সুগার হয়।
১১. রবি+রাহু জাতক জাতিকাকে আত্মবিশ্বাসের অভাব আনে। চোখ এর রোগ হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180527161834

Sunday, May 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহ যন্ত্রম্

বিবাহ যন্ত্রম্



বিবাহের বাধা দূর করতে একটি অতি ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রম

এই প্রবন্ধে, আমি একটি এমন যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, যা বিবাহের বাধা দূর করতে একটি অতি ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রম হিসাবে কামাক্ষ্যা তন্ত্রে বহু প্রাচীন ও সাদরে গৃহীত। আমরা জানি, বিবাহ হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা কিনা প্রতিটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি মানুষেরই জীবনে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু বহু মানুষেরই জীবনে বিবাহের বয়স উত্তীর্ন হয়ে গেলেও, বিবাহের সঠিক যোগাযোগ হয়ে উঠে না।
সব কিছু দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েও বিবাহের ক্ষেত্রে নানা বাধা এসে বিবাহের্ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রবন্ধে আলোচিত যন্ত্রমটি সেই সব বাধা দূর করতে পারঙ্গম ও ক্ষমতাসম্পন্ন।

প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।
www.apnc.co.in
এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।
কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

এখন আমি যন্ত্রমটির প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করছি। যিনি এই যন্ত্রমটি তৈরি করবেন, মলমাস বাদ দিয়ে যে কোনো মাসের সংক্রান্তির দিন বেলা ১২ টার সময় নতুন সাদা কাগজের উপরে কাঁচা হলুদের রস দিয়ে ডালিম ডালের কলম দিয়ে অতি শুদ্ধতার সাথে এই যন্ত্রমটি এঁকে নেবেন এবং ঠিক তার পরের রবিবার উক্ত যন্ত্রমটি পুনরায় একই নিয়মে আরো একটি আঁকতে হবে। সকাল ১০ টার মধ্যে আঁকতে হবে।

হলুদের মালায় মন্ত্রটি ১০০৮ বার জপ করতে হবে। জপ হয়ে গেলে যন্ত্রম দুটিকে পঞ্চোপচারে পুজো করতে হবে। দ্বিতীয় দিনে বানানো যন্ত্রমটি সলতের মতো পাকিয়ে নিয়ে যে ব্যক্তির বিবাহে বাধা আসছে তাকে দিতে হবে। ওই সলতেটা সে মাটির প্রদীপে সে জ্বালাবে। ২১ টি রবিবার সকাল ৯ টার মধ্যে তাঁকে জ্বালাতে হবে। যখন সে জ্বালাবে তখন মন্ত্রটি ১০৮ বার ক্রমাগত সে জপ করতে থাকবে। উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে এবং প্রদীপের মুখ উত্তর বা পূর্ব দিকে করে তাঁকে জ্বালাতে হবে। মনে সে তাঁর ইচ্ছা প্রকরবে যে সত্বর যেন তাঁর বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হয়।

মন্ত্রঃ " ওঁ হ্রীং হং সঃ"

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180527074715

Sunday, May 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহ যন্ত্রম্

বিবাহ যন্ত্রম্



বিবাহের বাধা দূর করতে একটি অতি ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রম

এই প্রবন্ধে, আমি একটি এমন যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, যা বিবাহের বাধা দূর করতে একটি অতি ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রম হিসাবে কামাক্ষ্যা তন্ত্রে বহু প্রাচীন ও সাদরে গৃহীত। আমরা জানি, বিবাহ হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা কিনা প্রতিটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি মানুষেরই জীবনে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু বহু মানুষেরই জীবনে বিবাহের বয়স উত্তীর্ন হয়ে গেলেও, বিবাহের সঠিক যোগাযোগ হয়ে উঠে না।
সব কিছু দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েও বিবাহের ক্ষেত্রে নানা বাধা এসে বিবাহের্ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রবন্ধে আলোচিত যন্ত্রমটি সেই সব বাধা দূর করতে পারঙ্গম ও ক্ষমতাসম্পন্ন।

প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।
www.apnc.co.in
এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।
কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

এখন আমি যন্ত্রমটির প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করছি। যিনি এই যন্ত্রমটি তৈরি করবেন, মলমাস বাদ দিয়ে যে কোনো মাসের সংক্রান্তির দিন বেলা ১২ টার সময় নতুন সাদা কাগজের উপরে কাঁচা হলুদের রস দিয়ে ডালিম ডালের কলম দিয়ে অতি শুদ্ধতার সাথে এই যন্ত্রমটি এঁকে নেবেন এবং ঠিক তার পরের রবিবার উক্ত যন্ত্রমটি পুনরায় একই নিয়মে আরো একটি আঁকতে হবে। সকাল ১০ টার মধ্যে আঁকতে হবে।

হলুদের মালায় মন্ত্রটি ১০০৮ বার জপ করতে হবে। জপ হয়ে গেলে যন্ত্রম দুটিকে পঞ্চোপচারে পুজো করতে হবে। দ্বিতীয় দিনে বানানো যন্ত্রমটি সলতের মতো পাকিয়ে নিয়ে যে ব্যক্তির বিবাহে বাধা আসছে তাকে দিতে হবে। ওই সলতেটা সে মাটির প্রদীপে সে জ্বালাবে। ২১ টি রবিবার সকাল ৯ টার মধ্যে তাঁকে জ্বালাতে হবে। যখন সে জ্বালাবে তখন মন্ত্রটি ১০৮ বার ক্রমাগত সে জপ করতে থাকবে। উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে এবং প্রদীপের মুখ উত্তর বা পূর্ব দিকে করে তাঁকে জ্বালাতে হবে। মনে সে তাঁর ইচ্ছা প্রকরবে যে সত্বর যেন তাঁর বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হয়।

মন্ত্রঃ " ওঁ হ্রীং হং সঃ"

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180527074510

Saturday, May 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নীল সরস্বতী যন্ত্রম

নীল সরস্বতী যন্ত্রম

এই প্রবন্ধে , আমি এমন একটি মন্ত্র ও যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, যে যন্ত্রমটি ও মন্ত্রটি ছাত্র ও ছাত্রীদের পড়াশোনায় অমনোযোগ, স্মরণশক্তিবৃদ্ধি ও বিদ্যায় সফলতা পেতে অদ্বিতীয় সরস্বতী যন্ত্রম ও সরস্বতী মন্ত্র। বহু প্রাচীন এই যন্ত্রম ও মন্ত্রটি বস্তুত আমার ব্লগের পাঠক ও পাঠিকাদের সন্তানদের বেশ কাজে আসবে বলেই আমার ধারণা। বসন্ত পঞ্চমীতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর দিন থেকে এই মন্ত্রটি জপ শুরু করার একটি শ্রেষ্ঠ সময়। যদিও যে কোনো শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি থেকেই এই মন্ত্রটি জপ শুরু করা যেতেই পারে, কিন্তু যন্ত্রমটি অবশ্যই বসন্ত পঞ্চমী তিথিতেই তৈরি করতে হবে।
যে সব ছাত্র বা ছাত্রীরা পড়াশোনায় বড্ড অমনোযোগী , বা যাদের স্মরণশক্তি অত্যন্ত দূর্বল বা যাঁরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যায় সফলতা প্রত্যাশা করেন, তাঁরা এই মূল্যবান মন্ত্র ও যন্ত্রমটি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন, আশা করি সুফল পাবেন।

প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।

এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।
কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

যাই হোক , বসন্ত পঞ্চমীতে যিনি এই শক্তিশালী সরস্বতী যন্ত্রমটি প্রস্তুত করবেন, তিনি সরস্বতী পুজোর দিন খুব সকালে স্নান করে মা সরস্বতীর মূর্তি বা ছবিকে যথা নিয়মে পূজা অর্চনা করার পর শুদ্ধ্ বস্ত্রে শুদ্ধ মনে একটি ভুজ্যপত্রে বা একটি সাদা কাগজে রোলি বা অষ্টগন্ধ কালি সহযোগে যন্ত্রমটি ডালিম ডালের কলম দিয়ে লিখবেন। যন্ত্রমটি উত্তরমুখী হয়ে প্রস্তুত করবেন। সাদা কাপড় পরে ও সাদা আসনে বসে প্রস্তুত করবেন। ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে নেবেন। মায়ের মূর্তি বা ছবির সামনেই প্রস্তুত করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে আগামী বসন্ত পঞ্চমী পর্যন্ত পূজাস্থানে রেখে নিত্য পূজা করবেন, পরের সরস্বতী পুজোর দিন আগের যন্ত্রমটি বিসর্জন করে পুনরায় যন্ত্রম প্রস্তুত করে নেবেন।

এবার আসি মন্ত্র জপ প্রসঙ্গে, অতীব ফলপ্রদ এই মন্ত্রটি সন্তানকে দিয়েই জপ করবেন। একই নিয়মে জপ করতে হবে। প্রতিদিন ২৮( আটাশ ) বার বা ৫৪ ( চুয়ান্ন )বার মন্ত্রটি মায়ের ছবির সামনে বসে জপ করলে অবশ্য মায়ের কৃপা প্রাপ্ত হবে , সন্দেহ নেই। স্বল্প মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীর ক্ষেত্রে এই মন্ত্রটি জাদুর মতো কাজ করে থাকে। নিচে মন্ত্র ও যন্ত্রমটির প্রতিকৃতি দেওয়া হলো। প্রতিদিন একই সংখ্যায় জপ করতে হবে।

মন্ত্র : ১) " ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং বদ্ বদ্ বাগ্বাদিনী সরস্বতী তুষ্টি পুষ্টি তুভ্যং নমঃ" (2৮ বার)

২) ঔঁ হ্রীং ঐং হ্রীং সরস্বতৈ নমঃ (১৮ বার)
এই যন্ত্রম বা কবচম্ টি প্রস্তুত করার জন‍্য আমার প্রতিষ্টানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মূল‍্য:৭৫০০টাকা এবং কবচম্ ১২৫০০/
দীর্ঘ ৩ মাস সময় লাগবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180526104519

Saturday, May 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ দ্বারা সৃষ্ট রোগ

গ্ৰহ দ্বারা সৃষ্ট রোগ


রোগ-ব‍্যাধী থেকে মুক্ত হতে চান?


গ্রহ দ্বারা সৃষ্ট রোগ

রবি-রবি যদি শনির সঙ্গে অথবা রাহু সঙ্গে সম্পর্ক করেন তবে জাতকের বুকেররোগ,চোখেররোগ, মস্তিষ্ক রোগ হাইব্লাড প্রেশার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হবেন। এছাড়া শুক্র গ্রহ থেকেও চোখের রোগ বিচার করা হয়। অর্থাত্ বৃষ রাশি পাপপীড়িত হলে এবং তার সাথে শুক্র পীড়িত হলে জাতকের ট্যারা চোখ বা চক্ষু রোগে আক্রান্ত হবেন। রবির সঙ্গে রাহুর সম্পর্ক হলে ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

চন্দ্র-চন্দ্র জলজ গ্রহ এবং কর্কট,বৃশ্চিক ও মীন জলজ রাশি এ ছাড়া মকর শলীল রাশি (মতান্তরে)। তাই যদি কোনও জাতকের কর্কট,বৃশ্চিক মীন অথবা মকর রাশিতে লগ্ন বা রাশি পড়ে তবে জাতকের শ্লেষা রোগের প্রবণতা থাকে। চন্দ্র যদি নীচস্থ হয় বা দুস্থ স্থানগত হয় বা শনি রাহু কেতু দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে জাতকের শ্লেষা সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হবে। এবং বিশেষ ভাবে চন্দ্র যদি অষ্টমে অবস্থান করে জাতকের শ্লেষা,টনসিল,সাইনাস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত সহ জলে ফারা থাকে। চন্দ্র যদি শনি রাহু কেতুর দ্বারা পীড়িত হয় তবে জাতকের মানসিক ভারসাম্য হারাতে পা। বিশেষ করে কেতুর দ্বারা আক্রান্ত হলে চন্দ্র বা কেতুর দশায় মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে চন্দ্রের সঙ্গে বৃহস্পতির সম্পর্ক করলে অশুভ ফলের হানি হ। চন্দ্রের সঙ্গে বৃহস্পতি সম্পর্ক করলে জাতকের মধ্যে কফরোগের প্রবণতা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি অথবা বুকে জল জমে ফ্লুরশিস বা যক্ষা রোগের সম্ভাবনা থাকে।

মঙ্গল-মঙ্গলের সঙ্গে যদি শনি রাহু বা কেতুর সম্পর্ক হয়,বিশেষ করে রাহু ও মঙ্গল সম্পর্ক করলে জাতক অ্যাপেন্ডিই,হাইব্লাড প্রেশার,অম্বল,গ্যাস্টিক,আমাশা,অশ্ব,হার্নিয়া,বসন্ত,এবং কোনও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয় এ ছাড়া শনি মঙ্গল সম্পর্কে দুর্ঘটনায় হাড়ে আঘাত পেতে পারেন।

বুধ-বুধ যেকোনও লগ্নের ক্ষেত্রেই বুধের দশা অন্তরদশাইয় রোগে আক্রান্ত হবে। এ ছাড়া ষষ্ঠে মঙ্গল অবস্থান করে যদি শনি অথবা রাহু অবস্থান করে মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক করে তবে কোমরে স্পণ্ডিলাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা ষষ্ঠ ভাব কোমর।

বৃহস্পতি-বৃহস্পতি যদি রাহুর সঙ্গে সম্পর্ক করে তবে লিভার,গলস্টোন,মেদ বৃদ্ধি। রাহু বৃহস্পতির সম্পর্কে বিশেষ করে জন্ডিস বা ডায়াবেটিস হতে পারে। রাশি অথবা লগ্নের পঞ্চমে বৃহস্পতির প্রভাব থাকলে সেক্ষেত্রেও লিভার সংক্রান্ত পীড়ায় আক্রান্ত হতে পারেন,এ ছাড়াও মঙ্গল রাহু অথবা মঙ্গল শনি সম্পর্ক রাশি চক্রের যেখানেই হোক না কেন এবং ওই সঙ্গে রাশি বা লগ্নের পঞ্চমে বৃহস্পতির জাতক গলস্টোন রোগ হতে পারে। লগ্ন ও ষষ্ঠ ভাব সম্পর্কে জাতকের অস্ত্র চিকিত্সা ও হতে পারে।

শুক্র-শুক্র প্রস্তাব সংক্রান্ত রোগ,কিডনি ও যৌন সংক্রান্ত রোগ,ইত্যাদি শুক্রের করকতার মধ্যে পড়ে চন্দ্র ও শুক্র এই দুই গ্রহ কিডনি সংক্রান্ত রোগের কারক।

শনি-শনি বাতেররোগ, প্যারালাইসিস,নখ,চুল,দাঁত ও হার্ট সংক্রান্ত রোগ,হাড়ে আঘাত,মৃগী,মস্তিষ্ক বিকৃতি এ ছাড়া যেসব রোগ মানসিক ডাক্তার প্রয়োজন।

রাহু-রাহু বাতরোগ,টিউমার এবং বায়ু ঘটিত রোগের কারক গ্রহ।

কেতু-কেতু পক্স দাঁত ব্যথা দাঁতের ক্ষয় বিষক্রিয়া কুষ্ঠ চর্মরোগ ও যৌন রোগ সৃষ্টি করে।

(মন্তব্য গোচরে যখন রাশিতে বা লগ্নে শনি অথবা রাহুর প্রভাব কী পরবে তখনই রোগ আক্রান্ত হবে বা যে কোনও ধরনের টেনশনে সময় কাটবে)
বি.দ্র : উপরিউক্ত গ্ৰহের রত্নের প্রতিবিধানে ,রোগ নিরাময় সম্ভম।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180526093154

Friday, May 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

তুলসী গাছের গুরুত্ব

তুলসি গাছ আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে, তার ছবি ফুটিয়ে তোলে। তুলসি গাছকে দেখে কীভাবে নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে জেনে নেওয়া সম্ভব?
আরে বন্ধু এই প্রশ্নের উত্তরই তো দিতে চলেছে এই প্রবন্ধ। বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।
তুলসি গাছ দেখে কীভাবে আগামী দিন সম্পর্কে জেনে ফেলা সম্ভব দেখে নিন।

১. ঠিক মতো যত্ন নেওয়ার পরেও যদি দেখেন তুলসি গাছের বেশিরভাগ পাতা শুকতে শুরু করেছ এবং তার জায়গায় নতুন পাতা গজাচ্ছে না, তাহলে জানবেন কোনও বিপদ ঘটতে চলেছে। কারণ শাস্ত্র মতে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটলে তবেই তুলসি পাতা শুকতে শুরু করে। আর একবার আশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটে গেলে যে একের পর এক অশুভ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়, সে বিষয়ে কোনও সন্দহে নেই! তাই এমনটা হলে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

২.তুলসি মা কোনও গৃহ ত্যাগ করলে সাধারণত তুলসি গাছ মারা যায়। আর এমনটা ঘটনা ঘটলে জানবেন মা লক্ষীও আপনার বাড়ি ছাড়বে। ফলে অর্থনৈতিক সমস্যা তো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবেই, সেই সঙ্গে পরিবারে অশান্তি, কর্মজীবনে সমস্যা এবং সম্মানহানীর আশঙ্কা যাবে বেড়ে। তাই এমন ঘটনা ঘটলে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকবেন। কারণ বিপদ কোন দিক থেকে এসে থাবা বসাবে তা কিন্তু আগে থেকে জেনে ওঠা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুরোহিতের সঙ্গেও কথা বলে বিশেষ পুজোরও আয়োজন করতে পারেন।

৩. যদি দেখেন তুলসি গাছের সারা শরীর কচি সবুজ রঙের পাতায় ভরে গেছে, তাহলে জানবেন গৃহস্থে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে চলেছে। আর এমনটা হলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা যাবে বেড়ে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল প্রতিদিন সকালবেলা তুলসি গাছে জল দিতে হবে, আর সন্ধেবেলায় একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে মনে মনে মা তুলসিকে স্মরণ করবেন। এমনটা নিয়মিত করলে সুফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!
প্রসঙ্গত, বাড়িতে তুলসি গাছ এনে রাখলে কতগুলি নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু তুলসি গাছ শুকিয়ে যেতে শুরু করবে।

১. শিব ঠাকুরের সামনে তুলসি পাতা রাখবেন নাঃ-

হিন্দু শাস্ত্র মতে মা তুলসি ছিলেন শঙ্খচূড় নামে এক রাক্ষসের পত্নী। এই রাক্ষস রাজের অত্যাচারে যখন দেবাতাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল, তখন দেবাদিদেব কোনও উপায় না খুঁজে পেয়ে শেষমেষ শঙ্খচূড়কে বধ করেন। এই ঘটনার পর মা তুলসি এতটাই ভেঙে পরেছিলেন যে শিব ঠাকুরের পুজোয় তুলসি পাতা কোনও সময় ব্যবহার হবে না, এমন প্রতিজ্ঞা করে বসেন। তাই তো শিবের পুজোয় তুলসি পাতা ব্যবহার করা হয় না।

২. তুলসি পাতা ছেঁড়া উচিত নয়ঃ-

সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের দিন, একাদশী, রবিবার ভুলেও তুলসি পাতা ছেঁড়া উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে গৃহে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে শুরু করে। ফলে তুলসি গাছ তো শুকিয়ে যায়ই, সেই সঙ্গে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে।

৩. শুকিয়ে যাওয়া তুলসি গাছঃ-

বাড়িতে রাখা তুলসি গাছ শুকিয়ে গেলে সেটিকে যত্ন করে কোনও নদী বা পুকুরে বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। ভুলেও কিন্তু মরা গাছটিকে বাড়িতে রাখবেন না। কারণ শুকিয়ে যাওয়া তুলসি গাছ বাড়িতে রাখলে ব্যাড লাক পিছু নেয়।

তুলসি গাছ সব সময় বাড়ির উত্তর,পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিত। কারণ এমনটা করলে তবেই কিন্তু তুলসি মায়ের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।

যে বাড়িতে তুলসি গাছ রয়েছে সেখানে রোগ-ভোগের প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে সুখ শান্তির অভাব কোনও দিন হয় না। এমনকি এমনও বিশ্বাস আছে যে তুলসি গাছ দোর গোড়ায় রাখলে মৃত্যুরও পায়েও শিখল পরে যায়। এবার বুঝলেন তো প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে আর কিছু থাকুন না থাকুন, তুলসি গাছ কেন থাকে!

অনেকেই শারীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন তুলসি পাতা খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসে কোনও ভুল নেই। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে তুলসি পাতা খাওয়ার সময় ভুলেও তা চিবতে নেই! কারণ এতে উপস্থিত অ্যালোয়িস নামে একটি উপাদান দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই ভুলেও এবার থেকে তুলসি পাতা চিবতে যাবেন না যেন! গিলে খাবেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180525181136

Friday, May 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গুপ্ত শত্রু চিনবেন কি করে

গুপ্ত শত্রু চিনবেন কি করে

সুপ্রভাত
শত্রূ চিনবেন কভাবে
গুপ্ত শত্রু হাত থেকে বাঁচুন
গ্রহের বিচার - প্রথমেই বলব গুপ্ত শত্রু এক বা একাধিক হতে পারে। গুপ্ত শত্রুর বিচার করতে হলে আমাদের জন্ম রাশিচক্রের প্রতিটি রাশি ও ভাব বিচার জানা আবশ্যক। গুপ্ত শত্রুর জন্য কোন কোন গ্রহ দায়ী। এই বিচার করতে গেলে সবার প্রথমে দ্বাদশ ভাবের ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। দ্বাদশ ভাব থেকে বিচার করা হয় জাতকের গুপ্ত শত্রু আছে কিনা। একটি গুরুত্বপুর্ন কথা জেনে রাখা দরকার, যে কোনও শুভ অশুভ বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন ভাব বিচার আবশ্যক। লগ্নই হল মানুষের মুল প্রকৃতি। লগ্ন, লগ্নভাব বা লগ্নপতি যদি সবল ও শুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় কোনও গুপ্ত শত্রুই মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। দ্বাদশ ভাব ও লগ্ন ভাব বিচারের পর ষষ্ঠভাব ও অষ্টমভাব বিচার করা প্রয়োজন। এবং এর সাথে সাথে তৃতীয় ও সপ্তমভাবের বিচারও করতে হয়।
আমাদের অজান্তে কৌশলে আমাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেয়।গুপ্ত শত্রুতা হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে। কখনো কখনো নিজের আত্মীয় শত্রুতা করতে পারে যেমন, ভাই, বোন গুপ্ত শত্রু হতে পারে, মামা বাড়ির কোনও ব্যক্তি গুপ্ত ভাবে শত্রুতা করে পারে, প্রিয় বন্ধু কখনো শত্রুতা করতে পারে, প্রতিবেশী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, স্বামীস্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির কেউ, সন্তানস্থানীয় কেউ, এমন কি গুরু-শিস্য পর্যন্ত গুপ্ত ভাবে ক্ষতি সাধন করতে চায়। এবং ভাল মানুষের মুখোশের আড়ালে সবাই শত্রুতা করতে চায়।

এখন সমস্যা এই যে কিভাবে চেনা যাবে এই ধরনের শত্রুদের?
আগেই বলেছিলাম নানা ক্ষেত্র থেকে গুপ্ত শত্রু তৈরি হতে পারে। আত্মীয়রা গুপ্ত শত্রু কিনা জানতে হলে দ্বিতীয়ভাবের দ্বাদশভাব অর্থাৎ দশম ভাব ও দশম পতিকে দেখতে হবে। বন্ধুর ক্ষেত্রে চতুর্থের দ্বাদশ ভাব অর্থাৎ তৃতীয়কে ও তৃতীয় পতিকে দেখতে হবে।গুপ্ত শত্রুতা বিচারের ক্ষেত্রে শনি ও কেতুর কোনও কোনও সময় ভুমিকা থাকে। এইভাবে সকল ক্ষেত্র বিচারের প্রয়োজন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180525180350

Thursday, May 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রের গোরার কথা

জোতিষ  শাস্ত্রের গোরার কথা

শুভ রাত্রি
জোতিষ শাস্ত্রের গোরার কথা

আমাদের পৃথিবীর আরও গ্রহ আমাদের মহাকাশে আছে যাকে আমরা গ্রহ বলি । হিন্দু বিবাহ পদ্ধতি তে নব গ্রহের পুজার বিধান আছে । কারন নব বধূ বরের কল্যাণ কামনায় , ও তার জীবন নির্বিঘ্নে কাটুক কারন আমাদের মুনি ঋষি জানতেন আমাদের জীবনের ভাল মন্দ সব কিছু নির্ভর করে মহাকাশের নটি গ্রহ , ২৭ টি নক্ষত্রের উপর । সূর্যের চারিদিকে ঘোরা গ্রহ উপগ্রহ মিলে আমাদের সৌর জগৎ ।
মানবীয় জীবনে সময় মত পড়ে । দুঃখ , সুখ , জয় পরাজয় , জন্ম মৃত্যু , রাগ দ্বেষ , শত্রুতা বন্ধুত্ব , যাই জীবনে ঘটুক সবই গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে ঘটে । বিশ্বের সমস্ত জীব জন্তু পশু পাখি গাছ পালা মধ্যে তাদের পূর্ণ প্রভাব আছে ।
জ্যোতিষাচার্জ বরাহ মিহিরের মত অনুসারে সূর্য ,চন্দ্র ,মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র শনি সাত গ্রহের কথা বলেছেন , ফলিত জ্যোতিষ ও জ্যোতিষাচার্জ দের মতে রাহু কেতু কে ছায়া গ্রহ বলা হয়েছে । মানুষের জীবন যে থেকে আবদ্ধ তার শরীর সঞ্চলনা সেই প্রকার হবে । বরাহ মিহার জোরের সাথে বলেছেন মানব জীবনের গ্রহ তার আপন গতি তে গতিশীল আর যে ক্ষণে যে স্থানে যে সময় মানুষের জন্ম হয় ঠিক সেই সময়ে সেই স্থলে গ্রহ নক্ষত্রের দৃষ্টি পড়ে । গ্রহের যে দৃষ্টি পড়ে সেই অনুসারে জাতকে স্বভাব তম গুন রজগুন , শান্ত সাত্বিক ও ধার্মিক ।
সেই স্থলে যে গ্রহ বলবান তার গুন বৃদ্ধি পায় । জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জাতকের স্বভাব থেকে বলা যায় জাতক ভবিসৎ এ কি করবে ।
সূর্য যশ প্রতিষ্ঠার কারক
চন্দ্র সৌম্য ও শীতলতার কারক
মঙ্গল শৌর্য বীর্যের কারক
বুধ বুদ্ধি বিবেক বানিজ্যের কারক
বৃহস্পতি ধর্ম ন্যায় পারলৌকিক সুখ এর কারক
শুক্র বিষয় বাসনা কলা সৌন্দর্য তথা সাংসারিক সুখের কারক
শনি কাল রঙ লোহা কল কারখানা , দুঃখ ব্যাধির কারক
রাহু পাপকর্ম দুঃভাগ্য রাজনীতি সাহসের কারক
কেতু দুঃখ রোগ দুর্ঘটনা শোকের প্রতীক
গ্রহ সূর্য মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র শনি
উপগ্রহ চন্দ্র ছায়া গ্রহ রাহু কেতু
সূর্যের প্রভাবে জাতক ব্যাক্তি যশ প্রতিষ্ঠা ধন প্রাপ্তি বিষয়ে ভবিসৎ বানী করা যায় । সূর্য দেয় সামাজিক প্রতিষ্ঠা ।
মঙ্গল সেনানী ও যুদ্ধের দেবতা , মঙ্গল গ্রহ জাতক কে পরাক্রম সাহস সহনশীলতা ক্রোধ ঘৃণা আর আক্রমণাত্বক , মঙ্গলে অশুভ প্রভাব বৈবাহিক বিশেষ বাধক , ভৌম দোষ জাতকে জীবন বিবাহিত জীবন তছনছ করে দেয় । তবে রাজনীতি ক্ষেত্রে , প্রশাসনিক সেবা , পুলিশ , সামরিক বাহিনী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সফল হন ।
বুধ বানীর কারক শূদ্র বা বৈশ্য , মস্তিস্কে বনিক , শুভ গ্রহের সাথে যুক্ত শুভ অশুভ গ্রহের সাথে যুক্ত হলে অশুভ ।
বৃহস্পতি বল শালী কমল বৃত্তি জ্ঞান প্রদাতা শুভ গ্রহ । উচ্চ জ্ঞান ,বিদ্বান সরলতা সত্যবাদিদতা , ক্ষমাভাব , নীতিনিষ্ঠা , বিশুদ্ধ , উচ্চ বিচার , আর সাধারন জীবন যাপন
শুক্র আমোদ প্রমোদ , অর্থ ব্যয় , সুখ আনন্দ এদের লক্ষ্য ।
শনি শনি কুশলতা , কারাবাস ,জমিদারি , শুভ শনি লোক প্রিয়তা , সার্বজনীন প্রসিদ্ধি , বাহন সুখ , সমৃদ্ধি দায়ক ।
রাহু দুঃখ শোকের প্রতীক
কেতু রাহুর সমান ফল প্রদ
নক্ষত্রের তালিকা
১ অশ্বিনী [কেতু] ২ ভরণী [ শুক্র ]৩ কৃত্তিকা [সূর্য ] ৪ রোহিণী [চন্দ্র ] ৫ মৃগশিরা [মঙ্গল ] ৬ আদ্রা[ রাহু ] ৭ পুনর্বসু [বৃহস্পতি ] ৮ পুস্প [শনি ] ৯ অশ্লেষা [বুধ ] ১০ মঘা [ কেতু] ১১ পূর্ব ফাল্গুনী [ শুক্র ]১২উত্তর ফাল্গুনী [সূর্য ] ১৩ হস্ত [ চন্দ্র ]১৪ চিত্রা [মঙ্গল ] ১৫ স্বাতি [ রাহু ] ১৬ বিশাখা [ বৃহস্পতি ] ১৭ অনুরাধা [শনি ] ১৮ জ্যেষ্ঠা [ বুধ ] ১৯ মুলা [ কেতু ] ২০ পূর্বসারা [ সূর্য ] ২১ উত্তর সারা [সূর্য ] ২২ শ্রবন [চন্দ্র ] ২৩ ধনিষ্ঠা[ মঙ্গল ] ২৪ শতভিসা[ শনি ] ২৫ পূর্ব ভাদ্র পদ [ বৃহস্পতি ] ২৬ উত্তর ভাদ্রপদ [শনি ] ২৭ রোহিণী [ বুধ ]
রাশি
১ মেষ [ মঙ্গল ] ২ বৃষ [ শুক্র ] ৩ মিথুন [ বুধ ] ৪ কর্কট [ চন্দ্র ] ৫ সিংহ [ সূর্য ] ৬ কন্যা [ বুধ ] ৭ তুলা [ শুক্র ] ৮ বৃশ্চিক [ মঙ্গল ] ৯ ধনু [ বৃহস্পতি ] ১০ মকর [ শনি ] ১১ কুম্ভ [ শনি ] ১২ মীন [ বৃহস্পতি ]

মানুষ জন্ম নিয়ে যখন এই সংসারে আসছি তখন সৌর মণ্ডলের গ্রহ নক্ষত্র দ্বারা প্রভাবিত ।

মেষ রাশি রাশি চক্রের প্রথম রাশি । মেষ পূর্ব দিশা অধিকারী , রাশি অধিপতি মঙ্গল অগ্নি তত্ত্বের রাশি । মেষ জাতকেরা তেজস্বী ,সাহসী , দবং দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি সমপ্ন । এরা জন্মজাত যোদ্ধা , বাধা অতিক্রম করে নিজের পথ তৈরি করে নিতে তারা প্রয়াস করে যায় । অর্থ উপার্জন অদ্ভুত ক্ষমতা এদের । কঠিন জটিল কাজ করতে ভাল বাসেন । রাজনৈতিক নেতা , সংগঠন কর্তা , উপদেশক ,বক্তা , কোম্পানি কর্তা ,সৈনিক অধিকারী , পুলিশ অধিকারী , শল্য চিকিৎসক ,।
অশুভ প্রবৃত্তি হলে অপরাধ কে গ্রহণ করতে পারে ,ডাকাতও হতে পারে ।
বৃষ রাশি রাশি চক্রের দ্বিতীয় রাশি , অত্যন্ত পরিশ্রমী ও উজ্জ্বাবান । রাশি স্বামি শুক্র । এই রাশির জাতক শান্তিপূর্ণ জীবন করতে ভাল বাসে ; এরা অত্যন্ত সামাজিক , অতিথিপরায়ন , সুখ আর বিলাসি জীবনের যাপন করতে ভাল বাসে । হিসাব রক্ষক ,পরিচালক , অভিনেতা ,নির্দেশক , শিল্পী বিলাস বস্তুর ব্যবসায়ী ।
মিথুন রাশি চক্রের তৃতীয় রাশি , শরীর চঞ্চলতা ভরা , শরীর পুষ্ট হয় না , সুন্দর চেহারা , নৃত্য সঙ্গীত , বাদ্য প্রেমী । হাস্য প্রেমী , দুষ্কর্ম করা , মধুর ভাষী , বিনম্র শিল্প প্রেমী , চতুর , বিষয়ী ,কবি পরোপকারী সুখী ঐশ্বরজবান । রাশি স্বামি বুধ ।
কর্কট রাশি চক্রের চতুর্থ রাশি , রাশি অধিপতি চন্দ্র । কর্কট রাশির জাতকেরা কাঁকড়ার মত যে বস্তু কে আঁকরে ধরে । এরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে চাই , আর্থিক লাভ ,নিজের পরিবার বিশেষ পত্নী প্রতি প্রবল মোহ । উচু পদ প্রাপ্তি , সমাজিক সন্মান ।
সিংহ রাশি রাশি চক্রের পঞ্চম রাশি , রাশি অধিপতি সূর্য । রাজকীয় রাশি যার চিহ্ন সিংহ । রাশি চক্রের রাজা হল সিংহ । রাজসিক জীবন , আত্মবিশ্বাসে ভরপুর , সফল , জন্মজাত আশাবাদী ।
কন্যা রাশি রাশি চক্রের ষষ্ঠ রাশি অধিপতি , রাশি অধিপতি বুধ , এই রাশির জাতকেরা ভাল বক্তা হয় ,নিজের পরিশ্রমী ইচ্ছাশক্তির ব্যবসাতে সফল হতে পারে । আর্থিক দৃষ্টি এরা খুব সাবধান ।
তুলা রাশি রাশি চক্রের সপ্তম রাশি ,ভৌতিক বিষয়ে সফল হয় , সফল ব্যবসায়ী । জ্যোতিষ শাস্ত্রে তুলা রাশিকে ব্যবসায়ী রাশি বলা হয়েছে । ভাল বক্তা , ন্যায় বিধ । এই রাশির অধিপতি শুক্র , শিক্ষার ক্ষেত্রে সফল হতে পারে ।
বৃশ্চিক রাশি রাশি চক্রের অষ্টম রাশি , ব্যবসা ,রাজনীতি , ভাল ডাক্তার সার্জন , খাতারনাক ও মারক কাজে রুচি রাখে ।
ধনু রাশি রাশি চক্রের নবম রাশি । অগ্নি রাশি ধনু জাতকের অতীন্দ্রিয় জ্ঞান তীব্র । কুশল পরামর্শ দাতা ব্যবস্থাপক ,প্রবন্ধক , সাংগঠনিক কর্তা , রাজনৈতিক কর্মকর্তা , । এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি । কিন্তু বৃদ্ধাবস্থা আর্থিক সঙ্কটে পড়ে ।
মকর রাশি দশম রাশি এর রাশি অধিপতি শনি দেব , ধৈর্য , আগে এগিয়ে যাবার আকাঙ্খা , কাপড় ব্যবসায়ি , শিক্ষক ,
কুম্ভ রাশি চক্রের একাদশ রাশি , রাশি অধিপতি শনি ্‌ নিজে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে ।আর্থিক বিষয়ে সফল হয় ।
মীন রাশি রাশি চক্রের দ্বাদশ রাশি , অধিপতি বৃহস্পতি । বহুত জটিল রাশি । মীন রাশির জাতকেরা খুব সংবেদনশীল । লেখক কবি সাহিত্যকার চিত্রকার ।

জন্ম ছকে জাতক জাতিকার জন্ম লগ্ন বিচার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । লগ্ন এক্স রে প্লেট তাই লগ্ন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা না থাকলে সঠিক ভবিসৎ বানী সম্ভব নয় । লগ্ন নির্ধারণ জরুরী ।
মানুষের জীবনে , লগ্ন সূর্য চন্দ্রের প্রভাব বেশি । এক যুবকের বয়সে ৪০ পর্যন্ত মঙ্গল হয় গাইড মঙ্গল এনে দেয় ক্ষমতা ,প্রখরতা ও শক্তি । সকল বিপদ নাশক । মধ্য বয়সে বৃহস্পতি দেয় সন্মান পদ , জীবিকা , আত্মিয়তা সৃষ্টি করে , বৃদ্ধ শনির অধিন ৬০ বছর পর থেকে ।
লগ্ন ঃ
মেষ লগ্ন
এই লগ্নের জাতকের জীবন সর্বদা কর্মময় , কাজে সে ক্লান্তি বোধ করেনা । ৪৫ বছর পর্যন্ত বহু ঝড় ঝঞ্জাট আসবে , উত্থান পতনের সময় আসবে । কিন্তু সর্ব বিঘ্ন অতিক্রম করবেন । এই জাতকের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি , সাহস বিচার বোধের দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন । ভাব প্রবনাতা অনেক সময় অসুবিধা সৃষ্টি করবে । জীবনে উচ্চাকঙ্খা প্রবল , জীবনে দশ জনের একজন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চান । দাবানল এর মত উত্তপ্ত ও অগ্রসরমান । জীবনে মারাত্মক সব ঝুকি নিলেও উদ্ধার পান । এদের হৃদয় উদার , মলিনতা , সংকীর্ণতা নেই ।
মঙ্গলের শুভ ভাব
সাহস, পরাক্রম , শৌর্য , কাম , স্বাধীনতা ,জয়লাভ ,চিকিৎসা , সম্ভ্রান্ত পদ
শনির অশুভ প্রভাব
অতি চাপল্য , অলসতা , অনুৎসাহ , অসহিস্নুতা , মূর্খতা , কু প্রবৃত্তি , ব্যাধি
মেষ লগ্নের জাতকের ভাগ্য শুক্র , রবি ,বুধ , শনির উপর নির্ভর করে । দ্বিতীয়া অধিপতি শুক্র পঞ্চম অধিপতি সূর্য , সপ্তম অধিপতি শুক্র একাদশ পতি শনি তাই জাতকের ভাগ্য পরিবর্তন শীল , বাধা ও আঘাত আসে । " বেচে থাকার সংগ্রাম " জাতকের জীবনে প্রযোজ্য । এই লগ্নের জাতকের ভাগ্য বা আর্থিক উন্নতি ব্যবসার মধ্য দিয়ে হবে ।
এরা রুপের চেয়ে মনের প্রধান্য দেন । এর স্ত্রী পতিপরায়ণ স্বামির সমস্ত ক্লেশ অকপটে সহ্য করতে পারে । এদের প্রেম বিবাহ ধনী বনেদী বংশে মেয়ে ।এদের সন্তান সীমিত ।
বৃষ লগ্ন
বৃষ লগ্নের জাতকেরা ব্যবহারিক জগতের সচল মানুষ । এর অধিপতি শুক্র । শুক্রের গুনাগুন ব্যপক ভাবে জাতকের তন মনে পড়ে । পদে পদে বিপদ , পথে বাধা । এদের কাছে কেউ করুণা প্রার্থনা প্রার্থনা করলে এরা সর্বস্ব ত্যাগ করতে করতে পারে । েদের ভিতরে মায়া মমতা স্নেহে পরিপূর্ণ । এরা ভাই বোনের জন্য সব ত্যাগ করতে পারে । এরা ঈশ্বর বিশ্বাসী । এরা আধ্যাত্মিক জগতে সুরজাল সৃষ্টি করতে পারে । এর পবিত্রতা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে । আত্মীয় স্বজনেরা মুল্য না দিলে অন্যরা দেবে ।
হাতের কাজে ভাগ্য বৃদ্ধি করবে । নিজের ভাগ্য নিজে গড়বেন । বুধ মঙ্গল শনি আপনার ভাগ্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে । বাড়ি ভারা দিয়ে ভাগ্য খুলবে । লেখা পড়ায় বাধা । পিতার সম্পত্তি পেতে পারেন ।
মিথুন লগ্ন
মিথুন লগ্নের জাতকেরা , লগ্নের অধিপতি অধিপতি বুধ । বুধ হলেন ত্রিভুবনের যুবরাজ ,চন্দ্রের সন্তান বলে সৌন্দর্য বিকাশ ঘটে বুধের কৃপায় । চন্দ্র শুক্র মঙ্গলের উপর নির্ভরশীল ।
কর্কট লগ্ন
কর্কট লগ্নের লগ্ন অধিপতি চন্দ্র , জাতকের জীবনে চন্দ্রের প্রভাব বেশী মাত্রায় পড়বে । চন্দ্র হল মনের রাজা । চন্দ্রের স্বভাব চপল ক্ষয়িষ্ণু । কর্ম দক্ষতা ও মৌলিককতা উপর অগাধ বিশ্বাস । অগ্রগতি মন্থর ও অন্যের উপর নির্ভরশীল । আপনার ভাগ্য ৪০ বছরের আপনার ভাগ্য উন্নতি । আপনি ভাগ্যবান পুরুষ । প্রচুর ধন সম্পত্তি মালিক হলেও চলে যেতে পারে । অর্থ উপার্জন বহু সুযোগ আসবে আবার সুযোগ হাত ছাড়া হবে । চাকরিতে উন্নতি যোগ প্রবল ।তবে আপনার উপর বালা আপনার যশ বৃদ্ধি কে সুনজরে দেখবে না । এজন্য তাদের সাথে মত বিরোধ হবে । দুর্গম প্রদেশ থেকে অর্থ ভাগ্যের উন্নতি । আপনি কোন বিদেশী প্রতিষ্ঠান কাজ করলে সব চেয়ে বেশি লাভবান হবেন । বিয়ের বিষয়ে আপনি সুখি নন । এমন কি দু টি বিয়ে পর্যন্ত হতে পারে ।
সিংহ লগ্ন
সিংহ লগ্নের অধিপতি রবি এবং চন্দ্র মঙ্গল বৃহস্পতি মিত্র গ্রহ । জাতকের উপর রবির প্রভাব বেশি। নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে চলবেন । গোপন কথা বা কাজ পছন্দ করেন না । আপনার নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে হবে ।
কন্যা লগ্ন
কন্যা লগ্নের অধিপতি বুধ । বুধ ও শুক্র যোগ কারক । বুদ্ধির কারক গ্রহ এই লগ্নের অধিপতি হবার জন্য শ্রেষ্ঠ স্মরণ শক্তির অধিকারী । সাহসি না হলেও ধৈর্যবান । পড়া শুনায় গভির রুচি ।
তুলা লগ্ন
তুলা লগ্নের অধিপতি শুক্র । জাতকেরা আদর্শবাদী , আশাবাদী , অব্যবস্থিত চিত্ত ।
বৃশ্চিক লগ্ন
লগ্ন অধিপতি মঙ্গল । অত্যন্ত সাহসি উৎসাহী উদ্ধত , পরাক্রমী ও উদ্যমী ।
ধনু লগ্ন
ধনু লগ্নের অধিপতি দেব গুরু বৃহস্পতি । জাতকের উদারতা সততা মায়া মমতা সহ্য শক্তি দেখার মত এর জীবনে বড় হবার উচ্চাকাঙ্খা প্রবল । ধনু লগ্নের জাতকেরা দুটা চরিত্রের অধিকারী । কখন আত্ম কেন্দ্রিক কখন বহির্মুখী ।
কথা বার্তা বুদ্ধিদিপ্ত , শানিত । মনের মধ্যে কোন জতিলতা কুটিলতা নেই । সর্বদা ন্তুন ন্তুন পরিকল্পনা । জাতক সত্যের সাধক , শান্তির দুত , বিচারের বানী । নানা প্রকার বাধা বিপত্তি ভিতর দিয়ে অগ্রসর হয় । ধনু লগ্নের জাতকেরা তাদের অনেক শ্রম কষ্ট স্বীকার ইনি জানেন একলা চল নীতি নিয়ে তাদের চলতে হয় ।
মকর লগ্ন
মকর লগ্নের অধিপতি মহাদুঃখদাতা শনিদেব । মকর লগ্নের ব্যক্তির মনের উদারতা সীমিত । উচ্চাশা প্রবল , মনের দৃঢ়তা কম । স্বভাবে সন্দেহের স্বভাব । মকরের জাতকেরা পরিশ্রম ও প্রতিভার জোরে একটু বয়সে অর্থ উপার্জন করে থাকে ।
কুম্ভ লগ্ন
লগ্ন অধিপতি শনি দেব । আত্মকেন্দ্রিক , এরা তীক্ষ্ণ বাস্তব বাদী , আদর্শবাদী , সরল সৎ দার্শনিক । যাকে ভাল বাসে তার জন্য জীবন দিতে কুণ্ঠিত হন না । এরা অর্থ সঞ্চয় করেন কিন্তু বে হিসাবী । এরা কল্পনা বিলাসী , চাকরি জীবনে ঘন ঘন পরিবর্তন আসে ও লোভনীয় চাকরি পায় । অন্যের সম্পত্তির মালিক হয় ।
মীন লগ্ন
লগ্নের অধিপতি বৃহস্পতি । জাতকের বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী । বুদ্ধি দীপ্ত , ভাব প্রবণ ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks

.



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180524211259

Tuesday, May 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা মঙ্গলচন্ডী ব্রত

মা মঙ্গলচন্ডী ব্রত

সুপ্রভাত
আজ থেকে শুরু মঙ্গলচন্ডী ব্রত,জয় মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার্তায় দেবী মঙ্গলচণ্ডী :-

বাংলা মায়ের বারো মাসে তেরো পার্বণ৷ আর সেই তেরো পার্বণে হাজারও বারব্রত৷ পূর্ববঙ্গে এই রীতির কিছুটা ছাড়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মায়েরা নাছোড় এই বারব্রত পালনে৷ ঋতুর হাওয়াবদলের সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমানের ঘরে ঘরে এই বাঙালিয়ানাটুকুকে সম্বল করে এখানকার মহিলারা বেশ হুল্লোড়ে থাকেন ওই দিনগুলোতে৷ যারা অফিস করেন তাঁরাও শুনি উপোসটুকুনি ছাড়তে নারাজ৷ ভোরবেলা ব্রতকথার বইখানিতে পেন্নাম ঠুকে কথকতায় চোখ বুলিয়ে তার পর দশটা -পাঁচটায় সামিল হন৷ সে দিন শিকেয় তোলা মাছের ঝোলভাত -ডাল -চচ্চড়ি৷ দুপুরে ফলাহার , রাতে ময়দার ভাজা সব সুস্বাদু৷

কাউকে আবার বলতে শুনেছি , মায়েদের মুখ বদলানোর সব উপায় করে দেওয়া হয়ে আসছে অনন্তকাল ধরে৷ কিন্ত্ত সত্যি কি তাই ? আসলে প্রতিটি ব্রতকথার আড়ালে যে ছোটো উপাখ্যানগুলি আছে সেগুলি প্রচলিত হলেও লোকশিক্ষার মোড়কে হাজির করা হয় আমাদের সামনে৷ আর বিশেষ দিনগুলি পালনের অর্থ হল সেগুলিকে বারবার নিজেদের সাংসারিক টানাপোড়েনে ঝালিয়ে নেওয়া৷ মনে মনে তাঁরা বলেন " বারব্রত নিষ্ফল হয় না , ধর্মকর্ম যাই কর ঈশ্বরে বিশ্বাস চাই " ।

জ্যৈষ্ঠের প্রতি মঙ্গলবারে কুমারী ও সধবারা সংসারের মঙ্গলকামনায় স্মরণ করেন মা মঙ্গলচণ্ডীকে৷ বর্ধমানের মায়েরা এই দিন কাঁঠালপাতায় দুব্বোঘাস , ধান , যব ও মুগকলাই রেখে খিলি বানিয়ে মা চণ্ডীকে নিবেদন করেন ও পরে কলার মধ্যে সেই ধান -যব পুরে ‘গদ ’ গিলে খান৷ আমলা বাটা আর হলুদ দিয়ে স্নান করানো হয় মা ’কে এবং পাঁচটি ফল দান করতে হয়৷
মঙ্গলচণ্ডীর এই ব্রতকথায় আছে , জয়দেব ও জয়াবতীর কথা৷ দেবীমাহাত্ম্য বিস্তারের জন্য স্বয়ং মা দুর্গাই বুড়ী ব্রাহ্মণীর বা দেবী ক্ষেমঙ্করীর বেশ ধরে মর্ত্যে চলেন৷ মহাবিদ্যা ধূমাবতীর ধনাত্মক রূপ দেবী ক্ষেমঙ্করী,এই দেবী গৃহী পুজ্য।
‘ মায়া করি ধরে মাতা জরাতীর বেশ ,
হাতে লাঠি কাঁধে ঝুলি উড়ি পড়ে কেশ ’ ৷

উজানীনগরে এক সওদাগরের বাড়িতে তিনি হাজির হন৷ প্রখর রোদে হঠাত্ গিয়ে ভিক্ষা চাইলেন৷ বেনেবউ থালায় করে চাল আর টাকা দিয়ে সিধে দিলেন৷ কিন্ত্ত ব্রাহ্মণীর সাতটি মেয়ে , একটিও পুত্র নেই৷ বুড়ি সেই শুনে আর ভিক্ষে নিলেন না৷ দিনে দুপুরে ভিক্ষা না নিয়ে চলে যাওয়ায় সংসারের অকল্যাণ হবে জেনে বেনেবউ কান্নায় ফেটে পড়লেন৷ এ দিকে সওদাগর খোঁজ করে সেই বুড়ির কাছে গেলেন৷ বুড়ি তার হাতে একটি ফুল দিয়ে বললে , সেই ফুলটি যদি তার বউ ধুয়ে জল খায় তবে সে সুপুত্রের জননী হবে৷ বুড়ো বয়সে বেনেবউ আবার গর্ভবতী হল৷ ফুটফুটে ছেলে হল তার৷ তার নাম রাখা হল জয়দেব৷ এ বার সেই ব্রাহ্মণী হাজির হল আর এক সওদাগরের গৃহে৷ তার সাতটি পুত্র, কন্যা নেই৷ তাই ভিক্ষে নিলেন না তাঁর ঘরে৷ এ বারে কারণ হল কন্যাসন্তানকে প্রাধান্য দেওয়া৷ ঠিক আগের মতোই এই গৃহেও ফুল ধোয়া জলপান করে গৃহিণীর কন্যাসন্তান হল৷ তার নাম রাখা হল জয়াবতী৷ পাশাপাশি দু’টি গ্রামে জয়দেব আর জয়াবতী বড়ো হয়৷

তারা খেলে বেড়ায় , আপনমনে ছেলেখেলার ছলে মঙ্গলচণ্ডীর পুজো করে৷ জয়দেবের বিশ্বাস নেই কিন্ত্ত জয়াবাতীর অগাধ বিশ্বাস৷ এ ভাবেই একদিন জয়দেবের পায়রা এসে বসে জয়াবতীর কোলে৷ জয়াবতী দিতে নারাজ৷ জয়দেব প্রশ্ন করে , সে কি পুজো করছে ? জয়াবতী বলে এই চণ্ডীপুজো করলে ‘হারালে পায় , মলে জিওয় খাঁড়ায় কাটে না৷ আগুনে জলে ফেলে দিলে মরণ ঘটে না৷ সতীন মেরে ঘর পায় , রাজা মেরে রাজ্য পায় ’৷

জয়দেবের তা শুনে ভালো লাগে৷ জয়াবতীকে সে বিয়ে করতে চায় , মা ’কে জানায়৷ জৈষ্ঠ্যমাসের মঙ্গলবারে তাদের বিয়ে হয়৷ সে দিন জয়াবতী আঁচল থেকে গদ বের করে গিলে খায়৷ এ বার জয়দেবের জয়াবতীকে পরখ করার পালা৷ অঢেল ধনরত্ন , গয়নাগাটি নিয়ে জয়াবতী জলপথে শ্বশুরঘরে যাত্রা করে৷ মাঝপথে জয়দেব জয়াবতীকে বলে ডাকাতের উপদ্রবের কথা৷ কাপড়ের পুঁটুলিতে সব গয়নাগাটি বেঁধে জয়দেব সেটিকে জলে ফেলে দেয়৷ জয়াবতী তা দেখে মা চণ্ডীকে স্মরণ করে৷ শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পর দিন বউভাতে অতিথি আপ্যায়নের জন্য নদীতে জাল ফেলে যে মাছ ধরে আনা হয় সেই মাছ কাটতে গিয়ে লোকজন হিমশিম৷ বঁটি , দা , কুড়ুল কিছু দিয়েই সেই বোয়ালমাছটি কাটা যায় না৷ তখন জয়াবতীর ডাক পড়ে৷ জয়াবতী মা মঙ্গলচণ্ডীকে স্মরণ করে অতি অনায়াসেই বঁটিতে মাছের পেট কেটে ফেলে আর তার গয়নাশুদ্ধ পুঁটুলিটা পায়৷ তখন জয়দেবও বুঝতে পারে দেবী মাহাত্ম্য৷ তাই বুঝি মঙ্গলচণ্ডীর পুজোয় এখনও মেয়েরা আওড়ায় এই মন্ত্র ,
" আটকাটি ,
আটমুঠি সোনার মঙ্গলচণ্ডী রুপোর পা ,
কেন মাগো মঙ্গলচণ্ডী হল এত বেলা ?
হাসতে খেলতে ,
তেলহলুদ মাখতে ,
আঘাটায় ঘাট করতে ,
আইবুড়োর বিয়ে দিতে ,
অন্ধের চক্ষু দিতে ,
বোবার বোল ফোটাতে ,
ঘরের ঝি বৌ রাখতে ঢাকতে হল এত বেলা৷ " -
এ ভাবেই সংসারের রমণীটি সংসারের সার্বিক সুখ শান্তি কামনা করে থাকে৷ আর একটা কারণ হল , গ্রীষ্মের দাবদাহে ফুটিফাটা বাংলার মাঠঘাট৷ মা চণ্ডীর পুজোয় যদি সময়মতো বর্ষা নামে , তবে বাংলার কৃষিপ্রধান বর্ধমান জেলাটির শস্যভাণ্ডারটিও ফুলে ফেঁপে উঠবে সেই আশায় বুঝি মা চণ্ডীর শরণাপন্ন হওয়া৷

মা মঙ্গলচণ্ডী -

" বিশ্বের মূল স্বরূপা প্রকৃতিদেবীর মুখ হ'তে মঙ্গলচণ্ডী দেবী উৎপন্না হয়েছেন। তিনি সৃষ্টিকার্য্যে মঙ্গলরূপা এবং সংহারকার্য্যে কোপরূপিণী, এইজন্য পণ্ডিতগণ তাঁকে মঙ্গলচণ্ডী বলিয়া অভিহিত করেন। " -
দেবীভা-৯স্ক-১।

" দক্ষ অর্থে চণ্ডী এবং কল্যাণ অর্থে মঙ্গল। মঙ্গলকর বস্তুর মধ্যে দক্ষ বলে তিনি মঙ্গলচণ্ডী নামে প্রসিদ্ধ। প্রতি মঙ্গলবারে তাঁহার পূজা বিধেয়। মনু বংশীয় মঙ্গল রাজা নিরন্তর তাঁহার পূজা করিতেন। " -
দেবীভা-৯স্ক-৪৭।
-
মঙ্গলচণ্ডী ব্রত
=========

জৈষ্ঠ্যমাসের প্রতি মঙ্গলবারে মা চণ্ডীর আরাধনা করা হয় বলে এ ব্রতের নাম মঙ্গলচণ্ডী ব্রত। জীবনে শ্রেষ্ঠ মাঙ্গল্যের প্রতিষ্ঠার জন্যই এ ব্রতের অনুষ্ঠান। মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের নানা রূপ আছে। কুমারীরা যে মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের আচরণ করে, তা অতি সহজ ও সংক্ষিপ্ত। দেবী অপ্রাকৃত মহিমার প্রশস্তিগীতি ব্রতের ছড়ায় এসে ধরা দেয়।
-

যথা ---

সোনার মা ঘট বামনী।
রূপোর মা মঙ্গলচণ্ডী।।
এতক্ষণ গিয়েছিলেন না
কাহার বাড়ি?
হাসতে খেলতে তেল সিন্দুর মাখতে
পাটের শাড়ি পরতে সোনার দোলায় দুলতে
হয়েছে এত দেরী।
নির্ধনের ধন দিতে
কানায় নয়ন দিতে
নিপুত্রের পুত্র দিতে
খোঁড়ায় চলতে দিতে
হয়েছে এত দেরী।
-

অভীষ্ট সিদ্ধিমানসে হিন্দু মহিলা মঙ্গলবারে মঙ্গলচণ্ডী দেবীর অর্চনা ও ব্রত উপসাবাদি করে থাকেন। ধনপতি সওদাগরের পত্নী খুল্লনা প্রথম মঙ্গলচণ্ডীদেবীর পূজার প্রবর্তন করেন। এই খুল্লনার নামানুসারেই বাংলাদেশের 'খুলনা' জেলার নামকরণ হয়েছে বলে জনশ্রুতি।
-

দেবীর করুণাশক্তি অমোঘ। তাঁর শরণাগত হলে নির্ধন ধনী হয়, অন্ধ নয়ন পায়, বন্ধ্যা পুত্র লাভ করে, খঞ্জ চরণযুক্ত হয়। সংসারজীবনে এই মঙ্গলময়ীর আরাধনা তাই একান্তই প্রয়োজন। কুমারীজীবন থেকেই তারা আরাধনা শুরু করে এবং সমগ্র জীবনব্যাপী তা চলতে থাকে।

অতি প্রাচীন কাল থেকেই বাংলায় সংসারের মঙ্গল কামনায় মহিলাগণ মঙ্গলচণ্ডীর পূজো করে থাকেন। পুরাণের দেবী চণ্ডী অস্ত্রধারিনী, অসুর মর্দিনী। কিন্তু মঙ্গলচণ্ডী দেবীর যে পট ছবি আমরা দেখি তাতে তিনি দ্বিভুজা, হাতে পদ্ম পুস্প, পদ্মাসীনা। সমগ্র মাতৃত্বের রূপ দেবীর মধ্যে প্রস্ফুটিত। চণ্ডীদেবীর কথা বৃহধর্ম পুরাণে পাওয়া যায়। ভবিষ্যপুরাণে মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের উল্লেখ আছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে ইনি কেবল স্ত্রীলোকের দ্বারা পূজিতা বলা হয়েছে। চণ্ডীমঙ্গল কাব্য অনুসারে চন্ডীদেবীর আবির্ভাবের প্রথম পর্বে দেখি কালকেতু ও ফুল্লরার কথা। কালকেতু জাতিতে শবর ব্যাধ, তার পত্নী ফুল্লরা এক শবরী । কালকেতু বনে শিকার করে মাংস হাটে বিক্রি করে সংসার চালাতো। একদা দেবী চণ্ডী তাদের গৃহে ছদ্দবেশে এসে পরীক্ষা নেন। কালকেতু ও ফুল্লরাকে শেষে দশভুজা রূপে দর্শন দিয়ে তাঁদের গুজরাট প্রদেশের অধিপতি করেন।

মঙ্গলচণ্ডিকা পূজা মন্ত্র
==============

ওঁ হ্রীং শ্রীং ক্লীং সর্বপূজ্যে দেবী মঙ্গলচণ্ডিকে।
-

শিবশম্ভুপাঠকৃত মঙ্গলচণ্ডিকা স্তোত্র
======================

রক্ষ রক্ষ জগন্মাতর্দেবি মঙ্গলচণ্ডিকে।
হারিকে বিপদাং রাশর্হর্ষমঙ্গলচণ্ডিকে।।

হর্ষমঙ্গলদক্ষে চ র্হর্ষমঙ্গলচণ্ডিকে।
শুভে মঙ্গলদক্ষে চ শুভমঙ্গলচণ্ডিকে।।

মঙ্গলে মঙ্গলার্হে চ সর্ব্ব মঙ্গলমঙ্গলে।
সতাং মঙ্গলদে দেবি সর্বমঙ্গলালয়ে।।

পূজ্যা মঙ্গলবারে চ মঙ্গলাভীষ্টদৈবতে।
পূজ্যে মঙ্গলভূপস্য মনুবংশস্য সংততম্।।

মঙ্গলাধিষ্ঠাত্রীদেবি মঙ্গলানাং চ মঙ্গলে।
সংসার মঙ্গলাধারে মোক্ষমঙ্গলদায়িনি।।

সারে চ মঙ্গলাধারে পারে চ সর্বকর্মণাম্।
প্রতিমঙ্গলবারে চ পূজ্যে চ মঙ্গলপ্রদে।।
-

শ্রী ব্রহ্মবৈবর্তপূরাণে(প্রকৃতিকাণ্ডের ৪৪/২০-৩২ শ্লোক) মঙ্গলচণ্ডিকা স্তোত্র সম্পূর্ণম্।।
-

*** (শ্রী ব্রহ্মবৈবর্তপূরাণের প্রকৃতিকাণ্ডের ৪৪/২০-৩২ শ্লোক) ***

উজ্জয়নী মঙ্গলচণ্ডী শক্তিপীঠ :-
................................................

পীঠনির্ণয়তন্ত্র মতে ত্রয়োদশ শক্তিপীঠ হল উজ্জয়নী । এখানে দেবীর কর্পূর/ কনুই পতিত হয়েছিল। দেবীর নাম মঙ্গলচণ্ডীকা আর ভৈরব হলেন কপিলাম্বর । উজ্জয়নী হল পশ্চিম মালবের রাজধানী । তবে এই উজ্জয়নীতে দেবীর ভৈরব ও দেবীপীঠ নিয়ে মতান্তর দেখা যায় । দ্বাদশ জ্যোতি লিঙ্গের একটি লিঙ্গ মহাকাল এখানেই অবস্থিত । অনেকে মনে করেন এই মহাকাল মন্দিরেই সতী পীঠ অবস্থিত । দেবীর ভৈরব হলেন মহাকাল । আবার উজ্জয়নীর শাসক দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত্য হরসিদ্ধি নামক এক দেবীর পূজা করতেন । তান্ত্রিকদের মতে তিনিই সতী পীঠের দেবী মঙ্গলচণ্ডীকা ।

আবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার কোগ্রাম বা উজানী গ্রামকেও এই পীঠ বলে ধরা হয় । লোকশ্রুতি অনুসারে এখানেই ভগবতী মা সতীর কনুই পতিত হয়েছিল। দেবীর নাম মঙ্গলচণ্ডী আর ভৈরব হলেন কপিলেশ্বর । তবে বহু যুগ থেকে সাধু সন্ন্যাসীরা ভারতবর্ষের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীকেই শক্তিপীঠ মেনে এসে সেখানেই সাধনার জন্য যান । পীঠনির্ণয়তন্ত্র বলে-

" উজ্জয়িন্যাং কূপারশ্চ মাঙ্গল্য কপিলাম্বর ।
ভৈরবঃ সিদ্ধিদঃ সাক্ষাদ্দেবী মঙ্গলচণ্ডীকা ।।"

উজ্জয়নী সতী পীঠ। সনাতনী সংস্কৃতি ও মিলনের আবহাওয়া এখানে । এখনও এখানে কুম্ভ মেলা বসে। শাস্ত্রে বলে-
" মেষরাশিগতে সূর্য্যে সিংহরাশ্যাং বৃহস্পতৌ ।
উজ্জয়িন্যাং ভবেৎ কুম্ভঃ সর্বসৌখ্যবিবর্ধনঃ ।।"

এর অর্থ- সূর্য মেষ রাশিতে এবং বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থান কালে উজ্জয়নী তে সকলের সুখ দায়ক কুম্ভযোগ হয় । বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে থাকেন বলে ইহা সিংহস্থ কুম্ভ যোগ নামে খ্যাত ।

" ঘটে সুরিঃ শশিসূর্য্যাঃ কুহবাং দামোদরে যদা ।
ধারায়শ্চ তদা কুম্ভো জায়তে খলু মুক্তিদঃ ।।"

এর অর্থ- তুলারাশিতে বৃহস্পতি, চন্দ্র ও সূর্য অবস্থান করিলে অমাবস্যা তিথিতে ধারায় ( উজ্জয়নীতে) শিপ্রা তটে মুক্তিপ্রদ কুম্ভ যোগ হয় । কুম্ভ মেলার সময় অসংখ্য যোগী, মহারাজ, সাধু, সিদ্ধ, সন্ত, মহাত্মা এই কুম্ভে আসেন।

অন্য দিকে বছরের এই সময়টা জুড়ে রোগভোগের প্রকোপও নিদারুণ, তাই সংসারে যাতে সেই প্রাদুর্ভাব না হয় তার খেয়ালও রাখেন গৃহকর্ত্রী৷ বাকিটুকু মায়ের কৃপা৷ আসলে ঘরে ঘরে এই শীতলা , ষষ্ঠী , চণ্ডীর প্রতি মাসে পূজো তো আর কিছুই নয়৷ মা দুর্গা বা কালীর শরণ নেওয়া৷ মহাযানী বৌদ্ধধর্মের অবলোকিতেশ্বর কোয়াননের মধ্যে একটি দেবীমূর্তির পূজা হয়৷ জাপানি ভাষায় এই দেবীর নাম ‘চনষ্টী ’৷ এই চনষ্টী শব্দটি সংস্কৃত শব্দ চণ্ডীর অনুরূপ৷ সুকুমার সেনের মতে চণ্ডী শব্দটি এসেছে চাণ্ডী থেকে৷ চাণ্ডী একজন অনার্যা দেবী , যিনি ওঁরাও , বীর , হোড়দের দ্বারা পূজিতা৷ আর তাই বুঝি বিরচিত চণ্ডীমঙ্গলে আমরা ওঁরাও উপজাতিদের দ্বারা পূজিতা দেবীদুর্গার এই চাণ্ডী রূপটিই পাই৷ কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর এই চণ্ডীমঙ্গল সর্বজনবিদিত৷ তাঁর জন্ম বর্ধমানের দামুন্যা গ্রামে৷ চণ্ডীমঙ্গলে আমরা যে উজানী গ্রামের কথা পাই সেখানে একটি চণ্ডীমন্দির আজও আছে৷ এ ছাড়া অজয় নদীর তীরে কোগ্রামেও রয়েছে বর্ধমানের পল্লিপ্রেমী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বিখ্যাত চণ্ডীমন্দিরটি৷

"
রোগানশেষানপহংসি তুষ্টাড়
রুষ্টা তু কামান্‌ সকলানভীষ্টান্‌।
ত্বামাশ্রিতানাং ন বিপন্নরাণাং,
ত্বামাশ্রিতা হ্যাশ্রয়তাং প্রয়ান্তি।।

এতৎ কৃতং যৎ কদনং ত্বয়াদ্য,
ধর্ম্মদ্বিষাং দেবি মহাসুরাণাম্‌।
রূপৈরনেকৈর্বহুধাত্ম-মূর্ত্তিং,
কৃত্বাম্বিকে তৎ প্রকরোতি কান্যা।।

বিদ্যাসু শাস্ত্রেষু বিবেক-
দীপেষ্বাদ্যেষু বাক্যেষু চ কা ত্বদন্যা।
মমত্বগর্ত্তেহতিমহান্ধকারে,
বিভ্রাময়ত্যেতদতীব বিশ্বম্‌।।

রক্ষাংসি যত্রোগ্রবিষাশ্চ নাগা,
যত্রারয়ো দস্যুবলানি যত্র।
দাবানলো যত্র তথাব্ধিমধ্যে,
তত্র স্থিতা ত্বং পরিপাসি বিশ্বম্‌।।

বিশ্বেশ্বরী ত্বং পরিপাসি বিশ্বং,
বিশ্বাত্মিকা ধারয়সীতি বিশ্বম্‌।
বিশ্বেশবন্দ্যা ভবতী ভবন্তি,
বিশ্বাশ্রয়া যে ত্বয়ি ভক্তিনম্রাঃ।।

দেবি! প্রসীদ পরিপালয় নোহরিভীতেঃ,
র্নিত্যং যথাসুরবধাদধুনৈব সদ্যঃ।
পাপানি সর্ব্বজগতাঞ্চ শমং নয়াশু,
উৎপাতপাক-জনিতাংশ্চ মহোপসর্গান্‌।।

প্রণতানাং প্রসীদ ত্বং দেবি! বিশ্বার্ত্তিহারিণি।
ত্রৈলোক্যবাসিনামীড্যে! লোকানাং বরদা ভব।।"....

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180522090136

Tuesday, May 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রবি গ্ৰহ ও প্রতিবিধান

রবি গ্ৰহ ও প্রতিবিধান


রবি.গ্রহের দোষ ও প্রতিকারের উপায়.............

রবি গ্রহ -

গ্রহ দোষ ও প্রতিকারের উপায় এই বিষয়ে আজ রাবি গ্রহের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো..

রবি হলো সকল শক্তির উৎস.. রবি হলো সৃষ্টির উৎস..

রবি আত্মসম্মান, ব্যক্তিত্ত্ব , জীবনী শক্তি, যশ , মানসন্মান , হৃদপিণ্ডের কারক..

রবি পিতা ও সরকারের কারক...

রবি কারুর ভালো হলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে ভালো ফল পাবে...

কোনো ব্যক্তির জাতচক্রে রবি খারাপ হলে তার যে ফল গুলি হতে পারে সেগুলি হলো..

- শারীকিক ভাবে দূর্বল.
- জীবনী শক্তির অভাব .
- পিতার সাথে সম্পর্ক খারাপ. বা পিতার শরীর খারাপ বা পিতৃহানী..
- মান যশ হানি.. অপমানিত হয়.
- হৃদপিণ্ডের বা হার্ট এর সমস্যা.

ভালো অর্থাৎ উচ্চস্থ, সক্ষেত্রস্থ বা মিত্ৰ ক্ষেত্রস্থ হলে ভালো ফল দেয়..

এছাড়া স্থান হিসাবে জাতচক্রে লগ্ন, তৃতীয়, ষষ্ঠ, একাদশ সর্বাধিক ভালো ফল দেয়..
অনান্য স্থানে ঠিকঠাক ফল দিলেও অষ্টমে ও দ্বাদশ স্থানে , নীচস্থ হলে ফল খারাপ হয়. রবি দূর্বল হয়ে যায়. এছাড়া শনি বা রাহুর সঙ্গে থাকলেও রবি পাপগ্রস্থ ও দূর্বল হয়ে পড়ে.

এই৭টি উপায়ে সূর্য উপাসনা করলে জীবনে প্রভূত উন্নতি হয়★★★
------------------------------------------------------------------------------
রবিবার হল নবগ্রহের প্রধান গ্রহ রবির জন্য নির্দিষ্ট দিন। এইদিন তো বটেই, অন্যান্য দিনেও সূর্যের উপাসনা করলে জীবনে প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা।
নবগ্রহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল রবি অথবা সূর্য। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী রবি-র অবস্থান যদি ঠিক না হয়, তবে হাজার পরিশ্রমেও জাতকের জীবনে উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়ে। যশ, খ্যাতি ইত্যাদি কোনও কিছুই আসে না। রবি সু-অবস্থানে থাকলে পেশাগত জীবনে প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা থাকে, তাই যাঁদের কুণ্ডলীতে রবি ভাল অবস্থানে থাকে না তাঁরা নানা ধরনের মানসিক অশান্তি এবং নেতিবাচক মনোভাবের শিকার হন। এছাড়া জীবনে তাঁদের অন্যদের হাতে বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়।

হিন্দুশাস্ত্র মতে, এই ৬টি আচার পালন করলে অত্যন্ত প্রসন্ন হন সূর্যদেব—

১. প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে সূর্যপ্রণাম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যপ্রণাম যোগাভ্যাস করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। তা সম্ভব না হলেও সূর্যমন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে গঙ্গাজল বা পরিস্রুত জল সূর্যদেবতাকে নিবেদন করলে তা মঙ্গল।
২. গুড় সূর্যদেবতার প্রিয় তাই প্রতিদিন সকালে সূর্য উপাসনার সময় গুড় প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে এবং ক্ষুধার্ত বা দরিদ্র মানুষকে রবিবার দিন গুড় ও ছোলাভাজা দান করলে প্রসন্ন হন সূর্যদেব।

৩. এছাড়া মহাদেবের উপাসনার সময়েও লাল ফুল (জবা নয়) দিয়ে তাঁর পুজো করলে ভাল।
৪. রবিবার দিন উপোস করলেও সন্তুষ্ট হন সূর্যদেব।

৫. যে কোনও একটি রবিবার দরিদ্রকে লাল কাপড় দান করলে জীবনে রবির সুপ্রভাব বৃদ্ধি পায় ও কুপ্রভাব কাটতে থাকে। লাল হল সূর্যের পছন্দের রং।

৬. সূর্যদেব দান-ধ্যান পছন্দ করেন। তাই যে কোনও রবিবার সাধ্যের মধ্যে তামা অথবা স্বর্ণ দান করলে অত্যন্ত প্রসন্ন হন সূর্য।
৭)সূর্যের বীজ মন্ত্র : ঔঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায়
১০০বার সকাল ৬.০৪ মিঃ এ পূর্ব দিকে মুখ করে সূর্য দেব কে দেখে জপ করবে‌
বীজমন্ত্র
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥ ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১০ টা পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180522062435

Monday, May 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সুখী জীবনের ২৫টি টিপস

সুখী জীবনের ২৫টি টিপস


সুখী জীবনের জন্য ২৫ টি জোতিষিক টিপসঃ
১). প্রতিদিন সকাল ৫.৪১ মিঃ এ সূর্যের বীজমন্ত্র ১০০ বার ৩ মিঃ করুন,ঔঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায়।
২)তার পর লাল-কালো পোশাক পরে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন৷
৩) নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০
মিনিট কাটান এবং ঔঁ হ্রীং বীজমন্ত্র সহ নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷
৪)(a)ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে
থাকার চেষ্টা করুন। সারা দিনের করণীয় গুলো সম্পর্কে মনস্থির করুন।
৪.(b) নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে
তৈরি খাবার বেশি খাবেন ।
৫. সবুজ চা এবং পর্যাপ্ত জল পান করুন।
৬. প্রতিদিন অন্তত ৩ জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন।
৭. গালগপ্প, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা
করে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয়
করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয়
করুন।
৮. সকালের জলখাবার তেল-মললা বিহীন ,এবং দুটো ডিমের সাদা অংশ। দুপুরের খাবার পরিমীত ও অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেট ছাড়া। এবং রাতের খাবার খাবেন
সল্প ও সহজপাচ্চ‍্য।
৯. জীবন সব সময় সমান যায় না, তবুও ভাল
কিছুর অপেক্ষা করতে শিখুন।
১০. অন্যকে ঘৃনা করে সময় নষ্ট করার জন্য
জীবন খুব ছোট, সকলকে ক্ষমা করে দিন সব কিছুর জন্য।
১১. কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না। সকল
বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন।
১২. সব তর্কে জিততে হবে এমন নয়, তবে
মতামত হিসাবে মেনে নিতে পারেন আবার
নাও মেনে নিতে পারেন।
১৩. আপনার অতীতকে শান্তভাবে চিন্তা করুন,
ভূলগুলো শুধরে নিন। অতীতের জন্য বর্তমানকে
নষ্ট করবেন না।
১৪. অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবন
তুলনা করবেন না।
১৫. কেউ আপনার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই। আপনার কাজই আপনাকে সুখ এনে দেবে।
১৬. প্রতি ৫ বছরমেয়াদী পরিকল্পনা করুন
এবং ওই সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করুন।
১৭. গরীবকে সাহায্য করুন। দাতা হোন,
গ্রহীতা নয়।
১৮. অন্য লোকে আপনাকে কি ভাবছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বরং অাপনি
অাপনাকে কি ভাবছেন সেটা মুল্যায়ন করুন ও
সঠিক কাজটি করুন।
১৯. কষ্ট পুষে রাখবেন না। কারণ সময়ের
স্রোতে সব কষ্ট ভেসে যায় তাই কষ্টের
ব্যাপারে খোলামেলা অালাপ করুন ও ঘনিষ্টদের সাথে শেয়ার করুন।
২০. মনে রাখবেন সময় যতই ভাল বা খারাপ
হোক তা বদলাবেই।
২১. অসুস্থ হলে আপনার ব্যবসা বা চাকুরী অন্য
কেউ দেখভাল করবে না। করবে বন্ধু কিংবা
নিকটাত্মীয়রা, তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন।২২. ফেইসবুক অনেক সময় নষ্ট করে।
পোষ্টটি পড়তে পড়তেই অনেক খানি সময় নষ্ট
করেছেন। ফেইসবুকে আপনার সময় নির্দিষ্ট
করুন।কতক্ষণ সময় থাকবেন এখানে।
২৩. প্রতি রাত ঘুমানোর আগে আপনার জীবনের
জন্য বাবা মাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিন এবং ৩০মিঃ পাইচারী করুন।
২৪. মনে রাখুন জীবনের কোন কোন ভুলের জন্য
আপনি ক্ষমা পেয়েছেন। সেসব ভুল আর যেন না
হয় তার জন্য সতর্ক থাকুন।
২৫. আপনার বন্ধুদেরও তথ্যগুলো জানান, যেন
তারাও আপনার ভাল দিকগুলো সম্পর্কে জানেন
এবং আপনাকে আপনার মত করে চলতে দেয়। আপনারা লাইক ও শেয়ার না করলে তথ্য
দেয়ার আগ্রহ থাকে না। তাই নিয়মিত লাইক
ও শেয়ার করুন৷
নেশাদ্রব‍্য সেবন থেকে বিরত থাকুন
হরিওম তৎসদ্ ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180521093502

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হস্তরেখায় অর্থ প্রাপ্তি

হস্তরেখায় অর্থ প্রাপ্তি

সুপ্রভাত
হস্ত রেখায় অর্থ প্রাপ্তির চিহ্নদি

.1. বৃদ্ধাঙ্গুলিতে জব চিহ্ন..
.2. হৃদয় রেখায় ত্রিশূল..
.3. আয়ু রেখার শেষে মীন পুচ্ছ..
.4. হাতের তালুর মধ্য ভাগে বৃহৎ ত্রিভুজ ..
.5. আয়ু রেখা ও শিরো রেখার প্রারম্ভ স্থলে ফাঁক ..
.6. মণিবন্ধে তারকা চিহ্ন..

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520092032

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশি অনযায়ী কর্ম ও সফলতা

রাশি অনযায়ী কর্ম ও সফলতা

রাশি অনুযায়ী কর্ম ও সফলতার শিখরে পৌঁছবেন কোন বয়সে, জেনে নিন কী বলছে ভৃগু সংহিতা

তিনি ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র। সপ্ত ঋষির একজন ছিলেন মহর্ষি ভৃগু। মনু স্মৃতি মতে, ভৃগুই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। এবং তাঁর সেই জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘ভৃগু সংহিতা’য়। প্রথমে তিনি ৫ লাখেরও বেশি ভবিষ্যতবাণী লিপিবদ্ধ করেন বলা জানা যায়। খুব সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক মহর্ষি ভৃগু সফলতা সম্পর্কে কী বলেছেন। রাশি অনুযায়ী কে কোন বয়সে থাকবে সাফল্যের শিখরে।

কুম্ভ— ২৫, ২৮, ৩৬ ও ৪২ বছর বয়সে।

মেষ— ১৬, ২২, ২৮, ৩২ ও ৩৬ বছর বয়সে।

কর্কট— ১৬, ২২, ২৪, ২৫, ২৮ ও ৩২ বছর বয়সে।

মকর— ২৫, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ বছর বয়সে।

মিথুন— ২২, ৩২, ৩৫, ৩৬ ও ৪২ বছর বয়সে।

সিংহ— ১৬, ২২, ২৪, ২৬, ২৮ ও ৩২ বছর বয়সে।

তুলা— ২৪, ২৫, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ ,৪৩বছর বয়সে।

মীন— ১৬, ২২, ২৮, ৩৩ ও ৩৪ ৩৮বছর বয়সে।

ধনু— ১৬, ২২ ও ৩২ ৪১,৪৬বছর বয়সে।

বৃশ্চিক— ২২, ২৪, ২৪ ও ৩২ ৩৯,৪৭বছর বয়সে।

বৃষ— ২২, ৩২, ৩৫, ৩৬ ও ৪২ ,৪৫বছর বয়সে।

কন্যা— ১৬, ২২, ২৫, ৩২, ৩৫ ও ৩৬ ৪১,৪৭বছর
বয়সে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
ASTRO Palmist Neumerology Center
@astrokush.info



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520091419

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

স্ত্রীকেনিয়ে সমস্যা

স্ত্রীকেনিয়ে সমস্যা

কিছু বন্ধুদের অনুরোধে এই পোষ্ট করলাম।
যাঁদের স্ত্রীকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাঁরা স্বামীর নামের জায়গায় স্ত্রীর নাম বসিয়ে ক্রিয়াটি করলে ফল পাবেন।

তন্ত্র কথা (বিশেষ পর্ব)

আজ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা আজকের যুগে অনেক পরিবারের ভাঙনের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিয়ের সাত পাকের বাঁধন খুলে আলগা হয়ে যাবে কিনা সেটা নির্ভর করে পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা, টান ও বিশ্বাস থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সেই জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্কের ওপর তৃতীয় কোনো ব‍্যাক্তির ছায়া এসে পড়ে তবে স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের কাছেই এই সম্পর্ক হয়ে ওঠে যন্ত্রনার মত।
দোষ কার সে বিচার না হয় পড়ে হবে। নিজের স্ত্রী থাকতেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে আজ‌ও অনেক ঘরে মা বোনেরা চোখের জল ফেলে ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানানো ছাড়া আর কিছু করতে পারেন না। আমি আজ সেইসব অসহায় নারীদের জন্য একটি সহজসাধ্য ক্রিয়ার কথা বলবো যাতে তাঁরা আবার তাঁদের মনের মানুষটিকে ফিরে পেতে পারেন জীবনে ও সংসারে।
তন্ত্র শাস্ত্রে অন‍্যতম একটি ক্রিয়া হল বশীকরণ। মানুষ সহস্রাধিক অর্থ খরচ করে এই ক্রিয়ার জন্য। কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব নয় বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দেওয়া। বিশেষ করে স্বামী পরিত‍্যক্তা একজন নারীর পক্ষে অসম্ভব ব‍্যপার।
বশীকরণ বিভিন্ন ধরনের হয়। কঠিন প্রক্রিয়ায় সেই ক্রিয়া করে ওঠা অনেকের কাছেই অসম্ভব। তাই খুব সহজ উপায় নিয়ে বলবো আজকে। এই ক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি ফলদান না করলেও তিন মাসের মধ্যে সংসারে পরিবর্তন এনে ভাঙন ঠেকাতে পারে। এবার আসি মূল বিষয়ে।
যে কোন কৃষ্ণপক্ষের নবমী, দশমী, একাদশী ও অমাবস্যা তিথি যদি সোমবার পড়ে তাহলে শুরু করুন এই ক্রিয়া।
কম্বলের আসনে শুদ্ধভাবে উত্তর দিকে মুখ করে ঈশান কোন দেখে বসুন।
গনেশাদি পঞ্চদেবতা ,গুরুপ্রনাম, ও দীক্ষিত হলে বীজ মন্ত্র জপ করে নিন।
তারপর বলুন ওঁ অস‍্য শ্রী বামদেব মন্ত্রস‍্য সম্মোহন ঋষিঃ গায়ত্রী চ্ছন্দঃ শ্রী কামদেব দেবতা (স্বামীর নাম)বশ‍্যার্থে জপে বিনিয়োগঃ।
এরপর ওই আসনে বসেই জপ করুন
ওঁ নমো মহাযক্ষিনী পতি (স্বামীর নাম) মে বশ‍্যং কুরু কুরু স্বাহা।
১০৮ বার কর গুনে বা লাল পুঁতির মালায় জপ করে প্রনাম করে উঠে যান।
পরেরদিন মঙ্গলবার একটি গোটা সুপারী নিয়ে সেটি ওই মন্ত্রে ৭ বার অভিমন্ত্রিত করে নিয়ে নিজের মুখে ঢুকিয়ে রাখুন।
দুপুর বারোটায় সেটা মুখ থেকে বের করে দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ফের ৭ বার আগের মন্ত্র দ্বারা অভিমন্ত্রিত করুন। স্বামী যেন আপনাকে কোনভাবেই এই ক্রিয়া করার সময় দেখতে না পায় সেটা খেয়াল রাখবেন।
সুপুরীটি কুচিয়ে নিয়ে কোন গোপন স্থানে রেখে দিন। সেদিন থেকে ওই সুপুরি কুচো দিয়ে পান সেজে খাওয়াতে থাকুন।কমপক্ষে তিনদিন খাওয়াবেন।
সুপুরি শেষ হয়ে গেলে ফের আগের মতো পরের মঙ্গলবার সুপুরি অভিমন্ত্রিত করে নেবেন। এবার আর জপ ধ‍্যানের প্রয়োজন নেই।
ক্রিয়া দিনের বেলায় করা যায়। অসুবিধা থাকলে রাতেও করতে পারেন। শুধু তিথি পেরিয়ে না যায় সেটা খেয়াল রাখবেন। তিনমাসের মধ্যে অনেকটা তফাৎ বুঝতে পারবেন।
প্রেমিক প্রেমিকা এই ক্রিয়া করবেন না। যাঁদের স্বামী সাথে থাকেন না তাঁরা করবেন না। স্বামীর প্রতি কেবলমাত্র সন্দেহর বশে এই কাজ করতে যাবেন না। যাঁদের স্বামী একসাথে থেকেও পরনারী তে আসক্ত তাঁরা করে দেখুন, অবশ্যই সুফল পাবেন।



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520044231

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতে নানান চিন্থ

হাতে নানান চিন্থ

শুভ সন্ধ‍্যা

সকলের হাতেই কমবেশি নানা ধরনের, নানা আকৃতির চিহ্ন থাকে। সাধারণত হাতে যে সকল চিহ্নগুলি থাকে সেগুলি হল চতুষ্কোণ চিহ্ন, তারা চিহ্ন, যব বা দ্বীপ চিহ্ন, ক্রশ চিহ্ন ইত্যাদি। আর এই চিহ্ন গুলিকে দেখে কোনও মানুষের ভাগ্য জানা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে হাতের রেখার যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনি গুরুত্ব আছে এই চিহ্ন গুলিরও। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই চিহ্নগুলি থেকে কী জানা যায়।

চতুষ্কোণ চিহ্নঃ-

চতুষ্কোণ রেখাটি দেখতে আকষণীয় প্রকৃতির। এটির আকৃতি চার কোণ যুক্ত। যে জন্য একে চতুষ্কোণ চিহ্ন বলা হয়। এই চিহ্নটি হাতে থাকলে সমস্ত রকম বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমনঃ-

১। এই চিহ্নটি যদি মঙ্গলের ক্ষেত্রে থাকে, তা হলে জাতক প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী হয়ে থাকে।

২। রবির স্থানে চতুষ্কোণ চিহ্নটি থাকলে যশ প্রাপ্তি ও ধন উপার্জনের পথের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর ফলে জাতক কর্মক্ষেত্রে জয়ী হয়।

৩। এই চিহ্নটি রাহু ক্ষেত্রে থাকলে জাতক কর্তব্যপরায়ণ, ত্যাগী, পরোপকারী ও দানশীল প্রকৃতির হয়। কিন্তু অনেক সময় এরা বন্ধুদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকে।

৪। শনির ক্ষেত্রে এই চিহ্নটির মাঝখানে যদি একটি ছোট্ট লাল বিন্দু বা দাগ থাকে, তবে জাতক আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায়।

৫। এটি বুধের স্থানে থাকলে শিক্ষা, বাণিজ্য, ধর্ম ও অর্থ উন্নতির পথের সমস্ত বাধা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

৬। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে চতুষ্কোণ চিহ্ন থাকা জাতকের পক্ষে শুভ। এটি থাকলে জাতক আশা পুরনের সময় কোনও রকম বাধার সম্মুখীন হয় না।

৭। শিরোরেখার উপর চতুষ্কোন চিহ্ন থাকলে মস্তকে আঘাত পাওয়া হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৮। আয়ুরেখার উপরে যদি চতুষ্কোন চিহ্নটি থাকে, তা হলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৯। তবে হৃদয়রেখার উপরে যদি চতুষ্কোণ চিহ্ন থাকে, তা হলে প্রেমে অসাফল্যই নির্দেশ দেয়।

১০। ভাগ্যরেখায় এই চিহ্ন থাকলে আর্থিক বিপদ বা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520043922

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতে মার্শাল রেখা

হাতে মার্শাল রেখা

শুভ সন্ধ‍্যা
-
হাতে মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখা ও তার ফলাফল
==================================
হাতে আয়ু রেখার অভ্যন্তরে মঙ্গলের ২য় ক্ষেত্রে আয়ু রেখার সমান্তরালে যে রেখা দেখা যায় তাকে মঙ্গল রেখা বা মার্শাল রেখা বলে। এ রেখা জাতকের মধ্যে পরিশ্রম করবার বা কাজ করবার শক্তি বৃদ্ধি করে। কিন্তু পরিশ্রমের তুলনায় ফল কম পেতে হয়।
যদি মঙ্গল রেখা শুরুর দিকে আয়ু রেখার সাথে যুক্ত থাকে তাহলে জাতকের শারিরিক ও মানসিক শক্তি এতটাই প্রবল হয় যে জাতক জীবনের সকল সমস্যায় একাই লড়াই করতে পারে। এই লড়াকু মনোভাব জাতকের মধ্যে আপনা থেকে তৈরি হয়, কোনো অনুশীলন বা সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। বস্তুত এ রেখার উদ্ভব জীবনে সংগ্রাম ও সমস্যার পরিচয় বহন করে। তাই এই রেখা বলবান হওয়া প্রয়োজন।
এ রেখার প্রভাবে জাতক তার পারিবারিক বৃত্তি বা পূর্ব পুরুষের কর্ম থেকে বেরিয়ে অন্য কোনো জীবিকা অবলম্বন করে। যদি এ রেখা আয়ু বা জীবনী রেখার সাথে শুরুতে যুক্ত থাকে তাহলে জাতক অনেক রাগী ও অভিমানী হন। আর এই রেখা যদি আয়ু রেখাকে কেটে চন্দ্রের ক্ষেত্রে যায় তাহলে জাতক উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ও মস্তিষ্ক জনিত প্রদাহে ভোগেন। এ রুপ রেখা জাতকের মধ্যে নেশাগ্রস্থতাও নির্দেশ করে। হাতে উত্তম স্বাস্থ্যরেখা ও উত্তম মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখা একত্রে থাকলে জাতক অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ও পরিশ্রমের কাজ করতে পারে -- যা তার ব্যাবসা বাণিজ্যে সহায়তা করে।
উত্তম মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখা যদি স্ত্রী জাতিকার হাতে থাকে তাহলে জাতিকার সুখী-সুন্দর ও আনন্দময় জীবন নির্দেশ করে। এই মার্শালরেখাকে প্রাণশক্তি রেখাও বলে। এই রেখা হাতে থাকলে জাতক সর্বদা প্রাণবন্ত এবং পরিশ্রম ছাড়া থাকতে পারেন না।
এই রেখা জাতককে দুঃসাহসী করেও তোলে, তবে তার জন্য হাতে উত্তম শিরোরেখা থাকতে হবে এবং আয়ুর ক্ষেত্র সুন্দর ও আঙ্গুল পুষ্ট ও সবল হতে হবে। এই মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখা হাতে থাকলে জাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, রোগ হলেও সল্প ঔষধেই সেরে যায়। প্রয়োজনে আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথি দ্বারা কাজ হয়। হাতে মঙ্গল রেখা যে বয়সে শেষ হয় ঐ বয়স থেকে জাতকের শরীর স্বাস্থ্য্য খারাপ হতে থাকে। ঐ সময়ে যদি আয়ু রেখা বলবান না হয় তাহলে জাতকের দূর্বলতা দূর করতে এন্টিবায়োটিক ঔষধের প্রয়োজন হয়। কারন মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখার সমাপ্তি বিশেষ প্রাণশক্তির সমাপ্তি নির্দেশ করে। প্রায়শঃই দেখা যায় যে উক্ত বয়সের পর থেকে জাতক ধীওে ধীওে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঐ সময়ের পরে জাতকের শরীর কি ভাবে দূর্বল হয়ে পড়বে তা নির্ভও করে হাতের অন্যান্য রেখা ও অন্যান্য গ্রহ ক্ষেত্রের বলবত্তার উপর।
যদি এই রেখার শুরুতেই কোনো শাখা রেখা দেখা যায় তাহলে জাতক অল্প বয়সে প্রেম প্রনয়ে লিপত হয়ে পড়ে। এই মার্শালরেখা বা মঙ্গলরেখা জাতকের সম্পত্তি ভোগে প্রবল বাধা প্রদান করে। শতকরা ৪০% ভাগ ক্ষেত্রে জাতক পিতৃ সম্পত্যি ভোগ করতে পারে না। ৬০% ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যদি সম্পত্তি পায়ও তবুও জাতক তা ভোগ করতে পারে না। কারন মঙ্গলের ক্ষেত্র ভূ সম্পত্যির কারক গ্রহ হলেও যেহেতু এ রেখা মঙ্গলের ২য় ক্ষেত্র থেকে নিন্মগামী হয়েছে তাই সম্পত্তি প্রাপ্তিতে বাধা বিপত্তি দিয়ে থাকে।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520043645

Sunday, May 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভাগ্য ফেরাতে মাটির পাত্র

ভাগ্য ফেরাতে মাটির পাত্র

সুপ্রভাত
# শুক্রবার মাটির পাত্রে এই সামান্য কাজ, ফিরিয়ে দেবে আর্থিক ভাগ্য #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক মন্দার কারণে অশান্তি চলছে। অথবা অর্থ উপার্জন হলেও তা ধরে রাখতে পারছেন না। এমন সমস্যায় পড়েন অনেকেই। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এমন কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে, শুক্রবার যেগুলি পালন করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে, দারিদ্র দূর হয়।
মনে রাখবেন, পর পর চারটি শুক্রবার এই নিয়ম পালন করতে হবে। এর জন্য সবার আগে দরকার মাটির একটি ছোট কলসি।
মাটির ছোট ওই কলসির মধ্যে এক ঘটি মতো জল ঢালুন। তার পরে তার মধ্যে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে দিন।
এবারে এই কলসিটি বাড়ির সদর দরজার সামনে একটি নিরাপদ জায়গায় রাখুন যাতে ভেঙে না যায়।
সন্ধেবেলা সূর্যাস্তের আগে কলসিতে রাখা জল বাড়ি থেকে দূরে কোনও একটি গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন।
খেয়াল রাখবেন, গাছের গোড়ায় জল ঢালার সময়ে যাতে তা কোনওভাবে পায়ে না লাগে।
মাটির ওই কলসিটি কোনও গরিব মানুষকে দান করে দিন। বাড়ি ফিরে পরিষ্কার জলে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন।
পর পর চারটি শুক্রবার এই নিয়ম পালন করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমবে, দারিদ্র দূর হবে।
শ্রীং লক্ষীদেবৈই নমঃ
লাং ইন্দ্রায় নমঃ
ইং কুবেরায় নমঃ
মন্ত্র তিনটি ৩বার করে বলূন।

ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 751/=



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180520042559

Saturday, May 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাঁচি শুভ না অশুভ

শুভ রাত্রি সকল বন্ধুরা
# হাঁচি শুভ, না অশুভ জেনে নিন #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
হাঁচিকে অনেকেই অশুভ মনে করে৷ বিশেষ করে কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে হাঁচলে ভয়ে থাকেন কেউ কেউ৷ কিন্তু জ্যোতিষ থেকে পৌরাণিক, অনেক ক্ষেত্রে এই হাঁচিকেই আবার শুভ মনে করা হয়৷ চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী হাঁচি একটি সাধারণ বিষয়৷ এবং এর সঙ্গে অশুভ কোনও বিষয়ের যোগ নেই৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক ভাবনা-চিন্তা মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে৷ তর্ক-বিতর্ক তো থাকবেই৷ তবে তারই মাঝে চলুন জেনে নেওয়া যাক হাঁচি নিয়ে কিছু কথা…
রান্নাঘরে দুধ উথলে ওঠার সময় গৃহিনী হাঁচলে তা অশুভ মনে করা হয়৷
শুভকাজে যাওয়ার সময় গরু বা বাছুরের হাঁচি নাকি কার্যসিদ্ধি হওয়ার সংকেত দেয়৷ শুধু তাই নয়, ধনবৃদ্ধিও হতে পারে৷রাস্তায় অথবা বাড়ির বাইরে যদি কুকুর একবার হাঁচে তাহলে তা নাকি বিপদের আভাস দেয়৷ কিন্তু সেই কুকুর যদি একাধিকবার হাঁচে তাহলে সেই বিপদ কেটে যেতে পারে৷
মজার বিষয়, কারও কারও মতে, ওষুধ খাওয়ার সময় যদি হাঁচি হয়, আর তার জন্য ওষুধ পড়ে যায় নিচে, তাহলে সেই ব্যক্তি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেতে পারে৷ আপনার রাস্তার মাঝে যদি হাতি উপস্থিত হয়, এবং সেই হাতি যদি হাঁচে তাহলে নাকি রাজ্যলাভ হতে পারে৷
শোনা যায় শ্মশানে হাঁচলে তা শুভ হয়৷
সামনের এবং ডানদিকের হাঁচি লড়াই-ঝগড়ার ইঙ্গিত দেয়, আবার পিছনের এবং বাম দিকের হাঁচি সুখের আভাস দেয়৷
জোরালো হাঁচিও নাকি শুভ৷
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
FEES RS 751/=
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180519184124

Saturday, May 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দশমহাবিদ‍্যার মন্ত্র ও ফল

দশমহাবিদ‍্যার মন্ত্র ও ফল

দশ মহাবিদ্যা
মহাশক্তির মন্ত্র ও ফল
মহাকালী মন্ত্র

ওম এ ক্লীং হ্লীং শ্রীং হ্‌সৌ শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং জূং ক্লীং সং লং শ্রীং রঃ অং আং ইং ঈং উং ঊং ঋং ঋং লং লৃং এং ঐং অোং অৌং অং অঃ ঊং কং খং গং ঘং ডং ঊং চং ছং জং ঝং ত্রং ঊং টং ঠং ডং ঢং ণং উং তং থং দং ধং নং ঊং পং ফং বং ভং মং ঊং য়ং রং লং বং ঊং শং ষং হং ক্ষং স্বাহা।
বিধি
এটি মহাকালীর উগ্র মন্ত্র। বিন্ধ্যাচলের অষ্টভুজা পর্বতে ত্রিকোণে স্থিত কালী খোহে এই সাধনা করলে শীঘ্র ফল পাওয়া যাবে। শ্মশানেও এই সাধনা করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়িতে করা উচিত নয়। জপ সংখ্যা ১১০০, যা ৯০ দিন পর্যন্ত অবশ্যই করা উচিত।

ফল
এর সাধনা করলে সুমঙ্গল, মোহন, মারণ উচ্চাটনাদি তন্ত্রোক ষড্কর্মের সিদ্ধি হয়।

তারা

ঊং হ্লীং আধারশক্তি তারায়ৈ পৃথ্বীয়াং নমঃ পূজয়ীতো অসি নমঃ।
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ ৩২ লক্ষ জপ। জপ শেষে যজ্ঞ করতে হয়।

ফল
সিদ্ধি প্রাপ্তির পর সাধক তর্কশক্তি, শাস্ত্র জ্ঞান, বুদ্ধি কৌশল ইত্যাদি লাভ করেন।

ভুবনেশ্বরী

হ্লীং

ফল
অমাবস্যায় একটি কাঠের ওপর এই মন্ত্র লিখে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখালে প্রসবে কোনও সমস্যা হবে না। গলা পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে জলে সূর্যমণ্ডলে দেখতে দেখতে তিন হাজার বার এই মন্ত্র জপ করলে সেই ব্যক্তি ইচ্ছানুসার কন্যা বরণ করতে পারে। অভিমন্ত্রিত অন্নের সেবন করলে লক্ষ্মীর বৃদ্ধি হয়। কমল ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রাজার বশীকরণ হয়।

ত্রিপুর সুন্দরী

শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং সৌঃ ঊং হ্লীং শ্রীং কএইলহ্লীং হসকহলহ্লীং সংকলহ্লীং সৌঃ এং ক্লীং হ্লীং শ্রীং

বিধি
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ আছে। জপ পশ্চাত্‍‌ ত্রিমধুর (ঘি, মধু, চিনি) মিশ্রিত কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত।

ফল
কমল ফুলের যজ্ঞে ধন-সম্পত্তি প্রাপ্তি, দইয়ের যজ্ঞে উপদ্বর নাশ, লাজার যজ্ঞে রাজ্য প্রাপ্তি, কর্পুর, কুমকুম এবং কস্তুরির যজ্ঞে কামদেবের চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের প্রাপ্তি হয়। আঙুরের যজ্ঞে বাঞ্চিত সিদ্ধি এবং তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে সমস্ত ইচ্ছার পূর্তি হয়। আবার গুগুলের যজ্ঞে সমস্ত দুঃখের নাশ হয়।

ছিন্নমস্তা

ঊং শ্রীং হ্লীং হ্লীং বজ্র বৈরোচনীয়ে হ্লীং হ্লীং ফট্ স্বাহা

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ চার লক্ষ জপ। জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ পলাশ বা বিল্ব ফল দিয়ে করা উচিত। তিল এবং অক্ষতের যজ্ঞে সর্বজন বশীকরণ, সাদা কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে রোগ মুক্তি, মালতী ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে বাচাসিদ্ধি এবং চম্পার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে সুখ-সমৃদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

ধূমাবতী

ঊং ধূং ধূং ধূমাবতী স্বাহা

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ। এই জপের ১০ শতাংশ যজ্ঞ তিল মিশ্রিত ঘি দিয়ে করা উচিত। নিম পাতা এবং কাকের পালকে উক্ত মন্ত্র ১০৮ বার পড়ে দেবতার নাম নিয়ে ধুনো দেখালে শত্রুদের মধ্যে পরস্পর বিবাদ বাধে।

বগলামুখী

ঊং হ্লীং বগলামুখী সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং পদং স্তংভয় জিহ্বাং কীলয় বুদ্ধিং বিনাশায় হ্লীং ঊং স্বাহা

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এর লক্ষ জপ। জপের পর চম্পা ফুল দিয়ে ১০ শতাংশ যজ্ঞ করা উচিত। এই সাধনায় হলুদ বর্ণের গুরুত্ব আছে। সমস্ত ইচ্ছার পূর্তির জন্য একা এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু এবং চিনি যুক্ত তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে বশীকরণ করা যায়।

মাতঙ্গী

ঊং হ্লীং এং শ্রীং নমো ভগবতি উচ্ছিষ্ট চান্ডালি শ্রীমাতঙ্গেশ্বরি সর্বজন বংশকরি স্বাহা

বিধি ও ফল
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ জপ ১০ হাজার। জপের ১০ শতাংশ মধু এবং মহুয়ার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। কাম্য প্রয়োগের আগে এক হাজার বার মূল মন্ত্র জপ করে পুনরায় মধুযুক্ত মহুয়া ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। পলাশ পাতা বা ফুল দিয়ে হোম করলে বশীকরণ, মল্লিকার ফুল দিয়ে যজ্ঞ করলে লাভ, বিল্ব ফুলে রাজ্য প্রাপ্তি এবং নুন দিয়ে যজ্ঞ করলে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়।

কমলা

ঊং নমোঃ কমলবাসিন্যৈ স্বাহা

বিধি ও ফল
দশ লক্ষ জপ করুন। দশ শতাংশ মধু, ঘি এবং শর্করাযুক্ত লাল পদ্ম দিয়ে যজ্ঞ করুন। সমস্ত কামনা পুরো হবে।

মহালক্ষ্মী

ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং কমলে কমলালৈ প্রসীদ প্রসীদ ঊং শ্রীং হ্লীং শ্রীং মহালক্ষ্মৈ নমোঃ

বিধি ও ফল
এক লক্ষ বার জপ করুন। মধু, ঘি এবং শর্কতাযুক্ত বিল্ব ফল দিয়ে দশ শতাংশ যজ্ঞ করলে সাধকের গৃহে লক্ষ্মী বাস করেন। যদি কেউ বেশি ধনের কামনা করে থাকেন, তা হলে সত্য বাচন করুন, লক্ষ্মী মন্ত্র এবং শ্রীসুক্ত পাঠ করুন। পূর্ব দিকে মুখ করে ভোজন তথা কথাবার্তা বলুন। নগ্ন হয়ে জলে স্নান করবেন না। তেল লাগিয়ে ভোজন করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180519131156

Friday, May 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আয়ু জানাবে মনিবন্ধরেখা

আয়ু জানাবে মনিবন্ধরেখা


আয়ু জানাবে মণিবন্ধ রেখা
===================

কব্জিতে যে রেখাগুলি থাকে, সেগুলিই মণিবন্ধ রেখা। হস্তরেখা বিজ্ঞান অনুযায়ী মণিবন্ধ রেখা দেখে ব্যক্তির ভবিষ্যত্‍‌ এবং আয়ু সম্পর্কে জানা যায়। প্রতি ব্যক্তির কব্জিতে মণিবন্ধ রেখার সংখ্যাও পৃথক থাকে।

১. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যে ব্যক্তির কব্জিতে চারটি মণিবন্ধ রেখা থাকে, তাঁদের আয়ু ১০০ বছর। আবার ৩টি মণিবন্ধ রেখা থাকলে ওই ব্যক্তি ৭৫ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকেন। অন্য দিকে, ২টি মণিবন্ধ রেখা থাকলে ৫০ বছর এবং একটি রেখা থাকলে ২৫ বছর পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি বেঁচে থাকতে পারে।

২. মণিবন্ধ রেখা ভাঙা এবং ছিন্ন-ভিন্ন হলে ওই ব্যক্তিকে একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আবার এই রেখা শৃঙ্খলের মতো হলে, ব্যক্তিকে জীবনে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে নির্দোষ এবং স্পষ্ট রেখা থাকলে ব্যক্তি ভাগ্যবান। মণিবন্ধে গমের আকৃতির চিহ্ন থাকলে, তা সৌভাগ্য এনে দেয়।

৩. মণিবন্ধ রেখায় দ্বীপ চিহ্ন থাকলে, তা দুর্ঘটনাকে আমন্ত্রণ জানায়। দু'টি মণিবন্ধ রেখা পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেলে তা অশুভ মনে করা হয়। এটি দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে। দু'টি রেখার পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাওয়া, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শরীরের কোনও বিশেষ অঙ্গের ক্ষতির দিকে ইঙ্গিত দেয়। মণিবন্ধ রেখা যত স্পষ্ট এবং গভীর হবে, ততই ভালো।

৪. হস্তরেখা বিজ্ঞান অনুযায়ী, মণিবন্ধ থেকে কোনও রেখা বেরিয়ে ওপরের দিকে গেলে, ওই ব্যক্তির সমস্ত মনোকামনা পুরো হয়। আবার মণিবন্ধ থেকে কোনও রেখা বেরিয়ে যদি চন্দ্র পর্বতে যায়, তা হলে সেই ব্যক্তি নিজের জীবনে বহুবার বিদেশযাত্রা করেন।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180518114304

Friday, May 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাড়ির ঠাকুর ঘর

শুভ রাত্রি
আপনার বাড়ীর ঠাকুর ঘর
===================
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বাড়ীতে পূজার্চনা করে থাকি। কিন্তু ঠাকুর ঘর সম্পর্কে বাস্তুবিদ কি বলে থাকেন, তা জানি না। আসুন, জেনে নিই, বাড়ীর ঠাকুরঘর কি রকম হওয়া উচিত ----
• বাড়ীর শোবার ঘরকে কখনোই ঠাকুর ঘর করবেন না, বা ঠাকুর রাখবেন না। রাখলেও কিছু নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
• শোবার ঘরে ঠাকুরের ক্যালেন্ডার রাখাও উচিত নয়।
• আপনাদের বাড়ীর টয়লেট ঘরের পাশেও কখনো ঠাকুর ঘর করবেন না। কারন এতে সেই পবিবারের সদস্যদের মানসিক পবিত্রতা ধীরে ধীরে কমে যায়।
• ঠাকুর ঘর সাধারনত বাড়ীর উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) তৈরী করা সবথেকে শুভ। তবে উত্তর-পূর্ব কোণ (ঈশাণ কোণ) ছাড়াও বাড়ীর পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর তৈরী করা যেতে পারে।
• আপনারা কখনোই ঘরের কিংবা বাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে (নৈঋত কোণ) ঠাকুর ঘর করবেন না,এটা ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র মতে চরম অশুভ, এর প্রভাবে সেই বাড়ীতে পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনো কারনে পুলিশি ঝামেলা কিংবা আইনগত ঝামেলা চলে আসতে পারে।
• ঠাকুর ঘরে পুজার জন্য ব্যবহৃত গঙ্গা জল সর্বদাই আপনারা গঙ্গায় জোয়ারের সময়ই নিয়ে আসবেন, কারন হিন্দুধর্ম অনুসারে যেকোনো ধর্মীয় পুজার সময় জোয়ারের সময়ের গঙ্গা জলই সেই পুজাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
• অনেকেই ঠাকুর ঘর বাড়ীর ছাদে তৈরী করেন, কিন্তু এটা ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র মতে খুব অশুভ না হলেও,ছাদে ঠাকুর ঘর করা উচিত নয়,আমাদের হিন্দুধর্ম মতে আমাদের বসবাসের পাশেই ভগবানকে রাখা উচিত, তাই আমরা যেখানে থাকবো বাড়ীর সেই তলাতেই উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) ঠাকুর ঘর করা উচিত।
• আপনারা কখনোই ঠাকুর ঘরে ঝুল বা কালি জমতে দেবেন না, কারণ এটা অশুভ। এর জন্য পরিবারের কেউ কিংবা অন্য কেউ গুপ্ত শত্রুতা করতে পারে, তাই আপনারা যতটা পারবেন ঠাকুর ঘরের ঝুল সর্বদা পরিস্কার করার চেষ্টা করবেন।
• ঠাকুর ঘরে একই দেবতার ছবি কিংবা মূর্তি একাধিক রাখা উচিত নয়, কারন তাতে পুজা করলেও সেই পূজার ফল কিছুই পাওয়া যায় না, তাই যেকোনো দেবতার ছবি একটা রাখাই শুভ।
• আপনার আরাধ্য দেবতার প্রকার ভেদে ঘরের পরিমাপ করা প্রয়োজন।
• ঘরের উচ্চতা ১০.৫ ফুট, গম্বুজার হলে উচ্চতার সঙ্গে আরো ৫.০০ ফুট করা যেতে পারে।
• সাধারন রং- নীলাভ, সিলিং- সাদা, কিন্তু দেবতা ও জাতকের রাশি বা বাস্তুদোষ ভেদে রং-এর পরিবর্তন করতে হবে।
• ছাদে বিম না রাখাই ভালো।
• ঠাকুর ঘরের আলোর ক্ষেত্রে উজ্বলতা বা আলোর দীপন প্রাবাল্য যেন ৪০ওয়াট এর কম না হয়। প্রয়োজনে অধিক আলো দ্বারা শোভাবর্ধন করা যেতে পারে।
• সিংহাসন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলতে গেলে, আমরা যে স্থানে বসে আরাধনা করবো তার থেকে আনুমানিক ০.৫০-১.০০ ফুট উঁচু উচ্চতার সিংহাসন-এ দেবতার মুর্তি বা চিত্র স্থাপনা করা যেতে পারে, এতে সাধারন চোখে মনুষ্য ও দেবতার আসন পার্থক্য করলেও সেই পার্থক্য যে কি বিশাল তার কোন পরিমান করা সম্ভব নয়। অনেকে দেবতার শয়ন, জাগরন, ভোগ প্রভৃতি কিছু বিশেষ ক্রিয়া পালন করেন, সে ক্ষেত্রে সিংহাসন ব্যবহার বাধ্যতামুলক।
ঠাকুর ঘর বিষয়ক আরো অনেক আলোচনার দরকার, সময়াভাবে তা হল না। অন্য সময় পোস্ট করব।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180518103009

Friday, May 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বারো রাশির বৈশিষ্ট্য ও শুভ রাশিরত্ন

বারো রাশির বৈশিষ্ট্য ও শুভ রাশিরত্ন

শুভ রাত্রি
কোন রাশির কোন পাথর
পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষ কখনো না কখনো নিজের জন্ম তারিখ মিলিয়ে তার কোন রাশি সেটা বেড় করার চেষ্টা করেছেন। হাতের কাছে পত্রিকা থেকে শুরু করে যে কোন জায়গায় পাওয়া রাশিফল অথবা রাশি সম্পর্কে তথ্য মানুষকে আকর্ষণ করে। রাশি বিশ্বাস করুক আর না করুন মানুষ অগোচরে হলেও নিজের কোন রাশি সেটা জেনে নেন। আমাদের এই লেখা টুকু আপনাদের সকলের জন্য, যারা জন্ম তারিখ মিলিয়ে নিজের রাশি, ঐ নির্দিষ্ট রাশি বর্ণনা এবং ঐ রাশির জন্য উপকারী রত্ন পাথর সম্পর্কে তথ্য জানতে আগ্রহী। যদিও উপকারী রত্ন পাথর নিয়ে কথা থেকে যায় যে, রত্ন পাথর আসলেই মানুষের উপকার করে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলতে পারি যে, যদি রত্ন পাথর ব্যবহারে সকল মানুষের উপকার হত তাহলে পৃথিবীতে আর কারো কোন সমস্যা থাকতো না। আবার রত্ন পাথরে যদি মানুষ একেবারেই কোন উপকার না পেত আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তাহলে কিন্তু শতশত বছর ধরে লক্ষ কোটি মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খচর করে পাথর ব্যবহার করতো না। আসল কথা হচ্ছে কে উপকার পাবেন সেটা আল্লাহ্‌র ইচ্ছা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে পাথর ব্যবহার করতে গিয়ে যেন নকল পাথর ব্যবহার করা না হয়। তাহলে ফলাফল শুন্য ছাড়া আর কি হবে?

মেষ রাশি (Zodiac Aries)

যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম ইংরেজি March 21- April 20 অথবা বাংলা চৈত্র ৮ থেকে বৈশাখ ৭ তারিখের মধ্যে তাদের মেষ রাশি। মেষ রাশি মঙ্গলগ্রহের জাতক। জয়ের নেশায় প্রাণান্ত লড়াই করা মেষ জাতকের স্বভাব। মেষ জাতক-জাতিকার মধ্যে সাহস, ব্যক্তিত্ব ও তেজস্বী মনোভাবের প্রাবল্য থাকে। মেষ রাশির জন্মকালে মঙ্গল, রবি, বৃহস্পতি ও বুধ অনুকূল থাকলে তা জীবন সংগ্রামে সাফল্য আনতে বিশেষ সহায়তা করে। সব কাজে এরা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এদের জীবনীশক্তি অত্যধিক।
রং : সবুজ,
শুভ সংখ্যা : ১৯
অধিপতি গ্রহঃ মঙ্গল
শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Red Coral Stone রক্ত প্রবাল পাথর

বৃষ রাশি (Zodiac Taurus)

আপনার জন্ম তারিখ যদি ইংরেজি এপ্রিল ২১ থেকে মে ২১ তারিখ অথবা বাংলা সনের বৈশাখ ৮ থেকে জ্যৈষ্ঠ ৭ এর মধ্যে হয় তাহলে আপনার বৃষ রাশি। বৃষ রাশির মধ্যে রয়েছে এক অনমনীয় দৃঢ়তা অথচ তাদের মধ্যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা ও আনন্দ উপভোগের অভিলাষও কম নয়। এরা সাধারণত ধীরস্থির, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সুশৃঙ্খল এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এরা যে কাজে নিযুক্ত হয় সে কাজে সাফল্য লাভের তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে। নতুন বছর বছরের আগাগোড়াই স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো যাবে। অবিবাহিতদের হঠাত্ বিয়ের যোগ, নতুন কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে। বিপরীত লিঙ্গের কেউ সুন্দর বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারে। ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বৈদেশিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা এ বছর সাফল্যের মুখ দেখবে।
শুভ রং নীলা
শুভ সংখাঃ ৪
অধিপতি গ্রহঃ শুক্র
শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Diamon (হীরা), Zircon (জারকন), Turquoise (ফিরোজা), Emerald (পান্না)

মিথুন রাশি (Zodiac Gemini)

আপনার জন্ম তারিখ যদি ইংরেজি মে মাসের ২২ থেকে জুন মাসের ২১ তারিখ অথবা বাংলা জ্যৈষ্ঠ ৮ থেকে আষাঢ় ৭ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি মিথুন রাশির জাতক অথবা জাতিকা। মিথুন রাশি বুধ গ্রহের জাতক। বড় রহস্যপূর্ণ এই রাশি। দ্বৈততা এদের চরিত্রে প্রকট। বৈচিত্র্যপ্রিয় এই রাশির পুরুষ জাতকের যেমন রয়েছে দৃঢ়তা, কর্মশক্তি ও উত্পাদন শক্তি, তেমনি জাতিকার রয়েছে নারীসুলভ মমতা, নম্রতা, ভালোবাসা এবং স্নেহ। এদের বুদ্ধি খুব তীক্ষ হয়ে থাকে। সৃজনশীল কাজ, শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য এবং অভিনয়ে এদের যোগ্যতা থাকে। এদের মধ্যে উদারতা, পর দুঃখকাতরতা এবং দৈবানুভূতি প্রবল হয়। একই সঙ্গে দুটো কাজে লেগে থাকা মিথুনের আরেকটি স্বভাব। নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসীও এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
শুভ রং লাল
শুভ সংখাঃ ৭
অধিপতি গ্রহ বুধ
শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire Stone (পোখরাজ পাথর) ও Emerald Stone (পান্না পাথর)

কর্কট রাশি (Zodiac Cancer)

ইংরেজি জুন ২২ থেকে জুলাই ২২ তারিখ অথবা বাংলা আষাঢ় ৮ থেকে শ্রাবণ ৭ এর মধ্যে যাদের জন্ম তাদের সকলের কর্কট রাশি। কর্কট চন্দ্রগ্রহের জাতক। এটি জল রাশি এবং এর অর্থ কাঁকড়া। এ রাশির জাতক-জাতিকারা ঘরমুখী, সংবেদনশীল, আত্মকেন্দ্রিক ও খেয়ালি স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত কল্পনা ও আবেগপ্রবণ। এরা নিজের মনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আনন্দের নেশা এদের মধ্যে যেমন প্রবল হয়, তেমনি মাঝে মধ্যেই বিষন্নও হয়ে ওঠে। অন্যের জন্য কিছু করলেও প্রতিদানে খুব একটা পায় না তারা। পরোপকারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এদের স্মৃতিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ।
শুভ রঙ সাদা
শুভ সংখ্যাঃ ২
অধিপতি গ্রহঃ চন্দ্র
উপকারী রত্নঃ Red Coral Stone (রক্ত প্রবাল পাথর) ও Pearl Stone (মুক্তা পাথর)

সিংহরাশি (Zodiac Leo)

যে সকল জাতক জাতিকারা জুলাই ২৩ থেকে অগাস্ট ২৩০ অথবা বাংলা তারিখ শ্রাবন ৮ থেকে ভাদ্র ৮ এর মধ্যে জন্ম তাদের সিংহ রাশি। এদের মধ্যে রাজকীয় ভাব বিদ্যমান। এদের আভিজাত্যের প্রতি মোহ থাকে। এরা উদার, দৃঢ়সংকল্প এবং নেতৃত্বশক্তির অধিকারী হয়। ঈষৎ গর্বিত, আগ্রহী এবং অন্যদের আকর্ষণ করানোর ক্ষমতা এদের প্রবল। বিশৃঙ্খলা একেবারেই ভালোবাসে না এরা। সবার জন্য নিজের স্নেহপ্রীতি, ভালোবাসা উজাড় করে দেয়। নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর তীব্র আস্থা থাকে, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়। অনেক সময় প্রতিহিংসাপরায়ণ ও জেদের বশবর্তী হয়ে ট্র্যাজেডির শিকার হয়।
শুভ রং হলুদ।
শুভ সংখ্যা ৮।
অধিপতি গ্রহঃ রবি
শুভ রাশি রত্নঃ Ruby Stone (রত্ন পাথর রুবি)

কন্যা রাশি (Zodiac Virgo)

আপনি যদি ইংরেজি আগস্ট মাসের ২৪ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ অথবা বাংলা সনের ভাদ্র ৯ থেকে আশ্বিন ৮ তারিখের মধ্যে জন্ম গ্রহন করে থাকেন তাহলে আপনি কন্যা রাশির জাতক অথবা জাতিকা। কন্যা রাশি বুধ গ্রহের জাতক। যে কন্যা রাশির জাতিকা কুমারী তাকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। এ জাতিকা সাধারণত সরলতার কারনের আশেপাশের সকলের মাঝে বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে। পবিত্রতা এবং সরলতা ছাড়াও এ রাশির জাতক জাতিকারা উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে এবং যে কোন কাজের শক্তি তারা এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই পেয়ে থাকে। তবে এদের মাঝে আবেগ দিয়ে কাজ করার প্রবনতা বেশী দেখা যায় বলে এর যে কোন কিছুতে হুট করে অভিমান করে ফেলতে পারে। বাস্তবতার থেকে এরা আবেগকে বেশী গুরুত্ত দেয় বলে এরা কারো কোন খারাপ কথা বা সমালোচনা মেনে নিতে পারেনা। ধরুন কেও একজন সকাল সকাল কোন কন্যা রাশির জাতক বা জাতিকাকে একটু সমালোচনা করেছে। ফলে এই বিষয়টি সারাদিন ঐ মানুষটিকে মানুষিক যন্ত্রণা দেবে। এরা সুন্দর জিনিসটি ভালো বোঝে, ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমন করা এদের পছন্দের।
শুভ রঙ বাদামী
শুভ সংখ্যাঃ ৪
অধিপতি গ্রহঃ বুধ
উপকারী রত্ন পাথরঃ Emerald Stone (রাশি রত্ন পাথর পান্না)

তুলারাশি (Zodiac Libra)

তুলা রাশির জাতক জাতিকারা ইংরেজি সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে অক্টোবর ২৩ অথবা বাংলা মাসের আশ্বিন ৯ থেকে কার্তিক ৮ তারিখের মধ্যে জন্ম গ্রহন করেছে তাদের সকলের তুলা রাশি (Libra) এ রাশির জাতক-জাতিকার বিচার-বিশ্লেষণ ও লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা প্রবল। এরা ভারসাম্যপূর্ণ, সুহূদয় ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। জাতকের আনন্দের নেশা ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ প্রবল। ভোগবিলাসে এদের সুরুচির প্রকাশ ঘটে থাকে। ন্যায়সঙ্গত মতপ্রকাশে পশ্চাৎপদ হয় না।
শুভ রং হলুদ
শুভ সংখাঃ ৯
অধিপতি গ্রহঃ বুধ ও শুক্র
উপকারী রত্নঃ পান্না পাথর (Emerald Stone) হীরা (Diamond) ও জারকন (Zircon)

বৃশ্চিক রাশি (Zodiac Scorpio)

বৃশ্চিক রাশির জাতক অথবা জাতিকা হতে হলে অবশ্যই আপনাকে অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখ থেকে নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ অথবা বাংলা কার্তিক মাসের ৯ তারিখ থেকে অগ্রহায়ন ৮ এর মধ্যে জন্ম গ্রহন করতে হবে। রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, শাসকগ্রহ মঙ্গল। এ রাশির জাতক-জাতিকারা কাজপাগল, ইচ্ছাশক্তি প্রবল, প্রয়োজনে বিদ্যুৎগতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যের দোষ ধরতে পারদর্শী, পান থেকে চুন খসলে তিক্ত কথা শুনিয়ে দিতে পশ্চাৎপদ হয় না। এরা স্বাধীনপ্রিয় ও দূরদর্শী, বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে একটু একটু করে লক্ষ্যে পৌঁছায়। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘদিন মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে।
শুভ রং লাল
শুভ সংখাঃ ৩
অধিপতি গ্রহঃ মঙ্গল
উপকারী রত্ন পাথরঃ রক্ত প্রবাল পাথর (Red Coral Stone)

ধনু রাশি (Zodiac Sagittarius)

ইংরেজি মাস নভেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ২১ তারিখ অথবা বাংলা মাস অগ্রহায়ণ ৯ থেকে পৌষ মাসের ৭ তারিখ এর মধ্যে যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম তাদের ধনু রাশি (Sagittarius) ধনু রাশি বৃহস্পতি গ্রহের জাতক। এরা সত্যবাদী, আবেগী, প্রখর আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন এবং অন্যায় সহ্য করে না। অন্যরা সহজেই এদের ভুল বোঝে। এরা খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি বেশি লক্ষ্য করে। অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য শত্রু সৃষ্টি হয়। লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজে ব্রতী হয়। সমাজসেবায় সুনাম লাভ করে থাকে। গুরু, শিক্ষক ও উপদেষ্টার ভাব প্রবল এদের মধ্যে।
শুভ রং নীল
শুভ সংখ্যাঃ ৯
অধিপতি গ্রহঃ বৃহস্পতি
শুভ রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire Stone (পোখরাজ পাথর)

মকর রাশি (Zodiac Capricon

যে সকল জাতক জাতিকাদের জন ইংরেজি ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ থেকে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ অথবা বাংলা সনের পৌষ মাসের ৮ তারিখ থেকে মাঘ মাসের ৭ তারিখের মধ্যে জন্ম তারা মকর রাশি (Capricon)। Dec 21-Jan 20) এরা শনিগ্রহের জাতক। ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণুতার প্রতীক মকর জাতক-জাতিকা। এদের অন্তর্দৃষ্টি তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা যোগ্য দেখাতে পারে। কর্তব্য, প্রেম ও সামাজিকতার ব্যাপারে সাধারণ থেকে একটু স্বতন্ত্র হয়। দায়িত্বজ্ঞান, সময়জ্ঞান ও নিয়মনিষ্ঠা প্রবল হয়ে থাকে।
শুভ রং সাদা
শুভ সংখ্যা ১২
অধিপতি গ্রহঃ শনি
শুভ রত্ন পাথরঃ Blue Sapphire Stone (রত্ন পাথর ইন্দ্র নীলা)

কুম্ভ রাশি (Zodiac Aquarius)

যে মানুষ গুলো ইংরেজি জানুয়ারি ২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮ অথবা বাংলা মাঘ ৮ থেকে ফাল্গুন ৬ তারিখে মধ্যে জন্ম গ্রহন করেন তাদের কুম্ভ রাশির (Aquarius) জাতক অথবা জাতিকা। এরা নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে থাকে। এদের আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়। এরা নিষ্ঠাবান, মানবপ্রেমী, সংবেদনশীল, আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয়। জনপ্রিয় হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কম হয়ে থাকে। ভোগ ও ত্যাগ দুই ব্যাপারেই বিশেষভাবে পারদর্শী। অত্যন্ত আরামপ্রিয় ও কিছুটা অবাস্তববাদিতার জন্য সাফল্যে বাধা আসে। ভাবপ্রবণতাকে প্রশ্রয় দিলে এদের জীবন নিরাশপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
শুভ রঙ সবুজ
শুভ সংখ্যাঃ ৮
অধিপতি গ্রহঃ শনি
উপকারী রত্নঃ Blue Sapphire Stone (ইন্দ্র নীলা পাথর) ও Garnet Stone (গোমেদ পাথর)।

মীনরাশি (Zodiac Pisces)

ইংরেজি মাস ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চ ২০ তারিখ অথবা বাংলা মাস ফাল্গুন ৭ থেকে চৈত্র ৭ তারিখের মধ্যে যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম তাদের মীন রাশি। রাশি বলয়ের সর্বশেষ রাশি মীন, গ্রহ বৃহস্পতি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা তীব্র কৌতূহলী এবং জীবনকে দেখে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে। সহানুভূতি ও ক্ষমা এদের বিশেষ গুণ। প্রেম ও ধর্মের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে। মানুষের মন ও চিন্তাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে।
শুভ রং :হলুদ
শুভ সংখ্যাঃ ৪
অধিপতি গ্রহঃ বৃহস্পতি
উপকারী রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire (পোখরাজ পাথর)


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180518102232

Thursday, May 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতের তালুতে বিবাহ রেখা

হাতের তালুতে বিবাহ রেখা


মুঠো খুললেই হাতের তালু জুড়ে একাধিক রেখা। কোনওটা ভাগ্য নির্ধারক। কোনওটা বিদ্যাস্থানের শুভাশুভ নির্ণয় করে, তো কোনওটা আয়ুরেখা। এভাবেই জীবনের নানা 'দিক'-এর রহস্য লুকিয়ে তালু-বন্দী রেখাতে। চাইলে বৈবাহিক জীবন কেমন হবে সেটাও জানা যায় বিবাহ রেখা থেকে --

* কনিষ্ঠাঙ্গুলির নীচে বুধের ক্ষেত্রে হৃদয়রেখার সমান্তরাল রেখাকে বা রেখাগুলিকে যোগাযোগ রেখা (বিবাহরেখা) বলে।

* এই যোগাযোগ রেখা (বিবাহরেখা) হৃদয়রেখার যত কাছাকাছি থাকে তত কম বয়সে বিবাহ নির্দেশ করে।

* যাঁর হাতে বুধ-ক্ষেত্রের আশ-পাশে বিবাহ রেখার সঙ্গে আরও একাধিক রেখা থাকে, তিনি স্ত্রী ছাড়াও অন্য নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকেন।

* শুক্র-ক্ষেত্রের ওপর একের বেশি আঁকা-বাঁকা রেখা থাকলে সেই মানুষের জীবনে বিশেষ কোনও নারী বা পুরুষের প্রভাব রয়েছে।

* অনেকের বিবাহ রেখা শুরুতে একটি থাকলেও পরে তা অনেক রেখায় ভাগ হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে জানবেন, সেই ব্যক্তি এক সঙ্গে একাধিক সম্পর্ক যাপন করবেন।

* কোনও ব্যক্তির বিবাহ রেখায় বা বিবাহ রেখার ক্ষেত্রে অন্য রেখা যুক্ত হলে প্রেমিকার জন্য তাঁর গার্হস্থ্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

* প্রণয় রেখা হাল্কা থেকে গাঢ় হওয়ার মানে, শুরুতে কোনও নারী বা পুরুষের ওপর অল্প আকর্ষণ জন্মালেও পরে তা গভীর হয়েছে।

* কড়ে আঙুলের মাঝখানে এবং বিবাহ রেখায় অনেক ছোটো আর স্পষ্ট রেখা থাকলে সেই স্ত্রী বা পুরুষের জীবনে বিয়ের আগে অথবা পরে একাধিক প্রেম আসবে।

* বিবাহ রেখা স্পষ্ট আর লাল আভা যুক্ত হলে বিবাহিত জীবন দারুণ সুখের হবে।

* বৃহস্পতি ক্ষেত্রের ওপর কাটা বা 'ক্রশ' চিহ্ন শুভ বিবাহের ইঙ্গিত দেয়। এবং এই চিহ্ন আয়ুরেখার কাছাকাছি থাকলে অল্প বয়সে বিয়ের যোগ রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

* শুক্রের ক্ষেত্রে যবচিহ্ন থাকলে বিবাহে বা দাম্পত্য জীবনে অযাচিত গোলযোগ উপস্থিত হয়।

* শুক্রস্থানে জালচিহ্ন থাকলে জাতক/জাতিকা কামুক প্রকৃতির হয়।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180517075508

Thursday, May 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

হাতের তালুতে X চিন্থ

হাতের তালুতে X চিন্থ

হাতের রেখায় নির্ধারিত হয় ভাগ্য। এমনটা বিশ্বাস করেন অনেকেই। তবে জানেন কি? কিছু মানুষের হাতের রেখার মধ্যে লুকিয়ে থাকে X. জেনে নিন কি এই X-এর রহস্য!

প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর ভিত্তি আমরা জানি প্যারামি লাইন এবং চিহ্নগুলি ক্যারিয়ার, জীবন, বিয়ের, অর্থ এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতি ইঙ্গিত করে। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিত্ব এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলির সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত ৷ এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ভারত থেকে চীন, তিব্বত, মিশর, পারসিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে জ্যোতিষ বিজ্ঞান বিস্তৃতি লাভ করেছ ৷

মিশরীয় পণ্ডিত আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট বলেছিলেন, তাঁর হাতে এই অন্যান্য চিহ্নটি ছিল। পরে জানা যায় যে, সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে এই X চিহ্নটি ৷ জ্যোতিষ বিজ্ঞানীদের মতে, এই চিহ্নটি হাতের তালুতে থাকার কারণ হিসেবে বোঝায় যে, এটি অত্যন্ত সফল এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের পরিচয় ৷ শুধু তাই নয় , যাদের হাতে এই চিহ্নটি রয়েছে তাদের মৃত্যুর পরও সকলের মনের মধ্যে দিয়ে তারা বেঁচে থাকেন ৷

-
তার সঙ্গে এটাও বলা বাহুল্য যে, এই এক্স লেটারটির অর্থ হল এটি মহান নেতা হওয়ার প্রতীক ৷ সফল এই চিহ্নটি খুবই কম সংখ্যক ব্যক্তিদের হাতের তালুতে লক্ষ্য করা যায় ৷ তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্য ,গ্রেট গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডার গ্রেট ,প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এবং রাশিয়ান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ সুতরাং আর চিন কেন ? নিজের হাতের তালুটিতে যদি লেটার এক্স খুঁজে বের করুন। তাহলেই আপনি বুঝে নিন যে ভাগ্য আপনার দরজাতে এসে কড়া নাড়ছে ৷
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180517074829

Thursday, May 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাড়ীতে প্রদীপের অবস্থান

বাড়ীতে  প্রদীপের অবস্থান

বাড়িতে কোনদিকে প্রদীপ রাখলে বাড়তে পারে সম্পত্তির পরিমাণ?★★★
-------------------------
"দীপং দক্ষিনতো দদ‍্যাৎ পুরতো বা ন বামতঃ ।
বামতসস্তু তথা ধূপমগ্ৰে বা ন তু দক্ষিণে ।
ন ভূমৌ বিতরেদ্ধুপং নাসনে ন ঘটে তথা ।"

সন্ধেবেলায় অন্ধকার ঘনিয়ে আসলে বাড়িতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর রীতি আজও রয়েছে৷ প্রচলিত রয়েছে সন্ধেবেলায় এই প্রদীপ জ্বালানো পরিবারের জন্য মঙ্গলময়৷ প্রদীপের আলো জ্ঞানের উৎস৷ মাটির প্রদীপের আলোর শিখায় চারিদিকে ছড়িয়ে পরে একটি ইতিবাচক দিক৷ কথিত আছে, প্রদীপের আলো অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর সঞ্চার করে৷ বাড়ির উপর থেকে সমস্ত অমঙ্গলের কালোছায়া দূর হয়ে যায় এই প্রদীপের শিখায়৷
ভারতের সমস্ত পূজা পার্বনে এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে এই প্রদীপের আলো দিয়েই শুরু হয় পূজোর৷ এই প্রদীপের আলোই শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় পরিবারের৷ এর পাশাপাশি জ্ঞানের সঞ্চার করে তা পরিবারের প্রত্যেকের মধ্যে৷ কথিত আছে, প্রদীপের এই আলোই সমস্ত অন্ধকার ঘুচিয়ে বাড়িতে দেবতার আগমণ ঘটায়৷ যা পরিবারের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং পরিবারের আর্থিক উপার্জনের রাস্তা আরও প্রশস্থ করে৷
হিন্দু মন্দিরে আরতির প্রচলন রয়েছে৷ পঞ্চপ্রদীপের আলোর ছটায় মন্দির চত্বরে ছড়িয়ে পরে আলো৷ সেই আলোয় চারিদিক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল৷ নির্দিষ্ট একটা ছন্দে পুরোহিতেরা ঠাকুরের সামনে এই আরতি করে৷ আর পঞ্চপ্রদীপের এই আলো পরিবেশ পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে৷ আর এই আলোর শিখা জীবনের প্রতিচ্ছবি পরিবর্তনেও সাহায্য করে৷ আর এই প্রদীপের আলোই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও সাহায্য করে৷
তবে প্রদীপের আলোই শুধু নয়৷ প্রদীপের আলোর শিখার পলতাও হয় বিভিন্ন রকমের হয়৷ কলার তৈরি পলতার প্রদীপ না জেনে হয়ে যাওয়া ভুলগুলি ক্ষমা করে দিতে সক্ষম বলে প্রচলিত রয়েছে৷ কটনের তৈরি পলতা ব্যবহার করলে তা মানুষের সৌভাগ্যের কথা জানায়৷ এই রকমই রয়েছে একাধিক পলতা৷ যা মানুষকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে৷ এই ধরনের রয়েছে আরও একাধিক পলতা৷ নারকেলের তৈরি৷ খাঁটি ঘিয়ের তৈরি পলতা, নিমতেল থেকে সৃষ্ট একাধিক পলতা বাড়ির শ্রীবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে৷
তবে এই ব্যাপারেও রয়েছে কিছু অজানা তথ্য৷ প্রদীপে তেল ব্যবহার করার পর সেই অতিরিক্ত তেল কখনও নিজের চুলে ব্যবহার করা উচিত নয়৷ এতে সম্পত্তির বিনাশ ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ কখনও মাথায় তোয়ালে রেখে প্রদীপ জ্বালানো উচিত নয়৷
দিকের উপরও নির্ভর করে আপনার ভাগ্য৷ উত্তর দিকে প্রদীপের শিখা রাখলে তা সম্পত্তির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে৷ পূর্বদিকে প্রদীপ জ্বালালে তা মানসিক শান্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ পশ্চিম দিকে প্রদীপের শিখা যেকোনওরকম দেনা থেকে আপনাকে মুক্ত করতে সক্ষম৷
ঘৃতপ্রদীপ দক্ষিনে ও তৈলপ্রদীপ বামে নিবেদন করিতে হয় ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180517073948

Thursday, May 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জৈষ্ঠ মাসে শনির উপাচার

জৈষ্ঠ মাসে শনির উপাচার


আগামী রবিবার,ইং ২০/০৫/২০১৮ তারিক কলকাতার নতুন চেম্বারে বসব।মাত্র ৫জনকে দেখব।অগ্ৰিম বুকিং করুন

হিন্দু পুরাণ অনুসারে গ্রহরাজ শনি জন্মেছিলেন জৈষ্ঠ নক্ষত্রের অমাস্যায়। সেই হিসেবে দেখলে, আগামী ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশেই যথোচিত মর্যাদায় পালিত হবে এই দিনটি। এই দিন শনিদেবের বিশেষ পূজা সম্পন্ন হয়। এই দিন তাঁর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করেন ভক্তরা, যাতে শনির কুপিত দৃষ্টি তাঁদের উপরে না পড়ে।
এই বছরের শনি জয়ন্তীতে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ভারতীয় জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা। তাই এই দিন বিশেষ পূজা করলে শনিদেবের তুষ্টি অবশ্যম্ভাবী। জেনে নিন এইদিনের বিশেষ উপচার ও বিধি।
১) এই দিন অশ্বত্থ বৃক্ষের তলায় দীপ জ্বালান। এতে শনিদেব তুষ্ট হন। দয়া করে মোমবাতি জ্বালবেন না। মাটির প্রদীপই বিধেয়।
২) এই দিন চেষ্টা করুন সূর্যোদয়ের আগে শয্যাত্যাগ করতে।
৩) এই দিন মাংস ভক্ষণ বা মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
৪) শনিদেবের সঙ্গে সঙ্গে শ্রী হনুমানের পূজাও করবেন।
৫)এই দিন দান করুন কালো তিল, লোহা, কালো কাপড়।
৬)নীল বস্ত্র পরে ,ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ ১০৮ বার ,সন্ধ‍্যায় সময় করবেন।
৭)মহাসংকটমোচন বীজ মন্ত্র ,হূং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হূঁ ফট্ স্বাহা। ১৮বার স্নান করে করবেন।

উক্ত উপাচারগুলি জৈষ্ঠ মাসের প্রতি শনিবার করতে পারেন।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180517072312

Wednesday, May 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহ ও যোটক বিচার

বিবাহ ও যোটক বিচার

বিবাহ ও যোটক বিচার

ওঁ যদেতদ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম।
যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।।

জ্যোতিষশাস্ত্রালোচনায় দেখা যায় যে খ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দী পর্যন্ত বিবাহে নাড়ীনক্ষত্র কূট বিচার বা অষ্টকূট যোটক বিচার ছিলনা। (এই বিষয়ে শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় শ্রী হরিচরণ স্মৃতিতীর্থ বিদ্যারত্ন মহাশয় তাঁর বিবাহ-মিলন- বিষয়ক “ সুখের সন্ধান” পুস্তকে কিছু আলোচনা করেছেন)।খ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে বিবাহ মিলন বা যোটক বিচার পদ্ধতিটা জনমানসে অবশ্য কর্তব্য হিসাবে প্রবেশ লাভ করে।

১০০২ খ্রীষ্টাব্দে মালবের ধারা নগরীতে ভোজরাজের সভায় স্মার্ত পণ্ডিতগণ প্রথমে অষ্টকূট বিচারের গণনা ‘রাজমার্তণ্ড’ নামক জ্যোতিষসংহিতায় যুক্ত করেন।তারপর আচার্যগণ ক্রমশঃ নক্ষত্রঘটিত যাবতীয় ফল বিবাহ-মিলনের বিচারে আরোপ করেন।শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর ‘শুদ্ধিদীপিকা’, রামদৈবজ্ঞের ' দৈবজ্ঞ- মনোহর 'ও ‘মুহূর্তচিন্তামণি’ প্রভৃতি পুস্তকে এবং খ্রীষ্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে বঙ্গদেশের রঘুনন্দনের ‘জ্যোতিষতত্বে’ এই অষ্টকূট-বিচার স্থান পায়।এইভাবে ক্রমশঃ যোটক বিচার প্রসারলাভ করে পঞ্জিকার জ্যোতিষ বচনার্থে স্থান পেয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমান যুগে প্রায় সারা ভারতবর্ষেই বিবাহের আগে পাত্র ও পাত্রীর রক্তের পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয় । কারণ মারণ ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধ করবার জন্য । তার পাশাপাশি কিছু কিছু পরিবারে শাস্ত্র মতে পাত্র ও পাত্রীর যোটক বিচার করিয়ে বিবাহ দেএয়া হয়।

কি এই যোটক বিচার ?
কেন এই বিচারের প্রয়োজন ?
এর ফলে কি লাভ হয় ?

তাহলে আগে কয়েকটি ঘটনা বলি। আমরা এরকম ঘটনা আমাদের আশেপাশে প্রায়ই দেখে থাকি। যেমন ধরুন কয়েক বছর আগে জৈনক রাম বাবুর মেয়ের বিয়ে হলো শ্যামবাবুর ছেলের সাথে। শ্যামবাবুর ছেলে সরকারী কর্মচারী ও পারিবারিক দিক থেকে স্বচ্ছল। অসুবিধা হবার কথা নয় তবুও বিয়ের বছর দু-তিন পর দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটল। কারণ তুচ্ছ ঝামেলা। আবার দেখা যায় বিবাহের দিন কয়েকের মধ্যে স্বামীর/স্ত্রীর প্রান সংকট উপস্থিত হলো। এছাড়াও দ্বিতীয় বিবাহ বা বহু বার বিবাহ। অথবা বিবাহের পর অর্থের চরম সংকট ইত্যাদি আর একরকম ঘটনা ঘটলেই সমাজ সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে সেই অভাগা নারী কে যে একদিন কারো সহধর্মিনী হবার স্বপ্ন দেখে সুখী সংসার করবে আশা করেছিল । তাকে নানা অপবাদে সম্মৃদ্ধ করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এটাকে কি কপালের দোষ বলা যায়!? সম্পূর্ণভাবে ভুল। কারণ আমরা শাস্ত্র মতে বিবাহ কার্য্য করি কিন্তু অতি অশাস্ত্রীয় ভাবে বিবাহের পূর্ববর্তী কর্মটা বাদ দিয়ে দিই । এই শাস্ত্রীয় মতে বিবাহ পূর্ববর্তী কর্মই হল " যোটক বিচার"। একটা কথা ভুলে গেলে হবে না যে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দিয়ে সুখ নিরূপণ হয় না । সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য যোটক বিচারের দ্বারাই নির্ণয় করতে হয়।

দাম্পত্য সুখের ভিত্তি হ’ল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি ভালবাসা-বোঝাপড়া। উভয়ের মনোবৃত্তির মিল হলে দাম্পত্য জীবনে সুখের অভাব ঘটার কথা নয়। সেই কারণেই বিখ্যাত অগলাস্তোত্রের প্রার্থনা –
‘ ভার্য্যাং মনোরমাং দেহি মনোবৃত্ত্যানুসারিণীম্।‘ নারীদের মনেও নিশ্চয়ই অনুরূপ প্রার্থনা জাগে।
কিন্তু বাস্তবে সকলের জীবনে এই প্রার্থনা পূরণ হয় না। বিবাহের, এমন কি প্রেমজ বিবাহের অনতিকাল পরেই ব্যক্তিত্বের সংঘাত বাধে। পতি ও পত্নীর মধ্যে মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয় ও তা অনেক সময় উভয়ের মধ্যে দুস্তর ব্যবধানে পরিণত হয়, সুখের পরিবর্তে আসে অশান্তি, কোন কোন সময় বিচ্ছেদ।

বিবাহিত জীবনের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন উত্তম পাত্র পাত্রীর মিলন। পাত্র পাত্রীর উত্তমমিলন বিচার করতে জ্যোতিষ শাস্ত্রে যোটক বিচার এক গুরুত্বপূর্ণ পথ।

যোটক বিচার বলতে ঠিক কি বুঝায় ?

বিবাহের পূর্বে বর ও কন্যার পরস্পরের জন্মরাশি, জন্মনক্ষত্র ও রাশ্যাধিপ গ্রহদি থেকে, যে শুভাশুভ ফল বিচার করা যায়, তাকেই যোটক বিচার বলে। যোটক বিচার অষ্টপ্রকারে বিভক্ত।

যোটক বিচার আট প্রকার কুট বা গুণের সমন্বয়- যথা বর্ণকুট, বশ্যকুট, তারাকুট, যোনিকুট, গ্রহমৈত্রীকুট, গণমৈত্রিকুট, রাশি কুট ও নাড়ীকুট|
প্রতিটি কূটের একটি নির্দিষ্ট গুনমানের সংখ্যা থাকে যেমন বর্ণকুট1, বশ্যকুট2, তারাকুট3, যোনিকুট4, গ্রহমৈত্রীকুট5, গণমৈত্রিকুট6, রাশি কুট7 ও নাড়ীকুট8| এভাবে সবকটি কুটের সংখ্যা যোগ করলে গিয়ে দাড়ায় 36|

এই ৩৬ গুণের মধ্যে মিলনে কত গুণ পাওয়া যাচ্ছে সেটাই মূল কথা। এই বিষয়ে একটি কথা মনে রাখতে হবে ৩৬ গুণের মধ্যে ১৮ গুণের কম হলে তা যোটক মিলনে শুভ ফলপ্রদ হবে না। ১৮ গুণের বেশি হলে বিবাহিত জীবনে সুখ ও শান্তি লাভ সম্ভব। 34 থেকে 36 টি গুণের মিলন হলে তাকে রাজযোটক বলে।

পূর্বে বর্ণিত অষ্টকুট নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু তথ্য দেওয়া বল :-

1. বর্ণকুট -

বর্ণ কাকে বলে বা বর্ণ কি ?
জ্যোতিষশাস্ত্রে মেষ, বৃষ, মিথুন, ইত্যাদি যে বারোটি রাশি ব্যাবহার করা হয় তাদের বিপ্র, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র বর্ণে বিভক্ত করা হয়েছে।যথা যে ব্যক্তিগনের জন্ম কর্কট, মীন, বা বৃশ্চিক রাশিতে তাঁদের বর্ণ বিপ্র। এইভাবে যাঁদের জন্ম সিংহ, তুলা বা ধনু রাশিতে তাঁদের বর্ণ ক্ষত্রিয়। যোটক বিচারের নিয়মে শুদ্র বর্ণের থেকে বৈশ্য বর্ণ শ্রেষ্ঠ, বৈশ্য বর্ণের থেকে ক্ষত্রিয় বর্ণ শ্রেষ্ঠ, আবার ক্ষত্রিয় বর্ণের থেকে বিপ্র বর্ণ শ্রেষ্ঠ।
বর্ণ ফলমে বলা হয়েছে যে-
"ক্ষাত্র-বিট্-শুদ্র-বিপ্রাঃ স্যুঃ ক্রমান্মেষাদি-রাশয়ঃ।
তত্র বর্ণাধিকা কন্যা নৈবোদ্বাহ্যা কদাচন" ।।
অর্থাৎ “বরের বর্ণাপেক্ষা কন্যার বর্ণ শ্রেষ্ঠ হলে, সেই কন্যাকে কদাচ বিবাহ করিবেনা”।
করলে কি হবে ?
" বর্ণশ্রেষ্ঠা তু যা নারী বর্ণহীনস্তু যাঃ পুমান।
বিবাহং যদি কুরব্বীত তস্য ভর্তা বিনশ্যতি "।।

উচ্চ বর্নের পাত্রীর সাথে নিম্ন বর্ণের পাত্রের বিবাহ অশুভ। এতে দাম্পত্য অসন্তোষ, অকাল বৈধব্য, শারীরিক অসুস্থতা, সন্তানের কারনে মনকষ্ট ভোগ করতে হয়।

2. বশ্যকূট্ -

“ মিথুন, কন্যা, তুলা, কুম্ভ, ও ধনুর পূর্বাদ্ধ, যদি বরের রাশি হয় এবং মেষ, বৃষ, কর্কট, ইত্যাদি যদি কন্যার রাশি হয় সেই কন্যা বরের বশীভূত হয়”।

এই ভাবে কয়েকটি জন্ম চান্দ্র রাশিকে অন্য কয়েকটি জন্ম চান্দ্র রাশির বশ্য ধরা হয়েছে এবং বিপরীতে বিপরীত ফল বলা হয়েছে।

"এবং বশ্যসমাযোগে দম্পত্যোঃ প্রীতিরূত্তমা।
বশ্যাভাবেহপি দম্পত্যো্রবিবাহঃ কলহ-প্রদঃ।।"

পাত্র ও পাত্রীর রাশি দ্বিপদ চতুস্পদ প্রভৃতি শক্র মিত্রের প্রভাবে দাম্পত্য জীবনে কলহ, বিবাদ, মামলা, মকদ্দমা এমনকি দাম্পত্য বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিবাহ ঘটায় বশ্যকুট বিচারের অশুভ প্রভাবের ফলে।

3. তারাকুট- পাত্র পাত্রীর জন্মনক্ষত্রের গরমিলের প্রভাবে বিবাহিত জীবনের সুখ, দুঃখ নির্ধারিত হয়ে থাকে। তারা কুটের শুভ প্রভাবে বিবাহের পর গৃহে ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা বর্ষণ হয়, আর অশুভ প্রভাবে দাম্পত্য অসন্তোষ সহ দুঃখ, কষ্ট, শোক, জরা, ব্যাধি, দৈন্য ও দারিদ্র দশার কারণ হবেন।(বিপদ, প্রত্যরি, বধ তারা অশুভ। )

4. যোনিকুট - প্রত্যেক জাতক বা জাতিকাই নক্ষত্র অনুযায়ী কোনও না কোনও ‘যোনি’-তে অবস্থান করেন। সঠিক ‘যোনি বিচার’-ই সম্ভব করতে পারে সঠিক দাম্পত্য।

যোনি’গুলি যথাক্রমে— অশ্ব, গজ, মেষ, সর্প, শ্যেন, মার্জার, মূষিক, গো, মহিষ, ব্যাঘ্র, মৃগ, বানর, নকুল এবং সিংহ। এই পশুগুলির স্বভাব ও একে অন্যের প্রতি মনোভাবের নিরিখেই নির্ধারিত হয় ‘যোনি’-চরিত্র।

যোনি মিলন’ বিচারের আবার কিছু পন্থা রয়েছে। এগুলি নীচে আলোচিত হল।

১. স্বভাব যোনি— পাত্র ও পাত্রী, উভয়ের ‘যোনি’ যদি স্ব-ভাবাপন্ন হয়, অর্থাৎ পাত্র ও পাত্রী দুজনেই যদি অশ্ব বা মেষ বা সিংহ হয়ে থাকেন, তাহলে বিবাহ সফল হবেই।

২. মিত্র যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ‘যোনি’ যদি মিত্রভাবাপন্ন হয়ে থাকে, তাহলে দাম্পত্য জীবনও হবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
.
৩ উদাসীন যোনি— যদি এমন হয়, পাত্র ও পাত্রী, উভয়ের ‘যোনি’ পরস্পরের প্রতি উদাসীন, তা হলে বিবাহ হয়তো টিকে থাকবে, কিন্তু প্রকৃত দাম্পত্যসুখ ঘটবে না।

৪. শত্রু যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রির ‘যোনি’ পরস্পরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়, তা হলে সেই
বিবাহ না-হওয়াই বাঞ্ছনীয়। অর্থাৎ ব্যাঘ্রের সঙ্গে মেষের, সিংহের সঙ্গে মৃগের বিবাহ না-হওয়াই কাঙ্ক্ষিত।

৫. মহাশত্রু যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রির ‘যোনি’ চরম শত্রুভাবাপন্ন হয়, তা হলে সেই বিবাহ নৈব নৈব চ। যেমন সর্প ও নকুল।

পাত্র পাত্রীর জন্ম নত্র অনুযায়ী ব্যাঘ্র, সিংহ, গরু, মহিষ, বিড়াল, ইদুর, সর্প প্রভৃতি যোনি নির্ধারন করা হয়। এখানে বাঘ-গরু, বিড়াল- ইদুর বিপরীত যোনি এদের মধ্যকার বিবাহ মিলনে অকালে স্ত্রী বিয়োগ বা অকাল বৈধব্যের প্রবনতা দেখা দেয়। এছাড়া স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা ও স্ত্রী কর্তৃক স্বামী হত্যা পর্যন্ত ঘটতে পারে বিরূপ যোনিকুটের ফলে।

5. গ্রহমৈত্রীকুট- পাত্র পাত্রীর রাশি অধিপতি গ্রহের শক্র মিত্রতার উপর নির্ভরশীল। মিত্রতার প্রভাবে বিবাহিত জীবন সুখ, সমৃদ্ধি, অর্থ, সম্মানে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে আর অশুভ প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম ছাড়াও স্বামী স্ত্রীর দুর্ঘটনা জনিত অঙ্গপ্রতঙ্গ হানী সহ শেষ জীবন কোন প্রকারেই শুভকর হয় না।

6. গনকুট- জ্যোতিষ গণনায় যে সাতাশটি নক্ষত্রকে ধরা হয়েছে, তাদেরই ঐ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বর ও কন্যার জন্মনক্ষত্র থেকে গণ কূট বিচার করতে হয়।

স্বাতী, হস্তা, অনুরাধা, অশ্বিনী, ইত্যাদি নয়টি সত্ত্ব গুন বিশিষ্ট নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে দেবগন ও সত্ত্ব গুণী হয়।

পূর্বফল্গুনী, পূর্বাষাড়া, পূর্বভাদ্রপদ, ইত্যাদি নয়টি নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে নর গন হয়।

জ্যেষ্ঠা, মূলা, মঘা, ইত্যাদি নয়টি নক্ষত্রে বা জন্মকালীন চন্দ্রাশ্রিত নক্ষত্রে জন্মিলে রাক্ষস গণ হয়।এতো হল গণের পরিচয়।
এবারে বিচারটা কিভাবে হবে ?

“ স্বজাতৌ পরমা প্রীতিরমধ্যা দেব-মানুষে।
দেবাসুরে বৈরতা চ ম্রিত্যুরমানুষ-রাক্ষসে।।

রাক্ষসী চ যদা কন্যা মানুশ্চ বরো ভবেত।
তদা ম্রিত্যুরন দূরস্থো নির্ধনত্বমথাপি যা ” ।।

স্বাতী, হস্তা, অনুরাধা, অশ্বিনী, ইত্যাদি নক্ষত্রে জন্মালেই তার মধ্যে সত্ত্বগুণ থাকবে এবং সে দেবতুল্য মানুষ হবে।

একই ভাবে জ্যেষ্ঠা, মূলা, মঘা, ইত্যাদি নক্ষত্রে জন্মালে, সেই কন্যা যতই সুশীলা হোকনা কেন, বিনা দোষে তার রাক্ষস গণ হবে এবং তার মধ্যে তমগুণ থাকায় দেবগণের পাত্রের সঙ্গে তার কোন মতেই বিবাহ করা চলবে না।

বিয়ে হলে কি হবে ? ভাল হবেনা। কলহাদি অশান্তি হবে। আর নর- রাক্ষসের বিবাহে কি হবে ?
“ অসুর- মনুজয়োশ্চেন্মৃত্যুমেব প্রদিষটা "।।

নরগণের পাত্রের সঙ্গে রাক্ষস গণের কন্যার বিবাহ হলে পাত্রের মৃত্যু হবে। অর্থাৎ রাক্ষসী কন্যা নর পাত্রকে খেয়ে ফেলবে। বিপরীত ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা আসেনা।গনকুট এর শুভ মিলনের গুরুত্ব অপরিসীম।

গণ বিচারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তও পাওয়া গেছে। ধরা যাক, একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ের আগে যোটক বিচার করানো হলো। তাতে অষ্টকূট বিচারে ৩৬ টি গুনের মধ্যে ২৮ টি গুন মিলে গেলো। দুজনের কেউই মাঙ্গলিক নন তবুও বাড়ির কূল পুরোহিত বিবাহে সম্মতি দিলো না। তার কারণ ছেলেটি রাক্ষস গণ ও মেয়েটি নরগণ। মেয়ের মা বাবার বক্তব্য রাক্ষস খেয়ে ফেলে মানুষকে। সচেতন হোন- কারন এটা সম্পূর্ণ অশাস্ত্রীয় ,
মহর্ষি গর্গ বলেছেন -
" রক্ষোগণো যদা পুংসাং কুমারী নৃগণো ভবেৎ। সদ্ভকূটম খগ-প্রীতির্যোনিশুদ্ধিঃ শুভস্তথা।।"

- অর্থাৎ পাত্র রাক্ষস গণ হোক আর পাত্রী নরগন হোক না কেন, উভয়েরই যদি নক্ষত্র, গ্রহ, রাশ্যাধিপতি, যোনীকূট ও ভকূট বিশুদ্ধ হয়, গ্রহ পরস্পর মিত্র বা একই হয় তাহলে বিবাহ জীবন সুখময় হয়।

মহর্ষি বশিষ্ঠ বলেছেন -

" গ্রহমৈত্রি রাশি বশ্যম সদ্ভকূটং ভবেৎ যদি। সদগনা ভাবজনিতো দোষ কো অপি ন বিদ্যতে।।"

7. রাশি কুট- পাত্র পাত্রীর জন্ম ছকের চন্দ্রের অবস্থান জনিত রাশির শুভ অশুভ প্রভাব দাম্পত্য জীবনে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। শুভ প্রভাবে শুভ ফল আর অশুভ প্রভাবে শোক, দুঃখ, দুর্দশা সহ দাম্পত্য জীবন বিষিয়ে তোলে।

মেষরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল কন্যা ও বৃশ্চিক রাশির পাত্র/পাত্রী। শুভ হল কর্কট, সিংহ, ধনু ও মকররাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

বৃষ রাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল তুলা ও ধনু রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল সিংহ, কন্যা, মকর ও কুম্ভ রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

মিথুনরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল বৃশ্চিক ও মকর রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল কন্যা, তুলা, কুম্ভ ও মীন রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মোটামুটি মধ্যম।

কর্কটরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল ধনু ও কুম্ভ রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল তুলা, বৃশ্চিক, মীন ও মেষ রাশির। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

সিংহরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মকর ও মীন রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল বৃশ্চিক, ধনু, মেষ ও বৃষ রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

কন্যারাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মকর ও মেষ রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল ধনু ও বৃষ রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম তথাপিও শুভই বলা যায়। এদের মধ্যকার বিবাহে তেমন অসুবিধা প্রায়ই হয়না।

তুলারাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মীন ও বৃষ রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল মকর, কুম্ভ ও কর্কট রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

বৃশ্চিকরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মেষ ও বৃষ রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল কুম্ভ, মীন, কর্কট ও সিংহ রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

ধনুরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল বৃষ ও কর্কট রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল মীন, মেষ, সিংহ ও কন্যা রাশির। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

মকররাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মিথুন ও সিংহ রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল মীন, মেষ, কন্যা, ও তুলারাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

কুম্ভরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল কর্কট, সিংহ ও কন্যা রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল বৃষ ও তুলা রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

মীনরাশির পাত্র/পাত্রীর ক্ষেত্রে অশুভ হল মেষ ও তুলা রাশির পাত্র পাত্রী। শুভ হল মীন, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক ও ধনু রাশি। অন্যান্য রাশির মিলন মধ্যম ফলদায়ক।

এছাড়া শুভ যোটক হল পাত্রের রাশির পঞ্চমে পাত্রীর রাশি হলে। বিপরীত ভাবে পাত্রীর ক্ষেত্রেও ঠিক একই ফল প্রদান করবে। যেমন মেষের সাথে সিংহ, বৃষের সাথে কন্যা, মিথুনের সাথে তুলা, কর্কটের সাথে মীন, ধনুর সাথে মেষ, মকরের সাথে বৃষ, কুম্ভের সাথে মিথুন এবং মীনের সাথে কর্কট। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই যোগকে নবম-পঞ্চম নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়া পাত্র পাত্রীর উভয়ের একই রাশি হলে যোটক বিচারে শুভ ফল প্রদান করে।

রাজযোটক :-

কথায় বলে- “পুরুষের ভাগ্যে জন ও নারীভাগ্যে ধন”।তাই অনেক পাত্র পক্ষ সুলক্ষণা ভাগ্যবতী পত্রীর খোঁজ করেন যাতে সেই পাত্রীর ভাগ্যযোগে তার স্বামীর আর্থিক ও বৈষয়িক উন্নতি হয়।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নর-নারীর মধ্যে মিলনে কোনও বাধা আছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য যোটক বিচার করার প্রয়োজন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নর-নারীর মধ্যে যোটক বিচার করার সময় বিশেষ করে তিনটি বিষয় দেখার প্রয়োজন আছে।

প্রথমত - রাশির সঙ্গে রাশির মিলন।

দ্বিতীয়ত - অষ্ট-কূট বিচারের মাধ্যমেও গুণাগুণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অবহিত হওয়া।

তৃতীয়ত - রাশিচক্রে বিবাহের স্থান এবং নর-নারী অর্থাৎ জাতক-জাতিকার আয়ু-স্থান এবং কোনও বিবাহ বিচ্ছেদ বা দুর্ঘটনা যোগ আছে কিনা তা জানা দরকার।

এছাড়াও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। যেমন সন্তান কেমন হবে, বিবাহের পরে ভাগ্য উন্নতি হবে কিনা, স্বভাব চরিত্র কেমন হবে, স্বাস্থ্য ভাল যাবে কিনা, বিবাহিত জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিল হবে কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মধ্য দিয়ে পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করা হয়। প্রয়োজন হলে শাস্ত্রীয় বিধি মতে বিবাহের পূর্বে তার প্রতিকার করা হয়।
জন্মকুণ্ডলী বিচার করা হয় লগ্ন ধরে। কিন্তু এখানে জন্ম লগ্ন অপেক্ষা চন্দ্র লগ্ন অর্থাত্ রাশি গুরুত্বপূর্ণ । কোন কোন রাশির সঙ্গে কোন কোন রাশির মিলন হতে পারে তা জানা দরকার। জাতক এবং জাতিকার যদি রাশি একই হয় তাহলে তা শুভ এবং রাজযোটক মিলন।

এছাড়াএ প্রজাপতির নির্বন্ধ যোগের উল্লেখ পাওয়া যায়, যাকে বিবাহ ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ যোগ বলা হয়েছে । পাত্র পাত্রীর জন্ম ছকে এই যোগ থাকলে বিবাহিত জীবন ধন-ধান্যে, সম্পদ-সম্পত্তিতে, সন্তান-সন্তুতিতে পরিপূর্ণ ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এই যোগ বিবাহের ক্ষেত্রে বৈধব্য দশা, ভৌম দোষ সহ রাশি, লগ্ন, নক্ষত্র যাই হোক না কেন, কোন রূপ বিচারের প্রয়োজন পড়ে না। যোটক বিচারের অন্যান্য সাধারণ নিয়ম প্রজাপতির নির্বন্ধ যোগে প্রযোজ্য নয়।

অশুভ যোটক যেমন পাত্রের রাশির অষ্টমে পাত্রীর রাশি হলে সেই বিবাহ অবশ্যই সম্বন্ধ পরিত্যাগ করা উচিৎ,একে অরিষড়ষ্টক যোগ বলে ,যেমন - পাত্রের রাশি মেষ হলে তার অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, বৃষের সাথে ধনু, মিথুনের সাথে মকর, কর্কটের সাথে কুম্ভ, সিংহের সাথে মীন, কন্যার সাথে মেষ, তুলার সাথে বৃষ, বৃশ্চিকের সাথে মিথুন, ধনুর সাথে কর্কট, মকরের সাথে সিংহ, কুম্ভের সাথে কন্যা, এবং মীনের সাথে তুলা।

বিপরীতে পাত্রীর রাশির ষষ্ঠ পাত্রের রাশি হলে সে বিবাহ অতিশয় শুভ ফল প্রদান করে , এই যোগকে মিত্রষড়ষ্টক যোগ বলে , যেমন - পাত্রীর রাশি মেষ আর পাত্রের রাশি কন্যা, বৃষের সাথে তুলা, মিথুনের সাথে বৃশ্চিক, কর্কটের সাথে ধনু, সিংহের সাথে মকর, কন্যার সাথে কুম্ভ, তুলার সাথে মীন, বৃশ্চিকের সাথে মেষ, ধনুর সাথে বৃষ, মকরের সাথে মিথুন, কুম্ভের সাথে কর্কট এবং মীনের সাথে সিংহ।

উদাহরণ স্বরূপ :-
পাত্রের মেষ রাশি আর পাত্রীর কন্যা রাশি বা তুলা রাশির পাত্রের সহিত মীন রাশির পাত্রী যেন না হয়ে যায় তাহলে মহা সর্বনাশ ঘটে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।

মনে রাখতে হবে মিত্রষড়ষ্টক যোগ উল্টো হলে বিপরীত ফল প্রদান করবেই করবে। (আবারও বলি পাত্রীর রাশির ষষ্ঠে পাত্রের রাশি হবে) এর বিপরীত যোগের বিবাহে স্বামী স্ত্রী হবে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী, সুখের সংসারে নেমে আসবে দুঃসহ দুঃখ, বেদনা, বিচ্ছেদ ও বৈধব্যদশা। এই যোগের বিবাহ স্বয়ং দেবতাগনেরও পরিত্যাজ্য।

8. ত্রিনাড়ীকুট- ত্রিনাড়ীকুট বিচারের শুভ প্রভাবে সংসার সমাজ ও সভ্যতার শুভ যোগাযোগ তৈরী করে, দাম্পত্য জীবনে শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হয়। আর বিপরীত প্রভাবে অশান্তির তীব্র অনল জ্বলতে থাকে। বিবাহের পর সামাজিক কলহ, বিচ্ছেদ, একাকী জীবন যাপন, পিতামাতাসহ সংসারের আত্মীয় পরিজন ছেড়ে বনবাস বা বিদেশ বাস প্রভৃতি ঘটে, একমাত্র ত্রিনাড়ী কুটের অশুভ প্রভাবের ফলে।

ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক দোষ। পাত্রপাত্রীর জন্ম কুন্ডলীর লগ্নে, চতুর্থে, ষষ্ঠে, অষ্টমে এবং দ্বাদশে মঙ্গল অবস্থান করলে জ্যোতিষশাস্ত্রে একে ভৌম বা মাঙ্গলিক দোষ বলে। এই দোষ দাম্পত্য জীবনে বিদ্রোহ, ফাটল, অশান্তি, বিচ্ছেদ ছাড়াও পাত্রের ক্ষেত্রে বিপত্নীক এবং পাত্রীর ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে স্বামীর অকাল জীবনাবসান এর ইঙ্গিত প্রদান করে। তাছাড়া এদের বিবাহিত জীবনে কোন এক সময়ে দাম্পত্য-অশান্তির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যা পাত্র/পাত্রীকে মৃত্যুতুল্য করে তোলে। এক কথায় উভয়েরই মনের মৃত্যু ঘটে যায়। তবে এই ভৌম বা মাঙ্গলিক দোষ পাত্র পাত্রীর উভয়ের জন্মকুন্ডলীতে থাকলে তাদের বিবাহিত জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং উভয়েই দীর্ঘায়ু লাভ করে ছাড়াও সমাজে মানব সভ্যতার অগ্রগতি সাধন করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

জন্ম কুণ্ডলীতে ১২টি করে ঘর থাকে। তার মধ্যে অন্তত ৫টি ঘরে মঙ্গলের অবস্থান একজনকে মাঙ্গলিক হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে ভৌম দোষের কম-বেশি থাকে। যত কম ঘরে মঙ্গল অবস্থান করবে, তার প্রভাবও ততই কম হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশই মাঙ্গলিক। লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম,অষ্টম, দ্বাদশ স্থানে মঙ্গলের অবস্থানকে মাঙ্গলিক দোষ বলাহয়। পুরুষের এই দোষ স্ত্রীর জন্য অশুভ এবং স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর, ইহা পরীক্ষীত ও প্রমাণিত।

কোন জাতক বা জাতিকার কোষ্ঠী বিচারে আগেই যদি জানতে পারা যায় যে তার দাম্পত্য সুখের যোগ নেই, তা হলে তার বিবাহের আগে সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে এবং ঐ জাতক বা জাতিকার জন্য সম্ভাব্য পাত্রী বা পাত্রের কোষ্ঠী বিচার করে দেখা যেতে পারে যে সেই কোষ্ঠীতে দাম্পত্য সুখের সম্ভাবনা কি রকম। পাত্র বা পাত্রীর সাধারণভাবে জন্ম-কুন্ডলীতে লগ্নের সপ্তমভাব থেকে জায়া বা পতির বিচার করা হয়। সপ্তমভাবে যে যে গ্রহের যোগ বা দৃষ্টি, সপ্তমভাবপতি, সপ্তমভাবপতি যে যে রাশি ও নবাংশে অবস্থিত সেই সেই রাশি ও নবাংশের অধিপতি, সপ্তমভাব ও পত্নীর কারকগ্রহ শুক্র, শুক্র অবস্থিত রাশি হতে সপ্তম রাশাধিপতি – পতি-পত্নী ও বিবাহিত জীবনের উপর এই সকল গ্রহেরই প্রভাব আছে।

বিবাহিত জীবন বিষয়ে সপ্তমভাবের মত দ্বিতীয়ভাবও বিচার করতে হবে।কারণ, দ্বিতীয়ভাব কুটুম্বস্থান। বিবাহিত জীবনে সাফল্য বা অসাফল্যের পিছনে কুটুম্বদের ভূমিকা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ, পতি পত্নীর উভয় পক্ষেরই। সেই কারণেই বিবাহিত জীবনের জ্যোতিষিক অনুসন্ধানে ধনভাব/কুটুম্ব স্থান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, চতুর্থভাব (সুখ) এবং দ্বাদশ (শয্যা সুখ) ভাবেরও গুরুত্ব আছে।

রাহু ও কেতু ভিন্ন যে গ্রহের স্ফুটাংশ (রাশি ব্যতীত অংশ-কলাদি) সর্বাপেক্ষা কম, সেই গ্রহকেও জায়া কারক আখ্যা দেওয়া হয়। চর-কারকত্বে যে গ্রহ জায়া কারক হিসাবে নির্ণীত হবে, বিবাহিত জীবনে তারও প্রভাব আছে। স্থির-কারকত্বে শুক্র পত্নীকারক গ্রহ। সপ্তমভাবপতি ও সপ্তমপতির নবাংশপতি হতে পতির বিচার করতে হয়।

বিবাহোত্তর জীবনে সুখলাভের সম্ভাবনা বিষয়ে প্রাচীন জ্যোতিষ গ্রন্থাদিতে যা পত্নীসুখ বিষয়ে লিখিত, তা পতিসুখ সম্বন্ধেও প্রযোজ্য।

লগ্নের সপ্তমস্থান শুভ গ্রহের ক্ষেত্র এবং শুভগ্রহ দ্বারা যুক্ত বা দৃষ্ট হলে পত্নীসুখ ও শ্বশুর কুলোদ্ভব সুখ হয় এবং স্ত্রী রূপবতী গুণবতী হয়। বিপরীতে- বিপরীত ফল হয় অর্থাৎ সপ্তমস্থান পাপক্ষেত্র হয়ে পাপগ্রহযুক্ত বা দৃষ্ট হলে ঐ প্রকার সুখ হয় না। শুভাশুভ মিশগ্রহে মিশ্র ফল চিন্তনীয়।

লগ্নাপেক্ষা সপ্তমে বহু পাপগ্রহের অবস্থানে বহু স্ত্রী সত্ত্বেও স্বল্প সুখ এবং বহু শুভগ্রহের অবস্থানে একটি স্ত্রী হলেও বিশেষ সুখ হয়। পতির কুন্ডলীতে লগ্নপতি ও সপ্তমপতি যে গ্রহের ক্ষেত্রে ও নবাংশে অবস্থিত, সেই গ্রহের ক্ষেত্রে বা নবাংশে স্ত্রীর জন্ম হলে সেই পত্নী স্বামীর সুখদায়িনী হয়ে থাকে। পতির জন্মকুন্ডলীতে চন্দ্র যে রাশিতে অবস্থিত, সেই রাশির সপ্তমরাশিদর্শী গ্রহের বা তদরাশি স্থিত গ্রহের ক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর জন্ম হয়, তাহা হলে সেই স্ত্রী পতিপ্রিয়া হয়।

নারীর জন্মকুন্ডলীতে দ্বিতীয়, সপ্তম ও দ্বাদশপতি বৃহস্পতি দৃষ্ট এবং কেন্দ্র কোনস্থ হলে, অথবা সপ্তমপতির দ্বিতীয়ে, সপ্তমে বা একাদশ স্থানে শুভ গ্রহের অবস্থানে জাতক/ জাতিকা স্ত্রী/ পতি পুত্র সুখে সুখী হয়।

চন্দ্র ও লগ্ন হতে সপ্তমভাব যদি নবমপতি বা স্বীয় পতি বা শুভগ্রহ যুক্ত/দৃষ্ট হয়, তাহা হলে সপ্তমভাবের শুভ হয় এবং সেক্ষেত্রে বিবাহিত জীবন সুখের হয়।

সপ্তমভাব যদি সমরাশি হয়, সেই রাশ্যাধিপতি ও শুক্র যদি সমরাশিস্থিত হয় এবং পঞ্চম ও সপ্তমভাবের অধিপতিদ্বয় বলবান হয় ও অস্তমিত না হয়, তাহা হলে স্ত্রীপুত্র সুখ হয়।

কোন নারীর জন্মকুন্ডলীতে যদি
ক) লগ্ন বা লগ্নপতি ও চন্দ্র সমরাশিস্থিত এবং শুভগ্রহ যুক্ত, অথবা
খ) চন্দ্র, লগ্ন ও চতুর্থভাব যদি শুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট, বা
গ) লগ্নাপেক্ষা ত্রিকোণে (লগ্নে, পঞ্চমে, নবমে) শুভগ্রহেরা অবস্থিত, অথবা যদি সপ্তমভাব ও ঐ ভাব নবংশের অধিপতি শুভগ্রহ হয়, তাহা হলে সেই নারী গুণবতী ও সৌভাগ্যবতী হয়। পতিসুখ না পেলে সেই নারীকে সৌভাগ্যবতী বলা যাবে না, সুতরাং এই সকল যোগে পত্নী পতিসৌখ্যলাভ করে।

পত্নীর পতিপ্রিয়া হবার আরও কয়েকটা যোগ —

ক) লগ্ন সমরাশিতে এবং মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র অতীব বলবান,
খ) লগ্নের নবাংশপতি শুভ গ্রহ
গ) লগ্নে শুক্র ও চন্দ্র বা বুধ ও চন্দ্র বা বুধ ও শুক্র অথবা শুভগ্রহ থাকলে,
ঘ) সপ্তমে একাধিক শুভগ্রহ বা পূর্ণচন্দ্র থাকলে,
ঙ) গুরু, শুক্র, বুধ ও চন্দ্র সকলেই লগ্নকে পূর্ণদৃষ্টি দিলে,
চ) লগ্ন থেকে কেন্দ্র কোণে বৃহস্পতি, বিশেষতঃ স্বগৃহে বা তুঙ্গ রাশিতে,
ছ) অষ্টমভাব থেকে নবমে এবং লগ্ন হতে নবমে শুধুমাত্র শুভ গ্রহের অবস্থান,
জ) লগ্ন ও রাশি শুধুমাত্র শুভগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট।

দাম্পত্য সম্প্রীতি বা পতি-পত্নীর পরস্পর মিত্রতা-শত্রুতা বিষয়ে নানা যোগের উল্লেখ করার সময় অনেক সময় দাম্পত্যসুখের অভাবের যোগের কথাও বলা হয়েছে, তবে দাম্পত্য সুখের অভাব সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু যোগ —

১) শুক্র অবস্থিত রাশি হতে সপ্তমে পাপগ্রহের অবস্থান বা শুক্র পাপযুক্ত,
২) চন্দ্র সপ্তমস্থ, সপ্তমপতি ব্যয়স্থ এবং শুক্র দুর্বল,
৩) দ্বাদশপতি লগ্নে বা সপ্তমে,
৪) ব্যয়াধিপ শত্রু নবাংশে নীচ নবাংশে, অষ্টমভাব-নবাংশে বা ষষ্ঠাষ্টমে স্থিত,
৫) শুক্রের ত্রিকোণে অর্থাৎ পঞ্চমে বা নবমে শনির অবস্থান,
৬) সপ্তমে শনির অবস্থান,
৭) সপ্তমপতি পাপ নবাংশে, বা নীচ নবাংশে,
৮) ক্রুর ষষ্ঠাংশে,
৯) শুক্র নীচ নবাংশে,
১০) সপ্তমপতি রবির রাশিতে অর্থাৎ সিংহে এবং রবি পাপগ্রহের রাশিতে বা নবাংশে এবং পাপগ্রহ যুক্ত/দৃষ্ট,
১১) চন্দ্রের রাশিতে সপ্তম পতি ও চন্দ্র পাপ নবাংশে,
১২) স্ত্রীজাতকের সপ্তমে বা অষ্টমে পাপগ্রহ, বিশেষতঃ সপ্তমে একাধিক দুর্বল পাপগ্রহের অবস্থান, অথবা সপ্তমে পাপগ্রহ দৃষ্ট রবি স্থিত হলে।

দাম্পত্য সুখ বিচারে পতি-পত্নীর মিত্রতা-বৈরিতা বিচার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহে পাত্র-পাত্রীর কোষ্ঠীর মিল দেখার জন্য প্রচলিত যে অষ্টকূট যোটক বিচার পদ্ধতি ঐ পদ্ধতির অষ্টকুটের অন্যতম কুট, বর ও কন্যার উভয়ের রাশির অধিপতির মিত্রতা, ভাবী স্বামী-স্ত্রীর মানসিক সৌখ্যের অন্যতম নির্ণায়ক হিসাবে গণ্য হতে পারে। তবে এ’ছাড়া উভয়ের চন্দ্রস্থিত নবাংশ পতিদ্বয়ের এবং উভয়ের চন্দ্রস্থিত রাশির অধিপতির দ্বয়ের যে যে নবাংশে অবস্থিত সেই নবাংশ পতিদ্বয়েরও মিত্র আছে কিনা দেখা প্রয়োজন, থাকলে ভাবী বর বধুর মানসিক সম্প্রীতি বুঝতে হবে, না থাকলে সম্প্রীতির অভাব বুঝতে হবে।

দাম্পত্য সুখ বা সুখের অভাব সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কিছু যোগের উল্লেখ এই প্রবেন্ধে করা হল, তবে কোন দম্পতির জীবনে সুখ বিষয়ে সিদ্ধান্ত করার জন্য, শুধুমাত্র এই যোগগুলি বা এই ধরণের যোগের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করা যাবে না। উভয়ের কোষ্ঠীর সামুহিক মূল্যায়ন, যোগকারী গ্রহের এবং চন্দ্র ও শুক্রের বলাবল ও শুভাশুভত্ব বিবেচনা করতে হয় ।

এছাড়া পাত্র/পাত্রীর লগ্ন থেকে দ্বাদশ ভাবের এবং গ্রহের তত্ত্ব যথা অগ্নি,পৃথ্বী,বায়ু,জল পরস্পরের বন্ধুত্বের পূর্ণ সম্পর্ক হতে হবে তা না হলে হাজার চেষ্টা করেও উভয়ের মনের মিলন ঘটা সম্ভব নয়, এতে অশান্তি অনিবার্য।

এছারা destiny (d.o.b , t.o.b, p.o.b)থেকে যোটক বিচার করে বলা যায় বিবাহিত জীবন শুভ হবে কি না। মনে রাখবেন শুধু রাশির মিল হলেই পাত্র পাত্রীর আদর্শ বিবাহ হবে না। সার্বিক সুখকর গ্রহাবস্থান আদর্শ বিবাহ মিলনে জরুরী।

যোটক বিচার জ্যোতিষ শাস্ত্রের খুবই জটিল একটি পথ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় পদ্ধতি অনুসারে
এর প্রকারভেদ থাকতে পারে। আমার দেয়া প্রকারভেদগুলোর সাথে কারো কারো দ্বিমত থাকাটাও স্বাভাবিক।আমি দাবী করছি না এখানে সব ধরনের বিচারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এই স্বল্প পরিসরে যতটা আলোচনা করা সম্ভব ততটুকু নিজের মত করে চেষ্টা করেছি। প্রকারভেদগুলো আলোচনার সময় যতোটা সম্ভব নিরপেক্ষতা অবলম্বনের চেষ্টা করা হয়েছে। কারো কারো কাছে এই প্রচেষ্টা ধৃষ্টতা মনে হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

যোটক বিচার অথবা জ্যোতিষ সংক্রান্ত অন্য যে কোনো বিষয় নিয়ে বিশদে জানতে What's App বা Phone করুন এই নাম্বারে :-
No. 9233172388,ওনলাইন পরিসেবা পেতে www.apnc.co.in visit korun

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180516102605

Wednesday, May 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অষ্টসিদ্ধী

অষ্টসিদ্ধী

অস্টসিদ্ধি কি?
১:অণিমা, ২:লঘিমা, ৩:প্রাপ্তি, ৪:গরিমা, ৫:ঈশিতা, ৬:বশিতা, ৭:প্রকাম্য, ৮:কামাবসায়িতা।
ব্রম্মলোক,ধ্রুবলোক ইত্যাদি উচ্চতর গ্রহের অধিবাসীরা সকলেঈ অস্টসিদ্ধি লাভ করেছেন। তাঁরা ইচ্ছানুসারে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করতে পারেন -এরকম সিদ্ধিকে বলে #অণিমা। ইচ্ছামত হালকা জলের উপর হেঁটে যেতে বা শূন্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন -এরকম সিদ্ধিকে বলে #লঘিমা।যে কোনও স্থান থেকে যা ইচ্ছা তাই প্রাপ্ত হতে পারেন- এরকম সিদ্ধিকে বলে #প্রাপ্তি। অতন্ত ভারী হতে পারেন এরকম সিদ্ধিকে বলে #গরিমা।কোনও স্থানে কিছু অদ্ভুত জিনিস সৃষ্টি বা ইচ্ছানুসারে কোন জিনিস ধংস করতে পারেন- এরকম সিদ্ধিকে বলে #ঈশিতা।জড় উপাদান গুলিকে কেবল ইচ্ছানুসারে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন- এরকম সিদ্ধিকে বলে #বশিতা। কোনও বাসনা চরিতার্থ করতে এবং কখনও নিরাশ না হওয়ার সিদ্ধিকে বলে #প্রাকাম্য। ইচ্ছামত বা খামখেয়ালী ভাবে যেকোনও জড়রুপ ধারণ করতে পারেন, এরকম সিদ্ধিকে বলে #কামাবসায়িতা।
উচ্চতর গ্রহের অধিবাসীরা সাভাবিকভাবেই এ সমস্ত সিদ্ধির অধিকারী।এজন্য তাদের কোনও অনুশীলন বা অলৌকিক পদ্ধতি শিখতে হয় না।
পৃথিবীতে দৈবক্রমে এই গুলির একটিও কিংবা একটু-আধটু যদি কেউ লাভ করতে পারে মুর্খ ব্যক্তিরা তাকে ভগবান বলেই মনে করে।যেহেতু পৃথিবীর অধিবাসীদের কাছে এগুলি সাভাবিক নয়।তাই কেউ সিদ্ধি প্রদর্শন করলেই অত্যন্ত মহান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন বলে লোকে মনে করে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মায়াপুরে শ্রীধর ঠাকুরকে অস্টসিদ্ধি প্রদান করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু শ্রীধর ঠাকুর মনে করেছিলেন, এই সমস্ত সিদ্ধি জড় জগতে প্রবর্তন করলে ভগবানের প্রতি নিস্টা,প্রীতি ও সেবার জন্য মানসিকতা থাকবে না।তাই তিনি সিদ্ধি নিতে চাইলেন না।তিনি মহাপ্রভুর সেবায় নিয়জিত থাকতে চাইলেন।বালেশরের রেমুণাতে এক লোক অন্যদের ভেলকি দেখানোর জন্য একটা গাছের ডাল সিয়ে শূন্যে উড়ে বেড়াচ্ছিল। লোকেরা বিশ্ম্যয়ের চক্ষুতে তাকিয়ে? ছিল।মহাপ্রভুর ভক্ত রসিকানন্দকে লোকে সেই দৃশ্য দেখানোর জন্য লোকে পীড়াপীড়ি করছিল। রসিকানন্দ মুখের দাঁতনটিতে দাঁড়িয়ে ক্ষীড়চোরা গোপীনাথের মন্দিরের চারিদিক পরিক্রমা করলেন,মাটি থেকে হাত উচুঁ হয়ে।তারপর বললেন শূন্যে ঘুরে বেড়ানোটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। একমাএ কৃষ্ণনাম করাটাই জীবনের উদ্দেশ্য।চৌরাশি লক্ষ যোনী ভ্রমণ করে এই দূর্লভ মানব জীবন।ভেলকি দেখিয়ে নস্ট করার জন্য নয় মুক্তি লাভের জন্য কৃষ্ণনাম করার জন্য।
শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে বলা হয়েছে -
ভক্তি-মুক্তি- সিদ্ধিকামী সকলেই অশান্ত।
কৃষ্ণভক্ত নিস্কাম অতএব শান্ত।।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন, জীবনের পরম সিদ্ধি হচ্ছে কৃষ্ণভক্তি লাভ করা।
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
contact no 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180516083827

Wednesday, May 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সূর্য বা রবি গ্ৰহ

সূর্য বা রবি গ্ৰহ

এই৭টি উপায়ে সূর্য উপাসনা করলে জীবনে প্রভূত উন্নতি হয়★★★
------------------------------------------------------------------------------
রবিবার হল নবগ্রহের প্রধান গ্রহ রবির জন্য নির্দিষ্ট দিন। এইদিন তো বটেই, অন্যান্য দিনেও সূর্যের উপাসনা করলে জীবনে প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা।
নবগ্রহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল রবি অথবা সূর্য। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী রবি-র অবস্থান যদি ঠিক না হয়, তবে হাজার পরিশ্রমেও জাতকের জীবনে উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়ে। যশ, খ্যাতি ইত্যাদি কোনও কিছুই আসে না। রবি সু-অবস্থানে থাকলে পেশাগত জীবনে প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা থাকে, তাই যাঁদের কুণ্ডলীতে রবি ভাল অবস্থানে থাকে না তাঁরা নানা ধরনের মানসিক অশান্তি এবং নেতিবাচক মনোভাবের শিকার হন। এছাড়া জীবনে তাঁদের অন্যদের হাতে বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়।

হিন্দুশাস্ত্র মতে, এই ৬টি আচার পালন করলে অত্যন্ত প্রসন্ন হন সূর্যদেব—

১. প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে সূর্যপ্রণাম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যপ্রণাম যোগাভ্যাস করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। তা সম্ভব না হলেও সূর্যমন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে গঙ্গাজল বা পরিস্রুত জল সূর্যদেবতাকে নিবেদন করলে তা মঙ্গল।
২. গুড় সূর্যদেবতার প্রিয় তাই প্রতিদিন সকালে সূর্য উপাসনার সময় গুড় প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে এবং ক্ষুধার্ত বা দরিদ্র মানুষকে রবিবার দিন গুড় ও ছোলাভাজা দান করলে প্রসন্ন হন সূর্যদেব।

৩. এছাড়া মহাদেবের উপাসনার সময়েও লাল ফুল (জবা নয়) দিয়ে তাঁর পুজো করলে ভাল।
৪. রবিবার দিন উপোস করলেও সন্তুষ্ট হন সূর্যদেব।

৫. যে কোনও একটি রবিবার দরিদ্রকে লাল কাপড় দান করলে জীবনে রবির সুপ্রভাব বৃদ্ধি পায় ও কুপ্রভাব কাটতে থাকে। লাল হল সূর্যের পছন্দের রং।

৬. সূর্যদেব দান-ধ্যান পছন্দ করেন। তাই যে কোনও রবিবার সাধ্যের মধ্যে তামা অথবা স্বর্ণ দান করলে অত্যন্ত প্রসন্ন হন সূর্য।
৭)সূর্যের বীজ মন্ত্র : ঔঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায়
১০০বার সকাল ৬.০৪ মিঃ এ পূর্ব দিকে মুখ করে সূর্য দেব কে দেখে জপ করবে‌
Kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9234172388
contact no 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180516060342

Wednesday, May 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মালব‍্য যোগ

মালব‍্য যোগ

মালব‍্যযোগ
জন্মকুন্ডলীতে শুক্র স্বক্ষেত্রে বা উচ্চস্থ হয়ে জাতলগ্নের কেন্দ্রে অবস্থিত হয় তবে মালব‍্যযোগ সূচিত হবে।
ফলাফল
এরপ যোগযুক্ত জাতক স্থূল শরীর, দৃহ মনা,ধনবান,সন্তান সুখ,দাম্পত‍্য সুখ,উচ্চশিক্ষিত এবং উত্তম গাড়ী-বাড়ী হবে।
মন্তব‍্য
চার রকম ভাবে মালব‍্যযোগ সূচিত হতে পারে
১)বৃষ,তুলা,মীনলগ্নে -শুক্র লগ্নে থাকবে
২)মেষ,বৃশ্চিক,কন‍্যা লগ্নে - শুক্র সপ্তমে থাকবে ।
৩) মিথুন,সিং হ,মকর লগ্নে - শুক্র দশমে থকবে ।
৪) ধনু, কুম্ভ,কর্কট লগ্নে - শুক্র চতুর্থে থাকবে ।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
BOOKING NO 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180516055738

Wednesday, May 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রের তাৎপর্য

জোতিষ শাস্ত্রের তাৎপর্য

শুভ অপরান্থ বন্ধুরা
আমি তোমাদের ভালো থাকার জন‍্য প্রত‍্যহ সকালে রাশিফল দিই ও সকল গ্ৰহের বীজমন্ত্র এবং রাশি রত্নের কথা বলে থাকি

বেদের অপর চোখ জ্যোতিষ বিদ্যা
জ্যোতিষ হলো সেই বিদ্যা, যার দ্বারা আকাশে অবস্থিত গ্রহ স্থিতির দ্বারা অতীত, ভবিষৎ এবং বর্তমান সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি। জ্যোতিষ শাস্ত্রের অপর নাম জ্যোতিঃ শাস্ত্র। জ্যোতি শাস্ত্রের অর্থ হলো যে শাস্ত্র জীবনে আলো দেয়, প্রকাশ দেয় অর্থাৎ জ্যোতি দেয়।
জ্যোতিষের উৎপত্তি কবে হয়েছে এ সম্বন্ধে নিশ্চিত রূপে কিছু বলা না গেলে ও, বিশ্বের প্রাচীন গ্রন্থ বেদে জ্যোতিষের উল্লেখ আছে। জ্যোতিষ বেদেরই অংগ। বেদের ছয়টি অঙ্গ ----১) শিক্ষা ,২) কল্প, ৩) ব্যাকারণ, ৪) নিরুক্ত, ৫) ছন্দ ও ৬) জ্যোতিষ। জ্যোতিষ বিদ্যাকে বেদের চক্ষুও বলা হয়।জ্যোতিষের উপযোগিতা বলতে গেলে এই বিশ্বসংসারের প্রতিটা মানুষ বা প্রানী গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবের অধীন। তাদের জন্ম কোষ্ঠী অনুযায়ী প্রতিটা মানুষ পৃথক প্রকৃতির, কেউ সুন্দর কেউ অসুন্দর, কেউ মন্দ বুদ্ধি কেউ অল্প বুদ্ধি প্রত্যেকের কোষ্ঠির গ্রহ সম্নবয় অনুযায়ী তার জীবনে সুখ দুঃখের উদয় হয়। যেরূপ ঔষধি সেবন করে রোগ দূর করা যায় বা কম করা যায় সেইরূপ মানুষের জ্যোতিষিও বিশ্লেশন দ্বারা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে মানুশ সুস্থ সুখী জীবন লাভ করতে পারে। কেবল মাত্র অদৃষ্টের উপর বসে না থেকে এবিদ্যা ভাগ্য ও কর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। দৈনিক জীবনে জ্যোতিষের প্রয়োজনীয়তা অসাধারন। বিবাহ, সন্তান, ব্যবসা, চাকরী, যাত্রা, ভবন নির্মান ইত্যাদি প্রতিটা মহত্ত্বপুর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের মার্গদর্শন মানুষের জীবনে সহায়ক হয়।জ্যোতিষের মুখ্যত দুইটি ধারা --- ১) গণিত জ্যোতিষ (Astronomy) ২) ফলিত জ্যোতিষ(Astrology)।তাই যে বিদ্যার দ্বারা মহাকাশ, নক্ষত্র ও গ্রহদের গতি অবস্থান ও চরিত্র জানা যায় সেই বিদ্যাকে গণিত জ্যোতিষ বলা হয়, আর যে বিদ্যার দ্বারা গ্রহদের অবস্থান সাপেক্ষে মানুষের জীবনে সুখ-দু:খের অতীত, বর্তমান ও ভবিষৎ এর অনুমান করা হয় সেই বিদ্যাকে ফলিত জ্যোতিষ বলা হয়।
Kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
contact no 7001608953
online poriseva dewa hoi sai jonno whatsapp no a birth particulars pathaben
online payment kora jabe



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180516055355

Tuesday, May 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশি ভিত্তীক ফল

রাশি ভিত্তীক ফল

শুভ রাত্রি
রাশি ভিত্তিক বিবাহ ও দাম্পত্য সুখ
শুভ বর্ণ,শুভ সংখ‍্যা,শুভ রত্ন।

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)
শুভ রং: লাল, বেগুনি ও সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩, ৯, ১৭, ২২, ৩৭, ৪৫
পাথর: প্রবাল
মেষ জাতক/জাতিকার সঙ্গে আরেক মেষ জাতক/জাতিকার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। ভালোবাসার জন্য এদের সিংহ ও ধনু জাতককে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মেষ ও সিংহের সমন্বয়ে রসায়ন হয় শুভ। শেষ পর্যন্ত তা গড়াতে পারে বিবাহবন্ধনে। এগিয়ে যাওয়া যায় মধুর সম্পর্কে। ঘটে শুভ পরিণয়।

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে)
শুভ রং: আকাশি, কমলা
শুভ সংখ্যা: ৬, ১৭, ১৯, ২৭, ৩২, ৪৪
পাথর: পান্না
এ জাতক/জাতিকার জন্য ভালোবাসার মানুষ পাওয়া যাবে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই বৃষ নারীর ভালোবাসা সুপ্রসন্ন হতে পারে নিজের রাশির কাউকে বিয়ে করার পর। বৃষ ও কন্যার সমন্বয়ে যে ভালোবাসা প্রস্ফুটিত হয় সেটি অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে।

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন)
শুভ রং: হালকা সবুজ, ক্রিম
শুভ সংখ্যা: ৫, ১৮, ১৯, ২৫, ৩৪, ৪৭
পাথর: পোখরাজ
এ জাতক/জাতিকার সঙ্গে তুলা ও সিংহ রাশির কারও সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ জাতিকা। আবার অনেক সময় এ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে কর্কট জাতকের। মিথুন ও সিংহের সমন্বয়ে ভালোবাসার ঘর দৃঢ়।

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই)
শুভ রং: হালকা সবুজ, সাদা ও কমলা
শুভ সংখ্যা: ২, ১১, ১৮, ২৩, ৩৩, ৪৫
পাথর: মুক্তা
এ জাতকের ভালো বন্ধু হতে পারে কন্যা রাশির জাতক। জীবনসঙ্গী হিসেবে কন্যা রাশিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। কন্যা রাশির জাতিকা আপনার জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কন্যা রাশির জাতিকা পাওয়ার জন্য অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরুতে হবে। তাছাড়া কুম্ভ রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক হতে পারে।

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)
শুভ রং: হলুদ, সোনালি
শুভ সংখ্যা: ১, ১২, ৩৭, ৩৯, ৪১, ৪৬
পাথর: চুন্নি ও প্রবাল
মেষ রাশির যে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া যেতে পারে। সিংহ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মিথুন ও ধনু রাশিতে। বিশেষ করে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকাদের এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কন্যা রাশির সঙ্গে দাম্পত্য শুরু করলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকতে হবে অনিশ্চিত। তাই সম্পর্ক গড়তে এড়িয়ে চলুন কন্যা রাশি।

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)
শুভ রং: ফিরোজা, চকলেট
শুভ সংখ্যা: ৫, ৯, ১৭, ২২, ৩৫, ৪৮
পাথর: পান্না
এ জাতকের আদর্শ বন্ধু ও জীবনসঙ্গী হতে পারে কর্কট জাতক থেকে। এছাড়া মকরের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে বড় শত্রু হবে সিংহ জাতক বা জাতিকা থেকে। কর্কট জাতকের সঙ্গে ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সিংহ জাতক/জাতিকা।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)
শুভ রং: ফিরোজা, আকাশি ও সাদা
শুভ সংখ্যা: ৫, ৬, ১৮, ২১, ৩৬, ৪২
পাথর: হীরা-পান্না
এ জাতকের জন্য ভালো বন্ধু হতে পারে মিথুন জাতিকার কেউ। এছাড়া নিজ রাশির সঙ্গেও ভালো বনিবনা হতে পারে। তবে বৃশ্চিকের সঙ্গে ভালোবাসর সম্পর্ক গড়া ঠিক হবে না। কারণ তুলা ও বৃশ্চিকের ভালোবাসার ঘর হবে ক্ষণস্থায়ী।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)
শুভ রং: নীল, ঘিয়ে, চকলেট
শুভ সংখ্যা: ১, ২, ৩, ৯, ২২, ৩৪
পাথর: প্রবাল ও চুন্নি
এ জাতকের সঙ্গে ধনু, মকর ও মীন জাতকের সম্পর্ক হতে পারে। নিজ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে সম্পর্ক হলে তা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। বিয়ের ক্ষেত্রে কর্কট জাতক/জাতিকাকে এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ কর্কট ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে দাম্পত্য স্থায়ী হয় না।

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)
শুভ রং: আকাশি ও বেগুনি
শুভ সংখ্যা: ৩, ৯, ১৭, ৩৮, ৪০, ৪৮
পাথর: পোখারাজ
এ জাতক বা জাতিকার সঙ্গে মেষ ও মকরের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ধনু জাতক বা জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি বৃশ্চিক, মকর ও মীন রাশির কাউকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ রাশির জাতকের সঙ্গে।

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)
শুভ রং: নীল, চকোলেট, ক্রিম, সবুজ
শুভ সংখ্যা: ৮, ৯, ১৬, ৩২, ৩৭, ৪৯
পাথর: ক্যাটস আই
এ জাতকের সঙ্গে নিজ জাতকের বন্ধুত্ব স্থায়ী হয় না। কন্যা, ধনু ও মীন জাতকের মধ্যে থেকে বন্ধু খুঁজে নেওয়া ভালো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুলা রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক করা যেতে পারে। কারণ তুলা ও মকরের সমন্বয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। কুম্ভ রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়া যেতে পারে।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)
শুভ রং: নীল, গাঢ় সবুজ ও বেগুনি
শুভ সংখ্যা: ১, ৩, ৯, ১৫, ২২, ৪৭
পাথর: নীলা
এ জাতকের জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মকর রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। কুম্ভ ও মকরের সমন্বয়ে দাম্পত্য এগিয়ে যায় অনেকদূর। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিপত্তি। এদের বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। মিথুন জাতক/জাতিকার জন্য জীবন হতে পারে বিষাদময়।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)
শুভ রং: বেগুনি
শুভ সংখ্যা: ৪, ৭, ২৩, ৩৭, ৪০, ৪৫
পাথর: রক্তমুখী নীলা
এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে বৃশ্চিক রাশির। মীন ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে শনির দশা কেটে যেতে পারে। এগিয়ে যাওয়া যায় সমৃদ্ধির সঙ্গে। পাশাপাশি মকরের সঙ্গে সম্পর্ক করা যেতে পারে। তবে কুম্ভ রাশির সঙ্গে প্রেম ও ভালোবাসর সম্পর্ক গড়া ঠিক হবে না

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180515211207

Tuesday, May 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহ রেখা থেকে দাম্পত্য জীবন

বিবাহ রেখা থেকে দাম্পত্য জীবন

.....................................দাম্পত্য ও ভালোবাসা সম্পর্কে কি বলে বিবাহ রেখা.........................

হাতের রেখা দেখে বলে দেয় আমাদের প্রেম ও বিবাহের কথা....কনিষ্ঠ আঙুলের নীচে আড়াআড়ি ভাবে যে রেখা থাকে তাকে বিবাহে রেখা বলে, এই রেখাটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত....
যদি সুন্দর অভগ্ন বিবাহ রেখা থাকে তবে সুখী বৈবাহিক জীবন হতে পারে..

এই বিয়ের রেখা বিয়ে ছাড়াও অনেক কিছু বলে দিতে পারে. আপনার প্রেমের বিয়ে নাকি দেখেশুনে, বেশি বয়সে বিয়ে, না তাড়াতাড়ি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জাড়াবেন কি না, বা বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কতটা, সব বলা যায় এই বিবাহ রেখা দেখে.. তবে সেক্ষেত্রে হৃদয় রেখার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে..

হৃদয় রেখার সঙ্গে বিবাহ রেখার একটা সম্পর্ক রয়েছে। বিবাহ রেখা ও হৃদয় রেখার মধ্যে দূরত্ব যার যত কম, তাঁর বিয়ে তত অল্পবয়সে। এই দুই রেখার মধ্যে দূরত্ব বাড়লে, বিয়ে তত বেশি বয়সে।

বর্তমান সময়ে বৈবাহিক সমস্যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে... মানুষ স্বীকার করুক আর না করুক এটাই বাস্তব.. বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবে কিনা বা কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তা হস্ত রেখা থেকে বোঝা যায়...
সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হলো..

1....বিবাহ রেখার শুরুতেই যদি শাখার মতো লাইন বেরোয়, এবং যদি সেটা দু-হাতেই থাকে বিয়ে না-টেকার সম্ভাবনা প্রবল।

2.... বিবাহ রেখার শুরুতেই যদি ‘দ্বীপের’ মতো চিহ্ন থাকে, তা হলে তাঁর বিয়ে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন না-হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রেমে প্রতারিত হতে পারেন। স্বামীর বা স্ত্রীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে না।

3.... দুটো বিবাহ রেখা হাতে স্পষ্ট হলে এবং তা যদি পরস্পরের সমান্তরালে থাকে, এটাও কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের এবং দ্বিবিবাহ এর ইঙ্গিতবাহী। যদি বিবাহ বিচ্ছেদ নাও হয়, কোনও কারণে ওই ব্যক্তির দু-বার বিয়ে হতে পারে।

4.... দুয়ের অধিক সমান্তরাল রেখা যদি থাকে.. তবে তার বহু বিবাহ বা বহু সম্পর্কে জড়াতে পারে. সঙ্গে প্রায় গায়ে গায়ে ঘনিষ্ঠ ভাবে থাকে, তার মানে, বিয়ের আগে ওই ব্যক্তির কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। বিয়ের পরেও তাঁরা পরকীয়ায় জড়াবেন।

5... বিবাহে রেখা যদি লম্বা রেখা দ্বারা কর্তিত হয়ে যায় তবে বিবাহ ভঙ্গ যেমন হতে পারে আর যদি তা না হয় তবে তার পার্টনার এর সাথে মানসিক দূরত্ব বা কলহ হতে পারে এমনকি দাম্পত্য সুখ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে..

6.... বিবাহ রেখা বাঁক নিয়ে যদি হৃদয়ে রেখায় গিয়ে মেশে, সেই ব্যক্তির মাঙ্গলিক হবার সম্ভাবনাই বেশি। ব্রেকআপের আশঙ্কা থাকে এমনকী সঙ্গীর অকস্মাত্ দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও হতে পারে। সঙ্গীর মৃত্যু বা অন্য যে কোনও কারণে এই ব্রেকআপ হতে পারে।

7.... বিবাহ রেখা যদি উপরের দিকে বাঁক নিয়ে বুধের আঙুলের দিকে উঠে যায় সেক্ষত্রেও প্রেম ভঙ্গ ও একাধিক রিলেশন এর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে থাকে.. কারণ বুধ হলো ডুয়েলিটির কারক...

8.... < চিহ্নটির পর যদি বিবাহরেখা শুরু হয়, সেই ব্যক্তির ব্যাপক ভোগান্তি আছে। পছন্দের পাত্র বা পাত্রী পাওয়া দুষ্কর। বিয়ে না-হওয়াটাও কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। আর বিয়ে হলেও, প্রথম পর্যায়টা নানা সমস্যায় জর্জরিত হতে হবে এবং পরে হয়তো সে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয় ।

9....বিবাহ রেখার শেষে যদি < চিহ্ন থাকে, এটাও কিন্তু বিচ্ছেদেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই < চিহ্নটি ছোট হলে, সাময়িক বিচ্ছেদ। আর বড় হলে, ছাড়াছাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মাতান্তর বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই ব্রেকআপ হতে পারে। বিয়ের রেখার শেষে থাকা < চিহ্নের একটি বাহু যদি হৃদয়রেখাকে গিয়ে ছোঁয়, সেই ব্যক্তি নিশ্চিত ভাবেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াবেন। এমনকী নিজের স্বজনের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক হতে পারে। ফলে, বিয়ে ভাঙার ঝুঁকিও থাকছে।

সর্বশেষ একটি কথা বলার যে এই বিবাহ রেখা যত পিছন থেকে আসবে অর্থাৎ ক্ষেত্র প্রান্ত থেকে আসবে ততই সম্পর্ক গভীর হবে, আত্মিক হবে হয়তোবা জন্ম জন্মান্তরের.. এই রেখা যে শুধু বিবাহ নির্দেশ করে তা নয়.. এই রেখা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নির্দেশ করতে পারে.. মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করি কোনো মানুষ, গুরু এমনকি ভগবানের প্রতি গভীর আস্থা, ভালোবাসা নির্দেশ করতে পারে.. কারণ অনেক সময় অনেক সাধু সন্তের হাতে বিবাহে রেখা থাকে আবার কোনো বিবাহিত মানুষের হাতে বিবাহরেখা নাও থাকতে পারে..
সেইজন্য এই বিবাহে রেখাটির সাথে হৃদয় রেখা, প্রভাব রেখা, শুক্র বন্ধনী প্রভৃতি দেখা দরকার আছে...

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180515141001

Tuesday, May 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শরীরের তিল তত্ব

শরীরের তিল তত্ব

যেমন হস্ত রেখা, মুখমন্ডল, কপাল এবং বিভিন্ন দেহাংশ দেখে যেমন মানুষের ভবিষ্যৎ, স্বভাব, মানসিকতা প্রভৃতি জানা জানা যায় তেমন মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিলের উপস্থিতি থেকেও মানুষের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়.

তিল তত্ব অনুযায়ী পণ্ডিতেরা বলেন মানব শরীরে ১২টির বেশি তিল থাকা শুভ নয়.৷

১) পুরুষের শরীরের ডান দিকে ও নারীর শরীরের বাঁ দিকে তিল থাকলে তা শুভ হিসেবে মনে করা হয়৷

২) যাদের ভ্রুতে তিল রয়েছে তাদের প্রায়ই ভ্রমণের যোগ রয়েছে৷

ডান ভ্রুতে তিল থাকলে কোনও ব্যক্তির দাম্পত্য জীবন সুখের হয়৷ বাঁচ ভ্রুর তিল দুখী দাম্পত্যের লক্ষণ৷

৩) মাথার মাঝখানে তিল নির্মল ভালসাবার প্রতীক৷

মাথার ডান দিকে তিল থাকলে তা কোনও বিষয়ে নৈপুণ্যের প্রতীক৷ আবার যাদের মাথার বাঁ দিকে তিল রয়েছে তারা অর্থের অপচয় করেন৷

মাথার ডান দিকে তিল ধন ও বুদ্ধির চিহ্ন৷ বাঁ দিকের তিল নারাশাপূর্ণ জীবনের সূচক৷

৪) ডান চোখে তিল থাকলে ব্যক্তি উচ্চবিচার ধারা পোষণ করেন৷

বাঁ চোখের তিল যাদের রয়েছে তাদের ভাবনা চিন্তা তেমন উন্নত নয়৷ যাদের চোখের মণিতে তিল থাকে তারা সাধারণত ভাবুক প্রকৃতির হন৷

৫) চোখের পাতায় যাদের তিল রয়েছে তারা সাধারণত সংবেদনশীল হন৷

তবে যাদের ডানদিনেক চোখের পাতায় তিল রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকেন৷

৬) যাদের কানে তিল রয়েছে তারা শ্রুতিধর হয়ে থাকে৷

৭) নারী বা পুরুষের মুখমণ্ডলের আশেপাশে তিল তাদের সুখী ও ভদ্র হওয়ার ইঙ্গিত দেয়৷

মুখে তিল থাকলে ব্যক্তি ভাগ্যে ধনী হন ও তার জীবনসঙ্গী খুব সুখী হন৷

৮) নাকে তিল থাকলে ব্যক্তি প্রতিভাসম্পন্ন ও সুখী হন৷ যে নারীর নাকে তিল রয়েছে তারা সৌভাগ্যবতী হন৷

৯) যাদের ঠোঁটে তিল রয়েছে তাদের হৃদয় ভালবাসায় ভরপুর৷

তবে ঠোঁটের নীচে তিল থাকা ভালো নয় সে ব্যক্তির জীবনে অর্থাভাব হতে পারে ৷

১০) গালে লাল তিল থাকা শুভ৷ তবে গালে টোলে তিল অর্থহীনতার প্রতীক৷ কিন্তু ডান গালে তিল থাকলে ব্যক্তি ধনী হন৷

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180515075352

Monday, May 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

এবছর রাশি অনযায়ী শুভ সংখ‍্যা

এবছর রাশি অনযায়ী শুভ সংখ‍্যা

শুভ রাত্রি
যারা লটারি কাটেন ও সেয়ার মার্কেটিং এর সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য নতুন বছরের রাশি ভিত্তিক শুভ সংখ‍্যা

মেষ
২০১৮ ,সালে মেষরাশির জাতক জাতিকাদের পক্ষে পয়মন্তর সংখ্যা হল, ৬,১৮,৭৭,৪১, ৮৩। জাতক জাতিকাদের সাহসীকতার সঙ্গে এই নম্বরগুলির প্রভাব যোগ হলে বাড়তে সৌভাগ্য

বৃষ
বৃষ রাশির জাতকদের পক্ষে ২০১৮ সালের পয়মন্তর সংখ্যা হল ৫,৩৫,৫০,৫৭,৮২। বৃষরাশির জাতক জাতিকারা সাধারণত যুক্তিবাদী হন, তাঁদের বৈশিষ্টের সঙ্গে এই সংখ্য়াগুলি র প্রভাব উপযুক্ত বলে মত জ্যোতিষবিদদের।

মিথুন
মিথুন রাশির জাতকদের পক্ষে পয়া নম্বর , ১,১০,১৮,৩৫,৮৬। মিথুন রাশির জাতক জাতিকারা এই সংখ্যা বা নম্বর গুলি কোনও বড় কাজে বুদ্ধি করে ব্য়বহার করলে আসবেই সাফল্য

কর্কট
কর্কট রাশির জাতকদের পক্ষে ১,২১, ২৪, ৫৮,৬৬ নম্বরগুলি কর্কটরাশির জাতকদের বছরভর ইতিবাচক দিকে রাখবে। এবছ সাফল্যপেতে হলে কর্কটরাশির জাতকরা এই নম্বরের জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন।

সিংহ
সিংহ রাশির জাতকদের ২০১৮ সালের পয়া নম্বর হল , ৬,২৪, ৩৯,৫৯, ৮৩ । এই সংখ্যাগুলি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বুদ্ধি করে ব্যবহার করুন। সাফল্য আসবেই।

কন্যা
কন্যা রাশির জাতকরা ২০১৮ সালে ১৬, ২৯, ৭৯, ৮০, ৯০ এই নম্বরগুলিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করুন। তা বহু কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেবে আপনাকে।

তুলা
৭,২০, ৫৫, ৭, ৮৬ এই নম্বরগুলি ২০১৮ সালে তুলারাশির জাতকদের পক্ষে সবচেয়ে শুফল দায়ক। যেকোনও কাজে এই সংখ্যা ব্যবহার করলেই, এঁরা সাফল্য মুঠোয় পুরতে পারবেন।

বৃশ্চিক
২৭,২৯, ৪৫,৫৩, ৮৯ এই নম্বর গুলি ২০১৮ সালে বশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের পক্ষে শুভ। এই নম্বর বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবহার করলেই ২০১৮ তে সাফল্য আসবেই।

ধনু
ধনু রাশির জাতক বা জাতিকারা ৬, ১৬,২৩, ৬০, ৮১ এই নম্বরগুলি শুভ। এই নম্বরগুলি ধনু রাশির জাতকদের যাবতীয় বিপদের মধ্যেও রক্ষা করতে পারে, যদি ঠিকহবাবে নম্বরকে ব্যবহার করা যায়।

মকর
মকর রাশির জাতক বা জাতিকারা খুবই জেদি হয় নিজের লক্ষ্যপূরণে।আর সেই লক্ষ্যকে ধরে ফেলতে হলে ২০১৮ সালে ৩, ২১,৬৬,৮৩, ৮৪ নম্বরগুলি বুদ্ধি করে ব্যবহার করে ফেলতে হবে।

কুম্ভ
১৭,৪০,৪৬,৬১, ৭৬ এই সংখ্যা গুলি কুম্ভ রাশির জাতকদের বা জাতিকাদের পক্ষে ২০১৮ সালে সৌভাগ্য বাড়াবে।

মীন
২০১৮ সাল মীনরাশির জাতক জাতিকাদের পক্ষে বেশ শুভ। আর এই বছরকে আরও বেশি সাফল্যমণ্ডিত করতে হলে ৮,১০,২৭,৫৬,৬৯ সংখ্যাগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180514222402

Sunday, May 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ দোষ নিবারনে কিছু উপায়

গ্ৰহ দোষ নিবারনে কিছু উপায়


গ্রহ দোষ নিবারণের উপায়
গ্রহদোষ নিবারণের জন্য নিচের প্রয়োগ গুলি যদি নিষ্ঠা পূর্বক বিধি মেনে অন্ততঃ পক্ষে ৪৩ দিন ধরে নিয়মিত করা যায় তবে সুফল লাভ করা যায় ।
এখানে সেই রকম কিছু প্রয়োগ দেওয়া হল ।
সূর্য গ্রহের প্রতিকার ঃ
১ বিষ্ণুর উপাসনা করতে হবে এবং হরি বংশ পুরান পাঠ করতে হবে ।
২ প্রতিটি কাজ মিষ্টি খেয়ে ও জলপান করে শুরু করতে হবে ।
৩ রবিবার ব্রত পালন করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে এবং কু কর্ম করা বন্ধ রাখতে হবে
৪ বহমান জলে গুর বা তামার পয়সা ফেলতে হবে ।
৫ তামা ও গম দান করতে হবে ।
৬ ঘরের সদর দরজার মুখ পূর্ব দিকে রাখতে হবে ।
৭ মানিক্য রত্ন সোনা বা তামার আংটি তে লাগিয়ে দান হাতের অনামিকায় ধারন করতে হবে

চন্দ্রের প্রতিকার ঃ
১ শিবের উপাসনা করতে হবে ।
২ সোমবার ব্রত পালন করতে হবে । পূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান করতে হবে ।
৩ চাল দুধ ও রুপা দান করতে হবে ।
৪ মা, শাশুড়ি , মাসি ও দিদিমার আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৫ পালঙ্কের চারটি পায়ায় চার কোনে একটি করে রুপার পেরেক ঠুকতে হবে ।
৬ অপরের পদ স্পর্শ করে আশীর্বাদ চাইতে হবে ।
৭ রুপার আংটি তে মীতি লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ধারন করতে হবে ।
৮ রুপার দুটি টুকরো নিয়ে একটি খণ্ড বহমান জলে ফেলতে হবে এবং দ্বিতীয় টুকরো টি আজীবন নিজের কাছে রাখতে হবে

মঙ্গলের প্রতিকার ঃ
১ হনুমান জী র উপাসনা করতে হবে ।
২ গায়ত্রী মন্ত্র রোজ যতবার সম্ভব জপ করতে হবে ।
৩ চোখে সাদা সুরমা লাগাতে হবে ।
৪ তন্দুরে তৈরি মিষ্টি রুটি বিতরণ করতে হবে ।
৫ মসুর মিঠাই বা মিষ্টি দ্রব্য দান করতে হবে ।
৬ মঙ্গলবার ব্রত রাখতে হবে । হনুমানজি কে চলা দান করতে হবে ।
৭ বুধবার তামার আংটি অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

বুধের উপায় ঃ
১ দুর্গা মাতার উপাসনা করতে হবে । দুর্গা সপ্ত দশী পাঠ করতে হবে ।
২ বুধবারের ব্রত রাখতে হবে । ঘরে সাদা গরু পুষতে হবে ।
৩হিজরে কে সবুজ কাপড় ও সবুজ চুরি দান করতে হবে ।
৪ দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক ছেঁদা করতে হবে ।
৫ খোসা সহ সবুজ মুগ দান করতে হবে ।
৬ কন্যা বোন পিসি মাসি ও শালির আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৭ পান্না সোনার আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরতে হবে ।

বৃহস্পতি র উপায় ঃ
১ ব্রমহার উপাসনা করতে হবে । গরুড় পুরাণ পাঠ করতে হবে ।
২ গুরুবারে ব্রত পালন করতে হবে । সাধুদের আশীর্বাদ নিতে হবে ।
৩ মাথায় কেশরের তিলক লাগাতে হবে ।
৪ কেশর খেতে অথবা নাভিতে লাগাতে হবে ।
৫ কোন কাজ শুরু করার আগে নাক ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
৬ অশ্বথের শিকরে জল ঢালতে হবে ।
৭ ছোলার ডাল দান করতে হবে ।সোনার মাকড়ি পরতে হবে ।
৮ হ্লুদ পোখরাজ সোনার আংটিতে লাগিয়ে ধারন তর্জনী তে পরতে হবে ।

শুক্র গ্রহের উপায় ঃ
১ মহা লক্ষ্মী র উপাসনা করতে হবে । লক্ষ্মী সুক্ত পাঠ করতে হবে ।
২ শুক্রবার বৈভব লক্ষ্মীর ব্রত করতে হবে ।
৩ সাদা ও স্বচ্ছ কাপড় পরতে হবে ।
৪ সুগন্ধি পদার্থ এবং রুপার অলংকার ধারন করতে হবে ।
৫ ঘি দই কর্পূর ও মোতি দান করতে হবে ।
৬ নিজের খাদ্য বস্তু থেকে কিছুটা গাইকে খাওয়াতে হবে ।
৭ গোদান করতে হবে এবং সাদা জোয়ার দান করতে হবে ।
৮ হীরা ও জারকান রুপার আংটি তে লাগিয়ে অনামিকা বা মধ্যমা তে ধারন করতে হবে ।

শনি র উপায় ঃ
১ ভৈরব উপাসনা করতে হবে ।
২ শনিবারের ব্রত রাখতে হবে । সাপকে দুধ খাওয়াতে হবে ।
৩ তেল এবং মদ গাছের শেকড়ে ঢালতে হবে ।
৪ লোহা কলাই কালো কম্বল ইত্যাদি দান করতে হবে ।
৫ তেলে ভাজা রুটি কুকুর কে বা কাঁককে খাওয়াতে হবে ।
৬ কিকর এর দাঁতন করতে হবে ।শনিবার তেল দান করতে হবে ।
৭ নীলা রুপার আংটি তে লাগিয়ে মধ্যমা আঙ্গুলে পরতে হবে ।
৮ আসল কালো ঘোড়ার নালের টুকরো মধ্যম আঙ্গুলে সর্বদা ধারন করে রাখতে হবে ।

রাহুর উপায় ঃ
১ সরস্বতী উপাসনা করতে হবে ।
২ সর্ষে দান করতে হবে । মাথায় কাপড় রাখতে হবে ।
৩ তামাক সেবন নিষেধ ।
৪ মুলো দান করতে হবে ।বহমান জলে কয়লা ফেলতে হবে ।
৫ একান্ন বর্তি পরিবারে থাকতে হবে ।
৬ পকেটে সর্বদা রুপার একটি গুলি রাখতে হবে ।
৭ গোমেধ কে পঞ্চ ধাতুর আংটি তে লাগিয়ে অনামিকায় ধারন করতে হবে ।

কেতুর উপায় ঃ
১ গণেশ উপাসনা করতে হবে ।
২ গণেশ চতুর্থী ব্রত রাখতে হবে কপিলা গাই দান করতে হবে ।
৩ কান ছিদ্র করতে হবে , ঘরে কুকুর পুষতে হবে ।
৪ কালো ও সাদা তিল বহমান জলে বইয়ে দিতে হবে ।
৫ তিল লেবু কলা দান করতে হবে । চরিত্র ঠিক রাখতে হবে ।
৬ কুকুরকে রুটি টুকরো দিতে হবে । পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে ।
৭ ক্যাতস আইকে পঞ্চ ধাতুর আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ধারন করতে হবে ।

এই উপায় গুলি আপনাকে নব গ্রহের হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে আর আপনার জীবন সুখে শান্তি তে ভরে উঠুক ।

আপনি কি জানতে চান আপনার ভাগ্য ??
আপনার সুযোগ গুলি কি কি জানতে চান ??
আগামি বিপদ থেকে সবধান হতে চান ??

তাহলে এখুনি আপনার জন্ম তারিখ , জন্ম সময় , জন্ম স্থান এই website www.apnc co.in তে গিয়ে ১০০০টাকা দিয়ে registration করুন আপনা কে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে ..ও কুন্ডলী ও প্রতিকার প ঠানো হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180513085024

Sunday, May 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্র

গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্র

★কিছু মন্ত্র★.....
১. ঘুমাবার আগে বলুন - ওঁ শয়নে শ্রী পদ্মনাভায় নম:।
২. জন্ম সংবাদ শুনলে বলুন -আয়ুষ্মান ভব।
৩. মৃত্যু সংবাদ শুনলে বলুন -দিব্যান লোকান্ স গচ্ছতু।
৪. খাবার আগে বলুন - ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:।
৫. বিপদে বলুন - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:।
৬. হিন্দু ধর্মীয় সকলকাজ শুরুর আগে বলুন - ওঁ তৎ সৎ।
৭. গৃহ প্রবেশ মন্ত্র - ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নম:।
৮. মাতৃ প্রনাম মন্ত্র -
ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা জননী জন্মভূমিশ্চ স্বগাদগি গরিয়সী। গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাএ নমঃ নমঃ।।
৯. পিতৃ প্রনাম মন্ত্র -
পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ। । পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা নমঃ পিতৃ চরনেভ্য নমঃ।।
১০. শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম মন্ত্র -
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে। গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে।।
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ।।
১১. শ্রীরাধারানী প্রণাম মন্ত্র -
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী। বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
১২. দেহ শুচীর মন্ত্র -
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা। যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্। ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
১৩. গুরু প্রণাম মন্ত্র -
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া। চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর। গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
১৪. শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম মন্ত্র -
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্। ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্।।
১৫. সূর্য প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্।।
১৬. গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
১৭. তুলসী প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়াঐ কেশবস্য চঃ। কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমঃ নমঃ।।
১৮. দুর্গা প্রণাম মন্ত্র -
সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সবার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।
১৯. শ্রীবিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র - অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে
ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোহসি মহাদেবেতি বিশ্রুতঃ। বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে।।
২০. বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র -
দেবশিল্পিন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ।।
২১. গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180513083921

Saturday, May 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনিবার কী কী ক্রয় করবেন না

শনিবার  কী কী ক্রয় করবেন না

শনিবার বিশেষ কিছু জিনিস কেনা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে খারাপ সময় পিছু নেয়। সেই সঙ্গে বাড়ীতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক অশুভ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো এমনটা আপনার এবং আপনার পরিবারের কারও সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না।
জ্যোতিষ এবং বাস্তু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে আমাদেরে বাড়িতে থাকা প্রতিটি জিনিসের সঙ্গে আমাদের ভাল-মন্দের যোগ রয়েছে। তবে ভয়ের বিষয় হল অনেকেই সে সম্পর্কে খোঁজ রাখেন না। ফলে খারাপ ঘটনা যখন ঘটে, তখন ভাগ্যের দোষ দি আমরা। কিন্তু একথা বুঝে উঠতে পারি না যে খারাপ সময় এসেছে আমাদের নিজেদেরই ভুলে। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি জিনিস সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ভুলেও শনিবার বাড়িতে ঢোকাবেন না। কারণ এমটা করলে নাকি ব্যাড লাক পিছু নেয়। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, সুখে-শান্তিতে থাকতে শনিবার ভুলেও যে যে জিনিসগুলি কেনা উচিত নয়, সেগুলি হল..........

১) লোহার জিনিসঃ-
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজ লোহার কোনও জিনিস কিনলে পরিবারে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটে। ফলে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া এবং মনোমালিন্য হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো সুখে-শান্তিতে থাকতে শনিবার লোহা কিনতে মানা করা হয়। প্রসঙ্গত, আজ লোহার কোনও জিনিস কিনে যদি দান করা হয়, তাহলে কিন্তু কোনও ক্ষতি হয় না। উল্টে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়।

২) তেলঃ-
শাস্ত্র মতে যতই প্রয়োজন পড়ুক না কেন, শনিবার কোনও ধরনের তেল কেনা একেবারেই উচিত নয়, বিশেষত সরষের তেল। কারণ এমনটা করলে নাকি যিনি কিনছেন তার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, পরিবারে একাধিক জটিল রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তবে যাদের শনির সাড়ে সাতি চলছে, তারা যদি আজকের দিনে শনি দেবকে সরষের তেল নিবেদন করেন, তাহলে কিন্তু বেজায় সুফল মেলে।

৩) নুনঃ-
হঠাৎ করে নুন ফুরিয়ে গেছে, এদিকে মাছের কালিয়া রান্না করছেন! যতই যাই হোক না কেন, শনিবার ভুলেও নুন কেনা চলবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহান্তে নুন কিনলে দেনার জালে জড়িয়ে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। প্রসঙ্গত, বাস্তবিকই নুন কেনার সঙ্গে আমাদের ভাল-মন্দের যোগ রয়েছে কিনা জানা নেই। তবে এমন চান্স নেওয়াটা কিন্তু মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

৪) ঝাঁটাঃ-
শুনতে আবাক লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে শনিবার ঝাঁটা কিনলে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ ঘরদোর পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত কোনও জিনিস আজ কিনলে চারিপাশে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে সঞ্চয় করে রাখা টাকা জলের মতো বেরিয়ে যেতে সময় লাগে না।

৫) পেনের কালিঃ-
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই আজকের দিনে পেনের কালি কিনতে চান না। কারণ শাস্ত্র মতে শনিবার এমন জিনিস কিনলে কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মানহানীর আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই একই ঘটনা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, যদি না চান, তাহলে ভুলেও আজ পেনের কালি কিনবেন না যেন! প্রসঙ্গত, শনিবার বই বা পড়ার কোনও জিনিস কিনতেই পারেন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই!

৬) পেট্রল এবং ডিজেলঃ-
ব্যাড লাক পিছু নিক এমনটা যদি না চান, তাহলে আজ পেট্রল, ডিজেল এবং দেশলাই কাঠি কিনবেন না যেন! আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে হিন্দু ধর্মে আগুনকে শুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকলেও দাহ্য পদার্থকে কিন্তু অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। তাই আনন্দে যদি থাকতে চান, তাহলে ভুলেও এইসব জিনিস শনিবার কিনবেন না যেন!

৭) জুতোঃ-
কর্মক্ষেত্রে অসফলাতর স্বাদ পেতে চান নাকি? নিশ্চয় নয়! তাহলে ভুলেও আজ জুতো কিনবেন না! কারণ সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটিতে জুতো বা চামড়ার কোনও জিনিস কেনা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করা হয় না। আর একথা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না যে অশুভ শক্তি পিছু নিলে কী হতে পারে! তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন সব সময়।


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180512095740

Saturday, May 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাড়িতে কর্পূর রাখুন

বাড়িতে কর্পূর রাখুন

সুপ্রভাত
ভাগ্য ফেরাতে বাড়িতে রাখুন কর্পূর

পরিবারের চলছে আর্থিক সমস্যা ? টাকাপয়সার টানাপোড়েনে সংসারে শান্তি নেই ৷ অনেক বলেছেন সময় খারাপ যাচ্ছে ৷ সমস্যা দুর করতে বিভিন্ন রকম উপায় প্রয়োগ করেও ফল পাননি কোন ৷ তবে আর চিন্তার কোনও দরকার নেই ৷ এই উপায়ে খুব শীঘ্রই ও সহজে খুলে যাবে আপনার ভাগ্যের চাবি ও একই সঙ্গে সমস্ত সমস্যা ও চিন্তা দুর হয়ে যাবে ৷
প্রত্যেক বাড়ির পুজোর ঘরে কর্পূর রাখা অত্যন্ত জরুরি ৷ ভগবানের আরতি ও পরিবেশ শুদ্ধ করার জন্য বেশিরভাগ সময় কর্পূর ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ এই কর্পূর আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে ৷
তাই আপনিও যদি আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে আপনিও বাড়িতে রাখতে শুরু করে দিন কর্পূর ৷ এটি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে শুরু করলেও আপনার জীবনেও ধন সম্পত্তির কোনও অভাব থাকবে না ৷
আপনার পরিবারে যদি টাকা পয়সা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে, অথবা বেশি টাকা খরচ হলে বা কারণ ছাড়াই আর্থিক সমস্যায় ভুগলে রাতে রুপোর বাটিতে কর্পূর ও লবঙ্গ একসঙ্গে পোড়ান ৷ বেশ কয়েকদিন এই নিয়মটি পালন করলেই দেখবেন আবার আপনার গৃহে লক্ষ্মী কৃপাদৃষ্টি ফিরবে, ফিরবে ভাগ্য ৷
বাড়ি বা অফিসের বাস্তুদোষ দুর করতে বাড়িতে রাখুন কর্পূর ৷ শেষ হবার পূর্বে আরও নিয়ে এসে বাড়ীতে রাখুন ৷ এটা নিয়মিত মেনে চললে দেখবেন বাস্তুদোষ অনেকটাই কেটে গিয়েছে ৷
কাজটি করবেন লক্ষী-গনেশের ছবির সামনে
দুটি পিতলের রেকাবি নেবেন
একটিতে কর্পূর ও কিছু লবঙ্গ নিয়ে রুদ্রাক্ষ বা সাদা স্ফটিকের মালা পড়িয়ে রাখবেন ও অন‍্য পাত্রে পোড়াবেন সঙ্গে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।কাজটি পূর্ব দিকে করবেন।

ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 751/=

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180512095036

Saturday, May 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সহজ ক্রীয়া

সহজ ক্রীয়া


সহজ ক্রীয়া

আজ বলবো আরেকটা সহজ ক্রিয়া নিয়ে যা দারিদ্র্যতা ও কর্মের অসফলতার হাত থেকে বেশ খানিকটা বাঁচিয়ে দিতে পারে মানুষকে।
যদি সাধারন ভাবে গ্ৰহ নক্ষত্রের চক্রান্তের শিকার হয়ে যাঁরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সামনে পড়ছেন, বা হাতে আসা কাজ পন্ড হয়ে ক্ষতি করছে তাঁদের আয়ের উৎসে তাঁরা একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই উপায়টি।
শুক্লপক্ষের প্রথম বৃহস্পতিবার সকালে আপনার সমান মাপের লাল কার বা মোটা সুতো নিন। একদম সমান মাপের নেবেন। ছোট বা বড় হলে হবে না। যেকোনো বহমান নদীর তীরে গিয়ে কাজটা করতে হয়।
এবার কারটি ভালো জলে বা গঙ্গা জলে ধুয়ে নিন। একটা পরিস্কার ও নিঁখুত আমপাতা নিয়ে তার পেছনের দিক থেকে সুতোটা " ওঁ নমঃ শিবায়" জপ করতে করতে জড়াতে থাকুন ধীরে ধীরে। একটা করে পাক মারবেন একবার জপের সঙ্গে। এইভাবে পুরোটা জড়িয়ে দেওয়ার পর হাঁটু অবধি জলে নেমে পড়ুন। মনে রাখবেন হাঁটু যেন জলে ডোবে। এবারে সুতো জড়ানো আমপাতাটি অঞ্জলী দেওয়ার মতো জলে ভাসিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করুন যেন আপনার দুর্ভাগ্য প্রতিবন্ধকতা জলদেবতা বা জলদেবী অনেক দুরে নিয়ে যান। চোখ খুলে পাতার দিকে তাকাবেন না আর। অবিলম্বে স্থান ত্যাগ করে চলে আসবেন। বাড়িতে ঢোকার আগেই স্নান করে নেবেন, অথবা বাড়িতে ঢুকেই আগে স্নান সারবেন। যে জামা কাপড় পড়ে কাজ করবেন সেটাও ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এবার পরিস্কার বস্ত্র ধারন করে পাঁচটি কালো গোটা মরিচ নিয়ে নিজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে সাতবার ঘুরিয়ে নিয়ে বাড়ির বাইরে যতটা দুরে সম্ভব ছুঁড়ে ফেলে দিন। এবার বাড়িতে ঢোকার সময় একটা কর্পূর জ্বেলে তার আগুন হাতে ও মাথায় ছুঁইয়ে ঘরে ঢুকুন।
এই ক্রিয়া খুব শক্তিশালী হ‌ওয়ার জন্য একবারের বেশি করার প্রয়োজন পড়েনা। তবুও যদি গ্ৰহদোষের প্রভাব খুব বেশি হয় তাহলে আরেকবার পুরো ক্রিয়াটি করবেন পরবর্তী শুক্লপক্ষের প্রথম বৃহস্পতিবার।
উপকৃত হবেন যদি শ্রদ্ধা নিয়ে ক্রিয়া টি করতে পারেন।
ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 751/=

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180512094549

Friday, May 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সতীর ৫১পীঠ

সতীর ৫১পীঠ

শুভ রাত্রি
সতীর ৫১ পীঠ
শক্তিপীঠ হিন্দুধর্মের পবিত্রতম তীর্থগুলির অন্যতম। কথিত আছে, শক্তিপীঠ নামাঙ্কিত তীর্থগুলিতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর দেহের নানান অঙ্গ প্রস্তরীভূত অবস্থায় রক্ষিত আছে। সাধারণত ৫১টি শক্তিপীঠের কথা বলা হয়ে থাকে।

ভারতীয় উপমহাদেশের নানা স্থানে এই শক্তিপীঠগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কলকাতার কালীঘাট, বীরভূমের বক্রেশ্বর, নলহাটি; বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভবানীপুর ইত্যাদি বাংলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ।

সত্য যুগের কোনও এক সময়ে মহাদেবের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি নামে এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। দক্ষ তার কন্যা সতী দেবী তার(দক্ষর) ইচ্ছার বিরুদ্ধে 'যোগী' মহাদেবকে বিবাহ করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। দক্ষ মহাদেব ও সতী দেবী ছাড়া প্রায় সকল দেব-দেবীকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। মহাদেবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সতী দেবী মহাদেবের অনুসারীদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

কিন্ত্তু সতী দেবী আমন্ত্রিত অতিথি না হওয়ায় তাকে যথাযোগ্য সম্মান দেয়া হয়নি। অধিকন্ত্তু দক্ষ মহাদেবকে অপমান করেন। সতী দেবী তার স্বামীর প্রতি পিতার এ অপমান সহ্য করতে না পেরে তার যোগীর শক্তির উত্থান ঘটিয়ে আত্মাহুতি দেন।

শোকাহত মহাদেব রাগান্বিত হয়ে দক্ষর যজ্ঞ ভন্ডুল করেন এবং সতী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। অন্যান্য দেবতা অনুরোধ করে এই নৃত্য থামান এবং বিষ্ণু দেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়।

সকল শক্তিপীঠসমূহে শক্তিদেবী ভৈরবের সাথে অবস্থান করেন। শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১ টি।

নিম্নের তালিকায়:

• "শক্তি" অর্থাৎ প্রত্যেক "স্থানে" পূজিত দেবী, যিনি দক্ষিয়াণী, দুর্গা বা পার্বতীর বিভিন্ন রূপ ;
• "ভৈরব" অর্থাৎ ঐ দেবীর স্বামী (সঙ্গী), যারা প্রত্যেকেই শিবের বিভিন্ন অবতার (রূপ );
• "দেহ খন্ড বা অলঙ্কার" অর্থাৎ সতী দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশ বা অলঙ্কার যা শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর সেই "স্থানে" পতিত হয়েছিল এবং মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

(১) স্থান - বৈদ্যনাথধাম, দেবঘর, ঝাড়খন্ড, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হৃদয় বা হৃদপিন্ড
শক্তি – জয়দুর্গা
ভৈরব – বৈদ্যনাথ

(২) স্থান - নাইনাতিভু, জাফনা, শ্রীলঙ্কা
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নূপুর
শক্তি – ইন্দ্রাক্ষী
ভৈরব – রাক্ষসেশ্বর

(৩) স্থান - সুক্কর স্টেশনের নিকট, করাচী, পাকিস্তান
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - চক্ষু
শক্তি – মহিষমর্দিনী
ভৈরব – ক্রোধিশ

(৪) স্থান - সুগন্ধা, শিকারপুর, গৌরনদী, সন্ধ্যা নদীর তীরে, বরিশাল শহর হতে ২০ কি.মি. দূরে, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নাসিকা
শক্তি – সুগন্ধা
ভৈরব – ত্রয়ম্বক

(৫) স্থান - অমরনাথ, কাশ্মীর, শ্রীনগর হতে পহলগাম এর মধ্য দিয়ে বাসে ৯৪ কি.মি., ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গলা
শক্তি – মহামায়া
ভৈরব – ত্রিসন্ধ্যেশ্বর

(৬) স্থান - জ্বালামুখী, কাঙ্গড়া, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - জিহ্বা
শক্তি – সিদ্ধিদা (অম্বিকা)
ভৈরব – উন্মত্ত ভৈরব

(৭) স্থান - জালংধর, পাঞ্জাব, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম বক্ষ
শক্তি – ত্রিপুরমালিনী
ভৈরব – ভীষণ

(৮) স্থান - গুহেশ্বরী মন্দির, পশুপতিনাথ মন্দিরের নিকট, নেপাল
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উভয় হাঁটু
শক্তি – মহাশিরা
ভৈরব – কাপালী

(৯) স্থান - মানস, মানসরোবর হ্রদে কৈলাশ পর্বতের পাদদেশে, তিব্বত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান হাত
শক্তি – দক্ষিয়ানী
ভৈরব – অমর

(১০) স্থান - বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নাভি
শক্তি – মাতা সর্বমঙ্গলা দেবী
ভৈরব – ভগবান শিব/মহাদেব

(১১) স্থান - গন্ধকী, মুক্তিনাথ মন্দির, গন্ধকী নদী তীরে, পোখরা, নেপাল
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - মস্তিষ্ক
শক্তি – গন্ধকী চণ্ডী
ভৈরব – চক্রপাণি

(১২) স্থান - বেহুলা, কেতুগ্রাম, অজয় নদীর তীরে, কটোয়া হতে ৮ কি.মি., বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম হাত
শক্তি – বেহুলা দেবী
ভৈরব – ভীরুক

(১৩) স্থান - উজ্জনি, গুস্করা স্টেশন হতে ১৬ কি.মি., বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান কব্জি
শক্তি – মঙ্গল চন্দ্রিকা
ভৈরব – কপিলাম্বর

(১৪) স্থান - উদয়পুর, রাধাকিশোরপুর গ্রামের নিকট পাহাড় চূড়ায়, উদয়পুর, ত্রিপুরা, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পা
শক্তি – ত্রিপুরা সুন্দরী
ভৈরব – ত্রিপুরেশ

(১৫) স্থান - চন্দ্রনাথ মন্দির, চন্দ্রনাথ পর্বত শিখর, সীতাকুণ্ড স্টেশনের নিকট, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান হাত
শক্তি – ভবানী
ভৈরব – চন্দ্রশেখর

(১৬) স্থান - জলপেশ মন্দিরের নিকট, জলপাইগুড়ি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পা
শক্তি – ভ্রামরী
ভৈরব – অম্বর

(১৭) স্থান - কামগিরি, কামাক্ষ্যা, নীলাচল পর্বত, গৌহাটি, আসাম, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - যোনী
শক্তি – কামাক্ষ্যা
ভৈরব – উমানন্দ

(১৮) স্থান - যোগাধ্যা, খীরগ্রাম, বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল
শক্তি – যোগাধ্যা
ভৈরব – ক্ষীর খন্ডক

(১৯) স্থান - কালীপীঠ, কালীঘাট, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের আঙ্গুল
শক্তি – কালিকা
ভৈরব – নকুলেশ্বর

(২০) স্থান - প্রয়াগ, সঙ্গমের নিকট, এলাহাবাদ, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হাতের আঙ্গুল
শক্তি – ললিতা/মাধবেশ্বরী
ভৈরব – ভব

(২১) স্থান - জয়ন্তীয়া, কালাজোড় গ্রাম, জয়ন্তীয়া থানা, সিলেট জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম জঙ্ঘা
শক্তি – জয়ন্তী
ভৈরব – ক্রমাদিশ্বর

(২২) স্থান - কিরীট, কিরীটকোন গ্রাম, লালবাগ কোর্ট রোড স্টেশন হতে ৩ কি.মি., মুর্শিদাবাদ জেলা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - মুকুট
শক্তি – বিমলা
ভৈরব – সাংবর্ত

(২৩) স্থান - বারাণসী, গঙ্গাতীরে মনিকর্ণিকা ঘাট, কাশী, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - কানের দুল
শক্তি – বিশালাক্ষী ও মনিকর্ণী
ভৈরব – কালভৈরব

(২৪) স্থান - কন্যাশ্রম, কন্যাকুমারী, ভদ্রকালী মন্দির, কুমারী মন্দির, তামিলনাড়ু, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - পীঠ
শক্তি – সর্বাণী
ভৈরব – নিমিষ

(২৫) স্থান - বর্তমান কুরুক্ষেত্র বা প্রাচীন থানেশ্বর, হরিয়ানা, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গোড়ালির হাড় বা গুল্ফ
শক্তি – সাবিত্রী
ভৈরব – স্থনু

(২৬) স্থান - মণিবন্ধ, অজমের এর ১১ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে, পুষ্করের নিকট গায়ত্রী পর্বতে, রাজস্থান, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - দুই হাতের বালা
শক্তি – গায়ত্রী
ভৈরব – সর্বানন্দ

(২৭) স্থান - শ্রীশৈল, জৈনপুর গ্রাম, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট শহরের ৩ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গলা
শক্তি – মহালক্ষ্মী
ভৈরব – সম্বরানন্দ

(২৮) স্থান - কঙ্কালীতলা, কোপই নদী তীরে, বোলপুর স্টেশন হতে ১০ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - অস্থি বা হাড়
শক্তি – দেবগর্ভা
ভৈরব – রুরু

(২৯) স্থান - কালমাধব, পাহাড়ের উপরে গুহার ভিতর শোন নদীর তীরে, অমরকন্টক, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম নিতম্ব
শক্তি – কালী
ভৈরব – অসিতাঙ্গ

(৩০) স্থান - শোন্দেশ, অমরকন্টক, নর্মদা নদীর উত্স এর নিকট, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান নিতম্ব
শক্তি – নর্মদা
ভৈরব – ভদ্রসেন

(৩১) স্থান - রামগিরি, চিত্রকুট, জানসী-মাণিকপুর রেলওয়ে লাইনে, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান বক্ষ বা স্তন
শক্তি – শিবানী
ভৈরব – চন্দা

(৩২) স্থান - বৃন্দাবন, ভূতেশ্বর মহাদেব মন্দির, মথুরার নিকট বৃন্দাবন, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - কেশগুচ্ছ/চূড়ামণি
শক্তি – উমা
ভৈরব – ভূতেশ

(৩৩) স্থান - শুচি, শুচিতীর্থম শিব মন্দির, কন্যাকুমারী ত্রিভানড্রাম রোড, তামিলনাড়ু, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উপরের দাঁতসমূহ
শক্তি – নারায়ণী
ভৈরব – সংহার

(৩৪) স্থান - পঞ্চসাগর, অজ্ঞাত (হরিদ্বারের নিকট বলে মনে করা হয়)
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নীচের দাঁতসমূহ
শক্তি – বরাহী
ভৈরব – মহারুদ্র

(৩৫) স্থান - ভবানীপুর, করতোয়া নদীর তীরে, শেরপুর উপজেলা হতে ২৮ কি.মি. দূরে, বগুড়া জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের নূপুর
শক্তি – অর্পনা
ভৈরব – বামন

(৩৬) স্থান - শ্রীপর্বত, লডাখের নিকট, কাশ্মীর, ভারত; মতান্তরে: শ্রীশৈল, কুর্ণুল জেলা, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের নূপুর
শক্তি – শ্রীসুন্দরী
ভৈরব – সুন্দরানন্দ

(৩৭) স্থান - বিভাষ, তামলুক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের নূপুর
শক্তি – কপালিনী (ভীমরূপ )
ভৈরব – সর্বানন্দ

(৩৮) স্থান - প্রভাস, বেরাবল স্টেশন হতে ৪ কি.মি. সোমনাথ মন্দিরের নিকট, জুনাগড় জেলা, গুজরাট, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - পাকস্থলী
শক্তি – চন্দ্রভাগা
ভৈরব – বক্রতুণ্ড

(৩৯) স্থান - ভৈরব পর্বত, শিপ্রা নদী তীরে ভৈরব পাহাড়ে, উজ্জয়িনী শহর হতে একটু দূর, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উপরের ওষ্ঠ
শক্তি – অবন্তী
ভৈরব – লম্বকর্ণ

(৪০) স্থান - বাণী, নাসিক, মহারাষ্ট্র, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - চিবুক/থুতনি
শক্তি – ভ্রামরী
ভৈরব – বিকৃতাক্ষ

(৪১) স্থান - সর্বশৈল বা গোদাবরীতীর, কোটিলিঙ্গেশ্বর মন্দির, গোদাবরী নদী তীর, রাজামুন্দ্রী, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গাল
শক্তি – রাকিনী বা বিশ্বেশ্বরী
ভৈরব – বত্সনাভ বা দণ্ডপাণি

(৪২) স্থান - বিরাট, ভরতপুরের নিকট, রাজস্থান, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের আঙ্গুল
শক্তি – অম্বিকা
ভৈরব – অমৃতেশ্বর

(৪৩) স্থান - রত্নাবলী, রত্নাকর নদী তীর, খানাকুল-কৃষ্ণনগর, হুগলী জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান স্কন্ধ বা কাঁধ
শক্তি – কুমারী
ভৈরব – শিব

(৪৪) স্থান - মিথিলা, জনকপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিকট, ভারত-নেপাল সীমান্তে
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম স্কন্ধ বা কাঁধ
শক্তি – উমা
ভৈরব – মহোদর

(৪৫) স্থান - নলহাটী, নলহাটী স্টেশনের নিকট, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - শ্বাসনালীসহ কন্ঠনালী
শক্তি – কালিকা দেবী
ভৈরব – যোগেশ

(৪৬) স্থান - কর্নাট, কঙ্গরা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উভয় কর্ণ বা কান
শক্তি – জয়দুর্গা
ভৈরব – অভিরু

(৪৭) স্থান - বক্রেশ্বর, পাপহর নদী তীরে, শিউরী শহর হতে ২৪ কি.মি., দুবরাজপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ৭ কি.মি.,বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ভ্রুযুগলের মধ্যবর্তী অংশ
শক্তি – মহিষমর্দিনী
ভৈরব – বক্রনাথ

(৪৮) স্থান - যশোরেশ্বরী, ঈশ্বরীপুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হাতের তালু ও পায়ের পাতা
শক্তি – যশোরেশ্বরী
ভৈরব – চন্দা

(৪৯) স্থান - অট্টহাস গ্রাম, দক্ষিণীদিহি, বর্ধমান জেলা, কাটোয়া রেলওয়ে স্টেশনের নিকট, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ওষ্ঠ বা ঠোঁট
শক্তি – ফুল্লরা
ভৈরব – বিশ্বেশ

(৫০) স্থান - নন্দিকেশ্বরী মন্দির, সৈন্থিয়া, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতদেহ খন্ড বা
অলঙ্কার - গলার হার (অলঙ্কার)
শক্তি – নন্দিনী
ভৈরব – নন্দিকেশ্বর

(৫১) স্থান - হিংলাজ বা হিঙ্গুল, করাচী হতে প্রায় ১২৫ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, পাকিস্তান
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ব্রহ্মারন্ধ্র (মস্তিষ্কের অংশ)
শক্তি – কোট্টরী
ভৈরব – ভীমলোচন
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233272388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
Website:apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180511081531

Friday, May 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাড়িতে শান্তি রাখতে করনীয়

বাড়িতে শান্তি রাখতে করনীয়


# বাড়ীতে শান্তি রাখার জন্য করণীয় #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
শান্তির জন্য কেউ দেবদর্শনে বিভিন্ন স্থানে যান, তীর্থে যান, আবার কেউ বাড়ির মন্দিরেই খুঁজে পান সেই শান্তি বা তাঁর ইষ্টদেবকে৷ তবে জানেন কি কোন ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখতে নেই? তর্ক-বিতর্ক এই নিয়ে চলতে থাকেই তবে সে সব একটু দূরে রেখে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
(১)মা লক্ষ্মীর বসে থাকা অবস্থার ছবি বাড়ির মন্দিরে রাখতে পারেন৷ এই বিরাজমান অবস্থায় মা লক্ষ্মীর ছবি সবথেকে শুভ হয় বলে মনে করা হয়৷ ধন-সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ থাকে বলেও মনে করেন অনেকে৷
(২)মা দুর্গা সাক্ষাৎ শক্তির আধার৷ কিন্তু বাড়িতে কখনোই মা-এর রুদ্র রূপের ছবি বা মূর্তি রাখা নাকি উচিত নয়৷ বলা হয়, মা-এর এই ক্ষোভের ছবি-মূর্তি বাড়িতে রাখলে, পরিবারে অশান্তি-কলহ বাড়তে পারে৷ বাড়িতে তাই সর্বদা মা-এর শান্তরূপের ছবি রাখতে হয়৷
(৩)অনেকেই জানেন, তাও যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য বলে রাখা ভালো, বাড়ির মন্দিরে শনিদেবের মূর্তি রাখা উচিত নয়৷ কারণ শনিদেবের পূজোর জন যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন হয়, তা বাড়িতে সম্ভব নয়৷ বাড়ির বাইরেই তাই এই দেবতার পুজো হয় এবং শনিদেবের প্রসাদ বাড়ির বাইরেই খাওয়া হয়৷
(৪)ভগবান শিবের তাণ্ডবের মূর্তিও বাড়ির মন্দিরে না রাখলেই মঙ্গল৷ যে মূর্তিতে মহাদেব তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন, সেই মূর্তিকে শুভ মনে করা হয়৷
(৫) বাড়ীতে সাদা ও কালো শিবলিঙ্গ একসঙ্গে পাশাপাশি রাখতে নেই।
(৬)মন্দিরে একই দেবতার দুটি মূর্তি রাখতে অনেকে নিষেধ করেন৷ আর যদি তা রাখতেই হয় তাহলে মুখোমুখি রাখুন, পাশাপাশি নয়৷
(৭) বাড়ীতে কনো তামার যন্ত্রম্ রাখবেন না ।
কারন যন্ত্রম রাখলে তার ইষ্টদেবীর নিত‍্য পূজা - দরকার
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
FEES RS 751/=

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180511081220

Thursday, May 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সিদ্ধীদাতা গনেশ

সিদ্ধীদাতা গনেশ

শুভ রাত্রি
**** গনেশ ****
সিদ্ধিদাতা শিব গৌরী পুত্র গণেশ মহারাজ ছিলেন
বুদ্ধিতে সুনিপুণ । পুরাণ গুলিতে এমন বহু ঘটনা আছে
। এক সময়ের কথা , মাতা উমা ঠিক করলেন দুই
পুত্রের বিবাহ দেবেন । সেইমতো শর্ত
হোলো যে আগে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা
করে আসতে পারবে তার বিবাহ অগ্রে দেওয়া
হবে । এই শুনে কুমার স্কন্দ, তাঁর বাহন ময়ূরে
চেপে পৃথিবী পরিক্রমা করতে বের হলেন।
গণেশ মহারাজ চিন্তায় পড়লেন। তাঁর বাহন মূষিক।
মূষিকে চেপে সাতবার পৃথিবী পরিক্রমা করতে
কয়েক যুগ চলে যাবে। মঙ্গলমূর্তি গণেশ জী
তখন শিব পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে
বললেন- “পিতা মাতা। আমার পৃথিবী পরিক্রমা হয়ে
গেছে ।” হরগৌরী আশ্চর্য হয়ে বললেন-
“সেকি? তুমি তো পরিক্রমা করতে গেলেই না,
কিভাবে পরিক্রমা হোলো?” বক্রতুণ্ড গজানন
বললেন- “পিতামাতাই সন্তানের কাছে ভগবান, পিতামাতাই
সন্তানের কাছে জগত। তাই আপনাদের পরিক্রমা
করে আমার জগত পরিক্রমা হয়ে গেছে।”
হরগৌরী বুঝলেন সিদ্ধিদাতার বুদ্ধি তীব্র। রিদ্ধি ও
সিদ্ধি নামক দুই কন্যার সাথে গণেশের বিবাহ দিলেন।
গণেশের দুই পুত্র ও এক কন্যা। পুত্রদের নাম শুভ
ও লাভ, কন্যার নাম সন্তোষী । পুরানে এমন ঘটনা
বেদব্যাস লিখেছেন যাতে আমরা পিতামাতার সেবা
করি ।
গণেশের আর এক বুদ্ধি । মূষকরাজ নামক এক অসুর
ছিলেন । তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বর্গচ্যুত
দেবতারা কৈলাসে এসে ভগবান শিবের কাছে সকল
বৃতান্ত বললেন। ভগবান শিবের নির্দেশে গণেশ
অসুরপুরী আক্রমণ করে অসুর নিধন শুরু করলেন
। মূষকরাজ যুদ্ধে আসলে গণেশ জী চাতুরী
দ্বারা তাকে মূষিকে পরিণত করে বিশাল দেহ নিয়ে
মূষিকে বসলে , মূষকরাজের দফারফা শেষ হতে
লাগলো। মূষকরাজ ক্ষমা চাইলে গণপতি বর দিয়ে
বললেন- “আজ থেকে তুমি আমার বাহন, তুমিও আমার
সাথে পূজা পাবে। তোমার স্কন্ধে আমি ক্ষুদ্র
পুষ্পসম ওজন পরিগ্রহ করে অধিষ্ঠান করবো। তখন
তোমার কষ্ট হবে না।” ভিন্ন মতে স্বর্গের
কোনো এক গন্ধর্ব কোনো মুনি শাপে
মূষিকে রূপান্তরিত হয়ে সেই মুনির আশ্রমে তাণ্ডব
আরম্ভ শুরু করে। তখন মুনির প্রার্থনায় গণেশ
মহারাজ প্রকট হয়ে সেই মূষিক কে বাহন বানান ।
একদিনের ঘটনা। গজানন মূষিকে অধিষ্ঠান করে
যাচ্ছিল্লেন। পথে মূষিকের শত্রু এক নাগ কে
দেখে মূষিক ভীত হয়ে হঠাত থেমে গেলে
আচমকা গণেশ জী মূষিক থেকে পড়ে যান।
সেসময় চন্দ্রদেব গণেশ জীর স্থূল দেহ ও
হস্তীমুখ নিয়ে ব্যাঙ্গ করলে গণেশ জী
চন্দ্রদেবকে অভিশাপ করেন । পরে চন্দ্রদেব
গণেশ জীর আরাধনা করে শাপ থেকে মুক্তি পান
। ভাদ্রমাসের নষ্টচন্দ্র দিন চন্দ্র দর্শন করলে নাকি
সেই অভিশাপ লাগে বলে পুরাণে লেখা। বলা হয়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেইদিন চন্দ্র দর্শন
করেছিলেন, এরপর মণি অপহরণের ঘটনা ঘটে। যাই
হোক ব্যাস মুনি পুরানে আমাদের এই শিক্ষা
দিয়েছেন যে কারোর দেহ দেখে তাকে
ব্যাঙ্গ উপহাস করতে নেই। ভাদ্র মাসের নষ্টচন্দ্র
দর্শন তিথিতে চন্দ্র দর্শন করলে পরদিন প্রভাতে
গণেশ জীকে দূর্বা দ্বারা পূজা করতে হয়- নচেৎ
সেই শাপ লেগে যায় বলে পুরাণে লেখা ।
একদা কুবের নিজ দর্প প্রদর্শনের জন্য গর্বে
বুক ফুলিয়ে কৈলাসে শিব কে নিমন্ত্রণ করতে
আসেন । ভগবান শিব অন্তর্যামী । তিনি কুবের কে
শিক্ষা দেবার জন্য গণেশ কে পাঠালেন । গণেশ
এসে কুবের মহলে গ্রেগ্রাসে এত খাবার
খেতে লাগলেন, যে কুবের ভবন খাদ্যশূন্য
হোলো। কুবের এসে মহাদেবের কাছে ক্ষমা
চাইলে মহাদেব গণেশ কে ফিরিয়ে আনলেন। এই
জন্য কদাপি গর্ব করা উচিৎ নয় । একবার কৈলাসে সমস্ত
দেবতা ও ত্রিদেব ত্রিদেবী উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন না শুধু গণেশ । সেসময় সিন্দুর নামক এক
অসুর এসে সমগ্র কৈলাস কে হাতে তুলে সমুদ্রে
নিক্ষেপ করতে চাইলেন। ভগবান শিব ভাবলেন
কপাল নয়ন অগ্নি দিয়ে সেই অসুরকে ভস্ম
করবেন । কিন্তু ভাবলেন অসুরের হাতে সমগ্র
কৈলাস। এই মুহূর্তে অসুরকে ভস্ম করা উচিৎ না । উপায়
না দেখে গণেশ কে স্মরণ করলেন। গণেশ
এসে তাঁর দন্ত দিয়ে সিন্দুর অসুরকে টুকরো
করে দিলেন । মহাভারত এর লেখক ছিলেন গণেশ
। ব্যাসদেব শ্লোক বলতেন , গণেশ মহারাজ তাঁর
দন্ত ভেঙ্গে কলম বানিয়েছিলেন সেটা নিয়ে
লেখতেন । গণেশ জীর যে হস্তীমুণ্ড সেটা
ঐরাবত হস্তীর মুণ্ড। দুর্বাসা মুনির অভিশাপে
ঐরাবতের ওরকম হয়েছিলো। তবে মুণ্ড কাটার পর
ঐরাবত মরে নি। দুর্বাসার আশীর্বাদে ঐরাবতের
একটি মুণ্ড গজিয়েছিলো । গণেশ জী মঙ্গল
মূর্তি। নতুন ব্যবসা, নতুন কিছু কেনা বা গৃহ নির্মাণের
আগে বা যেকোনো পূজায় অগ্রে গণেশের
পূজা করা উচিৎ । যাত্রা কালে গণেশ নাম উচ্চারন
করলে যাত্রা নিস্কণ্টক হয় । গণেশ পূজায় চতুর্বিধ
ফল লাভ, গ্রহ দোষ খণ্ডন ও সুখ, সমৃদ্ধি, আয়ু, যশ,
মান, অর্থ, সম্পদ প্রাপ্তি হয় । এজন্য ভারতের
সিনেমা নির্মাতা তথা মুম্বাই তে গণেশ পূজার এত ঢল।
কালক্রমে গোটা দেশে বিস্তৃতি হয়। আগামী কাল
গণেশ চতুর্থী, গণেশের আবির্ভাব তিথি । আসুন
গণেশ জীকে প্রনাম জানিয়ে বলি-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।।
প্রাতঃ স্মরামি গণনাথমণাথবন্ধুং
সিন্দুরপুরপরিশোভিতগণ্ডযুগ্মম্ ।
উদ্দণ্ডবিঘ্নপরিখণ্ডনখণ্ডনচণ্ড-
মাখণ্ডলাদিসুরনায়কবৃন্দ্যবন্দ্যম্ ।। ১
প্রাতর্ণমামি চতুরাননবন্দ্যমান-
মিচ্ছানুকূলমখিলঞ্চ বরং দদানম্ ।
তং তুন্দিলং দ্বিরসনাধিপযজ্ঞসূত্রং
পুত্রং বিলাসচতুরং শিবয়োঃ শিবায় ।। ২
প্রাতর্ভজাম্যভয়দং খলু ভক্তশোক-
দাবানলং গণবিভুং বরাকুঞ্জরাস্যম্ ।
অজ্ঞানকাননবিনাশনহব্যবাহ-
মুৎসাহবর্ধনমহং সুতমীশ্বরস্য ।। ৩
শ্লোকত্রয়মিদং পুণ্যং সদা সাম্রাজ্যদায়কং ।
প্রাতরুত্থায় সততং প্রপঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।। ৪
বঙ্গানুবাদ- যিনি অনাথবন্ধু, যাঁহার গণ্ডদ্বয়
সিন্দুরস্রোতে পরিশোভিত, যিনি প্রবল বিঘ্নের
বিনাশক প্রচণ্ড দণ্ডস্বরূপ , যিনি ইন্দ্র প্রভৃতি
দেবনায়কগণের দ্বারা পূজিত , সেই গণেশকে
আমি প্রাতঃকালে স্মরণ করি । ১ যিনি ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত
এবং ইচ্ছানুযায়ী অখিল বর দান করেন, যিনি স্থূলোদর
, বাসুকিনাগ যাঁগার যজ্ঞোপবীত, যিনি বিলাস নিপুণ, আমি
শিবদুর্গার সেই পুত্রকে মঙ্গলের নিমিত্ত
প্রাতঃকালে প্রনাম করি । ২ যিনি অভয়দাতা, যিনি
ভক্তগণের শোকদহনকারী দাবাগ্নিস্বরূপ , যিনি
অজ্ঞানরূপ বনের বিনাশক অগ্নিস্বরূপ এবং
উৎসাহবর্ধক, সেই মহেশ্বর- পুত্রকে আমি
প্রাতঃকালে ভজনা করি । ৩ এই পুণ্য শ্লোকত্রয়
সর্বদা সাম্রাজ্যদায়ক; পুরুষ ইহা প্রাতঃকালে
গাত্রোত্থান করিয়া সর্বদা ভক্তিসহকারে পাঠ করিবে
ঔঁ গাং গনেশায় নমঃ।
ঔঁ বক্রতুণ্ডায় হূং ।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
E-MAIL ADDRESS :apnbkm.09@gmail.com
ONLINE PORISEVA DEWA HOI

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180510215713

Thursday, May 10th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নারী ওপুরুষের লক্ষনগত কিছু ফল

নারী ওপুরুষের লক্ষনগত কিছু ফল

সুপ্রভাত
#নারী ও পুরুষের লক্ষণগত কিছু ফলাফল #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
অঙ্গ প্রতঙ্গের কিছু কিছু লক্ষনগত ফলাফল নারী পুরুষ উভয়ের বেলায় একই, তাই এক সঙ্গে শুভাশুভ লক্ষনগত বৈশিষ্টের আলোচনা করা হল।
নারীদের চোখ দুটো টানা টানা, গাল ভরাট, কন্ঠের হাড় দেখা যায় না এরূপ হলে সেই নারী অধিক সুলক্ষন যুক্তা, এরা সংসার জীবনে স্বামী সন্তানের কল্যাণকারী হয়ে থাকে। কন্ঠের হাড় দেখা গেলে তা অশুভ ছাড়াও বিপরীত ফল প্রদান করে। পুরুষদের কন্ঠের হাড় বেরিয়ে থাকা মঙ্গল কর। এরা সুর সঙ্গীত প্রিয়, দৃঢ়চেতা, প্রতিভাবান এবং প্রেমিক হয়। এদের কন্ঠের স্বর প্রায় সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারন হয়। অবশ্য এদের রাগ ও জেদ একটু বেশী হয়। এক কথায় কন্ঠের হাড় বেরিয়ে থাকা পুরুষেরা বহু নারীর বিপরীত ক্রমে নারীরা বহু পুরুষের মনরঞ্জনে সমর্থ হয়ে থাকে। এক কথায় পুরুষেরা খ্যাতিমান হয় আর নারীরা যায় অধঃপতনে, রটে সামাজিক দুর্নাম।
পুরুষদের নাকের ডগা বাঁকা হলে পরিণত বয়সের কোন এক সময়ে এরা নেশায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। সুন্দর টিকালো নাকের পুরুষেরা মহাসৌভাগ্যবান আর নারীরা হয় অধিক সুলক্ষনা। এরা সমাজে দ্রুত প্রতিষ্ঠা পায় ও সংসার সমাজে সুখী জীবন যাপন করে। পার্থিব জগতের প্রায় সকল আশা আকাঙ্খাই পুরণ হয়। সংগ্রাম এদের জীবনে সহজাত ধর্ম তবে জীবনের মধ্যভাগ অবধী কাটে নানান প্রকার প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে। নাক খুব ছোট বা বেটে, বসা এরুপ নারী পুরুষদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা, সাধন ভজন ও ধর্মের প্রতি কোন রুপ আকর্ষণ থাকে না। নীতি বিরুদ্ধ কাজ করতে এরা কখনই দ্বিধা করে না।
দাঁত অত্যাধিক বড় হলে সেই নারী পুরুষেরা জীবনে নানান প্রকার অসুখ বিসুখে ভোগে। এরা স্বভাবে অনেকটাই ভিতু প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের দাম্পত্য জীবনে অমিল ছাড়াও মামলা মকদ্দমা বা শালিশীর মাধ্যমে দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটে। আঁকা বাঁকা, এবড়ো থেবড়ো,সুন্দর ও সাজানো নয় এরুপ দাঁতের নারী পুরুষেরা নিজে যেমন শান্তি পায় না তেমনি অপরের শান্তি নষ্ট করতে মোটেও কুন্ঠিত হয়না। এরা নিজের স্বাথের্র বাইরে একটি পা-ও বাড়াতে নারাজ। অনেক সময় এরা নিজেরা অবৈধ প্রেমে লিপ্ত হবে, আবার সন্দেহ করবে স্বামী বা স্ত্রীর উপর। এক কথায় এদের মনটা যেন কুটিলতায় পূর্ণ।
দাঁত দেখতে সুন্দর সাদা ধবধবে দুধের মতন এমন নারী পুরুষের জীবনে বিলম্বে হলেও সুখ, শান্তি ও প্রতিষ্ঠা লাভ হয়। সংসারের সকলের প্রতি অন্তর দৃষ্টি রাখেন। উপকার করে বদনামের ভাগী হন তবুও উপকার করেই চলেন। এরা হয় দেশ ও দশের সত্যিকারের প্রেমিক বা প্রেমিকা। নারীদের উপরের পাটির সামনের দুটি দাঁত বড় মাঝ খানে ফাঁকা এবং অন্য সকল দাঁত সুন্দর সুচারু রুপে সজ্জিত হলে তারা পিতৃকুলের দুর্নাম বদনামের কারক হলেও সংসার জীবনে ঠিকই সুখী হয়। বিবাহিত জীবন পবিত্রতায় ভরা ছাড়াও শেষ জীবনে প্রচুর ধার্মিক হয়। উক্ত দুটি দাঁত স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক বড় নজরে পড়ার মতন হলে অবশ্য এরা স্বভাবজাত ভাবে অধিক কৃপন হয়। এদের স্বামীরা প্রচুর সন্দেহ বাতিক গ্রস্থ হয়। এদের বিবাহিত জীবনে ছাড়াও যৌনজীবনে প্রায়ই সুখ হয় না।
ঠোঁট পাতলা, ছোট ও মোলায়েম হলে সেই নারী পুরুষেরা অত্যন্ত শৃঙ্গার প্রিয় হয়। এরা প্রেম অথবা বিবাহিত জীবনে বিপরীত লিঙ্গকে শৃঙ্গার আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারে। দুটি ঠোঁটই সমান কোনটি মোটা বা পাতলা নয় এমন নারী পুরুষরা প্রথম জীবনে প্রচুর কষ্ট পেলেও শেষ জীবন অনেকটাই সুখের হয়। মেয়েদের ঠোঁট সামান্য মোটা সেই সঙ্গে দাঁতের মাড়ি ও সামান্য উচু হলে এদের সাংসারিক জীবন সুখের হয় না। স্বামী সন্তান থাকা সত্ত্বেও অন্য পুরুষের সান্নিধ্য পাবার জন্য একেবারেই বিকারশুন্য হয়ে পড়েন। অমসৃন ঠোঁটের মাঝখানটা সামান্য নিচু হলে সেই নারী পুরুষ জীবনে অনেক দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করে। দুটি ঠোঁটই নিখুঁত সুন্দর সমান সেই সঙ্গে গাল বড় নয় মানানসই হলে সেই নারী পুরুষ সংসার সমাজে সুখী ও প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত পাতলা সুন্দর ঠোঁট যেন দেখলেই সহজে নজরে পড়ে এরুপ নারী পুরুষেরা অত্যন্ত শৃঙ্গার প্রিয় ও কামকলা কুশলী হয়। নিজেরা যেমন নানান প্রক্রিয়া বা ভঙ্গিমায় শৃঙ্গার রস উপভোগ করতে ভালবাসে তেমনই করায় বিপরীত লিঙ্গকে। পাতলা ছোট এবং মসৃন ঠোঁটের নারী পুরুষেরা সংসার সমাজের সমস্ত কাজ সুন্দর পরিপাটি রুপে করতে ভালবাসে। পুরুঠোঁটের মানবেরা মুখরা বা ঝগরাটে হয় আর বড় ঠোঁটের মানব চরিত্রহীন লম্পট হয়।
কান অত্যন্ত ছোট এবং দুটি কানই সমান ও সুন্দর লোমযুক্ত ও শিরাহীন, সেইসঙ্গে মাথার চুল কোঁকড়া হলে সেই নারী পুরুষেরা শত প্রতিকুলতার মধ্যদিয়েও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুখ শান্তি সমৃদ্ধি ভোগ করে। এরা হয় প্রকৃত জ্ঞানী, বিদ্যান, যশস্বী ছাড়াও জীবনে অপরিসীম ছাপ রেখে যায়। মধ্য বয়সের পর এদের জীবনের সকল প্রকার আশা আকঙ্খাই পূরণ হয়ে থাকে। কান অত্যন্ত ছোট মুখ মণ্ডলের সাথে কোন ক্রমেই মানান সই নয় এরুপ নারী পুরুষেরা অধিক কৃপন ও নীচু মনের প্রতিক। কান অত্যাধিক বড় হলে সেই জাতক জাতিকাদের জীবনে একদিকে যেমন বিরল প্রতিভায় প্রতিভাবান্বিত হয় অন্য দিকে থাকে টাকা পয়সা চুরি, পরধন সম্পত্তি আত্মস্যাৎ করার ইচ্ছা, দস্যু বৃত্তি, ডাকাতি, লুটতরাজ ও মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস।
যে সকল নারীদের দেহ অনুপাতে মাথা ছোট তারা জীবনে কখনই শান্তি পায় না। এদের জীবন যেন জন্ম থেকেই জ্বলছি। এদের আচার ব্যবহার কথাবার্তা যেন অপরের শান্তি বিনষ্টের কারণ। তবে এরা প্রায়ই স্বভাবজাত ভাবে কৃপন হয়। মাথার চুল সামান্য কোঁকড়ানো গায়ের রং সামান্য ফরসা বা শ্যামলা, টিকালো নাক, দাঁতগুলো সাজানো সেই সঙ্গে ঠোঁট পাতলা হলে সেই নারীরা জীবন চলার পথের সকল বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংসার জীবনের সকল প্রকার ভোগ বাস নাই পূর্ণ হয়, তবে দাম্পত্য জীবনে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয় খুবই কম। এদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয় যদি তাদের প্রথম সন্তান কন্যা হয়।
টিকালো ও সুন্দর সুশ্রী নাকের নারী পুরুষেরা সমাজে লোকপ্রিয়, সহজ, সরল থেকেও জীবনে প্রচুর অর্থের অধিকারী হয়। তবে এসব জাতকদের রাগ জেদ ও অভিমান বেশী থাকায় বিবাহিত জীবনে মনোমালিন্যতা যেন এদের নিত্য সঙ্গী। মুখমন্ডলের তুলনায় নাক ছোট অর্থাৎ মানান সই নয় অথবা নাক অতিরিক্ত লম্বা হলে সেই নারী বা পুরুষের সংসার ও দাম্পত্য জীবন শত চেষ্টায়ও সুখের করতে পারেনা। তবে এই সব জাতক জাতিকাদের বিবাহ হয় সম্ভ্রান্ত ও প্রতিষ্ঠিত পরিবারে।
মুখ মন্ডলের আকৃতি চারকোনা বিশিষ্ট এবং মাথাটা একটু বড় যা সহজে দেখলেই বোঝার মতো এরুপ নারী পুরুষেরা অত্যন্ত চালাক, চতুর ও উদার হয়। এরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পারে না এমন কোন কাজ নেই। এদের বিবাহিত জীবন প্রায়ই সুখের হয় না। পুরুষ হলে স্ত্রীর বশ আর নারী হলে স্বামীর বশ হয় এবং একে অপরের প্রশংসার পঞ্চমুখ থাকে। এরা হয় শশুর কুলের ভক্ত তবে পরিচিত মহল বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে সর্বদাই বিপরীত কথা বলে। কারও পিছনে এরা এক টাকা ব্যয় করলে বিপরীত পথে পাঁচ টাকা তুলে নিয়ে তবেই ছাড়বে।
পুরুষ লোকদের বুকে লোম থাকলে তারা হয় প্রেমিক, বিলাসী, উদার, সুন্দর মানসিকতার ও রোমান্টিকতায় পূর্ণ। এদের বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হয় প্রায়ই প্রেম করে অথবা পরিচিত জনের মধ্যে। এদের হৃদয় সর্বদাই স্নেহ দয়া, মায়া মমতায় পূর্ণ। সংসার জীবনে সুখী হতে নিজের প্রচেষ্টাই বেশী, অন্যকে নিয়ে এরা কখনই মাথা ঘামায় না। এরা অত্যন্ত অভিমানী হওয়ায় সংসার সমাজ সহ সমস্ত অঙ্গনে প্রতারিত হয়, বিপরীতে পুরুষদের বুকে মাথার চুলের ন্যয় অতিরিক্ত লোম বা একে বারেই না থাকা বা সামান্য দুএকটি লোম থাকলে তা বিপরীত ফল প্রদান করে। বুকে লোমহীন পুরুষেরা অধিকাংশই হীন মনের, স্বার্থপর ও নির্দয় হয়। এরা নিজের ও পরিবারের বাইরে অন্য কাউকে বা জগৎকে নিয়ে কোন রুপ ভাবে না। স্ত্রীর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বা খরচের পাই টু পাই হিসাব বা অযথা নানান আছিলায় সাংসারিক শান্তি নষ্ট করে।
পুরুষদের পিছনে কোমরের ঠিক নিচে খানিকটা অংশে লোম থাকা মহাসৌভাগ্যের চিহ্ন। এদের জীবনে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বা বয়সের তালে তালে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। লোম শুন্য হাত পা ও বুকের পুরুষেরা ধুর্ত, প্রতারক, শয়তান ও বদমাস হয়। শিরা এবং লোমহীন বাহুর মেয়েদের ভাগ্য অধিক সুপ্রসন্ন থাকে। সংসার সমাজ ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেএে নারীদের বাহু শিরাবহুল হলে তাদের জীবনের অধিকাংশ সময়েই শোক দুঃখের অশ্রজল ঝরে। হাতের তালু শুকনো এবং শিরাবহুল হলে সেই নারী ও পুরুষদের জীবন ব্যাপি দুঃখ ও দারিদ্র দশায় বসবাস করতে হয়। জীবন ব্যাপি দুঃখ, কষ্ট ও যন্ত্রনা কাকে বলে তা এরা হাড়ে হাড়ে টের পায়।
নারীদের পায়ের পাতা ও আঙ্গুল সুন্দর পরিপাটি সেই সঙ্গে নখ পদ্ম ফুলের পাপড়ীর ন্যায় স্নিগ্ধ সুন্দর যা দর্শনেই মনজুড়িয়ে আসে এরূপ নারীরা সাংসারিক জীবনের সকল কামনা বাসনা পূর্ণ করতে সক্ষম হলেও বিবাহের পুর্ব ও পরবর্তী কালে পরপুরুষের সঙ্গে একাধিকবার প্রেমপ্রীতিতে জড়িয়ে দেহ, মন দুটোই সপে দেয় যারদরুন মান মর্যাদা সমুলে বিনাশ হয়। তথাপি এরা জীবনে অঢেল অর্থের অধিকারিনী হয়। নারী পুরুষদের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের তুলনায় পাশের আঙ্গুলটি লম্বায় বেশী হলে এদের অর্থ, যশ, মান, মর্যাদা দিন দিন বৃদ্ধি পায় ছাড়াও এরা হয় উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। কিন্তু এদের চরিত্রের ব্যাপারে অবশ্য সন্দেহ থেকেই যায়। বিপরীতে ঐ আঙ্গুলটি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমাঙ্গুলির চেয়ে ছোট হলে সেই নারী পুরুষেরা দাম্পত্য জীবনে রমনে অতৃপ্ত হয়। যারফলে এরা পরনারী বা পরপুরুষের প্রতি প্রবল রুপে ঝুকে পড়ে কামলালসা চরিতার্থ করার জন্য। এরা নিজেদের বুদ্ধির দোষে মদ্য, নেশা, বারবনিতায় গমন প্রভৃতি পথে গোপনে সঞ্চিত অর্থ নষ্ট করে।
নারী পুরুষের পায়ের পাতা শিরাবহুল, থ্যাবড়ানো, অসংলগ্ন, আঙ্গুলগুলো বেঁটে বেঁটে ও শ্রীহীন অর্থাৎ দেখতে কুশ্রী এদের জীবনে জীবনভর কমবেশী আর্থিক কষ্ট থেকেই যায়। এদের জীবনে স্বামী, সংসার, সন্তান সবই হয় কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। এদের স্বামী বিপরীত ভাবে স্ত্রী বিবাহের পরও অন্য নারী বা পুরুষের উপর দেহমন সপে দিয়ে জীবনে আত্মতৃপ্তি লাভ
করে। পায়ের পাতা অধিক লম্বা সেই সাথে চোখ উচু হলে সেই নারীরা জীবনে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়। হাটার সময় প্রতি পদে শব্দ হলে সেই মানব সংসার জীবনে প্রায়ই অসুখী হয়। চলার সময় সোজা সামনের দিকে তাকানো নারী পুরুষেরা প্রতিবাদী, জেদী ও একরোখা হয়। এদের জীবনে প্রায়ই আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক থাকে না। নারীদের হাঁটার সময় আন্দোলিত হলে তারা বহু পুরুষের উষ্ণ স্পর্শে জীবন কাঁটায় ও আনন্দ পায়।
সাধারনের চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন নারী পুরুষেরা জীবনে বেশী সফল হয়। মধ্য বয়সের পর নিজস্ব বুদ্ধিমওায় এরা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। সাধারণ গতি সম্পন্না নারীদের সংসার জীবনের সকল আশা আকাঙ্খা পুরণ হলেও স্বামীর আদর সোহাগ, প্রেম ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়। দাম্পত্য জীবনে মনের মিল খুব একটা হয় না। এদের বিবাহ হয় প্রায় ক্ষেএে প্রেম করে অথবা পরিচিত জনের মধ্যে। রাজ হংসের ন্যায় ধীরগতি সম্পন্না নারী অধিক সুলক্ষনা হয়।
হাঁসার সময় যাদের শরীর কাঁপে না, মাথা ঝাকে না, হাসির শব্দ অষ্ফুট হয় না বা মৃদু হাঁসি যুক্ত নারী, পুরুষেরা অত্যন্ত সুলক্ষন যুক্ত ছাড়াও আজীবন ভাগ্য থাকে সুপ্রসন্ন। এরা জগতে প্রচুর লোকপ্রিয় হয়। সংসার সমাজের মান, যশ প্রতিষ্ঠা সহ জীবনের সকল প্রকার আশাই পূর্ণ হয়। প্রেমে পড়তে পারলেই যেন এরা পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করে। এদের বিবাহ সচরাচর আত্মীয় স্বজন বা পরিচিত জনের মধ্যে হয়ে থাকে। মুখে হাসি একেবারেই কম, অনিচ্ছায় হাঁসে বা জোর করে হাঁসি আনে এরুপ নারী পুরুষেরা নরম, কোমল ও মলিন মনের হয়। এদের বিবাহিত জীবন অশান্তিময় ছাড়াও দাম্পত্য জীবনে অকালে বিচ্ছেদ ঘটে। বিকট ও উচ্চ স্বরে হাঁসা নারী পুরুষদের সাংসারিক জীবন কখনই সুখের হয় না। পদে পদে ঠকে ও প্রতিটা কাজেই বাঁধা পায়। প্রাণ খোলা হাঁসি সেই সঙ্গে হাঁসির আওয়াজ হালকা হলে সেই নরনারী সৎ, সরল উদার, যশস্বী ও উত্তম মানসিকতার অধিকারী হয়। হাসির সময় প্রায়ই কাশি হলে সেই নরনারীগন জীবন সংগ্রামে কোন প্রকারেই জয়ী হতে পারে না।
স্বামীর চেয়ে স্ত্রী লম্বায় বড় হলে সেই স্ত্রী স্বামীর সংসার সন্তান সহ প্রতিষ্ঠা জীবনের সার্বিক উন্নতিতে জোরালো সহযোগী ও সফল হয়। লম্বা পেটের মেদহীন নারীরা কাম কলায় পারদর্শিনী হয় না। এরা স্বামীর শৃঙ্গার রস নিজে উপভোগ করে। এদের জীবনের শৃঙ্গারের যে আনন্দময় রসানুভুতি তা বিপরীত লিঙ্গের কাছে থেকে যায় অনাস্বাদিত। মোট কথা লম্বা পেট বা বেমানান ছোট পেটের নারীরা যেন শৃঙ্গারের অর্থই অবুঝ থাকে। তথাপিও এটা জানার কোনরূপ আগ্রহই থাকে না।
পূজা পার্বন, সাধন ভজন অথবা অন্যের দুঃখে যে নারীর দুচোখ ভরে জল আসে এবং অনবরত অশ্রজল ঝরে সেই নারী উদার পরোপকারী ও উন্নত মনের অধিকারিণী হয়। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস আসক্তি ছাড়াও সর্বদাই সাধন ভজনে আগ্রহী হয় তবে এদের স্বামীরা হয় প্রায়ই বিপরীত মানষিকতা সম্পন্ন। এদের ধর্ম ও আধ্যাত্ম বিষয়ক চিন্তা চেতনা একেবারেই থাকে না।
নারীর স্তন যুগল সুগোল, সমান উচ্চতায় স্থুল, লোমহীন স্তনবৃন্ত খুব ছোট বা খুব বড় নয় অর্থাৎ শিশু মাতৃ দুগ্ধ পানে কোনরুপ অসুবিধা বোধ করবেনা এবং স্তন বৃন্তের চারপাশ ঘন কালো হলে সেই নারী সাংসারিক জীবনে সুখ,
শান্তি, সমৃদ্ধি সহ সর্বাঙ্গীন প্রতিষ্ঠালাভ করে। নারীর স্তনে লোম থাকলে তাদের বিবাহিত জীবনে সুখ শান্তি বিনষ্ট হয়। বার বার সন্তান নষ্ট বা ক্ষেত্রে বিশেষে সন্তান লাভে বাঁধা ছাড়াও সন্তানের কারণে দাম্পত্য জীবনে চিরস্থায়ী বিচ্ছেদ ঘটে থাকে। স্তনবৃন্ত উন্নত ও বড় এবং বৃন্তের চারপাশের গোলাকৃতি অংশ খয়েরী বর্ণের বা ফ্যাকাশে কিংবা লাল হলে সেই নারী পারিবারিক জীবনে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখ শান্তি ভোগ করতে পারে না। এরা যৌন জীবনে অতৃপ্ত ও বিবাহোত্তর জীবনে একাধিকবার অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরিশেষে সেই প্রেমেও মানসিক আঘাত পায় এবং সর্বপরি উপায় অন্তর না পেয়ে বার বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে, এমনকি আত্মহত্যায় জীবন বিপন্ন হয়।
দীর্ঘ বাহুর নারী পুরুষেরা সংসার জীবন ছাড়াও আধ্যত্ম জীবনে প্রচুর উন্নতি, মানসিক শান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ করে। নারী দের বাহু ছোট এবং সেই সাথে হাতের চেটো ছোট ও আঙ্গুল গুলি খাট বা বেটে হলে সেই নারীর গর্ভের একাধিক সন্তান নষ্ট হয় ছাড়াও সন্তান বিষয়ক চরম অশান্তি, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হয়। সারাজীবনটাই বৈষয়িক চিন্তা চেতনা করতে করতে কেঁটে যায় হাতের তালু পুরুষের হাতের মতন এবং শক্ত হলে সেই নারীর বিবাহিত জীবনে দাম্পত্য সুখ চিরস্থায়ী হয় না। যার ফলে সেই নারী মানসিক কিংবা শারীরিক পরিতৃপ্তির জন্য পরপুুরুষে আসক্ত হয়ে পড়ে।
নারীদের হাতের আঙ্গুল ও ডগা সরু আর পুরুষের হাতের আঙ্গুল সুন্দর ও ডগা চৌকো না হয়ে গোলাকৃতি বিশিষ্ট হলে সেই নারী বা পুরুষ সংসার সমাজে ঠিকই প্রতিষ্ঠা পায়। এদের জীবনের সকল আশা আকাঙ্খা পূরণ হয় ঠিকই কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অতিমাত্রায় যৌন আবেদন ও আকর্ষণ থাকে। এই ভাবে ক্রমশ সবার অজান্তে গভীর প্রেমে তলিয়ে যায়।
লম্বা গলার নারী পুরুষেরা সারাজীবন আর্থিক দৈন্য দশায় পড়ে কষ্ট পায়। গলা ছোট হলে সেই মানব হিংসুক, ভয়ানক ছাড়াও দাম্পত্য জীবনে দুঃখী হয়। গলার উচ্চতা দেহের তুলনায় মানান সই হলে সেই নারী পুরুষেরা হয় সুলক্ষনযুক্ত।
উন্নত ও সুগোল গালের নারীরা সুলক্ষনা আর ভরাট পরিপূর্ণ গালের পুরুষেরা সমাজে গণ্য, মান্য, যশস্বী ও ধার্মিক হয়। সর্বদা দাঁত বেরিয়ে থাকা নারী পুরুষেরা ভয়ানক, নির্লজ্জ ও বেহায়া হয়। দাঁত কালো নারী পুরুষেরা সচরাচর পাপ কার্যে লিপ্ত হতে কোনরূপ দ্বিধা বোধ কর
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS: apnbkm.09@gmail.com
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
WEBSITE: www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180510213226

Wednesday, May 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনির দৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ

শনির দৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ

শনিদেবের অশুভ দৃষ্টির থেকে রক্ষা পেতে কেন হনুমানের শরণ নেওয়া হয়★★★
--------------------------
‘শনির দৃষ্টি’ শব্দটি মোটেই শ্রুতিসুখকর কিছু নয়। সাধারণত, এর দ্বারা দুর্ভাগ্যের এক বিশেষ পর্বকে বোঝায়। অথচ পুরাণ অনুযায়ী শনিদেব কারোর উপরে বিনা কারণে রুষ্ট হন না। আলস্য, কর্মবিমুখতা প্রভৃতি কারণেই শনিদেবের দৃষ্টি পড়ে কারোর উপরে। প্রতিকারের উপায় হিসেবে সেই পুরাণেরই শরণ নেন বিশেষজ্ঞরা। ‘হনুমান চল্লিশা’ পাঠ এবং শ্রী হনুমানের পূজা নিয়মিত করলে শনির প্রকোপ কমে আসে। এই বিশ্বাসের মূলেও কিন্তু রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি।

দেখা যাক ঠিক কী কী কারণে হনুমান প্রতিরোধ করতে পারেন শনির প্রকোপকে...........

• শনিদেব এবং হনুমান দু’জনেরই একটা যোগসূত্র রয়েছে। হনুমান শিবের অবতার। আর শনিদেব শিবভক্ত। তিনি শিবের কৃপাতেই তাঁর ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছেন।

• ‘সূর্য সংহিতা’ অনুসারে, হনুমান জন্মেছিলেন শনিবারেই। বহু শাস্ত্রেই উল্লিখিত রয়েছে, হনুমানের গাত্রবর্ণ শনিদেবের অনুরূপ।

• শনিদেবের পিতা সূর্যদেব হনুমানের শিক্ষাগুরু। শনিদেবের সঙ্গে পিতা সূর্যদেবের একবার যুদ্ধ পর্যন্ত হয়েছিল। সূর্যদেব হনুমানকে বিপুল ক্ষমতা দান করেন। তিনি শনিদেবকে প্রতিহত করতে পারেন।

• শনিদেবের আচরণ নিষ্ঠুর বলে প্রতিভাত হয়। কিন্তু, হনুমান সেই তুলনায় দয়ালু, প্রেমময়।

• শনিদেবের জন্ম অগ্নি থেকে। আর হনুমান পবনপুত্র। হুতাশনকে স্তিমিত করতে পারে পবনই।

• কথিত রয়েছে, হনুমান শনিদেবকে রাবণের কবল থেকে মুক্ত করেন। সে কারণে শনিদেব হনুমানের প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিদেব কথা দিয়েছিলেন তিনি হনুমানের ভক্তের কোনো ক্ষতি করবেন না।

• হনুমান ও শনিদেবের আর একটি দ্বন্ধের কথাও জানা যায়। একবার শনিদেব হনুমানকে তাঁর প্রভাবগ্রস্ত করার জন্য তাঁর স্কন্ধে আরোহণ করেন। হনুমান তাঁর দেহকে এতটাই বাড়িয়ে নেন যে, শনি বিপর্যস্ত বোধ করেন। শেষে শনিদেবকে হনুমান রেহাই দেন।

• শনিদেব ও হনুমানের মধ্যে একটা আধ্যাত্মিক যোগও রয়েছে। হনুমান আত্মত্যাগের প্রতীক। আর শনিদেবে অহংবোধকে চিহ্নিত করেন। সুতারং অহং থেকে জাত কর্মকে খণ্ডণ করতে পারে একমাত্র বিনয় ও আত্মবিলোপ। সেটা হনুমানের ছাড়া আর কেই বা করতে পারেন!

জয় হনুমান।
ইচ্ছে পূরণে জপে নিন হনুমান চল্লিশার ও মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র

হনুমান চল্লিশা হল রামায়নের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চল্লিশা৷ এই চল্লিশা অবধী ভাষায় লিখিত৷ চল্লিশটি চৌপাই দ্বারা রচিত কবিতা৷ এটি রচনা করেছিলেন তুলসীদাস৷ এই চল্লিশটি চৌপাইয়ের রয়েছে সুপ্ত বেশ কিছু ক্ষমতা৷ তবে, বেশ কিছু প্রাচীন পন্ডিতদের মতে, এই চল্লিশটি চৌপাইয়ের মধ্যে পাঁচটি চৌপাইয়ের মধ্যে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা৷ এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনার স্বাস্থ, সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে৷

রামায়ন মহাকাব্য থেকেই আমরা জানতে পেরেছি হনুমান ছিল রামের এক বড় ভক্ত৷ সে তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়টিই রামের হয়ে যুদ্ধ করে গিয়েছিলেন শত্রুদের সঙ্গে৷ সীতার আশীর্বাদে অমরত্ব লাভ করেছিল হনুমান৷ কথিত আছে, আজও যদি কেউ মন দিয়ে হনুমান চল্লিশা, সুন্দরকান্ড, রামচরিত মানস এবং রামায়ন পাঠ করেন তবে, সেই স্থানে এসে উপস্থিত হন হনুমানজি৷

তবে, হনুমান চল্লিশা ছাড়াও রয়েছে দূর্গা চল্লিশা, শিব চল্লিশা প্রমুখ৷ এগুলির মধ্যেও রয়েছে চল্লিশটি চৌপাই৷ কথিত আছে, এই চল্লিশটি চৌপাই কিংবা কবিতার স্তবক যদি কেউ কয়েকবার পড়েন তাহলে সকলের নাকি সেটি একেবারে মুখস্থ হয়ে যায়৷ এটি ছোট থেকে বড় সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ কথিত আছে, রামের পূজা করার আগে অবশ্যই করুন হনুমান পূজা৷ একটি নারকেল এবং সামান্য দক্ষিণা দিয়েই করতে পারেন এই পূজা৷ তবে পূজা করার সময় মন থেকে এই দুই ভগবানের নাম আপনাকে নিতেই হবে৷ কুশের আসন কিংবা লাল রংয়ের আসনে বসে হনুমানের পূজা করা আবশ্যিক৷

১) रामदूत अतुलित बलधामा। अंजनिपुत्र पवनसुत नामा৷ হনুমান পূজার সময়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আপনি সমস্ত রকম শারিরীক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন৷ ২) महाबीर बिक्रम बजरंगी। कुमति निवार सुमति के संगी। এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবেন৷ ৩) बिद्यबान गुनी अति चातुर। रामकाज करीबे को आतुर। যদি কোনও ব্যক্তি এই দুনিয়া থেকে জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে চান তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রোচ্চারণ করা আবশ্যিক৷ ৪) भीम रूप धरि असुर संहारे। रामचंद्रजी के काज संवारे। শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই এই মন্ত্রোচ্চারণ করুন৷ ৫) लाय संजीवन लखन जियाये। श्रीरघुबीर हरषि उर लाये। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন৷ সুফল মিলবেই৷
বীজমন্ত্র:হূং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হুঁ ফট স্বাহা ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180509132404

Wednesday, May 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশির প্রকারভেদ

রাশির প্রকারভেদ

১২ টি রাশিকে মোট চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা, আগুন রাশি, মাটি রাশি, বায়ু রাশি এবং জল রাশি। প্রতিটা ভাগে তিনটি করে রাশি রয়েছে।

১. আগুন রাশি- মেষ, সিংহ এবং ধনু এই তিনটি রাশি হল আগুন রাশি। আগুন রাশি হওয়ার কারনে এই তিন রাশির মানুষেরা বেশ উষ্ণ। হুট হাট রেগে যান। নিজের প্রতি সম্মান এদের বেশি। এরা সবসময় সবার উপরে উঠতে চায়। সব কাজে নেতৃত্ব এবং পরিচালনা করার মতন ইচ্ছা শক্তি, সাহস এবং ক্ষমতা এই তিন রাশির মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। আগুনের সাথে আগুনের বনিবনা হয় বেশি। ফলে মেষের সাথে সিংহ অথবা ধনু, আবার সিংহের সাথে মেষ অথবা ধনু এবং ধনুর সাথে মেষ বা সিংহের সম্পর্ক খুব ভাল হয়। বন্ধুত্ব হয়। আগুন রাশির মানুষেরা প্যাচ গোছ হীন। এরা Straightforward, Egoistic স্বভাবের। আগুন রাশির মানুষদের অভিমান বড্ড বেশি থাকে। বিশেষ করে আগুন রাশি মেষ আর সিংহের অভিমান বেশি। ধনুর অভিমান তুলনামূলক কম থাকে। আগুন রাশির মানুষেরা সবসময় তেজী স্বভাবের হয় খুব। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এদের বেশি থাকে খুব। ফলে কোন কিছুকে এরা অনায়েশেই জয় করতে পারে। এদের নিজের প্রতি সম্মান বেশি থাকায় এরা কারো কাছে হাত পাতা, কারো গোলামী খাটা বা কারো অধীনে থাকতে পারে না। এরা স্বাধীনচেতা। এরা কটু সত্য কথা বলে বিধায় মানুষ এদের অনেকসময়ই অপছন্দ করে থাকে। তবে আগুন রাশির মানুষের সবথেকে বড় গুনটি হচ্ছে এরা খুব ক্ষমাশীল। সহজেই মানুষকে ক্ষমা করে দিয়ে আরেকবার সুযোগ দেয়।

২. মাটি রাশির ভাগে রয়েছে তিনটি রাশি। বৃষ, কন্যা এবং মকর। প্রত্যেক ভাগের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সেই ভাগের রাশিদের ভিতরে Common থাকে। বাকি বৈশিষ্ট্য রাশি ভেদে ভিন্ন হয়।
মাটি রাশির মানুষেরা সাধারনত ধীর, স্থির, এবং ঠান্ডা স্বভাবের হয়। এরা খুব ধৈর্যশীল হয়। মাটি রাশি অর্থাৎ বৃষ, কন্যা এবং মকর রাশির মানুষেরা স্থির স্বভাবের। অন্যকে আপন করে নেওয়ার মতন গুন এই রাশির মানুষদের রয়েছে। এরা লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যায়। এই রাশির মানুষেরা বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী। নিজের প্রশংসা শুনতে ভালবাসে। মানুষের প্রশংসা পেলে খুব খুশি হয় এবং আরো বেশি উৎসাহী হয়। এই তিন মাটি রাশির মধ্যে বৃষ এবং কন্যা রাশির মানুষেরা খুব Friendly. মকর রাশি অতটা নন। তবে তার বন্ধু হলে সেও খুব ভাল বন্ধু হয়ে যায়। মাটি রাশির মানুষেরা কথা বলতে খুব পছন্দ করে। মুখ বন্ধ করে রাখতে এরা পারে না। এজন্য এদের অনেকেই বাচাল বলে। বিশেষ করে মকর রাশির মানুষদের। এরা খুব ক্যারিয়ার সচেতন। নিজের ক্যারিয়ারের ব্যাপারে এদের নজর খুব তীক্ষ্ণ। এরা খুব একরোখা। এরা নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না। একেবারে অটল। মাটি রাশির মানুষেরা ঝুঁকি নিতে খুব একটা ভালবাসে না। নিরাপত্তা এবং নিরাপদ কাজ করতে এদের বেশি পছন্দ। মাটি রাশির মানুষদের বড় সমস্যা হচ্ছে এরা অবসর সময়ে নিজেকে খুব একা অনুভব করে এবং হতাশ থাকে। তবে এদের ধৈর্যশক্তি দেখার মতন।

3.বায়ু রাশি- বায়ু রাশি তিনটি। মিথুন, তুলা এবং কুম্ভ রাশি। বায়ু কে যেমন হাতে বেধে রাখা যায় না, এক স্থানে টিকতে পারে না, খালি ছূটে বেড়ায়, বায়ু রাশির মানুষ গুলোও ঠিক তেমন। বায়ু রাশির মানুষেরা অস্থির স্বভাবের। মন বেশিক্ষন এক জায়গায় রাখতে পারে না। অল্পতেই বোরিং হয়ে যায়। তবে বায়ু রাশির মানুষের গুন হচ্ছে এরা পরিবেশের সাথে তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে জলদি। এই গুন সবচেয়ে বেশি রয়েছে মিথুন রাশির মানুষদের। বায়ু রাশির মানুষেরা সবথেকে বেশি হাসিখুশি, প্রান চঞ্চল এবং তীক্ষ্ণ কল্পনাপ্রিয় মানুষ। বায়ু রাশির মানুষেরা ভীষন শান্তিপ্রিয়। শান্তির জন্য যে কোন অন্যায় ব্যাপারও এরা মেনে নেয়। বায়ু রাশির ছেলে এবং মেয়েরা যথেষ্ট আলাদা। বায়ু রাশির ছেলেরা বিশেষ করে মিথুন এবং তুলা রাশির ছেলেরা ঘন ঘন প্রেমে পড়ে এবং প্রেম করে। তুলা রাশির ভাবপ্রবণতা খুব বেশি। এই দুই বায়ু রাশির মানুষ খুব ভাল Flirting করতে পারে। তবে বায়ু রাশি কুম্ভ একেবারেই অন্যরকম। এরা বেশ চুপচাপ এবং আবেগী মনের। ফলে এসব Flirting বা প্রতারনামূলক কাজ এদের দ্বারা হয় না। বায়ু রাশির মানুষেরা খুব কল্পনা প্রিয়। অনেক কিছু পরিকল্পনা করে রাখে আগে থেকেই। কিন্তু সে সব পূরন করতে পারে না অস্থিরতার কারনে। বায়ু রাশির মানুষেরা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাস্তববাদী হয়। বায়ু রাশি মিথুন, তুলা এবং কুম্ভ পরস্পর পরস্পরের সাথে ভাল সম্পর্ক করতে পারে।

৪. জল রাশি তিনটি। কর্কট, বৃশ্চিক এবং মীন। রাশিচক্রের সকল ভাগের ভিতরে জল রাশির মানুষেরা সবথেকে বেশি শান্ত, ধৈর্যশীল এবং নির্ভেজাল আবেগী নরম মনের। জল রাশির মানুষেরা খুব পরোপকারী। এরা কারো উপকার করতে পারলে নিজেকে খুব ধন্য মনে করে। জল রাশির মানুষের রাগ কম থাকে। সহ্য ক্ষমতা বেশি। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বৃশ্চিক রাশি। এই রাশির মানুষেরা ১৯ থেকে ২০ হলেই রেগে আগুন হয়ে যায়। জল রাশির মানুষেরা কাউকে আঘাত করে কথা বলতে পারে না। এখানেও ব্যতিক্রম বৃশ্চিক। এরা খুবই Straightforward. জল রাশির মানুষেরা খুব সাংসারিক। এরা পরিবারকে ভীষন গুরুত্ব দেয়। পরিবারের সম্মান এদের কাছে বড়। জল রাশির মানুষের আত্মবিশ্বাস তুলনা মূলক কম থাকে। জল রাশি মীন নিজের ভুল স্বীকার করে না সহজে। জল রাশি কর্কট এবং বৃশ্চিক তা নয়। জল রাশির মানুষ খুব হিংসুটে এবং আত্ম অভিমানী হয়। জল রাশির ছেলেদের বা পুরুষদের ব্যবসার প্রতি আলাদা একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে। ব্যবসায়ী হতে চায়। জল রাশির মেয়েরা বা নারীরা বোকা স্বভাবের। প্রতারিত হওয়ার আশংকা এদের খুব থাকে। জল রাশির সাথে জল রাশির ভাল মিল এবং বনিবানা হয়। জল রাশির মানুষদের শত্রু হয়ে দাঁড়ায় বা একেবারেই মিল হয় না আগুন রাশির সাথে।
Kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
contact no 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180509100129

Wednesday, May 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনির দৃষ্টি

শনির দৃষ্টি

শনির দৃষ্টি

৯-এ নবগ্রহ। আর নবগ্রহের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে সুপরিচিত গ্রহটি হল শনি ওরফে শনৈশ্চর। ‘শনির দৃষ্টি’বা ‘শনির দশা’ কথাটা রাজ্যের যত অশুভ ও অমঙ্গলের সমার্থক শব্দ; এমনই শনির কুখ্যাতি! যাঁর দৃষ্টিতে গণেশের মতো জাঁদরেল দেবতার মুন্ডু উড়ে যেতে পারে, তাঁর কাছে মানুষ তো কোন ছাড়! আর তাই স্বর্গপাড়ার এই মস্তান-দেবতাটিকে তুষ্ট করতে ভারতের পথে-ঘাটে-ফুটপাথে কিংবা প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে মন্দিরে প্রতি শনিবার বসে বারোয়ারি শনিপুজোর আসর; গ্রহবিপ্রেরা এই ‘মারণ’ দৃষ্টির কোপ থেকে মানুষকে বাঁচাতে দেন হরেক রকমের গ্রহশান্তির বিধান।


কিন্তু এই ভয়ংকর দেবতাটি সম্পর্কে আমরা জানি কতটুকুই বা?
আসুন পুরাণের তালপাতার পুথি খুলে জেনে নিই আমাদের অতিপরিচিত শনিদেবকে।
শনি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়ভীতিমিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। মৎস্য ও সৌর পুরাণের মতে, শনি বিবস্বান (সূর্য) ও ছায়ার পুত্র। আবার অগ্নি পুরাণের মতে, বিবস্বানের পত্নীর সংজ্ঞার গর্ভে শনির জন্ম। এদিকে মার্কণ্ডেয়, বায়ু, ব্রহ্মাণ্ড, বিষ্ণু ও কূর্ম পুরাণ মতে, শনি বা শনৈশ্চর অষ্টরুদ্রের প্রথম রুদ্রের পুত্র। তাঁর মায়ের নাম সুবর্চলা।
স্কন্দ পুরাণের আবন্ত্য খণ্ডে আছে, শনি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন শিপ্রা ও ক্ষাতা নদীর সংযোগস্থলে। উক্ত পুরাণেই শনির জন্ম নিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক কাহিনির অবতারণা করা হয়েছে: শনি জন্মগ্রহণ করেই ত্রিলোক আক্রমণ করে বসলেন এবং রোহিণীর পথ ভেদ করলেন। সারা ব্রহ্মাণ্ড শঙ্কিত হয়ে উঠল। ইন্দ্র প্রতিকার চাইতে ছুটলেন ব্রহ্মার কাছে। ব্রহ্মা সূর্যের কাছে গিয়ে শনিকে সংযত করতে বললেন। কিন্তু ততক্ষণে শনির দৃষ্টিপাতে সূর্যেরই পা-দুটি পুড়ে গিয়েছে। তিনি কিছুই করতে পারলেন না। তিনি ব্রহ্মাকেই উলটে শনিকে সংযত করার অনুরোধ করলেন। ব্রহ্মা গেলেন বিষ্ণুর কাছে। বিষ্ণুও নিজে কিছু করতে পারবেন না ভেবে ব্রহ্মাকে নিয়ে চললেন শিবের কাছে। শিব শনিকে ডেকে পাঠালেন। শনি বাধ্য ছেলের মতো মাথাটি নিচু করে এলেন শিবের কাছে। শিব শনিকে অত্যাচার করতে বারণ করলেন। তখন শনি শিবকে তাঁর জন্য খাদ্য, পানীয় ও বাসস্থানের নির্দেশ করতে বললেন। তখন শিবই ঠিক করে দিলেন—শনি মেষ ইত্যাদি রাশিতে তিরিশ মাস করে থেকে মানুষের পিছনে লাগবেন এবং এই করেই তাঁর হাড় জুড়াবে। অষ্টম, চতুর্থ, দ্বিতীয়, দ্বাদশ ও জন্মরাশিতে অবস্থান হলে তিনি সর্বদাই বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন হবেন। কিন্তু তৃতীয়, ষষ্ঠ বা একাদশ স্থানে এলে তিনি মানুষের ভাল করবেন এবং তখন মানুষও তাঁকে পূজা করবে। পঞ্চম বা নবম স্থানে এলে তিনি উদাসীন থাকবেন। এও ঠিক হল, অন্যান্য গ্রহদের তুলনায় তিনি বেশি পূজা ও শ্রেষ্ঠতম স্থান পাবেন। পৃথিবীতে স্থির গতির জন্য তাঁর নাম হবে স্থাবর। আর রাশিতে মন্দ গতির জন্য তাঁর নাম হবে শনৈশ্চর। তাঁর গায়ের রং হবে হাতি বা মহাদেবের গলার রঙের মতো। তাঁর চোখ থাকবে নিচের দিকে। সন্তুষ্ট হলে তিনি লোককে দেবেন রাজ্য, অসন্তুষ্ট হলে লোকের প্রাণ নেবেন। শনির দৃষ্টি যার দিকেই পড়বে, তিনি দেবতাই হোন, বা দৈত্য, মানব, উপদেবতাই হোন, পুড়ে মরতে হবেই হবে। এই কথা বলে শিব শনিকে মহাকালবনে বাস করতে বললেন।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের গণেশের জন্মকাহিনির সঙ্গে শনির যোগের কথা অনেকেই জানেন। তবু সেটার উল্লেখ না করলে এই রচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। উক্ত পুরাণ মতে, শনি আদৌ কুদৃষ্টি নিয়ে জন্মাননি; বরং স্ত্রীর অভিশাপই তাঁর কুদৃষ্টির কারণ। একদিন শনি ধ্যান করছিলেন, এমন সময় তাঁর স্ত্রী সুন্দর বেশভূষা করে এসে তাঁর কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করলেন। ধ্যানমগ্ন শনি কিন্তু স্ত্রীর দিকে ফিরেও চাইলেন না। অতৃপ্তকাম শনিপত্নী তখন শনিকে অভিশাপ দিলেন, “আমার দিকে ফিরেও চাইলে না তুমি! যাও, অভিশাপ দিলুম, এরপর থেকে যার দিকেই চাইবে, সে-ই ভষ্ম হয়ে যাবে।” এরপর ঘটনাচক্রে গণেশের জন্ম হল। সকল দেবদেবীর সঙ্গে শনিও গেলেন গণেশকে দেখতে। কিন্তু স্ত্রীর অভিশাপের কথা স্মরণ করে তিনি গণেশের মুখের দিকে তাকালেন না। পার্বতী শনির এই অদ্ভুত আচরণের কারণ জিজ্ঞাসা করলে শনি অভিশাপের বৃত্তান্ত খুলে বলেন। কিন্তু পার্বতী সেকথা বিশ্বাস করলেন না। তিনি শনিকে পীড়াপীড়ি করতে শুরু করলেন। বারংবার অনুরোধের পর শনি শুধু আড়চোখে একবার গণেশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তাতেই গণেশের মুণ্ড দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

কৃত্তিবাসী রামায়ণে রাজা দশরথের সঙ্গে শনির সাক্ষাৎকারের একটি বর্ণনা আছে। কৃত্তিবাস এই কাহিনিটি আহরণ করেছেন স্কন্দ পুরাণের নাগর ও প্রভাস খণ্ড থেকে—তবে একটু অন্যভাবে। উক্ত পুরাণের মতে, অযোধ্যার জ্যোতিষীগণ দশরথকে সাবধান করে বলেছিলেন, শনিগ্রহ শীঘ্রই রোহিণী ভেদ করবেন। আর তার ফলে বারো বছর ধরে রাজ্যে ভীষণ অনাবৃষ্টি হবে। এই কথা শুনে ইন্দ্রের দেওয়া দিব্য রথে চড়ে দশরথ তৎক্ষণাৎ শনির পিছন ছুটলেন। সূর্য ও চন্দ্রের পথ অতিক্রম করে একেবারে নক্ষত্রমণ্ডলে গিয়ে শনির সামনে উপস্থিত হয়ে রাজা বললেন, “তুমি রোহিণীর পথ পরিত্যাগ কর। না করলে, আমি তোমাকে বধ করব।” শনি দশরথের এই রকম সাহস দেখে অবাক হয়ে গেলেন। তিনি রাজার পরিচয় জানতে চাইলে দশরথ আত্মপরিচয় দিলেন। শুনে শনি বললেন, “আমি তোমার সাহস দেখে অত্যন্ত প্রীত হয়েছি। আমি যার দিকে তাকাই, সেই ভষ্ম হয়ে যায়। তবু তুমি প্রজাহিতের জন্য নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে আমার কাছে এসেছো, এতে আমি আরও বেশি খুশি হয়েছি। যাও, আমি কথা দিলাম, রোহিণীর পথ আমি আর কোনোদিনও ভেদ করব না।” কৃত্তিবাসী রামায়ণে আছে, অনাবৃষ্টি শুরু হওয়ার পর দশরথ শনির কাছে গিয়েছিলেন।
এবার চলে যাই দেশান্তরের পুরাণে। আমরা হিন্দুরা যে গ্রহটিকে শনি নামে চিহ্নিত করেছি, পাশ্চাত্য জগতে সেই গ্রহটির নাম স্যাটার্ন (Saturn)। রোমান দেবতা। তবে রোমান পুরাণের অন্যান্য দেবতাদের মতো ইনিও গ্রিক পুরাণ থেকে আমদানিকৃত। গ্রিক পুরাণে স্যাটার্নের নাম ক্রোনাস। স্যাটার্নের নাম অনুসারে স্যাটারডে, যেমন শনির নামে শনিবার। এছাড়া শনি ও ক্রোনাস/স্যাটার্নের মধ্যে মিল অল্পই। কালিকা পুরাণে শনির ধ্যানমন্ত্রে আছে --

ইন্দ্রনীলনিভঃ শূলী বরদো গৃধ্রবাহনঃ।
পাশবাণাসনধরো ধ্যাতব্যোঽর্কসুতঃ।।

অর্থাৎ, “নীলকান্তমণির মতো গাত্রবর্ণবিশিষ্ট; শূল, বরমুদ্রা, পাশ ও ধনুর্বাণধারী; শকুনিবাহন সূর্যপুত্র শনিকে ধ্যান করি।” মহানির্বাণ তন্ত্রে আরও এক ধাপ উঠে বলা হয়েছে, শনি হলেন কানা ও খোঁড়া। বলাবাহুল্য, এই চেহারার সঙ্গে ক্রোনাস/স্যাটার্নের চেহারার মিল আদৌ নেই। তাঁর হাতে থাকে কাস্তে। গ্রিক পুরাণে ক্রোনাস হলেন দেবরাজ জিউসের পিতা। তিনি ব্রহ্মাণ্ডপিতা ইউরেনাসের পুত্র। পিতাকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করে তিনি ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হন। অত্যন্ত ক্ষমতালোভী ছিলেন। তাঁর ছেলেরা যাতে তাঁকে অনুসরণ করে সিংহাসনের দখল না নিতে পারে, সেজন্য তিনি নিজের ছেলেমেয়েদেরই ভক্ষণ করতেন। শেষে পুত্র জিউসের হাতে তাঁকে ক্ষমতা হারাতে হয় এবং তিনি কৃষিকর্মের দেবতা হয়ে থেকে যান। রোমান স্যাটার্নও কৃষিকাজ, মুক্তি ও সময়ের দেবতা। সেই হিসেবেও দেখা যায়, শনির মতো লোকপীড়নকারী চরিত্র এঁদের নয়।

শেষ পাতে, জ্যোতিষ থেকে চলে আসি জ্যোতির্বিজ্ঞানে। হিন্দুপুরাণের শনি যতই কুৎসিত এবং ক্ল্যাসিক্যাল পুরাণের স্যাটার্ন যতই নৃশংস হোন না কেন, আমাদের সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহটি কিন্তু রূপে গুণে অসামান্য। তার কারণ, অবশ্যই এই গ্রহকে ঘিরে থাকা চাকতিগুলি; জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে আমরা বলি ‘শনির বলয়’। তুষারকণা, খুচরো পাথর আর ধূলিকণায় সৃষ্ট মোট নয়টি পূর্ণ ও তিনটি অর্ধবলয় শনিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। শনি দৈত্যাকার গ্রহ; এর গড় ব্যাস পৃথিবীর তুলনায় নয় গুণ বড়ো। এর অভ্যন্তরভাগে আছে লোহা, নিকেল এবং সিলিকন ও অক্সিজেন মিশ্রিত পাথর। তার উপর যথাক্রমে একটি গভীর ধাতব হাইড্রোজেন স্তর, একটি তরল হাইড্রোজেন ও তরল হিলিয়াম স্তর এবং সবশেষে বাইরে একটি গ্যাসীয় স্তরের আস্তরণ। আমাদের শনিদেবের গায়ের রং নীলকান্তমণির মতো (শ্রদ্ধেয় হংসনারায়ণ ভট্টাচার্যের মতে এই রং বিষ্ণুর থেকে ধার করা)। শনি গ্রহের রং কিন্তু হালকা হলুদ। এর কারণ শনির বায়ুমণ্ডলের উচ্চবর্তী স্তরে অবস্থিত অ্যামোনিয়া ক্রিস্টাল। শনির ধাতব হাইড্রোজেন স্তরে প্রবাহিত হয় এক ধরনের বিদ্যুত প্রবাহ। এই বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকেই শনির গ্রহীয় চৌম্বক ক্ষেত্রের উদ্ভব ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত শনির বাষট্টিটি চাঁদ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং তার মধ্যে তিপ্পান্নটির সরকারিভাবে নামকরণ করা হয়েছে। অবশ্য এগুলি ছাড়াও শনির শতাধিক উপচাঁদ বা চন্দ্রাণু (Moonlets) আছে। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান শনির বৃহত্তম উপগ্রহ। এটি আকারে মঙ্গলের চেয়েও বড়ো এবং এটিই সৌরজগতের একমাত্র উপগ্রহ যার একটি সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল আছে।
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
Page link:@astropalmist1
Website:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180509094456

Wednesday, May 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা মঙ্গলচন্ডী

মা মঙ্গলচন্ডী


সারা বৈশাখ মাস জুড়েই মঙ্গলবার করে মা মঙ্গলচণ্ডীর পূজা করা হয়। এই ব্রত “হরিষ মঙ্গলচণ্ডী” ব্রত নামে পরিচিত। চণ্ডীমঙ্গলকাব্যের সেই দেবীই হলেন বর্তমানে গৃহে গৃহে আরাধিতা মা মঙ্গলচণ্ডী। চণ্ডীমঙ্গলকাব্যে “আক্ষেটি খণ্ড” তে কালকেতু ও ফুল্লরা উপাখ্যান পাওয়া যায়। ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর ও নীলাম্বরের স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে ব্যাধ ও ব্যাধিনী রূপে জন্মান। উভয়ের যথা সময়ে বিবাহ হল। দেবী চণ্ডীর ইচ্ছানুযায়ী এই দম্পতির মাধ্যমে চণ্ডীপূজার প্রসার ঘটে। কালকেতু ও ফুল্লরার সংসার অনটনে ভরা। অভাবের সংসার । কালকেতু বনে গিয়ে শিকাড় করে সেই মাংস হাটে বিক্রি করে দিন চালাতো। একদিন দেবীর মায়ায় কালকেতু বনে একটাও শিকার পেলো না। খালি হাতে কালকেতু গৃহে ফিরতে লাগলো। পথের মধ্যে দেবী চণ্ডী একটি স্বর্ণ গোধিকার রূপ ধরে পড়ে রইলেন। কালকেতু সেই গোধিকা দেখে ভাবল , শিকার পাওয়া যায় নি, তাই এটিকেই খাওয়া হবে। কালকেতু সেই গোধিকা নিয়ে এসে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাইরে গেলো। এর মধ্যে দেবী গোধিকা রূপ ছেড়ে সুন্দরী নারী মূর্তি ধরলেন ।

ফুল্লরা এসে ভাবলেন এই নারী কে ? নারীকে জিজ্ঞেস করতেই নারী জানালো , কালকেতু নিয়ে এসেছে। এখন সে এখানেই থাকবে। ফুল্লরার মাথায় হাত। একেতে অভাবের সংসারে দুজনের পেট চলে না, আবার এই অতিথিকে কোথায় রাখবে ? ফুল্লরা বারোমাসের দুঃখের ঘটনা শোনালো। অপরদিকে কালকেতু ফিরে গোধিকার স্থানে নারীমূর্তি দেখে অবাক। ফুল্লরাও, কালকেতুকে অনেক বকাঝকা করলো। কালকেতু ভাবল এই নারী নিশ্চয়ই মায়াবিনী কেও। এই ভেবে কালকেতু দেবীকে শর বিদ্ধ করবার জন্য ধনুকে শর যোজনা করলো। কিন্তু শর আর ধনুক থেকে চলে না। দেবীর মায়ায় শর আটকে গেছে। তখন কালকেতু ও ফুল্লরা স্তবস্তুতি করলে দেবী আসল রূপে আসলেন। মহিষাসুরমর্দিনী দশভুজা রূপে কালকেতু ও ফুল্লরাকে দর্শন দিলেন। এরপর দেবী কৃপা করলেন। কালকেতু , দেবীর প্রদত্ত ধন সম্পদ দিয়ে গুজরাট নগরী নির্মাণ করে সেখানকার রাজা হলেন আর ফুল্লরা হলেন রানী। দেবীর কৃপায় এক সময় যারা খেতে পেতো না, তারা হলেন রাজা আর রানী। ভক্তিভরে কালকেতু ও ফুল্লরা দেবীর পূজা করলেন। দিকে দিকে দেবী মঙ্গলচণ্ডীর পূজা প্রচলিত হল ।

দেবী মঙ্গলচণ্ডীর ব্রতকথায় অন্য একটি কাহানী দেখতে পাই। এক গয়লানী বৌ খুবুই গরীব, দুঃখে ভরা সংসার ছিলো। এক বামুন বৌয়ের কাছে , গয়লানী বৌ মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের কথা শুনে এই ব্রত করলো। এরপর গয়লানী বৌয়ের এমন উন্নতি ও সুখ আসলো যে গয়লানী বৌ স্বপ্নেও ভাবে নি। সুখ আর সুখ। গয়লানী বৌ ভাবল কিভাবে দুঃখ পেয়ে একটু ক্রন্দন করা যায়। এত সুখে আর ভালো লাগে না। দুঃখ পাওয়ার জন্য গয়লানী বৌ নানা উদ্ভট কাণ্ড করলো যেমন লোকের অনিষ্ট করা, বিষ মেশানো নাড়ু বানানো, রাজার মৃত হস্তী জড়িয়ে কাঁদা। কিন্তু দেবী চণ্ডীর কৃপায় গয়লানী বৌ দুঃখ ত পেলো না বরং আরোও সম্মান পেলো। শেষে গয়লানী বৌ চণ্ডী দেবীর ব্রত করাই ছেড়ে দিলো। এরপর আবার তার সেই পুরানো হত দরিদ্র দশা। কেঁদে কেঁদে অভাবে দিন যায়। গয়লানী বৌ আবার দেবীর ব্রত আরম্ভ করলো। আবার আগের মতোই সুখ- সমৃদ্ধি- উন্নতিতে ভরে গেলো সংসার। ব্রতকথা গুলো লেখা হয় মানুষকে ধর্ম পথে থাকার জন্য। এই জন্যই নানান ব্রতের কথা শাস্ত্রে উল্লেখিত। ঈশ্বর বিশ্বাস, ধর্মাচরণের মাধ্যমে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। ব্রতকথা গুলিতে এরই প্রতিচ্ছবি।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180509093728

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনিদেবের বলয়


সকল বন্ধুদের অনুরোধে পুনঃ উপস্থাপন করলাম।

জ্যোতিষশাস্ত্রে জন্মছকে শনিদেব এর অবস্থান বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। শনি দ্বাদশে, জন্মরাশিতে ও দ্বিতীয়ে অবস্থানকালে সাড়ে সাত বছর মানুষকে প্রচণ্ড কষ্ট দেয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় শনি গ্রহ রূপে গুণে অসামান্য। তার কারণ, এই গ্রহকে ঘিরে থাকা চাকতিগুলি; যাকে আমরা বলি ‘শনির বলয়’। তুষারকণা, খুচরো পাথর আর ধূলিকণায় সৃষ্ট মোট নয়টি পূর্ণ ও তিনটি অর্ধবলয় শনিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। শনি দৈত্যাকার গ্রহ; এর গড় ব্যাস পৃথিবীর তুলনায় নয় গুণ বড়। এর অভ্যন্তরভাগে আছে লোহা, নিকেল এবং সিলিকন ও অক্সিজেন মিশ্রিত পাথর। তার উপর যথাক্রমে একটি গভীর ধাতব হাইড্রোজেন স্তর, একটি তরল হাইড্রোজেন ও তরল হিলিয়াম স্তর এবং সবশেষে বাইরে একটি গ্যাসীয় স্তরের আস্তরণ।শনি গ্রহের রং হালকা হলুদ। এর কারণ শনির বায়ুমণ্ডলের উচ্চবর্তী স্তরে অবস্থিত অ্যামোনিয়া ক্রিস্টাল। শনির ধাতব হাইড্রোজেন স্তরে প্রবাহিত হয় এক ধরনের বিদ্যুত প্রবাহ। এই বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকেই শনির গ্রহীয় চৌম্বক ক্ষেত্রের উদ্ভব ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত শনির বাষট্টিটি উপগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং তার মধ্যে তিপ্পান্নটির সরকারিভাবে নামকরণ করা হয়েছে। অবশ্য এগুলি ছাড়াও শনির শতাধিক গ্রহাণু আছে। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান শনির বৃহত্তম উপগ্রহ। এটি আকারে মঙ্গলের চেয়েও বড়ো এবং এটিই সৌরজগতের একমাত্র উপগ্রহ যার একটি সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল আছে।শনিদেবকে নিয়ে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ আছে।

স্কন্দ পুরাণ এর নাগর ও প্রভাস খণ্ড মতে, অযোধ্যার জ্যোতিষীগণ দশরথকে সাবধান করে বলেছিলেন, শনিগ্রহ শীঘ্রই রোহিণী ভেদ করবেন। আর তার ফলে বারো বছর ধরে রাজ্যে ভীষণ অনাবৃষ্টি হবে। এই কথা শুনে ইন্দ্রের দেওয়া দিব্য রথে চড়ে দশরথ তৎক্ষণাৎ শনির পিছন ছুটলেন। সূর্য ও চন্দ্রের পথ অতিক্রম করে একেবারে নক্ষত্রমণ্ডলে গিয়ে শনির সামনে উপস্থিত হয়ে রাজা বললেন, “তুমি রোহিণীর পথ পরিত্যাগ কর। না করলে, আমি তোমাকে বধ করব।” শনি দশরথের এই রকম সাহস দেখে অবাক হয়ে গেলেন। তিনি রাজার পরিচয় জানতে চাইলে দশরথ আত্মপরিচয় দিলেন। শুনে শনি বললেন, “আমি তোমার সাহস দেখে অত্যন্ত প্রীত হয়েছি। আমি যার দিকে তাকাই, সেই ভস্ম হয়ে যায়। তবু তুমি প্রজাহিতের জন্য নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে আমার কাছে এসেছো, এতে আমি আরও বেশি খুশি হয়েছি। যাও, আমি কথা দিলাম, রোহিণীর পথ আমি আর কোনোদিনও ভেদ করব না।”

সতীর দেহত্যাগের পর, মহাদেব তীব্র রোদন করতে থাকলে, তাঁর চোখ থেকে বিপুল পরিমাণ জলরাশি নির্গত হতে থাকে। এই জলরাশি পৃথিবীতে পতিত হলে- ভূমণ্ডল দগ্ধ হবে। এই কারণে দেবতাদের অনুরোধে শনি এই জল গ্রহণ করেন। কিন্তু শনি এই জল ধারণে অসমর্থ হয়ে জলধার নামক পর্বতে নিক্ষেপ করেন। এই জল পরে বৈতরণী নামে প্রবাহিত হয়েছে। [ ৯-৩৭। অষ্টাদশোহধ্যায়। কালিকা পুরাণ]

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তাঁর স্ত্রী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তাঁর কাছে এসে কামতৃপ্তি প্রার্থনা করলেন। ধ্যানমগ্ন শনি সেদিকে খেয়াল না করাতে অতৃপ্তকাম পত্নী শনিকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না ! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks

KOLKATAR NOTUN CHEMBER
39/6/2 Bagha Jatin Road Kolkata 700036 - India-West Bengal (Baranagar)Near - B.T.Road / Tobin Rd Crossing
Mobile - 9831080931/9233172388



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508200011

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

স্বপ্ন ফল

স্বপ্ন ফল

স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি । আজ জেনে নেব কোন স্বপ্ন দেখলে কি ফল হয়।

** মানুষের মন দুই প্রকার। ১.চেতন মন বা কনসাস মাইন্ড ।.২. অবচেতন মন বা সাব কনসাস মাইন্ড। মানুষ যখন জাগ্রত অবস্থায় চলাফেরা, খাওয়া দাওয়া, সমস্থ ধরনের কাজ সম্পাদন করে চলে তখন তাদের মন চেতন বা কনসাস মাইন্ডের থাকে। এইসময় অবচেতন বা সাব কনসাস মাইন্ড নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। আর মানুষ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে তখন অবচেতন মনের ক্রিয়া শুরু হয়। এই অবচেতন মনই স্বপ্নের মূল কারন। মানুশের সচেতন মন জাগ্রত অবস্থাই যা যা করে, দেখে বা অনুমান করে অবচেতন মন তা নিদ্রিত অবস্থাই সচেতন মন দৃষ্ট বিষয় বস্তুকে স্বপ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করায়। এই প্রকাশই স্বপ্ন।
কি স্বপ্ন দেখলে কি ফল হয়----(কিছু স্বপ্নের ফলাদেশ দেওয়া হল)
* আকাশ- উন্নতি, খুশি, সুখ
*আকাশে উড়া- ইচ্ছা পূরন।
* আগুন- কোন ভালবাসার মানুষের সাথে মিলিত হওয়া।
* আয়না - কোন ভালবাসার মানুশের সাথে ছিন্ন হওয়া।
* সূর্য- সম্পদ লাভ ও উন্নতি।
* অন্ধ মানুশ- ভ্রমন ভয় যুক্ত।
* বৃষ্টি- ঝগড়া, রোগ
* চুলকাটা - তর্কের অবসান
* মেঘ- ভ্রমন, যোগাযোগ ছিন্ন।
* দরজা বন্ধ করা- ভয় ও হারানো।
* নারী বা পরুষ (ক্রন্দনরত)- সুখবর প্রপ্তি ও বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করার প্রচেষ্টা
* বিবাহ- ভয় ও বিপদ
* দৈহিক মিলন- প্রাপ্তি
* বাথটব- সন্মানসূচক আলোচনা।
* নৃত্যশালা- ভাল সময়ের আগমন বার্তা।
* সাঁতার- উন্নতি ( বিশেষ ভাবে কর্মক্ষেত্রে)
* মাটি কোপান- ভয়ের বার্তা।
* সর্প ধরা- শত্রুজয় সুনিশ্চিত।
* সাপে কামড়নো- ভয় ও আতঙ্ক।
* সাপ দেখার স্বপ্ন- শত্রুর ধংসাত্মক পরিকল্পনা।
* নৌকায় চড়া- বদনাম ও ভয়
* নৌকাহতে নামা- ভয় ও ভীতির মুক্তি
* চুমু খাওয়া- সুন্দর পরিকল্পনার লাভদায়ক ফলাফল।
*চুমু নেওয়া- ভাল বন্ধুত্তের প্রাপ্তি
* নদীতে সাঁতার- রোগমুক্তি
* মৃতদেহ- রোগমুক্তি:
* মাছ-স্বপ্নে মাছ দেখাটা সৌভাগ্যের লক্ষণ। বিশেষ করে যদি স্বপ্নে যদি দেখেন মাছ ধরছেন, তাহলে অর্থ প্রাপ্তি হবে। আর যদি মাছ ফসকে যায় তাহলে টাকা আসবে, তবে তা খরচও হয়ে যাবে।
* গরু -স্বপ্নে নিজের গরু দেখা মানে হল ধনসম্পত্তি প্রাপ্তি হবে। আর যদি মরা গরু দেখেন তাহলে সম্পদ হাতছাড়া হবে।
শারিরিক সম্পর্ক-স্বপ্নে কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখলে বা কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হতে দেখলে বুঝবেন যে আপনি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন।
* দাঁত নড়া- স্বপ্নে দাঁত নড়তে দেখলে নিকট আত্মিয় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর দাঁত পড়ে যাওয়া দেখলে নিকট আত্মীয় কেউ মারা যাবে। নতুন দাঁত গজাতে দেখলে সম্পত্তি লাভ হবে।
* গাছ- ফলভরতি গাছ দেখার অর্থ হল ধনসম্পত্তি লাভ। গাছ থেকে নিজেকে ফল পাড়তে দেখলে অর্থ প্রাপ্তি হবে।
* আগুন লাগা- গায়ে আগুন লাগা দেখলে পেটের সমস্যা হয়। সেটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে। এর আরেকটি অর্থ হলো বিপদগ্রস্ত হওয়া।
* পড়ে যাওয়া- স্বপ্নে উপর থেকে নিচে পড়ে যেতে দেখার অর্থ হল কাজে অবনতি। এর আরেকটি অর্থ রয়েছে, তা হল মানুষটি মানসিক চাপে রয়েছে এবং বিষণ্নতায় ভুগছেন।
* জলে ডুবে যাওয়া- স্বপ্নে জলে ডুবে যাওয়ার অর্থ হল বিপদগ্রস্ত হওয়ার আভাস। তবে বৃষ্টি হতে দেখা মানে নতুন কিছু পাওয়া বা আগমনের পূর্বাভাস।
* সাপ- স্বপ্নে সাপ দেখার অর্থ হলো শত্রু বৃদ্ধি। তবে সাপ মেরে ফেলতে দেখা মানে আপনি শত্রুকে পরাস্ত করতে পারবেন। স্বপ্নে সাদা সাপ দেখা সৌভাগ্য ও বংশবৃদ্ধির লক্ষণ।
* নগ্ন-নিজেকে নগ্ন দেখার অর্থ হলো সম্মানহানি। অন্য কাউকে নগ্ন দেখার অর্থ হল তার সম্মানহানি।
* নক্ষত্র- বয়স্কদের হতে প্রাপ্তি।
* এরোপ্লেন- পরিবেশের পরিবর্তন।
* প্লেনে চড়া- কাজের সময় সতর্ক্তা জরুরি।
* শিশু- ব্যবসাতে উন্নতি ও সুখি জীবন
* পিতা- ভাল সময়ের সূচনা
* আচেনা মাঠ দেখ- সুফল যুক্ত ভ্রমন
* অজগর দেখা- বিবাদের চিহ্ন।
* অলঙ্কার দেখা- সন্মান
* অগ্নি জ্বালতে গিয়ে বিপদে পড়া- চোখের রোগ হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508130752

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গৃহ নির্মাণ ও দিনক্ষন

গৃহ নির্মাণ ও দিনক্ষন

★★★গৃহ নির্মাণ★★★
------------------------------
গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে শুভ 'দিন', 'মাস' ও নক্ষত্র বিচার করা অত্যন্ত আবশ্যক৷ গৃহে শান্তি বিধানে এই রকমই দরকারি কিছু টিপস।

যে গৃহে আপনি স্বজন-পরিজন নিয়ে বসবাস করবেন, যে গৃহ আপনার ভবিষ্যতের শান্তির নীড় হয়ে উঠবে, সেই গৃহের নির্মাণ কার্যে শুভাশুভ বিচার যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা বলাই বাহুল্য৷
গৃহ নির্মাণ কোন দিন শুরু করা উচিত?

গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে 'বার' বা 'দিন' একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আসুন দেখে নিই-গৃহারম্ভের ক্ষেত্রে 'বার' বা 'দিনে'র শুভ অশুভ ফলাফল-

রবিবারে: গৃহারম্ভ করলে অগ্নিভয় থাকে৷
সোমবারে: গৃহারম্ভ শুভফল দেয়৷ উক্তগৃহে বাস করলে অর্থপ্রাপ্তি ঘটে৷
মঙ্গলবারে: গৃহারম্ভ অশুভ৷ নানা ভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে৷
বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে: গৃহ নির্মাণের পক্ষে শুভ৷
শনিবারে: অশুভ৷ নানারূপ অমঙ্গলের ভয় থাকে৷

গৃহ নির্মাণের উপযুক্ত মাস-বিধি-

বৈশাখ মাস: গৃহনির্মাণ কাজ শুভ৷ সম্পদ বৃদ্ধি হয়৷
জ্যৈষ্ঠ মাস: গৃহনির্মাণের পক্ষে অশুভ৷
আষার মাস: এই মাসে গৃহনির্মাণ করলে ধনহানি, পশুহানি হতে পারে৷
শ্রাবণ মাস: শ্রাবণ মাসে গৃহ নির্মাণের পক্ষে অশুভ৷
ভাদ্র মাস: অত্যন্ত অশুভ৷
আশ্বিন মাস: গৃহস্বামীর পত্নীর শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে৷
কার্তিক মাস: গৃহস্বামীর ধন সম্পদ বৃদ্ধির যোগ থাকে৷
অগ্রহায়ণ মাস: এই মাসে গৃহ নির্মাণ করলে ধন ও মিত্র লাভ হয়৷
পৌষ মাস: পৌষমাসে গৃহনির্মাণ করলে চৌর্য ভয় নির্দেশ করে৷
মাঘ মাস: এই মাসে গৃহারম্ভে অগ্নি ভয় থাকে৷
ফাল্গুন মাস: এই মাসে গৃহারম্ভ পুত্র ও বন্ধু লাভের পক্ষে শুভ৷
চৈত্র মাস: গৃহ নির্মাণের পক্ষে অশুভ৷

গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে নক্ষত্র বিচার-

গৃহারম্ভের কাজে মাস, বার বিচারের সঙ্গে নক্ষত্র বিচারও করা প্রয়োজন৷
নক্ষত্র মোট ২৭টি৷ তার মধ্যে অশ্বিণী, মূলা, হস্তা ও শ্রবণা নক্ষত্রে গৃহারম্ভ করা যেতে পারে৷
এছাড়া রোহিনী, মৃগশিরা, চিত্রা, স্বাতী, হস্তা, পুষ্যা, উত্তর ফাল্গুণী, অনুরাধা, উত্তরষাঢ়া, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, উত্তরভাদ্র পদ এবং রেবতী নক্ষত্রে গৃহারম্ভ বিশেষ শুভ ফল প্রদান করে৷
গৃহারম্ভকালের নক্ষত্রটি যদি পাপ গ্রহ যুক্ত হয় কিংবা রিষ্টি যুক্ত বা রিক্ত তিথি যুক্ত হয় তবে তা বর্জন করতে হবে৷
সেই সঙ্গে চন্দ্র বলবান কিনা এবং লগ্নে শুভ যোগ রয়েছে কিনা তাও নির্ণয় করা প্রয়োজন৷
এইভাবে গৃহ নির্মাণের প্রাক্কালে বার, মাস ও নক্ষত্র বিচার করে নিলে সেই গৃহে বসবাস করা অত্যন্ত শুভ বিবেচিত হয়৷
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508083449

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কোষ্ঠী বা জন্মকুন্ডলী

কোষ্ঠী বা জন্মকুন্ডলী

***কোষ্ঠী***

কোষ্ঠী জন্মপত্রিকা। এতে নবজাতকের জন্মসময়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ও সঞ্চরণ অনুযায়ী তার সমগ্র জীবনের শুভাশুভ নির্ণয় করা হয়। এ জন্য জন্মসময়টি সঠিকভাবে নির্ণীত হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে কোষ্ঠী গণনা সঠিক হয় না। প্রাচীনকালে বিশেষ পদ্ধতিতে এ জন্মসময় সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা হতো।

খ্রিস্টপূর্বকালে ভারতবর্ষে কোষ্ঠী গণনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের পরে শাকদ্বীপ (পারস্য-কান্দাহার-সাইথিয়া-কাশ্মীরের উত্তরের দেশ) থেকে আগত জনগোষ্ঠী এ দেশে কোষ্ঠী গণনা পদ্ধতি প্রবর্তন করে বলে মনে করা হয়। খ্রিস্টীয় ছয় শতকের ভারতীয় জ্যোতিষী বরাহমিহিরের গ্রন্থে কোষ্ঠীপদ্ধতির প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। তাই অনুমান করা হয়, এর দু-তিনশ বছর পূর্বে ভারতবর্ষে কোষ্ঠী গণনা শুরু হয়। কোষ্ঠী গণনা পাশ্চাত্যের অনেক দেশেও প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত আছে।

কোষ্ঠী গণনার ক্ষেত্রে রাশি, গ্রহ ও লগ্ন তিনটি প্রধান বিষয়। রাশি বারোটি-মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন এবং গ্রহ নয়টি-রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু ও কেতু। একটি চক্র বা ছকে বারোটি প্রকোষ্ঠে এ রাশিগুলি দেখান হয়। পরে পঞ্জিকা অনুযায়ী জাতকের জন্মকালে গ্রহগুলির রাশিভিত্তিক অবস্থান নির্ণয়পূর্বক উক্ত চক্র বা ছকে রাশি অনুযায়ী গ্রহগুলির নামের আদ্যক্ষর লেখা হয়। এরপর লগ্ন নির্ণয় করে লগ্নবোধক রাশিটিকে ‘লং’ শব্দ দ্বারা নির্দেশ করলেই জন্মপত্রিকা তৈরি হয়ে যায়।

কোষ্ঠী গণনার এ চক্র বা ছকের অঙ্কনপদ্ধতি সর্বত্র একরকম নয়। ভারতবর্ষেই তিন রকম এবং পাশ্চাত্যে অন্যরকম। দক্ষিণ ভারত ব্যতীত অন্য সব স্থানের চক্রের গতি বামাবর্তী। বঙ্গদেশ ও দক্ষিণ ভারতের রাশিচক্র স্থির; মেষ রাশি থাকে সর্বদা শীর্ষদেশে এবং লগ্ন পরিবর্তনশীল। কিন্তু উত্তর ভারত ও পাশ্চাত্যে রাশিচক্র স্থির নয়, যেকোনো স্থানে রাশি অবস্থান করতে পারে, তবে লগ্ন সর্বদাই একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে। উত্তর ভারতের ছকে লগ্ন থাকে শীর্ষদেশে এবং পাশ্চাত্যে থাকে বাম পাশে।

প্রতিটি রাশির নির্দিষ্ট অধিপতি গ্রহ থাকে, যেমন মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি শনি, মীন ও ধনু রাশির বৃহস্পতি, মেষ ও বৃশ্চিক রাশির মঙ্গল, বৃষ ও তুলা রাশির শুক্র, মিথুন ও কন্যা রাশির বুধ, কর্কট রাশির চন্দ্র এবং সিংহ রাশির রবি। লগ্ন হচ্ছে সূর্যকর্তৃক মেষাদি রাশি সংক্রমণের মুহূর্ত, অর্থাৎ সূর্য যখন যে রাশিতে অবস্থান করে তখন লগ্নও হয় সে রাশির নামানুসারে। যেমন সূর্যের মেষ রাশিতে অবস্থানকালে যদি কারও জন্ম হয় তাহলে তার লগ্ন হবে মেষলগ্ন। লগ্নের মেয়াদ হলো দুই ঘণ্টা, অর্থাৎ দুই ঘণ্টা পরপর লগ্ন পরিবর্তিত হয়। কোষ্ঠী তৈরির সময় এ রাশি, গ্রহ ও লগ্ন নির্ণয়ে কোনোরূপ ভুল হলে জাতকের ভবিষ্যৎ গণনাও ভুল হবে।

কোষ্ঠী অনুযায়ী কারও ভবিষ্যৎ গণনার সময় তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বারোটি ভাগে ভাগ করা হয়, যার নাম ‘ভাব’। বারোটি ভাব হচ্ছে তনু (শরীর), ধন, সহজ (সহোদর), বন্ধু (এবং মাতা), পুত্র (এবং বিদ্যা), রিপু (এবং রোগ), জায়া (বা স্বামী), নিধন (মৃত্যু), ধর্ম (এবং ভাগ্য), কর্ম (এবং পিতা), আয় ও ব্যয়। যে রাশিতে লগ্ন অবস্থিত সেখান থেকে তনুর বিচার শুরু হয়, তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভাব গণনা করা হয়। কোষ্ঠী-বিচারের এসব মূলসূত্র প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সর্বত্রই প্রায় একরকম। তবে ভারতীয় জ্যোতিষে একটি বিশেষ বিষয় হলো দশা গণনা পদ্ধতি। জাতকের ভবিষ্যৎ জীবনে কখন কী ঘটবে তা এ পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়। জাতকের জন্মনক্ষত্র অনুযায়ী দশা নির্ণীত হয়। দশা গণনার ৪২ রকম পদ্ধতি থাকলেও অষ্টোত্তরী ও বিংশোত্তরী পদ্ধতি দুটিই বেশি ব্যবহূত হয়।

অতীতে সম্ভ্রান্ত পরিবারে নবজাতকের কোষ্ঠী তৈরি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কোষ্ঠী তার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত বিবাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বসহকারে বিচার করা হতো। বর-কনে উভয়ের কোষ্ঠী বিচার করে কোনো বিষয়ে কোনো অশুভযোগ দেখা না গেলে তবেই তাদের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমানে কোষ্ঠী তৈরির তেমন প্রচলন না থাকলেও জন্মবার ও জন্মক্ষণ অনুযায়ী রাশি নির্ণয় করে হস্তরেখাবিদগণ মানুষের ভাগ্য গণনা করে থাকেন এবং হস্তরেখাবিদ্যা এখন একটি প্রায়োগিক বিদ্যা হিসেবে সমাজে প্রচলিত।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508081007

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অশুভ যোগ

বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অশুভ যোগ

[ জ্যোতিষ শাস্ত্রের কিছু অশুভ যোগঃ-
জ্যোতিষ শাস্ত্র একটি মহান শাস্ত্র। এটি বিজ্ঞান ভিত্তিক, গণিত নির্ভর, জীবজগতে ফলিত একটি প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্র। সভ্যতার উষা কাল থেকেই এ শাস্ত্রের চর্চা চলে আসছে। মানব সভ্যতার যে কয়টি প্রাচীন ধংসাবশেষ পাওয়া গেছে তার প্রতিটিতেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা ও গবেষণা যে হতো তার বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। মানব সভ্যতার আদি সভ্যতা বৈদীক যুগ, যা প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর প্রাচীন, সে সভ্যতার আদী নিদর্শন বেদ, এই বেদেই জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বেদের চোখ বলা হয়েছে। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্র তুলনা কেবল জ্যোতিষ শাস্ত্রই। জ্ঞাণ-বিজ্ঞাণের বিভিন্ন শাখার মতো জ্যোতিষ শাস্ত্র বহু জ্ঞাণী মুণি-ঋষি, নিভৃত চারি সাধু-সণ্যাসি ও বহু জ্ঞাণী পন্ডিত গনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার ফলে সমৃদ্ধ ও জীব জগতে ফলিত হয়েছে। তাই এটি একটি ফলিত বিজ্ঞাণ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত ও বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত। ভবিষ্যতেও এ শাস্ত্র আরো সমৃদ্ধ হবে এবং অনাগত কালের মানব সন্তানকে সঠিক দিক্ নির্দেশনা দেবে , এতে কোনো সন্দেহ নেই।

পেশাগত জীবনে জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা করতে গিয়ে দেখেছি, একজন জাতকের জন্ম তারিখ অনুসারে সঠিক কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার করবার জন্য আমরা খুবই অল্প সময় পেয়ে থাকি। একজন প্রশ্নকারী এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই তার জীবনের সব শুভাশুভ বিষয় জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অর্থাৎ একজন প্রকৃত জ্যোতিষী মহোদয়ের সুনাম, সম্মান, মর্যাদা অভিজ্ঞতা ও প্রশ্নকারীর নিকট তা এই অল্প সময়ের মধ্যে জ্যোতিষী মহোদয় যদি প্রশ্নকারীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্নকারীকে পরিতৃপ্ত করতে পারেন তবেই জ্যোতিষীর সাফল্য প্রমাণিত হবে। তা না হলে যত জ্ঞাণী বিজ্ঞ, বিখ্যাত, দেশ-বিদেশে খেতাব প্রাপ্ত হোন না কেন, সবই পন্ড শ্রম।

আমরা একটি কোষ্ঠী বা ঠিকুজী বিচার কালে রাজযোগ, গ্রহাবস্থান, মহাদশা, গ্রহ গোচরের পাশা পাশি বর্ণিত অশুভ যোগগুলির দিকে গুরুত্বের সাথে দৃষ্টি দেওয়া হলে তাহলে হয়তো আরো ভালো ভাবে বিচার করতে পারবো। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি পেশাদার অপেশাদার ও নবীন জ্যোতিষীগন এই বিষয় গুলি খেয়াল করবেন এবং পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করে উপকৃত হবেন।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে শুভ যোগ গুলির পাশা পাশি এমন কিছু অশুভ যোগ রয়েছে যা কোষ্ঠীর বহু শুভ যোগের ফল প্রদানে বাধা দেয়, এবং অশুভ ফল নিশ্চিত রুপে প্রদান করে। যেমনঃ- গ্রহন যোগ,কেমুদ্রুম যোগ,, কালসর্প যোগ, আঙ্গার যোগ, বিষ যোগ,, দারিদ্র যোগ ইত্যাদি।

গ্রহন দোষ ঃ রাহু ও কেতু কোনো দৃষ্টি গোচর গ্রহ নয়। চন্দ্র ও পৃথিবীর কক্ষপথের দুটি ছেদ বিন্দু। বা সরল ভাষায় চন্দ্র ও পৃথিবীর ছায়া উপছায়া হলো রাহু ও কেতু। যখনই সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরল রেখায় চন্দ্র চলে আসে তখন পৃথিবীর কিছু অংশে চন্দ্রের ছায়া পরে এবং সে স্থানে সূর্যকে কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায়না একে আমরা সূর্য গ্রহণ বলে জানি। আবার কখোনো কখোনো সূর্য এবং চন্দ্রের মাঝে একই সরল রেখায় পৃথিবী চলে আসে, তখন চন্দ্রের ওপর পৃথিবীর ছায়া পরে এবং কিছু সময়ের জন্য চন্দ্রকে পৃথিবীর কিছু অংশের মানুষ দেখতে পায়না একে আমরা চন্দ্র গ্রহন বলি। হিন্দু পুরাণে রাহু ও কেতু হলো অসুর। অসুররা হতো মরনশীল। সমুদ্র মন্থনে উত্থিত অমৃত দেবতারা নিজেরাই পান করার সিদ্ধান্ত নেন। অসুর দেরকে অমৃত না দেবার কৌসল করলে রাহু তা ধরে ফেলে এবং ছদ্মবেশে দেবতাদের দলে প্রবেশ করে তা পান করেন। সূর্যদেব ও চন্দ্রদেব অসুর রুপি রাহুকে চিনতে পারেন এবং বিষ্ণুকে তা অবগত করলে বিষ্ণু তার চক্রবাণ নিক্ষেপ করে রাহুর মস্তক খন্ডন করেন। রাহুর খন্ডিত মস্তক হলো রাহু এবং বাকি দেহ হলো কেতু। অমৃত পান করার কারনে রাহু অমরত্ব পায়। সেই থেকে রাহু ও কেতু চন্দ্র ও সূর্যকে গ্রাস করার জন্য ছুটে চলছে।
রাশি চক্রে রবি এবং চন্দ্র যখনি রাহু এবং কেতুর সাথে সংযোগ করে তখনই গ্রহণ দোষ সৃষ্টি হয়। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি অশুভ যোগ। জন্ম ছকে যে ভাবে এই দোষ সৃষ্টি হয় সে ভাব ও ভাব সম্পকৃত আত্মিয়র শুভ ফলের হানি করে। সেই আত্মিয়র চরিত্রে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই দেখা যায় সন্তানের গৃহে রাহু বা কেতুর অবস্থান সন্তান সম্পর্কৃত বিষয়ে অশুভ ফল নির্দেশক। চন্দ্র মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে নির্দেশ করে । চন্দ্র আবার স্বাভাবিক মাতৃ কারক গ্রহ। রাহুর সাথে চন্দ্রের সংযোগে বা রাহুর দৃষ্টি চন্দ্রের ওপর পরলে প্রশ্নকারী এবং তার মাতার মাঝে প্রচুর উচ্চাকাংখা, লোভ, অহংকার দেখা যায়। তাদের মাঝে অতৃপ্ততা দেখতে পাওয়া যায়। রাহু চন্দ্রের সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষ হলে প্রশ্ন কর্তা মানষিক ভাবে সর্বদা দুঃখি থাকে। সে কখোনই কোনো কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয়না। মনে রাখবেন প্রশ্ন কর্তার দুঃখ কেউ দূর করতে পারবেনা। সব কিছু পেলেও সে দুঃখি আত্মা।

একই ভাবে রবির সাথে রাহুর অবস্থান জাতককে দুঃখি আত্মা করে। রবি স্বাভাবিক পিতৃ কারক গ্রহ হওয়ায় পিতার সাথেও জাতকের সুসম্পর্ক থাকেনা। পিতার দ্বারা জাতক বৈরী আচরন পেয়ে থাকে। রবি জগতে আলো ও প্রাণের উৎসের প্রতিক। রবি রাহুর সংযোগে সৃষ্ট গ্রহন দোষের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুঃর্বিসহ। জাতককে বহু বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। সকল কাজে হতাশা নিরাশা দেখা দেয়। তাই হয়ত খনার বচনে দেখতে পাই ’’ সূর্য কুজে(মঙ্গল) রাহু মিলে ,গাছে দড়ি বন্ধন গলে।’’

একই ভাবে যদি চন্দ্রের সাথে কেতুর সংযোগে গ্রহন দোষ হয় তা হলে প্রশ্ন কর্তার মন মস্তিষ্ক বাধা গ্রস্থ হয়। মাতার সাথে সম্পর্ক ভালো যায় না। কেতুর রহস্যময়তা ও ইর্ষাপরায়নতা তার মাঝে প্রবল ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। অপরের উন্নতিতে হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় এবং অপরের দূর্ণাম বদনাম,ও অভিশম্পাত করে। মিথ্যা বলার প্রবনতাও দেখা যায়। রবির সাথে কেতুর সংযোগে সৃষ্ট দোষে জাতকের মনের মাঝে কুটিলতা বিরাজ করে। সে সর্বদা সন্দেহ প্রবন হতে পারে। পিতার সাথে তার কোনো কালেও সু সম্পর্ক থাকেনা। সমাজে তার আচরন হয় রহস্যময়। দূর্নাম-বদনামের আশঙ্কা থাকে। জাতক শীড় পিড়ায় ভুগতে পারে।

কেমুদ্রুম যোগ ঃ জ্যোতিষ শাস্ত্রে যখন চন্দ্রের সাথে ,অগ্রে ও পশ্চাত গৃহে কোনো গ্রহ না থাকে তখন এ যোগ তৈরি হয়। এটি একটি অশুভ যোগ।এই যোগের ফলে জাতককে শেষ বয়সে প্রবল দারিদ্রতা ও অশান্তিপূর্ণ জীবন ভোগ করতে হয়।জীবনে জাতক যত ধনি পরিবারেই জম্ম হোকনা কেন বা জীবনে যত অর্থই রোজগার করুক না কেন তাকে শেষ জীবনে পরমুখাপেক্ষি হতে হয়। জাতককে সব ধন সম্পদ খোয়াতে হয়। মধ্য জীবনে এরা প্রচুর উপার্জন করলেও শেষ জীবনে আপন পুত্র-কন্যা, আত্মিয় স্বজন ও পরিচিত জনদের দ্বারা প্রতারিত হন ও দারিদ্র যন্ত্রনায় কষ্ট পান। প্রশ্নকারীর জন্ম ছকে এই যোগ দেখলে তাকে সতর্ক করুন। এবং সঞ্চয়ী হবার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

কালসর্প যোগ ঃ জন্ম ছকে রাহু ও কেতুর এক পার্শ্বে কোনো গ্রহ না থাকলে এবং অপর পার্শে¦ সকল গ্রহ (ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো সহ ) অবস্থান করলে কালসর্প যোগ হয়। যদিও পৃথিবীতে জন্মানো অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তির জন্ম ছকে কাল সর্প যোগ দেখতে পাওয়া যায় যেমন, বেনিটো মুসলিনি, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই পাটেল, মাওসেতুং, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি প্রমুখ। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় এদের জীবনে এক পর্যায়ে চরম সংকটকাল অতিক্রম করতে হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এটি একটি দুঃর্ভাগ্য যোগ। যে ব্যাক্তির জন্ম ছকে এই যোগ রয়েছে তার জীবন অনেকটা সাপ-লুডোর মত। জীবনে হটাৎ উত্থান, আবার পরমুহুর্তেই পতন। এবং লক্ষ্যনীয় যে এই উত্থান পতন বিরতিহীন ভাবে চলতে থাকে। এই যোগ জাত ব্যাক্তির জীবনটা অনেকটাই ভাগ্যের হাতের পুতুলের মতন। জাতককে সারাজীবন প্রবল আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগতে হয়। এই যোগের কমন যে কুফল সকলকেই ভোগ করতে হয় তা হলো মানসিক অস্থিরতায় ভোগা , অর্থ উপার্জনে বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়া, সন্তান লাভে বাধা, অশান্তিময় দাম্পত্ব জীবন, অশুভ স্বপ্ন দর্শন, শরীরের রোগ ধরতে না পারা, নিজের গৃহ ত্যাগ করে অন্যত্র বসবাস, শত্র“তা, মামলা মোকর্দ্দমা, স্বাস্থ্য ও আয়ু জনিত সমস্যা, বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা, দারিদ্রতা ও অর্থ হানি, কর্মনাশ, বিশাল অবস্থা থেকে আকষ্মিক পতন।

রাহু ও কেতুর অবস্থান অনুসারে বিভিন্ন প্রকার কালসর্প যোগ তৈরি হয় যার কু প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা করছি।

১/ লগ্নে রাহু থাকলে ঃ দাম্পত্য সুখ হানি,আস্থির বুদ্ধি, পাপ কর্মরত, অনৈতিক সম্বন্ধ থেকে মান হানি।
২/ ২য়ে রাহু থাকলে ঃ ধনহীন, কটুভাষী, আর্থিক শংকট, মদ জুয়া নারীর দ্বারা ধন হানি, বদনাম।
৩/ ৩য়ে রাহু থাকলে ঃ অতি উৎসাহী, সঠ্, বন্ধু ও মিত্রহীন হয়, কর্ম স্থল নিয়ে আজীবন সমস্যা থাকে।
৪/ ৪র্থে রাহু থাকলে ঃ গৃহ সুখের হানি, কষ্ট ও নিরাশা, গৃহ লাভে বাধা, উদ্বেগ উৎকন্ঠা,পড়াশোনাতে বাধা।

৫/ ৫মে রাহু থাকলে ঃ বুদ্ধির হানি, সন্তান লাভে বাধা, সন্তান বিষয়ে কষ্ট লাভ।
৬/ ৬ষ্ঠে রাহু থাকলে ঃ ঘরে বাইরে শত্র“তা, রোগভোগ, ঝগড়া বিবাদ, ঋণগ্রস্ততা, রাজনৈতিক উত্থান-পতন।
৭/ ৭মে রাহু থাকলে ঃ সামাজিক প্রতিষ্ঠায় বাধা, অশান্তিপুর্ণ দাম্পত্য জীবন, জুয়া ও নারীর কারনে সমাজ দ্বারা পরিত্যক্ত। ব্যবসায় হানি।
৮/ ৮মে রাহু থাকলে ঃ দূর্ঘটনা, বাধা , পতন জনিত আঘাত, স্বল্পায়ু, পৈত্রীক সম্পদের বিনাশ বা বঞ্চিত।
বহু শত্র“, অসামাজিক লোকদের সাথে সম্পর্ক করে।
৯/ ৯মে রাহু থাকলে ঃ কঠোর হৃদয়, জীব হত্যাকারী, নিষ্ঠুর , নির্দয়ী, প্রচন্ড রাগী, মিথ্যা বাদী, অহংকারী ।
তার জীবনে বহু উত্থান পতন হয়।
১০/ ১০মে রাহু ,, ঃ গুপ্ত চর, রাষ্ট্র দূত, অনৈতিক কাজকর্ম, মামলা- মোকর্দ্দমা, জেল-জরিমানা । কর্ম ক্ষেএ শুভ হয় না।
১১/ ১১শে রাহু ,, ঃ ধন প্রাপ্তিতে বাধা,হতাশা, একের পর এক বাধা।
১২/ ১২শে রাহু ,, ঃ মামলা মোকর্দ্দমা, জেল জরিমানা, শত্র“তা, রোগভোগ, প্রবাস ও শয্যা সুখে বাধা।

আমি আমার গবেষণা থেকে দেখেছি যে কালসর্প যোগ জাত ব্যাক্তির অতিন্দ্রীয় বিষয় ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রবল হয় আরো একটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে তা হলো এ যোগ জাত ব্যাক্তির পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এবং জাতকের পরিবারের মধ্যে কোনো না কোনো বাধা বিপত্তি, ঝামেলা লেগেই আছে। বিশেষ করে পরিবারের কন্যাদের বিবাহিত জীবনে কোনো ঝামেলা বা অকাল বৈধব্য যোগ দেখতে পাওয়া যেতে পারে। আরো উল্লেখ্য যে জাতকের জন্ম ছকে যত ভালো গ্রহযোগ বা রাজ যোগ থাকুক না কেন তার ফল জাতক পান না। অথবা কোনো অশুভ গ্রহের প্রতিকারার্থে যত ভালো রত্ন পাথর ধারন করুক তার ফল লাভে বিলম্ব হয়ে থাকে। কালসর্প দোষের কিছু শাস্ত্রীয় সমধান আছে যা একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীই জানেন। রাহু বা কেতুর রত্ন দিয়ে আনেকেই চেষ্টা করেন যা কার্যকর নয়। শাস্ত্রীয় সমাধানে এর কুফল থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

আঙ্গার যোগ ঃ আঙ্গার বলতে আমরা জ্বলন্ত কয়লাকে বুঝি। জন্ম ছকে মঙ্গল ও রাহুর সংযোগে বা দৃষ্টি বিনিময়ে এ যোগ তৈরী হয়। এটি একটি অশুভ যোগ, যে প্রশ্ন কারীর ছকে এই যোগ দেখতে পাওয়া যায়, তাকে সারা জীবনই দারিদ্র যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়। এই যোগের ফলে জাতকের রাগ অনেক বেড়ে যায়।যে ভাবে এই যোগ তৈরি হয় সে ভাবের হানি তো হই এমন কি সে ভাব সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে সারা জীবন যন্ত্রনা কষ্ট হজম করতে হয়। সুখ নামক সুখ পাখিটি যেন অধরাই থেকে যায়। জাতক জীবনে যত কঠোর পরিশ্রমই করুক না কেন, ভাগ্য তার সহায় হয়না।

বিষ যোগ ঃ বিষ মানে আমরা বুঝি এমন কোনো দ্রব্য যা জীবকূলের বিনাশ করে। জন্ম ছকে শনি ও চন্দ্রের সংযোগ বা দৃষ্টি সম্বন্ধে বিষ দোষ তৈরি হয়। এটি একটি অশুভ যোগ। চন্দ্র মানুষের মন মস্তিস্ক চিন্তা ভাবনার কারক। যখনি চন্দ্রের ওপর শনির প্রভাব পড়ে মন-মস্তিস্ক, চিন্তা-ভাবনা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। তার মাঝে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা দেখা দেয়। জাতক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জীবনে বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চন্দ্র শনির সহ অবস্থান বেশি কুফল দেয়। মাতা পিতা উভয়ের সাথে স্দ্বাভ থাকেনা।জাতক সর্বদা সকল বিষয়ে নেতিবাচক মনভাব পোষন করে। অপরের উন্নতিতে হিংসা করে। কারো ভালো দেখতে পারে না। সকলকেই সন্দেহ করে ও অভিসম্পাত করে। অপরের সমালোচনা করে আনন্দ পায়।

দারিদ্র যোগ ঃ জন্ম ছকে রবি ও শুক্র কাছাকাছি ডিগ্রিতে একত্রে অবস্থান করলে দারিদ্র যোগ তৈরি হয়। জাতককে সারা জীবন দারিদ্র যন্ত্রনায় ভুগতে হয়।এ ছাড়া লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্র্রের অষ্টমে কোনো গ্রহ না থাকলে ও এই যোগ হয়।

উপরে উল্লেখিত যোগ গুলির ফলাফল প্রশ্নকর্তা তার জীবনে অবশ্যই পাবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই । পাশাপাশি শনি গ্রহের গোচর কে অধিক প্রাধান্য দিলে ভালো ফল পাবেন। মনে রাখতে হবে শনি জন্ম চন্দ্রের দ্বাদশে ,জন্ম চন্দ্রে এবং দ্বিতীয়ে, চতুর্থে, ও অষ্টমে সঞ্চার করলে জাতককে সংঘাত পূর্ণ জীবন আরম্ভ করতে হয়। তাই কোনো কষ্ঠি বিচার কালে শনির এরুপ গোচর দেখলে তাকে সতর্ক করে দিন। শনির এরুপ অবস্থানে কাজকর্মে বাধা বিপত্তি, হতাশা, ব্যার্থতা, বিনিয়োগে ক্ষতি হবার আশংকা দেখা দেয়, এ সময় আর্থিক সংকট প্রবল হয়।
[5/6, 21:06] Acharya Kush Mukherjee: অনপত‍্যযোগ ( নিঃসন্তান)
যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,সপ্তমপতি এবং পঞ্চমপতি দুর্বল হয় ,তবে অনপত‍্যযোগ সূচিত হয়।
ফলাফল
এরূপ জাতক- জাতিকার কোনো সন্তানাদি হবে না।
মন্তব‍্য:
কিন্তূ জন্মকুন্ডলীতে বৃহস্পতি,ও ৫ম পতি জাতক বা জাতিকার বলবান হলে ১টি বা ২টি সন্তান হতে পারে।
কিন্তূ স্বামি ও স্ত্রীর উভয়ের জন্মকুন্ডলীতে যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,৭মপতি ও৫ম পতি দূর্বল হয় -
তবে এরপ দম্পতির কোনো সন্তান হবে না ।
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
booking no 7001608953
PAGE LINK :@astropalmist1
Website: www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508080227

Tuesday, May 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কুন্ডলী তে কিছু অশুভ যোগ

কুন্ডলী তে কিছু অশুভ যোগ

সুপ্রভাত
জন্ম কুন্ডলীতে কয়েকটি অশভ যোগ
১)পাপকর্ওারি যোগ
-----------------------------------------------
সনাতন জ্যোতিষ অনুযায়ী শনি,মঙ্গল,রাহু এবং কেতু-এই চারটি গ্রহকে পাপ গ্রহ বলা হয়ে থাকে।

জন্মছকে যদি কোনো গ্রহের দুই পাশে পাপ গ্রহ অবস্থান করে তাহলে পাপকর্ওারি যোগ উৎপন্ন হয়। এটি একটি খুবই অশুভ যোগ।
এই যোগের ফলে যে ভাবের দুই পাশে পাপ গ্রহ দুটি অবস্থান করবে সেই ভাবের কারকতা অনুযায়ী এবং যে গ্রহটি বসে থাকবে তার কারকতা অনুযায়ী অশুভ ফল প্রদান করবে।

প্রতিকারঃ-
-------------
ক)ভগবান নারায়নের গায়এী মন্ত্র নিয়মিত জপ করতে হবে।
খ)যে গ্রহটি পাপকর্ওারি যোগের মাঝে থাকবে তার নিয়মিত বীজমন্ত্র জপ করতে হবে।
গ)লালকিতাব অনুযায়ী ব্রাম্ভনকে দান দেওয়া এবং গ্রহনের সময়ে গঙ্গাস্নান করতে হবে।
ঘ)মহামৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারন করতে হবে।

২)অর্থনাশ যোগ
----------------------------------------
মঙ্গল যদি জন্মছকে ষষ্ঠ,অষ্টম, কিংবা দ্বাদশে অবস্থান করে এবং লগ্নপতি বা দ্বিতীয় পতি যদি যদি নীচস্থ হয় তবে সেই জাতক বা জাতিকার সারাজীবন ঋণগ্রস্ত হয়ে থাকে এবং ঋণ নিয়েও পরিশোধ করতে পারে না।
প্রতিকারঃ-
-----------
মঙ্গলের বীজমন্ত্র জপ করতে হবে।লাল কিতাব অনুযায়ী সকলকে নিজের সাধ্যমতো মিষ্টি প্রদান করতে হবে।বিধবা নারীদের যথাসম্ভব সাহায্য করতে হবে।ধনদা কবচ ধারন করতে হবে।এর সাথে অবশ্যই উচিত খুব বেশী প্রয়োজন ব্যতীত ঋণ না করা।
ওঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায় ১০৮ বার প্রত‍্যহ স্নান করে।

৩) অনপত‍্যযোগ ( নিঃসন্তান)
যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,সপ্তমপতি এবং পঞ্চমপতি দুর্বল হয় ,তবে অনপত‍্যযোগ সূচিত হয়।
ফলাফল
এরূপ জাতক- জাতিকার কোনো সন্তানাদি হবে না।
মন্তব‍্য:
কিন্তূ জন্মকুন্ডলীতে বৃহস্পতি,ও ৫ম পতি জাতক বা জাতিকার বলবান হলে ১টি বা ২টি সন্তান হতে পারে।
কিন্তূ স্বামি ও স্ত্রীর উভয়ের জন্মকুন্ডলীতে যদি বৃহস্পতি,লগ্নপতি,৭মপতি ও৫ম পতি দূর্বল হয় -
তবে এরপ দম্পতির কোনো সন্তান হবে না ।
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
booking no 7001608953
@astropalmist1



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180508075427

Monday, May 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহের প্রভাবে রোগ

গ্ৰহের প্রভাবে রোগ

কোন গ্রহের কোপে কী রোগ হয়?:-******জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, পারিবারিক ও আর্থিক বিষয় ছাড়াও শারীরিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে ৯টি গ্রহ৷ রবি থেকে কেতু, এই ৯টি গ্রহ শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশে প্রভাব ফেলে৷

আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরের কোন অঙ্গে কোন গ্রহ প্রভাব ফেলে৷
১. রবি: এই গ্রহের স্থান মাথা ও মুখ৷ রবি বিরুদ্ধ হলে মাথা ও মুখের কোনও অংশে অসুখ হতে পারে৷ মুখে বা মাথায় আঘাত লাগতে পারে৷ যদি রবি অনুকূলে থাকে তাহলে মাথা বা মুখের কোনও অংশে অসুখ হলে বা আঘাত লাগলে, তা তাড়াতাড়ি সেড়ে যায়৷

২. চন্দ্র: এই গ্রহের স্থান গলা ও বুক৷ চন্দ্র বিরুদ্ধ হলে সবসময় সর্দিকাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের কোনও অসুখ,হৃদরোগ এমনকি যক্ষাও হতে পারে৷ চন্দ্র অনুকূলে থাকলে শ্লেষ্মাজাতীয় অসুখ বা হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ৩.মঙ্গল: এই গ্রহের স্থান পেট ও পিঠ৷তাই মঙ্গল বিরুদ্ধ থাকলে পেটের ও পিঠের কোনও স্থানে অসুখ হতে পারে৷শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগা, হাড় ভাঙা, শিরা ছিঁড়ে যাওয়া, অযথা অতিরিক্ত রক্তপাত, রক্তদূষন, রক্তশূন্যতা, আগুনে পুড়ে যাওয়া, যে কোনও ধরনের অস্ত্রপ্রচার হতে পারে৷মঙ্গল শুভ ফলদায়ক হলে এই ধরনের আঘাত লাগা বা দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকা যায়৷

৪. শনি: এই গ্রহের স্থান পা৷তাই শনি বিরুদ্ধ থাকলে পায়ে আঘাত লাগা, ব্যাথা বেদনা, রক্তপাত, দুর্ঘটনায় পা পর্যন্ত বাদ যেতে পারে৷এছাড়া শিরা-উপশিরা সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷

৫. রাহু : রাহুর বিরুদ্ধতায় রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, শনি প্রভৃতির মতো সবরকম কষ্টভোগ করতে মানুষ বাধ্য হন৷

৬. কেতু: এই গ্রহের স্থান ত্বক৷তাই কেতু বিরুদ্ধ থাকলে নানারকম চর্মরোগ হতে পারে৷

৭. বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র মানুষের মন, কানন, চিত্ত, বুদ্ধিতে আধিপত্য করে থাকে৷তাই এইসব গ্রহ বিরুদ্ধ হলে মনের অস্থিরতা, চিত্ত চাঞ্চল্য, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে৷এইসব গ্রহ শুভ ফলদায়ক হলে মানসিক শক্তি, বুদ্ধি, ধৈর্য্য,সহ্য বৃদ্ধি পায়৷

৮. অশুভ কেতু ও মঙ্গলের যোগ হলে দুরারোগ্য ব্যাধি, দুষ্টক্ষত এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে৷

৯. অশুভ কেতু ও মঙ্গল যোগে পিত্তঘটিত রোগের আশঙ্কা থাকে৷ কোনো ভালো Astrologer কে দেখিয়ে আরও ভালো করে বিচার করান।
Kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
Website:www.apnc.co.in
Page link:@astropalmist1



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180507091930

Monday, May 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভিত খননের সময় ?

ভিত খননের সময় ?

বাস্তুজমির ভিত খোঁড়ার সময়ে এই জিনিসগুলি মাটির নীচে পাওয়া গেলে সাবধান!জমি কেনার আগে জমির খানিকটা খুঁড়ে দেখ নেওয়াই ভাল, সেখানে ওই জাতীয় কোনও বস্তু রয়েছে কি না।বাস্তুজমি কেনার পরের কাজটি ভিত খোঁড়া। এই খোঁড়াখুঁড়ির সময়ে লক্ষ রাখতে হবে, মাচির নীচ থেকে কিছু উঠে আসছে কি না। বৈদিক বাস্তুশাস্ত্র জানাচ্ছে, মাটির নীচ থেকে যদি কিছু অশুভ জিনিস উঠে আসে, তাহলে ওই জমিকে বাসগৃহ নির্মাণের অনুপযুক্ত বলে মনে করতে হবে। ওই জমিতে বাস করলে অমঙ্গল ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র ওই ধরনের জমিকে বর্জনের নির্দেশ দেয়। তাই জমি কেনার আগে জমির খানিকটা খুঁড়ে দেখ নেওয়াই ভাল, সেখানে ওই জাতীয় কোনও বস্তু রয়েছে কি না।দেখে নেওয়া যেতে পারে কী সেই সব বস্তু, যা অশুভ শক্তির স্থিতিকে নির্দেশ করে। বৈদিক বাস্তু নিম্নলিখিত তালিকাটি পেশ করে এমন ক্ষেত্রে----------------------
১. মাটি খুঁড়ে পোড়া কাঠ পাওয়া গেলে।
২. মাটি খুঁড়ে ছাই মিশ্রিত মাটি পাওয়া গেলে।
৩. মাটি খুঁড়ে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে।
৪. মাটি খুঁড়ে পশুপাখির হাড় পাওয়া গেলে।
৫. মাটি খুঁড়ে পাথরের চাঁই পাওয়া গেলে।
৬. মাটি খুঁড়ে পুরনো কাঠ পাওয়া গেলে।
৭. মাটি খুঁড়ে পোড়া মাটির দ্রব্যাদির ভগ্নাংশ পাওয়া গেলে।
এর বাইরে বৈদিক বাস্তু কতগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছে। শ্মশান বা কবরস্থান ছিল এমন জমি, উইঢিবি যুক্ত জমি, নদীখাত সংলগ্ন জমি বা নির্জন এলাকার জমি বর্জনের নির্দেশ দেয় বাস্তুশাস্ত্র। এছাড়া, জমির চার পাশ ঘিরে দূর-দূরান্তে যাওয়ার পথ থাকলেও সেই জমিকে গৃহনির্মাণের অনুপযুক্ত বলে মনে করে বাস্তুবিদ্যা।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180507073659

Monday, May 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সনাতন ধর্মের শাঁখা-সিন্দুর ব‍্যাবহার কেন?

সনাতন ধর্মের শাঁখা-সিন্দুর ব‍্যাবহার কেন?




সনাতন ধর্মের শাঁখা ও সিঁদুর কেন ব্যাবহার করা হয়?

উত্তরঃ যারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করে তারা না জেনেই করে। সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিষয়ের পেছনেই কোন না কোন নিগুঢ় অর্থ বিদ্যমান।

তেমনি শাঁখা সিঁদুর আমাদের হিন্দু বিবাহিত নারীরা পরে আসছে অনেক আগে থেকে । তবে বর্তমানে এগুলা না পরা অনেকটা আধুনিকতার স্বরুপ হয়ে দাড়াচ্ছে কারো কারো কাছে। তাই আসুন আজ আমরা দেখে নেই শাঁখা সিঁদুর পরার কারন আর কেন এটা পরা উচিত।

শাঁখা, সিঁদুর ও লোহা ব্যবহারের তিনটি কারণ আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক।

আধ্যাত্মিক কারণ : শাঁখার সাদা রং- সত্ত্ব, সিঁদুরের লাল রং -রজঃ এবং লোহার কাল রং- তম গুণের প্রতীক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুণের অধীন হয়ে সংসারধর্ম পালন করে।

সামাজিক কারণ : তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টিতেই জানিয়ে দেয় ঐ রমণী একজন পুরুষের অভিভাবকত্বে আছেন। সে কারণেই অন্য পুরুষের লোভাতুর, লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত হয়। স্বামীর মঙ্গল চিহ্ন তো অবশ্যই।

বৈজ্ঞানিক কারণ : রক্তের ৩টি উপাদান শাঁখায় ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ এবং লোহায় আয়রণ আছে। রক্তের ৩টি উপাদান মায়েদের মাসিক রজঃস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। আর্য ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকেপ্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180507065708

Sunday, May 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পেশা ও সপ্তমে শনি

পেশা ও সপ্তমে শনি

পেশা নির্বাচন :
একাদশ ভাব আমাদের পেশা নির্দ্দেশক
সুতরাং একদশ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম ঘর অর্থাৎ চতুর্থ ও পঞ্চম ঘরের শুভত্ব বিবেচনা করলে জানা যাবে ব্যবসা অথবা চাকুরিতে সাফাল্য আসবে চতুর্থ ঘবে যদি রবি, বৃহস্পতি , ও মঙ্গল এর প্রত্যক্ষ প্রভাব থাকে তবে সরকারি চাকুরি তে সাফল্য পাবার সম্ভাবনা থাকে , বুধের প্রভাব থাকলে সরকারি বা বেসরকারি উভয় চাকুরি হতে পারে তবে বেশি উচ্চপদ অন্যঅন্য গ্রহের শুভত্বের উপর নির্ভর করবে । চন্দ্র , শুক্র বেসরকারি ক্ষত্রের নির্দ্দেশক । রাহু কেতু ও শনি বিলম্ব কারক গ্রহ বা এরা চাকুরি প্রাপ্তির ক্ষত্রে বাধক এর কাজ করে থাকে ।
কিভাবে বুঝবেন আপনার উপর বাধক গ্রহের প্রভাব চলছে ?
১) শরীরের উজ্জ্বল্য কমে যাওয়া , শুষ্ক শুষ্ক ভাব থাকবে এবং অপনি দীর্ঘ কালীন সময় ব্যাপি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আছেন তাহলে আপনি মনে করে নেবেন শনি গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
২)আপনি যদি হটাৎ করে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছেন , আপনার মদ , জুয়া , লটারীর প্রতি আকর্ষন বাড়ছে , আপনি ঘরে ফিরে অস্থির হয়ে উঠছেন বাইরে বার হবার জন্য তাহলে বুঝবেন রাহু গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
৩) আপনার নিজের ভূলে কোনো সম্পদ বিষয়ক ক্ষতি করেফেলেছেন । চর্ম রোগ বাড়ছে , হটাৎ করে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এমন যদি হয় তাহলে বুঝবেন কেতু গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
প্রতিকার : যারা চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন তারা গলায় সাপের আকৃতির কোনো রূপার লকেট পরতে পারেন , এবং ঘোড়ার খূরের আংটি বানিয়ে পরতে পারেন তাতে চাকুরির বাধা বিপত্তি কাটতে পারেন (** যদি আপনার মনে হয় আপনার কাজের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি তাহলে তাহলে এই প্রতিকারের দরকার আছে )

সপ্তমে শনি:
শনি সপ্তমে থাকলে, সারা জীবন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হয় এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এটার মানে যে সবসময় সে তার পায়ের দিক থেকে খুঁড়িয়ে চলতে হবে সেটা নয়, তাই তাদের জীবনের উন্নতি ধীরে হয়, যেটা কে খুঁড়িয়ে চলার সাথে তুলনা করা হয়। অনেকেই মনে করেন যে সপ্তমে শনি থাকলে বিবাহিত জীবন ভালো হয়না, divorce বা দূরে থাকার একটা প্রবণতা থাকে, কিন্তু এটাও সর্বদা ঠিক না, শনি যদি সক্ষেত্রে থাকে তাহলে ভীষণ ভালো ফল দেয়, তাদের বউ বা স্বামী ভালো চাকরি করা বা ব্যবসা করা হতে পারে, এরা জীবনের 38 বছর বয়সের পর অনেক উন্নতি করে। শনি সপ্তমে থাকলে নবমে দৃষ্টি দেয়, তাই দেরি করে ভাগ্য উন্নতি হয়। তবে শনি সপ্তমে থাকলে এরা খুব কুঁড়ে হয়, ধীরগামী হয়। বিখ্যাত খনার বচন:
" গেল শনি সপ্তম ঘরে
অবশ্যই তাকে খোঁড়া করে।"
প্রতিকার: ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চারায়ঃ ।
১০০৮ বার স্নান করে নীল বস্ত্র পরিধান করে।
রত্ন: নীলা ৩-৪রতি মধ‍্যমা অঙ্গুরীতে।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
FEES 1000/-



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180506173106

Sunday, May 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি ঠাকুর কে তেল মাখাবেন

শনি ঠাকুর কে তেল মাখাবেন

শনিদেব বা বড় ঠাকুরকে তো আপনারা সব্বাই জানেন। আপনার বাড়ির কাছে যদি শনিদেবের মন্দির থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন, শনিবার ভক্তরা তাঁকে তেল মাখিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না নিশ্চয়ই এর পেছনের কাহিনী? আসুন আজ জেনে নিন।
রামায়ন তো আপনারা সবাই কমবেশি পড়েছেন। আর ওখানেই পাওয়া যায় শনিদেবের সাথে তেলের সম্পর্কের এই গল্পটির উৎস। রাম লঙ্কায় যাবেন, রাবণকে বধ করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। তারই জন্য রামেশ্বরমে সেতুবন্ধন হচ্ছে। ভক্ত বীর হনুমান আছেন তারই তত্ত্বাবধানে, কঠোর প্রহরায়। প্রিয় রামের কাজে কোনো বাধা আসতেই দেবেন না তিনি। হনুমান একদিন রামের পুজোয় বসেছেন। এমন সময় শনিদেব এলেন তাঁর কাছে। নিজ পরিচয় সদম্ভে ঘোষণা করে কে বেশী শক্তিশালী তা দেখার জন্য হনুমানকে যুদ্ধে আহ্বান করলেন। শান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন হনুমান। বললেন, ‘আমি এখন রামের ধ্যানে বসেছি। দয়া করে আমাকে একা ছেড়ে দিন। পুজোর সময় আমাকে বিরক্ত করবেন না’।

শনিদেব তো নাছোড়বান্দা! যুদ্ধে শক্তি পরীক্ষা না করে কিছুতেই যাবেন না তিনি। অগত্যা হনুমান আর কি করেন! নিজের লেজটাকেই বড় করে শনিদেবকে পেঁচিয়ে ফেললেন লেজে। আর তারপর? শক্ত করতে লাগলেন লেজের বাঁধুনি। যতই বাঁধন শক্ত করেন, শনিদেব তো ততই হাঁসফাঁস করতে থাকেন ব্যথায়! শেষে হনুমান যখন লেজ ওপর-নীচ করতে লাগলেন, শনিদেবের তখন রীতিমতো ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ হাল! সারা গায়ে যখন তাঁর রক্তে ভেসে যাচ্ছে, তখন শনির মিনতিতে দয়া হল হনুমানের। ছেড়ে দিলেন তিনি।

কথিত আছে, এরপর শনিদেব নাকি বীর হনুমানকে অনুরোধ করেছিলেন যে, তাঁর ক্ষত আর রক্তে তেল লাগিয়ে দিতে, কারণ তেল যে ব্যথা দূর করে তা তো আপনারা জানেনই। হনুমান তেল লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আর শেষে শনিও নাকি তাঁকে জানান, যে তিনি আর রামের ভক্তদের বিরক্ত করবেন না। এরপর থেকেই নাকি ভক্তদের মধ্যে শনিদেবকে তেল লাগানোর সূচনা। শনিদেব তো খুবই রাগী দেবতা। সব্বাই তাঁকে ভয় পায়। আর তিনি যদি ব্যথা পেয়ে রেগে থাকেন, তাহলে সেটা মোটেও ভালো ব্যাপার হবে না। তাই তাঁকে তুষ্ট করার জন্যই তেলের বন্দোবস্ত। আর তাঁকে যারা তেল মাখান, তারা তার কৃপাও পান।

তবে শনিবারে শনিদেবকে যে কোন তেল লাগানো হবে, এই নিয়ে মতভেদ আছে। সাধারণত তিল আর সর্ষে—এই দুই তেলই তাঁকে বেশী লাগানো হয়। এই দুই তেল দিয়ে তাঁর মন্দিরে প্রদীপও জ্বালানো হয়। কারণ হনুমানও এই দুই তেল দিয়েই তাঁর ব্যথা কমান। তাছাড়া তিল আর সর্ষের তেলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি আর অ্যান্টি-সেপ্টিক গুণও বর্তমান।

তাই যাই করুন, এবার কিন্তু প্রতি শনিবারে মন্দিরে গিয়ে শনিদেবকে তেল মাখাতে ভুলবেন না। তাঁর কৃপা পেতে আর শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে এবার এটাই হোক আপনার ভরসা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180506073236

Sunday, May 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা ভৈরবী

মা ভৈরবী


দেবী ভৈরবী
-------------------
দশমহাবিদ্যার পঞ্চম মহাবিদ্যা হলেন দেবী ভৈরবী। শান্ত ও রুদ্রমুর্তি, ধৈর্য ও চাঞ্চল্য, কঠোরতা এবং কোমলতা - এইরকমই পরস্পর বিরুদ্ধভাবের সমন্বয় এবং সহাবস্থান ঘটেছে ভৈরবীতত্ত্বে। কুব্জিকাতন্ত্রের মতে, কালভৈরবের সহধর্মিণী বলে দেবীকে ভৈরবী বলা হয়। শারদাতিলকে উল্লিখিত দেবীর ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী, দেবী উদিয়মান সহস্র সূর্যের মতো দীপ্তিময়ী। তার পরিধানে রক্তবর্ণ ক্ষৌমবস্ত্র (রেশমিবস্ত্র বা পট্টবস্ত্র) এবং গলায় মুন্ডমালা। দেবীর পয়োধর রক্তলিপ্ত। তাঁর চারহাতে জপমালা,পুস্তক,অভয় এবং বর। দেবী ত্রিনয়নী, তাঁর মুখমন্ডল প্রস্ফুটিত পদ্মের মতো সুন্দর। তাঁর মস্তকে রত্নমুকুট এবং চন্দ্রকলা। উদীয়মান সহস্রসুর্যের মতো দেবীর কান্তির রজোগুণ এবং শক্তির প্রতীক।দেবীর সৃজনক্ষমতার জন্য তাঁর অপর নাম বৈরোচনী। "বিরোচন" শব্দের অন্যতম অর্থ সূর্য। ঋগ্বেদে সূর্য কৃষির দেবতা। তাই দেবীর মহা শক্তির সঙ্গে সূর্যের তেজোময় রূপ এবং প্রকৃতিপালনের তাৎপর্য প্রকাশ করা হয়েছে। দেবী রজোগুণময়ী বলে তাঁর বর্ণ অরুণকান্তি। ক্ষৌমবস্ত্র বা পট্টবস্ত্র সুক্ষাতিসুক্ষ্ম বাসনার প্রতীক। দেবীর মুন্ডমালার পঞ্চাশটি মুন্ড সংস্কৃত বর্ণমালার পঞ্চাশৎ মাতৃকাবর্ণের প্রতীক। আদিবর্ণ থাকে দেবীর গ্রীবার পশ্চাতে এবং বাকি উনপঞ্চাশটি দৃশ্যমান বর্ণে থাকে উনপঞ্চাশ রকম দৈবীশক্তির প্রকাশ। দেবী সকল জীবকে বীজরূপে আপন গর্ভে ধারণ করেন এবং তপঃ, ক্লেশ ও ইচ্ছাশক্তির প্রভাবে তাঁদের প্রাকৃত জগতে ব্যক্ত করেন। এইভাবে অব্যক্ত থেকে ব্যক্ত জগতে প্রকাশিত করার জন্যই জীবসত্ত্বাকে খন্ড খন্ড বিষয়জ্ঞান দ্বারা পরিপুষ্ট করতে হয়। এই বিষয়জ্ঞানেরই প্রতীক হল রক্ত। সেই কারণেই দেবীর স্তনদ্বয় রক্তলিপ্ত। দেবীর জপমালা নিরন্তর কর্মশক্তি এবং পুস্তক জ্ঞানের প্রতীক। দেবী ভৈরবী সর্বশক্তির সম্মিলিত প্রকাশ।তিনিই সৃষ্টি,স্থিতি এবং লয়ের আধারস্বরুপা।

ভৈরবী মূলত ভৈরব এর স্ত্রী রুপ। এ রুপটি দেবী কালীর আরেকটি রুপ। কালীর মতই প্রায় একইরকম হিংস্র ও আতংককর দৃষ্টিভঙ্গি বিশিষ্ট্য একটি রুপ।
তাকে সুভংকরী বলা হয় তিনি ভালর জন্য ভাল মা এবং খারাপের জন্য ভয়ংকর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি বালা বা ত্রিপুরা ভৈরবী হিসাবেও পরিচিত।
সংগীতে দেবীঃ উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে ঠাট ও রাগ বিশেষ কে ভৈরবী নামে অভিহিত করা হয় মূলত দেবীর নামের সঙ্গে মিল রেখেই।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে— চৌষট্টি যোগিনীর মধ্যে প্রধানা। ইনি ছিলেন দুর্গার সহচরী ও তাঁরই মত পূজনীয়া। ইনি বিভিন্ন সময়ে দেবীর সহযোগী শক্তি হিসাবে দেবীকে সাহায্য করতেন। দক্ষযজ্ঞে দক্ষ মহাদেবের নিন্দা করলে, সতীর আত্মহত্যা করেন। এরপর মহাদেব দক্ষযজ্ঞ ধ্বংস করেন এবং সতীরে মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন। এর ফলে পৃথিবী ধ্বংসের উপক্রম হয়। পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য- বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতীর দেহকে ৬৪ খণ্ডেবিভাজিত করেন। সতীদেহের খণ্ডিত অংশ যে সকল পতিত হয়েছিল, সে সকল স্থান পীঠস্থান নামে পরিচিত। এই সকল পীঠস্থানের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারা সাধারণ ভাভৈরবীর বে ভৈরব নামে অভিহিত হন। ভৈরবী হলো— ভৈরবের স্ত্রী সত্তার নাম। এই ঠাট ও রাগের নাম পৌরাণিক দৈবসত্তা নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।

মন্দিরঃ অনেক দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরে বালা ত্রিপুরা দেবী হিসেবে দেবী ভৈরবী পূজিতা হয়। তারবিখ্যাত মন্দির হল পুরীর ভিমলায় অবস্থিত জগন্নাথ মন্দির। ভিমলা মন্দির ভৈরবী মন্দির নামে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180506072719

Saturday, May 5th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

পূজার মুদ্রা

পূজার মুদ্রা

মুদ্রা (বহুবিধ)(সমস্ত পূজার প্রধান অঙ্গ)

মোদনাৎ সর্ব্বদেবানাং দ্রাবণাৎ পাপসম্ভতেঃ।
তস্মান্মুদ্রেতি বিখ্যাতা মুনিভিস্তন্ত্রবেদিভিঃ।।
মুদ্রা সকল দেবগণের আমোদ বর্দ্ধন করে এবং সমস্ত পাপ বিনাশ করে, এইজন্য মুণিগণ ইহাকে মুদ্রা নামে আখ্যাত করিয়াছেন।
হস্ত্যাভ্যামঞ্জলিং বন্ধানামিকামূলপর্ব্বণোঃ। অঙ্গুষ্ঠৌ নিঃক্ষিপেৎ সেয়ং মুদ্রা আবাহনী স্মৃতা।।১।।
আবাহনীমুদ্রা - উভয়হস্তের অঞ্জলী যোজনা করিয়া উভয়কে হাতের অনামিকার মূলপর্ব্বে অঙ্গুষ্ঠদ্বয় আবদ্ধ করিলে আবাহনীমুদ্রা হয়।।১।।
অধোমুখীতিচেৎ স্যাৎ স্থাপনী মৃদ্রিকা স্মৃতা।।২।।
স্থাপনীমুদ্রা - উক্ত আবাহনীমুদ্রাকৃত উভয় হস্তাঙ্গুলী অধোমুখ করিলেই স্থাপনীমুদ্রা হয়।।২।।
উচ্ছ্রিতাঙ্গুষ্ঠমুষ্ট্যোশ্চ সংযোগাৎ সন্নিধাপনী।।৩।।
সন্নিধাপনীমুদ্রা - উভয়হস্ত মুষ্টিবদ্ধ করিয়া অঙ্গুষ্ঠদ্বয় উন্নত করিরা সংযুক্ত করিলে সন্নিধাপনীমুদ্রা হয়।।৩।।
অন্তঃপ্রবেশিতাঙ্গুষ্ঠা সৈব সংবোধিনীমতা।।৪।।
সংবোধনীমুদ্রা - উভয়হস্তের অঙ্গুষ্ঠদ্বয় অন্তঃপ্রবিষ্ট করিয়া উভয় হস্ত মুষ্টিবদ্ধ করলেই সংবোধনীমুদ্রা হয়।।৪।।
উত্তানমুষ্টিযুগলা সংমুখীকরণী মতা।।৫।।
সম্মুখীকরণীমুদ্রা - সংবোধনীমুদ্রাকৃত মুষ্টিদ্বয় চিৎ করিলে তাহাকে সম্মুখীকরণীমুদ্রা কহে।।৫।।
দেবতাঙ্গে ষড়ঙ্গানাং ন্যাসঃ স্যাৎ সকলীকৃতিঃ।।৬।।
সকলীকরণমুদ্রা - দেবতার অঙ্গে ষড়ঙ্গন্যাসকে সকলীকরণমুদ্রা বলে।।৬।।
সব্যহন্তকৃতা মুষ্টির্দীর্ঘাধোমুখতর্জ্জনী। অবগুণ্ঠনমুদ্রেয়মভিতো ভ্রামিতা মতা।।৭।।
অবগুণ্ঠনমুদ্রা - বামহস্তে মুষ্টিবন্ধনপূর্ব্বক তর্জনীকে দীর্ঘভাবে প্রসারিত করিয়া আধোমুখে ভ্রামিত করিলে অবগুণ্ঠনমুদ্রা হয়।।৭।।
অন্যোন্যাভিমুখাশ্লিষ্টা কনিষ্ঠানামিকা কুর্ব্যাৎ তয়া সাধকসত্তমঃ।।৮।।
ধেনুমুদ্রা - উভয় হস্তের অঙ্গুলি সকলকে পরস্পরের সন্ধিমধ্যগত করিয়া কনিষ্ঠার সহিত অনামিকার যোগ করিবে, এই তর্জ্জনীর অগ্রভাগের সহিত মধ্যমার অগ্রভাগ সংযুক্ত করিবে, ইহারই নাম ধেনুমুদ্রা, সাধক ইহা দ্বারা অমৃতীকরণ করিবে।।৮।।
অন্যোন্যগ্রতিথাঙ্গুষ্ঠা প্রসারিতপরাঙ্গুলিঃ মহামুদ্রেয়মুদিতা পরমীকরণে বুধৈঃ।।৯।।
পরমীকরণমুদ্রা - উভয়হস্তের অঙ্গুষ্ঠদ্বয়কে পরস্পর গ্রথিত করিয়া অপর অঙ্গুলিসকল প্রসারিতকরিলে মহামুদ্রা হয়, ইহাদ্বারা পরমীকরণ করিবে।।৯।।
বামাঙ্গুষ্ঠন্তু সংগৃহ্য দক্ষিণেন তু মুষ্টিনা। কৃত্বোত্তানং ততো মুষ্ঠিমঙ্গুষ্ঠন্তু প্রসারয়েৎ। দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠ সংস্পৃষ্টা জ্ঞেয়ৈষা শঙ্খমুদ্রিকা।।১০।।
শঙ্খমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের মুষ্টিদ্বারা বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠ গ্রহণ করিয়া ঐ মুষ্টি চিৎ করিয়া রাখিবে ও দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠ প্রসারিত করিবে। পরে বামহস্তের সমস্ত অঙ্গুলি পরস্পরে সংযুক্ত করিয়া, প্রসারণপূর্ব্বক দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠাঙ্গুলিতে মিলিত করিবে। এই মুদ্রার নাম শঙ্খমুদ্রা।।১০।।
হস্তৌ তু সন্মুখৌ কৃত্বা সন্নতপ্রথিতাঙ্গুলী। তলান্ত্রর্মিলিতাঙ্গুষ্ঠৌ সুভুগ্নৌ সুপ্রসারিতৌ। কনিষ্ঠাঙ্গুষ্ঠকৌ লগ্নৌ মুদ্রৈষা চক্রসংজ্ঞিকা।।১১।।
চক্রমুদ্রা - অঙ্গুলি সকল সন্নত ও প্রোথিতভাবে বিন্যস্ত করিয়া হস্তদ্বয় পরস্পর সম্মুখীন করিবে। পরে অঙ্গুষ্ঠদ্বয় করতলে মিলিত করিয়া ও কনিষ্ঠাঙ্গুলিদ্বয় প্রসারিত ও বক্রভাবে সংলগ্ন করিলে চক্রমুদ্রা হয়।।১১।।
অন্যোহন্যাভিমুখৌ হস্তৌ কৃত্বা তু গ্রথিতাঙ্গুলী। অঙ্গুলী মাধ্যমে ভূয়ঃ সুলগ্নে সুপ্রসারিতে। গদামুদ্রেয়মূদিতা বিষ্ণোঃ সন্তোষবর্দ্ধিনী।।১২।।
গঙ্গামুদ্রা - উভয় হস্ত পরস্পর সম্মুখে রাখিয়া অন্যান্য সমস্ত অঙ্গুলি গ্রথিত করিবে এবং পরে মধ্যমাদ্বয় সংলগ্ন করিয়া প্রসারিত করিলে গঙ্গামুদ্রা হয়।।১২।।
হস্তৌ তু সম্মুখৌ কৃত্বা সন্নতপ্রোথিতাঙ্গুলী তলান্ত্ররম্মিলিতাঙ্গুষ্ঠো কৃত্বৈষা পদ্মমুদ্রিকা।।১৩।।
পদ্মমুদ্রা - উভয় হস্ত সম্মুখীন করিয়া অঙ্গুলি সকল সন্নতভাবে প্রোথিত করতঃ অঙ্গুষ্ঠদ্বয় হস্ততলে মিলিত করিয়া পদ্মমুদ্রা হয়।।১৩।।
ওষ্ঠে বামকরাঙ্গুষ্ঠো লগ্নস্তন্য কনিষ্ঠিকা। দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠসংযুক্তা তৎকনিষ্ঠা প্রসারিতা।। তর্জ্জনীমধ্যমানামাঃ কিঞ্চিৎ সঙ্কুয়া চালিতাঃ। বেণুমুদ্রা ভবত্যেষা সুগুপ্তা প্রেয়সী হরেঃ।।১৪।।
বেনুমুদ্রা - বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠ ওষ্ঠে সংযুক্ত করিয়া বামকনিষ্ঠা দক্ষিনহস্তের অঙ্গুষ্ঠতে সংলগ্ন করিবে। পরে দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠ সংযুক্ত কনিষ্ঠাকে প্রসারিত করিয়া তর্জ্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা এই অঙ্গুলিত্রয়কে কিঞ্চিৎ সঙ্কুচিত করতঃ পরিচালিত করিবে, ইহাকে বেণুমুদ্রা বলে।।১৪।।
অন্যোন্যপৃষ্ঠকরয়োর্ম্মধ্যমানামিকাঙ্গুলী। অঙ্গুষ্ঠেন তু বঘ্নীয়াৎ কনিষ্ঠামুলসংস্থিতে। তর্জ্জন্যৌ কারয়েদেষা মুদ্রা শ্রীবৎসসংজ্ঞিকা।।১৫।।
শ্রীবৎসমুদ্রা - উন্নতহস্তের পৃষ্ঠদেশে বিপর্যস্তভাবে সংলগ্ন করিয়া দক্ষিণ হস্তের মধ্যমা ও অনামিকা বামহস্তের অঙ্গুলিদ্বারা বামহস্তের মধ্যমা ও অনামিকাকে দক্ষিণহস্তের অঙ্গুলিদ্বারা আবদ্ধ করিয়া তর্জ্জনীকে কনিষ্ঠা মূলে সংস্থাপিত করিলে শ্রীবৎসমুদ্রা হয়।।১৫।।
অনালাপৃষ্ঠসংলগ্না দক্ষিণস্য কনিষ্ঠিকা। কনিষ্ঠায়ান্যয়া বদ্ধা তর্জন্যা দক্ষয়া তথা।। বামানামাঞ্চ বধ্নীয়াদ্‌ দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠমূলকে। অঙ্গুষ্ঠমধ্যমে বামে সংযোজ্য সরলাঃ পরাঃ। চতস্রোহপ্যগ্রসংলগ্না মুদ্রা কৌস্তুভসংজ্ঞিকা।।১৬।।
কৌস্তুভমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের কনিষ্ঠা অঙ্গুলিকে অনামিকার পৃষ্ঠদেশে সংলগ্ন করিয়া বামহস্তের কনিষ্ঠাদ্বারা ঐ কনিষ্ঠা আবদ্ধ করিয়া, দক্ষিণহস্তের তর্জ্জনী দ্বারা বামহস্তের অনামিকাকে বন্ধন করিবে। পরে দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠমূলে বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা সংলগ্ন করিয়া, অপর চারি অঙ্গুলি সরলভাবে পরস্পর অগ্রভাগে সংযুক্ত করিলে তাহাকে কৌস্তুভমুদ্রা বলে।।১৬।।
স্পৃশেৎ কণ্ঠাদিপাদান্তং তর্জ্জন্যঙ্গুষ্ঠয়া তথা। করদ্বয়েন মালাবন্মুদ্রেয়ং বনমালিকা।।১৭।।
বনমালামুদ্রা - উভয়হস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনী পৃথক্‌ পৃথক্‌ সংযুক্ত করিয়া কণ্ঠ হইতে পাদপর্যন্ত স্পর্শ করিয়া করদ্বয় মালাবৎ করিলেই বনমালা মুদ্রা বলা হয়।।১৭।।
তর্জ্জন্যঙ্গুষ্ঠকৌ সক্তাবগ্রতো বিন্যসেৎ সুধীঃ। বামহস্তাম্বুজং বামজানু-মুর্দ্ধনি বিন্যসেৎ। জ্ঞানমুদ্রা ভবেদেষা রামচন্দ্রস্য প্রেয়সী।।১৮।।
জ্ঞানমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনীর অগ্রভাগ সংযুক্ত করিয়া হৃদয় প্রদেশে বিন্যস্ত্ করিবে এবং বামহস্ত বামজানুর উপর স্থাপন করিলে জ্ঞানমুদ্রা হয়।।১৮।।
অঙ্গুষ্ঠং বামমুদ্দণ্ডিতমিতরকরাঙ্গুষ্ঠকেনাপি বদ্ধা, তস্যাগ্রং পীড়য়িত্বাঙ্গুলিভিরপি চ তা বামহস্তাঙ্গুলীভিঃ। বদ্ধা গাঢ়ং যদি স্থাপয়তু বিমলধীবাহরন্‌ মারবীজং বিল্বাখ্যা মুদ্রিকৈষা স্ফুটমিহ গদিতা গোপনীয়া বিধিজ্ঞৈঃ।।১৯।।
বিল্বমুদ্রা - বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠকে দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠদ্বারা আবদ্ধ করিয়া তাহার অগ্রভাগ দক্ষিণহস্তের অন্যান্য অঙ্গুলিদ্বারা পীড়িত করিবে এবং দক্ষিণহস্তের অঙ্গুলিসকল বামহস্তের অঙ্গুলিদ্বারা আবদ্ধ করিয়া কামবীজ উচ্চারণ পূর্ব্বক হস্তদ্বয় হৃদয়ে স্থাপন করিলে, উহাকে বিল্বমুদ্রা বলে।।১৯।।
হস্তৌ তু বিমুখৌ কৃত্বা গ্রথয়িত্বা কনিষ্ঠিকে। মিথস্তর্জ্জনিকে শ্লিষ্টে শ্লিষ্টাবঙ্গুষ্ঠকৌ তথা।। মধ্যমানামিকে দ্বে তু দ্বৌ পক্ষাবিব চালয়েৎ।। এষা গরুড়মুদ্রা স্যাদ্‌ বিষ্ণোঃ সন্তোষবর্দ্ধিনী।।২০।।
গরুড়মুদ্রা - একহস্তের পৃষ্ঠদেশে অন্য হস্ত বিপরীতভাবে স্থাপন করিয়া কনিষ্ঠার সহিত কনিষ্ঠা, তর্জ্জনীর সহিত তর্জ্জনী, অঙ্গুষ্ঠার সহিত অঙ্গুষ্ঠা গ্রথিত করিবে এবং মধ্যমা ও অনামিকাদ্বয় পদদ্বয়ের ন্যায় পরিচালিত করিলে গরুড়মুদ্রা হয়।।২০।।
জানুমধ্যে করৌ কৃত্বা চিবুকোষ্ঠৌ সমাবুভৌ। হস্তৌ তু ভূমিসংলগ্নৌ কম্পমানঃ পুনঃ পুনঃ। মুখং বিবৃতকং কুর্ষ্যাল্‌ লৈলিহানাঞ্চ জিহ্বিকাম্‌।। নারসিংহী ভবেদেষা মুদ্রা তৎপ্রীতিবর্দ্ধিনী।।২১।।
নারসিংহীমুদ্রা - জানুমধ্যে করদ্বয় স্থাপন করিয়া চিবুক ও অষ্ঠ সমভাবে রাখিবে এবং হস্তদ্বয় ভূমিসংলগ্ন করতঃ কম্পান্বিত কলেবরে মুখ বিবৃত করিয়া জিহ্বা বহির্গত করিয়া বারম্বার পরিচালিত করিলে বারসিংহীমুদ্রা হয়।।২১।।
দক্ষহস্তঞ্চোর্দ্ধ মুখং বামহস্তমধোমুখম্‌। অঙ্গুল্যগ্রন্তু সংযুক্তং মুদ্রা বরাহসংজ্ঞিকা।।২২।।
বারাহীমুদ্রা - দক্ষিণহস্ত ঊর্দ্ধমুখে এবং বামহস্ত অধোমুখে স্থাপন করিয়া উভয় হস্তের অঙ্গুলির অগ্রভাগ পরস্পর সংযুক্ত করিলে বারাহীমুদ্রা হয়।।২২।।
বামস্য মধ্যমাগ্রন্তু তর্জ্জন্যগ্রেণ যোজয়েৎ। অনামিকা কনিষ্ঠাঞ্চ তস্যাঙ্গুষ্ঠেন পীড়য়েৎ। দর্শয়েদ্বামকে স্কন্ধে ধনুর্ম্মুদ্রেয়মীরিতা।।২৩।।
ধনুমুদ্রা - বামহস্তের মধ্যমার অগ্রভাগ দক্ষিণহস্তের তর্জ্জনীর অগ্রভাগের দ্বারা সংযোজিত করিয়া সেই হস্তের অঙ্গুষ্ঠদ্বারা অনামিকা ও কনিষ্ঠাকে নিপীড়িত করতঃ বামস্কন্ধ স্পর্শ করিলে ধনুমুদ্রা হয়।।২৩।।
দক্ষমুষ্টেস্তু তর্জ্জন্যা দীর্ঘয়া বাণমুদ্রিকা।।২৪।।
বাণমুদ্রা - দক্ষিণহস্ত মুষ্টিবদ্ধ করিয়া তর্জ্জনীকে দীর্ঘভাবে প্রসারিত করিলে বাণমুদ্রা হয়।।২৪।।
তলে তলন্তু করয়োস্তির্য্যক্‌ সংযোজ্য চাঙ্গুলীঃ। সংহতা প্রসৃতাঃ কুর্য্যাম্মুদ্রা পরশুসংজ্ঞিকা।।২৫।।
পরশুমুদ্রা - করতলে করতলে সন্নিবেশিত করিয়া স্ব স্ব অঙ্গুলিসকল যতদূর ব্যবধান করিয়া পারা য়ায়, ততদূর ব্যবধান করিয়া মিলিত ও প্রসারিত করিলে পরশুমুদ্রা হয়।।২৫।।
উচ্ছ্রিতাংঙ্গুষ্ঠমুষ্টি দ্বে মুদ্রা ত্রৈলোক্যমোহিনী।।২৬।।
ত্রৈলক্যমোহিনীমুদ্রা - উভয় হস্ত মুষ্টিবদ্ধ করিয়া অঙ্গুষ্ঠদ্বয় ঊর্দ্ধে প্রসারিত করিলে ত্রৈলোক্যমোহিনী মুদ্রা হয়।।২৬।।
হস্তৌ তু সম্পুটৌ কৃত্বা প্রসৃতাঙ্গুলিকা তথা। তর্জ্জনৌ মধ্যমা পৃষ্ঠে অঙ্গুষ্ঠৌ মধ্যমাশ্রিতৌ। কামমুদ্রেয়ম্‌দিতৌ সর্ব্বদেবপ্রিয়ঙ্করী।।২৭।।
কামমুদ্রা - হস্তদ্বয় পরস্পর সম্মুখীন করিয়া অঙ্গুষ্ঠদ্বয় প্রসারিত করিবে, তৎপরে তর্জ্জনীদ্বয় মধ্যমার পৃষ্ঠদ্বেশে সংলগ্ন করতঃ অঙ্গুষ্ঠদ্বয় মধ্যমাতে সংযোজিত করিলে কামমুদ্রা হয়।।২৭।।
উচ্ছ্রিতং দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠং বামাঙ্গুষ্ঠেন বেষ্টইয়েৎ। বামাঙ্গুলীর্দ্দক্ষিণাভিরঙ্গুলীভিশ্চ বন্ধয়েৎ। লিঙ্গমুদ্রেয়মাখ্যাতা শিবসান্নিধ্যকারিণী।।২৮।।
লিঙ্গমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠকে উন্নত করিয়া বাম অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা বেষ্টন করিবে, পরে বামহস্তের অঙ্গুলি সকিলকে দক্ষিণহস্তের সমুদয় অঙ্গুলিদ্বারা আবদ্ধ করিলে লিঙ্গমুদ্রা হয়।।২৮।।
মিথঃ কনিষ্ঠিকে বদ্ধা তর্জ্জনীভ্যামনামিকে। অনামিকোর্দ্ধ সংশ্লিষ্টদীর্ঘমধ্যয়োরধঃ। অঙ্গুষ্ঠাগ্রদ্বয়ং ন্যস্যেদ্‌যোনিমুদ্রেয়মীরিতা।।২৯।।
যোনিমুদ্রা - উভয়হস্তের কনিষ্ঠাদ্বয় পরস্পর বন্ধন করিয়া দক্ষিণ হস্তের তর্জ্জনীদ্বারা বাম অনামিকা এবং বাম তর্জ্জনীদ্বারা দক্ষিণ অনামিকা বন্ধ করিবে পরে অনামিকাদ্বয়ের অগ্রভাগে সংশ্লিষ্ট করিয়া মধ্যমাদ্বয় প্রসারিত করিয়া সেই মধ্যমাদ্বয়ের মূলে অঙ্গুষ্ঠদ্বয় সংলগ্ন করিলে যোনিমুদ্রা হয়।।২৯।।
অঙ্গুষ্ঠরর্জ্জন্যগ্রে তু গ্রথরিত্বাঙ্গুলীত্রয়ম্‌। প্রসারয়েদক্ষমালামুদ্রেয়ং পরিকীর্ত্তিতা।।৩০।।
অক্ষমালামুদ্রা - দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা তর্জ্জনীকে গ্রথিত করিয়া অঙ্গুলিত্রয় প্রসারিত করিলে অক্ষমালামুদ্রা হয়।।৩০।।
অধঃস্থিতো দক্ষহস্তঃ প্রসৃতো বরমুদ্রিকা।।৩১।।
বরমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের অঙ্গুলি সকল প্রসারিত করিয়া অধোমুখ করিলে বরমুদ্রা হয়।।৩১।।
ঊর্দ্ধীকৃতো বামহস্তঃ প্রসৃতোহভয়মুদ্রিকা।।৩২।।
অভয়মুদ্রা - বামহস্তের অঙ্গুলিসকল প্রসারিত করিয়া ঊর্দ্ধীকৃত করিলে অভয়মুদ্রা হয়।।৩২।।
মিলিতানামিকাঙ্গুষ্ঠা মধ্যমাগ্রে নিয়োজয়েৎ। শ্লিষ্টাঙ্গুলাচ্ছ্রিতে কুর্য্যান্মৃ গমুদ্রেয়মীরিতা।।৩৩।।
মৃগমুদ্রা - অনামিকা এবং অঙ্গুষ্ঠ মিলিত করিয়া মধ্যমার অগ্রে সংযুক্ত করিবে, অবশিষ্ট সমস্ত অঙ্গুলি সংযুক্ত করিয়া উন্নত করিলে মৃগমুদ্রা হয়।।৩৩।।
পঞ্চাঙ্গুল্যে দক্ষিণান্তু মিলিত্বা হ্যূর্দ্ধমূন্নতাম্‌। খট্টাঙ্গমুদ্রা বিখ্যাতা শিবস্যাতিপ্রিয়া মতা।।৩৪।।
খট্টাঙ্গমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের পঞ্চাঙ্গুলি ঊর্দ্ধমুখে প্রসারিত করিয়া মিলিত করিলে খট্টাঙ্গমুদ্রা হয়।।৩৪।।
পাত্রবদ্বামহস্তন্তু কৃতাঙ্গে বামকে তথা। নিধায়োচ্ছ্রিতবৎ কুর্য্যান্মুদ্রা কাপালিকী মিতা।।৩৫।।
কাপালিকীমুদ্রা - বামহস্তপাত্রবৎ করিয়া বামাঙ্গে বিন্যাস করতঃ উত্তান ভাবে রাখিলে কাপালিকীমুদ্রা হয়।।৩৫।।
মুষ্টিঞ্চ শিথিলাং বদ্ধাঈষদুচ্ছ্রতমধ্যমাম্‌। দক্ষিণামূর্দ্ধমুন্নস্য কর্ণদেশে প্রচালয়েৎ। এষা মুদ্রা ডমরুকা সর্ববিধ্নবিনাশিনী।।৩৬।।
ডমরুমুদ্রা - দক্ষিণহস্ত শিথিলভাবে মুষ্টিবদ্ধ করতঃ মধ্যমাঙ্গুলি কিঞ্চিৎ উন্নত করিয়া, কর্ণদেশে পরিচালিত করিলে ডমরুমুদ্রা হয়।।৩৬।।
ঋজ্বীঞ্চ মধ্যমাং কৃত্বা তর্জনীমধ্যপর্ব্বণি। সংযোজ্যাকুঞ্চয়েৎ কিঞ্চিন্মুদৈশাঙ্কুলসংজ্ঞিকা।।৩৭।।
অঙ্কুশমুদ্রা - মধ্যমাঙ্গুলি সরলভাবে প্রসারিত করিয়া কিঞ্চিৎ সঙ্কোচিত করতঃ তর্জ্জনীর মধ্যপর্ব্বে সংযোজিত করিলে অঙ্কুশমুদ্রা হয়।।৩৭।।
তর্জ্জনী মধ্যমানামাকনিষ্ঠাঙ্গুষ্ঠমুষ্টিকা। অধোমুখী দীর্ঘরূপা মধ্যমা বিধ্নমুদ্রিকা।।৩৮।।
বিঘ্নমুদ্রা - তর্জ্জনী, মধ্যমা, অনামিকা, কনিষ্ঠা ও অঙ্গুষ্ঠ এই সমস্ত অঙ্গুলি মুষ্টিবদ্ধ করিয়া মধ্যমাঙ্গুলি অধোমুখে দীর্ঘাকারে প্রসারিত করিলে বিঘ্নমুদ্রা হয়।।৩৮।।
কনিষ্ঠানামিকে বদ্ধা সাঙ্গুষ্ঠেনৈব দক্ষতঃ। শিষ্টাঙ্গুলী তু প্রসৃতে সংশ্লিষ্টে খড়্গমুদ্রিকা।।৩৯।।
খড়্গমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠদ্বারা ঐ হস্তের কনিষ্টা ও অনামিকা আবদ্ধ করিয়া অবশিষ্ট তর্জ্জনী ও মধ্যমা সংশ্লিষ্ট করতঃ প্রসারিত করিলে খড়্গমুদ্রা হয়।।৩৯।।
বামহস্তং তথা তির্য্যক্‌ কৃত্বা চৈব প্রসার্য্য চ। আকুঞ্চিতাঙ্গুলীঃ কুর্য্যাচ্চর্ম্মমুদ্রেয়মীরিতা।।৪০।।
চর্ম্মমুদ্রা - বামহস্ত বক্রীভূত করিয়া প্রসারিত করতঃ অঙ্গুলিসকল কিঞ্চিৎ আকুঞ্চিত করিবে, ইহার নাম চর্ম্মমুদ্রা।।৪০।।
কনিষ্ঠাঙ্গুষ্ঠকৌ সক্তৌ করয়োরিতরেতরম্‌। তর্জনী মধ্যমানামাঃ সংহতা ভূগ্নবর্জ্জিতাঃ। মুদ্রৈষা গালিনী প্রোক্তা শঙ্খস্যোপরিচালিতা।।৪১।।
গালিনীমুদ্রা - দক্ষিণহস্তের কনিষ্ঠা বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠতে এবং বামহস্তের কনিষ্ঠা দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠতে সংযোজিত করিয়া তর্জ্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা অঙ্গুলি সরলভাবে মিলিত করিলে গালিনীমুদ্রা হয়।।৪১।।
প্রসৃতাঙ্গুলিকৌ হস্তৌ মিথঃ শ্লিষ্টৌ চ সন্মুখৌ। কুর্য্যাৎ স্বে হৃদয়ে সেয়ং মুদ্রা প্রার্থনসংজ্ঞিকা।।৪২।।
প্রার্থনামুদ্রা - উভয় হস্ত সম্মুখে রাখিয়া অঙ্গুলিসকল পরস্পর মিলিত করতঃ আপন হৃদয়ে সংলগ্ন করিলে প্রার্থনামুদ্রা হয়।।৪২।।
অধোমুখে বামহস্তে ঊর্দ্ধস্যং দক্ষহস্তকম্‌। ক্ষিপ্তাঙ্গুলিরঙ্গুলীভিঃ সংগ্রথ্য পরিবর্ত্তয়েৎ। এষা সংহারমুদ্রা স্যাদ্বিসর্জ্জনবিধৌ স্মৃতা।।৪৩।।
সংহারমুদ্রা - বামহস্ত অধোমুখে এবং দক্ষিণহস্ত ঊর্দ্ধমুখে রাখিয়া উভয় হস্তের অঙ্গুলিসকল পরস্পর গ্রথিত করতঃ হস্ত পরিবর্ত্তিত করিলে সংহারমুদ্রা হয়।।৪৩।।
দক্ষিণপাণিপৃষ্ঠদেশে বামপাণিতলং ন্যসেৎ। অঙ্গুষ্ঠৌ চালয়েৎ সম্যগ্‌ মুদ্রেয়ং মৎস্যরূপিনী।।৪৪।।
মৎস্যমুদ্রা - দক্ষিণহস্ত অধোমুখে রাখিয়া তাহার পৃষ্ঠদ্বেশে বামপাণিতল সংস্থাপনপূর্ব্বক উভয় অঙ্গুষ্ঠ পরিচালিত করিলে তাহাকে মৎস্যমুদ্রা বলে।।৪৪।।
বামহস্তস্য তর্জ্জন্যাং দক্ষিণস্য কনিষ্ঠয়া। তথা দক্ষিণতর্জন্যাং বামাঙ্গুষ্ঠেন ষোজম্নেৎ।। উন্নতং দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠং বামস্য মধ্যমাদিকাঃ। অঙ্গুলীষোজয়েৎ পৃষ্ঠে দক্ষিণস্য করস্য চ।। বামস্য পিতৃতীর্থেন মধ্যমানামিকে তথা। অধোমুখে চ তে কুর্য্যাদ্দক্ষিণস্য করস্য চ।। কূর্ম্মপৃষ্ঠসমং কুর্যায়দ্দক্ষপাণিঞ্চ সর্ব্বতঃ। কূর্ম্মমুদ্রেয়মাখ্যাতা দেবতাধ্যানকর্ম্মণি।।৪৫।।
কুর্ম্মমুদ্রা - বামহস্তের তর্জ্জনীতে বামহস্তের কনিষ্ঠা এবং দক্ষিণহস্তে তর্জ্জনীতে বামহস্তের অঙ্গুষ্ঠ সংযুক্ত করিয়া দক্ষিহস্তের অঙ্গুষ্ঠ উন্নতভাবে রাখিবে এবং বামহস্তের মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্টা দক্ষিণহস্তের পৃষ্ঠদেশে সংযুক্ত করিবে; পরে বামহস্তের পিতৃতীর্থে - অর্থাৎ তর্জ্জনী ও অঙ্গুষ্ঠের মধ্যভাগে দক্ষিণহস্তের মধ্যমা ও অনামিকা অধোমুখে সংলগ্ন করিবে এবং দক্ষিণহস্তের পৃষ্ঠদ্বেশ কুর্ম্মপৃষ্ঠের ন্যায় উন্নত করিবে, ইহার নাম কুর্ম্মমুদ্রা।।৪৫।।
তর্জ্জনীমধ্যমানামাঃ সমং কুর্য্যাদধোমুখম্‌। অনামায়াং ক্ষিপেদ্বদ্ধা মৃজ্বীং কৃত্বা কনিষ্ঠকাম্‌। লোলিহা নাম মুদ্রেয়ং জীবন্যাসে প্রকীর্ত্তিতা।।৪৬।।
লেলিহামুদ্রা - তর্জ্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা সমভাবে অধোমুখ করিয়া অনামিকাতে বৃদ্ধাঙ্গুলি সংযোগ করতঃ কনিষ্ঠাকে সরলভাবে রাখিবে, এই মুদ্রার নাম লেলিহামুদ্রা।।৪৬।।
মধ্যমাতর্জনীভ্যাঞ্চ কনিষ্ঠানামিকে সমে। অঙ্গুশাকাররূপাভ্যাং মধ্যমে পরমেশ্বরি।। অঙ্গুষ্ঠৌ তু নিযুঞ্জীত কনিষ্ঠানামিকোপরি। ইয়মাকর্ষণী মুদ্রা ত্রৈলোক্যকর্ষণী পরা।।৪৭।।
আকর্ষণীমুদ্রা - মধ্যমা ও তর্জ্জনীকে অঙ্কুশাকার করিয়া ও অনামিকাকে সমভাবে রাখিবে, পরে অঙ্গুষ্ঠদ্বয় অনামিকা ও কনিষ্ঠার উপরিভাগে যোজিত করিয়া তর্জনীদ্বয় অঙ্কুশাকৃতি করিলে আকর্ষণীমুদ্রা হয়।।৪৭।।
সব্যং দক্ষিণদেশে তু সব্যদেশে তু দকশকিণম্‌। বাহুং কৃত্বা মহাদেবি হস্তৌ সম্পরিবর্ত্ত্য চ। কনিষ্ঠানামিকে দেবি যুক্তে তেন ক্রমেণ চ। তর্জ্জনীভ্যাং সমাক্রান্তে সর্ব্বোর্দ্ধমপি মধ্যমে। অঙ্গুষ্ঠৌ তু মহেশানি সরলাবপি কারয়েৎ। ইয়ং সা খেচরী নাম্না পার্থিবস্থানযোজিতা।।৪৮।।
খেচরীমুদ্রা - বামহস্ত দক্ষিণে এবং দক্ষিণহস্ত বামদিকে স্থাপন করিয়া হস্তদ্বয় পরিবর্ত্তন করতঃ বামহস্তের কনিষ্ঠা ও অনামিকা দক্ষিণহস্তের কনিষ্ঠা ও অনামিকাতে সংযুক্ত করিয়া তর্জ্জনীদ্বয়ে উভয় মধ্যমার ঊর্দ্ধভাগে আক্রমণপূর্ব্বক অঙ্গুষ্ঠদ্বয় সরলভাবে স্থাপিত করিলে খেচরীমুদ্রা হয়।।৪৮।।
মধ্যমে কুটিলে কৃত্ব তর্জ্জন্যুপরিসংস্থিতে। অনামিকে মধ্যগতে তথৈব হি কনিষ্ঠিকে।। সর্ব্বা একত্র সংযোজ্য অঙ্গুষ্ঠপরিপীড়িতাঃ। এষা তু পরমা মুদ্রা যোনিমুদ্রেয়মীরিতা।৪৯।।
যোনিমুদ্রা - মধ্যমাদ্বয় কুটিলাকৃতি করিয়া তর্জ্জনীর উপরিভাগে স্থাপন করিবে এবং কনিষ্ঠাদ্বয়কে অনামিকার মধ্যগত করতঃ সমস্ত অঙ্গুলি একত্র সংযুক্ত করিয়া অঙ্গুষ্ঠদ্বারা অঙ্গুলিদ্বয়কে পীড়িত করিবে, ইহার নাম যোনিমুদ্রা।।৪৯।।
বদ্ধ্বা তু যোনিমুদ্রা ঐ মধ্যমে কুটিলে কুরু। অঙ্গুষ্ঠেন তদগ্রে তু মুদ্রেয়ং ভূতিনী মতা।।৫০।।
ভূতিনীমুদ্রা - যোনিমুদ্রা বন্ধন করিয়া মধ্যমাঙ্গুলিদ্বয় বক্র করিলে, ঐ মধ্যমাদ্বয়ের উপরিভাগে অঙ্গুষ্ঠদ্বয় সন্নিবেশিত করিলে ভূতিনীমুদ্রা হয়।।৫০।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180505114354

Saturday, May 5th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সংখ‍্যা তত্ত্বে ৮

সংখ‍্যা তত্ত্বে ৮

সুপ্রভাত
সংখ্যাত্বত্বের 8(৮)নিয়ে কিছু আলোচনা।

★★★সাধারণ বিচার★★★
-----------------------------------------
এই সংখ্যাটি শনি গ্রহের প্রতীক। পার্থিব সংখ্যা নয়। কঠিন পরিশ্রম এবং দূরদৃষ্টি এই সংখ্যার বৈশিষ্ট্য। এই সংখ্যার জাতক-জাতিকারা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্ত স্বভাবের হয়ে যান। এঁরা নিয়ম মেনে কাজ করতে ভালবাসেন। একাকীত্ব বেশি পছন্দ করেন। আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকে।

★★★★ My Analysis★★★★
-----------------------------------------

● 8(৮) মনে শনি, আর শনি মানেই দুঃখ কষ্ট এইসব নিয়েই বর্তমান সমাজে প্রচলিত আছে অনেক গল্প। তবে আমি এসব বুঝিনা বা মানিনা। আমার ভাবনাটা একটু আলাদা 8 নম্বর নিয়ে।


● অস্ট্রলজিতে 8 হলো শনির সংখ্যা এবং এই শনি ১০/১১ ভাবের অধিপতি। কর্ম এবং লাভের প্রতীক শনি। জাতকের মধ্যে অর্থনৈতিক দিকটা প্রবল থাকে।
ধোন কুবের jim walton (07/06/1948) and Francoise Bettencourt (10/07/1953)এর জীবন পথ নম্বর (8)।


● স্বাধীনতা পচন্দকারী মানুষ হয়ে থাকেন 8 এর জীবন পথের মানুষজন, শনি একাই থাকতে পছন্দ করতেন, পিতা সূর্যের কাছে চিরকাল লড়াই করে নিজের আধাত্মবোধ স্থাপন করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা দিবস 15/08/1947=35 3+5=(8)। 200 বছরের পরে স্বাধীনতা পেয়েছিল 8 সংখ্যায়।


● বাসুদেবের 8 সন্তানকে কংস আটকে রাখতে পারলেন না কারাগারে। জন্ম হলো শ্রী কৃষ্ণের।
KRISHNA= 8
কৃষ্ণ বাল্যকালে হত্যা করলেন কংসের।
kangsa=8

● কৃষ্ণের 16108 জন পত্নী থাকলেও তাহার খুব কাছের পত্নী ছিলেন 8 জন।
1, Rukmini
2, Satyabhama
3, Jamarati
4, Kalindi
5, Naghajiti
6, Laksmana
7, Mitravinda
8, Bhadra


● ভারতে বিবাহের মতন পবিত্র কাজে কুষ্টি বিচারে 8 কূট বিচারের প্রচলন আছে। এখানেও সেই পবিত্র সংখ্যাটি হলো (8)।
1, বর্ণ 2, বশ্য 3, তারা 4, যোনি 5, গ্রহ 6, গণ 7, রাশি 8, নাড়ী


● অষ্টবসু
দক্ষ রাজার কন্যা "বসু" তার 8 পুত্রকে বলা হয় অষ্ট বসু।
1, ধর 2, ধ্রুব 3, সোম 4, অহ 5, অনিল 6, অনল 7, প্রত্যূষ 8, প্রভাস

● রামায়ণ, মহাভারত, পুরান ভালো করে লক্ষ্য করলে আপনার দেখতে পারবেন পিতা আর পুত্র নিয়ে অনেক কিছ অমর ঘটনা আমরা খুঁজে পাই। এদের মধ্যে আমাদের সামনে এসে সেই 8 টি মহান চারিত্রিক গল্প।
1, Sushyant and Bharat
2, Shiv and Ganesh
3, Arjun and Iravan
4, Bhim and Ghatothkach
5, Shantanu and Bhishma
6, Hiranyakashipu and Prahlad
7, Uttanoaad and Dhruva
8, Ram and Lav Kush


● হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায় অমরত্বের কথা। সেখানেও 8 জন মিহাপুরুষ
1, ঋষি মারকেন্দ্য 2, বালী 3, হনুমান 4, অস্বাথমা 5, বেদ ভ্যাস 6, বিভীষণ 7, পরশুরাম 8, ঋষি কৃপাচার্য।

● চীনের মানুষ 8 সংখ্যাকে অতি পবিত্র আর শুভ রূপ দিয়েছেন, 8 মনে বলছেন দুটো 0 মিলিত যাহা অনন্ত।

● Lunar Calender এর চতুর্থ মাসের 8 দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন পালন করা হয়।

● বোধি দিন পালন করা হয় 12 মাসের 8 দিনে। চৈনিক ক্যালেন্ডার এর নিয়মে।

● জাপানে মানা হয় 8 ডিসেম্বরে। এই দিনে গৌতম বুদ্ধ বোধি গাছের তলায় তপস্যায় বসেছিলেন।

● বুদ্ধ মিশনারীরা 8 সিম্বলকে ভীষন পবিত্র স্থান দিয়েছেন, যাকে তারা বলেন অষ্টমঙ্গল। যার 8 টি রূপ।
1, Lotus flower
2, Endlesa knot
3, Golden Fish pair
4, Victory Banner
5, Wheel of Dharma
6, Treasure Vase
7, Parasol
8, Conch Shell

● The eight pointed star
8 টি পা যুক্ত স্টার সিম্বল যাহা ভগবান "ইস্তার" ব্যাবিলনের ভগবান।

● 8 সংখ্যার জাতকের খারাপ দিকটি হলো, এরা খুব তারা তারি রেগে যায় এবং এদের রাগ খুব ক্ষতিকারক।
অনেক সময় নিজের ক্ষতিও করে ফেলেন।
26/১২/২০০৪ =17=8 সালে সুমাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছিল 9'1mag এটা ছিলো ইতিহাসের পাতায় সব থেকে বড় ভূমিকম্প। যার ফলে আড়াই লক্ষ্যের বেশী মানুষ মারা যায়।

● পৃথিবীর সব থেকে বেশী জনসংখ্যা CHINA=8
মানুষের সংখ্যা Acording to google 137.87crores
1+3+7+8+7=26. 2+6=8

সংখ্যাত্বত্বের বিচারে শুধু 8 কে শনির নম্বর দিয়ে দুঃখ কষ্টের ঘরে ফেলে দেওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়না।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180505071214

Friday, May 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দেবী কমলা(চন্দ্রের ইষ্টদেবী

দেবী কমলা(চন্দ্রের ইষ্টদেবী

শুভ রাত্রি

দেবী কমলা
- মা কমলা তো দশ মহাবিদ্যার অন্যতম রূপ। এই রূপের তাত্পর্য কি?
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় - দেবী কমলে কামিনী বা কমলা দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা।ইনি চন্দ্রের ঈষ্টদেবী। মা কমলা হলেন ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।সেইসাথে তিনি বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী।তাঁকে তান্ত্রিক লক্ষ্মীও বলা হয়।
কমলা হচ্ছে পদ্মের প্রতিশব্দ। কমলে কামিনী দেবীর যে রুপ কল্পনা করা হয় তাতে দেখা যায় যে, দেবীকে চারটি বড় হাতি স্নান করাচ্ছেন এবং দেবী পন্মের উপর অধিষ্ঠিতা। তার চারটি হাত। দেবীর চারটি হাতে দুটি পদ্ম ও বরাভয় মুদ্রা। মাথায় রত্নমুকুট,দেবী পট্টবস্ত্র-পরিহিতা। তাঁর সম্বন্ধে শাস্ত্র বলছে -
“কান্ত্যা কাঞ্চনসন্নিভাং হিমগিরি প্রখ্যৈশ্চতুর্ভি র্গজৈঃ। হস্তোৎক্ষিপ্ত-হিরন্ময়ামৃতঘটরাসিচ্যমানাং শ্রিয়ম্। বিভ্রানাং বরমব্জযুগ্মং অভয়ং হস্তৈঃ কিরীটোজ্জ্বলাং। ক্ষৌমাবদ্ধনিতম্ববিম্বললিতাং বন্দে অরবিন্দস্থিতাম্।”
সর্বসৌভাগ্যদায়িনী এই মহালক্ষ্মী কমলার আবির্ভাব হয় ফাল্গুন মাসের একাদশী তিথি অথবা শুক্রবার বা মঙ্গলবারে যে তিথি হয় সেই তিথিতে। এই কমলা হলেন মা লক্ষ্মীর তান্ত্রিক রূপ। যদিও মা কমলা বিষ্ণুর ঘরণী রূপেই পরিচিত কিন্তু কমলার ধ্যানমন্ত্রে বিষ্ণুর উল্লেখ বা তাঁর মধ্যে বিষ্ণুর ঘরণী রূপ কিন্তু তাঁর ধ্যানমন্ত্রে পাওয়া যায় না। কমলা রূপে তাঁকে একাই দেখা যায় -এই দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা রূপে তিনি স্ত্রী রূপে প্রকাশিত হন নি। এখানে তিনি শুধুই যোগ ও তন্ত্রের সাথে যুক্ত।
তবে কমলা হচ্ছেন ইচ্ছাপূরণের দেবী। মূলত জাগতিক সুখ শান্তি ও সমৃধ্ধি তিনি তাঁর ভক্তদের দেন। মায়ের এই রূপটি জাগতিক বন্ধনের রূপ।তিনি ঐশ্বর্য,সুখ,শান্তি,সৌভাগ্য,সৌন্দর্য,প্রীতি ও করুনা প্রদান করেন। কমলাকে গজলক্ষ্মীও বলা হয়। যে পদ্মের উপর তিনি বিরাজমানা তা উর্বরতা,আধ্যাত্মিকতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক। যে হাতিগুলি তাঁকে স্নান করাচ্ছে তা বিরাট ও ঐশ্বর্যের প্রতীক। তাই তার পূজা করা হয় জাগতিক লাভের জন্যে। অতএব দেখা যাচ্ছে - মা কমলা বিশুদ্ধতা,পবিত্রতা, সমৃদ্ধি ও সম্পদ, উর্বরতা ও ফসল, এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে দেবী কমলার পূজা মানুষকে দান করে শান্তি সুখ ও সমৃদ্ধি।

দশমহাবিদ্যার অন্তিম মহাবিদ্যা দেবী কমলা। সর্বৈব শুভশক্তির সমন্বয়ে তিনি ঐশ্বর্যময়ী, মহিমামন্ডিতা। কমলা শব্দটি বেদ বহির্ভূত। সেখানে লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ আছে। বিভিন্ন তন্ত্রে ও পুরাণে এই দেবীই মহালক্ষ্মী বা শ্রীদেবী। তবে
দেবী কমলার সবচেয়ে প্রচলিত ধ্যানটির উৎস হল তন্ত্রসার। এখানে দেবীর ধ্যানমন্ত্রে বিবৃত করা হয়েছে, দেবীর দেহকান্তি স্বর্ণতুল্য, তাঁর চারদিকে চারটি হিমালয় সদৃশ হস্তী তাদের শুঁড়ে করে চারটি হিরম্ময় কলস শূন্যে তুলে ধরে, সেই কলস নিঃসৃত অমৃতধারায় দেবীর অভিষেক করছে। দেবীর বাম ঊর্দ্ধ ও নিম্নহস্তে পদ্ম এবং দক্ষিণ ঊর্দ্ধ হস্তে অভয়মুদ্রা এবং নিম্ন হস্তে বরমুদ্রা ধারণ করে আছেন। দেবীর মস্তকে রত্নমুকুট, পরিধানে পট্টবস্ত্র এবং দেবী প্রস্ফুটিত কমলের উপর অধিষ্ঠিতা।
দেবীর স্বর্ণোজ্জ্বল গাত্রবর্ণ বিশুদ্ধ জ্ঞানসত্ত্বার প্রতীক। দেবী মহালক্ষ্মী ত্রিগুণাত্মিকা (সাত্ত্বিকী,রাজসী ও তামসী) এবং সকলের আদ্যা প্রকৃতি। তিনি একাধারে সগুণা এবং নির্গুণা হয়ে জগৎপ্রপঞ্চ পরিব্যপ্ত করে আছেন। দেবীকে সেব্যমান দিগবারণতুল্য চারটি বিশাল হস্তী একাদিক্রমে অর্থময়ী,শব্দময়ী,চক্রময়ী এবং দেহময়ী সৃষ্টিশক্তির পরিণাম। তবে এই হস্তীচতুষ্টয়ের তাৎপর্য নিয়ে মতান্তর আছে। কারও মতে, শব্দসৃষ্টির ক্ষেত্রে এরা শিব, শক্তি, নাদ ও বিন্দুস্বরূপ এবং অর্থসৃষ্টির ক্ষেত্রে এরাই আবার শিবতত্ত্ব, শক্তিতত্ত্ব, সদাশিবতত্ত্ব ও ঈশ্বরতত্ত্ব। কেউ আবার বলেছেন,এরা শান্তা,বামা,জ্যেষ্ঠা ও রৌদ্রী শক্তি।কারও মতে এরা অম্বিকা,ইচ্ছা,জ্ঞান ও ক্রিয়ার রূপান্তর। দেবীর হস্তধৃত প্রস্ফুটিত কমলদ্বয় ঐহিক এবং পারত্রিক ভোগের প্রতীক। 'ক' অর্থে ভোগ - সুখ।যে অবস্থায় উত্তীর্ণ হলে ঐহিক এবং পারত্রিক ভোগ সুখ মলবৎ প্রতীয়মান হয়, সেই অবস্থার প্রতীক ই কমল। দেবীর রত্নমুকুটের উজ্জ্বল রত্নাদি সাধকের একনিষ্ঠ সাধনায় লব্ধ বিভূতিসমষ্টি। মায়ের পট্টবস্ত্র হল আপন তেজ গোপন করার অবলম্বন স্বরূপ, যার মাধ্যমে দেবী আপন মোক্ষদাত্রী স্বরূপ আবৃত করে রেখে জীবকে মায়াবদ্ধ করে রেখেছেন। দেবীর প্রস্ফুটিত কমলাসন ষটপদ্মের সর্বোচ্চস্থিত সহস্রার পদ্ম।এই সহস্রদল পদ্মের পাপড়ি গুলি তরুণ সূর্যের রংয়ে রঞ্জিত।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী, মহালক্ষ্মীই সর্বব্যাপী মহাশক্তি।মার্কন্ডেয় পুরাণে মধ্যমচরিত্রের দেবতা অষ্টাদশভুজা মহালক্ষ্মী। তাঁর গাত্রবর্ণ প্রবালের ন্যায় উজ্জ্বল এবং তিনিই স্বয়ং মহিষাসুরমর্দিনী। এই শ্রী শ্রী চন্ডীরই প্রাধানিক রহস্যেও মহালক্ষ্মীকেই ত্রিগুণা পরমেশ্বরীরূপে বন্দনা করা হয়েছে।

দেবী লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পদের দেবী। আদিশক্তির রাজসিক স্বরূপ । অগ্নি পুরাণ মতে শ্রী বা লক্ষ্মী হলেন যজ্ঞবিদ্যা , তিনিই আত্ম্যবিদ্যা , যাবতীয় গুহ্যবিদ্যা ও মহাবিদ্যা ও তিনি –‘যজ্ঞবিদ্যা মহাবিদ্যা গুহ্যবিদ্যা চ শোভনা ।আত্ম্যবিদ্যা চ দেবি বিমুক্তিফলদায়িনী ।।’ দেবী ভাগবত মতে যে স্বর্গে তিনিই স্বর্গ লক্ষ্মী , রাজগৃহে তিনি রাজলক্ষ্মী , গৃহে তিনি গৃহলক্ষ্মী । তিনি শান্তা , দান্তা , সুশীলা , সর্ব মঙ্গলা , ষড়রিপু বর্জিতা ।

পুরানে আছে সাগর মন্থন কালে দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র থেকে প্রকট হন । সাগর হল লক্ষ্মী দেবীর পিতা । সাগরেই মুক্তা , প্রবাল আদি রত্ন পাওয়া যায় । রত্ন হল ধন , যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন লক্ষ্মী । এই হল দেবী লক্ষ্মীর সামগ্রিক স্বরূপ । দশ মহাবিদ্যার দশম মহাবিদ্যা কমলা দেবী হলেন মা লক্ষ্মী। স্বতন্ত্র তন্ত্র নামকএক তন্ত্র শাস্ত্র মতে কোলাসুর নামক এক অসুরকে বধ করার জন্যই দেবী কমলার আবির্ভাব । বারাহী তন্ত্র মতে পুরাকালে প্রজাপতি ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব এই কমলা দেবীকে পূজা করেন বলে কমলা মায়ের এক নাম ‘ত্রিপুরা’ ।
মা লক্ষ্মী কমল আসনে থাকেন। কমল হল সর্বাত্মক বিকাশের প্রতীক ।
এমন কথিত আছে মা লক্ষ্মী পদ্মা নদী রূপে বঙ্গদেশে প্রবাহিতা আবার গঙ্গা , গোদাবরী , কৃষ্ণা , সিন্ধু রুপে ইত্যাদি ভারতের বিভিন্ন নদির অববাহিকাতে শশ্য শ্যামলা করে তুলেছেন । তার জলে বঙ্গদেশ ও ভারতবর্ষের মৃত্তিকা হয়েছে উর্বরা , শস্যে ভরা । তিনি কৃষিজ লক্ষ্মী। লাঙ্গল কর্ষণ কালে লক্ষ্মী অবতার সীতা মায়ের আবির্ভাব । লাঙ্গল দিয়ে জমিতে হাল বয়ে জমি উর্বরা করে চাষাবাদ করলেই মাঠ ভরে উঠবে সোনালী ধানে। এদিক থেকে তিনি কৃষি লক্ষ্মী। তাই ভাদ্র মাসে,পৌষ মাসে কৃষি লক্মী পূজা হয় প্রায় ঘরে। খনিজ লক্ষ্মী বলে সোনার দ্রব্য বোঝায়। সোনাকে আমরা মা লক্ষ্মীর সাথে তুলনা দিয়ে থাকি। ঐশ্বর্যের আর এক উৎস সমুদ্র। পুরান বলে সাগর মন্থন কালেই দেবী বিষ্ণুপ্রিয়ার আবির্ভাব। সাগরে ডুব দিয়ে প্রবাল, শঙ্খ, কড়ি আদি রত্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। বানিজ্য করতেও দেখা যায় এই দেবীর আশীর্বাদের প্রসঙ্গ। নববর্ষে দোকানে ব্যবসায়ী গণ গণেশের সহিত মা লক্ষ্মীর পূজো করেন । এছাড়া লক্ষ্মী পূজোতে কলা গাছের কান্ড দিয়ে নৌকা বানিয়ে পূজোতে দেওয়া হয়, তা বানিজ্য ও লক্ষ্মী ঘরে আনারই প্রতীক। শ্রী রামচন্দ্র সীতা মাতা উদ্ধারের জন্য বা রাজা সুরথ রাজ্য উদ্ধারের জন্য এই মহালক্ষ্মী স্বরূপা দুর্গা দেবীর পূজা করেছিলেন। এই ভাবে লক্ষ্মী দেবীর একটি রূপ আমাদের সামনে ফুটে ওঠে ।
কোজাগোরী পূর্ণিমা বা শারদ পূর্ণিমাতে আমরা মা লক্ষ্মীর পূজো করি, যদিও দীপাবলি তেই সমগ্র দেশে পূজিতা হন। পূর্ণিমার চাঁদের আলো যখন দিগ দিগন্তে সন্ধ্যার কালো আঁধার কাটিয়ে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ে, তখন উলু, শঙ্খ ধ্বনি সহকারে আমরা মা লক্ষ্মীর পূজার্চনা করি। এমন বলা হয়, দেবী জেগে খবর নেন- কে জেগে আছে –
নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী ।
তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ

কো জাগর্ত্তি – কে জেগে আছে ? কোজাগোরী শব্দের অর্থ এমন টাই । মা দ্বারে দ্বারে আশিষ দিয়ে যান, যে জেগে থাকে সে পায় আশিষ, কিন্তু যে ঘুমায় সে ঘুমিয়েই থাকে । আর অক্ষ ক্রীড়া মানে কিন্তু জুয়া খেলা নয়। ‘অক্ষ’ শব্দের অনেক প্রকার মানে হয় । এর মানে হয় ‘ক্রয় বিক্রয় চিন্তা’। বৈশ্য গণ এদিন জেগে ব্যবসা বানিজ্য করে ঘরে লক্ষ্মী আনার চিন্তা করেন। অক্ষ শব্দের আর এক মানে হয় জপ মালা। যারা সত্ত্ব গুনের তারা এই রাত্রি মায়ের নাম জপ করেই কাটাবেন। কো জাগর্ত্তি শব্দ তাদের কাছে আত্ম চৈতন্যের বানী। দেবীর বাহন হলেন পেঁচক। পেঁচক দিনে ঘুমায় রাতে জাগে। সাধারন মানুষ যখন ঘুমায়, পেঁচক জাগে। এ ঠিক যোগীর অবস্থা। সাধারন মানুষ যখন নিদ্রামগ্ন, যোগী তখন যোগ সাধনায়। পেঁচক ইঁদুর ভক্ষণ করে কৃষকের শস্য রক্ষা করে। এদিক থেকে এই প্রানীটি সত্যই আমাদের কাছে মা লক্ষ্মীর বার্তা, ভাব বয়ে আনে ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180504074519

Thursday, May 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দক্ষীনা বর্ত শঙ্খ

দক্ষীনা বর্ত শঙ্খ


শ্রীবৃদ্ধিতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ

ভগবান বিষ্ণুর চার হাতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম। এই শঙ্খ বিজয়ের প্রতীক, ধনের প্রতীক, অভিষ্ট লাভের এবং মঙ্গলের প্রতীক। কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের প্রারম্ভে পঞ্চ পাণ্ডবগণ এবং শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খ বাজিয়েছিলেন। বলা হয় দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ যুগ্ম ভাবে লক্ষ্মী–নারায়ণের কৃপাধন্য। এই শঙ্খ বাদ্যশঙ্খ হিসাবে ব্যবহার হয় না। চমৎকারী দৈববস্তু হিসাবে এর ব্যবহার হয়। একদম ছোট আকার থেকে কয়েক কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে এই শঙ্খ। যে কোনও পূর্ণিমা তিথিতে এই শঙ্খ স্থাপন করতে হয়। এই শঙ্খের জল গোহত্যা, শিশুহত্যার মতো পাপ থেকে মুক্তি দেয়। অর্থকষ্ট লাঘবে, বাস্তুশুদ্ধিতে ও মরণাপন্ন রোগীকে শান্তিদানে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেক বাড়ি ভুল ভাবে তৈরী হওয়ায় ফলে বাস্তুদোষ থাকে। এই বাস্তুদোষ কাটাতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ খুব উপকারী। গৃহদোষ, বাস্তুদোষ এই ধরনের অনর্থ থেকে মুক্তি পেতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ অপরিহার্য। এই শঙ্খের জল আঙুলে নিয়ে গৃহের প্রতিটি দেওয়ালে বা দরজার উপরে ছিটিয়ে দিন, অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন।
অর্থ কষ্ট দূর করতে শঙ্খের স্থাপন প্রক্রিয়া
এই শঙ্খ স্থাপনের জন্য পঞ্চামৃত বিশেষ প্রয়োজন। প্রথমে শঙ্খটিকে পঞ্চামৃত দিয়ে তাম্রপাত্রে লাল কাপড় বিছিয়ে শঙ্খটিকে রেখে তাতে আতপ চাল দিন।চালের মধ্যে একটি গোটা সুপারি ও একটি লক্ষ্মী গণেশ মুদ্রা রাখুন। এবার এই মন্ত্রটি উচ্চারণে শঙ্খের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করুন (হরি ওঁ হরি ওঁ হরি ওঁ)। সাধ্যমত নৈবেদ্য, মিষ্টান্ন, ঘৃত, প্রদীপ, ধূপ, কর্পূর দিয়ে আরতি করে পূজা করুন। শঙ্খে একটি লাল পদ্ম অর্পণ করুন। তারপর বাড়ির ঠাকুরের স্থানে এটিকে রেখে পুজো করুনl

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180503093042

Thursday, May 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রুদ্রাক্ষের গুন

রুদ্রাক্ষের গুন


# রুদ্রাক্ষের কিছু গুন #
★★★★★★★★★★★★★★★
ভারতীয় ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রুদ্রাক্ষের ব্যবহার হয়ে আসছে এদেশে। ভগবান শীবের পাঁচ অবতারের প্রতীক এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে সঙ্গে লেগে থাকলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। সেই কারণেই নাকি ধর্ম থেকে দৈনন্দিন জীবন, সবক্ষেত্রেই ভারতীয়দের সঙ্গে রুদ্রাক্ষের সম্পর্কে বহু দিনের। কিন্তু প্রশ্ন হল বাস্তবিকই কি রুদ্রাক্ষের সঙ্গে আমাদের মানসিক এবং শারীরিক ভাল-মন্দের সম্পর্ক রয়েছে?
ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায় পাঁচমুখি রুদ্রাক্ষ ধারন করে থাকলে কাম,ক্রোধ, লোভ, মোহ এবং অহঙ্কার থেকে মুক্তি মেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবই জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফিরে আসে। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় এও দেখা গেছে যে রুদ্রাক্ষের মালা একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো সুস্থ এবং সুন্দর জীবন পেতে মুনি-ঋষিরা রুদ্রাক্ষের মালা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সাধারণত যে যে শারীরিক সমস্যা কমাতে রুদ্রাক্ষের মালা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল.........
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ-
---------------------------------------
রুদ্রাক্ষ শরীরের সংস্পর্শে আসা মাএ ধীরে ধীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু কিভাবে এমনটা হয়, সে বিষয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে অনেকের ধারণা রুদ্রাক্ষের শরীরে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. একাধিক রোগকে দূরে রাখেঃ-
-----------------------------------------------
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে এমন উল্লেখ পাওয়া গেছে যে ভ্রমণের সময় সঙ্গে যদি রুদ্রাক্ষের মালা রাখা যায়, তাহলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরের অন্দরের ক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে রোগ ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এবার বুঝতে পেরেছেন তো ঋষিরা কেন রুদ্রাক্ষের মালা পরতেন! আসলে তারা তো কখনও এক জায়গায় থাকতো না। পায়ে পায়ে ঘুরে বেরাতেন এদিক-সেদিক। এমনটা করার সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে রুদ্রাক্ষের বিকল্প সেই সময় কিছু ছিল না।
৩. নেগেটিভ এনার্জি থেকে বাঁচায়ঃ-
---------------------------------------------------
আমাদের আশেপাশে এমন অনেকই আছেন, যারা প্রতিনিয়ত আমাদের খারাপ চেয়ে চলেছেন। এমন মানুষদের খারাপ ভাবনা থেকে শরীর এবং মনকে বাঁচাতে রুদ্রাক্ষের মালা ধারন করা জরুরি। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আমাদের এইসব খারাপ ভাবনার প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে, সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বাড়িয়ে দেয় যে জীবনে চলার পথে কোনও সমস্যাই হয় না।
৪. মনোযোগ বাড়ায়ঃ-
-------------------------------
বেশ কিছু পুঁথি ঘেটে এমনটা জানা গেছ গেছে চার এবং ছয় মুখি রুদ্রাক্ষ তামার তারের সঙ্গে পরলে ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে মনোযোগও। তাই বুদ্ধির ধার বাড়ানোর পাশাপাশি কনসেনট্রেশন পাওয়ার যদি বাড়াতে চান, তাহলে রুদ্রাক্ষকে শরীরে ধারণ করতেই হবে।
৫. ব্যথা কমায়ঃ-
-------------------------
যে কোনও কারণে হওয়া যন্ত্রণা এবং পোকামাকড়ের কামড় সম্পর্কিত কষ্ট কমাতে রুদ্রাক্ষের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে রুদ্রাক্ষকে পিষে তৈরি করা পেস্ট লাগালে দারুন উপাকার পাওয়া যায়।
৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ-
----------------------------------------------
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে আমাদের শরীর তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। সেগুলি হল বায়ু , পিত্ত এবং কফ। এই তিনটি উপাদানের মধ্যেকার ভারসাম্য বিগড়ে গেলেই দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা, এমনটাই ধরণা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, রুদ্রাক্ষ থেকে বানানো পাউডার জলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে এই তিনটি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭. নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমায়ঃ-
--------------------------------------------------------------
রুদ্রাক্ষের মালা পরে থাকলে যে কোনও ধরনের ক্ষত সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চুলকানি, ফুসকুড়ির প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় রুদ্রাক্ষ। প্রসঙ্গত, তামার পাত্রে জল নিয়ে তাতে একটি রুদ্রাক্ষ সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে একাধিক ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ত্বকের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতেও রুদ্রাক্ষ কিন্তু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
Website: www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180503092337

Thursday, May 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা কালি

মা কালি


“মা কালী” ব্রহ্মের মায়াশক্তি :-

মহাতীর্থ কালীঘাট - নামটা উচ্চারণ করতে গিয়েই রোমাঞ্চ হল, শরীরে বিদ্যুৎপ্রবাহ অনুভব করলাম। কালীঘাট, যোগক্ষেত্র কালীঘাট, শক্তিস্থল কালীঘাট, কাল জননীর বিলাসভূমি কালীঘাট। নিত্য জাগ্রতা মহাপ্রলয়ংকরী যথা লোলজিহ্বা বিস্তার করে বসে রয়েছেন। বসে রয়েছেন অগণিত সন্তানদের সর্বশেষ সত্যটি স্মরণ করাবার জন্য- "যাঁর গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়ে হয়েছিস মায়াবৃত জীব, সেই আমারই করাল গ্রাসে প্রবেশ করে হবি মায়ামুক্ত শিব।"
তন্ত্রচূড়ামণি বলছেন-

"নকুলেশঃ কালীঘাটে দক্ষপাদাঙ্গুলিষু চ।
সর্বসিদ্ধিকরী দেবী কালিকা তত্র দেবতা।।"

সুদর্শনচক্রে ছিন্ন হয়ে সতীর যে অঙ্গ এখানে পতিত হয়েছিল, তা হল "দক্ষপাদাঙ্গুলি" অর্থাৎ ডান চরণের চারটে আঙ্গুল। দেবীর ভৈরব নকুলেশ বা নকুলীশ ও দেবী স্বয়ং মহাকালী বা কালিকা। এছাড়াও ব্রহ্মযামলাংশ নিত্যপাঠ্য "আদ্যাস্তোত্রে" বলা হয়েছে " কালিকা বঙ্গদেশে চ," যার প্রমাণ এই বঙ্গভূমির শক্তিকেন্দ্র কালীঘাট। শাস্ত্রমতে এস্থানের কালীবিগ্রহ স্বয়ং ব্রহ্মা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বসিদ্ধি প্রদানে সদা উদ্যত।
কালীঘাটের মাতৃমূর্তি সম্পৃক্ত কিংবদন্তিটি কিন্তু বেশ রোমহর্ষকর-
দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি পর্বতে একদা ব্রহ্মানন্দ গিরি নামক এক একনিষ্ঠ শক্তিসাধক সাধনায় মগ্ন ছিলেন। সম্মুখে অবস্থিত শিলাখণ্ডকেই সাক্ষাৎ বিশ্ববিমোহিনী তারা জ্ঞান করে কঠোর তপশ্চর্যায় আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু সাধনা ফলপ্রসূ না হওয়ায়ে ক্ষুব্ধ ব্রহ্মানন্দ আত্মাহুতি দিতে সচেষ্ট হলে মহামায়া তাঁকে দর্শন দিলেন। মহাদেবীর লোলজিহ্বা, করালপ্রতিমা সাধক সহ্য করতে পারলেন না, তাই মা কালী সুকোমল কুমারীমূর্তি ধরে সাধকের সামনে দাঁড়ালেন ও আজীবন সেই শিলাখণ্ডে আবদ্ধ থেকে পূজা গ্রহণ করবেন বলে কথা দিলেন। ব্রহ্মানন্দের মুখে হাসি ফুটল।
কিন্তু মা যে চিন্ময়ী, চঞ্চলা বালিকা। ভক্তের কাছে কথা দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু লীলাচপলা শ্যামা কতক্ষণ আর সেই শিলাখণ্ডে আবদ্ধ হয়ে থাকতে পারেন। অবশেষে ইচ্ছাময়ী নিজেকে মুক্ত করার একটি উপায় নিজেই বের করলেন। শঙ্করাচার্য মঠের দশনামী সম্প্রদায়ভুক্ত আত্মারাম ব্রহ্মচারী তখন সুন্দরবনস্থ এই কালীঘাটের জঙ্গলে ছিলেন সাধনারত। আদ্যাশক্তি মহামায়া সেই সন্ন্যাসীর নিকট দশম বর্ষীয়া কন্যারূপে সহসা আবির্ভূতা হলেন। মহাদেবীর দিব্যবাণী গম্ভীর আদেশরূপে নেমে এলো-
"হে বৎস, আমি তোমার তপস্যায় প্রীত। শীঘ্র আমার আদেশ পালন করো। নীলগিরি পর্বতে ব্রহ্মানন্দ গিরি নামক এক কঠোর তপস্বীর বাস। সে তাঁর সাধনা দ্বারা আমাকে তুষ্ট করে শিলাখণ্ডে বন্দী করে রেখেছে। তুমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রহ্মানন্দের কাছে যাও ও তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমায় মুক্ত করে নিয়ে এসো। আর তুমি যে বেদীতে বসে সাধনা করছ, সেখানে এনে সেই শিলামূর্তি স্থাপন করো। সন্নিকটে যে হ্রদ দেখছ, তার নৈঋত কোণে আমার দক্ষিণ চরণের আঙ্গুল চতুষ্টয় পাষাণ অবস্থায় নিমজ্জিত রয়েছে। সেটা উদ্ধার করে বেদিমূলে নিহিত করো। ঈশানকোণে গভীর অরণ্যমধ্যে নকুলেশ ভৈরবও বিরাজ করছেন, তাঁকেও আবিষ্কার করে প্রতিষ্ঠা করো। আমি এইস্থানে করালবদনা কালীরূপে ভোগ ও মোক্ষ প্রদানার্থে প্রকটিতা হব।"

আত্মারামকে যাবতীয় আদেশ প্রদান করে মহাদেবী অন্তর্হিতা হলেন। দৈবী আদেশ মাথায় নিয়ে আত্মারাম নীলগিরি পর্বতে উপস্থিত হলেন ও ব্রহ্মানন্দের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। কিন্তু আত্মারামের মুখে আদ্যোপান্ত সব শোনার পরেও ব্রহ্মানন্দ কিছুতেই মাকে ছাড়তে রাজী হলেন না। দুজনের মধ্যে যখন এই কথোপকথন চলছে তখন হঠাৎ দৈববাণী হয়, এই মুহূর্তে নীলগিরি পর্বত সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে। তোমরা উভয়েই সেই আদিষ্ট শিলাখণ্ডে উঠে মাতৃনাম স্মরণ করতে থাক।
সত্য সত্যই কিছুক্ষণের মধ্যে ভূমিকম্প ও জলের ঢেউয়ে নীলগিরি টলতে লাগলো। হতবাক দুজনে শশব্যস্ত হয়ে শিলাখণ্ডে উঠতেই নীলগিরি জলের তোড়ে ভেসে গেল। আর মা কালীর অমোঘ মহিমায় তাঁরা দুজনে এসে পড়ল কালীঘাটের গঙ্গাকুলে। তদনন্তর মহামায়ার আদেশানুযায়ী ওই শিলাস্তম্ভে (দৈর্ঘ্য ১২ হাত ও প্রস্থ ২ হাত) কালিকামূর্তি এঁকে নির্দিষ্ট বেদীতে স্থাপন করে প্রত্যহ পূজা আরম্ভ হল। এরপর তাঁরা সেখানেই সাধনা করতে লাগলেন।
উপরোক্ত কাহিনীতে বর্ণিত আত্মারাম সপ্তদশ শতকে জীবিত ছিলেন। আর ব্রহ্মানন্দ ছিলেন প্রখ্যাত মঙ্গলচণ্ডীভক্ত শ্রীমন্তের সমসাময়ীক। বাংলাদেশের যেসব তন্ত্রসাধক তন্ত্র সম্বন্ধীয় বই লিখেছিলেন, তাদের মধ্যে কৃষ্ণানন্দ, ব্রহ্মানন্দ ও পূর্ণানন্দের নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয়।
বিভিন্ন কাহিনী যদিও একাধিক মন্তব্য করেছে এই পীঠের পীঠাধিষ্ঠাত্রী কালিকা বিগ্রহ নিয়ে, কিন্তু শাস্ত্র স্পষ্ট বলছে এই পীঠের দেবী কালিকা প্রজাপতি ব্রহ্মা দ্বারা প্রতিষ্ঠিতা ও সুপূজিতা। দেবাসুরের সংগ্রামকালে দেবগণের হার নিশ্চিত হয়ে উঠলে পদ্মযোনি ব্রহ্মা সতীর চরণাঙ্গুলি ধন্য এই কালীক্ষেত্রে এসে তপস্যায় বসেন। এবং চিৎস্বরূপা জগদম্বার কৃপায় অচিরেই বাঞ্ছিত ফলপ্রাপ্ত হন। তৎপরে নিজ সাধন বেদীতে বিশ্বকর্মাকে দিয়ে মায়ের ত্রিনয়নীরূপ প্রদান করে শিলামূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। শোনা যায়, বিশ্বকর্মা দ্বারা নির্মিত ও ব্রহ্মা দ্বারা অর্চিত কালীবিগ্রহই বর্তমানে কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ আলো করে বিরাজ করছে।

প্রত্যহ কালীপুজা নিষ্ঠা সহকারে হয়ে থাকলেও কালীঘাট মন্দিরে বছরের একটি দিন বিশেষ আড়ম্বর সহ কালীপুজা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি হল বৈশাখ বা জ্যৈষ্ঠ মাসের কোন শনি বা মঙ্গলবার যেদিন অষ্টমী, নবমী বা চতুর্দশী থাকবে। সেদিন এই মন্দিরে দেবীকে রক্ষাকালীরূপে অর্চনা করা হয়। অসংখ্য ভক্ত এসে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আত্মীয় অনাত্মীয় সকলের মঙ্গল ও রোগ নিবারণার্থে দেবীর শ্রীচরণপদ্মে প্রণত হন।

দুর্গাপূজার সময় আবার আরেক চমক। সেই চারটে দিন মা কালী ধারণ করেন মহিষমর্দিনীমূর্তি। শাস্ত্রীয় বিধিনির্দেশ অনুসরণ করে শুরু হয় কল্পারম্ভ। পুরোহিতগণের সমবেত কণ্ঠে ভেসে আসে মন্ত্র- "ওঁ কালিকা দুর্গারূপিণ্যৈ নমঃ।" মায়ের এই যে রূপ থেকে রূপান্তর, তা কার জন্য? তা ভক্ত-সন্তানদের জন্যই। যে সন্তান মাকে যে রূপে দেখতে পছন্দ করে, অনন্তরূপিণী লীলাবিশারদ জগদম্বা সেই রূপেই ভক্তের মানসপদ্মে পা রাখেন। ভ্রমর ছাড়া যেমন পুষ্পোদ্যানের শোভা অসম্পূর্ণ, ভক্ত ছাড়া তাঁর লীলাও যে তেমনই অসম্পূর্ণ।

আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক, উভয় দিক দিয়েই কালীঘাটের গুরুত্ব অপরিসীম। পুরাণ ও তন্ত্রে যেমন এই কালীপীঠের উচ্চ প্রশংসা করে সাধকগণ জোরহস্তে প্রণাম করেছেন, একইভাবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে কালীঘাটের পরিদর্শনকারীদের মধ্যে এমন অনেকের নাম যারা আজ প্রাতঃস্মরণীয়। স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ যখন কালীঘাটে এসেছিলেন, তিনি মায়ের বিগ্রহের ভিতর কন্যাকুমারী মূর্তি দর্শন করে ভাবাবিষ্ট হয়েছিলেন। ঠাকুর বলতেন, "মা ভবতারিণী সারাদিন কালীঘাটে জগতের আপিস কাছারি সামলে সন্ধ্যায় দক্ষিণেশ্বরে এসে বিশ্রাম করেন।"

নিজ গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বালক লোকনাথ ও বেণীমাধব এই কালীঘাটে এসেই সাধনা আরম্ভ করেন। এখানেই গুরু স্বীয় শিষ্য লোকনাথকে শিবকল্প মহাযোগী বলে চিনতে পারেন। বীরভূম থেকে বামাখ্যাপাও এসেছিলেন কালীঘাটে মাকে দর্শন করতে। মায়ের অপার্থিব রূপ দর্শনে বিহ্বল খ্যাপাসাধক বামা কোলে করে কালীঘাটের কালীকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন নিজের বড়মা তারামায়ের কাছে। বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মাকে দর্শন করে বলেছিলেন, এই মা ও পুরীর জগন্নাথদেবের রূপের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। উভয়ই এক। শ্রীমা সারদা যখন কালীঘাটে পূজা দিয়ে এয়োস্ত্রীদের সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছিলেন, একটি অচেনা ঘোমটা দেওয়া মেয়েকে তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সিঁদুর পড়তে সম্মত হওয়ায় শ্রীমা মেয়েটির ঘোমটার ভেতরে কপালটি আন্দাজ করে সিঁদুর পড়িয়ে দেন। মেয়েটি ব্যাথা পেয়ে শিউরে ওঠে। ঘোমটা তুলতেই শ্রীমা পরম বিস্ময়ে দেখেন মেয়েটির কপালে রয়েছে একটি চোখ, যা সিঁদুরলিপ্ত হওয়াতে পিটপিট করছে। মা কালী চিরন্তনী, তিনি আজও লীলা করে চলেছেন একইভাবে। আমাদের চোখ নেই, তাই দেখতে পাই না। বা হয়তো, দেখেও দেখি না। কিন্তু কালীঘাটে মা কালী যে সদা জাগ্রতা, নিত্য সচেতন, তা বারংবার প্রমাণিত।

বামাক্ষ্যাপার কালীদর্শন-
নিষ্কাম শ্মশানপ্রেমিক বামাক্ষ্যাপা। মহারাজ যতীন্দ্রমোহনের আকুল আকুতিতে তারাপীঠ মহাশ্মশান ছেড়ে কোলকাতায় এসেছেন তিনি। বামাকে কালীঘাটে নিয়ে যাবার প্রস্তাব দিলেন মহারাজ, তাঁর মুখেই শুনলেন কোলকাতার সম্রাজ্ঞী দেবী কালিকার মহিমা। সব শুনে মাতৃদর্শনের লোভে বালকভাবা ক্ষ্যাপা রাজি হলেন যেতে। কালীঘাটের সেবক হালদারদের সংবাদ পাঠানো হল "স্বয়ং বামদেব আসছেন দেবী দর্শনে।" আগুনের মত খবর ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। দলে দলে ভক্তেরা এসে ভিড় জমালেন মন্দির প্রাঙ্গনে।

ভোরের গাড়ি করে কালীঘাটে আনা হল বামাকে। কিন্তু একি? গর্ভমন্দির শূন্য কেন? বামা জানতে পারলেন তিনি আসবেন বলে আগামী ১ ঘণ্টার জন্য সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। ক্ষ্যাপা সন্তান জেদ ধরলেন, মায়ের মন্দিরে সবার সমান অধিকার। আর সকলের সঙ্গেই আমি মাতৃ দর্শন করব। তাই করা হল। মন্দিরের দ্বার হল সবার জন্য অবারিত।

বামাকে এনে দাঁড় করানো হল মাতৃমূর্তির সামনে। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন এই "ছোট মার" দিকে। মা তারা তাঁর "বড় মা।" হৃদয়ের প্রেমসমুদ্রে দেখা দিল জোয়ার, চোখে গঙ্গাধারা। বিবশভাবে বলে উঠলেন, "এই যে আমার কালী মা। রূপের কি ছটা, মাথায় আবার মোহিনী জটা। যেমনি লকলকে জিভ, তেমনি টানা টানা চোখ, যেন জ্বলজ্বল করছে। তুই কাদের মেয়ে রে? চল না তোকে কোলে করে তারা মার কাছে নিয়ে যাই। আয় আমার কোলে......।"

আত্মবিস্মৃত উন্মত্ত বামা পাষাণময়ী বিগ্রহকে সত্য সত্যই কোলে তুলতে গেলে পাণ্ডারা বাধা দিলেন। স্পর্শ করতে দিলেন না নিত্যশুদ্ধ চৈতন্যস্বরূপাকে। বামার অন্তরে তীব্র আঘাত লাগলো, দিব্যভাবের অবসান হল। মায়ের স্নেহময়ী রূপ অন্তর্হিত হয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠল বিকটদশনা করাল প্রতিমা। ক্ষেপে উঠলেন বামদেব, "চাই না তোদের এই রাক্ষসী কালীকে, যেমন কেলে রূপ, তেমনি লকলকে, মস্ত জিভ, যেন গিলতে আসছে।" বালকের অভিমান হল মায়ের উপরে। বুঝলেন, মা-ই স্বয়ং বাধা দিয়েছেন পাণ্ডাদের মাধ্যমে। ধীর স্থির অচঞ্চল পদক্ষেপে বেরিয়ে এসেছিলেন মন্দির থেকে সেদিন। এভাবেই সাঙ্গ হয়েছিল বামার কালীঘাটের কালীদর্শন।

এরপরের যে ঘটনাটি আপনাদের সামনে তুলে ধরব, সেটি কিন্তু নিছক কাল্পনিক কথা বা কোন কবির মস্তিস্কপ্রসূত রচনা নয়। এই ঘটনার প্রামাণ্য চিঠিখানি আজও মজুত রয়েছে। হরিসাধন মুখোপাধ্যায়, যিনি কামদেব ব্রহ্মচারী নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন, তাঁরই বংশধর সতীশ্চন্দ্র রায়চৌধুরী একটি জীর্ণ চিঠি উদ্ধার করেন। লেখকের জন্ম গোঘাটা গোপালপুর গ্রামে। পত্রটিতে রয়েছে কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য,যা মানুষের নাস্তিক্যবুদ্ধিকে সহজেই নাড়া দেবে। সেই পত্রের কিয়দংশ সহজ ভাষায় তুলে ধরা হল-
"আমি আশৈশব মাতৃমন্ত্রে দীক্ষিত। আচার্যের কাছ থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে সংসার পরিত্যাগ করে নিজের স্ত্রী পদ্মাবতীকে সঙ্গে লয়ে অনন্তের সন্ধনে বেড়িয়ে পরেছি। ব্রহ্মচারী বেশধারণ করে তপস্যার জন্য পীঠমালাগ্রন্থে লিখিত 'বঙ্গদেশে চ কালিকা' অর্থাৎ আদিগঙ্গার তীরে যে স্থানে সতীর অঙ্গুলি পতিত
হয়েছে, যেখানে বিশ্বকর্মা দ্বারা নির্মিত পাষাণময়ী শক্তিপ্রতিমা ও তাঁর রক্ষক অনাদিলিঙ্গ ভৈরব
প্রকাশিত আছেন, সেখানে একটি পর্ণকুটিরে সস্ত্রীক একযোগে ঈশ্বর আরাধনায় মগ্ন ছিলাম।
প্রতিরাত্রে যথানিয়মে দেবীর অর্চনা করতাম। একরাতে পরমতত্ত্ব চিন্তা করছি, এমন সময় আমার
পত্নী পদ্মাবতী বলে উঠল- 'একি আশ্চর্য! এত শীঘ্র ভোর হয়ে এলো নাকি! পূর্বদিকে ওটা কি জ্বলছে?' আমিও তৎক্ষণাৎ বাইরে বেড়িয়ে এলাম, কিন্তু কিছুই আমার নয়নগোচর হল না। আমার স্ত্রী বারংবার
বলতে লাগলো- 'ওই দেখো, ওই দেখো কি তেজঃপুঞ্জ এক পদার্থ পূবদিক আলো করে রেখেছে।' কিন্তু আমার
দৃষ্টিতে কিছুই এলো না। হঠাৎ আমার মনে এলো, এ নিশ্চয়ই জগদম্বার ছলনা। তিনি ছাড়া এমন মায়াবিস্তার করা আর কার পক্ষেই বা সম্ভব! আমার স্ত্রী দেখতে সক্ষম,অথচ আমি বঞ্চিত। কেন? কি আমার অপরাধ? আমি সেই মুহূর্তেই ব্রতধারণ করে অনশনে বসলাম এবং অবিরাম বীজমন্ত্র জপে মগ্ন হলাম। একদিন, দুইদিন গত হয়ে তৃতীয়দিনে অকস্মাৎ দৈববাণী শুনতে পেলাম। গুরুগম্ভির
কণ্ঠে দশদিশি কাঁপিয়ে মহামায়া কালিকা বলতে লাগলেন-........ 'ভক্তরাজ, তুমি জন্মান্তরে আমার দর্শনলাভ করবে আর পদ্মাবতী দেহান্তে আমাতে লীন হবে। তোমার ঔরসে পদ্মাবতীর গর্ভে এক অতি সুলক্ষণযুক্ত পুত্র জন্মগ্রহণ করবে। সেই পুত্র এ প্রদেশের ভূমাধিকারী ও অতুল ঐশ্বর্যশালী হবে। তার বংশ হতেই আমার সেবায়েতগণ প্রকাশিত হবে।' দেবীর এই দৈববাণী আমার অন্তরে প্রোথিত হয়ে রইল।

সত্যই কিছু বৎসর বাদে পদ্মাবতী গর্ভবতী হল, কিন্তু সন্তান প্রসব করেই সে ইহলোক ত্যাগ করল। আমি তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করে একরাতে পুত্রের লালন পালনের চিন্তা করছি। এমন সময় এক কাণ্ড ঘটলো, কুটিরের ছাদ থেকে একটি টিকটিকির ডিম নীচে পড়ে ভাঙ্গল এবং সেই সদ্য শাবক বের হয়ে সম্মুখবর্তী একটি পিপীলিকাকে ধরে খেতে লাগলো। এই দেখেই আমার জ্ঞানোদয় হল।মহামায়ার মায়া বুঝতে পারলাম। এই জগতে একমাত্র তিনিই অভিভাবক। তিনি ছাড়া কেউই কারো জন্য নয়। কৃতাঞ্জলিপুটে বলতে লাগলাম- 'হে মাতঃ! সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়কারিণী, তোমার সৃষ্ট সন্তান তোমারই তত্ত্বাবধানে থাকল।' তৎপরে সকল মায়া ত্যাগ করে পুত্রের ভার আত্মীয়র উপর ন্যস্ত করে শ্রীশ্রীকাশীধামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম।"

উপরোক্ত চিঠিতে যে জগন্মাতার দ্বারা নির্দেশিত যে সেবায়েতের উল্লেখ করেছেন লেখক, সেই হালদার পুরোহিতরা আজও মায়ের সেবাভার বহন করে চলেছেন। তবে ইতিহাস বলছে, মন্দির প্রতিষ্ঠার পুরো শ্রেয় লক্ষ্মীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় অর্থাৎ, সাবর্ণ চৌধুরীর। এই সাবর্ণ চৌধুরী মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কাছ থেকে জায়গীর পাওয়ার পর বেহালা গ্রামে বসবাস শুরু করেন এবং বর্তমান কালীঘাট মন্দির তৈরির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কারো কারো মতে ষোড়শ শতাব্দীর গোরার দিকে বর্তমান কালীঘাট মন্দির প্রতিষ্ঠার পূর্বেই গোবিন্দপুরে মা কালীর পূজার্চনা রীতিমত ধুমধামের সহিত শুরু হয়ে যায়। তাই অনুমান করা হয়, পরবর্তীতে মা কালীকে গবিন্দপুর থেকে বর্তমান কালীঘাটে স্থানান্তরিত করা হয়।

দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো :-
কালীঘাটের প্রতিষ্ঠা ঠিক কবে হয়েছিল তা বলা খুবই কঠিন। ইতিহাস, পুরাণকথা, কিংবদন্তী মিলেমিশে এমন হয়ে আছে যে তার থেকে এর প্রকৃত উদ্ভবের কাল উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে রচিত টলেমির ভারতের ভৌগোলিক বিবরণে এই অঞ্চলে কালীগ্রাম নামের এক জনপদের উল্লেখ আছে! আবার ভবিষ্যপুরাণের এক জায়গায় লেখা হয়েছে,
তাম্রলিপ্ত প্রদেশে চ বর্গভীমা বিরাজতে।
গোবিন্দপুরপ্রান্তে চ কালী সুরধুনীতটে।।
টলেমির কালীগ্রামই যে আজকের কালীঘাট— তার যেমন কোনও প্রমাণ নেই তেমনই টলেমির সমসাময়িক কালে লেখা ভবিষ্যপুরাণে গোবিন্দপুর গ্রামের উল্লেখ প্রায় অসম্ভব। আসলে কালীঘাটের প্রাচীনত্ব ও মহিমা জাহির করতে ওই সব তথ্য হাজির করা হয়েছে অনেক পরে। ইতিহাসগত ভাবে কালীঘাটের কথা জানা যায় ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে। কথিত আছে, আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামে এক দলছুট সন্ন্যাসী ঘুরতে ঘুরতে কালীঘাট অঞ্চলে নির্জন বনের মধ্যে পর্ণকুটির তৈরি করে বসবাসকালে একটি বড় প্রস্থরখণ্ডকে কালীরূপে পুজো করতেন। তিনি এবং ব্রহ্মানন্দ গিরি নামে আর এক সন্ন্যাসী সংলগ্ন কুণ্ড থেকে একটি ছোট পাথরখণ্ড খুঁজে পান। তাঁরা সেই খণ্ডটি সতীর দক্ষিণ পদের কনিষ্ঠ অঙ্গুলী বলে দাবি করেন। পরে সেটিকে বড় পাথরটির নীচে স্থাপন করেন। সতীপীঠ হিসেবে কালীঘাটের পরিচিতির সূচনা তখন থেকেই।

আত্মারাম ও ব্রহ্মানন্দের পর থেকে দীর্ঘকাল মূলত সন্ন্যাসীদের হাতেই ছিল কালীঘাটের পুজোর ভার। তাঁরা প্রধানত শৈব হলেও তন্ত্র মতে শক্তির উপাসনাও করতেন। ইতিমধ্যে শক্তিপীঠ হিসেবে কালীঘাট যথেষ্ট পরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রথমে যশোহরের রাজা বসন্ত রায় ও পরে সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের আনুকূল্যে তৈরি হয়েছে মন্দিরও। সেই সময়ে অন্যান্য শৈব ও শক্তি পীঠগুলির ন্যায় কালীঘাটেও মন্দিরের সেবাপুজো ও রক্ষণাবেক্ষণের ভার থাকত সন্ন্যাসীদের হাতে। ভুবনেশ্বর গিরি নামে এমনই এক তান্ত্রিক সেবাইত ও তাঁর ভৈরবী যোগমায়ার, উমা নামে এক কন্যা জন্ম নেয়। ওই উমাকে কেন্দ্র করে পাল্টে যায় কালীঘাটের সেবাপুজোর ইতিহাস।

যশোহরের জনৈক পৃথ্বীধর চক্রবর্তীর ছেলে ভবানীদাস তাঁর হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে কালীঘাটে উপস্থিত হন। ভবানীদাস আদতে ছিলেন কৃষ্ণের উপাসক কিন্তু নানা কারণে তিনি কালীঘাটে থেকে যান এবং নিজের ইষ্ট দেবতা বিষ্ণুর পাশাপাশি কালীরও উপাসক হয়ে ওঠেন। কালীর পুজোয় ভবানীদাসের নিষ্ঠা দেখে ভুবনেশ্বর গিরি তাঁর সঙ্গে মেয়ে উমার বিয়ে দিলেন এবং তাঁকেই করে গেলেন কালীঘাট মন্দিরের ভবিষ্যত্ উত্তরাধিকারী। শেষ হল সন্ন্যাসীদের যুগ, কালীঘাটের দেবী দক্ষিণাকালীর সেবাপুজোর ভার অর্পিত হল গৃহস্থ-সেবায়েত ভবানীদাস চক্রবর্তীর হাতে। সেই শুরু। কালীঘাটের আজকের সেবাইত হালদারেরা ওই ভবানীদাসেরই উত্তরপুরুষ।

শাক্ত পরিবারের সন্তান হলেও ভবানীদাস নিজে ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। যশোহরের খনিয়ান গ্রামে ছিল তাঁর কুলদেবতা বাসুদেব। ভবানীদাস কালীঘাটে থাকাকালীন, গ্রামের বাড়িতে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী-পুত্রেরাই পুজো করতেন কুলদেবতার। কালীঘাট মন্দিরের সব দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি যশোহর থেকে পরিবারকে নিয়ে আসেন কালীঘাটে। পরে কুলদেবতার বিগ্রহও নিয়ে আসেন এবং প্রতিষ্ঠা করলেন দক্ষিণাকালীর মূর্তির ঘরেই। একই সঙ্গে চলল কালী ও কৃষ্ণের পুজো। বিষ্ণুভক্ত কালীসেবক ভবানীদাসই প্রথম কালীর নাসিকাগ্রে আঁকেন বৈষ্ণবীয় তিলক। সেই প্রথা আজও বজায় আছে। তিলক আঁকার পাশাপাশি কালীপুজোর দিন কালীঘাটে লক্ষ্মীপুজোর প্রবর্তনও করেন তিনি। দীপান্বিতার সন্ধ্যায় এই পুজো হয়, তাই এর নাম দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো।
কালীঘাট মন্দিরে কালীপুজোর সন্ধ্যার এই লক্ষ্মীপুজো একান্ত ভাবেই সেবাইতদের পুজো, এর সঙ্গে কালীঘাট মন্দির কমিটির বিশেষ কোনও সম্পর্ক নেই। অমাবস্যা তিথি থাকলে কালীপুজোর দিন সূর্যাস্তের ২৪ মিনিটের মধ্যে আরম্ভ হয় লক্ষ্মীপুজো। তার আগে অবশ্য সেরে নেওয়া হয় অলক্ষ্মী বিতাড়ন পর্ব। তিন বা চার ইঞ্চি মাপের অলক্ষ্মী পুতুল তৈরি করা হয় গোবর বা জলে চটকানো পিটুলি (চালবাটা) দিয়ে। সেটিকে রাখা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহের বাইরে। এ বার অলক্ষ্মী পুতুলের সামনে পাটকাঠিতে আগুন লাগিয়ে সেবাইতরা তিন বার মন্দির প্রদক্ষিণ করেন। আর জোরে জোরে কুলো বাজিয়ে অলক্ষ্মী বিদায় করে আরম্ভ হয় লক্ষ্মীপুজো। এটি যেহেতু সেবাইতদের পুজো তাই নিরামিষ ভোগ আসে সেবাইতদের বাড়ি থেকেই। সেগুলি রাখা হয় কালীমূর্তির সামনেই। আবার কালীর যে হেতু আমিষ ভোগ, সেখানে মাছ-মাংসও থাকে, সেগুলিও রাখা হয় তার পাশেই, তবে লক্ষ রাখা হয় যেন আমিষ ও নিরামিষ ভোগ ছোঁয়াছুঁয়ি না হয়। ভোগ ছাড়াও সেবাইতরা দেন তাঁতের শাড়ি। সেগুলি কালীর অঙ্গেই পরানো হয়। ভোগ-বসন সাজানোর পরে পুরোহিত পুজো শুরু করেন। প্রায় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে হয় কালীপুজোর সন্ধ্যার ওই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো।

শেষ কথাঃ
জীবনের সাথে এই শক্তির খেলা আর্য্য ঋষিগণ তাঁদের জ্ঞানদীপ্ত উপলব্ধির দ্বারা প্রত্যক্ষ করেছেন। এই সৃষ্টিতে প্রকৃতিরূপা মাতৃশক্তির রূপ কল্পনা কালী মূর্তিতে। শক্তির আধারভূতা দেবী শ্রী শ্রী কালীমাতা সকলের পরিত্রাণ করুক, সকলের জীবনে কালীমায়ের মূর্তির তাৎপর্য প্রাণবন্ত হোক, কর্মে সাত্ত্বিকতা আসুক- এই প্রার্থনা রাখি।
আর্য্যঋষিদের দেবদেবী কল্পনায় অধিকাংশ আধ্যাত্মিক বৈদিক, লৌকিক, আঞ্চলিক দেবদেবীর বাহনরূপে পশুপাখির অবস্থান নির্ণয় করেছের। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো দেবী কালিকার ক্ষেত্রে। এখানে দেবীর বাহনরূপে শিবা, শিব, শব কাকে বাহন নির্দিষ্ট করেছেন, তাত্ত্বিক দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না। পূর্বেই উল্লেখ করেছি দেবীকে শিবারূঢ়া বলতে শিবের উপর অবস্থিত বোঝায়। অপর পক্ষে শিবা শব্দে শৃগাল বোঝায়। এ কারণে অনেক স্থলে মায়ের মূর্তির সাথে শৃগালকেও দেখানো হয়। কিন্তু মায়ের সাথে শৃগালের যুক্ততা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। শবারূঢ়া বা শিবারূঢ়া যা-ই বলি শব হয় শক্তিহীনতায় আর শিব হয় মঙ্গলকারী শক্তিমানতায়। উভয়ই শক্তির অবস্থান নির্ণয় করে। যে শক্তি সবংত্র বিরাজিত নানরূপে কার্যকারিতায় তাঁর বাহন নির্ধারণ না করাই যুক্তিগ্রাহ্য বলে ঋষিগণ এ বিষয়ে দৃষ্টি দেননি।
কালীবীজ জপলে ও তদনুযায়ী গুরুপাদিষ্ট মতে ক্রিয়া করলে তত্ত্বময়ী কালী সাধকের কাছে উপস্থিত হয়ে যান। কৃষ্ণানন্দ, রামপ্রসাদ, রামকৃষ্ণ, বামাক্ষেপা প্রমুখ সাধকের কালী দর্শনে মুগ্ধ তন্ময়। ‘‘প্রত্যয় হয় প্রত্যক্ষ হলে।’’ সমস্ত যোগতত্ত্ব কথা গুরুবক্তগম্য। সকল তত্ত্ব নিজের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে যদি গুরুপাদিষ্ট মতে সাধন ভজন করা যায়। মানুষকে সাধনমুখী, সত্যমুখী করার জন্যই পূজার ও দেব-দেবীর মূর্তির অবতারণা। কালীপূজা আমাদেরকে কালীতত্ত্বভিমুখী করুক-এই প্রার্থনা মায়ের শ্রী চরণে। কালী ভাবনায় জীবনের সকল কালো দূর হয়ে যাক আসুক মহাকালের গতি।
শক্তির আসল পূর্ণাঙ্গরূপ আমাদের দেখিয়েছেন আর্য্য ঋষিগণ কালীমাতার মধ্যে। ঋষি অরবিন্দ বিশ্বাস করতেন শাস্ত্রে মায়ের যে সকল মূর্তি আছে তাঁর মধ্যে মূলে রয়েছে কালীমাতা।
জীবনের সাথে এই শক্তির খেলা আর্য্য ঋষিগণ তাঁদের জ্ঞানদীপ্ত উপলব্ধির দ্বারা প্রত্যক্ষ করেছেন। এই সৃষ্টিতে প্রকৃতিরূপা মাতৃশক্তির রূপ কল্পনা কালী মূর্তিতে। শক্তির আধারভূতা দেবী শ্রী শ্রী কালীমাতা সকলের পরিত্রাণ করুক, সকলের জীবনে কালীমায়ের মূর্তির তাৎপর্য প্রাণবন্ত হোক, কর্মে সাত্ত্বিকতা আসুক- এই প্রার্থনা রাখি।

আর্য্যঋষিদের দেবদেবী কল্পনায় অধিকাংশ আধ্যাত্মিক বৈদিক, লৌকিক, আঞ্চলিক দেবদেবীর বাহনরূপে পশুপাখির অবস্থান নির্ণয় করেছের। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো দেবী কালিকার ক্ষেত্রে। এখানে দেবীর বাহনরূপে শিবা, শিব, শব কাকে বাহন নির্দিষ্ট করেছেন, তাত্ত্বিক দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না। পূর্বেই উল্লেখ করেছি দেবীকে শিবারূঢ়া বলতে শিবের উপর অবস্থিত বোঝায়। অপর পক্ষে শিবা শব্দে শৃগাল বোঝায়। এ কারণে অনেক স্থলে মায়ের মূর্তির সাথে শৃগালকেও দেখানো হয়। কিন্তু মায়ের সাথে শৃগালের যুক্ততা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। শবারূঢ়া বা শিবারূঢ়া যা-ই বলি শব হয় শক্তিহীনতায় আর শিব হয় মঙ্গলকারী শক্তিমানতায়। উভয়ই শক্তির অবস্থান নির্ণয় করে। যে শক্তি সবংত্র বিরাজিত নানরূপে কার্যকারিতায় তাঁর বাহন নির্ধারণ না করাই যুক্তিগ্রাহ্য বলে ঋষিগণ এ বিষয়ে দৃষ্টি দেননি।

কালীবীজ জপলে ও তদনুযায়ী গুরুপাদিষ্ট মতে ক্রিয়া করলে তত্ত্বময়ী কালী সাধকের কাছে উপস্থিত হয়ে যান। কৃষ্ণানন্দ, রামপ্রসাদ, রামকৃষ্ণ, বামাক্ষেপা প্রমুখ সাধকের কালী দর্শনে মুগ্ধ তন্ময়। ‘‘প্রত্যয় হয় প্রত্যক্ষ হলে।’’

সমস্ত যোগতত্ত্ব কথা গুরুবক্তগম্য। সকল তত্ত্ব নিজের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে যদি গুরুপাদিষ্ট মতে সাধন ভজন করা যায়। মানুষকে সাধনমুখী, সত্যমুখী করার জন্যই পূজার ও দেব-দেবীর মূর্তির অবতারণা।।

শ্রী অরবিন্দেরও কালী দর্শন হয়েছিল যা অনেকেরই অজানা। মা সৃষ্টি ও রক্ষা দু’টোই করেন। ধ্বংস অনিবার্যভাবে সৃষ্টির ক্রম অনুযায়ী আসে। মানুষ বিপদে পড়লে মাকে ডাকে। ছোট শিশু মায়ের স্পর্শেই শক্তি পায়। পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত মানুষ ঘুমের মাধ্যমে মায়ের কোলে আশ্রয় নিয়ে পুনঃশক্তি সঞ্চার করে কর্মে প্রবৃত্ত হয়। মায়ের কোলেই সন্তানের যে কোন সময় একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়। মায়ের সস্নেহেই মানুষের বৃদ্ধি ঘটে। মা সর্বব্যাপী আছেন। তাই মাকে সর্বদা স্মরণে রেখে প্রণাম জানাই-

দয়াং কুরু মহেশানি পামরেষু জনেষুহ হি।
সর্বাপরাধযুক্তেষু নৈতৎ শ্লাঘ্যং তবাম্বিকে।।
কোপং সংহর দেবেশি সর্বান্তর্যামিরূপিণি।
ত্বয়া যথা প্রের্য়তে যঃ করোতি স তথা জনঃ।।
নান্যা গতির্জনস্যাস্য কিং পশ্যসি পুনঃ পুনঃ।
যথেচ্ছসি তথা কর্তুংসমর্থাসি মহেশ্বরি।।
সমুদ্ধর মহেশানি সঙ্কটাৎ পরমোত্থিতাং।
জীবনেন বিনাস্মাকং কথং স্যাৎ স্থিতিরম্বিকে।।
প্রসীদ ত্বং মহেশানি প্রসীদ জগদম্বিকে।
অনন্তকোটিব্রহ্মাণ্ডনায়িকে তে নমো নমঃ।।

[ হে মহেশানি ! আপনি আমােদর প্রতি দয়া করুন। হে অম্বিকে ! সমস্ত অপরাধে অপরাধী পামরজন সকলের উপর এইরূপ কোপ করা অাপনার শ্লাঘনীয় নয়। অতএব দেবেশি ! আপনি ক্ষমা করুন। যদি অামাদের পাতক বশত অাপনার কোপ হয়ে থাকে তবে সে-বিষয়েও অামাদের কোনো অপরাধ নেই ; কারণ অাপনিই অন্তর্যামিনীরূপে সকলের হৃদয়ে বাস করেন। সুতরাং অাপনি যাকে যে কাজে নিযুক্ত করেন, সে তাই-ই করে থাকে। হে মহেশ্বরী ! যখন অাপনি ভিন্ন জনগণের অার কোনো গতি নেই , তখন কি কারণে পুনঃ পুনঃ তাদের এরূপ দুর্দশা দর্শন করাচ্ছেন ? মাতঃ! অাপনি তো যেরকম ইচ্ছা করেন, সেইরকম কার্য করতেই সমর্থ ; অতএব হে মহেশানি ! উপস্থিত এই নিদারুণ সঙ্কট থেকে জীবগণকে পরিত্রাণ করুণ। হে অম্বিকে ! জল ব্যতীত কিভাবে অামরা জীবনধারণ করি বলুন ? হে মহেশানি ! হে জগদম্বিকে ! অাপনি প্রসন্না হন। হে অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বরী ! অাপনাকে অামরা বারংবার প্রণাম করি। ]
জোতিষ শাস্ত্রে, দক্ষীনাকালী শনির ইষ্টদেবী।
বীজমন্ত্র:ঔঁ ঐং হ্রীং ক্লীং হূং দক্ষীনা কালিকাঐ নমঃ।
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
- শ্রী শ্রী চন্ডীঃ ৩৭
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
CONTACT NO 7001608953
Website:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180503090124

Wednesday, May 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনির নিজের ঘর মকর-কুম্ভতে প্রভাব

শনির নিজের ঘর মকর-কুম্ভতে প্রভাব

শুভ অপরান্থ
শনি গ্রহের নিজের ঘর মকর এবং কুম্ভ রাশি তে তার প্রভাব
=============================

নয় গ্রহের মধ্যে যে গ্রহটি পাপ পুন্যের দন্ডদাতা, ন্যায়ের দন্ডদাতা, ভাগ্যের দন্ডদাতা আর "ঘাড়ত্যাড়া" গ্রহ হিসেবে বিশেষ পরিচিত তিনি হচ্ছেন শনি গ্রহ। শনি গ্রহের নাম শুনলে সবাই ভয়ে আতকে উঠে। এটা ঠিক যে শনি জীবনে কষ্ট, বেদনা, দুঃখ বেশি দেয় কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে শনি সবকিছু শুভ ফল দিয়ে দেয়। শনি দর্শনের কারক গ্রহ। শনি প্রসন্ন থাকলে আর বাকি সব গ্রহ যদি খারাপ ও থাকে তারপরেও শনির সুপ্রভাবে মানুষ সবার উপরে উঠতেই থাকে। শনি এমনই এক গ্রহ। যাকে দেয় তাকে দিতেই থাকে আর যাকে দেয় না তার দিকে ফিরেও তাকায় না।
* জন্মছকে শনি খারাপ থাকলে হাড়, দাঁত, চুল, বাত, টি.বি, পক্ষাঘাত, স্নায়ুর দুর্বলতা, অসাড়তা, প্লীহা ইত্যাদি নানা ধরনের শারিরিক সমস্যা দেখা দেয়।
* শনির প্রতিকার হিসাবে শাস্ত্রে নিলা ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, নিলা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। নিলার পরিবর্তে নিল এমিথিস্ট, নিল টোপাজ, এলিট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে.
শনির নিজস্ব দুটি রাশি রয়েছে। মকর এবং কুম্ভ। দুটিই ঋণাত্মক রাশি। এই দুই রাশির উপরেই শনির প্রভাব স্পষ্ট পড়ে। তাই এই দুই রাশির কপাল যে এত সুপ্রসন্ন হয় না তা বেশ ভালভাবেই বোঝা যায়।
.
মকর শনির প্রথম ক্ষেত্র। অত্যন্ত আদরের ক্ষেত্র এই রাশি শনির। এতই আদরের যে মনে হয় দুনিয়ার সকল দুঃখ কষ্ট এই রাশির উপরেই ঢেলে দিয়েছেন তিনি। মকর রাশির মানুষেরা বাস্তববাদী হয় খুব। আকাশ কুসুম স্বপ্ন এই রাশির মানুষ দেখে না। যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুক অনুযায়ীই এরা স্বপ্ন দেখে। জীবনে ঘাত প্রতিঘাত, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদের জীবন চলে। জীবনে কোন কিছুই সহজে এরা পায় না। অনেক কষ্ট করে সেটা লাভ করতে হয়। বাচাল স্বভাবের হয় এরা। কথা একটু বেশি বলে। আত্মবিশ্বাস থাকে নিজের প্রতি খুব। এদের একটি বড় গুন হচ্ছে যতই বাধা বিপত্তি, ঝুট, ঝামেলা আসুক না কেন এদের আত্মবিশ্বাস কমে না সহজে। জেদ এই রাশির মানুষের বেশি। সেটা অবশ্য কোন খারাপ জেদ না। নিজের ক্যারিয়ারে, নিজের জীবনের উন্নতি নিয়ে এদের জেদ থাকে। এটা অবশ্যই ভাল জেদ। বেরসিক স্বভাবের হয় এরা। ঠাট্টা, মজা, তামাসা কম বোঝে। সবক্ষেত্রেই সিরিয়াস হয়ে যায় সহজে। যেখানে প্রতিযোগিতা বেশি সেখানে এদের আকর্ষন বেশি থাকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বা প্রতিযোগিতা করে, লড়াই করে কোন কিছু লাভ করতে এরা বেশি ভালবাসে। এরা কিছুটা আবেগীও বটে। শনির স্ব ক্ষেত্র হওয়ায় এদের জীবনে ভাগ্য নির্ধারিত হয় বয়স বৃদ্ধির সাথে নিজের পরিশ্রমের উপরে। এটিই একমাত্র রাশি যে রাশি পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই জুটাতে পারে না। অন্যান্য রাশির মানুষ তাও সুযোগ পায় কিছুটা কিন্তু এই মকর এমনই এক কপাল পোড়া রাশি এদের জীবনে সুযোগ আসেই না বরং সুযোগ এদের বানিয়ে নিতে হয়। এই রাশির মানুষের না পাওয়ার জ্বালা বেশি। জন্মানোর পর থেকে শুধু কষ্ট আর বাধার মধ্য দিয়ে এদের জীবন চলে। বিরহে কাটে এদের জীবন। এরা খুব স্বাধীনচেতা মনের মানুষ। নিজের একটা যে আলাদা জগত আছে সেটাকে তারা খুব সম্মান করে থাকে। পারিবারিক জীবন এদের সুখের হয় না। প্রায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এদের উপরেই পরিবারের দায়িত্ব চলে আসে। জীবনকে উপভোগ করার সামান্য সময়টুকুও এদের কপালে থাকে না।
প্রেম, ভালবাসা, দাম্পত্য জীবন ৩টার একটাও এদের সুখের হয় না। প্রেম হলে সেটা কোন না কোন কারনে ভেঙে যাবেই। দাম্পত্য জীবনেও এদের সুখ কম। শনির দৃষ্টি থাকায় এদের বিবাহ দেরিতে হয়। অনেকের আবার হয়ই না বিবাহ।
৩২ বছরের আগে ভাগ্য এদের বিশেষ ভাল হয় না। ৩৮ বছর বয়স থেকে উন্নতি করা শুরু করে এরা। বিদ্যা স্থান মোটামুটি। বন্ধু বান্ধব মোটামুটি।
.
শনির আরেক টি ক্ষেত্র হচ্ছে কুম্ভ রাশি। তবে এটি শনির স্ব ক্ষেত্র নয়। কুম্ভের উপর নেপচুনেরও প্রভাব থাকে। অর্ধেক নেপচুন আর অর্ধেক শনি দ্বারা চালিত এই রাশি। তাই মকর রাশির মতন এত কষ্ট এদের সইতে হয় না।
কুম্ভ রাশির মানুষেরা সেরা অলস। এদের প্রিয় স্থান বিছানা নয়তো কোন বসার স্থান। এরা যে ঘন্টার পরে ঘন্টা অলসভাবে কিভাবে সময় কাটাতে পারে সেটা হয়তো নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এরা খুব কল্পনাপ্রবণ মানুষ। গুরুগম্ভীর স্বভাবের। প্রয়োজন ব্যতীত কথা বলতে এরা তেমন ভালবাসে না। খুব বিশ্বস্ত মনের মানুষ হয় এরা। নীতিপরায়ন হয়। কাউকে ঠকানো বা কারো সাথে ছলনা করা এরা মোটেই ভালবাসে না। কিছুটা ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের হয় এরা। এরা ধার্মিক মনের হয় না তেমন ধর্মভীরু হয়। উপরে যে একজন আছেন এই বিশ্বাস তাদের আছে। কাজের ব্যাপারে খুব সৎ। তবে কোন কাজই সুন্দর ভাবে করতে পারে না। আধা খ্যাচড়া ভাবে কোন কাজ করে রাখা এদের বাজে স্বভাব। এরা আবার নেতৃত্ব প্রিয় হয় না তেমন। বরং এরা কারো অধীনে থেকেই কাজ করতে পছন্দ করে। কেননা এরা নিজের থেকে কোনকিছু করতে পারে না হাজার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি না কেউ এদের গাইড করে। এদের একটি বাজে স্বভাব হচ্ছে এদের সাথে যদি কারো অনেক ভাল সম্পর্ক থাকে তাহলে তার সাথে যদি সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয় এরা সম্পর্কই রাখে না। এই কারনে এদের জীবনে বন্ধু বান্ধব কম থাকে। হাতে গোনা দু একজন ছাড়া আর কারো সাথেই এরা বন্ধুত্ব করতে পারে না। কুম্ভ রাশির মানুষের জীবনে অপ্রত্যাশিত ঘটনা বেশি ঘটে। এমন সব ঘটনা ঘটে যেটা তার কল্পনার বাইরে।
এদের বিচার ক্ষমতা খুব ভাল। এরা এত রোমান্টিক হয় না। আর হলেও প্রকাশ করতে পারে না। কেননা এদের উপস্থাপনা করার কৌশল ভাল হয় না। প্রেম যোগ মোটামুটি শুভ। বিবাহ যোগ মোটামুটি। বিদ্যাস্থান এত শুভ হয় না। অধিক কল্পনাপ্রবন আর অলসতার কারনে।
২৮ বছর বয়স থেকে সুযোগ আসে ভাল। সেখানেও যদি অলসতামি করে তাহলে দুঃখ ছাড়া কপালে আর কিছুই থাকবে না।
শনির ইষ্টদেবী দক্ষীনা কালী।
শনির বর্ণ নীল, সংখ্যা ৮,মিত্র গ্ৰহ শুক্র, শত্রু গ্ৰহ রবি
বীজমন্ত্র: ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ ।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
, WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
E-MAIL ADDRESS: apnbkm.09@gmail.com

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
Website:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180502110656

Wednesday, May 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বৃহস্পতির সঞার ওফল

বৃহস্পতির সঞার ওফল

বৃহস্পতির সঞ্চার ও ফলাদেশ।

এখন বৃহস্পতি ১২ ই সেপ্টেম্বর ২০১৭,মঙ্গলবার ,সকাল ৬-৫১ মিঃ টে বৃহস্পতি কন্যারাশি হইতে তুলারাশিতে গমন করছেন।থাকবে ১৩মাস।শেষের দুই মাস অশুভ ফলদান করে।

বৃহস্পতিকে দেবগুরু বলা হয়। গ্রহদের মধ্যে বৃহস্পতি বৃহৎ গ্রহ। একটি রাশি পরিবর্তন করতে ১ বছর সময় নেয়।এবং একটি সম্পূর্ণ রাশি চক্র পরিক্রম করতে বৃহস্পতির সময় লাগে ১২ বছর। বৃহস্পতি ধ্নু ও মীন রাশির অধিপতি। বৃহস্পতি কর্কটরাশিতে তুঙ্গি ও মকররাশিতে নিচস্থ হয়। এবং ধনুরাশিতে মুলত্রিকন্সথ হয়।
বৃহস্পতির তিনটি দৃষ্টি যথাক্রমে পঞ্চম,সপ্তম ও নবম দৃষ্টি রয়েছে।বৃহস্পতি জ্ঞান,প্রজ্ঞা ,সন্তান,আধ্যত্তিক জ্ঞানের কারক গ্রহ।

বৃহস্পতি তুলারাশিতে গমন করছেন ফলে রাশিচক্রের সপ্তম ভাবে (মেষরাশি হইতে তুলারাশিতে) গমন করছেন ফলে এই বছর অনেক বিবাহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে (যদিও ব্যক্তিগত রাশিচক্র বিচার প্রয়োজন )। এবং বৃহস্পতি তুলারাশি থেকে পঞ্চম দৃষ্টি কুম্ভরাশিতে , সপ্তম দৃষ্টি মেষরাশিতে ও নবম দৃষ্টি মিথুনরাশিতে পড়বে।

বৃহস্পতি তুলারাশিতে গমন বৃষরাশি, বৃশ্চিকরাশি ও মীনরাশি জন্য অশুভ ফল প্রদান করবে । এবং মেষরাশি , মিথুনরাশি , কর্কটরাশি , কন্যারাশি , ধনুরাশি ও কুম্ভরাশির জন্য শুভ ফল প্রদান করবেন।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা এবং বিচার বিশ্লেষণের মাধমে বিভিন্ন রাশির অপর কি কি ফল হবে এই আগামী ১ বছর তারই ফলাদেশ আমি আলোচনা করছি ।।

●মেষরাশি∶−মেষরাশির জাতক-জাতিকা দের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। কর্মে অধিক শুভ পরিবর্তন। বিবাহে বাধার অবসান ঘটবে। অনেকদিন না হওয়া বা আটকে পড়ে থাকা কাজ থেকে উধার বা সাফল্য লাভ। ছোটোখাটো ভ্রমণ নির্দেশ করছে। অর্থ লাভের সম্ভাবনা রইয়েছে। ধর্ম কাজে উন্নতি আসবে। ব্যবসায় শুভ বার্তা নিয়ে আসবে। চিন্তা মুক্তি হবে। মেষরাশির জন্য সময়টি ভালই হবে।

●বৃষরাশি∶− বৃষরাশির জাতক-জাতিকা দের আর্থিক উন্নতি ঘটবে। কর্মক্ষেত্রে পদউন্নতি আসতে পারে।বিদেশ যাত্রার সম্ভাবনা আছে।কিন্তু লিভার,পেট ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যাবে। বাঁধার সৃষ্টি হবে। শত্রু বারবে কর্মে। অনেক কাজ আটকে যেতে পারে।সময়টি বুঝে কাটানো উচিত হবে।

●মিথুনরাশি∶− মিথুনরাশির জাতক-জাতিকা দের অনেক দিন যাদের বিবাহ হছী না তাঁদের এবার বিবাহ হবে এই সময়।সন্তান বিষয় সুখপ্রাপ্তি ।শরীর ভালো যাবে। পিতার আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে। এই সময় ধর্মীয় বিষায়ক কাজে উন্নতি বা জ্ঞান বৃদ্ধি ঘটবে। প্রেমে সাফল্য লাভ হবে। এই বছর নতুন কোনো শুভ কাজ সম্পন্ন হবে।

●কর্কটরাশি∶− কর্কটরাশির জাতক-জাতিকা দের গৃহে শুভ কর্ম হবার সম্ভাবনা। মায়ের সাথে সম্পর্কে উন্নতি ঘতবে।বিদেশ যাত্রার যোগ আছে। কর্মে শুভ পরিবর্তন আসতে চলেছে এবং কর্মের জন্য ভ্রমণও হবে। যারা নতুন বাড়ি,গাড়ি ক্রয় করতে চাইছেন তাদের জন্য শুভ সময়।

●সিংহরাশি∶− সিংহরাশির জাতক-জাতিকা দের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিবাহে শুভ যোগাযোগ আসবে। পিতার উন্নতি হবে। আর্থিক ক্ষেত্রে এ বছর ভালো যাবে। সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন যোগাযোগ আসবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধা আসবে।

●কন্যারাশি∶− কন্যারাশির জাতক-জাতিকা দের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে। সত্রু বৃদ্ধি হবে। গুহ্যবিদ্যায় উন্নতি হবে। কর্মে শুভ পরিবর্তন। বিবাহের ক্ষেত্রে সাফল্য আসতে পারে।পরিবার সূত্রে কোন সম্পত্তি পাবার সম্ভাবনা আছে।

●তুলারাশি∶− তুলারাশির জাতক-জাতিকা দের রাশিতে বৃহস্পতি গমন মানসিক ভাবে কিছুটা ভয়ের সৃষ্টি করবে। প্রেমে সাফল্য লাভ হবে। বিবাহে যোগ আছে এই বছর। ভাগ্য উন্নতি ঘটবে।পিতার বা ধর্ম ভাব শুভ। তবে যে কোন কাজে বাধার সন্মুখিন হতে হবে। তাই যে কোন কাজ ভাবনা চিন্তা করে করা উচিত হবে।

●বৃশ্চিকরাশি∶− বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকা দের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তবে বিদেশ যাত্রার যোগ রইছে। যেকোনো কাজে বাধার সন্মুখিন হতে হবে। কোন ছোটখাটো ধর্মীয় স্তান ভ্রমণ ঘটতে পারে। শিক্ষাই বাধা প্রাপ্ত ঘটবে ও প্রেমের ব্যাপারে কিছুটা হতাশা নিয়ে আসবে। কর্মে বদলি আসতে পারে। এই গোচর সেরম শুভ বার্তা নিয়ে আসবে না।

●ধনুরাশি∶− ধনুরাশির জাতক-জাতিকা দের পরাক্রম বৃদ্ধি হবে। নতুন যোগাযোগ ঘটবে। বাড়ি ও গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুভ সময়। প্রেমে সাফল্য আসবে। আর্থিক বিষয়ক এই বছরটি খুবই উত্তম হবে।বিবাহের ব্যাপারে শুভ।

●মকররাশি∶− মকররাশির জাতক-জাতিকা দের কর্মের জন্য বিদেশ ভ্রমণ হতে পারে। আর্থিক দিক শুভ। নতুন নতুন কর্মে সুযোগ আসবে। গৃহের পরিবর্তন হতে পারে। কর্মে সত্রু তা আসতে পারে।

●কুম্ভরাশি∶− কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকা দের ভাগ্য বৃদ্ধি ঘটবে। পরাক্রম ও যোগাযোগ বাড়বে। সন্তানের উচ্চশিক্ষা ঘতবে।সন্তানের দারা সুখ প্রাপ্তি হবে।নতুন প্রেমজ সম্পর্ক হতে পারে। ধর্ম ব্যাপারে সাফল্য আসবে।এই গোচর সর্বদিক থেকে শুভ ফল লাভ হবে।

●মীনরাশি∶− মীনরাশির জাতক-জাতিকা দের জন্য সময়টি ভাল নয়।নানা ঝামেলার সম্মুখীন হতে হতে হবে। শারীরিক ভাবে কষ্ট পেতে হবে। আর্থিক দিক কিছুটা শুভ। কোন বিনিয়োগ করা এই সময় শুভ হবে না। অর্থের ক্ষতি হতে পারে।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
WEBSITE:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180502105337

Tuesday, May 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাশি অনুযায়ী অভীষ্ট পূজা

রাশি অনুযায়ী অভীষ্ট পূজা

রাশি অনুযায়ী দেখে নিন কোন পূজো আপনার ভাগ্য বদলে দেবে

অনেকের মতে পৃথক রাশির জন্য পৃথক পূজো নির্দিষ্ট করা থাকে৷ সেই অনুযায়ী পুজো করলে নাকি ভগবানকে সন্তুষ্ট করা সহজ হয়ে যায়৷ আপনি কি জানেন আপনার রাশি অনুযায়ী কোন ঈশ্বরের আরাধনা করলে আপনার সৌভাগ্য থাকবে আপনারই সঙ্গে? না জানলে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন নিচের লেখায়…

মেষ- মেষ রাশির মানসিক অস্থিরতা এদের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ৷ তাই সমস্যার সামধানে করতে পারেন হনুমানজির পূজা৷ তবে এই পূজাতে লাল ফুলি অবশ্যই ব্যবহার করুন৷

বৃষ- বৃষ রাশির জাতকেরা জেদি স্বভাবের হয়৷ তাই পূজো করুন শিব ঠাকুরের৷ পূজোর উপকরণে রাখুন সাদা চন্দন৷

মিথুন- দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এই রাশির জাতককে ঘিরে থাকে৷ তাই এদের শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করা উচিৎ৷ এই পূজোতে এক বিশেষ প্রকারের ধূপ ব্যবহার করতে হয়৷

কর্কট- কর্কটরাশির জাতকেরা বেশিই ভাবুক প্রকৃতির হয়ে থাকে৷ তাই শিব ঠাকুরের আরাধনা করুন, আর পুজোর সময়ে অবশ্যই শঙ্খ বাজান৷

সিংহ- এই রাশির জাতকেরা জীবনে প্রায়শই সংঘর্ষের সম্মুখীন হয়৷ সূর্যদেবতার উপাসনাই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে৷

কন্যা- এই রাশির জাতকদের সমস্যা প্রয়োজনের থেকে বেশিই এরা ধন-সম্পত্তির পেছনে ছুটে যায়৷ মা দুর্গার আরাধনা অনেক বাধা-বিপত্তি দূর করতে পারে৷ শুদ্ধ ঘি-এ ভরা প্রদীপ জ্বালাবেন পূজোতে৷

তুলা- অনেকক্ষেত্রে এদের গাফিলতিই সমস্যা ডেকে আনে৷ শ্রীকৃষ্ণের পূজা করুন এবং সেই সঙ্গে সাদা ফুল ব্যবহার করুন পূজোর সময়ে৷

বৃশ্চিক- ধীরগতি এই রাশির জাতকদের আরও পিছিয়ে পড়ার কারণ৷ হনুমানজীর পূজো এদের ক্ষেত্রে আদর্শ৷ পূজোতে তুলসীর ব্যবহারের কথা মাথায় রাখতে হবে৷

ধনু- কথাবার্তা বুঝে শুনে বলতে হবে৷ সূর্যদেবতার পূজোতে সাদা মিষ্টি অবশ্যই দিন৷

মকর- শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে অবশ্যই৷ শিব ঠাকুরের উপাসনা করুন এই রাশির জাতকেরা৷ হলুদ রং-এর আসনে বসে পুজো করুন৷

কুম্ভ- অন্যদের বিষয়ে বেশিই ঢুকে পড়া এদের সমস্যা ডেকে আনে৷ এঁদের উচিৎ শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করা৷ পূজোতে চন্দন গন্ধের ধূপ ব্যবহার করুন৷



ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180501052241

Monday, April 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নরসিংহ দেব

নরসিংহ দেব

জোতিষ শাস্ত্রে, সন্তান হীনতার জন‍্য নরসিংহ কবচ ধারন বিধেয়।

নরসিংহ দেব দেখতে বা শুনতে ভয়ঙ্কর হলেও তিনি হচ্ছেন ভক্তিতত্ত্বের অনন্য উদাহরণ স্বরূপ। অামরা জানি, ঈশ্বরের দিকের অামরা এক পা এগিয়ে গেলে তিনি অামাদের দিকে দশ পা এগিয়ে অাসেন দর্শন দানের জন্য। সেই এক পা এগানোটাই হচ্ছে কঠিন। এর নানা পথ অাছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে ভক্তি। ভক্তির দ্বারা অাত্মসমর্পণের মাধ্যমে তিনি অাসেন, চাই প্রবল ভর্সা 'তাঁর' প্রতি। এই ভর্সা ছিল বলেই 'রাম' নামে সমুদ্র পাথর ভেসে সেতু নির্মিত হয়েছিল ভক্ত হনুমানের দ্বারা। তবে হ্যাঁ, ভক্তিতে বোকা হলে চলবে না, যাকে অজ্ঞানতা বলে।

ভক্ত প্রহ্লাদের সেই ভর্সা ছিল বলেই তিনি বিশ্বাসের সাথে বলতে পেরেছিলেন তাঁর ভগবান স্তম্ভের মধ্যেও অাছেন।

যাই হোক, অাজ শ্রীবিষ্ণুর চতুর্থ অবতার শ্রীশ্রীনরসিংহ ভগবানের পুণ্য অাবির্ভাব তিথি। তাই অাজ তাঁর চরণে জানাই অামার শতকোটি প্রণিপাত। বিপদহরণকারী ভগবান শ্রীনরসিংহ দেব যেন সকলের বিপদ হরণ করেন - এই প্রার্থনা। অার অামাদের যেন প্রহ্লাদ মহারাজের মতো শুদ্ধা ভক্তি-ভর্সা অাসে 'তাঁর' প্রতি।

বহু লক্ষ বৎসর পূর্বে এই বৈশাখী শুক্লা চতুর্দশীর সন্ধ্যায়,
শ্রীহরির অবতার রূপে শ্রীশ্রীনরসিংহ ভগবান প্রকট হয়েছিলেন ।

সক্রেটিস বলেছিলেন ‘নিজেকে জানো’। এই রকম একটি স্বার্থপর উক্তি কি করে এত জনপ্রিয়তা পেল আমার মাথায় ধরে না। আমার মতে উক্তিটি একটি অর্ধ উন্মোচিত উক্তি। উক্তিটি হওয়া উচিত – ‘নিজেকে জানো, অন্যকেও জানো’। পরিতাপের বিষয় হলো আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে জানি না অন্যকে জানার ইচ্ছাও বহুদুরে। অথচ পারস্পরিক এই অজানা থেকেই জন্ম নেয় অবিশ্বাস, যেখান থেকে জন্ম নেয় অন্যের প্রতি অসহিষ্ণু মনোবৃত্তি, সেখান থেকে জন্ম নেয় কলহ। এই সীমাবদ্ধতাকে উপড়ে ফেলতে অগ্রসর হই সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানার। যতটুকু জানছি তারই কিছুটা উন্মোচন করতে এই প্রয়াস।

<3 হিরণ্যকশিপু পূর্বজন্মে কে ছিলেন ?

বৈকুন্ঠের দ্বারী ছিলেন জয় এবং বিজয় । একবার ব্রাহ্মণরা জয় এবং বিজয়কে তাদের ঔদ্ধত্যৈর জন্য অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, মর্ত্যলোকে তিন জন্ম নাস্তিক আর নিষ্ঠুর হয়ে কাটাতে হবে। এই তিনটি জন্মই তাদের কাটাতে হবে প্রচন্ড দেব- বিরোধিতা করে, অসুর মনোভাব নিয়ে অত্যাচার করে।ভগবান এই দুই দ্বারীকে খুবই ভালবাসতেন। তবে ঔদ্ধত্যৈর শাস্তি পাওয়া উচিত বিবেচনা করে ব্রাহ্মণের সেই অভিশাপ তিনি অনুমোদন করেছিলেন ।তবে ভগবান তাদের অশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি স্বয়ং নিজে মর্ত্যে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনবেন। জয় প্রথমে মর্ত্যে জন্ম নিয়েছিলেন হিরণ্যকশিপু হয়ে । শ্রীশ্রী নৃসিংহ দেব হিরণ্যকশিপুকে সংহার করে প্রথম জন্ম থেকে মুক্তি দেন। দ্বিতীয়বার জয়কে জন্মাতে হয়েছিল রাবন হয়ে। শ্রীরামচন্দ্র রাবনকে বধ করে দ্বিতীয় জন্ম থেকে মুক্তি দেন। শেষে জন্মাতে হয়েছিল শিশুপাল হয়ে। পরমেশ্বর স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে শিশুপালের মাথা বিছিন্ন করে তৃতীয় জন্ম থেকে মুক্তি দেন। এভাবে পরমেশ্বর স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে এসে স্বর্গের দ্বারী জয়কে শাপ মুক্ত করেন । মুক্তি পেয়ে বৈকুন্ঠের দ্বারী জয় আবার বৈকুন্ঠে ফিরে যায়। উল্লেখ্য , বিজয় প্রথমে হিরণক্ষ্য হয়ে জন্মগ্রহন করেন, তারপরে জন্মগ্রহন করেন কুম্ভকর্ণ হয়ে। সর্বশেষে বিজয় জন্মগ্রহন করেন কংস হয়ে। পরমেশ্বর স্বংয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংসকে বধ করে শাপ মুক্ত করেন।শাপ মুক্ত হয়ে বিজয় বৈকুন্ঠে ফিয়ে যায়।

<3 অবতার :-

অবতার শব্দের আক্ষরিক অর্থ অবতরণকারী। দেবতারা যখন কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে পৃথিবিতে অবতীর্ণ হন তখন তাদেরকে অবতার বলা হয়। হিন্দুধর্মে অবতারবাদ মূলত বিষ্ণুকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। বিষ্ণু ত্রিমূর্তির অন্যতম দেবতা ও হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী জগতের পালক ও রক্ষাকর্তা। ত্রিমূর্তি হচ্ছে হিন্দু ধর্মের একটি ধারণা যা মনে করা হয় জন্ম, পালন এবং বিনাশের রূপ। ব্রহ্মা হচ্ছে জন্মকর্তা যিনি মানুষের জন্ম দেয়। তিনি সকল প্রাণী এবং সকল বস্তুর পিতা। তারপরেই আছেন বিষ্ণু, যিনি মানুষকে পালন করে থাকেন। তিনিই মানুষের সকল জীবনের সমস্যা এবং সমাধানের পথের পাথেয়। সবশেষে আছেন শিব অথবা মহেশ্বর, যিনি প্রয়োজন মত মানুষের জীবনাবসনের দায়িত্ব পালন করেন। এই তিনজনকে আরো বলা হয় - তাদের সাথে পৃথিবী, জল এবং অগ্নির সম্পর্ক আছে। ব্রহ্ম হচ্ছে পৃথিবী, বিষ্ণু হচ্ছে জল এবং শিব হচ্ছে আগুন। বিষ্ণুর দশ প্রসিদ্ধ অবতারকে দশাবতার নামে পরিচিত।

১. মৎস্য :- মাছরূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্ম :- কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহ :- বন্য শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহ :- অর্ধনরসিংহরূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামন :- খর্বকায় বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরাম :- পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রাম :- অযোধ্যার যুবরাজ ও রাজা রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণ :- দ্বাপরযুগে জ্যেষ্ঠভ্রাতা বলরাম সহ অবতীর্ণ। ভাগবত পুরাণ অনুসারে দ্বাপরযুগে অনন্ত নাগের অবতার বলরাম রূপে কৃষ্ণের সঙ্গে অবতীর্ণ হন। অধিকাংশ বৈষ্ণব শাখাসম্প্রদায় বলরামকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করেন। যে সকল সূত্রে বুদ্ধের কোনো উল্লেখ নেই সেখানে বলরামকেই বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে দশাবতারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৯. বলরাম :- কোনো কোনো মতে বিষ্ণুর নবম অবতার। (এই স্থানে বলরাম সম্পর্কে জানতে নিচে বিকল্প তালিকা দেখুন।)
১০. কল্কি :- এই ভবিষ্যৎ অবতার কলিযুগের শেষ পর্বে অবতীর্ণ হবেন বলে হিন্দুরা মনে করেন।

দক্ষিণ ভারতে বলরামকে দশাবতারের তালিকাভুক্ত করা হয়। এই মত অনুসারে, বুদ্ধের অবতারত্ব স্বীকৃত নয়। কোনো কোনো গ্রন্থে আবার কৃষ্ণকে অবতার তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। একাধিক মধ্যযুগীয় ধর্মসম্প্রদায়ে কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান নামে পরিচিত। গৌড়ীয় বৈষ্ণব, বল্লভ সম্প্রদায়, ও নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের মতে তিনি সকল অবতারের উৎস। নিম্বার্ক মতে, কৃষ্ণ আবার শুধু সকল অবতারের উৎসই নন, তিনি স্বয়ং বিষ্ণুরও উৎস। এই বিশ্বাসের মূলে রয়েছে "ভাগবতের একটি প্রসিদ্ধ উক্তি" (১।৩।২৮)।

কোনো কোনো তালিকা অনুসারে, বলরাম কৃষ্ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা এবং গৌতম বুদ্ধের স্থলে বিষ্ণুর নবম অবতার। ভাগবত পুরাণ –এর মতে দ্বাপরযুগে শেষনাগের অবতার রূপে বলরামের আবির্ভাব। অধিকাংশ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে তিনি অবতাররূপে পূজিত হন। এই সকল তালিকায় গৌতম বুদ্ধের নাম দেখা যায় না।
মহারাষ্ট্র ও গোয়ার ঐতিহ্য অনুসারে পঞ্চাঙ্গ ও বিভিন্ন মন্দির স্থাপত্যে বিঠোবা বিষ্ণুর নবম অবতার বুদ্ধরূপে গণ্য হন। মহারাষ্ট্রের সন্তকবিরাও বিঠোবাকে বুদ্ধের রূপে বন্দনা করেছেন।

দশাবতারের তালিকা পাওয়া যায় গরুড় পুরাণে। জয়দেব রচিত প্রলয়পয়োধিজলে (গীতগোবিন্দম্ কাব্যের প্রথম সর্গের প্রথম গীত, দশাবতার স্তোত্র নামে সমধিক পরিচিত) স্তোত্রে দশটি পৃথক স্তবকে দশ অবতারের বিবরণদানের পর নিম্নোক্ত শ্লোকে দশাবতারের কীর্তির একটি সুসংবদ্ধ তালিকা প্রদান করা হয়েছে :-
বেদানুদ্ধরতে জগন্তি বহতে ভূগোলমুদ্বিভ্রতে
দৈত্যং দারয়তে বলিং ছলয়তে ক্ষত্রক্ষয়ং কুর্বতে।
পৌলস্ত্যং জয়তে হলং কলয়তে কারুণ্যমাতন্বতে
ম্লেচ্ছান মূর্চ্ছয়তে দশাকৃতিকৃতে কৃষ্ণায় তুভ্যং নমঃ।।

“ বেদের উদ্ধারকারী, ত্রিলোকের ভারবহনকারী, ভূমণ্ডল উত্তোলনকারী, হিরণ্যকশিপু বিদারণকারী, বলিকে ছলনাকারী, ক্ষত্রক্ষয়কারী, দশানন-সংহারকারী, হলকর্ষণকারী, করুণাবিতরণকারী, ম্লেচ্ছধ্বংসকারী, দশরূপধারী হে কৃষ্ণ, তোমায় প্রণাম করি।।১৬।। ”

যাই হোক, এই দশ অবতারই মানব সমাজে তাঁদের প্রভাবের ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য হন। দশাবতারের প্রথম চার জন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সত্যযুগে। সত্যযুগের ব্যপ্তিকাল ছিল ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার বছর। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এযুগের উত্‍পত্তি হয়েছিল।সত্য যুগ ছিল পুরা সময়টাই ছিল ধর্ম ও শাস্ত্র নির্ভর। কেউ শাস্ত্রনিষিদ্ধ উপায়ে অর্থ বা বিদ্যা লাভের চেষ্টা করতেন না। তপস্যাই এযুগের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। মানুষের আয়ু ছিল ৪০০বছর। কোন রোগ শোক দুঃখ ছিল না। মানুষের সকল কামনা পূর্ণ হতো। মানুষ ছিল পুন্যবান। দেবতা ও পিতৃলোকের তৃপ্তসাধন করতেন এবং তারা ছিলেন জিতেন্দ্রিয়। সত্য যুগে মানুষ দেবতুল্য ছিলেন । মানুষের রুপে নিয়ে দেবতারা ইহ ও স্বর্গলোক বিচরন করতে পারতেন। পরের দ্রব্যকে দেখতো মাটির ঢেলার মত। চোর মিথ্যাবাদী বা প্রতারক এযুগে ছিল না। সত্যযুগে অকাল মৃত্যু ছিল না। এমনকি ছিল না রোগভয় ও দূর্ভিক্ষ । এযুগে পৃথিবী অতি শস্যশালিনী ছিল। মেঘ সময়মত বারি বর্ষণ করত এবং বৃক্ষরাজি ছিল ফলভারে অবনত।তখন যে চারজন অবতার এসেছেন তারা ছিলেন, এক - মত্‍স অবতার, চৈত্রের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে, দুই - কূর্ম অবতার ভাদ্রমাসের শুক্লা পূর্ণিমা তিথিতে, তিন - বরাহ অবতার ভাদ্রমাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে, চার - নৃসিংহ অবতার বা নরসিংহ, অর্ধনরসিংহ যিনি বৈশাখ মাসের চতুদ্দর্শী তিথিতে আর্বিভূত হন।

<3 নৃসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নরসিংহ) বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। পুরাণ, উপনিষদ ও অন্যান্য প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে তাঁর উল্লেখ রয়েছে। তিনি হিন্দুদের জনপ্রিয়তম দেবতাদের অন্যতম। সাধারণত দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের অন্যতম প্রতীক তিনি ৷ প্রাচীন মহাকাব্য, মূর্তিতত্ত্ব, মন্দির ও উৎসব ইত্যাদির তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর পূজা প্রচলিত রয়েছে। নৃসিংহকে শৌর্যের মূর্তিস্বরূপ এবং তাঁর মন্ত্র শত্রুনিধন ও অমঙ্গল দূরীকরণে বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়; তাই অতীতে শাসক ও যোদ্ধারা নৃসিংহের পূজা করতেন।

নৃসিংহ অর্ধ-মনুষ্য অর্ধ-সিংহ আকারবিশিষ্ট। তাঁর দেহ মনুষ্যাকার, কিন্তু সিংহের ন্যায় মস্তক ও নখরযুক্ত। মৎস্যপুরাণ অনুযায়ী নৃসিংহ অষ্টভূজ হলেও, অগ্নিপুরাণ অনুযায়ী তিনি চতুর্ভূজ। একাধিক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে তাঁর পূজা প্রচলিত। দক্ষিণ ভারতে নৃসিংহ পূজার বিশেষ প্রচলন দেখা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহ ‘মহারক্ষক’; তিনি ভক্তকে তার প্রয়োজনের সময় সর্বদা রক্ষা করে থাকেন।

একাধিক পুরাণ গ্রন্থে নৃসিংহের উল্লেখ পাওয়া যায়। পুরাণে নৃসিংহ-সংক্রান্ত মূল উপাখ্যানটির সতেরোটি পাঠান্তর বর্তমান। কয়েকটি কাহিনি অন্যান্য কাহিনিগুলির চেয়ে একটু বিস্তারিত। নৃসিংহ অবতারের বর্ণনা রয়েছে ভাগবত পুরাণ (সপ্তম স্কন্দ), অগ্নিপুরাণ (৪।২-৩), ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ (২।৫।৩-২৯), বায়ুপুরাণ (৬৭।৬১-৬৬), হরিবংশ (৪১ এবং ৩।৪১-৪৭), ব্রহ্মাপুরাণ (২১৩।৪৪-৭৯), বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণ (১।৫৪), কূর্মপুরাণ (১।১৫।১৮-৭২), মৎস্যপুরাণ (১৬১-১৬৩), পদ্মাপুরাণ (উত্তরখণ্ড, ৫।৪২), শিবপুরাণ (২।৪।৪৩ ও ৩।১০-১২), লিঙ্গপুরাণ (১।৯৫-৯৬), স্কন্দপুরাণ ৭ (২।১৮।৬০-১৩০) ও বিষ্ণুপুরাণ (১।১৬-২০) গ্রন্থে। মহাভারত-এও (৩।২৭২।৫৬-৬০) নৃসিংহ অবতারের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। এছাড়া একটি প্রাচীন বৈষ্ণব তাপনী উপনিষদ (নরসিংহ তাপনী উপনিষদ) তাঁর নামে উল্লিখিত হয়েছে।

ঋগ্বেদে একটি শ্লোকাংশে একটি রূপকল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রূপকল্পটি নৃসিংহরূপী বিষ্ণুর রূপকল্প বলে অনুমিত হয়ে থাকে। উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে "বন্য জন্তুর ন্যায়, ভয়ংকর, বিধ্বংসী ও পর্বতচারী" রূপে বিষ্ণুর গুণ কেবল তাঁর অবতারে দৃষ্ট হয় (ঋগ্বেদ ১।১৫৪।২ক)। ঋগ্বেদের অষ্টম মণ্ডলে (১৪।১৩) বর্ণিত নামুচির উপাখ্যানে নৃসিংহের ছায়া লক্ষিত হয়: "হে ইন্দ্র, জলের বুদ্বুদের দ্বারা তুমি নামুচির মস্তক ছিন্ন করলে এবং সকল প্রতিকূল শক্তিগুলিকে নিমজ্জিত করলে।" মনে করা হয় এই ক্ষুদ্র উল্লেখটি থেকে নৃসিংহের পূর্ণ কাহিনিটি বিকাশ লাভ করেছে।

ভাগবত পুরাণ-এ বর্ণিত নৃসিংহের কাহিনিটি নিম্নরূপ :-

মহর্ষি কশ্যপের ঔরসে তৎপত্নী দিতির গর্ভে এই দৈত্যের জন্ম হয়। তার ভাইয়ের নাম হিরণ্যাক্ষ।
হিরণ্যাক্ষ নৃসিংহের পূর্ববর্তী অবতার বরাহের হাতে নিহত হয় । হিরণ্যকশিপু এই কারণে প্রবল বিষ্ণুবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন। দাদার হত্যার প্রতিশোধ মানসে তিনি বিষ্ণুকে হত্যা করার পথ খুঁজতে থাকেন। তিনি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা এই জাতীয় প্রবল ক্ষমতা প্রদানে সক্ষম। তিনি বহু বছর ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করেন। ব্রহ্মাও হিরণ্যকশিপুর তপস্যায় সন্তুষ্ট হন। তিনি হিরণ্যকশিপুর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বর দিতে চান।

হিরণ্যকশিপু বলেন :-

" হে প্রভু, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা, আপনি যদি আমাকে সত্যই বর দিতে চান, তবে এমন বর দিন যে বরে আপনার সৃষ্ট কোনো জীবের হস্তে আমার মৃত্যু ঘটবে না।
আমাকে এমন বর দিন যে বরে আমার বাসস্থানের অন্দরে বা বাহিরে আমার মৃত্যু ঘটবে না; দিবসে বা রাত্রিতে, ভূমিতে বা আকাশে আমার মৃত্যু হবে না। আমাকে এমন বর দিন যে বরে শস্ত্রাঘাতে, মনুষ্য বা পশুর হাতে আমার মৃত্যু হবে না।
আমাকে এমন বর দিন যে বরে কোনো জীবিত বা মৃত সত্তার হাতে আমার মৃত্যু হবে না; কোনো উপদেবতা, দৈত্য বা পাতালের মহানাগ আমাকে হত্যা করতে পারবে না; যুদ্ধক্ষেত্রে আপনাকে কেউই হত্যা করতে পারে না; তাই আপনার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আমাকেও বর দিন যাতে আমারও কোনো প্রতিযোগী না থাকে। এমন বর দিন যাতে সকল জীবসত্তা ও প্রভুত্বকারী দেবতার উপর আমার একাধিপত্য স্থাপিত হয় এবং আমাকে সেই পদমর্যাদার উপযুক্ত সকল গৌরব প্রদান করুন। এছাড়া আমাকে তপস্যা ও যোগসাধনার প্রাপ্তব্য সকল সিদ্ধাই প্রদান করুন, যা কোনোদিনও আমাকে ত্যাগ করবে না। "

হিরণ্যকশিপু যখন মন্দার পর্বতে তপস্যা করছিলেন, তখন ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবগণ তাঁর প্রাসাদ আক্রমণ করেন। দেবর্ষি নারদ হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদুকে রক্ষা করেন। দেবর্ষি দেবগণের নিকট কায়াদুকে ‘পাপহীনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। নারদ কায়াদুকে নিজ আশ্রমে নিয়ে যান। সেখানে কায়াদু প্রহ্লাদ নামে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। নারদ প্রহ্লাদকে শিক্ষিত করে তোলেন। নারদের প্রভাবে প্রহ্লাদ হয়ে ওঠেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এতে তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।

ক্রমে প্রহ্লাদের বিষ্ণুভক্তিতে হিরণ্যকশিপু এতটাই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হন যে তিনি নিজ পুত্রকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু যতবারই তিনি বালক প্রহ্লাদকে বধ করতে যান, ততবারই বিষ্ণুর মায়াবলে প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা পায়। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে বলেন তাঁকে ত্রিভুবনের অধিপতি রূপে স্বীকার করে নিতে। প্রহ্লাদ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন একমাত্র বিষ্ণুই এই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বোচ্চ প্রভু। ক্রুদ্ধ হিরণ্যকশিপু তখন একটি স্তম্ভ দেখিয়ে প্রহ্লাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে ‘তার বিষ্ণু’ সেখানেও আছেন কিনা :-

"ওরে হতভাগা প্রহ্লাদ, তুই সব সময়ই আমার থেকেও মহৎ এক পরম সত্তার কথা বলিস। এমন এক সত্তা যা সর্বত্র অধিষ্ঠিত, যা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং যা সর্বত্রব্যাপী। কিন্তু সে কোথায়? সে যদি সর্বত্র থাকে তবে আমার সম্মুখের এই স্তম্ভটিতে কেন নেই ? "

প্রহ্লাদ উত্তর দিলেন, " তিনি [এই স্তম্ভে] ছিলেন, আছে ও থাকবেন।" উপাখ্যানের অন্য একটি পাঠান্তর অনুযায়ী, প্রহ্লাদ বলেছিলেন, " তিনি এই স্তম্ভে আছেন, এমনকি ক্ষুদ্রতম যষ্টিটিতেও আছেন। " হিরণ্যকশিপু ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে গদার আঘাতে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেন। তখনই সেই ভগ্ন স্তম্ভ থেকে প্রহ্লাদের সাহায্যার্থে নৃসিংহের মূর্তিতে আবির্ভূত হন বিষ্ণু।

ব্রহ্মার বর যাতে বিফল না হয়, অথচ হিরণ্যকশিপুকেও হত্যা করা যায়, সেই কারণেই বিষ্ণু নরসিংহের বেশ ধারণ করেন :-
হিরণ্যকশিপু দেবতা, মানব বা পশুর বধ্য নন, তাই নৃসিংহ পরিপূর্ণ দেবতা, মানব বা পশু নন; হিরণ্যকশিপুকে দিবসে বা রাত্রিতে বধ করা যাবে না, তাই নৃসিংহ দিন ও রাত্রির সন্ধিস্থল গোধূলি সময়ে তাঁকে বধ করেন; হিরণ্যকশিপু ভূমিতে বা আকাশে কোনো শস্ত্রাঘাতে বধ্য নন, তাই নৃসিংহ তাঁকে নিজ জঙ্ঘার উপর স্থাপন করে নখরাঘাতে হত্যা করেন; হিরণ্যকশিপু নিজ গৃহ বা গৃহের বাইরে বধ্য ছিলেন না, তাই নৃসিংহ তাঁকে বধ করেন তাঁরই গৃহদ্বারে।

কূর্মপুরাণ-এর বর্ণনা অনুসারে, এরপর পুরুষ ও দৈত্যদের মধ্যে এক প্রবল সংগ্রাম শুরু হয়। এই যুদ্ধে তিনি পাশুপত নামে এক মহাস্ত্রকে প্রতিহত করেন। পরে প্রহ্লাদের ভাই অনুহ্রদের নেতৃত্বাধীন দৈত্যবাহিনীকে নৃসিংহ অবতারের দেহ হতে নির্গত এক মহাসিংহ যমালয়ে প্রেরণ করেন। মৎস্যপুরাণ (১৭৯) গ্রন্থেও নৃসিংহ অবতারের বর্ণনার পর এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাগবত পুরাণ-এ আরও বলা হয়েছে: হিরণ্যকশিপুকে বধ করার পর সকল দেবতাই নৃসিংহদেবের ক্রোধ নিবারণে ব্যর্থ হন। বিফল হন স্বয়ং শিবও। সকল দেবগণ তখন তাঁর পত্নী লক্ষ্মীকে ডাকেন; কিন্তু লক্ষ্মীও স্বামীর ক্রোধ নিবারণে অক্ষম হন। তখন ব্রহ্মার অনুরোধে প্রহ্লাদ এগিয়ে আসেন। ভক্ত প্রহ্লাদের স্তবগানে অবশেষে নৃসিংহদেব শান্ত হন। নৃসিংহদেব "প্রহ্লাদকে কোলে লইয়া গা চাটিতে লাগিলেন।" প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নৃসিংহদেব প্রহ্লাদকে রাজা করে দেন।

শিবপুরাণ গ্রন্থে নৃসিংহ উপাখ্যানের একটি শৈব পাঠান্তর বর্ণিত হয়েছে, যা প্রথাগত কাহিনিটির থেকে একটু ভিন্ন: নৃসিংহকে শান্ত করতে শিব প্রথমে বীরভদ্রকে প্রেরণ করেন। কিন্তু বীরভদ্র ব্যর্থ হলে শিব স্বয়ং মনুষ্য-সিংহ-পক্ষী রূপী শরভের রূপ ধারণ করেন। এই কাহিনির শেষভাগে বলা হয়েছে, শরভ কর্তৃক বদ্ধ হয়ে বিষ্ণু শিবের ভক্তে পরিণত হন। লিঙ্গপুরাণ গ্রন্থেও শরভের কাহিনি রয়েছে। যদিও বিজয়েন্দ্র তীর্থ প্রমুখ বৈষ্ণব দ্বৈতবাদী পণ্ডিতগণ সাত্ত্বিক পুরাণ ও শ্রুতি শাস্ত্রের ভিত্তিতে নৃসিংহের উপাখ্যানটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে বিতর্কের অবকাশ রেখেছেন।

এই উপাখ্যান অনুসারে এবং ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহদেব তাঁর সত্য ভক্তদের চরমতম বিপদের সময় রক্ষা করেন। এই কলি যুগেও তাঁর আবির্ভাব ও আশীর্বাদ থেকে ভক্তরা বঞ্চিত হন নি, তার কিছু উদাহরন দিচ্ছি।

আজ থেকে সহস্রাধিক বৎসর পূর্বে ভগবৎপাদ শঙ্কর আচার্য যখন দিগবিজয়ে বেরিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মের বিজয় পতাকা ভারতের নানা প্রান্তে উড্ডীন করছেন, সেই সময় তিনি বেশ কয়েক বার বিরুদ্ধবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। একবার দক্ষিণ ভারতের শ্রী শৈলম তীর্থে শঙ্কর এক দুষ্ট কাপালিকের কবলে পড়েন। কাপালিক তাঁকে বলি দেয়ার চেষ্টায় ছিল। শঙ্কর তা বুঝেও নির্বিকার ভাবে ভগবৎ চিন্তায় মগ্ন ছিলেন। এইসময় সহসা শঙ্করের অন্যতম শিষ্য ও পদ্মপাদ সেখানে উগ্র মূর্তিতে প্রবেশ করেন ও গর্জন করতে করতে বলির খাঁড়া দিয়ে কাপালিক কে বধ করেন। পরে প্রকিতস্থ হলে তিনি শঙ্করকে জানান যে ছোট বেলা থেকেই পদ্মপাদ নরসিংহ ভক্ত। একবার প্রভু পদ্মপাদকে দেখা দিয়ে বলেছিলেন যে ভয়ানক বিপদ কালে তিনি আবির্ভূত হয়ে তাঁকে রক্ষা করবেন। বাস্তবেও তাই হল। নরসিংহ ভগবান পদ্মপাদের শরীরে আবিষ্ট হয়ে দুষ্ট দমন করলেন। এরপরই আদি শংকর তাঁর প্রসিদ্ধ শ্রীশ্রীলক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্রটি রচনা করেন। ভারত ও হিন্দু ধর্ম তার ফলে আচার্য শঙ্কর কে আরও অনেক দিন জীবিত ভাবে পেল এবং অগ্র গতির দিকে এইভাবে আর -ও এগিয়ে গেল।

সাম্প্রতিক অতীতে এ সি ভক্তি বেদান্ত দ্বারা " আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সঙ্ঘ " বা " ইস্কন " স্থাপিত হবার পর যখন নানারকম প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছিল,বিশেষ করে যখন মায়াপুর মূল কেন্দ্রে বার বার ডাকাতের হামলা হচ্ছিল, সেই সময় ইস্কনের পরিচালক গন শ্রীশ্রীনরসিংহ ভগবানের উপাসনা করতে মনস্থ করেন।

সারাজগতে কৃষ্ণনাম প্রচার করাই ইসকনের লক্ষ্য। যদিও কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন এবং জগৎমঙ্গলকর পন্থা হল কৃষ্ণভক্তি অনুশীলন, তবুও কলিযুগের আসুরিক মানুষরা কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের বিরোধী। তারা চায় কৃষ্ণনাম প্রচার বন্ধ করে দিতে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যখন কৃষ্ণনাম সংকীর্তন প্রবর্তন করলেন, তখন নবদ্বীপে স্মার্ত ব্রাহ্মণেরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নবদ্বীপে হরিনাম বন্ধ করার জন্য তৎকালীন নদীয়ার শাসনকর্তা চাঁদ কাজীর কাছে আবেদন পেশ করেছিলেন। চাঁদ কাজীও গুন্ডা পাঠিয়ে মায়াপুরের শ্রীবাস অঙ্গনে সংকীর্তনকারী ভক্তদের উৎপীড়ন করতে লাগলেন তারপর নাগরা পিটিয়ে হরিনাম সংকীর্তন বন্ধের ঘোষণা জারি হয়েছিল। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও নিত্যান্দ প্রভু সেই সংবাদ পেয়ে চাঁদ কাজী সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করলেন। লক্ষ লক্ষ লোক মশাল জ্বালিয়ে হরিনাম করতে করতে চাঁদ কাজীর প্রাসাদে এসে পৌঁছলেন। চাঁদ কাজী ভয়ে লুকিয়ে ছিলেছিলেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে, তিনি বেরিয়ে এসে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সমাদর করলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কাজীকে যখন প্রশ্ন করলেন, আপনার নির্দেশ অমান্য করে ভক্তরা হরিনাম করছে,আর আপনি কেন কিছুই প্রতিবাদ করছেন না ? ' উত্তরে চাঁদ কাজী মহাপ্র্রভুকে বলেন, ' নিমাই, তোমাদের হরিনামে আমি আর কখনই বাধা দেবো না। কেননা আমি ভয়ে ভীত হয়ে ঘুমাতে পারিনি। এক দেবতা- যার মুখ সিংহের মতো, শরীরটা মানুষের মতো। তার হাতে ছিল বড় বড় নখ। সে আমার বুকে নখের আচড় লাগিয়ে ধমক দিয়ে বলল ' , "ভক্তদের সংকীর্তন যদি বনধ করিস্ তবে তোর নিপাত করব।" তারপর সে অদৃশ্য হয়ে যায়। তার নখের দাগ এখনো বুকে রয়েছে।'

সবাই বুঝলেন, ভক্তদের রক্ষার জন্য ভগবান নৃসিংহদেব, যিনি অত্যাচরী অসুর হিরণ্যকশিপুর কবল থেকে ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেছিলেন, তিনিই চাঁদ কাজীকে সাবধানবাণী শুনিয়েছেন।

কলিযুগের আসুরিক লোকদের উৎপাত থেকে ভগবানের যে অবতার সর্বদা জাগ্রত হয়ে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ পূর্বক ভক্তদের রক্ষা করেন, তিনি হচ্ছেন শ্রীনৃসিংহদেব।

১৯৮৪ খৃষ্টাব্দের ২৪শে মার্চ রাত দুপুরে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ্রীধাম মায়াপুর ইসকন মন্দির আক্রমণ করেছিল ৩৫ জন ডাকাত। প্রভুপাদের বিগ্রহ ও রাধারাণীর বিগ্রহ তারা অপহরণ করে। মন্দিরের আর্তক্রন্দনময় বিভীষিকা ভক্তদের মর্মাহত করেছিল। কাঞ্চীর শঙ্কর আচার্য পূজ্যপাদ জয়েন্দ্র সরস্বতীর পরামর্শ ক্রমে শ্রীশ্রীনরসিংহ ভগবান মায়াপুরে স্থাপিত হন ।এর পর থেকে ইস্কনের সঙ্কট দূর হতে থাকে ও আরও অগ্র গতি হতে থাকে । জিবিসি পক্ষ থেকে সমাধান কল্পে শ্রীমায়াপুর ইসকন মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হলেন শ্রীশ্রী উগ্রনৃসিংহদেব। সময়টি ছিল ১৯৮৬ খৃষ্টাব্দের জুলাইয়ের শেষ দিক।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর হরে কৃষ্ণ আন্দোলনে ভক্তদের সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রান্তে আসুরিক শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। আসুরিক শক্তির কাজটিই হল ভক্তদের উৎপীড়ন করা এবং হরিনাম প্রচার বনধ করা। সর্বত্রই ভক্তিবিঘ্ন বিনাশক শ্রীনৃসিংহদেবই সুরক্ষা দান করেন।

এই ঘটনাটি আরও তাৎপর্য পূর্ণ এই কারনে যে, শ্রীশ্রীনরসিংহ ভগবানের বিগ্রহ স্থাপনের পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ ভিন্ন অন্য দেবতা মূল মন্দিরে পূজিত হতেন না।হয়ত সংস্থার পরিচালক গন শ্রীকৃষ্ণ ভিন্ন অন্য দেবতাদের দাস/দাসী জ্ঞান করে অন্য দেবগনের উপাসনা করায় উৎসাহ দিতেন না। কিন্তু বিপদ সৃষ্টি করে , শ্রীশ্রীভগবান নরসিংহ (তন্ত্রের বিচারে যিনি সাক্ষাৎ ভৈরব বা শিব) দেবের পূজা করিয়ে,গোঁড়ামি মুক্ত সনাতন হিন্দুত্বের ঐক্যবদ্ধ বিরাটত্বের বাণী আমাদের সকলকে শিখিয়েছেন।

মায়াপুর ইসকন মন্দিরে শ্রীনৃসিংহদেব বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে পরেই বহু শালগ্রাম শিলাও উপস্থিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় শিলা নৃসিংহ শিলা, তারপরে দশ অবতার সহ বহু অসংখ্য অবতারের শিলাও অর্চিত হচ্ছে। সমস্ত অবতারেরই পূজা-অর্চনা হলেও প্রায় ক্ষেত্রে নৃসিংহদেবের প্রকাশ প্রভাবটাই বেশী দেখা যায় সেজন্য সব মন্দিরে ভক্তরা নৃসিংহ প্রার্থনাই নিত্য গীত করে থাকেন।

জয়নৃসিংহশ্রীনৃসিংহ।
জয়জয়জয়শ্রীনৃসিংহ।।

শ্রীশ্রীনৃসিংহের ধ্যান মন্ত্র :-

ওঁ মাণিক্যাদ্রিসমপ্রভং নিজরুচা সন্ত্রস্তরক্ষোগণং,
জানুন্যস্তকরাম্বুজং ত্রিনয়নং রত্নোল্পসদ্‌ভূষণম্‌ ।
বাহুভ্যাং ধৃতশঙ্খচক্রমনিশং
দংষ্ট্রোগ্রবক্ত্রোল্পসজ্জ্বালাজিহ্বমুদারকেশরচয়ং বন্দে নৃসিংহং বিভূম্‌।।

শ্রীশ্রীনৃসিংহের মন্ত্র :-
ওঁ উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুংনমাম্যহম্।।

শ্রীশ্রীনৃসিংহ-গায়ত্রী মন্ত্র: -
ওঁ বজ্রনখায় বিদ্মহে তীক্ষ্ণদংষ্ট্রায় ধীমহি।
তন্নো নরসিংহ প্রচোদয়াৎ।।

ওঁ গুহ্যাতিগুহ্যগোপ্তী ত্বং গৃহাণাস্মৎকৃতং জপম্‌।
সিদ্ধির্ভবতু মে দেব ত্বৎপ্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।

শ্রীনৃসিংহ, জয়নৃসিংহ, জয়জয়নৃসিংহ।।
প্রহ্লাদেশজয়পদ্মমুখপদ্মভৃঙ্গ।।
নমস্তেনরসিংহায়প্রহ্লাদাহ্লাদ-দায়িনে।
হিরন্যকশিপোর্বক্ষঃশিলাটঙ্কনখালয়ে।।
ইতোনৃসিংহঃপরতোনৃসিংহো
যতোযতোযামিততোনৃসিংহ।
বর্হিনৃসিংহোহৃদয়েনৃসিংহো
নৃসিংহমাদিংশরণংপ্রপদ্যে।।
তবকরকমলবরেনখমদ্ভূতশৃঙ্গং
দলিতহিরন্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্।
কেশবধৃত-নরহরিরূপজয়জগদীশহরে।।

ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের আবির্ভাব তিথি কি !!! জয়
ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব কি !!! জয়
শুদ্ধ ভক্ত প্রহল্লাদ মহারাজ কি !!! জয়

ওঁ ইতঃ পূর্ব্বং প্রাণবুদ্ধি দেহধর্ম্মাধিকারতো জাগ্রৎস্বপ্নসুষুপ্ত্যবস্থাসু মনসা বাচা হস্তাভ্যং পদ্ভ্যামুদরেণ শিশ্মা যৎ স্মৃতং যদুক্তং যৎ কৃতং তৎসর্ব্বং ব্রহ্মার্পণং ভবতু স্বাহা,
মাং মদীয়ং সকলং সম গশ্রীশ্রীনৃসিংহদেবতায়ৈ সমর্পয়ামি ওঁ তৎ সং।

ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু

ওঁ ঋচং বাচং প্রপদ্যে মনো যজূঃ প্রপদ্যে সাম প্রাণং প্রপদ্যে চক্ষুঃশ্রোত্রং প্রপদ্যে বাগৌজঃ সহৌজ ময়ি প্রাণাপানৌ।
ওঁ ষন্মে ছিদ্রং চক্ষুষোর্হৃদয়স্য মনসো বাতিতৃণ্নং বৃহস্পতিতে তদ্দধাতু।
শন্নো ভবতু ভুবনস্য যস্পতিঃ।।
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।
স্বস্তি নস্তাক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দ্দাধাতু।।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।

জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ -
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180430075422

Sunday, April 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ধনবৃদ্ধীর সহজ উপায়‌

ধনবৃদ্ধীর সহজ উপায়‌

ধনবৃদ্ধী
# শুক্রবার মাটির পাত্রে এই সামান্য কাজ, ফিরিয়ে দেবে আর্থিক ভাগ্য #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক মন্দার কারণে অশান্তি চলছে। অথবা অর্থ উপার্জন হলেও তা ধরে রাখতে পারছেন না। এমন সমস্যায় পড়েন অনেকেই। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এমন কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে, শুক্রবার যেগুলি পালন করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে, দারিদ্র দূর হয়।
মনে রাখবেন, পর পর চারটি শুক্রবার এই নিয়ম পালন করতে হবে। এর জন্য সবার আগে দরকার মাটির একটি ছোট কলসি।
মাটির ছোট ওই কলসির মধ্যে এক ঘটি মতো জল ঢালুন। তার পরে তার মধ্যে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে দিন।
এবারে এই কলসিটি বাড়ির সদর দরজার সামনে একটি নিরাপদ জায়গায় রাখুন যাতে ভেঙে না যায়।
সন্ধেবেলা সূর্যাস্তের আগে কলসিতে রাখা জল বাড়ি থেকে দূরে কোনও একটি গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন।
খেয়াল রাখবেন, গাছের গোড়ায় জল ঢালার সময়ে যাতে তা কোনওভাবে পায়ে না লাগে।
মাটির ওই কলসিটি কোনও গরিব মানুষকে দান করে দিন। বাড়ি ফিরে পরিষ্কার জলে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন।
পর পর চারটি শুক্রবার এই নিয়ম পালন করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমবে, দারিদ্র দূর হবে।
শ্রীং লক্ষীদেবৈই নমঃ
লাং ইন্দ্রায় নমঃ
ইং কুবেরায় নমঃ
মন্ত্র তিনটি ৩বার করে বলূন।

ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 1000/=



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180429134109

Sunday, April 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দুটি গুরুত্বপূর্ণ টোটকা

দুটি গুরুত্বপূর্ণ টোটকা

গুরুত্বপূর্ণ টোটকা

এক বাটি লবন বদলে দিতে পারে আপনার জীবন
বাড়ির যে স্থানে সূর্যের আলো পড়ে না সেখানে একটি পিতল বা তামার বাটিতে গোটা দানার লবন ভরে রেখে দিন । প্রতি ৭ দিন পর পর নতুন লবন দেবেন । পুরানো লবন বাড়ি থেকে দূরে কোথাও ফেলে আসবেন ।এতে বাড়ির অশুভ শক্তি নষ্ট হবে । পারিবারিক উন্নতি হবে।
মানসিক পীড়া ? কাটানোর উপায়
কোনো খারাপ কারনে মনে খুব কষ্ট পাচ্ছেন । পাপবোধ আপনাকে জন্ত্রনা দিচ্ছে ? যে কোনো রবিবার ৩ টি ৮ বছর বয়সের বাচ্চাকে [ ছেলে বা মেয়ে ] সন্তুষ্টি করে মিঠে পায়েস খাওয়ান ,সাথে একটি করে গোলাপ দিন ।নিজের পরিবারের বাচ্চা হলে চলবে না । অমাবস্যার দিন করবেন না । উপকার হবেই হবে
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
FEES 1000/=
Website:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180429133603

Sunday, April 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহপীড়া ও ভাগ্য দোষ ফেরাতে

গ্ৰহপীড়া ও ভাগ্য দোষ ফেরাতে


গ্ৰহপীড়া ও ভাগ‍্যদোষ ফেরাতে কিছু অতি প্রয়োজনীয় উপায় ।

গ্রহ দোষ দানে শান্তি :-

রবির দান – মানিক্য অভাবে যথাসাধ্য মূল্য, গোধুম, সবৎসাধেনু, কুসুম্ভরঞ্জিত বস্ত্র, গুড়, স্বর্ণ, তাম্র, রক্তচন্দন, রক্তপদ্ম, আতপ তুন্ডুল।

চন্দ্রর দান – রজত পাত্রে তুন্ডুল, কর্পূর, মুক্তা, শুভ্রবস্ত্র, রৌপ্য, হলবহনপোযোগী বৃষ (অভাবে ৩ কাহন কড়ি বা সাধ্য অনুযায়ী মূল্য), ও ঘৃতপূর্ণ কুম্ভ।

মঙ্গলের দান – প্রবাল, গোধুম, মসুরকলাই, অরুণবর্ণ বৃষ, (অভাবে ৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মুল্য), গুড়, স্বর্ণ, রক্তবস্ত্র, করবীপুষ্প, ও তাম্র।

বুধেরদান – নীলবস্ত্র, স্বর্ণ, কাঁসা, মুগ কলাই, পীতবর্ণপুষ্প, দ্রাক্ষা ও হস্তিদন্ত।

বৃহস্পতির দান – চিনি, দারু হরিদ্রা, ঘোড়া(অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), পীতধান্য, পীত বস্ত্র, পোখরাজ, স্বর্ণ,ও লবন।

শুক্রের দান – বিচিত্রবস্ত্র, শ্বেতাশ্ব(অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথা সাধ্য মূল্য), ধেনু, হীরক, রৌপ্য স্বর্ণ, সুগন্ধিক দ্রব্য, ঘৃত, ও তুন্ডুল।

শনির দান – মাষকালাই, তৈল, কৃষ্ণতিল, নীলকান্তমণি, মহিষ(অভাবে ৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), লৌহ ও কুলুথ কলাই।

রাহুর দান – গোমেধরত্ন, ঘোড়া (অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), নীলবস্ত্র, কম্বল, কৃষ্ণতিল, তৈল, ও লৌহপাত্র।

কেতুর দান – বৈদূর্য্যমণি, মৃগমদ, তিল, তিলতৈল, কম্বল ও খড়্গ।

বিঃদ্রঃ –গ্রহ সর্ম্পকীয় সমস্ত দান ও দক্ষিনা ভক্তি সহ শুদ্ধ মন্ত্র পাঠ ক্রমে গ্রহ বিপ্রর হাতে তুলে দেয়া কর্ত্তব্য অন্যাথা নিষ্ফল হইবে।

গ্রহ শান্তি :-

রবিগ্রহ শান্তির উপায় – প্রতিদিন সকালে স্নান করে তামার ঘটিতে জল নিয়ে সূর্য্য দেবকে ওঁ আদিত্যায় নমঃ / ওঁ ঘৃণী সূর্য্যায় নমঃ - মন্ত্র ৫/৭ বার উচ্চারণ করে জল অর্পণ করিলে সূর্য্যদেব খুশি হন এবং ধীরে ধীরে জাতকেও খুশী নজরে দেখতে থাকেন ।

চন্দ্রগ্রহ শান্তির উপায় – কোন বিধবা মায়েদের আশ্রমে গিয়ে ভক্তিমনে মায়েদেরকে আতপচাল,দুধ, চিনী, বা পারিলে বস্ত্র দান করে মায়েদের চরণ স্পর্শ করে আশির্বাদ নিয়ে খুশী করালে চন্দ্রগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে ধীরে ধীরে শান্তি প্রদান করেন এবং চন্দ্রদোষ হতে মুক্তি দেন।

মঙ্গলগ্রহ শান্তির উপায় – প্রতি মঙ্গলবার বজরঙ্গবলী মন্দিরে পূজো-পাঠ উপাসনা করে লোককে মিষ্টিমুখ করালে হনুমান ও মঙ্গলগ্রহ খুশী হয়ে ধীরে ধীরে জাতকের বিপদ মুক্ত করে শান্তি প্রদান করেন। কিন্তু কোন কোন জাতকের উপর পূর্ব্ব-জন্মের কর্মে মঙ্গলের পিতৃ-ঋণ বা দোষ থাকে তার উপায় জন্মপত্রিকার উপর নির্ভর করবে।

বুধপ্রহ শান্তির উপায় – প্রতিদিন সকালে স্নান করে ভক্তি ভাবে বুধগ্রহর নাম অনুসরন করে কলাগাছে জলঅর্ঘ দিবেন। নবগ্রহ মন্দিরে আস্ত মুগ-কলাই ও সবুজ ফল দান করিবেন। এবং ছোট কোন বাচ্চাদের হাতে আস্ত ফল দান করিলে বুধগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে শুভফল প্রদান করিবেন।

বৃহস্পতির দোষে শান্তির উপায় – ছোলারডাল , Vhojya , পাকা কলা , হলুদবস্ত্র - ব্রাহ্মনকে ভক্তি ভাবে দানকরে চরণস্পর্শ করে আশির্বাদ নিলে গুরু বৃহস্পতিগ্রহ খুশী থাকেন এবং জাতককে বিপদ মুক্তির রাস্তা দেখান ও শান্তি প্রদান করেন।

শুক্র গ্রহর দোষে শান্তির উপায় – শুক্র গ্রহর দোষ থাকিলে জাতক জল দান করা খুবই শুভফল দায়ক যত পারা যায় জল দান করুন কিন্তু শ্রদ্ধাভক্তি মনে। দেখবেন শুক্র গ্রহ দেব ধীরে ধীরে আপনাকে শুভফল প্রদান করিবেন এবং আপনার সময় পরিবর্তনের সুযোগ দেখাদেবে।

শনি গ্রহর দোষ থাকিলে – প্রতি শনিবারে স্নান সেড়ে শনি মন্দিরে কিছু প্রসাদ চরাবেন সঃতেল লোহার ত্রিশুল কালো কাপড় মন্দিরে দান করিবেন এবং অশথ্ব গাছের মূলে চিনী গুড় মিশ্রিত জল শনিদেবের নাম বা মন্ত্র উচ্চারন করে অর্পণ করে থাকলে আপনার দূঃখ দূর্দশা ধীরে ধীরে মোচন হবে এবং শনিদেব খুশীহলে আপনার প্রতি শুভদৃষ্টিতে নজর দেবেন তবেই জাতক সুখী থাকিবেন।

রাহু গ্রহর দোষ থাকিলে – জাতক শনিবারে মাঝে মাঝে ইক্ষু গুড় দান করতে হয় এবং নিজে গুড় বা গুড়ের যে কোন জিনিষ না খাওয়াটা ভালো। সূর্য্যগ্রহণের দিন নারিকেল জলে ভাসিয়ে দিতেহয়। বাড়ীতে রাত্রিতে নারিকেল বাদাম মাংস মশলা ভাজা বা খাওয়া খুবই ক্ষতিকর হয়।তার জন্য এ সমস্ত ত্যাগ করে সর্বদা হনুমানজীর পুজোপাঠে মন দিলে খুবই শান্তি পাবেন।

কেতু গ্রহর দোষ থাকিলে – জাতক শনিবারে মাঝে মাঝে সাদাকালো কম্বল, ছাগল এবং
ধোঁয়া-বর্ণের কাপড় কলা, দান করিলে কেতুগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে শুভফল প্রদান করেন।

মানব জীবন :-

আমরা মানুষ,এই পৃথিবীতে মায়ের গর্ভে জন্ম ধারন করার সময়েই আমাদের ভাগ্যলিপি স্বয়ং ভগবানের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়। তার পরেই সেই খাতার লিপিবদ্ধ হিসাব মতেই আমরা এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন করি এবং সেই খাতার মতেই আমাদের জীবন শুরু হয় ও আমরা বেচে থাকা দিনগুলি অতিবাহিত করি। তবে ভগবানের এই ভাগ্যলিপি খাতার নিয়ম অনুসারে মানব জীবন পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন নবগ্রহ দেবতাকে। এবং এই নবগ্রহ দেবতা সকল সেই ভাগ্যলিপি শাস্ত্রর বিধিমতে আমাদের গত হওয়া ও পূর্ব্বজন্মের কর্মফল এবং বর্তমানের কর্মফলের হিসাবে এই সংসারের সুখ দূঃখ আমাদেরকে প্রদান করেন আর আমরা তাই ভোগ করি। এই মনুষ্য জনমের সুখশান্তি বৃদ্ধি এবং দূঃখ দূর্দশা নাশ করার উদ্দ্যেশে আজকের মহান জ্যোতিষী গন গ্রহ দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্যে মানবকে সদুপদেশ ও প্রতিকারের সুব্যাবস্থা বা রত্ন ধারনের পরামর্শ দিয়ে মানব কল্যান কাজে এগিয়ে চলছেন।

বিঃদ্রঃ=জীবনের ভালোমন্দ জানার উদ্যেশ্যে যে কোন বিশেষ জ্যোতিষ দ্বারা পরীক্ষা ও শান্তি সরুপ প্রতিকার করা বিশেষ প্রয়োজন। সময় থাকতে চে
ষ্টা করুন অবহেলায় দিন কাটালে লোকসান নিজেরই হতেপারে।


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180429091108

Sunday, April 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অশুভ দোষ খন্ডনে শিব মহিমা

অশুভ দোষ খন্ডনে শিব মহিমা


, যাদের জন্ম কুণ্ডলী তে কালসর্প , বিষ যোগ, সারেসতি, মাঙ্গলিক ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস আছে, ও যারা এসব নিয়ে চিন্তিত তারা একটি ছোট্ট উপায় করে নিজেদের সব দোষ থেকে মুক্ত করতে পারেন। সোমবার, সকালে ঘুম থেকে উঠে, সূর্য প্রণাম করুন, তারপর পঞ্চমৃত দিয়ে শিব লিঙ্গ কে অভিষেক করুন। অভিষেক হওয়ার পর নিজের বয়সের সমান বেলপাতা ( 3 টি বেলপাতা কে 1টি ধরে) নিন তাতে একে একে চন্দন লাগান আর শিব লিঙ্গতে অর্পিত করুন। প্রত্যেকবার দেবার সময় মন্ত্র হবে ওম নমো শিবায় । হয়ে গেলে শিব লিঙ্গ তে জল দিন অর্ধ পরিক্রমা করে, কখনও পূর্ণ পরিক্রমা করবেন না। জল দেবার সময় মন্ত্র হবে ওং নমো শিবায় সন্তায় কারণত্রয়ে হেতবে, নিবেদয়ামী চাৎমানং তঙ্গতি পরোমেশর। (মেয়েরা নমো বলবেন)। এর পর মহা মৃযুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করুন 108 বার। শেষে শিব ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা জানান যে হে ঈশ্বর আমাকে সকল গ্রহ দোষ থেকে মুক্ত করুন। এছাড়া যাদের দুর্ঘটনার যোগ আছে তারা 4 অক্ষর মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র, যাদের রোগ ব্যাধি লেগেই থাকে তারা 3 অক্ষর মহা মৃযুঞ্জয় মন্ত্র, যারা আয়ু বা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তারা 10 অক্ষর মৃযুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করবেন। নীচে দেওয়া হলো:
ত্রি অক্ষর: ওং জুং সহঃ
চতুর অক্ষর: ওং ইং জুং সহঃ
10 অক্ষর: ওং জুং সহঃ মাম পালয় পালয়।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
WEBSITE:www.apnc.co.in
FEES RS 1000/=



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180429090107

Saturday, April 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহের গুন ও বৈশিষ্ট্য

গ্ৰহের গুন ও বৈশিষ্ট্য

শুভ সন্ধ‍্যা
গ্রহের গুন বা বৈশিষ্ট্য ।
====================

প্রত্যেক গ্রহের কিছু নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে।এই সব বিশেষত্ব যে সব সময়েই প্রকাশ পাবে তা নয়। কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি গ্রহ কোন বিশেষ রাশিতে অবস্থানের ফলে বা অন্য গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হবার কারণে তার গুণের পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে সাধারণভাবে তাদের কারকত্বগুলি এই রকম :

১। রবি - আত্মা, অহঙ্কার, আত্মসম্মান, উত্সাহ, প্রতিষ্ঠান, পিতা, জীবনীশক্তি, হৃদয় (heart), অস্থি (bones), উচ্চপদস্থ কর্মচারী, রাজনীতি, জ্বর, রক্তচাপ, মস্তক, চক্ষু (বিশেষতঃ ডান চক্ষু), রক্তবর্ণ, ঝাল ইত্যাদি।
অপর নাম - ভানু, অর্ক, সবিতা, আদিত্য প্রভৃতি।

২। চন্দ্র - মন, শারীরিক পুষ্টি ও লাবণ্য, মাতা, শ্বেতবস্ত্র, আদর্শবাদিতা, শ্লেäমা, রক্ত(শ্বেতকণিকা), গলগণ্ড, জন সাধারণ, ফুসফুস, দেহের জলীয় অংশ, চক্ষু (বিশেষতঃ বাম চক্ষু), শ্বেতবর্ণ, লবণরস ইত্যাদি।
অপর নাম - সোম, ইন্দু, শশাঙ্ক, উড়ুপ প্রভৃতি।

৩। মঙ্গল - সাহস, শক্তি, ক্ষিপ্রতা, ক্রোধ, অগ্নি, উগ্র মানসিকতা, কুমারত্ব, কর্মক্ষমতা, তর্ক, ভ্রাতা, রক্ত (লোহিতকণিকা), গুহ্যদেশ, রক্তচাপ, অর্শ, রক্তপাত, দুর্ঘটনা, জমি, ভূমি, আগুন, ক্ষত, কাটাছেঁড়া, গাঢ় রক্তবর্ণ, তিক্তরস ইত্যাদি।
অপর নাম - কুজ, ভৌম, বক্র, ত্রুÝর, মহীজ প্রভৃতি।

৪। বুধ - পরিহাস, বালকসুলভ কথাবার্তা, বাকশক্তি, বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি, অস্থিরচিত্ততা, বিচার বিশ্লেষণ, ভাল মন্দ বিচার করার ক্ষমতা, মুদ্রিত রচনা, খবর, তথ্য, তথ্য আদান-প্রদান, সংবাদ, হিসাব, লেখন, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষ, গণিতশাস্ত্র, বাণিজ্য, অÂমরস, ত্বক, স্নায়ু, নাক, গলগ্রন্থি (thyroid gland), নিঃশ্বাস, সর্দি, জিহবারোগ, ইত্যাদি।
অপর নাম - সৌম্য, হেম, সোমসুত, চন্দ্রসুত, চন্দ্রজ, প্রভৃতি।

৫। বৃহস্পতি - পূজাআর্চা, শাস্ত্রপাঠ, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বাEøতা, জানুদেশ, যকৃত্, প্লীহা, বাকশক্তি, স্থূলতা, মধুমেহ (blood sugar or diabetes), শ্লেäমা, যকৃত্ ও মূত্রাশয়, ধর্ম, গুরু, আধ্যাত্মিকতা, মূল্যবোধ, আদর্শবাদিতা, পুরোহিত, শিক্ষক, শাস্ত্রপাঠ, আইনবিদ্যা, আইনজ্ঞ, বিদ্যা, মধুর রস ইত্যাদি
অপর নাম - গুরু, জীব, আর্যz, সূরি প্রভৃতি।

৬। শুক্র - কাম-সম্বন্ধীয় কার্য, জাগতিক সুখ, বিভিন্ন শাস্ত্র, আমোদ-প্রমোদ, সৌখিন ও বিলাস দ্রব্য, সৌন্দর্য, মাধুর্য, মুখমণ্ডল, মোহ, শিল্প, সঙ্গীত, শয়নসুখ, দৃষ্টিশক্তি, যৌন আকর্ষণ, যৌনরোগ, অম্ল রস ইত্যাদি।
অপর নাম - কবি, সিত, ভার্গব, উশনা, ভৃগু, দৈত্যগুরু প্রভৃতি।

৭। শনি - বৃদ্ধ, বয়স্ক লোক, বিলম্ব, শৃÍলা, দুরারোগ্য ব্যাধি, নিঃসঙ্গতা, ক্লেশ, দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা, ভীতি, মৃত্যু, অস্থিপীড়া, পক্ষাঘাত, মৃত্যুভয়, বধিরতা, শরীর কম্পন, শ্বাসরোগ, যক্ষা, আয়ু, সংযমী, স্বল্পতা, বিচ্ছেদ, সন্ন্যাসী, ত্যাগ, শ্রম, ধৈর্য, শ্রমিক, আধ্যাত্মিকতা, নিম্নবর্গের লোক, দাস দাসী, অস্থি, দাঁত, পর্বত ভ্রমণ, কেশ, কষায় রস ইত্যাদি।
অপর নাম - যম, মন্দ, রবিসুত, শনৈশ্চর, অর্কপুত্র প্রভৃতি।

৮। রাহু - ভোগ, কপটাচার, বিভ্রান্তি, অতৃপ্তি, আকাশ পথ, বিদেশ যাত্রা, উচ্চস্থান, শ্বাসপ্রশ্বাস, অপবাদ, তমোগুণ, যথেচ্ছাচার, সর্প, ইন্দ্রজাল, অনির্ণিত রোগ ইত্যাদি।
অপর নাম - তম, অহি, অসুর, ভুজঙ্গ প্রভৃতি।

৯। কেতু - গোপনিয়তা, ব্রণ, আচম্বিতে ঘটা ঘটনা, আঘাত, ক্ষত, মোক্ষ, কৈবল্য ইত্যাদি।
অপর নাম - শিখী, ধবজ, রাহুপুচ্ছ, ধুমবর্ণ প্রভৃতি।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
Website:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180428080731

Saturday, April 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাহুর দোষ খন্ডন

রাহুর দোষ খন্ডন


রাহুর দোষ প্রতিকারে করনীয়

কিছু তথ্য দেওয়া হলো যেগুলো করলে রাহুর খারাপ দৃষ্টি বা খারাপ কাজ গুলো কমে যাবে, এবং আপনার জীবনে ফিরে আসবে সুখ ও শান্তি।

১, রাহু লগ্নে থাকলে গম, তামা, লাল বস্ত্র, লাল ফুল, কস্তুরী, জাফরান দান করুন।

২, রাহু দ্বিতীয় ভাবে থাকলে রুপা, সোনা কিনে রাখুন, জাফরান হলুদ কাগজে মুড়ে রাখুন খুব উপকার পাবেন।

৩, রাহু তৃতীয় ভাবে থাকলে, হাতির দাঁত কাছে রাখুন, হাতির দাঁত এখন পাওয়া যায়না, তাই ivory রং এর জিনিস কাছে রাখুন, তাতেও উপকার পেতে দেখেছি আমি।

৪, রাহু চতুর্থ ভাবে থাকলে, রুপোর গ্লাস এ জল খান, দারুন কাজ দেয়।

৫, রাহু পঞ্চম ভাবে থাকলে, একটা রুপার হাতি বানান, ভালোবাসায় কষ্ট পাবেন না। সুখ শান্তি ফিরে আসবে।

৬, ষষ্ঠ ভাবে থাকলে, বাড়িতে কালো কুকুর রাখুন, নাহলে রাস্তায় কালো কুকুরকে নিয়মিত খেতে দিন।

৭, রাহু ৭ ভাবে থাকলে, তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেন না, ২৮ বছরের পরে বিয়ে করাই ভালো।
বাড়ির পশ্চিম কোন ৭ টা রুপার coin রাখুন।
৮, রাহু ৮ ভাবে থাকলে , পুরানো পয়সা চলমান জলে ফেলুন ৪২ দিন।

৯, রাহু ৯ ভাবে থাকলে, চেষ্টা করুন join ফ্যামিলি তে থাকার, আর নিজের রক্তের কারোর সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়বেন না।

১০, রাহু ১০ম ভাবে থাকলে কৃপণ ও খারাপ মানসিকতার লোকের সাথে মিশবেন না, পায়রাকে গম খেতে দিন প্রতিদিন

১১, রাহু ১১ ভাবে থাকলে, সোনা পড়ুন, জমাদার কে জামা কাপড় দান করুন।

১২, রাহু ১২ ভাবে থাকলে, রান্না ঘরে খাবার খান, যেখানে রান্না হয়েছে।
কুকুর দের খেতে দিন।

এই ছোট ছোট কাজ গুলো করলে আগামী ৬মাসের মধ্যে দেখবেন অপনার জীবনে ফিরে আসবে আমূল পরিবর্তন।
আরো ভালো ফলের জন্য রাহুর বীজ মন্ত্র
ঔঁ ঐং হ্রীং রাহবে ১০৮বার স্নান করে।
রাহু ১/৫/৭/১২ থাকলে রাহুর গ্ৰহরত্ন
hassonite garnet 8-10 rati middle finge
a dharon korun


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180428075733

Friday, April 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভৌমদোষ খন্ডন !!!

ভৌমদোষ খন্ডন !!!

শুভ সন্ধ‍্যা
ভৌম দোষ :
শাস্ত্র মতে -
" লগ্নে ব্যায় চ পাতালে
জামিত্রায় চস্টামে কুজ
স্ত্রী জাতিকা ভর্তি নাশ
পুং ভারজা বিনিশ্বতী"
এর অর্থ লগ্নে, দ্বাদশ, চতুর্থে, সপ্তম এবং অষ্টম স্থানে মঙ্গল থাকলে, স্ত্রী দের স্বামী এবং পুরুষের স্ত্রীর মৃত্যুর সম্ভবনা থাকে। এবং একে ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক বলা হয়।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাঙ্গলিক দোষ খন্ডন হয়ে যায় নিজে থেকেই। ১)যেমন মঙ্গল নিজে ভাবপতি হিসেবে ভৌম দোষ দেয় না ( অষ্টম ছাড়া)।
২)আবার যে ঘরে মঙ্গল ভৌম দোষ সৃষ্টি করেছে তার ওপর বৃহস্পতির স্থিতি বা দৃষ্টি থাকলে এর প্রভাব অনেক কমে যায়।
৩) শনি দৃষ্ট মঙ্গল ভৌম দোষ বয়স কালে আসে।
৪) কর্কট ও সিংহ লগ্নের রাজ যোগ কারক গ্রহ মঙ্গল, ফলে ওই লগ্নে ভৌম দোষ ওতো অশুভ ফল দায়ক নয়। শারীরিক পীড়া দায়ক হতে পারে মাত্র।
৫) কেন্দ্র কোনে বৃহস্পতি শুক্র বা সপ্তমে শুভ চন্দ্র থাকলে ভৌম দোষ ভঙ্গ হয়।
এছাড়া আরো অনেক ক্ষেত্রে ভৌমদোষ খন্ডন হয়ে যায়।
এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চল্লিশা পাঠ এবং হনুমান মন্দিরে সিন্দুর দান করলেও সুফল মেলে।
তাই অযথা ভয় না পেয়ে, প্রতারিত না হয়ে, যুক্তি যুক্ত প্রতিকার গ্রহণ করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180427192603

Friday, April 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গন্ধেশ্বরী মা

গন্ধেশ্বরী মা

দেবী গন্ধেশ্বরী

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আগামী রবিবার,
১৫-ই বৈশাখ ১৪২৫ বাং,
২৯-শেএপ্রিল ২০১৮ ইং ,
শ্রীশ্রী গন্ধেশ্বরী পূজা।

বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম গন্ধেশ্বরী পূজা। গন্ধেশ্বরী হলেন সুগন্ধ (perfume) বহনকারী দেবী আর তাঁকে শক্তিরই এক রূপ মনে করা হয়। বৈশাখ পূর্ণিমার দিন মূলতঃ গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের মানুষেরাই এই পূজা করে থাকেন।

গন্ধবণিক সম্প্রদায় এই দিন দেবীর সামনে তাঁদের ব্যবসায়িক সামগ্রী,হিসাবের খাতা, ওজন যন্ত্র রেখে তাঁদের ব্যবসায়ের সমৃদ্ধি প্রার্থনা করেন।

চৈনিক পর্যটক ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে যখন এসেছিলেন তখন অখন্ডবাংলায় একটি সমাজের কথা জানতে পারেন যাঁদের নাম তিনি তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন ---সেই সমাজের নাম হল ' গন্ধ বণিক ' সমাজ।

গন্ধ বণিক সমাজ মূলত সেই সময় সুগন্ধি মশলা --ধূপ-ধূনা --ইত্যাদির বাণিজ্য করত। এই গন্ধ বণিক সমাজ প্রাচীন কালে ছিল ' শৈব্য ' পরে এই সমাজ হয় ' শাক্ত '---এবং তারও পরবর্তী কালে হন 'বৈষ্ণব' ---- হিন্দু সনাতন ধর্মের এক একটি শাখা /অংশ হল --এই ' শৈব্য ' -- ' শাক্ত ' --ও ' বৈষ্ণব ' ভাবাদর্শ / মতবাদ ।

গন্ধবণিক হল বাঙালি হিন্দু বণিক সম্প্রদায় যারা মূলতঃ গন্ধ দ্রব্যের ব্যবসা করে থাকেন। গন্ধ দ্রব্য যেমন বিভিন্ন সুগন্ধি প্রসাধনী, সুগন্ধি ধূপ, সুগন্ধি দেশ বিদেশের মশলা ইত্যাদি।চৈনিক পর্যটক ফা-হিয়েন গন্ধবণিক সম্প্রদায় কে হিন্দু বণিক সম্প্রদায় বলে উল্লেখ করেন।এই গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের কূলদেবী হলেন মা গন্ধেশ্বরী।

গন্ধেশ্বরী দেবী মাতৃ শক্তির প্রতীক। গন্ধবণিকরা শুরুতে শৈবধর্মের উপাসক অর্থাৎ শিবের উপাসক হলেও পরবর্তী কালে শাক্ত উপাসক হয়ে ওঠে।
গন্ধেশ্বরী দেবীর প্রকৃতির সাথে দেবী দুর্গার অনেক সাদৃশ্য আছে। উভয়েই সিংহ বাহিনী এবং অসুরমর্দিনী।

শক্তির আরেক রূপ হলেন মা দুর্গা আবার মা দুর্গার আরেক রূপ হলেন মাতা গন্ধেশ্বরী।গন্ধেশ্বরী নাম কারণের দুটো দিক আছে।

১) সুগন্ধি পণ্যের বাণিজ্য করতেন যে সকল বণিকেরা তাঁদের পণ্যের নাম অনুসারে গন্ধের দেবী গন্ধেশ্বরী।

২) গন্ধকে বলা হয় পঞ্চভূতের ক্ষিতি তত্ত্বের সমষ্টিগত রূপ বা পৃথিবী।

গন্ধেশ্বরী মাতা হলেন শ্রীশ্রীদুর্গারই চতুর্ভুজা রূপ।
গন্ধমাতা ও পৃথিবী মাতা একই।গন্ধের যিনি ঈশ্বরী তিনিই 'গন্ধেশ্বরী'গন্ধ হল পৃথিবীর একটি গুণ।

১)ব্যোম তত্ত্বে হল শুধু শব্দ।
২) মরুৎ তত্ত্বে হল শব্দ+স্পর্শ।
৩) তেজঃতত্ত্বে হল শব্দ+ স্পর্শ +রূপ।
৪) অপঃতত্ত্বে হল শব্দ+স্পর্শ +রূপ+রস।
৫) ক্ষিতিতত্ত্বে হল শব্দ+স্পর্শ +রূপ+রস+গন্ধ।
অর্থাৎ পঞ্চভূতের পূজা করাই হল গন্ধেশ্বরীর পূজা।

পৃথিবীতে বণিক সমাজ এই পঞ্চভূতের পণ্যরূপ নিয়েই বাণিজ্য করেন।এই বাণিজ্য করার সময় ভুল বশত যদি কোন পাপ কর্ম করে ফেলা হয় তবে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়ে যায় এই পূজা করার ফলে।গন্ধবণিক সমাজে অনেক সেবামূলক কর্ম যজ্ঞ আছে।

শ্রী শ্রী চণ্ডী তে আদি শক্তি পরমেশ্বরী দেবীগনে পরিবৃত হয়ে যখন শুম্ভাসুরের সাথে যুদ্ধ করছিলেন,তখন শুম্ভ দেবীকে ক্রুদ্ধ হয়ে বলে,
"রে অহঙ্কারী ! তুমি অন্য দেবীদের সাহায্য নিয়ে যুদ্ধ করে চলেছ। অতি মানিনী হোয় না। "

তা শুনে মহাশক্তি বললেন,

" একৈ বাহং জগত অত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা।" ---
আমি ছাড়া এ জগতে দ্বিতীয় কে আছে ? দেখ, এই সব-ই আমার বিভুতি।তাই এরা সবাই আমার মধ্যে লীন হচ্ছে।এরপর সকল দেবী মূল আদি শক্তির মধ্যে বিলীন হলেন।

শাক্তমতে , এর তাৎপর্য হল এই যে , ভিন্ন রূপে প্রতীয় মান হলেও ,তত্ত্বতঃ সব কিছুই মহাশক্তির বহিঃ প্রকাশ।আরও একটি তথ্য পাই যে সকল দেবী ,একটি মহা শক্তি হতে নির্গত হয়েছেন।

মনসা, চণ্ডী, ষষ্ঠী, শীতলা , বন দুর্গা , বহুচেরা, ভেরুন্ডা, মহগ্রতারা, প্রজ্ঞা পারমিতা ,বেন তেন সহ ভারত ও অভারতীয় পূজিত বা অধুনা বিস্মৃত দেবীকুল এক আদি শক্তি থেকে জাত হয়েছেন।

গন্ধেশ্বরী-ও তার ব্যতিক্রম নন।সিংহ বাহিনী , ত্রিনয়নী, চতুর্ভুজা , শঙ্খ ,চক্র , ধনুক, বাণ ধারিণী - এই দেবী বণিক কুলের কুল দেবী।

হিন্দু- বৌদ্ধ নির্বিশেষে তাঁর পূজা ,এক কালে বঙ্গীয় বণিক দের নানা শাখায় অনুষ্ঠিত হত বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন। বাংলাদেশের পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহারে ,
অন্যান্য হিন্দু দেব দেবীর সাথে গন্ধেশ্বরীর -ও একটি মূর্তি আছে। তবে সেটি ওই বৌদ্ধ বিহারের মত খুব প্রাচীন নয়।

মা গন্ধেশ্বরীর ধ্যানঃ-

ওঁ সিংহস্থা শশিশেখরা মরকতপ্রেক্ষা চতুর্ভির্ভুজৈঃ ।
শঙ্খং চক্র- ধনুঃশরাংশ্চ দধতী নেত্রৈস্ত্রিভিঃ শোভিতা ।।
আমুক্তাঙ্গদহার- কঙ্কণরণৎ- কাঞ্চীক্কণন্নূপুরা ।
দুর্গা দুর্গতিহারিণী ভবতু নো রত্নোল্লসৎকুন্ডলা ।।

দেবী গন্ধেশ্বরী সিংহারুঢ়া , ললাটে চন্দ্রকলা যুক্তা , মরকত মনির ন্যায় প্রভাময়ী , চার ভুজে শঙ্খ , চক্র , ধনুক বান থাকে । এঁনার ত্রিনয়ন । কেয়ূর হার , বলয় , শব্দায়মান চন্দ্রহার থাকে । ইনি নূপুর পড়েন । রত্নের মতো উজ্জ্বল কুন্ডল পড়েন । দেবী দুর্গা আমাদের দুর্গতি নাশ করুন ।

মন্ত্রঃ- ওঁ হ্রীং দূং দুর্গায়ৈ নমঃ ।

মা দুর্গাই হলেন গন্ধেশ্বরী । ইনি ধন সম্পদ রক্ষা করেন । মা লক্ষ্মী রূপে ধন দান করেন । কিন্তু ধন রক্ষা করতে হবে । তাই মা মহামায়া , গন্ধেশ্বরী রূপে প্রকট হয়েছেন । ধন যিনি দেন , ধনের রক্ষা তিনিই করেন । দেবী গন্ধেশ্বরী বৈশ্য অর্থাৎ বণিক দের পূজিতা । কারন বণিকরা ব্যবসা বানিজ্য করেন ।

পৌরাণিকী :-

" প্রতিবৎসর বৈশাখী পূর্ণিমাতে প্রত্যেক গন্ধবণিকের গৃহে শ্ৰীশ্ৰীগন্ধেশ্বরী দেবীর পূজা হইয়া থাকে।

এই গন্ধেশ্বরী দেবী সাক্ষাৎ ভগবতী দুর্গা। চতুর্ভুজা সিংহবাহিনী মূৰ্ত্তিতে ইনি গন্ধেশ্বরী দেবী রূপে আবিভূর্তা হইয়া গন্ধাসুরকে বধ করেন। সেই কারণে ইঁহার নাম গন্ধেশ্বরী হয়।

সুভূতির ঔরসে ও তপতী-নাম্নী রাক্ষসীর গর্ভে গন্ধাসুর মহাদেবের বরে ত্রিভুবনবিজয়ী ও মহাবলশালী হইয়া জন্মগ্রহণ করে। সুভূতি বৈশ্যকন্যা সুরূপাকে হরণ করিতে গিয়া বৈশ্যগণ কর্তৃক অপমানিত তিরস্কৃত ও হৃতসৰ্ব্বস্ব হয় । পিতার সেই অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্য গন্ধাসুর বৈশ্যবংশ ধ্বংস করিতে প্রবৃত্ত হয়। তাহার অনুচরগণ একদিন সুবর্ণবট নামক এক বৈশ্যকে বধ করিলে, তাহার পূর্ণগর্ভা পত্নী চন্দ্রাবতী গর্ভস্থ শিশুকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত অরণ্যে প্রবেশ করেন। পথশ্রমে ক্লান্ত হইয়া তিনি অরণ্য-মধ্যে একটি কন্যা প্রসব করিয়া গতানু হন। সৰ্ব্বজ্ঞ মহর্ষি কশ্যপ ধ্যানযোগে চন্দ্রাবতীর গর্ভে দেবী বসুন্ধরার অংশাবতার জন্মগ্রহণ করিয়াছেন অবগত হইয়া তাঁহাকে স্বকীয় আশ্রমে আনয়নপূর্ব্বক কন্যানিৰ্ব্বিশেষে প্রতিপালন করিতে লাগিলেন। গুণজ্ঞ মহর্ষি সেই দিব্য সৌরভময়ী কন্যার গন্ধবতী নাম রাখিলেন ।

“ যৌবনোন্মুখী গন্ধবতী পিতার নিধন ও অরণ্য মধ্যে মাতার শোচনীয় মৃত্যুর কারণ অসুরগণের বিনাশকামনায় মহামায়ার তপস্যায় প্রবৃত্ত হইলেন ।”

গন্ধাসুর গন্ধবতীর অলৌকিক রূপলাবণ্যের কথা জানিয়া গন্ধবতীকে লাভ করিবার নিমিত্ত সসৈন্যে তাহার আশ্রমে উপনীত হইল। কিন্তু অসুরের চাটুবাদ বা ভীতিপ্রদর্শনে সেই তপোনিমগ্না গন্ধবতীর ধ্যানভঙ্গ হইল না। তখন ক্রুদ্ধ অসুর সবলে গন্ধবতীর কেশাকর্ষণ করিল, কিন্তু অসুরতেজ পরাভূত হইল, গন্ধাসুর সেই তপ:কৃশা পঞ্চমবর্ষীয়া বালিকাকে যোগাসন হইতে বিচলিত করিতে পারিল না ।

“ গন্ধবতী বিচলিত হইলেন না বটে, কিন্তু তদীয় হোমকুণ্ডস্থ বহ্নিরাশি বিচলিত হইল। সহসা সেই বিচলিত বহ্নিরাশি হইতে এক দিব্য তেজ সমুত্থিত হইয়া সমস্ত তপোবনকে দুর্ণিরীক্ষ্য প্রতাপপুঞ্জে উদ্ভাসিত করিল। অসুরপতি বিস্মিত ভীত ও মুগ্ধপ্রায় হইয়া সভয়ে কেশমুষ্টি পরিত্যাগ করিয়া বিদ্যুৎবেগে সুদূরে গিয়া দণ্ডায়মান হইল :

অত্যুৎকট জ্যোতির প্রভাবে সসৈন্যে অসুররাজ ক্ষণকালের জন্য অন্ধীভূত হইলেন। অনন্তর দৃষ্টি প্রসন্ন হইলে দেখিলেন বিদ্যুৎ-তুল্য প্রতাপময়ী সিংহবাহিনী চতুর্ভুজা এক নারীমূৰ্ত্তি হোমকুণ্ড-সমীপে গন্ধবতীর পুরোভাগে দন্ডায়মান রহিয়াছেন। আর গন্ধবতী স্বকীয় গলদেশে উত্তরীয়-বল্কল অৰ্পণ করিয়া আনতনয়নে সেই দেবদুর্লভ শ্রীপাদপদ্মের অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যরাশি দর্শন করিতেছেন।”

অসুর তৎক্ষণাৎ দেবীর সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইল। ঘোরতর যুদ্ধের পর দেবী শূলাঘাতে অসুরের প্রাণ বিনাশ করিলেন ও তাহার প্রকাণ্ড দেহ সমুদ্ৰ-মধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। দেবীর ইচ্ছায় সেই দেহ গন্ধদ্রব্যের আকর-ভূমি গন্ধদ্বীপরূপে পরিণত
হইল ।

অনন্তর ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগণের সহিত মিলিত হইয়া দেবীর যথাবিধি পূজা করিলেন। গন্ধাসুর-নাশিনী গন্ধেশ্বরী নামে বিখ্যাত হইলেন। বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে ভগবতী গন্ধেশ্বরী -মূৰ্ত্তিতে প্রকাশিত হইয়া গন্ধাসুরকে বিনাশ করিয়াছিলেন। সেই হেতু গন্ধবণিকগণ অদ্যপি বৈশাগী পূর্ণিমার দিনে গন্ধেশ্বরীর পূজা করিয়া থাকেন। –“ মহানন্দীশ্বর পুরাণ "।

গন্ধেশ্বরী দেবীর আর-একটি উপাখ্যান আছে, তাহা ভবপুরাণে দেখিতে পাওয়া যায়। তাঁহাতে গন্ধবতীর কোনও উল্লেখ নাই এবং গন্ধাসুরের বধের কারণও অন্যরূপ বর্ণিত আছে। সেই উপাখ্যান-ভাগ এইরূপ :-
“ গন্ধাসুর নারদের মুখে দেবীর অলৌকিক রূপলাবণ্যের কথা শ্রবণ করিয়া মোহিত হয় এবং উহাকে পত্নীরূপে লাভের আশা দুরশা ভাবিয়া আশুতোষের কৃপাপ্রার্থী হইয়া কঠোর তপস্যা করে। ভগবান প্রসন্ন হইলে, গন্ধাসুর শিবস্বারূপ্য-বর প্রার্থনা করে। আশুতোষ অসুর-রাজের অভিলষিত বরই অর্পণ করিলেন । অসুর বরপ্রাপ্তিমাত্র রজতগিরিনিভ চারুচন্দ্রাবতংশ দিব্য শৈব মুৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিল। কিন্তু প্রকৃতিতে সেই অসুর-ভাবই অক্ষুণ্ণ রহিল। তখন অসুর মহাদেবের পরোক্ষে কৈলাসে গমন পূৰ্ব্বক দাক্ষায়ণীকে প্রার্থনা করিল। দেবী অসুরের দুরাশা দেখিয়া মনে মনে হাস্য করিয়া যুদ্ধে তাহার প্রাণ বিনাশ করিলেন । দেবীর ইচ্ছায় গন্ধাসুরের দেহ গন্ধমাদন পৰ্ব্বতরূপে পরিণত হইল। দানবের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ হইতে ভিন্ন ভিন্ন গন্ধদ্রব্যের উৎপত্তি হইয়াছিল। অনন্তর দেবগণ কর্তৃক দেবী পূজিত হইয়া গন্ধেশ্বরী নামে বিখ্যাত হইলেন।”

তারকাসুরের বধের নিমিত্ত হরগৌরীর বিবাহের প্রয়োজন হইলে, তারকাসুর মায়াবলে সমস্ত গন্ধ-দ্রব্য অপহরণ করে । ভগবান শিব—দেশদাস, শঙ্খভূতি ও বিষটগুপ্ত এই গন্ধবণিক্‌ সহোদর ভ্রাতাদিগকে গন্ধদ্রব্য-সংগ্রহের জন্য আদেশ করেন। সত্ৰীশ আশ্রমের আদিপুরুষ বিষটগুপ্ত পরম শিবভক্ত ছিলেন । নারদের উপদেশে তিনি ভগবতী গন্ধেশ্বরীর পূজা করিলে, দেবী তাহার প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন পূর্বক তাহাকে দর্শন দেন ও অপহৃত গন্ধদ্রব্যগুলি দেখাইয়া দেন । বিষটগুপ্ত দেবী গন্ধেশ্বরীর দর্শন লাভ করিয়া তাহার স্তোত্র করেন। " ( গন্ধবণিক, বৈশাখ,সংখ্যা তৃতীয়, কষ্টিপাথর । )

বর্তমানে এই গন্ধেশ্বরী মাতার পূজা হয় ভক্তের মনে শক্তি জোগানোর এষণায় যাতে বাণিজ্য বুদ্ধি বাড়ে --ক্রয় বিক্রয় বাড়ে --আমদানি রপ্তানি বাড়ে --চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য ঠিক থাকে - সঞ্চয়--ব্যয় এ কর্তব্য বুদ্ধি থাকে --ব্যবসায়ীক শুভবুদ্ধি যেন থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি ----।

তবে মনে রাখা দরকার যে এই পৃথিবীর সকল রূপই হল প্রাকৃতিক --আর প্রকৃতির রূপ কল্পনা করা হয়েছে নারীমূর্তির মাধ্যমে --বস্তুত ---
স্ত্রী পুরুষ সকলেই ---প্রাকৃতিক রূপ সেই অর্থে পুরুষও হল ' মাতৃমূর্তি ' শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও মায়ের মতো মমতাময়ী --স্নেহময়ী--দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে হবে ----মৃন্ময়ী মূর্তির পূজা ---সে তো চৈতন্য জাগরণের একটি ক্রিয়ামাত্র -----প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্ত আমরা চিন্ময়ী মায়েদের সাথেই কর্মযজ্ঞ করে চলেছি --- এখানে আচরণে --ব্যবহারে ও কর্তব্য পালনে কোন রকম ত্রুটি রাখা চলবে না ---রাখলে মৃন্ময়ী মা কিন্তু সময়ে ছেড়ে কথা বলবেন না।

দেবী গন্ধেশ্বরী মন্দির, গন্ধেশ্বরী ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ ।

কোলকাতা তথা হাওড়ার বনেদি বাড়িগুলির পূজোর ইতিহাসে শ্রী বটকৃষ্ণ পালের নাম চিরস্মরণীয়। এই পাল পরিবারের আদি নিবাস ছিল হাওড়া জেলার শিবপুরে। হাওড়া অঞ্চলের বনেদি বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম শিবপুরের এই পালবাড়ি।

১৮৩৫ খ্রীঃ শ্রী বটকৃষ্ণ পাল শিবপুরের এই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। এই প্রথিতযশা ক্ষণজন্মা পুরুষ ১২ বছর বয়সে কোলকাতার মাতুরালয়ে চলে আসেন। পরবর্তীকালে কালে তিঁনি ব্যবসা শুরু করেন। ক্রমে সেই ব্যবসা বৃহৎ মহীরূহ আকার ধারণ করে। প্রখ্যাত ওষুধ ব্যবসায়ী ও প্রস্তুতকারক হিসেবে তাঁর নাম যশ দিগদিগন্তে ছড়িয়ে পড়ে। তিঁনি প্রতিষ্ঠা করন বটকৃষ্ণ পাল এন্ড কোম্পানি। ক্রমে বটকৃষ্ণ পালের ওষুধ কোম্পানি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়ে ওঠে। বটকৃষ্ণ পালের কোম্পানিরর তৈরী ওষুধ সেকালে বিলেতেও খ্যাতিলাভ করে।

শ্রী বটকৃষ্ণ পাল বাঁশবেড়িয়ার এই দেবী গন্ধেশ্বরীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

গঙ্গার পাড়ে কয়েকশো বছরের পুরনো এই শহরের প্রাচীন নাম অবশ্য বংশবাটী।

খামারপাড়া, শিবপুর, বাঁশবেড়িয়া এবং ত্রিবেণি এই চার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে এই শহর।

চুঁচুড়া, চন্দননগর, বলাগড়, গুপ্তিপাড়া, পাণ্ডুয়া, পোলবা ছাড়াও বর্ধমান এবং গঙ্গার উল্টোদিকে নদিয়া, কল্যাণী, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর থেকেও গন্ধেশ্বরী মন্দিরের দর্শনার্থীরা আসেন।

ব্যান্ডেল থেকে ৪০কিমি দূরের বাঁশবেড়িয়ায় আসা যায় ট্রেনে। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকাল সোজা বাঁশবেড়িয়ায়।

থাকার জন্য বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অতিথিশালা আছে।
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180427114104

Friday, April 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বারদোষ ও গুরুত্ব

বারদোষ ও গুরুত্ব


বার দোষ ও গুরুত্ব
অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে সপ্তাহের প্রতিটি দিন কিন্তু যে কোনো কাজের জন্য শুভ নয়। আর যদি ভুলবশত কোনও অশুভ দিনে কোনও শুভ কাজ শুরু করে দেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে কাজটি ঠিক মতো নাও হতে পারে। কারণ অশুভ দিনগুলিতে আমাদের আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে ছোট ছোট কারণে মন খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজারো বাধা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো সপ্তাহের প্রতিটি দিনের চরিত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আর একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই লেখা।

১. সোমবার

শাস্ত্র মতে সোমবার চন্দ্রের প্রভাব খুব বেশি থাকে। যে কারণে এই দিন যে কোনও কাজ শুরু করলে দ্রুত তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সপ্তাহের এই দিনটিতে এমন কাজ শুরু করুন, যা দ্রুত শেষ হোক আপনি চান। শুধু তাই নয়, গাড়ি, বাড়ি এবং জামা-কাপড় কেনার জন্য সোমবার বেজায় শুভ। এমনকী এদিন বাড়িতে রং করা যেমন শুরু করতে পারেন, তেমনি কোথায় বেরাতেও যেতে পারেন। তবে ভুলেও এদিনটিতে কর্মক্ষেত্রে নতুন কোনও কাজ শুরু করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে কিন্তু মনের মতো ফল নাও পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোমবার কালো জামা পড়লে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এই রংটি সপ্তাহের শুরুর দিনটিতে এড়িয়ে চলাই ভালো।

২. মঙ্গলবার

সপ্তাহের এদিনটিতে মঙ্গলের প্রভাব বেড়ে যায়। তাই তো টেকনিকাল এবং প্রপাটি সম্পর্কিত কোনও কাজ শুরু করার জন্য মঙ্গলবার বেজায় শুভ। শুধু তাই নয়, এদিন পড়াশোনা সম্পর্কিত নতুন কোনও কোর্স বা আদলাতে কোনও মামলাও শুরু করতে পারেন। কারণ মঙ্গলবার এই কাজগুলি শুরু করলে দ্রুত সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত ভুলেও কিন্তু মঙ্গলবার নীল রঙের জামা পরা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।

৩. বুধবার

বুধের প্রভাবে সপ্তাহের এই দিনটিতে শুভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে এদিন যা কিছুই শুরু করুন না কেন, সফলতা আপনার সঙ্গী হবেই হবে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও যাবে বেড়ে। এই কারণেই তো কোনও নতুন প্রজেক্টে টাকা ইনভেস্ট করার ইচ্ছা থাকলে তা বুধবার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয? নুতন চাকরি ভুলেও বুধবার শুরু করা উচিত নয়।

৪. বৃহষ্পতিবার

সপ্তাহের এই দিনটিতে বৃহষ্পতি গ্রহের প্রভাব বেড়ে যায়। তাই তো জ্যোতিষশাস্ত্রে বৃহষ্পতিবারকে সপ্তাহের সবথেকে শুভ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এদিন যে কানও কাজই শুরু করুন না কেন, তাতে সাফল্য পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বৃহষ্পতিবার সোনা, হিরে অথবা রূপো কিনলে গৃহস্থে শুভশক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে সুখ এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্থ হয়। প্রসঙ্গত, এদিন বিবাহ সম্পর্কিত কথাবার্তা শুরু করলে পরবর্তি সময়ে বৈবাহিত জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে। তবে এক্ষেত্রে শুধু একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ভুলেও বৃহষ্পতিবার আমিষ খাবার এবং মদ খাওয়া চলবে না। এমনটা করলে দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।

৫. শুক্রবার

শুক্র গ্রহের প্রভাব বেশি থাকে শুক্রবার। তাই তো এদিন নতুন যে কোনও সম্পর্ক শুরু করলে তা সুন্দরভাবে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই অনেকে শুক্রবারকে বেছে নেন কাউকে প্রেম নিবেদন করার জন্য। তবে এদিন ভুলেও কোথাও টাকা ইনভেস্ট করা চলবে না।

৬. শনিবার

ভুলেও নতুন কোনও কাজ সপ্তাহের এই দিনটিতে শুরু করবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এদিন কোনও কাজ শুরু করলে তা সহজে শেষ হতে চায় না। ফলে সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় কমে। তবে শনিবার নতুন চাকরি শুরু করার জন্য একেবারে আদর্শ দিন। শুধু তাই নয়, এদিন গৃহপ্রবেশ করাও কিন্তু বেজায় শুভ। প্রসঙ্গত, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনিবার লোহার জিনিস কিনলে বা বেচলে খারাপ শক্তি পিছু নেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই ভুলেও এমন ভুল কাজ করবেন না যেন!

৭. রবিবার

সপ্তাহের এই দিনটিতে জমিজমা সংক্রান্ত কাজ যেমন শুরু করতে পারেন, তেমনি ওষুধ এবং কাঠের ব্যবসা যারা করেন, তারা যদি এদিন কোনও কাজ শুরু করেন, তাহলে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তবে ভুলেও রবিবার বিবাহ সম্পর্কিত কোনও কাজ শুরু করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, বরিবার লোহার কোনও জিনিস কেনা-বেচা করতেও মানা করা হয়। কারণ এমনটা করলে অশুভ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180427075643

Thursday, April 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা ত্রিপুরেশ্বরী

মা ত্রিপুরেশ্বরী


ত্রিপুরেশ্বরী

উদয়পুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মন্দিরটি অবস্থিত। মহারাজা ধন্যমাণিক্য ১৫০১ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাতা ত্রিপুরেশ্বরীকে (মা কালী) এই মন্দিরে পূজা দেওয়া হয়। হিন্দুদের পবিত্র ৫১টি পীঠের একটি মনে করা হয় এই মন্দিরটিকে।

প্রতি বছর দীপাবলি ও কালী পূজায় মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে। সে সময় বহু পর্যটক ও দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। মন্দিরে পাশে বিশাল কল্যাণ সাগর নামে একটি পুকুর রয়েছে।

অন্যান্য মন্দির

অন্যান্য মন্দিরের মধ্যে ভুবনেশ্বরী মন্দির, গুণাবতী মন্দির, দুর্গা মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, মহাদেবের মন্দির ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ভুবনেশ্বরী মন্দিরে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিখ্যাত বিসর্জননাটিকাটি লিখেছিলেন। এছাড়া ভুবনেশ্বরী মন্দিরের পাশে বদরমোকাম মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান

ত্রিপুরেশ্বরী শক্তিপীঠ (দ্বিতীয় পর্ব)

মা ত্রিপুরেশ্বরী হলেন ভগবান
ত্রিপুরেশের শক্তি। তিনি
শিবশক্তি, তিনিই অসুর দলনী
চণ্ডীকা । দেবীর পূজো এখানে
ষোড়োশী দেবীর পূজার নিয়মে
করা হয় । তন্ত্র আচারে দেবীর
পূজা হয় । খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ
শতকে মোঘোল রা ত্রিপুরা
রাজ্য আক্রমণ করেন। যবন
সৈন্যরা কামান, সেনা নিয়ে মন্দির
আক্রমণ করেন । লক্ষ্য একটাই
মন্দির লুটপাট, ধ্বংস । মোঘোল
গনের নীতি ছিল- হয় মোঘোল
দের আধিপত্য স্বীকার করে
বার্ষিক খাজনা দাও, নচেৎ যুদ্ধ
করো । আকবর একটু দয়ালু
চিন্তাধারার হলেও- বাকী
মোঘোল গন বিশেষত
ঔরঙ্গজেব- এই নীতি অনুসরণ
করেছেন । ত্রিপুরা ছোটো
রাজ্য। সেখানকার হিন্দু রাজার
শক্তি কম । তিনি কিভাবে লড়বেন
বিশাল মুঘল বাহিনীর সাথে । শ্রী
শ্রী চণ্ডীতে বলে –
রোগানশেষানপহংসি তুষ্টা
রুষ্টা তু কামান্ সকলানভীষ্টান্ ।।
ত্বামাশ্রিতানাং ন বিপন্নরাণাং
ত্বামাশ্রিতা হ্যাশ্রয়তাং
প্রয়ান্তি ।।
( অর্থাৎ- হে দেবী ! তুমি তুষ্ট
হলে সকল রকম রোগ নাশ করে
থাকো। আবার তুমি রুষ্ট হলে তাঁর
সকল প্রকার আশা, ইচ্ছা নষ্ট
হয় । যাহারা তোমাকে আশ্রয়
করে, তাহাদের বিপদ হয় না। কারন
তোমাকে আশ্রয় করিলে জগতের
আশ্রয় হওয়া যায় । )
ত্রিপুরার তৎকালীন রাজধানী
উদয়পুর মুঘল রা দখল করে
মন্দিরের দিকে আগাতে থাকলে
মুঘল সেনাদের মধ্যে ভয়ানক
মহামারী দেখা যায়। প্রচুর মুঘল
সেনা রোগে মারা যায় । মুঘল
হাকিম রাও ঔষধ দিতে পারেনি।
বাকী মুষ্টিমেয় জীবিত কিছু সেনা
পলায়ন করে। দেবীর মন্দির
লুঠপাঠ করবার বাসনা নিয়ে গিয়ে
তারা জীবন হারালো । দেবীর
মধ্যে পালিনী বৈষ্ণবী মূর্তি দেখা
যায় আবার তাঁর মধ্যে সংহারিনী
মহাকালী মূর্তিও দেখা যায় ।
ত্রিপুরার প্রাচীন যে রাজ্য সীমা
ছিল তাঁতে তিনটি শৈব পীঠের
উল্লেখ দেখা যায় । বাংলাদেশের
কুমিল্লার সতেরো রত্ন মন্দির,
রাজরাজেশ্বরী মন্দির, পার্বত্য
চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির ।
বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন
দেখে অনুমান করা যায়- এই
অঞ্চলে একসময় পাল, দেব,
চন্দ্র বংশীয় রাজারা রাজত্ব
করতেন । প্রাচীন বাংলার
ইতিহাসে আমরা পাল বংশের
রাজত্বের কথা জানতে পারি ।
মন্দির টি ৭৫ ফুট উচু । দূর থেকে
মন্দিরের চূড়া দেখা যায় ।
মন্দিরের তিনদিকে ভোগ রান্নার
ঘর, পুরোহিত সেবাইত দের থাকার
ঘর আছে। মন্দিরের স্থাপত্যে
বৌদ্ধ প্রভাব সুস্পষ্ট ।
জোতিষ শাস্ত্রে

ত্রিপুরাসুন্দরী
ইনি বুধের ইষ্টদেবী
বিদ্যা বুদ্ধির কারক গ্ৰহ বুধ

শ্রীং হ্লীং ক্লীং এং সৌঃ ঊং হ্লীং শ্রীং কএইলহ্লীং হসকহলহ্লীং সংকলহ্লীং সৌঃ এং ক্লীং হ্লীং শ্রীং

বিধি
এই মন্ত্রের পুরশ্র্বরণ এক লক্ষ জপ আছে। জপ পশ্চাত্‍‌ ত্রিমধুর (ঘি, মধু, চিনি) মিশ্রিত কনেরের ফুল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত।

ফল
কমল ফুলের যজ্ঞে ধন-সম্পত্তি প্রাপ্তি, দইয়ের যজ্ঞে উপদ্বর নাশ, লাজার যজ্ঞে রাজ্য প্রাপ্তি, কর্পুর, কুমকুম এবং কস্তুরির যজ্ঞে কামদেবের চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের প্রাপ্তি হয়। আঙুরের যজ্ঞে বাঞ্চিত সিদ্ধি এবং তিল দিয়ে যজ্ঞ করলে সমস্ত ইচ্ছার পূর্তি হয়। আবার গুগুলের যজ্ঞে সমস্ত দুঃখের নাশ হয়।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180426090005

Wednesday, April 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষ শাস্ত্রে ধর্ষক

জোতিষ শাস্ত্রে ধর্ষক

জ্যোতিষ শাস্ত্রে ধর্ষকের চারিত্রিক বিশ্লেষণ ।

ধর্ষণ কথাটির অর্থ যতটুকু জানি - পীড়ন , অত্যাচার , নির্যাতন কিংবা জোর পূর্বক যৌন সঙ্গম .পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে আজ আট থেকে আশি বছর বয়সী মেয়ে কিংবা নারী হয়ে উঠেছে ভোগ্য বস্তু রূপে .অথচ দেখুন যে অসহায় নারীরা কিছু বিকৃত মানসিকতার পুরুষ দ্বারা নির্যাতিতা হচ্ছেন , সমাজ তাঁদের ধর্ষিতা বা অসতী নারী রূপে আখ্যা দিচ্ছেন .

ধর্ষণের খবর গুলোকে এমন ভাবে রসিয়ে রসিয়ে পরিবেশন করছে , আমার আপনার প্রতিটি শিশুর কোমল মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে .আমার মনে হয় সংবাদ মাধ্যমের এই জাতীয় খবরের ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অধিক সচেতন হওয়া উচিত .

ধর্ষকের জ্যোতিষ বিশ্লেষণ :-

একজন জ্যোতিষী হিসেবে এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করলাম .আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি .
একজন ধর্ষকের মন ও মানসিকতায় যে সকল খারাপ গুন গুলি থাকার জন্য মস্তিষ্কে এই রূপ নৃশংস পাশবিকতার প্রতিফলন ঘটে , তা হল - অধিক দুঃসাহসিকতা , মাত্রারিক্ত কামনা , হিংস্র মানসিকতা , সমাজের নিয়ম শৃঙ্খলার বেড়াজাল ভেঙে খারাপ কিছু করার উগ্র মানসিকতা .

গ্রহ ভিত্তিক পর্যালোচনা করলে আমরা বুঝতে পারবো কোন কোন গ্রহ এই কুরুচির জন্য দায়ী .

রাহু :- উগ্র মানসিকতার কারক গ্রহ রাহু .সমাজের রীতি নীতির বাইরে বেরিয়ে হিংসা মূলক কার্য কলাপের কারক গ্রহ রাহু .হিংস্র মানসিকতা রাহু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত .যানবাহনে যে সকল ধর্ষণের ঘটনা ঘটে , তার কারক রাহু বলে আমি মনে করি .

মঙ্গল :- ধর্ষণের মতো সমাজের নৃশংস কার্যকলাপ করার জন্য যে চরম সাহসিকতা দরকার , তা অশুভ মঙ্গল ছাড়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয় .একে সাহস না বলে দুঃসাহস বলাই ভালো .

শুক্র :- অশুভ শুক্র আমাদের বিকৃত যৌন স্পৃহা বাড়িয়ে তোলে .মাত্রারিক্ত কাম শুক্রের কুপ্রভাবের ফল .শুভ শুক্র অশুভ মঙ্গল ও রাহুর প্রভাবে তাঁর চরিত্র বদলে ফেলে .তখন অশুভ শুক্র বিকৃত কামের কারক হয়ে ওঠে .

চন্দ্র :- শুভ চন্দ্র যেখানে সকল শুভ মানসিকতার কারক গ্রহ .কিন্তু চন্দ্র শনি কিংবা রাহু / কেতু দ্বারা পীড়িত হলে তাঁর শুভত্ব হারিয়ে ফেলে .পীড়িত চন্দ্র তখন প্রতিহিংসার কারণ স্বরূপ কোনো জাতককে ধর্ষণের মতো নৃশংস কাজে লিপ্ত করে .

ভাব গত পর্যালোচনা :-

চতুর্থ ভাব :- চতুর্থ ভাবকে আমরা সুখ ভাব
বলি .কালপুরুষ রাশি চক্রে কর্কট রাশি চতুর্থ রাশি যার অধিপতি চন্দ্র .কুণ্ডলীতে চতুর্থ ভাব কিংবা কর্কট রাশি একাধিক অশুভ গ্রহ দ্বারা পীড়িত হলে জাতকের সুখের ব্যাঘাত ঘটে .ফলে জাতক বিকৃত মানসিকতার শিকার হন .বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে , যাঁরা চলন্ত যানবাহনে ধর্ষণের সাথে যুক্ত , তাদের ক্ষেত্রে চতুর্থ ভাব রাহু দ্বারা পীড়িত .আবার এই ভাব কেতু দ্বারা পীড়িত হলে ধর্ষকের মানসিকতা হবে নির্জনে এই কাজে লিপ্ত হওয়া .

ষষ্ঠ ভাব :- এই ভাবকে আমরা রিপু ভাব বা কাম ভাব বলি .তাছাড়া এই ভাব কৌমার্য বা সতীত্ব ভাব .তাই একজন ধর্ষকের ষষ্ঠ ভাব কিংবা কন্যা রাশি যদি একাধিক অশুভ গ্রহ দ্বারা পীড়িত হয় যেমন - রাহু / কেতু , মঙ্গল বা শুক্র , তাহলে তীব্র কাম ভাবের জন্য একজন জাতক ধর্ষকে রূপান্তরিত হতে পারে .

সপ্তম ভাব :- সপ্তম ভাব বৈধ যৌন সম্পর্কের স্থান .তাই সমাজ ব্যবস্থায় সপ্তম ভাবকে সামাজিক বিবাহ বন্ধনের স্থান হিসেবে ধরা হয় .যদি কোনো জাতকের এই ভাব পীড়িত হয় , তখন তার মধ্যে কামজ চাহিদার পরিস্ফুটন বিকৃত মানসিকতায় পরিণত হয় .

অষ্টম ভাব :- অষ্টম ভাব অর্থাৎ কালপুরুষের বৃশ্চিক রাশি .ধর্ষকের কুণ্ডলীতে অষ্টম ভাব একাধিক অশুভ গ্রহ দ্বারা পীড়িত হতেই হবে .অষ্টম ভাব থেকে আমরা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের বিচার করি .ধর্ষণের ক্ষেত্রে অষ্টম পতির ও একটা গুরুত্ত্ব পূর্ণ ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি .

দ্বাদশ ভাব :- এই ভাব বিছানা সুখ ভাব .অষ্টম ভাবের পঞ্চম ভাব অর্থাৎ সম্ভোগ সুখ ভাব .কোনো জাতকের দ্বাদশ ভাব ভীষণ ভাবে পীড়িত হলে যৌন সুখ ভোগের জন্য বিকৃত মানসিকতার শিকার হন .এই বিকৃত মানসিকতা ধর্ষণের মতো পাশবিক কর্মকান্ডে জাতক কে লিপ্ত করে .

সর্বোপরি পীড়িত লগ্ন ও লগ্নপতি এই সকল ঘৃণ্য কাজে জাতককে পরিচালিত করে বলে আমি মনে করি .
জন্মকুন্ডলীতে রাহু, মঙ্গল ওশুক্র রাশিচক্রের যে কোন রাশিতে একত্রে থেকে যদি চন্দ্র দ্বারা দৃষ্ট হয় তাহলে চরিত্র হীন ও কাম বা ম্লেচ্ছ যোগ সূচিত হয়‌।
এই কারনে ১৫-৪২বয়সের ছেলেদের কুন্ডলীতে এই যোগ থাকলে তা দেখে জোতিষী ক প্রতিবিধান করা শ্রেয়।অবশ্যই অভিজ্ঞ জোতিষী দ্বারা ।

আসুন সকল ভারতবাসী এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠি .এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি .একজন জ্যোতিষী হিসেবে ও আমরা সমাজকে সচেতন করতে পারি .সুস্থ সমাজ গড়তে না পারলে একদিন হয়তো এর শিকার হতে হবে সকল শ্রেনীর মানুষ কে‌।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180425152227

Wednesday, April 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

প্রভাব রেখা

প্রভাব রেখা

প্রভাব রেখা :
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ বা বুড়ো আঙ্গুলের নিচের () চিহ্নিত স্থান কে শুক্রের স্থান বলা হয় শুক্র জাগতিক সুখ সমৃদ্ধি বিলাশিতা ও ব্যাক্তিত্ব , প্রেম, বিবাহ সুখ ইত্যাদি নির্দ্দেশ করে । প্রভাব ব্যক্তি জীবনের একটি বিশেষ স্থান প্রত্যেক মানুষ ই চাই তার প্রভাব অটুট থাকে .....
এই রেখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কতটা প্রভাব আমরা কায়েম রাখতে সক্ষম হব দেখে নেওয়া যাক এই রেখা চিত্রের মাধ্যমে ।
(A-B) রেখা আপনার হতে থাকলে আপনি , ধীর স্থির , শান্তি প্রিয় ,যতেষ্ঠ উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন , সফল কাম ধনবান ও প্রচুর জীবনী শক্তি থাকে জাতকের মধ্যে এবং রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা থাকে এই রেখা তে।
(A-C) জাতক জীবনে নানা ভাবে লাভবান হয় ব্যবসা তে ভীষন উন্নতি করে জাতক প্রচুর জমির মালিকানা দ্বারা প্রভাব স্থাপন করে থাকে ।
(A-D) জাতক আত্মীয় স্বজন বন্ধবান্ধব দ্বারা প্রচুর সন্মানিত হয়ে থাকে , জাতকের শিল্প কলা জ্ঞানে সকলে মুগ্ধ হয় জাতকের ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে থাকে ।
(A-E) জাতকের এই রেখা আতক কে ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়র , কবি , সু-বক্তা , ও শাস্ত্র জ্ঞানে পারদর্শী করে থাকে ।
(A-F) এই জাতক নারি হতে বাধা প্রাপ্ত হয় , বিদেশ ভ্রমন হয় , জাতক আত্মীয় স্বজন হতে বাধা প্রাপ্ত হয় কিন্তু অন্য ব্যক্তির সাহাজ্যে উন্নতি লাভ করে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180425100058

Wednesday, April 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সমস‍্যা সমাধানে ১০টি উপায়

সমস‍্যা সমাধানে ১০টি উপায়


সময় ভীষণ খারাপ?..... আয়ের থেকে ব্যয় বেশী হয়ে যাচ্ছে? ............ হওয়া কাজ হচ্ছে না? ..... দেখুন তো .. কয়েকটা উপায় বলছি............ যদি আপনার কোনও উপকারে আসে.........
.
..১... প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাক-পক্ষীকে ভাজা শস্য দানা দান করুন।
.....২..... নিজের জামার বুক-পকেটে তুলসী পাতায় একটি চন্দনের টিপ দিয়ে কাছে রাখুন।
.........৩........ বাড়ির দক্ষিণ দিকে সাদা ফুলের গাছ রাখলে সৌভাগ্য আসবে।
.............৪.........কাজের টেবিলে একটি ত্রিভুজ আকৃতির স্ফটিক ও / বা অষ্টধাতুর মূর্তি রাখুন।
......৫............ শোবার ঘরে একটি পিতলের পাত্রে জল দিয়ে তিনটি পদ্মফুল, সাদা ফুলের তোড়া রাখুন।
........৬.... গাড়িতে সিঁদুর ও তেল দিয়ে সামনের দিকে একটি সূর্য চিহ্ন এঁকে রাখুন।
.....৭... সাদা, ক্রীম, আকাশী পোশাক পরুন। গোলাপজল মিশ্রিত জলে স্নান করুন।
..৮.....দিনে একবার অন্তত দারুচিনি ও মধু সেবন করুন। কুকুরকে উচ্ছিষ্ট নয় এমন খাবার দিন।
......৯.....একটা পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পৈতের সূতায় গলায় এমন ভাবে ধারণ করুন যা অনাহত স্পর্শ করে।
.......১০.....তুলসী ও দুর্বার শিকড় ৪ দিন অন্তর পাল্টিয়ে ধারণ করুন।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180425094732

Wednesday, April 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দৈনন্দিন জীবনে পজ্ঞীকার ভূমিকা

দৈনন্দিন জীবনে পজ্ঞীকার ভূমিকা


-: দৈনন্দিন জীবনে পঞ্চাঙ্গ জ‍্যোতিষ / পঞ্জিকার ভূমিকা :-
================================
বার, তিথি, নক্ষত্র,যোগ, করণ- এই পাঁচটিকে একত্রে পঞ্চাঙ্গ জ‍্যোতিষ / পঞ্জিকা বলে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

= বার =
সাধারণভাবে প্রায় সব কাজেই সোম, বুধ, বৃহঃ ও শুক্রবার শুভ। চন্দ্র দুর্বল থাকলে সোমবার অশুভ হবে। যে বারে কাজ করতে হবে সেই বারের অধিপতি গ্ৰহ বলবান হলে ভাল অর্থাৎ বুধবারে বুধ বলবান থাকবে ইত্যাদি।
কিন্তু ভ্রমণের ক্ষেত্রে সোম ও শনিবার পূর্বে যাত্রা ভাল নয়, মঙ্গল ও বুধবার উত্তরে যাত্রা অশুভ। শুক্র ও শনিবার পশ্চিমে অশুভ। বৃহস্পতিবার দক্ষিণে অশুভ।
ব‍্যবসার জন্য জিনিষ কেনায় শনিবার চলতে পারে। গরু কেনাতে শুভ। বন্ধকী বা বায়না করাতে মঙ্গল ও শুক্রবার অশুভ। উইল করার ক্ষেত্রে শুক্রবার অশুভ। বাড়ীর জন্য জমি কেনাতে শনিবার চলতে পারে। কৃষি জমি কেনার ক্ষেত্রে সোম ও বুধের সঙ্গে শনিবার চলবে। ফুল বা ফলের গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার শুভ।

= তিথি =
এই ত্রিশটি তিথির মধ্যে পনেরটি শুক্লপক্ষের অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে পরপর পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত এবং পনেরটি কৃষ্ণপক্ষের অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে পরপর অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত। সাধারণত এই তিথিগুলোকে তাদের নাম ও সংখ্যা দুটি নিয়মেই দেখানো যেতে পারে। প্রত‍্যেক তিথির একটা শুভ-অশুভ ফল পাওয়া যায়, যেমন-
★মস্তক মুন্ডনে- ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৭মী/ ১০মী/ ১১শী/ ১৩শী তিথি শুভ, ১মা/ ৪থী/ ৬ঠী/ ৮মী/ ৯মী/ ১৪শী এবং পূর্ণিমা, অমাবস্যা অশুভ।
★উপনয়নে শুক্লপক্ষের ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৭মী/ ১০মী/ ১৩শী তিথি এবং কৃষ্ণ পক্ষের ১মা/ ২য়া/ ৩য়া তিথি শুভ। ৪থী/ ৮মী/ ৯মী/ ১১শী/ ১২শী/ ১৪থী/ পূর্ণিমা, অমাবস্যা অশুভ।
★বিবাহের ক্ষেত্রে শুভ শুক্লপক্ষের ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৭মী/ ১০মী/ ১১শী/ ১৩শী/ তিথি। অশুভ কৃষ্ণপক্ষের ১১শী থেকে অমাবস্যা ও ৮মী/ ৬ঠী/ ১মা/ ৪থী/ ৯মী তিথি।
★নতুন বস্ত্র পরিধানে ৪থী/ ৯মী/ ১৪শী/ অমাবস্যা অশুভ।
★দাঁড়ি বা চুল কাটায় ৪থী/ ৬ঠী/ ১৪শী/ পূর্ণিমা/ অমাবস্যা অশুভ।
★নখ কাটায় ৮মী/ ৯মী/ ১৪শী/ পূর্ণিমা/ অমাবস্যা অশুভ।
★শিক্ষা আরম্ভে ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৬ঠী/ ১০মী/ ১১শী তিথি শুভ, ৪থী/ ৮মী/ ৯মী/ ১৪শী/ পূর্ণিমা/ অমাবস্যা অশুভ।
★বাড়ী তৈরীতে ৯মী বাদে সমস্ত বিজোড় তিথি শুভ। জোড়ের মধ্যে ২য়া/ ৬ঠী/ ১০মী শুভ।
★গৃহপ্রবেশ কৃষ্ণপক্ষের ১মা/ ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৭মী/ ১০মী/ ১১শী শুভ।
★জমি কেনাতে ৪থী/ ৯মী/ ১৪শী অশুভ।
★বাড়ী কেনায় ১মা/ ৬ঠী/ ১১শী শুভ।
★কৃষি জমি কেনায় ৪থী/ ৯মী/ ১৪শী অশুভ।
★ফসল কাটার জন্য ৪থী/ ৮মী/ ৯মী/ ১১শী/ ১২শী/ ১৪শী/ অমাবস্যা অশুভ।
★ভ্রমণে ২য়া/ ৩য়া/ ৫মী/ ৭মী/ ১০মী/ ১১শী/ ১৩শী/ ১৪শী/ পূর্ণিমা/ অমাবস্যা অশুভ।

= নক্ষত্র =
নক্ষত্রের সংখ্যা সাতাশ (২৭) টি। তার মধ্যে সাধারণত ভরণী, কৃত্তিকা, আদ্রা, অশ্লেষা, পূর্বাষাঢ়া, পূর্বভাদ্রপদ, পূর্বফাল্গুনী, বিশাখা, জ‍্যেষ্ঠা নক্ষত্র শুভ কাজে বর্জনীয়। এর মধ্যে ভরনী বা কৃত্তিকা অবশ্যই বর্জনীয়।
◆অন্নপ্রাশনে শুভ নক্ষত্র- অশ্বিনী, মৃগশিরা, পুনর্বসু, ধনিষ্ঠা, পুষ‍্যা, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, শ্রবনা, শতভিষা, চিত্রা, উত্তর ফাল্গুনী।
◆মস্তক মুন্ডনের ক্ষেত্রে- পুনর্বসু, মৃগশিরা, ধনিষ্ঠা, শ্রবনা, রেবতী, পুষ‍্যা, চিত্রা, হস্তা, অশ্বিনী শুভ।
◆হাতে খড়িতে- অশ্বিনী, পুনর্বসু, আদ্রা, হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবনা, রেবতী শুভ।
◆উপনয়নে- অনুরাধা, হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবনা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ, রেবতী, রোহিনী, মৃগশিরা, পুনর্বসু, পুষ‍্যা শুভ।
◆বিবাহের ক্ষেত্রে- রোহিনী, মৃগশিরা, মঘা, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, মূলা, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরভাদ্রপদ, রেবতী শুভ।
◆নতুন বস্ত্র পরিধানে- অশ্বিনী, রোহিনী, পুনর্বসু, পুষ‍্যা, চিত্রা, স্বাতী, বিশাখা, ধনিষ্ঠা, রেবতী শুভ।
◆দাঁড়ি কাটায়- পুষ‍্যা, পুনর্বসু, রেবতী, হস্তা, শ্রবনা, ধনিষ্ঠা, মৃগশিরা, অশ্বিনী, চিত্রা, জ‍্যেষ্ঠা, স্বাতী, শতভিষা শুভ।
◆ব‍্যবসার জন্য কেনাকাটা- পুষ‍্যা নক্ষত্র সবচেয়ে ভালো।
◆বাসস্থান পরিবর্তনে- হস্তা, মৃগশিরা, অনুরাধা খুব ভালো। নিজের জন্ম নক্ষত্র অশুভ।
◆উইল বানাতে- পুষ‍্যা নক্ষত্র শুভ।
◆বাড়ী তৈরী, ভিত্তি স্থাপনের জন্য রোহনী, মৃগশিরা, চিত্রা, হস্তা, জ‍্যেষ্ঠা, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবনা, শুভ।
◆দরজার ফ্রেম বসানোর জন্য শুভ হচ্ছে রোহিনী, মৃগশিরা, চিত্রা, অনুরাধা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ, রেবতী।
◆কুয়ো খোঁড়াতে- রেবতী, উত্তর ভাদ্রপদ, হস্তা, অনুরাধা, মঘা, শ্রবনা, রোহিনী, পুষ‍্যা শুভ।
◆গৃহপ্রবেশে- রোহিনী, মৃগশিরা, উত্তরাষাঢ়া, চিত্রা, উত্তর ভাদ্রপদ শুভ।
◆জমি কেনায়- অশ্বিনী, রোহিনী, মৃগশিরা, পুনর্বসু, পুষ‍্যা, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, শ্রবনা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ শুভ।
◆বাড়ী কেনার জন্য- মৃগশিরা, অশ্লেষা, মঘা, বিশাখা, মূলা, পুনর্বসু, রেবতী শুভ।
◆গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে- বীজ পুঁততে হবে হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, মঘা, পুষ‍্যা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ, রোহিনী, রেবতী, মূলা ও অনুরাধা নক্ষত্রে। ফুল গাছের বীজ পুঁততে- মৃগশিরা, পুনর্বসু, হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, অনুরাধা, রেবতী শুভ। এছাড়া অশ্বিনী - সুপারীর শুভ; পুনর্বসু - আখের শুভ; পুষ‍্যা - শষ‍্যের শুভ; স্বাতী, শ্রবনা - ধানের শুভ; অনুরাধা - তিলের শুভ; মূলা - লতানো গাছের শুভ; শতভিষা - কালো দানার জন্য ভালো।
◆ভ্রমণে শুভ নক্ষত্র- অশ্বিনী, মৃগশিরা, পুষ‍্যা, পুনর্বসু, হস্তা, অনুরাধা, শ্রবনা, মূলা, ধনিষ্ঠা, রেবতী। এবং ভরনী ও কৃত্তিকা চরম অশুভ।
◆মামলা ফাইল করার জন্য- অশ্বিনী, রোহিনী, মৃগশিরা, পুষ‍্যা, হস্তা, চিত্রা, অনুরাধা, ধনিষ্ঠা, রেবতী শুভ।

= যোগ =
যোগ সাতাশটি। সংখ্যা এবং ক্রমানুসারে তাদের বিভিন্ন নাম। এদের মধ্যে বিষকুম্ভ, পরিঘ, ব‍্যতিপাত, বজ্র, ব‍্যাঘাত, বৈধৃতি, শূল, গন্ড, অতিগন্ড, শুভ কাজে বর্জনীয়।
বিবাহে বর্জনীয় - ব‍্যতিপাত, ধ্রুব, গন্ড, বজ্র, শূল, বিষকুম্ভ, অতিগন্ড, ব‍্যাঘাত, পরিঘ।

= করণ =
করণ এগারোটি, এই এগারোটির মধ্যে সাতটি চর করণ এবং বাকি চারটিকে ধ্রুব করণ বলা হয়। এই ধ্রুব করণের মধ্যে শকুনি, চতুষ্পদ, নাগ, কিন্তুঘ্ন সব কাজেই অশুভ। আর চর করণের মধ্যে ববকরণ শুভ, স্থায়ী কাজে উত্তম। তৈতিল করণ বিবাহে শুভ এবং বিষ্টি করণ অত‍্যন্ত অশুভ, সব শুভ কাজেই বর্জনীয়, তবে নিষ্ঠুর কাজে শুভ।

এবার দেখা যাক উপরোক্ত পঞ্চাঙ্গের একত্রে কিছু শুভ বা অশুভ ফল, যেমন -

= তিথি ও বারের সংযোগ =
রবিবারে দ্বাদশী, সোমবারে একাদশী, বুধবারে দশমী, বৃহস্পতিবারে নবমী, শুক্রবারে অষ্টমী - কোন শুভ কাজে ভাল নয়।

= বার ও নক্ষত্রের সংযোগ =
●রবিবার- মঘা, ভরণী, ধনিষ্ঠা, অনুরাধা, মৃগশিরা, কৃত্তিকা, বিশাখা, অশ্বিনী, জ‍্যেষ্ঠা অশুভ।
●সোমবার- পুষ‍্যা, পূর্বাষাঢ়া, মঘা, বিশাখা, চিত্রা, অনুরাধা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ অশুভ।
●মঙ্গলবার- অশ্লেষা, আদ্রা, বিশাখা, জ‍্যেষ্ঠা, রেবতী, পূর্বাষাঢ়া অশুভ।
●বুধবার- মূলা, ভরণী, রেবতী, বিশাখা, পূর্বভাদ্রপদ অশুভ।
●বৃহস্পতিবার- শতভিষা, রোহিনী, কৃত্তিকা, চিত্রা, মৃগশিরা, আদ্রা অশুভ।
●শুক্রবার- স্বাতী, রোহিনী, ভরণী, বিশাখা, চিত্রা, ধনিষ্ঠা, পুষ‍্যা, অশ্লেষা, মঘা অশুভ।
●শনিবার- হস্তা, পুষ‍্যা, পুনর্বসু, চিত্রা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবনা, রেবতী অশুভ।

= তিথি ও নক্ষত্র যোগ =
দশমীতে রোহিনী, ত্রয়োদশীতে উত্তর ফাল্গুনী, প্রতিপদে পূর্বাষাঢ়া, দ্বাদশীতে অশ্লেষা, পঞ্চমীতে কৃত্তিকা, অষ্টমীতে পূর্বভাদ্রপদ অশুভ।

= তিথি, বার ও নক্ষত্র যোগ =
রবি, শনি ও মঙ্গলবার যখন দ্বিতীয়া, সপ্তমী, দ্বাদশী তিথি এবং নক্ষত্র থাকবে বিশাখা, উত্তর ফাল্গুনী, পূর্বভাদ্রপদ, পুনর্বসু, কৃত্তিকা বা উত্তরাষাঢ়া - তখন একে ত্রিপুষ্কর যোগ বলে, এটি অত‍্যন্ত অশুভ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180425084727

Tuesday, April 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা তারা

মা তারা

।।মা তারা ।।
তারা (দেবী)

তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী। তারার বিভিন্ন রূপান্তর উগ্রতারা, নীল সরস্বতী, কুরুকুল্লা তারা, খদির বাহিনী তারা, মহাশ্রী তারা, বশ্যতারা, সিতাতারা, ষড়ভূজ সিতাতারা, মহামায়া বিজয়বাহিনী তারা ইত্যাদি। বৌদ্ধধর্মেওতারাদেবীর পূজা প্রচলিত। তারার মূর্তিকল্পনা কালী অপেক্ষাও প্রাচীনতর।[১] কোনো কোনো মতে তারা দুর্গা বা চণ্ডীর রূপান্তর। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলারতারাপীঠে অবস্থিত দেবী তারার মন্দির বিখ্যাত।

তারাপীঠ

বাংলার অন্যতম প্রধান পূজিত দেবী হল কালী। নানা রূপে, নানা জটিল বিমূর্ততায় বাংলা জুড়ে এই শক্তির দেবী পূজিত হন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ। তবে তারাপীঠের আরও বেশি মাহাত্ম্য শক্তিপীঠ বা মহাপীঠ হিসাবে। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ হেজেমজে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর মা তারাসিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –- তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

বণিক জয় দত্তের তৈরি করে দেওয়া তারামায়ের মন্দিরটি আজ আর নেই। বর্তমানের উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি ১২২৫ বঙ্গাব্দে তৈরি করান মল্লারপুরের জগন্নাথ রায়। দেবী এখানে তারাময়ী কালী – মুখমণ্ডল ছাড়া সারা অঙ্গ বসনে আবৃত। সন্ধ্যায় দর্শন মেলে মূল দ্বিভুজা ছোট্ট মূর্তির। এর দুটি হাত, গলায় সাপের মালা, পবিত্র সুতোয় অলঙ্কৃত, বাঁ কোলে শিব স্তন্য পান করছে। শত শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না।

তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয় এবং প্রতিদিনই এখানে গরিবদের খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।

দেবী দর্শনের পর ঘুরে নিতে পারো বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এখানে রয়েছে সাধকের মূর্তি।

কলকাতা থেকে ২৬৪ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠে আসা যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে। নামতে হয় রামপুরহাট বা তারাপীঠ রোড স্টেশন

তারাপীঠ মন্দির
উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি লাল ইঁটে নির্মিত। এর ভিতের দেওয়াল বেশ মোটা। উপরিভাগে শিখর পর্যন্ত একাধিক ধনুকাকৃতি খিলান উঠেছে। চারচালার ওপরে চার কোণে চারটি ছোট ছোট চূড়া অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় একটি তামার পত্তাকাসহ ত্রিশীল তিনটি পদ্ম ভেদ করে উঠেছে। মন্দিরের প্রবেশপথের মধ্য খিলানের ওপর দুর্গার প্রতিকৃতি রয়েছে। উত্তরদিকে বামপাশের খিলানের ওপর

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঘটনা, ভীষ্মের শরশয্যা, অশ্বত্থমা হত প্রভৃতি মহাভারতের কাহিনী উৎকীর্ণ রয়েছে। মন্দিরের উত্তর ভিতের পূর্বদিকে সীতাহরণ, অকালবোধন, রাম ও রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য এবং পশ্চিমদিকে কৃষ্ণলীলার চিত্র খোদিত। ১২ ফুট X ৬ ফুট মাপের মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীমূর্তি সংস্থাপিত।শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারার মূল প্রস্তরমূর্তিটি একটি তিন ফুট উঁচু ধাতব মূর্তির মধ্যে রাখা থাকে। দর্শনার্থীরা সাধারণত ধাতব মূর্তিটিই দর্শন করে থাকেন। এই মূর্তিটি তারা দেবীর ভীষণা চতুর্ভূজা, মুণ্ডমালাধারিণী এবং লোলজিহ্বা মূর্তি। এলোকেশী দেবীর মস্তকে রৌপ্যমুকুট থাকে। বহির্মূর্তিটি সাধারণট শাড়ি-জড়ানো অবস্থায় গাঁদা ফুলের মালায় ঢাকা অবস্থায় থাকে। মূর্তির মাথার উপরে থাকে একটি রূপোর ছাতা। মূর্তিটির কপালে সিঁদুর লেপা থাকে। পুরোহিতেরা সেই সিঁদুরের টীকা পরিয়ে দেন দর্শনার্থীদের। প্রতিকৃতি বিগ্রহের নীচে গোল্কার বেদীতে দুটি রূপোর পাদপদ্ম থাকে। ভক্তরা নারকেল, কলা বা রেশমি শাড়ি দিয়ে দেবীর পূজা দেন। তারাদেবীর মূল মূর্তিটিকে "তারার কোমল রূপের একটি নাটকীয় হিন্দু প্রতিমা" বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ভূগোল
তারাপীঠ বীরভূম জেলার মারগ্রাম থানার অধীনস্থ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোটো গ্রাম (২৪.১১° উত্তর ৮৭.৮০° পূর্ব)।

পশ্চিমবঙ্গতে তারাপীঠ এর অবস্থান

স্থানাঙ্ক২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°০৭′ উত্তর ৮৭°৪৮′ পূর্ব | দেশভারতStateপশ্চিমবঙ্গজেলাসমূহবীরভূমনিকটবর্তী শহররামপুরহাটসময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)ওয়েবসাইটTarapith.in

এটি দ্বারকা নদীর তীরে অবস্থিত। প্লাবন সমভূমির সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে এই তীর্থস্থান অবস্থিত। কিছুকাল আগেও বাংলার সাধারণ মাটির বাড়ি আর মেছোপুকুরে ভরা গ্রামের থেকে তারাপীঠের খুব একটা পার্থক্য ছিল না। বর্তমানে অবশ্য তীর্থমাহাত্ম্যের কারণে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় গ্রামটি ছোটোখাটো শহরের আকার নিয়েছে। জেলার রামপুরহাট মহকুমার সদর রামপুরহাট শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে তারাপীঠ অবস্থিত। রামপুরহাট ও চাকপাড়ার 'তারাপীঠ রোড' রেল স্টেশনদুটি তারাপীঠের নিকটতম রেল স্টেশন।

কিংবদন্তি ও গুরুত্ত্ব

তারাপীঠ মন্দিরের উৎস ও তীর্থমাহাত্ম্য সম্পর্কে একাধিক কিংবদন্তি লোকমুখে প্রচারিত হয়ে থাকে। এগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিংবদন্তি হল "শক্তিপীঠ" ধারণাটির সঙ্গে যুক্ত পৌরাণিক কাহিনিটি। শিবের স্ত্রী সতী তাঁর পিতা দক্ষের "শিবহীন" যজ্ঞ সম্পাদনার ঘটনায় অপমানিত বোধ করে। স্বামীনিন্দা সহ্য করতে না পেরে তিনি যজ্ঞস্থলেই আত্মাহুতি দেন। এই ঘটনায় শিব ক্রুদ্ধ হয়ে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয়নৃত্য শুরু করেন। তখন বিষ্ণু শিবের ক্রোধ শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে দেন। সতীর দেহ একান্নটি খণ্ডে ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর নানা স্থানে পতিত হয়। এইসকল স্থান "শক্তিপীঠ" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গেও এই রকম একাধিক শক্তিপীঠ অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পীঠ হল কালীঘাট ও তারাপীঠ। সতীর তৃতীয় নয়ন বা নয়নতারা তারাপুর বা তারাপীঠ গ্রামে পড়ে এবং প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম এই রূপটি দেখতে পান এবং সতীকে তারা রূপে পূজা করেন। অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে: সমুদ্র মন্থনের সময় উত্থিত হলাহল বিষ পান করার পর বিষের জ্বালায় শিবের কণ্ঠ জ্বলতে শুরু করে। এই সময় তারাদেবী শিবকে আপন স্তন্য পান করিয়ে তাঁর জ্বালা নিবারণ করেন। স্থানীয় কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ তারাপীঠ নামে প্রসিদ্ধ এই তীর্থে দেবী সতীর পূজা শুরু করেন। পীঠস্থানগুলির মধ্যে তারাপীঠ একটি "সিদ্ধপীঠ", অর্থাৎ এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন।

লোকমুখে প্রচারিত একটি কিংবদন্তী অনুসারে, বশিষ্ঠ এখানে তারাদেবীর তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু তিনি অসফল হন। তখন তিনি তিব্বতে গিয়ে বিষ্ণুর অবতার বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বুদ্ধ তাঁকে বামমার্গে মদ্যমাংসাদি পঞ্চমকার সহ তারাদেবীর পূজা করতে বলেন। এই সময় বুদ্ধ ধ্যানযোগে জানতে পারেন মন্দিরে তারামূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার করার আদর্শ স্থান হল তারাপীঠ। বুদ্ধের উপদেশক্রমে বশিষ্ঠ তারাপীঠে এসে ৩ লক্ষ বার তারা মন্ত্র জপ করেন। তারাদেবী প্রীত হয়ে বশিষ্ঠের সম্মুখে উপস্থিত হন। বশিষ্ঠ দেবীকে অনুরোধ করেন বুদ্ধ যে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা তারাদেবীকে ধ্যানে দেখেছিলেন, দেবী যেন সেই রূপেই তাঁকে দর্শন দেন। দেবী সেই রূপেই বশিষ্ঠকে দর্শন দেন এবং এই রূপটি প্রস্তরীভূত হয়। সেই থেকে তারাপীঠ মন্দিরে শিশু শিবকে স্তন্যপানরতা মূর্তিতে দেবী তারা পূজিত হয়ে আসছেন।
শাক্তধর্মের তারাপীঠ ও বৈষ্ণবধর্মের নবদ্বীপ বাঙালি হিন্দুদের নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ রূপে পরিগণিত হয়।

শ্মশানঘাট
শহরের এক কোণে নদীর ধারে ঘন অরণ্য বেষ্টিত তারাপীঠ শ্মশানটি অবস্থিত। শ্মশানটি লোকালয় থেকে দূরে। তারাপীঠের শ্মশানটি শক্তিপীঠের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তারা দেবীকে শ্মশানের অন্ধকারে বলিপ্রদত্ত ছাগের রক্ত পান করতে দেখা যায়।

তন্ত্রসাধকরা
বিশ্বাস করেন নরকঙ্কাল ও শ্মশানক্ষেত্র তারা দেবীর বিশেষ প্রিয়। দেবীর যে সকল চিত্র আঁকা হয়ে থাকে, তাতে তাঁকে শ্মশানক্ষেত্রনিবাসিনী রূপেই দেখানো হয়। এই কারণে তন্ত্রসাধকেরা শ্মশানক্ষেত্রকেই তাঁদের সাধনস্থল হিসেবে বেছে নেন। অনেক সাধুই পাকাপাকিভাবে এখানে বাস করেন। শ্মশানে অনেক জটাধারী ভষ্মমাখা সাধু দেখা যায়। তাঁরা বটবৃক্ষের তলায় নিজেদের কুটির সৃজন করে বাস করেন। এই সব কুটিরের মাটির দেওয়ালে তাঁরা সিঁদুরমাখানো নরকপাল গ্রথিত করে রাখেন। কুটিরের দেওয়ালে শোভা পায় গাঁদার মালায় শোভিত হিন্দু দেবী ও তারাপীঠের সন্তদের ছবি। কুটিরের

প্রবেশ পথের
কাছে অনেক সময়েই মাল্যভূষিত ত্রিশূল ও নরকপাল রেখে দেওয়া হয়। তন্ত্রসাধনায় মানুষ ছাড়াও সাপ, ব্যাং, শিয়াল ও খরগোসের করোটি প্রয়োজন হয়। এগুলির পাশপাশি সাপের খোলসও কুটিরে রাখা থাকে। ভাল নরকপাল পূজা ও মদ্যপানের জন্য ব্যবহৃত হয়। কুমারী মেয়ে ও আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিদের মাথার খুলির অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করা হয়।

বামাক্ষ্যাপা
তারাপীঠের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সাধক হলেন বামাক্ষ্যাপা (১৮৪৩-১৯১১)। মন্দিরের নিকটেই তাঁর আশ্রম ছিল। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাদেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মন্দিরে পূজা করতেন এবং শ্মশানে সাধনা করতেন। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের অপর প্রসিদ্ধ কালীভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক। অল্প বয়সেই তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং কৈলাসপতি বাবার সান্নিধ্যে তন্ত্রসাধনা শুরু করেন। পরে তিনি সমগ্র তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ বা আরোগ্য প্রার্থনা করতে আসত। কেউ কেউ আবার শুধুই তাঁকে দর্শন করতে আসত। তিনি মন্দিরের নিয়ম মানতেন না। একবার নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে খেয়ে ফেলে তিনি পুরোহিতদের রোষ দৃষ্টিতে পড়েছিলেন। শোনা যায়, এরপর তারাদেবী নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে দেবীর পুত্র বামাক্ষ্যাপাকে প্রথমে ভোজন করাতে আদেশ দেন। এরপর থেকে মন্দিরে দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদনের পূর্বে বামাক্ষ্যাপাকে ভোজন করানো হত এবং কেউ তাঁকে বাধা দিতেন না। কথিত আছে, তারাদেবী শ্মশানক্ষেত্রে ভীষণা বেশে বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়ে তাঁকে স্তন্যপান করিয়েছ
তারার ধ্যান

ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।

খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।

চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।

কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।

পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।

বালার্কমণ্ডলাকা

রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।

জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।

স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।

বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।

অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূপধৃক্।।
প্রনাম

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।
জোতিষ শাস্ত্রে মা তারা বৃহস্পতির ইষ্টদেবী

মন্ত্র – ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা – তারা।
ধারণরত্ন – পোখরাজ, ধূপ – দশাঙ্গ, বার – বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় – বেলা ১২ পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180424193152

Tuesday, April 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহরত্নের মূল‍্য

গ্ৰহরত্নের মূল‍্য

GOOD AFTERNOON

NABGRAHA GEMS
ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
CONTACT NO :7001608053

AMETHYST:- 200 , 300 , 400 /RATTI
CATSEYE :- 1500 , 2000 ,3000, 3500, 4000 /RATTI
CATSEYE (IND):- 300 , 400,500 / RATTI
CORAL(RED):-700 , 1200 , 2000 , 2500/ RATTI
CORAL(WHITE):-200 , 400 , 450/ RATTI
CORAL (WHITE JAPANI):-300 , 500/ RATTI
DIAMOND WHITTE:-500 , 600 , 700 , 1000 , 1500 , 2000/ CENT
FIROZA:-200 , 400, 500/ RATTI
GOMED(SELONESE):-400 ,500, 600 , 800/ RATTI
GOMED(YELLOW):-400/ RATTI
MOONSTONE(WHITE):-200 , 300/ RATTI
MOONSTONE(BLUE):-400 , 600/ RATTI
OPAL:-500 ,1000 ,1500,1800,2000,2500/ RATTI
PANNA:-1500,2000,3000,5000,7000 / RATTI
PANNA(COLOMBIAN):-5000/ RATTI
PEARL(SOUTH SEA):-200,400,500 / RATTI
PEARL(K.C):-300,500/ RATTI
PEARL(BURMESE):-600,800,1200,1500/ RATTI
PEARL(NEW BURMESE):-300,400,500/ RATTI
PEARL©:-100,200/ RATTI
PEARL (BLACK):-100,200/ RATTI
RUBY:-1000,1500,2000,2500,3000,3500,4000,5000/ RATTI
RUBY(OLD BURMA):-7000 , 9000 / RATTI
RUBY(STAR):-300/ RATTI
SAPPHIRE(YELLOW):-1500,3000,5000/ RATTI
SAPPHIRE(YELLOW SELONESE):-4000,5000,6000,7000,10000,12000/ RATTI
SAPPHIRE(BLUE):-2500,3000,3500,4000/ RATTI
SAPPHIRE(BLUE SELONESE):-4000,5000,6000,7000,10000,12000/ RATTI
SAPPHIRE(YELLOW BLUE/PITAMBARI):-2000,3000,4000,5000/RATTI
SAPPHIRE(YELLOWBLUE PITAMBARI SELONESE):-4000,5000,6000,7000,10000,12000/RATTI
TOPAZ(WHITE):-300,400/RATTI
TOPAZ(YELLOW):- 200,300,400/ RATTI
TOPAZ (BLUE):-300,500/ RATTI
TOPAZ(GREEN):-500/ RATTI
ZIRCON(WHITE):-1500,2000,2500/RATTI
ZIRCON(BLUE):-1000,1500,2000,2500/RATTI
ZIRCON(YELLOW):-1500/RATTI
ZIRCON(RED):-1500,2000,3000/ RATTI
PERIDOT/OLIVIN:-1500/RATTI

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180424140645

Tuesday, April 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কালো ঘোড়ার নাল

কালো ঘোড়ার নাল


ঘোড়ার নাল ও তার উপকারিতা
=================
ঘোড়ার নাল জ্যোতিষ শাস্ত্রে এক গুরুত্ব পূণ ভূমিকা আছে। অশুভ শক্তি নাশে অব্যর্থ । বাধা প্রাপ্ত মানুষকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করে।
ঘোড়ার নালের ঠিক ঠাক ব্যবহার কি ভাবে করবেন। বাড়িতে নাল রাখলে ঘর ধন-ধান্যে ভরে থাকে। যে বাড়িতে ঘোড়ার নাল থাকে সেখানে কখনও অন্নাভাব হয় না। ঘোরার নাল ব্যবহারে শনি দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্ত উপায় করলে শনির কৃপার পাশাপাশি লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন। অন্নাভাব থেকে বাঁচার উপায় কালো ঘোড়ার নালকে কালো কাপড়ে জড়িয়ে শস্যভাণ্ডার বা এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে শস্য থাকে।
দরজায় কী ভাবে নাল লাগাবেন~~~
ঘোড়ার নালকে উল্টো করে অর্থাত্‍‌ এমন ভাবে দরজায় লাগাতে হবে, যাতে এটি ইংরেজি ইউ অক্ষরের মতো দেখতে হয়। দরজায় ঘোড়ার নাল লাগালে কোনও ধরনের নেগেটিভ এনার্জি বাড়িতে প্রবেশ করে না। কারও কু-দৃষ্টিও বাড়িতে পড়ে না।
‌দেবী-দেবতার কৃপার জন্য ঘোড়ার নালকে সোজা করে দরজায় লাগালে, বাড়িতে দেবী-দেবতাদের আশীর্বাদ থাকে। পরিবেশ পবিত্র থাকে। ব্যবসায় লাভের জন্য ব্যবসার স্থানে ঘোড়ার নাল রাখলে ধন বৃদ্ধি হয়। ব্যবসায়ে লাভ বাড়ে। লক্ষ্মীর প্রসন্নতার জন্য যেখানে টাকা-পয়সা রাখা থাকে, সেখানে কালো ঘোড়ার নালকে কালো কাপড়ে জড়িয়ে রাখুন। এর ফলে ধন বৃদ্ধি হয়। কোষ্ঠিতে শনি অশুভ হলে ছোট ছোট কাজেও বাধা আসে। সেই সমস্ত কাজে সাফল্য অর্জনের জন্যও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। শনির দোষ দূর করার জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রে বেশ কয়েকটি উপায়ের কথা বলা রয়েছে। কালো ঘোড়ার নালের আংটি মধ্যমায় পরলে, শনির অশুভ প্রভাব অনেকটা কম হয়। যে কোনও শনিবারই এই আংটি পরতে পারেন। আংটি পরার একদিন আগে, শুক্রবার রাতে তা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। শনিবার সেই আংটিকে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। তার পর আংটির পুজো করে শনিমন্ত্র জপ করুন। পুজো শেষ হওয়ার পর মধ্যমায় সেই আংটি পরুন।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
WEBSITE:www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180424115441

Tuesday, April 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা সন্তোষী

মা সন্তোষী

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
প্রতি শুক্রবার জয় সন্তোষী মা ব্রত পালনের ফল।

ভক্তের মনোকামনা পূর্ণ করে সন্তুষ্টি দেন | তাই তিনি সন্তোষী মা | উত্তর ভারতে তাঁর পুজো খুবই প্রচলিত | বাঙালি ঘরে ঘরেও পূজিতা হন দেবী |

পৌরাণিক মতে তিনি গণেশের কন্যা | গণেশের দুই ছেলে শুভ আর লাভের ইচ্ছে হল বোনের হাতে রাখী পরবেন | কিন্তু গণেশের কোনও কন্যা ছিল না | পুত্রদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে এক কন্যার সৃষ্টি করলেন গণেশ |

তাঁর হাতে রাখী পরলেন শুভ আর লাভ | দাদাদের মনের ইচ্ছে পূর্ণ করলেন বলে তাঁর নাম হল সন্তোষী | বাঘের পিঠে আসীন এই দেবী পূজিতা হন দুর্গার অবতার রূপেও |

প্রতি শুক্রবার তাঁর পুজো করা হয় | জয় সন্তোষী মা নামে প্রচলিত এই ব্রত | প্রচলিত বিশ্বাস হল‚ পরপর ষোল সপ্তাহ ধরে এই ব্রত পালন করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় |

পুজোর জন্য লাগবে‚

সন্তোষী মায়ের ছবি
ব্রতকথার বই

ঘট
পানপাতা
ফুল
কর্পূর
ধূপকাঠি
প্রদীপ‚ ঘি বা তেলে পূর্ণ
হলুদ
সিঁদুর
ঘটে রাখার জন্য ফল‚ মূলত নারকোল বা কলা
হলুদ মেশানো আতপ চাল
ছোলা‚ গুড় আর কলা হল প্রসাদ

পুজো পদ্ধতি :

ঘরের এক কোণ পরিষ্কার করে কাঠের আসন পাতুন | প্রতিষ্ঠা করুন দেবী ছবি | নইলে রোজ যেখানে পুজো করেন‚ সেখানেও করা যায় |

শুক্রবার সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার বসনে দেবীর সামনে ঘট প্রতিষ্ঠা করুন | ঘটে গঙ্গাজল ‚ বা গঙ্গাজল না পেলে এমনি পরিষ্কার জল দিয়ে পূর্ণ করুন | ঘটের উপর ফল রাখুন | প্রসাদ হিসেবে দিন ছোলা‚ গুড় এবং কলা |
প্রথমে সন্তোষী মায়ের বাবা গণেশ এবং দুই মা ঋদ্ধি ও সিদ্ধির পুজো করুন | তারপর সন্তোষী দেবীর ব্রতকথা পাঠ করুন |

পাঠ শেষে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিন | প্রণাম করে বলুন‚ ‘ জয় সন্তোষী মা !’ এরপর আরতি করুন | শান্তির জল ছিটিয়ে দিন বাড়ির সর্বত্র |

প্রসাদ বিতরণ করে ওই প্রসাদ দিয়েই ভঙ্গ করতে পারেন উপবাস | বা সারাদিনও রাখতে পারেন উপবাস | শুক্রবার সন্তোষী মায়ের আবির্ভাবের দিন বলে ওইদিন এই পুজো পালিত হয় | কোনও তিথি নক্ষত্রের বিধিনিষেধ নেই | যেকোনও বয়সী নারীপুরুষ এই ব্রত পালন করতে পারেন |

ব্রতপালনের একটাই মূল শর্ত হল‚ যিনি পালন করবেন‚ সেই ব্রতী এদিন টকজাতীয় কিচ্ছু খেতে পারবেন না | প্রসাদেও টক খাবার যেন কিছু না থাকে |

ষোল সপ্তাহ বা চারমাস পরে উদযাপন করতে হয় ব্রত | ওইদিন একইভাবে পুজো করার পরে আটজন বালককে ডেকে ভোজন করাতে হয় | নিজের পরিবারে না থাকলে পরিচিতদের থেকে নিমন্ত্রণ জানানো যায় বালকদের | ভোজনের পরে তাদের বস্ত্র‚ ফল এবং দক্ষিণা দিতে পারেন |

প্রণাম : নমস্তে সন্তোষী মাতারৈ সর্ব দেবাণাং পরমাপ্রিয়ে।যস‍্য ত্রিতেভ‍্য ত্রিপতেন্তু পূর্ণ ব্রম্ভ রুপং স্বয়ং।

আজকের দিনটি কেমন যাবে
( শুক্রবার, ০৫/০১/২০১৮ )

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) আজ মেষ রাশির দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আর্থিক দিক বলবান হয়ে উঠবে। খুচরা ব্যবসায় ভালো আয়ের যোগ। বিবাহের কথাবার্তায় অগ্রগতি হতে চলেছে। বৈদেশীক যোগাযোগ শুভ। অংশিদারী ব্যবসায় ভালো লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। দাম্পত্য সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে। আজ স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ২

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে) আজ বৃষ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি মিশ্র সম্ভবনাময়। কাজ কর্মে কিছু বাধা বিপত্তি দেখা দেবে। শরীর হটাৎ খারাপ হতে পারে। কাজের লোকের সাথে কোন কারেনে তর্ক বিতর্ক হবার আশঙ্কা। কোনো মূল্যবাণ দ্রব্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। শত্রুর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা প্রবল। গৃহপালিত প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ৩

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) আজ মিথুন রাশির জাতক জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। পড়াশোনায় ব্যস্ত হতে পারেন। আজ প্রেমিকার সাথে ঘোরাঘুরি করার সম্ভাবনা। শিল্প সাহিত্যের সাথে জড়িতদের দিনটি ভালো যাবে। কোনো সংস্কিৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সন্তানের সাথে বেড়াতে যাওয়ার যোগ দেখা যায়। নিঃসন্তান দম্পতিরা সন্তানের জন্য কোনো চিকিৎসকের স্মরাণাপন্ন হবেন।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ২

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) আজ কর্কট রাশির জাতক জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। বাড়ীতে বহু আত্মীয় সমাগমের যোগ রয়েছে। প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। যানবাহন ক্রয়ের সম্ভাবনা প্রবল। গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত হতে পারেন। জমি ভূমি আবাসন সংক্রান্ত আলোচনায় লাভবান হবেন। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে না। গৃহস্থালী আসবাবপত্র ক্রয়ের সম্ভাবনা প্রবল।
শুভ রং: বাদামি
শুভ সংখ্যা: ২

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট) সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের প্রতিবেশীর বাড়ীতে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হতে পারে। দূর থেকে ভালো সংবাদ আশা করা যায়। আজ বস্ত্র ও স্বর্ণালঙ্কার লাভের যোগ প্রবল। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ আসতে পারে। ছোট ভাই বোনের বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি আশা করা যায়। যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
শুভ রং: আকাশি
শুভ সংখ্যা: ৩

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) কন্যা রাশির জাতক জাতিকাদের দিনটি অনুকূল থাকবে। বকেয়া বিল আদায়ের সম্ভাবনা প্রবল। আজ কোনো বিয়ে বা জন্ম দিনে অংশ নিতে পারেন। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো লাভের যোগ রয়েছে। বাণিজ্যিক আলাপ আলোচনায় অগ্রগতি হতে পারে। খাদ্য ব্যবসায়ীদের দিনটি লাভদায়ক।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ২

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) তুলার জাতক জাতিকার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে বৈঠক করতে পারেন। রাজনৈতিক কাজ কর্মে সম্মানীত হবার যোগ প্রবল। শিক্ষক ও গবেষকদের দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আজ কোনো পেশাজীবী সঙ্গঠনের সভায় অংশ নিতে পারেন। বিদেশে কর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি হবে।
শুভ রং: কমলা
শুভ সংখ্যা: ৩

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) আজ বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকার দিনটি ব্যয়বহুল। দূরে কোথাও ভ্রমনে যেতে পারেন। উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কারনে ভ্রমনের সম্ভাবনা প্রবল। বৈদেশীক কর্মকান্ডে সফল হবেন। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত থাকবেন। প্রবাসীদের দিনটি ভালো যাবে।
শুভ রং: লাল
শুভ সংখ্যা: ২

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) আজ ধনু রাশির জাতক জাতিকার বিদেশে ভর্তি সংক্রান্ত ঝামেলার সমাধান করতে পারবেন। বন্ধু ভাগ্য বলবান। কাজ কর্মে বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারী কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। বৈদেশিক কাজ কর্মে অগ্রগতি আশা করা যায়। বাড়ীতে বড় ভাই বোনের আগমন হতে পারে। বকেয়া কিছু টাকা আদায়ের যোগ প্রবল। আর্থিক সঙ্কটের অবশান হবে।
শুভ রং: মেরুন
শুভ সংখ্যা: ৫

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) মকর রাশির জাতক জাতিকার দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। আজ কোনো সামাজিক বা সাঙ্গঠনিক কাজে সফল হতে পারেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্য লাভের সম্ভাবনা। বিদ্যার্থীদের দিনটি ভালো যাবে। কোনো প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় সফল হতে পারেন।
শুভ রং: সবুজ
শুভ সংখ্যা: ৫

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) আজ কুম্ভর জাতক জাতিকাদের উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম শুভ। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ চলে আসবে। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মীক কাজে দূরে কোথাও যেতে পারেন। পিতার সাহায্যে বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। কোনো ব্যক্তিগত কাজে শিক্ষকের সাহায্য পেতে পারেন। ধর্মীয় কোনো ব্যক্তির সাহায্য কাজে আসবে । কোন পরীক্ষায় সফল হতে পারেন।
শুভ রং: সাদা
শুভ সংখ্যা: ১

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) আজ মীন রাশির জাতক জাতিকাদের দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। ভুলবুঝাবুঝির কারনে কিছু ঝামেলা হতে পারে। পাওনাদারকে আজ কিছু টাকা পয়সা দিতে হবে। চিকিৎসক ও ঔষধ বিক্রেতাদের দিনটি ভালো যাবে। ঝুঁকি নিয়ে কোনো বিনিয়োগ করলে তাতে লোকসানের আশঙ্কা। কোনো বির্তকে নিজেকে জরাবেন না ।
শুভ বর্ণ : হলুদ
শুভ সংখ‍্যা: হলুদ

ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 1000/

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180424114455

Monday, April 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ষঢ়াস্টক যোগ

ষঢ়াস্টক যোগ

★★★ষঢ়াস্টক যোগ★★★
---------------------------------------
জন্মছকে ষষ্ঠ বা অষ্টমে একের অধিক গ্রহ অবস্থান করলে এই যোগ উৎপন্ন হয়। বিশেষ করে ওই গ্রহ দুটি পরস্পরের শত্রু হয় তাহলে এই যোগ তীব্রতা বেশী থাকে।এর যোগের ফলে প্রচন্ড শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
প্রতিকারঃ-
--------------
(১)বগলামুখী মন্ত্র জপ করতে হবে।
(২)লালকিতাব অনুযায়ী কুকুরকে খেতে দেওয়া বা পুষতে হবে।
(৩)ধূমাবতী কবচ ধারন করতে হবে
kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
contact no 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180423170738

Monday, April 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা ছিন্নমস্তা

মা ছিন্নমস্তা

#ছিন্নমস্তার ইতিহাস#
★★★★★★★★★★★★★★★
এক হাতে নিজেরই কাটা মুণ্ডু, অপর হাতে কাতারি।কাটা গলা থেকে ফিনকি দিয়ে উঠেছে তিনটি রক্তের ধারা। দেবী নিজের ছিন্ন মুণ্ডকে রক্তপান করাচ্ছেন। রক্তপান করছেন, দেবীর দুই সখিও। আর দুই পায়ে দলছেন সংগমরত এই যুগলকে। এই রূপ আমাদের সকলেরই চেনা। হ্যাঁ, ইনিই দেবী ছিন্নমস্তা বা প্রচণ্ডচণ্ডিকা। দশমহাবিদ্যার অন্যতমা। কিন্তু কে এই দেবী ছিন্নমস্তা? কেনই বা হিন্দুরা এমন উগ্রমূর্তি এক দেবীকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করেন?কারণ, এই দেবী ছিন্নমস্তা আত্মবলিদান ও কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরণের প্রতীক। অন্যদিকে তিনি একাধারে যৌনশক্তি ও যৌনসংযমের প্রতীক। আবার অপর এক দিক থেকে দেখলে, তিনি জগজ্জননীর জীবনদাত্রী ও জীবনহন্তী-এই দুই পরস্পরবিরোধী সত্ত্বার যুগলমূর্তি। বর্তমান নিবন্ধে তন্ত্র, পুরাণ ও আধুনিক গবেষকদের মতামত ঘেঁটে দেখব, ছিন্নমস্তার মূর্তিতে মাতৃসত্ত্বা, আত্মবিধ্বংসী ক্রোধ ও কামলালসার দমন-এই তিনটি আপাতবিচ্ছিন্ন ভাবধারা কেমন সুচারুভাবে গ্রথিত হয়েছে একটি মালায়।

কোথা থেকে এলেন দেবী ছিন্নমস্তা?
********************************
দেবী ছিন্নমস্তার উৎস সম্পর্কে দুটি মত প্রচলিত। একটি মত অনুসারে, দেবী তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম থেকে হিন্দুধর্মে প্রবেশ করেছেন। অপর মতে, কালী প্রভৃতির মতো ছিন্নমস্তাও এক প্রাচীন বৈদিক দেবীর বিবর্তিত রূপ।
তান্ত্রিক ও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দেবী বজ্রযোগিনী বা বজ্রবারাহীর একটি ছিন্নমস্তক মূর্তি আছে। এই মূর্তির নাম ছিন্নমুণ্ডা। মূর্তিটি অনেকটা আমাদের ছিন্নমস্তার মতোই। বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রে দেবী ছিন্নমুণ্ডার একটি জন্মবৃত্তান্ত পাওয়া যায়: দুই বোন মেখলা ও কনখলা ছিলেন কৃষ্ণাচার্যের শিষ্যা। উভয়েই ছিলেন মহাসিদ্ধা। তাঁরা নিজেদের মাথা কেটে গুরুকে উপহার দেন এবং তারপর নৃত্য শুরু করেন।

দেবী বজ্রযোগিনীও ওইরকম মুণ্ডহীন বেশে এসে তাদের সঙ্গে নৃত্যে যোগ দেন। অপর একটি বৌদ্ধ কাহিনিতে পাই, গুরু পদ্মসম্ভবের এক শিষ্যা পূর্বজন্মে ছিলেন রাজকুমারী লক্ষ্মীঙ্করা। রাজশাস্তি গ্রহণ করে তিনি নিজের মাথা কেটে নগর পরিক্রমা করলে নগরবাসী তাঁকেই ছিন্নমুণ্ডা-বজ্রবারাহী রূপে পূজা করে।
গবেষক বিনয়তোষ ভট্টাচার্য বৌদ্ধগ্রন্থ সাধনমালা (১১৫৬ খ্রিস্টাব্দ) এবং হিন্দুগ্রন্থ ছিন্নমস্তাকল্প ও তন্ত্রসার (সপ্তদশ শতাব্দী) প্রভৃতি আলোচনা করে এই মত প্রকাশ করেছেন যে, বৌদ্ধদের ছিন্নমুণ্ডা ও হিন্দুদের ছিন্নমস্তা একই দেবী; পার্থক্য শুধু দেবী ছিন্নমস্তার নাগযজ্ঞোপবীত (সাপের তৈরি পৈতে) ও পায়ের তলায় শায়িত কামরতির মূর্তিতে। এই দুইটি ছিন্নমুণ্ডার মূর্তিতে অনুপস্থিত।
সাধনমালা-য় দেবীর নাম সর্ববুদ্ধা এবং তাঁর সহচরীদ্বয়ের নাম বজ্রবৈরোচনী ও বজ্রবর্ণনী। আশ্চর্যজনক নামের মিল দেখা যায় তন্ত্রসার-এ। সেই গ্রন্থে তাঁর নাম সর্বসিদ্ধি এবং তাঁর সহচরীদের নাম ডাকিনী, বৈরোচনী ও বর্ণনী। দুই দেবী মিলে গিয়েছেন ছিন্নমস্তাকল্প-এ এসে। এই গ্রন্থে দেবীর নাম সর্ববুদ্ধি এবং তাঁর সহচরীদের নাম বজ্রবৈরোচনী ও বজ্রবর্ণনী। বিনয়তোষবাবুর মতে, সপ্তম শতাব্দীতে পূজিতা বৌদ্ধদেবী ছিন্নমুণ্ডাই হিন্দুদেবী ছিন্নমস্তার উৎস।
তবে বিনয়তোষবাবুর এই মত বিতর্কের উর্ধ্বে নয়। শঙ্করনারায়ণ প্রমুখ গবেষক দেবী ছিন্নমস্তার বৈদিক যোগসূত্রটির অনুসন্ধান করেছেন। একটি মতে, বৈদিক দেবী নিঋতির বৈশিষ্ট্যগুলি পরবর্তী অর্থাৎ পৌরাণিক যুগে কালী, চামুণ্ডা, করালী, ছিন্নমস্তা প্রভৃতি দেবীর মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে যায়।
যে দুই হিন্দু ধর্মগ্রন্থে প্রথম দেবী ছিন্নমস্তার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেদুটি বই হল মহাভাগবত পুরাণ (আনুমানিক ৯৫০ খ্রিস্টাব্দ) ও দেবীভাগবত পুরাণ (আনুমানিক ১১০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ)। দুটিই শাক্ত পুরাণ। এলিজাবেথ অ্যানি বার্নার্ডের মতে, উৎস যাই হোক না কেন, খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে যে দেবী ছিন্নমস্তা বা ছিন্নমুণ্ডার পূজা প্রচলিত ছিল এবং মহাসিদ্ধারা তাঁর পূজা করতেন-একথা অনস্বীকার্য।

কারেল আর. ভ্যান কুইজ আবার তান্ত্রিক দেবী বারাহী ও চামুণ্ডার মধ্যেও ছিন্নমস্তার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। গবেষক ডেভিড কিংসলে কিন্তু মেনে নিচ্ছেন ছিন্নমস্তার বৌদ্ধ উৎসের কথা। তবে তাঁর মতে, সেটাই একমাত্র উৎস নয়। দেবী ছিন্নমস্তায় এসে মিশেছে অন্যান্য প্রভাবও। তাঁর মতে, মহাবিদ্যার ধারণাটির উদ্ভব হয়েছিল আনুমানিক দ্বাদশ শতাব্দীতে। আর আগেও হিন্দু দেবমণ্ডলীতে নগ্ন ও কবন্ধাকার দেবীরা ছিলেন এবং ছিন্নমস্তার রূপের বিবর্তনে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
এই সব দেবীরা নাকি ছিলেন যৌনশক্তির প্রতীক; আর তাই তাঁদের যৌনাঙ্গের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই তাঁদের কবন্ধাকার কল্পনা করা হত-এমনটাই গবেষক কিংসলের মত। তবে তাঁর এই তত্ত্ব ছিন্নমস্তার সামগ্রিক রূপকল্পটির ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম। কেউ কেউ বলেন যে, এমনও হতে পারে, কুচক্রী যুদ্ধদেবী কোটাভী ও দক্ষিণ ভারতীয় মৃগয়াদেবী কোরাভাই-এর রূপটি ছিন্নমস্তার রূপ কল্পনার পিছনে অনুপ্রেরণার কাজ করেছিল। কোনো কোনো মতে, কোটাভি মাতৃকা-নাম্নী দেবীমণ্ডলীর সদস্য। তিনিও নগ্না বা বিস্রস্ত বসনা এবং ভীষণাকার।
বিষ্ণু পুরাণ ও ভাগবত পুরাণ মতে, তিনি বিষ্ণুর শত্রু। অন্যদিকে কোরাভাইও ভীষণাকার। তিনি যুদ্ধ ও বিজয়ের দেবী। সেই হিসেবে দু-জনের যোগ যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে। ছিন্নমস্তার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের কিন্তু কোনো যোগ নেই। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হিন্দু পুরাণের নগ্না ও ভীষণাকৃতি দেবীরা দৈত্যরক্ত পান করে থাকেন। ছিন্নমস্তাই একমাত্র যিনি নিজের মুণ্ড ছিন্ন করে নিজেরই রক্ত পান করছেন।

গল্পকথায় ছিন্নমস্তা
******************
তন্ত্রে-পুরাণে দেবী ছিন্নমস্তাকে ঘিরে বেশ অনেকগুলি উপকথা দানা বেঁধেছে। গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্র ও মুণ্ডমালা তন্ত্র-এ দশমহাবিদ্যার দশজন শক্তিদেবীকে বিষ্ণুর এক এক অবতারের উৎস রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত দুটি তন্ত্র মতে ছিন্নমস্তা যথাক্রমে নৃসিংহ ও পরশুরাম অবতারের উৎস।
মহাভাগবত পুরাণ-এ দশমহাবিদ্যার উৎপত্তির গল্পটি পাই: দক্ষের মেয়ে দাক্ষায়ণী (সতী) বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিবকে বিয়ে করেন। এহেন "লাভ ম্যারেজ" দক্ষ মোটেও মেনে নিতে পারেন না। কারণ, শিবকে তিনি মোটেও পছন্দ করেন না।
যাই হোক, কিছুদিন পর দক্ষ এক যজ্ঞের আয়োজন করলেন। নিজের মেয়ে-জামাইকে বাদ দিয়ে সকল দেবদেবীকে সেই যজ্ঞে নিমন্ত্রণ জানালেন দক্ষ। দাক্ষায়ণী ভাবলেন বুঝি, কাজের বাড়িতে নানা কাজের চাপে বাবা তাঁকে নিমন্ত্রণ করতে ভুলে গেছেন। তিনি বিনা নিমন্ত্রণেই যজ্ঞ দেখতে যাওয়ার জন্য শিবের অনুমতি চাইলেন। শিব কিন্তু শ্বশুরের মন বুঝেছিলেন। তিনি বললেন, "তোমার বাবা নিমন্ত্রণ করেননি। বিনা নিমন্ত্রণে যাওয়া কি ভাল দেখায়?"
কিন্তু দাক্ষায়ণীও ছাড়বার পাত্র নন। শিব একটু জেদ করতেই তিনি শিবকে ভয় দেখাবার জন্য দশ মূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করলেন। সেই দশ ভীষণাকার দেবীমূর্তি দশ দিক থেকে শিবকে ঘিরে ধরল। এই দশ মূর্তি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত। এঁদের মধ্যে ছিন্নমস্তা ছিলেন পশ্চিমে, শিবের ডানদিকে। শেষমেষ শিবকে স্ত্রীর আবদারের কাছে হার মানতেই হল। (কাহিনির পরবর্তী অংশ অনেকেরই জানা এবং এখানে অপ্রাসঙ্গিক বলে তা আর কথিত হল না) অপর একটি কিংবদন্তি অনুযায়ী, শিব পার্বতীর প্রতি বীতরাগ হয়ে গৃহত্যাগ করতে চাইলে পার্বতী দশমহাবিদ্যার রূপ ধরে শিবের পথ রোধ করেন। দেবীভাগবত পুরাণ মতে, দশমহাবিদ্যা দেবী শাকম্ভরীর অংশসম্ভূতা ও তাঁর যুদ্ধসহচরী।
নারদ পঞ্চরাত্র ও স্বতন্ত্র তন্ত্র থেকে দেবী ছিন্নমস্তা ও তাঁর দুই সহচরীর জন্মকাহিনি সংকলিত হয়েছে প্রাণতোষিণী তন্ত্র-এ। স্বতন্ত্র তন্ত্র মতে, একদা শিব ও চণ্ডিকা (পার্বতী) রতিসংগমে রত ছিলেন। চণ্ডিকা ছিলেন বিপরীত রতিতে। এমতাবস্থায় শিবের বীর্যস্খলন হলে চণ্ডিকা ক্রুদ্ধ হন। ক্রোধবশে তাঁর দেহ থেকে ডাকিনী ও বর্ণনী নামে দুই সহচরীর জন্ম হয়। কাহিনির পরবর্তী অংশ নারদ পঞ্চরাত্র ও স্বতন্ত্র তন্ত্র উভয় গ্রন্থেই পাওয়া যায়: মন্দাকিনী নদীতে (স্বতন্ত্র তন্ত্র মতে পুষ্পভদ্রা) স্নান করতে যাচ্ছিলেন দেবী পার্বতী। এমন সময় তিনি কামার্ত হয়ে পড়েন। কালো হয়ে যায় তাঁর গায়ের রং।
এদিকে দেবীর দুই সহচরী ডাকিনী ও বর্ণনী (এঁরাই জয়া ও বিজয়া নামে পরিচিত) সেই সময় ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন। পার্বতী বাড়ি ফিরে তাঁদের খেতে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু সঙ্গিনীদের ক্ষুধার্ত অবস্থা দেখে তাঁর নিজেরই কষ্ট হয়। তখন তিনি নখের আঘাতে নিজের মস্তক ছিন্ন করে সঙ্গিনীদের রক্তপান করান। পরে সকলে বাড়ি ফিরে আসেন। দুটি লোকশ্রুতিও আছে দেবী ছিন্নমস্তাকে ঘিরে।
একটি কিংবদন্তি অনুযায়ী: দেবাসুর যুদ্ধে দেবতারা মহাশক্তির সাহায্য প্রার্থনা করলে দেবী প্রচণ্ডচণ্ডিকা (শাক্তপ্রমোদ গ্রন্থের মতে প্রচণ্ডচণ্ডিকা ছিন্নমস্তারই অপর নাম) দেবতাদের সাহায্য করতে আসেন। দেবী ক্রোধোন্মত্তা হয়ে দৈত্যনাশ করেন। কিন্তু দৈত্যনাশের পরও তাঁর ক্রোধ প্রশমিত হয়নি। এই অবস্থায় তিনি নিজের মাথা কেটে রক্তপান করেন। অপর লোকশ্রুতি অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনে উত্থিত অমৃতে অসুরদের ভাগটি দেবী ছিন্নমস্তা পান করেন এবং তা থেকে অসুরদের বঞ্চিত করার জন্য তিনি নিজের মাথাটি কেটে ফেলেন।

এই চারটি গল্পের অর্থ কী ?
***********************
প্রাণতোষিণী তন্ত্র-এ উল্লিখিত গল্পদুটিতে ধরা পড়েছে মায়ের আত্মত্যাগের আদর্শটি। প্রথম লোকশ্রুতিটি আমাদের চিনিয়ে দেয় ক্রোধের আত্মবিধ্বংসী রূপটি। আর দ্বিতীয় লোকশ্রুতিটি লোকহিতার্থে আত্মত্যাগের আদর্শটিকে মহৎ করে তোলে।
ছিন্নমস্তা দেবী প্রত্যালীঢ় ভঙ্গীতে দন্ডায়মানা,গলায় তার নাগ যজ্ঞের উপবীত। সর্বদা ছিন্ন মস্তক ও খড়্গে ভূষিতা, দিগবসনা, নিজ কবন্ধের দ্বারা সানন্দে অমৃতকল্প রক্তধারা পানরতা, সর্পের মুকুট মনি দ্বারা ভূষিতা, ত্রিনয়না, বক্ষদেশ পদ্মে ভূষিতা, বিপরীত বিহারে রতা এবং দেবীর গাত্র বর্ণ জবা ফুলের ন্যায়। পীনোন্নত পয়োধরা, সদা ষোড়শ বর্ষীয়া। তাঁর একদিকে মুক্তকেশী লোহিতসৌম্যা, দিগম্বরী বর্ণিনী ও অন্যদিকে প্রলয় অগ্নির মতো ডাকিনী শক্তি। এঁরা দেবীর ছিন্ন কন্ঠের রক্তপানে রতা। দেবী ছিন্নমস্তার পদতলে সকাম রত মদন ও রতি দেবী থাকেন।
ছিন্নমস্তা মহাবিদ্যা। এঁনাকে উগ্র মহাবিদ্যাও বলা হয়। 'নারদপঞ্চরাত্র' শাস্ত্র মতে এই দেবীর আবির্ভাবের একটি ঘটনা আছে।এই ছিন্নমস্তা দেবীর উদ্ভব সম্পর্কেও একটি কাহিনি এক পুরাণে আছে। নারদপঞ্চরাত্রের মতে, একদিন দেবী পার্বতী তাঁর দুই সহচরীদের নিয়ে মন্দাকিনীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মনে হঠাত্ কামনা জেগে ওঠে, তার ফলে তিনি অনুরাগে রক্তবর্ণা হন। তাঁর সহচরীদ্বয়ও এই সময় ক্ষুধার্ত হয়ে তাঁর কাছে খাদ্য প্রার্থনা করেন। দেবী তাঁদের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। বলেন বাড়ি গিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করব।
কিন্তু বারবার তারা ক্ষুধার কথা জানিয়ে প্রার্থনা করলে এই জয়া-বিজয়া-ডাকিনী-বর্ণিনী রূপে মায়ের দুপাশ থেকে খাদ্য প্রার্থনা করলে করুণাময়ী জননী তাদের এই প্রার্থনা শুনে নিজের বাম নখাগ্র দিয়ে নিজেরই মস্তক ছিন্ন করে সেটি নিজের বামকরতলে ধারণ করলেন। ছিন্ন মস্তক ও কণ্ঠ থেকে ত্রিধারায় রক্তস্রোত প্রবাহিত হতে লাগল। বাম ও দক্ষিণ দিক থেকে নির্গত দুটি ধারা দুই সখি জয়া ও বিজয়ার ভয়ঙ্করী মূর্তি ডাকিনী ও বর্ণিনীর ঊর্ধ্বমুখ লেলিহান জিহ্বায় সংযোজিত হল। আর মধ্যধারাটি নিজ ছিন্ন মুখে পড়তে লাগল। এই ভাবে নিজ মুণ্ড ছিন্ন করে সখীদের পরিতৃপ্ত করেছিলেন বলে তাঁর নাম হল ছিন্নমস্তা।
কী অপার করুণা মায়ের! সন্তানদের ক্ষুধা তৃষ্ণা দূর করতে তিনি স্বেচ্ছায় সানন্দে নিজ মুণ্ড ছিন্ন করে নিজ রক্তে তাদের পরিতৃপ্ত করেন। সহচরী গণ তৃপ্ত হলে দেবী কৈলাশে ফিরে গেলেন। পুনরায় তিনি হলেন শিব জায়া গৌরী।
আপাতদৃষ্টে ছিন্নমস্তা ভয়ঙ্করী মূর্তি হলেও এর তাত্পর্য অসীম। পরিবর্তনশীল জগতের অধিপতি হচ্ছেন কবন্ধ। আর কবন্ধের শক্তি হলেন ছিন্নমস্তা। বিশ্বের হ্রাস বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। হ্রাসের মাত্রা কম বিকাশের মাত্রা বেশী হলে যেমন দেবী ভুবনেশ্বরীর আবির্ভাব হয় তেমনি তার বিপরীত হলে ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়।
দশমহাবিদ্যার প্রতিটি রূপের আলাদা অর্থ আছে। বিদ্যার অর্থ কৌশল। তন্ত্রের দশমহাবিদ্যা দশ রকম সাধনার কৌশল ব্যক্ত করেছেন। ছিন্নমস্তা তত্ত্ব হল ব্রহ্মবিদ্যার কৌশল। 'ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পুর্নাত পূর্ণমুদচ্যতে' মন্ত্র টি ব্রহ্মের সর্বাবস্থায় পূর্ণত্ব বোধক। ছিন্নমস্তা তত্ত্ব ঐ পূর্ণত্বের প্রতীক। ছিন্নমস্তার আবার আত্ম বলিদান ও কুণ্ডলিনী জাগরণের প্রতীক। ছিন্নমস্তার শরীরে সর্প থাকে। সর্প কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক। ছিন্নমস্তা কামরতা মদন রতির ওপর দাঁড়ানো। এর অর্থ মা কামনা বাসনাকে পদতলে দমন করছেন। মা হলেন পূর্ণ বৈরাগ্য ও ব্রহ্মচর্যের প্রতীক। তাই কেবল মাত্র ব্রহ্মচারী সন্ন্যাসীরাই ছিন্নমস্তার পূজার অধিকারী।
ছিন্নমস্তা কুণ্ডলিনী জাগরণের দেবী। তাঁকে একাধারে যৌনসংযম ও যৌনশক্তির প্রতীক মনে করা হয়।যৌনসংগমরত যুগল মেরুদণ্ডের শেষ অস্থির উপর অবস্থিত মূলাধার চক্রের প্রতীক। কুণ্ডলিনী দেহের কেন্দ্রে সুষুম্না নদীপথে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মতালুতে অবস্থিত সহস্রারে আঘাত করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, সুষুম্না দেবীর সহস্রারে এত জোরে আঘাত করে যে, দেবীর মস্তক ছিন্ন হয়ে যায়।
ঊর্ধ্বমুখে রক্তস্রোত চক্রের গ্রন্থি ছিন্ন করার প্রতীক। এই গ্রন্থি মানুষকে দুঃখিত, অজ্ঞ ও দুর্বল করে। ছিন্নমস্তক তুরীয় চৈতন্যের প্রতীক। কুণ্ডলিনী যখন সহস্রারে অবস্থানকারী শিবের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন তিনটি রক্তধারা অমৃতের ধারায় পরিণত হয়। অন্যমতে, ডাকিনী, যোগিনী ও ছিন্নমস্তা হলেন ইড়া, পিঙ্গলা ও সুষুম্না নামে তিনটি সূক্ষ্ম নদীর মুক্তধারার প্রতীক।সুষুম্না মূলধার ও সহস্রারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি মেরুদণ্ডের সমান্তরালে প্রবাহিত। ইড়া দক্ষিণ অণ্ড থেকে বাম নাসারন্ধ্র পর্যন্ত প্রবাহিত। শীতল চান্দ্র শক্তি ও মস্তিস্কের দক্ষিণ ভাগের সঙ্গে এটি সংযুক্ত। পিঙ্গল বাম অণ্ড থেকে দক্ষিণ নাসারন্ধ্র পর্যন্ত প্রবাহিত। তপ্ত সৌর শক্তি ও মস্তিস্কের বাম ভাগের সঙ্গে এটি সংযুক্ত।
অন্যদিকে তিনি একাধারে দিব্যজননীর জীবনদাত্রী ও জীবনহন্তা সত্ত্বারও প্রতীক। তাঁর আত্মবলিদানের কিংবদন্তিটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর মাতৃসত্ত্বা, যৌন কর্তৃত্ব ও আত্মবিধ্বংসী ক্রোধ। দশমহাবিদ্যার অন্যতমা হলেও এককভাবেও তাঁর পূজা প্রচলিত। উত্তর ভারত ও নেপালে ছিন্নমস্তার একাধিক মন্দির রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরের ছিন্নমস্তা মন্দিরটিও প্রসিদ্ধ। তবে গৃহস্থবাড়িতে তাঁর পূজা করা হয় না। কেবলমাত্র তান্ত্রিক, যোগী ও সর্বত্যাগীগণ বীরাচার মতে তাঁর পূজা করে থাকেন।তন্ত্রমতে, সাধককে নিজ নাভিতে যোনি চক্রের প্রতীক রক্তসূর্যচক্র কল্পনা করতে বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এই চক্রের মধ্যেই ছিন্নমস্তার জনপ্রিয় রূপটির অবস্থান।
নিজের মস্তক ছিন্ন করা, মিথ্যা ভাব, অজ্ঞতা ও আমিত্ব অপসারণের প্রতীক। মস্তক ছিন্ন করেও জীবিত থাকা অলৌকিক শক্তি ও কুণ্ডলিনী জাগরণের প্রতীক।দেবী ও দুই যোগিনীর ত্রয়ীমূর্তি বস্তুর তিন অবস্থার দার্শনিক প্রতীক, যার সঙ্গে সৃষ্টিশক্তিরও সম্পর্ক বিদ্যমান। নগ্নতা ও মস্তকহীনতা দেবীর সত্যরূপ ও "আত্মসচেতনতাহীনতা"-র প্রতীক। ছিন্নমস্তা যৌনসংগমরত কামদেব ও রতিদেবীর উপর দণ্ডায়মানা। এর দুটি ব্যাখ্যা আছে। এক পক্ষের মতে, এটি যৌনকামনার আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক। অপর পক্ষের মতে, এর অর্থ দেবী যৌনশক্তির মূর্তিস্বরূপ। তাঁর যোগিনী ও মদনাতুরা ("যিনি কামকে নিয়ন্ত্রণ করেন") নামদুটি তাঁর যৌনশক্তি নিয়ন্ত্রণ ও দমনকারিণী যোগশক্তির পরিচায়ক। কোনো কোনো চিত্রকল্পে ছিন্নমস্তা কাম-রতির উপর উপবিষ্ট।
এই চিত্রে দেবীর দমনকারিণী মূর্তি দেখা যায় না। এখানে কাম-রতি দেবীকে যৌনক্ষমতা প্রদান করেন। কোনো কোনো মূর্তিতে দেবীকে শিবের সঙ্গে সংগমরতা অবস্থাতেও দেখা যায়। ছিন্নমস্তার কামেশ্বরী ও রতিরাগবিবৃদ্ধিনী নামদুটি এবং তাঁর মন্ত্রে ক্লীং বীজের উল্লেখ (যা কামদেব ও কৃষ্ণের মন্ত্রেও উপস্থিত) এই তত্ত্বকে সমর্থন করে। অর্থাত কামকে সঙ্গে নিয়ে এবং তাকে যথাবিধি নিয়ন্ত্রণ করে সাধনপথে লাগানোর তত্ব প্রকাশ পাচ্ছে মায়ের এই রূপে।
বৌদ্ধ ধর্মেও এই দেবীর পূজা দেখা যায়। তিব্বতী বজ্রযোগিনী দেবীর সাথে ছিন্নমস্তার সাদৃশ্য রয়েছে। এই দেবীকে ছিন্নমুন্ডা দেবী নামেও ডাকা হয়। বৌদ্ধ তন্ত্রে ছিন্নমস্তার আবির্ভাব একটু অন্য রকমে বর্ণিত হয়েছে। কৃষ্ণাচার্যের শিষ্যা ছিলেন মেখলা ও কনখলা । এঁরা সম্পর্কে দুই বোন। এঁনারা তন্ত্র সাধনা তে সিদ্ধ হয়ে সিদ্ধা হন। একদা তাঁরা নিজেদের মাথা কেটে গুরুদেবকে উপহার দেন। তারপর তাঁরা নৃত্য শুরু করেন । দেবী বজ্রযোগিনী সেখানে প্রকট হয়ে নৃত্যে যোগ দান করেন।
অপর একটি তিব্বতী মত অনুসারে পদ্ম সম্ভব নামক এক গুরুর শিষ্যা ছিলেন রাজকুমারী লক্ষ্মীঙ্করা। রাজ্যের শান্তির জন্য তিনি নিজ মুন্ড কেটে নগর পরিভ্রমণ করেন। নগর লোকেরা তাকে ছিন্নমুন্ডা বজ্রবারাহী রূপে পূজা করতেন।গবেষক বি. ভট্টাচার্য বৌদ্ধ সাধনমালা (১১৫৬ খ্রিষ্টাব্দ), হিন্দু ছিন্নমস্তাকল্প ও তন্ত্রসার (সপ্তদশ শতাব্দী) প্রভৃতি গ্রন্থ আলোচনা করে দেখিয়েছেন যে, বৌদ্ধ ছিন্নমুণ্ডা ও হিন্দু ছিন্নমস্তা একই দেবী।
কেবলমাত্র দেবী ছিন্নমস্তা নাগযজ্ঞোপবীতধারিণী এবং রতি-কামদেবের উপর দণ্ডায়মানা। বৌদ্ধ সাধনমালা গ্রন্থে তাঁর নাম সর্ববুদ্ধা এবং তাঁর সহচরীদের নাম বজ্রবৈরোচনী ও বজ্রবর্ণনী। হিন্দু তন্ত্রসার গ্রন্থে তাঁর নাম সর্বসিদ্ধি এবং তাঁর সহচরীগণ হলেন ডাকিনী, ও বর্নিনী। ছিন্নমস্তাকল্প গ্রন্থে দেবীর নাম সর্ববুদ্ধি এবং তাঁর সহচরীদের নাম বৌদ্ধ গ্রন্থের অনুরূপ।
পদ্ম ও যৌনসংগমরত যুগল জীবন জীবনসৃষ্টির আকুলতার প্রতীক। এরা ছিন্নমস্তক দেবীকে জীবনীশক্তি প্রদান করে। দেবীর কবন্ধ থেকে রক্তের নির্গমন মৃত্যু ও জীবনীশক্তি ক্ষয়ের প্রতীক। এই ক্ষয়িত শক্তি তাঁর সহচরী যোগিনীদের মুখে প্রবেশ করে তাঁদের পুষ্ট করে।ছিন্নমস্তা নিজেকে ও নিজের রক্তকে উত্সর্গ করেছেন। সেই রক্ত তাঁর সহচরীগণ পান করে বিশ্বচরাচরকে পুষ্ট করেছেন।একটি স্তবে তাঁকে ত্যাগ, ত্যাগী ও ত্যাগ গ্রহণকারী বলা হয়েছে। কারণ তাঁর ছিন্নমস্তক একটি বলি।
ছিন্নমস্তা হিন্দুসমাজে এক সুপরিচিত দেবী। বিভিন্ন দেবী মন্দিরের দশমহাবিদ্যার সঙ্গে তাঁর পূজা প্রচলিত। তবে একক দেবী হিসেবে তিনি খুব একটা জনপ্রিয় নন। তাঁর নিজস্ব মন্দিরের সংখ্যা হাতে গোনা। এককভাবে তাঁর সার্বজনীন পূজা সুপ্রচলিত নয়। তান্ত্রিক, যোগী ও সর্বত্যাগীগণ বীরাচারী তান্ত্রিক মতে তাঁর পূজা করে থাকেন। কিংসলের মতে দেবী ভীষণা এবং তাঁর পূজা করা বা তাঁর নিকটে যাওয়া বিপজ্জনক - এই রকম বিশ্বাস থাকায় তাঁর পূজা জনপ্রিয়তা পায়নি। ছিন্নমস্তার শতনাম ও সহস্রনাম স্তোত্রে দেবীর ভীষণা প্রকৃতি ও ক্রোধের উল্লেখ আছে। এই সকল নামে তাঁকে প্রেতসেবিতা ও রক্তপানকারিণী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি নররক্ত ও নরমাংসে প্রীতা হন। দেহরোম, মাংস ও ভয়ংকর মন্ত্রে তাঁর পূজা করা হয়।

তন্ত্রসাধকগণ সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা লাভের জন্য ছিন্নমস্তার পূজা করেন। তাঁর মন্ত্র কাউকে মন্ত্রচালিত করা বা কারোর ক্ষতি করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। কাব্যশক্তি, সুস্থতা, শত্রুবিজয়, বিঘ্নোপসারণ, রাজপ্রসাদ লাভ, অন্যকে আকর্ষণ, শত্রুরাজ্য জয় ও মোক্ষলাভ - মহাবিদ্যা আরাধনার এই সকল উদ্দেশ্যেও ছিন্নমস্তার পূজা করা হয়।

তন্ত্রসার, শাক্ত প্রমোদ ও মন্ত্র মহোদধিহ (১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দ) নামক তন্ত্রগ্রন্থে ছিন্নমস্তা ও অন্যান্য মহাবিদ্যার পূজাপদ্ধতি, যন্ত্র এবং ধ্যানমন্ত্র সহ অন্যান্য মন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। তন্ত্রমতে, সাধককে নিজ নাভিতে যোনি চক্রের প্রতীক রক্তসূর্যচক্র কল্পনা করতে বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এই চক্রের মধ্যেই ছিন্নমস্তার জনপ্রিয় রূপটির অবস্থান। তন্তসার গৃহস্থকে কেবল নিরাকার রূপেই ছিন্নমস্তার পূজা করতে বলেছেন।
এই গ্রন্থে আরও বলা হয়েছে যে, যদি কোনো নারী মন্ত্রে ছিন্নমস্তাকে আবাহন জানান, তবে তিনি ডাকিনীতে পরিণত হন, স্বামী-পুত্র হারান এবং শেষে পরিপূর্ণ যোগিনী হন। শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে কেবল বামমার্গে দেবীর পূজা করতে বলা হয়েছে। মন্ত্র মহোদধিহ গ্রন্থমতে, স্ত্রী ভিন্ন অপর নারীর সঙ্গে যৌনসংগম ছিন্নমস্তা পূজার অঙ্গ। শাক্ত প্রমোদ গ্রন্থেও পূর্বোক্ত মত সমর্থন করে যজ্ঞ ও রাত্রিকালে মদ্য ও মাংস যোগে দেবীর পূজার কথা বলা হয়েছে। কোনো কোনো স্তবে বলা হয়েছে, দেবী রক্তে সন্তুষ্ট হন। তাই তাঁর পূজায় রক্ত বলিদান করা হয়। শক্তিসংগম তন্ত্র মতে একমাত্র বীরেরাই বামমার্গে দেবীর পূজার অধিকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শাক্ত প্রমোদ গ্রন্থে বলা হয়েছে, সঠিক ভাবে দেবীর পূজা না করলে দেবী পূজকের মস্তক ছিন্ন করে রক্ত পান করেন। এই গ্রন্থে গৃহস্থ ও ত্যাগীর জন্য পৃথক পন্থায় ছিন্নমস্তার পূজার বর্ণনা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের চিন্তাপূর্ণী ছিন্নমস্তা মন্দির একটি শক্তিপীঠ। কথিত আছে, এই মন্দিরে সতীর কপাল পড়েছিল। দেবী এখানে ছিন্নমস্তিকা এবং কপাল উভয় রূপেই পূজিতা হন।বারাণসীর নিকটবর্তী রামনগরের ছিন্নমস্তা মন্দিরে তান্ত্রিকরা শবদেহ নিয়ে দেবীর পূজা করেন। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের (বৈদ্যনাথ) নিকটবর্তী নন্দন পর্বত এবং রাঁচিতে অন্যান্য মহাবিদ্যার সঙ্গে ছিন্নমস্তারও বেদী রয়েছে। অসমের কামাখ্যা মন্দির চত্বরেও অন্যান্য মহাবিদ্যার সঙ্গে ছিন্নমস্তার বেদী বিদ্যমান। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরে একটি বিখ্যাত ছিন্নমস্তা মন্দির রয়েছে। নেপালের কাঠমাণ্ডু উপত্যকা চাঙ্গু নারায়ণ মন্দিরের কাছে একটি ছিন্নমস্তা মন্দির রয়েছে। বারনার্ডের মতে, এই সকল মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতমটি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে নির্মিত।
দেবী ছিন্নমস্তা দর্শনে যত ভয়ঙ্করী হোন না কেন, তাঁর রূপের ব্যাখ্যা আর মহিমা জানা থাকলে ওই ভয়াবহ মূর্তিই প্রেমময় বোধ হবে।

মহাশক্তির দশটি মহাবিদ্যাকে নিয়ে ভাবতে বসলে অনেকের কাছেই কয়েকটি রূপ অস্বস্তিকর ঠেকতে পারে। বিশেষ করে ধূমাবতী এবং ছিন্নমস্তার রূপ সত্যিই ভয়ের আবহ তৈরি করার সামর্থ্য রাখে। মহাবিদ্যা তত্ত্ব অনুযায়ী, ধূমাবতী ঘোর রহস্যময় এক শক্তি। কিন্তু দেবী ছিন্নমস্তা দর্শনে যত ভয়ঙ্করী হোন না কেন, তাঁর রূপের ব্যাখ্যা আর মহিমা জানা থাকলে ওই ভয়াবহ মূর্তিই প্রেমময় বোধ হবে। দেবী ছিন্নমস্তা সারা দেশেই পূজিতা। কিন্তু ছিন্নমস্তার মহিমাকে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে গেলে পৌঁছতে হবে রাজরাপ্পায়।

রাজরাপ্পার ছিন্নমস্তা মন্দির অতি প্রাচীন। এই দেবস্থানকে অন্যতম শক্তিপীঠ বলে মনে করেন তন্ত্রবিশ্বাসীরা। দেবীরূপ অবশ্য ততটা প্রাচীন নয়। ছিন্নমস্তার মূর্তি একেবারেই শাস্ত্রানুগ এখানে। দেবী নিজহস্তে ধরে রেখেছেন তাঁর ছিন্ন মস্তক। কণ্ঠ থেকে নির্গত হচ্ছে তিনটি রুধিরধারা, যার মধ্যধারাটি পান করছেন দেবী স্বয়ং। বাকি দু'টি ধারা গিয়ে পড়ছে তাঁর দুই সহচরী যোগিনীদের মুখে। দেবীর পদতলে শায়িত রয়েছেন রতিদেবী ও মদনদেব। দেবী কামদলনী। মোক্ষস্বরূপা।
এই ত্রিধারাকে ইড়া-পিঙ্গলা-সুষুম্নার প্রতীক বলে ধরা হয়। কামকে দলন করে কুলকুণ্ডলীনির জাগরণকেই ব্যক্ত করে এই মূর্তি। ছিন্নমস্তার উৎস সন্ধান করতে হলে যেতে হবে 'মহাভাগবৎ পুরাণ'-এ। দক্ষ শিবরৃকে তাঁর যজ্ঞা আমন্ত্রন না জানানোয় ক্রুদ্ধ সতীদেবী দশ মহাবিদ্যের রূপ ধরেন। ছিন্নমস্তা তাঁদেরই অন্যতম। তাঁরা শিবকে কেন্দ্র করে দশ দিকে অবস্থান করেন। ছিন্নমস্তার অবস্থান শিবের ডানদিকে।
ছিন্নমস্তা দর্শনের পরেই রয়েছে রাজরাপ্পার দু'টি উষ্ণ প্রস্রবণ। এখানকার জল বহু রোগের উপশম ঘটায় বলে লোকবিশ্বাস।
রাজরাপ্পা দেবী মন্দিরের ভৈরব হলেন রুদ্র মহাদেব। তিনিই এই মন্দিরে রক্ষক হিসেবে পূজিত। মন্দিরে দেবীর শিলারূপ বিদ্যমান। মূল মন্দিরকে ঘিরে মহাবিদ্যাদের অন্যান্য মূর্তিরও মন্দির এখানে রয়েছে। রয়েছে হনুমান ও সূর্যের মন্দিরও।

জয় মা ছিন্নমস্তা।
Kush mukherjee
rampurhat chaklamath birbhum
whatsapp no 9233172388
contact no 7001608953



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180423123917

Sunday, April 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা মাতঙ্গী

মা মাতঙ্গী

শ্রী শ্রী মাতঙ্গী দেবী

দশমহাবিদ্যার নবম মহাবিদ্যা হলেন
শ্রী শ্রী মাতঙ্গী ..! স্নেহময়ী
জ্ঞানমুর্তি নবমা দেবী সমস্থ বিপদ
থেকে ভক্তকে ত্রাণ করেন !
মতঙ্গাসুরকে বিনাশ করার জন্য
দেবীকে মাতঙ্গী বলা হয় …!!
“” মাতঙ্গী মদশীলত্বাৎ

মতঙ্গাসুরনাশিনী !
সর্বাপত্তারিনী দেবী মাতঙ্গী
পরিকির্তিতা !!”””
দেবীর আবির্ভাবের একটি কাহিনী
আছে ——– পুরাকালে একদা
নানাবৃক্ষসমাকুল কদম্বকাননে সমস্থ
প্রাণীকে বশীভূত করার জন্য মতঙ্গমুনি
শতসহস্র বৎসর ধরে নিরন্তর তপস্যা করেন !
সেই তপস্যার ফলে দেবী সুন্দরীর নেত্র
থেকে তেজোরাশি নির্গত হয়ে
স্বয়ং কালিকারূপ ধারণ করে ! আবার
সেই রূপই শ্যামবর্ণা হয়ে মাতঙ্গী হয়
এবং অসুর নিধন করেন …!!
দেবী শ্যামাঙ্গী , নীরদ -বরণী অর্থাৎ
অজ্ঞান মেঘ আছে বোলে পূর্ণ চন্দ্র
নেই ..! দেবী শশীশেখরা , মায়ের
মস্তকে শশী অবান্তর নাদের প্রতীক ..!
যার থেকে সুধাবর্ষিত হয়ে সাধকের
মনে অহঙ্কার দূরীভূত হয় ..! দেবী
ত্রিনয়না , শুচিস্মিতা , দেবীর
অষ্টহস্তে আসি , খেটক , পাশ , অঙ্কুশধরা
আসলে বলা হয় ,— আছে ঘৃণা , লজ্জা ,
ভয় , শঙ্কা , জুগুপ্সা , কুল , শীল এবং
জাতি —- এই অষ্টপাশ ..

এই মহাভয়ঙ্করী দেবী তুষ্ট হন এঁটো-কাঁটা আর নোংরায়

তাঁর পূজা ও ভোগ প্রদানের যে বিধান শাস্ত্রে রয়েছে, তা এই প্রকার— অপরিষ্কার হাতে এঁটো খাবার তাঁকে নিবেদন করতে হবে। অথচ ভারতীয় পরম্পরায় এমন অপরিচ্ছন্নতা কোনও দেবতার বেলাতেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

মাতঙ্গীকে দেবী সরস্বতীরই আর এক রূপ বলে স্বীকার করে তন্ত্র ধর্ম। তিনি বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী। কিন্তু দেবী সরস্বতীর স্নিগ্ধতা তাঁর মধ্যে নেই। অথচ ‘দশমহাবিদ্যাতন্ত্র’-য় তাঁকে পরমতম জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।

এহ বাহ্য। মাতঙ্গী দেবীকে ঘিরে এক মহারহস্য আবর্তিত হয় ভারতীয় পরম্পরায়। মাতঙ্গীকে ‘উচ্ছিষ্ট-চণ্ডালিনী’ বলে উল্লেখ করে অসংখ্য তন্ত্রগ্রন্থ। তাঁর পূজা ও ভোগ প্রদানের যে বিধান শাস্ত্রে রয়েছে, তা এই প্রকার— অপরিষ্কার হাতে এঁটো খাবার তাঁকে নিবেদন করতে হবে। অথচ ভারতীয় পরম্পরায় এমন অপরিচ্ছন্নতা কোনও দেবতার বেলাতেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

মাতঙ্গীর দেহবর্ণ সবুজ, তাঁর এক হাতে বীণা, অন্য হাতে তরবারি, মহাখর্পর এবং বরাভয়। তাঁর সঙ্গী হিসেবে টিয়াপাখিকে কল্পনা করা হয়।

এখন প্রশ্ন, কেন মাতঙ্গীকে তুষ্ট করতে উচ্ছিষ্ট ব্যবহারের বিধান দিয়েছে শাস্ত্র?

‘প্রাণতোষিণী তন্ত্র’ অনুসারে, একদা পার্বতী তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য শিবের কাছে আর্জি জানান। শিব নিমরাজি হয়ে শর্ত দেন, দেবী কয়েক দিনের মধ্যে ফিরে না এলে তিনি স্বয়ং তাঁকে আনতে যাবেন। পার্বতী তাতে রাজি হন। কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে ফিরতে তিনি দেরী করেন। শিব এক অলঙ্কার বিক্রেতার ছদ্মবেশে হিমালয়-গৃহে পৌঁছন এবং পার্বতীকে একটি শাঁখা বিক্রয় করেন। এবং সেই সঙ্গে তিনি পার্বতীর সঙ্গে দেহমিলন প্রার্থনা করেন। পার্বতী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে শাপ দিতে উদ্যত হন। কিন্তু অচিরেই তিনি শিবকে চিনতে পারেন। এবং জানান, যথা সময়ে তাঁদের মিলন সম্ভব হবে। এই মিলনের অভিপ্রায়ে পার্বতী চণ্ডালিনীর বেশ ধরেন এবং মিলিত হন। শিব তুষ্ট হয়ে তাঁকে বর প্রার্থনা করতে বলেন। দেবী চণ্ডালিনী রূপে পূজিতা হওয়ার বর চান। শিব তাঁকে তা-ই দান করেন। শিব সেই প্রার্থনা পূরণ করেন।

বারাণসীর লোককথা অনুযায়ী, মাতঙ্গী দেবীর উপাসনা যুক্ত ছিল চণ্ডাল সম্প্রদায়ের সঙ্গে। সে কারণে, তাঁর চণ্ডালিনী রূপটি গড়ে ওঠে। তাঁকে শ্মাশানবাসী, ভস্ম মাখা শিবের যোগ্য শক্তি বলে মনে করা হয়। এই কারণেই তিনি উচ্ছিষ্ট ভক্ষণকারিণী, অপরিচ্ছন্না।

কিন্তু মাতঙ্গীর উপাসনা মানুষকে ক্লিন্নতা থেকে মুক্ত করে। যদিও এই দেবীর পূজা পদ্ধতি অতি গোপন এবং ভয়াবহ। ‘গূহ্যাতিগূহ্য তন্ত্রম্’ অনুসারে মাতঙ্গী উপাসনা ডামরীশক্তিকে জাগ্রত করে, সাধকের পক্ষে সেই ভায়নক শক্তিকে সামলানো সব সময়ে সম্ভব হয় না। ডামরীকে মাতঙ্গীর উপদেবী বলে অনেকেই মনে করেন। ডামরীও অপরিচ্ছন্না ।

মা মাতঙ্গী সূর্যের ইষ্টদেবী
ত্রিগুণাত্মক শক্তিরুপী ন'দুর্গার আর একটি বিশেষত্ব আছে, যা তাঁর আধ্যাত্মিক স্বরূপে দশ মহাবিদ্যা রূপে বিরাজমান। ব্রহ্মার পুত্র দত্তত্রেয় তন্ত্র শাস্ত্রের গ্রন্থ রচনা করে মহিষাসুরমর্দিনী এবং সিদ্ধিদাত্রী দেবী ভগবতীর মধ্যে সমাহিত ওই দশ মহাবিদ্যার উল্লেখ করেন। যার সাধনা করে ঋষি-মুনি এবং বিদ্বান এই সংসারে চমত্‍‌কারী শক্তির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করেত পেরেছেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণে দশ মহাবিদ্যার এবং তার মন্ত্রের তথা যন্ত্রের যে উল্লেখ করা হয়েছে, তা এখানে সংক্ষেপে বর্ণিত হল।

য়া দেবী সর্বভূতেষি শক্তি রূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ, নমস্তস্যৈ, নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

দেবী দুর্গার আভা মণ্ডলে উপরোক্ত দশ মহাবিদ্যা দশ প্রকার শক্তির প্রতীক। সৃষ্টির ক্রমে চার যুগেই এই দশ মহাবিদ্যা বিরাজমান ছিল। এর সাধনা মাত্রই ফলদায়ক এবং সাধকের সমস্ত কামনা পুরো হয়।
সূর্য কবচম্ করতে এই দেবীর পূজা ও হোম প্রয়োজন।
সূর্য কবচম্ অর্থ,মান,যশ বৃদ্ধি করে।
চার জন পৌরোহিত্যের প্রয়োজন ও চতুর মুখী হোম সহ
এক লক্ষ জপের মধ‍্য দিয়ে কবচম্ সম্পূর্ণ হয়
মাতঙ্গী মায়ের অধীন গ্ৰহ সূর্য,সূর্যের উপাসনা করলে মা তুষ্ট হন।
মন্ত্র – ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা – ৬০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥ ইষ্টদেবতা – মাতঙ্গী।
ঔঁ মাতঙ্গী মাতায়ৈ নমঃ ১০৮বার
ধারণরত্ন – চুনী, ধূপ – গুগগুল, বার – রবিবার, প্রশস্ত সময় – সকাল৬.০৪- ১০ টা মা

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180422093256

Sunday, April 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা ভূবনেশ্বরী

মা ভূবনেশ্বরী


মা - ভুবনেশ্বরী
ইনি শুক্রের ইষ্টদেবীও দশ মহাবিদ‍্যার একটি রুপ।
মহাদেব কালী ও তারা মূর্তির ভয়ঙ্করী রূপ দর্শনে সন্ত্রস্ত হওয়ার পরে কৃপাময়ী মা তাঁর প্রসন্না রাজরাজেশ্বরী মূর্তি দর্শন করিয়ে পতিদেবতাকে কিছুটা ধাতস্থ করবার পরে আরও দুটি তাঁর প্রসন্ন মূর্তি দর্শন করালেন। এটি ভুবনেশ্বরী। ইনি নানা নামে খ্যাত-ত্রিপুটা, জয়দুর্গা, বনদুর্গা, কাত্যায়নী, মহিষঘ্নী, দুর্গা, শূলিনী, মেধা, রাধা ইত্যাদি। এঁর মূর্তিও সুন্দর অভয়প্রদা।
-
“বালরবিদ্যুতিম্ ইন্দুকিরীটাম্, তুঙ্গকুচাম্, নয়ন-ত্রয়যুক্তাম্,
স্মেরমুখীং, বরদাঙ্কুশ পাশভীতিকরাম্ প্রভজে ভুবনেশীম্।”
-
"নবোদিত সূর্যতুল্য প্রভাময়ী। চন্দ্র যাঁর মুকুটমণি রূপে বিরাজিত, যাঁর বক্ষস্থল উন্নত, সদা স্নেহপীযূষধারায় পরিপূর্ণ, ত্রিনয়নী-চতুর্ভুজে বরাভয় ও পাশ, অঙ্কুশধারিণী কমলাসনা সেই দেবী ভুবনেশ্বরীকে ধ্যান প্রণত হই" --- এই ধ্যানমন্ত্রে তাঁর পূজা হয়।
ইনি ষোড়শীর অপর মূর্তি, তাই এঁর প্রকটকাল আলাদা করে কিছু বলা হয়নি।
-
কামাখ্যা মন্দির থেকে কিছু দুরত্বে ব্রহ্মা পর্বতের শিখরে ভুবনেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের ভিতরে এক গহ্বরে বিরাজ করছেন দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী ভুবনেশ্বরী। ভুবনেশ্বরী মন্দির চত্ত্বর থেকে গুয়াহাটি শহরের দৃশ্য অপরূপ।
-
দেবীভাগবতে বর্ণিত মনিদ্বীপের দেবী হৃল্লেখা মন্ত্রের স্বরুপশক্তি এবং সৃষ্টির ক্রমপর্যায়ে মহা লক্ষ্মী স্বরুপা আদিশক্তি ভাগবতী ভুবনেশ্বরী হচ্ছেন দেবাদিদেব মহাদেবের সমস্ত লীলাবিভূতির সহচরী। জগদম্বা ভুবনেশ্বরীর স্ব-রুপ হচ্ছে সৌমা এবং অঙ্গকান্তি অরুণবর্ণা। ভক্তদের অভয় প্রদান ও সর্বসিদ্ধি প্রদান করাই হল এর স্বাভাবিক গুণ। দশ মহাবিদ্যার মধ্যে ইনি পঞ্চম স্থানাধিকারি।দেবীপুরাণ অনুসারে মূলা প্রকৃতির অপর নামই ভুবনেশ্বরী। ঈশ্বরের জাগতিক ব্যবহার সুপ্ত থাকে সেই সময় একমাত্র ব্রহ্মই অব্যক্ত প্রকৃতিসহ অবশিষ্ট বা বর্তমান থাকেন, সেই সময় সেই ঈশ্বর রাত্রির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম ভুবনেশ্বরী। অঙ্কুশ এবং পাশ এঁর মুখ্য অস্ত্র। অঙ্কুশ হল নিয়ন্ত্রনের প্রতীক আর পাশ হল রাগ অর্থাৎ অনুরাগ বা আসক্তির প্রতীক। এইভাবে সর্বরুপে মূল প্রকৃতিই হচ্ছেন ভুবনেশ্বরী, যিনি বিশ্বকে বমন বা উদগীরন করার জন্য বামা, শিবময়ী হওয়ায় জেষ্ঠা এবং কর্মনিয়ন্ত্রন, ফলপ্রদান ও দণ্ডদান করার জন্য হলেন রৌদ্রী। ভগবান শিবের বাম অঙ্গকেই ভুবনেশ্বরী বলা হয়।
মহানির্বাণতন্ত্র মতে সব কটি মহাবিদ্যাই ভাগবতী ভুবনেশ্বরীর সেবায় সদাই নিরত থাকেন। সাত কোটী মহামন্ত্র সর্বদা এর আরাধনা করে। দশ মহাবিদ্যাই দশটী ধাপ। কালী তত্ত্ব থেকে সুরু করে কমলাতত্ত্ব পর্যন্ত দশটী স্থিতি আছে,যার থেকে অব্যক্ত ভুবনেশ্বরী ব্যক্তরুপে ব্রহ্মাণ্ডের রুপ ধারন করতে পারেন আবার প্রলয় কালে কমলার থেকে অর্থাৎ ব্যক্ত জগৎ থেকে ক্রমশ লয় হয়ে কালীরুপে প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিতা হন, এইজন্য একে কাল এর জননীও বলা হয়।
শ্রীশ্রীচণ্ডীর একাদশ অধ্যায়ে মঙ্গলাচরণেও বলা হয়েছে যে -- "আমি ভুবনেশ্বরী দেবীর ধ্যান করি। তার শ্রী অঙ্গের শোভা নবারুন সদৃশ অরুনাভ।তার শিরে ত্রিনয়না দেবীর শ্রীমুখে মৃদু হাসির আভা। তার হাতে পাশ, অঙ্কুশ, বরদ এবং অভয় মুদ্রা শোভা পায়।"
বৃহন্নীলতন্ত্রের এই বিবরণ পুরানের বিবরণের দ্বারাও সমর্থিত যে প্রকারন্তরে কালী ভুবনেশ্বরী অভেদাত্মক। অব্যক্ত প্রকৃতি ভুবনেশ্বরীই রক্তবর্ণা কালী, দেবীভাগবত মতে দুর্গম নামক অসুরের অত্যাচারে সন্তপ্ত হয়ে দেবতা ও ব্রাহ্মণের একত্র হয়ে হিমালয়ে অবস্থিতা সর্বকারণস্বরুপা ভাগবতী ভুবনেশ্বীরই আরাধনা করেন। সেই আরাধনায় তুষ্ট হয়ে দেবী ভুবনেশ্বরী তৎক্ষণাৎ সেখানে আবির্ভূত হন।তার হাতে বান, পদ্মফুল ও শাকমূল ছিল। তিনি নিজের চোখ থেকে সহস্র অশ্রুধারা প্রবাহিত করেন।সেই জলে পৃথিবীর সব প্রানী তৃষ্ণা নিবারণ করে।নদ নদী,সমুদ্র অজস্ত্র জলে পূর্ণ হয় এবং সমস্ত ওষধি জলে সঞ্জীবিত হয়। তার হাতে ধরা শাক ও ফলমূলে প্রাণীদের পালন করার জন্য দেবী ভুবনেশ্বরীই শাকম্ভরী নামে খ্যাত হন। ইনিই দুর্গমাসুরকে বধ করে তার দারা অপহৃত বেদগ্রন্থ দেবতাদের হাতে ফিরিয়ে দেন।এর ফলে দেবী ভুবনেশ্বরীর এক নাম হয় দুর্গা। দেবী ভুবনেশ্বরীর উপাসনা পুত্রলাভের জন্য বিশেষ ফলপ্রদ।...
-
পরিশেষে দেবী ভুবনেশ্বরীকে প্রণাম করে বলি ---
ভুবনেশীং মহামায়ীং সূর্য্যমণ্ডলরূপিণীম্।
নমামিংবরদাং শুদ্ধাং কামাখ্যারূপনীং শিবাং।।
বীজমন্ত্র : ঔঁ শাং মাতা ভূবনেশ্বরী।
বা, ঔ হ্রীং ভূবনেশ্বয‍্যৈ নমঃ ।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180422075500

Sunday, April 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র ও হনুমানের দ্বাদশ নাম

মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র ও হনুমানের দ্বাদশ নাম

জয় হনুমান …….
মঙ্গলবার ও শনিবার ভক্তিভরে পবিত্রমনে প্রতি মঙ্গলবার বজরঙ্গবলীর পূর্ণাঙ্গ পূজা ও প্রতি দিন তাঁর দ্বাদশ নাম জপ করলে শ্রী হনুমান স্বয়ং তাঁর ভক্তকে দশদিক এবং আকাশ ও পাতাল থেকে সৃ্ষ্ট যেকোনও বিপদ থেকে রক্ষা করেন

বজরঙ্গবলীর দ্বাদশ নাম -----
-
৹ ওঁ হনুমতে নমঃ
৹ ওঁ অঞ্জনীসূতায় নমঃ
৹ ওঁ বায়ুপুত্রায় নমঃ
৹ ওঁ মহাবলায় নমঃ
৹ ওঁ রামেষ্টয় নমঃ
৹ ওঁ ফাল্গুনসখায় নমঃ
৹ ওঁ পিঙ্গাক্ষায় নমঃ
৹ ওঁ অমিতবিক্রমায় নমঃ
৹ ওঁ সীত শুক বিনাশনায় নমঃ
৹ ওঁ উদধিক্রমণায় নমঃ
৹ ওঁ লক্ষ্মনপ্রাণদাতায় নমঃ
৹ ওঁ দশগ্রীবদর্পহায় নমঃ
মহাসংকটমোচন বীজমন্ত্র: হূং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হূ ফট স্বাহা


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180422074037

Saturday, April 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিষযোগ

বিষযোগ



বিষ যোগ।
শনি+চন্দ্র যোগ।

অনেকেই জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে বিষ যোগ আছে শুনে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান, বিষ যোগ কাটানোর জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করেন।

বিষ যোগ আসলে কি?
কেনো বলা হয়?
এটা নিয়ে দু এক কথা আলোচনার প্রয়োজন আছে।

চন্দ্র: মনের কারক গ্রহ, মানসিক যত চিন্তা ভাবনা, মায়া, মমতা, কল্পনা এই চন্দ্র থেকেই আমরা বিচার করে থাকি, এই চন্দ্রের সাথে কোনো গ্রহ থাকলে আমাদের মন মানসিকতা সব কিছুই সেই গ্রহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে। ঠিক তেমন ভাবেই চন্দ্র কুন্ডলীতে একা থাকলে ১২০ কোটি মানুষের ভিড়ে সেই মানুষ একা হয়ে যায়।

শনি: শনি দেবতার জন্ম, তার জীবনের সব কিছুতেই দুঃখ, কস্টে ভরা, এমনকি শনির বউ শনির কাছে থেকে কষ্টই পেয়ে ছিলেন।

এই শনি + চন্দ্রের যোগ যখন কেউ দেখেন তখন এক কথায় বলে ফেলেন সেই মানুষের জীবনে বা মনে শান্তি নেই।
হা কিছুটা ঠিক বলেন, পুরোটা নয়। সত্যি সেই মানুষের মনে অনেক কষ্ট থাকে, এবং সেই কষ্ট কোনোদিনও কাটে না।

এখানেই ভুল বোঝার আসল খেলা; আমি পর্যবেক্ষন করে দেখেছি প্রায় ৭৫০টা কুন্ডলীতে(বিষ যোগ যুক্ত ) দেখা গেছে সকলের কিছুনা কিছু কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছে। তবে কষ্টের পট ভূমি সকলের আলাদা।

কারোর কষ্ট গাড়ি, বাড়ি, নারী, টাকা পয়সা নিয়ে, তাহালে সেই সকল মানুষের কষ্টের শেষ সীমা থাকে না। কারণ ভোগ বিলাস এর শেষ নেই, তাই ভোগ জনিত কষ্টের শেষ থাকেনা। চাই চাই করতে করতে ভোগ লালসার পাতালে বিলীন হতে হয়।

ঠিক একই ভাবে আপনাদের সামনে যার কুন্ডলী দিয়েছি সেও কষ্ট পেয়েছেন গরিব মানুষের জন্য, সারাজীবন সুদু মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এসেছিলেন। সুদূর যগোশ্লাভিয়া থেকে ভারতের মাটিতে অতি অল্প বয়সে পা দিয়ে এই দেশের ছোট ছোট শিশুর খেতে না পাওয়ার কষ্ট নিজের মাথায় তুলে নিয়েছিলেন। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান জুগিয়েছিলেন হাজার হাজার অনাথ সন্তানের।
তাই আজ উনি সারা পৃথিবীর বিখ্যাত।
ওনাকে ভগবান বলেন গোটা পৃথিবী।উনি মাদার টেরিসা।

ঠিক একই ভাবে বিষ যোগ ছিল " গুরু নানক" এর।
নিজে সারাজীবন প্রদীপের আলোয় থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের মনের আলো জালেছিলেন।

আবার লর্ড যীশু এর বিষ যোগ ছিল।
ওনার ইতিহাস আশাকরি আপনাদের নতুন করে বলতে হবে না।

স্বামী বিবেকানন্দের বিষ যোগ ছিল।
ভাততের সাংস্কৃতিক পটভূমি সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠান করেছিলেন।
এগুলো মনের কষ্ট থেকেই আসে।

শুধু আপনাদের বেছে নিতে হবে, আপনি কোন পথে হাঁটবেন?

বিষ যোগ যেটা সবাই বলে বেড়াই সত্যি কি খুব খারাপ যোগ নাকি এই যোগ আপনাদের জীবনের আশীর্বাদ?

ভালো জ্যোতিষী এর কাছে যান, আলোচনা করুন আপনাদের কুন্ডলী নিয়ে, একটা ভালো জ্যোতিষী আপনার জীবনের পথ প্রদর্শক, বদলে দিতে পারে আপনার মূল্যবান জীবনটা। মানুষ অনেক সময় অতি সাধারণ ঘটনাকেই কেন্দ্র করে ভুল পথে চালিত হয়ে অমূল্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে ফেলেন।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
FEES 1000/



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180421213844

Saturday, April 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বর্তমান বর্ষে সাড়ে-সাতি

বর্তমান বর্ষে সাড়ে-সাতি

বর্তমানে শনির সাড়েসাতি ভোগ্য তিন রাশি হল
১) বৃশ্চিক, ২) ধনু, ৩)মকর।
এই তিন রাশি ছাড়াও পরবর্তী রাশি গুলির আসন্ন শনির সারেসাতির সময় নির্দেশ করা হলো।

আপনারা এখন বলবেন শনির সাড়েসাতি কি?
=>
শনির সাড়েসাতি হলো শনি গ্রহের পরিক্রমণ গতির ওপর ভিত্তি করে ১২টি রাশির একএকটি রাশিতে প্রায় আড়াই বছর করে শনিগ্রহ অবস্থান করে। সূর্য মধ্যস্থিত হয়ে, কক্ষপথটিকে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করে যদি ১২ টি ভাগে বিভক্ত করা হয় তাহলেই একটি ভাগকে একএকটি রাশি ধরা হবে।
শনিগ্রহ যেই স্থানে বা যেই রাশিতে অবস্থান করে তার আগের রাশি এবং পরে রাশির শনির সাড়ে সাতি চলে।
এই তিন আড়াই বছর ধরে একটি রাশিতে শনিগ্রহের অবস্থানকে এক কথায় শনির সাড়েসাতি বলা হয়।
শনিগ্রহের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে প্রায় 29 বছর চার মাস সময় লাগে।
যে রাশিতে শনি অবস্থান করে এবং তার আগের ও পরের রাশির জাতকদের শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন এবং যেকোন শুভকর্মে অসফলতা লক্ষ্য করা যায়।
এবং তার সময় যেন ধীরগতিতে অতিক্রান্ত হতে থাকে। মানুষিক মনোবলের অভাব দেখা দেয়।
এছাড়া তেমন কিছু শনি গ্রহ ক্ষতি করে না।
এই সময় মানুষকে পরিষ্কার বস্ত্র, শুদ্ধ খাবার গ্রহণ,
সৎ পথ এবং সত‍্য ও নিষ্ঠাকে অবলম্বন করে জীবন যাপন একান্ত জরুরী।
তানাহলে শনি গ্রহ আমাদের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে।

এবার দেখা যাক কোন রাশিতে কবে শনির সাড়েসাতি শুরু এবং শেষ হবে।

১) বৃশ্চিক - ২৪/০১/২০২০ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

২) ধনু - ২৯/০৪/২০২২ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৩) মকর - ৩০/০৩/২০২৫ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৪) কুম্ভ - ২৪/০১/২০২০ থেকে ২৩/০২/২০২৮
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৫) মীন - ২৯/০৪/২০২২ থেকে ০৮/০৮/২০২৯ পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৬)মেষ -৩০/০৩/২০২৫ থেকে ৩০/০৫/২০৩২
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৭)বৃষ - ২৩/০২/২০২৮ থেকে ১২/০৭/২০৩৪
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৮) মিথুন- ১৭/০৪/২০৩০ থেকে ২৭/০৮/২০৩৬
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

৯) কর্কট - ৩১/০৫/২০৩২ থেকে ১২/০৭/২০৩৯
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

১০) সিংহ - ১৩/০৭/২০৩৪ থেকে ২৫/০৯/২০৪১
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

১১) কন্যা - ২৮/০৮/২০৩৬ থেকে ১১/১২/২০৪৩
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।

১২) তুলা - ১৩/০৭/২০৩৯ থেকে ০৮/১২/২০৪৬
পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি চলবে।


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180421140540

Friday, April 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

যৌন বিকৃতির কারন

যৌন বিকৃতির কারন


# জ্যোতিষ মতে জাতক এবং জাতিকার যৌন বিকৃতির কারণ #
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
মানুষের জীবনের গতি বিচিএ।কেউ ঘর বাঁধে, কেউবা ঘর ।
আমাদের যৌনক্ষুধা বৃদ্ধি করায় শুক্র।সেই শুক্র যদি জন্মছকে স্বক্ষেএে,উচ্চস্থ, নীচস্থ,তৃতীয়,সপ্তমে বা চন্দ্র সহ অবস্থান করা অবস্থায় মঙ্গল রাহু,কেতু দ্বারা দৃষ্টি প্রাপ্ত বা সম্পর্ক যুক্ত হলে এই রূপ জাতক বা জাতিকার যৌনক্ষুধা বিকৃত পথ নেবে। এই রূপ জাতক,জাতিকা একাধিক যৌন সংসর্গ করে থাকে। এইরূপ জাতক,জাতিকার যৌন তৃপ্তি হয় না এবং দাম্পত‍্য কলহ দেখা দেয়।
KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
WEBSITE: www.apnc.co.in
MY PAGE LINK IS BELOW
PLEASE LIKE& SARE

https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180420075252

Friday, April 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

যাত্রা প্রকারন

যাত্রা প্রকারন

শুভ রাত্রি
যাত্রা প্রকরণ :-

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি ও শুক্র বার পশ্চিমে, মঙ্গল ও বুধ বার উত্তরে, শনি ও সোম বার পূর্বে এবং বৃহস্পতি বার দক্ষিণে দিকশূল হয়। তাই উক্ত বারে উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ।

শুক্লা-প্রতিপদ, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে যাত্রা করলে অশুভ হয়।

অশ্বিনী, হস্তা, পুষ্যা, অনুরাধা, পুনর্বসু, রেবতী, জ্যেষ্ঠা ও মৃগশিরা নক্ষত্রে যাত্রা উত্তম।

রোহিণী, পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া, পূর্ব-ভাদ্রপদ, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, ও শতভিষা নক্ষত্রে যাত্রা মধ্যম।

উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, বিশখা, মঘা, আর্দ্রা, ভরণী, অশেস্নষা ও কৃত্তিকা নক্ষত্রে যাত্রা শুভ।

শ্রবণা ও জ্যেষ্ঠাতে পূর্বদিকে, পুষ্যা ও রোহিণীতে পশ্চিম দিকে, হস্তা ও উত্তর-ফাল্গুনীতে উত্তর দিকে এবং পূর্ব-ভাদ্রপদ ও অশ্বিনীতে দক্ষিণ দিকে নক্ষত্রশূল হয়।

উক্ত নক্ষত্র যে দিন থাকে সে দিন উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ।

রবি পূর্বদিকের,
চন্দ্র বায়ুকোণের,
মঙ্গল দক্ষিণদিকের,
বুধ উত্তরদিকের,
বৃহস্পতি ঈশানকোণের,
শুক্র অগ্নিকোণের,
শনি পশ্চিমদিকের,
রাহু নৈর্ঋতকোণের অধিপতি।
বুধ ভিন্ন দিকপতির দিনে যাত্রা শুভ।

প্রতিপদ ও নবমীতে পূর্বদিকে, তৃতীয়া ও একাদশীতে অগ্নিকোণে,

পঞ্চমী ও ত্রয়োদশীতে দক্ষিণদিকে, চতুর্থী ও দ্বাদশীতে নৈর্ঋতকোণে,

ষষ্ঠী ও চতুর্দশীতে পশ্চিমদিকে, সপ্তমী ও পূর্ণীমাতে বায়ুকোণে,

দ্বিতীয়া ও দশমীতে উত্তরদিকে এবং অষ্টমী ও অমাবশ্যাতে ঈশানকোণে যোগিনী বাস করেন।

যাত্রায় যোগিনীর শেষ নয় দণ্ড পরিত্যাজ্য। দক্ষিণ ও সম্মুখস্থ যোগিনীতে যাত্রা অশুভ এবং বাম ও পৃষ্ঠে অবস্থিত যোগিনীতে যাত্রা শুভ।

বিবাহের কাল বিচার :-

জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সপ্ত বারের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবাহে প্রশস্ত।

রবি, মঙ্গল ও শনি বারে বিবাহ হলে কন্যা কুলটা হয়। অমাবস্যা ও রিক্তায় (৪র্থী, ৯মী ও ১৪শী) বিবাহ অশুভ। তবে শনি বার রিক্তা তিথিতে বিবাহ শুভ।

রেবতী, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, মৃগশিরা, মূলা, অনুরাধা, মঘা, হস্তা ও স্বাতী এই সব নক্ষত্রসমূহে বিবাহ শুভ।

ব্যতীপাত, পরিঘ, বৈধৃতি, অতিগ-, ব্যাঘাত, হর্ষণ, শূল, গ-, বিকুম্ভ এবং বজ্র যোগ ভিন্ন অন্নযোগে বিবাহ প্রশস্ত।

শকুনি, চতুষ্পাদ, নাগ, কিন্তঘ্ন ও বিষ্টি করণে বিবাহ নিষিদ্ধ।

বারটি মাসের মধ্যে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও অগ্রহায়ণ মাসে বিবাহ প্রশস্ত। তবে অরক্ষণীয়া কন্যার নক্ষত্রে পৌষ ও মাঘ মাসেও বিবাহ প্রশসত্ম।

লগ্নের ক্ষেত্রে কন্যা, তুলা, মিথুন ও ধনু লগ্নের পূর্বাংশে বিবাহ শুভ।

বিবাহের সময় লগ্ন, ৫ম, ৯ম ও ১০মে বৃহস্পতি থাকলে সুতহিবুক যোগ হয়।

গর্গমুনির মতে জন্মদিনে কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ তবে জন্ম-মাসে বিবাহ প্রশস্ত।

জন্মদিনের পর আট দিন পরিত্যাগ করে কন্যার বিবাহের বিধান আছে।

কন্যার ক্ষেত্রে জন্মবার, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতেও বিবাহ প্রশস্ত।

জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাসে জ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ।

তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহ প্রশস্ত।

জন্মদিন, জন্ম-বার, জন্ম-মাস, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতে পুরুষের বিবাহ নিষিদ্ধ।

সুতহিবুক যোগে লগ্নের গ্রহসংস্থান জনিত সকল দোষ নাশ হয়।

এখন গোধুলি লগ্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। যে সময় শুভ লগ্ন থাকে না আবার বিবাহ-কার্যও আবশ্যক হয়ে পড়ে তখন গোধুলি লগ্নে বিবাহ প্রশস্ত।

গোধুলি লগ্নে বিবাহে বার, তিথি, নক্ষত্র, বিষ্টিভদ্রা প্রভৃতি দোষ থাকলেও বিবাহ অশুভ হয় না।

বিবাহের প্রশস্ত মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে এবং শনি ও বৃহস্পতি বার গোধুলি লগ্নে বিবাহ নিষিদ্ধ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180420073910

Friday, April 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা ধূমাবতী

মা ধূমাবতী

সপ্তম মহাবিদ্যা - দেবী ধূমাবতী ।

ধূমাবতী (সংস্কৃত: धूमावती, Dhūmāvatī) দশমহাবিদ্যার অন্যতমা এক তান্ত্রিক হিন্দু দেবী। তিনি মহাশক্তির একটি ভীষণা রূপ। ধূমাবতী বৃদ্ধা, কুৎসিত বিধবার বেশে সজ্জিতা, এবং কাক ও চতুর্মাস ইত্যাদি হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী অমঙ্গলজনক বিষয়গুলির সঙ্গে সম্পর্কিতা। ধূমাবতীর প্রচলিত মূর্তিকল্পে তাঁকে অশ্ববিহীন রথ বা কাকপৃষ্ঠে আরূঢ়া অবস্থায় এবং সাধারণত শ্মশানচারিণীরূপে কল্পনা করা হয়।

মাতঙ্গী মূর্তি দর্শন করে মহাদব কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে আবার যেই পালাবার পথ খুঁজছেন তখন আবার দেখলেন এক বিচিত্র দেবীকে।

“ ওঁ বিবর্ণা চঞ্চলারুষ্টা দীর্ঘা চ মলিনাম্বরা।

বিমুক্তকুন্তলারুক্ষা বিধবা বিরলদ্বিজা।

কাকধ্বজরথারূঢ়া বিলম্বিত পয়োধরা।

শূর্পহস্তা অতিরুক্ষাক্ষী ধৃতহস্তা বরান্বিতা।

ক্ষুৎ পিপাসার্দিতা নিত্যং ভয়দা-কলহাস্পদা। ”

এক কাকধ্বজরথে বসে থাকা দেবী যাঁর গায়ের রং ফ্যাকাসে।
চঞ্চলা ক্রুদ্ধা দীর্ঘদেহা, মলিনবস্ত্র পরিহিতা স্বামীহীনা দন্তহীনা, শিথিলস্তনা নারীমূর্তিকে দেখলেন। তাঁর হাতে কুলো, চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত তীব্র, অন্য হাতে কম্পমান বরমুদ্রা।
ক্ষুধা তৃষ্ণায় তিনি সর্বদা কাতর, ভয়ঙ্করী এই মূর্তি কলহপ্রিয়া। এই দেবীকে দেখে শিব বিভ্রান্ত হয়ে গেলেন, তাঁর পত্নী সতীর জায়গায় এ কোন বৃদ্ধা জরাগ্রস্তা বিধবা কোপনস্বভাবা মূর্তি !

এই তমঃপ্রধানা দেবী হচ্ছেন ধূমাবতী। এঁরও সৃষ্টি সম্পর্কে এক পূরাণে বলা হচ্ছে-একদিন কৈলাসে শিব বসে আছেন, এমন সময়ে তাঁর কোলে বসে থাকা গিরিজা বাচ্চা মেয়ের মতো বলে উঠলেন, “ আমার খুব ক্ষিধে পেয়েছে-শিগ্গির কিছু খেতে দাও। ”
এই কথা শুনে মহাদেব বললেন, “একটু অপেক্ষা কর তোমার খাওয়ার ব্যবস্থা করছি।”
একটু পরেই দেবী আবার বললেন, “ দাও, দাও, আমার যে খুব ক্ষিধে পেয়েছে।”
শিব আবার বললেন, “ লক্ষ্মীসোনা, একটু অপেক্ষা কর, এই দিচ্ছি। ”
দেবী তখন বললেন, “ হে জগন্নাথ দেরি করবার ক্ষমতা আমার আর নেই। ”
এই বলে শিবকেই তুলে নিয়ে নিজের মুখের মধ্যে ফেলে দিলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সারা শরীর থেকে ধোঁয়া (ধূম) বেরোতে লাগল।
তখন মহাদেব তাঁর যোগশক্তিতে দেবীর শরীর থেকে বাইরে এসে বললেন,

“ পশ্য ভদ্রে মহাভাগে পুরুষো নাস্তি মাং বিনা।

ত্বদন্যা বনিতা নাস্তি পশ্যত্বং জ্ঞানচক্ষুষা।

বিধবাসি কুরু ত্যাগং শঙ্খসিন্দুরমেব চ।

সাধব্যং লক্ষণং দেবী কুরু ত্যাগং পতিব্রতে।

ধূম ব্যাপ্তশরীরাত্তু ততো ধূমাবতী স্মৃতা। ”

হে শোভনে, ধ্যানযোগে দেখ, আমি ছাড়া আর পুরুষ নেই আর তুমি ছাড়া কোন স্ত্রী নেই।
কিন্তু আমাকে গ্রাস করে তুমি বিধবা হয়েছ , তাই সধবার চিহ্ন শাঁখা সিন্দুর,
পতিব্রতার চিহ্ন তুমি ত্যাগ কর। আর সমস্ত শরীর ধূমে পূর্ণ হওয়ায় তোমার নাম হল ধূমাবতী।

তন্ত্রের মতে বলা হচ্ছে দক্ষযজ্ঞে পতিনিন্দা শ্রবণে সতী দেহত্যাগ করেছিলেন নিজের দেহ থেকে কোপাগ্নি সৃষ্টি করে। সেই অগ্নিময় দেহ ধূমে পরিব্যাপ্ত হয়েছিল। সেই তিথিটি ছিল অক্ষয় তৃতীয়া-মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায়। তাই তন্ত্রে বলে দেবী ধূমাবতীর সৃষ্টি-

“ প্রাপ্তে অক্ষয় তৃতীয়ায়াং জাতা ধূমাবতীশিবে।

কালী-কালী কালবক্ত্রা ভৌমবারে নিশামুখে। ”

এই মূর্তি সর্বশত্রুবিনাশিনী।

আবার কবি ভারত চন্দ্র রায় গুনাকর বলেছেন,

“ বিমুক্ত কেশী বামা জীবদুঃখ বিনাশে /
শ্রমক্লান্ত প্রাণী ক্লেশ,
ঘুচাইতে রুক্ষবেশ বিধবার রূপে নিত্য সতীহোতা বিকাশে।”

হাতে কুলো-তার বাতাসে জীবের সব বিপদ আপদ শত্রু সব দূর করে দেবেন তিনি। ভীতিপ্রদা মূর্তিও জীবের দুঃখনাশে সদা প্রস্তুত।

ধূমাবতী প্রলয়ের প্রতীক। তিনিই সৃষ্টির পূর্বে ও প্রলয়ের পরে বিদ্যমান "মহাশূন্যের" মূর্তিস্বরূপ। ধূমাবতী সাধারণত অমঙ্গলকর বিষয়গুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদিও তাঁর সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁর কয়েকটি সদগুণেরও বর্ণনা করেছে। তিনি কোমলস্বভাবা ও বরদাত্রী। ধূমাবতী মহাগুরু; তিনি কল্যাণ ও অকল্যাণের বহু ঊর্ধ্বে স্থিত জগত চরাচর সম্পর্কে সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রদান করেন। তাঁর কুৎসিত রূপটি প্রকৃতপক্ষে একটি রূপক; এই রূপ সাধককে বাইরের নকল সৌন্দর্যের পরিবর্তে জীবনের অন্তর্নিহিত সত্যটি অনুসন্ধান করতে ও জানতে শেখায়।

হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ধূমাবতী সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেন; তিনি সকল বিপদ থেকে ভক্তকে উদ্ধার করেন এবং জ্ঞান ও মোক্ষফল সহ সকল অভীষ্ট বস্তু প্রদান করেন। শত্রুনাশের উদ্দেশ্যে তাঁর পূজা করা হয়। ধূমাবতীর পূজা আইবড়, বিধবা বা সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের পক্ষেই প্রশস্ত বলে মনে করা হয়। বারাণসীতে অবস্থিত ধূমাবতী মন্দিরে দেবী অমঙ্গলসূচক বিষয়গুলির ঊর্ধ্বে স্থানীয় রক্ষাকর্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছেন। এখানে বিবাহিত যুগলেও তাঁর পূজা দিয়ে থাকেন। যদিও ধূমাবতীর মন্দিরের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, তা সত্ত্বেও শ্মশান বা বনাঞ্চলে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁর নিয়মিত পূজা হয়ে থাকে।

দশমহাবিদ্যার বাইরে ধূমাবতীর বিশেষ কোনো অস্তিত্ব নেই। মহাবিদ্যায় অন্তর্ভূক্তির পূর্বে তাঁর কোনো ঐতিহাসিক উল্লেখও পাওয়া যায় না। দারিদ্র্য, বিষন্নতা ও দুঃখকষ্টের দেবী রূপে ধূমাবতীর সঙ্গে মারী ও দুঃখের দেবী নির্ঋতি এবং মন্দভাগ্য ও দারিদ্র্যের দেবী অলক্ষ্মীর মিল পাওয়া যায়। কিনসলে দেবী জ্যেষ্ঠার সঙ্গেও ধূমাবতীর মিল খুঁজে পেয়েছেন।

বৈদিক দেবী নির্ঋতি মৃত্যু, জরা বা ক্ষয়, মন্দভাগ্য, ক্রোধ ও চাহিদার দেবী। তাঁকে দূরে রাখার জন্য তাঁর স্তুতি করা হত। নির্ঋতির মতো ধূমাবতীও অমঙ্গলসূচক বিষয় ও কঠোরতার দেবী। প্রাচীন হিন্দু দেবী জ্যেষ্ঠার মূর্তিকল্পটিও ধূমাবতীর অনুরূপ। ধূমাবতীর মতো তিনিও কৃষ্ণবর্ণা, কুৎসিত ও কাকবাহিনী। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠা মঙ্গলসূচক কিছুই সহ্য করতে পারেন না। ধূমাবতীর মতো তিনিও ঝগড়া, কুস্থানে বাস করেন এবং কোপনস্বভাবা দেবী।সারদাতিলক তন্ত্র গ্রন্থের টীকাকার লক্ষ্মণ দেসিকা ধূমাবতীকে জ্যেষ্ঠার অপর রূপ বলে উল্লেখ করেছেন।দেবী অলক্ষ্মী ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী বা শ্রীর ভগিনী ও বিপরীত শক্তি। অলক্ষ্মী ও ধূমাবতী দুজনেই সম্মার্জনী বা ঝাঁটা ধরে থাকেন এবং তাঁদের পতাকায় কাকের ছবি থাকে। দুজনেই ক্ষুধা, তৃষ্ণা, চাহিদা ও দারিদ্র্যের দেবী।

ধূমাবতীর সঙ্গে অপর তিন দেবীর কিছু মিল থাকলেও, কিছু অমিলও আছে। যেমন, তাঁরা কেউই ধূমাবতীর মতো বিধবার বেশে কল্পিত হন না বা তাঁদের কুৎসিত রূপকল্পের কোনো শাস্ত্রব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আবার উক্ত তিন দেবীর নামও ধূমাবতীর নামস্তোত্রে অমিল। এছাড়া তাঁদের মধ্যে ধূমাবতীর যোদ্ধৃবেশ বা মহাবিদ্যারূপে তাঁর সদগুণগুলিও দেখা যায় না। ডেভিড কিনসলে মনে করেন, উক্ত তিন দেবী ধূমাবতীর পূর্বসূরি হলেও, তাঁরা ধূমাবতীর ঠিক "সমরূপীয়" নন। উল্লেখ্য, কিনসলের মতে, মহাবিদ্যার ধারণাটি দ্বাদশ শতাব্দীর আগে প্রচলিত ছিল না।

ধূমাবতী হলেন সপ্তম মহাবিদ্যা। গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্র গ্রন্থে দশ মহাবিদ্যাকে বিষ্ণুর দশ অবতারের উৎস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই গ্রন্থ মতে মৎস্য অবতারের উৎস হলেন ধূমাবতী। মুণ্ডমালা গ্রন্থেও একটি অনুরূপ তালিকা রয়েছে; তবে উক্ত গ্রন্থ মতে বামন অবতারের উৎস হলেন ধূমাবতী।

শাক্ত মহাভাগবত পুরাণে দশমহাবিদ্যার উৎপত্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এই কাহিনি অনুযায়ী, দক্ষের যজ্ঞে নিমন্ত্রিত না হয়ে দক্ষকন্যা তথা শিবের প্রথমা স্ত্রী সতী অপমানিতা হন। তিনি বিনা আমন্ত্রণেই যজ্ঞে উপস্থিত থাকতে চাইলে, শিব বারণ করেন। সতী অনুনয়বিনয় করে শিবকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হন না। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে সতী দশমহাবিদ্যার রূপ ধারণ করে দশ দিক দিয়ে ঘিরে ধরেন। এই সময় ধূমাবতী দক্ষিণপূর্ব দিকে দণ্ডায়মান ছিলেন। অপর একটি কিংবদন্তিতেও অনুরূপ কাহিনি পাওয়া যায়; তবে এই মতে সতীর স্থলে প্রধান মহাবিদ্যা ও অপরাপর মহাবিদ্যাগণের উৎস কালীকে স্থাপন করা হয়েছে। দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, দশমহাবিদ্যা হলেন শাকম্ভরীর রূপভেদ ও সহযোদ্ধা।

শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে উল্লিখিত কাহিনি অনুযায়ী, সতী দক্ষের যজ্ঞকুণ্ডে আত্মবলিদানের উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দিলে সতীর দগ্ধ দেহের কালো ধোঁয়া থেকে ধূমাবতী উত্থিতা হন। তিনি হলেন "সতীর দেহাবশেষ" এবং তাঁর অপমানিতা অবতার। প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থে ধূমাবতীর বিধবা বেশের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। একদা সতী শিবের কাছে অন্ন প্রার্থনা করেন। শিব তাঁকে অন্ন দিতে অস্বীকার করলে, সতী তাঁর প্রচণ্ড ক্ষুধার নিবৃত্তির জন্য শিবকেই ভক্ষণ করেন। শিব যখন তাঁকে নিষ্কৃতি দিতে অনুরোধ করেন, তখন সতী শিবকে পুনরায় উগরে দেন। এরপর শিব তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিধবার বেশ ধারণ করার অভিশাপ দেন। আর একটি লোকপ্রচলিত জনশ্রুতি অনুযায়ী, দুর্গা শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরদ্বয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ধূমাবতীকে সৃষ্টি করেন। ধূমাবতী প্রাণঘাতী ধূমের সাহায্যে দৈত্যনাশ করেন।

প্রাণতোষিণী তন্ত্র ধূমাবতীর ধ্বংসাত্মিকা শক্তি ও প্রচণ্ড ক্ষুধার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিধাতা শিবই তাঁর ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে সক্ষম। এটি ধূমাবতীর বিধবাবেশী অমঙ্গলসূচক রূপ এবং তাঁর স্বামীভক্ষণকারী সত্ত্বার প্রতীক।

ধূমাবতী তন্ত্র গ্রন্থে তাঁকে বৃদ্ধা ও কুৎসিত বিধবার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি শীর্ণকায়া, দীর্ঘাকার, রোগগ্রস্থা ও পাণ্ডুরবর্ণা। তিনি অশান্ত ও কুটিল হৃদয়। তাঁর দেহে অলংকারাদি নেই। তিনি পুরনো মলিন বস্ত্র পরিধান করে থাকেন। তিনি মুক্তকেশী। তাঁর চক্ষুদুটি ভয়ংকর, নাসিকা দীর্ঘ ও বক্র, তাঁর তীক্ষ্ণ দাঁতের কয়েকটি পড়ে গেছে, হাসলে তাঁকে ফোকলা মনে হয়। তাঁর কর্ণদ্বয় কুৎসিত ও অসম আকারবিশিষ্ট। তাঁর স্তন লম্বমান এবং তিনি এক হাতে একটি কুলো ধরে থাকেন এবং অপর হাতে বরমুদ্রা বা চিন্মুদ্রা দেখান। তিনি অশ্ববিহীন রথে আরূঢ়া এবং তাঁর পতাকায় কাকের ছবি থাকে। ধূমাবতী চতুরা। তিনি সর্বদা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় থাকেন। তিনি কলহের কারণ ও ভয় প্রদানকারিনী।

প্রপঞ্চসারাসার সমগ্র অনুযায়ী, ধূমাবতী কৃষ্ণবর্ণা ও নাগ অলংকারে ভূষিতা। তাঁর বস্ত্র শ্মশানক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত ছিন্ন বস্ত্রখণ্ডে নির্মিত। তিনি দ্বিভূজা, শূল ও নরকপালধারিনী।কোনো কোনো মূর্তিকল্পে শূলের জায়গায় তরবারি থাকে।একই গ্রন্থের অপর একটি বর্ণনা অনুযায়ী, ধূমাবতী বৃদ্ধা, তাঁর চর্ম কুঞ্চিত, তিনি ক্রুদ্ধমুখ এবং মেঘশ্যামবর্ণা। তাঁর নাসিকা, চক্ষু ও কণ্ঠ কাকের ন্যায়। তিনি ঝাঁটা, কুলো, মশাল ও গদা ধারণ করে থাকেন। তিনি নিষ্ঠুরা ও তাঁর ভ্রু কুঞ্চিত। ধূমাবতী এলোকেশী ও তিনি ভিক্ষুকের বস্ত্রপরিহিতা। তাঁর স্তনযুগল শুষ্ক। তাঁর চুল পাকা, দাঁত ভাঙা ভাঙা ও বস্ত্র জীর্ণ ও ছিন্ন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধূমাবতী কাকবাহিনী ও ত্রিশূলধারিনী রূপে কল্পিত হন। তিনি মুণ্ডমালাধারিণী, তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রক্তবর্ণা, এবং তাঁর মাথার চুলা আলুলায়িত।কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি মৃত্যুর দেবতা যমের মহিষশৃঙ্গ ধারণ করে। এটি মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রতীক।

ধূমাবতী ভয়ংকরী, তাঁর বেশ যোদ্ধার বেশ। শাক্তপ্রমোদ অনুযায়ী, তিনি ভয়ংকর শব্দ করে হাড় চিবিয়ে খান। তাছাড়াও তিনি রণভেরী বাজিয়ে ভয়ংকর শব্দ করেন। তিনি নরকপালের মালা পরে থাকেন, চণ্ড ও মুণ্ডের হাড় চিবিয়ে ভক্ষণ করেন এবং রক্তের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খান।

অবশ্য ধূমাবতীর রূপকল্পের কয়েকটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোলারাম অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবীকে দুটি শিকারী পক্ষীর দ্বারা বাহিত রথে আরূঢ়া মূর্তিতে দেখা যায়। এই মূর্তিতে তাঁর এক হাতে কুলো ও অপর হাতে বরদা মুদ্রা থাকলেও, তিনি যৌবনবতী, সুডৌলস্তনযুক্তা এবং স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা।; যা তাঁর প্রচলিত মূর্তিকল্পের একেবারের বিপরীতধর্মী। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বারাণসীতে অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবী ধূমাবতী কাকবাহনা, চতুর্ভূজা, ত্রিশূল, তরবারি, কুলো ও পাত্রহস্তা, কৃষ্ণবর্ণা, লম্বিতস্তনযুক্তা, শ্বেতবস্ত্রপরিহিতা ও শ্মশানচারিণী। এই ছবিতেও তিনি স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা ও তাঁর নিম্নবস্ত্রে সোনার পাড়; যা বিধবার বেশের সঙ্গে বেমানান। অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি নেপালি পুথিচিত্রে আবার ধূমাবতীর সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মূর্তি দেখা যায়। দেবী এখানে সম্পূর্ণ নগ্না, উন্নতস্তনযুক্তা, মুক্তাহার ও মুকুট পরিহিতা, পদযুগল দুপাশে দিয়ে ময়ূরের উপর দণ্ডায়মানা, এবং একটি দর্পণে স্বীয় মুখমণ্ডল দর্শনরতা। তাঁর চতুর্পার্শ্বে অগ্নিবলয়, যা সম্ভবত শ্মশানচিতাগ্নির প্রতীক।

বেদ বিশারদ গণপতি মুনি নিম্নলিখিত ভাষায় দেবীর বর্ণনা দিয়েছেন:
“ তিনি শূন্যরূপে প্রকীর্তিতা এবং চৈতন্যের বিলীন রূপ। সকল সত্ত্বা ব্রহ্মে লীন হলে সমগ্র জগত চরাচরকে গ্রাস করেন তিনি। তখন দার্শনিক-কবিরা তাঁকে মহাগরিমাসম্পন্না জ্যেষ্ঠা ধূমাবতী নামে অভিহিত করেন। তাঁর নিবাস নিদ্রা, স্মৃতিভ্রষ্টতা, মায়া ও মায়ায় আবদ্ধ জীবের মধ্যে। কিন্তু যোগীগণের মধ্যে তিনি সকল চিন্তা ধ্বংসকারিণী শক্তি এবং স্বয়ং সমাধি স্বরূপিণী। ”

—গণপতি মুনি, উমা সহস্রম্ ৩৮ , পৃ. ১৩—১৪,

ধূমাবতী সর্বক্ষেত্রেই বিধবা রূপে কল্পিতা হন। তাই তিনিই একমাত্র মহাবিদ্যা, যাঁর স্বামী নেই। যদিও তিনি শিবেরই স্ত্রী ছিলেন; কিন্তু শিবকে তিনি ভক্ষণ করে ফেলেন এবং পরে শিব কর্তৃক পরিত্যক্তা হন। এই রূপে তিনি মহাবিশ্বের পুরুষকে ধ্বংস করে শূন্যের সঙ্গে বিরাজমান হন; কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মহাশক্তি সত্ত্বাটি ক্ষুন্ন হয় না। অনেক গ্রন্থেই ধূমাবতীর সদাঅতৃপ্ত ক্ষুধা ও তৃষ্ণার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এটি তাঁর অতৃপ্ত কামনাবাসনার প্রতীক।

দেবীর অশ্ববিহীন রথারূঢ়া বিধবার বেশটি সমাজ ও জীবন থেকে নির্বাসিতা নারীর প্রতীক। তিনি "সকল দুর্ভাগ্য, অনাকর্ষণীয় ও অমঙ্গলের প্রতীক"। তিনি দরিদ্র, ভিখারিণী ও কুষ্ঠরোগাক্রান্তা। তিনি বাস করেন "জগতের ক্ষত", মরুভূমি, ভাঙা বাড়ি, দারিদ্র, ছেঁড়া কাঁথা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, কলহ, সন্তানশোক, বন ও অন্যান্য বর্বর অধ্যুষিত অঞ্চলে। সাধারণত বিধবাদের অমঙ্গলজনক, বিপজ্জনক ও অশুভক্ষমতার অধিকারিণী বলে সন্দেহ করা হয়। তাই দিব্যবিধবা ধূমাবতীকেও সকলে ভয় করেন।ধূমাবতীকে কুটিল বৃদ্ধা বা ডাইনি বলে বর্ণনা করা হয়। তিনি চতুর ও কলহপ্রিয়া। এটি জীবনের ভয়ংকর দুঃখগুলির প্রতীক।

ব্যতিক্রমী চিত্রকলায় ধূমাবতী যৌবনবতী ও সালংকারা, তিনি যৌনেচ্ছা উদ্দীপনকারিণী, আকর্ষণীয়া অথচ অমঙ্গলময়ী বিধবা। তাঁর সহস্রনাম স্তোত্রে বলা হয়েছে যে, তিনি আনন্দপ্রদায়িনী, সর্বসুন্দরী ও মাল্য, অলংকার ও বস্ত্রভূষিতা। এই স্তোত্র অনুযায়ী, তিনি যৌনতার দেবী; রতি তাঁর রূপভেদ। উল্লেখ্য, রতি শব্দের আক্ষরিক অর্থ "যৌনসংগম" এবং এটি হিন্দু প্রেমের দেবীরও নাম। তিনি যৌনসংগম উপভোগ করেন; যেখানে যৌনক্রিয়া চলে, সেখানে উপস্থিত থাকেন এবং স্বয়ং যৌনাচারে অংশ নেন। তিনি মদ্যপান করতে ভালবাসেন এবং উন্মত্তা অবস্থায় থাকেন। এই কারণে মদ্যপেরা তাঁর পূজা করে। পঞ্চমকার সহযোগে তন্ত্রসাধনার সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্তা থাকেন।

ধূমাবতী নারীর সমাজবিরোধী ও অমঙ্গলময় সত্ত্বার প্রতীক। তিনি লক্ষ্মীর বিপরীত শক্তি। অলক্ষ্মীর মতো ধূমাবতীও বর্ষাকালের চার মাসে (চতুর্মাস্য) পূজিতা হন। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময় অশুভ জলশক্তি সূর্যালোককে আচ্ছন্ন করে রাখে এবং এই সময় বিষ্ণু নিদ্রা যান। এই সময় অন্ধকার রাজত্ব করে এবং আত্মা তাঁর নিজস্ব ঔজ্জ্বল্য হারায়। এই সময়টিকে অশুভ মনে করা হয় এবং বিবাহাদি কোনো শুভ কাজ এই সময় হয় না।

দেবীর মূর্তিকল্পে মৃত্যুর বাহক কাকের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন গ্রন্থাবলিতে উল্লিখিত তাঁর কাকের ন্যায় বৈশিষ্ট্যগুলি মৃত্যু ও অমঙ্গলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রতীক। তাঁর মূর্তিকল্পে মৃত্যুর আর একটি প্রতীক হল শ্মশানক্ষেত্র ও চিতাগ্নির উপস্থিতি। সহস্রনাম স্তোত্র অনুযায়ী, ধূমাবতী শ্মশানবাসিনী, শবারূঢ়া, ভষ্মমণ্ডিতা ও শ্মশানচারীদের আশীর্বাদকারিণী। প্রপঞ্চসারাসার সমগ্র অনুযায়ী তিনি মৃতদেহের শরীর থেকে বস্ত্র সংগ্রহ করে তা পরিধান করেন।ধূমাবতী তমোগুণের প্রতীক, যা অজ্ঞতা ও অন্ধকারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মাংস ও মদ্য পছন্দ করেন, তামসিক প্রকৃতির।

নাম ও রূপের বাইরে, মানবীয় বর্গবিভাজনের বাইরে, একাকী ও অদ্বিতীয়া, প্রলয়রূপিণী তিনি (ধূমাবতী) সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রকাশ করেন, যা আকারবিহীন, শুভাশুভ, শুদ্ধাশুদ্ধ ও মঙ্গল-অমঙ্গল-বিভেদরহিত।
- David Kinsley.

কথিত আছে, ধূমাবতী মহাপ্রলয়ের সময় উপস্থিত হন। প্রলয়কালে উত্থিত প্রকাণ্ড কৃষ্ণ মেঘ তাঁর স্বরূপ। এই কারণে সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁকে "প্রলয়রূপিণী", "প্রলয়মত্তা", "প্রলয়কারণস্বরূপিণী" ও "প্রলয়চারিণী" বলা হয়। অন্যমতে, তিনি মহাকালরূপী শিবের বিলোপের পরেও বিদ্যমান থাকেন। তাই তিনি "কালশক্তিস্বরূপিণী" এবং কালের বৃত্তের বাইরে অবস্থানকারিণী। ধূমাবতী মহাপ্রলয় বা শেষ প্রলয়ের এবং বিশ্ববিনাশের পর উত্থিত ধোঁয়ার প্রতীক।

"ধূমাবতী" নামটির অর্থ "ধূম্রময়ী"।কথিত আছে, পোড়ালে ধোঁয়া হয় না, এমন কিছু উৎসর্গ না করলে তিনি খুশি হন না। তিনি ধূপ ও চিতার ধোঁয়া পছন্দ করেন, যা ধ্বংসের প্রতীক। তিনি ধোঁয়ার আকারে বিহার করেন এবং যেখানে খুশি সেখানে যান।

ধূমাবতী সাধারণত অমঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলেও সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁর কয়েকটি সদগুণেরও উল্লেখ রয়েছে। তিনি বরদাত্রী ও কোমলহৃদয়া। তাঁর স্তোত্রে বলা হয়েছে, তিনি নারীগণের মধ্যে বাস করেন এবং তাঁদের দ্বারা পূজিতা হন। এই স্তোত্রে তাঁকে সন্তানদাত্রীও বলা হয়েছে।

পূর্বপুরুষ বা পিতামহী সত্ত্বায় ধূমাবতী মহাগুরু ও পথনির্দেশকারিণী। তিনি জীবন ও মৃত্যু-সংক্রান্ত চরম সত্য জ্ঞান প্রদান করেন। যা অবশ্যম্ভাবী তা আচ্ছাদিত করে তাঁর ধোঁয়া। কিন্তু এর ফলে প্রকাশিত হয় "অজানা ও অরূপের" গুপ্ত সত্য। ফ্রলে বলেছেন, তাঁর বাইরের দরিদ্রবেশটি একটি মায়া-আচ্ছাদনমাত্র, যা তাঁর অন্তর্নিহিত সত্য রূপটিকে ঢেকে রাখে। তিনি প্রতীক সেই "সৌভাগ্যের যা দুর্ভাগ্যে ছদ্মবেশে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়।"ধূমাবতী "যন্ত্রণার শক্তির" মূর্তরূপ। ধূমাবতীর দোষগুলি আসলে ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা ও বৈরাগ্যের মতো গুণগুলির জন্মদাতা। জীবনের দোষগুলি প্রকাশ না পেলে, সেই দোষের উত্তরণ ঘটে না এবং সত্যও মায়ার ধূম্রাচ্ছাদনের আড়ালেই থেকে যায়।

ধূমাবতীর বাইরের অমঙ্গলময় সত্ত্বা ও তাঁর ভয়ংকরী মূর্তিটি কামনাবাসনার নিবৃত্তিকে চরমপ্রাপ্তি মনে করার বিপদটি উদ্ঘাটন করে। কুলো শস্য বাছাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি বাইরের মায়া থেকে অন্তরের বাস্তবকে বেছে নেওয়ার প্রতীক। তাঁর কুৎসিত রূপ ভক্তকে এই শিক্ষাই দেয় যে, বাইরের চাকচিক্যময় রূপের বদলে অন্তর্নিহিত সত্যই মূল বস্তু।

ধূমাবতী সেই আদি অন্ধকার ও অজ্ঞানের মূর্তরূপ, যা থেকে মায়ার সংসারের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টির পূর্বে ও ধ্বংসের পরে এই অন্ধকার ও অজ্ঞানতার প্রতীক। এই অজ্ঞানতা, যা সর্বোচ্চ সত্যকে ঢেকে রাখে, তাও প্রয়োজনীয়। কারণ এই অজ্ঞানতার উপলব্ধি না থাকলে, সত্য জ্ঞান লাভ করা সম্ভবপর নয়। ধূমাবতী চৈতন্যের প্রাক-সৃষ্টি রূপ যোগনিদ্রা এবং যে আদি নিদ্রা বা মহাশূন্যে সকল সৃষ্টি মিলিত হয়ে ব্রহ্মে বিলীন হয়, তারও প্রতীক। এই মহাশূন্য শুদ্ধ চৈতন্য, চিত্তচাঞ্চল্যরোধকারী এবং নৈঃশব্দ। এমনকি ধূমাবতীর রোগসৃষ্টিকারী সত্ত্বাটিরও একটি ভাল দিক রয়েছে। রোগের মাধ্যমে তিনি দুষ্টকে শাস্তি দেন এবং জগৎ সংসারের স্থিতি বজায় রাখেন। ধূমাবতী হৃদপিণ্ড বা শরীরের মধ্যভাগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

কোনো কোনো মতে, ধূমাবতী কালীর বৃদ্ধা রূপ। এই রূপ কালীর কালোত্তীর্ণা সত্ত্বা ও অরূপ জীবনীশক্তির প্রতীক।অন্য এক মতে, ধূমাবতী হলেন শ্মশানকালীর অন্য রূপ। কালীকুল ঐতিহ্যে ধূমাবতী মহাশক্তির এক ভয়ংকরী রূপ হিসেবে কল্পিত হন।ধূমাবতীর নাম স্তোত্রে তাঁকে পার্বতী ও সতীর অংশ বলা হয়েছে এবং তাঁকে দানবদলনী রূপে বন্দনা করা হয়েছে।

ধূমাবতীকে অমঙ্গলের দেবী মনে করে সাধারণ ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা হলেও, তাঁকে কোমলহৃদয়া এবং ভক্তের মনোবাঞ্ছাপূর্ণকারী বরদাত্রী রূপে বর্ণনাও করা হয়ে থাকে। অনেক স্থানেই ধূমাবতীকে সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতার প্রদানকারিণী, বিপদ থেকে উদ্ধারকারিণী, সকল কামনা পূর্ণকারিণী এবং মোক্ষদাত্রীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ধূমাবতী যে সকল অমঙ্গলজনক বিষয়গুলির দেবী, সেগুলি ঠেকাতে এবং সত্যের ধূম্রাচ্ছাদন উন্মোচন করতে তাঁর পূজা করা হয়।তিনি অপবিত্রতা, অমঙ্গলের প্রতীক ও সমাজবহির্ভূত বলে তাঁর পূজা করলে পূজক সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক দ্বন্দ্বের বাইরে দৃষ্টিপাত করার শক্তি অর্জন করেন এবং সত্য জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হন।

যদিও বিবাহিত ব্যক্তিদের ধূমাবতীর পূজা করতে বারণ করা হয়। কথিত আছে, ধূমাবতীর পূজা করলে হৃদয়ে নির্জনতার পিপাসা বৃদ্ধি পায় এবং জাগতিক বিষয়ে বিতৃষ্ণা জাগে, যা আধ্যাত্মিক সাধনার সর্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ধূমাবতীর পূজা সর্বত্যাগী ও পরিব্রাজক সন্ন্যাসীদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত। ধূমাবতীকে একাকী ব্যক্তিদের, বিশেষত বিধবাদের প্রতি পক্ষপাতী বলে বর্ণনা করা হয়। বিধবারাই একমাত্র তাঁর শক্তি সহ্য করতে পারেন বলে মনে করা হয়।

ধূমাবতীর মন্ত্রটি হল " ধূঁ ধূঁ ধূমাবতী স্বাহা "। এই মন্ত্রে তাঁর " ধূঁ " বীজমন্ত্রটিও অন্তর্ভুক্ত। এই মন্ত্রেই তাঁর পূজা হয়। কখনও কখনও যন্ত্রেও তাঁর পূজা করা হয়। ভক্তেরা অমঙ্গল ও মৃত্যুর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে ধূমাবতীর পূজা করেন। ধূমাবতীর পূজায় পূজককে মন থেকে সকল চিন্তা মুছে ফেলে অচিন্ত্য অরূপের ধ্যান করতে হয়, এই মহাশূন্যরূপী অরূপেরই প্রতীক হলেন ধূমাবতী।

শক্তিসংগম তন্ত্র মতে, কোনো ব্যক্তিকে " উচাটন " বা নির্মূল করতে ধূমাবতীর পূজা করা যায়। পূজককে সেক্ষেত্রে জগত ও দেবীর মন্ত্রটিকে ধূসর রূপে কল্পনা করতে হবে। তাঁকে দাঁতে কালো রং করতে হবে, কালো পোষাক পরতে হবে, এবং অল্পাহার, ভূমিশয্যা ও ইন্দ্রিয়দমনের মতো কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হবে। এই পদ্ধতিটির " কাককর্ম "; অর্থাৎ, অপরের ক্ষতি করতে হলে তাঁকে "তাঁর মনকে কাকের ন্যায় করে তুলতে হবে"। অন্য একটি তন্ত্রগ্রন্থের মতে, পূজককে ধূমাবতীয় মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে শ্মশানক্ষেত্রে একটি কাক দগ্ধ করে শত্রুর ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে, তবেই সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।এই গ্রন্থে আরও বলা হয়েছে যে, ধূমাবতীকে কেবলমাত্র দক্ষিণমার্গেই পূজা করতে হবে।কালরুদ্র তন্ত্র গ্রন্থে, ধূমাবতীকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পূজা করার কথা বলে হলেও শাক্তপ্রমোদ গ্রন্থে সিদ্ধি অর্জন ও শত্রু বিনাশের জন্য তাঁর পূজার উল্লেখ রয়েছে।

রাত্রিকালে শ্মশানক্ষেত্রে ধূমাবতীর পূজা করা হয়। পূজককে নগ্নগাত্রে কেবলমাত্র কৌপিন পরিধান করে তাঁর পূজা করতে হয়। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি ধূমাবতীর পূজার পক্ষে প্রশস্ত। পূজককে পূজার দিন সারাদিন-সারারাত উপবাস করে মৌনী থাকতে হয়। এছাড়া তাঁদের শ্মশান, বন বা কোনো নির্জন স্থানে ভিজে কাপড়ে পাগড়ি মাথায় দিয়ে ধূমাবতীর মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে হোম করতে হয়।

ধূমাবতীর মন্দিরের সংখ্যা অত্যন্ত অল্প। বারাণসীর একটি মন্দিরে ধূমাবতী হলেন প্রধান দেবতা। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও গুয়াহাটির নিকটবর্তী কামাখ্যা মন্দিরের কাছে ধূমাবতীর ছোটো মন্দির রয়েছে। বারাণসীর মন্দিরটিকে শক্তিপীঠ বলে দাবি করা হয়। এই মন্দিরে দেবী রথারূঢ়া ও চতুর্ভূজা, তাঁর চার হাতে কুলো, ঝাঁটা, পাত্র ও অভয়মুদ্রা। এখানে ফল ও ফুল দিয়ে দেবীর পূজা করা হলেওমদ, ভাঙ, সিগারেট, মাংস, এমনকি রক্ত দিয়েও পূজা করা হয়ে থাকে। সন্ন্যাসী ও তান্ত্রিকরা এই মন্দিরে ধূমাবতীর পূজা করেন।দেবীর অমঙ্গলজনক সত্ত্বাটির জন্য কেবলমাত্র তান্ত্রিক বীরাচারেই দেবীর পূজা করা হয়। তবে এই মন্দিরে দেবী গ্রামদেবতা বা স্থানীয়দের রক্ষাকর্ত্রীরূপেও পূজিতা হন। এখানে বিবাহিত যুগলেও পূজা উৎসর্গ করে থাকেন।

“ ধূসর বরণে তুমি হও ধূমাবতী |
মহাবিদ্যা রূপেভেদে তুমি মহাসতী
ধূম্রাক্ষনাশিনী তুমি হরের মোহিনী |
দীনহীনে কর দয়া মাগো তুমি রুদ্রাক্ষীনী


ওঁ দুর্গায়ৈ দুর্গপারায়ৈ সারায়ৈ সর্ব্বকারিণ্যৈ।
খ্যাত্যৈ তথৈব কৃষ্ণায়ৈ ধুম্রায়ৈ সততং নমঃ।।

ওঁ ধূমাবতীমহামায়ে সর্ব্বদুঃখবিনাশিনি ।
দুষ্টাণাংদমনংকত্রি ধূমাবতীপ্রসীদ মে ।।

তারা তুমি কতরূপ জানো ধরিতে,
জননী গো শান্তিময়ী গিরি দুহিতে ||
লোমকূপে ধরধরা ব্রহ্মময়ী পরাৎপরা,
ব্রহ্মা বিষ্ণু লীলা তব না পারে বুঝিতে ||
দক্ষরাজার নিমন্ত্রণে যাইতে পিতৃভবনে,
দশমহাবিদ্যা রূপ দেখালে ত্বরিতে ||
ত্বং কালী,তারিণী,দূর্গা-ষোড়শী,ভুবনেশ্বরী,
ধুমাবতী,ত্বং বগলা,ভৈরবী ছিন্নমস্তকা,
ত্বং অন্নপূর্ণা বাগদেবী,ত্বং দেবী কমলালয়া |
সর্বশক্তি স্বরূপা ত্বং সর্বদেবময়ী তনু ||
কে জানে মা তোমার মর্ম,তুমি যোগী যোগধর্ম,
অন্তকালে শমন জ্বালা দিও না সহিতে ||
তারা তুমি কত রূপ জানো ধরিতে.............

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180420064444

Thursday, April 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আপনার পেশা নির্বাচন

আপনার পেশা নির্বাচন

পেশা নির্বাচন :
একাদশ ভাব আমাদের পেশা নির্দ্দেশক
সুতরাং একদশ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম ঘর অর্থাৎ চতুর্থ ও পঞ্চম ঘরের শুভত্ব বিবেচনা করলে জানা যাবে ব্যবসা অথবা চাকুরিতে সাফাল্য আসবে চতুর্থ ঘবে যদি রবি, বৃহস্পতি , ও মঙ্গল এর প্রত্যক্ষ প্রভাব থাকে তবে সরকারি চাকুরি তে সাফল্য পাবার সম্ভাবনা থাকে , বুধের প্রভাব থাকলে সরকারি বা বেসরকারি উভয় চাকুরি হতে পারে তবে বেশি উচ্চপদ অন্যঅন্য গ্রহের শুভত্বের উপর নির্ভর করবে । চন্দ্র , শুক্র বেসরকারি ক্ষত্রের নির্দ্দেশক । রাহু কেতু ও শনি বিলম্ব কারক গ্রহ বা এরা চাকুরি প্রাপ্তির ক্ষত্রে বাধক এর কাজ করে থাকে ।
কিভাবে বুঝবেন আপনার উপর বাধক গ্রহের প্রভাব চলছে ?
১) শরীরের উজ্জ্বল্য কমে যাওয়া , শুষ্ক শুষ্ক ভাব থাকবে এবং অপনি দীর্ঘ কালীন সময় ব্যাপি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আছেন তাহলে আপনি মনে করে নেবেন শনি গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
২)আপনি যদি হটাৎ করে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছেন , আপনার মদ , জুয়া , লটারীর প্রতি আকর্ষন বাড়ছে , আপনি ঘরে ফিরে অস্থির হয়ে উঠছেন বাইরে বার হবার জন্য তাহলে বুঝবেন রাহু গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
৩) আপনার নিজের ভূলে কোনো সম্পদ বিষয়ক ক্ষতি করেফেলেছেন । চর্ম রোগ বাড়ছে , হটাৎ করে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এমন যদি হয় তাহলে বুঝবেন কেতু গ্রহের কু-প্রভাব আপনার উপর চলছে ।
প্রতিকার : যারা চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন তারা গলায় সাপের আকৃতির কোনো রূপার লকেট পরতে পারেন , এবং ঘোড়ার খূরের আংটি বানিয়ে পরতে পারেন তাতে চাকুরির বাধা বিপত্তি কাটতে পারেন (** যদি আপনার মনে হয় আপনার কাজের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি তাহলে তাহলে এই প্রতিকারের দরকার আছে )

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180419082536

Thursday, April 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ভাগ্য নির্ধারণ করতে চারটি বিশষ মন্ত্র

ভাগ্য নির্ধারণ করতে চারটি বিশষ মন্ত্র

এই ৪ টি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে ভাগ্য ফিরবে

সেই ছোট থেকে শুনে আসছি খারাপ-ভাল নিয়েই আমাদের জীবন। তো তো নাকি চলার পথে কখনও সুখ আসবে, তো কখনও বাম্পারের মতো দুঃখ। কিন্তু দুঃখের এই বড় বড় বাম্পারে হোঁচট খাওয়ার পর যখন হাত পা কেটে যায়, তখন কী করতে হবে সেই নিয়ে কেউ কখনও বলেনি। তাই তো মাঝে মাঝে অবসাদের পাহাড় যেন চেপে বসে কাঁধের উপরে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তা বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক দুঃখের বানে শতছিদ্র হতে থাকে শরীর এবং মস্তিষ্ক। তখন যেন কাছের মানুষরাও দূরে যেতে থাকে। একাকী, রণক্লান্ত শরীরটা তখন একটাই উত্তর পেতে চায়, "আমার ভাগ্য ফিরবে কবে। কবে খুশির জোয়ারে স্নাত হবে আমার শরীর।" এক সময় প্রশ্নগুলো কেমন যেন হারিয়ে যায়। আর আমরা এক অনন্ত অপেক্ষায় বসে থাকে জীবনে খুশির সূর্যদয় দেখার জন্য। হয় কী সেই সূর্যদয়?

আজ এই প্রবন্ধে ভাগ্য ফরানোর এমন ৪ টি মন্ত্রের বিষয়ে লেখা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে খুশির সূর্যদয় হবেই হবে! জীবনে ফিরবে খুশির বসন্ত। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, জীবনকে আনন্দ এবং খুশিতে ভরিয়ে তুলতে জেনে নিন না সেই সব বৈদিক মন্ত্রগুলি সম্পর্কে, যা খুশির সিন্দুকের দরজা খুলে দেবে আপনাদের সামনে।

১. ভগবান গণেশের মন্ত্র:

ধর্মীয় গুরুদের মতে এই মন্ত্রটি দিনে কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে ফল মিলতে বাধ্য। ফিরবে ভাগ্য। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। কে বলতে পারে হয়তো সুখের দিন আর কয়েকদিনের মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়বে। মন্ত্রটি হল- 'ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।' প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনবেন না। তাহলেই সুফল মিলতে শুরু করবে।

২. দূর্গা মন্ত্র:

এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে জীবন খুশিতে ভরে উঠবে, কালো শক্তি সঙ্গ ছাড়বে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি প্রতি দিন কম করে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তবেই মিলবে সুফল। মন্ত্রটি হল- 'দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।'

৩. রিদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্র:

কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে এই মন্ত্রটি দারুনভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে জীবনে খুশির রাস্তা যাতে প্রশস্ত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয় অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভাল করতেও এই মন্ত্রটি সাহায্য করে। তাই তো যারা কয়েক মাসে ধরে কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় নানা বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন, তাদের আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ৫ বার মন দিয়ে মন্ত্রটি পাঠ করলেই ভাগ্য ফিরতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে খুশির বারি বর্ষণও হবে জীবনের রুক্ষ মাটিতে। রিদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্রটি হল-'সাধক নাম জাপেহী লে লায়েই, হোহি সিদ্ধ আনিমাদিক পেয়ে।'

৪. লক্ষ্মী মন্ত্র:

অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাঁধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি আসে, স্থিরতা আসে সে দিকেও খেয়াল রাখে। একথায় বলা যাতে পারে সার্বিক খুশির চাবিকাঠি হল এই মন্ত্রটি। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। তবে তার আগে মা লক্ষ্মীর ছবিতে ফুল দিন। ধুপ -ধূনো জ্বালান। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দিনে পাঁচ বার, টানা ১১ দিন এই লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করলেই ফল মিলবে। মন্ত্রটি হল- 'ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।'

মন্ত্র পাঠের সঠিক পদ্ধতি:

যথাযথ সুফল পেতে কতগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তবেই মন্ত্র পাঠ করা উচিত, না হলে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হয়, সেগুলি হল-

১. উচ্চারণ যেন স্পষ্ট এবং সঠিক হয়।

২. আপনি যে মন্ত্রটি জপ করছেন, তা কতবার পাঠ করতে হবে তা ভাল করে জেনে নেবেন।

৩. মন্ত্র পাঠের সময় হাতে ১০৮ টা পুঁথির মালা রাখবেন। এমনটা করলে কতবার মন্ত্রটি জপ করছেন তা বুঝতে পারবেন।

৪. মন্ত্র পাঠ করার সময় চোখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।

৫. যে ভগবানের মন্ত্র জপ করছেন, চোখ বন্ধ করে তাঁর অবয়বটা কল্পনা করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে মন্ত্রের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যাবে।

৬. রোবটের মতো নয়, বরং মন থেকে মন্ত্র পাঠ করার চেষ্টা করবেন। তাতে অনেক বেশি শান্তি পাবেন।

৭. প্রতিদিন কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে মন্ত্র পাঠ করবেন। তাতে সুফল মিলবে তাড়াতাড়ি।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180419081011

Wednesday, April 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গৃহীর নিত‍্য পূজা বিধী

গৃহীর নিত‍্য পূজা বিধী

শুভ অক্ষয় তৃতীয়া
সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা
নিত‍্য পূজার সাধারন বিধী
কথায় বলে সারা দিন ধরে দেবতার কথা মনে মনে ভাবলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। কথাটা যে বেজায় ভুল, এমন নয় কিন্তু! তবে যেটা চিন্তার বিষয়, তা হল সিংহভাগই এই কাজটি করেন না, উল্টে সকাল সকাল স্নান সেরে অফিস বেরনোর আগে কোনও মতে নম নম করে সারেন পুজো। শুধু তাই নয়, নিত্য পুজো করার সময় যে যে নিয়ম মেনে চলা উচিত, তাও মানেন না। ফলে ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।
আসলে হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে দেবতার আরাধনা করার সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে না চলেন, তাহলে গৃহের খারাপ শক্তির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বলি এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
এই লেখায় আসলে সেই সব নিয়ম সস্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পুজো করার অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত..........

১. ফুলঃ-

নিয়মিত পুজো করার সময় অল্প পরিমাণে হলেও দেবতার সামনে ফুল নিবেদন করবেন! কারণ দেব-দেবীরা ফুল খুব পছন্দ করেন। তাই তো যদি চান আপনার মনের সব ইচ্ছা চটজলদি পূরণ হক, তাহলে যে দেবের যে ফুল পছন্দ, তাঁকে সেই ফুলসহ পুজো করুন, দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ভুলেও শুকিয়ে যাওয়া ফুল নিবেদন করবেন না। কারণ শুকনো ফুল পরিবেশন করলে ঠাকুর ঘরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

২. তুলসি পাতাঃ-

শাস্ত্র মতে পুজো করার সময় তুলসি পাতা নিবেদন করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই পাতাটি ঠাকুর ঘরের পরিবেশকে শুদ্ধ করে। ফলে পজেটিভ শক্তির ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর এমনটা হলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও বাধার পাহাড় সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয় চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তুলসি পাতার ঘ্রাণ শরীরে প্রবেশ করার কারণে নানাবিধ রোগ-ভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. প্রদীপঃ-

প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালাবেন। এমনটা করলে আলোকিত হয়ে উঠবে দেবালয়, সেই সঙ্গে দেখবেন আপনার জীবনের অন্ধকারও কেটে যাবে। আর এমনটা হলে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? ঠাকুরের আসনের দু কোনে একটা করে প্রদীপ জ্বালাবেন। আর খেয়াল রাখবেন প্রতিদিন প্রদীপের পলতে বদলাতে ভুলবেন না যেন! কারণ পোলতের কোনও দিক কালো হয়ে গেলে, সেই প্রাদীপ জ্বালানো উচিত নয়। এক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। তা হল আপনি যদি বিবাহিত হন, তাহলে দুটো করে পোলতে জ্বালানো উচিত। কারণ এমনটা করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে।

৪. ঠাকুরের ছবি পরিষ্কারঃ-

নিত্য পুজো করার সময় যদি ঠাকুরের মূর্তি এবং ছবিকে পরিষ্কার করা যায়, তাহলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে দেবের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর আপনার গৃহস্থে দেবের ক্ষমতা বাড়লে আপনারও যে উন্নতি ঘটে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! প্রসঙ্গত, একটা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে দেবের ছবি পরিষ্কার করার পাশাপাশি ঠাকুর ঘর ভাল করে মুছে নিতেও ভুলবেন না যেন!

৫. মন্ত্রঃ-

পুজো করার সময় ঠাকুরকে প্রসাদ নিবেদনের পর প্রদীপ জ্বালিয়ে যে ভগবানকে মানেন, তার মন্ত্র জপ করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের সব ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।

৬. ধূপঃ-

রোজ পুজো করার পর ঠাকুর ঘরে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে উঠবে। ফলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বাড়বে যে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

৭. গায়েত্রী মন্ত্রঃ-

শাস্ত্র মতে নিত্য পুজো করার সময় যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা যায় বাড়ে। এক কথায় এ জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকতে যা যা কিছুর প্রয়োজন পরে, তা সব কিছুই পাওয়া যায়, যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায় তাহলে।
এখানে কয়েকটি বিশেষ মন্ত্র দিলাম‌

★কিছু মন্ত্র★.....
১. ঘুমাবার আগে বলুন - ওঁ শয়নে শ্রী পদ্মনাভায় নম:।
২. জন্ম সংবাদ শুনলে বলুন -আয়ুষ্মান ভব।
৩. মৃত্যু সংবাদ শুনলে বলুন -দিব্যান লোকান্ স গচ্ছতু।
৪. খাবার আগে বলুন - ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:।
৫. বিপদে বলুন - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:।
৬. হিন্দু ধর্মীয় সকলকাজ শুরুর আগে বলুন - ওঁ তৎ সৎ।
৭. গৃহ প্রবেশ মন্ত্র - ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নম:।
৮. মাতৃ প্রনাম মন্ত্র -
ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা জননী জন্মভূমিশ্চ স্বগাদগি গরিয়সী। গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাএ নমঃ নমঃ।।
৯. পিতৃ প্রনাম মন্ত্র -
পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ। । পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা নমঃ পিতৃ চরনেভ্য নমঃ।।
১০. শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম মন্ত্র -
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে। গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে।।
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ।।
১১. শ্রীরাধারানী প্রণাম মন্ত্র -
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী। বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
১২. দেহ শুচীর মন্ত্র -
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা। যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্। ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
১৩. গুরু প্রণাম মন্ত্র -
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া। চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর। গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
১৪. শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম মন্ত্র -
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্। ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্।।
১৫. সূর্য প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্।।
১৬. গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
১৭. তুলসী প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়াঐ কেশবস্য চঃ। কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমঃ নমঃ।।
১৮. দুর্গা প্রণাম মন্ত্র -
সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সবার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।
১৯. শ্রীবিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র - অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে
ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোহসি মহাদেবেতি বিশ্রুতঃ। বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে।।
২০. বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র -
দেবশিল্পিন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ।।
২১. গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180418134017

Wednesday, April 18th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাড়িতে তুলসী গাছ লাগান

বাড়িতে তুলসী গাছ লাগান



অনেকেই বাড়িতে তুলসীগাছ লাগান। নিয়মিত যত্ন নেন। পুজোও করেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছেন কখনও... আপনার বা আপনার পরিবারে কোনও সমস্যা হলে তার প্রথম প্রভাব পরে তুলসীগাছের উপর! তখন হাজারো যত্নের পরও তুলসীগাছ শুকিয়ে যেতে
থাকে। কেন হয় এমন? জেনে নিন কারণগুলো-

১. পুরাণ বা শাস্ত্র মতে, তুলসী দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক। আর অশান্তি, দারিদ্র্য-র মতো সমস্যা যে পরিবারে থাকে সেই বাড়িতে লক্ষ্মী থাকেন না।প্রতীক হিসেবে সবার আগে তুলসীগাছ নষ্ট হয়ে যায়।

২. এবার জানুন, জ্যোতিষ শাস্ত্র কী বলছে-- তুলসীগাছ শুকিয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ বুধ গ্রহ। এই গ্রহের রং সবুজ। এবং সমস্ত গাছ (তুলসী-সহ) এই গ্রহের কারক। আবার অনেক সময় অন্য গ্রহের শুভ বা অশুভ ফল বুধ সেই গ্রহের জাতক পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এছাড়া, যে কোনও অশুভ প্রভাব সবার আগে বুধ গ্রহ আর তার কারকের উপর নাকি পড়ে। সেই অনুসারেও তুলসীগাছ শুকিয়ে যায়।

৩. শাস্ত্র মতে, তুলসী গাছ নীরবে একজন 'বৈদ্য'-র (চিকিত্সক) কাজ করে। ডাক্তারবাবু যেমন চিকিত্সা করে আমাদের নিরোগ রাখেন, তুলসীগাছও তেমনি নেগেটিভ এনার্জি সরিয়ে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আনতে সাহায্য করে। ঘরের 'দোষ-ত্রুটি' মুক্ত করতে গিয়েও অনেক সময় তুলসী শুকিয়ে যায়।

৪. মাত্রাতিরিক্ত পারিবারিক অশান্তি-কলহ কমাতে চাইলে তুলসী-র টব রান্নাঘরের পাশে রাখুন। ছেলে প্রচণ্ড জেদি? কিছুতেই বশে আনতে পারছেন না? ঘরের পূর্বমুখী জানালার
পাশে তুলসী গাছ রাখতে পারলে উপকার মিলবে। ৫. বাড়িতে বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। কিছুতেই তাকে পাত্রস্থ করতে পারছেন না। বাড়ির অগ্নিকোণে তুলসী-র চারা লাগিয়ে অবিবাহিত মেয়েটি রোজ জল ঢেলে গাছটি প্রদক্ষিণ করলে বিয়ের বাধা দূর হবে।

৬. ব্যবসায় মন্দা? বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে তুলসী গাছ লাগিয়ে প্রতি শুক্রবার তাতে কাঁচা দুধ ঢালুন। এবং কোনও বিবাহিতাকে মিষ্টি কিছু খেতে দিন। নিয়মিত কিছুদিন করলে ব্যবসার মন্দা কাটবে। শেয়ার করে সকলকে জানার ও দেখবার
সূযোগ করে দিন । আপনির একটি শেয়ার অনেকের অজানা কিছু জানিয়ে দিতে পারে ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180418074424

Tuesday, April 17th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

টোটকা

টোটকা


আজ কিছু টোটকা দিলাম, নিয়মিত করলে উপকৃত হবেন।
(১) টোটকা : অর্শ সারানো

কালো ধুতরার শিকড় কালো সুতো দিয়ে কোমোরে বাধলে , যত কঠিন অর্শ রোগ হোক তা সেরে যাবে।
(২) টৌটকা :
(মামলা মোকদ্দমায় যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য )
শ্রবনা নক্ষত্রে বেতের টুকরো কেটে নিজের হাতে (পুরুষ ডান হাতে ও নারী বাম হাতে ) ধারন করলে যুদ্ধে বা মোকদ্দমায় নিশ্চয় জয়লাভ হয় ।
(৩)টোটকা
শত্রুতা নাশ করতে
ওঁ হ্রীং বগলামুখী , সর্ব্বদুষ্টানাম বাচমং মুখপদম্‌ স্তম্ভয় , জিহ্বাম্‌ কীলয় , কীলয় বুদ্ধি বিনাশায়, হ্রীং ওঁ স্বাহা

এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন
(৪) টোটকা: শত্রু দমন

পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রে বহেড়া(Bahada-Terminalia-Bellerica-Bahera-Plan) গাছের পাতা নিজের ঘরে এনে রাখলে । শত্রু দ্বারা কোনো ক্ষতি হয় না । এটি পুরো পরিবারের রক্ষা কবচ হিসাবে কাজ করে
(৫)টোটকা
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আজীবন ভালো রাখতে টিপস্‌ :
কোনো শুক্রবার এ শুভ সময় নির্বাচন করে , একটি ভূজ্য পত্রে কুমকুম (লাল কালি ) দিয়ে স্বামি ও স্ত্রী এর নাম লিখে একটা মধুর শিশি তে ডুবিয়ে ভালো করে মুখ আটকে পূজার স্থানে বা পবিত্র স্থানে রেখে দিন ও নিত্য পুজার সাথে ওই পাত্র টি কে লক্ষী দেবী ও শুক্র দেবতা মনে করে পুজা করুন । তাতে আজীবন স্বমী স্ত্রী এর মধ্যে কখন প্রেম ভালোবাসার অভাব হবে না।
(৬)টোটকা
সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য টিপস্‌ :
শনিবার, কোনো চলমান নৌকার পেরেক তুলে নিয়ে , বাড়ির প্রধান দরজার মুখে ঠুকে লাগিয়ে দেন তবে সব সময় বাডিতে সুখের পরিবেশ বজায় থাকবে ।
(৭)
এটি নবগ্রহ শান্তি কবচ :
যারা একাধিক গ্রহ পীড়নে কষ্ট পাচ্ছেন তারা নিশ্চয় এই যন্ত্র টি একটি ভূর্জ পত্রে ডালিম গাছের কলমে কেশর ও গোরোচনা মিশ্রিত কালি দিয়ে লিখে
যন্ত্রের বিধিপূর্বক প্রান প্রতিষ্ঠা ও পুজা করে নিত্য ধুপ বাতি দেখালে ও নবগ্রহ স্তব পাঠ করলে পীড়নের প্রচুর উপশম হয় ।
(৮)
রাগ দমন মন্ত্র
মন্ত্রঃ ওঁ শান্তে প্রশান্তে সর্বক্রোধোপশমনং কুরু কুরু স্বাহা।

বিধিঃ উপরোক্ত মন্ত্র বিধিমত সিদ্ধি প্রাপ্ত করে রাখতে হবে এর পর যে কোন সমস্যায় বা কোন রাগান্বিত ব্যক্তির নিকট যাওয়ার আগে ২১ বার মন্ত্র জপ করে দু-হাতে ফু দিয়ে- হাত দিয়ে মুখ মুছতে হবে এতে করে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করা মাত্র রাগান্তিত ব্যক্তির রাগ বিলিন হয়ে যাবে এমনকি স্রষ্টা, দেবতা, অপদেবতা সকলের রাগ বিনিষ্ট হয়ে যায়।
(৯) একটি চমৎকারি টোটকা

যে দিন অশ্লেষা নক্ষত্র থাকবে ওই দিন যদি কোনো বটের পাতা তুলে বাড়িতে রাখা যাই তবে কোনো দিন ওই গৃহে অন্ন কষ্ট হবে না । এবং এই একই পক্রিয়া টাকা পয়সা রাখার ক্ষেত্রে করলেও ওনেক উপকার পাবেন ।

এই তারিখ টি খুবই শুভ এই পক্রিয়া এর জন্য এবং পাতাটি সকাল ৭:৪২ এর মধ্য তুলতে হবে তাহলেই কাজ হবে ।

(১০)যে সমস্ত মানুষেরা অত্যন্ত দুঃখে দিন কাটাচ্ছেন তাদের জন্য এই টোটকা টি ভীষণ কার্যকরি হতে পারে
যে কোনো বৃহস্পতি বার থেকে শুরু করে বাড়ির মুল প্রবেশ দ্বারে সন্ধ্যায় একটি করে ঘি এর প্রদীপ জ্বালান । ঈশ্বরের কৃপায় ২৩ দিনের মধ্য আপনার সমস্যার একটি সন্তোষ জনক সমাধান পাবেন ।
উপকার পেলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180417074008

Monday, April 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গৃহ নির্মাণ ও ছক

গৃহ নির্মাণ ও ছক

শুভ সন্ধ‍্যা
যারা নতুন বাড়ি বানাতে চান তাদের জন্য আমার এই প্রচেয্টা কাজে লাগতে পারে কারন এই ভাবে কোনো বাড়ি বানানো হলে সে বাড়িতে কোনো ঘুমোট ভাব থাকবে না রোগ ব্যাধি থাকবে না । সদা আনন্দের পরিবেশ বজায় থাকবে , কর্মে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে , বৈদিক ঋষি দের সিদ্ধান্ত একটি রেখা চিত্রের সাহাজ্যে প্রকাশ করা হল মানুষের শুভ কাজে লাগলে আমি আনন্দিত হব ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180416193819

Monday, April 16th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশ রাশির উপর ব্ক্রী শনির প্রভাব

দ্বাদশ রাশির উপর ব্ক্রী শনির প্রভাব

শুভ রাত্রি সকল বন্ধুরা
এই বছর দ্বাদশ রাশির উপর শনির (বক্রী )গোচর প্রভাব।

মেষ রাশির ক্ষেত্রে বক্রী শনির প্রভাব

২০১৮ সালে শনি আপনার রাশি থেকে নবম ঘরে অবস্থান করছে ।আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে।কিন্তু লাভ এর অভাব দেখা যেতে পারে ।কোনো কাজে পূর্ণ লাভ করতে যথেষ্ট বাধা র সম্মুখীন হতে পারে আপনাকে ।তবে ভাই ও বোন এর থেকে সম্পূর্ণ সাহায্য পেতে পারেন।অসুস্থ ব্যক্তি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন এই সময়ে । শনি যখনই বক্রী হবে,আপনার শত্রু পক্ষ ধরাশায়ী হবে এবং আপনি অষ্টম ঘরের ফল পাবেন ।ঋণের বোঝা বাড়তে পারে এই সময়ে ।আপনাকে বিবেচনার সাথে কাজ করতে হবে । যে কাজই করবেন,নম্রতার সঙ্গে করবেন ,বিশেষতঃ আপনার অধঃস্তন ব্যক্তিদের সাথে ।৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে যখনই শনি মহারাজ মার্গী হবেন,আপনার বিগত পরিশ্রম এর সঠিক ফল আপনি পাবেন ।

রেমেডি -কালো বর্ণের ছাতা দান করুন শনি মন্দিরে ।।।
শনিবার নিরামিষ আহার করুন।

বৃষ রাশির উপর বক্রী শনির পরিনাম

শনি বৃষ রাশি থেকে অষ্টম ঘরে অবস্থান করছে । অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ।অষ্টম ঘরে শনির অবস্থান কে কণ্টক শনি বলা হয়ে থাকে ।কারণ এর ফল গলাতে কাঁটা বেঁধে যাওয়ার তুল্য ।আপনি যদি কোথাও বেড়াতে যান,সেটি দুঃখজনক হবার চান্স আছে ।এবং সেটি কোনো ফল দেবে না। পাকস্থলী,হজম সম্পর্কিত রোগ এর জন্ম দিতে পারে বেড়াতে যাবার সময় ।ব্যবসায়ী রা তাদের সমস্ত চেষ্টার পরেও লাভ এর মুখ দেখতে সক্ষম হবেন না ।আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত থাকতে পারেন ।সম্পত্তি হারানোর যোগ হতে পারে ।আপনি অথবা আপনার সন্তান দের প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষাতে অসফল হতে পারেন ।সরকার এর সাথে কোনো লিগ্যাল ইস্যু তে আপনি নকরাত্মক ফল পেতে পারেন ।আপনি আপনার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এর থেকে শাস্তি পেতেও পারেন ।আপনার বদনাম ও অমর্যাদা ঘটতে পারে ।অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে ।যদি আপনি নিজে গাড়ি চালান ,তো এই ১৪২ টি দিন সাবধানে চালাবেন । আপনি আপনার সেরা টা দিন আপনার স্বামী/স্ত্রী র সাথে শত্রুতা না হবার জন্য। কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারেন কোথাও যাত্রার ক্ষেত্রে সেটা পড়াশুনার ক্ষেত্রে অথবা তীর্থ যাত্রার ক্ষেত্রে ।।।
রেমিডী:হ দ-নীল পোশাক পরুন।

মিথুন রাশির ওপর বক্রী শনি র পরিনাম

বক্রী শনি আপনার সপ্তম ঘর কে প্রভাবিত করতে চলেছে ।যে সমস্ত ব্যক্তি এই রাশির আওতায় আছেন,তারা মিশ্র ফল পাবেন ।কারণ বৃহস্পতি র দৃষ্টি রয়েছে আপনার রাশি তে ।কোনো বাহন অথবা সম্পত্তি ক্রয় করতে বিলম্ব হতে পারে ।আপনি আপনার মায়ের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারেন ।স্বামী অথবা স্ত্রীর সাথে সমস্যা বাড়তে পারে ।নিরাশাবাদী মনোভাব আপনার মনের শান্তি কে বিঘ্নিত করবে ।যদি কোনো সম্পর্কে থাকেন,তো ego সমস্যা থেকে বাঁচাই উত্তম ।ভাগ্য এসময় আপনার সাথ দেবে না।ভূমি সংক্রান্ত বিতর্ক,সমস্যা দেখা যেতে পারে ।শিক্ষা বিষয়ক ক্ষেত্রে আকর্ষণ,নিজস্ব দক্ষতার ও নিজস্ব অগ্রগতির অভাব দেখা যেতে পারে ।বিয়ের দেরি হতে পারে।বিভিন্ন বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে ব্যবসার ক্ষেত্রে যেটা আপনার নিজস্ব অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাঁধা স্বরূপ ।অকারণ খরচা,বাজে খরচা অবশ্যম্ভাবী ।আপনার জমাকৃত অর্থ অন্য কোথাও আটকে যেতে পারে ।যদি পার্টনারশিপ ব্যবসা হয় তো তৎপর হওয়া উচিত টাকা পয়সার ব্যাপারে ।পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ইনকাম হতে পারে ।এছাড়াও আপনার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আগ্রহ দেখা যেতে পারে ।মহিলার ক্ষেত্রে অন্য মহিলার সহযোগে আপনি কোন নাম,সম্মান খারাপ হতে পারে ।যদি কোনো লিগ্যাল ইস্যু থাকে,তো সেটাতে সফল হবার যোগ আছে ।যারা ছাত্রছাত্রী আছেন,তাদের পরীক্ষা তে সফল হতে পারেন ।শনি যখন মার্গী হবে,তখন মা এর স্বাস্থ র অবনতি ঘটতে পারে এবং তা আপনার চিন্তার কারণ হতে পারে ।

কর্কট রাশির উপর বক্রী শনির প্রভাব

এই বছর শনি মহারাজ কর্কট রাশি থেকে ষষ্ঠ ঘরে অবস্থান করছে । সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন ।যথাসম্ভব ঝাল ও বাসী জাতীয় খাওয়া বর্জন করা উচিত ।আপনার প্রাত্যাহিক রুটিনে গতি আনা উচিত এই সময়ে ।এছাড়াও খেয়াল রাখুন কি বিষয়ে আপনার শক্তি ,energy ক্ষয় হচ্ছে ।কাজের জায়গায় যথেষ্ট চাপ ও challenging থাকবে ।আপনার সহকর্মী অথবা উর্ধতন ব্যক্তির সঙ্গে মতানৈক্য ঘটতে পারে ।সম্ভবত বিগত সময়ে আপনি যে কাজ গুলো অবহেলা করেছিলেন,উপেক্ষা করেছিলেন,সেগুলি হয়তো পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে ।আপনার ঋণ এর বোঝা বা ধার করার প্রবণতা বাড়তে পারে ।নতুন করে কোনো বিষয় এর জন্য লোন চাইলে,নাও মিলতে পারে ।তবুও আপনার দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি,ঐকান্তিকতা ও অধ্যবসায় থাকার দরুন আপনি আপনার শত্রুদের উপর সহজে বিজয় পেতে পারেন ।আপনার পরিবারে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য দেখা যেতে পারে ।সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাবাদর্শের পার্থক্য দেখা যেতে পারে ।সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে আপনি হয়তো আপনার কাজের জায়গায় অথবা ব্যবসার জায়গাতে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য বা দায়ী থাকতে পারেন ।এই transit ভালো যারা সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে জড়িত ।যেসব ব্যক্তি legal enforcement এর সাথে যুক্ত,তাদের জন্য সময়টি ভালো ।এই transit এর ফলে আপনি আরো সক্রিয় ,আরো পরিশ্রমী ও কর্মের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করতে পারবেন ভালো ভাবে ।

সিংহ রাশির উপর বক্রী শনি এর প্রভাব

এই বছর বক্রী শনি থাকবে পঞ্চম ঘরে ।এখানে আপনি কিন্তু উৎসহপূর্ণ ফল পাবেন না।আপনার চারপাশে যারা আছে তাদের জন্য আপনাকে নতুন করে পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন ।আপনি আপনার ট্যালেন্ট কে উপেক্ষা করবেন না,তাতেই আপনার পক্ষে ভালো ।আপনার কিছু ব্যবহার আপনার পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করতে পারে ।ব্যবসায়ী রা খুব সাহসিকতার সাথে ও নিপুন ভাবে ব্যবসায়িক কর্ম সামলাতে পারবেন ।যদি তা না হয়,তবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পাড়ার সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়।ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ বিগড়ানোর সম্ভাবনা,তবে শিক্ষা র জন্য ভালো কিছু ঘটতে পারে ।share সংক্রান্ত ব্যাপার থেকে দূরে থাকাই ভালো। লটারি,জুয়া থেকে পয়সা না খরচ করাই ভালো হবে,না হলে ক্ষতির সম্ভাবনা।এই সময় নতুন প্রজেক্ট ও প্লানিং খুব কঠিন হতে পারে ।কোনো পুরুষ অথবা মহিলার দ্বারা সম্পর্কে জোর করে কলঙ্কিত হতে পারেন এবং যার ফলে আপনার অর্থ ক্ষয় ঘটতে পারে এবং আপনার বদনাম ঘটতে পারে । পঞ্চম ঘর অন্যের থেকে ভালোবাসা ,মনোযোগ ইত্যাদি কে ইঙ্গিত করে ।কিন্তু এই সময় আপনার মনে হতে পারে যে অপর পক্ষ থেকে আপনার কাছে ভালোবাসার অভাব রয়েছে ।এই চিন্তা ভাবনা আপনাকে আপনার পার্টনার এর সাথে বিতর্ক তৈরি করতে পারে,যা মোটেও উচিত নয় শনি বক্রী থাকা অবস্থাতে ।আপনার নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা থাকা আবশ্যক।আপনি নিজেকে ভালবাসুন, এবং আপনার এটা উচিত হবে না অন্য রা কি ভাবছে আপনাকে নিয়ে ।

কন্যা রাশির উপর বক্রী শনির প্রভাব

২০১৮তে শনির অবস্থান আপনার রাশি থেকে চতুর্থ ঘরে ।চতুর্থ ঘরের শনি আপনাকে ঋণ থেকে মুক্তি দিতে পারে ।অসুস্থ ব্যক্তিও রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।ব্যবসায়িক রা বিরাট সফল হতে পারেন এবং ব্যবসার উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে স্থাপন করতে পারেন ।আপনার বাবা এর শরীর এর প্রতি যত্নশীল হন।যেসব ব্যক্তি চাকরির সাথে যুক্ত,তাদের পদোন্নতির যোগ আছে ,বৈবাহিক জীবন স্বাভাবিক যাবে। বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত হবে আপনার পার্টনার এর স্বাস্থ্যের জন্য ।এই সময় টা খুব ভালো যারা সম্পর্কে আছেন,কিন্তু কক্ষনো উভয়পক্ষের মিথ্যা বলা উচিত হবে না,তা হলে সম্পর্ক তে ফাঁটল দেখা যেতে পারে ।বক্রী শনি এইসময় আপনার ভেতর আত্মবিশ্বাস এর স্ফুরণ ঘটাবে ।চাকুরিজীবি দের চাকরি তে ট্রান্সফার হতে পারে ।কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে যখন শনিদেব মার্গী হবেন,তখন কিন্তু ভাই,দাদা ,বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আপনার মনের ও মতের অমিল দেখা যেতে পারে ।ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অসুবিধা ও ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন ।

তুলা রাশির উপর বক্রী শনির প্রভাব

শনিদেব হলেন আপনার রাশির যোগ কারক ।এবং এর 1টি মহান প্রভাব পড়বে আপনার জীবনে।এই বছর শনি তুলা রাশি থেকে তৃতীয় ঘরে অবস্থান করছে ।যার ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস এ উন্নতি আসবে ।আপনি এই সময় সফলতা অর্জন করবেন দৃঢ়তার সাথে ।অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো যাবে ।যদি আপনি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন,তো সেখান থেকে লাভ পাবেন ।জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে সম্পত্তি পাওয়ার যোগ দেখা যেতে পারে ।এই সময় টা যারা বেকার,তাদের জন্য সময়টি অনুকূল ।আপনার পছন্দের চাকরি পেতেও পারেন ।আপনার বস এর সাথে সম্পর্ক ভালো যাবে ।আপনার সহকর্মী রাও আপনার পারফরম্যান্স এ খুশি থাকবেন ।স্বামী /স্ত্রী এর সাথে সময় ভালো কাটবে ।তবে যারা সম্পর্কে আছেন,তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা কিন্তু বাড়বে ।ভাই বোনের সাথে মতের অমিল দেখা যেতে পারে ।শনি বক্রী হবার জন্য অর্থ ক্ষয় হবার চান্স আছে ।কোনো কিছু তে বিনিয়োগ করার আগে ভালভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত হবে ।পরিবারের সাথে তর্কাতর্কি চলতে পারে ।সময় আবার আপনার পক্ষে থাকবে যখন শনি পুনরায় মার্গী হবেন।কোনো paper এ সই করার আগে ভালো ভাবে দেখে নেওয়া উচিত হবে ।

বৃশ্চিক রাশির উপর বক্রী শনি এর পরিনাম

শনিদেব বক্রী হবেন আপনার রাশি থেকে দ্বিতীয় ঘরে ।এই সময়ে যারা এই বৃশ্চিক রাশির অধীনে আছেন,তারা তাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন ।পারিবারিক উপদ্রব আপনার মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে ।যারা ব্যবসার সাথে যুক্ত,তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে পর্যালোচনা করা দরকার ।ভুল সিদ্ধান্ত এর ফলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন । কোনো কাজ হয়তো শেষ মুহূর্তে বিগড়ে যেতে পারে ।আপনার সন্তানের স্বাস্থ বিঘ্নিত হতে পারে ।যারা চাকরির সাথে যুক্ত,তাদের অকারণ ভ্রমণ ও প্রতিকূল অবস্থার সামনা সামনি করতে হতে পারে ।কোনো বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়াই এসময় ভালো হবে ।অকারণ ঝামেলা তে না জড়ানোই শ্রেয় আপনার প্রিয় মানুষের সাথে ,এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে ।বিবাহিত হলে আপনার স্ত্রী/স্বামীর খেয়াল রাখা দরকার ।অর্থ কোথাও আটকে যাবার সম্ভাবনা ।চাকরির চেষ্টা যারা করছে,তাদের জন্য এটা ভালো সময়।ছাত্রছাত্রী রা তাদের পরিশ্রম এর ফল পেতে পারে ।কারোর সাথে নতুন সম্পর্কে আপনি লাভবান হতে পারেন ।বৈবাহিক জীবন সামান্য যাবে।কিন্ত শনি যখন মার্গী হবে,তখন আপনার জীবন এ সংগ্রাম এর সম্ভাবনা শুরু হতে পারে ।আপনাকে হয়তো আপনার জন্মস্থান ত্যাগ করতেও হতে পারে ।আপনার ব্যবসার পরিবর্তন এই সময়ে হতে পারে ।

ধনু রাশির উপর বক্রী শনির পরিনাম

২০১৮ তে বক্রী শনি এর অবস্থান ধনু রাশি তেই ।এই সময়টা আপনার কাছে যথেষ্ট challenging হতে চলেছে ।এই সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আপনি বাঁধা ও মানসিক চাপ এর সম্মুখীন হতে চলেছেন।যদি কোনো রোগ এর সাথে জড়িয়ে থাকেন,সেটা থেকে মুক্তির জন্য অযত্নশীল হবেন না।না হলে আপনি অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন ।নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত exercise এর সাহায্য নিতে পারেন ।ছাত্র রা এই সময়ে laziness এর বশবর্তী না হওয়ায় ভালো,না হলে পরীক্ষাতে অকৃতকার্য হতে পারে ।খরচা বাড়তে চলেছে এই সময়ে।ভ্রাতৃ স্থানীয় দের সাথে মতবিরোধ ঘটতে পারে ।কর্মক্ষেত্রে ও ব্যবসার জায়গাতে হঠাৎ কোনো অদলবদল ঘটতে পারে ।বণিকরা মিশ্র ফল পাবেন ।ব্যবসাতে লাভ হতে পারে কিন্তু আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হতে পারে ।বৈবাহিক জীবন এ disssatisfacton দেখা যেতে পারে ।এই এপ্রিল থেকে যখন শনি বক্রী হবেন, কঠোর পরিশ্রম এর ফল পাবেন না,একধরণের নিরাশাবাদী মনোভাব আপনার মধ্যে বিরাজমান হবে ।বিদেশে যাবার ১টি যোগ কিন্তু তৈরি হতে পারে।আয়ের থেকে ব্যয় বাড়তে পারে ।কর্মক্ষেত্রে বাধা ও তার ফলে মানসিক চাপ বাড়বে ।সেপ্টেম্বর এ শনিদেব যখন মার্গী হবেন,আপনি বায়ু বাহিত রোগের দ্বারা পীড়িত হতে পারেন ।যোগা ও ধ্যান করুন নিয়মিত

।মকর রাশির উপর বক্রী শনির প্রভাব

এই বছর শনিদেব মকর রাশি থেকে ১২ তম ঘরে অবস্থান করবে ।এই সময়ে যেকোনো ধরণের অকৃতকার্যতা আপনাকে হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে ।খরচের প্রাচুর্যতা এই বছরে ক্ষতিই করতে পারে ।বিদেশ ভ্রমণের যোগ কিন্তু প্রবল ।স্বাস্থ সম্বন্ধীয় অসুবিধা আপনাকে বিরক্ত করতে পারে ।মনের আকাঙ্খিত সাফল্য achieve না করার জন্য মন খারাপ হতে পারে যা আপনার নিজ স্বভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে ।তবুও বিদেশ ভূমি থেকে লাভ হবার সুযোগ আসবে,যারা ব্যবসায় নিযুক্ত,তাদের কোনো কিছু invest না করাই শ্রেয় এই সময়ে । এই সময়ে আপনি আপনার পরিবার থেকে দূরে থাকতে পারেন ।ছাত্রছাত্রীরা সফল হতে পারবেন যারা বাড়ি থেকে দূরে আছেন ।অসাধারণ পরিবর্তন এর লক্ষণ দেখা যেতে পারে আপনার জীবনে ।আপনার জীবন যাপন কৌশল,বন্ধুবান্ধব,চিন্তা ভাবনা আপনাকে প্রভাবিত করবে ।এইসময়ে আপনি জীবনে নিজেকে stable দেখতে পারবেন।যারা চাকরির সাথে যুক্ত তাদের জন্য সময় টা ভালো ।আপনার পার্টনার/জীবন সাথী থাকলে সময় ভালো যাবে ।অর্থনৈতিক লাভ বাড়বে ।সেপ্টেম্বর মাসে যখন শনিদেব মার্গী হবেন,আপনার হটাৎ কোনো journey এর সম্ভাবনা আসতে পারে এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে।

কুম্ভ রাশির ওপর বক্রী শনি এর প্রভাব

এই বছর শনিদেবের অবস্থান করবে কুম্ভ রাশি থেকে একাদশ স্থানে ।যার ফলে আপনার আয় বাড়তে পাড়ার সম্ভাবনা ।কাজে র জায়গায় ভালো সুযোগ তৈরি হতে পারে ।এই বছরে আপনার জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারে ।যারা চাকরির সাথে যুক্ত,তারা তাদের কর্মে গতি আনতে পারবেন ও সফল হতে পারেন ।ব্যবসায়িক রা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে তুলতে পারবেন ।ভালো কোনো কাজে অর্থ নিয়োগ এর জন্য সময়টি উপযোগী।যারা রোগী আছেন,তারা তাদের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।যারা সম্পর্কে আছেন,তাদের বিবাহ হয়ে যেতে পারে।লাইফ পার্টনার এর সাথে সম্পর্ক ভালো যাবে ও লাইফ পার্টনার এর থেকে লাভ পাবার যোগ আছে ।ছাত্রদের পরীক্ষাতে সফল হবার যোগ আছে,চাকুরিজীবি দের চাকরি পরিবর্তন এর জন্য খুব ভালো সময় এটি ।কোর্ট কেসে টাকা পয়সা খরচ হতে পারে ।joint pain ও leg pain হতে পারে ।মানসিক চাপ বাড়তে পারে ।সেপ্টেম্বর মাসে যখন শনিদেব মার্গী হবেন,আপনি রোগ মুক্ত হতে পারেন ।

মীন রাশির উপর বক্রী শনির পরিনাম

এই বছর শনি বক্রী হবে আপনার রাশি থেকে দশম ঘরে ।যার ফলে আপনার খরচ কিন্তু বাড়বে আপনার আয়ের থেকে।সুতরাং,অকারণ খরচা করা থেকে বাঁচা উচিত হবে আপনার জন্য।চাকরি ও ব্যবসাতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ।সমাজে কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে আপনি বিরোধিতায় জড়িয়ে যেতে পারেন ।অর্থনৈতিক ভাবে বিপদে পড়তে পারেন ।এমনকি চাকরি হারাবার সম্ভাবনাও থাকতে পারে সুতরাং সাবধানে থাকবেন।আপনার partner এর সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে ।প্রেমিকেরা মানসিক চাপ এর মধ্যে থাকবেন ।আপনি যদি রাজনীতিজ্ঞ হন,তবে সফল হতে পারেন ।ব্যবসাতে হটাৎ লাভ ও মুনাফা হবার সুযোগ আছে ।তবে সাস্থর জন্য সময়টা মোটেও অনুকূল নয়।এপ্রিল এ শনিদেব বক্রী হতেই আপনি ধার্মিক কার্যে মনোযোগ দিতে পারেন বা আকর্ষণ বাড়তে পারে।আপনার শত্রু ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে ।কোনো খারাপ খবর পেতে পারেন।সেপ্টেম্বর মাসে যখন শনিদেব মার্গী হবেন,তখন আপনি অর্থনৈতিক ব্যাপারে সুবিধা পেতে পারেন ।
প্রতিকার: ১)নীল পোশাক পড়া
২)কালো কুকুরকে খাওয়ানো
৩)দক্ষীনা কালীর ধ‍্যান করা
৪)শনিবার নিরামিষ খাওয়া
৫)হনুমান চল্লীষা পাঠ করা
৬)শনির বীজমন্ত্র:ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180416063455

Sunday, April 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কালির অষ্টতরশত নাম

কালির অষ্টতরশত নাম

***মা কালীর অষ্টোত্তর শতনাম***
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করুন এবং মায়ের
কৃপা লাভ করুন ।
করালিনী কালী মাগো কৈবল্যদায়িনী। ১
জগদম্বা নামে তুমি বিমুক্তকারিণী ।। ২
দুঃখনাশ কর বলে হলে দুঃখহারা।
জগতের মাতা তুমি হর-মনোহরা।। ৩
দনুজ দলন করি দনুজদলনী। ৪
দুর্গতিনাশিনী তুমি দেবী নারায়ণী।। ৫
দূর্গাসুর বধ করি দূর্গা নামে খ্যাতা। ৬
ত্রিলোচনী তুমি মাগো জগতের মাতা।। ৭
মুক্তি দান করি তুমি তাঁরা নাম ধর। ৮
তারিণী নামেতে তুমি জগৎ রক্ষা কর।।৯
পূর্ণব্রক্ষ্মময়ী তুমি ব্রক্ষ্মসনাতনী। ১০
পরমা প্রকৃতি তুমি সৃজনকারিণী।।১১
বেদের সৃজন করি হলে বেদমাতা।১২
যোগমায়া নামে তুমি ত্রিলোকপালিতা।।১৩
রুদ্রের ঘরণী বলে হলে রুদ্রজায়া। ১৪
অম্বিকা নামেতে তুমি হলে মহামায়া।।১৫
অপর্ণা তুমি মা কালী ত্রিলোকতারিনী।১৬
অন্নপূর্ণা তুমি মাগো ত্রিলোকপালিনী।।১৭
মায়া বিস্তারিয়া মাগো হলে মহামায়া।
বিপদে রেখো মা কোলে ওগো হরজায়া।।১৮
মৃগনেত্র-সম বলি কুরঙ্গনয়নী। ১৯
রণেতে প্রমত্ত বলি চণ্ডী মা জননী।।২০
শঙ্করের জায়া বলি হলে মা শঙ্করী।২১
ভব-জায়া বলি তুমি ভবানী ঈশ্বরী।।২২
ভীষণ আনন বলি করালবদনী।
দীনহীনে কর দয়া দনুজদলনী।।২৩
কৃত্তিবাস হল বাবা বাগছাল পরি।
কৃত্তিবাস দারা তাই তুমি মা শঙ্করী।।২৪
পাপ-বিনাশিনী কালী নৃমুন্ডমালিনী।
অধিনে কর মা দয়া তুমি কাত্যায়নী।।২৫
কুলকুন্ডলিনী মাগো তুমি মহাসতী।২৬
ষড়ৈশ্ব বলি নাম ভগবতী।।২৭
জগত-জননী মাগো কালী কপালিনী।
কটিতে ঘুঙ্গুর পরি হলে মা কিঙ্কিণী।।২৮
শঙ্কর কপালে ধরে হলেন কপালী।
কপালমালিনী তাই তুমি মহাকালী।।২৯
কারণপ্রিয়া মা তুমি করণকারিকা।
এ দীনে কর গো দয়া তুমি মা কালিকা।।৩০
থাকে না কালের ভয় তোমার শরণে।
কালক্ষয়-বিনাশিনী তাই লোকে ভণে।।৩১
মেঘের বরণ তাই হলে কাদদ্বিনী।
কপালকুন্তলা কুন্দকুসুমধারিণী।।৩২
জগতের আদি বলি নাম আদ্যাশক্তি।
অভয় চরণে যেন থাকে সদা ভক্তি।।৩৩
মহাবিদ্যা মহামায়া তুমি করালিনী।৩৪
প্রজাপতি মাতা তুমি কালী করালিনী।।৩৫
নিজ কায় কোষ বলি হলে মা কৌশিকী।
তোমার মায়ায় মুগ্ধ জগতের ভৌতিকী।।৩৬
ময়ূরবাহনে সাজ তুমি মা কৌমারী।৩৭
কালিকে কুটিলা দুর্গে তুমি মা কাবেরী।।৩৮
কালভয় নাশ কর তুমি কালপ্রিয়া।
তোমার অনন্ত লীলা মানব অ ।।৩৯
শঙ্করের প্রিয়া তাই নাম ভবদারা।৪০
কামাখ্যা কমলা তুমি ভবদুঃখহারা।।৪১
শান্তিবিধায়িনী তুমি মহারুদ্রপ্রিয়া।
বধি শুম্ভ-নিশুম্ভাদি হইলে অজেয়া।।৪২
কামদাত্রী নামে তুমি কামনা পূরাও।৪৩
মহেম্বরী নামে তুমি ভববক্ষে রও।।৪৪
কাল কাদম্বরী মাগো রাজ-রাজেশ্বরী।
ত্রিপুর-নাশিনী তুমি ত্রিপুরসুন্দরী।।৪৫
করুণাক্ষী হ‘লে তুমি বিতরি করুণা।
দীনহীনে কর দয়া অনন্ত-নয়না।।৪৬
ঈশান মহিষী তাই ইহতে ঈশানী। ৪৭
চণ্ডমুণ্ড বধ করি চামুণ্ডারুপিণী।।৪৮
ত্রিলোকের অধিষ্ঠাত্রী ত্রিলোক-ঈশ্বরী।
ত্রাণকর্ত্রী ত্রিনয়না ত্রিপুরাসুন্দরী।।৪৯
তুমি ক্ষুধা তুমি তৃষ্ণা বুদ্ধিস্বরুপিণী।৫০
সত্ত্বঃ রজঃ তমঃ ইতি ত্রিগুণধারিণী।।৫১
তপোময়ী তুমি মাতা দানবদলনী।
ত্রিলোচন ত্রাণকর্ত্রী ত্রিলোকপালিনী।।৫২
তত্ত্বপরায়ণী তুমি সর্বসিদ্ধিদাত্রী।
জগতপালন হেতু তুমি জগদ্ধাত্রী।।৫৩
দানিয়ে সারুপ্য মুক্তি হ‘লে নারায়ণী ।
ত্রিবলী-ধারিণী দুর্গে গুরুনিতম্বিনী ।।৫৪
ত্রিপুরদলনী দেবী লজ্জাস্বরুপিণী।৫৫
মহিষ অসুর বধি মহিষমদ্দিনী।।৫৬
জয় মাতঃ ত্রিনয়নী ত্রিফল স্বরুপা ।
লম্বোদর-জননী মাতা তাপিনী অনুপা।।৫৭
ত্রিলোকপালিনী তুমি সর্বপাপহরা ।
ত্রিশূলধারিণী কালী অর্দ্ধেন্দু-শেখরা।।৫৮
সদাই ষোড়শী তাই হইলে ষোড়শী।৫৯
অন্নপূর্ণা নামে তুমি থাক বারাণসী।।৬০
বরণ্যে বরদা সর্ব্বমঙ্গলা শিবানী ।
সর্ব্বেশ্বর সর্ব্বধার্ত্রী ত্রিগুণধারিণী।।৬১
সাবিত্রী তুমি মা তাঁরা মুক্তিবিধায়নী।
শোকদুঃখ-বিনাশিনী তুমি মা সর্ব্বাণী।।৬২
অশিবনাশিনী কালী দুর্গতিনাশিনী ।
ভগবতী সুরেশ্বরী অসুরঘাতিনী ।।৬৩
সহস্রাক্ষী সপ্তসতী শঙ্করী-ঈশ্বরী ।৬৪
বিদ্যাদাত্রী সুখপ্রদা তুমি শাকম্ভরী ।।৬৫
শবো‘পরি উপবিষ্ঠা সরোজবাসিনী।
ভূতপ্রেতসঙ্গিনী মা শ্মশানবাসিনী ।।৬৬
ধর্ম্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষফল-বিধায়িনী ।
তুমি মা কালীকে দুর্গে শ্রীকৃষ্ণা-জননী।।৬৭
অসুরাদি বধে দেবী রণ-উম্মাদিনী ।
সহস্রলোচনী তাঁরা দেবেন্দ্র জননী।।৬৮
কর মা করুণা দীনে দনুজদলনী ।
সুভগা সুমুখী শিবা তুমি ত্রিলোচনী।।৬৯
কলুষনাশিনী তুমি মুকতিদায়িনী ।
সুবচনী তুমি তাঁরা মোচনকারিণী।।৭০
দশভুজা চতুর্ভুজা কভু অষ্টভুজা ।
অষ্টাদশভুজা আর কদাপি দ্বিভুজা।।৭১
বহুরুপধারিণী তুমি দীনতারিণী ।
দীনহীনে কর দয়া মঙ্গলকারিণী।।
রক্তবস্ত-পরিধানা সুকেশী সুবেশী ।
রঙ্গপ্রাণনাথা তুমি দেবী এলোকেশী।।৭২
সেতুবন্ধে হ‘লে মাগো তুমি রামেশ্বরী।
গোলোকে তুমি মা দুর্গে গোণোক ঈশ্বরী ।।৭৩
ব্রজধামে হ‘লে মাগো তুমি ব্রজেশ্বরী ।
হর-মনোহরা রমা মহেশী শঙ্করী ।।৭৪
ভবানী ভুবনেশ্বরী ভুবনমোহনী ।
ভূতারহারিনী তাঁরা ত্রিলোকতারিনী ।।৭৫
ভ্রূকুটি ভীষণা ভীমা তুমি ভয়ঙ্করী ।
ভবভয়হারিণী মা তুমি জয়ঙ্করী ।।
ভগবতী এলোকেশী তুমি ভগবতী ।
ভবেশবরণী দেবী তুমি ধূমাবতী ।।৭৬
ভিক্ষুক-গৃহিনী সাজ তাই মা ভিক্ষুকী ।৭৭
ত্রিনয়নী মুক্তকেশী ভারতী কৌশিকী।।৭৮
সৃষ্টিসংহারিণী কালী তুমি ছত্রেশ্বরী।
প্রলয়ে কর মা সৃষ্টি তুমি মহেশ্বরী ।।৭
নিজ-মুন্ড করি ছিন্ন হ‘লে ছিন্নমস্তা ।
কাতরে অভয়দানে হও ব্যগ্রহস্তা ।।৮০
ছলনা করিয়ে তুমি হ‘লে ছলবতী।
গিরিরাজ-সুতা তুমি দেবী হৈমবতী।।৮১
শ্রীফলী তোমার নাম ধাত্রীফলপ্রিয়া।৮২
শ্রীনিকেতনী নামেতে হ‘লে বিষ্ণুপ্রিয়া।।৮৩
মহাবিদ্যা রুপভেদে তুমি মহাসতী।৮৪
ধুম্রাক্ষনাশিনী তুমি হরের মোহিনী।
দীনহীনে কর দয়া তুমি নারায়ণী।।৮৫
ধানসী ধরিত্রী দেবী তুমি কাত্যায়নী।।৮৬
হরমনোহরা রম্য ধূর্জ্জুটিমোহিনী।।৮৭
ধনদাত্রী ধনহরা ধম্মবিধায়িনী।।৮৮
বগলা তুমি তুমি মা তাঁরা সুবুদ্ধিদায়িনী।।৮৯
বৈষ্ণবী বসুধা দূর্গে দুর্গতিনাশিনী।
মহেশী মদনোম্মতা মহিষঘাতিনী।।৯০
বিশালাক্ষী নামে তুমি বিশাললোচনা।
নিজগুণে গুণহীনে কর মা করুণা।।৯১
শারদা শরতপ্রিয়া শিবসনাতনী।৯২
বসুন্ধরা জগম্মাতা বরদা বারুণী।।৯৩
জলরুপে তুমি মাগো হও দ্রবময়ী।
ব্রক্ষান্ড উদরী তুমি,তুমি ব্রক্ষময়ী ।৯৪
বিশ্বমাতা বিশ্বময়ী তুমি এলোকেশী।
অকিঞ্চনে কর দয়া ওগো ব্যোমকেশী।।৯৫
বাগ্ বাদিনী তুমি মাতা তুমি বীণাপাণি।৯৬
তুমি মা পুরুষোত্তমে বিমলারুপিণী।৯৭
বহু রুপ ধর বলি মা তুমি বহুরুপিণী।
রণেতে দুর্জ্জয় মাগো দৈত্যবিনাশিনী।।৯৮
মাতঙ্গী তুমি মা তাঁরা ত্রিলোকপালিনী।৯৯
বিশ্বময়ী মহেশ্বরী মলয়বাহিনী।।১০০
ক্ষীণোদর বলি মাগো হ‘লে মন্দোদরী।
দীনহীনে কর কৃপা তুমি মহেশ্বরী।।১০১
মধু আর কৈটভেরে করিয়া সংহার।
মধুকৈটভনাশিনী নাম যে তোমার।।১০২
লক্ষীস্বরুপিণী তুমি, তুমি মা কমলা।
কুরুকুল্লা কপালিনী তুমি মা চঞ্চলা।।১০৩
বয়সে কিশোর সদা তাই মা কিশোরী ।
পীনোন্নত পয়োধরা কুমারী শঙ্করী ।।১০৪
গিরিরাজ-সুতা সতী কৈলাসবাসিনী ।১০৫
কল্যাণদায়িনী সদা তাই মা কল্যাণী ।।১০৬
গণেশ-জননী তুমি গিরিশ-নন্দিনী ।১০৭
হরমনোহরা রমা গিরীশমোহিনী ।।১০৮
কালী-শতনাম স্তোত্র হ‘ল সমাপন ।
আনন্দেতে হরিধ্বনি কর সর্ব্বজন ।।
এই শতনাম স্তব যে করে পঠন ।
ভক্তিভাবে কিম্বা যেই করিবে শ্রবণ ।।
ধনরত্নে তার গৃহে হইবে পূরণ ।
অন্তিম সময়ে পায় কালীর চরণ ।।
অনন্ত মহিমায় কালি-শতনাম ।
শ্রবণে পঠনে হয় সিদ্ধ মনস্কাম ।।
অপুত্রের পুত্র হয় নির্ধনের ধন ।
অন্তিম সময়ে পায় কালীর চরণ ।।
অনন্ত মহিমাময় কালী শতনাম ।
শ্রবণে পঠনে হয় সিদ্ধ মনস্কাম।।
অপুত্রের পুত্র হয় নির্ধনের ধন।
অন্তিমে কালীর পদ পায় সেইজন।।
কালী বলে “কালী ব‘লে অন্তিম সময়।
কালীতে করুণাময়ী যেন প্রাণ যায়।।
তোমার অভয়পদে লইনু শরণ ।
দীন অকিঞ্চনে মাগো ক‘রো না বঞ্চন ।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180415220523

Sunday, April 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কুন্ডলী তে কিছু শুভ যোগ

কুন্ডলী তে কিছু শুভ যোগ

জন্মকুন্ডলীতে কিছু শুভ যোগ।

(১) অধিযোগ - যদি বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র-এই তিন নৈসর্গিক শুভ গ্রহ চন্দ্র থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮মে থাকে তবে এই যোগ হয়। এই তিন গ্রহের সব কটি বা যে কোন একটি বা দু'টি এই তিন ঘরের সব কটিতে বা একটি দুটিতে অবস্থান করতে হবে। অনেক জ্যোতিষীর মতে চন্দ্র থেকে শুভ গ্রহ থাকলে যেমন এই যোগ হয় তেমনি লগ্ন থেকেও ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮মে উক্ত তিন শুভ গ্রহের অবস্থিতিও এই যোগ তৈরী করতে পারে। এখানে বলে রাখা ভাল, যদি লগ্ন বা চন্দ্র থেকে ৬ষ্ঠে, ৭মে অথবা ৮মে পাপ গ্রহ থাকে তা হলে ফল কিন্তু হবে ঠিক বিপরীত।
ফল - সুখী, ভদ্র, প্রাচুর্য, শত্রুজয়ী, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু। ফল কতটা ফলবে তা নির্ভর করে গ্রহের বল ও সঠিক দশা-অন্তর্দ্দশার উপর।

(২) পারিজাত যোগ - লগ্নাধিপতি যে রাশিতে থাকবে সেই রাশির অধিপতি যে রাশিতে অবস্থান করবে তার অধিপতি যদি লগ্ন থেকে কোণে, কেন্দ্রে অথবা স্বক্ষেত্রে বা তুঙ্গী ক্ষেত্রে থাকে তবে এই যোগ হয়।
ফল - মধ্য ও শেষ জীবনে সুখী। সম্মানিত, বিখ্যাত ও ঐশ্বর্যশালী।
উদাহরণ হিসাবে ১৪(৩) চিত্রে দেখান ছকটি ধরা যাক। মেষরাশিতে লগ্ন, শনি ও বৃহস্পতি; কন্যায় রাহু; মকরে মঙ্গল ও চন্দ্র; কুম্ভে বুধ; মীনে কেতু, শুক্র ও রবি। এখানে লগ্নাধিপতি মঙ্গল মকরে তুঙ্গী। মকরের অধিপতি শনি মেষলগ্নে অবস্থিত। সেই মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল লগ্নের ১০ম ঘরে তুঙ্গী। অতএব পারিজাত যোগ হয়েছে। আবার চন্দ্র থেকে বৃহস্পতি ৪র্থ কেন্দ্রে থাকায় গজকেশরী যোগও হয়েছে। ১০ম পতি ( ও ১১শ পতি ) শনির সঙ্গে লগ্নপতি ( ও ৮ম পতি ) মঙ্গলের স্থান বিনিময়ও হয়েছে। জাতক বিদ্বান ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। সুনাম ও সম্মানের অধিকারী এবং অর্থবান। তবে শনি নীচস্থ হওয়াতে এবং জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল মকর রাশির একেবারে গোড়াতে রাশিসন্ধিতে অবস্থান করাতে মঙ্গল বর্গোত্তম হওয়া সত্বেও শনি ও মঙ্গল উভয়েই কিছুটা দুর্বল। কর্মে উন্নতি ও অর্থাগম হয়েছে তবে খুব ধীরে ধীরে।

(৩) ভেরী যোগ - লগ্নাধিপতি, শুক্র ও বৃহস্পতি পরস্পরের কেন্দ্রে অবস্থিত হলে এবং ৯ম পতি শক্তিশালী হলে এই যোগ হয়।
ফল - রোগহীন, দীর্ঘায়ু, স্ত্রী ও সন্তান সুখে সুখী, উদার ও সম্মানিত।
একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। তুলারাশিতে লগ্ন ও শনি; মকরে মঙ্গল, বুধ ও শুক্র; কুম্ভে রবি, রাহু; মিথুনে চন্দ্র; কর্কটে বৃহস্পতি ও সিংহে কেতু। ছকটা এঁকে নিন। এখানে শুক্র নিজেই লগ্নাধিপতি। বৃহস্পতি (কর্কটে তুঙ্গী) ও শুক্র পরস্পরের কেন্দ্রে। ৯ম পতি বুধ ৪র্থ কেন্দ্রে লগ্নপতির সঙ্গে যুক্ত ও তুঙ্গী বৃহস্পতির দ্বারা দৃষ্ট। নবাংশে ( এখানে দেখান হয় নি ) বুধ স্বক্ষেত্রে অবস্থিত। অতএব ৯ম পতি বুধ বলশালী। জাতকের ভেরী যোগ হয়েছে এবং যথেষ্ট সুফল ভোগ করেছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে বৃহস্পতি শনির ১০ম দৃষ্টির দ্বারা এবং মঙ্গলের ৭ম দৃষ্টির দ্বারা দৃষ্ট হওয়ায় অশুভ। তবে শনি তুলা লগ্নে রাজযোগকারী গ্রহ (৪র্থ ও ৫ম পতি) হওয়ায় অশুভত্ব অনেক কম। আবার বৃহস্পতি ৩য় ও ৬ষ্ঠ পতিও বটে। এদের অশুভ ফল ত ফলবেই। নিরবচ্ছিন্ন ভাল হয় না কিছু খারাপও সঙ্গে থাকে।

(৪) শঙ্খ যোগ - ৫ম ও ৬ষ্ঠ পতি পরস্পরের কেন্দ্রে এবং লগ্নাধিপতি বলশালী হলে এই যোগ হয়।
ফল - আমোদপ্রিয়, সুখী, বিদ্বান ও দীর্ঘজীবী।
উদাহরণ : লগ্ন কুম্ভ; মীনে রাহু; বৃষে শনি ও চন্দ্র; কর্কটে রবি; সিংহে মঙ্গল, বুধ ও শুক্র; কন্যায় কেতু; বৃশ্চিকে বৃহস্পতি। ছকটা এঁকে নিন। এখানে ৫ম ও ৬ষ্ঠ পতি যথাক্রমে বুধ ও চন্দ্র পরস্পরের কেন্দ্রে অবস্থিত। দুটি গ্রহই মিত্র ক্ষেত্রে ( চন্দ্র বৃষে শুক্রের ঘরে এবং বুধ সিংহে রবির ঘরে ) অবস্থিত। লগ্নপতি শনি ৪র্থ কেন্দ্রে বৃষ রাশিতে বন্ধুর ঘরে অবস্থান করে ১০ম দৃষ্টিতে লগ্নকে দেখছে, অতএব লগ্ন বলযুক্ত হয়েছে। এটি একটি শঙ্খ যোগের উদাহরণ। তবে লগ্নপতি শনি ৬ষ্ঠ পতি চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। ৭ম পতি রবি ৬ষ্ঠে রয়েছে এবং শনির দ্বারা দৃষ্ট। কিছু খারাপ ফল ত ফলবেই।

(৫) সরস্বতী যোগ - বৃহস্পতি, শুক্র ও বুধ কোন কুণ্ডলীতে এক সঙ্গে বা পৃথক ভাবে যদি ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৭ম, ৯ম, ১০ম ঘরে অবস্থান করে তবে এই যোগ হয়।
ফল - কবি, লেখক, বহু বিষয়ে জ্ঞান, প্রশংসিত ও সম্মানিত, স্ত্রী ও সন্তান বিষয়ে শুভ।
বৃহস্পতি, শুক্র ও বুধ এই তিনটি নৈসর্গিক শুভ গ্রহের উল্লিখিত ঘর গুলিতে অবস্থানের সম্ভাবনা মোটেই বিরল নয় এবং অনেক জন্মকুণ্ডলীতেই হয় ত এই যোগ পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছকে এই যোগ ছিল। কিন্তু যাদেরই এই যোগ রয়েছে তারা ত সবাই রবীন্দ্রনাথের মত বিরল প্রতিভা ও সম্মানের অধিকারী ন঑ন। সেই জন্যই বলা হয়েছে যে কোন যোগের ফল সঠিক ভাবে পেতে হলে গ্রহকে শক্তিশালী হতে হবে এবং তাদের অবস্থান কোন অশুভ গ্রহের সংযোগ বিহীন হওয়াও প্রয়োজন। এই যোগের ফলে বলা হয়েছে স্ত্রী ও সন্তান বিষয়ে শুভ; কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এই বিষয়ে শোক পেয়েছেন যথেষ্ট। কারণ এই যোগ জনিত গ্রহসংস্থান এবং অন্যান্য গ্রহের অবস্থান রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি হিসাবে পরিচিতি দিলেও তাঁর জায়া ও সন্তান স্থান অন্যভাবে ক্লীষ্ট ছিল। এই ভাবে সামগ্রিক দৃষ্টিতে কোন কুণ্ডলী বিচার করতে না পারলে, শুধু আক্ষরিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে সঠিক ফল বের করে আনা কঠিন। রবীন্দ্রনাথের জন্মকুণ্ডলী পরে বিশদ ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।

(৬) গৌরী যোগ - রাশিচক্রের ১০ম পতি নবাংশে যে রাশিতে থাকবে, তার অধিপতি যদি রাশিচক্রে তুঙ্গী হয়ে লগ্ন থেকে ১০মে থাকে তবে এই যোগ হয়। অনেক জ্যোতিষী মনে করেন, যদি ৯ম পতি এবং চন্দ্র রাশিচক্রে তুঙ্গী বা স্বক্ষেত্রগত হয়ে লগ্ন থেকে কেন্দ্র বা কোণে অবস্থান করে, তা হলেও এই যোগ হয়।
ফল - সম্ভ্রান্ত, উচ্চ পদাধিকারী, সবার দ্বারা প্রশংসিত।
উদাহরণ স্বরূপ এই ছকটি এঁকে নিন। রাশিচক্র - মিথুনে বুধ, রাহু, শুক্র; কর্কটে বৃহস্পতি, রবি, মঙ্গল; কন্যায় চন্দ্র; লগ্ন তুলা; ধনুতে কেতু এবং মীনে শনি। নবাংশচক্র - মিথুনে বুধ; কর্কটে কেতু; ধনুতে রবি ও শনি; মকরে রাহু; কুম্ভে মঙ্গল, শুক্র এবং মীনে লগ্ন, বৃহস্পতি ও চন্দ্র। এখানে ১০ম পতি চন্দ্র নবাংশে মীনে রয়েছে এবং মীনের অধিপতি বৃহস্পতি রাশিচক্রে ১০মে ( কর্কটে ) তুঙ্গী। অতএব গৌরী যোগ হয়েছে। জাতক উচ্চ পদে আসীন সরকারী অফিসার এবং প্রশংসনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন।

মন্ত্রেশ্বর রচিত ফলদীপিকায় গৌরী যোগের একটা অন্য রকম গ্রহ বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে। তার মতে চন্দ্র যদি স্বক্ষেত্র বা তুঙ্গী ক্ষেত্রগত হয়ে লগ্ন থেকে কেন্দ্র বা কোণে অবস্থান করে এবং বৃহস্পতির দ্বারা দৃষ্ট হয়, তা হলেও গৌরী যোগ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্মকুণ্ডলীতে এই যোগ রয়েছে।

(৭) লক্ষ্মী যোগ - বিভিন্ন জ্যোতিষীর এই যোগের বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। সেগুলি হল - (ক) লগ্নপতি এবং ৯ম পতি যদি শক্তিশালী হয়ে যুক্ত থাকে; (খ) ৯ম পতি যদি কেন্দ্র, ত্রিকোণ বা তুঙ্গ স্থানে অবস্থিত হয়; (গ) ৯ম পতি এবং শুক্র যদি কেন্দ্রে বা কোণে স্বক্ষেত্রে বা তুঙ্গক্ষেত্রে অবস্থিত হয়।
ফল - জাতক বিত্তবান, বিদ্বান ও সুনামের অধিকারী হয় এবং জীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ হয়।

(৮) জয় যোগ - ৬ষ্ঠ পতি যদি নীচস্থ হয় এবং ১০ম পতি যদি তুঙ্গী হয়ে কোন কুণ্ডলীতে অবস্থান করে, তা হলে জয় যোগ হয়।
ফল - সুখী, শত্রুজয়ী, প্রায় সব কাজে সফল এবং দীর্ঘজীবী।

৬ষ্ঠ স্থান এবং ৬ষ্ঠপতি বাধা বিপত্তির কারণ। এই স্থান শত্রুতা, রোগ, মামলা মোকদ্দমা ইত্যাদির সূচনা করে। ৬ষ্ঠ পতি দুর্বল হলে এগুলি জাতকের খুব ক্ষতি করতে পারে না। পক্ষান্তরে ১০ম স্থান এবং ১০ম পতির অবস্থা থেকে কর্মক্ষেত্র, জীবিকা, সম্মান ইত্যাদির বিচার হয়। ১০ম পতি তুঙ্গী হলে ( অবশ্যই কোন অশুভ প্রভাব থাকা চলবে না ) এ সব থেকে সফলতা আশা করা যায়; অতএব এই যোগের ফল ফলবার সম্ভাবনা সমধিক। তবে সঠিক ফল পেতে হলে যোগকারক গ্রহের বল বিচার অবশ্যই করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ ১৪(৭) কুণ্ডলীটি দেখান হল।

(৯) ভেসি যোগ ( vesi yog ) - রবির ২য়ে চন্দ্র, রাহু ও কেতু ছাড়া অন্য গ্রহ থাকলে এই যোগ হয়।
ফল - ভাগ্যবান, সুখী, ধার্মিক, বিখ্যাত ও সম্ভ্রান্ত
যদি ২য়ে শুভ গ্রহ থাকে তবে শুভ ভেসি যোগ ও পাপগ্রহ থাকলে পাপ ভেসি যোগ হয়। পাপ ভেসি যোগ হলে ফল অবশ্যই উপরে লিখিত ফলের সঙ্গে মিলবে না, ফল হবে বীপরিত। ফল কতটা ফলবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে রবি ও ২য়ে অবস্থিত গ্রহের বলের উপর। ধরা যাক একটি ছকে লগ্ন কর্কট। ২য় পতি রবি ১০মে মেষ রাশিতে তুঙ্গী এবং রবির ২য়ে বৃষ রাশিতে শুক্র ( ৪র্থ ও ১১শ পতি ) স্বক্ষেত্রে অবস্থিত। এখানে রবি ও শুক্র অত্যন্ত বলশালী হওয়ায় ভেসি যোগের ফল অত্যন্ত জোরাল হবে। তবে ফল হবে কিন্তু রবি ও শুক্রের দশা অন্তর্দশায়। এই বার কর্কট লগ্নের ছকটিতে যদি রবি তুলা রাশিতে নীচস্থ থাকে এবং ২য়ে বৃশ্চিক রাশিতে শুক্র থাকে তা হলে ফল নিশ্চয়ই এক রকম হবে না।

(১০). ভাসি যোগ ( vasi yog ) - রবির ১২শে চন্দ্র, রাহু ও কেতু ছাড়া অন্য গ্রহ থাকলে এই যোগ হয়।
ফল - সুখী, প্রতিষ্ঠিত, শাসক শ্রেণীর প্রিয়।
ভেসি যোগের মত এখানেও শুভ ভাসি ও পাপ ভাসি যোগ হবে। বিচারও একই ভাবে করতে হবে।

(১১). অমলা যোগ - লগ্ন বা চন্দ্র থেকে ১০মে শুভ গ্রহ অবস্থিত হলে এই যোগ হয়।
ফল - স্থায়ী নাম, যশ, খ্যাতি, নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের অধিকারী।
অন্যান্য যোগের মত এখানেও ফলের গভীরতা নির্ভর করবে ১০মে স্থিত গ্রহের বলের উপর।
যে কোন কুণ্ডলীতে ১০ম হল সব চেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র; সেখানে জোরাল শুভ গ্রহের অবস্থান যে কোন জাতকের পক্ষে অত্যন্ত শুভ দায়ক হবে সেটা বলাই বাহুল

(১২) দেহসৌখ‍্যযোগ
লঙ্গপতি,বৃহস্পতি বা শুক্র যদি লঙ্গের কেন্দ্র স্হানে অবস্হিত হয় তবে দেহসৌখ‍্যযোগ সূচিত হয়।
ফলাফল:
এইরুপ জাতক দীর্ঘায়ু, ধনবান, সুসাস্থের অধিকারী ও রাজনৈতিক দিক থেকে সুবিধা লাভে সক্ষম হয়।
মন্তব্য:
জন্মকুন্ডলীতে লগ্নপতি,বৃহস্পতি ও শুক্র কেন্দ্রে অবস্থিত হলে এই যোগটি অত‍্যন্ত শুভ ও প্রবল বলে বলে বিবেচিত হবে।
যোগটি অত‍্যন্ত শুভযোগ যা খুব কম জন্মকুন্ডলীতে দৃষ্ট হয় ।

(১৩) বুধাদিত্য যোগ - রবির সঙ্গে বুধের যোগ হলেই এই যোগ হয়। যে কোন গ্রহ রবির ১৫ ডিগ্রির মধ্যে এলে অস্তগত (combust) হয় এবং গ্রহটি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু বুধের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম রয়েছে। রবির থেকে বুধের দূরত্ব ১০ ডিগ্রির কম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। যেহেতু বুধ রবির খুব কাছে থেকেই আবর্তিত হয় তাই এই যোগ খুবই সহজ লভ্য।
ফল - অত্যন্ত বুদ্ধিমান, সম্মানিত ও সুনামের অধিকারী। বুধ এবং রবি একই সঙ্গে অবস্থিত হলেই যে ফল ভাল হবে তা নয়। এই যোগ যথাযথ ফল দেবে যদি রবি ও বুধের বল যথেষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে বুধ অগ্নি ও বায়ু রাশিতে সব চেয়ে বেশী নিজেকে প্রকাশ করে। অনেকের মতে এই যোগ বেশী ফলদায়ক হবে যদি বুধ ও রবি মেষ, মিথুন, সিংহ বা কন্যা রাশিতে সংযুক্ত হয়। মেষ রবির তুঙ্গী ক্ষেত্র, মিথুন বুধের স্ব্ক্ষেত্র, সিংহ রবির স্বক্ষেত্র এবং কন্যা বুধের স্বক্ষেত্র ও তুঙ্গীক্ষেত্র। কন্যা যদিও পৃথ্বীরাশি, তবুও বুধের স্বক্ষেত্র ও মূলত্রিকোন বলে এই রাশিতে ভাল ফল দিতে পারে। তবে অধিকাংশই নির্ভর করবে বুধের শক্তির উপর। সেই জন্যই গ্রহের বল নির্ণয় খুব প্রয়োজন। নির্দ্দিষ্ট জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণের সময় এ সম্বন্ধে আরও আলোকপাত করা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই যোগ মেষ রাশিতে, বঙ্কিমচন্দ্র ও শরৎচন্দ্রের ক্ষেত্রে এই যোগ যথাক্রমে মিথুন ও কন্যা রাশিতে ছিল।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180415071001

Saturday, April 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দশমহাবিদ‍্যা

দশমহাবিদ‍্যা

দশ মহাবিদ‍্যা

শাক্তরা বিশ্বাস করেন , "একই সত্য দশটি ভিন্ন রূপে প্রকাশিত ; দিব্য জননী দশটি বিশ্বরূপে দৃষ্ট ও পূজিত হয়ে থাকেন ।” এই দশটি রূপই হল দশমহাবিদ্যা । মহাবিদ্যাগণ প্রকৃতিগতভাবে তান্ত্রিক। তাঁদের সাধারণ নামগুলি হল। এই দশমহাবিদ‍্যার এক একটি রুপ নয়টি গ্ৰহের ইষ্টদেবী ।

কালী : সর্বসংহারকারিনী, জন্ম ও শক্তির দেবী। কালীকুল সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবী। শনির ইষ্টদেবী ।

তারা : পথপ্রদর্শক ও রক্ষাকারিনী (তারিনী) দেবী। বিশ্বের উৎস হিরণ্যগর্ভের শক্তি এবং মহাশূন্যের প্রতীক। বৃহস্পতির ইষ্টদেবী।

ত্রিপুরসুন্দরী বা ললিতা-ত্রিপুরসুন্দরী (ষোড়শী) : পূর্ণতা ও পূর্ণাঙ্গতার স্বরূপ। শ্রীকুল সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবী। তান্ত্রিক পার্বতী নামে পরিচিতা।বুধের ইষ্টদেবী।

ভুবনেশ্বরী : বিশ্বজননী। পার্থিব জগতের শক্তিসমূহের প্রতীক।শুক্রের ইষ্টদেবী।

ভৈরবী : ভয়ংকরী দেবী। সেই কামনা ও প্রলোভনের স্বরূপ যা মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়।

ছিন্নমস্তা : উলঙ্গিনী দেবীমূর্তি। তিনি স্বহস্তে নিজ মস্তক ছিন্ন করে নিজ রক্ত নিজেই পান করেন। চক্রপথে আত্মধ্বংস ও আত্মপুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সৃষ্ট জগতের অবিরাম বিদ্যমানতার শক্তির প্রতীক। রাহুর ইষ্টদেবী

ধূমাবতী : বিধবা দেবীমূর্তি। অগ্নির দ্বারা জগৎ ধ্বংসের পর ভষ্মরাশির মধ্য থেকে যে ধূম নির্গত হয়, তার স্বরূপ। তিনি কখনও কখনও অলক্ষ্মী বা জ্যেষ্ঠাদেবী নামেও অভিহিতা হন। কেতুর ইষ্টদেবী।

বগলামুখী : শত্রুনিষ্ক্রিয়কারিনী দেবী। ঈর্ষা, ঘৃণা ও নিষ্ঠুরতার মতো মানবচরিত্রের অন্ধকার দিক নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁকে সারস-মুণ্ড রূপেও কল্পনা করা হয়। মঙ্গলের ইষ্টদেবী।

মাতঙ্গী : কর্তৃত্ব শক্তির দেবী। জাতিহীন দেবী (কালীকুল সম্প্রদায়ে), ললিতার প্রধানমন্ত্রী (শ্রীকুল সম্প্রদায়ে); তান্ত্রিক সরস্বতী।সূর্যের ইষ্টদেবী।

কমলাকামিনী : বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী। ভাগ্যদেবী লক্ষ্মীর অন্যরূপ। তান্ত্রিক লক্ষ্মী নামেও অভিহিতা। চন্দ্রের ইষ্টদেবী।

মহাভাগবত পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ–এ
ত্রিপুরসুন্দরীকে দেবীরই অপর নাম ষোড়শী নামে অভিহিত করা হয়েছে।[১] গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্রে বলা হয়েছে মহাবিদ্যাগণই হলেন বিষ্ণু দশ অবতারের উৎস। দেবীর এই দশ রূপ, তা ভয়ংকরই হোক বা কোমল, বিশ্বজননী রূপে পূজিত হয়।

ACHARYA. KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
E-MAIL ADDRESS : apnbkm.09@gmail.com
FEES RS 751/=



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180414072046

Friday, April 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

সাড়ে-সাতি তে রাশি অনুয়ায়ী প্রতিবিধান

সাড়ে-সাতি তে রাশি অনুয়ায়ী প্রতিবিধান

শুভ রাত্রি
শনির সাড়ে-সাতি ও রশি অনুযায়ী তার প্রতিবিধান।

শনির সাড়ে সাতি

সূর্যপুত্র দীর্ঘদেহ বিশাললক্ষ্য শিব প্রিয় ।
মন্দচার প্রস্ননাত্মা পীড়া দহতুমেশনি ।।

সৃষ্টি র প্রারম্ভ থেকে অতন্ত দীন হীন আর উপেক্ষিত ছিলেন । নবগ্রহ পরিবারে তার স্থান ছিল চাকরের । বৈদিক কালে সব মানুষ সূর্য উপাসনা করত । নৈসরগিক পাপ প্রকৃতির জন্য শনির কোন খ্যাতি ছিল না । রাজপুত্র হবার পরও তার কোন সন্মান ছিল না । এই অপমানের জন্য তিনি শিব আরাধনা শুরু করেন । শনির কর্তব্য নিষ্ঠা ও ভক্তির জন্য ভগবান শিব তাকে যশস্বী হবার বর প্রদান করেন । শনি দেব ভগবান শিবের অত্বন্ত প্রিয় । শনি কে শিব প্রিয় বলা হয় । শনি গ্রহের আকৃতি শিব লিঙ্গের মত দেখায় । কারন উপাসক উপাস্যের গুন প্রাপ্ত হয় ।
প্রারব্ধ কর্মের শুভ ফল সমস্ত গ্রহ দেয় , কিন্তু ভগবান শিব শনি দেব কে বিশেষ করে তার সঞ্চিত পাপ কর্মের ফল দেবার অধিকার দিয়েছেন । এই জন্য শনি দেবকে দণ্ডাধিকারি , ন্যায়াধীশ বলা হয় । মৃত্যু দেবতা যমরাজের দুত । মানুষ কে ত্রাস রাখতে সক্ষম । এই জন্য শনি দেব কে দুর্ভাগ্য দেবার গ্রহ বলা হয় । বাস্তবে শনি দেব ন্যায়ের দেবতা । মানুষের দুঃখের কারন তার খারাপ কর্ম । ন্যায়াধীশ হবার জন্য তিনি পাপ কর্মের আধারে বর্তমান জন্মে তিনি দণ্ড দেন । পূর্ব কর্মের অশুভ কাজের ফল প্রদান শনি দেব নিমিত্ত মাত্র । প্রধান কারন তার কর্ম ফল ।
এক পরিবারে কয়েক জন সদস্য শনির সাড়ে সাতি বা ঢৈইয়া দ্বারা প্রভাবিত হলে পরিবারের প্রধান বা বাড়ির জ্যৈষ্ঠ ব্যাক্তি শনিদেবের আরাধনা করলে সবাই সেই লাভ পেতে পারে । এই পরিস্থিতি মুক্তি পেতে পরিবারের জ্যৈষ্ঠ ব্যক্তি পুজা অর্চনা করা উচিত । প্রত্যেক শনিবার শনি মূর্তির ডান বা বাম দিকে তিল এর প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি চলিশা নিত্য পাঠ করা উচিত । পরিবারের সমস্ত সদস্য কে শনি দেব এর কৃপা প্রাপ্তির প্রার্থনা করা উচিত ।
শনির সাড়ে সাতি তে শনি মহারাজ কেমন ফল দেবে তা শনির পাদ এর উপর নির্ভর করে ।
শনির ফল চার প্রকারের ঃ
স্বর্ণ পাদ ----সুখের অভাব রজত পাদ ---যশ ধন প্রাপ্তি তাম্র পাদ ---সামান্য শুভ লৌহ পাদ --ধন সম্পত্তি হানি হানী
সাড়ে সাতি আরম্ভ হবার সময় জন্ম রাশি থেকে যে স্থানে গোচর চন্দ্র হয় এর আধারে পাদ নির্ণয় হয় । জন্ম রাশি থেকে গোচর চন্দ্র ১,৬,১১ তাহলে স্বর্ণপাদ
জন্ম রাশি থেকে গোচর চন্দ্র ২,৫, ৯ তাহলে রজত পাদ
জন্ম রাশি থেকে গোচর চন্দ্র ৭, ১০ তাহলে তাম্র পাদ
জন্ম রাশি থেকে গোচর চন্দ্র ৪,৮ ,১২ তাহলে লৌহ পাদ
যদি কোন ব্যক্তি পাপ কর্ম করে তার ফল তাকে ভোগ করতে হয় ।
নিজের পাপ কর্মের ফল এর শাস্তি শনি দেব দেবে যার জন্য ভগবান শিব তাকে নিযুক্ত করেছে।

শনির সাড়ে সাতি দশার সমাধান এবার আপনি নিজেই বাড়িতে বসে করতে পারেন।

• মেষ— প্রতি শনিবার শ্রীহনুমানের পূজা করা বিধেয়। পর পর সাতটি শনিবার দানকার্য করলে বাল ফল মেলে। ঘোড়ার নাল থেকে তৈরি আংটি মধ্যমায় ধারণ করলে আরও ভাল হয়।

• বৃষ— লোহা বা রূপায় অ্যামেথিস্ট বাঁধিয়ে ধারণ করা প্রয়োজন। পর পর পাঁচটি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নীচে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে ভাল হয়।

• মিথুন— কোনও শনিবার মধ্যমায় রুপো বাঁধানো নীলার আংটি ধারণ করা বিধেয়। বড়ির সদর দরজায় স্বস্তিকা চিহ্ন টাঙানো প্রয়োজন।

• কর্কট— পর পর সাতটি শনিবার দানকার্য বিধেয়। প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ করা দরকার।

• সিংহ— প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ এবং প্রতি শনিবার কালো তিল, কালো কাপড় এবং সরষের তেল দান করা বিধেয়। কালো কুকুরকে খেতে দিলে ভাল হয়। প্রতি শনিবার ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র উচ্চারণ প্রয়োজন।

• কন্যা— ঘরে শনিযন্ত্রম স্থাপন এবং শনিস্তোত্র পাঠ প্রয়োজন। বহতা নদীতে একটি নারকেল এবং সাতটি আমন্ড প্রদান করুন।

• তূলা— প্রতি শনিবার দু’টি কালো কুকুরকে খেতে দিতে হবে। বাড়ির বাইরে তাদের খাওয়াবেন। ভিতরে কদাচ নয়। শিবলিঙ্গের উপাসনা এবং শনিযন্ত্রম বহতা জলে প্রদান করতে হবে।

• বৃশ্চিক— ঘরে শনিযন্ত্রম প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিদিন শনিস্তোত্র পাঠ প্রয়োজন। পোকা-মাকড়দের কালো তিল খাওয়ান। পর পর ৫টি শনিবার বহতা জলে তামার খণ্ড বিসর্জন দিন।

• ধনু— শনিবার উপবাস উপকারে আসবে। ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র উচ্চারণ প্রয়োজন। শনি পুজোয় লাগে, এমন জিনিস কখনই কিনবেন না।

• মকর— শনিবার শ্রীহনুমানের পুজা কাজে আসবে। শনি ও মঙ্গলবার মদ্যপান করবেন না। শনিযন্ত্রম প্রতিষ্ঠা করে তার সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।

• কুম্ভ— নীল রঙের পোশাক পরা বিধেয়। নীলা ধারণ করলে ভাল হয়। দানকার্য বজায় রাখুন।

• মীন— শনির তান্ত্রিক মন্ত্রোচ্চারণ প্রতিদিন প্রয়োজন। কুকুরের সেবা কাজে আসবে। শিবপূজা করলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়াও প্রতিটি মানুষ সাড়ে-সাতি চলাকালিন নিম্মলিখিত বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন।

মন্ত্র – ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা – ১০০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা – দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন – নীলা, ধূপ – কৃষ্ণাগুরু, বার – শনিবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যাবেলা।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180413215054

Friday, April 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিবাহ বিচ্ছেদ

বিবাহ বিচ্ছেদ

বিবাহ -বিচ্ছেদ রুখতে বিবাহের পূর্বে অবশ‍্য ই যোটক বিচার আবশ‍্যক।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ

আমার মতে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ বর্তমান সময়ে আলোচনার জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়। বর্তমানে আমাদের সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচুর মানুষ বৈবাহিক বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমার কর্ম জীবনে বহু মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন যে তাদের কুণ্ডলীতে বিবাহ বিচ্ছেদের যোগ আছে কিনা। এখানে আমি চেষ্টা করব কিছু অধিকাংশ করা প্রশ্নের উত্তর দেবার, যেমন জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ, বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য কোন গ্রহ গুলি সবথেকে বেশি দায়ী ,জন্মপত্রিকায় বিবাহ বিচ্ছেদের যোগ প্রভৃতি।

বিবাহ স্থির হয় স্বর্গ থেকে কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত এই পৃথিবীতেই নেওয়া হয়। একটি সুখী দাম্পত্য জীবন আমাদের জীবনে সার্বিক বৃদ্ধি, সুখ ও সমৃদ্ধি আনে। কিন্তু সবাই খুব ভাগ্যবান হয় না। বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক কারণ থাকতে পারে কিন্তু এখানে আমরা শুধুমাত্র জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সূচকগুলি নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু আমি আপনাদের পরামর্শ দিতে চাই যে জন্মপত্রির যথার্থ মিলন বৈবাহিক বিরোধের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে। কিন্তু কুন্ডলীর মিলনের ক্ষেত্রে অষ্টকূট গুণের মিলন যথার্থ পন্থা নয়। বিবাহের জন্য যথার্থ কুন্ডলীর নির্ধারণ হল কুষ্টিতে

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্যে দায়ী গ্রহ এবং স্থান সমূহ

ক্ষতিকর গ্রহ, বিশেষত মঙ্গল, রাহু, শনি এবং সূর্য বিচ্ছেদ মূলক চরিত্রের হয়। তাই এই গ্রহ গুলি কুন্ডলীতে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুঘটকের ন্যায় কাজ করে। এগুলো ছাড়া আরও দুটি গ্রহও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্বেও বিবাহ বিচ্ছেদ এড়ানোর ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী। প্রেম, ভালোবাসা, বিবাহ ও যৌন জীবনের ক্ষেত্রে প্রধান গ্রহ হল শুক্র। পুরুষদের কুষ্টির ক্ষেত্রে এটি স্ত্রীকেও সূচিত করে, সুতরাং শুক্র যদি পীড়িত, দুর্বল বা অবনতিশীল হয় তবে তা বৈবাহিক অস্থিরতার লক্ষণ। মহিলাদের কুষ্টির ক্ষেত্রে বৃহস্পতি স্বামীকে সূচিত করে। সুতরাং বৃহস্পতি যদি দুর্বল বা পীড়িত হয় তবে তা স্বামীর দিক থেকে দুঃখের লক্ষণ।

জন্মপত্রিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ যা বিবাহ বিচ্ছেদের লক্ষণ

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বৈবাহিক স্থিরতা ও অস্থিরতা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের বিচারের জন্য প্রধান স্থান হল ৪র্থ,৭ম, ৮ম এবং ১২তম স্থান। এছাড়াও আমাদের উপপদলগ্ন ও তার ২য় স্থান পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

৪র্থ স্থান হল পরিবারের থেকে আনন্দ। যখন ৪র্থ স্থান বা তার মালিক পীড়িত হয় তখন পরিবারে সুখের অভাব দেখা দেয়। যদি ৪র্থ স্থান শক্তিশালী হয় ও তার মালিক সঠিক স্থানে থাকেন তবে জ্যোতিষশাশ্ত্রে অন্যান্য বিবাহ বিচ্ছেদের যোগ থাকা সত্বেও তা কখনোই চূড়ান্ত পরিণাম হবে না।

৭ম স্থান হল বিবাহের প্রধান স্থান। এটা শুধু বিবাহের ক্ষেত্রে না হয়ে সবধরণের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। সুতরাং যখন ৭ম স্থান পীড়িত হয় ও তার মালিক দুর্বল হয় তাহলে এটা বোঝায় যে সেই ব্যক্তির ভাগ্যে সুখী বৈবাহিক জীবন থাকেনা। যদি সেখানে কোনো প্রতিরোধক না থাকে তবে সে বিবাহ নিয়ে ভুক্তভোগী হবে।

৮ম স্থান ব্যক্তির যৌন জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। সমস্ত স্থানের মধ্যে ৮ম স্থান হল সবচেয়ে অশুভ/ দুষ্ট স্থান। এটা জীবনের গোপন বিষয় নিয়ে বাধা বিপত্তির উদ্রেক করে। মোটের ওপর ৭ম স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় হয়ে এটা বিবাহের সমৃদ্ধির জন্য দায়ী হয়। যদি ৮ম স্থান পীড়িত হয় তখন ৮ম স্থানের মালিক ৭ম স্থান বা তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। এটা বিবাহের পক্ষে সবদিক থেকে নেতিবাচক হয়। এটা জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রধান স্থান।

১২তম স্থান যৌনকামনা তৃপ্তির স্থান বলে পরিচিত। ১২তম স্থান পীড়িত হলে যৌন জীবন দুঃখের হয় এবং যৌনজীবনের প্রতি আগ্রহের অভাব দেখা যায়।

অবশেষে আমাদের উপপদলগ্নের পরিস্থিতি দেখতে হবে। এটা হল ১২তম স্থানের অরুধা পদ। যেমন আপনি যদি বৃষলগ্ন নিয়ে জন্মান তাহলে আপনার ১২তম স্থানের মালিক হবেন মঙ্গল। যদি মঙ্গলকে কর্কটে স্থানান্তরিত করা হয় তবে তা ১২তম স্থান থেকে ৪ চিহ্ন দূরে হবে। আমরা আবার উপপদলগ্ন পাবার জন্য কর্কট থেকে ৪টে চিহ্ন গণনা করব। কর্কট থেকে ৪টে চিহ্ন যেমন তুলা হবে উপপদলগ্ন।

উপপদলগ্ন একজন ব্যক্তির সঙ্গে তার বৈবাহিক সঙ্গীর সম্পর্ক কেমন হবে তা প্রদর্শন করে। যদি শুভ ফল প্রদানকারী গ্রহগুলি উপপদলগ্নের সঙ্গে থাকে তবে তা সুখী দাম্পত্যকে সূচিত করে। জীবন সঙ্গীর চরিত্র, ধরন ও পূর্ব পরিচয় বিচারের ক্ষেত্রে উপপদলগ্নের মালিক ও তার সঙ্গে থাকা গ্রহগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। উপপদলগ্নের থেকে দ্বিতীয় স্থান বিবাহের স্থিরতা বা স্থিতিশীলতা কে প্রদর্শন করে। যদি উপপদলগ্ন থেকে দ্বিতীয় স্থানে ক্ষতিকর গ্রহ যেমন রাহু, মঙ্গল অথবা তাদের ক্ষতিকর প্রভাব থাকে তবে তা জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনাকে সূচিত করে।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ গণনার প্রাথমিক নীতি

জ্যোতিষশাশ্ত্রে অসংখ্য বিবাহবিচ্ছেদের যোগ আছে এবং তাদের সকলকে মনে রাখা খুবই কঠিন। সুতরাং আমি জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করছি।

যদি লগ্নে ৭ম স্থানের মালিক ১২তম স্থানের মালিক ও রাহুর সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তা জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যদি ১২তম স্থানের মালিক ৭ম স্থানে রাহুর সঙ্গে থাকে অথবা যদি ৭ম ও ১২তম স্থানের মালিক পারস্পরিক বিনিময়ের সম্পর্কে থাকে এবং রাহু গ্রহগুলির মধ্যে কোনো একটির সাথে যুক্ত থাকে তবে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল।

যখন মঙ্গল ও শনির রাশিতে জন্ম হয় তখন যদিশুক্র লগ্নে অধিষ্ঠান করে এবং ৭ম স্থান পীড়িত হয়, স্ত্রী সঙ্গীকে ত্যাগ করে। চন্দ্র ও শুক্রের উপস্থিতি কে বিবাহ জীবনের পক্ষে অশুভ ধরা হয়। যদি এই বিন্যাস ক্ষতিকর প্রভাব দ্বারা পীড়িত হয় তখন কোষ্ঠী তে বিচ্ছেদের প্রবল লক্ষণ দেখা যায়।

জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিচ্ছেদের অন্যতম শক্তিশালী বিন্যাস হল ৭ম স্থানে পীড়িত সূর্যের উপস্থিতি অথবা ৭ম স্থানের দুর্বল মালিকের সঙ্গে উপস্থিতি। এটা বিচ্ছেদের আরও বেশি প্রবল লক্ষণ হয় যখন শুক্র ও রাহু অথবা শনি ও রাহুও লগ্নে অবস্থান করে।

৬ষ্ঠ স্থান কোর্টে মামলা মোকদ্দমা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা কোর্টের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করতে পারি না। যখন ৬ষ্ঠ স্থানের মালিক ৭ম স্থানে থাকে বা তার বিপরীত হয় বা ৬ষ্ঠ এবং ৭ম স্থান একসঙ্গে থাকে তখন দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর বিচ্ছেদ ঘটে। ৬ষ্ঠ স্থান হল ৭ম স্থান থেকে দ্বাদশতম, সুতরাং এটি বিবাহের হানি ঘটায়। যখনই ৬ষ্ঠ স্থান বা তার মালিক বিবাহের সূচক শুক্রের সাথে যুক্ত হয়, তখন বিবাহ বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে। ৭ম স্থানেও বিভিন্ন গ্রহ যেমন মঙ্গল, রাহু, শনি, সূর্য প্রভৃতির প্রভাব থাকে। এটা লক্ষ্য করা যায় যে ৪র্থ স্থান যখন ৬ষ্ঠ বা ৪র্থ স্থানের মালিকের দ্বারা পীড়িত হয় এবং ৬ষ্ঠ স্থান সঙ্গে থাকে তখন বৈদিক জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভাবনা খুবই প্রবল।

যদি ৭ম স্থানের মালিক পীড়িত হয় এবং মঙ্গল, রাহু, সূর্য প্রভৃতি গ্রহেরা ৮ম স্থানে থাকে তাহলে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ গণনা করা যায়। যদি ৭ম স্থান পাপকর্তারী যোগের মধ্যে পড়ে তাহলেও বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যদি ৭ম পতি বক্রী হয় এবং ৮ম স্থান রাহু, মঙ্গল, সূর্য বা শনির পীড়িত হয় তখন বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে। এই বিন্যাস সঙ্গে নিয়ে শুক্রও যদি বক্রী হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়।

যদি ১২তম স্থানের মালিক ৪র্থ স্থানে থাকে অথবা ৪র্থ স্থানের মালিক যদি ৬ষ্ঠ, ৮ম বা ১২তম স্থানে থাকে, ৭ম স্থান যদি রাহু, সূর্য, শনি অথবা মঙ্গলের দ্বারা পীড়িত হয় এবং বিবাহের সূচক শুক্রও যদি দুর্বল বা পীড়িত হয় তবে কুষ্টিতে বিচ্ছেদের যোগ প্রবল।

নভমসা লগ্ন থেকে ৭ম স্থানে ক্ষতিকর প্রভাব থাকলে এবং কুষ্টিতেও বিচ্ছেদের যোগ দেখালে তখন বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী বলা যায়।

যদি রাহু–কেতু নভমসা লগ্নের ১ম–৭ম অক্ষে অবস্থান করে তাহলে এটা জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসুখী বিবাহজীবনের প্রবল যোগ থাকে। যদি নভমসায় বিবাহের সূচক দুর্বল বা পীড়িত হয় তবে আরও অশুভ ফল দেবে।

নভমসা কুষ্টিতে আমাদের নভমসা লগ্ন লক্ষ্য করতে হবে, ৭ম এবং ৮ম স্থান। যদি এইস্থান এবং তার মালিকেরা পীড়িত হয় তখন বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়ে। আমাদের নভমসা কুষ্টিতে রাশি ঘরের ৭ম স্থানের মালিকের পরিস্থিতি লক্ষ্য করতে হবে। নভমসায় শুক্র–কেতুর সংযোগ হল বিচ্ছেদের প্রবল লক্ষণ।

উপপদ লগ্ন থেকে দ্বিতীয় স্থান যদি শনি, মঙ্গল, রাহু বা কেতু প্রভৃতি ক্ষতিকর গ্রহের দ্বারা পীড়িত হয় তাহলে তা বিবাহ ভেঙে দিতে পারে। যখন উপপদলগ্ন কেতুর দ্বারা সংযুক্ত হয় এবং শুক্র ১২তম স্থানে থাকে তখন তা বিচ্ছেদ এবং দুঃখজনক বৈবাহিক জীবনকে সূচিত করে।

এই গুলি হল বৈদিক জ্যোতিষশাশ্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রধান মৌলিক নীতি। আমাদের লগ্ন, চন্দ্র এবং নভমসা থেকেও এই পরিস্থিতি গুলি লক্ষ্য করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে গুরুতর পীড়ন থাকা সত্বেও বৃহস্পতির প্রভাব বিবাহজীবন কে রক্ষা করতে পারে।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সময়

এখন জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সময় বোঝার চেষ্টা করি। ৭ম স্থানের মালিকের নিজের দশাতেই বিচ্ছেদ ঘটতে পারে, যদি এটি ৬ষ্ঠ অথবা ৮ম স্থানের সাথে যুক্ত থাকে। ৪র্থ স্থানকে পীড়িত করা গ্রহগুলির সময় কালেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে, বিশেষত যখন তারা ৬ষ্ঠ, ৮ম এবং ১২তম স্থানেরও মালিক হন। জন্মপত্রিতে বিচ্ছেদ রাহু, মঙ্গল অথবা শনির সময়কালেও ঘটতে পারে, যদি তারা ৪র্থ, ৭ম অথবা ১২তম স্থানের সাথে যুক্ত থাকে এবং বিচ্ছেদ যোগের বিন্যাস তৈরী করে।

বিবাহ বিচ্ছেদের পরে অনেক মানুষ পুনরায় বিবাহ করেন। কিন্তু সবাই দ্বিতীয় বার হলেও সুখীদাম্পত্য জীবন পাবার মতো ভাগ্যবান হননা ।পরীক্ষা করুন আপনার কুষ্টিতে ২য় বিবাহের যোগ আছে কিনা

জ্যোতিষ শাস্ত্রে কুষ্টিতে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রতিকার

গৌরী-শঙ্কর রুদ্রাক্ষ সঠিকপদ্ধতিতে রাখুন।এটা খুব কার্যকরী।

প্রতিদিন ভগবান শিব এবংমাতা পার্বতীর পূজা করুন।

বিবাহের পূর্বে কুষ্টির মিলন করানো উচিৎ

প্রতিদিন ললিতা সহস্রনামা পাঠ করা উচিৎ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180413

Thursday, April 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্ম কুন্ডলী তে জোতিষী হ ওয়ার যোগ

জন্ম কুন্ডলী তে জোতিষী হ ওয়ার  যোগ


আপনার জন্ম কুন্ডলী তে জোতিষী হ ওয়ার যোগ।

১)বুধ কেন্দ্রস্থ, পঞ্চম বা দ্বিতীয়ে অবস্থান করলে অথবা রবি ও বুধ একত্রে দ্বিতীয়ে বা পঞ্চমে অবস্থান করলে জাতক জ্যোতিষী করতে পারে।

২)কেতু লগ্ন বা পঞ্চম নামে বা কারকাংশে অবস্থান করলে তা জাতককে গনিত ও জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী করে।
৩) রবি এবং বুধ অথবা বুধ এবং শুক্রের দ্বিতীয় অবস্থান কোনও জাতককে যুক্তিপুর্ন কথাবার্তা, মিষ্টভাষী, বাকপটু এবং জ্যোতিষে পারদর্শী করে থাকে।
৪) দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা পঞ্চম বা একাদশভাবে বুধ বা শুক্র বা বৃহস্পতি বা কেতু বা পূর্ণচন্দ্রের অবস্থান বা যোগ দৃষ্টি সম্পর্ক জ্যোতিষ শাস্ত্রের আগ্রহ বা সহায়ক।
৫)বুধের কন্যা রাশিতে অবস্থান কোনও জাতককে জ্যোতিষশাস্ত্রে আগ্রহী করতে পারে।
৬)দশমপতি বুধের রাশিতে অবস্থান করলে জাতক জ্যোতিষী হতে পারে।
৭)যদি পঞ্চমপতি দ্বিতীয়ে শুভ যোগ সৃষ্টি করে অবস্থান তবে জাতক জ্যোতিষী হবেন, এবং তার ভবিষ্যত বানী সঠিকভাবে মিলবে।
৮)যদি দ্বিতীয়পতি রবি বা মঙ্গল হয়ে বৃহস্পতি ও শুক্র যুক্ত অথবা দৃষ্ট হয় তবে জাতক ভাল জ্যোতিষী পারবেন।
৯)যদি দশমপতি বুধের নবাংশে অবস্থান করে তবে জাতক জ্যোতিষ কর্মে নিযুক্ত হতে পারবেন।
১০)মিথুন রাশিতে রবির অবস্থান জ্যোতিষশাস্ত্রে আগ্রহকে নির্দেশ করে।
আবার সিংহরাশিতে চন্দ্র, বুধ দ্বারা দৃষ্ট হলেও জাতক জ্যোতিষী হতে পারবেন।
১১)যদি লগ্নপতি তৃতীয়ে অবস্থান করে, তাহলে কোনও ব্যক্তিকে বিখ্যাত জ্যোতিষী হতে পারে

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180412

Wednesday, April 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নবগ্ৰহ স্তব ও গায়িত্রী মন্ত্র

নবগ্ৰহ স্তব ও গায়িত্রী মন্ত্র

নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র দ্বারা শান্তি লাভঃ-


যারা অশুভ শক্তিকে পরাহিত করে শান্তি আনায়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। নিম্নে সাধকের জন্য বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত-

গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ।
পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।

(গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে অর্থাৎ নবগ্রহের শান্তি মানে আমাদের শান্তি)।

নবগ্রহ স্তব বিধি

নব গ্রহস্তোত্রম্‌
জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্‌।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্‌।।

দিব্যশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণব সম্ভবম্‌।
নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুট ভূষণম।।

ধরণীগর্ভসম্ভুতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম।
কুমারং শক্তিহস্তষ্ণ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম।।

প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম্‌।
সৌম্যং সর্বগুণোপেতং নমামি শশিনঃ সুতম্‌।।

দেবতানামৃষীণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্‌।
বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্‌।।

হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্‌।
সর্বশাস্ত্র প্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্‌।।

নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং মহাগ্রহম্‌।
ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্‌।।

অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দ্দকম্‌।
সিংহিকায়াঃ সূতং রৌদ্রং ত্বং রাহুং প্রণমাম্যহম্‌।।

পলালধুমসঙ্কাশং তারাগ্রহবিমর্দ্দকম্‌।
রৌদ্রং রুদ্রাত্মকং ক্রুরং তং কেতুং প্রণমাম্যহম্‌।।

নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র

(১) রবি (সূর্য) গ্রহ- ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
(২) সোম (চন্দ্র) গ্রহ- ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৩) মঙ্গল গ্রহ- ওঁ অঙ্গরকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
(৪) বুধ গ্রহ- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
(৫) বৃহস্পতি গ্রহ- ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
(৬) শুক্র গ্রহ- ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৭) শনি গ্রহ- ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
(৮) রাহু গ্রহ- ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
(৯) কেতু গ্রহ- ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
VISIT WITH ME:www.apnc.co.in

ASTRO Palmist Neumerology Center
@astropalmist1



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180411

Monday, April 9th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মঙ্গল গ্ৰহ

মঙ্গল গ্ৰহ

শুভ অপরান্থ

মঙ্গল (গ্রহ)

সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ। পৃথিবী থেকে অনেকটা লাল দেখানোর কারণে এর অপর নাম হচ্ছে লাল গ্রহ। মঙ্গল সৌর জগতের শেষ পার্থিব গ্রহ। অর্থাৎ এরও পৃথিবীর মত ভূ-ত্বক রয়েছে। এর অতি ক্ষীণ বায়ুমণ্ডল রয়েছে, এর ভূ-ত্বকে রয়েছে চাঁদের মত অসংখ্য খাদ, আর পৃথিবীর মত আগ্নেয়গিরি, মরুভূমিএবং মেরুদেশীয় বরফ। সৌর জগতের সর্ববৃহৎ পাহাড় এই গ্রহে অবস্থিত। এর নাম অলিম্পাস মন্‌স। সর্ববৃহৎ গভীর গিরিখাতটিও এই গ্রহে যার নাম ভ্যালিস মেরিনারিস। মঙ্গলের ঘূর্ণন কাল এবং ঋতু পরিবর্তনও অনেকটা পৃথিবীর মত।

হাবল মহাকাশ দূরবীন থেকে দেখা মঙ্গল

বিবরণবিশেষণমঙ্গলীয়কক্ষপথের বৈশিষ্ট্যযুগ জে২০০০[১]অপসূর২৪৯,২২৮,৭৩০ কিমি (১৫৪.৮৬৩,৫৫৩ মাইল)
১.৬৬৫ ৯৯১ ১৬ এইউঅনুসূর২০৬,৬৪৪,৫৪৫ কিমি (১২৮,৪০২,৯৬৭ mi)
১.৩৮১ ৩৩৩ ৪৬ এইউঅর্ধ-মুখ্য অক্ষ২২৭,৯৩৬,৬৩৭ কিমি(১৪১,৬৩২,৯৭৬ মাইল)
১.৫২৩ ৬৬২ ৩১ এইউউৎকেন্দ্রিকতা০.০৯৩ ৪১২ ৩৩যুতিকাল৭৭৯.৯৬ দিন
(২.১৩৫ বছর)গড় কক্ষীয় দ্রুতি২৪.০৭৭ কিমি/সে
(৫৩,৮৫৯ মাইল/ঘ)নতি১.৮৫০ ৬১°
(সৌর বিষুবের সাথে ৫.৬৫°)উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমা৪৯.৫৭৮ ৫৪°উপগ্রহসমূহ২ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহবিষুবীয় ব্যাসার্ধ্য৩৪০২.৫ কিমি (২১১৪.২ মাইল)
(পৃথিবীর ০.৫৩৩ গুণ)মেরু ব্যাসার্ধ্য৩৩৭৭.৪ কিমি (২০৯৮.৬ mi)
(পৃথিবীর ০.৫৩৩ গুণ)পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল১.৪৪৮×১০৮ কিমি²)
৫৫,৯০৭,০০০ বর্গমাইল (১৪৪ ৭৯৮ ৪৬৫ বর্গকিমি)
(পৃথিবীর ০.২৮৪ গুণ)আয়তন১.৬৩১৮×১০১১ কিমি³
(পৃথিবীর ০.১৫১ গুণ)ভর৬.৪১৮৫×১০২৩ কেজি
(পৃথিবীর ০.১০৭ গুণ)গড় ঘনত্ব৩.৯৩৪ গ্রাম/সেমি³বিষুবীয় পৃষ্ঠের অভিকর্ষ৩.৬৯ মি/সে২
(০.৩৭৬g)মুক্তি বেগ৫.০২৭ কিমি/সে (১১,২৪৫ মাইল/ঘ)বিষুবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণন বেগ৮৬৮.২২ কিমি/ঘ (৫৩৯.৪৯ মাইল/ঘ)অক্ষীয় ঢাল২৫.১৯°উত্তর মেরুর বিষুবাংশ৩১৭.৬৮১ ৪৩°
(২১ ঘ ১০ মিন ৪৪ সে)উত্তর মেরুর বিষুবলম্ব৫২.৮৮৬ ৫০°প্রতিফলন অনুপাত০.১৫পৃষ্ঠের তাপমাত্রান্যূনমধ্যকসর্বোচ্চসেলসিয়াস−১১৩ °সে−২৫ °সে৭.৩ °সেবায়ুমণ্ডলপৃষ্ঠের চাপ০.৭–০.৯ কিলো প্যাসকেলগঠন৯৫.৭২% কার্বন ডাই অক্সাইড
২.৭% নাইট্রোজেন
১.৬% আর্গন
০.২% অক্সিজেন
০.০৭% কার্বন মনোক্সাইড
০.০৩% পানি বাষ্প
০.০১% নাইট্রিক অক্সাইড
২.৫ পিপিএম নিয়ন
৩০০ পিপিবি ক্রিপ্টন
১৩০ পিপিবি ফরমালডিহাইড
৮০ পিপিবি জেনন
৩০ পিপিবি ওজোন
১০ পিপিবি মিথেন

১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪ মহাকাশযান প্রথমবারের মত মঙ্গল গ্রহ অভিযানে যায়। এই অভিযানের পর থেকে অনেকেই ধারণা করে আসছিলেন যে মঙ্গলে তরল জলের অস্তিত্ব আছে। মঙ্গল থেকে পাওয়া আলো এবং আঁধারের তরঙ্গের মধ্যে পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণা করা হয়। বিশেষত মঙ্গলের মেরু অঞ্চল থেকে এ ধরণের পরিবর্তন চোখে পড়ে, যা মহাসাগর বা জলাশয়ের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই গ্রহণ করেছি।

মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি মজার তথ‍্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গলগ্রহ নিয়ে আমাদের আগ্রহের যেনো শেষ নেই। মঙ্গলগ্রহ কেমন, মঙ্গলগ্রহে কি কি রয়েছে বা মঙ্গলগ্রহ নিয়ে এ যাবত কী কী গবেষণা হয়েছে, এমন নানা তথ্য জানার জন্য আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। আজ জেনে নিন মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি মজার তথ্য

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় চলছে মঙ্গলগ্রহে মানব অভিযান নিয়ে নানা আয়োজন। আগামী এক দশকের মধ্যেই মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠাতে তৎপরতা চালাচ্ছে এই সংস্থাটি।

সম্প্রতি মঙ্গল অভিযানে যে গাড়ি ব্যবহার করা হবে, সেটি জনসমক্ষে প্রদর্শনীর জন্য নেওয়া হয় নিউইয়র্কের সি-এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল গ্রহে প্রথম পা রাখতে চলেছেন যে ব্যক্তি, তিনি ইতিমধ্যেই আমাদের মাঝে জন্মগ্রহণও করেছেন। তার বয়স এখন ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। সুতরাং তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ এই লাল গ্রহের প্রতি একটু বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।

আজ জেনে নিন মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য- যেগুলো আরেক অর্থে বিস্ময়করও বটে।

# মঙ্গলগ্রহে অবস্থিত সৌরজগতের সর্ববৃহৎ পর্বত। এই পর্বতটির নাম অলিম্পাস মন্স, এর উচ্চতা ২১ কিলোমিটার। পৃথিবীর মতোই মঙ্গলগ্রহেও রয়েছে ম্যাগনেটিক ফিল্ড।

# সৌরজগতের দ্বিতীয় এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ হলো মঙ্গল। ব্যাসার্ধের দিক দিয়ে এই গ্রহটি পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক সমান। তবে পৃথিবীর ভূ-ত্বকের ৭০ শতাংশই জলাবদ্ধ থাকার কারণে এর ভূ-খণ্ডের পরিমাণ প্রায় পৃথিবীর সমান।

# মঙ্গলগ্রহের ইংরেজি নাম ‘মার্স’ শব্দটি এসেছে রোমান মাইথলজির যুদ্ধের দেবতার নাম হতে। ইতিপূর্বে জ্যোতির্বিদরা মঙ্গলগ্রহকে লাল গ্রহ বলেই ডাকতেন। মঙ্গলগ্রহের দু’টি উপগ্রহ ফোবোস এবং ডেইমোস। জোনাথন সুইফটের গালিভারস্‌ ট্রাভেলস্‌ বইতে নাম দু’টির প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলগ্রহের উপগ্রহ আবিষ্কারের ১৫১ বছর পূর্বেই গালিভারস্‌ ট্রাভেলস্‌ বইটি রচিত হয়।

# পৃথিবীর হিসাব মতে ৬৮৭ দিনে মঙ্গলগ্রহ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেও ঋতুবৈচিত্র্যের দেখা মেলে। কিন্তু মঙ্গলের একটি ঋতু পৃথিবীর তুলনায় দ্বিগুণ সময় স্থায়ী হয়।

# মঙ্গলগ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ। অর্থাৎ পৃথিবীতে কারও ওজন যদি হয় ১০০ কেজি, মঙ্গলগ্রহে তা দাঁড়াবে ৩৮ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় অন্তত ৩ গুণ বেশি উচ্চতায় লাফানো যায় মঙ্গলগ্রহে।

# মঙ্গলগ্রহে বায়ুমণ্ডল রয়েছে পৃথিবীর মতোই, রয়েছে পাহাড়, উপত্যকা, মরুভূমি এবং মেরুদেশীয় বরফও! পৃথিবী হতে সূর্যের যে আকৃতি দেখা যায়, মঙ্গলগ্রহ হতে তার অর্ধেক দেখায়।

# মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথ ডিম্বাকৃতির হওয়ায় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে পুরো গ্রহে শক্তিশালী বালুঝড় তৈরি হয়ে থাকে। কখনওবা এই ঝড় একমাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা

জোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী মঙ্গল গ্ৰহ : একে লাল গ্ৰহ বলা হয়।মঙ্গল মেষ ও বৃশ্চিক রাশির অধিপতি।এর মিত্র গ্ৰহ:রবি, চন্দ্র ও বৃহস্পতি।শত্রুগ্ৰহ:বুধ এবং সম শুক্র ওশনি।
মঙ্গল, ভাতৃকারক গ্ৰহ।বীর্য,সাহস,পরাক্রম, ভূমি,সম্পত্তি, গৃহ,অগ্নি, ও পিত্ত ইত‍্যাদি দেখাশোনা করে।মঙ্গলের তুঙ্গক্ষেত্র : মকর রাশির (০-২৮ ডিগ্ৰি)
নিম্মক্ষেত্র : কর্কট রাশির (০-২৮ ডিগ্ৰি )এবং মূল ত্রিকোণ ক্ষেত্র : (০-১২ ডিগ্ৰি )।মঙ্গল অবস্থিত রাশি থেকে চতুর্থে,সপ্তমে ও অষ্টমে পূর্ণদৃষ্টি দেয়।পঞ্চমে ওনবমে দ্বিপাদ দৃষ্টি।তৃতীয় ও দশমে একপাদ দৃষ্টি দেয়।মঙ্গলের শুভ বর্ণ: লাল,শুভ সংখ‍্যা ৯,অশুড সংখ্যা ৫শুভ দিক পশ্চিম। মঙ্গলের ইষ্টদেবী মা বগলা।
মঙ্গলের বীজমন্ত্র : ঔঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায়
মঙ্গল গ্ৰহের রাশিচক্রে অবস্থান হেতু জাতক বা জাতিকা মাঙ্গলিক বলে বিবেচিত হয়‌

মঙ্গলের প্রভাবে কী কী ক্ষতি হতে পারে -

* বিবাহিত জীবনে অশান্তি * মাঝেমধ্যে মাঙ্গলিক ব্যক্তি এমন আচরণ করতে পারেন, যার অর্থ তিনি নিজেই পরে খুঁজে পাবেন না। * প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা * কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সমস্যা * প্রজননে অক্ষমতা * মহিলাদের ঋতু সমস্যা * ভাই-এর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি * দুর্ঘটনা * রক্ত জনিত অসুখ * সম্পত্তির ক্ষতি

তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর নিদানও রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে বিশ্বাস করেন, তাহলে কোনও ভালো জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। এছাড়াও বিয়ের আগে মাঙ্গলিক পাত্র বা পাত্রীর যদি বিষ্ণুমুর্তি, গাছ বা অন্য কিছুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভৌম দোষ কেটে যায়। খোদ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন মাঙ্গলিক হওয়ায় অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগে তাঁকেও একটি গাছের সঙ্গে আগে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

জ্যোতিষ মতে ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক দশা বা মঙ্গলের প্রভাব বিবাহিত জীবন পুরো শেষ করে ফেলতে পারে। বিয়ের পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে যে কোনও একজনের ভৌম দোষ থাকলে বিয়ের আগে তা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একজন মাঙ্গলিক হলে আরেকজনের জীবন হানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সম্পর্কে অবনতি থেকে ডিভোর্স হওয়াও বিচিত্র নয়।

মঙ্গলের প্রভাবের ফলে আর সমস্যা হতে পারে, তা হল-

* আগুপিছু না ভেবে এমন কাজ করা, যার জন্য পরে অনুশোচনা হবে।
* প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা
* নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই সমস্যা
* যৌন অক্ষমতা
* ভাইয়ের সঙ্গে গুরুতর মনোমালিন্য
* দুর্ঘটনা
* রক্তজনিত অসুখ
* সম্পত্তিহানি

মঙ্গল দশা বা মাঙ্গলিক দশার কথা অল্প-বিস্তর জানেন সবাই। একে কুজ দশা, ভোম দশা বা অঙ্গরাখা দশাও বলা হয়। জন্মকুণ্ডলীর প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের মধ্যে যে কোনও একটিতে যদি মঙ্গল অবস্থান করে তবে সেই জাতক বা জাতিকাকে মাঙ্গলিক বলা হয়। এই দশা থাকলে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল হয়।

এছাড়া বলা হয় স্ত্রী যদি মাঙ্গলিক হন তবে স্বামীর পেশাগত জীবনে অবনতির সম্ভাবনা থাকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বামীর মৃত্যুও হতে পারে। তাছাড়া মঙ্গল দশার জন্য প্রবল অর্থক্ষয় হয় এবং জীবনে উন্নতির পথে বার বার বাধা আসতে থাকে।

এই দশা কাটানোর একাধিক উপায় রয়েছে—

১. যদি দু’জন মাঙ্গলিকের মধ্যে বিবাহ হয়, তবে দু’জনেরই এই দশা কেটে যায়।

২. কুম্ভবিবাহ নামের একটি রীতির মাধ্যমে বিয়ের আগে কাটানো হয় মঙ্গল দশা। এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে হয় একটি কলাগাছ বা পিপুল গাছ অথবা ভগবান বিষ্ণুর একটি স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

৩. নিয়ম করে প্রতি মঙ্গলবার উপবাস রাখলে এবং শুধুমাত্র অড়হর ডাল সেবন করলে আস্তে আস্তে কেটে যায় এই দশা।

৪. প্রতি মঙ্গলবার নবগ্রহ মন্ত্র উচ্চারণ করলে এই দোষ কেটে যায়। আবার প্রতিদিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে বা প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করলেও কেটে যায় মঙ্গল দশা।

৫. নবগ্রহ মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দিলে কেটে যায় মঙ্গল দশা। কিন্তু নবগ্রহ মন্দিরের সংখ্যা একেবারেই হাতে-গোনা। মঙ্গলদেবের জন্য নির্দিষ্ট মন্দির রয়েছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় এবং গুয়াহাটিতে। তাই পরিবর্তে প্রতি মঙ্গলবার শ্রীহনুমান মন্দিরে সিঁদুর ও মিষ্টি সহকারে পুজো দেওয়া ভাল। সঙ্গে জ্বালতে হবে একটি ঘিয়ের প্রদীপ।

৬. মঙ্গলবার দানধ্যান করলেও তুষ্ট হন মঙ্গলদেব। এছাড়া তলোয়ার, ছুরি, মুসুর ডাল, লাল সিল্ক, রক্তপ্রবাল ইত্যাদি লাল বস্তু নিবেদন করলেও সন্তুষ্ট হন তিনি।

৭. যাদের মঙ্গল দশা থাকে তাদের সাধারণত জ্যোতিষমতে রক্তপ্রবাল ধারণ করতে বলা হয়। তবে কোনও জ্যোতিষশাস্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও কিছু ধারণ করা উচিত নয়।
৮) প্রত‍্যহ স্নান করে লাল বস্ত্র পরে মঙ্গল ও তার ইষ্টদেবী
মা বগলামুখীর ১০৮বার করে জপ করলে এই দোষ প্রসমিত হয়।
ক)মঙ্গলের বীজমন্ত্র :ঔঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায় ।
খ)মা বগলামুখীর বীজমন্ত্র: ঔঁ হ্রীং ক্লীং ঔঁ বগলামু্খ‍্যৈ নমঃ ।

মন্ত্র – ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা – ৮০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা – বগলামুখী।
ধারণরত্ন – প্রবাল, ধূপ – দেবদারু, বার – মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় – সকাল ৯-১২ টা পর্যন্ত।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180409

Sunday, April 8th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দ্বাদশ রাশির বৈশিষ্ট্য ও শুভ গ্ৰহ রত্ন

দ্বাদশ রাশির বৈশিষ্ট্য ও শুভ গ্ৰহ রত্ন


আজ আমি দ্বাদশ রাশির বৈশিষ্ট্য ও শুভ গ্ৰহরত্ন নিয়ে আলোচনা করলাম।
মেষ রাশি (Zodiac Aries)

যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম ইংরেজি March 21- April 20 অথবা বাংলা চৈত্র ৮ থেকে বৈশাখ ৭ তারিখের মধ্যে তাদের মেষ রাশি। মেষ রাশি মঙ্গলগ্রহের জাতক। জয়ের নেশায় প্রাণান্ত লড়াই করা মেষ জাতকের স্বভাব। মেষ জাতক-জাতিকার মধ্যে সাহস, ব্যক্তিত্ব ও তেজস্বী মনোভাবের প্রাবল্য থাকে। মেষ রাশির জন্মকালে মঙ্গল, রবি, বৃহস্পতি ও বুধ অনুকূল থাকলে তা জীবন সংগ্রামে সাফল্য আনতে বিশেষ সহায়তা করে। সব কাজে এরা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এদের জীবনীশক্তি অত্যধিক।

রং : সবুজ,

শুভ সংখ্যা : ১৯

অধিপতি গ্রহঃ মঙ্গল

শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Red Coral Stone রক্ত প্রবাল পাথর

বৃষ রাশি (Zodiac Taurus)

আপনার জন্ম তারিখ যদি ইংরেজি এপ্রিল ২১ থেকে মে ২১ তারিখ অথবা বাংলা সনের বৈশাখ ৮ থেকে জ্যৈষ্ঠ ৭ এর মধ্যে হয় তাহলে আপনার বৃষ রাশি। বৃষ রাশির মধ্যে রয়েছে এক অনমনীয় দৃঢ়তা অথচ তাদের মধ্যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা ও আনন্দ উপভোগের অভিলাষও কম নয়। এরা সাধারণত ধীরস্থির, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সুশৃঙ্খল এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এরা যে কাজে নিযুক্ত হয় সে কাজে সাফল্য লাভের তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে। নতুন বছর বছরের আগাগোড়াই স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো যাবে। অবিবাহিতদের হঠাত্ বিয়ের যোগ, নতুন কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে। বিপরীত লিঙ্গের কেউ সুন্দর বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারে। ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বৈদেশিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা এ বছর সাফল্যের মুখ দেখবে।

শুভ রং নীলা

শুভ সংখাঃ ৪

অধিপতি গ্রহঃ শুক্র

শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Diamon (হীরা), Zircon (জারকন), Turquoise (ফিরোজা), Emerald (পান্না)

মিথুন রাশি (Zodiac Gemini)

আপনার জন্ম তারিখ যদি ইংরেজি মে মাসের ২২ থেকে জুন মাসের ২১ তারিখ অথবা বাংলা জ্যৈষ্ঠ ৮ থেকে আষাঢ় ৭ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি মিথুন রাশির জাতক অথবা জাতিকা। মিথুন রাশি বুধ গ্রহের জাতক। বড় রহস্যপূর্ণ এই রাশি। দ্বৈততা এদের চরিত্রে প্রকট। বৈচিত্র্যপ্রিয় এই রাশির পুরুষ জাতকের যেমন রয়েছে দৃঢ়তা, কর্মশক্তি ও উত্পাদন শক্তি, তেমনি জাতিকার রয়েছে নারীসুলভ মমতা, নম্রতা, ভালোবাসা এবং স্নেহ। এদের বুদ্ধি খুব তীক্ষ হয়ে থাকে। সৃজনশীল কাজ, শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য এবং অভিনয়ে এদের যোগ্যতা থাকে। এদের মধ্যে উদারতা, পর দুঃখকাতরতা এবং দৈবানুভূতি প্রবল হয়। একই সঙ্গে দুটো কাজে লেগে থাকা মিথুনের আরেকটি স্বভাব। নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসীও এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

শুভ রং লাল

শুভ সংখাঃ ৭

অধিপতি গ্রহ বুধ

শুভ রাশি রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire Stone (পোখরাজ পাথর) ও Emerald Stone (পান্না পাথর)

কর্কট রাশি (Zodiac Cancer)

ইংরেজি জুন ২২ থেকে জুলাই ২২ তারিখ অথবা বাংলা আষাঢ় ৮ থেকে শ্রাবণ ৭ এর মধ্যে যাদের জন্ম তাদের সকলের কর্কট রাশি। কর্কট চন্দ্রগ্রহের জাতক। এটি জল রাশি এবং এর অর্থ কাঁকড়া। এ রাশির জাতক-জাতিকারা ঘরমুখী, সংবেদনশীল, আত্মকেন্দ্রিক ও খেয়ালি স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত কল্পনা ও আবেগপ্রবণ। এরা নিজের মনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আনন্দের নেশা এদের মধ্যে যেমন প্রবল হয়, তেমনি মাঝে মধ্যেই বিষন্নও হয়ে ওঠে। অন্যের জন্য কিছু করলেও প্রতিদানে খুব একটা পায় না তারা। পরোপকারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এদের স্মৃতিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ।

শুভ রঙ সাদা

শুভ সংখ্যাঃ ২

অধিপতি গ্রহঃ চন্দ্র

উপকারী রত্নঃ Red Coral Stone (রক্ত প্রবাল পাথর) ও Pearl Stone (মুক্তা পাথর)

সিংহরাশি (Zodiac Leo)

যে সকল জাতক জাতিকারা জুলাই ২৩ থেকে অগাস্ট ২৩০ অথবা বাংলা তারিখ শ্রাবন ৮ থেকে ভাদ্র ৮ এর মধ্যে জন্ম তাদের সিংহ রাশি। এদের মধ্যে রাজকীয় ভাব বিদ্যমান। এদের আভিজাত্যের প্রতি মোহ থাকে। এরা উদার, দৃঢ়সংকল্প এবং নেতৃত্বশক্তির অধিকারী হয়। ঈষৎ গর্বিত, আগ্রহী এবং অন্যদের আকর্ষণ করানোর ক্ষমতা এদের প্রবল। বিশৃঙ্খলা একেবারেই ভালোবাসে না এরা। সবার জন্য নিজের স্নেহপ্রীতি, ভালোবাসা উজাড় করে দেয়। নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর তীব্র আস্থা থাকে, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়। অনেক সময় প্রতিহিংসাপরায়ণ ও জেদের বশবর্তী হয়ে ট্র্যাজেডির শিকার হয়।

শুভ রং হলুদ।

শুভ সংখ্যা ৮।

অধিপতি গ্রহঃ রবি

শুভ রাশি রত্নঃ Ruby Stone (রত্ন পাথর রুবি)

কন্যা রাশি (Zodiac Virgo)

আপনি যদি ইংরেজি আগস্ট মাসের ২৪ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ অথবা বাংলা সনের ভাদ্র ৯ থেকে আশ্বিন ৮ তারিখের মধ্যে জন্ম গ্রহন করে থাকেন তাহলে আপনি কন্যা রাশির জাতক অথবা জাতিকা। কন্যা রাশি বুধ গ্রহের জাতক। যে কন্যা রাশির জাতিকা কুমারী তাকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। এ জাতিকা সাধারণত সরলতার কারনের আশেপাশের সকলের মাঝে বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে। পবিত্রতা এবং সরলতা ছাড়াও এ রাশির জাতক জাতিকারা উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে এবং যে কোন কাজের শক্তি তারা এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই পেয়ে থাকে। তবে এদের মাঝে আবেগ দিয়ে কাজ করার প্রবনতা বেশী দেখা যায় বলে এর যে কোন কিছুতে হুট করে অভিমান করে ফেলতে পারে। বাস্তবতার থেকে এরা আবেগকে বেশী গুরুত্ত দেয় বলে এরা কারো কোন খারাপ কথা বা সমালোচনা মেনে নিতে পারেনা। ধরুন কেও একজন সকাল সকাল কোন কন্যা রাশির জাতক বা জাতিকাকে একটু সমালোচনা করেছে। ফলে এই বিষয়টি সারাদিন ঐ মানুষটিকে মানুষিক যন্ত্রণা দেবে। এরা সুন্দর জিনিসটি ভালো বোঝে, ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমন করা এদের পছন্দের।

শুভ রঙ বাদামী
শুভ সংখ্যাঃ ৪

অধিপতি গ্রহঃ বুধ

উপকারী রত্ন পাথরঃ Emerald Stone (রাশি রত্ন পাথর পান্না)

তুলারাশি (Zodiac Libra)

তুলা রাশির জাতক জাতিকারা ইংরেজি সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে অক্টোবর ২৩ অথবা বাংলা মাসের আশ্বিন ৯ থেকে কার্তিক ৮ তারিখের মধ্যে জন্ম গ্রহন করেছে তাদের সকলের তুলা রাশি (Libra) এ রাশির জাতক-জাতিকার বিচার-বিশ্লেষণ ও লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা প্রবল। এরা ভারসাম্যপূর্ণ, সুহূদয় ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। জাতকের আনন্দের নেশা ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ প্রবল। ভোগবিলাসে এদের সুরুচির প্রকাশ ঘটে থাকে। ন্যায়সঙ্গত মতপ্রকাশে পশ্চাৎপদ হয় না।

শুভ রং হলুদ

শুভ সংখাঃ ৯

অধিপতি গ্রহঃ বুধ ও শুক্র

উপকারী রত্নঃ পান্না পাথর (Emerald Stone) হীরা (Diamond) ও জারকন (Zircon)

বৃশ্চিক রাশি (Zodiac Scorpio)

বৃশ্চিক রাশির জাতক অথবা জাতিকা হতে হলে অবশ্যই আপনাকে অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখ থেকে নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ অথবা বাংলা কার্তিক মাসের ৯ তারিখ থেকে অগ্রহায়ন ৮ এর মধ্যে জন্ম গ্রহন করতে হবে। রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, শাসকগ্রহ মঙ্গল। এ রাশির জাতক-জাতিকারা কাজপাগল, ইচ্ছাশক্তি প্রবল, প্রয়োজনে বিদ্যুৎগতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যের দোষ ধরতে পারদর্শী, পান থেকে চুন খসলে তিক্ত কথা শুনিয়ে দিতে পশ্চাৎপদ হয় না। এরা স্বাধীনপ্রিয় ও দূরদর্শী, বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে একটু একটু করে লক্ষ্যে পৌঁছায়। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘদিন মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে।

শুভ রং লাল

শুভ সংখাঃ ৩

অধিপতি গ্রহঃ মঙ্গল

উপকারী রত্ন পাথরঃ রক্ত প্রবাল পাথর (Red Coral Stone)

ধনু রাশি (Zodiac Sagittarius)

ইংরেজি মাস নভেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ২১ তারিখ অথবা বাংলা মাস অগ্রহায়ণ ৯ থেকে পৌষ মাসের ৭ তারিখ এর মধ্যে যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম তাদের ধনু রাশি (Sagittarius) ধনু রাশি বৃহস্পতি গ্রহের জাতক। এরা সত্যবাদী, আবেগী, প্রখর আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন এবং অন্যায় সহ্য করে না। অন্যরা সহজেই এদের ভুল বোঝে। এরা খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি বেশি লক্ষ্য করে। অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য শত্রু সৃষ্টি হয়। লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজে ব্রতী হয়। সমাজসেবায় সুনাম লাভ করে থাকে। গুরু, শিক্ষক ও উপদেষ্টার ভাব প্রবল এদের মধ্যে।

শুভ রং নীল

শুভ সংখ্যাঃ ৯

অধিপতি গ্রহঃ বৃহস্পতি

শুভ রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire Stone (পোখরাজ পাথর)

মকর রাশি (Zodiac Capricon)

যে সকল জাতক জাতিকাদের জন ইংরেজি ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ থেকে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ অথবা বাংলা সনের পৌষ মাসের ৮ তারিখ থেকে মাঘ মাসের ৭ তারিখের মধ্যে জন্ম তারা মকর রাশি (Capricon)। Dec 21-Jan 20) এরা শনিগ্রহের জাতক। ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণুতার প্রতীক মকর জাতক-জাতিকা। এদের অন্তর্দৃষ্টি তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা যোগ্য দেখাতে পারে। কর্তব্য, প্রেম ও সামাজিকতার ব্যাপারে সাধারণ থেকে একটু স্বতন্ত্র হয়। দায়িত্বজ্ঞান, সময়জ্ঞান ও নিয়মনিষ্ঠা প্রবল হয়ে থাকে।

শুভ রং সাদা

শুভ সংখ্যা ১২

অধিপতি গ্রহঃ শনি

শুভ রত্ন পাথরঃ Blue Sapphire Stone (রত্ন পাথর ইন্দ্র নীলা)

কুম্ভ রাশি (Zodiac Aquarius)

যে মানুষ গুলো ইংরেজি জানুয়ারি ২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮ অথবা বাংলা মাঘ ৮ থেকে ফাল্গুন ৬ তারিখে মধ্যে জন্ম গ্রহন করেন তাদের কুম্ভ রাশির (Aquarius) জাতক অথবা জাতিকা। এরা নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে থাকে। এদের আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়। এরা নিষ্ঠাবান, মানবপ্রেমী, সংবেদনশীল, আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয়। জনপ্রিয় হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কম হয়ে থাকে। ভোগ ও ত্যাগ দুই ব্যাপারেই বিশেষভাবে পারদর্শী। অত্যন্ত আরামপ্রিয় ও কিছুটা অবাস্তববাদিতার জন্য সাফল্যে বাধা আসে। ভাবপ্রবণতাকে প্রশ্রয় দিলে এদের জীবন নিরাশপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

শুভ রঙ সবুজ

শুভ সংখ্যাঃ ৮

অধিপতি গ্রহঃ শনি

উপকারী রত্নঃ Blue Sapphire Stone (ইন্দ্র নীলা পাথর) ও Garnet Stone (গোমেদ পাথর)।

মীনরাশি (Zodiac Pisces)

ইংরেজি মাস ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চ ২০ তারিখ অথবা বাংলা মাস ফাল্গুন ৭ থেকে চৈত্র ৭ তারিখের মধ্যে যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম তাদের মীন রাশি। রাশি বলয়ের সর্বশেষ রাশি মীন, গ্রহ বৃহস্পতি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা তীব্র কৌতূহলী এবং জীবনকে দেখে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে। সহানুভূতি ও ক্ষমা এদের বিশেষ গুণ। প্রেম ও ধর্মের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে। মানুষের মন ও চিন্তাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে।

শুভ রং নীলা

শুভ সংখ্যাঃ ৪

অধিপতি গ্রহঃ বৃহস্পতি

উপকারী রত্ন পাথরঃ Yellow Sapphire (পোখরাজ পাথর)

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180408

Saturday, April 7th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

চন্দ্র (উপগ্ৰহ)

চন্দ্র (উপগ্ৰহ)


চন্দ্র

পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ।

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার ( প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রিয় আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।

পৃথিবীতে অবস্থানকারী পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে চাঁদ

বিবরণবিশেষণচন্দ্রীয়কক্ষপথের বৈশিষ্ট্যঅর্ধ-মুখ্য অক্ষ৩৮৪,৩৯৯ কিমি (0.00257 জ্যোএ)উৎকেন্দ্রিকতা০.০৫৪৯গড় কক্ষীয় দ্রুতি১.০২২ কিমি/সে (২২৮৬ মাপ্রঘ)নতিভূ-কক্ষের সাথে ৫.১৪৫°
(পৃথিবীর বিষুবের সাথে ১৮.২৯° এবং ২৮.৫৮° -এর মধ্যে)উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমাপশ্চাদপসরমান,
১৮.৬ বছরে একবার আবর্তনযার উপগ্রহপৃথিবীভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহগড় ব্যাসার্ধ১,৭৩৭.১০৩ কিমি (পৃথিবীর ০.২৭৩ গুণ)বিষুবীয় ব্যাসার্ধ্য১,৭৩৮.১৪ কিমি (পৃথিবীর ০.২৭৩ গুণ)মেরু ব্যাসার্ধ্য১,৭৩৬.০ কিমি (পৃথিবীর ০.২৭৩ গুণ)পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল৩.৭৯৩×১০৭ কিমি² (পৃথিবীর ০.০৭৪ গুণ)আয়তন২.১৯৫৮×১০১০ কিমি³ (পৃথিবীর ০.০২০ গুণ)ভর৭.৩৪২×১০২২ কেজি (পৃথিবীর ০.০১২৩ গুণ)গড় ঘনত্ব৩,৩৪৩.০ কেজি/মি৩বিষুবীয় পৃষ্ঠের অভিকর্ষ
১.৬২ মি/সে২(০.১৬৫৪ জি)মুক্তি বেগ২.৩৮ কিমি/সে (৫৩২৪ মাপ্রঘ)নাক্ষত্রিক ঘূর্ণনকাল
২৭.৩২১ ৫৮২ দিন (সঙ্কালিক)বিষুবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণন বেগ
৪.৬২৭ মি/সে (১০.৩৪৯ মাপ্রঘ)অক্ষীয় ঢালভূ-কক্ষের সাথে ১.৫৪২৪°প্রতিফলন অনুপাত০.১২পৃষ্ঠের তাপমাত্রান্যূনমধ্যকসর্বোচ্চবিষুব১০০ কে২২০ কে৩৯০ কে৮৫°উ৭০ কে১৩০ কে২৩০ কেআপাত মান−১২.৭৪ পর্যন্তকৌণিক ব্যাস২৯′ থেকে ৩৩′বায়ুমণ্ডল

বেরিকেন্দ্র নামে পরিচিত একটি সাধারণ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবী এবং চন্দ্রের ঘূর্ণনের ফলে যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য যে পরিমাণ শক্তি শোষিত হয় তার কারণে বেরিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবী-চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তাতে বিভব শক্তি কমে যায়। এর কারণে এই দুইটি জ্যোতিষ্কের মধ্যে দূরত্ব প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে বেড়ে যায়। যতদিন না পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার উপর চাঁদের প্রভাব সম্পূর্ণ প্রশমিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চাঁদ দূরে সরে যেতেই থাকবে এবং যেদিন প্রশমনটি ঘটবে সেদিনই চাঁদের কক্ষপথ স্থিরতা পাবে।

চাঁদের দূর পার্শ্বের খাদ

চাঁদের উৎপত্তি ও পরিবর্ধন বলতে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদের গঠন সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যাখ্যাকে বুঝানো হয়। এই সম্পর্কিত তত্ত্বের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যটি হল জায়ান্ট-ইম্প্যাক্ট তত্ত্ব।[১][২]এটি নিয়ে এখনও ব্যাপক গবেষণা চলছে এবং একাধিক ভিন্ন অভিমত রয়েছে।[১] অন্যান্য প্রস্তাবিত তত্ত্বের মধ্যে রয়েছে ফিশন, গঠন একত্রীক্করণ (ঘনীভবন তত্ত্ব), গ্রহাণু তত্ত্ব এবং মহাকাশীয় সংঘর্ষ তত্ত্ব।[৩] আদর্শ দৈত্যাকার সংঘর্ষ তত্ত্বমতে মঙ্গল গ্রহের সমান আকৃতির থিইয়া পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীকে ঘিরে একটি ডেবরিস বলয়ে তৈরি হয়। যা পরবর্তীতে চাঁদ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। চাঁদের অক্সিজেন আইসোটপিক অনুপাত মূলতঃ পৃথিবীর মতই।[৪] কিন্তু থিইয়া যদি ভিন্ন কোন গ্রহ বা প্রোটোপ্লানেট হত, তবে অবশ্যই এর আইসোটপিক অনুপাত পৃথিবীর চেয়ে ভিন্ন হত।

গঠন

কিছু তত্ত্বে বলা হয় ৪.৬ বিলিয়ন বছর পূর্বে, সৌরজগতের গঠনের শুরুর দিকে, পৃথিবী পাথর এবং লাভায় পূর্ণ ছিল এবং পৃথিবীর কোন বড় আকারের চাঁদ ছিল না। মঙ্গল গ্রহাকৃতির আদিম প্রোটোপ্লানেট থিইয়া পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষিত হলে পৃথিবী থেকে একটি অংশ বিচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। মহাশূন্যে ছিটকে পড়া অংশ হারিয়ে গেলেও এরই মাঝে কিছু অংশ আবার পৃথিবীর কক্ষপথে একীভূত হয়ে চাঁদ গঠন করে। এই তত্ত্ব অনুসারে, চাঁদের উদ্ভব পৃথিবীর বর্তমান আকারের সাথে অন্তত ৯০% সামঞ্জস্য পূর্ণ কোন বস্তুর সাথে সংঘর্ষ হলেই সম্ভব।বেশিরভাগ সময়ই সাংঘর্ষিক বস্তুটিকে থিইয়া বলা হয়। গ্রীক পুরাণে উল্লেখিত চাঁদের দেবী সেলেন এর মা থিইয়া থেকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হতে পারে তার পরিমান অত্যন্ত বেশি। এরূপ বিশাল সংঘর্ষে ট্রিলিয়ন টনেরও বেশি বস্তু বাষ্পীভূত এবং গলে যাওয়ার কথা। এমনকি এতে পৃথিবীর কোন কোন অংশের তাপমাত্রা ১০,০০০°C (১৮০০০ °F) এর মত হয়েছিল।

গ্রহণ

এই তত্ত্বমতে চাঁদ পৃথিবী কর্তৃক অধিগ্রহিত হয়েছিল।[৬] ১৯৮০-এর আগ অব্দি এই ধারণা বেশ জনপ্রিয় ছিল। চাঁদের আকৃতি, কক্ষপথ এবং জোয়ার-ভাটা সংক্রান্ত ইস্যু এই ধারণাকে সমর্থন করে।[৬]

অধিগ্রহন তত্ত্বের মূল সমস্যা হল,[৬] পৃথিবীর সাথে এরূপ ঘটনা সাধারনত বিস্ফোরণ কিংবা কক্ষপথের বিচ্যুতি ঘটায়। তাই ধারণা করা হয়, আদিম পৃথিবীতে একটি বিশাল বায়ুমন্ডল থাকতে পারে যা সঙ্ঘর্ষকে ধীর গতিতে ঘটতে সাহায্য করে। এই তত্ত্বমতে বৃহস্পতি এবংশনির অনিয়ত উপগ্রহীয় কক্ষপথের কারণও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।[৭] তবে দুই জায়গার প্রয়োজনীয় অভিন্ন অক্সিজেন আইসোটপের অনুপাতের কারণ বিশ্লেষণ করতে এই তত্ত্ব ব্যবহার সুবিধাজনক নয়।

পৃথিবী এবং চাঁদের স্কেল, ৫০০ কি.মি প্রতি পিক্সেল

ফিশন

বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের পুত্র জর্জ ডারউইন সপ্তদশ শতকের দিকে সর্বপ্রথম ফিশন তত্ত্বের সূচনা করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে ক্রম ঘূর্ণায়মান পৃথিবী থেকে একটি অংশ ছিটকে গিয়ে চন্দ্রের সূচনা করে।[৬] অস্ট্রিয়ান ভূতত্ত্ববিদ অটো এমফারার ১৯২৫ সালে মহাদেশীয় প্রবাহের দরুণ চন্দ্রের সৃষ্টি বলে প্রস্তাবনা দেন।[৮]

পরিবৃদ্ধি

পরিবৃদ্ধির তত্ত্বানুসারে পৃথিবী এবং চন্দ্র সৌরজগতের আদিম পরিবৃদ্ধি চাকতিতে একই সাথে গঠিত হয়েছে। কিন্তু এই তত্ত্ব পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী কৌণিক ভরবেগের ব্যাখ্যা দিতে পারে না। পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের লৌহ অংশ অপেক্ষাকৃত কম (পৃথিবীর ব্যাসার্ধের প্রায় ৫০ শতাংশ কিন্তু চাঁদের ব্যাসার্ধের মাত্র ২৫%) কেন তার উত্তরও এই তত্ত্ব দিতে অক্ষম।[৯]
জোতিষের দৃষ্টিতে চন্দ্র

চন্দ্র দেবতা(ইংরেজী: lunar deity) পুরাণ অনুসারে একজন দেব বা দেবী যিনি চাঁদের সাথে সম্পর্কযুক্ত বা চাঁদের প্রতীকরূপে যাকে বিবেচনা করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মূর্তিপূজারী ধর্মগুলোতে চাঁদকে দেব/দেবীর আসনে বসানো হয়। সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে চন্দ্র দেবতার শক্তিপরিধি বিভিন্ন। তবে সকল অঞ্চলেই চন্দ্রদেবতাকে সূর্য দেবতার প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় চন্দ্র দেবতা সব সময় সূর্য দেবতার বিপরীত লিঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

মন্ত্র – ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা – ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী– ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম– ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা – কমলা।
ধারণরত্ন – মুক্তা, ধূপ – সরলকাষ্ঠ, বার – সোমবার, প্রশস্ত সময় – সন্ধ্যা ৬-৭ পর্যন্ত

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180407

Friday, April 6th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শুক্র গ্ৰহ

শুক্র গ্ৰহ

শুক্র গ্ৰহ .
.
শুক্র গ্রহ (Venus) সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ। এই পার্থিব গ্রহটিকে অনেক সময় পৃথিবীর "বোন গ্রহ" বলে আখ্যায়িত করা হয়, কারণ পৃথিবী এবং শুক্রের মধ্যে গাঠনিক উপাদান এবং আচার-আচরণে বড় রকমের মিল রয়েছে। শুক্র গ্রহের বাংলা নাম এসেছে অসুরদের গুরু ও রক্ষক শুক্রাচার্য থেকে, এবং শুক্রাচার্য এর দিন হিসেবে এসেছে শুক্রবার। চাঁদ ছাড়া শুক্র গ্রহই একমাত্র জ্যোতিষ্ক যা পৃথিবীর আকাশ থেকে রাত এবং দিন উভয় সময়েই দেখা যায়। শুক্রগ্রহ 224.7 দিনে সূর্যকে একবার প্রদিক্ষন করে। সন্ধ্যার পশ্চিম আকাশে এবং ভোরের পূর্ব আকাশে আমরা শুক্রগ্রহকে তারার মতো দেখি। কিন্তু এটি একটি গ্রহ।
শুক্র গ্রহ বা ভেনাস (Venus) সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ। কারণ সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে হিসেব করলে সূর্যের একেবারে কাছের গ্রহ হচ্ছে বুধ গ্রহ, আর এর পরই শুক্র গ্রহের অবস্থান। বুধ আর পৃথিবীর মতই এই গ্রহটিও কঠিন পদার্থদিয়ে তৈরি বলে একে পার্থিব গ্রহ বলা হয়।পৃথিবী এবং শুক্রের মধ্যে গাঠনিক উপাদান, আকার-আকৃতি, মুক্তি বেগ এবংঅন্যান্য মহাযাগতিক আচার আচরণে অনেক মিল রয়েছে বলে শুক্রকে পৃথিবীর বোন গ্রহ বা “sister planet” বলে। এটি এমন একটি গ্রহ যাকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন তাঁরা নামে ডাকা হয়। ভোর রাতের আকাশে শুকতাঁরা আর সন্ধ্যার আকাশের
সন্ধ্যাতাঁরা একই বস্তু, যা সত্যিকার অর্থে একটি গ্রহ, আর এই গ্রহটিই হচ্ছে শুক্রগ্রহ। শুক্র গ্রহের লাতিন নামকরণ করা হয়েছে রোমান প্রেমের দেবী ‘ভেনাস’ র নামানুসারে। পৌরাণিক কাহিনীতে ভেনাস (শুক্র) ভালকানের স্ত্রী। আমরা জানি সব গ্রহের কক্ষপথ উপবৃত্তাকার, কিন্তু শুক্রের কক্ষপথ উপবৃত্তাকার না হয়ে প্রায় গোলাকার। তাই এর উৎকেন্দ্রিকতা শতকরা এক ভাগেরও কম।আগেই বলেছি শুক্র হচ্ছে দূরত্বের দিক থেকে সূর্যের দ্বিতীয় গ্রহ,তাই বুধ গ্রহেরই মতো এই গ্রহটিকেও শুধুমাত্র সূর্যোদয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পরে দেখা যায়। আরো পরিস্কার ভাবে বললে- সূর্য থেকে শুক্রের দূরত্ব কখনোই ৪৭ ডিগ্রীর বেশী হয় না, ফলে সূর্যদয়ের পূর্বে বা সূর্যাস্তের পরে তিন ঘন্টার সামান্য বেশী সময় ধরে একে পৃথিবী থেকে দেখতে পাওয়া যায়।অবশ্য যখন শুক্র তার উজ্জ্বলতম অবস্থায় থাকে তখন দিনের বেলায়ও একেদেখা যায়।চাঁদ ছাড়া শুক্র গ্রহই একমাত্র জ্যোতিষ্ক যা পৃথিবীর আকাশ থেকে রাত এবং দিন উভয় সময়েই দেখা যায়। আর সূর্য ও চাঁদের পরে শুক্রই হচ্ছে তৃতীয় উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক পৃথিবীর আকাশে। আরো জোনে রাখুন পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ হচ্ছে এই শুক্র গ্রহ।
সূর্যের উপর দিয়ে কোন গ্রহের অতিক্রম করার বিষয়টি একটি দুর্লভ মহাজাগতিক ঘটনা। সৌরজগতের সকল গ্রহই সূর্যের উপর দিয়ে অতিক্রম করলেও পৃথিবী থেকে শুধুমাত্র বুধ এবং শুক্র গ্রহের ক্ষেত্রেই এটি দেখা যায়। শুক্র গ্রহের এই ধরনের পরিক্রমনকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ট্রানজিট অব ভেনাস’। এক্ষেত্রে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে একই সরলরেখায় শুক্র গ্রহ চলে আসে এবং সূর্যের উপরে শুক্রের চলমান ছায়া পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। এই ব্যাপারটি অনেকটা সূর্যগ্রহণের মতই, শুধু চাঁদের পরিবর্তে শুক্র গ্রহ অবস্থান করে। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব চাঁদের দূরত্বের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি। তাছাড়া সূর্যের ব্যাসও চাঁদের ব্যাসের তুলনায় ৪০০ গুণ বড়। তাই পৃথিবী থেকে দেখলে চাঁদ ও সূর্যের আয়তন হুবহু একই রকম মনে হয়। একারণে সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যের উজ্জলতম অংশকে পরিপূর্ণ বা আংশিকভাবে ঢেকে ফেলতে পারে। কিন’ শুক্রের চলন বা ট্রানজিটের সময়ে তার অবস্থানগত কারণে সূর্যকে আড়াল করতে পারে না। ফলে সূর্যের উপর দিয়ে অতিক্রমের সময় সূর্যের উজ্জ্বল চাকতির উপর শুক্রকে একটি কালো বিন্দুর মত মনে হয়।
বুধ ও শুক্র গ্রহের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের উপর হেলানো রয়েছে বলেই পৃথিবী থেকে আমাদের সৌরজগতের এই দুটি গ্রহের ট্রানজিট দেখা সম্ভব। শুক্রের ক্ষেত্রে গড়ে প্রতি ১.২৫ শতকে দুটি ট্রানজিট ঘটে থাকে। দেখা গেছে শুক্রের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষতলকে জুন এবং ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে অতিক্রম করে। ফলে এই সময়ের দিকে শুক্র গ্রহ যদি সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থান করে তবেই এই ধরনের ট্রানজিট ঘটা সম্ভব।
শুক্র গ্রহের ক্ষেত্রে এই পরিক্রমন ঘটে থাকে প্রতি একশ বছরে আট বছরের ব্যবধানে একটি জোড়া হিসেবে। অর্থাৎ কোন শতকে শুক্রের প্রথম ট্রানজিটটি ঘটার ঠিক ৮ বছর পরে দ্বিতীয় ট্রানজিটটি ঘটে থাকে। এর কারণ হলো শুক্রের (২২৪.৭০১ দিন) এবং পৃথিবীর (৩৬৫.২৫৬ দিন) কক্ষপথ পরিভ্রমন কালে প্রতি ৮ বছর পর পর পরস্পরের রেজোন্যান্স ঘটে। অন্যভাবে বলা যায়, এই সময়ে পৃথিবী সূর্যকে আটবার প্রদক্ষিণ করে আর শুক্র তেরোবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ফলে সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবী ও শুক্র এই ৮ বছর পর পর একই সরলরেখায় আসে।
-
শুক্র - কাম-সম্বন্ধীয় কার্য, জাগতিক সুখ, বিভিন্ন শাস্ত্র, আমোদ-প্রমোদ, সৌখিন ও বিলাস দ্রব্য, সৌন্দর্য, মাধুর্য, মুখমণ্ডল, মোহ, শিল্প, সঙ্গীত, শয়নসুখ, দৃষ্টিশক্তি, যৌন আকর্ষণ, যৌনরোগ, অম্ল রস ইত্যাদি।
অপর নাম - কবি, সিত, ভার্গব, উশনা, ভৃগু, দৈত্যগুরু প্রভৃতি।
শুক্রের মিত্র - বুধ, শনি;
সম - মঙ্গল, বৃহস্পতি;
শত্রু - রবি, চন্দ্র।
শুক্র স্ত্রীসংজ্ঞক গ্রহ (feminine planets);
-
বিভিন্ন লগ্নে শুক্র গ্রহের প্রভাব
=================
সবকটি লগ্নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধিপতি গ্রহ শুভ না অশুভ সেটা নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বলা দরকার যে, এটা থেকে অত্যন্ত সাধারণভাবে একটা ফলাফলের আভাস পাওয়া যাবে মাত্র। একটি গ্রহ কোন লগ্নে কোন ভাবের অধিপতি শুধু তার উপরই ফল নির্ভর করে না। গ্রহটির অবস্থান কি, কি গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট, গ্রহটির বল কি রকম ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে সামগ্রিক ভাবে ফল বিচার করতে হবে।
১। মেষ লগ্ন
এই লগ্নের শুক্র দ্বিতীয় ও সপ্তম পতি। দুটিই মারকস্থান। আবার শুক্র নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হয়ে সপ্তম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়ায় অশুভ। অতএব শুক্র সম্পূর্ণই অশুভ ফলদায়ক। তবে সব সময় তত্ব অনুযায়ী ফল হয় না। এটা দেখা গেছে, যদি শুক্র অত্যন্ত বলশালী হয় ও অন্যান্য অশুভ সম্পর্ক থেকে মুক্ত থাকে, তবে শুক্রের দশা জাগতিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পক্ষে শুভই হয়। কিন্তু দুর্বল হলে, চক্ষুরোগ বা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেক জ্যোতিষী বলেন, শুক্র মারক হলেও মেষ লগ্নের জাতকের সাধারণতঃ মৃত্যু ডেকে আনে না। সেটা অনেক সময়েই করে শনি।
২। বৃষ লগ্ন
শুক্র লগ্নপতি হিসাবে শুভ হলেও যেহেতু মূলত্রিকোণ তুলা রাশিতে অর্থাৎ ষষ্ঠে পড়েছে তাই শুক্র এই লগ্নের পক্ষে লগ্ন পতি হওয়া সত্বেও সমভাবাপন্ন বলা হয়েছে। তবে খুব জোরালো হলে অবশ্যই ভাল ফল দেবে।
৩। মিথুন লগ্ন
এই লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্রকেই (দ্বিতীয় ও দ্বাদশ পতি) একমাত্র শুভ গ্রহ হিসাবে ধরা হয়। দ্বাদশ পতি হিসাবে শুক্র 'পরতন্ত্রী'। কাজেই পঞ্চম পতি হিসাবে ফল দেবে। শুক্র শক্তিশালী হলে পরীক্ষায় সাফল্য, সন্তানের শুভ ইত্যাদি ঘটতে পারে। তবে শুক্র অশুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হলে মহিলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়া অসম্ভব নয়।
৪। কর্কট লগ্ন
শুক্র চতুর্থ ও একাদশ পতি। কেন্দ্রাধিপত্য দোষ এবং একাদশের অধিপতি হওয়ায় দু দিক থেকেই অশুভ। তবে এটা দেখা গেছে শুক্র শক্তিশালী হলে অর্থভাগ্য খারাপ হয় না। যান বাহনেরও মালিক হতে পারে। তবে দুর্বল শুক্র শরীর এবং অর্থ দুই এর পক্ষেই খারাপ।
৫। সিংহ লগ্ন
শুক্র তৃতীয় ও দশম পতি। দশম পতি শুভ গ্রহ হওয়ায় পরাশরের মতে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ থাকবে। এখানে শুক্র শুভ গ্রহ নয়। অবস্থান খারাপ হলে বা শুক্র দুর্বল হলে শুক্রের দশায় ভাল ফল কিছু আশা না করাই ভাল।
৬। কন্যা লগ্ন
শুক্র দ্বিতীয় ও নবম পতি। দ্বিতীয় 'পরতন্ত্রী' হওয়ায় মুলতঃ শুক্র এখানে নবম স্থানের ফলই দেবে। অতএব শক্তিশালী হলে শুভ। অশুভ শুক্র অর্থক্ষয় ও ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
৭। তুলা লগ্ন
শুক্র লগ্নপতি ও অষ্টম পতি। লগ্নপতি হওয়ায় অবশই শুভ। তবে শুক্র যদি দ্বাদশে অর্থাত্ কন্যা রাশিতে নীচস্থ হয়ে অবস্থান করে তবে কতটা ভাল হবে সন্দেহ।
৮। বৃশ্চিক লগ্ন
শুক্র সপ্তম ও দ্বাদশ পতি। কেন্দ্রপতি হেয়ে নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হওয়ায় ভাল ফল দেবার কথা নয়। তবে দ্বিতীয় ও সপ্তম দুই ঘর থেকেই পরিবার, বিবাহ, স্ত্রী (বা স্বামী) ইত্যাদি বোঝায়। শুক্রের বল থাকলে এবং অবস্থানগত ভাবে শুভ হলে উক্ত বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে; কিন্তু পাপগ্রহ যুক্ত হলে অবৈধ সংসর্গ ঘটাতে পারে।
৯। ধনু লগ্ন
শুক্র ষষ্ঠ ও একাদশ পতি। অশুভ গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হলে শরীরের সমস্যা তৈরী করতে পারে। তবে শুক্র বলশালী হলে আয়বৃদ্ধি হতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতিও হতে পারে।
১০। মকর লগ্ন
শুক্র কোণ ও কেন্দ্রপতি (৫ম ও ১০ম পতি) হওয়ায় রাজযোগকারী গ্রহ। তবে ভাল ফল দিতে হলে শুক্রকে অবশ্যই জোরাল হতে হবে।
১১। কুম্ভ লগ্ন
শুক্র এই লগ্নে চতুর্থ ও নবম পতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী। শুক্র বলশালী হলে শুক্রের দশায় জাতকের গৃহসুখ, বাহন লাভ, বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নানা ভাবে ভাগ্যোন্নতি হতে পারে।
১২। মীন লগ্ন
শুক্র তৃতীয় ও অষ্টম পতি। যেহেতু তৃতীয় ও অষ্টম স্থান থেকে আয়ু বিচার হয়, অতএব শুক্র শক্তিশালী হলে ও অশুভ গ্রহের সংস্পর্শে না এলে পরমায়ু বৃদ্ধি পাবে।
-
শুক্রের মহা রত্ন হলো হীরা :

বেশিরভাগ মানুষের কাছে হীরা অত্যন্ত জনপ্রিয় পাথর। অশুভ প্রভাব ঠেকাতে এটি অত্যন্ত ফলদায়ক। সামাজিক সম্মান, প্রেমে সাফল্য, প্রেমিকার মন জয়, দাম্পত্য সুখ, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হীরা নির্বাচন করা হয়। সাধারণত মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জন্য একে সৌভাগ্য পাথর মনে করা হয়।দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অশান্তি, মানসিক অস্থিরতা, আর্থিক টানাপোড়েন, সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন, প্রেমে সাফল্য, প্রেমিকার মন জয়, দাম্পত্য সুখ, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হীরা নির্বাচন করা হয়। সাধারণত মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জন্য একে সৌভাগ্য পাথর মনে করা হয়।
হীরা বলতে চোখের সামনে যে সাদা ধবধবে উজ্জ্বল বস্তু ভেসে ওঠে শুধু তাকেই বোঝায় না। এছাড়াও অন্য রঙের হীরাও আছে। হীরা আপাতত মানুষের জানা সবচেয়ে কঠিন পদার্থ । শুধুমাত্র কার্বন দিয়েই তৈরি হয় হীরা। একটি হীরা পাথর তৈরি হতে সময় লাগে কয়েক বিলিয়ন বছর ! চিন্তা করা যায়? এতো দীর্ঘসময়ের ফলাফল হিসেবে আমরা অল্প কিছু হীরা পাচ্ছি! সাদা হীরার পাশাপাশি কালো, সবুজ, নীল বাদামী, হলুদ, লাল, গোলাপি, বেগুনী সহ আরো কিছু রঙের হীরা পাওয়া যায় !
কিন্তু জানেন কি... হীরা এতো দামী কেন?
হীরা কেবল সৌখিন বড়লোকদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে আছে, এর পিছনে কাজ করছে এর আকাশচুম্বী দাম ! সামান্য একটু হীরার বাজারদর অনেক হতে পারে। হীরার দুর্মূল্যের পেছনে রয়েছে এর দুষ্প্রাপ্যতা। পৃথিবীতে যেসব দুষ্প্রাপ্য পদার্থ রয়েছে তার মধ্যে হীরা অন্যতম।একটি হীরার দাম কেমন হবে তা নির্ভর করে তার প্রাপ্যতা বা দুষ্প্রাপ্যতার উপর, এর রঙের উপর, এটি কতটা নিখাদ তার উপর আর এর ঔজ্জ্বল্যের উপর। তবে ক্রেতারা অন্য সব কিছু ছাড়িয়ে ঔজ্জ্বল্যকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর সবচেয়ে মজার কথা হল হীরার কোন বিকার হয়না, অর্থাৎ হাজার হাজার বছর পরেও হীরার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনরূপ সম্ভাবনা নেই।
.
হীরা সম্পর্কে কিছু অজানা (জানাও হতে পারে ) তথ্য .....
১. ধারণা করা হয় সর্বপ্রথম হীরা আবিষ্কার হয় ভারতবর্ষে .....
২. শুধুমাত্র হীরা দিয়েই হীরাকে কাটা যায় .......
৩. পৃথিবীর প্রায় ৫০ ভাগ হীরা আফ্রিকাতেই পাওয়া যায় ........
৪. স্বর্ণের ক্ষেত্রে ক্যারেট বিশুদ্ধতার একক হলেও হীরার ক্ষেত্রে ক্যারেট হচ্ছে ভরের একক ......
৫. হীরা কিন্তু খনি থেকে এতো সুন্দর অবস্থায় পাওয়া যায়না। একে কেটে পালিশ করে এমন সুন্দর রূপ দেয়া হয় .....
৬. রঙ্গীন হীরাগুলোর মধ্যে লাল রঙের হীরা সবচেয়ে কম পাওয়া যায়। বাংলায় একে রক্ত হীরকও বলে ......
-
হীরা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে কমপক্ষে ৩০০০ - ৬০০০ বছর ধরে পরিচিত। মানুষের জানা সকল প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে হীরা অনেক বেশি শক্ত এবং এটি দ্বারা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ করা যায়। মাটির প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কি.মি. নিচে পৃথিবীর কেন্দ্র ও পৃথিবীর আবরনে মাঝে প্রচন্ড তাপ ও চাপের কারনে হীরা গঠিত হতে প্রায় ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর সময় লাগে। সকল হীরাই পৃথিবীতে তৈরী হয়েছে এমন নয়, পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর বাহিরে তৈরী। হীরাকে আদর্শ ধরে তৈরি করা (Mohs Scale of mineral hardness) Scale অনুযায়ী হীরার কাঠিন্যতা ১০ এ ১০। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬০০০ কে.জি. হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।
-
Chem. com. Of Diamond = C
Hardness ......................= 10
Specific Gravity ..............= 3.47 - 3.55
Refractive index .............= 2.417 -2.419
-
রাশিচক্রে বৃষ রাশি ও তুলারাশি হ'ল শুক্র গ্রহ প্রভাবিত......
.
* তুলারাশি --- রাশিচক্রে তুলা রাশির অবস্থান ৭ম। এ রাশির অধিপতি গ্রহ শুক্র। এ রাশির জাতক জাতিকারা সাধারনত রোমান্টিক ধরনের হয়ে থাকে। ফুল ফল পাখি গান এদের প্রিয় হয়। এরা বৈরাগ্য ভালবাসে না। অন্যের মনকে সহজেই বুঝতে পারা এদের স্বভাব।
শুভ রং --- ফিরোজা, আকাশি ও সাদা
শুভ সংখ্যা ---- ৫, ৬, ১৮, ২১, ৩৬, ৪২
শুভরত্ন--- হীরা-পান্না ও সাদা জারকন
.
* বৃষ রাশি --- রাশিচক্রে বৃষ রাশির অবস্থান দ্বিতীয়। এর অধিপতি গ্রহ শুক্র। সংখ্যাতত্বে এ গ্রহের অবস্থান ৬। শুক্র গ্রহের জাতকেরা সাধারনত ভোগ বিলাসী হয়ে থাকে। এরা সারাক্ষণ আনন্দ বিনোদনের মধ্যে থাকতে ভালবাসে।এরা আদর্শবাদী হওয়ায় এদের জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত আসতে পারে।
শুভ রং: আকাশি, কমলা
শুভ সংখ্যা: ৬, ১৭, ১৯, ২৭, ৩২, ৪৪
পাথর --- হীরা- সাদা স্ফটিক

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180406

Thursday, April 5th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রাহু গ্ৰহ

রাহু গ্ৰহ


জ্যোতির্বিদ্যায় রাহুর স্থিতিসম্পাদনা

ভারতীয় জ্যোতিষ অনুসারে, রাহু ও কেতু সূর্য এবং চন্দ্ৰের পরিক্রমণ পথে ঘুরতে থাকা দুটি বিন্দু যারা পৃথিবীর সাপেক্ষে একে অপরের বিপরীত দিকে (১৮০ ডিগ্রী) অবস্থিত। এই গ্রহদুটি যেহেতু কোন মহাজাগতিক বস্তু নয়, তাই এদেরকে ছায়া গ্রহ বলা হয়। মহাকাশে সূর্য ও চন্দ্রের পরিক্রমণ পথ অনুযায়ী রাহু ও কেতুর স্থিতিও পরিবর্তিত হয়। পূর্ণিমার সময়ে চাঁদ যদি রাহু (অথবা কেতু) বিন্দুতে থাকে, তবে পৃথিবীর ছায়া পড়ায় চন্দ্রগ্রহণ ঘটে; কেননা পূর্ণিমার সময় চাঁদ ও সূর্য পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করে। পাশ্চাত্য বিজ্ঞানে, রাহু ও কেতুকে যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ লুনারনোড বলা হয়ে থাকে।



হিন্দু পুরাণে রাহু ও কেতু দুটি ছায়া গাছ।আসলে রাহু ও কেতু দুই অসুর যাঁরা এসে দেবতাদের সাথে অমোঘ ওষধি বা "অমৃত" পান করতে বসেন। অর্ধেক খাওয়ার পর তাঁরা ধরা পরেন। সুদর্শন চক্র দিয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মুন্ডোচ্ছেদ করে দেন।তার জন্যে রাহু ও কেতু অমর ও মানুষের অনেক দুর্ভোগের কারণ। রাহুর দশা থেকে মুক্তির পথ সহজ,কিন্তু নিয়মিত রুপে পালন করে যেতে হবে।রাহুর হাত থেকে মুক্তি পেতে আধ্যাত্মিক পথই অবলম্বন করতে হবে।রাহু শান্তি পুজো একটা উপায় রাহু দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার। অন্যান্য মুক্তির পন্থাগুলো জানানো হল..

শনিবার নিরামিষ খান

রাহু ও কেতু দুজনেই ছায়া গাছ।এদের পুজো সাধারণত শয়তান বা শনি দেবের সাথে একই দিনে করা হয়।তাই রাহুর দশাপ্রাপ্ত লোকের জন্য শনিবার অবশ্যই নিরামিষ খাওয়া উচিত।

ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করুন

ভগবান শিবই অধিপতি ও শনি,রাহু ও কেতু নামক তিন গ্রহের প্রভু।তাই মনে করা হয় ভগবান শিবকে দুধ,গঙ্গাজল ও ঘি দিয়ে স্নান করালে রাহুর দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আপনি যদি জানতে চান কি করে রাহুর দশা থেকে মুক্তি পাবেন তাহলে দিনে ২১ বার ভগবান শিবকে ডাকুন, এবং উচ্চারণ করুন "ওম নমহ শিবায়"!

রাহু শান্তি পুজোর আয়োজন করুন

রাহু ও কেতু শান্তি পুজো বলে একটা বিশেষ পুজো আছে,যা বিশেষ কিছু মন্দিরে হয়।আপনি এই পুজোটি বাড়িতেও করতে পারেন।এই পুজোর মাধ্যমে আপনি রাহুকে সন্তুষ্ট করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ কামনা করেন এক সুখকর জীবনের জন্য।

শ্রীকালাহস্তি মন্দির দর্শন করুন

অন্ধ্র প্রদেশের প্রত্যন্ত এক শহরে এক মন্দির আছে যার নাম শ্রীকালাহস্তি।এই মন্দির খুব "জাগ্রত" বলে মানা হয়, সেইসব লোকেদের জন্য যাদের জীবনে রাহু ও কেতুর জন্য সমস্যা চলছে।বলা হয় এই মন্দিরে রাহু ও কেতু বাস করেন।লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর এই মন্দিরে যায় রাহু শান্তি পুজো দিতে। এর সাথে "পুরোনো" শিব লিঙ্গের দর্শনও করে আসে তারা।

দান

গরিব লোকের মধ্যে নারকেল,কলার ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দান করলে রাহুর দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আপনি যদি নির্মল হৃদয়ে গরিবতম মানুষের সেবা করেন, জীবনে ভাল ফল পাবেন।কিন্তু মনে রাখবেন দানের উদ্দেশ্য যেন প্রেম ও দয়ার হয়। নিজের ব্যক্তিগত লাভ যেন সেই দানের একমাত্র উদ্দেশ্য না হয়‌।

ॐ कया नश्चित्र आभुवदूती सदावृधस्सखा। कया शचिचष्ठया वृता॥ om kayā naścitra ābhuvadūtī sadāvṛdhassakhā kayā śacicaṣṭhayā vṛtā
গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহি তন্নোঃ রাহু প্রচোদয়াৎ।
প্রনাম মন্ত্র : অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দ্দকম্।

সিংহিকায়াঃ সূতং রৌদ্রং ত্বং রাহুং প্রণামাম্যহম্।

শুভ সংখ‍্যা :৪, শুভ বর্ণ: গৃধ,ইষ্টদেবী: ছিন্নমস্তা
বীজমন্ত্র:ঔঁ ঐং হ্রীং রাহবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180405

Wednesday, April 4th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কেতু গ্ৰহ

কেতু গ্ৰহ



কেতু

কেতু (সংস্কৃত: केतु, উচ্চারণ: Ketú) (), হিন্দু জ্যোতিষ অনুসারে, এটি একটি অবরোহী লুনার নোড। পুরাণ অনুসারে, ইহা স্বরভানু নামক এক অসুরেরকর্তিত ধড়; সমুদ্র মন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু আপন সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে এর মুন্ড ছিন্ন করে দেন। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, একে নবগ্রহের মধ্যে একটি স্থান দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ছায়া গ্রহ। [১]
রাশিচক্রে এর কোন নিদিষ্ট অবস্থান নাই।জন্মকুন্ডলীতে দ্বাদশ ঘরের যে কোন ঘরে রাহুর সঙ্গে ১৮০ ডিগ্ৰী কৌনিক মানে অবস্থান করে এবং সেই ঘরের বা ভাবের উপর অশুভ ফলদান করে।কেতুর কোন দৃষ্টি নাই।

অন্তর্ভুক্তি ছায়াগ্রহ, অসুর। আবাস অসুরলোক
বর্ণ: ধূসর, শুভ সংখ্যা : ৭
বীজমন্ত্র : ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে
গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহি তন্নোঃ কেতু প্রচোদয়াৎ।

প্রনাম মন্ত্র : পলালধুমসঙ্কাশং তারাগ্রহবিমর্দ্দকম্।

রৌদ্রং রুদ্রাত্নকং ক্রুরং ত্বং কেতুং প্রণমাম্যহম্।।

শুভ রাত্রি
কেতু

কেতুর খারাপ দিকগুলো ঠিক করতে এইগুলো আপনারা করতে পারেন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের জীবনে শত্রুর বিনাশ ঘটবে, কুনজর থেকে বাঁচবেন, সংসারে শান্তি ফিরে আসবে।

১, লগ্নে থাকলে কালো কম্বল দান করুন, কালো মিষ্টি, কালো ডাল দান করুন, ভীষণ উপকার পাবেন।

২, দ্বিতীয় থাকলে ত্রিকোণ ভাবে চন্দন টিপ পুরুন কপালে, চন্দন ধুপ জ্বালান ঘরে।

৩, তৃতীয় ভাবে থাকলে সোনা পড়ুন, হলুদ ফুল জলে ভাসান।

৪, চতুর্থ ভাবে থাকলে হলুদ জামা কাপড় গরিব দের দান করুন।

৫, পঞ্চম ভাবে থাকলে গম, লাল ফুল, লাল কাপড় দান করুন।

৬, ষষ্ঠ ভাবে থাকলে বাম হাতে সোনার আংটি পড়ুন, নীল বস্ত্র দান করুন।

৭, সপ্তম ভাবে থাকলে শনিবার করে নিরামিষ খান, গম দান করুন গরিব দের।

৮, অষ্টম ভাবে থাকলে সাদা কম্বল, সাদা কাপড় মন্দিরের গরিব দের দান করুন।

৯, নবম থাকলে সোনার চেন পড়ুন, হলুদ কাপড় দান করুন।

১০, দশম থাকলে সন্ধ্যাবেলা মন্দিরে গিয়ে চাল দান করুন।

১১, একাদশে থাকলে সব্জী ও গম দান করুন সকালে মন্দিরে গিয়ে।

১২, দ্বাদশে থাকলে, কুকুরকে খাওয়ান, ভীষণ উপকার পাবেন।
কেতুর বীজমন্ত্র : ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে
১০০৮ বার স্নান করে
কেতূর রত্ন : ক‍্যটস্ আই ৩-৫রতি কনিষ্টা আঙুলে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180404

Tuesday, April 3rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

গ্ৰহ শান্তি

গ্ৰহ শান্তি

গ্ৰহপীড়া ও ভাগ‍্যদোষ ফেরাতে কিছু অতি প্রয়োজনীয় উপায় ।

গ্রহ দোষ দানে শান্তি :-

রবির দান – মানিক্য অভাবে যথাসাধ্য মূল্য, গোধুম, সবৎসাধেনু, কুসুম্ভরঞ্জিত বস্ত্র, গুড়, স্বর্ণ, তাম্র, রক্তচন্দন, রক্তপদ্ম, আতপ তুন্ডুল।

চন্দ্রর দান – রজত পাত্রে তুন্ডুল, কর্পূর, মুক্তা, শুভ্রবস্ত্র, রৌপ্য, হলবহনপোযোগী বৃষ (অভাবে ৩ কাহন কড়ি বা সাধ্য অনুযায়ী মূল্য), ও ঘৃতপূর্ণ কুম্ভ।

মঙ্গলের দান – প্রবাল, গোধুম, মসুরকলাই, অরুণবর্ণ বৃষ, (অভাবে ৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মুল্য), গুড়, স্বর্ণ, রক্তবস্ত্র, করবীপুষ্প, ও তাম্র।

বুধেরদান – নীলবস্ত্র, স্বর্ণ, কাঁসা, মুগ কলাই, পীতবর্ণপুষ্প, দ্রাক্ষা ও হস্তিদন্ত।

বৃহস্পতির দান – চিনি, দারু হরিদ্রা, ঘোড়া(অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), পীতধান্য, পীত বস্ত্র, পোখরাজ, স্বর্ণ,ও লবন।

শুক্রের দান – বিচিত্রবস্ত্র, শ্বেতাশ্ব(অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথা সাধ্য মূল্য), ধেনু, হীরক, রৌপ্য স্বর্ণ, সুগন্ধিক দ্রব্য, ঘৃত, ও তুন্ডুল।

শনির দান – মাষকালাই, তৈল, কৃষ্ণতিল, নীলকান্তমণি, মহিষ(অভাবে ৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), লৌহ ও কুলুথ কলাই।

রাহুর দান – গোমেধরত্ন, ঘোড়া (অভাবে ২৫ কাহন কড়ি বা যথাসাধ্য মূল্য), নীলবস্ত্র, কম্বল, কৃষ্ণতিল, তৈল, ও লৌহপাত্র।

কেতুর দান – বৈদূর্য্যমণি, মৃগমদ, তিল, তিলতৈল, কম্বল ও খড়্গ।

বিঃদ্রঃ –গ্রহ সর্ম্পকীয় সমস্ত দান ও দক্ষিনা ভক্তি সহ শুদ্ধ মন্ত্র পাঠ ক্রমে গ্রহ বিপ্রর হাতে তুলে দেয়া কর্ত্তব্য অন্যাথা নিষ্ফল হইবে।

গ্রহ শান্তি :-

রবিগ্রহ শান্তির উপায় – প্রতিদিন সকালে স্নান করে তামার ঘটিতে জল নিয়ে সূর্য্য দেবকে ওঁ আদিত্যায় নমঃ / ওঁ ঘৃণী সূর্য্যায় নমঃ - মন্ত্র ৫/৭ বার উচ্চারণ করে জল অর্পণ করিলে সূর্য্যদেব খুশি হন এবং ধীরে ধীরে জাতকেও খুশী নজরে দেখতে থাকেন ।

চন্দ্রগ্রহ শান্তির উপায় – কোন বিধবা মায়েদের আশ্রমে গিয়ে ভক্তিমনে মায়েদেরকে আতপচাল,দুধ, চিনী, বা পারিলে বস্ত্র দান করে মায়েদের চরণ স্পর্শ করে আশির্বাদ নিয়ে খুশী করালে চন্দ্রগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে ধীরে ধীরে শান্তি প্রদান করেন এবং চন্দ্রদোষ হতে মুক্তি দেন।

মঙ্গলগ্রহ শান্তির উপায় – প্রতি মঙ্গলবার বজরঙ্গবলী মন্দিরে পূজো-পাঠ উপাসনা করে লোককে মিষ্টিমুখ করালে হনুমান ও মঙ্গলগ্রহ খুশী হয়ে ধীরে ধীরে জাতকের বিপদ মুক্ত করে শান্তি প্রদান করেন। কিন্তু কোন কোন জাতকের উপর পূর্ব্ব-জন্মের কর্মে মঙ্গলের পিতৃ-ঋণ বা দোষ থাকে তার উপায় জন্মপত্রিকার উপর নির্ভর করবে।

বুধপ্রহ শান্তির উপায় – প্রতিদিন সকালে স্নান করে ভক্তি ভাবে বুধগ্রহর নাম অনুসরন করে কলাগাছে জলঅর্ঘ দিবেন। নবগ্রহ মন্দিরে আস্ত মুগ-কলাই ও সবুজ ফল দান করিবেন। এবং ছোট কোন বাচ্চাদের হাতে আস্ত ফল দান করিলে বুধগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে শুভফল প্রদান করিবেন।

বৃহস্পতির দোষে শান্তির উপায় – ছোলারডাল , Vhojya , পাকা কলা , হলুদবস্ত্র - ব্রাহ্মনকে ভক্তি ভাবে দানকরে চরণস্পর্শ করে আশির্বাদ নিলে গুরু বৃহস্পতিগ্রহ খুশী থাকেন এবং জাতককে বিপদ মুক্তির রাস্তা দেখান ও শান্তি প্রদান করেন।

শুক্র গ্রহর দোষে শান্তির উপায় – শুক্র গ্রহর দোষ থাকিলে জাতক জল দান করা খুবই শুভফল দায়ক যত পারা যায় জল দান করুন কিন্তু শ্রদ্ধাভক্তি মনে। দেখবেন শুক্র গ্রহ দেব ধীরে ধীরে আপনাকে শুভফল প্রদান করিবেন এবং আপনার সময় পরিবর্তনের সুযোগ দেখাদেবে।

শনি গ্রহর দোষ থাকিলে – প্রতি শনিবারে স্নান সেড়ে শনি মন্দিরে কিছু প্রসাদ চরাবেন সঃতেল লোহার ত্রিশুল কালো কাপড় মন্দিরে দান করিবেন এবং অশথ্ব গাছের মূলে চিনী গুড় মিশ্রিত জল শনিদেবের নাম বা মন্ত্র উচ্চারন করে অর্পণ করে থাকলে আপনার দূঃখ দূর্দশা ধীরে ধীরে মোচন হবে এবং শনিদেব খুশীহলে আপনার প্রতি শুভদৃষ্টিতে নজর দেবেন তবেই জাতক সুখী থাকিবেন।

রাহু গ্রহর দোষ থাকিলে – জাতক শনিবারে মাঝে মাঝে ইক্ষু গুড় দান করতে হয় এবং নিজে গুড় বা গুড়ের যে কোন জিনিষ না খাওয়াটা ভালো। সূর্য্যগ্রহণের দিন নারিকেল জলে ভাসিয়ে দিতেহয়। বাড়ীতে রাত্রিতে নারিকেল বাদাম মাংস মশলা ভাজা বা খাওয়া খুবই ক্ষতিকর হয়।তার জন্য এ সমস্ত ত্যাগ করে সর্বদা হনুমানজীর পুজোপাঠে মন দিলে খুবই শান্তি পাবেন।

কেতু গ্রহর দোষ থাকিলে – জাতক শনিবারে মাঝে মাঝে সাদাকালো কম্বল, ছাগল এবং
ধোঁয়া-বর্ণের কাপড় কলা, দান করিলে কেতুগ্রহ খুশী হয়ে জাতককে শুভফল প্রদান করেন।

মানব জীবন :-

আমরা মানুষ,এই পৃথিবীতে মায়ের গর্ভে জন্ম ধারন করার সময়েই আমাদের ভাগ্যলিপি স্বয়ং ভগবানের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়। তার পরেই সেই খাতার লিপিবদ্ধ হিসাব মতেই আমরা এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন করি এবং সেই খাতার মতেই আমাদের জীবন শুরু হয় ও আমরা বেচে থাকা দিনগুলি অতিবাহিত করি। তবে ভগবানের এই ভাগ্যলিপি খাতার নিয়ম অনুসারে মানব জীবন পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন নবগ্রহ দেবতাকে। এবং এই নবগ্রহ দেবতা সকল সেই ভাগ্যলিপি শাস্ত্রর বিধিমতে আমাদের গত হওয়া ও পূর্ব্বজন্মের কর্মফল এবং বর্তমানের কর্মফলের হিসাবে এই সংসারের সুখ দূঃখ আমাদেরকে প্রদান করেন আর আমরা তাই ভোগ করি। এই মনুষ্য জনমের সুখশান্তি বৃদ্ধি এবং দূঃখ দূর্দশা নাশ করার উদ্দ্যেশে আজকের মহান জ্যোতিষী গন গ্রহ দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্যে মানবকে সদুপদেশ ও প্রতিকারের সুব্যাবস্থা বা রত্ন ধারনের পরামর্শ দিয়ে মানব কল্যান কাজে এগিয়ে চলছেন।

বিঃদ্রঃ=জীবনের ভালোমন্দ জানার উদ্যেশ্যে যে কোন বিশেষ জ্যোতিষ দ্বারা পরীক্ষা ও শান্তি সরুপ প্রতিকার করা বিশেষ প্রয়োজন। সময় থাকতে চেষ্টা করুন অবহেলায় দিন কাটালে লোকসান নিজেরই হতেপারে।
JOTISH ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180403

Monday, April 2nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বুধ গ্ৰহ

বুধ গ্ৰহ



বুধ গ্রহ

সূর্যের সবচেয়ে কাছের এবং সৌরজগতের ২য় ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধ (Mercury)। সুর্যের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এবং আকৃতিতে ছোট হওয়ায় পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা কঠিন। তবে বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে পশ্চিমাকাশে সুর্যাস্তের পর এবং পূর্বাকাশে সুর্যাদয়ের ঠিক আগে একবারে দিগন্ত বরাবর বুধকে খালি চোখে দেখা যায়। বুধের ব্যাস প্রায় ৪,৮৮০ কিঃমিঃ (পৃথিবীর চেয়ে ৪০% ছোট এবং আমাদের চাঁদের চেয়ে ৪০% বড়)। এর ভর ৩.৩০ এর পর ২৩টি শুন্য বসালে যা হবে তত কিঃগ্রাঃ।

বুধ এবং পৃথিবীর আকারের তুলনা।

নামকরণঃ
গ্রহ নক্ষত্রের নামকরনের ক্ষেত্রে প্রায় সব ক্ষেত্রেই জ্যোতির্বিদরা পৌরানিক কাহিনীর কাছে হাত পেতেছেন। আর বুধের নামকরন করা হয়েছে রোমান পৌরানিক দেবতা মারকারির (Mercury) নামে; যিনি ছিলেন বানিজ্যের দেবতা। মারকারি দেবতা বানিজ্যর জন্য সর্বদা ছোটাছুটি করতেন। বুধ গ্রহ আকাশে খুব দ্রুত পরিভ্রমণ করে ধারনা করা হয় এ কারনেই এ গ্রহের নাম বুধ (Mercury) রাখা হয়েছে।

সুর্যের সামনে বুধ

বুধ অভিযাত্রাঃ
এ পর্যন্ত দুটি মহাকাশযান বুধ অভিযানে যাত্রা করেছে 'মেরিনার-১০' (Mariner-10) এবং মেসেন্জার (MESSENGER)। মেরিনার-১০, ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ সালের মধ্যে ৩ বার বুধের পাশ দিয়ে উড়ে গেছে। এ সময় মেরিনার-১০ বুধ গ্রহের ৪৫% ছবি তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেরিনার-১০ সূর্যের বেশি কাছাকাছি চলে যায় এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ২০০৪ সালে নাসা মেসেন্জার উৎক্ষেপন করে বুধের উদ্দেশ্যে যা বুধের চারপাশে কয়েকবার ঘুরপাক খাওয়ার পর ২০১১ সালে এর কক্ষপথে কৃত্তিম উপগ্রহ হিসেবে ঘুরতে থাকবে। ২০০৮ সালে প্রথমবার বুধের পাশ দিয়ে উড়ে যাবার সময় মেসেন্জার কিছু হাই কোয়ালিটি ছবি পাঠিয়েছে যা আগে মেরিনার-১০ পাঠাতে পারেনি।

কক্ষপথঃ
বুধ ডিম্বাকৃতি পথে সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণকালে বুধ সুর্যের মধ্যকার সবচেয়ে কম দুরত্ব ৪৬ মিলিয়ন কিঃমিঃ এবং সবচেয়ে বেশি দুরত্ব ৭০ মিলিয়ন কিঃমিঃ। গড় দূরত্ব প্রায় ৫৯ মিলিয়ন কিঃমিঃ। সৌরজগতের গ্রহ গুলোর মধ্যে বুধ সবচেয়ে দ্রুতগামী এবং অল্প সময়ে সুর্যকে প্রদক্ষিন করে (৮৮ দিনে)। নিজ অক্ষের উপর বুধের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৪৮ কিঃমিঃ।

বুধের দিন-রাতঃ
নিজ অক্ষের উপর বুধের এক বার ঘুরতে প্রায় ৫৯ দিন সময় লাগে। শুক্র গ্রহর পর সৌর জগতের গ্রহ গুলোর ঘুর্ণণের ক্ষেত্রে এ সময় সর্বোচ্চ (অর্থ্যাৎ নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরতে অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বুধ ২য় সবোর্চ্চ সময় নেয়)। নিজ অক্ষের উপর ধীর গতির ঘুর্ণণ আর সুর্যের চারপাশে দ্রুতগতির প্রদক্ষিণে দুয়ের কারনে বুধের দিনের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। বুধের এক দিন=পৃথিবীর ১৭৬ দিন!

গঠনঃ
বুধের গঠন অনেকটা আমাদের চাঁদের মত। তবে এর ভূ-পৃষ্ঠ চাঁদের চেয়ে অনেক প্রাচীন এবং অসংখ্য আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ সমৃদ্ধ। জ্বালামুখ গুলোর ব্যাস একশত থেকে হাজার কিঃমিঃ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং ৩ কিঃমিঃ পর্যন্ত উঁচু। পৃথিবীর পর সৌরজগতের সর্বোচ্চ ঘনত্বের গ্রহ হল বুধ। বুধের অভ্যন্তর ভাগের বেশির ভাগই হল তরল লোহা। বিজ্ঞানীদের ধারনা কেন্দ্র থেকে ১৮০০ থেকে ১৯০০ কিঃমিঃ ব্যাসার্ধ পর্যন্ত লোহার স্তর বিদ্যমান। এর বাইরের দিকে আছে সিলিকার স্তর। এর বিস্তৃতি ৫০০ থেকে ৬০০ কিঃমিঃ।

তবে বুধের ভু-পৃষ্ঠের অন্যতম বৈশিষ্ট হল "ক্যালরি বেসিন"। বুধের প্রায় পুরো ভু-পৃষ্ঠই এবড়োথেবড়ো, শুধুমাত্র ক্যালরি বেসিন ছাড়া। এই সমতল বেসিনের ব্যাসার্ধ প্রায় ১৩০০ কিঃমিঃ। ধারনা করা হয় সৌরজগতের জন্মলগ্নের সময়ে সৃষ্ট এই বেসিন কোন এক বড় ধরনের মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন।

বায়ুমন্ডল ও তাপমাত্রাঃ
বুধ একটি শুষ্ক, বাতাসহীন, অত্যাধিক গরম গ্রহ। এর চারপাশে পাতলা স্তরের "বায়ুমন্ডল" বিদ্যমান। এই "বায়ুমন্ডল" সামান্য হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং সোডিয়ামের মুক্ত পরমানুর সমন্বয়ে গঠিত যা সৌর বায়ু (Solar Wind) সাথে বুধের ভূ-পৃষ্ঠের সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই মুক্ত পরমানু বুধের অত্যাধিক তাপে উত্তপ্ত হয়ে অল্প সময়েই মহাকাশে হারিয়ে যায় এবং পরক্ষনেই সৌর বায়ুর সঙ্গে ভু-পৃষ্ঠের সংঘর্ষের কারনে আবার মুক্ত পরমানু তৈরী হয়। দিনের বেলা সুর্যের তাপমাত্রা ৪৫০ ডিগ্রি সেঃ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু রাতের বেলা তা কমে মাইনাস ১৭০ ডিগ্রি সেঃ পর্যন্ত নামতে পারে! এর প্রধান কারন হল এখানে কোন বায়ুমন্ডল নাই।

বুধের তাপমাত্রা অত্যাধিক হওয়ায় সেখানে জল/বরফের অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু রাডার অবজারভেশনে বুধের উত্তর মেরুতে জমাট বাঁধা বরফের ছায়া দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন বুধের অক্ষ এর কক্ষপথের সাথে প্রায় সমকোন থাকায় উত্তর মেরুতে সুর্য সর্বদা দিগন্তের মাঝামঝি থাকে এবং এখানকার জ্বালামুখ গুলো এত উঁচু (প্রায় ৪ থেকে ৫ কিঃমিঃ) যে এর অভ্যন্তরে কখনোই সুর্যের আলো পৌঁছায় না এবং এ কারনে উত্তর মেরুর জ্বালামুখের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা মাইনাস ১৬১ ডিগ্রি সেঃ বা এর কম হতে পারে। এখানে জমাট বাঁধা কিছু বরফ থাকতেও পারে।

বুধের কিছু চমকপ্রদ তথ্যঃ
১) বুধের বয়স প্রায় পৃথিবীর বয়সের সমান (সাড়ে ৪ বিলিয়ন বছর)।
২) বুধের চৌম্বক্ষেত্র খুবই ক্ষীণ; পৃথিবীর চৌম্বক্ষেত্রের তুলনায় ১% মাত্র।
৩) বুধ ভু-পৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে যদি আপনি সুর্যের দিকে তাকান তাহলে সুর্যকে পৃথিবীতে যত বড় দেখায় তার চেয়ে আড়াইগুন বড় দেখতে পাবেন।
৪) বুধের আকাশ প্রায় সবসময় কালো কারন বুধের প্রকৃত কোন "বায়ুমন্ডল" নাই। এজন্য দিনের বেলায় আকাশের দিকে তাকালে অসংখ্য তারা দেখতে পাবেন!
৫) পৃথিবীতে আপনার ওজন ৭০ কেজি হলে বুধে আপনার ওজন হবে প্রায় ২৩ কেজি (কারন বুধের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর প্রায় একতৃতীয়াংশ।
৬) অত্যাধিক গরম আর বাতাস না থাকার কারনে বুধে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভবনা নাই বললেই চলে।
৭) এখন পর্যন্ত বুধের কোন উপগ্রহ পাওয়া যায়নি।

বুধ সৌরজগতের সব থেকে ছোট গ্রহ। বুধ বুদ্ধির কারক গ্রহ। অন্যান্য গ্রহ গুলি বিভিন্ন সমন্বয়ে শুভ অশুভ ফল প্রদান করে থাকে। কিন্তু বুধ একক ভাবে শুভ স্থান গত হলে শুভ ফল প্রদান করে আবার অশুভ স্থানে থাকলে অশুভ ফল প্রদান করে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে দেখে নেওয়া যাক বুধের কোন স্থানের কী প্রতিকার -
১) লগ্নে বুধ পীড়িত হলে —
ক) যে কোনও সবুজ বস্তু দূরে রাখুন।
খ) বুধবার দিন মদ, মাংস ডিম ভক্ষণ করবেন না।
গ) যদি ব্যবসা করেন তবে স্থায়ী ব্যবসা করুন।
২) দ্বিতীয় স্থানে বুধ পীড়িত-
ক) প্রতিদিন পাঁচটি তুলসীপাতা সেবন করুন।
খ) নিজের শ্যালিকার সঙ্গে কোনও রকম মন্দ আলোচনা করবেন না।
গ) পায়রা, ছাগল, মুরগি ইত্যাদি ঘরে রেখে পুষবেন না।
৩) তৃতীয় স্থানে অশুভ বুধ -
ক) প্রত্যহ লবণ দিয়ে দাঁত মাজুন।
খ) পাখিদের চাল, গম জাতীয় কিছু খাওয়ান।
গ) শ্বাসকষ্টের রোগীদের ঔষধ দান করুন।
৪) চতুর্থ স্থানে অশুভ বুধ -
ক) সোনা অথবা রুপোর গহনা পড়ুন।
খ) প্রতিদিন কপালে কেশরের তিলক লাগান।
গ) বুধবার দিন বাঁদরকে খাওয়ান।
৫) পঞ্চমে অশুভ বুধ -
ক) সাদা সুতোতে একটি তামার পয়সা দিয়ে গলায় পড়ুন।
খ) বড়দের বস্ত্র ও শিশুদের খেলনা দান করুন।
গ) গরুকে শাক সবজি খাওয়ান।
৬) ষষ্ঠ স্থানে অশুভ বুধ -
ক) একটি রুপোর আংটি কোনও বিবাহিত মহিলাকে উপহার দিন।
খ) কোনও শুভ কাজ করার আগে নিজের কন্যাকে ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে যান।
গ) একটি বোতলে গঙ্গাজল ভরে তা কোনও চাষ যোগ্য জমিতে পুঁতে দিন।
৭) সপ্তম স্থানে বুধ অশুভ হলে -
ক) শেয়ারে কোনও ব্যবসা করবেন না।
খ) নারীদের সম্মান করুন।
গ) কখনও ভিখারিকে পয়সা দেবেন না, খাবার কিনে দেবেন।
৮) অষ্টমে অশুভ বুধ -
ক) মাটির পাত্রে মধু দিয়ে তকে মাটিতে পুঁতে দিন।
খ) একটি পাত্রে দুধ বা বৃষ্টির জল ছাদে রেখে দিন।
গ) কোনও মহিলাকে নাকের নথ উপহার দিন।
৯) নবমে বুধ অশুভ হলে -
ক) সবুজ বর্ণকে উপেক্ষা করুন।
খ) ধার্মিক স্থানে মাশরুম দান করুন।
গ) ফকিরের কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করবেন না।
১০) দশমে বুধ অশুভ হলে -
ক) মাছ, মাংস, ডিম বর্জন করুন।
খ) ধার্মিক স্থানে চাল ও দুধ দান করুন।
১১) একাদশে বুধ অশুভ হলে -
ক) পান্না ও সবুজ বর্ণ বর্জন করুন।
খ) তামার আংটি পড়ুন।
গ) বিধবা বোন বা পিসিকে বাড়িতে রাখবেন না।
১২) দ্বাদশে বুধ অশুভ হলে -
ক) স্টিলের আংটি অনামিকায় ধারণ করুন।
খ) কেশরের জলে স্নান করুন।
গ) কোনও কাজ করার আগে মাতা-পিতার অনুমতি নিন ও প্রণাম করুন।

(৬) বুধাদিত্য যোগ - রবির সঙ্গে বুধের যোগ হলেই এই যোগ হয়। রবির থেকে বুধের দূরত্ব ১০ ডিগ্রির কম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। যেহেতু বুধ রবির খুব কাছে থেকেই আবর্তিত হয় তাই এই যোগ খুবই সহজ লভ্য।
ফল - অত্যন্ত বুদ্ধিমান, সম্মানিত ও সুনামের অধিকারী। বুধ এবং রবি একই সঙ্গে অবস্থিত হলেই যে ফল ভাল হবে তা নয়। এই যোগ যথাযথ ফল দেবে যদি রবি ও বুধের বল যথেষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে বুধ অগ্নি ও বায়ু রাশিতে সব চেয়ে বেশী নিজেকে প্রকাশ করে। অনেকের মতে এই যোগ বেশী ফলদায়ক হবে যদি বুধ ও রবি মেষ, মিথুন, সিংহ বা কন্যা রাশিতে সংযুক্ত হয়। মেষ রবির তুঙ্গী ক্ষেত্র, মিথুন বুধের স্ব্ক্ষেত্র, সিংহ রবির স্বক্ষেত্র এবং কন্যা বুধের স্বক্ষেত্র ও তুঙ্গীক্ষেত্র। কন্যা যদিও পৃথ্বীরাশি, তবুও বুধের স্বক্ষেত্র ও মূলত্রিকোন বলে এই রাশিতে ভাল ফল দিতে পারে। তবে অধিকাংশই নির্ভর করবে বুধের শক্তির উপর। সেই জন্যই গ্রহের বল নির্ণয় খুব প্রয়োজন। নির্দ্দিষ্ট জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণের সময় এ সম্বন্ধে আরও আলোকপাত করা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই যোগ মেষ রাশিতে, বঙ্কিমচন্দ্র ও শরৎচন্দ্রের ক্ষেত্রে এই যোগ যথাক্রমে মিথুন ও কন্যা রাশিতে ছিল।



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180402

Sunday, April 1st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রুদ্রাক্ষ

রুদ্রাক্ষ


রুদ্রাক্ষ
-
বিভিন্ন শাস্ত্রে এক থেকে চৌদ্দমুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ ব্যবহারের যে নিয়ম, আচার ও অনুষ্ঠানের উল্লেখ আছে তা এখন বলা হচ্ছে।
-
একমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
রুদ্রাক্ষের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রেণীকে ‘শিব’ নামে অভিহিত করা হয়। রুদ্রাক্ষের যেসব গুণাগুণের কথা ইতিপূর্বে বলা হয়েছে সে সমস্তই এ শ্রেণির রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। খুবই দুর্লভ শ্রেণীর রুদ্রাক্ষ এবং অত্যন্ত মূল্যবানও বটে। বলা হয়, এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষ অপরাজেয় হয়। বিশেষ আধ্যাত্মিক উন্নতিও ঘটে। রুদ্রাক্ষের উজ্জীবন করতে হয়, 'ওঁ ঐং' মন্ত্র ১০৮ বার উচ্চারণ করে ডান বাহুতে বা কণ্ঠে এ রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে লোকপ্রভাবিনী শক্তির স্ফুরণ ঘটে। রাশিচক্রে রবিগ্রহ, পাপপীড়িত, পাপগ্রহদৃষ্ট, নীচস্থ পাপযুক্ত বা যে কোনোভাবে পীড়িত হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূর্বক জপ করে ধারণ করলে রবিগ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট হয়।
-
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
এ জাতীয় রুদ্রাক্ষকে ‘হরগৌরী’ নামে অভিহিত করা হয়। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে মনের একাগ্রতা জীবনে শান্তি এনে দেয়। অজ্ঞাতসারে গোহত্যাজনিত পাপের স্খলন হয়। কুলকুলিনী শক্তি সম্পর্কে চেতনার সঞ্চার করে। মন্ত্র উচ্চারণসহযোগে এই রুদ্রাক্ষের উজ্জীবন হয়। মন্ত্র পাঠ করে ডান হাতে বা কণ্ঠে এ রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ত্রিজন্ম সঞ্চিত পাপরাশি দূরীভূত হয়। রাশিচক্রে কেতুগ্রহ নীচস্থ, পাপপীড়িত বা যে কোনোভাবে অশুভ হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি সংস্কারপূর্বক 'ওঁ শ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপ করে ধারণ করলে কেতুগ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট হয়।
-
ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এ জাতীয় রুদ্রাক্ষের নাম ‘অগ্নি’। অতীত পাপ বিনষ্ট করে, মানুষের সৃজনীশক্তির বিকাশ সাধন করে, চিরকর্মচঞ্চল জীবনীশক্তিকে উন্নীত করে, ম্যালেরিয়া রোগ নিবারণ করে। মন্ত্র পাঠ করে দু’বাহুতে ধারণ করলে অসাধারণ শক্তির সঞ্চার হয়। রাশিচক্রে মঙ্গল বা যে কোনোভাবে পীড়িত হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কারপূর্বক 'ওঁ ধ্রুং ধ্রুং' মন্ত্র ১০৮ বার জপ করে ধারণ করলে মঙ্গল গ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট হয়।
-
চতুর্মুখী রুদ্রাক্ষ
=========
জ্যোতিষক নাম ‘ব্রহ্মা’। মনের ক্রিয়াকলাপের উপরে এ শ্রেণির রুদ্রাক্ষের প্রভাব চমত্কার। সে কারণে উন্মত্ততা, অনিদ্রা, বিষাদময়তা ইত্যাদি মানসিক রোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা হয়। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়। তুচ্ছ বিষয়ে মানসিক অস্থিরতার উপশম হয়, মানসিক অবসাদ দূর হয়, উদ্বেগ, ভয়, খিটখিটে স্বভাব ও আত্মহনন-চিন্তা ইত্যাদির প্রকোপ হ্রাস করে, বক্তৃতা-ক্ষমতা, কর্মতত্পরতা ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উন্মেষকারক এ রুদ্রাক্ষ মন্ত্র পাঠ করে কণ্ঠে ধারণ করতে হয়। রাশিচক্রে চন্দ্রগ্রহ নীচস্থ, পাপযুক্ত ও পাপপীড়িত হয়ে দ্বিতীয়ে, ষষ্ঠে, অষ্টমে দ্বাদশে অবস্থান করলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কার করে 'ওঁ হ্রীং হ্রং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ডান হাতে ধারণ করলে চন্দ্রগ্রহের সমস্ত কুফল নষ্ট করে বিভিন্ন শান্তি ও সুখ আনয়ন করে।
-
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
সর্বাধিক পরিচিত এবং সর্বত্রই এ রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। এ রুদ্রাক্ষ দুই শ্রেণির হয়ে থাকে। এর নাম ‘কালাগি রুদ্র’। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে নিষিদ্ধ খাদ্যগ্রহণ ও নিষিদ্ধ কর্ম সম্পাদনের পাপ অপনোদন হয়, মানসিক প্রশান্তি আসে। শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র সহযোগে সন্ধ্যাকালে দেহের যে কোনো অংশে ধারণ করলে অখাদ্য ভোজনজনিত পাপ নষ্ট হয়। রাশিচক্রে শনিগ্রহ, রবিযুক্ত হলে লগ্নে, দ্বিতীয়ে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে, দ্বাদশে অবস্থান করলে বা যে কোনোভাবে শনিগ্রহ পাপপীড়িত, নীচস্থ ও অশুভ গ্রহযুক্ত হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি সংস্কারপূর্বক 'ওঁ হ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ধারণ করলে শনিগ্রহের সমস্ত অশুভ ফল নষ্ট হয়।
-
ষড়মুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এ জাতীয় রুদ্রাক্ষের নাম ‘কার্তিকেয়’। ছাত্রদের পক্ষে ও যারা দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন তাদের পক্ষে এ রুদ্রাক্ষ বিশেষ উপকারী। জ্ঞানবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ রুদ্রাক্ষর চমত্কার কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়। মন্ত্রযোগে রুদ্রাক্ষ উজ্জীবন করা হয়। ভূত-প্রেতাদি দ্বারা অনিষ্ট সাধনের ক্ষেত্রে প্রতিকাররূপে ধারণীয়। মানসিক অবসাদ, স্বভাবের উগ্রতা ও নানা রোগের উপকারকারী এ রুদ্রাক্ষ। রাশিচক্রে শুক্র কন্যায় নীচস্থ, অশুভ গ্রহযুক্ত দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশে অবস্থান করলে বা অশুভ হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি সংস্কারপূর্বক 'ওঁ ঐং হ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ধারণ করলে শুক্রগ্রহের সমস্ত অশুভ ভাব নষ্ট হয়।
-
সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এ শ্রেণির রুদ্রাক্ষের নাম অনন্ত মাতৃকা। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে সামাজিক প্রতিষ্ঠা, অর্থ মান, যশ ও প্রতিপত্তিলাভের পথ সুগম হয়ে থাকে। রাশিচক্রে রাহুগ্রহ রবি ও চন্দ্র যুক্ত হয়ে লগ্নে দ্বিতীয়ে, চতুর্থে, পঞ্চমে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে, নবমে, দশমে এবং দ্বাদশে অবস্থান করলে বা কোনোভাবে অশুভ হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উক্ত রুদ্রাক্ষ উজ্জীবন করতে হয়। 'ওঁ হ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর উক্ত রুদ্রাক্ষ কণ্ঠে ধারণ করলে রাহু গ্রহের সমস্ত কুফল বিনষ্ট হয়।
-
অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এই রুদ্রাক্ষের দুটি নাম বিনায়ক ও বটুকভৈরব। শনিগ্রহ ও রাহুর অশুভ প্রভাব খর্ব করে। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে হঠাত্ আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দুষ্কৃতকারীদের হাতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রাশিচক্রে শনি ও রাহু অশুভ থাকলে উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি সংস্কারপূর্বক পুরুষের ডান বাহুতে এবং স্ত্রীলোকের বাম বাহুতে ধারণীয়। 'ওঁ রুং রং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর উক্ত রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
-
নবমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এ রুদ্রাক্ষের নাম মহাকাল ভৈরব। ধারণে জীবনে উন্নতির সূচনা যায়, সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জয়লাভ করা হয়। দুর্ঘটনা ও হঠাত্ মৃত্যুর হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। ধারণের পূর্বে মন্ত্র উচ্চারণ করে এ রুদ্রাক্ষের উজ্জীবন বা প্রাণসঞ্চার করে নিতে হয়।
মন্ত্র পাঠের পর উচ্চারণ করতে হয়। বুদ্ধিবৃত্তিজনিত কাজকর্মের ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রচুর সুফল দান করে এ রুদ্রাক্ষ। রাশিচক্রে বৃহস্পতি গ্রহ মকরে নীচস্থ, মকরস্থানে অবস্থান করলে, বা মারকস্থ হলে এবং ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ স্থানে অবস্থান করলে কিংবা কোনোভাবে অশুভ হলে এ গ্রহের শান্তির নিমিত্ত উপরোক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধ সংস্কার পূর্বক 'ওঁ হ্রাং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর পুরুষের দক্ষিণ বাহুতে এবং স্ত্রীলোকের বামবাহুতে ধারণ করলে সকল অশুভ বিনাশ হয়।
-
দশমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এ শ্রেণির রুদ্রাক্ষ দুর্লভ। এর নাম মহাবিষ্ণু। মর্যাদা, প্রতিষ্ঠা, সুনাম, খ্যাতি, সন্মান, পার্থিব সমৃদ্ধি, কর্মদক্ষতা এবং ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে সহায়ক এ রুদ্রাক্ষ। প্রেতাদি কর্তৃক অনিষ্টকর প্রভাব থেকেও মুক্ত হওয়া যায়। রাশিচক্রে বুধ গ্রহ নীচস্থ শত্রুযুক্ত ও শত্রুক্ষেত্রগত, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানে অবস্থান করলে বা কোনোভাবে পীড়িত হলে উক্ত রুদ্রাক্ষ যথাবিধি মন্ত্রোচ্চারণপূর্বক সংস্কার করে 'ওঁ হ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ধারণ করতে হয়। মন্ত্র পাঠ ও জপ করে জপের পর উক্ত রুদ্রাক্ষ কণ্ঠে ধারণ করলে সমস্ত অশুভ দূরীভূত হয়।
-
একাদশমুখী রুদ্রাক্ষ:
=========
এটি একটি বিশেষ জাতের রুদ্রাক্ষ। এর নাম মহামৃত্যুঞ্জয়। মেয়েদের নানা অসুখের ক্ষেত্রে একান্তভাবেই সুফল প্রদানকারী, আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটলে, আত্মহনন চিন্তা এসে মনকে ও মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে উঠলে এ রুদ্রাক্ষ ধারণে তার উপশম হয়। মন্ত্র উচ্চারণযোগে রুদ্রাক্ষ উজ্জীবিত করে ধারণ করা প্রয়োজন। রাশিচক্রে শুক্র ও মঙ্গল অশুভ থাকলে মন্ত্রে যথাবিধি সংস্কার করে 'ওঁ শ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ডান হাতে ধারণ করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব নাশ হয়।
-
দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
এর নাম অর্ক বা আদিত্য। এ রুদ্রাক্ষ রবি ও রাহুর অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করে। রবি যখন মকরে বা কুম্ভরাশিতে অবস্থিত হয়ে অশুভদশা প্রাপ্ত হয় তখন এ রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সকল কুফল নষ্ট হয়। ব্যবসায়িক মন্দা বা অসাফল্য নিবারণ করতে মন্ত্র সহযোগে এ রুদ্রাক্ষকে উজ্জীবন করে ধারণ করতে হয়। 'ওঁ হ্রাং হ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর রুদ্রাক্ষটি কণ্ঠে ধারণ করলে সমস্ত অশুভ বিনষ্ট হয়।
-
ত্রয়োদশমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
এর নাম কাম। এর ধারণে সর্বভাবেই কামনীয় বিষয়ের প্রাপ্তিযোগ ঘটে। এ রুদ্রাক্ষ ধারণে উচ্চাকাঙ্ক্ষার পরিপূরণ হয়। চিন্তামণি মন্ত্র সহযোগে এ রুদ্রাক্ষ উজ্জীবন করতে হবে। অতঃপর 'ওঁ ক্ষৌং নমঃ' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ডান হাতে ধারণ করলে সমস্ত পাপ দূর হয় ও সকল মনোরথ সিদ্ধি হয়। এর ধারণে চন্দ্র ও শুক্রের অশুভ প্রভাব নাশ হয়ে থাকে।
-
চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ
=========
এই রুদ্রাক্ষ শ্রীকণ্ঠ নামে পরিচিত। এই রুদ্রাক্ষ ইন্দ্রিয় সংযমে সাহায্য করে। পঞ্চমুখ হনুমানমন্ত্র সহযোগে একে উজ্জীবিত করতে হয়। মন্ত্র পাঠ করে বীজমন্ত্র জপ করে ধারণ করলে শুক্রগ্রহের সমস্ত অশুভ বিনষ্ট হয়। 'ওঁ তমাং' মন্ত্র ১০৮ বার জপের পর ধারণ করলে বৃহস্পতি ও রবির সমস্ত অশুভ প্রভাব নষ্ট হয়ে থাকে।
-
জ্যোতিষমতে স্কন্দপুরাণানুযায়ী রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হলো। শুদ্ধচিত্তে সঠিক মন্ত্রোচ্চারণাদিপূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফল লাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য পুরোহিতের সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। সংক্রান্তি, অষ্টমী তিথি, চতুর্দশী তিথি, গ্রহণ, পূর্ণিমা বা অমাবস্যা ইত্যাদি পুণ্য তিথিতেই রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে বা কণ্ঠে স্বর্ণসূত্রে, রৌপ্যসূত্রে বা কার্পাসসূত্রে গ্রথিত করে পঞ্চগব্য, পঞ্চামৃত দ্বারা মহাস্নান করিয়ে উল্লিখিত মন্ত্রসহযোগে রুদ্রাক্ষকে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180401

Saturday, March 31st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

অষ্টমপতির সপ্তমে অবস্থান

অষ্টমপতির সপ্তমে অবস্থান

শুভ রাত্রি সকল বন্ধুরা
অষ্টম পতির সপ্তম ভাবে অবস্থান গত ফলাফল :-

অষ্টম পতির সপ্তম ভাবে অবস্থানকে জ্যোতিষের ভাষায় আমরা বলতে পারি অষ্টম পতির তার নিজের ভাব থেকে দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করছে .আসুন আমরা দেখি এই অবস্থানের তাৎপর্য কী কী হতে পারে .

প্রথমত :- যখন অষ্টম পতি সপ্তম ভাবে অবস্থান করে , তখন সপ্তম ভাবের হানি ঘটে . এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে স্বামী কিংবা স্ত্রীর স্বাস্থ্য হানি ঘটবে নতুবা একাধিক স্বামী কিংবা স্ত্রী থাকবে .

দ্বিতীয়ত :- সপ্তম ভাব কাম ভাব এবং অষ্টম ভাব কাম অঙ্গের ভাব . কাম অঙ্গের পতি কাম ভাবে থাকলে কামজ চাহিদা অনেক বাড়বে . ফলে জাতক উশৃঙ্খল যৌনাচারে লিপ্ত হবে . যদি সপ্তম ভাবে কোন শুভ গ্রহের অবস্থান না থাকে বা দৃষ্টি না থাকে , তাহলে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন .

তৃতীয়ত :- কামজ আসক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বামী কিংবা স্ত্রী থেকে যৌন সুখ না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল . জ্যোতিষ শাস্ত্রের গোড়ার দিকে বহু বিবাহ প্রথা প্রচলন ছিল . কিন্তু বর্তমান ভারতীয় সংবিধানে বহু বিবাহ নিষিদ্ধ . তার ফল স্বরূপ পুরুষ কিংবা মহিলা গ্রহের এই ভাব গত অবস্থান এবং অশুভ গ্রহ সংযোগে অবৈধ প্রণয়ে লিপ্ত হবেন যা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় .

চতুর্থত :- আমরা অষ্টম ভাব থেকে আয়ু বিচার করি . আয়ুপতি যদি তার দ্বাদশ ভাবে অর্থাৎ সপ্তমে ( মারক ভাব ) অবস্থান করে , তাহলে কিন্তু আয়ুর ব্যয় বিচার করি .এক্ষেত্রে জাতকের স্বল্পায়ুর ইঙ্গিত বহন করে .যদি লগ্ন পতি শুভত্ব পায় , তাহলেও কিন্তু জাতক দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগবে .

পঞ্চমত :- সপ্তম ভাব ব্যবসা স্থান .ব্যবসার সম্পদ বা অর্থ হল সপ্তমের দ্বিতীয় বা অষ্টম ভাব .সুতরাং অষ্টম পতির সপ্তম ভাবে শুভ অবস্থানের কারণে ব্যবসার সম্পদ বৃদ্ধি ঘটবে আর অশুভ অবস্থানের কারণে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হবে .

ষষ্ঠত :- সপ্তম ভাব থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে বিদেশ ভ্ৰমণ বিচার করা হয় . তাই অষ্টম পতির সপ্তম ভাবে অবস্থানের ফলে বিদেশ ভ্ৰমণ কালে নানান ঝামেলার শিকার হতে পারেন আপনি .

সপ্তমত :- অষ্টম পতি সপ্তম ভাবে অবস্থান করুক কিন্তু যদি সপ্তম পতি শুভত্ব পায় এবং অষ্টম ভাবে শুভ গ্রহের দৃষ্টি থাকে তাহলে কিন্তু জাতক প্রচুর সুনাম বা খ্যাতি অর্জন করবে . তাছাড়া বিদেশে অর্থাৎ জন্ম স্থান থেকে বাইরে প্রভূত সাফল্য লাভ করবে .

অষ্টমত :- অষ্টম পতির সপ্তম ভাবে অবস্থানের আরো একটি মজার ব্যাপার হল - এরা বিড়াল তপস্বী . বাইরে থেকে এদের চেনা খুবই কঠিন . চলিত কথায় ভন্ড বাবাজী . বাইরে থেকে দেখায় এরা খুব ঈশ্বর বিশ্বাসী কিন্তু আদপে তা নয় .ইহা নির্ভর করে অষ্টম পতির কারকতার ওপর .

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180331

Friday, March 30th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনিগ্ৰহ

শনিগ্ৰহ

শনি গ্রহ

সৌরজগতের ৬ষ্ঠ গ্রহ।
শনি সৌরজগতের ৬ষ্ঠ গ্রহ। বৃহস্পতির পর এর অবস্থান। এটি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্যের দিক থেকে এর অবস্থান ষষ্ঠ। হিন্দু পৌরাণিক দেবতা 'শনি'র নামানুসারে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে। এর ইংরেজি নাম Saturn। রোমান দেবতা Saturn (স্যাটার্ন) এর নামানুসারে ইংরেজি Saturn নামটি গ্রহণ করা হয়েছে। নিরক্ষীয় এলাকায় এর ব্যাস ১২০৮০ কিলোমিটার। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ১৪৭,২০,০০,০০০ কিলোমিটার। মেরু অঞ্চলের ব্যাস ১০৯০০০। এর ঘনত্ব জলের ০.৬৮ গুণ। সূর্যপ্রদক্ষিণকাল ২৯.৪৬ পার্থিব বৎসর। এটি নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তিত হতে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। এই গ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে পাথুরে উপকরণ। মধ্য ও উপরিভাগের অধিকাংশই হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। এর সাথে রয়েছে বোরাক এবং কোরানিক জল,আশ্চর্যের বিষয় হলো সেখানে মামুলি মামুলি নায়েক এর মুন্ডুটা জ্বলজ্বল করে, মিথেন এবং এ্যামোনিয়া। আর এই গ্রহকে ঘিরে রয়েছে বিস্তৃত বলয়। শনির উপরিভাগের ৭০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত মেঘরাশির উপর থেকে এই বলয়ের শুরু এবং তা প্রায় ৭৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বলয়রাশির ভিতর বিভিন্ন পরিমাপের ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা স্থানের বিচারে এর বলয়গুলিকে কয়েকটি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাগগুলি হলো- ডি, সি, বি, এ, এফ , জি, ই। এর সবচেয়ে বড় ফাঁকা স্থানের নাম ক্যাসিনি বিভাজন (Cassini Division)। এর বিস্তৃতির পরিমাণ প্রায় ১২০,৬০০ কিলোমিটার। পক্ষান্তরে এ এবং বি বলয়ের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৪৮০০ কিলোমিটার।

বৈদিক জ্যোতিষ অনুযায়ী শনি, সবচেয়ে অগ্নিময় গ্রহ| শনি সৌরজগতের ধীরতম চলন্ত গ্রহ| এই কারণে, এটি একটি ঠান্ডা, অনুর্বর, শুষ্ক গ্রহ এবং তার প্রভাব অধিক তীব্রতার সঙ্গে এবং অন্য কোন গ্রহের চেয়ে বেশি সময়সীমার জন্য অনুভূত হয়|
কথিত আছে যে, শুক্রের অধীনে যে সকল মানুষ জন্মায় তারা শনির অনুকূলে থাকে| অপরপক্ষে, যারা বুধের অধীনে জন্মায় তাদের পক্ষে শনি মন্দ| জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি একটি সাপ, যার মাথাকে রাহু এবং লেজকে কেতু বলা হয়| কেতু কে অগ্রাধিকার দিলে কোন ব্যক্তির অত্যন্ত উপকার হয়|
অতএব, শনির অবস্থান কোন ব্যক্তির সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করে থাকে| শনি মহাদশা উনিশ বছরের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের হয়ে থাকে| শনি, কোন ব্যক্তির কঠোর শৃঙ্খলা ও শ্রমের উপর বিলম্ব এবং অসুবিধা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব তৈরি করে|
সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই সময়টি আগামী দিনের জন্য, একজন ব্যক্তিকে সক্ষম, শক্তিশালী ও কার্যকরী পরিণত করার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে| এই সময়টি ব্যক্তির জন্য চাপ ও দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে| শনি যদি দুর্বল ভাবে স্থাপন করা হয় তাহলে, স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন দীর্ঘস্থায়ী এবং যন্ত্রণাদায়ক রোগ, ক্যান্সার, চর্মরোগ, পক্ষাঘাত, বাত, গেঁটেবাত, বদহজম, বাতুলতা, পুরুষত্বহীনতা, হাঁপানি, প্রস্রাব এবং অন্ত্রের বিঘ্ন হতে পারে|
আত্মীয়স্বজন, গার্হস্থ্য সঙ্কট ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতানৈক্য হতে পারে| সম্পদ হানি, মানসিক অস্থিরতা, চক্ষু ও কিডনির সাথে সম্পর্কিত রোগের প্রভাব দেখা যেতে পারে| পত্নী ভুগতে পারেন এবং পরিবারের প্রবীণদের ব্যথার কারণ হতে পারে|
শনি মহাদশার এই সব খারাপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য কয়েকটি কার্যকর প্রতিকার আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন| এই প্রতিকার সম্পূর্ণরূপে মহাদশা কাটাতে সাহায্য নাও করতে পারে| কিন্তু এটা শনি মহাদশার যথেষ্ট প্রভাব কমিয়ে আনবেএক নজর দেখে নিন|

রুদ্রাভিষেক
সোমবার ও শনিবার শিবলিঙ্গে জল ঢালা শনি মহাদশার জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার বলা হয়|

হনুমানের উপাসনা
মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমানের উপাসনা মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে| এছাড়াও হনুমান চালিসা প্রতিদিন পাঠ করলে শনির দশা শান্ত করতে সাহায্য করে|

কালো তিল
শিবের কাছে প্রার্থনা করলে শনি দেবতা সন্তুষ্ট হন| প্রতিদিন বা বিশেষভাবে শনিবারে কাঁচা দুধের সাথে কালো তিল শিবলিঙ্গের ওপর ঢাললে শনির বিরূপ প্রক্রিয়া শান্ত করতে সাহায্য করে|

মাষকলাইয়ের ডাল দান
দরিদ্র মানুষকে কালো মাষকলাইয়ের ডাল দান করুন এবং প্রবাহিত নদীতে কিছু ভাসিয়ে দিন|

সরিষা তেল
একটি বাটিতে সরিষার তেলে আপনার ছায়া দেখুন এবং শনিবারে তেলটি দান করে শনি দেবতার অনুগ্রহ পান|

খিচুড়ি
শনি দেবতার অনুগ্রহ পেতে শনিবারে, চাল এবং কালো মাষকলাই ডালের খিচুড়ি খান এবং ওই দিন আমিষ খাবার এড়িয়ে চলুন|

উপবাস
যেসব লোকেরা সাধে সতী, শনি ধাইয়া, মহাদশা বা অন্তর্দশার প্রভাবে পড়েন তাদের শনিবারে উপবাস করা প্রয়োজন| শনিবার উপবাস পালনে মানুষের বাত, পৃষ্ঠবেদনা, পেশির সমস্যা দূর হয়| এছাড়াও এই উপবাস একজন ব্যক্তিকে আশাবাদী করে তোলে এবং মানসিক চাপ থেকে রেহাই দেয়|

তেল
প্রতি শনিবার, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীর ও নখের উপর তেল প্রয়োগ করুন| মাদক বা কোনো ধরনের আসক্তির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন|

কালো রং পরুন
কালো শনি দেবের পছন্দের রং| সুতরাং, শনিবার কালো পরুন যদি আপনি শনি গ্রহর দ্বারা বিচলিত থাকেন এবং তাঁর অনুগ্রহ চান|

শনি মন্ত্র
"নীলাঞ্জন সমভাষাম রবিপুথোরাম যমরাজাম ছায়া মার্থন্দ সম্ভূতম থম নমামি সানাইশ্যারাম"| বীজমন্ত্র :ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ ।
যত বার সম্ভব শনিবারে এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন| কমপক্ষে একশো আট বার পাঠ করার চেষ্টা করুন,নীল পোশাক পরে,উত্তর বা দক্ষীন দিকে মুখ করে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
ASTRO Palmist Neumerology Center
@astrokush.info



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180330

Thursday, March 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

ল ক্ষী যোগ

ল ক্ষী যোগ

আপনার ধন-ভাগ্যে লক্ষ্মীযোগ কেমন?

কোষ্ঠী বা কুণ্ডলীতে থাকা লক্ষ্মীযোগই নির্ধারণ করতে পারে জাতকের জীবনে ধনাগম, সঞ্চয় ইত্যাদিকে। জেনে নিন কোনো জাতকের কী ভাগ্য থাকে।

সকলের এই ভাগ্য থাকে না, কারোর কারোর থাকে। জ্যোতিষ জাতকের ধনভাগ্য নির্ণয়ে যে লক্ষণগুলোর উপরে জোর দেয়, তার মধ্যে লক্ষ্মীযোগ অন্যতম। কোষ্ঠী বা কুণ্ডলীতে থাকা লক্ষ্মীযোগই নির্ধারণ করতে পারে জাতকের জীবনে ধনাগম, সঞ্চয় ইত্যাদিকে।

- জ্যোতিষ-মতে, লক্ষ্মীযোগ খুব সাধারণ বিষয় নয়। মঙ্গল ও চন্দ্রের সহাবস্থানই একমাত্র এই যোগকে সূচিত করতে পারে।

- জাতকের কোষ্ঠীতে যদি দ্বিতীয় ঘরের অধিপতি গ্রহ একাদশে এবং একাদশের অধিপতি গ্রহ দ্বিতীয়ে অবস্থান করে, তা হলে লক্ষ্মী যোগ সূচিত হয়।

- যদি দ্বিতীয়ের অধিপতি গ্রহ এবং একাদশের অধিপতি নবম ঘরের অধিপতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে, তবে লক্ষ্মী যোগের সম্ভাবনা প্রবল।

- কোষ্ঠীতে শুক্রের অবস্থানও এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় ঘরে শুক্রের অবস্থান হলে জাতকের ধনভাগ্য তুমুল।

- প্রাচীন জ্যোতিষ অনুসারে ভগবান বুদ্ধের জন্মপত্রিকায় কোনো লক্ষ্মীযোগ ছিল না। থাকার কথাই নয়। তবে বুদ্ধদেব যে সম্পদ পেয়েছিলেন, তার কাছে পার্থিব ধনভাগ্য লাগে কি?

- বিভিন্ন রাশির জাতকের ধনভাগ্য কেমন, তাও বর্ণনা করে জ্যোতিষ শাস্ত্র—

১) মেষ রাশি : পঞ্চম ঘরে মঙ্গল, শনি ও বৃহস্পতি থাকায় ভনাগম মন্দ নয়।

২) বৃষ রাশি : দ্বিতীয় ঘরে শনি-মঙ্গলের অবস্থানহেতু এদের ধনাগম আকস্মিক।

৩) মিথুন রাশি : বুধ ও শনি নবম ঘরে তাদের স্থান পরিবর্তন করে, ফলে ধনাগম যথেষ্ট। এতে চন্দ্রযোগ দিলে সোনায় সোহাগা। পিতৃধন লাভ নিশ্চিত।

৪) কর্কট রাশি : দ্বিতীয় বা দ্বাদশ ঘরে শুক্র অবস্থান করায় এবং বৃহস্পতি কেতুর সঙ্গে স্থান বিনিময় করায় ধন ও খ্যাতি- দুই-ই লাভ হয়।

৫) সিংহ রাশি : চতুর্থ ঘরে মঙ্গল থাকলে এবং শুক্র সহেয় হলে ধনাগম রীতিমতো ভালো। ব্যবসায় শুভ।

৬) কন্যা রাশি : দ্বিতীয়ে কেতু এবং শুক্র অবস্থান করলে আকস্মিক ধন লাভ। সম্পত্তি ক্রয়ের যোগও থাকে।

৭) তুলা রাশি : শুক্র ও কেতুর দশায় অর্থাগম হয়। কিন্তু খরচও মন্দ নয়।

৮) বৃশ্চিক রাশি : বুধ ও বৃহস্পতির প্রবাবে কোটিপতি হওয়ার যোগ থাকে এদের। চন্দ্রযোগ দিলে সেই সঙ্গে উদিত হয় অন্য ভাগ্যও।

৯) ধনু রাশি : অষ্টমে চন্দ্র থাকলে শুভ। রবি-কেতু-বৃহস্পতির প্রভাবেও অর্থাগম হয়।

১০) মকর রাশি : চন্দ্র সহায় থাকলে বিপুল ধন লাভ। লগ্নে তুলা থাকলে কোটিপতি হওয়ার সম্ভাবনা।

১১) কুম্ভ রাশি : দশমে চন্দ্র ও শনির স্থান বিনিময়ে লাভের সম্ভাবনা। ষষ্ঠে বুধ অবস্থান করলেও শুভ। অর্থের সঙ্গে খ্যাতি উপরি পাওনা।

১২) মীন রাশি : দ্বিতীয়ে চন্দ্র এবং পঞ্চমে বুধ থাকলে অর্থাগম নিয়মিত। ষষ্ঠে বৃহস্পতি থাকলে বিপুল ধনাগম।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=201803291

Thursday, March 29th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বৃহস্পতি গ্ৰহ

বৃহস্পতি গ্ৰহ



জ্যোতিষ শাস্ত্রে বৃহস্পতি

আমাদের জীবনে বৃহস্পতির প্রভাব

জ্যোতিষ শাস্ত্র জিজ্ঞাসু দের সামনে  এটা সবার কাছে পরিষ্কার প্রত্যেক জাতকের জীবনে প্রভাব স্পষ্ট আমরা দেখতে পায় । বৃহস্পতির প্রভাব অধিকাংশতঃ শুভ হয় । বৃহস্পতি গ্রহের কৃপায় আমরা সবাই জীবিত । বৃহস্পতির গুরুত্ত্বআকর্ষণ শক্তি এত অধিক যে নিত্য দিন মহাকাশে উল্কা পাত হয় ,বৃহস্পতি তার গুরুত্ব আকর্ষণ শক্তিতে সেই উল্কাদের নিজের বুকে টেনে নেয় ।

পৌরাণিক পরিচয় ঃ বৃহস্পতির মাতা শ্রদ্ধা , শ্রদ্ধা কর্দম ঋষির তৃতীয় কন্যা ।তার বিবাহ অঙ্গিরা ঋষি সাথে হয়েছিল । তার বোন যোগ সিদ্ধা ।

বৈজ্ঞানিক পরিচয় ঃ সৌর মণ্ডলে পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৮৫১১৪০০০ মাইল দূরে , কখনও তা ভ্রমণ কালে পৃথিবীর ৩৬৩৫৮৫০০ মাইল কাছে চলে আসে । এর ব্যাস ৯৮৭০০০ মাইল ।

বৃহস্পতি ঃ জন্ম প্ত্রিকা তে যে স্থানে সেই স্থানে ক্ষতি করে । কিন্তূ যে স্থানে দৃষ্টি দেয় সেই ভাবে শুভ ফল বৃদ্ধি করে । বৃহস্পতি যদি লগ্ন ভাবে বসে তাহলে জন্ম কুণ্ডলী তে সমস্ত দোষ দূর করে দিতে পারে ।

বৃহস্পতি  পঞ্চম , সপ্তম , নবম ভাবে পূর্ণ দৃষ্টি থাকে । দ্বিতীয় , পঞ্চম , দশম , একাদশ ভাবের কারকত্ব ।

জ্যোতিষে বৃহস্পতি বাক পটুতা , দেব স্থান , কর্মযোগ , মাঙ্গলিক কাজ , কর্তব্য , বাহন , কীর্তি , প্রতাপ , ধর্ম , শিক্ষা , স্বর্ণ , পুত্র , মন্ত্র , অন্তরজ্ঞান , রাজতন্ত্র , প্রবচন কারী , লেখক , প্রকাশক , রাজ্য সুখ , রাজ কৃপা , সচিব , শারিরিক পুষ্টতা , রত্ন ব্যবসায়ি , ন্যায় বান , শ্রাপ , আধ্যাত্মিকতা , রাজনীতি , উচ্চভিলাস , শিক্ষক , অধ্যাপক , সুসজ্জিত বাহন , সুখদায়ক নিবাস , পুত্র কারক , উকিল , ন্যায়ধিস ।

নবগ্রহের মধ্যে বৃহস্পতি অত্যাধিক মহত্মপূর্ণ । এই গ্রহ জাতকের জীবনে শুভতা ও সুখ প্রদানকারী ,বৃহস্পতি কে দেব গুরু বলে । সমস্ত দেবতার পূজনীয় । বৃহস্পতি যদি জন্ম পত্রিকা তে ভাল থাকে তাহলে পত্রিকার সমস্ত বিপত্তি দূর করে । বৃহস্পতি ধন ,জ্ঞান , সন্মান , সন্তান ইত্যাদির কারক মনে করা হয় । বৃহস্পতির মূল্যায়ন না করে কোন ফলাদেশ করা সম্ভব নয় । বৃহস্পতি সৌর মণ্ডলে সর্ব বৃহৎ গ্রহ ।

স্কন পুরান অনুসারে প্রভাস তীর্থে গিয়ে বৃহস্পতি ভগবান শিবের কঠোর তপস্যা করেন , তখন তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দেবগুরু পদ প্রদান করেছে । বৃহস্পতি কে অগ্নিদেবের অবতার মনে করা হয় । বৃহস্পতি  বলবান হলে জাতক মন্ত্রী পদ প্রাপ্তি হয় । বৃহস্পতি ৫,৭,৯ ভাবে পূর্ণ দৃষ্টি দেয় । কর্কট রাশি তে বৃহস্পতি উচ্চ । বৃহস্পতি কে শুক্রর পর সর্বাধিক শুভ গ্রহ । বৃহস্পতি অশুভ থাকলে জাতককে গোটা জীবন সংঘর্ষময় হয় । এই জাতক পূর্ব জীবনের অশুভ ফল ভোগের জন্য জন্ম নেয় ।

বৃহস্পতির দৃষ্টিতে অমৃত বৃষ্টি হয় । বৃহস্পতি লগ্নে বা রাশি প্রভাবিত জাতক তারা তাদের জীবনে লক্ষ্য স্থির করে গভীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে জাতক কঠোর পরিশ্রম করে । নিঃস্বার্থ ভাবে এরা সমাজ সেবা করে ।

জীব ক্ষেত্রে যদা শনি ক্ষেত্রে যদা জীব ।

স্থান হানি করউ জীবঃ স্থান ব্রিদ্ধি করউ শনি ।।

বৃহস্পতির রাশি তে শনি , ঐ ভাবের বৃদ্ধি করে , ধনু আর মীন রাশিতে শনি বলবান হয় । বৃহস্পতি লগ্নেশ হয়ে অধিকতর শুভফল দায়ক । সমৃদ্ধি ,সম্পত্তি, উন্নতির কারক বৃহস্পতি ।

গোচর ফল ঃ

জন্ম রাশি  মানসিক ভয়

দ্বিতীয়      আর্থিক লাভ

তৃতীয়    ক্লেশ

চতুর্থ     আর্থিক হানি

পঞ্চম  সুখ , আর্থিক লাভ , বিদ্যা , সন্তান

ষষ্ঠ       শোক ,রোগ , শত্রু

সপ্তম    রাজ সন্মান

অষ্টম   মৃত্যু , মৃত্যু তুল্য , কষ্ট , আর্থিক হানি

নবম  সুখ , আর্থিক লাভ ,

দশম  দারিদ্রতা , বচন ভঙ্গ , বানী হানি

একাদশ  আর্থিক লাভ

দ্বাদশ  রোগ , কষ্ট

লগ্নে বৃহস্পতি ০০ জাতক সুন্দর দেহধারী , দীর্ঘায়ু , সমদৃষ্টি তে কাজ , পণ্ডিত , ধৈর্যবান , শ্রেষ্ঠ

দ্বিতীয় ভাবে ০০ জাতক ধনী , ভজন প্রিয় , বাগ্মি , সুন্দর দেহ ও বানী , পরোপকারী , ত্যাগী

তৃতীয় ভাবে ০০ জাতক দুঃখী , লোভী , সদা বিজয়ী , ভাই থেকে পরাজিত , পাপী

চতুর্থ ভাব ০০  সুখ , বুদ্ধি , ভোগ , ধন যুক্ত , শত্রু কে পীড়নকারী

পঞ্চম ভাব ০০০ সুখ , পুত্র , মিত্র সম্পন্ন , পণ্ডিত , ধৈর্যবান , ঐশ্বরজ , সুখি

ষষ্ঠ  ভাব০০ পীড়িত , নির্বল , আলসী , শত্রু বিজয়ী

সপ্তম ভাব ০০ ভাগ্যবান , ইচ্ছিত স্ত্রী , বক্তা , কবি , প্রধান , পণ্ডিত , বিখ্যাত

অষ্টম ভাব ০০ পণ্ডিত , দীর্ঘায়ু ,

নবম ভাব ০০ জাতক পিতৃ ও দেব কাজে লীন , ভাগ্যবান , রাজা , মন্ত্রী , নেতা

দশম ভাব ০০ চতুর , সম্পন্ন , জ্ঞাতা , ধন জন বাহন সম্পন্ন

একাদশ ভাব ০০ দীর্ঘায়ু , ধৈর্যবান , বিদ্বান

দ্বাদশ ভাব ০০ আলসি ,সংসার দ্বেষী ,অস্থির বানী ,  সেবা কাজে বিলীন

জাগতিক ও সনাতন জ্যোতিষ শাস্ত্রে মতে, সমস্ত শুভত্বের কারক গ্রহ হল বৃহস্পতি । জ্যোতিষ শাস্ত্রে বৃহস্পতি কে দেব গুরু ও অমৃতের কারক বলা হয় । বৃহস্পতিই একমাত্র সত্যকে সত্য রুপে উপলব্ধি করার ক্ষমতা দেয় । সাহিত্যিক তার সাহিত্য সাধনায়,  বৈজ্ঞানিক তার বিজ্ঞান সাধনায় , ধর্মবেদ তার ধর্ম কর্মে বৃহস্পতি কৃপা দৃষ্টি না থাকলে সার্থকতা লাভ করতে পারে না । গ্রহ ভাবে হিসাবে বৃহস্পতির কারকতা গুলো হল ধন সম্পত্তি ,ধার্মিকতা , শাস্ত্রজ্ঞান , তত্ত্বজ্ঞান , অধ্যাপনা ,সন্তান , প্রজ্ঞা ,জ্ঞান বুদ্ধি , দেবতা , ব্রাহ্মন , স্বর্ণ , বস্ত্র , প্রভৃতি । দৈহিক কারকতা দিক থেকে বৃহস্পতি দেহের অভ্যন্তরে যে সমস্ত যন্ত্র গুলো বাহ্যিক পদার্থ কে আত্মসাৎ করে দেহ পুষ্ট করে সবই বৃহস্পতি কারকতা মধ্যে পড়ে , তার প্রধান দেহাঙ্গ গুলো হল ফুসফুস ও পরিপাক যন্ত্র বিশেষতঃ যকৃত বা লিভার । কালবলানুসারে বৃহস্পতি দিবাবলি । মহর্ষি পরাশর তার রচিত বৃহৎপরাশরী হোরা শাস্ত্রম এর গ্রহ স্বরুপ বর্ণনাধ্যায়ে আঠাশ নং শ্লোকে বৃহস্পতি প্রভাবিত জাতক জাতিকার স্বরুপ বর্ণনা করে বলেছেন । বৃহৎদ্রাব্য গুরুশ্বৈব পিংলৌ মুধ্রজেন, কাফপ্রকৃতিকো ধীমান , সর্বশাস্ত্রবিশারদ ।।

জ্যোতিষীয় দৃষ্টিকোনের বিচারে বৃহস্পতি ,

দিবাবলী গ্রহ বৃহস্পতি বেদের মতানুসারে দুটো ভিন্ন শব্দের সংযুক্তারথক অর্থবহ । বৃহৎ অর্থ বড় এবং পতি অর্থ হল রক্ষক । তাই সবচেয়ে বড় রক্ষক রুপে গ্রহ কুলে বৃহস্পতি সমহিমায় বিরাজিত । শাস্ত্র অনুসারে কথিত আছে ” স্থানহানি করতী জীবাঃ ” অর্থাৎ বৃহস্পতি যে ভাবে অবস্থান করে সেই ভাবের পক্ষে ক্ষতিকারক কিন্তু যে ভাবে দৃষ্টি প্রদান করে সে ক্ষেত্রে শুভ ফল দেয় । যেমন চতুর্থে লগ্ন অনুসারে বৃহস্পতি জাতক জাতিকা কে দীর্ঘ আয়ু দান করে । জাতক উচ্চতম অধিকারির প্রিয়পাত্র হয় কর্মক্ষেত্রে । গোচরে কেন্দ্র [ লগ্ন ,চতুর্থ , সপ্তম , দশম ভাব ] এ রাশি বা লগ্ন অনুসারে বৃহস্পতির অবস্থান জাতকের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসে । অপরপক্ষে রাশি বা লগ্ন অনুসারে [ ষষ্ঠ ,অষ্টম ,দ্বাদশ ,ভাবে ] বৃহস্পতি অবস্থান জাতকের জীবনে অশুভ পরিবর্তন নিয়ে আসে সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে । মকর , কুম্ভ রাশিতে বৃহস্পতি ভাল ফলদাতা হয় না । বৃহস্পতি কর্কট রাশিতে পুষ্যা নক্ষত্রে ০৫ ডিগ্রি তুঙ্গি আর মকর রাশিতে ০৫ ডিগ্রি তে উত্তরসারা নক্ষত্রে নিচস্থ হয় । বৃহস্পতি মুল ত্রিকোণ ধনু রাশিতে [০১-২০] ।

রাশিচক্রের গতির অনুসারে বৃহস্পতি ।

সৌরজগতে রবি থেকে পঞ্চম এবং সর্ব অপেক্ষা বৃহৎ গ্রহ , রাশি চক্র পরিভ্রমণে ১১/৮৬ বছর লাগে , সাধারন ভাবে বারো বছর লাগে ।  রাতের অন্ধকারে তৃতীয় উজ্জ্বলতম মহাজাগতিক বস্তু বৃহস্পতির গতি তিন প্রকার নৈস্রগিক , বক্র , তীব্র
বৃহস্পতির বর্ণ- হলুদ,সংখ‍্যা- ৩,মিত্র গ্ৰহ-রবি, চন্দ্র, মঙ্গল
শত্রু গ্ৰহ-বুধ,শুক্র
বীজমন্ত্র: ঔঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে


 ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180329

Wednesday, March 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী গনেশের মূর্তি

বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী গনেশের মূর্তি

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে কোনও ধরনের গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এক্ষেত্রে গণেশের শুঁড় কোন দিকে রয়েছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই নিয়মটি মেনে চলা না হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসার পরিবর্তে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধটিতে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো নিয়মিত যদি গণেশ ঠাকুরের পুজো শুরু করা যায়, তাহলে ধনবান হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এমনটা তখনই সম্ভব হবে, যখন আপনি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি কিনে আনবেন বাড়িতে। এক্ষেত্রে আর কিছু নয়, খেয়াল রাখতে হবে গণেশ ঠাকুরের শুঁড় কোন দিকে আছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

১. বাড়িতে রাখতে হবে যে মূর্তিঃ-

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে মূর্তিতে গণেশের শুঁড় বাঁদিকে রয়েছে, তেমন মূর্তি বাড়াতে এনে রাখা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে গৃহে চন্দ্রের শুভ প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে সুখ-শান্তি বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। ফলে সাফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? গণেশ ঠাকুরের শুঁড় যেমন বাঁদিকে থাকবে, তেমনি দেব যেন বসা অবস্থায় থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বসা অবস্থায় থাকা গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে বেজায় উপকার পাওয়া যায়।

২. গণেশ ঠাকুর নাঁচছেন এমন মূর্তি নৈব নৈব চঃ-

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের মূর্তি ভুলেও বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ এই ধরণের মূর্তি মূলত অনিয়ন্ত্রিত এনার্জির প্রতীক। তাই তো এমন ধরনের মূর্তি গৃহের মধ্যে থাকলে বাড়িতে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়।

৩. এমন মূর্তি যার শুঁড় রয়েছে ডান দিকেঃ-

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে ডান দিকে শুঁড় রয়েছে এমন গণেশ ঠাকুরের মূর্তি প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুজো করতে হয়। আর যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে এই পুজো করা না যায়, তাহলে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে উপকার হওয়ার থেকে অপকার হয় বেশি। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে নানাবিধ বিপদ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা উচিত। ডান দিকে শুঁড় রয়েছে এমন গণেশের মূর্তিকে "সিদ্ধিবিনায়ক" নামে ডাকা হয়ে থাকে। এমন মূর্তিকে যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে পুজো করতে পারেন, তাহলে মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, জানেন কি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে যে গণেশের মূর্তি রয়েছে তার শুঁড় ডান দিকে। এবার বুঝেছেন তো এই মন্দিরকে কেন সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির নামে ডাকা হয়ে থাকে!

৪. শুঁড় ছুঁয়ে রয়েছে লাডডুকেঃ-

খেয়াল করে দেখবেন গণেশ ঠাকুরের এমনও মূর্তি রয়েছে, যাতে শুঁড় ছুয়ে থাকে হাতে থাকা লাডডু বা মিষ্টিকে। এমন ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।

৫. শুঁড় যখন একেবারে সোজাঃ-

গণেশ ঠাকুরর শুঁড় ডান দিকে বা বাঁদিকে না থেকে যদি সোজা থাকে, তাহলে এমন মূর্তি কিনতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এই ধরনের গণেশ মূর্তি বেজায় শুভ। তাই তো এমন ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গৃহে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। মেলে অর্থনৈতিক সাফল্যও। তবে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে নিরামিষ খেতে হয়। শুধু তাই নয়, যেখানে গণেশ ঠাকুরকে প্রতিষ্টা করা হয়েছে যেখানে, সেই জায়গাটি যেন সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।

৬. মোদক বা মিষ্টির সংখ্যাঃ-

নারকেল এবং চিনি দিয়ে তৈরি মোদক হল গণেশ ঠাকুরের বেজায় পছন্দের মিষ্টি। তাই তো বাপ্পার পুজো করার সময় এই মিষ্টিটি পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি কতগুলি মোদক পরিবেশন করলে গণেশ ঠাকুর বেজায় খুশি হন? শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় বিজোড় সংখ্যায় মিষ্টি পরিবেশন করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন উপকার পাবেন একেবারে
হাতে-নাতে।

https://www.apnc.co.in/
ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=201803282

Wednesday, March 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

আদ‍্যা স্তোত্র

আদ‍্যা স্তোত্র

সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা
আদ‍্যা স্তোত্র

॥ আদ্যাস্তোত্রম্ ॥ ওঁ নম আদ্যায়ৈ । শৃণু বত্স প্রবক্ষ্যামি আদ্যা স্তোত্রং মহাফলম্ । য়ঃ পঠেত্ সততং ভক্ত্যা স এব বিষ্ণুবল্লভঃ ॥ ১॥ মৃত্যুর্ব্যাধিভয়ং তস্য নাস্তি কিঞ্চিত্ কলৌ য়ুগে । অপুত্রা লভতে পুত্রং ত্রিপক্ষং শ্রবণং য়দি ॥ ২॥ দ্বৌ মাসৌ বন্ধনান্মুক্তি বিপ্রবক্ত্রাত্ শ্রুতং য়দি । মৃতবত্সা জীববত্সা ষণ্মাসং শ্রবণং য়দি ॥ ৩॥ নৌকায়াং সঙ্কটে য়ুদ্ধে পঠনাজ্জয়মাপ্নুয়াত্ । লিখিত্বা স্থাপয়েদ্গেহে নাগ্নিচৌরভয়ং ক্বচিত্ ॥ ৪॥ রাজস্থানে জয়ী নিত্যং প্রসন্নাঃ সর্বদেবতা । ওঁ হ্রীং ব্রহ্মাণী ব্রহ্মলোকে চ বৈকুণ্ঠে সর্বমঙ্গলা ॥ ৫॥ ইন্দ্রাণী অমরাবত্যামবিকা বরুণালয়ে। য়মালয়ে কালরূপা কুবেরভবনে শুভা ॥ ৬॥ মহানন্দাগ্নিকোনে চ বায়ব্যাং মৃগবাহিনী । নৈঋত্যাং রক্তদন্তা চ ঐশাণ্যাং শূলধারিণী ॥ ৭॥ পাতালে বৈষ্ণবীরূপা সিংহলে দেবমোহিনী । সুরসা চ মণীদ্বিপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ॥ ৮॥ রামেশ্বরী সেতুবন্ধে বিমলা পুরুষোত্তমে । বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাক্ষ্যা নীলপর্বতে ॥ ৯॥ কালিকা বঙ্গদেশে চ অয়োধ্যায়াং মহেশ্বরী । বারাণস্যামন্নপূর্ণা গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী ॥ ১০॥ কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী ব্রজে কাত্যায়নী পরা । দ্বারকায়াং মহামায়া মথুরায়াং মাহেশ্বরী ॥ ১১॥ ক্ষুধা ত্বং সর্বভূতানাং বেলা ত্বং সাগরস্য চ । নবমী শুক্লপক্ষস্য কৃষ্ণসৈকাদশী পরা ॥ ১২॥ দক্ষসা দুহিতা দেবী দক্ষয়জ্ঞ বিনাশিনী । রামস্য জানকী ত্বং হি রাবণধ্বংসকারিণী ॥ ১৩॥ চণ্ডমুণ্ডবধে দেবী রক্তবীজবিনাশিনী । নিশুম্ভশুম্ভমথিনী মধুকৈটভঘাতিনী ॥ ১৪॥ বিষ্ণুভক্তিপ্রদা দুর্গা সুখদা মোক্ষদা সদা । আদ্যাস্তবমিমং পুণ্যং য়ঃ পঠেত্ সততং নরঃ ॥ ১৫॥ সর্বজ্বরভয়ং ন স্যাত্ সর্বব্যাধিবিনাশনম্ । কোটিতীর্থফলং তস্য লভতে নাত্র সংশয়ঃ ॥ ১৬॥ জয়া মে চাগ্রতঃ পাতু বিজয়া পাতু পৃষ্ঠতঃ । নারায়ণী শীর্ষদেশে সর্বাঙ্গে সিংহবাহিনী ॥ ১৭॥ শিবদূতী উগ্রচণ্ডা প্রত্যঙ্গে পরমেশ্বরী । বিশালাক্ষী মহামায়া কৌমারী সঙ্খিনী শিবা ॥ ১৮॥ চক্রিণী জয়ধাত্রী চ রণমত্তা রণপ্রিয়া । দুর্গা জয়ন্তী কালী চ ভদ্রকালী মহোদরী ॥ ১৯॥ নারসিংহী চ বারাহী সিদ্ধিদাত্রী সুখপ্রদা । ভয়ঙ্করী মহারৌদ্রী মহাভয়বিনাশিনী ॥ ১০॥ ইতি ব্রহ্ময়ামলে ব্রহ্মনারদসংবাদে আদ্যা স্তোত্রং সমাপ্তম্ ॥ ॥ ওঁ নম আদ্যায়ৈ ওঁ নম আদ্যায়ৈ ওঁ নম আদ্যায়ৈ ॥

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=201803281

Wednesday, March 28th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বিষকন‍্যাযোগ

বিষকন‍্যাযোগ


বিষকন্যা যোগ
===========
জ্যোতিষ শাস্ত্রের ‘স্ত্রী-জাতক’ অধ্যায়ে বিয়ের পক্ষে অশুভ একাধিক যোগের কথা বলা হয়েছে, যা খুবই অশুভ এবং সুস্থ, স্বাভাবিক ও সুখী বিবাহিত জীবনের অন্তরায়। যেমন- বিষকন্যা যোগ, বহুগামিতা, অস্বাভাবিক যৌনাচার ইত্যাদি। বিবাহ বিচারে সহজে চোখ এড়িয়ে যায় এবং প্রায় অনালোচিত প্রধান যোগটি হল বিষকন্যা যোগ। শাস্ত্রে বিষকন্যা যোগে জন্ম হওয়া কন্যাকে বিষ-তুল্য পরিত্যাগের বলা হয়েছে। তথাকথিত মাঙ্গলিক বা ভৌমদোষের থেকেও এই যোগ প্রবল অশুভ।
বিষকন্যা যোগ তিন ধরনের হতে পারে – (১) বার, তিথি ও নক্ষত্র সমন্বয়ে, (২) বিশেষ তিথি ও নক্ষত্র সমন্বয়ে, (৩) জন্ম ছকের ভাব কেন্দ্রিক অশুভ গ্রহাবস্থান ও সমন্বয়ে।
প্রথম প্রকার বিষকন্যা যোগ --- এই যোগ গড়ে ওঠে যখন –
(১) শনিবার, দ্বিতীয়া তিথি এবং অশ্লেষা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়, (২) রবিবার দ্বাদশী তিথি এবং শতভিষা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়, (৩) মঙ্গলবার,সপ্তমী তিথি এবং বিশাখা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়।

দ্বিতীয় প্রকার বিষকন্যা যোগ –- এই যোগ গড়ে ওঠে যখন-
(১) শুক্লা বা কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে চিত্রা নক্ষত্রে কারো জন্ম হয়,
তৃতীয় প্রকার বিষকন্যা যোগ --- এই যোগ মূল জন্ম ছকের ভাব-কেন্দ্রিক গ্রহাবস্থান অনুসারে গড়ে ওঠে – (১) লগ্নে শনি, পঞ্চমে রবি এবং নবমে মঙ্গল অবস্থান করলে, (২) লগ্নে শুভ ও অশুভ গ্রহ উভয়েই থাকবে এবং ষষ্ঠে দুটি অশুভ গ্রহ থাকবে।
এই বিষযোগে জন্ম হওয়া জাতিকার অন্যান্য সৎ গুণ থাকা সত্বেও অকাল বৈধব্য, সন্তান-হানি, স্বামী পরিত্যক্তা, কুলটা ও দুরাচারিণী হয়। একাধিক অবৈধ প্রণয় ও নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া লাগামহীন ব্যভিচার, বিলাস-ব্যসন, উদ্দাম জীবন যাপন করে। বংশ, মান-মর্যাদা ও কুল- শীলের হানি ও অধোগমনের কারণ হয়।

জন্মেছকে বিষকন্যা যোগ থাকলে, গুরুত্ব সহকারে খণ্ডন বা ভঙ্গ যোগ আছে কিনা, বিচার করে দেখা উচিৎ। বিষকন্যা যোগ ভঙ্গ হবে যদি --- (ক) লগ্নের সপ্তম পতি বা সপ্তম ভাব শুভদৃষ্ট বা শুভগ্রহ যুক্ত হয়। (খ) চন্দ্রের সপ্তম পতি বা সপ্তম ভাব -শুভ দৃষ্ট বা শুভগ্রহ যুক্ত হয়। (গ) লগ্ন ও চন্দ্র- উভয়েই শুভ গ্রহ যুক্ত হলে বা শুভগ্রহ দৃষ্ট হলে এবং সেই সঙ্গে সপ্তমে শুভ গ্রহের জোরালো প্রভাব বা দৃষ্টি থাকলে।
যদি কোনও রাশি চক্রে বিষকন্যা যোগটি পূর্ণ ভাবে থাকে বা আংশিক ভাবে বা নাক্ষত্রিক সংযোগ থাকে তাহলে একই ধরণের ফলাফল ঘটতে দেখেছি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে এই যোগ নারীপুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য এবং বহু পুরুষের জীবনে এই যোগ বিষময় ফল দিয়েছে। বিশেষ করে যদি চন্দ্র – অশ্লেষা (৯), চিত্রা (১৪), বিশাখা (১৬) বা শতভিষা (২৪) নক্ষত্রে থাকে এবং গ্রহ হিসাবে শুক্র, মঙ্গল ও রাহু যদি জন্ম ছকের সপ্তম, অষ্টম, দ্বাদশ বা লগ্নে অবস্থান করে অথবা যে কোনও ধরনের অশুভ সংযোগ তৈরি করে, তাহলে বিষকন্যা যোগ প্রবল ভাবে জীবনে ফলদায়ক হয়। এই প্রসঙ্গে জানাই, জনশ্রুতি, স্যার আশুতোষ মুখার্জির কন্যা কমলা দেবীর তিনবার বিয়ে হয় এবং তিনবারই বৈধব্য বরণ করেন। বিবাহ বিচার করার সময় বিষকন্যা যোগ আছে কি না এবং সেই সঙ্গে সমগ্র রাশিচক্রের সার্বিক শুভাশুভ গ্রহাবস্থান অবশ্যই বিচার করা উচিৎ।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180328

Tuesday, March 27th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনির সাড়ে-সাতি

শনির সাড়ে-সাতি


★★★ শনির সাড়ে সাতী★★★
--------------------------------------------------------------
জন্মছকে চন্দ্র যে রাশিতে অবস্থান করবে,গোচরে তার আগের রাশিতে শনি যখন এসে উপস্থিত হবে তখন শনির সাড়ে সাতী শুরু হবে।এই আগের রাশিতে শনির অবস্থান(গোচরে),রাশির ওপরে শনির অবস্থান এবং রাশির দ্বিতীয়ে গোচরে শনির অবস্থানকে শনির সাড়ে সাতী বলা হয়। সাড়ে সাত বছরের শনির এই অবস্থানকে সাড়ে সাতী বলা হয়।
জন্মছকে যদি শনি পিড়ীত থাকে তবে এই শনির সাড়ে সাতী অত্যন্ত অশুভ। জীবনে নানা দুর্বিসহ ঘটনা ঘটায়।জন্মছকে শনি শুভ এবং শক্তিশালী হলে সাড়ে সাতিতে কোনো অশুভ প্রভাব দেয় না বরং শুভফল দিয়ে থাকেন।
(১)শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্য্যায়ের ফলঃ-
-------------------------------------------------------
এই সময়ে জাতক,জাতিকাদের গুরুজন ও তাদের বাবা,মা এবং নিকট ব্যক্তিদের জন্য অশুভ ফল প্রদান করেন।মাতা-পিতার বিপওি,গুরুজন হানি,বড় শারীরিক বিপওিতে আক্রান্ত বা দূর্ঘটনা ঘটায়।
(২)শনির সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্য্যায়ের ফলঃ-
---------------------------------------------------------
জাতকের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, শরীর-স্বাস্থ্যহানি, দূর্ঘটনা ও অর্থ ক্ষতি করায়।

(৩)শনির সাড়ে সাতির তৃতীয় পর্য্যায়ের ফলঃ-
---------------------------------------------------------
এই সময়টা অত্যন্ত অশুভ। আগের দুটো পর্য্যায়ের থেকেও এটা ক্ষতিকর।এই সময় সন্তানের ক্ষতি, সন্তানের শরীর স্বাস্থ্যহানী,সন্তান হানি,দাম্পত্য কলহ,মানষিক উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়।প্রচন্ড বদনাম বা অপবাদ দেয়।এই সময় জাতক, জাতিকাদের অনেক সংযমের মধ্যে থাকতে হবে।

জেনে নিন শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কোন রাশিতে কখন বেশি থাকে

শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কিন্তু জন্ম কোষ্ঠীতে তখনই পড়ে যখন কোষ্ঠী দুর্বল হয়। অর্থাৎ জন্ম কোষ্ঠীর সবলতা ও দুর্বলতা অনুযায়ী জাতক বা জাতিকার সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে। কিন্তু বিভিন্ন চন্দ্র রাশির পক্ষে শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন কেবল নীচে দেওয়া সময়গুলিতেই খারাপ ফল দেয়।
মেষ- মধ্য আড়াই বছর তুলা- শেষ আড়াই বছর।
বৃষ- প্রথম আড়াই বছর বৃশ্চিক- পরের পাঁচ বছর।
মিথুন- শেষ আড়াই বছর ধনু- পরের পাঁচ বছর।
কর্কট- মধ্য আড়াই বছর মকর- প্রথম আড়াই বছর।
সিংহ- প্রথম আড়ই বছর কুম্ভ- শেষ আড়াই বছর।
কন্যা- প্রথম আড়াই বছর মীন- পরের পাঁচ বছর।
পূর্ণ সাড়ে সাতি চলাকালীন শনি কোনও চন্দ্র রাশির জাতকের উপরে ক্ষতিকারক হয় না। বৃশ্চিক, ধনু ও মীন রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে সাড়ে সাতি চলাকালীন পাঁচ বছর সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে শনির সাত বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর খারাপ ফল দেয়।
কিছু কিছু জ্যোতিষ গ্রন্থে দেখা যায়, শনির সাড়ে সাতিকে জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক মানা হয়েছে। কারণ এই সময়ে অর্থাৎ এই সাড়ে সাতি চলাকালীন জাতক বা জাতিকা নিজের জীবনকে বিচার করার, বিশ্লেষণ করার সুযোগ পায়। শনি সাড়ে সাতির শুরুতে প্রথমে জাতকের মাথায় আরোহণ করে, মধ্যভাগে ধড় এবং শেষে পায়ে নেমে এসে শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। সাড়ে সাতির পূর্ণ সময়কে আরও বেশি সঠিক ভাবে বণ্টন করে শনি তার সাড়ে সাতির মোট ৯০ মাস অবধি চলাকালীন কেবল ২৫ মাস অশুভ পরিণাম দেয়। বাকি ৬৫ মাস কিছুটা ঠিক থাকে।
শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমানোর জন্য শনি দেবকে তুষ্ট করুন। নিজের জন্ম ছক ভাল করে বিচার করুন। ‘ওঁ রাং শনৈশ্চরায় নমঃ’ এই মন্ত্রটি ১০০৮ বার সন্ধ‍্যায় নীল পোশাক পরে করবেন।
বা ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়ঃ ১০০৮ বার প্রত‍্যহ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks

.



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180327

Monday, March 26th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

কালসর্পযোগ

কালসর্পযোগ


.কালসর্প যোগ ও
কোন কালসর্প যোগে কী ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন

কালসর্প যোগ তখনই হয় যখন রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনি এই সাতটি গ্রহ কোনও জন্মছকে রাহু ও কেতুর মাঝখানে থাকে। মোট ১২টি কালসর্প যোগ আছে। কোন কালসর্প যোগে কী কী ক্ষেত্রে কুপ্রভাব বিস্তার করে দেখে নেওয়া যাক—
#এক:
১। অনন্তনাগ কালসর্প যোগ—
যখন লগ্নে রাহু ও সপ্তমে কেতু অবস্থান করে, বাকি গ্রহগণ তাদের মধ্যে অবস্থান করে। এই যোগে জাতক সারা জীবন কষ্ট করেও সাফল্য পায় না এবং সাংসারিক জীবন বিঘ্নিত হয়।

২। কুলিক কালসর্প যোগ—
যখন রাহুর অবস্থান দ্বিতীয়ে এবং কেতু অষ্টমে অবস্থান করে। এর ফলে জাতক সারা জীবনে অর্থ সঞ্চয় করতে পারে না এবং দাম্পত্য জীবনও সুখকর হয় না।
৩। বাসুকী কালসর্প যোগ—

এখানে রাহুর অবস্থান তৃতীয়ে এবং কেতু নবমে অবস্থান করে। বাকি গ্রহগণ তাদের মধ্যে অবস্থান করে। এর ফলে জাতক/জাতিকার নিজ পায়ে দাঁড়াতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। ভ্রাতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সংঘাত ও ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে থাকে।

৪। শঙ্খকাল কালসর্প যোগ—
এ ক্ষেত্রে রাহুর অবস্থান চতুর্থে ও কেতু দশমে অবস্থান করে। এর ফলে পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এবং হঠাৎ করে ভাগ্য বা কর্ম জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।

৫। পদ্মনাভ কালসর্প যোগ—
এখানে রাহুর অবস্থান পঞ্চমে ও কেতু একাদশ স্থানে অবস্থিত থাকে। এর ফলে ভাগ্য বিপর্যয়, শিক্ষা, সন্তানের সমস্যা, প্রেম-প্রীতি বিঘ্নিত এবং সর্বোপরি সাফল্য একদম আসতে চায় না।

৬। মহাপদ্মনাভ কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান ষষ্ঠে এবং কেতু দ্বাদশে অবস্থান করলে এ যোগ সৃষ্টি হয়। এর ফলে শত্রু বৃদ্ধি, রোগ ভোগ, অদ্ভুত চরিত্রের অধিকারী, শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং কর্মজীবনে সংঘাত লেগে থাকে। হাজতবাসও হতে পারে এই যোগে।

৭। তক্ষক কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান সপ্তমে ও কেতু লগ্নে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যা, দাম্পত্য কলহ, ভালবাসা বিঘ্নিত, ব্যবসায়িক সঙ্গীর সঙ্গে সংঘাত ইত্যাদি দেখা দেয় এই যোগে।

৮। কারকোত্বক কালসর্প যোগ—
এই যোগে রাহু অষ্টমে এবং কেতু দ্বিতীয়ে অবস্থান করে। বাকি গ্রহগুলি এদের মধ্যে অবস্থান করে। অযথা নেশা করা, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা, সাংসারিক শান্তি বিঘ্নিত, অর্থের কষ্ট এবং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এই যোগে ঘটে থাকে।

৯। শঙ্খচূড় কালসর্প যোগ—
রাহু নবমে ও কেতুর অবস্থান তৃতীয়ে হলে জন্ম ছকে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে ভাগ্য বিপর্যয়, ভ্রাতৃ-ভগিনীদের সঙ্গে বিরোধ, নিজের নামে কলঙ্ক লাগা ও পিতার সঙ্গে বিরোধ ঘটে থাকে।



১০। ঘটক কালসর্প যোগ—
রাহু জন্মছকে দশমে ও কেতু চতুর্থে অবস্থান এবং বাকি গ্রহ সকল এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। কর্মজীবন বিঘ্নিত, রাজনীতিতে পতন, কিছু বাজে স্বভাব, কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে সংঘাত এই যোগে ঘটে থাকে।


১১। বিষধর কালসর্প যোগ—
এই যোগে রাহু একাদশে এবং কেতু পঞ্চমে এবং বাকি গ্রহ এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে শিক্ষায় বিঘ্ন, সঙ্গীর সঙ্গে বিরোধ, ফাটকায় ক্ষতি এবং দাম্ভিকতা প্রকাশ পায়। এই যোগে কর্মস্থানে শান্তি বিঘ্নিত ঘটতে পারে।


১২। শেষনাগ কালসর্প যোগ—
রাহুর অবস্থান দ্বাদশে ও কেতু ষষ্ঠে এবং বাকি গ্রহ এদের মধ্যে অবস্থান করলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। এই যোগে স্বার্থপরতা, চোখের সমস্যা, নিচু মানসিকতা, বিদেশ যাওয়ার যোগ, হিসাব ছাড়া খরচ হয়।

#দুই জীবনে এর প্রভাব

জ্যোতিষশাস্ত্রে এটা কে খুব খারাপ যোগ হিসাবেই দেখা হয় । এই যোগ / দোষ থাকলে জীবন এ অনেক ঝামেলা ঝঞ্ঝাট পেতে হয় । কাল’ শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু’ আর ‘সর্প’ বলতে সর্পিলাকৃতি । কাল ও সর্প যদি একত্র হয়, তা হলে সেই ব্যক্তির জীবন দুঃসময়ের মধ্য দীয়ে ই যায় ।

#তিন পৌরাণিক কাহিনি

কালসর্পযোগের পিছনে রাহু ও কেতুর ভূমিকা রয়েছে। পুরাণ মতে, স্বরভানু নামে এক অসুর সমুদ্র মন্থনের কালে অমৃত আস্বাদন করেছিল। তার মুণ্ড ছিন্ন করেন মোহিনীরূপী বিষ্ণু। কিন্তু তার ছিন্নমুণ্ড ও ধড় অমৃতপানের ফলে অমরত্ব লাভ করে। মুণ্ডটি রাহু এবং দেহটি কেতু নামে পরিচিত হয়ে মহাবিশ্বে ঘুরে বেড়াতে থাকে।

#চার বিশেষ ব্যাক্তির জন্ম ছকে কাল সর্প যোগ

বেনিটো মুসলিনি, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই পাটেল, George W Bush, মাওসেতুং, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি ,শচীন তেন্ডুলকারের বাসুকি কালসর্প রয়েছে ।

#পাঁচ কালসর্প ভঙ্গ কাদের হয়

১। রাহু ও কেতু যদি কেন্দ্র, ত্রিকোনে বলশালী অবস্থায় থাকে।
২। রাহু ও কেতু তুঙ্গস্থ হলে ।
২। রাহু ও কেতু যদি কোন শুভ যোগ সৃষ্টি করে।
৩। লগ্ন পতি, নবম পতি, ও একাদশ পতি যদি বলশালী হয়।
৪। অন্যান্য গ্রহের অবস্থান শুভ হলে ।

#ছয় প্রতিকার

জন্মকুণ্ডলীতে কালসর্প যোগ থাকলে জাতককে নাগ পঞ্চমী ব্রত পালন করতে হবে | সন্তুষ্ট রাখতে হবে নাগদেবতাকে | বাড়িতে রাখতে হবে কালসর্প যন্ত্র | এবং একলক্ষ জপদ্বারা ওছয়জন পু্রোহিত ও একজন গ্ৰোহাচায‍্য চতুরমুখী হোম করে নাগদেবতা,শিব,রাহু ও কেতুর পূজা থেকে সুশক্তি বেরিয়ে প্রভাবিত করবে কালসর্প যোগে জর্জরিত জাতককে |

#সাত কি করে বুঝবেন আপনার কালসর্প দোষ আছে কি না ?

আপনার জন্ম ছক বিচার করানো আবশ্যক কোন ভালো Astrologer এর কাছে । তিনি ই বলতে পারবেন শুধুমাত্র।

#নয়

কালসর্প দোষ থাকলেই খুব ভয় এর যে আছে তা নয় । তবে এর প্রতীকার করিয়ে নেওয়া ভালো । কালসর্প দোষ কাটাতে পুজো করলেন শ্রীদেবী কারন তার মেয়ের (জানভি) র এই যোগ আছে। সচিন ও পূজা করিয়েছিলেন ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180326

Sunday, March 25th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নবরত্নের উপকারিতা

নবরত্নের উপকারিতা


রাশি ও গ্ৰহরত্ন

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক চুনী সিংহরাশি ও রবি গ্রহের রত্ন। জাতক জাতিকার সুনাম,প্রতিপত্তি,কর্মের উচ্চপদ ইত্যাদির জন্য চুনী ব্যবহার হয়। চিকিৎসা বিদ্যায় চুনী অভূতপূর্ব উপকার করে থাকে যেমন- বাত,পিত্ত,বায়ু,ধাতু,ঠাণ্ডাজনিত রোগ,হৃদ রোগ,মস্থিস্ক রোগ,সন্তানহীনতা ইত্যাদি রোগে চুনী ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।

স্টাররুবী রবি গ্রহের ভাল কাজ করে।চিকিৎসা বিদ্যায় রক্তস্বল্পতা,স্মৄতিশক্তি বৄদ্ধি মতিস্ক গোলযোগে ফলপ্রদ।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক মুক্তা কর্কটরাশি ও চন্দ্র গ্রহের রত্ন। চন্দ্রের শুভ প্রভাবে জাতক জাতিকা পুস্তিবান,বীর্যবান,সৌভাগ্যবান,মানসিক সুখ শান্তি ইত্যাদি লাভ করে। চিকিৎসা বিদ্যায় ও আয়ুর্বেদ শাস্রে মুক্তা বিশেষ অবদান রাখে।যেমন-প্রসব বেদনা,দৃষ্টিহীনতা,ঘনঘন সর্দি কাশি পারিবারিক অশান্তি,বিবাহে বাঁধা ছাড়াও আয়ুর্বেদে মুক্তা মুলবান ঔষধ।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক প্রবাল মেষ ও বৃশ্চিকরাশি ও মঙ্গল গ্রহের রত্ন।জাতক জাতিকার পার্থিব সুখ, গহনির্মাণ,বিদ্যা ও আইন ব্যবসায় উন্নতি,মামলা,কর্মের বাঁধা ও পারিবারিক কলহ রোধে প্রবাল পরম হিতকারী রত্ন।চিকিৎসা বিদ্যায় রক্তসংক্রান্ত পীড়া,অশ্ব, টিউমার,লিভার,আমাশয়,ব্রন,ফোঁড়া,এপেন্ডিসাইটিস প্রভৃতি রোগে প্রবাল যন্ত্রের মত কাজ করে।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক পান্না মিথুন ও কন্যা রাশি ও বুধ গ্রহের রত্ন। বুধের শুভ প্রভাবে জাতক জাতিকার বুদ্ধিবৄত্তি,বিচার শক্তি ,গণিতে পারদর্শী,ব্যবসাবাণিজ্য উন্নতি,বালসুলভ মনোভাব ও কান্তিবর্ধক ছাড়াও শিশুদের জন্য খুবই উপকারী রত্ন।চিকিৎসা বিদ্যায় মস্তিষ্ক বিকৄতি,উন্মাদ,বাচালতা,বধিরতা,তোতলামী,রক্তচাপ,ম্যানিয়া,আলসার প্রভৄতিতে পান্না বিশেষ ফলদান করে। এক কথায় পান্নার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক পোখরাজ ধনু ও মীন রাশি ও বৄহস্পতি গ্রহের রত্ন।যাদের প্রচুর অর্থ উপার্জন হয় কিন্তু ধরে রাখতে পারেন না,প্রতিপত্তি ও প্রভুত্বের অভাব,বেকারদের কর্মপ্রাপ্তি,রাজনৈতিক সফলতা,দাম্পত্য অসন্তোষ,পরনিন্দা এড়াতে,চরিত্র ভ্রষ্ট প্রভৄতি রোধে পোখরাজ ধারনে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়।চিকিৎসা বিদ্যায় ফুসফুসে প্রদাহ,জন্ডিস,চুলপড়া,কোষ্ঠকাঠিন্য,শ্বেত প্রদ,হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়ার ব্যাঘাত ইত্যাদি রোগে পোখরাজ বিশেষ কাজ করে।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক হীরা বৄষ ও তুলারাশি ও শুক্র গ্রহের রত্ন।এর প্রভাবে বল,বীর্য,তেজ ও আয়ুবৄদ্ধি করে।এককথায় শুক্র হচ্ছে সুখ,শান্তি,ধন,অপমৄত্যু রোগব্যাধি বিনষ্ট ইত্যাদি প্রদান করে।

ফিরোজা শত্রু নাশ করে অ নারীর সৌন্দর্য্য অক্ষুণ্ণ রাখে।চিকিৎসা বিদ্যায় বহুমূত্র,পিত্তথলির পাথর নির্মূলে ভীষণ উপকারী।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক নীলা মকর ও কুম্ভ রাশি ও শনি গ্রহের রত্ন।শনির শুভ প্রভাব মানবকে ধরনীর অধিপতি করে তোলে। চিকিৎসা বিদ্যায় কফ,পিত্ত,বায়ুনাশ করে মনের বিষণ্ণ অবস্তা,স্নায়ুবিক দুর্বলতা ইত্যাদি রোগের জন্য নীলা ভীষণ উপকারী রত্ন।

সন্ধ্যামণির প্রভাবে অবিবাহিতদের শীগ্র বিবাহ হয়।চিকিৎসা বিদ্যায় কফ,পিত্তনাশক ছাড়াও মানসিক প্রফুল্লতা আনয়ন করে।

গোমেদ ধারণে শত্রু,ভয়,দুর্নাম,ঋণমুক্তি,দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।চিকিৎসা বিদ্যায় বাত,কলেরা,বসন্ত প্রভৄতিতে ভাল ফল পাওয়া যায়। এটি রাহুর জন‍্য।

কেতুর প্রভাবে লটারী, শেয়ার বাজার ব্যবসা,হটাৎ অর্থ উপার্জন ইতাদিতে সফলতা লাভ করা যায়।এছাড়া যেসব মানুষের প্রতিপদক্ষেপে বাঁধা,পরস্পর ভুল বুঝাবুঝিতে কেতু আকস্মিক ফল প্রদান করে। কেতুর জন‍্য ক‍্যাটস্ আই ধারন করা উচিৎ।

চন্দ্র গ্রহ বৈগুন্য হলে মুক্তার পরিবর্তে চন্দ্রকান্ত মণি ব্যবহার করা হয়।চিকিৎসা বিদ্যায় জর,সর্দি,কাসি,ব্রংকাইটিস মানসিক চাঞ্চল্য,বালক বালিকার পুষ্টি বর্ধনে উপকারী রত্ন।
এছাড়া সকল প্রকার রুদ্রাক্ষ সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। রত্নের পরিচয়,রত্নের কাঠিন্যটা।উপকারীতা,ব্যবহারবিধি,শোধন প্রণালী,ত্রুটিযুক্ত ও ত্রুটিমুক্ত রত্নচেনার উপায়,বিভিন্ন প্রকার তথ্য জানতে নীচের ঠিকানায় যোগাযোগ করন।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180325

Saturday, March 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

রা্শি অনযায়ী আরাধ‍্য দেবতা

রা্শি অনযায়ী আরাধ‍্য দেবতা

রাশি অনুসারে আপনার কোন দেবতার পূজা করা উচিৎ।

   

হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র শাস্ত্র অগ্নি পুরাণে বলা হয়েছে, "জ্যোতিষশাস্ত্র কেবল মাত্র একটি বিশ্বাস নয়, এটি একটি সু-পরিভাষিত বিজ্ঞান"। তাছাড়া, জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যবহারে একজন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বুঝতে পারা যায়।

হিন্দুধর্ম ভারতের মুখ্য ধর্ম এবং এটা তিনটি প্রধান ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত - বৈষ্ণব (বিষ্ণুর উপাসক), শৈব ধর্ম (শিবের উপাসক) এবং শাক্ত (শক্তির উপাসক)।

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষেরা বিশ্বাস করে, তেত্রিশ কোটি ভারতীয় দেব-দেবী রয়েছেন। এই দেব-দেবীরা বিষ্ণু, শিব ও শক্তির অবতার।

তাছাড়া, আমরা সেই দেবতার পূজা করে থাকি যার সাথে আমরা মনের সংযোগ অনুভব করে থাকি।

কখনো কখনো আপনি হয়তো খুব অবাক হয়ে যান, যে কেন আপনি সেই নির্দিষ্ট দেবতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং আপনি তাদের প্রতি এক অলীক আকর্ষণ অনুভব করেন।

অগ্নি পুরাণ অনুযায়ী, বিশ্বাস করা হয় যে আপনার রাশি অনুযায়ী আপনাকে ঈশ্বরের পবিত্র উপাসনা করা উচিৎ।

যখন আপনি আপনার রাশি অনুযায়ী একজন নির্দিষ্ট দেবতার পূজা করেন, এটা আপনার স্বর্গীয় শক্তিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে ও আপনার গ্রহের প্রভাবের গতিকে শান্ত করতে, সেই দেবতাকে প্রভাবিত করে।

অগ্নি পুরাণ এও বলে যে, আপনি যদি আপনার রাশি জেনে থাকেন তবে আপনি, আপনার শাসক গ্রহ ও যে নির্দিষ্ট দেবতা ঐ গ্রহকে শাসন করছেন তাঁকেও নিজের প্রার্থনা জানাতে পারবেন।

কখনো কখনো আপনার কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিবদ্ধতার পরেও, জীবনে যে সফলতা আপনার প্রাপ্য তা আপনি পান না।

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, নিজের জন্ম তারিখ ও রাশি জেনে, আপনি সেই নির্দিষ্ট দেবতা যিনি ঐ গ্রহটি শাসন করছেন তাঁর পূজা করে, জীবনে আপনার যা প্রাপ্য তা সহজেই অর্জন করতে পারেন।

এখন আপনি যদি না জেনে থাকেন, রাশি অনুযায়ী আপনার কোন দেবতাকে পূজা করা উচিৎ, তবে নিম্নোলিখিত বিষয়গুলি পড়ুন, এগুলি আপনাকে এই বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারনা দেবে।



মেষ রাশির জন্য

মেষ রাশির শাসক গ্রহ মঙ্গল। মঙ্গল গ্রহের শক্তিবৃদ্ধি করতে মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভগবান শিবের আরাধনা করা উচিৎ।



মিথুন রাশির জন্য

মিথুনের শাসক গ্রহ বুধ। বুধের শাসক হলেন, ভগবান "শ্রীমননারায়ণ", আর তাই মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের দ্রুত উপকার ও তাদের জীবনে সৌভাগ্য পেতে ভগবান শ্রীমননারায়ণের পূজা করা উচিৎ।



সিংহ রাশির জন্য

সিংহ রাশির শাসক গ্রহ সূর্য ও এই গ্রহের জন্য শাসক দেবতা হলেন, ভগবান শিব। ভগবান শিবকে তুষ্ট করা খুবই সহজ; তাই সমগ্র সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের, নিজেদের উন্নয়নের জন্য ভগবান শিবের পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তাঁর পূজা করা উচিৎ।



তুলা রাশির জন্য

আপনার রাশি যদি তুলা হয় তবে এটির শাসক শুক্র এবং এই গ্রহের শাসক দেবতা দেবী লক্ষ্মী। তাই দেবী লক্ষ্মীর উপাসনার মাধ্যমে আপনি সৌভাগ্য ও সম্পদ অর্জন করতে পারবেন।



বৃষ রাশির জন্য

বৃষ রাশিও শুক্র গ্রহ দ্বারা শাসিত আর তাই সকল বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের সৌভাগ্য, ইতিবাচক শক্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা উচিৎ।



বৃশ্চিক রাশির জন্য

মঙ্গল গ্রহ এই রাশিকে শাসন করে আর তাই মঙ্গল গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য সকল বৃশ্চিক রাশির জাতককে ভগবান শিবের উপাসনা করা উচিৎ।



কর্কট রাশির জন্য

চন্দ্র, কর্কট রাশির শাসক গ্রহ। দেবী গৌরী চন্দ্রের শাসক। দেবী গৌরী শান্তি ও অনুকম্পার প্রতিমূর্তি, তাই আপনি যদি কর্কট রাশির জাতক হন তবে, আপনার ইচ্ছা পূরণের জন্য আপনাকে পরম নিষ্ঠার সাথে দেবী গৌরীর আরাধনা করতে হবে।



কুম্ভ রাশির জন্য

এই রাশিটিকে মঙ্গল গ্রহ শাসন করে। মঙ্গল গ্রহের মুখ্য শাসক দেবতা ভগবান শিব। তাই, আপনি যদি মঙ্গল গ্রহের অধীনে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তবে আপনাকে প্রতিদিন পবিত্র মনে ও আত্মোৎসর্গের সাথে ভগবান শিবের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তার উপাসনা করতে হবে।



কন্যা রাশির জন্য

এই রাশির জন্য শাসক গ্রহ বুধ। ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান শ্রীমননারায়ণ বুধ গ্রহের শাসক দেবতা এবং কন্যা রাশির অন্তর্ভুক্ত সকল ব্যক্তিকে দ্রুত লাভ ও সৌভাগ্যের জন্য ভগবান শ্রীমননারায়ণের পূজা করা উচিৎ।


ধনু রাশির জন্য

ধনু রাশির শাসক গ্রহ বৃহস্পতি। বৃহস্পতির শাসক দেবতা "শ্রী দক্ষিণামূর্তি"। ভগবান শিবের অবতার শ্রী দক্ষিণামূর্তি, জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার গুরু। তাই, আপনি যদি এই রাশির অধীনে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তবে কার্যকর ফল পেতে আপনাকে ভগবান শ্রী দক্ষিণামূর্তির পূজা করতে হবে।



মীন রাশির জন্য

মীন রাশিও বৃহস্পতি গ্রহ দ্বারা শাসিত। ভাল ফল পেতে সকল মীন রাশির জাতক-জাতিকাকে শ্রী দক্ষিণামূর্তির উপাসনা করা প্রয়োজন।


মকর রাশির জন্য

মঙ্গল গ্রহ, মকর রাশির শাসক। ভগবান শিব এই গ্রহের শাসক দেবতা, তাই সকল মকর রাশির জাতক-জাতিকার ভগবান শিবের পূজা করা উচিৎ।



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=201803241

Saturday, March 24th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জোতিষের দৃষ্টিতে

জোতিষের দৃষ্টিতে


জ্যোতিষশাস্ত্র

আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষগ্রন্থে নয়টি গ্রহের উল্লেখ আছে। রবি (Sun); চন্দ্র (Moon); মঙ্গল (Mars); বুধ (Mercury); বৃহস্পতি (Jupiter); শুক্র (Venus); শনি (Saturn); রাহু (Rahu or Dragon's head) এবং কেতু (Ketu or Dragon's tail)। এর মধ্যে আমরা জানি জ্যোতির্বিজ্ঞান মতে রবি গ্রহ নয়; চন্দ্রও গ্রহ নয়, উপগ্রহ। আর রাহু ও কেতুর ত কোনো অস্তিত্বই নেই। এরা আসলে দু'টি বিন্দু, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে এদের গ্রহ হিসাবেই ধরা হয়। পরবর্তী কালের ও বর্তমান যুগের কিছু জ্যোতিষী ইন্দ্র বা প্রজাপতি (Uranus or Herschel); বরুণ (Neptune) ও রুদ্র (Pluto) নামের আরও তিনটি গ্রহকেও জন্মকুণ্ডলী বিচারের জন্যে ব্যবহার করেছেন। এদেরকে বলা হয় trans-saturnine planets, কিন্তু প্রাচীন শাস্ত্রে এদের কোনো উল্লেখ নেই। পরবর্তী আলোচনা এগুলিকে বাদ দিয়েই করা হবে। এর পরেই আমরা রাশি ও লগ্ন নিয়ে আলোচনা করবো। বারটি রাশির কথা আমরা আগেই জেনেছি। কোনো ব্যক্তির জন্ম সময় অনুযায়ী যে ছকে বিভিন্ন গ্রহ ও লগ্নের অবস্থান বিভিন্ন রাশিতে দেখানো হয় সেটাকে বলা হয় ঐ ব্যক্তির রাশিচক্র।

মনে রাখতে হবে যে, কোনো জাতকের রাশিচক্রে সব গ্রহ ও লগ্নের মূল অবস্থান জন্মসময়েই তার সমস্ত জীবনের জন্য নিদ্র্দিষ্ট হয়ে থাকে। এ জীবনে তার আর পরিবর্তন হবে না। তবে সমস্ত গ্রহই সময়ের সঙ্গে ঘুরে চলেছে; কাজেই তাদের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েই চলেছে। রাহু ও কেতু ছাড়া সব গ্রহই রাশিচক্রে ঘডি়র কাঁটার বিপরীতে (anticlockwise) ঘোরে। এর মধ্যে মঙ্গল, বুধ, বৃবৃহস্পতি, শুক্র ও শনি কোনো কোনো অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য ঘডি়র কাঁটার মতও (clockwise) ঘুরতে পারে। এই গতিকে বলা হয় বক্রগতি (retrograde motion) চলসেই সময়ের জন্য সেই গ্রহকে বলা হয় 'বক্রী '। সত্যিই যে তারা বিপরীত দিকে ঘোরে তা ঠিক নয়; আপেক্ষিক গতির জন্য পৃথিবী থেকে দেখে মনে হয় তারা উল্টোদিকে ঘুরছে। কোন গ্রহ কখন বক্রী হবে তার একটা নিয়ম আছে। এ ছাড়াও কোনো গ্রহ মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য স্থির হয়েও থাকতে পারে বা দ্রুত গতিতেও (acceleration) চলতে পারে। সূক্ষভাবে বিচারের সময় এ সবই কাজে লাগানো হয়। বক্রী গ্রহের ব্যবহার, বৈশিষ্ট্য ও দৃষ্টি সম্বন্ধে জ্যোতিষীরা নানা মত পোষণ করেন। শাস্ত্রে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে সে রকম কিছু বলা নেই।

যেহেতু গ্রহগুলি রাশিচক্রে ক্রমাগত ঘুরছে, বিভিন্ন সময়ে তাই এরা বিভিন্ন রাশিতে অবস্থান করে এবং প্রতিটি গ্রহই রাশিচক্রের বারটি রাশির প্রত্যেকটি অতিক্রম করে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই পরিক্রম করার সময়ে কখনো গ্রহগুলি জন্মকুণ্ডলীতে অবস্থিত গ্রহকে দৃষ্টি দেয়, কখনো তাদের সঙ্গে কোণে বা কেন্দ্রে অবস্থান করে আবার কোনো কোনো সময়ে তাদের উপর দিয়েও গমন করে। গ্রহদের এই বিভিন্ন অবস্থান ও গতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরী হয়। একে বলা হয় গোচর ফল। এ সম্বন্ধে পরে বিস্তৃত অলোচনা করা হবে।

গড় হিসাবে চন্দ্র সওয়া দুই দিনে, বুধ ১৮ দিনে, শুক্র ২৮ দিনে, রবি ১ মাসে, মঙ্গল ৪৫ দিনে, বৃহস্পতি ১ বছরে, শনি আড়াই বছরে এবং রাহু ও কেতু দেড় বছরে এক একটি রাশি অতিক্রম করে। দ্রুতগামী বলে কখনো কখনো চন্দ্র, বুধ ও শুক্রকে চরগ্রহ (fast moving planets) এবং রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতুকে স্থিরগ্রহ (slow moving planets) বলা হয়ে থাকে। উপরে গ্রহদের রাশিচক্র অতিক্রমের যে সময় দেওয়া হল তা একটা মোটামুটি হিসেব। নির্দিষ্ট একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। প্রতিটি রাশি আড়াই বছর হিসাবে শনির ৩০ বছরে একবার সম্পূর্ণ রাশিচক্র অর্থাত্ ১২ টি রাশি অতিক্রম করে আসার কথা। এখন শনির ৩০ বছর অন্তর অবস্থানের একটা মোটামুটি চিত্র দেখা যাক।

১৯০০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ১২ ডিঃ ২৬ মিনিটে
১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ১৮ ডিঃ ৪০ মিনিটে
১৯৬০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান ধনু রাশির ২৪ ডিঃ ৩০ মিনিটে
১৯৯০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ০ ডিঃ ৩০ মিনিটে
২০২০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ৬ ডিঃ ১৫ মিনিটে
২০৫০ খৃষ্টাব্দের ১ লা এপ্রিল শনির অবস্থান মকর রাশির ১২ ডিঃ ২০ মিনিটে
অর্থাত্ দেড়শ বছরে শনি প্রায় ৩০ ডিগ্রি এগিয়ে গিয়েছে।

অতএব শনি ৩০ বছরে একবার রাশিচক্র অতিক্রম করে এটা একটা মোটামুটি হিসাব। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে মাঝে মাঝে কোন গ্রহ এক রাশিতে অনেক দিন স্থির হয়ে থাকতে পারে। যেমন নিকট অতীতেই মঙ্গল গ্রহ ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি থেকে ২০১০ সালের মে মাসের মাঝামাঝি অবধি কর্কট রাশিতে অবস্থান করেছিল। গ্রহের এই বিভিন্ন গতির বিভিন্ন নাম আছে এবং সূক্ষভাবে বিচারের সময় এগুলিকেও কাজে লাগানো হয়।

গ্রহের বিভিন্ন গতির জন্য ফলের কি রকম তারতম্য হয় এ সম্বন্ধে জ্যোতিষ গ্রন্থে অনেক লেখা রয়েছে। সেগুলি এখনই খুব বিশদ ভাবে জানার বা প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। তবে কৈলাস চন্দ্র জ্যোতিষার্ণব সঙ্কলিত "জ্যোতিষ প্রভাকর" গ্রন্থ থেকে গ্রহের গতি সম্বন্ধে নিম্ন লিখিত তথ্য তুলে দেওয়া হল।

"সূর্য হইতে ৬০ অংশ বা ডিগ্রীর মধ্যে গ্রহগণ শীঘ্রগামী, ৬১ হইতে ৯০ ডিগ্রী পর্যzন্ত সমগামী, ৯১ হইতে ১২০ পর্যzন্ত মৃদুগামী, ১২১ হইতে ১৮০ ডিগ্রী পর্যzন্ত বক্রগামী, ১৮১ হইতে ২৪০ ডিগ্রী পর্যzন্ত অতি বক্রগামী, ২৪১ হইতে ৩০০ ডিগ্রী পর্যন্ত সরলগামী, ৩০১ ডিগ্রী হইতে ৩৬০ ডিগ্রী পর্যzন্ত শীগ্রগামী হয়। রাহু ও কেতু সর্বদা বক্রগামী এবং চন্দ্র ও রবি সর্বদাই শীঘ্রগামী।"

প্রত্যেক গ্রহের কিছু নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে। এই সব বিশেষত্ব যে সব সময়েই প্রকাশ পাবে তা নয়। কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি গ্রহ কোন বিশেষ রাশিতে অবস্থানের ফলে বা অন্য গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হবার কারণে তার গুণের পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে সাধারণভাবে তাদের কারকত্বগুলি এই রকম :

১। রবি - আত্মা, অহঙ্কার, আত্মসম্মান, উত্সাহ, প্রতিষ্ঠান, পিতা, জীবনীশক্তি, হৃদয় (heart), অস্থি (bones), উচ্চপদস্থ কর্মচারী, রাজনীতি, জ্বর, রক্তচাপ, মস্তক, চক্ষু (বিশেষতঃ ডান চক্ষু), রক্তবর্ণ, ঝাল ইত্যাদি।
অপর নাম - ভানু, অর্ক, সবিতা, আদিত্য প্রভৃতি।

২। চন্দ্র - মন, শারীরিক পুষ্টি ও লাবণ্য, মাতা, শ্বেতবস্ত্র, আদর্শবাদিতা, শ্লেäমা, রক্ত(শ্বেতকণিকা), গলগণ্ড, জন সাধারণ, ফুসফুস, দেহের জলীয় অংশ, চক্ষু (বিশেষতঃ বাম চক্ষু), শ্বেতবর্ণ, লবণরস ইত্যাদি।
অপর নাম - সোম, ইন্দু, শশাঙ্ক, উড়ুপ প্রভৃতি।

৩। মঙ্গল - সাহস, শক্তি, ক্ষিপ্রতা, ক্রোধ, অগ্নি, উগ্র মানসিকতা, কুমারত্ব, কর্মক্ষমতা, তর্ক, ভ্রাতা, রক্ত (লোহিতকণিকা), গুহ্যদেশ, রক্তচাপ, অর্শ, রক্তপাত, দুর্ঘটনা, জমি, ভূমি, আগুন, ক্ষত, কাটাছেঁড়া, গাঢ় রক্তবর্ণ, তিক্তরস ইত্যাদি।
অপর নাম - কুজ, ভৌম, বক্র, ত্রুÝর, মহীজ প্রভৃতি।

৪। বুধ - পরিহাস, বালকসুলভ কথাবার্তা, বাকশক্তি, বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি, অস্থিরচিত্ততা, বিচার বিশ্লেষণ, ভাল মন্দ বিচার করার ক্ষমতা, মুদ্রিত রচনা, খবর, তথ্য, তথ্য আদান-প্রদান, সংবাদ, হিসাব, লেখন, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষ, গণিতশাস্ত্র, বাণিজ্য, অÂমরস, ত্বক, স্নায়ু, নাক, গলগ্রন্থি (thyroid gland), নিঃশ্বাস, সর্দি, জিহবারোগ, ইত্যাদি।
অপর নাম - সৌম্য, হেম, সোমসুত, চন্দ্রসুত, চন্দ্রজ, প্রভৃতি।

৫। বৃহস্পতি - পূজাআর্চা, শাস্ত্রপাঠ, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বাEøতা, জানুদেশ, যকৃত্, প্লীহা, বাকশক্তি, স্থূলতা, মধুমেহ (blood sugar or diabetes), শ্লেäমা, যকৃত্ ও মূত্রাশয়, ধর্ম, গুরু, আধ্যাত্মিকতা, মূল্যবোধ, আদর্শবাদিতা, পুরোহিত, শিক্ষক, শাস্ত্রপাঠ, আইনবিদ্যা, আইনজ্ঞ, বিদ্যা, মধুর রস ইত্যাদি
অপর নাম - গুরু, জীব, আর্যz, সূরি প্রভৃতি।

৬। শুক্র - কাম-সম্বন্ধীয় কার্য, জাগতিক সুখ, বিভিন্ন শাস্ত্র, আমোদ-প্রমোদ, সৌখিন ও বিলাস দ্রব্য, সৌন্দর্য, মাধুর্য, মুখমণ্ডল, মোহ, শিল্প, সঙ্গীত, শয়নসুখ, দৃষ্টিশক্তি, যৌন আকর্ষণ, যৌনরোগ, অম্ল রস ইত্যাদি।
অপর নাম - কবি, সিত, ভার্গব, উশনা, ভৃগু, দৈত্যগুরু প্রভৃতি।

৭। শনি - বৃদ্ধ, বয়স্ক লোক, বিলম্ব, শৃÍলা, দুরারোগ্য ব্যাধি, নিঃসঙ্গতা, ক্লেশ, দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা, ভীতি, মৃত্যু, অস্থিপীড়া, পক্ষাঘাত, মৃত্যুভয়, বধিরতা, শরীর কম্পন, শ্বাসরোগ, যক্ষা, আয়ু, সংযমী, স্বল্পতা, বিচ্ছেদ, সন্ন্যাসী, ত্যাগ, শ্রম, ধৈর্য, শ্রমিক, আধ্যাত্মিকতা, নিম্নবর্গের লোক, দাস দাসী, অস্থি, দাঁত, পর্বত ভ্রমণ, কেশ, কষায় রস ইত্যাদি।
অপর নাম - যম, মন্দ, রবিসুত, শনৈশ্চর, অর্কপুত্র প্রভৃতি।

৮। রাহু - ভোগ, কপটাচার, বিভ্রান্তি, অতৃপ্তি, আকাশ পথ, বিদেশ যাত্রা, উচ্চস্থান, শ্বাসপ্রশ্বাস, অপবাদ, তমোগুণ, যথেচ্ছাচার, সর্প, ইন্দ্রজাল, অনির্ণিত রোগ ইত্যাদি।
অপর নাম - তম, অহি, অসুর, ভুজঙ্গ প্রভৃতি।

৯। কেতু - গোপনিয়তা, ব্রণ, আচম্বিতে ঘটা ঘটনা, আঘাত, ক্ষত, মোক্ষ, কৈবল্য ইত্যাদি।
অপর নাম - শিখী, ধবজ, রাহুপুচ্ছ, ধুমবর্ণ প্রভৃতি।

জ্যোতিষশাস্ত্রে একটা খুব প্রচলিত কথা আছে। 'শনিবত্ রাহু' ও 'কুজবত্ কেতু'। রাহু ও কেতু অনেক বিষয়েই যথাক্রমে শনি ও মঙ্গলের মত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে ও তদনুরূপ ফল প্রদান করে।

গ্রহের দৃষ্টি

জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহদের দৃষ্টি (aspect) কল্পনা করা হয়। সব গ্রহই যে রাশিতে থাকে তার সপ্তম রাশিতে অর্থাত্ বিপরীতে অবস্থিত রাশিতে পূর্ণদৃষ্টি দিয়ে থাকে। এ ছাড়া কয়েকটি গ্রহের কিছু বিশেষ দৃষ্টি আছে। যেমন মঙ্গল যে রাশিতে থাকে তার ৪র্থ ও ৮ম রাশিতে পূর্ণদৃষ্টি দেয়। অর্থাত্ মঙ্গল যদি কারও কুণ্ডলীতে মেষ রাশিতে থাকে, তবে মেষের ৭ম ঘর তুলা ছাড়াও তার দৃষ্টি ৪র্থ বা কর্কট রাশিতে এবং ৮মে বা বৃশ্চিক রাশিতে থাকবে। এই ভাবে বৃহ্রপতির ক্ষেত্রে ৭ম ছাড়াও ৫ম ও ৯ম ঘরে দৃষ্টি থাকবে। এর অর্থ হ'ল বৃহ্রপতি যদি কারও কর্কটে থাকে, তবে ৭ম ঘর মকর ছাড়াও কর্কট থেকে ৫ম ঘর বৃশ্চিকে এবং ৯ম ঘর মীনে বৃহ্রপতির পূর্ণদৃষ্টি থাকবে। একই ভাবে শনির দৃষ্টি থাকবে ৭ম ছাড়াও ৩য় ও ১০মে। উদাহরণ স্বরূপ, শনি যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে তুলায় থাকে তবে তার পূর্ণদৃষ্টি পড়বে ধনুতে (৩ য়ে) , মেষে (৭ মে ) ও কর্কটে অর্থাত্ ১০ম রাশিতে। পূর্ণদৃষ্টি ছাড়াও গ্রহদের অর্ধপাদ-দৃষ্টি, ত্রিপাদ-দৃষ্ট ইত্যাদি আছে। তবে ফল বিচারের জন্য কেবল পূর্ণদৃষ্টিই মুলতঃ গ্রহণীয়।

রাহু ও কেতুর দৃষ্টি সম্বন্ধে মতভেদ আছে। দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষী প্রয়াত ডঃ বি. ভি. রমন রাহু ও কেতু যে ঘরে আছে তার ৭ম ঘর ছাড়া অন্য দৃষ্টির কথা বলেন নি। কিন্তু বিখ্যাত জ্যোতিষী জে. এন. ভাসিন মুম্বই থেকে প্রকাশিত পারাশরী হোরার একটি সংস্করণ উল্লেখ করে বলেছেন যে, উক্ত গ্রন্থের ৫১ নং পরিচ্ছেদের ২৬ নং শ্লোক অনুযায়ী রাহু ও কেতুর ৭ম ছাড়াও ৫ম ও ৯ম দৃষ্টিও গ্রাহ্য। অনেক সময় এটা ধরলে ফল ভালই পাওয়া যায়। তবে বহু জ্যোতিষীই এটা মানেন না। এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন। দ্রষ্টা গ্রহ একটি রাশিতে যত ডিগ্রিতে থাকবে, দৃষ্ট রাশির ঠিক তত ডিগ্রিতেই পূর্ণদৃষ্টি পড়বে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক। শনি যদি মকরে ১০ ডিগ্রিতে থাকে, তবে মীনের ১০ ডিগ্রিতে (৩য় দৃষ্টি), কর্কটের ১০ ডিগ্রিতে (৭ম দৃষ্টি) ও তুলার ১০ ডিগ্রিতে (১০ম দৃষ্টি) শনির পূর্ণদৃষ্টি থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ, শনি যদি মকর রাশির ২০ ডিগ্রিতে এবং চন্দ্র তুলা রাশির ২১ ডিগ্রিতে থাকে তবে চন্দ্রের উপর শনির প্রায় পূর্ণ দৃষ্টি থাকবে। কিন্তু চন্দ্র যদি তুলার ২ ডিগ্রিতে থাকে তবে চন্দ্রের উপর শনির দৃষ্টির তীব্রতা অনেক কম হবে। তবে খুব সূক্ষভাবে বিচার না করলে চন্দ্র মোটামুটি শনির দ্বারা দৃষ্ট হিসাবেই ধরা যেতে পারে।

গ্রহের শুভত্ব, অশুভত্ব, শত্রুতা ও মিত্রতা

নয়টি গ্রহের সবকটিই শুভ নয় বা অশুভ নয়। রবি, মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতু নৈসর্গিক বা প্রাকৃতিক অশুভ গ্রহ (natural malefics)। বৃহস্পতি ও শুক্র প্রাকৃতিক শুভ গ্রহ (natural benefics)। বুধ গ্রহ অতি সহজে অন্য গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় বলে, কোনো পাপ গ্রহের (অশুভ গ্রহ) সংস্পর্শে পাপ গ্রহের মতই অশুভ ফল প্রদান করে। কিন্তু কোনও পাপ গ্রহের সংস্পর্শে না এলে বুধকে সাধারণভাবে শুভই ধরা হয়। চন্দ্র কৃষ্ণপক্ষের হ'লে পাপগ্রহ এবং শুক্লপক্ষের হ'লে শুভ ধরা হয়। কোনও জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র ও রবির দুরত্ব যদি ৭২ ডিগ্রির বেশী হয়, তবে সেটা শুক্লপক্ষের চন্দ্র এবং ৭২ ডিগ্রির কম হলে, কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্র।

গ্রহগুলির পারäপরিক সম্পর্ক সব সময়েই বন্ধìত্বপূর্ণ নয়। এদের পারäপরিক সম্পর্ক দু'ভাবে নির্ণীত হয়। প্রথমতঃ দুটি গ্রহ স্বভাব বশতঃই পরäপরের মিত্র বা শত্রু হতে পারে, একে বলে নৈসর্গিক মিত্রতা (natural friendship) বা শত্রুতা। দ্বিতীয়তঃ জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ থেকে যে সব গ্রহ ২য়, ৩য়, ৪র্থ অথবা ১০ম, ১১শ ও ১২শ ঘরে থাকে, তারা প্রথমোক্ত গ্রহের বা গ্রহদের সাময়িক বা তাত্কালিক মিত্র (temporary or tatkalik friendship)। নীচে গ্রহদের নৈসর্গিক বন্ধìত্ব, সমতা বা শত্রুতার একটা বিবরণ দেওয়া হচ্ছে।

* (ক) রবির মিত্র - চন্দ্র, মঙ্গল, বৃহ্রপতি; সম - বুধ; শত্রু - শুক্র, শনি।
* (খ) চন্দ্রের মিত্র - রবি, বুধ; সম - রবি ও বুধ ছাড়া বাকি সব গ্রহ; শত্রু - চন্দ্রের শত্রু নেই।
* (গ) মঙ্গলের মিত্র - বৃহস্পতি চন্দ্র, রবি; সম - শুক্র, শনি; শত্রু - বুধ।
* (ঘ) বুধের মিত্র - রবি, শুক্র; সম - বৃহস্পতি, মঙ্গল, শনি; শত্রু - চন্দ্র।
* (ঙ) বৃহস্পতির মিত্র - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল; সম - শনি; শত্রু - বুধ, শুক্র।
* (চ) শুক্রের মিত্র - বুধ, শনি; সম - মঙ্গল, বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র।
* (ছ) শনির মিত্র - শুক্র, বুধ; সম - বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল।
* (জ) রাহুর মিত্র - শুক্র, শনি; সম - বুধ, বৃহস্পতি; শত্রু - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল।
* (ঝ) কেতুর মিত্র - রবি, চন্দ্র, মঙ্গল; সম - বুধ, বৃহস্পতি; শত্রু - শুক্র, শনি।

উদাহরণ স্বরূপ, চন্দ্র যদি কোনো রাশিচক্রে তুলাতে থাকে, তবে তুলার অধিপতি শুক্র যেহেতু চন্দ্রের শত্রু, অতএব চন্দ্র শত্রু গৃহে অবস্থিত ধরতে হবে।

দুটি গ্রহ যদি একে অন্যের নৈসর্গিক মিত্র হয় এবং অবস্থান হেতু তাত্কালিক মিত্রও হয় তবে তাদের পরস্পরের অধিমিত্র বলা হয়। এক হিসাবে সম এবং অন্য হিসাবে মিত্র হলে পরস্পরের মিত্র এবং এক হিসাবে শত্রু ও অন্য হিসাবে মিত্র হলে তারা পরস্পরের সম হিসাবে গণ্য হয়। শত্রুতার বিষয়েও একই ভাবে বিচার করতে হবে। যেমন দুই বা ততোধিক গ্রহ একে অন্যের নৈসর্গিক শত্রু ও একই সঙ্গে তাত্কালিক শত্রু হলে তারা পরস্পরের অধিশত্রু ইত্যাদি।

গ্রহদের স্ত্রী, পুরুষ ইত্যাদি ভাগেও ভাগ করা হয়। যেমন চন্দ্র ও শুক্র স্ত্রীসংজ্ঞক গ্রহ (feminine planets); রবি, মঙ্গল, বৃহ্রপতি পুরুষ সংজ্ঞক গ্রহ (masculine planets) এবং বুধ ও শনি নপুংসক গ্রহ (hermaphrodite planets )।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180324

Friday, March 23rd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

জন্ম নক্ষত্র

জন্ম নক্ষত্র

শুভ সন্ধ‍্যা সকল বন্ধুরা
জন্ম নক্ষত্র ফল
=========
-
১। অশ্বিনী- অশ্বিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা কেতু। এই নক্ষত্রে জন্ম হলে জাতক হয় বুদ্ধিমান, মেধাবী, তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন এবং নিজের চেষ্টায় জীবনে উন্নতি করে। প্রথম জীবনে বিদ্যা লাভ হয়। মধ্যবর্তী জীবনে কিছু কষ্টে ও ব্যয়ের মধ্যে দিয়ে কাটে। কর্ম ক্ষেত্র শুভ হয়। অনেকে তাকে মান্য করে নেতৃত্ব করতে পারে। আত্মীয় স্বজনদের জন্য চিন্তা থাকে। সন্তান প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়। দাম্পত্যক্ষেত্র মধ্যম। জীবনে মাঝে মাঝে হঠাৎ উন্নতি আসে। শেষ বয়েসে কয়েক বছর কিছুটা কষ্ট পেতেও পারে। শুভবর্ষ - ৭, ১৬, ২৫, ৩৪, ৪৩, ৫২, ৬১, ৭০
-
২। ভরণী– ভরনী নক্ষত্রের অধিকর্তা শুক্র। এদের জীবনে শুভাশুভ মিশ্র ভাবে কাটে। এরা পরিশ্রমী কম হয়, তবে মেধা খাটিয়ে কর্ম পরিচালনা দ্বারা জীবনে উন্নতি করতে পারে। জীবনে সুযোগ মন্দ পায়না। জীবনের প্রথম দিকে অশুভভাবে কাটে। মধ্য বয়েস থেকে শুভ ভাব চলে। তখন অর্থ সঞ্চয় করলে শেষ জীবন সুখে কাটে। অর্থ বেশী অপচয় করলে বেশী বয়েসে আর্থিক দূশ্চিন্তায় ভোগে। দাম্পত্য জীবন বেশী সুখের নয়। শুভবর্ষ- ৬, ১৫, ২৪, ৩৩, ৪২, ৫১, ৬০, ৬৯,
-
৩। কৃত্তিকা- কৃত্তিকা নক্ষত্রের অধিকর্তা রবি। এরা যথেষ্ট পরিশ্রমী হয়। স্পষ্ট সত্যকথা বলতে ভালো বাসে। এদের জীবনে মাঝে মাঝেই বাধাবিঘ্ন আসে। অনেকেই এদের ভুল বোঝে। জীবনে অনেক বাধা বিঘ্ন আসলেও শ্রম দ্বারা এরা উন্নতি করতে সফল হয়। মাঝে মাঝে পাড়া প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে অন্যের প্রতি ভাল কাজ করলেও যশ বা প্রতিদান কম পায়। দাম্পত্যক্ষেত্র মোটামুটি শুভ। শুভবর্ষ- ১৯, ২৮, ৩৭, ৪৬, ৫৫, ৬৪, ৭৩,
-
৪। রোহিনী- রোহিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। চন্দ্রের প্রকৃতি কিছুটা এদের মধ্যে থাকে। এরা শান্তিপ্রিয় এবং সবকিছু সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে করতে চায়। লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। অনেক সময় এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রিয় হয়। এরা সরল লোক ভালবাসে। নানা কাজে পার্গত হয়।
শুভবর্ষ- ১৩, ১৬, ২২, ২৫, ৩১, ৪০, ৪৯, ৫২, ৫৮, ৬১, ৬৭, ৭০,
-
৫। মৃগশিরা-মৃগশিরা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা ধীর স্থির কিন্তু কোন অন্যায় দেখলে এদের মাথা গরম হতে পারে। এদের মধ্যে মাঝে মাজে একটু দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেকে এদের শ্রদ্ধা করে। এবং এরা মিশুকে হয়। এদের জীবনে মাঝে মাঝে কর্মোন্নতির শুভ যোগ আসে। কিন্তু আত্মীয় ও পরিবেশ থেকে মনে আঘাত পায়। শুভবর্ষ - ৩, ৫, ১২, ১৪, ২১, ২৩, ৩০, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫০, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮,
-
৬। আদ্রা- আদ্রা নক্ষত্রের অধিকর্তা রাহু। এদের নিজ শ্রমদ্বারা উন্নতি করার চেষ্টা থাকে। তবে কাজে সফল হয়না। আকস্মিক প্রাপ্তি যোগ থাকে। মানসিক চাঞ্চল্য ও দূশ্চিন্তার ভাব থাকে। দাম্পত্যক্ষেত্র শুভ নয়। মাঝে মাঝে নানা রোগ ভয়। শুভবর্ষ- ৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১ ,৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
-
৭। পুনর্বসু- পুনর্নবসু নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এরা মেধাবী হয় ও জীবনে উন্নতি করতে পারে। প্রচুর সন্মান ও অর্থ লাভ করে থাকে। প্রায়ই মানসিক শান্তি ও আনন্দে থাকে। ভাই বোনদের জন্য কিছু চিন্তা হতে পারে। অনেকের বন্ধুত্ব ও সাহায্য লাভ করে। ব্যবসা ও চাকরি দুটোই শুভ।
শুভবর্ষ ৭, ৯, ১৬, ১৮, ২৫, ২৭, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৬৩, ৭০, ৭২,
-
৮। পুষ্যা- পুষ্যা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনি। এরা খুব ধার্মিক হয়। সংসারে আসক্তি কম থাকে। আধ্যাত্মিকভাব প্রবল হয়। মনুষ্যের মঙ্গল করতে ভালো বাসে। এদের মধ্যে যোগ জ্যোতিষ আধিভৌতিক প্রভৃতির দিকে আকর্ষণ থাকে। ভাগ্য শুভ, কর্মলাভ অর্থলাভ ও নানা দিকে উন্নতি হয়। গুরুজন ব্যাক্তিদের জন্যে চিন্তা থাকে। শুভবর্ষ ৬, ৮, ১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
-
৯। অশ্লেষা- অশ্লেষা নক্ষত্রর অধিপতি বুধ। এদের জীবনে সব সময় দ্বিধা ও দ্বন্দ্ব ভাব থাকে দ্বিমনা ভাবের থাকে। অনেক কাজ শুরু করে শেষ করতে পারেনা। তাই জীবনে অতৃপ্তি আসে। তবে শ্রম করলে উন্নতি হবেই। দাম্পত্য শুভ হয়। মাঝে মাঝে বাধা বিপত্তি ও চিন্তা হতাশায় জীবন উত্থান, পতন, হতেই থাকবে
শুভবর্ষ ৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,
-
১০। মঘা- মঘা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এরা খুব তেজী হয় এবং আত্ম অভিমান প্রবল হয়। এরা স্পষ্ট কথা বলতে ভাল বাসে। তাই অনেকের অপ্রিয় হয়। এদের মেধাশক্তি খুব উচ্চ নাও হতে পারে। মধ্যম ভাবে জীবন কাটে। নানা বাধার মধ্যে দিয়ে উন্নতি হয়। কিন্তু সময়ে হতাশা দেখা দেবে। মনে আবেগ প্রবনতা থাকে। শুভবর্ষ- ১০, ১২, ১৯, ২১, ২৮, ৩০, ৩৭, ৩৯, ৪৬, ৪৮, ৫৫, ৫৭, ৬৪, ৬৭,
-
১১। পুর্বফল্গুনী- পুর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র এরা মিষ্টিভাষী ও ধীর স্থির এবং একটুগম্ভীর প্রকৃতির হয়। যা করবে মন স্থির করে নেয় সময় বিশেষ কখন প্রকাশ করেনা। অন্যের সমালোচনা করে নির্ভীক ভাবে। ভয় কম থাকে। সময়ে কিছু স্বার্থ ভাব দেখা যায়। নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে। এদের জীবনে শুভযোগ অর্থ, আনন্দলাভ,ও সাংসারিক দিকে উন্নতি হয়। শুভবর্ষ- ১১, ১৫, ২০, ২৪, ২৯, ৩৩, ৩৮, ৪২, ৪৭, ৫১, ৫৬, ৬০, ৬৫, ৬৯,
-
১২। উত্তরফাল্গুনী- উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এরা খুব ভক্তিমান হয়। এবং ঈশ্বরের কৃপালাভ করে। এরা স্ত্রীর বশীভূত হতে পারে। সত্য ও সৎ পথে থেকেই এরা উন্নতিসাধন করে। জাতক সুহৃদয়শীল হয় অনেককে সাহায্য করতে ভাল বাসে। এরা সৎবুদ্ধিযুক্ত এবং সদ্ভাবনার হয়।
শুভবর্ষ- ৩, ৭, ১২, ১৬, ২১, ২৫, ৩০, ৩৪, ৩৯, ৪৩, ৪৮, ৫২, ৫৭, ৬১, ৬৬, ৭০,
-
১৩। হস্তা- হস্তা নক্ষত্রর অধিকর্তা চন্দ্র, এরা চোখের রোগ,বাত, পিত্তরোগ, সর্দিকাশি, প্রভৃতিতে কষ্ট পেতে পারে। এরা জ্ঞানী, বিচক্ষণ, বুদ্ধীমান, চতুর ও মেধাবী হয়। জাতক দীর্ঘায়ূ হয়। পারিপার্শিক বাধা না এলে এরা বিরাট শিক্ষিত হয়। নিজ বুদ্ধির দ্বারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করে।
শুভবর্ষ ৪, ১২, ১৩, ২১, ২২, ৩০, ৩১, ৩৯, ৪০, ৪২, ৪৯,. ৫৭, ৫৮, ৬৬, ৬৭,
-
১৪। চিত্রা- চিত্রা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা সত্যবাদী, বিচক্ষণ ও অল্পাহারী হয়। ছোটখাট রোগ ব্যাধি অনেক হয়। অর্থ উপার্জন করে মধ্যম। বহূ কুটুম্ব থাকে। ক্ষমতাশালী হলেও একটু অলস হয়। দাঁতের রোগের ভয়। এরা মাঝে মাঝে জনসাধারনের প্রিয় হয়। কখন আবার অপ্রিয় হয়। উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে জীবন। তবে এদের তেজ ও সাহস থাকে মনের জোর প্রচুর। শুভবর্ষ- ১৪, ২১, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮, ৭৫,
-
১৫। স্বাতী- স্বাতী নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মধ্যে শান্তভাব থাকবে। তবে কখন বা হঠাৎ করে রেগে ওঠে। এদের কপালস্থূল, দাতা, সুবুদ্ধিমান, সৎপরামর্শ দাতা, বিদ্বান হয়। এরা ধনবান হলেও মনে বৈরাগ্য ভাব থাকে। এরা হয় দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ। সন্তানদের জন্য বিশেষ চিন্তা থাকে। দাঁত ও পেটের রোগের ভয়। শুভবর্ষ-৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১, ৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
-
১৬। বিশাখা- বিষাখা নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের মাথাভার মাথাব্যাথা, পিত্তরোগ হতে পারে। এরা হয় দেবভক্ত, সত্যবাদী, এবং জিতেন্দ্রিয়। ধার্মিক ভাব থাকে প্রায়ই জ্ঞানী হয়। অজীর্ণরোগ হয়। মোটামুটি সন্দেহ যুক্ত ও কামী হয়। তবে এরা নিজ চেষ্টা দ্বারা ধনী হয়। এদের হৃদয়ে সদ্ভাবনা প্রচুর থাকে। কারো সঙ্গে ঝমেলা পছন্দ করে না। তবে রেগে গলে মাথা খুব গরম হয়। শুভবর্ষ- ৭, ৯, ১৬, ১৮, ২২, ২৫, ২৭, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৭০, ৭২,
-
১৭। অনুরাধা- অনুরাধা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনিদেব। এদের দেহ শ্যামবর্ণ হয়, এরা খুব গভীর ও দয়ালু প্রকৃতির হয়। ধর্মে মতি থাকে। চেষ্টা করলে যথেষ্ট জ্ঞাণ লাভ করতে পারে। এদের পেটের বা লিভারের রোগ হয়। এরা সুদেহী, কামভাব বেশি। শ্রম দ্বারা ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। মননশীলতা থাকে, তবে অতিব্যয় দেখলে মাথা গরম হয়। শুভবর্ষ-৬, ৮,১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
-
১৮। জেষ্ঠা- জেষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা বুধ, এরা খুব দয়ালু হৃদয়বান থাকে। চেষ্টা করলে এরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। বাতরোগ পিত্তরোগ মাথার রোগ হতে পারে। এদের মধ্যে অল্প বয়েসে বেশী বুদ্ধির বিকাশ হয় এরা খুব বাস্তববাদী ও শ্রমশীল। তবে প্রচুর আয় করে গরীব দঃখীদের সাহার্য্য করে থাকে।
শুভবর্ষ-৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,
-
১৯। মূলা- মূলা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এদের কপাল হয় গজের মতো। শীতলদেহ বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা গান বাজনা ভাল শিখতে পারে, এরা খুব আড়াম্বর প্রিয় হয়। চোখ একটু রক্তাভ। এদের বহু আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। এরা প্রায়ই একটু কৃপণ হয়। সন্তানের জন্য বিশেষ চিন্তা থাকে। দাম্পত্য মধ্যম, এরা নিজ মনের কথা প্রায় লুকিয়ে রাখে। শুভবর্ষ - ৭, ১০, ১৬, ১৯, ২৫, ২৮, ৩৪, ৩৭, ৪৩, ৪৬, ৫২, ৫৫, ৬১, ৬৪, ৭০, ৭৩,
-
২০। পূর্বাষাঢ়া-পূর্ব্বাষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র, এদের কপাল স্থূল।এরা লেখাপড়া ভাল শিখতে পারে। একটু আড়ম্বরপ্রিয় চোখ একটু রক্তাভ।এদের অেক আত্মীয় কুটুম্ব থাকেএকটু খরচী হয়।এরা গৌরবর্ণর শুচি বদন জাতক দীর্ঘায়ূ এবং বাবা মার প্রিয় হয়।বহু লোকের ও আপন আত্মীয়র আশ্রয়দাতা হয়।তবে প্রশংসা কম পায়। শুভবর্ষ- ৩, ৬, ১২, ১৫, ২১, ২৪, ৩০, ৩৩, ৩৯, ৪২, ৪৮, ৫১, ৫৭, ৬০, ৬৬, ৬৯,
-
২১। উত্তরষাঢ়া- উত্তরষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এদের দেহ একটু স্থূল মতো মনে গর্বিত ভাব থাকে। জাতকের যশ লাভহয়। গান বাজনা ও শিল্পে পার্গত হয়। এদের অজীর্ণ উদারময় বাতরোগ লিভার রোগ, অম্লরোগ দেখা দেয়। পিঠ একটু কুঁজো ভাব, এরা অনেকের শ্রদ্ধালাভ করে এবং সন্মানিত হয়। এদের কাছে থেকে সবাই সমান সাহায্য পায়না। ৩, ১০, ১২, ১৯, ২১, ২৮, ৩০, ৩৭, ৩৯, ৪৬, ৪৮, ৫৫, ৫৭, ৬৪, ৬৬, ৭৩,
-
২২। শ্রবনা- শ্রবনা নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। এদের দেহ একটু কঠিন হয়। চাপা গজ কপাল, শ্যামবর্ণ হয়। এদের বাতরোগ, লিভাররোগ, অম্ল, অজীর্ণ, রোগ হয়। চোখ একটু রক্তাভ হয়। এরা বেশ সু-রসিকহয়। পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান শ্রম দ্বারা জীবনে উন্নতি করে। খরচা বেশী করতে চায় না। শুভবর্ষ- ১৩, ১৬, ২২, ২৫, ৩১, ৩৪, ৪০, ৪৩, ৪৯, ৫২, ৫৮, ৬১, ৬৭, ৭০,
-
২৩। ধনিষ্ঠা- ধনিষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল।এরা গৌরবর্ণ ধার্মিক ও দেবভক্ত হয়।পেটের রোগ ও অজীর্ণ রোগ হয়।উপার্জন মধ্যম হয়।মন খুব চঞ্চল, খেতে ভাল বাসে।মাঝে সময়ে ভ্রমনে খুশী হয়।অনেক সময় ধনী ও দাতাহয়।মাঝ বয়েস থেকে সুখী হয় প্রথম জীবনে সংগ্রাম।
শুভবর্ষ- ১৪, ২১, ২৩, ৩০, ৩২, ৩৯, ৪১, ৪৮, ৫০, ৫৭, ৫৯, ৬৬, ৬৮, ৭৫,
-
২৪। শতভিষা- শতভিষা নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মন বেশ পবিত্র এবং সত্যনিষ্ঠ হয়। জীবনে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে। শ্যামবর্ণ হয়। এদের আমবাত এলার্জি স্নায়বিক ও চোখের রোগ হয়। এরা বিবেকি এবং বৈরাগ্য ভাবের হয়। শেষ জীবনে সন্ন্যাস ধর্ম লাভ করতে পারে। ব্যাবহার মধুর তবে স্বভাব চাপা। শুভবর্ষ-৪, ৬, ১৩, ১৫, ২২, ২৪, ৩১, ৩৩, ৪০, ৪২, ৪৯, ৫১, ৫৮, ৬০, ৬৭, ৬৯,
-
২৫।- পূর্বভাদ্রপদ- নক্ষত্র অধিকর্তা বৃহস্পতি।এদের কপাল প্রশস্ত নাসা উন্নত হয়।দেহ তাম্রবর্ণ।বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়।এরা পরোপকারী এবং দয়ালু প্রকৃতির হয়।রূপ সুন্দর হয়, রাজভক্ত রাজসেবক হতে পারে।জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন যেমন করে তেমন খরচও অত্যাধিক করে।গৃহ নির্মাণ যোগ আছে। জাতক বিদ্বানও হয়।শুভবর্ষ-৭, ৯, ১৬, ১৮, ২৫, ২৭, ৩৪, ৩৬, ৪৩, ৪৫, ৫২, ৫৪, ৬১, ৬৩, ৭০, ৭২,
-
২৬। উত্তরভাদ্রপদ- উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র অধিকর্তা শনিদেব। এরা গৌরবর্ণ ও রূপবান হয়। গম্ভীর ভাব থাকে, সরকারী কাজ করলে প্রচুর উন্নতি করে।এরা নির্জনতা পছন্দ করে যাদুবিদ্যা, জ্যোতিষ, গভীর জ্ঞানের পুস্তক পাঠ প্রভৃতি ভাল বাসে। হালকা ভাব সদাই পছন্দ করে। এদের মন বাইরে বোঝা কঠিন। শুভবর্ষ- ৬, ৮, ১৫, ১৭, ২৪, ২৬, ৩৩, ৩৫, ৪২, ৪৪, ৫১, ৫৩, ৬০, ৬২, ৬৯, ৭১,
-
২৭। রেবতী নক্ষত্র অধিকর্তা বুধ। এরা সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট, গৌর বর্ণ জ্ঞাণী মানী এবং বিরাট যশস্বী হতে পারেন। এদের কেশ দীর্ঘ ও কাম ভাব বেশী থাকে এবং একাধিক পুরুষ/নারীতে আকৃষ্ট হতে পারেন। এরা বাইরে হালকা স্বভাব কিন্তু ভিতরে ভীষণ চতুর। মাঝে মাঝে দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেক সময় খেয়ালের বশে অনেক কাজ করেন। বৃদ্ধি ও শিল্পী কাজে এরা প্রচুর উপার্জন করে। শুভবর্ষ-৬, ৯, ১৫, ১৮, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৬, ৪২, ৪৫, ৫১, ৫৪, ৬০, ৬৩, ৬৯, ৭২,
-
[এটা গড় বিচার, এর সাথে জাতকের/জাতিকার জন্মছক, গোচর, দশা বিচার জরুরী]

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180323

Thursday, March 22nd, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মা বগলামুখী

মা বগলামুখী

দশমহাবিদ্যার অষ্টম মহাবিদ্যা হল মা বগলামুখী দেবী। বগলামুখী দেবী সিদ্ধবিদ্যা ও পীতাম্বরাবিদ্যা এই নামে প্রসিদ্ধ। বগলামুখী দেবি পীতবস্ত্রা, পীতপুস্পপ্রীয়া, এবং পীতঅলঙ্কারধারিনি।
তিনি শ্ত্রু কে সন্মোহিত করেন, শত্রুর বাক্য স্তম্ভন করেন, তিনি সর্বদুষ্টবিনাশিনী, দুষ্টদের ক্ষোভ বর্ধিত করেন তিনি অন্যদিকে ভক্তের ক্ষোভ দূর করেন। তিনি মহাস্তম্ভনকর্ত্রী।
দেবিকে চতুর্ভূজা বলা হয়।তিনি গম্ভীরা এবং তাঁর সুবর্ঙ্কান্তি। তিনি ত্রিনয়না, এবং কমলাসনে আসিনা।
কুব্জিকাতন্ত্রে প্রথম পটলে বগলা শব্দের অক্ষরগুলির তাৎপর্য এই ভাবে বর্ননা করা হয়েছে-
"বকারে বারুনি দেবি গকারে সিদ্ধিদা স্মৃতা ।
লকারে পৃথিবী চৈব চৈতন্যা মে প্রকীর্তিতা।।"
- বকারে বারুনি অর্থ অসুরদলনে দেবী মদোন্মত্তা। গকারে তিনি মানবের সর্বপ্রকার সিদ্ধি প্রদান করেন। লকারে পৃথিবী - আমাদের মাতৃসমা, সর্বংসহা পৃথিবীর মতো তিনি পালিনীশক্তির আধার এবং সেই সঙ্গে স্বয়ং চৈতন্যরূপিনী। এইসব গুনের আধারস্বরূপিনী দেবীর নাম তাই বগলা।
বগলামুখীর ধ্যান মন্ত্রে আমরা দেখতে পাই দেবি কিভবে বাম হাতে শ্ত্রু্র জ্বিহা টেনে ধরে তাকে দক্ষিন হাতে গদার আঘাত করছেন।

কেন বগলামুখী দেবির আরাধনা করা হয়- এই দেবীর পূজা সাধারনত মানুষ দৈব প্রকোপ শান্তির জন্য এবং আভিচারিক কর্ম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে করে থাকে। তাছাড়ও বগলামুখীদেবীর আরাধনা করলে মঙ্গল গ্রহের বৈগুন্য নাশ হয়, রোগ নিরাময়, শত্রু নাশ, মামলায় জয়লা্ভ ইত্যাদি সুফল লাভ হয়ে থাকে।
বগলামুখী দেবীর মন্ত্রই ব্রম্ভাস্ত্রস্বরূপ । এমনকি এই মন্ত্রশক্তিতে সদাবিচরনশীল বায়ুরও গতিরোধ সম্ভব।
প্রতিদিন ১০৮ বার বগলামুখী বীজ মন্ত্র ও ১১ বার বগলামুখী গয়ত্রী মন্ত্র জপ করলে শত্রু নাশ, মামলায় জয়লাভ, মঙ্গলের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বগলামুখী মন্ত্র- ওঁ হ্লীং বগলামুখি সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং স্তম্ভয় জিহ্বাং কীলয় কীলয় বুদ্ধিং নাশয় হ্লীং ওঁ স্বাহা ।

শক্তিশালী বগলামুখী মন্ত্র সাধনা ঃ-

একটি মন্ত্র প্রাত্যহিক জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে. নানা ধরনের সামাজিক, আর্থিক, পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক বিরোধ ও পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া বা যে কোন ধরণের কাজ সম্পর্কিত প্রচার, আদালতে মামলা, পরীক্ষায় সাফল্য, উচ্চশিক্ষায় এবং পরীক্ষায় সাফল্য, বিয়েতে বাধা, স্বামী ও স্ত্রী, চলচ্চিত্র বা অভিনয় জগতে বিরোধ যেমন চলচ্চিত্র ব্যবসার বা কোনো ধরনের কাজে সমস্যা, যে কোন ধরণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রোগ, শত্রু সম্পর্কিত কোন বিষয় এমনই সব সমস্যায় এই মন্ত্রের সহজ সাধনা করুন ।

স্নানের পর প্রতিদিন সকালে দুইটি জ্বলন্ত ধূপকাঠি, এক প্রদীপ বাতি, দেবী বগলামুখীর একটি ভাল ছবি, এবং কিছু ফুল (যদি আপনি সংগ্রহ করতে পারেন বা তারপর কিছু হলুদ ফুল সংগ্রহ করতে পারেন) নিয়ে. একটি গদির বা আসনের উপর বসুন, উত্তর বা পূর্ব অভিমুখে, আপনি আপনার ইচ্ছা, যা আপনি চাইছেন সেইধরনের কামনা জানিয়ে ও সেই সঙ্গে দেবী র কাছে বিশেষ কামনাটির জন্য আবেদন করে সাধনা শুরু করুন ।

​ দেবী বগলামুখী হলেন মঙ্গলগ্রহের ইষ্টদেবী এবং দশমহাবিদ্যার শক্তিশালী এবং সহায়ক শক্তি ৷ এক (দশমহাবিদ্যা মানে দশটি মহাক্ষমতা, দেবী দশমহাবিদ্যার মধ্যে নিহিত আছে দুর্গার দশশক্তির বিভিন্ন পরিসংখ্যান) ভারতীয় আধ্যাত্মিক ধর্মীয় দর্শনের সর্বোচ্চ শক্তি হলেন দেবী ৷ আপনি যদি দেবী বগলামুখীর ছবি সংগ্রহ না করতে পারেন, তাহলে আপনি দেবী দুর্গার কোন ছবি নিতে পারেন।

আপনি এই মন্ত্রকে ৫১বা১০৮বার জপ, যে সংখ্যায় আপনি দৈনন্দিন ভজন করতে চাইবেন , আপনি করবেন।আপনার আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার সাফল্যের হারও বাড়বে। এছাড়াও আপনি এমন একটি উচ্চ সন্তুষ্টি পাবেন যা আপনার মনোকামনা পূরণ করবে।

মন্ত্রটি হল :

"ওঁ হ্লীং বগলামুখী সর্ব দুষ্টানাং বাচং মুখং পদং স্তম্ভন,
জিহ্বাং কীলয় কীলয় বুদ্ধি বিনাশায় হ্লীং ওঁ স্বাহা" ||


ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180322

Wednesday, March 21st, 2018

Astro Palmist Numerology Center

লগ্নফল বিচার

লগ্নফল বিচার

সুপ্রভাত

লগ্নফল বিচার

বিভিন্ন লগ্নে বিভিন্ন গ্রহের প্রভাব

সবকটি লগ্নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধিপতি গ্রহ শুভ না অশুভ সেটা নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বলা দরকার যে, এটা থেকে অত্যন্ত সাধারণভাবে একটা ফলাফলের আভাস পাওয়া যাবে মাত্র। একটি গ্রহ কোন লগ্নে কোন ভাবের অধিপতি শুধু তার উপরই ফল নির্ভর করে না। গ্রহটির অবস্থান কি, কি গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট, গ্রহটির বল কি রকম ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে সামগ্রিক ভাবে ফল বিচার করতে হবে।

১। মেষলগ্ন

(ক) এই লগ্নের রবি পঞ্চম পতি। কোণপতি হিসাবে অবশ্যই শুভ। রবি বলবান হলে এর দশায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতা আসতে পারে। সম্মান ও সুনাম বৃদ্ধি হতে পারে ইত্যাদি।

(খ) মেষলগ্নে চন্দ্র চতুর্থ কেন্দ্রের অধিপতি। অতএব ক্ষীণচন্দ্র হলে পরাশরের মতে শুভ ফলদায়ক। কিন্তু শুক্লপক্ষের চন্দ্র হলে শুভ নয়। তবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ চন্দ্রের ক্ষেত্রে অতটা প্রযোজ্য নয়। চন্দ্র শুভ হলে গৃহলাভ, গৃহসুখ, আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু চন্দ্র দুর্বল হলে অন্যান্য অশুভ ফল ছাড়াও পিতার শারীরিক সমস্যা হওয়া অসম্ভব নয়। কারণ, চতুর্থ স্থান হ'ল নবম (পিতৃস্থান) স্থানের অষ্টম (নিধন) স্থান।

(গ) মঙ্গল লগ্নপতি ও অষ্টম পতি। লগ্নপতি হিসাবে শুভ, আবার মূলত্রিকোণ লগ্ন হওয়ায় মঙ্গল মুলত লগ্নপতি হিসাবেই ফল দেবে। মঙ্গল সবল হ'লে মঙ্গলের দশায় সুস্বাস্থ্য লাভ, সম্মান বৃদ্ধি, জমি ও অর্থাগম ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু মঙ্গল দুর্বল হ'লে অর্শ, মূত্রাশয় ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে তৃতীয় ও ষষ্ঠ পতি। দুটি অশুভ স্থানের অধিপতি হিসাবে শুভ নয়। তবে তৃতীয় ও ষষ্ঠ দুই-ই উপচয় স্থান। কাজেই কিছু শুভ ফল দিতেই পারে। তবে বুধ যেহেতু বালক গ্রহ এবং যে গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় সেই গ্রহেরই ফল দেয় বলে বলা হয়েছে, অতএব শুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত বা শুভ দৃষ্ট হলে শুভ ফল দিতে পারে। তবে একটা কথা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয়, ষষ্ঠ অষ্টম বা দ্বাদশ পতি হলে সেই সমস্ত গ্রহদের অন্য কোন গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক শূন্য হয়ে আলাদা ভাবে বসে থাকাই ভাল। উদাহরণ স্বরূপ, মেষ লগ্নের একটি ছকে বুধ (তৃতীয় ও ষষ্ঠ পতি) একাদশে কুম্ভ রাশিতে অবস্থিত এবং কোন গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট নয় বা কোন গ্রহকে দৃষ্টিও দিচ্ছে না। জাতকের এই বুধের দশা সামগ্রিক ভাবে খুব খারাপ কাটে নি।

(ঙ) বৃহস্পতি নবম ও দ্বাদশ পতি। যেহেতু বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ লগ্ন থেকে নবম স্থান ধনুরাশি। অতএব বৃহস্পতি শুভ। বৃহস্পতি বলবান হলে এর দশায় নানা ভাবে ভাগ্যোন্নতি সম্ভব। কিন্তু বৃহস্পতি দুর্বল বা পাপগ্রহ যুক্ত হলে পিতার দুর্ভাগ্য বা পিতার শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

(চ) এই লগ্নের শুক্র দ্বিতীয় ও সপ্তম পতি। দুটিই মারকস্থান। আবার শুক্র নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হয়ে সপ্তম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়ায় অশুভ। অতএব শুক্র সম্পূর্ণই অশুভ ফলদায়ক। তবে সব সময় তত্ব অনুযায়ী ফল হয় না। এটা দেখা গেছে, যদি শুক্র অত্যন্ত বলশালী হয় ও অন্যান্য অশুভ সম্পর্ক থেকে মুক্ত থাকে, তবে শুক্রের দশা জাগতিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পক্ষে শুভই হয়। কিন্তু দুর্বল হলে, চক্ষুরোগ বা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেক জ্যোতিষী বলেন, শুক্র মারক হলেও মেষ লগ্নের জাতকের সাধারণতঃ মৃত্যু ডেকে আনে না। সেটা অনেক সময়েই করে শনি।

(ছ) শনি দশম ও একাদশ ভাবের অধিপতি। নৈসর্গিক পাপগ্রহ হয়ে দশম পতি হওয়ায় শুভ কিন্তু একাদশ পতি হিসাবে অশুভ। এ কারণেই মেষলগ্ন জাতকের বৃহস্পতি ও শনির (নবম কোণ ও দশম কেন্দ্রের অধিপতি হওয়া সত্বেও) রাজযোগকারক নয় বলা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শনি যদি সংযুক্ত থাকে, তবে বৃহস্পতির সংযোগে শনির শুভত্ব বৃদ্ধি হবে ঠিকই কিন্তু শনির সংস্পর্শে বৃহস্পতি অশুভ হয়ে পড়বে এবং এই বৃহস্পতি ভাল ফল দেবে না। তবে বৃহস্পতি ও শনি যদি অন্য শুভ গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে শুভ ফল দিতেও পারে।

২। বৃষলগ্ন

(ক) এই লগ্নে রবি নৈসর্গিক পাপগ্রহ হয়ে ৪র্থ পতি হওয়ায় শুভ। রবি বলবান হলে এই গ্রহের দশায় চাকরীতে উন্নতি ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু রবি দুর্বল বা অশুভত্ব প্রাপ্ত হলে, বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য, শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি হওয়া অসম্ভব নয়।

(খ) চন্দ্র তৃতীয় পতি হিসাবে শুভ নয়। তবে শক্তিশালী হলে শুভ ফল দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল সপ্তম ও দ্বাদশ পতি। কেন্দ্রপতি হওয়ায় শুভ কিন্তু মূলত্রিকোণ দ্বাদশ রাশিতে পড়ায় অশুভত্বই বেশী। তবে দ্বাদশ স্থান যেহেতু পরতন্ত্রী, সেই হেতু মঙ্গল সপ্তম-এর ফলই দেবে। তবে মঙ্গল যেহেতু সপ্তম পতি, তাই এর শুভত্ব অশুভত্বের উপর বিবাহিত জীবন বা স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কিত বিষয় অনেকটাই নির্ভরশীল। মঙ্গলের জোর থাকলে ব্যবসার উন্নতিও হতে পারে।

(ঘ) বুধ দ্বিতীয় ও পঞ্চম পতি হওয়ায় শুভ। মূলত্রিকোণ পঞ্চম স্থানে হওয়ায় বুধের বল থাকলে এর দশায় জাতকের পরীক্ষা, পুত্র-কন্যা ইত্যাদি সম্পর্কে ভাল ফল দিতে পারে। তবে বুধ যেহেতু অন্য গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয় বেশী, তাই শুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত হলে অর্থাগম বা সঞ্চয় বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে। রবি ও বুধের যোগ অন্য ভাবে অশুভত্ব প্রাপ্ত না হলে কিছুটা রাজযোগের ফল দিতে পারে। ভাবার্থ রত্নাকরের মতে বৃষ লগ্নে বুধ ও শুক্র এবং সপ্তমে অর্থাৎ বৃশ্চিক রাশিতে বৃহস্পতি থাকলে, বুধের দশায় প্রবল রাজযোগের ফল হবে।

(ঙ) বৃহস্পতির মূলত্রিকোণ ধনু রাশি অষ্টম স্থানে হওয়ায় বৃহস্পতি এই লগ্নের পক্ষে অশুভ। একাদশ পতি হিসাবে স্থান বিশেষে কিছু ভাল ফল দিলেও অশুভত্বই বেশী। তবে শক্তিশালী বৃহস্পতি অর্থ প্রাপ্তিতে সাহায্য করতে পারে এবং এই দশায় বড় ভাইএর ( একাদশ স্থান থেকে বড় ভাই/বোনের বিচার হয়) ভাগ্য বৃদ্ধিও হতে পারে।

(চ) শুক্র লগ্নপতি হিসাবে শুভ হলেও যেহেতু মূলত্রিকোণ তুলা রাশিতে অর্থাৎ ষষ্ঠে পড়েছে তাই শুক্র এই লগ্নের পক্ষে লগ্ন পতি হওয়া সত্বেও সমভাবাপন্ন বলা হয়েছে। তবে খুব জোরালো হলে অবশ্যই ভাল ফল দেবে।

(ছ) শনি নবম ও দশম পতি হওয়ায় কেন্দ্র ও কোণ পতি হিসাবে একাই রাজযোগের ফল দেবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক জ্যোতিষীর লব্ধ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে শনি কুম্ভে অর্থাৎ দশমে না থাকলে খুব ভাল ফল দেয় না। ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থেও শনিকে রাজযোগকারী বলা হয় নি। জ্যোতিষশাস্ত্রের অনেক তত্বই বাস্তবে অন্য রকম ফল দেয়। সব সময়েই অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানের দ্বারা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

৩। মিথুন লগ্ন

(ক) রবি তৃতীয় পতি হিসাবে শুভ ফলদায়ক নয়। তবে জোড়ালো হলে কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে, তবে একগুঁয়ে ভাবও বৃদ্ধি পেতে পারে।

(খ) চন্দ্র দ্বিতীয় পতি। যদি চন্দ্র বলবান হয়, তবে অর্থাগম, বিবাহ, পড়াশুনা ইত্যাদি বিষয়ে শুভ ফল হতে পারে। কিন্তু চন্দ্র দুর্বল হলে বিপরীত ফল হবে। চন্দ্র দ্বিতীয় পতি হলেও মারকত্ব দোষ খুব একটা থাকবেনা যদি না অন্য কোন মারক লক্ষণাক্রান্ত গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

(গ) মঙ্গল এই লগ্নে ষষ্ঠ ও একাদশ পতি। দুটো স্থানই অশুভ। তবে ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থে বলা হয়েছে, মিথুন লগ্নের মঙ্গল ও চন্দ্র একাদশ স্থানে অর্থাত্‍ মেষ রাশিতে অবস্থিত হলে আয় বৃদ্ধি হবে। আবার শনি নবমে অর্থাৎ কুম্ভে থাকলে বিশেষ ধনযোগ হবে। একাদশ পতি (একাদশ থেকে আয় বিচার হয়) দ্বিতীয় পতি (দ্বিতীয় স্থান সঞ্চয় নির্দেশ করে) সহ একাদশে থাকলে এবং নবম পতি (নবমে থেকে ভাগ্য বিচার হয়) শনি নবমে বসে একাদশে দৃষ্টি দিলে যে ধন লাভ হবে এতে আর আশ্চর্য কি! তবে মঙ্গল যদি লগ্নকে বা লগ্নপতিকে দৃষ্টি দেয় বা অন্য পাপ গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তবে জাতকের শরীরের ক্ষতি করতে পারে, কঠিন পীড়া হওয়াও অসম্ভব নয়।

(ঘ) বুধ লগ্ন ও চতুর্থ পতি। বুধ শক্তিশালী হলে, জাতকের স্বাস্থ্য ভল হবে, আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে। কিন্তু বুধ দুর্বল বা অশুভ গ্রহ দ্বারা যুক্ত হয়ে অশুভ স্থানে থাকলে, শরীর খারাপ ছাড়াও নানা অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি সপ্তম ও দশম কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষে দুষ্ট। তবে বৃহস্পতি উপচয় স্থানে অথবা কোণে (৫ম বা ৯ম) থাকলে সাধারণত খারাপ ফল দেয় না। তা না হলে বিবাহ বা পারিবারিক ক্ষেত্রে নানা বিপর্যয় ঘটতে পারে।

(চ) এই লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্রকেই (দ্বিতীয় ও দ্বাদশ পতি) একমাত্র শুভ গ্রহ হিসাবে ধরা হয়। দ্বাদশ পতি হিসাবে শুক্র 'পরতন্ত্রী'। কাজেই পঞ্চম পতি হিসাবে ফল দেবে। শুক্র শক্তিশালী হলে পরীক্ষায় সাফল্য, সন্তানের শুভ ইত্যাদি ঘটতে পারে। তবে শুক্র অশুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হলে মহিলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়া অসম্ভব নয়।

(ছ) এখানে শনি অষ্টম ও নবম পতি হওয়ায় শুভ না অশুভ তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে মূলত্রিকোণ নবমে পড়ায়, শনি বলশালী হলে শনির দশায় ভাগ্যোন্নতি হতে পারে। বৃহস্পতির কেন্দ্রাধিপত্য দোষ এবং শনির অষ্টম পতিত্ব হেতু শনি ও বৃহস্পতির যোগ রাজযোগকারী হবে না বলে বলা হয়েছে।

৪। কর্কট লগ্ন

(ক) রবি এই লগ্নে দ্বিতীয় পতি। শক্তিশালী হলে রবি অর্থযোগ, পারিবারিক শুভত্ব, ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটাতে পারে। আবার রবি দুর্বল হলে ঠিক বিপরীত ফলও ফলতে পারে। চক্ষুরোগও হতে পারে।

(খ) চন্দ্র লগ্ন পতি। চন্দ্র পক্ষবলে বলী এবং অবস্থানগত ভাবে শুভ হলে চন্দ্রের দশায় শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। সম্মান বৃদ্ধি পাবে। মাতার ক্ষেত্রেও শুভ। কিন্তু দুর্বল চন্দ্র এর ঠিক উল্টো ফলও দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল কর্কট লগ্নে কোণ ও কেন্দ্রপতি বলে (পঞ্চম ও দশম পতি) একাই রাজযোগকারী। মঙ্গল শক্তিশালী হলে মঙ্গলের দশা খুব ভাল যাবার কথা। সাধারণত লগ্নপতি লগ্নে অবস্থিত হলে ভাল হবার কথা। কিন্তু এখানে চন্দ্র কর্কট রাশিতে নীচস্থ হওয়ায় ফল কি হবে? লগ্নপতি নীচস্থ হয়ে লগ্নে থাকলে ফল ভাল না হবারই কথা। কিন্তু অনেকের বক্তব্য হল মঙ্গল কর্কট রাশিতে থাকলে, তার স্বক্ষেত্র বৃশ্চিক থেকে নবমে এবং মেষ থেকে চতুর্থ কেন্দ্রে থাকার জন্য ভাল ফলই দেবে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে তৃতীয় ও দ্বাদশ পতি হওয়ায় অশুভ। তবে অনেকে মনে করেন যদি বুধ এমন কোন ঘরে থাকে যাতে তৃতীয় ও দ্বাদশ এই দুই অশুভ ঘরের অশুভত্ব কেটে যায় তবে বুধ ভাল ফল দেবে। যেমন, বুধ যদি লগ্নের পঞ্চমে অর্থাত্‍ বৃশ্চিকে থাকে তবে বুধ তৃতীয় ঘরের থেকে তৃতীয়ে এবং দ্বাদশ ঘরের ৬ষ্ঠে থাকবে। অতএব তৃতীয় ও দ্বাদশ ঘরের থেকে দুঃস্থানে থাকায় ঐ দুই ঘরের অধিপতি হিসাবে বুধের অশুভত্ব কেটে যাবে এবং বুধ ভাল ফল দেব। এটা পরীক্ষা সাপেক্ষ।

(ঙ) বৃহস্পতি এখানে ষষ্ঠ ও নবম পতি। যেহেতু মূলত্রিকোণ ষষ্ঠ স্থান ধনুতে পড়েছে, অতএব বৃহস্পতি খুব ভাল ফল দেবে না। তবে অনেকে বলেন যেহেতু বৃহস্পতি লগ্নপতি চন্দ্রের মিত্র অতএব অবস্থান বিশেষে কিছু ভাল ফল দিতে পারে।

(চ) শুক্র চতুর্থ ও একাদশ পতি। কেন্দ্রাধিপত্য দোষ এবং একাদশের অধিপতি হওয়ায় দু দিক থেকেই অশুভ। তবে এটা দেখা গেছে শুক্র শক্তিশালী হলে অর্থভাগ্য খারাপ হয় না। যান বাহনেরও মালিক হতে পারে। তবে দুর্বল শুক্র শরীর এবং অর্থ দুই এর পক্ষেই খারাপ।

(ছ) শনি সপ্তম অষ্টম পতি। মূলত্রিকোণ অষ্টম স্থানে হওয়ায় শনি অশুভ কিন্তু সপ্তম কেন্দ্রের অধিপতিত্ব হেতু শুভ (কেন্দ্রপতি অশুভ গ্রহ হওয়ায়)। দুই-এ মিলে শনিকে সম বলা যেতে পারে। তবে শনির অষ্টম পতিত্ব হেতু, অশুভ গ্রহের সংযোগ না থাকলে পরমায়ু বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব।

৫। সিংহ লগ্ন

(ক) রবি লগ্নপতি। রবি শক্তিশালী হলে জাতক সুনাম, সম্মান, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি ভোগ করবে; কিন্তু রবি যদি দুর্বল হয় এবং অশুভ গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয় তবে এর বিপরীত ফলও হতে পারে। দুর্নামও রটতে পারে।

(খ) চন্দ্র এখানে দ্বাদশ পতি। জোরালো হলে চন্দ্র কিছুটা শুভ ফল দিতে পারে। তবে খুব একটা শুভ ফল আশা না করাই ভাল। চন্দ্র ও মঙ্গলের সম্বন্ধ ঘটলে বিদেশে বসবাসের সম্ভাবনা থাকে।

(গ) মঙ্গল চতুর্থ ও নবম পতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী গ্রহ। বলশালী মঙ্গল জাতককে সৌভাগ্য, মান-সম্মান, পড়াশুনা বিষয়ে ভাল ফল দিতে পারে। দুর্বল হলে খুব ভাল ফল হবে না।

(ঘ) বুধ দ্বিতীয় ও একাদশ পতি। বুধের জোর থাকলে এবং অশুভ সংস্পর্শ থেকে মুক্ত থাকলে অর্থলাভ হতে পারে। তবে অশুভ গ্রহের সংযোগে এলে বা শক্তিহীন হলে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি পঞ্চম ও অষ্টম পতি। মূলত্রিকোণ পঞ্চম স্থান ধনু হওয়ায় বৃহস্পতি পঞ্চম স্থানের ফলই বেশী দেবে। অতএব শক্তিশালী বৃহস্পতি জাতককে সন্তান, পিতা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে। তবে অষ্টম পতিত্ব দোষও থাকায় বৃহস্পতি দুর্বল হলে ভাল ফল হয়তো হবে না।

(চ) শুক্র তৃতীয় ও দশম পতি। দশম পতি শুভ গ্রহ হওয়ায় পরাশরের মতে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ থাকবে। এখানে শুক্র শুভ গ্রহ নয়। অবস্থান খারাপ হলে বা শুক্র দুর্বল হলে শুক্রের দশায় ভাল ফল কিছু আশা না করাই ভাল।

(ছ) শনি ষষ্ঠ ও সপ্তম পতি। কেন্দ্রপতি হওয়ায় শুভ কিন্তু ষষ্ঠ পতি হওয়ায় শনিকে সম বলে গণ্য করা ভাল। অশুভ শনি নানা ভাবে দুঃখের কারণ হতে পারে।

৬। কন্যা লগ্ন

(ক) রবি এই লগ্নে দ্বাদশ পতি। খুব ভাল ফল আশা করা যায় না। তবে খুব জোরালো হলে কিছু ভাল ফল হতে পারে। দুর্বল রবি চক্ষু পীড়ার কারণ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র একাদশ পতি। শক্তিশালী চন্দ্র অর্থাগমের পক্ষে শুভ। তবে দুর্বল হলে শরীরের পীড়া হতে পারে।

(গ) মঙ্গল তৃতীয় ও অষ্টম পতি। অত্যন্ত অশুভ। তবে মঙ্গল শক্তিশালী হলে জাতক দীর্ঘায়ু হতে পারে। কিন্তু দুর্ভোগ থাকবে।

(ঘ) বুধ লগ্ন ও দশম পতি। লগ্নপতি বলে দশম কেন্দ্রের আধিপত্য দোষ থাকবে না। বুধের জোর থাকলে এবং অশুভ গ্রহের সংযোগ হীন হলে ফল ভালই দেবে।

(ঙ) বৃহস্পতি চতুর্থ ও সপ্তম পতি হিসাবে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ থাকবে। বৃহস্পতি দুর্বল হলে বা অশুভ গ্রহযুক্ত হলে বৃহস্পতির দশায় পারিবারিক সমস্যা হতে পারে। এই লগ্নে বৃহস্পতির দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম বা অষ্টম স্থানে না থাকাই ভাল।

(চ) শুক্র দ্বিতীয় ও নবম পতি। দ্বিতীয় 'পরতন্ত্রী' হওয়ায় মুলতঃ শুক্র এখানে নবম স্থানের ফলই দেবে। অতএব শক্তিশালী হলে শুভ। অশুভ শুক্র অর্থক্ষয় ও ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

(ছ) শনি পঞ্ম ও ষষ্ঠ স্থানের অধিপতি। মূলত্রিকোণ ষষ্ঠ হওয়ায় শনি শুভ নয়। অশুভ শনি শত্রুভয়, ভবিষ্যত্‍ সম্ভন্ধে দুঃশ্চিন্তা, কর্মে বাধা ইত্যাদি বয়ে আনতে পারে।

৭। তুলা লগ্ন

(ক) রবি একাদশ পতি হিসাবে শরীরের দিক থেকে কিছুটা অশুভ কিন্তু যদি বল থাকে তবে রবির দশায় অর্থাগম হতে পারে ও অন্যান্য বাসনাও পূর্ণ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র দশম পতি হওয়ায় পরাশরের মতে ক্ষীণ চন্দ্র হলে শুভ। নবম পতি বুধের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে রাজযোগের ফল দিতে পারে। যদিও বুধের দ্বাদশ পতিত্বের জন্য কিছু অশুভ ফলও দিতে পারে।

(গ) মঙ্গল দ্বিতীয় ও সপ্তম পতি। কেন্দ্রপতি বলে কিছুট শুভ হতে পারে। তবে দুই মারক স্থানের অধিপতি হিসাবে যদি দুঃস্থানে (৬ষ্ঠ, ৮ম বা ১২শ) অবস্থিত হয় তবে যথেষ্ট শারীরিক সমস্যা তৈরী করতে পারে।

(ঘ) বুধ নবম ও দ্বাদশ পতি। মূলত্রিকোণ দ্বাদশে হওয়ায় নবম স্থানের ফল কমই দেবে। তবে দ্বাদশ স্থান 'পরতন্ত্রী'; তাই নবম স্থানের ফল বেশ কিছু ফলবে বলে অনেকে মনে করেন। চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে নবম ও ১০ম পতির যোগ হিসাবে কিছু শুভ ফল আশা করা যায়।

(ঙ) বৃহস্পতি তৃতীয় ও ষষ্ঠ স্থানের অধিপতি হিসাবে অশুভ। তবে দুই উপচয়ের অধিপতি হিসাবে কিছু ভাল ফল দেবে। ভাবার্থ রত্নাকর গ্রন্থেও বৃহস্পতিকে সম্পূর্ণ অশুভ বলা হয় নি।

(চ) শুক্র লগ্নপতি ও অষ্টম পতি। লগ্নপতি হওয়ায় অবশই শুভ। তবে শুক্র যদি দ্বাদশে অর্থাত্‍ কন্যা রাশিতে নীচস্থ হয়ে অবস্থান করে তবে কতটা ভাল হবে সন্দেহ।

(ছ) শনি চতুর্থ ও পঞ্চম পতি। অতএব রাজযোগকারী গ্রহ। শনি বলশালী হলে এবং শুভ দৃষ্ট হলে শনির দশা খুব ভাল ফল দেবে আশা করা যায়।

৮। বৃশ্চিক লগ্ন

(ক) রবি দশম পতি হিসাবে শুভ। বলযুক্ত হলে রবি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি ইতাদি ফল দিতে পারে।

(খ) চন্দ্র নবম পতি হিসাবে শুভ ফল দেবে যদি শক্তিশালী হয়। দুর্বল হলে দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে।

(গ) মঙ্গল লগ্ন ও ষষ্ঠ পতি। মূলত্রিকোণ ষষ্ঠে হওয়ায় মঙ্গলের জোর এবং অবস্থান শুভ না হলে শারীরিক বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

(ঘ) বুধ এই লগ্নে অষ্টম ও একাদশ পতি। শরীরের দিক থেকে শুভ নয় তবে বল ও অবস্থান বিশেষে অর্থপ্রাপ্তির পথ সুগম করতে পারে। বলহীন হয়ে অশুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত হলে, মঙ্গলের বা যে অশুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের দশা অন্তর্দশায় শারীরিক সমস্যা ত হতেই পারে, মৃত্যু হওযাও অসম্ভব নয়।

(ঙ) বৃহস্পতি দ্বিতীয় ও পঞ্চম পতি। শুভগ্রহ। বৃহস্পতির জোর থাকলে যথেষ্ট শুভ ফল আশা করা যায়।

(চ) শুক্র সপ্তম ও দ্বাদশ পতি। কেন্দ্রপতি হেয়ে নৈসর্গিক শুভ গ্রহ হওয়ায় ভাল ফল দেবার কথা নয়। তবে দ্বিতীয় ও সপ্তম দুই ঘর থেকেই পরিবার, বিবাহ, স্ত্রী (বা স্বামী) ইত্যাদি বোঝায়। শুক্রের বল থাকলে এবং অবস্থানগত ভাবে শুভ হলে উক্ত বিষয়ে শুভ ফল দিতে পারে; কিন্তু পাপগ্রহ যুক্ত হলে অবৈধ সংসর্গ ঘটাতে পারে।

(ছ) শনি তৃতীয় ও চতুর্থ পতি। চতুর্থ কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে শুভ হলেও তৃতীয় পতি বলে অশুভ। শুভ গ্রহের প্রভাব না থাকলে এখানে শনি খুব ভাল ফল দেবে না।

৯। ধনু লগ্ন

(ক) রবি নবম পতি হিসাবে অত্যন্ত শুভ। রবি বলশালী হলে ও অশুভ সংযোগ থেকে মুক্ত থাকলে রবির দশায় জাতকের ভাগ্যোন্নতি, সম্মান ও সৌভাগ্য লাভ ইত্যাদি সম্ভব। রবি দুর্বল হলে ভাগ্য বিপর্যয় ছাড়াও পিতার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে (রবি পিতৃকারক গ্রহ)।

(খ) চন্দ্র অষ্টম পতি হলেও অষ্টম পতিত্বের দোষ চন্দ্রকে স্পর্শ করে না বলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে। তবে ক্ষীণ চন্দ্র হলে বা অন্য কারণে চন্দ্র দুর্বল হলে জাতকের ক্ষতি হতে পারে। পরমায়ু হ্রাস হতে পারে।

(গ) মঙ্গল পঞ্চম ও দ্বাদশ পতি এবং মূলত্রিকোণ পঞ্চম স্থানে হওয়ায় মঙ্গল শক্তিশালী হলে শুভ ফলই দেবে।

(ঘ) বুধ সপ্তম ও দশম পতি বলে কেন্দ্রাধিপত্য দোষ রয়েছে। তবে রবি ও বুধের সম্বন্ধ (নবম ও দশম পতির যোগ) রাজযোগের ফল দেয় বলে কোন কোন জ্যোতিষী মনে করেন। বুধ দুঃস্থানস্থ হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে, পারিবারিক ক্ষেত্রেও অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি লগ্ন ও চতুর্থ পতি। লগ্নপতি হওয়ায় চতুর্থ পতিত্বের দোষ থাকবে না। বৃহস্পতির জোর থাকলে এবং শুভ ভাবে থাকলে বৃহস্পতির দশায় জাতকের সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে।

(চ) শুক্র ষষ্ঠ ও একাদশ পতি। অশুভ গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হলে শরীরের সমস্যা তৈরী করতে পারে। তবে শুক্র বলশালী হলে আয়বৃদ্ধি হতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতিও হতে পারে।

(ছ) শনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পতি। মারক স্থান ও তৃতীয় স্থানের অধিপতি হিসাবে অশুভ।

১০। মকর লগ্ন

(ক) রবি যদিও অষ্টম পতি তবে রবি অষ্টম পতিত্বের দোষ থেকে মুক্ত বলে বলা হয়। তবে রবি দুর্বল হলে বা দুঃস্থানস্থ হলে পরমায়ু হ্রাস হতে পারে।

(খ) চন্দ্র সপ্তম পতি বলে ক্ষীণ চন্দ্র হলে শুভ। তবে চন্দ্রের মারকত্ব দোষ থাকতে পারে। চন্দ্র যদি পঞ্চম বা সপ্তমে থাকে তবে ভাল ফল হবে বলে মনে হয়।

(গ) মঙ্গল চতুর্থ ও একাদশ পতি। কেন্দ্র পতি হিসেবে শুভ হলেও একাদশ পতি হিসবে অশুভ। তবে জোর থাকলে মঙ্গলের দশায় গৃহসুখ ও ধন লাভ হতে পারে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তত ভাল নয়।

(ঘ) বুধ ষষ্ঠ ও নবম পতি। মূলত্রিকোণ নবম স্থান কন্যা রাশিতে হওয়ায় নবম স্থানের ফল দেবে বলে শুভ গ্রহ হিসাবেই ধরা যায়। তবে বুধ অন্য গ্রহের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হয় বলে, পাপগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে তত ভাল ফল দেবে না।

(ঙ) বৃহস্পতি তৃতীয় ও দ্বাদশ পতি হিসাবে অশুভ।

(চ) শুক্র কোণ ও কেন্দ্রপতি (৫ম ও ১০ম পতি) হওয়ায় রাজযোগকারী গ্রহ। তবে ভাল ফল দিতে হলে শুক্রকে অবশ্যই জোরাল হতে হবে।

(ছ) শনি লগ্ন ও দ্বিতীয় পতি। শনি বলশালী হলে শনির দশায় জাতকের স্বাস্থ্য, সম্মান ও ধন লাভ হতে পারে। আবার শনি আয়ুষ্কারক হিসাবে আয়ুবৃদ্ধি হওয়াও সম্ভব।

১১। কুম্ভ লগ্ন

(ক) রবি সপ্তম পতি, অতএব কেন্দ্রপতি হিসাবে শুভ। রবির বল থাকলে এই দশায় জাতকের ব্যবসায় লাভ, উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি ফল লাভ হতে পারে।

(খ) চন্দ্র ষষ্ঠ পতি বলে অশুভ।

(গ) মঙ্গল তৃতীয় ও দশম পতি। দশম পতি হিসাবে হয় ত কিছুটা শুভ কিন্তু তৃতীয় পতিত্ব হেতু অশুভ। অনেকে বলেন মঙ্গল শুধু দশম পতি হলে ভাল ফল দেয় না। সেই সঙ্গে কোণের অধিপতি হলে তবেই শুভ ফলদায়ক।

(ঘ) বুধ পঞ্চম ও অষ্টম পতি, কিন্তু মূলত্রিকোণ অষ্টম স্থানে হওয়ায় খুব শুভ নয়। এমন কি অশুভ সংস্পর্শে থাকলে মারক দোষেও দুষ্ট হতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি দ্বিতীয় ও একাদশ পতি। বৃহস্পতির বল থাকলে এর দশায় আয়বৃদ্ধি হতে পারে; যদিও শরীরের দিক থেকে শুভ নয়।

(চ) শুক্র এই লগ্নে চতুর্থ ও নবম পতি হওয়ায় একাই রাজযোগকারী। শুক্র বলশালী হলে শুক্রের দশায় জাতকের গৃহসুখ, বাহন লাভ, বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নানা ভাবে ভাগ্যোন্নতি হতে পারে।

(ছ) শনি লগ্ন ও দ্বাদশ পতি। পরাশরের মতে দ্বাদশ ভাব 'পরতন্ত্রী' বলে, শনি লগ্ন পতি হিসাবেই ফল দেবে। অতএব শনি শক্তিশালী হলে জাতকের শরীর ভাল যাবে, আধ্যাত্মিক যোগাযোগও হতে পারে, অবশ্য যদি অন্যান্য শুভ যোগ থাকে।

১২। মীন লগ্ন

(ক) রবি ষষ্ঠ পতি। দুঃস্থানের অধিপতি হিসাবে শুভ নয়। তবে ষষ্ঠ উপচয় স্থান বলে, অবস্থান বিশেষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাল ফল দিতে পারে। রবি যেহেতু পিতৃকারক গ্রহ এবং জীবনী শক্তিরও কারক অতএব রবির অবস্থান এই লগ্নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলের সূচক হতে পারে।

(খ) চন্দ্র পঞ্চম পতি। চন্দ্রের জোর থাকলে এর দশায় জাতকের শুভ ফল লাভ হবে।

(গ) মঙ্গল দ্বিতীয় ও নবম পতি। দ্বিতীয় ভাব 'পরতন্ত্রী' বলে মঙ্গল নবম স্থানের ফলই মুলতঃ দেবে, অতএব শুভ। তবে দুর্বল বা পাপযুক্ত হলে যথেষ্ট দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে।

(ঘ) বুধ চতুর্থ ও সপ্তম পতি। অতএব কেন্দ্রাধিপতির দোষ রয়েছে। দুঃস্থানস্থ (ষষ্ঠ, অষ্টম) হলে বা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করলে সুখ-শান্তি ও চাকরীর ক্ষেত্রে অশুভ ফল দিতে পারে।

(ঙ) বৃহস্পতি লগ্ন ও দশম পতি। যেহেতু লগ্নপতি অতএব দশম কেন্দ্রের অধিপতি হিসাবে অশুভ ফল দেবে না বলেই বলা হয়েছে। বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে জাতকের চাকরীর উন্নতি, সম্মান বৃদ্ধি, শুভ যোগাযোগ ইত্যাদি ঘটতে পারে। জাতকের যথেষ্ট নৈতিকতা ও মূল্যবোধ থাকবে।

(চ) শুক্র তৃতীয় ও অষ্টম পতি। যেহেতু তৃতীয় ও অষ্টম স্থান থেকে আয়ু বিচার হয়, অতএব শুক্র শক্তিশালী হলে ও অশুভ গ্রহের সংস্পর্শে না এলে পরমায়ু বৃদ্ধি পাবে।

(ছ) শনি একাদশ ও দ্বাদশ পতি। দ্বাদশ ঘর 'পরতন্ত্রী' বলে একাদশ স্থানের ফল দেবার কথা। এই কারণে শনি শুভ হলে আয়বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু শরীরের পক্ষে শুভ নাও হতে পারে। দুর্বল শনি ক্ষতিবৃদ্ধি করবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI rs 1000/=
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180321

Tuesday, March 20th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

নবগ্ৰহ স্তব ও উপাসনা

নবগ্ৰহ স্তব ও উপাসনা


নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র ও নবগ্ৰহ উপাসনা দ্বারা শান্তি লাভঃ-

যারা অশুভ শক্তিকে পরাহিত করে শান্তি আনায়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। নিম্নে সাধকের জন্য বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত-

গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ।
পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।

(গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ স্তব ও গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে অর্থাৎ নবগ্রহের শান্তি মানে আমাদের শান্তি)।

নবগ্রহ স্তব বিধি

নব গ্রহস্তোত্রম্‌
জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্‌।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্‌।।

দিব্যশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণব সম্ভবম্‌।
নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুট ভূষণম।।

ধরণীগর্ভসম্ভুতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম।
কুমারং শক্তিহস্তষ্ণ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম।।

প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম্‌।
সৌম্যং সর্বগুণোপেতং নমামি শশিনঃ সুতম্‌।।

দেবতানামৃষীণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্‌।
বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্‌।।

হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্‌।
সর্বশাস্ত্র প্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্‌।।

নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং মহাগ্রহম্‌।
ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্‌।।

অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দ্দকম্‌।
সিংহিকায়াঃ সূতং রৌদ্রং ত্বং রাহুং প্রণমাম্যহম্‌।।

পলালধুমসঙ্কাশং তারাগ্রহবিমর্দ্দকম্‌।
রৌদ্রং রুদ্রাত্মকং ক্রুরং তং কেতুং প্রণমাম্যহম্‌।।

নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র

(১) রবি (সূর্য) গ্রহ- ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
(২) সোম (চন্দ্র) গ্রহ- ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৩) মঙ্গল গ্রহ- ওঁ অঙ্গরকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
(৪) বুধ গ্রহ- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
(৫) বৃহস্পতি গ্রহ- ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
(৬) শুক্র গ্রহ- ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
(৭) শনি গ্রহ- ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
(৮) রাহু গ্রহ- ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
(৯) কেতু গ্রহ- ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে
অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।

শুভ সন্ধ‍্যা
নবগ্রহ উপাসনা
============
যারা নবগ্রহের অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি আনয়ন করতে চান সেই সাধকের জন্য নবগ্রহ মন্ত্র ও নবগ্রহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অপরিহার্য। বিষ্ণুধর্মোত্তরে উল্লেখিত হয়েছে-----
"গোচরে বা বিলগ্নে বা সে গ্রহারিষ্টসূচকাঃ। পূজয়ে তান্‌ প্রযন্তেন পূজিতাঃ স্যুঃ শুভপ্রদাঃ।।"
অর্থাৎ--- গোচরে বা জন্মকুণ্ডলীতে যে গ্রহ অনিষ্টকারক, তার শান্তি করিয়ে প্রসন্নতা লাভ করানো প্রয়োজন। প্রসন্ন হয়ে সেই গ্রহ শুভ ফল প্রদান করেন। নবগ্রহ পূজা ও নবগ্রহের গায়ত্রী মন্ত্র জপের দ্বারা গ্রহগণের শান্তি অতি শীঘ্রই হয়ে থাকে।

সূর্য্য
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্য্যায়। জপ সংখ্যা - ৬০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ভাস্করায় বিদ্মহে মহাতেজায় ধীমহিঃ তন্নঃ সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ জবাকুসুমসংকাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্ত্যারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্॥
ইষ্টদেবতা - মাতঙ্গী।
ধারণরত্ন - চুনী, ধূপ - গুগগুল, বার - রবিবার, প্রশস্ত সময় - সকাল৬.০৪- ১০ টা পর্যন্ত।

চন্দ্র
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং ক্লীং সোমায়ঃ। জপ সংখ্যা - ১৫০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ক্ষীরপুত্রায় বিদ্মহে অমৃতত্বায় ধীমহিঃ তন্নঃ চন্দ্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ দধিশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্ণবসম্ভবম্। নমামি শশিনং ভক্ত্যা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্॥
ইষ্টদেবতা - কমলা।
ধারণরত্ন - মুক্তা, ধূপ - সরলকাষ্ঠ, বার - সোমবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যা ৬-৭ পর্যন্ত।

মঙ্গল
----------
মন্ত্র - ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা - ৮০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌমঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভূতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ লোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - বগলামুখী।
ধারণরত্ন - প্রবাল, ধূপ - দেবদারু, বার - মঙ্গলবার, প্রশস্ত সময় - সকাল ৯-১২ টা পর্যন্ত।

বুধ
-------
মন্ত্র - ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা - ১০০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ প্রিয়ঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ষোড়োশী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন - পান্না, ধূপ - সঘৃত দেবদারু, বার - বুধবার, প্রশস্ত সময় - বেলা৭-১১ টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতি
----------------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে। জপ সংখ্যা -১৯০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ আঙ্গিরসায় বিদ্মহে দণ্ডায়ুধায় ধীমহিঃ তন্নঃ জীবঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ দেবতানাং ঋষিণাঞ্চ গুরুং কনকসন্নিভম্। বন্দ্যভূতং ত্রিলোকেশং তং নমামি বৃহস্পতিম্॥
ইষ্টদেবতা - তারা।
ধারণরত্ন - পোখরাজ, ধূপ - দশাঙ্গ, বার - বৃহস্পতিবার, প্রশস্ত সময় - বেলা ১২ পর্যন্ত।

শুক্র
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং শ্রীং শুক্রায়। জপ সংখ্যা - ২১০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ ভৃগুসুতায় বিদ্মহে দিব্যদেহায় ধীমহিঃ তন্নঃ শুত্রঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ হিমকুন্দমৃণালাভং দৈত্যানাং পরমং গুরুম্। সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ভুবনেশ্বরী।
ধারণরত্ন - হীরা, ধূপ - গুগুল, বার - শুক্রবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা। ৬-৮ টা পর্যন্ত

শনি
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনৈশ্চরায়। জপ সংখ্যা - ১০০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃত্যুরূপায় ধীমহিঃ তন্নঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম্॥
ইষ্টদেবতা - দক্ষিণকালিকা।
ধারণরত্ন - নীলা, ধূপ - কৃষ্ণাগুরু, বার - শনিবার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা।

রাহু
---------
মন্ত্র - ওঁ ঐং হ্রীং রাহবে। জপ সংখ্যা - ১২০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ শিরোরূপায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ রাহুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ অর্দ্ধকায়ং মহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম্। সিংহিকায়াঃ সুতং রৌদ্রং তং রাহুং প্রণমাম্যহম্॥
ইষ্টদেবতা - ছিন্নমস্তা।
ধারণরত্ন - গোমেদ, ধূপ - দারুচিনি, বার - শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় - সকাল ১১-১.৩০দুপুর পর্যন্ত।

কেতু
---------
মন্ত্র - ওঁ হ্রীং ঐং কেতবে। জপ সংখ্যা - ২২০০০ বার।
গায়ত্রী-- ওঁ গদাহস্তায় বিদ্মহে অমৃতেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ কেতুঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম-- ওঁ পলালধূমসঙ্কাশং তারাগ্রহবির্মদকম্। রৌদ্রং রৌদ্রাত্মকং ক্রূরং তং কেতুং প্রণমাম্যহং॥
ইষ্টদেবতা - ধূমাবতী।
ধারণরত্ন - ক্যাটস্ আই, ধূপ - মধুযুক্ত দারুচিনি, বার - শনি/মঙ্গল বার, প্রশস্ত সময় - সন্ধ্যাবেলা।

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks
Website : www.apnc.co.in



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180320

Monday, March 19th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

যাত্রা প্রকারণ

যাত্রা প্রকারণ


যাত্রা প্রকরণ :-

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি ও শুক্র বার পশ্চিমে, মঙ্গল ও বুধ বার উত্তরে, শনি ও সোম বার পূর্বে এবং বৃহস্পতি বার দক্ষিণে দিকশূল হয়। তাই উক্ত বারে উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ।

শুক্লা-প্রতিপদ, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে যাত্রা করলে অশুভ হয়।

অশ্বিনী, হস্তা, পুষ্যা, অনুরাধা, পুনর্বসু, রেবতী, জ্যেষ্ঠা ও মৃগশিরা নক্ষত্রে যাত্রা উত্তম।

রোহিণী, পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া, পূর্ব-ভাদ্রপদ, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, ও শতভিষা নক্ষত্রে যাত্রা মধ্যম।

উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, বিশখা, মঘা, আর্দ্রা, ভরণী, অশেস্নষা ও কৃত্তিকা নক্ষত্রে যাত্রা শুভ।

শ্রবণা ও জ্যেষ্ঠাতে পূর্বদিকে, পুষ্যা ও রোহিণীতে পশ্চিম দিকে, হস্তা ও উত্তর-ফাল্গুনীতে উত্তর দিকে এবং পূর্ব-ভাদ্রপদ ও অশ্বিনীতে দক্ষিণ দিকে নক্ষত্রশূল হয়।

উক্ত নক্ষত্র যে দিন থাকে সে দিন উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ।

রবি পূর্বদিকের,
চন্দ্র বায়ুকোণের,
মঙ্গল দক্ষিণদিকের,
বুধ উত্তরদিকের,
বৃহস্পতি ঈশানকোণের,
শুক্র অগ্নিকোণের,
শনি পশ্চিমদিকের,
রাহু নৈর্ঋতকোণের অধিপতি।
বুধ ভিন্ন দিকপতির দিনে যাত্রা শুভ।

প্রতিপদ ও নবমীতে পূর্বদিকে, তৃতীয়া ও একাদশীতে অগ্নিকোণে,

পঞ্চমী ও ত্রয়োদশীতে দক্ষিণদিকে, চতুর্থী ও দ্বাদশীতে নৈর্ঋতকোণে,

ষষ্ঠী ও চতুর্দশীতে পশ্চিমদিকে, সপ্তমী ও পূর্ণীমাতে বায়ুকোণে,

দ্বিতীয়া ও দশমীতে উত্তরদিকে এবং অষ্টমী ও অমাবশ্যাতে ঈশানকোণে যোগিনী বাস করেন।

যাত্রায় যোগিনীর শেষ নয় দণ্ড পরিত্যাজ্য। দক্ষিণ ও সম্মুখস্থ যোগিনীতে যাত্রা অশুভ এবং বাম ও পৃষ্ঠে অবস্থিত যোগিনীতে যাত্রা শুভ।

বিবাহের কাল বিচার :-

জ্যোতিষ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সপ্ত বারের মধ্যে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবাহে প্রশস্ত।

রবি, মঙ্গল ও শনি বারে বিবাহ হলে কন্যা কুলটা হয়। অমাবস্যা ও রিক্তায় (৪র্থী, ৯মী ও ১৪শী) বিবাহ অশুভ। তবে শনি বার রিক্তা তিথিতে বিবাহ শুভ।

রেবতী, উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, রোহিণী, মৃগশিরা, মূলা, অনুরাধা, মঘা, হস্তা ও স্বাতী এই সব নক্ষত্রসমূহে বিবাহ শুভ।

ব্যতীপাত, পরিঘ, বৈধৃতি, অতিগ-, ব্যাঘাত, হর্ষণ, শূল, গ-, বিকুম্ভ এবং বজ্র যোগ ভিন্ন অন্নযোগে বিবাহ প্রশস্ত।

শকুনি, চতুষ্পাদ, নাগ, কিন্তঘ্ন ও বিষ্টি করণে বিবাহ নিষিদ্ধ।

বারটি মাসের মধ্যে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও অগ্রহায়ণ মাসে বিবাহ প্রশস্ত। তবে অরক্ষণীয়া কন্যার নক্ষত্রে পৌষ ও মাঘ মাসেও বিবাহ প্রশসত্ম।

লগ্নের ক্ষেত্রে কন্যা, তুলা, মিথুন ও ধনু লগ্নের পূর্বাংশে বিবাহ শুভ।

বিবাহের সময় লগ্ন, ৫ম, ৯ম ও ১০মে বৃহস্পতি থাকলে সুতহিবুক যোগ হয়।

গর্গমুনির মতে জন্মদিনে কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ তবে জন্ম-মাসে বিবাহ প্রশস্ত।

জন্মদিনের পর আট দিন পরিত্যাগ করে কন্যার বিবাহের বিধান আছে।

কন্যার ক্ষেত্রে জন্মবার, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতেও বিবাহ প্রশস্ত।

জ্যৈষ্ঠ ও অগ্রহায়ণ মাসে জ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ।

তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহ প্রশস্ত।

জন্মদিন, জন্ম-বার, জন্ম-মাস, জন্ম-নক্ষত্র ও জন্ম-রাশিতে পুরুষের বিবাহ নিষিদ্ধ।

সুতহিবুক যোগে লগ্নের গ্রহসংস্থান জনিত সকল দোষ নাশ হয়।

এখন গোধুলি লগ্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। যে সময় শুভ লগ্ন থাকে না আবার বিবাহ-কার্যও আবশ্যক হয়ে পড়ে তখন গোধুলি লগ্নে বিবাহ প্রশস্ত।

গোধুলি লগ্নে বিবাহে বার, তিথি, নক্ষত্র, বিষ্টিভদ্রা প্রভৃতি দোষ থাকলেও বিবাহ অশুভ হয় না।

বিবাহের প্রশস্ত মাসের মধ্যে অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে এবং শনি ও বৃহস্পতি বার গোধুলি লগ্নে বিবাহ নিষিদ্ধ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180319

Thursday, March 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বাস্তু শাস্ত্র

বাস্তু শাস্ত্র

শুভ অপরান্থ
আজ বাস্তু নিয়ে বিস্তারে বলছী,সঙ্গে বাস্তুর ১০টি টিপস।
বাস্তু কী ?

নির্মাণ শিল্পের বিজ্ঞানকেই বাস্তু বলা যেতে পারে। বা বলা যেতে পারে নির্মাণ শিল্পে বিভিন্ন বস্তুর সমন্বয়ে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তাই হল বাস্তু। বাড়ি বা অফিসে কোন জিনিস কীভাবে রাখা হবে বা কোথায় রাখা হবে, তার উপর নির্ভর করে ভালো ও খারাপ শক্তি নির্গত হয়। বাস্তুশাস্ত্র এমন এক শিল্প, যার মাধ্যমে এই ভালো ও খারাপ শক্তির মধ্যে সমতা রক্ষা করা যায়। ইমারত তৈরির পাশাপাশি, যেখানে সেটি অবস্থিত তার মাটি পরীক্ষা, সামনে দিয়ে যেভাবে রাস্তা গিয়েছে, ইমারতটি কোন দিকে মুখ করে রয়েছে, জলের ব্যবস্থা, আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই বাস্তু শাস্ত্রের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত।

আমাদের প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থতেও বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালের বাস্তু বিশেষজ্ঞ রাজ বল্লভের মতে ভালো বাড়ি শুধু নয়, ভালো জীবনের জন্যও বাস্তু মেনে চলা প্রয়োজন। তার জন্য যে যে বিষয়গুলির উপর তিনি গুরুত্ব দিতে বলেছেন, তা হল -

১. ইমারত যে শহরে নির্মাণ করা হবে, তারা অনুসারে তার উপযোগিতা

২. দিক নির্ণয়

৩. মাটি

৪. দিন

৫. বাস্তু পুরুষের অবস্থান অনুসারে নক্ষত্রের বিচার

একটি ইমারতে মোটামুটি পাঁচটি মূল বিষয় থাকে। - জায়গা, বাতাস, জল, আগুন এবং মাটি। এই পাঁচটির মধ্যে সমন্বয় রক্ষা হলে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। বাস্তুমতে বলা হয়, ব্রহ্মা আমাদের শরীর আত্মার বসবাসের জন্য তৈরি করেছেন। সেখানে যেভাবে জল, বাতাস প্রভৃতির মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হয়েছে, সেভাবেই আমাদের শরীরের বসবাসের জন্য মূল পাঁচটি উপকরণের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা জরুরি।

এই বাস্তু শাস্ত্র যাঁরা রচনা করেছেন সেই প্রাচীন মুনিঋষিরা যে সমস্ত ব্যবস্থার কথা বলেছেন তা বিজ্ঞানসম্মত৷ তাঁরা বলেছেন, প্রতিটি বাস্তুর শক্তি রয়ে‌ছে এবং এই শক্তি আবার বাস্তুর সৃষ্টি করে যেগুলোকে তাঁরা জড় শক্তি ও জীব শক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন৷ এখন দেখুন, পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞনী আইনস্টাইন কি বলেছেন? তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, এই যে মহাবিশ্ব যা বস্তুর ভর এবং শক্তি দিয়েই তৈরি তা পরস্পর রূপান্তরযোগ্য৷ অর্থাৎ, ভর শক্তিতে এবং শক্তি ভরে রূপান্তরিত হতে পারে৷

আমাদের প্রাচীন মুনিঋষিরা আবার বলেছেন, প্রত্যেটি মানুষের দেহজ্যোতি বা অলৌকিক আভা (Aura) রয়েছে যা বেশি করে কোনও মহাপুরুষের শরীরে বিশেষ করে তাঁদের মাথার চারদিকে তারা প্রত্যক্ষ করতেন৷ যেগুলোকে তাঁরা 'দিব্য কান্তি বলয়' আখ্যা দিয়েছেন৷ দেবদেবীর ক্ষেত্রেও একই কথা৷ এটা যে কোনো কল্পনা নয় বা গাঁজাখুরি গল্প নয় তা কিন্তু ১৯৩৯ সালে রুশ বিজ্ঞানী সাইমন কিরলিয়ান আবিষ্কার করেছিলেন৷ তিনি লক্ষ্য করলেন যে, যখন তিনি কোনও উচ্চ শক্তির বৈদ্যুতিক চালক শক্তি(High Voltage Field) ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফিক প্লেটের কাছে তাঁর আঙুলগুলোকে নিয়ে আসছেন তখন তার থেকে এক ধরনের তেজ নিঃসরণ হচ্ছে এবং এখান থেকে দেহ নিঃসৃত অলৌকিক তেজ বা ( Aura Energy)-র আবিষ্কার৷

বিজ্ঞানী কিরলিয়ান সেই তেজ বা শক্তিকে মাপার জন্য যন্ত্রও আবিষ্কার করেছেন৷ তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে যা প্রমাণ করলেন তা কিন্তু হাজার হাজার বছর আগে আমাদের বৈদিক মুনিঋষিরা কোনও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই উপলব্ধি করেছেন যাতে তাঁরা জীবশক্তি ও জড়শক্তি নাম দিয়েছেন৷ না হলে সত্যদ্রষ্টা ভারতীয় মুনিঋষিদের কোনও যন্ত্র ছাড়াই এই আবিষ্কার বেদের পাতার মধ্যেই নিহিত থাকত -কেউই জানতেই পারত না৷

এই যে Energy বা শক্তি কথা বলা হল তা দুই প্রকারের৷ Negetive Energy বা ঋণাত্মক শক্তি এবং Positive Energy বা ধনাত্মক শক্তি৷ বাস্তুর ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করে বাস্ত্ত নির্বাচন ও গৃহনির্মাণ করতে হবে যাতে ঋণাত্মক শক্তি কাজ করতে না পারে-শুধু ধনাত্মক শক্তিই কাজ করবে৷ ঋণাত্মক শক্তি কাজ করলে তা নিয়ে আসবে নানাপ্রকার দৈহিক ও মানসিক অসুখ-বিসুখ, হিংসা, মনোমালিন্য, অশান্তি, ক্ষয়ক্ষতি, ধনক্ষয় ইত্যাদি হতে থাকবে৷ আমরা বাসগৃহ, অফিস, কারখানা, গুদাম, দোকান যাই নির্মাণ করি না কেন তা থেকে এক সামগ্রিক শক্তি বা তেজ উত্পন্ন হয় যেগুলোকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না৷

আধুনিক এনার্জি স্ক্যানিং ডিভাইসের(Energy Scanning Device) সাহায্য আমরা এই সমস্ত নির্মাণ করতে পারি যার ফলে সেগুলো ধনাত্মক শক্তিতে পূর্ণ হয়ে থাকে এবং আমরা ওখানে দীর্ঘক্ষণ থাকলে আমরা ধনাত্মক শক্তিতে পরিপূর্ণ হতে পারি ফলে আমাদের জীবন সুখকর হতে পারে৷ একথাও মনে রাখতে হবে যে বাস্ত্ত দোষের কারণে উত্পন্ন ঋণাত্মক শক্তিতে নানা মাধ্যমে বাড়ির ভাঙচুর না করে- বিভিন্ন রঙ, রিফ্লেক্টার, শক্তি সিলিং যন্ত্র, এসেন্সিয়াল আইল, সিম্বল ইত্যাদির দ্বারা খর্ব করে-ধনাত্মক করা সম্ভব৷

বাস্তুভূমি, কারখানার জমি বা বাগানবাড়ি- যাই আপনি করতে যান, তিনটি বিষয়ের দিকে নজর দিতেই হবে৷ এক নম্বর হল মহাজাগতিক শক্তি যা আপনার নির্বাচিত বা নির্বাচনযোগ্য ভূমির উপর কেমন প্রভাব ফেলছে৷ আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে এবং পঞ্জিকায় যে রাহুকাল, বারবেলা বা শুভকাল, মাহেন্দ্রক্ষণ বা চূড়ামণি যোগ ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে তার কারণ রাহুকালে বা বারবেলায় অশুভ শক্তি বা Negetive Energy প্রচুরভাবে উৎপন্ন হতে থাকে৷ দুই নম্বর হচ্ছে, ভূমির নিম্ন বা গর্ভে নানা পদার্থ, ধাতু, জীবজন্তুর কঙ্কাল ইত্যাদি থাকলে তা ঋণাত্মক শক্তি বা Negative Energy উৎপন্ন করতে থাকে যা ভূমির উপরে নির্মিত বাসগৃহ, কারখানা বা অন্য কিছুর উপর খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করে৷

এবং তিন নম্বর হচ্ছে ভূমির উপরে নির্মিত গৃহ যে সামূহিক শক্তি উৎপন্ন করে যা সেই গৃহে বাসকারী মানুষদের উপর বিস্তার করে৷ তাই বাসগৃহ, কারখানা, বাগানবাড়ি, দোকানবাড়ি, দোকানঘর ইত্যাদি এমনভাবে এমন জমিতে এমন কৌণিক অবস্থানে নির্মাণ করতে হবে যাতে ঋণাত্মক শক্তি উৎপন্ন তো করবেই তা, ধনাত্মক শক্তির আধার হবে৷ আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে আবার ভূমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে 'কূর্মপৃষ্ঠ জমিকে উচ্চস্থান দেওয়া হয়েছে সবই বিজ্ঞানসম্মত কারণের উপর ভিত্তি করেই৷

বাস্তুতে দিকের প্রভাবপূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ। বাস্তুতে এই চারটি দিকের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। ইমারত গঠনের সময় এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। আগেকার দিনে সূর্যের ছায়া দেখে দিকের হিসেব করা হত। এখন ম্যাগনেটিক কম্পাসের মতো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নিখুঁত ভাবে দিক নির্ণয় করা হয়। সাধারণ ভাবে চারটি প্রধান দিক নিয়ে হিসেব হলেও বাস্তুমতে মোট দশটি দিক রয়েছে। তবে কম্পাসে আটটি দিকের হদিশ পাওয়া যায়। কম্পাস মোট ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। প্রতিটি দিকের জন্য ৪৫ ডিগ্রি করে নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রতিটি দিকের জন্য ডিগ্রির স্তর পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজনীয়।

উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম - এই মূল চারটি দিক ছাড়াও আরও চারটি উপদিক রয়েছে। এগুলি সবসময় কোণাকুনি ভাবে অবস্থান করে। এগুলি হল -উত্তরপূর্ব কোণ বা ঈশাণ কোণদক্ষিণপূর্ব কোণ বা অগ্নি কোণ দক্ষিণ পশ্চিম কোণ বা নৈঋত কোণ উত্তরপশ্চিম কোণ বা বায়ু কোণ বাস্তুমতে নবম দিক হল আকাশ ও দশম দিক হল পাতাল।

বাস্তুমতে উত্তর দিক অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচিত। এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দু মতে ধন-সম্পত্তির দেবতা কুবের। সেই কারণে উত্তর দিককে অর্থ ও পেশাগত উন্নতির দিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বুধ হল উত্তর দিকের গ্রহ। বাস্তুপুরুষের বুক ও পেট উত্তর দিকে থাকে। তাই ঘরের উত্তর দিক সব সময় খোলামেলা, আলোকজ্জ্বল ও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা জরুরি। আধুনিক বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর মেরুর কারণে উত্তর দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে ভালো শক্তি নির্গত হয়। এই শক্তি বাড়ির সকল সদস্যের জন্যই প্রয়োজনীয়। তাই উত্তর মেরুর পজিটিভ শক্তি বাড়ির মধ্যে যাতে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য উত্তর দিক খোলামেলা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।

দক্ষিণ - দক্ষিণ দিক সবসময়ই বাস্তুমতে খারাপ দিক হিসেবে চিহ্নিত। তবে তা সবসময় সত্যি নয়। বলা যেতে পারে উত্তর দিকের সব ভালো শক্তির ব্যাঙ্ক হল দক্ষিণ দিক। দক্ষিণ দিক খুব একটা খোলামেলা না হওয়াই ভালো। বাস্তুমতে এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দু দেবতা যম। তাই ঘরের দক্ষিণ দিক বেশি খোলামেলা হলে বাড়ির সদস্যদের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ এমনকি মৃত্যুভয় লেগে থাকবে। দক্ষিণ দিক খোলামেলা বাড়ির সদস্যরা মামলা-মোকদ্দমাতেও জড়িয়ে পড়তে পারেন। দক্ষিণ দিকে বন্ধ দেওয়াল থাকলে অর্থ ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। এই দিকের প্রতিনিধি গ্রহ হল মঙ্গল।

পূর্ব - অত্যন্ত শক্তিশালী দিক। এই গ্রহের অধিপতি হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। ইন্দ্র বৃষ্টি, প্রতিপত্তি, উত্‍সব ও শক্তির দেবতা। পাশাপাশি পূর্ব দিকে প্রতিনিধি গ্রহ হল সূর্য, যা নিজেই শক্তির বিশাল উত্‍স। সূর্যের প্রভাবে জীবনে উন্নতি হয়। তাই পূর্ব দিককে আমরা উন্নতির দিক হিসেবে চিহ্নিত করি। বাড়ির পূর্ব দিকও খোলামেলা, আলোকজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এই দিকে দরজা, জানালার পরিবর্তে শুধুই বন্ধ দেওয়াল থাকলে জীবনে উন্নতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। বাড়ির পূর্ব দিকে বাথরুম থাকা বাস্তুমতে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত। মনে রাখবেন, পূর্ব দিকে বাধা মানে আপনার জীবনেও বাধা।

পশ্চিম - এই দিক জীবনে প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির দিক। এই দিকের অধিপতি হলেন বৃষ্টি, খ্যাতি ও ভাগ্যের দেবতা বিষ্ণু। এই দিকের প্রতিনিধি গ্রহ হল শনি। বাড়ির পশ্চিম দিক খুব একটা খোলামেলা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়। পূর্ব দিকের শক্তি অর্থাত্‍ সূর্য থেকে নির্গত শক্তি পশ্চিম দিকে সঞ্চিত হয়। সূর্য বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঢলে পড়ে সেভাবেই শক্তির উত্‍স্যও পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে সরে যায়। পশ্চিম দিকে বাড়ির মূল দরজা না হওয়াই ভালো। এতে অর্থলাভের সম্ভাবনা নষ্ট হয়।

উত্তর পূর্ব - বাস্তুমতে খুবই ভালো দিক। এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ দেবতা শিব। এর প্রতিনিধি গ্রহ হল বৃহস্পতি। ধনসম্পত্তি, প্রতিপত্তি ও সুস্বাস্থ্য দান করে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উত্তরপূর্ব অত্যন্ত শুভ দিক। এই দিক থেকে শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হয়। বাড়ির উত্তরপূর্ব দিকে শৌচাগার নির্মাণ গোটা পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে। এই দিকে দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয়। বড় নির্মাণও না করাই ভালো।

দক্ষিণ পূর্ব - আপনার যদি কোনও বদরাগী, সংবদেনশীল সুভাকাঙ্খী থাকেন, তাঁর মতোই অনেকটা হল এই দক্ষিণপূর্ব দিক। দক্ষিণপূর্ব দিকের অধিপতি হল অগ্নিদেব। এর প্রতিনিধি গ্রহ শুক্র। সূর্য যখন দক্ষিণপূর্ব দিকে আসে, তখন এর মেজাজ অত্যন্ত উগ্র থাকে। সবথেকে উগ্র অবস্থায় এই সময়ই থাকে সূর্য। এই উগ্র রূপকে আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আগুন সংক্রান্ত কাজকর্ম এই দিকে করলে ভালো হয়। এই দিকে জিনিসপত্র রাখা ও নির্মাণ করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

দক্ষিণ পশ্চিম - এই দিকের অধিপতি হল নিরিতি নামের এক রাক্ষস। এর প্রতিনিধি গ্রহ রাহু। উত্তরপূর্ব দিক থেকে নির্গত চৌম্বকীয় শক্তি এই দিকে সঞ্চিত হওয়ায় এটাই বাড়ির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। এই দিকের সঠিক ব্যবহার খুবই শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর জীবন দিতে পারে। এই দিক সম্পদ, স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসের দিক হিসেবে চিহ্নিত। বাস্তু মেনে ব্যবহৃত হলে দক্ষিণ পশ্চিম দিক খ্যাতি এনে দেবে। কিন্তু ভুল ব্যবহার নানা সমস্যা ডেকে আনবে। অর্থ বেরিয়ে যাবে। হতাশা, উদ্বেগ এমনকি আত্মহত্যাপ্রবণতাও দেখা দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে দক্ষিণ পশ্চিম দিকের ভুল ব্যবহার কর্মীদের কাজে অমনোযোগের কারণ।

উত্তর পশ্চিম - এই দিকের অধিপতি হল বায়ু। এর প্রতিনিধি গ্রহ হল চন্দ্র। বাতাস এর মূল উপাদান হওয়ায় এই দিকটি খুবই অস্থির দিক। এই দিকের সঠিক ব্যবহারে জীবনে নানা সুযোগ আসে। পেশাগত জীবনে উন্নতি হতে পারে। তবে বাস্তুমতে এর ভুল ব্যবহার বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।এর ফলে অসুখবিসুখও হতে পারে।

গৃহ নির্মাণ যোগ্য ভূমির বিভিন্ন 'দিক'-এর বাস্তুগত গুরুত্ব

উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম দিকে বিন্যস্ত মোট দশটি দিক থাকলে বাস্তুশাস্ত্রে আটটি দিকের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷ এই আটটি দিক হল-পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, অগ্নি, নৈঋত ও বায়ু৷ এর মধ্যে প্রথম চারটিকে বলা হয় প্রধান 'দিক'৷ শেষ চারটিকে বলা হয় সহায়ক 'কোন' চলিত কথায় আমরা এগুলিকে মুখ্যত আটটি দিক বলতে পারি৷

ভারতীয় শাস্ত্র অনুসারে এই আটটি দিকের প্রতিটির এক-একজন অধিদেবতা বা দিকপাল রয়েছেন৷ এখানে 'দেবতা' বলতে 'শক্তি' বোঝানো হচ্ছে৷ বাস্ত্তশাস্ত্র অনুসারে এই চারটি দিক ও চারটি কোণ থেকে অনবরত বিভিন্ন প্রকার শক্তি বিচ্ছুরিত হয়ে পৃথিবীর উপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে৷ তাই মানুষের সর্বসিদ্ধি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রকৃতির এই সকল শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে জীবন ধারণের বিভিন্ন রকম আদব-কায়দা, রীতি-নীতি ও বিধি-নিষেধের কথাই বাস্তুশাস্ত্রে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ আর বাস্তুশাস্ত্রের এই সকল জটিল নির্দেশ ও বিধান সহজ সরল ভাষায় সাধারণের উপযোগী করে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যেই বাস্তুশাস্ত্র সর্ম্পকিত ধারাবাহিক এই কলমের উপস্থাপনা৷ যাতে পাঠক তার জীবন-যাপনকে সুস্থ ও সরল ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালিত করতে পারে সেকারণেই একের পর এক বাস্তু বিষয়ক লেখা, আলোচনা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে৷ যাইহোক এবার আমরা দেখে নেব-আটটি দিকের গুরুত্ব৷ নিম্নে তা বিশদে আলোচনা করা হল-

(১) উত্তর দিক অধিদেবতা
এই দিকের অধিদেবতা হল-কুবের সোম বা চন্দ্র ৷

গুরুত্ব
উত্তর দিক মিত্র স্থান নির্দেশ করে৷ সেই কারণে বাস্তু ভূমির উত্তর দিক আবদ্ধ রাখা উচিত নয়৷

(২) দক্ষিণ দিক অধিদেবতা
এই দিকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন যম৷

গুরুত্ব
এই দিক সমৃদ্ধিকারক৷ জীবনে সুখ শান্তি ও প্রফুল্লতা বিকাশে সহায়ক হয়৷

(৩) পূর্ব দিক অধিদেবতা
অধিদেবতা হলেন ইন্দ্র ও সূর্য৷

গুরুত্ব
শাস্ত্র মতে এই দিকটি পৈতৃক স্থান৷ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাসগৃহ তৈরির সময় জমির পূর্বদিকটি খোলামেলা রাখা প্রয়োজন৷ এই দিকটি আবদ্ধ থাকলে গৃহস্বামীর স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা দেখা যেতে পারে৷

(৪) পশ্চিম দিক অধিদেবতা
পশ্চিম দিকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বরুণ৷

গুরুত্ব
এই দিকটি গৃহকর্তার যশ, মান সম্মান, সর্বকার্যে সফলতা প্রদানে প্রভাব বিস্তার করে৷

(৫) ঈশান কোণ অধিকর্তা
এই কোণের অধিদেবতা সোম শিব৷

গুরুত্ব
এই কোণ বংশবৃদ্ধিকারক৷ সুতরাং এই দিকটি যথাসম্ভব দোষমুক্ত রাখা উচিৎ৷

(৬) নৈঋর্ত কোণ অধিদেবতা
এই কোণের অধিদেবতা নৈঋর্‌তি৷

গুরুত্ব
এই দিকটি গৃহস্বামী ও গৃহের অধিবাসীদের কর্তব্য, দায়িত্ব, প্রতিপালনীয় আচার-ব্যবহারকে প্রভাবিত করে৷

(৭) অগ্নি কোণ অধিদেবতা
এই কোণের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন অগ্নি ৷

গুরুত্ব

এই কোণ সুস্থ, সবল, নীরোগ স্বাস্থ্য প্রদানে প্রভাব বিস্তার করে৷

(৮) বায়ু কোণ অধিদেবতা
বায়ু কোণের অধিদেবতা-মরুত্ ৷

গুরুত্ব
এই কোণটি গৃহস্বামীর লোকসম্বন্ধ প্রদান করে৷ অর্থাত্ বহুলোকের সঙ্গে গৃহস্বামীর সম্পর্ক স্থাপনে এই কোণ প্রভাব বিস্তার করে৷ এই সম্পর্ক ভালো বা মন্দ উভয়ই হতে পারে৷ বায়ুকোণের শুভ প্রভাবে মিত্র লাভ হয়৷ অশুভ প্রভাবে শত্রুবৃদ্ধি ও বিভিন্ন হানির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়৷

এই ভাবে উপরিউক্ত আটটি দিক মানর জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে৷ বাস্তু শাস্ত্রের সঠিক প্রয়োগে এই প্রভাব মানব জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে৷

জমি-বাড়ির বাস্তুসম্মত ব্যবহারিক নির্দেশ

জমি

(১) বর্গকার জমি শ্রেষ্ঠ। জমির আকার বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্র হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বগলাকার জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ২:১ এর বেশী বা কম যেন না হয়।

(২) বিষম আকৃতির জমি সর্বদা পরিহার করা উচিত। যেমন বিষম বাহু, ডম্বরু আকার, ষড়কোণ যুক্ত,পঞ্চমুখী, ডিম্বাকৃতি, চক্রাকৃতি ত্রিকোনাকৃতি, কুলাকৃতি ধনুকাকৃতি, অর্ধচক্রাকার, সূচালো, দিক্‌পাল জমি না কানে ভাল।

(৩) জমির ইতিহাস জানা উচিত। যেমন-জমিটি কোন পশু বা মানুষের কবরখানা ছিল কিনা। এমন জমির উপর বাড়ি করা উচিত নয়।

(৪) জমির মাটি পরীক্ষা করে দেখা উচিত। শল্যদোষ যুক্ত জমি না কেনাই উচিত। আর জমির উপর দিয়ে যেন উচ্চ ক্ষমতায় বৈদ্যুতিক তার না যায়।

(৫) জমির উত্তর পূর্ব দিক খোলা থাকা উচিত। উত্তর পূর্বদিকে জলাশয় থাকা ভাল। জমির দক্ষিণ পশ্চিমদিকে উচুঁ গাছ, বড় বাড়ি, পাহাড় বা টিলা থাকা ভাল।

(৬) বাড়ির চারদিকে রাস্তা থাকা সবচেয়ে ভাল। তিনদিকে রাস্তাও ভাল। তবে কমপক্ষে দুদিকে রাস্তা থাকা ভাল অবশ্য দিক দুটি উত্তর, দক্ষিণ হওয়া চাই। যদি জমির একদিকে রাস্তা থাকে তাহলে সেটি উত্তর বা পূর্বদিক হলে ভাল। অন্যদিকে শুভ নয়। 'টি' বা 'ওয়াই' আকৃতির সংযোগস্থলের উপর বাড়ি করা কখনও উচিত নয়।

কোণের জমি

(৭) দুটো রাস্তার সংযোগস্থলের জমি লোভনীয়। কিন্তু এ ধরণের জমি কেনার আগে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, পুরোবিধির অনুযায়ী কোণের জমি বাড়ি করতে গেলে কোণার জমির কোণাকোনি ছাড়তে হবে। এই কোণাকোনি কাটা যেন উত্তর-পূর্বদিকে অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিকে অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক না হয়।

বাড়ি তৈরি

(৮) জমি ভূমিপূজা, ভিত্তিপ্রস্তর, সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির কর্তার কোষ্ঠী অনুযায়ী শুভ মুহূর্তে করাই শ্রেয়। বাড়ি তৈরির আগে প্রথমেই সীমানা প্রাচীর করতে হবে। সীমানা প্রাচীরের চারদিকের দেওয়ালের মধ্যে দক্ষিণ ও পশ্চিমের দেওয়াল মোট ও উচুঁ করতে হবে।

প্রধান প্রবেশদ্বার

(৯) বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার নির্ভর করে জমির কোন দিকে রাস্তা আছে তার উপর। বাড়ির প্রবেশদ্বার প্রধান চারটি দিকের যে কোন দিকেই যেতে পারে। তবে উত্তর বা পূর্বমুখী প্রধান প্রবেশদ্বার উত্তম।

(১০) বাড়ি প্রধান প্রবেশদ্বার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিম যে কোন দিকে বসবার সময় প্রতিটি দিককে সমান ৯ ভাগে ভাগ করে বাঁদিকে থেকে ৩ ভাগ বাদ দিয়ে চতুর্থ ভাগে প্রধান প্রবেশদ্বার বসাতে হবে।

(১১) যদি রাস্তা প্রকৃত উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমে না থাকে অন্যদিকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবেশদ্বার এইভাবে বসানো যেতে পারে।

জানালা

(১২) বাড়ির জানালা উর্ধ্ব তুঙ্গস্থ বসাতে হবে। বাড়ির জানালা এমনভাবে বসাতে হবে যাতে 'ক্রস ভেন্টিলেশন' বা আড়াআড়ি আলো-বাতাস চলাচল করে।

(১৩) বাস্তুশাস্ত্র মতে জানালা বসাবার উপযুক্ত স্থান- (ক) পূর্বদিক (খ) উত্তরদিক (গ) উত্তর-পূর্বের পূর্বদিক (ঘ) উত্তর-পূর্বের দিক (ঙ) উত্তর-পশ্চিমের উত্তর দিক (চ) উত্তর-পশ্চিমদিক (ছ) দক্ষিণ দিক।

সিঁড়ির অবস্থান

(১৪) জমির দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিকে তৈরী করলে ফল ভালো হয়। সিঁড়ি ঘড়ির কাঁটার স্বাভাবিক ঘোরার কারণে ডান দিকে ওপরের দিকে ঘুরে যাবে।

(১৫) দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে সিঁড়ি করা সম্ভব না হলে দক্ষিণ-পূর্বের দক্ষিণদিক ও উত্তর পশ্চিম দিকের পশ্চিম দিকে সিঁড়ি করা চলবে। জমির উত্তর পূর্ব দিক হালকা ধরণের বলে উত্তর-পূর্ব দিক সিঁড়ি করা উচিত নয়। সিঁড়ি ওঠার সময় পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিক উঁচুতে উঠবে।

লিফ্‌ট

(১৬) বহুতল বাড়িতে বসানোর আর্দশস্থল হল দক্ষিণ, পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল।

রান্নাঘর

(১৭) বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিক আগ্নেয় স্থান। সে কারণে রান্নাঘর হওয়া উচিত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। কোন কারণে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রান্নাঘর করা সম্ভব না হলে বাড়ির উত্তর পশ্চিম দিকে রান্নাঘর করা যেতে পারে।

(১৮) রান্নাঘর কোন মতেই বাড়ির উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম বা ব্রহ্মস্থলে করা উচিত নয়। রান্না করার সময় রাধুনি বা গৃহিনীর মুখ পূর্বদিকে রাখা বাঞ্ছনীয়।

(১৯) রান্নাঘরের প্ল্যাটফর্ম পূর্বদিকে করতে হবে। প্ল্যাটফর্মের নীচে গশাস সিলিন্ডার রাখা ভাল। বাসনপত্রের আলমারি দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিমদিকে রাখা উচিত।

(২০) রান্নাঘরের কল উত্তর পূর্ব কোণে হওয়া বাঞ্ছনীয়। জলের জাল বা ফিল্টারও উত্তর-পূর্ব দিকে। ভাঁড়ার ঘর হবে রান্নাঘরের উত্তর পশ্চিম দিকে।

শৌচাগার

(২১) শৌচাগারের অবস্থান হবে পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর-পশ্চিম দিকে। শৌচাগারের কমোড বা প্যান উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বসাতে হবে।

স্নানাগার

(২২) পূর্বদিকে স্নানাগার করা শ্রেষ্ঠ। সম্ভব না হলে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে করা যেতে পারে।

নলকূপ

(২৩) বাড়ির উত্তর-পূর্বদিকে নলকূপ করা সবচেয়ে ভালো। তবে সম্ভব না হলে উত্তর পশ্চিম দিক করা ভালো। দক্ষিণ-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্বে নলকূপ বসানো উচিত নয়।

সেপটিক ট্যাঙ্ক ও সোকপিট

(২৪) বাড়ির পশ্চিম কোণে এবং মধ্য-উত্তরে মাটির নিচে করা ভাল। বিকল্প মধ্য-পূর্ব ও পূর্বে মাটির নিচে করা যেতে পারে।

ওভারহেড ট্যাঙ্ক

(২৬) ওভারহেড ট্যাঙ্ক হবে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের পশ্চিম দিকে।

আউট হাউস

(২৭) উত্তর অথবা পশ্চিম দিকে সীমানা দেওয়াল না ছুঁয়ে আউট তৈরী করতে হবে। আউট হাউসের উচ্চতা প্রধান দেয়ালের উচ্চতার কম হওয়া বাঞ্ছনীয়।

বিদ্যুৎ সংযোগস্থল

(২৮) বাড়ি দক্ষিণ-পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগস্থল করা শ্রেষ্ঠ। বিকল্পে দক্ষিণ বা উত্তর দিকে কখনওই বিদ্যুৎ সংযোগ করা চলবে না। কেননা উত্তর-পূর্ব দিকটি বাস্তুশাস্ত্র মতে পঞ্চভৌতিক তত্ত্বানুযায়ী জলীয়স্থান। সে কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বা প্রকৃতপক্ষে অগ্নি সংযোগ, শাস্ত্রীয় অনুকূল নয়।

বারান্দা

(২৯) বাড়ির বারান্দা করতে হবে উত্তর বা পূর্বদিকে। বারান্দার ছাদ ও বাড়ির ছাদের স্তর এক সমান যেন না হয়।

গ্যারেজ

(৩০) বাড়ির গ্যারাজ হওয়া উচিত বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর পশ্চিম অঞ্চল।

টেরাস

(৩১) টেরাস তৈরী করতে হবে উত্তর পূর্ব অংশে।

বসবার ঘর

(৩২) বাড়ির লোকজন ও অতিথিদের বসবার ঘর হবে পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিকে। বাড়ির কর্তা পূর্ব বা উত্তরমুখী হয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন করবেন।

পড়ার ঘর

(৩৩) পড়ার ঘর হওয়া উচিত বাড়ির উত্তর বা পশ্চিম দিকে। পড়ার সময় পূর্ব বা উত্তর দিকে তাকিয়ে পড়া উচিত। পড়ার টেবিলের ঢাকনা সবুজ হওয়া ভাল। পড়ার ঘরের দরজা উত্তর-পূর্ব দিক হওয়া শুভদায়ক।

ঠাকুর ঘর

(৩৪) ঠাকুর ঘর করা অবশ্য উচিত বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে। এই দিকটি জ্যোতিষ মতে বৃহস্পতি স্থান। বৈজ্ঞানিক মতে এই দিক ধনাত্মক শক্তির প্রাচুর্যে ভরা। মালিকানাযুক্ত ফ্ল্যাট বাড়িতে উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর সম্ভব না হলে সেইসব ফ্ল্যাটে ব্রহ্মস্থানে ছোট করে ঠাকুর ঘর তৈরী করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে যে কোন ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের আসন চলবে।

কর্তার শোয়ার ঘর

(৩৫) কর্তার শোয়ার ঘর হবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। কর্তার শোয়ার খাট দক্ষিণ-পশ্চিমের দেওয়াল থেকে কম পক্ষে তিন ইঞ্চি দূরে রাখতে হবে। শোয়ার সময় কর্তার মাথা দক্ষিণে ও পা উত্তরে থাকবে। মাথা যেন কখনও উত্তরে না থাকে।

(৩৬) শোয়ার ঘরের দরজা উত্তর পূর্ব দিকে রাখা উচিত।

(৩৭) প্রধান আলমারী ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিমে খাটের পাশে রাখতে হবে, যেন আলমারী মুখ থাকে উত্তর দিকে গৃহকর্তার টাকা পয়সা দরকারি কাগজ-পত্র ওই আলমারীতে রাখবেন। দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারী আলমারী রাখা সম্ভব না হলে গৃহকর্তার ঘরের উত্তর ছোট আলমারীতে টাকা-পয়সা রাখা হবে।

মেজেনাইন ফ্লোর

(৩৮) বাড়িতে মেজেনাইন ফ্লোর বানাতে হলে বাড়ির দক্ষিণ দিকে করা যেতে পারে।

বেসমেন্ট

(৩৯) বেসমেন্ট করা চলবে বাড়ির উত্তর-পূর্বদিকে। তবে বাড়ির দক্ষিণ বা পশ্চিম কোনও মতেই বেসমেন্ট করা উচিত নয়।

ব্রহ্মস্থান

(৪০) জমির মাঝখানটি হল ব্রহ্মস্থান। সেখানে বিম, কলাম, পিলার, দেওয়াল যেন না থাকে। অনুরূপ কারণে কোনও ঘরের মাঝখানে কোন ভারী জিনিস বসানো অবাঞ্ছনীয়।

ভাঁড়ার ঘর

(৪১) আলাদা করার সম্ভব হলে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে করা শ্রেষ্ঠ।

বক্সরুম

(৪২) বাড়ির টুকিটাকি জিনিস, পুরনো আসবাবপত্র, বিছানাপত্তর, পুরানো বাসনকোসন দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ঘরে অথবা যে কোন ঘরের (উত্তর পূর্ব বাদে) দক্ষিণ-পশ্চিমে উঁচু জায়গা বা লফট করে রাখা যেতে পারে।

বাগান

(৪৩) বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে বাগান করা সবচেয়ে ভালো। বিকল্পে উত্তর-পূর্বে বাগান করা চলবে।

জেনারেটর

(৪৪) বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির জেনারটর ঘর দক্ষিণ-পূর্বে করা শ্রেষ্ঠ। বিকল্পে উত্তর-পশ্চিমে করা চলবে। কিন্তু কোন মতেই বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে চলবে না।

আসবাব

(৪৫) আয়না রাখার আদর্শ জায়গা পূর্ব বা উত্তরের দেওয়াল। কোনমতেই দক্ষিন-পশ্চিম বা দক্ষিণ দেওয়ালে বড় আয়না টাঙানো যাবে না।

(৪৬) দেওয়াল ঘড়ি দক্ষিণ ছাড়া যে কোনও দিকে টাঙানো চলবে। তবে পূর্বদিকে টাঙানো সবচেয়ে ভালো। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম ঘরের দক্ষিণ দেওয়ালের দখিন-পশ্চিম কোণটি প্রয়াত পূর্বপুরুষের ছবি টাঙানো সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। বিকল্পে যে কোন ঘরের দেওয়ালে দক্ষিণ-পশ্চিমে টাঙানো চলবে।

(৪৭) বড় রেফ্রিজারেটর যে কোন ঘরের দক্ষিন-পূর্ব অথবা দক্ষিণ দিকে বসানো যেতে পারে। ছোট রেফ্রিজারেটর উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিম দিকে বসানো চলবে।

(৪৮) তবে বড় বা ছোট কোনও রেফ্রিজারেটরই কোনও উত্তর পূর্ব দেওয়ালে বসানো চলবে না।

(৪৯) টিভি যে কোন ও ঘরের উত্তর-পশ্চিমে বসানো সবচেয়ে ভালো। যেহেতু টিভি আমোদ-প্রমোদের সরঞ্জাম সে কারণে বিকল্প দক্ষিণ-পূর্বদিকে বসানো চলবে।

(৫০) বড় সোফাসেট বসার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ বা পশ্চিম দেওয়ালে রাখা উচিত।

(৫১) পূর্বদিকের ঘরের মধ্যে পূর্বে ওয়াশিং মেসিন রেখে কাচা উচিত।

গৃহপালিত জীবজন্তু

(৫২) গরু-ছাগল রাখা যাবে ঘরের বাহিরে জমির উত্তর-পশ্চিমে। কুকুর-বিড়াল থাকবে উত্তর-পশ্চিমে সিড়িঁর নীচে বা ঠান্ডা জায়গায়।

(৫৩) ছোটপাখি, শৌখিন পাখি রাখা যেতে পারে বাড়ি বা ঘরের উত্তর-পশ্চিমে। রঙিন মাছ রাখা চলবে বারান্দা বা ঘরের উত্তর পূর্ব দিকে।

ড্রয়িং রুম বা বসবার ঘর

(৫৪) বাড়ির পূর্বে বা উত্তর-পশ্চিমে বসবার ঘর করা যেতে পারে।

ডাইনিং রুম বা খাওয়ার ঘর

(৫৫) বাড়ির পূর্ব বা পশ্চিমে খাওয়ার ঘর করা যেতে পারে।

লিভিং রুম

(৫৬) লিভিং রুম প্রধানত নির্ভর করে প্রধান দরজার উপর। কারণ প্রধান দরজার সামনের ঘরটাই সাধারণত লিভিংরুম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পূর্বে বা পশ্চিমের ঘর লিভিং হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

বাদ্যযন্ত্রাদি রাখার জায়গা

(৫৭) গৃহের বিভিন্ন আসবারের মত সঙ্গীতের যন্ত্রাদি রাখার জন্যও নির্দিষ্ট স্থান বাস্তুশাস্ত্রে নির্দেশিত আছে। পেশাদার শিল্পীদের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, যথা- গিটার, হারমোনিয়াম, সেতার, সরোদ, সারেঙ্গি, তানপুরা, বীনা, বীন, তবলা, আধুনিক সিন্থেসাইজার, পিয়ানো ইত্যাদি বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকের ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণে রাখতে হবে। সঙ্গীত কারক গ্রহ চন্দ্র। আর উত্তর-পশ্চিম কোণে জ্যোতিষ মতে চন্দ্রের স্থান বলে ওই স্থানে বাদ্যযন্ত্রাদি রাখলে সঙ্গীতশিল্পীর পক্ষে শুভদায়ক। শিল্পীর সঙ্গীতজীবন পরিপূর্ণ হবে। তবে পুরানো দিনের বিশাল আকারের পিয়ানো রাখা চলবে উত্তর-পশ্চিম দিকের ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায়।

বিবিধ

জুতো রাখার জায়গা

(৫৮) বাড়ির দক্ষিণ ও পশ্চিম ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ পূর্বদিকের দেওয়ালে জুতো রাখার জায়গা করা যেতে পারে। বিকল্পে উত্তর-পশ্চিমের ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বে রাখা যেতে পারে। কোনও মতেই কোন ও ঘরের উত্তর-পূর্বে রাখা অনুচিত।

আর্বজনা

(৫৯) বাড়ির আর্বজনা কখনো জমিয়ে রাখবেন না। ময়লা জমলেই সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁটা দিয়ে বাহিরে বের করে দেবেন। ময়লা রাখার জায়গা বাড়ির দক্ষিণ দিকে, বিকল্পে উত্তর পশ্চিমে করা যেতে পারে।

সীমানা প্রাচীর

(৬০) পূর্বমুখী জমি উত্তর পূর্বদিকের পূর্ব দিকে করতে হবে। পশ্চিমমুখী জমি উত্তর পশ্চিমের পশ্চিম দিকে করতে হবে।

(৬১) উত্তরমুখী জমি- উত্তর পূর্বের উত্তর দিকে করতে হবে। দক্ষিণমুখী জমি- দক্ষিণ পূর্বের দক্ষিণ দিকে করতে হবে।



এব
বাস্তু মতে জীবনে উন্নতি সাধনের ১০টি উপায়

মানুষের বাসস্থানের আশপাশের পাঁচটি ভৌতিক উপাদান, অর্থাৎ মাটি, জল, আগুন, বায়ু ও আকাশ— এদের সামঞ্জস্যবিধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

নিজস্ব প্রতিবেদন

এপ্রিল ১৯, ২০১৬

বাস্তুশাস্ত্র মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, এমন বিশ্বাস আছে অনেকেরই। বাস্তু কথাটির অর্থ বাসস্থান, এবং এই শাস্ত্র মনে করে, মানুষের বাসস্থানের আশপাশের পাঁচটি ভৌতিক উপাদান, অর্থাৎ মাটি, জল, আগুন, বায়ু ও আকাশ— এদের সামঞ্জস্যবিধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বাস্তুশাস্ত্র আপনার জীবনের উন্নতি সাধনের জন্য দিচ্ছে ১০টি পরামর্শ—

১. ঘরের প্রবেশদ্বারের সম্মুখে যদি কোনও দেওয়াল থাকে তাহলে সেই দেওয়াল খালি রাখবেন না। খালি দেওয়াল নিঃসঙ্গতার প্রতীক। কাজেই সেই দেওয়ালে একটাণেশের ছবি টাঙিয়ে দিন। আপনার পক্ষে ভাল হবে।

২. উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে ধ্যান করুন নিয়মিত। এটা অত্যন্ত শুভ অভ্যাস।

৩. উত্তর-পূর্বমুখী কোনও দেওয়ালে একটি লম্বা রাস্তার ছবি টাঙিয়ে দিন। এতে আপনার দুরদর্শিতা বৃদ্ধি পাবে।

৪. দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিন সূর্যমুখী ফুলের ফোটো বা আঁকা ছবি। অথবা হলুদ কিংবা সোনালি ফ্রেমে মোড়া যে কোনও ছবি টাঙান।

৫. পূর্বমুখী দেওয়ালে ঝোলান উদীয়মান সূর্যের ছবি।

৬. ছেলেমেয়েদের পড়ার টেবিলটিকে ঘুরিয়ে দিন পূর্ব দিকে। সন্তানের পড়াশোনায় উন্নতি হবে।

৭. স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমানোর সময়ে স্ত্রী পূর্বদিকে শুলে ভাল। দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতি হবে।

৮. বিছানার তলায় অপ্রয়োজনীয় জিনিস জড়ো করে রাখার অভ্যেস ছাড়ুন। এতে জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথ মসৃণ হবে।

৯. শোবার ঘরে কোনও চড়া রঙ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এত সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

১০. বাথরুমে টবে কোনও গাছ রাখুন। সংসারে নেগেটিভ এনার্জি দূরীভূত হবে।

আরও পড়ুন

আপনি অবিবাহিত? জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে টিপস দিচ্ছে বাস্তু

নতুন ব

শুভ অপরান্থ
আজ বাস্তু নিয়ে বিস্তারে বলছী,সঙ্গে বাস্তুর ১০টি টিপস।
বাস্তু কী ?

নির্মাণ শিল্পের বিজ্ঞানকেই বাস্তু বলা যেতে পারে। বা বলা যেতে পারে নির্মাণ শিল্পে বিভিন্ন বস্তুর সমন্বয়ে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তাই হল বাস্তু। বাড়ি বা অফিসে কোন জিনিস কীভাবে রাখা হবে বা কোথায় রাখা হবে, তার উপর নির্ভর করে ভালো ও খারাপ শক্তি নির্গত হয়। বাস্তুশাস্ত্র এমন এক শিল্প, যার মাধ্যমে এই ভালো ও খারাপ শক্তির মধ্যে সমতা রক্ষা করা যায়। ইমারত তৈরির পাশাপাশি, যেখানে সেটি অবস্থিত তার মাটি পরীক্ষা, সামনে দিয়ে যেভাবে রাস্তা গিয়েছে, ইমারতটি কোন দিকে মুখ করে রয়েছে, জলের ব্যবস্থা, আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই বাস্তু শাস্ত্রের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত।

আমাদের প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থতেও বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালের বাস্তু বিশেষজ্ঞ রাজ বল্লভের মতে ভালো বাড়ি শুধু নয়, ভালো জীবনের জন্যও বাস্তু মেনে চলা প্রয়োজন। তার জন্য যে যে বিষয়গুলির উপর তিনি গুরুত্ব দিতে বলেছেন, তা হল -

১. ইমারত যে শহরে নির্মাণ করা হবে, তারা অনুসারে তার উপযোগিতা

২. দিক নির্ণয়

৩. মাটি

৪. দিন

৫. বাস্তু পুরুষের অবস্থান অনুসারে নক্ষত্রের বিচার

একটি ইমারতে মোটামুটি পাঁচটি মূল বিষয় থাকে। - জায়গা, বাতাস, জল, আগুন এবং মাটি। এই পাঁচটির মধ্যে সমন্বয় রক্ষা হলে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। বাস্তুমতে বলা হয়, ব্রহ্মা আমাদের শরীর আত্মার বসবাসের জন্য তৈরি করেছেন। সেখানে যেভাবে জল, বাতাস প্রভৃতির মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হয়েছে, সেভাবেই আমাদের শরীরের বসবাসের জন্য মূল পাঁচটি উপকরণের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা জরুরি।

এই বাস্তু শাস্ত্র যাঁরা রচনা করেছেন সেই প্রাচীন মুনিঋষিরা যে সমস্ত ব্যবস্থার কথা বলেছেন তা বিজ্ঞানসম্মত৷ তাঁরা বলেছেন, প্রতিটি বাস্তুর শক্তি রয়ে‌ছে এবং এই শক্তি আবার বাস্তুর সৃষ্টি করে যেগুলোকে তাঁরা জড় শক্তি ও জীব শক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন৷ এখন দেখুন, পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞনী আইনস্টাইন কি বলেছেন? তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, এই যে মহাবিশ্ব যা বস্তুর ভর এবং শক্তি দিয়েই তৈরি তা পরস্পর রূপান্তরযোগ্য৷ অর্থাৎ, ভর শক্তিতে এবং শক্তি ভরে রূপান্তরিত হতে পারে৷

আমাদের প্রাচীন মুনিঋষিরা আবার বলেছেন, প্রত্যেটি মানুষের দেহজ্যোতি বা অলৌকিক আভা (Aura) রয়েছে যা বেশি করে কোনও মহাপুরুষের শরীরে বিশেষ করে তাঁদের মাথার চারদিকে তারা প্রত্যক্ষ করতেন৷ যেগুলোকে তাঁরা 'দিব্য কান্তি বলয়' আখ্যা দিয়েছেন৷ দেবদেবীর ক্ষেত্রেও একই কথা৷ এটা যে কোনো কল্পনা নয় বা গাঁজাখুরি গল্প নয় তা কিন্তু ১৯৩৯ সালে রুশ বিজ্ঞানী সাইমন কিরলিয়ান আবিষ্কার করেছিলেন৷ তিনি লক্ষ্য করলেন যে, যখন তিনি কোনও উচ্চ শক্তির বৈদ্যুতিক চালক শক্তি(High Voltage Field) ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফিক প্লেটের কাছে তাঁর আঙুলগুলোকে নিয়ে আসছেন তখন তার থেকে এক ধরনের তেজ নিঃসরণ হচ্ছে এবং এখান থেকে দেহ নিঃসৃত অলৌকিক তেজ বা ( Aura Energy)-র আবিষ্কার৷

বিজ্ঞানী কিরলিয়ান সেই তেজ বা শক্তিকে মাপার জন্য যন্ত্রও আবিষ্কার করেছেন৷ তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে যা প্রমাণ করলেন তা কিন্তু হাজার হাজার বছর আগে আমাদের বৈদিক মুনিঋষিরা কোনও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই উপলব্ধি করেছেন যাতে তাঁরা জীবশক্তি ও জড়শক্তি নাম দিয়েছেন৷ না হলে সত্যদ্রষ্টা ভারতীয় মুনিঋষিদের কোনও যন্ত্র ছাড়াই এই আবিষ্কার বেদের পাতার মধ্যেই নিহিত থাকত -কেউই জানতেই পারত না৷

এই যে Energy বা শক্তি কথা বলা হল তা দুই প্রকারের৷ Negetive Energy বা ঋণাত্মক শক্তি এবং Positive Energy বা ধনাত্মক শক্তি৷ বাস্তুর ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করে বাস্ত্ত নির্বাচন ও গৃহনির্মাণ করতে হবে যাতে ঋণাত্মক শক্তি কাজ করতে না পারে-শুধু ধনাত্মক শক্তিই কাজ করবে৷ ঋণাত্মক শক্তি কাজ করলে তা নিয়ে আসবে নানাপ্রকার দৈহিক ও মানসিক অসুখ-বিসুখ, হিংসা, মনোমালিন্য, অশান্তি, ক্ষয়ক্ষতি, ধনক্ষয় ইত্যাদি হতে থাকবে৷ আমরা বাসগৃহ, অফিস, কারখানা, গুদাম, দোকান যাই নির্মাণ করি না কেন তা থেকে এক সামগ্রিক শক্তি বা তেজ উত্পন্ন হয় যেগুলোকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না৷

আধুনিক এনার্জি স্ক্যানিং ডিভাইসের(Energy Scanning Device) সাহায্য আমরা এই সমস্ত নির্মাণ করতে পারি যার ফলে সেগুলো ধনাত্মক শক্তিতে পূর্ণ হয়ে থাকে এবং আমরা ওখানে দীর্ঘক্ষণ থাকলে আমরা ধনাত্মক শক্তিতে পরিপূর্ণ হতে পারি ফলে আমাদের জীবন সুখকর হতে পারে৷ একথাও মনে রাখতে হবে যে বাস্ত্ত দোষের কারণে উত্পন্ন ঋণাত্মক শক্তিতে নানা মাধ্যমে বাড়ির ভাঙচুর না করে- বিভিন্ন রঙ, রিফ্লেক্টার, শক্তি সিলিং যন্ত্র, এসেন্সিয়াল আইল, সিম্বল ইত্যাদির দ্বারা খর্ব করে-ধনাত্মক করা সম্ভব৷

বাস্তুভূমি, কারখানার জমি বা বাগানবাড়ি- যাই আপনি করতে যান, তিনটি বিষয়ের দিকে নজর দিতেই হবে৷ এক নম্বর হল মহাজাগতিক শক্তি যা আপনার নির্বাচিত বা নির্বাচনযোগ্য ভূমির উপর কেমন প্রভাব ফেলছে৷ আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে এবং পঞ্জিকায় যে রাহুকাল, বারবেলা বা শুভকাল, মাহেন্দ্রক্ষণ বা চূড়ামণি যোগ ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে তার কারণ রাহুকালে বা বারবেলায় অশুভ শক্তি বা Negetive Energy প্রচুরভাবে উৎপন্ন হতে থাকে৷ দুই নম্বর হচ্ছে, ভূমির নিম্ন বা গর্ভে নানা পদার্থ, ধাতু, জীবজন্তুর কঙ্কাল ইত্যাদি থাকলে তা ঋণাত্মক শক্তি বা Negative Energy উৎপন্ন করতে থাকে যা ভূমির উপরে নির্মিত বাসগৃহ, কারখানা বা অন্য কিছুর উপর খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করে৷

এবং তিন নম্বর হচ্ছে ভূমির উপরে নির্মিত গৃহ যে সামূহিক শক্তি উৎপন্ন করে যা সেই গৃহে বাসকারী মানুষদের উপর বিস্তার করে৷ তাই বাসগৃহ, কারখানা, বাগানবাড়ি, দোকানবাড়ি, দোকানঘর ইত্যাদি এমনভাবে এমন জমিতে এমন কৌণিক অবস্থানে নির্মাণ করতে হবে যাতে ঋণাত্মক শক্তি উৎপন্ন তো করবেই তা, ধনাত্মক শক্তির আধার হবে৷ আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে আবার ভূমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে 'কূর্মপৃষ্ঠ জমিকে উচ্চস্থান দেওয়া হয়েছে সবই বিজ্ঞানসম্মত কারণের উপর ভিত্তি করেই৷

বাস্তুতে দিকের প্রভাবপূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ। বাস্তুতে এই চারটি দিকের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। ইমারত গঠনের সময় এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। আগেকার দিনে সূর্যের ছায়া দেখে দিকের হিসেব করা হত। এখন ম্যাগনেটিক কম্পাসের মতো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নিখুঁত ভাবে দিক নির্ণয় করা হয়। সাধারণ ভাবে চারটি প্রধান দিক নিয়ে হিসেব হলেও বাস্তুমতে মোট দশটি দিক রয়েছে। তবে কম্পাসে আটটি দিকের হদিশ পাওয়া যায়। কম্পাস মোট ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। প্রতিটি দিকের জন্য ৪৫ ডিগ্রি করে নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রতিটি দিকের জন্য ডিগ্রির স্তর পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজনীয়।

উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম - এই মূল চারটি দিক ছাড়াও আরও চারটি উপদিক রয়েছে। এগুলি সবসময় কোণাকুনি ভাবে অবস্থান করে। এগুলি হল -উত্তরপূর্ব কোণ বা ঈশাণ কোণদক্ষিণপূর্ব কোণ বা অগ্নি কোণ দক্ষিণ পশ্চিম কোণ বা নৈঋত কোণ উত্তরপশ্চিম কোণ বা বায়ু কোণ বাস্তুমতে নবম দিক হল আকাশ ও দশম দিক হল পাতাল।

বাস্তুমতে উত্তর দিক অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচিত। এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দু মতে ধন-সম্পত্তির দেবতা কুবের। সেই কারণে উত্তর দিককে অর্থ ও পেশাগত উন্নতির দিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বুধ হল উত্তর দিকের গ্রহ। বাস্তুপুরুষের বুক ও পেট উত্তর দিকে থাকে। তাই ঘরের উত্তর দিক সব সময় খোলামেলা, আলোকজ্জ্বল ও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা জরুরি। আধুনিক বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর মেরুর কারণে উত্তর দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে ভালো শক্তি নির্গত হয়। এই শক্তি বাড়ির সকল সদস্যের জন্যই প্রয়োজনীয়। তাই উত্তর মেরুর পজিটিভ শক্তি বাড়ির মধ্যে যাতে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য উত্তর দিক খোলামেলা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।

দক্ষিণ - দক্ষিণ দিক সবসময়ই বাস্তুমতে খারাপ দিক হিসেবে চিহ্নিত। তবে তা সবসময় সত্যি নয়। বলা যেতে পারে উত্তর দিকের সব ভালো শক্তির ব্যাঙ্ক হল দক্ষিণ দিক। দক্ষিণ দিক খুব একটা খোলামেলা না হওয়াই ভালো। বাস্তুমতে এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দু দেবতা যম। তাই ঘরের দক্ষিণ দিক বেশি খোলামেলা হলে বাড়ির সদস্যদের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ এমনকি মৃত্যুভয় লেগে থাকবে। দক্ষিণ দিক খোলামেলা বাড়ির সদস্যরা মামলা-মোকদ্দমাতেও জড়িয়ে পড়তে পারেন। দক্ষিণ দিকে বন্ধ দেওয়াল থাকলে অর্থ ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। এই দিকের প্রতিনিধি গ্রহ হল মঙ্গল।

পূর্ব - অত্যন্ত শক্তিশালী দিক। এই গ্রহের অধিপতি হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। ইন্দ্র বৃষ্টি, প্রতিপত্তি, উত্‍সব ও শক্তির দেবতা। পাশাপাশি পূর্ব দিকে প্রতিনিধি গ্রহ হল সূর্য, যা নিজেই শক্তির বিশাল উত্‍স। সূর্যের প্রভাবে জীবনে উন্নতি হয়। তাই পূর্ব দিককে আমরা উন্নতির দিক হিসেবে চিহ্নিত করি। বাড়ির পূর্ব দিকও খোলামেলা, আলোকজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এই দিকে দরজা, জানালার পরিবর্তে শুধুই বন্ধ দেওয়াল থাকলে জীবনে উন্নতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। বাড়ির পূর্ব দিকে বাথরুম থাকা বাস্তুমতে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত। মনে রাখবেন, পূর্ব দিকে বাধা মানে আপনার জীবনেও বাধা।

পশ্চিম - এই দিক জীবনে প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির দিক। এই দিকের অধিপতি হলেন বৃষ্টি, খ্যাতি ও ভাগ্যের দেবতা বিষ্ণু। এই দিকের প্রতিনিধি গ্রহ হল শনি। বাড়ির পশ্চিম দিক খুব একটা খোলামেলা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়। পূর্ব দিকের শক্তি অর্থাত্‍ সূর্য থেকে নির্গত শক্তি পশ্চিম দিকে সঞ্চিত হয়। সূর্য বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঢলে পড়ে সেভাবেই শক্তির উত্‍স্যও পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে সরে যায়। পশ্চিম দিকে বাড়ির মূল দরজা না হওয়াই ভালো। এতে অর্থলাভের সম্ভাবনা নষ্ট হয়।

উত্তর পূর্ব - বাস্তুমতে খুবই ভালো দিক। এই দিকের অধিপতি হলেন হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ দেবতা শিব। এর প্রতিনিধি গ্রহ হল বৃহস্পতি। ধনসম্পত্তি, প্রতিপত্তি ও সুস্বাস্থ্য দান করে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উত্তরপূর্ব অত্যন্ত শুভ দিক। এই দিক থেকে শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হয়। বাড়ির উত্তরপূর্ব দিকে শৌচাগার নির্মাণ গোটা পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে। এই দিকে দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয়। বড় নির্মাণও না করাই ভালো।

দক্ষিণ পূর্ব - আপনার যদি কোনও বদরাগী, সংবদেনশীল সুভাকাঙ্খী থাকেন, তাঁর মতোই অনেকটা হল এই দক্ষিণপূর্ব দিক। দক্ষিণপূর্ব দিকের অধিপতি হল অগ্নিদেব। এর প্রতিনিধি গ্রহ শুক্র। সূর্য যখন দক্ষিণপূর্ব দিকে আসে, তখন এর মেজাজ অত্যন্ত উগ্র থাকে। সবথেকে উগ্র অবস্থায় এই সময়ই থাকে সূর্য। এই উগ্র রূপকে আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আগুন সংক্রান্ত কাজকর্ম এই দিকে করলে ভালো হয়। এই দিকে জিনিসপত্র রাখা ও নির্মাণ করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

দক্ষিণ পশ্চিম - এই দিকের অধিপতি হল নিরিতি নামের এক রাক্ষস। এর প্রতিনিধি গ্রহ রাহু। উত্তরপূর্ব দিক থেকে নির্গত চৌম্বকীয় শক্তি এই দিকে সঞ্চিত হওয়ায় এটাই বাড়ির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। এই দিকের সঠিক ব্যবহার খুবই শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর জীবন দিতে পারে। এই দিক সম্পদ, স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসের দিক হিসেবে চিহ্নিত। বাস্তু মেনে ব্যবহৃত হলে দক্ষিণ পশ্চিম দিক খ্যাতি এনে দেবে। কিন্তু ভুল ব্যবহার নানা সমস্যা ডেকে আনবে। অর্থ বেরিয়ে যাবে। হতাশা, উদ্বেগ এমনকি আত্মহত্যাপ্রবণতাও দেখা দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে দক্ষিণ পশ্চিম দিকের ভুল ব্যবহার কর্মীদের কাজে অমনোযোগের কারণ।

উত্তর পশ্চিম - এই দিকের অধিপতি হল বায়ু। এর প্রতিনিধি গ্রহ হল চন্দ্র। বাতাস এর মূল উপাদান হওয়ায় এই দিকটি খুবই অস্থির দিক। এই দিকের সঠিক ব্যবহারে জীবনে নানা সুযোগ আসে। পেশাগত জীবনে উন্নতি হতে পারে। তবে বাস্তুমতে এর ভুল ব্যবহার বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।এর ফলে অসুখবিসুখও হতে পারে।

গৃহ নির্মাণ যোগ্য ভূমির বিভিন্ন 'দিক'-এর বাস্তুগত গুরুত্ব

উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম দিকে বিন্যস্ত মোট দশটি দিক থাকলে বাস্তুশাস্ত্রে আটটি দিকের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷ এই আটটি দিক হল-পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, অগ্নি, নৈঋত ও বায়ু৷ এর মধ্যে প্রথম চারটিকে বলা হয় প্রধান 'দিক'৷ শেষ চারটিকে বলা হয় সহায়ক 'কোন' চলিত কথায় আমরা এগুলিকে মুখ্যত আটটি দিক বলতে পারি৷

ভারতীয় শাস্ত্র অনুসারে এই আটটি দিকের প্রতিটির এক-একজন অধিদেবতা বা দিকপাল রয়েছেন৷ এখানে 'দেবতা' বলতে 'শক্তি' বোঝানো হচ্ছে৷ বাস্ত্তশাস্ত্র অনুসারে এই চারটি দিক ও চারটি কোণ থেকে অনবরত বিভিন্ন প্রকার শক্তি বিচ্ছুরিত হয়ে পৃথিবীর উপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে৷ তাই মানুষের সর্বসিদ্ধি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রকৃতির এই সকল শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে জীবন ধারণের বিভিন্ন রকম আদব-কায়দা, রীতি-নীতি ও বিধি-নিষেধের কথাই বাস্তুশাস্ত্রে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ আর বাস্তুশাস্ত্রের এই সকল জটিল নির্দেশ ও বিধান সহজ সরল ভাষায় সাধারণের উপযোগী করে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যেই বাস্তুশাস্ত্র সর্ম্পকিত ধারাবাহিক এই কলমের উপস্থাপনা৷ যাতে পাঠক তার জীবন-যাপনকে সুস্থ ও সরল ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালিত করতে পারে সেকারণেই একের পর এক বাস্তু বিষয়ক লেখা, আলোচনা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে৷ যাইহোক এবার আমরা দেখে নেব-আটটি দিকের গুরুত্ব৷ নিম্নে তা বিশদে আলোচনা করা হল-

(১) উত্তর দিক অধিদেবতা
এই দিকের অধিদেবতা হল-কুবের সোম বা চন্দ্র ৷

গুরুত্ব
উত্তর দিক মিত্র স্থান নির্দেশ করে৷ সেই কারণে বাস্তু ভূমির উত্তর দিক আবদ্ধ রাখা উচিত নয়৷

(২) দক্ষিণ দিক অধিদেবতা
এই দিকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন যম৷

গুরুত্ব
এই দিক সমৃদ্ধিকারক৷ জীবনে সুখ শান্তি ও প্রফুল্লতা বিকাশে সহায়ক হয়৷

(৩) পূর্ব দিক অধিদেবতা
অধিদেবতা হলেন ইন্দ্র ও সূর্য৷

গুরুত্ব
শাস্ত্র মতে এই দিকটি পৈতৃক স্থান৷ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাসগৃহ তৈরির সময় জমির পূর্বদিকটি খোলামেলা রাখা প্রয়োজন৷ এই দিকটি আবদ্ধ থাকলে গৃহস্বামীর স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা দেখা যেতে পারে৷

(৪) পশ্চিম দিক অধিদেবতা
পশ্চিম দিকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বরুণ৷

গুরুত্ব
এই দিকটি গৃহকর্তার যশ, মান সম্মান, সর্বকার্যে সফলতা প্রদানে প্রভাব বিস্তার করে৷

(৫) ঈশান কোণ অধিকর্তা
এই কোণের অধিদেবতা সোম শিব৷

গুরুত্ব
এই কোণ বংশবৃদ্ধিকারক৷ সুতরাং এই দিকটি যথাসম্ভব দোষমুক্ত রাখা উচিৎ৷

(৬) নৈঋর্ত কোণ অধিদেবতা
এই কোণের অধিদেবতা নৈঋর্‌তি৷

গুরুত্ব
এই দিকটি গৃহস্বামী ও গৃহের অধিবাসীদের কর্তব্য, দায়িত্ব, প্রতিপালনীয় আচার-ব্যবহারকে প্রভাবিত করে৷

(৭) অগ্নি কোণ অধিদেবতা
এই কোণের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন অগ্নি ৷

গুরুত্ব

এই কোণ সুস্থ, সবল, নীরোগ স্বাস্থ্য প্রদানে প্রভাব বিস্তার করে৷

(৮) বায়ু কোণ অধিদেবতা
বায়ু কোণের অধিদেবতা-মরুত্ ৷

গুরুত্ব
এই কোণটি গৃহস্বামীর লোকসম্বন্ধ প্রদান করে৷ অর্থাত্ বহুলোকের সঙ্গে গৃহস্বামীর সম্পর্ক স্থাপনে এই কোণ প্রভাব বিস্তার করে৷ এই সম্পর্ক ভালো বা মন্দ উভয়ই হতে পারে৷ বায়ুকোণের শুভ প্রভাবে মিত্র লাভ হয়৷ অশুভ প্রভাবে শত্রুবৃদ্ধি ও বিভিন্ন হানির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়৷

এই ভাবে উপরিউক্ত আটটি দিক মানর জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে৷ বাস্তু শাস্ত্রের সঠিক প্রয়োগে এই প্রভাব মানব জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে৷

জমি-বাড়ির বাস্তুসম্মত ব্যবহারিক নির্দেশ

জমি

(১) বর্গকার জমি শ্রেষ্ঠ। জমির আকার বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্র হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বগলাকার জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ২:১ এর বেশী বা কম যেন না হয়।

(২) বিষম আকৃতির জমি সর্বদা পরিহার করা উচিত। যেমন বিষম বাহু, ডম্বরু আকার, ষড়কোণ যুক্ত,পঞ্চমুখী, ডিম্বাকৃতি, চক্রাকৃতি ত্রিকোনাকৃতি, কুলাকৃতি ধনুকাকৃতি, অর্ধচক্রাকার, সূচালো, দিক্‌পাল জমি না কানে ভাল।

(৩) জমির ইতিহাস জানা উচিত। যেমন-জমিটি কোন পশু বা মানুষের কবরখানা ছিল কিনা। এমন জমির উপর বাড়ি করা উচিত নয়।

(৪) জমির মাটি পরীক্ষা করে দেখা উচিত। শল্যদোষ যুক্ত জমি না কেনাই উচিত। আর জমির উপর দিয়ে যেন উচ্চ ক্ষমতায় বৈদ্যুতিক তার না যায়।

(৫) জমির উত্তর পূর্ব দিক খোলা থাকা উচিত। উত্তর পূর্বদিকে জলাশয় থাকা ভাল। জমির দক্ষিণ পশ্চিমদিকে উচুঁ গাছ, বড় বাড়ি, পাহাড় বা টিলা থাকা ভাল।

(৬) বাড়ির চারদিকে রাস্তা থাকা সবচেয়ে ভাল। তিনদিকে রাস্তাও ভাল। তবে কমপক্ষে দুদিকে রাস্তা থাকা ভাল অবশ্য দিক দুটি উত্তর, দক্ষিণ হওয়া চাই। যদি জমির একদিকে রাস্তা থাকে তাহলে সেটি উত্তর বা পূর্বদিক হলে ভাল। অন্যদিকে শুভ নয়। 'টি' বা 'ওয়াই' আকৃতির সংযোগস্থলের উপর বাড়ি করা কখনও উচিত নয়।

কোণের জমি

(৭) দুটো রাস্তার সংযোগস্থলের জমি লোভনীয়। কিন্তু এ ধরণের জমি কেনার আগে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, পুরোবিধির অনুযায়ী কোণের জমি বাড়ি করতে গেলে কোণার জমির কোণাকোনি ছাড়তে হবে। এই কোণাকোনি কাটা যেন উত্তর-পূর্বদিকে অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিকে অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক না হয়।

বাড়ি তৈরি

(৮) জমি ভূমিপূজা, ভিত্তিপ্রস্তর, সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির কর্তার কোষ্ঠী অনুযায়ী শুভ মুহূর্তে করাই শ্রেয়। বাড়ি তৈরির আগে প্রথমেই সীমানা প্রাচীর করতে হবে। সীমানা প্রাচীরের চারদিকের দেওয়ালের মধ্যে দক্ষিণ ও পশ্চিমের দেওয়াল মোট ও উচুঁ করতে হবে।

প্রধান প্রবেশদ্বার

(৯) বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার নির্ভর করে জমির কোন দিকে রাস্তা আছে তার উপর। বাড়ির প্রবেশদ্বার প্রধান চারটি দিকের যে কোন দিকেই যেতে পারে। তবে উত্তর বা পূর্বমুখী প্রধান প্রবেশদ্বার উত্তম।

(১০) বাড়ি প্রধান প্রবেশদ্বার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিম যে কোন দিকে বসবার সময় প্রতিটি দিককে সমান ৯ ভাগে ভাগ করে বাঁদিকে থেকে ৩ ভাগ বাদ দিয়ে চতুর্থ ভাগে প্রধান প্রবেশদ্বার বসাতে হবে।

(১১) যদি রাস্তা প্রকৃত উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমে না থাকে অন্যদিকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবেশদ্বার এইভাবে বসানো যেতে পারে।

জানালা

(১২) বাড়ির জানালা উর্ধ্ব তুঙ্গস্থ বসাতে হবে। বাড়ির জানালা এমনভাবে বসাতে হবে যাতে 'ক্রস ভেন্টিলেশন' বা আড়াআড়ি আলো-বাতাস চলাচল করে।

(১৩) বাস্তুশাস্ত্র মতে জানালা বসাবার উপযুক্ত স্থান- (ক) পূর্বদিক (খ) উত্তরদিক (গ) উত্তর-পূর্বের পূর্বদিক (ঘ) উত্তর-পূর্বের দিক (ঙ) উত্তর-পশ্চিমের উত্তর দিক (চ) উত্তর-পশ্চিমদিক (ছ) দক্ষিণ দিক।

সিঁড়ির অবস্থান

(১৪) জমির দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিকে তৈরী করলে ফল ভালো হয়। সিঁড়ি ঘড়ির কাঁটার স্বাভাবিক ঘোরার কারণে ডান দিকে ওপরের দিকে ঘুরে যাবে।

(১৫) দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে সিঁড়ি করা সম্ভব না হলে দক্ষিণ-পূর্বের দক্ষিণদিক ও উত্তর পশ্চিম দিকের পশ্চিম দিকে সিঁড়ি করা চলবে। জমির উত্তর পূর্ব দিক হালকা ধরণের বলে উত্তর-পূর্ব দিক সিঁড়ি করা উচিত নয়। সিঁড়ি ওঠার সময় পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিক উঁচুতে উঠবে।

লিফ্‌ট

(১৬) বহুতল বাড়িতে বসানোর আর্দশস্থল হল দক্ষিণ, পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল।

রান্নাঘর

(১৭) বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিক আগ্নেয় স্থান। সে কারণে রান্নাঘর হওয়া উচিত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। কোন কারণে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রান্নাঘর করা সম্ভব না হলে বাড়ির উত্তর পশ্চিম দিকে রান্নাঘর করা যেতে পারে।

(১৮) রান্নাঘর কোন মতেই বাড়ির উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম বা ব্রহ্মস্থলে করা উচিত নয়। রান্না করার সময় রাধুনি বা গৃহিনীর মুখ পূর্বদিকে রাখা বাঞ্ছনীয়।

(১৯) রান্নাঘরের প্ল্যাটফর্ম পূর্বদিকে করতে হবে। প্ল্যাটফর্মের নীচে গশাস সিলিন্ডার রাখা ভাল। বাসনপত্রের আলমারি দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিমদিকে রাখা উচিত।

(২০) রান্নাঘরের কল উত্তর পূর্ব কোণে হওয়া বাঞ্ছনীয়। জলের জাল বা ফিল্টারও উত্তর-পূর্ব দিকে। ভাঁড়ার ঘর হবে রান্নাঘরের উত্তর পশ্চিম দিকে।

শৌচাগার

(২১) শৌচাগারের অবস্থান হবে পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর-পশ্চিম দিকে। শৌচাগারের কমোড বা প্যান উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বসাতে হবে।

স্নানাগার

(২২) পূর্বদিকে স্নানাগার করা শ্রেষ্ঠ। সম্ভব না হলে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে করা যেতে পারে।

নলকূপ

(২৩) বাড়ির উত্তর-পূর্বদিকে নলকূপ করা সবচেয়ে ভালো। তবে সম্ভব না হলে উত্তর পশ্চিম দিক করা ভালো। দক্ষিণ-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্বে নলকূপ বসানো উচিত নয়।

সেপটিক ট্যাঙ্ক ও সোকপিট

(২৪) বাড়ির পশ্চিম কোণে এবং মধ্য-উত্তরে মাটির নিচে করা ভাল। বিকল্প মধ্য-পূর্ব ও পূর্বে মাটির নিচে করা যেতে পারে।

ওভারহেড ট্যাঙ্ক

(২৬) ওভারহেড ট্যাঙ্ক হবে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের পশ্চিম দিকে।

আউট হাউস

(২৭) উত্তর অথবা পশ্চিম দিকে সীমানা দেওয়াল না ছুঁয়ে আউট তৈরী করতে হবে। আউট হাউসের উচ্চতা প্রধান দেয়ালের উচ্চতার কম হওয়া বাঞ্ছনীয়।

বিদ্যুৎ সংযোগস্থল

(২৮) বাড়ি দক্ষিণ-পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগস্থল করা শ্রেষ্ঠ। বিকল্পে দক্ষিণ বা উত্তর দিকে কখনওই বিদ্যুৎ সংযোগ করা চলবে না। কেননা উত্তর-পূর্ব দিকটি বাস্তুশাস্ত্র মতে পঞ্চভৌতিক তত্ত্বানুযায়ী জলীয়স্থান। সে কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বা প্রকৃতপক্ষে অগ্নি সংযোগ, শাস্ত্রীয় অনুকূল নয়।

বারান্দা

(২৯) বাড়ির বারান্দা করতে হবে উত্তর বা পূর্বদিকে। বারান্দার ছাদ ও বাড়ির ছাদের স্তর এক সমান যেন না হয়।

গ্যারেজ

(৩০) বাড়ির গ্যারাজ হওয়া উচিত বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর পশ্চিম অঞ্চল।

টেরাস

(৩১) টেরাস তৈরী করতে হবে উত্তর পূর্ব অংশে।

বসবার ঘর

(৩২) বাড়ির লোকজন ও অতিথিদের বসবার ঘর হবে পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিকে। বাড়ির কর্তা পূর্ব বা উত্তরমুখী হয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন করবেন।

পড়ার ঘর

(৩৩) পড়ার ঘর হওয়া উচিত বাড়ির উত্তর বা পশ্চিম দিকে। পড়ার সময় পূর্ব বা উত্তর দিকে তাকিয়ে পড়া উচিত। পড়ার টেবিলের ঢাকনা সবুজ হওয়া ভাল। পড়ার ঘরের দরজা উত্তর-পূর্ব দিক হওয়া শুভদায়ক।

ঠাকুর ঘর

(৩৪) ঠাকুর ঘর করা অবশ্য উচিত বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে। এই দিকটি জ্যোতিষ মতে বৃহস্পতি স্থান। বৈজ্ঞানিক মতে এই দিক ধনাত্মক শক্তির প্রাচুর্যে ভরা। মালিকানাযুক্ত ফ্ল্যাট বাড়িতে উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর সম্ভব না হলে সেইসব ফ্ল্যাটে ব্রহ্মস্থানে ছোট করে ঠাকুর ঘর তৈরী করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে যে কোন ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের আসন চলবে।

কর্তার শোয়ার ঘর

(৩৫) কর্তার শোয়ার ঘর হবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। কর্তার শোয়ার খাট দক্ষিণ-পশ্চিমের দেওয়াল থেকে কম পক্ষে তিন ইঞ্চি দূরে রাখতে হবে। শোয়ার সময় কর্তার মাথা দক্ষিণে ও পা উত্তরে থাকবে। মাথা যেন কখনও উত্তরে না থাকে।

(৩৬) শোয়ার ঘরের দরজা উত্তর পূর্ব দিকে রাখা উচিত।

(৩৭) প্রধান আলমারী ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিমে খাটের পাশে রাখতে হবে, যেন আলমারী মুখ থাকে উত্তর দিকে গৃহকর্তার টাকা পয়সা দরকারি কাগজ-পত্র ওই আলমারীতে রাখবেন। দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারী আলমারী রাখা সম্ভব না হলে গৃহকর্তার ঘরের উত্তর ছোট আলমারীতে টাকা-পয়সা রাখা হবে।

মেজেনাইন ফ্লোর

(৩৮) বাড়িতে মেজেনাইন ফ্লোর বানাতে হলে বাড়ির দক্ষিণ দিকে করা যেতে পারে।

বেসমেন্ট

(৩৯) বেসমেন্ট করা চলবে বাড়ির উত্তর-পূর্বদিকে। তবে বাড়ির দক্ষিণ বা পশ্চিম কোনও মতেই বেসমেন্ট করা উচিত নয়।

ব্রহ্মস্থান

(৪০) জমির মাঝখানটি হল ব্রহ্মস্থান। সেখানে বিম, কলাম, পিলার, দেওয়াল যেন না থাকে। অনুরূপ কারণে কোনও ঘরের মাঝখানে কোন ভারী জিনিস বসানো অবাঞ্ছনীয়।

ভাঁড়ার ঘর

(৪১) আলাদা করার সম্ভব হলে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে করা শ্রেষ্ঠ।

বক্সরুম

(৪২) বাড়ির টুকিটাকি জিনিস, পুরনো আসবাবপত্র, বিছানাপত্তর, পুরানো বাসনকোসন দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ঘরে অথবা যে কোন ঘরের (উত্তর পূর্ব বাদে) দক্ষিণ-পশ্চিমে উঁচু জায়গা বা লফট করে রাখা যেতে পারে।

বাগান

(৪৩) বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে বাগান করা সবচেয়ে ভালো। বিকল্পে উত্তর-পূর্বে বাগান করা চলবে।

জেনারেটর

(৪৪) বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির জেনারটর ঘর দক্ষিণ-পূর্বে করা শ্রেষ্ঠ। বিকল্পে উত্তর-পশ্চিমে করা চলবে। কিন্তু কোন মতেই বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে চলবে না।

আসবাব

(৪৫) আয়না রাখার আদর্শ জায়গা পূর্ব বা উত্তরের দেওয়াল। কোনমতেই দক্ষিন-পশ্চিম বা দক্ষিণ দেওয়ালে বড় আয়না টাঙানো যাবে না।

(৪৬) দেওয়াল ঘড়ি দক্ষিণ ছাড়া যে কোনও দিকে টাঙানো চলবে। তবে পূর্বদিকে টাঙানো সবচেয়ে ভালো। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম ঘরের দক্ষিণ দেওয়ালের দখিন-পশ্চিম কোণটি প্রয়াত পূর্বপুরুষের ছবি টাঙানো সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। বিকল্পে যে কোন ঘরের দেওয়ালে দক্ষিণ-পশ্চিমে টাঙানো চলবে।

(৪৭) বড় রেফ্রিজারেটর যে কোন ঘরের দক্ষিন-পূর্ব অথবা দক্ষিণ দিকে বসানো যেতে পারে। ছোট রেফ্রিজারেটর উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিম দিকে বসানো চলবে।

(৪৮) তবে বড় বা ছোট কোনও রেফ্রিজারেটরই কোনও উত্তর পূর্ব দেওয়ালে বসানো চলবে না।

(৪৯) টিভি যে কোন ও ঘরের উত্তর-পশ্চিমে বসানো সবচেয়ে ভালো। যেহেতু টিভি আমোদ-প্রমোদের সরঞ্জাম সে কারণে বিকল্প দক্ষিণ-পূর্বদিকে বসানো চলবে।

(৫০) বড় সোফাসেট বসার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ বা পশ্চিম দেওয়ালে রাখা উচিত।

(৫১) পূর্বদিকের ঘরের মধ্যে পূর্বে ওয়াশিং মেসিন রেখে কাচা উচিত।

গৃহপালিত জীবজন্তু

(৫২) গরু-ছাগল রাখা যাবে ঘরের বাহিরে জমির উত্তর-পশ্চিমে। কুকুর-বিড়াল থাকবে উত্তর-পশ্চিমে সিড়িঁর নীচে বা ঠান্ডা জায়গায়।

(৫৩) ছোটপাখি, শৌখিন পাখি রাখা যেতে পারে বাড়ি বা ঘরের উত্তর-পশ্চিমে। রঙিন মাছ রাখা চলবে বারান্দা বা ঘরের উত্তর পূর্ব দিকে।

ড্রয়িং রুম বা বসবার ঘর

(৫৪) বাড়ির পূর্বে বা উত্তর-পশ্চিমে বসবার ঘর করা যেতে পারে।

ডাইনিং রুম বা খাওয়ার ঘর

(৫৫) বাড়ির পূর্ব বা পশ্চিমে খাওয়ার ঘর করা যেতে পারে।

লিভিং রুম

(৫৬) লিভিং রুম প্রধানত নির্ভর করে প্রধান দরজার উপর। কারণ প্রধান দরজার সামনের ঘরটাই সাধারণত লিভিংরুম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পূর্বে বা পশ্চিমের ঘর লিভিং হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

বাদ্যযন্ত্রাদি রাখার জায়গা

(৫৭) গৃহের বিভিন্ন আসবারের মত সঙ্গীতের যন্ত্রাদি রাখার জন্যও নির্দিষ্ট স্থান বাস্তুশাস্ত্রে নির্দেশিত আছে। পেশাদার শিল্পীদের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, যথা- গিটার, হারমোনিয়াম, সেতার, সরোদ, সারেঙ্গি, তানপুরা, বীনা, বীন, তবলা, আধুনিক সিন্থেসাইজার, পিয়ানো ইত্যাদি বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকের ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণে রাখতে হবে। সঙ্গীত কারক গ্রহ চন্দ্র। আর উত্তর-পশ্চিম কোণে জ্যোতিষ মতে চন্দ্রের স্থান বলে ওই স্থানে বাদ্যযন্ত্রাদি রাখলে সঙ্গীতশিল্পীর পক্ষে শুভদায়ক। শিল্পীর সঙ্গীতজীবন পরিপূর্ণ হবে। তবে পুরানো দিনের বিশাল আকারের পিয়ানো রাখা চলবে উত্তর-পশ্চিম দিকের ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায়।

বিবিধ

জুতো রাখার জায়গা

(৫৮) বাড়ির দক্ষিণ ও পশ্চিম ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ পূর্বদিকের দেওয়ালে জুতো রাখার জায়গা করা যেতে পারে। বিকল্পে উত্তর-পশ্চিমের ঘরের দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বে রাখা যেতে পারে। কোনও মতেই কোন ও ঘরের উত্তর-পূর্বে রাখা অনুচিত।

আর্বজনা

(৫৯) বাড়ির আর্বজনা কখনো জমিয়ে রাখবেন না। ময়লা জমলেই সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁটা দিয়ে বাহিরে বের করে দেবেন। ময়লা রাখার জায়গা বাড়ির দক্ষিণ দিকে, বিকল্পে উত্তর পশ্চিমে করা যেতে পারে।

সীমানা প্রাচীর

(৬০) পূর্বমুখী জমি উত্তর পূর্বদিকের পূর্ব দিকে করতে হবে। পশ্চিমমুখী জমি উত্তর পশ্চিমের পশ্চিম দিকে করতে হবে।

(৬১) উত্তরমুখী জমি- উত্তর পূর্বের উত্তর দিকে করতে হবে। দক্ষিণমুখী জমি- দক্ষিণ পূর্বের দক্ষিণ দিকে করতে হবে।

বাস্তু মতে জীবনে উন্নতি সাধনের ১০টি উপায়

বাস্তুশাস্ত্র মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, এমন বিশ্বাস বাস্তুশাস্ত্র আপনার জীবনের উন্নতি সাধনের জন্য দিচ্ছে ১০টি পরামর্শ—

১. ঘরের প্রবেশদ্বারের সম্মুখে যদি কোনও দেওয়াল থাকে তাহলে সেই দেওয়াল খালি রাখবেন না। খালি দেওয়াল নিঃসঙ্গতার প্রতীক। কাজেই সেই দেওয়ালে একটাণেশের ছবি টাঙিয়ে দিন। আপনার পক্ষে ভাল হবে।

২. উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে ধ্যান করুন নিয়মিত। এটা অত্যন্ত শুভ অভ্যাস।

৩. উত্তর-পূর্বমুখী কোনও দেওয়ালে একটি লম্বা রাস্তার ছবি টাঙিয়ে দিন। এতে আপনার দুরদর্শিতা বৃদ্ধি পাবে।

৪. দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিন সূর্যমুখী ফুলের ফোটো বা আঁকা ছবি। অথবা হলুদ কিংবা সোনালি ফ্রেমে মোড়া যে কোনও ছবি টাঙান।

৫. পূর্বমুখী দেওয়ালে ঝোলান উদীয়মান সূর্যের ছবি।

৬. ছেলেমেয়েদের পড়ার টেবিলটিকে ঘুরিয়ে দিন পূর্ব দিকে। সন্তানের পড়াশোনায় উন্নতি হবে।

৭. স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমানোর সময়ে স্ত্রী পূর্বদিকে শুলে ভাল। দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতি হবে।

৮. বিছানার তলায় অপ্রয়োজনীয় জিনিস জড়ো করে রাখার অভ্যেস ছাড়ুন। এতে জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথ মসৃণ হবে।

৯. শোবার ঘরে কোনও চড়া রঙ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এত সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

১০. বাথরুমে টবে কোনও গাছ রাখুন। সংসারে নেগেটিভ এনার্জি দূরীভূত হবে।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1…/… KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me: www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1…/…



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=201803151

Thursday, March 15th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

বজরংবালীর দাদশ নাম

বজরংবালীর দাদশ নাম

জয় হনুমান …….

আজ মঙ্গলবার …. ভক্তিভরে পবিত্রমনে প্রতি মঙ্গলবার বজরঙ্গবলীর পূর্ণাঙ্গ পূজা ও প্রতি দিন তাঁর দ্বাদশ নাম জপ করলে শ্রী হনুমান স্বয়ং তাঁর ভক্তকে দশদিক এবং আকাশ ও পাতাল থেকে সৃ্ষ্ট যেকোনও বিপদ থেকে রক্ষা করেন ৷
-
বজরঙ্গবলীর দ্বাদশ নাম -----
-
৹ ওঁ হনুমতে নমঃ
৹ ওঁ অঞ্জনীসূতায় নমঃ
৹ ওঁ বায়ুপুত্রায় নমঃ
৹ ওঁ মহাবলায় নমঃ
৹ ওঁ রামেষ্টয় নমঃ
৹ ওঁ ফাল্গুনসখায় নমঃ
৹ ওঁ পিঙ্গাক্ষায় নমঃ
৹ ওঁ অমিতবিক্রমায় নমঃ
৹ ওঁ সীত শুক বিনাশনায় নমঃ
৹ ওঁ উদধিক্রমণায় নমঃ
৹ ওঁ লক্ষ্মনপ্রাণদাতায় নমঃ
৹ ওঁ দশগ্রীবদর্পহায় নমঃ

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me :www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180315

Wednesday, March 14th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

দগ্ধ গ্ৰহাদী

দগ্ধ গ্ৰহাদী


দগ্ধ গ্রহাদী (COMBUST PLANETS)

যখন 1 টি গ্রহ সূর্যের খুব কাছাকাছি বিচরণ করে তখন সেই গ্রহটি দগ্ধ হয়ে যায়, ইংরেজি তে যাকে আমরা combust planet বলে থাকি । প্রতিটি গ্রহের কিছু নির্দিষ্ট ও নিজস্ব গুন আছে কিন্তু যখন গ্রহটি দগ্ধ হয় তখন গ্রহটি তার নিজস্ব গুণাবলী ও সকরাত্মক গুণগুলি বিনষ্ট হয়ে যায় ,হারিয়ে যায়। . সূর্যের প্রচন্ড তাপের জন্য যে যে গ্রহগুলি সূর্যের নিকটে আসে,তারা নিজেদের .স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না এবং ফলস্বরূপ সেই গ্রহ রাগ,হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে থাকে এবং গ্রহটির যে শক্তি সেই শক্তি র ক্ষয় তো হয়েই থাকে এমনকি যে ঘরে গ্রহটি অবস্থান করে সেই ঘরের ক্ষতি করে।

মনে করা যাক 1 টি ব্যক্তি পুড়ে গেছে বা দগ্ধ হয়েছে কোনোভাবে,তাহলে সেই ব্যক্তির কি হতে পারে?

তখন সেই ব্যক্তি ব্যাথা,যন্ত্রনা,রাগ,বিরক্তির অভিব্যক্তি এবং সর্বোপরি শারীরিক ভাবে অসাচ্ছন্দ বোধ করে ।একই রকম ভাবে ঘটে যখন কোনো গ্রহ সূর্যের খুব নিকটে আসে ।
প্রতিটি গ্রহ বিভিন্ন বিভিন্ন ফল দেয় যখন তারা দগ্ধ হয় কারণ তারা জীবনের বিভিন্ন জায়গা কে ইঙ্গিত করে ।
1 টি গ্রহ তখনই দগ্ধ হয় যখন সেটি 1 টি নির্দিষ্ট ডিগ্রি তে সূর্যের কাছে থাকে । এই নির্দিষ্ট ডিগ্রি গুলো হলো ----
চন্দ্র - : 12 ডিগ্রি
মঙ্গল: 17 ডিগ্রি
বুধ: 14 ডিগ্রি – 12 ডিগ্রি যখন বক্রি
বৃহস্পতি: 11 ডিগ্রি
শুক্র : 10 ডিগ্রি যখন মার্গি, 8 ডিগ্রি যখন বক্রি
শনি : 15 ডিগ্রি

দগ্ধ চন্দ্র

চন্দ্র বোঝাই মা কে, আবেগ কে,মন কে,শান্তি কে,সংযোগ কে,মানুষের মনস্তাত্বিক বিষয় কে ।
কিন্তু যখন চন্দ্র দগ্ধ হয়, সেই ব্যক্তি নিস্তেজ, অচেতন ,কুঁড়ে হয়ে ওঠে এবং তাদের ভেতর রাগ এর উদ্রেক হয় কারণ চন্দ্র এর শীতলতা বাষ্পীভূত হয় সূর্যের তাপে । এর ফলে ব্যক্তি নিজেকে অশান্তি অনুভব কিরে নিজের মনে সবসময় ।সুসংগবদ্ধ হতে পারে না । চন্দ্র যেহেতু মা কে ইঙ্গিত করে,তাই মা এর সাথেও খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয় এবং সে অনুভব করে যে হয়তো সে মা এর থেকে সঠিক প্রতিপালন সে পায় না ।তাই সেই ব্যক্তি প্রায়শই বিষণ্ণতা ও নিদারুন যন্ত্রনার অনুভব করে ।

দগ্ধ মঙ্গল

মঙ্গল ইঙ্গিত করে লড়াই এর জন্য শক্তি,, আমাদের অন্তর্নিহিত রাগ, সাহস,বীরত্ব, ইচ্ছাশক্তি,নীতি ,শৃঙ্খলা ইত্যাদি ।
কিন্তু যখন মঙ্গল দগ্ধ হয়, তখন ব্যক্তির মধ্যে অধিক মাত্রা তে আগ্রাসন দেখা যায় ।দগ্ধ মঙ্গল অনুভব করে হতাশা যেন সে যথেষ্ট শক্তিশালী নয়,অদম্য নয়,বলিষ্ঠ নয় । এই ধরণের ব্যক্তি সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং তাদের ভেতর তর্ক প্রবণতা দেখা যায় ।শুধু তাই নয় ,তাদের মধ্যে "জিততেই হবে যেকোনো মূল্যে" এমন ব্যবহার দেখা যেতে পারে ।

দগ্ধ বুধ

বুধ চিহ্নিত করে যোগাযোগ, বিশ্লেষন, এবং মেধা শক্তি কে,শুধু তাই নয় বুধ গ্রহ নমনীয়তা ও যুক্তিপূর্ণ ও বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন চিন্তাভাবনারও কারক বলা হয় থাকে । যখন বুধ দগ্ধ হয়, তখন ব্যক্তি ধন্দে পড়ে যায়, মন বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে, দ্বন্দ্বে পড়ে যায় যে কোনটি ঠিক কোনটি বেঠিক ।বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও মেধাশক্তি র অভাব ঘটে ,,সঠিক সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে না ।ব্যক্তি খুব কুঁড়ে প্রকৃতির হয়ে থাকে,সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে । যোগাযোগ হীনতা ও ভুলবোঝাবুঝির মতো পরিস্থিতি ঘটে পারে ব্যক্তি ও অন্যান্যদের মধ্যে ।.

দগ্ধ বৃহস্পতি

বৃহস্পতি বোঝায় টাকা পয়সা, অর্থ,ন্যায়পরায়ণতা,বিশ্বাস,জ্ঞান,বিদ্যা,ভাগ্য,উচ্চ শিক্ষা,স্বামী কোনো স্ত্রীর জীবনে,ছেলেমেয়ে,ধার্মিক মনোভাব,ধর্ম ইত্যাদি ।।।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে বৃহস্পতি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে যে কারোর জীবনে ।কারণ বৃহস্পতি অনেক তথা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি কে নিয়ন্ত্রণ করে । যখন বৃহস্পতি দগ্ধ হয় তখন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোতে পীড়িত করে । ব্যক্তির মধ্যে হতাশার অনুভব হয় ,তার ভেতর আশার অভাব দেখা যায় । উদ্দেশ্যহীন জীবন ও ব্যক্তি নিজেকে ক্রমশই অযোগ্য ভাবতে শুরু করে বলে মনে হয় । ব্যক্তি নিজের বিশ্বাস এ দৃঢ় থাকে ও উদ্ধত হয় । ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার সন্তান বিষয়ে,বিয়ের ব্যাপারে,উচ্চ বিদ্যাতে, এবং অর্থনৈতিক ব্যাপারে ।।

দগ্ধ শুক্র

শুক্র বোঝায় বিলাসিতা,সম্পর্ক,ভালোবাসা,সৌন্দর্য, শৈল্পিক কলা,বাহন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা,উপলব্ধি,রসাস্বাধন ইত্যাদি ।এছাড়াও শুক্র বোঝায় বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব,সহজ সরল ভাবে ঘটে যাওয়া জিনিস, ও স্নেহপরায়ন মনোভাব ।।কিন্তু শুক্র যখন দগ্ধ হয়ে যায়, ব্যক্তি নিজেকে মূল্যহীন ভাবে,মনে করে যে সে কোনোরকম ভাবেই সমর্থন এর যোগ্য নয়। যার ফলে ব্যক্তি নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করে এবং সে আশা করে অন্যান্যরা তার প্রতি মনোযোগ দিক,যথেষ্ট যত্ন নিক ,শুধু তাই নয়,সে এমন আশা মনের মধ্যে বহন করে যে যাতে অন্য কেউ তাকে মর্যাদা জ্ঞাপন করে । ব্যক্তি মনে করে যে অন্যরা তার প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, ভালোবাসার অভাব যেনো সবসময় তাদের ভেতর কাজ করে যা মোটেও সত্য নয় ।সূর্য ও শুক্র এর যুতি একাধিক সম্পর্কের জন্ম দেয় ব্যক্তির জীবনে।সূর্য হলো শক্তির উৎস,কর্তৃত্ব,পেশা আর শুক্র হলো সম্পর্কের গ্রহ ।এই ধরণের মানুষের জীবনে এমন পরিস্থিতি আসে যখন তাদের কে বেছে নিতে হয় পেশা ও সম্পর্কের ভিতর যেকোনো 1 টিকে ।এটি মূলত নির্ভর করে রাশির উপর কোন গ্রহটি অধিক শক্তিশালী । এটা 1 টি বড় কারণ যে ব্যক্তির যেকোনো সম্পর্ক হামেশাই ভেঙে যায় এর ফল এ,এমনকি ব্যক্তি তার অপর ব্যক্তির থেকে দূরেও অনেক সময় চলে যায় ।

দগ্ধ শনি

শনি ইঙ্গিত দেয় পেশা,অফিস এর বস,গঠন,সংস্থান, সমিতি,শ্রমিকদের কাজ,কঠিন কাজ,দায়িত্ব,সরকার ,ন্যায়,বিচার,নিরপেক্ষতা ইত্যাদি ।শনি হলো যেকোনো পেশার মূল গ্রহ,এখন যদি শনি দগ্ধ হয়, তাহলে ব্যক্তির অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় পেশাগত ভাবে,তাদের উপর যেনো কোনো ভার চাপিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্বর ব্যাপারে । অফিসের বস অথবা উচ্চপদাধিকারী দের সাথে মনোমালিন্য দেখা যায় ।তাদের মধ্যে এমন মনে হতে পারে যে "তারা যথেষ্ট কাজ করেছে" আর এই মনোভাব যথেষ্ট অসন্তুষ্টির জন্যই হয় ।যার ফলে অসন্তুষ্টি বেশিরভাগ সাধারণ ঘটনা অথবা নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপারেও প্রভাব ফেলে । অতিরিক্ত কাজের ফলে তাদের মধ্যে তিক্ততা র জন্ম দেয়। এই অনিচ্ছা বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতি কে ঘোড়ালো করে তোলে ।

দগ্ধ রাহু ও কেতু

রাহু ও কেতু কখনো দগ্ধ হয় না বরং তারা সূর্যের শক্তি কে গ্রাস করে যেখানেই তারা সূর্যের সাথে যুতি তৈরি করুক । যার ফলে সূর্য তার গুণাবলী হারিয়ে ফেলে।.

সূর্য ও রাহু

এই সংযুক্তি যদিও ব্যক্তি কে খুব আত্মবিশ্বাসী করে তোলে তবুও ব্যক্তির মধ্যে অজানা ভয় ও চাপ অনুভব সৃষ্টি করে । কারণ সূর্য হলো অহং বা আত্মা আর রাহু হলো ভয় ও কৌতূহল । ব্যক্তি খুব অহংকারী ও স্বার্থপর হয়ে থাকে,তারা মনে করে যে তারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এবং তারা অপরকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেও পিছুপা হয় না । পিতার সাথে সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খারাপ হয় ।

সূর্য ও কেতু

এই যুতি থাকলে ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাস এর অভাব দেখা যায়।কারণ কেতু সবসময় চায় পরিপূর্ণতা । এই ধরণের ব্যক্তি যদিও তার ভিতরের আত্মবিশ্বাস সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয়,কারণ কেতু হলো ছায়া গ্রহ বা লুক্কায়িত গ্রহ ।কিন্তু তারা অবশ্য ভিতর ভিতর আত্মবিশ্বাস থাকে ।। ।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me : www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180314

Tuesday, March 13th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

শনি -রাহু যুতি

শনি -রাহু যুতি

শনি রাহু যুতি

( শ্রাপিত যুতি অথবা পিতৃ দোষ)

শ্রাপিত মানে হলো অভিশপ্ত এবং যোগ মনে হলো গ্রহ দের যুতি ।।
কুন্ডলি তে যদি শনি ও রাহুর যুতি দেখা যায় তাকেই আমরা শ্রাপিত যোগ অথবা পিতৃ দোষ বলে থাকি।।
একজন ব্যক্তি যার কুষ্টি তে এমন দোষ পাওয়া যায় সেই ব্যক্তি(পুরুষ অথবা মহিলা) বিলাসিতা ও আরাম,আনন্দ কে অনুভব করতে পারে না এমনকি তাদের সম্মুখে পর্যাপ্ত বিলাস সামগ্রী থাকা সত্বেও ।মনে করা হয়,এই যুতি হয় বিগত জন্মে কারোর দ্বারা অভিশাপ পাওয়ার দরুন অথবা গত জন্মে এমন কিছু খারাপ,অমঙ্গলসূচক কর্ম যা তিনি জেনে বুঝে অথবা নিজের অজান্তে করেছেন। এই দশা মোটেও ক্ষান্ত হয় না,কারণ এই দশা ,প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরেও চলতে পারে বলে মনে করা হয়।
কিছু কিছু জ্যোতিষীর মতে, এমনকি যখন শনি ও রাহু পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি দেয় তখন এই দশা হতে পারে । যদিও 1 টি প্রকৃত শনি রাহু শ্রাপিত দশা বা যোগ বা যুতি তখনই হয় যখন 2 টি গ্রহই একত্রে অবস্থান করে । এই শনি রাহু শ্রাপিত যুতি সত্যিই একটি খারাপ যোগ এবং এই যোগ জীবন এ প্রচন্ড কঠিন বাঁধা তৈরি করে এবং মাঝে মাঝে দেখা যায় যে গোটা জীবনটাই নষ্ট হয়ে গেছে কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্য না থাকার জন্য । অনেক জ্যোতিষী এটাও বিশ্বাস করেন যে যদি এই যোগ কারোর কুষ্টি যে থাকে ,সেক্ষেত্রে এই যোগ অন্যান্য ভালো যোগ যা কুষ্টি তে থাকে সেটিকেও নষ্ট ও শুন্য করে দেয় ।

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে এই শনি রাহি শ্রাপিত যোগ কি বংশানুক্রমিক???
চলুন এর ব্যাখ্যা করি ।আমাদের প্রথমেই 2 টি গ্রহের দৃষ্টি দেখতে হবে।

আমরা জানি রাহু তার নিজের জায়গা থেকে পঞ্চম,সপ্তম ও নবম দৃষ্টি দেয় ।
আমরা এটাও জানি যে নবম ঘর হলো পিতার ঘর,আবার নবম থেকে নবম হলো পঞ্চম ঘর যা কুল,বংশধর, সন্তান ,ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে নির্দেশ করে এমনকি এটি পিতামহ র ঘর বলেও মনে করা হয় । আবার যদি আমরা বিপরীত ভাবে দেখি ,তাহলে দেখতে পাবো নবম পিতার ঘর,সপ্তম ঘর স্বামী অথবা স্ত্রী যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আনয়নের জন্য দায়ী এবং পঞ্চম হলো সন্তান,বংসদগর ইত্যাদির ঘর ,তো আমরা বলতেই পারি যে এই যোগ চিহ্নিত করতে পারে বংশপরম্পরা ।।।

এবার আসা যাক শনির দৃষ্টি নিয়ে ।
শনি তার অবস্থান থেকে তৃতীয়,সপ্তম ও দশম দৃষ্টি দেয় ।যদি আমরা দেখি নবম ঘর সেটি সপ্তম ঘর থেকে তৃতীয় ,সপ্তম ঘর হলো পঞ্চম থেকে তৃতীয়,এবং পঞ্চম ঘর হলো তৃতীয় থেকে তৃতীয় ।সুতরাং কারোর কুষ্টি তে শনির কিন্তু একটি বিরাট প্রভাব থাকবেই ওই 3 টি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ঘর গুলিতে যেটি বংশের চক্রর সাথে সম্পর্কযুক্ত ।

শনি রাহু শ্রাপিত যুতি ঘটাতে পারে বিভিন্নরকম ঘটনা যেমন ---

দুঃখপূর্ণ ও অবসাদপুর্ণ বিবাহিত জীবন ,
ডিভোর্স,
আন্তরিকতাহীন সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে,
বিবাহপূর্ব গর্ভধারণ,, বারংবার গর্ভপাত,সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা,.কোনো কাজে ট্রেনিং ও পেশার ক্ষেত্রে বাঁধা,বিভিন্ন পারিবারিক অসুবিধা,এমনকি এই যুতি থাকলে জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অসময়ে মৃত্যু ঘটতে পারে যদি intercaste বিয়ে হয়।
ধর্ম পরিবর্তন,1 জন তার ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে(সম্ভবত inter caste বিয়ের ফলে),সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনা সেটি বিভিন্ন ভাবেও ঘটতে পারে এসব কিছুও কিন্তু এই যোগ থেকে দেখা হয়।।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me:www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180313

Monday, March 12th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

প্রেম ও বিবাহের জন‍্য রাশিমিল

প্রেম ও বিবাহের জন‍্য রাশিমিল

শুভ অপরান্থ
প্রেম, বিয়ের আগে মিলিয়ে নিন সঙ্গীর রাশি

রাশি ভেদে প্রেম সম্পর্কেও নানা উত্থান-পতন আসে। সঠিক রাশির সঙ্গী পেলে যেমন সোনার সংসার বাঁধা সম্ভব, তেমনই একটু এদিক ওদিক হলেই সহ্য করতে হবে রোজকার কচকচানি। তাই প্রেম বা বিয়ের আগে একবার নিজের রাশির সঙ্গে মনের মানুষটির রাশি মিল খাচ্ছে কী না তা দেখে নিন।

মেষ-- মেষ রাশির সঙ্গে মিথুন, সিংহ, ধনু এবং কুম্ভের বনিবনা বেশ ভালো। প্রেমের ক্ষেত্রে মিথুন এবং কুম্ভ মেষের জন্য অসাধারণ। ক্ষণস্থায়ী বা হালকা ধরনের সম্পর্কের জন্য বেছে নিতে পারেন এই দুই রাশিকে। আবার সিংহের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলাটা জীবনে এনে দিতে পারে খুব ইতিবাচক পরিবর্তন। যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গী চান, মানে কাউকে যদি সাত জন্মের জন্য পেতে চান, তা হলে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন ধনুকে। মেষের থেকে একেবারেই উল্টো প্রকৃতির তুলাও কিন্তু অনেক সময়ে ভালো সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। নিজেদের মধ্যেকার সাধারণ ভিন্নতাগুলো ভুলতে পারলে তুলা এবং মেষের প্রেম হয়ে উঠতে পারে একেবারেই অসাধারণ। কন্যা এবং বৃশ্চিকের সঙ্গে মেষের প্রেম সম্পর্ক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। কর্কট এবং মকর থেকে মেষকে দূরত্ব বজায় রাখাই উচিত।

বৃষ-- কন্যা-বৃষ প্রেম সম্পর্ক আবার খুব জমবে। এরা দু'জনেই জীবনে একটু শান্তি খোঁজেন, তাই সুখে শান্তিতে ঘর বাঁধতে কোনও সমস্যাই হবে না। আর জীবনে যদি সফল হতে চান তবে নিঃসন্দেহে বেছে নিন মকর সঙ্গী। তিনি আপনাকে ঠেলে ঠেলে কখন যে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন, তা টের পাবেন না আপনিও। কর্কটের সঙ্গে মিষ্টি প্রেম হতে পারে আপনার, তবে তার স্থায়িত্ব আপনাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে। কর্কট-বৃষ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে বিশ্বাসী। আর মীনের সঙ্গে বৃষের তৈরি হবে সত্যিকারের ভালোবাসা, যা পার করতে পারে সবরকমের বাধা। শুধু তাই নয়, ভালো বন্ধুত্বের সূচনা হতে পারে এই দুইয়ের মাঝে। বৃষের ঠিক উল্টো হলো বৃশ্চিক। বৃষ রাশিক জাতক হয়ে ভুলেও বৃশ্চিককে নিজের মনের মানুষ করে তুলবেন না। শত সাধ্য-সাধনার পর বৃষ-বৃশ্চিক প্রেম সফল হতে পারে। তুলা এবং ধনুর সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, তবে বেশি আশাবাদী না হওয়াই ভালো। আর সিংহের সঙ্গে সম্পর্কে না-জড়ানোই ভালো।

মিথুন-- ধনু এবং কুম্ভের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারে মিথুন। তবে মেষের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা গাঢ় হয় না। সম্ভাবনা থাকে দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিণতির। হাসিখুশি জীবনের জন্য বেছে নিতে পারেন সিংহ রাশির সঙ্গী। বৃশ্চিকের সাথেও বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে মিথুনের। তবে দূরত্ব বজায় রাখুন কর্কট, মকর, কন্যা এবং তুলা রাশির মানুষের থেকে।

কর্কট-- কর্কট রাশির জাতকরা বেশ সংবেদনশীল। মীন এবং বৃশ্চিক রাশির সঙ্গে কর্কটের সম্পর্ক বেশ ভালো হয়। মীন এবং বৃশ্চিক নিজের সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল, তাই সংবেদনশীল কর্কটের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খুব ভালো থাকে। একই কারণে শান্তিপ্রিয় বৃষের সঙ্গেও তার বেশ ভালো মিল হতে দেখা যায়। বিয়ের জন্য এই সবগুলো রাশিই কর্কটের জন্য ভালো। কন্যা রাশিও মন্দ নয়। কর্কট এবং কন্যার সংসারে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হতে দেখা যায়। তবে মেষ এবং তুলার সঙ্গে কর্কটের বনিবনা নেই। প্রেম বা বিয়ে, উভয় ক্ষেত্রেই অশান্তির সম্ভাবনা থাকে।

সিংহ-- এমন সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে যারা তার কর্তৃত্ব মেনে চলতে পারে। মেষ এবং ধনু সঙ্গীর সঙ্গে সিংহ জীবনে আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পায়। আবার তুলা এবং মিথুন রাশির সঙ্গীও তাদের জন্য খারাপ নয়, এরা সিংহকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বৃষ রাশির সঙ্গে সিংহের এক্কেবারেই খাপ খায় না, দু'জনেরই পালাই পালাই ভাব থাকে। আবার বৃশ্চিক এবং কুম্ভের সঙ্গেও সিংহ তার সম্পর্ক সহজে সফল করতে পারে না।

কন্যা-- কন্যার সঙ্গে বৃষের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তেমনি মকরের সঙ্গেও ভালো মিল হতে দেখা যায়। মকরের সঙ্গে বিয়ে কন্যার জন্য শুভ। এতে তেমন চোখ ধাঁধানো কোনও প্রেম কাহিনি তৈরি না-হলেও শান্তিপূর্ণ ও সুখী জীবনযাপনের সম্ভাবনা থাকে। অন্য রকম প্রেমের স্বাদ পেতে চাইলে কর্কট এবং বৃশ্চিক হয়ে উঠতে পারে কন্যার আদর্শ সঙ্গী। মিথুন এবং ধনুর সঙ্গে প্রেমের চেষ্টা না-করাই ভালো। কন্যার ঠিক উল্টো রাশি হল মীন। এর সঙ্গে কন্যার প্রেম সাধারণত সাফল্যের মুখ দেখে না।

বিয়ে তো হল, এখানে ক্লিক করে এবার দেখে নেবেন না, কোনও রাশির মা-বাবারা কেমন? মানে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী সন্তানকে কতটা দুধে-ভাতে রাখতে পারবে তা-ও দেখে নিতে ক্ষতি কী!

তুলা রাশি-- মিথুনের সঙ্গে সম্পর্কে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তুলা। এই সম্পর্কে একটা হালকা ভাব থাকে, যা দু'জনের মনকে ফুরফুরে করে তোলে। কুম্ভের সঙ্গে সম্পর্কেও এই স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে। তবে কুম্ভের সঙ্গে থাকলে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা যাচাই করে দেখার সাহস পায় তুলা। একটু অন্যরকম প্রকৃতির সিংহ রাশির মানুষের সঙ্গেও তুলার সম্পর্ক বেশ জমে ওঠে। এই জুটির বিবাহিত জীবনও হয় মধুর। ধনুর সঙ্গে তুলার সম্পর্ক হয় একটু অন্যরকম, স্বাভাবিক প্রেমের চেয়ে ভিন্ন স্বাদের। মকর এবং কর্কটের আশপাশে তুলার না-ঘেঁষাই ভালো। তুলার একেবারে উল্টো রাশি হল মেষ। খুব চেষ্টা করেও এই রাশির সঙ্গে মিলে ভালোবাসার পুল ফোটাতে পারবেন না। তা করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হবে।

বৃশ্চিক রাশি-- কর্কট এবং মীন রাশির সঙ্গে বৃশ্চিকের খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃশ্চিকের জীবনে কর্কট নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। তাই কর্কটকে নিজের জীবনে পাকাপাকি জায়গা দিতেও আগ্রহী হয় বৃশ্চিক। বৃশ্চিকের চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে বলে মীনের সঙ্গেও স্বচ্ছন্দ্যেই থাকে বৃশ্চিক। এই দুই রাশির সঙ্গে তুলার দীর্ঘস্থায়ী প্রেম এবং বিবাহিত জীবনের সম্ভাবনা ভালো। এছাড়াও শান্তিপ্রিয় কন্যা এবং মকর রাশির সঙ্গেও সম্পর্কে সুখি হয় বৃশ্চিক। সিংহ এবং কুম্ভের সঙ্গে একেবারেই মেলে না বৃশ্চিকের। আর বৃষ রাশির সঙ্গেও সম্পর্কে দেখা যায় টানাপোড়েন।

ধনু রাশি-- মেষ এবং সিংহের মতো শক্তিশালী চরিত্রের সঙ্গী পছন্দ করেন ধনু। সিংহের সঙ্গে সম্পর্কে নিজের জীবনের মান উন্নত করতে শেখে ধনু, আর মেষের সঙ্গে সম্পর্কে সে শেখে কী করে আরও স্বাধীন হওয়া যায়। তুলার সঙ্গে মোটামুটি ভালো সম্পর্কে স্থায়ী হতে পারে ধনু। কুম্ভের সঙ্গেও তৈরি হতে পারে অদ্ভুত এবং জারা হাটকে সম্পর্ক। মেষ এবং কর্কটের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে ঝামেলা হতে পারে।

মকর রাশি-- শান্তিপূর্ণ এবং সফল জীবনের জন্য মকরের আদর্শ সঙ্গী হলো কন্যা। একসাথে থাকলে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেন তারা। বৃষের সাথেও ভালো বনিবনা হয়ে থাকে তার, তাদের মাঝে বোঝাপড়ার পরিমাণ ভালো। এ ছাড়াও বৃশ্চিক এবং মীনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন মকর। তুলা এবং মেষ রাশির সাথে সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। কর্কটের সাথে সম্পর্কে দমবন্ধ হয়ে আসতে পারে মকরের এবং সেই সম্পর্ক টিকে না বেশিদিন।

কুম্ভ রাশি-- কুম্ভ এবং মিথুন রাশির প্রেমের মূল ভিত্তি বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে মিষ্টি এবং দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। তুলার সঙ্গেও সহজেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন কুম্ভ। এই সম্পর্কের ভিত্তি হবে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়া। ওপর দিকে মেষ এবং সিংহও হতে পারে কুম্ভের ভালো সঙ্গী। সম্পর্কে একটু দূরত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে চাইলে ধনুই কুম্ভের আদর্শ সঙ্গী। বৃষ এবং বৃশ্চিক এই দুইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে খাপ খাওয়াতে পারেন না কুম্ভ।

মীন রাশি-- সুখি বিবাহিত জীবনের জন্য বৃশ্চিক এবং কর্কট উভয় রাশিই মীনের জন্য আদর্শ। যদি তার চাইতেও গভীর প্রেম খুঁজতে চান তবে খুঁজে নিন মকর রাশির সঙ্গী, তার সঙ্গে আপনার মৃত্যুঞ্জয়ী প্রেম গড়ে ওঠা সম্ভব। বৃষ রাশির সঙ্গেও চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে মীনের। সুখি জীবন চাইলে, মিথুন ও ধনুর থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ACHARYA KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM (W.B)
PIN NO 731224
GOLD MEDALIST
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
Contact with me MINDSUTRA .COM
VISIT WITH ME : www.apnc.co.in
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180312

Sunday, March 11th, 2018

Astro Palmist Numerology Center

মাঙ্গলিক দোষের প্রতিবিধান

মাঙ্গলিক দোষের প্রতিবিধান


আজকের বিষয় মাঙ্গলিক :
বিয়ের সময় যারা কোষ্ঠী বিচারে বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের কাছে ভৌম দোষ নামেও এটি পরিচিত। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পাত্র বা পাত্রীর মঙ্গলের দোষ থাকলে, তাঁর বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। এমনকি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের ভৌম দোষ থাকলে, অন্যজনের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তবে ভৌম দোষ নিয়ে ভয় যেমন রয়েছে, তেমন তা কাটানোর নিদানও রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। ভৌম দোষের কম বা বেশি হতে পারে। কার জন্মছকে মঙ্গলের উপস্থিতি কী ভাবে রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মঙ্গলের দোষের প্রভাব। জন্মছকের ১২টি ঘরের মধ্যে যে কোনও পাঁচটিতে মঙ্গলের উপস্থিতিই একজনকে মাঙ্গলিক বানাতে পারে। সাধারণত দেখা গিয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষই মাঙ্গলিক।

শুধু মঙ্গল নয়, জন্মছকে শনি এবং রবির অবস্থানের উপরও মাঙ্গলিকের দোষ নির্ভর করে। মঙ্গলের প্রভাবে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, কিন্তু কোনও ভাবে মিলমিশও হচ্ছে না। এই অবস্থায় বিবাহিত জীবনে ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অন্যজন গুরুতর অসুখে ভুগতে পারেন, দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই মাঙ্গলিক হলে এই দোষ কেটে যায় বলে জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা আছে। বিবাহিত জীবন ছাড়াও মঙ্গলের দোষের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে পেশাগত জীবনেও।

মঙ্গলের প্রভাবে কী কী ক্ষতি হতে পারে -

* বিবাহিত জীবনে অশান্তি * মাঝেমধ্যে মাঙ্গলিক ব্যক্তি এমন আচরণ করতে পারেন, যার অর্থ তিনি নিজেই পরে খুঁজে পাবেন না। * প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা * কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সমস্যা * প্রজননে অক্ষমতা * মহিলাদের ঋতু সমস্যা * ভাই-এর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি * দুর্ঘটনা * রক্ত জনিত অসুখ * সম্পত্তির ক্ষতি

তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর নিদানও রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে বিশ্বাস করেন, তাহলে কোনও ভালো জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। এছাড়াও বিয়ের আগে মাঙ্গলিক পাত্র বা পাত্রীর যদি বিষ্ণুমুর্তি, গাছ বা অন্য কিছুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভৌম দোষ কেটে যায়। খোদ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন মাঙ্গলিক হওয়ায় অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগে তাঁকেও একটি গাছের সঙ্গে আগে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

জ্যোতিষ মতে ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক দশা বা মঙ্গলের প্রভাব বিবাহিত জীবন পুরো শেষ করে ফেলতে পারে। বিয়ের পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে যে কোনও একজনের ভৌম দোষ থাকলে বিয়ের আগে তা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একজন মাঙ্গলিক হলে আরেকজনের জীবন হানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সম্পর্কে অবনতি থেকে ডিভোর্স হওয়াও বিচিত্র নয়।

মঙ্গলের প্রভাবের ফলে আর সমস্যা হতে পারে, তা হল-

* আগুপিছু না ভেবে এমন কাজ করা, যার জন্য পরে অনুশোচনা হবে।
* প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা
* নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই সমস্যা
* যৌন অক্ষমতা
* ভাইয়ের সঙ্গে গুরুতর মনোমালিন্য
* দুর্ঘটনা
* রক্তজনিত অসুখ
* সম্পত্তিহানি

কেউ মাঙ্গলিক কিনা, তা কোষ্ঠী বিচার করে জানা যাবে।
কোষ্ঠীর মাঙ্গলিক দশা কাটানোর ৯টি উপায় ।
----------------------------------------------------------
আপনি কি মাঙ্গলিক? তবে জেনে নিন দোষ কাটানোর কিছু উপায়।
মাঙ্গলিক দশা অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের একটি বিশেষ অবস্থান থাকলে জীবনে নানা বাধা ও প্রতিকূলতা আসে। জেনে নিন এই দশা কাটানোর উপায়।
মঙ্গল দশা বা মাঙ্গলিক দশার কথা অল্প-বিস্তর জানেন সবাই। একে কুজ দশা, ভোম দশা বা অঙ্গরাখা দশাও বলা হয়। জন্মকুণ্ডলীর প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের মধ্যে যে কোনও একটিতে যদি মঙ্গল অবস্থান করে তবে সেই জাতক বা জাতিকাকে মাঙ্গলিক বলা হয়। এই দশা থাকলে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল হয়।

এছাড়া বলা হয় স্ত্রী যদি মাঙ্গলিক হন তবে স্বামীর পেশাগত জীবনে অবনতির সম্ভাবনা থাকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বামীর মৃত্যুও হতে পারে। তাছাড়া মঙ্গল দশার জন্য প্রবল অর্থক্ষয় হয় এবং জীবনে উন্নতির পথে বার বার বাধা আসতে থাকে।

এই দশা কাটানোর একাধিক উপায় রয়েছে—

১. যদি দু’জন মাঙ্গলিকের মধ্যে বিবাহ হয়, তবে দু’জনেরই এই দশা কেটে যায়।

২. কুম্ভবিবাহ নামের একটি রীতির মাধ্যমে বিয়ের আগে কাটানো হয় মঙ্গল দশা। এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে হয় একটি কলাগাছ বা পিপুল গাছ অথবা ভগবান বিষ্ণুর একটি স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

৩. নিয়ম করে প্রতি মঙ্গলবার উপবাস রাখলে এবং শুধুমাত্র অড়হর ডাল সেবন করলে আস্তে আস্তে কেটে যায় এই দশা।

৪. প্রতি মঙ্গলবার নবগ্রহ মন্ত্র উচ্চারণ করলে এই দোষ কেটে যায়। আবার প্রতিদিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে বা প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করলেও কেটে যায় মঙ্গল দশা।

৫. নবগ্রহ মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দিলে কেটে যায় মঙ্গল দশা। কিন্তু নবগ্রহ মন্দিরের সংখ্যা একেবারেই হাতে-গোনা। মঙ্গলদেবের জন্য নির্দিষ্ট মন্দির রয়েছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় এবং গুয়াহাটিতে। তাই পরিবর্তে প্রতি মঙ্গলবার শ্রীহনুমান মন্দিরে সিঁদুর ও মিষ্টি সহকারে পুজো দেওয়া ভাল। সঙ্গে জ্বালতে হবে একটি ঘিয়ের প্রদীপ।

৬. মঙ্গলবার দানধ্যান করলেও তুষ্ট হন মঙ্গলদেব। এছাড়া তলোয়ার, ছুরি, মুসুর ডাল, লাল সিল্ক, রক্তপ্রবাল ইত্যাদি লাল বস্তু নিবেদন করলেও সন্তুষ্ট হন তিনি।

৭. যাদের মঙ্গল দশা থাকে তাদের সাধারণত জ্যোতিষমতে রক্তপ্রবাল ধারণ করতে বলা হয়। তবে কোনও জ্যোতিষশাস্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও কিছু ধারণ করা উচিত নয়।
৮) প্রত‍্যহ স্নান করে লাল বস্ত্র পরে মঙ্গল ও তার ইষ্টদেবী
মা বগলামুখীর ১০৮বার করে জপ করলে এই দোষ প্রসমিত হয়।
ক)মঙ্গলের বীজমন্ত্র :ঔঁ হূং শ্রীং মঙ্গলায় ।
খ)মা বগলামুখীর বীজমন্ত্র: ঔঁ হ্রীং ক্লীং ঔঁ বগলামু্খ‍্যৈ নমঃ ।
সুপ্রভাত সকল বন্ধুরা

KUSH MUKHERJEE
RAMPURHAT CHAKLAMATH BIRBHUM
WHATSAPP NO 9233172388
CONTACT NO 7001608953
ONLINE PORISEVA DEWA HOI
MY PAGE NAME IS ASTRO-PALMIST-NEUMEROLOGY CENTER
PLEASE LIKE&SARE
https://m.facebook.com/Astro-Palmist-Neumerology-Center-1569956439973629/?ref=bookmarks



Blog Url:
https://apnc.co.in/blog.php?blog=20180311